Tuesday, July 8, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1883



হয়তো_ভালোবাসি Part_17

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_17
#Writer_Eshetaq_Nora

নীড়ঃ নেশা এইসব কি বলছো।। কিছু কি হয়েছে।।আমায় বলো।।আমার থেকে কিছু লুকিও নাহ।।

নেশাঃ কি হবে আজব তো।।আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো নাহ।।।এইটাই ফাইনাল।

বলেই হনহন করে ছাদ থেকে নেমে রুমে চলে এলো।

নীড় এখনো ছাদেই বসে আছে।।

নীড়ঃ কি বলে গেল এগুলো নেশা। আমি জানি তুমি কোন প্রবলেম এ আছো। কিন্তু আমায় বলছো নাহ।।আমি জেনেই ছাড়বো কি হয়েছে তোমার।।এতো বছর পর তোমায় পেয়েছি নিজের কাছে আর হারাতে দিবো নাহ

সকালে

সবাই ড্রয়িংরুমে বসে চা খাচ্ছে।।এইসময়ই নেশা আসে হাতে লাগেজ নিয়ে।

নেশাঃ আন্টি আঙ্কেল আমি চলে যাচ্ছি।

কথাঃ কি বলছো এইসব নেশা।হঠাৎ কেন??

নেশাঃ আন্টি আমি এখানে থাকতে পারবো নাহ।।প্লিজ আমায় যেতে দিন।

কবিরঃ তোমাকে কি কেউ কিছু বলেছে নেশা?

নেশাঃ নাহ আঙ্কেল কেউ কিছু বলেনি।কিন্তু আমি এখানে এতোদিন থাকতে পারবো নাহ।।

কথাঃ কিন্তু নেশা..

নেশাঃ প্লিজ আন্টি আপনি বোঝার চেষ্টা করুন।।আমি এই বাড়ির কেউ নই।।তো শুধু শুধু আমার এই বাড়িতে থাকা মানায় নাহ।।

নীড়ঃ তুমি এই বাড়ির হবু বউ তা তুমি কি ভুলে গেছো
( সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে)

নেশাঃ কিসের হবু বউ। আমি কারো হবু বউ নাহ।আমি এই বিয়ে করবো নাহ( দাতে দাত চেপে)

নীড়ঃ তোমাকে তো এই বিয়ে করতেই হবে জান।যদি তোমার মত থাকে তাহলে ভালো।আর যদি মত না ও থাকে আমার কিছু করার নেই?

নেশাঃ ??

নীড়ঃ এখন লক্ষী মেয়ের মতো রুমে যাও।

নেশাঃ আমি এই বাড়িতে থাকবো নাহ।

নীড়ঃ তোমাকে এই বাড়িতেই থাকতে হবে জান।

নেশাঃ এটা কি মামার বাড়ির আবদার পেয়েছেন

নীড়ঃ ওমা মামার বাড়ির আবদার হবে কেন।এটা জামাই বাড়ির আবদার ?

নেশা কিছু নাহ বলে বেড়িয়ে যেতে নিলো।নীড় এসে নেশা কে কোলে তুলে নেশার রুমে নিয়ে গেল।।নেশা নামার জন্য নড়াচড়া করছে।

নীড়ঃ এই মেয়ে একদম সাপের মতো মোচড়ামুচড়ি করবা নাহ।আছাড় মেরে ফেলে দিবো বলে দিলাম।

নেশাঃ ফেলে দিতেই তো বলছি।।

নীড়ঃ ইসস সখ কতো।। আমার ১০ টা নাহ২০ টা নাহ একটা মাত্র বউ তাকে নাকি আমি কোল থেকে ফেলে দিবো।

নীড় গিয়ে নেশাকে রুমে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে চলে গেল।

নেশাঃ নীড় আপনি এমনটা করতে পারেন নাহ।।আমি এখানে থাকবো নাহ।নীড় দরজা খুলুন।নীড়( দরজা তে ধাক্কা দিতে দিতে কথা গুলো বললো।কিন্তু নীড় তো চলে গেছে)


বিকালে

নেশা পুলিশকে ফোন দিয়ে জানালো।তারা নীড়দের বাড়ি আসলো।

কবিরঃ পুলিশ অফিসার আপনি এখানে!

পুলিশঃ মি. কবির আহমেদ। এইবাড়ি থেকে নেশা নামের একটা মেয়ে বলেছে যে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে।আমরা সেই জন্য তাকে বাঁচাতে এসেছি।

নীড়ঃ নেশা এই কাজ করেছে!!

পুলিশঃ জি উনি কোথায়।উনাকে নিয়ে আসুন।উনার মুখ থেকেই সব শুনে নিবেন।

নীড় গিয়ে নেশাকে নিয়ে আসলো।

নীড়ঃ তুমি উনাদের বলেছো যে আমরা তোমায় আটকে রেখেছি?

নেশাঃ হ্যাঁ বলেছি।।আটকেই তো রেখেছেন।একজন অপরিচিত মেয়েকে নিজেদের বাড়িতে আটকে রেখেছেন।

নীড়ঃ নেশা আমি যা করতে চাই নাহ তা আমাকে করতে বাধ্য করো নাহ।?

নেশাঃ দেখলেন অফিসার। উনি কিভাবে কথা বলছে।

পুলিশঃ আপনি আমাদের সামনে উনার সাথে এভাবে কথা বলতে পারেন নাহ।

নীড়ঃ যাস্ট শাট আপ। ও আমার হবু ওয়াইফ। ওর সাথে আমি কিভাবে কথা বলবো তা কি আপনি বলবেন??

নেশাঃ কিসের হবু ওয়াইফ। আমি এই বিয়ে করবো নাহ।

পুলিশঃ এইভাবে আপনারা একজন অপরিচিত মেয়েকে আটকে রাখতে পারেন নাহ।।এটা অন্যায়।
উনাকে উনার বাড়ি যেতে দিন।

নীড়ের মাথায় এবার রক্ত উঠে গেল। গিয়ে নেশার হাত চেপে ধরলো।

নীড়ঃ চলো আমার সাথে?বাবা হ্যান্ডেল দেম।আমি নেশাকে নিয়ে যাচ্ছি।

নেশাঃ আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।আমি যাবো নাহ কোথায়।অফিসার হেল্প মি।

পুলিশঃ আরে উনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।

কবিরঃ আপনি বসুন অফিসার আমি আপনায় সব বুঝিয়ে বলছি।

এইদিকে নীড় নেশাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে গাড়িতে বসালো।
নেশা বের হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।কিন্তু গাড়ি লক করা।

নেশাঃ কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়।আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো নাহ।

নীড় কিছুই বললো নাহ সোজা ড্রাইভ করছে।।গাড়ি একদম নিয়ে কাজি অফিসের সামনে থামালো।নেশা জানলা দিয়ে দেখেই বুঝে গেল এখন কি হতে চলেছে।

নেশাঃ নীড় প্লিজ দেখুন এইসব ঠিক হচ্ছে নাহ।।আপনি আমার সাথে এমন করতে পারেন নাহ।

নীড় কোন কথাই না শুনে নেশাকে টানতে টানতে কাজি অফিসের ভিতরে নিয়ে গেল।

নীড়ঃ স্যার। বিয়ের কাগজ পত্র রেডি?

কাজিঃ আপনি?

নীড়ঃ আমি নীড় আহমেদ। রাতে যে ফোন করেছিলাম।

কাজিঃ ওহহ হ্যাঁ। এই নিন পেপার। সাইন করে দিন।

নীড় ফটফট করে সাইন করে নেশার দিকে পেপার টা ধরলো।

নীড়ঃ আমি জানতাম তুমি এমন একটা কিছু করবে।তাই আগে থেকেই সব প্লেন করে নিয়েছে।।এখন সাইন করো।

নেশাঃ আমি কিছুতেই সাইন করবো নাহ।।মরে গেলেও নাহ।

নীড়ঃ আমি বলছি নেশা সাইন করো।। প্লিজ জেদ করো নাহ।

নেশাঃ আমি করবো নাহ।

নীড়ঃ জানতাম তুমি ভালো কথা শুনার মানুষ নাহ।

নীড় পিছন থেকে একটা গান বের করলো।

নেশাঃ এইসব কি।।আপনি আমায় মেরে ফেললেও সাইন করবো নাহ।

নীড়ঃ তোমায় কে মারবে বললো।তুমি সাইন না করলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।

বলেই নীড় নিজের মাথায় গান ঠেকালো।

নেশাঃ ককি পপাগলামো ককরছেনন নীড়ড়।।গগানন নামমানন।

নীড় একটা ফাঁকা গুলি করলো।

নেশা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো।তারপর আবার চোখ পিটপিট করে তাকালো।দেখলো নীড় হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে।

নীড়ঃ পরেরবার আর মিস হবে নাহ।।তুমি কি সাইন করবে নাকি আমি..

নেশাঃ ননাহহহহ।। আমমি সসাইনন করে দদিছি।

নেশা কাপা কাপা হাতে সাইন করে দিলো।

নীড় মুচকি হেসে কাজির সাথে হাত মিলিয়ে নেশার হাত ধরে গাড়িতে উঠলো।। তারপর ড্রাইভিং করতে লাগলো।
নীড় তো সেই খুশি।।নেশা এখন পার্মানেন্টলি তার বউ।।কিন্তু নেশা সেই কখন থেকে কেদেই যাচ্ছে।


নীড়ঃ আহ নেশা এতো কাদছো কেন।।মনে হচ্ছে জামাই মরে গেছে।

নেশা নীড়ের দিকে অবাক হয়ে তাকালো।

নীড়ঃ আরে এইভাবে তাকাছো কেন। আমাকে কি খুব সুন্দর লাগছে নাকি।।

নেশাঃ ?????

নীড়ঃ উফফ আবার কাদে।।আরে কাদার কি আছে এইভাবে বিয়ে হয়েছে তো ভালোই হয়েছে।।যদি বড় অনুষ্ঠান করে বিয়ে হতো তাহলে কতোদিন অপেক্ষা করতে হতো।। এখন আর অপেক্ষা করতে হবে নাহ।।যখন ইচ্ছা আদর করতে পারবো?

নেশাঃ ???

নীড় বকবক করতে করতে গাড়ি নিয়ে বাড়িতে ঢুকলো।

নেশাঃ এইটা কোথায়। এইটা তো আপনার বাড়ি নাহ।

নীড়ঃ এইটা আমাদেরই বাড়ি।।কিন্তু আরেকটা। এখানে মাঝে মাঝে সবাই আসি।

নেশাঃ ওহহ।তো এখানে কেন আনলেন

নীড়ঃ হানিমুন করতে?

নেশাঃ কিহহহ?????

নীড়ঃ ওমা বিয়ে করেছি তো হানিমুন করবো নাহ??

নেশাঃ আমি বাড়ি যাবো।

নীড়ঃ যাবো তো।।এখন এই বাড়িতে।

নীড় নেশাকে কোলে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে গেল।নেশা নামার জন্য ছুটাছুটি করেও কোন লাভ হলো নাহ।
নীড় নেশাকে নিয়ে সোজা রুমে চলে গেল।

নেশা খেয়াল করলো রুমটা নীড়ের রুমের মতোই। কিন্তু এখানে ফার্নিচার অনেক কম।

নীড়ঃ আচ্ছা তোমার তো কোন জামা কাপড় আনা হলো নাহ।আমি গিয়ে নিয়ে আসি।।বেশিখন সময় লাগবে নাহ।।আর যদি কিছুর দরকার হয় তাহলে রহিম চাচাকে বলো।উনি নিচে আছে।।এই বাড়ির কেয়ারটেকার

নীড় চলে যেতে নিলে আবার কিছু একটা ভেবে ফিরে আসে।

নীড়ঃ ভুলেও পালানোর কথা ভেব নাহ।আমি সব লক করে যাচ্ছি।।পাসওয়ার্ড ছাড়া খুলবে নাহ।।সো চেষ্টা করে লাভ হবে নাহ।

নেশাঃ এইজন্যই আপনি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন তাই নাহ।।যাতে পালাতে নাহ পারি।

নীড় উত্তরে শুধু একটা হাসি দিয়ে চলে গেল।।

নেশা ধপ করে খাটে বসে পড়লো।সে কি ভেবেছিলো।আর কি হয়ে গেল।

নেশাঃ কি করবো এখন আমি।।নাহ মাথা কাজ করছে নাহ।।আগে একটু ফ্রেশ হয়ে নেই।

নেশা ফ্রেশ হতে চলে গেল।।তারপর রুমে এসে টাওয়াল খুজতে লাগলো।নীড়ের কাবার্ড খুলে পেয়ে গেল।হাতে নিয়ে যেই নাহ মুখ মুছতে গেল পিছন থেকে কেউ একজন নেশার কোমড় চেপে নিজের সাথে মিলিয়ে নিলো।। নেশার পিঠ লোকটা তার বুকের সাথে লাগিয়ে নিলো।

লোকটিঃ কেমন আছো নেশা।

কানের কাছে খুব স্লো ভয়েসে বললো কথাটা।।নেশার হাত থেকে টাওয়াল টা পরে গেল। সারা মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
সেই কন্ঠ যা নেশা ১ বছর আগে এতো কাছ থেকে শুনেছিলো।কি করে ভুলবে এই কন্ঠটা।।তারপর উপর লোকটার শরীরে সেই চিরোচেনা গন্ধ।নেশার চোখ মুখ ভয়ে লাল হয়ে গেছে।সারা শরীর অবশ হয়ে গেছে।

নেশার কোন উত্তর নাহ পেয়ে লোকটি নেশার কাধের চুল গুলোতে নিজের মুখ ডুবালো। ঘ্রাণ নিতে থাকলো নেশার চুলের।

লোকটিঃ আজ ১ বছর পর তোমার এই ঘ্রাণ পেলাম।।কি আছে তোমার মাঝে বলো নাহ।।কোথায় কারো কাছে এই সুবাস আমি পাইনি।।শুধু তোমার কাছে পেয়েছি।

নেশার কাধের চুল সরিয়ে নেশার কাধে নাক ডুবালো।
নেশার কাধে নাক ঘষলো।

লোকটিঃ পাগল করে দেবে তোমার এই ঘ্রাণ। কতো চেষ্টা করলাম তোমার এই ঘ্রাণ কে ভুলার।ভুলতেই পারলাম নাহ। যার কাছেই যাই নাহ কেন শুধু তোমার কথা মনে হয়েছে।তোমায় যে আবার ফিরে পাবো তা ভাবতে ও পারিনি।

বলেই নেশার কাধের কালো জিনিসটায় কিস করলো.

নেশা চোখমুখ খিচে রাখলো।লোকটাকে পারছে নাহ সরিয়ে দিতে।।হাত পা যেন ঠান্ডা হয়ে জমে গেছে ভয়ে।

লোকটি এবার নেশাকে নিজের দিকে ঘুরালো।নেশা ভয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।।আর যাই হোক এই লোকের চোখের দিকে তাকানো তার পক্ষে সম্ভব নাহ।

লোকটি নেশার গলায় লেপ্টে থাকা চুলগুলোকে হাত দিতে সরিয়ে গলায় নিজের নাক ঠেকালো।কিছুক্ষণ জোরে জোরে নিশ্বাস নিলো।নাহ সে নেশার গলায় কিস করছে নাহ।শুধু ঘ্রাণ নিচ্ছে।।নেশার ঘ্রাণ যে তার কাছে যে কোন কিছুর থেকে অনেক বেশি দামী।

লোকটিঃ উফফ নেশা।।তোমার এই পাগল করা ঘ্রাণ আমায় ঠিক থাকতে দিচ্ছে নাহ।।কি করি বলতো।ইচ্ছে করছে তোমার এই ঘ্রাণে নিজেকে শেষ করে দিতে।। তোমার এই রুপের মাঝে হারিয়ে যেতে।তবে আর বেশি দিন নাহ।।এইবার আর আমাদের মাঝে কোন বাধা নেই।।তোমাকে এইবার আমি নিজের করে নিবো।।আমার রাজ্যের রানী করে।

কথাগুলো নেশার কোমড় হাত রেখেই বলছে লোকটা।।তার উপর নাক আর ঠোঁট গুলো নেশার গলায় লেগে আছে।কথা বলার সময় লোকটার কাপা ঠোটের পরশ গুলো নেশার গলায় লাগছে।।যা নেশার মাঝে অস্থীরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।।লোকটার গরম নিশ্বাস নেশার শরীরে কাপুনি জাগাচ্ছে।।ও যে আর পারছে নাহ।।আরেকটু হলেই হয়তো জ্ঞান হারাবে।

লোকটিঃ কি হলো চুপ করে আছো কেন।নিরবতা সম্মতির লক্ষন।তা কি তুমি জানো।

এখনো লোকটা নেশার গলায় মুখ দিয়ে রেখেছে।

লোকটিঃ মাই কুইন। মাই এডিকশন।নেশা নামটা তোমার জন্য পার্ফেক্ট। তুমি সত্যিই একটা ভয়ংকর নেশা।যা থেকে বের হওয়া অসম্ভব।

লোকটা কথাগুলো খুব ধীরে ধীরে আর ঠান্ডা ভাবে বলছিল।।যার ফলে নেশার ভয়টা ক্রমশ বেড়ে যেতে থাকে।তবুও সাহস জুগিয়ে বলার চেষ্টা করে।

নেশাঃ দদেকখুন যযা হয়েছছে তা হয়ে গগেছে।।আয়ামি এখনন নীড়ড়ের ওওয়াইইফফ।আপননিও ককাউকে ববিয়ে ককরে নিনন

কথাটা বলতে নাহ বলতে লোকটা নিজের কোমড় থেকে ছুড়ি টা বের করে নেশাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে তার চোখ বরাবরা ছুড়ি টা রাখলো।

নেশা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো।ছুড়িটা তার চোখের এতোটাই কাছে যে চোখ বন্ধ করার সময় চোখের পাপড়ির সাথে ছুড়ির আগাটা লেগে যায়।

লোকটিঃ তুমি কিভাবে এগুলা বললে জান।।আমি তোমায় ভালোবাসি নাহ যে তোমায় অন্যকারো সাথে সুখে থাকতে দিয়ে দিবো।।তুমি আমার নেশা।।আমার আসক্তি।। তোমাকে আমার চাই।অন্যকাউকে তার ভাগ কিভাবে দিবো বলো।আর যে ভাগ নিতে আসবে তাকে আমি….

নেশাঃ প্লিজ ননীড়েরর ককিছু করবেনন ননাহ।।আমাকে ককিছুদিন সময় দিনন আমি সসব ঠিক ককরে দিবো??

লোকটিঃ এইতো আমার রানীর মতো কথা।।দিলাম তোমায় সময়।যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার কাছে চলে আসো।

বলেই লোকটা চলে গেল।।নেশা চোখ খুলে লোকটাকে পেল নাহ।।দেয়াল ঘেষে নিচে বসে পড়লো।।

চলবে?

( ধাক্কাধাক্কি করবেন নাহ।দেশের অবস্থা বেশি ভালো নাহ।।আর মাস্ক ছাড়া একদম আমার গল্প পড়া যাবে নাহ???।করোনার কারনে নীড় আর নেশার বিয়েতে কাউকে দাওয়াত দিতে পারলাম নাহ।।?কেউ রাগ করবেন নাহ কিন্তু?)

হয়তো_ভালোবাসি Part_16

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_16
#Writer_Eshetaq_Nora

নীড় জামা পাল্টে নেশার রুমে এসে দেখলো নেশা খাটে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে।।চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে।

নীড়ঃ এই নেশা কি ভাবছো।।তোমার চুল থেকে তো পানি পড়ছে।।ভালো করে মুছোনি।

নেশার ভাবনায় ছেদ পরলো নীড়ের কথায়।নীড়ের দিকে তাকালো।

নেশাঃ একি আপনি।।জামা পাল্টালেন কখন

নীড় ভ্রু কুচকে নেশার দিকে তাকালো।

নীড়ঃ লাইক সিরিয়াসলি। ১ ঘন্টা হয়ে গেছে আমি এইখান থেকে গিয়েছি।

নেশাঃ ওহহ

নীড়ঃ কি হয়েছে নেশা।কিছু কি ভাবছো তুমি[ নেশার পাশে বসে]

নেশাঃ আপনি ওই সময় আমায় ছেড়ে দিলেন কেন

নীড়ঃ মানেহ??

নেশাঃ কি মানে।।বলুন নাহ ছেড়ে দিলেন কেন। ?

নীড়ঃ আরে বোকা কাদছো কেন।।দেখ বিয়ের আগে এইসব ঠিক নাহ।।এতে তোমারই ক্ষতি হতে পারে।

নেশাঃ তারমানে আপনি আমায় ছেড়ে দিবেন?

নীড়ঃ আরে আমি ওইটা কখন বললাম।আচ্ছা এখন জমা রাখি।বিয়ের পর লাভে আসলে শোধ করে দিব?

নেশাঃ হুম।

নীড়ঃ লাইক সিরিয়াসলি। আমার রোমান্স এর জন্য মুড অফ করে বসে আছো।।হাও কিউট?

নেশাঃ আমি ঘুমাবো। গুড নাইট।

নীড় হেসে লাইট অফ করে রুম থেকে চলে গেল।

নীড় ভাবছে নেশা তাকে কাছে পাওয়ার জন্য কথা বলছে।কিন্তু নেশা তো এইটা ভেবে জিজ্ঞাসা করেনি।ও মনে করেছে নীড় কিছু বুঝে গেছে তাই ওইসময় ওকে ছেড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেছে।কিন্তু তাতো আর নীড় জানে নাহ।

পরেরদিন

সকালে সবাই ঘুরতে গেল।।সায়ানদের বাড়ির সামনের একটা পার্কে।

নীড় খেয়াল করলো কয়েকজন লোক তাদের সাথে তাদের পিছনে পিছনে আসছে।নীড় গিয়ে লোক গুলোকে ধরলো।

নীড় খেয়াল করলো লোকগুলো দেখতে কেমন যেন।।একটি বডিগার্ড টাইপের।

নীড়ঃ এই আপনারা এতোক্ষণ ধরে আমাদের পিছন পিছন আসছেন কেন???

নেশাঃ আমি ওদের নিয়ে এসেছি নীড়।

নীড়ঃ কেন!!

নেশাঃ ওরা আমার বডিগার্ড। ওরা আমাদের প্রোটেকশন দিবে।

নীড়ঃ কিন্তু কিসের প্রোটেকশন। এইখানে আমাদের কি হবে।

নেশাঃ জানি নাহ।।কিন্তু আমার মন হচ্ছে কিছু একটা গন্ডগোল আছে।

নীড়ঃ উফফ নেশা কুল।।এতো টেনশন কেন নিচ্ছো।।এইখানে কে আমাদের ক্ষতি করবে।।আর ওদের এইখানে থাকতে হবে৷ নাহ।।সবাই একসাথে ঘুরতে এসেছি।এমন বডিগার্ড সাথে থাকলে কেমন যেন লাগে।

নেশাঃ নীড় আপনি বুঝার…..

নীড়ঃ কোন কথা নাহ।।আমি যা বলেছি তাই হবে।

[ বলেই নীড় চলে গেল]

নীড়ঃ মনে মনে- কই ঘুরতে এসেছি বউয়ের সাথে একটু রোমান্স করবো তা নাহ সারাদিন নাকি বডিগার্ড পিছন পিছন ঘুরবে। হুহ?

নেশা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সবাইকে চলে যেতে বললো।

তারপর নীড়ের পাশে গিয়ে বসলো।নীড় পার্কের ছোট ডোবার সামনে চেয়ারে বসে আছে।

নেশাঃ ওদের চলে যেতে বলেছি।

নীড়ঃ ওহহ[ ডোবার দিকে তাকিয়ে]

নেশাঃ আপনি কি কিছু ভাবছেন?

নীড়ঃ কই নাহ তো

নেশাঃ তাহলে কি রাগ করেছেন

নীড়ঃ আরে নাহ।।রাগ করবো কেন।।আসলে পরিবেশ টা অনেক সুন্দর তাই চুপ করে ফিল করার চেষ্টা করছি।তুমি ও করো।

নেশাও চুপ করে দেখতে লাগলো।সত্যিই পরিবেশ টা অনেক সুন্দর আর শান্ত।ডোবার মধ্যে ছোট ছোট সাদা রাজ হাস ভেসে বেড়াচ্ছে।আর সাথে দুইটা বড় রাজহাস। হয়তো তাদের বাবা মা হবে?।

নীড় হঠাৎ কোথায় যেন যেতে নিলো-

নেশাঃ একি আপনি কোথায় যাচ্ছেন

নীড়ঃ তুমি বস আমি যাবো আর আসবো।

নেশাঃ নাহ আমি ও আপনার সাথে যাবো।

নীড়ঃ আমি ওয়াশরুমে যাবো।

নেশাঃ তো কি চলুন।

নীড়ঃ তুমি কি আমার সাথে ওয়াশরুমেও যাবে

নেশাঃ তো কি হয়েছে ?

নীড় হেসে চলে গেল।।নেশা ব্যাপার টা বুঝতে পেরে লজ্জায় লাল নীল হয়ে গেল।

আসলে নীড় গেছে একটা ফোন করতে তার বাড়িতে।।আজ নেশার বার্থডে কিন্তু নেশার তা মনে নেই।।তাই বাড়িতে সবাইকে জানিয়ে পার্টির ব্যবস্থা করলো।কিন্তু নেশাকে জানালো নাহ সারপ্রাইজ দিবে বলে।

নীড় বাড়িতে ফোন করে সবাইকে সব বুঝিয়ে দিলো।
তারপর নেশার কাছে ফিরে এলো।

নীড় আজ একটা ব্যাপার খেয়াল করলো। নেশা সবসময় তাকে চোখে চোখে রাখছে।নীড় যেখানেই যাচ্ছে নেশা সেখানেই যাচ্ছে।

নীড়ঃ নেশা তোমার কি কিছু হয়েছে

নেশাঃ কি হনে আবার।

নীড়ঃ তাহলে আমার পিছনে পিছনে ঘুরছো কেন।

নেশাঃ কই ঘুরছি।

নীড়ঃ ঘুরছো নাহ।আমার তো মনে হচ্ছে আমাকে পাহাড়া দিচ্ছো।

নেশাঃ আপনার যতোসব আজগুবি কথা।

নেশাঃ মনে মনে- দেখে যে আপনাকে রাখতেই হবে নীড়।।আমার যে খুব ভয় করছে।।কেন জানি মনে হচ্ছে নতুন কোন ঝড় আসছে।

নীড়ঃ এই নেশা কি ভাবছো।

নেশাঃ নাহ কিছু নাহ।

সারাদিন সবাই মিলে খুব মজা করে যে যে যার যার বাড়ি ফিরে গেল।।এইদিকে নীড়ের বাড়ি ফিরার কোন নাম নেই।সেই কখন থেকে গাড়ি নিয়ে এইদিক সেদিক ঘুরে যাচ্ছে।

নেশাঃ কি করছেন নীড়। বাড়ি যাবো তো।। রাত হয়ে যাচ্ছে তো।

নীড়ঃ হোক রাত। কিন্তু ৮ টার আগে বাড়িতে যাওয়া যাবে নাহ।।

নেশাঃ কেন ৮ টায় কি

নীড়ঃ মনে মনে- এইরে সব বলে ফেলেছি?।

নীড়ঃ ননাহ ককিছু নাহ।।আসলে বাড়িতে কেউ নেই তো তাই।।

নেশাঃ বাড়িতে কেউ নেই মানে।কোথায় সবাই।।আর আপনি এমন তোতলাচ্ছেন কেন।

নীড়ঃ উফফ এতো কথা কেন বলছো তুমি। দেখছো নাহ ড্রায়বিং করছি।

নেশাঃ হুহ?

নেশা গাল ফুলিয়ে বসে রইলো।নীড় বুঝতে পেরেও কিছু বললো নাহ।কারন এখন এর রাগ ভাঙতে গেলে সব কথা বলতে হবে।।

ঠিক ৮ টায় নীড় নেশাকে নিয়ে বাড়িতে গেল।সব লাইট অফ।

নেশা ঘরে ঢুকতেই সব লাইট জ্বলে উঠলো। আর সবাই একসাথে হেপি বার্থডে বলে উঠলো।

পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে। আর সায়ান,ইমা,নিসু,রাফি ওরাও এসেছে।

নেশা তো মহা অবাক।।আজ যে ওর বার্থডে তা নেশার মনেই ছিলো নাহ।

নেশা সবার সামনে গিয়ে দাড়ালো।।সবাই একে একে ইউশ করলো।।।নেশা সবাইকে ধন্যবাদ দিলো।

কথাঃ ধন্যবাদ দেয়ার হলে নীড়কে দাও। ও সব করেছে।।আমরা তো জানতাম নাহ যে আজ তোমার বার্থডে।

নেশা নীড়ের দিকে তাকালো।এইজন্যই নীড় ৮ টার আগে বাড়িতে আসতে চায়নি।

নেশা কেক কেটে সবাইকে খাইয়ে দিলো।।খাওয়াদাওয়া করে সবাই সবার বাড়িতে চলে গেল।
নেশা নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাটে বসলো।খাট ভরা গিফট।
একে একে সবার গিফট খুলতে লাগলো।সবাই খুব সুন্দর সুন্দর গিফট দিয়েছে।কিন্তু একটা গিফট বক্সে কোন নাম নেই।।নেশা ভাবলো হয়তো নীড় দিয়েছে।।নেশা মুচকি হেসে বক্সটা খুললো।আর খুলেই হাসি উধাও হয়ে গেল। একটা লকেট বক্সটায়।আর সাথে একটা চিঠি। নেশার হাত কাপছে লকেটটা দেখে।।এইরকম গিফট যে শুধু একজনই দিতে পারে।।
নেশা কাপা কাপা হাতে চিঠি টা খুললো।।আর চিঠি টা দেখেই নেশা চিৎকার দিয়ে উঠলো

সবাই নিজে তাই কেউ নেশার চিৎকার শুনতে পায়নি।।কিন্তু নীড় উপরে ছিলো।।নেশার জন্য গিফট নিতে এসেছিলো রুমে।।নেশার চিৎকার শুনে দৌড়ে তার রুমে গেল।

নীড়ঃ এই নেশা কি হয়েছে??

নেশা তো কিছু বলার অবস্থায় নেই।প্রচন্ড ভয় পেয়েছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে।

নীড়ঃ নেশা কি হয়েছে আমায় বলো।।

নেশাঃ নননীড়ড়ড় উউননি এএসে গগে…

আর বলতে পারলো নাহ অজ্ঞান হয়ে গেল।

নীড় নেশার কাছে ছুটে এলো।

নীড়ঃ এই নেশা কি হলো তোমার চোখ খুলো।।এই নেশা।

হঠাৎ নীড়ের চোখ গেল নেশার হাতে থাকা চিঠির দিকে।।চিঠিটা নীড় হাতে নিলো।একটা নেকড়ের ছবি আকা।আর নিচে কিং লেখা।নীড়ের মাথায় কিছুই ঢুকলো নাহ।এইটা কেমন চিঠি।আর কেই বা দিলো।

নীড় ওইদিকে মাথা না ঘামিয়ে নেশার চোখমুখে পানির ছিটা দিলো।।নেশার জ্ঞান ফিরলো।আস্তে আস্তে চোখ খুললো।

নীড়ঃ নেশা তুমি ঠিক আছো এখন(নেশার গালে হাত দিয়ে)

নেশাঃ হুম[ উঠে বসার চেষ্টা করে।নীড় উঠতে সাহায্য করলো]

নীড়ঃ কি হয়েছিলো নেশা। তুমি অজ্ঞান হয়ে গেলে কেন।

নীড় খেয়াল করলো নেশা এখনো চুপচাপ হয়ে আছে।।চোখমুখে এখনো ভয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

নীড় আর নেশাকে জোর করে কিছু জিজ্ঞাসা করলো নাহ।।

নেশা আস্তে আস্তে লকেট টা হাতে নিলো।

নীড় খেয়াল করলো।।লকেট টা দেখতে কেমন যেন।।খুব অদ্ভুত লাগছে।।মনে হচ্ছে কোন জন্তুর দাঁত দিয়ে লকেট টা বানানো হয়েছে।

নীড়ঃ এটা কে দিয়েছে নেশা?!!

নেশাঃ জানি নাহ।

নীড়ঃ মানে!!তাহলে এটা তোমার কাছে কিভাবে এলো?

নেশাঃ ওই বক্সটায় ছিলো।

নীর বক্সটা দেখলো।কোন নাম লেখা নেই।।তাই কে দিয়েছে বুঝা যাচ্ছে নাহ।

নীড়ঃ আর কিছু দেই নি।

নেশাঃ হুম। ওই চিঠি টা দিয়েছে।

নীড় খুব অবাক হলো। একতো এমন অদ্ভুত একটা চিঠি তার উপর এমন অদ্ভুত একটা লকেট।।

নীড়ঃ হয়তো কেউ মজা করেছে তোমার সাথে।

নেশাঃ হয়তো।( নেশা নীড়কে কিছুই বললো নাহ। যদিও নেশা খুব ভালো করেই জানে কাজটা কার)

হঠাৎ নীড়কে কথা ডাক দিলো।

নীড়ঃ নেশা তুমি বসো আমি আসছি।

নেশাঃ হুম।

নীড় চলে গেল।

নেশা এখনো লকেট টা হাতে নিয়ে বসে আছে।।কি করবে সে এখন।। যদি সত্যিই ও ফিরে আসে তাহলে যে নেশাকে নিয়ে যাবে।। ওকে যে আটকানো সম্ভব নাহ।আর আটকাবেই কিভাবে। আর নীড়ের যদি কোন ক্ষতি করে দেয়।।।নাহ নেশা কিছু ভাবতে পারছে নাহ।।কি করবে সে।।

রাত ১১ টায়।

নীড় নেশাকে নিয়ে ছাদে বসে আছে।নীড় নেশার দিকে তাকিয়ে আছে।।কিন্তু নেশার সেদিকে খেয়াল নেই।।সে তো আকাশের তারা দেখতে বিজি।।আজ সে যে কাজটা করতে চলেঁছে সেটা যে হবে তাতো নেশা কখনো ভাবেনি।কিন্তু এতেই যে নীড়ের ভালো হবে।

কথা গুলো ভাবছিলো নেশা।তার ঘোর কাটলো নীড়ের ডাকে।।নীড় তার সামনে হাটু গেড়ে বসে আছে।।হাতে আংটি নিয়ে।

নীড়ঃ নেশা তুমি কি আমায় আমায় তোমার জীবনের একটা পার্ট হতে দিবে।।তোমার সকালের ঘুম ভাঙার কারন হতে দিবে।তোমার সকল হাসির কারন হতে দেবে।।কথা দিচ্ছি আগের যতো কষ্ট দিয়েছি তার সব কিছু ভালোবাসা দিয়ে পুষিয়ে দিবো।।কখনো তোমায় কষ্ট দিব নাহ।

নেশা তো যাস্ট থ।।কি বলবে সে এখন।

নীড়ঃ will you marry me Nesha

নেশাঃ কি বলছেন আপনি এগুলো নীড়

নীড়ঃ কেন কি বলছি তুমি বুঝছো নাহ।।প্লিজ এক্সেপ্ট মি নেশা।

নেশাঃ পাগল হয়ে গেছেন আপনি।।আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো নাহ।

নীড়ঃ কি সব বলছো তুমি নেশা।।বিয়ে করতে পারবো নাহ মানে কি( অবাক হয়ে)

নেশাঃ আপনাকে আমি কেন বিয়ে করবো।

নীড়ঃ মানে কি নেশা।।তুমি তো আমায় ভালোবাসো তাহলে বিয়ে করতে প্রবলেম কি।

নেশাঃ কে বলেছে আমি আপনাকে ভালোবাসি।।আমি আপনাকে হয়তো আগে ভালোবাসতাম।।কিন্তু এখন আর আমি আপনায় ভালোবাসি নাহ।

নীড়ের কথা গুলো যেন বিশ্বাস হচ্ছে নাহ।।কি বলছে এইসব। নেশা ওকে ভালোবাসে নাহ

নীড়ঃ তাহলে এ কয়দিন যা ছিলো ওগুলো কি।

নেশাঃ এগুলোকে আপনি ভালোবাসা মেনে নিলেন??।।আপনি আমায় সেই কবে থেকে ভালোবাসেন। তাই আপনার উপর আমার মায়া হয়েছিলো।।তাই এইকয়দিন আপনি কাছে আসলেও আমি আপনাকে বাধা দেইনি।।তাই বলে যে আমি আপনাকে ভালোবাসি তা আপনি কিভাবে ভাবলেন।।আর বিয়ে তো প্রশ্নই উঠে নাহ।

নীড় যাস্ট শক।।নেশা যে এগুলো বলতে পারে তাতো নীড় ভাবেই নি।।নীড় ভেবেছে নেশা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে।।কিন্তু আজ কি বলছে এগুলো নেশা

চলবে?

( এহেম এহেম এহেম ?।।হাউ মাউ খাউ।রহস্যের গন্ধ পাই?)

হয়তো_ভালোবাসি Part_15

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_15
#Writer_Eshetaq_Nora

সকাল ৮ টায়
সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে আছে।মুলত নেশার জন্য অপেক্ষা করছে।

রিয়াঃ ওইতো নেশা এসেছে।

নেশাঃ সরি একটু লেট হয়ে গেল।[চেয়ারে বসতে বসতে]

কথাঃ ইটস ওকে ওতো লেট হয়নি।

সবাই খাচ্ছে নীড়ের হাত যেহেতু কেটে গেছে কথা তাকে খাইয়ে দিচ্ছে।।হঠাৎ নেশার চোখ গেল সেদিকে।।দেখেই নেশার মনটা খারাপ হয়ে গেল।তার মামনিও তো তাকে এইভাবে খাইয়ে দিতো।ভাবতেই চোখের পানি টলমল করছে।।আরেকটু হলেই পরে যাবে।

নীড় খেয়াল করলো নেশা খাচ্ছে নাহ।।কিছু বলতে যাবে খেয়াল করলো নেশার মুড অফ।।ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করলো।বুঝতে পেরে কথাকে ইশারা করলো।কথা বুঝতে পেরে নেশার পাশে গিয়ে দাড়ালো।

কথাঃ দেখি হা করতো?

নেশাঃ চমকে উঠে – হ্যাঁ!!!

কথাঃ বলেছি হা কর।আমি খাইয়ে দিচ্ছি।

নেশাঃ নাহ আমি খাচ্ছি তো।

কথাঃ হা করতে বললাম তো।। রাগি চোখে

নেশা হা করলো।।কথা খাইয়ে দিলো।।নেশা আর নিজেকে কনট্রোল করতে পারলো নাহ।।কথাকে জড়িয়ে কেদে দিলো।

কথাঃ আরে পাগলি মেয়ে কাদছিস কেন।

নেশাঃ মামনির কথা খুব মনে পড়ছে আন্টি।।মামনিও আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিতো??

কথাঃ ওহহ আচ্ছা তো আমি বুঝি মামনি নাহ।

নেশা অবাক হয়ে কথার দিকে তাকালো।

কথাঃ কি হলো কি দেখছিস এইভাবে?

নেশাঃ কিছু নাহ।

কথাঃ দেখ নেশা।কয়দিন পর নীড়ের সাথে তোর বিয়ে হবে।।তখন তো পার্মানেন্টলি তুই এই বাড়ির মেয়ে হয়ে যাবি।।আর আমি কিন্তু টিপিকাল শ্বাশুড়িদের মতো হতে পারবো নাহ।। ভুল করলে নীড়ের মতো তোকে ও মারবো বলে দিলাম।তখন আবার নিজের বরের কাছে গিয়ে ভে ভে করে কাদিস নাহ কিন্তু।

নেশা হেসে দিলো

রিয়াঃ হিয়া ভাবি তোমাকে আর আমাকে তো ভুলেই গেল। চলো আমরা বরং বাড়িতেই চলে যাই।এখানে কেউ কি আর আমাদের খাইয়ে দেবে??

কথাঃ মাইর খাবি পাজি।

কথা ৩ জনকেই খাইয়ে দিলো।

আয়ানঃ রায়হান দেখছিস।।বউ এনে এখন আমাদেরই কোন কদর নেই।।এতো কষ্ট করে বিয়ে করে নিয়ে আসলাম কই আমাদের একটু যত্ন করবে তা নাহ।।লাস্ট কবে খাইয়ে দিয়েছিলো ভুলেই গেছি।

রায়হানঃ ঠিক বলেছিস ভাইয়া।

কথাঃ তোরা ও শুরু করলি?।সব গুলারে মাইর লাগাবো কিন্তু এখন।

নীড়ঃ আয়ান ভাই আমরা বরং চল ওই বাড়িতে চলে যাই।।এউ বাড়িতে আর কে আমাদের আদর করবে।।সব তো ওই ৩ জনই দখল করে নিলো।।সেই কখন থেকে হা করে বসে আছি।।খাবার দেয়ার নামই নেই??

কথাঃ উফফ নীড়??।আচ্ছা সবাইকেই খাইয়ে দিচ্ছি ওকে।

কবিরঃ এহেম এহেম?

কথাঃ তোমার আবার আবার কি হলো?

কবিরঃ বলছিলাম যে তুমি আমার একমাত্র বউ।।তুমি আমায় নাহ খাইয়ে দিলে কে খাইয়ে দিবে?

কথাঃ?বাচ্চা দের সাথে কি তুমিও বাচ্চা হয়ে গেছো।

নীড়ঃ বাবা দেখেছো মামনি আর তোমায় ভালোবাসে নাহ।।তোমার আরেকটা বিয়ে করা দরকার।??

কবিরঃ গুড আইডিয়া নীড়।তোরা তোদের নতুন মামনি দেখা শুরু করে দে।আমি আজই বিয়ে করবো??

নেশা তো হা হয়ে গেছে।

নেশাঃ আঙ্কেল সত্যিই আপনি নতুন করে বিয়ে করবেন??

সবাইঃ ?????

কথাঃনারে মা।।ওরা সবাই দুষ্টুমি করছে।তুই এইসব বাদ দে।

নেশাঃ ওহহ???

নীড়ঃ কিন্তু যাই বলো তুমি আমায় ঠিক মতো ভালো না বাসলে আমি কিন্তু নতুন করে বিয়ে করবো বলে দিলাম??

নীড় যে কথাটা দুষ্টুমি করে করেছে তা নেশা বুঝতে পারলো নাহ।।সে ভাবলো সত্যি সত্যিই করবে।।কারন সবার সামনে নীড় এমন ফাজলামো করবে তা নেশা জানতো নাহ।
নেশা কিছুক্ষণ নীড়ের দিকে তাকিয়ে থেকে চুপচাপ ডাইনিং থেকে উঠে চলে গেল।

কথাঃ দিলি তো মেয়েটাকে রাগিয়ে।।কিছুই তো খেল নাহ।

নীড়ঃ আমি কি জানতাম নাকি ও রাগ করবে ?

কথাঃ তোদের নিয়ে আর পারি নাহ।

কথা নেশার রুমে চলে গেল।

কথাঃ আসবো?

নেশাঃ হ্যা আন্টি আসো।পারমিশন নেয়ার কি আছে।

কথাঃ নীড়ের কথায় রাগ করিস নাহ।।ও এমনই।।সব সময় দুষ্টুমি করে।

নেশাঃ আমি রাগ করিনি আন্টি ?

কথা কিছু বলতে যাবে নীড় রুমে ঢুকে।

নীড়ঃ মামনি তোমায় বাবা ডাকছে।

কথাঃ বল পরে আসবো।

নীড়ঃ আরে ইমার্জেন্সি। তাড়াতাড়ি যাও।

কথাঃ উফফ তুই নাহ।।নেশা তুমি বসো আমি আসছি।

কথা যাওয়ার পর নীড় দরজা লাগিয়ে নেশার পাশে বসলো।

নেশার হাত ধরে,

নীড়ঃ রাগ করেছো?

নেশাঃ নাহ

নীড়ঃ তাহলে আমার দিকে তাকাচ্ছো নাহ কেন

নেশাঃ এমনি ভালো লাগছে নাহ

নীড় নেশার গালে দুই হাত দিয়ে নিজের দিকে ঘুরালো।

নীড়ঃ হেই কাদছো কেন।।আমি তো যাস্ট মজা করছিলাম

নেশাঃ আপনি সত্যিই আমাকে বিয়ে করার পর আবার বিয়ে করবেন??

নীড়ঃ আরে ধুর পাগলি আমি তো মজা করে বলেছি। আমি আর কাউকে বিয়ে করবো নাহ।

নেশাঃ সত্যি তো

নীড়ঃ হ্যা রে বোকা মেয়ে।কিন্তু যদি ঠিক মতো আদর নাহ করো তাহলে কিন্তু বিয়ে করলেও করতে পারি???

নেশা নীড়ের দিকে তাকালো।।ছেলেটার মুখে দুষ্টু হাসি।।নেশা বুঝতে পারলো নীড় নেশাকে রাগানোর জন্য বলছে।

নেশাঃ শয়তান, কুত্তা বান্দর।। আমার সাথে খালি ফাজলামো তাই নাহ।।[ নীড়ের বুকে থাপ্পড় মারতে মারতে]

নীড়ঃ উফফ নেশা খুব লাগছে।।মরে যাবো তো।

নেশা থেকে গেল।সত্যি ও এতো জোরে মারেনি।। কিন্তু নীড় বলছে অনেক ব্যাথা লাগছে।।বোকার মতো তাকিয়ে আছে নীড়ের দিকে।নীড়ের বুকে হাত বুলিয়ে দিয়ে

নেশাঃ সরি আমি এতো জোরে মারতে চাইনি

নীড়ঃ আহহ।।এখন ভালো লাগছে।।এই দিকটাই আরেকটু বুলিয়ে দাওনাহ?

নেশা বুঝতে পারলো নীড় আবার মজা করছে।।নেশা আবার মারতে যাবে নীড় নেশার দুইহাত চেপে ধরলো।।তারপর হাতের মধ্যে কিস করে

নীড়ঃ এই হাত দিয়ে শুধু আদর করবে। ওকে?

নেশা চুপ হয়ে গেল।নীড় উঠে দাড়ালো।

নীড়ঃ শুনো কাল সায়ান আর ইমার আংটি বদল হবে।।রেডি থেকো।

নেশাঃ আমি যাবো??!!

নীড়ঃ তুমি যাবে নাহ কেন।।তোমাকেও ইনভাইট করেছে।

নেশাঃ ওহহ আচ্ছা ঠিকাছে।

নীড় নেশাকে একটা প্যাকেট দিলো।

নীড়ঃ এইটার ভিতরে যা আছে তা পড়ে যাবে ওকে।

নেশাঃ মুচকি হেসে- ওকে।

পরেরদিন –

নীড় রেডি হয়ে নেশাকে ডাকতে এলো।আর রুমে ঢুকেই নেশাকে দেখে হা হয়ে গেল।নীড় নেশাকে একটা কালো সিল্কের শাড়ি দিয়েছিলো।নেশা ওইটাই পড়েছে।।সাথে কানে বড় বড় সিলবার কালারের ঝুমকা।হাতে সিলভার কালারের চুরি।চোখে মোটা করে কাজল আর ঠোটে হালকা লিপস্টিক। একদম সিম্পল সাজ।।কিন্তু তাতেও নেশাকে মায়াবতীই লাগছে।।নীড়ের নবীন বরণের দিনের কথা মনে পড়ে গেল।ওইদিন ও নেশা কালো শাড়িই পড়েছিলো।

নীড় ধীর পায়ে নেশার সামনে এসে দাড়ালো।

নেশাঃ আমায় কেমন লাগছে নীড়?

নীড়ঃ ভয়ংকর ?।একদম ড্রাক চকলেট ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি?

বলেই নেশার চুলের ভিতর হাত দিয়ে নেশাকে কাছে টেনে নিলো

( এখন আবার কেউ বলবেন নাহ নীড়ের হাতে তো ব্যান্ডেজ। নীড় একটুই কেটে গিয়েছিলো।)

নেশাঃ নাহহহহহহহহ[ চিৎকার দিয়ে উঠলো নেশা]

নীড়ঃ ভ্রু কুচকে নেশার দিকে তাকিয়ে – কি হলো চিল্লাও কেন?

নেশাঃ প্লিজ কিস করবেন নাহ।আমার সাজ নষ্ট হয়ে যাবে।??

নীড়ঃ কিন্তু আমার যে তোমার ছোয়া যাই।।এখনই ?

নেশাঃ নীড় প্লিজ নাহ।।?।।দরকার হলে এই দেয়ালে কয়েকটা কিস করুন আমি ভেবে।।।আমায় ছেড়ে দিন।

নীড় কিছু একটা ভাবলো।।তারপর বাঁকা হাসি দিয়ে নেশার দিকে তাকালো।

নেশাঃ কি হলো হাসছেন কেন।

নীড়ঃ তুমি নিজেকে খুব চালাক ভাবো তাই নাহ।।কিস তো আমি করবোই।।কিন্তু তাতে সাজ ও নষ্ট হবে নাহ ওইভাবেই করবো?

নেশাঃ মানে?

নীড় হাটু গেড়ে নেশার সামনে বসে পড়লো।

নেশাঃ আরে কি করচ….

আর কিছু বলতে পারলো নাহ।কারন নীড় তার পেটের থেকে আচল সরিয়ে সেখানে মুখ ডুবিয়ে দিয়েছে।নেশা যাস্ট শক।।নীড় যে এমন একটা কাজ করবে নেশা ভাবেনি।।নীড় নেশার পেটে লিক করছে।। যার ফলে নেশার প্রচন্ড সুরসুরি লাগছে।।হঠাৎ নীড় নেশার পেটে কামড় দিয়ে দিলো।আর নেশা কেপে উঠে নীড়ের চুলে হাত দিয়ে চেপে ধরলো।।নীড় এখনো থামছে নাহ।।এইদিকে নেশার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।।অনেক কষ্টে কাপাকাপা গলায় বললো-

নেশাঃ ননীড়ড় পপ্লিজজ ছাছাড়ুনন??

নীড়ের হুস আসলো।তাড়াহুড়ো করে দাড়িয়ে গেলো।অন্যদিকে ঘুরে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে কনট্রোল করার চেষ্টা করলো।নেশার এইরুপ নীড়কে পাগল করে দিচ্ছে।

নীড় কিছুক্ষন ওইভাবেই ছিলো।তারপর নেশার দিকে ঘুরলো। নেশা এখনো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।।তার সারা শরীর কাপছে। ঘটনা গুলো ভেবেই আরো কাপাকাপি বেরে যাচ্ছে।

নীড় নেশার হাত ধরলো।নেশা অবাক হিয়ে নীড়ের দিকে তাকালো।

নীড়ঃ চলো যাওয়া যাক।।দেরি হয়ে যাচ্ছে।

নেশা আরো অবাক হলো।নীড়ের হাত গুলোও প্রচন্ড পরিমানে কাপছে।আর নীড় নেশার দিকে তাকাচ্ছেও নাহ।।নেশা কিছুই বুঝতে পারলো নাহ।।

যেমন তেমন করে নীড় নেশাকে নিয়ে এনগেজমেন্টের ওইখানে পৌছালো। সারা রাস্তা নীড় নেশার সাথে একটুও কথা বলেনি।

ওখানে পৌছানোর পর নীড় সায়ান আর রাফিকে দেখতে পেল।।সেখানে চলে গেল।।নেশা ও নিসুর কাছে চলে গেল।

হঠাৎ নেশাকে কেউ পিছন থেকে ডাক দিলো।।সে আর কেউ নাহ ইমান?

ইমামঃ হাই নেশা কেমন আছো।কতোদিন পর দেখা।এতোদিন কোথায় ছিলে তুমি।দেখতেই পেলাম নাহ কলেজে আর। কোথায় চলে গেছিলে?????

নেশাঃ আরে আস্তে আস্তে।।এতো প্রশ্ন করলে উত্তর কিভাবে দিবো।

ইমান হেসে দিলো

ইমানঃ সরি আসলে অনেকদিন পর দেখা তো তাই বেশি এক্সাইটেড হয়ে গেছি।।কেমন আছো

নেশাঃ ভালো।। আপনি?

ইমানঃ আমিও ভালো।

কথা বলতে বলতে নেশার চোখ গেল নীড়ের দিকে।।।নীড় বাঘের মতো চেয়ে আছে নেশার দিকে।।যেন চোখ দিয়েই গিলে খাবে।। নেশা একটা ঢুক গিললো।

নেশা নীড়কে কিছু বলতে যাবে তখনই মাইকে সবাইকে স্টেজের সামনে আসতে বললো।।

সবাই স্টেজের সামনে দাড়ালো।স্টেজে উঠে সায়ান আর ইমা একে অন্যকে আংটি পড়িয়ে দিলো।সবাই হাত তালি দিলো।

খাওয়া দাওয়ার পর…

একটু পর কাপল ডান্স হবে।।নীড় নেশার কাছে যেতে নিবে তার আগেই ইমান এসে নেশার সামনে হাত ধরলো।

ইমানঃ মে আই??

নেশা নীড়ের দিকে তাকালো।

নীড় আর রাগ টা কন্ট্রোল করতে পারলো নাহ।

নীড়ঃ হ্যাঁ হ্যাঁ নাচো নেশা।।ইমান এতো আশা করে তোমার সাথে নাচতে চাইছে।।

বলেই নীড় হন হন করে রুমে চলে গেল।।গিয়েই বাথরুমে ঢুকে ঝরনা ছেড়ে তা নিচে বসে পড়লো।নীড়ের প্রচন্ড পরিমানে রাগ হচ্ছে।।নেশা কেন ওর দিকে তাকালো।।ডিরেক্টলি নাহ করলো নাহ কেন।।

একটু পর নেশা রুমের ভিতর ঢুকলো।। দেখলো নীড় ঝরনার নিচে বসে আছে।

নেশাঃ আরে কি করছেন আপনি ভিজে যাচ্ছেন তো ( নীড়কে উঠাতে যেয়ে)

নীড়ঃ তোমার তাতে কি।।তুমি ইমান এর সাথে গিয়ে নাচ করো।

নেশা টেনে নীড়কে দাড় করালো।

নেশাঃ বাইরে চলুন।।পুরো ভিজে গেছেন

নীড়ঃ তোমায় তা ভাবতে হবে নাহ।।তুমি এখান থেকে যাও।।

নেশাঃ ওকে যা ইচ্ছা করুন। (বলেই নেশা ও ঝরনার নিচে দাড়িয়ে রইলো।)

নীড় কিছু বললো নাহ

একটুপর

নীড়ঃ ভিজে যাচ্ছো তো।দাড়িয়ে আছো কেন শুধু শুধু

নেশাঃ তাতে আপনার কি?।আপনার টা আপনি দেখুন।

নীড় বুঝতে পারলো নেশা রাগ করেছে। নেশাকে টেনে নিজের দিকে ঘুরালো।

নীড়ঃ আমার টাই তো দেখছি।

নেশাঃ ?

নীড়ঃ তুমি নাহ ইমানের সাথে নাচ করবে তা এখানে কেন?

নেশাঃ আমি কি একবার ও বলেছি যে আমি ওর সাথে নাচ করবো।।আপনিই তো ওভার রিয়েক্ট করে নাচতে বলে এলেন।

নীড়ঃ তো নাচবে নাহ যখন তা বলতে পারলে নাহ।চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলে কেন

নেশাঃ আমি তো ভেবেছি আপনি নাহ করবেন।
উল্টো আপনিই রাগ করে চলে এলেন।

নীড়ঃ রাগ করে কই এলাম।আমি তো ভাবলাম তোমাদের একটু প্রাইভেসি দেই??

নেশাঃ আপনি ??

নীড় হেসে দিলো।নেশা বুঝলো নীড় ওর সাথে দুষ্টমি করছে।।রাগ করে বেরিয়ে যেতে নিলো নীড় হাত ধরে টেনে নিজের সাথে চেপে ধরলো।নেশা নীড়ের দিকে তাকালো।।এতোক্ষণ ভিজার ফলে নেশার সব মেকআপ উঠে গেছে।

নীড়ঃ আমার বউটা রাগ করল্ল বুঝি??

নেশাঃ হুহ

নীড় আলতো করে নেশার কপালে কিস করলো।নেশা লজ্জা পেয়ে নিচের
দিকে তাকালো।নীড় নিচু হয়ে নেশার গলায় ঠোঁট ডুবালো।নেশা তো সেই লেভেলের কেপে উঠলো। একে তো এতোক্ষণ ধরে ভিজছে তারপর উপর নীড়ের এই ভালোবাসার টর্চার।
নীড় নেশার গলায় লিক করছে।।মাঝে মাঝে কামড়ও দিচ্ছে।আর প্রতিবারই নেশা কেপে উঠছে।।নেশার এই কেপে উঠা নীড়কে আরো পাগল করে দিচ্ছে।নেশার পা যেন অবশ হয়ে যাচ্ছে।চোখ বুজে আসতে চাইছে।ওভ্যে পাগল হয়ে যাবে নীড়ের এই ভালোবাসায়।নীড় নেশার কাধের আচলে হাত দিলো।নেশা লজ্জায় উল্টো দিকে ঘুরে গেল।

নীড় মুচকি হেসে নেশার কাধের চুল গুলো সরিয়ে কিস করতে যাবে তখনই খেয়াল করলো নেশার কাধ থেকে একটু নিচে কিছু একটা আছে টেটুর মতো
কিন্তু পুরোটা দেখা যাচ্ছে নাহ কাপড়ের কারনে।নীড় নেশার কাপড়টা সরিয়ে দেখতে যাবে নেশা নীড়ের দিকে ঘুরে তার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরলো।নীড় কিছুটা অবাক হলেও নেশার সাথে তাল মেলাতে শুরু করলো।নেশার ঠোটের নিচের পার্টটা কিছুক্ষন চুষে আবার নেশার ঠোঁটের মধ্যে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।নেশা নীড়ের ভিজা চুল গুলোকে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে নিজের আরো কাছে টেনে নিলো নীড়কে।।নেশার ঠোঁটের মাঝে নীড়ের ঠোঁট গুলো নিজের হারিয়ে যাওয়ার গন্তব্য খুজছে।নেশার কোমড় ধরে তাকে আরো কাছে টেনে নিলো। কিছুক্ষণ পর নেশার ঠোঁট ছেড়ে নেশাকে কোলে তুলে খাটে নিয়ে শুইয়ে দিলো।তারপর নিজের ভর নেশার উপর ছেড়ে দিলো।

নীড়ঃ বেশি ভারী??সয্য করতে পারবে তো

নেশা লজ্জা পেয়ে মুচকি হেসে অন্যদিকে ঘুরলো।

নীড় নেশার গলায় নিজের নাক ঘষলো।যার ফলে নেশা শিউরে উঠলো।নীড়ের হাত খামচে ধরলো।নীড় নেশার হাত দুটো খাটের সাথে চেপে ধরে গলায় মুখ ডুবালো।।পুরো গলায় ঠোঁট বুলিয়ে দিলো। প্রতিবারই নেশা কেপে উঠছিলো।

নীড় নেশার মাথার পিছনে হাত দিয়ে তার মাথাটা একটু উচু করলো তারপর নেশার দুই চোখে চুমু খেল। তারপর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।নেশার হাত নীড়ের শার্টের বোতামের কাছে চলে গেল।

নীড় লাফ দিয়ে উঠে বসলো।নেশার দিকে তাকালো।নেশা এখনো নীড়ের এক হাত ধরে আছে।নীড় নেশার কপালে সাউন্ড করে চুমু খেল।নেশা একপলক নীড়ের দিকে তাকিয়ে আবার নীড়ের কলার ধরে নিজের কাছে টেনে আনলো। নীড় নেশার কানে চুমু খেল।

নীড়ঃ জামা পাল্টে নাও ঠান্ডা লেগে যাবে[ নেশার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বললো]

নেশা পিটপিট করে নীড়ের দিকে তাকালো।নীড় এই মুহুর্তে এই কথা বলবে তা নেশা ভাবেনি।নীড়কে ছেড়ে দিলো।নীড় ও উঠে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।।

নেশাকে ব্যাগ থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।।সায়ান বলেছিল কাল সবাই ঘুরতে যাবে।।তাই সবাই এক্সট্রা কাপড় নিয়ে এসেছে।

নেশা জামা পাল্টে খাটে বসে আছে।।চুল গুলো এখন ভালো করে মুছেনি।তারমাথায় অন্য কিছু ঘুরছে।।নীড় কি কিছু বুঝে গেল।।নাকি পিঠের ওইটা দেখে ফেললো।

চলবে?

( আপনাদের লেখিকা আজ গাজা পাতা খেয়ে গল্প লিখেছে।।তাই এতো রোমান্স???।
আর আমার গল্পে প্রতিদিনই রহস্য থাকবে।।কারন আপনাদের লেখিকা প্যাচ লাগাতে এক্সপার্ট ?)

হয়তো_ভালোবাসি Part_14

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_14
#Writer_Eshetaq_Nora

নীড় নেশাকে নিয়ে কবরস্থানে নিয়ে গেল।।তারপর একটা কবর ইশারা করে দেখালো।

নেশা সেটা দেখে থমকে গেল।দৌড়ে কবরের সামনে চলে গেল।আর কান্না করতে লাগলো।নীড় ধরতে গিয়েও ধরলো নাহ।।কেন যেন তার এক অজানা কষ্ট লাগছে।।নীড় গিয়ে নেশার হাত ধরে ওকে ওঠানোর চেষ্টা করলো।কিন্তু নেশা তার হাত ছেড়ে আবার গিয়ে আকাশের কবরের পাশে বসে পড়লো।নেশার চোখমুখে আকাশের জন্য যে মায়া ফুটে উঠেছে তা দেখে নীড়ের ভয় হচ্ছে।।সাথে রাগ ও হচ্ছে।।

নীড়ঃ মনে মনে- ও কেন কাদবে আকাশের জন্য।। নেশা তো শুধু আমার জন্য কাদবে।।নেশা কি বুঝতে পারছে নাহ আমার কষ্ট হচ্ছে ওকে অন্যজনের জন্য কাদতে দেখে।

নীড় তবুও কিছু বললো নাহ।।চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো।

নেশা এখনো আকাশের কবরের পাশে বসে কান্না করছে।।প্রায় ১ ঘন্টা হয়ে গেল।

নীড়ঃ নেশা এখন আমাদের বাড়ি যাওয়া উচিত। অনেক রাত হয়ে গেছে।

নেশাঃ আপনি চলে যান।।আমি পরে যাবো।

নীড় আর নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারলো নাহ।।যে কিনা তার মা বাবাকে খুন করলো তার জন্য এত কিসের কান্না করতে হবে।।।আর নেশা কি আকাশকে ভালোবেসে ফেলেছে।।তাহলে আমার কি হবে।

নীড় আর নেশার সামনে নিজের রাগটা প্রকাশ করলো নাহ।চুপচাপ বাড়ি চলে এলো।

আর বাড়িতে এসেই রুমের সব ভাঙতে শুরু করলো।।সবাই থামানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে নাহ।কারন সবাই নীড়ের রাগ সম্পর্কে জানে।আর নীড় যখন রাগ করে তখন তাকে কন্ট্রোল করা অসম্ভব হয়ে পরে।।

একটু পর নেশা বাড়িতে চলে এলো।।নেশাকে দেখে নীড়ের মা দৌড়ে এলো।

কথাঃ নেশা দেখোনা নীড়ের কি হয়েছে।

নেশাঃ আমি দেখছি আন্টি আপনি শান্ত হোন।

নেশা গিয়ে নীড়কে থামানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু নীড় কিছুতেই থামছে নাহ।।আর না নেশার কোন কথা শুনতে পাচ্ছে।নেশা উপান্তর নাহ পেয়ে নীড়ের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিলো।

নীড় থাপ্পড় খেয়ে মাথা নিচু করে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো।কথা নীড়কে ধরতে যাবে হিয়া আটকালো।

কথাঃ হিয়া নী…

হিয়াঃ মা ওদের সমস্যা ওদের সল্ভ করতে দাও।।আমরা গেলে আরো সমস্যা বাড়বে।।

কথা দাড়িয়ে গেল।

নেশাঃ বাচ্চা আপনি হ্যাঁ। কি করছেন এইসব।। পাগল হয়ে গেছেন।।দেখেছে রুমটার কি অবস্থা করেছেন।কি সমস্যা আপনার???

নীড় এতোক্ষণ চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো।

নেশাঃ কি হলো কিছু জিজ্ঞাসা করছি তো।।কথার জবাব দিন।।না হলে ওই গালেও আরেকটা দিবো।

নীড় নেশার কথা শুনে ২ গালে হাত দিয়ে নেশার দিকে বোকার মতো তাকালো।
নেশা নীড়ের এই বোকা বোকা ফেস দেখে আর রেগে থাকতে পারলো নাহ।।ফিক করে হেসে দিলো।
নীড় কিছু নাহ বলে নেশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।বলতে গেলে অনেক শক্ত করে।

নেশাঃ আরে আরে কি করছেন।।এতো শক্ত করে ধরে নাকি।।মরে যাবো তো।

নীড়ঃ একদম চুপ।।আজেবাজে কথা বলবা নাহ।।এই নাও আস্তে করে ধরলাম।। হয়েছে

নেশাঃ এটা যদি আস্তে হয় তাহলে জোরে কোনটা।

হিয়াঃ এহেম এহেম??।।দেবরজি আমরা কিন্তু সবাই আছি।

নেশা সবার কথা এতোক্ষণ ভুলেই গেছিলো।।হিয়ার কথায় খুব লজ্জা পেল।নীড়ের থেকে ছাড়া পেতে চাইলো।

নেশাঃ কি করছেন নীড় সবাই দেখছে।প্লিজ ছাড়ুন। [ফিসফিসিয়ে]

নীড়ঃ তাতে আমার বাপের কি।

কবিরঃ তোর বাপের আবার কি হবে?।তুই রোমান্স কর আমরা দেখি।

নীড়ঃ উফফ বাবা কই একটু বউকে শান্তিতে জড়িয়ে ধরেছি।।তোমরা সবাই আমাদের একটু একা ছেড়ে দিবে তা না এইখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ছেলে বউমার রোমান্স দেখছো।আমি কি তোমার আর মামনির রোমান্স দেখি। ।আর হিয়া ভাবি।আমি কিন্তু ভাইয়ার সাথে তোমার আরো অনেক কিছুই দেখেছি।।সবার সামনে বলবো নাকি

হিয়াঃ ?????

কবিরঃ আমি আসছি আমার কিছু কাজ আছে?

ধীরে ধীরে সবাই পালালো।কারন এই ছেলের কোন বিশ্বাস নেই। কখন কাকে কি বলে দেয়।

সবাই চলে যাওয়ার পর

নেশাঃ এখন তো ছাড়ুন।

নীড়ঃ উহু ছাড়বো নাহ।।।

নেশাঃ আমি ব্যাথা পাচ্ছি তো।

নীড়ঃ উফফ এতো আস্তে ধরলেই যদি ব্যাথা পাও তাহলে বিয়ের পর আমার চাপ সামলাবে কি করে

নেশাঃ আপনি একটা.. ???

নীড়কে ধাক্কা দিয়ে খাটে ফেলে দিলো।

নীড়ঃ ওমা যা সত্যি তাই তো বললাম এতে এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে।

নেশাঃ কিছুই নাহ।।

হঠাৎ নেশার চোখ গেল নীড়ের হাতের দিকে।।

নেশাঃ একি আপনার হাত কাটলো কিভাবে

নীড়ঃ এইসময় কিসে লেগে যেনো কেটে গেছে।

নেশা রাগি লুক নিয়ে ফাস্টএইডবক্স নিয়ে নীড়ের পাশে বসলো।তারপর পরম যত্নে নীড়ের হাতে ব্যান্ডেজ করে দিলো।তারপর উঠে যেতে নিলো নীড় নেশার হাত ধরে আবার বসিয়ে দিলো।

নেশাঃ কি?!

নীড়ঃ ভালোবাসি

নেশাঃ ?

নীড়ঃ তুমি বলো

নেশাঃ কি বলবো?

নীড়ঃ আমি যা বললাম

নেশাঃ আমি বাসি নাহ তো কেন বলবো?

নীড়ঃ কি বললা?

নেশাঃ আমি আপনাকে এখন আর ভালোবাসি নাহ।

বলেই উঠে যেতে নিলো।নীড় টেনে খাটে ফেলে নেশার উপর উঠে দুইহাত দুইদিকে চেপে ধরলো।

নীড়ঃ ভালোবাসো নাহ মানে কি হ্যাঁ। ভালো নাহ বাসলেও আমার সাথেই থাকতে হবে।।।

নেশাঃ সরি আমি পারবো নাহ।।আমি আকাশ কে ভালোবাসি

নীড়ঃ কি বললি তুই ?।ওই ছেলের মধ্যে কি এমন ছিলো যা আমার মধ্যে নেই।।মরে গেছে তবুও ওর জন্য এতো দরদ আসে কোথা থেকে হ্যা

নেশাকে ঝাকাতে ঝাকাতে কথা গুলো বলছে নীড়। প্রচন্ড পরিমানে রাগ হচ্ছে তার।এইদিকে নেশার খুব হাসি পাচ্ছে।।নীড়কে রাগাতে খুব মজা লাগছে তার।।

ঠোঁট টিপে হেসে-

নেশাঃ যদি আকাশ না মরতো তাহলে এতোক্ষণে ও আমার সাথেই থাকতো।।খুব মিস করছি তাকে।উফফ কি ভালোটাই নাহ বাসে আমায় ছেলে টা।

নীড়ের আর সহ্য হলো নাহ কথাগুলো।উঠে চলে যেতে নিলো নেশা হাত ধরে থামিয়ে দিলো

নেশাঃ কি হলো চলে যাচ্ছেন কেন।

নীড়ঃ তো কি করবো। নিজের ভালোবাসার কাছে অন্যের সুনাম শুনবো??

নেশাঃ আরে আপনি মন খারাপ করছেন কেন।।যা সত্যি তাই বললাম।।আর তাছাড়াও যদি ও বেচে থাকতো তাহলে হয়তো ভালোবেসে ফেলতাম এতোদিনে।

নীড়ঃ কি বললা তুমি।তোমার এতো সাহস তুমি আমার সামনে এসব বলছো।।?

নেশাঃ আরে এইখানে সাহসের কি আছে ?ওকে না ভালোবেসে থাকা যায় নাকি

নীড়ঃ তাহলে ওকেই ভালোবাসতে।।মারতে গেলে কেন
।বরং আমায় মেরে ফেলতে। তাহলেই তোমার আর আকাশের প্রেমের কাটা দুর হয়ে যেত।

নেশাঃ মনে মনে- এইরে বেশি হয়ে গেছে?

নেশাঃ যা হওয়ার তাতো হয়ে গেছে।।এখন তো আর কিছু করার যাবে নাহ।

নীড়ঃ কেন করা যাবে নাহ।।।তোমার আকাশকে মারতে নিয়ে যাওয়াই ঠিক হয়নি।।ও তো তোমার ভালোবাসা।।ওকেই বিয়ে করতে।।।আমাকে মেরে ফেললে নাহ কেন তাহলে।।যদি আকাশকে এতোই ভালোবাসো তাহলে আমায় বাচিয়ে রাখলে কেন??

নেশাঃ তাহলে এখন মেরে ফেলি?

নীড়ঃ মান……

নীড়কে আর বলার সুযোগ নাহ দিয়ে নেশা নীড়ের কলার ধরে টেনে কাছে এনে নীড়ের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। নীড় তো যাস্ট শক।বড়বড় চোখ করে নেশার দিকে তাকিয়ে আছে।।কিন্তু নেশা চোখ বন্ধ করে কিস করছে।।????
কিছুক্ষণ পর নীড়ও রেসপন্স করতে শুরু করলো।।পরম আবেশে নেশার ঠোঁটের ভিতর নিজের ঠোঁট গুলো ডুকিয়ে দিলো।নেশার ঠোঁটগুলো চুষতে লাগলো আবেশে।
নেশার খুব অদ্ভুত লাগছে।নেশা এতোক্ষণ নিজেকে শান্ত রাখতে পারলেও এখন আর পারছে নাহ।।।কাপাকাপি শুরু করে দিলো।।নীড়কে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে।।কিন্তু নীড় নিজের সমস্ত ভার নেশার উপর ছেড়ে দিয়েছে। এই বিশাল জিম ওয়ালা বডি কি আর নেশার মতো পিচ্ছি মেয়ে সরাতে পারবে।।তারউপর হাত দুটোও খাটের সাথে চেপে ধরে রেখেছে।ধাক্কা দেয়ার ও উপায় নেই।
নেশা কথাগুলো ভাবছিলো।এইদিকে নীড় নেশার ঠোঁটে ছেড়ে গলায় মুখ ডুবালো.।নেশা এবার সেই লেভেলের কেপে উঠলো। গলায় নীড় লিক করছে।।যার ফলে প্রচন্ড সুরসুরি লাগছে নেশার।।মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে মরে যাবে নেশা।।

নীড় নেশার চুলের ভিতর হাত ডুকিয়ে নেশাকে আরো কাছে টেনে নিলো।।আলতো করে গলায় কামর দিলো।নেশার হাত গুলো ছাড়া পেয়ে নীড়কে সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কা দিলো।।নীড় খাটের অন্যপাশে সরে গেল ধাক্কা খেয়ে।

নেশা উঠে বসে ওড়না ঠিক করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।।সারা শরীর কাপছে তার।

নেশাঃ আপনি কি পাগল। এমন কেউ করে।।আরেকটু হলে দম বন্ধ হয়ে মরে যেতাম।

বলেই নীড়ের দিকে রাগি চোখে তাকালো।ছেলেটার মুখে দুষ্টু হাসি

নীড়ঃ ওমা তুমিই তো বললে মেরে ফেলবে।।তাহলে মেরে ফেলি কি বলো[চোখ টিপ মেরে]

নীড় নেশার কাছে আসতে যাবে নেশা দাড়িয়ে গেল

নেশাঃ এএককদমম এএগুবেনন ননাহহ?

নীড়ঃ ওমা এতোটুকুতেই এই অবস্থা।বাকি টুকু করলে কি হবে

নেশাঃ ববাকি টুটুকু মমানেহহ

নীড়ঃ কাছে আসো বুঝিয়ে দেই??

নেশাঃ ননাহ লাগবে ননাহ।।আমি যাচ্ছি।

বলে নেশা চলে যেতে নিলো নীড় হাত ধরে ফেললো

নেশাঃ কি?

নীড়ঃ একটা কথা জিজ্ঞাসা করি

নেশাঃ বলুন।

নীড়ঃ তুমি কি সত্যিই আকাশকে লাইক করো?

নেশাঃ কি মনে হয়??

নীড়ঃ তাহলে আজ এতো কান্না করলে কেন?

নেশাঃ আরে যতো খারাপই হোক মায়া তো লাগবেই।।রক্তের টান বলে একটা কথা আছে নাহ।

নীড়ঃ মানে!!!

নেশা কিছু বললো নাহ।।শুধু বাঁকা হাসি দিলো।

চলবে

(সবাই আস্তে আস্তে কমেন্ট করবেন। ধাক্কাধাক্কি করবেন নাহ।।আর করলেও মাস্ক পড়ে আসবেন।।দেশের পরিস্থিতি ভালো নাহ।??। আপনারা খালি টুইস্ট চান তাই গল্পে এতো প্যাচ লাগাইছি যে আপনাদের লেখিকাও প্যাচে পড়ে গেছে?)

হয়তো_ভালোবাসি Part_13

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_13
#Writer_Eshetaq_Nora

( আজকের পার্ট ছোট হওয়ার কারনে মাফ চাইছি।দেওয়ার ইচ্ছা ছিলো নাহ আজ)

কথাটা শুনে নেশা জ্ঞান হারালো।

নীড় গিয়ে ডাক্তার ডেকে আনলো।।

ডাক্তারঃ তোমাকে বলেছি তো ওকে উত্তেজিত নাহ করতে।।এতে ওর ক্ষতি হবে।। কেন বুঝচ্ছো নাহ।

নীড়ঃ আই এম সরি ডাক্তার আঙ্কেল ।। আর এমন হবে নাহ

ডাক্তারঃ ওকে পরের বার থেকে খেয়াল রাখবে।।আর একটু পরই ওর জ্ঞান ফিরে যাবে।।।ডোন্ট ওয়ারি।

এইভাবে ৭ দিন হসপিটালে কেটে গেল।নীড় নেশার সাথেই হসপিটালে থেকেছে।।কিন্তু নেশা নীড়ের সাথে কোন কথা বলেনি।।।নীড় ও জোর করেনি।।ভেবেছে সুস্থ হয়ে নেক।।তারপর না হয় কথা বলা যাবে.।

৭ দিন পর নেশাকে রিলিজ দেয়া হলো।।নীড় ভেবেছে নেশাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাবে।।।কিন্তু নেশা কিছুতেই রাজি হচ্ছে নাহ।

নেশাঃ আমি আপনার বাড়িতে যেতে পারবো নাহ নীড়।।প্লিজ জোর করবেন নাহ।

নীড়ঃ তোমাকে আমি এই অবস্থায় কিভাবে ছাড়বো নেশা।।।আগে তুমি পুরোপুরি সুস্থ হও তারপর না হয় দেখা যাবে।।

নেশাঃ ২ বছর আমি একাই ছিলাম নীড়।।আর এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ।। আমার খেয়াল আমি রাখতে পারবো।।

নীড়ঃ তারমানে তুমি আমার সাথে যাবে নাহ?

নেশাঃ নাহ

নীড়ঃ উফফ।তুমি সত্যিই খুব ড্রামা ভালোবাসো।

বলেই নেশাকে কোলে তুলে নিলো।

নেশাঃ আরে কি করছেন এইসব সবার সামনে।।নামান বলছি।

নীড়ঃ আরেকটা কথা বলবে তাহলে মুখ অন্য ভাবে বন্ধ করার জন্য বাধ্য হবো

নেশা বুঝতে পারলো নীড় কিসের কথা বলছে।।।তাই চুপ হয়ে গেল।।কারন নীড়ের কোন বিশ্বাস নেই।

নীড় নেশাকে সোজা তাদের বাড়িতে নিয়ে গেল।।তারপর কোলে করে নিজের রুমে নিয়ে গেল।।বাড়ির সবাই হা করে দেখছে।।কিন্তু কিছু বলছে নাহ।। কারন নীড় সবাইকে বলে রেখেছে যে সে নেশাকে এই বাড়িতে নিয়ে আসবে।।

রুমে —

নীড় গিয়ে নেশার জন্য খাবার নিয়ে এলো।

নেশাঃ আমি এখন খাবো নাহ।।

নীড়ঃ চুপচাপ হা করো।

নেশাঃ খাবো নাহ বল্লাম তো।

নীড় মুখ টিপে খাইয়ে দিলো।

নীড়ঃ এতো ঘাড় ত্যাড়া কেন তুমি।।ভালো করে কথা বললে শুনতে পাও নাহ

নেশাঃ ?

নীড় নেশাকে খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলো।।

নীড়ঃ এখন চুপটি করে ভালো মেয়ের মতো ঘুমিয়ে পড়বে

নীড় নেশার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিলো।।ঘুমের ওষুধ থাকায় নেশা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লো

নেশার ঘুমানোর পর নীড় রুম থেকে বের হয়ে নিচে গেল।।

দেখলো সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে।

নীড়ঃ হোয়াট এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন।।আমি কি এলিয়েন।

আয়ানঃ ওই মেয়েটা কে??ও এখানে কি করছে?

নীড়ঃ মামনি কিছু বলেনি তোমায়।

আয়ানঃ বলেছে কিন্তু সবটা নাহ।।আমি সবটা শুনতে চাই।।

নীড়ঃ আমি আগে খেয়ে নেই আমার খুদা লেগেছে।

বলেই খাবার টেবিলে বসে পরলো।

নীড় বরং খাবার খাক।।আমরা ওর পরিবার সম্পর্কে জেনে নেই।।নীড়রা ৪ ভাই।।বড় ভাই আয়ান,মেজো ভাই রায়হান, তারপর নীড় আর নীড়ের ছোট ভাই শিশির।আয়ান আর রায়হান বিবাহিত। আয়ানের বউ হিয়া।রায়হানের বউ রিয়া।

খাওয়া দাওয়ার পর।

আয়ানঃ এখন বলো কি হয়েছে আর ও কে।

নীড় ওদের একে একে সব খুলে বললো।।কলেজ থেকে শুরু করে সব।।সবাই কথাগুলো শুনে খুব অবাক।।নীড়ের জীবনে এতো কিছু হয়ে গেছে অথছ সে কাউকে বুঝতে দেয়নি।

হিয়াঃ মেয়েটার প্রতি তুমি খুব অন্যায় করেছো নীড়।।ওর এই সকল ঘটনার পিছনে কোন না কোন ভাবে তুমি জড়িত।যদি তুমি কলেজে ওর সাথে এইরকম নাহ করতে তাহলে ও নাহ রাগ করে সিডনিতে যেতো আর না এতো কিছু হতো

নীড়ঃ আমি জানি ভাবি।।কিন্তু না চাইতেও সব কিভাবে হয়ে গেল।কিন্তু এখন যখন ও আবার আমার জীবনে ফিরে এসেছে ওকে আর আমি যেতে দিবো নাহ।

রায়হানঃ কি করতে চাইছিস তুই?

নীড়ঃ আমি ওকে বিয়ে করবো ভাইয়া।

হিয়াঃ ও কি রাজি হবে।।এতো কিছুর পর

নীড়ঃ না হলে রাজি করাবো।।সেই জন্যই ওকে এখানে আনা।।আর আমার জানা মতে ও আমায় এখনো ভালোবাসে।।তাই কাজটা আমার জন্য সহজই হবে।

আয়ানঃ কাজটা এতোটাও সহজ হবে নাহ নীড়।।২ বছর ধরে ও এই কষ্টে রয়েছে।।তা ভুলা কি এতোই সহজ।যতোই হোক ও তার পরিবারকে হারিয়েছে

নীড়ঃ এই জন্যই তো তাকে বাড়িতে নিয়ে এলাম।তোমরা সবাই মিলে আমাকে সাহায্য করবে।।ওকে মানাতে৷ তাহলেই হবে।

হিয়াঃ আমরা সবাই তোমার সাথে আছি নীড়।।নিহা তোমার সাথে যা করেছে তারপর তুমি নিজের জীবনে নতুন করে শুরু করবে বলে ভেবেছো এটাই অনেক।

রিয়াঃ আমি তো ভেবেছিলাম আমার আমার দেবরটা বুঝি নিহার জন্য এমন চুপচাপ হয়ে গেছে এখন দেখি ঘটনা অন্য।তলে তলে এতো কিছু। এতো গুলা পাও কই।।একটার পর একটা রেডি থাকে তোমার?

নীড়ঃ ভাবি তুমিও নাহ?

কথাঃ আমি ভাবছি ইশা মেয়েটার কথা।।ওইদিন যে এসেছিলো কি ভালো ব্যবহার দেখালো।।সে কিনা মনে মনে এতো কিছু করেছে

নীড়ঃ বাদ দাও মামনি।।আমি অতীতের সব ভুলে যেতে চাই।।নতুন করে নেশাকে নিয়ে বাচতে চাই।।

রাতে নেশার ঘুম ভেঙে গেল।।নীড় তার পাশেই ছিলো।।নেশা জোরে আকাশ বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো। আওয়াজ শুনে নীড় নেশার পাশে বসলো।

নীড়ঃ কি হয়েছে নেশা।।খারাপ স্বপ্ন দেখেছো?? কি হলো নেশা কিছু তো বলো।

নেশাঃ আকাশ কোথায় নীড়।। আমি আকাশের কাছে যাবো। আমায় আকাশের কাছে নিয়ে চলুন

চলবে

নতুন করে চাইলেই কি আর নতুন করে বাচা যায়।।অতীতকে কি কখনো পিছনে রাখা যায়?

হয়তো_ভালোবাসি Part_12

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_12
#Writer_Eshetaq_Nora

নীড়ঃ নেশায়ায়ায়ায়ায়া??

আকাশ কথাটা শুনে পিছনে ঘুরলো। আর দেখলো নেশা দাড়িয়ে আছে।কিন্তু তার গেটআপ পাল্টে গেছে।।অল ইন ব্লাক।।মাফিয়াদের মতো লাগছে।।
নীড় আর আকাশ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।কারন নেশাকে কখনো এইরুপে কেউই দেখেনি।

নেশাঃ তোমার সাহস কি করে হয় আমার ভালোবাসার দিকে হাত বাড়ানোর মি. আকাশ

আকাশঃ মানে কি?।তুমি এখানে আর এই অবস্থায় কেন।

নেশাঃ জানো ভেবেছিলাম তোমায় এতো তাড়াতাড়ি মারবো নাহ।কিন্তু কি করবো বলো।।তোমার টাইম যে শেষ হয়ে গেছে।।
[বলেই আকাশের ঘাড়ে একটা ইঞ্জেকশন লাগিয়ে দিলো।আর আকাশ অজ্ঞান হয়ে গেল। নেশা কিছু লোককে ইশারা করলো তারা আকাশকে নিয়ে গেলো।। নেশা এসে নীড়ের সামনে দাড়ালো।।নীড় তো অবাক হয়ে নেশাকে দেখছে]

নেশাঃ বাড়ি চলে যান।।পরে দেখা হবে আপনার সাথে।

নীড়ঃ….

নেশাঃ কি হলো কিছু বলছি তো?

নীড়ঃ আমি তোমার ভালোবাসা??

নেশাঃ মুচকি হেসে- এই মুহুর্তে এইসব কথা বলা আপনার দ্বারাই সম্ভব

নীড়ঃ রোমান্স আর প্রেমের কোন নির্দিষ্ট টাইম নাই??

নেশাঃ ?।আচ্ছা বাড়ি যান।।আমি কাজ টা শেষ করে আসছি।

নেশা কিছুটা যেয়ে আবার ফিরে এলো।

নেশাঃ পিছন পিছন আসবেন নাহ। সোজা বাড়ি যাবেন।

বলেই নেশা বেরিয়ে গেল।।নীড় ও পিছে পিছে গেল।।দেখলো আকাশ ওকে যেই গাড়ি দিয়ে নিয়ে এসেছিলো সেটা রাখা আছে।।

নীড়ঃ তোমাকে একা কি করে ছাড়ি জান।তোমার জীবনের অনেক পাতা এখনো খোলা বাকি যে।।

নীড় গাড়িতে উঠে নেশার পিছন পিছন গেল।নেশা আকাশকে একটা গোডাউনে নিয়ে গেল।নীড় ভিতরে গেল নাহ।।আড়ালে দাড়িয়ে কি হয় দেখার চেষ্টা করলো।

নেশা আকাশ কে বাধলো।।তারপর তার মুখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফিরালো।

আকাশের জ্ঞান ফিরলো।আর দেখলো নেশা তার সামনে চেয়েরে বসে আছে পায়ের ওপর পা তুলে।।আকাশ তার হাতের দিকে খেয়াল করলো ব্যাথাটা এখন অনেক টা কম।আর হাতের মধ্যে ব্যান্ডেজ করা।

নেশাঃ কি দেখছিস।।হ্যাঁ ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি।।যাতে আপাদত ব্যাথা টা কমে।

আকাশঃ তুমি এসব কি বলছো নেশা।।তোমার কি হয়েছে।নিশ্চয়ই নীড় তোমাকে কিছু বলছে তাই নাহ।বিশ্বাস করো আমি কিছু করিনি।।ও যা বলেছে সব মিথ্যা।

নেশাঃ আরে নীড়ের কথা বাদ দাও।।ও জানে কি যে ও বলবে।।।ও শুধু জানে তুমি ইশাকে খুন করেছো।।কিন্তু আর কিছু তো জানে নাহ।

আকাশঃ মমমাননেহহ?

নেশাঃ আকাশে কাছে গিয়ে- এই যে তুমি আমার মা- বাবাকে খুন করেছো তাতো নীড় জানেই নাহ?।

আকাশঃ ককি সসবব ববলছো ততুমি????

নেশাঃ কেন তোমার মনে নেই বুঝি।।২ বছর আগে আমার মা- বাবাকে খুন করেছিলে।।তাও নিজের পাপ ডাকার জন্য?

নেশা এমন ভাবে কথা বলছে যেন সব নরমাল। আর সবকিছু যেনেও সে কোন রিয়েক্ট করে নাহ।

নেশাঃ কি ভাবছো আকাশ।

আকাশঃ তুমি এতো নরমাল কিভাবে!!

নেশাঃ ??হাসালে।।।শত্রুদের সামনে দুর্বল হতে নেই।।

আকাশঃ আমি তোমার শত্রু?।।তুমি নাহ আমায় ভালোবাসতে??!!

নেশাঃ ভালোবাসা???।।অভিনয় ছিলো সব।।তোমার থেকে প্রতিশোধ নিতে।।তুমি শুধু একজন খুনি।।আমার মা বাবার খুনি।

আকাশঃ আমি যদি আগে তোমায় দেখতাম তাহলে সত্যি নেশা আমি তোনার বাবা মাকে মারতাম নাহ।।তোমার বাবা আমার নামে ওইসব ছড়িয়ে ছিলো তাই ওনাকে মেরেছি।

নেশাঃ তারপর আমায় মারতে যাও।।কিন্তু আমার রুপের জালে আটকা পড়ে যাও?

আকাশঃ তুমি এইসব জানলে কিভাবে??

নেশাঃ অবশ্যই বলবো।।তোমার রাইট আছে সব জানার।।
তুমি যেদিন আমার মা বাবা কে খুন করেছিলে আমাদের বাড়িতে সে দিন সেই বাড়িতে আমার দাদুও ছিলো। তিনি সব দেখেছে।

আকাশঃ কিন্তু আমি তো উনাকে…..

নেশাঃ মেরেফেলেছিলে তাই তো

আকাশঃ ?

নেশাঃ কিন্তু তার আগেই তিনি আমায় সব বলে দিয়েছিলো।।যেদিম তুমি আমাদের বাড়িতে এসেছিলে আমায় খুন করতে সেইদিনই দাদু আমায় সব বলে দিয়েছিলো। জানো ওইদিন ইচ্ছা করছিলো তোমায় শেষ করে দেই।।কিন্তু আমার বাবা মার খুনিকে এতো সহজে মেরে ফেললে যে আমার বাবা মার আত্তা শান্তি পাবে নাহ।তাই শুরু করলাম অভিনয়। তোমার আমার বাড়িতে প্রতিদিন আসা যাওয়া দেখে বুঝে গেছিলাম তুমি আমায় লাইক করো,আমার প্রতি দুর্বল হয়ে গেছো।।সেই দুর্বলতাকেই কাজে লাগালাম তোমায় ধ্বংস করতে।

আকাশঃ নেশা আমি সত্যিই তোমায় ভালোবাসি। আমি যদি আগে তোমায় দেখতাম তাহলে কখনো তোমার বাবা মাকে খুন করতাম নাহ।

নেশাঃ তাহলে আমার দাদুকে কেন খুন করলে

আকাশঃ উনি সব জেনে গেছিলো তাই।।যদি উনি তোমায় সব বলে দেয় এই ভয়ে।

নেশাঃ ??।।এই তোমার ভালোবাসা।।।আমার পরিবারের সবাইকে শেষ করে তুমি বলছো তুমি আমায় ভালোবাসো।।যদি সত্যিই আমায় ভালোবাসতে তাহলে সেইদিনই সব সত্যি বলে দিতে যেদিন তুমি আমায় দেখেছিলে।।কিন্তু তুমি বলোনি। বরং নিজের পাপ ঢাকতে একের পর এক মিথ্যা বলেছো।

আকাশঃ ?

নেশা হাতে বন্দুক নিলো।

নেশাঃ বন্দুক চালানো আমায়্য তুমিই শিখিয়ে ছিলে তাই নাহ আকাশ। আজ এই বন্দুকই তোমার জান নেবে।

বলেই আকাশের দিকে বন্দুক তাক করলো

আকাশঃ??

নেশা পারছে নাহ আকাশকে গুলি করতে।।কিভাবে পারবে।আকাশ যতোই নেশার বাবা মার খুনি হোক নেশাকে তো আকাশ সত্যিই ভালোবাসে। তা নেশা নিজেও জানে।আকাশের চোখে আজ ও নেশা সেই ভালোবাসা দেখতে পারছে।।।তাহলে কিভাবে খুন করবে তাকে।

নেশাঃ নাহ আমি পারবো নাহ।।পারবো নাহ আমি

নেশা অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো নাহ।।বন্দুকটা জোরে নিচে ফেলে দিয়ে চলে যেতে নিলো।পিছনে ঘুরে নিড় কে দেখতে পেলো।

নেশাঃ তোমাকে নাহ বলেছি আমার পিছন পিছন না আসতে।

নীড়ঃ আমি আসলে….

নীড় এর চোখ গেল আকাশের দিকে।আকাশ নেশাকে শুট করার জন্য বন্দুক তাক করছে।।

আসলে আকাশ অনেক আগেই হাতের বাধন গুলো খুলে ফেলেছিলো।কিন্তু নেশা তার সামনে দাড়িয়ে ছিলো বলে আকাশ কিছু করেনি।।

আকাশ যেই নাহ শুট করলো নীড় নেশাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।।নেশা দেখতে পায়নি কারন নেশা আকাশের উল্টো দিকে ঘুরেছিলো।
নেশা গুলির আওয়াজ পেয়ে সেদিকে তাকালো।।দেখলো আকাশ বন্দুক হাতে দাড়িয়ে আছে।।আর মুখে শয়তানি হাসি।

আকাশঃ তোকে যদি আমি নাহ পাই নেশা তাহলে আর কেউ পাবে নাহ।[বলেই নেশাকে গুলি করেদিলো]

পুরো কাজ গুলো এতো তাড়াতাড়ি হলো যে নীড় কিছুই করতে পারলো নাহ।।যখন দেখলো নেশার গুলি লেগেছে তার দিকে ছুটে গেল।

নীড়ঃ নেশা তুমি ঠিক আছো।। এই নেশা

আকাশঃ ??ও গেছে ওর পরিবারের মতো ও চলে গেছে।।।এখন তোর পালা নীড়

বলেই নীড়ের দিকে যেই গুলি করতে নিবে নীড় গিয়ে আকাশের হাত থেকে বন্দুক টা নিয়ে নিলো।।আর দুইজনের হাতাহাতিতে আকাশের মাথায় গুলি লাগলো।।আর মাটিতে পরে গেল।।

নীড় নেশাকে কোলে তুলে হসপিটালে নিয়ে গেল।।

হসপিটালে–

নীড়ঃ ডাক্তার আঙ্কেল ইমার্জেন্সি। প্লিজ ওকে বাচান।।।

ডাক্তারঃ আরে নীড় তুমি?..এই মেয়ে কে

নীড়ঃ আগে ওকে বাচান। পরে সব বলছি।

ডাক্তারঃ ওকে তুমি শান্ত হও।।নার্স ওকে ওটিতে নিয়ে যাও।।

ডাক্তাররা অপারেশন শুরু করলো।আসলে নীড়ের বাবা ডাক্তারের পরিচিত তাই নীড়কে চিনে।।।

নীড় পাগলের মতো করছে।।সবাইকে জিজ্ঞাসা করে করে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।।উপান্তর নাহ পেয়ে ডাক্তার নীড়ের পরিবারকে ফোন দেয়।। সবাই ছুটে আসে হসপিটালে।

নীড়ের বাবা কবির আর মা কথা দৌড়ে এলো তাদের কাছে।

কথাঃ নীড় বাবা কি হয়েছে।।তোর শরীরে রক্ত কেন???

নীড়ঃ মামনি নেশা [ বলেই কথাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো]

কথা আর কবির খুব অবাক হলো। নেশা কে তাতো আর তারা জানে নাহ।।নীড় কখনোই তাদের নেসগার ব্যাপারে বলেনি এতো বছরে।।

কথাঃ ঠিক হয়ে যাবে বাবা।।।তুমি প্লিজ শান্ত হও।।ওর কিছু হবে নাহ।।

হঠাৎ ডাক্তার দরজা খুলে বাইরে বের হলো।

নীড়ঃ ডাক্তার আঙ্কেল নেশা??

ডাক্তারঃ ও এখন ঠিক আছে।।কাধে গুলি লেগেছে তাই খুব সহজে বাচানো গেছে।।কিন্তু ওর খেয়াল রাখবেন।। এখনো অনেক উইক।অনেক রক্ত পড়েছে তাই

নীড়ঃ ডাক্তার আমি ওকে দেখতে যাই?

ডাক্তারঃ নাহ এখন নাহ।জ্ঞান ফিরার পর ওকে কেবিনে শিফট করা হবে তারপর দেখা করো।।

নীড়ঃ আঙ্কেল প্লিজ দেখা….

কবিরঃ আকবর তুই যা।।আমি ওকে সামলাচ্ছি[৷ আকবর ডাক্তারের নাম]

ডাক্তারঃ ওকে

কবিরঃ নীড় শান্ত হও ও ঠিক আছে।।

নীড়ঃ কিন্তু বাবা আমি ওকে

কবিরঃ বললাম তো।।পাগলামো করো নাহ।।এতে ওরই ক্ষতি হবে।এখন বলো মেয়েটি কে?

নীড়ঃ আমার ভালোবাসা

কবিরঃ মানে???কিসব বলছো??

নীড়ঃ বাবা প্লিজ এখন আমায় কিছু জিজ্ঞাসা করো নাহ।।সময় হলে আমিই তোমাদের সব বলবো।।

২ ঘন্টা পর নেশাকে কেবিনে শিফট করা হলো। নীড় তার কাছে গেল।।।দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে সেদিকে তাকালো।

নীড়ঃ এখন কেমন লাগছে তোমার নেশা??[ নেশার হাত ধরে]

নেশাঃ আকাশ কোথায় নীড়?

নীড়ঃ আসলে…

নেশাঃ কি বলুন

নীড়ঃ ও মারা গেছে

কথাটা শুনে নেশা সাথে সাথে জ্ঞান হারালো।

চলবে

হয়তো_ভালোবাসি Part_11

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_11
#Writer_Eshetaq_Nora

আকাশঃ তুই আমার জানের দিকে চোখ দিয়েছিস তোকে আর বাচিয়ে রাখা যাবে নাহ। আজ তোকে শেষ করে দেব

নীড়ঃ মানে??

আকাশঃ তুই আমার ব্যাপারে সব কিছু জানলি কিভাবে।আর তোর সাহসই কিভাবে হয় নেশাকে ওইসব বলার।

নীড়ঃ ওহহ তারমানে তুমি আমাদের কথা আড়িপেতে শুনছিলে।দা মাফিয়া লর্ড কিনা আড়িওপাতে?

আকাশঃ নীড়ের কলার ধরে- বেশ করেছি পেতেছি।না হলে যে জানতেই পারতাম নাহ তলে তলে এতো কিছু হয়েগেছে।। কিন্তু আমি খুব খুশি হয়েছি।দেখেছিস আমার জান আমায় কতো ভালোবাসে।

নীড়ঃ হুহ।এই ভালোবাসা আমি আর কয়েকদিনেই শেষ করে দিবো।

আকাশঃ তার জন্য তো তোকে বাচতে হবে। আমি তো তোকে আজই শেষ করে দিবো।

[ সবাই বুঝতে পারছেন নাহ কি হয়েছে তাই নাহ।আচ্ছা চলুন বুঝিয়ে দিচ্ছি আকার কেন নীড়কে এক্ষণ মারতে চাইছে।।]

বিয়ের দিন সকালে-

রাতে বিয়ে তাই সকালে সবাই মিলে হলুদ লাগিয়ে নিসুকে গোসল করাবে।।নিসুকে হলুদ লাগানোর পর সবাই মিলে দৌড়াদোড়ি লাগিয়ে দিয়েছে একজনকে আরেকজন হলুদ লাগানোর জন্য।।

নেশা আকাশকে পিছনে থেকে গালে হ্লুদ লাগিয়ে দিয়ে ভো দৌড়। আকাশ ও পিছনে ঘুরে নেশাকে দেখে মুচকি হেসে হলুদ হাতে নিয়ে নেশার পিছনে দৌড় লাগালো।

আকাশঃ দাড়া বলছি পাজি।।আমাকে হলুদ লাগানো।।একবার হাতে পাই বুঝাবো মজা।।হ্লুদ লাগিয়ে ভুত বানিয়ে দিবো।

নেশাঃ আগে ধরে তো নাও।

অনেকক্ষন দৌড়ানোর পর নেশা দেখলো আকাশ অনেক পিছনে। এই সুযোগে নেশা গিয়ে একটা রুমে লুকিয়ে পরলো।তখনই ওই রুমের ওয়াশরুম থেকে নীড় বের হলো।খালি গায়ে শুধু টাওয়াল পড়েছে।।নেশা দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে ওইদিকে তাকালো। আর নীড় কে এই অবস্থায় দেখে

নেশাঃ আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়াআয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া????

নীড় তো থতমত খেয়ে গেল।।নেশাকে রুমে দেখে অবাক ও হলো।।নীড় গিয়ে নেশার মুখ চেপে ধরলো।

নীড়ঃ শসসসস??।।এতো চিল্লাও কেন হ্যাঁ।। আগের জন্মে কি মাইক ছিলা নাকি?

নেশাঃ উম্মম্মম্ম

নীড়ঃ কি উম্ম?

[নীড় বুঝতে পারলো নেশা মুখ থেকে হাত সরাতে বলছে ]

নীড়ঃ ওহহ সরি সরি।।।[হাত সরিয়ে ]

নেশাঃ আপপনি এএখাননে ককেনন??

নীড়ঃ আমার রুমে আমি থাকবো নাহ তো কে থাকবে।

নেশা চারদিক ঘুরে

নেশাঃ ওহহ হ্যাঁ এইটা তো আপনার রুম।।আমি ভুলে ঢুকে গেছি মনে হয়।।সরি

[ বলে চলে যেতে নিলো।নীড় টেনে আবার আগের জায়গায় দাড় করিয়ে দিলো।।দেয়ালের সাথে মিলিয়ে দুইদিকে দুইহাত দিয়ে দাড়ালো যাতে নেশা যেতে নাহ পারে ]

নীড়ঃ এইভাবে যেতে দেই কিভাবে।।বিনা অনুমতিতে রুমে ঢুকেছো পানিশমেন্ট তো দিতেই হবে. ( নেশার মুখের কাছে মুখ নিয়ে)

নেশাঃ দদদেখুন এএইসসব হবে নাহহ।।??

নীড়ঃ কেন হবে নাহ আর তুমি তোতলাচ্ছো কেন।

নেশাঃ ককই তোততললাচছি?

নীড়ঃ ওহহ তোতলাচ্ছো নাহ বুঝি?।।আচ্ছা যাই হোক তোমার পানিশমেন্ট টা দিয়ে নেই

[বলেই নেশার ঠোঁটে কিস করতে নিলো।।নেশা ধাক্কা দিয়ে সরাতে গেলো।।কিন্তু নীড়ের খালি বুকে হাত লাগায় নেশা কেপে উঠলো। নীড় নেশার কেপে উঠা দেখে ওর দিকে তাকালো]

নীড়ঃ এখনো তো কিস করলামই নাহ।। এখনই এতো কাপাকাপি করছো কেন?

নেশাঃ।……..

[ নেশা কিছুই বললো নাহ।। ওতো নীড়ের বুকের দিকেই তাকিয়ে আছে।শাওয়ার নেয়ার কারনে বুকে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে।।যা নেশাকে খুব টানছে।।ইচ্ছে করছে ছুয়ে দিতে।নেশা নীড়ের বুকে হাত বুলিয়ে দিলো কিছুক্ষণ। ওর যেন ঘোর লেগে যাচ্ছে।। ]

[ নীড় ভ্রু কুচকে নেশার দিকে তাকালো। খেয়াল করলো নেশা তার বুকের দিকে তাকিয়ে আছে।নীড় ব্যাপার টা বুঝতে পেরে মুচকি হাসলো ]

নীড়ঃ কি দেখছেন ম্যাডাম ??

নেশাঃ চমকে উঠে- হ্যাঁ??? ?

নীড়ঃ বললাম কি দেখছেন

নেশাঃ ককিছু নাহ( বলেই চলে যেতে নিলো।।নীড় নেশার দুই হাত দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো)

নীড়ঃ কিছু তো দেখছিলে( নেশার মুখের কাছে মুখ নিয়ে)

নেশা নীড়ের দিকে তাকালো ছেলেটার মুখে দুষ্টু হাসি।ব্যাপার টা নেশাকে আরো লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে।

নেশাঃ ববিশ্বাসস ককরুনন ককিছু দেখছিলাম নাহহ ??

নীড়ঃ তাই বুঝে তাহলে আমার বুকের দিকে তাকিয়েছিলে কেন?

নীড় একদম নেশার মুখের সামনে গিয়ে কথা গুলো বলছে।।নীড়ের গরম নিশ্বাস গুলো নেশার মুখে পড়ছে।।যা নেশাকে আরো পাগল করে দিচ্ছে।।নেশা খিচে চোখ বন্ধ করে রাখলো।কিন্তু কাপাকাপি বন্ধই হচ্ছে নাহ।

নীড়ঃ কি ম্যাডাম আজ যে আপনার কাপাকাপিই থামছে নাহ

নেশাঃ প্লিজজ গিয়য়ে জজামা পরুন।।আমমার ককেমন জজানি ললাগছে?[ চোখ বন্ধ রেখে৷ ]

নীড়ঃ ??আগে তুমি তাকাও তো?

নেশাঃ প্লিজ???

নীড় নেশাকে ছেড়ে দিলো।নেশা তো ভো দৌড়

নীড় সেদিকে তাকিয়ে হেসে দিলো।

নীড়ঃ পাগলি,

নেশা এক দৌড়ে দরজার বাইরে গিয়ে দাড়িয়ে জোড়ে জোরে শ্বাস নিলো।এতক্ষণ মনে হচ্ছিলো দমটাই আটকে ছিলো।হঠাৎ নেশার চোখ গেল হলুদের বাটির দিকে।।তা দেখে নেশার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি এলো।।

হাতে কিছুটা হলুদ নিয়ে নীড়ের রুমে ঢুকে গেলো দরজা নক না করেই।নীড়কে দেখেই

নেশাঃ আস্তাগফিরুল্লাহ??(৷ বলেই উল্টো ঘুরে গেলো)

নীড় আওয়াজ পেয়ে দরজার দিকে তাকালো।।নেশাকে দেখে পেন্ট না উঠিয়েই রাগি চোখে তাকালো

নীড়ঃ ইউউউ??

নেশাঃ ববিশ্বাস ককরুন কিছু দদেখিনি???????

নীড় পেন্ট পরে নেশাকে টেনে রুমের ভিতর এনে দরজা লাগিয়ে দরজার সাথে চেপে ধরলো।।

নীড়ঃ এই মেয়ে দরজা নক করে আসা যায় নাহ

নেশাঃ আমি কি জানতাম নাকি যে আপনি এইভাবে থাকবেন?

নীড়ঃ হুহ [৷ বলেই নেশাকে ছেড়ে শার্ট পড়তে গেলো]

নেশা পিছন থেকে চুপিচুপি নীড়ের পিছনে দাড়ালো।।আর গালে হলুদ লাগিয়ে দৌড় দিতে নিলো। কিন্তু নীড় হাত ধরে ফেললো।

নেশাঃ মনে মনে- এই রে এখন আমি শেষ?

নীড় আয়নার দিকে তাকালো।আর দেখলো নেশা তার গালে হলুদ লাগিয়ে দিয়েছে

নীড়ঃ এগুলা কি করলা তুমি?

নেশাঃ ??আপনাকে নাহ হুতুম পেচা লাগছে।

নীড়ঃ খুব হাসি পাচ্ছে তাই নাহ।। দাড়াও

[ নীড় এদিক ওদিক তাকালো কিন্তু কিছু পেলো নাহ ]

নেশাঃ হিহি?।।কিছু করতে পারবেন নাহ।।আপনার কাছে তো হলুদই নেই যে আমায় লাগাবেন

নীড় মুচকি হেসে নেশার মুখ দুইহাত দিয়ে ধরে নিজের দুই গালের সাথে নেশার দুইগাল ঘষে দিলো।।তারপর ঠোঁটে জোরে একটা কামড় দিয়ে সরে এলো।

নেশাঃ ??☹?????

নীড়ঃ নাও লাগিয়ে দিলাম হলুদ।।

নেশা মুচকি হেসে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে গেল।।নীড় ও পিছন পিছন ছুটলো।দুইজনই সায়ানের সামনে পরলো।

সায়ানঃ আমি তো ভাবলাম তুই বুঝি শাওয়ার নিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছিস তাই বাচাতে এলাম।।এখন দেখি দরজা লাগিয়ে শাওয়ারের সাথে টাওয়ার ও করছিস??

নেশা লজ্জা পেয়ে চলে গেল।

নীড়ঃ কি যে বলস নাহ তুই [৷ মাথা চুলকাতে চুলকাতে]

সায়ানঃ কি জানি বললাম??

নীড়ঃ ধুর কিছু নাহ।।চল নিচে যাই

সায়ানঃ নীড়

নীড়ঃ বল

সায়ানঃ নেশাকে যা বলার এখনই বলে দে।।পরে নাহ আকাশ ওকে পেয়ে যায়

নীড়ঃ মনে মনে- শিট আকাশের কথা তো মাথা থেকে বেরিয়েই গেছিলো।।নাহ ওকে জানাতে হবে

সায়ানঃ কি ভাবছিস

নীড়ঃ কিছু নাহ। নেশাকে খুব তাড়াতাড়ি বলবো।এখন চল নিচে যাই

বিকালে –

সবাই রেডি হচ্ছে।।নিসুকে সাজাতে পার্লার থেকে লোক এসেছে।নেশাও তাদের থেকে সেজে নিলো।।অফ হোয়াইট কালারের লেহেঙ্গা।। তার সাথে রেড কর্পটপ।অফ হোয়াইট কালারের ওড়না। অয়েলি মেকআপ, ব্লাক স্মোকি আইস,ড্রাক রেড লিপস্টিক ।হাতে সাদা লাল চুরি।।গলায় সাদা পাথরের নেকলেস, ঝুমকা।চুল গুলো খোপা করা।।।আর লাল গোলাপ লাগানো।নাকে নোসপিন।।এককথায় পরি।।

আকাশ তো দেখেই ফিদা।

আকাশঃ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে নেশা?

নেশাঃ আর তোমাকেও ??

তখন রুম থেকে নীড় বের হলো।।নীড় কেও আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে। অফ হোয়াইট কালারের রাউন্ড শেপ পাঞ্জাবি। বুকের দিক দিয়ে লাল সুতার কাজ।।ব্লাক পেন্ট।।চুল গুলো স্টাইল করা।।হাতে কালো ঘড়ি।

হঠাৎ নীড়ের চোখ গেল নেশার দিকে।।।আর চোখ আটকে গেল।।জান্নাতের হুরের থেকে কম সুন্দর লাগছে নাহ তাকে।

নীড়ঃ উফফ জান আজ তো তুমি আমায় একদম শেষ করে দেব।।তোমার এতো রুপ যে আমায় ঘায়েল করতে করতে শেষ করে দিচ্ছে।??

নীড় আর নেশার সামনে গেল নাহ। দুর থেকে দেখেই চলে গেল।। কারন সামনে গেলেই তার ঘোর লেগে যাবে।।।

নিসুকে স্টেজে আনা হলো। লাল কালারের লেহেঙ্গাতে নিসুকেও অপসরী থেকে কম সুন্দর লাগছে নাহ।।বিয়ে পরানো শুরু হলো।

ওই মুহুর্তে নেশাকে টেনে নীড় একটা রুমে নিয়ে গেল।

নেশাঃ আপনি!!!

নীড়ঃ হুম

নেশাঃ এখানে কেন আনলেন?

নীড়ঃ তোমাকে দেখতে। জানো কতোটা সুন্দর লাগছো তুমি।।ইচ্ছে করছে…..

নেশাঃ নীড় কে থামিয়ে… জানি সুন্দর লাগছে।।।এখন চলুন ওইখানে যাই।।বিয়ে শেষ হয়ে যাবে।।[৷ বলে নেশা চলে যেতে নিলো।। নীড় হাত ধরে তার দিকে ঘুরালো]

নেশাঃ কি?

নীড়ঃ তোমায় কিছু কথা বলার ছিলো।

নেশাঃ এখন!!! পরে বললে ও তো হবে

নীড়ঃ নাহ এখনই বলবো

নেশাঃ আচ্ছা বলুন কি বলবেন।

নীড়ঃ জানি নাহ কথাটা কিভাবে নিবে।।

নেশাঃ কি??

নীড়ঃ আসলে আকাশ

নেশাঃ আকাশ কি?

নীড়ঃ আসলে আকাশ একজন খুনি

কথাটা বলতে বলতে নেশা নীড়ের গালে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো।নীড় অবাক হয়ে নেশার দিকে তাকালো।কারন নীড় যতো ভুলই করেছে নেশা কখনো হাত তোলে নি।।কিন্তু আজ আকাশের কথা বলার হাত তুললো।।তাহলে কি সত্যিই নেশা আকাশকে ভালোবাসে

নেশাঃ এনাফ ইজ এনাফ।।কি ভেবেছেন আপনি।।ভালো করে একটু কথা বলেছি বলে ভাবছেন আমি সব ভুলে গেছি আর আপনি যা বলবেন তাই বিশ্বাস করবো। নাহ মি. নীড়. এইটা আপনার ভুল ধারনা।।যখন আমার পাশে কেউ ছিলো নাহ তখন শুধু আকাশ ছিলো আমার পাশে।আর কেউ নাহ।।।আর আপনি তার নামে এতো বড় মিথ্যা বললেন।।আপনি ওকে পছন্দ করেন নাহ ঠিক আছে। কিন্তু এইসব।। ছি আপনাকে দেখে আমার ঘৃণা হচ্ছে

বলেই নেশা চলে গেল।এইদিকে নীড় থ মেরে গেছে।।।নেশা যে তাকে বলার সুযোগ দিবে নাহ তাতো নীড়ের জানা ছিলো নাহ।।।নীড় ও চুপচাপ বের হয়ে গেল রুম থেকে।

কিন্তু আকাশ তাদের দুইজনের কথাই শুনেছে।।তাই নিসুর বিদায়ের পর নীড়কে কিডনাপ করে আর তাকে মারার প্লেন করে

বর্তমানে

নীড়ঃ এইভাবে তুই কতোদিন পালাবি আকাশ। একদিন নাহ একদিন নেশা সব জানতে পেরে যাবে।

আকাশঃ তার কোন সুযোগই দিবো নাহ আমি।।এই মাসেই আমি নেশাকে বিয়ে করে আমার করে নিবো।তারপর আর ও আমায় ছেড়ে চলে যেতে পারবে নাহ।।
তুই ওইসব নিয়ে ভাবিস নাহ।।তুই বরং তোর কথা ভাব?

বলেই আকাশ বন্দুক নিয়ে নীড়কে শুট করতে যাবে।তখনই পিছন থেকে একটা বড়ো ছুরি এসে আকাশের হাতের কব্জি কেটে নীড়ের হাতের বাধনে গিয়ে লাগলো।।আর বাধনটাও খুলে গেল।নীড় খুব অবাক হলো।।আর আকাশ তো ব্যাথায় কাতরাচ্ছে।

নীড়ঃ
.।।।

চলবে

হয়তো_ভালোবাসি Part_10

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_10
#Writer_Eshetaq_Nora

রুমের ভিতর–

নীড় ঢুকেই দেখলো নেশা ঘুমিয়ে আছে।সারা শরীর লাল হয়ে খারাপ হয়ে গেছে।

নীড়ঃ আই এম সরি জান।।আমি জানতাম নাহ তোমার গোলাপ ফুলে এলার্জি। জানলে কখনো করতাম নাহ এই কাজ????[নেশার হাত ধরে ]

একটুপর

নেশার জ্ঞান ফিরেছে।।নীড় তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছুতেই নেশা খাবার মুখে নিচ্ছে নাহ।

নীড়ঃ প্লিজ খেয়ে নাও নেশা।।না হলে সুস্থ হতে পারবে নাহ।।

নেশাঃ আপনি প্লিজ এখান থেকে যান।।আমার আপনাকে সহ্য হচ্ছে নাহ।

নীড়ঃ নেশা আমি…….

তখনই আকাশ রুমে ঢুকলো।।আকাশকে দেখে নেশা গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।আকাশ বুঝতে পারলো নেশা রাগ করেছে। আকাশ গিয়ে নেশার পাশে বসলো।নেশা আরেক দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।

আকাশঃ নেশা আজ আব্বুর মৃত্যুবার্ষিক ছিলো।

নেশাঃ ??

আকাশঃ তাই এতিমখানায় গিয়েছিলাম

নেশাঃ ??

আকাশঃ সরি তো??

[যদিও ডাহা মিথ্যা কথা। আকাশ গিয়েছিলো একটা পুলিশ কে হুমকি দিতে।।কারন সে আকাশের লোক দের জেলে ঢুকিয়ে রেখেছিলো মারপিট করায় ]

নেশাঃ এই ছেলে এখানে কেন?

আকাশ বুঝতে পারলো নেশা নীড়ের এখানে থাকার ফলে রাগ করেছে। কথাটা ভেবেই আকাশের মনে লাড্ডু ফুটতে শুরু করলো।

আকাশঃ মনে মনে- হাহ আমার নেশাকে পটাবে?।।দেখ তোকে সহ্যই করতে পারে নাহ আমার জান??।।

আকাশঃ আমিই ওকে রেখে গেছিলাম।।যদি তোমার কিছু দরকার হয় তাই।

নেশাঃ আমি নিজের খেয়াল নিজে রাখতে পারি আকাশ।।

আকাশঃ আচ্ছা সরি।।[বলেই নীড়ের হাত থেকে সুপের বাটিটা নিয়ে নিলো ]

আকাশঃ তুমি যেতে পারো এখন নীড়।।ধন্যবাদ এতক্ষণ দেখে রাখার জন্য।।বলেই নেশাকে খাইয়ে দিতে লাগলো।আর নেশাও খেতে লাগলো।
যা দেখে নীড় গাল ফুলিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।কারন এখন কিছু বললে নেশা রিয়েক্ট করতে পারে।।তাই কিছু বললো নাহ।আকাশ সেদিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিলো

এইভাবেই নীড় আর নেশার দিন কাটতে লাগলো।নীড় অনেক বার নেশাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করেছে কিন্তু নেশা পাত্তা দেয়নি।এইদিকে নীড় আকাশের বিরুদ্ধে কোন স্ট্রং প্রমাণ পাইনি যা নেশাকে দেখাবে।।।লোকটা অতিমাত্রায় চালাক।।খুব সাবধানে নিজের কাজ করেছে।।তার উপর ১ বছর দেশে ছিলো নাহ। তাই নতুন কোন খুন ও করে নি।।।তাই প্রমাণ পাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তাই ভাবলো নেশাকে এমনিতেই সব বলে দেবে।। যদি একটু হলে ও বিশ্বাস করে তাকে।।সেই অনুযায়ী প্লেন করলো।।

কাল বিয়ে বাড়িতে অনেক কাজ।।তাই সবাই বিজি।।বাড়িতেই পার্লারের লোক এসেছে।।সবাই ফেস পেক লাগিয়ে বসে আছে। নেশার ফেস পেক লাগানো শেষ তাই সে ঘরে চলে যায়।।আর পার্লারের এক মহিলাকে বলে ঘরে এসে তার পেডিকিওর করতে।। মহিলাটি ঘরে এসে তার পেডিকিওর করতে শুরু করে পায়ে।নেশা চোখ বন্ধ করে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলো।।পায়ে ম্যাসেজ করার ফলে খুব আরাম হচ্ছিলো তাই চোখ বুঝে রেখেছে।হঠাৎ রুমে নীড় ঢুকে মহিলাটিকে ইশারা করলো বেরিয়ে যেতে।মহিলাটি বেরিয়ে গেল।।

নেশাঃ কি হলো বন্ধ হয়ে গেলে কেন??[ চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় ]

নীড় কিছু ভেবে মুচকি হেসে নেশার পায়ের কাছে বসে পায়ে ম্যাসেজ করতে লাগলো।

নেশাঃ তুমি আছো।।আমি তো ভেবেছি চলে গেছো।

নীড় কিছু বললো নাহ।।কিন্তু ওর বোম ফাটা হাসি পাচ্ছে।।

নেশাঃ এতো আস্তে করছো কেন। আগে তো ঠিক ছিলো।।[ চোখ বন্ধ করে]

নেশাঃ আরে সুরসুরি দিচ্ছো কেন।

বলেউ নেশা চোখ খুললো।আর নীড়কে দেখেই

নেশাঃ আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া?????

নীড় নেশার মুখ চেপে ধরলো।

নীড়ঃ চুপ চুপ। এতো চিৎকার করো কেন।।??

নেশাঃ????

নীড়ঃ উফ এখন এমন করছো কেন। কথা বলো

নেশাঃ উম্মম্মম্মম

নীড় খেয়াল করলো নেশা মুখ থেকে হাত সরাতে বলছে।

নীড়ঃ ওহহ সরি সরি।। [মুখ থেকে হাত সরিয়ে ]

নেশা জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।।

নীড়ঃ ঠিকাছো??

নেশাঃ হুম।।আপনি এখানে কেন??

নীড়ঃ তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছিলো খুব??

নেশাঃ ওকে। এখন যান

নীড়ঃ জান?।।উফ এইভাবে বললে যাবো কিভাবে জান?

নেশাঃ আমি জান বলিনি যান বলেছি।।

নীড়ঃ আমিও তো জানই বললাম?

নেশাঃ আমি যেতে বলেছি???????

নীড়ঃ ওহহ আচ্ছা তাই বলো?।।আচ্ছা যাচ্ছি।। কিন্তু রাতে রেডি থেকে একজায়গায় যাবো।

নেশাঃ আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো নাহ

নীড়ঃ তাহলে তুলে নিয়ে যাবো।

নেশাঃ ?

নীড় চলে গেল।।

রাতে—

নীড় দেখলো নেশার আসার নামগন্ধ নেই।।।নীড় রুমে গিয়ে দেখলো নেশা তো ঘুম।

নীড়ঃ এই মেয়ে কে তো আমি?

নীড় নেশাকে কোলে করে নিয়ে গাড়িতে বসালো তারপর ড্রাইভিং করে এক জায়গায় নিয়ে গেল।সারা রাস্তায় এমন ঘুম দিয়েছে যে একটু টের ও পায়নি।।কি মেয়েরে বাবা।।?

নেশার ঘুম ভাঙলো মুখে পানির ছিটায়।আর দেখলো নীড় তাকে একটা চেয়ারের সাথে বেধে রেখেছে।

নেশাঃ হোয়াট দা?।।আপনি কি করছেন এইসব

নীড়ঃ তোমার ঘুম ভাঙাচ্ছি।।

নেশাঃ সেটা ডাক দিয়েও করা যেত।

নীড়ঃ যেই ঘুম দিয়েছো ভেবেছি অজ্ঞান হয়ে গেছো।।তাই পানির ছিটা দিলাম

নেশাঃ ?আমায় বেধে রেখেছেন কেন??

নীড়ঃ আদর করতে?

নেশাঃ শাট আপ

নীড়ঃ এমন করো কেন। তুমি তো আমায় ভালোবাসো।। তাহলে আদর করলে কি হবে?

নেশাঃ ভালোবাসতাম এখন বাসি নাহ।

নীড়ঃ কেন বাসো নাহ।।আমার মনে ভালোবাসা জাগিয়ে এখন বলো ভালোবাসো নাহ।।

নেশাঃ ও রেয়লি?।।আমি আপনার মনে আমার জন্য ভালোবাসা জাগিয়েছি।

নীড়ঃ হুম।তাই তো ভালোবাসি তোমায়।।খুব ভালোবাসি

নেশাঃ??হাসালেন মি. নীড় । আপনি আমায় ভালোবাসেন আমি তো জানতামই নাহ।।ধন্যবাদ আমাকে জানানোর জন্য

নীড়ঃ আমি সত্যি তোমায় ভালোবাসি নেশা ?

নেশাঃ হুম জানি তো। তাই তো ২ বছর আগে পুরো কলেজের সামনে আমায় অপমান করেছিলেন আপনার নিসুর জন্য।আচ্ছা যেই নিসুকে আপনি এতো ভালোবাসেন তাকে ছেড়ে এখন আবার ইশাকে বিয়ে কেন করছেন?

নীড়ঃ নিসু আমায় ছেড়ে চলে গেছে।

নেশাঃ ওহহ তাই আমার কাছে আসলেন তাই তো।।নিসু যদি থাকতো তাহলে আপনার মনে হয়তো এই ভালোবাসা জন্মই নিতো নাহ।

নীড়ঃ আমি আগে থেকেই তোমায় ভালোবাসি নেশা?।।

নেশাঃ তাই বুঝি। তো ওই অপমান গুলো কি ভালোবাসার প্রতিদান ছিলো।

নীড়ঃ নেশা আম…..

নেশাঃ আমি বাড়ি যাবো।

নীড়ঃ প্লিজ আমার কথা শুনো।।কেন ওইদিন ওইরকম করেছিলাম তা শুনতে চাইবে নাহ?

নেশাঃ নাহ।।আমি কিছু শুনতে চাই নাহ।।আমি বাড়ি যাবো।

নীড়ঃ কিন্তু না শুনা পর্যন্ত তো তোমায় আমি বাড়ি যেতে দিবো নাহ?

নেশাঃ ??

নীড়ঃ নিসুর বাবা আর আমার বাবা বিজন্যাস ফ্রেন্ড ছিলো।।তাই ওদের সাথে আমাদের ভালোই সম্পর্ক ছিলো।।প্রায় সময়ই তারা আমাদের বাড়ি আসতো আর আমরা তাদের বাড়ি যেতাম।।একবার তাদের বিজন্যাসে অনেক বড় লস হয় আর আঙ্কেল তার সব কিছু বিক্রি করে দেয় এমনকি তাদের বাড়িও বিক্রি করে দেয়।তাই আব্বু ওনাদের আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।।নিহার আম্মু নেই।।তখন থেকে ওনারা আমাদের বাড়িতেই থাকে। একদিন আমি আর আঙ্কেল মিলে পার্কে ঘুরতে যাই।তখন আমার মাত্র ১২ বছর।।রাস্তার ওইপাশে আইসক্রিমের গাড়ি দেখে আমি কিছু নাহ ভেবেই ওইপাশে যেতে নেই।।হঠাৎ একটা ট্রাক সামনে চলে আসে।।আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি।।আর ওইমূহুর্তে আঙ্কেল আমায় বাচায়।কিন্তু নিজে বাচতে পারেনি।।ট্রাক টা তাকে পিষে নিয়ে যায়।।তারপর থেকে নিহা একদম একা হয়ে যায় যদিও সে আমার বাড়িতে থাকতো। কিন্তু বাবা মা ছাড়া বুঝতেই তো পারছো।তারপর থেকে নিহার প্রতি ও আমার অন্যরকম মায়া সৃষ্টি হয়।তাকে টাইম দেয়ার চেষ্টা করতাম সব সময়।কারন যতোই হোক আঙ্কেল আমায় বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে।। আব্বু আমার আর নিহার বিয়ে ঠিক করে।।আমাদের পড়ালেখা শেষ করেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। নিহা যা বলতো তাই করতাম।।ওর সকল আবদার পুরন করার চেষ্টা করতাম।একদিন ও বলে তোমার সাথে ভালোবাসার নাটক করতে।। প্রথমে আমি রাজি হইনি।।কিন্তু পরে ও জানায় যে তুমি তাকে সবার সামনে খুব অপমান করেছো।সারাদিন খুব কান্নাকাটি করলো।তাই আমি ও বাধ্য হয়ে খোঁজ নিলাম।।আর জানতে পারলাম সত্যিই ওইদিন তুমি ওকে থাপ্পড় মেরেছো সবার সামনে।।কিন্তু কেন মেরেছো তা জানতাম নাহ।।পরেরদিন থেকে শুরু হয় তোমাকে ভালোবাসার অভিনয়।। [একটু থেমে]জানো যেদিন তুমি চলে গিয়েছিলে তোমায় আটকাতে চেয়েছিলাম। ভালোবেসে ফেলেছিলাম যে। কিন্তু কি করে আটকাতাম বলো।আর আটকালেই বা কি হতো।।আমি যে নিহার কাছে দ্বায়বদ্ধ।জানো তুমি যাওয়ার একবছর পর নেশা আমায় ছেড়ে চলে যায়।সেদিন কষ্টের থেকে বেশি খুশি হয়েছিলাম কারন আমি তোমার কাছে ফিরে যেতে পারবো।।কিন্তু সেখানে গিয়ে তোমাদের কাউকেই পেলাম নাহ।।অনেক ট্রাই করলাম।। আমার প্রায় পাগল পাগল অবস্থা। আমার এমন অবস্থা দেখে আম্মু হার্ট অ্যাটাক করলো।আর আম্মুর খুশির জন্য আমায় ইশাকে বিয়ে করতে রাজি হতে হয়।[ কথাটা বলেই নীড় নেশার কাছে গিয়ে ওর বাধন গুলো খুলে দিলো ]

নীড়ঃ আমি আজ ও তোমায় ভালোবাসি নেশা। খুব ভালোবাসি। [৷বলতে বলতে নেশার ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁট নিয়ে গেল।।কিন্তু নেশা মুখ ঘুরিয়ে নিলো।নীড় দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে উঠে দাড়ালো।।অন্যদিকে ঘুরে—]

নীড়ঃ আজ যা বললাম তার সবই সত্যি।। বাট তুমি যদি নাহ বিশ্বাস করতে চাও তাহলে কিছু করার নেই।।কিন্তু নেশা আজ আমি তোমায় আরো কিছু বলতে চাই।।সেটা হলো আকাশের ব্যাপারে।। তুমি হয়তো জানো নাহ ও কতটা ভয়ংকর।। ও ইশাকে খুন করেছে।।।তাও আবার আমার সামনে

[ বলেই নেশার দিকে ঘুরলো। কিন্তু সে তো নেই।।তারমানে চলে গেছে।।।কথাটা নেশার শোনা হলো না।নীড় পিছন পিছন গিয়ে দেখলো নেশা গাড়ি নিয়ে চলে গেছে ]

নীড়ঃ জানি নাহ কবে তোমায় আবার নিজের করে পাবো কিন্তু তোমায় যে আকাশের সত্যি টা জানাতে হবে যে করেই হোক।।কাল তোমায় সব শুনতেই হবে নেশা।।

পরেরদিন রাতে

নীড়ের হাত পা বাধা আর সামনে দাড়িয়ে আছে আকাশ।

নীড়ঃ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো কেন আকাশ?

আকাশঃ তুই আমার জানের দিকে নজর দিয়েচ্ছোস।। তোকে আর বাচিয়ে রাখা যাবে নাহ।।আজ আমি তোকে শেষ করে দিবো

চলবে?

( অনেকেরই নীড়কে নায়ক হিসেবে পছন্দ ছিলো নাহ।।কারন সে নেশার সাথে ওইরকম করেছে।।কিন্তু এতে নীড়ের ও কিছু করার ছিলো নাহ।।আপনারা ওর জায়গায় থাকলে কি করতেন তা আমার জানা নেই।।?

❤❤আরেকটা কথা। কিছু মানুষ আছে যারা আমার গল্পের নায়িকাকে ও পছন্দ করে নাহ আবার নায়ককেও নাহ।।আবার আমার গল্পের কাহিনি ও পছন্দ করে নাহ।।কিন্তু তাদের কাছে এতোই ফালতু টাইম থাকে যে তারা সবসময় আমার গল্প ও পড়বে আবার খারাপ কমেন্ট ও করবে।।এগুলা করতে তাদের মধ্যে একটু লজ্জা ও লাগে নাহ।।সত্যিই অসাধারণ।পৃথিবীতে এই টাইপের মানুষ সত্যিই খুব বিরল।।তাদের নিয়ে চিরিয়াখানায় রাখা উচিত ?❤❤)

হয়তো_ভালোবাসি Part_09

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_09
#Writer_Eshetaq_Nora

পরেরদিন সকালে নীড় নেশার রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো

নেশাঃ আপনি এখানে কেন?আর দরজা কেন লাগালেন

নীড়ঃ আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে।

নেশাঃ দেখুন আপনার সাথে আমার কোন কথা নেই। আপনি প্লিজ চলে যান।

নীড়ঃ কথাটা আকাশের ব্যাপারে।

নেশাঃ কি কথা??

নীড়ঃ আকাশ একজন খ…..

ওই সময়ই নেশার ওয়াশরুম থেকে আকাশ বের হলো।আকাশ কে দেখে নীড় চুপ হয়ে গেল।

নীড়ঃ তুমি এখানে?

নেশাঃ হ্যা ওর রুমের ওয়াশরুম ক্লিন করছে তাই ও আমার রুমে এসেছে।।আপনি কি বলছিলেন বলুন।

আকাশঃ নীড় কি বলবে?

নেশাঃ ও নাকি তোমার ব্যাপারে কিছু বলবে আমাকে।

আকাশঃ নীড় আমার ব্যাপারে। কি বলবে?

নেশাঃ জানি নাহ।

আকাশঃকিছু বলবে তুমি নীড়??

নীড়ঃ নাহ মানে তুমি অনেক ভালো তাই বলছিলাম নেশাকে।

নেশাঃ তা আপনার নাহ বললে ও হবে।।আমি জানি আকাশ কেমন।

নীড়ঃ হুম তাই তো আচ্ছা আমি যাই।

[বলেই নীড় চলে গেল।। আকাশের কেন জানি একটু সন্দেহ হলো।এর আগেও নীড়কে নেশার পিছে পিছে ঘুরা লক্ষ করেছে।।কিন্তু বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে শুনে কিছু বলেনি। কিন্তু এখন তা আর হবে নাহ।কারন ইশাকে তো সে মেরে ফেলেছে]

আকাশঃ নেশা তুমি জানো আমি সরাসরি কথা বলি

নেশাঃ কি বলতে চাইছো

আকাশঃ নীড় কি তোমায় পছন্দ করে?

নেশাঃ ওইটা উনি ভালো বলতে পারবে। আমি কি করে বলবো।বলেই নেশা রুম থেকে বেরিয়ে গেল

আকাশঃ মনে মনে- আচ্ছা নীড় নেশাকে পছন্দ করে নাহ তো।যদি করে।নাহ কথা বলতে হবে।।নেশাকে দেখে তো মনে হলো নীড় ওকে পছন্দ করে তা নেশার চোখ দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো।আচ্ছা নেশা যদি ওর কাছে চলে যায়।।নাহ এইটা হবে নাহ।।।নেশা শুধু আমার।। আর কারো নাহ।।আর কারো হতে দেবো নাহ।।

আকাশঃ নীড়

নীড়ঃ জি?

আকাশঃ তোমার সাথে কিছু কথা ছিল।

নীড়ঃ কি?

আকাশঃ এইখানে নাহ চলো আমার সাথে

নীড়ঃ ওকে চলো

[নীড় কিছুটা আচ করতে পারলো যে আকাশ কি বলতে নিয়ে যাচ্ছে।।আকাশ নীড়কে একটা শুনশান জায়গায় নিয়ে গেল]

নীড়ঃ এখন বলো কি বলবে?

আকাশঃ নেশার থেকে দুরে থাকো।

নীড়ঃ মানে??

আকাশঃ আমি ভালো করেই বুঝেছি তুমি নেশাকে লাইক করো।।তাই বলে দিলাম নেশার থেকে দুরে থাকো।

নীড়ঃ বাহ ভালো বুঝেছো দেখা যায়।। কিন্তু তুমি যে ভুল।।আমি নেশাকে লাইক নাহ লাভ করি।

আকাশঃ হাও ডেয়ার ইউ???।।নেশা শুধু আমার।।। ওর দিকে কেউ তাকালে চোখ তুলে রেখে দেব।ভালোয় ভালোয় ওর পিছনে ঘুরা বন্ধ করে দেও।

নীড়ঃ আমি তো ঘুরবোই আর ওকে নিজের করে ছাড়বো।

আকাশঃ ??।নেশা আমায় ভালোবাসে।।শুধু আমায়।।আর আমি ওকে। তুমি ওর কাছে ও যেতে পারবো নাহ।

নীড়ঃ ভালোবাসা?।তোমাদের মধ্যে যদি ভালোবাসাই থাকতো তাহলে নেশাকে নিয়ে ভয় পাচ্ছো কেন যে ও আমার হয়ে যাবে।

আকাশঃ আমি ভয় পাচ্ছি নাহ।।কিন্তু তুমি ওর থেকে দুরে থাকবে।

নীড়ঃ তুমি ভয় পাচ্ছো যদি আমি নেশাকে নিজের করে ফেলি।।কারন ও তোমায় ভালোবাসে নাহ।

আকাশঃ তুমি কোন দিনই নেশাকে নিজের করতে পারবে নাহ।।আর ও আমায় ভালোবাসে।

নীড়ঃ যদি প্রমাণ করতে পারি নেশা আমায় ভালোবাসে।

আকাশঃ তাহলে নেশা তোমার।

নীড়ঃ সত্যি ??।ওকে তাহলে আমায় ১ মাস টাইম দাও। আমি নেশাকে আমার করেই ছাড়বো।

আকাশঃ ওকে দিলাম।

নীড়ঃ মনে মনে- আমি জানি আকাশ নেশা আমায় আবার ভালোবাসতে শুরু করলেও তুমি তাকে আমার হতে দিবে নাহ।।তবুও আমার একমাস টাইম দরকার। তুমি যে খুনি তার প্রমাণ দরকার আমার।।তাহলেই আমি নেশাকে তা জানাতে পারবো।

আকাশঃ মনে মনে- তুমি যদি নেশাকে তোমার প্রেমে ফেলতে ও পারো তুমি নেশাকে পাবে নাহ।।কারন আমি তোমায় বাচতেই দেবো নাহ।।।কিন্তু আমিও দেখতে চাই নেশা কি করে।।ও যদি তোমার প্রেমে পড়ে তাহলে ওর কপালেও খুব খারাপ কিছু আছে।

দুইজনেই মনে মনে কিছু ভেবে রেখেছে।।কিন্তু প্রকাশ করলো নাহ।।এখন দেখা যাক একমাসে নীড় নেশাকে পটাতে পারে কিনা।।আর পটালেই বা আকাশ কি করে।

পরেরদিন

সকালে নেশার ঘুমাতে খুব প্রবলেম হচ্ছে।মনে হচ্ছে যেন দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।।দম বন্ধের কারন খুজতে গিয়ে চোখ খুললো।আর চোখ খুলার পর যাস্ট শক।কারন তার রুম পুরো ফুলের বাগান হয়ে গেছে।।আর তাও আবার গোলাপ ফুলের।যার কারনে নেশার প্রবলেম হচ্ছে।।গোলাপ ফুলে নেশার মারাত্মক পরিমাণে এলার্জি। কম থাকলে যাও এতো প্রবলেম হয় নাহ।।কিন্তু পুরো রুমে এতো গোলাপ যে রুমই দেখা যাচ্ছে আর চারদিকে গোলাপের গন্ধে ভরে গেছে।।নেশা আর সহ্য করতে পারলো নাহ অজ্ঞান হয়ে গেল।।নীড় যেই মাত্র দরজা খুলে নেশাকে গুড মর্নিং বলতে যাবে দেখলো নেশা অজ্ঞান হয়ে নিচে পড়ে আছে।

নীড়ঃ নেশায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
[এতো জোরে চিৎকার করলো যে বাড়ির সবাই দৌড়ে এলো ]

নীড়ঃ নেশার পাশে বসে নেশার মাথাটা কোলে নিয়ে- নেশা তোমার কি হয়েছে নেশা??

আকাশ গিয়ে দৌড়ে নেশার কাছে গেল।

আকাশঃ একি এই রুমে এতো ফুল কেন???নেশাকে এই রুম থেকে বের করতে হবে[বলে নেশাকে কোলে করে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। আর হসপিটালে নিয়ে গেল। ]

[এখন আসি আসল কথায়।নীড় নেশাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য পুরো রুম ফুল দিয়ে সাজিয়ে ছিল।সে ভেবেছিলো নেশা খুশি হয়ে যাবে।কিন্তু সে জানতো নাহ নেশার ফুলে এলার্জি। কিন্তু আকাশ যেহেতু নেশার সাথে অনেক দিন থেকেছে সে তা জানে।।আর তাছাড়াও নেশার শরীরে লাল লাল রেশ হয়ে গেছে তাই আকাশ বুঝে গেছে যে নেশার এনার্জির প্রবলেম হয়েছে তাই নেশাকে নিয়ে হসপিটালে চলে যায়।৷ ]

তাদের পিছন পিছন বাকি রা ছুটে আসে।

হসপিটালে—

ডাক্তারঃ উনার অনেক এনার্জির প্রবলেম হয়েছিলো তাই দম আটকে অজ্ঞান হয়ে যায়।।পরের বার থেকে খেয়াল রাখবেন যাতে এমনটা না হয়।

আকাশঃ ও এখন কেমন আছে ডাক্তার

ডাক্তারঃ এখন ভালো আছে।

আকাশঃ দেখা করতে পারবো?

ডাক্তারঃ হ্যাঁ পারবেন কিন্তু কথা বলবেন নাহ।।উনাকে ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে।।সো ডিস্টার্ব করবেন নাহ।।আর ডাকাডাকি করবেন নাহ।

[বলে ডাক্তার চলে গেল ]

নীড় যেই ভিতরে ঢুকতে যাবে আকাশ নীড়ের শার্টের কলার চেপে ধরলো।

আকাশঃ হাও ডেয়ার ইউ।।তোমার সাহস কি করে হয় ভিতরে যাওয়ার??

নীড়ঃ দেখ আকাশ আমাকে যেতে দাও।।আর এইটা হসপিটাল। এইখানে চিৎকার করো নাহ।।

আকাশঃ যাস্ট শাট আপ।।আমি কি করবো নাহ করবো তা তুমি শিখাবে??।।আর আমি ভালো করেই জানি তুমি এইসবের পিছনে আছো।

নীড়ঃ আমি জানতাম নাহ যে নেশার গোলাপ ফুলে এলার্জি।

আকাশ রেগে নীড় কে ঘুষি মারতে নিবে নীড় হাত টা ধরে মুচড়ে দিলো।

নীড়ঃ আমাকে ভুলেও এতো টা দুর্বল ভেব নাহ।আমি চুপ আছি।। কিন্তু তার মানে এইটা নাহ আমি তোমার করা সব কিছু চুপচাপ মেবে নেব।।তোমার এই হাত টা ভেঙে গুড়িয়ে দিতে আমার দুই মিনিট ও লাগবে নাহ।।

[বলেই আকাশের হাত টা ঝাড়ি মেরে সরিয়ে দিলো।আর দরজা দিতে ভিতরে ডুকে গেল।আকাশ কিছু বলতে যাবে তার আগেই তার মোবাইলে একটা ইম্পর্ট্যান্ট কল আসলো। যার কারনে তাকে চলে যেতে হলো৷ ]

চলবে

হয়তো_ভালোবাসি part_08

0

হয়তো_ভালোবাসি
part_08
#writer_Eshetaq_Nora

পরেরদিন সকালে সবাই আকাশের বুক করা গাড়িতে করে বাড়ির দিকে রওনা দিলো।। যেহেতু পরের দিন সংগীত তাই সবাই নিসুর বাড়িতে চলে গেল।।পুরো জার্নিতে নীড় বোম হয়ে বসে ছিলো। কেননা নেশার পাশে আকাশ বসেছে আর নেশা আকাশের কাধে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেছে।ব্যাপার টা নীড়ের জন্য প্রচুর পরিমাণে বিরক্তিকর। নীড়ের ইচ্ছা করছে আকাশকে লাথি দিয়ে বাস থেকে বাইরে ফেলে দিতে। কিন্তু পারছে নাহ।সবাই সবার কাপল দের সাথে বসেছে।কিন্তু নীড় বেচারা একা বসে আছে গাল ফুলিয়ে। যা নিসু লক্ষ্য করলো।

পরেরদিন

রাতে সাংগীতি তাই সকালে সবার তেমন কোন কাজ নেই।।যে যার যার মতো কাজ করছে।।হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হলো একটা মেয়ে।দেখতে খুব সুন্দর । কিন্তু একটু বেশিই স্টাইলিশ। মেয়েটা আর কেউ নাহ নীড়ের হবু বউ ইশা??
নীড় তো দেখেই থ।।এই জঞ্জাল কে এখানে ডাকলো কে ইশা তো নীড়কে দেখেই দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলো।

ইশাঃ বেবি তুমি কেমন আছো।জানো তোমায় কতো মিস করেছি??

নীড়ঃ ইশা আমাকে ছাড়ো সবাই দেখছে।[ইশাকে ছাড়াতে চেয়ে ]

ইশাঃ তাতে আমার কি।আমি আমার হাবি কে জড়িয়ে ধরেছি।।তাতে কার বাপের কি।

নীড়ঃ দেখো ইশা এইখানে অনেক মানুষ আছে।আর তুমি জানো আমি এইসব পছন্দ করি নাহ।নাও লিভ মি।

ইশাঃ হুহ?[বলেই নীড়কে ছেরে দিলো ]

নীড়ঃ এখন বলো তুমি এখানে কেন?

ইশাঃ তুমি ই তো আমাকে মিস করছো। রাফি ফোন দিয়ে বললো।তাই আমি চলে এলাম??

নীড়ঃ এই রাফির বাচ্চাকে তো আমি?‍♀?‍♀

ইশাঃ কি বিড়বিড় করছো বেবি??

নীড়ঃ কিছু নাহ বেবি।চলো তোমার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেই।

নীড় সবার সাথে ইশাকে পরিচয় করাতে নিয়ে গেল।

নীড়ঃ একে তো তুমি চিনোই রাফি,আর এই হলো সায়ান।।।আর ও হলো নিসু রাফির উডবি।।আর ও হলো ইমা সায়ানের উডবি।।আর ও হলো নেশা

ইশাঃ তোমার কোন উডবি নেই?

নেশাঃ ?।হ্যাঁ আছে ওয়েট।।[এইটা বলেই আকাশকে ডাক দিলো।আকাশ সামনে আসলো ]

নেশাঃ এই হলো আমার উডবি?

ইশাঃ ???????এ তোমার উডবি। কিন্তু এইটা তো….

আকাশঃ নেশা তোমার সাথে একটু কথা আছে চলো।।[বলে নেশাকে নিয়ে চলে গেল]

ইশাঃ এই মেয়েটা কে নীড়??!!!

নীড়ঃ ও নিসুর বেস্টফ্রেন্ড।

ইশাঃ ওহহ?

নীড়ঃ আচ্ছা চলো তোমায় রুমে পৌছে দেই

সবাই যার যার ঘরে চলে গেল


নীড় গিয়ে রাফিকে চেপে ধরলো

নীড়ঃ শালা তুই ইশাকে কেন এনেছিস???

রাফিঃ আরে তোকে বাসে দেখলাম গাল ফুলিয়ে বসে আছিস।।ভাবলাম তুই বুঝি ভাবি কে মিস করছিস।তাই ভাবিকেও দাওয়াত দিলাম

নীড়ঃ ?????

রাফিঃ ?????

রাতে—

আকাশঃ তুমি কাউকে কিছু বলবে নাহ।তাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম।

মেয়েটিঃ আমি তো বলবোই আর এই মেয়ে কে।।আর ও তোমার হবু ওয়াইফ হয় কিভাবে।তোমার বিয়ে তো আমার সাথে হওয়ার কথা ছিলো।১ বছরই বা তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে।কতো জায়গায় খুজেছি তোমায়??।।প্লিজ কিছু বলো

আকাশঃ দেখ যা হয়েছে ভুলে যাও।আর নীড়কে বিয়ে করো।।আমাকে আমার মতো থাকতে দাও

মেয়েটিঃ ভুলে যাবে!!! কিভাবে ভুলবো আমি।।আর তুমি তো আমায় কথা দিয়েছিলে নিরব খানের ফেমিলি শেষ করার পর আমরা বিয়ে করবো।।তাহলে তুমি আমায় রেখে কেন চলে গেলে??

আকাশঃ দেখ ইশা আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো নাহ আমি নেশাকে ভালোবাসি

[জি এতোক্ষণ আকাশ যার সাথে কথা বলছিলো সে হলো ইশা।।নীড়ের হবু বউ।।আর আকাশের প্রাক্তন ?? ]

ইশাঃ হোয়াট ?।কে এই নেশা।।

আকাশঃ ও নিরব খানের মেয়ে?

ইশাঃ ???????হোয়াট!!!!!! মানে কি তোমার তো প্লেন ছিলো ওদের মেরে ফেলা।তাহলে নেশা এখনো জীবিত আছে কেন?????

আকাশঃ ওর মা বাবা কে মেরে ফেলেছি।। কিন্তু ওকে মারতে…..

ইশাঃ ওহহ এখন মারবে।।ওকে তাহলে ঠিকা আছে।।এই মাসেই তাহলে আমরা বিয়ে করে ফেলবো।?

আকাশঃ আমি নেশাকে মারবো নাহ?

ইশাঃ কেন?

আকাশঃ আমি ওকে ভালোবাসি। ওকে আমার চাই?

ইশাঃ ??এইটা কখনোই সম্ভব নাহ।তুমি শুধু আমার আর কারো নাহ।।

আকাশঃ আগে যা হয়েছে তা ভুলে যাও ইশা।।তোমার জন্য এখন নীড় আছে।তাকে নিয়ে নতুন করে বাঁচতে শিখো।

ইশাঃ ফাজলামো পেয়েছো তুমি।।তোমাকে তো আমি নেশার ভুলেও হতে দিবো নাহ।।নেশাকে আমি সব বলে দিব।তখন দেখি তুমি নেশাকে কিভাবে পাও।

আকাশঃ ব্লাকমেইল করা অফ করো ইশা।তুমি জানো তুমি আমার কিছু করতে পারবে নাহ।।নেশাকে যখন বলেছি আমি নিজের করবো তখন করবোই।

ইশাঃ সেইটা কখনোই হবে নাহ।।কারন আজ এখন আমি নেশাকে সব সত্যি বলবো

আকাশঃ ভুল করো নাহ ইশা। এই কাজ করার সাহস ও দেখিও নাহ।

ইশাঃ তুমি যাস্ট দেখো আমি কি করি।তুমি আমার না হলে কারো নাহ।[বলেই ইশা যেতে নিলো।।আকাশ পিছন থেকে ইশাকে গুলি করে দিলো।একসাথে ৬ টা গুলি সব ইশার পিঠে ঢুকিয়ে দিলো।ইশা মাটিতে লুটিয়ে পড়লো]

ইশার লাশের সামনে দাড়িয়ে

আকাশঃ নেশা শুধু আমার।। শুধু আমার। ওকে আমি নিজের করে ছাড়বো।আর যে তার মধ্যে বাধা দিবে তাকে তোমার মতোই গায়েব করে দিবো ইশা বেবি??

বলেই আকাশ চলে গেল।।
এইদিকে নীড় তো থ??।ও ইশা আর আকাশের কোন কথাই শুনেনি। কিন্তু আকাশ যে ইশা কে খুন করেছে তা সে দেখেছে।

নীড়ঃ আকাশ একজন খুনি??।।আল্লাহ নেশাকে খবরটা নেশাকে জানাতে হবে।।নাহ আজ নাহ কাল সকালেই না হয় জানাবো।।

সবাই রাতে সাংগীতি এ অনেক মজা করলো।কিন্তু নেশা আজও নাচেনি।আকাশ সাথে ছিলো বলে নিসুও আর জোর করেনি।

এখন চলুন আমরা জেনে নেই কেন আকাশ নেশার বাবা-মাকে মেরেছে—

[নেশা সিডনিতে লেখাপড়া করতে যায়।। আকাশ তার বাবার পরিচিত ছিলো। আকাশ একজন বড় মাফিয়া। আর নেশার বাবা যেহেতু রিপোর্টার সে আকাশের ইলিগ্যাল কাজের কিছু প্রমান কালেক্ট করে পুরো দেশে ছড়িয়ে দেয়।।যার ফলে আকাশে জেল হয়।।কিন্তু আকাশ তার ক্ষমতা দিতে বেড়িয়ে আসে। আর নেশার বাবার থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য নেশার বাবা – মাকে খুন করে।আর ওই সময় আকাশের গার্লফ্রেন্ড ছিলো ইশা।নেশা এইসব কিছুই জানতো নাহ।।।তাকে জানানো হয় তার বাবা মা গাড়ি এক্সিডেন্টে মরে গেছে।নেশা দেশে আসে তার বাবা মাকে দেখার জন্য।তখন আকাশ জানতে পারে নিরব খানের একটা মেয়ে আছে সে হলো নেশা।তাই নেশাকে খুন করার জন্য আকাশ পরিকল্পনা করে।।কিন্তু নেশাকে দেখে তার ভালো লেগে যায়।এককথায় প্রেমে পরে যায়।তাই নেশাকে খুন করে নাহ। উল্টো নেশার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে।নেশা ও একা হওয়ার কারনে আকাশের সাথে বেশি ফ্রি হয়ে যায়।।আর আকাশের সাথে মিলে আবার সিডনি চলে যায় লেখাপড়ার জন্য।মুলত আকাশই তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যায়।যাতে আকাশ একজন মাফিয়া তা নেশা জানতে নাহ পারে।আর সিডনিতে আকাশ নেশাকে প্রোপজ করে নেশাও রাজি হয়ে যায় । কিন্তু এর কিছুই ইশা জানতো নাহ]

তো এই ছিল কাহিনি

চলবে

[যারা আকাশের সাথে মিলাতে চাইছো তারা কিছু বলবা?? আর আরেক কথা⚡⚡অনেকে বলতাছে নীড় এইটা করছে নীড় ওইটা করছে তার সাথে মিল দেয়া যাবে নাহ।দিলে এইটা করবেন ওইটা করবেন।।তাদের বলতাছি গল্পের নামটা আবার পড়েন।।#হয়তো_ভালোবাসি।।এইখানে আমি বলি নাই যে তাদের মধ্যে এইরকম ভুল হবে নাহ।।নায়ক নায়িকার এমন বিহেভ থাকবো বলেই আমি গল্পের নাম দিছি #হয়তো_ভালোবাসি।।আর গল্পটা আমি অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি যে কিভাবে লিখবো।সো আমি যা ভেবেরেখেছি ওই ভাবেই লিখবো।।তাতে আপনারা নাহ পড়লে আমার কিছু করার নেই।।কিন্তু যতসব বাজে কমেন্ট করে আমার গল্পের কাহিনি পাল্টাতে পারবেন নাহ।সো নিজেদের সময় নষ্ট নাহ করে গল্প পড়া থেকে বিরত থাকুন।? ]