Tuesday, July 8, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1884



হয়তো_ভালোবাসি part_07

0

হয়তো_ভালোবাসি
part_07
#Writer_Eshetaq_Nora

পরেরদিন সকালে

নেশা আর আকাশ বসে ব্রেকফাস্ট করছে।।হঠাৎ নেশার চোখে কিছু গেল।

নেশাঃ আহহ

আকাশঃ কি হলো?

নেশাঃ জানি নাহ আকাশ মনে হয় চোখে কিছু পরেছে

আকাশঃ দেখি

আকাশ নেশার চোখ দেখার জন্য তার সামনে দাড়ালো।একটু পর আকাশ নেশার চোখের দিকে ভালো করে তাকালো।কেমন ঘোর লেগে যাচ্ছে তার। নেশাও আকাশের দিকে তাকালো।আকাশের চোখ গেল নেশার ঠোঁটের দিকে। নেশার ঠোঁট গুলো অতিমাত্রায় লাল।যা দেখে আকাশের ঘোর লেগে গেল।হাত দিয়ে কিছুক্ষণ স্লাইড করলো।নেশা এখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।মুখে দুষ্টু হাসি।আকাশ ধীরে ধীরে নেশার ঠোঁটে যেই নাহ কিস করতে যাবে নেশা আকাশের বুকে মুখ লুকালো??।।আকাশ ও ব্যাপার টা বুঝে মুচকি হেসে নেশাকে জড়িয়ে ধরলো।

আকাশঃ আমার কলিজাটার বুঝি লজ্জা করছে

নেশাঃ জানি নাহ??[আরো জোরে আকাশকে জড়িয়ে]

আকাশ ও হেসে নেশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।

আর এই সব গুলো ঘটনা চোখে পড়লো নীড়ের।কিন্তু তাদের মধ্যে যে লিপ কিস হয়নি তাতো নীড় দেখেনি।দেখেছে আকাশ আর নেশা কাছাকাছি দাড়িয়ে আছে,খুব ক্লোজ হয়ে।আর কি লাগে। ভেবে নিলো ওদের মধ্যে ইন্টিমেট চলছে।।নীড় তো রেগে বোম।

নীড়ঃ কাজটা তুমি ভালো করলে নাহ নেশা। এর ফল তোমাকে পেতে হবে।[বলেই হনহন করে চলে গেল ]

সবাই মিলে অনেক ঘুরলো কিন্তু নীড়ের কোন খোঁজ পাওয়া গেল নাহ।সবাই ভেবেছে হয়তো কোন কাজে বিজি আছে।

রাতে-

নেশা ঘুমের মধ্যে অনুভব করলো কেউ তার দম আটকে রেখেছে।সাথে সাথে ঘুম ভেঙে গেল।আর দেখলো কেউ তাকে লিপ কিস করছে?।কিন্তু অন্ধকারে মুখ দেখা যাচ্ছে নাহ।নেশা খুব জোরে ধাক্কা দিলো লোকটি খাটের একদম অপর পাশে সরে গেল।নেশা গিয়ে লাইট অন করলো।

নেশাঃ আপনি??

[সবাই যা ভাবসো তাই।নীড় ছাড়া আর কে।নেশা নীড়ের দিকে তাকিয়ে দেখলো ওর চোখ গুলো মারাত্নক পরিমানে লাল হয়ে আছে।যেন চোখ দিয়েই জ্বালিয়ে দেবে নেশাকে।নেশা চোখ দেখে ভয় পেয়ে গেল।তবুও সাহস জুগিয়ে বললো]

নেশাঃ আপপনি একখনে কে….

আর বলতে পারলো নাহ।কারন নীড় আবার নেশার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়েছে। নেশা ছাড়ার জন্য মোচড়ামুচড়ি করছে। কিন্তু লাভ হলো নাহ।নীড় অনেক শক্ত করে ধরে রেখেছে তাকে।খুব রুডলি কিস করছে।সব রাগ কমার অনেক্ক্ষণ পর ছাড়লো। তারপর নেশার দিকে তাকালো।নেশার চোখ থেকে পানি পরছে।নীড় তা ঠোঁট দিয়ে শুষে নিলো।নেশা কেপে উঠলো। নেশার কাপনি দেখে নীড় মুচকি হাসলো। নেশার ঠোঁট গুলো কাপাকাপি করছে।যা দেখে নীড়ের আরো লোভ লাগলো।আলতো করে ঠোঁটে কিস করলো।তারপর খুব জোরে একটা কামড় দিয়ে ছেড়ে দিলো।

নেশাঃ আহহ?

নীড়ঃ সরি জান।খুব লেগেছে তাই নাহ[নেশার ঠোঁটে হাত বুলাতে বুলাতে ]

নীড়ঃ জানো আমার ও খুব লেগেছিলো।যখন তোমাকে আকাশের সাথে দেখেছিলাম।প্লিজ পরের বার থেকে এমন করো নাহ।তুমি শুধু আমার কাছে আসবে।আর কারো নাহ। না হলে আজ যেটুকু বাকি আছে সেটুকু ও পরের বার করে ফেলবো [বলেই মুচকি হেসে নেশার কপালে কিস করে বেরিয়ে গেল রুম থেকে]

সকালে

নীড় চুপচাপ জুস খাচ্ছে। আর দেখছে।কেননা নেশা হোটেলের অলমোস্ট সব ভেঙে ফেলেছে রাগে।কিন্তু নেশাকে থামানোর চেষ্টা করছে নাহ নীড়। কারন সে জানে এখন নেশার সামনে গেলে তাকে খুন ও করে ফেলতে পারে নেশা।সায়ান,রাফি,নিসু কেউই থামাতে পারছে নাহ নেশাকে। হঠাৎ আকাশ আসলো।আসলে সে বাইরে গেছিলো। এখন আসলো।আর এসেই দেখে সব তছনছ করে ফেলেছে নেশা।

আকাশঃ নেশা এইসব কি???

নেশা কোন কথা বলছে নাহ শুধু ভেঙেই যাচ্ছে।আকাশ গিয়ে দৌড়ে নেশাকে জড়িয়ে ধরলো নেশাকে।

আকাশঃ জান প্লিজ ঠান্ডা হও।কি হয়েছে আমায় বল।

নেশাঃ আমায় ছাড়ুন আকাশ। ছাড়ুন [বলতে বলতে আকাশের কোলে ঢলে পড়লো ]

আকাশ নেশাকে তার দিকে ঘুরালো।।অজ্ঞান হয়ে গেছে নেশা। আকাশ তাকে কোলে করে নিয়ে রুমে চলে গেল। নেশাকে কোলে নেয়াটা নীড়ের একদম পছন্দ হলো নাহ।রাগে হাতে থাকা জুসের গ্লাস টা জোরে চেপে ধরলো।যার ফলে গ্লাস টা ভেঙে হাতে ডুকে গেল। কিন্তু নীড়ের তো সেদিকে খেয়াল নেই সে তো নেশাকে আকাশ কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে আছে।সায়ান দেখলো ব্যাপার টা।

সায়ানঃ একি তোর হাত কাটলো কিভাবে।রক্ত পড়ছে তো।

নীড়ঃ ওর সাহস কি করে হলো নেশাকে কোলে নেয়ার।মেরে ফেলবো একে

সায়ানঃ মানে।এই নীড় কি বলছিস এইসব[নীড় কে ঝাকি দিয়ে]

নীড়ের হুস আসলো.সায়ানের দিকে তাকালো

নীড়ঃ কি হয়েছে?

সায়ানঃ তোর কি হয়েছে কিসব বিড়বিড় করছিস?

নীড়ঃ কিছু নাহ।

সায়ানঃ আচ্ছা। চল তোর হাতে ব্যান্ডেজ করে দেই।

নীড়ঃ লাগবে নাহ[বলে নীড় চলে গেল]।

এইদিকে

ডাক্তার এসে নেশাকে চেক করে গেল।অতিরিক্ত মেন্টাল প্রেসারের কারনে এমন হয়েছে।
ধীরে ধীরে নেশার জ্ঞান ফিরল

আকাশঃ এখন কেমন লাগছে তোমার??কিছু খাবে?অডার দেই??

নেশাঃ আমি ঠিক আছি আকাশ। আপনি শান্ত হোন।

আকাশঃ কিভাবে শান্ত হবো।তোমার কি হয়েছিল আগে বল।এমন করলে কেন? কেউ কিছু বলেছে?

নেশাঃ নাহ কেউ কিছু বলেনি।

নিসুঃ তাহলে এতো পাগলামি কেন করলি বইন।আমরা তো ভয়ই পেয়ে গেছিলাম।হোটেল তো ভেঙে পুরো গুড়ো গুড়ো করে দিয়েছিস?

আকাশঃ এমন হোটেল দশটা ভাঙলেও কিছু হবে নাহ আমার।কিন্তু নেশা প্লিজ সত্যি করে বলো কেউ কি তোমায় কিছু বলেছে। না হলে তুমি শুধু শুধু এইভাবে রাগ করলে কেন?

নেশাঃ মনে মনে- যদি নীড়ের কথা বলি আকাশ ওকে মেরেই ফেলবে।

নেশাঃ নাহ কেউ কিছু বলে নি।আপনি সকালে নাহ বলে চলে গেছিলেন তাই রাগ উঠে গেছে?

আকাশঃ যাস্ট এইজন্য? সকালে তোমার রুমের দরজা লক ছিলো তাই ডিস্টার্ব করিনি।তুমি তো আমায় ফোন দিলেই পারতে।।

নেশাঃ ফোন আপনিও তো দিতে পারতেন।জানেন যে রাগলে আমার মাথা ঠিক থাকে নাহ?

আকাশঃ খানিকটা হেসে- ওকে আমার ভুল হয়ে গেসে আপনাকে বলে নাহ যেয়ে। আই এম সো সরি??

নেশাঃ ইটস ওকে ?।

আকাশঃ আচ্ছা তুমি বরং এখন একটু রেস্ট নাও।

নেশাঃ আকাশ আমি বাড়ি যেতে চাই।

আকাশঃ এখন?!!

নেশাঃ হুম কেন নিয়ে যাবে নাহ?

আকাশঃ কেন নেবো নাহ। কিন্তু কাল তো এমনিতেই চলে যাবে তো আজ কেন যেতে চাইছো?

নেশাঃ আমি যাবো মানে যাবো।এখনি যাবো।

আকাশঃ তুম….

নেশাঃ আকাশ আমি বলেছি যখন যাবো তখন যাবোই।তুমি নিয়ে যেতে নাহ পারলে বল আমি একাই চলে যাবো।

আকাশঃ আরে নাহ।।আচ্ছা রেডি হও একটু পর বের হবো।

নিসুঃ মানে কি তুই আজ কেন যাবি

নেশাঃ আমার ভালো লাগছে নাহ নিসু।প্লিজ জোর করিস নাহ।

নিসুঃ নাহ মানে নাহ।তুই যাবি নাহ।।তাহলে আমি ও চলে যাবো

নেশাঃ নিসু পাগলামি করিস নাহ।আমি তো সাংগীত এ যাচ্ছি ই। তাহলে প্রবলেম কোথায়

নিসুঃ নাহ তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড। তুই আমায় একা রেখে যেতে পারিস নাহ????

নেশাঃ উফফ কি জ্বালা।তুই এখন কান্না অফ কর যাবো নাহ আমি কোথাও। হেপি।

নিসুঃ হেপি নাহ মানে খুব হেপি। উম্মাহহহহ??

নেশাঃ ????

আকাশঃ নেশা তোমার হাতে এগুলো কিসের দাগ??

নেশাঃ নাহ কিছুর নাহ। দরজার সাথে লেগে এমন হয়ে গেছে [আসলে নীড় যে ওইসময় নেশার হাত চেপে ধরেছিলো তখন এমন দাগ হয়ে গেছে ]

আকাশঃ দরজার সাথে লাগলো কিভাবে?

নেশাঃ উফফ তুমি অফ করবা তোমার এই জেরা।আমি একজন অসুস্থ মানুষ কই একটু রেস্ট নিবো নাহ খালি প্রশ্ন আর প্রশ্ন। বিরক্তকর

আকাশঃ ওকে ওকে সরি তুমি রেস্ট নাও। আমরা যাচ্ছি।

রাতে

নেশা ঘুমিয়ে পড়েছে।নীড় এসে ওর হাতে ওষুধ লাগিয়ে দিলো।

নীড়ঃ আমি সরি জান।আমি ইচ্ছা করে করিনি কিন্তু তোমাকে অন্য কারো সাথে দেখে সহ্য করতে পারিনি জান???।

নীড় কান্না করছে আর নেশার হাতে ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছে।। যেন ব্যাথাটা নীড় পেয়েছে।

চলবে?

( যার সাথে নেশা হেপি থাকবে আর যে নায়ক তার সাথেই নেশার মিলবে।।কিন্তু আপনারা আমার মাথা ফাটিয়ে ফেললে, গুলি করে মেরে ফেললে আমি গল্প লেখবো কিভাবে??)

হয়তো_ভালোবাসি Part_06

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_06
#Writer_Eshetaq_Nora

নীড়ের চোখ টলোমলো করছে।হয়তো বন্ধ করলেই পানির ফোটা গুলো পড়ে যাবে।সায়ান নীড়ের ব্যাপার টা বুঝতে পারলো।গিয়ে নীড়ের পাশে দাড়িয়ে তার কাধে হাত দিলো।নীড় সায়ানের দিকে তাকালো।মনে হচ্ছে এখোনি কেদে দিবে।

নীড়ঃ সসায়াননন??

সায়ানঃ নীড় প্লিজ কন্ট্রোল কর নিজেকে।আগে দেখ কি হয়।

নেশা আর ছেলেটি তো এখনো দুইজনকে দুইজনে জড়িয়ে আছে।হঠাৎ সব লাইট জ্বলে উঠলো। আর ওরা দুইজন দুইজনকে ছেড়ে দিলো।নেশা নিসুর দিকে তাকালো আর দেখলো তারা হা করে তাকিয়ে আছে।যার অর্থ এই তারা কিছুই বুঝেনি।নেশা ওদের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো।

নেশাঃ আকাশ কাম।।সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।

(ছেলেটি হলো আকাশ। আকাশ চৌধুরী।। বিসন্যাসম্যান।নেশা সিডনিতে তার কাছেই থাকতো।দুইজন দুইজনকে ভালোবাসে।কিভাবে তাদের পরিচয় তা না হয় পরে জানবেন?)

আকাশঃ হ্যা চলো।

নিসুঃ ননেশা এটা কে?

নেশাঃ আমার লাইফ।আমার এইম।[বলেই নেশা মুচকি হাসলো।আর আকাশ ও ]

আকাশঃ হাই আমি আকাশ।

নিসুঃ হেল। আমি নিসু।

নেশাঃ ওর বিয়েতেই আমরা এসেছি।আর ও হলো রাফি।নিসুর হবু হাসবেন্ড।

আকাশঃ নাইস টু মিট ইউ?

নেশা সায়ান আর নীড়কে দেখতে পেল নাহ । কিন্তু সেদিকে মাথা না ঘামিয়ে আকাশ কে নিয়ে ঘরে চলে গেল।
সায়ান আসলে নীড়কে নিয়ে গেছে।কেননা এখানে থাকলে নীড় কিছু একটা করে ফেলবে আকাশকে।

রাতে–

নেশা মাত্র শুতে যাবে সব লাইট গুলো অফ হয়ে গেল।

নেশাঃ লাইটের আবার কি হলো ধুর।বাইরে গিয়ে দেখি।

নেশা যেই নাহ পা বাড়াবে কেউ তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো। আর প্রচন্ড পরিমাণে কান্না করছে।নেশা জানেই মানুষটি কে।তাই চুপ করে আছে।আর মানুষটি কেন কান্না করছে তাও জানে।হ্যাঁ মানুষটি আর কেউ নাহ নীড়.। নেশা চাইছে নীড়কে সরাতে। কিন্তু কেন জানি পারছে নাহ। অনেক দিন পর সেই চিরচেনা ছোয়া।নেশার ও ইচ্ছা করছে শক্ত করে নীড়কে আঁকড়ে ধরতে। ঠিক যতোটা শক্ত করে ধরলে নীড় আর তাকে ছেড়ে যেতে পারবে নাহ।কিন্তু এটা অন্যায় নীড় তো তার নাহ।আর নাহ নীড় তাকে ভালোবাসে। ও শুধু নীড়ের আবেগ। নীড় তো নিহাকে ভালোবাসে।

নেশা কথা গুলো ভাবতে ভাবতে নীড়কে খুব জোরে ধাক্কা দিলো। নীড় অনেক দুরে গিয়ে পড়লো।

নীড়ঃ নেশা আমি….

নেশাঃ চলে যান এখান থেকে চলে যান।[চিৎকার করে]

হঠাৎ সব লাইট জ্বলে উঠলো। আর নেশা নীড়কে কোথাও দেখতে পেলো নাহ।নেশা কিছুক্ষন চুপ করে বসে থাকলো।নাহ আজ তার কান্না পাচ্ছে নাহ।বরং হাসি পাচ্ছে।কারন সে পেরেছে নিজেকে বদলাতে।নিজের ফিলিংস গুলো দমিয়ে রাখতে।।।এইটা তো তার জন্য খুব খুশির খবর তাই নাহ।।

সকালে নীড় ফ্রেশ হয়ে নিচে গেল।যদিও সারারাত তার ঘুম হয়নি।।সকালে নিচে গিয়ে আরো মাথা নষ্ট হয়ে গেল।কারন নেশা মোবাইলে কি যেন করছে আর আকাশ তাকে খাইয়ে দিচ্ছে।নীড়ের চোখ গুলো আবার ছলছল হয়ে গেল।

নেশাঃ আমি আর খাবো নাহ।

আকাশঃ যাস্ট এতো টুকু খেলে হবে নাহ জান।।আর একটু খাও।।দেখ বেশি নাহ খেলে বিয়ের পর আমার বেবি গুলোও তোমার মতো কাঠি হবে।

নেশাঃ কিহ আমি কাঠি?।তুমি তো একটা কুমড়া।মুটু।আমি ঠিক আছি?।

আকাশঃ হুহ আমি মটু হলে তুমি ও তো মুটকি।উফ সেদিন কোলে নিয়েছিলাম।কি ভারি।পাঁচদিন পর্যন্ত কোমড়ে ব্যাথা ছিলো।

নেশাঃ কি বললি তুই??।আমি মুটকি।।কে বলেছিলো আমায় কোলে নিতে।হুহ।লাগবে নাহ কোলে নেওয়ার। যে চিকন তাকে গিয়ে কোলে নে। হুহহহহহহ।[বলেই হনহন করে চলে গেল।আকাশ ও নেশার পিছন পিছন ছুটে গেল৷ ]

আকাশঃ আরে জানু আমি তো দুষ্টুমি করছিলাম।তুমি তো অনেক পাতলা।একদম বাতাসের মতো।ওহহ বেবি রাগ করে নাহ।

নেশাঃ হুহ?

আকাশঃ সরি তো।এই যে কান ধরছি।

নেশাঃ ??

আকাশঃ আচ্ছা আর এমন করবো নাহ প্রমিজ।

নেশাঃ নাহ একটা কাজ করলে শুধু মাফ করবো।

আকাশঃ কি?

নেশাঃ আমাকে কোলে নিয়ে পুরো রিসোর্ট ঘুরতে হবে।

আকাশ তো যেন হাতে চাঁদ পেল।যতোদিনই নেশাকে কোলে নিয়েছে নিজে থেকে নিয়েছে।কখনো নেশা নিজে বলেনি আজ বললো।আকাশ ছলছল চোখে নেশার দিকে তাকিয়ে আছে।খুব ভালোবাসে এই পাগলিটাকে।পারলে আকাশের চাঁদ টাও হয়তো এনে দিতে পারবে।যেদিন প্রথম দেখেছিলো সেদিন থেকেই ভালোবাসে।দিন দিন ভালোবাসা যেন বাড়ছে বই কমছে নাহ।

নেশাঃ কি হলো নিবা নাহ?

আকাশঃ ইয়েস সুইটহার্ট। তোমাকে না নিলে কাকে নিবো।[বলেই নেশাকে কোলে তুলে নিলো৷ ]

নেশাঃ একি আকাশ তুমি কাদছো কেন?কষ্ট হচ্ছে বুঝি। তাহলে নামিয়ে দেও.(নামতে চেয়ে)

আকাশঃ একটা মাইর দিবো নামতে চাইলে।আমার যতক্ষণ মন চাইবে ততোক্ষণ রাখবো।

নেশাঃ তুমি আমায় মারবে?

আকাশঃ নারে পাগলি।এইটা তো কথার কথা।আচ্ছা চলো যাওয়া যাক।

নেশাঃ হুম।

[বলেই নীড়ের সামনে দিয়ে নেশাকে কোলে করে নিয়ে চলে গেল আকাশ।নীড়ের মনে হচ্ছে কেউ তার কলিজাটা টেনে নিয়ে যাচ্ছে ]

হঠাৎ পিছন থেকে সায়ান নীড়ের কাধে হাত দিলো।নীড় ঘুরে তাকালো।

সায়ানঃ কিরে কষ্ট হচ্ছে?

নীড়ঃ জানি নাহ রে কিন্তু কাউকে সহ্য করতে পারছি নাহ ওর সাথে।

সায়ানঃ এইটাই ভালোবাসা নীড়। আর কবে বুঝবি যে তুই নেশাকে ভালোবাসিস।

নীড়ঃ আমি নেশাকে ভালোবাসি নাহ।

সায়ানঃ তুই নেশাকে ভালোবাসিস। তোর চোখ বলে তুই নেশাকে ভালোবাসিস।

নীড়ঃ ভালো তো আমি নিহাকে ও বাসতাম।দেখ ওকে ছাড়া তো বেচে আছি।আর নেশাকে তো আমি কখন ভালোবাসি বলিইনি। তাহলে তুই কিভাবে এইটা বলছিস।

সায়ানঃ তুই নিহাকে ভালোবাসোসনি কখন।।ও যাস্ট তোর অভ্যাস ছিলো।যদি ভালোই বাসতি তাহলে নিহাকে খুজতে যেতি।খোঁজ নিয়েছোস তার। নিসনি।তাহলে এইটা কিসের ভালোবাসা?

নীড়ঃ খোঁজ তো আমি নেশার ও নেই নি তাহলে ওকে ভালোবাসি কিভাবে বলছিস।।

সায়ানঃ নিহা চলে যাওয়ার আগে তুই যেমন ছিলি এখনো তেমনই আছিস।অথছ নেশা যেদিন চলে গেছিলো তুই নিজের সব কিছু ছেড়ে দিয়েছিলি।হাসতে ভুলে গেছিলি।তাহলে তুই কাকে ভালোবাসিস তুই নিজেকে জিজ্ঞাসা কর।আর কিছু তোকে বুঝানো আমার পক্ষে সম্ভব নাহ। তুই নিজেই ভেবে দেখিস। এখনো টাইম আছে নীড় নেশাকে ফিরিয়ে আনার।এখনো তুই ওকে তোর জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারিস যদি চাস।।আমার কথা গুলো ভেবে দেখিস
[বলেই সায়ান চলে গেল ]

নীড় চুপচাপ রুমে চলে এলো

নীড়ঃ সত্যিই কি আমি নেশাকে ভালোবাসি।সত্যিই তো নিহা যখন চলে গেছিলো ওর জন্য ওতোটা মন খারাপ হয়নি যতোটা নেশা চলে যাওয়ার পর হয়েছিলো।আর না নিহাকে ওতো মনে পড়েছে।শুধু নেশাকে মনে পড়েছে।।ওর পাগলামো গুলো মনে পড়েছে ওর সাথে কাটানো সময় গুলো।তাহলে কি আমি নেশাকে ভালোবাসি?।আচ্ছা আমি #হয়তো_ভালোবাসি। কিন্তু নেশা।ও কি আজ ও আমায় ভালোবাসে?আমার জন্য ফিল করে?।।আচ্ছা ও তো আকাশকে ভালোবাসে।তাহলে আমায় কি আবার ভালোবাসবে।নাহ করলে নাই আবার জাগিয়ে দিবো।না হলে জোর করবো।আফটার অল আমি নীড় আহমেদ। ফাইনালি কারো প্রেমে পড়েছি বলে কথা।এতো সহজে ছেড়ে দিবো নাকি?।।এখন তুমি দেখতে থাকো নেশা খান তোমাকে কিভাবে এই নীড় নিজের করে নেয়??

অন্যদিকে —

আকাশ এখনো নেশাকে কোলে নিয়ে ঘুরছে।আর নেশা কোলে বসে আইসক্রিম খাচ্ছে আর বকবক করছে।আর আকাশ সে তো মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।।

আকাশঃ মনে মনে- তোমার কাছে থাকলে যে নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি কেন বুঝো নাহ তুমি নেশা।কতো মেয়েই তো আমার লাইফে এসেছে গেসেছে।তাদের সাথে সম্পর্ক ছিলো যাস্ট ওয়ান নাইটের।অথচ এতো আনন্দ তো পাইনি।তোমার সামনে আসার অনুভূতি যেন সুখের সাগরে ভাসিয়ে দেয়।সব সুখ তার কাছে কিছুই নাহ।খুব ভালোবাসি তোমায় জান খুব।।যেদিন তোমায় আমার ঘরের আর আমার মনের রানী করে নিতে পারবো সেদিন আমার সব স্বপ্ন পুর্ন হবে??

চলবে???

(পাঠকরা প্লিজ ধাক্কাধাক্কি করবেন নাহ???।।আপনারা খালি টুইস্ট চান তাই গল্প ৩৬০° এঙ্গেল এ ঘুরিয়ে দিলাম।এখন আপনারাই বলেন নেশা কার। আকাশ নাকি নীড়ের??)

হয়তো_ভালোবাসি Part_05

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_05
#Writer_Eshetaq_Nora

নীড় কিছু না বলে চলে গেল
আসলে সে এসেছিলো নেশাকে সরি বলতে কিন্তু যা দেখলো তারপর সরি বলার সাহস পাচ্ছে নাহ।

নিচে

নিসুঃ ওইতো নেশা এসে গেছে।

নীড় ও ঘুরে তাকালো। ব্লু কালারের শর্ট ক্রপটপ।তার সাথে তার সাথে হোয়াইট কালারের লং স্কার্ট। চোখে হালকা কাজল,ঠোঁটে লিপস্টিক। কপালে পাথরের টিপ।চুল গুলো খোপা করা।কয়েকটা চুল সামনে দিয়ে বের করা।খুব সুন্দর লাগছে।নীড় তো হা করে তাকিয়ে আছে।।কিন্তু হঠাৎ মাথা গরম হয়ে গেল।কারন টপ টা শর্ট হওয়ার পেট দেখা যাচ্ছে।।নীড়ের নবীন বরণ এর দিন এর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

নীড়ঃ বিদেশ থাকে বলে কি নিজেকে বিদেশি ভাবে নাকি,হুহ। পেট বের করে জামা পড়তে গেছে।বোরকা পড়ে আসলে কি বের করে দিতো?।মানছি বোরকা না পড়তো বাট পেট নাহ দেখালে কি হতো।ওড়না দিয়েছে। মনে করছে আমার চোখ এরিয়ে যাবে।।ওইদিন এমন করিছি বলে শাড়ি পড়বে নাহ।। ডং করে আবার পা টা ও কেটে বসে আছে। তো এতো সাজের কি দরকার ছিলো।।বউয়ের থেকে যে নিজেকেই বেশি সুন্দর লাগছে তা কি জানে।আজ আবার পেট বার করে পড়েছে।মনটায় চাচ্ছে আবার নিয়ে আবার জামাটা ছিড়ে ফেলি। থাক বাবা। কিছু বলবো নাহ।যেই রাগ??।

নিসুঃ কিরে এতোক্ষণে আসলি।আয় আমায় হলুদ লাগিয়ে দে।

নেশাঃ হ্যা আসছি।

নিসুঃ কিরে তোর পায়ে কি হয়েছে?

নেশাঃআরে একটু কেটে গেছে।ও কিছু নাহ।

নিসুঃ ইশ। কতোখানি কেটে গেছে।এখন তুই নাচবি কিভাবে?

নেশাঃ আরে প্রবলেম নেই।। একটু কষ্ট হলে হবে।তোর জন্য পা ব্যাথা কিচ্ছু নাহ।।?

নীড়ঃ ড্রামা কুইন।জানে এইভাবে বললে নাচতে দিবে নাহ।তাই কতো ড্রামা করছে।

নিসুঃ না থাক। তুই বরং সংগীত এর দিন নাচিছ।আজ থাক।

নেশাঃ ওকে?।।

পরেরদিন সকালে।

সবাই এখনো ঘুমাচ্ছে।।কাল হলুদের অনুষ্ঠানে সবাই ক্লান্ত। সাংগীতি আবার ১ সপ্তাহ পর।।নিসুরই এইটা প্লেন ছিলো।হলুদের পর সবাই মিলে কোথায় ঘুরতে যাবে।তারপর আবার ১ সপ্তাহ পর সাংগীতি করবে।আর তার ১ সপ্তাহ পর বিয়ে।।

নেশা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেল।দেখলো রাফি,সায়ান,নীড়,আর নিসু গোল হয়ে বসে আছে।আর নিসুর মুড অফ।নেশা সেদিকে এগিয়ে গেল।

নেশাঃ হোয়াট হেপেন গাইস

সবাই নেশার কথা শুনে পিছনে তাকালো।নীড় তো নেশাকে দেখে আরেক দফা ক্রাশ। বেবি পিংক কালালের একটা ফ্রক পরেছে।চুল গুলো ভিজা। এলোমেলো।হয়তো মাত্র শাওয়ার নিয়েছে। যার কারনে আরো কিউট লাগছে।

নীড়ঃ এইমেয়েটা আমার হার্টএটাক করেই ছাড়বে।।উফফ একদম পুতুলের মতো লাগছে?।

নিসুর কথায় নীড়ের ঘোর ভেঙে গেলো।

নিসুঃ দেখ না বনু। ঘুরার জন্য জায়গা পাচ্ছি নাহ।

নেশাঃ কয়দিনের জন্য যাবি?

নিসুঃ এই তিন – চারদিনের জন্য।

নেশাঃ সাজেক চলি।

রাফিঃ ইয়েস সাজেক বেস্ট হবে।

নিসুঃ ওকে দেন সাজেক ফাইনাল।কিন্তু কিসে করে যাবো?

নেশাঃ আমি গাড়ি বলেদিচ্ছি।

নীড়ঃ সবাই বাসে যাই।মজা হবে বেশি।

নেশাঃ ওকে আমি বলেদিচ্ছি মিনি বাস কাল সকালে এসে যাবে।

নিসুঃ তুই কোথা থেকে করবি?

নেশাঃ ওইটা তোর ভাবতে হবে নাহ।

পরেরদিন সকাল সকাল সবাই বেড়িয়ে পড়লো।সবাই মিনি বাসে বসেছে।আর পিছনে গাড়িতে নেশার বডিগার্ডরা।।নিসু আর রাফি,সায়ান আর নীড় একসাথে।নেশা একা বসেছে। আসলে সবাই সবার জোড়া জোড়া মিলিয়ে বসেছে।নীড়ের খুব ইচ্ছা হচ্ছে নেশার সাথে বসার।কিন্তু সায়ান কি ভাববে তাই উঠতে পারছে নাহ।।হঠাৎ গাড়িতে আরো একটা মেয়ে উঠলো।সে আর কেউ নাহ ইমা। সায়ান তো অবাক।

সায়ানঃ ইমা তুমি এখানে??!!

নিসুঃ আমি ওকে এখানে আসতে বলেছি।ও আমাদের সাথে যাবে।তো কেমন লাগলো সারপ্রাইজ ?

সায়ানঃ ওহহ thank you নিসু।।।জান তুমি কেমন আছো।বলেই ইমা কে জড়িয়ে ধরলো।

ইমাঃ সায়ান সবাই দেখছে?।

সায়ানঃ ওহহ সরি সরি ভুলে গেছি।

রাফিঃ বাহ বাহ খুব ভালো। এককাজ করো সিটে গিয়ে বসে রোমান্স করো। কেউ দেখতে পারবে নাহ?।নীড় তুই বরং অন্য জায়গায় গিয়ে বস।

নীড় তো হাতে আকাশের চাঁদ পেল। লাফিয়ে গিয়ে নেশার সাথে ধপ করে বসে পড়লো।

নীড়ঃ হাই??

নেশাঃ হাই

নীড় তো মহা অবাক। নেশা কথা বলছে।

নীড়ঃ কেমন আছো ?

নেশাঃ ভালো। আপনি?

নীড়ঃ ভালো।।নেশা তোমার সাথে কিছু ক….

তখনই নেশার ফোন আসলো।নেশা নাম টা দেখে রাগে মোবাইলটা অফ করে দিলো।

নীড়ঃ কে ফোন দিয়েছিলো?

নেশাঃ কেউ নাহ।।

নীড়ঃ নাকি বলবে নাহ?

নেশাঃ দেখুন মি.নীড়।কথা বলেছি বলে ভাববেন নাহ আমি আগের কথা গুলো ভুলে গেছি।বাট আমি এখন আর ওইসব নিয়ে ভাবতে চাইনাহ।সো ইটিস বেটার ফর ইউ টু স্টে ইন ইউর লিমিট। আমার থেকে যতটা পারুন দুরে থাকার চেষ্টা করুন।আর আমার লাইফে ইন্টারফেয়ার করার চেষ্টা করবেন নাহ।

নীড়ঃ নেশা আমি??

নেশাঃ আপনি কি চান আমি বাস থেকে নেমে যাই?

নীড় আর কিছু বললো নাহ। সারা রাস্তা দুইজন চুপ ছিলো।যেন একজন আরেকজনকে চিনে নাহ।নীড়ের ইচ্ছা করছিলো গলা ফাটিয়ে কান্না করতে। কিন্তু পারছিলো নাহ।

পরেরদিন সকালে ওরা সবাই সাজেক গিয়ে পৌছালো। বাসটি মেঘকাব্য রিসোর্টে থামলো।তারা ডুকার সময় সবাই তাদের ওয়েলকাম করলো।

রিসিপশনে গেলো নীড় আর নেশা রুম বুক করার জন্য।।

রিসিপশনিস্টঃ ম্যাম আপনিকি নেশা খান?

নেশাঃ ইয়েস।

রিসিপশনিস্টঃ ম্যাম আপনাদের জন্য রুম বুক হয়ে গেছে।

নেশাঃ হোয়াট। কিন্তু আমরা তো করিনি।

রিসিপশনিস্টঃ ডোন্ট নো ম্যাম। কিন্তু অনলাইনে আপনার নামেই পুরো রিসোর্টটা বুক করা হয়েছে।

নেশা ভালো করেই বুঝে গেছে কে কাজটা করেছে।আর মারাত্মক পরিমানে রেগে গেল নেশা।

নেশাঃ দেন আই কান্ট স্টে ইন দিস হোটেল।আমি এই হোটেল থাকতে পারবো নাহ।।সরি।

নিসুঃ কি হলো নেশা? কোথায় যাচ্ছিস?

নেশাঃ এই হোটেলে নাহ আমরা বরং অন্য হোটেলে যাই।

নিসুঃ কিন্তু কেন?

নীড়ঃ আরে কে জানি নেশার নামে পুরো হোটেল বুক করে রেখেছে।

নিসুঃ তাহলে তো ভালোই।আমার জামাইয়ের খরচ কমেছে??।আর তুই কিনা চলে যাবি বলছিস।

নেশাঃ লাইক সিরিয়াসলি ?।কে না কে বুক করেছে আর আমরা থাকবো?

নিসুঃ আরে যে করেছে হয়তো ভুলে করেছে।দেখিস পরেই খবর হয়ে যাবে যে ভুলে করেছে।এখন চল যাই।আমি অনেক টায়ারড?

নেশাঃ কিন্তু…

নিসুঃ কোন কিন্তু নাহ প্লিজ চল।

সবার জোড়াজুড়ি তে নেশা রাজি হলো।কিন্তু সে তো জানেই কাজ টা কে করেছে। সবাই যার যার রুমে চলে গেছে।হোটেল স্টাফ এসে সবাইকে বলে গেল রাতে নিচে পার্টি আছে সবাই যেন জয়েন করে।তাই সবাই রেডি হয়ে নিচে গেল।

নীড় আজও নেশার উপর ফিদা।সাদা শার্ট আর ব্লু কালারের স্কার্ট।স্কার্টটা ওতো লং নাহ আবার শর্টও নাহ।কোমরে চামড়ার মোটা বেল্ট।চুল গুলো ছাড়া।ঠোঁটে পিংক লিপস্টিক। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে চোখমুখ লাল হয়ে আছে।

নীড়ঃ এই বাঘীনির আবার কি হলো আজ. [বিড়বিড় করে]

হঠাৎ সব লাইট অফ হয়ে গেল।আর স্টেজের লাইট জ্বলে উঠলো।সবাই খেয়াল করলো একটা ছেলে উল্টো দিকে ঘুরে আছে।। আর গান গাইছে

Dil ka dariya beh hi gaya
Ishq ibaadat bann hi gaya
Khudko mujhe tu saunp de
Meri zarurat tu bann gaya
Baat dil ki nazron ne ki
Sach keh raha teri kasam

নেশা গলা শুনেই বুঝে গেছে কে।।রেগে চলে যেতে নিলো বডিগার্ডরা আটকালো।

বডিগার্ডঃ ম্যাম প্লিজ যাবেন নাহ।

নেশাঃ তোমরা আমার জন্য কাজ করো নাকি স্যার এর জন্য??

বডিগার্ডঃ ম্যাম আপনা নাহ মানে স্যারের নাহ মানে আপনার নাহ মানে দুইজনের জন্যই??

নেশাঃ তাহলে আমায় যেতে দাও

বডিগার্ডঃ ম্যাম প্লিজ আপনি চলে গেলে আমাদের চাকরি চলে যাবে?

নেশা আর গেল নাহ।দাড়িয়ে রইলো।হঠাৎ লাইট গুলো নেশার দিকে ঘুরানো হলো।আর ছেলেটি গান গাইতে গাইতে নেশার সামনে এসে দাড়ালো

Tere bin ab na lenge ik bhi dum
Tujhe kitna chahne lage hum
Tere sath ho jayenge khatam
Tujhe kitna chahne lage hum

গান গাইতে গাইতে নেশার একদম কাছে এসে হাটু গেড়ে বসলো।

ছেলেটিঃ আই এম সরি জান।আর এমন হিবে নাহ প্রমিস।আর তোমায় নাহ বলে যাবো নাহ।

নেশাঃ আমি রুমে যাচ্ছি। বাই[নেশা যেতে নিলো ছেলেটি নেশার হাত টেনে আবার আগের জায়গায় দাড়া করালো ]

ছেলেটিঃ আমি যদি তোমায় বলে যেতাম তুমি যেতে দিতে নাহ।তাই বলে যাইনি।প্লিজ সরি।আর এমন ভুল হবে নাহ।

নেশাঃ হুহ। একদিন দুইদিন হলে কথা ছিলো। ইটিস এবাউট টু মানথ।দুইমাস তোমার খোঁজ ছিলো নাহ।কতটা মিস করেছি তুমি জানো?

ছেলেটাঃ হেই ডোন্ট ক্রাই।।[নেশার দুইগালে দুইহাত দিয়ে ]ওইখানে নেটওয়ার্ক এর প্রবলেম ছিলো তাই কন্ট্রাক করতে পারিনি।আর তুমি ওতো আমার ফোন ধরনি?

নেশাঃ তো কি করবো এট লাস্ট আমায় বলে তো যেতে???

ছেলেটাঃ এখন তো এসে গেছি।প্লিজ কান্না স্টপ করো?।না হলে কিন্তু আবার চলে যাবো

নেশাঃ চলে যাও। কে ধরে রেখেছে[ছেড়ে দিয়ে ছেলেটিকে ]

ছেলেটিঃওকে দেন টাটা

[বলেই চলে যেতে নিলো।নেশা টেনে সামনে দাড় করিয়ে জড়িয়ে ধরলো]

নেশাঃ বুকে মাথা রেখে-ইশ শখ কতো।পা ভেঙে রেখে দিবো আবার আমায় রেখে গেলে

ছেলেটিঃ??পাগলি।

[নেশার কপালে কিস করে ৷ ]

ছেলেটিঃ খুব মিস করেছি আমার জান টাকে?

নেশাঃ আমিও

ছেলেটিঃ লাভ ইউ

নেশাঃ লাভ ইউ মোর দেন ইউ?

বলে আবার ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরলো।

নীড়,নিসু,রাফি,সায়ান সবার মাথায় একসাথে বাজ পড়লো। আসা করি পাঠকদের মাথাও পড়েছে??।পড়লেই কি। ছেলেটা কে আজ তো আর বলবো নাহ।। বলবো তো কাল?

চলবে?

(আমি তো প্রথম পার্টেই বলেছি আমাদের গল্পের নায়িকা নেশা। কিন্তু নায়ক যে নীড় তা কি বলেছি?।তোমরা ভুল বুঝলে আমার কি?????)

বজ্জাত বর পর্ব ২০ ( শেষ পর্ব)

0

বজ্জাত_বর
পর্ব ২০ ( শেষ পর্ব)
লেখক বিলকিস

.
হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় আরাধ্য ওর বাবাকে নিয়ে পরশদের বাড়িতে হাজির। তখন পরশ রুমে বসে, ছিলো আর মিষ্টি দিশার রুমে বসে ওর সাথে গল্প করছিলো।
হঠাৎ বাইরে ড্রোয়িংরুমে কারো কথায় শব্দে মিষ্টি দিশার রুম থেকে বেরিয়ে ড্রয়িং রুমের দিকে তাকিয়ে দেখে আরাধ্য একজন বয়স্ক লোকের সাথে বসে আছে। আর মামনি আর বাবার সাথে কথা বলছে।
মিষ্টি, মনটা ধুক করে উঠলো। হঠাৎ এই সময় আরাধ্য এখানে কি করছে? এমনিতেই আজকাল পরশের অবহেলার পরিমানটা বেড়ে যাচ্ছে। ও কি পরশকে হারিয়ে ফেলছে। এরকম নানান কথা মিষ্টির মাথায় এসে জট পাকাচ্ছিলো। তখনই দেখলো পরশ ড্রোয়িং রুমে এসে সোফায় ঠিক আরাধ্য র পাশেই বসলো। তারপর ওরা কি যেনো সব আলোচনা করছিলো। যার কোনোটাই মিষ্টি শুনতে পেলোনা।
এক পর্যারে দেখলো আরাধ্যর বাবা, আর পরশের বাবা দুজন কোলাকোলি করছে।
কি হচ্ছে ওখানে কিছুই বুঝতে পারছেনা মিষ্টি। তখন দেখলো আরাধ্য আর পরশ ও খুব হেসে হেসে কথা বলছিলো। মিষ্টি,কি হচ্ছে বোঝায় জন্য নিচে নামতেই বাড়ির কাজের মেয়ে নিলুফা বললো যে
ভাবিগো খুশির খবর । বাড়িতে বিয়া। আমার তো এখনই লাফাইতে ইচ্ছা করতেছে।
এই কথা শোনার পর যেনো মিষ্টি মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। মাথাটা ভিষন ঝিমঝিম করছিলো। সবকিছু ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। ওকি কিছুই করতে পারবেনা। পরশের দিকে তাকিয়ে দেখলো দেখে মনে হচ্ছে পরশের যেনো খুশির সীমা নেই। ও দৌড়ে ঘরে চলে গেলো। খুব কান্না পাচ্ছিলো। ওর তাই অঝেরে কাদছিলো।
এই মধ্যে আরাধ্য আর ও বাবা পরশের বাড়ির থেকে বিদায় নিলো। পরশ নিচ থেকে উপরে রুমে গিয়ে দেখে মিষ্টি সোফায় বসে মাথা নিচু করে কান্না করছে। পরশ বুঝতেই পরলো মিষ্টির কান্না কারন। তাই মিষ্টি দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো,
পরশ: মিষ্টি এই সময় কি হয়েছে তোমার? কান্না করছো কেনো?
হঠাৎ। পরশের এই কথায় যেনো মিষ্টি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। আর বললো,
মিষ্টি: তো কি করবো এখন। ধেই ধেই করে নাচবো।
পরশ: তুমি না কখনো শোধরাবার নয়। এই বলে পরশ চলে যাচ্ছিলো।
হঠাৎ করেই মিষ্টি পরশের কলার চেপে ধরে আর বলে।
মিষ্টি: কি করে করতে পারলেন এটা?
পরশ: কি করেছি আমি? আর তুমি এভাবে কথা বলছো কেনো?
মিষ্টি: হ্যা এখনতো আমার সব কথাই। এরকম লাগবে। ঘরে যে নতুন বউ আসছে। আমিতো পুরনো হয়ে গেছি তাইনা?
পরশ’ : ওয়েট ওয়েট কি বলছো তুমি এসব? বউ আসছে মানে?
মিষ্টি: একদম ন্যাকামি করবেব না বলে দিলাম। কি ভেবেছেন টা কি। আমি কিছু শুনিনি। নিচে তো দেখছিলাম আরাধ্য কে নিয়ে খুব রং তামাশা চলছে।
একটা বউ থাকতে আবার বিয়েও ঠিক করে ফেলা হলো। বলোই মিষ্টি খুব জোড়ে জোড়ে কাদছিলো।
এবার পরশ কিছুটা বুঝতে পারলো মিষ্টি র এই কান্নার, পেছনে লুকায়িত রহস্য। ওর খুব হাসি, পাচ্ছিলো তখন। তাই বললো,
পরশ: কেনো। আমার বিয়ে শুনে তো তোমার খুশি হওয়ার কথা। আমি আর কতোদিন বউ ছাড়া একা একা থাকবো। তুমি তো আর আমার কাছে আসোনা।
মিষ্টি: আমি আপনাকে ঠিক চিনেছিলাম। আপনি একটা চরিএহীন লুচু টাইপের ছেলে। ঘরে বউ রেখে বাইরে প্রেম করে বেরান। আর এখনতো open marrege. হচ্ছে। বলেই কাছেই টি টেবিলে রাখা ফুলের টবটা ভেঙ্গে ফেরলো।
পরশ: কি করছো এসব তুমি। আর তুমি সবসময় ওলটো বোঝো বুঝেছো।
এবারতো মিষ্টির। রাগ আকাশ চুন্নি হয়ে গেলো। মিষ্টি কিছু বলতে যাবে তখনই। মাথাটা ঝিম ধরে এলো। আর সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে গেলো।
মিষ্টির অজ্ঞান হয়ে যাওয়া দেখেই পরশ যেনো দিশেহারা হয়ে গেলো। মিষ্টির গালে হাত দিয়ে বার বার ডাকা সত্রের যখন কেনো রেসপন্স পাচ্ছিলো না ওকে কোলে করে বাইরে নিয়ে আসছিলো হাসপাতালে নেওয়ার জন্য।
পরশের মা ড্রোয়িং রুমেই ছিলো। মিষ্টিকে পরশের। কোলে দেখেই ছুটে এলো।
মা: কি হয়েছে মিষ্টির পরশ।
পরশ: জানিনা। হঠাৎ করেই সেন্সলেছ হয়ে গেলো। এখনই হাসপাতালে নিতে হবে।
তারপর পরশ মিষ্টিকে কাছের একটা হাসপাতালে নিয়ে এলো। সাথে পরশের মা, বাবা, আর দিশা, এসেছে।
তারপর ডাক্তার মিষ্টিকে চেকাপ করার, জন্য। ভেতরে ঢুকলো। পরশ তো প্রায় কান্না করে ফেলছে। সবাই চিন্তায় পাইচারি করছিলো। বেশ কিছুক্ষন পর ডাক্তার যখন বাইরে আসলো
তখন পরশ ডাক্তারের কাছে দৌড়ে গেলো আর বললো,
পরশ: আঙ্কেল মিষ্টি এখন কেমন আছে? আর ওর কি হয়েছে। হঠাৎ এভাবে অজ্ঞান হয়ে গেলো কেনো।
ডাক্তার: Relax and congratution. তুমি বাবা হচ্ছো। আর এই সময় এমন হয়ই। চিন্তার কিছু নেই। একটু carefully থাকলেই হবে।
ডাক্তারের কথা শুনে পরশতো আনন্দে পাগলপ্রায়। আনন্দে ডাক্তারকে জড়িয়ে ধরলো। আর বারবার thanks জানাচ্ছিলো। ওর পেছনেই ওর বাবা, মা আর। দিশা তো ওর কান্ড দেখে হাসছিলো।
তারপর বাবা, মা আর দিশা মিষ্টির সাথে দেখা করে কেবিনের বাইরে এলো। তখন পরশ কেবিনে ঢুকলো। পরশকে দেখে মিষ্টি অন্যপাশে ঘুরে শুলো। পরশ মিষ্টির কাছে গিয়ে ওকে ঘুরিয়ে নিজের দিকে করলো। তখন দেখলো মিষ্টির চোখে পানি। পরশ বললো
পরশ: তুমি কাদছো কেনো মিষ্টি? তুমি খুশি, হওনি? জানো একটা পুরুষমানুষ কখন বেশি খুশি হয় যখন সে শুনে যে সে বাবা হতে চলছে। I am. so happy মিষ্টি।
মিষ্টি’ পরশের কেনো কথায় উওর না দিয়ে নিজের পেটের উপর হাত দিয়ে বললো
মিষ্টি: দেখেছিস তোর বাবা আমাদের ছেড়ে অন্য একটা ডাইনিকে বিয়ে করছে। আমরা দুজন মিলে তোর বাবাকে খুব জ্বালাবো এখন
। পরশ মিষ্টি কথা শুনেই হেসে দিলো। আর। বলল,
পরশ: তুমি সত্যিই একটা পাগলী।
মিষ্টি: আমি তো পাগলী। আর ঐ আরাধ্য খুব ভালো তাইনা।
পরশ: বুঝেছি আমার বাবুর আম্মু এখন খুব রেখে আছে। তাকে তো এখন সত্যিই। বলে দিতে হয়।
মিষ্টি: কিসের সত্যি?
পরশ: আমার চাচাতো ভাই তাওহীদ। ছোটোবেলার, ওর বাবা মা দুজনই রোড এক্রিডেন্ট মারা যায়। আমরা সেম বয়সের। ও দুবছর আগে ভারতে গিয়েছিলো একটা কাজে। ওখানে আরাধ্য ও বেড়াতে গিয়েছিলো। ওখানেই ওদের পরিচয়। তারপর আস্তে আস্তে ভালোলাগা আর ভালোবাসা। হঠাৎ আমি একদিন ওদের, রেস্টুরেন্টে, দেখে ফেলি। পরে আরাধ্য আমাকে ওদের সম্পকের কথা বলে।
মিষ্টি: আমি তো একবারও ওনাকে দেখিনি।
পরশ: ওর আলদা একটা ফ্ল্যাট আছে। ও ওখানে থাকে। তুমি এখানে আসার পর ও কাজের চাপে আসতে পারিনি। আমি ওদের বিয়ে কথা, বললে তাওহিদ আরাধ্য কে মা, বাবার সাথে কথা বলতে বলে। তাই আরাধ্য ওর বাবাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছিলো। বুঝেছো পাগলী।
মিষ্টি: তাহলে আরাধ্য সাথে আপনার এতো মাখামাখি কিসের আর আপনার girl friend বললো কেনো নিজেকে।
পরশ: ওটা আমাদের প্ল্যান ছিলো তোমাকে jealous করানো জন্য। যাতে তুমি আমাকে ভালোবাসো।
মিষ্টি: লাভ কি হলো।
পরশ: লাভ কি হলো মানে আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো।
আচ্ছা আমি যে, বাবা হতে যাচ্ছি আমাকে কিছু gift করবেনা।
মিষ্টি: কিসের gift? উল্টো আমার। gift পাওয়া কথা।
পরশ: ok তাই বলে মিষ্টির ঠোটে কিস করতে থাকলো। পিছন থেকে দিশা বললো আমি কিছু দেখিনি। এটা শুনে মিষ্টি পরশকে জোড় করে ছাড়িয়ে দিলো।
তারপর ওরা মিষ্টিকে নিয়ে বাড়ি ফিরলো। দেখতে দেখতে বিয়ে দিন চলে এলো। মিষ্টি আজ অনেক সুন্দর করে সেজেছে। তাই দেখে পরশ বললো
পরশ: চলো আমরা আবার বিয়ে করি।
মিষ্টি: কেনো? আবার বিয়ে শখ কেনো।
পরশ: কারন আমাদের বিয়ে দিন কোনে বাসর করতে পারিনি। শুধু একদিনে তোমাকে কাছে পেয়েছিলাম তাও, আবার অজ্ঞানে। এখন তোমাকে সজ্ঞানে পেতে চাই, তাই বলে পরশ মিষ্টির ঠোটের দিক এগুতেই মিষ্টি পরশের গায়ের উপর বমি করে দিলো।
পরশ: কি করলে এটা?
মিষ্টি: আপনার গায়ের perfume. এর জন্ আমার খুব বমি আসছিলো। আপনি এতো কাছে আসতে আর থাকতে পারলাম না।
পরশ: মিষ্টির পেটে হাত রেখে তো আমার romance টা সহ্য হলোনা।
তারপর মিষ্টিকে নিজ হাতে ফ্রেস করে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ে গেলো।
৫ বছর পর
আরাফ সারা ঘর দৌড়াচ্ছে আর মিষ্টি ওর পেছন পেছন ঘুরছে। হ্যা আরাফ হলো পরশ আর মিষ্টির ছেলে। ভিষন দুষ্টু। একটু খেতে চায়না। মিষ্টি ওকে খাওয়ানোর জন্য ওর পেছন। পেছন দৌড়াচ্ছে।
আরাফ দৌড় ওর দাদুর পেছনে গিয়ে লুকালো। সন্ধ্যায় পরশ বাড়ির ফিরলে আরাফ দৌড়ে পরশের কাছে গিয়ে বলেলো
আরাফ: বাবাই বাবাই জানো মাম্মাম আমাকে মেরেছে।
পরশ: কেনো মেরেছে? তুমি কি করেছো?
আরাফ: আমি তো কিছু করিনি। শুধু ভাত খাইনি। তুমি মাম্মামকে একটু বকা দিওতো।
পরশ: ঠিক আছে। আমি তোমার মাম্মামকে খুব বকা দিবো। এখন তুমি দাদুর কাছে থাকো। ok
আরাফ: ok
পরশ ঘরে গিয়ে দেখলো মিষ্টি বারান্দায় দাড়িয়ে আছে। পরশ ওকে পিছন থেকে কোমড়ে হাত দিয়ে জোড়িয়ে ধরলো। মিষ্টির চুলগুলো হাত। দিয়ে খুলে দিয়ে চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে দিলো।
হঠাৎ ওর ছোয়াতে চমকে উঠলাম। কিন্তু খুব ভালো লাগছিলো। তাই বললাম, এখন অসময়ে পাগলামো করছো কেনো?
পরশ: ঘাড়ে চুমো দিতে দিতে বললাম, Romance এর কি কোনো সময় অসময় থাকে। আর তাছাড়া তোমার শশুর বাবা কি বলেছে জানো?
মিষ্টি: কি বলেছে?
পরশ’ : বলেছে আমার একটা দিদিভাই লাগবে।
মিষ্টি: কি?
পরশ: হুম। এইটা বলোই মিষ্টিকে কোলে তুলে নিলো। আর বললো
বেশি দেরি করে লাভ নেই। এখন থেকেই processing শুরু করে দেই।
এই কথায় মিষ্টি লজ্জায় পরশের বুকে মুখ লুকালো।
মিষ্টির লাজুক মুখটা দেখে পরশ বরবারে মতোই উম্মাদ হয়ে গেলো।
তারপর মিষ্টিকে বিছানায় শুয়েই দিয়ে ওর ঠোটে ঠোট মিলিয়ে দিলো আর। ভালোবাসায় মেতে উঠলো। এভাবেই ভালোবাসা ভরে থাকুক ওদের জীবন।
( সমাপ্ত)

হয়তো_ভালোবাসি Part_04

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_04
#writer_Eshetaq_Nora

নীড় নেশার পিছনে দৌড়ে গেল।।কিন্তু পেলো নাহ।হঠাৎ সায়ান তার সামনে এলো।

সায়ানঃ নেশার কি হয়েছে নীড় ওর এই অবস্থা কেন

নীড়ঃ ননেশা ককোথায়??

সায়ানঃ চলে গেছে। আগে বল এইসব কি হচ্ছে??

নীড় সায়ানকে সব খুলে বললো।

সায়ানঃ আর ইউ মেড।বাংলা ভাবে শাড়ি পড়লে একটু কোমড় দেখাই যায়।তাই বলে তুই এইকাজ করবি।দোষ টা নেশার ছিলো নাহ ওই ছেলের ছিলো।তো নেশাকে কেন তুই এম…..

নীড়ঃ আমি আসলে রাগে করে ফেলেছি।ছেলেটা ওর কোমড়ে হাত দিয়ে চেয়েছিলো যা দেখে নিজেকে কনট্রোল করতে পারিনি??

সায়ানঃ লাইক সিরিয়াসলি। যাকে ভালোবাসিস নাহ তার জন্য এতো ইনসিকিউরড হওয়ার দরকার কি।মেয়েটার মন টা তো ভেঙেছিস। এখন আরো কি চাস তুই??(রেগে)

[আসলে সায়ান নেশাকে ধোকা দেওয়ার বিপক্ষে ছিলো।কিন্তু নীড় বলেছিলো যাতে নেশাকে না জানায় না হলে বন্ধুত্ব শেষ করে দিবে।তাই সায়ান ও কিছু বলেনি।কিন্তু সে চায় নীড় নেশাকে ভালোবাসক৷ ]

নীড়ঃ আমি কিছু জানি নাহ ওর দিকে কেউ তাকাতে পারবে নাহ বেসস??।

সায়ানঃ সো ফানি।একসাথে দুই নৌকায় পা রেখে চলছিস।নট বেড

নীড়ঃ সায়ানননন

সায়ানঃ কি সায়ান।চিৎকার করলে সত্যি মিথ্যা হয়ে যায় নাহ।।যাকে ভালোবাসিস নাহ তার মানুষ কোমড় ধরক নাহ হয় রেপ করোক তাতে তোর কি।

নীড়ঃ সায়ান[ভীষণ রেগে সায়ানের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।আর সেখান থেকে চলে গেল ]

সায়ানঃ আই এম সরি নীড়।আমি ওইভাবে বলতে চাইনি।কিন্তু আমাকে বলতে হলো তোকে রাগানোর জন্য। কারন তুই নেশার নেশায় পড়ে গেছিস। হয়তো তুই বুঝতে পারছিস নাহ।হয়তো তুই মানবি ও নাহ।কিন্তু নেশা যত করবি নেশা বাড়বে কমবে নাহ।তখন তুই কি করবি আমি ও দেখবো??ওই নিহাকে বিয়ে করবি নাকি নেশা.।

এইদিকে নীড় গাড়ি নিয়ে নেশার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে।কিন্তু ভিতরে যাবে কিনা ভাবছে।

নীড়ঃ যাবো ভিতরে ??।।কিন্তু যদি সবাই জিজ্ঞাসা করে আমি কে।কি বলবো।।লুকিয়ে যাবো??।কিন্তু যদি নেশা রিয়েক্ট করে।খুব ভয় পেয়েছে বুঝাই গেছিলো।কাজ টা করা একদম ঠিক হয়নি।থাক কাল বরং কলেজে গেলে সরি বলে দিবো।আজ বাড়িতে থেকে মাথা ঠান্ডা হোক।।।

পরেরদিন

নীড় নেশার ক্লাসরুমে গেল।কিন্তু নেশাকে পেলো নাহ।

নীড়ঃ নিসু নেশাকি আজ আসেনি??

নিসুঃ নাহ ভাইয়া।

এইভাবে প্রায় একমাস হয়ে গেল।কিন্তু নেশার কোন খোঁজ নেই।প্রতিদিনই নীড় নেশাকে খুজতে ক্লাসরুমে আসে কিন্তু তাকে পায় নাহ।

নীড়ঃ নিসু প্লিজ বলো নেশা কোথায়। ওর কি হয়েছে।ওর বাড়িতে ওকে আমি পাইনি।

নিসুঃ আসলে ভাইয়া?

নীড়ঃ প্লিজ বলো।

নিসুঃ নেশা আর কলেজে আসবে নাহ।ও চলে গেছে।

নীড়ঃ আসবে নাহ মানে।কোথায় গেছে??

নিসুঃ আমি জানি নাহ কোথায় গেছে।কিন্তু ও আর এই কলেজে আসবে নাহ।

নীড় নিসুকে কিছু নাহ বলে নেশার বাড়িয়ে ছুটে গেল।নেশার মা- বাবা নীড় কে দেখে খুব অবাক হলো।

নিরবঃ তুমি কে বাবা?

নীড়ঃ আঙ্কেল আমি নেশার কলেজে পড়ি।

নিরবঃ ওহহ তো তুমি এখানে।নেশা তো নেই।

নীড়ঃ আঙ্কেল আসলে নেশার সাথে আমার একটু দরকার ছিলো।

নিরবঃ কিন্তু তুমি তো ওকে পাবে নাহ।

নীড়ঃ কেন আঙ্কেল প্লিজ ওকে একটু ডেকে দিন।আমি চলে যাবে একটু কথা বলে।

নিরবঃ ও তো এখানে৷ নেই।

নীড়ঃ মানে কোথায় ও?

নিরবঃ কোথায় তাতো বলতে পারবো নাহ।কিন্তু ও এই দেশে নেই।

নীড় কথাটা ঠিক মতো হজম করতে পারলো নাহ।আসলে নেশা তার বাবা মাকে বলেছে যাতে সে কোথায় আছে কাউকে নাহ বলে।তাই তারা নীড়কে বলেনি।।নিসু ও ব্যাপার টা জানে।কিন্তু নেশা তাকে ও না করেছে বন্ধুত্বের কসম দিয়ে।

[এইভাবেই তাদের দিন কাটতে থাকে।নীড় নেশার খবর পায়নি।অবশ্য যদি মন থেকে চাইতো হয়তো সন্ধান পেত।সেতো নিহার প্রেমে অন্ধ।।তবুও নেশাকে মনে পড়তো।।কিন্তু তা নিয়ে মাথা ঘামাতো।।আসলে ওইদিন পার্টির ঘটনার পর নেশা ওই কলেজে আর নীড়ের সামনে যেতে আনইজি ফিল করছে।পাশাপাশি ঘৃনা ও করছে নীড়ের প্রতি।তাই বাড়িতে এসে বাবা মাকে বলে সে বাইরে লেখা পড়া করতে চায়।তাই সে সিডনিতে চলে যায়।।এইভাবেই তারা দুজন আলাদা হয়ে যায়]

❤❤❤❤দুইবছর পর❤❤❤❤

রাফিঃ দোস্ত তোরা এখন আসলি।।এতোক্ষণ ধরে তোদের জন্য ওয়েট করছি জানিস।আজ কিন্তু আর যেতে পারবি নাহ।।পুরো বিদায় পর্যন্ত থাকতে হবে ওকে।।।

সায়ানঃ আরে এইজন্যই তো গাট্টি বোস্তা সব নিয়ে এসেছি।।পুরো একমাস থেকে তারপর যাবো??।কি বলিস নীড়।

নীড়ঃ হুম তাই।নিসু কোথায়।

রাফিঃ আর বলিস নাহ পার্লারে গেছে আর কোথায় যাবে।

নীড়ঃ ওহহ।।আচ্ছা আমাকে একটু রুম টা দেখিয়ে দে কোথায় থাকব। আই এম টায়ার্ড (বলেই চলে গেল)।।

[এখন আসি আসল কথায়।নীড় আর সায়ান এসেছে নিসু আর রাফির বিয়েতে।হ্যাঁ তাদের বিয়ে ঠিক হয়েছে। ওইবছর ই কলেজে নীড়দের লাস্ট ইয়ার ছিলো।তাই তারা যাত যার কাজে আলাদা হয়ে যায়।নীড় তার বাবার বিজনেসে জয়েন করে।আজ ২ বছর পর আবার সবাই একসাথে হলো রাফি আর নিসুর বিয়ে উপলক্ষে ]

রাতে–
৩ বন্ধু মিলে একসাথে বাইরে আগুন জ্বালিয়ে বসলো

রাফিঃ দোস্ত আমার তো হয়ে গেল।তোদেরটা কবে হবে শুনি।

সায়ানঃ আমারটা নেক্সট সালেই হয়ে যাবে।ইমার লেখাপড়া শেষ হলে।(ইমা সায়ানের ফিওন্স)

রাফিঃ আর তোর(নীড়ের দিকে তাকিয়ে)

নীড়ঃ আমারটাও খুব তাড়াতাড়ি হবে দোস্ত।এইদুই তিন মাস যাস্ট।ইশার কোর্স কম্পলিট হতে আর কয়েকদিন লাগবে।

রাফিঃ ওহহ তাহলে তো ভালোই।সবাই একসাথে মিলে হানিমুনে যাবো??

নীড়ঃ আমার ঘুম পাচ্ছে আমি যাই গুড নাইট।

(বলেই নীড় দেরি নাহ করে চলে গেল)

সায়ানঃ সব কিছু মনে হয় আর ঠিক হবে নাহ তাই নাহ।

রাফিঃ জানি নাহ রে।নেশা চলে যাবার পর এমনিতেই নীড় শান্ত হয়েগেছে।তারপর নিহাও এমন কাজ করলো।

সায়ানঃ নীড় যা করেছে তারপর তার এই শাস্তি পাওনা ছিলো।এখন আবার এই ইশা।জানি নাহ এই মেয়ে আবার কি করবে?

রাফিঃ আমরা ও আর কি করতে পারি বল।ওর লাইফ ও যা চায় তাই তো করতে পারে তাই নাহ।

সায়ানঃ হুম।আচ্ছা নেশার কোন খবর পেয়েছিস?

রাফিঃ হুম। নিসু তো বললো নেশা আসবে বিয়েতে।এখন দেখা যাক।

সায়ানঃ ওহহ তাহলে তো ভালোই হয়।

রাফিঃ হুম।আচ্ছা যা গিয়ে শুয়ে পর। কাল আবার সকাল সকাল উঠতে হবে। হলুদের দিন আবার অনেক কাজ থাকে।

সায়ানঃ হুম গুড নাইট।

[সবার মাথার উপর দিয়ে গেলো নাকি।ওকে আমি বুঝিয়ে বলছি।নেশা চলে যাওয়ার ১ মাস পর নিহা ও নীড়কে ছেড়ে চলে যায়।কারন নিহা নীড়ের থেকে বড় লোক ছেলের প্রেমে পরে। আর নীড়কে ধোকা দিয়ে তার কাছে চলে যায়। তারপর নীড় একদম ভেঙে পড়ে।আর তাই তার বাবা মা তাকে বিয়ে দিতে চায়।কিন্তু সে রাজি হয়না।ইশা তার বাবা মারই পছন্দ। নীড় তার বাবার কথা ভেবে ইশাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়।তো এইছিলো কাহিনি। ]

❤❤পরেরদিন সকালে❤❤

সবাই হলুদ কালারের পাঞ্জাবি পড়েছে।সাথে ব্লু কালারের কটি।মেয়েরা ব্লু কালারের শাড়ি।

নীড়ও পাঞ্জাবি পড়েছে।অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে।চুল গুলোকে স্পাইক করে রেখেছে।ছোট ছোট চুল গুলো কপালে এসে পড়েছে।হাতে ব্লাক ঘড়ি।অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে।মেয়েরা তো দেখে ফিদা হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু হঠাৎ নীড়ের চোখ গেল দরজার দিকে।আজ ২ বছর পর সেই অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে।দরজার দিকে তাকাতেই সেই চিরোচেনা মুখ চোখে পড়লো।

(হ্যাঁ নেশা এসেছে।কিন্তু আগের নেশা আর এই নেশার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। টপস আর জিন্স।চুল গুলো একদম ছোট করে কাটা।ছেড়ে রেখেছে।এতোটাই ছোট করে কাটা যে গলা থেকে একটু নিচে পর্যন্ত। যার চুল কিনা কোমড় ছাড়িয়ে যেত তার চুল এখন এতোটুকু।গ্লোল্ডেন কালার করা। চোখে কালো সানগ্লাস। ঠোঁটে ড্রাক রেড লিপস্টিক। হাই হিল।একদম বিদেশিদের মতো লাগছে।নীড় তো হা করে তাকিয়ে আছে।২ বছরের ব্যবধানে একটা মানুষ এতোটা চেঞ্জ হয়ে যাবে তা নীড়ের জানা ছিলো নাহ।আর তার থেকেও বেশি অবাক করার বিষয় হলো নেশার পিছিনে ১নয় ২ নয় পুরো ৫ জন বডিগার্ড।)

নিসু নেশাকে দেখে দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলো।সাথে সাথে বডিগার্ড গুলো নিসুর মাথায় বন্দুক তাক করলো।

নেশাঃ হেই।সি ইজ মাই ফ্রেন্ড নট ইনিমি?

বডিগার্ডঃ সরি ম্যাম।

নেশাঃ নাও গো।

বডিগার্ডঃ ওকে ম্যাম(বডিগার্ডরা বাইরে চলে গেল)

নিসুঃ এইসব কি বনু?

নেশাঃ আরে কিছু নাহ।। যাস্ট আমার সেফটির জন্য।

নিসুঃ ওহহ।কেমন আছিস তুই।কতো দিন পর দেখলাম তোকে।কতোটা বদলে গেছিস তুই

নেশাঃ (একটু হাসলো কিন্তু কিছু বললো নাহ)তোর হাসবেন্ড কোথায়?

নিসুঃ ওইতো।

রাফিঃ হেই নেশা কেমন আছো?

নেশাঃ গুড।congratulation

রাফিঃ thank you?

নেশাঃনিসু আমার রুমটা প্লিজ দেখিয়ে দে।আর বাইরে গাড়ি দাড়িয়ে আছে।ওইখানের ব্যাগ গুলো আনার জন্য লোক পাঠা।

বলেই নীড়কে ক্রস করে চলে গেল।যেন নীড়কে দেখতেই পায়নি।।।

নেশার রুমে⛺⛺⛺

নিসুঃ নেশা এইযে তোর শাড়ি।। পড়ে তাড়াতাড়ি নিচে চলে আয়।অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে।

নেশাঃ শাড়ি পরবো মানে??।আমি শাড়ি পড়ি নাহ নিসু।প্লিজ। আমায় জোর করিস নাহ।

নিসুঃ দেখ বনু সবাই পড়েছে তুই না পরলে কিন্তু আমি রাগ করবো।

নেশাঃ আই ডোন্ট কেয়ার সবাই কি পড়েছে।বাট আমি পরতে পারবো নাহ।আর তুই কিন্তু বলেছিস আমায় জোর করতে পারবি নাহ।এইজন্যই আমি বিয়ে বাড়িতে আসতে চাই নি।ডেমেট??

নিসুঃ ওকে ওকে তোকে পড়তে হবে নাহ শাড়ি তোর যা ভালো লাগে পরিস।।।কিন্তু তোকে নাচতে হবে এইটা ফাইনাল।

নেশাঃ নিসু স্টপ নন্ সেন্স। আমি নাচবো নাহ।

নিসুঃ নাচতে হবে মানে হবে।না হলে আমি বিয়ে কিরবো নাহ বলে দিলাম হুহ।

নেশাঃ ইডিয়েট আচ্ছা দেখা যাবে।এখন যা গিয়ে রেডি হ।আমি আসছি।

নিসুঃ তারমানে নাচবি কিন্তু।

নেশাঃ বললাম তো দেখা যাবে।

নিসুঃ ওকে নাচতে হবে এইটাই ফাইনাল।ওকে তুই রেডি হয়ে নিচে আয়।[বেই নিসু চলে গেল ]

নেশাঃ সরি রে নিসু।আমি নাচবো নাহ যখন বলেছি তখন আমি নাচবো নাহ।আমি আগের নেশা নই যে জোর খাটাবি।আগের নেশা মারা গেছে
।[বলেই টেবিল থেকে কাচের গ্লাসটা নিচে ফেলে দিলো।গ্লাস টা গুড়ো গুড়ো হয়ে গেল।সেই গ্লাসের ভাঙা কাঁচের উপর দিতে কিছুক্ষণ হাটলো। যার ফলে পা গুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল।তারপর নিজে নিজেই পায়ের বেন্ডেজ করলো৷ ]

নেশাঃ এখন আর কিভাবে নাচবো জান???।পায়ে যে অনেক ব্যাথা।

নেশার এইরমক কাজ দেখে নীড় যাস্ট শক।।আসলে সে দরজার আড়ালে থেকে নিসু আর নেশার সব কথা শুনেছে আর এখন নেশার কাজ গুলো দেখেছে।

নীড়ঃ এইটা কোন নেশা।যে কিনা একটু রক্ত দেখলে ভয় পায় সে কিনা আজ??।

চলবে?

(কাল কমেন্ট এ একটা আপু বললো নেশার নাকি self respect নাই। তার নাকি ইজ্জত নাই।তার সাথে যার যা ইচ্ছা করতে পারে।।।তোমরা যারা আপুর মতো ভাবো তাদের বলছি নেশা নীড়কে ভালোবাসে।ভালোবাসার মানুষটির প্রতি যত রাগ, অভিমান,অবহেলা থাকুক নাহ কেন।,যদি সব ভুলে মানুষটির কাছে নাহ যাও তাহলে সেইটা ভালোবাসা নাহ।আর নীড় কাল ওর শাড়ি টা খুলে ফেলছিলো রাগ করে।ওতো খুলার পর নেশার দিকে চোখ তুলে তাকায় ও নি।।।তাহলে ওর ইন্টেনশন খারাপ ছিলো তোমরা কিভাবে বলো।।আর নেশারই ইজ্জত নাই তা কিভাবে বলো।সরি যদি কেউ আমার কথায় মাইন্ড করে থাকো?)

বজ্জাত বর পর্ব-১৯

0

বজ্জাত_বর
পর্ব-১৯
লেখক বিলকিস

বাইরে গিয়ে দেখি মিষ্টি গাড়িতে বসে আছে। একটা গ্রীন কালারের শাড়ি পড়েছে সাথে খোলা চুল। আমি শুধু তাকিয়ে আছি। একটা মানুষ এতো সুন্দর, কি করে হয়।
হঠ্যাৎ মিষ্টির ডাকে ধ্যান ভাঙলো,
মিষ্টি: ওভাবে হাবলার মতো দাড়িয়ে আছেন কেন? যাবেন না কি?
পরশ: what! what is হাবলা?
আর তুমি এখানে কি করছো?
মিষ্টি: মা নে টা কি? আপনার কি স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে? আমরা এখম কলেজ যাবো?
পরশ: জি না? আমি ঠিক আছি? কিন্তু আপনি মনে হয় ভুলে যাচ্ছেন যে সেদিন আমি আপনাকে গাড়িতে উঠতে বলেছিলাম আর আপনি আমাকে ইফটিজার বানিয়ে দিয়েছিলান। How funny. তাই না?
মিষ্টি: আজকে ও সাবধানে থাকবেন। একদম এডভান্টেজ নেওয়া চেষ্টা করবেন না নইলে কিডন্যাপার বলবো কিন্তু মনে থাকে যেনো।
পরশ: what! এই তুমি নামো আমার গাড়ি থেকে।
মিষ্টি: কি এতো বড় কথা? Do you know who l am? l am one and only misty আপনি জানেন আমি এখন কি করবো?
পরশ: সেটা আমার থেকে আর কে ভালো জানে বলো। ( তুমি যে কি আমি খুব ভালো করে জানি) তো কি করবে এখন?
মিষ্টি: ok wait এটা বলেই চিল্লাতে শুধু করলাম। মামনি এই দেখো তোমার ছেলে আমাকে হুমকি দিচ্ছে যে সে আমাকে ছেড়ে একটা শাকচুন্নিকে বিয়ে করতে যাচ্ছে। এ্যা এ্যা…..
পরশ: হঠাৎ ওর এরকম চিৎ কারে তো আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। এ মেয়ে পারে না এমন মনে হয় কোনো কাজ নেই। উফফ
তাই ওর মুখে চেপে ধরলাম আর বললাম এই হচ্ছে টা কি? তুমি কি আমাকে finally জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছো।
মিষ্টি: উমম। ( এমন ভাবে মুখ চেপে ধরলে কি কিছু বলা যায়।)
পরশ: হঠাৎ খেয়াল হলো মিষ্টি মুখে আমি হাত দিয়ে রেখেছি। তাই ছেড়ে দিলাম। আর তখনই মা ভেতর চলে এসেছে
মা: কি রে মা কি হয়েছে?
মিষ্টি: মামনি তোমার ছেলে আমাকে ডির্ভোস দেবে বলছে। তুমি আমাকে বাঁচাও ( ন্যাকা কান্না কেদে)
মামনি: কি? এতো বড় সাহস।
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
পরশ তুই। কিন্তু এখন বেশি বেশি করছিস।
এদিকে পরশ তো মিষ্টির মিথ্যায় power দেখে হতোবাক হয়ে গেছে। এই মেয়ে যেখানে সেখানে আরামসে মিথ্যা কথা বলতে পারে।
পরশ: মা আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি কি এখন যেতে পারি।
মা: হুম। আর এসব ডির্ভোসের এর কথা যেনো মাথায় না আসে। মনে থাকে যেনো। আর ওকে সাথে নিয়ে যা।
মিষ্টি পরশের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। তাই দেখে পরশ বললো,
পরশ: আপনার কি কলেজ যাওয়ার ইচ্ছা আছে?
মিষ্টি: একটা ভ্যাংচি কেটে গাড়িতে উঠে পড়লাম। ( আমার তো খুব হাসি পাচ্ছে। সালার মাস্টার তুমি শাকচুন্নিকে নিয়ে ঘুরবে না। এটা তো আমি হতে দিতে পারি না। কারন আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি)
শুনুন একটু দেখেশুনে গাড়ি চালাবেন। কারন আপনার জন্য অকালে প্রানটা হারাতে পারবো না। কারন এখনো এই পৃথিবীকে অনেক কিছু দেয়ার বাকি আছে আমার।
পরশ: whatever!
তারপর কলেজ চলে আসি।
এভাবে বেশ কিছুদিন চলছিলো। আর মিষ্টির পরশের উপর অত্যাচারটাও বাড়ছিলো।
কিন্তু পরশ এখন বুঝতে পেরেছে যে মিষ্টি, ওকে ভালোবাসে। কিন্তু মিষ্টি যদি কাছে টেনে না নেয় তাহলে সে কি করে মিষ্টির কাছে যাবে। এক ভুল সে দুবার করতে চাইনা। কারন সে মিষ্টিকে হারাতে চায়না।
এদিকে মিষ্টি পরশের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু কিছুই বলতে পারছে না। এক বাড়িতে থেকে ও যেনো কতো দূরের মানুষ ওরা।
পরশের সাথে জোড় করে ঘুরতে যাওয়া, পরশের সাথে আরাধ্য কে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠা সব তো ঠিক আছে। কিন্তু তবুও ওরা কেউ কারোর কাছে যেতে পারছেনা।
দুজনই ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
মিষ্টিতো বিরহের আগুনে পরছে। এভাবে ১ মাস পেরিয়ে যায়। কিন্তু কোনো পরিবর্তন নেই। পরশ খুব চায় মিষ্টিকে কাছে পেতে। কিন্তু বিবেক তাকে বাধা দেয়।
সে ভাবে এতো কিসের বাধা মিষ্টিকি ওকে বলতে পারছেনা ভালোবাসি নাকি ওর চোখ মিথ্যা বলছে। এদিকে মিষ্টিতো সবসময়। উল্টো বোঝে।
ইদানিং পরশ ওকে ভিষন ভাবে ignore করছে। ভালোবাসার। মানুষটার কাছ থেকে যে অবহেলা সহ্য হচ্ছে না মিষ্টির।
হঠাৎ একদিন সন্ধ্যা বেলায় আরাধ্য ওর বাবাকে নিয়ে পরশদের বাড়িতে হাজির।
তারপর……..( চলবে)

বজ্জাত বর পর্ব -১৮

0

বজ্জাত বর
পর্ব ১৮
লেখক বিলকিস

সন্ধ্যায় রুমে ঢুকে পরশ যা দেখতে পেলো তাতে পরশ শোকড
কারন ঘরের একটা জিনিসও আস্তো ছিলোনা। তছনছ হয়ে আছে সবকিছু । এমনকি পরশের সাধের ফ্লাওয়ার ভার্জটাও ভেঙে পড়ে আছে। মনে হচ্ছে ঘরে যেন সিডর বয়ে গেছে। অবশ্য সিডর বললেও মনে হয় কম হবে।
কিন্তু এটা হলো কি করে সেটাই তো বুঝতে পারছেনা। কারন সারা বাড়িতে সাব কিছুই ঠিকঠাক। শুধু এই ঘরটাতে এমন ঘটলো আজবতো।
তারপর কিছু একটা অনুমান করে বারান্দায় গেলো পরশ।বরান্দায় গিয়ে পরশ দেখতে পেলো মিষ্টি একটা পিংক কালার শাড়ি পড়ে দাড়িয়ে আছে। হয়তো রাস্তায় গাড়ি দেখছে।
পেছন থেকেই যেনো অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো তাই মিষ্টিকে দেখে পরশের মুখেও একটা মিষ্টি হাসি ফুটে উঠলো।
মিষ্টি: বাড়ি এসে সোজা ঘরে ঢুকে গেলাম। ঘরে ঢুকে দেখলাম সবকিছু ঠিকঠাকই আছে। অথচ আমার কেনো যেনো মনে হয়ছিলো যে স্যার আমাকে ছাড়া ভালো নেই। আমি কেনো এতো ভাবছি। এতো কষ্ট কেনো পাচ্ছি? তাহলে আমি কি স্যারকে ভালোবাসি? আর তখনই আরাধ্যর কথা মনে পড়লো। রাগে আমার মাথা ফেটেযাচ্ছিলো। তাই রাগটা কমানো দরকার। কিন্তু কি করে?
IDEA
সবকিছু ওলটপালট করতে একটা মিষ্টি ঝড়ই যথেষ্ট।
তারপর ফ্রেস হয়ে বারান্দায়। গিয়ে দাড়ালাম। কিছুক্ষন পর মনে হলো পেছনে কোউ দাড়িয়ে আছে। মিষ্টি পেছন ফিরে তাকাতেই পরশ বললো,
পরশ: এ কি তুমি এখানে? তোমার তো তোমাদের বাড়ি থাকার কথা ছিলো ( একটু ভাব নিয়ে)
মিষ্টি:……….
পরশ: ঘরের এই অবস্থা করছো কেনো। এখন থাকবো কোথায়?
মিষ্টি: এই মাস্টারের কথা শুনে প্রচন্ড রাগ হচ্ছিলো। তাই বললাম, তুই যেখানে খুশি সেখানে থাক। তাতে আমার কি? কি ভেবেছিলি হ্যা, কি ভেবেছিলি? আমি আর ফিরে আসবোনা? আর তুই ওই শাকচুন্নিকে নিয়ে সুখে থাকবো। Never
আমি থাকতে তো সেটা হচ্ছেনা।
পরশ: কি বলছো এসব? আর আমার সাথে তুই তুয়ারি করছো কেনো?
মিষ্টি: এটা তো অনেক কম হয়ে গেলো? তোর সাথে আরো বেশি কিছু করা দরকার। আমার জীবনটা শেষ করে এখন অন্য মেয়েকে নিয়ে ফূর্তি করা না। এবার থেকে দেখে নেবো তোকে হুহ
পরশ: দেখছিলাম মিষ্টি অনেক রেগে গেছে। তাই আর একটু রাগানোর জন্য বললাম,
ছি! এভাবে স্বামীর সাথে কেউ কথা বলে? কি গো তুমি। কোথায় আমাকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরবে , একটু আদ্দর করবে তা না আর তুমি এসেই ঝগড়া শুধু করে দিয়েছো। ছি! ছি!
মিষ্টি: এই ফালতু মাস্টারে কথা শুনে আমার গা জ্বলে যাচ্ছিলো। এতো একটা বিশ্ব মানের লুচু। ঘরে বাইরে সব জায়গায়ইতে লুচুগিরী ( মনে মনে) এই আপনাকে না আমি…
পরশ: আমাকে কি? আদর করবে।
মিষ্টি: আপনাকে আমি দেখে নেবো।
পরশ: তো দেখো না। মানা করেছে কে?
মিষ্টি: you are too. much
পরশ: তোমার জন্য আমি 100 much ও হতে পারি।
মিষ্টি: উফফ্। বলেই ঘর থেকে হন হন করে বেরিয়ে গেলো।
পরশ: হা হা হা! কি ভেবেছো মিষ্টি তুমি আমার ফাদে পা দেবেনা। তুমি তো অলরেডি পা দিয়েছো। আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো। এখন শুধু তোমাকে সেটা ফিল করাতে হবে।
এদিকে মিষ্টি রাগে একাই বক বক করতে করতে দিশার ঘরে গেলো।
মিষ্টিকে দেখেই দিশা বললো,
দিশা: ভাবি তোমাদের যুদ্ধ কি শেষ।
মিষ্টি: এই ফাজিল মেয়ে যুদ্ধ কি আমি শুরু করেছি? তোমার ভাই শুরু করেছে আর আমি শেষ করবো।
দিশা: ভাইয়াকে ভালোবাসি কথাটা বলে দিলেইতো ঝামেলা চুকে যায়।
মিষ্টি: কে বলেছে আমি ওই মাস্টারকে ভালোবাসি। ওই বজ্জাত লোকটাকে তো আমার সহ্যাই হয়না। আর এখন আমি ঘুমাবো। so no বকবক।
দিশা: ইস তুমি এমন কেনো বলোতো।
দুজনই দুজনকে ভালোবেসে ভেসে যাচ্ছো। অথচ স্বীকার করতে যতো বাধা।
তখনই দিশার ফোনে ফোন আসলো। পরশের নাম্বার দেখে দিশা হেসে দিলো।
দিশা: কি ভাইয়া। plan কাজ, করছে মনে হয়।
পরশ: হুম! তোর ঘরে?
দিশা: হ্যা। চালিয়ে যা। খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।
পরশ: thanks. আচ্ছা রাখছি।
তারপর পরশ গেস্টরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে,
পরশ ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে ডাইনিং টেবিলে যায়। গিয়ে ওখানে মিষ্টিকে দেখতে পায়না। ভাবলো হয়তো এখনো ঘুমাচ্ছে।
তাই নিজেই নাস্তা করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখে………( চলবে)

হয়তো_ভালোবাসি Part_03

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_03
#writer_Eshetaq_Nora

নেশা কিছু নাহ বলে চলে যেতে নিলো।হঠাৎ কিছু ভেবে আবার ফিরে এলো।আর নিহার সামনে দাড়ালো।

নেশাঃ আই এম সরি নিহা আপু।আমি বুঝতে পারিনি যে আমি এতো বড় ভুল করে ফেলেছি। আই এম এক্সট্রিমলি সর????

নিহাঃ হুহ?।পরের বার থেকে আমার সাথে লাগতে
আসলে ১০০ বার ভাববে ওকে?

নেশাঃ জি আপু
[বলেই চলে যেতে নিলো।কেন যেন নীড়ের ও খারাপ লাগছে।কিন্তু ও কি করবে ও যদি কাজটা নাহ করতো নিহা তাকে ছেড়ে চলে যেত।আর নীড় যে নিহাকে ভালোবাসে]

নেশা চলে যাওয়ার সময় ইমানের সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যেতে নিলো।ইমান ধরে নিলো।যা দেখে নীড়ের মাথা গরম হয়ে গেলো। আসলে ইমান আর নীড় সবার সামনে ফ্রেন্ড হলেও তাদের মধ্যে শত্রুতা আছে।।দুইজন দুই গ্রুপের লিডার।

ইমানঃ আর ইউ ওকে।

নেশাঃ ইয়েস।

ইমানঃ হেই।তুমি কান্না করছো কেন।কিছু হয়েছে???

নীড়ঃ নেশা এতো কি কথা বলছে ইমানের সাথে(বিড়বিড় করে)

নেশাঃ নাহ কিছু নাহ।।চোখে মে বি কিছু পড়েছে তাই।।ওকে আমায় যেতে হবে

[। বলেই নেশা চলে গেলো।ইমান তো সেইদিকেই তাকিয়েই তাকিয়ে আছে।নেশাকে দেখে ওতো পুরো ফিদা?।।]

ইমানঃ রাফি এই মেয়েটা কে রে??

রাফিঃ ওর নাম নেশা।

ইমানঃ ওহহ নাইস নেম।।আই লাইক হার?।।

নিহাঃ রিয়েলি!! এই বস্তিকে লাইক হলো।ছি হোয়াট আ চয়েস?

ইমানঃ নান অফ ইউর বিসন্যাস নিহা।স্টে ওন ইউর লিমিট। ও তোমার থেকে অনেক সুন্দর। ওফফ তার চোখ গুলো কি সুন্দর,মায়াবী। তার শরীরে টাচ লাগতেই যেনো কারেন্ট লাগলো।আর তার লিপস গুলো লাইক আ স্টবে…..

নীড়ঃ যাস্ট শাট আপ ??।।[৷কথা গুলো শুনে নীড় তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো ]

ইমানঃ হোয়াট হেপেন???

নীড়ঃ নেশার থেকে দুরে থাকবি তুই।।।না হলে তার পরিনতি খুব খারাপ হবে।।

নিহাঃ রিয়েলি। তুমি সাম হাও ওকে লাইক করতে শুরু করোনি তো??

নীড়ঃ আমি যাস্ট বললাম।ওর থেকে দুরে থাকতে। না হলে কি করবো তা আমি নিজেও জানি নাহ[বলেই নীড় চলে গেল]

তো এতটুকুই ছিলো আমাদের নীড় আর নেশার ২ মাস আগের লাভ স্টোরি।।

❤❤❤❤বর্তমানে ❤❤❤❤

নেশা কফি হাউসে বসে আছে। হঠাৎ নিসু সেখানে আসলো।সাথে রাফিও।তাদের দেখে নেশা চলে যেতে নিলো।ওইদিনের পর থেকে নেশা নিসুর সাথে কথা বলেনি।।

নিসুঃ নেশা প্লিজ দাড়া।।কিছু কথা বলবো।

নেশাঃ আমার কোন কথা নেই।

নিসুঃ প্লিজ যাস্ট একটু।।অনলি ৫ মিনিট।

নেশা বসলো।

নেশাঃ হুম বল।

নিসুঃ আসলে নেশা ওইদিন ওইসব কিছুই আমি জানতাম নাহ।আসলে আমি…

নেশাঃ নিসু প্লিজ আমি ওইদিন সম্পর্কে কিছু জানতে চাই নাহ।

নিসুঃ তুই প্লিজ আগে শোন।।আসলে আমি আর রাফি দুইজন দুইজনকে ভালোবাসি। তাই আমি ওর সাথে সব কিছু শেয়ার করেছিলাম কিন্তু আমি জানতাম নাহ যে ও এইসব নীড় কে বলে।

রাফিঃ আসলে আমি ভেবেছিলাম ও তোমায় ভালোবাসে।আর তাই এইসব ওকে জানাতাম।

নেশাঃ আচ্ছা তার পর

নিসুঃ দেখ নেশা আমাদেত সত্যিই দোষ ছিলো নাহ।প্লিজ মাফ করে দে।

নেশাঃ তোরা কোন দোষ করেছিস আমি কি বলেছি। তাহলে মাফ কেন চাইছিস।

নিসুঃ ???নেশা প্লিজ আই এম সরি।

নেশাঃ নট নিড।আমি এমনিতেই তোকে মাফ করে দিয়েছি।।ইনফেক্ট আমি কারো উপরই রাগ করি নি।

নিসুঃ thank you nesha

নেশাঃ ইটস ও….

হঠাৎ ইমান এসে চেয়ার টেনে বসে পরলো।

ইমানঃ এইযে মিস।কি কথা ছিলো হুম।

নেশাঃ ওহহ সরি আমি একদম ভুলে গেছি।

নিসুঃ কি নিয়ে কথা বলছিস তোরা

ইমানঃ তুমি জানো নাহ।তোমার ফ্রেন্ড সামনের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আমার সাথে নাচ করবে।।

নিসুঃ কিহহহ??।নেশা তুই!!!

নেশাঃ আরে ইমান এতো জোর করলো যে নাহ করতে পারলাম নাহ।

ইমানঃ নেশা রিহার্সাল শুরু হয়ে গেছে চলো যাই।

নেশাঃ হুম চলুন।নিসু টাটা পরে কথা হবে।

এইদিকে

রাফিঃ নীড় একটা খবর আছে।

নীড়ঃ হোয়াট??

রাফিঃ আমি শুনলাম নবীণ বরনের দিন নেশা ইমানের সাথে নাচবে।

নীড়ঃ কিহহহ ???আর ইউ মেড(চিৎকার করে)

রাফিঃ ননাহ মানে যা সত্যি তাই তো বললাম।।বিশ্বাস নাহ হলে তুই হলরুমে গিয়ে দেখ।ওরা ডান্স প্রেকটিস করছে?

নীড় তাড়াতাড়ি করে হলরুমে গেলো।আর গিয়ে যা দেখলো তা দেখে নীড়ের মাথা নষ্ট হয়ে গেলো। কেননা নেশা আর ইমান খুব ক্লোজ হয়ে নাচছে।আর সবাই দেখছে তাদের নাচ।।নীড় ও সবার সাথে গিয়ে বসলো।রাগে হাতের বোতলটাকে খুব জোরে চেপে ধরেছে।

সায়ানঃ বেচারা মরে যাবে তো।

নীড়ঃ মানে?

সায়ানঃ যেইভাবে বোতল টাকে ধরেছিস এইখানে মানুষ থাকলে তো মরে যেত।ওইটাই বললাম।

হঠাৎ নীড় দেখলো ইমান নেশার কোমড়ে হাত দিয়ে নাচছে।নীড় আর নিজেকে কনট্রোল করতে পারলো নাহ।সবার সামনে নেশাকে টেনে ফাকারুমে নিয়ে গেল।

ইমানঃ হোয়াট দা…

সায়ানঃ হাই ইমান?

ইমানঃ নীড় ওকে নিয়ে কোথায় গেলো।

সায়ানঃ ডোন্ট নো।বলেই সায়ান পালালো।

এইদিকে-

নীড় নেশাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।

নীড়ঃ বলেছিলাম নাহ ইমানের থেকে দুরে থাকতে[দাতে দাত চেপে]

নেশা ছুটার জন্য মুচরামুচরি করছে।

নেশাঃ হি ইস মাই ডান্স পার্টনার। আর আমি যার সাথেই থাকি তাতে আপনার কি প্রবলেম।আপনার নিহার কাছে যান নাহ।

নীড়ঃ যা বলেছি চুপচাপ তা করো।গিয়ে ইমান কে বলো তুমি নাচ করবে নাহ

নেশাঃ আমি নাচবো

নীড়ঃ তুমি নাচবে নাহ

নেশাঃ আমি বলেছি আমি নাচবো।মানে নাচবো।আপনি কি করবেন করে নিন।

নীড়ঃ তাই নাকি।।।ওকে তাহলে তাই হোক।।আমি ও দেখি তুমি কিভাবে নাচো।(বাকা হেসে)

নীড় চলে গেল।নেশাও চুপচাপ কাউকে নাহ বলে বাড়ি ফিরে গেলো।এইদিকে ইমান ও নেশাকে নাহ পেয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাইকে উঠলো। যেতে নিলো হঠাৎ কোথা থেকে একটা গাড়ি এসে ইমানের বাইকে খুব জোরে ধাক্কা দিলো।আর ইমান ছিটকে পড়লো।গাড়িটা দাড়িয়ে নাহ থেকে চলে গেলো।

।।
।।

পরেরদিন–

ইমান কে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে শুনে নেশা ছুটে এলো দেখার জন্য।

নেশাঃ ইমান আপনার এই অবস্থা কিভাবে হলো??

ইমানঃ জানি নাহ নেশা।পিছন থেকে একটা গাড়ি এসে ধাক্কা মেরে দিলো।আই এম সরি আমি তোমার সাথে নাচতে পারলাম নাহ?

নেশাঃ আরে ওইসব বেপার না।আগে আপনি সুস্থ হোন।ওইটা বেশি জরুরি।

হটাৎ নীড়ও এন্ট্রি মারলো সেখানে।হাতে ফুলের তোড়া।মুখে বাকা হাসি।

নীড়ঃ এখন কেমন আছিস ইমান।

ইমানঃ আগের থেকে ভালো।

নীড়ঃ ইসস কি অবস্থা হয়েছে তোর।কে এই কাজটা করলো।ভাবতেই আমার খারাপ লাগছে??

ইমানঃ ?

নীড়ঃ নেশা তোমাদের ডান্সের কি হবে। ইস কি সুন্দর কাপলই নাহ ছিলা তোমরা। কে এইভাবে ইমানের এক্সিডেন্টটা করালো।যদি তার কথা শুনতো হয়তো সে এমন করতো নাহ।

নেশাঃ মানে?

নীড়ঃ নাহ কিছু নাহ।।এমনি বললাম।আচ্ছা টাটা।আমার আবার আজ নিহার সাথে একটু ঘুরতে যেতে হবে।বলেই নীড় চলে গেল।

নেশাঃ ইমান আমি ও এখন আসি।পরে আবার আসবো।

ইমানঃ ওকে।।

নেশাঃ ওয়েট নীড়।

নীড়ঃ কি হলো তুমি এখানে। ইমানের কাছে যাও
।ও একা আছে রুমে।

নেশাঃ আপনিই ওর এই এক্সিডেন্টটা করিয়েছেন তাই নাহ।

নীড়ঃ আরে নাহ আমি কেনো এক্সিডেন্ট করাবো।[নেশার কাছে মুখ নিয়ে]বরং আমি নিজে করেছি?

নেশাঃ হোয়াট। আর ইউ মেড।যদি ওর কিছু হয়ে যেত।আর আপনি এমন কেন করলেন??

নীড়ঃ যাতে তোমার সাথে নাচতে নাহ পারে।

নেশাঃ যাস্ট এই একটা সিম্পল ব্যাপারের জন্য আপনি এই কাজটা করলেন!!!

নীড়ঃ এখন তো শুধু পা আর হাত ভেঙেছি।পরের বার তোমার সাথে দেখলে গলা কেটে ফেলবো। মাইন্ড ইট।

[বলেই সানগ্লাসটা চোখে লাগিয়ে ভাব নিয়ে চলে গেল।আর নেশা তাকিয়ে আছে।নীড়ের কিছুই সে বুঝতে পারছে নাহ। সে নেশাকে ভালোবাসে নাহ তাহলে কেন এমন করছে তা ভেবেই পাচ্ছে নাহ নেশা]

নবীন বরনের দিন

নীড় সাদা কালারের একটা শার্ট পড়েছে তার উপর ব্লাক কালারের জ্যাকেট।। ব্লাক পেন্ট, ব্লাক ঘড়ি।চুল গুলো স্পাইক করা।এককথায় পার্ফেক্ট। সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে আছে।কিন্তু তাতে নীড়ের কোন ভুক্ষেপ নেই।সেতো তার জান নিহাকে দেখতে বিজি। কারন নিহা আজ শাড়ি পরেছে।খুবই পাতলা।ভিতরের সবই কদেখা যাচ্ছে।

হঠাৎ নেশাও ঢুকলো। আর নেশার দিকে চোখ পড়েই নীড়ের চোখ আটকে গেল।ব্লাক জর্জেট শাড়ি, ব্লাকচুরি,কানে পাথরের দুল,চুল গুলো ছেড়ে একপাশে সাদা গোলাপ লাগিয়েছে।এককথায় অপসরী।

নীড়ঃ উফফ আজ কি নাহ লাগছে।এর থেকে চোখ সরানোই কষ্ট হয়ে যাবে।

নেশা নীড়কে ক্রস করে নিসুর কাছে চলে গেল।দুইজন কিছুক্ষন কথা বলে গিয়ে বসে পরলো।নীড় এখনো নেশার দিকে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ দেখলো কলেজের একটা ছেলে নেশার দিকে তাকিয়ে আছে হা করে।নীড় ভালো করে দেখতে গিয়ে খেয়াল করলো ছেলেটা নেশার কোমরের দিকে তাকিয়ে আছে।আর ছেলেটা নেশার কোমড়ে হাত দিতে নিলো।কোথা থেকে নীড় এসে ছেলে টাকে উরাধুরা মাইর লাগানো শুরু করলো।কেউ ভয়ে কিছু বলছে নাহ আর নাহ নীড় কে আটকাচ্ছে।কারন একতো সে বড়লোকের ছেলে।তার উপর কলেজের নেতা।তাই টিচার রাও থামাতে সাহস পাচ্ছে নাহ।নেশা গিয়ে টেনে নীড়কে থামালো।

নেশাঃ পাগল হয়ে গেছেন আপনি।এইরকম কেউ করে।

নীড় চোখ তুলে নেশার দিকে তাকালো।নীড়ের চোখ গুলো মারাত্নক পরিমানে লাল হয়ে আছে।যা দেখে নেশা ভয়ে ঢোক গিললো।

নেশাঃ দেখুন আপনি যা…

আর কিছু বলতে পারলো নাহ।নীড় নেশাকে টেনে আবার ক্লাসরুমে নিয়ে গেল।

নেশাঃ আরে এইটা কোন অভদ্রতা। সব সময় টেনে খালি ক্লাসে নিয়ে আসেন।

নীড় কিছু নাহ বলে নেশার শাফির আচলে টান দিয়ে পুরো শাড়ি নিজের হাতে নিয়ে নিলো।আর পটপট করে পুরো শাড়িটা ছিড়ে ফেললো।

নীড়ঃ মানুষকে শরীর দেখানোর হলে শাড়ি পড়ার দরকার কি ছিলো।এমনিতেই চলে আসতি।আর যেন এইভাবে শাড়ি পড়তে নাহ দেখি।(বলেই নেশার দিকে ঘুরলো।দেখলো নেশা উল্টো দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে।নীড়ের ব্যাপারটা বুঝতে টাইম লাগলো।বুঝতে পেরেই)

নীড়ঃ শিট।[বলেই নিজের জ্যাকেট টা নেশাকে পড়িয়ে দিলো। ]

নীড়ঃ নেশা আমি আসলে….বলতে বলতে নেশা দৌড়ে চলে গেল।নীড় ও পিছন পিছন গেল।কিন্তু নেশা চলে গেছে।।।

চলবে?

(সবাই বলছো আগের বারের মতো ভিলেন নেশাকে চাই।কিন্তু আমি তো গল্পটা অন্যভাবে সাজাতে চেয়েছিলাম ?)

বজ্জাত বর পর্ব ১৭

0

বজ্জাত_বর
পর্ব ১৭
লেখক বিলকিস

পরশ বাড়িতে এসে সোজা উপরে রুমে চলে গেলো।
তারপর ওয়াশরুমে গিয়ে অনেকক্ষন সাওয়ার এর নিচে দাড়িয়ে আছে। রাগে তার মাথা ফেটে যচ্ছে। মিষ্টি যে ওকে এভাবে বোকা বানাবে ও সেটা ভাবতেই রাগ উঠছে।
হঠ্যাৎ দিশা ঘরে এসে পরশকে ডাকলো। পরশ ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে এলো। দিশা বললো,
দিশা: ভাইয়া তোর চা এনেছিলাম।
পরশ: হুম রেখে যা।
দিশা: ভাইয়া তোর কি মন খারাপ।
পরশ: নাহ কেন?
দিশা: এমনি, তোর মুখ দেখে মনে হলো। আচ্ছা আমি যাই।
পরশ: দিশা শোন
দিশা: হ্যা বল
পরশ: আচ্ছা আমার চেহারার কোনো এ্যাঙ্গেলে কি আমাকে বখাটে মনে হয় বা লাইক ইফটিজার
দিশা: কি? কি বলিস এসব?
পরশ: যা বলছি তার উওর দে।
দিশা: আমার এরকম হিরো মতো ভাইকে কে ইফটিজার বলেছে জানতে পারি কি?
এক মিনিট এক মিনিট ভাইয়া ভাবির সাথে তোর দেখা হয়েছিলো?
পরশ: হুম। ও আমাকে আজ কি পরিমান হেনস্তা করেছে তুই জানিস।
দিশা: ভাবি তোকে ইফটিজার বলেছে। oh my good বলে খিল খিল করে হাসতে লাগলো দিশা।
পরশ: এতো হাসার কি হলো। এখন কিন্তু আমার তোর উপর ভিষন রাগ। হচ্ছে দিশা। আমি শুধু ওর হাত ধরেছি আর ও দুজন লোককে ডেকে বললো আমি নাকি ওকে ইফটিজিং করছি ভাবা যায়।
কাল আগে হাতের কাছে পাই তুলে একটা আছাড় মেরে দেবো। ফাজিল মেয়ে নিজের বরকে ইফটিজার বলে।
দিশা: তোদের মধ্যে ঝগড়া, হয়েছে ভাইয়া?
পরশ: একটু misunderstanding তাই বলে এরকম করবে।
দিশা: ভাইয়া তুই জানিস আমাদের মেয়েদের অভিমান বেশি। তুই এমন কর যেটা দেখে ভাবি তোর থেকে দূরে থাকার কথা চিন্তাই করতে পারবেনা। আচ্ছা আমি এখন আসি। এই বলে দিশা, রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
পরশ: দিশা ঠিকই বলেছে। মিষ্টি এবার তুমি দেখবে তোমার বর কি করে।
তারপর ফোন নিয়ে কারো সাথে কথা বললো।
পরদিন মিষ্টি কলেজে চলে গেলো। গিয়েই দেখে ওর বন্ধুরা বসে আছে কলেজ। মাঠে। ও গিয়ে ওদের আড্ডায় যোগ। হলো।
রুমি: কিরে ওভাবে চলে গেলি কেনো?
মিষ্টি: তো কি করবো? তোদের মুখে ওই বজ্জাত লোকটার গুনগান শুনবো। তোরা কিরে? আমার সাথে এতো শক্রতা তোদের কিসের?
আলো: আমরা আবার কি করলাম?
মিষ্টি: সব তো তোদের জন্যই হয়েছে। সেদিন যদি কথা বলার সময় একটু দরজার দিকে তাকাতি কি এমন। হতো। তোদের জন্যই তো আমার জীবনের এই করুন পরিনতি।
বন্ধরা: কি? তোর জীবনে করুন পরিনিতি? How. funny
মিষ্টি: তোরা মুখে তালা লাগা। নয়তো আমি এখন তোদের কে কুচি কুচি করে কেটে হাঙর মাছদের gift করবো।
সেই মুর্হতে পরশ গাড়ি নিয়ে কলেজে ঢুকলো। তারপর গাড়ি থেকে নেমে অফিস রুমের দিকে যাচ্ছিলো।
আলো: মিষ্টি দেখ তোর বর আর আমাদের দুলাভাই+ স্যার চলে এসেছে।
মিষ্টি: এসেছে তো আমি কি করবো। বলেই একবার তাকালো।
আর তখনই কলেজ গেট দিয়ে আর একটা গাড়ি ঢুকলো। আর গাড়ি থেকে একজন নেমে সোজা পরশের কাছে গিয়ে পরশকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
আর সেটা দেখেই মিষ্টি রাগে High. voltage এ উঠে গেলো। কারন মেয়েটা আর কেউনা ওটা আরাধ্য ছিলো
আর পরশতো আরাধ্য কে দেখে খুব খুশি।
তারপর পরশ আর আরাধ্য অফিসরুমে ঢুকে গেলো। আবার একটু পরেরে বের হয়ে আরাধ্য কে নিয়ে পরশ গাড়িতে করে চলে গেলো।
এদিকে মিষ্টি সবকিছু দেখছিলো আর রাগে ফুলছিলো। একা একাই বির বির করে বলছিলো,
( এই নাকি তোর ভালোবাসা। কলেজে এতো গুলো মানুষের সামনে দিয়ে একটা অন্য মেয়েকে নিয়ে চলে গেলি। কেনো রে তোর বউ কি মরে গেছে। সামনে জলজ্যান্ত বসে আছে চোখে পড়ে না) এখন আমার কি হবে?
রুমি: কিরে কি এতো বির বির করছিস। আর ওই মেয়েটা কে যায় সাথে স্যার এতো হেসে কথা বলছিলো আবার জড়িয়ে ধরলো
মিষ্টি: জানি না। বলেই ক্লাস রুমে চলে গেলো। ক্লাসে স্যার পড়াচ্ছেন কিন্তু মিষ্টির কিছুতেই মন বসছেনা। শুধু ওদের গাড়িতে করে যাওয়ার দূশ্য। জোড়িয়ে ধরার দূশ্য চোখে ভেসে উঠছে। নাহ আর পারা যাচ্ছেনা। ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলো। এদিকে সারাদিন আর পরশ কলেজে ফিরলোনা।
মিষ্টি বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে এদিক থেকে ওদিন জোড়ে জোড়ে হাটছে আর। বলছে,
এই ছিলো তোর মনে। তাহলে সেদিন এমন করলি কেনো। আমার সব শেষ হয়ে গেলো। আমার কাছে আসার সময় মনে ছিলোনা । লুচু কোথাকর।
মিষ্টিকে উপরে আসতে দেখে ওর বাবাও পেছনে পেছনে এসেছিলো। আর দরজায় বাইরে থেকে সব শুনেছিলো
শেষ পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে বললো,
বাবা: কিরে কি হয়েছে? এভাবে পাইচারি করছিস কেনো?
মিষ্টি: বাবা এখন আমার কি হবে?
বাবা: কেনো কি হয়েছে?
মিষ্টি: বাবা তোমার মেয়ের সংসার ভেঙে যাচ্ছে।
বাবা: কি পাগলের মতো বলছিস
মিষ্টি: হ্যা এখন তো আমাকে পাগলই মনে হবে। তোমরা কেউ আমাকে ভালোবাসোনা।
বাবা: আমরা সবাই। তোকে ভালোবাসি। কিন্তু তুই বুঝতে পারিস না।
আচ্ছা তোর সংসার ভেঙে যাচ্ছে বলছিস কেনো? কি হয়েছে খুলে বল
মিষ্টি: বাবা তোমার জামাই অন্য মেয়ের সাথে ডেটিং করে বেরাচ্ছে। বাবা তোমার জামাইয়ের চরিএ নষ্ট হয়ে গেছে।
বাবা: কি বলছিস তুই। এতো বড় কথা। আমার মেয়েকে রেখে অন্য। মেয়ে সাথে ডেটিং
মিষ্টি: হুম
বাবা: আমি কি বলছি মা। তুই পরশের কাছে ফিরে যা। তুই থাকতে পরশ কেনো অন্য মেয়ে সাথে ঘুরে বেড়াবে। তুই সবসময় ওকে চোখে চোখে রাখবি। তোর। জীবনে কি কেনো দাম নেই ওর কাছে? তুই বরং আজই বাড়ি ফিরে যা। আর নিজের অধিকার বুঝে নে। কত্ত বড় সাহস!
মিষ্টি: তুমি ঠিকই বলেছো বাবা আমি এক্ষনি বাড়ি যাব। এই বলে মিষ্টি ব্যাগ গোছাতে লাগলো।
অার ওর বাবা ওর কান্ড দেখে হাসছে অার নিজ মনেই বলছে অামার মেয়েটা এখনো বাচ্চাই রয়ে গেলো। অামি জানি তুই পরশকে ভালোবাসিস। শুধু বুঝতে একটু দেরি হচ্ছে।
অতঃপর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ঘরে ঢুকেই দেখলো…….
(চলবে)

হয়তো_ভালোবাসি Part_02

0

হয়তো_ভালোবাসি
Part_02
#writer_Eshetaq_Nora

কলেজে —

সবাই রিহার্সাল রুমে প্রেকটিস করছে।।নিসুও নাচ শিখতে এসেছে।কিন্তু প্রবলেম হলো সে তার ডান্স পার্টনার পাচ্ছে নাহ।।।হঠাৎ সেখানে এন্ট্রি মারলো নীড় আর তার বন্ধুরা।।

নীড়ঃ হ্যালো গাইস??

এলাঃ তোর এতোক্ষনে আসার টাইম হলো(এলা হলো নীড় এর ক্লাসমেট। পাশাপাশি তাকে রিহার্সাল ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে)

নীড়ঃ আর বলিস নাহ রাস্তায় এক সুন্দরীর সাথে দেখা।তাকে দেখে সেখানেই আটকে গেছিলাম।(নেশার দিকে তাকিয়ে।নেশা মুচকি হাসলো)

নীড়ঃ মনে মনে-ওফস সুইটহার্ট। হেসেছো যখন ফেঁসেছো??।

এলাঃ আচ্ছা ওইসব বাদ দে।তুই ডান্স করবি তো।

নীড়ঃ ডান্স ডান্স।।কিন্তু আমার সাথে পার্টনার হবে কে।

এলাঃ আমি হই??।

নীড়ঃ সর মুটকি তুই নাহ।একটু সুইট সুইট হলে ভালো হতো। থাক তোরা নাচ আমি নাচবো নাহ??।

এলাঃ ড্রামা কিং একটা।আচ্ছা আর কে কে নাচবে??

নিসুঃ আপু আমি নাচতে চাই।কিন্তু পার্টনার পাচ্ছি নাহ??।।

নীড়ঃ আমি হেল্প করবো??

নিসুঃ আপনি নাচবেন??

নীড়ঃ নো চান্স??।।কাউকে নাচাবো।।।রাফি তুই নাচবি নিসুর সাথে।।

রাফিঃ নাহ পাগল নাকি।??

নীড়ঃ তুই নাচবি নাহ। ওকে ওয়েট নিসু তোমার সাথে একটু কথা আছে প্লিজ। সাথে তোমার ফ্রেন্ডকেও নিয়ে আসো।

নীড়ঃ দেখ নিসু আমি তোমার জন্য রাফিকে রাজি করাতে পারি কিন্তু আমার কিছু শর্ত আছে?

নিসুঃ কি শর্ত ভাইয়া?

নীড়ঃ তোমার বান্ধবীকে আমার সাথে নাচতে হবে ??

নেশাঃ আর ইউ মেড??।।আমি নাচবো নাহহ।

নীড়ঃ নিসু তোমার বান্ধবীকে রাজি করাও।না হলে আমার কিছু করার নেই।।

নিসুঃ বাট ও সবার সামনে নাচে নাহ নীড় ভাইয়া। ট্রাই টু আন্ডারস্টেন্ড??।

নীড়ঃ আচ্ছা সবার সামনে নাচতে হবে নাজ।বাট আমার সাথে নাচতে হবে।কেউ সামনে থাকবে নাহ প্রমিস।।

নিসুঃ নেশা মেরি জান আমার প্লিজ রাজি হয়ে যা।শুধু আজই তো। বনু প্লিজ ??

নেশাঃ ???

নিসুঃপ্লিজ??

নেশাঃ আচ্ছা ঠিকাছে ??

নীড়ঃ ???

নীড় রুমে গিয়ে এলাকে ইশারা করলো।নেশা আস্তে আস্তে চলে যেতে নিলো।

নীড়ঃ (হাত টেনে ধরে) পালাচ্ছো কেন??

নেশাঃ এখানে তো সবাই আছে।??

নীড়ঃ তো কি হয়েছে।লেটস ডান্স।

নেশাঃ সবার সামনে ??।পাগল নাকি।??

নীড়ঃ প্লিজ শুধু আমার জন্য।আচ্ছা নিসুর জন্য প্লিজ?

নেশা নীড়ের হাত ছেড়ে পিছিয়ে গেল।আবার কিছু একটা ভেবে নীড়ের হাত ধরলো।নীড় আরো শক্ত করে হাত ধরে নাচতে শুরু করলো।

নাচতে নাচতে দুইজন খুব ক্লোস হয়ে গেল।।নেশা ও এক সময় নীড়ের চোখে হারিয়ে গেল।হঠাৎ গান শেষ এ সবার হাত তালিতে দুইজনের ঘোর ভাঙলো।এতোক্ষণ সবাই যে ওদের নাচ দেখছিলো তাতো তাদের খবরই ছিলো নাহ।

নিসুঃ জান। তুই কি নাচলিরে হায় মে মারজাবা???

রাফিঃ মামা পুরাই জোস??

নীড়ঃ যাহ আমার বুঝে লজ্জা লাগে নাহ????????।।

নেশা তো ভো দৌড়।। এইখানে থাকা মানে লজ্জার সম্মুখীন হওয়া।এক দৌড়ে কলেজের ছাদে চলে গেল।জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।হঠাৎ কেন যেন মনে হলো পেছনে কেউ আছে।পিছনে ঘুরেই নীড়কে দেখে চিৎকার দিতে যাবে নীড় ওর মুখ চেপে ধরে।

নীড়ঃ শিসসস!সাইলেন্ট ??

[নেশা ইশারায় মুখ থেকে হাত সরাতে বলছে]

নীড়ঃ ওহহ সরি সরি।

(নেশা জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে)

নীড়ঃ আর ইউ ওকে???

নেশাঃ আপনি এখানে??

নীড়ঃহ্যাঁ আমি।কেন অন্যকেউ আসবে নাক?

নেশাঃ আপনি তো নিচে ছিলেন এতো তাড়াতাড়ি উপরে কিভাবে আসলেন??

নীড়ঃ আমার দুটো পাখা আছে তা দিয়ে উড়ে?

নেশাঃ সত্যি ??

নীড়ঃ ?লাইক সিরিয়াসলি। মানুষের পাখা থাকে???।।তুমি বিশ্বাস করো??

নেশাঃ আপনিই তো বললেন??

নীড়ঃ আই এম যাস্ট কিডিং বুদ্ধু??।

(নীড় জোরে জোরে হাসতে থাকে।নেশা ও লজ্জা পেয়ে হেসে দেয়)

নীড়ঃ নাইস স্মাইল????।

নেশাঃ আআমআমায় যেতে হবে।

নীড়ঃ আগে আমার ধন্যবাদ গিফট দিয়ে যাও??।

নেশাঃ কিসের জন্য ??

নীড়ঃ ওমা ওইদিন তোমায় বাসে ছেলেগুলোর থেকে বাচালাম তার জন্য??

নেশাঃ ওহহ ওকে।thank you so much ?

নীড়ঃ ওহহ ম্যাডাম আমার ধন্যবাদ চাই নাহ তার বদলে অন্য কিছু চাই।

নেশাঃ অন্যকিছু!??

(নীড় নেশার কাছে আসতে থাকে আর নেশা পিছতে থাকে.নীড় নেশার কাছে তার মুখ আনলো)

নেশাঃ দদেখুন এইসসব কিছু হহবে নাহ।।আমি এইসব পারবো নাহ(বলেই ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে।একটু পর চোখ খুলে দেখে নীড় বাকা হাসি দিয়ে তার থেকে দুরে দাড়িয়ে আছে)

নীড়ঃ আমি তো বলিনি কি করতে হবে?।।তুমি কি ভেবেছিলে????

নেশাঃ নাহ কিছু নাহ??

নীড়ঃ ওকে তো এক কাপ কফি খাওয়া যাবে?

নেশাঃ হ্যাঁ ??।ওহহ ওকে।।।

নীড় নেশাকে নিয়ে একটা কফিশপে গেল,কফি খেতে।

পরেরদিন

নীড় নেশাকে একটা ক্লাসরুমে টেনে নিয়ে গেল।

নেশাঃ আপনি??

নীড়ঃ তুমি নাকি বলেছো ডান্সিং এ পার্ট নিবে নাহ।।

নেশাঃ হ্যাঁ ঠিকই তো বলেছি।। কাল তো নিসুর জন্য নেচে ছিলাম।।

নীড়ঃ কিন্তু আমি যে তোমাকে নিয়ে অনুষ্ঠানের দিন ও নাচবো??

নেশাঃ পাগল নাকি আমি নাচবো নাহ????

বলেই চলে যেতে নিলো।দেখলো দরজা বন্ধ।

নেশাঃ একি দরজা কেন বন্ধ করলেন। ?

নীড়ঃ আমি তো তোমার সাথেই ছিলাম আমি কিভাবে বন্ধ করবো??।

(নেশা অনেক্ক্ষণ ট্রাই করলো কিন্তু কেউই দরজা খুলছে নাহ।গিয়ে নিচে বসে পরলো)

নেশাঃ আপনি ওতো খোলার জন্য একটু ট্রাই করতে পারেন।

নীড়ঃ তুমি নাচের জন্য রাজি হয়ে গেলেই খুলবে।

নেশাঃ মানে আপনি এইসব করেছেন।??

নীড়ঃ ??এনি ডাউট

নেশাঃহুহ।আমিও রাজি হবো নাহ।দেখি এতোক্ষণ থাকেন??।

সন্ধ্যা ৬ টা।

নেশাঃ আর কতোক্ষন বসে থাকবেন?।এখন তো খুলুন।

নীড়ঃ তারমানে তুমি রাজি?

নেশাঃ আমি কখন বললাম আমি রাজি?।হুহ

নীড়ঃ ইস রাত বাড়ছে আর আমার ভয় ও বাড়ছে।

নেশাঃ ককেনো?

নীড়ঃ শুনেছি রাতে নাকি এই কলেজে ভুত হাটাহাটি করে।আজ হয়তো তোমার সাথে আমাকেও মর‍তে হবে??।

নেশা ভয়ে গিয়ে নীড়ের পাশে বসলো।নীড় নেশার দিকে তাকালো অবাক হয়ে। মেয়েটা আসলেই ভয় পেয়েছে।নীড় নেশার হাতের উপর হাত রাখলো।কিন্তু নেশা কিছু বললো নাহ।।

নীড়ঃ তো তুমি কি রাজি আছো।

নেশাঃ হ্যাঁ রাজি কিন্তু প্লিজ এই ভুতের ঘর থেকে বের করুন??????

নীড় কাকে যেন ফোন করলো আর দরজা খুলে গেলো।

নেশাঃ আপনার কাছে ফোন ছিলো??।।

নীড়ঃ হ্যা ছিলো তো??।।

নেশা চুপচাপ বেরিয়ে গেলো।।গিয়ে দেখলো বাইরে নীড়ের ফ্রেন্ডরা দাঁড়িয়ে আছে।

রাফিঃ হাই ভাবি?

নেশাঃ কে ভাবি?

নীড়ঃ নাহ নেশা ও কিছু নাহ তুমি যাও??

রাফিঃ মামা ভিতরে কি কি করলি এতোক্ষণ ??

নীড়ঃ তোর মাথা?

নেশা মুচকি হেসে চলে গেল।।।এইভাবে দিন কাটতে লাগলো।নীড়ের কিউট কিউট কাজ দেখে নেশাও তার প্রতি দুর্বল হয়ে গেল।এককথায় তাকে পছন্দ কর‍তে শুরু করলো।।হঠাৎ spring fair অনুষ্ঠানের আগের দিন।নীড় নেশাকে টেনে একটা রুমে নিয়ে গেলো।

নেশাঃ কি হয়েছে আপনার। ?

নীড়ঃ নেশা আই লাভ ইউ। বলেই নেশকে কিস করে বসলো

নেশাঃ ???????

নীড়ঃ তোমার জবাব আমি আজ চাই নাহ।কাল সবার সামনে তুমি আমায় প্রোপজ করবে যদি আমায় ভালোবেসে থাকো।আর যদি তুমি আমায় ভালো না বাসো তাহলেও বলে দিও।আমি তোমার সামনে আর কখনো আসবো নাহ।(বলেই রুম থেকে চলে গেল)

[নেশা ধপ করে বসে পড়লো।সব মাথার উপর দিয়ে গেল।কি করবে সে এখন]

.।

পরেরদিন অনুষ্ঠানে —-

নাচার সময়ও নীড় নেশার দিকে একবার ও তাকায়নি।।নাচ গান সব শেষ হলো।।।নেশা নীড়ের সব ফ্রেন্ডদের সামনে তাকে প্রোপজ করলো।

নেশাঃ আই লাভ ইউ।।আই রেলি লাভ ইউ। will you accept my proposal ??

নীড়ঃ ??

নেশাঃ কিছু জিজ্ঞাসা করছি আপনাকে?।

নিহাঃ নাগো বস্তি ও তোমার প্রোপজ এক্সেপ্ট করবে নাহ

নেশাঃ তুমি এখানে ??

নিহাঃ ইয়েস বেবি।এইসব আমারই প্লেন তোমাকে সবার সামনে অপমান করার??

নেশাঃ মানে??

নিহাঃ বুঝতে পারো নি ওকে ওয়েট। নীড়ের সাথে আমার ১ বছরের রিলেশন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করবো।।কিন্তু তোমার করা ওইদিনের অপমানের জন্য আমি নীড় বেবিকে বলি যে তোমার সাথে প্রমের নাটক করতে।আর ও রাজি হয়ে যায়??।।

নেশাঃ তার মানে আপনি এতো দিন যা করেছেন সব নাটক ছিলো ?।।কি হলো জবাব দিন??

নীড়ঃ হ্যাঁ নাটক ছিলো।তো তুমি কি ভেবেছো আমি প্রেম করবো তাও তোমার মতো গেও মেয়ের সাথে।টাকা থাকলেই মানুষ স্মার্ট হয় নাহ।।লুক এট নিহা।ও আমার জন্য পার্ফেক্ট।

নেশাঃ ??আপনি এতো খারাপ

নিহাঃ আরে আমার জান কে দোষ দিচ্ছিস কেন।।তোর বেস্টুও তো মিলে আছে সাথে??

নেশাঃ কিহহ??

নিহাঃ আরে তোর ফ্রেন্ডই তো সব খবর দিতো।কখন তুই কলেজ থেকে বের হোস।কিসে করে যাস।কিভাবে তোর পছন্দ অপছন্দ etc etc। তোর ফ্রেন্ডের জন্যই তো নীড় ডারলিং তোকে পটাতে পেরেছে।

নেশাঃ বাহহ।নিজের ফ্রেন্ড হয়ে তুই এইকাজ করতে পারলি নিসু??।

নিসু নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু বলছে নাহ।।

চলবে?

(নাহ আমি নায়েকের নাম চেঞ্জ করবো আর নাহ নায়িকার। কারন আমি ভেবেই তাদের নাম দিছি। তাতে যদি শুধু একজনও আমার গল্প পড়ো তাহলে আমি শুধু তার জন্যই লিখবো❤❤)

হেপি ঈদ টু ওল??