Tuesday, July 8, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1885



বজ্জাত বর পর্ব ১৬

0

বজ্জাত বর
পর্ব ১৬
লেখক বিলকিস

অনেক সকালে মিষ্টি বাড়ির উদ্দে্শ্যে রওনা দেয়। বাড়ি গিয়ে দেখতে পায় বাবা ড্রোয়িং রুমে বসে চা খাচ্ছেন। মিষ্টির খুব কান্না পাচ্ছিলো বাবাকে দেখে। তাই লাগেজ ওখানে রেখেই বাবার কাছে দৌড়ে যায়। মিষ্টির বাবা মিষ্টিকে এতো সকাল সকাল দেখে অবাক হয়ে যায়। বলে,
বাবা: কি রে মা এতো সকালে তুই এখানে?
মিষ্টি: কেন? আমি আসতে পারি না বুঝি। তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছিলো তাই চলে এসেছি।
বাবা: ও। কিন্তু তাই বলে এতো সকালে। তা জামাই কই?
মিষ্টি: বাবা উনি আসেনি। আমি কদিন এখানে থাকবো।
বাবা: আসেনি মানে কি বলছিস? আচ্ছা জামাইয়ের সাথে ঝগড়া করে চলে আসিস নিতো।
মিষ্টি: এতো জামাই জামাই করছো যে। ঠিক আছে জামাইকে নিয়েই থাকো। আমি তাহলে গেলাম।
বাবা: আরে আরে এই দেখো আমার মেয়ে রাগ করেছে। আচ্ছা ঠিক আছে তোর যে কদিন ইচ্ছা থাক।
তারপর মিষ্টি রহিমাকে বলে লাগেজ ওর ঘরে নিয়ে যেতে বলে। আর মিষ্টি সিড়ি বেয়ে উপরে নিজের ঘরে চলে যায়।
এদিকে সারাদিনের ক্লান্তিতে পরশ ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে একটু বেলা করেই ঘুম থেকে ওঠে। ওঠে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে নিচে খাবার টেবিলে যায়।
তখন পরশের বাবা, মা আর দিশাকে নাস্তার টেবিলে দেখতে পায়। আশেপাশে তাকিয়ে মিষ্টিকে দেখতে পেলো না।
তাই। একটু ইতস্ত ভাব নিয়েই মাকে জিজ্ঞেস করলো,
পরশ: মা মিষ্টিকে দেখছিনা যে। কোথায় ও?
মা: মিষ্টি আজ সকালে ওদের বাড়িতে গেছে। বলেছে কয়দিন নাকি থাকবে।
পরশ: what! ( মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো) কি বলছো এসব?
মা: হ্যা । তোকে জানায়নি কারন তুই ওকে যেতে দিতিনা। আর আমিও মানা করলাম না। মেয়েটা মুখটা খুব মলিন লাগছিলো কাল রাতে যখন কথা বলছিলো।
পরশ: ও। তারপর না, খেয়ে টেবিল থেকে ওঠে যায়।
মা: কি রে নাস্তা করবি না।
পরশ: নাহ ভালো লাগছেনা। তারপর রুমে চলে আসে।
নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছিলো পরশের। কিন্তু পর মূহুর্তে রাগটা মিষ্টির উপর গিয়ে পড়লো।
আর রাগে নিজেই বকবক। করছিলো,
পরশ: এই মেয়েটা কি আমাকে টেনশনে রাখার জন্য জম্ম নিয়েছিলো নাকি। কি এমন করেছি আমি যে বাড়িতে যেতে হবে না বলেই। আমার এতো খারাপ লাগছে কেনো? আমি কি অন্যের বউকে আদর করেছি নাকি। যা করেছি নিজের বউয়ের সাথে করেছি। নাহ এই মেয়ে সোজা কথার মানুষ না। একে সোজা করতে এর মতো আমাকে বাঁকা হতে হবে । বর কে ছেড়ে যাওয়া না? এখন দেখবে তোমার বর, কি করে।
মিষ্টি ঘরে এসে খুব কান্না করছিলো। মনে হচ্ছিলো ওর চারপাশটা যেনো তছনছ হয়ে গেছে। এক সময় ভাবে সবকিছু ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাবো। কিন্তু পর মূহুর্তে আবার ভাবলো কেনো যাবে?
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*

একটা মানুষের জন্য ও এতো কিছু sacrifice করতে পারবো না। ও আর কষ্ট পাবে না। এখন থেকে হাসবো খেলবো কলেজ যাবো। সব কিছু আগের মতোই চলবে।
তারপর মিষ্টি ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে কলেজ চলে যায়।
মিষ্টির বাবা মিষ্টির হঠ্যৎ চলে আসতে একটু ভাবনায় পড়ে যায়। তাই মিষ্টির শশুর। বাড়িতে ফোন দিলে ওর শাশুড়ি ফোন ধরে,
মিষ্টির বাবা: আসসালামু ওলাইকুম ভাবি। কেমন আছেন,?
শাশুড়ি: অলাইকিম। আসসালাম ভাইজান। ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন।
মিষ্টির বাবা: জি আলহামদুলিল্লা ভালো । ইয়ে মানে আজ এতো সকালে মিষ্টি বাড়ি চলে এলো। সব ঠিক আছে তো।
শাশুড়ি: জি সব ঠিক আছে। আর যদি কিছু হয়ও তাহলে সেটা ওরাই ঠিক করে নেবে। কারনটা হলো দুরত্ব ভালোবাসা বাড়ায়। আর আমি জানি এই দুরত্ব ওদের। আরো বেশি কাছে টানবে।
মিষ্টি বাবা: তাই যেনো হয় ভাবি। বাড়ির সবাই ভালো আছেতো?
শাশুড়ি: জি সবাই ভালো আছে।
মিষ্টির বাবা: আচ্ছা এখন তাহলে রাখি।
পরশ রেডি হয়ে কলেজে চলে যায়। কলেজে গিয়ে দেখে মিষ্টি ওর বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা মারছে।
পরশ: আমাকে না জানিয়ে বাড়ি চলে আসা হয়েছে। আবার এখানে এসে বন্ধুদের সাথে গল্প করা হচ্ছে। আর এদিকে আমি অনুশোচনায় মরছি। এখন তো দেখছি সবই ঠিক আছে। তাহলে আমিই। বা এতো ভাবছি কেনো। কিন্তু আমিতে ভুল করেছি। আমার তোমার উপরে জোড় করা উচিত হয়নি।
আজ আমি তোমাকে sorry বলে সব ঠিক করে নেবো।
পরশ এগুলো মনে মনে বলছিলো। তারপর অফিস রুমে চলে আসে।
সারাদিন ওদের মধ্যে কোনো কথা হয়না। এমনকি পরশ যখন ক্লাস নিতে যায়। তখন। মিষ্টি পরশের দিকে তাকায় ও না। পরশ অবশ্য মিষ্টিকে আড় চোখে বারবার দেখছিলো।
কলেজ শেষে মিষ্টি ওর বন্ধুদের সাথে বাড়ি ফিরছিলো।
রাস্তায় গাড়ি না পাওয়ার ওরা হেটে হেটেই যাচ্ছিলো।
রুমি: কি রে মিষ্টি তোদের হানিমুন কেমন কাটলো।
মিষ্টি: ( হানিমুনের কথা শুনেই যেনো বুকে মধ্যে ধুক। করে উঠলো। কারন ওখানেই আমার জীবনের সবথেকে খারাপ ঘটনাটা ঘটেছে। যাই হোক আমি সব ভুলে থাকতে চাই) তোদের বিয়ে হলে তারপর বুঝবি কেমন কাটে। ফাজিল সব।
আলো: কিন্তু মিষ্টি তুই আজ স্যারের সাথে কোনো বললিনা কেনা। স্যার কিন্তু তোকে বারবার দেখছিলো।
মিষ্টি: এই তোরে যে এতো স্যার স্যার করছিস। তো স্যারের সাথে যানা। তোরা কেউ আমার বন্ধু না।
ওই বজ্জাত স্যারের কাছে পড়তে পড়তে তোরাও বজ্জাতের হাড্ডি হচ্ছিস। এই বলে মিষ্টি একা একা হাটতে লাগলো।
এদিক পরশের আর একটা ক্লাস থাকায় বেরুতে দেরি হয়
বাইরে এসে দেখে মিষ্টি, নেই। তাই সে হতাস হয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পাড়ে। কিছুদূর যেতেই দেখে মিষ্টি একা একা হাটছে। তাই পরশ গাড়ি নিয়ে মিষ্টির কাছে গিয়ে দাড়ায়। তারপর গাড়ি থেকে নেমে মিষ্টির কাছে গিয়ে দাড়ায়।
কিন্তু মিষ্টি পরশকে দেখোই চলে যেতে নিলেই পরশ মিষ্টির হাত ধরে ফেলে
পরশ: গাড়িতে ওঠো, মিষ্টি।
মিষ্টি: ছাড়ুন আমাকে। আর আমি আপনার গাড়িতে কেন?
পরশ: কারন তোমার বরের কাছে গাড়ি থাকতে তুমি হেটে যাচ্ছো।
মিষ্টি’ : আমার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে যাবো তাতে আপনার কি?
পরশ: আমার অনেক কিছু। এখন চলো
তাই বলে মিষ্টির হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগলো।
এমন সময় পাশ দিয়ে দুজন লোক যাচ্ছিলো তখনই মিষ্টি বলে ওঠে,
মিষ্টি: এই যে দেখেন এই লোকটা আমার সাথে ইফটিজিং করছে।
হঠ্যৎ মিষ্টির এই ধরনের কথায় পরশ অবাক হয়ে তাকালো।
তখনই এক লোক বললো,
লোক: এই যে ভাই রাস্তায় সুন্দরি মেয়ে দেখলে হাত ধরে টানাটানি করতে ইচ্ছা করে তাইনা। দেখে তো ভদ্র লোকই মনে হয়।
পরশ: ( রাগে মাথা জ্বলে যাচ্ছে । শেষ পর্য়ন্ত নিজের বউ আমাকে ইফটিজিং এর দায় দিলো) আপনারা ভুল করছেন। উনি আমার স্ত্রী। রাগ করেছে তাই রাগ ভাঙাচ্ছি।
লোক: ও এখন আবার বউ বলা হচ্ছে।
মিষ্টি দেখলো অবস্থা বেগোতিক। তাই লোকগুলোকে বুঝিয়ে ওখান থেকে বিদায় করলো আর নিজে একটা আটো নিয়ে চলে গেলো।
আর পরশ বোকার মতো দাড়িয়ে রইলো………
( চলবে)

হয়তো_ভালোবাসি Part_01

1

নীড়ঃ দরকার হলে তোকে কলিজায় ভিতর ডুকিয়ে রাখবো।তবুও অন্য কারো হতে দেব নাহ?
নেশাঃ আমি মরে যাবো তবুও আপ…….(আর বলতে পারলো নাহ,নীড় নেশার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়েছে।নেশা জোরে জোরে ধাক্কাচ্ছে তবুও নীড় ছাড়ছে নাহ।একটা সময় ছেড়ে দিলো।তারপর কপালে কপালে ঠেকালো।নেশার আর শক্তি নেই। ক্লান্ত হয়ে গেছে।জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।

নেশাঃ এইসব এর মানে কি। সব যখন শেষ হয়ে গেছে তাহলে কেন আমাকে আমার মতো বাঁচতে দিচ্ছেন নাহ।

নীড়ঃ কে বললো বাঁচতে দেইনি।তুমি যা ইচ্ছা করো আমার কি।কিন্তু ইমানের সাথে যাতে আর তোমায় নাহ দেখি।তাহলে খুব খারাপ হবে বলে দিলাম।

নেশাঃ আমি যার সাথে ইচ্ছা থাকি তাতে আপনার কি।।আপনার তো নিহা আছে।তার কাছে যান

নীড়ঃ আমার কিছুই নাহ।হ্যাঁ নিহা তো আছেই আর তার কাছেই যাবো।তোমার মতো গেয়ো মেয়ের কাছে থাকবো নাকি।।হুহ।।

বলেই নীড় হনহন করে চলে গেল।নেশা তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।চোখ দিয়ে জল পড়ছে।

নেশাঃ আপনি সত্যিই খুব খারাপ নীড় খুব খারাপ???।।

এইদিকে

রাফিঃ নীড় এটা কি হলো?

নীড়ঃ কি আবার হলো??

রাফিঃ তোর সাথে তো নেশার সব কিছু শেষ তাহলে সে যার সাথে ইচ্ছা ঘুরুক তাতে তোর কি।।

নীড়ঃ আমি কাউকে জবাব দিতে ইচ্ছুক নাহ।

রাফিঃ তু….

নিহাঃ নীড় বেবি।কি খবর তোমার।??

নীড়ঃ খুব ভালো তোমার কি খবর জান।

নিহাঃ খুব ভালো??।বেবি আজ কিন্তু কথা ছিলো মার্কেট নিয়ে যাবে।

নীড়ঃ কেন যাবো নাহ।।চলো যাই।।

নিহাঃ ???

তারা মার্কেটে যাক আমরা বরং সব কিছুর সাথে পরিচিত হয়ে নেই।।

নীড় আহমেদ। দেশের নামকরা বিসন্যাসম্যান কবির আহমেদের ৩ নাম্বার ছেলে, মায়ের নাম কথা।স্মার্ট,লেখা পড়ায় ভালো।এককথায় সব দিক দিয়ে পার্ফেক্ট। আর নিহা হলো তার আপাদত প্রেমিকা।নিহা বলতে নীড় অজ্ঞান।যদিও ২ মাস আগে নেশার সাথে প্রেম ছিলো।বুঝলেন নাহ? ।আচ্ছা চলুন আমরা অতীত থেকে ঘুরে আসি।

?????
২ মাস আগে।।।

নেশাঃ নিসু স্টপ।পরে যাবি।নিসু

(নিসু হলো নেশার বান্ধবী। বলতে গেলে বেস্টফ্রেন্ড। আর নেশা সে হলো আমাদের গল্পের নায়িকা। শান্তশিষ্ট,লেজ বিশিষ্ট,??।ওহ থুক্কু লেজ বিশিষ্ট নাহ?।।কিন্তু অতি মাত্রায় ভদ্র। উচু গলায় কথা বলতে কি বোঝায় তা জানে নাহ। তার বাবা একজন ফেমাস রিপোর্টার,নিরব খান।মা মিনা খান)

নিসুঃ নাহ আমি থামলেই তুই আমাকে ধরবি।

নেশাঃ নাহ ধরবো নাহ। প্লিজ স্টপ।মানুষ কি বলবে।

নিসুঃ তু…..ধপাস।

কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলো নিসু।আর যার সাথে ধাক্কা খেয়েছে সে আর কেউ নাহ নিহা।।ঢঙি, আর স্মার্ট। স্মার্ট বলতে ওই টুনি টুনি ফ্রক আরকি।??।।কলেজের সবাই ঢেবঢেব করে তাকিয়ে থাকে তার পোশাকের দিকে।আর সে মনে করে তাকে সবাই পছন্দ করছে।বাদ দেই ওইসব কথা)

নিহাঃ ইউ ষ্টুপিড ??চোখ কি মাথায় নিয়ে হাটো।

নিসুঃ আই এম সর। আমি আসলে দেখতে পাই নি??

নিহাঃ ইউ ব্লাডি বাস্টার্ড ?।।ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে এখন বলো দেখতে পাইনি।।।যতসব বস্তির লোকজন।

নেশাঃ আপি ও সরি বলেছে তো।আর ও বস্তির কিনা তা আপনার না জানলেও চলবে।আর বস্তিতে যারা থাকে তারা কি মানুষ নাহ।

নিহাঃ জামাকাপড় দেখেই বোঝা যায় কে বস্তির।

নেশাঃ তা ঠিকই বলেছেন।জামা কাপড় দেখে অনেক কিছুই বুঝা যায় যে কার রুচি কেমন।নিসু চল।

নিহাঃ হেই ইউ।কি মিন করলে তুমি??

নেশা নিসুকে নিয়ে চলে গেল।


পরেরদিন

ক্যানটিনে —

নেশা আর নিসু মিলে নুডলস খাচ্ছে।সেই সময়ই নিহা যাচ্ছিলো কফি নিয়ে।হঠাৎ সে দেখলো নেশাকে।আর কালকের করা অপমানের কথা মনে পরে গেল।

নিহাঃ আজ তো তোমায় আমি ছাড়বো নাহ বস্তি,?।যখন এই গরম কফি গুলো তোমার মাথায় পরবে নাহ তখন বুঝতে পারবে নিহার সাথে পাণঙা নেয়ার ফল।

নিহা যেই নাহ পিছন থেকে নেশার মাথায় কফি ঢালতে নেশা সামনের আয়না দিয়ে তা দেখে ফেলে।আর সঙ্গে সঙ্গে নুডলস এর প্লেটটা হাতে নিয়ে নিহার মাথায় ঢেলে দেয়।যা দেখে সবাই খুব জোরে জোরে হেসে উঠে।
???

নিহাঃ ইউউউউ,??বলেই নেশাকে থাপ্পড় দিতে যাবে তার আগে নেশাই তাকে থাপ্পড় মেরে দেয়।তাও আবার সবার সামনে??।।

নেশাঃ চুপ থাকি বলে ভেবো নাহ আমি প্রতিবাদ করতে জানি নাহ।চুপ থাকা আমার দুর্বলতা নাহ শক্তি। মাইড ইট?

বলেই নেশা চলে গেল।

নিহাঃ সবার সামনে আমায় থাপ্পড় দিলে নেশা।এই অপমানের শাস্তি তো তোমায় পেতে হবে।পেতেই হবে।

পরের দিন

নেশা কলেজের রুফটপ এ বসে গান গাইছে।গুনগুন করে।গান গাইতে ভালো লাগে।কিন্তু সবার সামনে গাইতে লজ্জা পায়।আনইজি ফিল করে।।হঠাৎ ছাদের এন্ট্রি মারলো আমাদের হিরো।।নীড় আহমেদ।

নীড়ঃ হাই বিউটি। হোয়াটস আপ

নেশা দেখে চুপচাপ চলে যেতে নিলো।

নীড়ঃহেল।যা বাবা চলে গেলো।নো প্রবলেম। চোখে যখন পড়েছে মনেও লাগিয়ে দিবো??।।

নেশাদের ক্লাসরুমে এন্ট্রি মারলো নীড় আর তার ফ্রেন্ড রাফি আর সায়ান।।।নেশা তাদের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নিলো।কিন্তু নীড় এর চোখ তো সেইদিকেই।

রাফিঃ হ্যালো ছোট আপিরা।।তোমরা সবাই কেমন আছো।আশা করি ভালো আছো।আমি ও খুব ভালো আছি।

হঠাৎ সায়ান রাফির পেটে গুতো মারলো

সায়ানঃ তোকে এইখানে চিঠি লিখতে বলেনি শালা।কাজের কথা বল।

রাফিঃ ও হ্যাঁ ??আমি তো ভুলে গেছিলাম।আচ্ছা আপুরা সবাই শোন আগামী ১০ তারিখে আমাদের spring fair হবে।তোমরা সবাই এতে পার্ট নিবে।যে যা পারো তাই করো।।কাল থেকে আমাদের রিহার্সাল শুরু হবে।আশা করি তোমরা অংশ নিবে??।টাটা।

সায়ানঃ কিরে নীড় চল বলা হয়ে গেসে তো।

নীড়ঃ ও হ্যাঁ চল।

নিসুঃ ওহ ইয়েস আমি তো ডান্সিং এ পার্ট নিবো।তুই কিসে পার্ট নিবি নেশা। তুই ও নাচ করিস।।। তুই তো নাচ জানোস তাই নাহ।

নেশাঃ আআমি।।নাচ??।পাগল নাকি। কতো লোক থাকবে সেখানে।আমি নাকি সবার সামনে নাচবো??

নিসুঃ হুহ?।না নাচলেও আমার সাথে কাল তোকে থাকতে হবে।আমি তো কাউকে চিনি নাহ।তুই থাকলে সাহস পাবো।

নেশাঃ ওকে।।

পরেরদিন কলেজে আসার সময়

।নেশা বাসে করে যায়। যদিও তাদের নিজস্ব গাড়ি আছে।কিন্তু নেশার এমন লাইফ ভালো লাগে নাহ।সে সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে চায়।।

বাসে উঠার পর।আজ একটা সিট ও নেই।তাই দাড়িয়ে যেতে হচ্ছে।কিছু ছেলে বার বার নেশার গা গেষে দারাচ্ছে।নেশা বার বার সরে যাচ্ছে কিন্তু ছেলেগুলো বার বার একই কাজ করছে।হঠাৎ বাসে এন্ট্রি নিলো আমাদের হিরো।নায়েক নীড় আহমেদ।। সাদা শার্ট,ব্লাক পেন্ট।চুল গুলো স্পাইক করা।কাধে ব্যাগ আছে।কিন্তু তাতে বই আছে কিনা সন্দেহ ?।নীড় গিয়ে লোক গুলোকে সাইট করে নেশার পাশে গিয়ে দাড়ালো। ছেলেগুলো ক্ষেপে গেল। নীড়কে ধাক্কা দিয়ে নেশার কাছে যেতে নিলো তখনই

নীড়ঃ আল্লাহ চোর চোর আমার মানিব্যাগ চুরি করেছে।।এই ছেলেগুলোকে ধর।এরা আমার মানিব্যাগ চুরি করেছে।।

বাসের মানুষরা দেখলো সত্যিই ছেলে গুলোর পকেটে নীড় এর মানিব্যাগ
আর কি লাগে।সবাই মিলে ধুয়ে দিলো ছেলে গুলোকে।।নীড় এই ফাকে নেশাকে নিয়ে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে উঠলো।

নেশাঃ আপনি এইভাবে চলে এলেন কেন আমাকে নিয়ে।।আর ওদের তো মারছে।মরে যাবে তো?

নীড় গাড়ি ব্রেক করে নেশার দিকে অবাক হয়ে তাকালো।

নীড়ঃ লাইক সিরিয়াসলি ?।ওই ছেলে গুলো তোমার সাথে অসভ্যতা করছিলো আর তুমি ওদের বাঁচাতে চাইছো??।

নেশাঃ দেখুন ওরা ও তো মানুষ। ভুল সবাই করে।

নীড়ঃ হায়রে জনদরদী?‍♀?‍♀।।তোমার জন্য এতো কিছু করলাম যাতে ওরা মাইর খায়।আর তুমি কিনা বাচাতে চাইছো?

নেশাঃ মানে???।ওরা তো আপনার ব্যাগ চুরি করছে বলে মারছে তাই নাহ।।

নীড়ঃ ?‍♀?‍♀থাক বইন কিছু নাহ।চলো কলেজে যাই।।।

নেশাঃ ??

(আসলে নীড়ই ছেলেগুলোর পকেটে নিজের মানিব্যাগ রেখেছিলো যাতে য়াদের ধোলাই দিতে পারে।কিন্তু তা শুধি আমরা জানি আর নীড় জানে।)

চলবে

(ফুল্টুস রোমান্সময় গল্প?)

হয়তো_ভালোবাসি
Part_01
#writer_Eshetaq_Nora

বজ্জাত বর পর্ব- ১৫

0

বজ্জাত_বর
পর্ব- ১৫
লেখক বিলকিস

পরশ বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। মিষ্টি পরশের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। অদ্ভুত একটা মায়া আছে ওর মুখে। শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।
আচ্ছা আমি এই লোকটাকে নিয়ে এতো বেশি কেনো ভাবছি। আমার তো এই লোকটাকে সহ্য করাই উচিত নয়। আমি তো একে শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম। আমি ভুলে গেলাম কি করে?
না কখনোই না। একে তো আমি দেখে নেবো। আমাকে avoid করা না। তুই এখনো মিষ্টিকে চিনিস না হুম মাস্টার। তোর মাস্টারি আমি ঘুচিয়ে দেবো। এই কথা গুলো মিষ্টি পরশের শার্টের কলার ঝাকাচ্ছিলো আর, বলছিলো।
মিষ্টি: উফ এতো রাত হয়ে গেলো। এই বজ্জাতের জন্য ভেবে ভেবে। এর জম্মই হয়েছিলো মনে হয় আমাকে অত্যাচার করার জন্য। এখন ফ্রেশ হতে হবে।
তারপর মিষ্টি সাওয়ার নিয়ে আয়নার সামনে বসে বডি লোশন দিচ্ছিলো। আর ভেজা চুল থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছিলো।
হঠ্যাৎ করে পরশের ঘুম ভেঙ্গে যায়। সবকিছুই কেমন ভালো লাগছিলো। আসলে পরশ আগে কখনো ড্রিংক করেনি। কিন্তু মিষ্টির থাপ্পর দেয়ার পর কেনো যেনো খুব নিজের উপর রাগ হচ্ছিলো। তাই বাড়ে গিয়ে ড্রিংক করেছে।
কিন্তু এখন ঘরে তাও আবার বিছানায় শুয়ে আছে কি করে?
সারা ঘরে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়। হঠ্যৎ এক জায়গায় চোখ আটকে যায়। এক অপ্সরা ভেজা চুলে আয়নার সামনে বসে আছে।
পরশতো এমনিতেই মাতাল ছিলো আর সামনে যদি এতো সুন্দরি বউ থাকে তাহলে মাতলামিটা চুড়ান্ত পযারে যাওয়ারই কথা।
পরশ: বউ
মিষ্টি: হঠ্যৎ বউ কথাটা পেছনে তাকিয়ে দেখি স্যার আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কেমন যেনো ভয়ংকর তৃষনার্ত চাহনি।
পরশ: তোমাকে এতো সুন্দর লাগছে কেনো আজকে? বলছে আর এগিয়ে যাচ্ছে মিষ্টির দিকে।
মিষ্টি: মা মা মানে। কি বলছেন কি আ আ আপনি বলে এক পা এক পা করে পিছিয়ে যাচ্ছিলো।
কিন্তু বেশি দূর আর যেতে পারলো না। পরশ হাত ধরে এক হ্যাচকা টান দিলো। মিষ্টির পিট একেবারে পরশের, বুকে। আর পরশ মিষ্টির ভেজা চুলের ঘ্রানে উম্মাদ। চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে দেয়। হঠ্যৎ ওর এক হাত মিষ্টির পেটে চলে যায়। মিষ্টি যেনো আর নিতে পারছিলোনা। তাই পরশকে ধাক্কা মেরে দেয়। পরশ কোনরকমে টান সামলে মিষ্টির হাত ধরে ফেলে নিজের কাছে নিয়ে আসে আর বলে
পরশ: আমরা হানিমুনে এসেছি? তোমার মনে আছে তো মিষ্টি।
মিষ্টি: আপনি এখন কি অসভ্যতা শুরু করেছেন?
পরশ: এখনোতো কিছুই করিনি তবে এখন করবো?
এই কথা শুনে মিষ্টি পরশকে ছারিয়ে দৌড় দিতে, গেলো। কিন্তু পরশ এক টানে মিষ্টিকে কোলে তুলে নিলো। তারপর বিছানায় নিয়ে গেলো। মিষ্টি যেনো পরশের। শক্তির কাছে একটা ছোটো বাচ্চা। তাই পরশের সাথে আর পেরে উঠছিলোনা। আর পরশ তো মিষ্টির নেশায়, উম্মাদ। সারারাত সে মিষ্টির মাঝে ডুবে রইল।
সকালে পরশের ঘুল ভাঙতেই দেখে মিষ্টি ফ্লোরে বসে আসে। এখনো ফ্রেশ হয়নি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব কেঁদেছে।
পরশের রাতের ঘটনা পুরোটা মনে না থাকলেও কিছুটা মনে আছে। সে কি বলবে বুঝতে পারছিলো না।
পরশ: তুমি এখনো ফ্রেশ হয়নি?
মিষ্টি:…………..
পরশ: I am sorry মিষ্টি
মিষ্টি:……….
পরশ: দেখো কাল রাতে আমি নিজের মধ্যে ছিলাম না। আমি তোমার সাথে..
মিষ্টি: আমি বাড়ি যেতে চাই ( পরশের কথা শেষ করার। আগেই বললো)
পরশ: তুমি
মিষ্টি: আমি বলেছি আমি বাড়ি যাবো আর সেটা আজকেই এক্ষুনি
পরশ আর কিছুই বলতে পায়নি। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিলো।
ঠিক আছে তুমি রেডি হয়ে নাও। শুধু এটুকুই বললো।
ওদের বাড়ি পৌছাতে পৌছাতে সন্ধ্য হয়ে যায়। এতোটা সময়ে মিষ্টি পরশের সাথে একটা কথাও বলেনি।
হঠ্যৎ কলিং বেল বাজার শব্দ শুনে দিশা দরজা খুলে দেখতে পায়। ভাইয়া আর ভাবীকে
দিশা: ভাবি! তোমরা এতো তারাতারি চলে এলে যে!
মিষ্টি: চলে এলাম।
দিশা: কিন্তু তোমাদের তো আরো ৩ দিন থাকার কথা ছিলো।
পরশ: এতো কথা না বলে ভিতরে যেতে দে। অনেক জার্নি করেছি। এখন tired
কে এসেছে রে বলতে বলতে পরশের মা ড্রয়িং রুমে এসে দেখে মিষ্টি আর পরশ।
মা: কি রে এতো তারাতারি চলে আসলি যে। আর বউমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?
পরশ: মা ও একটু অসুস্থ। তাই চলে এলাম। আর এর মাঝে মিষ্টি একদম চুপ।
মা: আচ্ছা ঠিকাছে। এসেছিস ভালো হয়েছে। বাড়িটাও ফাকা ফাকা লাগছিলো?
তারপর মিষ্টি আর পরশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রাতের ডিনার শেষ করে।
পরশ বার বার মিষ্টির সাথে কথা বলতে চাইছিলো কিন্তু মিষ্টি পরশকে সুযোগ দেয়নি।
খাওয়া শেষ করে পরশ ঘরে চলে আসে। তারপর মিষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু মিষ্টি যখন অনেক সময় আসছিলো না তখন পরশ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরে। ক্লান্ত থাকায় করনে ঘুমিয়ে পরে।
এদিকে মিষ্টি মামনির কাছে গিয়ে বসে।
মামনি: কি রে মা তোকে এতো মনমরা লাগছে কেনো? কিছু বলবি?
মিষ্টি: আমি কিছুদিনের জন্য বাড়ি যেতে চাই মামনি।
মামনি: এই বাড়িতে ভালো লাগছেনা তোর? আমার ছেলেকি তোকে কষ্ট দিচ্ছে মা?
মিষ্টি: না মামনি। আসলে বাবার কথা খুব মনে পড়ছিলো। তাই
মামনি: পরশকে বলেছিস?
মিষ্টি: মামনি তুমি তো জানো। তোমার ছেলে ঘাড় ত্যাড়া। বললে যেতে দেবেনা। আমি বরং কাল সকালে চলে যাবো। তারপর তুমি তোমার ছেলেকে বুঝিয়ে বলো।
মামনি: কিন্তু
মিষ্টি: কোনো কিন্তু না মামনি। প্লিজ
মামনি: ঠিক আছে। যা এখন ঘুমা গিয়ে।
মিষ্টি: ঠিক আছে। thank you and good night.
অত: পর সকালে……
..( চলবে)

বজ্জাত বর পর্ব- ১৪

0

বজ্জাত বর
পর্ব- ১৪
লেখক বিলকিস

মিষ্টি দেখে পরশ আর আরাধ্য সমুদ্র তীরে বসে আছে। আর গল্প করছে।
মিষ্টি আর এক মুহূর্ত ও সেখানে দাড়াতে পারে না। নিরবের থেকে বিদায় সোজা, হোটেল রুমে চলে আসে।
আর সারা রুম পায়চারি করতে থাকে আর বলতে থাকে,
মিষ্টি: বেটা বজ্জাত। এই ছিলো তোর মনে? এতই যদি প্রেমিকা নিয়ে হানিমুন করার। ইচ্ছা তাহলে বউ নিয়ে কেন হানিমুনে আসলি। থাকবো না তোর সাথে। আমি কি ফেলনা নাকি। নাহ আর সহ্য করা যাচ্ছে না,। জীবনে তুই ভালো থাকবি না লুচু কোথাকর। তোর বউ তোকে ছেড়ে চলে যাবে দেখে নিস, হ্হ।
পরশ: ঐ ছেলে সাথে মিষ্টিকে কথা বলতে দেখে খুব রাগ উঠে যায়। তারপর মিষ্টিকে থাপ্পর মারার পর থেকে কিছুই ভালোলাগছিলো না। খুব খারাপ লাগছিলো। ওকে মারাটা আমার ঠিক হয়নি। তাই আনমনে হাটছিলাম। হঠ্যৎ আরাধ্য ডাক দিলো। তারপর ওকে নিয়ে বালির উপরে বসে পড়ি। তখন আরাধ্য বললো,
আরাধ্য: আমি যেটা ভাবছি সেটা কি ঠিক?
পরশ: কি ভাবছিস তুই?
আরাধ্য: আমার মনে হয় তোর আর তোর বউয়ে মধ্যে কিছু ঠিক নাই।
পরশ: তেমন কিছুই না। সব ঠিক আছে।
আরাধ্য: আমাকে মিথ্যা বলছিস? আমি তোকে চিনি পরশ। আর যাই বলিস না কেনো আমাকে মিথ্যা বলতে পারিস না । ধরা পড়ে যাস।
তারপর পরশ আরাধ্য কে সবটাই বলে। তখন আরাধ্য বলে,
আরাধ্য ‘ : হুম বুঝেছি, যা করার আমাকেই করতে হবে।
পরশ: কি করবি তুই?
আরাধ্য: তোর আর তোর বউয়ের। প্রেমটা জমিয়ে ক্ষীর করতে হবে।
পরশ: নাহ্ তোকে কিছু করতে হবে না আরাধ্য। আমি মিষ্টিকে সময় দিতে চাই। ও যখন আমাকে ভালোবেসে কাছে টানবে তখনই সব হবে।
আরাধ্য: তুই সত্যি মিষ্টিকে এতো ভালোবাসিস। I am so proud of you.
তখনই নিরব পরশকে দেখেতে পায় একটা মেয়ে সাথে কথা বলতে। নিরব পরশের দিকে এগিয়ে যায়। পরশ নিরবকে দেখে চলে যাচ্ছিলো। কিন্তু নিরব তখনই বলে ওঠে,
নিরব: তোমার বউ একা একা ঘুরছে আর তুমি এখানে কি করছো?
পরশ: আমার বউয়ের ঘোরার মতো সঙ্গী আছে। আমাকে মনে হয় তার প্রয়োজন নাই।
নিরব: হুম বুঝেছি, তোমাদের মধ্যে মান – অভিমান চলছে। এরজন্যই মিঠু তোমাকে দেখে এখান থেকে চলে গেলো।
পরশ: ( শালা আমার বউকে মিঠু বলে ডাকা হচ্ছে। ইচ্ছে করছে এখানেই বালি চাপা দিয়ে দেই) মিষ্টি এখানে এসেছিলো?
নিরব: হ্যা। আর তোমাকে দেখেই তো চলে গেলো।
তখনই নিরবের বউ তানভী এসে নিরবকে ডাকলো।
নিরব: পরিচয় করিয়ে দেই। ও আমার ওয়াইফ তানভী। আর তানভী ও হচ্ছে পরশ আমাদের মিঠুর হাজবেন্ড।
পরশ: এদিকে বোকার মতো দাড়িয়ে আছে। ও তো কিছুই বুঝতে পারছেনা।
তানভী: তা আমার ননদিনির সাথে হানিমুন কেমন কাটছে।?
এই কথা শোনার পর পরশ আর এক মুহূর্তের জন্য ও দাড়ায়নি। এক দৌড়ে হোটেলে ফিরে আসে।
আর দরজায় দাড়িয়ে মিষ্টির সব কথা শুনতে পায়।
পরশ: হানিমুনে কি হয় বলোতো?
মিষ্টি: হঠ্যৎ পরশের কথা শুনে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে পরশ দুষ্টুমি চোখে হাসছে। মিষ্টির খুব রাগ উঠে যায়।
মিষ্টি: মানে কি?
পরশ: না তুমিই তো বলছিলে তাই বললাম। আর কি যেনো বলেছিলে আমি লুচু না কি যেনো ( মিষ্টির দিকে এগুতে এগুতে বলছিলো পরশ)
মিষ্টি: আ- আ- মি ক- কখন বললাম বলিনিতো। পেছোতে পেছোতে বললো।
এক সময় মিষ্টি বিছানায় পড়ে যায়। পরশ মিষ্টির খুব কাছে চলে আছে। দুজনের হাটবিট – ই যেনো দুজন শুনতে পাচ্ছে।
মিষ্টি: সরুন তো
পরশ: কেন?
মিষ্টি: আমার ভালো লাগছেনা।
পরশ: আমার তো ভালোই লাগছে। মিষ্টির ঠোট আমাকে খুব করে টানছে। আমি মিষ্টির ঠোটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন দেখলাম মিষ্টি চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। আর ঠোট দুটো কাঁপছে আর কিছু না ভেবেই মিষ্টির ঠোট দুটো আমার করে নিলাম।
মিষ্টি: হঠ্যৎ স্যার আমাকে কিস করা শুরু করলেন। আমারও অদ্ভুত একটা ভালো লাগা কাজ করছিলো। হঠ্যৎ করেই আমার আরাধ্য কথা মনে পড়তো আমি স্যারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই।
পরশ: হঠ্যাৎ মিষ্টি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো। আমার খুব রাগ হচ্ছিলো। তাই ওকে জোড় করে গলায় ঘারে চুমো দিতে থাকি। তখনই মিষ্টি আমাকে ধাক্কা দিয়ে জোড়ে থাপ্পর মেরে দেয়। আমি রাগে আপমানে রুম থেকে বেড়িয়ে আসি।
মিষ্টি: কেন স্যার আমার সাথে এমন করেছে? আমি কি এটা ঠিক করলাম। আমার খুব কান্না পাচ্ছিলো।
যখন রাত ১২ টা বাজে তখনও পরশ রুমে আসছিলোনা। এদিকে মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যায়। যখন ঘুম থেকে ওঠে তখন। ঘড়িতে ১১টা বাজে। তারপর ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে পরশের ফেরার জন্য। কিন্তু তারপরও যখন পরশ ফিরছিলোনা তখন মিষ্টি রিসেপশন যায়। সেখান থেকে জানতে পারে হোটেলে একটা বাড় আছে। মিষ্টি সেখানে যায় পরশকে খোজার জন্য। গিয়ে দেখে পরশ মদ খাচ্ছে।
তখন মিষ্টি বাড়ের কিছু লোকের সাহায্যে পরশকে রুমে নিয়ে আসে।
তারপর………
( চলবে)

বজ্জাত বর পর্ব-১৩

0

বজ্জাত বর
পর্ব-১৩
লেখক বিলকিস

.
পরশ: মিষ্টি তুমি এখন হোটেলে ফিরে যাও। তোমাকে দেখে বুঝা যাচ্ছে তুমি খুব ক্লান্ত। আমি একটু আরাধ্য সাথে ঘুরে আসি কতো দিন পর দেখা। ( মুচকি হেসে)
মিষ্টি: ( হ্যা এখন তো আমাকে ভালো লাগবেনা পুরনো প্রেমিকা যে ফিরে এসেছে। তোর মতো বজ্জাত শয়তানকে আমি দেখে নেবো। আচ্ছা আমি এতো ভাবছি কেনো। যা পারে তাই করুক আমার কি হুহ) ঠিক আছে।
পরশ: তোমাকে কি পৌছে দিতে হবে না তুমি একাই যেতে পারবে?
মিষ্টি: আমি একাই যাচ্ছি। ( রাগী লুক নিয়ে)
তারপর মিষ্টি হোটেলে ফিরে গেলো। খেতে ইচ্ছে করছিলো না তাই ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে গেলো। ঘুম থেকে যখন জাগলো তখন ঘড়িতে সন্ধ্যা ৬ টা বাজে। কিন্তু পরশ এখনো হোটেলে ফিরেনি। মিষ্টি খুব চিন্তা হলো কিন্তু পর মহূর্তে ভাবলো পুরনো প্রেম যালাই করতে সময় তো লাগবেই। তারপর পরশ যখন হোটেলে ফিরলো তখন ৯ টা বাজে। পরশ এসে দেখে মিষ্টি বারান্দায় দাড়িয়ে আছে। পরশ বললো,
পরশ: কি ব্যাপার, তুমি এখানে কি করছো?
মিষ্টি: দেখতেই তো পাচ্ছেন।
পরশ: খেয়েছো?
মিষ্টি: আপনাকে আমার কথা না ভাবলেও চলবে।
পরশ: কি ব্যাপার, আজ আকাশে মেঘ কেন?
মিষ্টি: রাগী লুক নিয়ে তাকালাম।
পরশ: চলো খাবে এখন।
মিষ্টি: আমার খিদে নাই। আপনার খেতে ইচ্ছে করলে আপনি খান। বেশি করে খান। এই বলে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলাম।
তারপর পরশ কিছু না বলে হোটেলবয়কে দিয়ে রুমে খাবার আনলো।
পরশ: তুমি যদি মনে করো যে ঘুমের ভান করে থাকলে খেতে হবে না তাহলে ভুল করছো। এখন ঝটপট উঠে খেয়ে নাও।
মিষ্টি: আমি খাবো না। আপনার যা খুশি করতে পারেন।
পরশ: ঠিক আছে। সোজা কথা যখন শুনলে না তখন তোমাকে কিভাবে খাওয়াতে হয় তা আমি ভালো করেই জানি এই বলে এগিয়ে যাচ্ছিলাম মিষ্টির দিকে।
মিষ্টি: মা – মা- মানে। আর আপনি এদিকে এগিয়ে আসছেন কেনো?
পরশ শুধু মুচকি মুচকি হাসছে আর মিষ্টির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মিষ্টি: ( এই লোকটাকে কেনো বিশ্বাস নেই। যখন তখন কি করে বসবে কে জানে। আর যে ভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসছে মনে হচ্ছে আমাকে খেয়ে ফেলবে। না বাবা তার চেয়ে খাবার খেয়ে নেওয়াই ভালো) আচ্ছা ঠিক আছে খাবো..
পরশ: বাহ, পদ্ধতিটা তো ভালোই কাজে দিলো। এখন থেকে এটাই কাজে লাগাবো।
তারপর পরশ নিজ হাতে মিষ্টিকে খাইয়ে দিলো। আর আলতো করে কপালে একটা চুমো দিলো।
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*

পরের দিন সকালে
পরশ ঘুম থেকে জেগে দেখে মিষ্টি ঘরে নেই। ভেবেছিলো হয়তো ওয়াশরুমে কিন্তু অনেক সময় পরও যখন বের হলো না তখন পরশের চিন্তা হলো । পরশ হন্নে হয়ে খুজছিলো মিষ্টিকে। বীচে গিয়ে দেখে মিষ্টি কেনো এক ছেলের সাথে খুব হেসে হেসে কথা বলছে। এমনকি মিষ্টির কপালে আসা চুলগুলো ছেলেটা হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। তখন পরশের মাথা এতো গরম হলো যে না পারে ছেলেটাকে খুন করে ফেলে। এক পর্যায়ে পরশ মিষ্টি কাছে যায় আর মিষ্টিকে ছেলেটার সামনেই জোরে একটা থাপ্পর মারে। মিষ্টি হতোবম্ব হয়ে দারিয়ে আছে। কি হলো বোঝার চেষ্টা করছে।
পরশ: তোমার সাহস কি করে হয় এখানে আমাকে না বলে আসার।
মিষ্টি: স্যারের রাগী লুক দেখে কিছু বলারই সাহস পাচ্ছিলাম না। আর স্যার আমাকে নিরবের সামনে মারলো। আমার যেনো মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছিলো।
( নিরব হলো মিষ্টির কাজিন। মিষ্টিকে ছোটো বোনের মতো ভালোবাসে। ওয়ইফ নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছে। হঠ্যৎ একা একা মিষ্টিকে দেখে এগিয়ে এসে কথা বলছিলো।
আর পরশ কিছু না শুনেই মিষ্টিকে থাপ্পর মেরে দিলো।
নিরব: কে আপনি? যে মিষ্টিকে বলা নেই কওয়া নেই এসে থাপ্পর মারলেন। সাহস তো কম না আপনার।
পরশ: আপনি বরং ওনার থেকেই জিজ্ঞেসা করে নেবেন আমি কে? এটা বলেই পরশ ওখান থেকে চলে যায়। আর মিষ্টি দারিয়ে দারিয়ে কাদছে।
নিরব: কে উনি? তোকে মারলো কেনো মিঠু। ( নিরব মিষ্টিকে ভালোবেসে মিঠু বলে ডাকে)
মিষ্টি: বাদ দাওতো এসব। চলো ভাবির সাথে দেখা করি।
নিরব: তুই কিছু লকুাচ্ছিস। কে উনি তোকে বলতেই হবে।
মিষ্টি: আমার স্বামী। নাম পরশ।
নিরব: মিঠু তুই বিয়ে করলি কবে।
তখন মিষ্টি শুরু থেকে এখন পযন্ত যা কিছু হয় সবকিছু নিরবকে বললো।
নিরব: মিঠু তোদের প্রেম তো গলে জল হয়ে যাচ্ছেরে।
মিষ্টি: ধুর কি যে বলো না। চলো ভাবির সাথে দেখা করবো।
নিরব: আচ্ছা ঠিকআছে চল।
এদিকে পরশ ওখান থেকে চলে এসে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছিলো না। তাই আরাধ্যকে ফোন করে আসতে বলে।
তারপর আরাধ্য আসলে পরশ আর আরাধ্য দুজন মিলে অন্য কোথায়ও ঘুরতে যায়। এদিকে মিষ্টি নিরব আর নিরবের ওয়াইফ ঘুরতে ঘুরতে একটা জায়গায় গিয়ে সবাই বসে। আর তখনই মিষ্টি দেখে………
( চলবে..)

বজ্জাত বর পর্ব- ১২

0

বজ্জাত_বর
পর্ব-১২
লেখক বিলকিস

সকালে মিষ্টির আগে পরশ ঘুম থেকে জেগে ওঠে। দেখে মিষ্টি পরশের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে। মিষ্টির এলোমেলো চুলগুলো পরশের বুকে লেপটে আছে। আর কিছু অবাধ্য ছোট চুল মিষ্টির মুখের উপরে। ঘুমন্ত মিষ্টিকে দেখতে খুব মায়াবি লাগছিলো।
পরশ মিষ্টির মুখে উপর থেকে চুলগুলো সরিয়ে দিলো। তারপর কপালে একটা আলতো করে চুমো খেলো।
একটু পর মিষ্টি ঘুম থেকে জেগে দেখে পরশ ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মিষ্টি ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে।
মিষ্টিি: এভাবে তাকিয়ে আছেন কোন?
পরশ: এই ছিলো তোমার মনে? ছি ছি ছি
মিষ্টি: মানেটা কি? কি বলছেন। আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। ন্যাকামিটা বন্ধ করে বলবেন কি হয়েছে।
পরশ: আমি ন্যাকামি করছিনা তুমি ন্যাকামি করছো। কাল কি বলেছিলাম মনে আছে?
মিষ্টি: কি এমন মহান কথা বলেছিলেন যে আমাকে মনে রাখতে হবে?
পরশ: কাল আমি তোমাকে বলেছিলাম যে তুমি কিন্তু আমার কাছে আসবেনা। আর তুমি কি করেছো? একেবারে আমার বুকে এসে ঘুমিয়ে গেছো। কি লজ্জা!
মিষ্টি: এই শুনন, একদম বাজে কথা বলবেন না। আমি মোটেই ইচ্ছে করে আপনার ওই রকম দুরমুশ বুকের ঘুমাইনি।
পরশ: হ্যা, এখন তো সেটা বলবেই ধরা পড়ে গেছো তো। তা আগেই তো বলতে পারতে তোমার আমার ছোয়া চাই। আমি তোমাকে আদর করে দিতাম। আমার ঘুমের মধ্যে তুমি আমার ইজ্জতের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছো।
মিষ্টি: আমার বয়েই গেছে আপনার কাছে যেতে। আমার তো এখন সন্দেহ হচ্ছে যে আপনিই আমার কাছে এসেছেন কি না।
পরশ: হুহ। তোমার মতো একটা পেচির কাছে আমি যাবো? আমার তো খেয়ে দেয়ে কাজ নাই তাই না?
মিষ্টি: তাইতো বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন। তাই না?
পরশ: তোমার মতো একটা পেচিকে কে বিয়ে করতো বলো। তোমার বাবার তো তোমাকে নিয়ে চিন্তার শেষ ছিলো না। তাই তোমার কন্যাদায় গ্রস্থ পিতাকে আমি উদ্ধার করেছি বুঝেছো।
মিষ্টি: What a joke আমার উপর কতো ছেলেই ক্রাশ ছিলো জানেন?
পরশ: ক্রাশ আর তোমার উপর? হা হা হা….
মিষ্টি: ( হাসছে দেখো পুরা পেচার মতো। ওরে শোন তুই যদি আমাকে ফাসিয়ে বিয়ে না করতি না জীবনে তোর। ১০ হাতের। মধ্যেও। আসতাম না ফাজিল কোথাকর) এই যে শুনুন..
তখনই হোটেলের একটা ছেলে এসে দরজার নক করলো পরশ দরজা খুলে কিছু কথা বলে ফিরে আসলো।
পরশ: যাও, এখন ফ্রেশ হয়ে এসো। আর একটু তারাতারি বের হয়ো। ২ ঘন্টার আগে তো বের হও না।
মিষ্টি: মুখ ভেংচি দিয়ে ওয়াশরুমে চলো এলাম।
দুইজনই ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বাইরে খেতে গেলো। খাওয়া শেষ করে বীচে বেড়াতে গেলো। সমুদ্র দেখে মিষ্টির মনটা ফুরফুরে হয়ে গেলো। দূরে তাকিয়ে দেখে একটা লাল ঝিনুক পড়ে আছে। সেটা কুড়িয়ে নিয়ে এসে দেখে একটা মেয়ে পরশকে জরিয়ে ধরেছে। আর অনেক। হেসে হেসে কথা বলছে।
মিষ্টি: কে এই মেয়ে যার সাথে উনি এতো হেসে হেসে কথা বলছে। আমার সাথে কথা বলতে আসলেই তো পেচার মতো মুখ করে থাকল। শয়তান, বজ্জাত বদের হাড্ডি একটা
পরশ: তাকিয়ে সমুদ্র দেখছিলাম খুব ভালো লাগছিলো। হঠ্যাৎ কেউ এসে আমাকে জরিয়ে ধরে তাকিয়ে দেখি আরাধ্য। আমার ইউনিভার্সিটির বন্ধ। খুব ভালো একটা মেয়ে। ভিষন চঞ্চল। মনটাও খুব ভালো। ওর সাথে কথা বলতে বলতে হঠ্যৎ তাকিয়ে দেখি মিষ্টি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি মিষ্টিকে ডাক দিলাম। তারপর আরাধ্য সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম।
আরাধ্য: কেমন আছো তুমি ? পরশ কিন্তু এটা ঠিক করলো না।
মিষ্টি: কোনটা?
আরাধ্য: এই যে, প্রেম করলো আমার সাথে আর বিয়ে করলো তোমাকে?
মিষ্টি: What! ( শয়তান ছেলে এই ছিলো তোর ভালোবাসা । একজনের সাথে প্রেম করে আর একজনকে বিয়ে? তোর নামে কেস করা উচিত)
আরাধ্য: কেন? পরশ তোমাকে কিছুই বলেনি?
মিষ্টি: নাহ ( মন খারাপ করে)
কেন যেন স্যারের সাথে ওই মেয়েটাকে কথা বলতে দেখে আমার খুব হিংসা হচ্ছিল সাথে খারাপও লাগছিলো।
হঠ্যৎ পরশ বললো………
( চলবে)

বজ্জাত বর পর্বঃ ১১

0

বজ্জাত বর
পর্বঃ ১১
লেখক বিলকিস

.
পরশ: মা তুমি ঠিকই বলেছিলে আমাদের হানিমনে যাওয়া উচিত। মিষ্টি তুমি ব্যাগপএ গুছিয়ে নাও। আমরা হানিমনে যাবো আর আগামী কালকে যাচ্ছি।
মিষ্টি: হানিমনের কথা শুনে যেনো মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। স্যার আপনি না সকালে বললেন আপনের কলেজের কাজ আছে তাই হানিমনে যেতে পারবেন না।
পরশ: হুম, বলেছিলাম তাই আবার বলছি আমারা হানিমনে যাচ্ছি আর সেটা কালকে।
মিষ্টি: স্যার, আমি যেতে পারবোনা।
পরশ: কেন, পারবেনা?
মিষ্টি: স্যার আমার পরীক্ষা আর কিছুদিন বাকি আছে এখন থেকে পড়াশুনাটা শুরু করা উচিত।
পরশ: তুমি আর পড়াশুনা । আমি যতোদুর জানি তোমার নামটা সবার নিচে তাইতো।
মিষ্টি: সবার নিচেতো কি হয়েছে। এবার সবার উপরেই থাকবে আপনে দেখে নিয়েন।
পরশ: তা নয় দেখে নেবো। তবে যাই বলো না কেন আমরা কাল হানিমনে যাচ্ছি তো যাচ্ছি বলে পরশ নিজের রুমে চলে গেলো।
এদিকে মিষ্টি সোফায় বসে পড়লো দিশা মিষ্টির কাছে এসে বললো,
দিশা: ভাবী, কি ভাবচ্ছো?
মিষ্টি: কিছু না।
দিশা: ভাবী, কাল তুমি আর ভাইয়া হানিমনে যাবে অনেক জায়গার ঘুরবে আর দুজনে চুটিয়ে প্রেম করবে।
মিষ্টি: প্রেম আর ওই বজ্জাতটার সাথে অসম্ভাব।
মিষ্টি অনেকক্ষন দিশা আর মামনি সাথে গল্প করার পর ঘরে গিয়ে দেখলো পরশ ল্যাপটপে কাজ করছে।
মিষ্টি: যাক ভালোই হলো। স্যারকে বুজিয়ে সুজিয়ে হানিমনটা বন্ধ করতে হবে( মনে মনে বললো)
পরশ: দরজার সামনে সঙের মতো দাড়িয়ে আছো কেন?
মিষ্টি: একটা কথা বলার ছিলো। বলা যাবে কি?
পরশ: হানিমুনের টপিয়স বাদ দিয়ে যা খুশি বলতে পারো।
মিষ্টি: কিন্তু স্যার
পরশ: কোনো কিন্তু নয়।
মিষ্টি: বজ্জাত একটা।
পরশ: কি বললে? আবার বলো।
মিষ্টি: বললাম আপনি একটা বজ্জাতের হাড্ডি বলেই মুখে হাত চেপে মুখ বন্ধ করে ফেললাম। এই রে এখন। আমার কি হবে।
পরশ: আমি বজ্জাত? ঠিক আছে তাহলে বজ্জাতের মতো একটা কাজ করেই ফেলি কি বলো।
কথাটা বলেই পরশ মিষ্টি দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মিষ্টি: একি, আপনি আমার দিকে এগিয়ে আসছেন কেন? আপনি কিন্তু আমার কাছে আসবেন না বলে দিচ্ছি।আমি পিছুতে পিছুতে দেয়ালের সাথে লেগে গেলাম আর সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
পরশ: মিষ্টি কথা বলতে বলতে দেয়ালের সাথে লেগে গেলো। আমি ওর কাছে গেলাম। খুব কাছে দাড়িয়ে মিষ্টির মায়াবি চেহারাটা দেখছিলাম কি মায়াময় ও। কিন্তু এতো দুষ্টু কেনো।
মিষ্টি: অনেক্ষন কেনো সারা না পেয়ে চোখ খুলে তাকালাম। দেখি স্যার একদম আমার কাছে । আমার দিকে তাকিয়ে মিট মিট করে হাসছে। আর তারপর স্যার যেটা বললেন আমিতো শার্ট।
পরশ: ও চোখ খুলে তাকাতে আমি ওর গালে একটা চুমো খেয়ে বললাম। ভয় নেই, এখন কিছু করছিনা। সবটাই হানিমুনের জন্য তোলা রইল। ফুলটাইম রোমান্স হবে। এখন ঘুমিয়ে পড়ো। আর হ্যাঁ আজ কেনো লোকচার শুনতে চাইনা। তুৃমি বিছানায় শুয়ে পড়ো। তবে হ্যা অবশ্যই distance রেখে বুঝেছো।
মিষ্টি: শয়তান একটা আমি তোর কাছে যায় না তুই আমার কাছে আসিছ।( মনে মনে বললো)
তারপর দুজনই ঘুমিয়ে পড়লো।
পরেদিন সকাল। ৭:৩০ মিনিটে মিষ্টি আর পরশ। বাসার সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কক্স বাজারের উদ্দ্যশে রওনা দিলো। ট্রেনে কেউ কারোর সাথে তেমন কথা বলেনি। ওদের। কক্সবাজারে আসার আগেই ঠিক করে রাখা হোটেলে পৌছতে পৌছতে ৬ টা বেজে যায়। তারপর রিসেপশন থেকে চাবি নিয়ে ওরা রুমে যায়।
মিষ্টি আর পরশ খুবই ক্লাস ছিলো। তাই ফোন করে কিছু খাবার রুমে আনতে বললো।
মিষ্টি: স্যার আমি আগে ফ্রেশ হবো।
পরশ: তো তোমাকে ধরে রেখেছে কে? নাকি আমার হাতে ফ্রেশ হতে চাইছো।
মিষ্টি কথাটা শুনেই ওয়াশরুমে দৌড়। কিন্তু বিপত্তি বাধলো তখন যখন দেখলো ও কেনো কাপুড় সাথে নিয়ে ওয়াশরুমে যায়নি। তাই ফ্রেশ হওয়ার পর দরজা হালকা খুলে দেখলো পরশ সোফায় বসে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। তাই মিষ্টি বলল,
মিষ্টি: এই যে শুনছেন
পরশ: বলে ফেলো।
মিষ্টি: বলছিলাম যে আমার জামাটা একটু দেবেন? না মানে আনতে ভুলে গেছি।
পরশ: আমি দেখলাম ও তাওয়াল পড়ে দাড়িয়ে আছে। যাই একটু ভয় দেখানো যাক।
মিষ্টি: একি ওনি এদিকে কেনো আসছেন আর এরকম বজ্জাতের মতো হাসছেন কেনো।
পরশ: বাহ, মিষ্টি তোমাকে তো তাওয়াল পড়ে খুব সুন্দর লাগছল।
কথাটা শুনেই মিষ্টি চোখ বড় বড় করে তাকালো। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে দরজা একেবারে খুলে দাড়িয়ে আছে।
পরশের কাছ থেকে জামাটা নিয়েই দরজা বন্ধ করে দিলো।
তারপর পরশও ফ্রেশ হয়ে দুজনই নাস্তা করে ঘুমিয়ে গেলো।
পরেদিন সকালে…….
( চলবে)

বজ্জাত বর পর্বঃ১০

0

বজ্জাত বর
পর্বঃ১০
লেখক বিলকিস

.
মিষ্টি পানির জগ নিয়ে দাড়িয়ে আছে আর মিট মিট করে হাসছে।
পরশ: কি করলে এটা( রাগী গলায়)
মিষ্টি: কি করেছি, বিছানাতে পানি ঢেলে দিয়েছি।
পরশ: কেন করলল?
মিষ্টি: স্যার আমি আপনার স্ত্রী মানেন তো?
পরশ: এ সবের মানে কি?
মিষ্টি: আচ্ছা স্যার বলুনতো স্ত্রী কে আর কি বলা যায়। আপনি হয়তো জানেননা। ঠিক আছে আমিই বলে দিচ্ছি। স্ত্রীর আরেক নাম সহধর্মীনি। অর্থ্যৎ সমান অধিকার।
পরশ: তুমি কি এখন আমাকে লেকচার দিবে?( রাগী গলায়)
মিষ্টি: না স্যার, আমিতো আপনাকে পাপ থেকে বিরতি রাখার চেষ্টা করছি।
পরশ: মানে কী?
মিষ্টি: এই যে , আপনি বিছানাতে ঘুমাচ্ছেন আর আমি নিচে। এটাতো ঠিক না। আর এতে আপনার পাপ হচ্ছে। তাই আমি বিছানাতে পানি ঢেলে আপনাকে পাপের হাত থেকে রক্ষা করেছি স্যার।
পরশ: What the hell.
মিষ্টি: কালকে যদি আপনি আবার এই কাজ করেন তাহলে আমিও একই ঘটনার পুনারবৃওি ঘটাবো স্যার।
পরশ: দাঁতের পর দাঁত রেখে আমার ইচ্ছে করছে তোমাকে এক থাপ্পারে ৩২ টা দাঁত ফেলে দেয়।
মিষ্টি: স্যার আমার এখানে ৩২ টা দাঁত হয়নি। ৩২ টা হতে আরো ২ টা বাকি আছে। আপনি ৩২ টা দাঁত ফেলবেন কি করে।
পরশ: আমার রাগ কিন্তু চরম পর্যার পৌছে যাচ্ছে এবার সত্যি সত্যি থাপ্পর খাবে বলে মিষ্টি দিকে হাত নিলেই মিষ্টি জোরে জোরে বলে ওঠলো,
মিষ্টি: মামনি তোমার ছেলে আমাকে মারছে বলতেই
পরশ মিষ্টির মুখে হাত চেপে ধরে আর বলে
পরশ: মাকে ডাকচ্ছো কেনো।
মিষ্টি: মুখ থেকে হাতটা ছারিয়ে নিয়ে বললো আপনি আমাকে মারবেন তাই মামনিকে ডাকচ্ছি।আপনি আমাকে মারবেন আর মামনি আপনাকে মারবে হয়ে গেলো সমান সমান।
পরশ: This is. to much
বলে মেঝেতে শুয়ে পড়লো।
মিষ্টি পরশের তাকিয়ে হাসতে হাসতে নিজেই এক সময় ঘুমিয়ে পড়লো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে পরশ ঘরে নেই। মিষ্টি হাই তুলতে তুলতে বললো,
মিষ্টি: যাক, বজ্জাতটা ঘরে নেই। নিচে শুয়ে আমার হাত- পা ব্যাথা হয়েগেছে যাই। বিছানাতে আর একটু ঘুমিয়ে নেই বলতেই, পরশ সামনে এসে বললো,
পরশ: কয়টা বাজে?
মিষ্টি: আপনার ঘড়িতে দেখে নিন কয়টা বাজে । ৭ বা ৭:৩০ হয়তো বাজবে।
পরশ: ৭ বা ৭:৩০ নয়। ৮:৩০ টা বাজে এখন তুমি তাড়াতাড়ি রেডি নিচে এসো। আর হ্যা ৫ মিনিটের মধ্যে যেনো নিচে দেখতে পাই নইলে বলে পরশ বলে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।
মিষ্টি পরশের কথা এক কান শুনলো আর অন্য কান দিয়ে বের করে দিয়ে বিছানাতে ঘুমিয়ে পড়লো। হঠ্যাৎ করে মিষ্টি ঘড়ি দিকে তাকিয়ে দেখে ৮:৩০ বাজতে আর ৫ মিনিট বাকি আছে। মিষ্টি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে নামতে নামতে বললো,
মিষ্টি: বজ্জাতটা যে কি বলবে আল্লাহ জানে।
মিষ্টিকে নিচে নামতে দেখে মামনি বলে উঠলো,
মামনি: কি রে মা ঘুম ভেঙ্গেছে।
মিষ্টি: মাথা নারিয়ে বললো, হ্যা। বলে পরশের দিকে তাকিয়ে দেখে পরশ ওর দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।
মামনি: কি রে মা ওখানে দাড়িয়ে আছিস কেন তুই। এদিকে আয়।
মিষ্টি তাড়াতাড়ি করে মামনি কাছে গিয়ে বললো,
মিষ্টি: মামনি তুমি কি করচ্ছো। চা বানাচ্ছো।
মামনি: হ্যা মা, তুই এখানে বস আমি চা বানিয়ে দিচ্ছি তুই পরশ আর বাবাকে দিয়ে আসবি।
মিষ্টি: মামনি, একটা কথা বলবো।
মামনি : কি বলবি বল,
মিষ্টি: আসলে মামনি আজকে চাটা আমি বানায়।
মামনি: এতো ভালো কথা এতে বলায় কি আছে ।
পরশ: মা ও বানাবে চা তাহলে আজ চা খাওয়াই হবেনা।
মিষ্টি: আমি মোটেও খারাপ চা বানাই না।
পরশ: ok দেখা যাক।
মিষ্টি আর কিছু না বলে চা বানাতে বসলো।১০ মিনিট পর চা বানিয়ে নিয়ে আসলো। প্রথমে বাবাকে চা দেওয়ার পর। একে একে সবাইকে দিলো।
পরশ চা মুখে দিয়ে বললো,
পরশ: না ও, অন্য কিছুই না পারলে চাটা বেশ ভালোই বানাতে পারে ( মনে মনে বললো)
মামনি: তুই তো খুব ভালো চা বানাতে পারিস।
দিশা: ভাবী, চা টা সত্যি খুব ভালো হয়েছে।
মিষ্টি: কেউ আমাকে বলেছিলো আমি নাকি চা বানাতে পারিনা।
পরশ: হুম হয়েছে, এক কাপ চা বানাতে পারলে আর সব কিছু পারা যায়না।
বলে উঠে চলে যাবে তখন। পরশের মা পরশকে ডাক দিয়ে বললো,
পরশের মা: আমি আর তোর বাবা ঠিক করেছি তোরা দুজন আগামী সপ্তহের হানিমনে যাবি।
পরশ: আমার পক্ষে এখন হানিমনে যাওয়া সম্ভাব না। কলেজে অনেক কাজ পরে আছে।
পরশের মা: তা বললেই হবেনা। নতুন বিয়ে করেছিস আর হানিমনে যেতে হবে মানে যেতেই হবে আর আমার শেষ কথা।
মিষ্টি: মামনি, স্যারকে কেনো জোর করছো স্যার যখন বলছে যাবেনা তো যাবেনা। এই বজ্জাতটার সাথে হানিমন অসম্ভব( মনে মনে বললো)
পরশ আর কিছু না বলে রুমের গিয়ে রেডি হয়ে কলেজের চলে গেলো। সন্ধ্যায় মিষ্টি , মামনি, আর দিশা সোফায় বসে গল্প করছে এমন সময় পরশ এসে বললো…….
( চলবে)

বজ্জাত বর পর্বঃ০৯

0

বজ্জাত বর
পর্বঃ০৯
লেখক বিলকিস

.
মিষ্টি তাকিয়ে দেখে পরশ ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
মিষ্টি: আমিতো শেষ। অদ্ভুততো স্যার আমাকে কিছু বলছেনা কেন?( মনে মনে বললো)
পরশ: বলো বলো যতো বলায় বলে নেও। পরে বুঝতে পারবে এর পরিনামে কি আছে?( মনে মনে বললো)
পরশের মা: বাবা, এসেছিস
পরশ: হ্যা মা, মা আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে খেতে দেও।
পরশের মা: ও হ্যা চল, সবাই। খাবারের টেবিলে চলো।আয় মা তুই আয়।
মিষ্টি’ : মামনি চলো, আমার ক্ষিদে আর সয্য হচ্ছেনা?বলে মিষ্টি পরশের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় পরশ ওর দিকে একধারে তাকিয়ে আছে।
পরশের মা: দাড়িয়ে আছিস কেনো চল,
সবাই খাবার টেবিলের গিয়ে বসলো, পরশের মা সবাইকে খাবার দিলো। সবাই খাওয়া শুরু করেছে কিন্তু মিষ্টি কিছুই খাচ্ছেনা।
পরশের মা: কি রে মা তুই কিছুই খাচ্ছিস না। রান্না ভালো হয়নি।
মিষ্টি: না মামনি, আসলে আমিতো নিজে হাতে খেতে পারিনা। ছোটো বেলায় মা মারা যাওয়া পর থেকে বাবা খাইয়ে দিয়েছে তাই।
পরশের মা: ও তাই আগে বলবিতো। মা নেই তো কি হয়েছে আমি তো তোর মা। আজ থেকে আমি তোকে খাইয়ে দেবো।
পরশ: মা ওকে মাথায় তুলো না কিছুদিন পর দেখতে পাবে ও তোমার মাথায় উঠে নাচছে।
পরশের মা: মার খাবি তুই। মা তুই ওর কথায় কিছু মনে করিস না।
মিষ্টি: না মামনি, যা তার কথায় আমি কিছু মনে করি না।
পরশ: আমি কে সেটা একটু পরেই বুঝবে। ( মনে মনে বললো)
খাওয়া শেষ করে পরশ আর পরশের বাবা টেবিল উঠে চলে গেলো। মিষ্টি, মামনি আর দিশা ডাইনিং রুমে বসে গল্প করচ্ছে। কিছুক্ষন গল্প করার পর মামনি বললো,
মামনি: দিশা তোর ভাবীকে ভাইয়া ঘরে দিয়ে আয়।
মিষ্টি: মামনি, আর কিছুক্ষন গল্প করিনা।
মামনি: অনেক রাত হয়েছে মা এবার ঘরে যা। আর পরশ তোর। জন্য অপেক্ষা করছে।
মিষ্টি: অপেক্ষা না ছাই করছে। ঘরে গেলে যে আমার কি হাল করবে সেটা শুধুই আমিই জানি। হে আল্লাহ তুমি আমাকে আজ। রক্ষা করো।
দিশা মিষ্টিকে নিয়ে পরশের ঘরে গিয়ে মিষ্টিকে খাটের। উপর বসিয়ে দিয়ে বললো,
দিশা: ভাবী, এ যে তোমার ঘর। আর তোমার ঘরে তোমাকে দিয়ে গেলাম।
মিষ্টি : ঘরের চারদিকে তাকিয়ে দেখে বললো, ঘরটা সুন্দর করে সাজানো গোছানো।
দিশা: হ্যা, ভাইয়া একটু এলোমেলো পছন্দ করে না তাই নিজেই ঘরটা সুন্দর। করে সাজিয়ে রাখে। ভাবী তুমি বসে থাকো আমি এখন যাই।
মিষ্টি: কোথায় যাচ্ছো, আর। কিছুক্ষন থাকো না।
দিশা: ভাবী, তোমাই বলতেই পরশ ঘরে মধ্যে ঢুকতে দিশা বললো ভাবী এই তো ভাইয়া এসেগেছে। ভাইয়া তোর আমানত তোর কাছে দিয়ে গেলাম।
পরশ: তুই বেরহো ঘর থেকে।
দিশা: যাচ্ছি যাচ্ছি , ভাবী তোমার বজ্জাত বরকে সামলাও।
পরশ: মার খাবি এবার যা বলছি।
দিশা: ok ok good night. ভাবী ।
বলেই দিশা ঘর থেকে হতেই। পরশ ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলো।
মিষ্টি: দরজা বন্ধ করছেন কেন?( কাপো কাপো গলায়)
পরশ: আমার ইচ্ছা তাই বলে মিষ্টি সামনে এসে দাড়িয়ে বলো,
পরশ: নামো
মিষ্টি: মা.. মা… মানে
পরশ: শুনতে পাচ্ছো না খাট থেকে নামতে বলছি।
মিষ্টি কিছু না বলে খাট থেকে নেমে পড়লো। পরশ মিষ্টির হাতে একটা বালিশ ধরিয়ে দিয়ে বললো,
পরশ: এই নাও বালিশ। আর ওখানে মাদুর আছে বিছিয়ে শুয়ে পরো।
মিষ্টি: আমার নিচে শুয়োর অভ্যাস নাই।
পরশ: অভ্যাস নাই তো কি হয়েছে আজ থেকে অভ্যাস। করে নাও।আর হ্যাঁ আমাকে ডিস্টাব করোনা । আমার খুব ঘুম পাচ্ছে বলে বিছানাতে উপর হয়ে শুয়ে পরলো।
মিষ্টি আর কিছু না বলে নিচে মাদুর পেতে শুয়ে পরলো আর রাগে গজ গজ আর বলছে,
মিষ্টি: আমাকে নিচে শুতে দিচ্ছিস তো তোর কেনোদিনও ভালো হবেনা।শয়তান। কোথাকর। কাল থেকে তুই নিচে শুবি আর আমি উপরে দেখে নিস।
পরশ: গালি দেয়া শেষ হলে ঘুমিয়ে পড়ো। বলেছিনা আমাকে ডিস্টাব করবেনা।
মিষ্টি: এর জন্য দেখছি মনে মনে কথা বলা যাবে না( মনে মনে বললো)
আমি কখন আপনাকে ডিস্টাব করলাম।
পরশ: মনে মনে এতো জোড়ে আমাকে গালি দিলে তো আমার ডিস্টাব হবেই।
মিষ্টি: বেটা বজ্জাত কোথাকর।
পরশ মাঝরাতে হঠ্যৎ বিছানাটা ভেজা ভেজা মনে হচ্ছিলো।প্রথম গুরত্ব না দিলেও পরে দেখলাম বিছানার সাথে আমিও ভিজে গেছি। চোখ খুলে দেখি…….
.( চলবে)

বজ্জাত বর পর্বঃ ৭+৮

0

বজ্জাত বর
পর্বঃ ৭+৮
লেখক বিলকিস
.
মিষ্টি দরজার দিকে তাকিয়ে যাই যাই অবস্থা।
পরশ: মিষ্টির কান্না দেখে সহ্য করতে পারছিনা। তাই ওখান থেকে চলে আসি। একটুপরে মনে হলো আমার ভালোবাসার এতো মূল্য হীন হতে পারে না। মিষ্টির অসুস্থতারর জন্য আমি ওকে ছেড়ে দেবো কখনো না। তারপর ডাক্তার সাথে কথা বলে, মিষ্টির কেবিনের দিকে যায়।হঠ্যাৎ করে কেবিনের ভিতরে হাসির আওয়াজ পারছিলাম। ভাবলাম একটু আগেতো মিষ্টি কাঁদ ছিলো তাহলে এমন কি হলো যে মিষ্টি এতো হাসছে ব্যাপারটা কি। তবেই ভালোতো এই কয়টাদিন মিষ্টি হাসিখুশি থাকুক আমি এটাই চাই। কিন্তু দরজার পাশে দাড়াতে আমি যা শুনলাম তাতে আমি পুরা Shocked। এ সব কিছু বিয়েটা না করার জন্য অভিনয় ছিলো। আমি তো এটা হতে দিতে পারি না। একটু পর বুঝতে পারবে মিষ্টি এই অভিনয়টা করে তুমি কতো বড় ভুল করেছো। এখন তোমার সাথে কি হবে তার অপেক্ষা থাকোJust wait and watch কেবিনের ভিতরে ঢুকে।
মিষ্টি: আমিতো স্যারকে দেখেই ভয় পেয়ে গেলাম। স্যারকি সব শুনে ফেললো। মুখ দেখে তো বুঝা যাচ্ছেনা।
পরশ: এখন কেমন লাগছে মিষ্টি? ডাক্তারের সাথে কথা বললাম। ডাক্তার বললো,
মিষ্টি: কি বললো ডাক্তার ( এই ধরা খেয়ে গেলাম না তো। মনে মনে বললো।)
পরশ: ভয় পাচ্ছো কেন মিষ্টি।
মিষ্টি : কি বললো, ডাক্তার বলনেন না তো।
এই মুহূতের কেবিনে মিষ্টির বাবা ও পরশের বাবা ঢুকলো।
মিষ্টির বাবা: কি বললো ডাক্তার বাবা?
পরশ: তেমন কিছু না আঙ্কেল। আমার মনে হয় মিষ্টি আমাকে পরীক্ষা করছিলো। আমি ওকে কতোটা ভালোবাসি। তাইতো মিষ্টি।
মিষ্টি: স্যার তা কেনো, আমি তো জানি আপনে আমাকে কতোটা ভালোবাসেন।
পরশ: তাহলে বলছো, পরীক্ষা পাস করেছি।
মিষ্টির বাবা: কি বলছো, তোমরা আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
পরশ: আমি বলছি, আঙ্কেল মিষ্টির আসলে কিছুই হয়নি। আমি ওর জন্য কি ফিল করি ওর অসুস্থ তার কথা শুনে আমার Reaction দেখা জন্য ও এই অভিনয়টা করেছে।
মিষ্টির বাবা: এটা তুই কি করেছিস মা। তুই কি জানিস তোর অসুস্থত হওয়ার পরে আমার মনের কি অবস্থায় হয়েছিলো। এটা তুই মোটেই ঠিক করলি না।
মিষ্টি: আমি শুধু বসে বসে শুনছিলাম। কি বলবো বুঝতে পারছিলাম।
পরশ: যেহেতু, আমি পরীক্ষাতে পাস করেছি তাই মিষ্টি চাইচ্ছে বিয়েটা আজই হোক। আর এই হাসপাতালের হোক। হাসপাতালের এতো গুলো মানুষ আমাদের বিয়ে সাক্ষী হোক।
মিষ্টি’ এ্যা
পরশ: এ্যা না হ্যা ( তুমি কি ভেবেছিলে মিষ্টি আমি কিছুই বুঝতে পারবো না। তুমি চলো ডালে ডালে আর আমি চলি পাতায় পাতায়)।
পরশ: বাবা, তোমরা সব ব্যবস্থা করো। ততখন মিষ্টি সাথে আমার কিছু কথা আছে। একে একে সবাই কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো।
মিষ্টি: এটা কি করলেব,
পরশ: কি করেছি আমি, যা করার তুমিতো করেছো। এখন চুপচাপ বিয়েটা করে নেও।
মিষ্টি: পারবো না।
মিষ্টি: ভালোয় ভালোয় বিয়েটা করে নাও নইলে
মিষ্টি: নইলে কি………( চলবে)
বজ্জাত বর
লেখক বিলকিস
র্পব ৮
পরশ: নইলে সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল। বাকাতে হবে।
মিষ্টি: আপনার যা খুশি তাই করুন । আমি এ বিয়ে টা কিছুতেই করছিনা।
পরশ: ঠিক আছে। তারপর মিষ্টির দিকে এগুতে থাকে।
মিষ্টি: আপনি এভাবে এগিয়ে আসছেন কেন? দেখুন ভালো হবে না কিন…..
মিষ্টির পুরা কথা বলায় আগেই পরশ মিষ্টির ঠোঁটে কিস করতে শুরু করে। এদিকে মিষ্টি নিজেকে ছাড়ানো জন্য লাফালাফি করছিলো। তাই পরশ মিষ্টির দুই হাত চেপে ধরে। প্রায় ১০ মিনিট পর মিষ্টিকে ছারে। তারপর বলে,
পরশ: এখন যদি বিয়েতে রাজি না হও তাহলে যে কাজটা সবার আড়ালে করলাম সেটা সবার সামনেই করবো আর সময়টা ও কিন্তু বেশি হবে। এখন ভেবে দেখো তুমি কি করবে।
মিষ্টি: আমি ভাবতেই পারিনি স্যার আমাকে এভাবে কিস করে দেবে। আমার তো প্রায় দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। পাজি, এনাকুন্ডা, ডাইনাসোর, বজ্জাত শয়তান লোক একটা।কিন্তু স্যার যা বললো, তাতে তো আমি শেষ। সবার সামনে যদি আমাকে কিস করে তাহলে আমার মান সম্মান সব চলে যাবে।
পরশ: কি চিন্তা করলে? বিয়ে করবে নাকি।
মিষ্টি: না না আমি এ বিয়েতে রাজি।
পরশ: That is like a good girl.
তারপর হাসপাতালেই ছোটো খাটো আয়োজনের মধ্যে বিয়েটা সম্পূর্ন হয়।
এদিকে মিষ্টিতো ভাবনায় পড়ে গেলো।
পরশ: এই মেয়ের আবার কি হলো। একে কেনো বিশ্বাস নেই। মাথায় শুধু শয়তানি বুদ্ধি ঘুড়ে।
মিষ্টি: বিয়েতো হয়েই গেলো। কিন্তু এখন এমন কিছু করতে হবে যাতে স্যারের জীবনটা তেজপাতা হয়ে যায়।আর আমাকে নিজে থেকেই ডির্ভোস দিয়ে দেয়( মনে মনে বললো)।
তারপর মিষ্টিকে নিয়ে পরশ আর পরশের বাবা তাদের বাড়িতে যায়। পরশের মা মিষ্টিকে বরন করে নেয়।আর পরশ কাজ। আছে বলে বাইরে চলে যায়। মিষ্টি ভেতরে ঢোকার পর পরশের। মা ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,
পরশের মা: আমার তোর মতো মেয়েকেই এতোদিন। দরকার ছিলো।
মিষ্টি: আমি তোমাকে কি বলে ডাকবো।
পরশের মা: কেন মা বলো ডাকবি।
মিষ্টি: আমি তোমাকে মামনি বলে ডাকলে কি তোমার আপক্তি আছে?
পরশের মা: আপক্তি থাকবে কেন? তোর যা ইচ্ছে তাই। বলে ডাকিস।
মিষ্টি: মামনি আমার না খুব। ক্ষিদে পেয়েছে। আমাকে কিছু খেতে দেবে।
পরশের মা: আহারে দেখেছিস কথা বলতে বলতে ভুলেই গেয়েছিলাম। আচ্ছা তুই। ফ্রেশ হয়ে আয় আমি টেবিলে খাবার। দিচ্ছি।
তারপর। পরশের মা দিশাকে( পরশের বোন) ডেকে ওর ঘরে নিয়ে যেতে বললো।
দিশা: চলো ভাবি। আমার। ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হবে।
মিষ্টি: ঠিক আছে।
তারপর। দুইজনে দিশার ঘরে এসে মিষ্টি চিন্তার পড়ে গেলো।
দিশা: ভাবি, তুমি কি এতো ভাবছে?
মিষ্টি: হুম। আসলে আমার তো কেনো জামাকাপুড় আনিনি।
দিশা: আমি থাকতে তোমার। কেনো চিন্তা নাই।
আমি থাকতে তোমার কেনো চিন্তা নাই বলতে বলতে পরশের। মা ঘরে ঢুকলো। সাথে একটা শাড়ি আর। কিছু গহনা নিয়ে। আর। বলল,
ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে আয়। টেবিলে খাবার দিসি।
মিষ্টি: আচ্ছা মামনি তুমি এতো ভালো আর। তোমার ছেলে এতো বজ্জাত। কেনো। জম্মের পর মুখে মধু দেওনি না।
পরশের মা: কি? আমার ছেলেকে আমার। সামনেই বজ্জাত বলা।
মিষ্টি: যে যেমন তাকে তো তেমনই বলা উচিত তাইনা? তাই। বলে পেছনে তাকাতেই যা দেখলো তাতে মিষ্টির যে আজ কি হবে তাই ভাবছে……..
( চলবে)