হৃদয়ের বন্ধন পর্ব-০৪

0
691

#হৃদয়ের বন্ধন
#part:4
#লেখিকা:Afshana Afrin

“” সারা দিন তোর্সার খুনসুটি করে কাটাই অরন্যর সাথে। অল্প সময়ে এই পিচ্ছি অরন্য কে ভালো লেগে যাই তোর্সা। আর এতো সুন্দর বাচ্চা এতো সুন্দর কথা কার না ভালো লাগবে। তোর্সা জামা কাপড় গুছিয়ে নীচে নেমে ভার্সিটির দোলনাতে বসে আছে পাশে অরন্য কে বসিয়ে চকলেট খাওয়াচ্ছে অরন্য ও তোর্সা কে খাইয়ে দিচ্ছে মাজে দুই জন দুই জনের নাকে লাগিয়ে দিচ্ছে আর হাঁসছে। এতো কন ধরে এই গুলো দেখছিলো অর্নব আর হাসছিলো। অর্নব বলে উঠে আমি সত্যি মানুষ চিনতে ভুল করিনি আমি যানতাম আমার অরন্য কে ঠিক আপন করে নিবে। অর্নব ওদের দিকে এগিয়ে গিয়ে সামনে দড়াই। অর্নব কে দেখে অরন্য লাফ মেরে কুলে উঠে গালে চুমু দিয়ে বলে তুমি পচা ভাইয়া একটুও মিস করোনি। অর্নব হেসে উওর দেই কে বললো মিস করিনি আমার বাচ্চা টা কে খুব মিস করেছি কিন্তু ফোন দেই নি কারন আমি তো যানি আমার সোনা বাচ্চা টা ওর ভাবী আম্মুর সাথে মজা করছে। অর্নব এর কথা শুনে অরন্য বলে তাহলে ঠিক আছে। অরন্যর কথা শুনে তোর্সা অর্নব দুই জন হেসে দেই। অরন্য কে নামিয়ে মাজে দাড় করিয়ে দুই পাশ দিয়ে দুই জন অরন্য দুই হাতের আঙ্গুল ধরে হাঁটছে যা দেখলে কেউ বলে সুখী পরিবার। তোর্সা অরন্য কে নিয়ে অর্নব এর পাশের সিটে বসে আর অর্নব ড্রাইভ করছে। বাসার সামনে নেমে আবার ও দুই জন অরন্যর হাত ধরে ভিতরে ডুকে সাথে সাথে বাগানের সব গার্ড অবাক হয়ে দেখে। অর্নব বিষয় টা বুঝতে পেরে সবাই কে এক সাথে দাড় করিয়ে বলে ইনি হচ্ছে তোমাদের মেডাম আমার ওয়াইফ ক্লিয়ার? গার্ড রা বলে জি sir…. অর্নব এবার তোর্সা কে নিয়ে ভিতরে ডুকতেই ড্রয়িং রুমের সার্ভেন্ট রা বসেছিলো অর্নব কে দেখে তারা তারি করে টিভি বন্ধ করে দেই। অর্নব সবার উদ্দেশ্যে বলে ইনি হচ্ছে তোমাদের মেডাম আমার ওয়াইফ ম্যাডামের আসে পাশে সব সময় দুই জন থাকবে কি লাগবে না লাগবে তোর্সা যেন সময় মতো সব পাই। সার্ভেন্ট রা জী বড়ো সাহেব বলে মাথা নিচু করে নেই অর্ণব তোর্সা আর অরন্য কে নিয়ে উপরে চলে যাই।

উপরে যেতেই তোর্সা প্রশ্ন করে আপনি কেন বললেন আমি আপনার ওয়াইফ? অর্নব গম্ভীরতা বজায় রেখে বলে যদি এই কথা না বলতাম লোকে তোমাকে বিভিন্ন কথা বলতো আমি চাই না আমার অরন্যর ভাবি আম্মু কে কেউ বাজে কথা বলুক না হলে আসল বউ অরন্যর তো মা। তোর্সা অর্নবের কথা শুনে খুশি হয় মনে মনে। অর্নব তোর্সা কে বলে তোমার জামা কাপড় আমার গুলোর পাশেই রেখে দাও মাজে অরন্যর গুলো আছে,, নকল জামাই যেহেতু তাই বউ কে তো সব কিছুর ভাগ নকল হলেও দিতে হবে। তোর্সা বলে আপনার মতো গম্ভীর মানুষ এতো মজা করতে পারেন। অর্নব তোর্সার দিকে ঝুঁকে বলে আমি আরো অনেক কিছুই করতে পারি দেখতে পারবে বলেই শয়তানী হাঁসি দিয়ে ওয়াশ রুমে ডুকে যাই। অর্নব যেতেই তোর্সা বির বির করে বলে নির্লজ্জ বেডা মানুষ।
অর্নব ওয়াশ রুমে থেকে বের হতেই তোর্সা অরন্যকে নিয়ে ওয়াশ রোমে ডুকে নিজেও ফ্রেশ হয়ে জামা পাল্টাই অরন্যর ড্রেস ও পাল্টে অর্নব এর মতো সেইম জামা পরিয়ে দেই।
রাত নয় টায় ডিনার করতে বসে অর্নব রা। তোর্সা অরন্যর কে খাইয়ে দিতে দিতে সার্ভেন্ট দের উদ্দেশ্যে বলে একটু পর আমাকে অরন্য আর অর্নব এর সব কাজ পছন্দ অপছন্দ বলে দিবে এখন থেকে আমি ওদের দায়িত্ব নিবো। অর্নব তোর্সার দিকে তাকিয়ে বলে তুমি কষ্ট করে কেন রান্না করবে। তোর্সা উওর দেই এতো দিন ধরে এই সব বিদেশি খাবার আর এক রকমের খাবার খেয়ে বদ হজম হয়ে গেছে আপনাদের তাই নতুন রান্না হবে। তোর্সার কথা শুনে অর্নব আর কিছুই বললো না। খাওয়া শেষ করে তোর্সা অরন্য অর্নব উপরে চলে যাই। অরন্য গিয়ে অফিস এর ফাইল নিয়ে বসে কারন এতো দিন অরন্যর জন্য রাতে কাজ করতে পারেনি আর তোর্সা অরন্য কে বুকে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। তোর্সা আর অরন্য কে দেখে অর্নব মুগ্ধ হয় তোর্সার বুকে অরন্যকে যেন মনে হচ্ছে নিজের মায়ের বুকে ঘুমাচ্ছে অরন্য। কাজ শেষ করে অর্নব বলে তুমি অরন্যর পাশে শুয়ে পরো। তোর্সা বলল আপনি কোথায় যাবেন? অর্নব উওর দেই এই তো আমার রুমের ভিতরে আরেক রুম আছে ওই টাই। তোর্সা বলে ও দেখাবেন আমায়? অর্নব উওর দেই সিউর চলো বলেই গ্লাস খুলতেই তোর্সা দেখতে পাই পুরো সাধা রং এর সব কিছু দিয়ে সাজানো রুমটা। তোর্সা বলে ভিষন সুন্দর রুম টা। অর্নব হেসে বলে হুম স্পেশাল ভাবে বানিয়েছে বউ এর সাথে যতো বার রোমান্স করবো এই রুমে করবো। অর্নব এর কথা শুনে তোর্সা বলে নির্লজ্জ পুরুষ মুখে কিছুই আটকায় না। অর্নব হেসে বলে তোমার লজ্জা কেন লাগছে তোমার সাথে তো করবো না বউ এর সাথে করবো..
……যাই হোক, ” একটিং টা দারুন ছিলো! তোর্সা জিজ্ঞাসা করে কিসের একটিং?;অর্নব বলে এই আমার আর অরন্যর দায়িত্ব নিবে বলেছো মনে হচ্ছিলো সত্যি আমার বউ তুমি। তোর্সা ভেং করে বলে আমার কোন ইচ্ছা নেই এমন নির্লজ্জ পুরুষ এর বউ হতে আর নীচে যা বলছি সত্যি কোন অভিনয় না মিঃ অর্নব……..
চলমান….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে