ভয় পর্ব-৯+১০ এবং শেষ পর্ব

0
995

ভয়
লেখিকা_বিন্দু_মালীনি।
#পর্ব_৯_১০_সমাপ্ত

কিছু ক্ষণ পর দেখি রণর প্রোফাইলে Er”ror লিখা পিক টা আর নেই,
ও পিক চেইঞ্জ করেছে,
আর নিজের পিক আপলোড করেছে।
আর ওর পিক দেখার সাথে সাথে আমার বুকের ভেতর কত ডিগ্রী এঙ্গেলে যে কম্পন অনুভূত হচ্ছিলো,
তা আমার নিজেরও জানা নেই।

সবাই হয়তো ভাবছেন পিক টা লিমন অথবা অভ্রের, তাইতো?
উঁহু,পিক টা একদম অপরিচিত একজনের,এর আগে তাকে আমি কোন দিন দেখিনি।অথচ আমার কাছে মনে হচ্ছে সে আমার কত বছরের চেনা,কত আপন।

ওকে দেখার সাথে সাথে বুকের ভেতর ধু’ক’পুকানি শুরু হয়ে গেছে।
বুঝাই যাচ্ছে,এটাই ভালবাসার এক অন্য রকম অনুভূতি।ভালবাসার মানুষ টাকে দেখতে পাওয়ার আনন্দ।

এটাই তাহলে আমার রণ?
আমি ভাবতেই পারিনি রণ দেখতে যে পুরোটাই আমার কল্পনার কল্প পুরুষের মত হবে।
উজ্জ্বল শ্যামলা, নজর কাড়া হাসি।
ওর হাসি দেখতে দেখতে আমি শত ব্য’থাও ভুলে যেতে পারবো।

ওর চোখে আমি ডুবে মরতে পারবো সহস্র বার।
ওর চুল।
ইচ্ছে করছে এখনই ছুঁয়ে দেই।

আমি যেমন টা কল্পনায় ভেবে রেখেছি ঠিক তেমন টাই দেখতে আমার রণ।
ভালবাসার মানুষ টা নাকি সব সময় প্রিয় মানুষ টার চোখে সুন্দর হয়।তার জন্যই কি রণ কে আমার এত সুন্দর লাগছে কিনা তা আমার জানা নেই।

তবে আমার চোখে যে ওকে পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর পুরুষ টি মনে হচ্ছে।

মায়ায় গ্রা”স করে নিচ্ছে ও আমাকে বারংবার।

ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তে যদি ওকে একটা বার বুকে জড়িয়ে নিতে পারতাম।
ওর হাসি ভরা ঠোঁটে ছুঁয়ে দিতে পারতাম এই ঠোঁট।
এ জীবন বুঝি স্বার্থক হতো।

আমি ওকে টেক্সট করলাম,
_তুমি অনেক কিউট।
অনেক অনেক অনেক বেশি কিউট।

কিন্তু আমি যে একদমই সুন্দর না।
(যদিও মি’থ্যে কথা এটা)

_তুমি আমার ভালবাসা,যেমন হও তেমনই আমার কাছে সুন্দর।
আর আমিও অত টা কিউট নই,যতটা তোমার চোখে আমাকে লাগছে।

_উঁহু আমি তোমার যোগ্য নই।কারণ তুমি আমার থেকে অনেক লম্বা।
_সমস্যা নেই।তুমি আমার বুকে থাকবে।
আমি তোমার কপালে খুব সহজেই চুমু খেতে পারবো।

যদিও আমার নিজের উপর কনফিডেন্স আছে,যে রণও আমাকে দেখলে পছন্দ করবে।তাছাড়া ও যে আমাকে অনেক টা ভালবেসে ফেলেছে তা তো আমি ওর হা’ব’ভাবে বুঝেই গেছি।
আর লোকে বলে না,ভালবাসার পেত্নিও সুন্দর।তাহলে তো পছন্দ হবেই আমাকে।

কিন্তু যদিই পছন্দ না হয়?তখন কি হবে?
যেই আমি এত মানুষকে রি’জে’ক্ট করেছি সেই আমি কি শেষমেস নিজেই নিজের ভালবাসার কাছে রি’জে’ক্ট হয়ে যাবো?

ভয় টা বুকের মধ্যে বাসা বাধে।
ওকে আমি বার বার বলি,আমি যদি তোমার মনের মত না হই?
ও বলে,আমি কখনোই কল্পনা করিনি আমার ভালবাসার মানুষ টা কেমন হবে।কখনো কাউকে নিয়ে স্বপ্ন সাজাইনি।কারণ তুমি তো জানোই আমি সবার থেকে একদমই আলাদা।
যার মনে কোন ভালবাসা ছিলোনা,ছিলোনা কোন অনুভূতি।যে কিনা মেয়ে মানুষ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকতো।

তুমিই আমাকে শিখিয়েছো ভালবাসা কি।তোমার কাছে এসেই আমি বুঝেছি ভালবাসা কেমন।
কাউকে ভালবাসলে কেমন অনুভূতি হয় তা আমি তোমাকে ভালবেসে বুঝেছি।
তুমিই শুরু আমার তুমিই শেষ।
এর পর আর কেউ আসবেনা এই জীবনে।
প্লিজ কখনো ছেড়ে যেওনা আমায়।
আমি তোমায় ছেড়ে থাকতে পারবোনা।

ও আমাকে কখনো দেখতে চায়নি,কারণ ও বরাবরই বলেছে,ও আমাকে ভালবাসে।
আমার রুপ লাবণ্য কে না।আমিও আর লজ্জা এবং ভয়ে ওর সামনে আসিনি।

সেদিন থেকে চলছে আমাদের ভালবাসা।যে ভালবাসার আর থামাথামি নেই।

সম্পর্কের অনেক দিন পর ও বলে,
_আমার যে আমার ভালবাসার মানুষ টাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।আমি কি ভিডিও কল দিতে পারি?তুমি কি একটি বার আমার সামনে আসবে?

আমি কিছু ক্ষণ চুপ থাকি।

_আচ্ছা সম’স্যা নেই,তুমি না চাইলে আসতে হবেনা।
_হুম দাও ফোন।

আমি ১৫ ২০ সেকেন্ডের মত ওর সামনে আসি।
আর এসেই ফোন টা কেটে দেই।
ওর আমার মুখের এক পাশ দেখতে পায়।
আর তাতেই যেন ওর মুখে ভুবনজয়ী হাসি।
এরপর আমি আর কখনো ওর সামনে আসিনি।

ও দেখতে চাইলেই বলতাম,
দেশে আসো।
দেশে এসেই প্রাণ ভরে দেখে নিও তুমি তোমার ভালবাসাকে।

দুজন দুজনকে জীবন দিয়ে ভালবেসে ফেলি।
দুজন দুজন কে ছাড়া কিচ্ছু ভাবতে পারিনা।
একটা ঘন্টা মেসেজিং না হলে বা কথা না হলে পা’গল হয়ে যাই,মনে হয় এক যুগ হয়ে গেছে কথা হয়না।

গভীর থেকে আরো গভীর হয়ে গেছে আমাদের ভালবাসা।
যেই মনে লিমন আর অভ্র ভালবাসার ফুল ফোটাতে পারেনি।সেই মনে রণ ভালবাসার বাগান গড়েছে।

কিন্তু মাঝ পথে সম’স্যা হয়ে দাঁড়ায় আমার ফ্যামিলি।

আম্মু আব্বু কখনোই মানবেনা এই সম্পর্ক।
কারণ রণর সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয়।না জানি ওর ঠিকানা আমি,না জানি ওর সম্পর্কে,না জানি ওর পরিবার সম্পর্কে।তাছাড়া আমার জেলা এক, আর ওর জেলা আরেক।
দুই জন দুই জেলার বাসিন্দা।
দূরত্ব খুব বেশি।

তারা তাদের মেয়েকে এত দূরে বিয়ে দিবেন না।
আম্মু আম্মুর মাথায় হাত রেখে কসম কাটালো,ছোট বোনের মাথায় হাত রেখে ক”সম কাটালো।আমি যেন রণর সাথে যোগাযোগ না রাখি।

তাহলে নাকি আমি ওদের ম’রা মুখ দেখবো।

তাই আমি এখন রণকে এড়িয়ে চলছি।
ওকে বলে দিয়েছি,
ও যেন আমার জন্য অপেক্ষা না করে।দেশে এসে ভালো কোন মেয়েকে যেন বিয়ে করে নেয়।
আমার পক্ষে ওকে বিয়ে করা সম্ভব না।

রণ খুব কান্না কাটি করে।
ও আমার জন্য নিজেকে পুরো চেইঞ্জ করে নিয়েছিলো।

যেই ছেলেটা কোন দিন কোন ডে সেলিব্রেট করতোনা।
সেই ছেলেটা আমাকে রোজ ডে থেকে শুরু করে ভ্যালেনিটাইন ডে পর্যন্ত সারপ্রাইজ দিয়ে উইশ করেছে।

যেই ছেলেটা কখনো বি”ষা”দ ছাড়া কোন কবিতা লিখেনি,সেই ছেলেটা আমার জন্য লাভিং পোয়েম লিখেছে।

যেই ছেলেটার পছন্দের রঙ ছিলো নীল।সেই ছেলে এখন হলুদ রঙের গাদা ফুল দিয়ে আমাকে সাজানোর স্বপ্ন দেখে।

যেই ছেলেটা সব সময় বলেছে,বিয়ে আর বউতে তার এ্যালা”র্জি।
সেই ছেলেটা আমাকে মনে প্রাণে বউ মেনে নিয়েছে।
আমাকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন সাজিয়েছে।

ভালবাসা কি ছেলেটা বুঝতোনা,আমি তাকে শিখিয়েছি ভালবাসা কি।

আর আজ সেই ছেলেটাকে আমি অ”ন্ধকার জগতে ডু”বিয়ে দিয়ে পরিবারের কথায় স্বা”র্থপর হয়ে যাচ্ছি।

যেই ছেলেটা সি”গারেট কি চিনতোনা।
সেই ছেলে এখন ম”দের বোতল নিয়ে পড়ে থাকে।
আর আমি পেয়েছি বে”ঈ”মান নামক উপাধি।

রণ বার বার আমার কাছে ওর জীবন ভি”ক্ষা চাচ্ছে।

_প্লিজ আমাকে আমার জীবন টা ভি”ক্ষা দে বিন্দু।
আমি তোকে ছাড়া বাঁচতে পারবোনা।
_আমার পক্ষে সম্ভব না রণ আম্মু আব্বুর বি”রুদ্ধে যাওয়া।
তুমি আমাকে ভুলে যাও।

রণ এখন পা”গলের মত হয়ে গেছে।
নে”শাই যেন ওর জীবন এখন।

আমি মাঝে মাঝে নক দিয়ে বলি,

_নে”শা করোনা প্লিজ।
এমন ভাবে নে”শা করতে থাকলে তুমি তো মা”রা যাবে।
_আমি তো ম”রতেই চাই বিন্দু।
বিধাতা কেন আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন?
যে জীবনে তুমি নেই সে জীবন থেকেই বা কি হবে।

বিন্দুরে,জীবন তো একটাই,দে না আমায় তোকে।
কি আর আমি চেয়েছি এ জীবনে তোর কাছে?
একটা মাত্র তোকেই তো চাই।

এভাবে আমি আর বাঁচতে পারছিনা বিন্দু।
প্লিজ আমাকে আর ন”ষ্ট করিস না।
আমি বাঁচতে চাই কলিজা।তোকে নিয়ে বাঁচতে চাই।

একটা সংসার সাজাতে চাই।
একটা সন্তানের বাবা হতে চাই।
প্লিজ আমাকে ধ্বং”স করে দিস না বিন্দু।

আমি চোখের জল লুকিয়ে রণ কে বিদায় জানিয়ে চলে আসি।
আমার বুকটা যেন ওর য”ন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে।
আমিও যে ওকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন দেখেছি।
কত শত আশা আমার ওকে ঘিরে।
পা”গলের মত চাই আমি রণকে।
কিন্তু বাবা মায়ের প্রথম সন্তান যে আমি।
অনেক সাধনার।
তাদের মনে কষ্ট কিভাবে দেবো।

আমি নিজে সব সময় সবাইকে বলে এসেছি,
ভালবাসলে এমন কাউকে বাসো যাকে পরিবার মেনে নিবে।
এমন কাউকে বেসোনা যে পরিবার তাতে অস”ম্মতি জানায়।
তখন নিজেও ক’ষ্ট পাবে,অপর ব্যক্তিটিও ক’ষ্ট পাবে আর তার কাছে বে”ঈ”মান হয়েও থাকতে হবে সারাজীবন।

লোকে বলবে প্রেমের সময় পরিবার কোথায় ছিলো।
তখন কি পরিবার ছিলোনা?
এখন পরিবার উদয় হয়েছে?

সত্যি বলতে আমরা মানুষকে জ্ঞান দিতে অনেক পারি।
কিন্তু যখন নিজে কাউকে ভালবেসে ফেলি তখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
কি করলে কি হবে সেটা তখন মাথায়ই।আসেনা।

একদিন রণর সাথে বিদেশে থাকে,ওর রুম্মেট এক ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলে,
_রণ খুব কান্নাকাটি করছে।
ওর কান্না স’হ্য হচ্ছেনা আমাদের।
তুমি ওকে একটু বুঝাও।

ও জব টাও ছেড়ে দিয়েছে।বাসায় ও ফোন দেয়না।
জানোই তো দেশে ওর পরিবার আছে।
কারো সাথে কথা বলেনা।খায় না ঘুমায় না।শুধু তোমার জন্য কান্নাকাটি করে।

আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলছি আর কান্না করছি।
শুধু তখন না,আমি সারাদিন রাতই কান্না করি।
রণকে ছাড়া যে একটা মুহূর্ত আমি ভাবতে পারিনা।বুকের ভেতর কি অস’হ্য ব্য’থা,য”ন্ত্রণা আমার।কাউকে বুঝতে দেইনা।রণর কাছ থেকে লুকিয়ে রাখি আমার আ”র্তনাদ গুলো।ওর সাথে কথা বললে খুব স্বাভাবিক ভাবে বলি,যাতে ও বুঝে যে আমার কোন কষ্ট হচ্ছেনা।আমি ভালো আছি ওকে ছাড়া।আর এই ভেবে যেন আমাকে ভুলে ও ভালো থাকে।

_প্লিজ আপু,তুমি কান্না করোনা।
তাহলে রণ নিজেকে আরো সামলাতে পারবেনা।ও আরো ভেঙে পড়বে।

আমি ভাইয়াকে বলি,
_আচ্ছা রণ কে দিন মোবাইল টা।

ভাইয়া রণর কাছে মোবাইল টা দেয়।

_কেন কাঁদছো তুমি ক’লিজা?
বিশ্বাস করো,তুমি আমার থেকে আরো অনেক বেশি ভালো মেয়ে পাবে।
যে তোমায় খুব ভালবাসবে।
কোন দিন ক’ষ্ট দিবেনা।
প্লিজ কেঁদোনা।

_আমি তোকে চাই বিন্দু।আমার কোন ভালো মেয়ে লাগবেনা।আমি শুধু তোকে চাই তোকে।তোকে ছাড়া আমি বাঁ’চবোনা কলিজা।
বাঁচবোনা আমি।
প্লিজ তুই কাঁদিস না।তুই কাঁদলে আমার বুকটা ফে’টে যেতে চায়।বিন্দুরে আমি তোকে খুব ভালবাসি কলিজা।খুব ভালবাসি।

আমি রণকে কাঁদতে কাঁদতে বলি,
_আমাকে তুমি মাফ করে দিও।আমি যতদিন তোমার সামনে থাকবো তত দিন তুমি আমাকে ভুলতে পারবেনা।আর কোন ভাবেই ভালো থাকতে পারবেনা।
দূরে সরে গেলেই আমাকে তুমি ধীরেধীরে ভুলে যাবে।
তাই আজ আমি তোমাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেলাম।আর কোন দিন তুমি আমার ছায়াও দেখবেনা।
ভালো থেকো।ভালবাসি।
দোয়া করি অন্য কাউকে নিয়ে জীবনে সুখী হও।

আমি কথা বলে ফোন টা রাখার পরই ও ওর মোবাইল টা এক আ’ছাড়ে ভেঙে ফেলে।

যা কিছুক্ষণ পর ওর পাশে থাকা ভাইয়া টার মাধ্যমে আমি জানতে পারি।
আর মোবাইল ভাঙা পিক গুলোও আমি দেখতে পাই।

আমি আমার আইডিটা ডি এক্টিভ করে দেই।
যোগাযোগের সব মাধ্যম আমি বন্ধ করে দেই।
নিজের মোবাইল টাও কাঁদতে কাঁদতে আ’ছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলি।

যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় আমাদের।
আমি তিলেতিলে নিজের ভেতর নিজেই শেষ হতে থাকি।
আর ওই দিকে রণও জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
না আছে ও ভালো,
না ভালো আছি আমি।

নতুন মোবাইল কেনার আগ পর্যন্ত আমি আমার আম্মু আর বোনের মোবাইল থেকে আমার অন্য একটা আইডি দিয়ে ওর আইডি সারাক্ষণ ঘুরে দেখি।

কিন্তু ওর কোন সাড়া শব্দ নেই।
কারণ মোবাইল যে নেই ওর।মোবাইল কিনলে পরে না আসবে ফেসবুকে।

বন্ধ হয়ে যায় আমাদের যোগাযোগ।
আমিও আর যোগাযোগের চেষ্টা করিনা।

আমার বন্ধু বান্ধবী বল্লো,
বাবা মা জন্ম দিয়েছে এত বড় করেছে,এত ভালবেসে বড় করেছে। তাদের জন্য হলেও রণর কাছ থেকে দূরে থাক।তাদের কষ্ট দিস না।জীবনে সুখী হবিনা।
আর রণর ভালো চাইলে রণর কাছ থেকে দূরে থাকবি।
দেখবি, ও ধীরেধীরে তোকে ভুলে যাবে।
চোখের আড়াল মানেই হচ্ছে মনের আড়াল।

আমি মনে মনে বলি,
আমি নিজেই তো ওকে কোন দিন ভুলতে পারবোনা।
তাহলে কিভাবে বিশ্বাস করবো আমি,ও আমাকে ভুলে যাবে?

নিজের শত কষ্ট হলেও দূরে আছি আমি রণর কাছ থেকে।
একদিকে আম্মু আব্বুর ভালোর জন্য,আর অন্যদিকে আমার রণর ভালোর জন্য।

কয়েক মাস পর,

_বিন্দু।
_বলো,
_আমরা তোর বিয়ে ঠিক করেছি,
_ওহ।
_ছেলে তোকে আগে থেকেই চেনে।তাই আর দেখাদেখির চ্যাপ্টারে তারা যেতে চায়না।

তোর আব্বু আর আমার ওকে খুব পছন্দ।
তুই কি ওকে দেখতে চাস?
_না।
_তুই কি বিয়েতে রাজি?
_আমার কথা তোমরা শুনেছো কখনো?
যে আজ শুনবে।
_তাহলে বিয়ের আয়োজন করছি কিন্তু আমরা।
আগামী শুক্রবারই বিয়ের ডেইট ফেলতে চাচ্ছে ছেলে।তুই কি বলিস?
_তোমাদের যা ইচ্ছে তাই করো।প্লিজ আমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস করতে এসোনা।

আম্মু আব্বুর মুখের দিকে চেয়ে আমি নিজের ভালবাসা কুর”বানি দিতে চলেছি।
জি”ন্দা লা”শ হয়ে বেঁচে থাকার পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছি।

#১০_পর্ব

আম্মু আব্বু আত্মীয়স্বজন সবাই বাসায়ই হলুদ দিলো আমায়।

আহারে আহা,কত স্বপ্ন ছিলো রণর পরিবার আমাকে হলুদ ছুঁয়ে দিবে।
রণর পিচ্চি ভাইটা এসে আমাকে ভাবী ভাবী বলতে বলতে হলুদ ছুঁয়ে মিষ্টি খাইয়ে দিবে।
সবার অগোচরে রণ এসে আমার কপালে হলুদ আর ওর ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে যাবে।
সবই স্বপ্ন রয়ে গেলো।

সবাই খুশি,শুধু আমার মুখে হাসি নেই।
চোখের জলে গাল বেয়ে বুকও ভিজে যাচ্ছে,সবার ধারণা বিয়ে করে এ বাড়ী আর বাবা মাকে ছেড়ে চলে যাবো বলে কাঁদছি।
কিন্তু আমি যে কিসের জন্য কাঁদছি,কার জন্য কাঁদছি।
তা যে শুধু আমিই জানি।

হয়ে গেলো হলুদ সন্ধ্যা।

সারারাত কেঁদে বালিশ ভিজালাম।

পরের দিন,

আজ আমি চিরতরে রণর পর হয়ে যাবো।
চাইলেও আর বলতে পারবোনা,
কলিজারে!ভালবাসি অনেক টা।
ইচ্ছে করলেই আর পারবোনা জড়িয়ে নিতে এ বুকে।
চাইলেও পারবো না ওই বুকে মাথা রেখে চিৎকার করে কান্না করে কষ্ট গুলো ধুয়ে মুছে ফেলতে।

ওরে জীবন রে,ও জীবন।

বিয়ের শাড়ী গহনা এনে আমাকে পরানো হচ্ছে।
শাড়ী কেমন গহনা কেমন তার দিকে আমার কোন খেয়াল নেই।
না খেয়াল আছে অন্য কোন দিকে।
আমি তো মু”র্তির মত হয়ে আছি।
যার যেভাবে ইচ্ছে আমাকে সাজাচ্ছে।

কিছু ক্ষণ পর আম্মু প্লেটে করে খাবার নিয়ে আসে।

_হা কর,
_না।
_খেয়ে নে।
পরে কখন না কখন আবার খাস।
_প্রয়োজন নেই।

আম্মু বুঝতে পারে আমি খাবোনা,খাবোইনা।তাই আম্মু চলে যায় প্লেট নিয়ে।

আমার সাজ কমপ্লিট।
মেহমান এসে খেয়ে নিয়েছে।

কিছু ক্ষণ পর সবাই চিল্লিয়ে বলছে,
বর এসেছে বর এসেছে।

বুকের ভেতর র”ক্ত ক্ষ”রণ হচ্ছে আমার।
আজ তো আমাকে নিতে আমার রণর আসার কথা ছিলো।অথচ..

কি ভাগ্য!কি নিয়তি।
সব কিছু শেষ হতে চলেছে এক নিমিষে।

বর পক্ষ খাওয়া দাওয়া করলো।
খাওয়া দাওয়ার পর বিয়ের পালা।

আমি কেঁদে যাচ্ছি,কেঁদেই যাচ্ছি।
দম বন্ধ হয়ে আসছে।বুকটা ফেটে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।

শেষমেস আমার ভালবাসাটাকে বুকের ভেতর দাফন করে তিন কবুল পড়ে আমি হয়ে গেলাম কারো কেনা বস্তু।
যে এখন শুধু আমার দেহ টাই পাবে।
মন টাতো আমি দিয়েই দিয়েছি আমার রণ কে সেই কবে।

বাসর ঘর টা কেন যেন আমাদের বাসায় আমার রুমেই সাজানো হয়েছে।
আমাকে আজ নিয়ে যাবেনা বর পক্ষ।
আগামীকাল নিয়ে যাবে।
তাই আমার রুমটাই ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।

আমার ছোট বোন আমাকে আমার রুমে বসিয়ে দিয়ে গেলো।

আমি বসে আছি,দু চোখ ভরা কত স্বপ্ন ছিলো।রণ কে নিয়ে,বাসর ঘর নিয়ে।
স্বপ্ন গুলো সব চোখের পানিতে ধুয়ে যাচ্ছে।

কিছু ক্ষণ পর দরজায় নকের শব্দ।

কলিজাটা এক মুহূর্তেই কেঁপে উঠলো।
মনে মনে বলতে লাগলাম,বিধাতা আ”ত্মহ”ত্যা তো মহা’পা”প জানি।
তুমি আমাকে স্বাভাবিক মৃ”ত্যু দাও প্লিজ।আমি যে আর সইতে পারছিনা।

আমার সামনে পাঞ্জাবী পরিহিত একজন পুরুষ এসে দাঁড়ালো।
আমি মাথা নিচু করে বসে আছি।

_উহু উহু,কেমন আছিস বিন্দু?

আমি আমার মাথার ঘোমটা টান দিয়ে খুলে ফেলে,

_অভ্র ভাইয়া তুমি?

আমি চিৎকার করে কাঁদতে থাকি,
আর বলতে থাকি,ভাইয়া কেন তুমি আমার এত বড় ক্ষ”তি করলে?
আমি তো তোমায় ভালবাসিনা।আর না পারবো কোন দিন বাসতে।
কেন তুমি আমার সাথে সাথে নিজের জীবন টাও ন’ষ্ট করলে?
কেন ভাইয়া কেন?

_আরে পাগলি,আমাকে তো কিছু বলতে দিবি।

_আমি তোমাকে ভালবাসি না ভাইয়া,কেন তুমি বুঝতে পারছোনা?

(আমি আমার বাম হাত দিয়ে চোখ ঢেকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকি।)

_আচ্ছা এক সেকেন্ড,
তাকা আমার দিকে,
ওই,এদিকে তাকা।
হাত টা সরা চোখ থেকে।

আমাকে না হয় ভালবাসিস না,ভালবাসতে পারবিনা।
এই ছেলেটাকে তো ভালবাসতে পারবি?

আমি অভ্র ভাইয়ার কথা শুনে মুখ থেকে হাত টা সরালাম।

আর সামনে তাকাতেই দেখি,
অভ্র ভাইয়ার সাথে আমার রণ দাঁড়ানো।
আর আমার রণর চোখ ভর্তি জল।

বেচারা আমার দিকে অস”হায়ের মত তাকিয়ে আছে।

আমি চিৎকার দিয়ে কান্না করে ফ্লোরে বসে পড়ি।

আর বলতে থাকি,
_সরি রণ,আমাকে তুমি ক্ষ”মা করে দিও।
আমি পারলাম না তোমার হতে।
আমি পারলাম না তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে।
আমি মনে প্রাণে তোমার হলেও দেহের দিক থেকে তোমার পরই রয়ে গেলাম।
আমাকে তুমি ক্ষ”মা করে দাও।

রণ আমার দিকে এগিয়ে এসে বলে,

_কে বলেছে পাগলী এসব?
তুমি আজ থেকে পুরোপুরি আমার হয়ে গেছো।কাগজে কলমে মনে প্রাণে সব ভাবে আজ থেকে তুমি আমার।
বউ তুমি আমার।
কারো সাধ্য নেই তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেয়ার।

_মানে?

_আরে তুই কবুল বলার সময় বরের নাম শুনিস নি?
_নাতো।
_গা”ধী,নাম না শুনেই কবুল বলে দিয়েছিস।

বরের নাম হচ্ছে, মোঃরাহান আহমেদ রণ।

_কিন্তু রণ তো বলেনি।রণ বললে আমি ঠিকই শুনতাম।

_হুম,শুধু মোঃ রাহান আহমেদ বলেছে।
কারণ রণ তো ওর ডাক নাম।

সো আপনি এখন মিসেস রণ বুঝলেন?
নট মিসেস অভ্র,তাই ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই।ওকে?

_হুম,ওকে।
_থ্যাংক ইউ সো মাচ অভ্র।তুই না থাকলে আমি বোধয় এখন কবরেই থাকতাম।
তোর জন্য আমি আমার ভালবাসাকে পেয়েছি।তোর কথা আমি কোন দিন ভুলবোনা।

_ভুলার কোন চান্সও নেই বোন জামাই।
যেহেতু আমি আপনার বউ এর বড় ভাই।
সেহেতু সারাজীবন আমাকে দেখতেই হবে।আর মনে রাখতেই হবে।

_আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।

_কিছুই বুঝবেন না আপনি,
আপনার জন্য এই ছেলেটা ম”রতে যাচ্ছিলো।১০ তলার উপর থেকে লাফিয়ে পড়তে যাচ্ছিলো।আপনাকে হারানোর ক’ষ্ট স”হ্য করতে না পেরে।
আর আমি তাকে বাঁচাই।

_তুমি কিভাবে?
_কারণ আমি আর রণ একই জায়গায় থাকি।তবে পাশাপাশি রুমে।

ও যেদিন সু”ইসা”ইড করার চেষ্টা করছিলো সেদিন আমি ওকে বাঁচাই।আর কেন এমন করতে যাচ্ছিলো জিজ্ঞেস করি,

তারপর ও আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কান্না করে।
ছেলে মানুষ যে এত কাঁদতে পারে।তা আমি ওকে দেখেই বুঝেছিলাম।
আর তারপর ওকে শান্ত করে জিজ্ঞেস করি,বিষয় টা কি।

এন্ড দ্যান, ও আমাকে সব খুলে বলে।
অমুক নামের মেয়েকে ও ভালবাসে।
ওকে ছাড়া বাঁচতে পারবেনা।

তারপর আমি বললাম,ওর আইডিটা দেখি।
ও আমাকে তোর আইডি দেখালো।

এইতো আমার কাছে তখন সব ক্লিয়ার।
আমি ওকে বুঝালাম।আর বললাম,
যেভাবেই হোক আমি তোর ভালবাসাকে তোর করে দিবো।

ও আমাকে বল্লো,কোন দিনই পারবিনা তুই।আমি ওকে হারিয়ে ফেলেছি।

তখন আমি ওকে বললাম,তোর ভালবাসার মানুষটা আমার আপন খালাতো বোন।

হারিয়ে ফেলিস নি তুই ওকে।বরং পেয়ে গেছিস খুব সন্নিকটে।

তারপর আর কি,রণ আমাকে জড়িয়ে ধরে আরো কাঁদলো।বুঝতে পারলাম।এটা খুশির কান্না।

_তারপর কি হলো ভাইয়া?
আম্মু আব্বুকে কিভাবে রাজি করালে?
উনারা তো রাজি ছিলেন না।
_তারপর আমি আর রণ এক সাথে দেশে আসলাম।

দেশে এসে রণ কে একদিন তোদের বাসায় নিয়ে এলাম।পরিচয় করিয়ে দিলাম খালামণি আর খালুর সাথে।
বললাম,
_খালামণি, খালু,ও আমার বন্ধু রণ।
খুব ভালো ছেলে।বিয়ে করতে দেশে এসেছে।
আমি ওকে বলেছি আমার একটা বোন আছে।
তারপর ওকে বিন্দুর ছবি দেখাই।ও পছন্দ করে।
আপনারা দেখুন,কেমন লাগে ওকে।
আমি তো আর বিন্দুর জন্য খারাপ ছেলে পছন্দ করবোনা।

সব কিছু খুলে বললাম ওর সম্পর্কে।
শুধু হা”ইড করে গেছি তোদের রিলেশনের কথা টা।

_সবই ঠিক আছে,তবে বাসাটা দূরে হয়ে যায়না?
এত দূরে বিন্দুকে বিয়ে দিবোনা।

_না না খালু,বিন্দুর এত দূরে যেতে হবেনা।
ও তো এখানেই জায়গা দেখতেছে।
জায়গা কিনে এখানেই রুম তুলে চলে আসবে।

_সত্যি নাকি?
_হুম সত্যি।
_তুই সব কিছু ভালো মত খোঁজ নিয়েছিস তো?

_আরে আমি গত কাল ওদের বাসা থেকে ঘুরে এসেছি।
চাইলে আপ্নারাও চলুন,ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।
_না না থাক।তুমি আমার ছেলের মত।
তুমি কি আর তোমার বোন কে নদীতে ভাসিয়ে দিবে?
ওর ভালোই চাইবে তুমি।

ছেলেকে তো ভালোই লাগছে আমাদের।
তাহলে বাবা,তুমি তোমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক দিন আসো।

_না খালু,দূর বলে উনারাও এখন আর আসবেন না।
যদি আপনারা রাজি হোন তাহলে এক বারে বিয়ের দিনই আসবেন তারা।
তাদের কোন আপত্তি নেই।রণর পছন্দই তাদের পছন্দ।

_ছেলে কি বিন্দুকে দেখবে?
বিন্দুতো এমনিতেই একটু ঝামেলা করছে।
আসতে চাইবে নাকি ওর সামনে কে জানে।

_সমস্যা নেই।আমি তো অভ্রর কাছ থেকে ওর ছবি দেখেছি।
আর একটু আগে বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলো আমি দেখেছি দূর থেকে।
আমার আর দেখতে হবেনা।
সে যদি আমাকে দেখতে চায় তাহলে দেখা করার ব্যবস্থা করিয়েন।
নয়তো আমার কোন সম”স্যা নেই।
আর আমার ছুটি কম তো,তাই কারো আপত্তি না থাকলে সামনের শুক্র বারেই বিয়েটা হলে ভালো হয়।

_ও এই কথা বলতে পারলো ভাইয়া?
ও না এত্ত লাজুক?
_কিভাবে যে আমি বলেছি সেটা আল্লাহ্‌ ই জানেন।
_আর তারপর হয়ে গেলো তোদের বিয়ে।
ফাইনালি আমি সাক্সেস।পেরিছি আমি ভালবাসার দুটি ফুল কে মিলিয়ে দিতে।

পেয়েছিস তুই তোর ভালবাসার মানুষকে?
আর তুই পেয়েছিস তোর রণ কে?
_হুম পেয়েছি।
_এবার আমি তাহলে যাই?
নাকি কা”বাব মে হা”ড্ডি হবো?

আমি আর রণ অভ্র ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলাম।
অভ্র ভাইয়া আমাদের দুজনের মাথায় দুই হাত রেখে দোয়া করলেন।

_আমি তোদের সুখী দেখতে চাই।
অনেক সুখী হ তোরা।
_ভাইয়া,
_হুম বল,
_তুমি খুব ভালো ভাইয়া,খুব ভালো।
_হা হা হা,পা”গলী।

ভাইয়া আমার হাতে একটা কাগজের টুকরো দিয়ে চলে গেলেন।

_ফাইনালি আমরা হাজবেন্ড এন্ড ওয়াইফ।
উফফফফফফ।

এই কথা বলে রণ শান্তির নিঃ”শ্বাস নিলো।
আমি রণকে বললাম,এক মিনিট আমি একটু ওয়াশ রুম থেকে আসছি।
_আচ্ছা।

আমি ওয়াশ রুমে গিয়ে কাগজের টুকরোটা খুললাম,
ওখানে লিখা আছে।

বিন্দু,
আমি তোমাকে সত্যিকারের ভালবেসেছি,তাই আমি চাই তুমি সুখী হও।
যেখানে অভ্র ভাই এত বড় একটা সে”ক্রি’ফা’ইস করেছে,সেখানে আমি আর এমন কি।আমি কিন্তু তোমার বিয়েতে এসেছিলাম,শুধু মাত্র তোমাকে এক ন’জর দেখতে।
ও হ্যাঁ, অতি শীঘ্রই আমাদের আবার দেখা হবে।চিঠিটা অভ্র ভাইয়ের কাছে দিয়ে গেলাম।ভয় নেই,আমি তোমার আগেও কোন ক্ষ”তি করিনি,এখনো করবোনা।
শুভ বাসর।
~লিমন।

চিঠিটা পড়ে স্বস্তির নিঃ”শ্বাস ফেললাম আমি।
তারপর চিঠিটা ছিড়ে ফেলে দিয়ে রুমে চলে এলাম।

রুমে আসতেই রণ আমাকে এক ঝাঁ”টকায় বুকে টেনে নিয়েছে।

_এই এই ছাড়ো ছাড়ো,একদম জড়িয়ে ধরবেনা আমায়।
_কেন কেন?
_তোমার না বউতে এ্যালা”র্জি?
_ওটা তো আগে ছিলো,
এখন তো আর নেই।
তোমার ভালবাসায় এ্যালা”র্জি,লজ্জা সব দূর হয়ে গেছে।

_কাছে আসলে মা”রবো কিন্তু,
_তোমার ভালবাসায় ভয়কেও আমি করে ফেলেছি জয়।

এই বলে রণ আমাকে ওর বুকে জড়িয়ে নিলো।
আর ওর বুকে ঠাই পেয়ে কেটে গেলো আমার,পৃথিবীর সমস্ত ভয়।
পূর্ণতা পেলো আমাদের ভালবাসা।

সমাপ্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে