ভালোবাসার_রং পর্ব-১৭

0
2488

#ভালোবাসার_রং (❣️You are my Lifeline ❣️)

#Part_17

#Ishita_Rahman_Sanjida_(Simran)

আনহা আকিবের গালে হাত দিয়ে স্লাইড করতেছে,,,,আকিবের ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে আছে আনহা,,,, অসম্ভব সুন্দর লাগছে আকিবকে চুলগুলো কপালে এসে পড়েছে,,,,যার কারণে আকিবের সৌন্দর্য আরো বেড়ে গেছে,,,,আনহা আকিবের চুলগুলো আরও এলোমেলো করে দিল,,,, তারপর আস্তে আস্তে আকিবকে ডাকতে লাগল,,,,,,
আনহা: আকিব,,,,,আকিব,,,,
আকিব: উমমমম,,,,(ঘুমের ঘোরে)
একটু নড়ে চড়ে আবার ঘুম,,,,,
আনহা: উফফফ,,,আকিব,,,(একটু জোরে) আমার ঘুম মাটি করে এখন নিজে মরার মত ঘুমাচ্ছে,,,,
আকিব চোখ মেলে তাকায়,,,,,
আকিব: হোয়াট হ্যাপেন্ড,,,,,ঘুম পাচ্ছে তো,,,,
আনহা: কিন্তু আমার ঘুম আসছে না,,,,সো তুমিও ঘুমাতে পারবে না ওকে,,,,,,

আকিব আনহাকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে ওর বুকের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ল,,,,

আনহা: এটা কি হচ্ছে,,,,, আমার ঘুম আসছে না আর তুমি এভাবে ঘুমাচ্ছ ওঠো,,,,

আকিব আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে আনহাকে,,,,,যার কারণে আনহা ওকে ঠেলে সরাতে পারছে না,,,,,, অবশেষে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিল,,,,আকিব আনহার হাত টেনে নিয়ে ওর মাথার উপর রাখল,,,,আনহা মুচকি হেসে আকিবের সিল্কি চুলগুলো আস্তে আস্তে টানতে লাগলো,,,,, এভাবে আনহাও একসময় ঘুমিয়ে পড়ল,,,,,,

সকালে রৌদ্রের মৃদু আলো চোখে পড়তেই আনহার ঘুম ভাঙ্গে,,,,, তাকিয়ে দেখে রোদের আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে দেখে বোঝাই যায় না যে কালকে অনেক বৃষ্টি হয়েছিল,,,,,আকিব এখনো আনহার বুকের উপর ঘুমানো আনহা আস্তে করে আকিবকে সরিয়ে বাথরুমে চলে যায়,,,,,গোসল সেরে শাড়ি পরে তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বের হয়ে দেখে আনহা গিয়ে আকিবকে ডাকতে লাগলো,,,,,
আনহা: আকি,,,,,ব ওঠো তাড়াতাড়ি,,,,কয়টা বাজে খেয়াল আছে,,,,,

আনহার ডাকে আকিব লাফ মেরে উঠল,,,,,
আকিব: উফফফ দিলে তো আমার সুন্দর স্বপ্ন টাকে নষ্ট করে,,,,
আনহা: ওহ তাই,,,,এতো স্বপ্ন কেন দেখ চুপচাপ ঘুমাবে স্বপ্ন দেখার দরকার কি,,,

আনহার কথায় আকিব একদফা অবাক হয়,,

আকিব: ওয়াট,,,,স্বপ্ন দেখার পিছনে আমার হাত কোথায়,,,,,ঘুমালে তো যে কেউ স্বপ্ন দেখে,,,, তুমি ও তো দেখ,,,, আর আমি কি ইচ্ছে করে স্বপ্ন দেখি,,,,,
আনহা: তুমি ইচ্ছে করেই উল্টা পাল্টা স্বপ্ন দেখ,,,,এখন কথা না বলে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো আমি নাস্তা রেডি করছি,,,,
আকিব: আরেকটু ঘুমিয়ে নেই,,,,
আনহা: তাহলে অফিসে কি আমি যাব,,,,
আকিব: না না আমি যাব কিন্তু আজকে না কালকে,,,,,
আনহা: কি,,,,, আমি এক্ষুনি বাবাকে ফোন করে বলছি,,,,,
আকিব: আচ্ছা জ্বালায় পড়লাম তো,,, আল্লাহ আমার মতো শাকচুন্নী বউ যাতে আর কারও কপালে না পরে,,,,,
আনহা: কি আমি শাকচুন্নী,,,, ওকে থাক তুমি এখানে আমি যাই,,,,একদম আমার কাছে আসবে না,,,,রিধির কাছে যাও,,, গো,,,,
হাতের তোয়ালে আকিবের মুখের উপর ছুড়ে মেরে চলে যায়,,,,,আকিব ও হাসতে হাসতে ওয়াসরুমে চলে যায় আনহাকে রাগাতে আকিবের বেশ ভালো লাগে,,,তাইতো বারবার
রাগিয়ে দেয়,,,,,
ফ্রেশ হয়ে আকিব নিচে যায়,,,,আনহা খাবার রেডি করতেছে আকিব গিয়ে বসে,,,,,আনহা এখনো রেগে আছে,,,,ঠাসঠুস প্লেট গ্লাস আকিবের সামনে রাখে পারলে ওর মাথায় ছুঁড়ে মারে,,,,, কিন্তু মারে না,,,,,আকিবকে খাবার দিয়ে চলে যেতে নিলে আকিব আনহার হাত ধরে টেনে নিয়ে ওর পাশের চেয়ারে বসায়
তারপর নিজের হাতে খাইয়ে দেয়,,,,আনহা প্রথমে খেতে চায়না,,,, কিন্তু আকিবের ইনোসেন্ট ফেস আর চোখের দিকে তাকিয়ে না খেয়ে থাকতে পারেনা,,,,আনহাকে খাইয়ে আকিব নিজেও খেয়ে নিল,,,,,তারপর অফিসে যাওয়ার জন্য দরজা পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে আসে,,,,,আনহা তখন টেবিল গোছাচ্ছিল,,,,আকিবকে আসতে দেখে চোখের ইশারায় জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে,,,,
আকিব এসেই আনহার কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিল,,, মুচকি হেসে চলে গেল,,,,,
আনহা আকিবের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে আবার নিজের কাজে মন দিল,,,,,,,
আকিব চলে যাওয়ার পরে ওর শ্বশুর শাশুড়ি আসে,,,,, সাথে রিমি কেও নিয়ে আসে,,,,, কয়েকদিন রিমি এখানেই থাকবে,,,,আনহা ও খুব খুশি কারণ এতদিন একা থাকতে থাকতে বোর হয়ে গেছে এবার রিমির সাথে থাকলে সময় তাড়াতাড়ি কাটবে,,,,








আনহা: উফফ আকিব আর কতক্ষন লাগবে
এক ঘন্টা যাবত বসিয়ে রেখেছ,,,,ছবি আঁকতে আর কতো সময় লাগবে,,,,

আকিব: ব্যাস আর পাঁচ মিনিট,,,,,
আনহা: পাঁচ মিনিট করতে করতে ঘন্টা পার করে দিলে,,,, এখনো তোমার পাঁচ মিনিট শেষ হলো না,,,,,উফফ

আকিব:নাও,,,,,, পেইন্টিং কম্পিলিট,,,,

আকিব গিয়ে আনহাকে এনে পেইন্টিং এর সামনে দাঁড় করালো,,,,
আনহা: বিউটিফুল,,,,ওয়াও,,,,
আকিব: হুম,,,,কার পেইন্টিং দেখতে হবে না
আনহা: আমি সেটা বলিনি,,,,বলেছি আমাকে অনেক সুন্দর লাগছে,,,,,
আকিব: ??? (বড় একটা নিঃশ্বাস ছাড়লো) হুম,,,কার বউ দেখতে হবে না,,,,

আনহা: হুমমম,,, কিন্তু ছবি আঁকতে গিয়ে হাতে আর শার্টে রঙ লাগিয়ে কি করেছ,,,,,

আকিব পিছন থেকে আনহার কোমড় ধরে ফলে আনহার পেটে অনেকটা রঙ লেগে যায়

আকিব: নো প্রবলেম,,,,,এটা তো ভালোবাসার রং,,, আর সে রং দিয়ে তোমার ছবি এঁকেছি
আমার গায়ে লাগলে সমস্যা কোথায়,,,,,
আনহা: এসবের কি দরকার ছিলো নিজের ও কষ্ট হলো,,,,কত টাইম লাগলো,,,,

আকিব: লিসেন এটুকু সময় কিছুই না আমি তো তোমার জন্য সারাজীবন ধরে এভাবে পেইন্টিং করতে চাই Because you are my love,,, life,,,,and #You_are_my_lifeline

আনহা: ওকে তাহলে আমি তোমার ছবি আঁকবো,,,,
আকিব: রিয়েলি,,,,, তুমি পারবে,,,
আনহা: কেন পারব না,,,, তুমি পেইজটা চেঞ্জ করে আমার জায়গায় গিয়ে বসো দেখবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে তোমার ছবি এঁকে দিব,,,,

আকিব: ওকে,,,,
আকিব পেইজ চেঞ্জ করে গিয়ে চেয়ারে বসে
আনহা পাঁচ মিনিট ধরে আঁকিবুঁকি করে,,,,

আনহা: কম্পিলিট,,,,আকিব এসে দেখে যাও

আকিব পুরোই অবাক,,,,এতো তাড়াতাড়ি ছবি আঁকা ইম্পসিবল তবুও আকিব এগিয়ে যায় দেখার জন্য,,,,পেইন্টিন এর সামনে গিয়ে আরেকদফা অবাক হয়,,,,,আনহা আকিবের ছবির জায়গায় একটা কাকতাড়ুয়ার ছবি এঁকেছে,,,,,আকিব রাগি চোখে পেছনে তাকায় কিন্তু আনহা নেই অনেক আগেই পালিয়েছে,,,,,আনহা দরজার পাশেই দাঁড়ানো ছিল,,,,আকিব কে ডেকে একটা ভেংচি কেটে দৌড়ে চলে গেল,,,,,,,

আকিব: এখন পালাও,,,, একবার তোমাকে বাগে পাই,,,,,,






রাতে আকিব বিছানায় শুয়ে শুয়ে ল্যাপটপে কাজ করছিল,,,,আনহা কফি হাতে রুমে যায়
আকিবের দিকে কফি এগিয়ে দেয়,,,,,আকিব কফি নিয়ে পাশের টেবিলে রেখে আনহাকে টান দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়,,,, হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে,,,,,

আকিব: আমাকে দেখে কি তোমার কাকতাড়ুয়া মনে হয়,,,,হুম,,,,
আনহা: না,,,,,,
আকিব: তাহলে কাকতাড়ুয়ার ছবি এঁকেছিলে
কেন,,,,,
আনহা: এ এমনি,,,,
আকিব: এমনি,,,,,
আনহা: রিমি আপু,,,,(দরজার দিকে তাকিয়ে)

আকিব ঘাবড়ে গিয়ে দরজার দিকে তাকায়
আনহা আকিব কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে উঠেই দৌড়ে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াল পিছনে ঘুরে দেখল আকিব বোকার মতো তাকিয়ে আছে,,,,আনহা আকিবকে আবার ভেংচি কেটে দৌড়ে চলে গেল,,,,আকিব তো রাগে ফুলে ঢোল হয়ে গেছে,,,,,
ডিনার সেরে আকিব আগেই রুমে চলে গেল আনহা সবকিছু গুছিয়ে তার পর রুমে যায়,,,,,
রুমের দরজাটা ভেজানো ছিল,,,,আনহা আস্তে আস্তে দরজাটা একটু ফাঁক করে রুমে উঁকি দিল সারা রুমে চোখ বুলিয়ে দেখল আকিব নেই,,,,,,

আনহা: মনে হচ্ছে বাথরুমে না হয় বারান্দায়
আমি এখন তাড়াতাড়ি গিয়ে শুয়ে পড়ি,,,না হলে এযাত্রায় রক্ষা নেই,,,,,
আনহা কোন দিকে না তাকিয়ে রুমে ঢুকে একটু এগোতেই ঠাস করে দরজা লাগানোর শব্দে পিছনে ঘুরে তাকায়,,,,, আর কেউ নয় আকিব এতোক্ষণ দরজার পিছনে লুকিয়ে ছিল তাই আনহা দেখতে পায়নি,,,আকিবকে দেখে আনহা শুকনো ঢোক গিলল আকিব আনহার দিকে এগিয়ে আসছে আনহা দৌড় দিতে নিলেই আকিব ওর হাত ধরে টেনে নিজের বুকের সাথে আনহার পিঠ মিশিয়ে নেয়,,,আনহার এক হাত পিছমোড়া করে ধরে আছে,,, আর অন্যহাতে আনহার কোমড় আর হাত সহ ধরে আছে,,,,আনহা ছোটার শত চেষ্টা করেও পারল না শেষে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে,,,,,,
আকিব: আমাকে কাকতাড়ুয়া বানানো তাইনা
এর শাস্তি তোমাকে পেতে হবে,,,,

আনহা ভয়ে কাচুমাচু হয়ে গেল,,,,,

আনহা: কি শাস্তি,,,,, বিশ্বাস করো আমি মজা করে এঁকেছিলাম আর আমি কি তোমার মতো
ভালো ছবি আঁকতে পারি,,,,
আকিব: সেটা আমার জানার দরকার নেই আমি তোমাকে এখন শাস্তি দেব,,,,,

বলতে বলতে আকিব আনহার ঘাড়ে নিজের
ঠোঁট বুলাতে লাগল,,,,আনহা আকিবের পরশে বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছে,,,,আকিব নিজের কাজে ব্যস্ত,,,,, এতদিন পর ওদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেল,,,,আকিব চায়না আনহাকে এক মুহূর্তের জন্য দূরে রাখতে চায় না এভাবেই সারাজীবন আনহাকে নিজের পাশে পেতে চায়,,,,

❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আনহা নিজেকে আকিবের বুকের উপর আবিস্কার করে,,,,,,
আকিব আনহাকে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে ঘুমিয়ে আছে,,,,,আনহা আকিবের থেকে নিজেকে ছাড়াতে চাইলে আকিব আরও জোরে নিজের সাথে ওকে চেপে ধরে,,,,,

আনহা: উফফফ আকিব ছাড়ো,,,,, আমাকে যেতে হবে,,,,
আকিব: আমি না ছাড়া পর্যন্ত তুমি কোথাও যেতে পারবে না কথা না বলে চুপচাপ ঘুমাও আর আমাকে ও ঘুমাতে দাও,,,,

আনহা আর কি করবে আকিবের কথাই মানতে হবে,,,,,ও আকিবের বুকের মধ্যেই শুয়ে আছে যদিও ঘুম আসছে না তবুও শুয়ে আছে,,,,,

আজকে আকিব অফিসে যায়নি কারণ আজকে আনহা আর রিমিকে নিয়ে ঘুরতে যাবে,,,,,
বিকেলে সবাই রেস্টুরেন্টে যায় খেতে,,,,,
রিমি শুধু খেয়েই যাচ্ছে,,,,, আর আকিব চেয়ে চেয়ে দেখতাছে,,,,,
আকিব: আপু আস্তে খা,,, খাবার তো পালিয়ে যাচ্ছে না,,,,
রিমি: তুই চুপ কর,,,,, তুই কিছু বুঝবি না,,,,

আকিব: এখানে বোঝাবুঝির কি আছে,,,
আনহা: আকিব চুপ থাকো,,,,,, আপুর সাথে ঝগড়া না করলে ভালো লাগে না তোমার,,,,

রিমি: এখন বুঝবি না যখন সময় আসবে তখন ঠিকই বুঝবি এখন আমাকে খেতে দে,,,,

আনহা একটু লজ্জা পেল কিন্তু আকিব কিছুই বুঝতে পারছে না,,,,,, খাওয়া শেষে ওরা পার্কে গেল ঘুরতে,,,,,,, ওখানে গিয়ে সোহানের সাথে দেখা,,,,আকিব সোহানকে দেখে ওর কাছে গিয়ে সোহানের সাথে হ্যান্ডসেক করে,,,,,

আকিব: হে ব্রো কেমন আছো,,,,,,
সোহান: ভ ভালো,,,,,
আকিব: সাথে কে ভাবি নাকি,,,,, (সোহানের পাশে দাঁড়ানো মেয়েটির দিকে তাকিয়ে)
সোহান মাথা নাড়ায়,,,,সোহান বুঝতে পারে না যে আকিব সোহানের ওপর ক্ষেপা সেই আকিব সোহানের সাথে ভালো ব্যবহার করতেছে,,,,,আনহাও অবাক,,,,,

রিমি: আকিব তুই ওকে চিনিস,,,,,
আকিব: হুম,,,,,ফ্রেন্ড,,,,,
রিমি: ওহ,,,,,শোন (সোহানের দিকে তাকিয়ে) আমাদের বাসায় তোমার বউকে নিয়ে আসবে কিন্তু,,,,,
সোহান মাথা নাড়ল,,,,আকিবের তো ভিশন হাসি পাচ্ছে কোনরকম হাসি থামালো,,,,,

আকিব: আচ্ছা আসি আমরা চলো,,,,,,

সোহান হাবলার মতো তাকিয়ে ওদের যাওয়া দেখতেছে,,,,আকিব কিছু দূর গিয়ে আবার সোহানের কাছে ফিরে এসে বলল,,,,,
আকিব: থ্যাঙ্কস,,,,আনহাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য,,,,

বলেই আকিব চলে গেল,,,,,সোহান তো পুরাই শোকড,,,,,,

রাতে,,,,,,,,,,

আনহা: সোহানের সাথে এতো ভালো ব্যবহার
কি ব্যপার,,,,,
আকিব গিয়ে পেছন থেকে আনহাকে জড়িয়ে ধরে,,,,
আকিব: কারণ ও না থাকলে আমি তোমাকে পেতাম না,,,,তাই ওকে আজকে ধন্যবাদ দিয়ে আসলাম,,,,,(আনহা ঘাড়ে নিজের নাক ঘষে)

আনহা: তাহলে আমাকে তো রিধিকেও থ্যাঙ্কস দিতে হবে,,,,,
আকিব: কেন,,,,,
আনহা: তুমি তো জানো আমি কারো ঋণ রাখি না,,,,,, তুমি আমার এক্সকে থ্যাঙ্কস জানিয়েছ আর আমি তোমার এক্সকে জানাব
সিম্পল,,,,,,
আকিব: ওকে পরের বার যখন রিধির সাথে দেখা হবে তখন জানিয়ে দিও,,,,,

দু’জন একসাথে হেসে ওঠে,,,,,আকিব আনহাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল,,,,,,
এমন সময় দরজায় টোকা পড়তেই আকিব আনহাকে ছেড়ে দিয়ে দরজা খুলল,,,,,দেখল
রিমি এসেছে,,,,,
আকিব: আপু তুমি,,,,,
রিমি: আনহাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি নিচে আয় বাবা ডাকছে,,,,,

এটা বলেই রিমি চলে যায়,,,,আকিব একটু অবাক হয়,,,, তার পর আনহ আর আকিব একসাথে নিচে আসে,,,, নিচে এসে ওরা আরও অবাক হয়,,,,আকিব একটু খুশি হয় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে,,,,,,,

আকিব: ভাইয়া,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

আকিব দৌড়ে গিয়ে রাকিবকে জড়িয়ে ধরে,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে