ভালোবাসার দেবী অলকা রানী-shanzida tasniim rito

0
460

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং-২

ভালোবাসার দেবী অলকা রানী,
হ্যাঁ তোমাকে আমি এই নামেই ডাকবো আপুনি। কুশল বিনিময়ের প্রয়োজনই দেখছি না কারণ তোমার সাথে আমার রোজ প্রচুর কথা হয়। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে এতো কথা বলি তাহলে চিঠি লেখার প্রয়োজন হলো কেন, তাইতো? উত্তরটা হলো, আমি সবাইকে জানাতে চাচ্ছি যে একদম অপরিচিত একটা মানুষ এতো দ্রুত আপন কীভাবে হতে পারে যে তার সাথে নিজের একান্ত গোপন কোথাও আলোচনা করতে কুন্ঠাবোধ হয় না।
আপুনি,
তুমি নিজেই একবার আমাকে বলেছিলে যে তুমি নিজেও বিশ্বাস করতে না যে অনলাইন জগতে কেউ এতো আপন হতে পারে। এটা অবশ্য আমি এখনও বিশ্বাস করি না কারণ সামনা-সামনি বসে নিজে হেসে আরেকজনের হাসি দেখার সৌভাগ্য এখানে পাওয়া যায় না। তবুও আমরা কিন্তু অনেক আপন। ধন্যবাদ গল্পপোকাকে যার মাধ্যমে আমি তোমাকে পেয়েছি। পেয়েছি আরও দুষ্টু-মিষ্টি অনেক গুলো মানুষ কিন্তু তোমার আন্তরিকতা অন্যরকম ছিল। আমি জানি না আর কার কাছে তুমি প্রিয় বা আপন কিন্তু আমার কাছে তুমি বিশেষ একজন।
আমার প্রিয় ডিকশনারি,
তোমার কাছ থেকে যে কতকিছু শিখেছি। তুমি একদম হাতে ধরে আমার বানান ঠিক করিয়েছো। ভুল গুলো সুন্দর করে শুধরে দিয়েছো। আমি যেকোনো লেখা শেষে তোমার শরণাপন্ন হতে বাধ্য হই আমার লেখা ঠিক আছে কি না দেখানোর জন্য। কই আর কারোর কাছে তো যাই না। কেন? কারণ আর কেউ তোমার জায়গাটা নিতে পারেনি।
প্রিয় আপুনি,
তুমি সব সময় আমার পাশে থেকেছো একদম বড় বোনের মতো। প্রয়োজনে শাসন করেছো, রাগ করেছো, বকা দিয়েছো কিন্তু ভালোবাসার মাত্রাটা বরাবরই অন্যরকম ভাবেই রেখেছো। কেউ কিছু বললে অজান্তেই আমার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছো। জানো, আমার খুব হিংসা হয় তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসছো দেখলে কিন্তু কিছু বলতে পারি না কারণ তোমার মত অসাধারণ একজন মানুষ শুধু একজনের ভালোবাসার প্রাপ্যতা রাখে না। তুমি একদম আমার বড় বোনের মতোই আমাকে আগলেছো কতবার তার হিসেব নেই।
এখন আসো একটা গোপন কথা বলি, আমার বড় বোনকে আমি তোমার কথা বলেছিলাম। সে যে কি পরিমাণ খুশি হয়েছে তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। আপু বলেছে যাক আমার বোনটার একটা সঙ্গী তো হয়েছে আমার অভাব পূরণ করার মতো। আচ্ছা আপুনি, আসলেই কী কারোর অভাব পূরণ করা সম্ভব? তোমাকে আমি যতবার প্রশ্ন করেছি, “তুমি না থাকলে আমাকে কে শুধরে দিতো?” তুমি ততবারই উত্তর দিয়েছো, “হয়তো অন্য কেউ।” তাহলে আমাকে বলো যে সেই অন্য কেউ আমার জীবনে না এসে তুমি কেন আসলে?
আপুনি,
বিশ্বাস করো তুমি যেভাবে প্রতিটা প্রতিযোগিতার খোঁজ দাও, আমি লিখতে না চাইলে বারবার আমার লেখার প্রতি তৃষ্ণা জাগানোর চেষ্টা করো এটা তুমি ছাড়া আর কেউ করবে না, করতো না। আশা করছি এতক্ষনে প্যাঁচাল পড়ে বুঝতে পেরেছো কেন চিঠি লিখেছি। খ্যাতিমান ব্যক্তিরা বলে গিয়েছেন কারোর প্রশংসা সামনা-সামনি করতে হয় না। এতো কথা তো মেসেজে বলা যায় না তাই সব চেয়ে সঠিক, অনিন্দ্য আর উত্তম পন্থা বেছে নিলাম। ভালো করেছি না আপুনি?
যাইহোক, বেশি কথা না বলি। দোয়া করি তুমি আরও বড় পাঠক হও। তোমার সহযোগিতার হাত আমার মতো হাজারও নতুন লেখক/লেখিকাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। তুমি এমনই হাস্যজ্জল, মিশুক, আপন হয়ে থাকো সবার মাঝে।

ইতি
তোমার প্রীতু

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে