প্রেম প্রেম পায়রা পর্ব-০৩

0
316

#প্রেম_প্রেম_পায়রা
#পর্ব_৩.
#গোলাপী_আক্তার_সোনালী

“মিঃ শিকদার আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন আপনি কাকে ঘুষের অফার করছেন।একজন মন্ত্রী হয়ে দেশের জনগণের সেবা না করে তাদের ক্ষতি করছেন।সেটা ধামাচাপা দেয়ার জন্য একজন সরকারি পক্ষের আইনজীবীকে আপনি ঘুষ দিতে চাইছেন আপনার এলেম আছে বলতে হয়।

” আহা আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন সোলাইমান সাহেব।বুঝেছি টাকার এমাউন্ট কম হয়ে গেছে।ঠিক আছে আমি বাড়িয়ে দিচ্ছি।এই কে আছিস গাড়ি থেকে আরো একটা সুটকেস নিয়ে আয়।আপনি আগে বলবেন না?

“আপনি এক্ষুনি বেরিয়ে যান আমার বাড়ি থেকে।
আপনার সাথে আমার কোর্টে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। আপনি সাধারণ মানুষের যে ক্ষতি করতে চাইছেন তা কোনোদিন পুরন হবে না। আমি বেঁচে থাকতে আপনার আশা আশাই থেকে যাবে মিঃ শিকদার।

” আপনি কিন্তু কাজটা ঠিক করছেন না সোলাইমান সাহেব।এর জন্য পস্তাতে হবে।

“বললাম তো আপনার সাথে আমার কোর্টে দেখা হবে। আপনি এবার আসতে পারেন।

” কিন্তু তার জন্য তো আপনাকে সেই অব্দি বেঁচে থাকতে হবে।

“মানে!

” মানে আপনার কাছে আমার বিরুদ্ধে যে ডকুমেন্টস গুলো আছে তা যদি আমাকে না দেন তাহলে আজকের পর আপনি আর এই দুনিয়ার আলো দেখতে পারবেন না।

” হুমকি দিচ্ছেন?

“একদম না।

সোলাইমান সাহেবকে ইচ্ছা মতো গনপিটুনি দেয়া হলো।মুখের অবস্থা করুন।থেতলে দিয়েছে।

” শেষ বারের মতো বলছি বলুন ডকুমেন্টস গুলো কোথায় আছে?

“মরে গেলেও বলবো না।আমাকে হয়তো আজ তোরা মেরে ফেলবি কিন্তু পাপ কোনোদিন চাপা থাকে না।একদিন আসবে যেদিন সবকিছু সবার সামনে আসবে।

কথা গুলো বলতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো সোলাইমান সাহেবের।একজন সৎ উকিল।এভাবে জীবন দিতে হবে সে নিজেও ভাবেনি কোনোদিন।বাইরে প্রচুর বৃষ্টি।যার কারনে চিৎকারের আওয়াজ কেউ শুনতে পেলো না।

” বাবা!
ছোয়ার গলা শুকিয়ে এলো।এতক্ষণ সে স্বপ্ন দেখছিলো।এই স্বপ্নটা ১৮ বছর ধরে দেখে যাচ্ছে ছোয়া কিন্তু বাবার খুনির মুখ আজ অব্দি দেখতে পায়নি।

“কেন বাবা। বার বার এসেও কেন চলে যাও।কেন হারিয়ে যাও বাবা।আমি কেন ওই শয়তানটার ফেস দেখতে পাই না।কেন?

পাশের রুম থেকে লুবনা বেগম ছুটে এলেন মেয়ের রুমে।

” কি হয়েছে ছোয়া চিৎকারের আওয়াজ শুনলাম?

“কিছু না মা।স্বপ্ন দেখেছি।ঠিক আছি এখন।

” আমি থেকে যাবো?

“না মা।আ’ম ফাইন।

” ঠিক আছে কোনো প্রয়োজন হলে ডাকিস।

“হুম।

সেদিন বাবার বিধস্ত লা*শ নিজের চোখে দেখেছিলো ছোয়া।খুনিকে গাড়িতে করে যাওয়া দেখলেও তার চেহারা দেখতে পায়নি কারন মুখমণ্ডল পুরোটা ঢাকা ছিলো তার।দেখেছিলো মায়ের অর্ধ উ*ল*ঙ্গ শরীর। মামা বাড়ি থেকে বাবা মায়ের ১৬ তম বিবাহ বার্ষিকের সারপ্রাইজ দিতে এসেছিলো মামাকে নিয়ে।কিন্তু এসে নিজেই যে সারপ্রাইজ হয়ে যাবে তা ভাবেনি।সেই রাতেই মামা শামসুল হকের সাহায্যে মাকে বাঁচাতে পারলেও বাবাকে বাঁচাতে পারেনি ছোয়া ।লুবনা বেগমকে জানোয়ারের মতো খুবলে খেয়েছিলো হায়নার দলেরা।শেষে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছিলো।কিন্তু ভাগ্য ভালো থাকায় গুলিটা মাথার সাইডে লাগার কারনে সে যাত্রায় মাকে বাঁচাতে পেরেছিলো।১২ বছরের ছোয়া অনেকটাই ভেঙ্গে পরে।মামার কাছেই তারা দীর্ঘ ১৪ বছর কাটিয়ে দেয়।লুবনা বেগম প্রায় ৩ বছর কোমায় ছিলেন।
সেসব মনে পরলে এখনো গায়ে কাটা দেয় ছোয়ার।

” আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি বাবা কাউকে ছাড়বো না আমি।এক এক করে সবাইকে খুজে বের করবো।তারপর নিজ হাতে শাস্তি দেবো।

রাত প্রায় দুটো নুহাশ ছাদে বৃটিতে ভিজছে।এই বৃষ্টি নিয়ে নুহাশের অনেক অনেক স্মৃতি জরিয়ে আছে। নুহাশ এই পরিবারের কেউ নয়।বাবা আলহাজ্ব চৌধুরীর কাছে শুনেছে নুহাশকে সে কোনো এক বৃষ্টির রাতেই ডাস্টবিনে কুরিয়ে পেয়েছিলো।সবে তিন বা চার দিনের সদ্যোজাত নুহাশ।কে বলতে পারে হয়তো কারো গোপন পাপের ফল ছিলো সে।নুর তখন নাহার বেগমের গর্ভে। মাত্র ৩ মাসের গর্ভবতী ছিলো নাহার বেগম।তখন আলহাজ্ব চৌধুরী সবে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে।আগে তিনি একজন নামকরা লিডার ছিলো।সমস্ত খারাপ কাজের সাথে যুক্ত ছিলো।তার জন্য জেলেও গিয়েছে বহুবার। কিন্তু সেখান থেকে ভালো কাজে ফিরে এসেছে শুধু নাহার বেগমের ভালোবাসায়।সেসব এখন অতীত।

বাবা হিসেবে দারুন একজন ছিলেন আলহাজ্ব চৌধুরী। নুহাশকে নিজের সন্তান ছাড়া অন্য চোখে দেখেননি তিনি।নাহার বেগম মাতৃস্নেহে বুকে আগলে নিয়ে বড় করেছে নুহাশকে।একটা নতুন পরিচয়, নতুন নাম দিয়েছে তারা।এই মানুষ গুলোর কাছে নুহাশ কৃতজ্ঞ।তারা না থাকলে আজ হয়তো নুহাশের কোনো অস্তিত্ব থাকতো না।হয়তো সেদিন ওখানেই বৃষ্টিতে ভিজে মরে থাকতো নয়তো কোনো কুকুর বিড়াল ছিড়ে খেতো।

হ্যাঁ এরাই তো প্রকৃত আপনজন।নুহাশের সবকিছু। নুর নুহাশের প্রান।মাঝে মাঝে ঝগড়া করে বোনের সাথে কিন্তু সেটা মন থেকে নয়।এমনিতে বোনকে চোখে হারায় নুহাশ।নুরও ভাই বলতে অজ্ঞান।

আজও ছোয়া রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে।আজ অবশ্য তেমন জ্যাম নেই।কিন্তু ইলেকশনের মিছিলের কারনে রাস্তা প্রায় বুকড।এতে বেশ বিরক্ত হয় ছোয়া।কি দরকার এসবের।আরে মিছিল করবি কর কিন্তু এভাবে রাস্তা বন্ধ করে কোনো মানে আছে? প্রায় ১৫ মিনিট এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে ছোয়া।ছোয়ার মনে হলো ওর পাশে কেউ আছে।সেটা দেখার জন্য পাশে তাকালো সে।নুহাশ দাঁড়িয়ে আছে।

“এই ছেলে আবার এখানে কি করছে।তার তো মিছিলে থাকার কথা।

” কেমন আছেন মিস ছোয়া?

“আপনি এখানে কি করছেন আপনার তো এখানে থাকার কথা না।

এই মেয়েটা কি সহজ ভাবে কথা বলতে পারে না?
” হ্যাঁ মিছিলেই ছিলাম দেখলাম আপনি এখানে দাঁড়িয়ে আছেন তাই।

“কি করবো বলুন রাস্তা তো আটকে রেখেছেন।তাই রিক্সা পাচ্ছি না।আপনাদের তো কোনো সমস্যা নেই যত সমস্যা আমাদের মত সাধারণ মানুষের।

” ঠিক আছে রাস্তা এখনি ফাঁকা করে দিচ্ছি।

“মানে?

” দেখুন না।

ঠিক ৫ মিনিটে পুরো রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলো।নুহাশের কোনো লোক আর রাস্তায় নেই।

“নিন মেডাম এবার আপনি যেতে পারেন।

” সত্যি সত্যিই ফাঁকা হয়ে গেলো বাহঃ।বাই দ্যা ওয়ে সেদিনের জন্য ধন্যবাদ।

“ইটস ওকে।আপনি চাইলে আপনাকে ড্রপ করে দিতে পারি।

” ধন্যবাদ। আমি যেতে পারবো।

এরি মধ্যে একটা রিক্সা পেয়ে গেলো ছোয়া।সেটাতে চরে বসতেই রিক্সা চলে গেলো নুহাশের চোখের সামনে দিয়ে।ছোয়া একবার ও নুহাশের দিতে ফিরে দেখলো না।যেটা দেখে নুহাশ একটা হাসি দিলো।নুহাশ জানে এই মেয়ে এতো সহজে ধরা দিবে না।

ইলেকশনের চাপে নুহাশ পাগল প্রায়।এদিকে আজও ছোয়াকে সেই ছেলে সাথে দেখা গেলো।নুহাশ ছবিগুলো শুধু দেখে গেলো।

বিকেলে ছোয়া বাড়িতে এসে অবাক।নুহাশ তার মায়ের সাথে কথা বলছে।ছোয়াকে দেখে নুহাশ কথা বলার আগেই ছোয়া বলে উঠলো।

“একি আপনি এখানে কোনো কারন?

” ছোয়া তোর সাথে আমার একটু কথা আছে এদিকে আয়।

“কি হয়েছে মা?

” আসলে ও এসেছে তোর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।তোকে বিয়ে করতে চায়।

“কি! তুমি রাজি হয়ে গেলে?

” না হবার তো কিছু নেই।ছেলেটা ভালো।

“তুমি জানো ছেলেটা পলিটিক্স করে?

” হ্যাঁ। আর এটা তো খারাপ নয়।

“কিন্তু আমার এটা পছন্দ নয় তুমি ভালো করেই জানো।

” কিন্তু।

“আপনি আমার মা-কে কি বলেছেন মিঃ নুহাশ?

” হয়তো আপনি শুনেছেন।তবুও বলছি আমি আপনাকে পছন্দ করি বিয়ে করতে চাই।

“বাহঃ।আপনি বললেন আর আমি আপনাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে যাবো তাই তো।এটাই ভেবেছেন আপনি?

” দেখুন আপনি রাজি হোন বা না হোন আমার তাতে কিছু যায় আসে না।আমি শুধু আমার ডিসিশন জানাতে এসেছি।জানিয়ে গেলাম এখন আপনি রাজি হলে ভালো আর না হলে সেটা আমিও খুব ভালো করেই জানি আপনাকে কি করে রাজি করাতে হবে।

“থ্রেট দিচ্ছেন।আমি জীবনেও আপনাকে বিয়ে করবো না।বুঝেছেন আপনি।এবার আপনি যেতে পারেন।

” ঠিক আছে তবে আমিও দেখি আপনি কি করে আমাকে বিয়ে না করেন।বিয়ে আপনাকে করতেই হবে।এটা নুহাশ চৌধুরীর চ্যালেঞ্জ।

নুহাশ চলে গেছে।গাড়িতে বসে প্ল্যান করছিলো সে কিছু একটা।

“দেখছেন ভাই এই মাইয়ার দেমাগ।আপনারে কয় বাসা থেকে বাইর হইয়া যাইতে।

” চিন্তা করিশ না বিপুল একবার এলেকশন টা যেতে দে তারপর আমিও দেখছি কি করে এই মেয়ে আমার থেকে নিজেকে বাঁচায়।

লুবনা বেগম ছোয়ার সাথে কোনো কথাই বলছেন না।বলা বাহুল্য নুহাশকে জামাই হিসেবে বেশ পছন্দ হয়েছে তার।কিন্তু মেয়ের জেদের কাছে তিনিও অপারগ।আপাতত মেয়ের ওপর অভিমান করেই তিনি কথা বলছেন না।

সেদিনের পর নুহাশ আর ছোয়ার সাথে কোনো রকম কথা বলেনি।কেটে গেছে দুটো সপ্তাহ। আজ ভোটের দিন। নুহাশ অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বেশিই ব্যস্ত।

ভোটের রেজাল্ট সন্ধ্যার মধ্যেই প্রকাশ করা হলো।যথারীতি নুহাশই অসংখ্য ভোটে জয়লাভ করেছে।সেই আনন্দে দলের সবাই স্লোগান দিচ্ছিলো।রাস্তা দিয়ে আসার সময় ছোয়া সবকিছুই দেখছিলো।এতে অবশ্য তার কোনো মাথা ব্যাথা নেই।


তিন মাস পর।নুহাশের পার্টি অফিসে আজ বড়সড় একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।কেন না আজ নুহাশের এমপি পদের নতুন করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো।তারই আয়োজন।

ছোয়া বসে বসে বাবার রেখে যাওয়া ডায়েরি পড়ছিলো।এখানে তার লেখা অনেক গোপন কথা আছে যা লুবনা বেগমও জানেন না।ছোয়ার বাবার শত্রুদের সম্পর্কে অনেক কিছুই এখানে লেখা আছে তাদের অনেকের পরিচয় কিন্তু শিকদার নামে কারো কোনো কিছু লেখা নেই।ঠিক এই নামটাই খোজার জন্য ছোয়া বার বার এই ডায়েরিটা পড়ে দেখে কিন্তু ফলাফল বরাবরের মতোই শূন্য।

“কতবার যে এই ডায়েরি পড়েছি তার ঠিক নেই।না এই শিকদারের কোনো হদিস পেয়েছি না বাবাকে খুন করার কোনো কারন।কিন্তু স্বপ্নে যেটা দেখি তাতে এটা স্পষ্ট যে এমন কোনো প্রমাণ বা ডকুমেন্টস আছে যার জন্য আমার বাবাকে আমার থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে।কিন্তু সেটা কি।কি হতে পারে?

আচ্ছা বেশ কিছু বছর আগে আমার নামে একটা ব্যংকের চিঠি এসেছিলো বাবার রেখে যাওয়া।যদিও সেখান থেকে কোনো টাকা তোলা হয়নি এখনো।মা বলেছিলো সেখানে একটা লকারের ডিটেইলস দেয়া আছে।কোনোভাবে।হ্যাঁ হতেই পারে।ইশ আমার মাথায় আগে কেনো এটা আসেনি। তার মানে যে পেন ড্রাইভ টা আমার কাছে আছে এখানে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু ক্লু তো আছেই।আমাকে এটাই খুজে বের করতে হবে।কিন্তু সেখানে তো আমাদের একটা ফ্যামিলি ফটো ছাড়া কিছুই নেই।আমাকে আগে ওই পেপারস গুলো দেখতে হবে।

সেই কখন থেকে লুবনা বেগমের আলমারি ঘেটে যাচ্ছে ছোয়া কিন্তু পাচ্ছে না।লুবনা বেগম রান্না করছিলো বলে তাকে আর বিরক্ত করেনি।

” তুই আমার আলমারির এই অবস্থা কেন করছিস ছোয়া।কি লাগবে বলবি তো।

“মা সেই ব্যাংকের চিঠির খামটা কোথায় যেটার ব্যাপারে আমরা জানতাম না কিছু?

” ড্রয়ারেই আছে।সেটা দিয়ে কি হবে?

“দরকার আছে মা। দাও প্লিজ।

ছোয়া খামটা নিয়ে আবার নিজের ঘরে চলে গেলো।লুবনা বেগম মেয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবলেন।

” কি জানি এই মেয়ের দুদিন পর পর কি হয়।

“এইতো সেই লকারের ডিটেইলস।আমাকে এক্ষুনি একবার ব্যাংকে যেতে হবে জানতে হবে কি আছে এই লকারে।

ছোয়া দেরি না করে রেডি হয়ে গেলো।যে করেই হোক এই শিকদার কে।বাবার সাথে কি শত্রুতা ছিলো এই সবকিছু তাকে জানতে হবে।

” মা আমি বের হচ্ছি ফিরতে দেরি হতে পারে।

“এই সময় আবার কোথায় যাচ্ছিস?

” একটু ব্যাংকে যাচ্ছি মা। এখন না গেলে বন্ধ হয়ে যাবে।আসছি।

“স্যার মেডাম একটা ব্যাংকের সামনে নামলো।মনে হচ্ছে ব্যাংকেই কোনো কাজে এসেছে।

” হুম।অপেক্ষা করো আর নজর রাখো।

“ঠিক আছে স্যার।

” এমন কি কাজ যে এই সময় ব্যাংকে যেতে হবে?

ছোয়া লকার থেকে একটা বাক্স পেলো যেটা পাসওয়ার্ড ছাড়া খুলবে না।আর এটার পাসওয়ার্ড ছোয়ার জানা নেই।আপাতত এটাকে এখানেই রেখে দিলো ছোয়া।তারপর ব্যাংক থেকে বেরিয়ে মিলিকে ফোন করলো।এমনিতে মিলি যেমনই হোক মেয়েটা খুব ইন্টেলিজেন্ট।

মিলি তখন তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলছিলো।হঠাৎ ছোয়ার কল দেখে ভাবুক হয়ে পরলো।

“কি ব্যাপার ইনি আবার কল করছে কেন।আচ্ছা শোনো না জান আমার মেডাম ফোন করেছেন কথা বলে তোমাকে কলব্যাক করছি বাই।

” লিসেন মিলি এক্ষুনি দেখা করো।খুব জরুরী কথা আছে তোমার সাথে।

“কোনো কি সমস্যা ম্যাম।মানে আপনার কথা এমন শোনাচ্ছে কেন?

” বিষয় টা সিরিয়াস কিন্তু পারসোনাল। তুমি এক কাজ করো আমি একটা এড্রেস দিচ্ছি এক্ষুনি সেখানে চলে এসো।

“ঠিক আছে ম্যাম আপনি একটু ওয়েট করুন।

কফিশপে বসেছে ছোয়া মিলি।খুব জরুরী কথা চলছে তাদের মধ্যে।

” তার মানে আপনার মনে হয় এই পেন ড্রাইভ টায় এমন কিছু আছে যা আপনি খুজে পাচ্ছেন না।কিন্তু ম্যাম আংকেল কি এতো বোকামি কাজ করবে? না মানে এতো সেনসেটিভ কিছু এর মধ্যে রাখবে?

“আমরা অনেক সময় সামান্য জিনিসকে সামান্য ভেবে এরিয়ে চলি কিন্তু সেই সামান্য কিছুও মাঝে মাঝে অসামান্য কাজ করে মিলি।কেসের ক্ষেত্রে দেখো না।

” হুম তা ঠিক।আপনি চিন্তা করবেন না ম্যাম।আমাকে দুদিন সময় দিন আই হোপ কিছুতো একটা পাবো।

“বিষয় টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিলি।এই মুহূর্তে তোমাকে ছাড়া আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না।তাই তোমাকেই জানালাম।আই হোপ খুব তারাতাড়ি এর সমাধান পাবো।

” আমাকে আপনি ভরসা করেছেন এটা আমার কাছে কতোটা আনন্দের আপনাকে বলে বুঝাতে পারবো না ম্যাম।

“হয়েছে ইমোশনাল হয়ে যেও না।অনেক বেলা হলো এবার আমাদের যেতে হবে।

” ঠিক আছে। চলি তবে।

“মন বলছে কিছু একটা হবেই।আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো বাবা।তোমার মেয়ে তোমায় কথা দিচ্ছে।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে