তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে পর্ব – ১৭

0
1167

#তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে💖
#মিফতা তিমু
#পর্ব-১৭

ডাক্তার সাহেবের গলা শুনে আমি সুশি দুজনেই চমকে ঊঠে পিছনে ফিরলাম।সুশি মিয়াও করে উঠলো।ডাক্তার সাহেব কে দেখে দু কদম পিছিয়ে গেলাম।উনাকে দেখে আমার এখন অনেক ভয় করছে।উনার চোখ দুটো মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে লাল হয়ে আছে।আমি উনার চোখ দেখে বুঝতেই পারছিনা উনি কি আমার উপর রেগে আছেন নাকি কোনো কারণে কান্নাকাটি করেছেন?এসব ভাবতে ভাবতেই আবারও কানে ভেসে এলো ডাক্তার সাহেবের গলা।

‘ কেন এসেছ এখানে?বলেছিলাম না এখানে না আসতে? ‘

আমি ভয়ে ভয়ে ডাক্তার সাহেব কে বললাম,
আফরিন: না আপনি তো আমার সঙ্গেই এসেছিলেন…কিন্তু ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখলাম আপনি বাড়িতে কোথাও নেই তাই আমি আর সুশি আপনাকে খুজতে এসেছি….
তাহরীম: আজ শেষবারের মত ওয়ার্ন করছি।এই ভুল যেন দ্বিতীয়বার নাহয়।এখনই বের হও এই ঘর থেকে। Get out….

শেষের কথাগুলো ডাক্তার সাহেব খানিকটা জোড়ে ধমক দিয়ে বললেন।আমি আর সুশি কেপে উঠলাম।সুশি ডাক্তার সাহেবের চিৎকারে ভয়ে ক্রমাগত মিয়াও মিয়াও করে চলেছে।আমি তড়িৎ গতিতে পোর্ট্রেটটা রেখে সুশি কে নিয়ে বেরিয়ে এলাম ।আমি বেরিয়ে আসতেই ডাক্তার সাহেব খট করে শব্দ করে দরজা লাগিয়ে দিলেন।উনার আজ মন মেজাজ ভালো নেই বুঝতে পারলাম।উনার মুড ভালো নেই ভেবে আমারও মন খারাপ হয়ে গেলো।

নিচে না গিয়ে সোজা ঘরে চলে এলাম।বারান্দায় গিয়ে সুশি কে নামিয়ে দিয়ে বেতের মোড়ায় বসলাম।পা উঠিয়ে দিয়ে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।মন খারাপ হলেই আম্মুর কথা মনে পড়ে।এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম তখনই কানে ফোনের শব্দ এলো।সুশি মিয়াও মিয়াও করে আমায় জানান দিলো আমার ফোন বাজছে।আমি মুচকি হেসে ঘরে গিয়ে ফোনটা নিয়ে এলাম।কলার নেম না দেখেই রিসিভ করে বললাম হ্যালো। ‘ কেমন আছিস আফরিন ‘ বললো ওপাশ থেকে।

এতদিন পর ছোটো মামার গলা শুনে ভুত দেখার মত চমকে উঠলাম।সাথে সাথে কান থেকে ফোনটা নামিয়ে কলার নেম দেখলাম। কলার নেমে ছোটো মামা লেখা।আমি কানে দিয়ে বিস্ময় সুরে বললাম,
আফরিন: মামা তুমি?
ছোট মামা: তুই তো ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিস না তাই বাধ্য হয়ে আমায়ই তোকে ফোন করতে হলো।শুনলাম তুই বিয়ে করেছিস।তুই না বলতি আগে আমার বিয়ে দিবি তারপর নিজে বিয়ে করবি তাহলে সেই কথা কি করে ভুলে গেলি? একবারও বিয়ের আগে আমাদের কথা ভাবলি না?
আফরিন: মামা আসলে সবটা এত তাড়াতাড়ি হলো যে কিছু বলার সুযোগই পেলাম না।আমি তো এসেছিলাম বাংলাদেশে পড়তে কিন্তু হুট করে ফিরোজা বেগম আমার বিয়ে ঠিক করে দিলেন উনার বন্ধুর ছেলে অর্ণবের সঙ্গে।কিন্তু বিয়ের দিন তো এমন….
ছোট মামা: জানি।আমি এখানে বসে থাকলেও সব খবরই আমার আর বড় দাদুর ( আমার বড় মামা ) কানে আসে।তোর বর শুনলাম অনেক সুন্দর কিন্তু আমার কিসমত তো অনেক খারাপ।
আমি মামার কথা শুনে অবাক হয়ে বললাম,
আফরিন: মানে? তোমার কিসমত খারাপ হবে কেন?
ছোট মামা: আমি তোর থেকে কত বড়?
আফরিন: সাড়ে চার বছর…
ছোট মামা: আর তোর বর তোর থেকে কত বড়?
আফরিন: আমার এখন ২৫ বছর আর উনি আমার আট বছরের বড় তারমানে উনার এখন….৩৩ বছর।
ছোটো মামা: তারমানে তোর বর আমার সাড়ে তিন বছরের বড় 😑😑😑
আমার কপালটাই খারাপ যে ভাগ্নির বর আমার থেকে বয়সে বড়।এমন কপাল যেন কোনো মামার না হয়।

মামার কথা শুনে আমি হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে লাগলাম।আমার হাসির শব্দ শুনে সুশিও মিয়াও মিয়াও করে ওর উচ্ছাস প্রকাশ করতে লাগলো।ওই পাশ থেকে মামা বললো,
ছোটো মামা: আমার পরিস্থিতির মজা নিচ্ছিস? একবার শুধু তোর বর কে নিয়ে আয় তারপর মেরে যদি তোর বরের ওই চাদমাখা বদনখানি লাল না করেছি তাহলে আমিও সাদমান নিহাদ না।
আফরীন: এমনিতেই ডাক্তার সাহেব একটু রেগে গেলেই উনার চোখ মুখ ফুলে লাল হয়ে যায় আর তুমি উনাকে মারতে চাইছো? তাহলে তো আমি আর কারোর কাছে মুখ দেখাতে পারব না।

আমার কথায় মামা অবাক হয়ে বললো,
ছোট মামা: রেগে গেলে মানে?তোর উপর রাগটাগ করে নাকি আবার?আর বিয়ের দুদিন যেতে না যেতেই বর কে আদর করে ডাক্তার সাহেব ডাকা হচ্ছে?আল্লাহ তোর বিচার করবে,তুই তোর চেয়ে বড় একটা মামারে রাইখা বিয়ে করছিস।
আফরীন: আমি তোমার থেকে ছোট হলেও বয়স কিন্তু আমার কম না।আমি এখন মেডিক্যাল ফাইনাল ইয়ারে।এখন বিয়ে নাহলে কখনোই হতো না।আর ডাক্তার সাহেব কে আমি আগে থেকেই ডাক্তার সাহেব বলে ডাকি।আর মামা উনি আমার টিচার প্লাস সিনিয়র ডক্টর।আমি ভুল কিছু করলে তো একজন হাসব্যান্ড,একজন টিচার আর একজন ডক্টর হিসেবে উনি অবশ্যই বকবেন।উনার অধিকার আছে আমাকে বকার।
ছোট মামা: বাহ বিয়ের দুদিন যেতে না যেতেই বরের সাইড নিতে শুরু করেছিস। তা আফরু রানী তুই কি জানিস তোর এই জ্ঞান মূলক কথাবার্তা বড় দাদু শুনতেছে।
আফরীন: হোয়াট? ফোন স্পিকারে আছে?আর ইউ সিরিয়াস মামা? তুমি ফোন স্পিকারে কেন দিলে?
ছোট মামা: এখন বড় দাদু যদি আমার হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলে যে আফরিন কে ফোন দে আর স্পিকারে দিবি তাহলে আমি কি করতে পারি?বাই দ্যা ওয়ে বড় দাদুর সঙ্গে কথা বল।এখানেই বসে আছে তোর সঙ্গে কথা বলবে বলে। অলিভ,আলভী, বড় ভাবীও তোর সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছে।
আফরীন: তুমি শুধু বড় মামার কাছে দাও।আজ ওদের সঙ্গে কথা বলার সময় নেই।কাল শুক্রবার তখন বলবো।
ছোটো মামা আচ্ছা বলে ফোনটা বড় মামার হাতে ধরিয়ে দিল।

‘ কেমন আছিস আফরিন? শুনলাম বিয়ে করেছিস। ‘

ঐপাশ থেকে গম্ভীর স্বর ভেসে আসতেই কেপে উঠলাম।বুঝলাম মামা আমার হুট করে হয়ে যাওয়া বিয়েতে একেবারেই খুশি নয় আর হওয়ার কথাও না কারন মামার অনেক সপ্ন ছিল আমার বিয়ে নিয়ে।অলিভ আপু আর আলভী ভাইয়া তো বিয়ে করতে চায়না এখন তাই চেয়েছিল আমায় ধুমধাম করে বিয়ে দিবে।তারজন্য ছেলেও দেখছিল। একেকজন সুন্দর সুন্দর সাদা চামড়ার ছেলে যাদের কে ইংরেজি ভাষায় ‘ ফরেইনার ‘ বলে।

আমি ঠোঁট দুটো আলতো কামড়ে বললাম,
আফরীন: না আসলে মামা হুট করে ফিরোজা বেগম বিয়ে ঠিক করলেন আর বিয়ে যাওবা যার সাথে ঠিক হয়েছিল তার সঙ্গে তো হলোই না উল্টো ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে হয়ে গেলো।

‘ হোয়াট তুই যে বলেছিলি Mud Man যার সঙ্গে তোর ঝগড়া লেগেই থাকে তার সাথে বিয়ে হয়েছে? ‘ পাশ দিয়ে বললো অলিভ আপু কারণ আমি ফোন কানে ওর কথা শুনলাম।

আপুর কথা শুনতেই আমার দাত দুটো কিরমিরিয়ে উঠলো।আপু আর জায়গা পেল না এই কথাটা বলার। বড় মামা যদি একবার ডাক্তার সাহেবের উদ্ভট আচরণের কথা জানতে পারে দেন আই অ্যাম সিওর যে মামা আমাদের ডিভোর্স করিয়েই ছাড়বে।

‘ অলিভ যা বললো সেটা কি ঠিক আফরীন? ওই ছেলে তোর সঙ্গে ঝামেলা করে? ‘ বললো বড় মামা।

আফরীন: না বড় মামা ওটা তো বিয়ের আগে।এখন ডাক্তার সাহেব আমায় অনেক ভালোবাসেন।আমার অনেক যত্ন আত্তি খাতিরও করেন।

‘ কে আপনার যত্ন আত্তি করে মিসেস আফরিন? ‘

ডাক্তার সাহেবের গলা শুনে আমার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেলো।এইদিকে উনার গলা পেয়ে মামা হ্যালো হ্যালো করছে হয়তো ভালো করে শুনেনি বলে শোনার ভুল মনে করেছে।

আমি সাথে সাথে উঠে গিয়ে ডাক্তার সাহেবের মুখ চেপে ধরলাম।আমার মুখ চেপে ধরাতে উনি বিস্ময়ে আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছেন।আমি মুখ চেপে ধরার পরও উনি কিছু না বুঝেই ছোটাছুটি করতে করতে উঃ উঃ করতে লাগলেন।ঐদিকে মামা হ্যালো আফরিন আফরিন করছে।আমি কানের কাছ থেকে ফোনটা একটু দূরে সরিয়ে ডাক্তার সাহেব কে হুমকি দিলাম,
আফরীন: চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকুন। এখানেই দাড়িয়ে থাকবেন। একটা কথা বললে ঠেংরি ভেঙে দিবো।

আমার কথা শুনে সাথে সাথে ডাক্তার সাহেব চুপ করে গেলেন।আমি এবার উনার কাছ থেকে সরে এসে আবার মোড়ায় পা উঠিয়ে দিয়ে বসে বললাম,
আফরীন: মামা শুনতে পাচ্ছো?আসলে নেটওয়ার্ক প্রবলেম হয়েছিল।
বড় মামা: ও তাই বল।আমি মনে করলাম কেউ একটা তোর পাশ দিয়ে কথা বললো।
আফরীন: হ্যাঁ বললতো বলেই আমার মুখটা বাংলার পাঁচের মত হয়ে গেল।আমি মুখটা কাচুমাচু করে ডাক্তার সাহেবের দিকে তাকালাম।উনি এখনো আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন।

এইদিকে আমার কথা শুনে মামা গম্ভীর গলায় বললো,
বড় মামা: কে বললো? তোর বর?
আফরীন: না না উনি কিভাবে বলবেন।উনি তো এখন হসপিটালে বলেই আমি ডাক্তার সাহেবের দিকে তাকালাম।উনার চোখ ইতিমধ্যে কোটর ছেরে বেরিয়ে আসছে।আমি আবারও বললাম আসলে সুশি কথা বললো।
বড় মামা: সুশি কে?
আফরীন: আমার বিড়াল মামা।আমি আজ একটা বিড়াল নিয়েছি।
বড় মামা: বিড়াল কি এভাবে কথা বলতে পারে?
আফরীন: ঐযে বললাম নেটওয়ার্ক প্রবলেম।এই কারণেই তোমার মনে হলো সুশি কথা বলেছে।

এতক্ষণে সবটা তাহরীম বুঝতে পারলো যে কি হচ্ছে এখানে।আফরীন ওর সঙ্গে ওর মামার কথা বলাতে চাচ্ছে না বলেই এত লুকোচুরি,চুপ করানো।কথাটা ভাবতেই তাহরীমের মাথাটা এবার দপ করে উঠলো।ইচ্ছা করছে মেয়েটা কে একটা কষিয়ে চর মারতে।এবার বেশিই শুরু করেছে আফরিন।কিসের এত লুকোচুরি?শুধু এটাই বলেছিলো এখন নয় আর কয়দিন পরে বিয়ের কথা বলবে আর সেটার শাস্তি দিতেই মেয়েটা ওদের বিয়েটা সবার থেকে লুকাচ্ছে এমন কি নিজের মামার কাছ থেকেও।আসলে তাহরীম নিজের পায়েই নিজে কুড়াল মেরেছে।

আফরীন: মামা তুমি দেশে কবে আসবে? তোমাকে, মামীকে, অলিভ আপুকে, আলভী ভাইয়াকে, ছোট মামাকে সবাইকে অনেক মিস করছি।তোমাদের সেই এক বছর আগে দেখেছিলাম।এরপর তো চলেই এলাম।
বড় মামা: এখন জিজ্ঞেস করছিস কেন কবে আসব? তুই তো চাইছিলি আমাদের থেকে দূরে যেতে তাইতো এভাবে কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে গেলি।আমরা কি তোকে বেধে রেখেছিলাম? তোকে কি স্বাধীনতা দেইনি বলতো? ট্রেকিং থেকে হাইকিং সবকিছু করতে দিয়েছি। দেশ বিদেশে ঘুরতে দিয়েছি।এই পাঁচ বছরে এমন কোনো জায়গা নেই তুই ঘুরিসনি।তাহলে এরপরও কেন মিথ্যে বলে পালিয়ে গেলি।

মামার গলা শুনেই বুঝলাম মামা কাদঁছে।সত্যি বলতে আসলেই এই পাঁচ বছরে আমি যা চেয়েছি তাই পেয়েছি।মামা নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে সবটা করেছে আমার জন্য।আমার পড়ালেখার খরচ থেকে শুরু করে ঘুরাঘুরি সবকিছুর ভার মামার উপর ছিল অবশ্য মামার টাকা পয়সার অভাব কোনোদিনই ছিলনা তবুও মামা হয়েও বাবার মত পেলেছে আমায়।তাকেই এভাবে ছেরে চলে এলাম কিন্তু যেটার জন্য এলাম সেটা পুরোই তো মিথ্যা।মামাকে বলতেও পারছিনা যে বাবা মিথ্যা নাটক করে অসুস্থ হওয়ার নাটক করে আমায় বাংলাদেশে এনে ব্লাকমেইল করে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে।

আফরীন: মামা….
বড় মামা: সপ্তাহ খানিক পরে আসছি।তোর আর তোর বরের সঙ্গে দেখা করবো।আর এবার পার্মানেন্টলি ব্যাক করছি।অনেক হয়েছে বিদেশে থাকা।এবার নিজের দেশে থাকবো।
আফরীন: কিন্তু মামা তুমি বাংলাদেশি হলেও মামী আর অলিভ আপু,আলভী ভাইয়া তো আর বিদেশি না।বাংলাদেশে এসে ওদের কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছো?
বড় মামা: বুঝতে পারছি কিন্তু অবস্থার কথা ভেবে নিজের দেশে ফেরার ইচ্ছা তো বাদ দিতে পারব না। যাই হোক তোর বরের কি আসতে দেরি হবে? ওকে কি পাওয়া যাবে?
আফরীন: উনি তো হসপিটালে,অনেক রাত করে ফিরবেন।তুমি বরং দেশে এসেই উনার সঙ্গে কথা বলো।
বড় মামা: আচ্ছা তাহলে তুই খাইয়া দাওয়া কর।আজ রাখি, আল্লাহ হাফেজ….
আমিও আল্লাহ হাফেজ বলে রেখে দিলাম।ফোন কাটতেই বুকে হাত রেখে বড় বড় নিশ্বাস নিতে লাগলাম।উফফ কতগুলো মিথ্যা বলতে হয়েছে মামার সঙ্গে।এত মিথ্যা কথা লাইফে বলিনি। যাক এখন একটু খাওয়া লাগবে নাহলে পেটের গুড়গুড় থামবে না।নিচের যাওয়ার উদ্দেশ্যে সুশি কে কোলে নিয়ে এগোতেই ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে প্রচন্ড জোড়ে ধাক্কা খেলাম ।

ধাক্কা খেয়ে সাথে সাথে দুই কদম পিছিয়ে গেলাম।আমি ধাক্কা খেয়ে উল্টে পরে গেলেও ডাক্তার সাহেব এক ফোটাও নড়লেন না।উনি এখনো উনার জায়গাতেই আছেন।আমি উনার দিকে ভ্রু কুচকে তাকালাম।উনি অদ্ভুত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।আমি ডাক্তার সাহেব কে হেসে বললাম,
আফরীন: মামা না আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছিল।আমি আপনার কথা কত ভাবি তাইতো যে করেই হোক মামাদের ম্যানেজ করলাম।আমি কত ভালো তাইনা?

তাহরীম আফরিনের কথা শুনে মেকি হেসে বলে,
তাহরীম: হ্যাঁ আপনি অনেক ভালোতো।এখন আমরা নিচে যাই নাহলে সবাই উপরে চলে আসবে ডাকতে।
আফরীন: হুম চলুন….
তারপর আমি সুশি কে নিয়ে উনার সঙ্গে নিচে চলে এলাম খেতে।

~ চলবে ইনশাল্লাহ্

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে