ডিভোর্সের পরে পর্ব-৮+৯

0
800

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ৮
#লেখকঃরিয়াজ

মিম বল্লো হ্যাঁ অবশ্যই তুমি জানতে পারো।আমার তেমন বড় কোনো স্বপ্ন নেই নিজে যাতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি আমার বাবা মায়ের জন্য যাতে কিছু করতে পারি বাবা মা আর আমি থাকার জন্য যাতে একটি ফ্ল্যাট নিতে পারি তাহলেই হবে।এতূটুকুই আর এর জন্য আমাকে জব অথবা অন্য কিছু একটা করতে হবে।এরপর নীলয় জিজ্ঞাসা করলো এই মূহর্তে তুমি জব কোথাও পাবা না।

নিজেকেই কিছু করতে হবে।হয়তো একটি ব্যাবসা অথবা অন্য কিছু।মিম তখন তাকে বল্লো আমি মেয়ে মানুষ আমি কিসের ব্যাবসা করবো?

নীলয়ঃতুমি চাইলে বাসায় বসে বিভিন্ন আইটেমের খাবার দাবার অনলাইনে বিক্রি করতে পারো।যেটা এখন ঘরে বসে বাংলাদেশের অনেক মেয়েরাই করে।

মিমঃহুম এটা একটা ভালো বুদ্ধি।কিন্তু বাসায় তো আমার ভাইয়ের বউ লিজা আছে।সে কি এই সমস্ত কাজ আমাকে করতে দিবে?

নীলয়ঃএটাও ভাবার বিষয় আচ্ছা দাঁড়াও আমি ভেবে নেই কি করা যায়।

মিমঃনা এখন দাঁড়াতে পারবো না।আমি বসে থাকি তুমি ভাবো।

নীলয়ঃআচ্ছা দাঁড়াতে হবে না বাবা।তুমি বসেই থাকো।হুমম একটা আইডিয়া পেয়েছি।তুমি তোমার ভাইয়ের কাছে বলবা মিরাজ বাসায় বসে বসে থেকে আমার আর ভালো লাগছে না।আমি অন রান্না বান্না করে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করে একটি বিজনেস স্টার্ট করতে চাই।তুই কি বলিস।আর আমি এই বাসায় কিছুই করবো না।কারণ এতে করে তোর বউয়ের অনেক সমস্যা হতে পারি।আমি বাহিরে একটা বাসা বাড়া করে সেখানেই রান্না বান্না করবো।

মিমঃগুড আইডিয়া।আচ্ছা আমি আজকেই যেয়ে মিরাজের কাছে বলবো।কিন্তু বাসা পাবো কোথায়?

নীলয়ঃআরেএ বাসার চিন্তা তোমাকে করতে হবে না।সব ব্যাবস্থা আমিই করে দিবো।তুমি শুধু তোমার ভাইকে বলো।

এরপর মিম বল্লো আচ্ছা ঠিক আছে।এখন তোমার কথা বলো?তুমি কি স্কুল থেকে কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ করে কই হারিয়ে গেলা?পরিক্ষা দিয়ের পর থেকে অনেকবার তোমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু পরে জানতে পারি তুমি তোমার পরিবার সহ আমাদের এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে গেছো?

নীলয়ঃহ্যা আসলে আমাদের একটু পারিবারিক সমস্যা হয়েছিলো আর আব্বু আমাকে না জানিয়ে আমার জন্য সৌদি আরব যাওয়ার ভিসা বুকিং দিয়ে ফেলে।পরিক্ষার পর দিনই আমার ফ্লাইট ছিলো তাই আমি কাউকে কিছু বলেও যেতে পারিনি। ১ মাস হলো আমি দেশে আসছি।একটানা ৯ বছর আমি বিদেশে ছিলাম।

অনেকটা পরিবারের উপর রাগ করেই এতোদিন বিদেশে পরে ছিলাম।আর বিদেশ থেকে এসেই আমি টানা একমাস আমার সেই রেখে যাওয়া মানুষটিকে খুঁজি কিন্তু ওকে খুঁজেতে খুঁজতে আমি পেয়ে গেলাম তোমাকে।যাই হোক তোমাকে পেয়েও আমার অনেক ভালো লাগছে।এরপর মিম নীলয় কে জিজ্ঞাসা করলো তো নেক্সট প্লেন কি?আবার যাবা বিদেশে নাকি দেশেই থাকবা?

নীলয়ঃনাহহ বিদেশে আর যাবো এখন থেকে দেশেই থাকবো এখানেই একটা ব্যাবসা বানিজ্য করে জীবন পার করে দিবো?

মিমঃআচ্ছা শুধু এসব করলেই হবে?বিয়ে সাদি কিছু করবা না?

নীলয়ঃহ্যা অবশ্যই করবো যদি আমার সেই মানুষটি রাজি হয়।

মিমঃতুমি কিন্তু আমাকে এখনো বলোনি তোমার সেই মানুষটি কে?

নীলয়ঃবলবো বলবো যেদিন সময় হবে সেদিন ঠিকই বলবো।

এরপর নীলয় আর মিম সেখানে বসে আরও অনেক গল্প করলো স্কুলের সেই ফেলে আসা সোনালী দিম গুলোর কথা নিয়ে আলোচনা করলো।এরপর মিম বল্লো আচ্ছা আজ আর থাকতে পারছি না।বাসায় বাবা মা আছে তাদের সেবা যত্ন কর‍তে হয় আমার।

নীলয় বল্লো আচ্ছা ঠিক আছে চলো তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।তবে একটা কথা মনে রাখিও কখনো তোমার বাবা মায়ের মনে কষ্ট দিবা না।ওনাদের খেয়াল রাখবা সব সময়। তারা যাতে কোনো অবস্থাতাতেই কোনো কিছু নিয়ে কষ্ট না পায়।মিম বল্লো ইনশাআল্লাহ যতোদিন বেঁচে আছি বাবা মাকে কষ্ট দিবো না।

আচ্ছা চলো যাই এবার।এরপর মিম বাসায় চলে আসে।বাসায় আসার পর আমি (মিম)বাসার সব কাজ শেষ করলাম।এরপর রাতে যখন আমার ভাই বাসায় আসে খাওয়া দাওয়া করতে বসার পর সবাই তখন খাবার টেবিলেই ছিলো তখন সবার সামনেই আমি আমার ভাইকে বলি মিরাজ ঘরে বসে বসে আমার আর ভালো লাগছে না।
ঘরের কাজের পাশাপাশি আমি আরও কিছু একটা করতে চাই?

মিরাজঃআপুউ তুমি আবার কি করবে?তুমি বাসায় ই থাকো তোমার কিছু করতে হবে না।

মিমঃনা ভাই এভাবে জীবন চলবে না।তোর উপর ডিপেন্ড করে আর কয়দিন চলবো বল?তাছাড়া সংসারের সব খরচ চালাতে তোর কষ্ট হয়ে যায় সেটা আমি জানি।

মিরাজঃযাই হোক তোমার কিছু করতে হবে না।

মিমঃদেখ ভাই তুই বুঝার চেষ্টা কর আমারও একটা ভবিষ্যত আছে।তুই আমাকে আমার নিজের ভবিষ্যত তৈরী করতে দিবি না?

মিরাজ কিছুক্ষণ ভেবে বল্লো আচ্ছা তুমি কি করবে শুনি বলো?

মিমঃআমি বাসায় বিভিন্ন আইটেমের নাস্তা বানিয়ে আমি সেগুলো অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করবো।

মিরাজঃহুম তোমার আইডিয়া টা ভালো।

এটা বলার সাথে সাথে লিজা মানে আমার ভাইয়ের বউ উত্তর দিলো তুমি কোন বাসায় এসব নাস্তা বানাবে?আমাদের এসব চলবে না।

মিমঃলিজা তোমার এসব চিন্তা করতে হবে না।
আমি এ বাসায় কোনো কিছুই করবো না।আমি এসব নাস্তা বানানোর জন্য আলাদা একটি বাসা নিবো সেখানেই সব কাজ হবে।

এরপর লিজা আর কিছু বল্লো না সে চুপ হয়ে গেলো।মিরাজ আমাকে বল্লো আপু আমার কাছে কিছু টাকা আছে টাকা গুলো নিয়ে তুই বিজনেস শুরু কর।আমি জানি তোর কাছে কোনো টাকা নেই।আমি বল্লাম না না টাকা লাগবে না।আমার কাছে অল্প কিছু টাকা আছে ওগুলো তেই হবে।মিরাজ বল্লো টাকা থাক বা না থাক তোকে আমি যেটা বলেছি সেটা শুনতে হবে।

তুই টাকা গুলো নিবি এটাই শেষ কথা।আমি বল্লাম আচ্ছা ঠিক আছে নিবো যা।এটা বলে চোখ ঘুরাতেই আমার চোখ পড়লো লিজার দিকে।ওমা তার দিকে তাকিয়ে দেখি তার চেহারার দিকে তাকানো যাচ্ছে না।সে একদম মুখ কালো করে আছে।কিছুক্ষণ আগেই দেখলাম বেশ হাসি খুশি ছিলো মূহর্তের মধ্যেই তার হাসি মুখটা মলিন হয়ে গেলো।

মানে সে আমাকে একদম দুচোখে সহ্যই করতে পারে না।আমার ভাই কিছু টাকা দিবে শুনে তার এমন চেহারা দেখে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নেয়ার ইচ্ছেটাই মরে গেলো।তারপরেও ভাই যেহেতু বলছে ওর টাকা নিতেই হবে কিছুই করার নেই।

এরপর সবাই খাবার টেবিল থেকে উঠে গেলো।আমি রুমে যেয়ে শুয়ে শুয়ে রেস্ট নিচ্ছিলাম। হঠাৎ মনে পড়লো যে মিরাজকে বলার বুদ্ধিটা আমাকে নীলয় দিয়েছিলো তাই ওকে জানানো উচিত।

মেসেঞ্জারে নীলয়ে কে মেসেজ দিলাম।
নীলয় মিরাজ রাজি হয়েছে। আর ও আমাকে কিছু টাকাও দিতে চেয়েছে।

সাথে সাথে নীলয় মেসেজ দিলো।কি বলো এটা তো খুব ভালো একটা নিউজ।
নীলয়ঃযাই হোক এখন তাহলে তুমি তোমরা স্বপ্ন পূরণে এক পা বাড়িয়েছো।
মিমঃহ্যা এটা তোমার জন্যেই হলো।তুমি না বললে তো এর কিছুই হতো না।

চলবে??

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ৯
#লেখকঃরিয়াজ।

নীলয় মিম কে রান্না বান্না করার জন্য ছোটোখাটো একটি ঘর নিয়ে দেয়।তবে অনলাইনে ব্যাবসা যে এতো সহজ নয় সেটা মিম ভালো করেই জানতো।অনলাইনে ব্যাবসা কর‍তে হলে আগে অনলাইনে নিজের একটি সুন্দর প্লাটফর্ম তৈরী করতে হয়।মিম সে অনুযায়ী প্রথমে একটি পেইজ খুলে।

সেখানে সে প্রথমে তার নাস্তার আইটেমের প্রচার প্রচারণা করা শুরু করে।বিভিন্ন নতুন নতুন আইটেমের নাস্তা বানিয়ে সে ফেসবুকে পোস্ট দেয়।এভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পর পেইজের ফলোয়ার বাড়তে থাকে।

আর প্রায় ফলোয়ার তার কাছে নাস্তা গুলো বানানোর ভিডিও দেখতে চায়।এরপর মিম আবার নীলয় কে মেসেজ দেয় মেসেঞ্জারে।

মিমঃনীলয় আমার ফলোয়াররা আমার নাস্তা না চেয়ে নাস্তার ভিডিও বানানোর ভিডিও চাচ্ছে।এখন আমি কি করবো বলো তো?

নীলয়ঃএটা কেমন কথা তোমার বানানো নাস্তা গুলো যদি ভিডিও বানিয়ে তুমি পোস্ট করো তখন তো সে সব নাস্তা মানুষ তাদের বাসাতেই বানিয়ে ফেলবে।তখন তো কেউ আর তোমার কাছে নিতে আসবে না।

মিমঃহ্যা তাইতো এখন আমি কি করি বলো তো?

নীলয়ঃতবে হ্যাঁ ভিডিও বানালে তোমার অন্য দিক দিয়ে একটি প্লাস পয়েন্ট আসবে।যদি ভিডিওর ভিউস বাড়ে তাহলে ভিউস এর জন্য তুমি ইউটিউব, ফেসবুক দুই জায়গা থেকেই টাকা পাবা।

মিমঃবল্লো হ্যাঁ সেটা আমি জানি।

নীলয়ঃতাহলে এক কাজ করো তুমি নাস্তা অনলাইনে বিক্রি করার পাশাপাশি নাস্তা বানানোর ভিডিও বানাতে থাকে।আর ভিডিওর শেষে তোমার হাতে নাস্তা নেয়ার জন্য মানুষের কাছে বলবা।

মিমঃকিন্তু আমি নাস্তা বানালে ভিডিও কে বানাবে?

নীলয় ঃএটাও তো আরেক ঝামেলা।আচ্ছা তুমি টেনশন করিও না ভিডিও বানানোর সকল জিনিস আমার কাছে আছে।আমিই না হয় ভিডিও বানালাম।

মিমঃতুমি আর কতো করবে আমার জন্য?

নীলয়ঃদেখি যতটুকু পারি ততটুকুই করবো।

মিমঃথাক তোমার আর করতে হবে না।অনেক করেছো আমার জন্য।

নীলয়ঃহা হা আমার তো এখন কোনো কাজ নেই সমস্যা নেই আমি আগে তোমার ব্যাবসা টা তুলে দেই তারপর না হয় তোমার টা তুমি একাই করিও।

আর তোমার টেনশন কর‍তে হবে না।ভিডিও করার সব জিনিস পত্র আছে আমার কাছে।

মিমঃতাহলে তো হলোই।

পরদিন আমি(মিম)বাসার সব কাজ শেষ করে সেই বাসায় চলে গেলাম।সেখানে যেয়ে দেখি নীলয় এসে গেইটের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে।আমি তাকে দেখেই বল্লাম কি ব্যাপার তুমি কখন আসলে।নীলয় বেশিক্ষণ হয় নি।এসে দাঁড়িয়ে আছি তোমার জন্য।

মিম বল্লো ওহহ আচ্ছা ভালোই।

এরপর মিম ভিতরে যেয়ে তার সব কাজ কর‍তে শুর করলো।আর নীলয় সেই সব কাজের ভিডিও কর‍তে লাগলো। প্রথম ভিডিও ডান।ওইদিন রাতে নীলয় সেই ভিডিও টা ইডিট করে দিলো।আমি ইউটিউবে একটা চ্যানেল খুলে নিলাম।ভিডিওটা ফেসবুক প্লাস আমার ফেসবুক পেইজে পোস্ট করলাম।

পোস্ট করার ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলো কিন্তু তেমন কারো কোনো রেসপন্স পেলাম না।এভাবে আরও ৪’৫ টা ভিডিও বানিয়ে আপলোড দিলাম।কিন্তু মাত্র কয়েকজন ছাড়া কারো কোনো রেসপন্স ই পাচ্ছি না।

এভাবে অনেকদিন কেঁটে গেলো কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে আমি যেভাবেই রান্না করি না কেনো যেভাবেজ ভিডিও বানাই না কেনো কোনো রেসপন্স ই পাচ্ছি না।দেখতে দেখতে ১ মাস পার হয়ে গেলো।

১ মাস পর আমি রাতে একটি অন্যরকম নাস্তা যেই নাস্তাটি আগে আর কেউ বানায়নি এমন একটি নাস্তা বানালাম। নাস্তাটা ছিলো বিদেশি একটি নাস্তা।ওই নাস্তাটি বানানো শিখিয়েছে আমাকে নীলয়।নীলয় বিদেশে যেখানে থাকতো সেখানকার লোকেরা নাকি এই নাস্তাটি প্রচুর পরিমাণে খেতো।

আর এই নাস্তাটি সেই পুরো দেশের মাত্র একটা দেশেই পাওয়া যেতো।আর ভাগ্যক্রমে নীলয়ের ডিউটি পরে সেই দোকানের পাশে।সে কাজ শেষ করে একদিন ওই দোকানে যেয়ে সেই নাস্তাটি দেখেই নাকি পছন্দ করে ফেলে।আর খাওয়ার লোভ জাগে।তখন সে নাস্তাটি খেলো।খাওয়ার পর ওর কাছে নাকি সেই নাস্তাটি ভীষণ ভালো লাগে।তখন সে কি করলো সেই নাস্তাটি যেই সেপ বানিয়েছে অনেক কষ্টে তার সাথে দেখা করলো।

সেপ এর কাছে সেই নাস্তাটি বানানোর নিয়ম জানতে চাইলে সেপ তাকে সে দেশের ভাষায় বলে সে বলে না আমি এই নাস্তা বানানক কাউকে শিখাবো মা।নীলয় সেই সেপ কে কিছু টাকা দিলো আর বল্লো আমি এই নাস্তাটি একা একা বানিয়ে খাবো।আর এই নাস্তা বানানোর নিয়ম আমি কারো সাথেই শেয়ার করবো না।ইত্যাদি আরও অনেক কিছু বুঝানোর পর সেই লোকটি নীলয়কে নাস্তাটি বানানো শেখায়।

আর নীলয় সেই নাস্তাটিই আমাকে বানানো শেখায়। আমি নাস্তাটি বানিয়ে সেই নাস্তা বানানোর ভিডিও পোস্ট করতেই সেই পোস্ট রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়।পরদিন সকাল বেলা থেকে আমার নাম্বার অংসখ্য কল আসতে শুরু করে।একের পর এক মানুষ শুধু সেই নাস্তার অর্ডার দিচ্ছিলো আমাকে কল দিয়ে।

আমিও কল রিসিভ করতে কর‍তে আমি ক্লান্ত হয়ে ফোন বন্ধ করে দেই।তাছাড়া শুধু কল ধরে অর্ডার নিলেই হবে না।নাস্তাটি বানানোও লাগবে।এরপর আমি কি করি আরেকটি পোস্ট করে সেখানে লিখে দেই যাদের নাস্তা লাগবে তারা আমাকে ফেসবুকে মেসেজ দিবেন।

দয়া করে কেউ এখন আর কল দিয়েন না।এরপর আমি নাস্তা বানানোতে মনোযোগ দেই।নাস্তা সবাইকে ডেলিভারি দেয়ার পর ফেসবুকে একটা পোস্ট দেই যাতে সবাই নাস্তাটি খেয়ে রিভিউ দেয়।পরদিন যা হলো তা আমার কল্পনার বাহিরে।

চলবে??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে