অপূর্ণ অভিলাষ পর্ব-০৯

0
1189

গল্পঃ #অপূর্ণ_অভিলাষ (৯ম পর্ব)
লেখাঃ #তাজরীন_খন্দকার

আমার শাশুড়ীর মুখে ইথিলা ভাবীর জন্য তৃষানের বিয়ের প্রস্তাবের কথা শুনে মূহুর্তেই ইয়াজের মুখ রক্তবর্ণ ধারণ করলো।
সেটা বুঝতে পেরে ভাবী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বললো,
___এই ইয়াজ তোমার কিন্তু বিচার আছে, তুমি সেদিন রাতে বাসায় না ফিরে পরেরদিন রাস্তার ওখান থেকে গাড়ীতে উঠেছিলে কেন?

ইয়াজ এই মূহুর্তে ভাবীর কথাটাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে রাগী গলায় বললো,
___ ইথিলা প্রসঙ্গ ঘুরাবেনা। একদিন আমি ছিলাম না বলে তোমরা এতদূর চলে গেছো? কি করে ভাবছো ওই তৃষান মাস্তানকে আমি মেনে নিবো? আর ইথিলা তুমি না বাদল ভাইকে ভালোবাসো? ওর জন্য তোমার এতো কান্না কি ফুরিয়ে গেছে? আমাকে না জানিয়ে তৃষানকে বাড়িতে ঢুকতে দিলে কি করে? আবার স্ব বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ারও সাহস করলো! এদিকে আমি তোমার জন্য, এতোকিছু করলাম! হাহহহ আমি এতকিছু কার জন্য করলাম?
কি করলাম আমি? সবাই তো সবার মতো করেই চলছে! আমি কেন এসব করলাম?

বলতেই বলতেই ইয়াজ কয়েক পা পিছিয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো।
ইথিলা ভাবী মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
___মা তুমি কেন বললে এটা? ইয়াজ এখন কতটা ক্ষেপে গেছে ভেবেছো? তুমিও জানো তৃষানকে ইয়াজ খুব মেরেছিল, এখন এমনও তো হতে পারে তৃষান সেটার প্রতিশোধ নিতে বিয়ে করতে চাইছে ! এটা কি জানানোর খুব দরকার ছিল?
এই দেখো অন্যদিকে ইয়াজ আমার জন্য বিন্দিয়া এবং তার পরিবারের সাথে খুব খারাপ আচরণ করছে, এখন ওর ইচ্ছের বাইরে আবারও কিছু হলে সে বিন্দিয়ার সাথে আরো খারাপ ব্যবহার করবে, কারণ সে জানে বিন্দিয়া এবং তার পরিবারের খারাপ অন্তত আমি চাইনা!

আমার শাশুড়ী চুপ করে আছে। আমিও ভয় পেয়ে গেছি। সত্যিই তো ইয়াজ ওদের দুজনকে মিলাতে কতোকিছু করলো, আর এখন কিনা ওর মা ওর সামনেই অন্য জায়গায় বিয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে! নিঃসন্দেহে এটা রেগে যাওয়ার মতোই কথা। আমারও খারাপ লাগছে এটা ভেবে, ইয়াজ ভাইয়াকে কষ্ট দিয়ে কতোকিছু করলো, সেটা করতে আমার মা বাবা পর্যন্ত কষ্ট পেয়েছে এবং পাচ্ছে! কিন্তু আমি সবকিছু মেনে নিয়েছিলাম সে দুই পরিবারকে আবার মিলিয়ে দিবে কথা দিয়েছিল বলে! কারণ আমার জীবনটা যেখানে জড়িয়ে গেছে সেখানে কোনো রকম ঘৃণার প্রভাব থাকলে দুটো পরিবারেই অশান্তি বিরাজ করবে। ভাইয়া অন্য জায়গায় বিয়ে করলেও অশান্তি হবে, আবার ইথিলা ভাবীও! এর একটাই সমাধান মিলিয়ে দেওয়া! যেটার জন্য ইয়াজ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলো। কেন জানি এখন আর কোনো আশা দেখছিলাম না। এতদিন ধারণা ছিল আমার ভাই চাইলেই বুঝি সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে কিন্তু না ভাইয়ের এসব কর্মকান্ডে ইতোমধ্যে ভাবীর এবং তার মায়ের মধ্যে জেদ এসে গেছে। যেটা অস্বাভাবিক কিছুও না। এখন এই জেদে জেদে ইয়াজও জেদ করবে,তাহলে এর শেষ কি হবে ভেবে মাথা ঘুরপাক খাচ্ছিলো। একটু আগে সহজে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে আসা ভাবনাটা এতো কঠিনভাবে বিপরীত হবে কল্পনা করিনি।

মা এবার নরম স্বরে বলছে,
___হ্যাঁরে ইথিলা আমার এটা বলা উচিত হয়নি। এমনি এই ছেলের পাগলাটে রাগ, এখন আরো রেগে গেছে। সারাদিন ধরে বাইরে আছে, শ্বশুরবাড়ি থেকেও নাকি খেয়ে আসেনি। এখনো এসেও না খেয়ে চলে গেলো, কে জানে আজ আর ফিরবে কিনা! না আসলে না আসুক, এতো দ্বার দ্বেরেই এই ছেলে মাথায় চড়েছে। আর পারবোনা!

প্রথম বিনয় নিয়ে বলে তারপর হঠাৎ রেগে কথাগুলো বলেই মা এখান থেকে নিজের রুমে চলে গেলেন।
ভাবী ভীষণ চিন্তার রেশ নিয়ে বসে পড়লো। ভাবী সবচেয়ে বেশি চিন্তা করছেন আমাকে নিয়ে। এবার আমি বুঝেছি ইয়াজ আমার পরিবার বাদেও নিজের পরিবারেও কেন এটা জানায়নি যে আমার উপরে তার কোনো ক্ষোভ নেই। সে হয়তো বুঝেছিলো সেটা বুঝালে ইথিলা ভাবী এবং তার মা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে। সে কখনোই দুই পরিবার ঠিক কর‍তে পারবেনা। ইথিলা ভাবী মানলেও তার মা মানবেনা।
আমি ভাবীর মুখেও আগে শুনতাম উনার মা অনেক রাগী, গম্ভীরতার সাথে যা স্থির করেন তাই করে বসেন। এইজন্য আগেই উনার সাথে বেশি কথা বলতে ভয় পেতাম। কিন্তু বিয়ের রাতে উনার গভীর মায়াময়ী মুখের বুলিতে সেই ধারণা বদলে ফেলেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে উনি আসলেই ইয়াজের মতো রাগী। তবে ভেতর থেকে ততটাই নরম। ইথিলা ভাবী আর ইয়াজ দেখতে এক রকম হলেও মা-বাবা দুজনের স্বভাব দুজন পেয়ে বসেছেন। বাবা ভীষণ শান্ত, যেমনটা উনার মেয়ে ইথিলা হয়েছে।
এখানে আসার পর থেকে বাবাকে খাওয়ার সময় ছাড়া দেখতেই পাইনা। হয় টিভিতে সংবাদ দেখেন,খেলা দেখেন নয়তো নিউজপেপার পড়েন। চাকরি থেকে রিটায়ার্ড হওয়ার পরে উনার জীবন এভাবেই যাচ্ছে।

রাতে খাওয়াদাওয়া করে মা ঘুমাতে চলে গেলো। ইথিলা ভাবী আর আমি কিছুক্ষণ বসে রইলাম। ইয়াজ আসছেনা, ওর ফোনও বন্ধ। আমাকে এখনো ফোন কিনে দেয়নি, আর আমিও আমার আগে চালানো ফোনটা এখানে নিয়ে আসিনি। বারবার ইথিলা ভাবীর ফোন নিয়ে ইয়াজকে ট্রাই করছিলাম।
কিন্তু কাজ হলোনা। আমি ইয়াজের এসব কান্ডে রেগে যাচ্ছিলাম।
একটা সময় ভাবী আমাকে বললো ঘুমিয়ে যেতে। ভাবীও চলে গেলেন।

রুমে গিয়েই আমার মনে হলো আরে এতক্ষণ ধরে তো জানালার কাছে গিয়ে দেখা উচিত ছিল সে আছে কিনা৷ আমি তো ভুলেই গেছিলাম। এক ফালি হাসি মাখিয়ে তারাতাড়ি করে গিয়ে জানালা খুললাম। খুলে ভীষণ হতাশার সাথে পিছিয়ে গেলাম। কেউ নাই এদিকে। জানালা বন্ধ করে দিলাম। কিছুক্ষণ পরে আবার খুললাম,কিন্তু সে নেই। কান পেতে রইলাম কখন এসে ঠকঠক আওয়াজ করবে! কিন্তু ঘন্টাখানেক চলে গেলো, কোনো আওয়াজ নেই। এবার লাস্ট খুললাম, না দেখলে ঘুমিয়ে যাবো। জানালা খুলে এবারও হতাশ হয়ে বন্ধ করতে যাবো তখনি দেখি জানালার কপাট থেকে ছোট একটা কাগজ উড়ে ভেতরে পড়েছে, তুলে দেখি লেখা আছে.
” সবাই ঘুমালে পেছনে দিকে দরজা খোলে পুকুর পাড়ে আসো ”

এটা দেখে কেমন ভয় ভয় লাগলো। দরজা খোলে বের হয়ে যাবো? যদিও চাবি আজকেও আমার কাছেই দিয়ে গেছে। কিন্তু নতুন বউ নিয়ে এমন সাহস করাটা অস্বাভাবিক লাগছে, কেউ দেখলে কি জবাব দিবো! পরক্ষণে ভাবলাম আমি ভয় পাচ্ছি কেন? ইয়াজ তো আমার স্বামী! কে কি বলবে? আর বললে সেটা ম্যনেজ করার দায়িত্ব ইয়াজের। আমি তো আর ইচ্ছে করে যেতে চাইনি। আর কিছু না ভেবে চুপচাপ বের হয়ে গেলাম। বেড়িয়েই দেখি ইয়াজ একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে।
আমাকে দেখেই হাতটা বাড়িয়ে দিলো। আমি ওর হাত ধরে আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে পাড়ে গিয়ে দাঁড়ালাম। এই গরমেও এখানকার বাতাসটা ভীষণ শীতল লাগছে। এখান থেকে অনেকদূর পর্যন্ত গাছ আর জমি ছাড়া কিছু দেখা যায়না, তাই সবসময় এখানে প্রচন্ড বাতাস থাকে। বিয়ের আগে ভাবী ভাইয়ার সাথে এদিকে এসে ছবি তুলেছি,কিন্তু ইয়াজের সাথে এই প্রথম।
ইয়াজ আমার কাঁধ জড়িয়ে উৎফুল্লতার সাথে বললো,
___বিয়ের পরে বউয়ের সাথে লুকিয়ে প্রেম করতে তো আমার দারুণ লাগছে। কেউ দেখে ফেলে কিনা এই আতঙ্ক থাকলে প্রেমটা জমে বেশি তাইনা?

আমি অভিমান জড়িয়ে বললাম,
___কে বলে লুকিয়ে প্রেম করতে? কেন সবাইকে টেনশন দিচ্ছেন? সব বলে দেন, জানিয়ে দেন।

ইয়াজ আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
___ আমারও খারাপ লাগছে। কিন্তু এতে তোমার ভাইও মিল চাইবেনা, আর আমার মা তো একদমই না। দেখলে তো আজ কীভাবে বললো! ইথিলাকেও এসব বুঝাবে। কিন্তু আমার কেন জানি ইথিলাকে সন্দেহ হচ্ছে, সে নিশ্চয়ই কিছু লুকাচ্ছে। নইলে মা যতোই বলুক সে কোনোদিন তৃষানকে আমাদের বাড়িতে আসতে দিতোনা। আবার সে কোনোদিন এটাও বলতোনা বাদল ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সে পাগল হয়ে নেই। মানে সে যেতে চাচ্ছেনা।
জানো ইথিলা ভীষণ সহজ সরল, কেউ পেছন থেকে ছুড়ি মারলেও সে মুখ ফিরিয়ে জড়িয়ে ধরে বন্ধুত্ব করে ফেলে। সেখানে তো ওর ভালোবাসার প্রসঙ্গ, সে কখনোই এতটা জেদ করবেনা। তাইতো আমি এতকিছু করলাম! কিন্তু ইথিলা এটা কেন বললো, আমি কিচ্ছ বুঝতে পারছি না বিন্দিয়া!

আমি শান্ত গলায় বললাম,
___ আচ্ছা ভাবী কাউকে ভালোবাসে এমন নয়তো? আমার ভাইও কিন্তু ভীষণ সহজ মানুষ। আমার মনে হয়না ভাইয়ার এমন কিছু আছে!

ইয়াজ হেসে বললো,
___ আমি জানি তোমার ভাই সরল। আর ইথিলাও। ইথিলা মিথ্যে অভিনয় করার মতো কোনো মেয়ে না। সে আর কাউকেই ভালোবাসেনা তোমার ভাই ছাড়া।
আমার মনে হয় এখনো আরো সময় বাকি আছে, ওদের দুজনকে সময় দেওয়া উচিত। তুমিও তোমাদের বাড়িতে যাওয়ার দরকার নেই, দেখি এর মধ্যে কি হয়!

আমি ইয়াজের চোখের দিকে তাকিয়ে ধিরে ধিরে বললাম,
___বেশিনা প্রতিবার ১০ দিন একনাগাড়ে এখানে থেকে বাড়িতে একদুইদিন থাকবো কেমন? আপনি ইচ্ছে না হলে যাবেন না।

ইয়াজ আমার দিকে ভালোবাসা মিশ্রিত রাগী চোখে তাকিয়ে কাছে টেনে বললো,
___ তোমাকে না দেখে আমি কি করে থাকবো?

আমি লজ্জামাখা হাসিতে বললাম,
___তাহলে যাবেন আর কি!

বলেই আরো লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেললাম। ইয়াজ হাসলো আর আমার চোখের উপর আলতো একটা চুমু খেলো।
আমি ধিরে ধিরে ওর চোখে তাকালাম,ইয়াজ ভীষন কাছে আমার। যতটা কাছে হলে আমার আঙুলে আবদ্ধতায় মুষ্টিবদ্ধ থাকে তার মাথার অর্ধেক চুল!
আর নিঃশ্বাস হয়ে আসে ভারী পুলকসঞ্চার! অনূভব করা যায় তার হৃদকম্পন! সেখান থেকে বারবার প্রতিধ্বনি আসে ভালোবাসি !

ইয়াজের সাথে থাকলে আমি সব ভুলে যাই। কেন জানি মনে হয় তাকে ছাড়া আমি যেন আর কখনোই আমিতে থাকবোনা। তারপর ভাবি ইথিলা ভাবীও তো তাহলে আমার ভাইকে খুব ভালোবেসেছিলো, উনারও তো ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তাহলে। ইয়াজ যা করছে সব ঠিক তো? কবে এর পরিত্রাণ হবে?

ইয়াজ আমার হাতের আঙুলে নিজের আঙুলের জায়গা করে নিলো, আর টেনে বললো,
___চলো আমরা ঘুরি। এখন কেউ আমাদের দেখবেনা! তারপর বাসায় যাবো।

আমি ভীত গলায় বললাম,
___চোর ডাকাত ধরলে?

___আরে ভীতু, আমি থাকতে কেউ আসবেনা। এই এলাকার ৯০ ভাগ ছেলেরা আমার ভাই বন্ধু। আমাকে সবাই সম্মান করে। তাদের মধ্য থেকে কেউ যদি চোর হয়ে থাকে তাহলে সেকি আমাকে ধরবে বলো?

আমি অবাক হয়ে বললাম,
___আপনি খারাপ মানুষদের সাথেও মিশেন?

ইয়াজ হেসে বললো,
___সবার সাথেই তো কথা বলি, বেশি আন্তরিকতা না থাকলেও সবাই আমাকে ভালোবাসে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো এখানে আমরা দুজন চোর ছাড়া আর কেউ নেই, কেউ আমাদের দেখলে বলবে চোর তো আজকাল বউ নিয়েও চুরি করতে বের হয়! হাহাহাহা!

বলেই কতক্ষণ ইয়াজ হাসলো। আমিও ওর অদ্ভুত সব কথায় হাসতে লাগলাম। তারপর আমাকে টেনে টেনে এখানে ওখানে নিয়ে এটা সেটা চিনালো। একদম শেষ রাতে বাসায় আসলো।

এভাবে ২ দিন চলে গেলো। সারাদিন সে বাড়ি আসেনা। সে তার মা আর ইথিলা ভাবীকে বুঝাতে চাচ্ছে তাদের উপর ভীষণ রেগে আছে। আর এতে করে যাতে মা উনার মাথায় ঘুরপাক খাওয়া সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। ইয়াজ অফিসে সকাল ১০ থেকে বিকাল ০৪ টা পর্যন্ত থাকে। বাইরেই খাওয়াদাওয়া করে, নইলে আমি লুকিয়ে এনে রাখি, সে আসলে খায়।
আর আমি ঘুমানোর বাহানায় তারাতাড়ি রুমে চলে আসি আর পেছন দিকে বের হয়ে ওর সাথে ঘুরাঘুরি করি। আবার ফিরে ওকে নিয়ে ফিরে আসি। সবাই উঠার আগেই সে আবার চলে যায়। সেদিন ইয়াজ আমাকে একটা ফোন কিনে দিলো,আর দুইটা শাড়ী।
বেশি রাত না করে দুজন তারাতাড়িই বাড়িতে ফিরলাম।
পেছনের দরজা খোলে ইয়াজকে ফিসফিস করে বললাম,
___লাইটটা জ্বালান।

ইয়াজ ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালালো। আমি তালা লাগিয়ে ভেতরের দিকে তাকিয়েই চমকে ইয়াজকে জড়িয়ে ধরলাম। ইয়াজ অবাক হয়ে বললো,
___কি হয়েছে?

আমি ছেড়ে দিয়ে আস্তে আস্তে ওকে ঘুরিয়ে দেখালাম ইথিলা ভাবী সামনে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভাবীকে দেখেই ইয়াজ আমাকে সামনে টেনে আমার পেছনে গিয়ে লুকালো। ইথিলা ভাবী ধিরে ধিরে এগিয়ে আসলো, ইয়াজ আমাকে টানতে টানতে পেছনে গিয়ে দেয়াল পর্যন্ত আঁটকে গেলো।

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে