Tuesday, June 17, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2387



ফাল্গুনের_ফুল part_3

0

ফাল্গুনের_ফুল
part_3
#Writer_Farzana

আমি Samir, বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। মা মারা গিয়েছে বছর দুয়েক হলো, বাবা আছে। গত বছর বুয়েট থেকে ইন্জিনিয়ারিং টা complete করে job করছি। ১৫/২০ দিন পরে ১ টা new project হাতে নেয়ার কথা। এর মাঝে free আছি কিছুদিন। Life-এ ব্যস্ততা চলে আসলে free সময় টা আর খুঁজে পাবোনা। তাই ভাবলাম free যখন আছি তখন friend এর বাড়ি থেকে ঘুরে আসলে মন্দ হয়না। জানি বাবা একা থাকবে, তারপরও বাবাকে বললাম-
Samir: বাবা, আমি একটু নেছারদের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি একা থাকবে জন্যে যেতে ইচ্ছা করছে না।
বাবা: যাবি, তো problem কোথায়?
Samir: তুমি যে একা থাকবে।
বাবা: তুই কি সব সময় বাসায় থাকিস? এমনিতেই তো আমি সব সময় একাই থাকি।
Samir: হুম ? ( আমি জানি আমার প্রতি বাবার একটা চাপা অভিমান আছে)
বাবা: তোকে যেতে দিতে পারি এক শর্তে…
Samir: কি শর্ত? ঠিক আছে বাবা এসে তোমাকে সময় দেয়ার চেষ্টা করবো, যেন তোমার একা না লাগে।?
বাবা: তুই কি সত্যি আমাকে সময় দিতে পারবি? ?
Samir: ??
বাবা: তার চেয়ে আমার শর্ত টা মেনে নে।
Samir: হুম বলো…
বাবা: বন্ধুর বাড়ি থেকে ঘুরে এসে বিয়ে করবি।?
Samir:  (লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে ফেললাম)
বাবা: দেখ তোর বয়স তো কম হয়নি, ২৯ হয়ে গিয়েছে। আমি জানি যে পড়াশোনা complete করে ১টা job করার ক্ষেত্রে বয়স টা বেশী না। কিন্তু আমার একাকিত্ত্ব টা তোর বয়সের চেয়ে বেশী হয়ে গেছে। ?
Samir: 
বাবা: আর এখনো যদি তুই বিয়ের কথা শুনে মেয়েদের মতো লজ্জা পাস, তাহলে লজ্জা পেতে পেতে দেখবি ৮০ বছর হয়ে গেছে। তখন আর বিয়ের বয়স থাকবে না, আর আমিও থাকবো না। একা হয়ে যাবি একদম। ?
Samir: আচ্ছা তুমি মেয়ে দেখ।
বাবা: নারে, আমি তোর জন্যে মেয়ে দেখার মধ্যে নাই। তোর মা বেঁচে থাকতে সে তো কম মেয়ে দেখেনি, কিন্তু তোর তো পছন্দই হয় না। ?
Samir: পছন্দ না হলে আমি কি করবো বলো?
বাবা: সে জন্যেই তো বলছি আমার দেখা মেয়ে তোর পছন্দ হবে না। তাই নিজে দেখে পছন্দ করে বিয়েটা খুব তাড়াতাড়ি করে ফেল। নাহলে তোর মার মতো তোর বউটা না দেখে আমারও চলে যেতে হবে। ?
Samir: বাবা ???
বাবা: আর তুই যদি বিয়ে না করিস তাহলে একাকিত্ত্ব দূর করার জন্য আমি নিজেই বিয়ে করে ফেলবো। চিন্তা করে দেখ তখন তোর মান সন্মান কোথায় থাকবে?? ( পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কথা গুলি বললো)
Samir: ?? বাবা আমি রাজি তুমি করতে পারো।
বাবা: চুপ বেয়াদব.. যা বলছি তাই করবি ? (বলে উঠে চলে গেলো)
বাবা: আর শোন, যদি তোর পছন্দের কোন মেয়ে থাকে তাহলে তাকে আজই বিয়ে করে নিয়ে আয় (আবার ফিরে এসে বললো)
Samir: তুমি তো জানো বাবা আমার এমন কেউ নাই। OK আমি তো কথা দিচ্ছি তোমাকে.. ঘুরে এসে সত্যিই বিয়ে করে ফেলবো। ?
বাবা: হুম, কথাটা যেন মনে থাকে। তা যাবি কবে বন্ধুর বাড়িতে?
Samir: তুমি যদি বলো তাহলে কালই যাই।
বাবা: হুম, যা। (বলে চলে গেল)
আমি জানি বাবার একা থাকতে খুব কষ্ট হয়। এবার পছন্দ না হলেও বিয়ে টা করেই ফেলবো। প্রথমেই কি সব সময় সবাই কে পছন্দ হয় নাকি। দেখতে দেখতে আর সাথে থাকতে থাকতে ঠিক পছন্দ হয়ে যাবে। ? এসব ভাবতে ভাবতে রাতে ব্যাগ গুছাচ্ছিলাম। ও..? নেছার কে তো বলাই হয়নি যে ওদের ওখানে আমি যাচ্ছি। সকাল ৮ টায় গাড়ি। তো ফোন করে বলে ঘুমিয়ে গেলাম।

Alarm বাজছে, সকাল ৭ টা। তাড়াতাড়ি উঠে fresh হয়ে breakfast করলাম বাবার সাথে। তারপর ready হয়ে বাবাকে বলে বের হয়ে গেলাম…
বাসে উঠে বসে আছি। ৮:১৫ বাজে, এখনো বাস ছাড়ার নামই নেই ?। বাস ছাড়তে ছাড়তে ৮:৩০ বেজে গেল।
অবশেষে টানা ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিটের long journey-র পর ৩ টার দিকে friend এর বাড়িতে এসে পৌছালাম। নেছারও আমার মতো একাই, মানে ওরো কোন ভাই বোন নেই। দেখলাম খালাম্মা বাইরে দাড়িয়ে আছে। সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করে বললাম ?
Samir: খালাম্মা, নেছার কই?
খালাম্মা: বাবা, তোমার বন্ধু কোচিং এ গেছে। তুমি fresh হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি।
Samir: জ্বি…?
Fresh হলাম, খাওয়া-দাওয়া করলাম। বিকাল ৫ টা বাজে, নেছারের ঘরে শুয়ে rest নিচ্ছি। খালাম্মা বললো ৫ টায় আসবে, এখন তো ৫:৩০ বাজে ?। এমন সময় দরজায় নক করলো-
Nesar: কিরে, খবর কি? এসে একটা কল করতে পারিসনি?
Samir: হুম, তা তো পারতামই। তা teacher রা তো teachers training করে, তুই আবার কোচিং করছিস কেন ??
Nesar: ধুর শালা, কোচিং করছি না করাচ্ছি।
Samir: ???
Nesar: তবে হ্যা, পরশু দিন তোর ইচ্ছা পূরণ হবে ?
Samir: আমার?
Nesar: হুম…
Samir: কি ইচ্ছা?
Nesar: পরশু থেকে আমার teachers training শুরু, চলবে ৭ দিন।
Samir: কি ?(লাফ দিয়ে উঠে বসে)? আগে বলিসনি কেন?
Nesar: বললে কি আসতি?
Samir: ভাবলাম, দুজন মিলে শুধু ঘুরবো। তা আর হলো কই। আশায় গুড়োবালি ??
Nesar: এমন ভাব করছিস যেন মরে যাচ্ছি, এজন্যে তোর সব আশা শেষ। শোন বাড়ি থেকেই যাওয়া আাসা করবো তুই এসেছিস বলে। বেড়ানো হবে, আড্ডাও হবে। সব হবে ?
Samir: বলছিস তাহলে ??
Nesar: হুম, কিন্তু আমাকে একটু help করতে হবে তোর।
Samir: একটু না পুরাই করতে পারি। তোর জন্যে তো আমি সব করতে পারি ?
Nesar: তা কি করতে পারিস শুনি।
Samir: বেড়াতে পারি, আড্ডা দিতে পারি আবার blue কালারের shirt ও পড়তে পারি তোর জন্যে ??
Nesar: হুম, তাহলে তো অনেক ভালোবাসিস আমাকে।
Samir: হুম, বাসিই তো ?
Nesar: থাক, আমার জন্যে আর এতো কিছু করতে হবেনা। Just একটা কাজ করলেই চলবে।
Samir: বল….
Nesar: আমার তো training থাকবে পরশু থেকে, সে জন্যে আমি তো কোচিং এর ক্লাসগুলি নিতে পারবো না। আবার সামনে তো ওদের SSC পরিক্ষা, ক্লাস না নিলেই নয়। তুই এসেছিস ভালো হয়েছে, ক্লাস গুলি তুই নিবি।
Samir: আমি? আমি কি পারবো ??
Nesar: তুই বুয়েটের student হয়ে এমন কথা বলতে পারলি! তুই পরশু থেকে ক্লাস নিবি, এটাই final ব্যাস।
Samir: হুম…
Nesar: কাল তোকে সাথে নিয়ে যাব, সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেব ?
তারপর দুইজন অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিলাম…
পরদিন সকাল ৯:৩০ মি:….
Nesar: দোস্ত শোন, আমি স্কুলে গেলাম।
Samir: যা যা.. ABCD পড়ে আয় ?
Nesar: ready থাকিস, তোরও ABCD পড়তে হবে। কল দিলে চলে আসিস আমার স্কুলে। ওখান থেকে কোচিং এ যাব।
Samir: কোচিং এ যাব মানে কি, কোচিং করাবো বললেই তো হয়।
Nesar: কোচিং টা অন্য স্কুলের।
Samir: ও, কল দিস। আগে বললি নিয়ে যাবি, এখন বলছিস একাই যেতে ?
Nesar: তুই কি মেয়ে মানুষ নাকি যে একা যেতে problem?
Samir: না, তা হতে যাব কেন ?
Nesar: আর যদি বলিস এখন আমার সাথে যেয়ে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বসে থাকবি, তাহলে চল নিয়ে যাই।
Samir: না থাক, আমি একাই যেতে পারবো। তুই যা।
Nesar: OK, bye..?
Samir: Bye..?
কি আর করবো Laptop নিয়ে বসলাম… দেখতে দেখতে ২:৩০ বেজে গেল, তারপর নেছারের কল আসলো। বের হলাম ওর স্কুলের উদ্দেশ্যে….

পৌছে গেলাম ওর স্কুলে, তারপর সেখান থেকে সোজা কোচিং এ । সবার সাথে পরিচিত হলাম। সবাই কে জানিয়ে দেয়া হলো, কাল থেকে আমি ওদের ক্লাস নিচ্ছি নেছার না আসা পর্যন্ত। তারপর নেছার লতা মেয়ে টাকে জিজ্ঞেস করলো-
Nesar: লতা, আজও ফাল্গুনী আসেনি?
লতা: জ্বি না স্যার…(দাড়িয়ে)
Nesar: OK, বসো।
এখানে তো আজ আমার কোন কাজ নেই, তাই নেছার কে বলে চলে আসলাম। কি আর করা, গ্রামটা একাই ঘুরে ঘুরে দেখছি। যদিও দেখার মতো কিছুই নেই।
রাতে খাওয়া শেষে….
Samir: ফাল্গুনী কে রে?
Nesar: আমার কোচিং এর student..
Samir: পড়াশোনায় কেমন?
Nesar: তুই চিন্তাও করতে পারবি না এতো ফাঁকিবাজ। পড়াশোনা যে পারেনা তা না, কিন্তু পড়েই না। আসলে একটু extra take care করিস তো, যেন ভালো result করতে পারে।
Samir: হুম, করবো ?
( জীবনে চিন্তাও করিনি যে ইন্জিনিয়ার হয়ে কখনো কোচিং করাতে হবে। দেখা যাক কি হয়, যাই তো আগে)
যথারিতী সময় হলো আর আমি কোচিং ক্লাসে পৌছে গেলাম…যেয়েই fast question করলাম লতা কে..
Samir: লতা, আজও তোমার friend আসেনি?
লতা: জ্বি না, স্যার (দাড়িয়ে)।
Samir: OK, বসো।
তারপর কোচিং শেষে বাড়িতে আসলাম..
Samir: কি রে, তোর ফাঁকিবাজ student তো আজও আসেনি ?
Nesar: এই মেয়ে টা এই রকমই!
একবার কি করেছে জানিস- ক্লাসে না যেয়ে common রুমে বসে আছে। তো আমি আর মুকুল স্যার যে যার ক্লাসে যাচ্ছি। তখন ফাল্গুনী দের মুকুল স্যারের ক্লাস ছিল। তাই ওকে দেখে মুকুল স্যার এগিয়ে গেলেন, সাথে আমিও।
M. Sir: কি ব্যাপার ফাল্গুনী, ক্লাসে যাওনি কেন? Falguni: জ্বর এসেছে স্যার (চোখে পানি এনে)?
ওমনি মুকুল স্যার ওর কপালে হাত দিল দেখার জন্যে । যখন দেখলো ওর কপালের চেয়ে মুকুল স্যারের হাতই গরম, তখন কি বলে জানিস.. বলে.. স্যার, আসলে উপরে জ্বর আসেনি, ভিতরে জ্বর এসেছে ??
তাহলে কেমন লাগে বল ?
Samir: ???
Nesar: এমনিতে খুব cute মেয়ে, তাই কোন teacher ই মারে না ওকে। যা নালিশ করার ওর মার কাছে কল করে বলা হয়। তারপরও কোন change নেই। এজন্যেই তো বললাম, একটু extra care করতে।
Samir: হুম করবো, যদি আসে ?
তারপর আড্ডা দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম…

কষ্টের অনুভূতি: মাঝে মাঝে জীবনের রং টা বর্ণহীন মনে হয়…
মনে পড়ে সেই দিনের কথা, যেদিন ভালোবেসে আমার জীবন টা আমি তোমার হাতে তুলে দিয়েছিলাম সুখের আল্পনায় রাঙিয়ে দেয়ার জন্যে। আমার জীবন টাকে রংহীন করার জন্য নয় ??
আর আজ তুমি আমার বুকের ভিতরের কলিজা টা কুচিকুচি করে কাটছো তোমার কথা দিয়েই ??
জানি আমার চোখের জলের দাম আজ তোমার কাছে নেই, তাই মূল্যহীন জিনিস টা তোমাকে আর দেখাই না ??
হয়তো আমি তোমার কাছে ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনার মতোই। ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলে যেমন কেউ ফিরে তাকায় না, তুমিও ঠিক তেমনি আমার দিকে ফিরেও তাকাও না।
আমি যে সুন্দর না তা তো না, হাজারে ১ জন হবো এতটুকু সৌন্দর্য আল্লাহ আমায় দিয়েছেন। তাহলে কেন এতো অবহেলা!?
কি দোষ করেছি আমি তোমার কাছে, ভালোবাসি তোমায় এটাই কি সব চেয়ে বড় দোষ আমার ???
এক সময় দেখবে ঠিক তোমায় ছেড়ে আল্লাহর কাছে চলে যাব। তখন চাইলেও আর পাবেনা ?? । কেউ তোমায় বলবেনা আমার সাথে একটু কথা বলো Plz। কেউ তোমায় জড়িয়ে ধরে বলবেনা.. আমায় একটু ভালোবাসো Plz.. তখন বুঝবে কষ্ট আর একাকিত্ত্ব কি জিনিস ??
জীবন টা আল্লাহর জিনিস তাই চাইলেই এটার কোন ক্ষতি আমি করতে পারিনা, আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে ??
আল্লাহর কাছে শুধু এতটুকুই চাইবো যে… তোমার দেয়া কষ্ট গুলিতে যেনো আমার এতো কষ্ট না হয় ???

: পর দিন সকাল ৯:০০ টা-
Nesar: এই ওঠ, আর কতো ঘুমাবি? মা তোর জন্যে খাবার নিয়ে বসে আছে।
Samir: ইস ?, ডাক দেয়ার আর সময় পেলিনা। মাত্র কবুল বলতে নিয়েছিলাম, আর তুই এত বড় স্বার্থপর বন্ধু যে নিজের বিয়ে হয়নি দেখে আমার বিয়ে টাও হতে দিলিনা ??
Nesar: হুম..শুধু সপ্নে বিয়ে করলেই চলবে, real বিয়ে করবি কবে? তোর বাবা কি বলে?
Samir: আমি যদি বাবাকে না বলে এখন বিয়ে করে বউ নিয়ে বাবার সামনে যাই, তাহলেও বাবা ভীষণ খুশি হবে। তাহলে বোঝ বাবা কি বলে ?
Nesar: তাহলে তো তোর freedom life শেষ।
Samir: যদি সে আমায় ভালোবাসে তবে এমন হাজারো freedom life আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি।
Nesar: হুম, তাহলে তো তোর freedom life ছাড়ানোর ব্যাবস্থা করতেই হয় ??
Samir: হুম 
Nesar: এখন চল খেয়ে নেই…
দুপুর ২:৩০ বাজে ready হয়ে কোচিং এ চলে গেলাম-
দুপুর ৩:৩০ বাজে- fast class টা আমারই ছিলো। Class নিচ্ছি এমন সময় বাইরে তাকিয়ে দেখি পুকুর পাড়ে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে দাড়িয়ে একটা মেয়ে পুকুরের জল দেখছে। বয়স ১৪/১৫ হবে। নস্যি কালারের ১ টা dress পড়েছে, পেছন থেকে বোঝা যাচ্ছেনা ততোটা। ক্লাসে মনোযোগী হলাম। কিছুক্ষণ পর আবার বাইরের দিকে তাকালাম..??.. মায়ের কাছে শুনেছি সাদা-লাল ফর্সাটা মানে দুধে আলতা বলে যেটাকে, সেটা নাকি অনেক সুন্দর হয়। মা সব সময় বলতো এমন একটা মেয়ে কে আমার বউ করবে । কিন্তু মা মনেহয় জানতো না যে দুধ সাদা ফর্সাটা আরো বেশি সুন্দর ?। কৌতুহল দমিয়ে রাখতে না পেরে লতা কে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।-
Samir: লতা দেখোতো মেয়েটা কে…
লতা: স্যার ওই তো ফাল্গুনী..
Samir: তাহলে ডাক দাও..
আমার আদেশ পাওয়ার সাথে সাথে লতা ডাকতে শুরু করলো- ফাল্গুনী…ফাল্গুনী….
মেয়েটা এই দিকে তাকিয়ে জিহ্বায় ছোট্ট একটা কামড় দিলো। তারপর আস্তে আস্তে এগোতে লাগলো। Omg ?, এতো দেখছি বসন্তের সাজে সেজেছে। Dress up আর সাজের সাথে নামের মিল আছে। দেড় হাতের deference এ আমি আর মেয়েটা দাড়িয়ে আছি।-
Samir: এই মেয়ে তোমার নাম কি?
Falguni: জ্বি জ্বি স্যার, ফাল্গুনী ।
Samir: ও আচ্ছা, ফল্গুনের ফুল (মুখ ফসকে বেরিয়েই গেলো)। তা ক্লাসে না এসে বাইরে দাড়িয়ে ছিলে কেন, আর এতো late ই বা হলো কেন?
Falguni: জ্বি স্যার, আমি মনে করেছি স্কুলের সাথে সাথে মনেহয় কোচিংও বন্ধ তাই…
(জানি মিথ্যা বলছে তারপরও রাগ করতে বা বকা দিতে ইচ্ছা করলো না। অসম্ভব সুন্দর লাগছে, একদম ডানা কাটা পরী। আমি জানি মৃত্যুর আগ মুহুর্তে মানুষের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু ভালো লাগার চরম পর্যায়ে যে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে চায় সেটা আজ জানলাম। আমি মনে হয় senseless হয়ে যাব। এত সুন্দর মেয়ে আমি আমার জীবনে দেখিনি ?। এখন মনে হচ্ছে এখানে আসা সার্থক হয়েছে। মনের এত্তোগুলি ভালোলাগা ?চেহারায় প্রকাশ না করে বললাম- হুম, যাও বসো। এরপর থেকে ভালো করে জেনে নেবে ?
মনে হলো মেয়ে টার চুল খোলা থাকলে দারুন হতো। কথাটা চিন্তা করতেই ওর মাথায় লাগানো কাটা ভেঙে চুল খুলে কাটা টা পড়ে গেল (ups)। আর ১০ সে: যদি এভাবে দেখিনা তাহলে আমি সত্যি senseless হয়ে যাব ??
মনে হয় খুব লজ্জা পেয়েছে ফাল্গুনী, কাটা টা তুলে বাইরে ফেলে দিলো…
Coming soon interesting part..?Farzana?

ফাল্গুনের_ফুল part-2

0

ফাল্গুনের_ফুল
part-2
#Writer_Farzana

রাত হয়ে গেলো…রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। রাতে আর পড়বো না, দুপুরে না Biology বই টা কত্তো পড়লাম ?। আমার বাবা দেশের বাইরে থাকে, সেই সুবাদে বাড়িতে এত্তোগুলি room থাকতেও আমরা একি রুমে থাকি। আমরা দুই বোন অপেক্ষা করছি আম্মুর ঘুমের। রাত ৯:০০ টা বাজে, গ্রামতো তাই গভীর রাত টা যেন রাত ৯:০০ টায়ই চলে আসে।
আপু: দেখো তো আম্মু ঘুমিয়েছে নাকি। (ফিসফিস করে)
আমি: আম্মু.. আম্মু…(যেহেতু ঘরের light off তাই আস্তে করে ডাকি দিলাম ?)
আম্মু: কি? ?
আমি: (যাহ ? মনে হয় ঘুম টা ভাঙিয়েই দিলাম। আবার কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে কে জানে?) পানি খাব।
আম্মু: T- table এ রাখা আছে, খেয়ে নাও ?…
অগত্য পানিটা খেতেই হলো.. তারপর আমরা দুইজন ?… আধা ঘন্টা পর মনে হলো আম্মু ঘুমিয়েছে। এবার আর ডাক দিলাম না, আমার কি মাথা খারাপ নাকি যে ডাক দেবো…? আপু উঠে লুকিয়ে রাখা ভাইয়ার gift করা ফোন টা নিয়ে পাশের রুমে গেলো কথা বলতে। যদিও বিয়ে ঠিক তাও আম্মুর কথা বলা পছন্দ না। আম্মুর কথা..যদি বিয়ে না হয়। আমি উঠে গিয়ে আস্তে করে TV ছাড়লাম.. আব্বু তো আবার হজ্জ্ব করেছে তাই বাড়িতে Dish line নেই। আর আমাদের পরিবার আবার ধার্মিক এবং রক্ষণশীল দুই টাই। তাই Tv-র ব্যাপারে not interested তারা। এটা নষ্ট হলে next time আর TV পাবোনা। যাই হোক যেহেতু dish line নেই তাই অগত্য India-র national channel টাই দেখবো। ও বলাই তো হয়নি dish line না থাকলে কি হবে আমাদের TV তে national channel টা আসে। India আর Bangladesh এর সময় এর deference মাত্র ৩০ মি:। তাই India-র সময় ৯:৩০ টা অর্থাৎ Bangladesh-র সময় রাত ১০:০০ টায় Hindi movie দেয় ?.. আজ দিয়েছে Tere naam movie.. Salman এর.. আমার favourite hero…???

cousin এর কাছে শুনেছি Tere naam movie-র নাকি happy ending হয়। Happy ending আমার ভীষণ পছন্দ, তাই দেখছি ?.. Omg ???? এইটা কি হলো, মরে গেলো কেনো? এই বার মনে হচ্ছে আমার সেই cousin টাকে পেলে মেরে ভর্তা করে ফেলতাম ?। এটা তো sad ending হলো। Happy ending না হলে আমি সেই movie দেখিনা। সে যারই movie হোক না কেন। ধ্যাত, মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেলো ?… কাল আবার স্কুলেও যেতে হবে। রাত ১:৩০ বাজে, পরিচালক আর আমার cousin এর চৌদ্দ গোষ্ঠি ধুয়ে দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
আম্মু: ফাল্গুনী…. এখনো ঘুমাচ্ছো তুমি। এই বার যদি result খারাপ হয় না…??
আম্মুর মেঘের মতো গর্জন শুনে উঠে পড়লাম। আর ৫ মি: যদি শুয়ে থাকিনা, তাহলে আমার উপর বজ্রপাত হতে পারে ?.. ঘুম থেকে উঠেই আমার friend লতার কাছে call করলাম…
আমি: স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে নিয়ে যাস।
লতা: আজ তো স্কুল বন্ধ, তবে কোচিং আছে বিকাল ৩ টায়।
শুনে তো আমি ভীষণ খুশি.. মনে হচ্ছে সারা পাড়ায় মিষ্টি বিলাই ??। কিন্তু আমার তো টাকা নাই, তাই আর মিষ্টি বিলানো হলো না। যাই হোক, আম্মু কে স্কুল বন্ধের ব্যাপার টা জানিয়ে অনেক সময় নিয়ে ফ্রেস হলাম। তারপর চিন্তা করলাম, সকালের ইংরেজি প্রাইভেট টা দুপুর ২ টায় পড়তে যাবো। আর কোচিং টা করবো না.. ভালোই idea টা তাইনা ??.. রাতে movie দেখে যে মেজাজ খারাপ হয়েছিলো, এখন স্কুল বন্ধের কথা শুনে সেটা ভালো হয়ে গিয়েছে ?।
দুপুর হয়ে গিয়েছে, যথা সময়ের আগেই ready হলাম। জানেনই তো আমি পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী ?। আজ আর বোরকা পডলাম না। একটা নস্যি কালারের ডালিম হাতার জিপসি পড়েছি golden পাথর দিয়ে কাজ করা, সাথে চুরি পায়জামা। আর ওড়নায় আছে golden ছোট ছোট লাভ। আর চুল টা বেধেছি পেন্ছিলের মতো কাটা দিয়ে। ভালোই লাগছে দেখতে..?.. ( কেউ যখন নিজের প্রশংসা করে না তখন নিজেই নিজের প্রশংসা করতে হয় ??) আম্মুকে বলে বাড়ি থেকে বের হলাম.. উদ্দেশ্য প্রাক্তন মাথা স্যার মানে head teacher এর বাড়ি….

head teacher এর বাড়ি যাওয়ার সময় স্কুলের মধ্যে দিয়েই গেলাম, স্কুল বন্ধ তাই। স্কুলের পাশেই মসজিদ , সবাই নামাজ পড়ে চলে গেছে। তাই মসজিদের সামনে থাকা সোনারু ফুলের গাছ থেকে কিছু ফুই নিলাম। তারপর সোজা চলে গেলাম teacher এর বাড়িতে। এ সময়ে কেউ পড়েনা, তাই কোন student নাই। বাড়িতে sir, sir এর বউ আর তিন মাসের এক নাতনী আছে, নাম লিলি। Sir এর কাছে আমার মূলত পড়া ওর জন্যেই। Head sir এর মেয়ের twins baby হয়েছিলো, তাই একটা কে এখানে রেখে গেছে। Sir এর বউ সেদিন বিরক্ত হলেও আমি খুব খুশি হয়েছিলাম ??। কিছুক্ষণ পর…
Sir: ফাল্গুনী তুমি বস, আমি লিলির জন্যে দুধ কিনে নিয়ে আসি।
আমি: জ্বি sir…?
Sir: তুমি ততক্ষণে passage টা আার dowry system paragraph টা লিখে ফেলো।
আমি: জ্বি sir…?
Sir চলে গেলেন বাইরে..
আমি: লিলি কোথায় আন্টি?
Sir এর বউ: ও তো ঘুমায়..
আমি: ও আচ্ছা..?
কি আর করবো ফুলগুলি পাশে রেখে answer paper টা খুলে সুন্দর করে copy করে দিলাম ??। এখন তো ২:৪৫ বাজে, sir এর বাড়িতে মোরগ জবা ফুল আছে। Sir এর বউ কে বলে তুললাম। তারপর সূচ, সুতা নিয়ে মালা গাঁথা শুরু করলাম। Color combination টা দারুন হয়েছে ?। হলুদ আর গাঢ় লাল। যদিও আমার dress এর সাথে match হয়নি, তারপরও জোর করে match করে পড়ে ফেললাম..?? হাতে, গলায়, কানে পড়লাম, ও হ্যা টিকলিও পড়লাম ফুলের। তারপর লিলি উঠলো ওকে নিয়ে ঘুরলাম কিছুক্ষণ। ৩:৩০ বাজে এখনো sir আসেনি।
আমার চেয়েও বেশী ফাঁকিবাজ দেখছি, এই জন্যেই মনে হয় সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথেই job টা গেছে। তাই হয়তো কেউ আর request করেনি যে, sir আর অনত:ত ১ টা মাস job টা করেন আমাদের জন্যে। অবশ্য কেউ করেছিলো কিনা জানিনা ??। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে এখন বাড়ি যেতে হবে.. লিলি কে ওর নানুমনির কাছে দিয়ে, খাতাটা রেখে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। স্কুল যেহেতু বন্ধ তাই সেখান দিয়েই যাব ??। স্কুল মাঠে চলে এসেছি, পুকুরে বৃষ্টির ফোটা পড়ছে, দেখতে ভালোই লাগছে। তাই গাছের নিচে দাড়িয়ে দেখছি…??
এমন সময় মনে হলো class room থেকে কেউ ডাকছে, ফাল্গুনী….??

এই রে..??? আমি তো ভূলেই গিয়েছিলাম যে কোচিং আছে.. স্কুলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া যাবেনা, এখন ভূলের মাসুল দিতে হবে ???। এখন তো নেছার sir এর period, উফ্ অসহ্য লাগে ?। খুব ভাব নেয়.. গেলো শীতে বলে.. তোমরা সবাই সোয়েটার পড়নি কেনো? 2nd hand সোয়েটার কিনে নিতে পারোনা ??.. উফ ??… Class এর ছেলেরা তো বলে নেছার পাগলা ?… আর তার ক্লাসেই এখন যেতে হচ্ছে.. এসব ভাবতে ভাবতেই ক্লাসে গেলাম.. ওম্মা ? একি, এ কে? এতো নেছার sir না.. সে যেই হোক dress up টা কিন্তু habby সুন্দর। কালোর ভেতরে সাদা বল প্রিন্ট shirt in করা ছাড়া, হাতা টা ভাজ করে কব্জির উপরে উঠিয়ে রাখা, গায়ের রং হলুদ ফর্সা। এ তো salman এর চেয়েও সুন্দর। আমি তো পুরা ফিদা ??
Sir: এই মেয়ে তোমার নাম কি?
আমি: জ্বি, জ্বি sir ফাল্গুনী..
Sir: ও আচ্ছা ফাল্গুনের ফুল, তা ক্লাসে না এসে বাইরে দাড়িয়ে ছিলে কেন? আর এতো late ই বা হলো কেন?
আমি: জ্বি sir, আমি মনে করেছি স্কুলের সাথে, সাথে মনে হয় কোচিং ও বন্ধ তাই…( ডাহা মিথ্যা কথা) ?
Sir: হুম, যাও বসো। এর পর থেকে ভালো করে জেনে নেবে.. ??।
আমি: জ্বি sir.. কথা টা বলতেই মাথার কাটা টা ভেঙে চুল খুলে কাটা টা পড়ে গেল। ?? উফ্, কাটা টা তুলে বাইরে ফেলে দিলাম।
লতা জায়গা করে দিলো ওর পাশে,বসতে যেয়ে দেখি সব ছেলেরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে?। বোরকা ছাড়া এসেছি তাই মনে হয়, হনুমান গুলি ?।
লতা: কিরে, তোকে না সকালে বললাম যে বিকালে কোচিং আছে। ভূলে গেলি কিভাবে? TV তে কোন দিন কোন cartoon হয় সেটা তো ভূলিস না (ফিসফিস করে) ??।
আমি: আরে ভূলিনি, আসতে ইচ্ছা করলো না। তা কে রে এই টা, নেছার sir কই? (Sir এর দিকে তাকিয়েই বললাম ?)।
লতা: উনি নেছার sir এর friend, উনার নাম সামির। উনি ইন্জিনিয়ার, sir এর বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। আর sir গিয়েছেন teachers training এ। তাই গতকাল থেকেই Samir sir ক্লাস নিচ্ছেন, ৬/৭ দিন ক্লাস নেবেন আর কি..
আমি: ও তাহলে ইন্জিনিয়ার দেখতে এমন লাগে, এই মানুষের মতোই তো লাগে দেখতে। আবার দেখ দুইটা পাও আছে ??।
লতা: ফাজলামি বাদ দিবি..??
আমি: হুম, তো ৬/৭ দিন কম হয়ে গেলো না..
লতা: তুই কি ফিদা হয়ে গেলি নাকি ???
আমি: আরে না, dress up দেখেই তো আমার পছন্দ হয়নি। ( ডাহা মিথ্যা কথা ?) sir এর দিকে তাকিয়েই কথা গুলি বলছি..
লতা: তাহলে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন??
আমি: (চোখ নামিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে) মনোযোগ দিয়ে পড়া শুনছি..?
লতা: তাহলে বল sir কি বললো?
আমি: sir বললো, মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শোন..?
লতা: এ ছাড়া আর কিছু শুনিসনি??
আমি: আর কিছু বলেছে নাকি? ??
লতা: হুম, বুঝলাম ?।
আমি:???
যথারিতী বাধ্য হয়ে সব class শেষ করে বিকাল ৫ টায় বাড়ি ফিরলাম..?

Coming soon interesting part..?Farzana?

ফাল্গুনের_ফুল part-1

0

ফাল্গুনের_ফুল
part-1
#Writer_Farzana

রাত হয়ে গেলো…রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। রাতে আর পড়বো না, দুপুরে না Biology বই টা কত্তো পড়লাম ?। আমার বাবা দেশের বাইরে থাকে, সেই সুবাদে বাড়িতে এত্তোগুলি room থাকতেও আমরা একি রুমে থাকি। আমরা দুই বোন অপেক্ষা করছি আম্মুর ঘুমের। রাত ৯:০০ টা বাজে, গ্রামতো তাই গভীর রাত টা যেন রাত ৯:০০ টায়ই চলে আসে।
আপু: দেখো তো আম্মু ঘুমিয়েছে নাকি। (ফিসফিস করে)
আমি: আম্মু.. আম্মু…(যেহেতু ঘরের light off তাই আস্তে করে ডাকি দিলাম ?)
আম্মু: কি? ?
আমি: (যাহ ? মনে হয় ঘুম টা ভাঙিয়েই দিলাম। আবার কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে কে জানে?) পানি খাব।
আম্মু: T- table এ রাখা আছে, খেয়ে নাও ?…
অগত্য পানিটা খেতেই হলো.. তারপর আমরা দুইজন ?… আধা ঘন্টা পর মনে হলো আম্মু ঘুমিয়েছে। এবার আর ডাক দিলাম না, আমার কি মাথা খারাপ নাকি যে ডাক দেবো…? আপু উঠে লুকিয়ে রাখা ভাইয়ার gift করা ফোন টা নিয়ে পাশের রুমে গেলো কথা বলতে। যদিও বিয়ে ঠিক তাও আম্মুর কথা বলা পছন্দ না। আম্মুর কথা..যদি বিয়ে না হয়। আমি উঠে গিয়ে আস্তে করে TV ছাড়লাম.. আব্বু তো আবার হজ্জ্ব করেছে তাই বাড়িতে Dish line নেই। আর আমাদের পরিবার আবার ধার্মিক এবং রক্ষণশীল দুই টাই। তাই Tv-র ব্যাপারে not interested তারা। এটা নষ্ট হলে next time আর TV পাবোনা। যাই হোক যেহেতু dish line নেই তাই অগত্য India-র national channel টাই দেখবো। ও বলাই তো হয়নি dish line না থাকলে কি হবে আমাদের TV তে national channel টা আসে। India আর Bangladesh এর সময় এর deference মাত্র ৩০ মি:। তাই India-র সময় ৯:৩০ টা অর্থাৎ Bangladesh-র সময় রাত ১০:০০ টায় Hindi movie দেয় ?.. আজ দিয়েছে Tere naam movie.. Salman এর.. আমার favourite hero…???

cousin এর কাছে শুনেছি Tere naam movie-র নাকি happy ending হয়। Happy ending আমার ভীষণ পছন্দ, তাই দেখছি ?.. Omg ???? এইটা কি হলো, মরে গেলো কেনো? এই বার মনে হচ্ছে আমার সেই cousin টাকে পেলে মেরে ভর্তা করে ফেলতাম ?। এটা তো sad ending হলো। Happy ending না হলে আমি সেই movie দেখিনা। সে যারই movie হোক না কেন। ধ্যাত, মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেলো ?… কাল আবার স্কুলেও যেতে হবে। রাত ১:৩০ বাজে, পরিচালক আর আমার cousin এর চৌদ্দ গোষ্ঠি ধুয়ে দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
আম্মু: ফাল্গুনী…. এখনো ঘুমাচ্ছো তুমি। এই বার যদি result খারাপ হয় না…??
আম্মুর মেঘের মতো গর্জন শুনে উঠে পড়লাম। আর ৫ মি: যদি শুয়ে থাকিনা, তাহলে আমার উপর বজ্রপাত হতে পারে ?.. ঘুম থেকে উঠেই আমার friend লতার কাছে call করলাম…
আমি: স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে নিয়ে যাস।
লতা: আজ তো স্কুল বন্ধ, তবে কোচিং আছে বিকাল ৩ টায়।
শুনে তো আমি ভীষণ খুশি.. মনে হচ্ছে সারা পাড়ায় মিষ্টি বিলাই ??। কিন্তু আমার তো টাকা নাই, তাই আর মিষ্টি বিলানো হলো না। যাই হোক, আম্মু কে স্কুল বন্ধের ব্যাপার টা জানিয়ে অনেক সময় নিয়ে ফ্রেস হলাম। তারপর চিন্তা করলাম, সকালের ইংরেজি প্রাইভেট টা দুপুর ২ টায় পড়তে যাবো। আর কোচিং টা করবো না.. ভালোই idea টা তাইনা ??.. রাতে movie দেখে যে মেজাজ খারাপ হয়েছিলো, এখন স্কুল বন্ধের কথা শুনে সেটা ভালো হয়ে গিয়েছে ?।
দুপুর হয়ে গিয়েছে, যথা সময়ের আগেই ready হলাম। জানেনই তো আমি পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী ?। আজ আর বোরকা পডলাম না। একটা নস্যি কালারের ডালিম হাতার জিপসি পড়েছি golden পাথর দিয়ে কাজ করা, সাথে চুরি পায়জামা। আর ওড়নায় আছে golden ছোট ছোট লাভ। আর চুল টা বেধেছি পেন্ছিলের মতো কাটা দিয়ে। ভালোই লাগছে দেখতে..?.. ( কেউ যখন নিজের প্রশংসা করে না তখন নিজেই নিজের প্রশংসা করতে হয় ??) আম্মুকে বলে বাড়ি থেকে বের হলাম.. উদ্দেশ্য প্রাক্তন মাথা স্যার মানে head teacher এর বাড়ি….

head teacher এর বাড়ি যাওয়ার সময় স্কুলের মধ্যে দিয়েই গেলাম, স্কুল বন্ধ তাই। স্কুলের পাশেই মসজিদ , সবাই নামাজ পড়ে চলে গেছে। তাই মসজিদের সামনে থাকা সোনারু ফুলের গাছ থেকে কিছু ফুই নিলাম। তারপর সোজা চলে গেলাম teacher এর বাড়িতে। এ সময়ে কেউ পড়েনা, তাই কোন student নাই। বাড়িতে sir, sir এর বউ আর তিন মাসের এক নাতনী আছে, নাম লিলি। Sir এর কাছে আমার মূলত পড়া ওর জন্যেই। Head sir এর মেয়ের twins baby হয়েছিলো, তাই একটা কে এখানে রেখে গেছে। Sir এর বউ সেদিন বিরক্ত হলেও আমি খুব খুশি হয়েছিলাম ??। কিছুক্ষণ পর…
Sir: ফাল্গুনী তুমি বস, আমি লিলির জন্যে দুধ কিনে নিয়ে আসি।
আমি: জ্বি sir…?
Sir: তুমি ততক্ষণে passage টা আার dowry system paragraph টা লিখে ফেলো।
আমি: জ্বি sir…?
Sir চলে গেলেন বাইরে..
আমি: লিলি কোথায় আন্টি?
Sir এর বউ: ও তো ঘুমায়..
আমি: ও আচ্ছা..?
কি আর করবো ফুলগুলি পাশে রেখে answer paper টা খুলে সুন্দর করে copy করে দিলাম ??। এখন তো ২:৪৫ বাজে, sir এর বাড়িতে মোরগ জবা ফুল আছে। Sir এর বউ কে বলে তুললাম। তারপর সূচ, সুতা নিয়ে মালা গাঁথা শুরু করলাম। Color combination টা দারুন হয়েছে ?। হলুদ আর গাঢ় লাল। যদিও আমার dress এর সাথে match হয়নি, তারপরও জোর করে match করে পড়ে ফেললাম..?? হাতে, গলায়, কানে পড়লাম, ও হ্যা টিকলিও পড়লাম ফুলের। তারপর লিলি উঠলো ওকে নিয়ে ঘুরলাম কিছুক্ষণ। ৩:৩০ বাজে এখনো sir আসেনি।
আমার চেয়েও বেশী ফাঁকিবাজ দেখছি, এই জন্যেই মনে হয় সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথেই job টা গেছে। তাই হয়তো কেউ আর request করেনি যে, sir আর অনত:ত ১ টা মাস job টা করেন আমাদের জন্যে। অবশ্য কেউ করেছিলো কিনা জানিনা ??। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে এখন বাড়ি যেতে হবে.. লিলি কে ওর নানুমনির কাছে দিয়ে, খাতাটা রেখে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। স্কুল যেহেতু বন্ধ তাই সেখান দিয়েই যাব ??। স্কুল মাঠে চলে এসেছি, পুকুরে বৃষ্টির ফোটা পড়ছে, দেখতে ভালোই লাগছে। তাই গাছের নিচে দাড়িয়ে দেখছি…??
এমন সময় মনে হলো class room থেকে কেউ ডাকছে, ফাল্গুনী….??

এই রে..??? আমি তো ভূলেই গিয়েছিলাম যে কোচিং আছে.. স্কুলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া যাবেনা, এখন ভূলের মাসুল দিতে হবে ???। এখন তো নেছার sir এর period, উফ্ অসহ্য লাগে ?। খুব ভাব নেয়.. গেলো শীতে বলে.. তোমরা সবাই সোয়েটার পড়নি কেনো? 2nd hand সোয়েটার কিনে নিতে পারোনা ??.. উফ ??… Class এর ছেলেরা তো বলে নেছার পাগলা ?… আর তার ক্লাসেই এখন যেতে হচ্ছে.. এসব ভাবতে ভাবতেই ক্লাসে গেলাম.. ওম্মা ? একি, এ কে? এতো নেছার sir না.. সে যেই হোক dress up টা কিন্তু habby সুন্দর। কালোর ভেতরে সাদা বল প্রিন্ট shirt in করা ছাড়া, হাতা টা ভাজ করে কব্জির উপরে উঠিয়ে রাখা, গায়ের রং হলুদ ফর্সা। এ তো salman এর চেয়েও সুন্দর। আমি তো পুরা ফিদা ??
Sir: এই মেয়ে তোমার নাম কি?
আমি: জ্বি, জ্বি sir ফাল্গুনী..
Sir: ও আচ্ছা ফাল্গুনের ফুল, তা ক্লাসে না এসে বাইরে দাড়িয়ে ছিলে কেন? আর এতো late ই বা হলো কেন?
আমি: জ্বি sir, আমি মনে করেছি স্কুলের সাথে, সাথে মনে হয় কোচিং ও বন্ধ তাই…( ডাহা মিথ্যা কথা) ?
Sir: হুম, যাও বসো। এর পর থেকে ভালো করে জেনে নেবে.. ??।
আমি: জ্বি sir.. কথা টা বলতেই মাথার কাটা টা ভেঙে চুল খুলে কাটা টা পড়ে গেল। ?? উফ্, কাটা টা তুলে বাইরে ফেলে দিলাম।
লতা জায়গা করে দিলো ওর পাশে,বসতে যেয়ে দেখি সব ছেলেরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে?। বোরকা ছাড়া এসেছি তাই মনে হয়, হনুমান গুলি ?।
লতা: কিরে, তোকে না সকালে বললাম যে বিকালে কোচিং আছে। ভূলে গেলি কিভাবে? TV তে কোন দিন কোন cartoon হয় সেটা তো ভূলিস না (ফিসফিস করে) ??।
আমি: আরে ভূলিনি, আসতে ইচ্ছা করলো না। তা কে রে এই টা, নেছার sir কই? (Sir এর দিকে তাকিয়েই বললাম ?)।
লতা: উনি নেছার sir এর friend, উনার নাম সামির। উনি ইন্জিনিয়ার, sir এর বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। আর sir গিয়েছেন teachers training এ। তাই গতকাল থেকেই Samir sir ক্লাস নিচ্ছেন, ৬/৭ দিন ক্লাস নেবেন আর কি..
আমি: ও তাহলে ইন্জিনিয়ার দেখতে এমন লাগে, এই মানুষের মতোই তো লাগে দেখতে। আবার দেখ দুইটা পাও আছে ??।
লতা: ফাজলামি বাদ দিবি..??
আমি: হুম, তো ৬/৭ দিন কম হয়ে গেলো না..
লতা: তুই কি ফিদা হয়ে গেলি নাকি ???
আমি: আরে না, dress up দেখেই তো আমার পছন্দ হয়নি। ( ডাহা মিথ্যা কথা ?) sir এর দিকে তাকিয়েই কথা গুলি বলছি..
লতা: তাহলে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন??
আমি: (চোখ নামিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে) মনোযোগ দিয়ে পড়া শুনছি..?
লতা: তাহলে বল sir কি বললো?
আমি: sir বললো, মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শোন..?
লতা: এ ছাড়া আর কিছু শুনিসনি??
আমি: আর কিছু বলেছে নাকি? ??
লতা: হুম, বুঝলাম ?।
আমি:???
যথারিতী বাধ্য হয়ে সব class শেষ করে বিকাল ৫ টায় বাড়ি ফিরলাম..?

Coming soon interesting part..?Farzana?

Contract_marriage  Last part

0

Contract_marriage ?

Last part :???

writer-Jubaida Sobti


সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিলা…
(নিলা ভাবছে) কাল রাত তার জীবনের সবচেয়ে স্পেশাল রাত ছিলো…
আবিরের দিকে তাকালো…আবির ঘুমিয়ে আছে…
নিলা উঠে ফ্রেশ হয়ে সবার জন্য নাস্তা বানালো… আজ নিলা সব খাবার নিজের হাতে বানিয়েছে…
ভাবী রান্নাঘরে এসে সব রেডি দেখে অবাক..
ভাবী : কি ব্যপার নিলা আজ অনেক খুশি খুশি মনে হচ্ছে…
নিলা : না ভাবী এমনিতে…
ভাবী : আচ্ছা…? নাকি কাল ?
দেখি দেখি এগুলো কিসের মার্ক…
নিলা : যা ভাবী…এগুলো এলার্জির…
ভাবী : ঐ আমাকে বোকা পাইসস শয়তান…
নিলা ড্রইং রুমে গিয়ে সবার জন্য নাস্তা দিলো…
দাদী : নিলা! আবির কোথায়…?
আবির : yes দাদী I m here…
নিলা আবিরের দিকে তাকালে
আবির নিলাকে চোখ টিপ মারলো..?
নিলা ও হেসে দিলো…
আবির : (নিলার কাছে এসে কানে কানে উইস্পার করে)…থেংক্স!
নিলা : কেনো!
আবির : কাল রাতটা এতোসুন্দর করে দেওয়ার জন্য।
দাদী : ঐ তুই খালি বউ এর কানে কানে কি ফিস ফিস করোস?
নিলা আবিরের পাশ থেকে সরে চলে যায় লজ্জা পেয়ে..
আবির : উফফ দাদী তোমাকে না… একটা প্রাইজ দেওয়া দরকার…কি জন্য
জানো রোমান্টিক মোমেন্ট খারাপ করে দেওয়ার জন্য…
দাদী আবিরের কান ধরে আচ্ছা শয়তান…
ভাবী : কি হলো দাদী নাতি ঝগড়া করছিস কেন?
আবির : ভাবি ডিয়ার দেখোনা… আমি নাকি দাদীর সাথে রোমান্স করতাম…
তুমিই বলো দাদীর কি এটা রোমান্স করার বয়স…
আবিরের কথা শুনে দাদী আর ভাবি হেসে দেই…
নিলা রুমে এসে দেখে আবির অফিস না গিয়ে বসে আছে…
নিলা : কি বেপার আপনি অফিস যাচ্ছেন না?
আবির : না! এদিকে এসো কথা আছে…
নিলা : কি কথা ঐদিক থেকেই বলেন।
আবির : ঠিকাছেতো আসবানা ওকে…?
নিলা আবিরের পাশে গিয়ে হাতটা ঝরিয়ে ধরে…
নিলা : বলেন!
আবির : না বলবো না!
নিলা : ইসসস! কতো ডং…
আবির : ডং আমি করছি নাকি তুমি…এক কথায় আসো না…
প্রথমে একটু ঢং করবা তারপরে ঠিকি আসবা…
নিলা : (আবিরকে আস্তে করে একটা থাপ্পড় দিয়ে) হয়েছে?.. ইডিয়ট এবার বলেন..
আবির : একটা জায়গায় নিয়ে যাবো…চলো..
নিলা : এখন?
আবির : হে এখন তুমি তৈরী হয়ে নাও..তোমাদের তো আবার তৈরী হতে পুরাদিন লাগে..
নিলা: কি বললেন ?
আবির : হা-হা-হা কিছুনা
আবির নিলাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে আসে…
আবির : নিলা! বলোতো… তোমাকে আজ এইখানে কেনো এনেছি…
নিলা : রেস্টুরেন্টে যখন এনেছেন তাহলে খেতেই এনেছেন ?
আবির : আচ্ছা ওয়েট চলো…
নিলা : কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আবার…
আবির নিলাকে টেনে ওয়াসরুমের ঐদিকে নিয়ে গেলো..
আবির : এইবার বলো কেনো এনেছি..
নিলা : (এইবার বুঝতে পেরে) এই জায়গায় আপনার সাথে প্রথম দেখা হয়ে ছিলো…
আপনি আমাকে টিসু দিয়েছিলেন…
আবির : হুম… তখন এই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম অচেনা হিসেবে… আজ একই জায়গায় সামী-স্ত্রী হিসেবে..
তখন তুমি শুধু নিলা ছিলে আর এখন মিসেস. নিলা আবির হক….
নিলাও হেসে দেই আবিরের কথা শুনে..
এভাবে দুবছর কেটে যায়…
ভাবীর একটা ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে.. আমাকে ও সবাই পেয়েছে এবার নাকি আমার পালা
আর আবিরকে বললে আবির বলে সে নাকি নিজেই এখনো বাচ্চা….
সকালে আবির অফিস চলে যায়…
খুব খারাপ লাগছে আবিরকে বলিনি… বললে শুধু শুধু টেনশন করবে..
বাসার কেউকে ও বলিনি..
মাথাটা ও ঘুরাচ্ছে…
ভাবছি রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করি…ব্যস্ত থাকলে হয়তো আর খারাপ লাগবে না…তাই গিয়ে রান্না করছি..ভাবী ও এসে সাহায্য করছে…
ভাবী বুঝতে পারে আমার খারাপ লাগছে তাই গিয়ে আরাম করতে বলে…
দু-তিনদিন ধরেই এভাবে খারাপ লাগছে..
আমার ভাবসাব দেখে দাদী আর মা হয়তো বুঝতে পারলো… তাই তারা ভাবীকে দিয়ে টিউব টেস্ট করে দেখে.. ৩ টা দেখলো ৩টাই পজেটিব আসলো…
মা হওয়ার ফিলিংস টাই অন্যরকম।এমন খুশি আর কখনো লাগেনি… এ খুশিটা অন্যরকম খুশি….
মা,দাদী, ভাবী সবাইকে নিষেধ করে দিয়েছি আবিরকে না বলতে…
সামনে আমাদের Anniversary ভাবছি আবিরকে এটাই স্পেশাল গিফট দিবো…
Anniversary দিন সবাইকে দাওয়াত করলাম মামা-মামীদের সবাইকে আসতে বলেছি মমিতা আপু ও তার হাজবেন্ড ও এসেছে…
আবিরতো পারছে না যে দুলাভাইকে গিলে খেয়ে ফেলতে… তাই আবিরকে তাদের থেকে দূরে দূরেই রাখছি।কারন আবিরের মাথার ভুতটা কখন উঠে যায়…তখন আবার সবার সামনে মারামারি শুরু করে দিবে…
মামী আর শ্রেয়াকে ও বলেদি মা হয়েছি..জেনে মামী অনেক খুশি হয়েছে..
শ্রেয়া তো আরো খুশি সে খালামণি হচ্ছে তাই…
রাতে সবাইকে বিদায় দিয়ে রুমে আসি আবির ও আসে….
নিলা : আপনি কিন্তু আজ আমাকে গিফট দেন নি।
আবির : আমি আছি না! এর চেয়ে বড় গিফট আর কি চাই তোমার…
নিলা : Shut-up আবির… এতোকিছু বলে লাভ নেই….
আবির : কিন্তু নিলা…! আমিতো কিছু আনিনি!
নিলা : ওহ ঠিকাছে!
(এই বলে নিলা খাটে বসে পরে…)
আবির নিলার পায়ের দিকে বসে নিলার পা টা আবিরের হাটুর উপর রেখে নিলাকে একটা পায়েল পরিয়ে দেই…
নিলা : মিথ্যা বলেছেন কেন…আপনি তো গিফট এনেছেন..
আবির : সারপ্রাইজ! তুমি সারপ্রাইজ খুব পছন্দ করো তাই সারপ্রাইজ দিলাম।
নিলা : yeah i love surprise ?
আবির : এবার আমার গিফট দাও!
নিলা : আমি কি টাকা কামাই গিফট কই পাবো..
আবির : ওকে… টাকা লাগবেনা এমন গিফট ও দিতে পারো!
(এই বলে আবির নিলার মুখের কাছে আসতে লাগলো…)
নিলা : Stop! এইদিকে বসেন।
আবির : ও আচ্ছা সুবিধা করে… করার জন্য বসাচ্ছো যে…
নিলা আবিরের কথা শুনে আর না হেসে পারলো না….
নিলা : আবির! সবসময় সবকিছু ফানে নিয়ে যান কেন? কখনো তো সিরিয়াস হন…এখন আর আপনি বাচ্চা না…
এখন আপনার নিজের বাচ্চা হবে..
(নিলা আবিরের হাতটা তার পেটের মধ্যে রাখলো)
আবির নিলার দিকে তাকিয়েই রইলো সে কি বলবে খুজেই পাচ্ছে না।
আবির : নিলা! সত্যি?
নিলা : হুম সত্যি!
আবিরকে খুশিতে কাঁদতে এই প্রথম দেখলাম… আবির নিলাকে ঝরিয়ে ধরলো…
আবির: নিলা! তুমি জানো না তুমি আমাকে কতোবড় সারপ্রাইজ দিয়েছো…থেংক ইউ নিলা!
নিলা : আপনাকে ও থেংকস!
আবির হেসে… রাইট আমাকে ও থেংকস দেওয়া দরকার আমার ও ক্রেডিট আছে…. কিন্তু…
নিলা ও হেসে দিলো…
এখন থেকে আবির রোজ সকালে আমাকে আগে নাসতা করিয়ে তারপর অফিস যায়…
আর অফিস থেকেও যে কতোবার ফোন দেই…. ঔষধ খেয়েছো… খাবার খেয়েছো
বেশি হাটাচলা করবানা ডাক্তার নিষেধ করেছে….
এসব বলতে থাকে।
আর আমার মোবাইলের ওয়ালপেপারে আবিরের ছবি দিয়ে রেখেছি যাতে আমার বাচ্চার চেহেরা তার বাবার মতো হয়।
কিন্তু আবির সেটা সরিয়ে আবার আমার ছবি বসিয়ে দেই যাতে আমার চেহেরার মতো হয়।
তাই আমিও মোবাইলে লক দিয়ে রেখেছি যাতে আবির আর আবিরের ছবি চেঞ্জ করতে না পারে।
৫ মাসের পর থেকে আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি বিছানা থেকে উঠে ও দাড়াতে পারিনা। কোনদিকে সকাল হচ্ছে সূর্য কখন ডুবছে কোনদিকে রাত হচ্ছে কোনো কিছুর খবর নেই…
কিছু খেলে সাথে সাথে আবার বমি করে বের করে দি। ডাক্তার বলেছে এইকারনে বেশি দূর্বল হয়ে পড়েছি আমাকে দেখে কেউ বলবেনা যে আমার বাচ্চা হবে।
মা হলে নাকি সবাই মোটা হয়ে যায় কিন্তু আমি যতোটুকু ওজন ছিলো তার চেয়ে ও অনেক কমে গিয়েছি।
আর আবির আমাকে যথেষ্টভাবে সেবা করে যায়… প্রায় সময় আবির আমার কারনে অফিসে যেতে পারে না।
আজকের দিনটা মোটামুটি ভালোই লাগছে তাই আবিরকে জোড় করে অফিস পাটিয়ে দিয়েছি।
কিন্তু হঠাৎ সন্ধ্যা থেকে খুব ব্যথা অনুভব করছি…অনেক্ষন চেপে রাখি নিজের মধ্যে আর পারছি না তাই চিৎকার শুরু করলাম।
আমার চিৎকার শুনে দাদী দৌড়ে আসে।
মা ভাবী সবাইকে ডাকে…
আমি বললাম আবিরকে ফোন দিতে।
আবিরকে ফোন দিলো আবির ফোন পেয়ে কিসের উপর বাসায় আসে সে নিজেও জানে না…আবির আমাকে কোলে করে গাড়িতে তুলে….
মা আর দাদী ও আসে আমাদের সাথে…
… আর আমার কান্না থামছে না… ব্যথার যন্ত্রনায় ছটফট করছি।
আবির আমার এসব দেখে অনেক গাভ্রীয়ে যায়…আমার কান্না দেখে মনে হচ্ছে সে ও এখন কেঁদে দিবে কারন আবির এসব এর আগে কখনো দেখেনি… এই প্রথম।
বার বার মা থেকে জিজ্ঞেস করছে মা নিলার কিছু হবে না তো নিলা এমন কেনো
করছে…
হসপিটাল পৌছালাম… ডাক্তার বললো সিজার করতে হবে…
কারন আমি অনেক দূর্বল ছিলাম…
একটা সন্তান জন্ম দিতে কতো কষ্ট তা আজ বুঝতে পারলাম।
আমাদের একটি ফুটফুটে মেয়ে হলো….
আবির অনেক খুশি… কিন্তু আবার আমার জন্য অনেক টেনশন করছে… আমি আবিরকে দেখে কেঁদে দি।
আবির কাছে এসে বসলো…
আবির : নিলা! অনেক কষ্ট হয়েছে তাই না?
নিলা : অনেক!
আবির : যদি ভাগ নেওয়া যেতো তাহলে আমি অর্ধেক নিয়ে নিতাম..
মা এসে আমাকে আমার বাচ্চা কোলে দিলো….
আবির : নিলা চোখ গুলো একদম তোমার মতো হয়েছে..
গায়ের রংটা ও তোমার মতো একদম পারফেক্ট… পুরাই স্লিপিং বিউটি…
মা : হে আর তোর মতো দুষ্টু ও হয়েছে…
আবির: মা আমার মেয়ে বলে কথা…
আবির আর নিলা দুটো নাম মিলিয়ে…
আমাদের মেয়ের নাম রেখেছি
(আবনি).. নামটা অবশ্য দাদী ঠিক করেছে আমার ও খুব পছন্দ হয়েছে…
আমাদের বাসায় এখন দুটো বাবু…
আবনির একটা বড় বোন ও আছে… যেটা সারাদিন আবনির পাশে বসে থাকে…
ভাবী তাকে খেতে ডাকলে ও যায় না…
আবনির সাথে খাবে ও…
(আবির নিলার কাছে এসে)
আবির : নিলা!
নিলা : হুম
আবির : ভাবছি আবনিকে একটা ভাই গিফট দিবো…
নিলা : Thanks…but not interested…
Now i feel complete…
আবনি এখন একটু একটু হাটতে পারে… আমাকে মা আর আবিরকে বাব্বা ডাকে…
নিলা আর আবিরের ছোট্ট সংসারটি এভাবেই কেটে যাচ্ছে তাদের পিচ্চি আবনিকে পেয়ে তাদের ভালোবাসা আরো
গভীর হয়ে উঠে….
সমাপ্ত,,

গল্পটি কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু?

Contract_marriage ❤?❤ part- 22

0
Contract_marriage ?

part- 22??

writer-Jubaida Sobti

নিলা ওয়াসরুম থেকে বের হলো….
আবির : (নিলাকে দেখে.)… ওয়াও
নিলা : এটা আপনি কিনেছেন?
আবির : হে কোনো সন্দেহ?
নিলা : না! সুন্দর হয়েছে…
কিন্তু বেশী সুন্দর হয়েছে বলতাম যদি ওড়নাটা ও সাথে থাকতো….
আবির : (অবাক হয়ে) ওড়না থাকতো মানে ওড়না নেই?…
নিলা : ( মাথা নেড়ে) না!..
আবির : কিন্তু আমিতো ওড়না সহ কিনেছি..
নিলা : লাইফে প্রথমবার বিয়ের পরে নিজের বউকে একটা গিফট করেছেন তাও আবার ওড়না ছাড়া….
(নিলা হেসে হেসে)
অবশ্য আপনাকে মানাই এইধরনের ভূল কাজে…
(আবির মন খারাপ করে সোফায় গিয়ে পিছন ফিরে বসে পরে….)
নিলা আবির রাগ করেছে বুঝতে পেরে আবিরের কাছে যায়….
নিলা: আবির!
(আবির চুপ করে আছে…)
নিলা ও আবিরের পাশে বসলো
নিলা : আমিতো ফান করছিলাম….
আচ্ছা ওকে বাবা…. সরি!
সরিতো…
আবির : (মন খারাপ করে) আমি কি ইচ্ছা করে এমনটা করেছি… আমিতো সব দেখে কিনেছি..
প্যাকিং করতে বলেছি… তখন হয়তো ভুল করে ও ওড়নাটা আর প্যাক করেনি….
নিলা : ইটস! ওকে……….. কিছু হবে না পরে গিয়ে নিয়ে আসবেন।
..আমিতো মজা করছিলাম…আর
আপনি মন খারাপ করে ফেললেন….
আবির : এমনিতে ও নিলা তোমার সাথে বিয়ে করেছি যে ওটা ও হাসিখুশিতে হতে দেইনি… এই প্রথম তোমাকে একটা গিফট করেছি ওটাও ঠিক করে দিতে পারলাম না… ভালো কিছুই দিতে পারলামনা তোমাকে।
আসলেই বাবা ঠিক বলেছে আমাকে দিয়ে কিছু হবে না…
নিলা : আরে…. আপনি এতো ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছেন কেনো… সব হবে আপনাকে দিয়ে..কে বলেছে কিছু হবে না.. আপনি আগে থেকে কতো চেঞ্জ হয়েছেন জানেন..
আপনি এখন অফিসে যান.. নিজের ইনকাম নিজে করেন..
আর..আমাকে এত্তোগুলা ভালোবাসেন…
আমাকে খুশি রাখার যথেষ্টভাবে চেষ্টা করেন..
(নিলা আবিরের হাত ঝড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রেখে)
আবির! আপনার চেষ্টা করাটাই আমার জন্য অনেক। আমিতো অনেক প্রাউড ফিল করছি আপনার মতো জীবন সংগী পেয়ে..
আবির : পাম্পিং তাই না?
নিলা : হি-হি.. আপনি কি গাড়ীর চাকা পাম্প কেনো দিবো..?
আবির : (হেসে) নিলা তুমি কিন্তু বেশী ফাজিল হয়ে গেছো..
নিলা : (হেসে) তাই?
আবির : (নিলার দিকে তাকিয়ে) হুম তাই।
নিলা : আচ্ছা গিফট তো পেয়েছি তারপরের প্লান?
আবির : (মন খারাপ করে) ধুর… ওড়নাটার জন্য পুরা মুডটাই অফ হয়ে গেলো।
নিলা : (একটু রেগে) আবারো?
আবির : আর এমনিতেও পরের প্লানটা তোমাকে দিয়ে হবে না।?
নিলা! আমি জোড় করে ফায়দা উঠায় না।…so তোমাকে দিয়ে হবে না,,
এই বলে আবির উঠে চলে যায়..
নিলা : (মনেমনে চিন্তিতো ভাবে What!? আমাকে দিয়ে হবে না..
of course হবে.. ?)
এই যে শুনেন কি বলেছিলেন…
আমাকে দিয়ে হবে না?.!
আবির : Yeah! ?
নিলা : ওকে চ্যালেঞ্জ করলাম আপনাকে…..আমার সাথে কাটানো রাতের এক এক মূহুর্ত আপনি জীবনে ও ভুলতে পারবেন না!
কিন্তু আমার জন্য ভুলতে তেমন ব্যপার না…
এগুলো কি কোনো ব্যপার…
u know.! bcz i m strong girl…
(নিলার চোখে পানি টলমল করছে)
আবির নিলাকে দেখে খুবই অবাক..এমন কেনো বলছে নিলা…
নিলা : (কাদো কাদো ভাবে) আবির! বলেননা?… আমি strong girl?…
i m not heart-broken…
আবির কিছু বুঝে উঠতে পারলো না কিন্তু নিলাকে তবুও বললো…
আবির : ?Yeah… u strong girl.. not heart-broken..
নিলা আবিরের বুকে মাথা দিয়ে ঝরিয়ে ধরে…
আবির নিলাকে কোলে তুলে খাটে শুয়ে দে…আবির ও নিলার পাশে গিয়ে শুয়ে পরে…
নিলা আবার গিয়ে আবিরের বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে পরে…
নিলা : আবির!
আবির : হুম?
নিলা : (কাদো কাদো ভাবে) আমি যখন জন্ম হয় জন্মের পর থেকেই মায়ের চেহেরা দেখিনি… আর আমার যখন ৭ বছর তখন আমার চোখের সামনে বাবা হার্ট এটাক্ট হয়ে মারা যায়….
তারপর থেকেই মামা-মামীর কাছে বড় হয়…
নানী আমাকে সবসময় মনে করিয়ে দিতো আমি তাদের পরিবারের মানুষ না।
আমি নাকি অনাথ।
এলাকার সবাই আমার নামে নানানরকম কথা ছড়াতো..
সেগুলো অবশ্য মামা-মামী আর শ্রেয়া বিশাস করতো না…
কোনো বিয়ের প্রস্তাব আসলে বিভিন্নদিক থেকে বিভিন্নরকম কথা শুনে চলে যেতো।
ওসব কথা নানী আর মমিতা আপু বিশাস করতো…
ওরা মনে করতো আমি দুলাভাইকে আমার প্রতি আকর্ষিত করি।আমি নাকি সুন্দরের দেমাগ দেখায়।
কিন্তু মামা-মামী আমাকে অনেক আদর করতো যতটুকু সম্ভব খুশিতে রাখার চেষ্টা করতো…ওতোটুকু ভালোবাসা পেয়ে ও আমি যথেষ্ট খুশী ছিলাম
(নিলা কেঁদেই দিলো)
কিন্তু আবির তবুও কেনো যেনো কোন দিকটা কমতি ছিলো…
আমার নিজের একটা পরিবার থাকবে… আমাকে কেও অনাথ বলবে না…সবার সাথে সমান অধিকারে থাকবো…
আমি যে দিন আপনাকে বিয়ে করে এই ঘরে এসেছিলাম ঐ দিন থেকে আমি বুঝতে পেরেছি… আপনার পরিবারের মতো আপন পরিবার আর কোথাও পাবো না আমি… আমাকে তারা এতো আদর দিয়েছে যে আমি এইঘর ছেড়ে কোথাও যেতে চাচ্ছিলাম না।
তারপর আপনি ও আমাকে ভালোবেসে এই পরিবারে সারাজীবনের জন্য রেখে দিলেন।
আবির! আমি যখন কাঁদতাম তখন শ্রেয়া আমাকে heart-broken ডাকতো ..
আমি নাকি কখনো strong হতে পারবো না।
কিন্তু আমিতো strong তাই না আবির!
আমি কি ভেংগে পরেছি? আমিতো strong আছি।
আবির! আপনি শ্রেয়াকে বলবেন আমি strong আমি heart-broken না…
?আবির নিলার চোখ মুচিয়ে আরো ঝড়িয়ে ধরলো…
আবির : হে আমি শ্রেয়াকে বলে দিবো।
নিলা আবিরের বুকেই ঘুমিয়ে পরে…
আবির (মনে মনে) মেয়েটা কতোকিছু সজ্য করেছে….আর এক আমি এর উপরে আরো কতো কষ্ট দিয়েছি।
এসব ভাবতে ভাবতে আবির ও ঘুমিয়ে পরে…
পরদিন সকালে আবির অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে…
নিলা রুমে আসলো…
নিলা : অফিস যাচ্ছেন?
আবির : হুম।
(আবির নিলার দিকে এগিয়ে এসে.)
i hope আজকে আপনি তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন না…
নিলা একটু মুচকি হাসে…
আবির অফিসে চলে গেলো।
একেবারে রাতে বাসায় আসে..
রাতে ডিনার করে রুমে এসে দেখে…
নিলা একটি সাদা রঙের শাড়ী পরেছে…
হাতে লাল চুরি…. চোখে খুব যত্ন করে কাজল লাগিয়েছে…
নিলা আমার দিকে এগিয়ে আসে…
আর বোঝাতে চাচ্ছে যে সে সেজেছে চুরি পরেছে শাড়ী পরেছে…
অবশ্য তারদিক থেকে চোখ সরাতে মহা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে কারন নিলাকে অপরুপ সুন্দর লাগছে..শাড়ীর সাদা রংটা তার গায়ের সাথে মিশে গেছে… কারন নিলাও সাদা শাড়ী ও সাদা…
আর পেটের দিকে তাকালে so hot ?
আমিও অভিনয় করা ছাড়ছিনা…দরজাটা বন্ধ করে
পাশ কেটে..চলে গেলাম নিলা পিছন থেকে ডাক দিলো…
ফিরে তাকালে..
নিলা : i think আপনি আমাকে ভালো করে দেখতে পাননি..?
আবির : হে দেখেছি সেজেছো আরকি।
নিলা : হে সেজেছি আপনার জন্য।?
আবির : হে সেজেছো আরকি।
নিলা : আমার মনে হয় আপনি ভালো করে শুনতে পাননি…
আমি বলেছি আমি সেজেছি আপনার জন্য….?
আবির : ও তুমি সেজেছো..আমার জন্য..
ওওও….
(আবির নিলার দিকে এগিয়ে এসে)
So নিলা! তুমি আমার জন্য কেনো সেজেছো..?
নিলা : ???
আবির নিলার দিকে তাকিয়ে আছে আর নিলা লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছে..
আবির নিলার হাতের চুরিগুলো আস্তে আস্তে খুলে নেই….
আবির : (নিলার কানে কানে) looking so hot…
নিলা : ????
আবির নিলাকে কোলে তুলে খাটে শুয়ালো….
এবং দুজন দুজনের ভালোবাসায় আবদ্ধ হলো….
চলবে….

 

Contract_marriage  part : 21

0

Contract_marriage ?
part : 21?
writer-Jubaida Sobti

আজ ক্যালেন্ডারের মার্ক করা তারিখ শেষ।
আবির সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করে রুমে আসে…
আবির : নিলা! আমি অফিস যাচ্ছি।
নিলা : ওকে বাই…
আবির : নিলা! আমাদের বিয়ে হয়েছে আজ কয়দিন হবে?
নিলা : (অবাক হয়ে) কি! আমাদের বিয়ে হয়েছে কয়দিন হবে মানে?.. ৬ মাস ওভার হয়ে গেছে আর আপনি বলছেন কয়দিন হবে?
ওও! Yeah I see…. আপনার মনে থাকবে কেমনি আপনি তো বিয়েটা করেছিলেন না পারতে,,,,
আসলে আমার বিয়েটাই হয়েছে নিরামিষ ভাবে… সবার কতো সপ্ন থাকে বিয়ে নিয়ে.. আর আপনি সব মাটি করে দিলেন।
আবির : (একটু মুচকি হাসি দিয়ে) আচ্ছা? তো কি কি সপ্ন থাকে বিয়ে নিয়ে?
নিলা : কি কি সপ্ন থাকে মানে?… কতোইতো সপ্ন থাকে,,, ছেলে মেয়েকে একসাথে দেখাবে, নিশান হবে, এংগেজডমেন্ট হবে, আকদ হবে, গায়ে হলুদ হবে, বিয়ের অনুষ্টান হবে, বাসর রাত হবে…
আবির : কি হবে!!!
নিলা : বিয়ে?
আবির : না না! ঐ যে লাস্ট যেটা বলেছো…?
নিলা : বাসর রাত?
আবির : হুম! ..!…… আচ্ছা নিলা আমার জন্য তো তোমার বিয়ের সব সপ্ন মাটি তাই না… তাহলে একটা কাজ করি আমরা লাস্ট টা থেকে শুরু করি… ?
নিলা : (অবাক হয়ে) লাস্টেরটা মানে? ?
(আবির নিলার দিকে এগিয়ে আসে আর নিলা রবোটের মতো শক্ত হয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে থাকে)
আবির : হে! তুমিইতো বললে তোমার বিয়ের সপ্ন সব ভালোভাবে পূরণ করতে পারোনি,,,, তাই ভাবছি অপূরণ রেখে কি লাভ,,, পূরন করে দি।
So নিলা আজ তাহলে আমাদের বাসর রাত।
নিলা : (আবিরকে একটু ধাক্কা দিয়ে সরে গিয়ে..)
পাগল নাকি আপনি আমিতো অনুষ্টানের কথা বলছি…. আর আপনি.. লজ্জা করে না আপনার…?
আবির : হা-হা-হা yeah but I see নিলা তুমি কিন্তু অনেক ভয় পাচ্ছো….
নিলা : সরেন এইখান থেকে..
এইবলে নিলা আবিরকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে চলে গেলো।
আবির অফিসে চলে যায়…
হঠাৎ কাজের ফাকে মাথায় বুদ্ধি এলো নিলার সাথে একটু মজা করা যাক,,
নিলাকে আবির ফোন দিলো….
নিলা : হ্যালো!
আবির : নিলা! ঐ যে তোমাকে ঐ কথাটা মনে করিয়ে দিতে ফোন দিলাম….
নিলা : কি কথা?
আবির : আজ কিন্তু আমাদের বাসর রাত….?
নিলা : দেখেন আমার অনেক কাজ আছে রাখি ?
আবির : (হেসে হেসে) নিলা! মনে থাকবে তো…
নিলা (ফোনটা কেটে দিলো…)মনে মনে..
আজিব মানুষ তো দেখি…. কি বলতে কি…… ধুরর,,,,
নিলা (খুব টেনশনে)মনে মনে ?বাসর রাত….এভাবে কয়দিন পালাবো….
দুপুর হলো… নিলা সবার জন্য টেবিলে লাঞ্চ রেডি করছে…
ভাবী বললো…ফ্রেশ হয়ে আসতে তারপর এসে খাবার খেয়ে নিতে,,,
রুমে গেলাম গিয়ে দেখি আবির এ.সি ছেড়ে…. কি আরামে বসে আছে…
নিলা : আপনি??
আবির : হে আমি! এতে অবাক হওয়ার কি আছে…
নিলা : কিন্তু আপনি তো দুপুরে বাসায় আসেন না।
(আবির নিলার কাছে এসে নিলাকে টেনে নিলো)
আবির : হে আমি তোমাকে মনে করিয়ে দিতে এসেছি… আজ কিন্তু আমাদের বাসর রাত…
নিলা : ?বাবাব.. বাসর রাত?
আবির : হে নিলা এটা জিজ্ঞেস করছি যে তোমার ভয় লাগছে না তো ??… ?
নিলা : ছাড়েন! আপনি আসলে একটা সাইকো..
আবির : হা – হা – হা…. নিলা! তোমার ফেইস এক্সপ্রেশনটা একটু আইনায় দেখো… ?
নিলা : আপনি নিজে নিজেরটা দেখেন…সাইকো কোথাকার…
আবির : আরে! শোনো কই যাও…
আবির ও নিলার পিছু পিছু ড্রইং রুমে যায়…
দাদী : আরে আবির তুই এসেছিস… কবে?
আবির : এইতো দাদী… নিলা ফোন দিয়ে নিয়ে আসলো… বলছে অনেকদিন হলো নাকি একসাথে লাঞ্চ করেনি তাই চলে আসলাম!
তাই না নিলা?
নিলা : ??
আবির : নিলা খুব খিদে পেয়েছে একটু তাড়াতাড়ি বেরে দাওতো…
দাদী : তো বাসায় বসে খাচ্ছিস কেনো… নিলাকে নিয়ে বাইরে কোথাও গিয়ে লাঞ্চ করে আয়…
আবির : হে যাবো দাদী অন্য একদিন।
নিলা আবিরকে খাবার বেরে দিচ্ছে..
আবির : (আস্তে আস্তে) মনে থাকবে তো আজ কি?…
দাদী : কি বলছিস! ফিস ফিস করে…
আবির : মনে থাকবে কি না জিজ্ঞেস করছি দাদী…
(নিলা অবাক হয়ে আবিরের দিকে তাকালো)
দাদী : কি মনে থাকতো…
আবির : না দাদী বলছিলাম যে.. অন্য একদিন বাইরে খেতে নিয়ে যাবো… এটা মনে থাকবে তো….
দাদী : ও আচ্ছা… হে নিয়ে যাস.. এখনিতো সময় বউ নিয়ে ঘুরার…
নিলা! তুই কোথায় যাচ্ছিস বয় এখানে… খেয়ে নে..
নিলা : দাদী আমার খিদে নেই…পরে খাবো..
দাদী : কি! খিদে নেই.. বয়..তোদের বয়সে আমরা কতো খেয়েছি.. কতো সাস্থ্যবান ছিলাম… আর তোদের শরীর দেখ… হাড়ের সাথে চামড়া লাগানো…
দাদীর কথা না রেখে পারলো না নিলা ও খেতে বসলো… (আবির নিলাকে বসার জন্য চেয়ার টেনে দিলো… নিলার সাথে মজা করতে আবিরের অনেক ভালোই লাগছে)
আবির লাঞ্চ করে অফিসে চলে গেলো…
একেবারে রাতে বাসায় ফিরলো…
সবার ডিনার করা শেষ…নিলা কে বললাম আমার সাথে উপরে আসতে কিন্তু নিলা আমার কথাটা শুনেও না শুনার মতো করে চলে গেলো…
নিলা বাসার সবাইকে নিয়ে জমিয়ে কি আড্ডা দেওয়া শুরু করলো… কেউ ঘুমানোর নাম ধরছেই না…
দুইবার ইশারায় ডেকেছি কিন্তু কোনো লাভ নেই…
তাই ডিসিশন নিয়েছি এবার গিয়ে সরাসরিভাবেই ডেকে আনবো….
আবির : (একটু গরম মুডে) নিলা! তোমাকে কখন থেকে ডাকছি তুমি কি শুনতে পাচ্ছো না?
দাদী : নিলা! আবির তুকে ডাকছে… কি করছিস যা… মনে হয় কিছু লাগবে…যা গিয়ে দেখ।
নিলা : জি! দাদী ?….
আবির রুমে চলে আসলো…
কিছুক্ষন পরে নিলা ও আসে…
নিলা : আপনি সবার সামনে আমার উপর চিল্লালেন কেনো?
আবির : তো কি করবো কখন থেকে ডাকছি কিন্তু তুমি শুনছোই না..
এইবলে আবির আলমারি খুলে একটা গিফট প্যাকিং করা নিলার হাতে দিলো..
নিলা : এটা কি গিফট?
আবির : হে তোমার জন্য যাও গিয়ে পরে আসো..
নিলা : আপনি কি পাগল নাকি এটা কোন নিয়ম এভাবে কি বউ কে গিফট দেই?
আবির : হে! আমি এমনি… যাও গিয়ে পরে আসো…
নিলা : কিন্তু..
আবির : Not one more word….
নিলা অর্ধেক গিয়ে আবার ফিরে তাকায় (বিরক্ত হয়ে)…
আবির : Go…
নিলা চুপচাপ গিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে পরে…
গিফট খুলে দেখে একটা লাল টুকটুকে লেহেঙ্গা .
.
গিফটা খুব ভালো লাগলো..তাই পরেই নিলাম… কিন্তু কি মহামুশকিল…
এতো সুন্দর লেহেঙ্গা কিন্তু ওড়না দিলো না কেনো…
চলবে…?

Contract Marriage  part : 20

0

Contract Marriage
part : 20?
writer-Jubaida Sobti
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিলা দেখে নিলার কোমরের উপর আবিরের হাত।
নিলার ভালোই লাগছে।
নিলা ও হাতটা উপরে করে আবিরের দিকে ফিরে আবার তার কোমরের উপর রেখে দিলো।
অনেক্ষন তাকিয়ে আছে আবিরের ঘুমন্ত চেহেরার দিকে… চুল গুলো কপালের মধ্যে নেমে গেছে…
আবিরের হেয়ার স্টাইলটা হচ্ছে অন্যরকম সামনে কিছু নামিয়ে রাখে আর কিছু খারা করে রাখে… অবশ্য হেয়ার স্টাইলটা আবিরকে দারুন মানায়।
এখন কিন্তু আবিরের সব চুল কপালের মধ্যে নামানো…
আবিরের চুল গুলো নিলা হাত দিয়ে উপরে তুলে দিলে আবিরের ঘুম হালকা হালকা ভেংগে যায়…
নিলাকে আবির আরো টেনে ঝরিয়ে ধরলে আবিরের হঠাৎ মনে পরে….সে কাকে ঝরিয়ে ধরে আছে…
চোখ খুলে দেখে নিলা তারদিকে টেপ টেপ চোখে চেয়ে আছে..
আবির হঠাৎ হাত সরিয়ে উঠে বসে…
আবির : সরি! নিলা আসলে ঘুম ছিলাম তো তাই খেয়াল করিনি।
নিলা : খেয়াল করেননি কেনো খেয়াল করার দরকার ছিলো আমি আপনাকে রাতে বলে দিয়েছিলাম যাতে আমার গায়ে হাত না লাগে… আর আপনি তো একদম…..
আবির : তুমি বলেছিলা না! তোমার ভয় করে তাই… তোমার যাতে ভয় না করে তাই আরকি…
নিলা আবিরের দিকে চেয়ে আছে… আর মনে মনে হাসছে…
আবির ও একটা মুচকি হাসি দিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলো ফ্রেশ হতে…
ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে দেখে নিলা এখনো বসে আছে…
আবির : কী বেপার ফ্রেশ হয়ে নাও.. নাস্তা করবানা… তোমার সকালের ঔষধ খেতে হবে তো….
নিলা বসে আছে… কিছু বলছে না।
আবির : নিলা! আর ইউ ওকে…
নিলা : হুম!
আবির : তো কিছু বলছো না কেনো…
নিলা : কি বলবো…
আবির : (একটু হেসে)এটা বলবা আরকি আমি ওয়াসরুমে হেটে যেতে পারবো না পৌছে দিন।
নিলা : আবিরের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো।
আবির নিলাকে কোলে তুলে নিয়ে ওয়াসরুমে দিয়ে আসলো…
আবির : কোলে উঠবে না বলে বলে কইবার উঠেছো মনে আছে…
নিলা: বডিটা আর কেনোই বা বানিয়েছেন।
আবির : হেসে হেসে হে তা ঠিক বলেছো…তবে হেল্প লাগবে সেটা বললেই পারতে..
নিলা : দেখেন আর হেল্প এর দরকার নেই যান গিয়ে ভাবীকে ঢেকে দেন।
আবির : ভাবীকে কেনো লাগবে… আমি আছিনা বলো কি করতে হবে…
নিলা : কি! আপনি?….. ছিঃ…..
আবির : হা-হা-হা ওকে ওকে রিলেক্স..just joking….
নিলা : হুম এবার যান।
আবির গিয়ে ভাবীকে ঢেকে দেই…
ভাবী নিলাকে ফ্রেশ হতে সাহায্য করে…
নিলার জন্য খাবার রুমেই নিয়ে আসলাম।
প্রায় ২০/২৫ দিন লাগলো নিলার পা ঠিক হতে…
এখন নিলা হাটতে পারে…তবে পা পুরোপুরি ঠিক হয়নি ব্যথা আছে এখনো..
আবির : (মনে মনে নিলা এখন মোটামুটি সুস্থ তাহলে নিলাকে আজ বলে দিলে ভালো হয়।)
আবির আজ সারাদিনো বাসায় আসেনি।
দাদী থেকে জিজ্ঞেস করলে দাদী বলে বিকেলে এসেছিলো দেখেছি ছাদে উঠতে…
কিছুক্ষন পরে ছাদ থেকে নেমে চলে গেলো..
কিন্তু এখন তো সন্ধ্যা এইসময় একা ছাদে যাওয়া সম্ভব না।
ফোন দিচ্ছি তা ও রিসিভ করছে না।
প্রায় রাত ১২:৪৫ এর দিকে আবির বাসায় আসে..
নিলা : কোথায় ছিলেন সারাদিন…? এতোবার ফোন দিয়েছি ফোনটা ও রিসিভ করছেন না।এটা কি বাসায় আসার সময়?
আবির : চার্জ ছিলোনা ফোনের।
নিলা : আবারো মিথ্যে! । ফোনের চার্জ শেষ হলে তো ফোন অফ হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু আপনার ফোনে তো রিং যাচ্ছিলো।
আবির : আচ্ছা বাসার সবাই কি ঘুমিয়ে পড়েছে…
নিলা : (রাগান্বিত ভাবে) না সবাই আপনার সাথে লুডু খেলার জন্য বসে আছে না ঘুমিয়ে।
আবির : (হেসে দিলো নিলার কথা শুনে)
নিলা : মা অনেক্ষন বসে ছিলো আপনার জন্য….
আপনার মা অসুস্থ মানুষ জানেন যে
অনি আপনার জন্য টেনশন করে বাসায়
তাড়াতাড়ি না আসলে।
আপনি তাও এমন করেন কেনো… আসলে আপনি কখনো বদলাতে পারবেন না।
আবির : একটু হেসে (মনে মনে মাকে তো ফোন করে বলেছি তা ও অপেক্ষা করার কি দরকার ছিলো…)
নিলা : আজব তো আমি বক বক করেই যাচ্ছি আর আপনি হাসছেন আমাকে কি আপনার জোকার মনে হচ্ছে। আমি কি আপনার সাথে কমিডি করছি।
আবির : তুমি রাগলে অনেক সুন্দর দেখায়।
নিলা মুখ ভেঙিয়ে চলে যাচ্ছিলো…
আবির পিছন থেকে এসে নিলাকে কোলে তুলে নিলো…
নিলা : কি করছেনটা কি? আমি এখন হাটতে পারি।
আবির : হে দেখছি তোমার ওজন ৫৪ থেকে কমেছে নাকি বেড়েছে…
নিলা : (আবিরের দিকে তাকিয়ে রইলো)
আবির : কি দেখছো…?
নিলা : কিছু না! এবার নামান।
আবির : (হেসে) নামানোর জন্য তুলেছি নাকি..
নিলা : তাহলে?….
আবির : চলো ছাদে যাবো….
নিলা : এতোরাতে? আবারো? আবির! মা জানলে বকা দিবে….
আবির : জানবে না!
আবির নিলাকে নিয়া ছাদে উঠলো…
ছাদে উঠার পর নিলা যা দেখেছে তা সে কখনো কল্পনা করেনি।
দেখে নিলার চোখ দিয়ে পানি চলে আসে…
খুব সুন্দর করে ফুলের মধ্যে লাইটিং করে লিখা আছে I LOVE U..
নিলা আবিরের দিকে তাকালে…
আবির নিলার চোখের পানি মুছে দিলো…
নিলা আবিরকে খুব শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে…
আবির ও নিলাকে ঝরিয়ে ধরে..
তখন লাগছে পৃথিবীটা পুরা যদি ও একহাতে এনে দেই তা ও এতো আনন্দ লাগবে না…যে আনন্দ আজ লাগছে।
আবিরের শার্ট পুরাটা ভিজেই যাচ্ছে নিলার চোখের পানিতে।
পাগলীটা ফুফিয়ে ফুফিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে।
আবির : নিলা! কাদঁছো কেনো এভাবে..
নিলা : আপনি I love u বলেছেন তাই।
আবির : হা হা হা… পাগলী সেটা বললে কি কাঁদতে হয়?
আচ্ছা হয়েছে আর কাঁদতে হবে না এবার এদিকে তাকাও
হঠাৎ কারেন্ট চলে যাওয়াতে চারদিক থেকে আলো চলে যায়…
নিলা আবিরকে আরো শক্ত করে ধরে রাখে… আবির বুঝতে পারে নিলা ভয় পাচ্ছে তাই সে মোবাইল বের করে আলো জালালো..
নিলা : আবির রুমে চলেন…
আবির : ভয় লাগছে….? আমি আছিতো…
নিলা : হুম।
আবির : আচ্ছা চলো রুমে.!
দুজনে রুমে গেলো….
নিলা : আপনি খেয়েছেন?
আবির : না! তুমি?
নিলা : হে খেয়েছি! খাবার দিচ্ছি খেতে আসেন।
আবির খেতে বসলো…
আবির : নিলা তুমি আমাকে ফেলে খেয়ে ফেললে যে…
নিলা : ক্ষিদে পেয়েছিলো…তাই অনেক্ষন অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু আপনি তো লেট করে এসেছেন।
আবির : লেট করে এসেছি যাতে বাসার সবাই ঘুমিয়ে পরে আর তুমি আর আমি নিরবে প্রেম করতে পারি..হা-হা-হা
নিলা একটু লজ্জার দৃষ্টিতে আবিরের দিকে তাকালো
আবির: নিলা! এখন কিন্তু আবার খাবে আমার সাথে…
নিলা : না। আমি খেতে পারবো না আমি খেয়েছি পেট ভরা…আপনি খান।
আবির : ঠিকাছে আমিও খাবো না।
নিলা : আরে আরে কই যাচ্ছেন? আচ্ছা ঠিকাছে খাবো বসেন।
নিলা আবিরকে খাবার বেড়ে দিলো…
আবির : হা করো…
নিলা : আরে আগে আপনি খান না…
আবির : হা করতে বলেছি হা করো….
নিলা : (হেসে) ওকেই!
দুজনে খেয়ে শুতে আসলো…
আবির : নিলা! ঘুমানোর সময় দেখিও যাতে আমার গায়ে হাত না লাগে…
নিলা : (হেসে) ইডিয়ট….
এই বলে আবিরের বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে পরে…
আবির : নিলা!
নিলা : হুম!
আবির : কতো ঘটনা পাড় করে আজ আমরা এক হয়েছি তাই না….
নিলা : ভালোই তো হয়েছে…
আবির : মানে!
নিলা : মানে যখন আপনি দাদা হবেন তখন আপনার নাতি নাতনীকে আপনার লাভ স্টোরি কেমনি বলবেন। যদি কোনো ঘটনাই না ঘটতো তাহলে ওরা বলবে নিরামিষ স্টোরি এখন তো বলবে ওয়াও ইন্টারেস্টিং স্টোরি..
আবির: (হেসে) হা-হা-হা… তুমি আসলেই পাগলী… আচ্ছা এখনো তো বাবাই হলাম না… নাতি নাতনী কেমনি হবে…
আবির : (দুষ্টুমির ভংগিতে… নিলা এখন কিন্তু আমার অধিকারটা পেতে পারি..).
নিলা : (একটু লজ্জা পেয়ে….. চুপ করে আছে কিছুই বলছে না..)।
কিছুক্ষন পরে আবির নিলাকে জরিয়ে ধরলে নিলা আবিরের হাত সরিয়ে…
নিলা : আবির আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে…
(আবির মনেমনে একটু মন খারাপ করে..
নিলা এমন কেনো করলো…)
আবির : ওকে!…
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে নিলা পাশে নেই…
ফ্রেশ হয়ে ড্রইং রুমে গিয়ে দেখে নিলা আর ভাবী সবার জন্য নাসতা রেডি করছে।
আমিও আর কিছু বললাম না..নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম..
রাতে বাসায় আসি…
এসে দেখি নিলা তার চুল ঝুটি করছে…
কোমড়ের পাশ থেকে শাড়ীটা সরে যাচ্ছে বার বার…
না চেয়েও নিলার পিছনে গিয়ে দাঁড়ালাম…
দু-হাত তার কোমরের দুপাশে দিলাম।
নিলার শরীরটা শিউরে উঠলো..
নিলা : খাবার দিচ্ছি খেতে আসেন।
এই বলে নিলা চলে যাচ্ছে…
আবির নিলার হাত ধরে টেনে আবিরের কাছে আনলো…
আবির : নিলা! একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না এটা…
নিলা আবিরের হাত ধরে টেনে নিয়ে… ক্যালেন্ডারের কাছে নিয়ে গেলো….
আর আংগুলের ইশারায় ক্যালেন্ডারের কয়েকটা তারিখ হাত দিয়ে ক্রস করে দিলো।
আবির : (কিছুক্ষন ভেবে….) ওহহ…নো..
আর সময় পায়নি বুঝি…
নিলা হেসে লজ্জা পেয়ে রুম থেকে চলে গেলো…
এভাবে আবির ক্যালেন্ডারের তারিখ দেখে দেখে অফিস যাচ্ছে..
এমনি হলে আজ কয় তারিখ সেটা ও মনে থাকে না।
চলবে….?

Contract_marriage★  part : 19

0
Contract_marriage★
part : 19
writer-Jubaida Sobti
নিলার কাছে গিয়ে পাশে বসলো আবির।
আবির : কেমন লাগছে নিলা তোমার এখন।
নিলা : ( কিছু বলছে না মাথাটা ওপাশ ফিরিয়ে নিলো…. আর কেঁদেই চলছে।চোখ দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছে…)?
চোখের একপাশের পানি মুছিয়ে দিলাম। আমার হাতটা ধরে সরিয়ে দিলো…আমি পানি না থাকা সত্ত্বেও আবার চোখের নিচে হাত দিয়ে মুছে দিচ্ছি আর নিলা বার বার সরিয়ে দিচ্ছে হাতটা।
আবির : নিলা! এমন কেনো করছো…. হাত নাড়িও না। তখন রক্ত বের হবে…
রেগে আছো এখনো….??
(সেটা বলাতে আরো ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদা শুরু করলো)
আবির : নিলা! রিলেক্স এভাবে কাঁদছো কেনো…
আমি জানি আমি যে ভুলটা করেছি ওটার জন্য যদি লক্ষবার ও সরি বলি তাহলে ও শোধ হবে না। তাই তুমি আমাকে যে শাস্তিটা দেবে ওটাই মেনে নিবো…।?
অনেক্ষন পরে নিলা বলে উঠে..
নিলা : আমাকে একটু ওঠে বসাবেন?…
আবির নিলার পিছনে বালিশ দিয়ে হেলান দিয়ে বসালো নিলাকে।
আবির : বসতে পেরেছো.. নাকি অসুবিধা হচ্ছে…?
নিলা : পেরেছি।
আবির : ডাক্তার বলেছে হাটাচলা না করতে… রেস্ট নিতে আর ঠিকমতো ঔষধ খেতে…এতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে…
নিলা : ভাবী বলেছিলো আপনি নাকি অসুস্থ?
আবির : নিলা! আমার কিছুই হয়নি আমি পুরোপুরি সুস্থ… তোমাকে বাসায় আনার জন্য ভাবীকে দিয়ে জোড় করে তোমার কাছে মিথ্যে বলিয়েছি।?
কিন্তু নিলা বিশ্বাস করো আমি এটা চায়নি।এমন কিছু হবে জানলে আমি কখনো বলতাম না।?
নিলা : মিথ্যা বলাটা আপনার একটা পেশা হয়ে গেছে তাই না??
আবির : নিলা আমিতো তোমাকে বলেছিলাম যে আমার সাথে চলে এসো কিন্তু তুমি আসোনি। তাই এটা বলতে বাধ্য হয়েছি।?
নিলা : কেনো আসবো আপনার সাথে…
সোফায় থাকার জন্য।আমি সোফায় থাকবো না আমাদের বাসায় খাট আছে So বাসায় খাটেই থাকবো..?
আবির : না! না! সোফায় থাকতে হবে না তুমি খাটেই থাকিও বরং আমি সোফায় থাকবো….?
নিলা : আমি খাটে একা থাকতে পারিনা ভয় করে…?বাসায় তো শ্রেয়ার পাশে থাকি তাই ভয় করে না।
আবির : ?(একটু মুচকি হেসে)…. আচ্ছা ভয় না পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবো…?
নিলা ও লজ্জা পেয়ে একটু মুচকি হেসে ওপাশ ফিরে গেলো…?
আবির : তুমি একটু বসো আমি এক্ষুনি আসছি।
নিলা : (ভয় মুখে)আরে…কই যাচ্ছেন আমি একাতো…?
হসপিটালে অনেকে মারা যায় না…তাদের আত্মা গুলো চারদিক ঘুরে বেড়ায় নাকি।?
আবির : (একটু হেসে… ) কে বলেছে এসব? সব ফালতু কথা।?
নিলা : না! সত্যি আমি টিভিতে দেখেছি।?
আবির : টিভিতে কি সত্য জিনিস দেখায় নাকি তারা তো অভিনয় করে..?
নিলা : কিন্তু….
আবির : বাসায় যাবা নাকি এইখানেই থাকবা আত্মাদের সাথে…?
নিলা : না না! এইখানে কেনো থাকবো বাসায় যাবো…
আবির : So বাসায় যাওয়ার ব্যবস্থায় করতে যাচ্ছি।ডাক্তারকে ঢেকে তোমার সেলাইনটা খুলতে হবে..?
নিলা : আচ্ছা.. তাড়াতাড়ি আসবেন কিন্তু।?
আবির : (হেসে হেসে) ১-২০ পর্যন্ত গুনো এর মধ্যেই চলে আসবো…?
নিলা ও আবিরের কথা শুনে হেসে দিলো।?
আবির কিছুক্ষন পর ডাক্তারকে নিয়ে আসলো…
ডাক্তার নিলাকে ঔষধ খেতে বলেছে ঠিকমতো আর কয়েকদিন রেষ্ট করতে বলেছে… আর পায়ে পারলে তেল দিয়ে একটু মালিশ করতে বলেছে… এতে তাড়াতাড়ি হাটতে পারবে। .
নিলার জন্য ডাক্তার ওয়ার্ডবয়কে দিয়ে উইল চেয়ার পাঠাচ্ছে বললে আবির নিষেধ করে দেয়।
ডাক্তার চলে যায়…
আবির এসে নিলাকে কোলে তুলে নেই।?
নিলা : ?পাগল নাকি আপনি…? কি করছেন মানুষ হাসবে দেখলে…?
আবির : তো হাসুক!?
নিলা : হাসুক মানে! আমার লজ্জা লাগবে সবার সামনে…?
আবির : তো লাগুক!?
নিলা : আবির রাখেন আমাকে আমি আস্তে আস্তে হেটে যেতে পারবো..
আবির : রাখবো না….!?
এই বলে আবির নিলা কে নিয়ে বেরিয়ে পরলো
অনেকে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে…কিন্তু নিলার পা দেখে বুঝতে পারছে কেন নিয়েছি।
নিলা অনেক লজ্জা পাচ্ছে অবশ্য…
কিন্তু মনে মনে অনেক খুশি।?
আবির : নিলা তোমার ওজনটা কতো বলবা??
নিলা : (আবিরের দিকে তাকিয়ে.).. এইতো… ৪০/৪৫ হবে….আরকি।
আবির : মেয়েরা তাদের সত্যিকারি ওজন বলে না কেনো…?
নিলা :? কি! আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমি মিথ্যা বলছি আমি কি অনেক ভারী…?
আবির : (হেসে হেসে.).. আরে না…তুমিতো অনেক হালকা…আমার তো মনে হচ্ছে ৪০/৪৫ ও হবা না এর চেয়েও কম হবা ২০/২৫ কে.জি হতে পারো…?
নিলা : বুঝছি তো আমি আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন যে আমি অনেক ভারী তাহলে নিয়েছেন কেন আমাকে।আমি কি নিতে বলেছি।?
আবির : তো নিবো না আমি না নিলে আর কে নিবে….?
(নিলা আবিরের দিকে চেয়ে আছে আবির সেটা বুঝতে পেরে) মানে এটা বুঝাচ্ছি যে তুমি তো আমার সাথে এসেছো হসপিটালে, তো আমার থেকেই তো নিয়ে যেতে হবে….??
আবির নিলাকে নিয়ে গাড়িতে? বসালো….
বাসায় পৌছানোর পর…
আবির নিলার দিকে আসে গাড়ির দরজাটা খুললো…
নিলা : অবাক হয়ে… আবার নিবেন কোলে….??
আবির : তো?
নিলা : দেখেন আমার কিন্তু অনেক লজ্জা লাগছে… বাসায় দাদী…ভাবী মা সবাই থাকবে..?
আবির : তো??
নিলা : পাগল নাকি তো তো করছেন কেনো…
আমিতো অনেক ভারী কোলে নিবেন কেনো আমাকে…
আবির নিলাকে কোলে তুলে নিলো….
আবির : তো হচ্ছে…. তুমি ৫২/৫৪ কে.জি. হবা রাইট?
নিলা : ৫৪….. কেমনি বুঝলেন…?
আবির : কোলে কে নিয়েছে আমি নাকি তুমি…??
নিলা : হাউ ব্রিলিয়ান্ট…☺
আবির : (হাহাহা) তাতো অনেক আগে থেকে..?
বাসায় আসলে মা- দাদী নিলাকে এই অবস্থা দেখে…. হাজার প্রশ্ন একসাথে…জিজ্ঞেস করছে…
আবির 😕 আগে ভেতরে তো আসতে দাও তারপর সব বলছি।
দাদী আর মা কে সব খুলে বলি।
দাদী আমার কানটা ধরে টেনে দিলো…
আর নিলা হাসছে…☺
দাদী : যদি আজ বড় কিছু হয়ে যেত শয়তান।?
আবির : দাদী আমি কি ইচ্ছা করে করেছি আমি কি জানতাম নিলার এই অবস্থা হবে…?
দাদী : নিলা ভালো করেছিস তুই এইখানে চলে এসেছিস…তুকে ছাড়া পুরো ঘরটা খালি খালি লাগছিলো….
ঘরের বউ ঘরে না থেকে অন্য জায়গায় থাকলে মানায় নাকি…
নিলা : দাদী বাবা আসলে বলবেন আমি বাসায় শিরি থেকে পরে ব্যথা পেয়েছি।?
দাদী : হেসে হেসে হুম জামাইকে বাচিয়ে নিচ্ছিস তাই না…?
নিলা : না দাদী বাবাতো জানেন…কেমন..বুঝবে না… রেগে যাবে..
দাদী :হে আবিরের উপর ও অনেক রেগে যাবে ঠিক বলেছিস। তখন আবার শুরু করবে আবিরকে বেরিয়ে যেতে বলো… হা হা হা…
আচ্ছা রেস্ট কর এখন তুই… আমি যায়।
ভাবী নিলার জন্য খাবার এনে দেই…
নিলা খেয়ে শুয়ে পরে….
একঘুমে একেবারে সন্ধায় চোখ খুলে….
দেখে আবির নিলার পাশেই বসে আছে..
আবির : গুড ইভিনিং…. আপনার চোখ খুলার অপেক্ষায় করছিলাম..?
নিলা : ( অবাক হয়ে..) এতোক্ষন ঘুমিয়েছি আমি….আমাকে ঢেকে দেননি কেনো…?
আবির : নিলা তোমার মামা এসেছিলো…
বাবা ও রুমে এসে তোমাকে দেখে গিয়েছে তুমি ঘুমে ছিলে তাই জাগায় নি…
নিলা : আরে হে… আমিতো মামা মামীকে বলেও আসিনি… ওরা আমাকে পাগলের মতো খুজেছে মনে হয়…মামা কি বলেছে আপনাকে?
আবির : দাদী বুঝিয়ে বলেছে মামাকে…তারপর তোমার খেয়াল রাখতে বলে চলে গিয়েছে।
নিলা : আপনার মোবাইলটা একটু দিবেন? কথা বলবো… মামার সাথে..
আবির নিলাকে মামা মামী শ্রেয়া সবার সাথে কথা বলিয়ে দিলো…
রাতে সবাই খেয়ে ঘুমাতে আসলো…
আবির একটা বাটি করে তেল এনে নিলার পায়ে মাঝতে শুরু করলো
নিলা : আরে আরে…করছেনটা কি…?
আবির : ডাক্তার বলেছে তাই…
নিলা : কিন্তু আপনি আমার পা ধরবেন এটা ভালো দেখাচ্ছে না।?
আবির : ভালো দেখাবেনা কেনো আমি কি এইখানে ফোটো শুট করছি?
নিলা ও আর কিছু বলেনি…ভালোই লাগছে… আবিরের স্পর্শে…
নিলা : অনেক্ষন হয়েছে এবার ঘুমিয়ে পরেন।
আবির : কোথায় ঘুমাবো?
নিলা : কোথায় ঘুমাবো মানে…?
আবির : না মানে! আমি ও খাটে শুলে কি কোনো প্রবলেম হবে… ? মানে! তুমিতো বলেছো তোমার নাকি একা শুতে ভয় লাগে…?
নিলা : (একটু হেসে… মনে মনে এতোদিনে লাইনে আসছে হাদারাম
হি-হি-হি.) না… প্রবলেম নেই তবে হ্যাঁ …
খেয়াল রাখবেন যাতে আমার গায়ে হাত না লাগে….?
আবির : (আস্তে আস্তে) এমন ভাব করছে যেনো এর আগে আর ধরিনি…?
নিলা : কি বললেন… বিরবির করে…?
আবির : না বলছি হ্যাঁ মনে থাকবে….?
দুজনেই একসাথে খাটে শুয়ে পরে..
চলবে…

 

contract_marriage★  part: 18

0
contract_marriage★
part: 18
writer-Jubaida Sobti
নিলা : কি দেখছেন হা করে। আর আপনি যান এইখান থেকে… মামা দেখলে রেগে যাবে।
আবির : ঠিকাছে ডাকো তোমার মামাকে আমি ও দেখি অনি কতো রাগতে পারে।
নিলা : ঠিকাছে বসে থাকেন আমি গেলাম।
আবির নিলার হাত ধরে ফেললো…
নিলা : (রেগে আবিরের দিকে ফিরে..).
হাত ছাড়ুন আমার। কোন অধিকারে আমার হাত ধরেছেন।
আবির : (ভয় মুখে) ওকে রিলেক্স…
নিলা কি হয়েছে তোমার.. তুমি আমার সাথে এমন কেনো করছো..
নিলা : ডিভোর্স পেপার পেয়ে যাবেন কয়েকদিনের মধ্যে সাইন করে দিবেন।
আবির : (অবাক চোখে নিলার দিকে চেয়ে) নিলা r u sure….?
নিলা : Excuse me..! এইখানে শিউর হওয়ার কি আছে হুম… এটাইতো নিয়ম ছিলো তাই না কন্ট্রাক্ট পেপারে।যখন আমি রুলস ফলো করিনি তখন তো দুনিয়াকে তুলে বসিয়েছেন। আর এখন যখন ফলো করছি তাতে আপনার সমস্যা হচ্ছে।
আবির : নিলা তখন পজিশন অন্যরকম ছিলো… আসলে আমি বুঝতে পারিনি।
আর…
নিলা : আর কি…….????
আবির : আর কিছু না…. এখন কি যাবা নাকি না…
নিলা : (মনেমনে যতোদিন মুখ ফুটে নিজের মুখে বলবেন না… আমিও আর যাবো না।?
এটাই আমার ডিসিশন। আমি আর ঐ খাট সোফা শেয়ার করে থাকার জীবন কাটাতে পারবো না আমাকে নিজের বউ মেনে নিয়ে গেলে যাবো আর নয়তো যাবো না। ) এক কথা বার বার বলতে ভালো লাগে না আবির।?
আবির রেগে গিয়ে দরজা খুলে সবার সামনে থেকে বেরিয়ে যায়।
মামা : নিলা! ও এইখানে কিভাবে ঢুকেছে? আমি না বারন করেছি আবিরের সাথে কথা না বলার জন্য।
আমি একবার নষ্ট করেছি তোর জীবন আর করতে চায় না।
নিলা কেঁদে রুমে ঢুকে পড়ে।
আবিরের মাথায় কিছুই আসছে না
কি করবে…
একটা রেষ্টুরেন্টে গিয়ে কফি খেতে বসলো…
হঠাৎ নিলার সাথে কাটানো দিন গুলো মনে পরছে আর আবির নিজে নিজে হাসছে।
হঠাৎ আবিরের মাথায় একটা বুদ্ধি এলো…
ভাবছে নিলার বাসায় চুরি করে গেলে কেমন হয়।
কিন্তু কেমনি যাবে ঐখানে ও তো আরেক হিটলার আছে…
আরে যা হবে দেখা যাবে আমি কি অন্য কাউকে নিতে যাচ্ছি আমিতো আমার বউ কে নিতে যাচ্ছি। (মনে মনে একটু হেসে উঠে) আমার বউ? Yeah right nila is my wife…… হা হা হা…
আবির : (নিলার বাসার সামনে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে কেউকে দেখতে পায়না।
রাত প্রাই দুটো বাজে। বাসায় ও যায়নি
ক্ষিদে ও পেয়েছে।)
(মনে মনে তারার সাথে প্রেম করতে এতো কষ্ট হয়নি যতোটুকু না নিজের বউয়ের সাথে করতে কষ্ট হচ্ছে।)
আবির শ্রেয়ার ফোনে কল দিলো…কিন্তু রিসিভ করছে না।
শ্রেয়া আর নিলা একসাথে ঘুমিয়েছে।শ্রেয়া ঘুম চোখে আবির কল দিয়েছে দেখে ফোনটা নিলাকে ধরিয়ে দেই।
নিলা ও ঘুম চোখে ফোনটা ধরে
নিলা : হ্যালো…
আবির : ( দাবানো কন্ঠে) হ্যালো শ্রেয়া আমি আবির।
নিলা : (হঠাৎ লাফিয়ে উঠে বসে…) আবির!! আপনি?? এতো রাতে ফোন দিলেন কেনো?
আবির : (খুশি হয়ে) ওহ! নিলা তুমি ভালো হয়েছে তুমিই রিসিভ করেছো। নিলা আমি তোমাদের বাড়ির পিছনে দরজার ঐদিকে আছি। তুমি একটু আসো…
নিলা : ( অবাক হয়ে) কি!! আপনি কি বাংলা সিনেমার নায়িকা পাইছেন আমাকে হে?
আবির : আরে ধুর… বাংলা সিনেমার নায়িকা হতে যাবা কেনো…. আসো না প্লিজ…. প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ…
নিলা : আচ্ছা হয়েছে…আসছি।
নিলা আস্তে আস্তে দরজা খুললো..
আবির নিলাকে দেখে খুব খুশী হয়ে যায়।?
নিলা : কি হয়েছে দাত বত্রিশ টা একসাথে এভাবে দেখায় রাখলেন কেনো..?
আবির : নিলা! তুমি কিন্তু বেশী ভাব নিচ্ছো.. বুঝেছো…?
নিলা : আর এতো রাতে চোরের মতো এইখানে কেনো এসেছেন..
আবির : নিলা আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।
নিলা : ( উত্তরের দৃষ্টিতে চেয়ে) হে বলেন।
আবির : (অনেক্ষন ট্রাই করে বলার জন্য কিন্তু সাহস পাচ্ছে না।)…. আচ্ছা তুমি ডিনার করেছো..?
নিলা : এটা বলার জন্য এতো রাতে এইখানে ঢেকেছেন।?
আবির : হে কেনো এটা কি জিজ্ঞেস করা যায়।
নিলা : (বিরক্ত বোধ করে) আবির! আপনি এখন যান আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে।
এই বলে নিলা দরজা বন্ধ করে দেই।
আবির ও মন খারাপ করে চলে যায়।
অনেক কষ্টে ভাবীকে মেনেজ করে বাসায় ঢুকে রুমে যায়।
সকাল হলে আবিরের বাবা জিজ্ঞেস করে আবির বাসায় এসেছে নাকি।
আবিরের মা বলে.
মা : বাসায় আসবে না তো কোথায় যাবে… এটা ওর ও বাসা।
বাবা : এভাবে করে করেইতো ওকে মাথায় তুলে ফেলেছো…
সকালে উঠে আবির ফ্রেশ হয়ে তার ভাবির কাছে যায়।ভাবি রান্নাঘরে নাস্তা বানাচ্ছে।
আবির : (দুষ্টুমির ভংগিতে) ভাবি ডিয়ার হাই…..
ভাবি : আবির! তুই আজ এতো তাড়াতাড়ি।
আবির : ভাবি ডিয়ার আমার কি ঘুম হচ্ছে তুমি বলো…
ভাবি : হে তাই তো এভাবে… বিয়েটা করেছিস শয়তান ।
আবির : আরে ভাবি… তখন পজিশন একরকম ছিলো… আমি বুঝিনি।
ভাবী : কিন্তু আমিতো তোকে বুঝিয়ে ছিলাম তাই না।
আবির : উফফ ভাবি রাখো তো এখন তোমার একটা হেল্প লাগবে…আমার।
ভাবী : দেখ আমি আর তোর এসব কিছুতে পড়তে চাই না।
আবির : ভাবী ডিয়ার… তুমি এটা বলতে পারলা…
ভাবী : আচ্ছা বল কি করতে হবে।
আবির : ভাবী! তুমি নিলাকে ফোন দিয়ে বলবা যে আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি।আমাকে হসপিটাল নিয়ে যেতে হচ্ছে।
ভাবী : (রেগে গিয়ে) আবির! তুই কিন্তু অভার করে ফেলছিস।
আবির : ভাবী! ভাবী! ভাবী! আমি বললে ও বিশাস করবে না তুমি বললে করবে তাই…. কিছু হবে না এটাই একটা চান্স। নিলাকে বাসায় আনার।
ভাবী প্লিজ প্লিজ প্লিজ… প্লিজজজ….
ভাবী : আচ্ছা ঠিকাছে।
ভাবী ফোন দিলো নিলাকে।
নিলা: হ্যালো…
ভাবী : নিলা প্লিজ তুমি বাসায় একটু আসতে পারবা তাড়াতাড়ি।
নিলা : কি হয়েছে ভাবী? বাসায় কিছু হয়েছে।
ভাবী : নিলা! আবির খুব অসুস্থ সে তোমাকে ছাড়া হসপিটাল যাচ্ছে না…
নিলা : কি! হসপিটাল কি হয়েছে ওনার… আমি আসছি ভাবী….
ভাবী : নিলা! এতো প্রশ্ন না করে তাড়াতাড়ি এসো প্লিজ।
এই বলে ভাবী ফোন কেটে দিলো…
নিলা কিসের উপরে বাসা থেকে বের হলো
সে নিজে ও জানে না।
এদিকে আবির নিলার অপেক্ষায় বসে আছে। প্রায় দু ঘন্টা হয়ে গেলো নিলা এখনো আসেনি।
আবির : (ভাবছে) কি বেপার নিলার তো এতোক্ষনে এসে যাওয়ার কথা। তার মধ্যে আমি অসুস্থ বলেছি তাহলেতো আরো আগে আসার কথা।
ভাবী আবিরের রুমে আসে আবিরকে চা দিতে..
ভাবী : কি বেপার আবির নিলা এখনো আসেনি যে… ফোনে কথা বলে তো এমন লেগেছে যেমনকি সে উড়ে আসতে পারছে না।
তবে এতো লেট হচ্ছে কেনো…
আবির : (চিন্তিত মুখে) হে ভাবী আমি ও তা ভাবছি।
ভাবী : আবির নিলাকে এভাবে ডাকাটা ঠিক হয়নি বোধ হয়।
একবার ফোন দিয়ে দেখবি।
আবির : না ভাবী! আর কিছুক্ষন দেখি হয়তো ট্রাফিকে আটকে পড়েছে।
হঠাৎ ভাবীর ফোন বেজে উঠলো..নিলার ফোন দেখে ভাবী তাড়াতাড়ি রিসিভ…করে
কিন্তু ফোনে হ্যালো যে বললো সেটা নিলার কন্ঠ নয় একটা ছেলে লোকের কন্ঠ।
ভাবী : হ্যালো আপনি কে…এটাতো নিলার নাম্বার।
আবির ভাবীর থেকে ফোনটা কেরে নিয়ে
আবির : হ্যালো… কে আপনি?
জি! এটা আমার নাম্বার না। এইখানে একটা মেয়ে এক্সিডেন্ট হয়েছে।এটা তার ফোন। লাস্ট কল যার ছিলো তাকেই ফোন দিয়েছি।
আবিরের কলিজাটা মোচোর দিয়ে উঠলো….শরীর কাপা শুরু করলো…
ভাবী : আবির কি হয়েছে…
আবির ফোনের মানুষটা থেকে কোন জায়গায় আছে ওটা জেনে তাড়াতাড়ি দৌড় দিলো….
ভাবী : আরে আবির কোথায় যাচ্ছিস… কি হয়েছে…
আবির : (কাদো কাদো ভাবে) ভাবী নিলার এক্সিডেন্ট হয়েছে।তুমি বাসায় এখন কিছু বলিওনা আমি ঐখানে গিয়ে ফোন করে জানাচ্ছি।
ভাবী মুখ দিয়ে কিছু বলার আর সময় পায়নি আবির খুব তাড়াহুড়ো করে চলে গেলো…
ভাবীর ও খুব টেনশন হচ্ছে আবিরতো এটা চায়নি।এটা কেনো হলো…
আবির গিয়ে দেখে নিলাকে তারা একটা চায়ের দোকানের বেঞ্চের উপর শুয়ে রেখেছে।
আবির তাদের উপর খুব রেগে যায়…
আবির : ওনাকে কেউ হসপিটাল নিয়ে যায়নি কেনো…
একজন লোক বলে উঠে…
দেখেন আমরা উনাকে অনেক জোড় করেছি অনি হসপিটাল নিয়ে যেতে দেইনি। শুধু বলছে উনাকে নাকি একটা টেক্সি ঠিক করে দিতাম অনি নাকি ওনার হাজবেন্ডের কাছে যাবে…
আবির তাড়াতাড়ি নিলার কাছে গিয়ে…
আবির: নিলা তুমি কি পাগল… হসপিটাল যাওনি কেনো…
নিলা কিছু বলতে পারছে না…নিলার মাথার পিছনে আর পায়ে আঘাত পেয়েছে। চেহেরা দেখে বুঝা যাচ্ছে মাথা থেকে ব্লাড বের হওয়ায় কিছুক্ষন পরেই বেহুশ হয়ে যাবে…
আবির : (নিলাকে কোলে তুলে নিলাম…
হসপিটাল নিয়ে গিয়ে..ডাক্তারকে আর একমিনিট ও লেট করতে দেইনি।
অবশ্য ডাক্তার আমাকে ভালো করে চেনে দাদীকে নিয়ে বার বার আসতে হয়। এইখানে….তাই।
নিলাকে নিজেই কোলে করে ড্রেসিংরুমে শুয়ে দিয়ে আসি।
তেমন বড় এক্সিডেন্ট হয়নি….ভয় পাওয়ার কিছু নেই ডাক্তার বলছে…
তবুও মনকে বুঝাতে পারছি না।
কারন নিলার আজ এই অবস্থার জন্য দায়ী আমি।
ভাবীকে ফোন দিলাম টেনশন করতে নিষেধ করলাম।
ভাবীকে ভাবী বললে ও মানায় না আমার মায়ের চেয়ে ও বেশি আদর করে আমাকে…
প্রায় আধঘন্টা পরে ডাক্তার এসে বলে…
পায়ে আঘাত পেয়েছে তাই একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য হাটাচলা কম করতে বলেছে কয়েকদিন।
মাথার পিছনে আঘাত পেয়েছে তাই ড্রেসিং করে দিয়েছে সেলাই করতে হয়নি।
ডাক্তারকে বললাম নিলাকে নিয়ে যেতে পারবো নাকি।
ডাক্তার : দূর্বল হয়ে যাওয়াতে পেশেন্টকে একটা সেলাইন দিয়েছি ২/৩ ঘন্টা রেখে নিয়ে যেতে পারবেন।
নিলার কাছে গেলাম…আমাকে দেখে চোখ দিয়ে পানি ঝরতে লাগলো…
বুঝতে পারলাম খুব কষ্ট হচ্ছে নিলার..
চলবে…?

 

Contract_marriage   part: 17

0

Contract_marriage
part: 17

writer-Jubaida Sobti
আবির ও নিলার পিছু পিছু ড্রইং রুমে গেলো।
দাদী : আরে নিলা কই যাচ্ছিস?
নিলা কিছু বলে উঠার আগেই আবির দাদীকে বলে উঠে…
আবির : দাদী নিলার নাকি তার মামা মামীর কথা খুব মনে পরছে। তাই তাদের দেখতে যাচ্ছে।
দাদী : (নিলার ব্যাগের দিকে তাকিয়ে) ও তবে কয়দিনের জন্য যাচ্ছিস?
নিলা কিছু বলে উঠার আগে আবির আবার ও….
আবির : দাদী আমি বলেছি এতো যখন মনে পরছে তাহলে তোমার যতোদিন ইচ্ছা ততোদিন থেকে এসো।
দাদী : ও তা তবে ভালো করেছিস। কিন্তু তুই যাবি না?
আবির চুপ করে আছে…..কি বলবে বুঝতে পারছে না।
নিলা : না দাদী অনার অফিসে অনেক কাজ আছে তাই অনি যেতে পারবে না। তাই না আবির?
আবির : (নিলার দিকে তাকিয়ে) হুম!
দাদী : আরে অফিসের কাজতো সারাজীবন থাকবে। কিন্তু বউ নিয়ে ঘুরার সময় কিন্তু এই দিনগুলো।
হাত থেকে চলে গেলে দিন গুলো কিন্ত আর ফিরে আসে না।
নিলা : ( দাদী ভাবী… আবিরের মা…বাবা সবাইকে বিদায় জানিয়ে বের হচ্ছে।)
বাবা : আরে নিলা তুমি একা কোথায় যাচ্ছো….
নিলা : না বাবা আমি যেতে পারবো…
বাবা : এটা কেমন কথা… আবির! তুই হা করে দেখছিস কি। যা নিলাকে পৌছে দিয়ে আয়।
আবির : জি! বাবা।
আবির আর নিলা গাড়িতে উঠলো। আবির গাড়ী চালাচ্ছে। নিলা জানালা খুলে রাতের বাতাসের সাথে বাহিরের প্রকৃতি দেখছে।
কিছুক্ষণ পর পর রাস্তার ল্যাম্প গুলোর হলুদ আলো নিলার মুখের উপর এসে পরছে। চোখের নিচে ভেজা ভেজা কাজল লেপ্টানো। কি মায়াবী তার চোখ।
চুল গুলো উড়ে এসে কিছুক্ষণ পর পর মুখের উপর পরছে।নিলা বিরক্ত হয়ে চুলগুলো কাধের একপাশে নিয়ে যায়।
আর একপাশ কাধ পুরাটা খালি হয়ে যায়।
নিলা কিন্তু অধিক ফর্সা একবার চিমটি কাটলেই যেন ঐ জায়গায় রক্ত জমে লাল হয়ে যাবে।
আবির কোণা চোখে কিছুক্ষন পর পর নিলার দিকে তাকায়।
আবির : নিলা তুমি কি আমাকে ভুলে যাবা?
নিলা আবিরের দিকে তাকালো…
আবির : না মানে এটা বলছি যে…এতোদিন একসাথে ছিলাম আমরা মনে থাকবে তো আমার কথা।
নিলা : (মনে মনে নিজেকে ভুলে যেতে পারি আবির কিন্তু আপনাকে ভুলার মতো সাহস আমার নেই।)
আবির : কি হলো কিছু বলবানা?
নিলা : আপনি হয়তো জানেন না ড্রাইভিং করার সময়… শুধু ড্রাইভিং রুলস follow করতে হয়।
আবির : আপনি হয়তো জানেন না… আমি স্টানার। so স্টানারদের ড্রাইভিং করার সময় রুলস follow করার প্রয়োজন হয় না।
নিলা : আপনার বাবা জানে আপনি এসব করেন।
আবির : হা হা হা হিটলার যদি জানতো…. বাড়িতে রাখতো নাকি আমায়…
নিলা : তার মানে আপনি আপনার পরিবারকে ধোকার উপর ধোকা দিয়েই আসছেন।
আবির : (একটু রেগে) এটা ধোকা না নিলা… it’s my hobby…
আমাকে নিকাম্ম্য বলে তাই না। কারন আমি কিছুই করিনা। যেটা করতে চেয়েছিলাম সেটা হতে দেয়নি। বাবা শুধু নিজের কথায় ভাবে..এসব স্টান করার চেয়ে তার ব্যবসায়ে হাত বাড়ালে নাকি তার ব্যবসায়ে লাভ হবে।
নিলা! আমার একবার স্টানে যতটাকা একদিনে আমি ইনকাম করবো ঐ টাকা বাবা একমাসে ইনকাম করে। Anyway forget it.. এসব আর বলে কি লাভ।
নিলা : হে কিন্তু এটাই আপনার জীবন ঝুকির উপর তাই হয়তো করতে দেইনি।কারন আপনার জীবনের প্রতি দয়া হয়তো আপনার নেই কিন্তু আপনার পরিবারের তো আছে।
ঠিক বলেছেন আপনার বাবা শুধু নিজের কথায় ভাবছে। তাই আপনার বাবার টাকা শুধু আপনার বাবাই খরচ করছে। পকেটে চার-পাচঁটা ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ঐ বাবার টাকা কে খরচ করছে।
আপনার ঐ স্টান করার জন্য রেসিং কার আর বাইকের জন্য টাকা কোথা থেকে আসছে।….
. (একটু হেসে নিলা) আমি ও পাগলের মতো কাকে বুঝাতে চলছি…যে কিনা শুধু নিজের সার্থ চিনে। যে কিনা নিজের পরিবারের কথা কখনো ভাবেও নি। আপনার মতো বড়লোকের ছেলেরাই পারে এসব বলতে।
আবির রাগে খুব জোড়ে গাড়ি চালাচ্ছিলো…
নিলা : এইখানে আপনার কার স্টান চলছে না এতো জোরে গাড়ি চালানোর প্রয়োজন নেই।
আবির চুপ করে আছে নিলা ও চুপ করে আছে। দুজন দুজনকে আর কিছু বলছে না। নিলার চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরছে।
নিলা এবং আবির এসে পৌছালো….
নিলার মামা মামীতো অবাক পুরা… এইসময় তাদের এভাবে আসা…
মামী : আরে আবির আসো ভেতরে আসো…কিভাবে আসা হলো..আমাদেরতো ভুলেই গিয়েছো…
শ্রেয়া : (হেসে হেসে) মা আবির ভাইয়া নিলা আপুকে পেয়ে গিয়েছে.. আপু এখন ভাইয়ার সাথেই থাকে… তাই এখন আর এইখানে আসার কি দরকার মনে করে…. তাই না ভাইয়া?
আবির : না মামী তেমন কিছু না…আসলে ব্যস্ততার কারনে আসতে পারিনি।
হাই শ্রেয়া!
শ্রেয়া : হ্যালো……
নিলা তার মামী এবং শ্রেয়াকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো..
মামী : কি হলো নিলা কাঁদছিস কেনো..
নিলা : চোখ মুছে… অনেকদিন হলো.. মামী তোমাদের দেখিনা তাই…
মামী আর নিলা ভেতরে গেলো।
মামী : নিলা একটা ফোন দিয়ে আসতি।জামাইটা এসেছে ভালো খাবার দাবারের ব্যবস্থা করা ও হয়নি। আগে বলে দিতি সব রান্না করে রাখতাম।
নিলা : মামী কিছু হবে না… বাসায় কতো কিছু রান্না করে কিন্তু অনি তেমন কিছু খায়না যে কোনো একটা দিয়েই খায় শুধু।
মামী : চুপ! না খেলে ও এভাবে দেওয়া যায় নাকি।তুই যা আবিরের পাশে গিয়ে বস আমি ততোক্ষনে রান্না করেনি।
নিলা : মামী আমিতো এসেছি তোমাদের সাথে কথা বলতে।
মামী : নিলা!! আবির এভাবে একা বসে থাকবে নাকি যা… জিদ করিস না।
মামী ড্রইং রুমে গিয়ে আবির তুমি বসো হে… নিলা তুই ও বস এইখানে।
শ্রেয়া তুই আয় আমার সাথে
আবির : না মামী আমিতো নিলাকে দিতে এসেছি। আমি চলে যাবো।
মামী : চলে যাবা মানে! কতোদিন পরে এসেছো জানো… বসো এইখানে।তোমার মামা জানলে এভাবে খালি মুখে চলে গিয়েছো তাহলে অনেক রাগ করবে। তুমি বসো অনি ও এক্ষুনি চলে আসবে।
আবির : আরে না মামী সমস্যা নেই।অন্য একদিন আসবো আবার।
আবির অনেক জোর করে চলে আসার জন্য কিন্তু নিলার মামী আর শ্রেয়া আবিরকে আসতে দেইনা।
নিলার মামা ও আসে রাতে সবাই একসাথে ডিনার করে।
রাতে আবির বাসায় চলে আসে।
মা : আবির তুই কি খেয়ে এসেছিস।
আবির : হে মা! মামী খাওয়া ছাড়া ছাড়ছে না।
মা : ভালোই তো করেছে। আচ্ছা নিলা কবে আসবে?
আবির : মা! আমি খুব টায়ার্ড… ঘুম পাচ্ছে এখন যায়।
আবির চলে আসে… রুমে।
রুমে আসার পর আবিরের হঠাৎ নিলার কথা অনেক মনে পরছে।
আবির : (ভাবছে) আমার কেনো এতো…মনে পরছে অর কথা।
এখন থেকে আমার পুরা রুম আমার… শান্তি এখন আমার লাইফ।
নিলা ও নেই তারা ও নেই।
কিন্তু নিলা এভাবে না গেলে পারতো…নিলার সাথে তো আমার বিয়ে হয়েছে…
আরে চলে গিয়েছে তো কি হয়েছে… এমনিতেও চলে যাওয়ার কথা।
ঐ দিকে নিলা তার রুমে কাঁদতে কাঁদতে হয়রান হয়ে যাচ্ছে…..
মামী : নিলা কি হয়েছে এভাবে কাঁদছিস কেনো বলবি? নিলা আমার কসম সত্যি করে বল কি হয়েছে?
আবির কিছু করেছে তুকে?
নাকি তোর শাশুড়ি কিছু বলেছে।
নিলা : ( ফুফিয়ে ফুফিয়ে কেঁদেই চলছে)
মামী গিয়ে নিলার মামাকে ঢেকে আনে।
মামা : নিলা দেখ তুই যদি আমাদের না বলিস তাহলে আর কাকে বলবি।
বল কি হয়েছে আবির কিছু করেছে?
নিলা : মামা মামীকে সব খুলে বলে।
মামা আর মামী পুরা অবাক।দুজনেই কেঁদে দেই।তারা নিলার সাথে এটা কেমনি হতে দিলো…
বড় ঘর থেকে নিলার জন্য প্রস্তাব আসায় তারা একবার ও ভেবে দেখেনি….নিলার জন্য এই বিয়ে পারফেক্ট নাকি…. না…
মামা : নিলা তুই আর ঐ ঘরে যাবিনা যা করার এখন আমি করবো…
আবিরের সাথে ও আর কথা বলবিনা।
আবির সকালে ঘুম থেকে উঠলো…কেমন যেন খালি খালি লাগছে রুমটা।
যাক ফ্রেস হয়ে নিচে গেলো।
আবিরের বাবা দাদী ভাবি ভাই…মা সবাই আজ একইসাথে ড্রইং রুমে বসে আছে…
চেহেরা দেখে বুঝা যাচ্ছে তারা অনেক টেনশনে আছে।
আর হিটলার এর চেহেরা হিংস্র প্রাণির মতো টলমল করছে যেন আমাকে সে এখনি খেয়ে ফেলবে।
আবির : কি হয়েছে সবাই এভাবে বসে আছো কেন? মা নাস্তা দাওতো খুব খিদে পেয়েছে।
বাবা : সব কিছু বন্ধ তোর আজ থেকে…এই ঘরে থাকা ও বন্ধ। আমার তো লজ্জা করছে তুকে আমার ছেলে মনে করতে।
আবির : আরে… কি করেছি সেটাতো বলো?
দাদী : কি করেছিস আবির! তুই নিলার সাথে এমন কেমনি করলি। তুই ঐ তারা মেয়েটার জন্য এভাবে বিয়ে করেছিস? বিয়েটা কি পুতুল খেলা ইচ্ছা হলো তো
খেলেছিস না হলো তো ছুরে ফেলে দিয়েছিস।
বাবা : মা ওকে এতোকিছু বুঝিয়ে লাভ নেই চলে যেতে বলো এইখান থেকে।
দাদী : ( আবিরের বাবার কাছে গিয়ে) ছেলে মানুষ কচি মন এখনো….তাই ভুল করে ফেলেছে। বুঝিয়ে বল এভাবে গরম না হয়ে।
বাবা : আরে মা আর কতো বুঝাবো তুমি বলো ছোট বেলা থেকেই ওকে এভাবে ছাড় দিয়ে দিয়ে তুমি খারাপ করেছো…
কিন্তু আজ ও একটা মেয়ের জিবন নিয়ে খেলা করছে।
মেয়েটির মামা আমাকে ফোন দিয়ে কি কি বলেছে জানো…. লজ্জায় তো আমার নাক কাটা গিয়েছে।
(বাবা একটু কাদো কাদো ভাবে)
মা নিলাকে ওর মামা আর দিবেনা বলেছে। না দেওয়ারি কথা যদি আমার মেয়ের সাথে এমন হতো তাহলে আমরা ও ঠিক এমনটা করতাম।
কয়েকদিনের মধ্যে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিবে বলেছে।
আবির : কি! ডিভোর্স পেপার! কিন্তু কেনো….
বাবা : তুই আর কথা বলবি না যা এইখান থেকে বেরিয়ে যা।
ভাবী : বাবা মাথা ঠান্ডা করে কাজ করুন সবাই একসাথে এমন করলে তো চলবে না। আবিরকে বের করে দিলে তো কাজের সমাধান হবে না।
বাবা : ঠিকাছে তাহলে ওকে বলো নিলাকে এই বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে।
যদি পারে ঐদিন ওকে বাড়িতে আসতে বলো।
আর যদি না পারে তাহলে আমার চোখের সামনে থেকে দূর হতে বলো….
ভাবী : আবির! যা নিলাকে গিয়ে নিয়ে আয়। তুই বুঝিয়ে বললে নিলা চলে আসবে দেখিস।
আবির কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে আসে।
কিছু বুঝতে পারছে না ঝামেলার উপর ঝামেলা।
নিলাকে নিয়ে যাওয়া ছাড়া হিটলার আবার বাড়িতে ঢুকতে দেবে না।
আবির নিলাদের বাসায় গেলো…
নিলার মামা আবিরকে দেখে খুব রেগে যায়।
মামা: কি জন্য এসেছো এইখানে।
আবির : মামা আমি নিলার সাথে একটু কথা বলতে চায়।
মামা : নিলা এইখানে নেই। যাও এইখানে আর আসবা না। নিলার সাথে কথা বলার চেষ্টা ও করবেনা।
আবির চলে আসে নিলাদের বাড়ির গেইটের বাহিরে।
মাথায় কিছু কাজ করছে না কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছে নিলাটা একবারো বারান্দায় আসেনি।
হঠাৎ তার মনে পড়লো শ্রেয়াকে একটা ফোন দিয়ে দেখা যাক।
আবির শ্রেয়াকে ফোন দিলো…
আবির : শ্রেয়া প্লিজ আমাকে নিলার সাথে একটু দেখা করিয়ে দাও।
শ্রেয়া : কিন্তু ভাইয়া বাসায়তো বাবা আছে।
আবির : শ্রেয়া প্লিজ যেভাবেই হোক….প্লিজ একটু ট্রাই করে দেখো।
শ্রেয়া : আচ্ছা একটা কাজ করেন আপনি বাড়ির পিছনের দরজার ঐদিকে আসেন।
আবির শ্রেয়ার কথা মতো পিছনের দরজার ঐদিকে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কিছুক্ষন পরে শ্রেয়া এসে দরজা খুলে আবিরকে ভেতরে ঢুকালো।
শ্রেয়া : ভাইয়া আস্তে আস্তে আসেন বাবা ড্রইং রুমে আছে। আপু রুমেই আছে। শুনেন ভেতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েন আর দেরি করিয়েন না রুম থেকে বের হওয়ার আগে আমাকে ফোন দিয়েন।
আবির : আচ্ছা ঠিকাছে।
আবিরকে শ্রেয়া রুমে ঢুকিয়ে দিলো নিলা আবিরকে দেখে পুরা অবাক।
নিলা : আপনি এইখানে কেনো এসেছেন? আর মামা জানে? আপনি ভেতরে কেমনি এসেছেন?
আবির : নিলা প্লিজ চেঁচিয়ো না। আমাকে শ্রেয়া মেনেজ করে ঢুকিয়েছে। নিলা তুমি আমার সাথে বাসায় চলো প্লিজ। বাবা দাদী ভাবি মা…সবাই টেনশন করছে।
নিলা : হ্যাঁ করুক… তাতে আমার কি…
আর আমি আপনার সাথে কেনই বা যাবো
আমি আপনার কি…
আপনি আমার কি বা হন যে আপনার সাথে যাবো…
আবির : নিলা দেখো ফাইজলামো করিও না চলো তোমার মামা না দেখার আগে বেড়িয়ে পড়ি।
নিলা : ( একটু হেসে)আজব তো….আপনার সাথে আমি কেনো….যাবো
আবির নিলাকে কিছু বলতে চেয়ে ও বলেনি।
নিলা বুঝতে পেরে… আবির! আপনি কি আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছেন?
আবির নিলার দিকে তাকিয়ে আছে…আর মনে মনে ( নিলা তোমাকে তো আমি নিয়ে গিয়েই ছাড়বো আজ হোক বা কাল হোক)
চলবে…..