Saturday, June 28, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2386



Love_at_1st_sight   Part : 8 

0

Love_at_1st_sight ???
Part : 8

writer-Jubaida Sobti
স্নেহা : এইটা কি করলেন আপনি ইচ্ছা করে কেউ হেরে যায় নাকি? ?
রাহুল : আচ্ছা তোমার তো অনেক ভালোই লাগছিল ঐ ছেলেগুলোর হাত ধরে ডান্স করতে তাই না? ?
স্নেহা : আজিব তো দেখি আপনি, এক তো দোষ করেছেন, আবার তার উপর উল্টা আমার সাথে রাগ দেখাচ্ছেন ?
রাহুল : স্নেহা listen…
স্নেহা : হয়েছে আর কিছুই বলতে হবে না আপনার,…
(স্নেহা চলে যাচ্ছিলো,? হঠাৎ থেমে যায়,
রাহুল পিছন থেকে স্নেহার ওড়না ধরে রাখে with তেডি স্মাইল?)
স্নেহা : (in slowly voice) কি করছেনটা কি?… ওড়না ছাড়েন, আশেপাশে মানুষ দেখছেন না?.. ?
রাহুল : So what! I don’t care?
রাহুল স্নেহার কাছে যায়,
রাহুল : সরি!
স্নেহা : ???
রাহুল : আচ্ছা কান ধরি?..
স্নেহা : ???
রাহুল : আচ্ছা উঠবস করি?…
স্নেহা : ???
রাহুল : আচ্ছা পায়ে ধরি, (with confused) ?
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকালো….
রাহুল : আচ্ছা ঠিকাছে তাহলে কোলেই তুলে নি।? (বলার সাথে সাথে রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে নেই।?)
স্নেহা : আরে কি করছেন পাগল নাকি আপনি ??…মানুষ দেখলে কি বলবে?…
স্নেহা জোড় করে নেমে যেতে চাইলে…?
রাহুল : স্নেহা Stop fighting with it..?
রাহুল স্নেহাকে তার গাড়ীতে নিয়ে বসালো…
স্নেহা : আমি কিছু বলছি না তার মানে এই নয় যে আপনার যা ইচ্ছা তাই করবেন।
রাহুল স্নেহার কাপড় ঠিক করে গাড়ীর ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে? lock button চাপ দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেই..যাতে স্নেহা বের হতে না পারে,
then রাহুল গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে,…গাড়ী স্টার্ট করলে,…
স্নেহা : কই নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে আপনি..?
রাহুল : কিডন্যাপ?
স্নেহা : আমি কিন্তু চিৎকার করবো এখন।?
রাহুল : হে করো ? কিন্তু বেড লাক..? তোমার আওয়াজ কেউ শুনবে না…
রাহুল গাড়ী চালিয়ে বেরিয়ে পড়ে…
স্নেহা : ?
রাহুল : স্নেহা এসব কি?…তোমার, আমার প্রতি এইটুকু ভরসা নেই?.. ?
স্নেহা : ???
রাহুল : কি হলো কিছু বলছো না যে?..?
স্নেহা : ???
After 5 mins..
রাহুল : স্নেহা I like u…
Sneha shocked ? nd স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরে তাকাতেই…
রাহুল : (with naughty mood ?) yeah I like ur dress ?… so lovely yrr…
স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরে তাকায় আবার (☺☺ with blushing)
রাহুল বুঝতে পারে স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে..but রাহুল আর স্নেহার দিকে না তাকিয়ে ড্রাইভিং করেই যাচ্ছে.. (with cute smile nd blushing ?)
দুজনেই লজ্জিত ভাবে দুইদিকে তাকিয়ে আছে? রাহুল ড্রাইভিং করছে তাই সামনের দিকে, স্নেহা রাহুলের পাশের সিটে জানালার দিকে ?? আর মনে মনে হাসছে… কেমন যেন একটা অনুভব হচ্ছে দুজনের ?
স্নেহা : [(মনে মনে) না আর রেগে থাকা সম্ভব না,… মি. হ্যান্ডসামের সাথে ☺]
আচ্ছা আপনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বলবেন তো.. আমায় বাসায় যেতে হবে.. এমনিতে আজ অনেক লেইট হয়ে গেছে..
রাহুল : যাচ্ছি আরকি এতো প্রশ্ন করো কেনো… বলো তো…
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকায়..
রাহুল : (বুঝতে পেরে) কি দেখছো.. ?..
স্নেহা : (☺☺ blushing) কিছুনা,
রাহুল : Gulabi Aakhe jo teri dekhi ?
Sharabhi iya dill hogeya ?Sambhalo Khud ko?O mere Yaaroo ?Shambhal na Mushkill hogeya?
[ Sneha Blushing nd Blushing☺☺][Rahul Also blushing too?]
After few minutes,
স্নেহা দেখে তাদের গাড়ী একটা গেইট দিয়ে ঢুকছে, গেইটের ভেতরে ঢুকতেই স্নেহার চোখে পড়ে একটা বিশাল বড় বাড়ী,
then rahul stop his car,
রাহুল : Come,
স্নেহা কিছু জানে না রাহুল তাকে কোথায় এনেছে, এবং সে ও নেমে পড়ে,
রাহুল স্নেহার হাত ধরে বাড়ীর ভেতরে নিয়ে যায়,
স্নেহা ভেতরে ঢুকতেই দেখে বাড়ীটি খুব সুন্দর করে গুছানো ,
অথচ, এত বড় বাড়ীর ভেতরে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না,
স্নেহা : রাহুল, ?
রাহুল : এখন কোনো প্রশ্ন করবা না,স্নেহা,
রাহুল স্নেহাকে নিয়ে একটি রুমে গেল,
রুমে কেউ নেই, কিন্তু হঠাৎ বিছানার দিকে তাকাতেই দেখে, একজন মহিলা শুয়ে আছে, রাহুল স্নেহার হাত ধরে মহিলাটির কাছে নিয়ে গেলো,
মহিলাটিকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছিলো,
রাহুল : (স্নেহার দিকে তাকিয়ে), স্নেহা ইনি আমার মা, আজ ৪ বছর এভাবে অসুস্থ হয়ে পরে আছে,
স্নেহা : ??
রাহুল : ৮ বছর আগে আমার পরিবারের একটি গাড়ী এক্সিডেন্ট হয়, আমরা এয়ারপোর্ট যাচ্ছিলাম কানাডায় যাবো বলে, আমি তখন ক্লাস ৮ এ পড়ছি, আমার ছোট বোন নাদিবা ক্লাস ২ তে পড়তো, সে হঠাৎ বায়না ধরেছে আইসক্রিম খাবে, বাবা গাড়ী ড্রাইভ করছিলো তাই আমিই গেলাম তার জন্য আইসক্রিম আনতে, মা, বাবা, আর নাদিবা গাড়ীতেই ছিলো, হঠাৎ আইসক্রিম নিয়ে ফেরার সময় আমি যে দৃশ্যটি দেখলাম যেটা দেখার জন্য আমি মোটে ও প্রস্তুত ছিলাম না, সবাইকে দ্রুত হস্পিটাল নিয়ে গেলে ও বাবা আর নাদিবা আমাদের ফেলে না ফেরার দেশে চলে যায়, আর মা,ফিরে এসে ও আজ না ফেরার মতো, ঐ এক্সিডেন্ট এর ৪ বছর পর থেকে মায়ের প্যারেলাইস হয়ে যায়…অনেক ট্রিটমেন্ট করেছি, বাবা আর নাদিবাকে নিজের চোখে হারাতে দেখে মায়ের আর সুস্থ হয়ে উঠা হলো না..
(স্নেহা feeling sad ?)
রাহুলের কথা শুনে তার মায়ের চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে, কিন্তু কিছুই বলতে পারছে না, শুধু চেয়ে আছে,
[রাহুল তার মায়ের পাশে গিয়ে বসে, চোখের পানি মুছে দেই,]
রাহুল : মা তোমাকে বলে ছিলামনা?স্নেহার কথা, দেখো কাকে এনেছি,
রাহুলের মা স্নেহাকে কাছে আসতে ইশারা করে, স্নেহা কাছে গেলে অনেক কষ্টে (কাপা হাতে) স্নেহার মাথায় হাত রাখে,
হঠাৎ একটি নার্স রুমের ভেতর ঢুকে,রাহুল নার্সটির দিকে তাকালে, সে বলে উঠে ঔষধ এর সময় হয়েছে,
রাহুল আর স্নেহা রুম থেকে বেরিয়ে যায়,
রাহুল : স্নেহা তুমি হয়তো ভাবছো এসব আমি তোমাকে কেন দেখাচ্ছি কেন বলছি,
স্নেহা প্রিয় জিনিস হারাতে আমার এখন অনেক ভয় করে,তাই আমি তোমাকে অন্য ছেলেদের সাথে ডান্স করতে দেখতে পারছিলাম না,?
(স্নেহা মনে মনে☺ Blushing)
স্নেহা : আচ্ছা সব তো দেখালেন এবার আপনার রুম দেখান।
রাহুল : ওকে চলো,

Love_at_1st_sight ??? Part :7

0

Love_at_1st_sight ???
Part :7

writer-Jubaida Sobti
স্নেহা রাহুলকে খুজতে লাগলো… হঠাৎ দেখে একটা ক্লাসে রাহুল আর তার কিছু ফ্রেন্ডস বসে আড্ডা দিচ্ছে, এবং সবার হাতে বিয়ার এর বোতোল,
রাহুল : স্নেহা তুমি, ?আর এইখানে কি করছো?…
স্নেহা : জি! মেম বলেছে আপনাকে খুজে নিতে,.. আপনার পারফর্ম এর টাইম ওভার হয়ে যাচ্ছে,…
রাহুল বন্ধুদের কাছ থেকে সরে,
স্নেহার কাছে আসে স্নেহার হাত ধরে অন্য একটি ক্লাসে নিয়ে যায় ।
স্নেহা : কই নিচ্ছেন, আর আপনি ড্রিংক্স করেন?…
রাহুল : no it’s just a bear…not alcohol ?
স্নেহা : কোথায় ছিলেন এতোক্ষন সবাই আপনাকে পাগলের মতো খুজছিলো..
রাহুল : স্নেহা I m not interest… ?
স্নেহা : মানে! আপনি ডান্স করবেননা ??কিন্তু নেহা…
রাহুল : Shut-up, I don’t care….
স্নেহা : কিন্তু রাহুল…
রাহুল : What ??
স্নেহা : স্যার (with blushing?)
রাহুল : shut-up don’t call me that ?
স্নেহা : ???
রাহুল : (with naughty mind) nd…☺ today u looking s…
স্নেহা : ???Hawwwww
রাহুল : just s বললাম ?… s দিয়েতো super,,sweet,, stunning ও হতে পারে,?
স্নেহা : no, never… u cheater? আপনি এগুলোর একটা ও বলতে ছিলেননা।
আচ্ছা তাহলে s বলে থেমে গেলেন কেন?.. বলেন বলেন…?
রাহুল : ওকে যাও আমি হেরেছি তুমি জিতেছ..?
স্নেহা : আচ্ছা এবার চলেন, মিস এতোক্ষনে আমাদের খুজে বেড়াচ্ছে, নিশ্চয়..
রাহুল : Whatever ?
স্নেহা রাহুলের হাত ধরে টেনে বেরিয়ে পরলো…
নেহা : rahul…what’s wrong with..u??.. কই ছিলি তুই,,
রাহুল : মাথা পেইন করছিল নেহা, I m so sry yrr?..
নেহা : it’s ok.. but তাও তুই এটা ঠিক করিসনি,,তুই জানিস সবাই কতো এক্সাইটেড ছিলো আমাদের পারফরমেন্স নিয়ে?
রাহুল : (নেহাকে একটু ঝড়িয়ে)ওকে বেবি.. cool কতো ফাংশন তো আসবে আরো,…
নেহা : ওকে now come with me..
(নেহা রাহুলকে হাতে হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে গেলো sneha feeling jealous?)
স্নেহা : (মনে মনে) সামনে অনেক ভিড় এর মাঝে শায়লাদের কেমনি খুজি, মোবাইলটা ও তো শায়লার কাছে রেখে আসলাম?..
হঠাৎ পিছনে ফিরতেই,
স্নেহা : আপনি,?
আসিফ : জি আসলে আপনাকে ডান্স প্রেক্টিস করতে অনেকবার দেখেছি নিশ্চয় খুব ভালো ডান্স পারেন, একটা ডান্সের লটারি গেইম হচ্ছে, আপনি যদি চান পার্টিসিপেট করতে পারেন,
মার্জান : হেই স্নেহা কই ছিলি তুই হুম…?কখন থেকে খুজছিলাম.. আর উনি কে?..
আসিফ : আসলে একটা লটারি গেইম হচ্ছে.. কাপল ডান্সের যদি ইন্ট্রেস্ট থাকে তাই বলতে আসলাম ওনাকে..
মার্জান : না না..এসব করবে না.. এসব গেইমস খেলিনা আমরা, চল স্নেহা,
মার্জান হঠাৎ,
দাড়ান দাড়ান..আপনাকে খুব চেনা চেনা লাগছে, কোথায় দেখেছি বলেনতো,
আসিফ : জি আসলে আপনারা প্রথম যেদিন কলেজে এসেছেন ঐদিন আমি আপনার রেগিং নিয়েছিলাম ?
মার্জান : তার মানে আপনি রাহুল ভাইয়ার ফ্রেন্ড রাইট,
আসিফ : Yes ?
মার্জান : তাই তো বলছি হঠাৎ বাঘ থেকে বিড়াল হয়ে গেলেন কেন ?? Anyway কি যেন গেইমস এর কথা বললেন, ঐটায় কি রাহুল ভাইয়া ও পার্টিসিপেট করছে?
আসিফ : হ্যাঁ
মার্জান : ওহ ওকে আপনি স্নেহার নাম লিখেন, ☺
স্নেহা : আরে না, মার্জান, আমি করবো না,
মার্জান : ভাইয়া আপনি নাম লিখেন তো ওর কথা শুনিয়েন না,?
আসিফ স্নেহার নাম লিখে চলে গেলো।
স্নেহা : মার্জান এটা কি করলি,পাগল নাকি তুই?..
মার্জান : আরে রাহুল ও থাকবে so তুই আর রাহুল একসাথে কাপল ডান্স করবি ওয়াও কি জোস লাগবে ?? I can’t wait for this moment.
স্নেহা : তুই কি পাগল, এটা লটারি সিস্টেম হবে, আর যদি আমার নাম রাহুলের সাথে না পরে অন্য ছেলের সাথে পরে তখন কি হবে ?
মার্জান : আরেহ হ্যাঁ তা তো ঠিক এটা তো আমি ভাবিই নেই..??
স্নেহা : ???
মার্জান : আচ্ছা বাদদে কিছু হবে না অন্য
ছেলে হয়েছে তাতে কি হয়েছে ডান্স তো ডান্স… সবাই ফ্রেন্ডস So don’t worry.☺..
প্রোগ্রামের প্রায় শেষ পর্যায়,
সবার নাম আর ডান্স পার্টনার এর নাম Announced করছে, কিন্তু স্নেহার নাম রাহুলের সাথে পরেনি অন্য ছেলের সাথে,…এবং রাহুলের নাম অন্য মেয়ের সাথে,
হঠাৎ পেছন থেকে এসে,
রাহুল : স্নেহা তোমার নাম announced করলো, তুমি এটাই পার্টিসিপেট করতে গেলে কেনো,
(স্নেহা মার্জান জোড় করে দিয়েছে বলতে গিয়ে ও বলেনি,?)
স্নেহা : হ্যাঁ দিয়েছি তাতে কি হয়েছে, আপনিও তো দিয়েছেন অন্য মেয়ের সাথে?
রাহুল : ওহ রিয়েলি, r u jealous? ?
স্নেহা : jealous কেন হবো? আর আমি আপনাকে জিতে দেখাবো ?
রাহুল : ওকে ডান।
স্নেহা : ডান।
then start a couple dance game..with music… ?
dance rules : একটা রেড বর্ডার থাকবে, সবাই সবার পার্টনার এর সাথে ডান্স করবে, এবং পার্টনার এক্সচেঞ্জ করবে ডান্স করতে করতে, যদি কেউ পার্টনার এক্সচেঞ্জ করার সময় বর্ডার ক্রস করে ফেলে তাহলে সে গেইম থেকে আউট, এভাবে ডান্স করতে করতে যে কাপলটা বর্ডার এর ভেতরে থাকবে ঐ কাপলটা উইনার হবে,
Dance Start,?
স্নেহা আর রাহুল দুজন বার বার দুজনকে দেখছে আর একটা আরেকটাকে jealous করছে,
রাহুল অপেক্ষায় আছে কখন স্নেহা এক্সচেঞ্জ হয়ে রাহুলের কাছে আসবে,…
ফাইনালি ?স্নেহা এক্সচেঞ্জ হয়ে রাহুলের কাছে তিনবার আসলো,
কিন্তু স্নেহা যখনি রাহুলে কাছে আসে এক্সচেঞ্জ হয়ে রাহুল সেটার ফায়দা উঠায়,
(An naughty idea clicked again in his mind ?)
rahul again slowly slided in sneha’s back…
sneha’s heartbeat increased when rahul touching her..back part…
Rahul and sneha enjoying that moment and their togetherness ?
in 4th tym…
স্নেহা যখন রাহুলের কাছে আবার এক্সচেঞ্জ হয়ে আসলো, রাহুল ইচ্ছা করে স্নেহার পা তার পা দিয়ে পিছিয়ে বর্ডারে দিয়ে দিলো….
এবং রাহুল তার নিজের পা ও দিয়ে দিলো, ?
রাহুল, স্নেহা দুজনেই গেইম আউট হয়ে গেলো,
then রাহুল স্নেহাকে নিয়ে তার হাত ধরে সবার সামনে থেকে বেরিয়ে গাড়ী পার্কিং এর মধ্যে নিয়ে আসলো…
স্নেহা : এটা কি করলেন আপনি?.. ইচ্ছা করে কেউ হেরে যায় নাকি ?..?
রাহুল : আচ্ছা তোমার তো অনেক ভালোই লাগছিলো
ছেলেগুলোর হাত ধরে ডান্স করতে, তাই না?..?
(চলবে)

Love_at_1st_sight   Part : 6

0

Love_at_1st_sight ???
Part : 6

writer-Jubaida Sobti
স্নেহা : (কাপা গলায়) দেখেন আপনি কিন্তু ঠিক করছেন না।
রাহুল : (স্নেহার কানে) ঠিক করে কিছু করা তো আমি এখনো শুরু করিনি?
রাহুল তার পকেট থেকে রিমোট বের করলে,
স্নেহা : প্রেক্টিস তো শেষ, ?
রাহুল : আমাদেরটা বাকি আছে, ??(রাহুল মিউজিক অন করলো)
then start a romantic
~~~Song~~~~ (please don’t skip the song….listen carefully to imagine this scene, rahul and sneha’s feeling)??
Tere Saamene Aajanese,…
iya dill mera dharka hain…?
iya gaalti nhi he teri
kusur..nazaar ka he…? (2x)
Jiss baath ka tujko dhaar he..
woh karke dikha dunga…..?
Aise na Mujhe Tum Dekho,
Seena Se Laga Lunga?
Tum ko me, Churalunga Tumse
Dill me Chupa Lunga… ? (2x)
Sneha’s fingers touch in rahul chest..?she looked into his eyes,,,.they share a beautiful eyelock,,Sneha‘s heart beat enhanced with their proximity…,
then rahul kissed, in sneha’s cheeks??
হঠাৎ রাহুলের ফোন বেজে উঠলো…
রাহুল : Yeah! come in.. just 5mins…
স্নেহা রাহুলের কাছে থেকে সরে গিয়ে দাড়ালো… এবং কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে পরে।
রাহুল স্নেহাকে আটকাতে চেয়েও আটকালো না আর,
(Today Rahul Blushing☺)?
মার্জান : স্নেহা কি করলি এতোক্ষন? বলনা বলনা??
শায়লা : হুমম….সব কি বলা যায় মার্জান কিছুতো সিক্রেট থাকবে তাই না স্নেহা, ?
স্নেহা : দেখ তোরা কিন্তু বেশি করছিস,…কিছুই হয়নি..?
মার্জান : ok..we know something something ?
জারিফা : আমরা কিন্তু সব দেখেছি,?
স্নেহা : ?????
জারিফা : দেখ দেখ ওর ফেইস এক্সপ্রেশন দেখ….তার মানে কিছু হয়েছে…?
স্নেহাকে নিয়ে তার ফ্রেন্ডসরা… হাসাহাসি করছে।
(আরস্নেহা রাহুলের কথা মনে করে Blushing হচ্ছিলো)☺
বাসায় যাওয়ার পথে…
স্নেহা তার ফ্রেন্ডসদের সাথে বাসায় যাচ্ছিলো,
সামির স্নেহার পাশে এসে দাঁড়ায়,
স্নেহা সামিরকে এড়িয়ে হাটলেও সামির বার বার স্নেহার পাশে চলে আসে,…
সামিরের সাথে তার আরো কিছু ফ্রেন্ডসরা ও ছিলো,
সামিরের গাড়ি থাকা সত্তেও সে হেটে যাচ্ছে, আর বার বার স্নেহার হাতের সাথে হাত লাগাচ্ছিলো, তার মেইন ইরাদা হলো সে স্নেহার সাথে ইপটিজিং করবে।?
স্নেহা সামিরের এসবে খুব বিরক্তিবোধ করছিলো…
হঠাৎ ঐসময় কিছুদূর সামনে একটি গাড়ী এসে থামে,
(আজিবতো হাটার পথে এসে গাড়ী থামায় নাকি,…) গাড়ীটা অনেক চেনা চেনা লাগছিল। ঠিক ঐসময় রাহুল গাড়ী থেকে নেমে আসে,
(স্নেহা মনে মনে)
মি. হ্যান্ডসামটা এমনভাবে এন্ট্রি করে, যে কোনো মেয়েই ওর ফিদা হয়ে যাবে ??
রাহুল কাছে এসে সামিরের কাধে হাত দিয়ে, তার বাকি ফ্রেন্ডসদের ছাড়া হেসে হেসে সামিরের কানে কানে কি যেন বলে সামিরকে তার গাড়িতে করে নিয়ে চলে গেলো… যাওয়ার সময় স্নেহার দিকে একপলক তাকিয়ে ? চলে গেলো।
(স্নেহা blushing) ☺
মার্জান : এই রাহুলটার ভাবসাব কিছু বুঝিনা, সামির তার শত্রু, এবং তার গ্রুপের ছেলেদের ও মারলো সামিরের গ্রুপ, অথচ রাহুল ও সামিরের সাথে উলটা বন্ধুর মতো আচরণ করছে,?
হঠাৎ একটি জুনিয়র ছেলে এসে বলে,
আপু বাঘ যখন ছোট প্রাণী শিকার করে তখন ধীরেধীরে যায়, কি বুঝলেন ?
এই বলে ছেলেটা চলে যায়,ছেলেটাকে এর আগে ও অনেক বার দেখেছে স্নেহা রাহুল যখন স্নেহাকে টেনে ঐ ক্লাস টাই নিয়ে যেত হে তখনি দেখেছে ছেলেটিকে,
মার্জান : কিছু বুঝলি তো ছেলেটি কি বললো, আমিতো কিছুই বুঝলাম না,?
স্নেহা একটু দৌড়ে গিয়ে ছেলেটির কাছে,
স্নেহা : এই যে ভাইয়া, কি বললে তুমি কিছু বুঝলাম না,
ছেলেটি : রাহুল ভাইয়ার অর্ডার ছিলো আপনাকে যদি কোনো ছেলে ডিস্টার্ব করে সাথে সাথে ভাইয়াকে ফোন দিতে,এবং আপনি যতক্ষন কলেজে থাকবেন কোথায় কি করছেন যাচ্ছেন,সব ডিটেইলস ভাইয়াকে দিতে হবে,
আমরা আমাদের রাহুল ভাইয়ার জন্য এইটুকু তো করতে পারি?
তাই সামির আপনাকে ডিস্টার্ব করছিলো দেখে সাথে সাথে ভাইয়াকে ফোন দিলাম আর ভাইয়া ৩ মিনিটেই হাজির?
আজকে দেখবেন সামিরের কি হাল হয় অনেক উড়ছে এই বেটা ?
স্নেহা, শায়লা,মার্জান,জারিফা, সবাই Exclaimed ?
ছেলেটি : অবাক হবেননা আপু! ভাইয়া কিন্তু একপিস,এবং আপনি অনেক লাকি ?
এই বলে ছেলেটি চলে গেলো।
মার্জান : yess yess yess…আল্লাহ তুমি তুমি এতো ভালো কেনো,
শায়লা : আরে মার্জান ও তোর জুনিয়র?
মার্জান : ধেত কি বলি আর কি বুঝে,?আমিতো আল্লাহকে বলেছি।কারন আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করলো,☺আজ সামিরের বাচ্চা সামিরের জম দোলায় চলবে।?
স্নেহা : কিন্তু এসব মারামারিতো ঠিক না?
মার্জান : ওও… তোর তো অনেক টেনশন হচ্ছে রাহুলের জন্য সব বুঝি, Don’t worry baby সেটা রাহুল মনে রাখিস?
চল এবার বাসায় চল,
বাসায় গিয়ে স্নেহার মন ঠিকছে না কেমন যেন মনে হচ্ছে,কখন কাল কলেজ যাবে আর রাহুলকে দেখবে, ?
হঠাৎ আজকের প্রেক্টিস রুমের কথা মনে পরলে (স্নেহা blushing ☺☺)
পরদিন কলেজে,
স্নেহা রাহুলকে খুজে খুজেই ঢুকছিলো,তারপর
ক্লাসে গিয়ে বসে,
স্নেহা : জারিফা আমার বেগটা রাখ আমি একটু আসছি,
জারিফা : ওকে তাড়াতাড়ি আসিস,
স্নেহা : সব জায়গায় খুজলো স্নেহা রাহুলকে কোথাও পেলো না,প্রেক্টিস রুমে গিয়ে ও দেখলো রাহুল নেই। স্নেহার মনে অনেক ভয় কাজ করছে কোনো কিছু হয়নিতো কাল!?ঐ ছেলেটিকে ও তো পাচ্ছি না,?
হঠাৎ ঐ ক্লাসটার কথা মনে পড়লো,
স্নেহা : মনে মনে, আরে হ্যাঁ ঐ ক্লাসটাই তো দেখলাম না।
স্নেহা ক্লাসটাই ঢুকতে দেখে রাহুল ক্লাসের মধ্যে দেওয়ালে হেলান আর তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
স্নেহা : ?এই ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কেন মিস্টার তেডি স্মাইল.. আপনি জানেন আপনাকে আমি আরো কত জায়গায় খুজছিলাম। ?
রাহুল : ফাইনালি তাহলে খুজে পেলে আমায়?
স্নেহা : (একটু নার্ভাস হয়ে) কই নাতো, আমিতো খুজছিলাম না,আমি দেখছিলাম যে সবাই কলেজে এসেছে কি না,?
রাহুল স্নেহার কাছে এসে,?
রাহুল : ওহ রিয়েলি ?(with তেডি স্মাইল)
রাহুল স্নেহার একদম কাছে আসে,?
রাহুল : looking beautiful ??
Sneha’s heartbeat increased hearing rahul’ voice ?
রাহুল :(An naughty idea clicked in his mind,) রাহুল slowly ?স্নেহার কোমরে হাত দিলো,
sneha’s heart started beating faster যখন রাহুল তার আরো কাছে আসে,
স্নেহা সরে যেতে চাইলে,
রাহুল : [ in sneha’s ear] sneha Stop Fighting with it! ?
Sneha stiffed when she realised what Rahul was trying to do,
Rahul slowly slided ?in sneha’s back?
sneha’s heart started beating faster again?
Sneha was schoked ?she wanted Rahul to stop but she coudnt say anything ☺
Rahul was enjoying sneha’s plight ??….and their togetherness….
স্নেহা : ক্লাসে লেইট হচ্ছে ?
রাহুল : shut’up ?
(স্নেহা Shocked ?)
(then rahul try to kissed sneha’s cheek ?
রাহুল স্নেহাকে কিস করতে চাইলে স্নেহা blushing☺)
স্নেহা রাহুলকে একটু ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়☺
রাহুল : স্নেহা ওয়েট (with তেডি স্মাইল)?….
ক্লাসে,
জারিফা : স্নেহা কই ছিলি এতোক্ষন?
স্নেহা : এইতো ঐদিকে ছিলাম,, আচ্ছা বাদ দে।বাকিরা কই?
জারিফা : দুজনকেই ফোন দিয়েছি মার্জান শপিং যাচ্ছে শায়লা বাসায় গেস্ট আসছে তাই আসবে না।
স্নেহা : তাহলে আমরা কি করবো… এমনিতে কোনো ক্লাস হবে না।সবাই কালকের ফাংশান নিয়ে ব্যস্ত।বাসায় চল।
জারিফা : ওকে তাহলে চল।
জারিফা আর স্নেহা বাসায় চলে গেলো।
ঐদিকে রাহুল স্নেহাকে না দেখাতে খুজতে থাকলো,? পরে খবর পেলো স্নেহা আজ বাসায় তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছে..
স্নেহা বাসায় এসে ভাবছে কালকে ফাংশনে কি পড়বে…
হঠাৎ Unknown number থেকে আবার ফোন..
স্নেহা : হ্যালো!
unknown : no response
স্নেহা : আজিব তো কথা না বললে ফোন দেন কেনো বুঝি না, নাকি মোবাইলের টাকা বেশি আপনার,…বেশি হলে আমাকে ট্রান্সফার করে দিয়েন…আমার আবার মোবাইলে টাকা কম..
তারপর স্নেহা রেগে ফোনটা কেটে দিলো…
কিছুক্ষন পর স্নেহার মোবাইলে মেসেজ আসার আওয়াজ আসে স্নেহা চেক করতেই দেখে
Recharge 500tk
Sneha shocked ??
স্নেহা কল বেক করলে আর রিসিভ করে না,
স্নেহা : ( মনে মনে) কি গাধারে বাবা আমিতো এমনিতেই বলেছি আর উনি ?
পরদিন সন্ধায় স্নেহা কলেজ যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে,আজ সন্ধ্যায় কলেজ ফাংশন,
শায়লা ফোন দেই,
স্নেহা কই তুই কতোদেরি লাগবে আর,আমাদের মিস তাড়াতাড়ি আসতে বলেছিল ভুলে গিয়েছিস?
স্নেহা : এইতো ১০ মিনিট এক্ষুনি আসছি।
স্নেহা তাড়াতাড়ি কলেজ যায়,…
কলেজের গেইট দিয়ে ঢুকতেই পিছনথেকে গাড়ির হর্ন দেওয়ার সাউন্ড শুনতে পায় এবং স্নেহা পিছনে ফিরে তাকাই গাড়ির লাইট চোখে পড়াতেই স্নেহা চোখে হাত দিয়ে দেই.. এবং চোখ বন্ধ করে ফেলে …after few second she open her eyes slowly এবং সে দেখতে পায় গাড়িতে রাহুল..?
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে ??
sneha wore a baby pink lehenga with lemon dupatta ?…she looking like a princes ?
স্নেহা রাহুলকে সাইড দিলো রাহুল তাও হা করে স্নেহার দিকে তাকিয়েই আছে ?
পিছন থেকে আরেকটি গাড়ী এসে আওয়াজ দিলে রাহুল তার গাড়ী টান দেই.. ?
মার্জান : ওয়াও স্নেহা u looking lyk repunzel ??..
স্নেহা : u too baby ?
ফাংশন শুরু হলো…
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়েই যাচ্ছে,
আর (স্নেহা blushing ☺)
জুনিয়র, সিনিয়র সবার ডান্স চলছে।…
আস্তে আস্তে রাহুল আর নেহার পারফরমেন্স দেওয়ার পালা চলে আসে,…কলেজের সবাই অনেক এক্সাইটেড,
যখন ক্রাশ স্টেজে উঠবে তখন অডিয়েন্সের এক্সাইটমেন্ট বেড়ে যায়?। তেমনি রাহুল তার কলেজের হ্যান্ডসাম ছেলেদের মধ্যে জনপ্রিয় একজন ছেলে যার উপর অনেক মেয়ে ক্রাশ..
নেহা : এই যে মিস.চাম্বুস, রাহুলকে দেখেছ?…?
স্নেহা : দেখেছিলাম কিন্তু এখন কোথায় জানি না।
নেহা : এই রাহুলটা না কি যে করি এই ছেলেটাকে নিয়ে…
মিস : নেহা,স্নেহা, শায়লা guys r u ready.. for dance?
নেহা : yeah mem but!
মিস : but..? nd where is rahul?..
নেহা : মেম কখন থেকে ফোন করছি রাহুল ফোন ধরছেই না আর ওর সব ফ্রেন্ডসদের থেকেও জিজ্ঞেস করলাম কেউ খোজ পেল না,?
মিস : নেহা এটা বসে থাকার সময় না খুজে দেখো, nd remember rules is rules so..টাইম পেরিয়ে গেলে পারফরমেন্স আর করা যাবে না,so hurry up.
নেহা : ওকে মেম ?
মিস চলে যাওয়ার পর,
নেহা: এই যে চাম্বুস হা করে দেখছ কি যাও খুজে দেখো কোথায় আছে রাহুল ?..
স্নেহা কই খুজবে বুঝতে পারছে না, রাহুলের নাম্বার ও নেই তার কাছে,
প্রোগ্রাম চলছে ঐদিকটা অনেক ভিড়, কলেজের ভেতরে তেমন কেউ নেই তবে,অনেকেই হাটাচলা করছে,
হঠাৎ ঐ ছেলেটিকে দেখলো স্নেহা,
স্নেহা : এই যে তুমি রাহুলকে দেখেছ?..
ছেলেটি : হ্যা ঐদিকটা যেতে দেখেছি,..
স্নেহা : ওকে থ্যাংক ইউ ☺..

Love_at_1st_sight??? Part : 5

0

Love_at_1st_sight???
Part : 5

writer-Jubaida Sobti

ছেলেটি : Cool baby, আমিতো একা ধাক্ষা খায়নি অনিও খেয়েছে, অনিও তো সরি বলেনি।
মার্জান : আজব তো, আপনার কি ওকে দেখে মনে হচ্ছে ও আপনাকে ইচ্ছা করে ধাক্ষা দিবে..
ছেলেটি : Excuse me! what do u mean, আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমাকে দেখতে ইচ্ছা করে ধাক্ষা দেওয়ার মতো ছেলে লাগছে,
মার্জান : দেখেতো তাই মনে হচ্ছে,
স্নেহা : ওকে ওকে,মার্জান স্টপ, সরি ভাইয়া আসলে খেয়াল করিনি।
মার্জান : তুই কেন সরি বললি, হ্যা! ও সরি বলেছে তুকে হে?…?
ঠিক ঐসময় ছেলেটির পাশে আরো কিছু ছেলে আসে এবং বলে What happen bro?.. any problem,
মার্জান : পুরা কলেজটাই গ্যাংগ গ্যাংগ করে ভরাই রাখছে। প্রবলেম এর কি আর শেষ আছে,?
ঠিক ঐসময় রাহুল কলেজ থেকে বের হয়ে পার্কিং এর দিকে যাচ্ছিলো,
তখন ছেলেটি রাহুল কে ডাক দিলো….
ছেলেটি : Hey bro! what’s up.. তোর সাথেই দেখা করতে এসেছি।
রাহুল ছেলেটির দিকে ফিরে তাকাতে একসাথে স্নেহার দিকে ও চোখ যায়।
ছেলেটি গিয়ে রাহুলকে ঝড়ায় ধরলে ও রাহুল ছেলেটিকে ধরেনি,…
রাহুল : (রেগে)sameer, it’s ur last warning..
স্নেহা,শায়লা, মার্জান সবাই অবাক হয়ে যায় এই ছেলেটিই সামির,
অবাক হওয়ারি কথা কারন তারা কলেজে নতুন সামিরকে এর আগে কখনো দেখেনি,
সামির : Don’t worry bro! I promise… আসলে না বুঝে করেছে ওরা,
ওদের আমি মেরেছি অনেক,তুই চিন্তা করিস না,
শায়লা : মার্জান অনেক হয়েছে…চল এবার
শায়লা মার্জানকে টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো,…
হঠাৎ করে সামির বলে উঠলো.. hey guys wait..আমার কথা শেষ হয়নি।
সামির রাহুলকে আঙুল দিয়ে স্নেহার দিকে ইশারায় দেখিয়ে বললো,
সামির : bro! who is she… new may be আগেতো দেখিনি ? ধাক্ষা লাগলো তাই সে আমাকে সরি বললো, (হেসে) I lyk it…
সামিরের কথা শুনে রাহুলের রাগ যতটুকু ছিলো তার চেয়ে বেশি বাড়ছে,
সামিরের কথা গুলো স্নেহারা শুনছে না, কিন্তু আঙুল এর ইশারা করাতে বুঝতে পারছে সামির রাহুলকে এখন ঘটা ঘটনাটি বুঝাচ্ছিলো,
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকাতে রাহুল স্নেহাকে মাথাদিয়ে ইশারা করছে চলে যেতে,
স্নেহা ও আর কিছু না বলে চলে যায়।
মার্জান : এই বদমাইশটাই সামির, ইচ্ছা করছে আমিও রাহুলের গ্রুপ এ যোগ দিয়ে,,সামিরটারে ইচ্ছা মতো কিছু ধোলায় করি,?
শায়লা : তুই না খুব বাড়াবাড়ি করিস মার্জান, ধাক্ষা দিয়েছে তো কি হয়েছে,এভাবে হয়ে থাকে, আর তুই জানিস না এসব ছেলেদের একটা বলবি আর ওরা দশটার একশন নিবে।
মার্জান : দেখ আমি কিন্তু সব সহ্য করতে পারি কিন্তু ইপ্টিজিং মোটেও না।?
শায়লা : তো তুই কি বুঝাতে চাচ্ছিস ছেলেটা তোকে নেক্সট টাইম পেলে কিছু করবে না,
মার্জান : তুই আমাকে চ্যালেঞ্জ করছিস?.. হে?… ওকে আমি তোকে চ্যালেঞ্জ করলাম। ছেলেটা আমাকে কিছু করতে পারবে না।?
শায়লা : এতো কনফিডেন্স?..?
মার্জান : হ্যা কিন্তু ঐটার জন্য আমায় স্নেহাকে একটু ইউস করতে হবে।
স্নেহা : আমাকে…? আমি বাবা মারপিট পারিনা। এসব আমাকে দিয়ে হবে না।?
শায়লা : মার্জানের দিকে তাকিয়ে ওওও তো এবার বুঝলাম এতো কনফিডেন্স কি জন্যে,
মার্জান, জারিফা, শায়লা সবাই হেসে উঠে স্নেহার দিকে তাকিয়ে স্নেহা কিছুই বুঝলো না…
মার্জান : আরে বাবা তুই মারপিট করবি কেন? আমাদের জিজু আছে না ?
স্নেহা : মার্জান তুই কিন্তু বেশি করছিস☺☺
স্নেহা বাসায় গিয়ে… ফ্রেশ হয়ে…শুয়ে থাকে… স্নেহার মা হঠাৎ রুমে এসে বলে
স্নেহা একটা প্রস্তাব এসেছে তোর জন্য ছেলে লন্ডনের সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার।
তুই যদি চাস কথা বলতে পারি,
স্নেহা : মা বললাম না আমার বিয়ে নিয়ে তোমাদের টেনশন করতে হবে না। আমি এখন বিয়ে করবো না,?
মা : তুই কি কাউকে পছন্দ করিস নাকি??
স্নেহা : কি যে বলো মা,
করলে কি তোমায় বলতাম না।?
মা : না এ কয়েকদিন তুই একা একা রুমে থাকছিস। কেমন যেন চেঞ্জ হয়েছিস লাগছে তাই বলছি। শোন এটা মনে রাখবি আমি কিন্তু তোর মা। তুই আমার থেকে হয়েছিস।
স্নেহা : (হেসে) আচ্ছা যাওতো মা। আর ডং করিওনা পড়তে হবে আমায়।
মা চলে গেলে স্নেহা মনে মনে হাসে আর রাহুলের কথা ভেবে ভেবে (blushes☺)
পরদিন কলেজ গেলে স্নেহা ক্লাসে ঢুকার সময় হটাৎ পেছন থেকে হাত ধরে টেনে রাহুল সেইম ক্লাস টাই নিয়ে যায়।ক্লাস আগে থেকেই খালি ছিলো… আজ।
স্নেহা : (অবাক হয়ে) কি হলো! আর আপনি এইভাবে এন্ট্রি করেন কেনো যেন!
রাহুল : (স্নেহার কাছে এসে) যেন কি?..
স্নেহা : নিচের দিকে তাকিয়ে কিছু না।?
রাহুল : আচ্ছা স্নেহা একটা কথা জিজ্ঞেস করি…
স্নেহা : হুম,?
রাহুল : আমার জায়গায় যদি তোমাকে অন্য কোনো ছেলে এভাবে টেনে আনতো তাহলে ও কি তুমি এমন behave করতে??
স্নেহা : না তো…?
রাহুল : ওহ রিয়েলি!? (with তেডি স্মাইল) so আমার সময় আলাদা কেনো,☺
স্নেহা : ( কাপা গলায়) কারন আপনি দেখতে ভয়ানক।?
রাহুল : what!?
স্নেহা : না হয়তো কি, আপনি যেভাবে তাকান আমার দিকে অন্যরা ঐভাবে তাকায় নাকি,?
রাহুল : Oh really ? (with তেডি স্মাইল)
(রাহুল আবার স্নেহার কাধের উপর দেওয়ালে এক হাত দিয়ে দাঁড়ায়, স্নেহা চলে যেতে চায়লে রাহুল বাকি হাতটা ও দেওয়ালে দিয়ে স্নেহাকে আটকে ফেলে,)
স্নেহা : দেখেন আমাকে যেতে দেন আমার ফ্রেন্ডসরা ওয়েট করছে আমার জন্য,…?
বলতেই হঠাৎ মার্জান রুমে ঢুকে পরে,
রাহুল তাড়াতাড়ি দেওয়াল থেকে হাত সরিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দেই।
মার্জান : চোখে হাত দিয়ে ??eeeeehhhhh সরি সরি.. আমি কিন্তু কিছু দেখিনি।
স্নেহা : মার্জান তুই,…
মার্জান : আমিতো তো তোকে খুজছিলাম, তাই…
(দুষ্টুমির ভংগিতে) জিজু ? আমি কিন্তু কিছু দেখিনি…?
রাহুল একটা তেডি স্মাইল দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পরলো..
মার্জান স্নেহাকে গিয়ে ঝড়ায় ধরলো…
আর বলতে লাগলো
বেষ্ট অফ লাক বান্ধবী… তোদের দুজনকে দারুন মানাবে,
স্নেহা লজ্জায় (blushes☺)
ঐদিকে রাহুল যে ছেলে গুলোকে পাহারা দিতে বলেছে তাদের উপর গিয়ে রেগে গেলো
তাদের বলেছিল রাহুলের পারমিশন ছাড়া কাউকে যাতে ভেতরে ঢুকতে না দেই। ( কিন্তু মার্জান যখন দূর থেকে দেখলো রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে রুমটাই ঢুকে পরলো তখন মার্জান ছেলেগুলোকে মিথ্যে বলে,) রাহুল মার্জানকে ফোন দিয়ে আসতে বললো বলে সে ঢুকে পরে।
রাহুল তাদের থেকে কথাটি শুনে আর কিছু বললো না,
আর মনে মনে হাসতে লাগলো,
স্নেহা এলো প্রেক্টিস রুমে,
স্নেহাকে দেখে নেহার মাথা ৯৯ডিগ্রি গরম হয়ে যায়।
মিস : স্নেহা তুমি প্রেক্টিসে কম আসো কেন এভাবে কি কমপ্লিট করা যাবে?
স্নেহা : সরি মেম।?
মিস : ইটস ওকে,, and don’t missed it again.
রাহুল বার বার স্নেহার দিকে তাকায়? আর নেহা মনে মনে জ্লতে থাকে।
রাহুল : নেহা তুই বিয়ে কবে করবি।
নেহা : যখন তুই চাস,☺
রাহুল : ওহ করে ফেল,আর আমাদের তাড়াতাড়ি আংকেল ডাকটা শুনতে দে।?
নেহা : What! ?
তাদের কথা শুনে শায়লা আর স্নেহা দুজনে হেসে উঠে।
নেহা : অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না,তোমাদের..??.?
Shameless peoples?
… এইখানে যতক্ষন থাকবো মাথা পেইন করবে,…
নেহা গিয়ে মেম কে বলে আজকের প্রেক্টিস অফ করে দেয়।
রাহুল নেহার কান্ড দেখে হাসতে থাকে,
নেহা সবার কাছে সেরা হলে ও রাহুলের কাছে তার কোনো মূল্য নেই।?
মিস প্রেক্টিস রুম থেকে চলে যাওয়ার পর,
রাহুল : স্নেহা তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো
স্নেহা : জি বলেন!?
রাহুল চুপ করে থাকাতে শায়লা বুঝতে পারে রাহুল শায়লা আছে তাই কিছু বলতে পারছে না।
শায়লা : স্নেহা তুই আয় তাহলে আমি যাচ্ছি।?
স্নেহা : না তুই থাক কই যাচ্ছিস।?
রাহুল : ও বলছে না ও সামনে যাচ্ছে,…? I mean নিশ্চয় ওর কোনো কাজ আছে।
শায়লা হেসে বেরিয়ে যায়।
স্নেহা : দেখেন আমি বলে দিচ্ছি কিন্তু আমার কাছে আসবেন না যা বলার ঐ দিক থেকেই বলুন।
রাহুল স্নেহার কথা শুনে আরো কাছে আসে এবং স্নেহার কোমোরে হাতদিয়ে আরো কাছে টেনে নেই।
রাহুল : আর যদি আসি তাহলে,
স্নেহার আর কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। 

 
(চলবে)।।

Love_at_1st_sight Part : 4

0

Love_at_1st_sight???
Part : 4

writer-Jubaida Sobti
রাহুল : Don’t worry স্নেহা, আমি কিছু করবো না তোমাকে ভয় পেতে হবে না।
(রাহুল Blushes ☺?)
স্নেহা : একটু দূরে গিয়ে যদি দাড়াতেন?
(রাহুল আবারো তেডি স্মাইল with blushes)?
স্নেহা : (একটু বিরক্তিবোধ করে) দেখেন আপনি এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন যদি কেউ এসে দেখে কি ভাববে।?
সেটা বলার সাথে সাথে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়া ছেলেদের মধ্য থেকে একটা ছেলেকে ডাক দিলো।
রাহুল : (জোড় গলায়) রিফাত!
রিফাত : yes! bro?
রাহুল : ভেতরে যাতে কেউ না আসে ?
রিফাত : Ok bro!
স্নেহা :??
রাহুল : (তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার দিকে তাকিয়ে আছে)?
স্নেহা : বুঝলাম কেউ আসবে না তাও একটু দূরে গিয়ে যদি দাঁড়ান,?
স্নেহা রাহুলকে দূর গিয়ে দাঁড়াতে বললো অমনি রাহুল স্নেহার আরো কাছে এসে দু পাশে দু হাত দিয়ে দাঁড়ালো,?
স্নেহা : না বলছিলাম যে কাছে এসেই দাঁড়ান ? (স্নেহা ভেবেছে ওনাকে যতো দূরে গিয়ে দাড়াতে বলছি আর ওনি কাছে এসে দাড়াচ্ছে। নিশ্চয় কাছে এসে দাঁড়াতে বললে দূরে গিয়ে দাঁড়াবে,)?
স্নেহার কথা শুনে রাহুল দুপাশ থেকে হাত সরিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে পকেটে হাত দিয়ে হাসা শুরু করলো,?
রাহুল : স্নেহা are u crazy ?
স্নেহা : ?? No I m not crazy.
রাহুল : r u sure ??
স্নেহা : 100%?
রাহুল : anyway আজকে প্রেক্টিসে আসলে না যে,?
স্নেহা : it’s ordered
রাহুল : who ordered u? ?
স্নেহা কিছু না বলে চলে যাচ্ছিলো, রাহুল স্নেহার হাত ধরে ফেলে,
রাহুল : স্নেহা বলছো না কেনো? আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি??
স্নেহা : কিছুনা, হাত ছাড়েন।?
রাহুল : স্নেহা আমার রাগ তুলবানা, বলো কে নিষেধ করেছে??
স্নেহা : বললাম তো কিছুনা।?
হঠাৎ দরজায় টুকা দেওয়ার শব্দ হলো রাহুল স্নেহাকে আর কিছু না বলে একটু রেগে বেড়িয়ে গেলো।
স্নেহা ও বেড়িয়ে পড়লো রাহুলের পিছু পিছু,
মার্জান : স্নেহা! কোথায় ছিলি তুই তুকে খুজছিলাম কতো জায়গায় জানিস,
স্নেহা : এইতো লাইব্রেরি গিয়েছিলাম একটু।
মার্জান : ওহ চল একটু গার্ডেনের দিকে গিয়ে ঘুরে আসি। কলেজটা ঘুরে দেখায় হলো না।
স্নেহা : সবাই আসুক একসাথে যাবো।?
মার্জান : আরে ওরা আসতে দেরী হবে আমরা বসে বসে কি করবো,, চলতো।
স্নেহা : দেখ মার্জান আমার না প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা করছে। আজ নয় অন্য একদিন। এখন আমি বাসায় যায় কাল দেখবো প্রমিস।
মার্জান : ওকে বাবা! যা। Bye.
স্নেহা সেদিন আর কলেজে থাকেনি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসে।
কেনো যেন রাহুলের কথা মনে পড়ছে
প্রথম যেদিন কলেজ গিয়েছিল, রাহুল তার দিকে চেয়ে ছিলো এক দৃষ্টিতে,
রেগিং এর সময় সব থেকে সহজ কাজটা স্নেহাকে দিলো।
পানি খেতে গিয়ে রাহুলের শার্ট ভিজিয়ে দিলো কিন্তু রাহুল কিছুই বলেনি,
কলেজে ঢুকার সময় গার্ডেন এর ঐদিকে সবসময় দাঁড়িয়ে থাকা,,
…কথা না বলে লজ্জিত ভাবে একটা তেডি স্মাইল দেওয়া… ?
প্রেক্টিসের সময় দাঁড়িয়ে তার ডান্স দেখা, কাছে এসে স্নেহার মাথার চুল খুলে দেওয়া, ফুস্কার দোকানের সামনে গাড়ি থামিয়ে স্নেহার দিকে এক পলক চেয়ে আবার চলে যাওয়া, আর আজ প্রেক্টিসে না যাওয়াতে রেগে যাওয়া, হোয়াইট শার্ট পরে আজ লাইব্রেরিতে যখন এন্ট্রি করছিল ?
স্নেহার হাত ধরে টান দেওয়া, কাধের দু পাশে দেওয়ালে হাত দিয়ে দাঁড়ানো,
স্নেহা ভাবতে ভাবতে Blushes ☺
হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উঠলো।
স্নেহা : হ্যালো!
শায়লা : স্নেহা তুই আজ চলে গেলি যে তাড়াতাড়ি, মার্জান বললো তোর নাকি মাথা ব্যথা করছিল তাই চলে গেলি।
স্নেহা : হে আসলে, একটু ব্যথা ছিলো।
শায়লা : জানিস আজ নেহাকে রাহুল কি বলেছে?
স্নেহা : কি ?
শায়লা : নেহা যখন রাহুলের সাথে ডান্স করছিলো এমন ভাবে লেগে ডান্স করছে যেন রাহুল তার অনেক কিছু, নেহার এমন
কান্ডে রাহুল may be uncomfortable ছিলো,
তারপর রাহুল কি বললো জানিস, ☺listen নেহা u r only my dance partner!… understand… আর কিছু হওয়ার কথা ভাবা তো দূরের কথা মাথায় ও আনবি না।
নেহার face expression টা যদি তখন দেখতি না… পুরাই একটা ডাইনি ??
স্নেহা : ( অনেক existing হয়ে) জানিস আজ রাহুল আমাকে খুজতে এসেছিল, এবং সে আমাকে খুজতে লাইব্রেরি সহ গিয়েছে,
স্নেহা শায়লাকে সব বললো আজকের ঘটনা…
শায়লা : oh yeah… I got it.. এখন বুঝতে পেরেছি আমাদের স্নেহার মাথা ব্যথা কেন হয়েছিল।আর রাহুল বাকি মেয়েদের Avoid করে শুধু তোকে দেখে কেন তেডি স্মাইল দেই ?
by the way আমার তো এখন মনে হচ্ছে রাহুল তোকে…. ??
স্নেহা : Blushes ☺ যাহ… তেমন কিছুই না। আচ্ছা কাল দেখা হচ্ছে তাহলে।
শায়লা : ওকে বাই ☺….
স্নেহা : বাই।
সকালে স্নেহা রেডি হচ্ছে কলেজ যাওয়ার জন্য ঠিক ঐ সময় Unknown নাম্বার থেকে একটা মেসেজ এলো…
MSG : ব্লু ড্রেসটাই দারুন লাগে…?
স্নেহা অনেক কনফিউজড হয়ে গেলো… কালতো আমি ব্লু ড্রেস পরিনি… আর কে সে ব্লু ড্রেস পড়াতে আমায় কবে দেখেছে।
লেইট হয়ে যাচ্ছে তাই স্নেহা মেসেজের আর জবাব না দিয়ে…কলেজ চলে গেলো…
স্নেহা কলেজ গিয়ে দেখে গার্ডেন এর ঐদিকের চেয়ার গুলো ভেংগে গেছে… মাটিতে পরে আছে অনেক লাঠি কিছু ভেংগে যাওয়া কিছু ঠিক… এমন লাগছে যেন তুফান হয়েছে তাই সব ভেংগে ছিড়ে ছিটে পড়ে আছে।
কলেজ টা ও কেমন নিস্তব্ধ হয়ে আছে।
কিছু বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে এসব।
কিন্তু আজ মিস্টার হ্যান্ডসামকে ও দেখছি না, প্রেত্যেকদিন তো কলেজ ঢুকার সময় গার্ডেনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকে,আমাকে দেখলে একটা তেডি স্মাইল দেই।আজ কই গেলো।
সামনে যেতেই দেখি জারিফা,
জারিফা দৌড়ে আমার দিকে আসে, আমাকে টেনে একদিকে নিয়ে যায়…
কিছু বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে এসব।?
জারিফা : জানিস, এখন কি হয়েছে রাহুল আর সামিরের গ্রুপের সাথে অনেক মারামারি হয়েছে।
স্নেহা : সামির গ্রুপ মানে ?
জারিফা : রাহুলের যে গ্যাংগটা আছে ঠিক ঐরকম সামির নামের ঐ ছেলেটির ও আছে। তারা একই সেমিস্টার এর হলে ও তাদের গ্রুপটা আলাদা। দুই গ্রুপের মধ্যে নাকি পুরোনো দুশমনি আছে,
স্নেহা : রাহুল ঠিকাছে? 


জারিফা : হে ঠিকাছে কিন্তু মনে হচ্ছে রেগে ও আছে মন ও খারাপ করে আছে ,
স্নেহা : ??
জারিফা : রাহুল আর তার ফ্রেন্ডরা কলেজে আসতে আসতে রাহুলের গ্রুপের ছেলেদের অনেক মেরেছে।
তাদের অবস্থা দেখে রাহুল রেগে পারছিল না যে সামিরের গ্রুপের ছেলেদের এক্ষুনি গিয়ে খুন করে আসবে কিন্তু রাহুলের ফ্রেন্ডসরা তাকে আটকে ফেলে ভাগ্যিস।
আরে! ক্লাসের তো সময় হয়ে গেছে চল স্নেহা।
স্নেহা : তুই ওনাকে দেখেছিস
জারিফা : ওনি মানে ?
স্নেহা : ( Blushes☺) রাহুল।
জারিফা : ? পার্কিং এর দিকে যেতে দেখেছি,
স্নেহা পার্কিং এর দিকে গেল, দূর থেকে তাকিয়ে দেখলো রাহুল আনমনা হয়ে কি যেন ভাবছে।
অনেক টেনশনে আছে লাগছে,
স্নেহা রাহুলেন কাছে এসে দাঁড়ালে রাহুল স্নেহার দিকে তাকালো,কিন্তু একটু অবাক হলো,
রাহুল : What?
স্নেহা : জি! আপনার Assignment টা,
রাহুল : (অবাক হয়ে) ওহ, তো কমপ্লিট?
রাহুল Assignment গুলো হাতে নিলো,
স্নেহা এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
রাহুল : কি কিছু বলবা,?
স্নেহা : না, নাতো…
রাহুল : তাহলে দাঁড়িয়ে আছো, যে।
স্নেহা আর কিছু না বলে চলে যাচ্ছে,
রাহুল : স্নেহা, দাঁড়াও।
স্নেহা ফিরে তাকায়।
রাহুল : Thank u 
স্নেহা : ( Blushes ☺)?
রাহুল কিছু না বলে চলে গেলো,
স্নেহা ক্লাসে এসে বসে,
জারিফা : কি হলো স্নেহা দেখা করেছিস? কি বলেছে রাহুল?
স্নেহা : হে দেখাতো করেছি, কিন্তু মনে হচ্ছিলো খুব টেনশনে আছে, তেমন কিছু বলেনি।
জারিফা : ওহ তোর ও বুঝি খুব টেনশন হচ্ছে ?
স্নেহা : (blushes ☺)
জারিফা : ওওও… সব বুঝি। কুচ কুচ হতাহে….?
আচ্ছা চল ক্লাস করতে ভালো লাগছে না ঘুরে আসি,
শায়লা,মার্জান, জারিফা, সবাই মিলে কলেজ ঘুরে দেখছে,
গার্ডেনটা ঘুরে দেখতে দেখতে কিছু দূর গিয়ে দেখলাম কিছু ছেলে স্মোক করছে,
নির্জন জায়গা অবশ্য এসব হওয়ারি কথা,
শায়লা : চল এইখান থেকে ছেলে গুলো কেমন যেন ঠিক লাগছে না,
তাই আর বেশী দূর যায়নি, সবাই চলে আসি,
মার্জান : অনেক টায়ার্ড লাগছে চল বাসায় যাই।
জারিফা : হে রে আমিও অনেক টায়ার্ড আজ আর নয় বাসায় চল।
সব শেষে সবাই বাড়ি যাচ্ছিলো, আজ মিস্টার হ্যান্ডসামকে তো ঢুকতে ও দেখলাম না বেরুতে ও দেখলাম না ?
স্নেহা ভেবে ভেবে আনমনা হয়ে বের হচ্ছে হঠাৎ বের হওয়ার সময় একটা ছেলের সাথে ধাক্ষা খেলো, স্নেহা ছেলেটিকে সাইড দিলে ও ছেলেটি ইচ্ছা করে ধাক্ষা খায়। স্নেহা বিরিক্ত বোধ করে ছেলেটির দিকে তাকালো…?
ছেলেটি দেখতে খারাপ না,সানগ্লাস পরা কানের মধ্যে মোবাইলটা লাগিয়ে রেখেছে, নিশ্চয় কারো সাথে কথা বলছিল,
ছেলেটি স্নেহাকে দেখে ওয়াও ? বলে উঠে,
মার্জান : এই যে আপনি ওর সাথে ধাক্ষা খেয়েছেন সরি না বলে উলটা এসব কি বলছেন। ?

Love_at_1st_sight??? Part : 3

0

Love_at_1st_sight???
Part : 3

writer-Jubaida Sobti
শায়লা : থাক তুই বাদ দে। তোর বোঝার বয়স হয়নি।?
এরপর continue প্রেক্টিস শুরু হলো।লাঞ্চ টাইম ব্রেক এখন তারপর আবার continue শুরু হবে।
শায়লা : চল লাঞ্চ করে আসি।
স্নেহা : খিদে নেই আমার তুই খেয়ে আয়
শায়লা : তুই আর মানুষ হবি না।আচ্ছা আমি যায় আমার আবার একটা ফোন করতে হবে বাসায়।
সবাই চলে গেলো স্নেহা একা বসে বসে কি করবে সে নিজে নিজে প্রেক্টিস করছে।
হঠাৎ রাহুল রুম ক্রস করে যাওয়ার সময় দেখে স্নেহা নিজে নিজে ডান্স করছে।
রাহুল অনেক্ষন দাঁড়িয়ে তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার ডান্স দেখছিলো…?
রাহুল : খুব ভালো ডান্স পারো দেখি। হেল্পার না হয়ে ডান্সে পার্টিসিপেট করলেই পারতে।
স্নেহা রাহুলকে দেখে হঠাৎ চমকে গেলো।রাহুল স্নেহার কাছে এসে তার মাথার ঝুটি টা খুলে দিলো, স্নেহার চুল গুলো বিলিয়ে পড়লো ?
রাহুল : Now looking beautiful ?
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকালো। হঠাৎ পিছন থেকে ডাক দিলো রাহুল বলে।
রাহুল : yes?
নেহা : লাঞ্চ টাইম রাহুল! so hurry up…
রাহুল : yeah sure.
রাহুল যেতে যেতে নেহা কে বলছে,
রাহুল : নেহা r u jealous?
নেহা : What rubbish… আমি jealous করবো ঐ চাম্বুশ আন্টিকে??
রাহুল নেহাকে আর কোনো জবাব না দিয়ে একটা তেডি স্মাইল দিয়ে চলে যায়।
নেহা : তোর এই তেডি স্মাইল্টানা মেয়েদের আরো পাগল করে দেয় ?
আজ বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেলো দুপুরে ও কিছু খায়নি স্নেহা।
জারিফা : দেখেছিস স্নেহা ভাগ্য শুধু তোকে ওর কাছে টেনে নিচ্ছে নিশ্চয় তোদের মধ্যে কোনো কানেকশন আছে?
স্নেহা : কি বলিস এসব, ওর সাথে আমার মোটে ও যায় না। ওর পছন্দ আমার মতো মেয়ে হতেই পারে না,
শায়লা : হবে না কেনো তুই কি সুন্দরে কম নাকি,
স্নেহা : আরে দেখিসনি নেহা মেম অনিতো কতো সুন্দর জিন্স পরে টপ্স পরে স্টাইলিশ ও তবুও স্যার ওনাকে রিজেক্ট করেছে আর আমিতো কথায় আসে না।
মার্জান : রাখবি তোর স্যার মেম, ডাকা নাম ধরে বল।?
মার্জান এর কথা শুনে শায়লা জারিফা স্নেহা তিনজনি হেসে উঠে।??
স্নেহা : আচ্ছা বাদ দে এসব কথা প্লিজ। আমার অনেক খিদে পেয়েছে চল ফুচকা খায়।?
জারিফা : ওয়াও superb idea,☺
সবাই মিলে ফুচকা খায় ঠিক ঐসময় নেহা এসে দাঁড়ায় পিছন দিয়ে।
নেহা : এইযে, মিস. চাম্বুস….
সবাই ফিরে তাকালো কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেনা নেহা কাকে ডাকছে।নেহার সাথে তার আরো ফ্রেন্ডরা ও আছে। সবগুলো নেহার মতো শয়তান।
নেহা : চশমা তোমাকেই বলছি, এদিকে এসো।?
স্নেহা : জি!?
নেহা : বাদরের গলায় মুক্তার মালা পরাতে যেওনা বুঝলে। আর হে কাল থেকে তোমার ডান্স প্রেক্টিসে আসার দরকার নেই। it’s my order…
এই বলে নেহা চলে যায়।
মার্জান কিছু বলতে চায় কিন্তু শায়লা তার হাত ধরে ফেলে।
ঐসময় রাস্তাদিয়ে রাহুলের গাড়ি যাচ্ছিলো রাহুল ফুসকার গাড়ির দিকে তার গাড়িটা একটু থামালো। স্নেহারদিকে একপলক চেয়ে আবার গাড়ি টান দেই।
মার্জান : তুই পাগল নাকি এদের এভাবে না বলে বলে ছেড়ে দিয়েছি তাই আমাদের যা ইচ্ছে তাই বলে।
শায়লা : পাগল আমি না পাগল তুই হয়েছিস এরা আমাদের সিনিয়র এদের একটা গ্যাংগ আছে তারা অনেক কিছু করতে পারে। তাই বলছি সব কথার উত্তর দিতে যাস না।
মার্জান : ধ্যাত ?? খা তোরা যায় আমি।
স্নেহা : আরে মার্জান দাড়া কই যাচ্ছিস।
মার্জান : আমি বাসায় যাই। খাবো না তোরা খা।?
মার্জান না খাওয়াতে আর কেউ খেলো না সবাই যার যার বাসায় চলে গেলো।
বাসায় আসে স্নেহা আজ অনেক টায়ার্ড।
মা : আজ এতো লেইট হলো যে,?
কতো চিন্তা করছিলাম তোর জন্য।
স্নেহা : মা বললাম না কলেজে একটা প্রোগ্রাম আছে ঐটার প্রেক্টিস ছিলো।আর মাঝে মাঝে এমন লেইট হবে তুমি চিন্তা করিও না।
ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে একটু শুই, হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠে।
সেই unknown ?
রাশুকে গিয়ে মোবাইটা দিয়ে আসলাম
রাশু গেমস খেলছে কল আসলে বার বার আমার কাছে নিয়ে আসছে।
আজ একদম রিসিভ করে ফেলে রাখলাম অনেক্ষন।?
কিছুক্ষন পর নিজ থেকে কেটে
আবার কল দিলো। কেটে দিলাম,
আবার কিছুক্ষন পর আবার কল দিলো রিসিভ করলাম,
হ্যালো কে, বলার পরপর সে নিজ থেকে কেটে দিলো।
আজিব তো এতোক্ষন নিজ থেকে কল করছে আমি কেটে দিচ্ছিলাম যখন রিসিভ করে হ্যালো বলি সেই নিজে কেটে দিলো।
শুধু কন্ঠ শুনতে ফোন দেই বুঝি আমাকে।
দাড়া শোনাচ্ছি তোকে কন্ঠ।?
এই বলে স্নেহা তার ভাই রাশুকে গিয়ে ফোনটা দিলো।
বললো এই নাম্বার টায় ফোন দে যদি রিসিভ করে তাহলে তুই একটু মোটা সুরে বলবি এইখানে আর ফোন দিবেন না এটা আমার নাম্বার।
রাশু ফোন দিলো রিসিভ করেছে কিন্তু কোনো কথা বলছে না।
আর রাশুতো তো অনেক দুষ্টু
রাশু : কি হলো ছেলের কন্ঠ শুনে আওয়াজ চলে গিয়েছে নাকি।?
নাকি বোবা আপনি কথা বলতে জানেন না। ?
আচ্ছা আমি আপনাকে একটা গান শোনায়।
আই এম এ ডিস্কো ডান্সার টেট টেট টেনেট তুই হলি মোবাইলের ক্যান্সার।?
রাশুর গান শুনে স্নেহা হাসতে হাসতে মাটিতে বসে গেলো…??
রাশু : (মোবাইলের ওপাশেরজন ও হেসে দিলো) এই যে ক্যান্সার হাসি যখন বের হলো এবার বলেন এইখানে ফোন দেন কেনো…আপনি জানেন আপনার ফোনের ডিস্টার্ব এ আমি কয়বার গেইম আউট হয়ছি।?
ফোনটা কেটে দিলো…. আর ডিস্টার্ব করেনি।
রাশু থেকে জিজ্ঞেস করলাম হাসির কন্ঠটা ছেলের ছিলো নাকি মেয়ের?
রাশু বললো ছেলের…
থাক আর এটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই।
পরদিন কলেজ গেলাম।
ক্লাসেই বসে আছি। জারিফা,মার্জান, শায়লা সবাই প্রেক্টিসে গেছে।
ভাবলাম এভাবে বসে থাকার চেয়ে লাইব্রেরীটা ঘুরে আসি।
গেলাম সেখানে ও তেমন মানুষ নেই। কিছু কাপল আর কিছু সিংগেল বই পড়ছে।
ভালোই লাগছে পরিবেশটা নিরিবিলি।?
কিছু বই দেখতে দেখতে একটা কোনায় গিয়ে দাঁড়াই।
হঠাৎ মেইন ডোরের দিকে তাকাতেই দেখি রাহুলের এন্ট্রি। অনেক মুড নিয়ে ডুকছে।
কিন্তু এসময় তো ওনার প্রেক্টিসে থাকার কথা নিশ্চয় কাউকে খুজতে এসেছে।
আমিও উনাকে না দেখার মতো করে সেল্ফের পিছনে দাঁড়াই কারন সামনে পড়লে না জানি কি না কি ঝামেলা হয়।?
এদিক ওদিক কাকে যেন খুজছে রাহুল।
হঠাৎ স্নেহার পাশের সেল্ফে এসে দাড়াতেই রাহুল স্নেহাকে দেখে।
স্নেহা রাহুলকে দেখে পিছন ফিরে যায়। রাহুল সামনে এগোতেই স্নেহা জোড়ে হাটা শুরু করে।
রাহুল : স্নেহা দাড়াও,
স্নেহা কিছু না বলে লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে পরলো, রাহুল ও স্নেহার পিছু পিছু বেরিয়ে পরলো।
রাহুল গিয়ে স্নেহার হাত ধরে টান দিয়ে তার দিকে ফিরালো,
স্নেহা : কি করছেনটা কি, হাত ছাড়ুন আমার, সবাই দেখছে তো,
রাহুল : দেখুক!
স্নেহা : দেখুক মানে!
রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে একটা ক্লাসে নিয়ে গেলো,
ক্লাসে কিছু ছেলে ছিলো….রাহুল তার মাথার ইশারা করাতে ছেলেগুলো ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ে।
স্নেহা অনেক গাভ্রিয়ে গেলো… স্নেহা ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে চায়লে রাহুল স্নেহাকে টেনে দেওয়ালে হাত দিয়ে দাঁড়ালো,
স্নেহার শরীর কাঁপতে লাগলো রাহুলের কান্ড দেখে।
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে? স্নেহা নিচের দিকে তাকিয়ে,?
রাহুল স্নেহার চুল গুলো সরিয়ে দেই চোখের উপর থেকে,
স্নেহার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ভয়ে,…
(চলবে)

Love_at_1st_sight  Part : 2  

0

Love_at_1st_sight???
Part : 2

writer-Jubaida Sobti
সকালে ঘুম ভাংগলো আবার মোবাইলের রিংটোনে…
উঠে মোবাইলটা ধরলাম।
সেই Unknown নাম্বার থেকে আবার ফোন দিলো।
স্নেহা : হ্যালো! কে?
Unknown : no respons 


স্নেহা : কি বেপার শুধু আমার কন্ঠ শুনতে ফোন দেন নাকি??
Unknown ফোন কেটে দিলো।
কি জানি আজাইরা খালি কল দেই?কিন্তু কথা বলেনা।
যাক ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে কলেজ যাচ্ছি ।
সামনে যেতেই শায়লাকে পেলাম দুজন একসাথে ঢুকলাম কলেজে। শায়লা আর আমার বাসা একই রাস্তাতেই পরে।
কলেজে ঢুকে দেখি কিছু জুনিয়রদের দার করিয়ে কি যেন বলছে সিনিয়ররা। আমরা দুজন পাশ কেটে চলে যাচ্ছিলাম হঠাৎ ঐ খান থেকে একটা আওয়াজ এলো এই যে মিস. ইন্নোসেন্ট দাড়ান।
দাঁড়িয়ে পড়লাম পিছন ফিরে দেখি ঐ ছেলেটাইতো।
স্নেহা : জি স্যার বলেন??
রাহুল : নোটিশ বোর্ড দেখেছো??
স্নেহা : জি স্যার। ?
রাহুল : কিসে পার্টিসিপেট করছো??
স্নেহা : জি স্যার হেল্পার (helper)?
রাহুল : ওহ গুড! এই নাও এগুলো আমার Assignment করে দিবা।?
স্নেহা : ?জি স্যার।
রাহুল : শুধু জি স্যার জি স্যার করো কেনো আর কিছু বলতে পারো নাকি না? ?
স্নেহা : জি স্যার ?
রাহুল : আচ্ছা যাও☺
স্নেহা চলে যাচ্ছিলো। হঠাৎ পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো রাহুল তার দিকে এখনো তাকিয়ে আছে। রাহুল তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে অন্যদিকে চলে গেলো।
স্নেহা ? Blushes ☺☺
কলেজ শেষ করে বাসায় আসলাম।
সন্ধায় বাবা একটি নতুন মোবাইল কিনে এনেছে।
রাশু : (স্নেহার ভাই) বাবা তুমি আমার জন্য একটা আনলানা ??
বাবা : আনবো তোর জন্যেও আনবো আগে তুই তোর আপুর মতো 12th এ উঠ তারপর।
রাশু : কিন্তু বাবা আমার সব ফ্রেন্ডরা এইরকম ফোন ব্যবহার করে ?
বাবা : ওদের রেজাল্ট ও ঐরকম আসেরে বাবা ?
স্নেহা : আচ্ছা যা আমারটা তুইও ব্যবহার করবি কিন্তু এক শর্তে রেজাল্ট যদি খারাপ আসে তাহলে মোবাইল ছোয়া বন্ধ।
রাশু : ওকে ওকে ?
স্নেহা : চল এইবার পড়তে আয়।
রাতে মা ডিনারের জন্য ডাক দিলো আমার আগে রাশু দৌড় দিলো খাবে তা না পড়ার ফাঁকিবাজ ?
মা আবার ডাক দেওয়াতে আমিও যাচ্ছিলাম হঠাৎ মেইন দরজার বাইরে কারো ছায়া দেখতে পেলাম তাই ঐদিকে গিয়ে কে কে বললাম কিন্তু কারো সাড়া নেই।?
আমার আওয়াজে বাবা এসে দেখলো কেউ নেই। বাবা বললো হয়তো আমার লেগেছিলো কেউ আছে।
পরদিন সকালে আবার সেই Unknown এর ফোনে ঘুমটা ভেঙে গেলো।
ঠিক আগের মতোই কিছু বলেনা। বোধয় আমার আওয়াজ শুনতেই ফোন দেই ?
উঠে নাস্তা করে রেডি হয়ে কলেজ গেলাম। কলেজে ঢুকার সময় প্রত্যেক দিনের মতো ঐ যে মিঃ হ্যান্ডসাম এর এন্ট্রি আজ সামনাসামনি পড়লাম কিন্তু কিছুই বললো না। একটা কিলার স্মাইল দিয়ে চলে গেলো
সবাই বোর্ড চেক করছে যে যেটাই পার্টিসিপেট করছে ঐ বেপারে জেনে নিচ্ছে। আমিও গিয়ে দেখলাম…
দেখে মাথা ঘুরিয়ে উঠলো।?
আমার পর শায়লা ও আসলো তারটা চেক করতে আমরা দুজন একই সাতে পরেছি।?
শায়লা : সর্বনাশ এই বজ্জাতটার হেল্পার বানাইছে আমাদের। এইটার নেকামি এটিটিউড গুলো দেখলেই মাথা ধরে।? মিস: নেহা।
স্নেহা : হেল্পার হওয়াটাই দোষ ছিলো বুজি আমাদের ?
শায়লা : দাড়া একমিনিট এইখানে লিখা আছে নেহা with রাহুল তার মানে তারা কাপেল ডান্স করবে।আমরা তাদের হেল্পার ?
স্নেহা : কিন্তু আমাদের ক্লাসের বাকিরা হেল্পার হয়েছে ইভেন ডিজাইনের আমরা দুজন কেনো ডান্সের হতে গেলাম ?
শায়লা : সেটাইতো আচ্ছা চল প্রেক্টিসে নাহলে আবার লেইট হলে মিস: নেহা থেকে মিস: ডাইনেসোর? হয়ে যাবে?
প্রেক্টিস রুমে ঢুকলাম।
নেহা : ও তো তোমরা দুজন হলে আমার হেল্পার।
টিচার : নেহা come on.. dance 1st..
নেহা : মেম, একটু রেস্ট দরকার I m so tried ?
টিচার : ওকে only 15 mins.
নেহা গিয়ে রাহুলের গলায় হাত দিয়ে,
নেহা : রাহুল?
রাহুল : হুম!
নেহা : চলনা কালকে date যায়।
রাহুল : ? Date with u funny joke.. চেহেরা দেখেছিস তোর?
নেহা : come on রাহুল এই ফেইসের জন্যই হাজার ছেলে পাগল ?বুঝেছিস।
রাহুল : সস্তা জিনিসের ক্রেতা বেশী বুঝেছিস ?
নেহা : দেখিস তুই আমার চেয়ে সুন্দর মেয়ে আর পাবি না তোর জন্য।
রাহুল : আমারটা তো আল্লাহ স্পেশালি আমার জন্য বানিয়েছে রেখেছে সেটা ঠিক পেয়েই যাবো,,
শায়লা আর স্নেহা দুজন ওদের কথাগুলো শুনছিলো চুপি চুপি, ?
শায়লা : ভালোই হলো অন্তত কেউ একজন এই খাডুসটাকে রিজেক্ট করলো এইবার যদি দেমাগটা একটু কমে আরকি।
স্নেহা : কিন্তু মেয়েটাতো সত্যিই সুন্দর স্যার রিজেক্ট করলো কেনো । ?
শায়লা : আরে এই সুন্দর এর ভেলু নেই ক্যারেকটারলেস।
স্নেহা : মানে।?

Love_at_1st_sight Part: 1

0

Love_at_1st_sight
Part: 1
writer-Jubaida Sobti

আসিফ, শাউন,বিজয়,নেহা,ফাবিহা,এবং রাহুল ভার্সিটির সিনিয়র। জুনিয়রদের রেগিং করতে তারা ওস্তাদ।
কলেজের প্রথম দিন স্নেহার, 1st day at college,
সামনে যেতেই দেখলাম কিছু জুনিয়রদের দার করিয়ে রেগিং করছে।
স্নেহা : (মনে মনে) বাপরে এইযে আবার নতুন মসিবত ? সিনিয়রদের রেগিং।
আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে পাশদিয়ে কেটে পড়লাম কিছুই বললো না। কিন্তু তাদের মাঝ থেকে একটা ছেলে স্নেহাকে ফলো করেছে।তা স্নেহা বুঝতে পারলো তবে ছেলেটি কিছু করলোই না। যাক বাবা নিজে বাচলে বাপের নাম হাহা।
ক্লাসে ডুকলাম নতুন নতুন কিছু বান্ধবী হলো, শায়লা,মার্জান, জারিফা।
মিস বলেছে যাওয়ার সময় নোটিস ভোর্ড দেখে যেতে কলেজের একটা প্রোগ্রাম হবে যে যেটাই অংশগ্রহন করবে ঐটা বেছেনিতে।
ক্লাস শেষে সবাই একইসাথে বের হলাম।
সামনে ঐ যে বদমাইশ পোলা গুলি। কি যে করি।
বিজয় : এই যে গার্লস গ্রুপ দাঁড়ান আপনারা।
আমরা সবাই দাঁড়িয়ে পড়লাম।
বিজয় : সিনিয়রদের দেখে ও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছো আমরা কি কিছু বুঝিনা। তোমাদের মতো অনেক গ্রুপ দেখেছি বুঝেছো মামুনিরা।
তাদের মধ্যে ঐ ছেলেটি ও আছে। যে কিনা বার বার তাকাচ্ছিল। শুধু চেয়েই যাচ্ছে বাকিদের মতো কিছুই বলছে না।
ও হে সিনিয়ররা আমাদের অর্ডার করেছে কাল তাড়াতাড়ি আসতে হবে।কাল আমাদের রেগিং হবে যাকে যেটা বলে ঐটাই করতে হবে।
এটাই নাকি এই কলেজের নিয়ম।
চলে আসলাম বাসায়।যা হবে কাল দেখা যাবে। মা জিজ্ঞেস করছিল প্রথমদিন কেমন কাটলো।ভালো ভালোই বললাম। অনেক ক্লান্ত হয়ে পরেছি এসে একটা ঘুমদিলাম। উঠে দেখি বাবা আর মা বসে গল্প করছে।
স্নেহা : মা খেতে দাওতো খিদে পেয়েছে।
মা: তুই ঘুমাই পরছিস তাই আর ডাকিনি।
বাবা ও জিজ্ঞেস করলো প্রথমদিন কেমন গেলো। বাবাকে ও মায়ের মতো বুঝিয়ে দিলাম নয়তো আবার কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিবে।
এতোসুন্দর একটা সপ্ন দেখছিলাম হঠাৎ মায়ের ডাক।
মা : স্নেহা কি হলো কলেজ যাবিনা আজ এতো দেরি করছিস যে।
একলাফে উঠে কিসের উপর তাড়াতাড়ি রেডি হলাম এমনিতে আজ তাড়াতাড়ি যাওয়ার কথা।
গিয়ে পৌছালাম।
শায়লা, মার্জান, জারিফা সবাই দাঁড়িয়ে আছে,,,,এবং আরো অনেকেই আছে ক্লাসের।আমি গিয়ে তাড়াতাড়ি শায়লার পিছনে দাঁড়ালাম।শায়লা : কি হলো স্নেহা তুই এতো লেইট করলি যে।
স্নেহা : ব্যাস হয়ে গেলো ?
শায়লা : কি যে করিস জানিস না আজ তাড়াতাড়ি আসার কথা ছিলো।
স্নেহা : আচ্ছা রেগিং এ কি কি করতে হয়?
শায়লা : ওরা যা বলবে তা করতে হবে। যেমন ধর কলেজের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম স্যারকে প্রপোজ করতে বলবে। না হয় ডান্স করতে বলবে আর না হয়, ওদের পার্সোনাল কাজ আমাদের দিয়ে করিয়ে নিবে এই টাইপ্সের কিছু।।
শায়লাকে ডাকদিলো হঠাৎ, তার নাম জিজ্ঞেস করলো।
সবাইকে তাদের স্যার ডাকতে বললো। সবার সামনে বড় করে স্যালুট করতে বললো শায়লাকে শায়লা বাধ্য হয়ে করলো, ?
তারপর আমাকে ডাকদিলো।
আসিফ : এইদিকে দাঁড়ান সামনে এসে।
ভয়ে বুক কাপছিল।
হঠাৎ আসিফকে সরিয়ে ঐ ছেলেটি সামনে এসে দাঁড়ালো।
আসিফ : ওহ রাহুল! তুই নিবি নাকি ওর রেগিং।
রাহুল : হুম ও আমার Assignment করবে আজ থেকে।
আসিফ : কিন্তু এটাতো সিম্পল?
রাহুল : আরে বেটা লিখতে লিখতে আমার হাত ব্যথা হয়ে গেছে চাশমিশ টাইপ্সের আছে করে দিবে।?
স্নেহা : (মনে মনে) কি বদমাইশ নিজের Assignment নিজে না করে আমার দিয়ে করাবে তার বাপের চাকর নাকি আমি।?
রাহুল : এই যে চাশমিশ নাম কি আপনার।।?
স্নেহা : জি! স্নেহা।?
বিজয় : স্যার ডাকবা আমদের সবসময় বুঝলা।
স্নেহা : জি! স্যার ?..
ক্লাসের দিকে রওনাদিলাম।
শায়লা : বাহ বাহ বাহ! যা করার আমাদের করতে হলো আর তোর জন্য রাহুল ছেলেটা কতো সিম্পল কাজ দিলো।
স্নেহা : এটাকে তুই সিম্পল কাজ বলছিস।?
মার্জান : না হয়তো কি। এটা অনেক সিম্পল। যা বেইজ্জত আমাদের হতে হইসে। by the way ঐ ছেলেটা প্রথমদিন থেকেই স্নেহার দিকে বার বার তাকাচ্ছিলো কিন্তু। কি জানি কি মতলব। হি-হি?
স্নেহা : দূর চুপ করবি। এমনিতে টেনশনে আছি।?
ক্লাস করে সবাই বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। সবাই গল্প করেই নামছি।পানির অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই বেগ থেকে বোতল বের করে পানি খাচ্ছিলাম হেটে হেটে হঠাৎ শিরির থেকে নেমে মোর ফিরতেই ধাক্ষা একটা খেলাম আর হাত থেকে পানির বোতলটা পরে সব পানি পরে গেলো। যার সাথে ধাক্ষা খেলাম তার শার্টটা ও ভিজে গেলো।
এ কি কান্ড ?
স্নেহা : সরি স্যার, আসলে খুব পানির পিপাসা পেয়েছিল। তাই খেয়াল করিনি।তাড়াতাড়ি বেগ থেকে বের করে একটা টিসু দিলাম।
টিসুটা না নিয়ে একটা টেডি স্মাইল দিয়ে চলে গেলো।
জারিফা : ওয়াও he is so cool.. ?
স্নেহা : চলতো এইখান থেকে যতক্ষন এইখানে থাকবো বিপদ সংকেত দেখা দিতে থাকবে।
মার্জান : এটা বিপদ সংকেত না। অন্যকিছুর সংকেত।?
জারিফা : ঐ রেগিংকারকদের মধ্যে সবচেয়ে হ্যান্ডসাম হট এন্ড সুইট কিন্তু এইটাই ?
স্নেহা : কোনটা? ?
জারিফা : যেটার সাথে ধাক্ষা খেলি রাহুল!?
স্নেহা : হয়েছে অনেক এবার যাবি?
চলে আসলাম বাসায়। ফ্রেশ হয়ে খেয়ে টিভি দেখতে বসলাম, হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উটলো Unknown number.
স্নেহা : হ্যালো!
Unknown : no response ?
স্নেহা : কি হলো কথা না বললে ফোন দিয়েছেন কেনো??
ফোন কেটে দিলো। টুট টুট…
(চলবে)

জীবনের রঙ

2

জীবনের রঙ

লেখা –সুলতানা ইতি

মনিষাদের বাড়িতে সবাই খুশি,আত্মীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশির হাসি ঠাট্টা ঘরটা পুরো মাতোয়ারা,
কাদছে মনিষা, এটি দুঃখের কান্না নাকি সুখের আদৌ কেউ আঁছ করতে পারছে না,

আজ মনিষার হলুদ ছোঁয়া, এমন না যে বর তার পছন্দ হয়নি,তবুও কাঁদছে মাকে ঝড়িয়ে ধরে

সবাই বলা বলি করছে মনিষা খুব লক্ষি নইলে ওমন ছেলের সাথে তার বিয়ে হয় কি করে,নম্র ভদ্র আদপ কায়দা, তা ছাড়া টাকা পয়সার ও অভাব নেই বলা যায় দেশের টপ বিজনেসম্যান দের মধ্য একজন,

মনিষার খুব পছন্দ হয়েছে মুহিব কে,
মুহিব ও মনিষাকে একবার দেখেই পছন্দ করেছে,তবু ও মনিষার কেনো কান্না আসছে তার জানা নেই,হয়তো মা বাবা কে ছেড়ে থাকতে হবে সেই ভয়,

যথা সময়ে বিয়ে সম্পূর্ণ হলো,
মনিষা বাবার রাজ্য ছেড়ে স্বামির রাজ্যে প্রবেশ করে,
ফুলসজ্জার খাটে বসে আছে মনিষা,কিছুক্ষন পর সেই ঘরে আগমন ঘটলো মুহিবের

মুহিব খাটের পাশে বসে মনিষা কে বল্লো,
– মনি আজ থেকে এ বাড়ি তোমার, আমার মা বাবা ভাই বোন সবাই তোমার,আমি চাই তুমি সবার মনজুগিয়ে চলবে,

মনিষা নিচু স্বরে বল্লো
– স্বামি যদি ভালোবেসে পাশে থাকে তা হলে একটা নারির এই সব কিছুর সাথে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয় না,

খাটে পা জুলিয়ে বসে ছিলো মুহিব
মনিষা উঠে মুহিব কে পা ছুঁয়ে সালাম করে

মুহিব কিছুই বল্লো না,আসলে তখন মনিষার কথা শুনে মহিব মুগ্ধ, তাই মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিলো না
মনিষা মুহিবের পাশে গিয়ে বসে

মনিষা মুহিব কে বল্লো
– আপনি কি চিন্তিত কোন বিষয় নিয়ে
মুহিব- না তো,

চলো ফ্রেশ হয়ে নিবে
মুহিব আগেই ফ্রেশ হয়ে কোথায় যেন গেছে

মনিষা ফ্রেশ হয়ে এসে বসে আছে
মুহিবের আগমন রুমে, হাতে এক কাপ কফি

মনিষা একটু অভাকই হলো,কফি যখন এনেছে তখন দু কাপ আনলে কি বা ক্ষতি হতো,

মুহিব মনে হয় মনিষার মনে কথা টা বুঝতে পারে, বল্লো
– আজ আমাদের নতুন জীবনে প্রথম রাত আজ থেকে আমাদের দুজনের হাতে হাত রেখে পথ চলা শুরু
তাই এ রাত টা আমি অন্যদের মতো করে নষ্ট করতে চাই না,চলো বেলকনিতে গিয়ে দুজনে কফি খেতে খেতে গল্প করি

মনিষা উঠে যাচ্ছিলো
মুহিব বল্লো
– কোথায় যাচ্ছো

– কেনো আপনি তো বললেন কফি খেতে খেতে গল্প করবেন তাই কফি আনতে যাচ্ছি

মুহিব মৃদু হাসলো,
-আমি কফি নিয়ে এসেছি দুজনে এক কাপে করে খেতে চাই তোমার কি কোন আপত্তি আছে?

মুহিবের কথা শুনে মনিষা মৃদু হাসলো তার পর বল্লো
– নাহ আমার কোন আপত্তি নেই

মুহিব- চলো তা হলে বেলকনিতে, যদি ও এখন তোমার আমার মুখের এঁটো খেতে অস্বস্তি লাগবে তবু ও খেতে হবে,আজ থেকে আমাদের দুজনের মানিয়ে নিয়ে পথ চলা শুরু

সেদিন মনিষা আর মুহিব সারা রাত বেলকনিতে বসে দুজনের ভালো লাগা খারাপ লাগা জেনে নেয়
স্বপ্নের মতো করে রাত টা পার হয়ে গেলো,

বিয়ের চারদিন পর বিজনেস এর জামেলার কারনে মুহিব চট্রগ্রাম যাবে
তাড়াহুড়া করে ফাইল গুলো গুছিয়ে নিচ্ছে

মনিষা ওয়ারড্রব থেজে শার্ট পেন্ট, টাই ওয়ালেট এনে বিছানায় রাখলো মুহিবের যেন যাওয়ার সময় দেরি না হয়

অবশ্যই এটা মুহিব বলে দিয়েছে এখন থেকে অফিসে যাওয়ার সময় সব কিছু মনিষার পছন্দ মতো পরে যাবে
যেমন- আজ কি শার্ট পরলে ভালো হবে,তার সাথে কেমন টাই লাগবে ইটস ইটস,

মুহিব যাওয়ার সময় মনিষা কে বল্লো
– নিজের খেয়াল রেখো, আমার মা বাবার দিকে ও খেয়াল রেখো

মনিষা- আপনি ও নিজের খেয়াল রাখবেন
বিয়ের চারদিন ফেরিয়ে গেলো এখন ও মনিষা মুহিব কে আপনি বলে

মুহিব অভাক হলো না বল্লো
– আমি তোমাকে জোর করবো না আমাকে তুমি বলে ডাকার জন্য, তুমি সময় নিতে পারো এক মাস দু মাস কিংবা এক বছর

যখন কেউ কাউকে মন থেকে ভালোবাসতে শুরু করে তখন আপনা আপনিতেই মুখ দিয়ে তুমি শব্দ টা বেরিয়ে যায়, অনুমতির প্রয়োজন হয় না,

মুহিব চলে যায় চট্টগ্রামে পরদিন ফেরার কথা কিন্তু সেদিন কল আসে যাওয়ার পথে বাসের সাথে মুহিবের কারটি খুব খারাপ ভাবে এক্সিডেন্ট করে

কথা টা শুনেই মনিষা জ্ঞান হারায়
যখন জ্ঞান ফিরে তখন জানতে পারলো হাসপাতালে নেয়ার পথেই মুহিব মারা যায়,

মনিষার শ্বাশুড়ি সে যে হুস হারিয়েছে এখন ও হুস ফেরার কোন লক্ষন নেই
মনিষার শ্বশুড় মৃত ছেলের পাশে শুন্যদৃষ্টিতে বসে আছে

পাড়াপড়শিরা বলা বলি করছে
_আহ হারে মেয়েটা কি অলক্ষি বিয়ে হয়ে স্বামির বাড়িতে আসতে না আসতে,অমঙ্গল শুরু হলো,
আরেক জন, বলছে অমঙ্গল কি গো,পুরো রাক্ষুসি মেয়ে স্বামিকেই খেয়ে ফেল্লো

খবর পেয়ে মনিষার বাবা মা আসলো
তাদের একমাত্র মেয়ের কপাল টা যে এমন হবে ভাবতেও পারেনি,কতো আদর দিয়ে মেয়ে কে বড় করেছে,
মনিষার মা কি বলে মেয়ে কে শান্তনা দিবে সে ভাষা নেই তার কাছে,তিনি ভেবে পান না এখন মেয়ের হাতের মেহেদী ও শুকাই নি,,

প্রতিবেশী দের সব কথা ই মনিষা শুনছে,শুধু মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না, যেন সব অনুভূতি ভোতা হয়ে গেছে ,, সন্ধার আগে আগে মুহিবের দাপন করা শেষ,

এতোক্ষনে মনিষার শ্বাশুরি মুখ খুল্লো
-এই রাক্ষুসি স্বামি খেকো মেয়ে আমার বাড়িতে কি করছে, এখনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও, আমার ছেলেটাকেই খেয়ে পেল্লো

মনিষা শ্বাশুড়ির কথা শুনে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো,মনস্তির করে নিয়েছে সুইসাইড করবে,ফ্যানের সাথে নিজের শাড়িটা ঝুলিয়ে দিলো সব ঠিক করেছে,শুধু ঝুলে পড়ার বাকি

গলায় পাসি দিতে গিয়ে মনিষা থেমে যায় চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তার, না আমি মরবো না,
মুহিব চলে গেছে তাতে আমার কোন হাত নেই আমি কি করে স্বামিখেকো হতে পারি সবাই বললেই কি আমি মরে যাবো,

আমার জীবন টা তো তাদের দেয়া নয়,আমার জীবনের উপর অত্যাচার করার কোন অধিকার আমার নেই, মুহিবের জীবনের মালিক যিনি তিনি মুহিবের জীবনের সমাপ্ত ঘটিয়েছে,আমি কেনো নিজেই নিজের জীবন শেষ করে পাপী হতে যাবো,
আরেকবার মনিষা চোখের পানি মুছে নিলো,চোখ মুছতে গিয়ে হাতে নজর পড়লো হাতের মেহেদী এখনো উঠেনি,কিন্তু জীবনের রঙ উঠে গেছে তাই বলে কি আমি নিজেকে নিঃশ্বেষ করবো
বাছতে হবে আমাকে লড়াই করে বাছতে হবে,

সমাপ্ত

কিছু কিছু গল্পের সমাপ্তি হয় না,অসমাপ্ত থেকে যায়,মনিষার জীবন টা ও এমন,

উৎসর্গ- চকবাজার র্টাজেডির আফরুজা সুলতানা স্মৃতি,,

ফাল্গুনের_ফুল last_part_8

4
ফাল্গুনের_ফুল
last_part_8
#writer_Farzana

১০ মি: হলো বসে আছি। আমার দুষ্টু বউটাকে এখনো দেখতে পেলাম না। আগে বিয়ে করে নেই তারপর চোখের আড়ালই হতে দেবোনা ?। আমার heartbeat বেড়ে যাচ্ছে, কিভাবে যে propose করবো ?। গত ৭ দিন ধরে যখনই সময় পাচ্ছি তখনই আয়নার সামনে যেয়ে rehearsal দিচ্ছি। ইতিমধ্যে খাবার নিয়ে এলো। খাবার আনার কি দরকার ছিল, তারচেয়ে আমার সোনা বউটাকে নিয়ে আসলেই তো পারতো। খাওয়ার পর্ব শেষ। তারপর বাবা বললো-
তাহলে আমার বউমাকে একটু নিয়ে আসেন দেখি ?
অবশেষে আমার দুষ্টু বউটার দেখা পেলাম তাহলে। Omg, একি ?! এতো শাড়ি পড়েনি। normal ১টা থ্রি-পিছ পড়েছে, মাথায় ঘোমটা। লতা ধরে নিয়ে এসেছে। বসানোর আগেই লতার হাতটা কাধ থেকে সরিয়ে বসে পড়লো। বোঝাই যাচ্ছে খুব রাগ। আল্লাহই জানে আমার কপালে আজ কি আছে! আমার দুষ্টু বউটার কপালে রাগ আর বিরক্তির রেখাও ফুটে উঠেছে দেখছি ?। এর মধ্যে বাবা প্রশ্ন করা শুরু করলো। বাবাকে আগেই বলে রেখেছি বেশী প্রশ্ন যেন না করে, ছোট মানুষ ভয় পেতে পারে। তাই বাবা নামটা ছাড়া আর কিছুই জিঙ্গেস করেনি। আমার দুষ্টু বউটার সাথে আমার একটু কথা বলা দরকার। না হলে আয়নার সামনে এই ৭ দিনের দেয়া rehearsal বিফলে যাবে। তা তো হতে দেয়া যায় না। আর আমার দুষ্টু বউটার মতটা কি সেটাও তো জানতে হবে, তাইনা? রাজি না হলে রাজি করানোর চেষ্টা করতে হবে। তাই লজ্জার মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম- আপনারা কেউ যদি মনে কিছু না করেন তাহলে আমি ফাল্গুনীর সাথে একা একটু কথা বলতে চাই। এই কথা বলার সাথে সাথে আমার দুষ্টু বউটা মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে ভূবন ভুলানো মিষ্টি একটা হাসি দিলো। মনে হলো যেন আমার জন্যেই wait করছিল। আর এই কথা বলায় আমার হবু শ্বাশুড়ি অগ্নিমূর্তির রুপ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দেখেই কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে। কেউ হ্যা বলার আগেই আমার দুষ্টু বউটা কিন্তু উঠে দাড়িয়েছে। আমি sure ওর মায়ের মুখটা দেখলে ও উঠে দাড়াতো না। যাই হোক ওর পিছে পিছে একটা রুমে গেলাম। তারপর নিরবতা শুরু হওয়ার আগেই আমি কথা শুরু করলাম।
আমি: তোমার জন্য কিছু gift এনেছি, দেখেছো?
দুষ্টু বউ: না তো, আমি তো জানিই না। কি gift ☺
আমি: chocolate’s, beauty box, dairy আর কিছু cartoon এর CD… জানিনা তোমার পছন্দ হবে কিনা?…..
দুষ্টু বউ: আমার তো শুনেই খুব পছন্দ ?
কথাটা শোনার সাথে সাথে হাটু গেড়ে বসে দুই হাত জোড় করে বললাম।-
আমি: Plz আমাকে ফিরিয়ে দিওনা। আমি তোমাকে খুব ভালো রাখবো, খুব ভালো বাসবো। সব সময় chocolate এনে দেবো, cartoon এর channel এনে দেবো যেন সব সময় cartoon দেখতে পারো। কিচ্ছু করতে হবে না তোমার, সব কাজ আমি করবো। প্রত্যেক সপ্তাহে market-এ নিয়ে যাব। যখন যা চাবে তাই কিনে দেবো। তোমার সব কথা শুনবো। কক্ষনো তোমাকে বকা দেবোনা, রাগ করবো না, কাঁদাবো না। তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসবো। আমায় বিয়ে করবো Plz… (বলে ওর দিকে তাকালাম, সম্মতি পাওয়ার আশায়)
দুষ্টু বউ: আমি কি রাগ করার মতো কোন মেয়ে নাকি, যে রাগ করবেন? আমি তো ভালোবাসার মতো একটা মেয়ে ☺
আমি: হ্যা..?(বাব্বাহ, আমার দুষ্টু বউটা দেখি কথাও জানে)
দুষ্টু বউ: আপনাকে বিয়ে করলে কি দেবেন আপনি আমাকে?
আমি: A bugs’ life animation movie- এর bangla version টা বিয়ের দিন gift করবো।
দুষ্টু বউ: তাহলে চলেন কালই বিয়ে করি ?
আমি: কাল কিভাবে করবো! বিয়ের shopping করতে হবে না? শাড়ী কিনতে হবে আরও কত্তো কিছু কিনতে হবে।
দুষ্টু বউ: শাড়ী? কিন্তু আমি তো শাড়ী পরবো না।
আমি: তাহলে কি পরবে?
দুষ্টু বউ: লেহেঙ্গা…
আমি: আচ্ছা, তাই কিনে দেব। India থেকে নিয়ে আসবো, ওখানে ভালো লেহেঙ্গা পাওয়া যায়।
দুষ্টু বউ: না দেখে আমার ওসব পছন্দ হবে না। আমি দেখে পছন্দ করে কিনতে চাই।
আমি: OK, তাই হবে। আর শোনো, বিয়ের পরে যেহেতু আমার সাথে ঢাকা থাকছো তাই ওখানকার কলেজেই ভর্তি করে দেবো, ওখানেই পড়বে।
দুষ্টু বউ: কি? বিয়ের পরে পড়বো মানে? না, বিয়ের পরে আমি পড়তে পারবো না।
আমি: ইন্জিনিয়ারের বউ… অন্তত HSC টা তো দেবে..
দুষ্টু বউ: না, তাহলে বিয়েই করবো না আমি ?
আমি: আচ্ছা, আচ্ছা.. পড়তে হবে না তোমার। দরকার হয় যা পড়েছো সেগুলিও ভুলে যাও। তাও না করোনা বিয়েতে Plz….
দুষ্টু বউ: বিয়ের পরে আবার পড়তে বলবেন না তো ?
আমি: নাহ, কক্ষনো না।
দুষ্টু বউ: এবার উঠুন.. সামনের সপ্তাহে বিয়ের date fixed করুন।
আমি: কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে সবকিছু manage করবো ?। (উঠে দাড়াতে দাড়াতে বললাম)
দুষ্টু বউ: এই না বললেন আমার সব কথা শুনবেন ?, এখন তো দেখছি….
আমি: আরে না না.. বিয়ে সামনের সপ্তাহেই হবে।
দুষ্টু বউ: বিয়ের দিনই যেন cartoon এর cd টা পাই। নাহলে কিন্তু কবুল বলবো না….?
আমি: OK… সময় যেহেতু কম তাই আমি কাল বাসায় যেয়েই টাকা পাঠিয়ে দেবো। তুমি তোমার পছন্দ মত ornaments আর বিয়ের shopping টা করে নিও। আর বিয়ের দিন পার্লারে যেতে হবে না, আগে থেকেই বলে আাসবে যেন এসে সাজিয়ে দিয়ে যায়। ১০ লাখ দিলে চলবে?
দুষ্টু বউ: হুম, কিন্তু আপনি থাকবেন না shopping এর সময়?
আমি: না, ওদিকেও তো সব manage করতে হবে তাইনা? সেজন্যে আসতে পারবো না। তুমি তোমার আপু আর আম্মুর সাথে shopping টা করে নিও। (আসলে আমার দুষ্টু বউটার আম্মুকে দেখলে আমার ভীষণ ভয় লাগে, তাই একেবারে বিয়ের দিনই আসবো)
দুষ্টু বউ: হুম….☺
আমি: এখন চলো যাই, বাইরে সবাই wait করছে আমাদের জন্যে..
দুষ্টু বউ: হুম, চলেন ?….
আমি: আর যাই করো, বিয়ের দিন বেশী সেজোনা যেন। নাহলে heart attack করে মরে যাবো ??। ( যেতে যেতে ওর দিকে না তাকিয়েই বললাম)
দুষ্টু বউ: ???
তারপর বিয়ের date fixed করে চলে আসলাম ???

l’m really impressed.. এতো বড় একটা মানুষ যে এভাবে request করতে পারে আমার জানা ছিল না ?। আজ TT করে টাকা পাঠিয়েছে shopping এর জন্যে। আপু এসেছে, কাল shopping এ যাব। পুরো বাড়ীতে বিয়ের আমেজ। কেমন যেন ঈদ ঈদ লাগছে ?। এখন শুধু অপেক্ষা বিয়ের। বিয়ে হলেই তো CD টা পাবো ?
?????: অবশেষে মধ্যাকর্ষনে ঝুলে থাকা আমার অপেক্ষার মুহুর্তটা চলেই এলো। বিয়েটাও হয়ে গেল। সত্যি.. CD টা না দেখে কিন্তু কবুল বলেনি ?। ভাগ্যিস সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম। বিদায়ের পর গাড়িতে বসে আছি। শুনেছি সব মেয়েরা নাকি শ্বশুড় বাড়ী যাওয়ার সময় বাবা-মার জন্যে অনেক কান্না করে। আমার দুষ্টু বউটা কিন্তু একদম ব্যতিক্রম, একটুও কাঁদেনি। গাড়িতে আমার পাশে বসে আছে, আর গাড়ি ছাড়ার জন্যে আমাকে তাড়া দিচ্ছে। ওর কাছে বিয়েটা মানে cartoon দেখা, এ জন্যেই মনেহয় এত তাড়া।
দীর্ঘ journey শেষে বাসায় পৌছলাম। সবাইকে আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম কেউ যেন আমার দুষ্টু বউটা কে বিরক্ত না করে, সাথে আমাকেও। তাই রাত ১০ টার মধ্যে পৌছে গেলাম বাসর ঘরে। আমি শুনেছি সব মেয়েরা নাকি তাদের বর ঘরে ঢোকার সাথে সাথে উঠে এসে সালাম করে। আর আমার বউ ঢোকার সাথে সাথে ঘোমটা তুলে বললো।-
দুষ্টু বউ: আমি কিন্তু তোমাকে আপনি করে বলতে পারবো না, তুমি করে বলবো। এই আপনি বলাটা না আমার স্বভাবের সাথে যায় না।
আমি: আচ্ছা…?
দুষ্টু বউ: এবার বলো, এতো দেরী হলো কেন আসতে ??
আমি: Sorry….Sorry..
দুষ্টু বউ: ঘরটা ভীষণ সুন্দর করে সাজিয়েছো। গোলাপ আর রজনীগন্ধা ভীষণ পছন্দ আমার।
আমি: ছাদটাও অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছি, যাবে? চল যাই..
দুষ্টু বউ: নাহ, এখন না। পরে যাব…
(সব মেয়েরা নাকি বিয়ের রাতে চাঁদ দেখে। এই মেয়ে দেখি আমার সব ধারনা ভুল প্রমাণিত করছে। মনে করেছিলাম আমার বউ মনে হয় ছাদে যেয়ে দোলনায় বসে চাঁদ দেখবে। অবশ্য সবাই মনে হয় বাসর রাতে চাঁদ দেখে তাদের ছেলে-মেয়ে হলে যেন সুন্দর হয় এই জন্য। আমার দুষ্টু বউটা এমনি অনেক..অনেক.. অনেক বেশী সুন্দর। আমার ছেলে-মেয়ে এমনিতেই অনেক সুন্দর হবে)
আমি: তাহলে..
দুষ্টু বউ: CD টা play করো, দেখবো..
আমি: OK….তাহলে dress change করে fresh হয়ে এসে বসো।
দুষ্টু বউ: আল্লাহ, কি বলো তুমি ?! Dress change করবো কেন? এতো কষ্ট করে সাজলাম, দেখবে না তুমি ?
আমি: হ্যা দেখবোই তো ?
দুষ্টু বউ: আর তাছাড়া বিয়ের dress কি রোজ রোজ পড়বো নাকি। নতুন dress পড়লে আমার change করতে ইচ্ছা করে না। এটা আমি ৩ দিন পড়ে থাকবো।
আমি: ( বলে কি এই মেয়ে ?) গোসল করবে না তুমি।
দুষ্টু বউ: নাহ, কোন problem তোমার?
আমি: একদম নাহ ?….
দুষ্টু বউ: তাহলে CD টা play করো।
আমি: আচ্ছা, আমি তাহলে dress টা change করে আসি..
দুষ্টু বউ: না, পড়ে থাকো। একদম change করবে না।
আমি: OK.. (Laptop এনে CD টা play করলাম)
দুষ্টু বউ: এই আমার না খুব ক্ষুধা লেগেছে, খাবো…
আমি: OK..তুমি cartoon দেখো, আমি খাবার নিয়ে আসি। (খাবার নিয়ে এসে খাইয়ে দিতে লাগলাম। আর ও কোন সংকোচ ছাড়াই খেতে থাকলো। যেন আগে থেকেই জানতো যে আমি ওকে খাইয়ে দেবো….খাওয়া শেষ.. ও cartoon দেখছে আর আমি ওকে দেখছি। ঘরে কোন আলো নেই, শুধু laptop এর আলো। এই আলোতেই আমি আমার দুষ্টু বউটাকে দেখছি। অসম্ভব সুন্দর লাগছে, যা বলার ব্যাখ্যা রাখে না। ওকে দেখলেই আমার ভালো লাগার অনুভূতি গুলি খুব বেশী কাজ করে ?। মানুষ এতো সুন্দর হয়। ওকে না দেখলে জানতামই না। আমি তো মন্ত্রমুগ্ধের মতো আমার দুষ্টু বউ টাকে দেখছি, এর মধ্যে cartoon যে কখন শেষ হয়েছে, বুঝতেই পারিনি)
দুষ্টু বউ: এই যে cartoon তো শেষ এখন চলো ছাদে যাই। ( আমার মুখের সামনে হাত এনে তুড়ি দিয়ে বললো কথাটা)
আমি: হ্যা চলো..(ছাদে এসে তো ও ভীষণ খুশি)
দুষ্টু বউ: ছাদটা সবসময় এমন lighting করে রাখবে, ঠিক আছে ☺?
আমি: তুমি যা বলবে তাই হবে, আমার সোনা বউ ?…
ঘন্টা খানেকের মতো ছিলাম ছাদে। আমার দুষ্টু বউটা অনেক সুন্দর করে কথা বলে, শুধু শুনতেই ইচ্ছা করে। ওর expression গুলি অনেক attractive..আমার মুগ্ধতা ভাঙিয়ে আমার দুষ্টু বউ টা বলে উঠলো।-
দুষ্টু বউ: রাত তো অনেক হলো। ঘুম পাচ্ছে খুব, চলো শুয়ে পড়ি ☺
আমি: হুম চলো। (এখন tension হচ্ছে, আমাকে আবার খাটে শুতে দেবে তো ?। ভয়ে ভয়ে খাটে যেয়ে বসলাম। ও চুড়িগুলি খুলছে আর আড়চোখে আমাকে দেখছে। তারপর আমাকে বললো- শুধু তাকিয়েই থাকবে নাকি ornaments গুলি খুলতে আমাকে একটু help করবে, কোনটা ??
আমি: অবশ্যই help করবো ?…(ornaments গুলি খুলে দিলাম, সাথে চুলের খোপাটাও..অসাধারন লাগছে দেখতে ?। সত্যি করেই ও dress change করলো না, আর আমাকেও করতে দিলো না। বালিশ ঠিক করে লক্ষী ছেলের মত শুয়ে পড়লাম,যদিও জড়িয়ে ধরে শুতে খুব ইচ্ছা করছে)
দুষ্টু বউটা আমার একদম কাছে এসে বসেছে। মনে হচ্ছে এখন যদি জড়িয়ে না ধরি তাহলে মনেহয় মরেই যাবো ?। তারপরও নিজেকে control করলাম। বউ হারানোর চেয়ে নিজেকে control করা অনেক ভালো। হাতটা বুকের উপর রেখে শুয়ে আছি। বউ আমার বালিশে না শুয়ে আমার হাতটা সোজা করে হাতের উপর শুয়ে আমাকে ধরে গালে একটা ছোট্ট kiss করে বললো ?- cartoon টা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। (লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে বললো)
তারপর light টা off করে দিতে বললো। যেহেতু ও আমাকে ধরে শুয়েছে তাই Bed switch টা off করে দিয়ে জড়িয়ে ধরে ওকে support করলাম। আমার জন্য আপাতঃত এইটুকুই enough.. __

Cartoon দেখলে কি হবে, সারারাত জড়িয়ে ধরেই শুয়ে ছিল। একটা সেকেন্ডের জন্যও আমাকে ছাড়েনি। এরকম মুহুর্ত পাওয়ার জন্য আমি রোজ ১টা করে cartoon এর CD এতে দিতে রাজি আছি ???…

: যা ভাবছেন তা না, নামাজ বাদ দেইনি। দুই জনই নামাজ পড়েছি। আল্লাহ কে কথা দিয়েছি রাখতে তো হবেই, তাইনা ??
আজ শ্বশুড়বাড়ি থেকে আমাদের নিতে আসবে। কিন্তু আমার দুষ্টু বউটা কিছুতেই যেতে রাজি না। আমি সহ বাড়ির সবাই তাকে রাজি করাতে অক্ষম। বলেছে সে এতো journey করতে পারবেনা। আর তাছাড়া বাড়িতে তো dish line নেই বাড়িতে গেলে cartoon দেখবে কিভাবে? তাই বাড়িতে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ১০ দিন পরে যাবে, বিয়েটা মানে cartoon দেখা কিনা ?। শ্বশুড় বাড়িতে phn করে কথাটা জানালাম। বললাম সবাই যেন এসে দেখে যায়। আর ১০ দিন পর আমরা একাই যাবো। এভাবে আসতে তারা রাজি না, একেবারে ১০ দিন পরেই আসবে আমাদের নিতে। কিন্তু আমি তো আগে থেকেই সব কিছু arrange করে ফেলেছি, এই কথা বলতেই আসতে রাজি হলো তারা। আমার কথা সবাই শোনে, আর আমি শুনি আমার দুষ্টু বউটার কথা। কি করবো ভীষণ ভালোবাসি যে ?। আর তাছাড়া আমার দুষ্টু বউটা আমার কাছে কোন অন্যায় আবদারও করে না….
?????: অপেক্ষার মুহূর্তগুলি মধ্যাকর্ষনে আটকে থাকে, আর সুখের মুহূর্তগুলি পানির স্রোতের মতো ভেসে চলে যায়। দেখতে দেখতে আমাদের বিয়েরও ৫ টা বছর পূর্ণ হয়ে গেল। কিন্তু এখনও রোজ রাতে ছাদে ঠিক তেমনই আলোর ফোয়ারা ছোটে যেমনটা ছুটেছিলো বিয়ের রাতে ?। এখন আর আমার দুষ্টু বউটা cartoon দেখে না। কি ভাবছেন, movie দেখে? না তার আর দরকার হয়না। কারণ রোজ রাতেই আমাদের ঘরে romantic movie হয় ?। TV তে খবর দেখা আমার পছন্দ না। ঘরের খবর যদি আমি না জানি, তাহলে কি করবো আমি দেশের খবর জেনে। সময়ই পাই শুধু একটু ছুটির দিনে আর cricket, football match দেখে আমি সময়টা নষ্ট করতে চাইনা.. আমি আমার পুরো সময়টা আমার লক্ষী j@@n টাকে দিতে চাই ?। রান্না টা প্রথমে আমিই করতাম, ও শুধু help করতো। Job করি বলে আমাকে এখন আর রান্না করতে দেয়না, help করি আমি। কিন্তু ছুটির দিন টা রান্নাঘরে ওর প্রবেশ নিষেধ, এই দিনে রান্নাটা আমি করি তাই। পড়াশোনার প্রতি ও আর কোনদিন কোন আগ্রহ দেখায়নি। তাই আমিও আর সে প্রসঙ্গ তুলে ওকে হারাতে চাইনি। মানুষ পড়াশোনার কথা জিঙ্গেস করলে বলি…(এতো সুন্দর বউ আমার, বাইরে যে পড়তে দেবো.. যদি কেউ আমার সোনা বউটাকে নিয়ে যায়, তখন আমার কি হবে? তাই safe এ রেখেছি ?।)
আমি আমার এই দুষ্টু বউটা কে ভীষণ ভালোবাসি। বিয়ের আগে আমি ওকে যে কথা দিয়েছি তা আমি রেখেছি, আর রাখার চেষ্টা করবো শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত।
ও বলাই তো হয়নি, কাল আমার একটা দুষ্টু মেয়ে হয়েছে ?☺। দুষ্টু হলে কি হবে, খুব sweet ওর মায়ের মতোই। প্রচুর tension-এ ছিলাম ?। কারণ আমার দুষ্টু বউটা সিজার করতে নারাজ। তাই আমাদের sweet baby টা নরমালেই হয়েছে। খুব কষ্ট হয়েছে ওর। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটা baby-ই enough, আর দরকার নেই। চৈত্র মাসে হয়েছে তাই নাম রাখতে চাইলাম চৈতালী। ফাল্গুনীর মেয়ে চৈতালী ?। কিন্তু আমার দুষ্টু বউটা তা রাখতে দিলো না। বললো- তুমি যেমন আমাকে ফাল্গুনের ফুল বলে ডাকো তেমন তোমার মেয়ে কে সবাই চৈত্রের খরা বলে ডাকবে। সেটা কি ভালো শুনাবে? তাই আমার দুষ্টু বউটা আমার দুষ্টু মেয়ের নাম রাখলো Samayra, আমার নামের সাথে মিলিয়ে ?…. যেহেতু আমি এখন আমার শ্বশুড়বাড়িতে অবস্থান করছি, তাই গ্রামের সব মহিলা আমার sweet baby টাকে দেখতে এসেছে। এদের মধ্যে একজন বলে উঠলো- মেয়ে হয়েছে, তাহলে তো বিয়ে দিয়ে শ্বশুড়বাড়ি তেই পাঠিয়ে দিতে হবে।
আমি: আমার শ্বশুড়ের তো দুই মেয়ে। তাই বিয়ে দিয়ে শ্বশুড়বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার তো একটাই মেয়ে। আমি ঘর জামাই রাখবো, বিয়ের পূর্ব শর্ত হচ্ছে ঘরজামাই থাকতে হবে। নাহলে মেয়ে দেবোনা। মেয়ে হচ্ছে আমার কলিজার টুকরা, ওকে ছাড়া তো আমি থাকতেই পারবো না। (মেয়েকে কোলে আগলে ধরে চুমু খেয়ে বললাম)…
দুষ্টু বউ: তোমার মেয়ে যদি কলিজার টুকরা হয় তাহলে আমি কি, হ্যা? (আস্তে আস্তে বললো)
আমি: আমার কলিজার দুইটা part, তুমি জানোনা? 1st part হচ্ছো তুমি আর 2nd part হচ্ছে আমাদের আদরের এই রাজকণ্যাটা ?।
দুষ্টু বউ: হুম, জানি তো ?।
আমার life এ আমি ভীষণ happy.. আমার দুষ্টু বউটা আমার অন্নেক take-care করে। আসলে আমি এমন একজন কে ভালোবাসি যার হৃদয় জুড়ে শুধুই আমি ?। আল্লাহর কাছে শুধু এতটুকু চাওয়া আমার.. এই সুখময় মূহুর্তগুলি যেন আমার জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত থাকে ???…..(সমাপ্ত)
Some words for viewers: যারা গল্পে twist পছন্দ করেন, তাদের জন্যে আমার এই গল্প না। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই কষ্ট আছে। সে কম হোক আর বেশী হোক। তাই কষ্টের কোন গল্প লিখে তাদের জীবনের কষ্টগুলি আর বাড়াতে চাইনি। চেয়েছি যাদের জীবনে কষ্ট আছে তারা যেন আমার লেখা গল্পটা পড়ে কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও নিজের জীবনের কষ্টগুলিকে ভুলে থাকতে পারে। জানিনা আমার চাওয়া টাকে আমি পূর্ণতা দিতে পেরেছি কিনা। সেটা বিচার করার ভার নাহয় আমি আপনাদের হাতেই দিলাম।…..
?Farzana?

 

error: ©<b>গল্পপোকা ডট কম</b>