Wednesday, August 20, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2385



♥Love At 1st Sight $2 Part – 14

0

Love At 1st Sight $2

Part – 14

writer-Jubaida Sobti

সবশেষে, সবাই ঘুমিয়ে পড়লো.. সারাদিনের ক্লান্তি.. কিন্তু স্নেহার ঘুমই আসছে না… যা আজ ঘটলো… ভাবতেই স্নেহা ব্লাশিং…?

এদিকওদিক কাত ফিরছে.. ছটফট করছে…কোনো ভাবেই…ঘুম আসছে না…উঠে বসে পড়লো..

স্নেহা : [মনেমনে] কি আজিব! আমার ওকে এতো মনে পড়ছে কেনো..রাতের ঘুমটাও হারাম করে দিয়েছে মিষ্টার তেডি স্মাইল..

[ স্নেহা উঠে জানালা দিয়ে উকি দিলো… রাহুলের রুমের বাতি এখনো জলে আছে.. তার মানে…মিষ্টার তেডি স্মাইল ও এখনো ঘুমাইনি..স্নেহা গায়ে চাদর মুড়িয়ে… উঠোন পেড়িয়ে রাহুলের রুমের দিক গেলো.. দরজার সামনে দাড়াতেই রাহুল দরজা খুলে ফেললো… ]

স্নেহা : [ Shocked হয়ে ] তুমি কিভাবে জানো… যে আমি এসেছি ?..?

রাহুল : ব্যাস! জেনে যায় আরকি?

স্নেহা : যখনি আসি! হঠাৎ করে তুমি চলে আসো.. তুমি কিভাবে জেনে যাও….

রাহুল : [ স্নেহাকে টেনে ভেতরে ঢুকিয়ে ] ব্যাস মিস্ ড্রামাকুইন…হার্টকানেকশন… ? যখনি তুমি আমার আশেপাশে আসো আমার heartbeat fast হয়ে যায়…?

স্নেহা : [ ব্লাশিং ] আমারও?

রাহুল : ওহ! রিয়েলি ?[ রাহুল স্নেহার দিক এগুতে লাগলো ]

স্নেহা : দেখো আজেবাজে কান্ড করবানা…আমি সিরিয়াসলি কিছু কথা বলতে এসেছি…

রাহুল : [ স্নেহাকে কাছে টেনে ] হ্যা এবার বলো…?

স্নেহা : আরে! তুমি ধরে রাখলে আমি কিছইু বলতে পারবো না…?

রাহুল : আচ্ছা! আমি ধরলে তোমার কি হয়?

স্নেহা : শর্ট লাগে..?

রাহুল : [স্নেহার কানের কাছে এসে in slow voice ] তাহলে ধরেই রাখি?…?

স্নেহা : [ রাহুলকে ধাক্ষিয়ে ] কি বলছো কি?

রাহুল : [ হেসে ]?? ওকে রিলেক্স it’s not a pressure ?

স্নেহা : [রাহুলের গাল টেনে দিয়ে] আজকের গানটা অনেক সুন্দর ছিলো?..

রাহুল : তাই!?

স্নেহা : আমার পুরা কথা শেষ হয়নি এখনো.. কথার মাঝে কথা বলবানা..?

রাহুল : ওকে ওকে!..?

স্নেহা : I love you ?[ বলেই পেছন ফিরে যায় ]

[ রাহুল পেছন থেকে স্নেহার কোমড়ে হাত দিয়ে স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে…?]

রাহুল : i love you too মিস্ ড্রামাকুইন!?

স্নেহা : [রাহুলের দিক ফিরে] ফাইনালি মিষ্টার চাছোড়াকে ড্রামাকুইন তার ভালোবাসার জালে ফাঁসিয়েই নিয়েছে…?

রাহুল : Shut-up don’t call ne that ok?..

স্নেহা : কেনো?..অবশ্যই এটা ডাকবো..কথা নেই বার্তা নেই..চ্যালেঞ্জ ধরেই মিস্ ইউনিভার্সের সাথে রিলেশন করে বসলে…?

রাহুল : আমার ভুলগুলিই খালি চোখে পড়ে তোমার ভালোগুলো পড়ে না?..

স্নেহা : ভালোকিছু থাকলেই তো পড়বে,?

রাহুল : ওকে! তুমি আমাকে তোমার নাম বলেছিলে?..?

স্নেহা : [কিছুক্ষণ ভেবে] নাহ তো!

রাহুল : 2nd দিনই আমি তোমাকে স্নেহা বলে ডেকেছি..?খেয়াল করেছো?…

স্নেহা : ?

রাহুল : তোমাকে যেদিন ফার্ষ্ট হোষ্টেলে পৌছে দিচ্ছিলাম..তুমি আমাকে তোমার হোষ্টেলের ঠিকানা বলেছিলে?…

স্নেহা : নাতো..?.

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] স্নেহা! তুমি যে প্রজেক্ট ক্লাসে, নেহার নাম চেঞ্জ করে তোমার নাম বসিয়ে দিচ্ছিলে..সব আমি দেখেছিলাম…কারণ আমার নজর ২৪ ঘন্টায় তোমার মধ্যেই থাকতো.. তুমি কোথায় যাচ্ছো না যাচ্ছো সব খবরই আমার কাছে আসতো… বাসায় বসে শুধু তোমার অপেক্ষায়…করতাম যে কখন বিকেলে তুমি আসবে…বারান্দায় দাঁড়িয়ে লুকে লুকে তোমায় দেখবো.. আর তোমার ঝুমুর পড়া নাচ…তোমার দুষ্টুমির ভঙ্গী…

স্নেহা! আমার আশেপাশে মেয়ের অভাব ছিলো না! অনেক মেয়ে দেখেছি… কিন্তু তাদের মাঝে তোমাকেই আমি চেয়েছি…কেনো জানো?..

তাদের চোখে আমি ঐ ভালোবাসাটা দেখিনি…যেটা তোমার চোখে দেখেছি..

স্নেহা! তোমার প্রশ্ন ছিলো…সামির তোমাকে মার্মেড কেফ না নিয়ে গিয়ে যে বারের মধ্যে নিয়েগেছে তা আমি কি করে জানলাম…

আমি জানতাম সামিরের উদ্দেশ্য কি…আমি তোমাকে বার বার বুঝিয়েছি কিন্তু তুমি বুঝোনি…তোমাদের আগেই গিয়ে আমি মার্মেড কেফ পৌছায়…এবং সামিরের গাড়ী ফলো করি, আমি যে তোমাদের ফলো করছিলাম তা সামির বুঝতে পেরেছিলো…তাই ও আমাকে ফাঁকি দিয়ে…তোমার সাথে?

স্নেহা : [ রাহুলের মুখে হাত দিয়ে ] ওকে!?

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে..একপায়ের হাটু গুটিয়ে মাটিতে বসলো ] স্নেহা will you marry me?..?

[স্নেহার বুক ফেটে কান্না আসছিলো…? সে জানতো না যে কখনো কেউ তাকে এভাবে ভালোবাসবে…ভাবতেই অবাক লাগছে.. চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো স্নেহার না না…এই জল কোনো দুঃখ্যের জল নয়…এটি তো খুশির জল]

রাহুল : কি হলো স্নেহা?..?

স্নেহা : [চোখ মুছে একটু হেসে..মাটিতে বসে পড়ে..] হুহ! এভাবে বললে হবে না…আমার সালমান খানের মতো করে বলতে হবে…?

রাহুল : রিয়েলি! এই টাইমেও ড্রামা করবা?..?

স্নেহা : মোটেও ড্রামানা… যা বলছি তা করো নাহলে বিয়ে করবো না…?

রাহুল : মানে! এমনি এমনি বলিনি যে তুমি ড্রামাকুইন!..?

স্নেহা : ? বলবা নাকি না?..

রাহুল : ওকে ওকে! মুজসে্ শাদী কারোগী স্নেহা?

স্নেহা : [ ?হেসে রাহুলের গাল টেনে তাকে ঝড়িয়ে ধরলো ] তাহলে আমি ড্রামাকুইন হলে তুমি হলে ড্রামাকিং.. ?

রাহুল : [ স্নেহাকে ঝড়িয়ে ] Shut-up তোমার ড্রামার কারণেই আমার ড্রামা করতে হচ্ছে..

[ গল্প করতে করতেই রাহুলের বুকে রাত কাটিয়ে দিলো স্নেহা ]

স্নেহা : আরে কটা বাজে?..?

রাহুল : ৪:০০ টার কাছাকাছি…

স্নেহা : ওকে বাই! আমি এখন যায়.. [ স্নেহা উঠে চলে যাচ্ছে ]

রাহুল : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে স্নেহার হাত ধরে ] কই যাও!

স্নেহা : ছাড়ো পরে কেউ দেখে ফেলবে!

রাহুল : একবার ছাড়লে কিন্তু আর ধরছি না..?

স্নেহা : কি বললে?

রাহুল : রিলেক্স স্নেহা! জাষ্ট কিডিং ..

স্নেহা : এসব মজা আমার মোটেও..পছন্দ না রাহুল!?

রাহুল : [ স্নেহাকে ঝড়িয়ে ] ওকে ওকে m sorry…m sorry

[ স্নেহা শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে আছে রাহুলকে…]

স্নেহা : ইচ্ছে হচ্ছে! সারাজীবন এইভাবে কাটিয়ে দেই..

রাহুল : এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে তো আমার পা ব্যথা করবে!?

স্নেহা : [ মাথা তুলে রাহুলের গালে আস্তে করে একটা থাপ্পড় দেই ?] ইডিয়ট একটা বাই!

[ স্নেহা চলে গেলো.. রাহুল ব্লাশিং?]

স্নেহা ও ব্লাশিং হতে হতে রুমে ঢুকছিলো..হঠাৎ পেছন থেকে..

মা : কোথায় গিয়েছিলি?..

স্নেহা : [ Shocked? ]

মা : [স্নেহাকে নাড়িয়ে] কি হলো? স্নেহা! আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি?..

স্নেহা : মা!? আসলে!

মা : ছিঃ ছিঃ ছিঃ পুরো বাড়ীর নাক কাটাতে বসেছিস স্নেহা তুই! এতো রাতে একটা পর পুরুষের রুম থেকে আসছিস..

স্নেহা : মা! তুমি যা ভাবছো তেমন কিছুই না!?..

মা : খবরদার তোর এই নোংরা মুখে আমাকে মা ডাকবিনা!

মিলি : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] আরে স্নেহা! মা! কি হয়েছে?..?

মা : কি হয়েছে না! কি কি হয়নি তা জিজ্ঞেস কর ওর থেকে..? আমার তো ওর চেহেরা দেখতেই ঘৃণা লাগছে..

বাড়ীতে বসে বসে কাল সাপ পৌষছিলাম এতোদিন..

স্নেহা : মা! আমার কথাটাতো শোনো প্লিজ!?

[ মা,স্নেহাকে সজোড়ে একটি থাপ্পড় মারে,স্নেহা আনব্যালেন্সে থাকায় মিলির উপর গিয়ে পড়ে ]

মিলি : [ স্নেহাকে ধরে] আরে! মা! কি করছোটা কি.. ?

মা : পড়ার নাম আর মুখে? আনবিনা! শান্তিপুরের প্রস্তাবটা এখনো মুখ চেয়ে আছে…? আজই তোর বাবাকে বিয়ের কথা বলে…তাড়াতাড়ি এইঘর থেকে দূর করবো তোকে… নাহলে না জানি আরো কি কি কান্ড করে বসিস! [ স্নেহার মা চলে গেছে ]

[ স্নেহা কান্নায় ভেঙে মাটিতে বসে পড়ে ]

মিলি : স্নেহা! কাঁদিস না! প্লিজ! মা হয়তো রেগে গিয়ে এসব বলেছে..!

স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে] আমি কিছু করিনি শুধু ওর রুমে গিয়েছিলাম!?

মিলি : শোন! তুই রাহুলকে ভালোবাসিস!?

স্নেহা : [ মাথা নাড়ালো ] হুম?

মিলি : তাহলে যা! ওকে নিয়ে পালিয়ে যা!

স্নেহা : পালাবো মানে! কিন্তু কেনো?..

মিলি : স্নেহা! তুইতো মা কে চিনিস! মা কখনো তোর আর রাহুলের সম্পর্ক মেনে নেবে না! বাবাকে ওল্টাপাল্টা বুঝিয়ে দেবে ওর সম্পর্কে…

স্নেহা : না..নাহ এটা কিভাবে করবো…যে পরিবার আমাকে ছোট থেকে আশ্রয় দিয়েছে… আমি সে পরিবারকে..কিভাবে ঠকাবো!

মিলি : স্নেহা এখন আর এসব ভেবে কিছু করতে পারবি না!?…আমার কথা শোন!

স্নেহা : আমার জন্য একটা কাজ করতে পারবে! প্লিজ!

মিলি : বল!?

স্নেহা : তুমি রাহুলকে গিয়ে একটু বলেদিতে পারবে…যাতে ও এক্ষুনি..চলে যায়…

মিলি : স্নেহা!?

স্নেহা : প্লিজ প্লিজ প্লিজ!??

মিলি : আচ্ছা ঠিকাছে! [ মিলি চলে গেলো ]

[ স্নেহা রুমে ঢুকে আয়নার সামনে দাঁড়ায়…অনেক্ষণ তাকিয়ে থাকে নিজের চেহেরার দিকে…মুখের মধ্যে আংগুলের লাল ছাপ বসে আছে.. যা স্নেহাকে তার অতীত মনে করিয়ে দিচ্ছে..ভাবতেই চোখ থেকে অশ্রু ঝড়ে পড়ছে..কেনো এমন কেনো জীবনটা…? ]

হঠাৎ, হুট করে দরজা খোলার শব্দ..স্নেহা ফিরে তাকাতেই দেখে রাহুল..

স্নেহা তাড়াতাড়ি মুখ লুকিয়ে অন্যদিকে ফিরে যায়,

রাহুল : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] স্নেহা ?..কি শুনছি এসব?…তুমি বলেছো আমাকে চলে যেতে…

স্নেহা : দেখো রাহুল তুমি এখানে কেনো এসেছো প্লিজ! বেড়িয়ে যাও…?

রাহুল : আমার দিকে তাকাও স্নেহা! আমি বলছি তোমার মায়ের সাথে কথা!…আর তুমি পেছন ফিরে মুখ ঢেকে আছো কেনো?…

স্নেহা : বুঝো না কেনো প্লিজ রাহুল তুমি..বেড়িয়ে..

[ রাহুল একটানে স্নেহাকে তার দিকে ফেরায়… স্নেহার চেহেরা দেখে রাহুল নিস্তব্ধ?হয়ে যায়…স্নেহার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে..মুখের মধ্যে চড়ের ছাপ..]

রাহুল : স্নেহা! এসব??

কে মেড়েছে তোমাকে??

[ রাহুলের আর বুঝার বাকি রইলো না রেগে স্নেহার হাত ধরে রুম থেকে বেড়িয়েই যাচ্ছিলো.. স্নেহা বুঝতে পারলো রাহুল মায়ের কাছেই যাচ্ছে… স্নেহা রাহুলের হাত ধরে আটকিয়ে ফেলে..]

[ স্নেহা অভিমান আটকাতে না পেরে রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে ফেলে…রাহুলের বুকে মাথারেখে ফুফিয়ে কেঁদে দিলো স্নেহা ]

[রাহুলের রাগ বাড়তেই চলছে স্নেহার ফুফিয়ে কাদার শব্দ শুনে]

স্নেহা : ? প্লিজ! রাহুল কিছু বলো না! ওনার হক আছে আমার উপর!…তাই উনি আমাকে মেরেছে…?

ছোট বেলা থেকেই নিজের মেয়ের মতো করে…পেলেছে…এই অধিকারটা তো অন্তত ওনার আছে..?

[ স্নেহার কথা শুনে রাহুল একটু অবাক হলো ]

রাহুল : নিজের মেয়ের মতো করে মানে..? উনি তোমার আসল মা নাহ?..

চলবে…..

♥Love At 1st Sight $2 Part : 13

0

Love At 1st Sight $2

Part : 13

writer-Jubaida Sobti

স্নেহা : দেখো প্লিজ! যেতে দাও আমাকে..?

রাহুল : আমি কি তোমাকে ধরে রেখেছি?? যাও!..

স্নেহা : সরে দাঁড়াও…?

রাহুল সরে দাঁড়ালো..স্নেহা চলে যেতে চাইলে রাহুল আবারো স্নেহাকে টেনে…একই জায়গায় দাড় করাই…?

রাহুল : [স্নেহার কাছে মুখ এনে..] কেনো এসেছিলে…বলো..?

স্নেহা : গী..গীতালি.. বলেছিলো..তুমি নাকি খাওনি..তাই..?

রাহুল : হ্যা তো…খাবার এনেছো?..?

স্নেহা : না..নাহ তো..?

রাহুল : তাহলে পেট ভরবে কিভাবে?..

[ Rahul try to kissed sneha??]

স্নেহা : [ মুখে হাত দিয়ে ] ছিঃ ?

রাহুল : What!?

স্নেহা : এসব কি করছো…?

রাহুল : কেনো লজ্জা লাগছে??

[Sneha’s heart beating fast ?]

রাহুল : Come on sneha! পেয়াস্ লাগিহে মেঠানা তো পাডেগা…?

[Rahul again try to kissed sneha ??] [স্নেহা রাহুলকে ?জোড়ে ধাক্ষা দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে…রাহুল হাসতে থাকে ]

[রুমে গিয়ে স্নেহা মিটিমিটি হাসে..]

মিলি : [স্নেহার পাশে বসে] হুম! তাহলে বাবাকে ও বলতে হচ্ছে…যে ছোট মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থাটাও করে নাও…বর মিলে গেছে..?

স্নেহা : [মিলির মুখ চেপে ধরে] আপু???

মিলি : আমার মুখ চেপে ধরে লাব নেই..আমি সব দেখেছি…?

স্নেহা : না আসলে?…আচ্ছা শোনো না..

[ স্নেহা তার বড় বোন মিলিকে সব খুলে বলে]

মিলি : আরেহ! এখন তো ও বলে দিয়েছে…বেচারা কে এত্তো কষ্ট দিচ্ছিস কেনো..বলতো?

স্নেহা : আরেহ! একটু নাচিয়ে দেখছি আরকি..কতোটুকু সজ্য করতে পারে?

মিলি : তুই ও না স্নেহা…?

স্নেহা : আচ্ছা হয়েছে এবার যাও ঘুমিয়ে পড়ো নাহলে কাল ফেকাসে লাগবে?

মিলি : আচ্ছা শয়তান?

পরদিন সকালে,

স্নেহার বাবা : আরেহ রাহুল! কোথায় যাচ্ছো…

রাহুল : এইতো একটু এইদিকটা যাচ্ছিলাম… [ রাহুল মনে মনে..ভাবতে লাগলো বাব্বা এত্তো খুশি লাগছে নিলাজ সাহেবকে কি ব্যাপার ]

স্নেহার বাবা : ওহ আচ্ছা যাও যাও! তবে খেয়েছো তো?..

রাহুল : জি খেয়েছি? কি ব্যাপার আংকেল অনেক খুশি মনে হচ্ছে..?

স্নেহার বাবা : ও হে! আমার মেয়েকে আজ বর পক্ষ দেখতে আসছে…অবশ্য ওরা আগে থেকেই…ওকে দেখে ঠিক করে রেখেছে…আজ আংগটি পড়াতে আসছে.. বিয়েটা কদিন পরেই…হয়ে যাবে…শোনো..বিয়েটা কিন্তু খেয়েই যাবে..?..

[রাহুল হতভাগ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে..কি শুনলো ও?…]
স্নেহার বাবা : আচ্ছা আমি আসি কেমন! তোমার কিছু লাগলে হরিকে বলো..

[ স্নেহার বাবা চলে গেলো ]

রাহুল গিয়ে চারদিক খুজছে স্নেহাকে…

পিছনের উঠোনে গিয়ে দেখে…সব মেয়েরা…নানারকম খাবারদাবার বানাতে ব্যস্ত..আর মহারাণী স্নেহা…খড়ের উপর বসে পা নাড়িয়ে নাড়িয়ে দেখছে…

রাহুলকে দেখে স্নেহা দাড়িয়ে যায়,

স্নেহার মা : আরে বাবা তুমি?..কিছু লাগবে…নাকি?

রাহুল : No আন্টি am alright..

রাশু : মা! জানো অনি ..ঐদিন..কি বলেছে… ওনার নাকি বাসার খাবার গুলো পছন্দ না..তাই রেষ্টুরেন্টে খাবে..?

আর স্নেহা আপু…আমাকে দিয়ে ওনাকে টং এর দোকানে পাঠালো…আমি বললাম এটাই রেষ্টুরেন্ট?

[ রাশুর কথা শুনে সবাই হেসে দিলো ]

মা : চুপ কর! বদমাইশ.. [ রাহুল স্নেহাকে ইশারা করছে…কথা আছে আর স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে যাচ্ছে..]

রাশু : আরে ভাই চলেন..এখানে সব মেয়েদের কাজ…আমরা দিঘির পাড়ে যাবো মাছ ধরতে চলেন… [ রাশু রাহুলকে ধরে টেনে নিয়ে গেলো ]

[রাহুল রাশুকে নিয়ে বের হচ্ছে অমনিই উল্টো পথ থেকে স্নেহা এসে…দাঁড়ায়]

স্নেহা : আই রাশু কই যাচ্ছিস! আর এই যে আপনি সব জায়গায় এমনভাবে আসেন যেন কোনো এন্ট্রি সিন্ চলছে…

রাহুল : স্নেহা! এসব কি শুনছি?..আজ নাকি বর পক্ষ আসছে তোমাকে দেখতে?..

স্নেহা : কিহ!?

রাহুল : তোমার বাবাই তো বললো..

স্নেহা খিলখিল করে হেসে উঠলো ..??

রাহুল : Damn it! হাসার কি বললাম?

স্নেহা : হ্যা দেখতে আসবে আমাকে…তো?…

রাহুল : [রেগে] what nonsense! ? তুমি আমাকে আজ বলছো?..

রাশু : কি হলো ভাই? আপুকে লাইন মারা হচ্ছে বুঝি?..

মিলি : [পেছন থেকে গলা ঝেড়ে] এহেম এহেম! আমি কি আসতে পারি?..

[রাহুল অবাক হয়ে পেছন ফিরে তাকালো এটা আবার কে..]

মিলি : আমি স্নেহার…

স্নেহা : [ স্নেহা এসে মিলির মুখ চেপে ধরে] হ্যা মানে আপু বলছে যে আজ স্নেহাকে দেখতে আসছে..আজ আপনার এই বাড়িতে বিশেষভাবে দাওয়াত রইলো..

রাহুল : ? মানে কি?…

[ রাশু আর মিলি মুখ লুকিয়ে হাসতে লাগলো ]

স্নেহা : মানে কি মানে?..?কানে কি কম শুনো নাকি?..

মিলি : স্নেহা হয়েছে অনেক..?আমি স্নেহার বড় বোন…আজ স্নেহাকে না আমাকেই দেখতে আসছে..আপনি টেনশন করিয়েন না..

স্নেহা : ধ্যাত আপু এইটা কি করলা..?

রাহুল : Oh! আপনি স্নেহার বড় বোন?..আচ্ছা আচ্ছা আমি ভেবেছি.. Ok Ok i understand..

মিলি : [ স্নেহার কানে ] বেশি নাচাতে গেলে তখন নিজে ধরা পরবি..শয়তান..

স্নেহা : ধুর যাওতো তুমি..[ মিলি হেসে চলে গেলো ]

[ রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে]

রাশু : আমার মাথায় কিছু আসে না..এই যে ভাই আপনি আসেন আমি যায়..

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] মিস্ ড্রামাকুইন আমাকে নাচাতে অনেক মজা লাগছে তাই না?..?

[হঠাৎ, পেছন থেকে খিলখিল হাসার শব্দ]

[ রাহুল আর স্নেহা দুজনেই ফিরে তাকালো.. দেখে অরণি, মহিমা, আর গীতালি একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাসছে..]

মহিমা : হুহ! আর লুকাই লাব নেই..সব বুঝছি আমরা…?

[স্নেহা একটু নার্ভাস হয়ে পাশফিরে যায়..]

রাহুল : এই যে গার্লস গ্রুপ…লুকিয়ে আর হেসো না…এইদিকে এসো তোমরা যে ডেইলি ফোলো করতে তা আমি দেখেছি..

স্নেহা : ?

অরণি : [স্নেহার কানে কানে] আপু তুমিও যাওনা মাছ ধরতে একসাথে?

গীতালি : হ্যা গো দিদি! যাও না..তুমিও একা একা ওনার ভালো লাগবে না…?

স্নেহা : আই! বেশি হয়ে যাচ্ছে না একটু… তোদের ইচ্ছে হলে তোরা যা..?

অরণি : হ্যা আমরা তো যাচ্ছিই..তাই তোমাকে ও আসতে বললাম.. থাক চলেন ভাইয়া আমরা যায়…

স্নেহা : ??

রাহুল : ওকেই [ স্নেহাকে চোখ মেরে সানগ্লাসটা পড়ে নিলো?] Let’s go girls…

স্নেহা : [ বিড়বিড় করে ] হুহ! চশমাটাও এমনভাবে পড়ছে যেন একটা কিছু?

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে ] all the best স্নেহা ?

[স্নেহা রাগান্বিত ?ভাবে রাহুলের দিকে তাকায়..আর রাহুল স্নেহার গলা থেকে টান মেরে স্কার্ফটা নিয়ে মাথায় বেধে নেই]

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : মাছ ধরতে যাচ্ছি… All the best বলবা না?

স্নেহা : আমার স্কার্ফ??

রাহুল : ওউ! এটা মাছ ধরে এসে দিয়ে দেবো? বাই
ড্রামাকুইন?
… [ রাহুল আর স্নেহার কান্ড দেখে বাকিরা ও হেসে চলে যায় ]

স্নেহা : [ রুমে গিয়ে ] আজিব! ?গেলো তো গেলো আমার স্কার্ফটাও টেনে নিয়ে গেলো… হুহ..

[ এদিকওদিক ছুটাছুটি করছে স্নেহা ]

ধুর আমি এখানে বসে বসে কি করবো…? কি করছে ঐখানে আল্লাহ জানে…

[ হঠাৎ বাইরের দিক তাকাতেই দেখে হরিকাকা ঝুড়ি নিয়ে বের হচ্ছে ]

স্নেহা : [ দৌড়ে গিয়ে ] হরিকাকা..কই যাও তুমি?..

হরিকাকা : আরে দিদিমণি আমিতো দিঘির পাড়ে যাচ্ছি..ঝুড়ি দিতে..কিছু লাগবে?..

স্নেহা : না নাহ! কিছু লাগবে না..এদিকে দাও ঝুড়ি আমি দিয়ে আসি..

হরিকাকা : তুমি দিতে যাবা কেনো..আমি দিয়ে আসি!

স্নেহা : আরে কিছু হবে না! তুমি বাকি জিনিষ গুলো দেখো… আমি দিয়ে আসি..

[ স্নেহা হরিকাকা থেকে ঝুড়ি গুলো নিয়ে দিঘির পাড়ে গেলো দেখে রাশু আর কয়েকজন মাছ ধরছে.. আর মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম অনেক তো বলেছে মাছ ধরতে যাচ্ছি…মাছ ধরার নাম নেই..ক্যামেরা দিয়ে ফোটো তুলতে আছে… স্নেহা গিয়ে ঘাটের মধ্যে ঝুড়ি গুলো রাখলো ]

রাহুল : হেই! ড্রামাকুইন! আমি তো জানতাম তুমি আসবে..?

স্নেহা : ওহ! রিয়েলি! হাউ সুইট!?আমি এইখানে ঝুড়ি দিতে এসেছি.. নয়তো আমার বয়ে গেছে আসার জন্যে..

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] এইদিকে তাকাওতো… [স্নেহা তাকাতেই রাহুল একটা ?ছবি তুলে নেই ..স্নেহা আরো রাগান্বিত ভাবে তাকায় রাহুল আবারো ফটো তুলে নেই]

রাহুল : ওয়াও…স্নেহা কি না পোজ দিলা?

[স্নেহা কিছু না বলে নাক ফুলিয়ে চলে যাচ্ছে…রাহুল ও স্নেহার পিছে পিছে দৌড়ে আসে]

রাহুল : হেই ড্রামাকুইন! কই যাও..

স্নেহা : মরতে যাচ্ছি..?

রাহুল : আরেহ! একা কেনো..আমায় ফেলে?…?

[ হঠাৎ অরণি,মহিমা আর গীতালি ও এগিয়ে আসে]

অরণি : আরে! ভাইয়া চলেন আম বাগানে যাবো.. আমার না কাচা আম খেতে মন চাইছে..

রাহুল : ওয়াও! ম্যাংগো? আই লাভ ইট..ওকে চলো…

স্নেহা : ??

অরণি : আরে আপু তুমিও চলো না প্লিজ!

স্নেহা : নাহ আমি যাবো না তোরা যা!?

মহিমা : আরেহ! চলো তো [ স্নেহাকে টানতে থাকে মহিমা]

স্নেহা : আরে! বললাম তো যাবো না!

রাহুল : থাক থাক বাদ দাও…এমনিতেও ও গিয়ে কি করবে?.. হাইটে ও ছোট মানুষ.. গাছ থেকে আম পারতে পারবে না..

স্নেহা : এক্সকিউজ মি! কি বললে হুম?..?

[ Rahul give a tedi smile?]

স্নেহা : শোনো এই তেডি স্মাইল দেওয়াটা না বন্ধ করো ওকে ফাইন! ?চ্যালেঞ্জ করলাম..যদি আমি তোমার চেয়ে বেশি পেরে দেখাতে পারি তাহলে!

রাহুল : তাহলে তুমি যেটা বলবে আমি সেটা করবো.. ?

স্নেহা : ওকে! ডান?

রাহুল : ?আর যদি আমি তোমার চেয়ে বেশি পেরে দেখাতে পারি…তাহলে আমি যেটা বলবো তুমি সেটা করবে..

স্নেহা : ?ওকে!

রাহুল : Think স্নেহা?

স্নেহা : ডান!?

রাহুল : ওকে তাহলে চলো ?

[ সবাই মিলে একসাথে হাটতে লাগলো.. স্নেহা রাহুলের পাশে হাটতে না চাইলেও রাহুল ইচ্ছে করে করে স্নেহার পাশে হাটছে…আর মিনিটে মিনিটে এক এক রিয়েকশনের ছবি তুলছে..]

অবশেষে পৌছালো…

মহিমা : ওকে! এই দুইটা ঝুড়ি থাকবে..কে কার আগে..ঝুড়ি ভরতে পারে!

স্নেহা : ওকে ওকে…?

রাহুল : স্নেহা ভেবে দেখো এখনো সময় আছে..? তুমি কিন্তু হাইটে ছোট…

স্নেহা : আই ?হাইট নিয়ে বলার কি আছে…আমি তোমার নেহার মতো ১২ইঞ্চির হাই হিল পড়িনা ওকে…?তাই হয়তো তোমার চেয়ে অনেক শর্ট লাগছে..

মহিমা : আরে তোমরা কি ঝগড়াই করবা নাকি…শুরু করবা..?

রাহুল : ইয়াহ! রাইট..? শুরু করো স্নেহা…

[ রাহুল আর স্নেহা দুজনেই…আম পারতে লাগলো… স্নেহা রাহুলের চেয়ে অনেক বেশি পেরেছে…তা রাহুল খেয়াল করলো.. তাই রাহুল অরণিকে ইশারা করাতে…অরণি চুরি করে করে স্নেহার ঝুড়ি থেকে আম নিয়ে রাহুলের ঝুড়িতে ভরিয়ে দিচ্ছে…স্নেহা অবাক হচ্ছে এতোক্ষণে তো ঝুড়ি পুরিয়ে যাওয়ার কথা…কিন্তু এমন কেনো হচ্ছে…কাছের আম তো সবই পারা হয়ে গেছে…বাকি গুলো অনেক উপরে…?]

রাহুল : কি হলো..স্নেহা!? থেমে গেলে যে…আর পারা যাচ্ছে না?.. Any help

স্নেহা : No thanks ?… [ স্নেহা উকি দিয়ে রাহুলের ঝুড়ি দেখলো অনেকটা ভরে গেছে..আর কিছু পারলেই ভরে যাবে… না না..এতো সহজে হার কি করে মানবে স্নেহা… রাহুল চারদিক ঘুরে ঘুরে আম পারায় ব্যস্ত..]

স্নেহা ধীরেধীরে বাকী আম গাছ গুলোতে দেখছে…সব গুলোই নাগালের বাইরে…ঢিল মারছে তাও পড়ছে না..? হঠাৎ দূর থেকে স্নেহার চোখ পড়লো..রাস্তার ধারের আম গাছটার নিচে রাহুলের গাড়ী.. স্নেহা এদিকওদিক তাকিয়ে সেখানে চলে গেলো.. টাইম ওয়েষ্ট করে আর লাভ কি…স্নেহা তাড়াতাড়ি গাড়ির চালের উপর উঠে পড়লো… আহ কত্তো সহজভাবে টুকুর টুকুর আম পারছে স্নেহা…পুরো ওড়নার আচলে ভরে নিয়েছে..]

হঠাৎ,

রাহুল : ওয়াও What a idea! i like it…?

[রাহুলের আওয়াজ শুনাতে হুট করে স্নেহা তার ওড়নার আচল ছেড়ে দেই..আর গরগর করে আম সব মাটিতে পড়ে যায়…? স্নেহা পাশফিরে তাকাতেই দেখে রাহুল..ক্যামেরা হাতে স্নেহাকে ছবি তুলছে স্নেহা জিহ্বাই কামড় দিয়ে দেই ??] [ বাকিরা হেসে উঠে]

রাহুল : স্নেহা! তুমি গাড়ীর চালের উপর কি করছো…?

স্নেহা : [তাড়াতাড়ি গাড়ীর চালের উপর বসে পড়ে] না নাহ! আমি আসলে দেখছিলাম যে তোমার গাড়ীটা টিকসই কিনা…[গাড়ীর উপর একটু বাড়ি দিয়ে] আচ্ছা এটা কিসের তৈরী..

রাহুল : এটা ? …সুতার তৈরী..?

স্নেহা : ????

রাহুল : কি সুতা জিজ্ঞেস করবানা?..?

অরণি : আপু এটা লিনেন সুতার তৈরী?

স্নেহা : সরি!?

রাহুল : আমিতো আগেই বলেছিলাম স্নেহা Think?…আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করোনা.. কিন্তু তুমি শুনলানা..

স্নেহা : [ গাড়ীর চাল থেকে নামতে নামতে ] হয়েছে হয়েছে ?যাও..আমি হেরেছি তুমি জিতেছো..

রাহুল : Careful damn it!?দেখে নামো ?

??স্নেহা নেমে এলো ]

রাহুল : থেংকস্ গার্লস্ চলো এইবার..? [ স্নেহাকে চোখ টিপ মেড়ে রাহুল সানগ্লাসটা আবার পড়ে নিলো ]

স্নেহা : ?? [ মুখ ভেংগিয়ে হাটা শুরু করে..]

রাহুল : [স্নেহার পাশে এসে] মনে আছে তো চ্যালেঞ্জ হারলে কি করতে হবে ?

স্নেহা : ??জি! মিষ্টার চাছোড়া মনে আছে..
বলুন কি করতে হবে…

রাহুল : Shut-up don’t call me that..

স্নেহা : [ মুখ ভেংগিয়ে] হুহ!

রাহুল : [হেসে?] are you ready sneha?

স্নেহা : What?

[ রাহুল ইশারা দিয়ে তার ঠোটের দিক দেখিয়ে দিলো ]

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] কিহ!???

অরণি : কি হলো?..?

রাহুল : কি হলো স্নেহা বলো?..

স্নেহা : ? [ বিড়বিড় করে কি যেন বলে দৌড় দিলো ]

বাড়ীতে পৌছালো,

মা : স্নেহা! কোথায় গিয়েছিলি?..আজকের দিনটা অন্তত না বেড়িয়ে পারতি…

স্নেহা : কি হলো চেঁচাচ্ছো কেনো..আমি আবার কি করলাম..?

মা : নাহ! তুই কিছু করিস নি!..ঘরে কি হচ্ছে না হচ্ছে তোর কি খবর আছে..

স্নেহা : উফ! বাদ দাওতো মিলি আপু কই?..

মা : রুমে আছে যা গিয়ে ওকে তৈরী হতে সাহায্য কর!

স্নেহা : যাচ্ছিরে বাবা..

[ রুমে ঢুকতেই দেখে রাশু একটা গিটার নিয়ে বাজাচ্ছে.. কি বাজে শব্দ আসছে গ্যাং গ্যাং করে]

স্নেহা : আই!? এটা তুই কই পাইলি?..

রাশু : আরেহ! আপু..অই রেষ্টুরেন্ট ওয়ালা রুমে বাজাচ্ছিলো ওর থেকে নিয়ে এসেছি…

স্নেহা : [মনে মনে] ?হুম! আর কিছু সংগে আনুক না আনুক..গিটারটা নিশ্চিত আনবে… প্রথমদিন তো অনেক সাধু সেজে এসেছিলো..নিশ্চয় গাড়ীর ভেতর লুকিয়ে রেখেছে?

[ স্নেহা গিয়ে জানালা দিয়ে উকি দিলো.. ওয়াহ কি ভাবসাব নিয়ে তৈরী হয়ে বেরিয়েছে যেন তারই বিয়ে হচ্ছে রাহুল স্নেহার দিক তাকাতেই আবারো ঠোটের দিক ইশারা করলো স্নেহা তাড়াতাড়ি পর্দা টেনে দেই..রাহুল হাসতে থাকে..? ]

সন্ধায় স্নেহা তৈরী হয়ে উঠোনে এলো…
চারদিক ঘুরঘুর করে দেখছে..খুব সুন্দর সাজিয়েছে.. হঠাৎ,

বাবা : স্নেহা! কি দেখছিস! কেমন হয়েছে সাজানো?..

স্নেহা : হ্যা বাবা অনেক সুন্দর!

বাবা : সবকিছু ঐ শহরের ছেলেটার আইডিয়ায় সাজানো হয়েছে..

স্নেহা : ওহ!?

বাবা : আমার বড় মেয়ের বিয়ে বলে কথা..সব অনুষ্ঠানে সাজানো হবে.. আর ছোট মেয়ের বিয়েতে তো আরো বড় করে সাজাবো..কি বলিস!?

[স্নেহা লজ্জা পেয়ে একটু হেসে দেই]

হঠাৎ, রাহুল স্নেহা আর তার বাবাকে..একসাথে.. দেখে এগিয়ে আসে..

রাহুল : কেমন হয়েছে আংকেল?..

স্নেহার বাবা : হ্যা হ্যা দারুণ সাজিয়েছ..

রাহুল : [ স্নেহাকে চোখ মেরে ]? থেংক ইউ আংকেল! [ স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে পাশফিরে যায়]

রাশু : [রাহুলের দিক এগিয়ে এসে] এই নাও ভাই তোমার গিটার…

স্নেহার বাবা : এটা কি?..

রাশু : বাবা! সিংগার সিংগার..এটা বাজিয়ে ওনি গান গায়..?

স্নেহার বাবা : আরে তাই নাকি? তুমি গান করতে পারো?..

রাহুল : জি! হ্যা..মানে ম্যাগাজিন ওয়ার্কের পাশাপাশি গান ও গায় আরকি..?

রাশু : আজ রাতে তো তোমার গান গাইতেই হবে…ভাই

রাহুল : আরে না! কি বলছো এসব!

স্নেহার বাবা : নাহ! কেনো..আজ আমরা সবাই শুনবো তোমার গান!?

স্নেহা : [মনে মনে] গান গাইবে না..? পুরো গ্রামের মেয়েদের পাগল বানাবে.. disgusting [ হন হন করে স্নেহা ভেতরে চলে গেলো ]

[রুম থেকেই আবার উকি দিয়ে দিয়ে দেখছে রাহুল কি করছে…রাহুলের চোখে পড়াতে রাহুল আবারো ঠোটের দিক ইশারা করে স্নেহা তাড়াতাড়ি সরে যায়]

স্নেহা [মনেমনে] কি আজিব বার বার একই জিনিষ করে যাচ্ছে?

মেহেমান চলে এলো চারদিক হৈচৈ..

মা : [ শরবত নিয়ে এসে ] স্নেহা ধর! এগুলো টেবিলে দিয়ে আয়..

[স্নেহা শরবত গুলো নিয়ে টেবিলে রেখে চলে আসছে ]

হঠাৎ,

রাহুল : [পাশে এসে!] Come on স্নেহা তুমি চ্যালেঞ্জ করে এখন ভয় পাচ্ছো…তাহলে তো তোমার নিকনেইম চেঞ্জ করে মিস্ ডারপোক দিতে হবে?

স্নেহা : মোটেও না! ভয় কেনো পাবো হুম!

রাহুল : আমিতো তোমার চোখে ভয় দেখছি!?

স্নেহা : ?প্রতিদিন চশমা পড়ে থাকতে থাকতে তুমি রাতকাণা হয়ে গেছো বুঝলে!

রাহুল : ওকে ফাইন! m waiting… ?যদি তুমি ডারপোক না হোও তাহলে প্রুফ করো…

[ স্নেহা কিছু না বলে রুমে এসে ঢুকে পড়ে]

স্নেহা : [জানালা দিয়ে উকি দিয়ে মনে মনে ] মানে কি! আমি কেনো ডারপোক হবো..? কিন্তু এমন একটা জিনিষ চেয়ে বসলো…উফফ!

মিলি : অই! কি দেখছিস এভাবে?..?

স্নেহা : কই নাতো! ও হে তোমার বর মিষ্টার সিয়াম কে দেখছি..অন্য কোনো মেয়ের সাথে লাইন মাড়ছে কিনা..? By the way কি নাহ লাগছে তোমায়? ভাইয়া তো দেখেই কাত হয়ে যাবে?

মিলি : যাহ শয়তান!

স্নেহা : আচ্ছা তুমি এইখানে কি করছো?..

[ স্নেহা মিলিকে টেনে নিয়ে উঠোনে বেরিয়ে পড়ে..আর তার বরের পাশে চেয়ারে বসিয়ে দেই.. ]

স্নেহা : ভাইয়া ও না আপনাকে লুকে লুকে দেখছিলো তাই…এক্কেবারে ধরে নিয়ে এসেছি?

[ মিলি লজ্জায় উঠে যাচ্ছিলো ]

স্নেহা : আরে আরে! কই যাও…এখন আর লজ্জা পেয়ে কি লাব..?

[উঠোনে বসে…বরের বন্ধুরা..স্নেহা আর তাদের কাজিনরা মিলে অনেক শয়তানি করছে…]

হঠাৎ, দেখে দূর থেকে …রাহুল এগিয়ে আসছে…

রাশু : আরে আরে আসো তোমার অপেক্ষায় করছিলাম… [ রাশু দাঁড়িয়ে গিয়ে ] ভাইরা বোনরা..সবাই শুনুন আমাদের মাঝে এখন একটি গান করতে উপস্থিত হচ্ছে মিষ্টার রাহুল!

রাহুল : হেই! don’t do this please! আমি!

অরণি : আরে ভাইয়া একটা তো অন্তত গাইতে হবে! প্লিজ প্লিজ!

মহিমা : [রাহুলের পাশে এসে] ভাই আমাদের জন্য না..অন্তত স্নেহা আপুর জন্য একটা গেয়ে দাও..?

রাহুল : [ একটু হেসে দিলো ] Ok Ok guyz..?

রাশু : এইনা হলো কাজ! দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি গিটার… ?[ রাশু দৌড়ে গিয়ে রাহুলের গিটার নিয়ে আসে ]

[রাহুল? গিটার হাতে নিয়ে স্নেহার দিকে তাকিয়ে একটু হাসে..আর একটা চোখ টিপ মারে..স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে অন্যদিকে ফিরে যায়!]

রাহুল আর কিছু না বলে গিটার বাজানো শুরু করে দিলো…??

[ please don’t skip the song?….listen carefully to imagine this scene, rahul and sneha’s feeling ]??

Sunn mere humsafar,?
Kiya tujhe ithnisi bhi khabar??

ki teri saanse chalti jidhar,?
Rahunga bass wahi umrebhar?

Rahunga bass wahi umrebhar hai,??

[Sneha Blushing ?]

Jithini hasi iya mulakath he,?
Unse bhi pyaari teri baathe he,?
batoon me teri jho kho jathe he,?

Aao na hoshme main kabhi,?
bahome he teri zindegi hai..?

Sunn mere humsafar,?
kiya tujhe ithnisi bhi khabar,?

[Sneha’s heartbeat increased hearing rahul’ voice??]

অরণি : [ স্নেহার কানে ] আররেহ? আপু তুমি হইলে কিনা জানিনা আমি তো ফিদা হয়ে গেলাম??

স্নেহা : আই চুপ কর!?

[সকলে রাহুলের গান শুনে প্রশংসা.. করতে লাগলো… ]

[রাহুল উঠে স্নেহার দিক একবার তাকিয়ে চলে যায়]

প্রায় কিছুক্ষণ পর স্নেহা চারদিক খুজতে লাগলো.. কিন্তু রাহুলকে দেখা যাচ্ছে না.. সবাই তো অনুষ্টানের মধ্যেই আছে..কিন্তু মিষ্টার তেডি স্মাইল কই গেলো…

[রাহুলের রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজা খোলা..স্নেহা উকি দিয়ে দেখলো রুমে নেই…. গিটারটা চৌকির উপর পড়ে আছে..স্নেহা ভেতরে গিয়ে গিটারটা হাতে নিলো.. আর ব্লাশিং হতে লাগলো… ? (মনে মনে) ওয়াহ কি না গেয়েছো…বস্?]

হঠাৎ পেছন থেকে,

রাহুল : মিস্ করছিলে আমায়?..

স্নেহা : [পেছন ফিরে তাকিয়ে?] নাহ! আমিতো.. এমনিতে

[ স্নেহা হুরহুর করে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো.. রাহুল স্নেহার হাত ধরে রুমের দরজা আটকিয়ে দেই]

স্নেহা : আরেহ! রাহুল! কি করছো বাড়ী ভর্তী মেহেমান…কেউ দেখে ফেলবে..সরো আমি যাবো…

রাহুল : আচ্ছা তুমি বেড়ালের মতো আমার রুমে উকি দাও কেনো বলো তো..? ডিরেক্ট আসতে পারো না..

স্নেহা : কই উকি দিলাম আমিতো..

রাহুল : তুমিতো আমাকে না দেখা ছাড়া থাকতে পারছিলে না তাইতো?

স্নেহা : নাহ তেমন কিছুই না?

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] So মিস্ ডারপোক কি ডিসাইড করলে?….??

স্নেহা : Excuse me? i m not ডারপোক….

রাহুল : Ok proof it…?

স্নেহা : Yes! i will proof you!

রাহুল : when? ?

স্নেহা : Now?

রাহুল : রেডি?..?

[স্নেহা ধীরেধীরে রাহুলের কাছে আসে she try to kiss? rahul? কিন্তু রাহুলের চোখের দিক তাকাতেই আবার পিছিয়ে যায়..]

রাহুল : What happen ?

স্নেহা : দেখো প্লিজ তুমি আমার দিক তাকাবানা?

রাহুল : [হেসে?] Ok

[ স্নেহা রাহুলের কাছে এসে আবারো ট্রাই করলো কিন্তু কোনোভাবেই Possible হচ্ছে না..? চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো স্নেহা ]

[Then, রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার কাছে এগুতে থাকে..স্নেহা পেছাতে লাগে?]

রাহুল : চ্যালেঞ্জ হেরেছো so punishment তো মিলবেই…?

স্নেহা : দেখো প্লিজ! এসব আমার দাড়া সম্ভব না!? [ স্নেহা রাহুলকে সরিয়ে চলে যাচ্ছিলো ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] এভাবে ভেগে যাওয়াটাই তোমার কাজ! আমার ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই স্নেহা তোমার কাছে…?

[ স্নেহা ফিরে তাকালে দেখে রাহুল মাথা ঝুকে আছে
কেনো যেন স্নেহার অনেক মায়া হলো রাহুল মাথা ঝুকে থাকায়..]

রাহুল : ওকে স্নেহা গো…আমি আর আটাকাবো না… [ রাহুল স্নেহার হাত ছেড়ে দিলো ]

[ স্নেহা রাহুলের হাত ধরে তার দিক ফেরালো
রাহুল তাকিয়ে আছে..স্নেহ চোখ বন্ধ করে ফেলে]

[রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে]

স্নেহা : [রাহুলের অনেকটা কাছে এসে] কিস্ মি?

রাহুল : ইউ ওকে..?

স্নেহা : ইয়াহ! আই এম ওকে!..

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : শিসস্ Not one more word!

[ Sneha kissed to rahul??]

[After 2mins,both are silent.. nd blushing ?]

স্নেহা : i m not ডারপোক…?

[স্নেহা লজ্জায় লাল ?হয়ে যাচ্ছে আর এক মুহূর্ত ও রাহুলের সামনে দাড়ায়নি…দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়…]

[ রাহুল ও Shocked হয়ে ব্লাশিং হতে লাগলো ? কি হলো এটা…]

[রুম থেকে বের হলো…স্নেহা? রাহুলকে দেখতেই লুখে যায়…রাহুল হাসতে থাকে..স্নেহার কান্ড দেখে.. ]

চলবে,

♥Love At 1st Sight $2 Part – 12

0

Love At 1st Sight $2

Part – 12

writer-Jubaida Sobti

পরদিন সকাল হলো…

স্নেহা ঘুম থেকে উঠে…আগে জানালা দিয়ে উকি দিলো রাহুল উঠেছে নাকি…
দেখলো উঠেনি…
ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে উঠোনে বের হলো…আশেপাশে দেখছে..কেউ আছে নাকি…দেখলো কেউ নেই…তাই স্নেহার মাথায় বুদ্ধি এলো একটু গিয়ে দেখে আসুক মিষ্টার হ্যান্ডসাম কি করছে…রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে দেখে দরজা বন্ধ…তাই জানালার ফাক দিয়ে উকি দেওয়ার চেষ্টা করছে…

হঠাৎ, পিছনে মাথার মধ্যে কেউ টুকা মাড়লো….

স্নেহা : তুই?..?

গীতালি : [স্নেহাদের বাসায় কাজ করে] কি গো দিদি…কি দেখছো অমন করে?

স্নেহা : আমি! কই নাতো কিছু না…ও হে আসলে…দেখছি যে সবাই উঠে গেছে অনিও উঠেছে কিনা…

গীতালি : আইচ্ছা…তাও আমার থেকে লুকাই লাব কি বলো…?

স্নেহা : দেখ গীতালি! তুইনা বেশী পেকে গেছিস… মা কে বলে তোদের দূর্গা পূজাই ছুটি দিতে দেবো না…?

গীতালি : আরে আমার ছুটির পেছন লাগছো কেনো…হয়ছে যাও আমি কিচ্ছু দেখি নাই…

স্নেহা : হুম! এইবার যা!? [গীতালি একটু হেসে চলে গেলো ]

হঠাৎ,দরজা খুলে রাহুল বেড়িয়ে এলো…

রাহুল : [চোখ কচলে] কি হলো এতো চেঁচাচ্ছা কেনো?… [ স্নেহা রাহুলকে দেখে এমন ভাবসাব করছে যেন সে কিছুই জানে না]

স্নেহা : চেঁচাচ্ছে কে?..কই এখানে তো কেউ নেই…বোধ হয় সপ্ন দেখেছো?

রাহুল : Shut-up?

স্নেহা : [ মুখ ভেংগিয়ে] হুহ..

রাহুল : অউ গুড মর্নিং?

স্নেহা : হুম হুম?… [ স্নেহা চলে যাচ্ছে ]

রাহুল : স্নেহা তোমার সাথে আমার কথা আছে…

স্নেহা একবার পেছন ফিরে তাকিয়ে আবার চলে গেলো… রান্নাঘরে গিয়ে দেখে মা, চাচী সবাই মিলে কাজ করছে…

মা : স্নেহা কোথায় হারিয়ে যাস বার বার, ধর নে…এই চা গুলো তোর বাবাকে দিয়ে আয়…

মিলি [স্নেহার বড় বোন] স্নেহাকে টেনে একপাশে নিয়ে গিয়ে

মিলি : [ফিসফিস করে].. স্নেহা তুই নাকি বাড়িতে আসা হ্যান্ডস্যাম ছেলেটার ঘরে উকি দিচ্ছিলি..?

স্নেহা : কে বলেছে?..? ঐ গীতালি তাই না?… [ স্নেহা মায়ের কাছে এগিয়ে গিয়ে] মা! তুমি না ঐ গীতালিকে ওর পূজোর সময় ছুটি দিবানা..বলে দিলাম..

মা : কেনো ও আবার তোকে কি করেছে.. [ গীতালি মুখে হাত দিয়ে হাসতে লাগলো ]

স্নেহা : তুকে তো আমি পড়ে দেখে নিবো..? [ স্নেহা চায়ের বাটি নিয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেলো.. মিলি স্নেহার পিছে পিছে]

মিলি : আরে স্নেহা বলনা!…উকি দিয়েছিলি?..?

স্নেহা : আরে আপু তুমিও না..চিনিনা জানিনা অই ছেলের ঘরে আমি কেনো উকি দিবো…

মিলি : হে তাও ঠিক কিন্তু ছেলেটা হ্যান্ডস্যাম আছে দিলে ও দিতে পারিস..?

স্নেহা : ???

মিলি : না না ঠিকাছে তুই যা! চা দিয়ে আয়?

[ স্নেহা তার বাবাকে উঠোনে চা দিতে গেলো… দেখে রাহুল বারান্দার চৌকাটে বসে রাশুদের সাথে দুষ্টুমি করছে.. রাহুল স্নেহাকে দেখে ইশারা করে… যে তার কথা আছে স্নেহার সাথে…স্নেহা রাহুলকে মুখ ভেংগিয়ে ভেতরে চলে গেছে…]

রুমে গিয়ে দেখে…অরণি, গীতালি, মহিমা,আর মিলি আপু একসাথে কি কি জানে বলে ফেলছে..স্নেহা ঢুকাতে সবাই চুপ হয়ে যায়…

স্নেহা : কি হলো? আমি আসাতে চুপ?..

অরণি : তাই ভাবছি..আমরা অই ছেলেটার আশেপাশে গেলে তুমি এতো তেলে বেগুন হয়ে জলে উঠো কেনো..?

মহিমা : না থাক থাক…সমস্যা নেই আমরা বুঝেছি…

স্নেহা : আই এতো বুঝিস কেনো হুম?..আমার অই ছেলের প্রতি কোনো ইন্ট্রেষ্ট নেই… আরে আমার পেছনে হাজারটা লাইন লেগে আছে..আমি কেনো ওর জন্য..

অরণি : তাই!?…তাহলে তো আমার লাইন ক্লিয়ার ?….

স্নেহা : ? [ রেগে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে নিজের রুমে চলে যায় ]

রাশু : আপু তোমাকে ডাকছে…

স্নেহা : কে??..

রাশু : অই যে রেষ্টুরেন্ট ওয়ালা..

স্নেহা : ওহ! ডাকুক..? ওকে গিয়ে বল তাড়াতাড়ি এই বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে..

রাশু : [ হাহা??ওকে! রাশু রুম থেকে বেরিয়ে গেলো ]

কিছুক্ষণ পরে,

রাহুল : স্নেহা! [ স্নেহা Shocked?]

স্নেহা : তুমি এইখানে?..?

রাহুল : দেখো স্নেহা! অনেক হয়েছে হুম?.. চলো তোমার সাথে কথা আছে…

স্নেহা : আরে পাগল নাকি তুমি?..?কেউ দেখলে সমস্যা হবে প্লিজ যাও এইখান থেকে…

রাহুল : এক পা ও নড়াবো না…তুমি আসছো কি আসছো না বলো?..

স্নেহা : শিসস! ধীরে বলো প্লিজ! কেউ শুনতে পাবে!…

রাহুল : ওকে enough! এবার চলো!

স্নেহা : দেখো এখন আমি তোমার সাথে কথা বলতে পারবো না…বাবা ও বাড়ীতে..সবাই আশেপাশে…

রাহুল : ওকে তুমি আসতে পারবে না! ঠিকাছে..আমি তোমার বাবাকে গিয়ে সব সত্যি বলে দিচ্ছি.. ভার্সেটিতে কি হয়েছে না হয়েছে.. Then তোমার আর আমার লুকিয়ে কথা বলতে হবে না…

স্নেহা : [রাহুলের হাত ধরে] আরেহ আরেহ! কি আজিব! বাবাকে কেনো ওসব বলতে যাবা! আমি কি বলেছি কথা বলবো না?..? ঠিকাছে ঠিকাছে..তুমি যাও আমি আসছি!

রাহুল : m waiting! so hurry up…?

[স্নেহা বিড়বিড় করে…কি যেন বলছে]

রাহুল : What!?

স্নেহা : আসছি তো যাওনা!?

রাহুল : সন্ধায় এসো তখন রুমের বাতি অফ থাকলে কেউ দেখবে না…

স্নেহা : ছিঃ ?

রাহুল : ছিঃ কেনো?..

স্নেহা : তুমি কি কি করবা?..

রাহুল : Shut-up ok?..যেটা বলেছি সেটা করবা নাহলে তো জানোই আমি কি কি করতে পারি!? [ রাহুল বেরিয়ে গেলো ]

স্নেহা : Stupid, idiot ?সব জায়গায় নিজের রাজত্ব… হুহ..আমিও দেখি তুমি কিভাবে বাবাকে বলো..?

সন্ধ্যায়, বিজলি চলে গেছে..

..কিন্তু চারদিক হারিকেলের আলোয় ভরে আছে..

স্নেহা উঠোন পেরিয়ে,গায়ে চাদর মুড়িয়ে..রাহুলের রুমে যায়…

রাহুল : এত্তো লেইট করলা কেনো?..

স্নেহা : শিসস! ধীরে বলো..আর কেউ শুনবে… তুমি কই কিছুইতো দেখছিনা..

[ রাহুল স্নেহার কোমোড়ে হাত দিয়ে স্নেহাকে কাছে টেনে নিলো ]

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : এইতো আমি!?

স্নেহা : ছাড়ো প্লিজ!

রাহুল : শিসস! ধীরে বলো স্নেহা কেউ শুনবে!…??

স্নেহা : দেখো যা বলবা তাড়াতাড়ি বলো..আমার যেতে হবে..বিজলি আসলে তখন..কারো চোখে পড়ে যাবো.. ?

রাহুল : ওকে রিলেক্স! তুমি বের না হওয়া পর্যন্ত বিজলি আসবে না..?

স্নেহা : মানে কি!…

রাহুল : মানে আমার যাদু??

স্নেহা : তার মানে তুমিই..করেছো এসব?..

রাহুল : ইয়েস!? [ স্নেহা ব্লাশিং?]

স্নেহা : আচ্ছা হয়েছে..এবার বলো কি বলবা… [ স্নেহা রাহুলের হাত স্নেহার কোমোড় থেকে ছুটাতে চাচ্ছে..রাহুল আরো শক্ত করে ধরে রাখছে?]

স্নেহা : কি আজিব! ছাড়ো প্লিজ!?

রাহুল : [ হেসে ]? ওকে! রিলেক্স.. [স্নেহাকে ছেড়ে দিয়ে রাহুল স্নেহার চোখের উপর স্লাইড করলো স্নেহা চোখ বন্ধ করে ফেলে]

রাহুল : আমি না বলা পর্যন্ত চোখ বন্ধ রাখবে….?

স্নেহা : কিন্তু কেনো! ?

রাহুল : Shut-up বলেছি করবা..ব্যাস!

রাহুল… আগুন জালালো…স্নেহার মুখের উপর হলুদ অগ্নি আলো এসে পড়লো…

রাহুল : Shut-up স্নেহা! একদম চোখ খুলবা না…

স্নেহা : ওকে ওকে..! খুলছি না…?

[ কিছুক্ষণ পরে রাহুল স্নেহার পেছন থেকে…দু-পাশে হাত দিয়ে কোমোড়ে…ঝড়িয়ে ধরলো..]

রাহুল : Sooo… now u can open ur eye’s ?….

স্নেহা চোখ খুলে দেখে…গোলাপের? পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে লিখে রেখেছে…
?I Love You Miss Dramaqueen?মাঝে একটি কেট্রোস্ গাছ…

স্নেহা কেট্রোস্ গাছটি হাতে ছুয়ে অবাক হয়ে রাহুলের দিক ফিরে তাকালো…??

রাহুল স্নেহার হাত দুটো তার হাতে নিয়ে চুমু খেলো…

রাহুল : স্নেহা! মনে আছে ভার্সেটিতে…প্রথমদিন তুমি এই কেট্রোস্ গাছ গুলোকে আলতো ভাবে ছুয়ে দেখছিলে..

তখন আমি দূর থেকে তোমাকে দেখে যাচ্ছিলাম… তোমার চুল গুলো উড়ছিলো…চোখের পাতা ঝুকে ছিলো…মিটিমিটি করে হাসছিলে তুমি..?

তখন আমি ভাবছিলাম কে এই মেয়ে..আগে তো দেখিনি…আমি অবাক দৃষ্টিতে তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম… ?

স্নেহা.. আমি তোমার আগে অনেক মেয়ে দেখেছি কখনো কারো দিক এভাবে তাকিয়ে থাকিনি… কেনো জানিনা ঐদিনই তোমায় দেখে আমি তোমার প্রেমে পড়ে যায়, u know যেটাকে বলে Love at 1st sight…?

স্নেহা : ???

রাহুল : ঐ রেসিং কারটার থেকে তোমাকে বাচানোর পর তুমি আমার সাথে যে রিয়েক্ট করলা… আমি তখন ভাবলাম নাহ দেখি এই মেয়ের কান্ড?…তোমার ছেলেপনা…বাচ্চাদের মতো কান্ড করা নেহার সাথে আমাকে দেখলে তোমার রাগ উঠা…সব কিছু আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে…?

কিন্তু আমি কিছু বলে উঠার আগেই তুমি পালিয়েছ ?

স্নেহা : আমাকে একটু চিমটি কাটো?

রাহুল : [ স্নেহাকে চিমটি কাটলো..] dream না reality…

স্নেহা : আই! ?আমিতো তোমাকে সব বলেদিয়েছিলাম…তোমার পিছে পিছে ঘুরেছি…তুমি আমাকে ইচ্ছে করে নাচিয়েছ?..

রাহুল : হি -হি- আমি তো মজা করেছিলাম..?

স্নেহা : আচ্ছা ওকে! মজা নিচ্ছিলা তাই না!…এবার আমিও দেখাবো তোমাকে মজা?

রাহুল : তোমার মাথায় কি কোনো বুদ্ধি আছে হুম?….? আমি তোমাকে প্রপোজ করেছি..আর তুমি কি না…

রাহুল : [স্নেহাকে ধাক্ষিয়ে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে] দেখো স্নেহা আমি অনেক সিরিয়াস… ? আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি…

স্নেহা আই লাভ ইউ..

স্নেহা : [মনে মনে] আমিও তো প্রথম দেখাতে ভালোবেসেছি…? মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম…

রাহুল : কি হলো জবাব দিবে না…

স্নেহা : হুম! সরে দাঁড়াও…

রাহুল সরে দাঁড়ালো…

স্নেহা : দেখো.. তুমি না আমাকে নেহা পাওনি…যে তোমার মিষ্টি মধুর কথা বলবা আর আমি সত্যি সত্যি বিশাস করে তোমাকে মেনে নিবো…?

রাহুল : কিন্তু স্নেহা তুমিওতো আমাকে..

স্নেহা : এহ এহ! একটা সময় ছিলো..তখন আমিও তোমাকে…??

রাহুল : [রেগে স্নেহার কাছে এসে] দেখো স্নেহা সবসময় ড্রামা মানায়না বুঝেছো?

স্নেহা : এই যে মিষ্টার চাছোড়া..? ড্রামা ড্রামা করে আমার কানের মার্ডার করে দিয়েছো… তুমি ১২ফিটের চাছোড়া হলে…আমি ৬ ফিটের ইগো বুঝেছো..

রাহুল : ওকে i accept it?

স্নেহা : তুমিও না এসব ড্রামা আমার সামনে করো না…এভাবে টিনের ঘরে থাকলে তুমি অসুস্থ হয়ে পড়বে…যাও গিয়ে..তোমার নরম খাটে এসি ছেড়ে ঘুমাও..

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে with naughty mind?]

তুমি?

আমাকে?

ভালোবাসোনা?

তাইতো??

স্নেহা : হুম! বাসি না… দূরে গিয়ে দাঁড়াও

রাহুল : ওকে…?

স্নেহা : কি হলো এভাবে তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেনো…

বললাম তো আমি তোমাকে ভালোবাসি না..

রাহুল : Yeah..i see?

স্নেহা : [মনে মনে] আব তুমেভি তারপানা পাডেগা মিষ্টার তেডি স্মাইল…?

স্নেহা রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো…

রাহুল : [মনে মনে] ড্রামাকুইন..? আমিও দেখি তুমি কেমনি আমাকে ভালো না বাসো…

স্নেহা রুমে গিয়ে ব্লাশিং হতে লাগলো…
ফাইনালি রাহুল বলেছে…সেও স্নেহাকে ভালো বাসে…?ভাবতেই স্নেহা লাল হয়ে যাচ্ছে..তার মানে রাহুল ও স্নেহাকে প্রথম দেখাতে….??

রাতে স্নেহা খাবার খেয়ে জানালা দিয়ে উকি দিলো রাহুল কি করছে দেখার জন্য… কিন্তু দরজা জানালা সব বন্ধ কিছুই বুঝতে পারছে না…

একটু পর পর দেখছে…কিন্তু এখনো বন্ধ…

রান্নাঘরে গেলো স্নেহা,

স্নেহা : গীতালি সবার খাওয়া দাওয়া শেষ..?

গীতালি : হুম শেষ…

স্নেহা : সবার..?

গীতালি : হে বাবা সবারই শেষ..

স্নেহা : ধুর! মানে…! হুম সবার বুঝেছি..বাড়ীতে বাড়তি যারা আছে তারাও…

গীতালি : [একটু হেসে] ঐ যে ছোড়াটার কথা বলছেন?.. ওনারে দিসি্লাম খাবার..বললো খিদা নাকি নাই…পাঠাই দিসে্ খাবার…

স্নেহা : ওহ..আমি ওর কথা জিজ্ঞেস করছিলাম না…মানে বলছিলাম যে হরিকাকারা সবাই খেয়েছে কিনা..

গীতালি : হুম আমি বুঝছি..কই এত্তোদিন তো হরিকাকার কথা জিজ্ঞেস করোনি..

স্নেহা : আই! ? একদম পাকনামি কথা বলবি না… যা কাজ হলে ঘুমিয়ে পর.. [স্নেহা বেরিয়ে যায় গীতালি হাসতে থাকে]

স্নেহা জানালার ধারে বসে বসে দেখছে…রাহুল না দরজা খুলছে না জানালা খুলছে..খুব অস্থির লাগছে..স্নেহার

স্নেহা : [মনে মনে] কি আজিব! করছেটা কি এতোক্ষণ ভেতরে…এখনো বের হচ্ছে না…কিছু খায়ইওনি…?

নাহ থাক আর পারছিনা… [ স্নেহা ধীরেধীরে রুম থেকে বের হলো সবাই রুমে ঢুকে পড়েছে…চারদিক অন্ধকার.. উঠোন পেরিয়ে স্নেহা রাহুলের দরজার ফাক দিয়ে উকি দিচ্ছিলো কিছুই দেখা যাচ্ছে না…কি আজিব! আবার গেলো জানলার দিকে…তাও কিছু দেখা যাচ্ছে না…এবার মাটিতে বসে পড়ে দরজার নিচের ফাকদিয়ে দেখার ট্রাই করতে লাগলো]

হঠাৎ, পেছন থেকে,

রাহুল : কি এমন দেখছো..কাতচিৎ হয়ে..?

স্নেহা : [ঘাবড়ে গিয়ে রাহুলের দিকে তাকায়..এবার স্নেহা সোজা তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ায় মনে মনে বলতে থাকে..হায় আল্লাহ এতো বাইরে আর আমি..ধ্যাত?]

কি দেখছি মানে! ওও..একটা বিড়াল ছিলো…এদিক ওদিক…ঘুরঘুর করছে তাই দেখছি কোনো তোমার রুমে ঢুকে পড়েছে কিনা..?

রাহুল : হ্যা দেখতেই পাচ্ছি বিড়ালটাকে..

স্নেহা : কি বললে…?

রাহুল : আবারো ড্রামা..

রাহুল স্নেহার হাত ধরে রুমের ভেতরে ঢুকিয়ে নেই…

স্নেহা : আরেহ! কি হচ্ছে এসব…

রাহুল : শিসস!..?? তুমি যে বললে আমাকে ভালোবাসো না…

স্নেহা : হুম বলেছিলাম! তো?

রাহুল : তাহলে আমাকে না দেখাতে অস্থির হয়ে…দরজার ফাকে কাতচিৎ হয়ে উকি দিচ্ছো যে?..?

স্নেহা : এক্সকিউস্ মি! আমিতো বি.. বি [ রাহুল স্নেহার কাছে এগুতে লাগলো ]

রাহুল : তুমিতো বি.. বি? কি? বলো..?

[স্নেহা দেওয়ালের সাথে লেগে পড়লো…রাহুল স্নেহার অনেকটা কাছে এসে দাঁড়ায়..]

স্নেহা : দেখো প্লিজ! আমাকে যেতে দাও..

রাহুল : সত্যি বলো যেতে দেবো.. ?

স্নেহা : আমিতো সত্যিই বললাম…?

রাহুল স্নেহার মুখে একটা ফু দিলো…স্নেহার মুখের উপর উড়ে আসা চুল গুলো সরে গেলো… ?

রাহুল : একটা সেকেন্ড ও থাকতে পারছিলে না.. আমাকে ছাড়া তাই না?..?

স্নেহা : কই নাতো?

রাহুল : জানালা দিয়ে বার বার উকি দিয়ে কাকে দেখছিলে?..?

স্নেহা : [Shocked হয়ে] ?আ আ.. আকাশ দেখছিলাম

রাহুল : [ স্নেহার একদম কাছে ] ওহ! রিয়েলি? [ with tedi smile ]

স্নেহা : ?দেখো তোমার এই তেডি স্মাইল দেওয়া বন্ধ করো..

রাহুল : কেনো এটা দেখে তোমার কুচ্ কুচ্ হয় নাকি?..?

স্নেহা : হ্যা হয়?..

রাহুল : তাই?

স্নেহা : নাহ! মানে!..?

রাহুল : Shut-up stop the drama…come on স্নেহা এইবার তো বলো যে তুমিও আমাকে??

চলবে….

♥Love At 1st Sight $2 Part – 11

0

Love At 1st Sight $2

Part – 11

writer-Jubaida Sobti

রাহুল স্নেহার দিকে তাকাতে তাকাতে হারিয়ে গেছে সে ভাবনার দেশে…?

হঠাৎ, একটি লোক এসে ঝাঁকুনি দিলো…

লোকটি : আরে ভাই কে আপনি…এভাবে ভিজতেসে্ন কেনো?…

রাহুল তাড়াতাড়ি আবারো উঠোনের দিক তাকালো…দেখে কেউ নেই… রাহুল একটু হেসে মাথা চুলকাতে লাগলো…?

লোকটি : গ্রামে নতুন মনে হচ্ছে?..

রাহুল : জি আমি এই গ্রামে নতুন এসেছি… আপনি কি ঐ বাড়ীটা চেনেন?..

লোকটি : আমি এইগ্রামের চৌকিদার..আর আমি চিনবো না…?
তবে কার বাড়ী যাবে তুমি?…

রাহুল : [ভাবতে লাগলো কার বাড়ী যাবে বলবে…এইখানে তো কাউকেই সে চেনে না..হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো গাড়ীতে একটি ক্যামেরা আছে] এক মিনিট ওকে…

রাহুল ক্যামেরাটি বের করলো..

লোকটি : এইটা আবার কি?..

রাহুল : জি! এটা দিয়ে ফোটো তুলে…আই মিন…মেমোরেবল মোমেন্ট..গুলো এইখানে..বন্ধি করে রাখে…

লোকটি : [কিছুই বুঝতে পারলো না]??

রাহুল : ওকে..মানে হচ্ছে যে আমি একজন ম্যাগাজিন ফোটোগ্রাপার…মানে সুন্দর সুন্দর গ্রামে যায়..তারপর ঐখানের রহস্যময় জিনিষ গুলো ছবি তুলে…তা আমার ম্যাগাজিনে ছাপায়..

আসলে আপনাদের গ্রামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে…তাই ভাবলাম এইগ্রামের ও কিছু ফোটো তুলে নিয়ে যায়…

লোকটি : ওহ আচ্ছা তাই ভালো… তবে থাকবে কই?…

রাহুল : ?থাকার তো কোনো জায়গা নেই…but u don’t worry আমি আমার গাড়ীতেই রাত কাটিয়ে নিবো…

লোকটি : গাড়ীতে কাটাবে কেনো…তুমিতো আমাদের গ্রামের..অতিথি চলো তোমার থাকার ব্যবস্থা আমি করে দিচ্ছি…

রাহুল : [মনে মনে] Yes? এটাইতো চেয়েছিলাম…

লোকটি : চলো আমার সাথে..

রাহুল : ওয়েট জাষ্ট One second..
[রাহুল গাড়ী থেকে তার ব্যাগটি ও নিয়ে নিলো.. ]

রাহুল লোকটির পেছন পেছন যায়..লোকটি বাড়ীটির ভেতরে রাহুলকে ঢুকালো…অনেক বড় উঠোন…রাহুল আর লোকটি দাঁড়িয়ে আছে….বৃষ্টি সেরে এবার মেঘের ফাকে..সূর্য উকি দিচ্ছে…
রাহুল সানগ্লাসটি পড়ে নিলো?

লোকটি : [ চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ] নিলাজ বাবু…ও নিলাজ বাবু…

হরিকাকা : [বেড়িয়ে এসে] কি গো…চন্দন মিয়া…চেঁচাচ্ছো কেনো?…

চন্দন : আরে নিলাজ বাবু কই..অতিথি নিয়ে এসেছি বলো..

হরিকাকা : দাঁড়াও ডাকছি…

হরিকাকা নিলাজ বাবুকে সহ নিয়ে আসে…[ নিলাজ মজুমদার স্নেহার বাবার নাম…গ্রামের একজন অতি সম্মানি ব্যাক্তি…আগে গ্রামের চেয়ারম্যান ছিলো..তবে নিজ ইচ্ছায়..পদত্যাগ করে নিয়েছে…তবুও গ্রামের সবাই..তার মতামত ছাড়া কিছু করে না…]

স্নেহার বাবা : আরে চন্দন কি হয়েছে?..

চন্দন মিয়া : বাবু অতিথি এসেছে গ্রামে…শহরে থাকে ছোড়া…..কি যেন নিয়ে আসছে…এই যে এটা…এটা দিয়ে ফোটো তুলে…গ্রামের দৃশ্য বইয়ে ছাপাইবে…

রাহুল : হ্যালো আংকেল…? ওহ সরি! [ রাহুল স্নেহার বাবাকে পায়ে ধরে সালাম করলো ]

স্নেহার বাবা : থাক থাক…! তো এই গ্রামে আসার কারণ…?

রাহুল : জি! আমি ম্যাগাজিন ফোটোগ্রাপার…বিভিন্ন জায়গায় ষ্টেই করে করে…কিছু রহস্যময় জিনিষ ক্যাচ করেনি এই ক্যামরার মাধ্যমে…

আপনাদের গ্রামটা অনেক সুন্দর… ভাবলাম এই গ্রামে ও অনেক কিছু থাকতে পারে যা আমার ম্যাগাজিনের কাজে লেগে যাবে…তাই আরকি দেরী না করে চলে এসেছি…?

ওনাকে বলেছিলাম আমি গাড়ীতে থেকে যাবো চিন্তা করার কিছু নেই..কিন্তু ওনি জোড় করে নিয়ে এসেছে..

স্নেহার বাবা : ? আরে কটা দিনই তো…
এসেছো আমাদের গ্রামে…গাড়ীতে থাকবে কেনো?… এই হরি.. যা তুই ওনার থাকার জন্য মেহেমান খানায় ব্যবস্থা কর… আর গিয়ে বল আমাদের জন্য চা পাঠাতে…

এসো এদিকে বসো…[ স্নেহার বাবা রাহুল..এবং চন্দন মিয়া গিয়ে উঠোনের একটা বৈঠকখানায় গিয়ে বসলো ]

স্নেহার বাবা! : আমাদের গ্রাম কিন্তু অনেক সুন্দর..অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য রয়েছে এখানে…

রাহুল : জি! আমি শুনেছি তাই এখানে এসেছি… [ হঠাৎ রাহুলের বারান্দা দিয়ে চোখ পড়লো, কয়েকটা মেয়ে চুপিচুপি বারান্দা দিয়ে দেখছে রাহুল দেখাতে তারা লুকে যায়.. আবার না দেখলে তখন তাকাতে থাকে..]

[স্নেহার বাবা রাহুলের সাথে গল্পে লেগে গেলো… রাহুল ও সাতপাঁচ বানিয়ে তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে…]

হঠাৎ, নুপুরের আওয়াজ বাজছে রাহুলের কানে…পা যতো কদম দিচ্ছে…যেনো লাগছে কোথাও সফটেড মিউজিক চলছে..?

উত্তেজনার চোখে…পাশফিরে বারান্দার দিকে তাকাতেই… রাহুলের বুক ধুপধুপ করে উঠে…

?হালকা ভেজা চুল, চোখে..লেপ্টানো কাজল, পায়ে ঝুমুরে বাধা নুপুর…সাদারঙের জামা পড়া…ঠোটের কোণে…হাসি মেখে হাতে চায়ের বাটি নিয়ে এগিয়ে আসছে স্নেহা?.. কি অপরুপ লাগছে আজ স্নেহাকে…[ রাহুল চেয়ে আছে স্নেহার হেটে আসা ]

স্নেহা : বাবা! এই নাও তোমাদের চা!? [ চায়ের বাটি টেবিলে রাখতেই ছিলো.. কিন্তু পাশফিরতেই স্নেহা Shocked?হয়ে যায়]

[রাহুল তার মায়াবী চোখে স্নেহার দিকে চেয়ে আছে…?…স্নেহার হাত কাপছে গিরগির করে…মনে হচ্ছে চায়ের বাটি গুলো এক্ষুনি হাত থেকে পড়ে যাবে]

রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহার হাত থেকে চায়ের বাটি গুলো এগিয়ে নিলো…

স্নেহার বাবা : স্নেহা! কতোবার বলেছি তোকে বৃষ্টিতে ভিজিস না মা..ভিজিস না..এখন দেখ ঠান্ডায় শরীরটা কাঁপছে..

স্নেহা রাহুলের দিক তাকিয়েই রইলো..?

স্নেহার বাবা : ওহ! ওর নাম..রাহুল শহর থেকে এসেছে.. কদিন থাকবে..মেহেমান খানায়…এই গ্রামের…কিছু ছবি তুলে আবার চলে যাবে..

স্নেহা : what!?

রাহুল : জি!?আমি ম্যাগাজিন ফোটোগ্রাপার…এই গ্রামের..সবচেয়ে সুন্দর জিনিষগুলো আমি আমার ক্যামেরায় তুলে নিতে এসেছি…

স্নেহার বাবা : ও হলো আমার মেয়ে স্নেহা!?.. ওও..কিছুদিন আগে এসেছে শহর থেকে…পড়তে গিয়েছিলো..?

রাহুল : হ্যালো!? [ চোখ টিপ মাড়লো স্নেহাকে ]

স্নেহা : ?… [মনে মনে] কি মিথ্যুক.. বাবাকে সাতপাঁচ বানিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে আর বাবাও বিশাস করে নিলো..ইহ!? কেনো এসেছে এখানে..কতো কষ্ট করে মনকে বুঝ দিয়ে এইখানে চলে আসলাম..আর ও?…[ স্নেহা বির বির করতে করতে চলে গেলো.. কিন্তু মনে মনে অবাক হয়ে আছে..রাহুল স্নেহার বাড়ী এখানে কেমনি জানলো…কেনই বা এলো..? আবার বাবাকে ও কেনো মিথ্যে বললো…এসব বিড়বিড় করে বলতে বলতে স্নেহা চলে গেলো ]

বারন্দায় উঠতেই দেখে…স্নেহার কিছু কাজিন আর কাজের মেয়েগুলো…লুকিয়ে লুকিয়ে কি যেন দেখছে…

স্নেহা : ?এই যে! আপনারা…কি এমন দেখছেন..একজনের গায়ের উপর আরেকজন উঠে…

গীতালি : [স্নেহার বাড়ীতে কাজ করে] আরে দিদি…ঐ দেখো ছেলেটা কি না দেখতে লাগছে…?

অরণি : [স্নেহার চাচাতো ভোন] আরে আপু দেখনা..ঐছেলেটা মনে হচ্ছে শহর থেকে এসেছে…? আমি তো পাক্কা ওর সাথে লাইন মারবো..

মহিমা : ?এই আমি কিন্তু আগে দেখেছিলাম…সানগ্লাসটা খুলে রেখেছে কেনো যখন সানগ্লাস লাগিয়ে উঠোনে ঢুকছিলো না?? উফ!

স্নেহা : ??(মনে মনে) কি বলেরে এগুলো…? (রাহুলের দিক তাকিয়ে মনেমনে)..সানগ্লাস লাগিয়ে ঢুকতে হয় নাকি এমনি আসা যায় না..যত্তোসব..]?আই শোন যা ভেতরে যা…বেশি পেকে গেছিস..! মা কে গিয়ে বললে না..তারপর লাইন মারা বেড়িয়ে যাবে..

[স্নেহার বকুনিতে সবাই..স্নেহাকে মুখ ভেঙিয়ে চলে গেলো ?]

[স্নেহা রাহুলের দিক একবার তাকিয়ে ভেতরে চলে যায়…রুমে..জানালা খুলে লুকে লুকে তাকাতে থাকে..কি কি করছে রাহুল…]

অনেক্ষন পর দেখে বাবা উঠে ভেতরে চলে যায়…আর রাহুলকে বাড়ীর Opposite এ মেহেমানখানার একটি রুমে থাকতে দেওয়া হলো…শহর থেকে আসা প্রায় সব অতিথিদের ঐখানেই থাকতে দেওয়া হয়..

রাহুল রুমে ঢুকে দেখে..একটা চৌকি আর একটা টেবিল ছাড়া কিছুই নেই..

চৌকিটা ব্যাগ দিয়ে ঝেড়ে…একটু বসলো রুমের চারদিক ঘুরঘুর করে তাকাচ্ছে…

রাহুল : [মনে মনে] কি আর করবি রাহুল! প্রেমে যখন পড়েছিস… এইদিনটাও দেখতে হবে তোর…

হঠাৎ.. হুট করে স্নেহা রুমে ঢুকলো..ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে..দরজার এক কোণে গিয়ে দাঁড়ালো…যাতে বাইরের কেউ তাকে দেখতে না পায়…

রাহুল : ?আরে তুমি দরজার পেছনে লুকিয়ে আছো কেনো…

স্নেহা : শিস!…কেউ দেখলে সমস্যা হবে! আর তুমি এইখানে কেনো এসেছো বলোতো?..?

রাহুল : [দরজার কাছে এসে]???

স্নেহা : কি হলো কথা কি কানে যায় না?..এইখানে কেনো এসেছো?..

রাহুল : আগে তুমি বলো আমাকে না বলে চলে এলে কেনো?…?

স্নেহা : হুহ?তোমাকে বলে কেনো আসতে হবে…আমার ইচ্ছে..

রাহুল : ওহ রিয়েলি!? আমাকে কেনো বলে আসতে হবে তাই না? [ স্নেহার কাছে এসে]

স্নেহা : আরে কি করছোটা কি কেউ চলে আসবে তো?..দূরে গিয়ে দাঁড়াও ?

রাহুল : [পিছিয়ে গিয়ে] স্নেহা তুমি আমার জবাব এখনো দাওনি কিন্তু..

স্নেহা : দেখো! আমি যা করেছি সবই ভূল ছিলো..পরে আমি রিয়েলাইজ করে দেখলাম… আমার গ্রামে চলে আসাটাই বেটার হবে…

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] আচ্ছা ভুল ছিলো তাই না?..? আমার রাতের ঘুম হারাম করে দিয়ে…আমার সবকিছু এলোমেলো..করে দিয়ে..এখন বলছো সব ভূল?…

স্নেহা : ?? [অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে রাহুলের দিকে]

রাহুল : লুক স্নেহা! যেদিন থেকে তোমাকে দেখছিনা..আমি একটা রাত ও ঘুমাতে পারিনি…?আমার সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিলো…

তুমি যেদিন ভার্সেটি আসোনি! সেদিন মার্জান থেকে জানতে পারলাম…তুমি গ্রামে চলে এসেছো.. তখন ইচ্ছে হয়েছিলো তোমাকে?

স্নেহা : Oh my god…আমাকে দেখার জন্য এত্তো মেহেনত?

রাহুল : Shut-up ok?..this is not funny?

দেখো স্নেহা অনেক কষ্টে তোমার বাড়ীর ঠিকানা…বের করলাম..
আমি এখানে থাকতে আসিনি আমি তোমাকে নিতে এসেছি…

স্নেহা : [মনেমনে আচ্ছা তো ঐ মিস্ ইউনিভার্সকে কি করলো? ] তোমার নেহার কি খবর?

রাহুল : I don’t love neha…? এক্সুলি আমি সামিরের সাথে চ্যালেঞ্জ জিতার জন্য নেহার সাথে রিলেশন করি… নেহার জন্য আমার কোনো ফিলিংস নেই…জাষ্ট সবকিছু শো-অফ ছিলো…

স্নেহা : [মনে মনে…তাহলে সামির যেটা বলেছিলো সেটা সত্যি ছিলো..? ওয়াও স্নেহা বাজিতো পাল্টে গেলো..]

রাহুল : স্নেহা ট্রাষ্ট মি! আমি তোমাকে..?

স্নেহা : তুমি আমাকে?

রাহুল : ??[মনে মনে] Come on rahul! আটকালে চলবে না!…

স্নেহা : [ মনেমনে বুঝেছি?] হুহ আমিও এতো সহজে হাল ছাড়ছি না…?আমাকে যেভাবে নাচিয়েছো..মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম তার তিন ডাবল নাচাবো তোমাকে আমি…

রাহুল : স্নেহা! ?আই….

স্নেহা : হয়েছে হয়েছে…?আমাকে এতো ড্রামা দেখিয়ে লাব নেই…যেখান থেকে এসেছো সেখানে ফিরে যাও..

[ স্নেহা চলে যাচ্ছিলো..রাহুল স্নেহার হাত ধরে..]

স্নেহা : আরেহ! তুমিকি এটা শহর পেয়েছো নাকি?..?

রাহুল : আচ্ছা! আমার চোখের দিকে তাকাও Then ঐ কথাটা বলো..?

স্নেহা : [চোখ..কচলে ] আরে আমার চোখে কি যেন ঢুকেছে আমি কিছুই দেখছি না… [ ?স্নেহা রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো]

[ Rahul gave a tedi smile ?]

রাহুল : ড্রামাকুইন! Again drama ? ড্রামা ছাড়া এতোসহজে মানবে না আমি জানতাম..

যতোই ড্রামা করো না কেনো এবার আর কাজ হবে না…??মিস্ ড্রামাকুইন!

স্নেহা রুমে গিয়ে খাটে বসে পড়ে…এত্তো আনন্দ লাগছে সে কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারবে না…?রাহুল তার জন্য এসেছে… তারমানে রাহুল তাকে…??

স্নেহা কিছুক্ষণ পর পর জানালা দিয়ে তাকায় আর দেখে রাহুল কি করছে..

স্নেহা : [মনে মনে] আহ! বেচারা হ্যান্ডস্যাম?….তুলার পালং ছেড়ে বাশের পালং পর্যন্ত এসে পড়লো…

[প্রথমদিনে রাহুলের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মনে পড়ছে স্নেহার…ভাবতে ভাবতে স্নেহা ব্লাশিং…?]

হঠাৎ…জানালা দিয়ে আবার তাকাতেই দেখে..রাহুল রুম থেকে বেরিয়েছে..

[ Rahul wore a black t-shirt with blue jeans?]
স্নেহা হা করে তাকিয়ে আছে এতো ড্যাশিং ভাবে সেজেগুজে কই যাচ্ছে…?

হঠাৎ দেখলো…অরণি কিছু খাবার নিয়ে রাহুলের দিক এগিয়ে গিয়ে কি কি জানি বলছে…

স্নেহা রুম থেকে বেরিয়ে তাড়াতাড়ি এগিয়ে গেলো..দেখে রাহুল খাবার খেতে চাইছে না কিন্তু অরণি তাও জোড় করে খাওয়াতে চাচ্ছে…

স্নেহা : [চেঁচিয়ে ] আই তুই এইখানে কি করছিস!?

অরণি : ওনার জন্য খাবার এনেছি….বড় কাকী পাঠিয়েছে..?

স্নেহা : আহা! ?খাবার এনেছিস তো রুমে রেখে দিয়ে চলে যেতে পারছিস না…

এইদিকে এসে মুখটাকে..লাল লাড্ডুর মতো কেনো বানালি?..

[রাহুল তাদের কান্ড হা করে দেখে আছে?]

অরণি :??

স্নেহা : আবার কি তাকিয়ে আছিস! ?এইদিকে দে খাবার আমাকে দে তুই যা! [স্নেহা অরণির কাছ থেকে খাবারের বাটিটি টেনে নিয়ে নেই]

অরণি : [রাহুলের দিক তাকিয়ে] আচ্ছা আমি আসি হুম!?

রাহুল : ওকে ডিয়ার বাই?

স্নেহা : ?? হয়েছে অনেক যাহ… [অরণি স্নেহাকে মুখ ভেঙিয়ে চলে গেলো ]

রাহুল : এই তুমি ওর সাথে এইভাবে বিহেভ করছো কেনো?..

স্নেহা : আচ্ছা তোমার অনেক মায়া হচ্ছে বুঝি… ওর জন্য?

রাহুল : না নাহ! আসলে বাচ্চা একটা মেয়ে…এভাবে কথা বললে..

স্নেহা : বাচ্চা মেয়ে তাই না?তুমি চুপ করো…? এই নাও খাবার…

রাহুল : সরি! ?আমি আসলে এগুলো খাবো না…সামনে কোথাও রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে নিবো আমি…

[স্নেহা খিলখিলিয়ে হেসে দিলো ??]

স্নেহা : রেষ্টুরেন্টে যাবা??যাও যাও খেয়ে এসো… [হঠাৎ স্নেহা তার ভাই রাশুকে দেখতে পেলো… ] এই রাশু এইদিকে আই…

[রাশু এগিয়ে আসলো]

স্নেহা : শোন অনি গ্রামে নতুন এসেছে…তাই রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খেতে চাচ্ছে এইখানের খাবার ওনার পছন্দ না..তুই একটু প্লিজ ওনাকে রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যা না?

রাশু : ওমা তাই নাকি???চলেন ভাই চলেন

[রাশু রাহুলকে টেনে নিয়ে চলে গেলো রাহুল ও কিছু বুঝতে পারছে না গেলো রাশুর পিছে পিছে]

অনেক পথ হেটে রাশু রাহুলকে নিয়ে একটি টং এর দোকানে এলো…

রাশু : এই নাও ভাই তোমার রেষ্টুরেন্ট…?

রাহুল : What!? এতো পথ পেরিয়ে তুমি আমাকে এটাই আনলে…আমিতো ভেবেছি..?

রাশু : কি যেন নাম আপনার

রাহুল : রাহুল!

রাশু : ওহ! মিষ্টার রাহুল আপনি কি জানেন না গ্রামে কোনো রেষ্টুরেন্ট থাকে না…?

রাহুল : হ্যা জানি! ভুল হয়ে গেছে? কিন্তু তোমরা আগে বললেই তো পারতে…

রাশু : হি-হি-হি আগে বললে মজা নিতাম কেমনি… আচ্ছা বাদ দেন…এইখানের খাবার ও খেয়ে দেখেন… রেষ্টুরেন্টকে ফেইল করবে…ভাই?

রাহুল : ওকে! এমনিতেও খালি পেটে আবার যাওয়ার মতো সিচুয়েশন আমার নেই…?

রাহুল আর রাশু একটা টেবিলে বসলো..খাবার অর্ডার করলো…খেতে রাহুলের তেমন খারাপ লাগছে না…বরং ভালোই লাগছিলো…পুরো রাতটাই খালি পেটে ছিলো…

রাহুল : আচ্ছা তুমি স্নেহার কি হও!

রাশু : [খেতে খেতে] ভাই!

রাহুল : [মনে মনে] ??আচ্ছা তাইওতো বলি…যেমন ভোন তেমন ভাই..দুনোটা ড্রামেবাজ…

রাহুল আর রাশু গ্রাম ঘুরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো…

বাড়ী এসে…রাহুল রুমে ঢুকে দেখে রুমটা অনেক পরিষ্কার হয়ে গেছে…?

পেছন থেকে,

স্নেহা : এই যে! [ রাহুল ফিরে তাকালে দেখে স্নেহা দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে..]

স্নেহা : ? খেয়েছেন রেষ্টুরেন্টে?..?

রাহুল : হুম!?দারুন ছিলো..

স্নেহা : হুম ?এইখানে এরকম দারুন রেষ্টুরেন্টই পাওয়া যায়…

[রাহুল স্নেহার একটু কাছে এসে হুট করে রুমের বাতিটা অফ করে স্নেহাকে টান দিয়ে রুমের ভেতরে ঢুকিয়ে নেই]

স্নেহা : আরেহ?..

রাহুল : অনেক মজা নিচ্ছো না আমাকে নিয়ে?..? ওকে নাও…আমিও কিন্তু তোমার পেছন ছাড়ছি না…

স্নেহা : দেখো আমি বার বার বলছি এটা তোমার শহর না গ্রাম..? কেউ দেখলে বাজে কথাবার্তা ছড়াবে…

রাহুল : So what! ছড়াক…? But I don’t care…

[স্নেহা রাহুল থেকে ছুটার জন্য টানাটানি করছে…রাহুল ইচ্ছে করে আরো শক্ত করে স্নেহাকে ধরে রাখে…?]

হঠাৎ! কারো শব্দ পেলে,

স্নেহা : দেখো প্লিজ! কেউ আসছে হয়তো ছাড়ো… ?

রাহুল একটু হেসে স্নেহাকে ছেড়ে দিলো…অমনিই স্নেহা এক দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে…

[রাহুল রুমে বসে বসে ব্লাশিং হতে লাগলো?স্নেহার কান্ড দেখে]

রাহুল : [মনে মনে] আগে স্নেহাকে আমার মনের কথা জানিয়ে দিতে হবে যেই করেই হোক? এই ড্রামাকুইনটাও না বুঝেও সব না বোঝার ভান করে আছে…

স্নেহা রুম থেকে বেড়িয়ে… বাড়ীর পেছনের উঠোনে চলে গেলো… আশেপাশে ঘুরঘুর করে দেখছে কেউ দেখেছে কিনা… স্নেহা জোড়ে জোড়ে শাস ফেলতে লাগলো…

স্নেহা [মনে মনে] বাচলাম..বাব্বা..কেউ দেখেনি.. এই মিষ্টার হ্যান্ডস্যামটাও না..কিছু বুঝে না…হুট করে?

[আবার ভাবতে ভাবতে হেসেদিলো? কান্ডগুলো মনে করে করে হাসছে আর ব্লাশিং হচ্ছে..স্নেহা?]

চলবে….

♥Love At 1st Sight $2 Part – 10

0

Love At 1st Sight $2

Part – 10

writer-Jubaida Sobti

রাহুল স্নেহাকে নিয়ে উপরে উঠলো..বেল বাজাতেই মার্জান দরজা খুলে,

মার্জান : [অবাক হয়ে] স্নেহা!? কি হয়েছে ওর?..

রাহুল কিছু না বলে স্নেহাকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়…

মার্জান : আরে কি হয়েছে…কিছু বলছো না কেনো…

রাহুল স্নেহাকে খাটে বসিয়ে দেই…

রাহুল : তোমার ফ্রেন্ড থেকেই জিজ্ঞেস করো কি হয়েছে…

মার্জান : স্নেহা বল! কি হয়েছে?..

স্নেহা : কই?…তেমন কিছু না..আসলে পা পিছলিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম তাই একটু..

রাহুল স্নেহার দিকে অবাক হয়ে তাকালো..

স্নেহা : [ রাহুলের দিকে তাকিয়ে ] তাই না রাহুল!

রাহুল : [মনে মনে] Again Drama?

স্নেহা : [রাহুলকে নেড়ে দিয়ে] কি হলো রাহুল! বলো না…?

রাহুল : [ স্নেহার পায়ের ধারে বসে ]Oh yeah! right?

মার্জান : ওহ আচ্ছা!

স্নেহা : একটু পানি খাওয়াবি মার্জান প্লিজ!

মার্জান : হে দাড়া! [ মার্জান স্নেহার জন্য পানি আনতে চলে গেলো ]

স্নেহা : এই যে মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম.. ভূল করেও ওকে বল���ানা কি হয়েছে..বুঝলা..

রাহুল : এতো ড্রামা কিভাবে করো তুমি?..

স্নেহা : আচ্ছা বলো না..কিভাবে জানলে আমি ঐখানে..?

[মার্জান পানি নিয়ে স্নেহার হাতে দিয়ে একটু হেসে চলে যায়]

রাহুল : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে ] বেশি কথা বলো না ওকে পানি খেয়ে শুয়ে পড়ো… বাই!

স্নেহা : [রাহুলের হাত ধরে] আরে আরেহ! কই যাও… তুমি চলে গেলে আমাকে কোলে নিবে কে?..

রাহুল : এক্সকিউস মি!?

স্নেহা : মানে! আমি তো হাটতে পারছিনা..তাই আমার যদি কোথাও যেতে হয়…মানে হচ্ছে..?

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] Shut up! stop the drama ok?…

স্নেহা : [ বিরবির করে] খালি আছে Shut up shut-up ??

[রাহুল স্নেহার পায়ের ধারে বসে স্নেহার পা হাত দিয়ে তুলে নিলো ]

স্নেহা : কি করছো!?

রাহুল : ঠিক করছি যাতে হাটতে পারো..

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] একদম না প্লিজ!…?

রাহুল : কেনো? নাহ?…নাহলে হাটবে কি করে!

স্নেহা : না হাটা লাগবে না প্লিজ! কিছু করো না! আমি ব্যথা পাচ্ছি!?

[রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ ?]

স্নেহা : সত্যি রাহুল!?মোটেও ড্রামা না?

রাহুল : ওকে! [ রাহুল তার হাত বাড়িয়ে দিলো ] হাত দাও!

স্নেহা : [একটু অবাক হয়ে] হাত!?

রাহুল : বলছি হাত দাও হাত দিবা! তাকিয়ে আছো কেনো…

স্নেহা : ওকে?? [স্নেহা হাত দিলে রাহুল স্নেহার হাত শক্ত করে মুঠি বেধে ধরে]

রাহুল : এইদিকে তাকাও…

স্নেহা : কোন দিকে?

রাহুল : আমার চোখের দিকে…?

[স্নেহা রাহুলের চোখের দিকে তাকালো]

স্নেহা : আচ্ছা গেইম খেলবা??..ওকে i love it

স্নেহা রাহুলের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে…রাহুল ও [ Continue ]?

স্নেহা : [ মনে মনে ] ওহ মাই গড! এতো কিলার লুক দিলে কেমনি তাকাই বলো..?.. বাই দা ওয়ে এই মিষ্টার হ্যান্ডসামের আজ কি হলো..এতো রোমান্টিক চোখে চেয়ে আছে…

রাহুল : Hey ? Continue.. না হয় হেরে যাবা..

স্নেহা : [অবাক হয়ে] ওকে!??

[রাহুল স্নেহার চোখের দিক তাকিয়ে থেকে ধীরেধীরে স্নেহার পা ঘষতে লাগলো…. স্নেহা রাহুলের চোখের দিকে এক নজরে চেয়ে আছে..?]

হঠাৎ,

স্নেহা : আ..আ..আ

[ Rahul give a tedi smile?]

রাহুল : You ok?..?

স্নেহা : বললাম চাপ না দিতে আমি ব্যথা পাচ্ছি?

রাহুল : Ok i m sorry?…but এটা এখন না ঠিক করলে পরে আরো এফেক্ট হতো তাই বসিয়ে দিলাম।

স্নেহা : ?
আচ্ছা ?তুমি বললে না যে, ঐটা কিভাবে জানলা…

রাহুল : [দাঁড়িয়ে গিয়ে] ওকে বাই!

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : গুড নাইট! [রাহুল চলে গেলো ]

মার্জান : [এগিয়ে এসে] কি হচ্ছে স্নেহা তুই গেলি সামিরের সাথে আর আসলি রাহুলের সাথে কিছুই তো বুঝলাম না..

স্নেহা : তুকে বলেছিলাম না…রাহুল সামিরকে jealous করে…তাই ও..?

মার্জান : তার মানে রাহুল ও তোকে..?

স্নেহা : হুম?
কিন্তু কোনোভাবে শিকার করছে না..?

মার্জান : আরে করবে করবে… Don’t worry..এতোটুকু যখন এগিয়েছে..বাকিটাও করবে?

স্নেহা : হুম? [ স্নেহার মনে পড়ছে সামির তার সাথে কি করতে ছেয়েছিলো ভেবে স্নেহা upset হয়ে যায়]

মার্জান : এই! কি ভাবছিস মুখ গোমড়া করে?

স্নেহা : নাহ কিছু না?

মার্জান : আমিতো পুরাই অবাক হয়ে গেছি.. রাহুল তোকে কোলে নিয়ে..যেভাবে হিরোর মতো দাঁড়িয়ে ছিলো…
মানতে হবে স্নেহা তুই তো রাহুলকে তোর জালে ফাসিয়েই নিয়েছিস…?

স্নেহা : [ in Action mood] একবার জো মে কামিটমেন্ট কারদেতি হু…পির মে আপনে আপকি ভি নেহি সু্নতি…?

মার্জান : রাখ তোর সালমান খানের ডায়লগ… এইবার তোর আসল সালমানের ডায়লগ বল??

স্নেহা : Shut-up?

মার্জান : জাষ্ট এটাই??

স্নেহা : হুম??

পরদিন ভার্সেটিতে,

রাহুল : নেহা! কি শুনছি এসব?..তুমি নাকি ব্যাংকক যাচ্ছো?..

নেহা : হে ঠিকই শুনেছো…তোমাকে তো..বলেছি কিন্তু তোমার কি জবাব?..

No neha it’s not a perfect time..

সামনে এক্সাম ঐটা শেষ করেনি.. then
etc etc…

রাহুল : কিন্তু নেহা তুমি ওদের সাথেই যাবে একা?..

নেহা : হুম! কারণ আমার ইচ্ছে যখন হয়েছে যাওয়ার So আমি যাবোই…তুমি চাইলে যেতে পারো..

রাহুল : তোমার ইচ্ছে.. আর আমার কথার কোনো মুল্য নেই…?

নেহা : দেখো রাহুল! আমিতো তোমাকে ও যেতে বলছি..কিন্তু তুমি নিজেই যাচ্ছো না….

রাহুল : তোমার বয়ফ্রেন্ড গুলাও যাবে?..

নেহা : এক্সকিউজ মি! বয়ফ্রেন্ড মিনস্?..?

রাহুল : তোমার ছেলে ফ্রেন্ডগুলো..?

নেহা : অউ..হুম যাবে!

রাহুল : Ok fine..আমিতো ভুলেই গিয়েছি তুমি তো আবার ওদের ছাড়া কোথাও যেতে পারো না… go.? all the best..[ রাহুল চলে গেলো ]

[নেহা তাকিয়ে থাকে…]

[স্নেহা চারদিক রাহুলকে খুজছে আজ ক্লাসেও দেখা পেলো না…]

হঠাৎ,একটি ক্লাসের মধ্যে থেকে সামির স্নেহাকে টেনে নিলো…

স্নেহা : তুমি?

সামির : [একটি চিকন ছুরি স্নেহার গলায় ধরে..]

স্নেহা ভয়ে কাঁপতে লাগলো…

সামির : যদি চিৎকার করো তাহলে আমিও এটা চালাতে বাধ্য হবো..

দেখো স্নেহা..আমি চায় না তোমাকে কষ্ট দিতে…কিন্তু তুমি আমাকে বাধ্য করছো…

কাল রাহুলকে আসতে বলেছিলে কেনো?..

স্নেহা : [কাপা গলায়] আমি জানিনা রাহুল কেমনি জানলো…

সামির : [চেঁচিয়ে ]তুমি জানো না?..মিথ্যা বলবা না…আমি ঐদিন দেখেছি…তুমি আর রাহুল এক ক্লাসে..ছিলে..আর রাহুল তোমার অনেকটা কাছে… আর আমি এটাও জানি যে তুমি আমার সাথে সব নাটক করেছো রাহুল কে দেখানোর জন্য…

স্নেহা অবাক হয়ে সামিরের দিকে তাকিয়ে রইলো.?

সামির : অবাক হচ্ছো কেনো?…[সামির স্নেহার গলা থেকে ছুরি নামিয়ে..] ছোট থেকেই রাহুল আমার লাইফ শেষ করে দিয়েছে….আমি যেটাই চায় সেটাই ও নিয়ে নেই… স্কুল লাইফ থেকে আমরা ফ্রেন্ড ছিলাম… সব গেইমে ওই ফার্ষ্ট আসতো…

একটা মেয়েকে পছন্দ করেছিলাম…মেয়েটা কিছু বলতো না শুধু হাসতো
ভয়ে বলতে পারছিলাম না..তখন রাহুল বুদ্ধি দিলো একটা চিঠি লিখতে..লিখলাম কিন্তু নিজ হাতে দিতে ভয় পাচ্ছিলাম..তাই রাহুলকে দিয়েই পাঠিয়েছিলাম…পরদিন মেয়েটা চিঠিতে উত্তর দিলো.. আমি তোমাকে দেখে হাসতাম না…তোমার পাশে যে হ্যান্ডস্যাম ছেলেটা ছিলো ওকে দেখে হাসতাম..আই লাভ হিম?

রাহুলের সামনেই চিঠিটা পড়েছি..সব ফ্রেন্ডসরাই হেসেছিলো..ইনফেক্ট রাহুল ও…

এরপর থেকেই রাহুল আর আমার বন্ধুত্ত ছুটে যায়…

পরে কলেজে উঠি…কার রেসিং এ আমি আর রাহুল famous ছিলাম… একদিন একটা রেসিং কার চুজ করলাম কিনবো বলে… ? কিন্তু ঐ রাহুল সেটাও আমাকে কিনতে দিলো না..আমার কিনতে একটু লেইট হচ্ছিলো…তাই..তিনদিন পর দেখি অই কারটা রাহুল কিনে ফেলেছে… যদি ও আমি আবার কিনতে চাই..তা ইম্পোর্ট এর মাধ্যমে কিনতে হবে… অইভাবে কিনতে গেলে কমপক্ষে ১সপ্তাহ লাগবে… কিন্তু ৪দিন পরেই আমাদের রেস ছিলো… কি আর হলো রাহুলই ফার্ষ্ট হয়েছে..কারণ আমার কার ছিলো 1year old… আর ওরটা ছিলো নিউ মডেলের এন্ড ২গিয়ারের…

2nd সেমিষ্টারে উঠলাম… যেদিন প্রথমি আমি নেহাকে দেখি আর ওর প্রেমে পড়ে যায়…নেহার ড্রেস..নেহার ফ্যাশন নেহার সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করে দেই… ধীরেধীরে নেহার সাথে অনেকটা ক্লোজ হয়ে যায়…

রাহুল আনপ্লাগড সিংগিং করে…নেহার প্রতি রাহুলের কোনো ইন্ট্রেষ্ট ছিলো না..

কিন্তু রাহুল যখন জানতে পারে…আমি নেহাকে পছন্দ করি.. সেটা নিয়ে ও অনেক হাসাহাসি করে ও…আর ওর ফ্রেন্ডসরা…

নেহা জানতো যে রাহুল ওকে কেয়ার করে না..সেটা আমিও জানতাম… একদিন কলেজের একটা প্রোগ্রামে…নেহা রাহুলকে একটা গানের জন্য রিকোরেষ্ট করে,, এমন অনেক মেয়েই রাহুলকে রিকোয়েষ্ট করে কিন্তু রাহুল…সেগুলো কেয়ার করে না…রাহুল নেহাকেও কেয়ার না করা সত্ত্বে…ওর রিকোয়েষ্ট করা গানটি গায়….শুধু মাত্র আমাকে jealous করানোর জন্য..? ও মজা নিতো এসবে…

পরে গিয়ে আমি..রাহুলকে..অনেক হুমকি দেই…কিন্তু তাতে তার কিছু যায় আসে না সে উলটা হেসে আমাকে চ্যালেঞ্জ করে যায়… যে আমি নেহাকে ও হারাবো…

পরদিন দেখি কলেজের সবার সামনে…রাহুল নেহাকে প্রপোজ করে..আর নেহাও কলেজের সব মেয়েদের হিট লাগিয়ে নাচতে নাচতে রাহুলকে হ্যা বলে দেই… এরপর থেকে নেহা আমাকে আর পাত্তা ও দেই না…

ইনফেক্ট রাহুল এটাও জানে যে নেহা রাহুলকে না রাহুলের পপুলারিটিকে ভালোবাসে..

তুমি বলো স্নেহা আমার কি করা উচিৎ ?

[স্নেহার ভয়ে গলার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে..]

সামির : ?আমি ডিসাইট করেছি কি জানো এরপর থেকে কোনো মেয়েকেই ভালোবাসবো না…শুধু ধোকা দিবো.. You know what আমি দিয়েছি…আমি success হয়েছি…

[সামির স্নেহার অনেক কাছে এসে] আমি এটাও বুঝতে পেরেছি যে রাহুলের অনেক মায়া হয় তোমার জন্য…So তুমিই হলে রাহুলের weakness…

স্নেহা : দেখো… প্লিজ যা হয়েছে তা ভুলে যাও তুমি নতুন করে আবার…

সামির : শিসস!…No sneha নতুন করে কিছুই হবে না… তোমার সাথে ক্যান্টিনে ধাক্ষা খাওয়ার পরে..আমার আবার রিয়েল লাভের প্রতি ইন্ট্রেষ্ট জাগে…কিন্তু আবারো ঐ রাহুল আমার সব কিছুতে পানি ফেলে দিয়েছে..?

হঠাৎ কেউ আসার শব্দ হচ্ছিলো..

সামির : ?So u are only mine….understand?. ..

Now you go…sneha…কিন্তু এই ক্লাসে যা হয়েছে তা যেন রাহুলের কানে না যায়… নয়তো তুমি বুঝতে পারছো আমি কি করবো…

স্নেহা : [ভয়ে ভয়ে] ওকে?

সামির : তোমাকে না…রাহুলকে করবো.. ? [ চেঁচিয়ে ] Understand?..

স্নেহা : [ভয়ে কেঁদে ] হে?

সামির : আর রাহুল থেকে যতো দূরে থাকবা রাহুলের জন্য ততোই ভালো হবে… [ সামির চলে গেলো ]

স্নেহা কান্না মুছে ক্লাস থেকে বের হয়..

মার্জান : স্নেহা কি হয়েছে?..এভাবে হয়ে আছিস কেনো?.. [স্নেহা চুপ করে থাকায় মার্জান স্নেহাকে টেনে লাইব্রেরী নিয়ে একটা চেয়ারে বসায়]

স্নেহা কেঁদে দিলো…

মার্জান : স্নেহা কি হয়েছে বলনা..কাঁদছিস কেনো?

[স্নেহা মার্জানকে বলতে যাচ্ছিলো ঠিক সেই সময় দেখে লাইব্রেরীতে রাহুলের এন্ট্রি… ]

[রাহুল স্নেহাকে দেখে একটু অবাক হলো কারণ স্নেহার চোখ ভেজা…]

স্নেহা আর মার্জান দুজনই চুপ হয়ে রইলো… রাহুল কাছে এসে…দাঁড়ায়..

মার্জান : তুই বয় আমি আসি, [মার্জান উঠে চলে যাচ্ছে..]

স্নেহা : কোথায় যাচ্ছিস দাড়া আমিও যাবো…

রাহুল : স্নেহা ওয়েট! [মার্জান চলে গেলো..স্নেহা ও চলে যেতে চাইলো.. রাহুল স্নেহাকে ধরে ফেললো.. ]

স্নেহা : দেখো প্লিজ আমাকে যেতে দাও..

রাহুল : স্নেহা কি হয়েছে তুমি কাঁদছো কেনো?…

স্নেহা : আমি কাঁদছি না [ স্নেহা চলে যাচ্ছিলো..রাহুল স্নেহাকে শক্ত করে টেনে ধরে..]

রাহুল : কাঁদছো কি.. না কাঁদছো তা তোমার চেহেরায় বলছে..?

স্নেহা : দেখো সবাই তাকিয়ে আছে..হাত ছাড়ো…

রাহুল : ছেড়ে দেবো.. বলে দাও..

স্নেহা : [ রেগে? ] আজিব! কেনো বলবো.. কি হোও তুমি আমার…

রাহুল : [স্নেহাকে পিছে টেলে দেওয়ালের সাথে জোড়ে ধাক্ষা দিয়ে লাগায়…স্নেহা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে] আমার চোখের দিকে তাকাও তারপর কথাটা বলো…. ? কি হলো স্নেহা..

স্নেহা : দেখো সবাই চেয়ে আছে…?

রাহুল : চেয়ে থাকুক I don’t care…?

স্নেহা : [রাহুলের চোখের দিক তাকিয়ে চোখ থেকে দু ফুটো জল গড়িয়ে ফেলে..] আমি কাঁদলে তোমার কি কষ্ট হচ্ছে?…

[রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে আছে…]

স্নেহা : বলো রাহুল..

[রাহুল মাথা নিচু করে স্নেহা থেকে হাত সরিয়ে নেই]

স্নেহা : জবাব নেই তাই না…তাহলে আমি কাঁদছি কেনো জেনে কি করবা…ওটাও না জানা থাকুক…

[ স্নেহা চলে গেলো ]

[সবাই রাহুলের দিক তাকিয়ে আছে রাহুল ও আর কিছু না বলে চলে যায় ]

[রাহুল পার্কিং এর দিক গিয়ে গাড়ীর দরজা খুলছিলো ঠিক সেই সময়..রাহুলের হঠাৎ সামিরের কথা মনে পড়ে…]

রাহুল : [মনে মনে] Oh shit! damn it? নিশ্চয় ঐ সামির স্নেহাকে আবারো…

[ তাড়াতাড়ি গাড়ী ড্রাইভ করে রাহুল ভার্সেটি থেকে বের হয়…দেখে স্নেহা বাসে্ উঠে গিয়েছে…বাস্ চলতে থাকে রাহুল ফাষ্ট চালিয়ে বাস্ ওভারটেইক করে, গাড়ী সামনে এনে দাড় করায়…তাতে বাস্ ও থেমে যায়… রাহুল গাড়ী থেকে নেমে তাড়াহুড়ো করে বাসে্ উঠে…]

ড্রাইভার : আরে ভাই সমস্যা কি আপনার এভাবে গাড়ী সামনে এনে দাঁড়ায় করাইলেন…

[রাহুলকে বাসে্ দেখে স্নেহা Shocked হয়ে যায়]

রাহুল : স্নেহা নিচে নামো কথা আছে!

স্নেহা : আরেহ! পাগল নাকি তুমি?

রাহুল : [ রেগে ] হ্যা আমি পাগল হয়েছে?..? এবার নামো..

[হঠাৎ একটা লোক চেঁচিয়ে বলে উঠে..আরে কে আপনি ওনাকে ডিষ্টার্ব করতেছেন কেনো]

রাহুল : [ রাগান্বিত ভাবে লোকটার দিকে তাকিয়ে ] ওকে করছি তোকে তো আর করিনাই…

মার্জান : [স্নেহার কানে ফিসফিসিয়ে] দেখ স্নেহা হয়তো কোনো ইম্পর্টেন্ট..কিছু হবে…যা গিয়ে দেখ..

স্নেহা : তুই চুপ কর! [ রাহুলের দিকে তাকিয়ে ]দেখো.. পাগলামো করো না যাও…গিয়ে তোমার গাড়ীটা সরাও..পেছনে জ্যাম লেগে যাচ্ছে…

রাহুল : ?ঠিকভাবে বলছি নামবা কি নামবা না?..

স্নেহা : আজিব! আমি না গেলে জোড় করে নিয়ে যেতে পারবা নাকি…

রাহুল : [স্নেহার হাত ধরে] ?এখন টেনে নিচ্ছি…যদি প্রয়োজন হয় তাহলে উঠায় নিবো…

স্নেহা : আরেহ!?

[ রাহুল স্নেহাকে টেনে টেনে নিচে নামিয়ে নিলো ]

স্নেহা : [চিৎকার করে করে বলতে লাগলো ] কিডন্যাপ প্লিজ হেল্প…কেউ বাচাও…প্লিজ

হঠাৎ..একটি সার্জেন পুলিশ এগিয়ে আসে…

সার্জেন পুলিশ : কি ব্যাপার কি হচ্ছে?…

স্নেহা : কিডন্যাপ করছে আমাকে প্লিজ হেল্প..

রাহুল : [ পুলিশকে ইশারা করে] পাগল তাই…?

স্নেহা : এক্সকিউজ মি আমি মোটেও পাগল না বুঝেছো…দেখেন স্যার প্লিজ আপনি ওতে লকাপে..ঢুকান..

[রাহুল পুলিশকে ইশারা করে পাশে ঢেকে নেই কানে কানে কি যেন বললো পুলিশ একটু হেসে দেই…তারপর রাহুল পকেট থেকে কি যেন বের করে কেউ না দেখে মতো পুলিশের হাতে ঢুকিয়ে দেই…পুলিশ একটু হেসে স্নেহার দিক তাকিয়ে চলে যাচ্ছিলো]

স্নেহা : আরেহ! কই যাচ্ছেন..স্যার..?

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] Shut-up?

স্নেহা : [চুপ হয়ে গেলো ]??

[রাহুল স্নেহাকে টেনে গাড়িতে বসিয়ে লক করে দেই..]
[রাহুল ও গাড়িতে বসে..চালিয়ে চলে যায়]

[দুজন দুজনের দিক রাগান্বিতভাবে তাকাচ্ছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না…প্রায় আধ ঘন্টা পর রাহুল একটি নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে গাড়ী দাড় করালো…]

[রাহুল উঠে স্নেহার পাশে গিয়ে দরজা খুলে নামাতে চাইলে,,]

স্নেহা : করছোটা কি ? হাত ছাড়ো…

[ রাহুল টেনে স্নেহাকে নামিয়ে জোড়ে দরজা বন্ধ করলে স্নেহা কানে হাত দিয়ে দেই?]

রাহুল : [স্নেহাকে গাড়ির সাথে ধাক্ষা দিয়ে লাগিয়ে] লুক…কোনো ড্রামা করবানা?….যা বলবো ডিরেক্ট আন্স্যার দিবা…

স্নেহা : ?তোমার কোনো কিছুর..জবাব দিতে পা…

রাহুল : ?Shut-up…..[স্নেহা ভয় পেয়ে যায়…রাহুল কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে থাকে]

দেখো স্নেহা…কি হয়েছে আমাকে খুলে বলো…সামির কিছু করেছে আবার?..

[স্নেহা রাহুলের হাত সরিয়ে গাড়ীর দরজা খুলে…রাহুল জোড়ে আবার দরজাটা লাগিয়ে দেই]

রাহুল : বলো কি করেছে… [রেগে স্নেহাকে ঝাড়ি দিয়ে] Say something damn it! ?

স্নেহা : [কেঁদে নিচের দিক তাকিয়ে] সরি! রাহুল আমি তোমাকে কিছুই বলতে পারবো না?

রাহুল : কেনো?..কেনো পারবা না?..বলো স্নেহা?…?

স্নেহা : ব্যাস! পারবো না এইটুকুই জানো… ?

রাহুল : স্নেহা প্লিজ!..?

[স্নেহা চুপ হয়ে রইলো ..]

[রাহুল স্নেহার কাছ থেকে সরে দাঁড়িয়ে…হঠাৎ গাড়ীর গ্লাসে জোড়ে বাড়ি দেই…এবং রাহুলের হাত থেকে অজর জোড়ে রক্ত বেয়ে পড়ে..]

স্নেহা : [রাহুলের হাত টেনে নিয়ে চিৎকার করে..] রাহুল!…কি করছো এসব…পাগল নাকি…

রাহুল : [তার হাত টেনে নিয়ে] বলো স্নেহা…সামির কি করেছে?..?

স্নেহা : [রাহুলের হাতটি আবার টেনে নিয়ে ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে নেই] এভাবে জোড়ে মারে নাকি…দেখো তো কতোগুলো রক্ত ঝড়ছে…?

[রাহুল তার হাত আবার ও টেনে নিয়ে রেগে গ্লাসে আবার বাড়ি মারে]

স্নেহা : [ এবার অনেক ভয় পেয়ে কেঁদে ] ওকে ওকে..?? বলছি প্লিজ! এমন করো না…??… [স্নেহা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পড়ে]

[রাহুল ও বসে…স্নেহার সামনে]

স্নেহা : দেখো রাহুল সামির বলেছে ও যদি আমাকে তোমার আশেপাশে দেখে তাহলে তোমার ক্ষতি করবে..? আমি চাই না আমার জন্য তোমার ক্ষতি হোক..[স্নেহা ফুফিয়ে কাঁদতে থাকে]

রাহুল : রিলেক্স স্নেহা কিছু করতে পারবেনা সামির আমাকে…
Damn it!? তুমি ওর কথায় আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছো… আমার দিকে তাকাও স্নেহা আর কিছু করেছে সামির তোমাকে?… [রাহুল স্নেহার চোখ মুছে দিলো স্নেহা রাহুলের রক্ত ভরা হাতটি টেনে নিলো.. রাহুল চেয়ে আছে]

রাহুল : Don’t worry..সেরে যাবে..

স্নেহা : সব কিছুতে এতো রাগ দেখাও কেনো…

রাহুল : দেখো স্নেহা..তুমি কাঁদলে আমার মোটেও সজ্য হয় না…

স্নেহা : কেনো?..কেনো সজ্য হয়না?…

[রাহুল কিছুক্ষণ স্নেহার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে যায়]

স্নেহা : [দাঁড়িয়ে গিয়ে] কি হলো রাহুল বলো কেনো সজ্য হয় না?..?

রাহুল : [পেছন ফিরে যায়] গাড়িতে উঠো স্নেহা…

স্নেহা : কেনো সজ্য হয়না বলো রাহুল…

[রাহুল স্নেহার দিকে ফিরে তাকিয়ে স্নেহাকে হাত ধরে..গাড়িতে ঢুকায়..স্নেহা আর কিছু বলে না চোখ থেকে শুধু অশ্রু ফেলে..]

[রাহুল স্নেহাকে হোষ্টেলে পৌছে দিয়ে বাড়ি চলে যায়..]

মার্জান : স্নেহা! কি হয়েছে?..কোথায় নিয়ে গিয়েছিলো রাহুল?.

[স্নেহা মার্জানকে ঝড়িয়ে কেঁদে উঠে…এবং সামিরের সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা মার্জানকে খুলে বলে]

মার্জান : স্নেহা যদি রাহুল না যেতো ঐদিন তোর কি হতো… ? আর তুই আমাকে মিথ্যে বলেছিলি কেনো?…

স্নেহা : ??

মার্জান : আচ্ছা হয়েছে ব্যাস…আর কাঁদতে হবে না…যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নে….

[রাহুল বাসায় গিয়ে রুমে বসে ভাবতে থাকে.. কেনো স্নেহাকে বলতে পারলো না…স্নেহার কান্না তার সজ্য হয়না…কেনো ?
এদিক ওদিক হাটতে থাকে রাহুল…ইচ্ছে করছে সামিরকে গিয়ে এক্ষুনি খুন করে ফেলতে..]

বিকেলে রাহুল অপেক্ষা করে..স্নেহা কখন আসবে…কিন্তু অপেক্ষার শেষ নেই…স্নেহা ও আসে না….

পরদিন ভার্সেটি গিয়ে পৌছায়…

[দেখে স্নেহা ক্লাসে ঢুকেছে..রাহুল স্নেহাকে দেখে একটু হাসে…কিন্তু স্নেহা না হেসে চুপচাপ গিয়ে বসে যায়]

ক্লাস শেষে বের হতে যাবে…ঠিক তখন দেখে রাহুলের ফ্রেন্ড আসিফ রাহুলকে ধরে বলতে লাগলো..

আসিফ : হেই রাহুল..সামির কে দেখে এসেছি হসপিটালে…?? কি না দিলি বস্ মনে হচ্ছে…২বছরেও বেড থেকে উঠে..দাড়াতে পারবে না…

রাহুল : ২বছর কেনো আমিতো চাই যেন সে সারা জীবন বেড থেকে উঠতে না পারে….?

আসিফ : আচ্ছা চল…কেন্টিনে..

[ আসিফ আর রাহুল কেন্টিনে চলে যাচ্ছিলো..পেছন থেকে স্নেহা এসে রাহুলের হাত ধরে ফেলে…রাহুল তাকিয়ে দেখে স্নেহা…আসিফ ও হা করে চেয়ে আছে কিন্তু কিছু বলছে না..স্নেহা রাহুলকে টেনে লাইব্রেরীর রুমে নিয়ে যায়… স্নেহা কিছু বলতে চাইলো কিন্তু আশেপাশে তাকিয়ে দেখে অনেকে চেয়ে আছে…রাহুল সেটা বুঝতে পারায়…সে স্নেহাকে নিয়ে সেল্ফের এক কোণায় দাড় করায়]

রাহুল : স্নেহা! কিছু বলবা?..

স্নেহা : তুমি সামিরকে মেরেছো?

রাহুল : [স্নেহার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে…] নাহ!

স্নেহা : মিথ্যে বলছো কেনো রাহুল..আমি তোমার আর আসিফের সব কথা শুনেছি…?

রাহুল : ?হ্যা মেরেছি…আমি সামিরকে মেরেছি তো?…

স্নেহা : তুমি মারামারি ?

রাহুল : হ্যা আমি মারামারি করেছি… ?

স্নেহা : কেনো করেছো?…

[রাহুল Silent ]

স্নেহা : বলো না কেনো মেরেছো?…

রাহুল : মেরেছি কারণ ও তোমার সাথে..কথা বলেছে…ও তোমাকে টাচ্ করেছে..ও তোমাকে হুমকি দিয়েছে তাই…?

[স্নেহা Shocked হয়ে রাহুলের দিক চেয়ে আছে…রাহুল বেড়িয়ে গেছে…স্নেহা ও ধীরেধীরে ভাবতে ভাবতে লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে যায়]

আসিফ : স্নেহা!

স্নেহা : [পেছন ফিরে তাকায়] হ্যা..

আসিফ : ঐদিন সামির তোমাকে ক্লাসে..যা যা বলেছে সবকিছুর ডিটেল রাহুল বের করেছে…

[স্নেহা অবাক হয়ে চেয়ে আছে আসিফের দিকে]

আসিফ : এক্সুলি..আমাদের ভার্সেটির কিছু ছোট ভাই..রাহুলকে সব বলেছে…তারা দেখেছে সামির তোমাকে…গলায় ছুরি..?

[স্নেহার কিছু বলার শক্তি আর নেই…সে আর এক মুহূর্তের জন্য…ভার্সেটি দাঁড়াইনি…]

মার্জান : কি হলো স্নেহা?…তুই আমাকে ফেলে চলে এলি যে?..

স্নেহা : আমার না একটু খারাপ লাগছিলো…তাই..

মার্জান : অন্তত বলে আসতে পারতি…?

রাহুল তোকে খুঁজেছিলো…[স্নেহা উঠে চলে যায়]

বিকেলে স্নেহা রাহুলদের বাসায় যায়,

সিফা : স্নেহা কাল আসোনি যে?..তোমার জন্য অনেক্ষণ অপেক্ষা করেছিলো?

স্নেহা : আসলে কিভাবে বলি! আমি না..

সিফা : [স্নেহার কাছে এসে] কি হয়েছে স্নেহা তোমার কি মন খারাপ?…

স্নেহা : আমি আর আসতে পারবো না…প্লিজ ফাবিহার জন্য অন্য একটি টিচার খুজে নিয়েন…

সিফা : আসতে পারবে না মানে ?..কিন্তু কেনো?…

স্নেহা : আমি আসি…আমার একটু তাড়া আছে.. [ স্নেহা চলে যায়]

[স্নেহা হোষ্টেলে গিয়ে রুমে বসে কাঁদতে থাকে…হঠাৎ চোখ পড়ে…চেয়ারের উপর পড়ে থাকা সেই রক্ত ভরা ওড়নার উপর…. ওড়নাটি স্নেহার সাথে অনেক কথা বলছে…স্নেহা এক নজরে চেয়ে ওড়নাটিকে জবাব দিচ্ছে]

[রাহুল রুমে বসে তার হাতের দিকে চেয়ে আছে… মনে পড়ছে স্নেহা তার হাতকে ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে নিচ্ছিলো…রাহুল ভাবছে আর ব্লাশিং হচ্ছে…?]

মার্জান : এই স্নেহা! কি হলো তোর বলতো?…

স্নেহা : মার্জান! আমি বাবাকে ফোন করে বলেছি বাড়ী যাবো… বাবা! হরি কাকাকে পাঠাচ্ছে আমাকে নিতে…

মার্জান : কিহ!? তুই কি পাগল হয়ে গেছিস?…

স্নেহা : মার্জান! আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম..?. আমি বুঝতে পারিনি…
আমার কারণে…রাহুলের ক্ষতি হোক আমি চাই না…রাহুল সামিরের সাথে মারামারি করেছে..আমার কারণে কাল না জানি আবার কি করে বসে…

রাহুল আর নেহার মাঝে…ঝগড়া হচ্ছে…এসব আমিই তো চেয়েছিলাম যে ওদের মাঝে ঝগড়া হোক…কিন্তু আমি এখন বুঝতে পারছি…সব কিছুই ভুল হয়েছে আমার…?

মার্জান : কিন্তু স্নেহা…?

স্নেহা : আমি এখানে থাকলে নিজেকে রাহুলের কাছ থেকে দূরে রাখতে পারবো না মার্জান…?

[In rahul’s home]

রাহুল : ফাবিহা তোমার টিচার আসেনি.?

ফাবিহা : [মন খারাপ করে] টিচার আর কখনো আসবে না বলেছে..

রাহুল : What? আসবে না?.. কিন্তু কেনো…

ফাবিহা : জানিনা… মা এতোটুকুই বলেছে…?

রাহুল : [সিফার রুমে গিয়ে] ভাবী স্নেহা নাকি আর আসবে না…

সিফা : হ্যা তাইতো বলেছে..কারণ জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু কিছুই বললো না… মনে হচ্ছিলো অনেক টেনশনে আছে…

[রাহুল আর কিছু না বলে রুমে চলে যায়…ফেসবুকে ঢুকে স্নেহাকে মেসেজ করতে থাকে…কিন্তু স্নেহা অনলাইনে নেই…অনেক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকে কোনো রিপ্লাই আসে না..]

পরদিন ভার্সেটি গিয়ে পৌছায় রাহুল,কিন্তু স্নেহার কোনো দেখা নেই…ক্লাস শেষে

রাহুল : [ মার্জানের কাছে এসে] স্নেহা কোথায় ও গতকাল বাসায় ও আসেনি আজ ভার্সেটি আসেনি…ওর শরীর ঠিকাছে?…

[মার্জান কিছু না বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে চলে যায়]

রাহুল মার্জান থেকে কোনো জবাব না পেয়ে…বাড়ী চলে যায়…ফেসবুকে ঢুকে দেখে কোনো রিপ্লাই আসেনি স্নেহার…আর সজ্য হচ্ছে না রাহুলের সোজা গিয়ে হোষ্টেলে পৌছায় রাহুল…

[মার্জান দরজা খুলে রাহুলকে দেখে অবাক হয়ে যায়]

রাহুল : স্নেহা কোথায়?…

মার্জান : নেই!?

রাহুল : নেই মানে?…[ রাহুল ভেতরে ঢুকে পুরা ঘর খুজে দেখলো] দেখো প্লিজ স্নেহা কোথায় বলো?…

মার্জান : চলে গেছে!

রাহুল : কোথায়?…

মার্জান : যেখান থেকে এসেছে সেইখানেই চলে গেছে..

রাহুল : প্লিজ একবার বলো কোথায় গেছে…এরপর আমি তোমাকে আর ডিষ্টার্ব করবো না…

মার্জান : গৌরাকপুর, তার গ্রামের বাড়ী চলে গেছে..

[মার্জানের কথা শুনে রাহুলের মাথায় যেন বাজ ভেংগে পড়লো] রাহুলের মুখ দিয়ে আর একটা শব্দ বের হচ্ছে না…

মার্জান : স্নেহা তোমাকে অনেক!?

রাহুলের চোখ ভিজে আসছিলো জানেনা সে তার চোখ কেনো ভিজে যাচ্ছিলো… [ রাহুল চলে গেলো ]

প্রায় ১সপ্তাহ হয়ে গেলো… নেহা তার ফ্রেন্ডসদের নিয়ে ব্যাংকক এঞ্জয় করছে…এইদিকে স্নেহার ও আর কোনো খবর পেলো না…স্নেহাকে ছাড়া রাহুলের এক একটা দিন কাটছে বছরের মতো…

[রুমে বসে স্নেহার কথা ভাবছে রাহুল..স্নেহা এমন কেমনি করতে পারলো…একটাবার আমার কথা মনে পড়েনি ওর…]

হঠাৎ, ফোন বেজে উঠলো

রাহুল : হ্যালো…

আসিফ : দোস্ত গৌরাকপুরের ঠিকানা পেয়েছি..

রাহুল আসিফ থেকে ঠিকানা সব জেনে নিয়ে আর এক মুহূর্ত ও দেরী করেনি… গাড়ীতে উঠে সোজা গৌরাকপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই…

পৌছাতে পৌছাতে সকাল ফেটে গেলো… চারদিক সবুজ ধানের ক্ষেত…. সাড়ি সাড়ি কাশফুল…
আকাশের অবস্থাও তেমন ভালো না…মনে হচ্ছে এক্ষুনি…ভাসিয়ে দিবে পুরো গ্রাম…

গাড়ী থেকে নেমে এদিক ওদিক তাকালো ফোটা ফোটা বৃষ্টি পড়ছে…কিন্তু স্নেহাদের বাড়ী কোনটা রাহুল খুজে পাচ্ছিলো না…কয়েকটা লোক তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক…

কিছু ছোট ছোট বাচ্চারা রাহুলের গাড়ীর আশেপাশে ঘুরঘুর করে তাকাচ্ছে…গ্রামে অবশ্য সচরাচর এমন গাড়ী কমই দেখা যায় তাই…

রাহুল একটি পিচ্চি ছেলেকে ইশারা দিয়ে ডাকদিলো…তারা সবাই একসাথেই এগিয়ে এলো রাহুলের দিক..

রাহুল : চেয়ারম্যান এর বাড়ী চেনো?… i mean আগে ছিলো চেয়ারম্যান এখন না…

ছেলেটি : নিলাজ বাড়ী?

রাহুল : হ্যা হ্যা ঐটাই…

ছেলেটি : ঐ যে সামনে যে দিঘিটা দেখতেসেন ঐটা ফালাই গেলে…যে বড় বাড়ীটা সেটাই…

রাহুল : ওকে থেংক্স??

রাহুল আবার গাড়ীতে উঠে…গিয়ে দিঘীর কিছুটা দূরে গিয়ে গাড়ী দার করালো সামনে আর যাওয়া যাবে না রাস্তা ছোটো… কিন্তু দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে নিলাজ বাড়ীটি…
অনেক পূরোনো বাড়ী মনে হচ্ছে…দূর থেকে চারদিক খুব সুন্দরই লাগছিলো…

ওয়েদারটাই স্নেহার কথা ও অনেক মনে পড়ছে রাহুলের? ভাবতে ভাবতেই রাহুল ব্লাশিং
[ বৃষ্টি নেমে এলো.. রাহুল তাড়াতাড়ি গাড়ীতে উঠে পড়ে…

[হঠাৎ…বাড়ীটির দিকে আবার তাকাতেই…রাহুলের বুকে কম্পন হতে লাগলো?]

স্নেহা উঠোনে নেমেছে বৃষ্টির মজা নিতে?রাহুল তাকিয়ে আছে…আজ কতোদিন পর এই চেহেরা দেখতে পাচ্ছে তাও আবার বৃষ্টি দিয়ে বরণ করে…

ভাবতে ভাবতে রাহুল ও গাড়ী থেকে নেমে পড়ে…ভিজে যাচ্ছে রাহুল…না থাক আজ ভিজেই যাক…তাতে ক্ষতি কি..? ধন্যবাদ জানালো রাহুল আল্লাহকে স্নেহাকে বরণ করার জন্য…

চলবে….

♥Love At 1st Sight $2 Part : 9 

0

Love At 1st Sight $2

Part : 9

writer-Jubaida Sobti

সবকিছু শেষ করে…স্নেহা ভার্সেটি থেকে বেড়িয়ে বাসে্ উঠছে…ঠিক সেই সময়…জোড়ে গাড়ির হর্নের আওয়াজ শুনতে পায়…?
স্নেহা ভয় পেয়ে পেছন তাকাতেই দেখে রাহুল…তেডি স্মাইল দিয়ে হাসছে..?

স্নেহা : [রাহুলের গাড়ীর দরজার সামনে এসে] তুমি না আসলেই একটা চাচোড়া..?

রাহুল : [হেসে হেসে] স্নেহা তুমি ভয় পেলে আমার কি দোষ… বলোতো..?

মার্���ান : স্নেহা আয় বাস্ ছাড়ছে…

রাহুল : গো গো.. ?স্নেহা তখন আবার বাস্ ছুটে যাবে?

স্নেহা : তোমাকে তো আমি পড়ে দেখে নিবো…?

রাহুল : বাই?

স্নেহা আর কিছু না বলে বাসে্ উঠে যায়..

মার্জান : কি বলছিলি রাহুলকে..

স্নেহা : বলছি অনেক কিছু..?

মার্জান : এসব কি ভালো হচ্ছে??..তুই সামিরকে দিয়ে রাহুলকে jealous করাচ্ছিস…আবার রাহুল যদি নেহার সাথে কিছু করে তখন তুই jealous হচ্ছিস…

স্নেহা : ওসব তুই বুঝবি না…?

বিকেলে স্নেহা রাহুলদের বাসায় যায়..

বাড়ীতে ঢুকে স্নেহা উপরের দিকে এদিক ওদিক ঘুরঘুর করে তাকাচ্ছে…

সিফা : কাউকে কি খুজছো?..?

স্নেহা : [একটু ঘাবড়ে যায়?] কই নাতো..

সিফা : ওও…আচ্ছা..আমি ভেবেছিলাম উপরের কাউকে খুজছো..?

স্নেহা : [মনে মনে] নিশ্চয় দাদী সিফা ভাবীকে ও বলে দিয়েছে…?

সিফা : কি হলো কি ভাবছো?…

স্নেহা : কই না কিছুনা??…ফাবিহা কোথায়..?

সিফা : আসলে ফাবিহার না অনেক জর উঠেছে…?

স্নেহা : আচ্ছা? এখন কেমন আছে ও?..

���িফা : মোটামুটি..? আচ্ছা স্নেহা! আমাকে একটা হেল্প করবে..

স্নেহা : হ্যা বলেন?..?

সিফা : একটু এই কফিটা রাহুলের রুমে দিয়ে আসো না প্লিজ!…আমি ফাবিহাকে নিয়ে একটু ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম..

স্নেহা : আমি দিয়ে আসবো ?

সিফা : কেনো সমস্যা হবে?.. ?আচ্ছা ঠিকাছে…

স্নেহা : না না না! সমস্যা কেনো হবে..আসলে!?? আচ্ছা ঠিকাছে এইদিকে দিন..

সিফা : ওকে নাও…[ স্নেহা কফির গ্লাসটি হাতে নিয়ে বির বির করতে করতে চলে গেলো উপরে..]

[এইদিকে সিফা খিটখিটিয়ে হাসছে??]

স্নেহা বিরবির করতে করতে রাহুলের রুমের দরজা খুলে ঢুকে পড়ে….

হঠাৎ স্নেহা চিৎকার করে উঠে তাড়াতাড়ি পেছন ফিরে যায়,…

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] What?

স্নেহা : ছিঃ ছিঃ ছিঃ ??লজ্জা করে না তোমার এইভাবে খালি গায়ে আমার সামনে এসেছো?…

রাহুল : what nonsense! ? একতো পারমিশন ছাড়া রুমে ঢুকেছো..তার উপর আবার বলছো খালি গায়ে কেনো তোমার সামনে এসেছি?.. ?

স্নেহা : তুমি যে কাপড় ছাড়��� সেটা আমি জানি নাকি?..?

রাহুল : না জানলে দরজায় নক করে আসতে হয় এটাতো জানো?.. ?

স্নেহা : খোলা পেয়েছি তাই ঢুকে পড়েছি…তোমার উচিৎ ছিলো দরজা লাগিয়ে কাপড় পড়া…আর নয়তো ওয়াসরুম থেকে কাপড় পড়ে আসা…

রাহুল : ওহ রিয়েলি! এইবার তুমি আমাকে রুলস শেখাবা তাই না…

আর তুমি আমার রুমে কি করছো তোমার তো সামিরের কাছে থাকার কথা..

স্নেহা : আই? কথায় কথায় সামিরকে টেনে আনো কেনো?..এতো jealous করো কেনো ওকে নিয়ে…

রাহুল : whatever! সামিরকে আমি jealous করবো… so funny?

স্নেহা : এইভাবে না হেসে কাপড় টা পড়ে নিন স্যার?

রাহুল : কেনো আমাকে এইভাবে দেখে তোমার কি কিছু ফিল হচ্ছে?…?

স্নেহা : ছিঃ ?[ রাহুলের হাতে কফিটি ধরিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিলো ]

রাহুল : ??[ স্নেহার হাত ধরে টেনে নেই]

স্নেহা : আরেহ!???

রাহুল : বললা না যে?

স্নেহা : Shut-up ওকে…আমি তোমার ঐ নেহার মতো না..?

রাহুল : তাইতো তোমাকে?

স্নেহা : তাইতো আমাকে?…?

রাহুল : Nothing [ with tedi smile ?]

স্নেহা : তুমি না ৬ ফিটের এক নাম্বারে চাচোড়া…?

রাহুল : এসব তুমি কি ওয়ার্ড বলো ?what is চাছোড়া…?

স্নেহা : বুঝবা না তুমি ছাড়ো…

[রাহুল স্নেহার কোমোড়ে হাত দিয়ে আরো শক্ত করে চেপে ধরে]

স্নেহা : আরেহ! কি করছো এসব…কেউ দেখলে কি ভাববে..?

রাহুল : কি ভাববে?..?

স্নেহা : দেখো প্লিজ! আমার এসব মোটেও পছন্দ না!?….

রাহুল : [স্নেহাকে ছেড়ে দিয়ে] ? ওকে ফাইন! সামির যখন হাত ধরছিলো তখন অনেক ভালো লাগছিলো তাই না?…

স্নেহা : হুম!? অনেক!….

রাহুল : ওকে আউট!?

স্নেহা কিছু না বলে বেরিয়ে গেলো..

স্নেহা : [মনে মনে] এইবার তো ফেসে গেলা…মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম… যতোক্ষণ নিজের মুখে শিখার করবানা…ততোক্ষণ…এমনি চলবে..?

স্নেহা হেসে হেসে নিচে চলে যাচ্ছে,

দাদী : আরে স্নেহা কোথায় গিয়েছিলি?…

ফাবিহা : হ্যালো টিচার

স্নেহা : ফাবিহা?? তোমার না জর উঠেছে?….

সিফা : হে উঠেছিলো কিন্তু এখন চলে গিয়েছে?

স্নেহা : [দাদী ফাবিহা সিফা সবার ���িকে একবার একবার তাকিয়ে] তার মানে???সবাই মিলে?…

সিফা : একদম ক্যারেক্ট ধরেছো…?

দাদী : [স্নেহার কাছে এসে] দেখ স্নেহা আমার মোটেও নেহাকে ভালো লাগে না… রাহুলকে অনেক বুঝিয়েছি…কিন্তু সে কিছুতেই বুঝেনা…অনেক মেয়ের ছবি দেখিয়েছি…সুন্দর সুন্দর কোনো মেয়ের প্রতি ওর ইন্ট্রেষ্ট নেই… তার শুধু নেহাকেই চাই…?

কিন্তু যখন ফাবিহা থেকে শুনেছি…আর ঐদিন তুই পড়ে যেতে ছিলি রাহুল তোকে ধরে ফেলেছিলো.. তখন থেকে ভাবলাম হয়তো রাহুল… তোর জন্য..

সিফা : [স্নেহাকে কাছে এসে টেনে নিয়ে] উফফ দাদী রাখো তো এসব কথা…রাহুল কে ডিসাইড করার যা করার আমরা করবো তাই না স্নেহা..?

স্নেহা লজ্জায় মাথা নিচে করে ফেললো…

সিফা : উফ! দেখো তো স্নেহা লজ্জা পাচ্ছে…?

ফাবিহা : [স্নেহার হাত ধরে টেনে] come on চাচী ডান্স ক্লাসে লেইট হয়ে যাচ্ছে তো…

স্নেহা : চাচী ?

ফাবিহা : আরেহ! চাচ্চুকে বিয়ে করলে তুমি আমার চাচী হবা না…তাই এখন থেকে প্রেকটিস্ করছি…?

[ফাবিহার কথা শুনে দাদী সিফা, স্নেহা সবাই হেসে দেই…]

স্নেহা ফাবিহাকে ডান্স শেখাতে চলে যায়… সবশেষে হোষ্টেলে ফিরে…

পরদিন ভার্সেটিতে…

ক্লাসে ঢুকে স্নেহা রাহুলকে দেখে মিটিমিটি হাসতে লাগলো… রাহুল তাকালেই স্নেহা হাসে…রাহুল খুব অবাক হচ্ছিলো স্নেহার এসব কান্ডে…আবার মনে মনে ভাবছে পাগল একটা…অকারণে হাসবেই তো.. ?

ক্লাস শেষ করে চলে আসছিলো স্নেহা…

রাহুল : স্নেহা!

স্���েহা : [ফিরে তাকিয়ে] ইয়েস্

রাহুল : তুমি আমাকে দেখে হাসছিলে কেনো?..

স্নেহা : কিছু ভাবছিলাম তাই…

রাহুল : কাকে আমাকে নিয়ে?..?

স্নেহা : দেখো একটা সময় ছিলো তখন তোমাকে নিয়ে ভেবেছি…এখন..

রাহুল : ??এখন?…

স্নেহা : সামির [ বলেই লজ্জায় ফিরে চলে যায়]

রাহুল স্নেহাকে ডাকতে চেয়েও আর ডাকেনি… মাথায় প্রচণ্ড রাগ উঠছিলো রাহুলের…স্নেহাকে সামিরের ব্যাপারে বুঝিয়ে দেওয়ার পরে ও…??

নেহা : রাহুল! কি বলছিলে স্নেহাকে?..

রাহুল : কই?…কিছু না..

নেহা : ওহ! I see…কিছুই বলোনি তুমি…দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওর চলে যাওয়া দেখছিলে…

রাহুল চুপ করে থাকে…

নেহা : বলো? সত্য বলাতে এখন চুপ করে আছো তাই না?…

রাহুল : দেখো নেহা..একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না?… তুমি তো তোমার ছেলে ফ্রেন্ডসদের সাথে…একা একা ঘুরতে যাও… কই আমিতো তখন কিছু বলিনা তোমাকে…

আর আমি জাষ্ট ওর থেকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে…

নেহা : আচ্ছা তখন কিছু বলোনা তাই আজ দেখিয়ে ���িচ্ছো তাই না?…

রাহুল : আরে রেগে যাচ্ছো কেনো নেহা…তুমি বললে তাই বললাম…

নেহা : ?থাক আর কিছু বলা লাগবে না… বাই…

রাহুল : নেহা আমার কথা শোনো প্লিজ!…

নেহা রাগ করে চলে যাচ্ছিলো ঠিক সেই সময় নেহাকে রাহুলের ফ্রেন্ড আসিফ এসে ধরে ফেলে…

আসিফ : নেহা কি হয়েছে?…আরে রাহুল..কি করেছিস..ওর মন খারাপ কেনো..

নেহা চুপ করে রইলো…

রাহুল : ওকে নেহা I m sorry!..

নেহা : আমাকে কেনো সরি! বলছো যাও তুমি তোমার স্নেহার ক���ছে…

আসিফ : স্নেহা!?

রাহুল আসিফকে চোখ দিয়ে ইশারা করে বুঝিয়ে দিলো…

আসিফ : ওহ আচ্ছা স্নেহা?…সামিরের গার্লফ্রেন্ড… ??ওহ আবার কি করেছে…

আসিফের কথা শুনে রাহুলও অবাক হয়ে যায়…

রাহুল : [মনে মনে] এই আসিফ স্নেহাকে সামিরের গার্লফ্রেন্ড বলছে কেনো…?

নেহা : স্নেহা! সামিরের গার্লফ্রেন্ড?…

আসিফ : আরে হে! তুই জানিস না?…

নেহা : নাহ??…[ রাহুলের দিকে এগিয়ে আসে নেহা] সরি! রাহুল?

রাহুল : ইটস! ওকে…?

নে���া : আচ্ছা শোনো আমার না আজকে একটু বাসায় তাড়াতাড়ি যেতে হবে…ঐ যে বলেছিলামনা আমার কাজিনের বিয়ে.. ওটার জন্য কিছু শপিং করতে হবে..

রাহুল : ওকে! sure..?

নেহা : বাই!? বাই আসিফ..

আসিফ : বাই!? [ নেহা চলে গেলো ]

রাহুল : তুই স্নেহাকে সামিরের গার্লফ্রেন্ড কেনো বললি?…

আসিফ : আরে তাতে কি হয়েছে…ও সামিরের গার্লফ্রেন্ড হোক আর না হোক তাতে তোর কি?…?

রাহুল : আমার কি মানে?…? মানে আমার কিছু হতে যাবে কেনো…

আসিফ : রিল���ক্স ব্রো..? আমি বুঝতে পারছি…

রাহুল : আরে নাহ! তেমন কিছুই না..চল!

রাহুল আসিফকে নিয়ে পার্কিং এর দিকে রওনা হলো…হঠাৎ দেখে স্নেহা সামিরের সাথে কথা বলছে…দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে…

রাহুলে অনেক মুড নিয়ে তাদের দিকে না তাকিয়ে…সে তার গাড়ির দরজা খুলতে গেলো…

হঠাৎ,
স্নেহা : [চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো] আচ্ছা সামির আজ সন্ধ্যায় কোথায় যেন আসতে বললে…

[রাহুল থেমে গিয়ে স্নেহার দিকে তাকায়]

সামির : মার্মেট কেফ?

স্নেহা : [রাহুলকে শুনিয়ে শুনিয়ে] ওয়াও মার্মেট কেফ এত্তো দামী রেষ্টুরেন্টে…

সামির : আরে কি বলছো ওসব কিছু না..

স্নেহা : [ আবারো রাহুলকে শুনিয়ে শুনিয়ে ]আচ্ছা কয়টা বাজে যেনো?…

সামির : ৮:০০টা…

রাহুল : [মনে মনে] মার্মেট কেফ ৮:০০টা বাজে… কিন্তু মার্মেট কেফ তো ৭:০০টাই ক্লোজড হয়ে যায়…??

রাহুল স্নেহার দিকে রাগান্বিত ভাবে তাকায়… স্নেহা রাহুলকে দেখে একটা চোখ টিপ মাড়ে…

[রাহুল রেগে গাড়িতে ঢুকে…গাড়ী চালিয়ে চলে যায়….]

স্নেহা : [ মনে মনে ] মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম ঝলছে ঝলছে…??..ইয়েস্

সামির : আমি তোমাকে হোষ্টেলে পৌছেদি?..

স্নেহা : [মনে মনে কত্তো শখ?] না নাহ!?? আসলে আমি আমার ফ্রেন্ডসদের সাথে বাসে্ করে যায়…আমি ওদের সাথেই চলে যাবো… আসি তাহলে…

সামির : ওকে তাহলে রাতে দেখা হচ্ছে..

স্নেহা : ওকে..?

[স্নেহা হোষ্টেলে ফিরে আসে]….

”বিকেলে”

রাহুল বার বার ঘড়ি দেখছিলো…আর ড্রইং রুমে এদিক ওদি���… হাটাহাটি করছে…

সিফা : রাহুল? কারো জন্য অপেক্ষা করছিস নাকি?…

রাহুল : কই নাহ! নাতো…

সিফা : ওহ! আমি ভেবেছি…

রাহুল : স্টপ ইট! ভাবী… আমি স্নেহার জন্য মোটেও অপেক্ষা করছিনা…

সিফা : কিন্তু আমিতো স্নেহার নাম মুখে ও আনি নেই…?

রাহুল : জানি! কিন্তু তুমি ওর নামই নিতে ছিলে…

সিফা : আচ্ছা ?? সব আগে থেকে জেনে যাচ্ছিস…এখন..

রাহুল : ওহ! ভাবী… স্টপ দি ম্যাটার ওকে..?

সিফা : [ হেসে ] আচ্ছা বাবা ঠিকাছে..? এমন���তেও আজ স্নেহা আসবে না বলেছে ফোন করে…

রাহুল : what!?? স্নেহা আসবে না বলেছে… [ মনে মনে ভাবতে লাগলো রাহুল তার মানে…শিউর স্নেহা ঐ সামিরের সাথে বের হচ্ছে]

সিফা : কি হলো রাহুল?..

রাহুল : নাহ! কিছু না… [ রাহুল তাড়াতাড়ি বাড়ী থেকে বের হয়ে গেলো ]… [গাড়িতে বসে রাহুল ফেসবুকে ঢুকলো দেখে স্নেহা অনলাইনে আছে]

রাহুল : স্নেহা! আজ আসোনি কেনো?…

স্নেহা : উফ! এখন মেসেজ করো না ডিষ্টার্বিং হচ্ছি… আমি সামিরেরে সাথে চ্���াট করছি…

রাহুল : ওকে করো?

[ রাহুল রেগে গাড়ি থেকে নেমে রুমে চলে আসে]

রাহুল : [মনে মনে] আমার কেনো এতো টেনশন হচ্ছে….যাক ও ওর ইচ্ছে…আমি কেনো বাধা দেবো… ?

[ রেগে ] আমাকে বলছে ও মেসেজ না দিতে…আমার মেসেজে ও ডিষ্টার্ব হচ্ছে…?….

[রাহুল খাটে বসে পড়ে] কয়েকদিন আগে তো আমাকে ছাড়া ও কিছু ভাবতেই পারতো না…আর এখন.. এই সামিরের কারণে??

?Whatever তাতে আমার কি…

[রাহুল মুখে হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করলো]

স্নেহার সাথে কাটানো মোমেন্ট গুলো মনে পড়ছে রাহুলের…

[রাহুল তাড়াতাড়ি চোখ খুলে] ? আমি কেনো ভাবছি ওকে…

মোবাইটা নির কানে হ্যাডফোন লাগিয়ে শুয়ে পরে রাহুল…

৮:০০ বেজে গেলো রাহুল ঘড়ির দিকে চেয়ে আছে…..

সামির আসলো স্নেহাকে পিক করতে…

স্নেহা : মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম i m sure তুমি দেখতে আসবা আমি সামিরের সাথে বেরিয়েছি কিনা দেখতে..?

মার্জান : যাহ! তোর 2nd বয়ফ্রেন্ড চলে এসেছে…?

স্নেহা : ??Shut upp ok…

মার্জান :??

স্নেহা আর কিছু না বলে তৈরী হয়ে…সামিরের সাথে বেড়িয়ে যায়…

সামির : ওয়াও স্নেহা! you looking so pretty ??

স্নেহা : থেংক ইউ?..

সামির স্নেহাকে নিয়ে মার্মেট কেফে যায়…

সামির : ওহ শিট! স্নেহা এটা তো বন্ধ হয়ে গেছে…

স্নেহা : বন্ধ হয়ে গেছে! মানে

সামির : আমার মোটেও মনে ছিলো না..যে ৭:০০টাই বন্ধ হয়ে যায়..?

স্নেহা : ওহ! ওকে তাহলে চলো ফিরে যায়…?

সামির : আরে নাহ! ফিরে যাবো কেনো আমরা অন্য আরেকটি রেষ্টুরেন্টে যায়…চলো..

স্নেহা : না না! it’s ok…অন্য একদিন যাবো না হয়…

সামির : আরে বেড়িয়েছি যখন ঘুরেনি..অন্যএকদিন আবার যাবো আরকি…

স্নেহা [মনে মনে] রাহুলকে তো শুনিয়ে শুনিয়ে বলেছিলাম মার্মেট..কেফ এখন অন্য জায়গায় গেলে রাহুল কিভাবে বুঝবে..?

সামির : আরে! sad হয়ে আছো কেনো একবার গিয়ে দেখো অনেক সুন্দর জায়গা..? একদম তোমার মতো..

স্নেহা আর কিছু বললো না চুপ করে আছে… ফেসবুকে ঢুকে দেখলো রাহুল অনলাইনে নেই..?নাহলে কোনো না কোনোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া যেতো..

সামির স্নেহাকে…একটি রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যায়.. যেখানে সব ছেলে মেয়ে একসাথে ডান্স করছে..কেউ ড্রিংকস করছে..

স্নেহা কেমন যেন uncomfortable ফিল করতে লাগলো হঠাৎ দেওয়ালে নাম পড়ে দেখলে… দেখে এটা একটা বার..

[স্নেহা এইবার ঘাবড়ে যায়?..]

স্নেহা : সামির! দেখো আমার না এইখানে মোটেও ভালো লাগছে না…প্লিজ চলো এইখান থেকে…

সামির : আরে! এইদিকে এসো এখন ভালো লাগবে..

[ সামির স্নেহাকে টেনে ডান্স ক���তে নিয়ে যায়..সামির স্নেহার কোমোড়ে হাত দিলে স্নেহা সামিরকে জোড়ে ধাক্ষা দেই..]

সামির : what happen?..

স্নেহা : দেখো আমি হোষ্টেলে ফিরে যাবো.. বাই!

[স্নেহা চলে যাচ্ছিলো সামির স্নেহাকে জোড় করে কাছে টেনে নেই]

স্নেহা : আরেহ! সমস্যা কি তোমার…?

[ স্নেহা ছুটার জন্য ট্রাই করছে] সামির স্নেহাকে জোড় করে টেনে টেনে..একটা রুমে নিয়ে ধাক্ষা দিয়ে ফেলে…

সামির : আমার চোখ একবার যার উপর পড়ে তাকে আমি পেয়ে ছাড়ি স্নেহা…

স্নেহা : মানে কি?..তুমি..? এসব?..

সামির : সব একটিং ছিলো..? আমিতো তোমার টেষ্ট নেওয়ার আশায় ছিলাম…

Come sneha… ?

স্নেহা : দেখো আমার কাছে আসার চেষ্টা করলে না…

সামির : উফ! স্নেহা…এইখানে চিৎকার করেও…কোনো লাব হবে না..সবাই আরো ভাবভে তুমি এঞ্জয় করছো…

স্নেহার রাহুলের কথা গুলো মনে পড়ছে অনেক
রাহুল বলেছিলো স্নেহাকে… বারণ করেছিলো কিন্তু স্নেহা??

সামির স্নেহার কাছে আসলে স্নেহা সামিরকে দেওয়ালের স���থে জোড়ে ধাক্ষা দিয়ে…দরজা খুলে পালিয়ে যায়…

সামির মাটিতে পড়ে যায়…সামির রেগে স্নেহা বলে বলে চিৎকার করে উঠে….

স্নেহা দৌড়ে পার্কিং এর একটা গাড়ির পেছনে লুকে যায়… সামির স্নেহাকে খুজতে আসে…

স্নেহা মনে মনে ভয়ে কাঁদছে… কেনো যে বিশাস করলো না রাহুলের কথা গুলো..?উলটা মজা করে উড়িয়ে দিয়েছে…

সামির স্নেহা বলে বলে চারদিক খুজতে লাগলো…

হঠাৎ স্নেহা খেয়াল করলো সামির তার দিকেই এগিয়ে আসছে…?

স্নে���া সামিরের দিকে তাকালে…

সামির : স্নেহা ওয়েট!…

স্নেহা উঠে…দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলো…হঠাৎ সামনে থেকে একটা গাড়ী আসে..স্নেহা তার পায়ের সাথে আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যায়…

সামির স্নেহার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো কিন্তু আবার থেমে গেলো…
হঠাৎ দেখলো গাড়ী থেকে রাহুল নেমে…স্নেহাকে ধরে ফেলেছে…সামির আর সামনে যায়নি…পেছনদিকে চলে গেছে…

রাহুল : স্নেহা! ?? u ok?…

স্নেহা রাহুলকে দেখে ফুফিয়ে কেদে উঠে…?

রাহুল স���নেহার পা ঘষতে লাগে…

স্নেহা : রাহুল! ???

রাহুল : [স্নেহার দিকে তাকিয়ে] সরি! স্নেহা আমি খেয়াল করিনি…?

[স্নেহা ফুফিয়ে রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরলো]?

রাহুল ফিল করছে স্নেহা অনেক ভয় পেয়ে আছে…?

রাহুল : স্নেহা?…?

স্নেহা : সরি! রাহুল?? আমি মনে করেছিলাম তুমি মিথ্যে বলছিলে সামিরের ব্যপারে…

রাহুল : ? সামির! কি করেছে?…[ স্নেহাকে সরিয়ে] বলো স্নেহা সামির তোমাকে কিছু করেছে?…

স্নেহা পেছন ফিরে তাকায় দেখে আশ���পাশে কোথাও সামির নেই…

স্নেহা আবার ও কেদে দিলো??

রাহুল : ওকে রিলেক্স…বলতে হবে না..উঠো..

স্নেহা : কিছুই করতে পারেনি..? কিন্তু করতে চেয়েছিলো??

রাহুল : ? আমিতো জানতাম এমন কিছু একটা হবে…

স্নেহা : ???

রাহুল : ওকে! আর কাঁদতে হবে না!…উঠো…

স্নেহা রাহুলকে ধরে উঠছিলো কিন্তু উঠতে পারছে না …

রাহুল বুঝতে পারলো পা হয়তো মচকে গিয়েছে…
রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে নিলো…
স্নেহা রাহুলের দিকে চ���য়ে আছে…

রাহুল স্নেহাকে গাড়িতে তুলে নেই…

পুরো গাড়িতে রাহুল স্নেহাকে বকে বকে যাচ্ছে…

রাহুল : [ ড্রাইভিং করতে করতে ]বার বার ওয়ার্নিং দিয়েছিলাম তোমাকে স্নেহা… ?আমার কথার দামই দিলানা… ও এর আগে ও অনেক মেয়ের সাথে??

স্নেহা :??

রাহুল : ঐ সামিরকে তো আমি??..

আসলে দোষ তোমার কি দরকার ছিলো ওর সাথে বের হওয়ার?..?

তখন তো আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে অনেক বলছিলে…মার্মেট কেফে যাবো..
হুহ? আরো কতো ���্রামা…?

স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে…
রাহুল বুঝতে পারায় ফিরে তাকালো..

রাহুল : কি হলো এমনিতে তো অনেক বক বক করো আজ চুপ করে রইলে যে… ওহ! বুঝতে পেরেছি.. সামিরকে অনেক মিস্ করছো তাই না…

স্নেহা একটু হেসে দেই…

হোষ্টেলে পৌছে..

স্নেহা গাড়ি থেকে নিজে নিজে নামতে চাইলে…

রাহুল : ওয়েট!

স্নেহা চুপ করে বসে পড়লো…
রাহুল উঠে…স্নেহার পাশে গিয়ে স্নেহাকে কোলে তুলে নিলো…

স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে?

রাহুল : কি হলো দেখে আছো…যে

স্নেহা : আমি তো তোমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে মার্মেট কেফের নাম নিয়েছিলাম..তুমি কিভাবে জানো আমি ঐ জায়গায়..?

রাহুল : [ রেগে ]পরে বলা যাবে…?

স্নেহা : এখন বলো না প্লিজ..

রাহুল আর কিছু না বলে স্নেহাকে নিয়ে হাটা শুরু করলো…

স্নেহা : কি হলো রাহুল! বলো না?..

রাহুল : [রেগে স্নেহার দিকে তাকিয়ে ] Shut up?….

স্নেহা : ?ওকে..

স্নেহা আর কিছু বললো না…

রাহুল : [ আবার স্নেহার দিকে তাকিয়ে ] সরি?

স্নেহা : কেনো?

রাহুল : বকেছি তাই?

স্নেহা ব্লাশিং???

চলবে…

Love at 1st sight $2 Part – 8

0

Love at 1st sight $2

Part – 8

writer-Jubaida Sobti

রাহুল হেসে উপরে উঠছিলো ঠিক সেই সময় রাহুলের ভাবী সিফা…একটু কেশে..রাহুলের সামনে দাঁড়ালো…

সিফা : দুইটা একসাথে…রাহুল..?

রাহুল : [একটু চিন্তায় পড়ে গেলো ভাবী কি সব দেখেছে কি না] দুইটা মানে?..?

সিফা : এই যে দাদীর সাথে নেহার জন্য ঝগড়া করেছিস…আবার এইদিকে এসে স্নেহার সাথে রোমান্স করছিস ?

রাহুল : স্নেহা! ?Come on ভাবী.. স্নেহার সাথে রোমান্স করতে যাবো কেনো..জাস্ট একটু ডান্স..

সিফা : হয়েছে হয়েছে আমাকে আর সাফায় দিতে হবে না… By the way ঐ নেহার চেয়ে স্নেহা কিন্তু ব্যাটার আছে…
??? ওহ! সরি আমি কিছু বলিনায়..[ভাবী তাড়াতাড়ি চলে গেলো ]

রাহুল : [ ভাবতে লাগলো ] এই সবাই ?এতো স্নেহার তারিফদাড়ি কেনো করছে..?

আজিব মেয়ে সবাইকে তার ড্রামাই ফাসিয়ে নিয়েছে…

রাহুল আর কিছু না ভেবে রুমে চলে যায়…গিটার নিয়ে অনেক্ষণ বাজাতে??থাকে….ঠিক সেই সময় [স্নেহার সাথে করে যাওয়া মোমেন্ট গুলো মনে পড়ছে..রাহুল মনে মনে হেসে যাচ্ছে? আর ব্লাশিং হচ্ছে…]

মোবাইলটা চোখে পড়ায়…ভাবলো একটু ফেসবুকে ঢুকে দেখি ড্রামাকুইন আছে কি না…..

ঢুকে চেক করে দেখে স্নেহা অনলাইনে নেই…মোবাইলটা আবারো রেখে দিলো.. রাহুল…কিছুক্ষণ পর পর দেখছে রাহুল স্নেহা অনলাইনে আসছে কি না…

[রাতে, ১২টা বেজে ১৫ মিনিট…]

রাহুল দেখে স্নেহা অনলাইনে..এসেছে..

রাহুল : হ্যালো ড্রামাকুইন!?

স্নেহা : তোমার এসব বদমাইশির কারণে তোমাকে পচঁতাতে হবে বুঝেছো..

রাহুল : ওকে ওকে ফাইন ?আই এম ওয়েটিং ?..

স্নেহা : ওয়েট করো মিষ্টার রাহুল..স্নেহার সাথে বদমাইশি no way….

রাহুল : আচ্ছা তোমার কোমড়টা এতো সফট্ কেনো?

স্নেহা : ছিঃ কি বলছো এসসব?

রাহুল : তোমার হাত,পিট,কোমড়..??

স্নেহা : Stop it.. ওকে বাই..?

রাহুল : ওকে গেট লষ্ট..?

স্নেহা : ইউ টু..?

রাহুল : বাই ড্রামাকুইন?

[রাহুল স্নেহার কান্ড দেখে হেসে হেসে মোবাইল রেখে শুয়ে পরে…স্নেহার পাগলামি গুলো মনে পড়লে রাহুল আর না হেসে পারে না..??]

পরদিন ভার্সেটিতে,

[স্নেহা ক্লাসে ঢুকতেই দেখে..রাহুল বসে আছে..স্নেহাকে দেখতেই রাহুল চোখ টিপ মাড়লো..]

স্নেহা আর ক্লাসে ঢুকলো না..বিরবির করে পিছন ফিরেই ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলো..
বাইরে বেরিয়ে ভাবতে লাগলো… কি করা যায়…?

হঠাৎ স্নেহা খেয়াল করলো পেছন থেকে কেউ স্নেহার কানে এসে ফু..দিলো.. স্নেহা শিউরে উঠে…তাড়াতাড়ি পেছন ফিরে..

রাহুল : what happen মিস্ ড্রামাকুইন..? ভয় পেয়েছো?

স্নেহা : ??

রাহুল : কেমন লাগলো.. কাল?..

স্নেহা : অনেক ভালো.. ? [স্নেহা চলে যাচ্ছিলো, রাহুল স্নেহার হাতে ধরে ফেলে]

রাহুল : কই যাও?..?

স্নেহা : হাই নেহা?.. [ রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহার হাত ছেড়ে দিলো… ]

রাহুল : ??

স্নেহা : what happen রাহুল?..?ভয় পেয়েছো?

[ Rahul give a tedi smile?]
স্নেহা ক্লাসে চলে যায়..রাহুল ও স্নেহার পিছন পিছন ক্লাসে চলে আসে..]

স্নেহা সিটে্ বসতেই দেখে পিছন থেকে সামির এগিয়ে…তার পাশে বসেছে..

সামির : হ্যালো আদুরী ?

স্নেহা : স্নেহা..আমার নাম ওকে আদুরী না..?

সামির : ওকে একই.. তো এনিওয়ে..কি খবর তোমার স্নেহা?

স্নেহা : হুম ভালো.. তোমার?..

সামির : ভালোই?..

[স্নেহা রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে রাহুল অনেক মুড নিয়ে তাকিয়ে আছে?]

স্নেহা : [ মনে মনে ]এই মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম এইভাবে তাকিয়ে আছে কেনো?

সামির : স্নেহা! কি ভাবছো?

স্নেহা : কই নাতো..?

সামির : আচ্ছা আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি…?

স্নেহা : [ রাহুলের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলো i think মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম ঝলছে..?]

সামির : হ্যালো স্নেহা?..কি এতো ভাবছো?..

স্নেহা : ওহ সরি! ওকে..ওকে ফ্রেন্ডস.. ?

[স্নেহা সামিরের সাথে হ্যান্ডশেক করলো]
[হঠাৎ দেখে রাহুল ক্লাস থেকে অনেক ভাব নিয়ে বেড়িয়ে যায় বেরিয়ে যায়]

স্নেহা ও আর কিছু না বলে সামিরের সাথে গল্প করতে লাগলো…

ক্লাস শেষে…

সামির : স্নেহা Come তোমাকে আমার আরো কিছু ফ্রেন্ডসদের সাথে মিট করাবো…

স্নেহা : ওকে?

সামির : Come?

স্নেহা : আচ্ছা তুমি যাও আমি আসছি only 2mins…

সামির : ওকে! আদুরী ?

স্নেহা : ??

সামির : [ কান ধরে] ওহ! সরি স্নেহা?

স্নেহা হেসে দিলো?.. [সামির চলে গেলো]

মার্জান : স্নেহা..এই পাগলটার সাথে কই যাচ্ছিস…?

স্নেহা : আরে দেখছিস না…পেছন ছাড়ছে না..তাই ভাগিয়ে দিয়েছি…আচ্ছা আমি একটু আসছি তুই বয়।

মার্জান : কিন্তু কই যাচ্ছিস সেটাতো বল?..

স্নেহা : এসে বলবো… [ স্নেহা চলে গেলো ]

হঠাৎ স্নেহাকে টান দিয়ে…রাহুল একটা ক্লাসে ঢুকিয়ে নিলো… ক্লাসটা অবশ্যই খালিই ছিলো..কারণ সবার ক্লাসই শেষ..

রাহুল স্নেহাকে ক্লাসে ঢুকিয়ে দরজা বেধে দেই…

স্নেহা : কি করছো তুমি?..? দরজা কেনো…

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] শিসস্..

স্নেহা চুপ হয়ে গেলো…

রাহুল : সামিরের সাথে হ্যান্ডশেক করলে কেনো??

স্নেহা : কেনো তাতে কি তোমার jealous হচ্ছিলো?….?

রাহুল : Shut-up?

স্নেহা : এহ..? এহ…সব বুঝি আমি…

তুমকো ভি কুচ্ কুচ্ হনে লাগাহে..হে না??..রাহুল।

রাহুল : দেখো স্নেহা! সামির ভালো ছেলে না…ও যেমনটা innocent সেজে আছে তেমনটা মোটেও নয়?

স্নেহা : আচ্ছা সামির ভালো ছেলে নয়..তুমিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় innocent তাই না…?

রাহুল : [ স্নেহাকে ধাক্ষা দিয়ে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে নেই স্নেহা ভয়ে চোখ বন্ধ করে গুটিয়ে যায়?.. ]…দেখো? স্নেহা..আমার তোমাকে সাবধান করার ছিলো…তাই করলাম..

স্নেহা : [ধীরেধীরে চোখখুলে স্নেহা?? ]
তুমি সামিরকে jealous করো তাই না??… কারণ ও হ্যান্ডসাম..লম্বা..রিচ্ ম্যান,…

রাহুল : listen এসব ব্যাপারে আমি jealous করিনা ওকে.?
..and you know that… who is the best..?

স্নেহা : [মনে মনে] আহা নিজের তারিফে এক্সপার্ট আছে…?

[রাহুল স্নেহার চোখের দিক তাকিয়ে রইলো স্নেহা নিজের চোখের উপর নিজে হাত দিয়ে দেই…?]

[Rahul give a tedi smile?]…

রাহুল : [স্নেহা থেকে সরে দাঁড়িয়ে] যা বলেছি মনে থাকে যেন…

স্নেহা : থাকবে না মনে?একদমি থাকবে না…আমি জানি সামির ভালো বলে তুমি ওকে jealous করছো…আমি ওর সাথে…ফ্রেন্ডশিপ করবো…ডেটিং এ যাবো.?.. আরো অনেক কিছু…করবো…

রাহুল : [রেগে স্নেহার কাছে এসে] ? আরো অনেক কিছু মানে?…

স্নেহা : [ভয় ভয় কন্ঠে] ? মানে ঘুরতে যাবো, ফেইসবুক…?

[কান্নার সূরে] দেখো ? তুমি আমাকে বকছো..কেনো? আমার যা ইচ্ছে তাই করবো তাতে তোমার কি?…তোমার তো আরো খুশি হওয়ার কথা…কারণ আমি আর তোমার পিছনে ডিষ্টার্ব করবো না…

রাহুল : [স্নেহার কাছ থেকে সরে দাঁড়ায়] obviously you are right তাতে আমার কি… যাও ঐ সামিরের কাছে..?

[রাহুল রাগান্বিত ভাবে রুম থেকে বেরিয়ে পড়ে]

স্নেহাও আর কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়…

সামির : হেই স্নেহা! come on কোথায় গিয়েছিলে?..আমিতো তোমাকে খুজতে খুজতে শেষ…?

স্নেহা : [ রাহুলকে শুনিয়ে] ?আমিও তোমাকেই খুজছিলাম..

[সামির স্নেহার হাত ধরে টেনে রাহুলের সামনে নিয়ে গেলো ]

সামির : রাহুল! She is my friend আদুরী! ওহ! সরি সরি??…স্নেহা..
and স্নেহা He is my friend Rahul..

স্নেহা : হ্যালো রাহুল?

রাহুল : অউ! হাই…?

নেহা এসে রাহুলের পাশে দাঁড়ায়..

নেহা : কোথায় ছিলে বেবি..কখন থেকে খুজছিলাম…

রাহুল : এইতো এইদিকটা গিয়েছিলাম..

নেহা : [ স্নেহার দিকে তাকিয়ে ] হেই..what are you doing here?..?

সামির : ওহ! নেহা she is my friend স্নেহা..and sneha she is my friend neha…?

নেহা : তোর ফ্রেন্ড.. ওয়াও??

স্নেহা : হ্যালো নেহা..?

নেহা : রাব্বিশ কোথাকার? চলো রাহুল…

[একে একে সামিরের সব ফ্রেন্ডসদের সাথে পরিচয় হয় স্নেহা…]

[সামির স্নেহাকে টেনে তাদের গ্রুপের মধ্যে আড্ডা দিতে নিয়ে যায়..স্নেহা চলে আসতে চাইলে ও রাহুলকে দেখে আর আসলো না..কারণ রাহুলকে jealous করাতে স্নেহার অনেক ভালোই লাগছিল.. ?]

আসিফ : রাহুল! এই সামির আবার স্নেহার পিছে পড়লো নাকি?..

রাহুল : ওর কাজ তো ঐটাই…

আসিফ : বেচারি স্নেহা সামিরের আসল রুপের কিছুই তো জানেনা তাই ফেসে গেলো..

রাহুল : বলেছি! but she don’t care..?

আসিফ : ওহ ওহ! বস্ বলেও ফেলেছিস..? কেনো রে তোর অনেক মায়া হচ্ছিলো…স্নেহার জন্য?

রাহুল : Shut-up ?

[স্নেহা রাহুলের দিকে দেখিয়ে দেখিয়ে সামিরের সাথে…কথা বলছে রাহুল বুঝতে পারছে যে স্নেহা এসব রাহুলকেই দেখানোর জন্য করছে…]

সামির স্নেহার চুল সরিয়ে দিচ্ছে কিছুক্ষণ… হাতের নখ দেখছে…ইয়ার রিং দেখছে… রাহুল বুঝতে পারছে সামিরের ধান্ধা কি?..কিন্তু স্নেহা সামিরের কান্ড গুলো সাভাবিক ভাবেই নিয়ে নিচ্ছে… আর রাহুলকে দেখিয়ে দেখিয়ে ইচ্ছে করেই হলেও সামিরের সাথে হাসাহাসি করছে.. স্নেহার এসব কান্ডে রাহুলের অনেক হাসি পাচ্ছে…]

রাহুল : [মনে মনে] কিনা ড্রামা করছে..যেন আমি কিছুই বুঝতে পারছি না…?

স্নেহা : [ মনে মনে ] মিষ্টার হ্যান্ডসাম..এইভাবে কিলার লুক দিয়ে তাকিয়ে আছে কেনো…নিশ্চয় ঝলছে?

[স্নেহার ড্রামা গুলো রাহুলের এত্তো কিউট লাগছিলো যে রাহুল স্নেহা থেকে চোখ সরাতে পারছে না ?]

চলবে…

Love At 1st Sight $2 Part : 7

0

Love At 1st Sight $2
Part : 7
writer-Jubaida Sobti
রাহুল আর কিছু না বলে চলে যায়..
স্নেহা : [মনে মনে] কতোক্ষণ এংগ্রি মুড আবার কতোক্ষণ রোমান্টিক মুড…কিছুই বুঝি না..?
স্নেহা ভাবতে ভাবতে হোষ্টেলে ফিরে গেলো…
দাদী : রাহুল! তুকে আমি কতোবার নিষেধ করেছি ঐ মেয়েকে এই বাড়ী আনবি না…তুই কি চাস আমি এই বাড়ী ছেড়ে চলে যায়?…
রাহুল : দাদী নেহার মধ্যে খারাপের কি আছে..
দাদী : খারাপের কি আছে মানে?..এটা জিজ্ঞেস কর যে ওর মধ্যে ভালোর কি আছে… আমার তো দেখলেই মাথাটা ধরে যায়…কি সব ড্রেস পড়ে আসে…
আর আজ কি করলো?..ড্রিংকস করে পুরা ছিঃ আমার তো লজ্জায়..
রাহুল : দাদী! নেহা অনেক ভালো একটা মেয়ে…তুমি বোঝার চেষ্টা করো..ও ড্রিংকস করে না
দাদী : নেহা তোর জন্য ভালো হতে পারে…এই বাড়ীর জন্য মোটেও না..
[রাহুল আর কিছু না বলে রাগ করে রুমে চলে যায়…অনেকবারই দাদীকে বোঝানো হয়েছে..কিন্তু কোনো লাভ হয়নি রাহুলের ]
পরদিন ভার্সেটিতে…
স্নেহা…পুরো ক্লাসই কমপ্লিট করলো কিন্তু রাহুলের কোনো দেখা নেই…
মার্জান : কি হলো কাকে খুঁজছিস?..
স্নেহা : ঐ নেহা ও আজ ক্লাস করতে এলোনা কি ব্যাপার বলতো…
আচ্ছা শোন তুই বস আমি একটু দেখে আসি..
মার্জান : স্নেহা আর কতো পাগলামি করবি?..
স্নেহা : যতোদিন না রাহুল আমার হবে..
ওকে বাই…
স্নেহা অনেকটা জায়গা ঘুরে…দেখে হঠাৎ, দেখতে পায়..নেহা ক্যান্টিনে বসে আছে…তার কিছু ফ্রেন্ডসদের সাথে..
স্নেহা : [ নেহার কাছে গিয়ে ] মিস্ ইউনিভার্স তুমি রাহুলকে দেখেছো?…?
নেহা : Just Shut-up রাহুলের নাম তোমার মুখেও আনবা না..বুঝেছো..?
[স্নেহা নেহাকে একটি স্প্রাইটের বোতোল এগিয়ে দেই] হঠাৎ রাহুল এসে স্প্রাইটের বোতোলটি স্নেহার হাত থেকে কেড়ে নেই..
স্নেহা : আরে কি করছো মিস্ ইউনিভার্স এর মাথা হট হয়ে গেছে তাই একটু ঠাণ্ডা করতে দিলাম…আর তুমি কিনা..
রাহুল : এতো ওভার স্মার্ট হইও না বুঝলে…তোমার চালাকি তোমার সব প্লান আমি বুঝি…
স্নেহা রাহুলের কাছ থেকে স্প্রাইটের বোতোলটা কেড়ে নিয়ে..ডুগডুগ করে খেতে লাগলো… আর রাহুল অবাক হয়ে চেয়ে আছে..
স্নেহা : [ রাহুলের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে] কি ভেবেছো আমি স্প্রাইটে ওয়াইন দিয়েছি…হি-হি নো মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম..i think তুমি জানো না আমি এক প্লান দুইবার ইউজ করিনা..?
[ Rahul Shocked ?sneha Rocks? ]
স্নেহা বাইরে বেরিয়ে চলে গেলো.. ক্লাসের দিকে এগুতেই পিছন থেকে ডাক দিলো হেই চ্যান্ডি বলে…স্নেহা ফিরে তাকালে দেখে…ক্যান্টিনে ধাক্ষা খেয়েছিলো ছেলেটা…
সামির স্নেহার দিকে এগিয়ে আসে..
স্নেহা : আপনি কি আপনার চ্যান্ডিকে এখনো খুজে পাননি?..
সামির : ওহ সরি! আসলে..তোমাকে দেখতেই চ্যান্ডির কথা মনে পড়ে গেলো..
আচ্ছা কি যেন নাম বলেছিলে তোমার?..
স্নেহা : গতকাল বলেছিলাম..স্নেহা!
সামির : ওহ ইউ মিন..আদুরী ?
স্নেহা : মানে?..?
সামির : না মানে স্নেহ ?স্নেহ মানে আদর…
স্নেহা : Not স্নেহ it’s স্নেহা…
সামির : ওহ ওকে ওকে!?.. So কেমন আছো…
স্নেহা : হুম ভালো..
হঠাৎ রাহুল ক্যান্টিন থেকে বেড়িয়ে..আসে..
সামির : হেই রাহুল what’s up buddy?
[সামির স্নেহাকে ২মিনিট দাড়াতে বলে রাহুলের দিকে এগিয়ে যায়]
রাহুল : m alright.. তোর কি খবর বল?.কই ছিলি এতোদিন?…
সামির : মা কে দেখতে গিয়েছিলাম ব্যানারোসে্…
[স্নেহা দূর থেকে দেখতে থাকে তাদের আলাপ আলোচনা…]
রাহুল : So where is your চ্যান্ডি?
সামির : চ্যান্ডির খবর তো জানিনা দোস্ত কিন্তু নতুন একটা চ্যান্ডি পেয়েছি…?দেখার পর থেকেই…রাতের ঘুম হারাম?
ঐ দেখ সাদা জামা পড়া মেয়েটি..?
সামির রাহুলকে ইশারা করে স্নেহার দিক দেখিয়ে দিলো…
সামির আর রাহুল দুজনেই স্নেহার দিক তাকাতে… স্নেহা একটু অবাক হয়ে উঠে…
স্নেহা : [মনে মনে ] আমার কথা কিছু বলছে নাকি এই চ্যান্ডির বাচ্চা?
[রাহুলের মুখ থেকে হাসিটা উদাও হয়ে যায়..স্নেহাকে দেখে]
সামির : কি হলো দোস্ত কেমন বলনা?..
রাহুল : আমি আসি সামির পরে কথা হবে..[ রাহুল স্নেহাকে রাগান্বিত ভাবে দেখে চলে যায়…]
স্নেহা ও মুখ ভেঙিয়ে চলে যায়..ক্লাসে..
ক্লাস শেষে…
স্নেহা বের হচ্ছিলো ঠিক সেই সময়…হঠাৎ..রাহুল এসে স্নেহাকে টেনে উপরে নিয়ে যায়…
স্নেহা : ওউ…what happen মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম…? আবার কি হলো..
রাহুল : Listen সামির তোমাকে কি বলছিলো?..?
স্নেহা : কি বলছিলো মানে?..?
রাহুল : Shut-up ড্রামা করবানা একদম?..?
স্নেহা : আজিব? এংগ্রি হওয়ার কি আছে?.. ও জাষ্ট হাই হ্যালো কেমন আছো জিজ্ঞেস করছিলো…
রাহুল : আর তুমি কি বলেছিলে?..?
স্নেহা : ওউ ওউ..wait মিষ্টার রাহুল… are you jealous?.. ?
রাহুল : আমি?..Jealous করবো তোমাকে নিয়ে…
স্নেহা : মনে তো তেমনি হচ্ছে…ফিল্মের হিরোয়িনরা যখন অন্য ছেলের সাথে কথা বলে…তখন হিরো Jealous হয়ে হিরোয়িনকে বকতে থাকে… আর এখন তো ঠিক আমি সেইরকমই কিছু দেখছি?
রাহুল : তোমার এসব ফিল্মি ড্রামা বন্ধ করো…ওকে.. আর আমি তোমাকে নিয়ে jealous করছি না… [ রাহুল চলে যেতে লাগলো ]
স্নেহা রাহুলের হাত ধরে তার দিকে এগিয়ে নেই..
স্নেহা : আচ্ছা ? তাইলে আমাকে এইখানে আনার মানেটা…
রাহুল : [একটু ভেবে] ওহ! আমি জাষ্ট..
স্নেহা : জাষ্ট! ?কি?..
রাহুল : দেখো আমার লেইট হচ্ছে বাই..
[ স্নেহাকে সরিয়ে রাহুল চলে যায়]
স্নেহা হাসতে থাকে…??
বাসায় গিয়ে রাহুল খাটে বসে…সামিরের কথাটি বার বার কানে বাজছে রাহুলের…
রাহুল : [ মনে মনে ] damn it! সামির যদিও স্নেহাকে লাইক করে থাকে তাতে আমার কি.. আমি কেনো এতো টেনশন নিচ্ছি…
[রাহুলের চোখে ভেসে আসছে স্নেহার চুপটি করে হেসে চলে যাওয়া… সামনে এসে রাহুলের পথ আটকানো… লাইব্রেরীতে রাহুলকে জোড় করে কাছে টেনে নেওয়া…জোড়ে বাড়ি মারাতে স্নেহার ভয় পেয়ে যাওয়া]
রাহুল : Shit! Shit! Shit! ?
Stop it! রাহুল” তুই আবারো ওই ড্রামা কুইনের কথা ভাবছিস..
রাহুল আর কিছু না ভেবে ফ্রেশ হতে চলে গেলো..
বিকেলে, স্নেহা রাহুলদের বাড়ীতে ঢুকতেই দেখে রাহুল ড্রইং রুমে বসে পেপার পড়ছে…
স্নেহা : [ মনে মনে] আজ বাসায়..এই টাইমে..?হাউ ব্রিলিয়ান্ট পেপার ও পড়ছে..
[রাহুল স্নেহার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে আবারো পেপার পড়তে ব্যস্ত হয়ে যায়…]
রাহুল : [ মনে মনে] আসছে আবার ড্রামা করতে..
[স্নেহা কিছু না বলে ভেতরে চলে যায়]
স্নেহা ফাবিহাকে ডান্স শেখাতে থাকে.. হঠাৎ..দেখে রাহুল এইদিকটা এগিয়ে আসছে..
স্নেহা অবাক হয়ে যায়..রাহুল এসে এইভাবে তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে…কেনো..
স্নেহা : [মনে মনে] এইভাবে হেসোনা বস্ নজর লেগে যাবে?
রাহুল : ভালোই তো ডান্স পারো বন্ধ করে দিলে যে?..
স্নেহা : ???
রাহুল : [স্নেহার দিকে এগিয়ে আসে ] ফাবিহা তোমার ডান্স টিচারকে বলবে.. আমাকেও একটু ডান্স শেখাতে..?
স্নেহা :[মনে মনে ] মাথায় কি পাকিয়ে এসেছে আল্লাহ জানে…?
ফাবিহা : চাচ্চু আমার টিচার তো সব..ডান্স পারে.. ?হিপ-হপ, ক্লাসি,
স্নেহা : দেখো ফাবিহা! আমি ছেলেদের ডান্স শেখায় না… ?
রাহুল : ফাবিহা মিউজিকটা স্টার্ট করো… তোমার টিচার আমাকে ডান্স শেখাবে…
স্নেহা : কবে বললাম আমি ডান্স শেখাবো?..?
রাহুল : উফ! স্নেহা! যদি..ডান্স পেরে থাকো তাহলে সবাইকে ডান্স শেখানো উচিৎ হোক সে ছেলে…আর হোক সে মেয়ে..?
স্নেহা : [ মনে মনে ] কিছু তো মাথায় পাকিয়েছে… নিশ্চয় নাহলে..মুডের এতো চেঞ্জ দেখা যাচ্ছে কেনো..?
রাহুল : কি ভাবছো স্নেহা! Come on?
ফাবিহা মিউজিক ছেড়ে দিলো…..
রাহুল হাত বাড়িয়ে দেই..স্নেহা হাত দেওয়ার জন্য…
স্নেহা হাত দিতেই রাহুল স্নেহাকে কাছে টেনে নেই…
স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে…?
[রাহুল স্নেহার কোমোড়ে স্লাইড দিয়ে ধরলে স্নেহা শকড হয়ে যায়…?]
[Sneha’s heart beating fast]
স্নেহা : [রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে] দেখো আমি কাপল ডান্স পারি না.. so আমাকে দিয়ে হবে না…?
রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] ওকে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি…? স্নেহা come..?
স্নেহা : দেখো কাছে আসবা না বলেদিলাম… ? [ বিড় বির করে বলতে লাগলো স্নেহা সব টাচ্ করার ধান্ধা]
রাহুল : why স্নেহা!?
স্নেহা : বললাম তো পারি না..আমি..?
[রাহুল স্নেহার কাছে এসে জোড় করে..স্নেহাকে টেনে নেই..]
স্নেহা : দেখো আজেবাজে জায়গায় হাত দিবা না…বলেদিলাম আমার মোটেও পছন্দ না এসব…?
[রাহুল স্নেহার পেটে স্লাইড করে?]
রাহুল : আর যদি দেই!?
স্নেহা : দেখো প্লিজ আমার অনেক শুরশুরি লাগে..এসব….?
[Rahul give a tedi smile?]
রাহুল : Come on স্নেহা feel it! and enjoy it..?
স্নেহা : লজ্জা করে না বাচ্চা মেয়ে একটার সামনে এসব করতে ?
রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] ফাবিহা.. প্লিজ ভলিউমটা আরেকটু স্পিড…?
ফাবিহা : ওকে চাচ্চু!
[স্নেহা রাহুল থেকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করলে রাহুল তাকে আরো শক্ত করে টেনে নেই…]
রাহুল : একদম ছুটার ট্রাই করবেনা… তুমি কি ভেবেছো ডিষ্টার্ব শুধু তুমি করতে পারো?
স্নেহা : দেখো আমি কিন্তু এখন চিৎকার করবো.. ?
রাহুল : ওকে ফাইন! করো..?
স্নেহা বুঝতে পারলো চিৎকার করে কোনো লাভ হবে না মিউজিক এতই জোড়ে বাজছিলো যে ফাবিহাকে ডাকলেও শুনবে না…
রাহুল স্নেহাকে নাচাতে নাচাতে…স্নেহার পিট, কোমোড়, পেট..এতে স্লাইড করতে থাকে… ?স্নেহা চেঁচিয়ে উঠলেও রাহুল আরো বেশি করে নাচাতে থাকে…?
[ Rahul enjoy that moment ??]
নাচতে নাচতে এক পর্যায়ে স্নেহা রাহুকে জোড়ে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে দেই…
রাহুল : What happen?..
স্নেহা দৌড়ে গিয়ে মিউজিক বন্ধ করে দেই…
স্নেহা : ফাবিহা আজকে আর না আমি এখন যায়.. কাল আসবো…স্নেহা দৌড়ে বেরিয়ে পড়ে…
রাহুল [ হেসে হেসে ] মিস্ ড্রামাকুইন… মাথায় প্লান শুধু তোমার আসে… তাই না..??
[স্নেহা বাইরে বেড়িয়ে..বুকে হাত দিয়ে দেখে.. বুকটায় এখনো অধিক জোড়ে কম্পন হচ্ছে…?আর কিছু না ভেবে স্নেহা তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে পড়ে..]
চলবে…

Love At 1st Sight $2 Part : 6

0

Love At 1st Sight $2
Part : 6
writer-Jubaida Sobti
পরদিন ভার্সেটি গেলো স্নেহা…
ক্লাসে ঢুকতেই দেখে রাহুল বসে আছে দুজনে চোখে চোখ পড়াতে… স্নেহা রাহুলকে চোখ টিপ মাড়লো?
রাহুল একটু হেসে অন্যদিকে ফিরে যায়..
ক্লাসে স্যার এসে সবার Assignment খুজতে লাগলো…
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকাতেই দেখে রাহুল তার Assignment নেহাকে দিয়ে দিচ্ছে…যতটুকু দেখে স্নেহা বুঝতে পারলো পেত্নীটা নিশ্চয় ফেলে এসেছে আর না হয়…করেনি…তাই এখন রাহুলেরটা নিয়ে টানাটানি…
নির্লজ্জ মেয়ে একটা…?
নেহা রাহুলের Assignment …তার নামে জমা দিলো… আর যারা যারা Assignment করেনি তাদের জন্য স্যারের উপদেশ ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়া…
রাহুল উঠে চলে যাবে ঠিক সেই সময় স্নেহা তার Assignment টি রাহুলের টেবিলের উপর ছুড়ে মারে..
রাহুল অবাক হয়ে স্নেহার দিকে তাকিয়ে রইলো…?
স্নেহা : Take it?..
এই বলে স্নেহা দাঁড়িয়ে পড়লো স্যারকে সরি বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়…আর স্যার স্নেহাকে অনেক কথা ও শুনিয়ে দিলো.. ?
রাহুল কিছুক্ষণ চিন্তা করে..
স্নেহার Assignment টি জমা না দিয়ে ব্যাগে ভরে ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ে…স্যার রাহুলকে ও লেকচার না শুনিয়ে ছাড়লো না…
রাহুল ক্লাস থেকে বেরিয়ে দেখে…স্নেহা বারান্দায় দাঁড়িয়ে… আশেপাশে ঘুরঘুর করে দেখছে…
স্নেহা পাশ ফিরতেই দেখে রাহুল তার পাশে… তাই স্নেহা একটু ভয় পেয়ে যায়..
স্নেহা : এইভাবে কেউ আশে নাকি?..??পুরাই ভয় পেয়ে গেছি.. আর তুমি এইখানে কি করছো বলো তো…তোমার তো এখন ক্লাসে থাকার কথা..
রাহুল স্নেহাকে কিছু না বলে স্নেহার হাত ধরে টেনে লাইব্রেরীর রুমে নিয়ে যায়…
স্নেহা : রাহুল! কই নিচ্ছো?..?
কিছু মেধাবী স্টুডেন্ট ৩/৪ জন হবে অনেক মনোযোগ সহকারে বই পড়ছিলো…?তারা বই পড়া বাদ দিয়ে…চেয়ে থাকে..রাহুল স্নেহাকে কই নিচ্ছে… ?
সেল্ফের একটি কোণায় নিয়ে গিয়ে দাড় করায় রাহুল স্নেহাকে.. রাহুল একটু আড় চোখে সবার দিকে তাকালে সবাই আবার বই পড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে..
রাহুল স্নেহার দুপাশে কাধের উপর সেল্ফে হাত রেখে দাঁড়ায়…
স্নেহার বুক কাঁপতে লাগলো.. কারণ রাহুল স্নেহার এতোটাই কাছে যে তা স্নেহা ভাবতেও পারছে না…?
স্নেহা : [ ধীরো কন্ঠে] দেখো রাহুল? আমি কি তোমার সাথে এসব করি নাকি?..
রাহুল : [একটু হেসে] এসব বলতে?..?
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে থাকে…রাহুল স্নেহার চোখে চোখ রেখে হাসছে…
স্নেহা তাড়াতাড়ি নিজের চোখের উপর হাত দিয়ে দেই…
রাহুল : Hey! what happen?..?
স্নেহা : ??এইভাবে চেয়ে আছো কেনো আমার লজ্জা লাগছে…
রাহুল : ওহ! রিয়েলি..?
রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার হাত নামিয়ে দেই..
রাহুল : তোমার Assignment টা আমাকে দিয়ে দিলে কেনো?..?
স্নেহা : কারণ তোমারটা ঐ পেত্নী নিয়ে নিলো বলে…?
রাহুল : shut-up স্নেহা ও মোটেও পেত্নী না!…?
স্নেহা : ওহ তাই! তাহলে কি?.?.রাক্ষসী.. নাকি শাকচুন্নি?..
[রাহুল স্নেহার কথা শুনে হেসে দিলো.]
স্নেহা : [মনে মনে] এই মিষ্টার হ্যান্ডস্যামের আজ কি হয়ে গেলো… এইভাবে এতো নরম হয়ে কথা বলছে..আর আমার এতোটাই কাছে…??দিলেতো কম্পন শুরু হয়ে গেল।
রাহুল : কি ভাবছো?…?
স্নেহা : ?কই নাতো… কিছুনা..
রাহুল : তুমি যদি ভেবে থাকো!… তোমার এইসব নিয়ে আমি তোমার প্রেমে পড়ে যাবো… ??No way.. Miss.Dramaqueen..
স্নেহা : মানে কি?..?
রাহুল : মানে হচ্ছে! এই যে তুমি আমার জন্য মায়া দেখিয়ে যে Assignment টা দিয়ে গেলে… ওটা আমার দরকার নেই..বুঝেছো.. আমি আমার নিজেরটা দিয়ে চলি কারো সাহায্য আমার প্রয়োজন নেই…?
স্নেহা : তোমার কি মনে হয়েছে আমি এসব মায়া দেখিয়ে করেছি?..?
[স্নেহা রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে দেই..?]
মনে হওয়ারই কথা..কারণ তোমার কাছে তো মানুষের ফিলিংস গুলো খেলনার মতো… তাই না..
শুনো?.. সবাই মায়া দেখিয়ে সব কিছু করে না…
কেউ কেউ..ভালোবেসে ও করে..?
রাহুল : ?? what?..
স্নেহা : [রাহুলের কাছে এসে]
শিসস! কুচ্ কুচ্ হতাহে রাহুল.. তুম নেহি সামজোগি্?
স্নেহা একটু বেকে হেসে..[রাহুলকে তার হাসিটা আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেই..] তেডি স্মাইল!?
[রাহুল ও হেসে দেই!…]
স্নেহা : সুট করে অনেক..?হাসিটা…
এই বলে স্নেহা লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে যায়… আর রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে…
মার্জান : এই স্নেহা! কোথায় চলে যাস বলতো…
স্নেহা : আরে এইদিকটা গিয়েছিলাম..
মার্জান : দেখ আমার না অনেক খিদে পেয়েছে চলনা ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খেয়ে আসি…
স্নেহা : ওকে চল!
স্নেহা মার্জানকে নিয়ে ক্যান্টিনে ঢুকতেই একটা ছেলের সাথে ধাক্ষা পড়ে…
স্নেহা : সরি সরি!
ছেলেটি : ওহ! চ্যান্ডি ?হাউ আর ইউ?..
স্নেহা : এক্সকিউজ মি?…?
ছেলেটি : i am sameer you don’t know me?..?
স্নেহা : আজিব! কোন সামির..আমি এই নামের কাউকে চিনি না…
সামির : আরে চ্যান্ডি..এসব কি বলছো…?
স্নেহা : দেখুন আমি কোনো চ্যান্ডি ক্যান্ডি না..আমার নাম স্নেহা!…
সামির : ওহ ও! i m so sorry! আমি ভেবেছি তুমিই চ্যান্ডি হবা! ? আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে..চ্যান্ডি নামের একটি মেয়ে আমার সাথে দেখা করতে আসার কথা… ওকে আমি আগে কখনো দেখিনি…তাই ভুল করে তুমি সহ…আরো তিনজনকে চ্যান্ডি ভেবে ফেলেছি..
স্নেহা : ওহ! it’s ok..
সামির : ওকে বাই!?
স্নেহা : বাই!?
সামির : বাই?
[স্নেহা আর কিছু না বলে সরে গেলো ]
মার্জান : কি আজিব ছেলে! কথা নেই বার্তা নেই..হুট করেই তোকে চ্যান্ডি ভেবে বসলো নামটাও কি আজিব!??
স্নেহা : বাদ দে তো!??
মার্জান : অবশ্যই সুন্দরি মেয়ে দেখলে এসব ভাবারই কথা?
স্নেহা : হয়েছে তোর লেকচার এইবার অর্ডার কর,
এইদিকে রাহুল লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে… বাড়ী চলে যাওয়ার জন্য গাড়ীতেই উঠছিলো..হঠাৎ পিছন থেকে নেহা ডাক দেই…
নেহা : রাহুল! কই যাচ্ছো..
রাহুল : নেহা আমার না একটু খারাপ লাগছে..আমি তোমার সাথে পরে দেখা করবো ওকে!
নেহা : কিন্তু তুমি যে বললা ক্লাস শেষে দুজন একসাথে বের হবো!
রাহুল : হে বলেছিলাম..কিন্তু আমার আজ ভালো লাগছে না কাল যাবো ওকে?..
নেহা : তোমার তো এমনিতেই এখন আর আমাকে ভালো লাগে না??
রাহুল : [নেহার কাছে এসে] কি বলছো এসব পাগলের মতো
নেহা : নয়তো কি?..আগে কথা দিয়ে কথা রাখতে… এই কদিন ধরেই দেখছি..আমার সাথে ভালো করে কথা বলছো না…
রাহুল : বলবো কি করে?.. তুমি তো সারাদিন ব্যস্ত থাকো… নয় শপিং, নয় রেষ্টুরেন্ট, নয়তো ফ্রেন্ডসদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া…
নেহা : আচ্ছা! আমার এসবে তোমার অনেক প্রবলেম হয় তাই না?…
রাহুল : আরে পাগলী প্রবলেম হতে যাবে কেনো?..তুমি বললা আমি ভালো করে কথা বলিনা তাই বললাম… ওকে সরি!
নেহা : [রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে] লাভ ইউ বেবি??
রাহুল : [ ঝড়িয়ে..] লাভ ইউ টু…
নেহা : ওকে বাই!..?
রাহুল : ওকে…? বাই..
এইবলে রাহুল…চলে যায়…
বাসায় গিয়ে রাহুল…ভাবতে থাকে..নেহাকে এভাবে ফেলে আসাটা উচিৎ হয়নি.. কিন্তু কি করার…কেমন যেনো সব…ওলোটপালট হয়ে যাচ্ছে…?
বিকেলে স্নেহা রাহুলের বাসায় এসে এদিক ওদিকে তাকাতে লাগলো…
হঠাৎ,পিছন থেকে ফাবিহা এসে স্নেহাকে ভয় লাগলো…
স্নেহা : আরে! ?
ফাবিহা : ??ভয় পেয়েছো টিচার…
স্নেহা : হুম! একটু একটু??
ফাবিহা : জানো টিচার..বাসায় না..ও এসেছে…
স্নেহা : কে?..?
ফাবিহা : ঐ যে.. কাটা টা!..?
স্নেহা : What!? এখন কই?..
ফাবিহা : রাহুল ভাইয়ার রুমেই আছে..
স্নেহা : রাহুলের রুমে?..??
ফাবিহা : শিসস! আস্তে টিচার চাচ্চুর গ্রেন্ডমাদার? জানলে চাচ্চুকে বকবে..
স্নেহা : [ মনে মনে] তার মানে ও যে রুমে আছে সেটা দাদী জানে না..? না জানি রুমের মধ্যে কি কি করছে..?
স্নেহা : ফাবিহা! আমার না গা ঝলছে?
ফাবিহা : ওহ ও টিচার Don’t worry না..একটা প্লান করো যাতে…ও বেরিয়ে যায়..
স্নেহা : হুম সেটাই ভাবছি..?
[হঠাৎ, স্নেহার মাথায় একটি বুদ্ধি এলো.. ]
স্নেহা : ফাবিহা?.. তোমার চাচ্চু কি ড্রিংক করে?..
ফাবিহা : u mean wine?..?
হে সেটা তো বাবাও খায়..
স্নেহা : শিসস! আস্তে আস্তে!..
স্নেহা [মনে মনে] ভাবতে লাগলো সে কোন দুনিয়ায় আছে…?
স্নেহা : আচ্ছা শোনো! তুমি গিয়ে তোমার বাবার রুম থেকে…হাফ গ্লাস! ওয়াইন আনবা… দেখো তোমার মাম্মা যাতে জানতে না পারে!..
ফাবিহা : Don’t worry আমি আরো অনেক বার বাবার ওয়াইন চুরি করেছি মা ঠেরই পায়নি..?
স্নেহা : তুমি ওয়াইন দিয়ে কি করেছো ?
ফাবিহা : টমিকে খাইয়েছি..
স্নেহা : টমি কে?..
ফাবিহা : টমি হলো চাচ্চুর কুকুর! ও অনেক চেঁচাচ্ছিলো..চাচ্চু তখন বাসায় ছিলো না তাই খাইয়ে দিয়েছিলাম…
[স্নেহা মুখ চেপে হেসে দিলো ??]…
স্নেহা : ওকে!? এখন আরেক টমিকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করো?
ফাবিহা : ওকে…?
ফাবিহা চলে যায়…ওয়াইন আনতে…
স্নেহা কিচেনে গিয়ে..কাজের লোককে … বলতে থাকে..শোনো দাদী বলেছে..দু গ্লাস! শরবত বানাতে…আই মিন এক গ্লাস ফুল আরেক গ্লাস হাফ..
কাজের লোক : আরেক গ্লাস হাফ কেনো?..
স্নেহা : ? তা আমি কিভাবে বলবো..দাদী বলেছে তা দাদীর অর্ডার..
কাজের লোক : আচ্ছা বানিয়ে দিচ্ছি…
স্নেহা দাঁড়িয়ে থাকে…কাজের লোকটা শরবত বানিয়ে দেই…
স্নেহা : আমাকে দাও আমি দিয়ে আসি!
কাজের লোক : আরে না! আপনি কেনো কষ্ট করবেন…আমরা আছি না!
স্নেহা : আরে দাও তো কিছু হবেনা…তুমি যাও…
স্নেহা শরবত গুলো নিয়ে..উপরে যায়..ফাবিহা স্নেহাকে ওয়াইন এনে দিলে…স্নেহা হাফ গ্লাসে ওয়াইন গুলো ঢেলে দেই…
স্নেহা গিয়ে রাহুলের দরজা বাড়ি দেই..এবং রাহুল দরজা খুলে!
রাহুল : তুমি?..এইখানে কি করছো..
স্নেহা : আসলে অনেক গরম পড়ছে..তাই আমি ভেবেছি..তোমাদের দুজনের জন্য একটু শরবত দেই…
নেহা : রাহুল ?? ও এইখানে কি করছে…
রাহুল : নেহা! ও..
স্নেহা : আমি ফাবিহাকে ডান্স শেখাতে এসেছি… ?
নেহা : ঠিকমতো হাটা জানে না..এই আবার ফাবিহাকে ডান্স শেখাবে…হাউ ফানি??
রাহুল : দেখো! বাসায় অনেক লোক আছে… আমার যদি লাগতো তাহলে ওদের বলে দিতাম…তোমার এসব নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই…যেই কাজে এসেছো সেই কাজ করো…
নেহা : ওকে রিলেক্স রাহুল! ও তো এসবেরই যোগ্য… এনেছে যখন খেয়েনি.. বাই দা ওয়ে… আমাকে শরবত এনে খাওয়ানো এটাও ওর…সৌভাগ্য..
স্নেহা : [ মনে মনে ] একবার খেয়েই দেখ তারপর কার সৌভাগ্য আর কার দূরভাগ্য তা নিজেই বুঝবি..?
নেহা একটি গ্লাস নিতে গেলে,
স্নেহা : আরে আরে…আমি দিচ্ছি ওয়েট… [ স্নেহা নেহাকে একটি গ্লাস হাতে তুলে দেই…আরেকটি রাহুলকে ]
রাহুল : [মনে মনে] ড্রামেবাজ! মাথায় কি খিচুড়ি পাকিয়েছে কে জানে!…?
স্নেহা : Enjoy Enjoy ??
নেহা : থেংক ইউ…?
স্নেহা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো…
ফাবিহা : টিচার! কি হলো..
স্নেহা : ? খেয়েছে..
ফাবিহা : এখন কি হবে?..
স্নেহা : ইয়ে তো সির্ফ ট্রেইলার থা বস্ ? পিকচার আভি ভি বাকি হে…
স্নেহা ফাবিহাকে…ডান্স শেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে…শুধু অপেক্ষায় আছে দাদী কখন নিচে নামবে…
দাদী নিচে নামলে,
স্নেহা : আরে দাদী তুমি এইখানে..আমি আরো তোমাকে খুজছিলাম…
দাদী : কেনো আমার রুমে গিয়ে দেখলেই তো হতো…
স্নেহা : তুমি না..কেমন আমি এসেছি কদিন হয়ে গেছে…আমাকে একবার ও নিজের রুমটা দেখালে না…?
দাদী : তোকে কি কেউ বারণ করেছে নাকি?…পাগলি মেয়ে…
স্নেহা : না আর এসব বললে হবে না..?
আমাকে তোমার রুম দেখাতে নিয়ে যাও… দাদার কি কি লুকিয়ে রেখেছো আমি সব দেখবো..
দাদী : আচ্ছা চল! দেখবি?
স্নেহা দাদীর পিছন পিছন উপরে উঠে,,
হঠাৎ রাহুলের রুমের সামনে এসে..স্নেহা দাঁড়িয়ে পড়ে…
স্নেহা : দাদী! এটা কার রুম বলোতো..এতো চেঁচামেচির শব্দ আসছে..
দাদী : কার আবার…ঐ সুপারষ্টারের..সারাদিন গিটার নিয়ে থাকে..তাই হয়তো আওয়াজ আসছে..
[স্নেহা মনে মনে ভাবতে লাগলো হায় আল্লাহ দাদীকে কেমনি পাঠায় রাহুলের রুমে..??]
স্নেহা : দাদী! বলছিলাম যে গিটারের না..কেমন যেন একটা মেয়ের শব্দ হচ্ছে..
দাদী : আরে! সিফা গিয়েছে হয়তো…তুই আয়..
স্নেহা : [? in sad mood] ওকে দাদী চলো…
হঠাৎ রাহুল দরজা খুললো..এবং দরজার সামনে দাদী আর স্নেহাকে দেখে রাহুল..ঘাবড়ে গেলো…
রাহুল : আরে দাদী?…
স্নেহা : ওহ রাহুল! এটা কি তোমার রুম?..?
.
রাহুল : ???
দাদী : তুই এখনো রাহুলের রুম দেখিসনি.. আমিতো ভেবেছি রাহুল তোকে সব দেখিয়ে নিয়েছে..
আয় চল আগে ওর রুম দেখে নে…
রাহুল : না না দাদী! আই মিন পরে দেখাবো আমি
স্নেহা ওকে..??
স্নেহা : পরে কেনো এখন দেখলে কি হবে?… ভেতরে কি কিছু লুকিয়ে রেখেছো নাকি?..?
দাদী : আগে আর পরে কি রাহুল..
স্নেহা : [দাদীর কানে ফিসফিস করে] দাদী আমিতো আগেই বলেছিলাম.. কিছু তো গণ্ডগোল আছে নিশ্চই…?
হঠাৎ পেছন থেকে নেহা এসে রাহুলের ঘারে হাত রাখলো…
দাদী অবাক হয়ে গেলো…?
নেহা : [ মাতাল অবস্থায় ] What happen রাহুল! কি হচ্ছে?..
স্নেহা : অহ????….
দাদী : ? রাহুল!
রাহুল : ও..দাদী আসলে.. ও হচ্ছে নেহা..আমার ফ্রেন্ড.. আর নেহা এটা হচ্ছে আমার দাদী..
নেহা : অউ দাদী.. হাউ কিউট…দাদী..
দাদী : রাহুল!? আমার সাথে আয় তোর সাথে কথা আছে… [ এই বলে দাদী চলে যায়]
রাহুল : [ স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে] তোমাকে তো আমি ? পরে দেখে নিবো..
স্নেহা : ওকে? [ রাহুল চলে যায় দাদীর রুমে]
স্নেহা : এই যে মিস্ ইউনিভার্স! আপনি আবার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছেন…বের হবেন নাকি দাদী এসে ঝাটা পেটান দিবে তারপর বের হবেন…
নেহা : ওউ.. shut-up! [ নেহার চোখ বটে আসছে হঠাৎ পড়ে যেতে চাইলে স্নেহা তাড়াতাড়ি ধরে ফেলে নেহাকে..]
স্নেহা : কি বলেছিলি…আমি ঠিক মতো হাটতে জানিনা…আর নাচ শেখাবো কি করে তাই…না..? এবার তুই দেখ তুই তো ঠিকমতো দাড়াতে ও পারছিস না..?
নেহা : দেখো… আমি!..
স্নেহা : কি তুই বল?…
নেহা : রাহুল কে বলে দিবো..
স্নেহা : আহা! রাহুলকে বলে দিবো..?ঠিকমতো দাড়াতে পারছিস না আবার গিয়ে রাহুলকে বলবি হাউ ফানি..
হঠাৎ, রাহুল এগিয়ে আসে…নেহা কে স্নেহা থেকে ছুটিয়ে…কোলে তুলে নেই..
স্নেহা : শুনো ওকে একটা লেবু…?
রাহুল : ?Just Shut-up… আর একটাও কথা বলবানা… [ রাহুল চলে যায় নেহাকে নিয়ে ]
স্নেহা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকে…?
দাদী : [ পিছন থেকে ] আমি জানি এসব কার কান্ড…
স্নেহা Shocked হয়ে পেছনে তাকালো..?
দাদী : তবে আমি তোকে বকবো না..কারণ তুই যা করেছিস…তাতে এই ঘরের ক্ষতি হয়নি…বরং ভালোই হয়েছে..
স্নেহা : দাদী আসলে!??
দাদী : আমি তো ঐদিনই বুঝতে পেরেছি..যখন তুই রাহুলকে ছাড়া ড্রাইভারের সাথে যেতে চাচ্ছিলি না…
স্নেহা : সরি দাদী! ?
দাদী : [স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে] পাগলী একটা রাহুলকে কি তোর পছন্দ?..
স্নেহা : ইয়েস্ দাদী ? আই মিন নো…উফফ? দাদী মানে হচ্ছে হে হে…
দাদী : আচ্ছা তাই…? চল এইবার আমার রুমে,
স্নেহা : [ দাদীকে ঝড়িয়ে ] ওহ দাদী! You are so sweet?..
স্নেহা দাদীর সাথে আড্ডা দিয়ে…বিদায় নিয়ে ফিরছিলো… হঠাৎ বাড়ী থেকে বের হতেই স্নেহা দেখে রাহুলের গাড়ী ঢুকছে…
স্নেহা : [মনে মনে] নিশ্চই অই পেত্নীটাকে বাড়ী পৌছে দিয়ে এসেছে..??
[রাহুলের চোখ স্নেহার উপর পড়লো..
চোখাচোখি হলে স্নেহা মিটমিট করে হাসতে থাকে…]
স্নেহা গাড়ীর পাশদিয়ে সাইড কেটে হেসে চলে যাচ্ছিলো
রাহুল রেগে গাড়ী থেকে নেমে স্নেহার দিকে এগিয়ে আসলো..
স্নেহার রাহুলকে দেখে হঠাৎ ভীষণ হাসি পাচ্ছিলো হাসি আটকাতে না পেরে.. স্নেহা নিজের মুখ নিজে চেপে ধরলো..
রাহুল : অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না???
স্নেহা : মাথা নাড়ালো?..[কই নাতো]
রাহুল স্নেহাকে চেপে ধরে সজোড়ে ধাক্ষা দিয়ে..গাড়ীর সাথে লাগিয়ে দাড় করালো..?
স্নেহা : আরে! এতো জোড়ে ধাক্ষা দেই নাকি…আমি ব্যাথা পেয়েছি না?.?
রাহুল : i don’t care..তুমি ব্যথা পাও কি না পাও… শরবতে কি মিশিয়েছিলে?..?
স্নেহা : আমি?..? শরবতে..ছিঃ ছিঃ ছিঃ বলছো কি এসব..
রাহুল : এখন কিছুই জানো নাহ তাই না?.. ড্রামেবাজ?
স্নেহা : ? দেখো আমি কিছুই মেশায়নি…তোমার ঐ পেত্নীটাই নিশ্চয় ওয়াইন খেয়ে এসেছে…তাই মাতালের মতো করেছে..
রাহুল : ওয়াইন?.. তুমি কিভাবে জানো ঐটা যে ওয়াইন ছিলো..?..
স্নেহা : আমি?..ওয়াইন ছিলো..বলেছি?..?
ওহ?ও হে…মানুষ তো ওয়াইন খেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে যায় তাই না…তাই বলেছি..
রাহুল : এতো ড্রামা কেমনি করো হে??..আমাকে কি বোকা পেয়েছো?..হুম?..আজকে যে কান্ড করেছো না তুমি সেটার জন্য তোমার অনেক পচঁতাতে হবে… মিস্ ড্রামাকুইন?
[স্নেহা হঠাৎ রাহুলের কাধের দিকে শার্টটা একটু ঝেরে দিলো…?]
রাহুল : What?..
স্নেহা : [মুখ চেপে হেসে] ময়লা ছিলো?
[রাহুল রেগে তার হাত দিয়ে গাড়ী উপর একটা বাড়ি মারলো]
[স্নেহা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে]…
[একচোখ খুলে? রাহুলের দিক তাকালে দেখে রাহুল হাসছে]
চলবে.,,,,

 Love At 1st Sight $2 Part : 5

0

 Love At 1st Sight $2
Part : 5
writer-Jubaida Sobti
স্নেহা : দেখো এসব কিন্তু ভালো হচ্ছে না..আমি কি তোমার সাথে….
রাহুল : [স্নেহার মুখে হাত দিয়ে] শিসস্! silent স্নেহা! and feel it!…?
স্নেহা রাহুলের কান্ড দেখে ফুল হতবাগ হয়ে তাকিয়ে আছে??….
তাকাতে তাকাতে স্নেহা কোন সময় প্রজেক্ট এর সুইচের উপর হাত দিয়ে দিয়েছে ঠেরি পাইনি… হঠাৎ স্নেহার হাতে শকট লেগে উঠলো… আর স্নেহা জোড়ে চিৎকার করে উঠে…
রাহুল : Shit! Careful damn it!?
সবাই স্নেহার দিকে এগিয়ে আসে কি হলো বলে….
রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহার হাত তার মুখে নিয়ে চেপে ধরে…
[Sneha closed her eyess?]
[রাহুলের কিছু ফ্রেন্ড রাহুলের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে…??]
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে দেখে, স্নেহা চোখ বন্ধ করে গুটিমুটি হয়ে ঘাবড়ে আছে..
রাহুল : U Ok?…?
স্নেহা চোখ খুলে রাহুলের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো..?[ হুম ]
রাহুল আর কিছু না বলে…স্নেহার প্রজেক্ট কমপ্লিট করে দেই আগে…স্নেহা চুপ করে তাকিয়ে থাকে…?
রাহুল : তোমারটা কমপ্লিট হয়ে গেছে..তুমি জমা দিয়ে দিতে পারো..
স্নেহা : একসাথে দি?..?
রাহুল : ???
স্নেহা : ওকে!?? দিচ্ছি..
স্নেহা জমা দিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ে..,
আসিফ : [রাহুলের ফ্রেন্ড] কি ব্যাপার দোস্ত ? দুইটা একসাথে?
রাহুল : আরে পাগল নাকি..ওর হাতে শকড লেগেছিলো তাই..
আসিফা : হে হে তাতো বুঝেছি??
রাহুল : Shut-up ok?
এইদিকে,
রিফাত : স্নেহা! তুই কি জিনিষরে বাবা! ?
স্নেহা : আমি কিছুই করিনি? সব Automatically হচ্ছে…
মার্জান : আহ! আহ! আমরা কিছু বুঝি না তাই তো..?
স্নেহা : হয়েছে চল..এবার.. আমার কেমন যেন মাথা গুরাচ্ছে…?
জারিফা : মাথা গুরাচ্ছে মানে..কি কি করেছিস…?
স্নেহা : চুপ কর বদমাইশ!?
স্নেহা হোষ্টেলে ফিরে আসে! লাঞ্চ করে ফেসবুকে ঢুকে…হঠাৎ দেখে রাহুল মেসেজ দিয়েছে..??
[ রাহুল : তুমি ঠিকাছো?..]
স্নেহা : মার্জান আমাকে একটা চিমটি দেতো ???
মার্জান উঠে স্নেহাকে জোড়ে একটি চিমটি কাটলো…?
স্নেহা : আআহ! ???উফ এতো জোড়ে দিতে বলেছি নাকি?..?
মার্জান : আচ্ছা কেনো দিতে বললি…??
স্নেহা : দেখ!?
মার্জান : ওয়াও…রাহুল মেসেজ দিয়েছে 
এইদিকে দে আমি লিখি… [ মার্জান স্নেহা থেকে মোবাইল কেরে নিয়ে লিখে দেই… { না গো কেমনি ঠিক থাকবো বলো তোমাকে ছাড়া} ]
স্নেহা :??? এটা কি লিখলি…
Rahul set a nickname for you [Dramaqueen]
মার্জান : তোর নিকনেইম সেট করেছে ড্রামাকুইন???
স্নেহা : [ মার্জান থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ]
রাহুলের নিকনেইম সেট করে দেই.. মি.হ্যান্ডস্যাম?
রাহুল : Again Drama??
স্নেহা : আমার সব কিছুই তোমার ড্রামা মনে হয় তাই না?…?
রাহুল : Of course u are a dramaqueen…?
স্নেহা : Don’t called me that! ok?
রাহুল : Dramaqueen?
স্নেহা : এসব কি ড্রামা দেখলা…এইবার তোমাকে আসল ড্রামা দেখাবো.. ?
রাহুল : ওকে.. i m waiting ?
স্নেহা : ??
বিকেলে, স্নেহা ফাবিহাকে ডান্স শিখিয়ে..চলে যাওয়ার সময় হলো..
স্নেহা : ফাবিহা..তোমার চাচ্চু কি আজ ও বাসায় নেই..?
ফাবিহা : আছে তো ওর রুমেই..
স্নেহা : ওহ!?
হঠাৎ স্নেহা উপরের দিকে তাকাতেই দেখে রাহুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে…হাতে কফির গ্লাস নিয়ে…স্নেহার দিকে চেয়ে আছে..
[রাহুল স্নেহাকে একটি চোখ টিপ মাড়লো? হাত দিয়ে ইশারা করে হ্যালো বললো..]
স্নেহা : [মনে মনে] এইতো দেখি আমার বাজি আমাকে মারছে…??
ফাবিহা : [স্নেহার পাশে এসে ফিসফিস করে] u love my chacchu..?
[স্নেহার কথাটি শুনে ধম আটকে গেলো.. কাশতে লাগলো স্নেহা..?]
ফাবিহা : i know that..টিচার..?
স্নেহা : কিভাবে?..?
ফাবিহা : ঐদিন আমি সব শুনেছি.. তুমি চাচ্চুর রুমে চাচ্চুকে আই লাভ ইউ বলছিলে..?
[স্নেহা তাড়াতাড়ি ফাবিহার মুখ চেপে ধরে…?]
[.কোনো কথা শুনতে পাচ্ছে না রাহুল..কিন্তু তাদের কান্ড দেখে অবাক হলো??]
[স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে একটু হাসে..যাতে রাহুল কিছু বুঝতে না পারে..]
ফাবিহা : [ তার মুখ থেকে স্নেহার হাত সরিয়ে] don’t worry টিচার..রিলেক্স আমি কাউকে বলবো না..?
স্নেহা : [একটু হেসে] you help me?..?
ফাবিহা : Of course!
স্নেহা : [ ফাবিহাকে ঝড়িয়ে ] থেংক ইউ?
ফাবিহা : কিন্তু একটা কাটা আছে!..?
স্নেহা : কি কাটা?..?
ফাবিহা : ঐ যে! নেহা…? ও তো চাচ্চুর সাথে আটার মতো লেগে আছে..
স্নেহা : ওহ! ওর চিন্তা তুমি বাদ দাও ঐ পেত্নিকে তুমি আমার উপর ছেড়ে দাও…?
ফাবিহা : ??
স্নেহা : ওকে! এবার যাওয়া যাক!?
স্নেহা ড্রইং রুমে গেলো.. দেখে দাদী আর সিফা দুজনই বসে আছে..
স্নেহা : ওকে বাই..Guys..কাল দেখা হবে!?
সিফা : আর একটু তাড়াতাড়ি আসতে পারো না.. আজ তো আর আড্ডা দেওয়া হলোনা..
স্নেহা :??ওকে কাল থেকে ট্রাই করবো..
[ কথাটি বলেই স্নেহা পিছন ফিরছিলো… হঠাৎ দেখে রাহুল নামছে]
স্নেহা আস্তে আস্তে হাটতে লাগলো.. ?রাহুল স্নেহাকে আড়চোখে দেখে দাদীদের দিকে এগিয়ে আসছে…
[ মাথায় সবসময় স্নেহার দুষ্টু বুদ্ধিই কাজ করে…? স্নেহা ইচ্ছে করেই রাহুলের সাথে ধাক্ষা খেয়ে পড়ে যেতে চাই..রাহুল স্নেহাকে তাড়াতাড়ি ধরে ফেলে ]
রাহুল : ?? এত্তো Careless কেনো..তুমি
স্নেহা : ???ট্রাই মাড়ছিলাম ধরো কিনা দেখার জন্য?
[দাদী, সিফা, ফাবিহা সবাই তাকিয়ে আছে…রাহুল আর স্নেহার দিকে…]
ফাবিহা : Wow চাচ্চু! u are rocks..?
ফাবিহার কথা শুনে সিফা আর দাদী হেসে উঠে…
রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহাকে ছেড়ে দেই…
স্নেহা : [ফিসফিস করে] ছাড়লে কেনো..আর কিছুক্ষণ ধরে রাখতে..? ভালোই তো লাগছিলো…
রাহুল : ????
স্নেহা : ওহ! সরি feel it rahul! feel it?
রাহুল : ড্রামেবাজ??
স্নেহা চলে যায় হাসতে হাসতে!…??
দাদী : মেয়েটা কিন্তু ভালোই..আমার অনেক ভালো লাগে…
ফাবিহা : দাদী! আমার টিচার অনেক কিউট তাই না!? যখন ডান্স করে তখন তো আমি শুধু টিচারের চুল গুলো দেখে থাকি… কি সিল্কি সিল্কি চুল..? আমি তো ভাবি ইশ! আমার যদি এমন একটা চাচী থাকতো..
রাহুল : ??
সিফা রাহুলের দিকে তাকিয়ে হাসছে?
রাহুল : What!?
সিফা : মোমেন্ট টা অনেক Joss ছিলো রাহুল.. আমার হাতে ক্যামেরা থাকলে..
রাহুল : ওকে! স্টপ..ও পড়ে যাচ্ছিলো তাই…ধরেছি…
দাদী : না ধরলেও পারতি!…?
পড়লে পড়তো আরকি…
রাহুল : আজিব এটা এতো? সিরিয়াসলি নেওয়ার কি আছে…আমি তো..
সিফা : সাহায্য করছিলি..তাই না? ok we are understand তাই না দাদি..
দাদী : হুম হুম! বুঝতে পেরেছি?
রাহুল : ওকে ফাইন!? আমি এইখানে বসি সেটা তোমরা চাওনা তাই তো..Bye
[এই বলে রাহুল উঠে চলে যায়]
দাদী : আরে রাহুল…দাড়া!?
রাহুল রুমে গিয়ে গিটার নিয়ে বসে
??…বাজাতে বাজাতে হঠাৎ
ফাবিহার কথাটি কানে বেজে উঠলো রাহুলের..
[আমার টিচারটা অনেক কিউট তাই না! যখন ডান্স করে আমি শুধু টিচারের চুল গুলো দেখে থাকি..কি সিল্কি সিল্কি চুল? ইশ! আমার যদি এমন একটা চাচী থাকতো ]
রাহুল হঠাৎ একটু হেসে উঠলো…? আর ভাবতে লাগলো.. সত্যিই তো স্নেহাকে ডান্স করতে দারুণ লাগে…
আজ বারান্দায় দাঁড়িয়ে যখন দেখছিলাম.. গোলপী রঙ এর জামাটা ওকে অনেক সুট করে..গায়ের রঙের সাথে একেবারে মিশে গেছে জামাটা…
রাহুল স্নেহার সাথে ঘটে যাওয়া প্রতিটা মোমেন্ট মনে করছে…প্রথমদিন তাকে কিভাবে বাচিয়েছে..ক্লাসে এসে তার পাশে হুট করে বসে যাওয়া… রাহুলকে চোখ টিপ মারা…রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করার জন্য ঝর্ণার ধারে লাফিয়ে উঠা…ইচ্ছে করে গায়ের উপর ঝাপিয়ে পড়া…?
হঠাৎ রাহুলের কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি..মনে পড়লো..স্নেহা পড়ে যাচ্ছিলো আর তাকে হুট করে ধরে ফেললো..
এসব ভেবে রাহুল ব্লাশিং হতে লাগলো..?? আয়নার দিকে তাকাতেই রাহুল তার নিজের চেহেরা দেখে অবাক হলো..
রাহুল : [মনে মনে] একি আমি ড্রামাকুইনের কথা ভেবে কেনো ব্লাশ হচ্ছি… ??
Shut-up rahul..stop it Ok… ওকে কেনো ভাবছিস…? She is a dramaqueen..
চলবে.,,,,