♥Love At 1st Sight $2
Part – 2
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে নিচে নামলো…
মার্জান : স্নেহা এইদিকে আয়…☺ কোথায় গিয়েছিলি…?
স্নেহা : এইতো একটু ঘুরে দেখছিলাম..
মার্জান : আয় তোকে পরিচয় করিয়েদি..
ও হচ্ছে শায়লা..ও জারিফা, ও রিফাত..আর Guys…ও হচ্ছে স্নেহা…….?
স্নেহা সবার সাথে পরিচয় হয়ে অনেক মজা করে..যেনো স্নেহা তাদের অনেক পুরোনো বান্ধবী…সহজে মিশে যায় তাদের সাথে…
মার্জান : চল এবার যাওয়া যাক…?
স্নেহা এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো..
মার্জান : এই মেয়ে কি দেখছিস?..?
স্নেহা : রাহুলকে খুজছি! কোথায় গেলো বলতো?..দেখতে পাচ্ছি না যে!
জারিফা : Listen sneha! তুই আমাদের তোর দোস্ত বলেছিস তো..?এই অধিকারে একটা কথা বলছি… ঐ রাহুলকে তুই ভুলে যা…
শায়লা : হে রে কোনো লাব নেই এসব করে.. আর তোকে তো বললই যে রাহুলের গার্লফ্রেন্ড আছে,
স্নেহা : ভুলে যাবো মানে কেনো ভুলবো?.. ?গার্লফ্রেন্ড আছে তাতে কি হয়েছে…
শোন…আমি যাচ্ছি রাহুলকে খুজতে আমার সাথে কে যাবি বল?..
[সবাই চুপ!??]
স্নেহা : হা করে তাকিয়ে আছিস কেনো সবাই? কেউ তো কিছু বল?…
রিফাত : স্নেহা তুই রাহুলকে এখন খুজতে গিয়ে লাব নেই…?ঐ দেখ রাহুল তার গার্লফ্রেন্ড নেহা কে সাথে করে নিয়ে আসছে…
স্নেহা তাকাতেই দেখলো…নেহা রাহুলের হাত ঝরিয়ে…একসাথে..পার্কিং এর দিকে এগুচ্ছে…?রাহুলকেও অনেক খুশিখুশি লাগছে..
জারিফা : দেখলি..এবার?
স্নেহা : এবার তোরা দেখ আমি কি করি…?
মার্জান : কি করবি?…
স্নেহা : just wait and see?
স্নেহা দৌড়ে রাহুল আর নেহার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো..
রাহুল স্নেহাকে দেখে অবাক হয়ে গেলো..?
[মার্জান, জারিফা,রিফাত,শায়লা সবাই দূর থেকে তাকিয়ে আছে স্নেহা কি করতে গেলো তা দেখার জণ্য??]
স্নেহা : এই যে হিরো! ?শুনলাম তোমার নাকি গার্লফ্রেন্ড আছে?…
[রাহুল নেহার দিকে একবার তাকিয়ে আবার স্নেহার দিকে তাকালো..]
স্নেহা : ও হে!শুনেছি তোমার গার্লফ্রেন্ডটা নাকি দেখতে ততোটা ইয়ে না?…i mean তোমার সাথে মানায় না… কি দেখে প্রেমে পড়েছো ওর হে?..
নেহা : How dare you?…তোমার সাহস কিভাবে হলো ওর সাথে এভাবে কথা বলার?..? আর কে তুমি?…
স্নেহা : just shut-up ok?..আমি কি তোর সাথে কথা বলছি?.. তুই কেনো নাক গলাচ্ছিস?..?
নেহা : ?Look rahul! ও আমাকে?
রাহুল : Listen! তুমি এসব বলে কি বোঝাতে চাচ্ছো?..
স্নেহা : আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে আমার মতো মেয়ে থাকতে ??তুমি ঐ পেত্নীটার পেছন কেনো নিবা..
নেহা : what! ? u called me পেত্নী ?
রাহুল : I think u don’t know who is neha! right?..
স্নেহা : আরে ধুর ওকে জানার কি আছে! ?
নেহা : Listen ? i am neha!
স্নেহা : Oh my god?? are you neha!….
নেহা : Yes i m neha..শুনতে পেরেছো?..?
স্নেহা : [হাসি চেপে রেখে] Sorry Sorry Sorry?? আসলে আমি চিনতে পারিনি…
রাহুল : [নেহাকে টেনে ]ওকে নেহা চলো!
স্নেহা : bye! রাহুল ☺…
[রাহুল পিছন ফিরে স্নেহার দিকে একবার তাকালো..
স্নেহা রাহুলকে একটি চোখ টিপ মারে?]
রাহুল আর নেহা চলে যাওয়ার পর মার্জানরা সবাই দৌড়ে আসে,
মার্জান : স্নেহা! তুই কি এমন বলেছিস যে নেহা ক্ষেপে গেছে?..
স্নেহা : বলেছি রাহুলের সাথে ওকে একদমি মানাই না তাই ক্ষেপে গেছে…
জারিফা : ডিরেক্ট বলেছিস?
স্নেহা : হে! ?লুকিয়ে বলতে যাবো কেনো?..
পেয়ার কিয়া হে বস্ কই চোরি নেহি কি…?
শায়লা : বাব্বা! ?মানতে হবে স্নেহা তুই তো…একদম জমিয়ে দিয়েছিস..
মার্জান : আমার তো ভয় করছে কোন সময় নেহা এসে তোর সাথে আমাদের ও লাঠি নিয়ে পেটানো শুরু করে আল্লাহ জানে???!
[সবাই একসাথে হেসে গল্প করে হোষ্টেলে ফিরে যায়!]
সন্ধায় স্নেহা পড়ার টেবিলে বসে মুখে হাত দিয়ে চিন্তা করতে লাগলো…
হঠাৎ, মার্জান ও এসে পাশে বসলো,
মার্জান : কি ভাবছিস রে ?..
স্নেহা : রাহুলকে ?
মার্জান : এই রাহুলের ভুত তোর ঘার থেকে আর নামবেনা বুঝতে পেরেছি..
স্নেহা : বুঝতেই যখন পেরেছিস তাহলে এতো বক বক না করে সরে যা?…
এমনিতে মাথা খারাপ হয়ে আছে রাহুলের সাথে ভার্সেটি ছাড়া আর কোথাও দেখা করা যাচ্ছে না…?
মার্জান : পাগলী একটা! ? আচ্ছা শোন তোকে একটা আইডিয়া দেই..
স্নেহা : ??
মার্জান : সত্যি Joss আইডিয়া কিন্তু!
স্নেহা : কি??
মার্জান : তুই রাহুলকে ফেসবুকে নক দিয়ে ট্রাই করে দেখতে পারিস…..যদিও বা রিপ্লে দিলেও দিতে পারে…মনে তো হয়না দিবে বলে?
স্নেহা : [এক লাফে উঠে মার্জানকে কিস্ দিতে লাগলো ] আরে কি joss আইডিয়া দিলি…??আগে বলিসনি কেনো..রিপ্লে দিবে না মানে ওর বাপের থেকে ও রিপ্লে দিতে হবে!
মার্জান : ?? আকাশের তারা পেলেও বোধহয় মানুষ এমন খুশি হবে না..যেমন রিয়েক্ট তুই করলি…
স্নেহা দৌড়ে মোবাইল হাতে নিয়ে বসে পড়লো… রাহুল লিখে সার্চ দিতেই সবার শুরুতে রাহুলের আইডি এসে হাজির…? স্নেহার খুশির ঠিকানার শেষ নেই…রিকোয়েষ্ট পাঠিয়ে দিয়েছে ধুম করেই.. আর বসে বসে রাহুলে ছবি দেখছে..?
[রাত ১২:০০টা বেজে ৩০ মিনিট,]
মার্জান : স্নেহা! ?? দেখ আর কতোক্ষণ জেগে থাকবি এইভাবে..?
ও যদি রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করার হতো তাহলে অনেক আগেই করে ফেলতো..
স্নেহা : তুই জানিস আমি এই পর্যন্ত কয়টা মেসেজিং করেছি..?? না মেসেজের রিপ্লাই দিচ্ছে না রিকোয়েষ্ট এক্সেপট করছে…?
মার্জান : আচ্ছা হয়তো এমন ও হতে পারে আজ ও ফাইন্ড ফ্রেন্ডস চেক করেনি… আর নয়তো এমন ও হতে পারে..ইচ্ছে করে এক্সেপট করেনি…?কারণ ওর ফলোয়ারস্ দেখ…
স্নেহা : কিন্তু?!
মার্জান : আরে বোকা কিন্তু কিন্তু করে কি হবে!…জেগে থাকলে কি রিকোয়েষ্ট এক্সেপট করে ফেলবে?..
স্নেহা :??
মার্জান : যা গিয়ে ঘুমিয়ে পর! কাল আবার ভার্সেটি… যেতে লেট হয়ে যাবে নয়তো..
[স্নেহা ও আর কিছু না বলে মোবাইল রেখে ঘুমিয়ে পড়ে…]
[সকালে ঘুম থেকে উঠতেই আগে ফেসবুকে ঢুকে দেখে… রাহুল এক্সেপ্ট করেছে কিনা… মনটা আবার ও খারাপ করে ফেললো স্নেহা! কি আর করার উঠে গিয়ে ভার্সেটি যাওয়ার জন্য তৈরী হয়..]
মার্জান : বাব্বা ?আজ আমার আগে তৈরী…
স্নেহা : ??
মার্জান : By the way আজ কিন্তু তোকে দারুণ লাগছে ড্রেসটাই…??
স্নেহা : হয়েছে অনেক..এবার যাবি?..
মার্জান : Ok ?let’s go..!
ভার্সেটি পৌছে স্নেহা ক্লাসে ঢুকলো!..দেখে রাহুল ক্লাসে নেই!…
বাইরে বেরুতে যাবে ঠিক সেই সময় দেখে রাহুল ঢুকছে…স্নেহাকে দেখতেই রাহুল চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে নিলো…
স্নেহা : ???
রাহুল গিয়ে সিটে্ বসতেই দেখে…স্নেহা এসে তার পাশের সিটে্ বসে যায়…
রাহুল : Shame on u! তোমার কি জ্ঞান বুদ্ধি কিছু নেই?..
স্নেহা : না নেই! তো?..
রাহুল : দেখো এইখানে আরো অনেক সিট্ আছে তুমি গিয়ে ঐখানে..বসতে পারো…
স্নেহা : কেনো ?তোমার কি এইডস আছে?..নাকি কোনোরকম ছোয়াছুয়ি রোগ আছে?…
রাহুল : Just shut-up..
স্নেহা : you shut-up!
[রাহুল স্নেহার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে কি মেয়েরে বাবা!…?]
স্নেহা : কাল তোমাকে রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছিলাম এখনো এক্সেপ্ট করোনি কেনো?..?
রাহুল : that’s my matter! ?
স্নেহা : ও হিরো…একবার জো মে কমিটমেন্ট কারদেতি হু…ফির মে আপনে আপকিভি নেহি সুনতি,
রাহুল : Oh really ?..
স্নেহা : ইয়াহ! আরে কিসের এতো পার্ট দেখাও হে?..আমাকে তো সালমান খান ও প্রপোজ করছিলো..কিন্তু আমি..
রাহুল : কিন্তু তুমি রিজেক্ট করেছো তাই না?…?
স্নেহা : হে! বুঝতেই তো পেরেছো! আমিও কতোটা সেলেব্রিটি ?
রাহুল : How funny! ??
স্নেহা : ??
রাহুল : ওহ অটোগ্রাফ হবে মেম?..?
স্নেহা : অনেক মজা লাগছে তাই না?
রাহুল : এক্সুলি তোমার না একটা নিকনেম দেওয়া উচিৎ ?? ড্রামাকুইন নামের…
পার্ফেক্ট মানামে নামটা তোমার সাথে..
স্নেহা : [রেগে] ওহ রিয়েলি! হাউ সুইট! থেংক ইউ..?
হঠাৎ,ক্লাসে টিচার আসাতে সবাই দাঁড়িয়ে যায়,
ক্লাসে টিচার,লেকচার দিতে লাগলো… আর স্নেহা কিছুক্ষণ পর পর…রাহুলকে গুতাতে লাগলো…
স্নেহা : [ ফিসফিস করে] দেখো আমি তোমাকে কাল সন্ধায় রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছি…আজ সকাল পর্যন্ত হয়ে গেলো… তুমি এখনো এক্সেপ্ট করোনি…
রাহুল একটি তেডি স্মাইল দিয়ে ? অন্যদিকে ফিরে যায়,,
স্নেহা : কি হলো Answer দিচ্ছো না কেনো?..
রাহুল : What’s wrong with you sneha! বললাম তো that’s my matter..
স্নেহা : মানে এক্সেপ্ট করবা না?..রাইট?..
রাহুল : ইয়াহ! রাইট!
স্নেহা ওকে ফাইন! বলে হঠাৎ রাহুলকে একটি চিমটি দিলো…
রাহুল : [চিৎকার করে] আআহ!?
স্যার : এই তোমরা দুজন!…অনেক্ষণ ধরে দেখছি ক্লাসে মনোযোগ নেই…আর কথা বলেই যাচ্ছো!?
রাহুল : সরি! স্যার…?
স্যার : No need Sorry… out of my class!..?
স্নেহা : [খুশি হয়ে] স্যার আমিও?
স্যার : Yes… you too..?
স্নেহা : Thank you sir!?
স্নেহা থেংক ইউ বলাতে স্যার [Shocked ]? হয়ে যায়…তাকে ক্লাস থেকে বের করে দিচ্ছি আর সে বলে থেংক ইউ..
রাহুল আর স্নেহা দুজনেই ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়!
রাহুল : এইভাবে চিমটি মারার কি দরকার ছিলো হুম! ?
স্নেহা : তোমারও এইভাবে ওভাররিয়েক্ট করার কি দরকার ছিলো হুম!?
রাহুল : মোটেও ওভাররিয়েক্ট ছিলো না…?
স্নেহা : আচ্ছা তাই ?লেগেছে অনেক..? দেখি দেখি…
[স্নেহা রাহুলের হাত ধরে মাঝতে লাগলো ]
রাহুল : Stop the drama! nonsense ?
এই বলে রাহুল চলে যায়,…স্নেহাও রাহুলের পিছপিছে দৌড়ে আসে…
রাহুল স্নেহাকে দেখে ও নাদেখার ভাব করে মাঠের দিকে এগিয়ে যায়…
[স্নেহা রাহুলকে দেখে Blushing হতে লাগলো আর মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো ]
কিছুক্ষণ পর,
রাহুল : What?…?
স্নেহা : যতোক্ষণ এক্সেপ্ট করবে না আমি তোমাকে এইভাবে ডিস্টার্ব করতে থাকবো ?…
রাহুল : ওকে! আমিও দেখি করো কি করবা!…
এই বলে রাহুল আবার হাটা শুরু করে…একটু পর রাহুল খেয়াল করলো স্নেহা আর তার পিছু পিছু আসছে না…তাহলে কি চলে গিয়েছে?.. পিছন ফিরে রাহুল দেখলো
[স্নেহা…ঝর্ণার ধারে বীটের উপর গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে..]
রাহুল একটু অবাক হলো…স্নেহা ওখানে গিয়ে কেনো দাঁড়িয়েছে..? আবার ভাবতে লাগলো তাতে আমার কি?..
আবার হঠাৎ থেমে গিয়ে রাহুল ভাবতে লাগলো… মেয়েটিকি পাগল নাকি?…?
রাহুল : [পিছন ফিরে দৌড়ে স্নেহার কাছে আসে,] Hey what are doing?.. ???
স্নেহা : কেনো তোমার চোখ নেই চোখে দেখতে পাচ্ছো না কি করছি?..??
রাহুল : ???
স্নেহা : [ কেঁদে কেঁদে ]কাল সকালে নিউজে আসবে…রাহুল নামের একটি ছেলে স্নেহা নামের একটি মেয়ের রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট না করাতে মেয়েটি পানিতে ঝাপ দিয়ে সুইসাইড করেছে??
রাহুল : Listen this is not funny! ok?
স্নেহা : তোমাকে অনেক জালিয়েছি ক্ষমা করে দিও?
রাহুল : দেখো স্নেহা! নিচে নামো!
স্নেহা : কেনো নামবো?.. হুম?..জান দিয়ে দিচ্ছি তাও বলছো না যে হে যাও এক্সেপ্ট করবো রিকোয়েষ্ট..?
রাহুল : Ok? Oky fine…আমি এক্সেপ্ট করবো…
স্নেহা : সত্যি?..?
রাহুল : দেখো কেউ এসে দেখে ফেলবে…আর ফালতু কথাবার্তা ছড়াবে.. So please!
স্নেহা : তোমাকে এতো সহজে বিশাস করা যায় না? আগে এক্সেপট করো… তারপর নামবো…
রাহুল : [রাগান্বিত ?চোখে স্নেহার দিকে তাকিয়ে পকেট থেকে মোবাইল বের করে স্নেহার রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করলো] See ? এবার নামো..
স্নেহা : কই দেখছিনা তো আরো কাছে এনে দেখাও না…?
রাহুল স্নেহাকে মোবাইল আরো কাছে এনে দেখালো..?
স্নেহা : How sweet dear?..
আচ্ছা আমাকে নামতে একটু সাহায্য করো না… ?[ স্নেহা হাত বাড়িয়ে দিলো ]
[রাহুল একটু বিরক্তিকর ?হয়ে স্নেহার হাত ধরলো… স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে?? লাগলো…আর রাহুল রাগান্বিত ভাবে তাকিয়ে রইলো ]
[স্নেহা চাইলেই আস্তে করে নামতে পারতো কিন্তু স্নেহা সজোড়ে রাহুলের গায়ের উপর ছুড়ে পড়ে…]
স্নেহা : ??? [Blushing ]
রাহুল : Dramaqueen?
[with tedi smile?]
স্নেহাকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে চলে যায় রাহুল… ?
আর মনে মনে হাসতে থাকে রাহুল…কি আজিব মেয়েরে বাবা এতো ড্রামা কেমনি করতে পারে
চলবে।।।
♥Love At 1st Sight $2 Part – 2
♥Love At 1st Sight $2 Part : 1
♥Love At 1st Sight $2
Part : 1
writer-Jubaida Sobti♥
রুমটা চারদিক ওগোছালো… ফুল ভলিউমে চলছে টিভির সাউন্ড…
খাটের উপর উঠে…নাচছে স্নেহা…
মার্জান : What are you doing Sneha??
স্নেহা দৌড়ে এসে মার্জানকে ঝড়িয়ে ধরলো..
মার্জান : [স্নেহাকে ছুটিয়ে] কি করছিসটা কি…?
স্নেহা : Chill baby… আমার এত্তো এত্তো…খুশি.. লাগছে তোকে বুঝাতে পারবো না…
মার্জান : হয়েছে কাল রাত থেকে একই কথা ১০০বার বলেছিস… এবার গিয়ে তৈরী হয়েনে… নয়তো প্রথম দিনেই ক্লাস লেইট..
স্নেহা : don’t worry baby… give me 10mins…just… যাবো আর আসবো ?
মার্জান : ?Ok ok hurry up!
মার্জান হাসতে লাগলো.. ছোট বেলার মতোই.. পাগলামি রয়ে গেলো মেয়েটার..
মার্জানের সাথে স্নেহার পরিচয় গ্রামের মাঝেই……দুজনেই গোরাকপুর গ্রামে একই স্কুলে পড়তো…দুজন বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলো.. এস.এস.সি পাসের পরে..মার্জান শহরের কলেজে ভর্তি হয়ে যায়, স্নেহার ও অনেক ইচ্ছে ছিলো.. শহরে গিয়ে পড়ালিখা করবে..কিন্তু স্নেহার বাবা কিছুতেই রাজি না…এভাবে ২ বছর কেটে যায়..
এইচ.এস.সি পরীক্ষার পরে শহরের ভার্সেটিতে পড়বে বলে জিদ ধরে বসে স্নেহা..কিন্তু স্নেহার বাবা রাজি না হওয়ার একটাই কারণ স্নেহা অনেক চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে… স্নেহার বাবাকে সবাই বলতো মেয়েকে এতো পড়ালিখা করিয়ে কি করবে..বিয়ে দিয়ে দাও..তবে স্নেহার বাবা স্নেহাকে খুব ভালোবাসতো.. তাই..সহজে স্নেহার সব কথা মেনে নিতো..স্নেহার বাবা খুব রাগী মানুষ গ্রামের সকলেই তাকে খুব ভয় এবং সম্মান করে…কিন্তু স্নেহা তার বাবাকে ভয়তো দূরের কথা ফাঁকি দিতে ওস্তাত.. তাই অনেক কষ্টে বাবাকে ফুসলিয়ে রাজি করে স্নেহা শহরে গিয়ে ভার্সেটিতে পড়বে বলে,..
দুপুরের ট্রেনে তুলে দেই স্নেহাকে হরিকাকার সাথে..
[ হরিকাকা স্নেহারদের বাড়িতে ছোট থেকে কাজ করতো ছোট থেকে বড় করেছে স্নেহাকে…স্নেহা ও হরিকাকাকে অনেক ভালোবাসে ?বাবা স্নেহাকে একা ছাড়তে চাইছে না তাই কি আর করার হরিকাকাকে সহ সংগে নিয়ে যাওয়া তবে হরিকাকা স্নেহাকে পৌছে দিয়ে আবার গ্রামে ফিরে যাবে, ]
[স্নেহা মার্জানের সাথে কন্টাক্ট করে একই হোষ্টেলে গিয়ে উঠে… তবে হোষ্টেলটির কোনো নির্দিষ্ট রুলস নেই..এক কথায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকলে যেমনটা হয় আরকি… তবে পুরো বিল্ডিংটাই..বেচেলার মেয়েরা থাকতো.. করা গার্ড দেওয়া আছে, তাতে বাজে ছেলেরা কোনোরকম ডিষ্টার্ব করে না.. শহরের মেয়েরা ছেলেদের থেকে আর কতটুকুই বা পিছিয়ে… যাই হোক এবার বলি স্নেহার এতো খুশির কারণ কি?… আপনারা হয়তো বুঝতেই পারছেন..ফাইনালি স্নেহা গ্রাম থেকে শহরের ভার্সেটিতে পড়তে আসতে পেরেছে… সব কিছু ঠিকটাক করে..আজ স্নেহার ভার্সেটিতে প্রথমদিন..তাই তার খুশির সীমানা শেষ হচ্ছে না…]
মার্জান : স্নেহা তাড়াতাড়ি আয়..বাস্ ছুটে যাবে তো..
স্নেহা : ওকে ওকে বাবা! আসছি!…
স্নেহা তাড়াতাড়ি করে বেগ গুছিয়ে নিচে নামে..
মার্জান : চল তাড়াতাড়ি! [দুজনে গিয়ে বাসে্ উঠে]
স্নেহা : কি দারুণ লাগছে!…? ইশ আমার না বাবাকে আরো আগে পটিয়ে নেওয়া উচিৎ ছিলো!
মার্জান : [হেসে] তুই ও না স্নেহা পারিস বটে??…
সবশেষে ভার্সেটি গিয়ে পৌছায়…,
স্নেহা ঢুকতেই চারিপাশ দেখে খুব অবাক হলো..?.মুগ্ধ করার মতো একটা ভার্সেটি…
মার্জান : কি হলো! দাঁড়িয়ে পড়লি কেনো? চল?..
স্নেহা : দেখ মার্জান এখানকার সব মেয়েরা western ড্রেস পড়ে এসেছে…আর আমাকে কেমন যেন লাগছে ওদের মাঝে…?
মার্জান : আরে পাগলি তাতে কি হয়েছে… ওরা ওদের মতো আর তুই তোর মতো..?এতোকিছু ভাবলে কি চলবে?..
স্নেহা : তাও কেমন যেন???
মার্জান : ধুর বোকা চলতো…
স্নেহা : আচ্ছা ওয়েট ওয়েট..
মার্জান : আবার কি?..
স্নেহা তার চুল গুলো খুলে বিলিয়ে দিলো..? এবং বেগ থেকে হেডফোন বের করে মোবাইলে কানেক্ট করে কানে লাগিয়ে দিলো…
মার্জান স্নেহাকে হা করে দেখে আছে?
স্নেহা : [মার্জানকে একটা চিমটি দিয়ে] ঐ কি হলো…
মার্জান : [স্নেহার এক কান থেকে হেডফোন সরিয়ে] ঐ তুই কি পাগল হয়ে গিয়েছিস নাকি?..
স্নেহা : একদমি না! আরে শহরে এসেছি…যদি একটু স্মার্ট হয়ে না চলি তখন সবাই কি বলবে..?
মার্জান : তোর সাথে আর কথায় পারা যাবে না…চল!?
স্নেহা : ?? চল!
কানে আবার হেডফোন লাগিয়ে স্নেহা হাটতে লাগলো.
স্নেহা : [ ভাবছে আর মনে মনে কথা বলছে ] কি সুন্দর লাগছে জায়গাটা…চলার পথে দু পাশে..বিভিন্নরকম চারা লাগানো…চারদিক ছেলেমেয়ে একসাথে কথা বলছে…বাবা এটাকি পড়ার জায়গা নাকি প্রেম করার?.. মাশাল্লাহ এতোগুলো গাড়ী… ? এটা কি গাড়ীর শো-রুম নাকি..
হঠাৎ হাটতে হাটতে স্নেহার চোখ একটি কেট্রোস গাছের উপর পড়লো… গাছটি দেখে স্নেহা একটু হেসে দিলো [ গ্রামে কতইনা মজা করা হতো এই গাছগুলো নিয়ে ] স্নেহা গাছটির কাছে গিয়ে ভালো করে দেখছিলো…বেশি বড় হয়নি…গাছটি…দুটো ডাঙা বেরিয়েছে শুধু… হঠাৎ বাতাসে স্নেহার ওড়না উড়ে পড়ে… কেট্রোস গাছের উপর…গাছটির পুরো শরীর কাটায় আবৃত..তাই স্নেহা ওড়না সহজে ছুটাতে পারছে না…এইদিকে ছুটালে ঐদিকে লেগে যাচ্ছে, স্নেহা তার ওড়না ছুটাতে ব্যস্ত…
স্নেহার কেনো যেন মনে হচ্ছিলো কেউ তাকে ডাকছে,?বা কিছু একটার শব্দ হচ্ছে, কানে হেডফোন তাই ক্লিয়ার করে কিছু শোনা যাচ্ছিলো না…
পিছন দিকটা ফিরে তাকাবে ঠিক সেই সময়,
হঠাৎ, পিছন থেকে স্নেহাকে সজোরে সরিয়ে নেই কেউ একজন…স্নেহা কিছুই বুঝে উঠতে পারে না…শুধু মিউজিকের পাশাপাশি একটি…কর্কট শব্দ শুনতে পেলো.. যেনো কিছু দুমড়ে মুছড়ে গেছে..
চোখ খুলে তাকাতেই দেখে..হে সত্যিইতো…সবই তো মুছরে গেছে… [একটা গাড়ী ভার্সেটির দেয়াল ঘেষে ভেংগে চুরমার হয়ে গেছে ] আবার খেয়াল করলো স্নেহা কারো শরীরে মাথা ঠেকিয়ে আছে…
মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে…একটি ছেলে!
স্নেহা হতবাগ হয়ে গেলো…ছেলেটিকে দেখে ?
স্নেহা : আপনি?..
ছেলেটি : are you mad?..
স্নেহা : Excuse me!?
ছেলেটি : কখন থেকে সবাই চিৎকার করছে! সরে যেতে আর তুমি কিনা…
২সেকেন্ড only ২সেকেন্ড যদি লেইট হতাম না আমি… তাহলে এতোক্ষণে ?..
স্নেহা তার ঘাড় থেকে হেডফোনটি নিয়ে দেখালো…?
ছেলেটি : ওহ গড! আমিতো ভেবেছিলাম তুমি কানে শুনোনা!..
এরমধ্যেই স্নেহার কাছে এসে অনেকজন জড়ো হয়ে যায়… সবাই ছেলেটির মতো একই কথা বলতে লাগলো… [ আসলে বেপারটা হচ্ছে… স্নেহা যখন গাছটি দেখছিলো…ঠিক তখনি পিছন থেকে একটি রেসিং কার ছুটে আসছিলো…গাড়ীটি ব্রেকফিল হওয়ার কারণে ব্রেক নেওয়া যাচ্ছিলো না…তাই স্নেহাকে সবাই সরতে বলছিলো…আর স্নেহা কিনা বোকার মতো কানে হেডফোন লাগিয়ে বসে আছে..যাই হোক আজ স্নেহা প্রাণে বেচে গেলো.. ]
স্নেহা : ওহ সরি! আসলে আমি খেয়াল করিনি..?
ছেলেটি : It’s ok good luck?nd take care!
স্নেহা তাকিয়ে রইলো… ছেলেটি পকেট থেকে সানগ্লাসটা চোখে লাগিয়ে একটা তেডি স্মাইল দিয়ে চলে গেলো.. ?
স্নেহা এখনো তাকিয়ে আছে…?
মার্জান : স্নেহা?
স্নেহা : হে বল!?
মার্জান : আমি ভেবেছি তুই আমার পিছে পিছেই…আসছিস.. ?তুই এইখানে দাঁড়িয়ে কি করছিলি…? সবাই বলাবলি করছে…তোর নাকি এখন এক্সিডেন্ট হতো কিন্তু রাহুল তোকে বাঁচিয়েছে..
স্নেহা : ওহ তো ছেলেটার নাম রাহুল?
হঠাৎ, পিছন থেকে চেঁচামমেচির আওয়াজ শোনাতে..স্নেহা আর মার্জান ফিরে তাকালো…এবং দেখতে পেলো স্যার ঐ রেসিং কারওয়ালাকে বকছে…
স্যার : কতোবার বলেছি এসব গাড়ী ভার্সেটিতে আনবা না…?
ছেলেটি : Sorry sir!?
স্যার : কি করেছো গ্লাসটাকে ভেংগে চুরমার করে ১২টা বাজিয়ে দিয়েছো…
স্নেহা : [মনে মনে] ১২টা তো আমার ওর মুখের বাজাতে ইচ্ছে হচ্ছে?…শয়তান একটা… আজ প্রাণে বেচেছি? নাহয় এতোক্ষণে উপরে পৌছে যেতাম..
[মার্জান স্নেহাকে টেনে ক্লাসের দিক এগিয়ে নিয়ে যায়]
স্নেহা : আরে কি করছিস..এইখানে কেনো আনলি?..
মার্জান : কেনো আনলি মানে?..তুই ক্লাস করবি না?..
স্নেহা : ওহ ক্লাস!
মার্জান : তোর সমস্যাটা কি বলতো..হয়েছে কি তোর…?
স্নেহা : আচ্ছা বাদ দে..?ঐ ছেলেটাকে আরেকবার দেখে আসি চল..
মার্জান : তুই কি পাগল হয়ে গিয়েছিস?..
স্নেহা : হে?
মার্জান স্নেহাকে একটি চিমটি দিলো
স্নেহা : আউছ!?…
স্নেহাকে টেনে ক্লাসে ঢুকালো মার্জান..মন খারাপ করে বসে আছে স্নেহা..
[হঠাৎ রাহুলকে ভেবে ভেবে ব্লাশিং হতে লাগলো স্নেহা…]?… What a smile…
মার্জান : কার?
স্নেহা : রাহুলের??
মার্জান : এই যে ওনাকে ভাবা বাদ দেন…ওনার পেছনে হাজার মেয়ে পড়ে আছে…ওনি কাউকে পাত্তা দেওয়ার মতো নয়…?
স্নেহা : মুডটাই খারাপ করে দিলি…তুই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড নাকি শত্রু কিছু বুঝতে পারছি না…?
মার্জান : আরে পাগলী শত্রু হতে যাবো কেনো…??কিন্তু এটাই সত্য…
স্নেহা : পাত্তা দেই না কেনো জানিস?..?
মার্জান : কেনো…?
স্নেহা : কারণ ওর লাইফে আমি এন্ট্রি নিবো বলে?…
মার্জান : আহারে??
স্নেহা : yes..dear☺
মার্জান : যতোটা সহজ মনে করছিস ততোটা সহজ না.. ? he is a unplugged siger তার চেহেরা দেখে শুধু মেয়েরা ক্রাশ খায়না…তার গান শুনেও সবাই ফিদা হয়ে যায়… weekend এ সব ছেলেমেয়েরা দল বেধে প্রোগ্রাম করে রাহুলের গান শোনার জন্য…
স্নেহা : ???ওয়াও সিংগার..দারুণ তো..?
মার্জান : আর বিশেষ করে আপনার তো No chance ?…because রাহুল অলরেডি বুকিং হয়ে গেছে..
স্নেহা : বুকিং হয়ে গেছে মানে?..?
মার্জান : রাহুলের গার্লফ্রেন্ড আছে..?
স্নেহা : কে ঐ পেত্নী ?…
মার্জান : নেহা?
ভার্সেটির সবচেয়ে স্টাইলিশ এবং সুন্দরি মেয়ে…
স্নেহা : ??
মার্জান : আমাকে মুখ ভেংগিয়ে কিছুই হবে না…যা সত্য তাই বললাম।
স্নেহা : ???
মার্জান : আহ টুট গায়…স্নেহাকি দিল?
স্নেহা : ??[চোখ বন্ধ করে] দেখ আমার রাগ তুলিসনা..
মার্জান : ওকে ওকে??
স্নেহা চোখ খুলতেই দেখে…দরজা দিয়ে রাহুল বন্ধুদের সাথে হেসে হেসে ঢুকছে…
স্নেহার দিলের মধ্যে ঘন্টা বেজে উঠলো ?
মার্জান : আহ! স্নেহা এভাবে তাকাইশ না..নজর পড়বে ওর..?
স্নেহা : আরে ওহ আমাদের ক্লাসেই??
মার্জান : হুম?
স্নেহা : তাহলে তো চান্স আছে বস্?
হঠাৎ,ক্লাসে স্যার ঢুকলো…
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়েই রইলো..?
মার্জান : স্নেহা? দাড়ানা স্যার এসেছে তো…
স্নেহা : ওহ হে সরি?..
মার্জান : দেখ ?বললামতো কোনো লাব নেই ওর দিকে তাকিয়ে থেকে…
স্নেহা : তুই চুপ কর..আমি দেখছি যা হওয়ার হবে…?
স্নেহা ক্লাস চলাকালীন ও কিছুক্ষণ পর পর রাহুলের দিকে তাকাতে থাকে?..রাহুল সেটা খেয়াল করলেও ততোটা কেয়ার করে না…
অবশেষে ক্লাস শেষে দেখে রাহুল ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে…স্নেহা ও রাহুলের পিছে পিছে Follow করা শুরু করলো..হঠাৎ দেখে রাহুল একটি রুমে ঢুকে পড়ে…
এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছুক্ষণ পর স্নেহা ও ঢুকে…?দেখে বিশাল বড় লাইব্রেরী… দু তিনজন বই পড়ছে…
স্নেহা রাহুলকে খুজতে লাগলো এইমাত্রই তো ঢুকলো গেলো কই?…?
স্নেহা খুজতে খুজতে
একটা সেল্ফের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো .. হঠাৎ পিছনে মনে হলো কেউ দাঁড়িয়ে আছে…?
স্নেহা আড়চোখে তাকিয়ে দেখে রাহুল??
…জিহ্বায় কামড় দিয়ে দৌড়ে সেল্ফের পিছনে গিয়ে লুকে পড়লো…স্নেহা
বইয়ের ফাকদিয়ে রাহুলের পা দেখা যাচ্ছে…রাহুল যতো পা এগুচ্ছে স্নেহা ততো চিপায় ঢুকতে লাগলো… ??
রাহুল : Hey there! i can see u!
[স্নেহা চোখ থেকে হাত সরিয়ে রাহুলের দিকে তাকায়]
রাহুল : তুমি আমাকে follow করছিলে?..?
স্নেহা : কই নাতো?..?
ওহ হে!..হে
আমি আপনাকে থেংকইউ বলার জন্য খুঁজছিলাম…?
রাহুল : seriously! ?
স্নেহা : yes! ? ওই যে তখন?আমাকে বাঁচিয়েছেন…তাই
রাহুল : থেংক ইউ তো পরেও দিয়ে দিতে পারতে…তাই বলে…?
স্নেহা : No no…আসলে আপনি যদি আজ আমাকে না বাঁচাতেন… জানিনা এতোক্ষণে আমার কি হতো… ?
হয়তো আল্লাহ পাটিয়েছে আপনাকে আমার জন্য?
রাহুল : What? ?
স্নেহা : I mean আমাকে বাচানোর জন্য?
রাহুল : Ok stop your drama…. and bye
স্নেহা : [দৌড়ে এসে রাহুলের পথ আটকিয়ে ধরলো..] ওহ হ্যালো! কি বললেন?..হুম আমি ড্রামা করছি?…
রাহুল : দেখো! তোমার মতো মেয়েদের আমি হারে হারে চিনি..so don’t distrub me!?
এই বলে রাহুল চলে যায় আর স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে,
স্নেহা : [মনে মনে] How mean…এত্তো পার্ট?…No mister স্নেহার সাথে পার্ট দেখানোর শাস্তি পেতেই হবে তোমাকে ?
চলবে….
[ এটি একটি কাল্পনিক কাহিনী সত্য কাহিনী নয়,আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।।
Love_at_1st_sight Part – 16 [ Last part]
Love_at_1st_sight
Part – 16 [ Last part]
writer-Jubaida Sobti♥
রাহুল স্নেহাকে বুকে ঝড়িয়ে কেঁদে উঠে…
স্নেহার চোখ অনেকটা খোলা…
সে রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে.. স্নেহা রাহুলকে কিছু বলতে চাচ্ছিলো….
কিন্তু স্নেহা কথা বলার শক্তি পাচ্ছে না, চোখটা বন্ধ হয়ে এলো স্নেহার…চোখের কোনে জমে থাকা পানি গড়িয়ে পরলো..
স্নেহার মাথা থেকে অজর রক্ত পরছে,
রাহুলের সাদা শার্ট লাল বর্ণের হয়ে গেলো,
রাহুল স্নেহাকে কোলে নিয়ে গাড়ীতে তুলে… গাড়ী চালানোর সাহস কাজ করছে না রাহুলের…
হসপিটালে পৌছানোর সাথে সাথে রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে হসপিটাল বেডে শুয়ে দেই…
স্নেহাকে ICU তে ঢুকালো…
রাহুল স্নেহার মাকে ফোন দিলো..কিন্তু কি হয়েছে তা বলতে পারছে না…শুধু কেদেই যাচ্ছে..শুধু হসপিটালের নামটা বলতে পারলো…
স্নেহার মা বুঝতে পারলো কিছু একটা হয়েছে, তাই তিনি স্নেহার বাবাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি হসপিটালে পৌছালো…
রাহুল একদিকে হেলান দিয়ে চেয়ারে বসে আছে…পুরা শার্ট রক্তাক্তে ভরা..চোখ রক্তের ছানির মতো লাল হয়ে আছে…চোখের কোনে জল গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে…
স্নেহার মা রাহুলের কাছে দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে… রাহুল স্নেহার মা কে ঝড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে,…
স্নেহার মা বুঝতে দেরি নেই স্নেহার কিছু হয়েছে… তিনি ও কেঁদে ফেলে রাহুলের কান্না দেখে..?
প্রায় ৩ ঘন্টা পরে ডাক্তার এসে বলে স্নেহার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে…
এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না…তবে পেসেন্টকে ICU তেই রাখতে হবে,
সকাল ফেটে গেলো স্নেহার জ্ঞান এখনো ফিরেনি…
রাহুল ঐভাবেই বসে আছে,….
স্নেহার মা বাসায় যেতে বললো কিছুক্ষন রেস্ট নিতে, রাহুল স্নেহাকে ফেলে কিভাবে যাবে,…..
দুপুর হয়ে গেলো রাহুল কিছুই খায়নি…
স্নেহার মা খেতে বললে ও খায়নি।
রাত ৮ টার দিকে স্নেহার জ্ঞান ফিরে,…
রাহুল স্নেহাকে দেখতে ICU রুমে গেলো..
স্নেহার মাথায় বেন্ডেজ করা,পায়ে বেন্ডেজ করা।
স্নেহা রাহুলকে দেখলে ?চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পরে,
রাহুল স্নেহার পাশে বসে..
রাহুল : ?? দেখেছো স্নেহা কি হয়েছে…কথা না শুনলে এমনটাই হয়, কি দরকার ছিলো গাড়ী থেকে বের হওয়ার।
স্নেহা : কিছু বলছে না কেঁদে যাচ্ছে।
রাহুল : স্নেহা কাঁদছো কেনো?…কিছু হয়নি…আমি আছি,… কিছু হবে না তোমার?
স্নেহা : আপনি কাঁদছেন কেনো?..??
রাহুল : ঐ যে কথা শুনো নি তাই…??
স্নেহা : সরি রাহুল ????
স্নেহার মা – বাবা, ভাই একে একে সবাই..স্নেহাকে দেখতে আসে..কারণ ICU তে দুজন Allow না।
২সপ্তাহ পরে স্নেহাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়..
…স্নেহার মা – বাবা প্রায় এসে স্নেহাকে দেখে যায়..স্নেহা এখনো ভালো করে হাটতে পারে না…তবে রাহুল খুব যত্ন করে স্নেহাকে সেবা করে যাচ্ছে..কারন স্নেহা ছাড়া রাহুলের আপন আর কেউ নেই…
স্নেহা : আচ্ছা রাহুল, এক্সিডেন্টে যদি আমি মারা যেতাম…কি হতো..
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুই বললো না.. চোখের কোনে পানি এসে জমে গেছে রাহুলের…
স্নেহা : রাহুল ? কি হয়েছে আমিতো ফান করে বলেছি….
স্নেহা রাহুলের চোখ মুছে দিয়ে রাহুলকে ঝরিয়ে ধরলো..
রাহুল ও স্নেহাকে ঝরিয়ে ধরে শক্ত করে..
রাহুল : স্নেহা I love u ?????
স্নেহা : I love u too ???
রাহুল : এমন কথা বলবা না আর বুঝেছ?. ??
স্নেহা : ?কখনো না..?
স্নেহা ধীরেধীরে সুস্থ হয়ে উঠে…
এখন স্নেহা রাহুলের আগে উঠে রাহুলের জন্য নিজের হাতে ব্রেক ফাস্ট তৈরী করে,
বুয়া নিষেধ করলে ও স্নেহা প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট তৈরি করতে উঠে যায়।
রাহুল : স্নেহা বলেছিলাম না সকাল সকাল না উঠতে,… কথা শুনো না কেনো..
স্নেহা : উফফ বললাম না এখন আমি সুস্থ তারপরে ও এমন করেন কেনো….
আর আমার ভালো লাগে আপনার জন্য খাবার বানাতে,?
রাহুল স্নেহাকে কাছে টেনে…
স্নেহা : কি করছেন দেখবে তো…
রাহুল : দেখুক? (with তেডি স্মাইল)
স্নেহা : [blushing ☺?]
রাহুল : আমার Morning কিস ?
রাহুল স্নেহার কাছে আসতে গেলে… বুয়া চলে আসে হঠাৎ,
বুয়া তাদের এই অবস্থায় দেখে…লজ্জায় চলে যায়…?
স্নেহা : হয়েছে এবার ছাড়ুন দেরি হচ্ছে আপনার..☺
রাহুল অফিস চলে গেলো…
এভাবে ১মাস চলে যায়…
একদিন হঠাৎ স্নেহার খুব খারাপ লাগছিলো..
বুয়া : শুইয়া থাকেন গিয়া..আপনারে দেইখা অসুস্থ মনে হইতাছে, রান্না আমি করমু।
স্নেহা : আচ্ছা ঠিকাছে, রাহুল আসার আগে…আমাকে ডেকে দিবা,
বুয়া : আইচ্ছা।
রাহুল বাসায় এসে দেখে স্নেহা ঘুমাচ্ছে..তাই আর তাকে ডেকে ডিস্টার্ব করেনি…
বুয়া বলেছে স্নেহার সকাল থেকে খারাপ লাগছে আজ…কিছু খায় ও নি…সকাল থেকে,
রাহুল খাবার নিয়ে স্নেহার পাশে গিয়ে স্নেহাকে ডাকতে গেলে দেখে…স্নেহার খুবই জর এসেছে…
রাহুলের হাতের ছোয়ার অনুভুতিতে স্নেহা সজাগ হয়ে যায়..
স্নেহা : এসেছেন আপনি….
রাহুল : স্নেহা শুয়ে থাকো…উঠতে হবে না..তোমার তো গায়ে অনেক জর এসেছে…আমাকে বলোনি কেনো?..
স্নেহা : হে সামান্য একটু জর এসেছে এতে এতো টেনশন নেওয়ার কিছুই নেই…
রাহুল : just shut-up স্নেহা… তোমাকে বলেছিলাম কাজ করার দরকার নেই..সকাল সকাল উঠতে হবে না… তা ও তুমি কথা শুনো না,
(স্নেহা রাহুলের ঠোটে ?? করে)
রাহুলের স্নেহার উপর জমে থাকা রাগ সব চলে যায়??
রাহুল ও স্নেহাকে একটি ? কিস করলো…
রাহুল : স্নেহা ভালো পাম্পিং দিতে জানো ?
স্নেহা রাহুলকে শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে…
রাহুল : জরে শরীরটা পুরে যাচ্ছে আর তুমি বলছো সামান্য একটু তাই না…
কাল সকালে আমার সাথে ডাক্তারের যাবা বুঝেছো…
স্নেহা : আচ্ছা মিস্টার তেডি স্মাইল ?এবার দেখি গুড বয়ের মতো আমাকে ঝরিয়ে ধরুন…
রাহুল : Never…
স্নেহা : ???
রাহুল : আগে গুড গার্ল এর মতো খাবারটা কমপ্লিট করো…
স্নেহা : কিন্তু ??
রাহুল : কোনো কিন্তু নয়… খাবা কি না বলো…
স্নেহা : খাইয়ে দিন ??
রাহুল স্নেহাকে খাইয়ে দিলো ?
কিন্তু স্নেহা যা খেয়েছে তা কিছুক্ষন পরে আবার বমি করে বের করে দেই…
স্নেহার এমন অবস্থা দেখে রাহুল খুব টেনশনে পরে যায়…সারারাত ঘুমায়নি স্নেহাকে বুকে নিয়ে শুয়ে ছিলো…
সকাল হলে রাহুল স্নেহাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়…
ডাক্তারি চেকাপ করে আসে ২দিন পরে রিপোর্ট আসবে…
২দিন পরে রাহুল রিপোর্ট নিয়ে আসে..
রাহুল বাসায় এসে বেল দেই স্নেহা দরজা খুলতেই রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে নেই…???
স্নেহা : আরে কি করছেন, রাহুল কি হয়েছে…??পরে যাবো তো…
রাহুল স্নেহাকে নিচে রেখে স্নেহার কপালে একটি কিস করে ☺
রাহুল : স্নেহা তুমি জানো না…তুমি কতো বড় সারপ্রাইজ দিয়েছো…
স্নেহা : ??
রাহুল : ঐ যে ছোট ছোট কাপড়… এদিক ঐদিক হাটবে…তুমি ইন্সটেগ্রামে অনেক গুলো ছবি আপলোড দিবা???
স্নেহা আমি বাবা হচ্ছি ???
স্নেহা রাহুলের কথা শুনে খুশিতে কেঁদে দিলো…
রাহুল : ঐ পাগলী কাঁদছো কেন?..হুম?..
স্নেহা রাহুলকে ঝরিয়ে ধরে,রাহুল ও স্নেহাকে ঝরিয়ে ধরে….?
After 9 months,
আজ স্নেহার খুব খারাপ লাগছে…
রাহুল বাসায় নেই…অফিসে গেছে…
স্নেহার খারাপ লাগছে তা দেখে স্নেহার মা রাহুলকে ফোন দেই…
রাহুল বাসায় এসে দেখে স্নেহা চিৎকার করে করে কাঁদছে…
রাহুল স্নেহাকে গাড়ীতে তুলে তাড়াতাড়ি হসপিটাল নিয়ে যায়…
প্রায় ১ঘন্টা পরে ডাক্তার এসে স্নেহার মাকে ডেকে নিয়ে যায়..
কিছুই বুঝছে না রাহুল… কি হচ্ছে এসব ঐদিকে স্নেহার চিৎকার করে কেঁদে উঠার শব্দ আসছে…
রাহুল এদিক ওদিক হাটছে…স্নেহার জন্য খুব টেনশন হচ্ছে রাহুলের?…
কিছুক্ষন পরে স্নেহার মা একটা ফুটফুটে বাচ্চা কোলে করে বাহিরে নিয়ে আসে…
এবং রাহুলকে দেখায়…?
বাচ্চা দেখে রাহুল তার চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না…
মা : আলহামদুলিল্লাহ আমার একটা নাতনি হয়েছে?
রাহুল খুশিতে হাহাকার?
রাহুল : মা স্নেহা কেমন আছে…
মা : স্নেহা সুস্থ আছে.. যাও গিয়ে দেখে আসো…
রাহুল স্নেহাকে দেখতে গেলো…
স্নেহা : দেখেছেন আমাদের একটা পরী হয়েছে?
রাহুল : হে দেখেছি… পুরাই Little sneha??
স্নেহা : স্মাইলটা কিন্তু আপনার মতো তেডি ??
রাহুল : ???
স্নেহা এখন তার বাবুর জন্য ছোট ছোট কাপড় কিনে আনেক শপিং করে…
রাহুলকে ফোন দিয়ে…
বাবুর এটা লাগবে বাবুর ঐটা লাগবে..?
(রাহুল স্নেহাকে পিছন থেকে ঝড়িয়ে ধরে),
রাহুল : স্নেহা তুমি আমার লাইফে না আসলে কিন্তু আমার লাইফটা এতো সুন্দর হতো না?
স্নেহা : আর আপনি আমার লাইফে মিস্টার তেডি স্মাইল
রাহুল : সব ক্রেডিট কিন্তু কলেজকে দিতে হবে ??
যেখানে আমাদের প্রথম দেখা..
যেখানে আমি তোমাকে প্রথম দেখেই তোমার প্রেমে পরে গিয়েছিলাম… U know যেটাকে বলে #Love_at_1st_sight?
স্নেহা রাহুলকে ঝরিয়ে ধরলো? রাহুল ও স্নেহাকে খুব শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে
রাহুল আর স্নেহার ছোট সংসারটি এভাবে কেটে যাচ্ছে,? সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন ?
আমার জন্য ও সবাই দোয়া করবেন।
[Happy Ending ]
Love_at_1st_sight ??? Part : 15
Love_at_1st_sight ???
Part : 15
writer-Jubaida Sobti♥
রাহুল : কিন্তু তুমিই তো একটু আগে বলেছিলা তোমাকে হেল্প করতে.. So ?
স্নেহা : [একটু পিছিয়ে] হ্যাঁ বলেছিলাম ভুলে??….
রাহুল : ( স্নেহাকে একটানে রাহুলের কাছে টেনে নেই..) ভুলে তাই না?.. .? তাহলে আমিও ভুল করে ফেলি..
স্নেহা : (লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে? Blushing☺)
রাহুল আস্তে আস্তে স্নেহার সব জুয়েলারি খুলেদিলো…(Sneha’s heart beating faster?) এবং সেই সুযোগে রাহুল স্নেহার কপালে, কোমোড়ে, হাতে, গলায়, সব জায়গায় টাচ করেই যাচ্ছে…?
[Rahul enjoying that moment ?]
রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে নিলো..এবং খাটে শুয়ে দিয়ে…(স্নেহার কানে কানে উইস্পার করে..)
রাহুল : স্নেহা I love u?
স্নেহা রাহুলকে ঝরিয়ে ধরে.. রাহুল ও স্নেহাকে শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে..☺
স্নেহা রাহুলের মাকে খুব যত্ন করে সেবা করে যায় এবং তিনি আগে থেকে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠে, তা দেখে রাহুল ও অনেক খুশী হয়ে যায়..?
কিন্তু এই সুখ বেশীদিন রইলো না রাহুলের মায়ের কপালে.. রাহুল আর স্নেহার বিয়ের দুমাস পরেই রাহুলের মা মারা যায়..
এরপর থেকে স্নেহা বাড়িতে খুব একা হয়ে যায় আগে মা কে নিয়ে সময় কাটাতো,এখন তিনিও নেই,..
রাহুল ও এখন অফিসে যায়..সকালে গেলে রাতে বাসায় ফিরে… বাকি সময় গুলো স্নেহার বোরিং লাগে,…
রাহুল রাতে আসলে স্নেহা সারাদিনের জমে থাকা কথা সব একসাথে বলতে থাকে☺….রাহুলের ও তার কথা গুলো শুনতে ভালো লাগে…?
একদিন রাতে,রাহুল স্নেহা দুজনে খাটে বসে টিভি দেখছে,স্নেহা রাহুলের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে,
স্নেহা : রাহুল!☺
রাহুল : হুম!
স্নেহা : আচ্ছা একটা পিচ্ছি মেহেমান আসলে কেমন হয়?
☺☺??ও এদিক ওদিক হাটবে…
ওর ছোট ছোট কাপড় থাকবে ?? আর আমি অনেক গুলো ফোটো তুলে ইন্সটেগ্রামে আপলোড দিবো… ??
রাহুল : yaa… not bed??
স্নেহা : ?? yaaa কি হ্যাঁ?..,…
আপনি আমার কথা শুনছেন… not..bed মানে ?
আমি কতো important কথা বলছি আর আপনি?…
রাহুল : ?ok stop the tv,?
then স্টার্ট করি চলো ☺☺
( এই বলে রাহুল স্নেহার কাছে আসতে লাগলো,)
স্নেহা : ?? Shut-up রাহুল।
রাহুল : আচ্ছা কয়টা লাগবে বলো ?
স্নেহা : ?কি বলেন এসব ইডিয়ট ?
রাহুল : ( স্নেহাকে ঝরিয়ে ধরে)… বলো… 1,2,3,4,/9,10/12,13 ??..কয়টা?
স্নেহা : সবসময় মজা ☺☺?
রাহুল স্নেহাকে আরো শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে বুকে টেনে নেই…?স্নেহা ও রাহুলকে ঝরিয়ে ধরে,
স্নেহা : আচ্ছা রাহুল চলেন না কোথাও ঘুরে আসি?..
রাহুল : কোথায় যাবা?…?
স্নেহা : যেখানে আপনি নিয়ে যাবেন☺…
রাহুল : ওকে ডান তাহলে কালকে,
স্নেহা : কিন্তু আমারতো, এখন বের হতে ইচ্ছে হচ্ছে ?…
রাহুল : কিন্তু এতো রাতে কই যাবা..?
স্নেহা : চলেন আইসক্রিম খাবো…
রাহুল : আইসক্রিম পার্লার হয়তো এতোক্ষনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে…?
আচ্ছা আমি তোমাকে কালকে নিয়ে যাবো… Sure তারপর তোমার যতো ইচ্ছে ততো আইসক্রিম খেও।?
স্নেহা : আমার আইসক্রিম পার্লারের আইসক্রিম খাওয়া লাগবে না…?
আমি রাস্তায় কতোগুলো ছোটো ছোটো গাড়ী করে আইসক্রিম বিক্রি করে না ঐগুলো খাবো…?
রাহুল : ইশশ, ?ঐ গুলো খেলে পেট বেথা করবে..
(স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে ??)
রাহুল : ওকে মজা করছিলাম ?? চলো…
রাহুল এবং স্নেহা দুজনে গাড়ী করে বের হলো.. কোথাও আইসক্রিমের গাড়ী দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না,
হঠাৎ,…রাস্তার opposite এ একটা আইসক্রিমের গাড়ী দেখতে পেলো…
রাহুল : তুমি গাড়ীতে বসো…আমি নিয়ে আসছি..
স্নেহা : ওকে☺
রাহুল আইসক্রিম কিনতে গেলো..
স্নেহা : ( মনে মনে) উফফ গাড়ীতে বসে আইসক্রিম খাওয়া আর ঘরে বসে খাওয়াটা ও তো same বুদ্ধু একটা আমি..
আমিও যায়…?
স্নেহা গাড়ী থেকে বের হয়ে রাস্তা পাড় হয়ে Opposite রাস্তায় যাওয়ার সময়.. একটা গাড়ী তারদিকে আসার শব্দ শুনতে পায়,
হঠাৎ স্নেহার চোখে গাড়ীর লাইট পড়লো.. এরপর কি হলো স্নেহা বুঝে উঠতে পারেনি…
রাহুল আইসক্রিম নিয়ে ফেরার সময় স্নেহার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি দেখতে পেলো যা দেখার জন্য রাহুল মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।…..
চারদিক হৈ চৈ পড়ে গেলো…
রাহুলের সেইদিনের কথা মনে পরে গেলো..
রাহুলের সাথেই কেনো এমনটা হয়…
রাহুল শক্ত হয়ে পাথর হয়ে গেছে…
রাহুল স্নেহার সামনে গিয়ে স্নেহাকে দেখার সাহস পাচ্ছে না… সে যা দেখেছে তা কি সত্যি নাকি সপ্ন।
হাত থেকে আইসক্রিম গুলো মাটিতে পড়ে যায়,
পৃথিবীটা কেমন নিষ্ঠুর ভাবে থেমে গেছে।
হঠাৎ রাহুল, স্নেহা বলে চিৎকার করে কেদে উঠে….?
দৌড়ে স্নেহার কাছে গেলো…
অনেকে সরে দাঁড়ালো..বুঝতে পাড়লো ছেলেটি হয়তো মেয়েটির কিছু হয়।…
(চলবে)
Love_at_1st_sight Part : 14
Love_at_1st_sight ???
Part : 14
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা : হয়েছে অনেক এবার ছাড়ুন ☺
রাহুল : একবার ছেড়ে দিলে কিন্তু আর কখনো ধরছি না..?
স্নেহা : ?? মানে?..
রাহুল : আরে ? মজা করছিলাম।
স্নেহা : কেনো করবেন এমন মজা??
রাহুল : Ok relex স্নেহা ?
(রাহুল স্নেহাকে আবার ঝরিয়ে ধরে?)
স্নেহা : আর কখনো করবেননা এমন মজা?
রাহুল : okh okh☺
মার্জান : [হুমমম☺] স্নেহা কেমন লাগলো বর?..
[(রাহুল হেসে উঠে?) স্নেহা blushing ☺?]
রাহুল : সমস্যা নেই পছন্দ না হলে তোমাদের ৩ জন থেকে একজনকে করে ফেলবো আরকি ?ভালো হবে না স্নেহা ?
স্নেহা : ???
রাহুল : ????? মজা করছিলাম
স্নেহা : সবসময় ??
রাহুল : ঐ Naughty কোম্পানি তোমাদের সবাইকে এত্তোগুলা থেংক্স…
জারিফা : শুধু থেংক্স দিয়ে কাজ হবে না ভাইয়া… তাড়াতাড়ি আমাদের ট্রিট দেন…?
রাহুল : Yeah sure ? let’s go..
After 1 week,
আজ স্নেহা এবং রাহুলের বিয়ে,
[Sneha wore a (Of white) lehenga, red dupatta with (multi-white) jewelry ?]
[Rahul Wore a Of white sherwani with red pagri] ?
[After complete marriage,
Now sneha nd rahul both, enter in rahul’s home]
স্নেহাকে রাহুলের কিছু কাজিন এবং তার মামী রাহুলের রুমে নিয়ে খাটে বসিয়ে দেই…
রাহুলের রুমটি চারদিক খুব সুন্দর করে কেন্ডেলাইট এবং গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো, ?
স্নেহা বসে বসে চারদিক ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছিল হঠাৎ রুমে রাহুলের আসার শব্দ পেলে স্নেহা তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায়..
রাহুল রুমে এসে স্নেহার পাশে বসে,?
রাহুল : What is this স্নেহা… ?
স্নেহা : (ঘোমটা তুলে রাহুলের দিকে তাকালো)
রাহুল : এতো বড় ঘোমটা দিলে তোমাকে দেখবো কি করে,….?
স্নেহা : ???? কেনো আপনার হাত নেই…আপনি হাত দিয়ে ঘোমটা তুলতে জানেন না?..
রাহুল : Ok relax স্নেহা… এতো রাগো কেনো.. আমিতো…?
স্নেহা : মজা করছিলাম ?
রাহুল : ????
স্নেহা : আচ্ছা হয়েছে…এবার দাত বত্রিশটা না দেখিয়ে…আমার জুয়েলারি খুলতে সাহায্য করুন।
রাহুল : ওয়াও স্নেহা আমিতো ভেবেছিলাম তুমি লজ্জা পাবা…কিন্তু তুমিতো দেখছি আমার চেয়ে বেশি এক্সাইটেড ????
স্নেহা : আমিতো ঘুমানোর জন্য জুয়েলারি খুলছি.. ?
রাহুল : What ??…স্নেহা এটা কিন্তু আমার সাথে অবিচার করা হচ্ছে..?
[Then sneha kissed? in rahul cheeks ]
রাহুল : এটাই enough হবে না ??..
(স্নেহা খাট থেকে নেমে ড্রেসিং এর পাশে তার জুয়েলারি খুলতে চলে গেলো..)
রাহুল : Ok I m coming for ur help???
রাহুল ও উঠে স্নেহার পাশে গিয়ে দাঁড়ালে…
স্নেহা : No ? thank u ?But no need ?
[স্নেহা জানে রাহুল তার জুয়েলারি খুলতে আসবে না সেটার ফায়দা তুলতে আসবে?]
Love_at_1st_sight ??? Part : 13
Love_at_1st_sight ???
Part : 13
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা পিছনের সিটে বসে তার আলিসেমি কাটাচ্ছিলো… হঠাৎ মনে পড়লো তারা যাচ্ছে কই… এতোক্ষনে তো তাদের ট্রেনে থাকার কথা..?
স্নেহা : রাহুল ? কই যাচ্ছি আমরা?..
রাহুল : তোমার বাসায়।
স্নেহা : আমার বাসায় মানে?…? এটাকি মজা করার সময় রাহুল?..দেখেন একদম ফাইজলামি করবেন না..
রাহুল : স্নেহা আমি ফাইজলামি করছি না সত্যি বলছি..
স্নেহা পিছনের সিট থেকে একলাফে সামনে চলে আসে…
স্নেহা : [ চিৎকার করে ] আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন?…রাহুল ?আপনি জানেন এখন বাসায় ফিরে গেলে বাবা আমাকে কি করবে…
রাহুল : (No respons)
স্নেহা : কি হলো কথা বলছেন না কেন?..? রাহুল প্লিজ stop the car..
রাহুল?? প্লিজ…প্লিজ….. প্লিজ…প্লিজ
রাহুল : [একটু ধমক দিয়ে] Just shut-up sneha ?…
স্নেহা : [একটু কেপে উঠলো] ??
রাহুল : স্নেহা আমরা পালিয়ে বিয়ে করে কখনো সুখী হতে পারবো না।
তুমিও এখন বলছো পরে এটা মিলিয়ে নিতে পারবে না….এভাবে কতোদিন পালিয়ে থাকবো আমরা…
স্নেহা তুমিতো জানো বাসায় আমার মা আছে…আমি ছাড়া মায়ের আর কেউ নেই…. স্নেহা তুমি হয়তো এখন ভাবছো আমি তোমাকে ভালোবাসি না তাই তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে আসছি।… but sneha I love u… a lot… তুমি দেখবা তোমার বাবা নিজের হাতে তোমাকে আমার হাতে তুলে দিবে।
স্নেহা : তাহলে এতো দূর এনেছেন কেনো…?
রাহুল : এতোক্ষনে হয়তো তোমার বাবা বুঝে গিয়েছে তুমি পালিয়েছ…
so এতো দূর কেনো এনেছি সেটা না হয় পরে নিজেই বুঝে নিবা।
(রাহুল আর স্নেহা স্নেহাদের বাড়িতে পৌছায়)
স্নেহা গেটের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে গম্ভীর হয়ে…?
রাহুল : স্নেহা কি করছো চলো ভেতরে..
স্নেহা : বাবা?…
রাহুল স্নেহার হাত ধরে স্নেহাকে টেনে নিয়ে যায়…
বাসার বেল দেওয়ার সাথে সাথে স্নেহার মা দরজা খুলে…মনে হচ্ছিলো স্নেহার মা স্নেহার জন্যই অপেক্ষা করে দরজার পাশেই বসে ছিলো…স্নেহার মা স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরলো…
এতো রাত হয়ে গেছে কিন্তু স্নেহার বাসায় কেউ ঘুমায়নি… সবার চেহেরা দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেনশনে ছিলো..
আর স্নেহার বাবাকে দেখে মনে হচ্ছে এক্ষুনি রাহুলকে খুন করে ফেলবে…
রাহুল স্নেহার হাত ধরে স্নেহার বাবার সামনে যায়… স্নেহা ভয়ে যেতে না চাইলেও রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে যায়।
রাহুল : আংকেল আপনি হয়তো আমাদের বেপারে সব জানেন?…এবং আপনি স্নেহার জন্য অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন…কিন্তু স্নেহা এই বিয়েতে রাজি নয়..তা ও জানেন।
infact স্নেহা আমার সাথে পালিয়ে গিয়েছে সেটা ও বুঝতে পারছেন।আংকেল আমরা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসি… ?
এখন আপনি ডিসাইট করুন স্নেহা কাকে বিয়ে করলে সুখী হবে।
আপনি যেটা বলবেন আমরা সেটাই করবো…
বাবা : পালিয়ে গিয়েছো, সেটা আবার প্রাউড করে আমাকে বলছো কিভাবে…
পালিয়ে যাওয়া কোনো মহান কাজ? নয়..যেটা তোমরা করেছো…
রাহুল : ???
বাবা : কিসের এতো পাওয়ার দেখাচ্ছো তুমি..তোমার ঐ নামি দামি বড় গাড়ীর…নাকি দামি বাড়ির…?
রাহুল : আংকেল আমার নামি-দামি বাড়ী -গাড়ির পাওয়ার যদি আমি দেখাতাম তাহলে স্নেহা যেদিন দৌড়ে আমার বুকে এসেছিলো ঐদিনি স্নেহাকে…নিয়ে আমি পালিয়ে যেতাম..আজ স্নেহাকে আপনার কাছে এনে দিতাম না… I m sure আপনি আমার কিছুই করতে পারতেন না।
আমার বাবা নেই…তাই আমি আপনাকে অনেক respect করি..
বাকিটা আপনার উপর…
এই বলে রাহুল স্নেহার হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো…
স্নেহা বরফের মতো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…আর চোখ দিয়ে গড়িয়ে জল পরছে…? [স্নেহা রাহুলের চলে যাওয়া চেয়ে আছে এক দৃষ্টিতে]
রুমে এসে বসে আছে, রাহুলের সাথে কাটানো Moment গুলো মনে পড়ছে স্নেহার?…
স্নেহার মা এসে খাবার দিলে স্নেহা খাবার খায় না… পাথরের মতো শক্ত হয়ে বসে আছে স্নেহা…..
After 2 week…
রাহুলের কোনো ফোন আসেনি.. স্নেহা ও ফোন করেনি…
এক একটা নিষ্টুর দিন চলে যাচ্ছে রাহুলকে ছাড়া…
যে রাহুল কি না..স্নেহাকে চোখের আড়াল হতে দিতো না..সে রাহুল আজ স্নেহাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে…
স্নেহা এখন কিছু খায়না রুম থেকে বের হয়না তা দেখে স্নেহার বাবা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না…
বাবা : এতো বড় হয়েগেছিস কবে বুঝতে ও পারিনি, এখন বিয়ে ও দিয়ে দিতে হচ্ছে।
আজ সন্ধ্যায় ছেলে আসবে দেখা করে কথা বলে নিস…
স্নেহা [মনে মনে ] বাবা তুমি এতো কঠোর কেমনি, আমার জন্য একটু ও মায়া হয়না তোমার…???
সন্ধ্যায়,
স্নেহা : তোরা, ?
মার্জান : অবাক হওয়ার কি আছে আমাদের বান্ধুবির বিয়ে আমরা তাকে দেখতে আসবো না..
স্নেহা : ?????? মার্জানকে ঝড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে,
শায়লা : আচ্ছা হয়েছে এখন কাদিস না,আজ তো আর বিদায় না, জাস্ট দেখা করবি,মন খুলে কথা বলবি☺। তৈরী হয়ে নে তাড়াতাড়ি,
স্নেহা তৈরী হয়ে আসে,..
মার্জান : চল,
স্নেহা : কোথায়, ?
মার্জান : এতো প্রশ্ন করিস কেনো বলতো..আগে চল।
স্নেহা : কিন্তু বাবা,?
জারিফা : উফফ আংকেলই পারমিশন দিয়েছে..তোকে নিয়ে যেতে, এবার চল।
অনেকদিন পর স্নেহা বাড়ী থেকে বের হলো… সবকিছু দেখে কারো কথা মনে পরছে স্নেহার ?
মার্জান : কি হলো দুলহানের মুখ গোমড়া কেনো দুলা দেখলে কি বলবে বলতো…
জারিফা : বলবে আমার হবু বউ গম্ভুস ??
স্নেহা : ?
স্নেহাকে তার ফ্রেন্ডসরা একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়…
স্নেহা : এইখানে আসবে?..?
মার্জান : হুম☺
স্নেহা : ঘরে আসলেও তো পারতো…?
স্নেহা ঢুকতেই দেখে রেস্টুরেন্টের একপাশটা খুব সুন্দর করে সাজানো যা চোখ সরানোর মতো নয়।
মার্জান : যা ঐখানেই আসবে, অপেক্ষা কর।
স্নেহা : কিন্তু তোরা ও চল প্লিজ আমি একা কেমন যেন লাগছে…
মার্জান : আরে তোর চেহেরাটা এমনভাবে বানিয়ে রেখেছিস কেন।তুই একাই যাবি।বিয়ে তো তোর থেকেই করতে হবে তাই না… এবার যা..
স্নেহা : ???
মার্জান : (স্নেহাকে ঠেলে) আরে যা না।
(স্নেহা গেলো আর মনে মনে ভাবছে আজ ছেলেটিকে বলে দিবে সে তাকে বিয়ে করতে পারবে না.. ভালোই হয়েছে বাসায় না দেখা করে এইখানে করছে)
[এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ পেছন থেকে কেউ ডাক দিলো স্নেহা বলে]….
সেই চির চেনা কন্ঠ ? স্নেহা ফিরে তাকালে??????
সে রাহুলকে দেখতে পায়…??.
রাহুল স্নেহার কাছে আসে,… ☺
স্নেহা : ?????
রাহুল : স্নেহা কেমন হয়েছে ডেকোরেট?
এন্ড সারপ্রাইজ ?
স্নেহা : তার মানে এসব আপনার প্লান ছিলো….?????
রাহুল : স্নেহা ? আমরা যদি ট্রেনে করে ইন্ডিয়া পালিয়ে যেতাম… তাহলে আমি স্টেশনে গাড়ী কেন নিয়ে গিয়েছি…ইন্ডিয়া চলে যাওয়ার পর গাড়ীটা কি.. আমার শশুর সরকারে যত্ন করে আমার বাসায় পৌছে দিতো ? তুমি কি বোকা একটু ও বুঝতে পারলে না।??
আর তোমার বাবার হাতে ঐদিন তোমাকে তুলে দিয়ে যা বলেছি… তোমার বাবা আমাকে রিজেক্ট করার অপশন খুজেই পাচ্ছিলো না.. cz I m rahul ?
রিজেক্ট করার মতো ছেলেই নয়, ?
তাই আজ এসব আরকি,☺
স্নেহা তোমাকেই ভালো যখন বেসেছি তোমাকেই পেয়ে ছাড়বো এতো সহজে পিছন ছাড়ছি না ??আর তুমি বোকা কিছুই বুঝতে পারলা না…আবারো ঐ মেকানিকের সাথে দেখা করতে চলে এসেছ ???
স্নেহা : স্টুপিড, ইডিয়ট, ?একটা ফোন দিয়ে বললেন ও না…
রাহুল : আচ্ছা নিজে করেছো… ?
ভেবে নিয়েছ আমি ছেড়ে চলে গিয়েছি…
স্নেহা রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরতে গেলে??
রাহুল : [একটু পিছিয়ে] No sneha ?
স্নেহা : ?? শয়তান…
তারপর দুজন দুজনকে ঝড়িয়ে ধরলো????????…
(চলবে)
[নেক্সট পার্ট : রাহুল এবং স্নেহার ওয়েডিং সবাইকে আমন্ত্রিত করলাম গিফট নিয়ে চলে আসবেন।।
চলবে।।।
Love_at_1st_sight Part : 12
Love_at_1st_sight ???
Part : 12
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা : এতো কিপটা কেনো আপনি?.. আগে বলেননি কেন আজকে আপনার বার্থডে ছিলো…?
রাহুল : কখন বলবো,…যখন আমাকে দেবদাস বানিয়ে চলে গিয়েছিলে তখন?..?
নাকি,
যখন ঐ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলে তখন?.?
স্নেহা : দেখেন একদম বাজে কথা বলবেন না। আমি কবে রাজি হয়েছিলাম। হুম?..?
রাহুল : কেমনি পারলা স্নেহা তুমি ? রাজি হতে কেমনি পারলা ? (with naughty mind?)
রাহুলের এই কান্ডে রাহুল স্নেহার থেকে অনেক মার আর চিমটি খেলো ??
বিকেলে স্নেহা বাসায় ফিরে,…
স্নেহার মা স্নেহার বাবাকে ততোক্ষনে সবকিছু বুঝিয়ে বলে দেয়। কিন্তু স্নেহার বাবা কিছুতেই তা মেনে নেই না। আজ থেকে স্নেহার বাহিরে যাওয়া বন্ধ।?
স্নেহা বাসায় আসলে তখন স্নেহার বাবা তাকে অনেক বকাযকা করে,এবং স্নেহার মা স্নেহার বাবাকে বুঝানোর চেষ্টা করলেও তার বাবা কিছুতেই রাজি হয়না।
স্নেহা রুমে বসে কাঁদছে,
হঠাৎ রাহুলের ফোন আসে,
রাহুল : হ্যালো!
স্নেহা : ( no respons,?? স্নেহা রাহুলের কন্ঠ শুনে আরো ফুফিয়ে কেঁদে উঠে)
রাহুল : স্নেহা কি হয়েছে?.তুমি কাঁদছো কেনো?… কে কি বলেছে?…
স্নেহা কিছু বলতে পারছে না কেঁদেই যাচ্ছে,…
রাহুল : স্নেহা তুমি না বললে আমি বুঝবো কি করে বলো প্লিজ ?
স্নেহা : (কেঁদে কেঁদে) রাহুল বাবা, আমার আর আপনার বিয়ে মেনে নিচ্ছে না। আমার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে ঐ ছেলেটির সাথে??????
রাহুল : Don’t worry স্নেহা,…কিছু করতে পারবে না তোমার বাবা,..
স্নেহা : আপনি বোঝার চেষ্টা করছেন না কেন?…আপনি বাবাকে যতোটা সহজ মনে করছেন ততোটা সহজ নয়।বাবা আমার বিয়ের ডেট ফিক্সড করে ফেলছে..তার মানে আপনি বুঝতে পারছেন কি হতে পারে,…
রাহুল : ok I understand ?…now কি করতে হবে আমায়?..
স্নেহা : (কিছুক্ষন ভেবে)চলেন পালিয়ে যায় ????
রাহুল : কিন্তু স্নেহা এটা কি ঠিক হবে?..
স্নেহা : ঠিক হবে না কেনো অবশ্যয় ঠিক হবে,????? আপনি কি বলতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি আমাকে নিয়ে পালাতে পারবেন না?..??????
(স্নেহা কেঁদেই যাচ্ছে)
রাহুল : স্নেহা কাঁদছো কেনো এভাবে, আমি কি বলেছি পারবো না, অবশ্যই পারবো…
স্নেহা : তাহলে কবে পালাচ্ছি ???
রাহুল : কাল সন্ধায় রেডি থাকবে,… আমি আসবো নিতে,…
পরদিন,
মা : স্নেহা কি ভেবেছিস,এখন আমিতো অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তোর বাবা?
স্নেহা : মা তুমি টেনশন করিও না। বাবা যখন চাইছে না আমি রাহুলকে বিয়ে করি,তাহলে করবো না।
মা : ??? কিন্তু?
স্নেহা : মা I m ok ?
স্নেহার মুখ থেকে এই কথা শুনে স্নেহার মা কিছুটা অবাক হয়, আবার ভাবছে হয়তো সে বুঝতে পেরেছে, তার বাবার অমতে যাওয়াটা ভুল হবে ☺
[কিন্তু স্নেহার মাথায় কি খিচুরি পাকাচ্ছে তা স্নেহার মা মোটেও বুঝতে পারলো না?]
স্নেহা : বাবা আমার ভুল হয়েছে আসলে আমি বুঝতে পারিনি,…
বাবা : (স্নেহার মাথায় হাত বুলিয়ে) দেখ স্নেহা আমি তোর বাবা, তোর ভালোতেই আমার ভালো, তুই চিন্তা করিসনা দেখিস তোর বিয়ে কি ধুমধাম করে দিবো,
স্নেহা : [মনে মনে] আমার ভালো চাইলে রাহুলের সাথেই বিয়েটা দিতে বাবা, নিজের ভালো চাইছো বলেই তো ঐ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার টার সাথে বিয়ে দিচ্ছো, ওহ সরি ইঞ্জিনিয়ার বললে ভুল হবে মেকানিক একটা ?।
সন্ধায়,
স্নেহা : মা… আমার কিছু শপিং করতে হবে,…একটু বের হচ্ছি।
মা : কিন্তু তোর বাবা বলেছে,
বাবা : একা যাবি নাকি আর কেউ যাচ্ছে সাথে?..
স্নেহা : [একটু ভয় পেয়ে] বাবা ঐ যে আমার ফ্রেন্ড আছে না মার্জান ও যাবে,?
বাবা : আচ্ছা ঠিকাছে তাহলে যা, কিন্তু তাড়াতাড়ি ফিরবি।
স্নেহা : ওকে বাবা।
স্নেহা তার সাথে করে কিছুই না নিয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেলো। যাতে কেউ সন্দেহ না করে,
শপিং মলে গিয়ে রাহুলের অপেক্ষা করছে, দূর থেকে দেখে রাহুল গাড়ী থেকে নামছে স্নেহা রাহুলকে দেখে ইমোশনাল হয়ে কেঁদে দেই,?
রাহুল : ঐ কাঁদছো কেনো?…আবার?..
স্নেহা : ???
রাহুল : স্নেহা কি করছো মানুষ দেখছে,চলো,
রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে গাড়ীতে তোলে,
স্নেহা : কোথায় যাচ্ছি আমরা??
রাহুল : হানিমুনে?
স্নেহা : এটা মজা করার সময় রাহুল?.. আমি সিরিয়াসলি বলছি?
রাহুল : যাক বাবা! আমি আবার মজা কই করলাম আমিও তো সিরিয়াসলি বলছি।
আমার সাথেই পালাচ্ছো, আমার সাথে বিয়ে করবে, হানিমুনটাও তো আমার সাথে করবে তাই না?.?
স্নেহা : (sadness with blushing ?☺)
রাহুল : ভেবেছিলাম কয়েকমাসের জন্য অন্য কোনো কান্ট্রিতে চলে যাবো, কিন্তু একদিনের মধ্যে তো আর পাসপোর্ট বানানো যায় না। ট্রেন করে শুধু ইন্ডিয়া যাওয়া যায়, তাই দুজনের জন্য ট্রেনের টিকেট নিয়ে এনেছি।
স্নেহা : ???
রাহুল : আরে তুমিইতো বলেছো পালিয়ে বিয়ে করবে, আর এখন থেকে এতো ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছো?
স্নেহা : আমার অনেক ভয় করছে,?
After few minutes,
রাহুল : স্নেহা I love u,?
[রাহুল স্নেহাকে সাহস দেওয়ার জন্য I love u বলে অমনি স্নেহার আরো ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো?]
রাহুল : স্নেহা r u ok?.?
স্নেহা : (মাথা নাড়ালো)
[ yeah she is ok?]
রাহুল : তাহলে কাঁদছো কেন?.
স্নেহা : আপনি I love u বলেছেন তাই
রাহুল : ?????? তুমি না আসলেই একটা পাগলী।
রাহুল আর স্নেহা স্টেশনের পথে রওনা দিলো, গাড়ী চলছে দুজনেই চুপচাপ।
রাহুল : স্নেহা!
স্নেহা : হুম?..
রাহুল : আমার একটা জিনিস পাওনা ছিলো ?
স্নেহা : কি জিনিস?.. ?
রাহুল : ????
স্নেহা : [blushing☺? ]
রাহুল : দিবা না?..?
স্নেহা : ???
রাহুল : ঠিকাছ তো…?
স্নেহা : ????
রাহুল : oky, I understand… আমার পাওনা জিনিস কিভাবে নিতে হয় সেটা আমার ভালো করে জানা আছে।??
স্নেহা : দেখা যাবে,?
রাহুল একহাতে গাড়ী চালায় আরেক হাতে স্নেহার চুল নিয়ে, ওড়না নিয়ে স্নেহাকে ডিস্টার্ব করে যায়,? স্নেহা রাহুলকে বিরক্তিবোধ দেখালেও মনে মনে তার ও খুব ভালো লাগছিলো রাহুলের কান্ড গুলো?। এভাবে তারা স্টেশনে পৌছে যায়,
রাহুল : স্নেহা ট্রেন আসবে ১২টায়,
স্নেহা : তাহলে ততোক্ষন বসে থাকবো??..
রাহুল : কি আর করার, বসে তো থাকতেই হবে,…আগে থেকে বলে দিতে পারতাম তাহলে আগের ট্রেনের টিকেট পেয়ে যেতাম।
স্নেহা : ওহ!
রাহুল : আচ্ছা চলো ততোক্ষনে গাড়ীতে বসি, ট্রেন আসার কিছুক্ষন আগে না হয় আসবো।
স্নেহা মাথা নাড়ালো।
দুজনে মিলে গাড়ীর পেছনের সিটে বসলো…
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে আছে,?
স্নেহা : [Blushing ☺] এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো…?
রাহুল : ??তুমি তাকিয়ে থাকার মতো তাই…
স্নেহা : ???
রাহুল : আচ্ছা স্নেহা এদিকে তাকাওতো..
স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরে তাকালে..?
[যেই না স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরে তাকালো রাহুল স্নেহার ?? করে দিলো ?]
After few second,
[Sneha nd rahul both r blushing nd blushing ☺?]
রাহুল : আগেই তো বলেছিলাম, ?না দিলে কিভাবে নিতে হয় তা আমার জানা আছে,…??
[স্নেহা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো ??]
রাহুল স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরলে স্নেহা রাহুলের বুকে মাথা রাখে,…দুজন গল্প করতে করতে, স্নেহা কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো রাহুলের বুকে সে জানে না।রাহুল ভাবছে হয়তো পাগলীটা সারারাত না ঘুমিয়ে কেঁদেছে, তাই এখন ঘুমিয়ে পরেছে☺…
রাহুল স্নেহার ঘুমন্ত নিষ্পাপ চেহেরাটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে,…কি মায়াবী লাগছে, পুরাই [Sleeping Beauty ??]
রাহুল স্নেহাকে তার বুক থেকে সরিয়ে আস্তে করে শুয়ে দে…
[then rahul start his car ]
প্রায় আধ ঘণ্টা পর হঠাৎ স্নেহার ঘুম ভেঙে গেলো…
স্নেহা ঘুম চোখে উঠে বসে…
স্নেহা : রাহুল!
রাহুল : ঘুম শেষ…
স্নেহা : yeah…
Love_at_1st_sight Part : 11
স্নেহা : হ্যাঁ আসিফ এটাও বলেছে আপনি ড্রিংকস করেছেন ??
রাহুল : ?? তো করবো না তুমি তো আমাকে দেবদাস বানিয়ে চলে গিয়েছো?
স্নেহা : আর যাবো না…?
রাহুল : আর খাবো না ?
then রাহুল এবং স্নেহা দুজনেই হেসে দেই??
রাহুল : স্নেহা তুমি জানো, তুমি কাঁদার পড়ে হাসলে তোমাকে কি কিউট লাগে..??
স্নেহা : (Blushing ☺)আর আপনাকে তেডি স্মাইল দিলে ??।
রাহুল : তাই নাকি ?? [with naughty mind]
রাহুল আশেপাশে একবার দেখে, (Unfortunately একটা kiss? করে দেই স্নেহার cheeks এ) ??
[Sneha Shocked ??]
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকালে [রাহুল Blushing ?]
রাহুল আর স্নেহা ডিনার করে বেরিয়ে পড়ে,….
রাহুল গাড়ীর দরজা খুলতে গেলে,…
স্নেহা : না না…
রাহুল : (Shocked) What??..
স্নেহা : মানে গাড়ী করে যাবো না..চলেন না হেটে যায়..weather দেখেন? কি রোমান্টিক লাগছে…?
রাহুল : এখন থেকে সবই তোমার রোমান্টিক লাগবে…?
স্নেহা : ধুরর??
রাহুল : আরে হেটে না হয়…গেলাম আরকি..কিন্তু কতটুকু হেটে যাতে পারবে পাগলি☺☺…
আর গাড়ীটা কি আমার শশুর আব্বা এসে নিয়ে যাবে এইখান থেকে ??
স্নেহা : ???
রাহুল : স্নেহা What happened..? আমি মজা করছিলাম..?
স্নেহা : সেটা না…? বাবাকে কি বলবো..রাহুল আমার অনেক ভয় করছে,?
রাহুল : বলবা তুমি ঐ বিয়ে করবা না… আমাকে করবা।
স্নেহা : রাহুল, আপনার কোনো দিকে কমতি নেই,.. বাবা সেটা জেনে ও আমার আর আপনার বিয়ে মেনে নিবে না? কারন বাবা বাবার বন্ধুকে কথা দিয়ে দিয়েছে??বাবা একবার যাকে কথা দিয়ে দেই…সেটা আর ফেলে না।?
রাহুল : (স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে)স্নেহা ?Ok relax.. কিচ্ছু হবে না।
আমি আছি তোমাকে শুধু আমিই বিয়ে করবো… তোমাকে তো আল্লাহ বানাইছে আমার জন্য☺
স্নেহা : (Blushing with sad)
রাহুল ওকে এবার গাড়িতে উঠো।স্নেহা গাড়ীতে বসলো রাহুল ও বসলো,
স্নেহার মাথায় সব টেনশন একসাথে ঘুরছে…?
রাহুল : স্নেহা বললাম তো টেনশন করার কিছুই নেই…দরকার পরলে তোমাকে তুলে নিয়ে আসবো..?
স্নেহা : হ্যাঁ ? চলেন, আমরা পালিয়ে যাই…
রাহুল : What!?
স্নেহা : কি হলো অবাক হওয়ার কি আছে,চলেন পালিয়ে যায়…
রাহুল : স্নেহা পালিয়ে যাওয়া তুমি যতোটা সহজ ভাবছো ততোটা সহজ নয়…
স্নেহা : উফফ রাহুল আপনি বোঝার চেষ্টা করছেন না কেন?..আপনি ভানছেন বাবা আমার আর আপনার কথা মেনে নিয়ে আমাদের বিয়ে দেবে?..মোটেও না আপনি আমার বাবাকে চিনেন না। বাবা অনেক কঠোর ?
রাহুল : (একটা জোড়ে নিশাস ফেলে…) ওকে।
স্নেহা : [Blushing ☺☺] কখন পালাচ্ছি তাহলে আমরা?..
রাহুল : স্নেহা, আগে বাসায় চলো…
স্নেহা : তার মানে আপনি যাবেননা?.. তাই তো?… জানি আপনি আমাকে ভালোবাসেন না…???
Then rahul stop his car,
রাহুল গাড়ীর দরজা খুলে গাড়ী থেকে নেমে, স্নেহার কাছে এসে দরজা খুলে স্নেহাকে গাড়ী থেকে নামালো…
রাহুল তার পায়ের হাটু মাটিতে অর্ধেক বসিয়ে স্নেহার হাত ধরে স্নেহাকে আবার প্রপোজ করে,..
স্নেহা : রাহুল কি করছেন অনেকে দেখছে….
রাহুল : দেখুক দেখার জন্যই করছি।
স্নেহা : ?
রাহুল : স্নেহা আমি তোমাকে যেদিন প্রথম দেখেছি, তখন তুমি কলেজে একটা ব্লু ড্রেস পরে ঢুকেছিলে…তখন আমার চোখ তোমার কাছ থেকে সরছিল না,… প্রথম দেখাতেই আমি তোমার প্রেমে পরে গিয়েছি। u know what.. ? যে এটা কে বলে, #Love_at_1st_sight ?
স্নেহা I really love u ? এবং সব সময় ভালবেসে যাবো।
স্নেহা ও মাটিতে বসে পড়লো,… (একটু হেসে) I love u too মিস্টার তেডি স্মাইল?…
রাহুল : এবার বিশাস হয়েছে ভালোবাসি নাকি বাসি না?…
স্নেহা : না হয়নি…?
রাহুল : হ্যেঁ একটা থাপ্পড় পড়লে বিশ্বাস হয়ে যাবে,..?
স্নেহা : কি?
রাহুল : সরি আমিতো মজা করছিলাম ?
স্নেহা : [ Blushing ☺]
রাহুল স্নেহাকে বাড়ী পৌছে দিলো..
স্নেহা : বাই মিস্টার তেডি স্মাইল..☺
রাহুল : তোমার একটা জিনিস দাওনি।
স্নেহা : কি?.. ?
রাহুল : যেটা আমি দিয়েছি… ( )
স্নেহা : ইসস,,☺ কতো শখ…
এই বলে স্নেহা গাড়ী থেকে বেরিয়ে পড়ে..
রাহুল : স্নেহা এটা কিন্তু ভালো হচ্ছে না..
স্নেহা : বাই.. গুড নাইট ?
স্নেহা বাসায় আসলো,
মা : স্নেহা কোথায় গিয়েছিলি?..
স্নেহা : এইতো এই দিকটা.. গিয়েছি..
মা : স্নেহা.. এই দিকটা মানে.. তুই জানিস তোর বাবা জানলে কি করবে,..
স্নেহা : মা তুমি না বললে জানবে কি করে,..
মা : ছেলেটি কে?..
স্নেহা : কোন ছেলে?.. ?
মা : এতোক্ষন যার সাথে ঘুরে এসেছিস,…
স্নেহা তার মা কে…ঝড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো…
মা : স্নেহা আমিতো তোর থেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তোর কাউকে পছন্দ আছে কি না..?..তুই তখন না বললি কেনো?..?
স্নেহা : মা আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়াছিলাম ?..
মা : আচ্ছা ঠিকাছে রুমে যা আমি খাবার নিয়ে আসি।
স্নেহা : মা আমি খেয়ে এসেছি।?
মা : ওমা খেয়ে ও এসেছিস,..আমার জন্য কিছু আনলি না যে…☺
স্নেহা তার মায়ের এমন behave দেখে সে বুঝাতে পারছে না তার কতো খুশি লাগছিল ???
স্নেহা : love u ?মা তুমি হচ্ছো পৃথিবীর সবচেয়ে বেস্ট বেস্ট বেস্ট মা ??
মা : হয়েছে আর ডং করতে হবে না,.. যা এইখান থেকে।
স্নেহা তার রুমে এসে দরজা বন্ধ করে…
ইচ্ছা করছে খুশিতে ডান্স করতে ??..
তাড়াতাড়ি রাহুলকে ফোন দিয়ে সব বলে..☺
রাহুল : আমিতো বলেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে তুমিই শুধু শুধু টেনশন করছিলা।..
স্নেহা : হুমম…?
রাহুল : আচ্ছা স্নেহা তুমি কিন্তু ভালো করোনি এটা.. আমারটা বাকি ছিলো..
স্নেহা : ওকে বাই গুড নাইট ?
রাহুল : Never ?
স্নেহা : এতোদিন তো ফোন করে চুপ করে থাকতেন, আর এখন Never কেন?…
স্নেহা আর রাহুল দুজনে এভাবে কথা বলতে বলতে রাত কাটিয়ে দেই…?
সকালে রাহুল স্নেহাকে ফোন দেই..
স্নেহা : (ঘুম চোখে) হ্যালো!
রাহুল : স্নেহা এখনো ঘুমাচ্ছো..?
স্নেহা : তো কি করবো সারারাত ঘুমাতে দিয়েছেন আপনি?…
রাহুল : এইটুকুতেই এমন বিয়ের পরে কি করবা তুমি?.
স্নেহা : [রাহুলের কথা শুনে স্নেহার ঘুম পালিয়ে গেলো ] কি বললেন আপনি?..??
রাহুল : হি-হি ? মজা করছিলাম ?
স্নেহা : আপনিতো সবই মজা করেন তাই না।
রাহুল : আচ্ছা উঠে রেডি হও… একটা সারপ্রাইজ আছে,…☺
স্নেহা : কি সারপ্রাইজ?.. ?
রাহুল : উফফ বললে কি সারপ্রাইজ থাকবে নাকি?.
তুমি রেডি হও আমি বাড়ীর সামনে এসে তোমাকে পিক করে নিবো।
স্নেহা : ওকে☺
স্নেহা রেডি হয় এবং রাহুল আসলে বেরিয়ে পরে রাহুলের সাথে…?
রাহুল স্নেহাকে একটা জায়গায় নিয়ে যায়,…
এবং স্নেহা সেখানে গিয়ে দেখে মার্জান শায়লা জারিফা? এবং রাহুলের সব ফ্রেন্ডসরা…
স্নেহা আর রাহুল গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই তারা সবাই একসাথে বলে উঠে..
Congratulation মিস্টার এন্ড মিসেস রাহুল ?
আজ রাহুলের Birthday chilo? তা স্নেহা জানতো না..তাই রাহুল নিজেই স্নেহাকে সারপ্রাইজ দিলো..
কিন্তু স্নেহা মনে মনে ভাবছে রাহুলের Birthday অথচ স্নেহা জানে না এটা কিভাবে হয়।?
সবাই অনেক মজা করে রাহুলের Birthday celebrate করে?…
(চলবে)
Love_at_1st_sight Part : 10
Love_at_1st_sight ???
Part : 10
writer-Jubaida Sobti♥
রাতে,
মা : স্নেহা খেতে আয়, আর কয়দিন এভাবে না খেয়ে থাকবি।
স্নেহা : মা যাওতো আমার খিদে নেই।আর তোমার বলা লাগবে না আমার খিদে লাগলে আমি নিজে নিয়ে খেয়ে নিবো ?
মা : কিন্তু তুই তো, সকাল থেকে কিছু খাসনি খিদে কেমনি থাকবে না,
দেখ এমনটা হয় বিয়ের আগে,…
বিয়ের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে,..
স্নেহা : আচ্ছা হয়ছে মা, এবার যাও আমাকে একা থাকতে দাও?
রাতে স্নেহা আর কিছুই খেলো না,
রাহুলের কথা ভাবতে ভাবতে শুয়ে পরে,… ঘুমিয়ে পড়ে,
[ বিয়ে হয়ে গেলো স্নেহার, লাল শাড়ী পড়ে বড় ঘোমটা দিয়ে, বউ সেজে খাটে বসে আছে, বর এসে স্নেহার ঘোমটা তুললে, স্নেহা অন্য ছেলেকে দেখতে পায় ]
হঠাৎ ঘুম ভেংগে চোখ খুলে স্নেহা উঠে বসে পড়ে,
স্নেহার পুরা শরীর ঘামতে থাকে, বুক কাপতে থাকে,?
ঘড়ি দেখে একটু পরে সকাল হয়ে যাবে,..
স্নেহার আর ঘুম আসছে না, কেন যেন চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে..?
ঘুম আর আসছে না ছটফট করছে মনটা,..কেন যেন কাউকে খুজছে,…
স্নেহা রাহুলের সাথে কাটানো সময় মনে করছে আর কাঁদছে, ?
হঠাৎ একটা মোমেন্ট এর কথা মনে পড়ায়
স্নেহার কান্না থেমে যায় (Sneha Shocked ?)
দৌড়ে গিয়ে স্নেহা তার মোবাইল চেক করে,
কলেজ প্রোগ্রামের দিন লাস্ট কল যে নাম্বারটি ছিল সেটা রাহুলের ছিলো…স্নেহার মোবাইল শায়লার কাছে ফেলে আসলে রাহুল স্নেহার মোবাইলে ফোন দেই,
[স্নেহা এখন ভাবতে থাকে]
রাহুলের কাছে স্নেহার নাম্বার কি করে আসে, স্নেহা রাহুলের নাম্বারের সাথে Unknown নাম্বারটি মিলিয়ে দেখলে স্নেহার চোখে আবার ও পানি ঝলমল করে উঠে,?
স্নেহা : এতো খারাপ কেন আমি? রাহুলতো কত ভাবেই বুঝিয়েছে সে আমাকে ভালোবাসে, আর আমি,বুদ্ধু একটা,.. (হেসে ফেললো স্নেহা)
সকাল হলো স্নেহা কখন কলেজ যাবে (Existing with blushing ☺)
কলেজে গেলে স্নেহা গার্ডেনের দিকে তাকালো কিন্তু রাহুলকে দেখতে পেলো না,?…স্নেহা ভাবলো হয়তো ক্লাসে আছে,…সেইখানে গিয়ে ও দেখলো, এবং পার্কিং গিয়েও দেখলো রাহুলের গাড়ি আছে কি না কিন্তু কোথাও রাহুল নেই,?
আসিফ : রাহুলকে খুজছো?
স্নেহা : জি ? আপনি তাকে কোথাও দেখেছেন?.
আসিফ : রাহুলতো কলেজে আসেনি..
স্নেহা : তাহলে কোথায় গিয়েছে?..
আসিফ : তোমার কাছেইতো এসেছিলো তুমি ফিরিয়ে দিলে.. এখন যখন চলে গিয়েছে তাহলে তোমার মন থেকেই খুজে নিতে হবে..
কাল রাতে বার এ বসে অনেক্ষন ড্রিংকস করেছে, আমি আর বার মেনেজার অনেক request করেছি, তাও করে যাচ্ছে, এর আগে এগুলো কখনো ধরেও দেখেনি…তারপর রাগ করে বার থেকে কই গেলো জানিনা বাসায় গিয়ে দেখলাম বাসায় ও নাকি আসেনি…..
স্নেহা : ???আমি আসলে বুঝতে পারিনি।
আসিফ : আচ্ছা তোমার নাম্বারটা দাও আমি তাকে পেলে তোমাকে ফোন দিবো…
স্নেহা আসিফকে নাম্বার দিয়ে চলে গেলো…
কোথায় খুজবে সে রাহুলকে… অনেকবার ফোন দিয়ে ট্রাই করেছে কিন্তু সুইচ অফ…?
স্নেহা রাহুলকে খুজতে খুজতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো কিন্তু তাও রাহুলকে খুজে পেলো না।….
[বাসায় চলে যায় স্নেহা ]
পা গুটিয়ে খাটে বসে কাঁদতে থাকে,…
কোথায় রাহুল…এতোটা অভিমান করেছে আমার সাথে ?
হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠে,…সেই Unknown নাম্বারটি…
স্নেহা তাড়াতাড়ি রিসিভ করে,..
স্নেহা : রাহুল ? কোথায় আপনি..?.
কখন থেকে খুজছিলাম,.. কলেজে ও গিয়েছিলাম আপনাকে খুজতে…
চুপ করে আছেন কেন আমি জানি এটা আপনার নাম্বার..
ফোনের ওপাশ থেকে.. কেউ ফুফিয়ে কেঁদে যাচ্ছে তা স্নেহা বুঝতে পারলো..?
স্নেহা : সরি রাহুল ??
রাহুল : এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখবে নাকি বাহিরে আসবে ?
স্নেহা : আপনি ?? বাহিরে?…মানে আমাদের বাসার সামনে..
রাহুল : হুম! ? এখন কি! চলে যাবো নাকি তাড়াতাড়ি আসবে?…
স্নেহা : না! না! চলে যাবেন কেনো আমি এক্ষুনি আসছি।??
স্নেহা দৌড়ে গিয়ে দেখে রাহুল তাদের উঠানে দাঁড়িয়ে আছে,….?
স্নেহা রাহুলকে দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলো না তাই স্নেহা দৌড়ে গিয়ে রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরলো?
রাহুল ও স্নেহাকে শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরলো…
স্নেহা : Sorry রাহুল আমি বুঝতে পারিনি..?? আপনি আমাকে এতোটা ভালোবাসেন..
????????
তাইতো তখন ভেবেছি নিশ্চয় আমাদের মধ্যে কোনো কানেকশন আছে,?
আপনি আমাকে বার বার বুঝানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন আর আমি বুদ্ধু একটা..?
স্নেহা রাহুলকে আরো শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে… ??
After few minutes,
রাহুল স্নেহাকে একটু সরিয়ে আনার চেষ্টা করলে স্নেহা আরো শক্ত করে ধরে রাখে রাহুলকে…..
রাহুল : স্নেহা হয়েছে তো কেউ চলে আসবে তখন,?
স্নেহা : আসুক ??
রাহুল : ?? চলো
স্নেহা : কোথায়?. ?
রাহুল : যাবা নাকি বলো?… ☺
স্নেহা : অবশ্যয় যাবো… সারাজীবন যাবো, ???
রাহুল স্নেহাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট এ যায়
,? [sneha and rahul’s 1st date]
রাহুল : কিছু খেয়েছ সারাদিন?..
স্নেহা : ???
রাহুল : জানতাম,…
স্নেহা : কিভাবে,?..?
রাহুল : মার্জান আমাকে সব বলেছে,?
স্নেহা : ????
রাহুল : ঐ পাগলী আবার কাঁদছো কেন?..
রাহুল স্নেহার চোখ মুচিয়ে দেই..
স্নেহা : আপনি কিভাবে জানেন আমি আপনাকে খুজছিলাম?..
রাহুল : জানবো না তোমার আমার heart connection এর মাধ্যমে?
স্নেহা : নেকা না?…
রাহুল : আসিফ বলেছিলো☺
Love_at_1st_sight ??? Part : 9
Love_at_1st_sight ???
Part : 9
writer-Jubaida Sobti♥
রাহুল স্নেহাকে তার রুমে নিয়ে গেলো।
স্নেহা রাহুলের রুম দেখে Shocked?
স্নেহা : yaaakkkk??
(স্নেহার কথা শুনে রাহুল তাড়াতাড়ি মাটিতে পড়ে থাকা কাপড়-চোপড় গুলো উঠিয়ে নেই।???এবং স্নেহার জন্য বসার ব্যবস্থা করে দেই।)
রাহুল : একটু অগোছালো, দাঁড়াও ঠিক করে দিচ্ছি ?
স্নেহা : সব রুম গোছানো..শুধু আপনার রুমের সব এলোমেলো.?
[এই বলে স্নেহা ড্রেসিং এর উপর হাত রাখতেই তার হাতে খাবার টাইপ্সের কি যেন লেগে যায়,]
স্নেহা : ইশশ!? এগুলো কি?..
রাহুল : ??? ফ্লিম দেখে খাচ্ছিলাম তো, তখন নিশ্চয় পড়েছে,
স্নেহা : ড্রইং রুমের এতোবড় টেবিল ফেলে এইখানে খেতে গেলেন কেন?…
রাহুল : বললাম তো ফ্লিম দেখে খাচ্ছিলাম ? but u don’t worry আমার বউ আসলে তখন সব ঠিক হয়ে যাবে বাকি রুম গুলোর মতো। ?
স্নেহা : ( blushing ☺)
রাহুল : আচ্ছা আমার যেদিন বিয়ে হবে সেদিন কোন দিকটা ফুল আর কোন দিকটা ক্যান্ডেলাইট দিয়ে সাজালে ভালো হবে, বলো তো?..
ভালো আইডিয়া দিবা কিন্তু স্নেহা যাতে আমার বউ এর পছন্দ হয়।?
[ (স্নেহা লজ্জায় blushing ☺☺) স্নেহা চলে যেতে চাইলে রাহুল তার হাত ধরে রাহুলের কাছে টেনে নেই,]
[(রাহুল তার মুখটি কাছে এনে স্নেহার নাকের সাথে আর কপালের সাথে লাগায়?,
স্নেহার তার চোখ বন্ধ করে ফেলে nd sneha’s heart beating faster again)
রাহুল : [(স্নেহা☺চোখ বন্ধ করাতে একটা তেডি স্মাইল দেই, এবং রাহুল ও তার চোখ বন্ধ করে ফেলে,) nd rahul’s heart beating faster too☺]
হঠাৎ রাহুলের ফোন আবার বেজে উঠলো ?
রাহুল পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখে, সিম কোম্পানির কল, গেল মাথাটা ধরে,? রাহুলের মাথায় ১০০ডিগ্রী হাই ভোলটেইজ উঠানামা করছে ?
রাহুল : তুমি বলো স্নেহা এদের কি করতে ইচ্ছা হয়??
স্নেহা : ????
আচ্ছা হয়েছে অনেক এবার বাসায় যেতে হবে আমায়, আরে আমিতো মোবাইলটা ও ফেলে এসেছি শায়লার কাছে?
রাহুল : ওকে Wait আমি কল দিয়ে দেখছি।
রাহুল স্নেহার মোবাইলে কল দেই, এবং শায়লা রিসিভ করে,
স্নেহা : হ্যালো শায়লা, আমি বলছি স্নেহা
শায়লা : স্নেহা তুই কোথায়, তোকে আমরা পাগলের মতো খুজছি।?আর তোর মোবাইলটা ও তো ফেলে গিয়েছিস, আন্টি ফোন দিয়েছিল আমি বলেছি তুই একটু বিজি আছিস, তাই একটু পরে ফোন করতে,
স্নেহা : ওকে আমি বাসায় যাচ্ছি তুই মোবাইলটা রাখ। আমি কালকে নিবো,
স্নেহা : (তাড়াতাড়ি ফোন রেখে) আমাকে এখন বাসায় যেতে হবে, চলেন তাড়াতাড়ি,
রাহুল স্নেহাকে তার বাসায় পৌছে দেই।
মা : স্নেহা এটা কি বাসায় আসার সময় হলো তোর?..আর তুই ফোন ধরছিলি না কেন।?.. কত টেনশন হচ্ছিলো জানিস,?..
স্নেহা : মা ঐখানে আওয়াজের কারনে ফোনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিলো না।
মা : তোর বাবা অনেক রেগে আছে,
স্নেহা : মা তুমি একটু মেনেজ করো না আমি তো তোমাকে বলেই গিয়েছি।
মা : আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে আয় আমি দেখছি।
স্নেহা ফ্রেশ হয়ে ড্রইং রুমে এলে,
বাবা : স্নেহা ভদ্র ঘরের মেয়েরা এতো রাত পর্যন্ত বাহিরে থাকে না বুঝলি।
স্নেহা : বাবা প্রোগ্রাম কিছুক্ষন আগেই শেষ হয়েছিল।
বাবা : প্রোগ্রাম যতক্ষণেই শেষ হোক না কেন… সময় দেখে তোর বাসায় চলে আসার দরকার ছিলো,
স্নেহা : সরি বাবা,
বাবা : আর শোন কাল সকালের দিকে তোকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে, ছেলে অনেক ভালো লনডনে পড়ালিখা করেছে,তোর ছবি দেখেই তোকে পছন্দ করেছে, কাল ছেলের বাবা মা আসবে তোকে দেখতে,।
(স্নেহার বাবার কথা শোনে স্নেহা Shocked ? স্নেহা তার মায়ের দিকে তাকালো মা কিছু বলছে না)…
স্নেহা তার রুমে গিয়ে কাদা শুরু করলো…
স্নেহার মা ও আসে তার পিছু পিছু।
মা : স্নেহা আমি তোর বাবাকে অনেক বারণ করেছি। ?তোর বাবা বলছে এমন ভালো প্রস্তাব বার বার আসেনা,
আর ছেলের বাবা তোর বাবার পুরোনো বন্ধু,
তোর বাবাকে অনেক কাজে সাহায্য করেছে তিনি কিন্তু কখনো কিছু চায়নি,
তাই তোর বাবা বলেছে, আমি চায়না এই বিয়েতে কোনো প্রকার ভেজাল সৃষ্টি হোক।
স্নেহা অন্তত তোর বাবার দিকটা দেখে হলেও না করিস না।
(স্নেহা তার মা কে কিছু বলতে চেয়ে ও আর বলতে পারেনি।?)
রাতে স্নেহা আর কিছু খায়নি। শুধু রাহুলের কথা মনে পড়ছে, মা কে ও কিভাবে বলবে সে রাহুলকে ভালোবাসে রাহুল ও তো কখনো বলেনি সে স্নেহাকে ভালোবাসে, এভাবে কাঁদতে কাঁদতে স্নেহার রাত কেটে গেলো।
আজ কলেজ যায়নি স্নেহা,
স্নেহাকে তৈরি হতে বললো কিছুক্ষণ পরেই বরপক্ষ দেখতে আসবে,
ঐদিকে রাহুল সারা কলেজ স্নেহাকে খুজে বেড়াচ্ছে কিন্তু কোথাও পেল না।
রাহুল : স্নেহা আজ কলেজ আসেনি?
শায়লা : না আজতো স্নেহা কলেজ আসেনি।
মার্জান : কি হলো জিজু একদিন কলেজ না আসাতে এতোটা মিস করছেন ?
রাহুল : না আসলে (with blushing☺) তোমাদের দেখছি ওকে দেখছিনা তো তাই জিজ্ঞেস করলাম,…
রাহুলের ও কেমন যেন বার বার স্নেহার কথা মনে পড়ছে, স্নেহাকে দেখার পর থেকে এমন একটা দিন কাটেনি তাকে না দেখে কেটেছে,(☺ রাহুল blushing)
আর অন্যদিকে স্নেহাকে বর পক্ষ দেখেই পছন্দ করে ফেলেছে,…সব ঠিকঠাক।
কয়েকদিন পরে এসে বিয়ের তারিখ ফিক্সড করে যাবে।
স্নেহা কিছুই করতে পারছে না কেঁদে কেঁদে শুধু বালিশ ভেজাচ্ছে,…
স্নেহার বাবা মা মনে করছে, বিয়ে হয়ে যাবে শশুড়বাড়ী চলে যাবে, তাই হয়তো এমন করছে,
কিন্তু তা না…স্নেহার কেন যেন বার বার রাহুলের সাথে কাটানো কথা গুলো মনে পড়ছে তার সাথে প্রথম দেখা..???? এখন আর ভেবেও কি হবে বিয়ের কথা বার্তা সবইতো ফাইনাল হয়ে গেছে।
পরদিন কলেজ গেলো স্নেহা,
রাহুল স্নেহাকে দেখে (Blushing☺)with তেডি স্মাইল দিলেও স্নেহা রাহুলকে দেখেও না দেখার মতো হয়ে ক্লাসে চলে যায়।
(স্নেহা Avoid রাহুল ?)
ক্লাস শেষে ফ্রি টাইমে ও অনেকবার দেখা হয় কিন্তু স্নেহা রাহুলের সাথে কোনো কথায় বলছে না,
হঠাৎ স্নেহা ক্লাস শেষে বের হওয়ার সময় রাহুল স্নেহাকে টেনে একপাশ নিয়ে যায়,
রাহুল : কি হলো স্নেহা কখন থেকেই দেখছি তুমি আমাকে Avoid করেই যাচ্ছো,
সমস্যা কি তোমার..?
স্নেহা : আপনার সমস্যা কি আগে সেটা বলেন?…কি হয় আমি আপনার যে আপনি আমাকে হাত ধরে এভাবে টেনে আনেন?…
রাহুল স্নেহার কথা শুনে পুরাই Shocked ?
স্নেহা এমনটা কিভাবে বলতে পারলো..
স্নেহা রাহুলের হাত থেকে তার হাত ছাড়িয়ে সিরি দিয়ে নেমে চলে যায়।
রাহুল ও স্নেহার পিছু পিছু নিচে যায়…রাহুল স্নেহাকে কয়েকবার ডাক দিলেও স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরেও তাকায় না।
হঠাৎ রাহুল আর না পেরে খুব জোড় গলায় স্নেহা বলে ডাকদেই, এবং সবাই রাহুলের দিকে ফিরে তাকায়।
স্নেহা ও Shocked হয়ে রাহুলের দিকে ফিরে তাকায়..
then রাহুল কাছে এসে স্নেহার হাত ধরে একপায়ের হাটু মাটিতে বসিয়ে সবার সামনে স্নেহাকে প্রপোজ করে,?
রাহুল : স্নেহা I love u ?…
do u love me?..
স্নেহা (মনে মনে blushing) এটা তো স্নেহা ভাবেনি, ?
স্নেহার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো,?
হঠাৎ স্নেহার মনে পড়লো তার তো বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে, সে রাহুলকে কিভাবে হ্যাঁ বলবে,আবার রাহুলকে ফিরিয়ে ও কিভাবে দিবে,
সব একসাথে মাথায় ঘুরছে স্নেহার?
মার্জান : Come on sneha,☺☺ say yes!
জারিফা : স্নেহা what r u doing? hurry up… say yes,…
অনেক মেয়েই jealous তখন তাদের ক্রাশ তাদের সামনে অন্য একটি মেয়েকে প্রপোজ করছে, এতো গুলো মেয়ের মধ্য থেকে রাহুল স্নেহাকেই কেন বেচে নিয়েছে,?
কলেজে প্রায় এমন প্রপোজ হয়ে থাকে,এবং রাহুলের মতো ফেমাস হ্যান্ডসাম ছেলে ঐ সেমিস্টারের আরো কয়েক জন ও আছে কিন্তু এটা সহ্য করার মতো না কারন রাহুল বলে কথা,?
রাহুল : (again with sadness?) স্নেহা Do u love me?..
স্নেহার মাথায় ঘুরছে যদি রাহুলকে হ্যাঁ বলে তাহলে বাসায় কি জবাব দিবে,
স্নেহা তার পা পিছিয়ে নিয়ে গেলো,? রাহুলের হাত থেকে তার হাত সরিয়ে নিলো,? রাহুলকে স্নেহা মিথ্যা আশা কি করে দিবে তাই স্নেহা রাহুলকে কিছু না বলে দৌড়ে চলে গেলো,…?
মার্জান : স্নেহা কই যাচ্ছিস,?
জারিফা : কি হলো বলতো ওর, এইভাবে চলে যাওয়ার কোনো মানে হয়।?
রাহুল খুব দূঃক্ষের সাথে উঠে দাঁড়ালো, ? রাহুল স্নেহা থেকে এটা আশা করেনি।
স্নেহা যদিও রাহুলকে ভালো না বাসতো তাহলে প্রথম থেকেই কেন রাহুলকে Avoid করেনি,?… এতো গভীরতা দেখিয়ে কেন এভাবে চলে গেলো,?
নেহা : So sad for u rahul?
[but নেহা Shocked rahul reject from sneha? how it’s possible ?]
রাহুল নেহাকে আর কিছুই বললো না কি বা বলার মতো রইলো আর?
রাহুলের বন্ধুরা তার পাশে এসে দাঁড়ালে।
রাহুল : Don’t worry dear I m ok..
রাহুল যতই Ok বলুকনা কেন তার বন্ধুরা বুঝতে পারছে এসময় তার মধ্যে কি চলছে?
রাহুল কিছু না বলে আর পার্কিং থেকে তার গাড়ীটি নিয়ে সোজা বেরিয়ে পরে,
অনেকেই বলাবলি করছে Rahul is rejected from sneha ?? OMG.
স্নেহা একা বাসায় চলে আসে,…
রুমে গিয়ে বালিশ ভিজিয়ে কেদেই চলছে,
কেন সে রাহুলকে হে বললো না?,আসলেই কি সে রাহুলকে ছেড়ে থাকতে পারবে,???
স্নেহার ফ্রেন্ডসরা স্নেহার বাসায় আসে স্নেহাকে দেখতে,
মার্জান : স্নেহা আমরা তোকে দেখতে আসিনি। শুধু একটা কথায় জানতে এসেছি রাহুলকে এক্সেপ্ট করলিনা কেন?..
স্নেহা : ???
জারিফা : তুই যদি রাহুলকে লাভ না করতি তাহলে ওকে দেখলে এতো খুশী কেন হতি?…ওর সাথে কলেজে টাইম স্পেন্ড কেন করতি?..বল?..
মার্জান : আচ্ছা মানলাম তুই ওকে ভালোবাসিস না তাই answer
দিলিনা, তাহলে এভাবে কাঁদছিস কেন সেটা তো বল,…
স্নেহা তার ফ্রেন্ডসদের সব খুলে বললে,
মার্জান : What the hell???..তুই আন্টিদের বলিসনি তুই রাহুলকে লাভ করিস,
স্নেহা : কিভাবে বলবো তখন তো রাহুল আমাকে বলেনি ও আমাকে লাভ করে,..?এখন যা ও বলেছে আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার পর,বাবাকে বললে বাবা আমাকে মেরেই ফেলবে?
মার্জান : কি বোকারে বাবা তুই…শুধু I love u বললেই সে তোকে ভালোবাসে এটাতো নয়..
রাহুল তো তোকে অনেক ভাবেই অনেক আগেই থেকে বুঝিয়েছে সে তোকে লাভ করে,
তুই জানিস রাহুল কতটা কষ্ট পেয়েছে,?
মেয়ের অভাব পরেনি তার… তোকে সত্যি ভালোবাসে বলেই..সে এতোগুলো মেয়ের মধ্যে থেকে তোকে বেচে নিয়েছে…
সেটা বলাতে স্নেহা আরো কেদে উঠে,?
শায়লা : হে স্নেহা বিয়ে জীবনে একবার করবি, যাকে লাভ করিস তাকেই যদি বিয়ে না করিস তাহলে ঐ বিয়ে করে কি লাভ ?রাহুল তোকে অনেক ভালোবাসে স্নেহা,
মার্জান : আচ্ছা আন্টিকে আমরাই বলছি।
স্নেহা : না…তোরা কিছু বলিস না মা কে যদি এখন এসব বলি মা অনেক কষ্ট পাবে, এসব সজ্য করতে পারবে না,??
বাবা বলেছে বিয়েতে কোনো প্রকার ঝামেলা চায় না।
মার্জান : ঠিকাছে তুই যা ভালো মনে করিস।?কিন্তু একটা কথা মনে রাখিস রাহুল তোকে অনেক লাভ করে,…
এই বলে তারা চলে গেলো।
স্নেহা রুমে একা একা বসে আছে,?
রাহুল : [ যে ছেলে কখনো স্মোক করে না সে আজ স্মোক করছে,
রাহুলের চোখ রক্তের ছানির মতো লাল হয়ে যাচ্ছে?খুব কষ্ট জমে আছে আজ বুকের ভেতর। ]
আসিফ : রাহুল হয়েছে রাখ আর কয়টা খাবি, ২৫ টা খেয়েছিস এই পর্যন্ত, ?
আরে কতো মেয়েতো আছে একটার জন্য জীবনটা এভাবে শেষ করে দেওয়ার কি আছে,
রাহুল কিছুই বললো না চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে,রাহুল সে কবে কেঁদেছিল ভুলে গিয়েছে,…
আজ আবার কারো জন্য বুক ফেটে কান্না আসছে ?…
(চলবে)