Thursday, August 14, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1983



প্রিয় তমা- Ipshita Shikdar

0

প্রিয় তমা,

প্রিয় বলে সম্বোধন করলাম বলে কি রাগ করলে? করো না প্লিজ। জানি অধিকার নেই আমার তোমার বিবাহ লগ্নের পর থেকে, তবুও আজ শেষবারের জন্য নাহয় বলার অধিকার দিলে। কিছু মনের গহীনে রাখা কথা যা কখনো কাউকে বলা হয়নি, তা বলতে চাই তোমায় এই নির্বোধ কাগজটার দ্বারা। আশা করছি একটু সময় ব্যয় করে একবার পড়ে দেখবে।

খুব ছোট্টবেলায় মাকে হারিয়েছি, সৎমায়ের সংসার, বাবা থেকেও নেই সবমিলিয়ে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে বেড়ে ওঠা আমার। কলেজ জীবনে যেখানে পড়ালেখা সামলানোটাই মুশকিল সেখানে তোমায় ভালোবাসার বা তোমার সাথে সম্পর্কে জড়ানোর সাহস কোনোকালেই আমার ছিলো না। তাই তো তোমায় ফিরিয়ে দিয়ে বলেছিলাম বন্ধু হয়েই থাকতে। কিন্তু তোমার অব্যর্থ প্রয়াসে অনেকটা বাধ্য হয়েছিলাম ভালোবাসতে। সবচেয়ে বেশি তোমার কাছে অসহায় হয়েছিলাম যেদিন তুমি বলেছিলে দরকার হলে আর্থিক প্রয়োজন আমরা দুজন একসাথে কাজ করে মেটাবো, চলে যাবো এই শহর হতে বহুদূরে। সেই থেকে শুরু হলো আমাদের প্রেমকথা কিন্তু এভাবে যে সবটা শেষহবে জানতাম না।

সময়ের স্রোতে সবাই পরিবর্তন হয়, কেউ হয় ভালোর জন্য, কেউ হয় খারাপের জন্য। তুমিও বদলে গেলো। হয়তো তা ভালো তোমার জন্য তবে আমার মন্দ হলো আমার জন্য। তোমার চুরির রিনিঝিনি শব্দে পূর্বের ন্যায় তখনো আমার বুকে ঝড় উঠতো, তোমার নূপুরের ছনছন শব্দে তখনো আমি নির্ঘুম রাত্রিযাপন করতাম, তোমার কাজলযুক্ত নয়নযুগলে আমি তখনো ডুব দিতাম। অথচ তুমি তখন ব্যস্ত থাকতে অন্যের হৃদমাঝে নিজেকে মিশাতে। আচ্ছা, কখনো কি তোমার বুক কাঁপেনি আমাকে ধোঁকা দিচ্ছো ভেবে? প্রেমিকা হিসেবে না হোক বন্ধু হিসেবে? করেনি, হয়তো ক্ষণিকের মোহ ছিলাম বলেই। তবে মনে একটা ক্ষোভ থেকেই যায়, আমি তো তোমায় জড়াতে চাইনি আমার জীবনে… বেশ ভালোই তো ছিলাম দুঃখকষ্টের মাঝে জর্জরিত হয়ে তাহলে কেনো ইচ্ছেকৃত ভাবে এই জীবনে পা রেখে আবার চলে গেলে? কেনো আলোর পথ বলে নিয়ে গেলে নতুন এক অন্ধকার অধ্যায়ে? কেনো পূর্ব হতে ভাঙা হৃদয়কে জুড়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আরও ভেঙে ফেললে?

প্রশ্নগুলো তোমায় জিজ্ঞেস করেছিলাম। তুমি এক চর মেরে বলে দিলে আমার সাত কপালের ভাগ্য তোমার মতো মেয়ে আমার সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলো। সেদিন কিছু বলিনি তবে আজ বলছি, এই সাত কপালের ভাগ্য কখনোই চাওয়া হয়নি আমার। না চাইতেই জীবনে এলে আবার না চাইতেও চলে গেলে, অদ্ভুত না ব্যপারটা? যাই হোক ভালোবাসার বদলে তুমি ধোঁকা, থাপ্পড় ও অপমান দিয়েছিলে, আমি নাহয় দোঁয়া ও শুভেচ্ছাই দেই। ভালো থাকো তুমি, ভালো থাকুক তোমার নতুন সংসার! শেষে শুধু এটুকুই বলতে চাই তোমায়,
ইচ্ছে ছিলো তোমার মাঝে হারিয়ে ফেলবো নিজেকে, তবে সুযোগটা দিলে কোথায়?
ইচ্ছে ছিলো সারাজীবন তোমায় নিয়ে কাটিয়ে দিবো, তবে হাতটা ধরে রাখলে কোথায়?
ইচ্ছে ছিলো তোমায় সর্বদা আগলে রাখবো হৃদমাঝে, তবে চলে যেহেতু গেলে হাসিমুখেই দিলাম বিদায় শুভেচ্ছা তোমায়।

ইতি,
তোমার প্রাক্তন

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা
#Ipshita_Shikdar (samia)

প্রিয় তারাগুলি-লেখায়ঃফাইজা হাবীব নীবুলা

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
লেখায়ঃফাইজা হাবীব নীবুলা
প্রিয় তারাগুলি,
আকাশের হাজার হাজার মিটমিট তারার সাথে মিতালি আমার জন্মলগ্ন থেকেই।নীবুলা এই নামখানা বাবা ডিকশনারী দেখে রেখেছিলো।দেখো আমার বন্ধুরা,বাবাটা আমার কত বোকা!তিনখানা নামের বই কিনেও নাম ঠিক করতে পারে নি।তাই তো তোমাদের সাথে বন্ধুত্ব সেই ঊষালগ্ন থেকে।ছোট বেলা থেকেই হাজার কথার ফুলঝুড়ি তোমাদের সাথে,গুনগুন করে গান ও তোমাদের সাথে গেয়েছি,কখনো মন খারাপ হলে ছাদে পাটি বিছিয়ে সারা রাত আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলেছি।তুমি তো জানো, জন্মলগ্নেই মা ছেড়ে গিয়েছে আমায়,আর বাবা বলে মা নাকি আকাশের তারা হয়ে গিয়েছে। তাই তো আমার সব কথা,সব অনুভূতির প্রকাশ আকাশের তারাদের সাথে।চুপিচুপি একটা কথা বলি,মিটমিটে তারাদের মাঝে এই মাতৃছায়াবিহীন মেয়েটা মায়ের ভালোবাসা, স্নেহ আকাশের তারাদের মাঝে খুঁজে বেড়ায়।জানো,ছোটবেলায় পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেলে কেউ আদর করতো না,বন্ধুদের মায়ের মতো কেউ স্কুলের গেটে আসতো না!জ্বরতপ্ত শরীরে কেউ স্নেহের পরশ বুলিয়ে যায় নি।আমায় কেউ ঘুমপাড়ানি মাসি পিসির গল্প শোনায় নি।তাই তো সবাই বলে আমি অভিমানী!জানো তারারা!আমার অভিমান শুধু তোমাদের সাথে!আমার সকল অশ্রুর সাক্ষী তোমরা!তাই তো আজও মন ভাঙার গল্প তোমাদের সাথেই করছি। বিখ্যাত বাবার সুপুরুষ ছেলে রোহিতের সাথে আলাপ করিয়েছিলো বাবা আমার।তোমরা তো জানো ভালোবাসার সংজ্ঞা জানি না,তাই তো রোহিতের দেখানো মিথ্যা সহানুভূতির আড়ালের সেই দুরভিসন্ধি বুঝতে পারি নি।সরল বিশ্বাসে ভালোবেসেছিলাম,আজ জানতে পারলাম বিজনেস ডিল ছিলাম আমি রোহিতের জন্য।বাবার ঐশ্বর্য আর সম্পদের লোভেই বিয়ে করতে চেয়েছিলো আমায়!তারারা তোমরা জানতে পেরেছিলে রোহিতের দুরভিসন্ধি তাই তো রোহিত আর ওর বাবার প্ল্যান ফাঁস করে দিলে!রোহিত তুমি কেন এমন করলে?ভালোবাসার সংজ্ঞা জানি না তাই কি ঠকালে আমায়?ভালোবাসা কি?এই প্রশ্নের সাথে আকাশের তারাদের সাথে চিঠি শেষ করলাম।
ইতি তোমাদের প্রিয় বন্ধু
নক্ষত্ররূপী নীবুলা

প্রিয় নীলা – শুভদীপ হালদার

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা

?

প্রিয় নীলা,

তোমার কাছে কিছু চাওয়ার সাহস নেই অাজও আমার। আমি বরং তোমার কাছে নিজেকে শোপে দিতে চেয়েছিলাম।কিন্তু হয়তো অামার ভালবাসায় কোথাও যেন খাদ ছিল। তাই তো অামার ভালোবাসা অাজ হেরে গেছে তোমার কাছে। জানো, নীলা অামার একটা ছোট্ট স্বপ্ন ছিল যে তোমাকে নিয়ে একটা সংসার গড়বো। কিন্তু দেখো তুমি আজ চলে গেছো বহুদুরে। তুমি ভয় পেয়ো না তোমার কাছ থেকে কোনো অধিকার চাইবো না আজ। অধিকার চাইবোই বা কার কাছে! ভালোবাসার মানুষটাইতো আজ আমার কাছে নেই।
তুমি হয়তো আজ অন্য কারোর জীবন সঙ্গিনী। তাই তো আজ আমি নিরুপায়। জানো নীলা কত বোঝানোর চেষ্টা করেছি এই অবচেতন মনকে কিন্তু কিছুতেই বুঝতে চায় না। যেদিকে তাকাই শুধু তোমার স্মৃতি গুলো ভেসে ওঠে আমার এই দুই নয়নে।
জানো, মাঝে মাঝে ভাবি জীবনটা না থাকলেও ভালো হতো । কিন্তু কী করবো ভীতু প্রায় মন টা কোনোমতে মানতে চায় না।তবু দিনের শেষে যখন গোধূলি নেমে আসে তখন মন চায় অন্ধকার এ মিশে যাই সারাজীবনের জন্য। তবু জানি তুমি আজও আমায় ভালোবাসো তোমার ওই অজানা ভাবনালীলায়।
তাই বাধ্য হয়ে তোমাকে ছেড়ে চলে গেলাম সেই না ফেরার দেশে। ভালো থেকো আর পারলে শেষ বারের মতন মাফ করে দিও এই পাগলটাকে । ”বিদায় এবো দেহ বিধুমুখী”।

ইতি
তোমার প্রিয় আকাশ।
???
শুভদীপ হালদার হালদার
লেখক ~শুভদীপ হালদার।

প্রিয় গল্পপোকা- Shanzida Tasnim Ritu

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং-১

প্রিয় গল্পপোকা,
তুমি কেমন আছো জানতে চাইবো না, কারণ আমি জানি আমরা ভালো থাকলেই তুমি ভালো থাকো। আমরা নিজেদের নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকি যে তোমার খোঁজ টাও নেওয়া হয় না, আমাদের উপর রাগ করো না প্লিজ।
আচ্ছা বাকিদের কথা বাদ থাক, তুমি কী জানো তুমি আমার কতটা প্রিয়? আমি তোমার জন্য নতুন আমাকে খুঁজে পেয়েছি জানো? তোমার তো জানার কথা। আমি খুব একা হয়ে পড়েছিলাম, ভেঙে পড়েছিলাম, ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম কিন্তু তোমার কাছে এসে আমার মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চারণ ঘটেছে। তোমার মাধ্যমে আমি খুব প্রিয় কিছু মানুষ পেয়েছি। তোমার মাধ্যমেই আমি আমার মনের মধ্যে সাজানো সকল কথা সাজাতে পেরেছি। তোমার জন্য আজ আমার কথা অনেকে জানে, আমাকে উৎসাহ দেয়।
তোমার মতো এতটা ভালোবাসা আমাকে কেউ দেয়নি জানো? তোমার হাত ধরে আমি নতুন করে বৃষ্টিতে ভিজেছি। একা রাতের আলো-আধারীর ছায়াতে খেলেছি। সবুজ মাঠের উদাসীনতা, নদীর বয়ে চলার শব্দ, মেঘেদের হুটোপুটি সব আমি তোমার জন্য আবার নতুন করে দেখেছি। আমার মনের প্রতিটা শব্দের, প্রতিটা অক্ষরের আকৃতি তোমার জন্য নতুন ভাবে সেজেছে।
ও আমার প্রিয় গল্পপোকা,
আজ তোমাকে নিয়ে লিখতে বসে আমি যে কতটা পুলক অনুভব করছি তোমাকে বোঝাতে পারবো না। তুমি কি বুঝবে আমার মনের আকুলতা? বুঝবে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা? বুঝবে তুমি আমার কতটা আপন? জানো আমি তোমার জন্য কতটা বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি? শুধু তোমার জন্য, তোমার ভালোবাসার জন্য। তুমি এত ভালো কেন? কেন এতো সুন্দর আর অনিন্দ্য? তোমার প্রতিটা গল্পে আমি ডুব দিয়েছি। ভেসেছি স্বপ্নের সাগরে। তোমার অনুরাগের আগুনের তপ্ত স্পর্শও অনুভব করেছি বারবার। আমি যে অক্ষম আমার প্রিয় গল্পপোকা। আমি অক্ষম আমার ভালোবাসা প্রকাশে। কীভাবে বোঝাবো তোমাকে, কতটা অবদান আমার জীবনে তোমার? তুমি যে আমাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছ, ভালোবাসতে শিখিয়েছ, হাসতে শিখিয়েছ, বারবার গহীন ভাবে ভাবতে শিখিয়েছ। আমি ক্লান্তি ভুলে বারবার মেতেছি তোমাকে নিয়ে। সব ভুলে এমনকি এটাও ভুলে গিয়েছিলাম যে কতটা দুর্বিষহ ছিল আমার পথ চলা, অথচ তুমি কতটা সাবলীল! কতটা অনন্য তুমি! তোমার মত আর কেউ নেই জানো? আমি কোথাও পাইনি এতো আবেগের ঘনঘটা, কোথাও পাইনি এতটা দৃঢ় বন্ধন, কোথাও পাইনি এমন অসাধারণ একতার হদিশ। তুমি কোথায় ছিলে এতদিন? কেন আরও আগে আসোনি আমার কাছে? কেন আরও আগে ধরা দাওনি? কেন আমায় আরও আগে সুযোগ দাওনি তোমার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার? বলো কেন দাওনি?
আমার আদরের গল্পপোকা,
আমি আজ আবারও আমার স্মৃতিতে ডুব দিয়েছি তোমাকে নিয়ে, এই যে কত কিছু লিখছি তোমার জন্য। তুমি ছাড়া আর কাকে বলতাম এতো কথা? এতটা ধৈর্য কার আছে বলতো আমার সাথে আমার রাজ্যে ঘুরে বেড়ানোর? উফ! তুমি না থাকলে যে আমার কী হতো! এই তুমি হাসছো কেন? কি ভাবছো আমি মজা করছি? বাড়িয়ে বলছি? তোমাকে পাম্প দিয়ে ফোলাচ্ছি? মোটেও না, দেখি কার সাহস আছে আমাকে বলার যে আমি তোমাকে নিয়ে বাড়িয়ে বলছি। আমি একবিন্দুও বাড়িয়ে বলছি না বরং অনেক কম বলছি। তোমাকে নিয়ে যে হাজার হাজার কথা লিখেও শেষ করতে পারবো না প্রিয়, সেই ক্ষমতা যে নেই আমার। এই যে দেখো, আমি ইতোমধ্যে খেই হারিয়ে ফেলেছি, আমার নিঃশ্বাস গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে, হাত কাঁপছে। আমি আর পারছি না ভাবতে।
জানো প্রিয়,
আমার কল্পনার জগত বিশালতা পেয়েছে তোমার জন্য, তুমি আমাকে বারবার ভাবিয়েছো। অজস্রবার আমার ভ্রূদয় কুঞ্জিত হয়েছে তোমাকে ভেবে ভেবে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের শীতলতা জমেছে তোমার চিন্তায় নিজেকে ডুবিয়ে। কতবার আমি নিজেকে ভুলেছি, কতবার বাস্তবের পথ হারিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই।
প্রিয়,
তোমাকে আরও কত কি যে বলার আছে কিন্তু আজ আর লিখবো না। আমার লেখা পড়ে ইতোমধ্যে তোমার মাথা ঘুরে যেতে পারে তাই আমি আর কষ্ট দিতে চাচ্ছি না তোমাকে। তুমি অনেক ভালো থাকো, অনেক অনেক বড় হও। আমাকে নিয়ে, আমাদের সবাইকে নিয়ে তোমার পথ চলা সাবলীল ও দীর্ঘ হোক। তুমি সকলের প্রিয় আর কাছের হও এই দোয়া করে পত্রের ইতি টানছি।
ইতি
তোমার এক নগন্য সদস্য।

চিঠি নং-০১ – Sneha Kh Uhi

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং-০১

প্রিয়,
তোমায় যেদিন প্রথম দেখলাম উপলব্দি করতে পারিনি ভালোবাসা আসলে কি? কিন্তু এখন বুঝতে পারছি আমার জীবনে তোমার অবস্থান কতখানি। মুখে বলেছি না জানি কতবার তোমায় ভালোবাসি কিন্তু যখন অতিক্রম হয়ে গিয়েছে কিছুটা সময়, উপলব্দি করতে পেরেছি আসলে কতোটা ভালোবাসি তোমায়।

আমার প্রতিটা হৃদস্পন্দনে মিশে আছো তুমি। আমার প্রতিটা নিশ্বাসে মিশে আছো তুমি। আমার সকল অনুভূতিতে মিশে আছো তুমি।

জানিনা কি মায়ায় জড়ালে আমায়। তোমার অনুভবে আচ্ছন্ন হয়ে আছি আমি। প্রত্যেক নিশ্বাসে শুধু তোমাকেই খুঁজছি আমি। আমার জীবনে মিশে আছে কিছু ব্যথা, কিছু পাওয়া না পাওয়া। যার মধ্যে তুমি অন্যতম। তোমাকে নিজের করে পাবো কিনা জানি না আমি। হয়তো আমার এই পাওনা অপূর্ণই থেকে যাবে। নাই বা পেলাম তোমায়, নাই বা পেলাম তোমার ভালোবাসা। তবে তোমাকে নিয়েই আমার সকল অনুভূতি।

ইতি,
তোমার অজানা কেউ….

প্রিয় বাবা-কলমে:যারিন সুবাহ।

0

#গল্প_পোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
#চিঠি_নং_০১

কলমে:যারিন সুবাহ।
________________

প্রিয় বাবা,
প্রথমেই তোমায় অজস্র অভিনন্দন জানাই, আমাকে একা ফেলে রেখে চলে যাওয়ার জন্যে।কেমন আছো তুমি বাবা? নিশ্চয়ই ভালো থাকার কথা!ভালো থাকার উদ্দেশ্যেই তো নিজের মেয়েটাকেও একলা করে রেখে গেলে। তবে তুমি কী জানো? তোমার সেই ঢিঙি মেয়েটা আজ অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। সমাজে একলা চলতে শিখেছে, একলা বাঁচতে শিখেছে। তোমার মনে আছে বাবা? একবার তুমি আমার মাথার উপর হাত রেখে বলেছিলে, “জীবনে কখনোই সামনে এগিয়ে পিছু ফিরবি না।” বাবা তুমি শুধু একটাবার এসে দেখে যাও না, তোমার এই পিচ্চিটা তুমি বাদে আর কারো জন্যে পিছন ফিরে দেখে না!তুমি কী আসবে একটা বার বাবা? একটা মুহূর্তের জন্যে….? তুমি বড্ড স্বার্থপর মানুষ বাবা, বড্ড স্বার্থপর! আমাকে এমন এক গহীন অরণ্যে ফেলে দিলে একা!আমি ভয় পাই বাবা, অনেক সাহস দরকার এই ধরণীতে একা বাঁচতে হলে। এ ধরণী নাকি মানুষে পরিপূর্ণ, কিন্তু আমি এখানে মানুষ দেখিনা বাবা। মানুষ দেখি না, এখানে সব শুধুই….! তবে বাবা জানো? আমি তোমার সাহসী কন্যা! ভয় পেলে আমি তোমার বলা কথা মনে করি,”আমি সবসময় তোর পাশে আছি মা!” আমি রবীন্দ্রনাথ গুরুর কথা মনে করি,”যদি তোর ডাক শুনে না কেউ আসে,তবে একলা চলো রে!”
আমি সাহস আনি বাবা। তোমার সেই পিচ্ছি আজ অনেক বড় হয়েছে, সে বাস্তববাদী হয়েছে বাবা!
আচ্ছা বাবা, তোমার কী মনে আছে? এক পড়ন্ত বিকেলে আমি বারান্দায় মন খারাপ করে বসে ছিলাম।তোমার সেদিন খুব অসুখ ছিলো। অথচ তুমি সেই অসুস্থতার মাঝেও বিছানা থেকে উঠে আমার পাশে এসে বসেছিলে। তুমি বলেছিলে, “একটা মানুষ, একটা অস্তিত্ব, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ তাকে নিঃশেষ করতে পারে না যতক্ষণ না তার মনোবল কেউ ক্ষুণ্ন করে! হ্যাঁ বাবা, আমি এখন অল্পতেই ভেঙে পড়িনা। তোমার মেয়ে হারতে পারেনা বাবা! তোমার মেয়ে তোমার ব্যক্তিত্ব বহন করে! সে তোমার “জয়ীতা কন্যা” হয়ে পথ পাড়ি দিতে জানে! একলা গহীন পথ!
ভালো থেকো বাবা আমার। ওপারে ভালো থেকো তুমি। খুব শীঘ্রই তোমার এই পিচ্চিটা পূর্ণ এক জয়ীতা হতে যাচ্ছে!
আবারো তোমার আমার আলাপন এক বিস্তর বদ্ধ জায়গায় আবদ্ধ হতে যাচ্ছে।

ইতি,
“তোমার জয়ীতা”

প্রিয় বাবা-Writer: Saima Islam Tamanna

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং-১

প্রিয় বাবা,

কেমন আছো, বাবা? তুমি নিশ্চয়ই ভালোই আছে। ভালো থাকারই কথা, যেখানে আছে সেখানে তো ভালো থাকবেই।তোমার এই ছোট্ট মেয়েটাকে একা রেখে। তোমায় কেউ জ্বালাবে না, ছোটোখাটো বায়না ধরবে না। না এনে দিলে মুখ গোমড়া করে রাখবে না,তোমার মামণি। আজ সে বায়না ধরলেও তার বাবা নেই পূরণ করার জন্য ।তার বায়নাগুলো আজ বায়নাই হয়ে থাকবে।বাস্তব হয়ে ধরা দিবে না। তুমি জানো বাবা আমি আজ ভালো নেই। একদম ভালো নেই তোমায় ছাড়া। তোমার কন্ঠে সূরা ইয়াসিন যে বড্ড শুনতে ইচ্ছা করে। তুমি তো খুব সুন্দর করে তেলওয়াত করতে, মা আর আমি তোমার পাশে বসে তোমার মনোমুগ্ধকর কন্ঠে তেলওয়াত শুনতাম। জানো বাবা আজকাল সকাল বেলাটা কেমন যেনো ফিকে লাগে। কারণ কেউ আর ডেকে তুলে না ফজরের নামাজের জন্য। মায়ের সাথে কথা-কাটাকাটি হলে রাগ করে খাবো না বললে,আজ কেউ খাইয়ে দেয় না। আমি রাগ করে বসে থাকলে তুমি কতভাবে যে আমার রাগ ভাঙ্গাতে তার হিসেবে ছিল না। মাঝে মাঝে মনে হতো, তোমার কাছে বুঝি রাগ ভাঙ্গানোর মন্ত্র রয়েছে। যার মাধ্যমে হাতের তুড়ি বাজানোর মধ্যেই রাগ গলে গিয়ে আগুন থেকে ঠান্ডায় পরিণত হয়। তুমি কি জানো না তোমার সাথে কথা শেয়ার না করলে আমার রাতের ঘুম ভালো হয় না।পেটের ভিতর কথা জমে থাকে আমার। আর তুমি আমার এই কথা শুনে প্রতিবারের মতো মুচকি হেসে বলতে,কথা কিভাবে পেটের মধ্যে জমে থাকে।তখন আমি বলতাম এই যে,তোমায় যত কথা বলি সব তো আমার পেট থেকে বের হয়। আবার তুমি তোমার চিরচেনা সেই হাসি দিতে আর বলতে মামণি কথা তো মুখ দিয়ে বের হচ্ছে । এই নিয়ে তোমার সাথে অনেকক্ষণ কথা চলতো। আর বাবা মেয়ের কথা একবার চলা শুরু করলে তো ফুরাইতো না। মাঝে মাঝে তো অনেক রাত হয়ে যেত। আর মা তোমায় আর আমায় খুব বকতো। বাবা তোমার মনে পরে,একবার মামা বাড়ি যাওয়ার পর খুব কাঁদছিলাম। মায়ের কাছে শুনছি তুমিও নাকি কাঁদছিলে আমি তোমাদের একা রেখে গেছি বলে। তুমি আমায় সেদিন আটকানোর চেষ্টা করোনি আমার আবদার রক্ষা করার জন্য। সেই বারই শেষ ছিলো তোমায় আর মাকে ছাড়া একা রেখে কোথায় যাওয়া। এরপর আর একা কোথায় যাই নি। বাবা ও বাবা আজ যে বড্ড ডাকতে ইচ্ছে করছে তোমায় বাবা বলে। আমি আজ হাজার বার ডাকলেও কি তুমি শুনতে পাও?তোমার শাসনমাখা কথাগুলো শোনার জন্য কানগুলো ঝটপট করছে।তুমি নিশ্চয়ই কানগুলো ঝটপট করা কথা শুনে হাসাচ্ছো। আর বলছো মামণি ঝটপট না বলে বলো ব্যাকুল হচ্ছে। বাবা, তুমি তো জানেই আমি মাঝে মাঝে বোকা বোকা কথা বলি। তোমার মামণি তো এরকমই বোকা হয়ে থাকতে চায় তোমার কাছে,আজীবন।

ইতি
তোমার মামণি।

প্রিতুর ঠিকানার চিঠি–Sanjana Islam

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০

প্রিতুর ঠিকানার চিঠি–

তোকে কি বলে সম্বোধন করবো সঠিক জানা নেই আমার। তাই সম্বোধন করলাম না। কেমন আছি?? ভালো আছিস তো?? অবশ্য ভালো না থাকার কারন নেই। উল্টো আমার সাথে থাকলেই বোধয় ভালোর থেকে খারাপটাই বেশি থাকতি। আমাকে জিজ্ঞেস করবি না আমি কেমন আছি?? নাকি সেইটুকু আশা করাটাও আমারই ভুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ! যাই হোক আমি ভালো নেই রে। আমি একদমই ভালো নেই। তোকে ছাড়া কি করে ভালো থাকি বল?? সুখে নেই আমি। আমার সুখ যে তোর মধ্যে ছিলো। আর আমিও ভুলে গিয়েছিলাম অপেক্ষিক জিনিস গুলো যে চাইতে নেই। তাহলে বল আমি কি করে চাইতেই পেয়ে যাই?? তোর কি মনে আছে প্রিতু?? ছোটবেলা কিভাবে দৌড়ে এসে বলতি কোলে নাও না চাচ্চু। আর তোর এই চাচ্চু বলাতেই আটকে ছিলাম আমি। আবার আধ ভাঙ্গা কন্ঠে ব্যাথা পেলে কিভাবে আদর করতে বলতি। হয়ত মনে নেই কিন্তু বিশ্বাস কর আমি সব মনে রেখেছি। কিচ্ছুটিও ভুলিনি। তোর উপহার দেওয়া স্মৃতি গুলো নিয়েই তো বেঁচে আছি। সেগুলোকে বিহীন করে বাঁচি কি করে! আমি আমার প্রতিশ্রুতি রেখেছি কিন্তু প্রিতু। তোর জীবনের সব পরিস্থিতিতে তোর পাশে ছিলাম আমি। জানিস কি পরিমান কষ্ট হয়েছিলো তোকে তারিফের সাথে দেখে?? যখনই তুই প্রথম তাকে নিয়ে এসে পরিচয় করিয়ে দিলি বুকের ভিতর সব কিছু দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যাওয়া শর্তেও তাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম হাসি মুখে। শুধু মাত্র কিছু করার ছিলো না বলে। কিন্তু পরিস্থিতি গভীরে যেতেই নিজেকে সামলাতে পারিনি। তোকে পাওয়ার লোভটা জেকে বসেছিলো তাই সহ্য করতে না পেরে তোর বাবাকে সবই বলেছিলাম। আগে জানতাম কাদতে না পেরে হাসি মুখে থাকাটা কষ্টের কিন্তু সেদিন জানলাম কান্না করাটা কতটা কষ্টের। আমাদের ছেলেদের কাদতে নেই কিন্তু সেদিন অনেক কেদেছিলাম তোর বাবার সামনে। কিন্তু এতিম ছিলাম বলে কিছুই করেনি তিনি। হয়ত বাকি সব বাবারা যা করতেন তিনিও ঠিক তাই ই করেছিলেন। শুধু মাত্র তোকে সুখি দেখবে বলে। যদি সে চাইতো তাহলে আমিও সুখি হতে পারতাম। কিন্তু ওই যে আগেই বললাম আপেক্ষিক জিনিস চাইতে নেই তবুও চেয়েছিলাম। জানিস বড় আফসোস হয় যে, তোর মায়াবি চোখে চোখ রেখে বলে উঠা হলো না “ভালোবাসি তোকে,,, তুই শুধুই আমার প্রিতু।” হ্যা সত্তিই তুই আমার মনের গহীন বসবাস করা প্রিতু। তোর আজ বিয়ে হয়েছে তো কি হয়েছে। ভয় পাস না তোকেই ভালোবেসে যাবো আজীবন। তুই ই একমাত্র রয়ে যাবি বুকের বা পাশটায়। তুই আমার না ই বা হলি কিন্তু তোর নামে ফেলা প্রতিটা দীর্ঘশ্বাস গুলো কিন্তু একান্ত আমারই থাকবে। বলেছিলাম তোর বিয়েতে তোকে সবচেয়ে প্রিয় উপহারটা তোকে দেবো। তোর সেই প্রিয় পায়ের নুপুর আর সেই তোর সবচেয়ে পছন্দের জামার ফিতার হারিয়ে যাওয়া ঝুমকো টা তোকে ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম আমার চিঠির ভিতরে থাকা আবেগ গুলোর সাথে। জানি এই চিঠিটা পরে অত্যাধিক অবাক হবি হওয়ারই কথা। যাই হোক তোকে কখনো বিভ্রান্তে ফেলতে চাই না। তাই কখনোই তোর সম্মখিন হবো না। কতটা ভালোবাসি তোকে এই কথাটা না জানালে জীবনে একটা আক্ষেপ রয়েই যেত। কিন্তু এই শেষ ইচ্ছাটাকে আর অপূর্নতার রূপ দিতে চাইনি। ভালো থাকিস। অবশ্য তোকে ভালো থাকার কথাটা বলার প্রয়োজনটা দেখছি না। তারিফ ভালো ছেলে তোকে ভালো রাখবে হয়ত আমার থেকেও বেশি।

ইতি

তোর নামে একগুচ্ছো দীর্ঘশ্বাস ফেলার মালিক ভেবে নিতে পারিস।

গল্পপোকা চিঠি প্রতিযোগিতা ২০২০

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় সদস্যবৃন্দ

ওয়েবসাইটসংক্রান্ত সকল তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে সকল কাজ গুছিয়ে নিয়েছি। বলেছিলাম কাজ সম্পূর্ণ হলেই নতুন প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হবে। আমরা আমাদের কথা রেখেছি। আজ থেকে শুরু হলো গল্পপোকা চিঠি প্রতিযোগিতা। গ্রুপের সূচনাকাল থেকেই একইরকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছিলাম বারবার।তাই এবারের আয়োজনটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী । আশা করছি আপনারা সবাই অংশগ্রহণ করবেন।চিঠি লিখতে পারবেন যে কাউকে (আপনার প্রিয়জন,বাবা,বোন,মা, বন্ধু, কিংবা আকাশের ঠিকানায়)। তবে লেখাতে অবশ্যই গভীরতম অনুভূতির ছোঁয়া থাকতে হবে। যেন এক নিমিষেই কারো মন ভালো করে দিতে পারে আবার কারো মনে তুলতে পারে ভালোলাগা বিষণ্ণতার উত্তাল সমুদ্র। প্রতিটি শব্দে যেন অত্যন্ত ভালোলাগা ভালোবাসার ছোঁয়া থাকে।

চিঠি লেখার নিয়মাবলী :

★শব্দসংখ্যা অত্যাধিক হওয়া যাবে না। ১০০০ এর নিচে হতে হবে।এমন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না যার কোন অর্থ নেই।
অশ্লীল অর্থ প্রকাশ করে এমন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।একজন একাধিক চিঠি লিখতে পারেন তবে অবশ্যই ক্রমিক নাম্বার দিয়ে লিখতে হবে।

প্রতিযোগিতার ফলাফল দেওয়া হবে ১৫ ই আগস্ট রাত ৮ টায়।
সেরা ৩ জন চিঠি লেখককে দেওয়া হবে ৩ টি বই উপহার।আশা করছি বরাবরের মতোই আপনারা অংশগ্রহণ করবেন।১৫ তারিখে বেস্ট কন্ট্রিবিউটারদের মধ্য থেকে সেরা ১ জনকে দেওয়া হবে একটি বই। বেস্ট কন্ট্রিবিউটার হতে হলে অবশ্যই নিয়মিত, লাইক,কমেন্ট এবং গঠনমুলক মন্তব্য করতে হবে।

সংকলনের জন্য লেখা পাঠানোর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।যারা এখনো লেখা পাঠাননি তারা অতিদ্রুত পাঠিয়ে দিন।এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।

ধন্যবাদ

Protected: অন্তিম আহুত

0

This content is password protected. To view it please enter your password below: