Monday, July 14, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1907



ভালোবাসা যত্ন করে পোড়ায় ,লেখা:ফারজানা সুবা

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা:ভালোবাসা যত্ন করে পোড়ায়
লেখা:ফারজানা সুবা

এই যে তুমি পাশে-
খুব কাছাকাছি খুব কাছে!

জানো কি,হৃদপিন্ডটা প্রতি রাতে স্বপ্নে খুন হয়!
কতবার কাল্পনিক পোস্টমর্টেম হয়।
প্রতিবার একই রিপোর্ট-
ভালোবেসে পুড়ছে হৃদয়।

পুড়ে পুড়ে নাইন্টি ফাইভ পার্সেন্টে
এসে ঠেকেছে।
বাকি ফাইভ পার্সেন্ট এখনো কাতরাচ্ছে ভীষণ কাতরাচ্ছে,
ভালোবাসা পাবার আশায় ছটফট করছে।

মৃত হৃদয় নিঃশব্দে থেকে থেকে সে কি আর্তনাদের সুরে বলে উঠছে,
ভালোবাসা ভালোবেসে থেকে গেলেও পারতে!

হৃদয় পোড়া বিচ্ছিরি গন্ধ!
ন্যাপথালিন দিয়ে সরাতে যাই।
হঠাৎ আঁতকে উঠি!নিঃশ্বাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।

স্বপ্ন নয় বাস্তবে চেয়ে দেখি-
ভালোবাসা যত্ন করে পোড়ায়।
হৃদপিণ্ডটা পুড়ছে!ভালোবাসা ভালোবেসে ভীষণ যত্ন করে পোড়াচ্ছে,
এখনি ছাই হয়ে মিলে যাবে হাওয়ায়।

কথা মানে শান্তি কথাতেই অশান্তি ,কলমে- আভীদ

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা- কথা মানে শান্তি কথাতেই অশান্তি
কলমে- আভীদ খান

কথা দিয়ে কাছে টানে
চুপ কথায় হয় অনুভূতি
বেশি কথায় মিথ্যা হয়
অল্প কথায় যত শক্তি।

কথা দিয়ে বিচ্ছেদ হয়
কথাতে যতো ব্যথা আপত্তি
কথার মধ্যে একটা সন্দেহে
সম্পর্কের ঘটে নিষ্পত্তি।

কথার আছে অনেক বল
কথা দিয়ে হয় সঞ্চয় ও সম্বল,
কথা দিয়ে কেউ হৃদয় ছুঁই
কথাতেই প্রেয়সীর মন দূর্বল।

কথা দিয়ে যুদ্ধ থামানো যায়
কথা দিয়ে ঘটে কতো দ্বন্দ্ব,
কথার কাছে কথা আছে
কথা দিয়ে ছড়াই অকথার দুর্গন্ধ।

কথা দিয়ে কবিতা হয় ছন্দে
কথা হয় কথার কথা সুগন্ধে ও আনন্দে,
কথার জন্যই ভাষার প্রতিকূল সৃষ্টি
কথার জন্য গল্পে উপন্যাসে হয় বিরহ বৃষ্টি।

সত্য কথা, তেতু কথা কিংবা মিষ্টি কথা
কথা দিয়ে সম্বোধন হয়, হরেক ডাকের কথা
কথা নেই তো শহর জুড়ে নামে নিস্তব্ধতা
কথা হলে বেশি কথায় যতো মাথাব্যথা।

কথা দিয়ে করা যায় হৃদয় হরণ
আবার কথাতেই হয় বস্ত্রহরণ,
কথা দিয়ে প্রতিজ্ঞা হয় বাঁচবো আমরণ
কথা দিয়েই ভাঙ্গে বিশ্বাসের চরণ।

কথা দিয়েই প্রেমিকার ঠোঁটে ফোঁটাই হাসি
কথা ভুলের কারণে অনেকেই দেয় গলায় ফাঁসি।
কথা শব্দের জন্যই মুখ আর কানের সৃষ্টি
কথা দিয়েই খুঁজে প্রার্থনায় রহমতের বৃষ্টি।

কথা দিয়ে হয় বিয়ের মন্ত্র উচ্চারণ
কথা দিয়েই হয় মন্দির মসজিদের নিমন্ত্রণ।
কথা দিয়ে স্লোগানে হয় যতো স্বর
কথা দিয়েই খোজা ভগবান আল্লাহ আর ঈশ্বর।

কথা দিয়ে আসল কাজ কথা দিয়েই শেষ
কথা দিয়ে শুরু করে কথা দিয়েই যতো রেশ,
কথা আসল কথা নকল কথাতেই যতো সন্ধি
কথা দিয়ে তৈরি হয় দাঙ্গা হাঙ্গামা কথাতেই হয় বন্দী।

প্রিয় রুদ্রাক্ষী – কলমে: জান্নাত

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা: প্রিয় রুদ্রাক্ষী
কলমে: জান্নাত

প্রিয় রুদ্রাক্ষী,
কেমন আছো?
তোমার প্রিয় দোলনচাঁপা ভালো আছে তো?
আচ্ছা নিমাই ভট্টাচার্য এর লেখা
তোমার পছন্দের বই মেমসাহেব
তুমি নিয়ম করে পড়োতো?

রুদ্রাক্ষী,
আমি রোজ অনিয়মেই স্মৃতিতে হারিয়ে যাই!
তুমি কি বলতে পারো
স্মৃতিরা কেন এমন হানা দেয় আমার বুকে?

আমার বেখেয়ালি মন কেবলই বলে
আবার নতুন করে শুরু হোক!
বুকের বা পাশের বারান্দায় তোমায় যত্ন করে লুকিয়ে রাখি!
সেবারের মত যেন তৃতীয় পক্ষ আমার রুদ্রাক্ষীর মনটা ছুঁতে না পারে!
রুদ্রাক্ষী যেন হারিয়ে না যায় অচেনা মায়ায়!

আমাদের প্রেমটা হয়েছিল বিশ্বাসে
দু’জন দু শহরের,
তবু দু’জনে মিলে গড়েছিলাম
ভালোবাসার শহর!
সেই শহর ছিল স্বপ্নে আঁকা,
ভালোবাসার কথোপকথনে ভীড় জমতো এক ঝাঁক অতিথি পাখির।

হঠাৎই একদিন আকাশ কালো করে মেঘের গর্জন!
আমি সেই মেঘকেও বুকে জড়িয়ে নিয়েছিলাম অতি সংগোপনে!
কিন্তু ধীরে ধীরে তোমার অভিযোগ আর আমার অভিমানে
ভালোবাসার শহরে ধুলো পড়তে শুরু করে!
আমি প্রতিনিয়ত গোছানোর চেষ্টা করেছি,
চেয়েছি শহরটা থাকুক স্বচ্ছ।

কিন্তু তুমি!
রুদ্রাক্ষী তুমি ঠিক কি চেয়েছিলে?
এই প্রশ্নটা রোজ আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে!
আমার উপর আনা অভিযোগ
তুমি আমাকেই জানালেনা!
ডাকলে তুমি বিচারক!
আমরা কিন্তু পারতাম
ছোট ছোট অভিমানগুলো ভেঙে
ভালোবাসার ঘরটা মজবুত করে নিতে!
পারতাম কষ্টগুলো ভাগ করে নিতে!

তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি না শুনলে
আমি ঘুমোতে পারতাম না
অথচ সব কথা বলতে হবে তৃতীয় ব্যক্তির সামনে!
এমন বিচারকের মায়ায় কিভাবে জড়ালে?
কিভাবে ভুলে গেলে আমার ভালোবাসাকে?

সবটা মেনে নিয়েও আমি ভালোবেসে গেছি তোমাকে!

আর তুমি কোনো কারন ছাড়াই বিচ্ছেদ চাইলে!
কেমন পাষাণীর মত যোগাযোগের সব পথ বন্ধ করে দিলে!
বিনা বার্তায় হারিয়ে গেলে!

অথচ তোমার শেষ কথাটি ছিল ভালোবাসি!
এই একটা শব্দের মায়ায় আমি বেঁচে আছি।
বেঁচে আছি বহুকাল ধরে!

আজ বুড়ো বয়সে এসেও মনে পড়ে
আমার রুদ্রাক্ষীর সেই সাজ!
তুমি কি এখনো লাল টিপ পড়ো?
লাল সাদা শাড়িতে জড়াও নিজেকে?
চোখে কাজল পড়ে কার দিকে তাকাও?

শেষ যেদিন তোমার সাথে কথা হয়েছিল
আমার বুকের মধ্যে ঝড় উঠছিল!
আমি আজও বিশ্বাস করিনা
তুমি আমায় ছাড়া থাকতে পারো!
আচ্ছা সম্পর্কে ইতি টানার পর,
তোমার কখনো মনে হয়নি একবার ফিরে দেখা উচিত?

অন্তত একটা বার যদি ফিরতে তাহলে দেখতে পেতে
তোমার রুপম তোমার অপেক্ষায়।
এই যে দেখো, চুল-দাড়ি পেকেছে,
অথচ কেউ নেই!
পৃথিবী থেকে বিদায় নেবার বেলায় হাতটি ধরে বলে যাবো, অনেক জ্বালাতন করেছি আমায় ক্ষমা করে দিও!

এতগুলো বছর ধরে আমি শুধু স্মৃতি লালন করেছি,
যেখানে খুঁজে পেয়েছি রুদ্রাক্ষীর কাজল কালো চোখ, লাল টিপ, সাদা শাড়ি!
কত চিঠি ভাঁজে ভাঁজে রেখেছি তোমার নামে!
শুধু ভালোবাসার শহরটাকে আর গোছানো হয়নি!
কতবার গিয়েছি সেই শহরে,
ধুলো জমে আছে শহরের আনাচে কানাচে!
ভালোবাসা এত কাঁদায় কেন রুদ্রাক্ষী?
তোমার অপেক্ষা করতে করতে আমার মধ্য রাতগুলো নির্ঘুম কেটেছে!
বিশ্বাস করো, আমার প্রতিনিয়ত মনে হতো তুমি ফিরবে মধ্য রাতে!
ফিরে এসে আমার চোখের জল মুছতে মুছতে বলবে
“রুপম তোমাকে ভালোবাসি”।
কিন্তু তুমি আর ফিরলেনা।

বাবা মরে যাওয়ার পূর্বে বলেছিলেন,
রুপম তোর ভালোবাসা সার্থক হোক!
মা বলেছিলো,
রুদ্রাক্ষীরা কোনেদিন ফিরেনা বাবা!

আমিও আর বেশিদিন নেই পৃথিবীতে
শেষ বেলায় সূর্য যখন পশ্চিমে
দিনের মায়া কাটিয়ে হারাচ্ছে বহুদূরে
তখনও আমার রুদ্রাক্ষীর কথা মনে পড়ছে!
মনে পড়ছে রুদ্রাক্ষীর সেই ভালোবাসি শব্দটাকে!

আকাশে যখন নীলেরা ভেসে বেড়ায়
আমার মনে হতো আমার রুদ্রাক্ষীর কষ্ট হচ্ছে!
কারন রুদ্রাক্ষীর কষ্টের রং ছিলো নীল!

দু’জন দু’প্রান্তে
আমার মত তুমিও কষ্ট পাচ্ছো কি বহুকাল?
হয়তো না!
এই জীবনের মায়ায় ঘেরা প্রেম
তোমাকে কিসের কষ্ট দিবে!
তুমি তো মায়া কাটাতে জানো!

অবশেষে, ভালো থাকুক এই শহরের রুদ্রাক্ষীরা!

বয়সের ভাড়ে আমি আজ ক্লান্ত ভীষণ
কিন্তু ক্লান্ত হইনি কভু রুদ্রাক্ষীর অপেক্ষায়।
ক্লান্ত দেহে মনটা বড্ড অসহায়!
যদি দেখা মিলতো প্রিয়তমার,
এই ভাবনায় হয়তো মৃত্যুর সাথে সাক্ষাৎ হবে আমার!
ভালো থেকো রুদ্রাক্ষী,
ভালো থেকো!

মুক্তিযুদ্ধের কথা – জান্নাত

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা: মুক্তিযুদ্ধের কথা
জান্নাত

মুক্তির নেশা জাগলো যেই
বাঙালি জাতির মনে,
যুদ্ধ নামক শব্দটি ছড়ালো
বাঙালির জীবনে।

মুক্তির সংগ্রাম বাঙালির
গর্বিত অধ্যায়,
স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চায় বাঙালি
যুদ্ধ করতে নেইতো তাদের ভয়!

বাংলার মানুষ বার বার নিষ্পেষিত
শোষণের যাঁতাকলে,
ভুলে যাবে সব শাসন-শোষণ
স্বাধীনতা ফিরে পেলে!

পরাধীনতার মাঝে বেঁচে থেকে
বাঙালি হয়েছিলো অবরুদ্ধ,
অবশেষে স্বাধীনচেতা হয়ে
স্বাধীনতার নেশায় গড়ে মুক্তিযুদ্ধ!

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে
লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে
তাঁরা পায় স্বাধীনতা!
ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে আছে
সেদিনের সেই মুক্তিযুদ্ধের কথা!

নীরব রাত লেখা: মাহমুদা মিনি

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা: নীরব রাত
লেখা: মাহমুদা মিনি
.
হিমশয্যায় শুয়ে ডুবেছি নীরবতায়,
সামনেই প্রসারিত শ্মশান।
কম্পিত প্রদীপের আলোয় লক্ষ্যহারা দৃষ্টি।
নীরব আঁধারে জীবন কাঁদে ধুলায় লুটিয়ে,
মন্থর মেঘ জমে বিস্তৃত আকাশে।
এমন নীরব রাতেও আমি একা,
পথভ্রষ্ট যাত্রীর মতো ছুটছি জীবন দুয়ারে,
শুভ্র প্রাচীর পথরোধে মত্ত অবিরত।
মনে হয় ঐ তো ক্লান্ত দুচোখে নেমে এলো আকাশটা…
জোনাকির ডানায় ভর করে ছুটতে থাকে মন,
স্থবির দেহটাই শুধু পড়ে থাকে হিমশয্যায়।
গণনাহীন গ্লানি এসে ভর করে মনে,
পদচিহ্নহীন পথ টানতে থাকে খুব…
নিত্যপ্রেমের ইচ্ছেগুলো পুড়তে থাকে চিতায়,
ঐ তো, পাশেই দুটি শুকনো পদ্মপাতা,
ঠিক তোমার-আমার মতো।
প্রাণ নেই অথচ অস্তিত্বের জানান দেয়।
মেঘের রাজ্যে অস্পষ্ট দেখি স্বর্গের দুয়ার,
রক্তাক্ত দেহটা নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স ছুটে চলে নীরব রাতের বুকচিরে।
লালবাতির সাথে কাঁপতে থাকে নিভু-নিভু প্রাণ,
হঠাৎ আর্তনাদ জাগে, ওরে থাম- থাম!
আমাকে আর একটাবার ডানা ঝাপটাতে দে…

প্রত্যাখ্যান ,লেখা:শাকিলা নূর স্মৃতি

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগীতা

#কবিতা(স্বরচিত):প্রত্যাখ্যান
#লেখা:শাকিলা নূর স্মৃতি

যেদিন হারাবো আমি
দুচোখে আসবে আধাঁর নামি,
অস্পষ্ট সব কথা,নির্জন সাঁঝে
লেখা রবে সব ডায়েরির ভাঁজে
সেদিন আমায় ভেবে অশ্রু ভেজা চোখ মুছবে
জানি সে অবেলায় খুব করে খুজঁবে।

উত্তাল সাগর ধারে হাটবে তুমি
সন্ধ্যে নামবে আকাশ চুমি,
প্রবাল ঢেউ নিয়ে আসবে তুফান
স্রোতধারাও তোমায় বলবে বেঈমান,
সেদিন আমায় ভেবে অশ্রু ভেজা চোখ মুছবে
জানি সে অবেলায় খুব করে খুজঁবে।

ফুলেরা যখন পাপড়ি ঝড়াবে
তুমি নতুন স্বপ্ন কুড়াবে,
গন্ধ ছড়াবে বেলি আর কণক
ছুবেনা তুমি বড্ড প্রতারক।
সেদিন আমায় ভেবে অশ্রু ভেজা চোখ মুছবে
জানি সে অবেলায় খুব করে খুঁজবে।

আধার কাটিয়ে ঘনালে রাত
জোৎস্না ছড়াবে একফালি চাঁদ,
তোমায় দেখে জাগবে ক্রোধ
জোৎস্নাও বলবে তুমি নির্বোধ।
সেদিন আমায় ভেবে অশ্রু ভেজা চোখ মুছবে
জানি সে অবেলায় খুব করে খুজঁবে।

কাশফুলেরা দুলছে আনন্দে
দক্ষিণ হাওয়া বইছে নদে,
ভাসবেনা তোমার স্বপ্ন ভেলা
তখন যমুনাও তোমায় করবে হেলা।
সেদিন আমায় ভেবে অশ্রু ভেজা চোখ মুছবে
জানি সে অবেলায় খুব করে খুঁজবে।

চেনা সেই প্রিয় গানে
আসবে তুমি আমার টানে,
দেখতে চাইবে দুচোখ ভরে
সে গান ও তোমায় দেবে ফিরে।
সেদিন আমায় ভেবে অশ্রু ভেজা চোখ মুছবে
জানি সে অবেলায় খুব করে খুঁজবে।

শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে
বসন্তে ঐ নীলসে মাসে,
চিত্রপটে যতই আঁকো
আমায় তুমি পাবে নাকো।
সেদিন আমায় ভেবে অশ্রু ভেজা চোখ মুছবে
জানি সে অবেলায় খুব করে খুঁজবে।

কলরব -লেখিকা- মারুফা শারমিন

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতা- কলরব
লেখিকা- মারুফা শারমিন

বিষজর্জর প্রাণোচ্ছল এ ধরিত্রীতে,
যতটা না বিষাক্ত আমাদের বাহ্যিক অবয়ব,
তার চাইতেও অধিক বিষে জর্জরিত,
আমাদের স্পষ্টবাদী বিবেকের নৈতিক কলরব।

অভিমান, অভিযোগ, ক্ষোভ আছে যত,
তার চাইতেও ঢের বেশি, ন্যায়নিষ্ঠতার বিক্ষোভ,
নিষ্ফল আক্রোশে উড়া প্রজাপতির মত,
মিথ্যে প্রশংসাপত্রের স্তুপে নিমিলীত বিত্ত বিভব।

প্রকম্পনে প্রকম্পিত ধরা, নিত্যই গাচ্ছে-
হেরে যাক, হারিয়ে দাও, হেরে যাও ক্ষণে ক্ষণে,
অধিকন্তু মাঝে মধ্যে ভেসে আসে ক্ষীন সুর,
সংজ্ঞাহীন, নিষ্পিষ্ট নাস্তানাবুদ নাস্তিকের স্লোগানে।

নির্মম রসিকতা করে, মনুষ্যত্বের ছত্রে ছত্রে,
ব্ল্যাকহোলে নিখোঁজ, একটু আধটু পরমতসহিষ্ণুতা,
আমার ‘আমি’কে’ আমাতে সূর্যাস্তের গাত্রে নিভাতে,
নীতিবোধের কাছে চলে, নিত্য প্রতিযোগিতা।

ভালবাসা- কবিতা রচনাকারীঃ ওয়ালেদ মাহমুদ

0

#কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতার নামঃ ভালবাসা

কবিতা রচনাকারীঃ ওয়ালেদ মাহমুদ

কখনো আমার হৃদয় হাসেনি
কখনো জ্যোসনা বিলাস মাখেনি
যতদিন না কড়া নেড়ে তুমি
জানিয়ে দিলে অনুভবে আমি।

অনন্ত ভালবাসা তোমারই জন্য
গ্রহণে তৃপ্ত করো, হবো আমি ধন্য।
প্রতিটি নিঃশ্বাসে, বিশ্বাসী হবো আমি
সুখসারি লেখা হবে অনাবিল, পাশে তুমি।

বসন্ত বাতাসের মাতাল হাওয়া
শরতের নীলে মিশে তোমায় পাওয়া
নিশ্চিত খুঁজেছি সারসের গানে
চারিদিকে তুমি তাই ভালবাসা প্রাণে।

চলো ছুটি মন খুলে প্রাণ ভোরে হাসি
আমাদের আগামী আমরাই আঁকি।
রংধনু সাতরঙে আস্তার জাল বুনি
আমিতেই আমরা বিশ্বাসী সুখধ্বনি।

অভিনয়ে স্বপ্নগাঁথা লেখনীতেঃ মাসুদ রানা তাসিন

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতার নামঃ অভিনয়ে স্বপ্নগাঁথা
লেখনীতেঃ মাসুদ রানা তাসিন

আঁধার আলোর পাতানো ফাঁদে
মৃত্যুর প্রহরে অবসন্ন মনে।
মেঘের আড়ালে আকাশের চাঁদে
বিষাদ বর্জনের আশ সুধীজনে।

নির্যাতিত অদম্য সুখের ভিড়ে,
অন্তরের পান্ডুলিপি ভাসে আঁখিজলে।
নিত্যদিনের বাসনা লুটোপুটি তীরে
অন্তরের বিষাদ যাচ্ছি ভুলে।

স্মৃতিতে প্রবিষ্ট বেদনায় সারাক্ষণ,
অসহায় নামকীর্তন হৃদয়ে অচেতন।
প্রীতির তারকায় বিচ্ছিন্ন মনক্ষণ,
সমাজের জঞ্জাল নীতিতে সচেতন।

বুকের পাঁজরের জমানো দুঃখস্মৃতি,
কৌশলে, থাবায়, বিদ্বেষী, নড়েবড়ে।
প্রাসাদের ভেতর বর্ষিত সুখস্মৃতি,
হারানো পরগাছাকে ধরেছে আকড়ে।

ত্রিসন্ধ্যায় অভিনয় মঞ্চটা নামী,
লভ্যাংশের সোনালী সকালে মঞ্চগাঁথা।
আনাগোনা যাতায়াতে মুনাফাটা দামী,
দৃষ্টির আড়ালে অভিনয়টা স্বপ্নগাঁথা।

অস্তিত্ব বিলীন সারা হৃদয়জুড়ে,
খুঁজে ফিরি সকাল সাঝেঁ।
ক্ষত বিক্ষত অস্তিত্ব পুড়ে,
তুষানল জ্বলে হৃদয় মাঝে।

প্রণয় উথলে উঠেছে আবার,
দিগভ্রান্ত হয়ে পরিযায়ী পাখি।
অবহেলা হৃদয় করেছে সাবাড়,
অশ্রু ঝরায় দুটি আঁখি।

অযোগ‍্যের আবেদন কলমে : সুরাইয়া নিপা

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা (স্বরচিত) : অযোগ‍্যের আবেদন
কলমে : সুরাইয়া নিপা

এ যেন এক বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্ন!
সুখগুলো সব হারিয়ে গেছে,
হাসিগুলো সব ম্লান হয়েছে,
চার দেওয়ালে বন্দী হয়ে মৃত‍্যুর মিছিল দেখা
আপন মৃত‍্যুক্ষণ গোনা,আনমনে কবরের ছবি আঁকা।
বাঁচার করুণ আকুতির ভিড়ে রঙিন পৃথিবী আজ বিবর্ণ।।

কতদিন দেখিনা খোলা আকাশ, ছুটিনা পথে-প্রান্তরে,
দেখিনা পরিচিত মুখগুলো,
গুনিনা নদীর ঢেউগুলো,
শোনা হয়না বৈঠা হাতে উদাস মাঝির গান
আর সাঁঝের বেলা কিচিরমিচির পাখির কলতান
প্রাণের শহর স্তব্ধ আজ, কাটছে দিন অনিশ্চয়তার অন্ধকারে।।

আর কতদিন! আরও কতদিন থাকতে হবে অলসতার অবসরে?
দেহঘড়িতে জং পড়ছে
মনে হতাশার পাহাড় জমছে,
বন্দীদশায় অর্ধমৃত জীবন্ত লাশ
যেন বদ্ধ দ্বারে উন্মাদ হয়ে ছেড়ে যায় নিঃশ্বাস!
স্বাধীন হয়েও অসহায়তায় পরাধীনতার শিকল পরে।।

হে বিধাতা, ভাঙিয়ে দাও ঘুম, এ দুঃস্বপ্নও মুছে যাক
জেগে যেন দেখি সব ভ্রান্তি
প্রাণ ফিরে পাক হারানো প্রশান্তি
রৌদ্র খেলে যাক সোনালী ধানের ক্ষেতে
স্কুল, মাঠ ভরে যাক কচিকাঁচার কলকাকলীতে
প্রাণ ভরে নিই বিশুদ্ধ অক্সিজেন, শুনি নীল আকাশের ডাক।।

আচ্ছা, বিধাতা যদি প্রশ্ন করেন দুঃসময়ে কী শিখেছি
বুকে হাত রেখে বলতে কি পারবো,
” শিখেছি মানবতা, ভুলেছি গর্ব।
শুনেছি বোবা প্রাণীদের কান্না,
বুঝেছি প্রিয়হারাদের যন্ত্রণা।
অর্থলিপ্সা ও অহংকার ভুলে ভালোবাসার শপথ নিয়েছি। “?

নাহ্, পারব না, কারণ আমরা মানুষ
দুঃসময় কেটে গেলে
সব প্রতিজ্ঞা শপথ ভুলে
নেমে পড়বো প্রতিযোগিতায়
ডুবে যাব বিদ্বেষ আর দাম্ভিকতায়
ভালোবাসা ভুলে দেখাব ভীতি, ছড়াব আক্রোশ।।

আবার হবে যুদ্ধ, পড়বে বোমা, মরবে মানুষ নির্বিচারে
হবে ধর্ষণ আর রাহাজানি
ধর্মের নামে খুনাখুনি,
অর্থ বিত্তের হাতবদল
ক্ষমতাশালীর জবরদখল
দুর্বল হবে অসহায় আর মরবে কেবল অনাহারে।।

তবে কি এ- ই ভালো? আমরা এরই যোগ‍্য?
খোদার আঘাতে কোণঠাসা…
দুর্ভিক্ষ, মহামারী, প্রলয় সর্বনাশা
কেবল থামাতে পারে আমাদের পদস্খলন?
এখনই সময় শুধরে যাবার, বিধাতার কাছে করি আবেদন,
” হে দয়াময়, ক্ষমা করো, পৃথিবীকে দাও আরোগ্য।”।।