Monday, July 14, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1906



নারী তুই অদ্ভুত সুন্দর – কলমে- আভীদ খান

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা- নারী তুই অদ্ভুত সুন্দর
কলমে- আভীদ খান

তুই কী জানিস?

তোর এই অবুঝ হাসিতে কী অদ্ভুত মায়া রয়েছে?
তোর হাসির জন্য আমার কলম থেমে যায়
যদি লিখুনীতে হাসির বর্ননা কমতি হয়।

আচ্ছা তোর হাসিটা এতো সুন্দর কেন?
ওহ আচ্ছা তোর হাসি আমি বড্ড ভালোবাসি
ভালোবাসি তোর ওই কাজলা নয়নের,
আমি গল্প লিখতে তোর চোখের তরে একশো অক্ষর শব্দ আমি গুলিয়ে ফেলি তুই কী জানিস?

আচ্ছা তোর ওই চুল এমন কেন?
বারবার ছুঁতে মন চাই কেন? কী অদ্ভুত খোলা চুল
আমি কবিতার ঝুলিতে হাজারো ফুলের চাষ করি
কিন্তু জানিস তুই কোন ফুলটি তোর মানাবে
কোন ফুলে চুলের বাহার এনে দিবে তা ভাবতে ভাবতে আমি কবিতাকে গল্প করে ফেলি।

তোর নাকের নাকফুল ওফ অসম্ভব মানিয়েছে তুই কী জানিস?
এই নাকফুলের আমি একটা নাম দিয়েছি নোলক-কথা,
জানি নামটি মোটেও সুন্দর না যতটা তোর নাকের
প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় আমার কলম আমার ডায়েরি।

আমি না কী লিখতে কী লিখি কী সাজাতে গিয়ে
কী সাজিয়ে ফেলি বড্ড পাগল হয়ে যায়।
কোনটা রেখে কোনটা আমি সাজাবো কোনটা আগে রচিবো,
আসলেই আমি অক্ষম তোর প্রতিটি অপরূপ সৌন্দর্য্যের কাছে আমি হার মেনে নিলাম।

নারী সত্যিই তুই মহান পুরুষ তোর তরে আজ কুর্ণিশ জানায়!
নারী তুই সুন্দর বলে আজ পৃথিবী এতো রঙ্গিন লাগে,
আমি আমার সকল গল্প কবিতা উপন্যাস ছন্দ
তোর তরে নিলাম করে দিলাম উৎসর্গ করলাম আজ
তোর প্রতিটি সুন্দরের কাছে মুগ্ধ হয়ে বিলিয়ে দিলাম
আমার হৃদয়ের সব অব্যক্ত বাক্যগুলো ভাষাগুলো,
তুই গ্রহণ করিস আমার এই ছোট্ট উপহার।

আবার যুদ্ধ হবে লেখকঃ তোফায়েল আহমেদ

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতাঃ আবার যুদ্ধ হবে
লেখকঃ তোফায়েল আহমেদ

সৈনিকেরা অস্ত্র হাতে
তৈরী থেকো আঁধার রাতে
আসতে পারে শত্রুপালা
নির্ভয়ে তুই আগুন জ্বালা ।
তোর আলোতে বাতিল সবে
মাঠ পালিয়ে শূন্য রবে
ভয় কাটিয়ে সাহস নিয়ে
কর অবরোধ যুদ্ধে গিয়ে।
অত্যাচারীর ঘাড় বেকিয়ে
বীরবাহু তুই চল এগিয়ে
মাজলুমাতের ভাঙ্গ রে তালা
আন ছিনায়ে জয়ের মালা ।
তাগুদের সেই অস্ত্রাঘাতে
ভয় পাবি না বজ্রপাতে
বীর সেনানি উমর বেশে
নিশান উড়াও যুদ্ধ শেষে ।
খালিদ হয়ে অস্ত্র চালা
ইসলামি পথ করতে খোলা।
মুসলমানি বাদ দিতে সব
মুশরিকেরা বাজাচ্ছে দফ
ঈমান বাঁচাতে রঙ্গিন ভবে
সত্যিই আবার যুদ্ধ হবে ।

বৃদ্ধাশ্রমী মায়ের মন কথন -কবি: সুমাইয়া আফরীন

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতা: বৃদ্ধাশ্রমী মায়ের মন কথন
কবি: সুমাইয়া আফরীন

ছোট্ট থেকে করেছি লালন অতি আদর-স্নেহ দিয়ে,
আজ আপনজন ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমে থাকছি আমি অন্য বৃদ্ধাদের নিয়ে ।
ভেবেছিলাম শেষ বয়সে বটবৃক্ষের ন্যায় মাথার উপর থাকবি হয়ে ছায়া,
আজ বুকের ভিতর পুষে রাখি স্বপ্নে ঘেরা অযথা সেই মায়া ।
শত কষ্ট সহ্য করেও তোকে রেখেছিলাম আমি সুখে,
ক্ষুধা লাগা মাত্র-ই কত আহার দিয়েছি মুখে ।
তোর আবদারগুলো পূরণ করব বলে-
আনন্দ উৎসবে পুরানো জামাও নতুন বলে চালিয়েছি কত হাসির ছলে ।
বিপদ-আপদে তোকে আগলে রাখতে গিয়েই পড়েছিলাম নিজে ঝাঁপিয়ে,
সব কিছু ভুলে বৃদ্ধা হতে না হতে-ই সেই বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালি যে, গিয়েছি তো আমি হাঁপিয়ে ।
দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেও করেছিলাম তোকে মস্ত এক অফিসার,
সেই বে-খেয়ালে থেকেই তুই করলি কত অবিচার ।
অথচ তোর বাবা যখন করত কাজ মাঠে কিংবা ময়দানে,
ভাবতাম তখন দুজন মিলে থাকবি পাশে নিদানে ।
বউমা আসার পর থেকে তোর কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করে তার যে সবই জানি,
দোষ তোকে দেই না আমি কারণ নিজের কপালে ছিল বলে-ই মানি ।
বয়সের ভারে এখন পারি না নিজে চলতে,
অসুস্থ হলেও মুখফুটে পারি না আজ বলতে ।
তোর ফ্ল্যাটের এক কোণেতে থাকতাম না হয় পরে,
আড্ডা-মশগুলে থাকতি যখন যেতাম না হয় সরে ।
দামী দামী আসবাবপত্রে তোর ফ্ল্যাটটা ভরলি,
আমার জায়গা স্বজনহারা বৃদ্ধাশ্রমে কেমন করে করলি?
আমি হয়তো সঠিক শিক্ষা তোকে দিতে পারি নাই,
নিদানকালে বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই কি হলো তাই?
ভয় হয় তোকে নিয়ে তোরও তো আছে সন্তান-
সে কিনা কোন একদিন তোকে-ই বলে যম,
সেদিন তোর বাসস্থান করে দেয় কিনা কোন এক বৃদ্ধাশ্রম ।
তাই প্রভুর নিকট দু-হাত তুলে দোয়া করি হোক তোর আরও বিত্ত-সম্ভ্রম,
আর শেষ আশ্রয়টা হয় না যেন কখনো-ই বৃদ্ধাশ্রম ।

স্বপ্ন – লেখনীতেঃ আয়েশা সিদ্দীকা

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
লেখাঃ স্বপ্ন
লেখনীতেঃ আয়েশা সিদ্দীকা

স্বপ্নের সাথে আড়ি
তবুও চলছে লুকোচুরি।।

বনেদি ইচ্ছেরা অপূর্ণতার মলিনতায় পরিপূর্ণ
সহজিয়া বার্তা হেয়ালির ছলে কলঙ্ক মাখাচ্ছে,
কিছু অজানা সরলীকরণে রহস্যের গন্ধ
অসমাপ্ত স্বপ্ন গুলো মনের গভীরে শিহরণ জাগাচ্ছে।।

নিদ্রাচ্ছন্ন ক্ষত গুলো জেগে উঠছে আবার
সারা গায়ে স্বপ্নকাঁটা হয়ে ফুটছে,
তোড়জোড় চলছে সদা সন্ত্রস্ত ভীত রাখার।।

ধোঁয়াটে আকাশে জ্বলজ্বল করছে অসহায়ত্ব
চেহারায় হাজারো বিষন্নতার ছাপ,
প্রতিযোগিতা চলছে বেদনা লুকানোর।।

স্বপ্ন পূরণের ব্যর্থ প্রয়াসও চুর্ণ বিচূর্ণ হয়ে আছে
স্বপ্ন গুলো মেতে উঠেছে বিধ্বংসী খেলায়,
অবিরাম কড়া নেড়ে যাচ্ছে মনের দরজায় ,
বৈষম্যের তাপদহন পূর্ণ প্রাপ্তির আনন্দ লাভ করছে।।

স্বপ্ন তো কেবল অবচেতন মনের কল্পনা
পরা বাস্তব জীবনেই স্বপ্নের অস্তিত্ব বিরাজমান,
তবুও স্বপ্ন আঁকি প্রাণান্তকর লড়াইয়ের।।

নীড় হারা পাখির মতো আজও ছুটে চলেছি স্বপ্ন জয়ের আশায়,
প্রতীক্ষা কোনো এক রঙিন স্বপ্নময় সকালের।।

অর্ধাঙ্গিনী – লেখাঃShuvro Akash

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতাঃঅর্ধাঙ্গিনী
লেখাঃShuvro Akash

নেহাত তোমাকে ভালোবেসেছি নাহলে
কবেই মরে যেতে,
স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছি তোমাকে
অর্ধাঙ্গিনী যবে থেকে।

মনে আছে কি রাস্তার ধারে পড়েছিলে তুমি একা,
পড়ে পড়ে তুমি কাতরাচ্ছিলে আমার পেয়ে দেখা।

পরিচয় তব জানতে চেয়েছি,
কে হে তুমি, থাকো কোথা?
উত্তরে তুমি বলছিলে, আমি অভাগি অনাথা।

গৃহকাতর, মুমূর্ষ একেলা মায়ের কথাটি ভেবে
আমি বলেছিলাম, কি করবে তবে এখানে থেকে, যাবে কি আমার সাথে?

চরণতলে পড়ে তুমি বলেছিলে নির্দিদ্ধায়
আমি যেতে চাই, চলুন তবে ভোগ করবেন আমায়।

বলেছিলাম আমি মুচকি হেসে
তোমার দিকে চেয়ে,

অবহেলায় বড় হয়েছ হারিয়েছ নিজ ভাষা
অভাগা বলে কি তোমায় কখনো যাবেনা ভালোবাসা।

চোখ ছলছল, করুণ দৃষ্টি, মায়াময় চাহনি
হাতটি ধরে বলছিলাম, তবে চলো যাই এখনি।

বাড়িতে পৌছে মাকে তুমি প্রণাম করলে যখন,
মা খুশি হয়ে বলেছিল তোমায়, বেঁচে থাকো বাছাধন।

রুপবতী নয় গুনবতী বটে লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে
আপত্তি না থাকলে আমার ছেলেকে করবে বিয়ে?

মাও মরলো, কথাও ফুরলো কোনো এক সকালে
বিয়েটাও হলো বটে অগ্নীসাক্ষী রেখে।

এমনি করে গল্প ফুরলো মুড়লো নটেগাছ
বহুবছর পর সেসব কথা মনে পড়লো আজ।

দীর্ঘশ্বাস ঐশ্বর্য ঐশী

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
#দীর্ঘশ্বাস
ঐশ্বর্য ঐশী

বৃষ্টির রিম ঝিম শব্দে
অস্থির করে তোলে আমায়
বিষণ্ণতা ভর করে মনে
আকুলতা এসে ছায়।

তোমার পছন্দের ফুলের রাজ্য
গড়েছি আমার আঙিনায়,
ফুলগুলো যেন নেতিয়েছিল
তাজা হলো আবার তারা
যেন বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায়।

মনে মনে তোমার ভাবনায়
বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায় ফোঁটায়
বয়ে চলে মনে শিহরণের অন্তরায়,
শুধু যে তোমার ভাবনায়
তবে সর্বশেষ মেলে শুধুই-
দীর্ঘশ্বাসের তুমিটাই।।

যৌতুক এবং রীতি – লেখায়: তরু চৌধুরী

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা: যৌতুক এবং রীতি
লেখায়: তরু চৌধুরী
.
শ্বশুরঘরের নির্যাতনে প্রাণ যে আমার যায়,
আমার ব্যথা বুঝার মতো কেউ বুঝি আর নাই!
মা মরেছে সেই শৈশবে, নতুন মা ঘরে,
শৈশব আমার কাটলো তাই কষ্ট- অনাহারে।
বাপও গেল মায়ের টানে, ঘুমোলো মাটির তলে,
জীবন আমার হাসি কাড়লো, দুচোখ ভরলো জলে।

সৎ মায়ের অনাদরে শ্বশুরঘরে মিললো ঠাঁই,
যৌতুকের এত টাকা কোথায় আমি এখন পাই?
সৎ মা তাড়িয়ে দিলো ফিরছি তাই শ্বশুর ঘরে,
সমাজের রীতির কোপেই আমার মতো মেয়ে মরে।
টিভি চাই, ফ্রিজ চাই, চাই এটা-ওটা,
দাবি পূরণ না হলেই মারের ঘনঘটা।

শুনছি নাকি উনি আবার নতুন বউ আনবে,
কেউ নাকি বেচবে মেয়ে, সমাজ কি তা জানবে?
এই সমাজের এমন রীতি, না মানলেই শেষ,
যৌতুক ক্ষুধা না মিটলে বুঝায় তার রেশ।
বন্ধ কবে হবে এই বেচাকেনার ব্যবসা?
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি জন্ম থেকেই ঝাপসা।

কোন বাবারা মেয়ে বেচে, কোন ছেলেরা কেনে?
মেয়ের বাপের হৃদয় কাঁপতো ভবিষ্যৎ ফল জেনে।
এক ঘরেতে যৌতুক চালু, অন্য ঘরেও সেই আশা,
পরের টাকায় জমিদারি করার জাগে নেশা।
পচা রীতির রোষানলে করুণ আমার দশা,
মিথ্যের এই সংসারে তাই, আমার ডোবা-ভাসা।

ঠোঁটে কোণের হাসি মুছে দেহে আঘাত পড়ে,
ব্যথায় জ্বলে রীতির প্রতি ঘৃণাই শুধু বাড়ে।
সৎ মা বলে পোড়ামুখী, মরিস নে কেন তুই?
মৃত্যু তাই নিত্যবেলা করছে ছুঁই-ছুঁই।
ক্লান্ত আমার দুচোখ আজ চিরনিদ্রা চায়,
ইচ্ছে করে মা-বাপের কাছে চলে যাই।

ভোরের পাখি – কলমে :সুমাইয়া মীম

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগীতা
কবিতা:ভোরের পাখি
কলমে :সুমাইয়া মীম

মিষ্টি চিকন যেনো সুখময় সুর
শীষ দিয়ে উঠে লাগে দারুণও
মধুর।
ওই দূরে কাশবন দেখে ভরে আঁখি
মনকাড়া সুরে ডাকে ভোরের-ও পাখি।

সাতরঙা আসমানে জেগে থাকা তাঁরা
সূর্যটা জাগার আগে নিভে হয় সারা।
চাঁদমামা নিভু নিভু চোখ মেলে দেখি
সুরে সুরে দূরে ডাকে ভোরের-ও পাখি।

শিউলি তলায় রোজ বসে ফুলো মেলা
ভোর আকাশে দেখো উঁকি দেয় বেলা।
কোঁচ ভরা ফুলে খুশি কিশোরী আঁখি
সুরে সুরে ডাকে শোনো ভোরের-ও পাখি।

পাতায় পাতায় জমে শিশির কণা
সবুজ মাঠে খায় দোল ফসল সোনা।
সোনাগুলো ঘরে উঠার আশায় থাকি
সুরে সুরে গায় গান ভোরের-ও পাখি।

আযান – কলমেঃ নাফীছাহ_ইফফাত

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা_২০২০

কবিতাঃ আযান
কলমেঃ নাফীছাহ_ইফফাত

চারিদিকে ফুটছে আলো
বাজছে মধুর সুর,
আযানের ওই ধ্বনিতে
মনটা কুড়মুড়।

ঘুম থেকে জেগে ওঠে
যাবে চলো নামাজে,
নাহয় টেকা দায় হবে
তোমাদের এই সমাজে।

রাত জেগে চ্যাটিং করে
ভোরে ঘুমায় বেঘোরে,
তোমাদের এই কাজের দায়ে
শাস্তি পাবে সজোরে।

ফজরেরই স্নিগ্ধ আলোয়
হয় যখন আযান,
কেউবা তখন আপনমনে
বাদ্যযন্ত্র বাজান।

সময়মতো পড়লে নামাজ
মনটা রবে তাজা,
তা’নাহলে রবের কাছে
পেতে হবে সাজা।

-শ্যামলা নারী চাই – কলমে-আব্দুল_রহিম

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
বিভাগ -গদ‍্য কবিতা
শিরোনাম -শ্যামলা_নারী_চাই
কলমে-আব্দুল_রহিম
তারিখ-০৩/০৯/২০২০
——————————

আমার একটা সাদামাটা গ্রামের শ‍্যামলা নারী চাই,
যে পরিবারটা মুড়ে দেবে স্নেহ মমতা মাখা আলতা আলপনায়, যে বায়না করবে না কথায় কথায় এটা চাই, ওটা চাই,পরিস্থিতি বুঝে নুন পান্তা ভাতেও সংসারটা চালিয়ে নেবে,সুপারিশ না করে জীবনটা কাটিয়ে দেবে হেসে খেলে আমার ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে।।

আমার একটা সাদামাটা গ্রামের শ‍্যামলা নারী চাই
যার কোলে একটু মাথা রাখার জন‍্য যেতে চাইবে না নামি দামি রেস্টুরেন্টে, চাইবে না শরীর ভর্তি গয়না
বরঞ্চ আমার পরিস্থিতির কথা ভেবে একটা জবা ফুল কানে গুজে দিলে আর গ্রামের কোনো এক প্রান্তরে এককাপ মাটির ভাঁড়ে গরম চা চমক মেরে খেলেই সন্তুষ্ট।।

আমার একটা গ্রামের সাদামাটা শ‍্যামলা নারী চাই
যে আমার শরীরটা খারাপ হলে শহরে চাকুরী জীবি নারীদের মতো এই প্যারাসিটামল খেয়ে নাও বলে ঘুমিয়ে যাবে না বরঞ্চ সারারাত জেগে মাথায় জলপটি দেবে,আর আমার জন‍্যে ঈশ্বরের কাছে দু হাত তুলে প্রর্থনা করবে,সকাল হলে জড়িয়ে ধরে ঠোঁট কাপিয়ে কান্না করে বলবে তুমি ছাড়া কে আছে বলো,।।

আমার একটা গ্রামের সাদামাটা শ‍্যামলা নারী চাই,
যে মাদুর পেতে দিয়ে নিজে আগে না খেয়ে,হাতল পাখা ঘোরাতে ঘোরাতে আমার পাতে তুলে দেবে পাট শাক,সজনি শাক,সাথে পোড়ানো শুকটি ,খেতে না পারলে চোখ রাঙিয়ে বলবে শরীর টা কি অবস্থা দেখেছো,সব খেয়ে উঠবে ,না হয় আমার সাথে কথা নেই,কখনো পাগলামি হাসি হেসে আমাকে চুলের নীচে জড়িয়ে ধরবে।।

আমি একটা গ্রামের সাদামাটা শ‍্যামলা নারী চাই
যার চোখের কাজলে আমি,যার মুচকি হাসিতে আমি,যার স্পন্দনে আমি,যার অনুভৃতিতে আমি
যার জীবন গল্পের প্রতিটা শব্দে আমি।
আমি একটা গ্রামের সাদামাটা শ‍্যামলা নারী চাই
যে জীবনের রঙ্গমঞ্চে করবে না মিথ‍্যা অভিনয়
আমি একটা গ্রামের সাদামাটা শ‍্যামলা নারী চাই।।
————————————-
©পলাশী,নদীয়া,পশ্চিমবঙ্গ