Monday, June 23, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1593



কতোটা চাই তোকে পর্ব-১২

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—12
.
.
🍁
“সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!চারিদিকে পাখিদের আওয়াজ’!!সকালের এই সিগ্ধতার আলোতে পুরো রুম আলোতে ভরে গেছে’!!আমি আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকালাম’!!হর্ঠাৎই ভাইয়ার দিকে চোখ গেল আমার’!!ঘুমিয়ে আছে বেঘোরে সে’!!হর্ঠাৎই মনে পরল যে আমি কাব্যকে জড়িয়ে ধরে আছি’!!তাড়াতাড়ি সরে আসতে নিলে বুঝতে পারলাম কাব্যও আমায় জড়িয়ে ধরে আছে’!!এখন কি করব…..

“হর্ঠাৎই কাব্যের মুখের দিকে চোখ গেল আমার’!!কি সুন্দর লাগছে'”!!! সূর্যের আলো ভরা রশ্মিতে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে কাব্যকে’!!ইচ্ছে তো করছে কাব্যের গালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে দেই’!!পরক্ষণেই মনে হলো যদি বুঝে যায় তাহলে আমার কি হবে'”!!! এসব আলতু ফালতু ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎ ভাইয়া একটু নড়ে উঠল’!!সাথে সাথে আমি আমার চোখ খিচে বন্ধ করে ফেললাম’!!

“কিছুক্ষন পর আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি’!!কাব্য এখনও ঘুমিয়ে আছে সেই সুযোগে আস্তে আস্তে কাব্যকে ছাড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে পরলাম আমি’!!!তারপর চলে গেলাম ওয়াশরুম…..

“বেশকিছুক্ষন পর ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলাম’!!তারপর নিচে চলে গেলাম’!!

“এর ভিতর কাব্যও ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলো’!!তারপর আমরা তিনজন একসাথে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম’!!ব্রেকফাস্ট শেষে কাব্য আবার রুমে চলে গেল’!!

__________________________________________

_____________________

“কাব্য ভাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে আছি’!!কারন আমি কিছু বলতে চাই’!!এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

——-“কি হলো কিছু কি বলবি…….

——–“হুম মানে……

——-“এত মানে মানে না করে তাড়াতাড়ি বলে ফেল’!!

——–“বলছিলাম কি আমরা একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি’!!

———“হুম যা আমি কী বারন করছি তোকে……

——–“না মানে তুমি যাবে আমার সাথে একা একা ভয় না থুক্কু ভালো লাগছে না’!!

———“কেন রেনু খালাকে নিয়ে যা…….

———“উনি গেলে কি আর তোমায় বলতাম নাকি(মনে মনে) না মানে উনি যাবে না ওনার কাজ আছে তাই তুমি চলো’!!প্লিজ চলো “জামাই”….

———-“আচ্ছা ঠিক আছে চল……

“ভাইয়ার কথা শুনে খুশি হলাম আমি’!!

“তারপর আর কি ভাইয়াকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম আমি’!!জায়গাটা খুব সুন্দর’!!

“গ্রামীন এক রাস্তা’!!চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সুন্দর সুন্দর খাল-বিল আর নদী’!!মাটির রাস্তায় চারপাশে রয়েছে ছোট থেকে শুরু করে ইয়া বড় বড় সব ধরনের গাছ’!!তাদের মাঝখানে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট কিছু ঘরবাড়ি’!!ফসলের জন্য রয়েছে চারপাশে বিশাল বিশাল মাঠ’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল সামনে থাকা খেজুর গাছের দিকে’!!একটা লোক রসের হাঁড়ি নামাচ্ছে'”!!! যা দেখে মুখে পানি চলে আসলো আমার'”!!! আমি ভাইয়ার হাত ধরে বললামঃ

——–“চলো না আমরা রস খাই……

“আচমকা এমনটা হওয়াতে কাব্য প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললোঃ

——–“ঠিক আছে……

———”তুমি খুব ভালো এই বলে ভাইয়াকে টানতে টানতে নিয়ে গেলাম আমি’!!

“এদিকে কাব্য মাইশার এমন বাচ্চামো দেখে মনে হাসছে খুব’!!আর ভাবছে আসলেই একটা বাচ্চা মেয়ে’!!😊

“আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে আসলাম ওই লোকটার কাছে’!!তারপর আমি খেলেও ভাইয়া খেলো না’!!!একদম খাঁটি রস খেতে সত্যি খুব মজা’!!😋

[অবশ্য আমি কোনো দিন খাই নি জাস্ট ফিল গাইস’!!😊]

“আমার খাওয়া শেষ হলে ভাইয়া লোকটাকে কিছু টাকা দিলো’!” তারপর আমরা আবার সামনে এগোতে লাগলাম’!!ভোরের এই সুন্দর মুহূর্ত আমার সত্যি খুব ভালো লাগছে’!!!

“পাক্কা দুই ঘন্টা হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে আসলাম আমরা’!!আমি আর হাঁটতে পারছি পা ব্যাথা হয়ে গেছে’!!

“আমি কাঁদো কাঁদো গলায় বললামঃ

——–“আর যাবো না চলো এখন বাড়ি ফিরে যাই’!!

“আমার কথা শুনে ভাইয়াও বলে উঠলঃ

——–“কেন??আর ভালো লাগছে না’!!

———“না তেমন কিছু নয় অনেক দূর চলে এসেছি এখন পা ব্যাথা করছে পরে আবার আসবো’!!এখন চলো…….

“ভাইয়াও আর কথা বাড়ালো না’!!আমরা দু’জনেই আবার পিছনে হাঁটা শুরু করলাম’!!কিছুদূর যেতেই আমার পা চলছেই না’!!একদম অবশ হয়ে গেছে মনে হয়’!!তারপরও যথা সম্ভব হাটা চেষ্টা করলাম আমি’!!কিন্তু আমি ব্যর্থ……..

“এদিকে কাব্য বুঝতে পেরেছে মাইশা আর চলতে পারছে না’!!সে পিছনে গিয়ে মাইশাকে কোলে তুলে নিল'”!!

“আচমকা কেউ কোলে তুলে নেওয়াতে আমি পুরো ঘাবড়ে গিয়ে তার শার্টের হাতা খামচে ধরলাম’!!মিট মিট করে তাকিয়ে দেখলাম কাব্য আমায় কোলে তুলে নিয়ে হাঁটছে’!!কাব্য ভাইয়ার এমন কাজে আমি যেন অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেছি’!!আমি বললামঃ

——–“এসব কি করছো লোকে দেখলে কি বলবে,,নামাও আমায়…..

———“থামবি তুই (দমক দিয়ে)

“ভাইয়ার দমক শুনে আমি চুপ আর কোনো কথা বললাম না’!!

“বেশকিছুক্ষন পর আমরা এসে পৌঁছালাম বাড়িতে’!!ভাইয়া আমায় দরজার সামনে নামিয়ে দিয়ে উপরে চলে গেল’!!হর্ঠাৎই মনে হলো আমার যেমন পায়ে ব্যাথা করছে ভাইয়ারও তো নিশ্চয়ই করছে’!!তার ওপর অর্ধেক রাস্তা আমায় কোলে তুলে নিয়ে এসেছে’!!এই ভেবে কিছু একটা বানাতে চলে গেলাম রান্না ঘরে………..

__________________________________________

_____________________

“হাতে গরম তেল তার সাথে রসুন একসাথে গরম করে দাঁড়িয়ে আছি আমি কাব্য ভাইয়ার রুমে’!!আর ভাইয়া বিছানায় চুপ করে শুয়ে আছে’!!আমি কোনো কিছু না ভেবেই ভাইয়ার পায়ে ওগুলো লাগিয়ে দিতে লাগলাম’!!

“আচমকা কারো হাতের স্পর্শ পায়ে লাগায় কাব্য কেঁপে উঠল’!!চোখ খুলে মাইশাকে দেখে চমকে গিয়ে বললো সেঃ

———“কি করছিস তুই………

——–“তেমন কিছু না তুমি চুপটি করে শুয়ে থাকো আমি তোমার পায়ে মালিশ করে দিচ্ছি’!!তোমার পায়ের ব্যাথা কমে যাবে’!!এতটুকু বলে ভাইয়ার পায়ে মালিশ করে দিতে লাগলাম আমি’!!

“কাব্য আর কিছু বললো না’!!কারন সত্যি সত্যি তার পায়ে প্রচুর ব্যাথা করছে’!!আর মাইশা যখন নিজ ইচ্ছেতেই আসছে তাহলে আর ক্ষতি কি’!!মাইশার কাজে খুশি কাব্য’!!

__________________________________________

_____________________

“দেখতে দেখতে ১০দিন কেটে গেল……..

“এই ১০ দিনে প্রচুর কাজ করিয়েছে কাব্য ভাইয়া'”!!! রান্নাটা ওই একদিনই করেছিলাম’!!কিন্তু খাবার খাইয়ে দিতে প্রতিদিনই হয়েছে’!!সবই ঠিক ছিলো প্রতিদিন ওই আচমকা চিৎকার করে উঠার ব্যাপারটা বুঝলাম না’!!প্রতিদিন এই বিষয়টা নিয়ে ভয়ে থাকতাম আমি আর প্রতিদিন ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো লাগতো’!!তবে এই দশদিন খুব সুন্দর ভাবে কেটে গেছে’!!এখন ভাইয়াকে অসম্ভব ভালো লাগে আমার’!!কেন লাগে জানি না’!!আচ্ছা আমি কি ভাইয়াকে ভালোবেসে ফেলেছি নাকি…….

“এসব ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎই কাব্য ভাইয়া মাথায় টোক্কা দিয়ে বললোঃ

———“এত কি ভাবসিছ তুই……..

———“না কিছু না,,

———“হুম তা তৈরি তো চল এখন……

———-“হুম চলো’!!এই বলে আরেকবার রুমটার চারদিকে তাকিয়ে চলে আসলাম আমি’ কেমন যেন একটা মায়া পড়ে গেছে…….

“সবাইকে বিদায় জানিয়ে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি’!!আর ভাইয়া গাড়ি আনতে গেছে’!!এমন সময় রেনু খালা বলে উঠলেনঃ

——–“আবার আসবে কিন্তু…..

——–“অবশ্যই আসবো…..

“এদিকে কাব্য গাড়ির কাছে আসতেই সেই ছেলেটি কাব্যের সামনে এসে বললোঃ

———-“ভাইয়া আবার আসবেন কিন্তু…..

———“হুম আবার আসবো……

———“আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বলি……..

———“হুম…….

———“বলছি কি ভাইয়া আপনি প্রতিদিন রাতে আমায় চিৎকার দিতে কেন বলতেন…….

“ছেলেটির কথা শুনে কাব্য বললোঃ

———“হুস সিক্রেট……….এতটুকু বলে মুচকি হেঁসে কাব্য গাড়ি করে বেরিয়ে আসলো’!!আর ছেলেটি কাব্যের কথার আগা মাথা কিছু বুঝতে না পেরে হাবলার মতো তাকিয়ে রইল’!!

.

“সবাইকে টাটা দিয়ে চলে আসলাম আমরা’!!!ভাইয়া গাড়ি চালাচ্ছে আর আমি বসে আছি’!!সত্যি খুব সুন্দর কেটেছে এই দশদিন…….

.
“এদিকে কাব্য ভাবছে চিৎকার দেওয়ার আসল কাহিনি চিৎকার না দিলে কি প্রতিদিন মাইশা ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরতো আমায়’!!এসব ভেবে মনে হাসলো কাব্য……..

.
“হর্ঠাৎ করে ভাইয়াকে এই হাসার কারন বুঝলাম না’ আমি’!!কিছু জিজ্ঞেস না করে আমিও চুপচাপ বসে রইলাম’!!

“কিছুক্ষন পর হর্ঠাৎই গাড়ি থামিয়ে দিল কাব্য ভাইয়া’!!আমরা কি এসে পরেছি’!!সামনে তাকিয়ে দেখলাম এটা একটা মাঝরাস্তা’!!কিন্তু ভাইয়া মাঝরাস্তায় গাড়ি থামালো কেন??
!
!
!
!
!
!
#চলবে……….

#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-১১

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—11
.
.
🍁
“বিছানায় বসে ভাইয়ার মাথা টিপছি আমি’!!আর মিস্টার কাব্য আরামে ঘুমিয়ে আছে’!!ইচ্ছে তো করছে মাথার সব চুল ছিঁড়ে ফেলি’!!পাক্কা দু-ঘন্টা যাবৎ মাথা টিপছি আমি’!!হাতের আঙুল সব ব্যাথা করছে আমার’!!কিন্তু এই শয়তানডার তার দিকে কোনো হুস নেই’!!তখনকার ছোট্ট ভুলের জন্য এত বড় শাস্তি পেতে হবে আমায় বুঝতেই পারি নি’!!ভাগ্য ভালো শুধু শেষের দুইটা শব্দই শুনেছিল’!!আর তাতেই আমার অবস্থা এই অবস্থা করছে সব শুনলে না জানি কি করতো আমায়’!!আমি একটু কাঁদো কাঁদো গলায় বললামঃ

———“জামাই” হইছে আর পারুম না আমি’!!হাত ব্যাথা করছে এই বারের মতো ক্ষমা করে দেও আর কোনোদিন তোমায় কিছু বলবো না সরি……

“কাব্য আমার কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে বললোঃ

———“তুই কি বললি…….

“আমিও ভাইয়ার কথা শুনে আনমনে বলে দিলামঃ

———“কি বলছি তোমায় “জামাই” বলছি তুমি তো সেদিন রাতে বলেছিলে জামাই ডাকতে আজ থেকে তোমায় ওই নামেই ডাকবো’!!কেমন যেন নামটায় ডাকতে ভালো লাগে আমার😁

———-কি”’

——–“হুম’!!আচ্ছা শুনো না কি বলছি ভাইয়ার একটু কাছে গিয়ে…..

——–“কি আর তুই কাছে আসছিস কেন??

——-“তেমন কিছু না শোনো না আজ থেকে তোমায় জামাই বলে ডাকবো আর এইবারের মতো মাফ করে দেও কথা দিচ্ছি আর তোমায় গালাগালি করবো না,,(একটু ন্যাকাস্বরে)

“ভাইয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললোঃ

———“ঠিক আছে……’!!আমি কাব্য ভাইয়ার কথা শুনে খুশি হয়ে দৌড়ে বিছানা থেকে নেমে চলে গেলাম নিচে’!!উফ এতক্ষণ পর শান্তি’!!শালায় পুরো হাতটা ব্যাথা বানিয়ে দিল’!!এতটুকু বলে জিহবায় কামড় দিলাম আমি’!!তারপর তাড়াতাড়ি ওখান থেকে সরে পরলাম’!!

.

“এদিকে কাব্য বিছানায় শুয়ে ভাবছে তুমি যে আর কতো সরি বলবে “মাইশাজানু”!!এই বলে হাসলো কাব্য’!!এমনিতেও একটু বেশি শাস্তি দিয়ে ফেলেছে কাব্য’!!দু-ঘন্টা যাবৎ বসিয়ে রেখেছে’!!এসব ভেবে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলো কাব্য’!!

__________________________________________

_____________________

“বাড়ির চারদিকটা ঘুরে দেখছি আমি’!!চারপাশটা অসম্ভব সুন্দর’!!বাড়ির পিছন দিকে রয়েছে ইয়া বড় বড় সব গাছ পালা আর একটু অন্ধকার’!!অনেকগুলো গাছ একসাথে থাকার কারনে এমনটা মনে হচ্ছে’!!এখন প্রায় দুপুর তিনটা বেজে গেছে কিন্তু এখানে মনে হচ্ছে সন্ধ্যা হয়ে আসছে’!!এতটাই অন্ধকারে ঘেরা পিছনটা’!!আর সামনের দিকে এগোলাম না’!!এমনতেই কেমন যেন ভয় লাগছে এখানে’!!এমন সময় আচমকা পিছন থেকে বলে উঠল কেউঃ

——-“আপু তোমায় কাব্য ভাইয়া ডাকছে……..’!!

“আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম’!!পরক্ষণেই পিছনে তাকিয়ে সেই ব্যাগ এনে দিয়েছিল সেই ছেলেটাকে দেখতে পেলাম’!!

“আমি জোরপূর্বক একটু হাসি দিয়ে বললামঃ

——–“ঠিক আছে…..

“ছেলেটিও আর কিছু না বলে চলে গেল’!!এই ছেলেটি কেমন যেন হর্ঠাৎ করে আসে আর আমি চমকে যাই’!!তারপর তাড়াতাড়ি করে চললাম আমি কাব্য মাই জামাইটার কাছে না জানি আবার কি বলবে…….

_____________________

“রুমে ঢুকার সাথে সাথে কাব্য বলে উঠলঃ

——-“আজকে তুই আমার জন্য রান্না করবি……

“কাব্যের কথা শুনে আমি অবাক হয়ে চেঁচিয়ে বললামঃ

———“কি????

———“শোন আমি কিন্তু একটা কথা একবারের বেশি দু-বার বলতে পছন্দ করি না’!!তাও তোর জন্য বলা লাগে বারবার…….

——–“রান্না করবি বুঝতে পারছো’!!মাংস রান্না করবি খুব সুন্দর করে করবি’!! রান্না ভালো না হলে তোর খবর আছে………

———“কিন্তু আমি তো রান্না করতে পারি না……

——–“ওসব আমি জানি না,জানিস না শিখে নিবে রেনু খালা আছে না’!!তাই আর কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি যা……..রাতে তোর হাতের রান্না খাবো আমি…….’!!আর একটা কথা রেনু খালার কাছ থেকে শুধু জেনে নিবি রান্না কিন্তু তুই করবি বুঝতে পারছোস’!!যদি দেখছি রেনু খালা তোকে রান্না করে দিয়েছে তাহলে তো বুঝতেই পারছিস কি হবে’!!তোকে রাতের বেলা ওই আমাদের বাড়ির পিছনে রেখে আসবো…..

“কাব্যের কথা শুনে ভয়ে ঢোক গিললাম আমি’!!এনাকে বিশ্বাস নেই চাইলে রেখেও আসতে পারে’!!এজন্যই বলেছিলাম বেশি প্যাক প্যাক করিস না,,যেই জানছে তুই ভয় পাচ্ছিস সেই থেকে ব্ল্যাকমেল করছে…….এসব ভেবে……

“আমি জাস্ট হা হয়ে চুপ করে বেরিয়ে আসলাম বাহিরে’!!এখন কি করবো আমি’!!আমি তো রান্না করতে পারি না……..,,তাও আবার মাংস ওহ নো,,এখন কি করবো আমি’!!কাব্য আমাকে একা পেয়ে এতকিছু করবে আগে জানলে আমি কখনোই আসতাম না’!!!উহু উহু মামুনি তোমার ছেলে আমায় পাগল বানিয়ে ছাড়বে’!!🥺🥺

“এমন সময় কাব্য চেঁচিয়ে বললঃ

——-“তাড়াতাড়ি করিস……..

“আমি আর কিছু না ভেবে চুপচাপ নিচে চলে আসলাম’!!

_____________________

“রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে আছি’!!কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না’!!কি করে মাংস রান্না জানি না’!!এই জন্যই মা বার বার বলতোঃ

——–“মাইশা একটু রান্নাবান্না শেখ কিন্তু তা শিখবি কেন শিখলে তো মোবাইল টিপার সময় পাবি না’!!এখন বোঝ তুই মাইশা……’!!ধুর….

“এমন সময় পিছন থেকে রেনু খালা বলে উঠলেনঃ

———“কি হলো মাইশা মামুনি তুমি রান্না ঘরে কিছু কি লাগবে……..

———“হুম রান্না করবো…….

“উনি আমার কথা শুনে অবাক হয়ে বললোঃ

——–“কি কেন আমি আছি তো……তুমি বলো কি খাবে আমি রান্না করে দিচ্ছি’!!

“এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলেনঃ

———-“একদম না আজকে রান্না মাইশা করবে’!!

“রেনু খালা কাব্যের কথা শুনে বলে উঠলেনঃ

——–“কিন্তু…….

———“কোনো কিন্তু নয় তুমি শুধু ওকে বলে দেও কি করে মাংস রান্না করে’!!তারপর আর কোনো কাজ নেই তোমার তুমি গিয়ে রুমে বসে থাকবে আর এখানে মাইশা একা রান্না করবে……

“রেনু খালাও আর কিছু বলতে পারলেন না কাব্য ভাইয়ার মুখের উপর’!!তারপর কাব্য ভাইয়ার কথা মতো রেনু খালা আমায় বললেন কি করে রান্না করতে হবে’!!তারপর চলে গেলেন তারা’!!

“কিন্তু কি বললো আমি তো বুঝতেই পারলাম না’!!এখন রান্না কেমনে করুম……

“সবার আগের ফ্রিজ খুলে মাংস বের করলাম আমি’!!তারপর কাটাকাটি শুরু’!!জীবনে যা করি নি আজ তা করতে হচ্ছে……

“কান্নার রোল পড়ে গেল পেঁয়াজ কাটতে কাটতে’!!সবকিছু গুছিয়ে নিতে নিতে আমার পুরো সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল’!!এখন রান্নার পালা…..’!!

“রেনু খালা কি বললো সব তো ভুলে জগাখিচুরি পাকিয়ে ফেলেছি’!!হর্ঠাৎই ইউটিউব আন্টির কথা মনে পরলো’!!সাথে সাথে নাচতে নাচতে বলে উঠলঃ

———“জিও মাইশা এই আইডিয়াটা এতক্ষণ কেন আসলো না’!!তারপর আর কি ইউটিউব আন্টিদের একটা ভিডিও দেখে রান্না করতে শুরু করে দিলাম’!!না জানি কেমন হবে রান্না আল্লা মালুম…….’!!!

__________________________________________

_____________________

“রাত_৮ঃ৩০টা………..

“কাব্য ভাইয়ার রুমে খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!কে জানে কেমন হয়েছে,,সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা’!!কাব্য তার লেপটপটা বিছানার উপর রেখে বললোঃ

——–“হুম নিয়ে আয় আমায় খাইয়ে দে…….

“আমিও কিছু বললাম না’!!চুপচাপ খাবার নিয়ে বসে পরলাম বিছানায়’!!তারপর বললামঃ

———“বলছি কি খাবার যদি ভালো না হয় তাহলে কি সত্যি সত্যি আমায় ওই পিছনে রেখে আসবে……

——–“হুম…….’!!ভাইয়ার কথা শুনে চোখ মুখ লাল হয়ে গেল আমার’!!এই রে খাবার টা যেন ভালো হয়’!!

“বিশ্বাস বলে খাবার খাওয়াতে শুরু করলাম আমি’!!প্রথমবারে ভাইয়া রিয়েকশন দেখে কিছু বুঝলাম না আমি’!!তাই নীরব স্বরে বললামঃ

——–“কেমন হয়েছে’!!

——–“হুম খারাপ হয় নি’!!

“ভাইয়ার কথা শুনে একটা ছোট্ট শ্বাস ফেললাম আমি’!!যাক বাবা আমার আর ভয় নেই কোনো…….

“তারপর আমি আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ খাওয়াতে শুরু করলাম’!!বেশকিছুক্ষন পর ভাইয়াকে খাইয়ে দিলাম সব খাবার তারপর চলে গেলাম নিচে………’!!

“তারপর আমি রেনু খালাও একসাথে খাবার খেলাম’!উনিও প্রশংসা করলো আমার’!!সবই ইউটিউব আন্টির কামাল….জিও আন্টি উম……মা…….

__________________________________________

_____________________

“রাত_১০ঃ০০টা……..
“বিছানায় শুয়ে আছি’!!আর কাব্য ভাইয়া পাশে নাক টেনে ঘুমাচ্ছে’!!এই বাগান বাড়িটা গ্রাম দিকে হওয়ায় খুব একটা রাত না হলেও বুঝা যাচ্ছে গভীর রাত’!!ঘুম আসছে না চোখে…….ওদিকে বাতাসে পর্দা উরছে’!!আর হর্ঠাৎ হর্ঠাৎ কেমন একটা শব্দ হচ্ছে’!!বার বার এমনটা হওয়াতে ভয় লাগছে ভিশন’!!রুমের লাইট অফ থাকায় আরো ভয় লাগছে’!!চারদিকে কুটকুটে নীরবতা’!!ভয় লাগছে ভীষণ’!!হর্ঠাৎই বাইরে থেকে কেউ একটা জোরে শব্দ করে চেঁচিয়ে উঠল’!!আমি তো ভয়ে শেষ’!!কি করবো কিছুই বুঝতে না পেরে মাঝখান থেকে কোলবালিশ সরিয়ে ভাইয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম………’!!ভয়ে হাত পা কাঁপছে আমার………’!!ছোট বেলা থেকেই একা রুমে ঘুমাতে আর এই ভুতেদের প্রচুর ভয় পাই আমি’!!মাঝে মাঝে তো আমি রুমের লাইট জ্বালিয়েই ঘুমাতাম………’!!

“এদিকে কাব্য আচমকা মাইশা তাকে জড়িয়ে ধরাতে কিছুটা অবাক হলেও পরক্ষণেই মনে মনে খুশি হয়ে সেও জড়িয়ে ধরল মাইশাকে…….
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………..
#TanjiL_Mim❤️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-১০

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—10
.
.
🍁
“আমাদের গাড়ি এসে থামলো ইয়া বড় একটা গেটের সামনে’!!কাব্য গাড়ির হন বাজানোর সাথে সাথে রহিম চাচা ইয়া বড় গেট খুলে ফেললেন’!!গেট খুলার সাথে সাথে কাব্য আবার গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!ভিতরে ঢুকে সামনে তাকাতেই মুখ থেকে জাস্ট বেরিয়ে আসল ”ওয়াও”!!কাব্য ভাইয়াদের বাগান বাড়ি এত সুন্দর হয়ে গেছে জানাই ছিলো না আমার’!!পুরো রাস্তা চারদিক ঘিরে আছে অসংখ্য ফুলগাছ'”!!চারপাশে রয়েছে আমার সবচেয়ে ফেভারিট ফুল “লাল গোলাপ”!!গোলাপ ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ আছে’!!চারপাশে ফুলের গন্ধে মন হয়ে যাচ্ছে ফুড়ফুড়ে’!!কাব্য ভাইয়া গাড়ি থামাতেই আমি নেমে গেলাম গাড়ি থেকে’!!গাড়ি থেকে নেমে জোরে এক নিশ্বাস নিলাম’!!ফুলের গন্ধে পুরো মন ভরে যাচ্ছে আমার’!!হর্ঠাৎ একটা গোলাপের দিকে চোখ গেল আমার অসম্ভব সুন্দর দেখতে লাল গোলাপ’!!আমি সামনে গিয়ে যেই না ফুলটা ধরতে যাবো এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“ফুল গাছেই সুন্দর হাতে নয়”!!তাই ফুল ছিঁড়বি না’!!

“মনে মনে ভেবেছিলাম ফুলটা ছিঁড়ে মাথায় লাগাবো কিন্তু আমার ইচ্ছেতে এক বালতি পানি ঢেলে দিলো কাব্য ভাইয়া’!!অবশ্য কথাটা সত্যি বলেছে’!!কিন্তু ভিতরে ভিতরে খারাপ লাগলো’!!আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ সামনে এগোতে লাগলাম’!!

“মাইশার কাজ দেখে কাব্য একবার ফুলটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে ভিতরে চললো’!!

“বাড়ির ভিতরে ঢুকে দরজা খুলতেই রেনু খালা এসে বললোঃ

——-“কেমন আছো মাইশা মামুনি……

“ওনার কথা শুনে মুচকি হাসলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

——–“খুব ভালো তুমি কেমন আছো…..

“আমার কথা শুনে খুশি হলেন উনি’!!তারপর বললোঃ

———“আমিও আছি ভালো……’!!তোমরা উপরে যাও আমি তোমাদের জন্য খাবারে ব্যবস্থা করছি……

“এমন সময় কাব্য এসে হাজির’!!কাব্য রেনু খালাকে দেখে বললোঃ

——–“কেমন আছো তুমি,এই বলে জড়িয়ে ধরল কাব্য মহিলাকে……

“মহিলা খুব খুশি হয়ে বললোঃ

——–“খুব ভালো আছি বাবা তুমি কেমন আছো…….

——–“আমিও ভালো আছি এখন তোমার সাথে থেকে আরো ভালো থাকবো’!!

——–“হুম তা তো থাকবি…….এখন উপরে যাও আমি খাবারের ব্যবস্থা করছি আর তোমাদের ব্যাগ নামানোর ও ব্যবস্থা করছি……

——–“ঠিক আছে এই বলে কাব্য চলে আসলো উপরে’!!আমিও আসলাম ভাইয়ার পিছনে……

“পুরো বাড়ি দেখে বোঝা যাচ্ছে কালকেই হয়তো পুরো বাড়ি পরিষ্কার করেছে উনি’!!পুরো বাড়িটাই খুব সুন্দর আর পরিপাটি করে সাজানো’!!

“আমি আর ভাইয়া রুমে ঢুকলাম’!!কাব্য রুমে ঢুকেই গিয়ে বিছানায় বসে পরল’!!আর আমি পুরো রুমে চোখ বুলাচ্ছি’!!রুমটাও খুব সুন্দর করে গোছানো’!!তবে জিনিসপএ দেখে বোঝা যাচ্ছে এগুলল অনেক বছরের পুরনো ফার্নিচার’!!এত বড় বাড়িতে কি করে রেনু খালা একা থাকে’!!আমার তো এখনি ভয় করছে’!!বাড়িটা অনেক বছর আগের পুরনো’!!তাই একটু ভয় ভয় করছে’!!আর এত বড় বিশাল বাড়িতে শুধু মাএ তিনজন মানুষ’!!আমার ভাবনার মাঝে কাব্য বলে উঠলঃ

——–“কি এতো ভাবছিস তুই…….

———“না তেমন কিছু না, ভাবছি এত বড় বাড়িতে রেনু খালা কি করে একা থাকে’!!বাড়ির সামনে দিকটা খোলা মেলা হলেও ভিতরে কেমন জেনো আমার খুব ভয় ভয় লাগছে’!!

“কাব্য আমার কথা শুনে হাসলো’!!ওনার হাসি দেখে বললামঃ

———“এতে হাসার কি আছে??

———“না কিছু না এই বলে কাব্য ওয়াশরুমের দিকে চলে গেল’!!হর্ঠাৎই পিছন থেকে ফিস ফিস করে আমার কানের কাছে এসে বললঃ

——–“মাইশা”………

“আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো ভয় পেয়ে চমকে উঠলাম’!!পিছন তাকাতেই দেখলাম কাব্য হাসছে………

“আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না ফিসফিস করে আমাকে ভয় দেখাতে চাচ্ছে’!!আমি একটু ভীতু স্বরে বললামঃ

———-“এসব কি তুমি দেখছো তো আমি ভয় পাচ্ছি তার ওপর তুমি আবার ভয় দেখাচ্ছো কেন??

“আমার কথা শুনে কাব্য ভাইয়া হেঁসে বললোঃ

——–“সরি সরি আসলে কি বলতো তোকে ভয় পেতে দেখলে আমার হেব্বি লাগে’!!এই বলে আবারো হাসলো ভাইয়া’!!

“আমি ভীতু স্বরে বললামঃ

———“আমাকে ভয় পেতে দেখে তোমার তো মজা লাগবেই হুহ…….

“বিনিময়ে ভাইয়া ছোট করে সরি বলে চলে গেল ওয়াশরুমে………

“এমন সময় দরজায় কাছে এসে বললো কেউঃ

——–“আপনাদের ব্যাগ……

——–“আমি সামনে গিয়ে দেখলাম একটা ছেলে খুব একটা বয়স হবে না তবে আমার চেয়ে বড়’!!আমি তার দিকে তাকিয়ে বললামঃ

———“ঠিক আছে ওই খাটের ওপর রেখে দিন’!!আমার কথা শুনে ছেলেটি খাটের ওপর ব্যাগগুলো রেখে আর কিছু না বলে চলে গেল’!!

“ছেলেটির যাওয়ার পানে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আমি চলে আসলাম ব্যাগের কাছে’!!তারপর ব্যাগটা খুলে কিছু জামাকাপড় বের করে রাখলাম বিছানার উপর’!!এমন সময় ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো কাব্য ভাইয়া’!!

“ওনাকে দেখেই হা হয়ে তাকালাম’!!এই মুহূর্তে ভাইয়াকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে’!!চুলগুলো ভিজে গেছে এখনো সারা শরীরে পানি আছে অল্প অল্প দেখে বোঝাই যাচ্ছে শাওয়ার নিয়ে এসেছে ভাই……..
“ভাইয়া চুল মুছতে মুছতে বললোঃ

———“ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেন???

“হর্ঠাৎই করে ভাইয়ার এমন কথা শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম আমি’!তারপর আমতা আমতা করে বললামঃ

———“ইয়ে না মানে…….

———“তোর ইয়ে মানে ছাড়া আর কিছু আসে না………

——–“না তেমন কিছু না আসলে কি বলো তো ওখানে একটা পাখি বসেছিল সেটার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম’!!এই বলে খাটের ওপর থাকা সাদা রঙের চুড়িদার নিয়ে চলে গেলাম আমি ওয়াশরুমে…….

.

“এদিকে কাব্য আর কিছু না ভেবে তৈরি হতে লাগলো’!!বেশকিছুক্ষন পর শাওয়ার নিয়ে চলে আসলাম আমি’!!এখন অনেকটা ফ্রেশ লাগছে……..’!!!ওয়াশরুম থেকে বেরোতেই টাওয়াল নিয়ে চুল মুছতে লাগলাম আমি’!!

_____________________

”এদিকে কাব্য এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে’!!অদ্ভুত এক চাহনি তার’!!কাব্য তাড়াতাড়ি তার চোখ নামিলে নিলো’!!তারপর ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে উঠলঃ

———“আমার জন্য খাবার নিয়ে আয়…….

“হর্ঠাৎ করে ভাইয়ার এমন কথা শুনে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম’!!আমি তো ভুলেই গেছিলাম রুমে ভাইয়া আছে’!!আমি অবাক হয়ে বললামঃ

——–“আমি…..

——–“তুই ছাড়া আর কেউ আছে এখানে……..

——–“না মানে রেনু খালা তো বললো আমাদের জন্য খাবার আনছে’!!!

———“তাতে কি হয়েছে তুই গিয়ে এখানে খাবার নিয়ে আয়’!!

“আমিও আর কিছু বা বলে টাওয়াল টা বিছানার পাশে রেখে চললাম নিচে…….

_____________________

“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই’ দেখলাম টেবিলের উপর বিভিন্ন ধরনের খাবার সাজিয়ে রেখেছে রেনু খালা’!!আমি নামতেই উনি বলে উঠলেনঃ

——–“তুমি একা কেন মামুনি কাব্য বাবা কোথায়???

———“আসলে ভাইয়া উপরে বসে খাবার খাবে…..

——–“তুমি এখনো কাব্যকে ভাইয়া ডাকছো……

——–“সরি সরি থুক্কু তুমি আবার বলো না ভাইয়াকে মুখ ফোসকে বেরিয়ে গেছে আমার……

“আমার কথা শুনে হেঁসে বললেন উনিঃ

———“ঠিক আছে,,তারপর একটা ট্রে-তে করে কিছু খাবার বেরে দিলো আমার হাতে’!!তারপর আমিও খাবারগুলো নিয়ে চললাম উপরে……

__________________________________________

_____________________

“রুমে ঢুকে দেখলাম ভাইয়া লেপটপ নিয়ে বসে আছে’!!আমি খাবার গুলো সামনে রেখে বললামঃ

——–“তোমার খাবার……

“ভাইয়া আমার কথা শুনে আমার দিকে না তাকিয়েই বলে দিলঃ

———“খাইয়ে দে……

“কাব্যের কথা শুনে আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল’!!আমি অবাক হয়ে বললামঃ

———-“কি????

———-“তুই কি কানে শুনিস না…….

———“না মানে আমি তোমায় খাইয়ে দিবো…….

———“না তুই দিবি না তোর পাশে যে ভূতটা আছে সে দিবে……

“ভাইয়ার কথা শুনে কিছু ঘাবড়ে গেলাম’!!কারন ছোট বেলা থেকেই এই ভূতেদের প্রচুর ভয় পাই আমি'”!!আমি একবার আশেপাশে তাকিয়ে বললামঃ

———“আমি খাইয়ে দিবো না বলি নি তো তুমি এইসব ভূত টূত কোথায় পাচ্ছো’!!একদম ভয় দেখাবে না আমায়……

———“তুই কি ভূতের নাম শুনেই ভয় পাচ্ছিস নাকি…..

———“কে বলছে আমি ভয় পাচ্ছি (কাঁপা কাঁপা গলায়)

“এতটুকু বলে কাব্যের পাশে বসে পরলাম’!!তারপর কাব্যকে খাইয়ে দিতে লাগলাম আমি’!!ভিতরে ভিতরে আমি প্রচুর পরিমানে ভয় পাচ্ছি আমি’!!এত ভয় কেন লাগছে আমার বুঝতে পারছি না……..

“কাব্যকে সব খাবার খাইয়ে দিলাম’!!তারপর ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“এখন থেকে রোজ আমার জন্য খাবার রুমে নিয়ে আসবি আর খাইয়ে দিবি…..আর শোন তুই গিয়ে খাবার খেয়ে এসে আমার মাথাটা একটু টিপে দিবি’!!এখন যা আমার কাজ আছে……….

“আমি হ্যাঁ না কিছু না বলেই চুপ করে চলে আসলাম’!!বাহিরে বেরিয়ে এসে শালা আমি পারুম না তোর মাথা টিপে দিতে,আমারে কি কাজে মাইয়া পাইছোস আর কে দিবে তোকে রোজ রোজ খাইয়ে’! পারুম না আমি…..’!!একা পাইয়া এখন তার সুযোগ নিতাছো………শালা,হনুমান,বান্দর………

“এমন সময় পিছন থেকে কাব্য বলে উঠলঃ

———“এই তুই কি বললি…….

“কাব্যের কথা শুনে আত্মা কেঁপে উঠল আমার’!!

——“এই রে শুনে ফেললো নাকি,শুনে ফেললে এখন আমার কি হবে এখন আমায় কে বাঁচাবে………..???
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট জানাবে’!!]😊😊😊

#TanjiL_Mim❤️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-০৯

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—09
.
.
🍁
“অফিসে বসে আছে কাব্য আর ভাবছে তার সাথে কাল ঠিক কী হয়েছে’!!কিন্তু যতবারই ভাবার চেষ্টা করছে ততবারই ব্যর্থ সে’!!কারন তার কিছু মনে পরছে না’!!শুধু এতটুকুই মনে পরছে লাবন্যের দেওয়া ওই জুসটা খাওয়ার পরই তার কেমন একটা লাগছিল’!!কিন্তু লাবন্য কেন তাকে এটা ভেবেই তার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে’!!এমন সময় রুমে ঠুকলো রিয়াদ’!!রিয়াদ ভিতরে ঢুকেই বললোঃ

——–“কি অবস্থা কেমন আছোস তুই এখন……

——–“হুম ভালো কিন্তু তুই জানলি……

——-“কেন তুই ভুলে গেলি নাকি কাল রাতেই তোর সাথে আমার কথা হয়েছিল আর আমি তো তোকে বাড়ি পৌঁছে দিলাম……

——–“ওহ আচ্ছা আমার কাল কি হয়েছিল বল তো’!!আমার না কিছু মনে নেই…….

——–“সব ভুলে গেছিস…..

——–“হুম…….

——–“অবশ্য ভুলে যাওয়ারই কথা কালকে রাতে তুই ড্রিংক করেছিলি তাও হায় লেভেলের……

“রিয়াদের কথা শুনে কাব্য অবাক’!!রিয়াদ আবারো বলে উঠলঃ

———“কাল রাতে আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে তুই ড্রিংক করেছিলি’!!

“কাব্য চিন্তিত স্বরে বললোঃ

———“বিশ্বাস কর রিয়াদ কাল রাতে কি করে কখন ওইসব খেয়েছিলাম আমি বুঝতেই পারি নি’!!আমি তো শুধু লাবণ্যের দেওয়া সফট ড্রিংকস খেয়েছিলাম’!!

———“কিন্তু সফট ড্রিংকস খেলে নেশা হওয়ার কথা নয় কাব্য হয়তো ভুল করে খেয়ে ফেলেছিলি……

“রিয়াদের কথা শুনে ছোট্ট করে বলে উঠলঃ

——–“হয়তো’!!তা এখন বল কি খাবি তুই চা না কফি………

——–“এখন কিছু খাবো না আমার জরুরি কিছু কাজ আছে কালকের বিষয় নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম তাই তোকে দেখতে এসেছি’!!এই বলে কাব্যের সাথে হাত মিলিয়ে চলে যায় রিয়াদ’!!

“এদিকে কাব্য কিছুতেই কিছু বুঝতে পারছে না’!!এমন রুমে আসে কাব্যের বাবা’!!আগে বিজনেসের সব কাজ উনি করতেন এখন কাব্য করে আর উনি ওনার চেম্বারে বসে থাকে……..’!!কাব্য তার বাবাকে ভিতরে আসতে দেখে অবাক হয়ে বললোঃ

——–“বাবা তুমি কোনো কাজ ছিল……

——–“হুম তোকে কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাইরের যেতে হবে…..

———“কেন??

———“কেন আবার ঘুরতে যাবি তুই মাইশাকে নিয়ে…….

———“সেটা কিসের জন্য দরকার’!!আর মাইশার পড়াশোনা নষ্ট হবে এতে’!!এখন যাওয়ার দরকার নেই বাবা’!!আমরা পড়ে একসময় যাবো’!!

———“না এখনই যাবি তোরা শোন বেশি দূরে কোথাও যাওয়ার দরকার আমাদের পুরনো বাগান বাড়ি থেকে ঘুরে আয়’!!

——–“কিন্তু বাবা……….

——–“আমি কোনো কিন্তু টিন্তু শুনতে চাই তোকে যেটা বলেছি সেটা কর’!!আমি তোর রেনু খালাকে ফোন করে বলে দিয়েছি সে সব গুছিয়ে রাখবে…….আর কালকেই যাবি’ তোরা…….

———-“বিনিময়ে কাব্য আর কিছু বলতে পারলো না’!!এই মুহূর্তে কাব্যের মাথায় অন্যকিছু ঘুরছে…….আর মনে হাসছে সে’!!

_____________________

“ছাদে বসে আছি আমি আর তানিশা’!!ভালো লাগছে না কিছু’!!হর্ঠাৎই সামনে থাকা আম গাছের দিকে চোখ গেল আমার’!!আম দেখলেই লোভ লাগে আমার’!!হর্ঠাৎই তানিশার মাথায় একটা চাটি মেরে বললামঃ

——-“দোস্ত আম খাবি…..

——–“আম কোথায়??

——–“কেন ওই যে গাছে……

“তানিশা সামনে তাকিয়েই চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ

——–“যার গাছ সে দেখলে প্রচুর বকবে…….

———“আরে ধুর বকবে না,,আর দেখবে তারপর তো……..

——–“না না আর ভাইয়া জানলে প্রচুর মন্দ বলবে……

——–“চুপ করতো তুই, কেউ জানবে না চল……

——-“না আমি যামু না…..

——-“তুই যাবি না তোর শশুড়ে যাইবে……

——-”আমার শশুড়রেই নিয়ে যা তারপরও আমি যামু না……..

———“তানিশা চল(একটু রেগে)

——–“দেখ কেউ দেখলে প্রবলেম হবে……

——–“কেউ দেখবে না চল এই বলে তানিশার হাত ধরে এক প্রকার জোর করেই নিয়ে আসলাম……

“নিচে নেমে গাছটার কাছে যেতে আরো লোভ লাগলো আমার’!!জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে তানিশাকে বলে উঠলাম আমিঃ

———“গাছের কাছে তো চলে এসেছি এখন পারবো কিভাবে……

———-“সেটা তুই জানিস……..

“অনেকক্ষণ ভেবে বললামঃ

——–“গাছে উঠতে হবে…….

——-“না……..

———“তুই চুপ কর তুই এখানে দাঁড়া আমি উঠছি কেউ আসলে আমায় বলবি……..

———“না শোন মাইশা লাগবে না তার চেয়ে চল বাসায় যাই ভাইয়া জানলে……

———“চুপ কর আম তো নিতেই হবে……এই বলে ওড়নাটা কোমড়ে বেঁধে উপরে উঠতে লাগলাম আমি’!!আস্তে আস্তে উপরে উঠে একটা আম এনে মারলাম তানিশার দিকে’!!তারপর আর একটা মারলাম পর পর পাঁচ টা মারার পর এমন সময় গাছের মালিক চেঁচিয়ে উঠলঃ

——–“সাথে সাথে গাছ থেকে লাফ মেরে আমি তানিশা দৌড় আমাদের আর পায় কে??গাছের মালিক আসতে আসতে আমরা হাওয়া……

_____________________

“আমরা দৌড়ে সোজা ছাদে চলে গেলাম’!!তারপর দুজন মিলে জোরে জোরে শ্বাস ফেলে একসাথে হেঁসে দিলাম’!!তারপর বলে উঠলাম আমিঃ

———“কেমন ছিলো বল……

——–“ঠিকই ছিলো কিন্তু ভাইয়া জানলে…….

——–“কখন থেকে শুধু ভাইয়া ভাইয়া করছিস তোর ভাইয়াকে ভয় পাই নাকি(কিছুটা কাঁপা গলায়)

———“তুই ভাইয়াকে ভয় পাস কি পাস না তা তো আমার ভালো করেই জানা আছে’!!কালকে তো ভার্সিটি থেকে এসেই দৌড়ে আমার রুমে……

———-“হইছে চুপ কর এখন তাড়াতাড়ি আমগুলো কাট’!!

“তারপর দুজন মিলে আম বানিয়ে খেলাম😋যারা দুপুর এভাবেই কেটে গেল……..

__________________________________________

_____________________

“রাতে ডাইনিং টেবিলে বসে সবাই মিলে ডিনার করছি’!!এমন সময় মামা বলে উঠলেনঃ

———“মাইশা কালকে তুই আর কাব্য আমাদের বাগান বাড়ি যাচ্ছিস…..

———“কেন আব্বু……

——–“এমনি যাবি আর শোন পুরো বাড়ি ঝাড়ু দিস…..

———-“কি আমি ঝাড়ু দিতে যামু,আমি যামু না (ইনোসেন্ট মুখ করে)

“আমার কথা শুনে হেঁসে দিলো মামু’!!তারপর বললোঃ

——–“আরে মজা করছিলাম”!!

“এদিকে কাব্য বিড়বিড় করছে……

“তোমার মজাই বাবা ওর জন্য শাজা করে দিবো’!!এই বলে মনে মনে হাসলো কাব্য’!!

“রাতে আমি আর কিছু বললাম না’!!অবশ্য এর আগেও আমি বাগান বাড়িতে গিয়েছিলাম তবে বহু বছর আগে’!!এখন কিছু মনে নেই’!!আবার যাবো ভাবতে মজা লাগছে আমার’!!তার সাথে কাব্য আর আমি শুধু এটা ভেবে কিছুটা ভয় লাগছে……….
.
.
.
.
.
🌼
“রাতে ডিনার শেষ করে রুমে ঢুকতেই কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

———“তা চুরি করা আম খেতে খুব মজা ছিলো তাই না……

“ভাইয়ার কথা শুনে রীতিমতো ভয়ে কেঁপে উঠলাম আমি’!!এই রে ও জানলো কেমনো……’!!আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ

——-“কিসের আম…..কই আমি আর তানিশা ছাঁদে বসে আম খাই নাই তো…….

———“ওহ তার মানে ছাঁদে বসে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়েছিস……

“ভাইয়ার কথা শুনে আমি একদম বোকা বনে গেলাম’!!যা অতিরিক্ত ভয় পেয়ে মুখ ফসকে কি বললাম আমি’!!এখন তোকে কে বাঁচাবে মাইশা’!!কিন্তু ভাইয়া কি করে জানলো……….

_____________________

“এদিকে কাব্য ভাবছে তখন মাইশাকে দৌড়ে ছাঁদে যাওয়ার কথা’!!দুপুরে কাব্য কিছু কাজে বাড়ি এসেছিল’!!তখন বাড়ি থেকে ফেরার পথে মাইশাকে দৌড়াতে দেখে অবাক হয় সে’!আর হাতে আম দেখে কাব্যের আর বুঝতে বাকি রইলো না ও কোথা থেকে আম পেয়েছে'”!!এসব ভেবে কাব্য বলে উঠলঃ

———“কি হলো কথা বলছিস না কেন???

“কাব্যের কথা শুনে হাত মোচড়াতে মোচড়াতে বললাম আমিঃ

——–“ইয়ে না মানে সরি “জামাই”………

“মাইশা কথা শুনে কাব্য অবাক হয়ে বললোঃ

———“কি বললি তুই……..

——–“কই না তো কিছু না,,আজকের মতো সরি……..

“বিনিময়ে ভাইয়া কিছু বললো না’!!চুপচাপ শুয়ে পরলো’!!কাব্যের কাজে অবাক হলাম আমি’!!

——–“আহ সত্যি সত্যি কিছু বললো না……

“বাহ বাহ খুব ভালো এই বলে নাচতে নাচতে শুয়ে পরলাম আমি’!!

_____________________

“সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি করে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পরলাম আমরা’!!মামুনি সব কিছু গুছিয়েই রেখেছিলো’!!গাড়ি চালাচ্ছে কাব্য আর আমি কাঁচের জানালা ভেদ করে বাহিরে তাকিয়ে আছি’……….
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………..

❤️❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট জানাবে’!!]😊😊😊

#TanjiL_Mim❤️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-০৮

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—08
.
.
🍁
“তুমি ড্রিংক করেছো,, কিন্তু তুমি তো ড্রিংক করো না একপ্রকার ঘাবড়ে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম আমি কাব্য ভাইয়াকে’!!

_____________________

“এদিকে কাব্য ভাবছে সে কি করে ড্রিংক করলো’!!
অফিসে নিজের রুমে বসে জোরে জোরে শ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করছিল কাব্য’!!বার বার নিজেকে বোঝাতে ছিল যা হয়েছে তাতে মাইশার কোনো দোষ নেই’!!এসব ভেবে বেশকিছুক্ষন পর নিজেকে স্বাভাবিক করতে পারল কাব্য’!!এমন সময় রুমে আসলো লাবন্য’!!আর লাবন্য হলো কাব্যের খুবই ভালো বন্ধু’!!লাবন্য রুমে ঢুকে বললোঃ

——–“May i Come in Sir…….

——–“yes Come এই বলে সামনে তাকাতেই কাব্য লাবন্যকে দেখে হেঁসে বললোঃ

——–“আরে তুই কি খবর কেমন আছিস…..

“লাবন্য কাব্যের কথা শুনে হেঁসে ভিতরে ঢুকে বললোঃ

——–“হুম ভালো তোর খবর কেমন…….

——–“এই তো চলছে তা তুই কবে ফিরলি দেশে’!!আমেরিকার হাওয়া আর ভালো লাগছে না নাকি……..

———“হুম ফিরেছি কালকে,,

———-“কাল ফিরলে আজ আসছিস কেন কাল কি সমস্যা ছিলো……..

———-“দোস্ত রাগ করিস না কালকে প্রচুর টায়ার্ড ছিলাম সারাদিন ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিয়েছি তাই আর আসা হয় নি’!!এখন বল আমায় বিয়ে কবে করছিস………..

“লাবন্যের কথা শুনে কাব্য উচ্চ স্বরে হেঁসে দিল’!!লাবন্য কাব্যের হাসি দেখে বললোঃ

———-“তুই হাসছিস কেন????

“লাবন্যের কথা শুনে কাব্য নিজের হাসি থামিয়ে বললঃ

———“হাসছি তোর কথা শুনে কি সব বলছিস তুই, আমি তোকে বিয়ে করতে যাবো কেন,,আর আমার বিয়ে হয়ে গেছে……..

“কাব্যের কথা শুনে অবাক হয়ে লাবন্য বললোঃ

——–“কি কবে কখন করলি বললি না তো……..

“ওই তোরে আমি বলিনি আমি বিয়ে করেছি,,তোকে তো মেসেজ দিয়ে ছিলাম’!!

———“আমি তো ভেবেছিলাম তুই মজা করছিস’!!সত্যি তোর বিয়ে হয়ে গেছে’!!

———“আরে সত্যি বিয়ে হয়ে গেছে আর তুই তো আমার সব জিনিসই মজা মনে করিস’!!

———“আর আমিও তো মজা করছি পাগল,,তুই কি ভেবেছিস আমি সত্যি সত্যি তোকে বিয়ে করতে বলেছি’!!

“কাব্য লাবন্যের কথা শুনে আবারো হাসলো’!!তারপর বললোঃ

—–“হুম জানি আমি বহুবার করেছিস……এই বলে আবারো হাসলো কাব্য’!!

_____________________

“এদিকে লাবন্যের কাব্যের হাসি দেখে বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে’!!সেই ভার্সিটির লাইফ থেকে লাবন্য কাব্যকে ভালোবাসে কখনো সাহস করে বলতে পারে নি’!!আর যতবারই বলেছে প্রত্যেক বারই কাব্য মজা মনে করে তা উড়িয়ে দিয়েছে’!!তারপর হর্ঠাৎ তাকে একবছরের জন্য আমেরিকা যেতে হলো জরুরি কাজে যার কারনে আর বলা হয় নি সিরিয়াস ভাবে’!! বলা হয়নি কাব্যকে তার মনের কথা’!!এই মুহূর্তে লাবন্য কাব্যকে কাছে পাওয়ার পুরো নেশায় ছিলো’!!এত দিনের ইচ্ছে এইভাবে নষ্ট হয়ে যাবে তা হয়তো ভাবতেও পারে নি লাবন্য’!!লাবন্য হালকা হেঁসে বললোঃ

———-“তা মিষ্টি কবে খাওয়াচ্ছিস আমার কিন্তু ট্রিট চাই……..

“কাব্য হাসলো তারপর বললোঃ

——–“ঠিক আছে তুই যেহেতু বিয়েতে ছিলি না তাই একটা ছোট্ট ট্রিট দেওয়াই যায়’!!

“এই নিয়ে দুজনের মধ্যে গল্প শুরু’!!তারপর ওরা মিলে ঠিক করে রাতে একটা বড় ডিস্কে গিয়ে পার্টি করবে’!!কাব্য আর কিছু বলে নি……

“কাব্য বাসায় ফোন করে বলে দেয় তার আজকে ফিরতে দেরি হবে’!!কথা মতো রাতের সব কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি কাব্য বেরিয়ে যায় অফিস থেকে’!!

__________________________________________

_____________________

“রাতে ডিস্কে………
“লাবন্য সফট ড্রিংকস এর মধ্যে নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে দিয়ে কাব্যের হাতে দিলো’!!এমন সময় কাব্যের সাথে দেখা হয়ে যায় তার আরেক বন্ধু রিয়াদের সাথে যার ফলে লাবন্য কাব্যকে ড্রিংক খাওয়াতে পারলেও যেটা করতে চেয়েছিল সেটা করতে পারে নি………..’!!রিয়াদ গাড়ি করে কাব্যকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে চলে যায়’!!

“বর্তমানে………

——-“কি হলো কথা বলছো না কেন……..

——–“না কিছু না তুই সর আমি ঘুমাবো……

“কাব্যের কথা শুনে আমি কিছুটা সরে বসলাম’!!ভাইয়া বিছানায় শুয়ে পরলো’!!এমন সময় আমি বিছানা থেকে উঠে যেতে নিলে ভাইয়া আমার হাত ধরে বললঃ

———“কোথায় যাচ্ছিস তুই……….

——–“না মানে কোথাও না তো…..এই বলে আবারো বিছানায় বসে পরলাম আমি’!!

“মাইশা বসতেই কাব্য এসে মাইশার কোমড় জড়িয়ে ধরে ওর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরে বললোঃ

——-“একদম নড়বি না….

——-“ঠিক আছে…….

“আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ

——-“তুমি কি আমার উপর রেগে আছো ভাইয়া…….

——–“এই তোকে ভাইয়া বলতে বারন করেছি না’!(চেঁচিয়ে)

——–“সরি সরি তোমার নাম ধরে ডাকবো তাহলে……

———“না জামাই বলে ডাকবি……

———“কি……..

———“কানে শুনোছ না তুই…….

———“না মানে আমি সত্যি ওই নামে ডাকবো তোমায়……..

———–“ওই নামে না ডাকলে তোকে অনেক বড় শাস্তি দিবো………

———–“কি শাস্তি দিবা তুমি……..কথাটা বলতেই কাব্য মুখ তুলে তাকালো আমার দিকে’!!যা,দেখে রীতিমতো কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে আমার’!!

.

“এদিকে কাব্য মাইশার দিকে নেশা ভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে’!!হর্ঠাৎই কাব্য বলে উঠলঃ

———“কি শাস্তি দেওয়া যায় বল তো…..

——–“না কোনো শাস্তি দেওয়া লাগবে না আমি আর তোমায় ভাইয়া ডাকবো না…….

———“হুম তা ঠিক আছে কিন্তু এখন যে ভাইয়া ডাকলি তার জন্য তো একটা শাস্তি তোকে পেতেই হবে’!!আর তার সাথে দুপুরেও তুই আমায় প্রচুর রাগিয়েছিস তার শাস্তিও তোকে পেতে হবে’!!

“কাব্যের কথা শুনে ভয়ে ঢোক গিললাম আমি’!!তারপর কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ

———-“বিশ্বাস করো দুপুরে যেটা হয়েছে তাতে আমার কোনো দোষ ছিলো না ওই আবির ভাইয়া না বুঝে করেছিল তারপর আমি তো তাকে বলে দিয়েছি আমার বিয়ে হয়ে গেছে'”!! আর তোমার মতো এত সুন্দর ছেলেরে রেখে অন্য কারো দিকে তাকাবো কেন???(জোরপূর্বক হেঁসে)

———-“সত্যি বলছিস…….

———“হুম একদম সত্যি বলছি……..

“এখন তাহলে একটা কিস কর’!!

“কাব্যের কথা শুনে আমার চোখ রসগোল্লার মতো হয়ে গেল’!!মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলঃ

———“কি…….

———-“তুই কি কানে শুনোস না,,হর্ঠাৎই কাব্য আমার দু-গাল চেপে ধরে বললঃ

———“তুই কবে বুঝবি পাগলী…….

———“কি বুঝবো…….

———“আমার মাথা বুঝবি তোকে কিছু বুঝতে হবে না তোকে যেটা করতে বলেছি সেটা কর’!!

——–“না আমি পারবো না আমি ওগুলো পারি না………

———“তুই পারবি না……..

———-“না……

———-“সত্যি পারবি না(রেগে)

“আমি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বললামঃ

———-“আমি ওসব পারি না,,আচ্ছা গালে করলে চলবে……….

———-“হুম চলবে………

“তারপর আর কি মাইশা তার চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে আস্তে করে কাব্যের গালে চুমু দিলো’!!প্রথমে বাম গালে তারপর ডান গালে তারপর কপালে এইভাবে কাব্য হাতের ইশারায় মাইশাকে বলছিল আর মাইশা বেচারি আর কোনো উপায় না পেয়ে তাই করছিল…….

“হর্ঠাৎই কাব্য মাইশার মাথা ধরে মাইশার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিলো’!!ঘটনাটা হর্ঠাৎ করে হওয়ায় মাইশা,পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল’!!!মাইশা কি হচ্ছে তা সব যেন তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে’!!পরক্ষণেই বুঝতে পেরে কাব্যের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করছিল’!!কিন্তু ব্যর্থ সে……….

“বেশকিছুক্ষন পর কাব্য মাইশাকে ছেড়ে দেয়’!!কাব্যের কাছ থেকে ছাড়া পেতেই মাইশা জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে শুরু করল’!!কিছুক্ষন পর নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো সেঃ

——-“এটা কি হলো……

“বিনিময়ে কাব্য কিছু বললো না মাইশাকে তীব্রভাবে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো’!!

__________________________________________

_____________________

“সকালে সূর্যের আলো মুখে পরতে ঘুম ভাঙল কাব্যের’!!মাথাটা জিম জিম করছে তার’!!হর্ঠাৎই বুকের উপর ভাড়ি কিছু অনুভব করায় নিচের দিকে তাকালো’!!মাইশাকে তার বুকের উপর শুয়ে থাকতে দেখে কিছুটা অবাক হলো কাব্য’!!হর্ঠাৎই কাব্য কাল রাতের ঠিক কি হয়েছিল তা মনে করার চেষ্টা করলো’!!কিন্তু কিছুই মনে পরলো না তার’!!সে আস্তে করে মাইশাকে ছাড়িয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল’!!বেশকিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসলো কাব্য মাথাটা প্রচন্ড বেগে ভার হয়ে আছে তার’!!কাব্য তার মাথাটা ধরে সোফায় বসে পরল’!!কিছুক্ষণ পর সোফা থেকে উঠে নিচে চলে গেল’!!

“হর্ঠাৎ ঘুম ভাঙল আমার’!!পাশে কাব্য না থাকায় আমি বুঝতে পেরেছি ভাইয়া উঠে চলে গেছে’!!তারপর আমিও বিছানা উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলাম’!!কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে আসতেই কাব্য ভাইয়াকে বিছানায় দেখতে পেলাম’!!আমি কিছু বললাম না’!!চুপচাপ টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে লাগলাম’!!হর্ঠাৎই কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

———“মাইশা কাল রাতে আমার কি কিছু হয়েছিল……

“কাব্যের কথা শুনে আমি বুঝে গেছি ভাইয়ার কিছু মনে নেই’!!যাক ভালো হইছে’!!আমি হালকা হেঁসে বললামঃ

———-“কই না তো,হুম তুমি কালকে ড্রিংক করে এসেছিলে এটা কিন্তু ঠিক নয় তুমি জানো কালকে তুমি তোমার মধ্যে ছিলে না,,আর এসব ছাইপাস খাবে না,,কিন্তু তুমি তো এগুলো খাও না’!!কাল কেন খেয়েছিলে……..

“মাইশার কথা শুনে কাব্য নিজেও অবাক সত্যি তো সে ওইসব খায় না’!!আর তার যতদূর মনে পড়ে কালকে লাবণ্যের দেওয়া শুধু সফট ড্রিংকসই খেয়েছিল তাহলে কি ওটায় কিছু মেশানো ছিলো নাকি…………।
!
!
!
!
!
!
#চলবে………….

কতোটা চাই তোকে পর্ব-০৭

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—07
.
.
🍁
“কাব্য ভাইয়া আমাদের ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল তার অফিসে’!!আমরাও হাসি মুখ নিয়ে ভার্সিটির ভিতরে প্রবেশ করলাম’!!এমন সময় আমাদের সামনে আসলো দিহান’!!ও আমাদের ক্লাসমেট’!! বলতে গেলে আমরা ভালো বন্ধু’!!ও আমাদের সামনে এসে বললোঃ

——-“কি সাতচুন্নিরা তোরা এতদিন কোথায় ছিলি কোনো খোঁজ খবরই নেই’!!

“দিহানের কথা শুনে তানিশা রেগে বললোঃ

——-“ওই তুই আমাদের সাতচুন্নি বলিস কেন আমাদের কি সাতচুন্নির মতো দেখতে…….

“তানিশার কথা শুনে দিহান হেঁসে বললোঃ

——-“মাইশাকে না হলেও তোকে একদম ওই রকমেই দেখতে…….

“তানিশা দিহানের কথা শুনে রেগে গিয়ে বললোঃ

——-“তুই কি বলল্লি দিহাইনার বাচ্চা আজকে তোর একদিন কী আমার যে কয়দিন লাগে’!!

“তানিশার কথা শুনে দিহান দিলো দৌড় সাথে তানিশাও দিলো দৌড় তারপর শুরু হয়ে গেল তাদের মধ্যে লড়ালড়ি দৌড়’!!আর আমি ওদের কান্ড দেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসতে লাগলাম’!!অবশ্য এটা নতুন নয় ওরা সবসময় কোনো না কোনো কারন নিয়ে সারাদিন ঝগড়া করবেই’!!!

“হর্ঠাৎই কেউ পিছন থেকে বলে উঠলঃ

“এতো হাসো কেন তোমার হাসি দেখলে তো আমি পাগল হয়ে যাই’!!মুহূর্তের মধ্যে হাসি থামিয়ে দিয়ে পিছন ঘুরে তাকালাম আমি’!!সামনে আবির ভাইয়াকে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম আমি'”!!উনি হলেন আমাদের ভার্সিটির সিনিয়র’!!কিন্তু প্রায় এইসব আলতু ফালতু কথা বলে যেটা আমার কাছে সবসময় বিরক্তিকর লাগে’!!যেমনটা এখন লাগছে’!!আমার বিরক্তকর মেজাজে উনি আবার বলে উঠলেনঃ

———“কি হলো মাইশা কথা কেন বলছো না’!!

———“ভাইয়া প্লিজ আমার সাথে এই ধরনের কথা বইলেন না আমার কাব্য ভাইয়া জানতে পারলে আমাকে আর আস্ত রাখবে না(মনে মনে)

——–“কি হলো চুপ কেন??

——–“না ভাইয়া কিছু না এমনি……

——–“তা এতদিন ভার্সিটি আসো নি কেন??

——-“আসলে ভাইয়া আমার বি……এতটুকু বলতেই এমন সময় তানিশা আর দিহান ডাক দিলো আমায়’!!আমিও আর কিছু না বলে ওখান থেকে চলে আসলাম’!!তারপর তিনজন মিলে চলে গেলাম ক্লাসরুমে……….

“এদিকে মাইশা যেতেই আবির হেঁসে বললোঃ

——-“আজকে যখন তুমি এসেছো তাহলে আমি আর দেরি করবো না আজকেই তোমায় সব কথা বলে দিবো’!!এই বলে হেঁসে চলে গেল আবির’!!

_____________________

“আজকের মতো সব ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফেরা উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম আমি আর তানিশা’!!কাব্য ভাইয়াও ফোন করে বলেছে কিছুক্ষনের মধ্যেই চলে আসবে আমাদের নিতে’!!ভার্সিটির মাঠে আসতেই এমন সময় সামনে এসে দাঁড়ালো আবির ভাইয়া ওনাকে দেখে কিছুটা অবাক হলাম আমি’!!উনি হাতে একটা গোলাপ ফুল নিয়ে বললোঃ

——-“মাইশা “আই লাভ ইউ”……..

“ওনার কথা শুনে রীতিমতো চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!আমিসহ তানিশাও হয়তো হা হয়ে তাকিয়ে আছে’!!আমাদের এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবির ভাইয়া বললোঃ

———“কি হলো মাইশা কথা বলো…….

“ওনার কথা শুনে আমি বলে উঠলামঃ

———“ভাইয়া এসব কি বলছেন আপনি ভাইয়া,,আর আমার বিয়ে হয়ে গেছে ভাইয়া’!!

“আমার কথা শুনে আবির ভাইয়া অবাক হয়ে বললোঃ

———“এসব কি বলছো তুমি কবে হলো তোমার বিয়ে আর কার সাথেই হলো’!!

“ওনার কথা শুনে তানিশা বলে উঠলঃ

——–“ভাইয়া সেটা একটা বড় কাহিনি এখন বলা যাবে না আর বিয়েটা হয়েছে কাব্য ভাইয়ার সাথে…….

“আবির ভাইয়া হয়তো অবাক হলো তানিশার কথা শুনে’!!হর্ঠাৎই ভাইয়া বলে উঠলোঃ

———“তাহলে সরি মাইশা তোমার সম্পর্কে না জেনেই এত বড় ভুল করে ফেলেছি,, আই এম সো সরি মাইশা…..

“আমিও হালকা হেঁসে বললামঃ

———“It’s okk ভাইয়া……..

——–“আচ্ছা আরেকটা কথা বলি

——–“জি বলুন ভাইয়া……..

——–“এই গোলাপটা তোমার জন্য নিয়ে এসেছিলাম কিছু মনে না করলে এটা কি তুমি নিবে’!!ভালোবাসা ভেবে নয় এমনি জাস্ট ছোট গিফট হিসেবে নেও (কিছুটা নরম গলায়)

“ওনার কথা শুনে আমার একটু খারাপ লাগলো’!!যার কারনে আমিও মুচকি হেঁসে বললামঃ

——–“ঠিক আছে ভাইয়া দিন…..

“আমার কথা শুনে উনি খুব খুশি হয়ে গেলেন তারপর তার হাতে থাকা গোলাপটা আমার দিকে এগিয়ে দিলেন আমিও মুচকি হেঁসে গোলাপটা হাতে নিলাম’!!

.

“এদিকে দূর থেকে কাব্য এমন দৃশ্য দেখে চোখে আগুন জ্বলে উঠল তার’!!

.

“আবির ভাইয়া গোলাপটা দিয়েই চলে গেলেন’!!এমন সময় কোথা থেকে কাব্য ভাইয়া এসে আমার হাত শক্ত করে ধরে টানতে টানতে ভার্সিটির বাহিরে বের করে নিয়ে আসলো’!!আমাদের পিছন পিছন তানিশা আসলো’!আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো ঘাবড়ে গেলাম’!!পরক্ষণেই মনে হলো ভাইয়া কি তাহলে দেখে ফেললো নাকি আবির ভাইয়ার কাছ থেকে গোলাপ নিছি’!!ভাবতেই ভয়ে ঢোক গিললাম আমি’!!ভাইয়া আমাকে গাড়ির সামনে নিয়ে এসে চেঁচিয়ে বললোঃ

———“তোর সাহস কি করে হলো অন্য ছেলের কাছ থেকে গোলাপ ফুল নেওয়ার’!!

“ভাইয়ার দমক শুনে আমি পুরো ভয়ে কেঁপে উঠলাম’!!এমন সময় তানিশা বলে উঠলঃ

——–“-ভাইয়া তুমি যা ভাবছো তেমন কিছু নয়………

“তানিশার কথা শুনে ভাইয়া আরো রেগে গিয়ে বললোঃ

——”চুপ কর তুই…….

“ভাইয়ার দমক শুনে তানিশাও আর কিছু বলতে পারলো না’!!ভাইয়া ঘন ঘন শ্বাস ফেলছে যাতে বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়া কতটা রেগে গেছে’!!আমি আর তানিশা চুপটি করে কোনো কথা না বলেই গাড়িতে বসে পরলাম’!!তারপর ভাইয়াও কোনো কথা না বলে গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!আর যাইহোক এই রাস্তার ভিতর চেচামেচি করা ভালো দেখাবে না……..

“ঝড়ে গতিতে ভাইয়া গাড়ি চালাচ্ছে’!!আর ভাইয়ার এমন কাজে আমি ভয়ে পুরো অর্ধেক হয়ে যাচ্ছি’!না জানি এখন৷ বাসায় গেলে কি করবে আমায়’!!

__________________________________________

_____________________

“দেড় ঘন্টার রাস্তা আজকে ভাইয়া ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ে এসেছে’!!যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়া কতোটা রেগে আছে’!!ভাইয়া গাড়ি থামাতেই আমি গাড়ি থেকে নেমে এক দৌড় আমায় পায় কে??বাসায় ঢুকেই সোজা তানিশার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি আমি’!!আজকে আর আমায় পায় কে??আজকে কোনো ভাবেই কাব্য ভাইয়ার সামনে যাওয়া যাবে না’!!এই ভেবে বসে পরলাম তানিশার বিছানায়’!!

“এদিকে কাব্য এখন গাড়িতে বসে ঘন ঘন শ্বাস ফেলে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে'”! এমন সময় গাড়ির ভিতরে বসে থাকা তানিশা বলে উঠল কাঁপা কাঁপা গলায়ঃ

——–“ভাইয়া রাগ করো না আগে আমার পুরো কথাটা তো শোনো’!!

”কাব্য চুপটি করে বসে রইল তানিশার প্রশ্নের কোনো উওর দিলো না’!!তানিশা কাব্যকে এই ভাবে চুপ থাকতে দেখে বলে উঠলঃ

——–“ভাইয়া তুমি যেটা ভেবেছো আসলে কাহিনীটা তেমন নয় এই বলে তানিশা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হয়ে যাওয়া কাহিনী বললো কাব্যকে সব শুনে কাব্য কিছু বললো না’!!শুধু এতটুকু বললোঃ

——–“বাড়ি যা তুই…….

———“ভাইয়া মাইশার কোনো দোষ নেই…….

——–“তোকে যেতে বলেছি(দমক দিয়ে)

“কাব্যের কথা শুনে তানিশা আর কিছু না বলেই চলে গেল’!!

“কাব্য কিছুক্ষন বসে কিছু একটা ভেবে গাড়ি চালিয়ে চলে গেল…….

_____________________

“একরাশ ভয় নিয়ে বসে আছি তানিশার রুমে কি করবো এখন কিছুই বুঝতে পারছি না’!!ধুর কেন যে আবির ভাইয়ার কাছ থেকে গোলাপটা নিতে গেলাম’!!কিন্তু না নিলেও তো ভালো লাগতো না’!!কিন্তু এখন কি করবো কাব্য ভাইয়া এখন আমায় কি করবে কে জানে……না জানি কতোটা রেগে আছে'”!! এমন সময় দরজায় টোকা দিল কেউ’!!সাথে সাথে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!বিছানা থেকে উঠে ধীরে ধীরে দরজার কাছে যেতেই তানিশা বলে উঠলঃ

——-“মাইশা দরজা খোল আমি আসছি…..

“তানিশার কন্ঠ শুনে ছোট্ট একটা নিশ্বাস নিয়ে দরজা খুলে দিলাম’!!ও ঢুকতেই আবার দরজা বন্ধ করে দিলাম……..

“আমি তানিশার দিকে তাকিয়ে বললামঃ

——–“বোইন এখন আমার কি হবে……

——–“আমি কেমনে বলুন……’!!এই বলে ও চলে গেল ওয়াশরুমে……

“তানিশার কথা শুনে আরো ভয় পেলাম আমি’!!তারপর চুপটি করে তানিশার বিছানায় বসে রইলাম আর ভাবছি ভাইয়া আমার সাথে কি কি করতে পারে……….
.
.
.
.
.
🌼

রাত_৯:০০টা…….

“তানিশার রুমে পায়চারি করছি আমি’!!আর তানিশা বিছানায় বসে মোবাইল গুতাচ্ছে’!!ইচ্ছে তো করছে কিছু একটা মেরে ওর মাথাটা ফাটিয়ে দেই……..

“সারাদিনে কাব্য ভাইয়া বাড়িতে আসে নি’!!না জানি কোথায় গেছে’!!এদিকে কি করবো না করবো কিছুই বুঝতে পারছি না আমি’!!এমন সময় দরজায় নক করলো মামুনি’!!আমি গিয়ে দরজা খুলে দিলাম’!!দরজা খুলতেই মামুনি বললোঃ

——-“তাড়াতাড়ি খেতে আয়…..

“আমি কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলামঃ

——–“মামুনি কাব্য ভাইয়া আসে নি……

——–“না আসে নি আজকে তার দেরি হবে কোনো এক কাজ আছে তাই’!!!এই বলে মামুনি চলে গেল……..

“মামুনির কথা শুনে আমি মনে মনে প্রচুর খুশি হলাম’!!তারপর খুশি মনে আমি আর তানিশা চলে গেলাম ডিনার করতে’!!ডিনার শেষে টেবিলের পাশে বসে আছি এখন কোথায় ঘুমাবো তানিশার বাচ্চায় তো ওর রুমে যেতে দিবে না’!!এখন তো ওই রুমেই যেতেই হবে’!!এমন সময় মামুনি বলে উঠলঃ

——–“কি হলো বসে আছিস কেন যা রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে থাক’!!কাব্যের ফিরতে দেরি হবে তুই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়……..

“আমিও আর কোনো কথা না বাড়িয়ে চলে গেলাম কাব্যের রুমে’!!রুমে ঢুকেই সোজা বিছানায় শুয়ে পরলাম’!!ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার’!!ঘুম আসছে না অতিরিক্ত ভয়ে থাকলে ঘুম আসে নাকি’!!বেশ কিছুক্ষণ নড়ে চড়ে কাটিয়ে দিলাম’!!তারপরও ঘুম আসলো না’!! ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত_১ঃ০০টা বাজে কাব্য ভাইয়া এখনো আসে নি’!!কেমন যেন টেনশন হচ্ছে আমার’!!এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজে নড়েচড়ে বসলাম আমি’!!কাব্য ঢুলতে ঢুলতে রুমে প্রবেশ করলো’!!রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে সোজা আমার দিকে এগোতে লাগলো’!!চোখ তার পুরো লাল হয়ে গেছে’!!দেখে বুঝতে পেরেছি ভাইয়া ড্রিংক করেছে’!!ভাইয়ার এভাবে আমার দিকে এগোতে দেখে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি……..
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………

♥️♥️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানবেন’!!]😊😊😊😊

#TanjiL_Mim💖

কতোটা চাই তোকে পর্ব-০৬

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—06
.
.
🍁
মাথা নিচু করে বিছানায় বসে আছি আমি আর বাকি সবাই রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে’!!আর সবার চেয়ে বেশি রাগী লুকিং এ আছে কাব্য ভাইয়া’!!অবশ্য দোষটা আমার ছিল বাথরুমে পা পিছলে পড়ে গিয়ে হাতে গুরুতরভাবে আঘাত পেয়েছি আমি’!!গোসল করার সময় হর্ঠাৎই পা পিছলে পড়ে যাই আমি’!!আমার চেঁচানো আওয়াজে কাব্য ভাইয়া আসে’!!তারপর আমার অবস্থা দেখে আমায় কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে দেই তরপর একে একে সবাই চলে আসে রুমে’!!এসেই সবার বকাঝকা শুরু…….যেমন এখনটা দিচ্ছে মামুনি’!!

———“তুই কি কানা নাকি চোখে দেখিস না,,কি করে পরলি বলতো…….

———-“সরি মামুনি কি করে পড়ে গেলাম আমি নিজেও জানি না’!!

———“কি কলে পরলাম আমিও জানি না মামুনি এটা কোনো কথা মাইশা…….

———“সরি আমার কি দোষ বলো আমি তো এই বলে যেই না হাতটাকে একটু নাড়াতে গেলাম তখনি ব্যাথায় মুখ থেকে বেরিয়ে আসল ”আস”

“আমার ব্যাথার আওয়াজে মামুনি তাড়াতাড়ি করে একটা মলম নিয়ে আসলো’!!”তারপর হাতে মলম লাগিয়ে দিল’!!তারপর একে একে সবাই চলে গেল’!!শুধু থেকে গেল কাব্য ভাইয়া’!!……

“চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে ভাইয়া’!!যা দেখে ভয়ে চুপটি করে বসে আছি আমি কোনো কথা বলছি না’!!

“হর্ঠাৎই ভাইয়া সামনে এসে বললোঃ

——–“তোর চোখ কোথায় থাকে,কখন কোথায় কিভাবে হাঁটতে হয় সেটাও জানিস না’!!ইডিয়েট মেয়ে কোথাকার,,এতটুকু বলে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চলে গেল কাব্য ভাইয়া’!!ভাইয়া যেতেই জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে লাগলাম আমি’!!

——–“ধুর ভাল্লাগে না এমনিতেই মন টা ভালো ছিল না তারপর ওপর হাতটায় ব্যাথা পেয়েছি,,উফ কি যন্ত্রণা করছে এই বলে ফু দিতে লাগলাম আমি’!!ব্যাথা পাইছি তো পাইছি ডান হাতটায় পেতে হলো এখন আমি খাবার খাবো কিভাবে……..

__________________________________________

_____________________

“রাত_৯ঃ০০টা………

“বিছানায় বসে আছি আমি’!!আর নিচে সবাই খাবার খাচ্ছে’!!অবশ্য মামুনি বলেছে নিচে সবাইকে খাবার দিয়ে আমার জন্য খাবার নিয়ে আসবে’!সেই অপেক্ষায় বসে আছি আমি’!!হাতে ব্যাথার কারনে আমাকে নিচে যেতে বারন করেছে মামুনি’!!ধুর এই মুহুর্তে নিজের প্রতি নিজেরই রাগ হচ্ছে আমার’!!কি করে যে পড়ে গেলাম বুঝতেই পারি নি’!!এদিকে খিদেও পেয়েছে খুব’!!এই মুহূর্তে আম্মুর কথা ভীষণ মনে পরছে আমার’!!এখন যদি বাসায় থাকতাম আম্মুও মামুনির মতো খাবার নিয়ে এসে খাইয়ে দিতো’!!ভাবতেই মনে মনে খুশি হয়ে পরক্ষণেই দীর্ঘশ্বাস ফেললাম আমি’!!এমন সময় দরজার খোলার আওয়াজে নড়েচড়ে বসলাম আমি’!!সামনে তাকিয়ে কাব্য ভাইয়াকে দেখে ভয়ে কিছুটা মাথা নিচু করে ফেললাম আমি,,না জানি আবারো বকা দেয় নাকি…..

“হর্ঠাৎই ভাইয়া এসে আমার পাশে বসলো’!!হাতে তার খাবার প্লেট’!!কিন্তু ভাইয়া কেন নিয়ে আসলো মামুনির আনার কথা ছিলো তো’!!কিন্তু আনছে যখন খেতে তো হবেই কিন্তু খাবো কিভাবে আমি তো হাত নাড়াতেই পারছি না’!!এসব আলতু- ফালতু ভাবনার মাঝে ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“হা কর…….

“ভাইয়ার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে তাকালাম আমি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ভাইয়া আমার দিকে এক লোকমা খাবার মুখের কাছে ধরে রেখেছে…….

“আমি হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম ভাইয়ার কান্ড দেখে’!!আমাকে এই ভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভাইয়া বলে উঠলঃ

——-“কি হলো কথা কি কানে যাচ্ছে না তোর”!!

“ভাইয়ার কথা শুনে কিছুটা হকচকিয়ে উঠলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

———“তুমি আমায় খাইয়ে দিবে ভাইয়া…….

———“তুই আবার আমায় ভাইয়া ডাকছিস……

“ভাইয়ার কথা শুনে ঠোঁটে কামড় দিলাম আমি’!!তারপর একসাথে বলতে লাগলামঃ

———-“সরি সরি ভাইয়া সরি থুক্কু প্লিজ রাগ করো না আমি চেষ্টা করছি তো ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে,,প্লিজ এখন কোনো শাস্তি টাস্তি দিও না’!!এমনিতেই হাতে যন্ত্রণায় আমি সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছে……

_____________________

“এদিকে মাইশার কথা শুনে কাব্যের বুকের ভিতর ব্যাথা শুরু হয়ে গেল’!!তার সাথে রাগ ও উঠতে লাগলো’!!তার তো ইচ্ছে একটা থাপ্পড় মেরে দিতে মাইশাকে’!!তারপর যথা সম্ভব নিজের রাগকে কন্টোল করে বলে উঠল সেঃ

——–“ব্যাথা তো করবেই ওই রকম পাগলের মতো কাজ করলে তো ব্যাথা পাবি’!”না জানি কিভাবে পড়ে গেছোস তুই যা হয়েছে ভালো হয়েছে,,ইস্টুপিট মেয়ে……..

——–”আমি পাগল,সাথে ইস্টুপিট (মনে মনে)

——–“কি হলো চুপ কেন আর এত কথা শুনতে চাই নি মা বললো তোকে খাবার খাইয়ে দিতে তাই খাবার খাইয়ে দিচ্ছি এত কথা কেন বলছিস তুই তাড়াতাড়ি হা কর’!!(দমক দিয়ে)

“ভাইয়ার দমক শুনে তাড়াতাড়ি করে খাবার খেতে লাগলাম আমি’!!এই প্রথমবার ভাইয়া আমাকে নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে ভাবতেই অবাক লাগছে’!!এর আগে যতবার ভাইয়ার সাথে দেখা আর কথা হয়েছে ততবারই শুধু বকা দিত,,কোনো ছেলের সাথে কথা বললে মন্দ বললো রাগারাগি করতো’!!আর ভাইয়া রেগে গেলে খুব কড়া শাস্তি দিতো’!!এই প্রথম ভাইয়া খুব কম বকা দিসে তার সাথে আবার খাবারও খাইয়ে দিচ্ছে’!!মনে মনে খুব ভালো লাগছে’!!ভাইয়া আমায় খাইয়ে দিচ্ছে আর আমি অপলকভাবে তাকিয়ে আছি ভাইয়ার দিকে’!!এই মুহুর্তে ভাইয়াকে সত্যি অন্যরকম লাগছে’!!কে বলবে এই ছেলেটা এতটা রাগী আর বদমেজাজি……..

“বেশকিছুক্ষন পর ভাইয়া আমায় সব খাবার খাইয়ে দিয়ে খাবার প্লেট নিয়ে চলে গেল’!!আমিও পানি খেয়ে শুয়ে পরলাম’!!কেন জানি না ভাইয়ার প্রতি এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে’!!আজ বুঝতে পেরেছি ভাইয়া আসলে বাইরে থেকে যতটা রাগী বুঝায় আসলে ভাইয়া ততটা রাগী নয়’!!ভেতরটা হয়তো অনেক নরম’!!এইভেবে মুচকি হেঁসে চোখ বন্ধ করে ফেললাম’!!ধীরে ধীরে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলাম আমি’!!

_____________________

“রাত ১২ঃ০০টা………

“রুমে ঢুকে লাইট অফ করে দিল কাব্য’!!তারপর এসে বসে পরলো বিছানায়’!!কাব্য এই দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাইশার মুখের দিকে’!!জোৎসা ভরা রাতে জানালা ভেদ করে চাঁদের আলো এসে মুখে পরছে মাইশার’!!কতোটা না মায়াবী লাগছে মাইশাকে কাব্যের কাছে’!!!কাব্যের হাত অটোমেটিক চলে যায় মাইশার মাথার কাছে’!!তারপর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে একটা “পাগলী মেয়ে” আর এখন তো “পাগলী বউ” আমার’!!এই পাগলীটার জন্য সেই ছোট বেলা থেকে পাগল আমি’!!অথচও এই পাগলীটা আজও বুঝতে পারলো না’!!কবে বুঝবি তুই #কতোটা_চাই_তোকে আমি’!!তুই শুধু আমায় ভয় পেয়ে গেলি কখনো ভালোবাসতে পারলি না’!!তবে আমি জানি আজ নয় কাল একদিন ঠিকই বুঝবি তুই আমার ভালোবাসা’!!আর আমি সিউর একদিন তুইও আমায় ভালোবাসবি’!!হয়তো আমার চেয়েও বেশি’!!কিন্তু কবে পাগলী,,কবে আসবে সেই দিন’!!তোর মুখে ভালোবাসার কথাটা শোনার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছি আমি’!!কবে এই ব্যাকুলুতার অবসান ঘটবে’!!আমি জানি মাইশা তোকে যেভাবে বিয়ে করেছি আমি সেটা হয়তো করা উচিত হয় নি’!!কিন্তু কি করব বল আর তো কোনো উপায় ছিল না’!!সেদিন তোকে ওইভাবে বিয়ে না করলে হয়তো সারাজীবনে জন্য হারিয়ে ফেলতাম আমি’!!তার সাথে রিয়াও কষ্ট পেতো’!!আমরা কেউও সুখী হতাম না’!!তার চেয়ে বরং এটাই ঠিক হয়েছে তুই আমায় ভালো না বাসিস কমছে কাম চোখের সামনে তো থাকবি এটাই আমার জন্য অনেক’!!তোর দুষ্ট মিষ্টি কথাগুলো যে আমার খুব ভালো লাগে’!!এখন শুধু অপেক্ষা তোর ভালোবাসার’!!এইভেবে দীর্ঘ শ্বাস ফেললো কাব্য’!!তারপর মাইশার কপালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল কাব্য’!!

__________________________________________

_____________________

“সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখলাম ভাইয়া আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে’!!ভাইয়া এতটাই শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে যে আমি নড়তেও পারছি না’!!এখন কি করবো’!!হাতের ব্যাথায় তো কিছু করতেও পারছি না’!!হর্ঠাৎই ভাইয়ার মুখের দিকে চোখ গেল আমার’!!কতোটা সুন্দর লাগছে ভাইয়াকে চুলগুলো পড়ে আছে ভাইয়ার কপালে’!!ইচ্ছে তো করছে হাত দিয়ে সরিয়ে দেই’!!কিন্তু এই মুহুর্তে সেটা কোনোভাবেই পসিবল নয়’!!হর্ঠাৎই ভাইয়া একটু নড়েচড়ে উঠলো’!!ভাইয়াকে এভাবে নড়তে দেখে খিচে চোখ বন্ধ করে ফেললাম আমি’!!না জানি আমি উঠে গেছি দেখে কি বলবে…….

“কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে তাকালাম আমি’!!!ভাইয়া এখনো ঘুমিয়ে আছে’!!ভাইয়া নড়ে যাওয়াতে কিছুটা সুবিধা হলো আমার’!!আস্তে আস্তে ভাইয়ার হাত সরিয়ে উঠে পড়লাম আমি’!!তারপর বিছানা থেকে উঠে এসে চলে গেলাম ওয়াশরুমে……

“কিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসলাম আমি’!!!ভাইয়া তখনও ঘুমিয়ে ছিলো’!!আমি আর কিছু না করেই চলে গেলাম নিচে……..
.
.
.
.
.
🌼

“দেখতে দেখতে কেটে গেল পুরো একসপ্তাহ’!!এখন আমার হাত আর আমি দুজনেই পুরোপুরি সুস্থ’!!এখন আর কোনো অসুবিধা নেই হাত নড়াচড়া করতে’!!এই সপ্তাহে প্রতিদিনই ভাইয়া আমায় খাবার খাইয়ে দিসে’!!বিষয়টা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে’!!আজকে থেকে বিষয়টা মিস করবো খুব’!!আমার ভাবনার মাঝে তানিশা রুমে এসে বললোঃ

——–“তোর কি হয়েছে ভাইয়া তো মনে হয় আমাদের রেখেই চলে যাবে…..তারওপর ভার্সিটিতে যেতেও তো দেরি হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি কর বোইন……

“তানিশার কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিয়ে চলে আসলাম আমি’!!তারপর তানিশাকে বলে উঠলামঃ

——–“চল আমি তৈরি…….

——–“হুম চলেন ভাবীজান…….

“তানিশার কথা শুনে হাসলাম আমি’!!তারপর দুজনেই একসাথে চলে আসলাম নিচে’!!তারপর মামুনি আর মামার কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে চলে আসলাম আমরা বাহিরে……..

“গেটের বাইরে বের হতেই দেখলাম কাব্য ভাইয়া গাড়ির কাছে এলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে’!!পরছে তার ব্লাক শার্ট ব্লাক জিন্স হাটা কনুই পর্যন্ত বোল্ড করা,,ভাইয়াকে দেখিছি বেশি ভাগ সময় ব্লাকই পড়ে আর দেখতেও খুব সুন্দর লাগে’!!যেমনটা এখন লাগছে’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল ভাইয়ার চোখের দিকে ভাইয়া চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে’!!যা দেখে কলিজার পানি শুকিয়ে গেছে’ আমার’!!না জানি এখন আবার কি বলে বকা দিবে…….

“আমার সামনে যেতেই ভাইয়া চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ

——-“তোদের এত সময় লাগে আসতে ভার্সিটি যাচ্ছিস নাকি বিয়ে বাড়ি’!!

——–“আর বলো না ভাইয়া এই মাইশাই তো…….

“এতটুকু বলতেই তানিশার পায়ে পাড়া দিলাম আমি’!!সাথে সাথে তানিশা আহ বলে চেঁচিয়ে উঠল’!!

“কাব্য ভাইয়া হয়তো বুঝতে পেরেছে ঘটনাটা কি তাই আর তেমন কিছু না বলে শুধু বললোঃ

——-“ঠিক আছে এখন চল তাড়াতাড়ি তোদের ভার্সিটি দিয়ে আমি অফিস যাবো……..

“ভাইয়ার কথা শুনে আমরা দুজনেই একসাথে পিছনের সিটে বসতে গেলে ভাইয়া বলে উঠলঃ

——-“এই তোদের কি আমাকে তোদের ড্রাইভার মনে হচ্ছে’!!একজন সামনে বস এই বলে ভাইয়া ড্রাইভার সিটে বসে পরলো…..

“আমি তানিশার হাতে খোঁচা মেরে বললামঃ

——–“তুই গিয়ে বসে পর……

———“আমি পারুম না তুই বস…….

——–“বস না বোইন…..

——–“না মানে না……

“এমন সময় ভাইয়া চেচিয়ে বললঃ

——–“তোরা কি বসবি নাকু তোদের রেখেই চলে যাবো…….

“ভাইয়ার চেঁচানোর আওয়াজে আমি আর কিছু না বলেই তাড়াতাড়ি গিয়ে বসে পরলাম ভাইয়ার সাথে সামনের সিটে’!!আর তানিশা পিছনে…..

“আমরা বসতেই ভাইয়া গাড়ি চালাতে শুরু করল………..
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………….

❤️❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন]😊😊😊

#TanjiL_Mim💖

কতোটা চাই তোকে পর্ব-০৫

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—05
.
.
🍁
“সিগ্ধতার বিকাল বেলা জানালা ভেদ করে সূর্যের হালকা তাপ এসে পড়ছে কাব্য ভাইয়ার মুখে’!!কি অপূর্ব না লাগছে তাকে’!!ঘুমের ঘোরে ভাইয়াকে এতটা সুন্দর লাগে আগে জানা ছিল না আমার’!!বাড়ি এসে দুপুরের খাবার শেষ করে ভাইয়া আমার রুমে এসে ঘুমিয়ে পরল’!!সারাদিন এটা ওটা করার ফলে খুব একটা আসা হয় নি ভাইয়ার কাছে’!!আপুর সাথেও কথা বলে নি কাব্য ভাইয়া’!!হয়তো অভিমান করেছে’!!আমি কথা বলে ছিলাম একটু-আধটু’!!খারাপ লাগার বিষয়টা যেটা হলো আব্বু আমার সাথে কথা বলে নি’!!যেটা আমাকে সত্যি খুব কষ্ট দিচ্ছে’!!রাসেল ভাইয়ার সাথেও কথা বলেছি’!!খুবই ভালো ব্যবহার তার’!!দেখতেও সুন্দর’!!বিয়েতে তো তার দিকে তাকানোই হয় নি’!!অবশ্য তখন তেমন কোনো পরিস্থিতি ছিল না’!!হর্ঠাৎই আমার ভাবনার মাঝে ভাইয়ার ঘুম থেকে উঠে বললোঃ

———“কি হলো ওইখানে দাঁড়িয়ে থেকে কি ভাবছিস…….

“আচমকা এমনটা হওয়াতে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলে উঠলামঃ

———-“তোমায় আব্বু ডাকছে তাই আম্মু তোমায় ডাকতে বললো তাই আসছিলাম’!!

———-“ওহ তাহলে ডাকতে এসে পেঁচার মতো তাকিয়ে ছিলি কেন??

“ভাইয়ার কথা শুনে মুহূর্তে মেজাজ বিগড়ে গেল’!!

———“কি আমি পেঁচা,,তুমি কি তুমি তাহলে একটা হনুমান,

——–“কি বললি তুই……এই বলে ভাইয়া বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো’!!

“যা দেখে ভয় পেয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!এই রে এটা তুই কি বললি মাইশা’!!এখন কি হবে তোর,,তোকে কে বাঁচাবে এখন শয়তান এই হনুমানের কাছ থেকে’!!এসব ভেবে আমতা আমতা করে বললামঃ

——–“না না কি বলিনি ভাইয়া কিছু বলে নি,,আমি তো মজা করছিলাম, মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে(জোর পূর্বক হেঁসে)

——–“ও মজা করছিলি দিনে দিনে দেখছি তোর সাহস বেরে গেছে এই বলে ভাইয়া আমার দিকে এগোতে লাগলো’!

“যা দেখে আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ

——–“দেখো ভাইয়া,,তুমি কথায় কথায় এইভাবে এগিয়ে আসো কেন,,আমরা তো দূরে বসেও কথা বলতে পারি নাকি,, (পিছন দিকে যেতে)

——–“হুম পারি তো কিন্তু তুই কেন পিছনে যাচ্ছিস সেটা বল…..

“একপর্যায়ে কাব্য ভাইয়া আমায় দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বললঃ

——–“হুম কি যেন বলছিলি তুই……..

——–“দেখো ভাইয়া তুমি আমায় পেঁচা বলেছো আমি তোমায় হনুমান বলেছি তাই শোধবোধ,,(ভয় পেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে)

———“ওহ শোধবোধ,,, আর তুই এখনো আমায় ভাইয়া ডাকছিস কেন??……..

———“ইয়ে না মানে কি বলো তো ভাইয়া………..

——–“আবার ভাইয়া……

———“ইয়ে না মানে থুক্কু অনেক দিনের অভ্যাস তো ভাইয়া,, এক দিনে কি যায় বলো……

——–“তোর তো দেখছি মুখে শুধু ভাইয়া ভাইয়া আসছে ওয়েট আমি কিছু করছি আজকের পর আর তুই ভাইয়া ডাকবি না…….

———“সেটা কি করে…….

“বলতেই ভাইয়া ঝুঁকে গেল আমার দিকে’!!যা দেখে ভয় পেয়ে খিচে চোখ বন্ধ করে ফেললাম আমি…..

“আচমকা কাব্য ভাইয়া আমার ঘাড়ে তার ঠোঁট স্পর্শ করল,,সাথে সাথে বরফের মতো শক্ত হয়ে গেলাম আমি,,ভাইয়ার ঠোঁটের স্পর্শে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম’!!হর্ঠাৎই ভাইয়া আমার ঘাড়ে জোরে কামড় বসিয়ে দিল’!!মুহূর্তেই ঘাড়ে ব্যাথা অনুভব করলাম আমি’!……

“কিছুক্ষণ পর ভাইয়া আমায় ছেড়ে দিয়ে বললোঃ

——-“এটা হলো তোর শাস্তি আজ থেকে যতবার ভাইয়া ডাকবি ততবার তোকে এই শাস্তি পেতে হবে এই বলে ভাইয়া ওয়াশরুমে চলে গেল’!!আর আমি এখনো হাবলার মতো তাকিয়ে রইলাম ভাইয়ার যাওয়ার পানে……যেন যা বলে গেল সব মাথার উপর দিয়ে গেল’!!

“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘাড়ের দিকে তাকাতেই চোখ রসগোল্লার মতো হয়ে গেল’!” শয়তানটায় এত জোরে কামড় দিসে যে রক্ত বেরিয়ে আসল’!!জায়গাটা জ্বলছে ভীষণ,,এইরে এখন বাহিরে যাবো কিভাবে’!!সবাই দেখলে কি ভাববে,,ধুর কেন যে সারাদিন শুধু ভাইয়া ভাইয়া করি,,এখন থেকে মুখে লাগাম দিতে হবে মাইশা,,না হলে শয়তানটা আবার ব্যাথা দিবে…….এই বলে চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে,,ঘাড় ঢেকে দিলাম যাতে কেউ না দেখে এমন সময় ভাইয়া বেরিয়ে আসলো,,আমি কিছু বললাম না,,

“তারপর দুজনেই চলে আসলাম নিচে……..

__________________________________________

_____________________

“আব্বুর রুমে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি আমি,,আর আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে কাব্য ভাইয়া'”!!! রুমে এই মুহুর্তে আমি আব্বু আর কাব্য ভাইয়া আছি’!!আব্বু কাব্য ভাইয়াকে দেখে বললোঃ

———“কাব্য ওখানে দাঁড়িয়ে কেন এদিকে আয়…….

“ভাইয়াও আব্বুর কথা শুনে গেল সামনে,,আমি এখনো চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছি’!!কাব্য ভাইয়া সামনে যেতেই আব্বু কাব্য ভাইয়ার হাত ধরে বললঃ

———“আমি জানি কাব্য আমরা যেটা করেছি সেটা হয়তো একদমই করা উচিত হয় নি’!!জানি তোর হয়তো রিয়ার জায়গায় মাইশাকে মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে’!!বিশ্বাস কর আমি আগে জানলে মাইশাকে কখনোই তোর সাথে বিয়ে দিতাম না’!!কিন্তু তখন তোর বাবা এতটা জোর করলো আর তুইও রাজি ছিলি তাই দিয়েছিলাম না হলে দিতাম না’!!

“আমি আর শুনতে পারলাম না আব্বুর কথা,, আমার জন্য আব্বু কাব্য ভাইয়ার সামনে মাথা নিচু করে কথা বলছে যেটা মটেও ভালো লাগছে না আমার কাছে’!!আমি আর দাঁড়ালাম না ওখানে দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসলাম’!!

“এদিকে কাব্য খেয়াল করেছে মাইশা ওখান থেকে চলে গেছে,,এই মুহূর্তে কাব্যের নিজের কাছেও বিষয়টা খারাপ লাগছে’!!বিনা দোষে মাইশা কষ্ট পাচ্ছে,,কিন্তু কিছু তো করার ছিলো না,,এমনটা না করলে তো একসাথে তিনটে মানুষ কষ্ট পেত’!!এই ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ফেললো কাব্য তারপর আব্বুর হাত ধরে বললঃ

——–“দেখো বাবা যেটা হওয়ার সেটা হয়ে গেছে আর আমার কোনো অসুবিধা নেই মাইশাকে মেনে নিতে,,’!!

“আব্বু কাব্যের কথা শুনে ওর মাথায় হাত দিয়ে বললোঃ

———-“তোর কথা শুনে মনটা হালকা লাগছে কাব্য,,’!!তারপর আব্বু আর কাব্য এটা,ওটা বলে গল্প করতে লাগলো’!!

_____________________

“বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!আর শুধু দীর্ঘ শ্বাস ফেলছি,,অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে আমার’!!আমার জন্য আব্বু মাথা নিচু করে কাব্য ভাইয়ার সাথে কথা বলছে সেটা মটেও ভালো লাগছে না আমার’!!এমন সময় পিছন থেকে আমার কাঁধে হাত রাখলো’!!পিছন ঘুরে আপুকে দেখে এই মুহুর্তে প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আমার’!!আমি পিছন ঘুরে আপুর হাত সরিয়ে বললামঃ

——–“তুমি আমার সাথে কথা বলবে না’!!তোমার জন্য আজকে আব্বু কাব্য ভাইয়ার সাথে মাথা নিচু করে কথা বলছে……

“আমার কথা শুনে আপু বললোঃ

——–“তাই আমার উপর রাগ করছিস…….

“বিনিময়ে আমি কিছু বললাম না’!!আমায় চুপ থাকতে দেখে আপু বললোঃ

———“আমি জানি বোন এই মুহুর্তে তোর আমার উপর খুব রাগ হচ্ছে ঘৃণা হচ্ছে’!!কিন্তু বিশ্বাস কর এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না’!!তুই জানিস আব্বু প্রেম-ভালোবাসা কোনোদিনও পছন্দ করে না আর এটাও জানিস আমি আব্বুকে কতোটা ভয় পাই,,তার সাথে সেই ছোট বেলা থেকেই কাব্যের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে ছিল আব্বু তাই তো কিছু করতে পারছিলাম না’!!তাই বাধ্য হয়ে তোর কথা বলা লাগলো’!!

——–“তাই বলে আপু………..

——–“তুই তো কাউকে ভালোবাসিস নি তাই এখন এমন হচ্ছে যেদিন কাউকে সত্যি কারের ভালোবেসে ফেলবি সেদিন দেখবি তোর মনে হবে আমি কোনো ভুল করে নি’!!আর আমি যেমন কাব্যকে ভালোবাসি না,,আর তার সাথে কাব্যও তো আমায় ভালো এতটুকু বলতেই এমন সময় আপুর ফোনটা বেজে উঠল’!!আপু ফোনটা হাতে নিয়ে আমার গালে হাত দিয়ে বললোঃ

——–“প্লিজ বোন কষ্ট পাস না দেখবি সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে…….’!!এই বলে আপু চলে গেল’!!

“আর আমি ভাবছি আপু বলা কথাটা তুই যখন কাউকে ভালোবাসবি তখন বুঝবি,,ভালো আর বাসতে পারলাম কই তার আগেই তো বিয়ে হয়ে গেল’!!ধুর………..

_____________________

“পরের দিন সকালবেলা………

“কাব্য ভাইয়ার অফিসে জরুরি কাজ থাকার কারনে আমাদের চলে আসতে হলো’!!অবশ্য ভাইয়া বলেছে খুব তাড়াতাড়ি আমায় নিয়ে আবার আসবে’!!আপুরা থেকে গেল হয়তো আরো কিছুদিন থাকবে তারা তারপর যাবে………..

“গাড়িতে বসে আছি আমি ভালো লাগছে না’!!এইভাবে ধুম করে বিয়ে হয়ে যাবে সেটা আমি কল্পনাও করতে পারি নি’!!জানালার দিকে তাকিয়ে আছি বাহিরে’!!সবাই যে যার মতো কাজে ব্যস্ত’!!এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“কি ভাবছিস………..

——–“না কিছু ভাবছি না তো এমনি……

——–“মন খারাপ করছে……

——-“না তেমন কিছু নয় ভা…এতটুকু বলে ঠোঁটে কামড় দিলাম আমি…….’!!তারপর তাকালাম ভাইয়ার দিকে না কিছু শুনে নি…উফ বাঁচলাম বাবা শুনলে হয়তো এখানেই……..

“এরপর গাড়িতে আমাদের আর কোনো কথা হয় নি’!!পুরো রাস্তাটাই নীরবতায় কাটিয়ে দিলাম’………

“বাড়ি ফিরে মামুনির সাথে কিছুক্ষণ কথা চলে সোজা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম ওয়াশরুমে……
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………

❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন’!!]😊😊

#TanjiL_Mim❤️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-০৪

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—04
.
.
🍁
“সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখলাম আমি কাব্য ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছি’!!যা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!হায় এখন যদি ভাইয়া আমায় এই ভাবে দেখে ফেলে তাহলে নিশ্চয়ই বকাযকা করবে এই ভেবে তাড়াতাড়ি করে ভাইয়া ছাড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে পরলাম আমি’!!!তারপর ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলাম’!!একে একে সবাই চলে আসলো সবাই নিচে’!!কাব্য ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আসলো নিচে’!!তারপর মামুনি সবাইকে খাবার বেরে দিল’!!খাবার খেতে খেতে মামা বলে উঠলেনঃ

———“কাব্য আজকে তুমি মাইশাকে নিয়ে ওদের বাসায় যাবে…’!!

———“না গেলে চলবে না’!!

——–“না তোমাকে যেতেই হবে……’!!

“কাব্য ভাইয়া আর কিছু বললো না’!!মনে মনে খুব খুশি হলাম আমি’!!তারপর ব্রেকফাস্ট করে রুমে চলে আসলাম’!!

“রুমে আসতেই দেখলাম’!কাব্য ভাইয়া বিছানায় বসে মোবাইল টিপছে’!!আমি কিছু বললাম না চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম’!!এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে’!!আমার কিছু কাজ আছে সেগুলো শেষ করে এসে তোকে নিয়ে যাবো’!!ফিরে এসে যদি দেখি তুই তৈরি হোস নি তাহলে কিন্তু তোকে এখানে রেখেই আমি চলে যাবো’!!এই বলে ভাইয়া বিছানা থেকে উঠে চলে গেল বাইরে………’!!

“আমিও আর কিছু না ভেবে আলমারি থেকে একটা সুন্দর শাড়ি বের করে শাড়িটা হাতে নিয়ে চলে গেলাম মামুনির কাছে…….

__________________________________________

“মামুনির রুমে ঢুকতেই দেখলাম মামুনি বিছানায় শুয়ে আছে’!!অসময়ে মামুনিকে এইভাবে শুয়ে থাকতে দেখে চিন্তিত স্বরে বললামঃ

——–“কি হলো মামুনি তুমি এই সময়,শুয়ে আছো শরীর খারাপ করছে নাকি……..

——–“আরে না এমনি ভালো লাগছিল না তাই শুয়ে ছিলাম এখন বল তুই এখানে……

“মামুনির সামনে আমার হাতে থাকা শাড়িটা দেখিয়ে বললামঃ

——–“আমাকে শাড়ি পরিয়ে দেও,,আমি পারছি না…….

“আমার কথা শুনে মামুনি হেঁসে বললোঃ

———-“এই ব্যাপার আয় আমি পরিয়ে দিচ্ছি আর শিখিয়েও দিচ্ছি……

“মামুনির কথা শুনে মুচকি হাসলাম’!!তারপর মামুনি আমায় শাড়ি পরাতে পরাতে শিখিয়েও দিল কিভাবে শাড়ি পরতে হয়’!!পুরোপুরি না বুঝলেও মোটামুটি পেরেছি……..

“মামুনি আমায় শাড়ি পরিয়ে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে’!!যা দেখে আমি বলে উঠলামঃ

——–“ওই ভাবে তাকিয়ে আছো কেন মামুনি,,আমাকে ভালো দেখাচ্ছে না,,জানতাম এই শাড়িতে কখনো আমায় ভালো লাগে না’!!

“আমার কথা শুনে মামুনি বলে উঠলঃ

——–“এত বুঝিস কেন তুই তোকে ভালো লাগছে না কে বলেছে তোকে ভালো লাগছে তাই তো তাকিয়ে আছি…….

“মামুনির কথা শুনে খুশি হয়ে গেলাম আমি’!!তারপর মামুনির গালে হাত দিয়ে বললামঃ

——–“থ্যাংকু মামুনি……….

“মামুনির রুম থেকে বের হতেই তানিশার সাথে দেখা হলো’!!ও আমায় দেখে হা হয়ে তাকিয়ে রইল’!!তানিশা দৌড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে বললঃ

——–“ওরে ভাবি তোকে তো সেই দেখাচ্ছে…….

“আমিও একটু ভাব নিয়ে বললামঃ

———“থ্যাংকু😎এই বলে হেঁসে দিলাম দুজনেই……..

“তারপর ও চলে গেল ওর রুমে আর আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলাম’!!

“রুমে ঢুকতেই দেখলাম ভাইয়া অলরেডি চলে এসেছে’!!হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম ভাইয়ার দিকে আজকে ভাইয়া একটা ব্লাক জিন্স আর ব্লাক শার্ট পরেছে,,ব্লাক ঘড়ি,চুলগুলো সাজানো অসম্ভব সুন্দর লাগছে ভাইয়াকে’!!সত্যি কথা বলতে ভাইয়াকে খুব ভালো লাগে,,কিন্তু যেদিন থেকে যেনে ছিলাম ভাইয়ার সাথে আপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে সেদিন থেকে আর ভাইয়ার দিকে ওতোটা তাকাই নি’!!কিন্তু কে জানতো এই ভাইয়ার সাথেই আমার বিয়ে হয়ে যাবে’!!আমার এসব ভাবনার মাঝেই ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“কি হলো হা হয়ে তাকিয়ে আছিস কেন??

“ভাইয়ার কথা শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

——–“না ও কিছু না
“আমি খুশি মনে বললামঃ

——–“আমায় কেমন দেখাচ্ছে ভাইয়া……..একটা মুচকি হাসি দিয়ে ভাইয়ার দিকে বললাম’!!

ভাইয়া কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে বললঃ

——–“একদম পেত্নীদের মতো লাগছে,,এতো সেজেছিস কেন এমনেই ভুত মতো লাগে তারওপর এতো মেকাপ একদম পেত্নীর মতো লাগছে…….

“মুহুর্তের মধ্যে মেজাজ তুরকে গেল’!!

———“কোথায় ভাবলাম ভাইয়া প্রশংসা করবে তা না এটা কি বললো’!!ধুর এই জন্যই বলি মাইশা যেচে প্রশংসা পেতে গেলে যা হয় আর কি,,বোকা মেয়ে কোথাকার আর একদ ঠিক হইছে…….এই সব বলে মনে মনে নিজেকে গালি দিতে লাগলাম আমি’!!!এমন সময় ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“কি হলো এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি না যাবি……

——–“হুম যামু চলেন…….তারপর আমরা দুজনেই রুম থেকেই বেরিয়ে আসলাম’!!নিচে নেমে মামুনি মামা কে বিদায় জানিয়ে আমরা চলে আসলাম বাহিরে………

“তারপর আমরা গিয়ে বসে পরলাম গাড়ি’!!তারপর ভাইয়া গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!আমিও জানালা খুলে বাহিরে তাকিয়ে রইলাম’!!না জানি বাড়িতে গেলে আম্মু আব্বু কি বলবে’!!নিশ্চয়ই আমায় খুব খারাপ বলবে………

“হর্ঠাৎই মন খারাপ হয়ে গেল আমার’!!

__________________________________________

_____________________

“বেশকিছুক্ষন পর কাব্য ভাইয়া গাড়ি থামিয়ে দিলো’!!তারপর দুজনেই গাড়ি থেকে নেমে গেলাম’!!ভিতরে যেতে কেমন জানি লাগছে’!!তারপর কাব্য ভাইয়ার পিছন পিছন চলে আসলাম আমি’!!

“দরজার কলিং বেল বাজাতেই আম্মু এসে দরজা খুললো’!!এমন সময় আম্মুর পাশে এসে দাঁড়ালো আপু’!!আপুকে দেখে কিছুটা অবাক হলাম’!!তারপর আমরা দুজনেই ভিতরে ঢুকে গেলাম’!!
!
!
!
!
#চলবে……….

#TanjiL_Mim❤️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-০৩

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—03
.
.
🍁
“রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!আর আমার সামনে মামুনি কাজ করছে’!!ভিতরে যাবো কি যাবো না এই ভেবে সংকোচ বোধ করছি’!!আচ্ছা মামুনি কি রেগে আছে আমার উপর’!!কিন্তু আমার তো কোনো দোষ ছিল না’!!কিন্তু এটা তো মামুনিকে বলা যাবে না’!!এমন সময় মামুনি ডাক দিয়ে বললঃ

———“কি হলো মাইশা তুই ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন??এখানে আয়’!!

“মামুনির কথা শুনে মনে মনে খুব খুশি হলাম আমি’!!তারপর মুচকি হেঁসে বললামঃ

———“না আসলে মামুনি……

———“থাক আর বলতে হবে না কালকের জন্য সংকোচ বোধ করছিস এই তো……

“মামুনির কথা শুনে আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম’!!মামুনি আমায় এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে উঠলঃ

———“আমার তোর উপর কোনো রাগ নেই যেটা আছে সেটা হলো অভিমান’!!কারন কি জানিস? তুই আমায় এতটাই পর মনে করিস যে তুই কাব্যকে ভালোবাসিস এটা বললে আমরা মেনে নিতাম না’!!

———“আমি নিজেই জানতাম না তোমায় কি করে বলতাম বল তো (বিড় বিড় করে)

———“কি বললি…….

——–“না কিছু না,,আসলে মামুনি কি বলো তো তুমি তো জানো আপু আর কাব্য ভাইয়ার বিয়েটা সেই ছোট বেলা থেকে তোমরা ঠিক করে রেখেছিলে'”! তাই আরকি……

———“তাই সব মুখ বুঝে সহ্য করে নিলি,,আর যাইহোক তুই অত্যন্ত কাব্যকে তো বলতে পারতি……

———“আরে ধুর কি বলতাম আমি’!!কাব্য ভাইয়া আমায় ভালোবাসে না কি,,নিশ্চয়ই কালকে আপু জোর জবরদস্তি করে ভাইয়াকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল তাই হয়তো বিয়ে করেছিল(মনে মনে)

———“কি হলো কি ভাবছিস……

———“কিছু না সরি মামুনি আর হবে না………

“মামুনি কিছু না বলেই খাবার নিয়ে চলে গেল টেবিলের কাছে……..’!!আমিও মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম’!!সবাই আমাকে ভুল বুঝছে……..

__________________________________________

-“কিছুক্ষণের মধ্যেই মামাও চলে আসলেন টেবিলের কাছে’!!তারপর আসলো তানিশা,,আর তানিশা হলো কাব্যের ছোট বোন,,তবে আমার তানিশা আর আমার বয়স সেইম’!!আমার দুজনেই একসাথে একই ভার্সিটিতে পড়ি’!!আর আমরা দুজনেই অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাএী’!!

“তারপর আমাকেও ডাক দিল মামুনি’!!আমিও আর কিছু না ভেবে গিয়ে বসে পরলাম তানিশার পাশে’!!এমন সময় নিচে নামলো কাব্য ভাইয়া,, ওনাকে দেখেই বুকের ভিতর দক করে উঠল,,তখনকার বিষয়টার কথা মনে করেই’!!তবে এই মুহুর্তে নিশ্চিত আছি কিছু বলবে না’!!কারন এখানে এখন সবাই আছে’!!

“তারপর আর কি সবাই মিলে খাবার খেতে শুরু করলাম’!!এমন সময় মামু বলে উঠলঃ

——–“কাব্য এখন থেকে তুমি মাইশা আর তানিশাকে একসাথে ভার্সিটিতে পৌঁছি দিয়ে অফিস যাবে……

“বিনিময়ে ভাইয়া কিছু বললো না’!!চুপচাপ ব্রেকফাস্ট করে রুমে চলে গেল’!!কিছুক্ষণের মধ্যে মামা মামি দুজনেই চলে গেল’!!সবাই চলে যাওয়া দেখেই ঠাস একটা চাটি মারলাম আমি’ তানিশার মাথায়’!!কারন বোইনডা আমার সাথে কথা বলছে না…….

“আমার চাটি খেয়ে তানিশা বিরক্তি ছাপা মুখ নিয়ে বললোঃ

———-“তুই আমার সাথে বলবি না,,শয়তান মাইয়া,,তোর সাথে আড়ি…….

“তানিশার কথা শুনে কিছু না বলে ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম আমি’!!তারপর বললামঃ

———“কেন বোইন কি হয়ছি আমি কি করছি,,তুইও কি সবার মতো আমাকে ভুল বুঝলি…..(মন খারাপ করে)

———-“তুই কি করে পারলি বল তো এত বড় কথাটা লুকাতে যে তুই কাব্য ভাইয়াকে ভালোবাসিস’!!সবার কথা না হয় বাদ দিলাম আমাকে তো বলতে পারতি’!!তুই জানিস কালকে রিয়া আপুর মুখে কথাগুলো শুনে আমার কতোটা কষ্ট হয়েছিল’!!এই তুই আমায় বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবিস………

“এতক্ষণ পর বুঝতে পারলাম,,বোইন আমার সাথে রাগ কেন করছে……’!!আমি তানিশাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ওর হাত ধরে ওর রুমে নিয়ে গেলাম’!!তারপর ওকে সব খুলে বললাম’!!সব শুনে ও অবাক’!!হা হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে……

“ওর এইভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে আমি বলে উঠলামঃ

———“তো দেখ যেখানে আমি নিজেই জানতাম না সেখানে তোকে কি করে বলতাম বল তো’!!

———“ওহ এই ব্যাপার কিন্তু আমি ভাবছি ভাইয়ার কথা কি করে মেনে নিলো তোকে……..

———-“কি করে আবার আপু নিশ্চয়ই বাধ্য করে ছিল ভাইয়াকে………

“আমার কথা শুনে হাসলো তানিশা……..’!!এই কথা মাঝখানে ওর এই ভাবে উচ্চ স্বরে হাসার কারনটা না বুঝতে পেরে বললাম’ আমিঃ

———“আশ্চর্য এখানে আমি হাসার মতো কি বলছি যে তুই এই ভাবে হাঁসছিল’!!

“কিন্তু তানিশা তার হাসি থামাতে পারছে না’!!

——-“আশ্চর্য এভাবে হাসার কি আছে…….

“কিছুক্ষণের মধ্যেই তানিশা তার হাসি থামিয়ে দিয়ে বললোঃ

———“তুই এখানো কাব্য ভাইয়াকে ভাইয়া ডাকছিস……

———-“ওহ এই ব্যাপার আরে এতদিনের অভ্যাস কি আর একদিনে যাবে বল’!!তাই তো ভাইয়া ভাইয়া আসছে………

———-“সব বুঝতে পারছি তবে হ্যা আমার সামনে বলেছিস ভালো কথা আবার অন্য কারো সামনে দাঁড়িয়ে বলিস না ওকে……

“তারপর আরকি পুরো সকালটা তানিশার সাথে গল্প করতে করতেই কাটিয়ে দিলাম’!!

__________________________________________

_____________________

“সারাদিন এটা ওটা করে কেটে গেল’!!আজকে একবারও ভাইয়া সামনে যাই নি’!!না জানি সামনে গেলে কি করতো আমায়’!!কিন্তু এখন তো রাত হয়ে গেছে এখন কি করবো’!!রাতে তো যেতেই হবে’!!সবাই খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে গেছে’!!তানিশাকে বললাম আজকে তোর সাথে ঘুমাই কিন্তু শয়তানডায় রাজি হলো না’!!!তোর কপালে বর জুডবে না’ দেখিস’!!বান্দর মাইয়া,একদম ভাইডার মতো হইছে,,খালি রাগটা নেই’!!এই সব বলতে বলতে এক পা এক পা করে রুমে দিকে এগোচ্ছি আমি’!!রুমের কাছে আসতেই আস্তে করে রুমের দরজাটা খুলে উঁকি দিলাম’!!অদ্ভুত বিষয় ভাইয়া রুমে নেই’!!গেল কই’!!এমন সময় পিছন থেকে কেউ বলে উঠলঃ

———-“তুই এইভাবে চোরের মতো উঁকি দিচ্ছিস কেন????

“আচমকা এমনটা বলাতে আমি ভূত দেখার মতো চমকে উঠলাম’!!পিছন ঘুরে তাকিয়ে ভাইয়াকে দেখে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি'”!!! আমতা আমতা করে বললামঃ

———“ইয়ে মানে কই কিছু না তো………

——–“সত্যি কিছু না,,তাহলে এতটা ভয় পাচ্ছিস কেন???

———“ভয় কেন পেতে যাবো’!!তুমি বাঘ না ভাল্লুক যে ভয় পাবো আমি………

———-“তার মানে তুই আমায় ভয় পাচ্ছিস না……..

———-“না……..

“আচমকা ভাইয়া আমার কথা শুনে সামনে এগোতে লাগলো’!!!আমি ঘাবড়ে গিয়ে রুমের ভিতর ঢুকে গেলাম’!!ভাইয়া রুমে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিল’!!যা দেখে আরো ভয় পেলাম আমি’!!এই রে আমায় আবার মারবে নাকি……আল্লাহ এই বারের মতো বাঁচিয়ে দেও আমায়,, কথা দিচ্ছি আর জীবনে কোনোদিন ভাইয়াকে রাগী, বদমেজাজি বললো না’!!….ভাইয়া দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমার দিকে এগোতে লাগল’!!যা দেখে আমি আমতা আমতা করে বললামঃ

———-“দেখ ভাইয়া তুমি কিন্তু এখন আমার সাথে রাগারাগি করতে পারো না’!!

———-“ওহ তাই নাকি কেন পারবো না শুনি……

——–“দেখ ভাইয়া তুমি এই ভাবে এগোলে আমি কিন্তু চিৎকার দিবো……..

———-“হুম দে না কে বারন করেছে……

———-“আমি কিন্তু সত্যি সত্যি দিবো……

———“হুম দে…..

“একপর্যায়ে আমি দেয়ালের সাথে লেগে গেলাম’!!কিন্তু ভাইয়ার থামার কোনো নাম দেখছি তাই বললামঃ

———“আচ্ছা যাও সরি ভাইয়া আর হবে না,,আমি আর কোনোদিন কিছু বলবো না’!!

———-“তা কি কি যেন বলেছিস রিয়াকে আমি কেমন…..

———“কি বলেছি কিছু বলি নি শুধু বলেছি তুমি খুব ভালো……..’!!

———–“একদম মিথ্যা বলবি না…….

“এদিকে ভাইয়া আমার এতটা কাছে চলে এসেছে যে ভাইয়ার নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পারছি আমি,,কেমন যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে তার সাথে অসস্তি লাগছে……..’!!

———-“সরি ভাইয়া আর হবে এইবারের মতো ক্ষমা করে দেও……….

“ভাইয়া কিছুক্ষন চুপ থেকে বললোঃ

———“ঠিক আছে তবে আমার একটা শর্ত আছে……

———-“কি শর্ত………

———-“আজ সারারাত তুই আমার মাথা টিপে দিবি………

———“কি????আমি পারবো না………

“তুই পারবি না এই বলে ভাইয়া আমার দিকে আরো ঝুঁকে গেল’!!ভাইয়ার হর্ঠাৎ করে এইভাবে ঝুঁকে যাওয়া দেখে ভয়ে চোখ বন্ধ করে চেঁচিয়ে বলে উঠলামঃ

———-“হুম পারবো পারবো……..

“এদিকে মাইশার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে কাব্য বললোঃ

———“এই তো গুড গার্ল……’!!তারপর কাব্য আস্তে করে সরে আসলো মাইশার কাছ থেকে’!!তারপর গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরলো’!!

.

“বেশকিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে থেকে আস্তে চোখ খুলে দেখলাম ভাইয়া বিছানায় শুয়ে আছে,,
আচমকা ভাইয়া বলে উঠলঃ

———-“কি হলো আর কতক্ষণ লাগবে……

———“এই তো আসছি…….

“তারপর আর কি অনিচ্ছা থাকা সত্বেও গিয়ে ভাইয়ার মাথা টিপতে লাগলাম……

“আর মনে মনে হাজারটা গালি দিতে লাগলাম,,শালা তোর কোনো দিন ভালো হবে না,,একটা হনুমান গরু, ছাগল,মহিষ…….

.

“এদিকে কাব্য বুঝতে পারছে মাইশা মনে মনে তাকে গালি দিচ্ছে তারপরও কিছু বললো না,,মনে মনে হাসছে সে’……..

“বেশ কিছুক্ষন মাথা টিপে দেওয়ার এখন হাত ব্যাথা করছে আমার কিন্তু এই হনুমানটা তা দেখতে পাচ্ছে না,,তার মতো সে আরামে ঘুমিয়ে আছে………. এভাবে করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম বুঝতেই পারি নি……….

“এদিকে কাব্য চোখ খুলে মাইশা ঘুমিয়ে পরতে দেখে,আস্তে করে ওকে শুয়িয়ে দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল……….

!
!
!
!
!
#চলবে………….

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে]😊😊😊

#TanjiL_Mim❤️