Monday, June 23, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1592



কতোটা চাই তোকে পর্ব-২২

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—22
.
.
🍁
“বেশ কয়েক ঘন্টা পর গাড়ি এসে থামলো একটা বড় হোটেলের সামনে’!!আমি আর কাব্য নেমে সোজা চলে গেলাম হোটেলে’!!রুমে ঢুকে কাব্য চলে গেল ওয়াশরুমে’!!আর আমি পুরো রুমটায় চোখ বুলাতে লাগলাম’!!অসম্ভব সুন্দর দেখতে রুমটা’!!একটা খাট রয়েছে সামনে’!!সাদা রঙের তোশক বিছানায় শুতেই পুরো নরম বিছানা’!!কিছুক্ষন শুয়ে থেকে উঠলাম’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল বেলকনির দিকে’!!আস্তে আস্তে বেলকনির দিকে গেলাম আমি’!!বেলকনি থেকে সামনে তাকাতেই চোখ অটোমেটিক হা হয়ে গেছে আমার’!!সামনে রয়েছে অসম্ভব সুন্দর রকম চা বাগান’!!আশেপাশের পরিবেশটা সত্যি খুব মনোরম কর’!!কম করে হলেও আমাদের বিল্ডিং এর পাঁচ তালার ওপরে দাঁড়িয়ে আছি’!!বাহিরের দৃশ্য যে এতোটা সুন্দর হবে জানা ছিল না আমার’!!তবে বিভিন্ন ফটো দেখে ছিলাম চা বাগানের কিন্তু বাস্তবে ফটো চেয়েও আরো বেশি সুন্দর’!!মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছি আমি বাহিরে’!!এমন সময় পিছন থেকে কাব্য জড়িয়ে ধরলো আমায়’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলাম’!!এমন সময় কাব্য বলে উঠলঃ

———“এখানে কি করছিস তুই…….

———“তেমন কিছু নয় ওই বাহিরে তাকিয়ে ছিলাম…….

———-“ওহহ……

———-“আচ্ছা আমরা ওইখানে ঘুরতে যাবো তো……(হাত দিয়ে দেখিয়ে)

———-“হুম নিশ্চিয়ই যাবো তবে এখন নয় পরে আর আমায় এখন যেতে হবে!!

———“ঠিক আছে তুমি গিয়ে তৈরি হও……

———“হুম তবে শোন একদম বাহিরে যাবি না,রুমের মধ্যে থাকবি বিকেলে আমি এসে ঘুরতে বের হবো ঠিক আছে……..

“বিনিময়ে আমি শুধু মাথা নাড়ালাম’!!

“তারপর কাব্য তৈরি হয়ে চলে গেল’!!আর আমিও দরজা বন্ধ করে নরম বিছানায় শুয়ে ঘুম……

__________________________________________

_____________________

“বিকেল ৫ঃ০০টা……..

“আমরা বের হলাম চা বাগান দেখার উদ্দেশ্যে!!ইয়া বড় বড় রাস্তা পেরিয়ে হেঁটে চলেছি আমি’ আর কাব্য’!!,, পাহাড়ি রাস্তাগুলোকে ঘিরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা”!!হর্ঠাৎই চোখ গেল সামনে থাকা কিছু মহিলাদের দিকে’!!সম্ভবত তারা এখন বাড়ির ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে’!!তাদের দেখে বুঝতে পেরেছি এতক্ষণ তারা চা বাগানে চা সংগ্রহের কাজ করছিল এখন হয়তো বাড়ি ফিরবে’!!হয়তো আমাদের এখানে আসতে দেরি হয়ে গেছে’!!এটা হয়েছে শুধু মাএ কাব্যের জন্য কাজ সেরে ফিরতেই দেরি করেছে সে!!এমন সময় কাব্য বলে উঠলঃ

———–“এই জন্য বলে ছিলাম কাল আসি,এখন এখানে সবাই ফিরে যাবে আর সন্ধ্যাও হয়ে আসবে’!!জায়গাটার চারপাশে গাছ পালায় ভরে যাওয়ার কারনেই খুব তাড়াতাড়ি রাত হয়ে যায় এখানে’!!

“একরাশ মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য চললাম আমরা’!!ধুর শুধু শুধু আসলাম এখানে ভেবেছিলাম এতো এতো ছবি তুলবো কিছুই হলো না’!!অন্ধকারে ছবি ভালো হয় না-কি…….

“এমন সময় কাব্য বলে উঠলঃ

———-“মন খারাপ করিস না কালকে আলো থাকতেই আসবো আমরা এখানে……

“মন খারাপ নিয়েই বলে উঠলামঃ

———-“ঠিক আছে…….

“তারপর আর কি আমরা আবার বেক করলাম হোটেলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে’!!আমাদের সাথে ছিল আমাদের হোটেলের ম্যানেজার’!উনিও বলে ছিল এখন না আসতে কিন্তু আমি শুনলাম না ‘!!এখন মনে হচ্ছে না শুনে ভুলই করেছিলাম’!!

“বেশকিছুক্ষন পর আমরা চলে আসলাম হোটেলে’!!হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যাথা হয়ে গেল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না’!!

“একরাশ মন খারাপ নিয়ে মাইশা চলে গেল ওয়াশরুমে’!!আর কাব্যও কিছু না ভেবে বসে পরলো বিছানায়’!!

_____________________

“রাতে……….

“শাওয়ার নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মাইশা’!!চুল থেকে তার টপ টপ করে পানি পরছে’!!বিকেলে ঘুরাঘুরি করার জন্য প্রচুর ক্লান্ত লাগছিল মাইশার’!!তাই কোনো কিছু না ভেবেই শাওয়ার নিয়েছে সে’!!এখন ফ্রেশ লাগছে তার’!!এই মুহূর্তে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছতে ব্যস্ত সে’!!

.

“এদিকে কাব্য বিছানায় বসে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে’!!অদ্ভুত এক অনুভূতি বয়ে চলেছে তার ভিতর’!!কাব্য তার ল্যাপটপ টা টেবিলে উপর রেখে চলে যায় মাইশার সামনে’!!তারপর পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মাইশার চুলের ভিতর মুখ ডুবিয়ে দেয় কাব্য’!!

.

“আচমকা এমনটা হওয়াতে মাইশা পুরো কেঁপে উঠল’!!পরক্ষণেই আয়নায় কাব্যকে দেখে হাসলো সে’!!

———“তুই কি শ্যাম্পু ইউস করিস বলতো যার গন্ধে আমি পুরো পাগল হয়ে যাই’!!

“কাব্যের এমন কথা শুনে হাসলো মাইশা তারপর বলে উঠলঃ

———-”তুমি যে শ্যাম্পু কিনে দিয়েছো সেটাই তো……

———-“এত রাতে শাওয়ার নিয়েছিস কেন??

———-“এমনি ক্লান্ত লাগছিল অনেক্ক্ষণ যাবৎ ভাবছিলাম গোসল করবো তাই…….

———“উহু!!এই কাব্য মাইশার ঘাড়ে চুমু দেয়’!!সাথে মাইশা পুরো কেঁপে উঠল’!! হুট করে কাব্য মাইশাকে কোলে তুলে নেয়’!!

“আচমকা এমনটা হওয়াতে মাইশা ঘাবড়ে গিয়ে বললোঃ

———-“এসব কি করছো তুমি’!!

“এতরাতে শাওয়ার নিয়ে আমায় পাগল বানিয়ে এখন বলা হচ্ছে এসব কি করছো……

“কাব্যের কথার আগা মাথা কিছু না বুঝে মাইশা বলে উঠলঃ

———“মানে…….

——–“বুঝাচ্ছি চল…..

“এই বলে মাইশাকে কোলে তুলে নিয়ে লাইট অফ করে শুয়ে পড়ে কাব্য……’!!তারপর দুজনেই ডুবে যায় ভালো বাসার সাগরে………

__________________________________________

_____________________

“সকালে……….

“আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে কাব্য মাইশাকে’!!আস্তে আস্তে ঘুম ভাঙল মাইশার’!!কাল রাতের কথা মনে করে হাসলো মাইশা’!!তারপর কাব্যকে ছাড়িয়ে চলে গেল ওয়াশরুমে……..
.
.
.
.
.
.
🌼
“মাঝখানে কেটে গেল দুদিন’!!এই দুইদিন মাইশার আর চা বাগানে ঘোরা হলো না’!!কারন কাব্যের কাজের চাপ এতটাই ছিল যে একদিনও তাড়াতাড়ি ফিরতে পারি নি’!!এ জন্য মাইশা অবশ্য প্রতিদিনই রাগ করতো’!!আর কাব্য এসে প্রতিদিন মাইশার রাগ ভাঙাতো……..

“আজকে আর কোনো প্রবলেম নেই কাব্যের ঘুরতে যেতে’!!কারন কালকেই কাব্যের কাজ শেষ হয়েছে এখানের’!!আর দুদিন পরেই ফিরে যাবে তারা……

“আর এই দুদিন শুধু মাইশাকে ঘুরাঘুরি করবে বলে প্রমিজ করেছে কাব্য…….

“তাই মাইশা আজকে খুব খুশি’!!আজকে মাইশা একটা মেরুন রঙের চুড়িদার পড়েছে সাথে চুলগুলো বিনুনি করে এক পাশে রেখে দিয়েছে’!!চোখে কাজল,ঠোঁটে লিপস্টিক মুখে হালকা মেকাপ ব্যাস মাইশা তৈরি’!!আর কাব্য আজকে পরেছে সুন্দর একটা টি-শার্ট সাথে জিন্স টি-শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত ভোল্ট করা তার,হাতে ব্লাক ঘড়ি,আর বরাবরের মতো চুল গুলো খুব সুন্দর করে সাজানো,ব্যাস কাব্য তৈরি’!!

“আজকে আর ওরা ওদের সাথে ম্যানেজারকে নিবে না একাই ঘুরতে যাবে!

“সারাদিন ঘুরাঘুরি, প্রচুর সেলফি আর খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে আজকের মতো দিনটা শেষ হলো কাব্যের আর মাইশার…….

__________________________________________

_____________________

“দেখতে দেখতে কেটে গেল কয়েক মাস’!!খুনশুটি আর ভালোবাসার মাধ্যমে কাটছে মাইশা কাব্যের জীবন’!!এখন রোজ রাতে কাব্য মাইশাকে পড়াশোনা করায়’!!আর মাইশা প্রতিদিন পরতে পরতে ঘুমিয়ে পড়ে’!!কিছুদিন পর মাইশার পরীক্ষা ‘!!তাই আর এই রোজ কারের ডিউটিতে এখন অভ্যস্ত মাইশা কাব্য দুজনেই……!!আর কাব্যের মূল উদ্দেশ্য হলো মাইশাকে পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট করানো’!!এই মেয়েটা একদম পড়াশোনায় কানচোরা…..তাই কাব্যই পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে……

…….

——-“টেবিলে বসে ঝিমাচ্ছি আমি’!!ধুর এই প্রতিদিন পড়াশোনা আর ভালো লাগছে না আমার’!!এই রকম জামাই থাকতে আর কি লাগে আমার’!!এমন জামাই আর লাগবে না আমার প্রতিদিন শুরু পড়ায় ধুর একটুও ভালোবাসে না’!!এই বলে নেকা কান্না শুরু করেদিয়েছি আমি…..

“এদিকে আমার কান্না শুনে কাব্য হাতের লাঠি টা নিয়ে বারি মারলো টেবিলে উপর কাব্য’!!তারপর বলে উঠলঃ

———-“যতই কান্না করো না কেন জানেমন কাজ হবে না’!!কাব্যের বউ হয়ে যদি ভালো রেজাল্ট না করো তাহলে কি হবে তোমার ভাবতে পারছো……..

———-“আমার লাগবে না তোমার বউ হওয়া,,খালি বকে………

———“তুই সত্যি আমার বউ হবি না……,এই বলে আবারো লাঠিটা নিয়ে মারলো টেবিলের উপর……

“সাথে সাথে আমি কেঁপে উঠলাম তারপর বললামঃ

———-“ধুর পাগল জামাই মজা বুঝে না,তোমায় ছেড়ে কোথায় যাবো আমি……

“এই বলে ন্যাকা কান্না করতে করতে পড়াশোনা করতে লাগলাম আমি’!!আর কাব্য চুপ করে হাতে লাঠি নিয়ে বসে রইল……

——–“এ্যা এ্যা আমি খেলুম না কাক্কু জামাই আমার একটু ভালো না…..🥺🥺

———“আবার……

——–“না না পড়ছি তো……
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………..

❤️❤️❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে!!]😊😊

#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-২১

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—21
.
.
🍁
“স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আমি’!!আর একটু লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে সেই কখন কাব্যকে বলছি আমায় ছেড়ে দিতে এই ভাবে কেউ কারো সামনে কোলে তুলে রাখে নাকি’!!কিন্তু কাব্যের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই’!!আমি একটু নড়েচড়ে কাব্যের কানে কানে বললামঃ

———“এসব কি হচ্ছে ছাড়ো আমায়,,ওই আপু কি মনে করছে বলো তো!!

——–“যা মনে করছে করতে দে’!!তুই চুপ করে বস বলছি’!!আর একবার নড়লে তোর খবর আছে??(দমক দিয়ে)

“কাব্যের দমক শুনে আমি চুপ’!!

“হর্ঠাৎই কাব্য লাবন্যের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ

——–“তুই এখানে কেন??

“লাবন্য কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলঃ

——–“সরি………

”লাবণ্যের কথা শুনে আমি আর কাব্য দুজনেই অবাক হলাম’!!লাবণ্য আবারও বলে উঠলঃ

———“সরি কাব্য আর মাইশা’!!বিশেষ করে মাইশা তোমাকে সরি!!আমার জন্য তোমাদের দুজনের মধ্যে ঝামেলা হইছিল’!!আসলে সেদিন কাব্যের কোনো দোষ ছিল না’!!তাই আমি সরি বলতে এসেছি’!!ভেবেছিলাম কাব্যকে সরি বলে তোমার কাছে গিয়ে সরি বলবো’!!যেহেতু তোমরা দুজনেই একসাথে আছিস তাই আরো সুবিধা হলো আমার’!!তাই তোদের দুজনের কাছেই আমি সরি বলছি’!!আই এম রিয়েলি সরি’!!(নীরব আওয়াজে)

“লাবণ্য আপুর কথা শুনে খারাপ লাগলো আমার’!!আমি কাব্যের কাছ থেকে উঠে এসে’!!লাবণ্য আপুর হাত ধরলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

——–“it’s okk apii…..!!তুমি তোমার ভুল বুঝতে পেরেছো এতেই চলবে আপু……!!

“আমার কথা শুনে লাবন্য বলে উঠলঃ

——–“তুমি খুব ভালো মাইশা’!!আমাকে ক্ষমা করেছো এর জন্য তোমায় অনেক ধন্যবাদ’!!আর কাব্য কি এখনো আমার উপর রেগে আছিস……

“এমন সময় কাব্য এসে বললোঃ

——–“ঠিক আছে তুই যখন তোর ভুল বুঝতে পেরেছিস তাই তোর উপর কোনো রাগ নেই আমার’!!

“কাব্যের কথা শুনে হাসলো লাবন্য তারপর বলে উঠলঃ

——-“ধন্যবাদ কাব্য’!!আর একটা কথা আমি কালই আমেরিকা চলে যাচ্ছি’!!ভাবছি ওখানেই থেকে যাবো আর ফিরবো না দেশে’!!তোরা ভালো থাকিস’!!মাঝে মাঝে তোদের সাথে কথা হবে ফোনে’!!আচ্ছা শোন আমায় এখন যেতে হবে অনেক কাজ আছে’!!হয়তো তোদের সাথে আর দেখা হবে না আমার’!!তাই আবারো বলছি সরি তোদের দুজনকেই’!!এই বলে এক প্রকার পালিয়ে চলে আসলো লাবন্য’!!হয়তো আর কিছুক্ষন থাকলে তার চোখের পানি দেখে ফেলতো কাব্য আর মাইশা’!!অনেক ভেবে দেখেছে সে জোর করে কখনো কারো ভালোবাসা পাওয়া যায় না’!!তাই সেও আর চেষ্টা করবে না’!!নিজের জীবনটাকে নতুন ভাবে নতুন করে সাজিয়ে নিবে’!!এসব ভেবে অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে বসে পরল লাবন্য’!!শেষ বারের মতো কাব্যের অফিসের দিকে তাকিয়ে চললো সে তার গন্তব্যে……

“মনের মাঝে রয়েছে তার নতুন ভাবে নতুন করে জীবন শুরু করার পূর্ণ বাসনা……

__________________________________________

_____________________

“নীরবতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি আর কাব্য’!!হর্ঠাৎই নীরবতা ভেঙে কাব্যকে বলে উঠলামঃ

———-“আপুর খুব কষ্ট হচ্ছে মনে হয়’!!দেখেছো কিভাবে পালিয়ে গেল আমাদের সামনে থেকে…….

———-“কিছু কথা বলি শোন’!!জীবনটা এমনি মানুষের লাইফে এমন 3rd person চলে আসলে এমনই হয়’!!আমার মতে লাবণ্য যেটা ভেবে নিয়েছে সেটা সঠিক’!!কারন দেখ (পিছন থেকে মাইশাকে জড়িয়ে ধরে)

“আমি তো তোকে ভালোবাসি’!!আর তুইও আমায়’!!তাই ও হলো 3rd person আমাদের লাইফের’!!আর তাই ওর উচিত নয় আমাদের লাইফে থেকে শুধু শুধু কষ্ট পাওয়ার’!!তাই ও যেটা করেছে সেটাই সঠিক’!!

———“কিন্তু…….

———“কোনো কিন্তু নয় ওর লাইফেও কেউ না কেউ আছে ডারলিং…..’!!আর সে ওর লাইফে খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে……’!!আর ওর আজ যে কষ্ট হচ্ছে কাল তা ঠিক হয়ে যাবে’!!সব ভুলে যাবে দেখিস……..!!আর ওর কথা এখন ভুলে আমাদের কথা ভাব……’!!চল খাবারগুলো তো মনে হয় ঠান্ডা হয়ে গেছে…..

———“আহ’!!দেখছো একদম ভুলেই গেছিলাম’!!চলো চলো……

“তারপর আমরা দুজন মিলে গিয়ে বসে খাবার খেতে শুরু করলাম’!!কাব্য আমায় খাইয়ে দিল আর আমি কাব্যকে…….

_____________________

~ “মাঝ খানে কেটে গেল দুদিন’!!এই দুদিন কেটে গেল খুব সুন্দর ভাবে’!!এখন কাব্যের সাথে কাটানো এক একটা মুহূর্তই খুব সুন্দর’!!এক কথায় বলতে গেলে আমি এখন কাব্যকে পাগলের মতো ভালোবাসি’!!আর কাব্যও আমাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসে…….

“সূর্যের আলোতে ঘুমাচ্ছি আমি’!!এমন সময় কেউ খুব গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তা আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি আর সেটা যে কাব্য ছাড়া আর কেউ নয় সেটাও আমি জানি’!!হুট করে কেউ কপালে চুমু দিয়ে দিল’!!হুট করে চোখ খুলে ফেললাম আমি’!!তারপর ক্ষিপ্ত মেজাজে বললামঃ

——–“এসব কি হচ্ছে ঘুমের মধ্যে আমার মান-সম্মানের ফালুদা কেন বানাচ্ছো!!

“আমার কথা শুনে কাব্য বলে উঠলঃ

——–“কি আমি তোর মান-সম্মানের ফালুদা বানাচ্ছি দাড়া তাইলে…..

“এই রে খাইছে জামাই আমার রেগে গেছে মনে হয়’!!হুট করে শোয়া থেকে বিছানার উপর উঠে দাঁড়ালাম আমি’!!তারপর চেঁচিয়ে বলে উঠলামঃ

———“এই না না আমি তো মজা করছিলাম,,তুমিও না সব কিছু সিরিয়াসলি নিয়ে নিচ্ছো…..

———“তাইলে তুই কেন বিছানা উপর উঠে দাঁড়ালি নাম নিচে……

———-“তুমি বকবে না তো…….

———“না তুই আমার দশটা না পাঁচ টা না একটা মাএ বউ তোকে কি আমি বকতে পারি…..

——–“সত্যি বলছো তো…….

———“হুম সত্যি বলছি……

——–“ঠিক আছে তুমি দূরে গিয়ে দাঁড়াও আমি ওয়াশরুমে যাবো…….

———“ঠিক আছে……এই বলে কাব্য কিছুটা দূরে সরে গেল’!!তার এইভাবে দূরে সরা দেখে আমিও চুপচাপ বিছানা থেকে নেমে দৌড়ে যাবো এমন সময় কাব্য আমার হাত ধরে টেনে তার বুকের ফেললো’!!

“আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম’!!তারপর কাব্যের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলামঃ

———-“এটা ঠিক নয় তুমি কিন্তু বলেছিলে আমায় বকবে না…….

———“হুম বলেছিলাম তো বকবো না,,আদর তো করতেই পারি’!!

———-“হু এমন কিছু কিছু……

“কাব্য আমায় জড়িয়ে ধরে বললঃ

———-“হুম এমন কিছুই ম্যাম……..

———-“কিন্তু এখন যে আমায় যেতে হবে স্যার……

———–“তা তো আমায়ও যেতে হবে……

———“তাহলে আর কি যাও তাড়াতাড়ি’!!আর আমায়ও তো ভার্সিটি যেতে হবে’!!তাই ছাড়ো’!!

“কাব্য আর কিছু না বলে ছেড়ে দিলো আমায়’!!আমিও মুচকি হেঁসে গালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে দৌড়’!!মাইশার কাজে হাসলো কাব্য’!মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসল “পাগলী একটা”!!তারপর সেও তৈরি হতে লাগলো অফিসের জন্য…….

_____________________

“সকাল ১০টা……..
“কাব্য মাইশা আর তানিশাকে ভার্সিটি নামিয়ে দিয়ে চলে আসলো অফিসে…..

“বর্তমানে অফিসের কিছু কাজে ব্যস্ত সে’!!এমন সময় কাব্যের বাবা আসলো কাব্যের রুমে……
কাব্য তার বাবাকে দেখে বললোঃ

——–“আসো ভিতরে বসো…….

“কাব্যের বাবা হেঁসে বসলো চেয়ারে’!!তারপর বললোঃ

———“তোমার আর মাইশার মধ্যে সব মিল হয়ে গেছে দেখে ভালো লাগছে আমার’!!তবে তোমায় যে কিছু দিনের জন্য সিলেট যেতে হবে সেটা নিশ্চয়ই জানো তুমি…..

———“হুম কালকেই যাবো তুমি চিন্তা করো না……

———“হুম তা ঠিক আছে তবে তুমি চাইলে মাইশাকেও নিয়ে যেতে পারো…….

———-“ঠিক আছে বাবা’!!মনে মনে খুশি হলো কাব্য কারন সেও তো চাইছিল মাইশাকে নিয়ে যেতে….’!!অফিসের কিছু কাজের জন্য সিলেটে যেতে হবে কাব্যকে’!প্রথমে কিছুটা খারাপ লেগেছিল কাব্যের মাইশাকে ছাড়া থাকতে হবে কিন্তু এখন আর মন খারাপ নেই…..অসম্ভব খুশি কাব্য’!!

__________________________________________

_____________________

“রাত ৮ঃ০০টা………

“বিছানায় বসে আছি’!!এমন সময় তানিশা দৌড়ে রুমে আসলো’!!ওর এভাবে দৌঁড়ানো দেখে অবাক হয়ে বললাম আমিঃ

———“কি হলো গরুর মতো দৌড়াচ্ছিস কেন??

———“কি আমি গরু তুই গরু তোর জামাই এই না থুক্কু তোর জামাই তো আমার ভাই না তোর হইবে কিছু একটা সে গরু…….

———-“তোর জামাই গরু……!!যা গে ওসব বাদ কেন এভাবে দৌড়াচ্ছিস কেন???

———–“ওহ হা তোকে আম্মু ডাকছে…….

———“ও এই ব্যাপার চল তাহলে এই বলে শাড়ির কুঁচি ধরে আমি তানিশা চললাম নিচে…….

………….

“রান্না ঘরে কাজ করছিল মামুনি’!!আমিও গিয়ে খুশি মনে পিছন থেকে মামুনিকে জড়িয়ে ধরে বললামঃ

———“কি বলবে বলো মামুনি…..

———“চলে এসেছিস…….

——–“হুম তুমি ডাকবে আর আমি আসবো না…….

———-“তা তো আমি জানি,যাক ওসব বাদ যার জন্য তোকে ডেকেছি তাড়াতাড়ি জামা-কাপড় গুছিয়ে ফেল তোদের কালকে যেতে হবে…….

———-“কোথায় যাবো……

———-“সিলেটে…..

———-“কেন…..

———“কাব্যকে কিছু কাজের জন্য সিলেট যেতে হবে আর তাই তুই ও যাবি…….

———“আমি গিয়ে করবো……..

“এমন সময় তানিশা বলে উঠলোঃ

———“তুই গিয়ে রান্না করবি ঘর ঝাড়ু দিবি তারপর ভাইয়ার গা হাত পা টিপে দিবি……

———“কি আমি এসব করবো যামু না আমি’!!

“এমন সময় রান্নাঘরে বাহিরে দাঁড়িয়ে কাব্য বলে উঠলঃ

———“কোথায় যাবি না তুই…….

“আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি ঘাবড়ে গিয়ে বললামঃ

———-“কই না তো কিছু না……

“তানিশা বলে উঠলঃ

————“ও তাই নাকি ভাবি……

———–“হপ মাইয়া তুই চুপ কর……

———-“ওর কথা একদম শুনবে না…….

“আমার কান্ডে হাসলো মামুনি……

“সাথে আমিও…..

_____________________

“সকালে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে বসে পরলাম গাড়িতে’!!আমরা বসতে কাব্য গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!আমিও কাব্যকে জড়িয়ে ধরে চললাম নিজেদের গন্তব্যে….এখন আর নেই কোন সংকোচ আছে শুধু ভালোবাসা, ভালোবাসা আর শুধুই ভালোবাসা………
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে……………
#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-২০

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—20
.
.
🍁
“চারিদিকে ঢেউয়ের শব্দ, রাতের আকাশে জ্বল জ্বল করা চাঁদ আর তাঁরার মিশে থাকা হাসি’!!গভীর রাতে পাল তোলা নৌকায় করে নদীর মাঝখানে নিয়ে আসবে কাব্য সেটা হয়তো একদমই আমার কল্পনার বাহিরে ছিল’!!পুরো নৌকা টাই খুব সুন্দর করে সাজানো’!!চারিদিকে লাইটিং করা এক কথায় বলতে গেলে অবিশ্বাস কর সুন্দর একটা জায়গা’!!দিনের বেলা হলে হয়তো এই সৌন্দর্য তা চোখে পড়তো না’!!এই মুহূর্তে সত্যি খুব ভালো লাগছে আমার’!!আমি জাস্ট হা হয়ে পুরো জায়গার দিকে তাকিয়ে আছি’!!আর আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে কাব্য’!!আকাশটা খুব সুন্দর লাগছে’!!কিছুক্ষন আগে কাব্য গাড়ি থামিয়ে আমার হাত ধরে এই নদীর কিনারার নিয়ে আসলো’!!চারিদিকে শুধু অন্ধকার’!!বিষয়টা খুব একটা ভালো লাগে নি আমার’!!তাই আমি কাব্যকে বললামঃ

———“এটা কোথায় নিয়ে এসেছো তুমি, অন্ধকার ছাড়া আর তো কিছু দেখতে পারছি না’!!

“কাব্য হেঁসে বললোঃ

———“ওয়েট” এই বলে হাতে দু-বার তালি দিতেই সাথে সাথে পুরো জায়গাটা আলোয় ভরে গেল’!!আমি শুধু হা হয়ে তাকিয়ে ছিলাম’!!

“এমন সময় কাব্য আমার চোখ তার হাত দিয়ে চেপে ধরে বললঃ

———“চল…..

“আমি কাব্যের কাজে অবাক হলাম তারপরও কিছু না বলেই চুপচাপ সামনে হাঁটতে লাগলাম’!!কিছু দূর যেতেই কাব্য আমার চোখ খুলে ফেললো’!!সামনে তাকাতেই আমি জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে ছিলাম’!!কারন আমার চোখের সামনে ছিল’!!একটা পাল তোলা নৌকা খুব সুন্দর লাইটিং আর ফুল দিয়ে সাজানো’!!এক মুহূর্তের জন্য হলেও এই মুহুর্তে নিজেকে খুব সুখী মানুষ বলে মনে হচ্ছে আমার’!!কাব্য আমার জন্য এত কিছু করছে’!!হর্ঠাৎই কাব্য বলে উঠলঃ

———“কি হলো এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি যাবি’!!আমি কাব্যের দিকে তাকিয়ে শুধু “মাথা নাড়ালাম”!!তারপর খুশি মনে কাব্যের হাত ধরে উঠলাম নৌকায়’!!আমরা উঠতেই নৌকা চলতে শুরু করল’!!

“বর্তমানে মানে…….

“হর্ঠাৎই কাব্য আমার সামনে একটা লাভের চকলেট কেক নিয়ে আসলো আর চকলেট কেকের ওপরে লেখা আই লাভ ইউ মাইশা”!!আমি শুধু অবাক হচ্ছি কাব্যের এসব কাজ দেখে’!!আচমকা কাব্য এক গুচ্ছ লাল গোলাপ হাতে নিয়ে বসে পরলো’!!তারপর বললোঃ

———-“আই লাভ ইউ মাইশা’!!Do you Love me😊

“কাব্যের কাজ দেখে মুচকি হাসলাম আমি’!!তারপর খুশি মনে কাব্যের কাছ থেকে গোলাপগুলো হাতে নিয়ে বললামঃ

———“আই লাভ ইউ টু……

“আমার কথা কাব্য খুশি হয়ে উঠে দাঁড়ালো তারপর মাইশা কাব্য একে অপরকে খুব গভীর ভাবে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল!!এমন সময় কাব্য আমার কানে কানে বললোঃ

———“কখনো ছেড়ে যাস না তাহলে যে আমি পাগল হয়ে যাবো!!আমি তোকে আমার মৃত্যু পর্যন্ত সাথে নিয়ে বাঁচতে চাই’!!

“বিনিময়ে আমি কিছু বললাম না’!!শুধু শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম কাব্যকে’!!হয়তো এতেই কাব্য তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছে’!!

“বেশকিছুক্ষন পর……..

“আমরা একে অপরকে ছেড়ে দিলাম তারপর দুজনে একসাথে কেক কেটে সেলিব্রেট করলাম’!!আমার লাইফে শেষ্ঠ একটা দিন হয়ে থাকবে আজকের দিনটা’!!তারপর আমরা নৌকার এক কিনারায় বসে পরলাম’!!আর তার সাথে নৌকায় বসে নদীর ঢেউয়ের আওয়াজের সাথে রাতের আকাশের চাঁদ টাকে খুব সুন্দর করে দেখতে লাগলাম’!অসম্ভব রকম ভালো লাগছে আমার!!কাব্য আমায় খুব শক্ত জড়িয়ে ধরলো তার বুকের মাঝপ’!!আমিও খুব খুশি কারন আমিও যে খুব ভালোবাসি কাব্যকে’!!আমি কাব্যের গালে একটা চুমু দিয়ে বললামঃ………

——–“থ্যাংকু জামাই আমায় এত সুন্দর একটা রাত উপহার দেওয়ার জন্য আর আমি তোমায় এওতো এওতো ভালোবাসি’!!এই বলে কাব্যকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আমি’!!

.

“কাব্য খুব খুশি মাইশার কাজে!!তার সেই ইচ্ছে স্বপ্ন ভালবাসা সব আজ সত্যি হয়ে গেছে!!কাব্য মাইশার কপালে একটা চুমু জড়িয়ে ধরলো মাইশাকে……..!!এই মুহূর্তে দুজন মানুষই খুব আনন্দে আছে আর তাদের এই আনন্দগুলো সাক্ষী হিসেবে রইল রাতের আকাশটা,আকাশে থাকা জ্বল জ্বল করা তাঁরারা,নদীর স্রোতেরা,আর আকাশে থাকা এওতো বড় চাঁদটা……..

__________________________________________

_____________________

“ভোর ৫ঃ০০টা……….

“আকাশটা হাল্কা হাল্কা পরিষ্কার হতে শুরু করেছে!!চারদিকে পাখিদের হাল্কা কুউহু কুউহু শব্দ ভেসে আসছে কানে’!!আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি’!!পাশে কাব্যকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে হাল্কা হাসলাম আমি’!!তারপর আস্তে আস্তে শোয়া থেকে উঠে বসলাম’!!আশেপাশে তাকাতেই বুঝে গেছি নৌকা অনেক আগেই নদীর পাড়ে চলে এসেছে’!!আমি আস্তে আস্তে কাব্যের দিকে ঝুঁকে তার কানে কানে বললামঃ

————“জামাই বাসায় কি যাবে না!!সকাল হয়ে আসছে তো সবাই তো উঠে যাবে মনে হয়!!তারপর রুম ঢুকতে তো অসুবিধা হবে!!

“আমার কথা হকচকিয়ে উঠলো কাব্য’!!তাড়াতাড়ি শোয়া থেকে উঠে বসলো’!!তারপর বলে উঠলঃ

——–“ঠিক বলেছিস আমার তো এটা মাথায় আসে নি!!

“তারপর আমরা তাড়াতাড়ি করে নৌকা থেকে নেমে পরলাম’!!কাব্য মাঝিকে কিছু টাকা দিল সাথে আরো অনেক কিছু বললো’!!তারপর আমরা তাড়াতাড়ি করে চললাম গাড়ির কাছে’!!তারপর আমরা দ্রুত গতিতে গাড়িতে বসলাম’!!আর কাব্যও তাড়াতাড়ি করে গাড়ি চালাতে শুরু করলো’!!

“এত ভোরে পুরো রাস্তাই ফাঁকা’!!খুব একটা খারাপ লাগছে না’!!ধীরে ধীরে পুরো রাস্তা পরিষ্কার হতে শুরু করল’!!বাহিরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম বুঝতেই পারি নি’!!

.

“এদিকে কাব্য মাইশার কাজ দেখে হাসলো’!!তারপর মাইশাকে কাছে এনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিল’!!মাইশাও কাব্যকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আরাম করে ঘুমিয়ে পরলো’!!আর রাস্তা ফাঁকা থাকায় কোনো অসুবিধাই হচ্ছে না কাব্যের!!কাব্য খুশি মনে ড্রাইভ করছে………

“বেশকিছুক্ষন পর……..

“কাব্য এসে গাড়ি থামালো তাদের বাড়ির সামনে’!!তারপর গাড়ি থেকে নেমে মাইশাকে না ডেকে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটা শুরু করল কাব্য’!!আস্তে আস্তে দরজা খুললো কাব্য!!তারপর চুপি চুপি মাইশাকে কোলে নিয়েই চলে গেল উপরে তারপর রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিছানায় শুয়ে দিল কাব্য মাইশাকে’!!তারপর মাইশার কপালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে বললোঃ

———“আমার মায়াবতী”!!

“এই বলে সেও মুচকি হেঁসে মাইশাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো!!

_____________________

“সকাল ১০ঃ০০টা………

“সকালের সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!!রোদ্দুরে ভরে গেছে চারপাশ’!!মিট মিট করে চোখ খুলে তাকালাম আমি!!নিজেকে রুমের ভিতর থেকে অবাক হলাম আমি!!আমি তো গাড়িতে ছিলাম রুমে কখন আসলাম’!!হয়তো কাব্য নিয়ে এসেছে’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল কাব্যের ঘুমন্ত মুখের দিকে!!অসম্ভব রকম সুন্দর লাগছে কাব্যকে!!কালকের রাতের কথা মনে পড়তে আরো ভালো লাগলো খুব!!আমি কাব্যের বুকের উপর মাথা দিয়ে কাব্যকে জড়িয়ে ধরে বললামঃ

———“থ্যাংক ইউ মাই জামাই আমাকে এতো ভালোবাসার জন্য!!সারাজীবন এইভাবেই ভালোবাসবে আমায়!!জানি কাব্য শুনতে পায় নি!!তারপর বলতে ভালো লাগলো!!

“কিছুক্ষণ পর তাড়াতাড়ি করে উঠে যেতে নিলে কাব্য জড়িয়ে ধরল আমায়’!!তার কাজে অবাক আমি’!!

——–“ঘুম ভেঙে গেছে নাকি’!!

আমার কথা শুনে কাব্য বলে উঠলোঃ

——–“ঘুম তো অনেক আগেই ভেঙে গেছে!!

———“তুমি কি আমার কথা সব শুনেছো!!

——–“হুম শুনেছি আর কথাও দিচ্ছি সারাজীবন এইভাবেই ভালোবাসবে তোকে…….

——–“হুম বুঝতে পারছি এখন সরো উঠতে হবে…….!!এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে!!

———“না আগে আমার একটা জিনিস চাই!!

———–“এখন……

———–“হুম…..

———“এখন আমার কাছে তোমাকে দেওয়ার মতো কিছু নেই!!শপিং গিয়ে তোমার জন্য গিফট নিয়ে আসবো আনে ঠিক আছে!!

———“না তাতে হবে না আমার এখনই গিফট চাই!!

———“আশ্চর্য তুমি দেখি বাচ্চাদের মতো কান্না করছো!!কিন্তু কি দিবো তোমায় সেটা তো বলবা…..

“হুট করে কাব্য এসে মাইশার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দিল!!ঘটনাটা আচমকা এমনটা হওয়াতে মাইশা পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল!!😝

“কিছুক্ষন পর কাব্য মাইশাকে ছেড়ে দিয়ে বললোঃ

———-“এখন তুই যেতে পারিস আমার গিফট আমি পেয়ে গেছি!!

“কাব্যের এমন কথা শুনে মাইশা বলে উঠলঃ

———-“তুমি এই গিফট এর কথা বলেছো’!!এটা তো বললেই হতো!!এই বলে মাইশা নিজেই কাব্যের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দিয়ে কাব্যকে কিস করতে লাগলো!!😝

“বেশকিছুক্ষন পর………

“মাইশা কাব্যকে ছেড়ে দিলো’!!তারপর বিছানা থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে’!!

.

“আর এদিকে কাব্য মাইশার কাজে হা হয়ে তাকিয়ে রইল!!তার যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না মাইশা তাকে নিজ ইচ্ছে কিস করলো!!জাস্ট হা হয়ে আছে কাব্য এখনো শকট সে মাইশার,কাজে…….

__________________________________________

_____________________

“দুপুর দুটো……!!

“কাব্যের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি!!কাব্য ফোন করে বলেছিল তার জন্য খাবার নিয়ে আসতে!!তাই আমিও নিয়ে এসেছি!!ভিতরে ঢুকতে ভয় হচ্ছে ভিষণ!!তারপরও এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ভিতরে ঢুকলাম আমি’!!দূর যা হবে দেখা যাবে!!এই ভেবে ভিতরে ঢুকে লিফটে উঠে পরলাম’!!কিছুক্ষনের মধ্যে এসে পরিছি কাব্যের রুমে’!!আস্তে আস্তে ভিতরে ঢুকলাম’!!!ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম!!কাব্য তার টেবিলে বসে কিছু একটা করছে!!আমিও চুপি চুপি ঢুকলাম কাব্যের দিকে!!উদ্দেশ্য হচ্ছে কাব্যকে চমকে দেওয়া!!হাঁটতে হাঁটতে একদম কাব্যের সামনে চলে এসেছি’!!এমন সময় হুট করে কাব্য টান মেরে তার কোলে বসিয়ে দিল!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি ঘাবড়ে গেলাম!!আমি ঘাবড়ে গিয়ে বললামঃ

———“এটা কি হলো তুমি বুঝলে কিভাবে আমি তো চুপিচুপি ঢুকে ছিলাম……

“কাব্য হেঁসে বললোঃ

———“তুই রুমে ঢুকেছিস আর আমি বুঝতে পারবো না!!

“এমন সময় রুমে ঢুকলো কেউ!!তাকে দেখে অবাক হলাম আমি’!!কারন সামনের ব্যক্তিটি হলো সেই মেয়েটা লাবন্য!!কিন্তু এখানে কেন???
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………

❤️❤️❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে!!]😊😊😊😊

#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-১৯

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—19
.
.
🍁
“পাক্কা দেড় ঘন্টা যাবৎ বক বক করে থামলাম আমি’!!এমন সময় হুট করে কাব্য আমার হাত ধরে টান মেরে তার কোলে বসিয়ে দিলে বললোঃ

——–“হয়ে গেছে তোর,এবার আমি বলবো তুই শুনবি……..

“কাব্যের কথা শুনে অবাক হয়ে বললাম আমিঃ

——–“এটা কিন্তু কথা ছিল না এখন তুমি আবার বকবে আমায় তা হবে না আর আমার কি দোষ, আমার কোনো দোষ নেই সব দোষ তোমার……

“কাব্য আমার কথা শুনে দমকের স্বরে বললোঃ

——–“থাম তুই, আমি একবারও বলেছি তোকে বকবো আমি’!!সবসময় বেশি বুঝিস কেন??

“কাব্যের দমক শুনে মুখে হাত দিয়ে চুপ আমি’!!আর আমার কাজ দেখে কাব্য মুচকি হাসলো’!!তারপর আমার গাল ধরে তার দিক ঘুরিয়ে বললোঃ

——–“তুই কেন বুঝিস না “পাগলী” আমি যে শুধু তোকেই ভালোবাসি’!!#কতোটা_চাই_তোকে💖
কবে বুঝবি তুই’!!আজকে আমায় কথা দে আর কখনো উল্টো পাল্টা কোনো কিছু দেখলে ভুল বুঝবি না’!!কোনো কিছু হলে সরাসরি আমায় বলবি তারপর যা হবে তাই’!!তুই বুঝতে চাস না কেন তোকে আমি যে নিজের থেকেও খুব বেশি ভালোবাসি’!!এতটুকু বলে কাব্য শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আমায়’!!তারপর আবারো বললোঃ

———“কখনো ছেড়ে যাস না আমায় তোকে ছাড়া যে বাঁচতে পারবো না আমি’!!তোকে যে খুব খুব ভালোবাসি আমি!!

.

“এতক্ষণ কাব্যের সব কথায়ই খুব মন দিয়ে শুনেছি আমি’!!খুব ভালো লেগেছে আমার’!!আর আমিও মনে মনে ভাবলাম’!!আর কখনো ভুল বুঝবো না’!!কখনো কিছু হলে সরাসরি জিজ্ঞেস করবো’!!আর এখন থেকে শুধু কাব্যকে ভালোবাসবো,ভালোবাসবো,ভালোবাসবো!!এই ভেবে আমিও মুচকি হেঁসে কাব্যকে শক্ত করে তাকে জড়িয়ে ধরলাম’!!

.

“মাইশা কাব্যকে জড়িয়ে ধরায় খুব খুশি কাব্য’!!ভালো লাগছে খুব অনেক দিনের পূর্ণ বাসনা আজকে পূরন হয়েছে কাব্যের’!!কতোদিনের ইচ্ছে তার মাইশা নিজেও তাকে খুব ভালোবাসবে’!!আজকে তার সেই ইচ্ছে পূরণ হলো’!!আজকে কাব্য খুব খুশি’!!খুব গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে কাব্য, মাইশা একে অপরকে’!!আর এভাবে পূর্ণতা পাক পৃথিবীর সকল ভালোবাসা🤗

__________________________________________

_____________________

“রাত_১১ঃ০০টা……..

“বিছানায় ঘুমিয়ে আছি’!!কাব্য কোথাও একটা গেছে’!!আর যাওয়ার আগে বলেছেঃ

———“আমি যেন ঘুমিয়ে না পরি’!!অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘুম আটকাতে পারছি না’!!ঘুম কি আর আমার ইচ্ছে মতো চলে নাকি সে তো তার মতোই চলছে তাই আমি ঘুমাচ্ছি…….

“সারাদিন খুবই সুন্দর গেছে’!!সবাই অবশ্য জিজ্ঞেস করে ছিল আমাদের মধ্যে কি হয়েছে সবাইকে ভুলভাল কিছু বলে দিছি শুধু তানিশাকে সব বলেছে আর যাই হোক She is my best friend……

“সব শুনে ও খুশি…….

.

“কিছুক্ষনের মধ্যেই……
– দরজা খুলে ভিতরের ঢুকলো কাব্য’!!হাতে তার একটা ব্যাগ’!!কাব্য ভিতরে ঢুকে মাইশাকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে হেঁসে বললোঃ

——-“দেখছো পাগলীটাকে এত করে বলেছিলাম ঘুমিয়ে যাস না তারপরও ঘুমিয়ে পরলো’!!কাব্য তার হাতে থাকা ব্যাগটাকে টেবিলের উপর রেখে আস্তে করে হেঁটে মাইশার পাশে গিয়ে বসলো’!!তারপর মাইশার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো’!!কতোটা না সুন্দর লাগছে কাব্যের কাছে মাইশাকে……..

“কাব্য মাইশার দিকে ঝুঁকে’!!তার কানে কানে বললোঃ

———“মাইশা উঠ…….প্রথম ডাকে মাইশা হালকা নড়লো,যা দেখে কাব্য হাসলো,তারপর আবারো ডাকলো………

.

“ঘুমের মধ্যে কারো মুখে নিজের নাম শুনে কিছুটা নড়েচড়ে উঠলাম আমি’!!হুট করেই চোখ খুললাম আমি’!!হর্ঠাৎ করে সামনে কাব্যকে এতটা কাছে দেখে কিছু ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

———-“চলে এসেছো তুমি…….

———–“হুম চলে এসেছি,তোকে না বারন করেছিলাম ঘুমাতে তাহলে ঘুমিয়েছিস কেন??

———-“আসলে কি বলো তো বহুত চেষ্টা করে ছিলাম আমি না ঘুমানোর’!!কিন্তু তুমি তো আসছিলে না আর ঘুম এসে আমার দরজায় কলিং বেল বাজাচ্ছিল প্রথম এক ঘন্টা খুলি নি কিন্তু পরে যখন দেখলাম তুমি সেই এক ঘন্টায় আসছো না তাই বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দিলাম তাই আর কি………

“কাব্য আমার কথা শুনে হেঁসে বললোঃ

———“তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি কি সব বাজে বকছিস…….আচ্ছা ওসব বাদ দে এখন ওঠ কোথাও যাবো…….

“কাব্যের কথা শুনে অবাক হয়ে বললাম আমিঃ

———“এতো রাতে কোথায় যাবো আমরা…….

———“সেটা গেলেই দেখতে পাবি……

———“আমাদের কি যেতেই হবে না গেলে চলবে আসলে কি বলোতো প্রচুর ঘুম পাচ্ছে…….

———“একবার সেখানে গেলে তোর আর ঘুম আসবে না’!!এই বলে এক প্রকার টেনে ঘুম থেকে উঠালো আমায় কাব্য…….

“এদিকে আমি ঘুমে চোখে দেখি না……..

“কাব্য আমার অবস্থা দেখে আমায় কোলে তুলে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল’!!চোখে মুখে পানি দিয়ে বের করলো তারপরও ঘুম গেল না’!!কাব্য আবার আমায় কোলে তুলে নিয়ে এসে আয়নার সামনে দাঁড় করালো তারপর হালকা রেগে বললোঃ

———“তুই কি ঘুম থেকে উঠবি নাকি আমি একাই চলে যাবো…….

“এই রে জামাই আমার রেগে গেছে’!!কিন্তু আমার কি দোষ ঘুম না ভাঙলে’!!আমি জোর পূর্বক নিজের চোখ খুলে বললামঃ

———-“আরে রেগে যাচ্ছো কেন??বল কি করতে হবে আমি সব করছি…….

“কাব্য হালকা রেগে বললোঃ

———“ওই ব্যাগটার মধ্যে তোর জন্য কিছু গিফট আছে পড়ে ফেল’!!

“কাব্যের কথা শুনে অটোমেটিক ঘুম গায়েব আর যাই হোক আমার জন্য গিফট আনছে’ দেখতে হবে না’!!আমি হুট করে বললামঃ

———“কোথায় গিফট…….

———“ওই ব্যাগে…..(হাতের ইশারায় বুঝিয়ে)

“কাব্যের কথা শুনে আমি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি ব্যাগটাকে কাছে নিয়ে এসে ব্যাগ থেকে বের করলাম একটা নীল শাড়ি, নীল কাঁচের চুরি, কাজল,আইলাইনারসহ আরো কিছু জিনিস তার সাথে কিছু লাল গোলাপ’!!এসব দেখে খুশি হলাম আমি’!!হুট করে কাব্যকে জড়িয়ে ধরে গাল চুমু দিয়ে বললামঃ

——–“থ্যাংকু জামাই……

“হর্ঠাৎ করে মাইশার এমন কাজে কাব্য অবাক হয়ে হাসলো’!!মুহূর্তের মধ্যে রাগ চলে গেল তার’!!তারপর হালকা হেঁসে ফেললো সেঃ

——–“এগুলো পড়ে তৈরি হ…….

———“এত রাতে এগুলো পড়ে যাবো কোথায় আমরা…….

———“আবারো প্রশ্ন করে তোকে প্রশ্ন করতে বারন করেছি না আমি…….চুপচাপ ওগুলো পড়ে তৈরি হয়ে চুপি চুপি নিচে চলে আয় কেউ যেন টের না পায়……..

———“আশ্চর্য’!!নিজের বাড়িতে চোরের মতো যাবো কেন??

“কাব্য কিছুটা বিরক্ত হয়ে আমার গাল শক্ত করে চেপে ধরে বললোঃ

———“আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছি মাইশা এত প্রশ্ন কেন তোর,, আর একটা উল্টো পাল্টা কথা বললে কিন্তু…..

———–“কিন্তু কি??হুট করে কোথা থেকে এতো সাহস আসলো আমার আমি কাব্যের গলা জড়িয়ে ধরে আবারো বললামঃ

———“আমি জানি জামাই তুমি এখন কিছু করতে পারবে না’!!আচ্ছা ঠিক আছে তুমি গিয়ে ওয়েট করো আমি আসছি’!!

“কাব্য রীতিমতো শকট আমার কাজে’!!কাব্য আর কিছু না বলে হেঁসে বাহিরে বেরিয়ে গেল…….

.

“আর আমি কাব্য বাহিরে যেতেই দরজা বন্ধ করে তৈরি হতে লাগলাম’!কাব্যের দেওয়া প্রথম ভালোবাসার উপহার আমার’!!নীল শাড়ি পড়ে ফেললাম,,তার চুল গুলো খোঁপা করে দিলাম,,কিন্তু না খোঁপায় ভালো লাগছে না তাই চুল গুলো খুলে দিলাম’!!চোখে কাজল, আইলাইনার,হাতে মুঠো ভর্তি চুরি,হালকা মেকাপ ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যস তৈরি আমি’!!আয়নার নিজেকে দেখে নিজেই এক দফা ক্রাশ খেলাম’!!তারপর বলে উঠলামঃ

——–“উফ মাইশা তোকে কি সুন্দর লাগছে,,আমি তো প্রেমে পড়ে যাচ্ছি’!!(হি হি)

“এর ভিতর মোবাইলে টুং করে উঠল’!!বুঝতে পেরেছি কাব্য মেসেজ দিয়েছে’!!আমিও আর দেরি না করে ফোনটা হাতে নিয়ে চুপি চুপি রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম’!!পুরো বাড়ি মনে হচ্ছে ফাঁকা সবাই গভীর ঘুমে আসক্ত’!!আমিও আর কিছু না ভেবে চুপি চুপি চললাম বাহিরে…..

_____________________

“গাড়ির পাশে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কাব্য’!!পড়নে তার ব্লাক শার্ট, ব্লাক জিন্স,হাতে কালো ঘড়ি,চুলগুলো বরাবরের মতো সুন্দর করে সাজানো’!!এক হাতে মোবাইল নিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে সে’!!কারন মাইশাকে মেসেজ দিয়েছে কতোক্ষন হয়েছে কিন্তু এখনো আসার নাম নেই তার আর মেসেজের রিপ্লেও দিচ্ছে না’!!কাব্য একরাশ বিরক্ত নিয়ে বললোঃ

———“এতক্ষণ করছে কি…….

“এ বলে সামনে তাকাতেই অবাক কাব্য’!!রাতের বেলাও অসম্ভব রকম সুন্দর লাগছে মাইশাকে খোলা চুলগুলো উরছে বাতাসে!!যা আরো গভীর ভাবে আকৃষ্ট করছে কাব্যকে’!!কাব্য কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে ফেললো’!!

.

“এক প্রকার দৌড়ে এসে সামনে দাঁড়ালাম আমি’ কাব্যের’!!তারপর খুশি মনে বললামঃ

———“আমাকে কেমন লাগছে…….

“কাব্য কিছু আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললোঃ

———“খারাপ না……

“কাব্যের কথা শুনে রাগ লাগলো আমার’!!এতক্ষণ বসে সেজেগুজে আসলাম’!!কোথায় সুন্দর কমেন্ট করবে তা না’!!কি বললো “খারাপ না”!!আমি বলে উঠলামঃ

———“এটা একটা কথা হলো “জামাই”!!এতক্ষণ সেজেগুজে আসলাম কোথায় তুমি বলবে!!মাইশা তোকে খুব সুন্দর লাগছে আরো কতো কিছু তা না কি বললে তুমি যাও আমি যাবো না তোমার সাথে(গাল ফুলিয়ে)

“কাব্য আমার কান্ড দেখে হাসলো’!!তারপর বললোঃ

———“বউ আমার রাগ করেছে বুঝি…..

———“তুমি খুব পঁচা কখনো আমার প্রশংসা করো না’!!

———“একটা কথা বলি তোকে সুন্দর লাগছে এটা বলার কি আছে তুই বুঝে নিতে পারিস না’!!

———“না পারি না……

———“আচ্ছা সরি,, তোকে খুব সুন্দর লাগছে একদম পরীর মতো লাগছে এখন ঠিক আছে…..
আমরা তাহলে এখন যাই “মহারানী”!!

“কাব্যের কথা শুনে হাসলাম আমি’!!তারপর বললামঃ

——–“ঠিক আছে,চলো!!

“তারপর আর কোনো কথা বারিয়ে উঠে বসলাম আমি গাড়িতে’!!তারপর কাব্যও গাড়িতে বসে পরলো গাড়িতে তারপর গাড়ি চালাতে শুরু করলো তার আপন গতিতে………..
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………….

#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-১৮

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—18
.
.
🍁
——-“আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমি যাবো না তোমার সাথে’!!এক প্রকার চেঁচিয়ে কথাটা বলে উঠলাম আমি কাব্যকে’!!আর কাব্য একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে আমায় কোলে তুলে নিয়েই সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে’!!আর ওনার কাজে আমি অবাক’!!আবারো চেঁচিয়ে বললামঃ

——–“আমার কথা কি কানে যাচ্ছে না,এমন সময় আমার চেঁচানো শুনে নিচে উপস্থিত হলো সবাই,মা বাবা আমাদের এভাবে দেখে বলে উঠলঃ

———“কাব্য তুমি এখানে……

“কাব্য আব্বুর দিকে তাকিয়ে বললোঃ

———“শশুড় আব্বা বউ আমার রাগ করে চলে আসছে তাই নিয়ে যাচ্ছি রাগ ভেঙে গেলে আবার নিয়ে আসবো’!!

“এই বলে সামনে হাঁটতে লাগলো কাব্য’!!আমি আব্বুর দিকে তাকিয়ে বললামঃ

———“দেখো বাবা তোমার জামাই আমারে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে আমি যাবো না তুমি আমায় রেখে দেও…….

———-“তোর সাহস কি করে হলো আমার নামে আমার শশুড় আব্বার কাছে নালিশ করার একবার তোকে বাড়ি নিয়ে যাই তারপর দেখাবো রাগ করে বাপের বাড়ি আসার ফল(দমক দিয়ে)

———“দেখছো বাবা তোমার জামাই কিভাবে দমক দিচ্ছে আমায়, আমি যাবো না আম্মু তুমি তো কিছু বলো’!!

“আশ্চর্য আমার কথা শুনে মা-বাবা কেউ কিছু বললো না উল্টো মুখ চেপে হাসছে তারা’!!

“কাব্য আবারো বলে উঠলঃ

———“শশুড় আব্বা আর শাশুড়ী মা আসছি তাহলে……এই বলে আমায় কোলে তুলে নিয়েই বাহিরে বেরিয়ে আসলো কাব্য’!!

“আর এদিকে আম্মু আব্বু দুজনেই শুধু হাসছে’!!

_____________________

“কাব্য আমায় কোলে করে নিয়ে এসে গাড়িতে বসিয়ে দিলো’!!তার নিজেও তাড়াতাড়ি এসে বসলো’!!আর আমি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি’!!আর বলছিঃ

——–“আমি যাবো না তোমার সাথে আমায় যেতে দেও…….

———“আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছি মাইশা আর তুই কিন্তু জানিস আমি রেগে গেলে নিজের কন্ট্রোলে থাকি না’!!(দমক দিয়ে)

———-“আমি যাবো না মানে যাবো না তুমি কি ভেবেছো সবসময় শুধু তোমার ইচ্ছে মতো সব হবে’!!

“কিন্তু কে শুনে কার কথা কাব্য কোনোকিছু না বলেই গাড়ির দরজা লক করে দিল’!!তারপর শাড়ির আঁচল দিয়ে আমার হাত বেঁধে দিল’!!তারপর আমার দিক ঝুঁকে বললোঃ

———“তুই যদি আর একটা কথা বলিস তাহলে তোর একদিন কি আমার একদিন’!!এত কথা কেন বলিস তুই কোনো কিছু না বুঝে শুনে হন হন করে রেগে এখানে চলে এসেছিস’!!আমার পারমিশন ছাড়া তোর সাহস কি করে হলো এখানে আসার’!!(দমক দিয়ে)

“এদিকে কাব্য এত কাছে আসায় আমার হার্টবিট উঠা-নামা করছে’!!শ্বাস নেওয়া মনে হয় এখনি বন্ধ হয়ে যাবে’!!আমি কাব্যের দিকে তাকিয়ে বললামঃ

———-“আমি কিছু বুঝতে চাই না তুমি থাকো তোমার জড়িয়ে ধরা বান্ধবীরে নিয়া’!!

“মুহূর্তের মধ্যে কাব্য রেগে আগুন হয়ে গেল'”!!! তারপর চেঁচিয়ে বললঃ

———-“তোর সাহস তো কম না আমার সাথে অন্য মেয়ে জড়াচ্ছিস তুই আমার চরিত্র নিয়ে বাজে মন্তব্য করছিস’!!

———“আমি যেটা দেখেছি সেটাই বলে ছি….

——–“তুই যেটা দেখেছিস সেটা সত্যি নয়,,তোকে কিভাবে বুঝাই আমি’!!(চেঁচিয়ে)

———-“তোমাকে কিছু বোঝাতে হবে না আমার যা বোঝার আমি বুঝে গেছি, আমি থাকবো না তোমার সাথে,তোমায় ডিভোর্স দিয়ে অন্য আরেকটা ছেলেকে বিয়ে করে সুখে সংসার করবো আমি’!!এই বলে ঠোঁটে কামড় দিলাম আমি,এই রে মুখ ফসকে কি বলে দিলাম আমি’!!হর্ঠাৎ করে এত সাহস কোথা থেকে আসলো আমার’!!আস্তে আস্তে কাব্যের চোখের দিকে তাকালাম আমি’!!রেগে আগুন হয়ে গেছে মনে হচ্ছে’!!যা দেখে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!এতক্ষণ ভয় না হলেও এখন লাগছে ভিষণ’!!কাব্য কিছু না বলে আস্তে আমার কাছ সরে এসে গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে কাব্য যা দেখে আমার বুঝতে বাকি নেই’!!কাব্য রেগে আগুন হয় গেছে’!!হায় রে এখন তোর কি হবে মাইশা,,এখন তোকে কে বাঁচাবে’!!এত বক বক করার কি আছে আর ডিভোর্স কথাটা বলার কি আছে,,এমনিতেও তো দিতি না…….

“ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার……..

_____________________

“বেশকিছুক্ষন পর কাব্য গাড়ি থামিয়ে সোজা আমায় কোলে তুলে নিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকলো’!!আশ্চর্য বার বার কোলে নেওয়ার কি আছে,,আমি কি হাঁটতে পারি না নাকি,,ভাবছিলাম গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালাবো কিন্তু সেইটাও হতে দিলো না এখন কে বাঁচাবে আমায়’!!

.

“এদিকে কাব্য মাইশাকে কোলে তুলে নিয়ে হন হন করে হেঁটে বাড়ির ভিতর ঢুকে তাদের রুমের দিকে পা বাড়াচ্ছে’!!

“সোফায় বসে চা খাচ্ছিছিলো মামু, মামুনি আর তানিশা আমাদের এভাবে দেখে অবাক হলো তারা’!!আমি তাদের দেখে চেঁচিয়ে বললামঃ

———“মামুনি বাঁচাও আমারে তোমার ছেলে আমায় কিডন্যাপ করে নিয়ে আসছে’!!আমারে বাঁচাও মামুনি না হলে তোমার ছেলে আমার মেরেই ফেলবে মনে হয়…….

“আমার কথা শুনে মামুনি বলে উঠলঃ

———-“ওকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস কাব্য…..

———“ঠিকই তো ভাইয়া তুমি মাইশাকে এভাবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো(তানিশা)

.

“এদিকে কাব্য কারো কথায় কান না দিয়ে সোজা মাইশাকে কোলে করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলো’!!আমি তানিশার দিকে তাকিয়ে বললামঃ

——–“বোইন প্লিজ বাঁচা আমায় তা না হলে তোর ভাই যে কি করবে……

“এদিকে কাব্য আমার কথা শুনে দমক দিয়ে বললোঃ

———“just shat up (দমক দিয়ে)

“কাব্যের এমন কথা শুনে ভয়ে চুপসে গেলাম আমি’!!তারপর মুখে হাত দিয়ে চুপ হয়ে গেলাম’!!

“কিছুক্ষণের মধ্যে কাব্য রুমে ঢুকে সোজা দরজা বন্ধ করে আমায় বিছানার উপর রাখলো’!!তারপর চেঁচিয়ে বললোঃ

———“ভেবেছিলাম তোকে শান্ত ভাবে সব বুঝিয়ে বললে তুই সব বুঝবি’!! কিন্তু তুই কি বললি তুই আমায় ডিভোর্স দিয়ে অন্য ছেলেকে বিয়ে করবি……

——–“আমি ভয়ে চুপ করে আছি’!!

——–“কি হলো চুপ করে আছিস কেন এতক্ষণ তো বক বক করতে ছিলি এখন চুপ কেন???

———“আমি চুপ…….

“কাব্য আমার হাত খুলে দিল’!!তারপর আমার গাল চেপে ধরে বললোঃ

——–“তোকে আমি সেই ছোট বেলা থেকে ভালোবাসি’!!আর তুই কিনা দু’মিনিটের একটা দৃশ্য দেখে আমার ভালোবাসাকে ভুল বুঝলি’!!আরে আমি যদি অন্য মেয়েকে চাওয়ারই ছিলো তাহলে তোকে বিয়ে করলাম কেন আমি’!!এতো নাটক করার কি দরকার ছিল আমার’!!সেই ছোট বেলা থেকে পোড়াচ্ছিস তুই আমায়’!!আর তোকে আমি এতো তাড়াতাড়ি ভুলে যাবো তুই ভাবলি কি করে’!! তোকে ছেড়ে অন্য মেয়ের কথা তো আমি কল্পনাও করতে পারি না’!!আর সেই তুই কিনা আমায় ভুল বুঝে দূরে চলে গেলি…….পুরো এক শ্বাসে কথা গুলো বললো কাব্য আমায়’!!আর ওনার কথা শুনে আমার মনেও প্রশ্ন জাগলো’!!

——-“ঠিকই তো ভাইয়া অন্য কাউকে চাইলে আমায় কেন বিয়ে করলো’!!কিন্তু কাব্য নিজেও তো জড়িয়ে ধরে ছিল মেয়েটাকে তার বেলা’!!আজ ভাইয়ার জায়গায় যদি আমি থাকতাম তাহলে তো সেই রেগে এসে আমায়ই বকতো তার বেলা…..(মনে মনে)

———“কি হলো কথা বলছিস না কেন??তোর কি এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না আমায়’!!তুই শুধু বল কি করলে বিশ্বাস করবি আমায় যে আমি শুধু তোকেই ভালোবাসি…….

———-“তুমি কেন মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে ছিলে,,আজ আমি যদি অন্য কোনো ছেলেকে জড়িয়ে ধরতাম’!!তাহলে তো সেই তুমি এসে আমায় বকতে তার বেলা….

——–“তাহলে তুই বকে দে আমায়……

__________________________________________

_____________________

“কাব্যের কথা শুনে ফট করে বলে দিলাম আমিঃ

——–“সিরিয়াসলি সত্যি বলছো……

“কাব্য আমার কথা শুনে বললোঃ

———“সত্যি বলছি বক তুই তারপরও ভুল বুঝিস না…….

——–“আচ্ছা ঠিক আছে……

“এই বলে বিছানা থেকে উঠে বসলাম দাঁড়ালাম আমি’!!তারপর কাব্যকে বললামঃ

——“তুমি বসো ওখানে আর একটাও কথা বলবে না চুপচাপ আমার কথাগুলো শুনবে…….

“কাব্যও আমার কথা শুনে চুপ করে শুধু মাথা নাড়ালো…..

“আমিও একটু স্টাইল মেরে দাঁড়িয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে বললামঃ

——–“তাহলে শুরু করি……

“হুম 1 2 3……..

———-“তোমার সাহস কি হলো তুমি আমায় ছেড়ে অন্য মেয়েকে জড়িয়ে ধরেছো’!!তাও আবার অফিসে বসে’!!অফিসে কাজ করতে যাও নাকি অন্য কাজ করতে যাও’!!তুমি জানো কতো কষ্ট করে শুধু মাএ তোমার জন্য এত সুন্দর একটা শাড়ি পড়ে কালকে সেজে গিয়ে ছিলাম আমি’!!তোমার জন্য নিজ হাতে রান্না করেছিলাম আমি’!!তারপর গোলাপ কিনলাম আরো কতোকিছু কল্পনা করেছিলাম সব তুমি নিমিষেই শেষ করে দিলে,,তোমায় পুলিশে দেওয়া উচিত’!!

“এই বলে চেঁচাতে লাগলাম আমি’!!আর কাব্য শুধু আমার মুখের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ আমার কথা গুলো শুনতে লাগলো আর মুখে হাত দিয়ে হাসি আটকানোর চেষ্টা…………
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………..
#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-১৭

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—17
.
.
🍁
“স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!আর আমার সামনে কাব্য আর একটা মেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে’!!বিষয়টা হয়তো আমার কল্পনার বাহিরের ছিল’!!ভেবেছিলাম কাব্যকে চমকে দিবো আমি’!!কিন্তু এখানে এসে যে আমি নিজেই চমকে যাবো তা বুঝতেই পারি নি’!!কেন জানি না শরীরের সব শক্তি অবস হতে লাগল’!!মুহূর্তের মধ্যে হাত থেকে খাবারের ব্যাগটা নিচে পড়ে গেল”!!শব্দ হলো কিছু’!!

.

“এদিকে কাব্য আচমকা কোনোকিছুর শব্দ পেয়ে পিছনে ঘুরে মাইশাকে দেখে অবাক হয়ে যায়’!!পরক্ষণেই তার মনে পরলো সে তো লাবন্যকে জড়িয়ে ধরে আছে’!!কাব্য তাড়াতাড়ি লাবন্যকে ছেড়ে দিতে নিলে লাবন্য বলে উঠলঃ

——–“প্লিজ আমায় ছেড়ে যাস না,তোকে ছাড়া যে আমি বাঁচতে পারবো না’!!

“মেয়েটির কথা শুনে আর কিছু শোনা বা বলার মধ্যে ছিলাম না আমি’!!এমন সময় মেয়েটিকে ছেড়ে কাব্য আমার সামনে এসে বললোঃ

——–“তুই এখানে…..

——–“আমি চুপ’!!এমন সময় ওই মেয়েটা বলে উঠলঃ

——–“কোনো আদব-কায়দা শিখো নি,কারো রুমে ঢুকলে পারমিশন নিয়ে ঢুকতে হয় জানো না’!!

“মেয়েটির কথা শুনে ঘৃণা লাগলো আমার’!!এমন সময় কাব্য লাবন্যের দিক তাকিয়ে বললোঃ

——-“তুই থাম’!!

“তারপর আবার আমার দিকে ঘুর বললোঃ

——-“কি হলো তুই কথা বলছিস না’!!আমি কোনো কথা না বলে ব্যাগ আর নিচে পড়া থাকা গোলাপ ফুল গুলো ওইভাবে রেখেই আস্তে করে পিছন ঘুরে চলে আসতে নিলাম’!!এমন সময় কাব্য আমার হাত ধরে বললোঃ

——-“চলে যাচ্ছিস কেন??

——–“হাত ছাড়ো……

———“আগে তুই বলবি তো……

“কাব্যের কথা শুনে মুহূর্তের মধ্যে মেজাজ বিগড়ে গেল আমার আমি চেঁচিয়ে বললামঃ

———“হাত ছাড়ো আমার’!!

———-“তুই যেটা ভাবছিস সে….

“আর কিছু বলার সুযোগ দিলাম না আমি’!!টান মেরে হাত এনে আমি সোজা বেরিয়ে গেলাম’!!কষ্ট হচ্ছে প্রচুর’!!এতো কিছু ভাবলাম এত স্বপ্ন দেখলাম সব মিথ্যে হয়ে গেল’!!বুক ফেটে কান্না পাচ্ছে আমার তারপরও চোখের পানি যথা সম্ভব কন্ট্রোলে রেখে রুম থেকে রেরিয়ে এসে আসলাম’!! তারপর লিফটে উঠলাম চোখের সামনে শুধু কাব্য আর ওই মেয়েটার একে অপরকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্য ভেসে আসছে’!!কোনোভাবে অফিস থেকে বেরিয়ে এসে গাড়ির কাছে আসতেই ড্রাইভার চাচা বলে উঠলেনঃ

———“কি হলো মাইশা মামুনি এত তাড়াতাড়ি চলে আসলে’!!তুমি তো বলেছিলে দেরি হবে……

——–“ভালো লাগছে না বাসায় চলো…..

“আমার কথা মতো চাচাও গাড়িতে বসে পড়লেন’!!আমিও গিয়ে বসে পরলাম গাড়িতে’!!গাড়ি চলতে শুরু করল আপন গতিতে’!!চোখের পানি আর আঁটকে রাখতে পারলাম না আমি’!!টপ টপ করে পানি পরতে লাগলো আমার’!!আজ বুঝতে পারছি ভালোবাসার মানুষের কাছে অন্য কাউকে দেখলে সত্যি কতোটা কষ্ট হয়’!!আমার সব ইচ্ছে ভাবনা এই ভাবে ভেঙে চুরে যাবে তা হয়তো ভাবতেও পারি নি’!!তাহলে কি কাব্য সেদিন এই দেরি হয়ে যাওয়ার কথা বলে ছিল’!!

__________________________________________

_____________________

“নিচে বসে আছে কাব্য আর তার হাতে মাইশার আনা গোলাপ’!!গোলাপগুলো দেখে অবাক হয় কাব্য’!!এমন সময় লাবন্য এসে কাব্যের কাঁধে হাত
রেখে বললোঃ

———“মেয়েটা কে রে অসভ্যের মতো বিভেব করলো তোর সাথে…….

“লাবণ্যের কথা শুনে কাব্যের মাথা আগুনের মতো গরম হয়ে গেল’!!কাব্য নিচ থেকে উঠেই ঠাসস করে একটা থাপ্পড় মেরে দিলো লাবন্যের গালে’!!

”কাব্যের এমন কাজে লাবণ্য হা হয়ে তাকিয়ে রইল’!!কাব্য চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ

——–”তোর সাহস কি করে হলো ওকে অসভ্য বলার’!!ও আমার বউ আমার ভালোবাসা’!!শুধু মাএ তোর জন্য আজকে ও আমায় ভুল বুঝলো’!!তুই আমার সামনে থেকে চলে যা তোকে আমি আর আমার সামনে দেখতে চাই না’!!

———“কাব্য আমি যে তোকে ভালো…..আর কিছু বলতে পারলো না লাবন্য তার আগেই আরেক গালে থাপ্পড় দিয়ে দিল’ কাব্য’!!তারপর বললোঃ

———“তুই এখান থেকে চলে যা,,(দমক দিয়ে)

“কাব্য চরম বেগে রেগে গেছে’!!যা দেখে লাবন্য ভয় পেয়ে যায়’!!আর কিছু না বলেই কাঁদতে কাঁদতে লাবন্য রুম থেকে বেরিয়ে যায়’!!

“এই মুহুর্তে কাব্য নিজেকে পাগল পাগল মনে হচ্ছে’!ইচ্ছে করছে সব ভেঙেচুরে তছনছ করে দিতে’!!তার ভালোবাসার মানুষ তাকে ভুল বুঝলো ভাবতে পারছে না কাব্য’!!কাব্য কিছু একটা ভেবে কেভিন থেকে বেরিয়ে যাবে এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল’!!কাব্য থেমে যায় ফোনটা তুলে উপরে রিয়ার নাম দেখে তাড়াতাড়ি ফোনটা তুলে বললোঃ

———-“হ্যালো……

“কাব্যের হ্যালো শুনে ওপাশ থেকে খুশি মনে রিয়া বলে উঠলঃ

———“আরে কংগ্রেস কি অবস্থা বল’!!সব ক্লিয়ার হয়ে গেল’!!তোর মনের বাসনা আজ তাহলে পূরণ হলো’!!কেমন লাগছিল বল তোর বউ কে……

——–”কিসব বলছিস তুই…….

———“তুই বুঝতে পারছিস না……(অবাক হয়ে)

——–”না……

———“মজা করছিস তুই…….

———-“আরে মজা করবো কেন(ক্ষিপ্ত হয়ে)

———”আরে তুই রেগে যাচ্ছিস কেন মাইশা তোকে কিছু বলে নি…….

——–“কি বলবে……..

——–“কেন ও তো তোকে আজ প্রপোজ করতে আসছিল’!!পৌঁছায় নি এখনো অফিসে কিন্তু মাইশা তো তখন বললো”!!

“কাব্যর আর বুঝতে বাকি রইল না’!!মাইশা তাহলে কেন এত সেজেগুজে এসেছিল’!!সব এলেমেলো হয়ে যাচ্ছে কাব্যের’!!এত বছরের ইচ্ছে এইভাবে নষ্ট করে ফেললো তাও আবার নিজের দোষে…….!!কাব্য বলে উঠলঃ

——–“অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে রিয়া…….

——–“কি হয়েছে মাইশা এখনোও ……

——–“মাইশা এসেছিল লাল শাড়ি পড়ে খুব সুন্দর করে সেজেগুজে

——-তাহলে…..

“তারপর কাব্য বলতে শুরু করলঃ

.

“অফিসে নিজের রুমে বসে কাজ করছিল কাব্য’!!আজকে তাদের লাঞ্চের পর একটা বড় মিটিং আছে’!!যেটা তাদের জন্য খুবই জরুরি’!!তাই সেটা নিয়েই কিছু কাজ করতে ছিল কাব্য’!!এমন সময় রুমে ঢুকলো লাবন্য’!!লাবন্য ভিতরে ঢুকে সোজা কাব্যের সামনে চেয়ারে এসে বসলো’!!কাব্য লাবন্যকে দেখে বলে উঠলঃ

——-“তুই এখানে এই সময়……

“লাবণ্য কিছুটা নরম গলায় বললোঃ

——–“তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে…….

“কাব্য লাবন্যের কন্ঠ শুনে ওর তাকাতেই কিছুটা অবাক হয়ে যায়’!!কারন লাবণ্যের চেহারা পুরো শুকিয়ে গেছে’!!চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে দেখে বোঝাই যাচ্ছে কতোরাত ঘুমায় নি সে’!!লাবন্যের এমন অবস্থা দেখে কাব্য বলে উঠলঃ

———“কি হয়েছে তোর চোখে মুখের এমন অবস্থা কেন??

“হুট করেই লাবন্য বলে উঠলঃ

———-“আমি তোকে ভালোবাসি,তোকে বিয়ে করতে চাই…….

“লাবণ্যের হর্ঠাৎ করে এমন কথা শুনে কাব্য তার চেয়ার থেকে উঠে পড়ে তারপর উচ্চ স্বরে হেঁসে বলেঃ

———-“তোর কি মাথা আজ আবার খারাপ হয়ে গেছে’!!

“লাবন্য কাব্যের কথা শুনে কেঁদে দেয়’!!লাবণ্যের এমন কান্ডে কাব্য পুরো অবাক হয়’!!কাব্য লাবণ্যের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলেঃ

———“আরে তুই কাঁদছিস কেন??

“লাবণ্য কোনোকিছু না বলেই হুট করে কাব্যকে জড়িয়ে ধরে সে’!!কাব্য আচমকা এমনটা হওয়াতে পুরো হা হয়ে যায়’!!এদিকে লাবন্য কাব্যকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকেঃ

——–“আমি সত্যি বলছি আমি তোকে খুব ভালো বাসি’!!এই কয়েকদিনে অনেক চেষ্টা করেছি তোকে ভুলে যাওয়ার কিন্তু কিছুতেই কিছু পারছি না……..

“কাব্য জাস্ট লাবণ্যকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ওর মাথা হাত দিয়ে ছিল’!!আর এমন সময় মাইশা চলে আসে……

“এতক্ষণ কাব্যের সব কথা শুনে রিয়া বলে উঠলঃ

——–“এটা তুই কি করলি মাইশা অনেক আশা নিয়ে গিয়েছিল তোর কাছে আর তুই এত কাছে এসেও আবার সেই দূরে ফিরিয়ে দিলি……

———“বিশ্বাস কর আমি ইচ্ছে করে কিছু করে নি আমি তো শুধু…….

———“সে যাইহোক কিন্তু এখন মাইশাকে গিয়ে আগে সব বল’!!ও তো অনেক কষ্ট পেয়েছে তোর জন্য নিজ হাতে রান্না করে নিয়ে গিয়েছিল আর সেজেছিল তোর জন্য কিন্তু তুই……

“এতটুকু বলে মন খারাপ করে ফোনটা কেটে দেয় রিয়া’!!

.

“আর কাব্য মন খারাপ করে বসে পরে চেয়ারে’!!এমন সময় কাব্যের পিএ এসে বলে তাকে মিটিং এ যেতে হবে’!!কাব্য তাকে বলে উঠলঃ

——-“তুমি যাও আমি আসছি……

“কাব্যের কথা শুনে তার পিএ চলে যায়’!!কাব্য মন খারাপ করে কিছুক্ষন বসে থেকে এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চললো মিটিং এ ‘!!আর মনে মনে ভাবলো রাতে গিয়েই মাইশাকে সব কথা তার মনের কথা সব বুঝিয়ে বলে’!!বুঝিয়ে বললে সবই বুঝতে পারবে মাইশা’!!এই বলে নিজেকে শান্ত করল কাব্য’!!তারপর চললো তার গন্তব্যে……..

__________________________________________

_____________________

“রাত_৮ঃ০০টা……..

“কাব্য দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি পৌঁছাচ্ছে’!!আজ যে সে তার মনের সব কথা বলবে তার ভালোবাসার মানুষকে’!!তার সাথে সব ভুল বুঝাবুঝিও মিটিয়ে ফেলবে সে’!!এসব পরিকল্পনা করে চলছে বাড়ি কাব্য’!!

“বেশকিছুক্ষনের মধ্যেই কাব্য বাড়ি চলে আসে’!!বাড়ি ঢুকেই সোজা উপরে চলে যায় কাব্য’!!সারা রুমে মাইশাকে খুঁজতে থাকে’!!কিন্তু কোথাও খুজে পায় না মাইশাকে’!!কাব্য অস্থির হয়ে পড়ে’!!তারপর নিচে নেমে কাব্য চেঁচিয়ে তানিশাকে ডাকতে থাকে’!!কাব্যের চেঁচানো শুনে তানিশা আর মামুনি আর মামু তিনজনেই বেরিয়ে আসল’!!তারপর মামুনি বলে উঠলঃ

———“কি হলো তুই চেঁচাচ্ছিস কেন???

———“মাইশা কোথায়……

——–“ওহ মাইশা তো ওদের বাড়ির গেছে……

——–“হুম…….

——–“তোর অফিস থেকে ফেরার সময় তোর মামার সাথে মাইশার দেখা হয়ে যায় তারপর নাকি তার সাথেই চলে যায়’!!আমায় ফোন করে বলেছিল কিছুদিন থাকবে নাকি’!!কাব্য মামুনির কথা শুনে আর কিছু না বলে সোজা উপরে চলে যায়’!!কারন সে বুঝতে পেরেছে মাইশা রাগ করেই চলে গেছে……

“এখন কি করবে কাব্য………

_____________________

“নিজের বাড়িতে নিজের রুমেই বসে কেঁদে চলেছি আমি’!!অসম্ভব রকম কষ্ট হচ্ছে আমার’!!বার শুরু কাব্য আর ওই মেয়েটার জড়ানোর দৃশ্য ভেসে আসছে আমার’!!রাতে আর কোনোকিছু না খেয়েই ওইভাবেই ওই সাজেই ঘুমিয়ে পরলাম আমি’!!মা অনেকবার খাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছিল কিন্তু আমি যাই নি’!!ভালো লাগছে না কিছু’!!চুপচাপ কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পরলাম আমি’!!ফোনটাও বন্ধ করে রেখেছি মনে মনে পন করেছি আর যাবো না কাব্যের কাছে’!!থাকুক সে তার মতো…….
.
.
.
.
🌼

“সকালে দরজা টাকানোর শব্দের ঘুম ভাঙল আমার’!!এমনভাবে দরজায় নক করছে মনে হচ্ছে দরজা ভেঙেই ফেলবে এখন দরজা না খুললে’!!একরাশ বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে দিয়ে বললামঃ

——-“এত জোরে দরজায় নক করার কি আছে……

“বিনিময়ে সামনের ব্যক্তি কিছু না বলেই হুট করে কোলে তুলে নিয়ে হাটা শুরু করলো’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো ভয় পেয়ে তার হাত ধরে সামনে তাকাতেই দেখলাম কাব্য……
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………

❤️❤️❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন হচ্ছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন]😊😊😊😊

#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-১৬

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—16
.
.
🍁
“চোখে কালো চশমা গায়ে কাব্য ভাইয়ার একটা ব্লাক শার্ট আর তার সাথে প্লাজু পড়া অবস্থায় মিউজিক সিস্টেমে পুরো লাউডস্পিকারে দিয়ে “কুর্তা পাজামা কালা কালা” গানটা ছেড়ে উড়াধুরা নাচতে আছি আমি’!!কেন নাচছি জানা নেই, তবে আমি খুব খুশি’!!ফুল লাউডে গান চলছে বিছানার উপর উঠে উড়াধুরা বালিশ নিয়ে নাচতে আছি আমি’!!এই মুহূর্তে আমি ভুলেই গিয়েছি যে এটা কাব্যভাইয়ার রুম’!!হর্ঠাৎই দরজার নক করলো কেউ সাথে সাথে মিউজিক অফ করে দিলাম আমি’!!এই রে এর ভিতর কাব্য ভাইয়া চলে আসলো নাকি’!এখন আমায় এই অবস্থায় দেখলে কি বলবে তারওপর রুমটারও অবস্থা খারাপ করে দিয়েছি’!!এসব ভাবনার মাঝেই দরজার ওপাশ তানিশা বলে উঠলঃ

——–“মাইশা তুই রুমে মধ্যে বসে কি করছিস……

“ওর কথা শুনে আমি এক শ্বাস ফেলে তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দিয়ে ওকে ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম’!!ও আমার এমন অবস্থা দেখে বলে উঠলঃ

———“এগুলো কি করছোস তুই……

——–“আরে চুপ কর তো কিছু হবে “জামাই” আসার আগেই আবার সব আগের মতো করে ফেলবো আর কাব্য আসতে এখনো অনেক দেরি আছে’!!তাই চালো বেবি Let’s dance এই বলে আবার গান ছেড়ে দিয়ে দু’জনেই বিছানার উপর দাঁড়িয়ে উড়াধুরা নাচতে আছি,,প্রথমে তানিশা রাজি হলেও পরক্ষণেই শুরু হলে গেলো দুই বোইনের নাগিন ড্যান্স’!”

“পাক্কা এক ঘন্টা ধরে পুরো বিছানার চাদর থেকে শুরু করে বিছানার উপর থাকা বালিশ নিয়ে উড়াধুরা নাচতে আছি আমরা’!!এই মুহূর্তে বলতে গেলে দু’জনেই পুরো পাগলী হয়ে গেছি একেই বলে পাজামা পার্টি’!!😂এমন সময় তানিশা বলে উঠলঃ

——–”খালি মুখে পার্টি জমে বোইন তুই এখানে থাক আমি গিয়ে ফ্রিজ থেকে কোক – টোক নিয়ে আসি……

———-“ওকে তাড়াতাড়ি আসিস……

“এতটুকু বলতেই তানিশা চলে গেল’!!আর আমি বিছানার উপর দাঁড়িয়ে উড়াধুরা নাচছি’!!

“কিছুক্ষনের মধ্যেই তানিশা চলে আসলো হাতে তার দুটো কোকের বোতল’!!তানিশা রুমে ঢুকেই সোজা বিছানায় এসে একটা বোতল আমার হাতে আর একটা ওর হাতে নিলো’!!তারপর আমি বলে উঠলাম দাঁড়া একটা বাঙালি ডিজে গান ছাড়ি’!!এই বলে তাহেরী আঙ্কেলের গাওয়া ডিজে গানটা ছেড়ে উড়াধুরা হাসি আর সাথে মাইশা তানিশার ডিজে নাচ…😂

“হর্ঠাৎ করে আমাদের নাচের মাঝখানে কেউ এসে গানটা অফ করে দিলো’!!সাথে সাথে আমরা দুজনেই অবাক হয়ে সামনে তাকালাম’!!সামনে কাব্যকে দেখে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে’!!হর্ঠাৎ করে এমন একটা পরিস্থিতিতে পরতে হবে তা আমি কল্পনাও করতে পারি নি’!!দরজাটা খুললো কে??আমি তানিশার দিকে বড় বড় করে তাকিয়ে চুপি চুপি করে বললামঃ

———“তুই দরজা কেন বন্ধ করিস নি কেন???

———“দোস্ত উওেজনায় ভুলে গিয়েছিলাম…..

——–“এখন কে বাঁচাবে আমাদের…??

——–“আমাদের হবে না আমাকে…..

——–মানে???

“এতটুকু বলতেই তানিশা দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল’!!ওর এমন কাজে আমি জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম কি শয়তান মেয়েরে বাবা আমায় একা ফেলে চলে গেল’!!এখন কি করবো আমি’!!এদিকে আমি তো ভাইয়ার জামা পড়ে আছি’!!এটা দেখে ভাইয়া রেগে যায় নি’!!আমি বিছানার উপর দাঁড়িয়ে বললামঃ

———“গুড মনিং জামাই…..হি হি (জোরপূর্বক হেসে)

———-“দুপুর ২ঃ০০টা বাজে এখন তোর জন্য গুড মর্নিং…….

“কাব্যের কথা শুনে রীতিমতো অবাক আমি’!!দুপুর দুটো বেজে গেছে’!!কিন্তু কখন বাজলো বুঝতেই তো পারি নি’!!

——–“ইয়ে না মানে সরি…..

——–“রুমের কি অবস্থা করছিস……বালিশ কোথায় কোথায় ফেলেছিস’!!

——–”সরি সরি আমি এখনি সব ঠিক করে দিচ্ছি এই বলে উওেজনা নিয়ে খাট থেকে নামতে গিয়ে প্লাজুর সাথে পা বেজে হুমড়ি খেয়ে বিছানা থেকে নিচে পড়ে যেতে নিলাম আমি’!!হর্ঠাৎ করে যে এমন কিছু হবে তা বুঝতেই পারি নি’!!ভয়ে চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলেছি আমি'”!!! এখনি হয়তো আমার কোমড় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে’!!হর্ঠাৎ মনে হলো কেউ আমায় ধরে ফেলেছে’!!আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালাম আমি'”! সামনে তাকিয়ে দেখলাম কাব্য অগ্নি চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে’!!আমি তো ভয়ে অর্ধেক হয় গেছি একি তো রুমের এই অবস্থা তারওপর এক্ষুনি পড়ে গিয়ে কোমড়টা যেত আমার’!! না জানি কাব্য এখন আমার সাথে কি করবে’!!আমি নরম গলায় কাব্যকে বললামঃ

——–“সরি প্লিজ কিছু বলো না আজকে আমি খুব খুশি এই বলে ভাইয়ার গলা জড়িয়ে ধরলাম’!!কারন কাব্য আমায় কোলে তুলে নিয়েছে……

———“খুশি কেন???

———“তোমায় বলবো কেন?নামায় আমায়’!!

“আমার কথা শুনে কাব্য নিচে নামিয়ে দিলো আমায়’!!তারপর কড়া গলায় বললোঃ

——-“খুশি থাক আর যাই থাক এক ঘন্টার মধ্যে পুরো রুম আবার আগের মতো দেখতে চাই আমি’!!

——–“ওকে মাই জামাই এই বলে কাব্যের গালে একটা ছোট্ট কিস করে দিলাম আমি’!!দিয়েই রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম’!!কারন ঝাড়ু আনতে হবে তো নাকি??

.

“এদিকে মাইশার এমন কাজে কাব্য শকট খেলো’!!কি করলো ও’!!মাথাটা খারাপ হয়ে গেল নাকি’!!এই বলে কাব্যও চলে যায় ওয়াশরুমে……

__________________________________________

_____________________

“পাক্কা দেড় ঘন্টা বসে পুরো রুম পরিষ্কার করলাম আমি’!!কোমড় সব ধরে গেছে’!!আর কাব্য এতক্ষণ আরামে বিছানায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছিল’!!আশ্চর্য প্রতিদিন রাতে বাড়ি আসে আর আজকে এত তাড়াতাড়ি চলে আসলো’!!ধুর আমার পুরো পাজামা পার্টিটাই নষ্ট হয়ে গেল’!!এই ভেবে পুরো রুম পরিষ্কার করে চলে গেলাম ওয়াশরুমে’!!তারপর গোসল করে সোজা নিচে গেলাম খাবার খেতে’!!সবাই আজকে আমায় ছাড়াই খেয়ে নিয়েছে অবশ্য দোষটা আমারই ছিলো’!!তাই দেরি হয়ে গেছে’!!নিচে নামতেই দেখলাম তানিশা আছে টেবিলে’!!তারপর আমরা দুজনেই একসাথে খাবার খেলাম তার সাথে বক বক ফ্রী……..
.
.
.
.
.
.
🌼
“মাঝখানে কেটে গেল দু-দিন!!এই দুই দিনে অনেক ভেবে দেখলাম আমি’!!যখন কাব্যের সাথে বিয়ে হয়ে গেছে তাহলে এখন আর কোনো ভেদাভেদ না করে ভাইয়াকে প্রপোজ করে দিবো আমি’!!সত্যি বলতে আমিও ভালোবেসে ফেলেছি কাব্যকে’!!!আর এতদিনে খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি আমি’!!হর্ঠাৎই ফোনটা হাতে নিয়ে আপুকে ফোন করলাম’!!প্রথম কলেই আপু ধরে ফেললো’!!তারপর বলে উঠলঃ

———-“হুম বল……

——–“আপু আমি ভাবছি আমি নিজেই কাব্যকে প্রপোজ করবো…..

“আপু আমার কথা শুনে অবাক হয়ে চেঁচিয়ে বললোঃ

———“কি???

“আপুর চেঁচানো শুনে মনে হলো আমার কানটাই ফেটে যাচ্ছে’!!

———“আরে এইভাবে ষাঁড়ের মতো চেচাচ্ছো কেন??

———“তুই কি সত্যি বলছিস মাইশা……….

——–“তোমায় মিথ্যা বলে লাভ কি,,আর আমার মনে হয় না কাব্য এ যুগে কোনো দিন আমায় বলবে সে আমায় ভালোবাসে তাই আমি ভাবছি আমি নিজেই বলে দেই……

———“তুই কি ভালোবাসিস কাব্যকে…….

———“সেটা তোমায় বলবো কেন যাকে বলার তাকেই বলবো তুমি শুধু বলো কি করে কি করবো’!”

“আপু কিছুক্ষন ভেবে আমায় একটা জব্বর আইডিয়া দিলো’!!আমিও আপুর কথা মতো প্রথমে নিজ হাতে রান্না করলাম তারপর গিয়ে মামুনির কাছে’!!মামুনি ছাদে দাঁড়িয়ে গাছে পানি দিচ্ছিল আমি মামুনির সামনে দাঁড়িয়ে বললামঃ

——–“বলছি কি মামুনি…..

——–“হুম বল না শুনছি আমি’!!

——–“শুনো না…..

——–“হুম বল…

——-“আসলে মামুনি…..

——-“আসলে বাদ দিয়ে যেটা বলতে এসেছিস চট করে বলে ফেল…’!!

“মামুনির কথা শুনে কিছুক্ষণ চুপ থেকে চট করে বলে উঠলামঃ

———“আমি কাব্য ভাইয়ার জন্য অফিসে খাবার নিয়ে যাই……

“মামুনি আমার কথা শুনে অবাক হয়ে গাছে পানি দেওয়া বন্ধ করে বললোঃ

———“কি ব্যাপার বলতো,,আজকে নিজ হাতে খাবার রান্না করলি এখন আবার কাব্যের জন্য অফিসে খাবার নিয়ে যেতে চাইছিস কারনটা কি??ব্যাপার কি তোর……

“আমি মামুনির কথা শুনে পিছন থেকে মামুনিকে জড়িয়ে ধরে বললামঃ

———-“আরে তেমন কিছু নয় মামুনি আসলে একটু অফিস থেকে ঘুরে আসতে চাইছিলাম’!!

———–“শুধু কি অফিস দেখতে যাবি নাকি অন্য কাউকে…….

———“কি যে বলো না তুমি যাই আমি প্লিজ…….

——–“ঠিক আছে গাড়ি করে যাবি আবার গাড়ি করেই ফিরে আসবি…….

———“ওকে থ্যাংকু মামুনি’!!এই বলে মামুনির গালে একটা চুমু দিয়ে আমি চলে আসলাম নিচে তৈরি হতে হবে তো…….

_____________________

“নিচে এসে একটা সুন্দর লাল রঙের শাড়ি বের করলাম আমি’!!শাড়ি পড়াও শিখে নিয়েছি আমি’!!এখন আর শাড়ি নিয়ে কোনো জামেলা নেই'”!!!সুন্দর করে শাড়ি পড়ে হাতে কিছু কাঁচের চুরি পড়ে নিলাম,চুলগুলো সুন্দর করে বিনুনি করে এক সাইডে রেখে দিলাম,,ঠোঁটে গাড়ো করে লাল লিপস্টিক, কানে এক জোড়া ঝুমকা পড়ে চোখে হালকা কাজল ব্যস মাইশা তৈরি’!!আজকে আমি খুব খুশি লাগছে’!!নিজেকে নিজেই আয়নায় দেখে পাগল হয়ে যাচ্ছি ভাইয়া নিশ্চয়ই হ্যার্টফেল করবে’!!এই ভেবে আনমনে হেঁসে দিলাম আমি’!!তারপর আস্তে আস্তে হাতে মোবাইলটা নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম আমি’!!নিচে নামতেই তানিশা আর মামুনি হা করে তাকিয়ে রইল আমার দিকে’!!আমি মুচকি হেঁসে তাদের বললামঃ

——-“আমায় কেমন লাগছে শাড়ি পড়া ঠিক আছে না মামুনি……..

“দু’জনেই হা হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে’!!তাই আমি আবারো বলে উঠলামঃ

——–“কি হলো মামুনি কথা বলছো না কেন??

“এমন সময় তানিশা বলে উঠলঃ

———“উড়ে দোস্ত তোরে কি সুন্দর লাগছে…….

“আমি তানিশার কথা শুনে একটু ভাব নিয়ে বললামঃ

——–“থ্যাংকু জানু……তারপর মামুনিকে বললামঃ

——-“আমায় ভালো লাগছে তো মামুনি……

——-“হুম খুব সুন্দর লাগছে’!!তাহলে এখন আমি যাই…..’!!

———“হুম যা আর গাড়িতে সব খাবার আমি উঠিয়ে দিয়েছি তুই গিয়ে বস…….

———-“ওকে মাই সুইড মামুনি’!!এই বলে সামনে এগোতে লাগলাম আমি’!!

“হর্ঠাৎই দরজা পর্যন্ত আসতেই তানিশা ডেকে বললোঃ

——-“All the best dosto……..

“বিনিময়ে আমিও মুচকি হাসলাম’!!গাড়ির কাছে আসতেই ড্রাইভার কাক্কু বললোঃ

——–“তোমায় খুব সুন্দর লাগছে মাইশা মামুনি……

——–থ্যাংকু চাচা……..তারপর মুচকি হেঁসে আমি বসে পরলাম গাড়িতে’!!আমি বসতেই ড্রাইভার কাক্কু গাড়ির চালাতে শুরু করল’!!তার আমিও এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চললাম কাব্যের অফিসে’!!কিছু দূর যেতেই সামনে কিছু গোলাপ ফুলের দোকান দেখতে পেলাম আমি’!!তাড়াতাড়ি ড্রাইভার চাচাতে গাড়ি থামাতে বললাম’!!তারপর কিছু লাল গোলাপ ফুল কিনে নিলাম আমি’!!তারপর আবারো চললাম কাব্যের অফিসের উদ্দেশ্যে’!!আজকে কাব্যকে জাস্ট চমকে দিবো…….

_____________________

“আধ ঘন্টা পর ড্রাইভার চাচা বললোঃ

——–“আমরা চলে এসেছি মাইশা মামুনি……
আমিও ওনার কথা শুনে মুচকি হেঁসে খাবারের ব্যাগ গুলো হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে বাহিরে বেরিয়ে আসলাম’!!তারপর চাচাকে বললামঃ

———“কিছুক্ষন ওয়েট করো আমার একটু সময় লাগবে তবে গাড়ি ছেড়ে যাবে না কোথাও ঠিক আছে……

———“ওকে মাইশা মামুনি তুমি নিশ্চিতে যাও আমি আছি এখানে……

“তারপর আমিও আর কথা না বারিয়ে সোজা চলে গেলাম অফিসের ভিতরে’!!বুকের ভিতর অস্থিরতা কাজ করছে’!!!কি করে কি বলবো কে জানে’!!ধুর এতো ভাবার কি আছে সোজা গিয়ে গোলাপগুলো হাতে দিয়ে মনে কথা সব বলে দিবি’!!এই ভেবে লিফটে উঠে পড়ালাম’!!

“কিছুক্ষণের মধ্যেই কাব্য ভাইয়ার রুমের সামনে চলে আসলাম তারপর ভিতরে ঢুকেই যা দেখলাম মুহূর্তের মধ্যে সব ভাবনা চিন্তা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল আমার……..’!!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে……………..

#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-১৫

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—15
.
.
🍁
“দরজার কলিং বাজাতেই মামুনি এসে দরজা খুলে দিলো’!!আমরাও হেঁসে মামুনিকে জড়িয়ে ধরে বললামঃ

———“কেমন আছো মামুনি………

———“হুম ভালো তোরা,,!!

——–“হুম আমরাও ভালো আছি…..

“তারপর আমরাও বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়লাম’!!কাব্য বাড়ির ভিতর ঢুকে সোজা রুমে চলে গেল’!!আর আমি আর মামুনি বসে পরলাম সোফায়’!!এমন সময় দরজার কাছ থেকে চেঁচিয়ে বলে উঠল তানিশাঃ

———“উরে ভাবি,উরে বান্ধুপী,উরে বোইনা তুই আসছোস’!!(দৌড়ে)

“হর্ঠাৎ করে এমন চেঁচানো শুনে আমি অবাক হয়ে সামনে তাকালাম’!!আমি তাকানোর সাথে সাথেই তানিশা দৌড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরল’!!আমিও খুশি মনে ওকে জড়িয়ে ধরে বললামঃ

———-“এই তো আসছি বোইন,বান্ধুপী……

———“উম্মা জানু তোরে এওতো মিস করছি……

———“আমিও……

——–“আচ্ছা তুই বস আমি ফ্রেশ হয়ে এক্ষুনি আসছি তারপর এওতো এওতো গল্প করবো’!!

——–“ওকে……..তারপর তানিশা চলে গেল……..

“এর ভিতর মামুনিও বলে উঠলঃ

——–“তুই ও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়…..

——-“ওকে মামুনি..তারপর আমিও চললাম সিড়ি বেয়ে উপরে…….

_____________________

“রুমে ঢুকতেই দেখলাম কাব্যক আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছে’!!আমি কোনোকিছু না বলে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম’!!তারপর সারাদিন এটা ওটা করে সময় চলে গেল’!!

“রাতে ডিনার সেরে তানিশার রুমে গল্প করছি আমি আর তানিশা’!!এতদিন কি কি হলো সব বলতে হবে না’!!এই ভেবে গল্প শুরু করে দিলাম’ আমি'”!আর তানিশা অতি আগ্রহের সাথে বসে আমার কথা গুলো শুনতে লাগলো’!!

.

“এদিকে কাব্য রুমের ভিতর পায়চারি করছে’!!কারন মাইশা এখনো রুমে আসছে না’!!না জানি এতক্ষণ কি করছে’!!বোকা মেয়েটা আবার সব বলে দিবে নাকি তানিশাকে’!!এসব না না ভাবনায় ভেবে যাচ্ছে কাব্য’!!

“রাত ১ঃ০০টা…….

“মাইশা এখনো রুমে আসেনি’!!কাব্য এবার প্রচন্ড বেগে রেগে গেছে’!!এতক্ষণ করছি কি তানিশার রুমে’!!এক পর্যায়ে কাব্য রাগান্বিত অবস্থায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে বিছানায়’!!হয়তো মাইশা আর আসবে না রুমে…….

.

“চুপি চুপি করে কাব্যের রুমের দিকে পা বাড়াচ্ছি আমি’!!এই তানিশার সাথে বক বক করতে যে এতটা সময় হয়ে যাবে বুঝতেই পারি নি’!!কখন এতটা বেজে গেল বুঝতেই পারলাম না’!!এসব ভাবনার মাঝেই হেঁটে চলে গেলাম রুমে’!!

“রুমে ঢুকতেই দেখলাম ভাইয়া অলরেডি ঘুমিয়ে পরেছে’!!আমিও আর কোনো কিছু না ভেবে চুপি চুপি কাব্যের পাশে গিয়ে শুয়ে পরলাম’!!কতোক্ষন এপাশ করেও ঘুম আসলো’ না!!আশ্চর্য ঘুম আসছে না কেন??হর্ঠাৎই কেন জানি না এই দশ দিনে কাব্যকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানোটা খুব মিস করছি’!!হর্ঠাৎ কাব্যের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম আমি’!!কি সুন্দর লাগছে কাব্যকে’!!আগে কখনো এতটা গভীর ভাবে কাব্যকে দেখা হয় নি আমার’!!অবশ্য দেখবো কি ভয়ে তো আমি ঠিক করে তাকাতামই না’!!তাকে দেখলেই বুকের ভিতর দক করে উঠতো’!!কিন্তু এখন আর ভয় করছে না’!!খুব ভালো লাগছে কাব্যকে’!!আচ্ছা আমি কি কাব্যকে ভালোবেসে ফেলেছি নাকি’!!আচ্ছা বুঝবো কি করে যে কাব্যকে ভালো বাসি আমি’!!এসব আলতু-ফালতু চিন্তা ভাবনা করতে করতে মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল আমার’!!কেন জানি না বার বার শুধু ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে ইচ্ছে করছে আমার’!!কিছুক্ষন বিষয়টা নিয়ে ভেবে মাঝখান থেকে কোলবালিশ সরিয়ে কাব্যকে জড়িয়ে ধরলাম আমি’!!অন্য কাউকে তো জড়িয়ে ধরি নি আমার জামাইরেই তো ধরছি…..’!!এতটুকু ভেবে চোখ বন্ধ করে ঘুম……..

__________________________________________

_____________________

“সকালে আগে ঘুম ভাঙল কাব্যের’!!চোখ খুলে পাশে মাইশাকে দেখে অবাক’!!তার চেয়েও বেশি অবাক হয়েছে মাইশাকে জড়িয়ে ধরাতে’!!বিষয়টা একটু কেমন লাগলো কাব্যের কাছে’!!অবশ্য কাব্য এতে অনেক খুশি হয়েছে’!!হয়তো সে তার ভালোবাসার মানুষকে খুব তাড়াতাড়ি কাছে পেয়ে যাবে’!!কাব্য মাইশাকে তার বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বললোঃ

——–“তুই যে কবে বুঝবি আমি তোকে কতোটা ভালোবাসি’!!আর #কতোটা_চাই_তোকে!!আমার বিশ্বাস একদিন তুই সত্যি বুঝতে পারবি’!!একদিন হয়তো তুই ও আমায় নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসবি আমাকে’!!শুধু সেদিন আবার খুব বেশি দেরি না হয়ে যায়’!!এই ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে কাব্য মাইশার কপালে একটা চুমু দিয়ে ওকে ছাড়িয়ে চলে যায় ওয়াশরুমে……..

.

“এদিকে কাব্য যেতেই চোখ মেলে তাকালো মাইশা’!!কারন সে কাব্যের বলা সব কথাই শুনতে পেয়েছে’!!আসলে কাব্য যখন মাইশাকে তার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরেছিল তখনি খুব ভেঙে যায় মাইশার’!!তারপর কাব্যের বলা কথাগুলো সবই শুনেছে মাইশা'”!!! তার মানে কাব্য আমায় ভালোবাসে’!!আর ভালোবেসেই কি তাহলে আমায় বিয়ে করেছিল’!!তাহলে কি আপু জানতো এই বিষয়টা’!!তাহলে আমায় কেন বললো না'”! মাথার ভিতর হাজারটা প্রশ্ন এসে মাথায় বাজলো’!” তার সাথে কাব্য বলা শেষের কথাটা” “শুধু সেদিন আবার খুব বেশি দেরি না হয়ে যায়”!!

“হর্ঠাৎই ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে আবার চোখ বুঝে ঘুমিয়ে পরার একটিন করলাম আমি’!!কেন জানি না এই মুহুর্তে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে’!!এমন সময় কারো ডাক এসে কানে বাজছে আমার’!!কারন কাব্য ডাকছে আমায়’!!আমিও ওনার ডাক শুনে আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালাম’!!আমার তাকানো দেখে কাব্য বলে উঠলঃ

——–“উঠ তাড়াতাড়ি ভার্সিটি যেতে হবে না নাকি……..

“আমিও কাব্যের কথা শুনে তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম’!!তারপর বলে উঠলামঃ

——–“হুম যাবো তো…..

——-“ওকে তাড়াতাড়ি তৈরি হ তোদের নামিয়ে দিয়ে আমি অফিসে যাবো’!!

——–“ওকে এই বলে তাড়াতাড়ি চলে গেলাম আমি ওয়াশরুমে’!!হর্ঠাৎই মনে হলো না আজকে ভার্সিটি যাওয়া যাবে না’!!আজকে সব সত্যি জানবো আপুর কাছ থেকে’!!না হলে পরে হয়তো দেরি হয়ে যাবে’!!এই ভেবে তাড়াতাড়ি মুখে পানি দিয়ে হালকা ফ্রেশ হয়ে ভাইয়াকে গিয়ে বললামঃ

———“আজকে আমি ভার্সিটি যাবো…….

“আচমকা আমার এমন কথা শুনে কাব্য বলে উঠলঃ

———-“কেন এই মাএই তো বললি যাবি……

——–“না আসলে কালকে তানিশা বলে ছিল আজকে ভার্সিটি বন্ধ’!!আমি ভুলে গেছিলাম’!!তাই আমাদের আর আজকে ভার্সিটি যেতে হবে না'”!!!

“কাব্য কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠলঃ

———-“ঠিক আছে………’!!

“তারপর কাব্য বেরিয়ে গেল’!!আমিও কিছুক্ষন পর নিচে গিয়ে সবার সাথে ব্রেকফাস্ট করতে’!!নিচে নামতেই দেখলাম কাব্য,তানিশা,মামু আর মামুনি বসে ব্রেকফাস্ট করছে’!!আমায় দেখে মামুনি বলে উঠলঃ

——–“আয় তাড়াতাড়ি তারপর খেতে বস’!!

“আমিও আর কিছু না ভেবে খাবার খেতে শুরু করলাম’!!তারপর আমরা সবাই একসাথে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম’!!ব্রেকফাস্ট শেষে মামু তার রুমে চলে গেল’!!কাব্য অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্য বেরোনোর আগেই তানিশাকে জিজ্ঞেস করলো আজকে তোদের কিসের বন্ধরে ভার্সিটি’!!

———-”আজকে ভার্সিটি বন্ধ ক
……
এই রে খাইছে এখন যদি তানিশা সব সত্যি বলে দেয়’!!আমি তানিশার পায়ে একটা খোঁচা মারলাম’!!সাথে সাথে তানিশা চেঁচিয়ে উঠলঃ

“তানিশার চেঁচানো শুনে কাব্য বলে উঠলঃ

——-“কি হলো তোর…..

——–“না আসলে একটা মশা কামড় দিলো তাই…..

——–“মশার কামড়ে কেউ এতো জোরে চিৎকার দেয়’!!

———“আসলে কি বলো অনেক বড় মশা তো তাই…..

———“মানে….

——–“না কিছু না……

——–“ওসব বাদ দে কিসের বন্ধ তোদের ভার্সিটি……

———“ওই তো ভার্সিটির স্যারেরা বলছে বন্ধ তাই তাই বন্ধ…..

———“কি ওটা কিছু না আর তুমি এতো কিছু জেনে কি করবা তুমি যাও না তোমার কাজে……তোমার অফিসের লেট হচ্ছে না……..

“কাব্য আর কোনো কিছু না ভেবে চলে গেল তার কাজে’!!কারন সত্যি তার দেরি হয়ে যাচ্ছে’!!

“কাব্য বাসা থেকে বেরোতেই একটা শ্বাস ফেললাম আমি’!!এমন সময় তানিশা আমায় মাথায় একটা বারি মেরে বললোঃ

———-“তুই ভাইয়াকে মিথ্যা কেন বলেছিস……..

———-“না আসলে আজকে ভার্সিটি যেতে ইচ্ছে করছিল না তাই আরকি মিথ্যা বললাম’!!

——–“সত্যি বলছিস (সন্দেহ ভাবে তাকিয়ে)

———“আশ্চর্য এভাবে তাকানো কি আছে আর আমি মিথ্যা কেন বলবো তোকে’!!এই বলে পাশ কেটে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে আসলাম আমি’!!তারপর রুমের দরজা বন্ধ করে ফোনটা হাতে নিয়ে সোজা আপুর নাম্বারে ফোন’!!

“প্রথম কলে ধরলো না আপু'”!!!তারপর আরেকবার কল দিলাম আমি’!!

.

“কিচেনে কাজ করছে রিয়া’!!সবাই মিলে ব্রেকফাস্ট করে এখন সেগুলো গোছানোতে ব্যস্ত সে’!!এমন সময় ফোনের কল আসার শব্দ ভেসে আসে রিয়ার কানে’!!তারপর তাড়াতাড়ি তার কাজটা গুছিয়ে চলে যায় তার রুমে’!!রুমে ডুকে ফোনে হাত দিতেই পুরো ১০টা কল করেছে মাইশা’!!হর্ঠাৎ করে মাইশার এতগুলো কল দেখে অবাক হয় রিয়া’!!তারপর তাড়াতাড়ি সে আবার কল বেক করে মাইশা’!!

_____________________

“প্রায় ১০বার কল করছি আপুকে কিন্তু একবারও ধরলো না’!!তাই একরাশ বিরক্ত নিয়ে বসে পরলাম সোফায়’!!কিছুতেই নিজেকে শান্ত করতে পারছি না আমি’!!কাব্য ভাইয়া কি সত্যি আমায় ভালো বাসে’!!আমাকে কি ভালোবেসেই তাহলে বিয়ে করে ছিল’!এসব প্রশ্নের উত্তর শুধু আপুই দিতে পারবে’!!এসব ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎ করে ফোন আসাতে কিছুটা কেঁপে উঠলাম আমি’!!তারপর তাড়াতাড়ি ফোনটা হাতে তুলে নিতেই আপুর নাম দেখে তাড়াতাড়ি ফোনটা তুলে বললামঃ

——–“হ্যালো আপু…….

———“হুম বল এতবার ফোন কেন দিয়েছিস তুই…….

——–“আজকে তুমি আমায় সব সত্যি বলবে আপু’!!কাব্য কেন সেদিন আমায় বিয়ে করেছিল শুধুই কি তোমার কথা রাখতে নাকি অন্যকিছু……

“হর্ঠাৎ করে মাইশার এমন কথা শুনে অবাক হয় রিয়া’!!এই মুহূর্তে কি বলবে সে বুঝতে পারছে না’!!

———-“কি হলো আপু চুপ করে আছো কেন??

“মাইশার কথা শুনে কিছুটা ঘাবড়ে যায় রিয়া’!!তারপর মাইশাকে বলে উঠলঃ

———“আসল সত্যি ওটা ছিল না…….

———“মানে……..

———“কাব্য আমার কথা রাখতে তোকে বিয়ে করে নি’!!

———তাহলে……

———“তাহলে শোন আজকে সব সত্যি বলবো তোকে……

———“বলো আমায়…….

———“কাব্য তোকে ভালোবাসে তাই বিয়ে করেছে’!!

“আপুর কথা শুনে রীতিমতো অবাক আমি’!!আপু আবারো বলে উঠলঃ

———“কাব্য তোকে সেই ছোট বেলা থেকে ভালোবাসে’!!কিন্তু কখনো বলে নি কারন ও চেয়েছিল তুই ওর ভালোবাসা বুঝতে পারিস’!!কিন্তু বোঝার আগেই যখন আমরা আমাদের বিয়ের কথা শুনতে পারি যে আমার আর কাব্যের বিয়ে সেই ছোট বেলা থেকে ঠিক করা ছিল’!!তখন আমি কাব্য দুজনেই প্রচন্ড বেগে ভেঙে পড়ি’!!কারন আমি যে ভালোবাসতাম রাসেলকে আর কাব্য তোকে’!!আর আমাদের এই বিষয়টা আমরা তিনজনই জানতাম’!!তারপর কাব্যের প্লান মতোই আমরা সেদিন এমনটা করেছিলাম’! কারন আর যে কোনো উপায় ছিলো না’!!জানি তোর সাথে অন্যায় হয়েছে কিন্তু বিশ্বাস কর ওই মুহূর্তে এমনটা না করলে না কাব্য তোকে পেতো আর না আমি রাসেলকে’!আমাদের তিনজনের লাইফটাই নষ্ট হয়ে যেত তাই বাধ্য হয়ে এমন টা করেছি আমার’!!সরি রে…….এতটুকু শুনেই ফোনটা কেটে দিলাম আমি’!!

“আপুর সব কথা যেন আমার কানে বাজছে’!!তার মানে কাব্য ভাইয়া সত্যি সত্যি আমায় ভালো বাসে তাও আবার সেই ছোট বেলা থেকে…….
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে……….
#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-১৪

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—14
.
.
🍁
“থর থর করে কাঁপছি আমি’!!ভেজা শাড়িতে পুরো জমে গেছি’!!আর আমার সামনে কাঠের টুকরো দিয়ে আগুন জ্বালাচ্ছে কাব্য’!!বিষয়টা অদ্ভুত হলেও ভালো লাগছে’!!কিছুক্ষণের মধ্যেই কাব্য আগুন জ্বালিয়ে বললোঃ

——-“এবার আর শীত করবে না’!!আচ্ছা তুই বস আমি গিয়ে গাড়ি থেকে তোর জন্য জামা নিয়ে আসছি……

“আমি কাব্যের কথা শুনে শুধু মাথা নাড়ালাম’!!তারপর ভাইয়াও আর কিছু না বলে চলে গেল……

“আর আমি আগুনের থেকে কিছুটা উপরে হাত রেখে শীত কমাচ্ছি…..”!!
.
.
.
.
“এদিকে গাড়ির কাছে’ এসে হাসছে কাব্য’!!নিজের কাজে নিজেই লজ্জিত’!!অবশ্য যেটা হয়েছে সেটা হয়তো কাব্য করতে চায় নি হয়ে গেছে’!!এই ভেবে গাড়ির ভিতর থেকে মাইশার একটা জামা নিয়ে নিজেও চেঞ্জ করে আবার চললো সে’!!

_____________________

“হুট করে মাইশা চেঁচিয়ে উঠে পিছন দিকে দৌড়াতে লাগল’!!এমন সময় সামনে কাব্যকে দেখে দৌড়ে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ

——–“ভুত ভুত……

“এদিকে হুট করে কেউ জড়িয়ে ধরাতে অবাক হয়ে গেল কাব্য’!!পরক্ষণেই মাইশা বুঝতে পেরে বললোঃ

———“কি হয়েছে……

——–“ওখানে ভুত আছে…..

——”কি???

——-“এই সন্ধ্যা বেলা ভুত কোথায় পেয়েছিস তুই……

———“না মানে ওখানে কেমন যেমন ছমছম লাগছে…….

“এই বলে কাব্যকে ছেড়ে দিলাম আমি’!!তারপর ঠোঁটে কামড় দিয়ে বললামঃ

———“না মানে ওখানে একা ভয় লাগছিল……

“কাব্য আমার কথা শুনে আমার দিকে কিছুটা ঝুঁকে এসে বললোঃ

——–“তাই,, নাকি আমাকে জড়িয়ে ধরার ধান্ধা হুহ……

“কাব্যের কথা শুনে অবাক হয়ে বললাম আমিঃ

———“কি(চেঁচিয়ে)

——–“কানে শুনতে পাস নি…..

——-“আচ্ছা ঠিক আছে যাও এত বড় মিথ্যা কথা বললে তুমি আজ থেকে তোমায় আর কোনোদিন জড়িয়ে ধরা তো দূর তোমার থেকে ১০ সে.মি. দ্রুততা রেখে থাকবো……পুরো এক শ্বাসে কথাগুলো বলে কাব্যের কাছ থেকে আমার জামাটা টান মেরে এনে হন হন করে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চলে গেলাম আমি”!! রাগে মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে শয়তানডায় বলে কিনা ওকে জড়িয়ে ধরার বাহানা করছি হুহ আর যদি তোরে কোনোদিন জড়িয়ে ধরছি,লাগলে কারেন্টের তারকে জড়িয়ে ধরমু তারপরও তোরে ধরমু না শালা হনুমান,,,,……..

.

“এদিকে কাব্য আগুনের সামনে দাঁড়িয়ে হাসছে’!!তার হাসি যেন থামছেই না’!!মাইশাকে এইভাবে রাগাতে তার সত্যি খুব ভালো লাগে’!!এখন তো খুব লাগছে এই বলে হাসছে কাব্য………

__________________________________________

_____________________

“রাত প্রায় ৮ঃ০০টা……..
“শহরে থাকলে হয়তো এখন কেবল সন্ধ্যে’!!কিন্তু এই জঙ্গলে মনে হচ্ছে রাত ১ঃ০০টা…….

“আগুনের কাছে বসে আছি আমি’ আর কাব্য’!! এখন শীত অনেকটাই কম লাগছে’!!হালকা ঠান্ডা লাগছে মনে হয়’!!এদিকে ক্ষুদাও লেগেছে খুব’!!না কিছু বলতে পারছি আর না কিছু করতে পারছি’!!এমন সময় কাব্য আমার সামনে কিছু খাবার এনে বললো’!!

——–“খেয়ে নে……

“আমি নাক ফুলিয়ে বললামঃ

——–“খাবো না আমার খিদে নেই…..

——–“তোর খিদে আছে কি নেই তা আমি খুব ভালো করে জানি……’!!তাই বলছি খেয়ে নে……

“কাব্যের কথা শুনে আমিও আর কিছু না বলে হুট করে খাবারগুলো টান মেরে নিয়ে খেতে শুরু করলাম’!!এদিকে কাব্য এইভাবে মাইশাকে খাবার খেতে দেখে বললোঃ

——-“তোর নাকি খিদে নেই…..,খিদে নেই তাতেই এই অবস্থা খিদে থাকলে কি করতি তুই জানিস…….

“এই মুহুর্তে কাব্যের কোনো কথাই আমি কানে নিলাম না’!!প্রচন্ড খিদে পেলে যা হয় আর কি??সেই সকাল বেলা খেয়ে ছিলাম’!!এতক্ষণ কি করে না খেয়ে ছিলাম কে জানে…..বাসায় থাকলে মায়ের মাথা খেয়ে ফেলতাম খিদে লেগেছে,খিদে লেগেছে……এসব ভেবে ফটাফট সব খাবার খেতে লাগলাম আমি…….

“খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বসে আছি’!!এখন খুব ভালো লাগছে’!!এখন শুধু ঘুমানোর ব্যবস্থা হলেই শেষ’!!হুট করে কাব্যকে বলে উঠলামঃ

——–“এখন ঘুমাবো কোথায়…….

———“আমার মাথায়……

———“কি???

——–“না কিছু না……এইভাবে বসে থেকেই আজ সারারাত পার করে দিবো……

——–“কি তোমার কি মাথা খারাপ,এই রাতের বেলা খোলা আকাশের নিচে বসে থাকবো…….

——–“হুম…….

——–“তুমি কি আমার সাথে মজা করছো’!!

——–“মটেও না……

“বিনিময়ে কিছু বললাম না আমি’!!শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম কাব্যের

_____________________

“ধীরে ধীরে রাত আরো গভীর হতে লাগলো’!!আর আমার ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে’!!আশেপাশের পরিবেশ ছমছম করছে’!!হুটহাট শব্দ আসছে’!!যাতে করে আরো ভয় লাগছে’!!এই মুহূর্তে কাব্যের উপর প্রচুর পরিমানে রেগে আছি আমি’!!এগুলো করার কোনো মানে হয় এই ভাবে জঙ্গলের মধ্যে থাকার’!!অদ্ভুত বিষয় সারাদিনে কাউকে দেখতে পেলাম না’!!এদিকে ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে আমার’!!হর্ঠাৎই মনে হলো কেউ কাছে এনে তার কাঁধে মাথা দিলো’!!এই মুহূর্তে কে এমনটা করলো মটেও সেদিকে ইন্টারেস্ট নই মাইশা’!!সেও তার হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল’!!

“এদিকে কাব্য মাইশাকে নিজের কাছে এনে জড়িয়ে ধরে বসে রইলো’!!এমন সময় একটা লোক এসে বললোঃ

———“এখানেই কি বসে কাটিয়ে দিবে নাকি……

“লোকটার কথা শুনে হাসলো কাব্য’!!তারপর বলে উঠলঃ

———-“না চাচা……..

“তোমার কথা মতো আমরা’!!সারাদিন এখানে আসি নি’!!

——–“থ্যাংক ইউ চাচা,,চাচিকে নিয়ে কেটেছে কেমন আজকে……

——–“কি আর কমু,বলো প্রথম বার সিনেমা হলে গেলাম,,তার সাথে আরো অনেককিছু করছি তোমারে কওন যাইবো না….

——-“ঠিক আছে চাচা আপনাকে আর বলতে হবে না……..

——–“এই তাহলে তোমার পিচ্চি বউ…….

——–“হুম চাচা…..

——–“খুব মিষ্টি দেখতে…….আর শোন এখানে বসে না থেকে এখন ভিতরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো…….

———ঠিক আছে চাচা,,এই বলে কাব্য মাইশাকে কোলে তুলে নিয়ে ঘরের ভিতর ঢুকে গেল’!!

“আর ওই চাচায় শুধু কিছুক্ষন তাকিয়ে রইল ওদের দিকে’!!তারপর সেও তার বউয়ের কাছে চলে গেল…..

_____________________

“এই জায়গাটা অনেক দিন আগেই দেখেছিল কাব্য’!!আর এই কুঁড়েঘরে থাকতো একজন মহিলা আর একজন পুরুষ কম জোর হলে তাদের বয়স ৬০ থেকে ৬৫ হবে’!!তারপর তাদের সাথে পরিচয় হয় কাব্যের’!!মাইশাকে নিয়ে এখানে আশার একটা ইচ্ছে জাগে কাব্যের’!!তারপর আর কি ওনাদের সবকিছু বলে কিছুক্ষনের জন্য ঘুরতে বলে কাব্য আর কিছু টাকাও দেয় তাদের’!!তারপর আর কি ওদিকে চাচা-চাচী ঘুরোঘুরি করছিল’!!আর এখানে মাইশা আর কাব্য……….

“ভিতরে ঢুকে মাইশাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল কাব্য’!!
.
.
.
.
🌼
“সকালে জানালা ভেদ করে সূর্যের আলো আসছে রুমে’!!আর তার সাথে এক অপরকে জড়িয়ে ধরে আরামে ঘুমিয়ে আছে কাব্য আর মাইশা’!!হর্ঠাৎই দরজায় কারো টোকা পরেতেই ঘুম ভাঙল কাব্যের’!!তারপর সে মাইশাকেও জাগিয়ে বললোঃ

——–“তাড়াতাড়ি তৈরি হ আমাদের যেতে হবে……..

“এতটুকু বলে বাহিরে বেরিয়ে হয়ে গেল কাব্য’!!

“কারো মুখে নিজের নাম শুনে ঘুম ভাঙল আমার’!!চোখ ডলতে ডলতে শোয়া থেকে উঠে বসলাম আমি’!!তারপর আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম সেই ছোট্ট ঘরটায় আছি আমি’!!এখানে কখন আসলাম আমি’!!মস্তিষ্কের কোনায় এসে কথাটা বেজে উঠল আমার’!!এমন সময় কাব্য বলা কথাটা মাথায় বেজে উঠলঃ

——–“তাড়াতাড়ি তৈরি হ আমাদের যেতে হবে……..

“আমিও তার কিছু না ভেবে উঠে দাঁড়ালাম’!!তারপর ধীরো পায়ে বাহিরে বের হতেই দুজন মানুষকে দেখে চমকে গেলাম’!!ওনারা আমায় দেখে বললোঃ

——–“ঘুম ভাঙছে তাইলে…….

“ওনার কথা শুনে মাথা নাড়ালাম আমি’!!তারপর মহিলাটা বলে উঠলঃ

——–“ওদিকে একটা পুকুর আছে যাইয়া মুখ ধুইয়া আসো……

“আমিও ওনাদের কথা ওনার দেখানো পথের দিকে পা বাড়ালাম’!!এই মুহূর্তে মাথায় শুধু একটা কথাই বাজছে ওনারা আসলো কোথা থেকে…….

“হাঁটতে হাঁটতে একটা পুকুর দেখলাম আমি’!!কাব্য ছিলো সেখানে’!!আমায় দেখে ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয় ঠিক আছে……..

“ভাইয়ার কথা শুনে মাথা নাড়ালাম আমি’!!

“আমার মাথা নাড়ানো দেখে ভাইয়া চলে গেল’!!
তারপর আমি পুকুরে নেমে চোখে মুখে পানি দিয়ে ফ্রেশ হলাম…….’!!

“কিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে রুমে ঢুকে দেখলাম কাব্য ওনাদের সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে’!!তারপর আমায় দেখে ওনারা বলে উঠলঃ

——-“আইছো ওই হানে একখান গামছা আছে মুখটা মুছে খাইতে আহো……

“আমিও ওনার কথা মতো মুখে মুছে বসে পরলাম কাব্যের পাশে’!!তারপর খাবার খেতে শুরু করলাম’!!তারপর ওনারা অনেক কথা বললো যে এই বাড়িটায় তারাই থাকে”!!তাদের খুব ভালো লাগলো আমার’!!তারপর খুশি মনে গল্প করতে করতে খাবার শেষ করলাম আমরা’!!!

“তারপর ওনাদের কাছ থেকে বিদায় চলে আসলাম আমরা’!!

——“সবকিছুই ঠিক আছে শুধু এতটুকু মাথায় ঢুকলো না ওনাদের বাড়ি ওটা হলে কালকে কোথায় ছিলো ওনারা…….

“আমার কথা শুনে কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“তোর ওতো বুঝে কাজ আছে কোনো…….

“বিনিময়ে আমি কিছু বললাম না’!!আর ভাইয়াও কিছু বললো না’!!গাড়ি চালাতে লাগলো তার আপন গতিতে……….

“তবে আর যাই বলো জায়গাটা ঘুম সুন্দর ছিলো”…….
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………

#TanjiL_Mim♥️

কতোটা চাই তোকে পর্ব-১৩

0

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—13
.
.
🍁
“হর্ঠাৎ করে মাঝ পথে গাড়ির থামানোর বিষয়টা বুঝলাম না আমি’!!হর্ঠাৎই কাব্য বলে উঠলঃ

——-“নাম…..

——-“আমরা এখানে কেন থেমেছি……

——-“এক জায়গায় যাবো…….

——-“কোথায়…….

——-“নাম আগে তারপর বলছি……

——-“গাড়ি করে যাওয়া যাবে না’…??

——-“না…..এত কথা কেন বলছিস তুই, তোকে মেরে ফেলবো না’!!(একটু রেগে)

——-“আরে রেগে যাচ্ছো কেন আমি তো এমনি বলেছি এই বলে গাড়ি থেকে নেমে পরলাম আমি’!!

“কাব্য গাড়িটা রাস্তার এক ছাইডে কিছু গাছের আড়ালে রেখে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসল’!!হাতে কিছু ব্যাগ’!!তারপর আমার কাছে এসে বললোঃ

——-“চল….আমিও আর কিছু না বলে চুপচাপ কাব্যের পিছনে চললাম’!!

“আমরা কিছুটা জঙ্গলের মতো দেখতে এমন একটা মাঠের মাঝখান থেকে হাঁটতে ছিলাম’!!আশেপাশের পরিবেশ দেখে গা ছমছম করে উঠল আমার’!!কারন আশেপাশে কাউকে দেখছি না’!!আমি কাব্যের কাছে গিয়ে বললামঃ

——–“আমরা এদিকে কোথায় যাচ্ছি’!!

———“গেলেই দেখতে পাবি……

“হর্ঠাৎ আমি কিছুটা দূরে একটা ছোট্ট কুঁড়েঘর দেখতে পেলাম’!!আমি অবাক হয়ে বললামঃ

——-“আমরা এখানে কেন এসেছি……

——-“আজকে এখানে থাকবো……

“আমি অবাক হয়ে বললামঃ

———“কি আজকে বাড়ি যাবো না…….

——–“না কালকে সকালে যাবো……

——–“বলছি কি আমরা কি এখানে একা একা থাকবো……..

——–“একা কোথায় আমি আছি না আর সাথে তোর প্রান প্রিয় ভুতেরা তো আছেই”!!………

“কাব্যের কথা শুনে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

“বলছি কি পরিবেশটা কেমন যেন ভয় ভয় লাগছে তার চেয়ে চলো আমরা এখান থেকে চলে যাই’!!আকাশটাও কেমন যেন অন্ধকার হয়ে আসছে’!!মনে হয় বৃষ্টি আসবে…..

“কাব্য আমার হাত ধরে বললঃ

——–“কিছু হবে না আমি আছি না……..

——–“কাব্য ভাইয়ার কথা শুনে কেন জানিনা খুব ভালো লাগলো আমার’!!আমিও আর কোনো কিছু না ভেবে ভাইয়ার হাত ধরে চললাম…..

_____________________

“কুঁড়েঘরে ঢুকে দেখলাম ঘরটা অগোছালো’!!কিন্তু খারাপ না’!!কেমন যেন ভালো লাগছে খুব’!!ভাইয়া ভিতরে ঢুকে বললো এগুলো সব পরিষ্কার কর…..

“কাব্যের কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!তারপর হয়ে বললামঃ

——–“কি??

——–“তুই কি কানে শুনোস না……..

——–“আমি পারবো না……

——-“তুই সত্যি পারবি না….

——-“না পারবো না……

“হর্ঠাৎই কাব্য আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো’!!হর্ঠাৎ করে কাব্যের এমন কাজ দেখে ভয় পেয়ে গেলাম আমি’!!সাথে সাথে আমিও পিছনে যেতে লাগলাম’!!আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ

——–“তুমি এইভাবে এগিয়ে আসছো কেন??

——-“তুই কি বললি এইমাত্র..তুই সত্যি পারবি না……

——–“না মানে হুম না…..

——–“না মানে বাদ দিয়ে অন্যকিছু বল??

——–“তুমি আমার সাথে এমন করতে পারো না……

——–“আমি কি পারি আর কি না পারি তোকে দেখাচ্ছি……..

——–“কি দেখাবে……

“হর্ঠাৎই পিছনে কিছু একটার সাথে আটকে গেলাম আমি যার কারনে আর পিছনে যাওয়া যাবে না’!!এদিকে কাব্য এগোতে এগোতে অনেকটা কাছে চলে এসেছে আমার’!!কাব্য আমার এতটা কাছে আসায়’!!আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো’!!

.

“এদিকে কাব্য তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে’!!মাইশার ভয় মাখা ফেস তার বরাবরই পছন্দের’!!

“হর্ঠাৎ কাব্য ঝুঁকে গেল আমার দিকে’!!সাথে সাথে ভয় পেয়ে খিঁচে চোখ বন্ধ করে চেঁচিয়ে বলে উঠলামঃ

——–”হুম পারবো আমি,,করছি সব পরিষ্কার’!!

“কাব্য মাইশার কথা শুনে মুচকি হেঁসে বললোঃ

———“এইতো গুড গার্ল……

“এতটুকু বলে মাইশার কাছ থেকে সরে আসলো কাব্য’!!

.

“কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে রেখে আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি’!!চোখ খুলে কাব্যকে না দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম আমি’!!তারপর পুরো ঘরটায় একবার চোখ বুলিয়ে’!!শাড়ির আঁচল কোমরে বেঁধে পরিষ্কার করতে লাগলাম’!!আজকে একটা ব্লাক রঙের শাড়ি পরেছিলাম’!!রেনু খালা পড়িয়ে দিয়েছিল’!!এখন মনে হয় আমার শাড়িটা নষ্ট হয়ে যাবে’!!এই বলে কাজ করতে শুরু করলাম আমি আর মনে মনে হাজারটা গালি দিতে লাগলাম কাব্যকে……’!!

__________________________________________

_____________________

“বেশকিছুক্ষন পর জোরে নিশ্বাস ফেললাম আমি’!!কারন ঘরটা অনেকটাই পরিষ্কার করে ফেলেছি’!!এদিকে বিকেল গড়িয়ে গেছে’!!ঘরটার কাছ থেকে বাহিরে বের হতেই দেখলাম আকাশটা পুরো কালো হয়ে গেছে’!!আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল কাব্য ভাইয়ার দিকে’!!কারন সে কিছুটা দূরে একটা গাছের নিচে বসে আছে’!!

———“হুহ আমায় একা এখানে কাজ করতে দিয়ে শয়তানটায় ওইখানে বসে আছে’!!😤

“আমি কিছুটা হেঁটে ভাইয়ার সামনে গিয়ে বললামঃ

——–“এখানে বসে আছো কেন??

——–“তোর কাজ শেষ……

——–“হুম’!!এখন বলো খাবো কি প্রচুর ক্ষুধা লেগেছে আমার’!!সেই সকাল বেলা খেয়েছিলাম এখন পর্যন্ত কিছু খাই নি’!!তাড়াতাড়ি খাবারের ব্যবস্থা করে দেও……

“বিনিময়ে কাব্য বলে উঠলঃ

——–“ওখানে অনেক ঘাস আছে খেয়ে নে……

———“কি আমি ঘাস খাবো…….(রেগে)

——–“হুম এতটুকু বলে ভাইয়া হন হন করে চলে যেতে লাগলো’!!আমি গাল ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম’!!এমন সময় কালো মেঘের আকাশটা থেকে বর্ষন হতে শুরু করল’!!

“বৃষ্টির পানি গায়ে পরতেই কেমন যেন শরীর শিউরে উঠলো’!!ধীরে ধীরে বৃষ্টির রেখা বাড়তে লাগল’!!আর আমিও খুশি মনে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম’!!বৃষ্টি বরাবরই ফেভারিট আমার’!!আর বৃষ্টিতে ভিজতে তো আরো বেশি ভালো লাগে’!!

“খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম আমি’!!এমন সময় হর্ঠাৎই কাব্য ভাইয়া চেঁচিয়ে বললঃ

———“এই তাড়াতাড়ি চল,,বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে…….

——–“কিছু হবে না…….চলো না ভিজি….

——–“না আমি ভিজবো না…..

———“আরে ভিজো না কিছু হবে না……

“এই বলে বৃষ্টিতে লাফাতে লাগলাম আমি’!!

.

“এদিকে কাব্য তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে’!!মাইশার এই বাচ্চামো গুলো তার খুব ভালো লাগছে’!!তারপর আর কি সেও মাইশার সাথে বৃষ্টিতে ভিজার মজা নিতে লাগলো’!!

_____________________

“বেশকিছুক্ষন পর হর্ঠাৎই আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো মাইশা আকাশের এই জ্বলকানি দেখে ভয় পেয়ে কাব্যকে জড়িয়ে ধরল’!!আকাশের মেঘের ডাক শুনে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল মাইশা কাব্যকে………

.

“এদিকে আচমকা এমনটা হওয়াতে কিছুটা অবাক হয়ে যায় কাব্য’!!তারপর সেও খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরল মাইশাকে………

“কিছুক্ষণ পর……..

“মাইশা কাব্যকে জড়িয়ে ধরে আছে বুঝতে পেরে ঘাবড়ে গেল’!!তারপর তাড়াতাড়ি কাব্যকে ছাড়িয়ে বললোঃ

——–“সরি জামাই আসলে একটু ভয় পেয়ে গেছিলাম…..

.

“এদিকে কাব্য মাইশার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে’!!মাইশা যে তাকে কিছু বলছে তা হয়তো তার কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছে না’!!বৃষ্টিতে ভিজে পুরো শরীর ভিজে গেছে মাইশার’!!এক অদ্ভুত নেশা এসে গ্রাস করলো কাব্যকে’!!কাব্য মাইশার ঠোঁটে হাত দিয়ে বললোঃ

———“হুস…..

“হর্ঠাৎই করে কাব্যের এমন কাজে অবাক মাইশা’!!কারন সে হয়তো ভেবেছিলো কাব্য তাকে মন্দ বলবে’!!অবশ্য মন্দ বলার কিছু নেই জামাইরেই তোর জড়িয়ে ধরছি অন্য কাউকে তো ধরি নাই’!!এসব ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎই কাব্য মাইশাকে টান মেরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়’!!মাইশার কোমড় জড়িয়ে ধরে মাইশার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দিল………..

“আচমকা এমনটা হওয়াতে মাইশা পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়’!!পরক্ষণেই কি হচ্ছে বুঝতে পেরে কাব্যের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে এক পর্যায়ে সেও থেমে যায়’!!দু’জনেই এক অদ্ভুত অনুভূতিতে চলে যায়’!!

__________________________________________

_____________________

“বেশকিছুক্ষন পর………

“কাব্য মাইশাকে ছেড়ে দেয়’!!একে অপরকে ছেড়ে দিয়ে দুজনেই একসাথে শ্বাস ফেলতে শুরু করলো’!!দুজনের মধ্যেই কুটকুটে নীরবতা এসে ভর করলো’!!কারন তারা নিজেরাও বুঝতে পারে নি’!!এতক্ষণ তারা কি করছিল’!!হর্ঠাৎই দুজনে একসাথে হাঁচি দিতে শুরু করলো’!!!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………
#TanjiL_Mim♥️