Saturday, July 26, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1531



নরীর সতীত্ব পর্ব-১৫

0

#নরীর_সতীত্ব
#পর্ব_১৫
Wohad Mahmud

সাবনাজের মুখ তখন কিছুটা ফেকাশে হয়ে গেল। বুঝতে পারলাম না কেন এমন হলো। আমি কিছু বলতে যাব তখনি ভাবি আমার রুমে ঢুকে।

আমি মনে মনেই বললাম এটা আবার কোন ধরনের ভদ্রতা। বলা নেই কওয়া নেই হুটহাট করে রুমে ঢুকে যায়। দরজায় নক দিয়েও তো আসতে পারে।

আমি বললাম কিছু বলবেন ভাবি?

ভাবি বলল–
তোমার সাথে কিছু কথা আছে মাহমুদ।

আমি বললাম জ্বী বলেন ভাবি কি বলবেন?

রাকিবের বিষয়ে কথা বলব তো। তাই একটু একা একা কথা বলতে চেয়েছিলাম।

জ্বী এখানেই বলেন সমস্যা নেই কোনো। সবনাজ “রাকিব আর মাহমুদার বিষয়ে সব জানে। সাবনাজের কাছে কিছু লুকানোর প্রয়োজন মনে করি নাই।

আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল- তুমি কিছুক্ষণ আগে রাকিবকে কী বলেছিলে।

কই ভাবি আমি তো কিছু বলি নাই।

রাকিব তো আমাকে বলল তুমি খারাপ ব্যবহার করেছ ওর সাথে। আর বাসা থেকে চলে যেতে বলেছ। আর আমার ভাই এখনো তোমার বোনের পিছনে পড়ে নেই। আগের থেকেও অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে।

আমি উঠে দাড়িয়ে বললাম। আপনার ভাইকে আমি তেমন কিছু বলি নাই। শুধু ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করেছি। আর বলেছি, মাহমুদা সেই বিষয় নিয়ে এখনো রাগ করে আছে। ওর ব্যবহারে কোনো কষ্ট পাবে না। আর মাহমুদার থেকে একটু দূরে থাকবে।
আর আপনার ভাই আগের থেকে কতটা ভালো হয়েছে সেটা বেশ ভালোই দেখতে পারছি। তিল কে তাল বানানোর চেষ্টা করছে। আমি তার সাথে বললাম এক কথা আর আপনাকে গিয়ে বলল আরেক কথা।

শুনো মাহমুদ, আমার ভাই এখানে সারাজীবন থাকতে আসে নাই। আর কেন এসেছে সেটা বেশ ভালোই দেখতে পারছো। তোমার বউয়ের বাসা থেকে যেমন এখানে আসার অধিকার আছে ঠিক তেমনি আমার ভাইয়ের ও এখানে আসার অধিকার আছে। কারণ তার বোন এই বাসাতে থাকে। এখন থেকে যখন মন চায় আমার ভাই আসবে এখানে। এখন থেকে তুমি তাকে মানা করার কেউ না।

আমি তখন হাসতে হাসতে বললাম। কীভাবে অধিকারের কথা বলেন আপনি, আমার বাবা যখন অসুস্থ ছিল কই তখন তো কেউ আমার বাবাকে দেখতে আসে নাই। এখন কেন আসছে।

আমার কথা শুনে। কোনো জবাব না দিয়ে রাগ করে চলে গেল, আর যাওয়ার সময় বলে গেল আজকের এই ব্যবহারের কথা আমি বাবা মায়ের সাথে বলব।‌ বড়দের সম্মান করতে জানো না। তারপর দেখি তোমার বাবা মা তোমাকে কী বলে।

আমি মনে মনে হাসতে থাকলাম আর বললাম কতটা বেহায়া হলে এখনো সম্মানের কথা বলে। সম্মান পেতে হলে আগে সম্মানীয় কাজ করতে হয়। তাছাড়া কেউ সম্মান দিবে না।

তারপর সাবনাজ বলল ভাবিকে এভাবে বলা ঠিক হয়নি। এমনিতেই প্রেগন্যান্ট, আর তুমিই আমাকে বললে ভাবির খেয়াল রাখতে এখন তুমিই ভাবির সাথে এমন করছো‌ ভাবির সাথে।

তুমি ভাবির সম্বন্ধে এতকিছু জানো। এখন আবার অকারণে আমাকে এসে কথা শুনাই। তার নির্লজ্জ ভাই আমার আমে বানিয়ে বানিয়ে কিসব কথা বলেছে আর আম অনেক এসে দোষ দেয়।

তা সব জানি এখানে তোমার কোনো দোষ নেই। কিন্তু কী করার আছে বলো।

আমি বললাম, এভাবে না বলে আর পারলাম না। দুই ভাই বোন মিলে নাটক করছে। আমি রাকিবকে খারাপ কিছু বলি নাই কিন্তু সে ভাবির কাছে গিয়ে তাল লাগাচ্ছে। আবার এমনও হতে পারে ভাবি প্রেগনেন্সির ‌ সুযোগ নিয়ে বাবা মায়ের সামনে খারাপ বানানোর চেষ্টা করছে। যাতে করে কেউ কিছু বলতে না পারে তাকে।

বাবার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ শেষ হয়ে গিয়েছে। বড় ভাইয়াকে ফোন দিয়ে বলেছিল গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ নিয়ে আসতে। আমিই বাজারে গিয়ে নিয়ে আসি। কিন্তু আজ ভাইয়া তাড়াতাড়ি বাসায় আসবে জেনে ভাইয়াকে নিয়ে আসতে বলেছিল। কারণ বড় ভাবির মা আর ভাই এসেছে তাই তাড়াতাড়ি বাসায় আসবে। সন্ধ্যার পরে বাবার পাশে বসে প্রেসক্রিপশন আর ঔষধ দেখছিলাম। দেখি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ শেষ হয়ে গিয়েছে। আমাকে ঔষধ এর কথা বলেনি কেন জানতে চাইলে এই কথাটা বলে।

কিছুক্ষণ পরে ভাইয়া বাসায় আসলে বাবার ঔষধ নিয়ে আসতে গেলাম। নক দিয়ে রুমে ঢুকে দেখি ভাইয়া, ভাবি আর ভাবির মা, ছোট ভাই বসে আছে। আমাকে দেখে সবাই কিছুটা অস্বস্তি বোধ করলো। আমি বুঝতে পারলাম এভাবে আশায় কেউ পছন্দ করেনি।

ভাইয়াকে বললাম ঔষধ কোথায়?

ভাইয়া বলল কিসের ঔষধ?

আমি বললাম কিসের ঔষধ আবার বাবা তো তোকে বলে দিয়েছে যে, গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ নিয়ে আসতে। সেই গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কোথায়?

ভাইয়া বলল আমার মনে নেই ঔষধ আনতে।

মনে নেই মানে? তুই এটা জানিস না বাবার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ না খেলে অনেক কষ্ট হবে।আর এখন বলছিস ঔষধ আনতে মনে নেই।

মনে নেই মানে মনে নেই। আর তুই তো সারাদিন বাড়িতে বসে থাকিস। তুই গিয়ে ও তো নিয়ে আসতে পারি এভাবে সারাদিন বাড়িতে বসে না থেকে।

বাবার ঔষধ বা কোনো প্রয়োজন হলে আমি নিয়ে আসি আর কেউ না। প্রতিদিন তো আমাকে বলে, আজ বলে নাই তোকে বলে। আর হ্যাঁ ভালো কথা- বিয়ে পর থেকে তো কোনোদিন এভাবে বাজার নিয়ে আসতে দেখি নাই। সব বাজার তো আমি আর বাবা করে নিয়ে আসি। শ্বাশুড়ি, শালা এসেছে বলে বাজার থেকে অনেক বাজার করে নিয়ে এসেছেন আর বাবার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ নিয়ে আসতে মনে নেয়। সমস্যা কোথায় বুঝলাম না, আসলেই কী মনে নেই না-কি টাকা খরচের ভয়।

বড় ভাবি উঠে দাঁড়িয়ে বলে। কী আজেবাজে কথা এগুলো মাহমুদ। সত্যিই তোমার বড়দের সাথে কথা বলার আদব কায়দা নেই। বড় ভাইয়ের কথা তুই করে কথা বলছো। আর টাকা পয়সার সমস্যা হবে কেন? টাকা দিচ্ছি যাও ঔষধ কিনে নিয়ে আসো। এটা বলে আমার হাতে ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে দেয়।

আমি হেঁসে হেসে বললাম ভাবি আপনি এই বাড়িতে নতুন না। আমি ভাইয়াকে যখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ডাকি। এটাও আপনার জানা কথা। আর আপনার টাকা দেয়া লাগবে না।‌ আমার টাকা আছে সেটা দিয়ে কিনতে পারব‌। এটা বলেই হাতের পাঁচশ টাকা ভাইয়ার বেডের উপর ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে আসলাম।

বাবার ঔষধ খাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি ঔষধ কিনতে হবে। তাড়াতাড়ি করে বাইক টা বরে করে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তাড়াতাড়ি ঔষধ নিয়ে এসে বাবাকে দিলাম।

বাবা বলল, এতো দেরি হলো কেন‌ ঔষধ নিয়ে আসতে। কোন সমস্যা হয়েছে?

আমি বললাম তেমন কিছু না বাবা। ভাইয়ার সাথে অনেক দিন ভালো করে কথা হয়নি। সে জন্যই ভাইয়ার সাথে একটু গল্প করছিলাম।

বাবাকে জানতে দেওয়া যাবে না যে, ভাইয়া ঔষধ নিয়ে আসে নাই, আমি গিয়ে এখন নিয়ে আসলাম। তাহলে বাবার মন খারাপ হবে।‌

আজ রাতে আমার বিচার হবে। কথাটা ভাবতেই অট্ট হাসি পাচ্ছে। বিচার হবে কারণ, আমি ভাবির ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি। তাদেরকে এই বাসা থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে বলেছি। ভাবি আর ভাইয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি, সে জন্যই আমার বিচার হবে। আমি জানি ভাবি তিলকে তাল বানানোর চেষ্টা করবে। যা হয়েছে তা বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলবে মা বাবার কাছে। মা বাবার কাছে আমাকে খারাপ বানানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু সমস্যা নেই আমি সবকিছু হ্যান্ডেল করে নিতে পারব ওই বজ্জাত মহিলার সামনে।

রুমে এসে বসে আছি। তখন মাহমুদা আমার রুমে আসে আর এসে বলে ভাইয়া এসব কী শুনছি।

আমি জেনেও না জানার ভান করে বললাম, কেন কী হয়েছে আর কী শুনছিস?

আমি তো শুনলাম ভাবি তোর নামে আজ বিচার ডেকেছে আজ রাতে।

আমি বললাম আরে শান্ত হ আগে।

কীভাবে শান্ত হবো আমি। বাসায় আজকাল কী চলছে , যে আর মতো যা ইচ্ছা তাই করছে। বিচার তো তার নামে ডাকা দরকার। আর উল্টা তোর নামে ডাকছে। তুই একদিন আমার কথা মিলিয়ে নিস। আমাদের কাউকে এই বাড়িতে শান্তি মতো থাকতে দিবে না। এমনকি মা বাবাকেও না।

আচ্ছা শোন বিচারের সময় কিন্তু তুই থাকবি।

ওই অসভ্য রাকিব থাকলে আমি থাকব না।

সবাই থাকবে। আর তোর ভাইয়ের বিপদের সময় আমার পাশে তুই থাকবি না?

আমার কথায় ইমশোনাল হয়ে মাহমুদা বলে আচ্ছা ঠিক আছে থাকব।

সবাই বসে আছি খাওয়া দাওয়া করে খাবারের টেবিলে। মাহমুদা কে চা আনতে চলে বাবা। মাহমুদা চা নিয়ে এসে সবাইকে দিচ্ছে। চা দেওয়ার সময় এক কাপ চা সব রাকিবের গায়ে ঢেলে দেয়,,,,,

চলবে,,,

ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

নারীর সতীত্ব পর্ব-১৪

0

#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_১৪
Wohad Mahmud

আমি বললাম অপেক্ষা করো জানতে পারবে। আমি গিয়ে ভাইয়া আর ভাবিকে ডেকে নিয়ে আসলাম। আমার কিছু বলার আগেই ভাবি বলল, আমিও কিছু বলব আপনাদের সবাইকে। বাবা আর মাহমুদা থাকলে আরো ভালো হতো।

আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে বলেন আগে আপনি কী বলবেন?

এরপর ভাবি যা বলল তাতে ভাবির উপর যতো রাগ ছিল সব পানি হয়ে গেল মায়ের। মা খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল। এতো খুশি আমি অনেকদিন দেখি নাই,,,,

মা বলল কী হয়েছে তোমার বউমা?

ভাবি বলল মা হতে চলেছি আমি।

মা তখন কাছে গিয়ে হাত ধরে বলল এটাতো ভালো লাগছে আমার যা আমি বলে বলে বোঝাতে পারব না। অনেক খুশির খবর বউমা। এই দিন টা দেখার জন্য আমি অনেক বছর অপেক্ষা করেছি। সত্যি বলতে এতদিন তোমার উপর যে রাগ অভিমান ছিল সব মাটি হয়ে গিয়েছে। তোমার শ্বশুর শুনলে অনেক খুশি হবে।

ভাবি আমার টিকে ট্যারা চোখে তাকিয়ে বলে- মাহমুদ ভাই তুমি যেন, কী বলতে চেয়েছিলে?

না ভাবি তেমন কিছু না। অনেকদিন সবার সাথে কথা বলা হয়নি তাই ভাবলাম সবাই মিলে গল্প করি একটু। আর এতোবড় খুশির সংবাদ টা তাড়াতাড়ি সোনার সৌভাগ্য হলো। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।

মা বলল তোর বাবা আর মাহমুদা কে খুশির সংবাদ টা জানিয়ে দিস। তারাও অনেক খুশি হবে।

আচ্ছা ঠিক আছে মা তুমি চিন্তা করো না। আমি মাহমুদা কে ফোন দিয়ে এখনি জানিয়ে দিচ্ছি।

তারপর আমি আর সাবনাজ রুমে চলে আসলাম। সাবনাজ বলল যাক ভালো হয়েছে। ভাবি মা হতে চলেছেন। কথাগুলো বলো নাই ভালো হয়েছে।

আমি বললাম আমি চাইলে বিষয়গুলো তুলে ধরতাম কিন্তু করি নাই কারণ, মা আজ অনেক খুশি, বাবার এই খারাপ সময়ের মধ্যে মা এই খুশির সংবাদ শুনে একটু স্বস্তি খুঁজে পেয়েছে। এর মধ্যে আমি আর কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করে খুশির সময় কে নষ্ট করতে চাই না।

আর সবথেকে বড় কথা একটা মেয়ের জন্য সবথেকে খুশীর মূহূর্ত হলো যখন জানত পারে সে মা হতে চলেছে। কিন্তু কথা হচ্ছে সত্যি বলল না-কি মিথ্যা বলে মা হওয়ার নাটক করছে যাতে এসব অপকর্ম থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে।

সাবনাজ আমাকে বলল ছি মাহমুদ কিছু তো লজ্জা করো। কী সব আজেবাজে কথা বলছো। কোনো মেয়ে কি তার সন্তান নিয়ে এসব মিথ্যা কথা বলতে পারে। প্রতিশোধের জন্য তুমি এসব কথা বলছো।

আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে কী হয় দেখা যাক। কিন্তু আগে কী হয়েছে সব ভুলে যাও আর ভাবির খেয়াল রেখো। ভাবি প্রেগন্যান্ট। ভারি কোনো কাজ করতে দিবে না। মায়ের কাজে তুমি সব সময় সাহায্য করবে। আর ভাবির প্রতি একটু খেয়াল রাখিও। আমি জানি তোমার জায়গায় যদি ভাবি হতে তাহলে কোনোদিন তোমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত না। এটা মনে রাখবে তুমি ভাবির মতো না তুমি তোমার মতো।

আচ্ছা ঠিক আছে চিন্তা করো না তুমি। আমি সবকিছু করব। আমি এটা করব বাচ্চার জন্য। যাতে বাচ্চার কোনো ক্ষতি না হয়। তবে মাহমুদা আর বাবাকে বাসায় নিয়ে আসো। যে কারণে রেখে আসছিলে সেটা তো আর হচ্ছে না। কালকে বাড়িতে নিয়ে চলে আসো। সবাই একসাথে থাকলে খুশি আরো দ্বিগুন বেড়ে যাবে।

আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। আগে ফোন দিয়ে দেখি কী বলে।
তারপর মাহমুদা কে ফোন দিয়ে বললাম ভাবি প্রেগন্যান্ট। কিন্তু মাহমুদার কথা শুনে বুঝলাম মাহমুদা ততটা খুশী না। মনে হচ্ছে আমার থেকে মাহমুদার রাগ বেশি ভাবির উপরে।

আমি বললাম তাহলে কী তোদের বাড়িতে নিয়ে আসবো কালকে।

আমি কিছু জানি না কী করবি। বাবার সাথে কথা বলে দেখ যদি যেতে চায় তাহলে এসে নিয়ে যা। আচ্ছা ঠিক আছে। ভাবির কথাটা বাবাকে বলে দিস আর আমি কালকে যাচ্ছি তোদের ওখানে।

পরেরদিন সকালে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে চলে গেলাম ছোট ফুফিদের বাসায়।‌ আমি গিয়ে বাবাকে বললাম তাহলে আজ বাসায় যাওয়া যাক।

বাবা বলল কেন? এক সপ্তাহ থাকার কথা। এখন বাসায় যাওয়ার কথা বলছিস কেন?

বাবার কথা শুনে আমি বুঝতে পারলাম মাহমুদা বাবাকে কিছু বলে নাই। আমি বললাম একটা খুশির সংবাদ আছে বাবা।

কিসের খুশির সংবাদ।

বড় ভাবি মা হতে চলেছে। ভাবি প্রেগন্যান্ট।

আমার কথা শুনে মা যতটা খুশি হয়েছিল ঠিক ততটাই বাবা খুশি হয়েছে। বাবা বলল তাহলে আজকেই বাসায় যাওয়া যাক। আমি বললাম তাহলে গুছিয়ে নাও তুমি। আমি মাহমুদা কে বলে আসি। মাহমুদা কে গিয়ে বললাম তুই বাবাকে কিছু বলিস নাই কেন?

মাহমুদা বলল, বাবাকে আবার কী বলব। আর কোন বিষয়ের কথা বলছিস।

কিসের কথা আবার ভাবির কথা।

মাহমুদা বলল মনে নেই বলতে। শরীর ভালো লাগছিল না, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম বাবার কাছে যাওয়া হয়নি, সে জন্যই বলি নাই।

আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নেই। তবে বাসায় গিয়ে শান্ত থাকবি। মা বাবা এখন খুশিতে আছে। মাহমুদা আর বাবাকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে দেখি বড় ভাবির বাসা থেকে মানুষ এসেছে। ভাবির মা আর ভাই এসেছে। ভাবির ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে রাগে রাগে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় মাহমুদা। আমি বিষয় টা বুঝতে পারলাম মাহমুদা কেন এমন করলো। আমি গিয়ে দরজায় নক করলাম। কিন্তু তাও দরজা খুলে নাই।

মাহমুদার এমন রিয়েকশন করার কারণ জানতে হলে এক বছর আগে যেতে হবে। প্রায় এক বছর আগে ভাবির ভাই রাকিব পছন্দ করত মাহমুদা কে।‌ কিন্তু মাহমুদার এসব বিষয়ে কোনো ইচ্ছা ছিল। মাহমুদা কে প্রোপজ ও করেছিল সরাসরি বিয়ে করবে এটাও বলেছিল কিন্তু মাহমুদা তখন সুন্দর করে বুঝিয়ে না করে দেয়। কারণ একটা ছেলে একটা মেয়েকে প্রপোজ করতেই পারে, বিয়ের প্রস্তাব দিতেই পারে। এখানে খারাপের কিছু নেই। আর মাহমুদা ও সেই ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে এই প্রস্তাবে রাজি না।

এর কয়েক সপ্তাহ পরে রাকিব তার বাবা মায়ের সাথে করে আমাদের বাসায় আসে রাকিবের সাথে মাহমুদার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। বড় ভাবি ও এটাই চেয়েছিল রাকিবের সাথে মাহমুদার বিয়ে হয়ে যাক। কিন্তু আমাদের বাসায় কেউ রাজি ছিল না। শুধু বড় ভাইয়া রাজি ছিল‌। আর বড় ভাইয়ার রাজি থাকার কারণ হলো ভাবি। ভাবি কী সব বুঝিয়ে রাজি করেছিল।

আমি মা বাব রাজি না থাকার কারণ হলো মাহমুদা না করে দিয়েছে তাই। মাহমুদার ইচ্ছা সে পড়াশোনা শেষ করবে ভাইদের মতো হবে। সে এখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিয়ে দিতে ইচ্ছুক না। আমরা আগে থেকেই জানতাম রাকিব অল্প হলেও নেশা করে। আর কখনো চাইব না, কোনো খারাপ ছেলের হাতে আমার বোনকে তুলে দিতে।

তখন তাদের সম্মানের সাথে না করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন পরে রাকিব আমাদের বাসায় এসে ঝামেলা সৃষ্টি করে আর উল্টো পাল্টা কথা বলে।

আমি তখন থাপ্পড় মেরে বলেছিলাম তোর কানে কথা যায় না। তোকে মাহমুদা না করে দিয়েছে। তাও এসে উল্টা পাল্টা কথা কেন বলিস? তুই শুধু ভাবির ভাই বলে আর কিছু বললাম না। আর কোনোদিন যদি এই বাড়িতে তোকে দেখি তাহলে তোকে আমি মেরে ফেলব। এর পর থেকে আর কোনোদিন এই বাড়িতে আসেনি। আর আজকে এসেছে বোনের সুসংবাদের কথা শুনে। চাইলেও আমি এই বাসা থেকে তাড়িয়ে দিতে পারি না। কারণ পরিস্থিতি এখন অন্যরকম।

ডাইনিং এ বসে সবাই খাওয়া দাওয়া করছিলাম কিন্তু অনেকবার ডাকার পরেও মাহমুদা আসল না। আমি ডাকলাম তাও আসলো না। সাধারণত আমি কিছু বললে না করে না। কিন্তু এবার এবার কথাও শুনলো না। আমিও বুঝলাম জোর করেও আর কাজ হবে না।
বলল যে খাওয়া দাওয়া করবে না এখন। ক্ষুধা নেই। খাওয়া দাওয়া শেষে আমি মাহমুদার রুমে খাবার নিয়ে গেলাম আর বললাম যে, আগের সব কথা মনে করে নিজেকে কষ্ট কেন দিচ্ছিস? ভুলে যা সব।

কী করে ভুলি সব ভাইয়া। তোর কি মনে নেই আমাদের বাড়িতে এসে আমার নামেই উল্টা পাল্টা বলেছিল আমাকে। চলে কেন যেতে বলছিস না, এখান থেকে। সে যতক্ষন এই বাড়িতে আছে আমি আমি বাহিরে যাব না।

তুই পাগল হয়েছিস এটা কী করে সম্ভব। এক বছর পর এসেছে এখানে। নিজের বোনের খুশির সংবাদ শুনে। আর যদি এটা সম্ভব হতো তাহলে বাবা মা আগেই এমনটা করতো। তার আসাতে বাসায় কেউ খুশি না। কিন্তু কিছু করার নেই পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। তোর বাসা তুই থাকবি তোর মন মতো। কেন তুই বাহিরে যাবি না? লজ্জা তো তার হওয়ার দরকার এতো কিছুর হওয়ার পরেও এখানে এসেছে। মাহমুদার সাথে কথা বলে আমি রুমে চলে গেলাম।

রুমে গিয়ে সাবনাজের পাশে গিয়ে বসলাম। সাবনাজ তখন বলল–

আচ্ছা মাহমুদা বাসায় আসার পর থেকে এমন করছে কেন? ভাবির মা আর ভাইকে দেখে রাগে রাগে রুমে গিয়ে দরজা দিয়ে দিল। আবার খাওয়ার সময় আসল না কেন? আমি কিছু বুঝতে পারছি না।

প্রথমে লুকাতে চাইলাম‌। বললাম কিছু না এমনিতেই এমন করছে। আমি চাই না আর কেউ জানুক এই বিষয়টি। কারণ যত কম মানুষ জানবে ততই ভালো হবে। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো। সাবনাজ কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছে কোনো সমস্যা আছে। আমি যদি সত্যিটা না বলি তাহলে সে বুঝবে আমি তার উপর বিশ্বাস করি না। আমি তখন সাবনাজ কে সব খুলে বললাম এমন এমন ঘটনা।

সাবনাজের মুখ তখন কিছুটা ফেকাশে হয়ে গেল। আমি কিছু বলতে যাব তখনি ভাবি আমার রুমে ঢুকে,,,,,

চলবে,,,,,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

নারীর সতীত্ব পর্ব-১৩

0

#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_১৩
Wohad Mahmud

_দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আমার সব কথা শুনছিল কিন্তু আমি বা কেউ খেয়াল করি নাই। কারণ আমরা যে পজিশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম তার ঠিক পিছনে ভাবির ঘরের দরজা। সেই জন্যই আমরা কেউ খেয়াল করি নাই। ভাবির কথা শুনে আমি পিছনে ফিরে তাকালাম। ভাবি আমাকে বলল মাহমুদ কে কোথায় থাকবে কী থাকবে না এটা তোমার কথায় চলবে না। দরকার হলে তোমরা চলে এখান থেকে। বাবা আর মা আমাদের সাথে এখানে থাকবে। বাবা মায়ের প্রতি আমাদের ও অধিকার আছে যতটুকু তোমার আছে।

আমি মুচকি হেসে বললাম ভাবি অধিকার কথাটা ছোট হলেও এর পরিধি অনেক বড়। এতোক্ষণ তো ঘরের মধ্যে তো বেশ ভালোই আরাম করলেন আর মা এখানে একা রান্না করেছিল কই একটু ও এসে সাহায্য করলেন না। কোনো উপায় না পেয়ে আমিই রান্নার কাজে সাহায্য করলাম।

বাসায় তো কাজ করার জন্য আমি একা নেই। আরো দুজন তো আছে। তাঁরাও তো সাহায্য করতে পারে।

আমি হেসে হেসে বললাম আপনার মতো মানুষ থাকতে বাসায় কী আর কেউ শান্তিতে থাকতে পারে। দিলেন তো সাবনাজের হাতটা পুড়িয়ে ইচ্ছা করে,তাহলে কাজটা কীভাবে করবে? আর মাহমুদা তো টিউশনিতে ছিল সে কীভাবে কাজ করবে? আর আপনি বাকি ছিলেন,কাজ করার বাহানা করে শয়তানি বুদ্ধি নিয়ে সাবনাজের হাত পুড়িয়ে দিলেন।

তখন ভাবি বলল আমি ইচ্ছা করে করি নাই। যা হয়েছে সব ভুল করে হয়েছে। সাবনাজের সাথে আমার কিসের শত্রুতা যে তার এতো বড় ক্ষতি করব।

আমি হেসে হেসে বললাম শত্রুতা না, হিংসা। তার সুখের সংসার আপনার সহ্য হয় না‌

কথা কাটাকাটি করতে করতে কলিং বেলের শব্দ শুনতে পেলাম। আমি ইশারায় সবাই কে রুমের ভিতরে চলে যেতে বললাম। কারণ নিশ্চিত বাবা আর শ্বশুর এসেছে। আমি চাই না তারা এসে এসব দেখুক। কারণ বাবা অসুস্থ এমন পরিস্থিতিতে আরো অসুস্থ হয়ে যাবে‌। আর শ্বশুর ও আছে সে দেখলে আরো বেশি সমস্যা সৃষ্টি হবে।

আমার ইশারা বুঝে সাবনাজ আর মাহমুদা রুমে চলে যায়। আর মা রান্না ঘরে গিয়ে খাবার নিয়ে আসে ডাইনিং এ। আর আমি গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। বাসায় এসে বাবা আর শ্বশুর ফ্রেশ হয়ে গল্প করছে‌।

আমি গিয়ে বসে বাবাকে বললাম আজ তোমার চেকাপ করাতে নিয়ে যেতে হবে।

বাবা বলল না লাগবে না বাবা আর। এখন অনেকটা ঠিক আছি। ডাক্তারের কাছে যেতে ইচ্ছা করছে না।

তোমার মাঝে মাঝে সব পাগলামি মেনে নিয়েছি। কিন্তু এখন আর না। আজকেই যেতে হবে বিকালে। অবশেষে রাজি করালাম ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য।

দুপুরে সবাই খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিচ্ছিলাম। আমি সাবনাজ কে বললাম। আজ বিচার হবে রাতে। মায়ের সামনে তুমি সব কথা সত্যি সত্যি বলতে পারবে তো?

সবনাজ বলল কার বিচার আর কিসের বিচার? আমি কিছু বুঝতে পারছি না কী বলছো। একটু বুঝিয়ে বলো প্লিজ মাহমুদ।

আমি বললাম এতো দিন ভাবি তোমার প্রতি যা যা অন্যায় করেছে তার সব বিচার হবে আজ। কিছু না বলে বলে অনেক বেশি বাড় বেড়েছে।

সাবনাজ আমার হাতে ধরে বলল, প্লিজ এমন কিছু করার দরকার নেই। হাজার হলেও সে তোমার বড় ভাবি হয়। এভাবে তার প্রতি এমন করলে সে আরো বেশি জ্বালাতন করবে আমাদের। তার থেকে ভালো হয় যেমন করে চলছে চলুক। এসব সামান্য বিষয় আমি সহ্য করে নিতে পারব। কোনো সমস্যা হবে না।

আমি রাগি কন্ঠে বললাম, তুমি সব সহ্য করে নিতে পারবে কিন্তু আমি পারব না। আমার স্ত্রীর প্রতি যে, অন্যায় অবিচার করবে আমি তাকে একটুও ছাড় দিব না। আর তুমি যদি আমার বিরোধিতা করো আর সব সত্যি কথা মায়ের সামনে না বলো তুই আমার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে।

আমার কথা শুনে অনেক ভয় পেয়ে যায় সাবনাজ। তারপর বলে আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যা বলবে আমি সব শুনব। আর মায়ের সামনে সব সত্য কথা বলব।

বিকালে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম আমার সাথে মাহমুদা ও ছিল। আমি নিজে নিজে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ বাবাকে আর বাসায় নিয়ে যাব না। বাবাকে আজ ছোট ফুফির বাসায় দিয়ে আসব। বাবাদের দুই বোনের মধ্যে অনেক মিল। আর দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে। বাবার এমন পরিস্থিতির কথাও জানে না। বাবা বলতে নিষেধ করেছিল। কারণ বাবার এমন পরিস্থিতি সহ্য করতে পারবে না।

প্রাইভেট হাসপাতাল আর ডাক্তার আমার স্যার ছিল তাই চেকাপ করা অনেক তাড়াতাড়ি হয়েছিল। স্যার আমাকে তার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বলে সামনে মাসে আমার সাথে যোগাযোগ করবে‌।

ডাক্তার দেখানো শেষে মাহমুদা আর বাবাকে নিয়ে ফুফির বাসায় গেলাম আর মাহমুদা কে বললাম। বাবা এখানে থাকবে এক সপ্তাহ মতো সাথে তুই ও থাকবি।

কেন ভাইয়া? আজকেই দেখা করে চলে যাই। এতদিন এখানে অকারণ থেকে কী করব। আর মাকে বলে ও আসি নাই এখানে থাকবো আমার।

আমি যা বলছি তাই কর। বাসার যেই পরিস্থিতি এখানে থাকলে ভালো হবে বাবার জন্য। তোর প্রয়োজনীয় জিনিস আমি দিয়ে সমস্যা নেই। এখানে থেকেই পড়াশোনা কর এক সপ্তাহ।

বাবাকে এখানে রাখার মূল কারণ। আজ রাতে কিছু না কিছু একটা হয়ে যাবে বাসায়। হয় বাসায় তারা থাকবে আর না হয় আমরা থাকব। আর এই পরিস্থিতি দেখলে বাবা নিশ্চিত আবার হার্ট অ্যাটাক করবে। আর আমি চাই না ক্ষতি হোক বাবার। সেখানে কয়দিন শান্তি মতো থাকুক। পরিবেশ ঠান্ডা হলে আবার বাড়িতে নিয়ে আসব।

বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাই আমার কিছুটা। বাসায় ফিরে দেখি মা, সাবনাজ আর সাবনাজের বাবা, ভাইয়া বসে গল্প করছে। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব। সাবনাজের বাবা আর ভাইয়ের তো চলে যাওয়ার কথা কিন্তু এখানে বসে গল্প করছে।মনে হয় সাবনাজ জোর করে রেখে দিয়েছে কারণ আমি যাতে আজ কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করতে না পারি।

আমাকে একা এসে দেখে মা বলে–
তোমার বাবা আর মাহমুদা কোথায়?

আমি বললাম ছোট ফুফির বাসায় রেখে আসছি। ওখানে কয়দিন থাকলে ভালো হবে বাবার জন্য। সাথে তো মাহমুদা আছে সমস্যা হবে না।

মা বলল ঠিক করেছিস বাইরে থাকলে মন ভালো হবে। কয়দিন বাইরে থেকে ঘুরে আসুক।

তারপর রাতের খাবার খাওয়ার দাওয়া করলাম কিছুক্ষণ পরে। কিন্তু ভাইয়া আর ভাবি আসল না। মা আমাকে বলল ডেকে আনতে। আমি রুমে গিয়ে ডাক দিলাম খাওয়া দাওয়া করার জন্য। কিন্তু আসল না। বলল যে, খাবে না এই বাড়িতে আর। নিজেরা রান্না করে খাওয়া দাওয়া করবে।

আমি এসে মিথ্যা কথা বললাম। বললাম যে, ভাইয়া অফিস করে অনেক ক্লান্ত একটু পরে খাবে। ডাইনিং এ খেতে ইচ্ছে করছে না।‌ বলল যে ভাত আর কিছু তরকারি দিয়ে আসতে। আমি গুছিয়ে ভাত তারকারি দরজার কাছে রেখে, দরজায় নক নিয়ে আস্তে করে বললাম ভাত তারকারি আমি দিয়ে গেলাম। বাকিটা আপনাদের ইচ্ছা কী করবে।

তারপর রুমে এসে বললাম আজ শুধু তোমার বাবা আর ভাইয়ার জন্য ভাবি বেঁচে গেল। তোমাকে থাপ্পড় মারার কথা, ইচ্ছা করে গায়ে চা ফেলে দেওয়ার কথা। সব কিছু আজ তুলে ধরতাম। আর ভাইয়া ও একটু দেখত তার স্ত্রী কেমন মানুষ। যার একদম বিবেক বুদ্ধি আর মনুষ্যত্ববোধ নেই।

ঘুমিয়ে পড়লাম আমি। তারপর সকালে উঠে আমি রাতের অপেক্ষায় আছি। সাবনাজের বাবা আর ভাইয়া চলে যাবে‌ আজ বিকালে। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না। কখন ভাবির মুখোশ খুলব আমি। সাবনাজের বাবা আর ভাইয়া চলে যায়। যাওয়ার সময় সাবনাজের ভাই বলে‌। আমার বোন আপনার কাছে আমানত রেখে দিলাম দুলাভাই।

আমি বললাম চিন্তা করো না ভাইয়া আমার জীবনের থেকে তোমার বোনকে আমি ভালোবাসি।

রাতে মাকে বললাম মা তোমার রুমে একটু জেগে থাকো কথা আছে‌। ভাইয়া আর ভাবি ও আসবে।

মা বলল কেন কী হয়েছে?

আমি বললাম অপেক্ষা করো জানতে পারবে। তার ভাইয়া আর ভাবিকে ডেকে নিয়ে আসলাম। আমার কিছু বলার আগেই ভাবি বলে আমিও কিছু বলব।

আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে বলেন আগে আপনি।

এরপর ভাবি যা বলল তাতে ভাবির উপর যতো রাগ ছিল সব পানি হয়ে গেল মায়ের। মা খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল। এতো খুশি আমি অনেকদিন দেখি নাই,,,,

চলবে,,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

নারীর সতীত্ব পর্ব-১২

0

#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_১২
Wohad Mahmud

কাল রাতের অপমানের বদলা সাবনাজের উপর দিয়ে তুলছে। তারপর চা আরো গরম করে নিয়ে এসে এমন জঘন্য কান্ড ঘটিয়েছে।

শাড়িটা চা পড়ে খারাপ হয়ে গিয়েছে চেঞ্জ করতে হবে কিন্তু সাবনাজ তো চেঞ্জ করতে পারবে না। হাত দিয়ে কিছু ধরতে পারবে না। কোনো উপায় না পেয়ে আমি চেঞ্জ করিয়ে দিলাম। চেঞ্জ করা শেষ হলে আমি বলি তুমি এবার রেস্ট নাও , মলম দিয়ে দিছি ঠিক হয়ে যাবে তুমি খুব তাড়াতাড়ি। সাবনাজ আমাকে বলে প্লিজ তুমি বাহিরে গিয়ে ভাবিকে কিছু বলো না। আমিও জানি ভাবি এটা ইচ্ছে করেই করছে। ভাবি চাচ্ছে যে তুমি ঝামেলা সৃষ্টি করো। যাতে আমার বাবা আর ভাইয়ের চোখে তোমরা খারাপ হয়ে যাও।

আমার বাবা আছে ছোট ভাই আছে। আমি চাই না তাদের সামনে কোনো সমস্যা হোক। সবাই ভাবছে এটা ভুল করে হয়েছে। কিন্তু তুমি আমি জানি এটা ইচ্ছে করেই করছে। বাবা ভাইয়া জানতে পারলে সমস্যা সৃষ্টি হবে।

আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নেই। আমি কিছু বলব না। আমি নিচে গিয়ে বাবার পাশে বসলাম। বসার সাথে সাথে আমাকে বলল সাবনাজ কেমন আছে। আমি বললাম ঠিক আছে সমস্যা নেই। গরম চা হাতে পড়েছে তো তাই একটু জ্বলছে।

সাবনাজের ছোট ভাই এখান থেকে উঠে চলে যায়। আমি বুঝতে পারলাম সাবনাজের কাছে গিয়েছে। আমি মনে মনে ভাবতে থাকলাম সাবনাজের বাবা আর ভাই এখান থেকে যাক তারপর ভাবিকে একটা শিক্ষা দিতে হবে। না হলে এভাবে আর সম্ভব নয়।

আমি রান্না ঘরে গেলাম গিয়ে মাকে সাহায্য করছি। ভাবি এতো জঘন্য একটা কাজ করে নিজের রুমে চলে গিয়েছে। সাবনাজের হাত তো ভালো নেই এখন কাজ করতে পারবে না।আর মাহমুদা টিউশনিতে আছে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে‌। মেসে থাকতে রান্না করার অভ্যাস আছে তাই আর সমস্যা হলো না। মাহমুদা চলে এসেছে। আমাকে দেখে মাহমুদা হাসতে হাসতে বলে কী রে ভাই আজ থেকে বাসার কাজ করবি নাকি। আমি বললাম তুই উপরে গিয়ে দেখে আই আগে।

মাহমুদা উপর থেকে ঘুরে এসে বলে এটা কীভাবে হয়েছে ভাইয়া। সাবনাজ ভাবির হাত তো অনেকটা পুড়ে গিয়েছে। আমি বললাম সাইমা ভাবি সাবনাজ কে চা দিতে গিয়ে ভুল করে হাতে পড়ে গিয়েছে। তাই এমন হয়েছে।

মাহমুদা কর্কশ গলায় বলে। তোর কি এখনো মনে হয় এটা ভুল করে হয়েছে। এতকিছুর পরে এটা দাঁড়াই যে সাইমা ভাবি এটা ইচ্ছে করেই করেছে। এবার কিছু একটা করতে হবে তাছাড়া এভাবে চলবে না।

আমি বললাম চুপ কর। শান্ত হয়ে যা এতো উত্তেজিত হওয়ার ভালো না। বাসায় মানুষ আছে সাবনাজের বাবা আর ভাইয়া আছে। এই অবস্থায় আমি কোনো ঝামেলা সৃষ্টি চাচ্ছি না। এই বিষয়ে আর কিছু বলবি না। আমার কথা শুনে মাহমুদা রাগে রাগে নিজের রুমে চলে যায়।

সাবনাজের ভাই আমাকে ডেকে বলে একটু এদিকে আসবেন দুলাভাই। তারপর দুজন ছাদে গিয়ে কথা বললাম। সাবনাজের ভাই বলে আমি আপনার কষ্ট টা বুঝতে পারছি। আপনার বাবার হার্ট অ্যাটাকে আপনি অনেক কষ্টের মধ্যে আছেন। আর আপনি আমার বোনকে অনেক ভালোবাসেন এটাও জানি। কিন্তু আপনি আপনার স্ত্রীকে যতটুকু ভালোবাসেন আমিও কিন্তু একটা ভাই হিসেবে আমার বোনকে ততটুকু বা তার থেকে বেশি ভালোবাসি। কিন্তু আমার বোনকে আমি এভাবে এখানে কষ্ট পেতে দেখতে পারি না। নির্যাতিত হতে দেখতে পারি না। তাও আমাদের উপস্থিতিতে

আমি বললাম কেন কী হয়েছে? কে নির্যাতন করলো সাবনাজ কে?

দুলাভাই আপনিও বিষয় টা বেশ ভালো করেই জানেন আপনার বড় ভাবির বিষয়ে।

আমি মনে মনে ভাবলাম হয়তো সাবনাজ কিছু বলছে মনে হয় না হলে জানতে পারলো কীভাবে। আমি বললাম সাবনাজ কী কিছু বলেছে?

না দুলাভাই আপু কিছু বলে নাই। আপু যদি আগে বলতো তাহলে তো ভালোই হতো। কিন্তু সে তো মুখ বোজা নিজের কোনো চিন্তা নেই শুধু অন্যের চিন্তা করেই জীবন পার করে দিল। আজ সকালে যখন আপনার বড় ভাবি সাবনাজের হাতে গরম চা ফেলে দেয় তখন আপনারা কেউ খেয়াল না করলেও আমি তার মুখে খুশির ছাপ স্পষ্ট দেখতে পরেছি মনে হচ্ছে হাজার বছরের লুকানো প্রতিশোধ নিয়েছে আজ। আর আমি আপনার মাহমুদার কাছে থেকে কিছু টা হলেও জানতে পেরেছি আপনার ভাবির বিষয়ে।

আহ মাহমুদা আহ, কী একটা কাজ করছিস তুই। তোর এসব পাগলামির কারণে একটা সংসার ভেঙে যাবে। আমি বললাম তুমি চিন্তা করো না। এই বিষয় টা আমি সামলিয়ে নিব। আর এই কথা তুমি আর কাউকে বলো না।

আচ্ছা ঠিক আছে দুলাভাই আমি কাউকে বলছি না। আমি আপনার সম্পর্কে মাহমুদার কাছে থেকে অনেক কিছু শুনেছি আর আমার বোনকে অনেক ভালোবাসেন। আমি চাই না আমার পরিবার কিছু জানুক তারা যদি জানতে পারে তাহলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আর আমি এটাও চাই না আপনাদের ভালোবাসা সমাপ্তি ঘটাতে চাই না। আমি ঠিক করে নিব‌ কিন্তু আপু যদি কিছু বলে বাবাকে , তাহলে আমি কিন্তু কিছু করতে পারব না।

তারপর ছাদ থেকে সোজা মাহমুদার রুম চলে এসে বললাম তোর সমস্যা কী?

মাহমুদা বলল কেন ভাইয়া কী হয়েছে?

আমি তোকে বুদ্ধিমান মনে করতাম। আর বাসায় যা হয়েছে তুই সব সাবনাজের ভাইকে বলে দিয়েছিস। এখন যদি সে তার বাসায় সব বলে দেয় তাহলে একটা ঝামেলা সৃষ্টি হবে। ভাগ্য ভালো যে সাবনাজের ভাই তোর মতো বোকা না, আর সেই জন্যই এখনো কিছু বলে নাই।

আমি তো তেমন কিছু বলি নাই ভাইয়া। বড় ভাবির সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিল তাই আমি একটু বলেছি। আমি সত্যিই জানতাম না সে কিছু বুঝতে পারবে।

আচ্ছা বাদ দে এখন যা হওয়ার হয়েছে আর কিছু বলার দরকার নেই। সবকিছু আমাদের সমাধান করতে হবে। সাবনাজের বাবা আর ভাইয়া চলে যাক তারপর ভাবি ভাইয়া কে ডেকে সবকিছুর সমাধান করব মায়ের সামনে।

তুই তো আর কিছু জানিস না কী হয়েছে!

আবার কী হয়েছে ভাইয়া?

যেদিন সাবনাজের ফোন কল নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে সাইমা ভাবি সেদিন সাবনাজকে থাপ্পড় মেরেছিল ভাবি। কিন্তু আমাকে তখন কিছু বলে নাই সাবনাজ শুধু এই কারণে যে, ওই দিন সাবনাজের পরিবার থেকে মানুষ আসার কথা ছিল আমাদের বাড়িতে। তারা যদি এটা জানতে পারত তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।

বলিস কী ভাইয়া। আমাকেও তো কিছু বলে নাই। একটা মেয়ে কতটা খারাপ হলে অন্য একটি মেয়ের গায়ে হাত তুলতে পারে তাও আবার অন্য কারণে।

আমি কিন্তু এই কথাগুলো শুধু তোর সাথে বলেছি আর কাউকে বলি নাই। এমনকি মায়ের সাথেও না। বোকার মতো যেন আবার কাউকে বলবি না।

মাহমুদা অনুশোচনা নিয়ে বলে আচ্ছা ঠিক আছে বলব না। প্রথমবার ভুল হয়েছে এবার আর ভুল হবে না। এই ভুলের জন্য তুই আমার প্রতি যেন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলিস না প্লিজ। বলেই কান্না করে দেয়।

আমি হাত দিয়ে চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলি ধুররর পাগলি বোন আমার। ভুল তো মানুষের দ্বারা হয়। আর খারাপ সময়ে তুই আমার সাথে ছিলি সব সময়। আমি নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলব তাও তোর প্রতি না।

মাহমুদার কাছে থেকে বাবার রুমে গিয়ে দেখি কেউ নেই রুমে। বাবাও নেই শ্বশুর ও নেই। আমি মাকে গিয়ে বললাম বাবা কোথায় দেখছি না কেন?

তোর বাবার আর তোর শ্বশুর একটু নিচে গিয়েছে হাঁটতে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। সারাদিন শুয়ে থেকে থেকে পিঠে ব্যথা হয়েছে তাই গিয়েছে।

তুমি জানো বাবার অবস্থা খারাপ। হাঁটার দরকার হলে রুমে বা ছাদে হাঁটতে পারত। এখন বাইরে গিয়েছে আবার নিশ্চয়ই সিগারেট খাবে। আমি বাবাকে নিয়ে আর পারিনা। একটা কথাও শুনে না। আর তুমি বাবাকে কিছু না বলে বলে এমন হয়ে গেছে বাবা। তুমি যদি একটু শাসনে রাখতে তাহলে আজ এমন হতো না। আমি তো সিগারেটের গন্ধ একদম সহ্য করতে পারি না। বাবা কীভাবে খায় আল্লাহ জানে।

পিছন ঘুরে দেখি সিঁড়ি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নিচে নেমে আসছে সাবধান। আমি বললাম নিচে নেমে আসলে কেন।

উপরে আর ভালো লাগছে না একা একা যন্ত্রণা অনেকটা কমে গিয়েছে। অল্প একটু যন্ত্রণা করছে। মা একা একা রান্না করছে। আমি গিয়ে সাহায্য করছি।
মাহমুদা এসে বলে থাক ভাবি তোমার হাত পুড়ে গিয়েছে কিছু করতে হবে না। আমি আছি সাহায্য করছি। মাহমুদা বলে বাবা তো বাইরে গেছে দেখ আবার সিগারেট খেয়ে আসবে।

সাবনাজ বলে একা একা গিয়েছে না কী কারো সাথে বাইরে গিয়েছে?

আমি বললাম না একা যায়নি তোমার বাবার সাথে গিয়েছে বাইরে।

সাবনাজ হাসতে হাসতে বলে তাহলে আর চিন্তা করার দরকার নেই। আমার বাবা সিগারেট খাওয়া তো দূরের কথা গন্ধ সহ্য করতে পারে না। আশেপাশে কাউকে সিগারেট খাওয়া দেখলে আগে একটু জ্ঞান ঝেড়ে দিবে। আর সাথে কেউ গেলে তাকে খেতে দিবে না সমস্যা নেই। বাবাকেও(শ্বশুর) সিগারেট খেতে দিবে না।

আমি বললাম আমার বাবা যদি তোমার মতো হতো তাহলে অনেক ভালো হতো। একটা জিনিস কী জানো তোমাদের বাড়ির সবকিছু ভালো আমাদের মতো এমন না।‌ তোমার বাড়ির বড় ভাবির আচার আচরণ কত সুন্দর কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করে না। আর আমাদের বাড়ির বড় ভাবির দিকে তাকিয়ে দেখো সবসময় অন্যের ক্ষতি করার চিন্তা ভাবনা। সত্যি বলতে তোমাদের বাড়িতে যেই দুইদিন ছিলাম অনেক ভালো সময় কেটেছে। কিন্তু এখানে এসে মনে হচ্ছে শয়তানের আড্ডা খানায় চলে এসেছি। আমি শুধু মা বাবা আর আমার বোনের জন্য এখানে আছি।১৩৮৫

দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আমার সব কথা শুনছিল কিন্তু আমি বা কেউ খেয়াল করি নাই। কারণ আমরা যে পজিশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম তার ঠিক পিছনে ভাবির ঘরের দরজা। সেই জন্যই আমরা কেউ খেয়াল করি নাই। ভাবির কথা শুনে আমি পিছনে ফিরে তাকালাম। ভাবি আমাকে বলে,,,,,,,,,,

চলবে,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

নারীর সতীত্ব পর্ব-১১

0

#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_১১
Wohad Mahmud

ভাবি তখন বলে তখন টাকা ছিল না মা। থাকলে অবশ্যই দেয়া হতো।

আমি তখন হাসতে হাসতে বললাম তার পরেই তো বোনের শপিং এর জন্য টাকা দিলেন বিকাশ করে এটাও তো সঠিক, এটা কেন বলছেন না ভাবি মায়ের কাছে?

ভাইয়া কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি মা বলে আমি তোমার থেকে কিছু শুনতে চাই না। এখানে যা বলার মাহমুদা বলবে। আমি জানি মাহমুদা কখনো মিথ্যা বলবে না। কাল রাতে মাহমুদ যা বলেছে সেটা কি সত্যি মাহমুদা?

হ্যাঁ মা আমি বড় ভাইয়ার কাছে গিয়েছিলাম ফর্ম ফিলাপ এর টাকা নিতে কিন্তু, ভাবি মানা করে দেয়, বলে এখন টাকা নেই বাবার থেকে নিতে। কিন্তু বাবাই বড় ভাইয়ার কাছে থেকে নিতে বলেছিল‌। কিন্তু আমি আবার কীভাবে গিয়ে বাবার থেকে টাকা চাইতে পারি। বাবার কাছে যদি টাকা থাকতো তাহলে বাবাই আমাকে দিয়ে দিত। সে জন্যই আমি বাবার কাছে টাকা চেয়েছিলাম না। মাহমুদ ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম। আর মাহমুদা ভাইয়া টাকা দিয়েছিল। আর বলেছিল টাকা আমি দিয়েছি এটা যেন, কেউ জানতে না পারে। আমি বলে দিতে চাইলে বলে না, বলতে হবে না। মা বাবা জানলে ভাইয়া আর ভাবি মা বাবার সামনে খারাপ হয়ে যাবে।

ভাবি তখন বলে সব ঠিক আছে তখন টাকা ছিল না। থাকলে অবশ্যই দিতাম। কিন্তু এটা ভুল আমার বোনকে টাকা দিয়েছি শপিং এর জন্য। মাহমুদা ও তো আমার বোনের মতো একদম। কেন আমি তার সাথে এমন করব।

আমি বললাম প্রমাণ ছাড়া কথা বলি না। নিচের গিয়ে ভাইয়া যখন টাকা দেয় তখন আমি দোকানের পাশে বসে চা খাচ্ছিলাম তখন তুমি এসে টাকা পাঠালে আর ভাবি কে ফোন দিয়ে বললে তোমার বোনের শপিং এর টাকা দিয়ে দিছি আর বাসায় যেন এটা কেউ না জানতে পারে । কারণ মাহমুদার টাকা দিতে দাও নাই তুমি কাল এই শপিং এর টাকা দেওয়া কারণে। তারপর অফিসে চলে গেল ভাইয়া। এটাও কি মিথ্যা কথা বললাম আমি?

ভাইয়া আর ভাবি কোনো কথা বলছে না। নিচের দিকে তাকিয়ে আছে লজ্জা মুখ নিয়ে।

মা তখন বড় ভাইয়াকে বলে। তুমি কাকে কী দিবে না কি সেটা তোমার ব্যাপার। কিন্তু যেটা আগে প্রয়োজন সেটা আগে করতে হবে। মনে আছে তুমি যখন চাকরি পেয়েছিলে তখন বলেছিলাম আজ থেকে তোমার ছোট বোনের দায়িত্ব তোমার উপর। তুমিও বলেছিলে আমি কখনো আমার বোন কে অভাব বুঝতে দিব না।‌ কিন্তু তুমি তোমার কথা রাখতে পারনি। নিজের শালি কে শপিং এর টাকা দিতে পারো কিন্তু নিজের বোনের ফর্ম ফিলাপ এর টাকা দিতে পার না। দিতে মানা নেই, কিন্তু শপিং এর টাকা পরে দিতে পারতে। বিয়ের আগে একদম এমন ছিলে না। তুমি তোমার বউয়ের গোলাম হয়ে গিয়েছো। কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল সেটা তোমার মনে নেই।

সত্যিই আমাকে অনেক মর্মাহত করেছো। কিছু বলার নেই আমার। আগে তোমার দুজন আমার কাছে যেমন রত্নের মতো ছিলে এখন আর নেই। মন থেকে তোমাদের প্রতি যেমন ভালোবাসা ছিল সেটা আর এখন থাকবে না। যা থাকবে শুধুমাত্র মানুষ দেখানো। কথাটা শেষ করার সাথে সাথে মায়ের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। চোখের পানি যাতে কেউ দেখতে না পারে সেজন্য মা উঠে চলে যেতে চাইলো। মায়ের চোখের জল কেউ দেখতে না পারলেও আমি দেখতে পেরেছি।

আমি আর মাহমুদা ও ওখান থেকে উঠে চলে আসলাম। ভাইয়া আর ভাবি চুপ করে বসে আছে লজ্জা মুখ নিয়ে। আর কি বলবে, বলার মতো কোনো মুখ নেই। সব সত্য আজ বাহিরে হয়ে গিয়েছে। সে জন্যই বলে সত্য কখনো চাপা থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই।

রাত হয়ে গিয়েছে আমি রুমে এসে সাবনাজের সাথে কথা বলছিলাম। তখন মাহমুদা আমার রুমে এসে বলে। আজকের বিষয় টা একদিক থেকে যেমন ভালো হয়েছে ঠিক অন্যদিক থেকে খারাপ হয়েছে।

আমি বললাম কেন, আবার কী ভালো হয়েছে আর কী খারাপ হয়েছে?

মাহমুদা বলে আজ সত্য টা মায়ের সামনে চলে এসেছে। আর মা বাবাকেও বলে দিবে ভাইয়া ভাবির এই কথা। এতদিন তোর প্রতি মায়ের যে অবহেলা ছিল সেটা আর থাকবে না।

আর খারাপ হলো এটা জানার পরে মা অনেক কষ্ট পেয়েছে। আজ দ্বিতীয় বার আমি মায়ের চোখে পানি দেখলাম। বাবার হার্ট অ্যাটাক এর সময় আর আর ভাইয়ার এই কথা শোনার পর। আজ আমি অনেক ভালো করেই বুঝতে পারছি কেন সেদিন আমাকে মানা করছিলি এই কথাটা যেন মা বাবা না জানতে পারে।

কিন্তু চিন্তা হচ্ছে। বাবা হার্ট অ্যাটাক করছে একবার। যদি এই কথা শোনার পরে আবার যদি বাবার খারাপ কিছু হয়ে যায় তখন কী হবে?

আমি তখন বললাম চিন্তা করার দরকার নেই বাবার কিছুই হবে না আর কিছুই জানতে পারবে না।

কেন জানতে পারবে না? মা তো অবশ্যই এই কথা বাবাকে বলবে। কারণ মা কোনো কথা বাবার থেকে লুকিয়ে রাখে না।

কারণ মায়ের কিছুটা হলেও এসব বিষয়ে জ্ঞান আছে। মা জানে এসব শুনলে বাবার অবস্থা আরো খারাপ হয় যাবে। আর সেই জন্যই তো বাবার রুম থেকে বাহির এসে আমাদের সাথে কথা বলল। মা জানে এসব কথা শুনলে বাবা অনেক কষ্ট পাবে আবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই জন্যই বাবার সামনে কিছু বলে নাই।

মাহমুদার সাথে কথা বলে আমি মায়ের কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি বাবা ঘুমিয়ে আছে। আর মা বাবার পাশে বসে নিরবে কান্না করছে।

আমার আসা দেখে তাড়াতাড়ি করে চোখ পানি মুছে বলে আই বাবা এখানে এসে বস।

আমি গিয়ে মায়ের পাশে বসলাম। মায়ের হাত ধরে বললাম তোমার একটা ছেলে দূরে সরে গিয়েছে কী হয়েছে? কিন্তু অন্য একটা ছেলে সর্বদা তোমার পাশে আছে আর থাকবে।আমি জানি তুমি ভাবছো, বড় ভাইয়া বিয়ের আগে এমন ছিল না কিন্তু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। নিজের বাবা মা আর বোনের কোনো খোঁজ খবর নেই না। ছোট ছেলেও যদি এমন পরিবর্তন হয়ে যায় তখন কী হবে। কিন্তু মা তুমি আমার উপর বিশ্বাস রাখো আমি কোনোদিন পরিবর্তন হবো না। আগে যেমন ছিলাম ঠিক তেমন থাকব।

মা বলে আমার নিজের কোনো চিন্তা নেই। তোর বাবার জন্য চিন্তা হচ্ছে অনেক। আমি চাই এসব বিষয়ে তোর বাবা কিছু না জানুক। কারণ যদি জানে তাহলে অনেক বড় সমস্যা হবে। সব সময় হাসিখুশি থাকতে হবে।

আমি বললাম চিন্তা করার দরকার নেই কিছু হবে না।‌ তুমি এখন ঘুমিয়ে যাও অনেক রাত হয়েছে। কালকে কথা হবে। আমি মায়ের রুমে থেকে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। তারপর সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাজারে করতে গেলাম। বাজার থেকে এসে দেখি সাবনাজের বাসা থেকে মানুষ এসেছে। সাবনাজ, সাবনাজের ছোট ভাই আর বাবা এসেছে। আমি কাছে গিয়ে সবাইকে সালাম দিলাম। সাবনাজ বাবার কাছে গিয়ে বসে আছে। আমিও গেলাম আমার সাথে সাবনাজের ভাই ও বাবা যায়। আর মা বাজার নিয়ে রান্না ঘরে যায়।

সাবনাজ বাবার ঔষধ খাওয়াচ্ছে। রান্না ঘরে মা একা আছে। মাহমুদা নেই টিউশনিতে আছে। অন্য সময় হলে ভাবি কে গিয়ে ডেকে নিয়ে আসত কিন্তু কালকের ঘটনার জন্য যায়নি। মা সবার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আসছে। তখন ভাবি এসে বলে আমার কাছে দেন আমি‌ গিয়ে দিয়ে আসছি। মা দুই বার বলল থাক আমি নিয়ে যেতে পারব। কিন্তু এক প্রকার জোর করেই নিয়ে যায়। হাতে নিয়ে বলে মা ‘চা’ তো অনেক ঠান্ডা গরম করে নিয়ে আসি।

মা রাগে রাগে বলে যেটা ভালো মনে হয় সেটা করো।

চা গরম করে নিয়ে এসে একে একে সবাই কে চা দেয়। সাবনাজকে চা দিতে যাবে তখন সাবনাজ বলে থাক আমার চা লাগবে না ভাবি। তাও জোর করে দেওয়ার সময় গরম চা সব হাতের উপরে ফেলে দেয় হাত পুড়ে যাওয়ার মতো হয় আর বাকিটা শাড়িতে পড়ে। তারপর ভাবি ওহ স্যরি স্যরি ভুল করে পড়ে গিয়েছে। সাবনাজ কিছু বলে দৌড়ে বাথরুমে চলে যায়।

আমার বুঝতে বাকি রইল না। ভাবি এটা ইচ্ছে করে করছে। কিন্তু প্রমাণ নেই। সবাই ভাবছে এটা ভুল করে হয়েছে। আর এমন ভাবে স্যরি বলছে আর দুঃখ প্রকাশ করছে মনে হচ্ছে ভুল করে হয়েছে। আর যে কেউ বিশ্বাস করে ফেলবে এটা ভুল করে হয়েছে। কারণ আমি এই জল্লাদ মহিলাকে বেশ ভালো করেই চিনি।

সাবনাজের বাবা আর ভাই সাবনাজের পিছনে যেতে চাইলে আমি বলি আপনারা বসেন আমি গিয়ে দেখছি। আমি গিয়ে দেখছি কী হয়েছে। গিয়ে দেখি হাতে পানি ঢেলছে আর যন্ত্রণায় চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আমি তাড়াতাড়ি করে ফ্রিজ থেকে বরফ নিয়ে এসে সাবনাজের হাতে লাগিয়ে দিলাম। তারপর আমার রুমে নিয়ে টেবিল ফেনের নিচে রাখলাম সাবনাজের হাত যাতে যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কমে যায়। ঘরে মলম ছিল তারপর হাতে লাগিয়ে দিলাম। চা টা অনেক গরম ছিল হাত ফুলে গিয়েছে আর চামড়া কিছুটা ঝলসে যাওয়া মতো হয়েছে।

এবার আমি বুঝলাম ভাবি কেন তখন বলল চা অনেক ঠান্ডা আর গরম করতে হবে। এই পরিকল্পনা ভাবি মনে আগে থেকেই ছিল ভাবির মনে। কাল রাতের অপমানের বদলা সাবনাজের উপর দিয়ে তুলছে। তারপর চা আরো গরম করে নিয়ে এসে এমন জঘন্য কান্ড ঘটিয়েছে।

শাড়িটা চা পড়ে খারাপ হয়ে গিয়েছে চেঞ্জ করতে হবে কিন্তু সাবনাজ তো চেঞ্জ করতে পারবে না। হাত দিয়ে কিছু ধরতে পারবে না। কোনো উপায় না পেয়ে আমি চেঞ্জ করিয়ে দিলাম। চেঞ্জ করা শেষ হলে আমি বলি তুমি এবার রেস্ট নাও , মলম দিয়ে দিছি ঠিক যাবে তুমি খুব তাড়াতাড়ি। সাবনাজ আমাকে বলে প্লিজ তুমি,,,,,,,

চলবে,,,,,?

নরীর সতীত্ব পর্ব-১০

0

#নরীর_সতীত্ব
#পর্ব_১০
Wohad Mahmud

এটাই ছিল আজ বিকালের কাহিনী। আর আমি সেই জন্যই সাবনাজ কে কিছু বলি নাই আর সাথে করেও নিয়ে আসি নাই।

মাহমুদার সাথে কথা বলে আমি ঘুমিয়ে গেলাম। হঠাৎ সাবনাজের কলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ফোন রিসিভ কররা সাথে হঠাৎ নিচে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনতে পেলাম। তারপর তাড়াতাড়ি করে নিচে গেলাম। নিচে গিয়ে দেখি ভাইয়া , মাহমুদা আর মা কান্না করছে বাবার রুমে। আমিও তাড়াতাড়ি করে বাবার রুম গেলাম। গিয়ে দেখি বাবার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে, বমি করার মতো করছে,বুক ধড়ফড় করছে আর গা দিয়ে ঘাম ঝড়ছে‌

আমার আর বুঝতে বাকি রইল না হার্ট অ্যাটাক করেছে বাবা। বাবার এমন অবস্থা দেখে আমিও থাকতে পারলাম না আমিও জোরে কান্না করে দিলাম।

ভাইয়াকে বললাম এ্যাম্বুলেন্সে খবর দিতে হবে তাড়াতাড়ি। ভাইয়া বলল দিয়েছি আমি। চলে আসবে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই। তারপর বাবাকে ধরে রুমের বাহিরে নিয়ে আসলাম। বাবার মুখে হাওয়া দেয়ার চেষ্টা করলাম আর শক্ত জায়গায় শুইয়ে দিয়ে জামা টা খুলে দিলাম। বমি ভাব হওয়ার কারণে এক দিকে কাত করে দিলাম যাতে ভালো মতো বমি হয়ে যায়।আমার অনেক চিন্তা হচ্ছে এক ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নিতে হবে না হলে বড় একটা সমস্যা হবে। আর বাসায় যা করার দরকার আমি সব করেছি। এখন জরুরি হাসপাতালে নিতে হবে।

দশ মিনিটের মধ্যে এ্যাম্বুলেন্স চলে আসে। তারপর বাবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই। যেই ডাক্তার আমার বাবার চিকিৎসা করল সেই ডাক্তার আবার আমার শিক্ষক ছিলেন। স্যার আমাকে একপাশে ডেকে বললেন, তুমি একজন ডাক্তার কিন্তু তোমার দ্বারা এসব ভুল হওয়ার কথা না মাহমুদ।

আমি বললাম কেন স্যার? আমার দ্বারা কোনো ভুল হয়েছে কি স্যার।

তুমি কি জানতে তোমার বাবা সিগারেট খায়?

হ্যাঁ স্যার জানতাম আমি।

তাহলে তোমার উচিত ছির তোমার বাবাকে সিগারেট থেকে পরিত্রাণ কারানো‌। কারণ এই সিগারেট তোমার বাবার জীবন আস্তে আস্তে শেষ করে দিচ্ছে।

আমি বললাম স্যার অনেক বুঝিয়েছি আমি বাবাকে, যাতে সিগারেট না খায় বাবা। শুধু আমি না পরিবারের সবাই নিষিদ্ধ করছে। কিন্তু বাবা কথা শুনে না আগের থেকে কমিয়ে দিয়েছে প্রতিদিন একটার বেশী খায় না। অনেকদিনের অভ্যাস আমিও আর জোর করি নাই‌

স্যার বলল, আচ্ছা যা হয়েছে হোক আর যাতে সিগারেট না খাই সেদিকে লক্ষ্য রাখবে। রেস্টে থাকতে বলবে ভারি কাজ করতে দিবে না।

আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে স্যার। আমি আমার দিক দিয়ে বাবাকে সুস্থ করার জন্য চেষ্টা করব। আর আল্লাহ যেটা করবে সেটাই হবে। আমি কি আজ বাবাকে সাথে করে বাসায় নিয়ে যেতে পারি।

হ্যাঁ আজ বিকালে নিয়ে যেতে পারো। সকাল তো প্রায় হয়ে গিয়েছে।

বিকালে বাবাকে নিয়ে বাসায় আসলাম। তারপর বললাম তুমি রেস্ট নাও তোমার সাথে কথা আছে।

সারারাত জেগে সারাদিন কাজে করে অনেক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। আমিও ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপর তারপর রেস্ট নিব। ফোন টা হাতে নিয়ে দেখি ৫০ মিসড কল। সাবনাজ দিয়েছে সব কল। এতক্ষণে আমার মনে পড়ে কাল ফোন রিসিভ করেই কথা না বলে আমি নিচে গিয়েছিলাম। ফোন রিসিভ করেছিলাম কিন্তু কথা হয়নি। তারপর থেকে অনেক গুলো কল দিয়েছে সাবনাজ। অতঃপর একটা মেসেজ ও দিয়েছে। কল ধরে কথা বললে না এতগুলো কল দিলাম রিসিভ করলে না। মনে হয় কোনো সমস্যায় আছো। সময় হলে একটা কল দিও আমাকে।

আমি তো মনে করছিলাম আমার এমন করাতে সাবনাজ রাগ করবে কিন্তু এখানে দেখছি অন্যরকম। যাক ভালো হয়ে এমন সমস্যা বুঝতে পারা মানুষ আমার অনেক প্রয়োজন। আমি চেয়েছিলাম না আমার জীবনে এমন কেউ আসুক যে আমার সমস্যা না বুঝে উল্টা রাগ করবে। আমি চেয়েছিলাম কেউ আমার সমস্যা গুলো গভীর থেকে ভেবে দেখুক আর সেটাই পেয়েছি।

তারপর সাবনাজ কে ফোন দিলাম।

সাবনাজ ফোন ধরে। কেমন আছো মাহমুদ তুমি। সেই রাত থেকে ফোন দিচ্ছি। ফোন রিসিভ করো না আবার ব্যাক করো না। কোনো সমস্যা হয়নি তো। তুমি ঠিক আছো তো বাসায় সবাই ঠিক আছে?

আমি বললাম শান্ত হও তুমি আগে সব বলছি আমি আস্তে আস্তে। তুমি রাতে যখন ফোন দাও তখন ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে নিচে হৈচৈ এর শব্দ শুনতে পাই। আমি তাড়াতাড়ি করে নিচে নেমে যাই। নিচে গিয়ে দেখি বাবা হার্ট অ্যাটাক করেছে। তাড়াতাড়ি করে বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আসলে তোমাকে কিছু বলার সুযোগ পাইনি। হঠাৎ করে সব কিছু হয়ে গিয়েছে। আর কাছে ফোন ছিল না সে জন্যই তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারি নাই। আর তুমি ফোন দিয়েছে সেটাও জানি না। কিছুক্ষণ আগে বাসায় এসে ফোন হাতে নিয়ে দেখি তুমি অনেকগুলো ফোন দিয়েছ।

আচ্ছা এসব কথা বাদ দাও যা হওয়ার হয়েছে। আমি ও বুঝেছিলাম কোনো সমস্যা হয়েছে, কিন্তু এতোবড় সমস্যা হয়েছে বুঝতে পারি নাই। আচ্ছা বাবা কেমন আছে এখন?

আলহামদুলিল্লাহ। এখন কিছুটা ভালো আছে। যথা সময়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাবধানে থাকতে বলছে।

আমি আজ তাহলে চলে আসছি মাহমুদ। বাবা অসুস্থ সেবাযত্ন করতে হবে।

আমি বললাম না থাক, আজ আসতে হবে না সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। আসতে আসতে অনেক রাত হয়ে যাবে। কাল সকালে গিয়ে আমি তোমাকে নিয়ে আসব। নিয়েই চলে আসব। বেশিক্ষণ থাকব না।

না মাহমুদ তোমাকে আসতে হবে না। তুমি বাবার কাছে থাকো। আমি আমার ছোট ভাইয়ের সাথে কালকে চলে আসতে পারবো। সমস্যা হবে না কোনো।

আমি আর জোর করলাম না। আমাকে বাবারা কাছে থাকতে হবে। তারপর সাবনাজের সাথে কথা শেষে করে, রেস্ট নিয়ে বাবার কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি বাবা বসে আছে বালিশে হেলান দিয়ে। আমি বললাম এখন তোমার শরীর কেমন আছে বাবা?

আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। বুকে ব্যথা একটু আছে এখনো।

আমি বললাম ডাক্তার বলেছেন তুমি অনেক সিগারেট খাও। এই সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে। তোমার জন্য না হয় অন্তত আমাদের সবার দিকে তাকিয়ে সিগারেট খাওয়া টা বন্ধ করে দাও। অনেক সিগারেট খেয়েছেন আরো খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ও আছে। তোমাকে ছাড়া আমরা সবাই অচল হয়ে যাব বাবা।

ভাবি পিছন থেকে বলে আর কত মাহমুদ এবার তো নিজের বউ কে নিয়ে আসবে। না কী এখানে আসতে ভয় করছে পরিবারের কাজ করতে হবে বলে। আমি বুঝিনা নিজের শ্বশুর তো বাবার মতো হয় এতো কিছুর পরেও কীভাবে না এসে থাকতে পারে। আর পরিবারের লোকজন বা কেমন নিজেরা না আসলে তো মেয়ে দিয়ে পেটাতে পারে।

আমি মনে মনেই বললাম এই মহিলার লজ্জা হবে না। কাল এতকিছু বলার পরেও ফটর ফটর করে কথা বলছে। লজ্জা বলতে কিছু নেই। আমি উঠে দাড়িয়ে বললাম। বাসায় তো আরো একটা বউ আছে। সে কী এই দেশের রানী? নিজের শ্বশুর তো বাবার সমতুল্য হয় তাহলে কই তাকে তো দেখলাম না শ্বশুর কে সাহায্য করতে। রাতে যখন বাবার হার্ট অ্যাটাক হয় তখন চোখ দিয়ে একফোঁটা পানিও পড়তে দেখলাম না। বাবার কাছে এগিয়ে আসতে দেখলাম না।

আর হ্যাঁ সাবনাজকে আমি কিছুক্ষণ আগে জানালাম বাবার এমন অবস্থার কথা। আমি ফোন দিয়েছিলাম না। কারণ রাতে তাড়াতাড়ি করে ফোন নিয়ে যেতে পারি নাই। কিছুক্ষণ আগে ফোন দিয়েছিলাম আজকে, এখনি আসতে চেয়েছিল কিন্তু আমি আসতে মানা করেছি অনেক রাত হয়ে যাবে আসতে‌। আমাকে বলেছে বাবার কাছে থাকতে। কালকে ওর ভাইয়ের সাথে আসবে। আমি আর কিছু বলতে চাই না। আবার এমন অবস্থা চিন্তা করলে বাবার পক্ষে সেটা ভালো হবে না।

রুম থেকে চলে আসব তখন মা বলে বাইরে অপেক্ষা কর মাহমুদ, মাহমুদা, বউমা তুমি থেকো। আমরা সবাই মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণ পরে মা এসে বলে। মাহমুদা তোর বড় ভাইকে ডেকে নিয়ে আই। মাহমুদা গিয়ে বড় ভাইকে ডেকে নিয়ে আসে।

তারপর মা বলে কাল রাতে মাহমুদ যেটা বলল সেটা সঠিক।

বড় ভাইয়া বলে কোন কথা।

মা বলল ফর্ম ফিলাপ এর টাকা দিয়েছিলে না মাহমুদা কে?

ভাবি তখন বলে তখন টাকা ছিল না মা। থাকলে অবশ্যই দেয়া হতো।

আমি তখন হাসতে হাসতে বললাম তার পরেই তো বোনের শপিং এর জন্য টাকা দিলেন বিকাশ করে এটাও তো সঠিক, এটা কেন বলছেন না ভাবি মায়ের কাছে?

ভাইয়া কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি মা বলে,,,,,

চলবে,,,

নারীর সতীত্ব পর্ব-০৯

0

#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_০৯
Wohad Mahmud

দুই ঘন্টা জার্নির পরে আমি বাড়িতে পৌঁছে কলিং বেল বাজালাম। কিছুক্ষণ পরে দরজা খুলে দেয়। দরজা টা আর কেউ না ভাবি খুলে দিচ্ছে। বুঝলাম না আজ অন্যরকম কেন হলো। ভাবি আজ প্রায় দুই বছর আমাদের এখানে আছে কোন দিন দেখলাম না গেট খুলে দিতে আজ হঠাৎ গেট খুলে দিচ্ছে বুঝলাম না। দরজায় দাঁড়িয়ে আমার পিছনে কি যেন খুঁজছে ট্যারা চোখে। আমি বললাম এভাবে চোরের মতো করে কী খুঁজছেন বাহিরে।

ভাবি বলল কিছু না এমনিতেই দেখলাম আর কেউ এসেছে কী তোমার সাথে। আর আমি চোরের মতো কই খুঁজছি। এখন আমাকে চোর বলার মানে কী। আমাকে দেখে কী চোর মনে হয়।

কিছু না ভাবি এমনিতেই বললাম। আমি মনে মনেই বললাম। আমি তো ভালোই বুঝতে পারছি কী হয়েছে ভাবি আর কিছু খুঁজছেন চোরের মতো করে। সাবনাজ কে খুঁজছেন আপনি। তারপর মুচকি হেসে চলে আসলাম।

তারপর সরাসরি আব্বুর রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে দেখি আব্বু সেই। মা আর মাহমুদা বসে আছে। আমি বললাম বাবা কোথায় আছে। রুমে দেখছি না কেন? বাবা তো অসুস্থ তাহলে কোথায় গেল।

মাহমুদা বলল বাবা ওয়াশরুমে আছে।

আচ্ছা তাহলে বাবা আসুক আমি ততক্ষণে বাবার জন্য অপেক্ষা করি।

আরে না না , তুই অনেক পথ জার্নি করে এসেছিস ফ্রেশ হয়ে তারপর এসে বাবার সাথে দেখা করিস।

তারপর রুমে চলে আসলাম আমি। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম আমি। তারপর আবার বাবার রুমে গেলাম। রুমে গিয়ে দেখি বাবা দিব্যি রুমের মধ্যে হাঁটাচলা করছে।

আমি বললাম এটা কী বাবা তোমার তো এক্সিডেন্টে হয়েছিল পায়ের হাড় সরে গিয়েছিল। এমন হলে তো তুমি হাঁটাচলা করতে পারবে না। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব তুমি দিব্যি হাঁটাচলা করছ।

আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে বাবা। তখন মা আর মাহমুদা ঘরে আসল। আমি মাহমুদা কে বললাম কিরে কী হয়েছে, আমাকে মিথ্যা কেন বললি। আমি ঠিক আছে কোনো এক্সিডেন্ট হয়নি।

মাহমুদা বলে তোর জন্য খুশির সংবাদ আছে ভাইয়া।

আমি বললাম কিসের খুশির সংবাদ আবার। এমনিতেই মিথ্যা বলে বাড়িতে নিয়ে এসেছিস আবার। এখন মনে হয় আবার মিথ্যা শান্তনা দিচ্ছিস খুশির সংবাদ বলে।৩০৮

এক সপ্তাহ আগে তুই একটা চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলি ভাইয়ার অফিসে মনে আছে?

হ্যাঁ মনে আছে। আর কতই তো ইন্টারভিউ দিলাম। শুধু টাকা চায়। কোনো রকম একটা চাকরি পেয়েছিলাম। কেন এটাও রিজেক্ট হয়ে গেছে?

আরে না অ্যাপার্টমেন্ট লেটার দিয়েছে। এক সপ্তাহ পরে থেকে জয়েন করতে বলেছে। তোর নতুন বিয়ে হয়েছে তাই বড় ভাইয়া কথা বলে এক সপ্তাহ পরে জয়েন করানোর কথা বলেছে। আর বাবাও এক্সিডেন্টে করেছিল। তেমন সমস্যা হয়নি অটোর সাথে ধাক্কা লেগেছিল। ঔষধ খাচ্ছে ব্যথা অনেক টা কমে গেছে।

রাতে সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করছি। আর বাবা বাইরে গিয়েছে একটু চা খেতে। তখন ভাইয়া বলল তোর বড় ভাবি হয় একটু সম্মান দিয়ে কথা বলিস। চোর বলাটা ঠিক হয়নি তোর।

আমি মনে মনে হাসলাম বাহ ভাইয়া আসতে না আসতেই নালিশ করা হয়ে গিয়েছে। ভাবি সামান্য সামান্য বিষয় নিয়ে বড় বড় রিয়েক্ট করে। আমি হাসতে হাসতে ভাইয়া কে বললাম আরে আমি তো মজা করে বলছি। বড় ভাবি হয় আমার, আমি একটু ভাবির সাথে মজা করে কথা বলব নাতো কে বলবে। আমি এই বিষয় টা হেঁসে উড়িয়ে দিলাম। আমি বুঝতে পারছি এসব সামান্য বিষয় নিয়ে আমার আর ভাইয়ার মধ্যে একটা খারাপ সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমাদের মধ্যে এই সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট করতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি তা কখনো হতে দিব না। ৪৯০

খাওয়া দাওয়ার মাঝামাঝি অবস্থায় ভাবি বলল সাবনাজ আসল না কেন মাহমুদ।

আমি জানতাম এই কথাটা বলবেই ভাবি। সাবনাজ কেন আসল না এটা জানতে চাইবে। আমি মুচকে হেঁসে বললাম। সাবনাজের আসার কী দরকার আজকে আবার‌। এমনিতেই তো দুই তিনদিন পরে চলে আসবে।

ভাবি তখন বলল তোমাকে তো বলা হয়েছে বাবা এক্সিডেন্ট করছে তাও কেন আসল না। বাবার এক্সিডেন্টের কথা শুনে তো আসা দরকার ছিল। বাবা কেমন আছে সেটা দেখতে সাবনাজের আসা দরকার ছিল।

আমি বললাম বলা হয়েছিল বাবার পায়ের হাড় সরে গিয়েছে কিন্তু সেটা তো হয়নি। মিথ্যা বলা হয়েছিল আমার সাথে, আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য।

তখন তো তুমি জানতে না মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আসলে এমন একটা মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে যার আদব কায়দা কিছু শেখা নেই। এসব মেয়েগুলো কোথা থেকে যে আসে। এসব মেয়েদের কারণে আমাদের মতো মানুষের বদনাম।

আমি বললাম অনেক হয়েছে ভাবি আপনার এসব আজাইরা মার্ক কথা শুনতে শুনতে আমার ধৈর্য পার হয়ে গিয়েছে। আমি আসার সময় দরজা কেন খুলতে গেলেন আগে আগে বলেন তো আমকে।

ভাইয়া তখন বলে মাহমুদ মানুষের মতো কথা বল অমানুষের মতো না। গেট খুলতে গিয়েছে তো এখানে কী অপরাধ হয়েছে হ্যাঁ?

আমি মুচকি হেসে বললাম। অপরাধ কিছু হয়নি। আজ দুই বছরে তো এর আগে কখনো গেট খুলে নাই। আর গেট খুলে চোরের মতো দেখেছিল আমার পিছনে সাবধান আছে কী? মনে মনে চাচ্ছিল সাবনাজ যাতে না আসে। তাহলে বাড়ির সবার সাথে আমাদের নামে কাটি মেরে কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাবে আর এখন বাবার প্রতি দরদ দেখাতে আসছে।

মা গালে থাপ্পর মেরে বলে তোর বড় ভাবি হয় এভাবে কথা বলতে লজ্জা করছে না। আর ঠিকই তো বলছে সাবনাজের মধ্যে কোনো আদব কায়দা নেই। শ্বশুরের এক্সিডেন্টের কথা শুনে, না এসে কীভাবে থাকতে পারল।

সামান্য বিষয় নিয়ে এমন কেন করছো তোমরা। সব সময় যেটা দেখা যায় সেটা হয় না, আর যেটা দেখা যায় না সেটা হয়। এখন সবকিছু দোষ আমাদের।

তোমার বড় ছেলে তার শালির পিছনে সব কিছু খরচ করে। যখন যা দরকার হয় দেয়। কিন্তু যখন নিজের বোনের বেলায় আসে তখন তোমার বড় ছেলের কাছে এক টাকাও থাকে না। ফরম ফিলাপ না করতে পারলে পরিক্ষা দিতে পারবে না এটাও জেনেও তোমার বড় ছেলের বউ বলে টাকা নেই এখন দিতে পারবে না। আর সেটা শুনেই তোমার ছেলে নিজের বোনের টাকা দিতে পারে না। কিন্তু তার পরেই শালির শপিং এর জন্য টাকা তো ঠিকই দিতে পারে। বেকার থেকেও বোনের ফরম ফিলাপ এর টাকা দিতে হয়। কিন্তু তোমাদের চোখে আমার কোনো মূল্যে নেই। সবকিছুর মূল্য পাবে বড় ছেলে বড় বউ। এটা বলেই উঠে পড়লাম আমার দেখাদেখি ভাইয়া ও উঠে পড়ল। তারপর আমাকে বলে —

আজকের ব্যবহার টা তুই অনেক খারাপ করলি মাহমুদ। বড়দের সম্মান দিতে শিখলি না।

বউ এর কথা শুনে চললে বউ এর পিছনে পিছনে চলে যে ছেলে নিজের পরিবার কে দূরে ঠেলে দেয় সে আবার সম্মানের কথা বলে। বিষয় খুব হাস্যকর হয়ে যায়। এসব করে সম্মানের কথা বাদ দিয়ে হাতে চুড়ি পরে ঘরে বসে থাকেন কাপুরুষের মতো।

ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে এসে থাপ্পড় মারতে যাবে ঠিক সেই সময় আমি ভাইয়ার হাত ধরে ধাক্কা দিয়ে রুমে চলে আসলাম।

রুমে এসে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলাম মন খারাপ করে। যতসব হয়েছে ভাবির জন্য। সাবনাজের কথা না তুললে এমনটা হতো না। ভাবি সবার মাথার মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে। আর সবাই তার কথা মতো চলছে। সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সাবনাজ কে ফোন দিলাম কিন্তু কয়েকবার দেওয়া পরেও ফোন রিসিভ করছে না। মনে হয় অনুষ্ঠানে আছে। সাবনাজের ফোন কাছে নেই মনে হয়।

ছোট বোন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলে আসব ভাইয়া।

আমি বুঝতে পারলাম আজকের ঘটনা নিয়ে ভয় পেয়ে আছে। আমি বললাম চলে আই।

মাহমুদা কান্না করতে করতে বলল সব দোষ আমার। তুই সত্যি টা বলে দিলি কেন?

আমি বললাম যেটা করেছি ভেবে চিন্তে করেছি। এমনিতেই বাসায় মা আর ভাবি আমাকে একদম সহ্য করতে পারে না। এর যদি আমি সত্যি টা বলে দিই তাহলে তুই ও তাদের চোখে খারাপ হয়ে যাবি।

ফ্লাশ ব্যাক। আজ সকালের ঘটনা। হ্যালো ভাইয়া আব্বুর কিছু হয়নি। তুই চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছিলি সেখানে তোর চাকরি টা হয়ে গিয়েছে সে জন্য তোকে সারপ্রাইজ দেওয়া জন্য আব্বা এই নাটক সাজিয়েছে।

আমি বললাম ওহ আচ্ছা তাহলে বিষয়। তবে আমি না গেলেও তো চলবে সমস্যা নেই।

না না আমি ভাইয়া তুই না আসলে বাবা বুঝে যাবে আমি সব বলে দিয়েছি তোকে।

আচ্ছা ঠিক আছে তবে আমি সাবনাজ কে নিয়ে আসছি না। যদি সত্যি সত্যি বাবা এক্সিডেন্ট করত তাহলে নিয়ে আসতাম। তারপর আমি মাহমুদার কথা শুনে হাসতে হাসতে বাইরে হাঁটতে গেলাম। আর ভাবলাম বাবা যখন আমার সাথে নাটক করছে আমিও একটু নাটক করি।
এটাই ছিল আজ বিকালে কাহিনী। আর আমি সেই জন্যই সাবনাজ কে কিছু বলি নাই আর সাথে করেও নিয়ে আসি নাই।

মাহমুদার সাথে কথা বলে আমি ঘুমিয়ে গেলাম। হঠাৎ সাবনাজের কলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ফোন রিসিভ কররা সাথে হঠাৎ নিচে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনতে পেলাম। তারপর তাড়াতাড়ি করে নিচে গেলাম।

চলবে,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

নারীর সতীত্ব পর্ব-০৮

0

#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_০৮
Wohad Mahmud

কালকে মায়ের ফোনে কল দিলাম কিন্তু মা ফোন রিসিভ করল না। পরে ফোন ব্যাক করল না। বুঝছি না, মা আমার সাথে এমন করছে কেন? আমি না হয় মানলাম যখন ফোন দিয়েছিলাম ফোনের কাছে ছিল না কিন্তু পরে তো দেখেছে তখন তো ফোন ব্যাক করতে পারে।

সব সমস্যার মূল হলো আমার বড় ভাবি। আমাকে আর সাবনাজ কে মায়ের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। মায়ের চোখে খারাপ বানানোর চেষ্টা করছে। কতটা নিচু মনের মানুষ হলে এমনটা করতে পারে। আমি ভেবে অবাক হয়ে যাই এমনটা কীভাবে করতে পারে একটা মেয়ে। লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই।

এসব কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি আমার ছোট বোন মাহমুদার কল এসেছে। আমি তাড়াতাড়ি করে রিসিভ করলাম। ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে বলে এতক্ষণ কোথায় ছিলি তুই‌‌। সেই কখন থেকে ফোন দিয়ে যাচ্ছি তোকে, কিন্তু ফোন রিসিভ করিস না কেন?

আমি বললাম ফোনের কাছে আমি ছিলাম না বোন। একটু খাওয়া দাওয়া করে ছাদে গিয়েছিলাম তখন মনে হয় তুই ফোন দিয়েছিস। কী হয়েছে এবার বল অনেক জরুরী মনে হচ্ছে।

বাবা এক্সিডেন্ট করছে। হাতে পায়ে অনেক ব্যথা পেয়েছে। পায়ের হাড় সরে গিয়েছে মনে হয়। তুই কালকে চলে আই। এসে বাবাকে দেখে যা। আর আসার সময় সাবনাজ ভাবিকে নিয়ে আসবি।

আমি বললাম না থাক। মাত্র দুই দিন এখানে এসেছি। আমি কাল না, আজকে বাসায় চলে আসছি। সাবনাজ কে নিয়ে যাচ্ছি না। আমি কয়েকদিন পরে এসে আবার সাবনাজ কে নিয়ে যাব‌।

মাহমুদা বলে তুই পাগল আছিস এখনো। ভাবি কে নিয়ে আই।তুই তো জানিস বড় ভাবি কেমন মানুষ। তুই যদি ছোট ভাবি কে সাথে না নিয়ে আসিস তাহলে আবার বড় ভাবি মায়ের কাছে গিয়ে তাল লাগাবে। তার থেকে ভালো হয় ভাবিকে সাথে করে নিয়ে আই।

আমি বললাম এখন কী আবার বড় ভাবির ভয়ে ভয়ে চলতে হবে আমাকে‌। কাউকে দেখে ভয় পাই না আমি। আচ্ছা দাঁড়া ঠিক আছে আমি সাবনাজ কে গিয়ে বলছি যদি আসতে চায় তাহলে আজ দুপুরের পরে আমি সাথে করে নিয়ে আসব‌। না আসলে আমি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে নিয়ে আসতে পারব না।

আচ্ছা ঠিক আছে ভাবিকে বলে দেখ। বাবার অসুস্থতার কথা শুনলে ভাবি না করবে না। দেখবি তোর সাথেই আজকে চলে আসবে বাবা কে দেখতে।

আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নেই। যদি আসে তাহলে নিয়ে আসব। নতুন নতুন বুঝতেই তো পারছিস জোর করতে পারছি না। সব সময় সবকিছুর সিদ্ধান্ত একা নিতে গেলে হয় না। অপর পক্ষের ও অনুমতি নিতে হয়। আচ্ছা তাহলে থাক আজ বিকালে বাসায় আসছি। এটা বলেই ফোন কেটে দিলাম। তারপর কল হিস্ট্রি দেখি দশ বার ফোন দিয়েছে আগে। আমি তখন খুব সম্ভবত খাওয়া দাওয়া করছিলাম। সাবনাজ ও রুমে ছিল না। নিচে ছিল খাওয়া দাওয়া করার জন্য।

তারপর রুম থেকে নিচে নেমে গেলাম। রুমের মধ্যে আর ভালো লাগছে না তাই ফ্রেশ হাওয়া খেতে গেলাম। সাবনাজ কে না বলে বেরিয়ে গেলাম। হাঁটতে হাঁটতে অনেকদূর চলে আসলাম। তারপর মাহমুদার ফোনে একশত টাকা ফ্লাক্সিলোড করে দিলাম। আমি ছাড়া ওর অভাব পূরণ করার মতো কেউ নেই। বড় ভাই তো খোঁজ নিয়েও দেখে না বোনের কিছু লাগবে কী। সব কিছু শালির পিছনে খরচ করতে হয়। যে জল্লাদ একট বউ না করেও উপায় নেই।

কিছুক্ষণ পরে সাবনাজের ফোন আসে। তারপর ফোন রিসিভ করলাম।

হ্যালো মাহমুদ, তুমি কোথায় আছো সারা বাড়িতে তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেলাম।

এইতো আমি একটু বাইরে আছি। কেন কী হয়েছে! মনে হচ্ছে খুব জরুরি।

হ্যাঁ অনেক জরুরী তাড়াতাড়ি বাসায় আসো। তারপর বাড়ির পথে হাঁটা দিলাম। কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে এসেছি। হাঁটতে হাঁটতে গেলে অন্তত আধা ঘন্টা তো লাগবেই কম হলেও। তাই একটা রিকশা নিয়ে শ্বশুর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

বাসায় এসে দেখি অনেক আয়োজন চলছে। রুম সাজানো হচ্ছে। আমি সাবনাজ কে ডেকে বললাম। বাসায় এতো আয়োজন কিসের? বাসায় নতুন জামাই এসেছে বলে কি এতো বড় আয়োজন করতে হবে। ঘর সাজানোর কী দরকার ছিল এভাবে।

সাবনাজ বলল আরে তোমার জন্য না। তোমার জন্য এসব করলে তো আগেই করত।

আমি মনে মনে বললাম হাইরে, আমি তো নিজেকে অপমান বোধ করছি এখন। কী দরকার ছিল বলার যে এসব আমার জন্য করছে। না বললেই তো ভালো হতো। সরাসরি বলে দিতাম এসব কিসের জন্য করছে। তারপর আমি বললাম এসব কিসের জন্য?

সবনাজ বলল আজ আমার ভাবির মেয়ের জন্মদিন। সেই জন্যই এতো আয়োজন। আজ ৫ম জন্মবার্ষিকী।

আমি মনে মনে ভাবলাম সাবনাজ কে বলব কী আজ আমাদের যেতে হবে বাবা অসুস্থ। না কী বলব না। যদী বলি তাহলে আমাকে মানা করতে পারবে না। কিন্তু বাসায় এতো বড় আয়োজন এই বিপদের সময় আমি আর ওকে নিয়ে যেতে চাচ্ছি না। আমি ভাবলাম তাও একবার অন্যভাবে বলে দেখি যেতে পারবে কী! এই আয়োজন আমাদের বাড়িতে যেতে পারে কী। আমি ঘুরিয়ে বললাম। আরে এসব আয়োজন বাদ দাও তো চলো আজ রাতে আমরা দুজন অন্য কোথাও থেকে ঘুরে আসি।

সাবনাজ বলল পাগল হয়ছো তুমি মাহমুদ। ভাবির মেয়ে কান্না করবে আমি না থাকলে। তোমাদের বাড়িতে ছিলাম তাই অনেক কান্না করেছিল। আমাকে ছাড়া একদম থাকতে চায় না। সব আয়োজন আমাকে নিজে হাতে করতে হবে। আজ না প্লিজ অন্য কোনদিন যাব। আজ আমি কোথাও যেতে পারব না এসব রেখে।

আমি মনে মনে ভাবলাম থাক তাহলে আর জোর করছি না। আমার কথা ফেলতে পারবে না। কিন্তু এভাবে আমি তার মনের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারি না আমি। এখন যদি বাবার এক্সিডেন্টের কথা বলি তাহলে আমার সাথে চলে যাবে এই আয়োজন ফেলে, তার মন খারাপ হবে এখান থেকে চলে গেলে আর সাবনাজের বোনের মেয়েও কান্না করবে। সব মিলিয়ে এতো সুন্দর একটা আয়োজন নষ্ট হয়ে যাবে। আবার যদি সাবনাজ কে না বলি তাহলে পরে জানতে পারলে রাগ করবে আমার উপর। আবার না নিয়ে গেলে ওইদিকে ভাবি আছে মায়ের সাথে গিয়ে কাটি মারবে। এমনিতেই আমার আর সাবনাজের উপরে রেগে আছে মা।

তবে আমার কাছে যেটা সঠিক মনে হবে আমি সেটাই করব। সঠিক ভুল বিচারের সময়, কে বউ, কে মা আর কে ভাবি সেটা দেখতে গেলে চলবে না।

আমি সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললাম। যা হয় হবেই আমি একা যাব। সাবনাজ কে কিছু বলব না। আমি তাকে এসব সমস্যার মধ্যে নিতে চাই না। আর বাকি রইলো মা আর ভাবির কথা। তারা যা মনে করে করুক যা বলে বলুক আমি একাই বাড়িতে যাব আজকে।

দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে সাবনাজ কে বললাম আমাকে আজ একটু বাড়তি যেতে হবে। পরশুদিন আবার চলে আসব।

সাবনাজ বলে কী বলছ মাহমুদ তুমি এসব। মাত্র দুই, তিন দিন হলো আমরা এখানে এসেছি। আর আজকে তুমি চলে যাবে। এক সপ্তাহ থেকে তো যাবে। তারপর এখানে তেমন আসবে না তুমি, আমারো আসা হবে না। তারপর নিজের সংসারে ব্যস্ত থাকব।

আমি সাবনাজের গালে হাত দিয়ে বললাম চিন্তা করো না। তোমার স্বামী হারিয়ে যাচ্ছে না। পরশুদিন আবার তোমার স্বামী তোমার কাছে ঠিক মতো ফিরে আসবে।‌ তুমি থাকো আমি যাব আর আসব।

সাবনাজ বলল আমি তোমার সাথে যায়। আমি বললাম না না যেতে হবে না। তুমি এখানে জন্মদিন উদযাপন করো। তোমাকে যেতে হবে না। বাবা একটু জরুরি ডেকেছে। তারপর তোমার স্বামী তোমার বুকে ফিরে আসবে। সাবনাজ কে অনেক বুঝিয়ে ওর পরিবার কে বুঝিয়ে এক রকম মন খারাপ করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম আমি।

দুই ঘন্টা জার্নির পরে আমি বাড়িতে পৌঁছে কলিং বেল বাজালাম। কিছুক্ষণ পরে দরজা খুলে দেয়। দরজা টা আর কেউ না ভাবি খুলে দিচ্ছে। বুঝলাম না আজ অন্যরকম কেন হলো। ভাবি আজ প্রায় দুই বছর আমাদের এখানে আছে কোন দিন দেখলাম না গেট খুলে দিতে আজ হঠাৎ গেট খুলে দিচ্ছে বুঝলাম না। দরজায় দাঁড়িয়ে আমার পিছনে কি যেন খুঁজছে ট্যারা চোখে। আমি বললাম,,,,

চলবে,,,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

নারীর সতীত্ব পর্ব-০৭

0

#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_০৭
Wohad Mahmud

যদি সাবনাজ বাদে অন্য কেউ হয় তাহলে তো চোর জামাই নাম পড়ে যাবে। আর সাবনাজ দেখলেও আমাকে চোর জামাই বলে ডাকবে। হাইরে মাহমুদ কেন যে খাবার চুরি করতে আইলি। কোনো রকম ক্ষুধা কন্ট্রোল করে রাখতে পারলি না পেটুক। সকালেই তো ভালো মতো জামাই আদর পাইতি। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি সবানাজের আব্বা মানে আমার শ্বশুর আব্বা।

আমার দিকে তাকিয়ে আছে কিছুক্ষণ ধরে আমি ও তাকিয়ে আছি কিন্তু কিছু বলছে না কেন শ্বশুর আমাকে? আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোর বলে মাইর না দিলে হয় আল্লাহ বাঁচাও। আমার দিকে আগিয়ে আসছে আমি পিছনে সরে যাচ্ছি। তারপর রান্না ঘরে এসে এদিকে ওদিকে হেঁটে আবার রুমে চায় যায়।

আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিছু বলল না কেন? এখন গিয়ে নিশ্চয়ই শ্বাশুড়ি কে বলবে তারপর এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে। আর বাড়ির চোর জামাই হয়ে গেলাম। আমি ভাবলাম যায় হোক কাল দেখা যাবে। আমি খাবারের প্লেট টা নিয়ে ঘরে চলে গেলাম। এখানে বসে খাওয়া যাবে না। আবার কে চলে আসে বলা যায় না। তখন আমার সর্বনাশ হয়ে যাবে। রুমে খাবার নিয়ে এসে দেখি সাবনাজ বসে আছে।

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি সাবনাজ ও উঠে বসে আছে। খাবারের প্লেট টা টেবিলে রেখে বললাম তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসলাম। তুমি তো রাতে ঠিক মতো খাবার খাওনি তাই নিয়ে আসলাম। আসো মুখ ধুয়ে নাও আমি হাতে করে তোমাকে খাইয়ে দিব।

সাবনাজ তখন বলে খাবার আমার জন্য নিয়ে আসলে না কী তোমার জন্য?

আমি মনে মনে ভাবলাম এই রে বুঝে গিয়েছে মনে হচ্ছে। আমি একটু ঢং ধরে বললাম ছিঃ ছিঃ এটা বলতে পারলে সাবনাজ তুমি। তোমার জন্য নিয়ে আসলাম আমি, আমার জন্য হলে তো ডাইনিং থেকে খেয়ে আসতাম। একটু এক্টিং করলাম তারপর রাগ করে ঘুমিয়ে যেতে লাগলাম।

ঠিক তখনি সাবনাজ বলে স্যরি স্যরি আমি তো মজা করে বললাম। আসলে আমারও ক্ষুধা লাগছিল অনেক। তই উঠে পড়েছি।

আমি মনে মনে হাসতে লাগলাম। যাক একটু ঢং করে কাজে লাগছে। এক ঢিলে দুই পাখি শ্বশুর আব্বা অথবা বাকি কেউ কিছু বললে আমি অত্যন্ত বলতে পারব আমার জন্য না সাবনাজের জন্য খাবার আনতে গেছিলাম। আর এখন তো সাবনাজ একা খাবে না আমাকেও খাইতে বলবে। খাইতে বললে আমি একবার না করব। কারণ প্রথম বারে খেয়ে নিলে বুঝে যাবে। শ্বশুর কে কিছু বুঝতে দিব না আর সাবনাজ ও কিছু বুঝতে পারবে না। আহ মাহমুদ আহ কত বুদ্ধি তোর মাথায়। এতো বুদ্ধি নিয়ে তুই রাতে ঘুমাস কেমন করে ভাই। পরক্ষণেই মনে পড়ল ধুর আমি তো এখন জেগে আছি বুদ্ধির জোরে ঘুমাতে পারছি না।

তারপর আমি হাত ধুয়ে এসে আর এক গ্লাস পানি নিয়ে আসলাম। সাবনাজ কে খাইয়ে দিচ্ছি। কিন্তু আমাকে খাইতে বলছে না সাবনাজ। খাইয়ে দিতে দিতে অর্ধেক খাবার শেষ কিন্তু তাও বলছে না তুমি একটু খাও।

তারপর হঠাৎ সাবনাজ বলল তুমি বাকি অর্ধেক খেয়ে নাও। আমি এমনিতেই বললাম না থাক খাচ্ছি না তুমি খাও, কিন্তু ক্ষুধা তে আমার পেটের মধ্যে মনে হচ্ছে ইঁদুর দৌড়ে।

কিন্তু এটা কি হলো একবার মানা করলাম বলে কি পরের বার খাওয়ার কথা বলবে না। আমি তো এমনিতেই প্রথম বার মানা করলাম। বাড়ির নতুন জামাই একবার মানা করলাম পরের বার তো বলা দরকার ছিল না? কিন্তু তা না করে সব খাইয়ে নিল সাবনাজ‌। আমার ভাগ্যে আর খাবার জুটল না। সারারাত না খেয়ে থাকলাম।জীবনটা বেদনা, কুত্তা ভাগ্য আমার, মনে হচ্ছে মুলার জু্স খেয়ে ঠাস করে পড়ি যাই। কথায় আছে না অতি বুদ্ধিমানের গলায় দড়ি। আজ ঠিক এমনটাই হয়েছে আমার সাথে।

আর কোনো উপায় না পেয়ে না খেয়ে পেটে পাথর বেঁধে ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম। আর মনে মনে শান্তনা দিলাম মাহমুদ ঘুমিয়ে যা, ঘুমালে ক্ষুধা লাগে না। আর কোনো উপায় না পেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। তারপর দেখছি সাবনাজ ডাকছে। ঘুম থেকে উঠেন খাবার রেডি প্রায় নিচে খেতে যেতে হবে। আমি এক লাফে উঠে উঠে পড়লাম। আমার এমন ভাবে উঠতে দেখে সাবনাজ ভয় পেয়ে যায়।

সাবনাজ বলে কি হলো এমন করে উঠলে কেন? মনে হচ্ছে ভুত দেখলে।

আমি হাসতে হাসতে বললাম একটু পরিক্ষা করে দেখলাম কত জোরে উঠতে পারি‌। আর তোমাকে ভয় দেখালাম। কিন্তু মনে মনে বলছি খাবারের কথা শুনে মন আর শরীর স্থির রাখতে পারি নাই পেট শুধু খাবার খাবার করছে। তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে তারপর নিচে খেতে গেলাম আমি আর সাবনাজ।

নিচে গিয়ে দেখি সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। গিয়ে খাবার টেবিলে বসলাম। শ্বশুর আব্বা আমার দিকে তাকিয়ে বলে জামাই বাবার তাড়াতাড়ি ভালো করে খেতে দাও না হলে আবার পরে ক্ষুধা লেগে যেতে পারে।

আমি মনে মনে বললাম এটা কেমন শ্বশুর রাতে রান্না ঘরে খাবার খাইতে গেছিলাম বলে কি এমন করে বলতে হবে। টিটকারি মারছে। আর খাবার তো আমি খাইনি খাইছে আপনার মেয়ে সাবনাজ।
ঠিক তখনি শ্বাশুড়ি আম্মা এসে শ্বশুর আব্বাকে বলে__

কালকে রাতে তুমি ঔষধ খাওনি কেন?

শ্বশুর বলে কই খেয়েছিলাম তো।

যদি খেয়ে থাকো তাহলে যে কয়টি ঔষধ ছিল সবগুলো তো আছে।

শ্বশুর আব্বা দাঁতে কামড় মেরে বলে তাহলে মনে হয় ঔষধ খেতে মনে নেই।

হুমম এখন ঔষধ খেতে মনে তো থাকবেই না। ঔষধ খেতে যখন মনে নেই তাহলে নিশ্চয়ই রাতে ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন মনে করে সম্পূর্ণ বাড়ি হেঁটেছেন। একবার তো স্বপ্ন মনে করে ঘুমের মধ্যে গেট খুলে বাড়ি থেকেই চলে গিয়েছিলে। এখন থেকে প্রতিদিন ঔষধ খাবে। কাল ব্যস্ততার কারণে আমি নিজ হাতে ঔষধ দেয়নি বলে তুমি খাওনি। কোনো কাজ নিজে করতে পারো না।

আমি মনে মনে হাসছি আর বলছি এটা কী হলো? মানমে লাড্ডু ফোঁটা। বাহ মাহমুদ বাহ তুই তো ভাগ্যবান। তোর শ্বশুর কালকে তোরে দেখে নাই। সে তো ঘুমের মধ্যে হাঁটছিল তাহলে আর দেখবে কেমনে।আমি এতোক্ষণ হুদাই চিন্তা করছিলাম। শ্বশুর আব্বা রাতে খাবার চুরি করা দেখে ফেলছে কী একটা লজ্জার বিষয়। কিন্তু এখানে কাহিনী তো অন্যকিছু। আমার হাসি আর বন্ধ হয় না। অনেক কষ্টে খাবার টেবিলে হাসি চেপে রাখলাম। তারপর খাওয়া শেষে জোরে হেটে সোজা ছাদে চলে গেলাম। এতোক্ষণ যতগুলো হাসি চেপে ধরে রেখেছিলাম সব হাসি বাহির করে দিলাম। জোরে জোরে মন খুলে হাসতে থাকলাম।

কিন্তু আর এক বিপদ হঠাৎ পাশ ফিরে দেখি সাবনাজের ছোট ভাই সিয়াম ফোনে কথা বলছে। আর আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। নিজে মনে মনে বললাম আহ মাথা মোটা মাহমুদ আহ এক বিপদ কেটে উঠতে না উঠতেই আরেক বিপদ। এভাবে হাসতে দেখে মনে হয় আমাকে পাগল ভাবছে সিয়াম‌।

আমাকে দেখে সিয়াম বলে কী ব্যপারে দুলাভাই এতো হাসছেন কেন? মনে হচ্ছে অনেক খুশির বিষয়।

আমি কী বলব বুঝে পারছি না। কোনো উপায় না পেয়ে বললাম হ্যাঁ সিয়াম অনেক খুশির বিষয় আমার চাকরির প্রমোশন পেয়েছি। তাই এতো জোরে জোরে হাসছি। খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছি আমি।

তো দুলাভাই প্রমোশন তো পেয়েছেন এবার মিষ্টি মুখ করাবেন না?

হ্যাঁ অবশ্যই করাবো তো কাল দেখা করিও। এখন থাকো সিয়াম, একটু বাইরে যাব। কাল থেকে রুমের মধ্যে আছি একটু বাইরে থেকে ফ্রেশ হাওয়া খেয়ে আসি।

চলেন আমিও যাই আপনার সাথে। আপনি তো সবকিছু চিনেন না। আমি চিনিয়ে দিব। অনেক জায়গায় ঘুরিয়ে নিয়ে আসব। ভালো লাগবে দুলাভাই আপনার।

আমি হেসে বললাম না ভাই থাক তোমার কষ্ট করতে হবে না।‌আমি বেশি দূরে যাব না। এমনিতেই নিচে গিয়ে একটু হেঁটে আবার চলে আসব। তারপর কোনো রকম ছাদ থেকে রুমে আসলাম।

কালকে মায়ের ফোনে কল দিলাম কিন্তু মা ফোন রিসিভ করল না। পরে ফোন ব্যাক করল না। বুঝছি না মা আমার সাথে এমন করছে কেন?

মায়ের কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি আমার ছোট বোন মাহমুদার কল,,,,

চলবে,,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

নারীর সতীত্ব পর্ব-০৬

0

#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_০৬
Wohad Mahmud

যদি তুমি করে না বলি তাহলে কী আমাকে ভালোবাসবে না হুমম?

না বাসব না অন্য মেয়ের সাথে ভেগে চলে যাবো। যেই মেয়ে আমাকে তুমি করে বলতে পারবে। তারপর দুজনে অনেক প্রেম করব। তারপর আমাদের রোমান্স হবে, বাচ্চা হবে। আর না হয় দুটা বিয়ে করব। ভালো হবে না? একটা জিনিস দেখো দুটি বিয়ে করলে তোমার কাজ কমে যাবে। প্রতিদিন তোমাকে সকালে উঠে রান্না করতে হবে না। বাসার কাজ কমে যাবে দুজন মিলেমিশে কাজ করবে। তাহলে দেখি বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুঁজে পাই কী?

সাবনাজ তখন ছোট বাচ্চাদের মতো কান্না করে দেয়। চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে।

আমি হাত দিয়ে চোখের পানি মুছিয়ে দিতে দিতে বললাম কী হলো এমন করে কান্না করো কেন? মনে হচ্ছে একটা ছোট বাচ্চা কান্না করছে।

সাবনাজ তখন বলে নতুন বিয়ে হয়েছে আমাদের আমাকে একটু সুযোগ না দিয়ে বলছেন যে, আর একটা বিয়ে করবেন। মুখে কথা শেষ করতে না করতেই আবার ছোট বাচ্চাদের মতো কান্না শুরু করে দেয়।

আমি তখন হাসতে হাসতে বললাম হাই রে কোন পাগলী কে আমার কপালে দিলে আল্লাহ গো। পাগলী তো দেখি কোনটা ফান আর কোনটা সিরিয়াস সেটাও বুঝে না। মনে হচ্ছে একদম অবুঝ শিশু। মিষ্টি সুরে ধমক দিয়ে বললাম এভাবে কেউ কান্না করে পাগলি আমার। আমি তো তোমাকে ফান করে বললাম। আর তুমি সত্যি মনে করে কান্না শুরু করে দিলে। এখন যদি কেউ দেখে যে তুমি কান্না করছো তাহলে তো সবাই বুঝবে আমি সত্যি সত্যি আর একটা বিয়ে করে আনছি। অবুঝ বাচ্চা বউ আমার।

সাবনাজ তখন চোখের পানি মুছতে মুছতে বলে আমি মোটেও বাচ্চা মেয়ে না। আমি অনেক বড়। অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি, সব বুঝি আমি।

আমি তখন হেসে হেসে বললাম ওহ আচ্ছা সব বুঝো তাহলে এটা কেন বুঝলে না আমি এমনিতেই ফান করছিলাম সত্যি বলছি না।

আমার সাথে এমন ফান করবেন কিন্তু কোনো মেয়ের কথা মুখে আনবেন না। আর বিয়ের কথা কখন না। যদিও ইসলামে নিয়ম আছে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে। কিন্তু আমি আমাকে অনুমতি দিব না। আমি একাই সব করব। আপনার জন্য আমি সবকিছু করতে পারব। আমার একা কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না। আমার সংসারে ভাগ কাউকে দিতে পারব না আমি। আমিই আপনার প্রথম ও শেষ স্ত্রী। তুমিই আমার প্রথম আর শেষ স্বামী। সারাজীবন একা পার করে দিব কিন্তু আমার অধিকার কাউকে দিব না।

সাবনাজের কথা শুনে আমি এখন কান্না করছি আর ভাবছি। একজন শিক্ষিত মেয়ের মুখে এসব কথা শোনা সত্যি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। খুব কম ছেলে এমন ভাগ্যবান হয়ে থাকে। সাবনাজের ভালোবাসায় আমার চোখ টপ টপ করে পানি পড়ছে।

আমার কান্না দেখে সাবনাজ বলে এখন আপনি কান্না করছেন কেন ছোট বাচ্চাদের মতো করে।

আমি তখন বললাম তোমার কথা শুনে কান্না করছি। এতো তাড়াতাড়ি এতোটা ভালোবেসে ফেলবে আমাকে আমি ভাবতেই পারি না।

ধুর আপনি ও না একটা বাচ্চা জামাই। কোনটা ফান আর কোনটা সিরিয়াস বুঝেন না। তোমার মন রাখার জন্য আমি ফান করে বললাম।

আমি তখন সাবনাজের হাত ধরে বললাম আমি তো তোমাকে অবুঝ শিশু মনে করেছিলাম। এখন দেখি তুমি আমার ডায়লগ আমার উপরে ঝাড়ছ।

সাবনাজ তখন বলে এখন হাত ছাড়েন কেউ দেখে ফেলবে। দরজা দেয়া নেই। কেউ এসে দেখলে লজ্জা পাব আমি অনেক।

আমি তখন আরো কাছে টেনে বললাম। হোপপপ থামো তো। এটা কী শুরু করলা একবার তুমি করে বলো আরেকবার আপনি করে বলো। এভাবে কেউ কথা বলে। শুধু তুমি করে বলবে আপনি বলতে পারবে না। না হলে আজ এভাবেই থাকবে আমি ছাড়তে পারব না। যে দেখে দেখুক তাতে আমার কোনো যাই আসে না।

আহ মাহমুদ ছাড়ো তো এখনি খাওয়া জন্য ডাকতে আসবে আমাদের। এসে আমাদের দুজনকে এমন দেখলে লজ্জা লাগবে আমার অনেক। তোমার কি লাগবে না?

না আমার লাগবে না যে আসে আসুক আমি অন্য কি অন্য কারো বউকে জড়িয়ে ধরেছি আমার নিজের বউকে জড়িয়ে ধরেছি।। মুখের কথা মুখেই আছে ‌ তখনি কারো আসার শব্দ শুনতে পেলাম। সাবনাজের ভাবি আসছে। নিচে খাওয়া দাওয়ার জন্য । কিন্তু আমি সুরাইয়া কে ওভাবেই ধরে আছি। আর সুরাইয়া নিজেকে ছাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আমার সাথে পেরে উঠছে না। আমি ওভাবেই ধরে আছি। আমি হয়তো ভাবছিলাম ভাবি রুমে আসবে না ডেকে চলে যাবে।
কিন্তু বলা নেই কওয়া নেই ভাবি এসে হুট করে রুমে ঢুকে গেছে। আর আমি সাথে সাথে সাবনাজ কে ছেড়ে দিয়েছি। সাবনাজকে এভাবে ধরে থাকা দেখে ভাবি লজ্জা পেয়ে চলে যায়। আমি আর সাবনাজ লজ্জা পেয়ে দূরে সরে দাঁড়াই।

সাবনাজ আমরা দিকে তাকিয়ে বলে, দেখলেন তো কি হলো। আমি আপনাকে আগেই বলছিলাম কেউ চলে আসবে ছাড়েন। কিন্তু শুনলেন না হিরোর মতো করে ধরে রাখলেন। আপনার তো আর লজ্জা করবে না। এখন আমি ভাবির সামনে কীভাবে যাবো ভাবি দেখে ফেলছে। এখন নিচে গেলেই ভাবির সাথে দেখা হবে। আমি যাবো না খাইতে। আপনি গিয়ে খেয়ে আসেন।

আমি বললাম, যাবে না মানে। সারারাত কি না খেয়ে থাকবে তুমি?

হুম খাইতাম না আমি তুমি গিয়ে খাও।

আমি তখনি সাবনাজ কে কোলে তুলে নিলাম আর নিয়ে নিচে নামতে থাকলাম আর বললাম তুমি না গেলে এভাবেই নিয়ে যাবো। আর তুমি জানোই তো আমি সব পারি। কিছুক্ষণ আগেই প্রমাণ পেলে।

আমার কথা শুনে সাবনাজ কান্না করে দেয়‌। আর বলে নিচে নামাও আমি যাচ্ছি।

এই মেয়েটা কেমন অল্পতেই কান্না করে দেয় আর আমি কখনো এমন করতে পারি না কী। লজ্জা তো আমারো আছে। তখনো আমি অনেক লজ্জা পাইছি। কে জানতো ভাবি এমন করে চলে আসবে। আর কোলে নিয়ে নিচে যাওয়ার কথা বাদ দিলাম। এটা তো কখনোই পারব না। তারপর দুজনে নিচে খেতে গেলাম। সাবনাজের ভাবি ও আছে। সাবনাজ আর সাবনাজের ভাবি একদম সামনা সামনি বসেছে। দুজন দুজনের দিকে লজ্জায় তাকাতে পারছে না। তাকাচ্ছে কিন্তু চোখে চোখ পড়ছে না। ট্যারা হয়ে তাকাচ্ছে।

আর আমার কথা তো বাদই দিলাম। মাঝখান থেকে আমি বেঁচে গিয়েছি। ভাবি আর সাবনাজের এই পরিস্থিতি দেখে সত্যিই হাসি আসছে আমার কিন্তু এতো মানুষের মাঝে হাসতেই পারছি না।

সাবনাজের ভাবির আর সাবনাজের চোখে চোখ পড়তেই ফিক করে হেসে দেয় সাবনাজের ভাবি। লজ্জা পেয়ে অল্প একটু খেয়ে রুমে চলে যায় সাবনাজ। সাবনাজের চলে যাওয়া দেখে আমিও না খেয়ে রুমে চলে যাই। ওদের কাহিনী দেখতে গিয়ে আমিও ঠিক মতো খাইতে পারি নাই।

রুমে এসে সাবনাজ কে বললাম কী হলো চলে আসলে কেন না খেয়ে?

তুমি দেখলে না ভাবি আমার দিকে তাকিয়ে কেমন করে হাসছিল। আমাকে শুধু লজ্জা দেয়। সেই জন্যই চলে আসলাম। তুমি কেন চলে আসলে?

আমি মুচকি হেসে বললাম। আমার বউ চলে এসেছে আমি কী করে থাকতে পারি। এবার চলো ঘুমিয়ে পড়ি। অনেক রাত হয়েছে। আমাদের বাড়িতে প্রথম রাতে কিন্তু আমি নিচে ঘুমিয়ে ছিলাম আর তুমি খাটে ছিলে আজ তোমাদের বাড়ির প্রথম রাত তুমি নিচে থাকবে আর আমি উপরের থাকবো। তাহলে সমান সমান হয়ে যাবে। কারণ একটা কথা আছে না নারী পুরুষ সমান অধিকার।

তারপর সত্যি সত্যি সাবনাজ বিছানার চাদর পেড়ে একটা কাঁথা আর বালিশ নিয়ে নিচে ঘুমিয়ে যায়। এটা কেমন হলো সত্যি সত্যি নিচে ঘুমিয়ে পড়লো। আমি হাসতে হাসতে কোলে নিয়ে উপরে শুইয়ে দিলাম। আমি কোলে নিয়েছি বুঝতেই পারিনি। এতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেল।

কিন্তু আমার প্রচন্ড ক্ষুধা লাগছে। আমি আবার ক্ষুধা সহ্য করতে পারি না। রাতে ভালো খাওয়া হয়নি। অনেক সহ্য করার পরেও থাকতে পারলাম না।
বিছানা থেকে উঠে রান্না ঘরে চলে গেলাম। রান্না ঘর থেকে খাবার নিয়ে আসার সময় দেখি পিছন থেকে কার ছায়া দেখা যাচ্ছে। এটা আবার কে হতে পারে। বাড়ির জামাই খাবার চুরি খাচ্ছে কেউ দেখলে তো আমি লজ্জায় শেষ।

যদি সাবনাজ বাদে অন্য কেউ হয় তাহলে তো চোর জামাই নাম পড়ে যাবে। আর সাবনাজ দেখলেও আমাকে চোর জামাই বলে ডাকবে। হাইরে মাহমুদ কেন যে খাবার চুরি করতে আইলি। কোনো রকম ক্ষুধা কন্ট্রোল করে রাখতে পারলি না পেটুক। সকালেই তো ভালো মতো জামাই আদর পাইতি। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি,,

চলবে,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।