হৃদয়ের অন্তরা পর্ব-১৪ এবং শেষ পর্ব

0
1928

#হৃদয়ের_অন্তরা❤️
#part_14(অন্তিম পর্ব)
#sarika_Islam
,
,
অন্তরা ঘুম থেকে উঠে দেখে সে হৃদয়ের বুকে শুয়ে আছে,অন্তরা মুচকি হেসে উঠে পরলো,,ফ্রেশ হতে চলে গেল,হৃদয়ও উঠে গেল,,অন্তরা ফ্রেশ হয়ে বাহিরে এসে দেখে হৃদয় উঠে গেছে,হৃদয় অন্তরাকে দেখে মুচকি হেসে তার পাশ দিয়ে ওয়াশ্রুমে জায়,,
হৃদয় ফ্রেশ হয়ে এসে একটি কালো কালারের টিশার্ট পরে নেয় তারপর দুইজনে বাহিরে যায় লাঞ্চ করার জন্য,, খাওয়া দাওয়া করে হৃদয় বলল,,

_চলো ঘুরে আসি,,
_আচ্ছা,,

হৃদয় অন্তরার হাত ধরলো,তারপর হাটা ধরলো,,অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরলো তারা,শপিং করলো অনেক খুব মজা করলো,,রাতে খাওয়া দাওয়া করে তারা বাসায় ফিরলো,,

তারা তাদের রুমে ঢুকতেই অন্তরা চমকে উঠলো,,এত্ত সুন্দর করে সাজানো তাদের রুম,,সারারুমে গোলাপের ছরাছরি,,বিছানায় লাভ সেপে গোলাপ দিয়ে h+o লেখা,,মোমবাতি দিয়ে পুরো রুম আলোকিত করা,,অন্তরা ঘুরে ঘুরে সবটা দেখছে আর হৃদয় দরজা আটকে দরজার সাথে দাঁড়িয়ে অন্তরাকে দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে,,অন্তরা সব কিছু দেখে হৃদয়ের কাছে গিয়ে বলল,,

_wow কত সুন্দর করে সাজানো,,কে সাজিয়েছে এগুলো?
_তোমার জন্য সাজানো হয়েছে specially,(হাল্কা হেসে)
_কেন?(ভ্রু জোরা কুচকে)

অন্তরার কানের কাছে মুখ নিয়ে ঘোর লাগা কন্ঠে বলল

_আজ আমাদের বাসররাত তাই,,

বলেই অন্তরার কানে শব্দ করে চুমু খেলো,,অন্তরা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে,,হৃদয় অন্তরার দিকে একটি গোলাপি কালারের পাতলা শাড়ি এগিয়ে দিয়ে বলে,,

_যাও এইটা পরে আসো,,

অন্তরা হৃদয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তার হাতের দিকে তাকায়,একটি শাড়ি তার দিকে এগিয়ে দিয়েছে,সে শাড়িটা হাতে নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল,,শাড়ি পরে বের হলো,,চুলগুলো ছাড়া,,হৃদয় নেশা ভড়া চোখে অন্তরার দিকে তাকিয়ে আছে,,অন্তরা ধীরে ধীরে হৃদয়ের দিকে এগুচ্ছে হৃদয়ও,,এক পর্যায় দুইজন খুব কাছাকাছি হয়ে গেল,,হৃদয় অন্তরার দিকে তৃষ্নার্থ ভাবে তাকিয়ে আছে,,যেন এ চাহনি কতবছর নিজের প্রিয়শিকে কাছে পাওয়ার আকাংখা,,হৃদয় অন্তরার শাড়ি ভিতর দিয়ে পেটে হাত দিল,,আরেক হাত অন্তরার মাথা ধরে সামনে আনতে লাগলো,,অন্তরার ঠোটে ঠোট মিলিয়ে দিল,,পরম আবেশে শুষে নিচ্ছে,,অন্তরাও এইবার তালে তাল মিলাচ্ছস,,অন্তরার তাল মিলানো যেন হৃদয়কে আরও পাগল করে দিচ্ছে,,অন্তরাকে কিস করতে করতে বিছানায় শুয়ালো,,কিস করা শেষ হলে গলায় মুখ ডুবায়,,কিস করছে ইচ্ছে মতো কিস করছে,,অন্তরা হৃদয়ের চুল আকড়ে ধরে রেখেছে,,এইবার অন্তরার শাড়ির আচল সরাতে নিলে অন্তরা হৃদয়কে ঠেলে উঠে বসে হৃদয় তাকিয়ে থাকে অন্তরার দিকে,,অন্তরা শাড়ির আচল ঠিক করে বলে,,

_এই এইসব কি করছেন?
_আসো দেখাই কি করছি,,

বলেই অন্তরাকে নিজের কাছে নিয়ে আসলো,,অন্তরার ঘারে গলায় পাগলের মতো কিস করতে লাগলো,,আবার আচল সরাতে নিলে অন্তরা আবার সরিয়ে দেয়,,দেয়ালের রোমেন্টিক কাপলদের পিচ লাগানো সেখানে হাত দিয়ে বলে,,

_ওরা কি করছে?
_ওরা খেলছে,
_কি খেলা?
_আসো আমরাও খেলি তাহলেই বুঝবে,,
_কিভাবে খেলে?
_আসো আমি শিখিয়ে দেই,,

বলেই আবার অন্তরাকে শুয়ালো,,অন্তরার গলায় কিস করতে লাগলো,,কিস এক সময় বাইটে পরিনত হলো,,অন্তরা বলল,,

-ধুরর এইটা কোন খেলা হলো আমি ব্যাথা পাই তো,,
_আরে এইটা খেলা দেখ মজা পাবা,,
_নাহ আমি মজা পাচ্ছি না আমি ব্যাথা পাচ্ছি,,ধ্যাত ভালোলাগে না,,

বলেই উঠতে নিলে হৃদয় আবার ধরে ফেলে,

_এই যাবা না আসো ফিল নাও,,
_ফিল কিভাবে নিমু?
_আমি কিস করলে অনুভব করবা,,

বলেই অন্তরার ঠোটে ছোট ছোট চুমু দিতে লাগলো গলায় বুকে চুমু দিতে লাগলো,,সাথে বাইট তো ফ্রি আছে,,এক পর্যায় অন্তরার ফিল চলে আসে,,বুকে বাইট দিচ্ছে অন্তরা তাও খুব ব্যাথা পাচ্ছে,,

_আহহহহহ,,আহহহহ,

হৃদয় অন্তরার বুক থেকে মুখ তুলে ঠোটে চুমু দিয়ে বলে,,

_এইভাবে শব্দ করো না জান তাহলে আমি শেষ,,
_ব্যাথা পাই তো,,

হৃদয় আর অন্তরা মেতে উঠলো তাদের ভালোবাসার খেলায়,,,দুজনদুজনাতে মগ্ন,,,

সকালে,,হৃদয়ের আগে ঘুম ভেংগে সে পাশ ফিরে অন্তরার দিকে তাকিয়ে দেখে অন্তরা তাকে জরিয়ে ঘুমিয়ে আছে,,গায়ে চাদর জড়ানো,,হৃদয় মুচকি হেসে অন্তরার কপালে চুমু দিল,,অন্তরার দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে,,”অবশেষে অন্তরা পুরুপুরি তার হলো”এইসব ভাবতেই হৃদয়ের মনে এক শীতল হাওয়া বইলো,,সে অন্তরাকে আর একাটু নিজের সাথে জরিয়ে নিল,,অন্তরার ও ঘুম ভেংগে গেল,,তাকে কে জানি অনেক জোরে আকরে ধরেছে,,সে নিজের দিকে তাকালো দেখলো চাদর হাল্কা উচু করে দেখলো গায়ে কাপর নেই,,সে চট করে তার পাশে তাকালো দেখলো হৃদয় তার দিকে মুচকি হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে,,হৃদয়কে দেখে কাল রাতের কথা মনে পরে গেল,,লজ্জায় মাথা আবার নিচু করে নিল,,হৃদয় অন্তরার লজ্জামাখা মুখ দেখে বলল,,

_উফফফ এইভাবে লজ্জা পেও না জান তাহলে কাল রাতে যা হয়েছে আবার হবে,(বলেই অন্তরার ঠোটে চুমু খেল)
_এই নাহ নাহ,,

বলেই অন্তরা উঠতে নিলে অন্তরাকে ধরে হুট করে অন্তরার উপর চরে বসে,,অন্তরার দুই হাত বিছানার সাথে চেপে ধরে,,

_দেখুন আর নাহ প্লিজ আমি খুব টায়ার্ড ফ্রেশ হবো,,(ইন্নসেন্ট ফেস করে বলল)

হৃদয় অন্তরার এই ইন্নসেন্ট ফেস দেখে আএ কিছু করলো না অন্তরাকে ডিপলি কিস করে তার উপর থেকে উঠে গেল,,

_আচ্ছা যাও আজ ছেরে দিলাম,,

অন্তরা গায়ে চাদর পেচিয়ে উঠে ওয়ায়শ্রুমের দিকে গিয়ে ভেংচি দেয়,,হৃদয় তেড়ে আস্তে নিয়ে বলে,,

_অন্তরায়ায়া,,

অন্তরাকে আর পায় কে এক দৌড়ে ওয়ায়শ্রুমে চলে গেল,,ফ্রেশ হয়ে আসলো,,দেখলো হৃদয় কালো কালারের টাউজার পরে খাবার সামনে নিয়ে বিছানায় বসে আছে,,অন্তরা ড্রেসিংটেবিলের সামনে গিয়ে মাথার থেকে তাওয়াল খুলে চুল ঝারছে,,,হৃদয় এক দৃষ্টিতে অন্তরার দিকে তাকিয়ে আছে,আব্র নেশা ধরে জাচ্ছে তার,,অন্তরা চুল আচড়াচ্ছে হঠাৎ পিছন থেকে হৃদয় জরিয়ে ধরে,চুলের মাঝে মুখ ডুবায়,,

_আহহহ জান যতো তোমাকে দেখি নতুন করে শুধু প্রেমেই পরি,,(বলেই অন্তরার ঘারে চুমু খেল)
_হুম হয়েছে ছারুন,,
_তোমাকে আরেকবার গোসল করার কারন বানিয়ে দেই?কি বলো?
_এই নাহ নাহ দূরে থাকেন,,(বলেই পিছে ফিরলো)
_নাহ আসো না,,(দুষ্টু হাসি দিয়ে)
_আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন একসাথে খাবো,,
_নাহ,আমি এখন তোমাকে খাবো,,
_ছিহ শুধু পচা কথা,লজ্জা লাগে না বলতে
_বউয়ের কাছে কিসের সরম জান,,

বলেই অন্তরাকে ধরতে আসলেই অন্তরা তার হাতের নিচ দিয়ে তার পিছে চলে যায়, হৃদয় অন্তরার দিকে ঘুরে যেতে নেয় অন্তরা কোন মতে ঠেলেঠুলে হৃদয়কে ওয়াশ্রুমে পাঠায়,,হৃদয় শাওয়ার নিয়ে এসে দেখে অন্তরা তার অপেক্ষায় বসে আছে,,তা দেখে মুচকি হাসি দিয়ে তাওয়াল টা বারান্দায় রোদ দিয়ে অন্তরার পাশে গিয়ে বসে,,

_স্টাট করো,,
_হুম আপনিও করেন,,

বলেই দুইজন খাওয়া শুরু করলো,,খাওয়া দাওয়া শেষে অন্তরা সব নিয়ে টেবিলে রাখলো বারান্দার দিকে যেতে নিলে হৃদয় অন্তরাকে ধরে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়,অন্তরা এক ভ্রু উচু করে বলে,,

_কিহ?
_আমার তোমাকে চাই,সব সময় চাই আমার পাশে চাই,,
_আমারও,,

বলেই অন্তরা নিজে হৃদয়ের ঠোটে চুমু দিল,হৃদয় তো অবাক,,

_এইটা কি হলো?
_আমার বর আমার ইচ্ছে,,(ভাব নিয়ে)

হৃদয় অন্তরার গলায় কুটুস করে কামড় দিয়ে বসলো,,অন্তরা আহহ বলে গলায় হাত দিয়ে বলল,,

_এইটা কি হলো?
_আমার বউ আমার ইচ্ছে,,

বলেই দুইজনে হেসে দিল,,হৃদয় অন্তরার গলায় মুখ দেয় যেখানে কাল রাত কামড়ে কালচে করে ফেলেছে সেখানে ছোট ছোট চুমু দিচ্ছে আর অন্তরা হৃদয়ের মাথায় হাত বুলাচ্ছে,,,

এভাবেই শুখে আনন্দে কাটছে তাদের জীবন,,অবশ্যই তাদের জন্য দোয়া করবেন😁

🖤সমাপ্ত🖤

(সামনে এক্সাম থাকায় পরতে হয়😩,,নাহলে আম্মু খুব বকে তাই তারাতারি গল্পটা শেষ করে দিলাম😔,নাহলে আমার ইচ্ছে ছিল আরও দূর নেওয়ার🥺গল্পটা কেমন লেগেছে আপনাদের কাছে অবশ্যই জানাবেন🥰)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে