হৃদয়ের বন্ধন পর্ব-১২

0
690

#হৃদয়ের বন্ধন
পর্ব:12
#লেখিকা:Afshana Afrin
,,,, সেই দিনের অতীত জানার পর কেটে যাই কয়েক মাস তোর্সা আর অর্নবের সম্পর্ক এখন স্বাভাবিক চলছে। অর্নব আর তোর্সা এক সাথে ঘুমায় মাজ কানে অরন্য। তবে এখন ও স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক হয়নি
অর্নব তোর্সাকে সময় দিয়েছে সব কিছু গুছিয়ে নেওয়ার বলতে গেলে এখন ওরা বয়ফেন্ড গালফেন্ডের মতো।
…………………………………………………………….
সকাল থেকে অর্নব দেখছে তোর্সা তার সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার করছে না কিছু জিজ্ঞাসা করলে শুধু উওর দেই। অর্নব অনেকবার প্রশ্ন করেছে কেন এমন করছে কোন উওর নেই। অর্নব রেডি হচ্ছে একা আজকে তোর্সা রেডি করাই নি। অর্নব এবার রেগে তোর্সার বাহু চেপে ধরে বলল সমস্যা কি কথা কেন বলছো না? আমার দোষ কি বলবে? তোর্সা অর্নবের হাত টা চারিয়ে বলে কি হয়েছে সেটা না হয় রাতে যানতে পারবে। অর্নব বলল না এখনি যানতে চাই না হলে যাবো না। তোর্সা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে সমস্যা নেই বসে থাকো। অর্নব হাল ছেরে দিয়ে রাগে বেরিয়ে যাই। অর্নব যেতেই তোর্সা কাউকে ফোন করে বলে সব রেডি তো। অপর পাশ থেকে বলে জি মেম সব রেডি।।তোর্সা মুচকি হেসে ফোন টা কেটে আদি কে কল দেই। আদি রিসিভ করতেই তোর্সা বলল ভাইয়া আপনি আজকে অরন্যর সাথে আমাদের বাসাই থাকবেন? আদি বলে কেন ভোন অর্নব তুমি তোমরা কি করবে? তোর্সা বলল ভাইয়া কাল বলবো প্লিজ একটু আসবা? আদি বলে এই ভাবে বলছো কেন অবশ্যই আসবো। তোর্সা বলে ধন্যবাদ ভাইয়া বলে ফোন কেটে দেই।

“””””রাত এগারোটায় অর্নব বাসাই আসে। তোর্সার সাথে রাগ করে অফিসেই কাজ করছে সারা দিন। বাসাই ডুকে সোজা নিজের রুমে চলে যাই গিয়ে দেখে তোর্সা নেই। ওয়াশ রুম চেক করে সেখানে নেই। অর্নব একটু ভাবুক হয়ে বলল কোথায় যাবে তোর্সা এমনিতে সকাল থেকে উল্টা পাল্টা আচরন কেন করছে কিছুই বুজলাম না! আচ্ছা অরন্যর রুমে দেখি তো বলেই অরন্যর রুমে ডুকে অবাক হয়ে চেয়ে আছে অরন্যর বেডে আদি বসে আছে অরন্য ঘুমে। অর্নব কে দেখে আদি বলে sir আপনাদের ঘুরা শেষ? অর্নব বলে কিইইই কিসের ঘুরতে যাওয়া? আদি উওর দেই তোর্সা বললো আপনাকে নিয়ে আজকে বাহিরে থাকবে তাই আমি যেন অরন্যর কাছে আসি। অর্নব চেঁচিয়ে বলে হোয়াট আর ইউ সিরিয়াস আদি তোর্সা তাহলে কোথায় 11:30 বাজে। অর্নব ধপ করে বিছানায় বসে পরে নিজেকে পাগল পাগল লাগছে কেন সারাদিন জেদ করে অফিসে ছিলো না হলে এমন হতো না। অর্নবের ভাবনার মাজে ফোনের শব্দ হয় অর্নব তারা তারি করে ফোন রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে কেউ বলে আপনার বউ কে দেখতে চাইলে মেসেজ করা ঠিকানায় চলে আসে আর কোন প্রশ্ন না। অর্নব আদি কে বলল তোর্সা কে পাওয়া গেছে তুমি অরন্যর সাথে থাকো আমি আসছি বলেই লোকেশন ধরে চলে যাই। তোর্সা যেই জায়গা তে আছে সেখানে আসতে অর্নবের বিশ মিনিট লেগেছে। অর্নব তাঁরা তারি করে গাড়ী থেকে নেমে দেখে এটা অর্নবের ভাংলো! চিন্তার মধ্যে থাকায় অর্নব নীজের ভাংলো চিনতে পারে নি। অর্নব আস্তে আস্তে এগিয়ে যাই।ভিতরে ডুকে দেখতে পাই সব অন্ধকার অর্নব তোর্সা বলে ডাকতে থাকে। তোর্সার খবর নেই। অর্নব ফোনের লাইট জ্বালিয়ে উপরে উঠে যাই এক এক করে সব রুমে যাই তোর্সা নেই। অর্নব এইবার বেশি ভয় পেয়ে যাই দৌড়ে ছাদে যাই ছাদ অন্ধকার। অর্নব চেঁচিয়ে বলে তোর্সা কোথায় তুমি প্লিজ বেবি আন্সার মি। আচমকা পেছন থেকে অর্নব কে জাপটে ধরে কেউ অর্নবের বুজতে বাকি নেই কে। রাগে অর্নব তোর্সার হাত সরিয়ে সামনে ঘুরে কিছু বলবে তার আগেই তোর্সা অর্নবের গলা জরিয়ে ধরে ঠুঁটে চুমু দিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে Happy birthday honey many many happy returns of the day my love…… অর্নব মনে মনে খুশি হলেও কিছুটা রাগ নিয়ে তোর্সার হাত সরিয়ে বলে বাসাই যাবো যদি ইচ্ছে হয় আসতে পারো বলেই চলে যেতে নেই তোর্সা সাথে সাথে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে পিঠে মাথা রেখে বলে so sorry honey তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো বলে এতো নাটক। অর্নব এইবার চেঁচিয়ে বলে আমি চাইনি এমন সারপ্রাইজ তুমি যানো কতো চিন্তায় ছিলাম মরে যেতাম আমি। তোর্সা অর্নবের মুখে হাত দিয়া চেপে ধরে বলে একদম বাজে কথা বলবা না সরি তো আর এমন হবে না এই বার মাফ করো আমি তোমার sweetheart হয় প্লিজ honey….
তোর্সার ইনোসেন্ট ফেইস দেখে অর্নব বলে ভবিষ্যতে যেন এই ভুল না হয়। তোর্সা বলে হবে না কসম জান এইবার চলো তো বলেই একটু সামনে গিয়ে একটা রিমোট টিপে সাথে সাথে আলো জ্বলে উঠে। তোর্সা অর্নব কে হাত দিয়ে উপরে দেখতে বলে অর্নব তাকিয়ে অবাক উপরে লেখা Happy birthday honey and sorry….
অর্নব হেসে তোর্সা কে জরিয়ে ধরে। তোর্সা এই বার অর্নবের হাত ধরে কেক কেটে অর্নব কে খাইয়ে দেই অর্নব ও তোর্সা কে খাইয়ে দেই। তোর্সা এইবার একটা গিফ্ট বক্স অর্নব কে দেই অর্নব খুলে দেখে ভিতরে একটা পাঞ্জাবী দামী ঘড়ি সানগ্লাস পারফিউম আর মানিব্যাগ। আরেকটা শাড়ি চুড়ি গহনা মেচিং। অর্নব এটা হাতে নিতেই তোর্সা বলে এটা আমার তরফ থেকে আপনার বউ এর জন্য বলেই হেসে দেই। অর্নব ও হেসে দেই।

অর্নব তোর্সাকে জরিয়ে ধরে বলে এই গিফ্ট হয়নি স্পেশাল টা চাই। তোর্সা অর্নবের জলা জরিয়ে ধরে উওর দেই আজকে রাত টা সরনীয় করে রাখবো তোমার জন্য honey একটু অপেক্ষা করো বলেই ওয়াশ রোমে ডুকে যাই। অর্নব আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুকন পর তোর্সা এসে অর্নবের কাঁধে হাত রাখে অর্নব পিছনে ঘুরতেই তোর্সা কে দেখে অবাক পরনে সাধা শার্ট হাটুর অনেক উপরে শার্ট দিয়ে শরির দৃশ্য মান। ঠুঁটে টক টকে লাল লিপস্টিক। অর্নব কে হা হয়ে চেয়ে থাকতে দেখে তোর্সা গলা জরিয়ে ধরে বলে কি হলো honey স্টেচু কেনো? অর্নব তোর্সা কে আরো সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলে এমন হট বউ দেখলে আর কি মাথা ঠিক রাখা যাই। তোর্সা অর্নবের গালে হালকা থাপ্পর দিয়ে দুষ্ট বলেই ধাক্কা দিয়ে রুমে চলে যাই। অর্নব পেছন আসে রুমে। অর্নব এগিয়ে যাচ্ছে তোর্সা পিছিয়ে গিয়ে বিছানায় শুয়ে অর্নব কে ইশারা করে অর্নব তোর্সার কাছে এসে উপরে জুকতেই তোর্সা অর্নবের শার্ট ধরে টান মেরে উপরে ফেলে দেই সাথে সাথে অর্নবের ঠোঁট আকরে ধরে। কিছু কন পর ছেরে দিয়ে বলে টেস্ট কেমন ছিলো honey… অর্নব দুষ্ট হেসে বলে অমরিত তবে আরো কিছু টেস্ট করতে হবে বেইবি বলে তোর্সা কে এলো পাতারি চুমু খাই তোর্সা ও অর্নবের সাথে পাল্লা দিয়ে চুমু খাচ্ছে। রাত গভীর হচ্ছে ততো নেশা বেরে চলেছে অর্নবের হাত আর ঠোঁট তোর্সার সারা শরীর ছুঁয়ে যাচ্ছে বিয়ের পাঁচ মাস পর আজকে তাঁদের মিলন হয় যার শাক্কি এই রাত আর পূর্ণিমার আলো….
চলমান…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে