সংসার পর্ব-২৩

0
1181

#সংসার
#পর্ব_২৩

#লেখিকা_সুরাইয়া_ইসলাম_সানজি

“আমি আর তিন মাস তো দূর তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে পারব না। তোকে চাই একদম আমার নিজের করে চাই।”
আকাশের কথায় জেনি মৃদু হেসে বুকে মাথা রেখে আবার চোখ বন্ধ করে।

বারান্দায় চেয়ার দুইটি একসঙ্গে করে বসে আছে মেঘ আর রুদ্র। দুজনের চোখে মুখে অনন্দের ঝলক। আকাশে তারার ঝলকানিতে সারা শহর ঝাপসা আলোয় ফুটে উঠেছে। ব্যস্ত মেঘগুলো আকাশের একপাশ থেকে ওপাশ ঘুড়ে বেড়াচ্ছে

আমি আকাশ ভাইয়া আর জেনি আপুদের দিকে তাকিয়ে বললাম-
“অবশেষে তাদের মিলটা হয়েই গেল।”

৪৫.
আমার কথা শুনে রুদ্র মৃদু হেসে ওঠে। নিস্তব্ধতা কাটিয়ে রুদ্রের কাধে মাথা রেখে আবেগী গলায় বললাম-
“রুদ্র আমার একটা ছোট্ট ছেলে বাবু চাই। পূর্ণতার খেলার সাথী এনে দিবেন প্লিজ। ওর পূর্ণতার মতো ছোট ছোট হাঁত পা হবে। একসাথে দুটো বাবু সারা বাড়িতে গুটিগুটি পায়ে হেঁটে বেড়াবে।”
,
,

ধমকা হওয়ার সাথে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। কিছুক্ষণ আগের ঝকঝকে রোদ পালিয়ে গিয়ে সেখানে এখন জায়গা নিয়েছে ঘন আধার। বাম হাতের ঘড়িটা জানান দিচ্ছে এখন বিকেল চারটা। অথচ চারপাশে আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছে সময় রাত নয়টার কাছাকাছি। জেনি জানালার গ্রিল ধরে হঠাৎ বদলে যাওয়া আবহাওয়া আনমনে দেখছে। ঝিরঝির বৃষ্টির কনা গুলো ছিটকে মুখে উপর পড়তেই বিরক্ত নিয়ে গ্রিল ছেড়ে রুমের দিকে পা বাড়ায়। সকাল বেলা বাড়িতে ঢুকার আগে কে জানত তাদের জন্য সামনে কি অপেক্ষা করছে।

আজ সকালে জেনি আর আকাশ নিজের গ্রামের বাড়ি বরিশালে যায়। বাবা মাকে তারাতারি বিয়ের সিদ্ধান্ত জানাবে। আগেই যেহেতু বিয়ে ঠিক করা ছিল তাই টেনশন বা ভয়ের কিছু ছিল না। ভেবেছিল বাড়িতে গিয়ে একটু জোর করে বললেই বিয়েটা হয়ে যাবে।

গ্রামের বাড়ি চারপাশের বাউন্ডারি দিয়ে ভিতরে একই সাথে আফজাল সাহেব আর ফোরকান সাহেবের বাড়ি। বাড়ির মাঝ খানে ফাঁকা মাঠের মতো জায়গা। একপাশে ছোট একটা পুকুর আর অন্যপাশে ফলের বাগান। বাড়ির এত সুন্দর পরিবেশ মাঝখানে একটা দেয়াল উঠে নষ্ট করে দিয়েছে।
আফজাল সাহেব আর ফোরকান সাহেব যথেষ্ট সমাজে জ্ঞানী গুনি লোক হলেও ভিতরের ছেলে মানুষি এখনো যাইনি। যার সূত্র ধরেই তাদের জগড়া।

বাড়ির মাঝে ফাঁপা জায়গায় দুই বন্ধু দুটো দল করে ছোট ছেলেদের সাথে ক্রিকেট বল খেলতে গিয়ে একটা বল এসে ফোরকান সাহেবের মাথায় লাগে আর সেই ছেলেটাকে আফজাল সাহেবের দলের লোক বলে সে কিছু বলেনি। ফোরকান সাহেবে প্রশ্ন কেন ছেলেটিকে কিছু বলে নাই নাকি সে ইচ্ছে করে বল মেরে তাকে মারতে বলছে? এই সামান্য বিষয়টাকে জগড়ায় পরিনত করতে তাদের দুই ঘন্টা সময়ও লাগেনি।তারপর থেকে দুজনে দুজনের সব বিষয় ধরে জগড়া করতে করতে এমন পর্যায়ে গেছেন তাদের বাড়ির মাঝে দেয়াল তুলতে হয়েছে। আর সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছেলে মেয়েদের বিয়া টা আর একসাথে দিবে না।
তবে তাদের এই ছেলেমানুষি নিয়ে বড্ড বিরক্ত মেহেতা বেগম আর লাইলি বেগম কিন্তু অতি ভদ্র ফেমিলীর মেয়ে হওয়ার জন্য স্বামীর কথা উপরে কথা বলতে চায় না। গোপনে গোপনে দুই বান্ধবী বেশ ঘনিষ্ঠ থাকলেও স্বামীদের কান পর্যন্ত সে কথা পৌছায় নাই।

আজ সকালে জেনি আর আকাশ বাড়ির মেইন গেইট খুলে বাড়ির মাঝখানে এমন একটা দেয়াল দেখে দুজনেই হতবম্ভ হয়ে গেল। দুজন দুজনের ঘরের দিকে চলে যায়। আকাশ ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখে আফজাল সাহেব সোফায় বসে পেপার পড়ছেন আর ফাঁকে ফাঁকে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন। তার সামনেই মেহেতা বেগম একরাশ বিরক্ত নিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন।

মেহেতা বেগম কে আফজাল সাহেব এমন উশখুশ করতে দেখে সোজা হয়ে তাকিয়ে চশমাটা চোখের উপর ঠেলে দিয়ে জিঙ্গেস করেন-

“এভাবে এদিক ওদিক না তাকিয়ে, কি বলতে চাও বলো?”

“আজ আকাশ আর জেনির আসার কথা, তাই বলছিলাম কি মাঝের দেয়াল টা যদি সরিয়ে ফেলেন। এটা আকাশ দেখলে কী ভালো হবে?”

বউকে কোনো কারন ছাড়াই এমন ভয় পেতে দেখে মনেমনে পৈশাচিক আনন্দ পান আফজাল সাহেব। একটু গম্ভীর গলায় বলেন-

“কোন দেয়াল টেয়াল সরানো যাবে না। বাড়ির মেইন গেটও আলাদা করব তাড়াতাড়ি। আকাশ কে বলে দিও যদি আমার বাড়িতে থাকতে চায় তবে যেন বিয়ে ভেঙে দেয়।”

আকাশ দরজায় পা দিতেই শুধু শেষের বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার কথা শুনে জিঙ্গেস করে কার বিয়ে ঠিক হইছিল আর কেনই বা ভাঙ্গবে। হঠাৎ পিছন দিক থেকে আকাশের কথা শুনে আফজাল সাহেব ভয়ে ঢুক গিলেন। ছেলের পাগলামি কোন কিছুই অজানা না তার কাছে। তবুও সাহস নিয়ে বলেন-
“ওই ফোরকান্নার মেয়ে জেনির সাথে তোমার বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছি। সেই সাথে ফোরকান ওর মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিবে বলে ঠিক করেছে তাই আমি তোমার বিয়ের জন্য অন্য জায়গায় মেয়ে পছন্দ করে রেখেছি। মেয়ের বাবা আমাদের থানার দারোগা।”

আকাশ অবাক হয়ে বলর-
“কিন্তু আমাকে এই বিষয়ে কোন কিছুই তো জানানো হয়নি। আর আমি এই বিয়ে না ভাঙ্গবো আর না অন্য বিয়ে করব।”

“আমি তোমার কাছে সিদ্ধান্ত জানতে চাইনি আকাশ। যদি আমাকে সম্মান করো তবে আমার বলার কথাকেও সম্মানের সাথে মেনে নেবে।”

আকাশ তার বাবার এমন কথা শুনে রাগে সামনে থাকা কাচের টেবিলটা ভেঙ্গে নিজের রুমে চলে যায়। জেনির সাথে বাসায় ফেরার পর ঠিক এমনটাই হয়েছে। জেনির বড় ভাবি বেশ কিছুক্ষণ এ বিষয়ে বোঝানোর পর ব্যর্থ হয়ে রুম ত্যাগ করেন। জেনি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পালিয়ে যাবে কিন্তু তার আগেই ঝড় শুরু হয়।
হঠাৎ বারান্দায় কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দে সেদিকে ছুটে গিয়ে দেখে আকাশ কাক ভেজা অবস্থায় বারান্দায় দাড়িয়ে নিজের ভিজা শার্ট টা মাছি তাড়ানো ভঙ্গিমায় ডান হাত দিয়ে ঝাড়ছে। জেনিকে আসতে দেখে বলল-

“তোর বারান্দাটা আগের থেকে পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছে এখন বেয়ে ওঠা বেশ মুশকিল। মুছে রাখিস তো।”

জেনি আকাশের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে দৌড়ে রুমের দরজা আটকে দেয়। কে কখন আসে বলা যায় না। দৌড়ে আকাশকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।

“আকাশ চল আমরা পালিয়ে যাই। এখানে থাকলে কখনো আমি তোর সাথে থাকতে পারব না।”

“ধুরর বোকা। আমাদের বাবাদের তো চিনিস ছোট ছোট ব্যাপার গুলো নিয়ে বড় বড় কান্ড করে থাকে। আমরা পালিয়ে গেলে তারা কষ্ট পাবে খুব আর সেই সাথে আমাদের কখনো আর ফেরা হবেনা এ বাড়িতে।”

“কিন্তু আকাশ ওরা আমার বিয়ে কাল ঠিক করেছে। কাল এখানে থাকলে আমার বিয়ে হয়ে যাবে।”

“উহু শুধু তোর না কাল আমার বিয়েও ঠিক করেছে। তাই এখনই নিচে গিয়ে সোজা কাকুর পা ধরে কান্না করবি আর আমিও বাবার পা ধরবো দেখবি এমনিতেই তাদের মন ঠিক হয়ে যাবে।

৪৬.
জেনি আকাশের কথায় মাথা নেড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গিয়ে বাবার পায়ের কাছে বসে পা ধরে বলে-
“বাবা আমি কাল বিয়ে করতে পারব না। আমি আকাশ কে ভালোবাসি সেই সাথে তোমাদের ও ভালোবাসি। আমি চাইলে এখন এখান থেকে আকাশের সাথে পালিয়ে যেতে পারি কিন্তু তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনা। আমি তোমার সব সিদ্ধান্ত মেনে নিবো তবে তোমার মেয়েটা তখন জীবন্ত লাস হয়ে যাবে। কখনো আর হাসবে না কাঁদবে না। তুমি কি চাও তোমাদের ছোট একটা কারনে আমার ভালোবাসা শেষ হয়ে যাক। তাছাড়া আকাশ কি দোষ করেছে?”

মেয়ের এমন আকুতি দেখে মনটা কেঁদে উঠলো ফোরকান সাহেবের। এত বড় মেয়ে, নিজের থেকে মেয়েকে বেশী বুদ্ধিমান মনে করেন সেই মেয়েকে তার পায়ের কাছে বসেছে কিছুতেই মানতে পারছে না। চোখের সামনে মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিলে কি হবে কথাগুলো কল্পনায় ভেসে উঠতেই আতকে ওঠে। না সে কখনোই চায়না তার হাসি খুশি মেয়েটা শেষ হয়ে যাক। ছোট ছোট ভুল গুলোর জন্য আজ এমন হয়েছে কিন্তু সে এটা তো ভুল করেনি। আফজালের কাছে গিয়ে ছোট হতে চান না এতে তার সম্মানের ঘাটতি হবে।

“তুই এভাবে বলছিস যখন তখন আমি তোর সব কথা মেনে নিব জেনি। তবে আফজালকে বল আমার সাথে এসে কথা বলতে।”

৩৬.
এতোক্ষণ পাশে বসে বাবা মেয়ের কান্ড দেখছিল লাইলি বেগম। এবার হিংস বাঘের মতো গর্জে ওঠে বলল-

“ক্যান আপনার মেয়ে আপনি বাপ। আপনি নিজে যাবেন আফজাল ভাইয়ের কাছে, সে আসবে কেন? আর আজ যদি আপনি না যান তবে আমি আমার মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাব। এতকাল সব পাগলামি সহ্য করছি কিন্তু এখন আমার মেয়েটার জীবন চোখের সামনে শেষ হতে দিব না।”

স্ত্রী কথায় ভয়ে পেয়ে যায় ফোরকান সাহেব। লাইলি বেগম এক কথার মানুষ সহজে রাগে না আর রাগলে থামানো মুশকিল। আনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নেয় সে নিজেই যাবে মেয়ের বিয়ের কথা নিয়ে।

এদিকে অনেক কষ্টে আকাশ তার বাবাকে রাজি করায়। আফজাল সাহেব ওঠে ফোরকান সাহের কাছে যেতে নিলে দরজার ফটিক দিয়ে ফোরকান সাহেব কে আসতে দেখে দৌড়ে এসে নিজের জায়গায় ভাব নিয়ে বসে পড়ে। এই বয়সে তার এমন পাগলামি দেখে আকাশ ঠোঁট চেপে হেসে ওঠে।

দুই পরিবার কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয় জেনি আর আকাশকে তারা পালিয়ে দূরে পাঠিয়ে দিবে। নয়তো যাদের সাথে ওদের বিয়ে কাল ঠিক করেছে তারাও নামি দামি লোক হঠাৎ বিয়ে ভেঙ্গে দিলে থানায় কেস দিয়ে দিতে পারে।
দুজনে বাবাদের পাগলামি দেখে গোপনে হেসে উঠে।

মেহেতা বেগম আর লাইলি বেগম বসে বসে পিঠা আর নাস্তা একটা বড় ব্যাগে ভরছে। এই দিয়ে নয় বাটা শুকনো পিঠে ব্যাগে রাখছে। বাসার কাজের লোক জব্বার চোখ দুটি বড় বড় করে বাড়ির মালকিনদের কাজ দেখছে। ফোরকান গোপনে একটা গাড়ি ভাড়া করেছেন, সেই গাড়িতে সবাই মিলে মালামাল রাখছে। আজ আর একটু রাত হলেই আকাশ আর জেনি এই গাড়িতে পালিয়ে যাবে।

গাড়ির সিটে বসে দুজনে অবাক। এত মালামাল দেখে জেনি জিঙ্গেস করে-
“আমরা তো পালিয়ে যাচ্ছি নাকি ডাকাতি করে পালাচ্ছি বলো তো, এত কিছু কেন?”

জেনির কথায় আকাশের মা মেহেতা বেগন বলেন-

“এক সপ্তাহের জন্য যাচ্ছিস, এগুলো সব লাগবে। আর শুন পিছনের ব্যাগে তোর পছন্দের নাড়ু আছে খেয়ে নিস। আর সাবধানের থাকিস। বাড়ি জব্বারের ফোনে প্রতি মিনিটে মিনিটে ফোন দিবি আমাদের কারো ফোনে ফোন দিবিনা সমস্যা হতে পারে।”

ওরা সবার কাছে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে পরে। জেনির সবার পাগলামি দেখে মুচকি হেসে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে-
“অবশেষে আমাদের একটা ইচ্ছে পূরণ হলো। পালিয়ে বিয়ে।”

আকাশ জেনির কথায় ভ্রু কুচকে জিঙ্গেস করে-
“এটাকে পালিয়ে বিয়ে বলে?”

ওরা ওদের বাসা বরিশাল থেকে গাড়ি করে ঢাকায় রুদ্রের বাসায় চলে আসে।

জেনি আপু আর আকাশ ভাইয়া কে এক গাড়ি মালামল দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। কাছে গিয়ে জিঙ্গেস করি-
“ভাইয়া তোমরা কি বিয়ে সাদি করে একেবারে চলে এসেছ। কই বললে না তো তোমাদের বিয়ে?”

আকাশ ভাইয়া একটু দম নিয়ে বলে-
“আরে ভাবী বাসা থেকে বিয়ের জন্য পালিয়ে এসেছি।”

আমি ভ্রু কুচকে গাড়ির দিকে ইশারা করে বললাম-
“এসব কেন?”

আমার কথা শুনে সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে রুদ্র স্যার বলে-
“মেঘ তুমি এসব বুঝবে না। ওদের পরিবার বাংলা সিনেমা কেও হার মানায়। এক গাড়িতে বস্তা বস্তা সবই খাবার। আংকেল আন্টি ওদের তিন চার দিনের খাবার ভেবে পাঠিয়ে দিয়েছে। কি তাই না জেনি?”
,

জেনি আপু তার বাসায় কি কি হয়েছে সব আমাকে খুলে বলতে আমি হাসতে হাসতে শেষ। তখন কপাট রাগ নিয়ে জেনি আপু বলে-
“মেঘ তুমি হাসছো? তুমি জান যখন শুনি আমার বিয়ে অন্য কোথাও ঠিক করেছে কতটা কষ্ট পাইছি।

জেনি আপুর মুখ থেকে কথা টানে নিয়ে আকাশ বলে-
“আর বলো না মেঘ ভাবছিলাম এইবার বুঝি পেত্নিটা ঘাড় থেকে উঠবে। কিন্তু তাও হলো না আরো বেশি করে চেপেছে।”

আকাশ ভাইয়ার কথা শুনে জেনি আপু পিঠে কয়েকটা কিল বসিয়ে দিতেই আকাশ ভাইয়া দৌড় দেয় পিছন পিছনে জেনি আপুও ছুটে যায়।

আমি তাদের দিকে তাকিয়ে উপরে উঠতে নিলে মাথা ঘুরে সিরি থেকে পড়ে যাই। দৌড়ে রুদ্র আমার কাছে এসে কোলের মাঝে নেয় কিসব বলতে থাকে আমি অনেক কষ্টে চোখ খুলে রুদ্রকে কিছুক্ষণ দেখি। তারপর চোখ বন্ধ হয়ে যাই আমার।
,
,
#চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে