মেঘবতী পর্ব-০২

0
4773

#গল্পঃমেঘবতী
#পর্বঃ০২
#লেখিকাঃঅনন্যা_অসমি

প্রিসাঃকি হলো সবাই এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?

সালমাঃএই মেয়ে তুমি ওনাদের উল্টোপাল্টা কি বুঝিয়েছো হ্যাঁ?আর ভাবি আপনারাও ওর কথামতো সবকিছু মেনে নিচ্ছেন।

অর্কের মাঃহ্যাঁ মেনে নিচ্ছি কারণ ওই আমাদের ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছে।

প্রিসাঃএই যে মিস্টার অর্ক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওনাদের কথা শুনবেন নাকি তাপসি আপুকে ফোন করেও ডাকবেন?

অর্কঃআমি এখুনি যাচ্ছি।

সালমাঃভাবি আপনারা এভাবে হুট করে বিয়ে দিতে পারেন না।

বিয়ে,তাপসি,ঠিক-ভুল এগুলো এতোক্ষণ কি হলো কিছুই বুঝতে পারলেন নাতো।এগুলো বুঝতে হলে আমাদের দু’ঘন্টা পেছনে যেতে হবে।

বিফোর টু আওয়ার্স ইন দ্যা রুম,

প্রিসাঃআসসালামু আলাইকুম।

অর্কের মা-বাবাঃহুম,ওয়ালাইকুম আসসালাম।

অর্কের বাবাঃতুমি আমাদের এখানে কেন এনেছো?

প্রিসাঃবলছি।আচ্ছা প্রথমে আপনাদেরকেই জ্ঞিজ্ঞেস করি।আপনারা কি বিয়ে ঠিক হওয়ার আগেই বিয়ে করবে কি করবে না বা ওনার কোন পছন্দ আছে কিনা এটা ওনার থেকে একবারো জ্ঞিজ্ঞেস করেছিলেন?

অর্কের মাঃমেয়ে দেখার আগে একবার বলেছিলাম কিন্তু সে কিছু বলেনি,তাই আমরা মৌনতা সম্মতির লক্ষণ ভেবে বাকি কথা আগাই।

প্রিসাঃআচ্ছা।বিয়ে ঠিক হওয়ার পর ওনার থেকে জ্ঞিজ্ঞেস করেছেন?

অর্কের বাবাঃনা।

প্রিসাঃআচ্ছা।আবার আমি একি প্রশ্নই করছি।বিয়ের ব্যপারে সায়নি আপুর সাথে কোন কথা বলেছেন?

অর্কের মাঃনা।

প্রিসাঃতো মিস্টার অর্ক,যেদিন দেখতে এসেছিলেন সেদিন সায়নি আপুর সাথে বিয়েতে মতো অমতের ব্যপারে কোন কথা বলেছিন কি?

অর্কঃনা।

প্রিসাঃএবারো না।ঠিক আছে কোন ব্যপার না।আচ্ছা আপনারা কি বিয়ের ব্যপারটা মিস্টার অর্কে বলার পর ওনার মধ্যে কোন পরিবর্তন খেয়াল করেছেন?

অর্কের মাঃহুম কেমন যেন সারাদিন মন মরা হয়ে থাকতো,ঠিকমতো খেতো না,কারোর সাথে ঠিক মতো কথা বলতো না।

প্রিসাঃকারণ জিজ্ঞেস করেছিল?

অর্কের বাবাঃনা।(মাথা নিচু করে)

প্রিসাঃহাহ্,আপনারা জানেন আজকে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার একটা বড় কারণ আপনারাও?

অর্কের বাবা-মাঃআমরা?(অবাক হয়ে)

ওনাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে অর্কের দিকে তাকালো।অর্ক এতক্ষণ মাথা নিচু করে ছিল।

প্রিসাঃতো মিস্টার অর্ক সেই মেয়েটা কে?

অর্কের মাথা তুলে অবাক হয়ে প্রিসার দিকে তাকালো।

অর্কের বাবা-মাঃমেয়ে?কোন মেয়ের কথা বলছো তুমি?

প্রিসাঃআমি সেই মেয়ের কথাই বলছি যাকে আপনার ছেলে ভালোবাসে।আপনারা জানেন আমি আপনাদের এতো প্রশ্ন কেন জ্ঞিজ্ঞেস করেছি?আসলে আমি আমি সিউর হতে চেয়েছিলাম আমার ধারনাটা ঠিক কিনা।আমি যখন থেকে এসেছি তখন থেকেই আমি খেয়াল করেছি মিস্টার অর্ক কেমন যেন মনমরা হয়ে বসে আছেন আর মাঝে সবার আড়ালে চোখের জল মুছছেন।তখনই আমার সন্দেহ হয় তাই আমি আপনাদের সাথে আলাদা করে কথা বলতে চেয়েছিলাম।শুনুন আঙ্কেল-আন্টি বিয়ে হচ্ছে একটা পবিত্র বন্ধন।বিয়ে মানে শুধু দুটো মানুষের একসাথে থাকা না,বিয়ে মানে জোড় করে মানিয়ে নেওয়া না।বিয়ে দুটো মানুষের মনকে একত্র করে।আপনাদের একবার উচিত ছিল ওনাকে জিজ্ঞেস করার ওনি কাউকে পছন্দ করে কিনা।

অর্কের বাবাঃঅর্ক ও যেটা বলছে সেটা ঠিক?

অর্কঃহুম।(মাথা নিচু করে)

অর্কের মাঃকে সেই মেয়ে?

অর্কঃওই মা আসলে…….

অর্কের মাঃবল কে সে?

অর্কঃতাপসি।

অর্কের মাঃতোর বন্ধু তাপসি?

অর্কঃহুম।

অর্কের বাবাঃআগে কেন বলিসনি?

প্রিসাঃআমি বলছি।উনি ভয়ে আপনাদের বলেন নিয় কারণ ওনার ধারণা ছিল উনি যদি আপনাদের বলতেন তাহলে আপনারা মেনে নিবেন না আর মেনে নিলেও ওনার অগোচরে ওনার ভালোবাসার মানুষটাকে কষ্ট দেবেন।কি মিস্টার অর্ক আমি ঠিক বলছি না?

অর্কঃ(মাথা নিচু করে রেখে)

অর্কের মাঃতুই আমাদের আগে বললি না কেন?তুই তো জানিস আমরা তোর কথা ফেলতে পারবো না।প্রথমবার না মানলে আমাদের আবার বুঝাতি কিন্তু এবার বলে তো দেখে পারতিস।

প্রিসাঃআন্টি ঠিক বলেছেন,আপনি ভয় পাচ্ছিল যদি আপনার ভালোবাসা তারা মেনে না নেয় তখন কি হবে সেটা ভেবে।কিন্তু আপনার উচিত ছিল একবার ওনাদের বলার।সেই সাথে একবার সায়নি আপুর সাথেও এই বিষয় কথা বলা উচিত ছিল।

অর্কের মাঃমা তুমি বুদ্ধিমতি একটা মেয়ে।কি সুন্দর করে আমাদের ভুলটা ধরিয়ে দিলে।আজ যদি তুমি না থাকতে তাহলে……(ভেজা ভেজা গলায়)

প্রিসাঃআহ্ আন্টি এখন ইমোশনাল হওয়ার টাইম না।এখন তাড়াতাড়ি চলুন এমনিতেই অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে।

এরপর তারা চারজনেই বাইরে চলে এলো।

সালমাঃএতোক্ষণ লাগে কথা বলতে?আচ্ছা যাইহোক চলুন দেরি হয়ে যাচ্ছে।

অর্কের মাঃআগে তো বউ আনতে হবে তারপর না বিয়ে হবে।

সালমাঃবউ!আরে বউ তো আপনার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে।

অর্কের মাঃও কেন বউ হতে যাবে?বউ তো হবে তাপসি যাকে আমার ছেলে ভালোবাসে।

সবাই অবাক হয়ে তাদের দিকে তাকাই।

প্রিসাঃকি হলো সবাই এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?

ফ্লাশব্যাক এন্ড……..

সালমাঃতুমি না বলেছিলে তুমি বিয়েতে রাজি?তোমাকে ওনাদের সাথে কথা বলতে না দিলে বিয়ে হবে না।তাহলে এখন এসব কি?

প্রিসাঃকখন বলেছিলাম?আমি তো বলেছিলাম আমি রাজি কিন্তু এটা তো বলিনি বিয়ের জন্য রাজি।দ্বিতীয়ত আমি বলেছি বিয়ে হবে না কিন্তু এটা বলিনি যে মিস্টার অর্ককে আমি বিয়ে করবো না।মোটকথা আমি কখনই বলি আমি মিস্টার অর্ককে বিয়ে করবো।আর রইলো ওই কথাগুলো কেন বললাম।এগুলো বলেছিলাম কারণ আমি জানত এইকথাগুলোর অর্থ আপনারা এটা বুঝবেন যে আমি মিস্টার অর্কে বিয়ে করতে রাজি।কিন্তু মোটেও সেটা নয়।আসলে আমার কিছু ডাউট ক্লিয়ার করার ছিল তাই আপনাদেরকে একটু বোকা বানালাম।

সালমাঃএই মেয়েতো দেখছি ধূর্ত চালাক।

প্রিসাঃও ধন্যবাদ।আমি কিছু জরুরি কথা বলবো আপনাদের।তাই সায়নি আপুর বাবা-মা,দাদি,ফুপি এবং মিস্টার অর্কের মা-বাবা এবং আমার বাবা-মা ছাড়া বাকি সবাই প্লিজ বাইরে চলে যান।

সালমাঃকেন সবাই বাইরে কেন যাবে?

প্রিসাঃকারণ আমি সে কথাগুলো বলবো সেগুলো যদি সবাই জানতে পারে তাহলে আমার মনে হয়না আপনারা কাউকে মুখ দেখাতে পারবেন।(সালমার কানে কানে)

এরপর তারা ছাড়া বাকি সবাই রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

রোকেয়া হাসানঃবলো কি বলবে?

প্রিসাঃতো বিয়ের সম্বন্ধটা কে এনেছিল?

সালমাঃআমি এসেছি।কেন কোন সমস্যা?

প্রিসাঃনা না কোন সমস্যা নেই।আচ্ছা চাচা-চাচি যখন উনি বিয়ের সম্বন্ধ এনেছেন বা মিস্টার অর্কের পরিবার সায়নি আপুকে দেখতে এসেছিলেন তার আগে আপনারা কি সায়নি আপুর সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন?তার মতামত জানতে চেয়েছিলেন?

সালমাঃওর আবার কিসের মতামত শুনি।

প্রিসাঃআমি আপনার থেকে জিজ্ঞেস করেছি?নাতো।তাহলে যতক্ষণ না কিছু জিজ্ঞেস করবো ততক্ষণ আপনি কিছু না বললে খুশি হবে।(চাপা রেগে)

জয়নাব(সায়নির বাবা)ঃনা জিজ্ঞেস করিনি।

প্রিসাঃএখানেও না।ওকে,তাহলে মিস্টার অর্কের পরিবার সায়নি আপুকে দেখে যাওয়া পর আপু মিস্টার অর্কে পছন্দ হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করেছেন?নাকি এটাতেও কিছু জ্ঞিজ্ঞেস করেননি?

জয়নাবঃনা।আমাদের পছন্দ হয়েছে তাই…..

প্রিসাঃআপনাদের পছন্দ হয়েছে তাই আপনারা বিয়ে পাকা করে ফেলেছেন।তাই তো?আচ্ছা,বিয়েটা কি আপনারা করবেন?বিয়ের পর সংসারটাকি আপনারা করবেন নাকি ওনারা দুজন?কি হলো উওর দিন।কেন ওনাকে একটা বারের জন্যও জিজ্ঞেস করেননি?উনি মেয়ে বলে কি ওনার কোন ইচ্ছে নেয় নাকি?

রোকেয়া হাসানঃএই মেয়ে তুমি কিন্তু…..

প্রিসাঃআমি আপনার সাথে কথা বলিনি তাই যার সাথে কথা বলছি সে ছাড়া বাকি সবাই কথা না বললে খুশি হবো।

জয়নাবঃ হ্যাঁ জিজ্ঞেস করিনি কিন্তু ওতো আমাদের……..

প্রিসাঃপ্লিজ এবার এটা বলবেন না যে আপু যদি আপনাদের বলতো তাহলে আপনারা মেনে নিতে।চাচা-চাচি না এটা আমি আঙ্কেল-আন্টিকেও বলছি।ওনারা দুজন যদি আপনাদের প্রথমে বলতো তারা অন্য কাউকে পছন্দ করে তাহলে আপনার কি আসলেই মেনে নিতেন?

সবাইঃচুপ।

প্রিসাঃকি হলো নেই তো কোন উওর?আপনাদের কাছে নেই কিন্তু আমার কাছে আছে।আমি বলছি তখন আপনারা কি করতে।সায়নি আপু এ কথাটা বলার পর চাচা আপুকে বকতো,তার ফোন কেড়ে নিতো,তাকে ঘরবন্দী করে রাখতো হয়তো কারো উসকানিতে তাকে মারধোরও করতো।আর আঙ্কেল- আন্টি আপনারা,আপনারা মিস্টার অর্কে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতেন যাতে তিনি বাধ্য হয়ে বিয়েটা করতো।

তারা চারজনেই মাথা নিচু করে রেখেছে।

প্রিসাঃআজকে যদি সায়নি আপু সাহস করে না পালাতো তাহলে কি হতো জানেন আপনারা।এখন অবশ্যই জানেন কি হতো।চার চারটা জীবন নরকে পরিণত হতো।মিস্টার অর্ক আর সায়নি আপু একই ঘরে থাকতো,আপনাদের সামনে হ্যাপি কাপল হওয়ার নাটক করতো কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যেতো।এটাও হতে পারতো তারা একসময় ডিভোর্স নিয়ে নিতো নয়তো পরক্রিয়ায় লিপ্ত হতো।আর না হয় বিয়ের দিনেই চারজনেই মারা যেতো।তখন হা হতাশ করেও কিছু হতোনা।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে প্রিসা আবার বলে শুরু করলো—

প্রিসাঃসায়নি আপু চলে যাওয়ার পর আপনারা যে মিস্টার অর্কের সাথে আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন,কেন?আজ যদি আমার জায়গায় অন্য কোন মেয়ে হতো আর সে যদি তখন চুপচাপ বিয়েটা করে নিতো তখন কি হতো জানেন?যদি ওনার সাথে আমার/অন্যকোন মেয়ের বিয়েটা আদৌও হয়ে যেতো তাহলে উনি কখনোই আমাকে/ওই মেয়েটাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতেন না।আমরা/তারা একিই ছাদের তলায় থেকেও আলাদা থাকতাম।এখন বুঝতে পেরেছেন আজ এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণ কারা,আপনারা।

জয়নাবঃআমরা বুঝতে পেরেছি ভুলটা আমাদের ছিল কিন্তু এখন কি করবো।সায়নি তো আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে।

প্রিসাঃসায়নি আপু আপনাদের ছেড়ে কোথাও যায়নি।আমার যতটুকু মনে হয় তারা এখন কোন কাজী অফিস আছে।তাই আশেপাশে কাজী অফিসগুলোতে খুঁজলেই আমার মনে তাদের পেয়ে যাবে।সেই সাথে আপনি সায়নি আপুকে ফোন করে দেখুন।ফোন সম্ভব বন্ধ থাকবে তাও চেষ্টা করুন নয়তো ওনার কাছের কোন বান্ধবীকে ফোন করুন আসা করি তাদের পেয়ে যাবে।

জয়নাবঃঠিক আছে আমি এখুনি যাচ্ছি।

প্রিসাঃদাঁড়ান চাচা,আমার আরো কিছু কথা আছে।
(কিছুক্ষণ চুপ থেকে)আজকে সায়নি আপুকে পাওয়া যাচ্ছে না এটা জানার কিছুক্ষণ পর আপনারা সবাই এটা সিদ্ধান্ত নিলেন সায়নি আপুর বদলে আমার সাথে মিস্টার অর্কের বিয়ে দেবেন।কেন?

জয়নাবঃকারণ আমাদের আত্মীয়দের মধ্যে তোমার থেকে বড় খুব কম মেয়েই আছে,সেই সাথে তুমি তাদের থেকে দেখতে শুনতে কিছুটা ভালো আর তোমার বাবার সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে তাই…।

প্রিসাঃআচ্ছা।কিন্তু এটা কেন করেছেন আপনারা?আপনাদের মেয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে আপনারা অন্য কারো মেয়েকে জোর করে অপরিচিত কারোর সাথে বিয়ে দিয়ে দেবেন।কেন?সম্মানের জন্য।আপনারা আপনাদের সম্মান বাচাঁনোর জন্য অন্যকারো লাইফ হেল করে দেবেন,এটাতো ঠিক না।আজ যখন আপনারা আমার সাথে মিস্টার অর্কের বিয়ের কথা বলছিলেন তখন বাবা-মা প্রথমেই বারণ করে দিয়েছিল প্রস্তাবটা কিন্তু আপনারাতো আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন।আজ যদি আমি না আসতাম তাহলে এই কাজটা নিশ্চয়ই অন্য আরেকটা মেয়ের সাথে করতে।(কিছুক্ষণ চুপ থেকে)শুনুন,জীবনটা কোন সিনেমা বা নাটক নয় যে যা খুশি করা যায়।এটা রিয়েল লাইফ তাই আমাদের প্রতিটা পদক্ষেপ সাবধানে ভেবেচিন্তে নেওয়া উচিত।

সবাইঃচুপ।

প্রিসাঃঅনেক হলো কথা।এবার বাইরে চলুন দেখি মিস্টার অর্ক তাপসি আপুকে নিয়ে এসেছে কিনা।

সবাই বাইরে চলে গেলো।কিন্তু বাইরে এসে এমন কিছু দেখতে হবে তারা কখনই ভাবতে পারেনি।

চলবে……….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে