ফারাহ পর্ব-০৯ এবং শেষ পর্ব

0
2484

#ফারাহ
#পর্ব:৯(শেষপর্ব)
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

২০,
পুকুর পাড়েই শুনশান নিরবতায় বসে ছিলো সজীব আর ফারাহ। সজীবের কথার উত্তরে ফারাহ আর কিছু বলতে পারেনি। দুজনের মাঝে খানিকক্ষণ নিরবতার জোয়ার বইয়ে যাবার পর সজীব মুখে খোলে। বলে,

“একটা বিষয় খেয়াল করেছিস ফারাহ?”

“কি বিষয় সজীব ভাই?”

“আজ তুই আমায় তুমি করে বলেছিস। সবসময় তো আপনি বলতি!”

সজীব ফারাহর দৃষ্টিতে চোখ মিলিয়ে কথাটা বলে। ফারাহ বিষয়টা একটু সময় নিয়ে বুঝতে পারে। আসলেই সে আজ সজীবের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে তুমি করেই বলে যাচ্ছে। ফারাহ লজ্জায় মিইয়ে যায়। মাথা নিচু করে ওরনার এককোণা হাতে পেঁচাতে শুরু করে। সজীব মৃদু হাসে। সে বলে,

“কি করে বললি আজ তুমি করে?”

“আমি জানিনা সজীব ভাই। কখন বলে ফেলেছি খেয়াল করিনি।”

ফারাহ তোতলানো স্বরে উত্তর দেয়। সজীব ফের মুচকি হাসে। সে নরম সুরে বলে,

” দেখ ফারাহ, ফাতিহার বিষয়টা যেটা ছিলো নিয়তির নির্মম পরিহাস আর কিছু জ’ঘন্য মানুষের মানসিকতার ফল। সেজন্য তোর বিয়ে হলেও যে একই ঘটনা ঘটবে! বা আমিও ফাতিহার স্বাৃীর মতোই হবো! এই বিষয়টা এভাবে চিন্তা না করে এরকম টাও তো ভাবতে পারিস! আমার পরিবার তোকে আদরে যত্নে ভালোবাসায় মুড়িয়ে রাখলো। ফুফুর সাথে তোর যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেই দূরত্বে মা নামক মানুষ টাকে তো কমই কাছে পাস। সেই মা-কে না হয় আমার মায়ের মাঝে ফিরে পেলি। সবটা সময় সবকিছু নেগেটিভ না ভেবে পজিটিভলিও তো ভেবে দেখা যায়! সবসময় শুধু খা’রাপেরই জয় হবে আর ভালো টারই পরাজয় এমন টা তো নয় ফারাহ। তোর কিশোরী বয়স থেকে এ অব্দি তোর জীবনে পুরুষ মানুষের শাসন, সেফটি দেওয়া, ঝগড়া হোক বা ভালো কথা সব কিছুতেই আমিই থেকেছি। আমাকে চিনিস, জানিস তাহলে বিয়েতে আপত্তি কোথায়?”

ফারাহ মনোযোগ দিয়ে সজীবের কথাগুলো ভাবলো। আসলেই তো সজীবের বলা প্রতিটা কথা ঠিক। তবুও বিয়ের প্রতি এতো অনীহা কেনো তার! এটা ফারাহ বুঝতে পারে না। সে ফাতিহার কথা মনে আসতেই চোখ বুঝে নেয়। ফুপিয়ে কান্না আটকানোর চেষ্টায় ভার কণ্ঠে বলে,

” আমার কষ্ট হয় সজীব ভাই। অনেকটা কষ্ট হয়। আমার আপু যাদের জন্য চলে গেলো, তারা দিব্যি সুস্থ ভাবে, সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করছে। আর আমার আপা ইহকাল পরকাল হারিয়ে অন্ধকার কবরে আজাব পোহাচ্ছে। আমার ভীষণ কষ্ট হয় সজীব ভাই। অন্যায়কারীদের আমি কোনো শাস্তি দিতে পারলাম না সজীব ভাই।”

সজীব ফারাহর কান্না দেখে নিজেও মনে মনে কষ্ট পায়। সে ফারাহর কাধে হাত রাখতে হাত উচিয়েও হাত নামিয়ে নেয়। ফারাহকে থামাতে ঝাঝালো স্বরে বলে,

“বাচ্চাদের মতো ফ্যাচফ্যাচ করে কান্না করা বন্ধ কর এখুনি। নয়তো থাপ্প/ড় খাবি। সমস্যা কি তোর? ফাতিহার কথা উঠলেই কেদে নদী বানিয়ে ফেলিস। চুপ কর বলছি।”

সজীবের ধম/ক শুনে ফাতিহা হালকা কেঁপে উঠে। সে দুচোখে চোখের জল মুছে কান্না সংবরণের চেষ্টা করে। কাঁপা স্বরে বলে,

“বোনটা আমার সজীব ভাই, হারিয়েওছি আমি। তুমি বুঝবেনা কেনো কান্না আসে!”

“আসছে আমার বুঝনেওয়ালী। বোন তোর একার নয় আমারও ছিলো। কষ্ট আমারও হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। নিয়তি মানতেই হয়। রাগ হয়, জেদ হয়। ইচ্ছে করে লোকগুলোকে খু/ন করে চলে আসি। কিন্তহ থাকেনা কিছু মানুষ, যারা শতো অন্যা/য় করেও জয়ের হাসি হাসে! আর অসহায়রা কান্নাটুকুই কুড়িয়ে পায়। আমরা সেই অসহায়ের কাতারে পড়েছি রে ফারাহ। যাদের শাস্তি আমরা দিতে পারিনি, উপরওয়ালা দিবেন একদিন, অবশ্যই দিবেন। তুই নিয়তিটা মেনে নে, দেখবি কষ্ট কম হবে। কারণ যতো তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিয়ে মেনে নেওয়া যায়, ততো তাড়াতাড়িই ভালো থাকা সম্ভব।”

ফারাহ সজীবের কথার জবাবে কিছু বলেনা। উঠে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়। সজীব বসারত অবস্থাতেই ফারাহর ওরনার কোণায় টান দিয়ে ধরে। ফারাহ ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকায়। সজীব তার দিকেই তাকিয়ে আছে। ফাটাহ ভ্রু নাচিয়ে জিগাসা করে,

“কি হলো! ওরনা ধরলে কেনো?”

“আমায় বিয়ে করতে তোর আপত্তি আছে ফারাহ?”

“আমার কপালে যদি তুমি থাকো, আমি তোমায় মেনে নিতে রাজী সজীব ভাই। তোমার কথাগুলো আমার মাথায় ঢুকেছে।”

ফারাহ চলে যায় ওরনা ছাড়িয়ে। সজীব চুলে হাত দিয়ে মুচকি হাসে। সম্পর্ক টা হালাল হবে, কারোর কথার আর পরোয়া করতে হবেনা৷ সে খুশিমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে রবের কাছে শুকরিয়া আদায় করে।

২১,
ফারাহ বাড়ির ভেতরে আসতেই দেখে তার মামী, নানী আর ছোটো মামা এসেছেন তাদের বাড়ি। উঠোনে চেয়ার পেতে সবাই বসে আছে। ফারাহ বাবা আর ভাইকেও দেখতে পায় সেখানে। তার মা রান্নাঘরে রান্নায় ব্যস্ত। ফারাহ কাছে গিয়ে শুনতে পায় সজীব আর তার বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ফারাহ লজ্জায় নিজের ঘরের দিকে চলে যায়। সজীবও একটু পর ফারাহদের উঠোনে প্রবেশ করে সবাইকে দেখে বলে,

“তোমরা এসেছো, কেউ তো ডাকলোনা আমায়!”

আজিমা বেগম বললেন,

“তোরা কথা বলছিলি, তাই ডাকিনি।”

“তোমরা কি নিয়ে কথা বলছিলে?”

সজীব মায়ের পাশে দাড়িয়ে প্রশ্নটা করে। সজীবের চাচা উত্তর দেন, বলেন,

“তোমার আর ফারাহর বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করছিলাম বাপ।”

সজীব লজ্জা পায়। সে আবিদকে নিয়ে আবারও বাড়ির বাইরে চলে যায়। সজীবের লজ্জা পাওয়া দেখে উপস্থিত সকলে একদফা হেসে নেয়। হাসি থামিয়ে আজমল আলী বলেন,

“তা ভাবী, বিয়ের দিন মানুষজন ক’জন আসবে না আসবে সে বিষয়ে তো ঠিক করা দরকার।”

“তেমন মানুষ আসবেনা ভাই। এই যে আপনার ছোটো সমন্ধি, আমার দুভাই আর বাড়ির বাচ্চারা আসবে। বাচ্চারা বলতে, সাইমা আর ওর চাচাতো ভাইবোন, দুই মামার দুই মেয়ে। ব্যস এ ক’জনই। এতো মানুষ এসে করবেই বা কি বলেন! যেখানে দিনক্ষণ ঠিক করাতে মানুষ পাঠাতে চেয়েও পাঠালাম না। সেখানে বিয়ের দিন চাপ দিয়ে সমস্যা তৈরি করার দরকার নেই। আল্লাহর রহমতে অল্প মানুষ এসে বিয়ে পড়িয়ে বউ নিলেই হলো।”

আজিমা বেগম উত্তরে কথাগুলো বলেন। এরপর সব মিলে বিয়ের তারিখ ঠিক করে নেন। কথা শেষে উনারা চলে যেতে উদ্ধত হলে আছিয়া বেগম আটকিয়ে খাবার দাবার সাজিয়ে খাবার খাওয়াতে বসেন। খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই চলে যেতে অগ্রসর হয়। যাওয়ার পথে সবাই এক এক করে বের হতে ধরলে সজীব একবার আড়চোখে ফাটাহর ঘরের দিকে তাকায়। ফারাহ কপাটের আড়ালে দাড়িয়ে লুকিয়ে সজীবের দিকে তাকিয়েছিলো। সজীব তাকাতেই তাদের ভালো করেই চোখাচোখি হয়ে যায়। ফারাহ ঘরের ভিতর ঢুকে যায় চোখাচোখি হতেই। সজীব মুচকি হেসে চলে যায় মা, দাদীর সাথে।

২২,
অপেক্ষার প্রহরে কাটছে দিন। সজীব আর ফারাহর বিয়ের বাকি আছে আর ২দিন। মাঝখানে ফারাহ কলেজ না যাওয়ায় ফারাহর সাথে দেখা হয়নি সজীবের। বাড়ির কাজ আর বিয়ের কেনাকাটা এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তার। যতোই মেয়ের বাড়িতে মানুষ না যাক, কিন্তু নিজের বাড়িতে তো অল্প স্বল্প আত্মীয় স্বজন আসবেই। তাদের জন্য তো আয়োজন করতেই হবে। অনেকটা দৌড়ের উপর থাকতে হচ্ছে তাকে। মানুষজনও কম যে হাতে হাতে এগিয়ে দিবে সব। সজীবের হাফ ছেড়ে বসার সময়টাও হচ্ছে না। আজিমা বেগম নিজের ভাইদের খবর দিয়েছেন আসার জন্য। এতে একটু সুবিধা হবে সজীবের। দিনশেষে ফারাহকে দেখতে অনেক ইচ্ছে করে সজীবের কিন্তু উপায় নেই। ফারাহর হাতে ফোন নেই, না আছে কথা বলার মতো সুযোগ। সজীব কাজের মধ্যেই ফারাহর চিন্তায় মগ্ন ছিলো। নিজের বুঝ দেয় সজীব। আর তো দুটো দিন। এরপর ফারাহকে তার করেই পাবে। নিজের করে পেয়ে ভালোবাসতে শুরু করবে। একটা সুন্দর জীবন উপহার দিবে ফারাহকে রব সহায় হলে। সজীব ফারাহর চিন্তার মাঝেই ফারাহকে মনে করে মুচকি হাসে।

অপেক্ষার প্রহর শেষ আজ। ফারাহকে বউরুপে সাজিয়ে নিজের করে আনতে বরবেশে মানুষজন সাথে নিয়ে কনে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়েছে সজীব। একটা অটোভ্যান আর সিএনজি রিজার্ভ করে নেওয়া হয়েছে। সাইমা, আর তাদের চাচাতো ভাই মাহিন, বোন মাসুমা আর সজীব সিএনজিতে বসেছে। বাকি মানুষ অটোভ্যানে৷ একটু সময় পর পৌছে যায় তারা বিয়ে বাড়ি। ফারাহদের বাইরের উঠোনে সজীবদের বসার আশোজন করা হয়েছে। আশেপাশের প্রতিবেশী, ফারাহর ফুফু, ফুফাতো ভাইবোনের আনাগোনা লক্ষ করা যাচ্ছে। ফারাহর চাচা, জেঠু নেই। সেজন্য ফারাহর বাবার একা হাতেই সব সামলাতে হচ্ছে। সাইমা আর মাসুমা সজীব বসতেই ফারাহকে সাজাতে বরপক্ষের লাগেজ নিয়ে চলে যায় ভেতরে। ফারাহকে কাচা হলুদে গোসল করিয়ে ঘরের মেঝেতে পাটি পেরে তার উপর কাথা বিছিয়ে একটা বালিশ সামনে দিয়ে কাচা বাসন্তী রঙের শাড়িতে মুড়িয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। দিহাত ভর্তি মেহেদীর রঙ। ফারাহকে দেখে সাইমা মাশা আল্লাহ বলে ফারাহর পাশেই বসে পরে। ফারাহর কাধ জড়িয়ে বলে,

“অবশেষে তোমায় ভাবী করেই পেলাম বুবু।”

সাইমার কথা ফুরোতে মাসুমা বলে,

“যাক আমরা দু ননদ মিলে তোকে ভীষণ করে জ্বা/লাতে পারবো। অচেনা মেয়ে আসলে ভাবতাম কে না কে আসলো! কি মনে করে। তোর বেলায় তা হবেনা ফারাহ।”

মাসুমা ফারাহ আর সাইমার বড়ো। ওদের কথায় ফারাহ উত্তর দেয়না
শুধু মাথা নিচু করে মিটমিট করে হাসে। মাসুমার বাবা তখন ঘরে আসেন। মেয়েদের ফারাহর সাথে গল্প করতে দেখে বলেন,

“গল্প বাড়ি নিয়েও করা যাবে মায়েরা আমার। এখন সাজাও ফারাহ মা-কে। আট টার আগেই সব সেরে বাড়ি ফিরতে হবে।”

“সাজাচ্ছি বাবা।”

মাসুমা উত্তর দেয়। এরপর ব্যস।ত হয় ফারাহকে সাজাতে। সাজানো শেষে বিয়ের বাকি কার্যক্রমও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়। খাওয়া দাওয়া শেষে আসে বিদায়ের পালা। বিদায়ের সময় ফারাহকে জড়িয়ে ধরেন আজমল আলী, আবিদ সবশেষে আছিয়া বেগম। ফারাহ বাবার জন্য চেখের জল ফেললেও আছিয়া বেগম জড়িয়ে ধরতেই কান্না থামিয়ে জানপর কাছে মুখ নিয়ে বলে,

“আপনাকে আমি কখনও ক্ষমা করবোনা। আমাদের সম্পর্ক মৃ/ত্যুর আগ অব্দি এমনই থাকবে।”

আছিয়া বেগম কিছু বললেন না মেয়ের কথায়। তবুও মেয়ে ভালো থাকুক। কিছু সম্পর্ক থাকেই এমন অসমাপ্ত। থাকুক না, যেমন খুশি। ফারাহকে গাড়িতে বসিয়ে দেয় মাসুমা। তিন বোনে পিছনে বসে৷ মাহিন আর সজীব ড্রাইভারের দুইপাশে বসে। এরপর রওনা দেয় বাড়ির উদ্দেশ্যে। ফারাহর বাবা ভাইয়ের জন্য কষ্ট লাগছে ভীষণ। তবুও বিয়ে যখন হয়েছে কিছু করার নেই।

আকাশে আজ অর্ধচন্দ্র। নিজেদের পুকুরের ধারে ফারাহকে একহাতে জাপ্টে বসে আছে সজীব। একঘন্টা যাবত সমস্ত নিয়ম মানা শেষে বাসর ঘরে প্রবেশ করে সজীব। ফারাহকে ফ্রেশ হতে বলে নিজে ফ্রেশ হয়ে পুরো বাড়ি যখন নিস্তব্ধতায় ছেয়ে যায়! সজীব ফারাহকে জিগাসা করে পুকুর ধারে আসবে কিনা! ফারাহ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়। এরপরই এসে দুজনে বসেছে। দুজনের মাঝেই নিরবতা। চারদিকে ঝিঝি পোকার ডাক, আর মাঝে মাঝে শেয়ালের ডাক শোনা যায় ধানক্ষেত থেকে। নিজেদের মাঝে নিরবতা কাটিয়ে ফারাহ ঘুমজড়ানো কণ্ঠে বলে,

“আমার ঘুম পাচ্ছে সজীব ভাই।”

সজীব আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়েই বলে,

“আমি তোর স্বামী এখন। ভাই বলবিনা।”

“আগের অভ্যাস। কি করে পাল্টাবো! আর ডাকবোই বা কি বলে!”

“অন্যন্য বউরা যেমন ডাকে, ওগো হ্যাঁ গো বলে তেমনই তুইও ডাকবি।”

ফারাহ লজ্জায় মিইয়ে যায় সজীবের কথায়। সজীব ফারাহর দিকে তাকায়। লজ্জা পেতে দেখে মুচকি হাসে। ফারাহকে আর একটু জড়িয়ে ধরে বলে,

“বিয়ের আগেই তোকে ভালোবাসতে ভয় পেতাম, যদি হারিয়ে ফেলি। আজ থেকে তোকে ভালোবাসতে আমার আর ভয় লাগবেনা ফারাহ। তোর নামের অর্থও যেমন আনন্দ, তুইও আমার জীবনের সেই আনন্দ। আর আমার আনন্দের মুখের হাসি কখনও আমার রব কেড়ে না নিক! আমি সেই চেষ্টা করবো। আমার আশা উপরওয়ালা আমাদের ভালো রাখবেন৷”

ফারাহ সজীবের কথায় সুখ সুখ অনুভব করে। চোখ বুঝে নিয়ে সজীবের বুকের মধ্যে আর একটু সিধিয়ে ঘুমজড়ানো কণ্ঠেই বলে,

“আমার বড্ড সুখ সুখ লাগছে সজীব ভাই। অনেকদিন পর আমার শান্তি লাগছে। আপনি এমনই থাকুন, পাল্টিয়েন না। আমরা ভালো থাকবো।”

সজীব ফারাহর দিকে তাকিয়ে ফের হেসে আকাশের দিকে তাকায়। অর্ধচন্দ্রের আলোয় তার পুরো চন্দ্র আলোকিত হয়েছে। তার চন্দ্র যেনো ভালো থাকে, তাকে যেনো ভালো রাখতে পারে সজীব। সেই দুয়ায় করে সজীব। মেয়েটার মনের সব ভ্রান্ত ধারণা তার রব যেনো মুছে দেয়। সজীব ফারাহকে আকড়ে নিজেও বিরবির করে বলে,

“রব সহায় হলে আমরা অবশ্যই ভালো থাকবো ফারাহ। অবশ্যই।”

সজীব আর ফারাহ ভালো থাকুক। সাথে ভালো থাকুক প্রতিটা মানুষ।

সমাপ্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে