ফারাহ পর্ব-০৭

0
1346

#ফারাহ
#পর্ব:৭
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

১৪,
ফারাহর কণ্ঠে অসম্ভব কথাটা শুনে আছিয়া বেগম খানিকটা তেতে উঠলেন। মেয়ের দিকে ক্ষীপ্ত গতিতে মেয়ের সামনে গিয়ে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললেন,

“কি অসম্ভব হ্যাঁ? কি অসম্ভব? বাপের মুখের দিকে তাকাবিনা? বিয়ে করতে হবে না তাইনা? বাপের অবস্থা না দেখে বাপের ঘাড়ে বসে আর কতো ভাতের চাল নষ্ট করবি! মেয়ে হয়ে জন্মালে শ্বশুর বাড়ি যেতেই হয়। সেটা যতো তাড়াতাড়ি যাবি, ততো ভালা। সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন সাজাবি, সেটা তোর ভালো লাগে না তাইনা? অসহায় বাপটা মাইনসের বাড়িতে খেটেখুটে ম”রুক, এটাই চাস তাইনা? কেমন মেয়ে তুই?”

ফারাহ মায়ের ঝাঁঝালো স্বরে বলা কথাগুলো শুনে একপ্রকার নিস্তব্ধতায় ছেয়ে গেলো তার কণ্ঠস্বরে। সে মা-কে পাশ কা’টিয়ে ঘর থেকে বেরুতে পা চালালো। যেতে যেতেই বললো,

” আপনি কেমন মা হলেন বলুন তো! মেয়ে বলেই বয়স, বুদ্ধি ঠিকমতো না হতেই শ্বশুরবাড়ি পাঠাতে লাফালাফি শুরু করেছেন? প্রশ্নের আঙুল আমার দিকে তুলেছেন! তার আগে নিজের দিকে তুলে দেখুন! তবে না বুঝবেন মেয়ে এমন কেনো! আঙুল সহজে সবসময় অন্যের দিকে তোলা যায়, বাকি আঙুল গুলো নিজের দিকেই থাকে, এটা মানুষ হিসেব করেনা৷”

আছিয়া বেগম মেয়ের কথা শুনে বললেন,

“হ্যাঁ জানি আমি মা হিসেবে একজন ব্যর্থ নারী৷ কিন্তু সে জন্য যে তোর জীবনটাও নষ্ট করবো বিয়ে দিয়ে! এই ধারণাটা বদলা। সজীবকে তুই ভালো করেই চিনিস৷ তাকে নিয়ে এতো সংকোচ কিসের তুই? তোর কোনো কষ্ট তো তোর নানী, মামী, সাইমা, সবথেকে বড়ো কথা সজীব মানুষ হিসেবে যেমন, তোর কোনো অসম্মান তো হতে দেবে না। তোর ভয়টা কোথায়! তোর অসহায় বাবার দিকে তো একবার তাকা!”

ফারাহ মায়ের কথায় হাটা থামিয়ে মায়ের দিকে তাকায়। বললো,

“আপনারা মা বাবারা এই একটা কথাতেই মেয়েদের দু্র্বল করে দেন। বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকা। এরপর আমরা নিজেদের মনের কথার বদলে আপনাদের কথা শুনে পরে কষ্ট পাই।”

ফারাহ উঠোনে বেরিয়ে পরলো কথাটা বলে। আছিয়া বেগম ঘরেই ঠায় দাড়িয়ে রইলেন। এক মেয়েকে হারিয়ে তিনি অন্য মেয়েকে হারাতে একদমই চান না৷ ফারাহর জন্য সজীব পাত্র হিসেবে খারাপ নয়। অন্যের বাড়িতে দিয়ে যেই ভয় টা থাকে, তার মায়ের কাছে, ভাই বউয়ের সংসারে বউ হিসেবে পাঠালে ফারাহকে নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারবেন উনারা। কিন্তু ফারাহ তো রাজীই হচ্ছে না। আছিয়া বেগম দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। সংসারের অবস্থা নাজেহাল। ছেলে মেয়ে দুটোর ভবিষ্যত কি ভাবতে ভাবতে পঞ্চাশার্ধ আজমল আলীর কপালে যে দিনশেষে চিন্তার ভাজ পরে, সেটা ভেবেই একপ্রকার হয়রান হয়ে আছেন আছিয়া বেগম। মেয়ের ভবিষ্যত বেধে দিলে বাকি থাকে ছেলে৷ তারও কোনো একটা গতি হয়ে যাবে সজীবপর হাত ধরে। স্বার্থপরের মতো নিজের ছেলেমেয়ের কথা ভেবেই সজীবের সাথে বিয়েটা দিতে উনার এতো তাড়াহুড়ো। আছিয়া বেগম ঘর ছেড়ে বাইরে আসেন। সংসারের বাকি কাজগুলোয় ব্যতিব্যস্ত হয়ে হাত লাগান। স্বামীর জন্য আবার ভাত নিয়ে যেতে হবে মাঠে। নিজেদের কিছু জমিতে ধান লাগানো হয়েছে, ঘাস বাছতে গেছেন উনি। বাড়ি আসবেন না খেতে৷ সেই ভেবেই আছিয়া বেগম হাতে কাজগুলো তাড়াতাড়ি করে শেষ করতে দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করেন। তখনই আজমল আলী বাড়ির উঠোনের চৌকাঠ মাড়িয়ে বাড়িতে ঢোকেন। আছিয়া বেগম ছাগলকে ঘাস কেটে দিচ্ছিলেন। স্বামীকে ঢুকতে দেখে তিনি বলেন,

“তুমি বাড়ি আসলে যে! খিদে বেশি পেয়েছে? আমি তো ভাত নিয়েই যাচ্ছিলাম কাজগুলো সেরে৷”

আজমল আলী বারান্দার খুটির কাছে পিড়ি নিয়ে খুটির সাথে হেলান দিয়ে বসে উত্তর দেন৷ বলেন,

“খিদের বিষয় না। তোমার বড়ো ভাই বউ ফোন দিয়েছিলো। কথা বলতে চান তোমার সাথে। বাড়িতে তো আর মোবাইল নাই। তাই আসতে হলো, ভাবলাম খেয়েও যাই, তুমিও কথা বলে নাও।”

১৫,
আছিয়া বেগম স্বামীর কথায় কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে ঘাস কে”টে দিয়ে সরে আসেন। স্বামীর সামনে পিড়ি পেতে বসে বলেন,

“ভাবী কিছু বলছেনি তোমায়? ফারাহর বিয়ের বিষয় নিয়ে কিছু? ”

“ভাত দাও, খেতে খেতে আলোচনা করি।”

আছিয়া বেগম মাথা হেলিয়ে সম্মতি দিয়ে কলপার থেকে পানি এনে ভাত তরকারি গামলা, বাটি ভর্তি করে নিয়ে আসলেন। স্বামীর সামনে থালায় ভাত বেড়ে দিয়ে বললেন,

“এবার বলো তো শুনি। চিন্তা হচ্ছে।”

আজমল সাহেব জবাব দিলেন না। উনি ফোন বের করে সজীবের মায়ের নাম্বারে কল দিয়ে ফোনটা আছিয়া বেগমের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,

“কথা বলো, খাওয়ার সময় কথা বলা ঠিক না৷ আগে ফোনে কথা বলা শেষ করো। এরপর বলছি।”

আছিয়া বেগম স্বামীর কথায় ফোন হাতে নিয়ে কানে ধরলেন। আজমল আলী খাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পরলেন। ডাল দিয়ে ভাত মেখে আলু ভর্তা দিয়ে গ্রাসে ভাত খেতে লাগলেন। আছিয়া বেগম স্বামীর খাওয়ার দিকে তাকিয়ে ফোন রিসিভ হওয়ার অপেক্ষা করেন। কিন্তু রিসিভ না হয়ে ফোন কে’টে আসে। এরপর ফোন বেজে উঠে। আছিয়া বেগম বুঝলেন অপাশ থেকেই তার ভাবী ফোন দিয়েছেন। তিনি রিসিভ করে বললেন,

“ভালো আছো ভাবী?”

অপাশ থেকে আজিমা বেগম উত্তরে বললেন,

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোদের কি খবর?”

“আলহামদুলিল্লাহ ভাবী, এই তো চলছে। আচ্ছা গুরুতর কিছু হয়েছে? হঠাৎ এতো জরুরী ভাবে কথা বলা! কি হয়েছে ভাবী?”

“হয়নি কিছু, চিন্তার করার মতো। শোন বলছি যে সজীবের মামারা, আর তোর ছোটো ভাই মিলে গিয়ে ফারাহর সঙ্গে সজীবের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে আসতে চাইছে। ঘরোয়া ভাবেই কাছের কয়েকজন মানুষ নিয়েই বিয়ে পরিয়ে ফারাহকে নিয়ে আসবে, এটাই আমি আর মা মিলে আলোচনা করেছি। শুধু তোদের মতামতের অপেক্ষা৷ আমার বড়ো ভাই দুজন আর তোর ভাই গিয়ে সব ঠিক করবে বলে যাওয়া। নতুন করে আত্মীয়তা হবে, একটু নিয়ম কানুন তো থাকেই, বুঝিসই তো৷ তোরা কি করবি? বেশি কি চাপে ফেললাম এটা বলে?”

“না ভাবী, আল্লাহ এতোটাও অক্ষম করে পাঠাননি, সংসারের অবস্থা তো জানোই। আমাদের সামর্থ্য মতো সম্মান করার চেষ্টা করবো। এখন যারা আসবে, তারা মন খারাপ বা ভুল না বুঝলেই হয়৷”

“সে না হয় আমি সামলে নেবো। কিন্তু সজীবকে তো রাজী করানো গেছে। ফারাহর কি খবর?”

“মানিয়ে নেবো ভাবী। চিন্তা করো না।”

“শোন আছিয়া, অন্তত ফাতিহা মায়ের মতো ফারাহর উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দিস না। সময় লাগলে নে, কিন্তু ফারাহকে জোড়াজুড়ি করে বিয়েতে রাজী করাস না। ফারাহর জিদ বেশি এটা মাথায় রাখিস।”

“ভয় পেয়ো না ভাবী। কিছু করবেনা ফারাহ।”

“আচ্ছা তবে ভালো থাকিস। ওরা যাওয়ার আগে আমি ফোন করে জানাবো। সম্ভবত সামনের সোমবার বা বুধবারে গিয়েই কথাবার্তা বলে আসবে। আজ তো বুধবার। একসপ্তাহ সময় আছে৷”

“আচ্ছা ভাবী, তবুও আসার ২-৩দিন আগেই জানিও। আয়োজনের একটা বিষয় আছে। জানোই তো গ্রামের কাছে ভালো দোকান নেই। শহর থেকে সব আনাতে হয়৷”

“আচ্ছা রাখলাম তবে।”

আজিমা বেগম কল কে”টে দিতেই আজমল আলী খাওয়া শেষে হাত ধুয়ে কাঁধে থাকা গামছা দিয়ে হাত মুখ মুছতে মুছতে বললেন,

“ভাবীকে তো বললে, ফারাহকে মানিয়ে নিবে। আদৌও এটা সম্ভব হবে তো?”

“তুমি ভয় পাচ্ছো? ”

আছিয়া বেগম প্রশ্নটা করলো স্বামীর চোখের দিকে চোখ ফেলে। আজমল আলীর মুখে বিষাদের ছায়া-রা ভীর করে। ভার কণ্ঠে বললেন,

“এক মেয়েকে হারিয়ে আরেক মেয়েকে পাথর বানিয়ে ফেলেছো। ভয় তো করবেই। সারাজীবন তোমার কথা শুনেই আসলাম। যার ফল দেখো আমার আদরের বড়ো মেয়েটা দুনিয়ার উপর নেই। তোমায় দেখে, তোমার সিদ্ধান্তে আমার ভয়ই লাগে আছিয়া।”

আছিয়া বেগমের মনের মাঝো ধক করে উঠলো কথাটা শুনে। বড়ো মেয়েটা নেই! এই শোক তো উনার নিজের মধ্যেও আছে। শোকের থেকে বেশি অপরাধ বোধ, যেটা রোজ উনাকে ভেতরে ভেতরে শেষ করে দিচ্ছে। শুধু সংসার টিকিয়ে রাখতে মনে পাথর বেধে সবার মাঝে সহজ হয়ে থাকলেও মনের মধ্যে রোজ কি ঝড় উঠে সেটা উপরওয়ালা আর তিনি ছাড়া কেউ জানেনা। শুধু শাস্তি পেলেই অপরাধের বোঝা নেমে যায় ঘাড় থেকে! ভেতরে ভেতরে গুমড়ে ম’রা, এটা কি শাস্তি না! আছিয়া বেগম নিজের ভাবনা গুলো মাথা থেকে ঝেড়ে স্বামীকে জিগাসা করলেন,

“কি বলতে চাইলে বললে না!”

আজমল আলী বসা থেকে উঠে উঠোন ছেড়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেরুতে বেরুতে বললেন,

“আমার ছোটো মেয়েটাকে জোড় করে মা”ইরো না আছিয়া। আমার বাইচা থাকার শক্তি থাকবো না৷”

আছিয়া বেগম স্বামীর কথার কি উত্তর দিবে! বুঝতে পারলেন না। উনি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। জীবনের অদ্ভুত নিয়মে আজ উনি স্বামীর কাছেও খু”নীর মতো। এরথেকে বড়ো শাস্তি আর কি হতে পারে জীবনে!

১৬,
কলেজের মাঠের উত্তর পাশে বড়ো এক কড়ি গাছের গুড়িতে গাছের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে ফারাহ। ক্লাস নেই আপাতত, ব্রেক চলছে। পুরো মাঠে ছাত্র-ছাত্রীর ছড়াছড়ি। অনেকে মাঠে ঘাসের উপর বসে গোল হয়ে আড্ডা দিচ্ছে, নয়তো ক্যান্টিনে ছুটছে খাওয়ার জন্য। ফারাহর পেটে খিদে, কিন্তু উঠে গিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে করছেনা। মনে আজ বড্ড মন খারাপের মেঘ জমেছে, তার কাঁদতে ইচ্ছে করছে খুব। সেটাও বড়ো বোনকে জড়িয়ে ধরে। যেটা এই জনমে আর সম্ভব না। ফারাহর ঝুব কষ্ট হচ্ছে! গলার মাঝে কান্নারা দলা পাকিয়ে আসছে। হাসফাস লাগছে খুব। কান্না আটকানোর বৃথা চেষ্টায় তার শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে যেনো। এমন সময় কেউ একজন তার দিকে পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বললো,

“নে ধর, পানি খা। এভাবে মরার মতো এখানে বসে কান্না আটকানোর থেকে কান্নাই করে ফেল। সবাই দেখলে দেখুক, মানুষের কথা ভেবে কান্না আটকে রেখে নিজের মনের কষ্ট বাড়ানোর দরকার নেই। মানুষ বড়োজোর একটু টিটকারিই করলো। এর বেশি কিছু করতে পারবেনা।”

ফারাহ চোখ তুলে তাকালে মানুষটার দিকে। তার দিকে পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে হাসিমুখে দাড়িয়ে আছে ফারাহর বান্ধবী শীতল। পুরো ক্লাস মিলিয়ে সে এই একটা মানুষের সাথেই কথা বলে। নিজের প্রিয় একজন ভাবে। আর শীতলই তাকে ফাতিহার পর ভালোমতো বুঝতে পারে। শীতলের থেকে দৃষ্টি নামিয়ে নিলো ফারাহ। কারোর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা তার। বাড়িতেও যেতে ইচ্ছে করছেনা। গেলেই মায়ের মুখে বিয়ের কথা শুনতে হবে। যেটা ফারাহর একদম পছন্দ হচ্ছে না। ফারাহ পানির বোতল নিলো না বলে শীতল বললো,

“কিরে ধর বোতল টা!”

“আমি একটু একা থাকতে চাই, তুই এখান থেকে ক্লাসে যা শীতল।”

ফারাহ শীতলকে নরম সুরেই কথাটা বললো। শীতল গেলো না, উল্টে ফারাহর পাশে বসে বললো,

“তোকে একা রাখবো বলে তো আমি আসিনি এখানে। আজ কলেজে আসার পর থেকে দেখছি তোর মন খারাপ। কি হয়েছে বল তো? আমার সাথে খেতেও গেলিনা। কি হয়েছে তোর?”

“কিছু হয়নি শীতল। একটু চুপ কর দয়া করে।”

শীতল দমলো না ফারাহর কথায়। সে ফারাহর দুগালে হাত দিয়ে নিজের দিকে ফেরালো। ফারাহর দৃষ্টি মাটির দিকে। শীতল বললো,

“তাকা আমার দিকে! আমার থেকে তো তুই কিছু লুকাস না। বল না আমায় কি হয়েছে?”

ফারাহ এবার নিজের কান্না দমাতে পারলো না। ফুপিয়ে কেঁদে বললো,

“মা আমার বিয়ে ঠিক করতে উঠে পরে লেগেছে শীতল। আমি বিয়ে করবো না এখনই।”

শীতল চমকালো খানিকটা। মুহুর্তে ফারাহর মা নামক মানুষটার প্রতি রা’গ তড়তড়িয়ে বাড়লো। এ মহিলা কোনো মেয়েকে শান্তি দিলো না। আদৌও মায়েরা এমন হয়! সে তবুও নিজেকে সামলে নিলো। ক্ষান্ত স্বরে বললো,

“ফারাহ, বোন আমার। তোর মা কি রে! হাপিয়ে উঠেন না উনি ভুল করতে করতে! থাক সেসব কথা, পাত্র কে? এ বিষয়ে কিছু বলেছেন উনি?”

ফারাহ মাথা উপর-নীচ করে বোঝালো বলেছে। শীতল জিগাসা করলো,

“পাত্র কে?”

“সজীব ভাইকে তো চিনিস। সজীব ভাইয়ের সাথে।”

“কিহ?”

শীতল আরেক দফা চমকালো। সজীবের সাথে ফারাহর যে দা-কুমড়োর সম্পর্ক, তার সাথে বিয়ে! সম্পর্কটার পরিণতি কি হবে! সজীবের নাম নিতেই শীতল ফারাহকে ধরে দাড় করিয়ে দিয়ে বললো,

“পিছন দিকে তাকা। যার নাম নিলি, সে হাজির। কিন্তু এখানে কেনো? কি করতে আসলেন উনি?”

ফারাহ শীতলের কোনো কথা বুঝতে পারলো না। শুধু শীতলের দৃষ্টি অনুসরণ করে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। দেখলো, কলেজের গেইট দিয়ে সজীব কলেজে ঢুকে তাদের দিকেই আসছে। কিন্তু সজীব ভাই এখানে কেনো! ফারাহর মাথাতেও প্রশ্নটা ঘুরতে থাকলো।

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে