প্রেমের পাঁচফোড়ন? পর্ব_৩৬

0
1993

প্রেমের পাঁচফোড়ন?
পর্ব_৩৬
#Writer_Afnan_Lara
?
ভাত চুলায় বসিয়ে আহানা টেবিলে বসে নোট কমপ্লিট করায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো
একেবারে ১২টার দিকে উঠে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলো সে
এরই মাঝে ঘটে গেলো দূর্ঘটনা আর সেটা হলো স্লিপ খেয়ে পড়ে গিয়ে জুতা ছিঁড়ে গেছে
হাতে এক টাকাও নেই যে জুতাটা সেলাই করবে, আবার অফিস যেতেও দেরি হয়ে যাবে
জুতা বাসায় রেখে চুপ করে বসে রইলো কিছুক্ষন
বাসায় আহানা খালি পায়ে থাকে,সেন্ডেল কেনার টাকা তার হাতেই থাকে না কোনোদিন
যেখানে ৫০/৭০টাকায় চাল পাওয়া যাবে এক মাসের সেখানে সেই টাকা দিয়ে সেন্ডেল কেনার কি দরকার,খালি পায়ে থাকতে থাকতে অভ্যাস হয়ে গেছে এখন,তাই কোনো উপায় না পেয়ে খালি পায়েই হাঁটা ধরলো সে
প্লাজো টেনে একটু নিচে নামালো যাতে পা দেখা না যায়
.
হেঁটে হেঁটে অফিসে আসলো সে,শান্ত কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতেসে
আহানা কেবিনে এসে বসতেই খেয়াল করলো বেবি আর আরও কয়েকজন মেয়ে হাসাহাসি করতেসে তার দিকে তাকিয়ে,এই হাসির কারন হলো আহানা খালি পায়ে এসেছে
একজন তো বলেই দিলো যে আহানা! আজ তুমি ভুলে জুতা ছাড়াই আসছো,হুস আছে তোমার?
আহানা চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে রইলো
.
শান্ত কাজ করতে করতে বললো জুতা ভুলে রেখে আসার মত জিনিস না,কি হয়েছে সেটা বলো
.
নাহ সত্যি ভুলে গেছি
.
তো তাহলে চলো নতুন জুতা কিনবে
.
নাহ
.
শান্ত কিছু না বলেই আহানার ব্যাগটা ছোঁ মেরে নিয়ে নিলো
.
এই আপনি আমার ব্যাগ নিলেন কেন,দিন বলছি
.
ব্যাগে একটা রুমাল,এক বোতল পানি আর ৫০পয়সার একটা সিকি
.
শান্ত হেসে দিয়ে বললো ব্যাগে তো আহামরি কিছু নেই তুমি যেভাবে রনচন্ডী রুপ ধারণ করলা তাতে তো ভাবলাম সোনা রুপা লুকানো
আর এই ৫০পয়সার সিকি রাখসো কেন?
.
কোনোদিন যদি ৫০পয়সার আরেকটা সিকি পাই তাহলে এটা আর ওটা মিলে তো ১টাকা হবে তাই না?
.
হাহাহা!তোমার ধৈর্য্য আছে বলতে হবে আহানা,ও মাই গড!!
চলো জুতা কিনবা
.
টাকা নেই আর আমি আপনার থেকে টাকা নিব না
.
যখন বেতন পাবে তখন নাহয় দিয়ে দিও,এখন তো তোমার জুতা দরকার তাই না?
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আহানা ভাবতে লাগলো, বেতন পেলে তো দিয়ে দিতে পারবো টাকা
ততদিন তো আর খালি পায়ে থাকা যায় না,হুম,আচ্ছা চলুন
অফিস শুরু হতে আর ৩০মিনিট বাকি,শান্ত আহানাকে নিয়ে বাটার একটা দোকানে আসলো,আহানার পায়ে হাত দিয়েই কর্মচারী চমকে বললো স্যার ম্যামের তো পা কাটা গেছে অনেকটা
.
না কাটা যায়নি,ইটের কণা ঢুকসিলো,ওটা ইটের কণার গুড়ো তাই রক্ত মনে হচ্ছে
শান্ত ছেলেদের জুতো দেখতেসিলো কর্মচারীর কথা শুনে কাছে এসে নিচে বসে আহানার পা ধরতে যেতেই ও পা সরিয়ে ফেললো
.
বললাম না ঠিক আছে,এই জুতাটা পছন্দ হইসে আমার,এটাই নিব,চলুন যাই
.
এই জন্যই তো ভাবি তুমি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতেসিলা কি জন্যে!!
আমাকে বললে কি কেউ তোমাকে বকতো?আজব মেয়ে তো তুমি!
পা কেটে পায়ের ভিতরের মাংস দেখা যাচ্ছে আর উনি বলে ইটের গুড়ো,বোকা পাইসো আমাকে?
আচ্ছা ভাই আপনাদের কাছে ফার্স্ট এইড বক্স আছে?
.
নাহ,বাট এনে দিতে পারবো আপনি একটু বসেন
কর্মচারী চলে গেলো ফার্স্ট এইড বক্স আনতে
শান্ত আহানার দিকে এমন করে তাকালো মনে হয় এখনই কাঁচা গিলে খেয়ে ফেলবে
আহানা বিরক্তি নিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে,জীবনে হাত পা কাটলে সে মলম লাগায় নাই এদিকে নজর ও দেয় নাই,এমনি এমনি ঠিক হয়ে যেতো আর এই লোকটা একটু কাটা গেলেই মলম নিয়ে হাজির হয়
শান্ত আহানাকে বকতে বকতে মলম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো পায়ে
নতুন জুতা বলে পায়ে দিয়ে হাঁটতে আহানার আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে তাও চুপচাপ হাঁটছে
.
তুমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকো আমি বাইক আনতেছি অফিসের গ্যারেজ থেকে
.
একটু গেলেই তো অফিস,আবার বাইক লাগবে না,ঐ যে অফিস দেখা যাচ্ছে
.
তো তুমি কি চাও পা আরও কাটাতে??নাকি আমি তোমাকে কোলে নিতাম?সব আমার কোলে উঠার ধান্ধা! বুঝি বুঝি,সব বুঝি
.
শুনুন!উল্টা পাল্টা কথা বলবেন না একদম, ঠিক আছে বাইকে করেই যাব,যান এখন বাইক নিয়ে আসেন
.
শান্ত বাইকের চাবি হাতে নিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে হেঁটে চললো অফিসের দিকে
তারপর বাইক নিয়ে এসে আহানাকে নিয়ে অফিসে ফিরলো
.
ওকে গাইজ সবাই কাল তৈরি হয়ে থাকবে
আমরা সকাল ৮টায় কুমিল্লার জন্য রওনা হবো,সবাই ২দিনের জামাকাপড় নিয়ে বের হবা,ওকে?আর অবশ্যই ফাইল গুলো সাথে নিবা
.
ওকে জিসান স্যার!

আহানা?
.
কি?
.
শান্ত বললো কাল তুমি মিষ্টিকে পড়িয়ে আমার সাথে অফিসে যেও,তারপর সেখান থেকে আমরা অফিসের গাড়ীতে উঠবো,তুমি তো হাঁটতে পারতেসো না তাই
.
আপনি বাইক নিয়ে অফিসে যাবেন?তো আপনার বাইকের কি হবে?কুমিল্লা তো অফিসের গাড়ীতে যেতে হবে
.
আরে আমি আর তুমি রিকসা দিয়ে যাবো
.
ওকে
.
এই নাও ৫০টাকা
.
কেন?
.
মিষ্টিকে পড়াতে আসার সময় রিকসা নিও
.
আমি টাকা নিব না,হেঁটে আসতে পারবো
.
পরে টাকাটা দিয়ে দিও,তাহলেই তো হয়
.
?ওকে,ধার কত টাকা হলো তাহলে?
.
জুতা ১০০,এখন ৫০,তুমি ১০০দিও
.
এক মিনিট!আমাকে বোকা পাইসেন?জুতা ১হাজার ৫০টাকা,আর এখন ৫০,তাহলে মোট হয় ১১০০ টাকা,আপনি মাত্র ১৫০পেলেন কই?
.
আরে আহানা ডিসকাউন্টে জুতা নিসি
.
তাই বলে ১০৫০টাকার জুতা ১০০তে দিয়ে দিবে?
.
তুমি জুতা কবে কিনসো মনে আছ তোমার?দোকানে ৯৯% ডিসকাউন্ট দিসিলো,সাইনবোর্ড দেখো নাই?
.
৯৯%ডিসকাউন্ট কেউ দেয়না,হয় ৫০% নাহয় ৪০% ,আপনি এত মিথ্যা কিভাবে বলেন?
.
আমি দেখসি সত্যি
আর তুমি আমাকে বেশি টাকা কেন দিতে চাচ্ছো,যত নিসে ততই দাও না
.
শুনুন,আমি দেখসি জুতার দাম ১০৫০,আর আপনিও এক হাজার টাকার নোট বের করসিলেন,সেটাও দেখসি আমি
.
তোহহহ?আমি তো জানতাম না ৯৯% ডিসকাউন্ট চলে,পরে ওরা আমাকে টাকা ফেরত দিয়া দিসে?
.
আপনি একটা পাগল,আমাকেও পাগল বানাবেন!!
.
ব্রেক টাইমে আহানা তার কেবিনে বসে শান্তর দিকে চেয়ে আছে,শান্ত রিয়াজের সাথে কথা বলতে বলতে একবার এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে
আহানা শান্তকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে যাচ্ছে,শান্ত আজ সাদা একটা শার্টের সাথে ব্লেক টাই পরেছে,কথা বলার মাঝে মাঝে চুলগুলো মাথা থেকে সরিয়ে এপাশ ওপাশ করছে,কত সুন্দর লাগতেসে,শান্তর ওয়াইফ অনেক লাকি হবে,তবে আবার কিসমত ও তার একটু খারাপ হবে কারন শান্ত অনেক ঝগড়ুটে,মাথা খাওয়ার মত ঝগড়া করে বেড়ায় সারাদিন,মাগো মা,আমি পাগল হয়ে যাই আর উনার ওয়াইফ তো মনে হয় ডেইলে ২বার জ্ঞান হারাবে ঝগড়া সহ্য করতে করতে
.
হাই!!!!
.
আহানা চমকে শান্তর থেকে চোখ সরিয়ে যে হাই বললো তার দিকে তাকালো,কোণার কেবিনের নিহাল এসেছে,নিহাল হাই বললো
.
আহানা আজ পর্যন্ত তার সাথে কোনো কথা বলেনি,এভাবে হঠাৎ হাই শুনে সে চমকে গেলো,ইতস্তত হয়ে বললো হ্যালো
.
কি খবর,অন্যমনস্ক হয়ে বসে আছো যে?এনিথিং রং?
.
নাহ,কিছু না
.
শান্ত কথা বলতে বলতে আহানার দিকেও নজর রাখতেসিলো,নিহালকে আহানার পাশে দেখে ফোনে কথা বলা অফ করে এগিয়ে এসে আহানার পাশে ওর কেবিনে বসে গেলো
.
নিহাল শান্তকে হাই বলে,আবার আহানার সাথে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো
.
রিয়াজ!!কি সমস্যা তোর??বুক করা জিনিসে মাছির মত ভাগ বসাতে আসিস কেন?
কি সমস্যা তোর? তোর জন্য কি মেয়ের অভাব পড়সিলো?বেয়াদব!
দুম করে ফোন কেটে শান্ত ফোনটা রেখে সামনে তাকিয়ে দেখলো নিহাল চলে গেছে
আহানা মুচকি হেসে পানির বোতল নিয়ে পানি খাচ্ছে
শান্ত ব্রু কুঁচকে নিহালের চলে যাও দেখছে,কোথা থেকে এসব বিনা দাওয়াতে চলে আসে কে জানে!
.
কোথা থেকে কি যেন পোড়া পোড়া গন্ধ আসতেসে
.
?কই আমি তো পাচ্ছি না
.
সর্দি লাগছে মেবি
.
হুম হতে পারে
.
অফিস ছুটির পর আহানা শান্তর বাইকে উঠতেই নিহাল বললো শান্ত তোমার কাজ থাকলে বলিও আমি আহানাকে ড্রফ করে দিয়ে আসবো
.
শান্ত হেলমেট পরতে পরতে বললো আমার কাজ তো শেষ আহানার যখন শেষ হয়েছে ঠিক তখন,সো ইউ ডোন্ট ওয়ারি
.
নিহাল মুখ বাঁকিয়ে চলে গেলো
.
আহানা মুখে হাত দিয়ে হাসতেসে
.
এই যে ম্যাডাম এত না হেসে আমাকে শক্ত করে ধরুন,নাহলে পড়ে যাবেন
.
আহানা হাত নিয়ে শান্তর কাঁধে রাখতে গিয়ে আগে হাত পড়লো শান্তর গলায়
.
শান্ত সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে হেসে বললো আহানা গলার উপরের পাশে একটু চেপে দাও তো,সকাল থেকে ব্যাথা করতেসে
.
আচ্ছা
আহানা সুন্দর করে মালিশ করে দিলো
.
থ্যাংকস এর জন্য আজ তোমাকে বাদাম খাওয়াবো
.
নাহ আমি বাসায় যাববো,হাঁটতে পারবো না আর
.
তোমার বাইক থেকে নামতেও হবে না,আর হ্যাঁ তোমাকে খাওয়ানোর এত শখ নাই আমার,আমি জাস্ট নিজে খাবো তো তাই বললাম তোমাকেও খাওয়াবো
না খেলে খেও না,আমি খাব,চা ও খাব তুমি চেয়ে চেয়ে দেখিও
শান্ত বাইক থামিয়ে গেলো বাদাম আনতে,বাদাম হাতে নিয়ে চায়ের দোকানে গিয়ে বললো চা বানাতে
বাদাম খাচ্ছে আর আহানার দিকে ফিরে বাদামে ফু দিচ্ছে
আহানা মুখ বাঁকিয়ে এদিক ওদিক দেখে যাচ্ছে
.
নাও বাদামের খোসা ছাড়িয়েছি,খাও এবার
আমার মা আমি রাগ করলে আমাকে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে দিতো কারণ আমার বাদাম অনেক প্রিয়
খাবা নাকি নাক টিপে খাওয়াইতাম
.
আহানা শান্তর হাত থেকে বাদাম নিয়ে মুখে দিলো,পাশ দিয়ে একটা কাপল হেঁটে যাচ্ছিলো ফুটপাতের উপর দিয়ে
মেয়েটা ছেলেটাকে বললো দেখো মানুষের বিএফরা তাদের জিএফকে বাদামের খোসা পর্যন্ত ছিলে দেয় আর তুমি কিনা আমাকে আজ পর্যন্ত বাদাম ও খাওয়ালে না
.
ছেলেটা থতমত খেয়ে বললো আজই খাওয়াবো,এমনকি এখনই,ওয়েট বাবু
ছেলেটা বাদাম নিয়ে এসে তার জিএফকে বাদাম ছিলে দিতে লাগলো
.
আহানা হাসতেসে ওদের দিকে চেয়ে
.
শান্ত এবার গেলো চা আনতে,চা নিয়ে এসে আহানার পাশে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো
.
দুজনেই চায়ে চুমুক দিয়ে একজন আরেকজনের দিকে তাকালো
.
আমার চায়ে চিনি বেশি দিসে,আর তোমার?
.
আমার চায়ে চিমি কম দিসে
.
দাঁড়াও,আমি ঠিক করে দিচ্ছি
শান্ত তার চায়ের কাপের অর্ধেক চা আহানার চায়ের কাপে ঢেলে কাপটা ভর্তি করলো,আবার সেই কাপের চা আবার তার কাপে ঢেলে ঠিক করে নিলো
হুম এবার পারফেক্ট?
.
চা খাওয়া শেষে দুজনে বাসায় ফিরে আসলো
আহানা জুতাটা খুলে খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে ভাত বসালো,খাওয়া শেষ করেই ঘুমিয়ে পড়লো সে,আজ খুব ঘুম পাচ্ছে,পায়ের ব্যাথার কারণে হয়তবা
সকালে অনেক কষ্টে উঠলো সে,ব্যাগে তার বাকি জামা,পানির বোতল,ফাইল,রুমাল আর ফোন নিলো
বাসা থেকে বের হতেই দেখলো রিকসা একটা দাঁড়িয়ে আছে
.
আহানা বললো যাবেন?
.
উনি বললো যাবে
.
আহানা চুপচাপ রিকসায় উঠে ভাবতে লাগলো তাদের এলাকায় সহজে রিকসা পাওয়া যায় না আর আজ কিনা ভোরবেলায় রিকসা পেয়ে গেলো
মিষ্টিদের বাসার সামনে এসে রিকসাআলাকে ৫০টাকা নিয়ে নামলো সে
তারপর এক ঘন্টা মিষ্টিকে পড়িয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে দেখলো শান্ত ব্যাগ নিয়ে বের হচ্ছে,ব্লু জ্যাকেট আর ব্লেক জিন্স পরেছে,চোখে সানগ্লাস,ব্যাগ বের করে আহানার দিকে চেয়ে মুচকি হাসলো সে
বাসা থেকে নেমে শান্ত একটা রিকসা নিলো,আহানা আগে উঠলো তারপর শান্ত,শান্ত উঠতেই আহানার মাথার সাথে দুম করে এক বাড়ি খেলো
.
আহহ মাগো,মাথা শেষ আমার!
.
একটু চেপে বসতে পারো না তুমি?
.
আর কত চাপবো??আপনার হাতের ফুলা ফুলা এগুলার কারণেই তো সরতে পারি না
.
ইউ মিন mussel?হাহা,তাহলে আহানা স্বীকার করতেসে যে আমার বডি আছে
.
এত কথা বলেন কেন আপনি?
.
মামা সোজা গিয়ে বাম পাশের গলি ক্রস করলে যে রেস্টুরেন্ট পড়ে,স্টার হোটেল,পপুলার হসপিটালের রাস্তার opposite পাশে ওটার সামনে দাঁড়াইও
.
রেস্টুরেন্ট কেন?
.
ওমা সকালের নাস্তা করবো না?
.
?আমি কিছু খাব না
.
পরে টাকা দিয়ে দিও
.
আপনি খাবারের খরচ যদি ৫০০পড়ে আপনি পরে বলবেন ৫০টাকা,আপনাকে চিনি আমি
.
আচ্ছা ৫০০ই বলবো ওকে?
.
রেস্টুরেন্ট এ এসে শান্ত পরোটা,ভাজি আর চা অর্ডার করলো
.
খাওয়া শেষে আহানা বললো তাহলে আপনি আমার থেকে ১০৫০+৫০+৩০০(নাস্তার খরচ)=১৪০০টাকা পাবেন
.
শান্ত টিসু দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বললো কিসের টাকা,কোথাকার টাকা?
.
ঐ যে জুতা,রিকসা ভাড়া আর এখন নাস্তার দাম
.
তো?
.
তো মানে কি,আমি বেতন পেলে দিয়ে দিব
.
আহানা তুমি কিসের টাকার কথা বলতেসো,আমি তো কোনো টাকাই দিই নাই তোমাকে
কাল তো তুমি তোমার টাকা দিয়ে জুতা কিনসো?
.
আজব তো,আপনি এত মিথ্যা কথা বলেন কেন?
.
ভাত আর নুন খেয়ে খেয়ে তোমাকে ইয়াবার নেশা ধরছে,ডাক্তার দেখাতে হবে
.
আপনি একটা বেয়াদব,মিথ্যাবাদি লোক আপনি
.
শান্ত বিল পে করে,ধনিয়া এক চিমটি মুখে দিয়ে ব্যাগ নিতে নিতে বললো আহানা আমি তোমার থেকে কোনো টাকা পাই না,তোমার স্মৃতি শক্তি লোপ পাইসে,তোমাকে মধু গরম পানিতে গুলিয়ে খাওয়াতে হবে,এখন চলো অফিসে যাই,গাড়ীতে বসে ঝগড়া করিও কেমন??
.
আহানা রাগে গজগজ করতে করতে পিছন পিছন গেলো শান্তর
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে