মেঘের আড়ালে রোদ ২ পর্ব-১৬ এবং শেষ পর্ব

0
85

#মেঘের_আড়ালে_রোদ
#সিজন_2
#পর্ব_১৬(শেষ পর্ব)
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

ছোঁয়া পানি খেয়ে পেছন ফিরতেই অবাক হয়ে গেল। গ্লাসটা টেবিলে রেখে দরজার কাছে ছুটে গেলো। হাত বাড়িয়ে নিরুপমার গালে রাখলো আজ এক সপ্তাহ পর মাকে দেখে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।

নিরুপমার চোখে জল, ছোঁয়াও কাঁদছে।

পেছন হালিমা বেগম মুচকি হেঁসে মা মেয়ের ভালোবাসা দেখছে। আমেনা বেগম এসে নিরুপমা কে দেখে খুশি হলো।

সবাই সোফায় বসে আছে, ছোঁয়া ত আজ খুব খুশি মা এসেছে।

হালিমা বেগম ইশারায় ছোঁয়া কে কাছে ডাকলো। ছোঁয়া একবার নিরুপমার দিকে তাকালো নিরুপমা হেঁসে বললো,’ তোমার শাশুড়ী ডাকছে কাছে যাও।’
ছোঁয়া আসতেই হালিমা বেগম নিজের পাশে বসালো হাতে হাত রেখে বললো,’ এখনো অভিমান করে আছো.? রেগে আছো আমার উপর.?
ছোঁয়াঃ না মামি।
হালিমা বেগমঃ সরি ছোঁয়া, আমি ভীষণ ভাবে লজ্জিত সব কিছুর জন্য।
ছোঁয়াঃ এভাবে বলবেন না মামি আমরা কেউ কিছু মনে রাখিনি।
হালিমা বেগমঃ আমাকে ক্ষমা করে আগের মতো আপন করে নেওয়া যায় না.?
ছোঁয়াঃ একটা গ্লাস ভেঙে তা আবার কি আগের মতো করা যায় মামি.?
হালিমা বেগমঃ আমি ত তোমার মায়ের মতো আর মা দের ভুল কি মেয়েরা বেশি দিন মনে রাখতে পারে!.?
ছোঁয়াঃ আমার কাজ আছে মামি আসি।
হালিমা বেগমঃ ছোঁয়া! সব কিছু ভুলে আমাকে আপন করা যায় না.?

ছোঁয়া কিছু না বলে রান্না ঘরে চলে গেল।
ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো সবাই।
নিরুপমাঃ ভাবি কিছু মনে করবেন না জানেন ত ছোঁয়া কতোটা অভিমানী আর ও সবচেয়ে বেশি আপনার কাছে থাকতো আঘাত টাও আপনার কাছ থেকে পেয়েছে তাই।
হালিমা বেগম চুপচাপ বসে রইলেন।

___________

আহনাফ একের পর এক প্লেন করে যাচ্ছে কিভাবে মহুয়াকে প্রপোজ করবে। বাবা ছেলে মিলে একটা কেক বানাতে শুরু করলো।

মিম রাস্তা পাড় হতে গিয়ে একটা বাইকের সাথে ধাক্কা খেতে খেতে বেঁচে গেল।
রেগে বাইকের দিকে একটা ইট মারলো সাথে বকা ত আছেই।

কিছু দূর গিয়ে বাইকটা থেমে গেল৷ বাইক থেকে হেলমেট খুলে নেমে আসলো রাফি।

রাফিকে দেখেই মিম থমকে গেল,অটোমেটিক মুখ বন্ধ হয়ে গেল।
রাফি মিমের সামনে এসে বললো,’ আপনি ঠিক আছেন.?’
মিম উপর নিচ মাথা নেড়ে হ্যাঁ বুঝালো।
রাফিঃ সাবধানে রাস্তা পাড় হতে হয়! এভাবে তারাহুরো করে কোথায় যাচ্ছেন.?
মিমঃ আসলে আমার একটু জলদি ভার্সিটিতে জেতে হবে।
রাফিঃ চলুন নামিয়ে দিয়ে আসি।
মিমঃ না থাক আমি চলে যাব।
রাফিঃ চলুন..
কি ছিল এই একটা কথায়.? চলুন বলতেই মিম জমে গেল। এই ছেলেকে দেখলেই নিজেকে এলোমেলো লাগে মিমের, কিন্তু কেনো.? এমনটা হয় কেনো.? এই উত্তর কোথায় পাবে মিম.?

মিম গিয়ে দূরত্ব রেখে বসলো।
রাফিঃ আমার কাঁধে হাত রাখুন, না হয় পড়ে যাবেন।
মিমঃ নাহ্ আমি ঠিক আছি।
রাফি সামনের দিকে তাকিয়ে মুখে শয়তানি হাসি ফুটিয়ে বাইক টান দিল মিম ভয়ে চুপসে আছে। এই ছেলে এতো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে! সাথে মিম ত ওর পরিচিত নয় শুধু একবার দেখা হয়েছে আজ নিয়ে দ্বিতীয় বার তবুও এই ছেলের কথা শুনে মনে হচ্ছে কতো পরিচিত একজন আরেকজনের।

মিম কে নামিয়ে দিয়ে রাফি মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো,’ ভালো থাকবেন,আবার দেখা হবে।’

মিমও হাসির বিনিময়ে হাসি ফিরিয়ে দিল।

মিম চলে যেতেই রাফি নিজের আসল রুপে চলে আসলো। রাগী চোখে মিমের দিকে তাকিয়ে বললো,’ তুমিও বুঝবে মন ভাঙার আর্তনাদ কতোটা ভয়ংকর। ‘

মিম কিছুতেই কিছুই মন বসাতে পারছে না। বার বার রাফির কথা মনে পড়ছে। ওর হাসি, কথা বলার স্টাইল, তাকানো, আবার দেখা হবে!

মিমঃ ইশশশশশশ মিম তুই পাগল হয়ে যাবি। এতো কেন মনে পড়তে হবে! আমি আর একবারও তার কথা ভাববো না। অথচ চোখ বন্ধ করতেই সে।

____________

মহুয়া বাসায় এসে দেখে বাসার অবস্থা খুব খারাপ।

মুখ গোমড়া করে সোফায় বসে আছে আহনাফ ওর পাশেই কাঁদো কাঁদো মুখ করে বসে আছে আলভি।

মহুয়া প্রথম আলভির কাছে গেল। আলভিকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো মন খারাপ কেন.? কে বকেছে.?
আলভি মহুয়াকে দেখেই ভ্যাঁ করে কান্না করে দিল।

মহুয়া অবাক হয়ে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে নিল রেগে তাকালো আহনাফের দিকে।

আলভি কান্না করতে করতে বলে উঠলো, ‘ আব্বু হাত! আব্বু হাত..।
মহুয়া ভেবে নিল আহনাফ আলভিকে মেরেছে, সেই জন্য আব্বু হাত বলছে।

মহুয়াঃ আপনার সাহস কি করে হয় আমার সন্তানের গায়ে হাত তুলার.? আমি ত কখনো এই সন্তান আপনার পরিচয় দেইনি তাহলে আজও কেন এতো রাগ আমার সন্তানের উপর! কিসের রাগ! বলেছেন ত এই সন্তান আপনার নয়,আমিও মেনে নিয়েছি তাহলে কেন আজ এই বাসায় আপনি.? কেনো এসেছেন.? আমি আর আমার সন্তান আপনার কাছে অপবিত্র, ঠিক আছে আমরা পবিত্র হই আর অপবিত্র আপনার সাথে ত আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই তারপরও কেনো.???

আহনাফ চুপচাপ তাকিয়ে রইলো মহুয়ার দিকে, মহুয়ার চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে, রাগে ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে।

মহুয়াঃ আমাদের বাসা থেকে এই মুহূর্তে চলে যান, আর কখনো জেনো আপনার ছায়াও না দেখি।
আহনাফঃ মহুয়া!
মহুয়াঃ চুপপপপপ!আমার নাম মুখে নিবেন না।
আহনাফঃ আমার কথা ত শুনবে।
মহুয়াঃ কি শোনবো.? আমার সন্তানের নামে নালিশ.?
আহনাফঃ আমি বলি আগে!
মহুয়াঃ আমি আপনার কোনো কথাই শোনবো না।

আহনাফ রাগে চুপচাপ উপরে চলে গেল।

মহুয়া আলভিকে নিয়ে সোফায় বসে পড়লো।
আলভি মায়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,’ আব্বুর হাত পুড়ে গেছে বলেই আবার কান্না শুরু করলো।’
মহুয়াঃ কি.??
আলভিঃ আব্বু কেক হাত পুড়ে গেছে।
মহুয়াঃ আব্বু তোমাকে মারেনি.?
আলভিঃ না
মহুয়াঃ বকেছে?
আলভিঃ না
মহুয়াঃ তাহলে কাঁদছো কেনো.?
আলভিঃ আব্বু কেক হাত পুড়ে গেছে।

মহুয়া আলভিকে বসিয়ে দ্রুত উপরে গেল।
আহনাফের রুমের দরজা লাগানো
মহুয়া বার বার নক করতে শুরু করলো ।
আহনাফ এক পর্যায়ে দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলো, ” আর কিছু বলবে.? আর কিছু বলার বাকি আছে.?”
মহুয়াঃ হ্যাঁ বলবো! বলবো বলেই ত এসেছি।
আহনাফঃ বলো।
মহুয়াঃ সরো..
মহুয়া ভেতরে চলে আসলো৷ আহনাফ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।
মহুয়া আহনাফের সামনে দাঁড়িয়ে বললো,’ হাত দাও’
আহনাফঃ কেনো.?
মহুয়াঃ দিতে বলেছি দাও।
আহনাফ এক হাত বাড়িয়ে দিল।
মহুয়া ভালো করে হাত উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখলো৷
আহনাফ চুপচাপ মহুয়ার পাগলামি দেখছে।
মহুয়াঃ অন্য হাত দাও
আহনাফঃ মহুয়া যাও..
মহুয়াঃ তুমি কি আমার কথা বুঝতে পারছো না!.? হাত দিতে বলেছি।
আহনাফ অন্য হাত দিতেই মহুয়ার বুক কেঁপে উঠল।
মহুয়াঃ হাতের এই অবস্থা কেনো.? কিভাবেহলো.?
আহনাফঃ তেমন কিছু না ভালো হয়ে যাবে।
মহুয়াঃ পুরো হাত পুড়ে গেছে কিভাবে হলো.?
আহনাফঃ বাদ দাও।
মহুয়াঃ আপনি সব কিছু বাদ দিতে পারেন আমাকেও।
আহনাফঃ তুমি ছাড়া আমার জীবনের সবকিছু বাদ দিলাম।
মহুয়াঃ হাত ত ডাক্তার দেখাতে হবে চলুন।
আহনাফঃ ভুলে যাচ্ছেন কেনো ম্যাডাম আমি নিজেই ডক্টর।
মহুয়াঃ কেমন ডক্টর আপনি যে এখনো হাতে মলম, বা বরফ কিছুই দেননি।
আহনাফঃ আপনার কথা গুলো বরফ হতে পারতো অথচ প্রতিটা কথা মরিচের মতো ছিল। যেমন করে পুড়ে যাওয়া হাতে মরিচ দিলে যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠে ঠিক তেমন করে আমার হৃদয় ছটফট করছে।
মহুয়াঃ সরি..
আহনাফঃ আপনি জানেন আমি আপনার মুখে সরি শুনতে পারি না।
মহুয়াঃ আমি মলম নিয়ে আসছি।
আহনাফঃ আপনি মলম হয়ে যাননা! একবার জড়িয়ে ধরে ভালোবাসি বলুন এটাই আমার মলম।

মহুয়া কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
কিছু সময় পর হাতে মলম নিয়ে এসে আহনাফের হাতে লাগিয়ে দিল।
আহনাফ মুখ ভার করে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। কবে আসবে সেই দিন.? কবে অপেক্ষা শেষ হবে.?

মহুয়া মলম লাগিয়ে বললো,’ কিছু খেয়েছেন.?’
আহনাফঃ নাহ।
মহুয়াঃ আমি খাবার নিয়ে আসছি।
আহনাফঃ আমি খাব না।
মহুয়া আহনাফের গালে নিজের হাত রাখলো। আহনাফ ফিরে তাকাতেই মহুয়া আস্তে করে আহনাফের বুকে নিজের মাথা রাখলো।
আহনাফ খুশিতে কি রিয়াকশন দিবে ভুলে গেল। বুকে ভেজা কিছু অনুভব হলো মহুয়া ফুপিয়ে উঠলো।
আহনাফ বুঝলো মহুয়া কাঁদছে।
আহনাফঃ মহুয়া..
মহুয়াঃ জানেন কতোটা কষ্ট কর ছিল আমার এই লড়াই, কিভাবে কাটিয়েছি এই পাঁচটা বছর। কিভাবে একা এই সন্তান বড় করেছি, সন্তান পেটে নিয়ে প্রতিদিন অফিস করে বাসায় ফিরে মনে হতো এর বুঝি মৃত্যু ভালো! যখন আপনার কথা মনে হতো কেমন দমবন্ধ হয়ে আসতো..
আহনাফঃ আমি অনেক বড় অন্যায় করেছি তোমার সাথে আমাকে ক্ষমা করে দাও।আর কখনো কোনো দুঃখ তোমাকে ছুঁতে পারবে না আমি দিব না।হলো.?
আহনাফঃ তেমন কিছু না ভালো হয়ে যাবে।
মহুয়াঃ পুরো হাত পুড়ে গেছে কিভাবে হলো.?
আহনাফঃ বাদ দাও।
মহুয়াঃ আপনি সব কিছু বাদ দিতে পারেন আমাকেও।
আহনাফঃ তুমি ছাড়া আমার জীবনের সবকিছু বাদ দিলাম।
মহুয়াঃ হাত ত ডাক্তার দেখাতে হবে চলুন।
আহনাফঃ ভুলে যাচ্ছেন কেনো ম্যাডাম আমি নিজেই ডক্টর।
মহুয়াঃ কেমন ডক্টর আপনি যে এখনো হাতে মলম, বা বরফ কিছুই দেননি।
আহনাফঃ আপনার কথা গুলো বরফ হতে পারতো অথচ প্রতিটা কথা মরিচের মতো ছিল। যেমন করে পুড়ে যাওয়া হাতে মরিচ দিলে যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠে ঠিক তেমন করে আমার হৃদয় ছটফট করছে।
মহুয়াঃ সরি..
আহনাফঃ আপনি জানেন আমি আপনার মুখে সরি শুনতে পারি না।
মহুয়াঃ আমি মলম নিয়ে আসছি।
আহনাফঃ আপনি মলম হয়ে যাননা! একবার জড়িয়ে ধরে ভালোবাসি বলুন এটাই আমার মলম।

মহুয়া কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
কিছু সময় পর হাতে মলম নিয়ে এসে আহনাফের হাতে লাগিয়ে দিল।
আহনাফ মুখ ভার করে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। কবে আসবে সেই দিন.? কবে অপেক্ষা শেষ হবে.?

মহুয়া মলম লাগিয়ে বললো,’ কিছু খেয়েছেন.?’
আহনাফঃ নাহ।
মহুয়াঃ আমি খাবার নিয়ে আসছি।
আহনাফঃ আমি খাব না।
মহুয়া আহনাফের গালে নিজের হাত রাখলো। আহনাফ ফিরে তাকাতেই মহুয়া আস্তে করে আহনাফের বুকে নিজের মাথা রাখলো।
আহনাফ খুশিতে কি রিয়াকশন দিবে ভুলে গেল। বুকে ভেজা কিছু অনুভব হলো মহুয়া ফুপিয়ে উঠলো।
আহনাফ বুঝলো মহুয়া কাঁদছে।
আহনাফঃ মহুয়া..
মহুয়াঃ জানেন কতোটা কষ্ট কর ছিল আমার এই লড়াই, কিভাবে কাটিয়েছি এই পাঁচটা বছর। কিভাবে একা এই সন্তান বড় করেছি, সন্তান পেটে নিয়ে প্রতিদিন অফিস করে বাসায় ফিরে মনে হতো এর বুঝি মৃত্যু ভালো! যখন আপনার কথা মনে হতো কেমন দমবন্ধ হয়ে আসতো..
আহনাফঃ আমি অনেক বড় অন্যায় করেছি তোমার সাথে আমাকে ক্ষমা করে দাও।আর কখনো কোনো দুঃখ তোমাকে ছুঁতে পারবে না আমি দিব না।

________

দেখতে দেখতে কেটে গেল অনেক দিন। আহনাফ মহুয়ার সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেছে।
ছোঁয়াও নির্জনের সাথে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাচ্ছে।

মিম ভার্সিটি থেকে বের হয়ে রাস্তায় রাফিকে দেখে মুচকি হাসলো।
রাফি অন্য দিকে ফিরে কারো সাথে কথা বলছে।
রাফি সব সময় মিমের জন্য এখানে অপেক্ষা করে, একসাথে বাইকে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে, রাফি প্রতিদিন দিয়ে যায় আবার দিয়ে আসে। সম্পর্ক অনেকটা গভীরে চলে গেছে মিম বুঝতে পারে সে এই ছেলেটির প্রেমে পড়েছে খুব বাজে ভাবে।

মিম রাফির কাছাকাছি আসতেই শুনতে পেলো রাফি কাউকে বলছে,’ থুর আমাকে কি তোর পাগল মনে হয়! এই বিবাহিত মাইয়ার সাথে সম্পর্কে যাব.? কি যোগ্যতা আছে এই মেয়ের.? না পারিবারিক আর না ভার্জিন আমি শুধু আমার প্রতিশোধ নিতে চাই। আমার প্রেমের ফাঁদে ফেলতে চাই তারপরে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলবো।

মিম নিজের মুখ চেপে ধরে এক পা এক পা করে পিছিয়ে গেলো৷
কেমন মনে হচ্ছে পৃথিবীটাই ঘুরছে, মিম চোখের পানি মুছতে মুছতে মুচকি হেঁসে বললো, ‘ ভালোবাসা আমার জন্য নয় আমি ভুলে যাই কেনো আমি একজন ডিভোর্সি নারী! আমার স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ, এভাবে বার বার ভাঙবো তাও আমি উঠে দাঁড়াবো শুধু মাত্র নিজের জন্য। ‘

রাফি কথা শেষ করে দেখলো মিম বের হচ্ছে।
রাফি হাসি দিয়ে মিমের দিকে তাকাতেই মিমও হাসি দিয়ে বললো,’ অভিনয় শেষ পারিশ্রমিক কতো দিব!.?’
রাফিঃ মানে.?
মিমঃ প্রেমের ফাঁদে আমাকে ফেলতে এসে নিজে পড়ে যাননি ত.?
রাফি চুপ হয়ে গেলো যা বুঝার বুঝে গেল। কিছু বলার আগেই মিম বলে উঠলো, ‘ আমার মন ভেঙেছে আর কি চাই.?’
রাফি তাও চুপ করে আছে।
মিমঃ ভালো থাকবেন এটাই শেষ দেখা।

______________

সকাল থেকে মেঘলার শরীর ভালো না। দুপুরের দিকে শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করলো।

মহুয়া কয়েকবার মেঘলাকে জিজ্ঞেস করলো হসপিটালে নিয়ে যাব.? মেঘলা নিষেধ করলো।

মহুয়া ফিরে এসেছে এই খুশিতে কারো খেয়াল নেই মেঘলার দিকে।

আমেনা বেগম মেঘলার চোখ দেখেই বললেন জলদি হসপিটাল নিতে হবে।

শ্রাবণ কাজ ফেলে দ্রুত হসপিটালে আসলো। সবাই চিন্তিত হয়ে বসে আছে। শ্রাবণ টেনশনে একবার এইদিকে যাচ্ছে ত আবার অন্য দিকে যাচ্ছে।
নির্জনঃ ভাই টেনশন করো না সব ঠিক হয়ে যাবে।
শ্রাবণ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কখন ডাক্তার বের হয়ে আসবে।

কিছু সময় যেতেই বাচ্চার কান্না শুনা গেলো।
ডাক্তার বের হয়ে আসতেই শ্রাবণ প্রথম মেঘলার কথা জিজ্ঞেস করলো। একজন নার্স শ্রাবণেরকোলে একটা বাচ্চা দিয়ে বললো, ‘ আপনার মেয়ে ‘
শ্রাবণ বুকের সাথে জড়িয়ে ধরতেই নির্জন ছোঁয়ার দিকে তাকালো। ছোঁয়া মুখ ফিরিয়ে নিতেই নির্জন বলে উঠলো, ‘ এ্যাই ছোঁয়া আমারও বাবা ডাক শুনতে ইচ্ছে হয়’
ছোঁয়াঃ ত আমি কি করবো.?
নির্জনঃ তুই কিছু না করলে বাবা কিভাবে হবো.?
ছোঁয়া অন্য দিকে ফিরে মুচকি হাসতে শুরু করলো।

মেঘলার কপালে কিস করে শ্রাবণ মেয়েকে মেঘলার কোলে দিল।

আলভি এসে বাবুর হাতে আঙ্গুল দিয়ে বললো,’ কিউট’

মেঘলা হেঁসে বললো,’ নবনী’
মহুয়া এসেই বাবু কোলে তুলে নিল।
মহুয়াঃ নাম কি রাখবো.?
আলভিঃ নবনী..
মহুয়া হেঁসে বললো,’ খালামুনি থেকে শুনেছো!

মহুয়া আলভি কথা বলছে তখনি পেছন থেকে আহনাফ এসে বাবুর দিকে তাকিয়ে বললো ” তোমার মতো হয়েছে ”
মহুয়াঃ কারণ মায়ের থেকে খালামুনি বেশি আপন সেই জন্য খালামুনির মতো হয়েছে।

মেঘলা হেঁসে বললো,’ একদম ‘

সমাপ্ত
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

মেঘের আড়ালে রোদ সিজন-১ পড়তে লেখাটির উপর ক্লিক করুন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে