নূপুর বাঁধা যেখানে পর্ব-০৪

0
1227

#নূপুর_বাঁধা_যেখানে-৪
#মিফতা_তিমু

ক্যাব দিয়ে মাত্র বাড়ির গলির সামনে এসে নেমেছে ঝুমুর। এখন আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঘড়ির ডিসপ্লেতে সময় দেখা যাচ্ছে না। ড্রাইভারকে আগেই সে পে করে দিয়েছিল তাই এখন আর টাকা দেওয়ার কোনো ঝামেলা নেই। গাড়ি থেকে নেমেই সর্বপ্রথম ঝুমুরের চোখ পড়ল গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফারুকের দিকে। ফারুক ওর দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে এগিয়ে আসছে।

গাড়ির ডিকি থেকে ঝুমুরের ব্যাগটা নামিয়ে ক্যাব ড্রাইভারকে বিদায় করে ঝুমুরের সঙ্গে এগোলো ফারুক। ঝুমুর হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির সামনে এসে দাড়িয়ে একবার মাথা উঠিয়ে পাশে থাকা মুজিব সাহেবের বাড়ির তিন তলার বারান্দায় নজর দিল। বারান্দার সঙ্গে লাগোয়া ঘরে আলো জ্বলছে।

ঘরটা হৈমন্তীর নয়, ওর বড় ভাই ফাহমান সওদাগরের। ঝুমুর তাকে কখনো দেখেনি। কাকতালীয়ভাবে হৈমন্তী যতবারই চেয়েছে তাকে ফাহমানের সঙ্গে পরিচয় করাতে ততবারই দুজনের মধ্যে যেকোনো একজন ব্যস্ততায় সুযোগ করতে পারেনি। ঝুমুরের সময় হলে ফাহমানের দেখা মিলে না আর ফাহমানের সময় হলে ঝুমুর ব্যস্ত থাকে।

তাছাড়া সে আর হৈমন্তী ছুটিতে আসতোই কয়েকদিনের জন্য। সেই সময় এত অল্প দিনের ছুটিতে এসে ঝুমুর আর বাড়ি ছেড়ে বের হতো না। এমনকী সে বাড়ি থাকাকালীন হৈমন্তীর সঙ্গে তার দেখাও হতো না। খুব বেশি প্রয়োজন হলে দুজনে দুই বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে কথা বলত। ঝুমুর স্বভাবতই ঘরকুনো। ঘরের বাহিরে অহরহ ঘুরাঘুরি করার মানুষ সে না।

তবে সত্যি বলতে বান্ধবীর বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতেই হবে এতটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হয়নি তার। তার সম্পর্ক হৈমন্তী আর মারিয়ামের সঙ্গে। সেখানে ফাহমানের সঙ্গে পরিচিত নাহলেও চলে। তবে ঝুমুর বড্ড বেশি ভদ্রতার ধার ধারে। তাই হৈমন্তী চাইলে সে নাও করতে পারবে না। এই জন্যই সে ঠিক করে রেখেছে একবার দেখা করার হলে করে নিবে। দেখা করলে নিশ্চই তার রূপ ঝলসে যাবে না।

ঝুমুরকে মুজিব সাহেবের বাড়ির দিকে তাকাতে দেখে ফারুক বললো ‘ দেখা করার হলে কাল দেখা করিস হৈমন্তীর সঙ্গে। এখন বাড়ি চল, মাত্র তো এলি। ‘
উত্তরে ঝুমুর কিছু বলল না। তার নীরবতাই সম্মতির লক্ষণ। ফারুক তার মামা তার উপরে তার গুরুজন। কাজেই তার কথা অমান্য করা উচিত নয়। তাছাড়া সে সচরাচর কথা বলে কম, শুনে বেশি। নীরব থেকে কথা শুনা তার পছন্দ। সে হৈমন্তীর মতো একটানা বকবক করে যেতে পারে না। তার দ্বারা সেটা হয়না। তার মানে এই নয় সে কথা বলা মানুষও পছন্দ করে না।

জগতে হয়তো সবারই নিজেদের উল্টো পিঠের মানুষদের প্রতি আকর্ষণ কাজ করে। ঝুমুরও তাদের বাইরে নয়। ঝুমুর নিজে বেশি কথা না বললেও তার কথা বলা মানুষ পছন্দ। কেউ যখন কথা বলে তখন সে অধীর আগ্রহ নিয়ে শুনে। বক্তার কথার মাঝে সে কোনো কথা বলে না কিংবা অযাচিত প্রশ্নও করে না।

এই কথা কম বলা,মন দিয়ে অন্যের কথা শোনার জন্য ঝুমুরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে হয়েছে। কথা কম বলার জন্য তার কলেজে যারা তার ক্লাসমেট ছিল তারা সকলেই বলতো সে নাকি ক্লাসের ভালো স্টুডেন্টদের তালিকায় পড়ে বলে তার অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না। সে অহংকারের বশেই সচরাচর বন্ধুও বানায় না। তার হাতে গোনা দুই একজন বন্ধু।

ঝুমুরকে নিয়ে কলেজে ছড়ানো কোনো কথাই সত্য নয়। তবুও ঝুমুর এসবের উত্তরে কিছু বলেনি। সে জানে বলে লাভও নেই। নিন্দুকের কাজই নিন্দা করা। বললে উল্টো ভাববে ঝুমুর ক্ষেপে গেছে, তখন হয়তো আরো বেশি বেশি করবে ক্ষেপানোর জন্য। কাজেই নীরব থাকা শ্রেয়।

ঝুমুর বিল্ডিংয়ে ঢুকলো তারপর ফারুক ঢুকলে কলাবসিবল গেট লাগিয়ে দিয়ে দুজনেই দোতলায় সিড়ি দিয়ে উঠলো। সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে দোতলার ফ্ল্যাটের দরজা কাছে দাড়িয়ে থাকা মনোয়ারা বেগমকে দেখে হাসলো ঝুমুর। মনোয়ারা দাড়িয়ে আছেন তার জন্য। এগিয়ে গিয়ে সে মনোয়ারার সামনে দাড়ালো।

এবার একেবারে দীর্ঘদিন পর নাতনিকে দেখলেন মনোয়ারা। কতদিন হবে ? হয়তো আনুমানিক চার মাস। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দরুন ঝুমুর এই চার মাস খুবই ব্যস্ত ছিল পড়াশোনা নিয়ে। কাজেই তাকে কেউ কোনোরকম ডিস্টার্ব করেনি। করলে হয়তো ব্যাপারটা ঝুমুরের কাছেও অশোভন লাগতো।

মনোয়ারা নিজ থেকে এগিয়ে জড়িয়ে ধরলেন নাতনিকে। পিছনে আঞ্জুম আরা দাড়িয়ে আছে হাসিমুখে। মনোয়ারা ঝুমুরের পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো ‘ কেমন আছিস ঝুম ? কতদিন দেখি না তোকে। ‘

ঝুমুর মনোয়ারা বেগমের গলায় কম্পন টের পেলো। মনোয়ারা কাদছেন সেই সঙ্গে তার একমাত্র পুত্রবধূ আঞ্জুম আরাও। ঝুমুর জানে আঞ্জুম আরার এখন ঝুমুরকে জড়িয়ে ধরতে মন চাইছে। কিন্তু শাশুড়ির কারণে পারছেন না। আঞ্জুম আরার ঝুমুরকে স্নেহ করার ব্যাপারটা তিনি ঠিক পছন্দ করেন না।

মনোয়ারা বেগমের ধারণা হলো আঞ্জুম আরা ঝুমুরের মামী। সে থাকুক মামীর মতো। সে কেন ঝুমুরকে আদরে,যত্নে মামী থেকে মা হওয়ার চেষ্টা করবে। সেটা তাসনুবার অধিকার। আর নিজের মেয়ের অধিকার তিনি কাউকে দিবেন না। তাই আঞ্জুম আরাকে সবসময় ঝুমুরের থেকে দূরে রাখেন।

তবে মনোয়ারার এসব চিন্তা ধারা ঝুমুরের পছন্দ নয়। মামী হলেই মায়ের মত হওয়া যাবে না এটা কোনো কথা না। ‘মামী’ কথাটার মাঝেই তো ‘মা’ শব্দটা আছে। তাহলে মানুষটা আবার মা না হয়ে পারে কি করে ?

ঝুমুর মনোয়ারা বেগমের কথার উত্তরে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো ‘ আমি ভালো আছি। ‘
মনোয়ারা বেগম খানিকটা নরম হয়ে অভিমানী গলায় বললেন ‘ ভালো তো থাকবিই। আপির তো কোনো খবরই নিস না। এই চার মাসে একটা ফোন করা গেলো না ? এত কিসের ব্যস্ততা তোর ? পড়ালেখাই কি সব ? আর বাপ,ভাই বোন, নানি,দাদির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা লাগে না ? ‘

ঝুমুর মনোয়ারার কথার জবাবে প্রতিবাদ করলো না। সে জানে মনোয়ারা এখন যা বলছেন সব অভিমান থেকেই বলছেন যার সবই বেশিরভাগ অসত্য। কাজেই বলে লাভ নেই। মা জাতি এমনই। রাগ, অভিমান হলেই বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে নিজের পাষাণ বুকটা হালকা করবে। অথচ ঝুমুর কালও কথা বলেছিল উনার সঙ্গে।

—-

জামা কাপড় বদলে ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চা নিয়ে বারান্দায় এসে বসলো ঝুমুর। বারান্দায় অন্ধকার। ঝুমুর ইচ্ছে করে তার প্রিয় নীলচে বাতি আজ জ্বালায়নি। এখন ইচ্ছা করছে খানিক সময় থাকুক না নিরবে নিভৃতে। তাতে ক্ষতি কি ? মাথাটা যন্ত্রণা করছে বড্ড। রাত করে গোসল করার ফল।

ঝুমুরের ঠান্ডার ধাত আছে। রাতে সে গোসল করতে পারেনা হোক সে গরম পানি। গোসল করলেই তার মাথা যন্ত্রণা করতে শুরু করে। তবে মাথার যন্ত্রণা তাড়াবার উপায় আছে ঝুমুরের কাছে। উপায় হলো চা। তাইতো সে চা নিয়ে এসে বসেছে বারান্দায়। এখন সে চা খেতে খেতে অল্প সময় নীরবে কাটিয়ে মনটা সতেজ করবে।

চা খাওয়া শেষে কাপটা রান্নাঘরে রাখতে এলো ঝুমুর। রান্নাঘরে সিংকে রাখতে সময় সে কিছু জমানো থালাবাসন দেখলো। হয়তো সন্ধ্যায় খাওয়া নাস্তারই এটো থালাবাসন। ঝুমুর ওর জামার হাতা কনুই অব্দি গুটিয়ে নিয়ে থাল প্লেটগুলো ধুয়ে কাজ শেষে আঞ্জুম আরার ঘরের দিকে গেলো।

আঞ্জুম আরা মেঝেতে বিশাল কাথা বিছিয়ে হাতে সিলাই করছেন। কাথাটা ঝুমুরের জন্য করছেন তিনি। ঝুমুর হয়তো তার মেয়ে না কিন্তু ঝুমুরের মতো একখানা পুতুল পুতুল মেয়ের শখ তারও ছিল। সৃষ্টিকর্তা দেওয়ার মালিক। তিনি যখন দেননি তখন আফসোস করে লাভ নেই। বরং তিনি একটার জায়গায় দুটো দিয়েছেন। শাওমি,ঝুমুর, অনামিকা তিনজনেই হয়তো তার ননদ ননাসের মেয়ে কিন্তু আঞ্জুম আরা ওদের তিনজনকে নিজের মেয়েই মানেন।

আঞ্জুম আরার সন্তান সংখ্যা দুই। বড় জন তাফিম, সে এবার এইটে আর ছোটজন সামি, এবার টুতে। হয়তো বংশ এগিয়ে নেওয়াতে দুই ছেলের জন্ম দিয়ে আত্মীয় স্বজনদের কাছে আঞ্জুম আরার অনেক সম্মান। কিন্তু শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম তাকে পছন্দ করেন না। কারণ!! কারণ মনোয়ারা বেগমের বড় ছেলে তানিম সাহেব আঞ্জুম আরাকে ভালোবেসে তার মতের বিরুদ্ধে বিয়ে করেছিলেন।

একে ভালোবেসে বিয়ে করাতে বাপের বাড়ির সকলে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তার উপরে মনোয়ারা বেগমের এহেন কড়া ব্যবহার। দুইয়ে মিলিয়ে আঞ্জুম আরা ভীষন মুষড়ে পড়েন মাঝে মাঝে। তবুও তিনি চেষ্টা করেন যেন শাশুড়ির মন পেতে পারেন। কিন্তু কে জানে আদৌ তার এই ইচ্ছা কোনওদিন পূরণ হবে কিনা।

ঝুমুর আঞ্জুম আরার ঘরে ঢুকে আস্তে করে গিয়ে আদুরে বিড়ালের মতো আঞ্জুম আরার হাত থেকে বিছানো কাথা সরিয়ে তার কোলে শুয়ে পড়লো। ঝুমুরের কাজে আতকে উঠলেন আঞ্জুম আরা। বললেন ‘ এই তুই নিচে শুয়েছিস কেন ? ঠান্ডা লাগবে তো। ‘

‘ কথা বলো না মামী। একটু শুতে দাও শান্তিতে। অনেকদিন দেখি না তোমাকে। ‘

ঝুমুরের কথায় কি হলো কে জানে। আঞ্জুম আরা নিঃশব্দে অশ্রু ঝরালেন। ঝুমুর দেখেও দেখলো না। কিছু কিছু সময় কিছু বলতে নেই,একা ছেড়ে দিতে হয়। এতে অপর দিকের মানুষটা নিজেকে ধীরে সুস্থে সামলে নিতে পারে। আঞ্জুম আরা কোমল হাতে ঝুমুরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। বললেন ‘ একটু চুলগুলোর যত্ন নিসনা। বলি চুলগুলো সাইজ কর, একটু ডিম পেঁয়াজ বাটা দে। এগুলো দিলে চুল সুন্দর থাকে। কিন্তু তুই শুনিস না। ‘

‘ এখন বাড়ি এসেছি না ? তুমি দিয়ে দিবে। দিবে না ? ‘ ঝুমুর মুখ উঠিয়ে প্রশ্ন করলো।
আঞ্জুম আরা অশ্রু মুছে হাসি মুখে বললেন ‘ দিবো তো। ‘

তারপর কাটলো আরও কয়েক মুহূর্ত। ঝুমুর আর আঞ্জুম আরা ঝুমুরের কলেজ নিয়ে কথাবার্তা বললেন। এরপর একসময় কথাবার্তা শেষে ঝুমুর উঠে নিজের ঘরের দিকে গেলো আর আঞ্জুম আরা আবারও নিজের কাথা নিয়ে বসলেন। ঝুমুর ঘরে এসে ল্যাপটপ খুলে বসলো। ল্যাপটপে খানিক ঘাটাঘাটির পর সে খুঁজে বের করলো উত্তরার এক মেডিক্যাল কোচিংয়ের ঠিকানা। আপাতত ওখানে গিয়েই খোঁজ নেওয়া যায়। যদি মন মতো মনে হয় তো কালই অ্যাডমিশন করিয়ে নিবে। তবে আরও কিছু কোচিংয়ের সাজেশন দেখে নিলো। কালই কোচিংয়ে ভর্তির ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়া উচিত।

ঝুমুরের এক বদ্ধ মূল ধারণা আছে। পড়াশোনায় সে সবসময় তার বেস্টটা দেওয়ার চেষ্টা করে। তার সাধ্যে যতটা কুলায় তা হতে সে এক অংশও খামতি রাখে না। নিজেকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার যা করা প্রয়োজন সে সেটাই করে। তবে সে এও বিশ্বাস করে তার নিজের মধ্যে সেই গাটস থাকলে সে এভারেজ ইনস্টিটিউশনে থেকেও ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট করতে পারবে। ইটস অল অ্যাবাউট হার অ্যাবিলিটি। তাই ঝুমুর তার বেস্টটা দেওয়ার চেষ্টা করে।

রাত গড়িয়ে পৃথিবীতে পরের দিনের সূচনা হলো। জানালার পর্দার ফাঁক ঠিকরে সূর্যের আলো ঝুমুরের চোখে মুখে এসে পড়ল। ঝুমুরের ল্যাপটপ ডেস্কের এক পাশে রাখা আর সে আরেক পাশে মাথার নিচে হাত রেখে ঘুমোচ্ছে। রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে আরেক দফা ল্যাপটপ নিয়ে বসেছিল সে। সেই কাজ করতে গিয়েই কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে খেয়াল নেই।

সূর্যের আলো চোখেমুখে পড়তেই বিরক্তিতে চোখ মুখ কুচকে ফেললো ঝুমুর। কিছুক্ষণ আলসেমি করে চোখ বন্ধ রেখে একসময় উঠে বসলো। তার ঘাড় ব্যাথা করছে। হয়তো বিছানায় না শুয়ে ডেস্কেই ঘুমিয়ে পড়ার ফল। ঝুমুর ধীরে সুস্থে হাত পা নাড়লো তারপর উঠে দাঁড়ালো। ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চা বসিয়ে দয়ে বসার ঘরের পর্দা সরিয়ে দিল।

ঝুমুরের পছন্দ দুই ধরনের। এক আলো বাতাস পূর্ণ ঘর আর দুই অন্ধকার ঘর। দুটোই নির্ভর করে পরিস্থিতির উপর। শীতকালে আলো বাতাসে ঘেরা পরিবেশ আর বৃষ্টির দিনে অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘর। তবে গরমকালে সে এভারেজ পছন্দ করে। অল্প অন্ধকার থাকবে কিন্তু ঘরে বাতাস ঢুকবে এমন ঘর।

ঝুমুর চা হতে হতে কিছুক্ষণ নিজের ঘর গুছালো তারপর বসার ঘর গুছিয়ে রাখলো। সবশেষে জানালা খুলে দিয়ে কাপে চা ঢেলে সে চললো তার স্বপ্নের রাজ্য, তার সজ্জিত প্রেমিক স্বপ্নের বাগিচার পথে।

~চলবে ইনশাআল্লাহ্….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে