নূপুর বাঁধা যেখানে পর্ব-৩৪

0
1018

#নূপুর_বাঁধা_যেখানে-৩৪
#মিফতা_তিমু

কোরিয়ায় তখন রাত দশটা বেজে চার মিনিট। ঘরের সঙ্গে লাগোয়া প্রশস্ত বারান্দায় পিছনে হাত গুটিয়ে দাড়িয়ে আছেন মোতালেব সাহেব। আজ রূপালী রাত্রি, আকাশে মস্ত বড় পূর্ণিমার চাঁদ। এমন চাঁদ বহুদিন দেখেননি মোতালেব সাহেব। তাসনুবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর বহুদিন দেখা হয়নি। কিংবা বলা যায় দেখতে চাননি। এসবে তিনি কোনোকালেই আগ্রহী ছিলেন না।

তবে তাসনুবার কাছে পূর্ণিমা ছিল প্রকৃতি উপভোগের দারুন উপলক্ষ। সুযোগ পেলেই ছাদে আঁচল বিছিয়ে মোতালেব সাহেবকে নিয়ে বসে যেতেন জোছনা উপভোগ করতে। তবে সেসব এখন নেহাতই অতীত। তাসনুবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর মোতালেব সাহেব ঠিক কবে কবে ছাদে পা রেখেছেন তাও বলতে পারবেন না। সেসময়ের স্মৃতিগুলো বড়ই ক্ষীণ।

দীর্ঘশ্বাস ফেললেন মোতালেব সাহেব। যান্ত্রিক শব্দে ফোন বেজে উঠলো তার। স্ক্রিনে ভেসে উঠা ম্যাসেজে দেখে হাসলেন তিনি। ম্যাসেজদাতা তার মেয়ের প্রেমিকের ছবি পাঠিয়েছে ভেবেই হাসি পেলো তার। খানিক হেসে এবার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ছবিটা দেখলেন তিনি। ডক্টরস এপ্রণে দাড়িয়ে থাকা ফাহমান বেশভূষায় অতি সাধারণ। মুখে সরল হাসি আর চুলগুলো পরিপাটি করে আঁচড়ানো।

মেয়ে যে কোনওদিন ভালবাসার সুযোগ পেলে এমনই এক অতি সাধারণ ছেলের প্রেমেই পড়বে সে তার ভালোই জানা ছিল। ঝুমুর তার থেকে অনেক দূরে বাংলাদেশে হয়তো আছে কিন্তু মেয়ের প্রতিটা পদক্ষেপ তার জানা। মোতালেব সাহেব ফাহমানের ছবির দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত হেসে বললেন ‘ আওয়ার চয়েসেস ডিটারমাইন আওয়ার ডেসটিনি ‘

—-

ফাহমান হসপিটালের খোলা বারান্দায় রেলিং ঘেসে দাড়িয়ে কফির কাপে চুমুক বসাচ্ছে। চা, কফি খাওয়ার নেশা তার নেই। সে সচরাচর আদা চা খায়, দুধ চা তেমন খাওয়া হয়না। কিন্তু আজ সরাসরি দুধ চা না খেয়ে এক লাফে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ কফিই খাচ্ছে। এর পিছনে কারণ অবশ্য রাতের ঘুম। কাল রাতে ঝুমুরের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঘুম হয়নি। সেই ঘুমের ঘাটতি এখন দিনের বেলা জ্বালিয়ে মারছে।

পাশে এসে দাঁড়ালো ফারুক। ওর হাতে আবার সিগারেট। ছেলেটা আজকাল বেশিই সিগারেট খাচ্ছে। ফাহমান ভ্রু কুচকে বললো ‘ এত সিগারেট তো তুই খেতি না। তাহলে কি এমন হলো যে এখন চেইন স্মোকার হয়ে যাচ্ছিস ?নিজে ডাক্তার হয়ে জানিস না যে স্মোকিং হেলথের জন্য ভালো নয় ? ‘

ফারুক ফাহমানের কথা শুনে হাতে থাকা অবশিষ্ট সিগারেট ফেলে হাত ঝাড়লো। পকেট থেকে আরেকটা সিগারেট বের করে মুখে নিল। লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরিয়ে লম্বা টান দিয়ে বললো ‘ ঝুমুর ওর বাবার নয়নের মনি। হয়তো সে সেটা বুঝেনা কারণ ভাইয়া সেটা প্রকাশ করেন না। কিন্তু ভালোবাসলেই কি সবসময় প্রকাশ করা যায় ?

ঝুমুর যখন প্রথম এদেশে এসেছিল ওর অনেক কষ্ট হতো। সেই কষ্টের নমুনা হলো গরমে ওর শরীরে ফোসকা পড়তো,শরীর ফুলে যেত। মেয়ের এই কষ্টের কথা শুনে ভাইয়া আমাদের পুরো ফ্ল্যাটে এসি লাগানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। মেয়ের যাতে সুবিধা হয় তাই গাড়ি আর ড্রাইভার দুটোই রেখেছেন। মেয়েকে সবসময় হাসিখুশি রাখার জন্য ওর ঘরে ছোটখাটো এক লাইব্রেরী তৈরি করে দিয়েছেন। ঝুমুর যেটা চায় সেটাই যেন পায় তার জন্যও ওর হাতে পর্যাপ্ত হাত খরচ দিচ্ছেন।

বলা যায় মেয়েকে এত সুযোগ সুবিধা দিয়ে এক রকম রাজকুমারীর মতোই মাথায় তুলে রেখেছেন। ঝুমুরও সেসবে অভ্যস্ত। এসি ঘরে থেকে যার অভ্যাস, ঘুরতে গেলে যে প্রাইভেট কারে ঘুরে, বড় বড় রেস্টুরেন্টে যার খাওয়ার অভ্যাস তার পক্ষে গরমে এসি ছাড়া ঘরে থাকা, ঘুরতে গেলে রিকশায় ঘুরে বেড়ানো আর সস্তা এক হোটেলে বসে স্বামীর মন রক্ষার্থে নিম্ন মানের খাবার খাওয়া অসম্ভব।

ঝুমুর কোমলমতি। সংসারের কাজকর্ম করে কামলা খাটার অভ্যাস ওর নেই। এখন ঘরে যেই কাজ করে সেগুলো নিতান্তই শখ বশত। কিন্তু এই শখ একসময় গলার ফান্দা হয়ে যাবে। আজ যেই কুড়ে ঘরে থেকে প্রেমিকা থেকে স্ত্রী হয়ে উঠা তার কাছে সহজ মনে হচ্ছে কাল সেটাই মৃত্যুসম হয়ে উঠবে। তখন না পারবে সইতে আর না পারবে ছাড়তে। ‘

দখিনা হাওয়া বইছে। ফাহমান সামনে থাকা শিমুল গাছের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে। গাছের ডালে বসে আছে এক জোড়া শালিক। শালিক জোড়া দুটো কি যেন খুট খুট করে খাচ্ছে। সেটা দেখে ফাহমানের মনে হচ্ছে ফারুক যা বললো ভুল বলেনি। ওর আর ঝুমুরের সংসার হলে সেটা কুড়ে ঘরের সংসারই হবে বটে। তবে এমন একটা সংসারের স্বপ্ন তারও আছে।

ফারুকের কথা শুনে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার মতো ভুল করবে না ফাহমান। অন্যের জন্য নিজের ভালোবাসার উপর সমস্ত দাবি দাওয়া কেন ছেড়ে দিবে ? এমনটা তো তার প্রাপ্য নয়। তার ভালোবাসা যদি সত্যিই তার হয়ে থাকে তবে সে তার হবে, নিশ্চই হবে। ফাহমানের বিশ্বাস আছে ঝুমুরের উপর। আর যদি না হয় তাহলে!! তাহলে ভালোবাসা উপর থেকে তার বিশ্বাস উঠে যাবে। ধরে নিবে ঝুমুর নামের কোনো মেয়েকে সে কখনো ভালোই বাসেনি।

—-

‘ এই যে মাছটা ছাড়বি… বেশি উপর থেকে ছাড়বি না। হাত কাছে নিয়ে আস্তে করে ছাড়বি। তাহলে আর তেল ছিটে শরীরে পড়বে না। ‘

হৈমন্তীকে মশলা মাখানো মাছ ফ্রাই প্যানে ভাজার জন্য কি করে নামাতে হয় তাই দেখাচ্ছিলেন মিসেস কুমুদিনী। মিসেস লিমা অন্য ঘরগুলোতে স্টাফ দিয়ে পরিষ্কার করার ব্যাপারটা দেখছেন। মিসেস কুমুদিনীর শুচিবাই আছে। ঘর চকচক ফকফক না করলে তার শান্তি লাগে না। কিন্তু রান্না সামলাতে গিয়ে মিসেস কুমুদিনী আর ঘর নিজ তদারকিতে পরিষ্কার করাতে পারেননা। তাই সেই কাজটা মিসেস লিমা করেন।

তবে ব্যস্ত যতই থাকেন না কেন রান্না শেষে রান্নাঘর মিসেস কুমুদিনী নিজ হাতেই পরিষ্কার করেন। রান্নাঘরের প্রতিটা কোণায় আছে তার যত্নের ছোঁয়া। রান্নাঘর এমন একটা জায়গা যার সঙ্গে তাদের সবার স্বাস্থ্য জড়িত। সেই জায়গাটা পরিষ্কার না থাকে তবে তো সকলেই বিপদে পড়বেন। তাই রান্নাঘরের বিশেষ যত্ন নেন তিনি।

হৈমন্তী মন দিয়ে শাশুড়ি মায়ের কথা শুনছিল। একটু আগে পাকামি করে নিজে মাছ ভাজতে গিয়ে হাতে তেল ছিটকে আসায় কান্নাকাটি করে এক সার করেছে। তাই মিসেস কুমুদিনী বলেছেন তিনি দেখিয়ে দিবেন তারপর হৈমন্তী চেষ্টা করবেন। তাই তিনি হৈমন্তীকে দেখিয়ে দিচ্ছিলেন।

‘ হয়েছে, এবার পারবি ? ‘

হৈমন্তী শাশুড়ি মাকেই এক দৃষ্টে দেখছিল। যেখানে মেয়েরা বিয়ের পর রান্নাবান্না না জানলে কথার উপর কথা শুনতে হয় সেখানে সে ভাগ্য গুনে এমন শশুড় বাড়ি পেয়েছে ভাবলেই আনন্দে চোখে জল আসে। মিসেস কুমুদিনীর কথায় হৈমন্তী মাথা নেড়ে বললো সে বুঝেছে। মিসেস কুমুদিনী এবার মাছ মাখানো বাটিটা এগিয়ে দিয়ে বললেন ‘ নে এবার তুই নিজে একটা করে দেখ হয় কিনা। ‘

হৈমন্তী খুব সাবধানে আস্তে করে একটা তেলে ছেড়ে দিল। মিসেস কুমুদিনী হেসে বললেন ‘ এই যে দেখলি একবার দেখিয়ে দিয়েছি তাতেই হয়ে গেছে। বুঝলি কোনোকিছু পারতে হলে সেটা প্রথমে দেখতে হয় তারপর চেষ্টা করতে হয়। কেউই কোনোকিছু মায়ের পেট থেকে শিখে আসে না। এখন মাছগুলো ভেজে ফেল। আমি তরকারির জন্য পেঁয়াজ কাটছি ‘ । কথাগুলো বলে মিসেস কুমুদিনী চপিং বোর্ড আর পেঁয়াজ নামিয়ে এনে দ্রুত গতিতে হাত চালিয়ে পেঁয়াজ কাটতে শুরু করলেন।

‘ আচ্ছা মা, আপনি এত তাড়াতাড়ি কি করে পেঁয়াজ কাটেন ? আমার মাও তো অনেক রান্না করে কিন্তু কোনওদিন এতদ্রুত কাটতে দেখিনি। ‘

হৈমন্তীর প্রশ্নে মিসেস কুমুদিনী হাসলেন। হৈমন্তীর দিকে তাকিয়ে নিজের মতো পেঁয়াজ কাটতে কাটতে বললেন ‘ আমি ক্যালেনারি আর্ট স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট করেছি। ‘
বিস্ময়ে হৈমন্তীর চোয়াল ঝুলে পড়লো। তার শাশুড়ি মা যে একজন দক্ষ রাধুনী তাতে কোনো সন্দেহ পূর্বেই ছিল না। এখন তো আরও নেই। হৈমন্তী বলল ‘ মা আমাকে আপনার স্টুডেন্ট বানিয়ে ফেলুন। আমি রান্নাবান্নার এ টু জেড শিখবো আপনার কাছে। শিখাবেন আমাকে ? ‘

‘ শিখ না, নিষেধ করেছে কে ?তুই আমার স্টুডেন্ট হলে আমি খুশি হব। আমারও সময়টা কাটলো। তাছাড়া কিছু স্কিলস থাকা ভালো। মাল্টি ট্যালেন্টেড মানুষদের কদর এই সমাজে বেশি। ‘

হৈমন্তী খুশি হয়ে খুন্তি দিয়ে মাছ সাবধানে তুলতে তুলতে বললো ‘ ঠিক আছে তাহলে আপনি আমাকে সব শিখিয়ে দিবেন মা। ‘
‘ যা তুই বলবি ‘ মিসেস কুমুদিনী পেঁয়াজ কাটতে কাটতে বললেন।

—-

বারান্দায় দাড়িয়ে রাতের আকাশে তারা গুনছে ঝুমুর। আজ অপর পক্ষের মানুষটার বারান্দা নেই, তার ফিরতে ভোর হবে। ফাহমানের হুট করেই নাইট ডিউটি পড়েছে তাই আজ আর দেখা করা সম্ভব না। ঝুমুরের খারাপ লাগলো মানুষটার জন্য। সারাদিন ডিউটি করে রাতেও শান্তি মিললো না। এখন রাতেও ডিউটি করবে। ডাক্তারদের জীবনে অনেক হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খাটতে হয়। দিনরাত এক করে নিজের সমস্ত সুখ শান্তি বিলিয়ে দিয়ে নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য পরিশ্রম করতে হয়। তারপর বছর শেষে মিলে ডাক্তার হওয়ার খেতাব। কিন্তু লোকে শুধু সেই উপাধিই দেখে। এর পিছনে মানুষটার কোনো পরিশ্রম তাদের চোখে পড়েনা। হয়তো কোনওদিন পড়বেও না। অন্যের কষ্ট কেইবা কোন দিন দেখেছে।

কানে এলো ফোনের শব্দ। ঝুমুর ঘরে গিয়ে ফোনটা নিয়ে এলো। রুপোলি চাঁদের আলোয় দেখলো ফোনে ডাক্তার সাহেব লেখাটা ভেসে উঠেছে। ঝুমুর হেসে ফোনটা রিসিভ করে কানে তুললো। বলে উঠলো ‘ আজ হঠাৎ ডিউটি আওয়ারে আমাকে ফোন ? ‘

‘ সারাদিন ডিউটি করে এখন বেজায় ক্লান্ত এই ডাক্তার সাহেব। তাই ক্লান্তি দূর করতে একজনকে তার খুব প্রয়োজন। ‘

ঝুমুর কিছু বললো না, নিঃশব্দে হাসলো। রাতের নিস্তব্ধতা চিড়ে ঝি ঝি পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে। ঝুমুর বারান্দার গ্রিলে হাত রেখে বলল ‘ এই অন্ধকারে আপনি থাকলে ভালো হতো। গল্প করতে করতে সময় কাটত। বাসায় ইলেকক্ট্রিসিটি নেই। গরমে সবাই বসার ঘরে মোমবাতি জ্বেলে বসে আছে। সামি তাফিম হইচই করছে তাই উঠে এসেছি ঘরে। ‘

‘ গরমে তোমার কষ্ট হয় তাইনা ? ‘

ফাহমানের প্রশ্নে ঝুমুর চুপ করে গেলো। গরমে তার কষ্ট হয়না কথাটা ভুল। কষ্ট হয় বটে তবে এখন সে অনেকটা অভ্যস্ত। বাংলাদেশ যখন প্রথম এসেছিল তখন কষ্ট হলেও একসময় সেগুলো গা সওয়া হয়ে গেছে। ঝুমুর বলল ‘ কষ্ট হয়না বলবো না তবে তুলনামূলক কম হয়। জানেন তো আমি ক্যাডেট কলেজে ছিলাম। সেখানে এমন অনেক ট্রেইনিং নিতে হয়েছে, এমন অনেক কষ্ট করতে হয়েছে যার কাছে এসব কিছুই নয়। ‘

ঝুমুরের কথার উত্তরে ফাহমান শুধুই ‘ ওহ ‘ বললো। ফাহমানের মনের বিষণ্ণতা কিভাবে যেন টের পেয়ে গেলো ঝুমুর। হেসে বললো ‘ উল্টাপাল্টা ভাববেন না ডাক্তার সাহেব। যা আপনি দিতে পারবেন তা অন্য কেউ দিতে পারবে না। কাজেই নিজে কি দিতে পারবেন না পারবেন সেই নিয়ে চিন্তা না করে ভাবুন আমি আপনার কাছে কি চাই। আমাকে শুধু আমার প্রাপ্য সম্মান আর ভালোবাসা দিন। বাকি ধন, ঐশ্বর্যের প্রয়োজন আমার নেই। ‘

ফাহমান কিছু বললো না। ক্ষণকাল কাটলো নীরবতায়। ঝুমুর বললো ‘ এখন থেকে ব্যস্ততা বাড়ছে। কোচিংয়ে টেস্ট শুরু হয়ে গেছে। হয়তো আপনার সাথে সুযোগ করে তেমন দেখা হবে না। বাগানেও কম যাওয়া হবে। দেখা যাবে ফোন দিবেন কিন্তু পাবেন না। তাই কষ্ট করে ফোন দিতে হবেনা। ফ্রি হয়ে আমি নিজেই ফোন দিবো। ‘

‘ ফোনের অপেক্ষায় থাকবো বাগান কন্যা। ‘ ঝুমুরের কথার বিপরীতে ফাহমান হেসে বলল।
ঝুমুর হেসে ফাহমানকে বিদায় জানিয়ে ফোন রাখলো। ইলেকট্রিসিটি চলে এসেছে ততক্ষণে। একটু পড়তে বসা প্রয়োজন। দিন যত এগোচ্ছে এডমিশনের সময় ততই কমে আসছে। কাজেই জান জীবন দিয়ে পড়তে হবে নাহলে চান্স পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।

~চলবে ইনশাআল্লাহ্….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে