তোমাকে আমার প্রয়োজন পর্ব-২৮

0
1918

#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??

??পর্ব-২৮??
.
?
.

দেখতে দেখতে তিথির গায়ে হলুদের দিন এগিয়ে এলো। আবির ব্যাস্ত ডেকরেশনের কাজে সাহায্য করতে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান বাড়ির পাশের ছোট্ট বাগানটায় অনুষ্ঠিত হবে।বাগানটায় ফুল দিয়ে সুন্দর করে ডেকোরেশন করে সাজানো হয়েছে।তিথিকে হলুদ শাড়ি পড়ানো হয়েছে আজ এবং কাঁচা ফুলের গহনা দিয়ে সাজানো হয়েছে,,, চুলগুলো বেনী করে এক সাইডে ছারানো,,,দু হাতে সোনার দুটো মোটা বালা। খুব সুন্দর লাগছে আজ তিথিকে দেখতে,,, চোখ ফেরানো দায় হয়ে পড়েছে।বাড়ির সব মেয়েরাই হলুদ শাড়ি পরেছে শুধু তফাৎ নিশির এবং তিথি শাড়ির পাড়ের রং লাল আর বাকি সবার শাড়ির পাড়ের রং সবুজ।তিথিকে সুন্দর করে সাজিয়ে স্টেজে আনা হলো।

কিছুক্ষণের মধ্যেই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হল,,,একে একে সবাই তিথিকে গায়ে হলুদ লাগিয়ে দিলো। আবির ও এসেছিল তিথিকে গায়ে হলুদ দেবার জন্য কিন্তু স্টেজ এর পাশে নিশির দিকে চোখ পড়তেই তার মুখ অটোমেটিকলি হাঁ হয়ে গেল,,,তিথির সাথে নিশিকে ও আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে।

হলুদ শাড়ি দুই হাতে চিকন চিকন চারটে সোনার বালা,,কানে ছোট দুল,,, আর চুলে হাত খোঁপা করে তাতে বেলিফুল লাগানো,, এই সামান্য সাজে নিশিকে ও আজ খুব সুন্দর লাগছে।সবার শেষে নিশি আর আবির এসে তিথিকে গায়ে হলুদ লাগিয়ে দিল।

নিশি আড়চোখে একবার আবিরের দিকে তাকালো,, আবিরকে রেড কালার সুতির পাঞ্জাবি,,আর সাদা চুরি প্যান্টে খুব সুন্দর লাগছে। পাঞ্জাবির হাতা গুলো কনুই পর্যন্ত গোটানো আর হাতে একটা রিস্ট ওয়াচ। সবমিলিয়ে আবিরকে ও আজ খুব সুন্দর লাগছে।তবুও নিজেকে কন্ট্রোল করে আরও একবার আড়চোখে তাকিয়ে নিজের চোখ নামিয়ে নিল।

তিথির পুরো গা হলুদময় হয়ে গিয়েছে,,, তিথি তাই ফ্রেশ হওয়ার জন্য স্টেজ ছেড়ে নিজের রুমের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো। নিজের রুমে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে সামনের দিকে তাকাতেই,,,তিথি অবাক হয়ে গেল,,,হাত দিয়ে একবার চোখ কোচলে আবার সামনের দিকে তাকালো সে। কিন্তু আবারও সেই একই প্রতিচ্ছবি দেখতে পারছে সে হ্যা তার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে তার প্রিয় মানুষটা,, যে কিনা আজ রাতে পর তার স্বামী হবে। মানুষটি আর কেউ নয় নিলয়।কাঁচা হলুদ কালারের পাঞ্জাবি,,, সাদা চুরি প্যান্ট,,পাঞ্জাবির হাতা গুটানো,,আর এক হাতে রিস্ট ওয়াচ।নিলয় চুল এমনিতেই খুব সিল্কি সুতরাং সামান্য হওয়াতেই তার চুল কপালে এসে পড়ছে বারবার। তিথি চোখ ফেরাতে পারছে না আজ,,,,মানুষটার দিক থেকে।

তিথির এমন তাকানোতে,,নিলয় কিছুটা মুচকি হেসে,,তিথির দিকে এগোতে লাগল।আস্তে আস্তে সে তিথির অনেকটা কাছে এসে দাঁড়ালে।তিথি এবার হুশে এলো,, নিলয় থেকে দূরে যেতে চাইলেই নিলয় তার ‌দুই বাহু ধরে,, দরজার সাথে চেপে ধরলো।তারপর তিথিকে আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর তিথির চোখে চোখ রেখে,,,নিশাময় কন্ঠে বলে উঠল-;

-:এই মারাত্মক সাজে সাজতে আজ তোমায় কে বলেছে তিথু পাখি???

নিলয়ের এমন কোথায় তিথি কিছুটা কেঁপে উঠলো।তারপর নীলয়ের দিকে তাকিয়ে,,কাঁপা গলায় বলে উঠলো-;

-:আ..আপনি এ..এখানে কি..কি..কি করছেন?? আপনার তো..তো…

আর কিছু বলতে দিল না নিলয় তাকে,,,তার আগেই নিজের বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে তিথির ঠোঁটে হালকা করে স্লাইড করতে লাগলো।তারপর তিথির চোখের দিকে তাকিয়ে,, দুই হাতে তিথির কোমর শক্ত করে পেঁচিয়ে,,বলে উঠল-;

-:শিশশশ চুপ!!!এত কথা যদি তুমি বলো তাহলে আমি যে কাজে এসেছি,,,সেই কাজটাই তো করতে পারবোনা।

তিথি একটা ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করল-;

-:ক..কি কাজ??

নিলয় মুচকি হেসে বলে উঠলো-;

-: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। যে কাজটা না করলে,, আমার ভীষণ বিপদ।দেখো পাখি এমনিতেই এরকম সাজ সেজে আমার মাথা তুমি অলরেডি খারাপ করেই দিয়েছো,,,তার ওপরেআমি নিজের বাড়ি অতি কষ্টে পালিয়ে আবার তোমাদের বাড়ির সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে তোমার রুমে প্রবেশ করেছি,,,কোথায় একটু নিজের হবু স্বামীকে আদর যত্ন করবে,,তা নয় তাকে হাজারটা প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।

-:না মানে,,আপনি এসময় এখানে,,তাই…

-:আরে বউ আমার,,এখানে থাকবে না তো কোথায় থাকব আমি!!! এইজন্য লোকেরা একদম ঠিক‌ই বলে বাচ্চা মেয়েকে কোনদিনও বিয়ে করতে নেই।

-: তাহলে আমাকে বিয়ে করছেন কেন,,বিয়ে না করলেই পারতেন।

কিছুটা অভিমানী শুরে বলে উঠলো তিথি।

-: আরে বৌ রাগ করছো কেন??আরে বাবা দেখতে হবে না আমার বউকে গায়ে হলুদের সাজে কেমন লাগছে। তাই জন্য তো তোমাকে দেখতে এসেছি আর এমনিতেও একবার দেখো আমাকে ভালো করে।আমি এখন আমার গায়ে হলুদ‌ ই দিইনি।

নিলয়ের কথা শুনে তিথি একবার নিলয় দিকে তাকিয়ে দেখল সত্যিই তার গায়ে হলুদের ছিটেফোঁটাও নেই। তিথি অবাক হয়ে নীলার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করল-;

-: একি!! আপনার এখনো হলুদ লাগানো হয়নি।

-: হুম তো।

-: কিন্তু কেন??

-: তোমার থেকে সবার প্রথম হলুদ লাগাবো বলে কাউকে আমি হলুদ লাগাতে দিইনি।

-:মা.. মানে

-:মানেটা খুবই পরিষ্কার।

এই বলে নিলয় তিথিকে নিজের সাথে সম্পূর্ণ মিশিয়ে নিল,,তারপর তিথির দিকে ঝুঁকে পড়ল কিছুটা।নিলয়কে এমন ঝুঁকে পড়তে দেখে তিথি নিজের মাথাটা সরানোর চেষ্টা করলো,,,কিন্তু পারলো না।নিলয় তাকে দেওয়ালের সাথে শক্ত করে চেপে ধরায়,,,সে কিছুতেই নিজেকে নিলয়ের থেকে ছাড়াতে পারছে না।

-: বৃথা চেষ্টা করো না পাখি।আমি যতক্ষণ না তোমায় ছাড়বোনা ততক্ষণ তুমি চাইলেও আমার কাছ থেকে ছাড়া পাবে না।

এই বলে নিলয় নিজের গাল তিথির গালের সাথে লাগিয়ে দিল,,তারপর তিথির গাল থেকে নিজের গালে হলুদ লাগিয়ে নিল।নিলয়ের এমন আচরণে তিথি পুরো শরীর অবশ হয়ে হয়ে উঠলো।নিলয় ক্লিন শেভিং করলেও নিলয়ের গালের ছোট ছোট দাড়ির খোঁচায় তিথি নরম গালে কিছুটা ব্যথার অনুভূতি হল।নিলয় তিথির দিকে তাকিয়ে বলল-;

-:এখন তোমার কাছ থেকে প্রথম হলুদ মেখে নিলাম।এবার আর এখানে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না,,,নইলে আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবো না।ভালো থেকো পাখি আর শুধু আজকের রাতটা!!ব্যস এরপর তোমাকে আমি আমার ছোট্ট নীড়ের রাজরানী করে নিয়ে যাব। যেখানে আমরা ছোট্ট একটা টোনাটুনির সংসার সাজাবে।

এই বলে তিথির কপালে একটা গভীর চুমু এঁকে,,,ব্যালকনি থেকে নিচে নেমে গেল।নিলয় চলে যাওয়ার পর,,তিথি কপালে হাত দিয়ে আনমনে হেসে উঠলো।
.
.
?
.
.

এদিকে আবির বেশ কিছুদিন ধরে খেয়াল করছে,,নিশি তাকে এড়িয়ে চলছে।এই ব্যাপারটা আবিরের কিছুতেই ভালো লাগছেনা।যখনই সে নিশির কাছে আসে,,,তখনই কিছু না কিছু একটা অজুহাতে দিয়ে সে তার থেকে দূরে চলে যাই।

আবির আনমনেই ভাবছিলো কথাগুলো। হঠাৎ দেখল নিশি তার সামনে দিয়ে যাচ্ছে।নিশিকে দেখে আবির তাকে ডাকলো নিজের কাছে আসার জন্য।আবিরের ডাকে নিশি একবার তার দিকে তাকিয়ে,,,সঙ্গে সঙ্গে নিজের চোখ সরিয়ে নিল।

তারপর ধীরে পায়ে তার দিকে এগিয়ে গিয়ে,, জিজ্ঞাসা করল-;

-:বলুন কি হয়েছে??

-:আমাকে এক গ্লাস পানি দে তো।

নিশি আবিরের কথার উওর না দিয়ে,,,রান্না ঘরে চলে গেল।কিছুক্ষণ পর এক গ্লাস পানি এনে আবিরের হাতে ধরিয়ে দিল।আবির কিছু বলতে যাবে তার আগে নিশি সেখান থেকে চলে গেল। আবির নিশি যাওয়ার পানে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।তারপর পানি খেয়ে নিজের কাজে চলে গেল।
.
.
?
.
.
হুট করেই নিশির লেহেঙ্গার আচঁল টেনে খুলে নিলো আবির।নিশি বিস্মিত চোখে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।

কিছুক্ষণ আগের কথা,,,নিচে মেহেন্দির অনুষ্ঠান হচ্ছিল।সবাই নিজেদের হাতে নিজেদের মনের মত মেহেন্দি লাগাতে ব্যস্ত।মেহেন্দির জন্য মেহেন্দি আর্টিস্ট ভাড়া করে আনা হয়েছে,, তাই বড়-ছোট কেউই বাদ যাচ্ছে না নিজেদের হাতে মেহেন্দি লাগাতে।

তিথি হালকা সবুজ রঙের লেহেঙ্গা,,দু হাত ভর্তি চুরি,, গলায় সুন্দর নেকলেস,, দু পায়ে নুপুর,,,কোমড়ে কোমর বন্ধনী,, চোখে গাঢ় করে কাজল,,, ঠোটের লাল কালারের লিপস্টিক আর মুখে হালকা মেকআপ,, ব্যাস এতেই তিথিকে খুব সুন্দর লাগছে।

নিশিকেও খুব সুন্দর লাগছে দেখতে,,,গোলাপি কালারের লেহেঙ্গা,, সাথে ম্যাচিং করে চুরি পরেছে দুই হাতে,, ঠোঁটে মিষ্টি কালার লিপস্টিক,,চোখে আইলাইনার মোটা করে পড়ানো,, গলায় শুধু একটা চেন পরেছে। নিশি কোমর বন্ধনী পরেনি পায়ে শুধু নূপুর পরেছে।

নিশি তিথির পাশেই বসেছিল প্রথম থেকে।তিথির মেহেন্দি পড়ানো প্রায় শেষ,,এরপর তার পালা মেহেন্দি পড়ার।অনেকক্ষণ ধরে একভাবে তিথির পাশে বসে থাকার জন্য কিছুটা আনইজি ফিল করছিল তাই একটু ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে যায়।

ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই এই পরিস্থতির স্বীকার হলো সে।আবির যে এমন কাজ করতে পারে তা নিশির ধারনার বাইরে ছিলো।আবিরের এতদিনের ব্যবহার মুখ বুজে সহ্য করতে পারলেও আজ তার এমন কাজের পর নিজেকে শান্ত রাখতে পারলো না সে।চোখে রাগের আগুন জ্বলে উঠলো,,, আবিরের গালে একটা প্রচন্ড জোরে চড় বসিয়ে দিলো।

নিশি যে এমন কিছু করতে পারে তা আবিরের জানা ছিলো না,,,আগে থেকেই রেগে ছিলো আবির,,,এবার আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না।দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো নিশিকে।নিজেকে ছাড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে,,,এবার চেচাঁতে লাগলো নিশি,,,সাথে গড়িয়ে পড়ছে চোখের জল,,,

-:ছাড়ুন,,,ছাড়ুন আমায়।।।।এটা কোন ধরনের অভদ্রতা (চেঁচিয়ে টলটলে চোখে)

-:ওহহ্ এখন অভদ্রতা??নিজে যখন ছেলেদের সাথে ঢলাঢলি করো,, তখন ওইটাকে বুঝি খুবই ভদ্রতা বলে?(আরো জোড়ে চেপে ধরে)

‌ নিশি কিছুক্ষন আবিরের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে,,,বলে উঠলো-;

-:মাইন্ড ইউর ল্যাংগুয়েজ মিস্টার আবির আহমেদ।আমি কিছু বলছি না তারমানে এই নয় যে আপনি আমাকে যা তা বলবেন।আমি এতদিন চুপ করে থাকলেও আর চুপ করে থাকবো না।(রাগী চোখে)

-:ও রিয়েলি?? তো কি করবে আমায় শুনি?? যাদের সাথে ঢলাঢলি করছিলে তারা নিশ্চয় খুব ভালো তাই না??তো কোথায় কোথায় টাচ করেছে শুনি??খুব ভালো লেগেছে বুঝি???(দাঁতে দাতঁ চেপে)

আবিরের ভাষা শুনে নিশি হতবাক। এই মানুষটা তাকে এতটা ভুল বুঝবে সে বুঝতে পারেনি।

আসলে তিথির কয়েকজন কাজিন নিশি সাথে কথা বলছিল।যেহেতু তারা নিজের ইচ্ছায় তার সাথে কথা বলছিল,,তাই সে না করতে পারে নি।তো নিশি ও তাদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছিল। তাদের মধ্যে একজন ছেলে নিশির বেশ গা ঘেঁষে কথা বলছিল।নিশি প্রথমে বুঝতে না‌ পারলেও পরে বুঝতে পেরে সেখান থেকে সরে আসে।আর আবির ঠিক সেই সময় টা দেখেছে যখন ছেলেটা নিশির গা ঘেঁষে কথা বলছিল আর নিশি হাসছিল।এইটা দেখেই তার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

এবার নিশি আর চুপচাপ দাড়িয়ে থাকতে পারলো না,,ডানহাতটা হেচঁকা টানে ছাড়িয়ে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আবিরের গালে চড় বসালো।রাগের মাথায় কাজটা করলেও আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে থমকে গেলো,,,রক্তলাল চোখগুলোতে নিশি যেনো তার ধ্বংসই দেখতে পাচ্ছে।

কিছু বুঝে উঠার আগেই নিশির ঠোঁটগুলি নিজের আয়াত্তে নিয়ে নিলো আবির।নিজের রাগগুলোকে নিশির ঠোঁটের উপর ঝাড়তে ব্যস্ত সে।অসহ্য যন্ত্রনায় নিজেকে ছাড়াতে ব্যর্থ হয়ে,, চোখ খিঁচে পাথরের মুর্তির ন্যায় দাড়িয়ে আছে নিশি।আবির কেনো এমন করছে কিছুই বুঝতে পারছে না নিশি। আবির তো এমন ছিলো না,,,,তাহল আজ কেন এমন করছে সে????আবিরের কামড়গুলো এখন ভালোবাসার পরশে পরিনত হয়েছে,,,নিশির ঠোঁটে পাগলের মতো কিস করে চলেছে সে,,,আর হাত দিয়ে কোমরে ধীরে ধীরে স্লাইড করছে।আবির যেনো নিশিতে ডুব দিতে চাইছে,,,গভীর রূপ নিচ্ছে তার ভালোবাসার পরশগুলো।নিশির শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে।।এবার আর সহ্য করতে না পেড়ে নিজের সর্ব্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিলো আবিরকে,,,,,ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেড়ে দু’পা পিছিয়ে গেলো সে।ফ্লোরে ধপ করে বসে পড়ে,, দুই হাতে মুখ চেপে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাদঁতে শুরু করলো নিশি………….
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্ব]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে