তোমাকে আমার প্রয়োজন পর্ব-২৫

0
1904

#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??

??পর্ব-২৫??
.
?
.
এইভাবে হাসিখুশি মধ্য দিয়ে দিনগুলো অতিক্রান্ত হতে লাগলো আস্তে আস্তে নিশি প্রায় সুস্থ হয়ে উঠলো এখন সে নিজে নিজেই হাঁটতে পারে তিথির বিয়ে আর আট দিন বাকি,,,তাই সবাই খুবই ব্যস্ত বিয়ে নিয়ে,,,আবির তো দম ফেলারও টাইম পাচ্ছেনা,,একমাত্র বোনের বিয়ে বলে কথা।আজ তিথিদের পরিবার নিশিদের বাড়ি যাবে,,তাদের দাওয়াত দিতে তিথির বিয়ের।একই সঙ্গে তিথি ঠিক করেছে নিশিকে ও তার সাথে নিয়ে আসবে এই কদিন নিশি তার কাছে থাকবে,, আর এমনিতেও এখনো বিয়ের শপিং করা বাকি আছে তাই সে নিশি তার সাথে রাখবে বলে ঠিক করেছে।

দুপুরে তারা নিশিদের বাসায় গেল,,,নিশির বাবা মার সাথে দেখা করে তিথি নিশির রুমে চলে গেল,,,গিয়ে দেখল নিশি ফোনের দিকে খুবই বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।তিথি নিশির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করে উঠলো-;

-:কিরে কি ব্যাপার??এমন পেত্নী মার্কা মুখ করে বসে আছিস কেন তুই??

নিশি চমকে উঠলো কিছুটা তারপর তিথিকে দেখে স্বাভাবিক হয়ে বলে উঠলো-;

-:দেখ না একটা আনননাম্বার থেকে আমাকে কন্টিনিউয়াসলি ডিস্টার্ব করে যাচ্ছে।

-:কই দেখি।

এই বলে নিশি হাত থেকে ফোনটা নিয়ে দেখতে লাগলো,,,নিশির ফোনের কল লিস্ট চেক করে দেখল একটা আননোন নাম্বার থেকে প্রায় আশি প্লাস মিসড কল,,,,তিথি অবাক হয়ে নিশির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো-;

-:এতবার তোকে ফোন কে করতে পারে??

নিশি অসহায় চোখে তাকিয়ে বলে উঠলো-;

-:জানি না।

-: কবে থেকে তোকে এমন ফোন করে ডিস্টার্ব করছে??

-:গত তিন দিন ধরে এই নাম্বার থেকে প্রচুর ফোন আসছে আমার কাছে,,,যেই ফোন রিসিভ করছি অমনি কেটে দিচ্ছে।কাল রাতেও ফোন করেছিল,,,রিসিভ করতেই হঠাৎ একটা ছেলে বলে উঠলো””আই লাভ ইউ,,আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।””

তিথি চোখ বড় বড় করে নিশির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো-;

-:কি!!

-:হুম।(করুণ চোখে তাকিয়ে)জানি না কি হবে তবে আমার খুব টেনশন হচ্ছে রে।।

-:ওকে তুই চিন্তা করিস না।এমনিতেই এখন থেকে বিয়ে পর্যন্ত তুই আমার সাথে থাকবি সো মে হু না,,,সব হ্যান্ডেল করে নেব,,তুই কোন টেনশন করিস না।

তিথির কথা শুনে নিশি আকাশ থেকে পড়লো অবাক হয়ে বলে উঠলো-;

-:পাগল হয়ে গেছিস নাকি তোর বিয়ে সাত থেকে আট দিন পর হবে।আমি এত তাড়াতাড়ি তোদের বাসায় গিয়ে কী ঘাস ছিড়বো??

-:সে তুই কী করবি তুই জানিস কিন্তু আমি আঙ্কেল আন্টির সাথে কথা বলে নিয়েছি তারা রাজি তোকে আমাদের সাথে ছাড়তে।নিচে মামা মামি আর ভাইয়া এসেছে তারা তাদের সাথে গল্প করছে।

তিথির মুখে ভাইয়া নাম টা শুনে নিশির বুক ধুক করে উঠলো,,,তারপর নিজেকে সামলে বলে উঠলো-;

-:আমাকে মাফ করিস তিথি আমার পক্ষে এতদিন তোদের বাসায় থাকা সম্ভব নয়।

-:শোন আমি জানি তুই কেন থাকতে চাইছিস না। তবে তোকে একটা বলে রাখি সমস্যা থেকে ভয় পেয়ে যদি সবসময় পালাতে থাকিস তাহলে কখনই সেই সমস্যা সমাধান করতে পারবি না তুই,,,যতক্ষণ না তুই নিজে সে সমস্যার সামনে রুখে দাঁড়াবি ততক্ষণ পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান কিছুতেই হবে না,,বুঝতে পেরেছি আমার কথা।

-:কিন্তু….

‌ নিশিকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো-;

-:কোন কিন্তু ফিন্তু আমি শুনতে চাই না,,,তুই আমাদের সাথে আজ যাচ্ছিস আর এটাই ফাইনাল।আর তুই যদি না যাস তাহলে তোর সাথে আমি কোনদিনও কথা বলবো না।(কিছুটা মন খারাপ করে)এখন নে তাড়াতাড়ি নিজের জামা কাপড় প্যাকিং করে নে আমি তোকে হেল্প করছি।

নিশি আর কিছু বলল না জানে এখন আর কিছু বলে লাভ হবেনা।সত্যিই তো আর কতদিনই বা আবিরের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখবে। তাই আর কিছু না ভেবে তিথির সাথে হাত লাগিয়ে নিজের জামাকাপড় প্যাকিং করে নিল। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে বিকালের দিকে নিশিকে নিয়ে তিথিরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।তিথির মামা মামীরা অন্য একটি গাড়ি করে গিয়েছে আর আবিরের গাড়িতে নিশি এবং তিথি গিয়েছে,,,পুরো রাস্তায় নিশি একটাও কথা বলেনি।আবির বেশ অনেকবার লুকিং গ্লাসে নিশির দিকে তাকিয়ে ছিল।
.
.
?
.
.

আজ দুইদিন হয়েছে নিশি তিথিদের বাসায় আছে।একদিন রাতে আবার সেই আননন নাম্বার থেকে নিশির কাছে ফোন আসলো,,নাম্বারটা দেখে নিশি কিছুটা বিরক্তিকর ফেস নিয়ে ফোনটা রিসিভ করল।রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠলো-;

-:এতক্ষণ লাগে ফোনটা রিসিভ করতে?? কোথায় ছিলে তুমি??

নিশি একেই বেশ বিরক্ত ছিল তার উপর অজানা লোকটার এমন কথাই প্রচুর রেগে গেল। তাই কিছুটা জোরে বলে উঠলো-;

-:সমস্যা কি আপনার??কেন বারবার এরকম ডিস্টার্ব করছেন আমাকে??

-: ভালোবাসি তাই।

নিশি এবার প্রচুর রেগে গেল আরেকটু জোরে চেঁচিয়ে বলে উঠলো-;

-:এই বাড়িতে মা বোন নেই??আর একবার ফোন করে ডিস্টার্ব করলে না আপনার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে একদম এই আমি বলে রাখলাম।

-: আমি তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু এটা বুঝতে পারছিনা এর মধ্যে থেকে মা বোনের ফ্যাক্টরটা সকতা দেখি আসছে কোথা থেকে??(কিছুটা কনফিউজড হয়ে)আর তাছাড়াও বাড়িতে মা বোনের কথা ভেবে যদি চুপচাপ বসে থাকি তাহলে এই জীবনে আমার আর বিয়ে করা হবে না।।(মজা করি)

-: তাই নাকি তো জান না যাকে ইচ্ছা তাকে আপনি বিয়ে করুন আমার তাতে কোন প্রবলেম নেই কিন্তু দয়া করে আমার পিছু ছাড়ুনি।

-:উহু তোমার পিছু কি করে ছাড়িয়ে আমি তোমাকে যে বউ বানাবো আমি আমার এটা তুমি অনেকদিন ধরেই ভেবে রেখেছি।

-:এই,,এই অসভ্য লুচু পোলা একটা তুই একবার সামনে আয় আমার তোকে মেরে যদি না বাঁদর বানিয়ে রেখেছি আমার আমিও মেয়ে নয়।

-:ও তাই নাকি তাহলে তুমি এতক্ষণ ভাবছিলে আমি তোমাকে ছেলে ভেবেছি।

এই বলে অজানা ছেলেটা হাসতে শুরু করল নিশি এবার বুঝতে পারল যে সে কি বলে ফেলেছে।তবুও নিজেকে সামলে বলে উঠলো-;

-:তা…তাই নয় তো কি আমি কি আপনাকে আমার নিজের নাম বলতাম না কি??হুম নিজেকে খুব চালাক ভাবেন না ভেবেছিলেন আমি আমার নামটা আপনাকে বলে দেবো খুব সহজে,,,হুম কিন্তু আপনার সেই গুড়ে আমি এক বস্তা বালি ঢেলে দিয়েছি।(কিছুটা ভাব নিয়ে)

-:তাই নাকি!!

-:হ্যা তাই।(রেগে বলে উঠলো)

-:ওরে বাবা আমার পিচ্চিটা তো দেখছি রাগ‌ও করতে।

-:এই এই হাউ ডিয়ার ইউ আমাকে পিচ্চি বলার সাহস আপনাকে দিয়েছে।আপনাকে যদি আমি সামনে পেতাম না তাহলে আপনাকে যে কি করতাম তা আপনার ধারণার বাহিরে।(প্রচন্ড রেগে)

-:আসবো পিচ্চি আসবো খুব তাড়াতাড়িই তোমার সামনে আসব,,,তোমাকে সারা জীবনের জন্য আমার করে নিতে।কারণ আমার এক ঘেয়ে জীবনে সর্বপ্রথম তুমিই তোমার বসন্তের রং ছুইয়ে দিয়ে আমার জীবন টাকে রঙিন করে তুলেছে। তাই আমার জীবন টাকে সুন্দরভাবে গোছাতে এবং ভালোবাসাময় করে তুলতে #তোমাকে আমার প্রয়োজন,,,বড্ড প্রয়োজন।খুব তাড়াতাড়ি তোমার সামনে এসে হাজির হবো।ততদিন পর্যন্ত না হয় নিজের খেয়াল রেখো,,,আর মাঝেমাঝে ডিস্টার্ব তো করেই থাকবো তোমাকে আমি,,,ওকে বাই এখন রাখছি।

-:হ্যালো কে আপনি???কি চাই আপনার???হ্যালো….হ্যালো…

আর কিছু বলতে পারল না ফোনের ওপাশে থাকো ব্যক্তিটি ফোন কেটে দিলে।নিশি বেশ চিন্তিত হয়ে আছে এইটা ভেবে যে কে তাকে ফোন করতে পারে,,,,এই একটা কথা তাকে বেশ ভাবাচ্ছে।এমন সময় তিথি রুমে প্রবেশ করল,,, এতক্ষণ সে নিলয়ের সাথে ফোনে কথা বলছিল।। রুমে প্রবেশ করে নিশিকে এমন বিষন্ন মনে বসে থাকতে দেখে,,,,তিথি জিজ্ঞাসা করল-;

-:কিরে তোর আবার কি হলো??

নিশি তিথির দিকে তাকিয়ে মুখ গোমড়া করে বলে উঠলো-;

-:আবার সেই লোকটা ফোন করেছিল আমাকে।।

-:কি,,,কখন???

-:তুই যখন নিলয় ভাইয়ের সাথে ফোনে প্রেমালাপ করছিলিস তখন।

নিশির কথায় তিথি কিছুটা লজ্জা পেল,,, তারপর বলে উঠলো-;

-:তোকে কে এরকম ডিস্টার্ব করছে বল দেখি??

-:সেটা তো আমিও বুঝতে পারছি না।

তিথি আর নিশি নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল,,,,ঠিক তখনই আবির তাদের রুমে প্রবেশ করলো,,,,নিশির দিকে এক পলক তাকিয়ে তিথিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো-;

-:তোদেরকে মা নিচে ডাকছে ডিনার করার জন্য।

আর কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই নিশির ফোন আবার বেজে উঠলো।নিশি ভেবেছে আবার হয়তো সেই নাম্বার থেকে ফোন এসেছে তাই না দেখেই ফোনটা কেটে দিলো।নিশির এমন করে ফোন কেটে দেওয়া আবির ভ্রু কুঁচকে নিশির দিকে তাকাল,,,তারপর আবারও কিছু বলতে যাবে,,কি তখনই নিশির ফোন আবার বেজে উঠলো।নিশি ফোনটা রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে একজন বলে উঠল-;

-:হ্যালো নিশি??

কন্ঠটা শুনতে অন্যরকম লাগায় নিশি কিছুটা অবাক হয়ে ফোনের নাম্বারটা চেক করে দেখলে যে এটা সেই নাম্বার নয় এটা অন্য আননোন নাম্বার।তাই কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো-;

-:জি হ্যাঁ আমিই নিশি কিন্তু আপনি কে??

-:আমি রাফিন,, নিলয়ের বন্ধু চিনতে পেরেছো আমাকে।তোমার মনে আছে সেই নিলয়ের এনগেজমেন্টের অনুষ্ঠানে তোমার সাথে আমি ডান্স করতে চেয়েছিলাম।

-:ও রাফিন ভাইয়া বলুন কি বলবেন?

এতক্ষণ আবির দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিশির কাণ্ডকারখানা দেখছিল হঠাৎ নিশির মুখে রাফিন নামটা শুনে,,,,মুহুর্তেই তার মাথা গরম হয়ে উঠলো।তারপর নিজেকে কন্ট্রোল করে,,,নিশির হাত থেকে ফোনটা ছিনিয়ে নিল।নিশি অবাক হয়ে আবিরের দিকে তাকাতেই,,,আবির দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো-;

-:খেতে ডাকছে নিচে যা সবাই।

-:আরে ভাইয়া আমার ফোনটা তো দিন।রাফিন ভাইয়া ফোন ধরে আছে।

নিশির কথায় আবির ‌আরো রেগে যায় তারপর ফোনটা নিজের কানে রেখে বলে উঠলো-;

-:আপনি এখন ফোনটা রাখতে পারেন,,,আমরা এখন ডিনার করতে যাব।আর হ্যাঁ এত রাতে কোনদিন কোন মেয়েকে ফোন দেবেন না কেমন??

এই বলে ফোনটা রেখে দিল,,,,আবিরের এমন কাণ্ডে নিশি রেগে যায়,,,আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো-;

-:এটা কি ধরনের ব্যবহার ভাইয়া??উনি আমার কাছে ফোন করেছিলেন,,,হয়তো কোন দরকার ছিল।আর আপনি ওনার সাথে ওমন রুড বিহেভিয়ার করে ফোনটা কেটে দিলেন,,,কেন??

আবির নিশির কোথায় কোন উত্তর না দিয়ে নাক ফুলিয়ে নিশির দিকে তাকিয়ে,,,,ফোনটা হাতে দিয়ে চলে গেল।আবির চলে যাবার পর নিশি তিথির দিকে তাকিয়ে অসহায় গলায় বলে উঠলো-;

-:দেখলি তোর খারুশ ভাইয়ের কান্ড!!

তিথি এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেশ মজা নিচ্ছিল,,, নিশির এমন কথায় নিজের মুখটা দুঃখী দুঃখী করে বলে উঠলো-;

-:হুম কি আর বলবি বল,,,,কিছু বলে লাভ নেই। তার চেয়ে বরং চল আমরা নিচে গিয়ে ডিনারটা সেরে আসি।

নিশিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে তার হাত ধরে তিথি নিচে নেমে গেল,,,তারপর সবাই ডিনার সেরে যে যার রুমে চলে গেল।কাল তিথিরা বিয়ের শপিং করতে বেরোবে,,,,তাই সবাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরল।

.
.
?
.
.

পরের দিন বেলা 11 টার সময় তিথি এবং নিশি রেডি হয়ে নিল।তিথি,,নিশি,,,আবির আর নিলয় এরা চারজন যাবে শপিং করতে।নিশি আর তিথি রেডি হয়ে নিচে অপেক্ষা করতে লাগলো নিলয়ের জন্য,,,,কারণ নিলয় তাদের সাথে বাসার সামনে মিট করবে বলেছে,,,,তারপর সেখান থেকে চারজনে একসাথে শপিং করতে বেড়বে।কিছুক্ষণ পর নীলয় এসে হাজির হলো।তিথি তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে ড্রাইভিং সিটে নিলয়ের পাশে বসে পরল।নিশি যেই গাড়িতে উঠতে যাবে,,,অমনি তিথি বলে উঠল-;

-:আরে আরে কি করছিস!!

নিশি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তিথির দিকে তাকাতেই,,,তিথি দাঁত বের করে হেসে বলে উঠলো-;

-:আরে আমার বিয়ে বলে কথা শপিং তো করবো এত এত।

-:তো!!(ভ্রু কুঁচকে)

-: আরে ডাফর এতগুলো শপিং করলে গাড়ি পিছন পুরো ভরে যাবে না,,,তাহলে তুই বসবি কোথায়???তারচেয়ে বরং তুই ভাইয়ার সাথে ভাইয়ের গাড়িতে করে আয়।

-:হোয়াট কি যা তা বলছিস???আমি ঠিক ম্যানেজ করে নিতে পারব।

এই বলে যেই নিশি বসতে হবে,,,অমনি নিলয় বলে উঠল-;

-:এইযে বনু তিথি ঠিকই বলেছে তুমি বরং পিছনে শালা বাবুর গাড়িতে করে আসো,,,, তোমার পিছনে বোসতে কষ্ট হবে।

-:কিন্তু ভাইয়া…

-:আরে বনু তোমার ভালোর জন্যই বলছি,,,যাও।

নিশি একবার তিথি এবং নিলয়ের দিকে তাকিয়ে মুখ গোমরা করে পিছনে আবিরের গাড়ির কাছে চলে গাড়ি গেল।নিশিকে নিজের গাড়ির সামনে আসতে দেখে আবির কিছুটা বাঁকা হাসলো তারপর একটু ভাব নিয়ে নিজের গাড়িতে উঠে পড়লো।নিশি আবিরের দিকে একবার তাকিয়ে যেই পিছনের সিটে বসে উঠতে হবে অমনি আবির বলে উঠল-;

-:এক্সকিউজ মি!!??

-:কেয়া হে!!??

-: আমি কি তোর ড্রাইভার????

-: কেন আপনি আমার ড্রাইভার হতে যাবেন কেন???

-: তাহলে তুই পিছনের সিটে উঠছিস কেন,,, চুপচাপ সামনে এসে বস।(দাঁতে দাঁত চেপে)

নিশি আর কিছু না বলে আবিরকে একটা ভেংচি দিয়ে,,,আবিরের পাশে বসে পরল।আবির নিজের সানগ্লাসটা পড়ে,,, বাঁকা হেসে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে