তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে পর্ব -২৩

0
1212

#তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে💖
#মিফতা তিমু
#পর্ব-২৩

সকাল হতেই আমার ঘুমটা ভেঙে গেলো।আমার বরাবরের অভ্যাস তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার তাই আজও তার ব্যতিক্রম হলো না।ঘুম ভাঙতেই নিজেকে ডাক্তার সাহেবের বাহুডোরে আবদ্ধ আবিষ্কার করলাম। আস্তে আস্তে মুখ তুলে ডাক্তার সাহেবের দিকে তাকালাম। আজও সেই আগের মত উনার মুখে সূর্যের সোনালী আভা পড়ছে আর সেই আভায় উনার ফর্সা মুখটা আরও স্নিগ্ধ লাগছে।উনার ললাটে লেপ্টে থাকা চুলগুলো বারবার আমায় বলছে যেন তার চুলগুলো সযত্নে ঠিক করে দেই।

আমি আলতো হাতে উনার চুলগুলো ঠিক করে দিলাম কিন্তু উনার চুলে হাত দিতেই উনি জেগে গেলেন।চোখ খুলে আমার দিকে তাকালেন তারপর বললেন,
তাহরীম: সারাদিন আমার সজ্ঞানে আমার সামনে খিটখিট করেন আর আমি ঘুমিয়ে গেলে আমার চুলে হাত বুলিয়ে দেন তাইনা?

আমি উনার কথা শুনে খানিকটা অপ্রস্তুত হলাম।উনাকে ছেরে দূরে সরে উঠে বসলাম।আমি উঠে বসতেই উনিও উঠে বসলেন।আমি শাড়ী ঠিক করে উঠে দাড়িয়ে আলমারির দিকে এগিয়ে গেলাম।আলমারি থেকে জামা কাপড় বের করতে করতে বললাম,
আফরিন: মাকে বলে দিবেন আজ আমার খেয়ে যাওয়া সম্ভব না।আমাকে আটটা বাজে যেতে হবে কলেজে তাই আমি কলেজে গিয়ে ক্যান্টিন থেকে খেয়ে নিবো।
তাহরীম:এত সকাল সকাল যাওয়ার কারণ কি জানতে পারি?
আফরীন: আজ অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। আপনার রিপ্লেসমেন্ট এ যেই প্রফেসর এসেছেন শুনেছি উনি অনেক কড়া তাই অ্যাসাইনমেন্ট সময় মত জমা দিতে হবে।সাড়ে আটটায় স্যারের কেবিনে জমা দিতে হবে।
তাহরীম: ওখানে গিয়ে খেতে যত সময় লাগবে, এখান থেকে খেয়ে যেতেও একই সময় লাগবে।
আফরীন: তবুও সম্ভব না।আমি এখানে তাড়াহুড়ো করে খেলে আমার পরে প্রবলেম হবে বলেই আমি বাথরুমে ঢুকে গেলাম।

গোসল করে বের হতে হতে আধা ঘণ্টা লেগে গেলো।এখন বাজে সোয়া সাতটা।আমি তাড়াতাড়ি করে আয়নার সামনে গিয়ে মাথা থেকে টাওয়েল খুলে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোতে শুরু করলাম।কিন্তু চুল শুকোতেই পারছি না তাড়াহুড়ো করে।তখনই পিছন থেকে কেউ যেন আমার হাতে থাকা হেয়ার ড্রায়ারের উপরে হাত রাখলো।আমি পিছন না তাকিয়েও বুঝতে পারলাম মানুষটা আর কেউ নয় বরং ডাক্তার সাহেব নিজেই।উনি আমার হাত থেকে ড্রায়ার টা নিয়ে আলতো হাতে আমার চুলগুলো ড্রাই করতে লাগলেন।

চুল ড্রায় করে আমাকে বললেন,
তাহরীম: তুমি রেডি হও।আমি পাঁচ মিনিটে রেডি হয়ে আসছি।আমার জন্য নিচে গাড়ীর কাছে অপেক্ষা করো।
ডাক্তার সাহেবের কথা শুনে আমি উনার দিকে প্রশ্ন বিদ্ধ চাহনিতে বললাম,
আফরীন: আপনার জন্য অপেক্ষা করবো?আপনি কোথায় যাবেন?
তাহরীম: তোমাকে দিতে যাবো।
আফরীন: কেন?
তাহরীম: বড্ড অবাধ্য তুমি আফরিন।শুধু শুধু অযথা প্রশ্ন করো। কাল বলেছিলাম না যতদিন চাকরি তে জয়েন না করছি অতদীন তোমার সেবা করবো।আর তোমাকে কলেজে দিতে যাওয়াও এক ধরনের সেবা।তাই আমি ঠিক করেছি তোমায় নিয়ে যাবো।

‘ দরকার নেই দরকার নেই।আমি একাই যেতে পারবো।আপনি বাসায় বসে চিড়া ভাজা খান শুয়ে শুয়ে। ‘ বলেই আমি দৌড় দিবো কাধে ব্যাগ নিয়ে ওমনি আমার ব্যাগে টান পড়লো।আমি অপ্রস্তুত হাসি দিয়ে পিছনে ফিরে তাকালাম।চোখে পড়লো অতিরিক্ত ক্রোধে রক্তিম হয়ে যাওয়া ডাক্তার সাহেবের মুখখানা।আমি শুকনো ঢোক গিললাম।

উনি আমায় দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে বললেন,
তাহরীম: তুমি এত জেদী কেন আফরীন?আমি যখন একবার বলেছি তখন তুমি আমার কথা শুনতে বাধ্য। নাহলে…
আমি তো উনার কথা শুনেই ভয় পেয়ে গেছি।উনার চোখ মাত্রাতিরিক্ত রাগের কারনে লাল হয়ে গেছে।আমি উনাকে দেখে ভয় পাচ্ছি তবুও ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
আফরিন: নাহলে…কি কি…করবেন?

আমার কথা শুনে মুহূর্তেই উনি আমার দিকে তাকিয়ে বাকা হাসলেন।উনার এই বাকা হাসি দেখে আমার আত্মারাম খাচা ছাড়া হয়ে গেছে।আমি ভালো করেই বুঝতে পারছি উনি কিছু একটা তো অবশ্যই করবেন নাহলে উনি এই ভয়ঙ্কর হাসি এমনই এমনই দেন না।উনার মাথায় কিছু একটা চলছে কিন্তু কি?

হঠাৎ আমার আশেপাশের সবকিছু যেন অন্ধকার হয়ে এলো।প্রচন্ড দম্বন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।ডাক্তার সাহেব আমার ঠোট জোড়া নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছেন।আমার নরম ঠোঁটে উনার ঠোঁটের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন।উনার এহেন কাজে আমি রীতিমত শকড।আমি ভাবতেও পারিনি উনার সেই ভয়ঙ্কর হাসির মানে এত ভয়ংকর কিছু হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এক মিনিট গেলো…দুই মিনিট গেলো…তিন মিনিটও গেলো কিন্তু ডাক্তার সাহেবের আমাকে ছাড়ার নাম গন্ধ নেই। একি উনি তো আমায় দমবন্ধ করে মেরে ফেলবেন।আমি উনার কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটপট করছি কিন্তু উনার আমাকে ছাড়ার কোনো ইয়ত্তা নেই।উনি আপন মনে আমায় কিস করে যাচ্ছেন।

শেষে উপায় না পেয়ে উনাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে আমি বড় বড় নিশ্বাস নিতে লাগলাম।আমি দেওয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে হাপাচ্ছি।উনি আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।খানিকটা ধাতস্ত হতেই উনি আমার ঠোঁট জোড়ায় আবারও আক্রমণ করলেন।এবার আমার আঁখি যুগল কোটর চিড়ে বেরিয়ে আসবে।আমি ডাক্তার সাহেবের কাজে রীতিমত অবাক হচ্ছি।এই ডাক্তার সাহেব কে চিনি না আমি।আগের ডাক্তার সাহেব আর এই ডাক্তার সাহেবের মাঝে হাজার গুন পার্থক্য।

উপায়ন্তর না পেয়ে এবার ডাক্তার সাহেবের ঘাড়ে আমার নখের আঁচড় বসিয়ে দিলাম।এবার বুদ্ধিটা কাজে লাগলো।উনি সাথে সাথে লাফিয়ে দূরে সরে গেলেন। ঘাড়ে হাত দিয়ে আমার দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,
তাহরীম: এটা কি করলে তুমি? আমায় খামচি দিলে?তুমি কি বিড়াল আফরিন?
আমি আমতা আমতা করে বললাম,
আফরিন: খামচি দিবো নাতো কি করবো? এভাবে কেউ কিস করে? আমার তো দম বন্ধ হয়ে আসছিল।আরেকটু হলেই আজ আমি মরে যেতাম।তখন সকালের খবরের কাগজে হেড লাইন উঠতো বউকে মাত্রাতিরিক্ত কিস করে তাকে দম বন্ধ করে মেরে ফেলেছে জাতির ক্রাশ ঢাকা মেডিক্যালের প্রাক্তন ডক্টর এবং প্রফেসর ডক্টর তাহরীম মেহমাদ।

উনি আমার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।মনে হয় আমার কথাগুলো ঠিক হজম হয়নি উনার।উনি কিছু বলছেন না দেখে আমি উনার দিকে এগিয়ে গিয়ে উনার কাধে হালকা টোকা মারলাম আঙ্গুল দিয়ে।আমার টোকায় উনার সম্বিত ফিরলো আর উনি সাথে সাথে আমার দিকে কটমট দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন,
তাহরীম: তোমাকে তো পরে দেখবো।আমি এখন গোসলে যাচ্ছি।নিচে গিয়ে গাড়ির সামনে ওয়েট করবে আর খবরদার যদি এক পাও নরেছ তাহলে আমাকে খামচি দেওয়ার শাস্তি ডাবল হয়ে যাবে। ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড?

আমি উনার দাতে দাত চেপে বলা কথাগুলো শুনে ভয়ে ভয়ে মাথা নেড়ে সায় জানাই।তারপর উনি আমায় রেখে বাথরুমে ঢুকে যান।আমি তাড়াতাড়ি করে সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসি।নিচে নেমে আসতেই মায়ের সঙ্গে চোখাচোখি হয় কিন্তু আমি পালিয়ে যাওয়ার জন্য হাঁটার স্পিড বাড়িয়ে দেই।

‘চুপচাপ ওখানে দাড়া নাহলে ঠেংরি ভেঙে দিবো তোর।’

মায়ের এই কথা আমায় ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।আমি ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকালাম মায়ের দিকে।এরা মা ছেলে দুজনেই আমায় খালি ধমকের উপর রাখে।যখন ভালো তখন এত ভালো যে এদের ভালো মনুষত্বের কাছে তো অন্যরাও হেরে যায় কিন্তু যখন খারাপ তখন এদের কে সাক্ষাৎ হিটলার মনে হয়।

হিটলার এর কথা ভাবতেই হুট করে মনে পড়লো ডাক্তার সাহেব হঠাৎ করে আমায় লেডি হিটলার ডাকতে শুরু করেছেন।উনি কি লেডি হিটলার বলে আমায় অপমান করতে চাইছেন? উনি মিসেস মেহমাদ কে অপমান করেছেন?

উনার সাহস কি করে হয় মিসেস মেহমাদকে অপমান করার? মিসেস মেহমাদ কে অপমান করার সাহস মিস্টার মেহমাদেরও নেই।তাহলে উনি আমায় কেন অপমান করলেন?

‘ শোন তোদের ঘরের পাশ দিয়ে আসছিলাম তখনই শুনলাম আজ তোর তাড়াতাড়ি যেতে হবে, তাই তোদের জন্য স্যান্ডউইচ করে দিয়েছি।দুটোতে মিলে কলেজ ক্যান্টিনে গিয়ে খেয়ে নিস।না খেলে আজ বাড়ি ঢুকতে দিবো না। ‘

মায়ের কথা কানে যেতেই আমি অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকালাম।মা তাহলে আমাদের কথা শুনে নিয়েছে।আর কি কি শুনেছে মা? আমি মায়ের হাত থেকে টিফিন বাটি নিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে অপ্রস্তুত হাসি দিলাম।মা আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকালো তারপর বললাম,
মা: কি হলো দাড়িয়ে আছিস কেন? যা কলেজ যা।
আফরীন: না মানে ডাক্তার সাহেব বলেছেন উনি নিয়ে যাবেন তাই আমাকে গাড়ীর কাছে অপেক্ষা করতে বলেছেন।
মা: ও তাহলে তাহরীম নিয়ে যাবে? তাহলে যা গিয়ে গাড়ির কাছে দাড়া।

আমি আবারও অপ্রস্তুত হেসে মাথা নেড়ে এগিয়ে গেলাম দরজার দিকে।দরজা খুলে বের হওয়ার সময় আবারও মায়ের দিকে নজর দিলাম।মা এখনও সেখানেই দাড়িয়ে আছেন।মা আমায় ইসারায় জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে।আমি ইসারায় কিছু না বলে লিফটের সামনে এসে দাড়ালাম।লিফটের বাটন প্রেস করে লিফটের ডোর খোলার অপেক্ষায় দাড়িয়ে রইলাম। লিফট খুলতেই ভিতরে ঢুকে গেলাম।

নিচে এসে গ্যারেজে ডাক্তার সাহেবের গাড়ির কাছে দাড়ালাম। দশ মিনিট গেলো কিন্তু এখনও ডাক্তার সাহেবের আসার কোনো নাম নেই।আমি বারবার হাতে থাকা ঘড়িটা দেখছি। সাতটা চল্লিশ বাজে। এখান থেকে যেতে কমসে কম পনেরো মিনিট সময় থাকবে তার মানে আটটা বাজতে আর পাঁচ মিনিট থাকবে। সাড়ে আটটা বাজার আগে খাওয়া দাওয়া করে আরাফাত স্যারের কেবিনে প্রেজেন্ট হতে হবে ।

আরাফাত স্যার ডাক্তার সাহেবের রিপ্লেসমেন্ট এ আমাদের ক্লাস নিবেন, ফারাহ ফোন করে জানাল কাল।আর ডাক্তার সাহেব যেহেতু অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বলেছিলেন তাই সেটা ডাক্তার সাহেব কে না দিয়ে আরাফাত স্যার কে দিতে হবে।ডাক্তার সাহেব এই অ্যাসাইনমেন্ট গত বৃহস্পতিবার দিয়েছিলেন আর আজ শনিবার।

খারাপ লাগছে এখন আর ডাক্তার সাহেব ক্লাস নিবেন না বলে।তবে ভয়ও হচ্ছে নতুন টিচার কেমন হবেন আল্লাহ জানে।কলেজের কথা ভাবতে ভাবতেই আমার চোখ গেলো লিফটের দিকে আর সাথে সাথে আমার মুখ হা হয়ে গেলো আর চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেলো।আমি নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিনা।চোখ দুটো দুই হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে ডলে পরখ করে নিলাম। নাহ যা দেখছি ঠিকই দেখছি।

আমার সামনে ডাক্তার সাহেব হেঁটে আসছেন।উনার পরণে একটা হোয়াইট টি শার্ট আর ব্লু অ্যান্ড ব্ল্যাক চেক শার্ট যার সবগুলো বোতামগুলো খোলা।চেক শার্টের হাতাগুলো কনুইয়ের উপর অব্দি গুটানো আর পরণে ব্ল্যাক জিন্স।পায়ে ব্ল্যাক স্নিকার্স।উনাকে ক্যাজুয়াল লুকে একেবারে ড্যাশিং হ্যান্ডসাম লাগছে।উনার ড্যাশিং লুক দেখে আমার তো রীতিমত মাথা ঘুরাচ্ছে।

এই লোকের আবার এত কিসের স্টাইল? স্টাইলের চটে সৌন্দর্য ঠিকরে পড়তেছে।আবার চোখে ব্ল্যাক সানগ্লাসও পড়েছেন। হায় আল্লাহ মাবুদ এবার আমায় সত্যি উঠায় নাও।এই লোকের দায়ে তো আমার পৃথিবীতে টিকা মুশকিল হয়ে গেছে।ইচ্ছে করছে মাটি ফাঁক করে তার ভিতর ঢুকে যেতে।

‘ লেডি হিটলার কেমন লাগছে আমায়? ‘ আমার সামনে দাড়িয়ে হাত দুটো টাইটানিক এর জ্যাকের স্টাইলে মেলে ধরে কথাগুলো বললেন ডাক্তার সাহেব।

আমি রাগে রীতিমত ফেটে পড়ছি।মন চাচ্ছে ফ্রিজ থেকে কাচা ডিম এনে এই লোকের মাথায় মারতে।আমি উনার দিকে তাকিয়ে দাতে দাত চেপে বললাম,
আফরীন: পেত্নী চিনেন পেত্নী।আপনাকে পুরো পেত্নী লাগতেছে। ও আপনি তো ছেলে তারমানে আপনাকে পেত্নী বলা যাবেনা।আপনি হলেন পেত্না….অসভ্য লোক কোথাকার বলেই আমি আর কোনো কথা না বলে গাড়িতে গিয়ে বসলাম।

এইদিকে তাহরীম আফরিনের কথা শুনে অবিশ্বাস্যকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আফরিনের দিকে। আফরিনের হুট করে এত রেগে যাওয়ার কারণ কি সেটাই বুঝতে পারছেনা। ও আর উপায়ন্তর না পেয়ে গাড়িতে বসলো। তারপর গাড়ি স্টার্ট দিলো।

গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে কলেজের পথে। তাহরীম ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো আফরিন মুখ জানালার দিকে ঘুরিয়ে বসে আছে। ড্রাইভ করতে করতে তাহরীম বললো,
তাহরীম: হঠাৎ আপনার রেগে যাওয়ার কারণ কি জানতে পারি লেডি হিটলার?

উনার লেডি হিটলার ডাক শুনে আমার রাগ আরও বেড়ে গেলো।আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আজ কথাই বলবো না উনার সাথে।অনেক হইছে,আর না।আমি উনার কথার কোনো জবাব না দিয়েই মুখ জানালার দিকে ঘুরিয়ে বসে থাকলাম।

আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে ডাক্তার সাহেব এবার খানিকটা ধমক দিয়ে বললেন,
তাহরীম: কি হলো কিছু জিজ্ঞেস করছি তো নাকি?আমি কি আদৌ উত্তর পাবো?
আমি উনার ধমক শুনে ভয় পেলেও এবারও কথা বললাম না।আমায় কথা না বলতে দেখে উনি চুপ করে গেলেন।আমিও আবার প্রকৃতি দেখায় মন দিলাম।

~ চলবে ইনশাল্লাহ্

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে