কাঠগোলাপের মোহে পর্ব-১৭

0
1619

#কাঠগোলাপের মোহে🌼
#মোনামী_শেখ
#part:বোনাস + 17

বউ সেজে বসে আছি চোখে পানি আর একরাজ বিরক্ত+রাগ।রাগে চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে।ইচ্ছে করছে আমার সদ্যবিবাহিত বরের মাথা ফাটিয়ে দিতে।রাগে শরীরটা কিরমির করছে।কপালে আমার এই এলিয়েনটারেই রেখেছিলো আল্লাহ।!!

তখন দরজায় খট করে শব্দ হলো।মাথা তুলে দেখলাম
প্রণয় ভাইয়া রুমে ধুকে দরজার সিটকিনি দিচ্ছেন।আমার ভয়ে গলা শুকিয়ে এলো।রাগ,বিরক্তি সব তাকে দেখেই উধাও।থরথর করে কাঁপতে শুরু করে দিয়েছে আমার হাত পা।নিজেকে এখন মৃগি রোগি মনে হচ্ছে।

প্রণয় ভাইয়ার মুচকি হাসিটা বুকে বিধলো।বুকটা ধকধক করেই চলেছে।তার এই হাসি দেখে মনে পড়ে গেলো___ গায়ে হলুদের সময় তার কথা গুলো এখন মনে পড়ছে আর শিউরে শিউরে ওঠছি।

জান পাখি ডোন্ট ওয়ারি কিছুক্ষণ পর যা হবে তা কল্পনাও করতে পারবে বাহ।দুষ্টু হেসে আমার কানে কানে ফিসফিস করে বললো প্রণয় ভাইয়া।

তার কথা শুনে মেজাজ আমার তুঙ্গে উঠে গিয়েছিলো।
মনে মনে বলেছিলাম একে বাসর রাতেই দুধে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়ে মেরে ফেলবো এই এলিয়েন টাকে।
কিন্তু এখন বুঝতে পারছি এইসব আমার নিছক স্বপ্ন ছারা কিছুই নাহ।ভয়ে একেবারে পুরির মতো হয়ে গেছি।

না জানি আজ এই এলিয়েনটা আমার চিবিয়ে চিবিয়ে খায়!!!!

প্রণয় ভাইয়া আমার সামনে আসতেই আমি খাট থেকে
নেমে তাকে সালাম করলাম।তিনি অবাক হয়ে আমায় দেখছেন।ভাবছেন হয়তো এ কি আসলেই অয়ত্রি???

কিন্ত এখন এসব করছি কারণ নিজেকে এই এলিয়েনটার হাত থেকে বাঁচতে হবে আমায়।নিরাপু যা যা বলেছে আর ইউটিউবে যা দেখেছি তাই করতে হবে।

এবার দুধের গ্লাসটা টেবিলের উপর থেকে নিয়ে তার সামনে ধরলাম।তিনি এখনো আমার চোখ বড়বড় করে দেখেই চলেছেন!!

__ নিন খান।হা করে তাকিয়ে আছেন কেন?? বললাম আমি।

তিনি আমার দিকে তাকিয়েই আমার হাতে থাকা দুধের গ্লাসটা নিয়ে ঢকঢক করে সব খেয়ে ফেললেন।

এবার আমি হেসে তার আরো কাছে গিয়ে দাড়ালাম।দুজনের মধ্যে ৩ ইঞ্চি পরিমাণ ফাঁক রয়েছে।
আমি তার সেরোনায়ির বোতাম গুলো খুলতে লাগলাম।তিনি এবার একটা বড়সর ঝটকা খেলেন।

নিজেকে পাগল পাগল মনে হচ্ছে। কি করছি না করছি সব মাথা থেকে আউট হয়ে গেছে।এখন শুধু একটাই কথা প্রণয় ভাইয়ার হাত থেকে বাঁচতে হবে।সে যে করেই হোকনা কেন।

প্রণয় ভাইয়ার চাহনি আমায় বড্ড লজ্জায় ফেলছে।তার চোখ দুটো কি যেন বলছে।কিন্তু সেটা বোঝার ক্ষমতা আমার নেই।

পুরো সেরোয়ানির বোতাম খোলা হলে আমার হাতটা তার বুকের বামপাশে রাখলাম।তিনি কেঁপে উঠলেন।

__ যা যা যান ফ্রেশ হয়ে আসুন।নামাজ পড়তে হবে।কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম আমি।

তিনি আমার কানের কাছে তার মুখটা এনে স্লো ভয়েসে বললেন__ শুধু এটুকুই। ভাবছিলাম আজ বউরের আদর পাবো কিন্ত নাহ তা হলো না।তবে no problem আমি নাহয় আজ আমার বউকে মন ভয়ে আদর করবো!!কি বলো জানপাখি??

আমি এবার হতবাক হয়ে তার দিকে চোখ গুলো বড়বড় করে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি তিনি কি মিন করছেন??আমার ফেস দেখে একটা টেডি স্মাইল দিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে গেলেন।আর আমি থ হয়ে দাড়িয়ে আছি!!!

প্রণয় ভাইয়া ওয়াসরুম থেকে বেরোতেই আমি ওয়াসরুমে ধুকে গেলাম। এরপর দুজনেই নামাজ পড়লাম।নামাজ শেষ করে মাথায় পেচানো ওড়নাটা খুলে ফেললাম।মাথার চুল ভিজা যার কারণে জামার কোমড়ের সাইডটা পুরোটাই ভিজে গেছে।

টাওয়ার নিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে চুলগুলো ঝাড়তে লাগলাম।

আয়নার চোখ পড়তেই দেখলাম প্রণয় ভাইয়া সোফায় বসে আমার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে।এবার আমার অসস্থি হচ্ছে।তাই চুল মুছা হলে ব্যালকানিতে গেলাম।টাওয়াল টা মেলে দিয়ে ব্যালকানির গিরিল মুঠোবন্দি করে আকাশ পানে চাইলাম।

আহা কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে আজ।চাঁদটার পাশে করিয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো তারা।তারাও আজ চাঁদের এই রুপ দেখে মিটিমিটি হাসছে।চাঁদ চারিপাশে তার আলোয় আলোকিত করেছে।এই রঙিন পৃথিবীটা এখন সাদাকালোয় আবৃত হয়েছে।সাদাকালো পৃথিবীর রুপ অন্যরকম স্নিগ্ধ, মোহনীয়,সাথে সম্মোহনীয় বটে।
মনে মনে ভাবছি এসব তখনি পেছনে কারো নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাই।তবে পেছন ঘুরে দেখলাম না কে ওটা।দেখার বা জানার কৌতুহল এই মহুর্তে আমার নেই।তবে আমার পেছনে প্রণয় ভাইয়া দাড়িয়ে আছেন।

তিনি এবার পেছন থেকে আমায় জরিয়ে ধরলেন।আর কানে কানে বললেন___ তো জানপাখি রোমান্স স্টাডি করবো নাকি।

তার এমন কথায় আমি এবার শুকনো ধোক গিললাম।

আমি ঘুমানো আমার ঘুম পাচ্ছে। বলেই তাকে বিজয়ের কাছ থেকে সরিয়ে রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।
তিনি আমার আর কিছু বললেন নাহ।তিনি এখনো ব্যালকানিতে দাড়িয়ে আছেন।

আজ থেকে ৫ দিন আগের কথা_______

রাতে রুমে শুয়ে আমি আর নিরাপু গল্প করছিলাম।তখনি খালামনি ও ছোট আব্বু এসে হাজির। আমি তাদের দেখে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম___আরে খালামনি, ছোট আব্বু তোমরা??এসো বসো??তারা সোফায় বসলেন।

__ মা অয়ত্রি তোকে একটা কথা বলি রাখবিতো আমাদের কথা???বললো খালামনি।

___ হুম বলো। তোমারদের কথা আমি সবসময় রাখবো।তোমরা যেটা বলবে আমি সেটাই করবো।তোমরা আমার বাবা মা।আমার একমাত্র অভিবাবোক তোমরা।

আমরা চাই তোর আর প্রণয়ের বিয়ে হোক।তোকে ছেরে আমরা থকতে পারবোনা।আর প্রণয় তোকে খুব সুখে রাখবে এটা আমাদের বিশ্বাস। আমরা চাই সবাই একসাথে সারাজীবন থাকতে।ছোট আব্বু আমার মাথায় আলতো হাতে বুলিয়ে দিয়ে বললেন।

আমি তো স্টাচু।কারণ তাদের কথাগুলো আমার পুরো মস্তিষ্ক কাঁপিয়ে তুলেছে।মুখ অটোমেটিকলি বন্ধ হওয়ার উপক্রম।কানে শুধু তাদেরই কথা ঝনঝন করে
বাজছে।

___কি হলো অয়ত্রি কথা বল???বললেন খালা মনি।

___ ককক কি বলছো তোমরা এসব হ্যাঁ??মাথা ঠিক আছে তো তোমাদের??কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম আমি।

__ আমরা যা বলছি সব ভেবে চিন্তে বলছি।তুই কি আমাদের এটুকু আবদার রাখতে পারবিনা ।ছোট আব্বু আমার দিকে তাকিয়ে কাঠকাঠ গলায় বললেন।

তোমাদের কাছে এই ব্যাপার সামান্য বাট আমার আছে এটার মতো বড় আর ভয়ঙ্কর ব্যাপার ছারা আর কিছুই না।নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারার মতো হবে যদি আমি ওই এলিয়েন টাকে বিয়ে করি।কিন্তু আমি কিভাবেই বা তাদের কথা ফেলবো!!!তারাই তো আমার আসল আপনজন।এই হৃদয়ে আমার বাবা মায়ের উপরে আমি তাদের স্থান দিয়েছি ।তাদের কিছুতেই কষ্ট দিতে পারবোনা।নিজের জিবন দিয়ে হলেও তাদের খেয়াল রাখবো।মনে মনে ভেবে বললাম___ আমি তোমাদের কথায় রাজি।কিন্তু প্রণয় ভাইয়া রাজি তো এই বিয়েতে??

__না প্রণয়কে এখনো এই বিষয়ে কিছু বলিনি আমরা।তবে বলবো।তোর মতামত টাই আমাদের কাছে জরুরি।খালামনি মুচকি হেসে বললেন।

__তাহলে আমার ভাবি হতে যাচ্ছিস তুই অয়ত্রি চোখ টিপে শয়তানি হাসি দিয়ে বললো নিরাপু।আমি তার কথা চোখ রাঙালাম।

উপস্থিত সবাই হেঁসে উঠলো।এবার আমার লজ্জা হচ্ছে
তবে মনে মনে হাফ ছেরে বাঁচলাম কারণ আমি নিশ্চত প্রণয় ভাইয়া এই বিয়েতে রাজি হবে নাহ।

____ সকালে আড়মোড়া ভেঙে হাই তুলতে তুলতে উঠলাম আমি।নিরাপু এখনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।আমি উঠে ওয়াসরুমে গেলাম।

___ নিচে গিয়ে দেখলাম প্রণয় ভাইয়া সোফায় বসে পায়ের উপর পা তুলে পেপার পড়ছে।সুটবুট পরে আছেন।হয়তো কোথাও যাবেন।আমি রান্না ঘরে গেলাম।দুকাপ কফি নিয়ে রুমে গেলাম।নিরাপদ ওয়াসরুমে গেছে।তাই তার কফির মগটা টেবিলের উপর থেকে ব্যালকানিতে গেলাম।

এভাবে কেটে গেলো আরো ৩ দিন।আহান ফোন দিলে আমি রিভিউস করিনা।বিরক্ত লাগে এখন তাকে।বিকেলে বিছানায় শুয়ে আছি।তখনি হুরমুর করে রুমে ধুকলো প্রণয় ভাইয়া। আমি দাড়িয়ে গেলাম তাকে এই ভাবে দেখে।

__একটা শপিং ব্যাগ দিয়ে বললেন রেডি হয়ে নে।

আমি অবাক হয়ে বললাম কেন??তিনি বললেন
আজ তোর আর আমার বিয়ে।গায়ে হলুদের জন্য রেডি হয়ে নে।

আমি ক্ষিপ্ত গলায় বললাম___

আপনি আমার খালাতো + চাচাতো ভাই আর আপনি কিনা আমাকে বিয়ে করতে চাইছেন??আপনার মাথায় কি কোনো জ্ঞান বুদ্ধি নেই??নির্রলজ্জ একটা।ঘৃণায় মুখটা বাকিয়ে কথাগুলো প্রণয় ভাইয়াকে উদ্দেশ্যে করে বললাম।

তিনি আমার কথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন।রাগি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে একপা এগিয়ে আমার কোমড় চেপে ধরলো।আমি ব্যাঁথা কুকিয়ে উঠলাম।প্রণয় ভাইয়ার নখ গুলো এসে ঠেকেছে আমার পেটের সাইডে!!!

ভাইয়া আমার খুব লাগছে।ছেড়ে দিন আমায়!প্রণয় ভাইয়াকে আমার কাছ থেকে সরানোর চেষ্টা করতে করতে বললাম আমি।

তিনি এবার দিগুণ জোরে আমার কোমর চেপে ধরলেন ব্যাথা সয্য করতে না পেরে জোরে কেঁদেই ফেললাম।

তোর শরীরে লাগছে আমার যে বুকে লাগছে।আমার ব্যাথা যে নিরবে সয্য করতে হয়।সেটা?সেটা কে দেখবে?আমার মুখ চেপে ধরে কথাগুলো বললেন তিনি।

___ আমি নিরবে চোখের জল ফেলেই যাচ্ছি। কিন্তু আমার এই চোখের জল তার বরফপিন্ডের মতো মনটা একটুও গলাতে পারলোনা।

প্লিজ ভাইয়া আমি এমন কথা আর বলবো না।মুখ ফসকে কথাটা বেড়িয়ে গেছে।এবারের মতো মাফ করে দিন।বললাম আমি।

তিনি সরু চোখে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আমায় তার কাছ থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে হনহন করে আমার রুম থেকে চলে গেলেন তিনি।

আমি এবার শব্দ করে কাঁদতে লাগলাম।কিছুক্ষণ পর নিরাপু এসে আমায় কাঁদতে দেখে বললো কাঁদিস না অয়ত্রি।তুই জিবনে খুব সুখি হবি।তুই যে তার প্রাণ ভোঁমটা।একদিন তুই নিজেই এই সম্পর্কের মায়ার জড়াবি।আমার গালে হাত রেখে বললো নিরাপু।আমি তার কথার আগামাথা কিছুই বুঝলাম না।

তাই আমি বললাম কি বললে আপু প্লিজ স্পষ্ট করে বলো।

নিরাপু বললো তোর কিছুই বোঝা লাগবেনা তুই আয় তোকে আমি রেডি করিয়ে দেই।বলেই আমাকে শাড়ি পড়াতে তিনি ব্যাস্ত হয়ে পড়লো।

বিয়েটা ঘরোয়া ভাবেই হচ্ছে।কাছের কিছু আত্মীয় স্বজন আর ছোট আব্বুর বন্ধুরা বিয়েতে উপস্থিত ছিলো।

আমাকে রেডি করিয়ে নিচে নিয়ে গেলো নিরাপু।নিচে নামতেই আচমকা প্রণয় ভাইয়ার চোখে চোখ পড়ল আমার।তিনি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে চোখ মারলেন।

ওরে শয়তান।মানুষের সামনে নিজেকে ফিটফাস রাখিস আর ভিতরে সদর ঘাট।এতোদিন তোকে রাগী মানুষ ভাবতাম আর আজ তোর আরো একটা রুপ দেখে নিলাম।লুচু একটা তার সাথে বহুরুপীও।হাহ।মুখ বাঁকিয়ে মনে মনে বললাম আমি।

হাতে মেহেদি গালে গলায় হাতে হলুদের পরিপূর্ণ। মাথাটা এনমিতেই খারাপ এখন আরো খারাপ হচ্ছে।
কারণ হলুদ আমার অসয্য লাগে।সবার হলুদ পছন্দ হলেও আমার না।আশে পাশে বাড়ির কেউ নেই আমার সাথে।প্রণয় ভাইয়া তার বন্ধুদের নিয়ে ছাদে গিয়েছেন হয়তো। আর কিছু কাজিন আমার পাশে বসে হাসাহাসি করছে আর বলছে অয়ত্রি তুই কিন্তু সেই লাকি এমন একজন কে বর হিসেবে পেয়ে।এত handsome styles
attitude parson কে পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার।প্রণয় ভাইয়া তো আমাদের একমাএ ক্রাশ।তোর জায়গায় আমি হলে এতক্ষণ নাচানাচি শুরু করে দিতাম বলেই হাসতে লাগলো একটা মেয়ে।

মেয়েটার কথায় আমার গা পিত্তি জ্বলে যাওয়াও মতো অবস্থা। মন চাচ্ছে মেয়েটাকে আমার জায়গায় বসিয়ে দি।

হুহ পেত্নি দের কথা শোনো!!!আমি নাকি লাকি।আমি লাকি না অন্যকিছু তার আমার মন জানে।নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি।এটা জেনেও কিছু করার নেই।আমার জায়গায় তোরা হলো এতক্ষণে বেলুনের ফুসসস করে আকাশে উড়ে যেতি। মনে মনে বললাম আমি।

খানিক্ষন বাদে নিরাপু এসে আমায় নিয়ে গেলো রুমে।
ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।নিরাপু একটা লেহেঙ্গা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন আমি সেটা পড়েই বেড়োলাম।

কোনো পার্লারের মেয়ে আসেনি সাজাতে নিরাপু আমাশা সাজিয়ে দিয়েছে।নিজেকে আয়নায় দেখে মনে হলো এটা আমি নই।এটা অন্যকেউ।কারণ নিজেকে আজ অন্যরুপে আবিষ্কার করলাম।ভারি মেকআপে আমার আসল মুখখানা ঢেকে গেছে।আগে কখনো ভারি মেকআপ করিনি।তাই নিজেকে অন্যরকম লাগছে সাথে সুন্দর ও লাগছে হয়তো।তবে নিজের প্রসংশ নিজে করলাম নাহ।

চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি পড়ছে।কিছুক্ষণ আগে আমাদের বিয়েটা সম্পন্ন হয়েছে।৫ লাখ ৫ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে আমার আর প্রণয় ভাইয়ার বিয়ে সমপন্ন হলো। কবুল বলতে গিয়ে কেমন যেন এক অনুভূতি হচ্ছিল আমার।

এরপর নিরাপদ আমায় রুমে বসিয়ে দিয়ে এলো।
আর বললো___প্রণয়কে রাগাস না একটু আদর যত্ন করলে তোকে কোনো শাস্তি পেতে হবেনা।প্রণয় ভাইয়া কিন্তু তোর উপর রেগে আছে।আরো কিছু পরামর্শ দিয়ে চলে গেলো নিরাপু

👉তার পরের টুকু তো আপনারা জানেন ওই……🥰

সকালে উঠে বুকে ভারি কিছু অনুভব করতেই টুপ করে চোক খুলে যা দেখলাম তাতে আমার চোখ চড়কগাছ।
প্রণয় ভাইয়া আমাকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরে আরামে ঘুমাচ্ছেন আমার কোলবালিশ মনে করে।ভাবা যায় বিষয়টা।কি ডেঞ্জারাস লোকের পাল্লায় পড়লামরে বাবাহ!!

>>>to be continue 👈

>>>গল্পটা রিচেই করিনি সময় সল্পতার কারণে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে