অপূর্ণতা পর্ব-৩৫+৩৬

0
1018

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_৩৫

অদ্রিতা দাঁড়াতেই আরিয়ান ভালো করে তার দিকে তাকায়।তার মুখের দিকে তাকাতেই দেখে গালে চরের দাগ এখনো আছে। কালো হয়ে গেছে।তার এখন নিজেরই খারাপ লাগছে। এততা জোরে চরটা লাগবে সে বুঝতে পারে নি।আসলে রাগের মাথায় সে এইটা করে ফেলেছে।এখন বুঝতে পারেছে রাগের বশে অদ্রিতাকে চর মারা তার ঠিক হয়নি।সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই অদ্রিতা বলে উঠে,

আপনার কোন দোষ নেই।এই চরটা আমার প্রাপ্য ছিল।সত্যিই যা হয়েছে অনেক ভালো হয়েছে।আর একদম চিন্তা করবেন না আজকের পর থেকে আমি কখনো আপনার কাছ থেকে স্ত্রীর অধিকার চাইবো না।আর কখনো আপনার কাছে আসবো না।আমি এতোটাও বেহায়া না যে আপনার না করা সত্বেও আপনার কাছে যাবো। নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।যা হয়েছে সব ভুলে যান।যেখানে আপনার কোন ভুল নেই সেখানে আপনার ক্ষমা চাওয়া সাজে না।আরিয়ানকে কিছু সুযোগ না দিয়ে সে বাগান থেকে সোজা রুমে চলে আসে।

আরিয়ান স্তব্ধ হয়ে যায় অদ্রিতার কথায়।সে কখনো ভাবতেই পারেনি অদ্রিতা তাকে এইভাবে কথা শুনাতে পারে।অদ্রিতা যে এততা রাগ করতে পারে নে ভাবতেই পারেনি।তার সাথে এইভাবে কথা বলছে। আগে তো কখনো এভাবে তার সাথে কথা বলেনি।তাকে তো সে একটা চরই মেরেছে।স্বামী হিসেবে সে তার স্ত্রীকে তো মারতেই পারে তাই বলে আমার সাথে এইভাবে কথা বলা তার ঠিক হয়নি।এটা সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না।এখন তার অদ্রিতার উপরই রাগ হচ্ছে।সে না হয় রাগে একটা ভুল করে ফেলেছে তাই বলেকি! এখন তো ভুল বুঝতে পেরেছি।এখন যখন ক্ষমা চাইতে এসেছি,ওল্টো আমাকে কথা শুনিয়ে চলে গেছে। আমাকে কিছু বলার সুযোগই দিলো না।আরিয়ান আর কিছু না ভেবে রুমে চলে যায়।
রুমে গিয়েই সে ফ্রেস হতে ওয়াশরুমে চলে যায়।

অদ্রিতা বেলকনিতেই দাঁড়িয়ে ছিল।আরিয়ান যে রুমে ঢুকেছে তা সে বুঝতে পেরেছে তবুও সে ভেতরে আসেনি। আরিয়ান ফ্রেস হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে।পরে রেডি হয়ে খাবার টেবিলে চলে যায়। অদ্রিতাও ফ্রেস হয়ে নিচে চলে যায়।নিচে গিয়ে ফ্রেস হয়ে সবাইকে খাবার বেড়ে দেয় ও নিজেও খেতে বসে।তার শ্বাশুড়ি অদ্রিতার দিকে তাকাতেই দেখে তার গাল কালো হয়ে আছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে তাকে কেউ চর মেরেছে।তাই তিনি জিজ্ঞেস করেন,তোর গাল কালো হয়ে আছে কেন?কি হয়েছে বল?

তার শ্বাশুড়ির কথা শুনে তার শ্বশুরও তার দিকে তাকায় আর বলে।

অদ্রিতার শ্বশুড় কিছুটা অবাক হয়ে বলে,সত্যিই তো। দেখে তো মনে হচ্ছে চরের দাগ।আরিয়ানকি তোমাকে চর মেরেছে।বলো আমাকে এইসব আমার বাড়িতে আমি মেনে নিবো না।

অদ্রিতা গালে হাত দিয়ে আরিয়ানের দিকে তাকায় আর মনে মনে বলে,এইসব আমার প্রাপ্য ছিল তাই হয়েছে। এতে কারো কোন দোষ নেই।

আরিয়ান এখন ভয় পাচ্ছে, অদ্রিতা যদি সত্যিটা বলে দেয় তবে সে নিজেই তার বাবা- মার কাছে মুখ দেখাতে পারবে না।তাদের কাছে সে ছোট হয়ে যাবে।তাছাড়া তার বাবা অনেক রাগি।মেয়েদের অসম্মান করা তাদের গায়ে হাত তোলা তিনি পছন্দ করেন না।সে দেখেছে তার বাবা- মা যতোই ঝগড়া করুক না কেন তার বাবা কখনো তার মাকে অসম্মান করেনি বা তার মার গায়ে হাত তোলে নি।এখন যদি জানে সে এটা করেছে তবে যে কি করবে তা ভাবতে পারছে না!তাই সে অসহায় দৃষ্টিতে অদ্রিতার দিকে তাকায়।

অদ্রিতা কিছু না বলায় তার শ্বশুর আবার জিজ্ঞেস করে,

অদ্রিতার শ্বাশুড়ি জোরে ধমকের স্বরে বলে,তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করছি।উত্তর দাও,,,

অদ্রিতা ভাবনা থেকে বের হয়ে বলে,না বাবা,,,,ওনী আমাকে মারেনি।রাতে ঘুমানোর সময় গালে মশা বসেছিল।মশা মারতে গিয়েই চর মারি, বুঝতে পারিনি এততা জোরে লাগবে। কি বলবে তা বুঝতে না পেরে এইটা বলে।

আরিয়ান যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো।তার শ্বশুর- শ্বাশুড়ির কেন জানি অদ্রিতার কথা বিশ্বাস হলো না তবুও আর কিছু না বলে খেয়ে চলে গেলেন।

আরিয়ানের খাওয়া শেষ,সে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আছে। কি করে সে অদ্রিতাকে ধন্যবাদ দিবে তা বুঝতে না পেরে কিছুটা ইস্তত করেই অদ্রিতাকে ডাক দিয়ে বলে, কাল রাতের জন্য সরি।সত্যিই আমি তোমাকে চর মারতে চাইনি। রাগের বশে চর মেরে ফেলেছি।আর এখনকার জন্য অনেক ধন্যবাদ,,,

আরিয়ানের কথা শুনে অদ্রিতা তাচ্ছিল্যের হাসি দেয় আর বলে,আপনার তো কোন দোষ নেই তাই সরি বলতে হবে না।আর বাকি রইল ধন্যবাদ দেওয়ার কথা আমার মতো কালো মেয়েকে ধন্যবাদ দেওয়া আপনাকে মানায় না।আর যা- ই হক আপনি অফিসে যান। আমার সাথে কথা বলে অযথা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে যায়।

আমার সাথে রাগারাগি।সামান্য একটা বিষয় নিয়ে এমন করছে। সত্যিই মেয়েরা এমনই হয়।অল্পতেই একটু বেশি রিয়েক্ট করে।একটু বেশিই ন্যাকামি করে,অসহ্য। সে রেগে অফিসে চলে যায়,,,,,,,

অফিসে ঢুকেই সে নিজের কেবিনে চলে যায়। আজ তার মুডটা অনেক খারাপ।সবকিছুই অসহ্য লাগছে তার।অদ্রিতার উপর এখন তার অনেক রাগ হচ্ছে। তবুও কেবিনে গিয়ে একটি ফাইল হাতে নেয়।তা খোলে দেখার আগেই দরজায় কেউ লক করে,

আরিশা নম্র স্বরে বলে, May i come in,sir?

yes,,,,,come in,,

আরিশা ভিতরে ঢুকেই আরিয়ানকে বলে, আপনাকে নিলয় স্যার ডাকছিলেন, কিছু জরুরি কাজ কিছু ছিল।দ্রুত যেতে বলেছেন,,,,,,

আরিয়ানঃ হ্যাঁ,,,যাচ্ছি। আরিয়ান নিলয়ের কেবিনের দিকে যায়,, আর মনে মনে ভাবে স্যার হঠাৎই আমাকে কেন ডাকছেন?

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_৩৬

আরিয়ান নিলয়ের কেবিনে গিয়ে দরজার নক করে বলে,”May i come in,sir?”

নিলয় একবার সেদিকে তাকিয়ে বলে,”Yes,come in.আপনার সাথে জরুরি কিছু কথা ছিল তাই ডেকে পাঠালাম।চেয়ারে বসুন,,,,

আরিয়ান চেয়ার বসেই বলে,স্যার কি কথা বলেন।

আমাকে দরকারি একটা প্রোজেক্টের কাজে কিছু দিনের জন্য বিদেশে যেতে হবে।জানেনই তো আব্বু একটু অসুস্থ।ওনার পক্ষে সবকিছু সামলানো সম্ভব নয়।তাই আমি যতদিন বিদেশে আছি এখানকার যাবতীয় কাজ আপনাকে দেখাশুনা করতে হবে।কোন পমলেম হলে আমাকে ফোন করতে পারেন তাছাড়া মি. সালাউদ্দিন তো আছেনই তাকে বলতে পারেন।

আরিয়ান সৌজন্যেতা প্রকাশ করে বলে, আপনার কোন টেনশন করতে হবে না।আমি সব সামলাতে পারবো। আপনার আসতে কতদিন সময় লাগবে?

এইতো ১মাস বা তার চেয়ে একটু কম।আচ্ছা আপনি এখন আসতে পারেন।

জ্বি, স্যার। সে আর কিছু না বলে নিলয়ের কেবিন থেকে বের হয়ে যায়।

নিলয় কিছু দরকারি ডকুমেন্ট নিয়ে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।বিকালে তার ফাইট,আরিয়ানও কেবিনে ঢুকে মনোযোগ দিয়ে তার কাজ করতে থাকে। সব কাজ প্রায় শেষ।সন্ধ্যা হয়ে গেছে আর মাএ একটা ফাইলের কাজ বাকি আছে পরে সে বাড়িতে চলে যাবে।এমন সময়ই তার কেবিনে একজন ঢুকে।তাকে দেখেই আরিয়ান অবাকের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। এখানে তাকে দেখবে সে আশাই করেনি!তাই কিছুটা অবাক হয়েই বলে রাইশা,তুমি!এতদিন পরে হঠাৎ করে এখানে কেন এসেছো?

রাইশা একটু ন্যাকামি করে বলে,”কেন?আমাকে দেখে কি তুমি খুশি হওনি।আচ্ছা তবে আমি চলে যাচ্ছি।বিরক্ত করার জন্য সরি,ভালো থেকো।”

আরে বাবা রাগ করছো কেন?আমি কি বলছি আমি বিরক্ত হয়েছি।এতদিন পরে তোমাকে দেখে তো আমি পুরোই সারপ্রাইজড হয়েগেছি।কিন্তু তুমি না নিউইয়র্কে ছিলে।সেখান থেকে কবে আসলে?

এইতো এক সপ্তাহ হয়েছে।

তবে এতদিন আসোনি কেন?আমাকেও তো কিছু জানাওনি।তোমাকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করতে যেতাম।

রাইশা মজা করে বলে,”শুনেছি তুমি নতুন বিয়ে করেছো তাই আর ডির্সটাব করিনি।নতুন বিয়ে বলে কথা,কি করে ডির্সটাব করি বলো।তাই তোমাকে কিছু জানাইনি।আর আজ তো এসেছি তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে।

বিয়ের কথা শুনেই আরিয়ানের মুখটা কালো হয়ে যায়। তার অদ্রিতার কথা মনে পরে যায়।অদ্রিতার কথা মনে হতেই সকালের কথা মনে পরে যায়। সকালে তাকে এইভাবে কথা শুনানো অদ্রিতার একদম উচিত হয়নি।তার মন খারাপ হয়ে যায়।
মন খারাপ করেই বলে,তুমি কি করে জানলে যে আমি বিয়ে করেছি?

তুমি বলোনি তো কি হয়েছে।তোমার সব খবরই আমি রেখেছি।তা তুমি নাকি একটা কালো মেয়েকে বিয়ে করেছো! তোমার তো কালো মেয়ে পছন্দ না।তবে বিয়ে করলে যে?

আরিয়ান মন খারাপ করে বলে,”বিয়েতে আমার কোন মত ছিল না।মা-বাবা অনেক জোর করে ওর সাথে আমার বিয়ে দিয়েছে।বুঝলাম না অদ্রিতাকে ওনাদের এত ভালো কি করে লাগলো যে আমার না করা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে ওকে আমার বিয়েটা করতেই হলো।বাবার এক কথা আমি কথা দিয়ে ফেলেছি বিয়ে তোকে ওই মেয়েকেই করতে হবে।আমি কি করতাম বলো তাই বাধ্য হয়েই বিয়েটা আমার করতে হয়েছে।

রাইশা বিষন্নতা ভরা কন্ঠে বলে,”ওহ আচ্ছা।আমার জন্যই হয়তো এমন হয়েছে।আমি যদি মডেলিং এর কোর্স করার জন্য নিউইয়র্কে না যেতাম তবে তোমাকে হয়তো ওই মেয়েকে বিয়ে করতে হতো না।তাই না?

আরিয়ান মন খারাপ করে বলে,”হুমম,তুমিই বলো আমার মতো একজনের সাথে কি এমন মেয়েকে মানায়!”

একদমই না।তোমার সাথে ওর মতো মেয়েকে একদমই মানায় না।তোমার সাথে তো আমার মতো সুন্দরী, মর্ডান আর স্মার্ট মেয়েকেই মানায়।হা হা,,,

এখন আর বলে কি লাভ,ছেড়ে তো চলে গিয়েছিলে।তখন তো আমার কথা ভাবোনি।এখনকি এইসব কথার কোনো মূল্য আছে বলো?

সরি,এমন করে বলছো কেন?তুমি তো জানোই একজন বড় মডেল হওয়া আমার ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল।তার জন্য আমি অনেক কষ্টও করেছি।
নিউইয়র্কে গিয়ে তার জন্য কোর্স কমপ্লিট করার ইচ্ছে ছিল আর তাই যখন আমি চান্সটা পেয়ে যায় তা আর ছাড়তে পারি নি।ছোটবেলার স্বপ্ন বলে কথা কি করে ছেড়ে দিতাম বলো? তাইতো আমাকে যেতে হলো।আমার কেরিয়ার বলে কথা। এখন দেখো আমি অনেক বড় একজন মডেল। বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছি।

আরিয়ান বিষন্নতার স্বরে বলে,”হুমম,অনেক ভালো। ”

রাইশা ন্যাকামি করে বলে,”দেখো আমি এতবছর পরে এলাম তবুও তুমি মন খারাপ করে আছো।আচ্ছা এখন তো প্রায় ৮ টা বাজে চলো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ডিনার করে আসি।কতদিন হলো একসাথে ডিনার করা হয় না।নাকি বাড়িতে বউ ওয়েট করছে।

ছাড়ো ওর কথা।এই ফাইলেই কাজটা কমপ্লিট করি পরে একেবারেই বের হবো। একটু ওয়েট করো,প্লিজ। আমার আর বেশি সময় লাগবে না,জাস্ট আধা ঘন্টা লাগবে।

রাইশা মুচকি হেসে বলে,” Yes,obviously.তুমি কাজটা কমপ্লিট করো আমি ওয়েট করছি। কোনো পবলেম নাই।”

আচ্ছা, ধন্যবাদ।

উহু,এখন আর কোন কথা নয়।আগে কাজটা কমপ্লিট করো পরে অনেক কথা হবে।

আরিয়ান আর কিছু বলে না মনোযোগ দিয়ে কাজটা করতে থাকে। খুব দ্রুতই কাজটা কমপ্লিট করে তার পরে রাইশাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যায় ডিনার করতে।

শহরে মাঝেই রেস্টুরেন্টটা তবুও তেমন হইচই নেই। একবারে নিরিবিলি পরিবেশ।রেস্টুরেন্টাও অনেক বড় আর সুন্দর।এমন একটা রেস্টুরেন্টে গেলে যে কারোই ভালো লাগবে।রেস্টুরেন্টে ঢুকেই আরিয়ান বলে,”
তোমার এই রেস্টুরেন্টের কথা মনে আছে না ভুলে গেছো।”

হুমম,মনে থাকবে না কেন? আর তুমি কি করে ভাবলে এই রেস্টুরেন্টের কথা আমি ভুলে যাবো।এইখানেই তো তুমি আমাকে প্রথম প্রপোজ করছিলে।আর আমরা অনেক ভালো মুহূর্ত এখানে অতিবাহিত করেছি।কি করে সেই সব কিছু ভুলবো বলো?এগুলো কি ভুলা সম্ভব!

আরিয়ান কিছুটা মন খারাপ করে বলে,”হ্যাঁ,সেইদিন গুলোই অনেক ভালো ছিল।তাই না?”

আচ্ছা সরি,আমি কি করতাম বলো।এত বড় অফার পেয়ে কি করে ছেড়ে দিতাম?আমার ছোটবেলার ড্রিম কি করে ভুলে যেতাম বলো?তাই পারিনি সুযোগটা হাত ছাড়া করতে। মা- বাবা অনেক সাপোর্ট করেছে। তাদের জন্যই আমি আজ এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি।তাদের একমাত্র মেয়ে হিসেবে আমার কোন চাওয়াই তার অপূর্ণ রাখেনি।এখন আমরা নিউইয়র্কে স্যাটেল।

অনেক ভালো।তো বাংলাদেশে কি মনে করে?

রাইশা মজা করে বলে,”তোমার জন্য এসেছি। তুমি তো ভালো নেই।তুমি খারাপ আছো শুনে কি করে থাকতে পারি বলো?তাই তো চলে এলাম,,,,,
.
..

চলবে,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে