অপূর্ণতা পর্ব-৩৭+৩৮

0
990

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_৩৭

রাইশা মজা করে বলে,”তোমার জন্য এসেছি। তুমি তো ভালো নেই।তুমি খারাপ আছো শুনে কি করে থাকতে পারি বলো?তাই তো চলে এলাম।

রাইশার কথা শুনে আরিয়ান পুরোই অবাক হয়ে যায়। পরে বলে,”মানে,কি বলছো এইসব!”

আরে এত সিরিয়াস হচ্ছো কেন?আমি তো জাস্ট মজা করেছি।এখানে একটা সো এর জন্য এসেছি।

আরিয়ান ছোট করে নিশ্বাস ছেড়ে বলে,” ওহ আচ্ছা। তাই বলো,তো এখানে কোথায় উঠেছো?”

একটি হোটেলে উঠেছি।ওইখান থেকেই ঠিক করে দিয়েছে আর কোন পবলেম হলে তুমি তো আছোই। তাই না?

হুমম,কোন পবলেম হলে আমাকে বলো। আমি হেল্প করার চেষ্টা করবো।এইসব নিয়ে একদম টেনশন করতে হবে না।

রাইশা একটু মন খারাপ করে বলে,” তা তো জানিই।আচ্ছা কালকে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে পারবে? অনেকদিন পরে দেশে এসেছি তো তাই একটু ঘুরতে ইচ্ছে হলো।তাই বললাম,তোমার যদি কোন পবলেম হয় তবে থাক। যেতে হবে না।

কি যে বলো না।আমার আবার কি পবলেম হতে পারে?

রাইশা মজা করে বলে,” না,মানে! তোমার তো নতুন বিয়ে হলো যদি বউকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার প্যান থাকে তাই বললাম।তবে তো মনে মনে আবার আমাকে বকবে।তাই আগেই থেকেই একটু সিউর হয়ে নিচ্ছি।”

আরিয়ান গম্ভীর স্বরে বলে,” ওই মেয়েকে নিয়ে আমি ঘুরবো এটা কখনোই সম্ভব নয়।আর তুমি তো জানোই আমি ওকে স্ত্রী হিসেবে মানি না। তবে সব জেনেও এই সব কেন বলছো?

আরে বাবা সরি।অল্পতেই এত রাগ করো কেন? আচ্ছা তবে কাল সারাদিন ঘুরবো ঠিক আছে।তোমাকে কিন্তু সকাল সকালই আসতে হবে।মনে থাকবে তো,,,,

আরিয়ান দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে,” আচ্ছা,তবে কাল সকালে তোমার হোটেলের সামনে চলে আসবো।তুমি রেডি থেকো।”

রাইশা উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে,” Yes, obviously.”

তাদের কথা বলার মাঝেই ওয়েটার খাবার নিয়ে চলে আসে।তারা খেতে খেতেই গল্প করতে থাকে।রাইশাকে আরিয়ান ভালোবাসতো।আরিয়ানের এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে তাদের প্রথম দেখা হয়।প্রথম দেখাতেই আরিয়ানের রাইশাকে ভালো লেগে যায়।রাইশা যেমন দেখতে সুন্দরী,তেমন স্মার্ট, শিক্ষিতা একজন মেয়ে।তাকে দেখে যে কেউই চোখ ফেরাতে পারবে না।প্রথম দেখায় যে কেউ তাকে ভালোবেসে ফেলবে।যেমনটা আরিয়ানের ক্ষেএে হয়েছে।তখন থেকেই তাদের মধ্যে কথা- বার্তা, দেখা-সাক্ষৎ শুরু হয়।তারা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায়।আরিয়ান তার প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হয়ে পরে।সে রাইশাকে অন্য কারো সাথে সহ্যই করতে পারতো না তাই একদিন সে রাইশাকে প্রপোজ করে আর রাইশার ও আরিয়ানকে ভালো লাগতো তাই সেও প্রপোজাল একসেপ্ট করে নেয়।তাদের দিনগুলো খুব ভালো ভাবেই কাটতেছিল। ৩ বছর যে কিভাবে চলে যায় তা তাদের দুইজনের কেউই বুঝতে পারেনি কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই রাইশা আরিয়ানকে বলে,
আমাকে নিউইয়র্কে যেতে হবে।আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল নিউইয়র্কে গিয়ে মডেলিং এর কোর্স কমপ্লিট করার।আজ আমি সেই সুযোগটা পেয়েছি।

তুমি এখন এত দূরে গেলে আমার কি হবে?তুমি তো জানোই আমি তোমাকে কত ভালোবাসি।তোমাকে ছাড়া কি করে থাকবো বলো?

রাইশা করুন স্বরে বলে,”প্লিজ এইভাবে বলো না।তুমি যদি এইভাবে বলো তবে আমি কি করে যাবো?তুমি তো জানোই এটা আমার ছোটবেলার ড্রিম। তুমি কি চাও না আমি আমার ড্রিমটা পূরন করি?

আরিয়ান দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ছলছল চোখে রাইশার দিকে তাকিয়ে বলে,” আচ্ছা যাও।”

সেদিন আরিয়ান আর কিছু বলেনি। সেখান থেকে সোজা বাড়িতে চলে আসে।আর কিই বা বলতো সে?সেদিন সত্যিই তার কিছু বলার ছিল না।আজ ৪ বছর পরে তাদের আবার দেখা হলো। রাইশাকে দেখে তার অদ্রিতার কথা একবারের জন্যও মনে হলো না।রাইশাকে এতবছর পরে দেখে সে অনেক খুশি। ডিনার করা শেষ হলে সে রাইশাকে হোটেলে পৌঁছে দিয়ে নিজেও বাড়িতে চলে আসে।
কলিং বেল বাজাতেই অদ্রিতা সাথে সাথেই দরজা খোলে দেয়।আরিয়ান একবারের জন্যও অদ্রিতার দিকে তাকায় না। কোন কথা না বলে চুপচাপ নিজের রুমে চলে যায়।

আরিয়ানকে এইভাবে দেখে অদ্রিতার খারাপ লাগছে। সকালে সে রাগের মাথায় আরিয়ানকে অনেক কথা শুনিয়েছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আরিয়ান তখন এতগুলো কথা বলা তার ঠিক হয়নি। এখন তার নিজের ভিতরেই এক ধরনের অপরাধ বোধ কাজ করছে।এমনটা সে না করলেই পারতো। আরিয়ান তো তার ভুল বুঝতে পেরেছিল তারই উচিত হয়নি সেটাকে আরও বাড়তে দেওয়া। তাই সে দরজা লাগিয়ে আরিয়ানের পিছনে পিছনে রুমে চলে যায়।রুমে ঢুকে দেখে আরিয়ান ওয়াশরুমে চলে গেছে ফ্রেস হতে। অদ্রিতা রুমের ভিতরেই ওয়েট করতে থাকে আরিয়ানের জন্য।

আরিয়ান ফ্রেস হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলে অদ্রিতা তার কাছে যায় আর বলে, সকালের জন্য ক্ষমা করে দিবেন।আমি হয়তো একটু বেশিই বলে ফেলেছিলাম।আমার উচিত হয়নি আপনার সাথে তখন ওই ভাবে কথা বলা।সরি এমন ভুল আর হবে না।

আরিয়ান ছোট করে বলে,” হুমম,ঠিক আছে।”

আপনি নিচে আসেন আমি আপনার জন্য খাবার গরম করে দিচ্ছি।

আরিয়ান গম্ভীর স্বরে বলে,”তার কোন দরকার নেই।আমি ডিনার করে এসেছি। কোন কাজ না থাকলে লাইট অফ করে দাও আমি ঘুমাবো।আরিয়ান আর কিছু না বলে অন্যদিকে ফিরে শুয়ে পরে।”

আরিয়ানের এমন ব্যবহারে অদ্রিতা কষ্ট পাচ্ছে। মনে মনে সে নিজেকেই দোষ দিচ্ছে।ভাবছে সে একটু বেশি রিয়েক্ট করে ফেলেছে।তারই উচিত হয়নি আরিয়ানকে ওইভাবে কথা শুনানোর।তার সরল মন ভাবতেই পারছে না এই সব কিছুর পিছনে অন্য কোন কারণ থাকতে পারে, যা তছনছ করে দিবে সবকিছু!
.
..

চলবে,,,,,,,,

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_৩৮

আরিয়ানের এমন ব্যবহারে অদ্রিতা কষ্ট পাচ্ছে। মনে মনে সে নিজেকেই দোষ দিচ্ছে। ভাবছে সে একটু বেশিই রিয়েক্টে করে ফেলেছে।আরিয়ানকে ওই ভাবে কথা বলা তার ঠিক হয়নি।অথচ আরিয়ান যে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে।তার গায়ে হাত তুলেছে
সে কথা সে ভুলে গেছে।সে শুধু আরিয়ানের খারাপ লাগার কথাই ভাবছে নিজের কথা একটুও ভাবছে না।

অদ্রিতাও আর কিছু বলে না।বিছানা থেকে কম্বল আর বালিশ নিয়ে সুফায় গিয়ে শুয়ে পরে।সে ভেবেছিল আরিয়ান হয়তো তাকে ডাক দিবে,বিছানায় এসে শুতে বলবে কিন্তু আরিয়ানের অদ্রিতার দিকে কোন খেয়ালই নেই। সে একবারের জন্যও অদ্রিতার দিকে তাকায় না।অদ্রিতা সুফায় ঘুমিয়ে পরে,মাঝ রাতে অদ্রিতার ঘুম ভেঙে যায়।বিছানায় তাকিয়ে দেখে আরিয়ান বিছানায় নেই।বেলকনির দিকে তাকিয়ে দেখে,বেলকনির দরজা খোলা।সে আর কিছু না ভেবে বেলকনিতে চলে যায়।সেখানে গিয়ে দেখে আরিয়ান কারো সাথে কথা বলছে।সে কিছু না বলেই বেলকনি থেকে চলে আসে।অদ্রিতা ভালো করেই জানে এতো রাতে অফিসের কোন কল হবে না।সে একজন শিক্ষিত মেয়ে,সে ভালো করেই বুঝতে পেরেছে হয়তো পছন্দের কেউ হবে।নয়তো এত রাতে এভাবে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে কথা বলতো না।তার অনেক কষ্ট হচ্ছে। আরিয়ান তাকে এখনো মেনে নেয়নি।তার সাথে সব সময় খারাপ ব্যবহার করে। এইসব কিছুই সে মেনে নিয়েছে কিন্তু এখন যদি আরিয়ান অন্য কাউকে পছন্দ করে তবে সে কি করে তা মেনে নিবে?একজন মেয়ে তার সব কিছুর ভাগ অন্য কাউকে দিতে পারে।কিন্তু সে তার স্বামীকে কখনোই অন্য কারো সাথে দেখতে পারে না।নিজের স্বামীকে অন্য কারো সাথে ভাগ করে নিতে পারে না।

এইসব কিছু ভেবেই তার মন ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। তবুও নিজেকে সামলিয়ে মনে মনে বলে,আমি হয়তো ভুল ভাবছি।ওনী কখনোই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না।জানি ওনী একটু রাগি তাই বলে কি ওনার মনটা অনেক ভালো।আমাকে পছন্দ হয়নি তা স্বত্ত্বেও আমার মা- বাবার সাথে কত ভালো ব্যবহার করলেন।আমার ভাই- বোনের সাথে এমন ভাবে কথা বলেছেন মনে হয়েছে যেন ওরা ওনারই ভাই- বোন।ওনী কখনোই এমনটা করতে পারে না।হয়তো ওনার কোন পুরনো ফ্রেন্ড হবেন।অনেকদিন পরে যোগাযোগ হলো তাই কথা বলছেন।আমিই একটু বেশি ভাবছি।

অদ্রিতা অন্য সব বাঙালি মেয়েদের মতোই নিজেকে স্বান্তনা দিলো। ভুল ধারণা নিয়ে থাকলো যে তার স্বামী আর যাই করোক তাকে কখনো ঠকাতে পারে না।কিন্তু কাউকে এতটা অন্ধের মতো বিশ্বাস করাও ঠিক না।তার জন্য সব সময় পস্তাতে হয়।কষ্ট ভোগ করতে হয়। বিশ্বাসের মূল্য দিতে কেউ জানে না।

স্ত্রীরা স্বামীর একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সব কিছু সহ্য করে। তার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সব সময় অপেক্ষা করে কিন্তু স্বামীরা তাদের স্ত্রীকে কখনো বুঝে না। তাদের কাছে স্ত্রীর ভালোবাসা, বিশ্বাস আর অপেক্ষার কোন মূল্য থাকে না।সব সময় তারা শুধু তাদের অবহেলা করে যায়। আর দিনের পর দিন ঠকিয়ে যায়।যেমনটা আরিয়ান করছে অদ্রিতার সাথে। অদ্রিতা তার একটু ভালোবাসা, কেয়ার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।তাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করছে। তাকে এত অবহেলা, অপমান করা স্বত্বেও সে শুধু তারই কথা ভাবছে কিন্তু আরিয়ান তাকে ঠকাচ্ছে। সে রাইশার সাথে কথা বলছে অদ্রিতার কথা তো তার মনেই নেই।প্রায় ১ ঘন্টা পরে আরিয়ান রুমে ঢুকে দেখে অদ্রিতা সুফার উপরে বসে আছে। একা একা কি যেন ভাবছে।

অদ্রিতাকে এইভাবে বসে থাকতে দেখে তার রাগ উঠে যায়।মনে মনে ভাবে,এত রাতে উঠে আমার কথা শুনছিল।আমার উপর গোয়েন্দা গিরি করা। তাই ভ্রু কুঁচকে অদ্রিতার দিকে তাকিয়েই বললো,
তুমি এখানে বসে বসে কি করছো?জানো না কারো কথা লুকিয়ে শুনা ব্যাড ম্যান্নারস্।নাকি এইটুকুু জ্ঞান নেই ভিতরে। নাকি আমাকে সন্দেহ করে গোয়েন্দা গিরি করছো।এমনটা ভুলেও করতে যাবে না।আমি কার সাথে কথা বলবো না বলবো তা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার জন্য কখনোই তোমাকে আমি কৈফিয়ত দিতে যাবো না।আর একদিন তোমাকে ঘোরের মাঝে নিজের কাছে টেনে নিয়েছি বলে ভুলেও ভাববে না আমি তোমাকে আমার স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছি।আমি তোমাকে এখনো নিজের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারিনি। আর কখনো মেনে নিতে পারবো কিনা তাও আমার জানা নেই।তাই ভুলেও আমার উপর স্ত্রীর অধিকার খাটাতে আসবে না।কথা গুলো ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নাও।

আরিয়ান আরও কিছু বলতে যাবে তার আগেই অদ্রিতা তাকে থামিয়ে দেয়।সে তো আরিয়ানের কথা শুনে পুরোই অবাক হয়ে গেছে।সে তো এইসব কিছু ভাবেনি বা লুকিয়ে লুকিয়ে তার কথাও শুনেনি।হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায় আর অারিয়ানকে না দেখতে পেয়ে বেলকনিতে যায় কিন্তু সে যখন দেখে সে অন্য কারো সাথে কথা বলছিল তখন সেখান থেকে চলে আসে। ঘুম আসছিল না তাই সুফার উপর বসেছিল।সে তো তার কাছে কৈফিয়ত চায়নি। না সে কখনোর স্ত্রীর অধিকার খাটিয়েছে।এই ভেবে তার খারাপ লাগছে আর রাগও উঠেছে আরিয়ানের উপর তাই বলে উঠলো,

আমি কখনোই আপনার উপর স্ত্রীর অধিকার খাটানোর চেষ্টা করিনি আর না কখনো করবো।আমি আপনার কথার শুনার জন্য এখানে বসে থাকিনি।হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে গিয়েছে তাই বসে আছি।লুকিয়ে কারো কথা শুনার অভ্যাস আমার নেই আর না আমাকে আপনার ম্যান্নারস শিখাতে হবে। কোনটা ঠিক কোনটা ভুল তা আমি জানি।আপনার কাছে আমি কোন কিছুর কৈফিয়ত চাইনি।আর না আপনাকে সন্দেহ করেছি।আপনি আমাকে মেনে নেননি তা আমি জানি হাজার বার এককথা বলতে হবে না।সে আর কিছু না বলে অন্য দিক ফিরে সুফায় সুয়ে রইলো।

অদ্রিতার অনেক কষ্ট হচ্ছে।তার চোখ দিয়ে পানি পরছে।সব কিছু বিষাদময় লাগছে তার কাছে।সে তো তাকে কিছুই বলেনি তবুও তাকে এতোগুলো কথা শুনানোর মানে সে বুঝতে পারছে না।এইসব ভাবতে ভাবতেই সে ঘুমিয়ে পরে।

অন্যদিকে অদ্রিতার কথা শুনে আরিয়ান স্তব্ধ হয়ে যায়।কিছুক্ষন চুপ করে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে পরে বিছানায় গিয়ে শুয়।মনে মনে ভাবতে থাকে অদ্রিতাকে অযথা এতোগুলো কথা শুনানো তার ঠিক হয়নি।কেন জানি তার নিজের ভিতরেই খারাপ লাগছে।কিন্তু অদ্রিতাকে কিছু বলে না।সেও ঘুমিয়ে পরে।

পরের দিন সকালে আরিয়ান সকালের নাস্তা খেয়ে রেডি হতে রুমে আসে। রাইশাকে নিয়ে আজ সে ঘুরতে যাবে ভেবেই তার মনে ভিতরে ভালো লাগা কাজ করছে।অদ্রিতাও সব কিছু গুছিয়ে রুমে চলে আসে। রুমে ঢুকেই দেখে আরিয়ান রেডি হয়ে আছে আর কোথাও যাওয়ার জন্য বের হচ্ছে।

আরিয়ান রেডি হয়ে বের হতে নিলেই দেখে সামনে অদ্রিতা দাঁড়িয়ে আছে।তাকে দেখেই মূহুর্তের মাঝেই তার মন খারাপ হয়ে যায়। অদ্রিতাকে তার এখন সহ্যই হয় না।তাই কিছুটা বিরক্ত হয়েই বলে,”আমাকে আজ একটু অফিসের কাজে বাহিরে যেতে হবে।ফিরতে অনেক রাত হবে।”

আজ তো শুক্রবার।

অদ্রিতার কথা শুনেই আরিয়ানের রাগ উঠে যায়।সে ভ্রু কুচকে রাগে কিছুটা জোরেই বলে,
তো কি হয়েছে?কি বলতে চাইছো তুমি?আমি অন্য কোথাও যাচ্ছি আর রাতেই তো বললাম আমার কোন কাজের কৈফিয়ত আমি তোমাকে দিবো না। তবে কোন সাহসে এখন আবার আমাকে প্রশ্ন করছো?আমার সামনে থেকে সরে দাঁড়াও।আমার লেট হচ্ছে,,,,

আরিয়ানের কথা শুনে অদ্রিতা স্তব্ধ হয়ে যায়। চুপচাপ সেখানে ওইভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে।আসলে সে এখন কি করবে বা বলবে তাই বুঝতে পারছে না।তাই যেভাবে ছিল সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছে।

আরিয়ান দেখে অদ্রিতা সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছে। একচুলও নড়ছে না।তা দেখে তার রাগটা আরও বেড়ে যায়।তাই চিল্লিয়েই বলে,”আমি তো তোমাকে কিছু বলেছি।মুর্তির মতো আমার সামনে দাঁড়িয়ে না থেকে সরে দাঁড়াও।আমার লেট হচ্ছে, ইডিয়ট।”
.
..

চলবে,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে