Tuesday, June 17, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2451



Angry_Husband _পর্ব__৪

0

Angry_Husband
_পর্ব__৪
Written by Avantika Anha
ফুচকা খাওয়া শেষে
.
আনহা : ওগো শুনছো
জিহাদ : কি ( এই মেয়ে বলে কি )
আনহা : চলো শপিং এ যাই
জিহাদ : ওকে
প্রেয়সি : দুলাভাই
জিহাদ : হুমম বলো
প্রেয়সি : তোমার সতিন আসবে আজকে শপিং এ
জিহাদ : মানে
প্রেয়সি : আপুর বন্ধু ছোটবেলার মাহফুজ ভাইয়া আসবে
জিহাদ : ওহ ভালোই ( জিহাদ ভাবছে আমার কি যে ইচ্ছে আসুক । ওকে তো আমি বউ ই মানি না )
আনহা : হাসছে আর ভাবছে আজ বুঝবা মজা কারে কয়
.
শপিং মলে………
আনহা….. বলে কে জানি ডাক দিল
আনহা : আরে মাহফুজ আসছিস
কতো দিন পর দেখা রে । বলেই হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে এলাম ।
.
আর জিহাদ তাকিয়ে দেখছে আর বলছে কি মেয়ে রে আমাকে রাখে গেলো । যাক আমার কি ও গেলেই বাঁচি ।
.
কিছু সময় পর জিহাদ ভাবছে ” কি হলো আসে না কেন এখনো ”
.
প্রেয়সি : কাকে খুঁজো দুলাভাই
জিহাদ : না তো কাউকে না
প্রেয়সি : আপু আসতে অনেক দেরি
জিহাদ : মানে
প্রেয়সি : ওরা মনে হয় গল্প‌ করছে‌
জিহাদ : করুক চলে আসবে তো
প্রেয়সি : দেরি আছে
.
জিহাদ : ব্যাপার না ( এতো টাইম কি করে মানুষ । মনে মনে )
.
জিহাদ : চলো ওদের খুঁজি
প্রেয়সি : মিস করছো আপু কে
জিহাদ : আরে না
.
জিহাদ আর প্রেয়সি মিলে আনহা আর মাহফুজ কে খুঁজতে লাগলো‌।

কিছুটা এগিয়ে ….
দেখলো ওরা গল্পই‌ করতেছে । জিহাদের রাগ উঠে গেল ।
.
জিহাদ : আর কতক্ষণ রাগী কন্ঠে
.
মাহফুজ : যা দুলাভাই রাগ করতেছে
আনহা : আরে না উনার ব্যাপার না আমি না থাকলেই উনি হ্যাপি
জিহাদ : হুহ চলো দেরি হচ্ছে
আনহা : না আমি যাবো না
জিহাদ : চলো
আনহা : হুররর ওই‌ বাড়িতে আসিছ নায়ক
মাহফুজ : ওকে নায়িকা
জিহাদ : কেন এমন নাম
মাহফুজ : ও সরি সরি বলা হয় নি । আমরা একে অপর কে এই নামেই ডাকি
জিহাদ : ওহ ( আজাইরা পরের বউ কে আউল ফাউল ডাকা । আল্লাহ আমি কি ভাবছি )
.
বাড়িতে রুমে…..
আমি : আমাকে নিয়ে আসলেন কেন
জিহাদ : থাকে লাভ নাই
আমি : এ্যা কি কন
জিহাদ : এতো কথা বলতে হবে না
আমি : আপনার কি
জিহাদ : ওই চুপ
আমি : করবো না চুপ‌‌
জিহাদ : এই মেয়ে আর কোনোদিন কোনো ছেলের সাথে এতো বেশি হেসে হেসে কথা বলবি না
আমি : বলবো কি করবেন
জিহাদ : মেরে ফেলবো
আমি : আপনার হইছে কি । এমন এমন কথা বলছেন যে
জিহাদ : না কিছু না ( আসলেই তো কি বলছি এসব ভাবছে )
আমি : ( হেহে কাম হচ্ছে ) মনে মনে ভাবছি
.
ও ফ্রেশ হতে গেল….
ফ্রেশ হয়ে এসে
আমি কথা বলছিলাম মাহফুজ এর সাথে ওকে দেখায় দেখায় …..
.
.
জিহাদ রেগে যাচ্ছে
.
.
কিছু সময় পর….
জিহাদ : এখনো কথা শেষ হয় নাই
আমি : আপনি ঘুমান আমার দেরি আছে
জিহাদ : তুমিও ঘুমাবা আমার সাথে
আমি : কিইইইইই
জিহাদ : হুমমম
আমি : নাহ দেরি আছে
জিহাদ : আমি তোমার জবাব শুনতে চাই নি
আমি : আমি ঘুমাবো না এখন
.
জিহাদ আনহা কে কোলে তুলে নিল আর ওর ফোন টা কেড়ে নিলো
.
আনহা : কি করছেন আমাকে নামান
.
বিছানায় নামিয়ে ….
আমি উঠতে যাবো ওমনে ওয় আমাকে আটকে দিলো ।
ওর শ্বাস আমার মুখে এসে পড়ছিলো ।
জিহাদ আনহার মাঝে হারিয়ে যেতে লাগলো । ও কাছে আসতেই
আমি : কি করছেন
জিহাদের ঘোর কাটলো
জিহাদ : না‌ কিছু না
আমি : তাইলে সরেন
জিহাদ : নাহ ঘুমাও ভরসা নাই কখন উঠে যাবে
.
দুজনে শুয়ে দু প্রান্তে । ঘুমাইছে নাকি দেখতে একটু নরতেই
জিহাদ : জানতাম পালাবে এভাবে ছাড়া যাবে না তোমাকে ।
আনহা : কি করবেন
জিহাদ আনহা কে জড়িয়ে ধরে বললো ঘুমাও ।
.
.
আনহা মনে মনে খুশি হলেও দেখালো না জিহাদ কে ।
.
সকালে জিহাদ লক্ষ করলো আনহা ওর বুকে মাথা রেখে আছে ।
আনহার চুল গুলো সামনে আসছে ।‌ জিহাদ সরিয়ে দিলো । নিজের অজান্তেই আনহার কপালে কিস করলো ।
আমি টের পেয়ে গেলাম……
আমি : কি করলেন এটা
জিহাদ : না কিছু না সরি
আমি : এমা এটা কি করলেন
জিহাদ রেগে : যা ইচ্ছে করি আমার বউ কে করেছি
আনহা : এমা
.
জিহাদ লজ্জা পেয়ে চলে গেল ফ্রেশ হতে……
.
.
বিকালে……
মাহফুজ আসলো……
আমি : দোস্ত কাজ হচ্ছে
মাহফুজ : জানি তো হবেই আমার আইডিয়া বলে কথা ।
আমি : হ
মাহফুজ : তোর মিমি তো রাগ করছে
আমি : হাহা দে আমি বুঝাচ্ছি
.
ফোন দিয়ে আমি : জানু রাগ করছো
মিমি : নাহ জানটুস ( মিমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড । ও আর মাহফুজ বফ আর গফ )
মিমি : হুহ
আমি : রাগ ছাড়
মিমি : হিহি ছাড়ছি আগেই মজা নিচ্ছি
আমি : ওমা তাই বেবি লাভ ইউ
মিমি : সেম গো
আমি : বেবি তোর উপর আজ একটু বেশিই ভালোবাসা আসতেছে
মিমি : কেন‌ রে
আমি : কেন আবার পমি তো তোকে‌ কতো ভালোবাসি )
মিমি : হ দোস্ত ( আমরা একে অপরের সাথে এমনেই মজা করি )
.
জিহাদ ছাদের কোণায় দাড়িয়ে লুকিয়ে শুনছিল । ও দেখতে পায় নি আনহা ফোনে কথা বলছে ।
.
রেগে গিয়ে…
জিহাদ আনহা কে চড় মারে
জিহাদ : তুই এরকম জানতাম না এতক্ষণ সব কথা শুনলাম তোর আর তোর আশিকের প্রেম আলাপ
আনহা : আমি তো
জিহাদ : চুপ
বলে আরেকটা চড় দিলো
জিহাদ : তুই তো আরও খারাপ রে ছিহ্ ঘৃণা করি তোকে
.
বলে চলে গেলো বাড়ির উদ্দেশ্যে
আনহা কাঁদছে
মাহফুজ : বললি না কেন
আমি : অনেক হয়েছে রে আর সহ্য হয় না
মাহফুজ : কিন্তু
আমি : তুই বলিস না কাউকে কিছু
.
সেদিন রাতে আমি বাড়িতে বলি যে শশুর বাড়ি যাচ্ছি । কিন্তু আমি চলে যাই ফুপির বাড়ি ।
ফুপির সাথে ছোট বেলা থেকেই ক্লোজ ।‌ আম্মু আব্বু বকলেও এখানেই আসতাম । ফুপিও তাই ভেবেছে । তাই আর কাউকে কিছু বলে নি ।‌
.
আজকাল জিহাদ আরো বেশি রাগ করে
জিহাদ দের বাসায়…
মামনি : জিহাদ
জিহাদ : কি
মামনি : আনহা কই রে
জিহাদ : ওই মেয়ের নাম নিবা না
মামনি : কেনো
.
জিহাদ সব বললো
মামনি : কি বলছিস
জিহাদ : দেখো কতো খারাপ
মামনি : ও খারাপ না
জিহাদ : মানে
মামনি : ও এরকম মেয়ে না যে এমন করবে
জিহাদ : দাড়াও ওর আশিক ই বলবে
মামনি : ডাক
.
মাহফুজ আসলো…..
মাহফুজ : কি দরকার আপনার
জিহাদ : বলুন আপনি আপনার প্রেমিকার কথা যে আমি যা শুনছি সত্যি
মাহফুজ : হাহা জানেন আপনি না অনেক আনলাকি কারণ আপনি আনহা কে হারিয়েছেন । যে আপনাকে এতোটা ভালোবাসে । আর যা কথা সেদিনের সেদিন ও মিমির সাথে কথা বলছিলো ওর‌ বেস্ট ফ্রেন্ড । ওরা একে অপর কে জানটুস বলে । হয়তো শুনছেন ওর কাছে আর মিমি আমার হবু বউ । চাইলে কথা বলুন ।
.
জিহাদ কথা বলে সব জানলো ।
মামনি : ছি তুই মেয়েটাকে এতোটা কষ্ট দিলি
জিহাদ : কিন্তু
মামনি : ও তোকে খুব ভালোবাসে
জিহাদ : আমিই বাসি
মামনি : ওকে ফিরিয়ে আন
জিহাদ : আমিও ওকে চাই । মাহফুজ ভাই ও কই প্লিজ বলেন
মাহফুজ : নাহ
জিহাদ : আর হবে না প্লিজ
.
.
মাহফুজ কে অনেক রিকোয়েস্ট করার পর রাজি হলো আর আনহার ঠিকানা বললো
.
.
বিকালে ছাদে দাড়িয়ে কাঁদছিলাম কারণ আমার #Angry_husband কে মিস করছিলাম
.
কে জানি জড়িয়ে ধরলো পিছন দিয়ে
আমি : কে
জিহাদ : একবার বললে কি হতো
আমি : আপনি সরুন প্লিজ
জিহাদ : নাহ যেতে দিবো না
আমি : সরুন
জিহাদ : নাহ
আমি : দুর হন
ওকে সরিয়ে…..
আমি : যখন ইচ্ছে যা খুশি বলবেন আপনি । যান এখান থেকে
জিহাদ : ভালোবাসো না আমাকে
আমি : নাহ বাসতাম এখন আর বাসি না
জিহাদ : তাই কি
আমি : হ্যা
জিহাদ : আমি তোমাকে কষ্ট দিছি আমি ই তোমার রাগ ভাঙ্গাবো
আমি : হুহ কোনোদিনও না
জিহাদ : আমিও তোমার বর গো রাগ ভাঙ্গাবোই
.
রাতে…..
জিহাদ : ফুপি
ফুপি : হুম বাবা
জিহাদ : আমি আর আনহা আপনাদের সাথে থাকবো কিছুদিন সমস্যা নাই তো
আমি : নাহ আপনি থাকবেন না
ফুপি : কি বলিস কেন থাকবে না
আমি : আমি বলছি তাই
ফুপি : চুপ ও থাকবে
আমি : দুররর
.
জিহাদ হাসছে । আমি তাকাতেই চোখ মারলো।

.
(আমি ভাবছি এর হইছে কি হুররর আমার কি )
.
.
চলবে…….

Angry_husband _পর্ব__৩

0

Angry_husband
_পর্ব__৩
Written by Avantika Anha
রুমে এসে জিহাদ আনহা কে নামিয়ে দিল
.
আনহা বাইরে যেতে ধরলো জিহাদ সামনে পথ আটকিয়ে
.
আমি : ইইই আমি ভিজবো সরুন
.
জিহাদ : নাহ জ্বর আসবে
আমি : না আমি যাবো
জিহাদ : ওই মেয়ে চুপ
আমি : আমি যাবো মানে যাবোই
.
জোড় করে যেতে ধরলাম রুমের ফ্লোর ও কিছুটা ভিজে পিছলা হয়ে গিয়েছিল পা পিছলে গেল কিন্তু কে যে ন ধরলো এমা জিহাদ আমাকে ধরে ও সহ পড়ে গেছে।

ও নিচে পড়ে আছে ওর ওপর আমি কি রোমান্টিক সিন কিন্তু অল্পতেই ভেঙ্গে দিলো।
জিহাদ: ঔ উঠো
আমি: হিহি
জিহাদ: হাসো কেন
আমি: এমনি
জিহাদ: ফাজিল মাইয়া
আমি: জানি
জিহাদ: জ্বর আসছিলো এখন আর ভিজতে হবে না এখনি তো পড়ে গেলে
আমি: নাহহ বৃষ্টি যতক্ষন হবে ততক্ষন ভিজবো
জিহাদ: যেতে দিব না
আমি: হু। আপনি খুব খারাপ
জিহাদ: তো
আমি: সমস্যা নেই ঠিক করে নিব।

তারপর রাতে বৃষ্টিতে ভিজার ইফেক্ট শুরু হয়ে গেল রাতের বেলা দুজনেরই হাচি শুরু হয়ে গেল পাল্লা দিচ্ছি কে কতো জোরে পারে। খাবার টেবিলে বসে
আমি: হাচ্চি
জিহাদ: হাচ্চি
মা বাবা সবাই দেখে হাসছে।
জিহাদ: হাসছো কেন
মামনি: তোদের কান্ড দেখে
জিহাদ: হাসার কি আছে ঠান্ডা তো লাগতেই পারে
মামনি: বউ এর সাথে ভিজলে ঠান্ডা তো লাগবেই
জিহাদ: আমি ইচ্ছা করে ভিজি নি
মামনি: ভিজেছিস তো
জিহাদ: দুররর তোমরা খাও আমি গেলাম
মানমি: না খেয়ে যা

চলে গেল না খেয়ে আমিও খেলাম না উঠে গেলাম। হাচ্চি
রুমে গিয়ে
আমি: না খেয়ে চলে আসলেন কেন
জিহাদ: তোমার কি তুমি খাও
আমি: আমি আপনার বউ
জিহাদ: মানি না আমি
আমি: যান খেয়ে নিন
জিহাদ: চুপ বেশি অধিকার দেখাবে না
আমি: দেখাব। কি করবেন
জিহাদ: যাও তো এখান থেকে ঘুমাবো
আমি: আমি ও না খেয়ে শুয়ে পড়লাম
জিহাদ: হাচ্চি
আমি: হাচ্চি

রাতে আমি শুয়ে শুয়ে কাদছি। আমার জন্য ওর ঠান্ডা লাগল। আর আমার জন্যই না খেয়ে ঘুমিয়ে গেল।

১ টার সময় ঘুমিয়ে গেছে সবাই কারো কান্নার আওয়াজে জিহাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। দেখে আনহা ফুপিয়ে কান্না করছে। খারাপ লাগল জিহাদের ভাবছে কেমন জানি মায়াবি এই মেয়ে টা।
জিহাদ: আনহা
আনহা: হু বলেন
জিহাদ: না খেয়ে ঘুমিয়েছো কেন
আনহা: আপনি না খেলে আমিও খাবো না।
জিহাদ: আমার সাথে তোমার তাল মিলিয়ে চলতে হবে
আনহা: হুমম আমি আপনার বউ তাই
জিহাদ: ঔষুধ খেয়েছো
আমি: না। আপনিও তো খান নি
জিহাদ: ঐ চুপ আমারর টা আমি বুঝব।
আমি: হু
জিহাদ: যাও খেয়ে নাও।
আমি: হুমম। আপনিও চলেন
জিহাদ: তুমি যাও
আমি: তাহলে আমিও খাবো না
জিহাদ: নিরুপায় হয়ে জিহাদ কে যেতেই হলো। দুজনে একসাথে ডিনার করে ঔষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। আস্তে আস্তে জিহাদ ও মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জিহাদ মনে মনে ভাবে নাহহ মায়ায় জড়ানো যাবে না মেয়েরা সব এক ।
.
পরের দিন…….
মামনি : জিহাদ
জিহাদ : হুম
মামনি : আনহা কে নিয়ে ওর বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে আয়
জিহাদ : কিন্তু
মামনি : চুপচাপ যা
জিহাদ : আচ্ছা
.
এদিকে আমি মামনি কে ইশারায় ধন্যবাদ জানালাম
.
রওয়ানা হলাম ।
.
বাড়িতে ঢুকতেই জামাই আদর পাইলো জিহাদ ।
দুররর বুঝি না বিয়ের পর বাড়ির মেয়ের কি দাম থাকে না নাকি । কি আর করার জ্বলতেছি আমি । এদিকে কাজিন গুলো মজা নিচ্ছে ।
.
ও কিছু বলতেও পারছে না । ওর এই অবস্থা দেখে আমি না হেসে পারলাম না ।
.
রাতে……
জিহাদ : তোমার বোন রা এমন কেন দুররর ভাল্লাগে না
আমি : হিহি ভালো হইছে
জিহাদ : আমি বাড়ি যাবো
আমি : ও তাই ওয়েট আম্মু কে বলি যে উনার জামাই বাড়ি যাবে
জিহাদ : আম্মু কে ডাকো কেন উনি মন খারাপ করবে না
আমি : তুমি তো বাড়ি যাবা দাড়াও বলি আম্মুউ
যেই চিৎকার দিতে যাবো মুখে হাত দিলো আমার জিহাদ
জিহাদ : ওই মেয়ে চুপ
আমি : উউউউউ
জিহাদ হাত সরিয়ে : চুপ
আমি : ওকে বাবু
জিহাদ : কিইইইইইই
আমি : কি গো জানটুস
জিহাদ : এই‌ মেয়ে এসব কি বলো
আমি : নিজের বরকেই বলি
জিহাদ : হুররর
.
বলে চলে আসলো বাইরে
.
বাইরে….
প্রেয়সি ধরলো ওকে : দুলাভাই
জিহাদ : কি
প্রেয়সি : চলো ফুচকা খেতে যাই
জিহাদ : এখন ?
প্রেয়সি : হুমমম
জিহাদ : আচ্ছা
( প্রেয়সি আমার ছোট বোন ক্লাশ ৪ এ পড়ে আর জিহাদ বাচ্চা দের ভালোবাসে তাই রাজি হলো )
প্রেয়সি : আপু কে রেডি হতে বলি
জিহাদ : ওকে
.
ফুচকার দোকানে…..
সবাই নিজের নিজের ফুচকা খাচ্ছি
আমি : প্রেয়সি চল দেখি কে আগে খায়
প্রেয়সি : ওকে আমিই জিতবো
আমি : দেখা যাবে
প্রেয়সি আর আমি ফুচকা শেষ করলাম ।
আমার শেষ আমি জিতছি
প্রেয়সি : দুর
আমি : হিহি
.
জিহাদ ভাবছে মনে হচ্ছে দুটোই পিচ্চি
.

.

চলবে…...

Angry_husband _পর্ব__২

0

Angry_husband
_পর্ব__২
Written by Avantika Anha
জিহাদ : চুপপপপ
আমি : এটা আমি করতে পারি না হিহি । কথা বলে থাকি নাই বকবক করুম ই তাই
জিহাদ : তুই এমন কেন
আমি : এমনি বদলাবো না
জিহাদ : দুররররর
.
বলে হাত টা ছেড়ে দিল
.
আমি হাসতেছি আর ভাবছি এমনেই ওরে মানুষ করবো ।
.
বিকেলে
জিহাদ আসলো ।
আমি : কি খবর জামাই লেট কেন
জিহাদ : তোকে বলবো কেন
আমি : কজ আমি আপনার বউউউউ
জিহাদ : বউ আমি মানি না
আমি : ওয়াওওও তো আমি কি করবো । আমি তো মানি
জিহাদ : দুরররর
আমি : কিটক্যাট খাবেন
জিহাদ : মানে
আমি : এমা চকলেট খাবেন জিগাইলাম
জিহাদ : আমি কি বাচ্চা
আমি : ওহ ভালো আমি তো ভুলেই গেছি আপনি বুড়া আমিই খাই হিহি
.
জিহাদ : ( ভাবছে মায়া জড়ানো হাসি )
আমি : যাই গা আমি কিটক্যাট খাই একটু কার্টুন দেখতে দেখতে
জিহাদ : এ্যা
আমি : হ্যাঁ
.
যাই‌গা সরেন তো
জিহাদ : এই‌ মেয়ে কেমন রে আমি এতো আঘাত করি তাও‌ এতো দুষ্টু ।
.
হুহ আমার কি ?
জিহাদ দেখলো আনহা সত্যি ই কার্টুন দেখতেছে ৤আর হাসতেছে ।
.
এটা দেখে ও নিজেও হেসে ফেললো যদিও লুকিয়ে যা আনহা দেখে নি ।
.
কিছুদিন পর
জিহাদের ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ্য না হলেও ও আজকাল হাসতে শিখেছে ।
.
বিকেলে দেয়ালের উপরের সেল্ফ টা গোছাতে টেবিলের উপর উঠলাম । এমন সময় জিহাদ আসলো।
.
জিহাদ : পিচ্চি মেয়ে আবার কাজ করতে উপরে উঠছে হুহ
আমি : পিচ্চি তো কি হইছে আমি পারবো ।
জিহাদ : ওরে বাবারে নিচে নেমে আয় । আমি করতেছি
আমি : আমিই করবো
জিহাদ : ওই মেয়ে আমার মুখের উপর কথা
আমি : এমা তাই তো আমি উপরে আপনার মুখের উপর
জিহাদ : হুরররর
আমি : এহে বকিয়েন না
জিহাদ : ওই নাম
আমি : আরেহ
.
আরেহ করতেই পা পিছলে গেলো আর পড়ে গেলাম
.
আম্মুউউউউউ
এমা আমার হাড্ডি ভাঙ্গে নি কেমনে ।
আমি : এমা আমাকে ধরছেন
.
জিহাদ তাকায় আছে আনহার দিকে হয়তো ওর মাঝে ডুবে গেছে
আমি : বাহ থেংকু #Angry_husband
.
জিহাদ আনহার কথা টা শুনে ওকে ছেড়ে দিল
.
আমি : মা গো ছাড়ার ই ছিলো তো ধরলেন কেন
জিহাদ : আমার কথা না শুনার মজা বুঝ
আমি : আপনাকে ছাড়বো না ওয়েট এন ওয়াচ আনহার স্টাইল
জিহাদ : হুররর
.
রাতে খাবার টেবিলে
জিহাদ : বাহ খাবার তো ভালোই রেঁধেছো মা
মামনি : আনহা রেঁধেছে
জিহাদ : ওহ
.
খাচ্ছে সবাই
জিহাদ : ( ঝাল লাগে কেন । নিশ্চই এই মেয়ে কিছু করছে )
আমি : ( হাসতেছি আর দিলাম চোখ মেরে )
.
.
আমিই মরিচের গুড়ো দিছি
৤.
.

জিহাদ : রাগী লুকে আনহার দিকে তাকিয়ে সব খেয়ে চলে গেল
আমি : (হায় কপাল কি যে হবে আমার সাথে আজ ভাবছি )
.
রুমে……..
আমি ঢুকতেই……….
আমার হাত ধরে পিছন দিকে নিয়ে গেলো
আমি : আম্মু গো হাত আবার গেছে আমার
জিহাদ : আমার সাথে মজা দেখাচ্ছি ঝাল কাকে বলে
আমি : হিহি সরি
জিহাদ : দাড়া তুইইইই
.
আমাকে রাখে গেল….
.
আমি ভাবছি , আম্মু গো কি হবে এখন পালাবো নাকি ?
.
এই ভেবে যেই পালাতে যাবো ওয় চলে আসছে হাতে গ্লাসে কি শরবত । এ্যা ওয় তো শরবত খাওয়ানোর মানুষ না ।
জিহাদ : খা এবার মরিচের শরবত
আমি : ইইইই না সরি আর করবো না আমি মরিচ খেতে পারি না বেশি প্লিজ
জিহাদ : তুই খাবি এখনি
আমি : প্লিজ না
.
জিহাদ জোড় করে আমাকে ওই শরবত খাওয়ায় দিল ।
.
খাওয়া শেষে…..
আমি শেষ ঝালে
আমি কাশতে শুরু করলাম
.
জিহাদ : বুঝ মজা
.
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না এতো পরিমাণ ঝাল লেগেছে যে
আমি লাল হয়ে গেলাম আর কাঁশতে কাঁশতে চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে আসলো । আমি জ্ঞান হারালাম ।
.
এদিকে জিহাদ : আনহা কথা বলছে না কেনো আমি কি বেশিই করে ফেললাম
.
আমার মাথা টা তার কোলে নিয়ে
.
জিহাদ : আনহা কথা বলো
ওই
.
আনহা….
সরি বেশি করে ফেলছি
.
চোখ খুলো
.
জিহাদ আর কিছু না বলে আনহা কে কোলে করে হসপিতালে নিয়ে গেলো ।
.
ডাক্তার চেক আপ এর পর
ডাক্তার : কি এমন খেয়েছে
জিহাদ : মরিচ
ডাক্তার : মানে কি এতো পরিমাণ
জিহাদ : sorry doctor it’s my mistake
ডাক্তার : মিস্টেক যার ই হোক । উনার তো মনে হয় বেশি মরিচ খাওয়া তে রিয়েকশন করছে
জিহাদ : ডক্তর যে করে হোক ওকে সুস্থ করুন
ডাক্তার : আমি ওষুধ লিখে দিচ্ছি খাওয়াইয়েন আর উনার খেয়াল রাখবেন
জিহাদ : ওকে ডক্তর
.
বাড়িতে নিয়ে আসলো আমাকে আমি তখনো দূর্বল
.
মামনি : কি রে আনহার কি হয়েছে এমন অবস্থা হঠাৎ কিভাবে ?
জিহাদ : আসলে আমি রেগে গিয়ে ওকে অনেক পরিমাণ মরিচ খাইয়ে দিছি
মামনি : এই মেয়ে টা কি করছে তোকে এতো কেন রাগ
জিহাদ : না কিন্তু
মামনি : ও অনেক ভালো রে জিহাদ
জিহাদ : আচ্ছা সরি বললাম তো ভালো লাগছে না আমি গেলাম ওকে নিয়ে রুমে ।
.
রুমে…………
.
আমার কপালে হাত রেখে
জিহাদ : জ্বর আসলো নাকি মেয়েটার
.
হায়রে এই মেয়ে এতো দূর্বল । দুর দোষ তো আমারি । কেন যে এতো রাগ । কি আর করবো দেখি মেয়েটার খেয়াল রাখি ।
.
এসব ভাবছিল জিহাদ
.
সারারাত খেয়াল রাখলো
.
সকালে উঠছিলাম
জিহাদ : সরি
আমি : মাফ করবো না
জিহাদ : কর বলছি
আমি : এক শর্তে
জিহাদ : কি
আমি : আমাকে তুমি বলতে হবে
জিহাদ : ওকে
জিহাদ : শুয়ে থাকো
আমি : আপনি আমাকে তুমি বলছেন সূর্য কোন দিক উঠছে
জিহাদ : (এই‌ অবস্থায় ও‌ মজা করে এই মেয়ে ভাবছে ) ওই চুপ করে থাক ।
আমি : হুরর এখনো অসুস্থ তো আপনার জন্যই হইছি
জিহাদ : তো তোকে ঝাল দিতে কে বলছিলো জানিস না আমার রাগ বেশি
আমি : ফেলে দিছিলেন কেন
জিহাদ : আরও ফেলবো
আমি : কেন ফেলবেন
জিহাদ : তুই আমার বউ তাই
আমি : এমা মানলেন আমি আপনার বউ
.
জিহাদ আর কিছু না বলে বের হয়ে গেল রুম থেকে
.
কিছু সময় পর
জিহাদ আসলো
জিহাদ : খেয়ে নে
আমি : খাবো না‌
জিহাদ : খা
আমি : উহু এটা খেতে ভালো না
জিহাদ : খা
.
বলে খাইয়ে দিল
.
জিহাদ : সরি
আমি : মাফ করবো না
জিহাদ : কর বলছি
আমি : এক শর্তে
জিহাদ : কি
আমি : আমাকে তুমি বলতে হবে
জিহাদ : ওকে
.
দুইদিন পর রাত্রে
আমি আর ও বসে ছিলাম যদিও ও নিজের অফিসের কাজ করছিল ।
.
আমি অনেকটা সুস্থ এই দুইদিনে ।
.
এমন সময় বৃষ্টি আসলো
.
আমি : ওয়াও বৃষ্টি আমি গেলাম
.
জিহাদ কিছু সময় পর লক্ষ করলো
আর বলল : মেয়েটা গেলো কই
.
এদিক ওদিক দেখে
.
পুরো বাড়ি খুজে নাই আনহা
.
যাই তো ছাদে দেখি আছে কি না ?
.
.
.
ছাদে গিয়ে দেখলো আনহা বৃষ্টি ভিজছে
জিহাদ তাকিয়ে দেখছে আর ভাবছে দারুণ লাগছে মেয়ে টাকে । কিছু সময়ের জন্য জিহাদ আনহার মাঝে হারিয়ে গেলো ।
আনহা : ভিজবেন নাকি আসুন
.
.
জিহাদের ঘোর ভাঙলো
.
.
জিহাদ : চলে আসো
আমি : না আমি ভিজবো
জিহাদ : কেবল জ্বর সারলো
আমি : হুর কিছু হবে না
জিহাদ : আসবা না
আমি : না
.
জিহাদ আর কিছু না বলে আনহা কে কোলে নিয়ে আসছিল ।
পথে একটু কিল ঘুসি মারলাম ছাড়ানোর চেষ্টায়
.
.
চলবে……….

Angry_Husband _পার্ট_১

0

Angry_Husband
_পার্ট_১
Written by Avantika Anha
আজ আনহার বিয়ে । অনেকটা জটিলতা প্রবণ ভাবেই বিয়েটা হলো । পারিবারিক বিয়ে হলেও মেয়ে দেখে পছন্দ করার পর তাড়াতাড়ি ই বিয়ে হয়ে গেলো ।
.
বাসরে……..
আনহা একা বসে রয়েছে । ছোট থেকেই মেয়েটা ফাজিল । তার খুব ইচ্ছে এমন একজন কে ভালোবাসার যে তাকে বড্ড ভালোবাসবে ।
.
জিহাদের প্রবেশ……….…
সে : ওই মেয়ে যায়ে কাপড় পাল্টিয়ে নিচে শুয়ে পড় ।৤
আমি : মানে
সে : আজাইরা মানে খুঁজবি না যা বলছি তাই কর আর আমার মুখের উপর কথা বলবি না
আমি : কেন আপনি কি আমার স্যার যে কথা বলবো না আপনার মুখের উপর
সে : আজ থেকে তাই তুই আমাকে একা থাকলে স্যার ই বলবি
আমি : এসব কেমন ব্যবহার আপনার
সে : হাহ তোকে বিয়ে করেছি শুধুই আমার মা কে খুশি করতে
নাহলে আজকাল কার লোভী মেয়েদের কে বিশ্বাস করে‌ । আমার টাকা আছে এখন তাই আসছিস তাই না । কোনো এক ছেলে কে মিথ্যে ওয়াদে করে আমার জীবনে আসছিস তাই না ।
আমি : হইলো আপনার৤?
সে : মানে
আমি : আপনি ছেকা খাইছেন ভালো কথা আমার উপর Angry হচ্ছেন কেন
সে : চুপ আমার মুখের উপর কথা
আমি : বলবো আপনার সমস্যা । আমি আমার বরের সাথে কথা বলছি হুহ
সে : তুই ও একটা লোভী মেয়ে
আমি : ওই চুপ আমি বিয়ের আগে প্রেম করি নি বরের সাথে করবো বলে আর লোভী বলবেন না হুহ
সে : তুই এমন কেন দেখছিস না আমি কতো খারাপ ।
আমি : খারাপ হন আর ভালো আমারি তো বর হিহি ( হাসি দাত বের করে )
সে : (তাকিয়ে হাসি দেখছে বড্ড মায়াবী হাসি । পরক্ষণেই ভাবলো না এ কি ভাবছি সব মেয়ে আজকাল কার লোভী হয় )
আমি : তা ছেকা খাইছেন বুঝছি আপনাকে সোজা করা মুশকিল ।
সে : চুপ করররররর একদম
আমি : ওহো করবো না চুপ
সে : যা নিচে ঘুমা আমার ঘুম পাচ্ছে
আমি : আমি বিছানায় ই ঘুমাবো
সে : না তুই নিচেই থাকবি
আমি : আমাকে নিচে থাকতে হলে আপনাকেও নিচেই রাখবো
সে : হুহ আমি নিচে গেলে তো
আমি : ওকে মিস্টার ওয়েট এন ওয়াচ আনহার কেরামতি
.
আমি চলে আসলাম । ভাবতেছি একে কেমনে শায়েস্তা করা যায় ।
.
.
সে : বড্ড পাগলি টাইপের মেয়ে । এই মেয়েও কি তার মতোই ধোকা দিবে । কিন্তু একে তো নিশ্পাপ মনে হয় । নাহ আমি কারো মায়ায় জড়াবো না আর ।৤
.
আমি এক বালতি পানি এনে বিছানায় ঢেলে দিলাম । সাথে ছোফায়ও ।
.
জিহাদ তো থ
.
.
সে : এটা কি করলিইইইইইই
আমি : কেনো গো দেখতে পাও না
সে : পানি ঢাললি কেন
আমি : আপনি এতো রাগী কেনো হুহ
সে : তুই কথা বলিস কেন এতো
আমি : আপনি রাগ করেন তাই
সে : যাহ এখান থেকে
আমি : ওকে মামনির কাছে গেলাম
সে : ওই না ( ও মামনি কে ভয় পায় )
আমি : হিহি আপনি ভয় পান
সে : নাহ তোকে কে বললো
আমি : ননদিনী
সে : ওরে আমি খাইছি
আমি : চুপপপপপ
সে : আমার মুখের উপর আবার কথা বলিস
আমি : আপনার মুখের উপর কই আমি তো আপনার না আমার #Angry_husband এর মুখের উপর কথা বলছি
.
.
ও আর কিছু না বলে আমার এক হাত শক্ত করে ধরে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে নিলো ।
আমি : লাগছে আমার
সে : তুই এমন করলি কেন
আমি : হুহ আপনার জন্য
.
সে আরও শক্ত করে হাত টা ধরলো আর বলল : কিইইই আমার মুখের উপর কথা
.
এবার অনেক লাগলো
.
আমি : ছাড়ুন লাগছে
সে : লাগুক
.
.
আমি আর পারলাম না কেঁদে ফেললাম
.
.
জিহাদ আনহার কান্না দেখে আর খারাপ ব্যবহার করতে পারলো না । নিচে বিছানা করে শুয়ে পড়লো ।
.
আমি কাঁদলাম অনেক সময় ধরে । জিহাদ ও ঘুমের ভান করে সব শুনলো কিন্তু কিছু বললো না ।
.
কিছু সময় পর আমি ঘুমিয়ে পড়লাম ।
.
ভোরের সময়……
জিহাদ ভোরের আলোতে মেয়েটাকে আরও বেশি মিষ্টি লাগছে । সত্যি কি আনহাও । নাহ সব মেয়ে ই এক ।
.
কিছু সময় পর আনহার ঘুম ভাঙলো
.
নামায পড়তে উঠেছে সে ।
.
নামায শেষে…..
জিহাদের পাশে বসলো …..
ছেলেটা বড্ড মায়াবী । বুঝাই যায় না কালকের রাগী ছেলেটাই হলো ও ।
.
সকালে৤৤৤৤৤৤……..
আমি : উঠুন
জিহাদ : আমি ঘুমাবো
আমি : ওই পোলা উঠেন
জিহাদ : এই মেয়ে যাও তো
আমি : দাড়ান দেখাচ্ছি মজা
.
পানি ঢেলে দিলাম
.
জিহাদ : ইউউউউউউউ
আমি : হ অনেক খারাপ উঠেন এবার
.
জিহাদ গোসল শেষ করে এসে দেখলো………….
.
আনহা ভিজা চুলে দাড়িয়ে রেডি হচ্ছে……
জিহাদ ভাবছে…… (অপরূপ লাগছে মেয়েটি সব মেয়ে ই কি কিউট হয় । নাকি ও ই একটু বেশি মায়াবী । আমি কি ভাবছি এসব । নাহ এর মায়ায় জড়ানো যাবে না । মেয়েরা মায়ায় জড়িয়েই কষ্ট দেয় )
.
.
আমি : কিছু বলবেন ?
জিহাদ : আমার মা কে কিছু বলবি না তুই
আমি : উনি আমারো মা আপনি আমাকে স্ত্রী না ভাবলেও আপনি আমার স্বামী আর আমি আমার মা কে কষ্ট দিবো না হুহ ।
জিহাদ : না দিলেই ভালো
.
রান্নাঘরে
আমি : আসসালামুয়ালাইকুম দেন আমি করছি
মামনি : নাহ রে পাগলি তুই বস
আমি : আমাকে কি মেয়ে ভাবো না
মামনি : তুই তো আমারি মেয়ে
আমি : তাহলে মেয়ে থাকতে মা এতো কাজ করবে কেন
মামনি : আচ্ছা কর
.
রান্নার সময় মা আমার দিকে তাকিয়ে কেনো । আল্লাহ উনি তো আমার হাত দেখছে । কালকের দাগ টা তো এখনো আছে । ভয়ে হাত লুকালাম ।
.
মামনি : জিহাদ করেছে তাই না
আমি : নাহ ওইতো পড়ে গেছিলাম
মামনি : মিথ্যে বলছিস তাই না ।
আমি : না মিথ্যে কেন বলবো
মামনি : চোখ লুকাচ্ছিস কেন
আমি : নাহ কই
মামনি : আমাকে বল আমি কাউকে বলবো না
আমি : ওয়াদা করো যে আমি না বলা অব্দি কাউকে বলবে না
মামনি : আচ্ছা ওয়াদা রইলো
.
আমি বললাম……..
বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেললাম
মামনি : মা রে আমার ছেলেটা অমন ছিল না । ওর এমন ব্যবহারের জন্য দায়ী নিহা নামের এক মেয়ে । ও তখন এইচএসসি দিচ্ছিল এক মেয়ে কে বড্ড ভালোবাসতো । আমরাও জানতাম কিন্তু মেয়েটা টাকার লোভে এক ছেলেকে বিয়ে করে । বিয়ের আগে আমি মেয়েটাকে ফোন ও দিছিলাম কিন্তু সে আমাকেই বাজে কথা শুনায় । তারপর থেকেই ও এমন হয়ে যায় ।
আমি : ব্যাপার না মামনি আনহা আছে না
আমি থাকতে এতো চিন্তা কই । ওকে সোজা আমি করবো ।
মামনি : আচ্ছা
আমি : চলো নাস্তা নিয়ে যাই
মামনি : আচ্ছা
.
খাবার টেবিলে জিহাদ কে দেখে ইচ্ছে করে চোখ মারলাম
.
হিহি ওয় তো রাগে শেষ । মনে হচ্ছিল আমাকে খেয়ে ফেলবে ।
.
রুমে আসলাম ।
জিহাদ : চোখ মারলি কেন
আমি : প্রমাণ আছে ?
জিহাদ : আমি দেখছি
আমি : আপনার চোখে সমস্যা আছে
জিহাদ : কিহ্
আমি : এমা আমার বরের চোখে সমস্যা আমার বর কানা এমা……
জিহাদ : চুপপপপ
.
.
.
চলবে………………….

বস যখন বর _পার্ট_৫

0

বস যখন বর
_পার্ট_৫
#_শেষ_পর্ব
Written by Avantika Anha
আদ্র : উফফফফ এই মেয়েটা আস্ত পাগলি
আমি : কেমনে
আদ্র : যা ভয় পাও তা দেখতে চাও কেন
আমি : ভালো লাগে (দাত বের করে হাসি দিয়ে)
আদ্র : তুমি নিজেই তো একটা পেত্নি
আমি : এ্যা
আদ্র : হ্যা
আমি : ইইইইইই না ৤
আদ্র : আমি যাই তাহলে থাকো
আমি : স্যার
আদ্র : কি
আমি : আমাদের কোম্পানি কাল কিছু নতুন মেম্বার নেওয়া হবে । তাদের ইন্টারভিউ আপনার নেওয়ার কথা ।
আদ্র : হুমমম ওকে এক কাজ করো কাল ইন্টারভিউ শেষে আমার সাথে এক মিটিং এ যাবা এক রেস্টুরেন্ট এ (যদিও মিটিং বাহানা । আসলে মিটিং নাই)
আমি : আসলে স্যার কাল আমার এক ফ্রেন্ড আসবে বিদেশ থেকে তাকে আনতে যাওয়ার কথা ছিল
আদ্র : No excuse
আমি : but sir
আদ্র : আমি যা বলেছি তাই হবে
আমি : ওকে
.
পরেরদিন ইন্টারভিউ শেষে মিটিং যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম । আসলে মুড টাই অফ হয়ে গেছে স্যার এর কথায় । আমার একটুও স্বাধীনতা নাই পঁচা ছেলে , খাটাস একটা ( মনে মনে বলছিলাম )
.
বস : আমাকে গালি পরে দিও নাও মিটিং টা বেশি জরুরী ।
আমি : হুহ
.
.
গাড়িতে
বস : চেক করো সব ওকে কি না
আমি : দেখেছি
বস : ওকে
আমি : ( আর কিছু বললাম না )

.
রেস্টুরেন্টে
আমি : কই মিটিং
বস : ওয়েট আমি কল করছি
( ফোন দেওয়ার বাহানা করলো )
আমি : কি বললো
বস : মিটিং আজ হবে না ওদের প্রব্লেম আছে
আমি : কিইইইইই
বস : হুম থাক আমরা লাঞ্চ করে নেই
আমি : আমি যাই স্যার আমার ফ্রেন্ড কে আনতে
বস : না মানা করো বলো পরে দেখা করবে তোমার বান্ধবীর সাথে
আমি : দুররর ওকে কিন্তু বান্ধবী কেন ?
বস : কেন
আমি : আরে স্যার ও তো ছেলে নাম নীল
বস : ওহ ( ছেলে ফ্রেন্ড এর জন্য এতো যাওয়ার জ্বলদি । দিচ্ছি আমি যেতে । মনে মনে )
আমি : দাড়ান ওকে মেসেজ এ জানাই যে আমি যেতে পারছি না হুহ ( কিছুটা রেগে‌ )
বস : তা কি খাবে
আমি : আপনার মাথা
বস : ও তাহলে খাও
আমি : কি কন আপনার আজকাল কি হচ্ছে স্যার
বস : তোমার যাদু ( আস্তে )
কিছু না
আমি : ভালো আমি রাগ করছি
বস : তাহলে কি করা উচিত আমার
তোমার রাগ ভাঙ্গানো ?
আমি : লাগবে না
বস : আচ্ছা আমার কাছে মনে হয় কিটক্যাট আছে নিবে নাকি ?
আমি : লাগবে না
বস : ওকে আমি খাই
আমি : খান গা
বস : হিহি ( আমাকে দেখায় দেখায় খাচ্ছে )
আমি : রাগে লাল হচ্ছি
বস : চুল টা ছাড়ো তো
আমি : মানে
বস : মানে এটা ( চুল ছেড়ে দিল আমার )
আমি : এ্যা এসব কি হচ্ছে‌
বস : আজকের পর চুল ছেড়ে রাখবে
আমি : কেন
বস : আমি বলছি তাই
আমি : হুহ
.
সব শেষে বাড়িতে……
হাসাহাসি নিশ্চই নীল আসছে
.
আমার ধারনা ঠিক
নীল : তা ম্যাডাম আসলেন আপনি
আমি : নীল কেমন আছিস
নীল : কেমন আর থাকবো তোকে ছেড়ে
আমি : হাহা
.
রাতে….
নীল : তা ম্যাডাম কাউকে ভালোবাসলেন
আমি : আরে না৤
নীল : তা আসলি না কেন
আমি : আরে বলিস না
.
(কাহিনী পুরো বললাম )
নীল : হাহা
আমি : হাসিস কেন
নীল : তুই কি সত্যি বোকা
আমি : কেন
নীল : গাধী তোর বস তোকে ভালোবাসে
আমি : আরে না তোর মাথা গেছে নাকি
নীল : তোর মাথা গেছে
আমি : চল আঙ্কেলের বাড়ি আঙ্কেলের সাথে তোর দেখা করাবো ।
নীল : আমি তো তোর বসের সাথে দেখা করবো
আমি : ইইইই যাবোই না
নীল : ওকে
আমি : ওই চল ফুচকা খেতে যাই
নীল : চলতে থাক
আমি : হ
.
বাড়ি থেকে বের হলাম । আদ্র বেলকোনি তে দাড়িয়ে ছিল । আনহা কে নীলের সাথে যেতে দেখে রেগে গেল । কিন্তু কিছু বললো না
.
পরেরদিন অফিসে নীল আর আনহা আসলো । আসলে আমি মিমির সাথে নীলের পরিচয় করাতে নীল কে নিয়ে আসলাম ।
.
আড্ডা দিচ্ছিলাম । বস দেখতেছে আর রাগে ফুলতেছে ।
.
বস : নাহ আর পারছি না যেতেই হবে‌
.
আড্ডায়
বস : এখানে কি হচ্ছে
আমি : না স্যার মানে
বস : চুপ সবাই কাজে মন দাও
নীল : আচ্ছা আমি বাড়ি গেলাম আনহু পরে বাড়ি আয় তারপর আড্ডা দিবো
আমি : ওকে
বস : আনহা come to my cabin now
আমি : ওকে
.
Cabin এ
আমি : বলুন কি কাজ
বস আমার কাছে এসে
আমি : এমা আপনি এতো আগাচ্ছেন কেন
বস : ( কিছু না বলেই আগাচ্ছে আর আমি পিছাচ্ছি । হঠাৎ দেয়ালে গিয়ে থেকলাম আমি । আম্মু গো এখন কই যাবো । দেয়ালো আর আসার জায়গা পেল না )
.
বস দু হাত আমার দুপাশে দেয়ালে রাখলো
আমি : স্যার কি করছেন সরুন
বস : মাথা নিচু করছো কেন মাথা তুলো
আমি : না
বস : তুলো বলছি
আমি : আম্মুর কাছে যাবো
বস : না আমার কাছে থাকো
আমি : কেন
বস : বুঝো না
আমি : কি বুঝবো
বস : দুরর পাগলি কবে বুঝবি৤
আমি : কি বুঝবো
(আর কিছু না বুঝে কান্না করে দিলাম)
বস : এই কাঁদো কেন
আমি : আপনি এতো কাছে আসছেন কেনো আমার ভয় করছে ।
.
বস : ও সরি ছেড়ে দিলো
.
আমি : বাপরে আমি ভাগলাম টাটা
.
জ্বলদি পালালাম । যাক বাঁচা গেলো ।
মিমি : দোস্ত
আমি : কিচ্চে
মিমি : ক্রাশ খাইছি
আমি : বাহ কার উপর
মিমি : নীল
আমি : বাপরে বাপ এখন তো দেখছি তুই আমার ভাবি হয়ে যাবি
মিমি : মজা করিস না সত্যি
আমি : হিহি ট্রিট দে৤
মিমি : ওকে সব ডান
.
অফিসে কথা হচ্ছে
কিছু জন : এটা মনে হয় আনহার বিএফ
আরেক জন : ভালোই মানিয়েছে
একজন : হুমমম চয়েজ আছে
.
বস সব শুনলো….
.
বস ভাবছে : নাহ আর এভাবে চুপ থাকলে ওকে হারাতে হবে । আজ ই কিছু করা লাগবে ।
.
বাড়িতে আড্ডা শেষে
নীল : আনহু
আমি : হুম
নীল : চকলেট খাবি
আমি : কি করা লাগবে বল
নীল : মিমি কে ভাল্লাগছে
আমি : হিহি এক শর্তে
নীল : অল ডান
আমি : শপিং
নীল : ওকে
.
তারপর ওদের মিলিয়ে দিলাম
.
রাতে……..
আঙ্কেল আমাদের বাড়িতে এলো । কি জানি কথা বললো আম্মুর সাথে ।
.
.
কিছুদিন পর……
আমি অফিস যাচ্ছিলাম । এমা কে এইটা মুখোশ পড়ে ।
আমাকে গাড়িতে টেনে নিয়ে গেলো ।
.
এমা আমি কিডন্যাপ ।
কিডন্যাপার : এই মেয়ে চুপ
আমি : আগে বলেন আমি কি কিডন্যাপ‌
কিডন্যাপার : হুমমমম
আমি : আম্মুর কাছে যাবো আমাকে ছাড়ে দেন
কিডন্যাপার : চুপ
.
কই জানি থামলো । এমা এ তো কাজি অফিস আর কিডন্যাপার তো স্যার ।
.
একি দেখছু আমি ।
.
ওখানে আম্মু , আব্বু , আঙ্কেল , নীল , মিমি সবাই আছে ।
আমি : এখানে কেনো আমি
বস : কারণ আজ তোমার আর আমার বিয়ে
আমি : কিইইইইই
বস : হুম
আমি : আমি বিয়ে করবো না
বস : করতেই হবে জানু
আমি : না
আঙ্কেল : মা আমার জন্য কর
আমি : ইইইইইই
আঙ্কেল : অনুরোধ করলাম
আমি : ( আঙ্কেলের অনেক ঋণ তাই রাজি হতেই হলো )

.
.
বিয়ে শেষে…….
আমি : এটা কি হলো
বস : কেনো গো তোমার আর আমার বিয়ে
আমি : কিছু বুঝছি না
বস : আরে পাগলি আমি তোমাকে ভালোবাসি । তোমার পাগলামি গুলোর প্রেমে যে কখন পড়লাম নিজেও জানি না ।
আমি : ইইই আমি থাকবো না
বস : ভুতের মুভি ছেড়ে দিবো কিন্তু সবচেয়ে ভয়ানক
আমি : ওকে
বস : ঠিক ই ছেড়ে দিলো
.
মুভি দেখে আমি শেষ এমন সময় কারেন্ট গেল ।
আমি : আম্মুুুউউউউউউউ
.
বলে স্যার কে জড়িয়ে ধরলাম
বস : আমাকে ছেড়ে যাবে
আমি : হ্যা
বস : তাহলে ছাড়লাম তোমাকে
আমি : না না যাবো না
বস : ভালোবাসো আমাকে
আমি : না
বস : তোমার চোখ ই আমাকে বলে ভালোয় ভালোয় স্বীকার করো
আমি : হুম বাসি অনেক বেশি বাসি
বস : হিহি তা বউ কাল কি মিটিং
আমি : DS কোম্পানির সাথে স্যার‌
বস : আবার স্যার
আমি : কি করবো অভ্যাস হয়ে গেছে
বস : বদলাও
আমি : কিন্তু
বস : কোনো কিন্তু না আমি তোমার বস
আমি : ওকে #বসযখনবর হয়েই গেলো আর কি করার
বস : হুম
আমি : কিন্তু বাড়িতে কিন্তু আমি বস আপনার
আদ্র : ওকে ম্যাডাম তা এবার ছাড়ুন আমি মেইন সুইচ অন করে আসি
আমি : মানে
আদ্র : হাহা বুঝা লাগবে না
আমি : এটা চিটিং
আদ্র : তাই নাকি
আমি : হু‌
.
মেইন সুইচ অন করার পর……
আদ্র : সেদিনের কাতুকুতু মনে হয় বাকী ছিল
আমি : এমা না
আদ্র : আমি তো দিবোই
আমি : ইইইইইই
আদ্র : হাহা
.
অতঃপর দৌড়াদৌড়ি শুরু………
.
দুজনেই বিছানায় পরে গেলাম
আমি : আই লাভ ইউ
আদ্র : আই লাভ ইউ টু আমার আহিয়ার আব্বু
আমি : আহিয়া কে ?
আদ্র : কেন আমাদের মেয়ে
আমি : কবে হলো
আদ্র : হবে ফিউচারে
আমি : কবে ঠিক করলেন
আদ্র : আগেই
আমি : হিহি সুন্দর
আদ্র : হাহা হুম
.
…………………..সমাপ্ত……………………..

বস যখন বর _পার্ট_৪

0

বস যখন বর
_পার্ট_৪
Written by Avantika Anha
বাসে কেমন লাগতেছিল । সময় স্যার বললো
আদ্র : আমাকে গালি দিচ্ছ নাকি
আমি : ( এমা কেমনে বুঝলো )
আরে না স্যার
আদ্র : হাহা ম্যাডাম আপনার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে
আমি : কইলেই হইলো
আদ্র : ভাষা ঠিক করে বলো আমি তোমার বস
আমি : ও আমি তো মনে হয় ভুলেই গেছিলাম
আদ্র : হাহা আবার গালি দিচ্ছ নাকি
আমি : আপনি তাকাইয়েন না তো আমার দিকে
আদ্র : আমি বস আমার ইচ্ছা
আমি : এ্যা এটা চিটিং
আদ্র : চুপ পাগলি
আমি : দুরররর আমি গান শুনবো টাটা
.
এরপর ইয়ারফোন লাগায় গান শুনা শুরু করলাম
.
বাস পৌছে গেল ….
আমি মিমির সাথে গল্প করছিলাম
আমি : দোস্ত মজা হইলো শুন না অনেকদিন ফুচকা পার্টি হয় নাই
মিমি : হ কবে খাওয়াচ্ছিস
আমি : ইইইই প্রতিবার আমি খাওয়ামু নাকি এইবার তুই খাওয়া
মিমি : ওকে ডান তুই ও কি মনে রাখবি
আমি : এএএ আইছে শুন না তারপর
.
এমন সময় বস : আনহা
আমি : কিচ্চে
.
ওমা পিছনে ঘুরে এইটা তো বস
.
আমি : সরি সরি বলেন স্যার
বস : চল বাড়ি
আমি : আপনি যান আমি পরে যাবো একটু গল্প করছি
বস : No excuse . I said you to come now means now .
আমি : okay huh it is cheating
বস : its not
.
কার এ……..
বস : কি হইছে চুপচাপ যে
আমি : কথা বলবো না এখন
বস : হাহা রাগ করছো
আমি : হুম
বস : রাগ করা যাবে না আমি তোমার বস
আমি : আপনি বারবার এমন করেন এটা চিটিং
বস : নাহ
আমি : হুহ
বস : আনহা কিটক্যাট খাবা ?
আমি : হ দেন
বস : হাহা তুমি না রাগ করছো
আমি : ও হ্যা আমি রাগ করছি হুহ ভুলে গেছিলাম
বস : এই নাও কিটক্যাট
আমি : থেংকু
বস : বড় হবা কবে এখনো পিচ্চি বিহেভ
আমি : হবো না হিহি
বস : হায়রে
.
বাড়িতে ……..
আম্মু : কেমন কাটলো পিকনিক
আমি : সেই
আম্মু : আমি আর তোর বাবা ভাবছিলাম তোর বিয়ে টা
আমি : আমার ঘুম পাচ্ছে টাটা
আম্মু : কথা বদলাচ্ছিস
আমি : হ
আম্মু : বড় হচ্ছিস
আমি : হ ৫” ৫
আম্মু : মজা অফ বিয়ে করবি কবে
আমি : করুম না
আম্মু : চুপ
আমি : ইইইই
আম্মু : আমার আর তোর বাবার এক ছেলে পছন্দ হয়েছে
.
কিছুদিন পর তোকে দেখতে আসবে
আমি : ওহ
.
৤.
কিছুদিন পর আদ্র আনহার পাগলামির প্রেমে‌ পড়ে গেছে । কখন‌ যে পড়ছে তা সে নিজেও‌ জানে না । আজকাল আদ্র নিজে নিজেই তার অজান্তে হেসে ফেলে । আনহা কে না দেখে থাকতে পারে না ।‌
.
বিকেলে……
আমি তাদের বাড়ির গাছগুলোতেও পানি দিচ্ছিলাম । আপন মনে গান গাইতে গাইতে । এমন সময় বস আসলো ।
বস : তোমার কি অভ্যাস হয়ে গেছে আমাদের গাছে পানি দেওয়া
আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম হঠাৎ ডাকে স্যার এর দিকে পানির পাইপ হাতে ঘুরলাম ।
.
(ভুলে স্যার পানি পানি আই মিন ভিজে গেছে)
আমি : হইছে কাম স্যার সরি
বস : হায় কপাল এই মেয়ে তোমার শত্রুতা কি আমার সাথে নাকি
আমি : এএএএএএএএ আপনিই হঠাৎ আসছেন কেন
বস : আমার দোষ নাকি হুহ
(ভ্রূ‌ কুচকিয়ে)
আমি : সরি স্যার (এই লুক আমার ভয় লাগে। তাই দৌড় মারছি নিজের বাড়িতে)
.
আদ্র ভাবছে । আমি এই ফাজিল মেয়ের ই প্রেমে পড়তে হবে । হাহা
.
পরের দিন অফিস শেষে ।
বস : আনহা কই মিমি
মিমি : স্যার আজ আমরা ফুচকা পার্টি করবো তাই বাকী কিছু বান্ধবীদের ধরে আনতে গেছে ।‌
বস : ওহ
.
ফুচকার দোকানে‌…….
আরামে‌ আমি আর সবাই কম্পিটিশন করতেছিলাম……..
.
আর বস ওই টাইমে
বস : আনহা এখানে কি করো (যদিও জানে তবুও আনহা কে নিয়ে যাবে সাথে বলে)
আমি : ফুচকা খাই খাবেন
বস : হুম
আমি : কিইইইইইইইইইইইইই
বস : কি এতো এক্সপ্রেশন কেন
আমি : ঠিক ঠিক খাবেন
বস : হুমমম
আমি : স্যার হা করেন
বস : আআআআআআআ
আমি : খান
( বস মনে হয় কখনো ফুচকা খায় নি । স্যার এর খাওয়ার স্টাইল দেখে না হেসে পারলাম না । আর আমার হাসা দেখে সবাই হেসে ফেলল।‌)
স্যার আমাকে কিছু বলল না এমা ব্যাপার কি ।
আমি : স্যার আপনি এর আগে খান নি কখনো ?
স্যার : না
আমি : হিহি আপনার বউ এর লাইফ শেষ ।‌বেচারীর সাথে ফুচকা খাবেন কেমনর
স্যার : হুহ
( তুমিই‌ হবা আমার বউ ,”মনে মনে” )
ফুচকা‌ শেষে আনহা চলো
আমি : মানে আমি কই যাবো ?
বস : কেন বাড়ি
আমি : না আমি থাকবো
বস : চলো কাজ আছে কাল‌ মিটিং আছে ফাইল নিয়ে আসবে বাড়িতে কাজ আছে ।
আমি : বস না গেলে হয় নস
বস : চলো চুপচাপ
আমি : উহু চলেন
.
কার এ
বস : কি হয়েছে মুখ ভার করে‌ আছ যে
আমি : আমাকে নিয়ে আসলেন কেন ।‌ ওরা কতো মজা করতেছে আর আমি নাই
বস : ওরা কেমনে মজা করবে ?
আমি : আইস্ক্রিম পার্টি করবে তারপর শপিং
বস : ওহ মেয়েরা বুঝি এমন হয়
আমি : ইইইইই কি বলতে চান
বস : ভাবতেছি আমার বউ কেমন হবে
আমি : আপনার বউ আমার মতো ফাজিল কেউ হবে হিহি
বস : তাই নাকি দোয়া করছো নাকি ( মনে মনে ” তুমিই হবা”সে
আমি : হুম ( বলে মোবাইল বের করলাম আর নেট এ বর ভাগানোর উপায় সার্চ দিলাম )
বস : কি করছো
আমি : পাত্র দেখতে আসলে তাদের কেমনে ভাগাতে হয় তা দেখতেছি
বস : কার পাত্র কে ভাগাবা
আমি : আমার
বস : মানে ( শকড )
আমি : পরে বলবো নে
বস : না বলো এখন
আমি : ওই আম্মু কোন পানাথগর কে ডাকছে কাল নাকি আসবে কিন্তু আমি বিয়ে করবো না
বস : ওকে কয়টায় আসবে
আমি : ৫ টায় কেন
বস : না এমনি
.
বাড়িতে…..
আদ্র ভাবছে “আনহা তো পারবেই মনে হয় বিয়ে আটকাতে । আমার চিন্তা করার কিছু নাই।”
.
কিন্তু আমার বাড়িতে…….
পাত্র আর আমাকে একা পাঠালো….
আমি : আমি বিয়ে করবো না
পাত্র : কেন
আমি : আমার বফ আছে ( মিছা কথা )
পাত্র : হাহা
আমি : হাসেন কেন
পাত্র : আপনার আম্মু বলেছিল আপনি এরকম কিছুই করবেন
আমি : এ্যা না আমার সত্যি বফ আছে
পাত্র : আচ্ছা আমি দেখবো আই মিন কথা বলতে চাই
আমি : ওয়েট । এমন সময় ই স্যারের ফোন আসলো ।
পাত্র : কি বফ ফোন দিছে
আমি : হ্যা ( এমা কি কইলাম )
পাত্র : কথা বলো৤
আমি : হ্যালো জানু
বস : মানে কি
আমি : এই দেখ না আমাকে যেই পাত্র দেখতে আসছে ও মানছেই না যে তুমি আমার বফ

বস : সাহায্য লাগবে নাকি
আমি : হুম গো
বস : ওকে ছেলেটাকে দাও
আমি : ওকে জান
.
দোয়া করছি আল্লাহ বস যেন পারে…….
বস কি জানি বললো আর কিছু বললো না ওই ছেলে ।
.
বিয়া ভাঙ্গে গেছে ।
.
.
বিকেলে
আমি : স্যার তখন কি বলছিলেন‌ ওই ছেলেকে
বস : না জানলেও চলবে
আমি : বলেন৤
বস : বলছি আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে আর তুমি আমার বাবুর আম্মু হতে চলেছো
আমি : কিইইইইইই
বস : হুমমমমম
আমি : হায় আল্লাহ
বস : চলো আনহা ৤
আমি : কইইইইই
বস : গেলেই বুঝবে যে
বস আর আমি গেলাম শপিং এ
.
আমি : এমা শপিং
বস : হুমমম সেদিন করতে পারো নি যে
আমি : ওওওওওও
.
শপিং শেষ করতে না করতেই
কে যেন : আনহু
আমি : কে রে
কে যেন : ওই হালি আমি
আমি : নীল তুই
নীল : হুমমমম
আমি : কতোদিন পরে
নীল : তুই তো ভুলেই গেছিস
বস : ( এইটা কে রে )
আমি : আরে না
নীল : এটা কে রে তোর বর নাকি
আমি : স্যার আমার
নীল : এ্যা স্যারের সাথে শপিং নাকি
আমি : হ
নীল : হ
.
বস : ভাবছে ( দুররর একা সময় পেলাম ভাবলাম ওকে বলবো মনের কথা আর এই আপদ আসছে )
নীল : আয় একটু‌ একা কথা বলি
আমি : ওকে স্যার ৫ মিনিট দাড়ান
.
৫ মিনিট শেষে
বস : এখনো আসে না কেন
.
যেয়ে দেখে এখনো হেসে হেসে কথা বলছে রাগ উঠে গেল
বস : আনহা চলো
আমি : একটু
বস : কাজ আছে আমার
আমি : প্লিজ
বস : no excuse I told u to come with me now means come now
আমি : you always do this .
বস : চলো
আমি : চলেন
.
গাড়িতে…..
বস : চুপচাপ কেন
আমি : কথা বলছি না
বস : কি হলো কথা কানে যায় না
আমি : কথা নাই
বস : চুপ বাড়ি চল আর আমার কাজ আছে আমার বাড়িতে আসিও
আমি : হুহ
.
স্যার এর বাসায়…..
আমি : কথা বলছি না
বস : ওই মেয়ে
আমি : কি
বস : তোমাকে এভাবে মানায় না চঞ্চল ই ভালো তুমি
আমি : হুহ উঠে যাচ্ছিলাম
.
বস হাত ধরে দিল টান
.
হঠাৎ এটা সামলাতে না পেরে পড়ে গেলাম স্যারের উপর
.
আমি : এমা গো
বস : এএএএএ পড়ছে আমার উপর আর চিল্লায় উনি
আমি : উহু
বস : বাহ ভালোই ভারি তো তুমি দেখে মনে হয় না
আমি : টান দিতে কে বলছে
বস : কেন আমি নিজে
আমি : ভালো
বস : মোটি
আমি : আমি মোটা
বস : মোটি
আমি : এ্যা
বস : হ্যা
.
.
চলে আসলাম
.
পরের দিন
আয়নায় দেখছি আমি নিজেকে কোননদিক দিয়ে মোটি আমি দুরররর .
.
অফিসে৤…..
খাওয়ার টাইমে
মিমি : কিরে খাবি চল
আমি : না আমি ওজন কমাচ্ছি
মিমি : তুই মোটা হলি কবে
আমি : হইছি
মিমি : এ্যা
আমি : হ
.
সারাদিন না খেয়ে বিকালে কাজ শেষে….
অজ্ঞান হয়ে গেলাম
.
বস : কি হয়েছে ওর
মিমি : ও বললো ওজন কমাচ্ছে নাকি তাই খায় নি
বস : কি
.
আমাকে কোলে করে নিয়ে গেল বাড়ি
.
বাড়িতে….
জ্ঞান ফিরার পর……
আমার রুমে স্যার বসে ছিল…..
আমি : স্যার আপনি
বস : এই মেয়ে তোমাকে না খেয়ে থাকতে কে বলেছে
আমি : আপনিই তো বললেন ওজন বাড়ছে তাই আরকি
বস : পাগলি আমি মজা করেছি
আমি : আমি তো ভাবলাম সত্যি
.
বস আমাকে জড়িয়ে ধরে
বস : আর এমন করবা
আমি : না সরি স্যার
বস : তোমার কিছু হলে আমার কি হবে রে
আমি : মানে
বস : না কিছু না আই এম সরি
আমি : এক শর্তে
বস : কি
আমি : আজ রাতে আমার সাথে ভুতের মুভি দেখবেন
বস : ওকে
.
রাতে…….
মুভি চলছে আর আমি ভয়ে শেষ
আমি : স্যার
বস : কি
আমি : আপনি মানুষ তো ?
বস : না ভুত
আমি : আমি আম্মুর কাছে যাবো
বস : হায় রে
.
কিছু টাইম পর
আমি ভয়ে স্যার কে খামচি দিলাম
বস : ওমা গো
আমি : সরি স্যার
বস : আমার হাত পা তে তো নখের আছর বসায় শেষ করলে
আমি : সরি ভুলে হলো
বস : হাহা
আমি : স্যার আপনাকে হাসলে ভালো লাগে৤
বস : তাই নাকি
.
.
আমি আবার ভয়ে খামচি দিছি
বস : এই মেয়েটা যে কি করে এতো খামচায় ভয়ও পায় আবার দেখবেও
.
আমি : ইইইইইই ভুত
বস : নাই
আমি : স্যার ভয় লাগে
বস : পরে পাগলি কিছু হবে না
আমি : আম্মুর কাছে যাবো
.
চলবে………..

বস যখন বর _পার্ট_৩

0

বস যখন বর
_পার্ট_৩
Written by Avantika Anha
রাতে
বস : আনহা
আমি : জ্বী স্যার
বস : কাল ক্লাইন্ট দের সাথে মিটিং আছে বি রেডি
আমি : ইয়েস স্যার
.
সকালে
আমি : জ্বলদি যেতে হবে বাপরে
.
যাই একটু আঙ্কেল কে দেখে আসি
.
স্যারের বাড়িতে……….
আমি : আঙ্কেল আপনি কই
আঙ্কেলের সাড়া নাই কেন
.
চিন্তিত হলাম
.
গিয়ে দেখি আঙ্কেল নিচে পড়ে আছে
.
চিন্তিত হয়ে গেলাম
.
বাড়ির কাজের লোকদের ডাকলাম‌…..
পরে শুনলাম তিনি ওষুধ খেতে ভুলে গেছিলেন
.
এসব করা শেষে আমি সময়ের কথা ভুলেই গিয়ে ছিলাম আই ওয়াজ লেট
.
অফিসে
বস : What the heck. You are late.
আমি : Sorry sir I am late cz
বস : stop it don’t give any excuse
আমি : স্যার আসলে‌
বস : get out now
আমি : স্যার
বস : বললাম না এখন এখান থেকে যেতে
আমি : আমার কথা টা তো শুনুন
বস : outtttt
আমি : ওকে

.
.
চলে আসলাম । একবারো শুনলো না কিছুই দুররররর আমার কি হুহ‌।
.
আমি বাড়ি গিয়ে রুম লাগায় বসে পড়লাম ।
.
রাতে ওই বাড়ি গেলাম
বস : দাড়াও এখানে‌ এতো আসা যাওয়া পছন্দ করি না আমি যেতে পারো
আমি : হুহ ওকে
.
কিছুদিন পর
( আর যাই না আঙ্কেলের বাড়ি )
আঙ্কেল : কি ব্যাপার আনহা আসে না কেন ? আগে যে মেয়ে কতো আসতো
আদ্র : আমি মানা করেছি
আঙ্কেল : (রেগে) কেনো
আদ্রের কাছে সব শুনে
.
আঙ্কেল : সব আমার জন্য হয়েছে
আদ্র : মানে
.
সব বললো ……
.
আঙ্কেল : দোষ‌ তোর মেয়েটা অনেক ভালো জানিস‌ এর আগেও ও‌ আমাকে সাহায্য করছে এই জন্য ওকে এতো মেয়ের মতো ভালোবাসি ।
আদ্র : সরি
আঙ্কেল : আমাকে না আনহা কে বল
.
আদ্র ভাবছে ” আসলে দোষ টা আমার কেনো যে এতো রাগ করি । “
.
আনহার বাড়িতে
আম্মু : আরে বাবা তুমি এখানে
আদ্র : আম্মু এই তো এমনি
আনহা কই ?
আম্মু : রুমে
আদ্র : আমি কি যেতে পারি
আম্মু : আচ্ছা
.
রুমে মুড অফ ছিল ভুতের মুভি দেখতেছিলাম

যদিও ভয় পাই
.
এমন সময় কে জানি আনহা বলে ঘাড়ে হাত দিল
.
আমি : আম্মু গো আমি কই যাবো
ভুতততততত
বলে কারে জানি জড়িয়ে ধরলাম
.
সে : ভুত নেই ভয় পেও না
আমি : স্যার আপনিইইই
বস : যা ভয় পাও তা দেখো কেন
আমি : ভালো দেখবো বেশি করে আপনি কি করবেন গালি দিবেন সেদিনের মতো দেন
হুহ
বস : চুপ
আমি : না করবো না আমি চুপ
বস : শুনো
আমি : আপনি শুনছিলেন আমার কথা
বস : একদম চুপ
আমি : হুহ
.
এমন সময় মুখ চাপে ধরে বললাম না চুপ
সরি সেদিন আমার ভুল ছিল
.
কি করুম
কাতুকুতু দিয়া ছাড়ালাম
.
বস হাসতে হাসতে শেষ
আমি : হিহি ইটস ওকে বাই দা ওয়ে আপনাকে হাসলে ভালোই লাগে স্যার
বস : আমি তোমার বস
আমি : ইইইইই মাফ করুম না আপনাকে
বস : দুররর
আমি : হিহি ওকে ওকে
বস : কাল অফিসে টাইম মতো আসবা কাজ আছে
আমি : স্যার…..
বস : কি
আমি : আমরা ভাবতেছিলাম কোম্পানির সবাই পিকনিকে যাবো আপনি যদি যেতেন
বস : ওহ ওকে ভেবে দেখবো
আমি : চলেন প্লিজ
বস : আচ্ছা কবে
আমি : এই তো সামনের শুক্রবার
বস : ওকে
আমি : থেংকু স্যার লাভ ইউ ফর দিস
বস : কিইইইই
আমি : এমা সরি বান্ধবীদের বলে বলে অভ্যাস তাই ভুলে বলে ফেলছি
বস : হায়রে
আমি : স্যার একটা কথা
বস : কি
আমি : না থাক
বস : বলো
আমি : স্যার ভুতের মুভি দেখবেন আমার সাথে ভয় লাগতেছে
বস : না
আমি : হুহ টাটা
বস : হুম
.
বস যেতে যেতে আজব মেয়ে
আমি : খাটাস
.
পিকনিকে……….
আমি : মিমি শাড়ি টা না পড়লে হয় না
মিমি : ওই অনেকে পড়বে
আমি : তাই বলে আমিও
মিমি : হুমম
আমি : কোনটা পড়বো?
মিমি : নীল টা
আমি : ওকে
.
রেডি হয়ে……..
বসের বাড়িতে তাকে ডাকতে গেলাম
আমি : আঙ্কেল আসসালামুয়ালাইকুম
আঙ্কেল : মা তোকে খুব সুন্দর লাগছে
আমি : ধন্যবাদ‌ স্যার কই
আঙ্কেল : উপরে
আমি : স্যার আসবো
বস : হুম
.
বস হা করে আছে ব্যাপার‌ কি
আনহা : স্যার
( আসলে আনহা কে অনেক সুন্দর লাগছিল । তাই আদ্র তাকিয়ে )
আনহার কথায় হুশ ফিরলো
আদ্র : হুমমমম
আমি : চলেন
আদ্র : চলো
.

.
বাসে যাবো বলে
.
স্যার গাড়ির ওদিক যাচ্ছিল
আমি : স্যার আপনি বাসে উঠবেন না ?
বস : না
আমি : চলেন না
বস : কখনো উঠি নি
আমি : হিহি কি বলেন
বস : হুম
আমি : আসেন জানালার পাশে বসিয়েন
বস : ওকে
.
বাসে সবাই বস কে দেখে থ
.
আমি : বসলাম জানালার পাশে
বস : আনহা
আমি : স্যার বসেন
বস : তোমার পাশে বসি
আমি : কিইইইইইইই
বস : কি মানে আমি তোমার বস আমি বসবো সরো
আমি : জ্বী
বস : হুমমম
.
আমি : জানালার পাশে দিবো না কিন্তু
বস : ওকে
আমি : যাচ্ছি
.
( আমার চুল গুলো উড়ছিল আর সব আদ্রর মুখে যাচ্ছিল )
আদ্র : ( ভালোই লাগছিল )
আমি : দেখে সরি স্যার বলে চুল গুলো বাঁধতে ধরছিলাম
আদ্র : কিছু বললো না
বাসে ঘুমিয়ে পড়লাম
.
আদ্র দেখছে নিশ্পাপ লাগছে । বোঝাই যায় না ও এতোটা চঞ্চল । চুপ করে আদ্র আনহার চুল গুলো ছেড়ে দিল ।
পৌছে ….
আমি ব্যান্ড খুঁজছিলাম
.
আদ্র বুঝেও জিজ্ঞেস করলো : কি খুঁজো ?
আমি : ব্যান্ড পাচ্ছি না
আদ্র : থাককক বাদ দিয়ে চলো
আমি : আচ্ছা
.
পুরো পিকনিক ভালোই কাটলো
.
মিমি : কি রে স্যার এর সাথে কি চলে
আমি : মানে
মিমি : বুঝো না মামনি
আমি : আরে না৤ এটা স্যার
মিমি : স্যার কে বর হতে সময় লাগে না
আমি : দুররর না
.
বাসে ফিরছিলাম
.
স্যার তাকায় ছিল
আমি : স্যার
বস : ও ফাইল গুলো রেডি কালকের
আমি : ( এই রে ভুলে গেছিলাম )
আসলে
বস : ভুলে গেছ তাই তো
আমি : জ্বী
বস : আজ কমপ্লিট করিও
আমি : ওকে
স্যার আপনি বসুন আমি মিমির কাছে যাবো
বস : থাক পড়ে যেতে পারো চলন্ত বাস
আমি : আরে না
বস : ওকে
.
আমি উঠে যেতে ধরলাম‌
.
ঠিক ই পড়ে যেতে ধরলাম
.
স্যার ধরলো
.
পুরাই ফিল্মি সিন
সবাই হেসে ফেললো
আমি : হাসার কি
বস : কথা বললে শুনো না কেন
আমি : ওইতো
বস : আর হাসার কি আছে সবার
.
সবাই চুপ সাথে আমিও
চলবে

বস যখন বর _পার্ট_২

0

বস যখন বর
_পার্ট_২
Written by Avantika Anha
আদ্র : এই ফাজিল মেয়েটা দুররররর
.
রাতে
আদ্র : অনেক দিন পর বাড়ি এলাম একটু ঘুরে আসি
.
…..আদ্র বাগান দেখছিল
আর ভাবছিল
“বাহ মেয়েটা ভালোই ফুলগাছ লাগিয়েছে”
.
.
আমি এমন সময় বেলকোনিতে দাড়িয়ে ছিলাম
দেখলাম কে জানি ফুল ধরতেছে
রাগে : ওইইইই কে রে ফুলে হাত দিচ্ছে
আদ্র : কিইইইইইই
আমি : ওমা স্যার আপনি সরি সরি দেখি নি ( দাত বের করে হাসি দিয়ে )
আদ্র : রাগী লুক
আমি : আরে এতো রাগেন কেন স্যার কিটক্যাট খাবেন
আদ্র : what the heck
আমি : খান অনেক ট্যাস্টি
আদ্র : লাগবে না
আমি : ওকে আমারি বেঁচে গেল হিহি
আচ্ছা আমি ঘুমাবো টাটা

.
.
আদ্র ভাবছে এই মেয়ে ফুল পাগলি
.
পরের দিন অফিসে
আমি : ওই মিমি
মিমি : বলতে থাক
আমি : আজ নতুন স্যার আসবে
মিমি : ওহ কেমন দেখতে রে
আমি : ভালো না খাটাস একটা
মিমি : হেহে ওইটারে তোর বর বানাবো
আমি : না বইন
মিমি : হেহে ওটাই হবে তোর বর + বস
আমি : নো ওয়ে
মিমি : হুমমম
.
বস আসলো আমি তো জানি ই
সবার হাতে ফুল
.
আমিও দিলাম
.
বস নিলো ঠিক ই বাট রাগী লুক
আমি : বস আপনি হাসতে পারেন না তাই না
এমা কি বললাম ( মুখে‌ হাত )
.
সরি সরি আমি কিছু বলি নাই
.
বস : কিছু বললো না
.
কাজ করছিলাম
এমন সময় সিয়া আসলো
সিয়া : তোমাকে বস ডাকছে আনহা আপু
আমি : খাইছে রে ডাকে কেন
সিয়া : জানি না
.
আমি : May I come in sir ?
আদ্র : আসো
আমি : জ্বী
আদ্র : তোমার প্রব্লেম কি
আমি : কি করলাম
আদ্র : এতো পাগল কেন তুমি
আমি : এটা বলতে পারলেন আমি তো পাগল না‌ পাগলি ?
আদ্র : just shut up
আমি : সরি স্যার
আদ্র : অফিসের রিসেন্ট কাজ গুলোর ফাইল রেডি চাই আমার
আমি : আচ্ছা আমাকে একটু টাইম দেন
আদ্র : ডু ইট ফাস্ট
আমি : ওকে
.
আমি বের হয়ে কাজে বিজি হয়ে পড়লাম
.
আমি ভাবতেছি সালা এতো রাগী কেন
.
এমন সময় মিমি : কি রে
আমি : আরে খাটাস টা ভালো না
মিমি : পাগলামি একটু কমা
আমি : নো বেবি পাগলামি আমার লাইফ হিহি
মিমি : হাহা তুই বদলাবি না
আমি : হুম
.
অফিস শেষে‌
.
বিকেলে ছাদে বসে ছিলাম
.
মুড টা ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছিল । যাই গা গিটার টা নিয়ে আসি
.
গান গাচ্ছিলাম
.
এমন সময় বস আসলো
.
আমি : বস কে দেখে বাপরে বলে দৌড়
.
বস : বাহ ভালোই গান পারে
কিন্তু পালালো কেন
.
সত্যি পাগলি
.
আমি : যাক বাঁচলাম নইলে ফির গালি দিবে
.
রাতে আম্মু
.
আম্মু : কি রে আর আঙ্কেলের বাসায় যাস না যে
আমি : ওই বস কে ভয় লাগে
আম্মু : বাপরে তুই আর ভয় পাস
আমি : ওই আমি ভয় পাই না নাকি
আম্মু : হাহা
আমি : আঙ্কেলের খোঁজ নেই‌নি সারাদিন যাই গা নিয়ে আসি
আম্মু : যা
.
.
তাড়াতাড়ি গেলাম
.
…….ধাক্কা…..
.
আমি : সরি প্লিজ
বস : চোখ কই
আমি : মুখে
বস : দেখে চলো না কেন
আমি : ওই তো লাফায় লাফায় আসতেছিলাম তো
বস : দেখে চলবা
.
আর এতো রাতে এখানে কেন
আমি : আঙ্কেল এর খোঁজ সারাদিন নেই‌ নি
বস : আব্বু কে বস বলো না কেন
আমি : না আসলে
বস : স্যার বলবে
আমি : ওকে
.
পঁচা বস ( আস্তে )
বস : কিছু বললে
আমি : না আমি কিছু বলি নি
বস : ভালো চলো ভিতরে
আমি : আঙ্কেল……
সরি স্যার
আঙ্কেল : কি রে মা স্যার বলছিস কেন
আমি : না এমনি
আঙ্কেল : বল
আদ্র : আমি বলছি বলতে
আঙ্কেল : কি বললি
আদ্র : কেন
আঙ্কেল : ও আমাকে আঙ্কেল ই বলবে
আদ্র : আচ্ছা
.
আমি কথা শেষে বাড়ি ফিরলাম
.
এভাবে দিন যেতে লাগলো একদিন আমার জ্বর এলো
.
মা : আজ আর যাস না
আমি : দাড়াও
.
ফোন দিলাম বস কে
আমি : আসসালামুয়ালাইকুম
স্যার আজ কি ছুটি পাওয়া যাবে
বস : ( আজ প্রতিশোধ নিবো )
না
জ্বলদি আসো মিটিং আছে
আমি : স্যার আমার জ্বর
বস : কোনো কথা না আসো
.
আমি : আর কি করার
.
অফিসে
মিটিং করলাম বহু কষ্টে
.
মাথা ঘুরছিল .
.
বস নাকি ডাকলো
.
গেলাম
.
আমি : স্যার আসবো
আদ্র : হুম এই ফাইল গুলো কমপ্লিট করো
আমি : স্যার পরে করি শরীর টা একটু খারাপ আজ যদি যেতাম বাড়ি
বস : নো ডু ইট নাও
আমি : নিয়ে যাচ্ছিলাম মাথা ঘুরছিল
.
অজ্ঞান হয়ে গেলাম
.
আদ্র : আনহা ওই আনহা
.
এর তো সত্যি অনেক জ্বর
.
বেশি করে ফেললাম ও তো খারাপ না কেন যে করলাম
.
বাড়িতে
.
আদ্র আমাকে নিয়ে এলো
.
আম্মু : মানা করেছিলাম তবুও গেল
আদ্র : না মানে দোষ আমার
আম্মু : না বাবা ও ই বেশি করে আসলে ও একটু ফাজিল বেশি কিছু হলে ক্ষমা করো
আদ্র : না ব্যাপার না
.
আচ্ছা আমি আসি
.
আম্মু : খেয়ে যাও বাবা
আদ্র : না থাক
আম্মু : আমি তোমার মা হলে কি মানা করতে
আদ্র : আচ্ছা
.
খাওয়া শেষে …..
আদ্র : জানেন আন্টি আমি না মায়ের আদর কখনো পাই নি আপনাকে মা এর মতো লাগে
আম্মু : তাহলে আন্টি কেন মা বলো
আদ্র : ধন্যবাদ আম্মু
.
আম্মু : আজ আমি ছেলে পেলাম
.
পরেরদিন
আমি তো চাঙ্গা
সকালে
আমি : এমা বস‌ এখানে কেন
আম্মি : আমি ডেকেছি‌
আমি : ও
আদ্র : আম্মু আমাকে খাওয়ায় দেও না
আম্মু : আচ্ছা নে বাবা
আমি : আম্মু উনি তোমার ছেলে তাহলে আমি কে
আম্মু : তুই তোর আঙ্কেলের মেয়ে
আমি : পর করে দিলা হুহ
আদ্র : ( মেয়েটা সত্যি পিচ্চি পিচ্চি )
আমি : স্যার অফিস যাবো চলেন
আদ্র : যাওয়া লাগবে না
আমি : কেন
আদ্র : জ্বরে যাবে কেন
আমি : এমা ওকে
.
আমি ভাবছি বস এতোটা খাটাস না‌
.
.
পরেরদিন
.
ছাদে বসে লুকিয়ে আইস্ক্রিম খাচ্ছিলাম
.
এমন সময়
আদ্র : এই মেয়ে
আমি : কে
(আইস্ক্রিম লুকিয়ে )
আদ্র : কেবল জ্বর ভালো হলো আর আবার আইস্ক্রিম
আমি : ইইই একটু
আদ্র : ফেলো
আমি : না
আদ্র : ফেলো বলছি
আমি : হুহ
.
( খাটাস একটা )
চলবে…..

বসযখনবর _পার্ট_১

0

বস যখন বর
_পার্ট_১
Written by Avantika Anha
আমি আনহা । পড়া শুনা এখনো শেষ হয় নি । তবুও শখ করে একটা কম্পানি তে জব নিলাম । শুধু হাতখরচের জন্য ।
.
মেয়ে বলতে আমি ফাজিলের ডিব্বা আবার আবেগের দিক দিয়েও আমি ১ নাম্বার খালি কেঁদে ফেলি সহজে ।
.
তাই বান্ধবীরা আমাকে পাগলি বলার পাশাপাশি একটু আবেগী মাইয়াও বলে । ব্যাপার না । এমা আপনাদের এতো বলছি কেন । আপনারা যদি আমাকে পাগলি বলে ফেলেন । হিহি
.
সকাল বেলা আজ অফিস এর প্রথম দিন ।
.
সকালে
মা : শখ করে তো নিলি পারবি তো ?
আমি : আরে মা ব্যাপার না তো
মা : আচ্ছা যা
আমি : ওকে আমার সেন্টি রাগি মা টাটা
.
স্কুটি নিয়ে দিলাম দৌড় ।
.
এমা রাস্তায় আঙ্কেল টার হইছে কি ?
.
এখন কি করবো জিজ্ঞেস করবো কি হইছে ? যদি দেরি হয়ে যায় চাকরি তো যাবে । দুরর মানবতা আগে ।
.
আমি : আঙ্কেল আপনার শরীর কি খারাপ রাস্তায় এভাবে দাড়িয়ে যে‌ । কোনো কি সমস্যা ?
আঙ্কেল : আসলে ছিনতাইকারী গাড়ি , টাকা নিয়ে গেছে আর আমার গরমে থাকার অভ্যাস নাই । তাই শরীর টা খারাপ লাগছে
.
আমি ভাবতেছি কি করুম এভাবে রেখে গেলে তো নিজেকে মুখ দেখাতে পারবো না । দুর চাকরি গেলে যাবে । উনাকে সাহায্য করি আগে ।
.
আমি : আসুন আমি পৌছে দিচ্ছি আপনাকে
আঙ্কেল : কিন্তু মা তোমার তো মনে হয় কাজ আছে
আমি : ব্যাপার না চলুন
আঙ্কেল : ধন্যবাদ আজকাল এমন হয় না রে মা
আমি : কোনদিকে আপনার বাড়ি ?
আঙ্কেল : আমাকে অফিসে পৌছে দাও তাতেই হবে ।
আমি : কোনদিকে ?
আঙ্কেল : ওইতো আদ্র গ্রুপ এন্ড কম্পানি
আমি : আপনি কি ওখানে জব করেন জানেন আমারো আজ ওখানেই জব হয়েছে কিন্তু মনে হয় হবে না জব টা কারণ আমি লেট হয়ে গেছি‌
আঙ্কেল : আমি ওখানকার মালিক মা
আমি : কিইইইইই স্যার আপনি আমার
আঙ্কেল : তুমি আমাকে আঙ্কেল ই বলিও আর চাকরি যাবে না
আমি : ধন্যবাদ আঙ্কেল
.
অফিসে কাজের জীবন শুরু । আঙ্কেল আমাকে খুব ভালোবাসতেন ।
.
অফিস বাড়ি থেকে দুর হয়ে যায় ভেবে আমি আম্মু আর আব্বু সহ ভাড়া বাসা খুঁজছিলাম । আঙ্কেল যখন জানতে পারে তখন তার বাড়িতে উঠতে বলে । তখন আমি রাজী হই না কারণ তা দয়া টাইপ লাগতো ।‌
.
তখন আঙ্কেলদের পাশের ওদিক একটা বাসা নিলাম আমরা । হয়ে গেলাম প্রতিবেশী ।‌ আঙ্কেলের ভালোবাসার পরিমাণ বেড়ে গেল । আঙ্কেলের বউ মারা গিয়েছে । আপন বলতে এক ছেলে যে বিদেশে থাকে ।
.
.
কিছু মাস পর এতোদিনে অফিসের সবাই অনেক আপন হয়ে গিয়েছে । আজ আঙ্কেলের ছেলে আসবে ।‌
.
আঙ্কেলের বাড়িতে গিয়ে গাছগুলোয় পানি দিচ্ছিলাম আর
গান শুনছিলাম ইয়ারফোন লাগিয়ে কার সাথে জানি ধাক্কা ।
.
আমি : কে রে ধাক্কা দিল?
সে : হোয়াট
আমি : হোয়াট পরে এইটা কি করলেন আমাকে কাদা কাদা করে দিছেন
সে রেগে : আপনি জানেন আমি কে
আমি : এমা এটা কি আঙ্কেলের ছেলে নাকি ?
ভুলেই গেছিলাম
সে : আমি এই বাড়ির মালিকের ছেলে
আমি : খাইছেরে সরি ??
সে : হুহ যত্তসব
আমি : এএএএএএ
সে : কে আপনি
আমি : পাশের বাড়ি + আপনাদের কোম্পানি তে জব করি
সে : হুহ তো এখানে কি
আমি : আঙ্কেলকে বলে এখানে বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছি তাই নিজেই ফুলগাছ গুলোর যত্ন নেই আর এতো রাগেন কেন আপনি রাগ কইরেন না কিটক্যাট দিব‌
( এমা কি বলতেছি )
সে : আব্বু আব্বু
আমি : সরি আমি একটু বেশি বকবক করি
সে : হুহ
আমি : এতো রাগেন কেন পিচ্চির উপর
সে : কে পিচ্চি
আমি : এখানে আর কে আছে আমি ছাড়া
সে : ভালো
.
পরিচিত হলাম । খাটাস একটা কেমন রাগি আঙ্কেলের ছেলে মনেই হয় না ।
.
রাতে
আম্মু : মা
আমি : কিচ্চে
আম্মু : তোর আঙ্কেল কে এগুলো দিয়ে‌ আয় তিনি অনেক সাহায্য করেছেন ।
আমি : আচ্ছা
.
তারা খেতে বসেছিল
আমি : আঙ্কেল দেখেন কু এনেছি
ও নামটা বলতে ভুলে গেছি তার নাম আদ্র
আদ্র : আবার ওই‌ মেয়ে
আঙ্কেল : কি মা
আমি : আম্মু দিছে
এই‌ নিন আমি যাই
.
আঙ্কেল : খেয়ে যা
.
আমি : না থাক অন্যদিন বলে আসলাম
.
আর আদ্র ভাবছে এই মেয়ে আমার আব্বু কে পটিয়ে রেখেছে এর উপর তো রাগ উঠতেছে
.
চলবে……

নিশ্চুপ ছেলে শেষ পার্ট

0

নিশ্চুপ_ছেলে
#শেষ_পার্ট
Written by Avantika Anha
বাস থেকে আমাদের বাড়িতে পৌছালাম । এই আশায় যে ওর রিয়েল লাইফে ওকে আনবো টেনে । কিন্তু আমি তো আমার পায়েই কুড়াল মারলাম । আমার আম্মু আব্বু এমন আদর করছে ওকে মনে হয় বাড়ির জামাই । যদিও হবে কিন্তু মেয়েকে কি ভুলে যাবে নাকি ।
আম্মু : নীল বাবা অনেক বড় হয়ে গেছিস তো
নীল : জ্বী ( আজকাল একটু ভালো হইছে )
আম্মু : নে ফ্রেশ হয়ে নে
আমি : আম্মু আমিও আছি কিন্তু
আম্মু : দ্বারা দ্বারা তুই তো আছিস ই । ও তো আসছে ।
আমি : আর আসুম না আমি আম্মু আম্মু রইলো না
.
আম্মু আর নীল হেসে উঠলো ।
.
সাথে আমিও ।৤
.
বিকেলে
আমি : চল তো
নীল : কই যাবো
আমি : আমার বান্ধবীদের কাছে
নীল : আমি কি করবো ওখানে
আমি : মুড়ি খাবি চল তো
নীল : ওকে
.
বান্ধবীদের সাথে হালিরা আরো শয়তান । জানে আমি নীল কে ভালোবাসি কিন্তু নীল জানে না । তাই মজা নিচ্ছে ।
.
আমিও মজা করছি
.
৪ দিন পর
আজকাল নীল নিজে থেকেই আমার সাথে কথা বলে কিন্তু সমস্যা একটাই । ও ওর সব কথা ভার্চুয়ালে শেয়ার করে । ও যে আমাকে ভালোবাসে ওটাও আমি জানি ও ই বলেছে আমার ফেক আইডি টাতে । এসব যদি ও জানে আমার উপর রাগ করবে এই ভয়েই দিন কাটাই ।
.
বিকেলে
আমি : আম্মু নীল কই আর আমার ফোন কই
আম্মু : তোর ফোন মনে হয় নিছিল ওর আব্বু কে ফোন দিবে বলে ।
আমি : কিইইইইই৤
আম্মু : কেন কি হয়েছে
আমি : আমি শেষ ও কোনদিক
আম্মু : মনে হয় বাগানের ওদিক
.
( নীল যদি জানে ফেসবুকের তানহা আর আমি একজন ও যে কি করবে আমাকে এই ভেবে দৌড় দিলাম )
.
নীল কথা না বলে ফোন টিপে কেন
.
..আম্মু ও দেখলে কি হবে এই ভেবে চিৎকার দিলাম নীলললললললললললল
নীল : চুপ একদম চুপ
আমি : আল্লাহ গো ও কি জানছে নাকি
নীল : রেগে
আমি : কি হইছে
নীল : বাহ ছেলেদের সাথে এতো পিক কেন
আমি : কোন পিক
নীল : এইটা
আমি : ( বাঁচলাম এক ফ্রেন্ড এর সাথে তুলা পিক দেখছে )
আমার এক ফ্রেন্ড
নীল : তাই বলে এতো কাছে পিক তুলবা
আমি : হিহি কিউট আসছে তাই না
নীল : কিইইইই ( রেগে আমাকে থাপ্পর দিল )
আমি : কান্না করে ফেললাম
নীল : কান্না দেখে কিছু বলল না
সরি বলল শুধুই
আমি : ওটা ফ্রেন্ড ছিল এরা স্কুল জীবনের বন্ধু শুধুই ধন্যবাদ দোষের জন্য
নীল : কি করবো তোমাকে অন্যের‌ সাথে দেখলে রাগ হয়
আমি : হিহি
নীল : চুপ
আমি : ওকে দূররররর আমি তো কাঁদতেছিলাম ভুলেই গেছিলাম আর কান্না আসে না কি করবো
নীল : হাহা পাগলি
আমি : এমা গো এ আমি কি দেখলাম
নীল : কি
আমি : তুই হাসতে পারিস
নীল : হুম পারি
আমি : হিহি
নীল : এতো হাসো কেন
আমি : হাসুরি যে আমি তাই
নীল : দূররররর
.
.

পরেরদিন শুনলাম ফুপা সামান্য অসুস্থ । এতোদিন পরে আব্বু কে কাছে পেয়ে নীল হারাতে চায় না । তাই ও চলে গেল । ফুপা অসুস্থ শুনে আমি আর আমার আব্বুও গেলাম ওর সাথে ।
.
আমি : কি ফুপা আমি গেলাম আর অসুস্থ হয়ে গেলা
ফুপা : হ্যা রে মা তাই তো আর তোকে যেতে দিতে চাই না
নীল আর আমি একসাথে : মানে
ফুপা : ভাই ভাবতেছি নীলের সাথে আনহার বিয়ে টা দিয়ে দিলে ভালো হয় । আমিও বা আর কয়দিন বাঁচবো ছেলেটাকে কখনো ভালোবাসা দিতে পারি নি ।
আব্বু : তোমার যা মনে হয় দুলাভাই
আমি তো খুশিতে : এমা আমার বিয়ে
নীল তো স্টাচু
কিন্তু ফুপার মুখের উপর কিছু বলল না
রাতে
আমি : কি গো রাগ করে বসে আছ নাকি
নীল : আনহা তোমার কি জ্বর এসেছে এসব কি বলছো
আমি : বিয়ের আগেই প্রাকটিস হিহি
নীল : এ কেমন মেয়ে
আমি : হিহি ( হারামি মনে মনে যে কত হ্যাপি কস না কেন ) আস্তে বললাম
.
কিছু মাস পর বিয়েটা হলো । আজকাল মাইন থুক্কু আপন দুররর নীল এতো নাম রে বাবা কনফিউজ খায়ে যাই ।
.
বিয়ের রাতে
নীল আসলো
আমি : ওগো তুমি এসেছো
নীল : এসব কি আনহা
আমি : কি
নীল : ফেসবুকের তানহা তুমিইইই ?
আমি : না মানে
নীল : কত বিশ্বাস করতাম আমি তোমাকে
আমি : আমাকে ক্ষমা করো আমি শুধু তোমাকে ভার্চুয়াল থেকে বের করতে চেয়েছিলাম
নীল : রেগে তোমার মতো মিথ্যে বাদীর সাথে কথা বলতে চাই না
আমি : নীল সরি গো প্লিজ
নীল : বেহায়া নাকি তুমি
আমি : সরি
নীল : যাস্ট গেট লস্ট মজা নেও তাই না
আমি : আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি সেই ছোট থেকেই
নীল : ড্রামা
আমি : ওহ ওকে
নীল : ন্যাকামি চোখের পানি
আমি : সরি
.
নীল রেগে চলে গেল ।
.
বাইরে………..
নীল নিশ্চুপ দাড়িয়ে
শ্বশুর আব্বু : বাবা
নীল : আরে আব্বু তুমি
শ্বশুর : আনহা মেয়েটা ভালো রে
নীল : ও মিথ্যে আইডি খুলে চ্যাট করছে আমার সাথে বিশ্বাস ভাঙ্গছে আমার
শ্বশুর : শুধুই তোকে ভালো করতে একবার ভেবে দেখ ওকে কষ্ট দিস না
.
নীল ভাবলো ঠিক ই তো
.
রুমে
নীল : সরি
আমি : কাঁদছি
নীল : সরি বাবু ( জড়িয়ে ধরে )
আমি : ( ছাড়িয়ে নিয়ে )
নীল : জানোই তো আমি কেমন একটু রেগে গেছি
আমি : ভালোবাসি তোমাকে‌ তাই এমন করছি
নীল : আমিও‌ রে অনেক ছেড়ে যাস না আমাকে
আমি : যাবো না
.
………..শেষ………
#কাল্পনিক_গল্প