

হঠাৎ_পাওয়া
_শেষ_পর্ব
Written by Avantika Anh
.
পরেরদিন কফি শপে আমি আর অর্নব বসে আছি । এইতো ২ বছর আগে কতো কথা হতো ওর আর আমার মাঝে । প্রতিবার আমিই বেশি কথা বলতাম ।
.
কিছু সময় পর পাশের টেবিলেই মেঘ আর অভি আসলো । হয়তো আমাকে দেখিয়ে দেখিয়েই বসেছে । আমি আর ওদিক তাকালাম না ।
আমি- অর্নব এখানে ভালো লাগছে না অন্য শপে চলো ।
অর্নব- কেনো এটাই তো তোমার প্রিয়
আমি- এখন আর ভাল্লাগে না
অর্নব- আরে কফি ফ্লট টা খেয়েই যাই ।
আমি- আমি লেট হচ্ছি বাই
.
.
আমি উঠে চলে যাচ্ছিলাম । অর্নবও পিছু পিছু আসলো ।
.
অর্নব- আমরা বিয়ে করবো কবে ?
আমি- ইচ্ছা
অর্নব- আচ্ছা আমার বাবা মা কে তাহলে তাড়াতাড়ি তোমার বাড়ি পাঠাবো ।
আমি- ওহ
অর্নব- এমন কেনো হয়ে যাচ্ছো তুমি ?
আমি- কেমন?
অর্নব- এরকম চুপচাপ । অভির সাথে তো ভালোই কথা বলতে ,ফাজলামি করতে
আমি- অভির ব্যাপারে কথা বলিও না ভালো লাগছে না
অর্নব- ওহ ওকে ।
আমি- আমার ব্যাগ টা একটু ধরো আমি একটা জিনিস কিনে আসতেছি ।
অর্নব- ওহ ওকে
.
আনহার ব্যাগ থেকে একটা ডায়রি পড়ে গেলো । অর্নবের চোখে পড়লো । আনহা কখনো অর্নব কে ওর ডায়রি পড়তে দিতো না । তাই অর্নব তা নিজের কাছে রেখে নিলো ।
বাড়ি এসে খুলে পড়া শুরু করলো ।
.
প্রথমের কিছু পেজ ছেড়া ।
তারপরের পেজ….
“অর্নবের সব স্মৃতি মুছে ফেললাম । কেনো এরকম করলো ও । কম ভালো তো বাসতাম না ওকে । ভুলে যাবো ওর সব আজ থেকে ডায়রিও হয় তো লিখবো না।”
.
তারপরের লেখা….
“ভেবেছিলাম লিখবো না । এতোদিন পর লিখতে এসে কি লিখবো নিজেও বুঝছি না । আজ আমার বিয়ে ঠিক রাজ ভাইয়ার বন্ধুর সাথে । মি. অভি বড্ড আজব ।”
.
.
তারপরের….
“মি. অভি না থাকলে আজকাল উনাকে মিস করা শুরু করেছি ।”
.
.
এরপরের লেখা
“ধীরে ধীরে মনে হয় আমি মি. অভি কে ভালোবাসতে শুরু করেছি।”
.
.
“আজ স্বপ্নে দেখেছি আমার জমজ মেয়ে হইছে । একটা আমার কোলে আরেকটা মি. অভির কোলে । বাচ্চা গুলো কিউট ছিলো।”
.
এরকম আরো অনেক পৃষ্ঠা অভিকে নিয়ে লিখা ।
.
শেষের দিকে আনহার কিছু কষ্টের কথা লেখা । অভি কে ছাড়া তার থাকতে কষ্ট হচ্ছে , সে কেনো এমন করলো সবকিছু ।
.
.
২দিন পর……….
আমি ভার্সিটি থেকে ফিরছিলাম । হঠাৎ কে জানি আমার চোখ বেঁধে ফেললো আর কি জানি নাকের কাছে কি জানি ধরলো । তারপর আমি জ্ঞান হারালাম ।
.
যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি একটা রুমে ওখানে সব ঠিকঠাক খালি আলো কম । জানতাম কিডন্যাপ করে নাকি অন্ধকার ঘরে রাখা হয় দেখতাছি ঠিক ই তাই । কিছু সময় পর ৪ জন ছেলে আসলো ২ জন বয়স্ক আর ২ জন কম বয়সী । আমার মুখও বাঁধা কথা বলতে পারছি না।
.
২জন কম বয়সী কথা বলা শুরু করলো……
.
.
একজন- কি করবো এইটারে ?
আরেকজন- কেটে ফেল এরে তারপর রান্না করা যাবে
একজন- ভাবতেছি কাবাব বানাবো কিন্তু মাংস কম হবে মেয়েটার খায়ে মজা পাবো তো ?
আরেকজন- হুম হুম পাবো
.
.
আমি ভাবছি হালারা আমারে খাইবে কিনু ? খাইবে তো খাইবে এতো দূর্নাম করে কেন হুহ
.
হঠাৎ ১ম জন বলে উঠলো…… “এইটারে আমার ভালো লাগছে বস”
২য় জন- বিয়া টিয়া করবি নাকি ?
১ম জন- হুমম বস তাই করবো
২য় জন- এইটা কয় নাম্বার ?
১ম জন- এইতো মাত্র ৫৬ নাম্বার হবে ।
২য় জন- বাকী গুলোর মতো কি এটারেও খায়ে ফেলবি ?
১ম জন- হুমমম এইতো ২ দিন পর এটারেও খাবো
২য় জন- আচ্ছা আচ্ছা তাহলে কাজী আনি ?
১ম জন- হুম বস
.
আমি ভাবতেছি এরা ভুত নাকি পাগল ?
.
সবাই চলে গেলো একজন ছিলো । ও আমার কাছে আসলো । পরিচিত একটা পারফিউম এর গন্ধ পেলাম । কিন্তু সিওর হতে পারছিলাম না কার ? কিন্তু পরিচিত হলে কিডন্যাপ কেন করবে ? এসব ভাবছিলাম ।
.
ওই লোকটা আমার মুখের কাপড় টা সরিয়ে দিলো ।
.
আমি- ওই আপনি আমাকে কিডন্যাপ করছেন কেনো ? কে আপনি ?
লোকটা- আমরা মানুষ খাই এই জন্য তোমাকেও কিডন্যাপ করছি ।
আমি- আর কাউকে পান নাই ? আর মুরগি , গরু , ছাগল থাকতে মানুষ খাওয়ার কি দরকার ? আপনি জানেন ডিমও মজার হয়
লোকটা- হাহা এসব না আমি তোমকেই খাবো
আমি- ওই শয়তান ছাড়ে দে আমাকে তুই আমার দেহ পাবি মন পাবি না (ওই টাইমে এই ডায়লগ মনে পড়ছিলো)
লোকটা- হাহা সবই পাবো সুন্দরি
আমি- ওই ছাড়ুননননননন
.
লোকটা মুখ আবার বেঁধে দিলো । নাহ খোলা যাবে না প্রচুর কথা বলো ।
আমি ভাবতেছি “শয়তান একটা”
.
কিছু সময় পর ঠিক ঠিক কাজি আসলো…..
.
বিয়ের দোয়া পড়ার পর কবুল বলতে বললো…
আমি ভাবছি কতো শখ ছিলো সব নষ্ট কোন মানুষ খেকো কে বিয়া করা লাগবে এখন…
.
যার সাথে বিয়া সে যার সাথে আগে কথা বলছিলো সে চিৎকার দিলো…
“ওই কবুল বল”
.
ভয়ে ভয়ে কবুল বলে ফেললাম । বিয়া হয়ে গেলো । তারপর সব লাইট অন করে দেওয়া হলো । আশেপাশে তাকালাম । দেখতে একদম আমার রুমের মতো লাগছিলো । এমা এটা ঠিকে আমারি রুম…
আমি- মানে কি হচ্ছে কি?
.
সবাই মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে ফেললো । একজন আমার বাবা , একজন অভির , একজন রাজ ভাইয়া , যার সাথে বিয়ে সে আর কেউ না অভি ?
.
.
আমি শকড….
.
এবার শক হয়ে জ্ঞান হারালাম । জ্ঞান ফিরলো যখন আমি একটা ঘরে । এটা নতুন ঘর । বাসর রাতের মতো সাজানো । দেখি সামনে অভি …..
আমি- এসব কি ? কেনো ? কীভাবে ? মানে কি ?
অভি- আহা এতো প্রশ্ন
আমি- আপনার মেঘ কই ? আর আপনি না আমাকে খারাপ…
অভি- চুপ একদম চুপ ( আমার মুখে হাত দিয়ে )
বেশি মহান তাই না তুমি । মা বললো আর শুনলে । মা তো না বুঝেই বলে ছিলো । সে নিজেও নিজের ভুল বুঝতে পারে পরে কিন্তু আমাকে বলে নাই ভয়ে যে আমি তার থেকে দূরে যাবো ।
আমি- তাহলে কি তোমাকে সব মা বলেছে ?
অভি- না
আমি- তাহলে ?
অভি- অর্নব বলেছে
আমি- কেমনে ওয় তো..
অভি- ও ভুল বুঝেছে নিজের । ও ই তোমার ডায়রি সব পড়ে আর আমাকে দেখায় তার কাছেই জানি সব । তারপর মা কে জিজ্ঞেস করি মাও স্বীকার করে ।
আমি- এ্যাা
অভি- হ্যা
আমি- মেঘ কই
অভি- ও নিজের ভুল বুঝেছে তাই ওরা অন্য শহর যাচ্ছে
আমি- বুঝলাম বাট কিডন্যাপ কেনো?
অভি- হেহে সোজা তো কথা শুনতে না তাই
আমি- ওওও
.
পাশে একটা লাঠি পেলাম ওটা দিয়া অভি কে পিটানো শুরু করলাম ।
অভি- আরে আরে মারো কেনো ?
আমি- আমি কতো ভয় পাইছি জানো ?
অভি- হাহা সরি
আমি- তোর সরির গুষ্টি কিলাই ।
.
ওকে মারতে গেলাম আর ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো ।
.
#শেষ
#কাল্পনিক_গল্প
#বাস্তব_নয়
হঠাৎ_পাওয়া
পর্ব_৪
Written by Avantika Anh
সামনে অর্নব কে দেখে আমি থেমে গেলাম । সেই নিরবতা ভেঙ্গে অভি আমার হাত ধরলো ।
.
আমি কিছু বললাম না । অভি আর আমি হেটেই যেতে লাগলাম । আমাদের দেখে…..
অর্নব- আরে আনহা যে এটা কে ২য় বফ নাকি
আমি- আমার ২য় বফ না আমার লাইফ পার্টনার ইনি ।
অর্নব- ও নাইস টু মিট ইউ ব্রো । আপনাকে দেখেছিলাম বিয়েতে । ওর কাজিনের ফ্রেন্ড তাই না ।
অভি- জ্বী
আমি- মি. অভি চলুন এখান থেকে
অর্নব- আরে আনহা এতো তাড়াহুড়া কেনো ? কোথাও যাবা নাকি ?
আমি- তা আপনাকে বলতে ইচ্ছুক না
অর্নব- তা মি. অভি আমি অর্নব + আনহার এক্স জানেন তো ? প্রায় ২ ইয়ার রিলেশন ছিলো তারপর আনহা বললো আমার সাথে নাকি ওর যায় না তাই ব্রেকআপ । আপনার অনেক টাকা আছে তো ?
আমি- মিথ্যে কথা এরকম কিছুই হয় না ও নিজেই আরেক মেয়ে…
অভি- ওয়েট আনহা । বলুন তারপর কি করছে মি. অর্নব ?
অর্নব- তারপর শুনলাম কলেজে নাকি এক ছেলের সাথে একা ধরা পড়েছিলো কি জানি কী যে করছিলো ?
অভি- বাহ আপনি তো দেখি কলেজের খবরও জানেন ।
অর্নব- না মানে শুনলাম
অভি- ও টাকার জন্য ছেড়েছে রাইট ।
অর্নব- হুম
অভি- ও যদি টাকার জন্য ছাড়তো ওর চোখে পানি হতো না । আপনার কথা আগেই শুনেছি আনহার কাছে । আপনাদের রিলেশন ছিলো ২ বছর । এখন ওর আর আমার যদি বিয়ে হয় আমরা পাশে থাকবো সারা জীবন । তা নিশ্চয়ই আপনার ২ বছরের থেকেও অনেক বড় আর কলেজের কথা, আনহা যে এরকম কিছুই করবে না এটা অন্তত আমি জানি বিশ্বাস আছে । আমি ওকে ভালোবাসি । ও যদি খারাপও হয় আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে বদলে দিবো ওকে । আপনার সাথে আর কথা বলার মন মানসিকতা আমার বা আনহার কারোরই নাই সো ইউ কেন লিভ । সত্যি যদি ওকে ভালোবাসতেন হারাতেন না । একটা সম্পর্ক সত্যের উপরই টিকে । বিশ্বাস রাখুন আপনিও কাউকে পাবেন ।
.
.
অর্নব আর কিছু বললো না । আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে । কষ্টেরও আবার খুশিরও । কষ্ট এই জন্য এমন একজন কে বিশ্বাস করছিলাম আর খুশি এই জন্য এমন একজন কে পেয়েছি । সেদিন ভার্সিটি অব্দি আমি বা অভি কেউ ই কোনো কথা বললাম না ।
.
.
ভার্সিটি শেষে বাইরে দেখি অভি দাড়িয়ে ।
আমি- আপনার কাজ নাই ?
অভি- না বাবার অফিস তাই আর কি ।
আমি- তাই আর কি ইচ্ছা মতো ঘুরতেছেন ।
অভি- না মানে আর কি ।
আমি- না মানে মানে করেন কেন ?
অভি- তুমি কি আমাকে বকছো ?
আমি- হিহি না মজা করছিলাম।
অভি- তুমি তো ভয় ই পাওয়ায় দিলা । মনে করলাম আমি একটা কড়া বউ পাবো
আমি- আমি তো কড়াই
অভি- কিইইই
আমি- হিহি হু একটু
অভি- আচ্ছা আমি শুনমু নে কড়া বউ এর কথা
.
ফেরার পথে…..
বৃষ্টি এলো
আমি ভিজতে লাগলাম ।
অভি- ইস গাড়িটা আনলেই পারতাম । এখন ঠান্ডা লাগবে ।
আমি- আরে মাঝে মাঝে ভেজা ভালো । জানেন না?
অভি- আহা কি রোমান্টিক
আমি- হুম তো
.
সেদিন আমি আর অভি ভিজেই ফিরলাম ।
.
রাতে অভির ফোন এলো
আমি- হা…হা..চ্চি
অভি- বলছিলাম ঠান্ডা লাগবে
আমি- এইটুকু ব্যাপার না হা..চ্চি
অভি- হুম তাই তো হাচ্চি দিচ্ছো
আমি- আপনার ঠান্ডা লাগে নি কেন ?
অভি- আমি গরম চা খেয়েছিলাম তাই ঠান্ডা কম লেগেছে ।
আমি- এ্যা ভালো আইডিয়া যাই গা আমিও চা খামু রাখি
অভি- হাহা যাও
.
এভাবে কিছু দিন যেতে লাগলো । কিন্তু সব যে ভালো হবে তা তো নয় ।
.
একদিন শুনলাম অভির কোন এক কাজিন সুইসাইড এর চেষ্টা করেছে তাও অভির জন্য ।
আমিও গিয়েছিলাম দেখতে । মেয়েটির বাবা মা অভিকে দেখেই রিকোয়েস্ট করতে লাগলো যেন অভি ওই মেয়েকে বিয়ে করে ।
মেঘলার (মেয়েটার নাম) আব্বু- মা তুমি বুঝো প্লিজ
আমি কিছু বললাম না । তারা অনেক রিকোয়েস্ট করলো । মেয়েটা অভির খালার মেয়ে । সেদিন রাতে অভির মা ফোন দিয়েছিলো ।
অভির মা- মা শুনো
আমি- জ্বী বলুন
অভির মা- তুমি জানোই মেঘলা আমার বোনের মেয়ে । আমার বোন বলেছে তার কথা যদি না শুনি তাহলে সব সম্পর্ক শেষ । প্লিজ মা আমি কি করবো বলো ?
আমি- আন্টি সম্পর্ক খুব বড় । সে আপনার বোন নিতান্তই তার অধিকার বেশি । আপনি তার কথাই শুনুন
অভির মা- কিন্তু অভি তো মানতেই চাচ্ছে না ।
আমি- আমি ঠিক করে দিবো সব । কিন্তু ওকে বলিয়েন না কখনো
অভির মা- ধন্যবাদ মা । তোমার এই ঋণ আমি কোনোদিন শোখারাপ?ে পারবো না ।
আমি- মেয়ে ভাবেন না আমাকে ?
অভির মা- হুম
আমি- এতেই হবে
অভির মা- ধন্যবাদ
আমি- আল্লাহ হাফেজ ।
.
রাতে অনেক সময় ধরে কাঁদলাম । এমনি কি হওয়ার ছিলো ?
.
সেদিন রাতে অর্নবকে ফোন করলাম হেল্প এর জন্য সব জানালাম আর ও রাজিও হয়ে গেলো । কারণ ও আমাকে পেতে চেয়েছিলো ।
.
পরেরদিন যথারীতি অর্নব অভি কে মেসেজ দিলো- “আমাকে বিশ্বাস করেন নি তো । আজ …. এখানে আসুন সব প্রমাণ পাবেন ও ভালো নাকি খারাপ”
.
অর্নব আর আমি পৌছালাম । অভি কে আসতে দেখেই-
আমি- এটাই তো চাচ্ছিলাম । একটা বড়লোক কে পটায় । বিয়েটা হোক তারপর ওর সব টাকা নিয়ে ওকে ডিভর্স দিয়ে দিবো । আমি তো তোমাকেই ভালোবাসি বাবু ।
অর্নব- আমি তো জানি সোনা ।
.
অভি এসেই আমাকে থাপ্পর মারলো ।
অভি- তুই একটা নষ্টা মেয়ে । আমার প্রথমেই বোঝা উচিত ছিলো । তুই তো আমার যোগ্যই না রে ।
.
আমি কিছু বললাম না ।
.
বিয়েটা ভেঙ্গে গেলো । কাউকে কিছু বললাম না । সবাই জানে যে আমি যা করবো ভালোই করবো । কিছু জন ভুল বুঝলো । আমার মায়ের জোড় করায় তাকে সব বলে দিলাম আর মানা করলাম সে যেনো কাউকে কিছু না বলে ।
.
কিছুদিন পর রাস্তায় অভি পর মেঘলা কে একসাথে দেখলাম । অভি মুখ ঘুরিয়ে নিলো । আমার সাথে অর্নব ছিলো । ও দেখলো আমার চোখে পানি । কিন্তু ও কিছু বললো না ।
.
চলবে….