Wednesday, June 18, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2449



ঝগড়াটে_ভালোবাসা _পর্ব_৪

0

ঝগড়াটে_ভালোবাসা
_পর্ব_৪
Written by Avantika Anh
রাতে এফ বি তে….
মেঘ বালক অনলাইন দেখলাম । আমার মেসেজের রিপ্লাই ও দিয়েছে ।
মেঘ বালক- মনে হলো আপনাকে হুতুম পেঁচা লাগছে ।
আমি- বললেই হলো
মেঘ বালক- বললে যদি সব কিছু হতো তাহলে তো হতোই ।
আমি- মানে ??? বুঝি নি ।
মেঘ বালক- পিচ্চি মানুষ তো বুঝবেন ই না
আমি- ইইইই কে কইছে আমি পিচ্চি?
মেঘ বালক- তা কি বুড়ি ?
আমি- না আমি পেত্নি ।
মেঘ বালক- আচ্ছা মিস পেত্নি ।
আমি- দুরররর
.
অফলাইন হলাম আমি । রাত হয়েছে তাই ঘুমিয়ে পড়লাম । সকালে দেখি আমার গায়ে পানি ঢালতেছে শুভ ভাইয়া কিন্তু কেমনে সম্ভব আমি তো দরজা লাগাইছিলাম । এমা আমার হাত বাঁধা । পা দিয়া ভাইয়ারে লাথ মারলাম ।
.
শুভ- হেহে কাল কি করছিলি মনে নাই ?
আমি- তাই বলে তুই এমনে ?
শুভ- হ
আমি- কিন্তু ভিতরে ঢুকলি কেমনে ?
শুভ- জানালা দিয়ে
আমি- এরপর থেকে অফ রাখবো ।
শুভ- আমি তবুও ঢুকবো ।
আমি- কেমনে সম্ভব ?
শুভ- সব সম্ভব
আমি- দুররর হাত খুল
শুভ- আরও এক বালতি ঢালুম তারপর ।
আমি- কিইইই দ্বারা মামনি কে ডাকমু ।
মাম….
.
( মুখে হাত দিয়া আটকায় দিলো শুভ ভাইয়া )
শুভ- ডাকিস না রে সরি
আমি- খুল
শুভ- দ্বারা
.
যেই খুললো পাশে থাকা এক বালতি পানি শুভ ভাইয়ার গায়ে আমি ঢালে দিলাম ।
শুভ- হারামি
আমি- ইটস আনহা নট হারামি
শুভ- কুত্তি
আমি- আমি মানুষ
শুভ- তুই তো মানুষ ই না তুই পেত্নি
আমি- কইলেই হইলো
শুভ- হ
.
আমি- হুরর হালা আমার এখন ঠান্ডা লাগবে
শুভ- মাঝে মাঝে ঠান্ডা লাগা ভালো ।
আমি- দুর হ
শুভ- ১০ টায় যাবি বিদায় অনুষ্ঠানে
আমি- হু
.
তারপর রেডি হয়ে শুভ ভাইয়ার সাথে গেলাম ।
.
এক কাউকে চিনি না দুই‌ সব কেমনে জানি তাকায় আছে ।
.
আমি- ওই আমাকে কি ভুতনি লাগছে ?
শুভ- হ
আমি- সিরিয়াস
শুভ- হ সত্যি ভুতনি লাগছে
আমি- এই জন্য আমি শাড়ি পড়ি না ।
শুভ- হেহে ভালোই লাগছে
আমি- মিছা কথা বলতেছিস
শুভ- সত্য বললেও‌ দোষ । হ তুই পেত্নি
আমি- ও তাইলে সিওর যে ভালাই লাগতাছে থেংকু
শুভ- কেউ আমারে মাইরালা
আমি- দ্বারা চাকু আনি
শুভ- চাকু দিয়া কি করবি ?
আমি- কেনো তোরে মাইরালাম ।
শুভ- কুত্তি
আমি- হিহি
শুভ- আয় সেল্ফি তুলি
আমি- না
শুভ- আমি তো তুলুম ই ।
আমি- হুরররর
.
.
কিছু সময় পর শুভ ভাইয়া তার বন্ধুদের সাথে কথা বলতে গেলো আমি একা বসে ছিলাম । কিছু সময় পর একটা ছেলে কই থেকে এসে পাশে বসলো ।
ছেলেটি- হাই আমি সজিব তুমি?
আমি- নাম জেনে কি করবেন ?
সজিব- Cool attitude . I like this .
আমি- ও
সজিব- তুমি খুব কিউট
আমি- থেংকু
সজিব- কিসে জানি পড় ?
আমি- টেবিলে
সজিব- তুমি অনেক ফানি
আমি- ওওওও
সজিব- এই তোমার নাম্বার টা দেও না‌
আমি- আমার ফোন নাই
সজিব- এড্রেস?
আমি- এই মাটিই আমার ঠিকানা
সজিব- এই বলো না
আমি- নাম আনহা এইচএসসি দিবো সামনে আর কিছু?
সজিব- ওয়াও নাম্বার টাও দেও না ।
.
.
(রাগ উঠে গেলো । যেই জবাব দিতে যাবো শুভ ভাইয়া এলো )
.
শুভ- কে এই ছেলে ?
সজিব- আমি সজিব তুমি কে ?
আমি- আমার বর সে ।
শুভ- এ্যা
আমি- জানু কই গেছিলা তুমি ?
সজিব- নাইস কাপল (সজিব কেটে পড়লো)
.
.
শুভ- কি রে কি কইলি এইটা?
আমি- আরে‌‌ ওই পোলা চিপকু ছিলো । বাঁচার জন্য মিথ্যে বললাম ।
শুভ- হাহা ব্রিলিয়ান্ট বউ আমার ?
আমি- কে তোর বউ ?
শুভ- কেনো তুই ।
আমি- আমার ঘাট হয়েছে । কেন যে তোরেই কইলাম । এখন মজা নিচ্ছিস
শুভ- কেনো বউ?
আমি- ওই আমি কিন্তু চলে যাবো ।
শুভ- হুর মজাও নেওয়া যায় না ।
আমি- হিহি
.
.
.
বিদায় শেষে বাড়ি ফিরলাম…
তার ২ দিন পর আমি বাড়ি চলে এলাম । ছুটি শেষ তাই । যাওয়ার আগে সবার মন খারাপ ছিলো কিন্তু শুভ ভাইয়া কেনো জানি সামনে আসে নি সেদিন । প্রতিবা‌রই এমন হয় । আমি ফিরার সময় শুভ ভাইয়া আর সামনে আসে না ।
.
.
আমি আবার সেই আগের মতো ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ১ মাস পরে খবর পেলাম শুভ ভাইয়ার বিয়ে । হঠাৎ বিয়ের কারণ কি জিজ্ঞেস করতে মামনি বললো ভাইয়ার বিদেশ যাওয়ার আগেই নাকি বিয়ে দেওয়া দরকার ।
.
গিয়েই…
আমি- কি রে বিয়ে করতেছিস যে ?
শুভ- তোর কোনো সমস্যা ?
আমি- না সরি
শুভ- যা এখান থেকে
আমি- আচ্ছা
.
হঠাৎ শুভ ভাইয়ার এমন ব্যবহারের কারণ কি বুঝলাম না । সেদিন রাতে আবার কথা বলতে গেলাম ।
আমি- তুই দিনদিন ভুত হচ্ছিস ।
শুভ- হইলে হবো তোর লাগে নাকি ?
আমি- না মানে
শুভ- কি মানে মানে কিছু বলার থাকলে বল নইলে যা । জ্বালাবি না একদম ।
আমি- আচ্ছা সরি ।
.
এই কথা গুলো শুনে চলে এলাম । শুভ ভাইয়া কোনোদিন আমার সাথে এমন ব্যবহার করে নি । কেনো যে হঠাৎ এমন হলো ।কেঁদে ফেললাম কিন্তু নিশ্চুপ ভাবে ।
.
চলবে….

ঝগড়াটে_ভালোবাসা _পর্ব_৩

0

ঝগড়াটে_ভালোবাসা
_পর্ব_৩
Written by Avantika Anh
আমি- হারামি কি করলি এগুলো ?
শুভ- ভালোই তো লাগতেছে ।
আমি- হ হুতুম পেঁচার মতো ।
শুভ- ওমা তুই হুতুম পেঁচা বাহ ভালো নাম তো ।
আমি- হুর হালা ।
শুভ- হলুদ মাখছিস বিয়াটাও কইরালা ।
আমি- হুররর
শুভ- আমি ঘুমামু দুরর হ তুই পেত্নি ।
আমি- তুই রাক্ষস আর তোর বউ পেত্নি
শুভ- হেহে তুই ই বউ
আমি- তোর বউ হইতে আমার বয়েই গেছে ।
শুভ- হেহে আমিও তোর মতো খরগোশ কে বিয়া করুম না ।
আমি- শয়তানননননন
শুভ- যা তো ঘুম পাইছে ।
আমি- কাল দেইখা নিম ।
শুভ- হ দেখিস । এতো কষ্ট কইরা চেহারার যত্ন নেই । একটু দেখিস ।
আমি- তুই দিন দিন বান্দর হয়ে যাচ্ছিস মামনি কে বলা লাগবে ।
শুভ- তুইও দিন দিন বান্দর হয়ে যাচ্ছিস ।
আমি- তোর সাথে কথা বলাই ভুল । গুড নাইট
শুভ- হ যা ।
.
.
রাতে একটু এফবি এ ঢুকে স্ট্যাটাস দিলাম ।
.
“বিয়ে বাড়িতে হলুদে হলুদ হয়ে গেছি”
.
রাতে ঘুমিয়ে গেলাম । সকালে তাড়াতাড়ি নিজে থেকেই উঠলাম আজ শুভ ভাইয়ার উপর শোধ তুলবো । যেই ভাবা সেই কাজ । এক বালতি পানি নিলাম । শুভ ভাইয়া আরাম কইরা ঘুমাচ্ছিলো আর আমি দিছি ঢালে ।
শুভ- আনহা তোরে আমি খাইছি আজ
আমি- হিহি
.
বইলা দৌড় । শুভ ভাইয়া পিছু পিছু আইতেছিলো । পানিতে ভিজা ছিলো তাই পড়ে গেছে । আমি ভালো ভেবে উঠাতে হাত বাড়ালাম । কিন্তু ভাইয়া আমাকে টান দিয়া ফেলায় দিলো । ( কি ভাবছেন রোমান্টিক সিন । আরে না অন্য সাইডে পড়ছি । এতো রোমান্টিক কিনু আপনেরা )
.
আমি- আল্লাহ গো । ফেললি কেন ?
শুভ- তুই আমাকে ভিজাইছোস কেন ?
আমি- এতোদিন আমাকে কতো জ্বালাইছোস ?
শুভ- তোরে আমি কাল সকালে দেইখা নিমু আনহা ।
আমি- হেহে ওকে দেখিস । আমিও দিন দিন সুন্দর হচ্ছি দেখ ভালো কইরা দেখ ।
শুভ- আমার ডায়লগ আমারে
আমি- হ
.
এমন সময় মামনি এসে পড়লো ।
মামনি- কি রে তোরা মাটিতে পড়ে আছিস কেনো ?
আমি- শুভ ভাইয়া আমাকে ফেলায় দিছে
শুভ- না মা এই আনহা টাই তো… ( কথা পূর্ণ করতে দিলো না মা )
মামনি- তুই ই কিছু করছিস মনে হয় । আমার আনহা মা কতো ভালো ।
শুভ- যাক বাবা মা একটা সত্যি কথা বলো আমি ই তোমাদের ছেলে তো ?
মামনি- না তুই তো মানুষের ছেলে । আনহা আমার মেয়ে ।
শুভ- হায় রে এই বয়সে এটা শুনতে হইলো ।
আমি- হিহি ওই রাস্তার ছেলে কাজ কাম নাই আমার কাপড় একটু ধুয়ে দে
শুভ- আনহার বাচ্চি দ্বারা রে
.
এটা শুনার সাথে সাথে আমি দৌড় । পিছনে শুভ ভাইয়াও দৌড় ।
মামনি এদিকে হাসছে আর ভাবছে “এরা দুইটা যে কবে ভালো হবে আর কবে আমি আপুর ইচ্ছে টা পূরণ করবো কে জানে ?”
.
.
ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে……
.
শুভ- ওই হালি খাচ্ছিস নাকি না ।‌ এতো কম কে খায় ।
আমি- কেনো আমি খাই ।
শুভ- এই জন্যই তো এতো পড়ে যাস
আমি- কইলেই হইলো ।
খালু- তোরা দুইটা কবে ঠিক হবি ?
আমি- খালু দেখো সব দোষ ওর ।
খালু- হুম রে মা । শুভ আনহা কে কিছু বলবি না । ও যা করছে করুক ।
আমি- থেংকু খালু আই লাভ ইউ ।
খালু- আই লাভ ইউ টু মা । তোর পড়ার খবর কি ?
আমি- এই তো সামনে এইচ এস সি পরীক্ষা । ( মা এর মৃত্যুতে আমি একটু পড়ায় পিছিয়ে পড়ি)
খালু- শুভ তোর পড়া কেমন ?
শুভ- এইতো এটাই লাস্ট ইয়ার তারপর ভাবছি বিদেশ যাবো ।
খালু- এখন তো ভাবছি তোর বিয়ে দিয়ে দিবো ।
শুভ- যাও তো কি বলি এসব ।
আমি- হুম খালু দিয়ে দাও । দিন দিন বুড়া হয়ে যাচ্ছে শুভ ভাইয়া ।
শুভ- ওই চুপ কর নইলে তোরেই বিয়া করুম
আমি- এহ আইছে ।
মামনি- কথা টা কিন্তু খারাপ না ।
আমি- ইইইইইই আমি বিয়া করুম না ।
.
বলে চলে আসলাম । খাওয়া শেষ তাই । আজ কোনো অনুষ্ঠানে যেতে হবে না কারণ আজ মোহর আর শুভ ভাইয়ার কোনো কাজ নাই ।
.
রুমে এসে ফেসবুকে ঢুকলাম ।
.
কমেন্টে দেখলাম মেঘ বালক আইডির ছেলেটা কমেন্টে আমাকে হুতুম পেঁচা বলছে । তার ইন বক্সে গিয়ে বললাম “আপনি হুতুম পেঁচা দুররর হন”
.
.
কিছু সময় পর একটা গল্প দিয়ে চলে আসলাম । গোসল শেষে আয়নায় তাকাতেই দেখলাম আমার মুখ আর হাত হলুদ হয়ে আছে । ওতোটা খারাপ লাগছে না কিন্তু আমার নিজেকে নিজের কাছে কেমন ভুতনি ভুতনি লাগছে । এমন সময় শুভ ভাইয়া আসলো ।
শুভ- পেত্নি তুই যতোই নিজেকে দেখ খরগোশ ই থাকবি ।
আমি- তুই নিজে যে বান্দর
শুভ- তুই বান্দরনি
আমি- তুই গরু
শুভ- তুই গাভী
আমি- তুই চিকা
শুভ- তুই চিকি
আমি- চিকি কি ?
শুভ- আমি কি জানি ? ওটার লেডিস ভার্শন কি আমি জানি না তাই চিকি বললাম ।
আমি- হায় রে
শুভ- হেহে
আমি- ওই শুন না
শুভ- বল কি চাস ?
আমি- তুই কেমনে বুঝলি আমি কিছু চাই
শুভ- তোকে আমি চিনি
আমি- ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছে খাওয়া না‌
শুভ- যা রেডি হ । তুই ও কি মনে রাখবি কোন মহাপুরুষ আমি ।
আমি- হ তুই তো লুঙ্গি পুরুষ‌
শুভ- ওই আমি লুঙ্গি পড়ি না
আমি- হিহি মিথ্যুক খালু তোকে পড়াইছিলো জোড় করায় রাতে ।
শুভ- তুই কেমনে জানলি ?
আমি- আমিই পাঠাইছিলাম খালু রে আর তোর একটা পিক ও তুলছি ওমনে ।
শুভ- হারামি
আমি- হেহে
শুভ- ফুচকা কে খাওয়ায় দেখ ।
আমি- নিজেই আনতে পারুম ।
শুভ- যা যা
.
আমি রাস্তায় বের হয়ে কিছু দুর হাটতেই শুভ ভাইয়া চলে আসলো ।
আমি- আসবি না বলে ?
শুভ- ভাবলাম আমার হবু বউ হারায় গেলে কারে বিয়া করুম ?
আমি- ওই কে তোর বউ?
শুভ- কে আর তুই ।
আমি- ওই আমি তোর বউ না
শুভ- হেহে তুই ই আমার বউ ।
আমি- যা ভাগ দুর হ ।
শুভ- না গো জানু ।
আমি- ওই তুই ঠিক আছিস নাকি পাগল হইলি
শুভ- ঠিক ই আছি
.
ওই‌ আগা জ্বলদি বাড়ি ফিরবো তোরে খাওয়ায় আমি বাইরে যামু একটু পর ।
.
দোকানে….
খাওয়া শেষে শুভ ভাইয়ার প্লেটের দুইটা ফুচকা তুইলা নিছি ।
শুভ- হারামি আমার ফুচকা দে
আমি- দিমু না এই দেখ খাইয়া নিলাম ।
শুভ- হুরর শয়তান
আমি- হিহি
.
বাড়ি ফিরে এলাম ।
.
চলবে…….
.

ঝগড়াটে_ভালোবাসা _পর্ব_২

0

ঝগড়াটে_ভালোবাসা
_পর্ব_২
Written by Avantika Anh
বাড়িতে এলাম….
শুভ- আনহা
আমি- হুম বল
শুভ- কোথাও না বলে যাস না ।
আমি- হিহি কেনো ?
শুভ- বাচ্চামি বিহেভ বন্ধ কর
আমি- তুই আমাকে এভাবে বলতে পারলি
শুভ- হুম পারলাম
আমি- আই হেট ইউ
শুভ- হাহা
.
চলে এলাম…..
বিকেল বেলা ছাদে বসে ছিলাম । কে যেন আইলো তাকায় দেখি শুভ ভাইয়া কিছু বললাম না ।
শুভ- কি রে মোটি ছাদে কি করিস ?
আমি- আমি মোটি কেমনে আমি অনলি ৪৫ কেজি মোটু তো তুই ৬০ কেজির আটার বস্তা ।
শুভ- মার খাবি
আমি- হিহি আমিও মারতে পারি
শুভ- কাতুকুতু দিমু
আমি- খামচায় দিম
.
.
শুভ ভাইয়া যেই কাতুকুতু দিতে আসবে আমি খামচায় দিলাম ।
শুভ- পেত্নিইইইই
.
আমি পালায় আসলাম ।
শুভ ভাইয়া পিছু পিছু আসলো।
শুভ- হারামি
আমি- হিহি
শুভ- তুই বাড়ি গেলেই বাঁড়ি গেলেই বাঁড়ি গেলেই বাঁচি
আমি- খুব জ্বালাই কি তোমাদের ? (কথা টা শুনে মন খারাপ হলো)
শুভ- হায় আল্লাহ এই টা কার পাল্লায় পড়লাম । সরি মাইন্ড করিস কেনো ? আমি ওভাবে বলছি
আমি- হিহি বাদ দে । গফ এর লগে কবে দেখা করাবি ?
শুভ- আমার আর গফ
আমি- মিছাবাদী সেদিন ডায়রি এ মেঘ পরির কথা পড়লাম । কে এইটা রে?
শুভ- হারামি চোর আমার ডায়রি পড়িস
আমি- হিহি
শুভ- তোকে তো আমি খাইছি আজ
আমি- ওই মামনি কে বলে দিবো
শুভ- এই একটা পাইছিস হারামি দেখে নিবো আমিও ।
আমি- হিহি পারবি না
.
শুভ ভাইয়া চলে গেলো ।‌
বিকেলে বোর লাগছিলো তাই ফেসবুকে ঢুকলাম । কমেন্ট চেক করছিলাম । একটা আইডি আজব কমেন্ট করছে ।
(কেমন আছো গো ভুলে গেলা কীভাবে আমাকে ?)আমি রিপ্লাই দিলাম
-“কে আপনি?”
-“চিনলে না”
-“মানে?”
-“ইনবক্সে দেখো বলছি”
-“আমি ইনবক্সে বেশি যাই না”
-“আসো ইম্পরটেন্ট কথা”
.
কি ভেবে ইনবক্সে গেলাম ।
-বলুন কি বলবেন ?(আমি)
-হেহে(মেঘ বালক)
-আজব হাসির কি?(আমি)
-আল্লাহ রে এতো খাটাস কিনু লেখিকা ম্যাম(মেঘ বালক)
-না কি বলবেন বলেন(আমি)
-কিছু না আপনি সেই কিউট(মেঘ বালক)
-কই দেখলেন?(আমি)
-মনের চোখে(মেঘ বালক)
-হাহা ওকে বাই(আমি)
.
অফলাইন চলে আসলাম । রাত হয়েছিলো কিন্তু আমার খেতে ইচ্ছে করছিলো না । তাই যাই নাই ।
কিছু সময় পর শুভ ভাইয়া এলো ।
শুভ- কি রে মটু খাইতে আসলি না যে?
আমি- খেতে ইচ্ছে করছে না
শুভ- হুর খা তো
আমি- না ভাল্লাগছে না
শুভ- তুই খাবি তো ঘাড় খাবে
.
শুভ ভাইয়া আমাকে থুসায় থুসায় খাওয়ায় দিলো ।
শুভ- শুন কাল আমরা ফ্রেন্ডরা পিকনিকে যাবো তুই গেলে যাইস ।
আমি- আচ্ছা
.
.
পরের দিন আমার জ্বর আসলো । জ্বরের কারণে সকাল সকাল উঠতেও পারলাম না ।
.
কিছু সময় পর শুভ ভাইয়া এলো । কয়েকবার ডাক দিলো কিন্তু আমি না উঠায় হাত ধরে টানতে লাগলো । হাত টা গরম লাগলো । চেক করে দেখলো গায়ে জ্বর ।
শুভ- ওই আনহা জ্বর কবে হলো?
আমি- কই জ্বর ?
শুভ- হারামি কই জ্বর দ্বারা আম্মু কে বলি ।
.
সেদিন আর শুভ ভাইয়াও কোথাও গেলো না আমি গেলাম না বলে । ২ দিন পর জ্বর ভালো হলো । এ দু দিন শুভ ভাইয়া আমার খেয়াল রাখলো ভালোই ।
.
.
জ্বর ভালো হওয়ার পর….
শুভ- ওই আমার পা টিপ ।
আমি- কেনো ?
শুভ- তোর এতো সেবা করলাম তাই ।
আমি- আমি বলছিলাম ?
শুভ- যা ভাগ আর কখনো তোর যত্ন নিবো না এই শেষ ।
আমি- হিহি শুন না ভাবির লগে পরিচয় করাবি কবে ?
শুভ- সময় হোক । আমার ফ্রেন্ডের বোনের বিয়ে লাগছে কাল থেকে সব অনুষ্ঠান শুরু তোকেও যাইতে বলছে রেডি থাকবি ।
আমি- আমি গিয়ে কি করবো ?
শুভ- বসে থাকিস তবুও যাবি
আমি- কি পইড়া যামু ?
শুভ- শাড়ি
আমি- কিইইইইইই
শুভ- হ
আমি- আ‌মি শাড়ি পড়ি নাকি?
শুভ- পড়িস না তো কি পড়লে কি হবে?
আমি- না
শুভ- তুই পড়বি প্লিজজজজজজজ রে
আমি- ওকে
.
পরের দিন…..
হলুদের অনুষ্ঠান ছিলো । এক আমি শাড়ি পড়ি নাই বেশি । ২ মাথায় কাগজের ফুলের কি জানি মামনি পড়িয়ে দিছে ওটা পড়ে আমার আজব লাগছিলো ।
.
বের হলাম রেডি হয়ে….
শুভ- আনহু
আমি- কি ?
শুভ- তুই এতো সুন্দর হইলি কবে থেইকা?
আমি- জন্ম থেইকা হিহি
শুভ- আইসে পেত্নি
আমি- আমাকে আজব লাগছে তাই না ?
শুভ- ভালোই লাগছে খালি একটাই সমস্যা
আমি- কি ?
.
.
শুভ ভাইয়া আমার চুল গুলো খুলে দিলো ।
আমি- কি রে চুল খুললি কেন ?
শুভ- এমনে ভালো লাগছে
আমি- হুর চল জ্বলদি তাইলে জ্বলদি ফিরবো
শুভ- যাইতে না যাইতেই ফিরার কথা । হায় আল্লাহ
আমি- শুন যাচ্ছি ঠিক আসার সময় কিটক্যাট দিবি কিন্তু
শুভ- হারামি ব্লাকমেইল
আমি- হ
.
বাইকে করেই যাচ্ছিলাম । অনুষ্ঠানে ঢুকতেই কিছু মানুষ বললো “দেখ কাপল টাকে মানাইছে তাই না”
আমি- ভাইয়া
শুভ- বল
আমি- দেখ আমাদের কাপল ভাবছে
শুভ- হাহা আমরা তো কাপলই
আমি- মজা ছাড়
শুভ- বাদ দে মানুষ কে ভাবতে দে
আমি- আচ্ছা ।
.
.
অনুষ্ঠান শুরু হলো হলুদ মাখামাখি হচ্ছিলো । শুভ ভাইয়া আর তার বন্ধুরা সবাই হলুদ মেখে ভুত হয়ে গেলো । শুভ ভাইয়া আমার কাছে আসতেই…..
আমি- হ শুভ ভাইয়া তুমি তো ভুত হয়ে গেছো । বিয়েটা করে ফেলো তুমিও
শুভ- খুব হাসি পাচ্ছে তাই না দ্বারা রে শয়তান ।
.
.
শুভ ভাইয়া হলুদ হাতে আমার দিকে আগাতে লাগলো ।
আমি- ওই বেশি হবে দিস না এসব
শুভ- আমি তো দিবোই
আমি- ওই না
.
আমি‌ এক পা করে পিছুতে লাগলাম আর শুভ ভাইয়া আমার দিকে এক পা করে এগুতে লাগলো । শেষ পর্যন্ত আমার মুখে হলুদ মাখিয়েই দিলো ।
আমি- কি করলি এইটা ?
শুভ- এখন তুই ও ভুত
আমি- শয়তান
.
বলেই আমি শুভ ভাইয়াকে আরো হলুদ মাখিয়ে দিলাম ।
.
শুভ- তবে রে
.
এভাবে হলুদ অনুষ্ঠান শেষ হলো আর আমরা বাড়ি ফিরলাম ।
.
.
চলবে……..

ঝগড়াটে_ভালোবাসা _পর্ব_১

0

ঝগড়াটে_ভালোবাসা
_পর্ব_১
Written by Avantika Anh
শুভ : শুন আমি তোকে বিয়ে করবো ।
আমি : আমি তোকে বিয়েই করবো না ।
শুভ : আমি তোকেই আমার বউ বানায় আমার পা টিপাবো তোকে দিয়ে ।
আমি : আমি বিয়ে করবো না
শুভ : করবি না ?
আমি : না
.
শুভ আমার হাতে কামড় বসিয়ে দিলো আর আমি কাঁদতে কাঁদতে চলে আসলাম বাইরের ঘরে ।
.
আমি : খালামনিইইইই
খালা : কি ?
আমি : শুভ ভাইয়া আমাকে কামড়াইছে ।
খালা : কেনো রে শুভ? (শুভ এর কান ধরে)
আমি : আমি বলছি আমি ওকে বিয়ে করবো না তাই ।
.
আমার কথা শুনে সবাই হো হো করে হাসা শুরু করে দিলো ।
খালা : কি রে এতো টুকু বয়সে বিয়ের প্লান । আগে বড় হ
শুভ : কিন্তু আমি আনহা কেই বিয়ে করবো
আমি : আমি করবো না
.
বলে ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলাম । এই কথা টি হয়েছিলো ১৫ বছর আগে । আমার বয়স ছিলো ৫ বছর আর শুভ ভাইয়ার ৮ বছর ।
.
সেই সময় টা হয়তো মজা ভেবেই সবাই উড়িয়ে দিয়েছিলো নাকি সত্যি জানা ছিলো না । সেই বছর রোড এক্সিডেন্টে আমার মা মারা যায় । বছর দুই এক পর যা হবার সৎ মা আসে । খারাপ ব্যবহার করে নি কিন্তু ওতো ভালো ব্যবহারও তার কাছে পাই নি । আম্মুরা দুই বোন ছিলো । তারপর খালু হয়ে যায় আব্বুর মতো আর খালামনি আম্মু । তাদের ভালোবাসায় কমতি পেতাম না । কিন্তু আব্বুর প্রতি এক ঘৃণা জন্ম নিলো । খুব বেশি একটা কথা হতো না ।
.
আমি আজ মামনির (খালা) বাড়ি গেলাম ।
.
আমি : আমি এসে গেছি ।
মামনি : বস বস
আমি : খালু কই?
মামনি : তোর জন্য দই আনতে গেছে ।
আমি : কি দরকার ?
মামনি : চুপ থাক তো । পড়া কেমন হচ্ছে ?
আমি : ভালোই বাট একটু প্রব্লেম হচ্ছে প্রাইভেট পড়বো মে বি ।
মামনি : শুভ আছে না ও ই পড়াবে ।
আমি : কিন্তু‌
মামনি : কোনো কিন্তু না রাতে আমি ওকে বলে দিবো ।
পরের দিন….
ঘুমাচ্ছিলাম । আমার উপর পানি ফেললো ।
চোখ খুলে দেখি শুভ ভাইয়া ।
আমি : শয়তান , ইঁদুর , বিলাই এটা কি করলি?
শুভ : আর কতো ঘুমাবি মটু হচ্ছিস তো ।
আমি : বললেই হলো
শুভ : হ এতো মোটা হইলে তো তোর বর তোরে তুলতেই পারবে না
আমি : তুই নিজের বউ এর কথা ভাব ভাগ এখান থেকে ।
শুভ : উঠে পড় আজ থেকে আমার কাছে পড়বি । পড়া না পারলে পিডানি খাবি ।
আমি : পিটা খালি তোরে আমি ছাড়ুম না
শুভ : ওলে ওলে যা রেডি হ
আমি : রেডি হয়ে কই যাবো ?
শুভ : বিয়ে করতে
আমি : কি
শুভ : সকাল সকাল মানুষ কই যায় ? কলেজ , স্কুল , ভার্সিটি বা অফিস ।
আমি : আমার কলেজ তো অফ আছে ।
শুভ : আমার ভার্সিটি তো খোলা । চল ঘুরতে যাবি ।
আমি : তোর সাথে যাবোই না রাক্ষস
শুভ : যাবি তুই তোর ঘাড় যাবে । এখনি রেডি হ নইলে কাতুকুতু
আমি : না
শুভ : দাড়া রে ।
আমি : না
.
বইলা দৌড় । শুভ ভাইয়ার ভরসা নাই কখন যে কি কইরা ফেলে ।
.
রেডি হয়ে…
আমি আসতে আসতে নামতেছি । পিছন থেইকা
শুভ : বাছাধন আমার হাত থেকে তোমাকে কেউ বাঁচাইতে পারবে না ।
.
.
হঠাৎ পিছন থেকে এমন কথা শুইনা আমি পড়ে যেতে ধরলাম । কিন্তু কে জানি হাত টা ধরে ফেললো ।
.
শুভ ভাইয়া হাত ধরেছিলো । টেনে তুললো ।
শুভ : বাহ আজকাল তো পড়তে পড়তে চলিস
আমি : তোর জন্য তো
শুভ : মটু হচ্ছিস যে তাই
আমি : হুহ হই নি
শুভ : হচ্ছিস । খাওয়া কমা ।
আমি : মামনি দেখো তো আমাকে মটু বলছে
মামনি : ওই শুভ মার খাবি
শুভ : না আমি ভার্সিটি যাবো আনহা কে নিয়ে
মামনি : হুম যা ঘুরিয়ে আন ।
শুভ : হুম ।
.
কোনো উপায় নাই যেতেই হবে । খাবার টেবিলে ।
শুভ : বসে আছিস কাজ করিস না কেন ? যা আমার জন্য পানি আন ।
আমি : তোকে আমি দেখে নিবো । ( আস্তে বললাম কেউ শুনলো না )
.

পানি আনলাম কিন্তু লবণ দিয়ে ।
.
শুভ পানি খেয়ে কাশি দিতে লাগলো
মামনি : কি হইলো
শুভ : না কিছু না ( একটু লুক দিয়া আমার দিকে তাকাইলো । কারণ সে জানে এটা আমার ছাড়া আর কারো কাজ না )
মামনি : খা
.
খাওয়া শেষে আমি আর শুভ ভাইয়া বের হলাম ।
শুভ : চল বাইকে যাই ।
আমি : না অটো নে
শুভ : আরে ন্যাকামি করিস কেন ? তোর বফ দেখবে না ।
আমি : বফ নাই আমার
শুভ : জানি তো (আস্তে )
আমি : কি
শুভ : চুপচাপ চল
আমি : হুহ
.
চুপচাপ বসলাম । একটু হলেও ওরে আমি ভয় পাই তাই বসলাম ।
.
ভার্সিটি তে….
সবাই এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেনো আমি এলিয়েন । কিছু মানুষ তো আমাদের কাপল ভাবতেছে ।
.
কিছু মানুষ আসলো ।
একজন : কি রে ভাবি নাকি ?
শুভ : আরে না খালাতো বোন
একজন : তো ভাবি হতে কতক্ষণ ?
.
আমি রেগে শুভ ভাইয়ার দিকে তাকালাম । সে বুঝতে পেরে ।
শুভ : ওই মজা করিস না ডাইনি টা রেগে যাবে ।
এক আপু : আরে রাগবে কেনো ? আপি তুমি মাইন্ড করো না এরা এমনি ফাজিল ।
আমি : না ব্যাপার না ।
শুভ : দোস্ত চল আজ নদীর পাড়ে যাই ।
একজন : কিন্তু ক্লাস ?
শুভ : আরে ছাড় তো একদিন না করলে কিছুই হবে না ।‌ আনহাকে নিয়ে আজ প্রথম ভার্সিটি আসলাম । ও তো আসতেই চায় না । না ঘুরিয়ে আমি ছাড়বো না ।
সবাই : আচ্ছা চল ।
.
সেখানে সবাই গল্পে ব্যস্ত ছিলো । আমার একটু একা একা মনে হলো । পাশে একটু দূরে একটি ফুল গাছ দেখতে পেলাম । ভাবলাম নিয়ে আসি এরা গল্প করুক । যেই ভাবা সেই কাজ ।
.
আমি যেয়ে ফুল পাড়ানোর চেষ্টা করলাম । কিন্তু আমার হাতের নাগালের একটু দূরে হওয়ায় পারছিলাম না । হঠাৎ পড়ে যেতে ধরলাম কিন্তু কে জানি ধরে ফেললো ।
.
শুভ : না বলে এলি কেনো ? এখনি পড়লে কি হতো তোর । এতো কেয়ারলেস কেনো তুই ।
আমি : সরি
শুভ : কি সরি ফুল ছিঁড়তেও তো পারিস না পিচ্চি মেয়ে ।
.
শুভ ভাইয়া ফুল টা ছিড়ে দিলো আমাকে ।
আমি ফুল পেয়ে হাসি দিয়ে….
আমি : থেংকু রে
শুভ : পিচ্চি মেয়ে
আমি : না আমি পিচ্চি না
শুভ : তা কি বুড়ি ?
আমি : না আমি বুড়িও না
শুভ : আগে সিওর হ তুই কি ?
আমি : হুহ
.
.
হঠাৎ পিছন থেকে শুভ ভাইয়ার এক ফ্রেন্ড এলো ।
সে : কি রে আমাদের ছেড়ে এখানে কি করো তোমরা ?
শুভ : ফুল ছিঁড়ি
সে : তাই নাকি
শুভ : হুম চল তো
সে : কথা ঘুরানো হচ্ছে
শুভ : মার খাবি ?
সে : না
.
আমরা সেদিন ঘুরে বাড়ি ফিরছিলাম ।
আমি : বাইক থামা
.
বাইক থামিয়ে…..
.
শুভ : কি হলো ?
আমি : আইসক্রিম কিনে দে না
শুভ :‌ কুত্তি আইসক্রিমের জন্য বাইক থামাইলি
আমি : হুম দে না
শুভ : যা ভাগ দিবো না
আমি : দে না
শুভ : না
আমি : আচ্ছা
.
মন খারাপ করে চুপ হয়ে গেলাম । কিন্তু শুভ ভাইয়া গিয়ে আইসক্রিম আনলো ।
শুভ : যা নে তুই ও কি মনে রাখবি কোন দয়ালু আমি
আমি : থেংকু হিহি
শুভ : ওই দুইটায় কেন মুখ দিলি
আমি : ও দুইটা আমার না ?
শুভ : হালি আমি খাবো না ?
আমি : ও নে এটা খা
শুভ : মুখ লাগায় কইতাছিস এটা খা
আমি : হিহি তাইলে আমিই খাইলাম দুইটাই ।
শুভ : না দে আমি খাবো
আমি : এমা তুই আমার এটো খাইলি ।
শুভ : ব্যাপার না
.
চলবে……..

টেম্পরারি_বিয়ে _৯_এবং_শেষ_পর্ব

0

টেম্পরারি_বিয়ে
_৯_এবং_শেষ_পর্ব
Written by Avantika Anh
পরেরদিন আবির উঠে দেখে আহান পাশে নেই । আনহা কেও দেখছে না ।
আবির : আনহা ( ডাক দিলাম )
আমি : বলুন
আবির : ও তুমি আছো ।
আমি : কি দরকার ?
আবির : ভিডিও কল
আমি : মানে ?
আবির : আরে মা কে দেখাবো তার নাতি কে ।
আমি : ভালো ।
.
.
আবির ভিডিও কল দিলো আরোহি কে
.
আরোহি : হুম ভাইয়া বল
আবির : তোর ভাগিনা হইছে রে
আরোহি : সত্যি ?
আবির : হুম
আরোহি : কই ও ? নাম কি ?
আবির : আহান । এই দেখ ( আহান কে দেখিয়ে )
আরোহি : ভাইয়া কতো কিউট । একদম ভাবির মতো । ভাবি কই ?
আবির : আছে কিন্তু এখনো রাজি হয় নি ।
.
ওই ভাবির মতো মানে ? আমার মতো হয় নি ?
আরোহি : না ফুল ভাবির মতো । ভাবি কে ফোন দে ।
আবির : নে
.
.
.
আমি : হুম আরোহি বলো ।
আরোহি : ভাবি ভাইয়া অনুতপ্ত । ওকে ক্ষমা করে দাও ।
আমি : কিছু জিনিসের ক্ষমা হয় না আরোহি ।
আরোহি : হুম কিন্তু
আমি : কোনো কিন্তু না ।
.
ফোন টা আবির কে দিয়ে দিলাম ।
.
আবির : এখন কি করবো বল ?
আরোহি : আইডিয়া আছে ।
আবির : কি
আরোহি : ……………. ( আইডিয়া বললো )
.
পরেরদিন আমি অফিসে গেলাম । আবির ফোন করলো ।
.
আমি : হুম বলুন ।
আবির : আনহা আম্মু অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছে । ( মিথ্যা কথা । আরোহির প্লান )
আমি : কিইইই ? কিভাবে ? কই সে ? এখন কেমন আছে ?
আবির : ওতো ভালো না । আমি বাংলাদেশে ফিরছি । সে ইচ্ছা প্রকাশ করছে তোমাকে আর আহান কে দেখার । তুমি আসলে ভালো হয় ।
আমি : ওকে আমি এখনি ব্যবস্থা করছি ইমার্জেন্সি ভিসা আর টিকিট এর ।
আবির : হুম ।
.
.
কিছুদিন পর….
প্লেনে…….
আবির : বাহ এখন আর ভয় পাও না দেখছি ।
আমি : আগে অনেক কিছুই ভয় পাই না
আবির : বেশ ভালো জানু ।
আমি : কে জানু ?
আবির : তুমি
আমি : কেনো নিহা আছে না ?
আবির : সরি তো
আমি : নো মাফ
আবির : হুররর
আমি : হুহ
.
.
বাড়িতে…………..
আবিরের আম্মু নাটক করছিলো অসুস্থতার । সেই সথে আমার পরিবারও এসেছিলো । সবাই আমাকে দেখে খুব খুশি । আহান কেও কোলে নিচ্ছে সবাই ।
.
মা : আনহা মা (আবিরের মা)
আমি : জ্বী মা বলুন
মা : আমি তো মরেই যাবো ।
আমি : এভাবে বলবেন না
মা : আমার শেষ ইচ্ছা টা রাখ তোরা একসাথে থাক । আহানেরও তো পিতার প্রয়োজন ।
আমি : কিন্তু
মা : আমার শেষ ইচ্ছা এটা
আমি : আচ্ছা যা আপনার ইচ্ছা তাই হবে ।
মা : থেংকস মা
আমি : থেংক ইউ এর কিছু নেই ।
.
সেদিন সবাই খুশি হলো । রাতে রুমে ।
.
আবির এসে জড়িয়ে ধরলো । আমি ছাড়িয়ে নিলাম ।
.
আবির : আমি জানি তো এতো সহজে মানার মেয়ে তুমি নও । শুধু মায়ের জন্য রাজি হইছো ।
আমি : যখন জানেন ই তো জড়িয়ে ধরলেন কেনো ?
আবির : আমার বউ আমার ইচ্ছা
আমি : বড় আইছে নিহার কাছে যান ।
আবির : বউ থাকতে অন্যের কাছে যাবো কেন ?
আমি : আগেও গেছেন ।
আবির : সরি
আমি : হুহ । আমি ঘুমাবো বাই ।
.
.
.
রাতে ঘুম ভাঙ্গে গেলো । দেখলাম আবির পমাকে জড়িয়ে ধরে আছে । আমি ছাড়িয়ে নিলাম ।
(ভাবছি আহান কে দোলনায় রাখলো কে ? নিশ্চয়ই আবির )
.
সকালে….
আবির : বউ নাস্তা কি ?
আমি : আলুর পরোটা ( মা ছিলো তাই জবাব দিলাম )
আবির : বাহ ভালোই ।
.
নাস্তার টেবিলে সবাই খাচ্ছে আবির খাচ্ছে না ।
মা : কি রে খাচ্ছিস না কেনো ?
আবির : হাতে ব্যাথা পাইছি ।
আমি : (ভাবছি কখন পাইলো ব্যাথা কে জানি ?)
মা : ও‌ এই ব্যাপার । বৌমা খাওয়ায় দিবে তোকে বউমা ।
আমি : আ..আমি
মা : হুম
.
কি আর করার খাইয়েই দিলাম ।
.
রুমে….
আবির : তোমার হাতে খাইতে সেই মজা ।
আমি : হুহ ভাগেন
আবির : না বউ আমি ভাগবো না ।
আমি : হাত কেমনে কাটছে ?
আবির : কখন কাটছে ?
আমি : মানে ?
আবির : কাটে নি তো
আমি : তাহলে ব্যান্ডেজ কেনো ?
আবির : তোমার হাতে খাওয়ার জন্য
আমি : আপনি খচ্চর হয়ে গেছেন
আবির : তোমার কাছেই শিখছি
আমি : দুররররর ।
.
রাতে আবির অনেক গুলো কিটক্যাট আনে আমাকে দিলো ।
আমি : কিটক্যাট থেংকু ।
আবির : ওয়েলকাম ।
আমি : না না না নিবো না আপনার কোনো জিনিস নিবো না
আবির : সত্যি
আমি : জ্বী ।
আবির : ওকে আমি ই খাই ।
.
ইয়াম কি মজা ।
.
আমি কেড়ে নিলাম সব ।
আবির : কি হলো সব কেড়ে নিলে কেনো ?
আমি : এগুলো আমার আমি দিবো না কাউকে ।
আবির : তুমি বলে নিবা না ।
আমি : না আমি নিবো ।
আবির : হাহা নাও
আমি : হুম ।
.
.
দেখতে দেখতে আহান এর জন্মদিন আসলো । প্রথম জন্মদিন বলে সবাই ধুমধাম করেই আয়োজন করলো ।
.
আহান এখন গুটি গুটি পায়ে হাটতে পারে । একটু আধতু ডাকতেও পারে মা বলে , বাবা বলে ।
.
জন্মদিনের জন্য আমি রেডি হচ্ছি । আবির আসলো ।
আবির : বাহ বউ তোমাকে তো খুব কিউট লাগছে ইচ্ছে করছে এখনি বিয়ে করি ।
আমি : হুহ
আবির : বউ নিহা আসছে
আমি : কেনো ওই শাকচুন্নি কেনো ? (মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে)
আবির : এ্যা শাকচুন্নি হাহা
আমি : সরি ভুলে বলছি
আবির : জানি তো ওকে শাকচুন্নিই ভাবো ।
.
সেদিন কার্ড দিচ্ছিলাম । ও দেখে ফেলছিলো । সামনে ছিলো তাই দাওয়াত টা দিছি ।
.
ফাংশনে…….
.
.
আমি আর আবির দাঁড়িয়ে ছিলাম । আহান আমার কোলে ছিলো । এমন সময় নিহা আসলো ।
নিহা : বাহ কিউট হইছে তো তোমাদের বেবি টা ।
আমি : থেংক ইউ ।
নিহা : আজ আমার আর আবিরের বিয়ে হলে আমাদেরও এমন একটা বেবি হতো হাহা ।
আমি : হুম
.
.
আমি আহান কে নিয়ে অন্য দিকে গেলাম । নিহার কথা টা ভালো লাগে নি ।
.
আবির বুঝলো আমার খারাপ লাগছে । আমি যাওয়ার পর ।
.
আবির : একেই বলে লাইফ তাই না নিহা ।
নিহা : কেনো ?
আবির : হাহা আমি অনেক লাকি আনহা কে পেয়ে ।
নিহা : হুম
আবির : তুমি তো পেয়েও ছেড়ে দিছিলা । ওই মেয়েটা পাশে ছিলো । আবার তোমার জন্যই আমি ওকে হারাতে বসেছিলাম । অবশ্য এতে পমারো দোষ ছিলো । বাদ দেও ।
নিহা : কি বুঝাতে চাও ?
আবির : কিছু মানুষ আজকাল নিজে না পেলে যে পায় তাকে খোঁচা মারে তাই না ।
নিহা : আবির তুমি আমাকে এভাবে বলছো কেনো ?
আবির : তুমি আনহা কে কেনো ওভাবে বললা ?
নিহা : না মানে
আবির : বাদ দাও আমার ছেলের জন্মদিনে আসছো খাও । ওকে দোয়া দাওআর চলে যাও । আশা করি আর কোনোদিন আমাদের দেখা হবে না ।
.
নিহা আর কিছু বললো না । আবির জানে তার আর কিছু বলার নাই । আবিরও চলে আসলো ।
.
.
আমি দেখলাম আবির নিহার সাথে হেসে কথা বলছিলো । তাই রেগে গেছি ।
.
অনুষ্ঠানের মাঝে আনহার হাত ধরে টেনে নিলাম এক রুমে ।
.
আমি : আমাকে টানলেন কেনো ?
আবির : বাহ্ রে বউ এর সাথে একটু রোমান্স করবো না ।
আমি : নিহা আছে না আপনার যান হেসে হেসে কথা বলুন ।
আবির : বাহ কিছু জ্বলতেছে নাকি ?
আমি : না কিছু জ্বলে না আমি যাবো ছাড়ুন আমাকে
আবির : ও তাহলে আমি নিহার কাছে যাই ।
আমি : পা ভাঙ্গে দিবো
আবির : বাবা রে গুন্ডি নাকি ।
আমি : আপনি পমার বর অন্য মেয়ের কাছে গেলে পা ভাঙ্গে দিবো ।
আবির : এই কথা টা সেদিন বলো নি কেনো ?
আমি : কবে ?
আবির : লন্ডনে
আমি : আপনিই তো নিহা কে হ্যা বলছিলেন ।
আবির : সরি তো
.
.
আবির হাটু গেড়ে বসলো….
আবির : আনহা জানি আমি অনেক কষ্ট দিছি । মাফ করবা কি না জানি না । কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি । বাসবো । তুমি না বাসলেও আমাকে ভালোবাসার অধিকার দিও ।
আমি : উঠুন
আবির : কেনো
আমি : মাফ করবো আপনাকে কিন্তু
আবির : কি ?
আমি : বিয়ে করতে হবে ।
আবির : এমা আবার আরেকটা বিয়ে করবো দুই বউ কেমনে সামলাবো ।
আমি : থাক লাগবে না নো মাফ বাই ।
আবির : আরে আরে রাগো কেনো ?
আমি : বিয়ে করুন এবং আজকে এখানে সবার সামনে ।
আবির : ওয়েট এবং ওয়াচ
আমি : হিহি
.
.
সেদিন বিয়ে করছি সেই অনুষ্ঠানে পরিচিত কাজি কে ডেকে ।
.
সবাই খুশিই ছিলো ।
.
রাতে….
আবির এলো….
আবির : বউ
আমি : হুমমম বলো বর
আবির : হাহা রাগ ভাংগায় ছাড়ছি
আমি : হুম
আবির : আহান কই ?
আমি : আরোহির কাছে
আবির : বাহ তাইলে ভালোই হলো
আমি : না আমি ওকে মিস করতেছি
আবির : হেহে
আমি : কি
আবির : এই নাও
আমি : ওয়াও কিটক্যাট
আবির : তুমি না এখনো বাচ্চাই আছো ।
আমি : আমি বড় হলাম কবে?
আবির : হাহা আই লাভ ইউ
আমি : আই লাভ ইউ টু আহিয়ার আব্বু
আবির : এমা আহিয়া কে ?
আমি : জুনিয়ার আহান
আবির : হা হা কবে আসবে ?
আমি : ৫ বছর পর
আবির : ভাবতেছি ১১ টা বাচ্চা নিবো
আমি : হুররর মাথা নষ্ট
আবির : তাই নাকি ।
.
তা আজ রাত জাগবা না ।
আমি : কেনো ?
আবির : এর আগের বার কি করছিলা ?
আমি : হেহে আমি ঘুমাবো
আবির : ওমা তাই নাকি আগে একটু জড়িয়ে ধরি তোমাকে
আমি : বুড়া মানুষের ধং জাগছে
আবির : ওই আমি বুড়া
আমি : হুম বুড়া তো
আবির : তাই নাকি তাহলে বুড়ার বুড়ি তুমি
আমি : এ্যা আমি পিচ্চি
আবির : হাহা
আমি : হুম
.
.
.
এরপর শুরু হয় এক নতুন ভালোবাসার গল্প
#কাল্পনিক_গল্প
.
…….সমাপ্ত…….
.
(পাশে থাকুন নতুন গল্পের জন্য)

টেম্পরারি_বিয়ে _পর্ব_৮

0

টেম্পরারি_বিয়ে
_পর্ব_৮
Written by Avantika Anh
মিটিং শেষে….
আমি চলে আসতেছিলাম ।‌ কিন্তু আবির পথ আটকালো ।
আবির : আনহা
আমি : জ্বী স্যার বলুন
আবির : আনহা আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ
আমি : আপনাকে কি আমি চিনি ? আর আমি কেনো ক্ষমা করবো ?
আবির : আমাকে প্লিজ ক্ষমা করো । আমার সন্তান কই ?
আমি : কোন সন্তান ওই যে যাকে আপনি নাপাক বলছিলেন ।
আবির : প্লিজ ইয়ার সরি আর কোনোদিন হবে না ।
আমি : আপনার নিহা কই ? ওকে বলুন
আবির : নিহা কেউ না । আমি ওকে রিজেক্ট মারছি । বিয়ে করি নি প্লিজ ।
আমি : listen we are divorced now . I don’t wanna talk to you .
Abir : please damn listen to me
Ami : I don’t bye .
.
আমি চলে আসলাম ।
.
আবির কিছু সময় নিশ্চুপ বসে থাকলো । তারপর নিজেকেই বললো ।
আবির : না দোষ আমি করেছি । আমি ওকে ফিরিয়ে আনবোই । দেখি এখন ওর খোঁজ নিবো ।
.
এই কম্পানিতে খোঁজ নেই ।
.
Abir : hey there . I need a little help
someone : yahh sir tell me
Abir : can you give me the address of Anha ?
Someone : yahh but why did you need it .
Abir : I need to discuss with her about this project .
Someone : okay sir her address is N/W road 102 mumusi road 4 the building 10th floor .
Abir : thanks for your help .
Someone : Welcome sir .
.
আবির সেই বিল্ডিং এ গেলো । সেখানে বাসা ভাড়া নিলো সেও ।
.
আমি বসে ছিলাম আহান এর সাথে । আহান আমার আর আবিরের ছেলে ।
হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজ ।
.
আমি দরজা খুলতেই…..
আমি : আপনি
আবির : হুম জানু ।
আমি : মানে
আবির : আমার সন্তান কই ?
আমি : নাই এখানে কেউ ।
.
আবির শুনলো না জোড় করে আসলো । গিয়েই আহান কে কোলে নিলো ।
আবির : (দেখলো সেই বাচ্চাটাই । যাকে অনেক কিউট লেগেছিলো । ভাবলো তার মানে এটাই আমার ছেলে )
আমার সন্তান ।
আমি : ( কেড়ে নিলাম ) সেই অধিকার আপনার নেই ।
আবির : প্লিজ ওকে দেও ।
আমি : না
আবির : একটু প্লিজ
আমি : ( আবিরের মুখ দেখে না করতে পারলাম না ) যাস্ট কিছু সময়ের জন্য
আবির : ওকে ।
.
আহান আবিরের কোলে গিয়ে হাসা শুরু করলো । হয়তো বাবার কোল বলে ।
.
আবির : নাম কি রেখেছো ?
আমি : আহান
আবির : ফিরে চলো আনহা ।
আমি : কোনোদিন না দেন ওকে । আপনি যান প্লিজ ।
.
আবির : আমি তো যাবো না ।
আমি : মানে ?
আবির : আমার বউ , আমার বাচ্চা তাদের ছাড়া কেনো যাবো ?
আমি : না না না কেউ নাই আপনার যান ।
আবির : ডিনার রেডি তাই না খেয়েই নিই । আমার খুব ক্ষুধা লাগছে ।
.
আবির নিজেই গিয়ে খাবার নিয়ে খাওয়া শুরু করলো ।
.
.
এদিক আমি ভাবছি ( এ্যা মি. আবির কি পাগল হয়ে গেছে ? হোক গা আমার কি ? )
.
আবির : বাহ আনহা তোমার রান্না তো এখনো আগের মতোই ।
আমি : ভালো খেয়ে বিদায় হন ।
আবির : বিদায় হবো না গো
আমি : হুররর
আবির : আনহা কিটক্যাট
আমি : কই কই ?
আবির : এমা তুমি এখনো কিটক্যাট খাও ।
আমি : আপনার কি ? আমি খাবো আমার ব্যাপার
আবির : হাহা
আমি : পাগল হইলেন ? হাসছেন কেনো ?
আবির : হুম বাবু তোমার জন্য
আমি : কিইইইই ?
আবির : আচ্ছা আমি‌ ফ্রেশ হয়ে নেই । বেডরুম কোনদিক এদিক ।
আমি : বলবো না
আবির : ওকে আমি খুঁজে নিবো ।
.
.
আমি আহান কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে সব গুছিয়ে রাখতে কিচেনে গেলাম । এসে দেখি আবির আহানের পাশে শুয়ে পড়ছে ।
.
আমি : হইছে বাপ ব্যাটা একসাথে । হুররররর । আমি যাবোই না এই রাক্ষসের সাথে ।
.
আবির : যেতেই হবে
আমি : আপনি জেগে আছেন ।
আবির : না ঘুমাচ্ছি ।
আমি : তা কথা কে বলে ?
আবির : ভুত
আমি : হুহ ।
.
.
আমি গিয়ে অন্য রুমে ঘুমালাম । রাতে আহানের কান্নায় ঘুম ভাঙ্গে গেলো । জ্বলদি গিয়ে দেখি আবির থামানোর চেষ্টা করতেছে ।
.
আমি : দেন আইছে । এতোদিন খোঁজ নাই । আমার পোলা এইডা ।
আবির : আমারো পোলা । আই মিন ছেলে
আমি : হিহি পারে না আর কইতে আসে ।
আবির : চুপ করাও ।
আমি : আপনি আমার খোঁজ পাইলেন কেমনে ?
আবির : জানো না
“আগার কিছি চিজ কো দিল সে চাহো তো পুরি কায়নাত উছে তুমছে মিলানেকি সাজিস কারেগি”
আমি : আইছে
আবির : লিগালি আমি এখনো তোমার হাজবেন্ড ।
আমি : মানে আমি যে ডিভর্স লেটার পাঠাইছিলাম ।
আবির : ওগুলো কোর্টে জমাই দেই নি
আমি : আমিই থাকবো না
আবির : আমিও পিছে পিছে যাবো ।
আমি : দুর হন
আবির : তুমিও চলো ।
আমি : যাবোই না
আবির : হুহ যাবা তো তুমি ।
.
.
পরেরদিন…….
.
আমি অফিসের জন্য রেডি হচ্ছি ।
.
আবির : ( ভাবছে এই রে কাপড় তো আমার ফ্লাটে । আমি বের হলেই তো আর ঢুকতে দিবে না । হুর কেনো দিবে না দিতেই হবে )
.
আমি আহান কে কোলে নিয়ে বাইরে বের হচ্ছি ।
আবির : কই যাও ওকে নিয়া?
আমি : ও লাইনা এর কাছে থাকে কিছু সময় ।
আবির : ওই বউ যেও না
আমি : হুহ আমি গেলাম ।
আবির : তোমার তো আজ যাওয়া হবে না
আমি : আমি তো যাবো ।
আবির : তোমাকে আজ ফিরতেই হবে জ্বলদি ।
আমি : না ।
.
চলে আসলাম আর কথা না বাড়িয়ে…..
.
.
অফিসে থাকাকালীন
.
লাইনা ফোন দিলো ।
Laina : Anha . come here soon
Ami : What happened ?
Laina : A man came to me some time before . he snatched him . please come
Ami : I am coming

.
.
আমি জ্বলদি আসতেছি ।
.
.
আমি আর লাইনা সেম বিল্ডিং এ থাকি । আমি যেতেই আবিরের কোলে আহান কে দেখলাম । বুঝতে বাকী রইলো না এটা আবিরের কাজ ।
.
Laina : that man .
he stolen ahan
Ami : What the heck abir .
আপনি এরকম করলেন কেন ?
আবির : আমি বলছিলাম আজ তোমাকে ফিরতেই হবে ।
আমি : আপনি একটা
আবির : রাক্ষস জানি তো ।
.
দেখো আহানের জন্য কতো কি কিনছি ?
আমি : আহানের এসবের প্রয়োজন নেই ।
Laima : do you know him ?
Ami : actually…
Abir : I am her husband .
Laina : but anha has divorced her husband
Abir : divorce has not happened yet
Ami : stop it Abir . Just give me back my child
Abir : He is my child also .
Ami : No he is just mine . Off your drama .

.
আমি আহান কে নিয়ে চলে আসলাম ।
.
.
.
কিছু সময় পর কলিংবেল বাজলো । আমি জানি এটা আবির তাই আর দরজা খুললাম না ।
.
অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো ।
.
আমি : Hello
আবির : আনহা দরজা খুলো
আমি : না
আবির : যদি না খুলো আমি হাত কাটবো ।
আমি : কাটেন
.
.
কিছু সময় পর একটা এমএমএস আসলো । আবির সত্যি হাত কেটেছে ।
.
আমি জ্বলদি গিয়ে দরজা খুললাম ।
.
আমি : এটা কেনো করলেন
আবির : বলেছিলাম দরজা খুলতে ।
.
.
আমি তাড়াতাড়ি ওষুধ এনে লাগিয়ে দিচ্ছিলাম ।
.
.
আবির : ভালো তো বাসো আমাকে তাহলে ফিরে আসছো না কেনো ?
আমি : না আমি কাউকে ভালোবাসি না
আবির : মিথ্যে বলে কি লাভ ?
আমি : কিছু মিথ্যে বলছি না ।
.
আমার কাজ আছে আপনি থাকলে থাকুন নইলে নাই । আমি আহান কে ঘুম পাড়িয়ে দিবো এখন ।
.
আবির : আমি পাড়াবো ।
আমি : না
আবির : আবার হাত কাটবো ।
আমি : হুররর আচ্ছা নেন ।

.
.
দেখলাম আবির সত্যি পারলো । হাজার হোক বাবা তো । কিন্তু না আমি মানবো না যে করেই হোক আমাকে অন্য কোথাও শিফট হতে হবে‌।
.
.
চলবে……..

টেম্পরারি_বিয়ে _পর্ব_৭

0

টেম্পরারি_বিয়ে
_পর্ব_৭
Written by Avantika Anh
.
বাসায়…….
আরোহি : ভাবি কি কি শপিং করলা ?
আমি : অনেক কিছু এখানে আছে ।
আরোহি : ওয়াও
আমি : হুম আমি ফ্রেশ হবো আচ্ছা
আরোহি : ভাবি
আমি : হুম বলো
আরোহি : কিছু হয়েছে নাকি ?
আমি : আরে না কিছু না ।
.
.
বলে চলে আসলাম……
.
আবির : আনহা
আমি : হুম
আবির : নিহা কে কি সবাই মানবে ?
আমি : আমি আছি এতো চিন্তা কই ?
আবির : থেংকু
আমি : জ্বী
.
ওইদিনের পর থেকে আমি মি. আবিরের সাথে যথেষ্ঠ দূরত্ব রাখা শুরু করি ।
.
.
১ মাস পর…
আবির : আনহা
আমি : জ্বী
আবির : তুমি কি হাসপাতাল গেছিলা ?
আমি : না তো ( কিছু টা ভয়ে )
আবির : ওহ
আমি : হুম
আবির : মনে হলো তোমাকে দেখেছিলাম ।
আমি : হাহা আজ কি সূর্য পশ্চিমে উঠছে নাকি ?
আবির : কেনো‌?
আমি : আমনাে দেখেন যে
আবির : আবার মজা
আমি : হেহে কই মজা ?
আবির : তুমি ভালো হবা না
আমি : খারাপ ছিলাম কবে ?
.
মি. আবির টিকটিকি
আবির : কি কই ?
.
(ঘুরে দেখে সত্যি । আমাকে জড়িয়ে ধরে ফেলে )
আমি : চলে গেছে
আবির ছেড়ে দিলো । সরি
আমি : হুম
.
আজকাল চুপচাপ ই থাকি ।
.
ছাদে বসে ছিলাম ।
.
আরোহি আসলো ছাদে….
আরোহি : ভাবি
আমি : হুম
আরোহি : তুমি প্রেগনেন্ট তাই না ।
আমি : ম.. মানে কি বলো এসব ।
আরোহি : মিথ্যে বলে লাভ নাই । তুমি যার কাছে চেক আপ করো । সে আমার বিএফ
আমি : হুম
আরোহি : এতো বড় গুড নিউজ লুকাচ্ছো কেনো ?
আমি : কিছু জিনিস না জানাই ভালো ।
আরোহি : অনেকদিন ধরে দেখছি বলো কি হয়েছে ?
আমি : কিছু না
আরোহি : এটাও মিথ্যা
আমি : কই‌ কিছু হলো ?
আরোহি : ভাইয়া কে কিছুদিন আগে নিহার সাথে দেখলাম ।
আমি : কোন নিহা?
আরোহি : জেনেও না জানার ভান করছো ।
আমি : না তো
আরোহি : নিহা কি ভাইয়ার লাইফে ফিরে আসতেছে ?
আমি : আমি পরে কথা বলছি
আরোহি : ভাবি তোমাকে আমার কসম বলতেই হবে আজ তোমাকে
আমি : এটা কি করলা ?
আরোহি : কসম দিলাম ।
আমি : নিহা আর আবির একে অপরকে ভালোবাসে । এটা টেম্পরারি বিয়ে……..

.
(সব বললাম)
আরোহি : না এটা আর মানা যাবে না । ভাইয়া এটা করতে পারে না ।
আমি : আরোহি তোমাকেও আমার কসম কাউকে বলবা না
আরোহি : কিন্তু
আমি : আমি আর ১ মাস পর চলে যাবো ।
আরোহি : কিন্তু কোথায় ?
আমি : সেটা জেনে কি করবে ?
আরোহি : প্লিজ আমাকে তো কসম দিয়েছো । এতোটুকু জানাও খালি ।
আমি : সিলেট ।
আরোহি : কেনো ?
আমি : আমার পার্ট টাইম জব হয়েছে । কোনো মতে চলে যাবে । আমি আমার স্টাডি কমপ্লিট করবো পাশাপাশি আমার এক বন্ধু হেল্প করছে ।
আরোহি : ভাবি যেও না প্লিজ
আমি : আমাকে যে যেতেই হবে ।
.
কিছু বললাম না আর ।
.
ওইদিনের পর থেকে আরোহি নিজেও আবিরের সাথে খুব একটা কথা বলতো না ।
.
আবির একদিন আরোহিকে জিজ্ঞেস করলো ।
আবির : কি রে তোর কি হইছে ?
আরোহি : তোর জেনে কি ?
আবির : সত্যি বল কি হইছে ?
আরোহি : না কিছু না
আবির : আচ্ছা
.
.
আমার যাওয়ার দিন চলে এলো ।
সেদিন সকালে…..
আবির : আনহা কই ?
.
আনহা…..
.
পাশে একটা চিঠি পেলো ।
.
“মি. আবির কেমন আছেন মি. রাক্ষস ?
হাহা । আমি চলে যাচ্ছি আজ নিশ্চয়ই হ্যাপি আপনি । আপদ বিদায় হলো । খোঁজ পাবেন না । নিহা কে নিয়ে খুশি হইয়েন । আপনার কাছ থেকে একটা জিনিস লুকালাম । কিন্তু কি তা কখনো জানাবো না । ওটা আপনার স্মৃতি । আপনার কাছে কিছু চাওয়া নেই আমার পরিবারের খেয়াল রাখিয়েন । ডিভর্স পেপারে সাইন করা আছে । আরও কোনো ফর্মালিটি থাকলে আরোহি কে বলিয়েন। আমি পূরণ করে দিবো
.
ইতি
কেউ না”
.
আবির এর চোখ দিয়ে কেনো জানি পানি বইতে লাগলো ।
.
আবির নিহা কে ফোন করে সব জানালো ।
নিহা : ভালোই হইছে এখন জ্বলদি আমাদের বিয়ে হবে ।
আবির : ও একা নিহা বুঝার চেষ্টা করো । ওর কেউ নাই ।
নিহা : তোমার জেনে কি হবে ?
বাবু আমরা আমাদের উপর এখন গুরুত্ব দেই প্লিজ ।
.
আবির : পরে কথা বলছি ।
নিহা : কিন্তু
.
আবির ফোনটা কেটে দিলো ।
.
আবির : আরোহি
আরোহি : কি হইছে টা কি ?
আবির : আনহা কই গেছে ?
আরোহি : জানি না
আবির : বল প্লিজ
আরোহি : তোর মতো পাষাণ কে কোনোদিন খোঁজ দিবো না আমি ।
আবির : আরোহি ( থাপ্পর দিলাম আরোহি কে )
আরোহি : মেরে লাভ নাই । তুই তো জানিস ই না তুই দুইজন কে হারালি ।
আবির : মানে ?
আরোহি : কিছু না ।
.
তারও ২ মাস পরে….
আবির আজকাল আনহা কে খুব মিস করে ।
.
নিজেই ওই ঘড়ি টা বাজায় । আর আনহার জন্য চকলেট কিনে রেখে দেয় ।
.
কোনো এক কাজে আবির কে সিলেট যেতে হয় । কিন্তু রোডে এক ব্যাক্তি এক্সিডেন্ট করে । তাকে আবির সাহায্য করতে হসপিতালে নিয়ে যায় । সেখানে আবির আনহার দেখা পায় । কিন্তু আবির আনহা কে একটা ছেলের সাথে দেখে যে আনহার হাত ধরে ছিলো আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিলো আনহা প্রেগনেন্ট । আবিরের সাথে নিহা ছিলো ।
.
নিহা : দেখছো ও বিয়েও করে ফেলছে । তাও আবার বাচ্চাও আছে । হাহা তুমি এই চরিত্রহীনা কে ভালো বলতা ।
আবির রেগে যায়….
আবির : ছি ছি ছি পরপুরুষের সাথে এতো কিছু
আমি : (কিছু বললাম না)
ছেলেটি : কি বলছেন এসব ?
আবির : গায়ে লাগে ?
হাহা শালি কতো বড় নির্লজ্জ । ডিভর্সের আগেই এতো কিছু কতোগুলো ছেলের সাথে শুঁয়েছিস ।
আমি : ( কিছু না বলে চলে আসলাম )
.
.
সেদিনের পর আমি বেশি বাইরে যেতাম না বেশি ।
.
আবির বাড়ি ফিরে….
আবির : আরোহি
আরোহি : কি
আবির : তোর ভাবি তো বাজে মেয়ে
আরোহি : কি বলতেছিস এসব ?
আবির : আজ সিলেটে দেখলাম । প্রেগনেন্ট তাও আবার একটা ছেলের সাথে ছি । কথা শুনায় দিছি । নির্লজ্জ টাকে ।
আরোহি : অফ ইট ভাইয়া । তুই কি করলি এটা ।
ভাবি একটুও বাজে না ।
আবির : এ্যা বললেই হলো ।
আরোহি : ভাবির পেটে তোর সন্তান ।
আবির : মানে
আরোহি : মানে ভাবি প্রেগনেন্ট ছিলো যাওয়ার আগেই ।
আবির : কিন্তু কীভাবে ? ( আবিরের মনে পড়লো সেদিনের ঘটনা )
আমি কি করে ফেললাম ?
আরোহি : ছি ভাইয়া ছি । মেয়েটা শুধু ওই বাচ্চা টার জন্য বেঁচে ছিলো । তুই এসব করে বাঁচার ইচ্ছাও মেরে ফেলছিস ।
আবির : (কিছু না বলে রুমে চলে গেলো)
.
আবির নিজেও আনহা কে ভালোবেসে ফেলছে । সে নিজেও বুঝছে । নিহার কথায় তার রাগ উঠে যায় আর সে কন্ট্রোল করতে না পেরে এতো কিছু বলে ফেলে ।
.
.
আবির কিছু সময় পর আবার আরোহির কাছে যায়….
.
.
আবির : আরোহি আমাকে ক্ষমা কর বোন । আমিও আনহা কে ভালোবেসে ফেলছি তাই এতোসব । আমার সন্তান আর আমার স্ত্রী কে আমি ফেরত চাই ।
আরোহি : হাহা কোনোদিন ফিরবে না ভাবি ।
আবির : মানে
আরোহি : জানি না ভাবি সিলেট ছেড়ে দিছে ফোনও লাগছে না । কই গেছে জানি না । তুই বেশি দেরি করে ফেললি ।
কাজ
আবির তবুও খুঁজতে গেলো সিলেট কিন্তু পেলো না ।
.
নিহা অনেকবার আবির কে ফোন করে কিন্তু আবির নিহার সাথেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ।
.
১বছর পর…..
এই এক বছরে আবির নিজেকে অনেক ব্যস্ত করে ফেলেছে । কাজ , কাজ আর কাজ ।
.
এখনও খুঁজে যাচ্ছে সে আনহা কে । তার মনে হয় সে একদিন না একদিন তাকে পাবেই । সাথে তার সন্তান কেও ।
.
সে আনহার দেওয়া ঘড়ি টা এখনো যত্নে রেখে দিয়েছে ।
.
কাজের জন্য একটা কম্পানির সাথে ডিল ফাইনাল করতে আবির থাইল্যান্ড যায়।
.
.
একটা বেবি কে দেখে আবিরের কেনো জানি কোলে নিতে ইচ্ছে করে । বাচ্চাটার বয়স সম্ভবত ৭ মাস ।
.
কোলে নিয়ে তার মনে হয় তার বেবিটাও হয়তো এরকমই হবে ।
.
মেয়েটাকে বলে
Abir : Your baby is so cute .
Unknown girl : No it’s not my baby . it’s my friend’s baby .
Abir : no worry . Is this a boy ?
Unknown girl : Yahh
Abir : Really a cute one .
Unknown girl : Thank’s
.
আবির চলে আসলো ।
.
মিটিং এ…..
.
.
Anha : Hello gentlemen and ladies . I am from CWO company . Nice to meet you all.
আবির থ হয়ে যায় কারণ এ আর কেউ না আনহা । এদিকে আমিও একটু হকচকিয়ে যাই ।
.
চলবে…..
.
( আর একটুই বাকী গল্পের । এর পরের পার্টগুলোয় জানবেন আবির কীভাবে আনহার রাগ ভাঙ্গায় । সাথেই থাকুন )

টেম্পরারি_বিয়ে _পর্ব_৬

0

টেম্পরারি_বিয়ে
_পর্ব_৬
Written by Avantika Anh
আবির গোসল শেষে এসে দেখে আনহা নাই ।
আবির : আনহা কই ?
আমি : মি. আবির আমি এখানে ।
আবির : কই ?
আমি : বেলকনি তে জ্বলদি আসেন আমার ভয় লাগছে ।
আবির : এ্যা পড়ে টড়ে যাচ্ছে নাকি ।
.
.‌
আবির গিয়ে দেখে আমি বেলকনিতে দাড়ায় আছি শকড্ হয়ে
আবির : ভয়ের কি ?
আমি : আমার উচু জায়গায় কোণায় যেতে ভয় লাগে । আম্মু আমি এতো উপরে ।
আবির : হাহা এতে ভয়ের কি
আমি : পড়ে গেলে কি হবে ।
আবির : জনসংখ্যা কমবে ।
আমি : এ্যা
আবির : হাহা চলে আসুন এদিক ।
আমি : হাত টা দেন
আবির : হাত দিয়া কি হবে
আমি : এখান থেকে ঝাপ দিবো আপনাকে নিয়া ।
আবির : কি???
আমি : আমার ভয় লাগতেছে হাত দেন
.
আবির আমার হাত ধরে কিনার থেকে আনলো ।
আবির : এমনি তো ডেয়ারিং হন আপনি । বাট উচ্চতা এতো ভয় পান ।
আমি : আপনি নিজেও তো টিকটিকি ভয় পান ।
আবির : ম..মা..মানে কে বললো আপনাকে ?
আমি : আরোহি
আবির : এবার বাড়ি গিয়ে ওর বিয়েটা দিয়েই দিবো ।
আমি : না না না ওকে কিছু করুন খালি আপনাকে আমি ঝাটা দিয়া পিডামু ।
আবির : মানে
আমি : আপনি যা বুঝলেন ।
আবির : এই মেয়ে আমাকে পিটাবা এইটুকু একটা মেয়ে ।
আমি : এইটুকু না ৫” ৫ আছি
আবির : যাস্ট হাইটে এমনি তো ৫ বছরের বাচ্চা।
আমি : এ্যা বললেই হলো ।
আবির : যাও ফ্রেশ হও
আমি : উকে
আবির : হুম
.
আমি গোসল টা সেরে ফেললাম ।
আমি : মি. আবির
আবির : কি
আমি : চলেন চকলেট কিনতে যাই
আবির : আজ আর না কাল যাবো নে
আমি : না না না আমি আজ ই যাবো
আবির : আমার ব্যাগের পকেটে দেখো কিটক্যাট আছে
.
আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি সত্যি সত্যি আছে ।
আমি : আপনি কই পাইলেন ?
আবির : ওই যে তোমার গুলো যে লুকিয়েছিলাম তখন ।
আমি : শয়তান । আমার জিনিস চুরি করা আপনাকে আমি ছাড়ুম না
আবির : টাকা গুলো তো শেষ করছোই ।
আমি : হিহি আরও করবো ।
মি. আবির আমার ক্ষুধা লাগছে ডিনার কোথায় হবে ?
আবির : নিচে রেস্টুরেন্টে
আমি : ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করবো ।
আবির : এ্যা ক্যান্ডেল লাইট কেনো ?
আমি : আমার অনেক দিনের ইচ্ছা । ফ্রেন্ড হিসেবে ভাবুন ।
আবির : ওকে
.
.
ডিনারে…..
আবির : Excuse me .
Waiter : yes sir
Abir : can you bring two bowl of chicken soup ?
waiter : okay sir . anything more ?
Abir : Anha do you want anything more ?
Ami : I want a chocolate ice
Abir : okay bring it please .
Waiter : Sure sir
আবির : নেন আপনার ইচ্ছা পূর্ণ ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের ।
আমি : মি. আবির চলেন সেল্ফি তুলি ।
আবির : সেল্ফি দিয়ে কি হবে ?
আমি : সেল্ফি আমি আরোহি আর প্রেয়সি কে দেখাবো ।
আবির : হুর আজাইরা ।
আমি : আরোহিকে ভিডিও কল দেই । ও দেখুক ।
.
আবির : ওকে ।
.
ভিডিও কলে….
আমি : হাই আরোহি
আরোহি : হাই ভাবি । wow you are looking pretty in London .
আমি : কি যে বলো । আমরা ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করতেছি । I am missing you
আরোহি : আমিও তোমাকে মিস করছি ভাবি ।
আমার মেন্টাল ভাই টা কই ?
আমি : আরে কি বলো । পাশেই
আরোহি : হিহি । ওকে দেখাও
আমি : এই নাও
আবির : এবার বাড়ি যেতে দে খালি ।
আরোহি : ভাইয়া হানিমুন কেমন হচ্ছে । জুনিয়র কাউকে নিয়ে তারপর আসিছ ।
আবির : তোর মাথায় এগুলো কই থেকে আসে ?
আরোহি : আসে যায় ।
যা তুই হানিমুন ইনজয় কর আমি রাখলাম বাই ।
.
.
আমি : ওই মি. আবির
আবির : কি
আমি : কাল শপিং এ যাবো তো
আবির : হুম
.
খাবার শেষে….
আমি : আইসক্রিম খাবেন
আবির : না
আমি : তা কেনো খাবেন । আপনি তো খেতেই পারেন না ।
আবির : আমি পারি
আমি : খেয়ে দেখান
আবির : (খেয়ে দেখালো‌) প্রুফ পেলেন
আমি : হ
আবির : খাওয়া ডান
আমি : হুম চলেন ঘুমাই কাল জ্বলদি উঠে শপিং এ যামু কিন্তু ।
.
রাতে ঘুমানোর আগে….
আমি : মি. আবির আমরা কি এক বিছানায় ঘুমাবো ।
আবির : ব্যাপার না মাঝে বালিশ থাকবে
আমি : ওকে
.
শুয়ে পড়ার কিছু সময় পর । আমি মি. আবির কে গুতা দিলাম ।
আবির : কি হলো ?
আমি : গান শুনান না একটা ।
আবির : ওই মেয়ে এখন গান কই থেকে আসলো ।
আমি : শুনান প্লিজ
আবির : আমি ঘুমাবো
আমি : শুনান নইলে মামনি কে ফোন দিমু‌ । দিয়া কমু আপনি আমাকে মারছেন ।
আবির : হুহ দুই লাইন বলবো যাস্ট ।
আমি : ওকে
আবির : “পৃথিবীর যতো সুখ যতো ভালোবাসা;
সবই যে তোমায় দিবো একটাই আশা”
আমি : ওকে শুনুন না
আবির : ঘুমান
আমি : চলেন বেলকনি তে যাই ।
আবির : এই মেয়ে ঘুমা বলছি
আমি : ( ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিছি )
আমি ঘুমাচ্ছি
আবির 🙁 মুচকি হাসছে । ভাবছে.. মেয়েটা পারেও বটে)
.
সকালে….
আমি : মি. আবির ও মি. আবির
আবির : ওহো কে রে‌?
আমি : আমি আনহা
আবির : এতো জ্বলদি উঠছেন যে ?
আমি : আজ যে ঘুরতে যাবো আমরা মনে নাই ?
আবির : হায় রে এই মেয়েটা ?
আমি : চলেন ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে জ্বলদি যাই ।
আবির : আচ্ছা ওকে ।
.
.
কিছু সময় পর…..
আমি আর আবির রাস্তায় হাটছি ।
আমি : মি. আবির
আবির : বলেন কি চাই ম্যাডাম ?
আমি : চলেন আইস্ক্রিম খাবো ।
আবির : এখন না পরে ।
আমি : হুহ তাহলে ওই টেডি বিয়ার টা কিনে দেন ।
আবির : তুমি বাচ্চা ?
আমি : হুম দেন না ।
আবির : চলো ।
.
অনেক কিছু শপিং করলাম ।
.
শপিং শেষে…..
আবির : আনহা
আমি : হুম বলেন
আবির : এই নাও
আমি : এইটা কি ?
আবির : খুলে দেখো
আমি : ( একটা গাউন ছিলো সাদা রং এর ) আমি উরিম্মা কি কিউট কধর জন্য ?
আবির : আপনার ।
আমি : আল্লাহ গো আজ সূর্য কোনদিক উঠছে ?
আবির : আপনাকে কিছু দেওয়াই ভুল লাগবে না ফেরত দেন ।
আমি : মজা করলাম ।
আপনার জন্য কিছু একটা আমার কাছেও আছে ।
আবির : কি ?
আমি : এই ঘড়ি টা । এটায় না একটা মেসেজ সেট করা যায় । আমি সেট করছি । শুনেন তো
.
আবির অন করলো “মি. আবির থুক্কু এংরি রাক্ষস আমারে একটা কিটক্যাট দেন”
.
আবির : এটা কেমন মেসেজ ?
আমি : যখন মনে পড়বে আমার কথা অন করবেন আর আমার জন্য কিটক্যাট কিনবেন ।
আবির : হাহা মনে পড়বে না
আমি : উকে ।
.
এভাবে ৫ দিন চলে গেলো । ঘুরতে হাসি খুশিতে । আজকাল আবির আর আনহা কিছুটা ক্লোজ হয়ে এসেছে । কিন্তু খুশি যে মাঝে মাঝে সাময়িক হয় ।
.
৫ম দিন একই হোটেলে আবির একজন কে দেখে থমকে যায় । সে আর কেউ নয় নিহা ছিলো ।
.
আবিরকে দেখে নিহা এলো….
নিহা : কেমন আছো ?
আবির : ভালো তুমি?
নিহা : ভালো নেই
আবির : তা তোমার বর কই?
নিহা : We have got devorced
আবির : কেনো ?
নিহা : ও চিটার ছিলো । আমি শুধু টাকার পিছনে‌ দৌড়েছিলাম তাই হয়তো ।
আবির : ওওওও
নিহা : জানো তোমাকে হারানোর পরে বুঝেছি ভালোবাসা কি?
আবির : ভালোবাসা মানে তো আমার কাছে তোমাকে নিয়ে গড়া স্বপ্ন ।
.
আমি চলে আসলাম ।
আমি : মি. আবির
নিহা : ইনি কে ?
আবির : ওয়াইফ
নিহা : বিয়ে করে ফেললা ।
আবির : আম্মুর ইচ্ছে
আমি : পরে আসবো আমি । যাই আচ্ছা
নিহা : না আমার কাজ আছে বাই আপনারা থাকুন ।
.
নিহা চলে যায় । আবিরের চোখ দিয়ে পানি বইতে থাকে।
আবির : আটকাতে পারলাম না
.
এ কথা শুনে আমি ডাকলাম…
আমি : নিহা দাড়াও
নিহা : কি ?
আমি : মি. আবির যে তোমাকেই ভালোবাসে ।
নিহা : তাহলে বিয়ে ।
আমি : এটা টেম্পরারি বিয়ে
নিহা : এটা কি সত্যি ?
আবির : হুম ভালোবাসি তোমাকে
নিহা : আমিও তোমাকে ভালোবাসি ।
আমি : আমি আসি আপনারা সময় কাটান ।
নিহা : ধন্যবাদ আপনাকে
আমি : জ্বী ।
.
.
.
আমি রুমে চলে আসলাম । এতোদিনে মি. আবির কে ভালোবেসে ফেলছিলাম । কিন্তু এটা যে টেম্পরারি বিয়ে ।
.
.
রুমে অনেক সময় কাঁদলাম ।
মি. আবির এলো । আজ তাকে অনেক খুশি মনে হলো । আমি ঘুমানোর ভান করে শুয়ে থাকলাম ।
.
আবিরও শুয়ে পড়লো ।
.
পরেরদিন শেষ দিন লন্ডনে অবস্থানের । সেদিন রাতে ।
আবির এসে দেখলো আমি টলটেছি ।
আবির : আনহা কি হয়েছে ?
আমি : কি যে কে জানি ?
আবির : মানে ?
আমি : এই জুস টা সেই টেস্টি খান আপনিও
আবির দেখলো ওটা এলকহল ছিলো ।
আবির : তোমাকে এটা কে দিছে?
আমি : ওয়েটার দিয়ে গেছে ডিনার ।
.
আবির ফোন করে জানলো ভুলে এসেছে…
.
আবির ভাবছে এখন আনহাকে সামলাতে হবে ।
আবির : আনহা চলো শুয়ে পড়ো
আমি : না আমি যাবো না ।
আবির : চলো
আমি : মি. আবির আপনি না সেই কিউউউউট
আবির : হুম ভালো ।
আমি : না ভালো না খুব পঁচা । আমাকে একটুও ভালোবাসেন না আপনি ।
আবির : না ভালোবাসি‌ ( এমনি বললো )
আমি : তাইলে ওই নিহার কাছে যাচ্ছেন কেনো ? আমি কতো ভালোবাসি আপনাকে । আপনি আমার কষ্ট বুঝেনই না । আমি যে কতো কাঁদি ( বলতে বলতে কেঁদে ফেললাম )
আবির : ( ভাবছে আনহা এসব কি বলছে? )
আনহা শুয়ে পড়ো।
আমি : না না এই মি. আবির আমি একটা জিনিস চাই ।
আবির : আচ্ছা দিবো ।
আমি : সত্যি
আবির : হুম
আমি : জুনিয়র আবির দেন আমাকে । কিন্তু ও আপনার মতো পঁচা হবে না ।
আবির : হুম আমি পঁচা এবার ঘুমান ।
আমি : না আমি এখন গোসল করবো ।
আবির : না এখন না ঘুমান আগে ।
আমি : না গোসল ।
.
বলে বাথরুমে চলে গেলাম ।
.
শাওয়ার অন করে ফেললাম ।
আবির : আনহা চলুন ।
.
( কিন্তু আবিরও ভিজে গেলো )
.
আবির : আনহা কে কোলে করে রুমে নিয়ে গেলো ।
আমি : আমাকে ছাড়ুন আপনি ভালো না । আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন পঁচা ।
আবির : ( কিছু বললো না )
আমি : বলেন নইলে কামড় দিবো ।
আবির : হুম
.
আমি পুরো ভিজে ছিলাম । আবির আমার কাপড় পাল্টে দিলো । কিন্তু এর মাঝে একটা ভুল জিনিস হয়ে যায় ।
.
সকালে…
আমি নিজেকে অমন অবস্থায় দেখে থ । কিছু সময় মনে করার চেষ্টা করলাম কাল কি হয়েছে ।
.
কিছু কিছু যা মনে পড়লো তা ভেবে আমি অনুতপ্ত হয়ে পড়ি ।
.
জ্বলদি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে ।
আবিরের ঘুম ভাঙ্গে । সে সব কিছু মনে করে নিজেও অনুতপ্ত হয়ে পড়ে ।
.
আবির : সরি
আমি : আমি সরি । কিছু মনে করিয়েন না । এটা বাদ দেন । মনে রাখার প্রয়োজন নেই । আচ্ছা আমাদের ডিভোর্স কবে ? আপনার আর নিহার বিয়ে কবে ?
আবির : দেশে ফিরি আগে ।
আমি : জ্বী চলুন তৈরি হই আজই তো মনে হয় ফ্লাইট
আবির : হুম ।
.
এরপর ফ্লাইটেও বেশি একটা কথা হলো না আমার । আসলে আমি নিজেই বলি নি কারণ আমি ছিলাম অনুতপ্ত ।
.
চলবে……

টেম্পরারি_বিয়ে _পর্ব_৫

0

টেম্পরারি_বিয়ে
_পর্ব_৫
Written by Avantika Anha
আমি রুমে গেলাম ।
.
আইস্ক্রিম খাওয়ার কুফলও আছে কিছু । জ্বর চলে আসলো পরেরদিন ।
সকালে……
আবির উঠে ফ্রেশ হলো । দেখলো আমি এখনো ঘুমাচ্ছি এটা দেখে আবিরের মনে প্রশ্ন জাগলো ও এখনো ঘুমায় কেনো ?
.
আবির এসে আমাকে ডাকলো : মিস আনহা উঠেন নি যে আজ ।
আমি : উহ
আবির : কি ?
আমি : উঠতেছি । কয়টা বাজে আল্লাহ এতো লেট । আমি তো নামায ও পড়ি নি ।
.
আমি উঠে যাচ্ছিলাম বাথরুমের ওদিক । কিন্তু পড়ে যেতে ধরলাম । আবির ধরলো ।
আবির : এই আপনার তো জ্বর এসেছে ।
আমি : হুম একটু মনে হয় ।
আবির : একটু জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে
আমি : মিথ্যুক গা পুড়লে তো আগুন লাগতো এখানে আগুন কই ?
আবির : এখনো আপনার মজা মনে হচ্ছে জ্বরকে
আমি : হিহি না তো
আবির : তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হন । আমি ঔষধ নিয়ে আসতেছি আপনার আম্মুর কাছ থেকে ।
আমি : হুম
.
আবির ঔষুধ নিয়ে আসলো….
আমাকে দিতে ধরলো..

আমি : ইইইই ছি আমি খাবো না এটা ।
আবির : খেতে হবে জ্বর এসেছে ।
আমি : না না না খাবো না
আবির : খেতেই হবে
আমি : ইইই আপনি খান আমি তো ভাগলাম ।
.
পালাতে গেলাম কিন্তু শক্তি কম হওয়ায় আবার মাথা ঘুরে গেলো ।
আবির এবার জোড় করে খাওয়ায় দিলো ।
আমি : সুস্থ হই খালি আপনার উপর শোধ তুলবোই ।
.
পরেরদিন সুস্থ হয়ে গেলাম ।
.
রাতে আবির ঘরে এলো । আমার দিকে তাকিয়ে দেখলো আমি ঘুমানোর ভান করে শুয়ে ছিলাম ।
আবির কিছু না বলে টেবিলের উপর থেকে পানি নিয়ে যেই মুখে দিলো ।
আবির : এটা কেমন পানি এতো লবণ কেনো ?
আমি : ( হেসে ফেললাম )
আমার হাসি দেখে আবির বুঝে গেলো এই কাজ ওয়ান এন অনলি আমার ।
আবির : এটা কি করছেন ?
আমি : কাল আমাকে ওই তিতা ওষুধ খাওয়াইছিলেন যেমন তার ফল ।
আবির : হুহ
.
আবির কিছু না বলে ঘুমায় গেলো ।
.
আমি পরের দিন নাস্তার পরে আমার কিটক্যাট খুঁজছিলাম ।
আমি : কই গেলো ?
আবির : কি খুঁজছেন ? কিটক্যাট বুঝি ?
আমি : আপনি আমার কিটক্যাট লুকাইছেন তাই না
আবির : হুম কাল কি করছিলেন আমার সাথে
.
আমি : আমার কিটক্যাট দিন
আবির : না
আমি : দেন নইলে খামচি দিবো
আবির : হাহা পারবেন না
.
আমি আগায় গেলাম খামচি দিতে ।
.
আমি খামচি দিতে যাবো । এমন সময় আবির আমার হাত দুটো ধরে ফেললো ।
আবির : এবার কেমনে খামচি দিবেন ?
আমি কামড় মেরে দিলাম আবিরের গলার কাছে ।
আবির : কামড়ালেন কেনো ?
আমি : হিহি কিটক্যাট না দেন আমি আবার কিনে নিবো । তাও আপনার টাকায় । কিন্তু শাস্তি তো আপনি পেয়েছেন ।
.
সেদিন কিটক্যাট কিনে খেয়ে নিয়ে আবিরের মানিব্যাগ তাকে ফেরত দিলাম ।
আবির : আমিও দেখে নিবো ।
আমি : ওমা দেখুন দেখুন ভালো করে দেখুন ।
.
সেদিন বাড়ি ফেরার দিন ছিলো । তাই রওয়ানা হলাম । হাজার হোক নিজের বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছিলাম কষ্ট তো হবেই ।
.
গাড়িতে আমি কাঁদছিলাম ।
আবিরের দেখে খারাপ লাগলো ।
আবির : আপনি কাঁদছেন বাহ বাহ এটাও তো দারুণ মিস ডেইলি সোপ
আমি : আমি মোটেও কাঁদছি না
আবির : এই যে চোখে পানি ।
.
আমি : ইইইই নাই তো ( মুছে ফেললাম )
আবির : হাহা‌
.
সেদিন বাড়ি পৌছালাম ।
মা আমাদের দেখে খুশি হলেন ।
মা : তোদের অনেক মিছ করেছি ।
.
আরোহি : ( আবিরের গলায় দাগ লক্ষ্য করলো ) বাহ ভাইয়া ভাবির লাভ বাইট নিয়ে ঘুরতেছিস ।
.
এই কথা শুনে আবির আর আমি দুজনেই লজ্জা পেলাম ।
.
আমি : আমি কাপড় পাল্টে ফ্রেশ হয়ে আসছি । ( বলে কেটে পড়লাম )
আবির : আমারো ঘরে কাজ আছে । গেলাম ।৤
.
রুমে এসে আবির আমার হাত ধরে টেনে আমাকে দেয়ালের সাথে আটকে ধরলো ।
আবির : আমার সাথে মজা নেওয়া । আজ আপনার জন্য আমাকে এমন লজ্জা পেতে হলো ।
আমি : আপনার দোষ
আবির : আমিও আপনাকে কামড় দিবো এখন ।
আমি : না না না
আবির : আপনাকে শাস্তি পেতেই হবে
.
আবির কামড় দেওয়ার আগেই…
.
আমি : ( কেঁদে ফেললাম ) ভ্যা ভ্যা ভ্যা
আবির : হুহ আমি তো কিছুই করলাম না । তাতেই কাঁদছেন ।
আমি : আপনি আমাকে কামড় দেন খালি আমি আপনার আম্মু কে বলে দিবো ।
আবির : এ্যা
আমি : হ্যা আপনাকেই লজ্জা পেতে হবে ।
আবির : ( মেয়েটা চালাক আছে ।)
.
আবির আমাকে ছেড়ে দিলো…..
রাতে খাবার টেবিলে….
মা : বাবা আবির তোরা হানিমুনে কবে যাচ্ছিস ?
.
এই কথা শুনে আবির আর আমার দুজনেরই গলায় খাবার আটকে গেলো ।
.
মা : কি রে বল ?
আবির : হ্যা যাবো যাবো জ্বলদি ই যাবো ।
আরোহি : কবে যাবি সেটা বল ?
আবির : দেখি
মা : শুন আমি বলছিলাম বিদেশ যাবি নাকি দেশেই কোথাও ?
আবির : বাইরে যেয়ে কি করবো দেশেই যাই
মা : না বাইরে যা আমি টিকিট কেটে রাখছি লন্ডন যা ।
আবির : কেটেই তো রাখছো তাহলে জিজ্ঞেস করার কি আছে ?
মা : আন্দাজি জিজ্ঞেস করলাম ।
আবির : মা তুমিও না
মা : পরশু ফ্লাইট ।
আমি : এ্যা আমার পাসপোর্ট যে বাড়িতে ।
মা : আমি আগেই আনাইছি । তোমার ব্যাগে আছে দেখে নিও ।
আমি : ওকে ( একবার ইন্ডিয়া গেছিলাম । তখন পাসপোর্ট বানানো ছিলো )
.
.
যাওয়ার দিন..
আমি : মি. আবির কি মজা হবে তাই না ?
আবির : এতো এক্সাইটেড হওয়ার কিছু নাই । ভুলে যাইয়েন না এটা টেম্পরারি বিয়ে ।
আমি : আরে জানি তো মনে আছে । এটা আমার কাছে এমনিও হানিমুন না ঘুরতে যাওয়া ।
.
প্লেনে….
আমি : মি. আবির আমার ভয় লাগছে বাড়ি চলুন ।
আবির : কি মাথা কি নষ্ট
আমি : আম্মুর কাছে যাবো ।
আবির : আনহা বিহেভ ইয়োরসেল্ফ
আমি : আপনার হাত টা দেন
আবির : কেনো ?
আমি : আরে দেন তো ( বলেই টেনে নিলাম )
.
প্লেন উপরে উঠার টাইমে মি. আবির কে এমন খামচে ফেলছিলাম । যে উনি চিল্লায় উঠছিলেন । যদিও পরে এর জন্য আমাকে বকেছেন । কিন্তু পমার সেই ভয় লাগছিলো ।
.
ওখানে পৌঁছে এক হোটেলে উঠলাম আমরা ।
আমি : মি. আবির শুনেন তো
আবির : কি
আমি : আমরা এখানে কয়দিন আছি ?
আবির : ৭ দিন
আমি : ওয়াও কতো মজা হবে । আমি অনেক ঘুরবো আর শপিং ও করবো
আবির : করিয়েন
আমি : চলেন না চকলেট কিনতে যাই ।
আবির : মাথা খারাপ এতো লং ওয়ে পার করে আসলাম একটু রেস্ট নিবো ।
আমি : ওকে তাহলে রাতে
আবির : কালকে
আমি : উহু
আবির : নইলে যাবো না
আমি : ওকে মি. রুড
আবির : কিছু বললেন
আমি : না আমি কখন বললাম । আপনি বেশি শুনা শুরু করছেন ।
আবির : হুহ । আমি গোসল করবো ।
আমি : টাটা ।
আবির : ও শুনুন একা আবার বাইরে যাইয়েন না ।
আমি : আমি বাচ্চা নাকি ?
আবির : বাচ্চার মতোই
আমি : হুহ যান তো আপনি
আবির : হুম
.
চলবে…….

টেম্পরারি_বিয়ে _পর্ব_৪

0

টেম্পরারি_বিয়ে
_পর্ব_৪
Written by Avantika Anha
মাঝ রাতে আবিরের ঘুম ভাঙ্গে গেলো বিরবির শব্দে উঠে দেখে আনহা হাঁচি দিচ্ছে ।‌
.
.
আবির : ভালো হইছে আরো ভিজেন
আমি : আপনি একটা রাক্ষস ।
আবির : হাহা আর আপনি পেত্নি
আমি : হা….চ্ছি আপনি খুব বাজে ।
আবির : হাহা হাচ্ছি হাচ্ছি করতে থাকুন । আমি ঘুমালাম ।
আমি : একটা মেয়ে কে এভাবে রেখে ঘুমাতে লজ্জা করে না
আবির : আপনাকে ভিজতে কে বলছিলো ?
আমি : বৃষ্টি হলে আমি ভিজবোই ।
আবির : তাই বলে এতোক্ষণ ।
আমি : হিহি
আবির : এমন অবস্থায়ও হাসতেছেন আপনি ।
আমি : মানুষ কে সবসময় হাসতে থাকতে হয় । আপনার মতো গোমড়া মুখো হবো নাকি আমি ?
আবির : হুহ
আমি : আম্মু কে ডেকে দেন ।
আবির : এতো রাতে আম্মু কে জ্বালাতে হবে না ।
আমি : তাইলে কি করবো ? হা….চ্ছি
আবির : দাড়ান আমি কিছু করছি শ
আমি : ওকে ।
.
আবির কিছু সময় পর আমার জন্য গরম পানি , মধু দিয়ে নিয়ে এলো ।
আবির : নিন খেয়ে নিন ।
আমি : এটা কি ?
আবির : গরম পানি আর মধু ।
আমি : ও দেন ।
আবির : নেন
.
আমি হাতে নিয়েই দেখি অনেক গরম ।
আমি : আম্মু এতো গরম কেনো ।
আবির : এতো গরম না ।
আমি : না আমি খাবো না ।
আবির : খান বলছি ।
আমি : না
আবির : আপনাকে খেতেই হবে ।
….বলে জোড় করে খাওয়ায় দিলো…..
আমি : ইইইইইইইইই
আবির : হাহা
আমি : হাসতেছেন কেনো রাক্ষস
আবির : আপনি না অনেক ফানি
আমি : ওওওও ওইটা তো জানি
আবির : হাহা
আমি : একটা কথা কমু ?
আবির : বলুন
আমি : আপনাকে না হাসলে কিউট লাগে । আমি ঘুমাইলাম টাটা ।
.
বলেই শুয়ে পড়লাম । আবির আর কিছু না বলে সেও ঘুমিয়ে পড়লো ।
.
পরেরদিন সকালে…..
আমি আবির কে ফোন দিলাম ।
আমি : মি. আবিররররররর
আবির : কি হয়েছে ? ফোন দিলেন কেনো ? আপনি কই আছেন ?
আমি : উহু উহু
আবির : কাঁদছেন কেনো ?
আমি : প্রেয়সি কুত্তি টা
আবির : কি করছে ?
আমি : গাছে উঠছি আর আমাকে রাখে পালায় গেছে । আমি নামতে পারি না । মই দিয়া উঠছিলাম । মই নিচে পড়ে গেছে । আমাকে নামান ।
আবির : হায় রে এই মেয়েটা ।
আমি : আরে মেয়ে মেয়ে পরে কইরেন । আমাকে নামান ।
আবির : হাহা কই আছেন ?
আমি : বাড়ির বাগানের আম গাছে । জ্বলদি আছেন প্লিজ ।
আবির : আসতেছি ।
.
আবির আসলো….
আবির : বাহ মিস পেত্নি কে তো দারুণ লাগতেছে ।
আমি : ওই নামান আমাকে আগে
আবির : আমি কেনো নামাবো ?
আমি : প্লিজ নামান আমি কিটক্যাট দিবো আপনাকে ।
আবির : এক শর্তে
আমি : রাজি রাজি
আবির : আমার কথা শুনতে হবে
আমি : ওকে নামান ।
.
আবির গাছে উঠলো আর আমাকে নামাতে হেল্প করলো । আমি নামার পর….
আমি : মানি না মানবো না আপনার কথা মানবো না হিহি।
আবির : চিটার
আমি : হিহি আম খাবেন ? দেখেন কতোগুলো পেরেছি ।
আবির : না আপনি খান
আমি : তা খাবেন কেনো আপনি তো তিতা জিনিস সরি কফি খাবেন ।
আবির : হুম
আমি : দুরররর কথা বলা বেকার
আবির : হুমমমম
আমি : ওই হুম হুম থামান টেম্পরারি হাজবেন্ড
আবির : হুমমমম
আমি : ওই বেকামুখো
আবির : মানে
আমি : হুম
আবির : ওটা মানে কি ?
আমি : হুম
আবির : শোধ তুলছেন ?
আমি : হুম । হিহি আমি যাই কাঁচা আম গুলো মাখাবো ।
আবির : আচ্ছা
.
.
কিছু সময় পর আমগুলো মাখিয়ে আবিরের কাছে নিয়ে গেলাম ।

আমি : নিন খান
আবির : আমি এসব খাই না বলেছিলাম না
আমি : আরে একটু খান
আবির : না
আমি : একটু
আবির : না মানে না
.
আমি জোড় করে খাওয়াতে গেলাম । উনি চিৎকার করে
আবির : বললাম না খাবো না । এতো বাড়াবাড়ির কি আছে ? আপনি কে আপনি কে আমার যে এতো জোড় করছেন ।
আমি : সরি ( আগেও বলেছি আমার উপর কেউ সামান্য চিৎকার করলে আমার কান্না চলে আসে )
.
আমি কেঁদে চলে গেলাম ।
আবির ভাবছে ( আন্দাজি চিৎকার করলাম । মেয়েটা কেঁদেই ফেললো )
.
কিছু সময় পর….
দুপুরে…..
খাওয়ার টেবিলে…..
আবির : ( ভাবছে আমার দিকে একবারো তাকাচ্ছে না । বেশিই বকে ফেললাম নাকি ?)
আম্মু : জামাই কে দে
আমি : তুমি নিজেই দাও
আম্মু : আচ্ছা
.
আমি খাওয়া করে উঠে গেলাম ।
আম্মু : বাবা রাগ করো না । ও একটু রাগ করে । একটু জেদীও ।
আবির : হুম না ব্যাপার না ।
.
বিকালে…..
আবির : ( ভাবছে আনহা কে সরি বলা দরকার । কিন্তু কই সে ?
.
বাইরে বাচ্চাদের হাসার আওয়াজ শুনা যাচ্ছে । আনহা ওখানে নাকি )
.
আবির বাইরে গেলো । দেখে আনহা পিচ্চি দের সাথে কুত কুত খেলছে ।
আবির : ( হাহা এই মেয়ে সত্যি বড় নাকি পিচ্চি )
.
আমি খেলছিলাম । এমন সময় মি. আবির কে দেখে পড়ে যাই ।
আবির : ( জোড়ে হেসে ফেলে )
.
আমি রাগী লুকে আবিরের দিকে তাকাই
আমি : হেসে লাভ নাই পারলে খেলে দেখান
আবির : এ আর এমন কি ।
.
আবির খেলতে গেলো । কিন্তু সহজেই পড়ে গেলো ।
আমি এটা দেখে হাসতে হাসতে শেষ ।
আমি : হিহি পারে না পারে না
.
আবির এবার রাগী লুক আমার দিকে দিলো ।
.
কিছু না বলে চলে গেলো ।
.
কিছু সময় পর আমিও রুমে গেলাম । হাতমুখ ধুয়ে ফেললাম ।
.
আবির এবার উঠে আমার হাত ধরে ফেললো ।
আমি : এ্যা হাত ধরেছেন কেনো ?
আবির : খুব হাসি পাচ্ছিলো তাই না ?
আমি : হিহি আপনি তো খেলতেও পারেন না
আবির : হুহ
আমি : একটা কথা বলবো ?
আবির : হুম
আমি : আপনার পিছনে তেলাপোকা ।
.
আবির হাত ছেড়ে পিছনে তাকালো । এই সুজোগে আমি দৌড় ।
.
.
তারপর আর বিকালে আবিরের সামনে যাই নাই ।
.
সন্ধ্যার আগে আগে আমি ছাদে বসে বসে আইস্ক্রীম খাচ্ছিলাম । এমন সময় কে জানি কাধে হাত দিলো ।
আমি : কে রে ?
.
পিছনে ঘুরে দেখি মি. আবির ।
তাড়াতাড়ি পালানোর জন্য উঠে দৌড় মারতে চাইলাম কিন্তু পড়ে যেতে ধরলাম ।
.
আবির আমাকে ধরে ফেললো । ওই টাইমে আমার বিভিন্ন মুভির রোমান্টিক সিন গুলো মনে পড়তেছিলো । মি. আবিরও আমার দিকে তাকায় ছিলো ।
আমি : তুলুন
.
( হায় কপাল । কি ভাবছেন কি হলো ? হালায় হাত ছেড়ে দিলো )
আমি : আমার কোমর আল্লাহ গো
আবির : সরি সরি ভুলে হয়ে গেছে ( আসলে ওর দিকে তাকায় কিছুটা হারিয়ে গেছিলাম । হঠাৎ ও কথা বলায় হুশ ফিরছিলো আর হাত টা ভুলে ছেড়ে গেছিলো )
.
আমি : আপনি না ফুলললল রাক্ষসসসস
আমাকে এবার তুলুন ।
.
আবির : হুম হাত দেন
.
আমি : না থাক আমি নিজেই উঠে যাবো । আপনার ভরসা নাই আবার আমাকে ফেলে দিবেন ।
.
চলবে……..