Friday, August 15, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2448



রোমান্টিক_অত্যাচার_১৮_অন্তিম_পর্ব

1
রোমান্টিক_অত্যাচার_১৮_অন্তিম_পর্ব লেখিকাঃ #Israt_Jahan ধারনাঃ #Kashnir_Mahi
আশফিঃ মাহি?মাহি? কোথায় তুমি? আশ্চর্য এই সন্ধ্যার সময় মেয়েটা কোথায় গেলো?ডাকছি কোনো সাড়া শব্দ নেই। মাহি? এই মাহি? মাহিঃ কি হয়েছে? এত খোঁজ কেনো? আশফিঃ খোঁজ নেবো না মানে? তার আগে বলো তুমি কোথায় ছিলে এতক্ষণ? আমি তোমাকে কখন থেকে ডাকছি। তুমি শুনতে পাওনি?? মাহিঃ না শুনতে পাইনি। বাগানের ঐ দিক টা তে ছিলাম। আশফিঃ এই সময়ে তুমি বাগানের ঐ দিক টাতে কি করছিলে? মাহিঃ (নিশ্চুপ)?? আশফিঃ মাহি?? কি হয়েছে? বলো আমাকে? এদিকে এসো, আমার কাছে এসো। এখন বলো কি হয়েছে? মন খারাপ কেনো? মাহিঃ তুমি ভুলে গেছো। আশফিঃ না আমি ভুলিনি। কাল তোমার জন্মদিন। তো এতে মন খারাপের কি আছে? মাহিঃ আশফি মা এখানে নেই। মাকে খুব মনে পড়ছে দেখতে ইচ্ছে করছে মাকে। এটাই কি স্বাভাবিক না? আশফিঃ ও এই ব্যাপার? তাই বলো। তো ফোনে কথা বললেই তো হয়, ভিডিও কল করো। মাহিঃ আশফি?? আমি মাঝে মাঝে সত্যি তোমাকে চিনতে পারিনা। আশফিঃ রাগ করে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো। এই মাহি উঠো না। তোমার সাথে কত গল্প করতে চাইলাম আমি। কি হলো উঠবেনা? ঠিক আছে। তাহলে আমি ও একটু রেস্ট নিই। ১১:৪৮ বাজে। না খেয়েই ঘুমিয়ে পরলো মেয়েটা। একটু বেশিই আবেগি। মাহিঃ উফফ এভাবে মাঝরাতে এলার্ম বাজার কোনো মানে হয়? এই শুনতে পাচ্ছো এলার্ম টা অফ করো? কি হলো? ধুর বাবা আর ভালো লাগেনা। আশফি? আরে ও কোথায়? এ কি সারা ঘরে মোমবাতি জ্বালানো কেনো? ওহ্ মনে পড়েছে সারপ্রাইজ!! আমি সত্যিই সারপ্রাইজড।?এভাবে মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গিয়ে কে বলেছিল ওকে সারপ্রাইজ দিতে? আমি বিছানা থেকে উঠে ওকে খুঁজতে গেলাম। হঠাৎ কেউ আমার সামনে এসে দাড়ালো। আমি জানি এটা আশফি ছাড়া কেউ হতে পারেনা। আমি ঘরের লাইট টা জ্বালিয়ে দিলাম। হুম উনিই আমার সামনে দাড়িয়ে আছেন। মুখ চিপে হাসছেন। কি হয়েছে? এভাবে অন্ধকারে চুরেলের মত দাড়িয়ে হাসছো কেনো? আরে…..আজব হেসেই যাচ্ছে তো হেসেই যাচ্ছে। এই?হাসি বন্ধ কর(ধমকের সুরে)। কি হয়েছে?? মাঃ মাহি???? মাহিঃ? মা?? তুমি? মাকে জড়িয়ে ধরলাম। মা তুমিও ওর মত শিখে গেছো তাইনা? মাঃ হ্যা। খানিকটা। সব ওর ই প্ল্যান ছিল। আশফিঃ হুহ?কত রাগ ই না দেখালো আমাকে? না খেয়েই শুয়ে পড়লো। আবার বলে কিনা আমি চুরেল।?? মাঃ আচ্ছা এখন থাম। আমি খাবার রেডি করছি। আজকে তোদের দুজনকেই আমি খাইয়ে দিব। মাহিঃ অনেক খুশি লাগছে আমার। তাহলে এই সারপ্রাইজ ছিল আমার জন্য! কি হয়েছে ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? আশফিঃ হুহ? তাকাচ্ছিনা আর। আমি মুখটা ঘুরিয়ে বেরিয়ে আসতে গেলাম ও তখন আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। মাহিঃ এই তুমি এতো কিউট কেনো? আশফিঃ না তো। আমি তো চুরেল। মাহিঃ উহুম। তুমি তো আমার Little heart. ? আশফিঃ তাই? তাহলে লিটিল করে একটা পাপ্পি দাও। মাহিঃ হুম???
আশফিঃ হুম। ও একটু উঁচু হয়ে আমার ঠোঁটে চুমু দেওয়ার জন্য এগিয়ে এলো তখন মামনি পেছন থেকে ডাক দিল খেতে আসার জন্য। তাই আর পাপ্পিটা নেওয়া হলোনা। রাতে খেয়ে দেয়ে আমরা সবাই একসাথে বেডরুমে বসে গল্প করছি। মাহি মামনির কাঁধের ওপর মাথা রেখে গল্প শুনছে আর আমি মামনির কোলের ওপর মাথা রেখে শুয়ে আছি। মামনি তুমি কিন্তু আজকে ওর কাছে থাকবেনা আমার কাছে থাকবে। মাঃ আচ্ছা সে দেখা যাবে তোরা ঘুমোবি কখন? মাহিঃ মা আর একটু গল্প করিনা। আজকের এই রাতটা আমার জীবনের সব থেকে শ্রেষ্ঠ্য রাত। মাঃ কথা বলতে বলতে অনেক সময় পার হয়ে গেছে। দুটোই ঘুমিয়ে পরেছে। মাহি কে শুইয়ে দিলাম আর আশফির মাথার নিচে বালিশ দিয়ে আমি রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। ★সকালবেলা★ আশফিঃ রাতে এভাবেই ঘুমিয়ে পরেছিলাম? ওটা কোথায় গেলো? বাহ্ কি সুন্দরভাবে ঘুমিয়ে আছে। আর একটু ওপাশ ঘুরলেই তো নিচে ঠাস। সকাল সকাল একটু মজা নেওয়াই যায় ওর সাথে। ওর কাছে গিয়ে ওর কানে জিহ্বা দিয়ে হালকা ভাবে শুরশুরি দিলাম। আর তখনই ওপাশ ঘুরেই নিচে পরে গেলো। মাহিঃ আহ্। আশফি?? তুমি আসলেই একটা গন্ডার। না হলে এরকম কেউ করে? আশফিঃ গন্ডার আমি না তুমি। যেভাবে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছিলে।? এখন উঠো। উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও। আজকে আমরা সারাদিন বাইরে সময় কাটাবো। মাহিঃ সত্যি???ঠিক আছে আমি এক্ষনি যাচ্ছি। তারপর আমি আশফি আর মা সবাই একসাথে বাইরে ঘুরতে এলাম। অনেক এনজয় করছি। এতো খুশি হয়তো আমি কোনোদিনও হয়নি। আশফি মায়ের ছবি তুলছে আর আমি ওর পাশে দাড়িয়ে আইসক্রিম খাচ্ছি। ওর সাথে একটু দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে হলো। তাই ঠোঁটে একটু আইসক্রিম জড়িয়ে ঠোঁট টা কিসের স্টাইল করে নাক শিটকোচ্ছি ওর দিকে তাকিয়ে। ও তখন আমার দিকে ঘুরে আমার ঠোঁট থেকে আইসক্রিম টুকু চেটে খেলো। আমি তখন ছোট্ট করে একটা স্মাইল দিলাম। আর আশফি তাকিয়ে হেসে দিল। আশফিঃ মাহি আমাদের এখন আর একটা জায়গায় যাওয়ার আছে। মাহিঃ কোথায়? আশফিঃ তোমার বাবার কবর জিয়ারত করতে। তারপর ওদের নিয়ে বাবার কবর জিয়ারত করছি আমরা। মামনি খুব কাঁদছে ওনার কবরের সামনে দাড়িয়ে। আমি আর মাহি ওনার জন্য দোয়া করে এক পাশে এসে দাড়িয়ে আছি। মামনি ওনার কবরের সামনে দাড়িয়ে ওনার জন্য দোয়া করছেন। হঠাৎ দুজন লোক মামনির পেছনে এসে দাড়ালো। ওরা কিছু করার আগেই আমার গার্ড ওদের শুট করে দিল। আমি তখন মামনি কে ওখান থেকে তাড়াতাড়ি সরিয়ে আনার জন্য এগিয়ে গেলাম তখন মাহি পেছন থেকে চিৎকার দিয়ে উঠলো। ওরা শুধু দুজন ছিলনা। চারপাশ ঘিরে ফেলেছে আমাদের। আর দুটো ছেলে মাহির মাথায় গান ধরে রেখেছে। আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলামনা। আমার গার্ডের সংখ্যা বেশি ছিলনা। আমি কোনো কিছু না ভেবেই মামনির কাছে না গিয়ে মাহির কাছে যে দুজন ছিল তাদের শুট করে দিলাম। কিন্তু আমার গার্ডের সংখ্যা মাত্র চারজন থাকায় ওরা ওদের সাথে পারছিলনা। আমি মাহির কাছে দৌড়ে যাওয়ার আগেই মাহি মা বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো। আমি একবার পেছনে তাকালাম। কিন্তু ঐ দৃশ্য আমি আর সহ্য করতে পারলামনা। ওরা যখন মাহিকে টার্গেট করে শুট করতে যাবে আমি তখন সেখান থেকে ওকে সরিয়ে নিয়ে তাড়াতাড়ি দৌড়ে এসে সোজা গাড়িতে উঠে বাসায় চলে এলাম। ওরা অনেক্ষন আমাদের গাড়ির পিছু নিয়েছিল।মাহিকে বাঁচানোর জন্য সেখান থেকে পালিয়ে আসা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিলনা । মাহি সেন্স হারিয়েছে। ওকে গাড়ি থেকে কোলে তুলে নামিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। বেশকিছুক্ষণ পর ওর সেন্স ফিরলো। সেন্স ফেরার পর ও শুধু একবার মা বলে চিৎকার করে ডেকে স্তব্ধ হয়ে গেলো। অনেক বার মাহিকে ডাকছি ও কোনো সাড়া দিচ্ছেনা। ওর এ অবস্থা দেখে ডঃ ওকে ঘুমের মেডিসিন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিল। আমি ওর এই অবস্থা তাকিয়ে দেখতে পাচ্ছিনা। আর তার ওপর আজকে চোখের সামনে যা ঘটে গেলো আমি নিজেই নিজেকে সামলাতে পারছিনা আর ও কিভাবে সেটা সহ্য করবে। চোখের সামনে ওরা মামনির গলা ছুরি দিয়ে কেটে দিল। আর আমি মামনিকে বাঁচাতে পারলামনা।কাল সকালে মামনির দাফন। আরও একজন আপন মানুষ আমার চোখের সামনে মারা গেলো আমি কিচ্ছু করতে পারলামনা। আমি কিভাবে মামনির দাফন কার্য সম্পূর্ণ করবো?( কেঁদে বলছিল)। সারা রাত মাহির পাশে বসে আছি আর চোখের পানি ফেলছি। ঠিক সেই দিনটার মত আজকে আবারও নিজেকে অসহায় লাগছে। আর পারছিনা এসব সহ্য করতে। আমি এবার সত্যি মরে যাবো। না আমি এসব কি ভাবছি আমাকে তো মাহির জন্য বাঁচতে হবে। ওকে সামলাতে হবে। আমি এভাবে ভেঙ্গে পরলে ওর কি হবে। নিজেকে বহু কষ্টে সামলে নিলাম। ভোর হয়ে গেছে মাহি কে কড়া ডোজের ঘুমের মেডিসিন দিয়েছে তাই এখনো ঘুমাচ্ছে। আমি মামনির জানাযার ব্যবস্থা করছি। মাহি ঘুম থেকে উঠেছে কখন আমি খেয়াল করিনি। মামনির লাশের পাশে বসে মামনির মুখের দিকে তাকিয়ে আছে নিরবে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে শুধু কাঁদছি। এর মাঝে পুলিশ এসে আমাকে বললো এবার ও কোনো এভিডেন্স কালেক্ট করতে পারেনি। আমি শুনে শুধু চুপ করে দাড়িয়ে আছি আর চোখের পানি ফেলছি। কিছুক্ষণ পর মামনির দাফনের ব্যবস্থা করে বাসায় ফিরলাম। মাহি ঠিক আগের স্থানেই পাথরের মত হয়ে বসে আছে যেখানে বসে ছিল মামনির কাছে। ওর এরকম অবস্থা দেখে আমার মাথা কাজ করছেনা। এত বড় ধাক্কা পেয়েছে ও। এতে ওর আবার বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাবেনা তো। আমি তাড়াতাড়ি ওর কাছে গেলাম। মাহি? এই মাহি? তুমি কোনো কথা বলছোনা কেনো? তুমি কি খুব অসুস্থ বোধ করছো? দাড়াও আমি এক্ষনি ডঃ কে ফোন করছি। মাহিঃ আশফি, আমি একদম ঠিক আছি। (স্বাভাবিক কন্ঠে) আশফিঃ কথাটা বলে ও উঠে রুমে চলে চলে গেলো। ও কি আমার ওপর অভিমান করেছে? আমি মামনি কে বাঁচাতে পারিনি বলে? হ্যাঁ এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু ও আমার থেকে এভাবে দূরে চলে গেলে আমি কিভাবে বাঁচবো? আমি রুমে গেলাম। দেখলাম ও বসে মামনির ছবির দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছে। কিন্তু ওর চোখে কোনো পানি নেই। ওর এই স্বাভাবিক থাকাটাই আমার কেমন যেনো অস্বাভাবিক লাগছে। আমার চোখ থেকে এখনো অঝরে পানি পরেই যাচ্ছে কিন্তু ও কিভাবে এতো স্বাভাবিক আছে? আমাকে ওর সাথে কথা বলতে হবে। আমি ওর কাছে গিয়ে বসলাম। আমি ওকে কিছু বলার আগেই ও কথা বললো। মাহিঃ আশফি? মায়ের বডি কি পোস্টমর্টেম করা হয়েছে?? আশফিঃ আমি ওর এই কথা শুনে অবাক না হয়ে পারলামনা। না, আমি করতে দেইনি। আমি চাইনি মামনির শরীর ক্ষত বিক্ষত করুক ওরা। মাহিঃ হুম। অনেক ধন্যবাদ। আশফিঃ দিন পেরিয়ে রাত হয়ে গেলো। মাহি সবকিছু কেমন স্বাভাবিক ভাবে যেনো মেনে নিচ্ছে।সব কজ করছে স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু মুখে কোনো হাসি নেই। রাতে ডিনার করে ও এসে শুয়ে পরলো। ওকে দেখে আমার খুব টেনশন হচ্ছে। আমি পাশে গিয়ে শুয়ে পরলাম। ও কোনো কথা বলছেনা। ঘুমিয়ে পরেছে হয়তো। রাত ২:৩০ টা বাজে আমার চোখে এখনো ঘুম নেই। আমি উঠে বেলকোনি তে গিয়ে দাড়ালাম।মামনির সাথে কাটানো সময় গুলোর কথা ভাবছি আর চোখের পানি ফেলছি। নাহ্ এভাবে আর চোখের পানি ফেলে সময় নষ্ট করবোনা। এক এক করে সবাইকে ওরা কেড়ে নিচ্ছে। মাহির কোনো ক্ষতি হওয়ার আগে আমাকে ওদের মোকাবেলা করতে হবে তাতে যা হওয়ার হবে। পুলিশের ওপর আর ডিপেন্ড করা যাবেনা। মাহির কথা মনে পড়ে ঘরে এলাম। এ কি মাহি কোথায়? নিচ থেকে(ড্রয়িংরুম)গুলির শব্দ এলো আমি দৌড়ে নিচে নেমে গেলাম। দেখলাম ও একটা শ্যাম্পেইনের বোতলের মিড পয়েন্টে গুলি করার চেষ্টা করছে কিন্তু বার বার মিস হচ্ছে। আমি পেছন থেকে ওর দুহাত বোতলের মিড পয়েন্টে তাক করে ধরে শুট করলাম। এবার গুলিটা বোতলের মাঝে লেগে ভেঙ্গে গেলো। তারপর ও হাত দুটো নিচে নামালো। নিঃশব্দে দাড়িয়ে কাঁদছে আমি ওকে বাঁধা দিচ্ছিনা। ও সামনে ঘুরে আমাকে জড়িয়ে ধরে একবার মা বলে ডেকে কেঁদে উঠলো। আমিও নিজেকে সামলাতে পারলামনা। ওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছি। তারপর ওকে ঘরে নিয়েলাম। মাহিঃ আশফি আমি নিজেকে বদলাতে চাই। আশফিঃ আমি বুঝতে পেরেছি ও কি বলতে চাচ্ছে। ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে ওকে ঘুমাতে বললাম। খুব ভোরে মাহি আমাকে ডেকে তুললো। আজ থেকে মাহি নিজেকে নতুন করে প্রস্তুত করবে। মাহির এই উদ্যম তেজ ই আমাকে নতুন করে শক্তি দিচ্ছে। মাহিঃ আশফি? শুরু করা যাক। আশফিঃ হুম। এসো। আমি মাহিকে শুট করা থেকে শুরু করে কুংফুর প্রতিটা স্টেপ শেখালাম। বেশি সময় লাগেনি। ৩ মাসের ভেতর মাহি নিজেকে যথেষ্ট পারফেক্ট ভাবে গড়ে তুলেছে। মাহিঃ আশফি, আমি ভেবে নিয়েছি আমার সব প্রপাটি বেসরকারি যে প্রতিবন্ধী দের হেল্প ফান্ড রয়েছে সেখানে দিয়ে দিব। আর তুমি এটা আজই নিউজপেপারে হেডলাইন করে দাও। আশফিঃ ওকে ডিয়ার।(মুচকি হেসে) মাহিঃ আজকে সন্ধ্যাই আমি আর আশফি গাড়িতে করে কোর্টের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম কোনো বডিগার্ড ছাড়াই। তারপর যেটা হলো আমাদের দুপাশে দুটো গাড়ি এসে আমাদের গাড়িটা আটকে ধরলো। আমরা সারেন্ডার করলাম ওদের সামনে। ওরা কিছুটা অবাক হয়ে আমাদের কিছু না করে ওদের বসের কাছে নিয়ে গেলো। আমাকে একটা রুমে আটকানো হলো। আর আশফিকে আমার কাছ থেকে নিয়ে গেলো। আমি তো চুপচাপ বসে আছি আমি জানি আমার আশফি এখন কি করছে। এখন শুধু চারপাশ থেকে গুলির আওয়াজ আসছে। শুধুমাত্র ওদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এতো প্ল্যান। এখন সব গার্ড এখানে পৌঁছে গেছে। চাইলে পুলিশ কে ইনফর্ম করতে পারতাম। কিন্তু আমি নিজে চোখে ওদের মৃত্যু দেখতে চাই। হঠাৎ ২ টা রোবট ভেতরে ঢুকে আমাকে বের করে নিয়ে ঐ শয়তান টার সামনে নিয়ে গেলো। তার মানে কি? আশফি কিছুই করতে পারেনি। গিয়ে দেখলাম ওরা সত্যি আশফি কে ধরে রেখেছে। তবে এরা কেউ মানুষ নয়। সবাই রোবট। এই শয়তানটার এতো ক্ষমতা তবুও এই প্রপাটির জন্য এত কিছু করেছে শুধুমাত্র সমাজের সামনে ছদ্মবেশে থাকার জন্য। আমাকে আশফির পাশে নিয়ে দাড় করালো। আশফি? এখন কি হবে? মানুষ গুলোকে shoot করা গেলেও এদের কি করবে? আশফিঃ ডিয়ার এতো টেনশন নিওনা। একটু পরেই এই রোবট গুলো একাই থেমে যাবে। মাহিঃ কিভাবে?? আশফিঃ হুম। আমি জানতাম ওর অনেক পাওয়ার তাই সে ব্যবস্থা আমি এখানে ঢুকেই করেছি। আমার গার্ড দের ইনফর্ম করে দিয়েছি। ওরা সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। এই রোবট গুলোর প্রত্যেকটা র মেইন সফটওয়্যারে একই কোড দেওয়া। আমার একটা গার্ড অলরেডি ঐ সফটওয়্যার এর কোড হ্যাক করে রেড বাটনে ক্লিক করে দিয়েছে। প্রসেসিং চলছে। আস্তে আস্তে সবগুলোই মাটিতে পরে যাবে। মাহিঃ ওয়াও ইউ আর সো ব্রিলিয়ান্ট। অলরেডি রোবট গুলোর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে জ্যাক কং(মাফিয়ার leader) চিল্লা চিল্লি করছে আর আমাদের জাপানিজ language এ গালাগাল দিচ্ছে। তারপর ওর ছেলে কে ইশারায় আমাদের মেরে দেওয়ার কথা বললো। তখন পেছন থেকে জ্যাক কং এর ছেলে আশফির মাথায় গানের পেছন দিয়ে আঘাত করলো। ও মাথা ধরে নিচে বসে পরলো। আশফির মাথার রক্ত দেখে নিজেকে আর কনট্রোল করতে পারিনি। সোজা ওর তল পেটে গায়ের সমস্ত জোড় দিয়ে লাথি মেরে দিয়েছি। আমাকে শুট করার আগে ওর হাত থেকে গান টা কেড়ে নিয়ে সোজা ওর কপালে শুট করে দিয়েছি। এবার জ্যাক কং আমাকে মারার জন্য এগিয়ে এলো। আশফি উঠেই ওকে মেরে নিচে ফেলে দিল। কিন্তু তারপরেও নিজেকে সারেন্ডার করছেনা। একবার মনে হলো আমি নিজেই ওর গলা কেটে নামিয়ে দিব। কিন্তু আমার হাত কাঁপছিল। সাহস পাচ্ছিলামরা। আমি আশফিকেই এই কাজ টা করতে বললাম। আমি পেছন ঘুরে আছি। আশফি ছুরি দিয়ে ওর গলা কেটে নামিয়ে দিল। আমি চোখ বন্ধ করে আছি। আর ঐ শয়তানটার আতর্নাদ শুনতে পাচ্ছি।
আশফিঃ Dear.Let’s go. মাহিঃ আমি আশফির ডাক শুনে ওর দিকে তাকালাম। বিজয়ের হাসি দেখতে পাচ্ছি ওর ঠোঁটের কোণে। আশফিঃ ও আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বুঝতে পারছি ও কতোটা খুশি। আমি ওর কাছে গিয়ে ওর ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে ওকে নিয়ে বেরিয়ে এলাম। ★★Marriage anniversary ★★ এক বছর পূর্ণ হলো ওদের বিয়ের। আশফিঃ মাহি জলদি উঠো। আজকের দিনেও এভাবে ঘুমোবে? আমাদের তো বেরোতে হবে? কি ঘুম!! আমি ডেকেই যাচ্ছি আর ও শুধু হুম হুম করছে। আমি ওর কাছে গিয়ে ওর নাকের মাথায় ছোট্ট করে কামড় দিলাম। মাহিঃ উহহহ। আশফি?? কি করছো বলো তো? এভাবে কেউ ঘুম ভাঙ্গাই? আশফিঃ আমি তোমাকে ডাকছি কখন থেকে? তুমি কি ভুলে গেছো আজকে কি? মাহিঃ একদম না। আশফিঃ তাহলে তাড়াতাড়ি উঠো। যাও ফ্রেশ হয়ে নাও। ও ফ্রেশ হয়ে বাইরে এলো। ওকে নিয়ে আমাদের দুজনের বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করে বাসায় ফিরলাম। ও এসে আবার শুয়ে পরলো। মাহি এসব কি? মাহিঃ কি? আশফিঃ আজকে আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। বাসায় পার্টির arrangement করতে হবে। কত guests আসবে জানো তুমি?? মাহিঃ খবরদার। বাসায় একদম পার্টির কোনো arrangement করবেনা। আজকের দিন আর রাত টা শুধু আমি আর তুমি একা উপভোগ করবো। আশফিঃ Really?? মাহিঃ ওর হাতটা ধরে এক টানে আমার কাছে নিয়ে এলাম। হুম… Really. তারপর আমি ওর গালে চুমু দিতে শুরু করলাম। আশফিঃ মাহি কি করছো? সবাই তাকিয়ে দেখছে তো। মাহিঃ উফফ সবাই এখানে কোথা থেকে এলো? আশফিঃ আরে সামনে তাকিয়ে দেখো পাবলিকেরা তাকিয়ে আছে। মাহিঃ তাই নাকি?? ওহহো তাই তো। প্লিজ প্লিজ আপনারা অনেক দেখেছেন এবার থামুন। আর দেখতে হবেনা। আশফিঃআমরাও আর দেখতে দেবোনা। তারপর মাহি আশফি কে নিয়ে কম্বলের নিচে ঢুকে পরলো। এরপর বাকিটা ওদের মাঝেই থাক। ———–সমাপ্ত———– (অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার গল্পটাকে আপনারা এভাবে সাপোর্ট করেছেন। এটাই আমার ১ম লেখা ছিল। ভাবিনি এত পরিমাণ সাপোর্ট পাবো আপনাদের। জানি গল্পের কথাগুলো সেভাবে সুন্দর করে সাজিয়ে লিখতে পারিনি। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আর গল্পটাকে একটু ফিল্মি স্টাইলেই লিখলাম শুধুমাত্র একঘেয়েমিতা দূর করার জন্য। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)
 

রোমান্টিক_অত্যাচার_১৭

1
রোমান্টিক_অত্যাচার_১৭
লেখিকাঃ #Israt_Jahan
ধারনাঃ #Kashnir_Mahi
————————–
আশফিঃ হয়েছে হয়েছে আর কিছু করতে হবেনা। আশে পাশে গার্ডরা ঘোরাফেরা করছে। ওরা দেখে ফেলতে পারে।
মাহিঃ এই তুমি কি? হ্যা? তুমি এখানেও ওদেরকে নিয়ে এসেছো? আমরা কি কোথাও গিয়েও একাকিত্ব ভাবে সময় কাটাতে পারবোনা?
আশফিঃ মাহি তুমি তো জানোই সবকিছু। তারপরেও কেনো এমন করো? এখন ঐ মাফিয়ার বাচ্চা তো আরও বেশি ক্ষেপে আছে। এই প্রপাটি ভোগ করেই ও এতদূর পর্যন্ত এসেছে। এখন সেটা ওর হাতছাড়া হয়ে গেলো। ও মাফিয়া সবার আড়ালে আর সবার সমানে ও একজন বিজনেসম্যান। ওর বিরুদ্ধে পুলিশ পর্যন্ত তেমন এভিডেন্স জোগাড় করতে পারেনি।
মাহিঃ থাক আমি এসব শুনতে চাচ্ছিনা। তুমি বাসায় চলো। আর ভালো লাগছেনা থাকতে।
আশফিঃ ডিয়ার এভাবে রাগ করলে চলে? আমাদের তো আরও কত প্লান ছিল। আমরা বাইরে থেকে ডিনার করে যাবো।
মাহিঃ না আমি এখনি যাবো। তুমি না গেলে আমি চলে যাচ্ছি থাকো তুমি।
আশফিঃ এই মাহি? আরে… দাড়াও। কি রাগ মেয়েটার?
তুমি এভাবে রাগ করে বাসায় চলে আসলে আজকে কতো প্লান ছিল আমাদের। এই তুমি আমার সাথে কথা বলবেনা??খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
মাহিঃ আমার এমন ধরনের জীবন ভালো লাগছেনা। কি বোরিংফুল লাইফ আমার। কান্না করতে ইচ্ছা করছে।
আশফিঃ ঠিক আছে কান্না করো।
মাহিঃ কি ধরনের এগুলো? তুমি দেখছো আমার মন খারাপ। তাহলে তুমি কেনো ল্যাপটপ নিয়ে বসলে?
আশফিঃ কাজ আছে তাই।?
মাহিঃ তাহলে আমি কি করবো? আমার খুব বোরিং লাগছে।
আশফিঃ এর জন্যই তো বলেছিলাম বাইরে কিছু সময় কাটাতে। এখন আর কি করবে dance করো।
মাহিঃ না তুমি আমার সাথে গল্প করবে। ওটা রাখো। কি হলো আমার কথা কানে যাচ্ছেনা? আমি কিন্তু এখন সত্যিই গান ছেড়ে নাচা শুরু করবো।
আশফিঃ sure..
মাহিঃ অসভ্য ছেলে?দাড়াও……
আশফিঃ মাহি একদম এই কাজটা করবেনা। তুমি ল্যাপটপ টা বন্ধ করলে আমি কি আর এটা খুলতে পারবোনা? হুহ বেচারি। এখন দেখো কেমন লাগে। বেশি রাগ করলে বেশি লস।(মনে মনে)
মাহিঃ আমি রাগ করে চলে এসে গানের সাউন্ড ফুল স্পীডে দিয়ে উড়োধারা dance শুরু করলাম।
আশফিঃ ভালোই পারে। কিছুক্ষণ পর আমি গিয়ে নাচের মাঝেই ওকে কোলে তুলে বেডরুমে নিয়ে এলাম।
মাহিঃ এই আমাকে নামাও। নামাও বলছি। তারপর ঠাস করে বিছানার ওপর ফেলে দিল। তুমি দেখতে পাচ্ছিলেনা আমি নাচ করছিলাম তাহলে কি কারণে তুমি আমাকে রুমে নিয়ে এলে??
আশফিঃ さて、ハニーでお会いしたい ( Sate, hanī de o ai shitai)
মাহিঃ কি? কি বলো এসব? কিছুই তো বুঝিনা।
আশফিঃ মানে এখন আমি তোমার সাথে মধুর মিলনে যেতে চাই।
মাহিঃ How cheap!! একদম আমার কাছে আসবেনা কিন্তু।
আশফিঃএকদম চুপ। কোনো কথা বলবেনা। এমনি সময় তো রোমান্স করার জন্য পাগল হয়ে যাও আর আমি যখন কাছে আসতে চাই তখনই আবার সেই আগের মাহি হয়ে যাও। ঠিক আছে যাও আর কাছেই আসবোনা তোমার। তারপর আর কোনো কথা না বলে ওর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
মাহিঃ ভালো হয়েছে। রাগ করেই থাকেন। সকালে ব্রেকফাস্ট করে আশফি বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে কিন্তু অফিস যাওয়ার জন্য নয়। তাহলে কোথায় যাবে ও? আশফি তুমি কোথায় যাচ্ছ?
আশফিঃ অনেক দিন প্রাকটিস হয়না। আজকে একটু কুংফু প্রাকটিস করে আসি। চলো তোমাকে ও নিয়ে যায়।
মাহিঃ না। আমি গিয়ে কি করবো?
আশফিঃ শিখিয়ে দিব। চলো।
মাহিঃ ওগুলো তোমার কাজে আসবে আমার না। ওসব জিনিস আমি শিখবোনা।
আশফিঃ আগে চলো। তারপর দেখা যাবে। ওকে নিয়ে কুংফু মাস্টারের কাছে গেলাম। ওর সাথে মাস্টারের পরিচয় করিয়ে দিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় এসে আমি প্রাকটিস করছি। আর ও শুধু ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তারপর উঠে আমার কাছে এলো। কি হয়েছে? শিখবে?
মাহিঃ হুম।
আশফিঃ ভেরি গুড। তাহলে চলো 1st step থেকে শুরু করি।
মাহিঃ না আমি এই স্টেপ থেকেই শিখবো।
আশফিঃএটা থেকে তো তুমি শুরু করতে পারবেনা। কুংফুর এক একটা ধাপ আছে। হুট করেই মাঝ থেকে শেখা যায়না।
মাহিঃ না না না। আমি এটাই শিখবো। তুমি এটাই শেখাবে আমাকে।
আশফিঃ আ…। আচ্ছা ঠিক আছে। দেখো পারো কিনা। আমাকে পেছনে থেকে ধরে কিভাবে শিখবে? ? এখানে এসো সামনে।
মাহিঃ তুমি করো না। আমি তোমাকে ফলো করছি। তুমি হাত পা যেভাবে মুভ করবে আমি সেভাবেই মুভ করবো।
আশফিঃ ওকে।
মাহি তুমি কি করছো? তুমি কি কুংফু শিখছো নাকি রোমান্স করছো? কোনটা? মাহি তুমি শুনতে পাচ্ছো আমি কি বলছি সবাই দেখছো কিন্তু। তোমার যত রোমান্স কি বাইরে আসলে শুরু হয়ে যায়?
মাহিঃ চুপ করোনা। কেউ দেখছেনা।
আশফিঃ সামনে একবার তাকিয়ে দেখো।
মাহিঃ ওর কথা শুনে সামনে তাকিয়ে দেখলাম। সবাই সত্যি কিভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে ফ্রি তেই রোমান্টিক ফিল্ম দেখছে। আমি লজ্জা পেয়ে সেখানে থেকে সরে আসলাম।
আশফিঃ এখন লজ্জা পেয়ে সরে গেলো। এই মেয়েটা মনে হয় এখনও পাগল আছে। সবাই এখনও দাড়িয়ে তাকিয়েই আছে। আমি ওদের দিকে তাকিয়ে বললাম, কি হয়েছে? শেষ তো। এবার আমার কথা শুনে সবাই একটু লজ্জা পেয়ে চলে গেলো। ওকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। আচ্ছা তোমার কি সবার সামনে গেলে রোমান্স করতে ইচ্ছে হয়? আর কিছুই তো শিখলেনা।
মাহিঃ না আসলে তুমি যখন প্রাকটিস করছিলে। তোমাকে দেখে কেমন যেনো একটা আকর্ষণ কাজ করছিল আমার ভেতর।
আশফিঃ হ্যা। আমি বাইরে থাকলেই তোমার ভেতর আকর্ষণ কাজ করে। বাসায় থাকলে একদম আমিষ less হয়ে থাকো। আর এটা শিখলে কখনো কাজে ও আসতে পারতো? এটাও শিখলেনা(কুংফু)।
মাহিঃ ওগুলো কোনো কাজে আসবেনা আমার।আর কি বললে তুমি? বাসায় থাকলে আমি তোমাকে একদম আদর করিনা??
আশফিঃ হুম। খুব করো।
মাহিঃ আমি ওর কাছে গিয়ে ওকে ধাক্কা দিয়ে বিছানার ওপর ফেলে দিলাম।
((“১৮+ অংশ”))
আশফিঃ ওহ….মাই….গড। এই প্রথম আমি মাহিকে নতুন ভাবে দেখছি। ও গা থেকে টপ টা খুলে ফেলে আমার কাছে চলে এলো অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়ার মত। মাহি তুমি ঠিক আছো?
মাহিঃ উন্মাদ মনে হচ্ছে?? যেটা ভাবতে পারো। I don’t care. ওকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। তারপর…………..?
আশফিঃ মাহি আমার বুকের ওপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর মাত্র ২ দিন বাকি আছে ওর জন্মদিনের। অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ ওয়েট করছে ওর জন্য। ও চিন্তাও করতে পারবেনা ওর জন্য কি সারপ্রাইজ রেখেছি আমি।
চলবে………

রোমান্টিক_অত্যাচার_১৬

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_১৬ লেখিকাঃ #Israt_Jahan ধারনাঃ #Kashnir_Mahi —————– -আমি বাইরে যতটুকু সময় থাকবো ততটুকু সময় তুমি অনেক সাবধানে থাকবে। যতই সিকিউরিটির ব্যবস্থা থাকুক নিজের সাবধনতা নিজের কাছে। আর আমি খুব তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার চেষ্টা করবো। হুম? -ঠিক আছে। কিন্তু আমার সময় কাটবে কি করে আমি শুধু সেটা ভাবছি। তুমি চলে গেলে এই এত বড় বাড়িটা আমার কাছে শুধু কারাগার মনে হয়। আর থাকলো শুধু সার্ভেন্টস ওদের একজনের ভাষা ও তো আমার বোধগম্য হয়না। তাই ওরা থাকা ও যা না থাকা তাই। মা আসলে কি এমন ক্ষতি হতো? -এই একদম মন খারাপ করবেনা। আর মামনি কে ও আমি খুব শিঘ্রই এখানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি। একটু কষ্ট করো। আর আমি তো প্রতি সেকেন্ডে আমার বৌ এর মুখ দেখবোই। এখন আমার কাছে এসো একটু। ওকে আমার কাছে এনে কপালে ছোট্ট করে একটু খানি ভালোবাসা দিয়ে বেরিয়ে এলাম। -আশফি গান টা এখানে রেখে গেছে কেনো? নিশ্চই আমার জন্য। কিন্তু আমার কাছে এটা থাকা ও যা না থাকা ও তো তাই। আমি তো এটা ব্যবহার ই করতে পারবোনা। পাগল একটা। লাস্ট ফোন করেছিল ১২ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড আগে। আমাকে বলা হলো খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে এলো। এতক্ষণে ও কোনো খবর নেই। ধুর এরকম ভাবে কখনও সময় কাটে। বেলকোনি তে দাড়িয়ে আছি। মনে হচ্ছে রুমের মাঝে কেউ হাটাচলা করছে। বেলকোনি থেকে রুমে এলাম। আশফি? ও কখন আসলো? আর এসে এভাবে দাড়িয়ে আছে কেনো গম্ভীরভাবে? এই তুমি কখন এলে আর দেখলে যে আমি বেলকোনিতে দাড়িয়ে আছি তাহলে আমাকে ডাকলেনা কেনো? আর ফ্রেশ না হয়ে এভাবে রোবটের মত দাড়িয়ে আছো কেনো? যাও ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি যখন কথাগুলো বলছিলাম ও তখন নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল।আর আমার কথার উত্তরে ও শুধু মাথাটাই নাড়ালো। কোনো কথা বলছেনা। মুখের ভাব দেখে মনে হলো এই প্রথম বাংলা কথা শুনলো। আমি শুধু ওর হাটাচলা লক্ষ করছি। কেমন অদ্ভুত লাগছে। ওয়াশরুমে গেছে। কিন্তু এত সময় নিচ্ছে কেনো? আশফি? এই আশফি? কি করছো বলো তো এতক্ষণ? মেয়েদের মত এত সময় কবে থেকে নেওয়া শুরু করলে? ওহ্ বের হয়েছো তাহলে! আশফি তুমি কি সত্যিই ফ্রেশ হয়েছো তোমাকে দেখে তো মনে হচ্ছেনা। কি হল? কথা না বলে এভাবে আমার দিকে আগাচ্ছো কেনো? এতক্ষণে ওর চোখের দিকে আমার নজর গেলো। এই চোখ তো আমার আশফির নয়। ওর চোখে আমি কখনোই এতো হিংস্রতা দেখিনি। এ আমার আশফি হতেই পারেনা। কিন্তু কে এ? ও আমার অনেক কাছে চলে এসেছে। আমি ভয়ে চোখ টা যখনই বন্ধ করলাম ঠিক তখনই আমার কানে গুলির শব্দ এলো। চোখ খুলে দেখলাম আশফির হাতে গান আর নিচে ঐ নকল আশফি সেজে আসা ছেলেটা পড়ে আছে। মাথার পেছন থেকে রক্ত বের হচ্ছে। – সিকিউরিটি? (আশফি) -ইয়েস স্যার। -এটাকে নিয়ে আমার ডগি দের ডিনার এর ব্যবস্থা করো। -ওকে স্যার। মাফ করবেন স্যার ওকে আমাদের একদম চোখে পড়েনি। বাসার ভেতর ক্ষুদ্র কোনো প্রাণী ঢুকতে পারেনি। কিন্তু ও কিভাবে ঢুকলো বুঝতে পারছিনা স্যার। – ঠিক আছে। সেটা দেখার ব্যবস্থা কাল সকালে করছি। এখন এটা কে নিয়ে যাও। -এটা কি করে সম্ভব বলো তো। কত বড় ভুল করে ফেলছিলাম আমি। আমি তো ধরেই নিয়েছিলাম এটা তুমি। ও একদম দেখতে তোমার মত কি করে হতে পারে? -এটা কোনো ব্যাপার না এখানে। ওদের মত বড় ধরনের মাফিয়ারা যে কোনো রাস্তা অবলম্বন করতে পারে। False Face ব্যবহার করেছে ও । সেক্ষত্রে চেনার উপায় ও আছে। সেটা হল চোখ। একমাত্র চোখ দেখেই বোঝা যায় তার ফেস টা আদৌ রিয়েল কিনা। আর তুমি তোমার আশফির চোখ টা ও চেনোনা? -কেনো চিনবোনা। যখন চিনেছি তখন তো ও আমার একদম কাছে চলে এসেছিল। আর তারপরেই তো তুমি চলে এলে। -আর তোমার কাছে না আমি একটা গান রেখে গেছিলাম। সেটা কোথায়? -ঐ তো ওখানেই আছে। ওটা থেকেই বা কি হতো? আমি তো ওটা ব্যবহার করতে পারিনা। -ব্যবহার করতে পারোনা তাই বলে কি কারো সামনে ও সেটা ধরতে পারবেনা? আচ্ছা যাই হোক ও তোমাকে টাচ্ করেনি তো? -হ্যা শুধু টাচ্ কেনো? সাথে চুম্মা ও ফ্রি পেয়েছি। ওভাবে তাকিয়ে হাসছো কেনো? -আমি ওর কাছে গেলাম। শোনো এটা আমার জিনিস। এটা কেউ চাইলেও ছুতে পারবেনা। এইটুকু ভরসা আমি উপরওয়ালার ওপর রাখি।
-জিনিস?? ঐ আমি কি বস্তু? বুঝে শুনে কথা বলতে পারোনা? -তুমি তো বস্তুই। নিজেকে প্রটেক্ট করার মত ক্ষমতা রাখেনা সে তো বস্তই। -তুমি ওয়াশরুম থেকে বের হও তারপর দেখছি।রাতের খাবার শেষ করে ওর পাশে গিয়ে বসলাম। তুমি সারাদিন থাকো বাইরে। বাসায় আসার পর আবার পিসির সামনে বসলে। আমাকে কি তোমার চোখে বাঁধেনা? -আচ্ছা আমি কাজ অফ করছি। আমার কাছে এসে বসো আজকে আমরা কিছু রোমান্টিক জাপানিজ মুভি দেখি। আরে এসো না এত রাগ করো কেনো? ওকে কাছে টেনে এনে এক সাথে বসে মুভি দেখছি। মাহি? ঘুমিয়ে পড়েছো? আমার কাঁধের ওপর মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছে। ওকে শুইয়ে দিতে গেলাম তখন ও চোখ খুললো। তুমি না ঘুমিয়ে পড়েছিলে? -হুম। তোমার কাঁধের ওপর থেকে মাথা নামিয়ে দিলে কেনো? -তোমার ঘুমাতে কষ্ট হতো তাই। -আমি এভাবেই ঘুমাবো। না থাক। তুমি শুয়ে পড়ো আমি তোমার বুকের ওপর মাথা রেখে ঘুমাবো। তারপর ওকে জড়িয়ে ধরে ওর বুকের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম।আর ও আমার মাথায় চুলের মাঝে চুমু দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো। ★সকালবেলা★ -হায় আল্লাহ্ সকাল সকাল গুলির আওয়াজ কেনো? ভয়ে একদম লাফিয়ে উঠেছি। আশফি কোথায়? ও আমাকে না বলে কোথায় চলে গেলো। আজকে ওর খবর আছে ও ওর রুলস ব্রেক করেছে। উঠে সামনে বাগানের দিকে গেলাম। ওখান থেকেই গুলির শব্দ টা আসছে। ঐ তো আশফি ওখানে দাড়িয়ে আছে। এই ছেলে তুমি এখানে কি করছো? সকালে আমাকে তোমার………… -Relax dear তুমি একটু ওয়েট করো। আমি এদের ব্যবস্থা করে তারপর তোমার সাথে Romance করছি। -মানে কি???? এই তুমি এভাবে এই ছেলেটাকে শুইয়ে রেখেছো কেনো? আর ওদেরকে এভাবে এই রোদের ভেতর দাড় করিয়ে রেখেছো কেনো? – ও কে শুইয়ে রাখিনি। shoot করে দিয়েছি। এরপর আরও ক’টা কে shoot করবো? -তুমি কি মানুষ? এভাবে ঐ নিরীহ ছেলে গুলোকে মারছো কেনো? -ওহ্, তুমি না একদম বুঝোনা। এখানে দাড়িয়ে দেখো তাহলে বুঝতে পারবে। -ও সব গুলো গার্ড, সার্ভেন্টস দের এই সিরিয়ালে দাড় করিয়ে রেখেছে। তারপর সবার পেছনে গিয়ে ওদের ঘাড়ের পেছনে কি যেনো দেখে তারপর হঠাৎ কাউকে পেছন থেকেই shoot করে দিচ্ছে। কিছুই বুঝতে পারছিনা। আর ওদের এভাবে মারা দেখে আমার খুব খারাপ লাগছিল তাই রুমে চলে আসলাম। কিছুক্ষনের ভেতরেই ও রুমে আসলো। এসে আমার কোলের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। কি? অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছেন Shoot করতে করতে?? – না গো। shoot করতে আমার খুব ভালোই লাগে এখন। এনজয় করি। -তুমি ওদের কে কেনো মারলে শুনি? -ওরা ঐ মাফিয়ার লোক ছিল। -কি? তুমি কিভাবে বুঝলে? -সেদিন যে ছেলেটা তোমাকে মারতে এসেছিল ও আমার গার্ড হয়ে মিশে ছিল আমার গার্ডদের সাথে। আর ও এখানে আমরা আসার আগেই ঢুকে পড়েছিল। আমার ই ভুল ছিল। আসার পর সবকিছু একবার ভালো করে চেক করে দেখা দরকার ছিল। আর আমি ওদের চিনলাম কি করে এখন সেটা শুনো। আমার সবগুলো গার্ডের ঘাড়ের পেছনে একটি নির্দিষ্ট ট্যাটু আঁকা রয়েছে। তবে সেটা সাধারণ কোনো ট্যাটু নয়। ঐ ট্যাটু টা আঁকার সময় এমন একটা শুকনা পদার্থ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে যেটা শুধু মাত্র রোদে পড়লেই গোল্ড এর মত গ্লেস দেই। এই গ্লেসটা খালি চোখে দেখা যায়না এই চশমা টা পড়তে হয়। তাহলেই দেখা সম্ভব। আর ওরা শুধু আমার ট্যাটু টাই নকল করেছে। তার ভেতরের কোনো রহস্যই ওরা জানেনা। বোঝাতে পেরেছি? -Genius. বুঝলাম। আচ্ছা আশফি তোমার কি এই মানুষ গুলো খুন করার সময় একটু ও হাত কাঁপেনা? -না কাঁপেনা। বাবা মা কে নিজের চোখের সামনে মরে যেতে দেখেছি। তোমাকে ওরা আঘাত করেছিল তোমার সেই আঘাত পাওয়ার কষ্ট দেখেছি। তাই আর হাত কাঁপেনা। এখন শুধুমাত্র তুমিই আছো আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে। তাই তোমার কোনো ক্ষতি আমি হতে দেবোনা। যদি এর থেকেও কঠোর হতে হয় আমাকে তাহলে তাই হবো। -কথাগুলো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে এক নিঃশ্বাসে বলছিল। এখন নিশ্চুপ হয়ে আমার চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। এখন এই চোখে রাগ নেই। ভালোবাসা পাওয়ার আকুলতা কাছের মানুষকে হারানোর ভয় ওর চোখে ফুটে উঠেছে। ও আমার কাছে এগিয়ে এলো। -আমি জানি মাহি তুমি এগুলো সহ্য করতে পারোনা।কিন্তু তোমাকে safe রাখার জন্য আমাকে আরও কঠোর হতে হবে। বুঝেছো? তারপর ওর গালে হাত রেখে ওর ঠোঁটে অনেক্ষন ভালাবাসা পরশ দিলাম। -আশফি আজকে চলোনা একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। -না মাহি। আজকে সব থেকে important একটা কাজ আছে তোমাকে ও সাথে যেতে হবে। -কোথায়? -কোর্টে। বিকালে ওকে নিয়ে কোর্টে গেলাম। তারপর ওর সমস্ত প্রপাটির উইল শো করে আইনী ব্যবস্থায় ওকে ফিরিয়ে দিলাম। এরপর থেকে ঐ মহিলা চাইলেও আর কোনো দাবি করতে পারবেনা। এমন কি কোনো পাওয়ার অফ এটোনির উইল ও কাজে আসবেনা। -আশফি, এর কিছুই আমার প্রয়োজনে আসবেনা। আমি চাই ওদের শাস্তি হোক। -তার জন্য যোগ্য প্রমাণ দরকার। আমার কাছে সেরকম কোনো প্রমাণ নেই।আমাকে আরও অনেক যুক্তিযুক্ত প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। আমি পুলিশ অফিসার এর সাথে যোগাযোগ রেখেছি। উনি আমাকে সহযোগিতা করবেন।
-ঠিক আছে বুঝলাম। কিন্তু আমি এতসব দায়িত্ব নিতে পারবোনা। এগুলো তুমি ই দেখাশোনা করবে। আর একটা কথা আমাদের বাবা বেঁচে থাকতে যখন এই কোম্পানি দুটো একসাথে ছিল ঠিক তেমনভাবেই আবার ও তুমি এই কোম্পানি দুটোকে একসাথে করবে। ঠিক আছে? -হুম। আর হ্যা কাল তোমাকে নিশ্চই ঘুরতে নিয়ে যাবো। এটা নিয়ে আর মন খারাপ করবেনা। যদি চাও বাইরের কান্ট্রিতে ও নিয়ে যেতে পারি। বলো কোথায় যাবে? -তাহলে চলো Anaconda দেখে আসি। -কি? এত কিছু রেখে তোমার এনাকন্ডা দেখার শখ হলো? -হ্যা। তো এতে এতো অবাক হওয়ার কি আছে? Anaconda মুভি দেখে আসলে ওর ওপর ক্রাশ খেয়েছি তো তাই ওকে সামনাসামনি দেখার শখ হয়েছে। -আমি পারবোনা। অন্য কোথাও বলো নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ওর সামনে আমি যেতে পারবোনা। -কেনো? এতো বীরপুরুষ আর এনাকন্ডার সামনে যেতে চাইছোনা? আর ও কি আমাদের খেয়ে ফেলবে নাকি? ও তো ওর জায়গায় থাকবে। আর যদি কিছু করতে ও আসে তোমার গান টা তো আছেই।?? -হিহিহি। কি সুন্দর কথা!! এই শোনো ওসব দেখতে আমি যেতে পারবোনা। পৃথিবী তে এই সাপ জিনিসটাকেই আমি বেশি ভয় পাই। আর ওর সামনে গিয়ে শুধু শুধু নিজেন বিপদ ডেকে আনবো কেনো? আর ঐ বেচারাকেই বা shoot করতে যাবো কেনো? এর থেকে চলো তোমাকে সমুদ্রে নিয়ে যায় ship এ ঘুরবো। অনেক ভালো লাগবে। -না।? -তাহলে আকাশে? প্লেনে ঘুরবো? -না। -গাড়িতে? লং ড্রাইভে যাবো? -না বললাম তো। -তাহলে কোথায়? প্লিজ একটা তো বলো? -ঘোড়ায়। ঘোড়ার পিঠে চড়বো। -ঘোড়া? কি অদ্ভুত তোমার চয়েস। না ঠিক আছে। তাহলে কাল নিয়ে যাবো। এখন ঘুমাতে আসো অনেক রাত হয়ে গেছে। -হুম আসছি। আজ দুপুরের পর আশফি আমাকে নিয়ে বের হলো। একটা জায়গায় এসেছি যেখানে একটা লোক অনেক গুলো ঘোড়া দেখাশোনা করে। ওনার থেকে আশফি একটা সাদা ঘোড়া নিয়ে এলো। এই তুমি একটা ঘোড়া নিয়ে এসেছো কেনো? আর একটা কৈ? -আর একটা কৈ মানে? তুমি একা ঘোড়ার পিঠে চড়তে পারবে? কোনোদিন চড়েছো? চড়োনি তো। তাহলে বেশি কথা না বলে এসো আমার পেছোনে উঠে বসো। -পেছনে মানে? আমি তোমার সামনে বসবো। -আরে সামনে বসে যদি নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারো? -আমি আর কোনো কথা শুনতে চাইনা। -ওকে। তারপর মাহি কে উঠিয়ে ঘোড়ায় চড়াচ্ছি। -আশফি আমি বোধহয় ঘুমিয়েই পড়বো। ঘোড়াটা যেভাবে দৌড়াচ্ছে। -ও আচ্ছা। ও আস্তে দৌড়াচ্ছে? তোমার তাই মনে হলো? ঠিক আছে অনেক শক্ত করে চেপে বসো। -অনেক্ষন ঘোড়ায় চড়ে দুজনেই অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছি। একটা গাছের নিচে গিয়ে ও বসে পড়লো। আমি ওর কোলে আমি মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম। -কি আরাম!! ঘোড়া দাবড়িয়ে আমি ঘেমে গোসল করে ফেললাম আর উনি এসে আরাম করে শুয়ে পড়লো। -আমি উঠে ওর মুখের দিকে তাকালাম। আসলেই ঘেমে গেছে অনেক। ঠিক আছে আমরা দুজনেই শুই। তুমি শুয়ে পরো আমি তোমার হাতের ওপর মাথা রেখে শুবো। -হুম। -ও চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আমি ওর মুখটা দেখছি। মুখের চার পাশ দিয়ে ঘাম ঝড়ছে। আমি মাথা উচুঁ করে ওর মুখের সামনে গিয়ে ফুঁ দিতে থাকলাম। ও চোখ খুলে তাকিয়ে আছে। জানো আমি এখন কিছুটা রোমান্টিক মুডে আছি। এই রোমান্টিক পরিবেশ টা আমার মন টা কে আরও অনেক বেশি রোমাঞ্চকর করে তুলছে। খুব আদর করতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু…. -কিন্তু আমি অনেক ঘেমে আছি তাই পারছোনা। তাই তো? -আমি ওর মুখটা মুছে দিয়ে ওর কপালে, দু চোখের পাতায়, নাকে, গালে, থুতনি তে, ঠোঁটে ভালোবাসার ছোঁয়া দিলাম। চলবে………..

রোমান্টিক_অত্যাচার_১৫

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_১৫ #লেখিকাঃ Israt Jahan Sobrin #ধারণাঃ Kashnir Mahi #আশফিঃ গেলেই দেখতে পাবে। ওকে কোলে তুলে বেডরুমে চলে এলাম। #মাহিঃ আরে এবার তো নামাও, এভাবে তাকিয়ে থাকবে নাকি কোলে করে। -কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জনাব আমাকে নিচে নামালেন। #আশফিঃ এবার একটু ডানে ঘুরুন ম্যাম। #মাহিঃ ওকে। আমি ডানে ঘুরে দেখলাম একটা মেয়ের আইডল। মুখটা ঢাকা আছে। আর আইডল টা কে একটা হোয়াইট গাউন পড়িয়ে রেখেছে। গাউন টা অনেক সুন্দর। কিন্তু আইডল টা কার হতে পারে? আশফি আমার হাত ধরে আইডল টার কাছে নিয়ে গেলো। তারপর মুখের ওপর থেকে পাতলা সাদা কাপড় টা সরিয়ে দিল। আমি আইডল টার মুখটা দেখে শুধু তাকিয়েই আছি। কারণ আইডল টা কে এতোটাই সুন্দর ভাবে তৈরি করেছে যে আমি নিজেও এতোটা সুন্দর না। #আশফিঃ এটা আমার White Angel. একে দেখেই আমার দিন টা শুরু হতো আর শেষ হতো। #মাহিঃ আমি কি আপনার White angel টা কে ছুঁয়ে দেখতে পারি?? -ও আমার কথাটা শুনে শুধু একটা হাসি দিল। আইডল টার ঠোঁটের নিচের তিল টাকে দেখে মনে হচ্ছে নতুন করে দেওয়া হয়েছে। আশফি তোমার এই আইডল টা দেখছি তোমার মাহির থেকেও অনেক সুন্দর। কথা গুলো বলার সময় আমি যখন ওর দিকে ঘুরে দাড়ালাম ও তখন আমার কপাল সোজা Gun তাক করে আছে। ওর মুখটা দেখে আমি ভীষণ ভয় পাচ্ছি অনেক ভয় করছে। ওকে দেখে আমি বুঝতে পারছিনা ও ঠিক কি করতে চাইছে। ওর এরকম চেহারা দেখে আমার মুখ থেকে কথা বের হচ্ছেনা। শুধু চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে। গলা কাঁপা অবস্থায় অনেক আস্তে করে ওর নাম টা উচ্চারণ করলাম -আশফি? ও তখন gun টা একদম আমার কপালের সাথে ঠেঁকিয়ে ধরলো। আমি ভয়ে চোখ টা বন্ধ করে ফেললাম। আমি ওকে চিনতে পারছিনা। ও কি সত্যিই আমার আশফি? (মনে মনে) ও এমন করছে কেনো? ২ মিনিট হয়ে গেলো আমি চোখ বন্ধ করে আছি। সামনে থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিনা। আমি চোখটা খুললাম। দেখলাম ও দাত বের করে নিঃশব্দে হাসছে।
#আশফিঃ এতোটা করুণ অবস্থা হবে তোমার? কেউ যদি তোমার সামনে এভাবে তোমার কপালে গান ধরে তুমি একদম silently তার সামনে surrender করবে? আরও একটা বিষয় আমাকে খুব hurt করেছে। এখন পর্যন্ত তুমি আশফি কে বিশ্বাস করোনা। আমি তোমার সামনে গান ধরলাম আর তুমি ভয়ে চোখ টা বন্ধ করে ফেললে? এটা ভেবে নিলে যে আমি তোমাকে মেরে ফেলবো? মাহি তুমি যেদিন আমার গলায় ছুরি ধরেছিলে সেদিন কিন্তু আমি একটু ও ভয় পাইনি। কারণ আমি জানি তুমি আমার সাথে আর যাই করো আমাকে কখনো মারতে পারবেনা। সেটাই ছিল বিশ্বাস। #মাহিঃ ওর এই ফাজলামি টা আমার একটুও ভালো লাগেনি। ও আমাকে অন্যভাবে বোঝাতে পারতো এই বিষয় গুলো। আমি তো সত্যি ভয় পেয়েছি। রাগে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছে। আমি ওর হাত থেকে গান টা কেড়ে নিয়ে ওকে ধাক্কা দিয়ে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে দিলাম। তারপর ওর বুকে গান টা ঠেঁকিয়ে ধরলাম। -সেদিন ভয় পাওনি তো কি হয়েছে? আজকে ভয় পাবে। এভাবে আমাকে ভয় দেখানোর মজা তুমি এখন টের পাবে। এটা বলেই আমি ওর বুকের সামনে থেকে গান টা সরিয়ে চোখ টা বন্ধ করে অন্য পাশে এক নাগাড়ে গুলি চালাতে থাকলাম। কি ব্যাপার গুলির শব্দ হয়না কেনো? তার মানে এটা খেলনা ছিল? এই তুমি আমাকে এই খেলনা গান দিয়ে ভয় দেখাতে এসেছো? কি হলো ওভাবে হাসছো কেনো? #আশফিঃ হাসবোনা তো কি করবো? তুমি যা করছো । আমি ওর হাতটা ধরে আমার বুকের কাছে টেনে নিয়েলাম। তারপর ওর কাছ থেকে গান টা নিয়ে ওটাকে লোড করে দেখালাম। -এবার বুঝেছেন এটা খেলনা নাকি সত্যি? #মাহিঃ ও তার মানে এখন নিশ্চই গুলি চালালে গুলি বের হবে? #আশফিঃ Yes.My white angel. তাই বলে আপনি এখন এটাকে নিয়ে খেলনার মত করে খেলবেন না। না হলে যখন তখন murder হতে পারি। #মাহিঃ আরে ধুর এটাকে নিয়ে আমি খেলবো কেনো? এটা নিয়ে তো এখন আমার নাচতে ইচ্ছা করছে। আচ্ছা ঐ song টা প্লে করো তো “Dil kiye goli chali nyano ki banduk se”( Raamleela movie’s song). আমি এখন ঐ গানটা তেই নাচবো। #আশফিঃ আমার কাছে ঐ গান নেই। তুমি সিরিয়াসলি নাচবে? #মাহিঃ ইয়েস মাই ডিয়ার। ঠিক আছে আমি আমার ফোনেই বাজাচ্ছি। তারপর গান প্লে হলো…. Dil kiye goli chali nyano ki banduk se, bum bhi girenge aab pyar ki sanduk se………… Dil kiye goli chali nyano ki banduk se, bum bhi girenge aab pyar ki sanduk se…… Haaa dil kiye goli chali nayno ki banduk se bum bhi girenge aab pyar ki sanduk se…. ishqiye tera mera ishqyaunge dhishqiyaoun ke dhishqiyaoun……. yaah ishqyaun waha dhishqiyaoun…. #আশফিঃ গান টার সাথে ওর নাচ টা ভালোই দেখাচ্ছে। নাচার মাঝেই বার বার ও আমার কাছে আসছে আর নাচছে। ভালোই এনজয় করছি। কিন্তু যেভাবে গান টা নিয়ে নাচছে তাতে তো যখন তখন…… আরে মাহি সাবধানে। ওর কাছে গিয়ে বলতে গেলাম। কিন্তু ও আমার কোনো কথাই শুনছেনা। পাগলের মতো নেচেই যাচ্ছে। -মাহি??? #মাহিঃ আআআ( চিৎকার করে) ইসসস আর একটু হলেই তো আশফির গায়ে গিয়ে লাগছিল। ভাগ্যিস মাথা নিচু করেছিল। নাচতে নাচতে চাপ লেগে গুলি বেরিয়ে গেছে। এর জন্যই অতিরিক্ত কিছু ভালোনা। ও আমার আমার সামনে চোখ রাঙিয়ে দাড়িয়ে আছে। আমি মাথা নিচু করে sorry বলে গান টা ওর কাছে দিয়ে দিলাম। #আশফিঃ গান টা ওর হাত থেকে নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। ও ভয় ভয় চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে। কিছু বললাম না। কারণ ভয় টা আমার থেকে বেশি ও পেয়েছে। আর এদিকে গার্ড গুলো গুলির শব্দ পেয়ে দৌঁড়ে এসেছে। তাদেরকে ইশারা করে চলে যেতে বললাম।তারপর ওর দিকে তাকিয়ে একটু হেসে দিয়ে গান টা ড্রয়ারে রেখে দিলাম। অবশ্য আমার হাসিটা ও দেখেনি। মাথা নিচু করেই আছে। আমি ওর সাথে কোনো কথা না বলে মামনি কে ফোন দিলাম। পৌছানোর কথা জানালাম। ওর সাথে ও কথা বলিয়ে দিলাম। তারপর ওকে বললাম, – এইযে এখন যান গোসল করে আসুন অনেক Dhishqiyaoun করেছেন। আর একটু হলেই তো……. #মাহিঃ sorry sorry sorry সোনা আমি সত্যি একদম বুঝতে পারিনি। আর তোমার কিছু হলে আমি নিজেকেও shoot করে দিতাম। ওকে জড়িয়ে ধরে কথা গুলো বললাম #আশফিঃ হুম আমি বুঝেছি। এখন যাও ফ্রেশ হয়ে আসো ডিনার এর সময় হয়ে গেছে। #মাহিঃ ওকে জানু……উমমমম মমমমমম্মাহহহ। ওর গালে একটা লম্বা চুমু দিয়ে গোসলে গেলাম। তারপর আশফি ও ফ্রেশ হয়ে দুজন ডিনার করে নিলাম। -আচ্ছা আশফি বেডরুমে আমার যে ছবি গুলো তুমি টাঙিয়ে রেখেছো সেগুলো তো মে বি ৩ বছর আগের ছবি আমার। আর এই ছবি গুলো তো আমাদের এলবাম এ ছিলোনা তাহলে তুমি পেলে কি করে? #আশফিঃ এতক্ষণ ধরে এই গুলোই ভাবছিলে বুঝি। #মাহিঃ হুম।বলোনা। আমার এই বিষয় টা একদমই মাথায় কাজ করছেনা। তখন তুমি দেশে আসোনি তাই না? আর একটা প্রশ্ন জানিনা তুমি ঠিক কিভাবে নিবে তবুও জানতে ইচ্ছা করছে। #আশফিঃ বলো সমস্যা নেই। #মাহিঃ তোমার আর আমার মাঝে তো অনেক বছরের distance ছিল। আমাদের দেখাও হয়নি এত গুলো বছরের ভেতর। তাহলে তুমি কিভাবে আমাকে এতো ভালোবাসতে পারলে? #আশফিঃ অনেক দারুণ একটা প্রশ্ন করেছো। লাখ টাকার প্রশ্ন। তাহলে আপনাকে বলেই ফেলি। তোমাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার পরেও বাবা তোমাদের খোঁজ খবর সবসময় রাখতো। এমনকি ২ জন বডি গার্ড তোমাদের জন্য ওখানে রেখেছিল। যারা তোমাদের সব সময় আড়ালে থেকে তোমাদের সিকিউরিটি দিতো। আর বাবা তো এমন কোনো দিন নেই যে তোমাদের কথা আমার কাছে গল্প করতোনা। সবসময় আমাকে বলতো যে ভাবেই হোক তোমাকেই যেনো আমি তার পুত্রবধূ করে আনি। আমি বাবা কে বলতাম যে তোমাকেই আমি আমার বৌ করে আনবো আর সেটা তুমি না চাইলেও। বাবার কাছে বাইনা করতাম তোমার ছবি দেখার জন্য। ওরা যেনো তোমার ছবি তুলে পাঠাই।এমন কি তুমি রেগুলার কি করো সেটাও দেখার জন্য বাইনা করতাম বাচ্চাদের মতো। বাবা ওদের বলে দিয়েছিল। ওরা তোমার ছবি তুলে দিতে পারলেও ভিডিও টা করতে পারতোনা। তারপর ওরা একদিন তোমাদের বাড়িতে যাই ইলেকট্রিক এর লোক হয়ে। সেখানে তোমার বেডরুম ছাড়া সব জায়গায় ক্যামেরা ফিট করে রেখে আসে। তারপর থেকেই তোমাকে প্রতিদিন আমি ভিডিও তে দেখতে পেতাম। সব থেকে মজার ব্যাপার কি জানো প্রতিদিন তোমাকে দেখতে দেখতে তোমার সম্পর্কে এতো কিছু জেনে গেছিলাম যা তুমি নিজেও তোমার সম্পর্কে জানোনা। #মাহিঃ Haaa এতদূর? তো কি কি জানো আমার সম্পর্কে যা আমি নিজেও জানিনা। #আশফিঃ আচ্ছা তুমি বলো তো তুমি সব থেকে কোন টিভি শো গুলো বেশি পছন্দ করো? #মাহিঃ আমি তো টিভির সামনে গেলে শুধু চ্যানেল ঘুরাই। বুঝতেই পারিনা কি দেখবো। #আশফিঃ তুমি এ্যাকশন মুভি বেশি লাইক করো। #মাহিঃ আরে হ্যা। এরকম মুভি পেলে তো আমার কিছুই লাগেনা। #আশফিঃ আরও বলছি। তুমি তোমার নিজের চয়েস নিয়ে সবসময় কনফিউজড থাকো। কোথাও যেতে গেলে কি ড্রেস পরবে কিভাবে যাবে সেটা নিয়ে তুমি সবসময় মামনি কে জ্বালাতে। রাইট? আর তুমি তো অনেক বোকা। তুমি যে কোল্ড কফি খাও সেটা আমি জেনেছি আরও ৩ বছর আগে। আমি আসার পর তুমি কাজ নিয়ে এতোটাই বিজি থাকতে যে কফি খাওয়ার সময় টুকু ও তুমি পাওনি। আর সেটা তোমার মাথায় একদম কাজ করেনি। আমি তোমাকে যেভাবে বলেছিলাম তুমি সেটাই বিশ্বাস করেছিলে। #মাহিঃ তাইতো? তার মানে তুমি সত্যি আমাকে প্রতিদিন দেখতে? আর হ্যা আমাদের মনে হতো যে সবসময় কেউ আমাদের ফলো করে। ওরা তোমাদেরই লোক ছিল? #আশফিঃ না। ওরা আমার লোক ছিলোনা। আমি দেশে যাওয়ার পর ওদের কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমি থাকতে ওদের আর কোনো প্রয়োজন হবেনা। কিন্তু সেটাই ছিল আমার বড় ভুল। ওরা ওদের লোক ছিল। ঐ ভুল টা না করলে সেদিন তোমার এত বড় ক্ষতি হতোনা। #মাহিঃ আচ্ছা বাদ দাও তো। তার মানে আমার আশফি আমাকে প্রতিদিন দেখতো অথচ আমি ই তাকে দেখতে পাইনি কতগুলো বছর।
#আশফিঃ তো এখন দেখো। এখন তো সামনেই আছি। #মাহিঃ আমি তো আপনাকে দেখিই। আপনিই তো আজকাল আমাকে সেভাবে লক্ষ করেন না। তাই আজকে আমি আপনাকে কিছু রুলস দিবো। যেটা প্রতিদিন আপনাকে মেনে চলতে হবে। তারপর আমি আমার রুলস গুলো বলা শুরু করলাম। #আশফিঃ বাবা……… এই রুলস গুলো তো দেখি আমার রুলস গুলোর থেকেও বেশি কড়া। ওর রুলস গুলোর মাঝে এরকম কিছু রুলস আছে যেমন ঘুম থেকে সকালে ওঠার আগে ওকে আমার আদর করে তারপর উঠতে হবে। বাইরে যতুটুকু সময় আমি থাকবো প্রতিটা সেকেন্ড আমি যেনো ওনার মুখ দেখি(ভিডিও কল) যাতে অন্য কোনো মেয়ে আমার চোখে না পড়ে। যাই হোক এই রুলস গুলো আমি খুবই এনজয় করবো। আর এখন যে রুলস টা মানতে হবে সেটা আর নিশ্চই আমাকে বলে বোঝাতে হবেনা। #মাহিঃ এখানে আমি আর তুমি ছাড়া কেউ নেই তাই তোমাকে আমি এখন যা খুশি তাই করতে পারবো। নাও শুরু করো আমাকে আদর করা। #আশফিঃ তারপর আর কি আমি আমার বৌ এর আদেশ মাথা পেতে নিলাম। চলবে…..

রোমান্টিক_অত্যাচার_১৪

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_১৪ লেখিকাঃ #Israt_Jahan ধারণাঃ #Kashnir_Mahi আশফিঃ চুপ করো তুমি। তুমি কতটুকু জানো তার সম্পর্কে? আমি যা জানি তুমি তার ১ ভাগ ও জানোনা। মাহিঃ কি বলছো তুমি এসব আশফি?? আশফিঃ আমি এখন যা বলবো তা তুমি শুনলে তোমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাবে। আমার এই কথাটা শুনে মামনি ও অবাক হয়ে তাকালো। তার চোখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে অনেক প্রশ্ন করতে চাই আমাকে। তাই আমি বলা শুরু করলাম। – হ্যা এটা একদম সত্য যে তোমার বাবা তার অফিসের এক প্রবাসী মহিলা কর্মকর্তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায় এবং তাকে বিয়ে ও করে। আর তা জানার পর আমার বাবা তোমার বাবার সাথে সব হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিয়ে তাকে বিজনেস থেকে বের করে দেয়। তারপর তোমার বাবা একাই বিজনেস শুরু করে। তবে তোমার আর মামনির সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেনি। একরকম আমার বাবা তোমার সাথে ওনাকে যোগাযোগ করতে দেইনি। সেই থেকে আমার বাবাই তোমাদের দেখাশোনার দায়িত্ব নেয়। এদিকে মামনির অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। সে বিশ্বাস করতে পারছিলনা তোমার বাবা তাকে এভাবে কোনোদিন ঠকাতে পারে। অনেক ভেঙ্গে পড়েছিল মামনি। তবে তোমার বাবাও যে খুব ভালো ছিল সেটা নয়। সে তার ভুল বুঝতে পেরেছিল যখন সে জানতে পারলো ঐ মহিলার আগেও একজন স্বামি আছে। আর সে ছিল আমাদের কোম্পানির অর্থ্যাৎ তোমার আর আমার বাবার কোম্পানির একজন সাধারণ কর্মকর্তা(জাপানিজ)। আর ওরা প্ল্যান করেই তোমার বাবাকে ওদের জালে ফাঁসিয়েছিল শুধুমাত্র ওনার প্রপাটি নেওয়ার জন্য। আর এগুলো জানার পর উনি অনেক চেষ্টা করেছিল তোমাদের কাছে ফিরে আসার জন্য। কিন্তু ওরা ওনাকে আসতে দেইনি।কারণ তোমাকে আর মামনি কে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। তোমার বাবা কে অনেক টর্চার করেছিল ওরা।শুধুমাত্র প্রপাটি তাদের নামে লিখে দেওয়া জন্য কিন্তু সেটা করেনি বলে তাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। একদিন বাবা প্ল্যান করেছিল যে আমার জন্মদিনে বাইরে কোথাও ঘুরে আসবে। আমিও অনেক জেদ ধরেছিলাম বাইরে( জাপানের বাইরে) ঘুরতে যাওয়ার জন্য। বাবা ভেবেছিল এতে মামনির মন টাও একটু ভালো হবে। মামনি কে যেতে বলেছিল কিন্তু মামনি যেতে রাজি হইনি। সেদিন তোমাকে নিয়ে যেতে বলেছিল শুধু। কিন্তু তোমাকে বাবা নেইনি কারণ মামনি সারাদিন ঘরে বন্দি হয়ে থাকতো তার ওপর তোমাকে নিয়ে গেলে আরও একা হয়ে যাবে তাই তোমাকে রেখে গেছিল। আমরা যখন আমাদের গন্তব্যে পৌঁছালাম। তার কিছুক্ষণ পর বাবার ফোনে একটা কল আসলো। কলটা করেছিল তোমার বাবা। সেদিন বাবাকে এই কথাগুলো বলেছিল যা সে জানতে পারে ওদের সম্পর্কে।তোমার বাবা ওদের গোপনে তার সব প্রপাটি যা কিছু ছিল তোমার নামে লিখে সেই কাগজ গুলো একটা ব্যাংকের লকারে রেখে দেয়। আর ওরা সেটা জানতে পারে যে তার সব সম্পত্তি সে তোমার নামে লিখে দিয়েছে। তাই ওরা তোমাদের খুন করার পরিকল্পনা করে। যে কোনো সময় তোমাদের ওপর ওরা এ্যাটাক করতে পারে সেটাই বাবাকে জানায়। আর এটাও বলে দেয় যে ঐ কাগজ গুলো কোন ব্যাংকে আছে। বাবা সেদিনই তোমাদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে। আমাদের ওখানে রেখেই বাবা চলে যায় জাপান। পৌছাতে প্রায় ২ দিন সময় লেগে গেছিল। বাবা ভাবছিল ওখানে গিয়ে তোমাদের সে দেখতে পাবে তো? বাবা রাতে গিয়ে পৌঁছাই। বাইরে থেকেই বাবা শুনতে পাই ভেতরে অনেক গুলির শব্দ হচ্ছে। বাবা পেছন দিকের সিড়ি দিয়ে উঠে রুমে ভেতর ঢুকে। মামনি তখন তোমাকে নিয়ে বাথরুমে লুকিয়ে ছিল। সেদিন রাতে অনেক কষ্টে ওদের মোকাবেলা করে তোমাদের কে নিয়ে বেরিয়ে আসে। কিন্তু সব থেকে কষ্টের বিষয় কি জানো মাহি? ঐ দিন রাতেই তোমার বাবাকে ওরা মেরে ফেলে।
মাঃ অভি??(মাহির বাবা) (অভি বলে চিৎকার করে সোফায় বসে পড়ে) আশফিঃ মামনি আমি এই কথাগুলো কোনোদিন বলতে চাইনি। কারণ আমি জানি তুমি এখনো ওনাকে খুব ভালোবাসো। শুধুমাত্র মাহিকে ভুল ধারণা থেকে বের করার জন্য আমি বলতে বাদ্ধ হয়েছি।বাবা ও আমাকে বলতে নিষেধ করেছিল। আমি মাহির দিকে তাকালাম। ওর চোখ দিয়ে অজস্র ধারায় পানি পড়ছে। একদম পুতুলের মত দাড়িয়ে আছে। আমি ওর কাছে গেলাম। ওকে আজকে সব জানতে হবে। -মাহি তোমাকে অনেক শক্ত হতে হবে। সামনে যে অনেক বিপদ ওত পেতে আছে। সেগুলো তোমাকে মোকাবেলা করতে হবে। মাহিঃ আশফি আমি তাকে ঘৃণা করলেও কোনোদিনও তার মৃত্যু কামনা করিনি। আশফিঃ আমি জানি মাহি। তুমি নিজেকে সামলাও। মামনির বেঁচে থাকার একমাত্র উৎস তুমি। তোমাকে ভেঙ্গে পড়লে হবেনা। কারণ ওরা থেমে নেই। তোমাকে মারার জন্য ওরা এখানে লোক পাঠিয়েছে। ঐ মহিলার স্বামি আগে থেকেই মাফিয়া দলের সাথে যুক্ত ছিল। এখন সে ঐ দলের leader. তোমাকে খুন করতে পারলে ঐ প্রপাটি ওরা এমনিতেই পেয়ে যাবে। কারণ ওদের একটা ছেলে আছে। সেখানে তোমার বাবাকেই ওর বাবা বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মাঃ আশফি? আশফিঃ বলো মামনি? মাঃ আমি একবার আশরাফ ভাইয়ের সাথে কথা বলতে চাই। তার কাছ থেকে আমি শুনতে চাই। আশফিঃ মামনি আমি জানি তোমার বিশ্বাস হচ্ছেনা। কিন্তু আমি কি করে তোমাকে বিশ্বাস করাবো? বাবা মা কেউ ই যে বেঁচে নেই।(কেঁদে বলছিল) এটা শোনার পর মামনি আরও একবার চমকে উঠলো। মাঃ কি বলছিস তুই এসব? আশফিঃ হ্যা। ওরা বাঁচতে দেইনি। ২ বছর আগের কথা। ওরা জাল পাওয়ার অফ এটোনির উইল বানিয়ে মাহির প্রপাটি ভোগ করছিল। বাবা সেটা জানতে পেরে আইনি ব্যবস্থা নেই। আর ওরা এটাও জেনে যাই যে মাহির প্রপাটির সমস্ত উইল বাবার কাছে। বাবাকে অনেক ভাবে থ্রেট করে ওগুলো তাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাবা দেইনি। বাবা রাজি না হওয়াই বাবাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করে। কার এক্সিডেন্টের মাধ্যমে মারার চেষ্টা করে। ঐ accident স্পটেই মা মারা যায় বাবাকে তাড়াতাড়ি hospital নিয়ে যায়। Hospital এ অনেক গার্ডের ব্যবস্থা করি। কিছুদিন পর বাবার sense ফিরে। বাবা আমাকে ডেকে অনেক কিছু বলে যার কিছুই আমি জানতাম না। বাবা এভাবে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিল যার জন্য অসুস্থ পরছিল। আমি সেদিন রাতে বাবাকে থামিয়ে দিয়ে রেস্ট নিতে বলি পরে সব কথা শুনবো বলে। কিন্তু ঐ দিন ই যে বাবার শেষ রাত ছিল সেটা আমি জানতামনা। ওরা Doctor কে টাকা দিয়ে বাবাকে মারতে পাঠায় তার আগে এটা জানতে চাই ঐ উইল গুলো কোথায়। বাবা বলেনি তখনই বাবাকে বিষের ইনজেকশন push করে মেরে দেয়। পরে অবশ্য সে ধরা পড়েছিল। কিন্তু ওরা ধরা পড়েনি। ওরা কিছুদিন আগেও জনতো যে মাহি সেদিন রাতেই হয়তো মারা গেছে। ওর লোকেরা ওদের সেইরকম খবর ই দিয়েছিল। কিন্তু কিভাবে যেনো ওরা জানতে পেরে যায় যে মাহি এখনও বেঁচে আছে। ওকে আবার মারতে ওরা এখানে পর্যন্ত লোক পাঠিয়ে দেয়। আমি দেশে আসার আগে চাচ্চুর সাথে যোগাযোগ করে সব জানাই। তারপর দেশে ফিরি। অনেকবার মাহির সামনে গিয়েছি মাহি আমাকে চিনতে পারিনি।খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম আমি। সবকিছু হারিয়ে ওকে পাওয়ার জন্য দেশে ফিরলাম আর সেই মাহি আমাকে চিনতে পারলোনা। তারপর মাহি কোথায় কি করে সব খোঁজ খবর নিলাম। ও যে কোম্পানি তে চাকরি করে সেই কোম্পানির ওউনার এর সাথে কথা বলে ওনার কোম্পানির 75% শেয়ার অনেক চড়া দামে কিনে ঐ কোম্পানির এম.ডি. হয়ে ওখানে গেলাম। এতকিছু শোনার পর ওদের মুখে কোনা ভাষা ছিলনা। এর মধ্যে চাচ্চু চলে এলো। চাচ্চুঃ আশফি? কি বলার জন্য আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিস?? -ভাবি আপনাকে এমন লাগছে কেনো? কি হয়েছে? আশফি ভাবির কি হয়েছে এরকম দেখাচ্ছে কেনো ভাবিকে?(মাহির মায়ের দিকে তাকিয়ে) আশফিঃ চাচ্চু আমি ওদের সবকিছু বলে দিয়েছি। ওদের ভুল ধারনা থেকে মুক্ত করার জন্য। আমি মামনির কাছে গেলাম। -মামনি? তুমি এভাবে চুপ করে থেকোনা। প্লিজ কথা বলো তুমি। চাচ্চুঃ আশফি? ওদেরকে একা থাকতে দে। আশফিঃ না চাচ্চু এভাবে ওদের একা রাখার জন্য আসিনি। ওদেরকে অনেক কঠোর হতে হবে। মাহিকে ওখানে যেতে হবে, ওকে ওর প্রাপ্য বুঝে নিতে হবে। মাঃ না। আমি মাহি কে ওখানে যেতে দেবোনা। ওরা আমার মাহির যদি কোনো ক্ষতি করে আবার? যে প্রপাটির জন্য আমার এতো কাছের মানুষ গুলোকে হারিয়েছি সেই প্রপাটির কোনো দরকার নেই। চাচ্চুঃ ভাবি মাহি কেনো ওর অধিকার ছেড়ে দিবে। ওরা অবৈধ ভাবে ওগুলো ভোগ করছে। মাহি কেনো ওদের কেনো শাস্তি দিবেনা? মাহিঃ মা। চাচ্চু একদম ঠিক বলেছে। আমি ওখানে যাবো কিন্তু প্রপাটিই মেইন নয়। ওদেরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। ওদের কাছে আমরা কেনো হেরে যাবো? তুমি এখন আমার সাথে ঘরে চলো। একটু রেস্ট নেবে। আশফিঃ মাহি মামনি কে নিয়ে ঘরে চলে গেলো। আমি চাচ্চুর সাথে কিছু কথা বললাম। -চাচ্চু আমাদের ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। এখানে যা কিছু আছে সবকিছু তুমিই দেখাশোনা করবে। আর সেটা কাল থেকেই। তারপর মামনির ঘরে গেলাম। মাঃ আশফি তোরা আমাকে একটু একা থাকতে দিবি বাবা? আমি একটু একা থাকতে চাই। আশফিঃ ঠিক আছে মামনি। আমি মাহি কে নিয়ে আমাদের রুমে চলে এলাম।আজকে রাতে কারোর ই ডিনার হয়নি। ওকে অনেক কিছু বুঝিয়ে তারপর ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। কাল অনেক কাজ আছে।আমাদের জাপান ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই আমিও তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম। ★সোমাবার সন্ধা ৬:৪৫ ফ্লাইট টাইম★ মাহিঃ মা আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো ওখানে? আমি পারবোনা থাকতে।তুমি প্লিজ চলো আমাদের সাথে। আশফিঃ মামনি আমি শুধু মাহিকে নিতে আসিনি। আমি তোমাকেও নিতে এসেছি। আমার মামনি কে আবার ফিরে পাবো বলে এখানে এসেছি। মাঃ আশফি তোরা আমাকে এই বিষয়ে কোনো জোড় করিসনা। কারণ আমি ওখানে গিয়ে থাকতে পারবোনা। প্রত্যেকটা মূহুর্ত আমার ওর স্মৃতিগুলো মনে পড়বে। তোরা তোদের খেয়াল রাখিস ভালোভাবে। তোদের কোনো ক্ষতি হয়ে গেলে আমি আর বাঁচবোনা। আশফিঃ মামনি আমার আর মাহির কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে কাঁদলো। তারপর আমরা বিদায় নিলাম। চলে এলাম জাপান। ★জাপান★ আশফিঃ আমাদের দুজনের নতুন জীবন শুরু হলো জাপান। মাহি এখানে এসে আমাদের বাড়ি কিছু সময় ঘুরে দেখলো।
মাহিঃ বাসার ভেতর ঢুকে সব থেকে বেশি আকর্ষিত করলো দেওয়ালে টাঙ্গানো কিছু ছবি। ছবি গুলো ছিল আমাদের সবার এক সাথে থাকা সময়ের কিছু ছবি। কোনো ছবিতে আমরা সবাই একসাথে, কোথাও আমি আর মা, কোথাও আবার আমার আর আশফির ছবি। একটা ছবিতে আমি একটা গাড়ি নিয়ে খেলছি আর ও আমার পেছন থেকে এসে কান কামড়ে ধরেছে। মনে হচ্ছিলনা যে ও ওটা দুষ্টুমি করে করছে। ওর মুখের ভাব দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে ছিল আমার ওপর। একটা ছবিতে আমার চোখ আটকে গেলো। বাবা আর মায়ের ছবি। আমি এই প্রথম বাবার ছবি এতো সামনে দাড়িয়ে কাছ থেকে দেখছি। মনের অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। হঠাৎ পেছন থেকে আশফি আমার কোমোর জড়িয়ে ধরে আমার পিঠ ওর বুকের সাথে মিশিয়ে দাড়িয়ে রইলো। -আশফি আমরা কি এর থেকে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারতামনা?(ছবির দিকে তাকিয়ে) আশফিঃ মাহি আমি এই ছবি গুলো এখানে টাঙ্গিয়েছি শুধুমাত্র আমাদের সুন্দর স্মৃতি গুলো তোমাকে মনে করানোর জন্য। কষ্ট পাওয়ার জন্য নয়। তাই এখন থেকে আর কোনো কষ্ট পাবেনা। মাহিঃ কিন্তু আমার যে কিছুই মনে নেই এই দিন গুলোর কথা। মনে পড়ছেও না। আশফিঃ তোমাকে মনে করতে হবেনা। তুমি শুধু উপলব্ধি করবে। ঠিক আছে? কথাটা বলে ওর মাথার এক পাশে চুমু দিলাম। এখন ঘরে চলো মামনিকে ও তো ফোন করতে হবে। আর অনেক্ষণ আমাকে আদর করোনা। এবার চলো তো আমাকে একটু আদর করবে। তোমার জন্য স্পেশাল বেডরুম ওয়েট করছে। মাহিঃ স্পেশাল বেডরুম মানে? আশফিঃ গেলেই দেখতে পাবে। তারপর ওকে কোলে তুলে বেডরুমে চলে গেলাম। চলবে………..

রোমান্টিক_অত্যাচার_১৩

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_১৩
লেখিকাঃ #Isrst_Jahan
ধারণাঃ #Kashnir_Mahi
মাহিঃ আর একটু দেরি হলে এই পাগলটার ভালোবাসা, পাগলামী রোমান্স গুলো হারিয়ে ফেলতাম। তারপর আমিও ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ওর ডাকেই আমার ঘুম ভাঙ্গলো।
আশফিঃ এই তুমি এখনও এতো ঘুমাচ্ছো কি করে। যাও উঠো। আমার সেবাযত্ন করা শুরু করো। নার্স দুটোকে বিদায় করে দিয়েছি।
মাহিঃ কি??
আশফিঃ কি মানে?
মাহিঃ না না কিছুনা। অনেক ভালো করেছো। আমি থাকতে অন্য কেউ কেনো তোমার সেবা করবে? তুমি বসো আমি এক্ষণি কফি নিয়াসছি।
আশফিঃ এতো তাড়াহুড়ো করতে হবেনা। আগে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন,যান।
মাহিঃ হুম। ফ্রেশ হয়ে ওকে কফি দিয়ে রান্না করতে চলে গেলাম। দেখলাম মা রান্না করছে।
-মা তুমি আমাকে দাও আমি রান্না করছি।
মাঃ না তার কোনো প্রয়োজন নেই। রান্না অলরেডি শেষ। তুই ওর কাছে যা গিয়ে দেখ ওর কি লাগবে না লাগবে। ওকে গিয়ে দেখাশোনা কর।
মাহিঃ হুম যাচ্ছি। মাকে অনেক খুশি খুশি লাগছে।
এখন তো আমার সবসময় শুধু ওর কাছেই থাকতে ইচ্ছা করে। আগে যার থেকে শুধু পালিয়ে বেড়াতাম। এখন তার মুখটা দেখার জন্য মনটা খালি খালি উড়ু উড়ু করে। এভাবেই সবসময় ওর কাছাকাছি থাকি। এখন আমিই ওকে দেখাশোনা করি ওর খেয়াল রাখি। আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছে ও কিন্তু মাঝে মাঝে শরীরে জ্বর আসে। আর ওর ঐ দুষ্টু মিষ্টি আদর নেওয়ার জন্য নানা রকম বাহানায় ওর কাছে যাই। একদিন সকালবেলা………..
আশফিঃ এই মেয়ে মানুষ গুলো এত পরিমাণ স্বার্থপর হয় এদের সাথে না থাকলে সেটা জানা সম্ভব হতোনা।
(নিউজপেপাড় পড়ছিল আর কথাগুলো বলছিল)
মাহিঃ তার মানে কি? তুমি কতগুলো মেয়ের সাথে থেকেছো। আর স্বার্থপরের কি দেখলে?
আশফিঃ না আমি একজন মেয়ের কথায় বলছি আর কি যে আমার সাথে থাকে।
মাহিঃ মানে কি আমি স্বার্থপর? স্বার্থপর হওয়ার মত কি করলাম আমি তোমার সাথে?
আশফিঃ স্বার্থপর ই তো। সবসময় শুধু এক এক রকম বাহানায় আমার কাছে আসো আমার আদর নেওয়ার জন্য। নিজে তো কখনও করোনা।
মাহিঃ যাহ্ ও বুঝতে পেরে গেলো!
-এই শোনো আমি যদি দুষ্টুমি শুরু করিনা তাহলে তুমি একদম অতিষ্ট হয়ে যাবে।
আশফিঃ তার জন্য আমি সর্বদাই প্রস্তুত।
মাহিঃ ঠিক বলছো তো? তাহলে ঠিক আছে, এখন থেকে আমি তাই তাই করবো যা যা তুমি আমার সাথে করতে বরং তার থেকে আরও বেশি কিছু করবো। মানে এখন থেকে তুমি অত্যাচারীত হবে।
আশফিঃ আহ্। (বুকের বাম পাশে হাত রেখে) এত বড় একটা কথা আমার heart টা নিতে পারেনি। খুব জোড়ে ধাক্কা খেলো।
মাহিঃ ইয়ারকি হচ্ছে। আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছেনা তাইনা?
আশফিঃ মাথা নাড়িয়ে না বোধক উত্তর বোঝালো।
মাহিঃ ঠিক আছে বিশ্বাস করাচ্ছি। ওর গাল দুটো ধরে ওর ঠোঁটে কিস করে বসলাম। ও যতুটুকু সময় নিত তার থেকে বেশি সময় আমি নিলাম।
আশফিঃ ও এভাবে আমাকে চুমু দিয়ে বসবে সেটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার চোখ দুটো পুরো রসোগোল্লার মত হয়ে গেলো। ও যেভাবে কিস করছে তাতে আমার নাক টাও আটকে গেছে। এদিকে আমার শ্বাষ বন্ধ হয়ে আসছে তাও ওর ছাড়ার কোনো খবর নেই।
মাহিঃ অনেক্ষন ওকে কিস করে তারপর ছাড়লাম।
– কি? হয়েছে বিশ্বাস। ও পুরো হাপিয়ে শুথু মাথা ঝাকালো। তোমার রেকর্ড আমি ভেঙ্গে দিয়েছি।
আশফিঃ হুম। কতক্ষন করেছো?
মাহিঃ উমমমম ৭/৮ মিনিট তো হবেই।
আশফিঃ হা । my god!!
মাহিঃ হুম। এখন থেকে এগুলোর জন্য always ready থাকবে। গট ইট? তারপর রুম থেকে বেরিয়ে এলাম
আশফিঃ Thank god. তাহলে পেরেছি আমি এই নিরামিষ টাকে আমিষে পরিণত করতে।
মাহিঃ আজকে বিকালে ও বাগানে দাড়িয়ে গার্ডদের কি যেনো বোঝাচ্ছিল। আমি ওর পাশে গিয়ে দাড়ালাম। ওর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছি। কথা বলার মাঝে ও আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে জানতে চাইলো কি বলতে এসেছি আমি। আমি ওর দিকে তাকিয়ে ঠোঁটটা কিস এর স্টাইল করে কিস দেখালাম। এটা দেখে ও তো লজ্জা পেয়েছেই সামনের গার্ডগুলো ও লজ্জা পেয়ে মুখ চিপে হাসছিল। তারপর ও চোখ ফিরিয়ে নিয়ে ওদের সাথে কথা বলা শুরু করলো। কিন্তু কথা বলতে পারছিলনা কথা বলার মাঝে বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিল আর কথা থেমে যাচ্ছিল। এটার কারণ হলো আমি তখন ওর দিকে এক নজরে তাকিয়েই আছি।at last কথা বলতে না পেরে গার্ডগুলোকে চলে যেতে বললো পরে কথা বলবে বলে।
আশফিঃ মাহি তুমি কি করছিলে ওদের সামনে?
মাহিঃ কৈ কি করছিলাম আমি তো তোমার সাথে romance করবো বলে আসলাম। তাই বলে এখানে ওদের সামনে?
মাহি তুমি ঠিক আছো তো? ওর কপালে হাত দিয়ে বললাম
মাহিঃ ধ্যাত।
আশফিঃ ও রেগে চলে গেলো।
মাহিঃ কিছুটা দূরে গিয়ে পেছনে তাকালাম,দেখলাম দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাসছে। দেখে আরো রাগ হয়ে গেলো তাই তাই হনহন করে হেঁটে বাসার ভেতর চলে আসলাম। রাতে সবাই একসাথে ডিনার করে মায়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে রুমে এলাম। ও তখন শুয়ে পড়েছে। ও যেদিকে মুখ ঘুরে শুয়ে আছে সেদিকে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। তারপর ওর হাতটা টেনে আমার পেটের ওপর রাখলাম। ও তখন চোখ খুলে অবাক হয়ে মাথা উঁচু করে তাকালো। আমি পেছন ফেরা অবস্থাই বললাম। এতো অবাক হওয়ার কিছু নেই। তারপর ও আবার মাথা বালিশে রেখে শুয়ে পড়লো। কিন্তু এটা কি হলো? ওর ভেতর একটুও রোমান্স কাজ করলোনা?
ব্যাপারটা কেমন কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছে। ok. দেখছি কতক্ষন নিজেকে কনট্রোল করতে পারো। আমি বেশি ভালোবাসছি বলে তুমি আনরোমান্টিক হয়ে যাবে এটা তো হতে দেওয়া যায়না। রাত ২:০০ টা বাজে,
-আশফি? এই আশফি? একটু উঠে দেখোনা পিঠের মাঝে কিছু একটা বাঁধছে মনে হচ্ছে। ঘুমাতে পারছিনা। কি হলো?? দেখোনা।
আশফিঃ হুমম (ঘুম চোখে। কি হলো এতো রাতে তোমার? কি হয়েছে পিঠে।ওভাবে পিঠ চুলকাচ্ছো কেনো?
মাহিঃ চুলকাতে পারছি কৈ? পিঠের মাঝে কিছু একটা বাঁধছে একটু দেখো।
আশফিঃ হুম। দেখছি। কিন্তু কিভাবে দেখবো নাইটির ওপরে। তাহলে তো নাইটি টা খুলতে হবে।
মাহিঃ খুলতে হবে তো খোলো।
আশফিঃ কি ব্যাপার? ও এতো ইজিলি নিলো নাইটি খোলার বিষয় টা?? একটু বেশিই অদ্ভুত লাগছে ব্যাপারটা। তার মানে ও কি ইচ্ছে করে করছে শুধু আমাকে exited করার জন্য?? হ্যা, তাই হবে।
মাহিঃ কি হলো? কি ভাবছো বসে। খুলে দেখো কি ঢুকলো?
আশফিঃ হুম দেখছি। তারপর আমি একদম সোজা ওর নাইটির পেছন দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিলাম ওর পিঠের মাঝে।
মাহিঃ এটা কি করলো ও? নাইটি না খুলে পেছন দিক দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিল?
আশফিঃ তারপর একটা চেইন বের করে ওর সামনে ধরলাম।
– গলা থেকে চেইন টা ছিড়ে পিঠের মাঝে ঢুকেছিল। তাই বাঁধছিল।
ও আমার ওপর রাগে কটমট করছে। তারপর চেইন টা আমার হাত থেকে থাবা দিয়ে নিয়ে ঠাস করে শুয়ে পড়লো। আমার তখন প্রচুর হাসি পাচ্ছিল।হাহাহা এখন দেখো কেমন লাগে?(মনে মনে)
তারপর আমিও শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম ভেঙ্গে চোখ খুলতেই যা দেখলাম। আর একটু হলেই মাহি বলে চিৎকার দিতে যাচ্ছিলাম। তাড়াতাড়ি আমি ওর গায়ে কম্বলটা দিয়ে দিলাম। না হলে যে কেউ ঘরে ঢুকে ওর এই অবস্থা দেখে ফেলতো। কারণ কাল রাতে ও দরজা লক করে ঘুমাইনি।তারপর আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে ফোনে গেম খেলছিলাম।
মাহিঃ এই? একটু দেখোনা আমার নাইটি টা কোথায়? একটু খুঁজে দাও। (চোখ বন্ধ করেই)
আশফিঃ আমি ওর ডাক শুনে ওর কাছে গিয়ে বললাম,
-এই তুমি কাল রাতে এভাবে নাইটি খুলে ঘুমিয়েছো কেনো? (অবশ্য নিচে একটা ছোটো আস্তর পরা ছিল) যদি কেউ রুমে ঢুকে দেখে ফেলতো?
মাহিঃ আরে কাল রাতে এসিটা অফ ছিল আর অন করিনি তোমার শরীরে জ্বর ছিল বলে। এদিকে গরমে পুরো অস্থির হয়ে পড়ছিলাম। তাই খুলে ঘুমিয়েছিলাম।
আশফিঃ গরমে? নাকি আমাকে exited করার জন্য? কথাটা শুনে ও এবার পুরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।
মাহিঃ যে জন্যই করি তাতে তোমার কি? তুমি কি exited হয়েছো? হউনি তো? তাহলে এতো কথা বলছো কেনো? যাও আমার নাইটি টা খুঁজে দাও।
আশফিঃ আমি বিছানায় চারপাশ খুঁজলাম পেলামনা। তারপর ওর গা থেকে কম্বল টা ফেলে দিলাম। কম্বলের নিচে পরে ছিল। ওকে ধরিয়ে দিলাম। ও সেটা পরে আমার দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে উঠে চলে গেলো। এবারও নিজের হাসিটাকে কন্ট্রোল করলাম।
মাহিঃ রুমে এসে দেখলাম ও নিচে থেকে কিছু একটা তুলতে যাচ্ছে কিন্তু ওর অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে তুলে দিলাম।রেজার ছিল।
– তুমি কি shave করবে? দাও আমি করে দিচ্ছি।
আশফিঃ কাউকে কোনোদিন করে দিয়েছো?
মাহিঃ না। আজকেই 1st time করবো।
আশফিঃ তাহলে আর দরকার নেই। 1st time যেহেতু তাই করতে পারবেনা।
মাহিঃ 1st time তো কি হয়েছে? ট্রাই তো করেই দেখতে পারি।
আশফিঃ থাক। কোনো দরকার নেই। না হলে আমার ফেস এর ১২টা বেজে যাবে। তুমি দেখো আজকে কিভাবে করতে হয় তারপর পরে ট্রাই করো। আর আমাকে অফিস যেতে হবে। তাই দ্রুত করতে হবে।
মাহিঃ অফিস??? হ্যা অফিস তো যেতে হবে। ঠিক আছে আমিও যাবো।
আশফিঃ তুমি গিয়ে আর কি করবে। যেতে হবে না।
মাহিঃ না। আমি যাবো। তবে তোমার পি.এ. হয়ে না। তোমার এম.ডি. হয়ে যাবো। আর তুমি আমার পি.এ. হবে।
আশফিঃ আর ইউ ক্রেজি?
মাহিঃ I’m not crazy. যেটা বলছি সেটাই করবে।
আশফিঃ ok…
মাহিঃ তারপর আমরা রেডি হয়ে অফিসে চলে এলাম। সবাই আমাদের মর্নিং জানালো। কেউ কেউ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল। আমি সরাসরি ওর চেম্বারে গেলাম আশফি ও ঢুকলো।
আশফিঃ কি ম্যাডাম আপনি কি আমার চেয়ারেই বসবেন?
মাহিঃ Of course dear.
আশফিঃ ঠিক আছে বসো। আর ওখানে কিছু প্রজেক্টের ফাইল আছে ওগুলো আমাকে দাও।
মাহিঃ কেনো? ওগুলো আমি দেখবো। এখন যেহেতু আমি এম.ডি. তাই সেগুলো দেখার দায়িত্ব ও আমার। তুমি যাও আমার চেম্বারে গিয়ে আমার কাজ গুলো দেখো।
আশফিঃ আরে………..আচ্ছা ঠিক আছে। যদি আমার ল্যাপটপ টা দিতেন তাহলে একটু ভালো হতো।
মাহিঃ ওকে। নাও। তারপর ও ল্যাপটপ টা নিয়ে আমার চেম্বারে চলে গেলো। বসে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ওর চোখ যখন আমার দিকে পরলো তখন আমি ওকে চোখ মেরে দিলাম। ও একটা মুচকি হাসি দিয়ে কাজ শুরু করলো। এর মধ্যে ম্যানেজার সাহেব চেম্বারে আসলো। আমাকে স্যার ভেবে কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেলো আমাকে দেখে। (অবাক হয়ে)
– মাহি তুমি? না মানে ম্যাম স্যার কোথায়?
মাহিঃ আপনি মাহি বলেই ডাকবেন সমস্যা নেই। এখন বলুন কি প্রয়োজন।
– আসলে নতুন যে প্রজেক্ট এর কাজ শুরু হয়েছে সেগুলো নিয়ে কিছু কথা বলার ছিল।
মাহিঃ আমাকে দেখান।
– এই যে এগুলো।
মাহিঃ ও মাই গড এই প্রজেক্টের বিষয়ে তো আমি কিছুই জানিনা। আমি তখন ছিলাম না। ওকে এখানে আসতে বলি। ফোন করে ওকে আসতে বললাম। ও চেম্বারে আসলো। ওরা দুজন সামনের চেয়ারে বসে কথা বলছিল। আর আমি শুধু ওকেই দেখছি। কথা বলা শেষ করে ম্যানেজার চলে গেলো। আশফি ও বেরিয়ে যাচ্ছিল।
মাহিঃ এই কোথায় যাও। আমি তোমাকে যেতে বলেছি?
আশফিঃ ow…sorry mam. বলুন কি প্রয়োজন?
মাহিঃ হুম। আমার কাছে এসো।তারপর ও কাছে এসে দাড়ালো।
-এই হট কফিটা খাও। এটা তোমাকে ভেবে দিয়ে গেছে।
আশফিঃ ওকে। তারপর কফিটা খেলাম।
মাহিঃ এখন তোমার হট লিপে আমাকে একটা হট কিস করো। ও নিচু হয়ে আমাকে কিস করার জন্য এগিয়ে এলো।
-উহুম এভাবে নয়। ওয়েট।
আমি চেয়ার থেকে উঠে টেবিলের ওপর পা নামিয়ে দিয়ে বসলাম। তারপর ওর স্যুট টেনে ধরে ওকে কাছে নিয়েলাম। হুম এখন করো।
আশফিঃ ওর এসব দেখে আমি সত্যিই exited হয়ে যাচ্ছিলাম।ওর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে কিস করছিলাম।এমন সময় মনে হলো দরজায় নক পরলো। তাড়াতাড়ি ওকে ছেড়ে দিয়ে ওকে নিচে নামালাম। কিন্তু দুজনেই অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় দাড়িয়ে ছিলাম। আমি ভেতরে আসতে বললাম তাকে। নীলা এসেছে। কিন্তু নীলা ওর দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেনো?
আমি ওর মুখের দিকে তাকালাম। দেখলাম ওর ঠোঁটের চারপাশে ভিজে হয়ে আছে। আমি যে ওকে কিস করেছি সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আর সে জন্যই নীলা ওভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
মাহিঃ আরে নীলা কেমন আছো? এসো বসো।
নীলাঃ হ্যা ভালো। তুমি কেমন আছো? স্যার আপনি কেমন আছেন?
আশফিঃ হুম। খুবই ভালো। ও গড এই মেয়েটা কি বুঝতে পারছেনা ওর ঠোঁটটা ভিজে হয়ে আছে। ঠোঁটটা না মুছেই ওর সাথে বকবক করছে। কিভাবে বলি? আমি ওর একটু কাছে গিয়ে নীলার দিকে তাকিয়ে ওকে আস্তে করে বললাম,
-মাহি ঠোঁটটা মুছো।
মাহিঃ কি মুছবো?(জোড়ে বলে উঠলো)
আশফিঃ তারপর ওর দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে ইশারায় বোঝালাম। ও তাড়াতাড়ি করে ঠোঁট মুছলো। মেয়েটা আসলেই একটা গাধা।
নীলাঃ স্যার এই ফাইল গুলো আপনাকে দেওয়ার ছিল।
আশফিঃ হুম রেখে যাও। নীলা চলে গেলো। তারপর ওর সাথে কথা শুরু করলাম।
-তুমি কি একটুও বুঝতে পারছিলেনা? ও কি ভাবলো বলো তো?
মাহিঃ ভাবুক। হাজবেন্ড ওয়াইফ হতেই পারে। এ্যাহ নিজে যেনো কতো ভাবতো। কি হয়েছে? ওভাবে তাকিয়ে কি দেখছো?
আশফিঃ দেখছি আমার নতুন মাহি কে।
মাহিঃ হুম দেখো ভালো করে দেখো। সামনে আরও অনেক কিছু দেখতে পাবে।
আশফিঃ হুম??? তাই?
মাহিঃ হুম তাই।
আশফিঃ ওর সাথে দুষ্টুমি ফাজলামি করেই সময় কাটছিল। কখনও আমার কোলে বসে নিজেই কিস করছে আদর করে দিচ্ছে, আবার কখনো বিভিন্নরকম কথা বার্তা বলে হাসি ঠাট্টা করছে। আর আমি শুধু আমার মাহিকেই দেখছিলাম। এখন ওর হাসিটাই যেনো আমাকে সব কষ্ট ভুলিয়ে দিয়ে নতুন করে বাঁচিয়ে তুলছে। এই হাসিটা না থাকলে আশফির জীবন টা থেমে যাবে।
-মাহি lunch এর টাইম হয়ে গেছে চলো বাইরে থেকে lunch করে আসি। আজকে তো আর lunch নিয়ে আসিনি।
মাহিঃ হ্যা ঠিক আছে চলো। আমরা lunch করার জন্য একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। lunch শেষে আমাকে নিয়ে কিছুক্ষণ ও গাড়িতে ঘুরলো।
আশফিঃ মাহি চলো অনেক সময় হয়ে গেছে অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরতে হবে।
মাহিঃ ওকে। চলো। তারপর অফিসে গিয়ে সব কাজ শেষ করে বাসায় ফিরলাম।
★সন্ধ্যার পর★
আশফিঃ আচ্ছা মামনি তুমি দেখতে এতো সুন্দর কিন্তু তোমার মেয়েটা এমন দেখতে হয়েছে কেনো?
মামনিঃ কেমন দেখতে? ও তো দেখতে আমার থেকেও সুন্দর হয়েছে একদম ওর বাবার মত। ওর বাবা তো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।
মাহিঃ মা!!! তুমি আবার ঐ লোকটার কথা বলছো? আর আমি কোনোদিও ওনার মত দেখতে না। ওনার মত নিকৃষ্ট ব্যক্তির সাথে আমার কোনো মিল থাকতে পারেনা।
আশফিঃ মাহি!! তুমি কার সম্পর্কে কি বলছো? উনি তোমার বাবা হন। আর তুমি এমন ধরনের ব্যবহার কবে থেকে শিখলে?
মাহিঃ আশফি তুমি জানো না ঐ লোক টার জন্য আজও আমার মা চোখের পানি ফেলছে। পুরো জীবন টা শেষ করে দিয়েছে মায়ের।
আশফিঃ চুপ করো তুমি। তুমি কতটুকু জানো তার সম্পর্কে? আমি যা জানি তুমি তার ১ ভাগ ও জানোনা।
চলবে…………

রোমান্টিক_অত্যাচার_১২

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_১২ লেখিকাঃ #Israt_Jahan ধারণাঃ #Kashnir_Mahi আশফিঃ ঘুরেই দেখলাম মাহি ড্রয়িংরুমে দাড়িয়ে আমাদের সব কথা শুনেছে। কিন্তু ওর চোখে তো কোনো বিস্ময় বা রাগ কিছুই দেখছিনা। – মাহি তুমি উঠে এসেছো কেনো? তুমি কি এখন সুস্থবোধ করছো? মাহিঃ একটু আগেও খানিক টা অসুস্থ ছিলাম এখন এই মূহুর্তে পুরোপুরি সুস্থবোধ করছি। আশফিঃ (নিশ্চুপ) মাহিঃ আশফি তোমার একটা জিনিস আমাকে ভিষণ মুগ্ধ করেছে। এতো বড় একটা অপকর্মের এতো সুন্দর একটা পুরষ্কার দিলে ওদের আমি সত্যিই ইমপ্রেসড। কি অবাক হচ্ছো হঠাৎ আপনি থেকে তুমি তে চলে আসলাম। আসলে আপনি করে সম্বোধন করলে সম্মান অনেক বেশি দেওয়া হয়ে যায়। আর তুমি এতোটাই নিকৃষ্ট যে তোমাকে তুমি করেও সম্বোধন করা উচিত না। কিন্তু আমি এর থেকে আর নিচে নামতে পারছিনা। Revenge!! Revenge নিয়েছো না?? Good job. (স্বাভাবিক কন্ঠে বলছিল) – ডাইনিং টেবিলে একটা ছুরি দেখতে পেলাম দৌড়ে গিয়ে সেটা নিয়ে এসে ওর কলার চেপে গলায় ছুরিটা ঠেকিয়ে ধরলাম। কি ভেবেছিলে তুমি আশফি এগুলো আমি কোনো দিনও জানতে পারবোনা? তোমাকে তো খুন করলেও আমার শান্তি হবেনা। এগুলোর পরেও আমি বিশ্বাস করবো তুমি আমাকে ভালোবাসো? এটাকে কি ভালোবাসা বলে? আমি ওর গলায় অনেক শক্ত করে ছুরিটা ধরে ছিলাম তাতে ওর গলার এক পাশ কেটে রক্ত পড়ছে কিন্তু তা দেখে আমার একটু ও মায়া হচ্ছেনা। ও একদম স্বাভাবিকভাবে দাড়িয়ে আছে শুধু চোখ থেকে পানি পড়ছে। আমি ওর চোখ থেকে এক ফোটা পানি আঙ্গুলে ধরে ওকে বললাম, -এগুলো কি সত্যি চোখের পানি? নাহ্ এটাও নকল। আশফিঃ মাহি তুমি আমাকে যা খুশি করো যা খুশি বলো আমার ভালোবাসা তোমার কাছে নাটক অভিনয় পাগলামি যাই মনে হোক কিন্তু আমাকে তুমি ছেড়ে যেওনা। আজকের পর থেকে আমি তোমাকে আর কোনো কিছুতেই জোড় করবোনা আমি তোমাকে তোমার মত করে থাকতে দেবো তবুও আমাকে ছেড়ে যেওনা। আমাকে তুমি যা করতে বলবে আমি তাই করবো তবুও আমাকে ছেড়ে তুমি যেওনা মাহি, প্লিজ। কথাগুলো আমি ওকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে বলছিলাম। মাহিঃ ওকে ধাক্কা দিয়ে আমি সরিয়ে দিলাম। তারপর ছুরিটা আমি নিচে ছুড়ে ফেলে দিলাম। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম, – ঠিক আছে আমি আমার planing change করলাম। তোমাকে খুন করলে আমার সম্মান ফিরে আসবেনা। আমি তোমাকে এখন যেটা করতে বলবো সেটা যদি করতে পারো তাহলে আমি ভেবে দেখবো। আশফিঃ কি করতে হবে বলো তুমি যা বলবে আমি তাই করবো। কিন্তু প্লিজ আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা তুমি ভেবোনা। মাহিঃ আজকে সন্ধ্যার ভেতরে একটা পার্টির arrangement করতে হবে। আর সেখানে তোমার সমস্ত অফিস কলিগ, স্টাফ আমার এলাকার কিছু পড়শি সবাইকে ইনভাইট করতে হবে। আর হ্যা মিডিয়াপ্লেক্স ও থাকবে। তারপর তুমি সবার সামনে স্বীকার করবে আমার সাথে যা যা করেছো সব। কি? পারবে তো? আশফিঃ ( নিশ্চুপ) মাহিঃ কি হলো চুপ কেনো? আমি জানতাম মি. আশফি চৌধুরীর সম্মান আর জেদ এর কাছে ভালোবাসা মূল্যহীন। আশফিঃ না। আমার কাছে তোমার থেকে কোনো কিছুর মূল্য বেশিনা। এটা করলে তুমি যদি আমাকে মাফ করে দাও আমার কাছে ফিরে আসো তাহলে আমি সেটাই করবো। আমি আজকেই সবকিছুর ব্যবস্থা করছি। ★ সন্ধ্যাবেলা★ মাঃ কিরে আজকে হঠাৎ কিসের জন্য পার্টির arrangement করেছে আশফি। আর এত লোকজন কেনে? মাহিঃ একটু অপেক্ষা করো দেখতে পাবে। আজকে আমি নিজে থেকেই খুব সুন্দর করে সেজেছি। কারণ আজকে আমার খুশির দিন আর ওর বিষাদময় দিন। সবাই চলে এসেছে। আমি ওর কাছে গিয়ে ওর হাতটা ধরে সবার মাঝে এসে দাড়ালাম। ও আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম, – Good evenig everyone. আজকে আমার অনেক বিশেষ একটা দিন। তাই আমার হাজবেন্ড আপনাদের সাথে আমার আর ওর বিশেষ কিছু কথা শেয়ার করবে, আপনারা মনোযোগ সহকারে শুনুন। ডিয়ার শুরু করো। এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেনো সবাই অপেক্ষা করছে তো। বলো!! তারপর ও কথাগুলো বলা শুরু করলো। কথা বলার সময় ওর গলা কাঁপছিল। আর সবাই ওর দিকে অবাক চোখে চেয়ে সেই কথাগুলো শুনছিল। আজকে আমি সত্যি অনেক খুশি । প্রতিশোধের বদলে প্রতিশোধ। কথাগুলো বলা শেষ করেই ও আমার দিকে তাকালো। চোখ দুটোতে পানি ছলছল করছিল। কিন্তু আমার চোখে ওর জন্য শুধু ছিল ঘৃণা। আমি ওর থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে মিডিয়ার উদ্দেশ্যে বললাম আজকের ঘটনা যেনো প্রতিটা নিউজ চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ হয়ে বের হয়। কথাগুলো বলেই আমি রুমে এসেই কাপড়-চোপড় গোছানো শুরু করলাম। মা আর ও আমার পিছু পিছু চলে আসলো। আশফিঃ মাহি তুমি এগুলো কি করছো? তুমি তো বলেছিলে আমি তোমার কথা শুনলে তুমি আমাকে ছেড়ে যাবেনা আমি তো সেটাই করেছি। তাহলে তুমি এগুলো কেনো করছো? এই মাহি আমার কথা শুনো প্লিজ। মামনি ওকে বোঝাও। ( আশফি মাহিকে আটকানোর চেষ্টা করছিল আর কথাগুলো বলছিল) মাঃ মাহি তুই থাম। তুই কিন্তু বাড়াবাড়ি করছিস। তুই ওকে যা করতে বলেছিস ও সেটাই করেছে। এখন ওকে ক্ষমা করে দে। মাহিঃ মা তুমি চুপ করো। ও যেটা করেছে তার কোনো ক্ষমা হয়না। মাঃ কেনো ক্ষমা হয়না। ও তোর সম্মান নষ্ট করেছিল। তা আজ তোকে ও ফিরিয়ে দিয়েছে। ও সবার সামনে ওর অপরাধ স্বীকার করছে। তোর কাছে ও মাফ চেয়েছে। এখন তো ওর সম্মান ও সবার সামনে নষ্ট হয়ে গেছে। একটু পর টিভি চ্যানেলে আজকের ঘটনা ফ্লাশ হবে। শেষ হওয়ার আর কি বাকি আছে ওর। আশফিঃ মাহি তোমার দোহাই লাগে আমাকে এত বড় শাস্তি দিওনা। আমি থাকতে পারবোনা তোমাকে ছাড়া। মরেই যাবো আমি। (জড়িয়ে ধরে কেঁদে বলছিল) মাহিঃ ছাড়ো আমাকে(ধাক্কা দিয়ে) একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেনা। তুমি মরে গেলেও আমার আর কিচ্ছু যায় আসেনা। আমার চোখের সামনে থেকে চলে যাও। আশফিঃ কথাগুলো বলার পর ও মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিল। আমি ওকে দৌড়ে ধরতে গেলাম। মাহিঃ Don’t. Don’t touch me. মা ওকে আমার সামনে থেকে চলে যেতে বলো। আমি ওকে সহ্য করতে পারছিনা। আমি বসে বসে কাঁদছি। আর মনে মনে ভাবছি যে এই লোকটার ওপর কয়েক ঘণ্টা আগেও একটা টান ছিল। আর এখন তাকে আমি আর সহ্য করতে পারছিনা। পারছিনা আর সহ্য করতে। আশফিঃ মাহি তুমি সত্যি আর আমার কাছে ফিরে আসবেনা, আমি মরে গেলেও তোমার কিছু যায় আসেনা তাইনা? আমাকে তুমি আর একদম সহ্য করতে পারছোনা। ঠিক আছে আমি আর তোমার সামনে আসবোনা। তোমাকে কষ্ট দেবোনা। (কথাগুলো পাথরের মত দাড়িয়ে স্বাভাবিক কন্ঠে বলছিল) -তুমি যেতে পারো। মাহিঃ মা চলো এখোনি। আমি মায়ের হাত ধরে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। মাঃ মাহি দাড়া তুই আমার কথা শোন। এরকম কষ্ট ছেলে টাকে দিসনা। মাহিঃ মা তুমি আর একটা কথাও বলবেনা। কিসের এতো টান তোমার ওর জন্য? কথা গুলোর মাঝেই হঠাৎ ওপর থেকে গুলির আওয়াজ আসলো। তখন আমরা ড্রয়িংরুমে। আওয়াজ টা শুনেই আমি দাড়িয়ে গেলাম। মাঃ ওপর থেকে গুলির শব্দ শোনা গেলো। মাহি ও কি কিছু করে ফেললো? মাহিঃ মা আমার হাত ছেড়ে দৌড়ে ওপরে গেলো। যাওয়ার পরই মা চিৎকার করে উঠলো। আমি আর কিছু না ভেবেই ওপরে ছুটে গেলাম। গিয়ে দেখলাম রক্তে ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে। ও ওর পেটে নিজেই shoot করেছে। এত রক্ত আমি আগে কখনো দেখিনি।
ওর এই অবস্থা দেখে আমি আর নিজেকে সামলাতে পারিনি। কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমি ফ্লোরে পড়ে আছি। আমি sense হারিয়ে ছিলাম। কিন্তু চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই।তার মানে ওকে hospital নিয়ে গেছে। আর আমি ওর রক্তের পাশেই বসে আছি। প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেটা ওর জীবনের বিনিময়ে নয়। আজকে তো আমি নিজেই অনেক বড় অপরাধী হয়ে গেলাম। ওকে কি আমার ক্ষমা করা উচিত ছিল? হ্যা আমার ক্ষমা করা উচিত ছিল ওকে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে ফোন বেজে উঠলো। আমি ফোন রিসিভ করলাম। মা ফোন করেছে। মাঃ কিরে খুব শান্তি পেয়েছিস? তুই এরকম নিষ্ঠুর হয়ে গেলি কবে থেকে মাহি? তুই কি ওকে একটাবার ক্ষমা করতে পারতিনা? আজকে আমরা বেঁচে আছি যে আশরাফ ভাইয়ের জন্য আর তুই আজকে তার ছেলেকেই………….. হ্যা মানলাম ও যেটা করেছিল সেটা ওর অনেক বড় ভুল ছিল। তার জন্য তুই যা বলেছিস ও তাই করেছে। কিন্তু তুই কি করলি? এখন ও কি তোর মনে হয় ওর ভালোবাসা শুধু দুইদিনের জন্য ছিল? আজকে যদি ওর কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি তোকে কোনোদিনও মাফ করবোনা মাহি, কোনোদিনও না। মাহিঃ কথাগুলো মা এক নিঃশ্বাসে বলে ফোনটা কেটে দিল। এখন তো আমার চারপাশ শুধু অন্ধকার লাগছে। আমি কল্পনা করতে পারিনি ও এরকম কিছু করবে। আমি বসে বসে ওর সাথে আমার খারাপ ভালো স্মৃতিগুলো মনে করছি। আমাকে পাওয়ার পদ্ধতি ওর ভুল ছিল। কিন্তু ওর ভালোবাসা মিথ্যে ছিলনা। আমার সাথে ও যাই করেছে শুধুমাত্র আমাকে ওর কাছে রাখার জন্য করেছে। এখন আমার কি করা উচিত? কি করবো আমি? হে খোদা এত বড় শাস্তি তুমি আমাকে দিওনা। দিওনা এত বড় শাস্তি(কান্না কন্ঠে)। একমাত্র তুমিই পারো ওকে বাঁচাতে। আমি উঠে গিয়ে ওযু করে নামায পড়তে বসলাম। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ওর জন্য মোনাজাত শুরু করলাম। হে আল্লাহ্ তোমার কাছে ছাড়া আমি আর কার কাছে চাইবো? তুমি তো সব দেখছো একমাত্র তোমারই ক্ষমতা আছে তোমার বান্দাকে বাঁচিয়ে তোলার। তুমিই পারো ওকে বাঁচাতে। এই পৃথিবীর কোনো কিছুই তোমার ইশারা ছাড়া চলেনা। তাহলে তুমি ওকে আমার থেকে ছিনিয়ে নিওনা। একটাবার সুযোগ দাও ওর সঙ্গে বেঁচে থাকার। শুধু একটাবার সুযোগ দাও আমাকে। এভাবে অনেক্ষন কান্নাকাটি করে মোনাজাত করেছি। তারপর কখন জায়নামাজ এর ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েছি তা জানিনা। চাচ্চুঃ ভাবি মাহি আসেনি? মাঃ নাহ্। আমি আমার এই মাহিকে চিনতে পারছিনা। ও এতোটা নির্দয়ালু কবে থেকে হলো জানিনা। চাচ্চুঃ মেয়েটা ওকে বুঝতে পারলোনা।শুধু ওর ভুল আর ওর রাগ টাই দেখলো। ছেলেটা সবকিছু হারিয়ে শুধু ওকে পাওয়ার জন্য এখানে চলে এলো? মাঃ সবকিছু হারিয়ে মানে? ( কথাগুলো শোনার আগেই ডঃ বেরিয়ে এলো O.T থেকে। চাচ্চুঃ ডঃ আশফি এখন কেমন আছে ও ঠিক আছে তো? ডঃ হ্যা danger টা কেটে গেছে। গুলিটা পেটের এক পাশ থেকে বেরিয়ে গেছিল। তাই এই যাত্রায উনি বেঁচে গেছে। আপনারা সকাল হলে ওর কেবিনে যেতে পারবেন। এখন না। মাঃ হায় আল্লাহ্ তোমার দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া। ★সকালবেলা★ মাঃ আরমান ভাই আশফি চোখ খুলেছে ওর sense ফিরেছে। আশফি? বাবা তোর কেমন লাগছে? আশফিঃ আমি চোখ টা খুলেই মামনিকে দেখলাম। তারপর চারপাশে তাকালাম। -মামনি, ও আসেনি তাইনা? মাঃ চুপ থেকে বললো ওর কথা বাদ দে। তুই এখন বল কেমন লাগছে তোর? চাচ্চুঃ বাবা তোর এখন কেমন লাগছে? আশফিঃ তোমরা সবাই এখানে? ওকে কোথায় রেখে এসেছো? ও কোথায়? তোমরা ওকে একা রেখে কিভাবে চলে এলে? চাচ্চু তুমি তো জানো ওর লাইফ রিস্ক কতোটা? তারপরেও তুমি কিভাবে ওকে একা রেখে চলে এলে? চাচ্চুঃ আশফি বেটা তুই একদম চিন্তা করিসনা। ওখানে আমি ওর নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা করে রেখেছি।তুই এতো টেনশন নিসনা অসুস্থ হয়ে পড়বি। আশফিঃ এখানে বসে থাকলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়বো। তুমি এক্ষণি আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করো। না হলে আমি নিজেই চলে যাবো এখান থেকে। মামনিঃ বাবা তুই শান্ত হ। এই অবস্থায় তোকে কিভাবে ছাড়বে বল। আশফিঃ মামনি আমি একদম ঠিক আছি। এখানে থাকতে আমার একটুও ভালো লাগছেনা। চাচ্চুঃ আচ্ছা তুই শান্ত হ আমি দেখছি। আমি ডঃ এর সাথে কথা বলে বাসায় নার্সিং এর ব্যবস্থা করছি। মাহিঃ ঘুম ভাঙ্গলো মুখে রোদের আলো পড়ে। জানালা দিয়ে আলো এসে পড়েছে। আমি তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম। আমি এভাবে ঘুমিয়ে আছি? আমার তো hospital যাওয়া দরকার। আমি উঠে তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে এলাম। মনে হলো বাইরে গাড়ি থামলো। আমি দৌড়ে গেলাম দেখলাম ওকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। ওকে দেখে আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলাম। ওকে ধরে যখন বাসার ভেতর আনছিল তখন ও আমার দিকে একবারও তাকালোনা।আর কেউ আমার সাথে কোনো কথাও বলছেনা। আমি ওপরে গেলাম ওর রুমে। দেখলাম দুটো নার্স ওকে ধরে শুইয়ে দিল। তারপর সবাইকে বললো – এখন আপনারা সবাই বাইরে যান ওনার ঘুমের প্রয়োজন। (নার্স) মাহিঃ আমি বাইরে চলে আসলাম। আমি মায়ের সাথে কথা বলতে গেলাম মা আমাকে এড়িয়ে চলে গেলো। আমি বার বার ওর রুমে উঁকি দিচ্ছি। ও ঘুমোচ্ছে। আমি ওর রুমে ঢুকে ওর কাছে যেতে গেলাম। একটা নার্স তখন বললো, -ম্যাম উনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ না। আর ওনার কাছে এখন কেউ থাকতে পারবেনা তাতে ওনার জার্ম প্রবলেম হতে পারে। আপনি প্লিজ এখন বাইরে যান। আমার তখন নার্সটার ওপর খুব রাগ হচ্ছিল। আমাকে ওর কাছে এলাও করছেনা? কিছু বলতে গিয়ে না বলে বেরিয়ে এলাম। মা তখন রুমের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল আমাকে দেখে রেগে গেল, মাঃ তুই এখানে কি করছিস? মাহিঃ মা?? মাঃ একদম চুপ। আগেই যখন তোর ভুলটা বুঝতে পারিসনি এখন ওর একটা ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পর সেই ভুল ভাঙ্গার কোনো মানেই হয়না। মাহিঃ আমি মায়ের কথা শুনে আর কিছু বলতে পারলামনা। চলে এলাম কাঁদতে কাঁদতে। রাত ৯ টা বাজে আমি একবার ওর রুমে যেতে চাইলাম। রুমের সামনে গিয়ে ওদের কথা শুনে বাইরে দাড়িয়ে গেলাম। মা আশফি আর চাচ্চু কথা বলছে। ওর এই কথাগুলোই বলছিল আশফি কিছুদিন পরই জাপান ফিরে যাবে। আর সাথে মাকে ও নিয়ে যাবে। মা আমার সাথে আর থাকতে চাইনা। আর এখানে আশফির যা কিছু আছে সেগুলো আমার নামে লিখে দিয়ে যাবে। আমি এই কথাগুলো শুনে সেখানে আর দাড়িয়ে থাকতে পারলামনা।অন্য ঘরে দৌঁড়ে চলে আসলাম। মাঃ আশফি? বাবা তুই কিছু খেয়ে নে এখন তো তোর খালি পেটে থাকা উচিত না। অসুস্থ হয়ে পড়বি। আশফিঃ মামনি আমার কিচ্ছু হবেনা। আর খালি পেটে কোথায় সন্ধ্যার সময়ই তো খেয়েছি। তোমরা এখন যাও গিয়ে রেস্ট নাও। অনেক কষ্ট করেছো। এখন গিয়ে ঘুমাও। মাহিঃ আমি এত বড় শাস্তি পাবো সেটা কখনও ভাবিনি। ওরা আমাকে ছেড়ে চলে গেলে আমি ওদের ছাড়া কিভাবে থাকবো। আশফি প্লিজ আমাকে এত বড় শাস্তি দিওনা। আমি থাকতে পারবোনা তোমাদের ছাড়া, থাকতে পারবোনা। রাত ১১:৩০ টায় ওর ঘরের সামনে গেলাম। দেখলাম দরজা টা হালকা ভাবে খোলা। আমি রুমে ঢুকে গেলাম ও তখন কপালের ওপর হাত চোখ বন্ধ করে আছে। আমি ভাবলাম ও ঘুমিয়ে রয়েছে। কিন্তু আমার পায়ের শব্দ শুনে ও চোখ খুলে আমার দিকে তাকালো। তবে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলোনা। চোখটা বন্ধ করে ফেললো আবার। আমি আশফিকে তখন বললাম, – আমাকে কি আর এক বার সুযোগ দেওয়া যায়না? ও তখন চোখ খুলে অবাক হয়ে তাকালো। আমি ভাবলাম ও এভাবে তাকালো ও কি ভাবলো আমি জাপান যাওয়ার জন্য সুযোগ চাইছি? তাই আমি বলেই ফেললাম, – জাপান যাওয়ার জন্য নয়। আশফিঃ তা কিসেন জন্য? মাহিঃ তোমার সাথে রো…… না না মানে তোমাকে…….ভা লোবাসার সুযোগ চাই আশফিঃ Are you sure? মাহিঃ Damn sure. আশফিঃ পারবে তো আমার অত্যাচার সহ্য করতে? মাহিঃ অত্যাচার?? অত্যাচারের কি হলো এখানে? আশফিঃ না সবাই তো বলে আমি তোমাকে অনেক অত্যাচার করি। মাহিঃ সবাই কে কে বললো এমন কথা? আশফিঃ পাবলিকেরা। আমি নাকি তোমাকে খুব অত্যাচার করি। কেউ কেউ তো আমাকে ভিলেইন ই বানিয়ে দিয়েছে।
মাহিঃ আরে ধুর। ওদের কথা বাদ দাও তো। আর ওগুলো তো তোমার #রোমান্টিক_অত্যাচার তাইনা। ( এখানেই শেষ নয়) মাহিঃ আচ্ছা তুমি দরজা লক না করেই শুয়ে পড়েছিলে কেনো? আশফিঃ তোমার জন্য। মাহিঃ মানে? তুমি জানলে কি করে আমি আসবো? আশফিঃ আমরা যখন কথা বলছিলাম তখন তুমি দরজার পাশে দাড়িয়ে ছিলে। আর তখন ই জানতাম তুমি আমার রুমে আসবে। আশফিঃ আচ্ছা এখন যাও আমার জন্য খাবার নিয়েসো। খিদে পেয়েছে। মাহিঃ ঠিক আছে। আমি ওকে বসিয়ে দিয়ে ওর জন্য খাবার এনে ওকে খাইয়ে দিতে গেলাম। ও তখন বললো, আশফিঃ চামুচ দিয়ে খাবোনা। হাত দিয়ে খাইয়ে দাও। মাহিঃ হুম। আচ্ছা। আমি ওকে হাত দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছিলাম। খাওয়া শেষ করে উঠে যেতে গেলাম তখন ও আমার হাত ধরলো। আশফিঃ খাওয়া শেষ হয়নি। মাহিঃ খাবার তো শেষ। আচ্ছা তুমি বসো আমি খাবার নিয়াসছি। আশফিঃ উহুম। মাহিঃ খাবার শেষে আমার আঙ্গুল গুলোতে যে খাবার গুলো লেগেছিল ও প্রতিটা আঙ্গুল মুখের মধ্যে নিয়ে চেটে খেলো সেই খাবার গুলো। আশফিঃ হয়েছে। এখন পানি দাও। মাহিঃ তারপর আমি ওকে পানি খাইয়ে ওকে শুইয়ে দিয়ে চলে যেতে লাগলাম। আশফিঃ কি হল? কোথায় যাও? মাহিঃ অন্য রুমে। আশফিঃ এই আমাকে ভালোবাসতে চাইছো আবার অন্য রুমে গিয়ে থাকতে চাইছো। মাহিঃ না আসলে নার্স বলছিল তোমার সাথে থাকলে তোমার প্রবলেম হতে পারে। আশফিঃ তুমি…….(থেমে গেলো) আচ্ছা ঠিক আছে যাও। মাহিঃ কথাটা বলেই ও মুখ ঘুরিয়ে নিলো। বুঝতে পারলাম ও রেগে গেছে। -আশফি?? আমি তো…… আশফিঃ মাহি চুপ করো। তোমার কি নিজে থেকে কখনো Sense হবেনা? সবকিছুই কি বলে বোঝাতে হবে? মাহিঃ আমি কিছু না বলেই ওর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। আর তখন ও আমার বুকের ওপর মাথা রাখলো। কিছুক্ষণ পর মাথা উঁচু করে আমার মুখের দিকে তাকালো। আশফিঃ মাহি? তোমার Heartbeat বেড়ে যাচ্ছে কেনো? তুমি কি ভয় পাচ্ছো? তুমি কি এটা ভাবছো যে আমি তোমাকে এখন……… তাও আবার আমার এই অবস্থায়?? মাহিঃ কি বলছো তুমি এসব? আমি এগুলো ভাববো কেনো? আর আমি বুঝে গেছি তোমার ভালোবাসা, পাগলামী আর তোমার পাগলামী রোমান্স। আশফিঃ সত্যি?? মাহিঃ হুম। সত্যি। কিছুক্ষণ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো।তারপর আবার আমার বুকের ওপর মাথা রাখলো। ২ মিনিট পর আবার মাথা তুলে আমার চোখের দিকে তাকালো। তারপর আমার ঠোঁটের নিচে তিলটার দিকে তাকিয়ে তিলটাই চুমু দিল আর ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে আবার আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমালো। এই পাগল টাকেই আমি কতো অবহেলা করেছি। চলবে…….. (ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

রোমান্টিক_অত্যাচার_১১

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_১১ লেখিকাঃ #Israt_Jahan ধারনাঃ #Kashnir_Mahi মাহিঃ তারপর উনি আমাকে বললেন, আশফিঃ তুমি যদি আমাকে ভালো নাও বাসো তাও আমি তোমাকে ছাড়বোনা আর যদি আমার সাথে থাকতে না চাও তাও তোমাকে যেতে দেবোনা। ক্লিয়ার?? এখন যাও আমাকে খেতে দাও। মাহিঃ হুম। তার মানে উনি নিজে থেকে কখনোই আমাকে ছাড়বেনা। বুঝেছি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি বাগানে গিয়ে হেডফোনে গান শুনছিলাম। কিন্তু বাগানে আসার আসল উদ্দেশ্য হলো ঠিক কতগুলো গার্ড আছে সেটা দেখার। আশফিঃ ও বসে হেডফোনে গান শুনছিল আমি গিয়ে ওর এক কান থেকে একটা হেডফোন নিয়ে আমার কানে দিলাম মাহিঃ এটা কি হলো? আমি কখনো আমার হেডফোন কারো সাথে শেয়ার করিনা। আশফিঃ পুরো লাইফ টাই আমার সাথে শেয়ার করতে হচ্ছে। আর তো হেডফোন। আচ্ছা ঘরে চলো। মাহিঃ কেনো? আশফিঃ দরকার আছে।তারপর আমি ওর হাত ধরে ঘরে নিয়েলাম। -তুমি বসো আমি তোমার কোলে মাথা রাখবো। আর বাড়তি কোনো কথা বলবেনা। তারপর ও বাদ্ধ্য মেয়ের মত সেটাই করলো। ( পরেরদিন সকালবেলা ) আশফিঃ মাহি আমার জন্য এক কাপ কফি আনো। আর তুমি খেয়ে নিও আমি পরে খেয়ে নিব অফিসে গিয়ে। অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। তুমি lunch টা রেডি করে আনো। মাহিঃ হুম। আমি রান্নাঘরে গিয়ে ওদের ( সার্ভেন্টস)ভেতর ে একজনকে বললাম কফি দিয়ে আসতে আর আমি একটা সার্ভন্টেসের সাথে কথা বলছিলাম আর ওনার lunch গোছাচ্ছিলাম। আশফিঃ কফি তুমি নিয়েসেছো কেনো? ম্যাম কোথায়? -ম্যাম তো রান্নাঘরে আছে।
আমি কফির মগটা নিচে ফেলে দিলাম। মাহিঃ মনে হলো ঘর থেকে কিছু ভাঙ্গার আওয়াজ পেলাম। আমি তাড়াতাড়ি দৌঁড়ে গেলাম। দেখলাম নিচে কফির মগ টা পড়ে আছে ভাঙ্গা অবস্থায়। আমি কিছু না বলে ওনার দিকে তাকালাম। উনি খুব রেগে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বুঝতে পারলামনা কিছুই।সার্ভেন্টটা ভয়ে মাথা নিচু করে চলে গেলো। কিন্তু উনি এভাবে রেগে আছে কেনো? আশফিঃ কফিটা আমি তোমাকে দিয়ে যেতে বলেছিলাম। তুমি কোন সাহসে সার্ভেন্টের হাত দিয়ে কফিটা পাঠিয়েছো??? বলো?? (চিৎকার করে) মাহিঃ আমি তো আপনার lunch……… আশফিঃ একদম চুপ। কফিটা আনতে খুব বেশি সময় অতিবাহিত হতোনা। আমি এত বার বলার পরও তুমি আমার কথা অগ্রাহ্য করো? তুমি জানোনা এগুলো করে তুমি কতোটা ভুল করছো। মাহিঃ বেরিয়ে গেলো lunch টা নিয়ে। বুঝতে পারিনা এইটুকু বিষয়ে এতোটা রিয়েক্ট করার কি আছে? এগুলো উনি একটু বেশিই করছে, আমি আর এসব নিতে পারছিনা। আজকে দুপুরেই যা করার করতে হবে। দুপুরে সাভের্ন্টস গুলো একটু রেস্ট নেই।At first আমি আসিফকে ফোন দিলাম। ওর সাথে কথা বললাম নতুন কোনো চাকরির খোঁজ দেওয়ার জন্য। ও আমার সাথে দুপুরে দেখা করতে চেয়েছে। lunch এ ও ছুটি নিয়ে বের হবে। চাকরিটা হয়ে গেলেই আমি এখান থেকে অন্য কোথাও চলে যাবো। আমি আসিফকে একটা রেস্টুরেন্ট এ আসতে বললাম। এখন কথা হচ্ছে আমি বেরোতে পারবো তো? আমার তো একা বাইরে যাওয়া নিষেধ। তাও আমাকে চেষ্টা করতে হবে। দুপুরবেলা স্বাভাবিক ভাবেই বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। তখন, পেছন থেকে দুজন গার্ড ডাক দিল – ম্যাডাম?(গার্ড) -কে? (চমকে গিয়ে)(মাহি) -আপনি কোথায় যাচ্ছেন? আপনাকে তো একা যেতে দেওয়া নিষেধ।আমাদের বলুন আমরা আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি। – হ্যা তেমাদের স্যার lunch নিয়ে যাইনি তো তাই আমি যাচ্ছি এক সাথে lunch করো বলে। তোমাদের যেতে হবেনা আমি একাই যেতে পারবো। – sorry mam. আপনার একা কোথাও যাওয়ার পারমিশন নেই। আর যেতে দিলে আমাদের চাকরি থাকবেনা। -আমি তোমাতের বলছি তাও তোমরা শুনবেনা? -ইয়েস ম্যাম, স্যারের অর্ডার। -আচ্ছা তোমাদের স্যারকে আমি বলবো যে তোমরা আমাকে পৌঁছে দিয়েছো।তারপর আমি তোমাদের চলে যেতে বলেছি। ঠিক আছে?? এখন হবে তো? এখন আমাকে যেতে দাও। -কিন্তু ম্যাম মাহিঃকোনো কিন্তু নয়। যাও তোমরা। আর আমাকে বাঁধা দিওনা। উহহ অনেক কষ্টে ম্যানেজ করলাম। তারপর রেস্টুরেন্টে গেলাম। গিয়ে দেখলাম আসিফ আমার আগেই চলে এসেছে।তারপর ওর সাথে অনেক্ষন কথাবার্তা বলে বাসায় ফিরলাম। ফিরতে ফিরতে বিকাল হয়ে গেছে। অফিস hour শেষ কিন্তু উনি এখন পর্যন্ত বাসায় আসেনি। সন্ধ্যা ৭ টা। হঠাৎ মনে হলো বাইরে ওনার গলার আওয়াজ পেলাম। কিন্তু উনি এভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করছে কেনো? আমি বাইরে গেলাম। গিয়ে দেখলাম ঐ ২ টা গার্ডকে উনি বকাঝকা করে চাকরি থেকে বের করে দিল। আশ্চর্য!! উনি কি কিছু জানতে পেরেছে?? কিন্তু সেটা কিভাবে? উনি বাসার দিকেই আসছে আমি তাড়াতাড়ি রুমে চলে আসলাম। তারপর উনিও রুমে আসলেন। চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সাংঘাতিক আকারে রেগে আছে। উনি কি কোনোভাবে আমার বিষয়টা জানতে পারলো? নাকি অন্য কোনো বিষয়ে? কিছুই তো বুঝতে পারছিনা। কিন্তু আমার বিষয়টা জানতে পারলে তো এতক্ষণে আমার অবস্থা খারাপ করে ফেলতো। ফ্রেশ হয়ে উনি রুমে সোফায় বসে আছে অনেক গম্ভীর হয়ে। ৮ টা বেজে গেছে আমি ওনাকে খেতে আসার জন্য ডাকতে এলাম। বার বার ডাকছি কিন্তু কোনো কথা বলছেনা তাই চলে আসতে গেলাম। তখন উনি আমার হাতটা ধরে টেনে এনে উঠে দাড়িয়ে আমাকে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে ধরলো। আশফিঃ তুমি আমার অনেক ধৈর্য্যরে পরীক্ষা নিয়েছো আমার। আর আজকে আমার ধৈর্য্যের বাঁধ একেবারে ভেঙ্গে গেছে। তুমি ভাঙ্গতে বাদ্ধ্য করেছো।তুমি এখন কল্পনাও করতে পারবেনা আজকে আমি তোমার সাথে কি করবো। কথাগুলো বলেই ওকে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম। তারপর ওর কাছে এগিয়ে আসলাম আর ও পিছু সরছে।
মাহিঃ কি করতে চাইছেন আপনি? এভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন কেনো? দেখুন আমি কিন্তু এগুলোর জন্য একদম প্রস্তুত না। তারপর উনি আমার অনেক কাছে আসার চেষ্টা করছে আমি ওনাকে বাঁধা দিচ্ছি কিন্তু পারছিনা। -প্লিজ আমার সাথে এরকম করবেন না, আমাকে ছাড়ুন। এরপর আমি শুধু কান্নাই করছি ওনাকে কোনোভাবেই আটকাতে পারিনি তাই আর বাঁধা দেওয়ার চেষ্টাও করছিনা। আশফিঃ রাত ১:৩০ টা বাজে। ও বসে কাঁদছে। আমি কোনো কথা বলছিনা ওর সাথে। রাতে ডিনার ও করা হয়নি আমাদের। আমার খেতেও ইচ্ছে করছেনা। আর ওকে ও বলছিনা খেতে। কিন্তু ওর শারীরিক condition চিন্তা করে ওর জন্য খাবার আনতে গেলাম। ওকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য সামনে বসলাম। -মাহি, হা করো। কি হলো? আমি তোমাকে হা করতে বলছি তো। বার বার বলছি শুনছেনা। কেঁদেই চলেছে। খাবারের প্লেট রেখে আমি উঠে গিয়ে ঘরের ভেতর ভাঙচুর শুরু করলাম। মাহিঃ কি করছেন কি আপনি? এভাবে ভাঙচুর করছেন কেনো? থামুন। থামুন বলছি। উনি আমার কোনো কথায় শুনছেনা। -আশফি প্লিজ থামুন।কেঁদে বললাম। তারপর উনি থামলেন। আশফিঃ তুমি তো এটাই চাও আমি সবসময় অশান্তি করি। আমাকে শাস্তি দিতে চাও তাইনা? আর কতো? আর কতো শাস্তি পাবো আমি বলো? কথাগুলো শুনে ও একদম চুপ করে রইলো। তারপর আমি নিজেকে কনট্রোল করে ওর কাছে গেলাম। ওর সামনে বসে চোখটা মুছে দিলাম। খাবারের প্লেট টা আবার হাতে নিয়ে ওকে খাওয়ানো শুরু করলাম। এখন ও চুপচাপ খাচ্ছে কোনো কথা বলছেনা। খাওয়ানো শেষ করে ওকে শুইয়ে দিলাম। এরপর আমি ওর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। ও দূরে সরে ছিলো ওকে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরলাম তারপর ওর কপালে একটা চুমু দিলাম। কিছুক্ষণ পর ওকে কিছু কথা বললাম, -মাহি?? তুমি কি আমাকে বোকা ভেবেছিলে? কথাটা শুনে ও আমার মুখের দিকে তাকালো। আমি ওর দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলা শুরু করলাম। – কি ভেবেছিলে তুমি কিছু করলে সেগুলো আমি জানতে পারবোনা? তোমার এতদিনে বোঝা উচিত ছিল আমার পাওয়ার কতটুকু। তুমি এই বাড়িতে কখন কোথায় কি করো তা আমি সবসময় দেখতে পাই। এমনকি বাইরে কোথাও গেলে সেই ইনফরমেশন ও আমি পাই। কি অবাক হচ্ছো? তাহলে শোনো বিয়ের পর দিন থেকেই তোমার বেশ কিছু বিহেভিয়ারে আমার খুব রাগ হচ্ছিল তাও নিজেকে অনেক কন্ট্রোল করে রেখেছি। সেদিন আমি সকালে অফিসে যাওয়ার আগে তোমার ঠোঁটে চুমু দিয়ে গেছিলাম। গাড়িতে বসে যখন ফোনটা হাতে নিলাম তুমি কি করছো সেটা দেখার জন্য। তখন দেখলাম তুমি ওয়াশরুমে গিয়ে ঠোঁটটা ধুয়ে ফেলছো। আর এটা তুমি একবার না বারবার করেছো যতবার আমি তোমাকে কিস করেছি। এতক্ষনে নিশ্চই বুঝতে পেরেছো এগুলো কিভাবে দেখতে পাই। হ্যা পুরো বাড়িতে সিসি ক্যামেরা ফিট করা। 2nd time রাগ হয়েছিল সেদিন পার্টিতে, কারণ তুমি আমার বারণ করা সত্তেও আসিফের সাথে কথা বলছিলে হাসাহাসি করছিলে।সেখানেও চুপ ছিলাম। 3rd time রাগ হয়েছে সকালে যখন তুমি কফিটা আনোনি। তখন নিজেকে কন্ট্রোল করার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। আর আজ দুপুরে যে কাজটা করেছো সেটার পর আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি যখন দেখলাম তুমি আসিফের সাথে ফোনে কথা বলছো তাও আবার আমার কাছ থেকে পালানোর জন্য তখন আমার মাথা খারাপ হয়ে গেলো। আর তার ওপর তোমার বাইরে একা বের হওয়া বারণ, সেগুলো জেনেও তুমি গার্ড গুলোকে সাথে নাওনি। তখন আমি অন্য দুজন বডিগার্ড পাঠালাম তোমার সিকিউরিটির জন্য তবে ওদেরকে আমি তোমার সামনে যেতে নিষেধ করেছিলাম। তারপর সন্ধ্যায় বাসায় এসে ঐ অপদার্থ দুটো গার্ডকে চাকরি থেকে বের করে দিলাম। এখন এটা বুঝতে পেরেছো তো তুমি চাইলেও আমার থেকে পালাতে পারবেনা। আর কেনো তুমি পালাতে চাও বলোতো, আমি কি তোমাকে কম ভালোবাসি? আচ্ছা থাক এখন আর কোনো কথা বলতে হবেনা। ঘুমোও তুমি। আর হ্যা শোনো তোমার ফোনটাও কিন্তু ট্র্যাপ করা। এটা শুনে ও আর একটু অবাক হলো। ঘুম থেকে খুব সকাল সকাল উঠলো মাহি, উঠে গোসল করে আমার সবকিছু বলার আগেই করে দিচ্ছে কিন্তু কোনো কথা বলছেনা আমার সাথে। ও আমাকে কফি দিয়ে যখন চলে যাচ্ছিল তখন আমি ওকে পেছর থেকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। তারপর ওকে বললাম, -মাহি I’m sorry. কালকে তোমাকে ঐভাবে টর্চার করা উচিত হয়নি আমার। আমি সত্যিই তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনা। বিশ্বাস করো। আর শোনো(ওকে সামনে ঘুরিয়ে বললাম)আজকে থেকে তুমি অফিসে জয়েন করছো তবে আমার পি.এ. হয়েই। এবার এই কথা শুনে ও মুখ খুললো।
মাহিঃ কি? আপনি কি পাগল? আমি আপনার বৌ হয়ে আপনার অফিসেই আপনার পি.এ. হয়ে কাজ করবো? সবাই ভাববে কি আপনার লজ্জা লাগবেনা? আমার তো এখন ভেবেই লজ্জা লাগছে। আশফিঃ কি আর করবো বলো এটা তুমি করতেই বাদ্ধ্য করেছো।কারণ যে কোনো সময় তুমি পালানোর চেষ্টা করতে পারো। তাই তোমাকে সবসময় আমার সাথে রাখার জন্য এটা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এখন যাও জলদি রেডি হয়ে নাও। মাহিঃ এই দিনও দেখার বাকি ছিল? রেডি হয়ে ওনার সাথে অফিসে গেলাম। সবাই তো আমাকে এভাবে দেখে অবাক। সবাই কানাকানি করছে। করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আসিফকে চোখে পড়লোনা। তার মানে বেচারার চাকরি গেছে। আহরে আমার জন্য ওর চাকরিটা ও গেলো। ওনার P.A. হয়ে থাকলেও বেশিরভাগ সময় আমাকে ওনার চেম্বারেই কাটাতে হয়। আমার চেম্বার খালিই পড়ে থাকে। আর যখন তখন কি সব আবদার করে। যে কোনো সময় কিস করে বসে, জড়িয়ে ধরেই দুষ্টুমি শুরু করে দেই।এরকমই একদিন দুপুরে lunch এর সময় আমি ওনার খাবার রেডি করছি, আশফিঃ মাহি? বাটম গুলো খুলো।( ফোনের দিকে তাকিয়ে) মাহিঃ কি? আশফিঃ তোমার শার্টের বাটম গুলো খুলো। মাহিঃ এই আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন নাকি। এখানে আপনি কি করতে চাচ্ছেন? আশফিঃ উফফ তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হয়না। ( উঠে দাড়িয়ে) সবসময় খালি বেশি কথা বলো। আমি ওর দিকে যত এগোচ্ছি ও ততো পিছিয়ে যাচ্ছে। মাহিঃ আশফি প্লিজ থামুন কি করছেন কি? যে কোনো সময় কেউ চলে আসতে পারে। আশফিঃ এখন কেউ আসবেনা। ও পিছিয়ে যাওয়ার সময় ওকে টেনে জড়িয়ে ধরে ওর শার্টের দুটো বাটম খুললাম। তারপর ওর লাল তিলটাই একটা কিস করে দিলাম। ও তখন চোখ বন্ধ করে ছিল। আমি ওর ঠোঁট জোড়াতে ও অনেক্ষন কিস করলাম। কিস করে আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ও তারপর চোখ খুললো। আমি তখন ওর দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম। ও খুব লজ্জা পেয়েছে। লজ্জা পেলে নাকি মেয়েদের খুব সুন্দর দেখায় আর আজকে তার প্রমাণ পেলাম। – হয়েছে অনেক লজ্জা পেয়েছেন। এবার আসুন lunch করতে হবে। এভাবেই সময় গুলো কাটছিল ওর সাথে। ( Friday) আশফিঃ মাহি আজকে বিকেলে চলো তোমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসি। ও তখন কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে আছে। – আরে তুমি এই গরম কালে কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে আছো যে। মাহিঃ শীত করছে খুব। তাই। আশফিঃ তার মানে? জ্বর লেগেছে নাকি? আমি ওর কপালে হাত দিয়ে দেখলাম সত্যি গা গরম জ্বর লেগে গেছে। আমি ওকে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে রেস্ট নিতে বললাম। মাহিঃ এখন একটু সুস্থ লাগছে। মাথা যন্ত্রণা টাও কমেছে। বিছানা থেকে উঠে জানালার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে বাগানটা দেখছিলাম। তারপর যা দেখলাম সেটা দেখে আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠলো। সেদিন আমাকে যে ৩ জন তুলে নিয়ে গেছিল সেই ৩ টা ছেলে বাগানের ভেতর দিয়ে বাসার ভেতর ঢুকছে। আমি তাড়াতাড়ি দৌড়ে রুমের বাইরে গেলাম। ওপরে দাড়িয়ে দেখলাম আশফি ওদের সাথে কথা বলছে। আশফিঃ কেমন আছো তোমরা? আসলে ওকে নিয়ে এই তিন মাস খুব বিজি ছিলাম তাই তোমাদের সাথে যোগাযোগ করিনি আর তোমরা ও আমার সাথে কোনো যোগাোযোগ করোনি। – আমরা বুঝতে পেরেছি ভাইয়া তাই আমরা কেউ আপনার সাথে যোগাোযোগ করিনি। আশফিঃ হুম। আমি জানি তোমরা কেউ এগুলো পেশাগত ভাবে করোনা। তাও আমার জন্য কাজটা করেছিলে তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। – হ্যা ভাইয়া আমরা জানি যে আপনি ওনাকে কিছু করতেন না তাই কাজটা করেছিলাম। আশফিঃ আর তার জন্য আমি তোমাদেরকে টাকা দিয়ে ছোটো করবোনা। তোমরা তো পড়ালেখা শেষ করেছো। তাই তোমাদের জন্য আমি চাকরি ঠিক করেছি আমার কোম্পানিতে। কাল থেকেই তোমরা জয়েন করবে। -অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক বড় উপকার করলেন আমাদের। এখন তাহলে আমরা আসি। আশফিঃ হ্যা যাও। কথা বলা শেষ করেই পেছনে ঘুরলাম রুমে যাবো বলে। ঘুরেই দেখলাম মাহি ড্রয়িং রুমে দাড়িয়ে আমাদের সব কথা শুনেছে। চলবে…………… (আপুরা আজকে খুব অসুস্থ জ্বর মাথা ব্যাথা তাই ধামাকা পর্বটুকু দিতে পারলামনা। আর ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

রোমান্টিক_অত্যাচার_১০

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_১০ লেখিকাঃ #Israt_Jahan ধারনাঃ #Kashnir_Mahi আশফিঃ তখন আমি ওকে কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তাই রেগে গিয়ে ওর পেটে খুব জোড়ে চাপ দিয়ে ধরলাম আর ওর গালে অনেক জোড়ে একটা কামড় বসিয়ে দিলাম।  মাহিঃ আআআআ…… আপনি কি মানুষ নাকি সত্যিই গন্ডার? এভাবে মানুষ মানুষকে কামড়ায়। ?। দেখুন কি করেছেন একদম কামড়ের দাগ বসে গেছে। এখন আমি সবার সামনে যাবো কি করে? আশফিঃ ভালো হয়েছে। যাও তুমি এখান থেকে। মুড টাই নষ্ট করে দিল অসহ্য একটা মেয়ে। মাহিঃ আপনি……………. (বলতে গিয়ে থেমে গেল) মনে হল মায়ের গলাে আওয়াজ শুনলাম। মা কখন এলো?? আশফিঃ মামনিকে অনেক সকালেই চাচ্চু নিয়ে এসেছে। মাহিঃ কিন্তু এসে তো আমার সাথে দেখাও করলোনা। আশফিঃ কি করে করবে? সে তো তোমার মত বসে থাকার মানুষ না। এসে ব্রেকফাস্ট বানাচ্ছে। তোমার তো আর রান্না করার যোগ্যতা নেই। মাহিঃ ? হুহ। আমি বেরিয়ে কিচেনে গেলাম মা তখন রান্না করছে। -মা তুমি এসে আমার সাথে দেখা করোনি কেনো? মাঃ তুই তো ঘুমোচ্ছিলি। আর আমি এসে আগেই রান্নাঘরে ঢুকেছি।রান্না শেষ আমি টেবিলে খাবার দিয়ে দিচ্ছি তুই যা ওকে ডেকে নিয়াই। মাহিঃ আমি পারবোনা। তুমি যাও। বলেই বাইরে চলে আসলাম বাগান টা ঘুরে দেখবো বলে। -আরে বাড়ির চারপাশে এতো সিকিউরিটি গার্ড কেনো? এর আগে তো দেখিনি। পেছন ঘুরে দেখলাম উনি আর চাচ্চু কথা বলতে বলতে বাইরে আসছে। চাচ্চু আমাকে এখানে দেখে আমার কাছেই আসছে আর উনি ফোনে কথা বলছিল। চাচ্চুঃ গুড মর্নিং মামনি। মাহিঃ গুড মর্নিং চাচ্চু।
চাচ্চুঃ কি সকালের আবহাওয়া উপভোগ কোরছো? মাহিঃ হ্যা ভালো লাগছে ওয়েদারটা। চাচ্চুঃ হ্যা। সবসময় এভাবেই হাসিখুশি থাকবে। ঠিক আছে? মাহিঃ হুম। উনি কথা বলা শেষ করে এদিকেই আসছে। আশফিঃ কি কথা হচ্ছে তোমাদের? গল্প পরে কোরো ব্রেকফাস্ট করতে হবে চলো। মাহিঃ ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে ওনাদের কথা শুনতে শুনতে আমার কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠান কিভাবে করবে কি করে সাজাবে এগুলো নিয়েই। আশফিঃ চাচ্চু তোমার সাথে আমার আরও কিছু কথা আছে নাস্তা শেষ করে আমার ঘরে এসো। চাচ্চুঃ হুম। ঠিক আছে। তুই যা আসছি। আশফিঃ চাচ্চু আমাদেন কিন্তু আরও কড়া গার্ড ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে ওরা সুযোগ নিলেও নিতে পারে। ওরা হয়তো জেনে গেছে আমার আর মাহির বিয়ে হয়ে গেছে। তাই তুমি খুব ভালো ভাবে চেক কোরো সব ঠিক আছে কিনা। আর বাইরের কাউকেই accept করা যাবেনা। চাচ্চুঃ হুম। আজকে অনেক কেয়ারফুল থাকতে হবে। কিন্তু একটা বিষয় আমি ভাবছি পার্লার থেকে লোক আসবে ওকে সাজাতে সেটা কি আমাদের এলাও করা ঠিক হবে? আশফিঃ একদম না। এই ভুল টা তো করাই যাবেনা। মাহিঃ মা বাইরে এতো গার্ডের ব্যবস্থা কেনো? মাঃ তোর সিকিউরিটির জন্য। সেদিন তোকে যারা আঘাত করেছিলো তারা যাতে আর তোর তোনো ক্ষতি না করতে পারে তাই। মাহিঃ কিন্তু ওরা কারা ছিল? কেনো আমাকে মারতে এসেছিল? মাঃ সেটা তো আমিও জানিনা। আশফিঃ মামনি আজকে কিন্তু তোমাকেই তোমার মেয়েকে সাজাতে হবে। বাইরের কেউ সাজাতে পারবেনা ওকে। মাঃ ঠিক আছে আজকে আমিই ওকে সাজাবো। মাহিঃ বাবা…. মায়ের সাথে যেভাবে কথা বলছে তাতে মনে হচ্ছে কত আগে থেকেই না মা কে চিনে। ভালোই পারে। আশফিঃ মাহি আমার ঘরে এসো। একটু দরকার আছে। মাহিঃ জি বলুন কি করতে হবে? আশফিঃ এটা ধরো, এই ক্যামেরা টা তোমার শরীরে এমন জায়গায় ফিট করবে যাতে তোমার আশেপাশে কারা আছে সেটা দেখা যায়। আমিও সবসময় তোমার সাথে থাকার চেষ্টা করবো। তারপরও……. মাহিঃ আমার কাছে ক্যামেরা থাকলে আপনি কিভাবে দেখতে পাবেন সব? আশফিঃ এই ক্যামেরা টার সাথে আমার মোবাইল কানেক্ট করা আছে তাই তুমি কি করছো তোমার আশেপাশে কে আছে সব আমি মোবাইলে দেখতে পাবো। বুঝেছো? আর হ্যা দয়া করে নিজে সাজতে যাবেননা। না হলে আমার প্রেস্টিজের ১২ টা বাজবে। আপনার যা পছন্দ?? মাহিঃ কি বলতে চাচ্ছেন আপনি? আমি সত্যিই unsmart?? আশফিঃ তাতে কোনো সন্দেহ আছে??
মাহিঃ এইভাবে আমাকে অপমান করলো? আজকে আমি সত্যিই আপনার প্রেস্টিজের ১২ টা বাজাবো? দেখে নিয়েন। (সন্ধ্যায়) মাহিঃবাব্বাহ!! এক দিনের ভেতরেই এতো সুন্দর করে সাজিয়েছে?? জবাব নেই ??। এতক্ষনে আমাকে চোখে দেখে এখন আমার কাছে আসছেন। আশফিঃ হুম। ভালোই লাগছে। মামনি সাজিয়েছে বলেই রক্ষা। না হলে যে…… মাহিঃ না হলে কি?? আশফিঃ কিছুনা। মাহিঃ কি খুঁজছেন উনি এভাবে? -কি হয়েছে? কি দেখছেন এভাবে? আশফিঃ সেটা কোথায়? মাহিঃ এই যে। মাথার এক পাশ ঘুরিয়ে কানের ওপরে দেখালাম গয়নার ভেতর। আশফিঃ বাহ্।একদম পারফেক্ট। বোঝাই যাচ্ছেনা। এখন এসো আমার সাথে। সবাই প্রায় চলে এসেছে। মাহিঃ সবার সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। আমিও হ্যালো হ্যালো করছি সবার সাথে। কি একটা বিরক্তিকর পরিস্থিতি আর ভালো লাগছেনা। উনি আমাকে নিয়ে সবার মাঝখানে দাড়িয়ে সবাইকে গুড ইভিনিং জানালে। তারপর উনি আমার সম্পর্কে ওনার সম্পর্কে অনেক কিছুই বললেন। কিন্তু তার পর উনি এটা কি বললেন? আশফিঃ আর হ্যা আজকে মাহি নিজেই একটা গান গেয়ে অনুষ্ঠান টা শুরু করবে। ও অনেক সুন্দর গান গাইতে পারে। (ক্লাব ক্লাব ক্লাব) মাহিঃ আশ্চর্য উনি কি করে জানলেন আমি গান ভালো গাই না খারাপ গাই। উনি তো আমার গান গাওয়া কোনোদিন শুনেইনি। আমার কাছে না শুনেই উনি এভাবে বলে দিল। কাজটা উনি ভালো করলো না।এখন আমি সত্যিই ওনার প্রেস্টিজের ১২ টা বাজানো শুরু করবো। আশফিঃ মাহি, তুমি শুরু করো আমি মিউজিক বাজাতে বলছি। মাহিঃহুম।আমি একটা টেবিলের কাছে গিয়ে বসলাম। আর উনি আমার সামনে গিটার হাতে নিয়ে বসলো। গিটার টা উনিই বাজাবে। মাহিঃ তাহলে শুরু করি? আশফিঃ অবশ্যই। মাহিঃ সামনে টেবিল ছিল। উনি যখনই গিটার বাজাতে যাবে আমি তখই টেবিল থাবড়িয়ে টেবিল বাজানো শুরু করলাম। তারপর গান শুরু…….. Ai ai aiyoo,,,ai ai aiyoo Dreamum wekeupum critical conditionam….. Heee…..artham krekapum hiladola saab shetapum…. Face to faceum dhartibothram, taaf to besum tamasoterum. Kraijaam khandaram daun dan mandram, fraijaam nataram thinktom mandaram Jumpingummm…. pumpingummm… thahapingum…. thumpingummm……….. hondu rande monenale (টেবিল মিউজিক) Ummmmwahhhhhhhh ( টেবিল মিউজিক) Ummmmwahhhhhhhh ( টেবিল মিউজিক) Ummmwahhhhhhhhh (টেবিল মিউজিক) Ummmwahhhhhhhhh -আমার গানটার সাথে মিউজিসিয়ানরা ও মিউজিক বাজাতে গিয়ে তাকিয়ে থাকলো। আর উনি তো অলরেডি থ হয়েই আছেন। গানটা শেষ করে সবার দিকে তাকিয়ে দেখলাম সবার মুখ গুলোই একি রকম হা হয়ে আছে। আমার অবশ্য একটু লজ্জা লাগছিল। কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভালো লাগছিল ওনার প্রেস্টিজকে একদম খিচুরি বানিয়ে দিয়ে।???? হঠাৎ পেছন থেকে একজন নাদুসনুদুস লোক তালি বাজানো শুরু করলেন। ওনার তালি বাজানোর শব্দ শুনে সবাই একে একে তালি বাজালো। তারপর ঐ নাদুসনুদুস লোক তালি বাজাতে বাজাতে আমার কাছে এসে বললো, -excellent mam excellent. kya gaati hain aap. bengali hone ke baad bhi aap kitni acchi gaati hain tamil gaana…..superb মাহিঃ ওহ!!?? thanks thanks. তার মানে এ ইন্ডিয়ান? আর উনি তো লজ্জায় বার বার সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন যে তারা কি ভাবলো তারপর গরুর মত চোখ দুটো করে মনে মনে গর্জন করছে হয়তো। হুহুহু?। আশফিঃ মাহি এটা ইচ্ছে করে গাইলো সবার সামনে আমাকে ছোটো করবে বলে। ওর আজকে কপালে দুঃখ আছে। -(গলায় কাশির শব্দ করে) সবাই এখন আপনারা প্লিজ নিজেদের মত enjoy করুন। আমি উঠে যখন ওর কাছে যাবো ও তাড়াতাড়ি উঠে কিছু গেস্টদের কাছে গিয়ে দাড়ালো। – কি মনে করছো তুমি কতক্ষন এভাবে আমার থেকে পালাবে। পার্টি শেষ হোক তোমাকে দেখছি। তোমার প্ল্যানিং আমি বুঝে গেছি এখন থেকে তোমাকে চোখে চোখেই রাখছি। মাহিঃ ওনার কিছু স্পেশাল গেস্টদের সাথে আমরা খেতে বসলাম। আমি ওনার ভয়ে মায়ের পাশে গিয়ে বসতে যাবো তার আগেই উনি এসে মায়ের পাশে বসে পড়লো আর আমাকে ওনার পাশের সিটে হাত ধরে টেনে ঠাস করে বসিয়ে দিল। এখন তো ওনার পাশে বসে আমি কিছুই করতে পারবোনা। নাহ্ আর হলোনা। কিছুক্ষণ পর আমাদের খাবার সার্ভ করে হল।প্লেটে ইয়া বড় একটা মুড়গির রান দেখে মাথায় শয়তানি বুদ্ধিটা চলে আসলো। এগুলো করতে আমার নিজের কাছেই লজ্জা লাগছিল।কিন্তু উনি সবসময় আমাকে ছোটো করে কথা বলে আমি এত স্মার্ট হওয়া সত্তেও আমাকে আনস্মার্ট বলে তাই ভেবেছি সবার সামনে নিজেই আনস্মার্ট সাজবো ওনাকে তো আর আনস্মার্ট করা সম্ভবনা। আমি সাজলেই ওনার প্রেস্টিজ যাবে।আমি এখন ভাবছি এই রানটাকে ঠিক কিভাবে কাটলে ওটা ছুটে সামনে পড়বে। হুম বুঝে গেছি। আশফিঃ তুমি কি ভেবেছো আমি বুঝিনি কিছু তুমি ঠিক কি করবে এখন? রানটার দিকে তাকানো দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি। আমার নজর এখন তোমার দিকেই আছে শুধু। মাহিঃ আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি রানটাকে খুন করার জন্য। মানে ছুরি দিয়ে যেভাবে মানুষকে খুন করে ঠিক সেভাবে। ছুরিটা উঁচু করে যখনি রানটা কাটতে যাবো তখনি উনি আমার হাতটা ধরলেন। আশফিঃ কি হয়েছে ডিয়ার তুমি এভাবে এটাকে কাটছো কেনো?(দাতে দাত চেপে) ও আঙ্গুল কেটে গেছে? আমাকে বলবে তো দাও আমি তোমাকে হেল্প করছি। কি ভাবছো আমি কিছু বুঝিনা? ভালোভাবে খাবার গুলো খাও তারপর তোমাকে দেখছি। মাহিঃ এটা কি হলো। উনি বুঝে গেলো? তাহলে তো আর কিছুই করা যাবেনা। খাওয়া শেষ করে আমি দাড়িয়ে আছি মুডটা খারাপ করে। হঠাৎ করেই উনি পাশে এসে দাড়ালেন। আশফিঃ একটু ফিল্মি ফিল্মি হয়ে গেছে, প্ল্যানিংগুলো চেইন্জ করো। কথাটা বলেই ওর মুখের দিকে তাকালাম। রেগে তাকিয়ে আছে। তারপর আমি অন্যসব গেস্টদের সাথে কথা বলতে চলে গেলাম। পার্টি শেষ করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেছে। ঘরে এসে দেখলাম ও ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বেরোলো।ওকে দেখে মনে পড়লো ও আজকে যে কাজটা করেছে তার তো একটা শাস্তি দেওয়া দরকার। আমি জামা কাপড় ছেড়ে হাফ কুয়ার্টার একটা প্যান্ট পড়লাম। -মাহি? এদিকে এসো।
-কি হয়েছে এভাবে চিল্লাচ্ছেন কেনো? -আসলে আমি এতোটাই tired ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হওয়ার energy টুকুও নেই। -তো? আমি কি করবো? -তুমি টাওয়াল টা ভিজিয়ে আমার পুরো শরীর টা মুছে দাও। -কি???? -হ্যা। আর শোনো হালকা গরম পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে এনো। একটু শীত শীত লাগছে। – তার থেকে আমি আপনাকে কোলে করে নিয়ে গিয়ে ফুটন্ত পানিতে চুবিয়ে আনি। – এই তুমি আমাকে সত্যিই কোলে নিবে!! প্লিজ নাওনা তাহলে ফুটন্ত পানিতে চুবিয়ে আনলেও সমস্যা নেই। -থামুন তো আমি পারবোনা এগুলো করতে। -মাহি আমার সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। আমার মাথা গরম হয়ে গেলে কি করবো আমি কিন্তু নিজেও জানিনা। তাই ভালোভাবেই বলছি। যাও। মাহিঃহুহ??যাচ্ছি। টাওয়াল এনে আমি ওনার সব জায়গা মুছে দিলাম। – কি রকম মানুষ একটু লজ্জা ও করেনা। -ওটা আমার আগেও ছিলনা আর এখন তো আরও থাকার কথা না। – ধুর। আমি মুছে দিয়ে উঠে যেতে গেলাম। -মাহি আর একটু কষ্ট করো।আমাকে ধরে একটু শুইয়ে দাও নড়তে চড়তে ও কষ্ট হচ্ছে। দাওনা সোনা।?? – মাগো এ আমি কার কাছে এসে পড়লাম। ওনাকে ধরে শুইয়ে দিলাম। তার কিছুক্ষণ পর আমি এসে শুয়ে পড়লাম। আশফিঃ এতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লো? ওয়েট তোমার ঘুম আমি ছোটাচ্ছি। -মাহি? এই মাহি? কি ঘুম কানেও শুনছেনা। মাহিইইইই…… মাহিঃ কি হয়েছে?(চমকে উঠে) এত রাতে এভাবে ষাঁড়ের মত চেচাচ্ছেন কেনো? আশফিঃ চেচাবোনা তো কি করবো? আমার পিঠ টা একটু চেপে দাও খুব ব্যথা করছে।ঘুম আসছেনা। মাহিঃ উনি কি আসলেই মানুষ!!??ঘুমিয়েই তো পড়েছিলাম। এভাবে ঘুম থেকে ডেকে তুলে সেবা করাচ্ছে? আর সহ্য হচ্ছেনা। ধুর ছাই। কাছে গিয়ে পিঠ চেপে দিচ্ছি। থামতেও বলছেনা। কতক্ষন হয়ে গেলো। কি ব্যাপার কোনো সারা শব্দ নেই ঘুমিয়ে পড়লো নাকি? মুখটা ভালো করে দেখলাম। হুম ঘুমিয়ে পড়েছে। উফফ শান্তি পেলাম। আমিও এসে শুয়ে পড়লাম। ভাবছি এখন পর্যন্ত ও সেভাবে আমার কাছে আসার চেষ্টা করেনি। আমি তো ভেবেছিলাম বিয়ের পর থেকেই আমাকে…….. যাক, তাহলে এতোটাও খারাপ না। এই একটা জিনিসই আমার একটু ভালো লাগলো। আজকে সকালে আমাকেই নাস্তা বানাতে হবে। মা কাল রাতেই চলে গেছে।অনেক করে বলেছিলাম থাকতে। থাকলোনা। ওনাকে কি কি যেনো বলে তারপর চলে গেলো।রান্নাঘরের সেল্ফ গুলো এতো উঁচু কেনো? নিতেই তো পারছিনা কিছু। আশফিঃ খাটো মানুষ হলে কি আর নাগাল পাওয়া যায়??? মাহিঃ পেছনে ঘুরে দেখলাম উনি মুখ চিপে হাসছে। কে খাটো? আমি মোটেও খাটো না। আমার height যথেষ্ট পারফেক্ট। আশফিঃ হ্যা। যেভাবে জাম্প দিচ্ছিলে তাতে তো বোঝাই যাচ্ছে কত লম্বা। মাহিঃ ??হুহ। নিজে তো একটা জিরাফ। তাই সবাইকেই ছোটো ভাবেন। আশফিঃ আমার গলা জিরাফের মত লম্বা না। আমি মানুষটা নিজেই অনেক লম্বা। আর লম্বা হওয়ার জন্য লাক থাকা লাগে। অবশ্য খাটো মেয়েরা বৌ হলে অনেক সুবিধা হয়। মাহিঃ সুবিধা? কিসের সুবিধা? আশফিঃ এইযে খুব সহজেই বুকের মধ্যে জড়িয়ে রাখা যায়।( মাহিকে টেনে নিয়ে বললো)। তারপর আদর করতেও খুব সুবিধা হয়।( মাহির ঠোঁটের কাছে ঠোঁট নিয়ে কিস করার সময়) মাহিঃ আমি ওনাকে আস্তে করে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।(কিস করার আগেই) সরুন তো। আর আমাকে জিনিসগুলো পেরে দিন। আশফিঃ হায়!!! এখন আপনার রান্না করার সময় ও আমাকে হেল্প করতে হবে।আমার সেফ গুলো কত লম্বা ছিল। মাহিঃ হ্যা তো ওদেরকেই বিয়েটা করতেন!! ইসস কি বলে ফেললাম।(জিহ্বায় কামড়ে ধরে)?উনি রান্না করার জিনিস গুলো পেরে দিচ্ছিল আমার কথা শুনে পেছন ঘুরে রেগে তাকালো। উনি কিছু বলার আগেই সামনে থেকে সরে গেলাম। আশফিঃ কখন যে কি বলে মেয়েটা নিজেও জানেনা। পাগল একটা।নাস্তা করে কিছুক্ষণ পর রুমে আসলাম।আজকে অফিস যেতে হবে অনেক কাজ পরে আছে।বাথরুমে ঢুকবো গোসলের জন্য তখন দেখলাম মাহি মনের সুখে গান গাইছে আর গোসল করছে। -মাহি তাড়াতাড়ি করো আমি গোসলে ঢুকবো অফিস যেতে হবে। মাহিঃ বাড়িতে এতগুলো রুম থাকতে এই বাথরুমেই কেনো ঢুকতে হবে? অন্য বাথরুমে যান। আশফিঃ আমি আমার রুমের বাথরুম ছেড়ে অন্য রুমে যাবো কেনো? আমি এখানেই ঢুকবো। দরজা খুলো। মাহিঃ এই আপনি দেখতে পাচ্ছেন না আমি গোসল করছি? আশফিঃ তো কি হয়েছে? আমি তোমার সাথেই করবো। খোলো বলছি।একটু জোড়ে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো। ছিটকিনি টা আস্তে করে লাগানো ছিল তাই খুলে গেলো। আর খুলেই যেটা দেখলাম, -তুমি গোসল না করে এভাবে বসে আছো কেনো? তার মানে তুমি ইচ্ছে করেই আমার সাথে এগুলো করছিলে?আমাকে লেট করানোর জন্য? মাহিঃ সরি সরি সরি আমার ভুল হয়ে গেছে আমি আর করবোনা আমি বেরিয়ে যাচ্ছি আপনি গোসল করুন।আমি বেরিয়ে যেতে গেলাম উনি আমার সামনে এসে দাড়ালো। আশফিঃ বেরোতে হবেনা এতক্ষন গোসলের নাটক করছিলে এখন সত্যি সত্যি গোসল করবে আমার সাথে। আমি ওর দিকে যত আগাচ্ছি ও ততো পিছু হাঁটছে। তারপর ও একদম মিশে গেল দেওয়ালের সাথে। আমি যখনি দেওয়াল এক হাত দিয়ে ওকে আটকে ধরবো ও তখন আমার এক পাশ দিয়ে দৌঁড়ে চলে গেলো।?হাহাহা আসলেই বাচ্চা। মাহিঃ উহহ ওনাকে জালাতে গিয়ে আমি তো নিজেই ফেসে যাচ্ছিলাম। আমি রুমের বাইরে চলে আসলাম। ১৫ মিনিট এর মধ্যেই ওনার ডাক পড়ে গেছে। -হুম বলুন। আশফিঃ তোমাকে আমার ডাকতে হলো কেনো? আমি না তোমাকে বলেছিলাম আমি বাইরে যাওয়ার আগে তুমি আমার সামনে থাকবে আমি তোমাকে আদর করে বেরোবো। তাহলে তুমি আমার সামনে থাকলেনা কেনো? আমি তোমাকে ভালোভাবে বলেছিলাম তুমি শোনোনি। তুমি কি সবসময় এটা চাও আমি তোমাকে জোড় করে সবকিছু করি? মাহিঃ হায় হায়!!ওনার এইসব রুলসের কথা তো আমার মাথায় ই নেই। আর এসব রুলস কি মেনে চলা যাই? -আসলে আমার…… আশফিঃ একদম চুপ।আমার কাছে এসো। মাহিঃ আমি ওনার কাছে গেলাম ভয়ে ভয়ে। উনি আমাকে আরও কাছে টেনে জড়িয়ে ধরে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে চোখে রাগ নেই। তারপর উনি আমার কপালে গালে আদর করে দিল। আর সব শেষে ঠোঁটে। এখানে করার সময় উনি ওনার টাইম সেন্স একদম ভুলে যান। কতক্ষন যে এভাবে করছিল জানিনা। আর এদিকে আমার অসহ্য লাগছিল এভাবে থাকতে। আশফিঃ অনেক্ষন ওকে আদর করে তারপর ছাড়লাম। -নেক্সট যেনো এই ভুলটা আর না হয়। আসি। মাহিঃ ওহ বাবা বাঁচলাম। আমি দিন দিন অধৈর্য্য হয়ে পরছি ওনার এইসব ব্যবহারে। কোনোভাবেই নিজেকে এভাবে মানাতে পারছিনা। আর সারাদিন এইভাবে ঘরে পড়ে থাকা সম্ভব না। কারণ আমার চিন্তা ভাবনা ছিল স্বাধীন জীবন। ঘর সংসার করবো সাজিয়ে গুছিয়ে এরকমটা আমি কখনো ভাবিইনি। বিশ্বাস জিনিসটা এতো সহজে আসতে চাইনা। আমাকে যা করার খুব তাড়াতাড়িই করতে হবে এভাবে আর থাকা সম্ভব না। (দুপুরবেলা) আশফিঃ মাহি? মাহি? মাহিঃ কি ব্যাপার উনি আজ দুপুরবেলাই চলে আসলেন যে? – এইতো। বলুন। কি হলো চুপ করে আছেন যে। আশফিঃ কিছুই হয়নি। মাহিঃ তাহলে এভাবে ডাকলেন কেনো?? আশফিঃ এমনি। এসেই তোমার মুখ টা দেখবো তাই। মাহিঃ অদ্ভুত মানুষ আপনি। আশফিঃ তোমার কাছে তো এগুলো অদ্ভুত লাগবেই। মাহিঃ আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলবো? আশফিঃ এই তার আগে এই আপনি আপনি বলা বন্ধ করো তো। অসহ্য লাগে। তুমি বলবা। না হলে পানিশমেন্ট আছে। মাহিঃ আচ্ছা ঠিক আছে ট্রাই করবো। এখন এটা বলুন I mean বলো তোমাকে যদি…….উফফ আনইজি লাগছে খুব তুমি করে বলতে নেক্সট টাইম থেকে ট্রাই করি? প্লিজ আশফিঃ হুম। মাহিঃ ঠিক আছে এখন কথাটা বলি। ধরুন আপনি অনেক চেষ্টা করার পরও আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারলামনা বা আপনাে সাথে আর থাকতে চাচ্ছিনা। তখন আপনি কি করবেন??? কথাটি বলা শেষ করার আগেই উনি বসা অবস্থা থেকে উঠেই আমাকে টেনে ধরলেন।(রাগী লুকে)।আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। তারপর………. চলবে……. ( গল্পে ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

রোমান্টিক_অত্যাচার_৯

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_৯ লেখিকাঃ #Israt_Jahan ধারনাঃ #Kashnir_Mahi ডাক্তারঃ আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আর এই অপারেশনে সব থেকে expert যিনি ডঃ দুপুর হাসান তিনি আসছেন। আল্লাহ্ পাক সহায় থাকলে উনি পারবেন অপারেশন টা successful করতে। আপনারা ভেঙ্গে পরবেননা এখনও কিছুটা আশা রাখছি আমরা। আশফিঃ আমি কাঁদতে কাঁদতে পাশে তাকালাম দেখলাম মাহির আম্মু ও কষ্টে পাথরের মত হয়ে গেছে।  -আশফি? বাবা তুই নিজেকে সামলা। তোকে তো শক্ত হতেই হবে। তুই মাহির মায়ের কাছে যা ওনাকে গিয়ে দেখ।(চাচ্চু) আশফিঃ চাচ্চু। আমি জাস্ট 1 hour এর ভেতর তার লাশ চাই যে ওর এই অবস্থা করেছে। (স্বাভাবিক কন্ঠে) -হুম আমি এখনি খোঁজ নিচ্ছি। তুই ওনার কাছে যা। আশফিঃ আমি ওনার পাশে গিয়ে বসলাম। -মামনি?উনি আমার দিকে অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকালো।কিন্তু কোনো প্রশ্ন করলোনা। হয়তো করলে আমি এখনি বলে দিতাম আমি তোমার সেই বাদ্ধ্য আশফি। মানুষ টা আঘাত পেতে পেতে তার সব অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি বলা শুরু করলাম। -মাহি এর আগেও মাথার পেছনে আঘাত পেয়েছিল। কিন্তু সেটা কিভাবে। এবার মামনি কেঁদেই দিল। তারপর চোখটা মুছে বলা শুরু করলো।
– সেদিন রাতে আমি আর আশরাফ ভাই মাহি কে নিয়ে পালাচ্ছিলাম পেছনের সিড়ি দিয়ে এয়ারপোর্ট যাবো বলে। ঐদিন যারা আমাদের ওপর হামলা করেছিল ওরা আমাদের আটকানোর জন্য সামনে আসলো। মাহিকে আমার কোল থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এদিকে আশরাফ ভাই ওদের আটকানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু পারছিলনা। এক সময় একজন মাহিকে আমার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মাহিকে নিয়ে চলে যাচ্ছিল আমি আটকাতে গেলে সে মাহিকে কোল থেকে নিচে ফেলে দেয়। আমি দৌঁড়ে ওর কাছে গেলাম। আশরাফ ভাই বললো ভাবি তুমি ওকে নিয়ে পালাও আমি সামলাচ্ছি ওদের। আমি ওকে নিয়ে পালালাম। তখন মাহির মাথা থেকে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। তাড়াতাড়ি hospital এ নিয়ে গেলাম। ওরা ওকে O.T. তে নিয়ে গেলো। অনেক্ষণ পর আশরাফ ভাইকে ফোন করলাম ওনার খোঁজ নেওয়ার জন্য। উনি ঠিক আছে আমি ওনাকে Hospital এর ঠিকানা দিয়ে দিলাম। ঐদিন আর আমরা দেশে ফিরতে পারিনি। তারপর ডঃ বেরিয়ে এলো, আজকের মত ঐদিন ও ডঃ এসে বললো ওর বাঁচার আশ্ঙকা কম। আশরাফ ভাই এসে আমাকে সামলাচ্ছিল। অনেক্ষন পর অপারেশন শেষ হলো। সেদিন খোদা তা’য়ালা ওর সহায় ছিল। ডঃ এসে বললো ও বেঁচে গেছে কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ ভাবে না। ওর মস্তিষ্ক …… (বলতে গিয়ে কেঁদে দিল) ওকে স্বাভাবিক ভাবে পাইনি। ও পাগল হয়ে গেছিল। তার ১ মাস পর ওকে নিয়ে দেশে চলে আসি। অনেক সময় লেগেছিল সুস্থ হতে। সুস্থ হলেও ওর আগের কোনো কিছুই মনে ছিলনা। অনেক অল্প বয়সে এত বড় আঘাত ও নিতে পারিনি। তাই এই অবস্থা হয়ে গেছিল। আমি ওর মা আমাকে ও চিনতে পারেনি।সবসময় ওর কাছে থাকতাম বলে এইটুকু বুঝতে পেরেছিল আমি ওর আপন কেউ। নতুন করে ওকে আমাকে চেনালাম আমি ওর মা। আশফিঃ এতো কিছু বললো বাবা কিন্তু এই ঘটনাটা তো আমাকে বলনি? অবশ্য বলার সময়টুকু ও যে সে পাইনি।(মনে মনে ভাবলো)। ভাবতেই ভাবতেই ফোন বেজে উঠলো। চাচ্চু ফোন করেছে। আমি ফোন নিয়ে উঠে চলে আসলাম। -হ্যা চাচ্চু বলো। কি??………….এতদূর চলে এসেছে? ওর আর বেচেঁ থাকার কোনো অধিকার নেই just shoot him. ও তাই? আল্লাহ্ পাক ও বুঝতে পেরেছে ওর আর বাঁচার প্রয়োজন নেই। তাই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মরেছে।(পালাতে গিয়ে) আচ্ছা ঠিক আছে তুমি চলে এসো দরকার আছে। কথা বলা শেষ করেই দেখলাম আমার বয়সি একজন ডঃ অপারেশন থিয়েটারে ঢ়ুকলো। -হায় খোদা তুমি ওর সহায় থেকো। এতো কষ্ট আর নিতে পারছিনা। যাকে safe করার জন্য এখানে আসা আমি আর সেই নিজেই তার এত বড় ক্ষতি করে দিলাম। আমি কোনোদিও চাইনি এটা করতে পাগলের মত ভালোবাসি ওকে। এখন অলরেডি ১২:৩০ টা বাজে এখনও ওর অপারেশন শেষ হয়নি।চাচ্চু কে ফোন করে বললাম এত রাতে আসার প্রয়োজন নেই। মামনি কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই আমি জোর করেই কেবিনে ভর্তি করে দিলাম রেস্ট নেওয়ার জন্য। আর বললাম ডঃ বেরোলে আমি তাকে জানাবো। আমি এসে বসলাম। মাথা নিচু করে বসে আছি। -মাহি আপনার কি হয়। -ডঃ বেরিয়েছে আমি উঠে দাড়ালাম। আমি বললাম মাহি আমার বাগদত্তা। উনি কেমন গম্ভীরভাবে তাকিয়ে থাকলো। -ওহ্ আচ্ছা। অপারেশন successful. আর হ্যা এটা আমার কার্ড। এখানে আমার নাম্বার আছে ও কেমন আছে সেটা আমাকে জানাবেন। আসলে আমি কিছুক্ষণ পরই লন্ডন চলে যাবো। তাই…… -আমি প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে ওনার দিকে তাকালাম. উনি বুঝতে পেরেছে সেটা। -ও হ্যা আমার পরিচয়টা দেই। আমি দুপুর হাসান। আমরা একই কলেজে পড়তাম।তবে আমি ওর সিনিয়র ছিলাম।যাই হোক মাহির বিপদ টা এখনও কাটেনি। sense ফেরার পর বোঝা যাবে ও কতটুকু সুস্থ। আমি যে ভয়টা পাচ্ছি সেটা যেনো আল্লাহ্ সত্য না করে। -কি ভয় পাচ্ছেন আপনি? বলুন। -কোমায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে সেটা 50% সম্ভবনা। বাকি 50% পুরোপুরি সুস্থ। একমাত্রই উপরওয়ালাই ভরসা। ওর খেয়াল রাখবেন আমি আসছি। দুপুরঃ আমি কোনোদিও ভাবিনি মাহি তোমাকে এই অবস্থায় দেখবো। আমি যখন তোমাকে দেখলাম তখন আমার দেহ থেকে প্রাণটা বেরিয়ে আসতে চাইছিল। মাহি? আজকে তুমি অন্য কারোর হয়ে গেলে। আমিও তো তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। কিন্তু সেদিন তুমি আমাকে গ্রহণ করোনি।তুমি বলেছিলে তোমার জীবনে এগুলোর কোনো স্থান নেই। আমি সেদিনই promise করেছিলাম তুমি যদি কাউকে কোনোদিন গ্রহণ করো তাহলে আমিও সেদিনই অন্য কাউকে বিয়ে করবো। কিন্তু তোমাকে দেখার পর যে আমি আমার প্রমিস রাখতে পারছিনা। আমি পারবোনা অন্য কাউকে গ্রহণ করতে। তবে তোমার হবুবরটা অনেক সুন্দর।আর তোমাকে খুব ভালোবাসে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তোমার মঙ্গল কামনা করি ভালো থেকো। আশফিঃ মামনির কাছে গেলাম।সবকিছু বললাম। মামনি মাহির কাছে গেলো। তারপর নিজেকে সামলে তাহাজ্জুদের নামায পড়া শুরু করলো। আমিও মামনির কেবিনে এসে নামায পড়তে বসলাম। সারারাত জেগে পড়লাম। অনেক্ষন ধরে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে মোনাজাত করছিলাম ওর জন্য। মোনাজাত শেষ করে উঠে দাড়ালাম তখন দেখলাম মামনি পিছে দাড়িয়ে আছে। আমার কাছে দাড়িয়ে কাঁদতে শুরু করলো। – আমি জানিনা আমি জীবনে কি পাপ করেছি যার জন্য আল্লাহ্ আমার থেকে সব কেড়ে নিতে চাইছে। তবে আমি এই প্রথম নিজেকে ছাড়া অন্য কারোর ওপর ভরসা করছি। যেমনটা আশরাফ ভাইয়ে ওপর করেছিলাম আর আজকে তারই ছেলের ওপর করছি। আশফিঃ আমি কিছুটা অবাক হয়েই গেলাম।
-তুমি তোমার পরিচয় না দিলেও আমি তোমাকে ঠিকই চিনেছি যখন তুমি আমাকে মামনি বলে ডাকলে। আশফিঃ আমি মামনিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম। মামনি, তোমরা চলে আসার পর আমি তোমাদেরকে ভুলে থাকতে পারিনি। মাহিকে ভুলতে পারিনি। ছোটোবেলাই বাবার কাছে অনেক শুনেছি তোমরা কোথায়? কেনো এখান থেকে চলে গেলে? তুমি জানো বাবা……???(বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। এই মূহুর্তে এসবকিছু বলা ঠিক হবেনা) – আমি বুঝতে পেরেছি তোর ভালবাসা মিথ্যে হতে পারেনা। তুই পারবি ওকে ওর ভুল ধারনা থেকে বের করতে। ও ওর বাবার আর কিছু না পেলেও তার দুটো জিনিস পেয়েছে। রাগ আর জেদ। যে ভাবেই হোক তুই ওকে বুঝিয়ে দিবি যে সব পুরুষেরাই এক না। আশফিঃ মামনি আমিও যে জেদের বসে ওর সাথে একটা অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি শুধুমাত্র ও যাতে বিয়ে করতে বাধ্য হয়।মামনিকে সব বললাম মাহিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। মামনি শুনে কিছু বলতে গিয়েও চুপ করে থাকলো কিছুক্ষণ। তারপর বললো, – যেটা নষ্ট হয়ে গেছে সেটা আর ফিরে আসার নয়। কিন্তু ওকে বিয়ে করার এই পদ্ধতিটা ভুল ছিল তোর। যাইহোক এটা যেনো কোনোদিও ও জানতে না পারে। জানলে ও আর তোর কাছে থাকতে চাইবেনা। ওর যে ভুল ধারনা আছে তাহলে সেটাই ওর কাছে সত্যি বলে মনে হবে। আশফিঃ কথা বলতে বলতে ভোর হয়ে গেলো। ফজরের আযান দিয়েছে। আমি আর মামনি নামায আদায় করলাম। খুব সকালে চাচ্চু চলে এসেছে। -চাচ্চু মামনি আমাকে চিনতে পেরেছে। আর মাহির কথাগুলোও বললাম। -যাক,আল্লাহ্ ভরসা। উনি সব কিছু ঠিক করে দেবে। -হুম। তুমি এক কাজ করো মামনি কে আমার বাসায় নিয়ে যাও। ওখানেই থাক মামনি। আমি মামনিকে গিয়ে বললাম আমার বাসায় যেতে। মামনি যেতে রাজি হচ্ছিলনা। তারপর অনেক কষ্টে রাজি করিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। আর আমি এখানেই থেকে গেলাম। কারণ এখনও মাহির life risk আছে। যেকোনো সময় আবার attack করতে পারে ওরা। (৩ দিন পর) আশফিঃ মামনি তুমি ওর কাছে যাও। আমি এখন ওর সামনে যাবোনা। – ঠিক আছে।(মামনি) আশফিঃ আজকে ভোরেই ও sense ফিরে পেয়েছে। ও একদম সুস্থ আছে। আল্লাহ্ পাকের অশেষ ক্রিপা। তার পরেরদিন ওকে ওর বাসায় নিয়ে গেলো। আমার বাসায় ওকে নিয়ে যেতে চাইলাম ও আসতে চাইলোনা। ও সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমি ওর বাসায় থাকা শুরু করলাম। যদিও ওর সেটা পছন্দ ছিলনা। আমি সেবা করতে গেলেও ও আমাকে বাঁধা দেই।আমি জোর করেই করি। একদিন ওকে ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছি, ও তখন বললো, মাহিঃ এগুলো করে আপনি কি প্রমাণ করতে চাইছেন। অনেক বেশি ভালোবাসেন?? কিন্তু সেটা ঠিক কতদিনের জন্য??? আশফিঃ আমি ওর কোনো কথার উত্তর না দিয়ে বেরিয়ে আসতে গেলাম তখন দেখলাম মামনি দরজার কাছে দাড়িয়ে আছে। আমি শুধু একবার তাকিয়ে চলে আসলাম। মাঃ মাহি? এখন কেমন লাগছে মা? মাহিঃ হুম। আগের থেকে বেটার ফিল করছি। মাঃ মা, আজকে তোকে আমি কিছু কথা বলবো। তুই শুধু শুনবি। ভালো খারাপ উভয়ের মিশ্রণে পৃথিবী তৈরি। সেখানে কিছু ভালো মানুষ বাস করে আর কিছু খারাপ। তাই বলে সবাই খারাপ না।এখানে কেউই একা বাস করতে পারেনা। আমাদের আদি পিতা আদম(আঃ) এর জন্য ও আল্লাহ্ পাক একজন সঙ্গী সৃস্টি করেছিল তার একাকিত্ব দূর করার জন্য। আমি কি বলতে চাইছি তুই সেটা বুঝতে পারছিস? মাহিঃ হুম। তার মানে আমাকে বিয়েটা করতেই হবে তাইতো? ঠিক আছে। মা আমার কপালে চুমু দিয়ে চলে গেলো। কিন্তু আমি যে নিজের মনকে কোনোভাবেই তোমার মত করে বুঝ দিতে পারছিনা মা। জানিনা কি হবে। কিন্তু আমি শুধু তোমার কথা রাখার জন্যই বিয়েটা করবো। ( ২ মাস পর) আশফিঃ আজকে মাহিকে বিয়ে করে নিজের ঘরে নিয়াসছি। তবে আর সবার মত ও বৌ সাজেনি। যেভাবে ছিল সেভাবেই বিয়ে করেছে। তাই নিজেকেও বরের মত করে উপাস্থাপন করিনি। মামনি ওকে অনেক বকাবকি করছিল এভাবে থাকার জন্য। তারপর আমি মামনি কে বলেছি ও যেভাবে থাকতে চাই সেভাবেই থাকুক। মামনি আমাকে পরে ডেকে কিছু কথা বললো। কথা গুলোর সারমর্ম এটাই ছিল আমি যেনো ওকে নিজের মত করে চলতে না দিই। ভালোবাসা+শাসনের ওপর রাখি। শুনে ভালোই লাগছিল। আর আমারও অলরেডি ভাবা হয়ে গেছে বিয়ের পর আমি ওকে কিভাবে রাখবো। কিন্তু একটা জায়গায়ই চিন্তা ওর কথা+কার্যকলাপে আমার মাথা গরম হয়ে গেলে ওর সাথে কি করবো সেটা জানিনা। মাথা গরম হয়ে গেলে হাজার চেষ্টা করলেও নিজেকে কনট্রোল করতে পারিনা। নেহাৎ সেদিন ও অসুস্থ ছিল তাই ওর কথা মুখ বুজে সহ্য করে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। না হলে ঐ মূহুর্তে ওকে যে কি করতাম?????? যাই হোক আমি এখন গাড়িতে বসে আছি। ওকে নিয়ে আমার বাড়িতে যাচ্ছি -সোনা তোমার খুব গরম লাগছে? মাহিঃ গরম লাগবে কেনো। এসি চলছে আর আমি তো simple পোশাকেই আছি। আশফিঃ ওওও….. আসলে আমার কাছে মনে হলো পোশাকটা খুব ভারী হয়ে গেছে। তুমি যদি বলো আমি এখনি সর্ট টপস্ কিনে নিয়াসছি। মাহিঃ মানে কি? ফাজলামি করছেন আমার সাথে? আশফিঃ একদম না(মাথা নাড়িয়ে) ওকে রাগানোর জন্যই বললাম। বিয়ের দিনেও কেউ এমন পোশাক পরে সেটা বোঝালাম। আজকে কোনো আয়োজন করিনি বাড়িতে। কাল করবো। আমি নিজেই আগে ঘরে গিয়ে ওকে বরণ করলাম। ও তো চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। ওকে আমার ঘরে নিয়ে এলাম।ও আমাকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি বললাম, – দেখো তুমি তো এটাই বলবে আমি যেনো তোমার ঘরে না থাকি, এক বিছানায় না শুই, তুমি আমাকে স্বামির অধিকার না দেওয়া পর্যন্ত তোমার কাছে না আসি…..etc….. আমি আগে থেকেই বলে রাখছি এর কিছুই আমি মানতে পারবোনা। আর তুমি আমার কাছে এটা আশাও কোরোনা। এতদিনে আমাকে নিশ্চই চিনে গেছো আমি কেমন? আর আমি তোমাকে বিয়ের আগেই টাচ্ করেছি। তাই আমার যখনই মন চাইবে তখনি আমি তোমার কাছে আসবো। কারণ তুমি আমার স্ত্রী তোমার ওপর আমার পূর্ণ হক আছে। আর কিসব নিয়ম নীতি যেনো আছে দেনমোহর কাবিন কি কি….যাইহোক সবকিছুই আমি পরিশোধ করে দিয়েছি তাই তুমি যে কজ ই দেখাও আমাকে আটকাতে পারবেনা।বুঝেছো বাচ্চা????? মাহিঃ কি বলবো আপনাকে ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। লুচু কোথাকার আশফিঃ কি বললে তুমি? ওর দিকে এগিয়ে গেলাম ও ভয়ে পিছিয়ে গেলো? -ও কাম অন ডিয়ার(শান্ত গলায় বললাম) ছেলে মানুষ লুচু হবে না তো কি মেয়ে মানুষ হবে? আর ছেলে মানুষ লুচু না হলে তাকে ছেলে মানুষ বলেনা।
মাহিঃ তো কি বলে? আশফিঃ থাক বললাম না। হয়েছে এখন চলো খেতে দাও আমাকে। মাহিঃ কি? বাড়িতে তো একশো কুড়ি কাজের লোক। এক একটা কাজের জন্য আলাদা আলাদা মানুষ। তো আমি কেনো খেতে দিব? আশফিঃ হুম। কিন্তু রান্না করা আর খেতে দেওয়া এটা বাড়ির বৌদের করতে হবে। এটাই আমাদের বাড়ির নিয়ম। মাহিঃ তো এতদিন কিভাবে খেলেন? আশফিঃ এবার আমার সত্যিই রাগ হয়ে গেলো। এতদিন বৌ ছিলনা তাই খেতে বাদ্ধ্য হয়েছি। আর এত কথা আমি শুনবোনা দিতে বলেছি দিবে। মাহিঃ পারবোনা। একদিন আসতে না আসতেই অর্ডার করা শুরু হয়ে গেছে। অসহ্য। আশফিঃ তুমি sure তুমি দিবেনা? ভেবে দেখো। মাহিঃ Damn sure. দে….বো…না। আশফিঃ আমি এখন সেটাই করবো যেটা তুমি চাওনা। আমি ওকে একটানে কাছে নিয়ে এসেই…………….. হ্যাঁ যেটা ভাবছেন সেটাই। অনেক্ষন ধরে ওর ঠোঁটে চুমু দিয়ে ঠৌঁটটাকে একদম লাল করে দিলাম। এরপর ওকে ছেরে দিয়ে বললাম -কি মজা পেয়েছো??? নিশ্চই অনেক মিষ্টি!! ??।এরপর ও যদি খেতে না দাও তাহলে এরপরে যেটা বাকি আছে সেটাই করবো। তারপর ও রেগে গজগজ করতে করতে চলে গেলো। বেচারি?? বাহ্ কি সুন্দর পরিবেশন করছে। আমি গিয়ে খেতে বসলাম। আর বললাম আমি যতক্ষণ খাবো ততক্ষণ আমার পাশে ওকে বসে থাকবে। মাহিঃ উনি কি মানুষ নাকি অন্যকিছু। আমি প্লেট টা এগিয়ে দিয়ে বসে আছি। কি হলো প্লেট টা এরকম সামনে নিয়ে বসে আছে কেনো? আশফিঃ খাবার বাড়ো। মাহিঃ ওহ এর জন্য বসে আছে?যাক এইটুক দয়া হলো আমার জন্য। আমি একটা প্লেট নিয়ে খাবার বাড়লাম। ওনার দিকে চোখ পড়লো আবার এভাবে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে কেনো? -কি হয়েছে? -আমি আমার প্লেটে খাবার বাড়তে বলেছি।? তোমার প্লেটে না। মাহিঃও আচ্ছা। আমি তো ভাবলাম…… দিচ্ছি। আমি ওনাকে খাবার বেড়ে দিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। মনে হলো উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে না খেয়ে। oh god এখন কি আবার খাইয়ে দিতে বলবে নাকি। -আবার কি হলো? -আমি কি খাওয়া শুরু করেছি? ? -না ( মাথা নাড়িয়ে) -তাহলে তুমি আগেই কি কারনে আগে খাওয়া শুরু করলে? -তার মানে? -তার মানে আমরা এক সাথে খাওয়া শুরু করবো কেউ আগেনা। বুঝেছো? কথাটা মাথায় থাকে যেনো। মাহিঃ ও মা এ আমি কোথায় পরলাম। ?? খাওয়া শেষ করে ঘরে গেলাম ওনার সাথে। এখন দেখছি উনি কি করে। ল্যাপটপ নিয়ে বিছানায় বসলো। আমি ওনার পাশে গিয়ে কিছুটা দূরে শুতে গেলে তখন উনি আমাকে থামিয়ে দিলেন। আশফিঃ ওয়েট আগে এটা দেখো। (ল্যাপটপ টা এগিয়ে দিয়ে) এখানে আমার সাথে আর আমার বাড়িতে থাকার জন্য কিছু রুলস আছে এটা ফলো করবে কাল সকাল থেকে। মাহিঃ এটা কি লিখেছে উনি। দেখেই আমার চোখ কপালে উঠে গেলো।এ তো রুলসের কারখানা। আর কি সব রুলস। তার ভেতর একটা রুলস হলো উনি যখনই বাইরে যাবে তার আগে আমি যেনো ওনার সামনে থাকি উনি আমাকে আদর করে তারপর বাইরে যাবে। এরকম আরও অনেক বিদঘুটে রুলস লিখে রেখেছে। আশফিঃ থাক এখনই সব দেখতে হবেনা। কাল দোখো। এখন কিছুই তোমার মাথায় ঢুকবেনা। শুয়ে পড়ো। ও আমার দিকে কেমন ভয়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। -আরে কি হল এরকম ভয় পাচ্ছো কেনো? হুম বুঝেছি। ভয় নেই এখন কিছুই করবোনা। তবে পুরোপুরি surity ও দিতে পারছিনা।?? মাহিঃ আমি ওনার কথা গুলো শুনে চুপ করে শুয়ে পরলাম। আশফিঃ এই তুমি মাঝে এরকম ২ হাত ফাঁকা রেখে শুয়েছো কেনো? আমার কাছে সরে এসো। এটাও কি রুলসে দিতে হবে? এসো বলছি। মাহিঃ কি মহা জালায় পরলাম। আমি ওনার কাছে সরে গেলাম। আশফিঃ এটাকে কাছে আসা বলে?? তুমি কি চাচ্ছো এখন আমি তোমাকে………….. মাহিঃ না না এইতো আসছি। আরও সরে আসলাম। আশফিঃ আজব? ? আমাকেই সব শেখাতে হবে তোমাকে। কথাটা বলেই ওকে একটানে আমার বুকের কাছে নিয়ে আসলাম। -হুম এখন জড়িয়ে ধরো আমাকে। কি হলো? first. মাহিঃ হুম ধরছি তো। তারপর ওনাকে জড়িয়ে ধরলাম হলকা করে। উনি আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। আশফিঃ রোমান্স কাকে বলে আজ থেকে শিখিয়ে দিব।?? মাহিঃ সকালে উনি গোসল করে বাথরুম থেকে বের হলো।শুধু টাওয়াল টা পরা ছিল। চুল হাত দিয়ে মুছতে মুছতে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালো। আমি বসে ফোন টিপছিলাম।বডিটার দিকে নজর গেলো আমার। তাকিয়ে দেখছি কি ফিগার!!?? একদম Jiang chao এর মতোই। তারপর তাড়াতাড়ি চোখ ফিরিয়ে নিলাম। তারপর বাইরে চলে যেতে যাবো তখন উনি আমার হাত ধরে কাছে টেনে কোমোর জড়িয়ে ধরলো। আশফিঃ কি লজ্জা পাচ্ছো? মাহিঃ হুম। আশফিঃ উহহ… আমি তো দেখলাম তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আমার body shape দেখছিলে। মাহিঃ কোথায়? আমি তো ফোন টিপছিলাম। আশফিঃ আমি কি দেখিনি? আয়নায় সব দেখা যাচ্ছিল। ওকে আরও কাছে টেনে এনে ওকে আদর করা শুরু করলাম ওর গলা আর ঘারে। ও আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে আমার খুব রাগ হয়ে গেলো। তখন আমি ওকে…. ????? চলবে…….. (গল্পে ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)