Wednesday, June 18, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2448



রোমান্টিক_অত্যাচার_২

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_২ Writer:#Israt_Jahan ধারনা:#Kashnir_Mahi আমি: স্যার আর আমার চেম্বার টা একদম সামনা সামনি। মানে স্যার আমাকে দেখতে পান আর আমিও স্যার কে দেখতে পাই। কিন্তু এই দুই দিনেই আমার কাজের মুড টা নষ্ট হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র ওনার বিহেভিয়ার এর জন্য।এতো খিটখিটে মেজাজের মানুষ কিভাবে হতে পারে? যাই হোক আমাকে আমার কাজে যেভাবেই হোক মনোযোগী হতে হবে। না হলে আমার চাকরি টা যাবে। আর এই বাজারে ভালো সেলারির চাকরি পাওয়া so tough. তাই আমাকে খুব ধৈর্য রাখতে হবে। আশফি : ও কি কোনোভাবে বুঝতে পারলো নাকি কিছু? নাহ্ কিছুই বুঝতে পারেনি। বুঝলে Reaction টা অন্যরকম হতো।যাইহোক এতো তাড়াতাড়ি বুঝতে দিলে চলবেনা। মহারাণীর ঠোঁটের নিচের তিলটা আগের থেকে আরও বেশি কালো হয়ে গেছে। যার জন্য ওর সৌন্দর্য টা আরও বেশি বেড়ে গেছে। আর ফেসটা সেই আগের মতো পিচ্চি পিচ্চিই আছে। হুম, মহারাণী এখন পুরোপুরি কাজে ধ্যান দিয়েছেন এরজন্য কোনোদিকে তাকাতাকি নেই। তাই তিনি দেখতেও পাচ্ছেননা কেউ তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ভালো…… যত পারো কাজে মনোযোগী হও। কিন্তু এরপর থেকে যে এর থেকে বেশি মনোযোগ আমাকে দিতে হবে বাবু….?। আসিফ: কি মাহি!!! আজকের খবর কি?? এরকম একজন হিরো স্যার এর পি.এ হয়ে সময় কেমন যাচ্ছে???? আমি: তোমার কি গল্প শোনার ইচ্ছে হয়েছে? আসিফ: হুম Dear খুব।? আমি: তাহলে গল্পের শিরোনাম টাই শুনো। পার্সোনাল এসিসট্যান্ট থেকে পার্সোনাল চাকরানি। ??। কি সুন্দর না???? আসিফ: ????? হাহাহাহাহা। উফফ তুমিওনা…… যাই হোক শিরোনাম টা xoss ছিল। আমি: হ্যা খুব। ভাবছি আজকেই এফবি তে পোস্ট দিব। -হাহাহাহাহাহা??? দুজনের হাসাহাসি তে মাহি একবার ও খেয়াল করলোনা কেউ তার দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সেটা আর কেউ না মি. আশফি চৌধুরী।
আশফি: আমার চেম্বারে আসুন।?? ( রাগী মুডে পি.এ কে ফোন)। এতো হাসি?? এতো হাসি আসে কোথা থেকে তোমার আজকে আমি সেটাই দেখবো। আমার সামনে ছাড়া যাতে তুমি অন্য কোনো ছেলের সামনে না হাসতে পারো তার ব্যবস্থাই করবো।? আমি: দেখেছো কতটুকু সময় হয়েছে ওনার চেম্বার থেকে আসলাম সাথে সাথে আবার ফোন।?? আসিফ: ?? যাও যাও দেখো এবার কি করতে বলে। আমি: এই লোকটার সামনে গেলে আমার Heartbeat ১৪ গুণ বেড়ে যায়। এতো ভয় পেলে কিভাবে কাজ করবো ওনার সাথে বুঝতে পারছিনা। ভাবতে ভাবতে চলে আসলাম ওনার চেম্বারে। জি স্যার বলুন।
আশফি: হ্যা বসুন। এই ফাইল গুলো ধরুন। এগুলোতে কিছু Fault আছে যে গুলো এক্ষনি correction করে দিতে হবে আমাকে। আমি: স্যার এক্ষনি এতোগুলো ফাইল কিভাবে correction করে দিবো?? আশফি: কিভাবে করে দিবেন সেটা তো আমার জানার কথা না!! করে দিতে বলেছি করে দিবেন। ব্যাস…… আমি: ঠিক আছে স্যার। আসি?? আশফি: আসি মানে? আমি এখানে বসে করতে বলেছি। আমি: কিন্তু স্যার আমি আমার চেম্বার ছেড়ে এখানে বসে করবো কেনো? আর তা ছাড়া আপনার কাজের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আশফি: তাইতো। এটা তো একটু অন্যরকম দেখায়। দেখাক তাতে কি? (মনে মনে)। সেটা আপনাকে ভাবতে হবেনা।আর যত কাজ ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা তাইনা? আমার সামনে বসে তো আর ফাঁকি দিতে পারবেননা। আমি: স্যার আমি মোটেও…….( বলতে গিয়ে চুপ হয়ে গেলাম ওনার আগুন দৃষ্টি দেখে, মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই গিলে ফেলবে) আমি চুপচাপ কাজ করা শুরু করলাম। আশফি: আমি জানি তুমি ফাঁকিবাজ না। শুধুমাত্র আমার চোখের সামনে তোমাকে রাখার জন্য এই ব্যবস্থা।( মনে মনে)। Already 30 minutes পার হয়ে গেছে মেয়েটা কাজ করেই চলেছে। একটা বার ও চোখটা তুলছেনা। উফফ এতোটা বোরিং কবে থেকে হলো মেয়েটা।?। কথা বলার মতো কোনোকিছু খুঁজেও পাচ্ছিনা।(মনে মনে)।……………….. Oh God??? এতোটা careless কি করে হতে পারে ও? কাজ করতে করতে গলার কাছ থেকে ওরনাটা বেশ কিছুটা নিচে পড়ে গেছে। আর তাতে ওর গলার বেশ খানিকটা নিচে আর বুকের বেশ খানিকটা ওপরে মানে মাঝ বরাবর লাল তিলটা দেখা যাচ্ছে। এভাবেই কি মেয়েটা কাজ করে নাকি সবার সামনে? আশ্চর্য!! শুধু ফেসটাই পিচ্চি না ও পুরো মানুষটাই এখনও পিচ্চি হয়ে আছে। এখন ওকে আমি কিভাবে বলবো? হঠাৎ হাতের কাছে পেপারওয়েট টা পেলাম। ওটাই টেবিলের ওপর ঠাস করে ফেললাম। তাতেই ও চমকে গিয়ে কলমটা হাত থেকে পড়ে গেলো। তখন ও আমার দিকে তাকালো আর আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম একবার আর ওর ওরনার দিকে তাকালাম। ও আমার তাকানোর ভাবেই বুঝতে পারলো আমি কি বোঝাতে চেয়েছি। ও খুব দ্রুত ওরনা ঠিক করলো। আর খুব লজ্জা পেয়েছে সেটাও বোঝা গেলো। কাজ করতে করতে lunch এর সময় হয়ে গেছে। তখন ওকে কাজ থামাতে বললাম। মিস মাহি আমার খাবারটা বেড়ে দিন। আমি: ??? ওনার কথাই আমি শুধু অবাক ই হচ্ছি। কিছু করার নেই, করতেই হবে। কিন্তু আমি এই প্রথম কাউকে খাবার বেড়ে দিব। খুব ভয় করছে যে dangerous man তাতে একটু ভুল হলেই তো কতো বকা দিবে। ভাবতে ভাবতে খাবার বাড়া শুরু করে দিলাম। আশফি: যেভাবে খাবার বাড়ছেন মহারাণী তাতে মনে হচ্ছে জীবনের প্রথম কাউকে খাবার বেড়ে খাওয়াচ্ছেন। গ্লাসে পানি ঢালতে গিয়ে মনে হচ্ছে পানি টুকু আমার গায়েই ফেলবে। বলতে বলতেই………ohh shitt???.এটা কি করলে……..( বলতে গিয়ে চুপ হয়ে হেলাম ওর মুখটা দেখে, ভয়ে একদম চোখ বন্ধ করে আছে। কিছুটা হাসিই পেয়ে গেলো।) তাও রাগী মুডেই বললাম পরিষ্কার করে দাও।
আমি: জ.. জি স্যার( তোতলা ভাবে) শার্টটা পরিষ্কার করার সময় স্যার এর অনেক কাছে চলে আসলাম। আর স্যার আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই লোকটা এভাবে তাকিয়ে কি দেখে কে জানে? কাজ করার সময়ও বুঝতে পারছিলাম উনি আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছেন। আশফি : ও আমার অনেক কাছে চলে এসেছে। অনেক কাছ থেকে দেখছি ওকে। ইচ্ছে করছে……… ??? না থাক এখন ইচ্ছে করলেও কিছু করা যাবেনা।তারপর দুজনে একসাথে lunch শেষ করলমা। ওকে করতে কাধ্য করেছিলাম???। কাজ করতে করতে ছুটির সময় হয়ে গেছে। ওকে বললাম আমার স্যুটটা পড়িয়ে দিতে। ও আরও একবার অবাক হলো।?? আমি: শেষ পর্যন্ত এটাও????। এখন তো মনে হচ্ছে আমি ওনার Private asistant না private bou…??। চলবে….

রোমান্টিক_অত্যাচার_১

0
রোমান্টিক_অত্যাচার_১ writer: #Israt_Jahan ধারনা : #Kashnir_Mahi মা জলদি নাস্তা দাও আজকে অফিসে তাড়াতাড়ি যেতে হবে নতুন এম.ডি জয়েন করছে। মা:তুই টেবিলে বস আমি নাস্তা নিয়ে আসছি…. আমি:আচ্ছা। এর মধ্যেই আমার পরিচয় টা দিয়ে দিই। আমি নুসরাত জাহান মাহি, সবাই আমাকে মাহি বলেই ডাকে।আর আমি খুব সুন্দর আর শান্ত স্বভাবের মেয়ে সবাই তাই বলে । আমার ছোটো একটা পরিবার। সেখানে আমি আর আমার মা থাকি। আমার বাবা আমাদের সাথে থাকেননা। আমার যখন ৫ বছর বয়স তখন বাবা মা কে ডিভোর্স দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করেন। ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল তারা দুজন।কিন্তু সম্পর্ক টা টিকেনি। সেই থেকেই মা আমাকে নিয়ে একা থাকেন।অনেক বিলাসিতাই বড় করেছেন আমাকে। কখনও কষ্ট কি জিনিস আমাকে বুঝতে দেননি।কারণ মায়ের পাশে আমার নানু বাড়ির সাপোর্ট ছিল। থাক অনেক কিছু বলে ফেললাম, আমাকে এখন খাবার টা তো খেতে হবে। মা: নে ধর পুরোটা খাবি কিন্তু। প্রতিদিন তো হাফ খেয়ে চলে যাস। আমি: উমম.. মা আজকে তো আরো জলদি যেতে হবে। নতুন এম.ডি আসবে আর আমি তার পি.এ। তাড়াতাড়ি না গেলে হয়?? (খেতে খেতে) মা: তাই বলে কি না খেয়ে যেতে হবে নাকি? আর দিন দিন যা ফিগার বানাচ্ছিস কিছুদিন পর তো তোকে চোখেও দেখা যাবেন। আমি: আহা,মা স্লিম না থাকলে আমি কাজ করবো কিভাবে। আর মোটা হয়ে গেলে ছেলেরা যদি আমার দিকে না তাকাই?? আচ্ছা আমার খাওয়া শেষ, আমি আসি। তুমি খেয়ে নিও। মা: আচ্ছা সাবধানে যাস। আমি: উফফ তাও অনেকটা লেট হয়ে গেলো। না জানি নতুন এম.ডি কেমন হবে। ভাবতে ভাবতে অফিসে পৌঁছে গেলাম। -good morning, mam -good morning everyone. মি.আসিফ: আরে মাহি, তুমি এতো লেট কেনো? এম.ডি সাহেব অলরেডি চলে এসেছেন। তাড়াতাড়ি এসো welcome করতে হবে। আমি: হ্যা চলো। আসলে জ্যামে আটকে গেছিলাম। তাই এতো লেট হলো। মি.আসিফ: দেখে দেখে আজকেই তোমাকে জ্যামে পড়তে হলো? শুনেছি নতুন এম.ডি নাকি খুব কড়া মেজাজের লোক। আমি: ওহ্ তাই নাকি!! এই ওয়েট ওয়েট ওনার নাম টাই তো জানা হয়নি। নামটা কি? মি.আসিফ: হা হা হা এখন পর্যন্ত নাম টাই জানোনা!! ………………….. মি.আশফি চৌধুরী: Hello everybody. আমি আশফি চৌধুরী আপনাদের নতুন এম.ডি। – welcome sir ( অফিস স্টাফ) আমি: welcome sir. আমি আপনার……. (কথা শেষ করার আগেই মি.আশফি কথা বলা শুরু করলেন) মি.আশফি: আমি যেহেতু এখানে নতুন তাই আমি আপনাদের সকলের সাহায্য কামনা করবো। ম্যানেজার সাহেব আপনি আমার চেম্বারে আসুন।
ম্যানেজার: ok sir. মিস নিলা: wow আমাদের আশফি স্যার তো পুরাই হিরো। এত্তো young, smart r dasshing . আমি তো পুরো প্রেমে পড়ে গেলাম।(অফিস স্টাফ) আমি: হুম। সেটা তো ঠিক আছে। কিন্তু বিহেভিয়ার টা এমন কেনো? আমি welcome করলাম আর আমাকে কিভাবে avoid করলো!! মি.আসিফ: আগেই বলেছিলাম উনি একটু কড়া মেজাজের মানুষ। আমি:হুম… একটু না অনেকটাই। মি.আশফি: আচ্ছা ম্যানেজার সাহেব আপনি এখন আসতে পারেন। ম্যানেজার : ok sir. মি. আশফি: আমার চেম্বারর আসুন।( টেলিফোন পি.এ কে) আমি: May I come in sir?? মি. আশফি: yeah come in. বসুন। আমি: thank u sir. মি.আশফি:welcome. আপনি এখানে কত বছর হলো কাজ করছেন? আমি: 2 years sir. মি. আশফি: এই ২ বছরে আপনি ঠিক কত বার লেট করে এসেছেন? আমি: স্যার আমি always right time এ অফিসে আসি।actually আজকে জ্যামে আটকে গেছিলাম তাই আর কি………..( কথা থামিয়ে) মি. আশফি: shut up. আমি এই excuse জিনিসটা একদম অপছন্দ করি। next time আমি আপনাকে regular right time এ অফিসে দেখতে চাই। Is that clear??? আমি: ok sir মি আশফি: এখন আসতে পারেন। আর হ্যা আপনার নাম টা তো জানা হলোনা। নামটা কি? আমি: নুসরাত জাহান মাহি। মি. আশফি: হুম। তো মিস মাহি এই ফাইলগুলো রাখুন কালকের মধ্যে কাজ শেষ করে এগুলো আমাকে জমা দিবেন। আমি: স্যার কালকের মধ্যেই দিতে হবে এতগুলো ফাইল? মি. আশফি: yes…… কালকেই। আমি: ok sir মি. আশফি: আর হ্যা শুনুন। প্রতিদিন সকালে অফিসে এসে at first আমার চেম্বারে আসবেন। এসে আমাকে good morning জানাবেন। তারপর নিজের চেম্বারে যাবেন।Ok….?? আমি: ok sir……. মি. আশফি: হুম। এখন আসুন। ( আড়ালে মুচকি হেসে) আমি: হাই খোদা….. এ কেমন অদ্ভুত অদ্ভুত রুলস ওনার। মুড টা একদম পুরা নষ্ট করে দিল। আগের এম.ডি স্যার এর কাছে কখনও এমন বকা খাইনি। আর ইনি একদিন আসতে না আসতেই সবাইকে মেজাজের ওপর রাখছেন। বদমেজাজি লোক একটা। মি.আসিফ: কি ব্যাপার মাহি তোমাকে এমন বিষন্ন লাগছে কেনো? আমি: আর বোলোনা পুরা মেজাজ টাই বিগড়ে দিল। তারপর আসিফকে সবকিছু বললাম। আসিফ: হা হা হা। তাহলে এই punishment দিল তোমাকে । যাই হোক অনেক সাবধানে কাজ কোরো। Best of luck আমি: হুম। Thanks . আজকে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। এতো কাজ দিয়েছে যে অফিসের কাজ বাসায় আনতে হলো। একদিনে এতো কাজ কি করে শেষ করবো আল্লাহ্ পাক’ই জানে। মা: কিরে আজকে আসতে এতো দেরি করলি যে? আমি: ওহ্ মা পরে বলছি আগে খেতে দাও প্রচন্ড ক্ষুদা পেয়েছে। মা: কেনোরে আজকে দুপুরে খাসনি?? তোর তো এতো তাড়াতাড়ি কখনো খিদে পাইনা। আমি: আর খাওয়া…… নতুন এম.ডি স্যার এতো কাজ দিয়েছে যে খাওয়ার কথা ভুলেই গেছি। আর এতো বদমেজাজি জানোনো মা… মা: তাই নাকি? তাহলে সাবধানে কাজ করিস। আর তুই কখনো মাথা গরম করবিনা,বুঝলি? যা ফ্রেশ হয়ে আই আমি তোকে খাবার দিচ্ছি। আমি: হুম যাচ্ছি। তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসলাম। কাজ করতে করতে রাত ১১:৩০ টা বেজে গেলো। হঠাৎ unknown নাম্বার থেকে একটা message আসলো।messeage এ লেখা ছিল Beshi raat jege kaj kora valona. taratari ghumiye poro. আমি সাথে সাথে সেই নাম্বারে ফোন করলাম। কিন্তু ফোন রিসিভ হলোনা। তারপর কাজ শেষ করতে করতে রাত ১২:৩০ টা বেজে গেলো। কাজ শেষ করে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। খুব সকাল সকাম ঘুম ভাঙ্গলো মায়ের ডাকে। উঠে জলদি নাস্তা করে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। অফিসে ঢুকেই শুনি সবার মুখে একই টপিক…. স্যার কতো সুন্দর, কতো লম্বা, কি সুন্দর চোখ। চোখ দেখলেই প্রেমে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ঠোট টা কত লাল,গায়ের রঙ টা কতো ফরসা। আর হেয়ার স্টাইল টা তো বলার প্রয়োজন ই নেই। সবার ভেতর আমি বলে উঠলাম….. একটু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছেনা?? নিলা: মাহি বিশ্বাস করো আমি বাস্তবে এতো সুন্দর ছেলে কখনো দেখিনি। আমি: হ্যা তো এখন দেখো। আচ্ছা ছেলে মানুষ যদি মেয়েদের থেকে এতো সুন্দর হয় তাহলে মেয়ে মানুষের সুন্দর হওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে??? -ম্যাম আশফি স্যার আপনাকে ডাকছেন। আমি: হ্যা যাও আসছি। আসতে না আসতেই ডাক পড়ে গেছে… অসহ্য। আসবো স্যার??? আশফি: আসুন। আপনাকে কাল আমি কি বলেছিলাম ( রাগী মুডে) আমি: কাল আমাকে কি বলেছিলেন স্যার?? …………………….. ও হ্যা মনে পড়েছে। Good morning sir….sorry sir. একদম ভুলে গেছিলাম। আমি কাজ গুলো ও শেস করেছি। এইযে স্যার। আশফি : আপনার সাহস হয় কি করে আমার কথা অমান্য করার। আপনার কথা ছিল অফিসে এসে সবার আগে আমাকে morning জানোনো। সেটা না করে আপনি স্টাফদের সাথে গল্প করতে দাঁড়িয়ে গেছেন??? আমি: আর হবেনা স্যার। আমার সত্যিই অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে। আশফি : আপনি আমার চোখের সামনে থেকে সরে যান। যান বলছি। ( ধমকের সুরে) আমি: মন খারপ করে বাইরে চলে আসলাম।নিজের চেম্বারে চলে গেলাম। সকাল থেকেই মন টা খারাপ হয়ে গেলো। বসতে না বসতেই ফোন আসলো।
হ্যালো নুসরাত মাহি বলছি। Ok sir. আশফি স্যার ফোন করেছেন চেম্বারে যেতে বলছেন। Oh God….এইতো আসলাম এখনি আবার ডাক পড়লো? দরজা নক করতেই ভেতরে আসতে বললেন।ভেতরে ঢুকলাম। আশফি: মিস মাহি আমার জন্য এক কাপ চা আনুন। আমি: What?? আমি চা আনবো??? চা আনার জন্য তো……( কথা থামিয়ে দিয়ে) আশফি: Oh just shut up. You are my personal asistant.So আমি অফিসে থাকাকালীন আমার সবরকম ব্যক্তিগত বিষয় আপনাকেই দেখতে হবে। আর যদি সেটা না পারেন তাহলে রেজিগলেশন লেটার দিতে পারেন। আমি: No sir. আমি এক্ষনি বানিয়ে দিচ্ছি। স্যারকে চা বানিয়ে দিয়ে আমি চলে আসলাম আমার চেম্বারে। মন টা খুব খারাপ হয়ে গেলো। তারপর অনেক কষ্টে কাজে মন দিলাম। কাজ করার সময় চুল গুলো বার বার সামনে আসছিলো তাই চুল গুলো যখন বাধতে গেলাম তখন খেয়াল করলাম স্যার আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি দেখার সাথে সাথেই উনি চোখ ফিরিয়ে নিলেন। চলবে।

হঠাৎ_পাওয়া_শেষ_পর্ব

0

হঠাৎ_পাওয়া
_শেষ_পর্ব
Written by Avantika Anh
.
পরেরদিন কফি শপে আমি আর অর্নব বসে আছি । এইতো ২ বছর আগে কতো কথা হতো ওর আর আমার মাঝে । প্রতিবার আমিই বেশি কথা বলতাম ।
.
কিছু সময় পর পাশের টেবিলেই মেঘ আর অভি আসলো । হয়তো আমাকে দেখিয়ে দেখিয়েই বসেছে । আমি আর ওদিক তাকালাম না ।
আমি- অর্নব এখানে ভালো লাগছে না অন্য শপে চলো ।
অর্নব- কেনো এটাই তো তোমার প্রিয়
আমি- এখন আর ভাল্লাগে না
অর্নব- আরে কফি ফ্লট টা খেয়েই যাই ।
আমি- আমি লেট হচ্ছি বাই
.
.
আমি উঠে চলে যাচ্ছিলাম । অর্নবও পিছু পিছু আসলো ।
.
অর্নব- আমরা বিয়ে করবো কবে ?
আমি- ইচ্ছা
অর্নব- আচ্ছা আমার বাবা মা কে তাহলে তাড়াতাড়ি তোমার বাড়ি পাঠাবো ।
আমি- ওহ
অর্নব- এমন কেনো হয়ে যাচ্ছো তুমি ?
আমি- কেমন?
অর্নব- এরকম চুপচাপ । অভির সাথে তো ভালোই কথা বলতে ,ফাজলামি করতে
আমি- অভির ব্যাপারে কথা বলিও না ভালো লাগছে না
অর্নব- ওহ ওকে ।
আমি- আমার ব্যাগ টা একটু ধরো আমি একটা জিনিস কিনে আসতেছি ।
অর্নব- ওহ ওকে
.
আনহার ব্যাগ থেকে একটা ডায়রি পড়ে গেলো । অর্নবের চোখে পড়লো । আনহা কখনো অর্নব কে ওর ডায়রি পড়তে দিতো না । তাই অর্নব তা নিজের কাছে রেখে নিলো ।
বাড়ি এসে খুলে পড়া শুরু করলো ।
.
প্রথমের কিছু পেজ ছেড়া ।
তারপরের পেজ….
“অর্নবের সব স্মৃতি মুছে ফেললাম । কেনো এরকম করলো ও । কম ভালো তো বাসতাম না ওকে । ভুলে যাবো ওর সব আজ থেকে ডায়রিও হয় তো লিখবো না।”
.
তারপরের লেখা….
“ভেবেছিলাম লিখবো না । এতোদিন পর লিখতে এসে কি লিখবো নিজেও বুঝছি না । আজ আমার বিয়ে ঠিক রাজ ভাইয়ার বন্ধুর সাথে । মি. অভি বড্ড আজব ।”
.
.
তারপরের….
“মি. অভি না থাকলে আজকাল উনাকে মিস করা শুরু করেছি ।”
.
.
এরপরের লেখা
“ধীরে ধীরে মনে হয় আমি মি. অভি কে ভালোবাসতে শুরু করেছি।”
.
.
“আজ স্বপ্নে দেখেছি আমার জমজ মেয়ে হইছে । একটা আমার কোলে আরেকটা মি. অভির কোলে । বাচ্চা গুলো কিউট ছিলো।”
.
এরকম আরো অনেক পৃষ্ঠা অভিকে নিয়ে লিখা ।
.
শেষের দিকে আনহার কিছু কষ্টের কথা লেখা । অভি কে ছাড়া তার থাকতে কষ্ট হচ্ছে , সে কেনো এমন করলো সবকিছু ।
.
.
২দিন পর……….
আমি ভার্সিটি থেকে ফিরছিলাম । হঠাৎ কে জানি আমার চোখ বেঁধে ফেললো আর কি জানি নাকের কাছে কি জানি ধরলো । তারপর আমি জ্ঞান হারালাম ।
.
যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি একটা রুমে ওখানে সব ঠিকঠাক খালি আলো কম । জানতাম কিডন্যাপ করে নাকি অন্ধকার ঘরে রাখা হয় দেখতাছি ঠিক ই তাই । কিছু সময় পর ৪ জন ছেলে আসলো ২ জন বয়স্ক আর ২ জন কম বয়সী । আমার মুখও বাঁধা কথা বলতে পারছি না।
.
২জন কম বয়সী কথা বলা শুরু করলো……
.
.
একজন- কি করবো এইটারে ?
আরেকজন- কেটে ফেল এরে তারপর রান্না করা যাবে
একজন- ভাবতেছি কাবাব বানাবো কিন্তু মাংস কম হবে মেয়েটার খায়ে মজা পাবো তো ?
আরেকজন- হুম হুম পাবো
.
.
আমি ভাবছি হালারা আমারে খাইবে কিনু ? খাইবে তো খাইবে এতো দূর্নাম করে কেন হুহ
.
হঠাৎ ১ম জন বলে উঠলো…… “এইটারে আমার ভালো লাগছে বস”
২য় জন- বিয়া টিয়া করবি নাকি ?
১ম জন- হুমম বস তাই করবো
২য় জন- এইটা কয় নাম্বার ?
১ম জন- এইতো মাত্র ৫৬ নাম্বার হবে ।
২য় জন- বাকী গুলোর মতো কি এটারেও খায়ে ফেলবি ?
১ম জন- হুমমম এইতো ২ দিন পর এটারেও খাবো
২য় জন- আচ্ছা আচ্ছা তাহলে কাজী আনি ?
১ম জন- হুম বস
.
আমি ভাবতেছি এরা ভুত নাকি পাগল ?
.
সবাই চলে গেলো একজন ছিলো । ও আমার কাছে আসলো । পরিচিত একটা পারফিউম এর গন্ধ পেলাম । কিন্তু সিওর হতে পারছিলাম না কার ? কিন্তু পরিচিত হলে কিডন্যাপ কেন করবে ? এসব ভাবছিলাম ।
.
ওই লোকটা আমার মুখের কাপড় টা সরিয়ে‌ দিলো ।
.
আমি- ওই আপনি আমাকে কিডন্যাপ করছেন কেনো ? কে আপনি ?
লোকটা- আমরা মানুষ খাই এই জন্য তোমাকেও কিডন্যাপ করছি ।
আমি- আর কাউকে পান নাই ? আর মুরগি , গরু , ছাগল থাকতে মানুষ খাওয়ার কি দরকার ? আপনি জানেন ডিমও মজার হয়
লোকটা- হাহা এসব না আমি তোমকেই খাবো
আমি- ওই শয়তান ছাড়ে দে আমাকে তুই আমার দেহ পাবি মন পাবি না (ওই টাইমে এই ডায়লগ মনে পড়ছিলো)
লোকটা- হাহা সবই পাবো সুন্দরি
আমি- ওই ছাড়ুননননননন
.
লোকটা মুখ আবার বেঁধে দিলো । নাহ খোলা যাবে না প্রচুর কথা বলো ।
আমি ভাবতেছি “শয়তান একটা”
.
কিছু সময় পর ঠিক ঠিক কাজি আসলো…..
.
বিয়ের দোয়া পড়ার পর কবুল বলতে বললো…
আমি ভাবছি কতো শখ ছিলো সব নষ্ট কোন মানুষ খেকো কে বিয়া করা লাগবে এখন…
.
যার সাথে বিয়া সে যার সাথে আগে কথা বলছিলো সে চিৎকার দিলো…
“ওই কবুল বল”
.
ভয়ে ভয়ে কবুল বলে ফেললাম । বিয়া হয়ে গেলো । তারপর সব লাইট অন করে দেওয়া হলো । আশেপাশে তাকালাম । দেখতে একদম আমার রুমের মতো লাগছিলো । এমা এটা ঠিকে আমারি রুম…
আমি- মানে কি হচ্ছে কি?
.
সবাই মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে ফেললো । একজন আমার বাবা , একজন অভির , একজন রাজ ভাইয়া , যার সাথে বিয়ে সে আর কেউ না অভি ?
.
.
আমি শকড….
.
এবার শক হয়ে জ্ঞান হারালাম । জ্ঞান ফিরলো যখন আমি একটা ঘরে । এটা নতুন ঘর । বাসর রাতের মতো সাজানো । দেখি সামনে অভি …..
আমি- এসব কি ? কেনো ? কীভাবে ? মানে কি ?
অভি- আহা এতো প্রশ্ন
আমি- আপনার মেঘ কই ? আর আপনি না আমাকে খারাপ…
অভি- চুপ একদম চুপ ( আমার মুখে হাত দিয়ে )
বেশি মহান তাই না তুমি । মা বললো আর শুনলে । মা তো না বুঝেই বলে ছিলো । সে নিজেও নিজের ভুল বুঝতে পারে পরে কিন্তু আমাকে বলে নাই ভয়ে যে আমি তার থেকে দূরে যাবো ।
আমি- তাহলে কি তোমাকে সব মা বলেছে ?
অভি- না
আমি- তাহলে ?
অভি- অর্নব বলেছে‌
আমি- কেমনে ওয় তো..
অভি- ও ভুল বুঝেছে নিজের । ও ই তোমার ডায়রি সব পড়ে আর আমাকে দেখায় তার কাছেই জানি সব । তারপর মা কে জিজ্ঞেস করি মাও স্বীকার করে ।
আমি- এ্যাা
অভি- হ্যা
আমি- মেঘ কই
অভি- ও নিজের ভুল বুঝেছে তাই ওরা অন্য শহর যাচ্ছে
আমি- বুঝলাম বাট কিডন্যাপ কেনো‌?
অভি- হেহে সোজা তো কথা শুনতে না তাই
আমি- ওওও
.
পাশে একটা লাঠি পেলাম ওটা দিয়া অভি কে পিটানো শুরু করলাম ।
অভি- আরে‌ আরে মারো কেনো ?
আমি- আমি কতো ভয় পাইছি জানো ?
অভি- হাহা সরি
আ‌মি- তোর সরির গুষ্টি কিলাই ।
.
ওকে মারতে গেলাম আর ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো ।
.
#শেষ
#কাল্পনিক_গল্প
#বাস্তব_নয়

হঠাৎ_পাওয়া_পর্ব_৪

0

হঠাৎ_পাওয়া
পর্ব_৪
Written by Avantika Anh
সামনে অর্নব কে দেখে আমি থেমে গেলাম । সেই নিরবতা ভেঙ্গে অভি আমার হাত ধরলো ।
.
আমি কিছু বললাম না । অভি আর আমি হেটেই যেতে লাগলাম । আমাদের দেখে…..
অর্নব- আরে আনহা যে এটা কে ২য় বফ নাকি
আমি- আমার ২য় বফ না আমার লাইফ পার্টনার ইনি ।
অর্নব- ও নাইস টু মিট ইউ ব্রো । আপনাকে দেখেছিলাম বিয়েতে । ওর কাজিনের ফ্রেন্ড তাই না ।
অভি- জ্বী
আমি- মি. অভি চলুন এখান থেকে
অর্নব- আরে আনহা এতো তাড়াহুড়া কেনো ? কোথাও যাবা নাকি ?
আমি- তা আপনাকে বলতে ইচ্ছুক না
অর্নব- তা মি. অভি আমি অর্নব + আনহার এক্স জানেন তো ? প্রায় ২ ইয়ার রিলেশন ছিলো তারপর আনহা বললো আমার সাথে নাকি ওর যায় না তাই ব্রেকআপ । আপনার অনেক টাকা আছে তো ?
আমি- মিথ্যে কথা এরকম কিছুই হয় না ও নিজেই আরেক মেয়ে…
অভি- ওয়েট আনহা । বলুন তারপর কি করছে মি. অর্নব ?
অর্নব- তারপর শুনলাম কলেজে নাকি এক ছেলের সাথে একা ধরা পড়েছিলো কি জানি কী যে করছিলো ?
অভি- বাহ আপনি তো দেখি কলেজের খবরও জানেন ।
অর্নব- না মানে শুনলাম
অভি- ও টাকার জন্য ছেড়েছে রাইট ।
অর্নব- হুম
অভি- ও যদি টাকার জন্য ছাড়তো ওর চোখে পানি হতো না । আপনার কথা আগেই শুনেছি আনহার কাছে । আপনাদের রিলেশন ছিলো ২ বছর । এখন ওর আর আমার যদি বিয়ে হয় আমরা পাশে থাকবো সারা জীবন । তা নিশ্চয়ই আপনার ২ বছরের থেকেও অনেক বড় আর কলেজের কথা, আনহা যে এরকম কিছুই করবে না এটা অন্তত আমি জানি বিশ্বাস আছে । আমি ওকে ভালোবাসি । ও যদি খারাপও হয় আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে বদলে দিবো ওকে । আপনার সাথে আর কথা বলার মন মানসিকতা আমার বা আনহার কারোরই নাই সো ইউ কেন লিভ । সত্যি যদি ওকে ভালোবাসতেন হারাতেন না । একটা সম্পর্ক সত্যের উপরই টিকে । বিশ্বাস রাখুন আপনিও কাউকে পাবেন ।
.
.
অর্নব আর কিছু বললো না । আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে । কষ্টেরও আবার খুশিরও । কষ্ট এই জন্য এমন একজন কে বিশ্বাস করছিলাম আর খুশি এই জন্য এমন একজন কে পেয়েছি । সেদিন ভার্সিটি অব্দি আমি বা অভি কেউ ই কোনো কথা বললাম না ।
.
.
ভার্সিটি শেষে বাইরে দেখি অভি দাড়িয়ে ।
আমি- আপনার কাজ নাই ?
অভি- না বাবার অফিস তাই আর কি ।
আমি- তাই আর কি ইচ্ছা মতো ঘুরতেছেন ।
অভি- না মানে আর কি ।
আমি- না মানে মানে করেন কেন ?
অভি- তুমি কি আমাকে বকছো ?
আমি- হিহি না মজা করছিলাম।
অভি- তুমি তো ভয় ই পাওয়ায় দিলা । মনে করলাম আমি একটা কড়া বউ পাবো
আমি- আমি তো কড়াই
অভি- কিইইই
আমি- হিহি হু একটু
অভি- আচ্ছা আমি শুনমু নে কড়া বউ এর কথা
.
ফেরার পথে…..
বৃষ্টি এলো
আমি ভিজতে লাগলাম ।
অভি- ইস গাড়িটা আনলেই পারতাম । এখন ঠান্ডা লাগবে ।
আমি- আরে মাঝে মাঝে ভেজা ভালো । জানেন না?
অভি- আহা কি রোমান্টিক
আমি- হুম তো
.
সেদিন আমি আর অভি ভিজেই ফিরলাম ।
.
রাতে অভির ফোন এলো
আমি- হা…হা..চ্চি
অভি- বলছিলাম ঠান্ডা লাগবে
আমি- এইটুকু ব্যাপার না হা..চ্চি
অভি- হুম তাই তো হাচ্চি দিচ্ছো
আমি- আপনার ঠান্ডা লাগে নি কেন ?
অভি- আমি গরম চা খেয়েছিলাম তাই ঠান্ডা কম লেগেছে ।
আমি- এ্যা ভালো আইডিয়া যাই গা আমিও চা খামু রাখি
অভি- হাহা যাও

.
এভাবে কিছু দিন যেতে লাগলো । কিন্তু সব যে ভালো হবে তা তো নয় ।
.
একদিন শুনলাম অভির কোন এক কাজিন সুইসাইড এর চেষ্টা করেছে তাও অভির জন্য ।
আমিও গিয়েছিলাম দেখতে । মেয়েটির বাবা মা অভিকে দেখেই রিকোয়েস্ট করতে লাগলো যেন অভি ওই মেয়েকে বিয়ে করে ।
মেঘলার (মেয়েটার নাম) আব্বু- মা তুমি বুঝো প্লিজ
আমি কিছু বললাম না । তারা অনেক রিকোয়েস্ট করলো । মেয়েটা অভির খালার মেয়ে । সেদিন রাতে অভির মা ফোন দিয়েছিলো ।
অভির মা- মা শুনো
আমি- জ্বী বলুন
অভির মা- তুমি জানোই মেঘলা আমার বোনের মেয়ে । আমার বোন বলেছে তার কথা যদি না শুনি তাহলে সব সম্পর্ক শেষ । প্লিজ মা আমি কি করবো বলো ?
আমি- আন্টি সম্পর্ক খুব বড় । সে আপনার বোন নিতান্তই তার অধিকার বেশি । আপনি তার কথাই শুনুন
অভির মা- কিন্তু অভি তো মানতেই চাচ্ছে না ।
আমি- আমি ঠিক করে দিবো সব । কিন্তু ওকে বলিয়েন না কখনো
অভির মা- ধন্যবাদ মা । তোমার এই ঋণ আমি কোনোদিন শোখারাপ?ে পারবো না ।
আমি- মেয়ে ভাবেন না আমাকে ?
অভির মা- হুম
আমি- এতেই হবে
অভির মা- ধন্যবাদ
আমি- আল্লাহ হাফেজ ।
.
রাতে অনেক সময় ধরে কাঁদলাম । এমনি কি হওয়ার ছিলো ?
.
সেদিন রাতে অর্নবকে ফোন করলাম হেল্প এর জন্য সব জানালাম আর ও রাজিও হয়ে গেলো । কারণ ও আমাকে পেতে চেয়েছিলো ।
.
পরেরদিন যথারীতি অর্নব অভি কে মেসেজ দিলো- “আমাকে বিশ্বাস করেন নি তো । আজ …. এখানে আসুন সব প্রমাণ পাবেন ও ভালো নাকি খারাপ”
.
অর্নব আর আমি পৌছালাম । অভি কে আসতে দেখেই-
আমি- এটাই তো চাচ্ছিলাম । একটা বড়লোক কে পটায় । বিয়েটা হোক তারপর ওর সব টাকা নিয়ে ওকে ডিভর্স দিয়ে দিবো । আমি তো তোমাকেই ভালোবাসি বাবু ।
অর্নব- আমি তো জানি সোনা ।
.
অভি এসেই আমাকে থাপ্পর মারলো ।
অভি- তুই একটা নষ্টা মেয়ে । আমার প্রথমেই বোঝা উচিত ছিলো । তুই তো আমার যোগ্যই না রে ।
.
আমি কিছু বললাম না ।
.
বিয়েটা ভেঙ্গে গেলো । কাউকে কিছু বললাম না । সবাই জানে যে আমি যা করবো ভালোই করবো । কিছু জন ভুল বুঝলো । আমার মায়ের জোড় করায় তাকে সব বলে দিলাম আর মানা করলাম সে যেনো কাউকে কিছু না বলে ।
.
কিছুদিন পর রাস্তায় অভি পর মেঘলা কে একসাথে দেখলাম । অভি মুখ ঘুরিয়ে নিলো । আমার সাথে অর্নব ছিলো । ও দেখলো আমার চোখে পানি । কিন্তু ও কিছু বললো না ।
.
চলবে….

হঠাৎ_পাওয়া_পর্ব_৩

0

হঠাৎ_পাওয়া
পর্ব_৩
Written by Avantika Anh
বাড়ি ফিরার আগ অব্দি অর্নব আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছিলো কিন্তু অভি ভাইয়া আর বাকীরা পাশে ছিলো বলে পারে নি ।
.
.
গাড়িতে সবাই আসার সময়ের মতো বসলাম ।
রাজ- ওই তোর কি কিছু হইছে ?
আমি- না তো
রাজ- সত্যি বল
অভি- আরে কিছু হয় নি (কথা ঘুড়াতে)
রাজ- বাহ আমাগো থেইকা বেশি ওরে চিন্তাছোস দেখতাছি ।
আমি- ভাইয়া আমার একটা নিউ বান্ধবী হইছে নাম নিলা নাম সুন্দর না নামটা (রাজ ভাইয়ার গফ নিলা)
রাজ- না না আমার বইন তো খুব ভালো ও কখনোই এসব করবে না
আমি- হুমম থেংকু ভাইয়া
.
.
কিছু সময় পর……
আমি- ভাইয়া বিয়া কর না বিয়া খাইতে মন চাইতাছে ।
রাজ- এই না আপুর বিয়া খাইলি আবার কেমনে
আমি- এবার তোর টা খামু চাকরিও তো করস বিয়াটাও কর
রাজ- না এখনি করুম না তুই কর
আমি- হুহ না
রাজ- হেহে মামা রে কমু তোর বিয়া করার ইচ্ছা হইছে
আমি- মাইরালামু
রাজ- কাইট্টালামু
অভি- তোমরা এতো ঝগড়া করো কেনো ?
রাজ- এই মোটিই ঝগড়াটে
আমি- আমি মোটি তুই‌ মোটা হাতি
রাজ- এ্যা হইছে অভি তুই বল তো আনহা মোটা কি না ?
অভি- ইয়ে আনহা তো পাতলা
আমি- থেংকু অভি ভাইয়া লাভ ইউ ফর দিস
অভি- কিইইইইই
আমি- কি বেশি না আমি সবাই কেই বলি
রাজ- হেহে অভির মনে মনে লাড্ডু ফুটছিলো মনে হয়
আমি- কি কস সত্যি অভি ভাইয়া ?
অভি- না না
.
.
এভাবে আড্ডা চলতে থাকলো ।
.
বাড়ি ফিরে নিজের উপরই রাগ উঠছিলো “আমি এক সময় এমন একজনকে ভালোবেসেছি যে এরকম মানসিকতার” । এই সব ভাবছিলাম
.
সকালে কলেজের জন্য বের হচ্ছিলাম । বাইরে দেখি অর্নব দাড়ায় রাগ উঠে গেলো । তাই আবার বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম । তারপর পিছনের গেট দিয়ে বের হয়ে গেলাম ।
.
আমি ভাবছি, ” এর কি ভিমরতি ধরলো? “
.
“এখন উল্টা রাস্তা দিয়া যাওয়া লাগবো । এতো ঘুরা রাস্তা।”
.
.
আমি যাচ্ছি । রাস্তা টা একটু ফাঁকা । দেখি সামনে অনেক গুলো কুকুর । আমি ভয়ে শেষ ।
.
দাড়ায় আছি কুকুর গুলো যাওয়ার অপেক্ষা করছি । হঠাৎ কে জানি পিছন থেকে ডাক দিলো । পিছনে তাকিয়ে দেখি অভি ভাইয়া ।
.
অভি- তুমি এখানে যে ?
আমি- কলেজ যাচ্ছি
অভি- কোন কলেজ
আমি- …………… কলেজ
অভি- এই রাস্তা দিয়ে তো বেশি দূর অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে ।
আমি- ওই রাস্তায় অর্নব ছিলো । ওই হালার কি যে হইছে খালি এখন আমার পিছনে লাগছে । এই ওই পোলার জন্য আমাকে এতো ঘুরে ঘুরে যেতে হচ্ছে । তার উপর এই বান্দর মার্কা কুকুর গুলো সরে না ।
অভি- হাহা এটা তো খুব প্যারা মূলক ব্যাপার ।
আমি- আপনি কই যাচ্ছেন?
অভি- অফিস
আমি- ও জ্বলদি পালান । আমি অপেক্ষা করি এই বান্দর গুলো থুক্কু কুকুর গুলো যাওয়ার ।
অভি- আমি হেল্প করতে পারি ?
আমি- আপনার দেরি হবে থাক‌
অভি- না অফিস শুরু হতে দেরি আছে । আমি রোজ ৩০ মিনিট আগে যাই ।
আমি- উকে চলেন
.
অভি ভাইয়া হেল্প করলো । কলেজে….
মিমি রে গেটেই পাইলাম ।
.
মিমি- ছেলেটা কে রে ? হ্যান্ডসাম তো
আমি- রাজ ভাইয়ার ফ্রেন্ড
মিমি- দোস্ত তোর সাথে সেই মানাবে ।
আমি- যা ভাগ তুই ই নে
মিমি- আমার বফ টা না থাকলে আমিই নিতাম । তোর তো নাই তুই নে ।
আমি- প্রেম ভালোবাসা ভালো না
মিমি- হুহ ওই অর্নব হালাটা কই থেইকা যে আইছিলো । ওর জন্য আমার রোমান্টিক দোস্ত টা আনরোমান্টিক হয়ে গেছে ।
আমি- কে কইছে আমি আনরোমান্টিক ? আমি অনেক রোমান্টিক বাট সব শুধু আমার বরের জন্য
মিমি- বাহ বাহ কিয়া বাত
আমি- দোস্ত
মিমি- কি
আমি- অর্নব আবার পিছে পড়ছে । জান্নাত হেরে ছেকা দিছে এই জন্য বিয়ে বাড়িতে…………(সব বললাম)
মিমি- কই ওই পোলা ওরে তো মাইরা ফালাম
আমি- হ মার
মিমি- ওই হারামি আমি জেলে যামু তো
আমি- মোর লাইগা এইটুকু পারবি না?
মিমি- কালামেইল
আমি- হ চল ক্লাসে দেরি হচ্ছে ।
মিমি- চল
.
ক্লাসে…..
রুম ফাঁকা
আমি- আজ কি ছুটি ছিলো ?
মিমি- মনে তো পড়ছে না । মনে হয় ছিলো নইলে এতো ফাঁকা কেনো ?
আমি- চল বাড়ি যাই
মিমি- চল
.
হঠাৎ উপর থেকে ফুল পড়তে শুরু হলো ।
আমি- দোস্ত পালা
মিমি- কেন মজাই তো লাগছে
আমি- তুই থাক আমি পালাই ।
.
দরজার দিকে যেতেই সিনিয়র একটা ভাইয়া ।
.
আমি- ভাইয়া সাইড দেন আমি যাই ।
ভাইয়া- দাড়াও আনহা
আমি- কেনো আমাদের আজ মনে হয় ছুটি নাহয় কেউ একজন তার ক্রাশ কে প্রপোজ করবো ।দেখেন না এসব
ভাইয়া- এসব তোমার জন্য
আমি- এ্যা
ভাইয়া- আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি । সেই কলেজের প্রথম থেকে
আমি- সরি ভাইয়া
ভাইয়া- কি কমতি আমার মাঝে ?
আমি- আমি প্রেম ভালোবাসায় বিশ্বাস করি না ।
ভাইয়া- আমি বিয়ে করবো শুধু রাজি হও
আমি- না সম্ভব না সরি ।
.
বলে সেদিনের জন্য চলে গেলাম বাড়ি ।
.
পরেরদিন…..
অর্নব আজ আর দাড়িয়ে নেই । তাই ঠিক মতো কলেজে গেলাম । ওই ভাইয়াটাও আর বিরক্ত করে নি ।
.
দিন পার হতে লাগলো । আমার এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হলো । তারপর শুরু হলো এডমিশনের কষ্ট । এই কয়েকদিন অর্নব অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তু আমি এড়িয়ে গেছি ।
.
ভার্সিটি তে এক্সাম হলো । একটা ভালো ভার্সিটিতেই চান্স হলো ।
.
কিছুদিন পর শুরু হলো আরেক প্যারা । আম্মু , আব্বুসহ পরিবারের সবার ই বিয়ের ভুত ধরলো । তারা বিয়ে করবে না তাদের ভুত ধরছে আমার বিয়া দেওয়ার ।
.
আজ নাকি পাত্র পক্ষ দেখতে আসবে । আজ একটা এটা পছন্দ না হলে কাল আরেকটা আসবে নাকি । আজব ব্যাপার
.
পাত্র টা আর কেউ না অভি ভাইয়া ।
আমাদের একান্তে পাঠানো হলো ।
আমি- আপনি ??????
অভি- ইয়ে মানে
আমি- আমি শকড
অভি- তোমাকে বলছিলাম তোমাকে ভালো লাগে । তারপর তোমার সাথে এই ক’দিন অনেক কথাই হলো । তাই মনে হলো তুমিই পার্ফেক্ট
আমি- কিন্তু আমি কখনো এভাবে তো ভাবি নি ।
অভি- একজন নাহয় একজনকে তো বিয়ে করবাই তা আমি হলে দোষ কি ?
আমি- তা ঠিক
অভি- তোমার টাইম লাগলে ভাবতে পারো । চিন্তা করো না অনেক ভালোবাসবো ।
.
.
আমি কিছু বললাম না । আম্মু আব্বুর নাকি পাত্র খুব ভালো লেগেছে । রাজ ভাইয়ার ফ্রেন্ড তাই তারা বেশি রাজি । আমিও না করলাম না তাই । বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো ।
.
পরে শুনলাম পরেরদিন যেই পাত্র টি আসার কথা ছিলো সে নাকি অর্নব । রাতে অর্নবের মেসেজ পেলাম ।
অর্নব- তুমি কেনো এমন করলে?
আমি- কোনো জবাব দিলাম না ।
.
রাতে অভি ফোন দিলো…
আমি- হুম অভি ভাইয়া বলেন
অভি- এখন তো ভাইয়া বলা ছেড়ে দাও বিয়েও তো ফিক্স
আমি- হোক আগে তারপর
অভি- বান্দর একটা তুমি
আমি- হিহি আপনি তাইলে বান্দরের হবু বর
অভি- হুম তো
আমি- আমি ঘুমাম কাল ভার্সিটি আছে ।
অভি- কাল আমার সাথে যেও কয়টায় যাবা
আমি- ৮:৩০ এ বের হবো
অভি- ওকে
.
.
সকালে…..
অভি গাড়ি নিয়ে এসেছে ।
.
.
অভি- উঠো
আমি- না
অভি- কেনো
আমি- হেটে যাবো । হাটা স্বাস্থের জন্য ভালো ।
অভি- চলো আমিও হাটি ।
আমি- ওকে ।
.
.
আমি আর অভি হাটছিলাম ।
.
দুজনেই চুপচাপ । কিন্তু এই নিস্তব্ধতা ভাঙলো । কারণ সামনে অর্নব দাড়িয়ে ছিলো ।
.
চলবে……

হঠাৎ_পাওয়া_পর্ব_2

0

হঠাৎ_পাওয়া
পর্ব___2
Written by Avantika Anh
রাতে বাড়িতে বসে ভাবছি অর্নবের কথা । “ও কি সত্যি বদলে গেছে ? নাকি শুধুই তার লাভের জন্য আবার আমাকে প্রপোজ করছে । না আমি আবার ওই ভুল করতে চাই না ” ঘুমিয়ে পড়লাম । সকালে সবাই হইচই আজ কাজিনের শ্বশুরবাড়িতে আমাদের দাওয়াত ।
.
.
আমি যেতে চাচ্ছিলাম না কারণ ওখানে গেলে অর্নবের সাথে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে আর আমি তা চাই না । তবুও সবার জোড়ে রেডি হলাম । কি ড্রেশ পড়বো তা জিজ্ঞেস করতে রিয়ার (আরেকটা কাজিন) রুমে গেলাম ।
.
কিন্তু সেখানে রিয়া ছিলো না । তাই ভাবলাম পাশে রাজ ভাইয়ার রুম তার কাছেই সাজেশন নেই সাদা গাউন টা পড়বো নাকি ছাঁই রঙ্গের গাউন ।
.
না দেখেই বলতে বলতে ঢুকলাম “রাজ ভাই বল তো কোনটা পড়বো?”
.
কিন্তু ভিতরে ঢুকে দেখলাম রাজ ভাইয়া নাই বরং অভি ভাইয়া আছে ।
আমি- সরি আমি ভাবলাম রাজ ভাইয়া ভিতরে আছে ।
অভি- না ব্যাপার না
.
আমি চলে আসছিলাম পিছনে অভি ভাইয়া ডাক দিলো ।
অভি- আনহা
আমি- জ্বী
অভি- ছাঁই কালার টাই বেটার আছে
আমি- থেংকু আমারও এটাই মনে হয়েছিলো ।
অভি- আচ্ছা
.
.
রেডি হলাম । সব কাজিন রা যাচ্ছি সাথে অভি ভাইয়াকেও রাজ ভাইয়া নিয়ে যাচ্ছে ।
.
আমরা মোট ৭ জন কাজিন যাচ্ছি । সবার জায়গা আটলো না কারে তাই আমি , রাজ ভাইয়া আর অভি ভাইয়া , সাথে আরেক আপু আমরা অন্য গাড়িতে উঠলাম ।
আমি- আমি সামনের সিটে বসবো কারণ এটার গ্লাস আমি খুলে রাখবো কিছুটা ।
রাজ- আচ্ছা বস কিন্তু ড্রাইভ কে করবে ? ড্রাইভার আংকেল তো ছুটিতে ।
আমি- তুই কর
রাজ- এ্যা সবসময় আমাকে করতে হবে কেনো ?
আমি- আমি কি পারি যে আমি চালাবো নাকি আয়শা আপু পারে বাকী তো তুই । তুই তো ড্রাইভ পারিসও তাই তুই চালা ।
রাজ- কেনো অভিও তো যাচ্ছে ও চালাক
অভি- আচ্ছা আমি চালাবো
আমি- ওই অভি ভাইয়া কেন তুই চালা ।
অভি- না ব্যাপার না আমিই চালাই
আমি- ইচ্ছা ।
.
গাড়িতে…..
সবাই গল্প করছি
.
রাজ- এই তিন্নি আপু এতো দূরে বিয়ে করলো কেন ? রাস্তাই শেষ হয় না
আয়শা- চল গানের কলি খেলি
রাজ- চল চল
আমি- গাড়িতে গানের কলি ???
আয়শা- হুম মজা হবে রাজ শুরু কর স দিয়ে গান কর
.
রাজ- ওই টিম হোক তাহলে
আমি- টিম ওকে আমি আর আয়শা আপু । তুই আর অভি ভাইয়া
রাজ- আমরা ছেলেরা একা ?
আমি- হু
রাজ- না আমি আর আয়শা আপু । তুই আর অভি হ টিম
আমি- ওকে আমরা হারিয়েই ছাড়বো তোমাগো তাই না অভি ভাইয়া।
অভি- হুম
.
আমি- রাজ ভাইয়া র দিয়া ক তুই
রাজ- র দাড়া ।
“রিমঝিম ধারাতে চায় মন হারাতে”
আমি- ওই ওই ভুল গাচ্ছিস ওটার সামনে স আছে অন্য গা
আয়শা- আমি বলছি
“রংধনু রং স্বপ্ন আঁকে…..”
এবার তোরা গা প দিয়া ।
আমি- “পেয়ার মাংগা হে তুমহিছে হি মুঝে পেয়ার কারো….”
.
এভাবে গেম চলতে থাকলো….
লাস্ট গানের বেলায় ।
আমরা ওদের ক্ষ দিয়া গাইতে বললাম কিন্তু ওরা পারলো না ওইবার অভি ভাইয়া একটা গান বললো তাতে আমরা জিতে গেলাম ।
.
আমি- থেংকু অভি ভাইয়া আমরা জিতছি
অভি- তুমি ভালো গান পারো
আমি- আরে না
অভি- রেলি
আমি- হাহা
ওই রাজ ভাইয়া আইসক্রিম খাওয়া এবার সবাই কে
রাজ- কেনো ?
আমি- হেরে গেছিস তাই
রাজ- ইইইই আমার পকেট খালি করা
আমি- হ
.
তারপর গাড়ি পার্ক করা হলো আর আমরা আইসক্রিম খেলাম ।
.
অভি- আনহা তুমি বিড়াল
আমি- কেমনে
অভি- মুখের উপরেও আইসক্রিম লাগিয়ে রাখছো
আমি- ইইই কই
অভি- ওখানে
.
আমি মুছে ফেললাম ।
আমি- থেংকু ।
.
ওখানে পৌঁছালাম কিছু সময় পর । যার চেহারা দেখার ইচ্ছে ছিলো না সে-ই চোখে পড়লো । অর্নব ওখানেই ছিলো । আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার ভান করে বললো “তোমারি অপেক্ষা করছিলাম”
.
.
খাওয়ার টেবিলে….
.
আমার পায়ে কে জানি গুতা দিচ্ছে আমি নিচের দিকে তাকাতে দেখি অর্নব । আমার অস্বস্তি লাগতেছিলো ।
.
আমি- অর্নব ভাইয়া আপনার পা টা সরিয়ে নিন
অর্নব- সরি ভুলে আপনার পায়ের সাথে লাগছে ।
আমি- একটু সাবধান থাকিয়েন আমার ড্রেসে দাগ লাগতে পারে (যেনো কেউ খারাপ কিছু না ভাবে)
.
খাওয়া শেষে রাজ ভাইয়া আর আয়শা আপু আমাকে জিজ্ঞেস করলো “সিরিয়াসলি কিছু হইছে নাকি?”
আমি- না কিছু না
রাজ- সিওর বেশি জ্বালাইলে বল সোজা করে দিবো
আমি- না কিছু না
.
.
পরে আমি কি করতে বাইরে গেলাম ।
অর্নব- এভাবে করলে কেনো ?
আমি- আপনি আমাকে টাচ করছেন কেনো?
অর্নব- কেনো প্রব্লেম কই আমি তো তোমাকে বারবার বলছি রাজি হও না কেনো ?
আমি- দেখুন আমি আগেও টাচ করা পছন্দ করতাম না তাই আপনার হাত অব্দি ধরি নাই এখন আরো করি না ।
অর্নব- এই জন্য রাগ হয় । এই যুগের হয়ে তোমার মাঝে এতো গ্রাম্য স্বভাব এমনি ছেড়ে গেছিলাম ।
আমি- আমি কি আপনাকে ফিরিয়ে নিছি ? আমি এমনি আর এ নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না
অর্নব- দুররর ইয়ার বুঝার চেষ্টা করো কাধে হাত দিয়ে
.
আমি জোড় করে সরিয়ে নিলাম ।
আমি- hey you listen don’t you dare to touch me i don’t like these kind of behaviour
অর্নব- প্লিজ
আমি- এসব টাচ আপনার জান্নাতের ভালো লাগতে পারে আমার না ওকে দূরে থাকুন আমার থেকে
.
আর কোনো কথা না শুনেই চলে আসলাম….
.
পিছনে দেখি অভি ভাইয়া দাড়িয়ে ।
.
অভি- আনহা
আমি- জ্বী
অভি- তোমার এক্স বিএফ কি এই অর্নব ?
আমি- হুম আপনি কিভাবে জানলেন ?
অভি- রাজ বলছিলো তুমি একজন কে ভালোবেসেছিলে সে নাকি তোমাকে ছেড়ে গেছে । তার উপর অর্নব এর ব্যবহার এতেই বুঝলাম ।
আমি- আমার না ওকে দেখলে ঘৃণা হয় । ওর প্রতি কোনো ফিলিং নাই আর তারপরেও ও কেমন ব্যবহার করছে ভিলেন ভিলেন টাইপ আমার একদম ভালো লাগছে না ।
অভি- হুম তোমাদের কথায় বুঝলাম । আমি কি ওকে থ্রেট দিবো ?
আমি- না থাক ওর মতো মানুষের সাথে কথা না বলাই ভালো
অভি- আচ্ছা এক কাজ করো তুমি যতক্ষন এখানে আছো একা থেকো না তাহলেই হবে
আমি- আচ্ছা
অভি- তা ম্যাডাম আপনি কি করছিলেন এখানে ?
আমি- ওইটাকে দেখছিলাম (হাত দিয়ে দেখিয়ে)
অভি- বিড়াল ?
আমি- হুম
অভি- বিড়াল ভালোবাসো ?
আমি- হুম বিল্লি ভালো লাগে
অভি- বাহ
.
.
চলবে…….

হঠাৎ_পাওয়া পর্ব_১

1

হঠাৎ_পাওয়া
পর্ব_১
Written by Avantika Anh
.
মা- তুই রেডি হস নি কেনো?
আমি- যাওয়ার ইচ্ছে করছে না
মা- কোনো কথা না তৈরি হয়ে নে
আমি- আচ্ছা
.
আশেপাশে সবাই আনন্দে মেতে কেনোই থাকবে না বিয়ে বাড়ি বলে কথা । আজ আমার এক কাজিনের বিয়ে । আসতেই হবে বলে আসা । আমি বাড়ির বাইরে খুব একটা আসা হয় না । বিয়ে বাড়ি বলে আম্মু কিছু টা জোড় করেই সাজিয়ে দিলো । নীল শাড়ি পড়েছি । এক সময় এই সব সাজা গোজা , শাড়ি পড়া টা অনেক শখের ছিলো । অর্নবের সাথে রিলেশনে থাকাকালে কতোই না স্বপ্ন বুনতাম । তার পছন্দমতো সাজা সব টাই ছিলো প্রতিদিনের কাজ । সে সব ভেঙ্গে যেদিন অন্য একজনের হাত ধরে গেলো সেদিন আমি কাঁদি নি । যারা জানতো রিলেশনের কথা তারা কিছুটা অবাক হয়েছিলো হবে নাই বা কেনো যে মেয়ে একটু তেই কেঁদে ফেলে সে কাঁদছে না কেনো । সেদিন অর্নবের সামনে খুব কেঁদেছিলাম কিন্তু আমার চোখের পানির চেয়ে তার কাছে একটা স্মার্ট এবং সুন্দর মেয়েকে ভালোবাসা বড় ছিলো ।
.
সেদিন বড্ড অবাক হয়েছিলাম যে অর্নব বলতো “আমার চোখের পানি তার সহ্য হয় না । সে কীভাবে এসব বললো” তারপর থেকে রোজা রাতে কাঁদতাম । এখন অনেকটাই নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি ।
.
একা দাড়িয়ে ছিলাম । বিয়ে বাড়িতে কেউ একা ছাড়ে না । সব কাজিন দের সাথে দাড়িয়ে আমিও গল্পে যোগ দিলাম । কিছু সময় পর গল্পের মাঝে একজনের সমাগম হলো । ছেলেটি আর কেউ নয় অর্নব । বরের কাজিন সে । আমি দেখে অবাক হই নি কিন্তু অর্নব ঠিকই অবাক হয়েছে । কারণ টা হলো ও কখনো ভাবেই নি আমার সাথে ওর দেখা হবে । আমি মেঘলাকে (ফুপাতো বোন) নিয়ে অন্য দিকে গেলাম । কোন এক কারণে মেঘলা অন্য দিকে গেলো । দেখলাম অর্নব আমার দিকেই আসছে । আমি অন্য দিকে যেতে লাগলাম ।
অর্নব- আনহা (ডাক দিলো)
আমি- জ্বী বলুন
অর্নব- আপনি করে বলছো যে
আমি- অপরিচিত দের আপনি বলাটাই শ্রেয় তাই না
অর্নব- আমি অপরিচিত?
আমি- ও না সরি ভুলে গেছিলাম আপনি তো বরের ভাই তাই না
অর্নব- এখনো রেগে ?
আমি- রাগবো কেনো ?
অর্নব- আসলে আমি ভুল করেছিলাম
আমি- আমার না কাজ আছে পরে কথা হবে
অর্নব- পালাচ্ছো ?
আমি- যা ই ভাবেন আপনার ব্যাপার
অর্নব- বদলে গিয়েছো
আমি- যেমন?
অর্নব- আগের থেকে সুন্দর কিন্তু বাচ্চার মতো স্বভাব টা আর নেই ।
আমি- মানুষ কে বদলাতে হয় । নাহলে তার থেকে ভালো কাউকে পেলে তার প্রিয় মানুষ গুলো তাকে ছেড়ে চলে যায় ।
অর্নব- সরি
আমি- সরির কিছু নেই বাই ।
.
চলে আসলাম । জানি কথা বাড়ালে আবার এক মায়ায় জড়াবো কিন্তু আর কোনো মিথ্যে সম্পর্কে জড়াতে চাই না । এক সময় যাকে সবটা দিয়ে ভালোবাসলাম সে-ই যখন ধোঁকা দিলো আর মায়া চাই না ।
.
একা বসে ছিলাম । ভালো লাগছিলো না তাই গেম খেলছিলাম । কে জানি পাশে এসে বসলো । তাকালাম না ।
.
পাশের লোকটি- মানুষ এখন মজা করছে আর আপনি বসে আছেন আর গেম খেলছেন ।
.
আমি তাকিয়ে দেখি ওটা আর কেউ না অর্নব ।
আমি- ভাই আপনার কি হয়েছে ?
অর্নব- আমি তোমার ভাই কবে হলাম ?
আমি- যেদিন জান্নাতের হয়েছিলেন সেদিন । তা বিয়ে হলো আপনাদের ?
অর্নব- জান্নাত একটা শিল্পপতির ছেলেকে বিয়ে করে ফেলেছে ।
আমি- ও খুব ভালো । জান্নাতও আপনার মতোই । এখন আমাকে গেম খেলতে দেন
অর্নব- আনহা আমাকে কি আরেকটা সুযোগ দেওয়া যায় না ?
আমি- নিশ্চুপ
অর্নব- কিছু বলো
আমি- শুনুন আমি এসবে আর জড়াতে চাই না
অর্নব- আচ্ছা
.
.
আমি উঠে আসলাম….
রাজ ভাইয়া- কি রে ছেলে পছন্দ নাকি?
আমি- আরে না
রাজ ভাইয়া- হুম দেখি দেখি
আমি- বেশি বকলে তোমার গফ রে কমু তুমি বিয়াতে ২ টা মাইয়ার লগে টাংকি মারছো ।
রাজ ভাইয়া- হারামি আইচ্ছা কমু না । বইন শুন তোরে না
আমি- কি
রাজ ভাইয়া- আমার এক বন্ধু পছন্দ করছে ওইটা কথা বলবি?
আমি- দুরর না একদম না আমি এসবে একদম ইন্টারেস্ট না
রাজ ভাইয়া- হুহ সব না তোর বিয়া যার লগে হইবো বেচারা সারা জীবন না না শুনবো
আমি- তোরে কইছে আমি অনেক রোমান্টিক
রাজ ভাইয়া- ওমা গো তাই নাকি তাইলে কথা বল ওর লগে
আমি- ভাবির নাম্বার ০১৭…………. এটা না
রাজ ভাইয়া- না না কথা বলা লাগবে না যা বইন তুই যা
আমি- আইচ্ছা
.
.
আমি গেলাম বউ এর কাছে । রাজ ভাইয়া তার বন্ধুর কাছে গেলো ।
অভি- কি রে রাজি হলো ?
রাজ- না
অভি- হালা কোনো কাজের ই না তুই ।
রাজ- দুর হ তাও তো আমি যাইয়া কইলাম । ওয় আমার বোন তাও তোর কথা শুইনা ওরে কইলাম ওয় রাজি হয় না । শুন তোর ব্যাপার তুই দেখ ।
অভি- ওকে বস আমিই দেখবো । সব ঠিক ঠাকলে জ্বলদি তুই আমার শালা হবি
রাজ- আগে পটা আমার বোন রে
অভি- যাস্ট ওয়েট এন ওয়াচ ।
রাজ- তোর প্রতিদ্বন্দীও আছে ওই যে ওই ছেলেটা নাম অর্নব ।
অভি- ব্যাপার না আমি দেখে নিবো । তুই যাস্ট একটা কাজ কর কোনো মতে ওরে একা করে দে
রাজ- ওকে বস ।
.
.
কিছু সময় পর রাজ ভাইয়া আসলো আর কি একটা আনতে বললো চাচির কাছে থেকে । আমি গেলাম ।
.
গিয়ে দেখি ওখানে কেউ নাই ।
আমি ফিরে আসছিলাম ।
অভি- আনহা
আমি- জ্বী
অভি- আসলে কিভাবে বলবো ভাবছি
আমি- আমার উত্তর না
অভি- বাট কেনো ?
আমি- এসব ভাল্লাগে না আর আমি এমনে এখনো ছোট
অভি- হায় রে পিচ্চি
আমি- হুম । নাইস টু মিট ইউ ভাইয়া আমি এইবার ভাগলাম ।
.
তাড়াতাড়ি পালাইলাম । ওইহানে যাইয়া রাজ ভাইয়ারে কইলাম ।
আমি- ভাবি রে আজ কি বলি দেখিস । কই পাঠাইছিলি ।
রাজ- সরি
আমি- হুহ
রাজ- বইন বলিস না
আমি- হুহ
রাজ- ও বইন
আমি- আচ্ছা আচ্ছা ।
.
কিছু সময় পর অর্নব জিজ্ঞেস করলো “কই গেছিলা?”
আমি- যেখানেই যাই আপনাকে কি বলে যেতে হবে ?
অর্নব- না মানে ।
.
কিছু না বলে চলে আসলাম । অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলো আমি বাড়ি ফিরবো এমন সময় কে জানি হাত ধরলো ।
.
সে আর কেউ না অর্নব।
আমি- হাত ছাড়ুন প্রব্লেম কি আপনার ?
অর্নব- আনহা আমি তোমাকে আবার আমার লাইফে ফিরে চাই
আমি- আমি চাই না
অর্নব- একটা সুযোগ দেও প্লিজ
আমি- না মানে না
.
কই থেকে অভি ভাইয়া আসলো ।
.
অভি- আনহা কোনো প্রব্লেম নাকি ?
আমি- না
অর্নব- আনহা একবার ভাবো
আমি- না না না
অর্নব- কিন্তু
অভি- ওই ব্যাটা জ্বালাস কেনো ওরে
অর্নব- আপনি বলার কে
অভি- ওর ভাই এর বন্ধু
অর্নব- তো
আমি- চুপ কোনো কথা না আমি গেলাম আর আমার উত্তর না ই আর না জ্বালালে হ্যাপি হবো । অভি ভাইয়া আপনিও চলুন
অভি- ওকে
.
কিছু না বলে চলে আসলাম….
.
(কাল্পনিক গল্প)
চলবে….

ঝগড়াটে_ভালোবাসা _৭_এবং_শেষ_পর্ব

0

ঝগড়াটে_ভালোবাসা
_৭_এবং_শেষ_পর্ব
Written by Avantika Anh
.
পড়ায় মন বসছে না তবুও পড়তেছি…
শুভ এসে আমার পাশে বসলো, ওর দিকে একবার তাকিয়ে আবার পড়ায় মন দিলাম। শুভ আমার আরো কাছে চলে আসছে…
আমি- এই তোর সমস্যা কি হে? পড়তে না বসলে ঘ্যানঘ্যান করিস আবার এখন পড়তে বসার পরেও শান্তি মতো পড়তে দিচ্ছিস না।
শুভ- হিহিহি…
আমি- ওই কুত্তা একদম হাসবি না, তোর জন্য আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল। কত ইচ্ছা ছিল একটা রোমান্টিক জামাই পামু, আর পাইছি তোর মত একটা খাটাশ জামাই..এ্যাএএএ..(আবেগে কান্না আসতেছে)
শুভ- আমার ও তো একই অবস্থা,কত ইচ্ছা ছিল একটা পরীর মত বউ পামু। কিন্তু আমার কপালে কি জুটলো? তোমার মত একটা পেত্নি ছি ছি ছি.. কি বাজে কপাল আমার।
আমি- হিহিহি, তুই পাবি পরীর মত বউ? আরে তোরে তো এলাকার সবচেয়ে বুড়ি ফকিন্নি টা ও বিয়ে করতে আসবে নাহ..
শুভ- ওই মাইয়া, কথা না বলে পড়তে বসো নয়তো আম্মুর কাছে বিচার দিবো বলে দিলাম।
আমি- যা ভাগ তো এখান থেকে, নয়তো আম্মুর কাছে আমি বিচার দিমু। বলবো তুই আমাকে পড়তে দিচ্ছিস না।
শুভ- এহহহ.. পড় আমি গেলাম।
.
শুভ চলে গেল। আমার ও পড়তে একটু ও ভালো লাগছে না,ঘুম পাচ্ছে খুব। দরজা আটকে দিয়ে শুয়ে পড়লাম ,নয়তো শয়তান টা এসে আবার জালাবে।

উফফফ, রাতে ঘুম টা খুব ভালো হলো কিন্তু চোখ খুলতে মন চাইতেছে না ইচ্ছে করতেছে আরেকটু ঘুমাই। কিন্তু এতো ঠান্ডা লাগতেছে কিনু? হায় হায় আমার বিছানা সহ শরীর ভিজা কিনু? উঠে দেখলাম শুভ ওর মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি- এই তুই আমাকে পানি দিয়ে ভিজালি কেন?
শুভ- এহহহ, আমি ভিজাই নি। হয়তো তুমি বিছানায় হিসু করে দিয়েছো… ছি ছি ছিইইই,, আম্মুউউ তোমার বউমা..(বলে চিৎকার শুরু করে দিল শুভ)
আমি- এই তুই থামবি? বল আমার গায়ে পানি দিলি কেন?
শুভ- কেন আবার? জামাই ঘুম থেকে উঠে গেলে বউদের আর ঘুমাতে নেই তাই পানি দিলাম।
আমি- হুররর,কিসের জামাই আর বউ? এই তুই আমার রুমে কিভাবে আসলি? আমিতো দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়েছি যেন তুই না আসতে পারিস।
শুভ- হেহেহে,রাতেই এসেছিলাম জানালা দিয়ে। আর তোমার সাথে ও একই বিছানায় ছিলাম।
আমি- এ্যাএএএ…
শুভ- এ্যা না হ্যা, যাও গোসল করে নাও।
আমি- আল্লাগো আমার সব শেষ হয়ে গেল গো… আম্মুউউউ
.
মামনি- কি হয়েছে রে আনহা?
আমি- না মামনি কিছুনা।

গোসল করতে চলে আসলাম, শুভ শয়তান টা তো অর্ধেক গোসল খাটেই পানি দিয়ে করিয়ে দিলো। এর প্রতিশোধ আমিও নিমু…
.
নাস্তা করে রুমে এসে বসে আছি, শুভ ও রুমে আসলো…
শুভ- রেডি হয়ে নাও।
আমি- কেন রেডি হমু, আমারে বাড়ি পাঠাই দিবি নাকি?
শুভ- না,এখন ঘুরতে যামু দুজনে।
আমি- উহু, না আমি যামু না।
শুভ- পাচ মিনিট টাইম দিলাম রেডি হতে, নয়তো কিস করমু কিন্তু…
আমি- যা ভাগ তো এখান থেকে।
.
রেডি হয়ে গেলাম অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই, ঘুরতে যেতে যে আমার ও ভালো লাগে..।

সারাদিন অনেক ঘুরলাম,খুব ভালো ও লাগছে কিন্তু এই শুভ শয়তান টা আমার দিকে বারবার তাকিয়ে থাকে। নিজেরে কেমন জানি ভূতনি মনে হইতেছে নয়তো এভাবে কেউ তাকায় থাকে?
আমি- এই তুই ওই দিকে তাকা,আমার দিকে একদম তাকাবি না।
শুভ- তোমার মত পেত্নির দিকে আমি তাকাবো? হাসালি হা হাহা..
আমি- কিইইই.. থাকুম না আর তোদের বাড়িতে,আজই আমাদের বাড়ি চলে যাবো।
শুভ- হুম আজই তোমাকে তোমাদের বাড়ি দিয়ে আসার জন্যই ঘুরতে আসছি,এখন সোজা তোমাদের বাড়ী যাবো বঝলে?
আমি- এ্যাএএ.. না আমি যামু না।
শুভ- সামনে তোমার পরীক্ষা তাই এখন মন দিয়ে পড়তে হবে বুঝলে? তাই এখনি তোমাকে যেতে হবে।
আমি- হুহ, কিন্তু আমার বই?
শুভ- সেগুলো আমিই দিয়ে যাবো।
.
বাড়ি চলে আসলাম, শুভ নিজেই আমাকে নিয়ে এসেছে….
আমি- বাড়ি আসার সময় তো আমার সামনেই আসতি না আর আজ বাসায় দিয়ে যাচ্ছিস?
শুভ- হিহি, বউ বলে কথা।
আমি- হইছে, যা ভাগ তো…

পরেরদিন শুভ আমার বইগুলো ও দিয়ে গেল। আমিও মন দিয়ে পড়ছি কারন এক্সামের আর বেশিদিন নেই। শুভ ও আমাদের বাড়িতে আসে না, আমার পড়ায় সমস্যা হবে তাই হয়তো। না আসুক তাতে আমার কি হুহ… কিন্তু আমি যে ওই ভুত টাকে মিস করতেছি, ধুররর মিস করতাম কেন? শুভ আবার কেডা?

পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কিভাবে যে দিনগুলো কেটে গেল নিজেও বুঝতে পারিনি। কাল থেকে এক্সাম শুরু,সবার থেকে দোয়া চেয়ে নিলাম।
পরীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হতেই দেখলাম শুভ বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমিও কিছু না বলে দাঁড়িয়ে আছি….
শুভ- কি উঠবে না নাকি?
আমি- হুম।
আজ দুজন এর কেউ ই কথা বলছি না,আমার মাথায় এক্সামের টেনশন কাজ করছে কিন্তু শুভ কথা বলছে না কেন? হুররর কি জানি? বললে বলুক না বললে নাই,আমার কি!
মিমি- কি রে আনহা, ছেলেটা কে রে? খুব হ্যান্ডসাম তো.. তোর বফ নাকি?
আমি- ধুররর, আমার খালাতো ভাই।
মিমি- খুব ভালো লাগছে রে, আমাকে ওর সাথে প্রেম করাই দে না।
আমি- হুসসস, একদম চুপ। আমার জামাই ও, বিয়ে হয়ে গেছে আমাদের।
তারপর আর সায়মা কিছু বলেনি।
.
ঠিক এভাবেই কেটে যাচ্ছে আমার পরীক্ষার দিনগুলো। শুভ ও আমাকে সবকিছুতেই হেল্প করছে। এভাবে এক এক করে সব পরীক্ষা ই শেষ হয়ে গেল।
পরীক্ষা শেষ এ আবার শুভদের বাসায় চলে আসলাম। রুমে বসে আছি,কিছু ভালো লাগছে না। শুভ আমার রুমে আসলো….
শুভ- আসো কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি।
আমি- না আমি তোর সাথে যামু না।
শুভ- পাচ মিনিট টাইম দিলাম,নয়তো…
আমি- হইছে হইছে থাম এবার,রেডি হচ্ছি..(শুভকে থামিয়ে বললাম)
.
অনেক্ষন ধরে আমি পার্কে একা বসে আছি, সাথে শুভ ও এসেছে কিন্তু একটা মেয়ের সাথে কি যেন বলেই যাচ্ছে। খুব রাগ হচ্ছে আমার, মন চাইতেছে শুভ টারে আমি কাচাই চিবাইয়া খাই।
– মেয়েটা কে?(শুভ আসতেই আমি বললাম)
শুভ- আমার বান্ধবী, অনেক দিন পর দেখা।
আমি- ওহহহ..(চুপ করে বসে রইলাম)
শুভ- কি মন খারাপ?
আমি- নাহহহ…
শুভ- আসলে আমি না ওই মেয়েটার সাথে আগে প্রেম করতাম।
আমি- কিইইইই?
শুভ- আরে মিছা কথা,তোমাকে রাগানোর জন্যই বলছি। আসলে এতক্ষন ইচ্ছা করেই আমি কথা বলছিলাম ওর সাথে।
আমি- যা তুই তোর ওই মেয়ের কাছেই যা। এখানে কি হুহ…
শুভ- এখানে ঘুরতে আসছি কেন জানো?
আমি- হুম, ওই মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য…
শুভ- না, কাল আমি বিদেশ চলে যাচ্ছি।
.
শুভর কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল, বাইরে চলে যাবে ও। আর কিছু না বলে দুজন বাড়িতে চলে আসলাম।

শুভ ও বিদেশ চলে গেল। এখন আমি শুভদের বাসাতেই থাকি মামনির সাথে। সব কাজে প্রায় হেল্প করি মামনি কে…
.
শুভ বিদেশ গেছে কয়েকমাস হয়ে গেল, মাঝেমধ্যে কথা হয় ওর সাথে। আমার পরীক্ষার রেজাল্ট দিলো, খুব ভালো ই মার্কস পেয়েছি শুভর হেল্প করার জন্য। শুভ আমার রেজাল্ট শুনে খুবই খুশি হয়।

শুভ বিদেশ গেছে প্রায় অনেকদিন ই হয়ে যাচ্ছে। বছর পূর্ণ হতে আর বেশি দেরী নেই।
ছাদে বসে আছি, তখনি শুভর কল….
আমি- কি রে কেমন আছিস?
শুভ- ভালো,তুমি কেমন আছো?
আমি- ভালো, কি করিস? (নিজে থেকেই প্রশ্ন করে যাচ্ছি)
শুভ- আমার যে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওই হবু বউ এর সাথে কথা বলছিলাম এতক্ষন, তুমি কি করো?
আমি- আমি জাহান্নামে নাচতেছি,তুমি ফোন রাখ। থাক তোর ওই মেয়েকে নিয়ে….
বলেই কল কেটে ফোন অফ করে দিলাম। ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলা! কত সাহস ওর….
কয়েকদিন ধরে কথা হচ্ছে না শুভর সাথে। হবে কি করে আমার ফোন তো অফ করে রাখছি, না আর কথা কমু না ওর সাথে। কিন্তু যত ভাবছি ওর সাথে কথা বলবো না কেন জানি ততই মিস করতেছি ওকে। হিহি হয়তো ভালোবেসে ফেলেছি ওই ভূতটাকে।
.
মন খারাপ তাই রুমে বসে আছি তখন মামনি ও রুমে আসলো….
মামনি- আনহা,পরশু শুভ দেশে ফিরবে।
আমি- সত্যিইইই? (খুশিতে লাফিয়ে উঠলাম)
মামনি- খুব খুশি হলে বুঝি?
আমি- নাহ, তোমার ছেলে আসবে তাতে আমার কি হুহ…
মামনি- তাই নাকি
আমি- হুম আমাকে তো ভুলেই গেছে । ওখানে সুন্দর সুন্দর মেয়ে দের দেখে । আমার কথা মনে পড়ে নাকি ওই বান্দরের ?
শুভ- তাই নাকি
আমি- হুম তাই তাই {এ্যা ছেলের ভয়েস মামনির ভয়েস বদলে গেলো কেমনে । বাবাও (শুভর বাবা) তো বাড়িতে নাই । তাইলে কি শুভ }
.
পিছনে ঘুরে দেখি শুভ ই….
.
শুভ- তা মা তোমার বউমা দেখছি আজকাল রাগী হয়ে গেছে ।
মামনি- হুম হবে না কেনো ? বউমা কার ?
শুভ- এতোদিন পর আসলাম কই একটু পানি দিবে তোমার বউমা তো হা করে আছে ।
মামনি- আনহা ওই আনহা
.
(আমি শকড । কারণ এতোদিন পর আসছে আর দিন দিন হ্যান্ডসামও হইছে )
আমি- হুম বলো
মামনি- ওকে খাবার দে
আমি- ওকে
.
রাতে খাবার টেবিলে….
শুভ- বউ একটু খাওয়ায় দেও
আমি- এ্যা
মামনি- হুমম দে খাওয়ায়
শুভ- এইতো আম্মুও বলছে দে
.
কি আর করার খাওয়ায় দিচ্ছিলাম । হঠাৎ কামড় দিলো ।
আমি- আম্মুউউউউউ
মামনি- কি হইছে ?
আমি- কামড় দিছে এই হালা
মামনি- শুভ এটা কি
শুভ- সরি ওর হাতে সব এতো ভালো লাগে ভুলে দিয়ে ফেলছি
আমি- ওই তোমার শরীর ঠিক আছে ? এইরাম করছো কেন ?
শুভ- হেহে সব ঠিক
.
খাওয়া শেষে….
রুমে ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছিলাম ঘুমানোর জন্য । শুভ ফ্রেশ হয়ে এসেই জড়িয়ে ধরলো আমাকে পিছন থেকে ।
আমি- আম্মুউউউউউ ( ভয় পেয়ে চিল্লাতে ধরছি )
.
কিন্তু শুভ হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলো ।
কিছু সময় পর মুখ ছেড়ে দিলো ।
.
আমি- এটা কি করিস ?
.
শুভ আঙ্গুল দিয়ে চুপ হতে বললো । আমি চুপ করে গেলাম । শুভ তাকিয়ে আছে ।
আমি- ওই তোমার কি হইছে এমন করছো কেনো ?
শুভ- আই লাভ ইউ
আমি- এ্যা
শুভ- ওই আর ঢং করবি না ।
আমি- আমি কি করলাম ?
শুভ- আমাকে ভালোবাসিস তো বলিস না কেনো‌?
আমি- কে কইলো তোমর মতো বান্দর কে আমি ভালোবাসবো ?
শুভ- বাসিস তো
আমি- প্রমাণ কই ?
শুভ- মেঘ বালক কে বলছিস তুমি
আমি- তুমি কেমনে জানলা ?
শুভ- ওইটা তো আমি
আমি- চিটার
.
বলেই ওরে কিল ঘুষি মারা শুরু করলাম । শুভ ওই থাম নইলে তোরে আমি কিস করুম উঠেই ।
আমি ছেড়ে দিলাম ।
শুভ- তুই এটাকে এতো ভয় পাস কেনো ?
আমি- জানি না বাট এমনেই
শুভ- দ্বারা তোমার ভয় ই আজ আমি দুর করবো
আমি- কেমনে
.
আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই শুভ আমাকে কিস করে বসলো । তারপর
.
আমি- ভ্যা ভ্যা ভ্যা
শুভ- কাঁদিস কেন ?
আমি- তুমি কি করলা এটা কেনো কেনো কেনো ?
শুভ- আমি করুম না তো কে করবে
আমি- তা ঠিক কিন্তু
শুভ- চুপ
আমি- কি হইলো
শুভ- আর লুকালুকি না । শুনো সেই ছোট বেলা থেকে তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু তুমি সিরিয়াস নেও না । এতোটা ভালোবাসি জানো না তুমি । তোমাকেই বউ মেনে গেছি আমি চিরকাল ।
আমি- তো এতো মেয়ের সাথে টাংকি মারো কেনো ?
শুভ- তোমাকে জ্বালাতে
আমি- বিয়ে তো করতে লাফাচ্ছিলা অন্য মেয়ে কে
শুভ- বিয়েটা নাটক ছিলো । আসল বউ তুমি ই ছিলা । আসলে কোনো বউ ই ছিলো না । সব শুধু তোমার সামনে নাটক ছিলো । সবাই জানতো । তোমাকে প্রথমে বললে মানতে না তাই এতোকিছু ।
আমি- এ্যা
শুভ- হুম
আমি- তা বুঝলাম কিন্তু আমার সাথে খারাপ ব্যবহার কেনো‌?
শুভ- একটু রেগে ছিলাম আর একটু নাটক ছিলো ওটা ।
আমি- কিন্তু আমি কি করছি যে রাগ ?
শুভ- তুমি যখন চলে যাও আমার খুব কষ্ট হয় সে বার অনেক কষ্ট হইছিলো তাই রাগ ।
আমি- মেঘ বালিকা কে ?
শুভ- আমার সবকিছুতে শুধু তুমি আই এম সিরিয়াস আই লাভ ইউ
আমি- আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি ।
শুভ- তো বলো না কেন ?
আমি- সাহস ছিলো না
শুভ- বান্দরনি
আমি- তুমিও বান্দর
শুভ- আহা বান্দর ফ্যামিলি
আমি- হুম
শুভ- তা মিনি বান্দর আরো আনা যাক
আমি- ইইই লুইচ্চা
শুভ- হেহে
.
.
.
…………সমাপ্ত…………..
কাল্পনিক গল্প

ঝগড়াটে_ভালোবাসা _পর্ব_৬

0

ঝগড়াটে_ভালোবাসা
_পর্ব_৬
Written by Avantika Anh
কিছু সময় পর মামনি এসে আমাকে হলুদ মাখাতে লাগলো ।
.
আমি- আমাকে দিচ্ছো কেনো ? তোমসর ছেলেকেই দেও
মামনি- আরে তোকে না মাখালে হয় ?
আমি- কেনো আমার মাখলে কি ? বিয়ে কি আমার হচ্ছে নাকি তোমার খাটাস ছেলের হচ্ছে ওকেই মাখাও ।
মামনি- হাহা আগে তোকে তো মাখাই
.‌
.
মামনি আমাকে হলুদ মাখিয়ে দিলো ।
.
আমি- এতো হলুদ কেনো ? আমাকে কি হলদি হলদি বানাবা ?
মামনি- হুম
.
.
মামনি চলে গেলো ।
.
আমি কিছু সময় পর হলুদ ধুয়ে ফেললাম ।
.
তারপর ছাদে গিয়ে বসলাম । চুপচাপ বসে ছিলাম মন খারাপ লাগছিলো তাই ।
.
হঠাৎ কে যেনো আমার চোখ বেঁধে কি জানি নাকের কাছে ধরলো । তারপর আর কিছু মনে নাই । যখন চোখ খুললো প্রায় রাত । আমার হাতে পায়ে আর মুখে হলুদ লাগানো কিন্তু কীভাবে কিছুই বুঝলাম না । কিন্তু আমি এইখানে কেমনে ? আমি শকড্ হয়ে আছি । এ্যা বাড়িতে ভুত আইলো কই থেইকা ?
.
ভয়ে দৌড় দিলাম বাইরে শুভ ভাইয়া ছিলো ।
আমি- ভাই বাড়িতে ভুত আছে
শুভ- জানি তো ভুত আছে ।
আমি- তোরেও কিছু করছে ?
শুভ- তোর থেকে বড় ভুত আর কে ? বান্দরের মতো তো দেখতে আরো হলুদ মাখে পেত্নি সাজছিস ?
আমি- না আমি না
শুভ- চুপ যা এখান থেকে আমি ফোনে কথা বলবো ।
আমি- আচ্ছা
.
.
চলে আসলাম । কিছুদিন ধরে শুভ ভাইয়ার ব্যবহার আমাকে এতো পরিমাণ কষ্ট দিচ্ছে যা আমি কান্না ছাড়া আর কোনোভাবে প্রকাশ করতে পারছি না ।
.
ফেসবুকে……
মেঘ বালক- কি ম্যাডাম কি খবর ?
আমি- ভালো আপনার?
মেঘ বালক- হুম ভালো মন খারাপ নাকি?
আমি- হুম
মেঘ বালক- কেনো৤?
আমি- আছে কোনো কারণ
মেঘ বালক- ম্যাডাম যা দেখা যায় তা সবসময় সত্যি না মনে রাখবেন‌।
আমি- আচ্ছা গুড নাইট
মেঘ বালক- ওকে
কালকের দিন হয়তো আপনার লাইফে ধামাকা আনবে দোয়া করি ।
আমি- ওকে বাই
মেঘ বালক- বাই
.
পরেরদিন সকাল থেকে হইচই বিয়ে বাড়ি বলে কথা ।
.
মামনি- আনহা রেডি হ
আমি- আমি এখনি কেনো?
মামনি- হইতে বলছি হ আর শুন পার্লারে যা
আমি- এ্যা ওখানে আমার কি কাজ ?
মামনি- যা বলছি কর আর শুন সেখান থেকে সোজা এই ঠিকানায় আসবি সবাই ওখানে যাবো সোজা আর এই লেহেঙ্গা টা পড়িস ( নীল রঙ্গের একটা লেহেঙ্গা )
আমি- এতো কাজ কেনো এইটায় ?
মামনি- পড়তে বলছি পড় এতো কথা কেনো ? শুন পার্লারওয়ালি কে বলা আছে বুঝলি ?
আমি- আচ্ছা আচ্ছা বুঝছি ।
.
.
পার্লারে….
সাজানো শেষে….
নিজেকে দেখে বলি এ কেমন সাজ ? আমি তো বউ না এতো কিনু ?
আমি- আপু আপনি একটু বেশিই সাজিয়ে ফেলছেন আমি তো বউ না
পার্লারওয়ালি- আজকাল এটাই ভালো । আমাকে এইভাবেই সাজাতে বলা হয়েছে ।
আমি- আচ্ছা
.
.
রেডি হয়ে ওই জায়গায় গেলাম । গিয়ে দেখি সবাই কেনো যেনো নিরব ।
আমি মামনির কাছে গেলাম ।

.
আমি- মামনি কি হইছে এখানে সব ?
মামনি- বউ পালাইছে
আমি- এ্যা কেনো ? কখন?
মামনি- জানি না এখন যে কি হবে আমাদের সম্মান । কে বিয়া করবে ?
.
খালু- আনহা তোর কাছে একটা জিনিস চাবো ?
আমি- বলো খালু
খালু- তুই শুভ কে বিয়ে করে ফেল ।
আমি- কিইইইই ?
খালু- আজ অব্দি কিছু চাই নাই । এটা কর মা ।
.
না ভেবেই রাজি হয়ে গেলাম । কারণ তারা‌ আমার জন্য অনেক করেছে । শুভ ভাইয়াও কিছু বললো না । বিয়েটা হয়ে গেলো । সবাই খুশি । কিন্তু আমি চুপচাপ ।
.
.
বাসরে….
শুভ এলো….
আমিও নিশ্চুপ শুভও ।
শুভ- তোর এক্সাম কবে রে ?
আমি- ২ মাস পরে ।
শুভ- আজ তো ধকল গেলো কাল থেইকা পড়া শুরু বুঝলি ।
আমি- হুম
শুভ- বউ পা টিপো তো
আমি- কি ?
শুভ- হ পা টিপ
আমি- দুর হ
শুভ- হেহে কই যামু বিয়া তো হইয়া গেলো
আমি- তো কি
শুভ- হুর যা ঘুমা
আমি- হ গুড নাইট
শুভ- হ ভাগ‌
.
সকালে….
শুভ- ওই উঠো
আমি- কে রে ?
শুভ- ওই হারামি উঠে পড় নতুন বউ তুই মনে নাই ।
আমি- কে বউ কার বউ? ( ঘুমেই )
শুভ- আমার বউ
আমি- ও
.
মাথায় ঢুকলো কথাটা আর ঢুকতেই….
আমি- কয়টা বাজে ?
শুভ- বেশি না ভোর ৫ টা
আমি- ও নামায পড়ুম ওয়েট
শুভ- আমিও পড়বো ।
.
.
নামায শেষে….
আমি কাপড় নিয়া বাথরুমে যাচ্ছি ।
শুভ- কি হলো কই যাও ?
আমি- গোসলে
শুভ- ও
আমি- বিয়ে কইরা বাঁশ সকাল সকাল গোসল ।
শুভ- হেহে বুঝো ঠেলা
আমি- হাসবি না হাসলে পিডাম
শুভ- পিডাইলে পাপ হইবো পাপ মুই না তোর বর
আমি- হুরররর
শুভ- যা যা গোসল কর
.
গোসল শেষে গেলাম রান্না করতে…..
.
মামনি এসে….
মামনি- এ আমি কি দেখি ?
আমি- কি ?
মামনি- তুই রান্না করতেছিস ?
আমি- হুম বউ হইছি রান্না লাগবে না বুঝি
মামনি- তুই এমন সংসারি হয়ে যাবি জানলে আগেই বিয়া দিতাম ।
আ‌মি- কি যে কও
.
দুপুরে…
আমি রুমে বসে গেম খেলছিলাম । কে জানি আইসা ফোন কেড়ে নিলো ।
আমি- কে ?
শুভ- সামনে পরীক্ষা আর গেম খেলা ।
আমি- ফোন দে
শুভ- যা পড়তে বসো
আমি- বসবো না কি করবি?
শুভ- মামনি কে বলে দিবো
আমি- আমিও কমু যে তুই আমারে মারছোস
শুভ- মিছাবাদী আচ্ছা আরেকটা উপায় আছে
আমি- কিতা ?
শুভ- এক থেকে দশ গুণবো এর মাঝে যদি পড়তে না যাও আমি তোমাকে কিস করবো ।
আমি- ( কি কইলো এইটা ) যাচ্ছি
.
.
জ্বলদি পড়তে বসলাম ।
শুভ হাসতে লাগলো ।
.
শুভ- ভালো করে পড়ো
আমি- আচ্ছা
.
চলবে…..

ঝগড়াটে_ভালোবাসা _পর্ব_৫

0

ঝগড়াটে_ভালোবাসা
_পর্ব_৫
Written by Avantika Anh
.
রাতের শুভ ভাইয়ার ব্যবহারে খুব খারাপ লাগছিলো, খুব কান্না ও পাচ্ছে। শুভ ভাইয়া কেন আমার সাথে এরকম।করছে তা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি তা নিজেও বুঝতে পারিনি।
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে ছাদে গিয়ে দেখি শুভ কার সাথে যেন কথা বলছে….
আমি- কি রে বিয়ের আগে বউ এর সাথে এতো কথা কিসের?হুহ
শুভ-আমি আমার ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলছি,আর আমি আমার বউয়ের সাথে কথা বললে তোর কি হে?
আমি- এ্যা এ্যা.. (কান্না শুরু করলাম)
শুভ- ওই তো পেন-পেনানি বন্ধ কর তো, ভাল্লাগে না এসব।
আমি- ধুররর…
বলেই চলে আসলাম ছাদ থেকে, জানিনা কেন শুভ এরকম করছে আমার সাথে।
.
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আসলাম। দেখি শুভ ভাইয়া নাস্তার টেবিলে বসে নেই…
মামনি- কি রে আনহা খাচ্ছিস না কেন?
আমি- হুম খাবো, আচ্ছা মামনি শুভ ভাইয়া কোথায়?
মামনি- ও তো নাস্তা করে চলে গেছে।
মামনির এই কথায় আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল, শুভ ভাইয়া তো আমাকে ফেলে কখনো নাস্তা করেনি! তাহলে এখন এমন করছে কেন?কি খাইলাম আর না খাইলাম কিছুই মনে নেই,উঠে চলে আসলাম নাস্তার টেবিল থেকে।

“কি রে ভাইয়া এতো সেজেগুজে কোথায় যাবি? “
শুভ ভাইয়ার রুমে গিয়ে দেখি ও কোথাও যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে তখন বললাম।
শুভ- যেখানেই যাই তোর সমস্যা কি হে?
আমি- বলবি না?
শুভ- না বলবো না, ভাগ তো এখান থেকে।
আমি- মামনিইইই?
শুভ- আমি শপিং করতে যাচ্ছি, কিছু দরকারি জিনিস কিনতে হবে।
আমি- এতক্ষন বলিসনি কেন? আমিও যাবো রে, ফুচকা ও খাবো..হিহিহি।
শুভ- না, আমি নিতে পারবো না। পারলে তুই একা যা, যা তো এখান থেকে।
শুভর এরকম কথা শুনে খুব খারাপ লাগছে, কেন যে এরকম করছে আমার সাথে? আগে তো এরকম করতো না! আমি কিছু না বলে চুপচাপ বসে রইলাম।
মামনি- কি রে আনহা আমাকে ডাকছিলি কেন?(আমার ডাক
শুনে এসেছে হয়তো)
আমি- মামনি দেখো না, শুভ ভাইয়া শপিং করতে যাচ্ছে কিন্তু আমাকে নিয়ে যাচ্ছে না।
শুভ- আম্মু আমি ওকে নিয়ে যেতে পারবো না আগে থেকেই বলে দিলাম।
আমি- ভ্যাএএএ…(একটু কান্নার ভান করলাম)
মামনি- আনহা কে তুই তো নিয়েই যাবি, তোর ঘার ও নিয়ে যাবে।
মামনির কথা শুনে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো শুভ। আমি জানি মামনির কথা কখনো অমান্য করে না ও।
.
দুজনই রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলাম..
আমি- কি রে বাইক নিচ্ছিস না কেন?
শুভ- আমার মন চাইছে তাই। তোর কোন সমস্যা?
আমি- হুহ সমস্যা কতদিন ধরে তোর বাইকে চড়ি না, বাইক টা ও নে না প্লিজ..
.
আমি আর শুভ যাচ্ছি বাইকে করে শপিং করার উদ্দেশ্যে। দুজনই চুপ করে আছি,কারোর মুখে কোন কথা নেই। কিছুক্ষন যাওয়ার পর দেখলাম রাস্তার।পাশে একটা ফুচকার দোকান। শুভ থামবে না তাই ওকে কাতুকুতু দিলাম।
শুভ- এই কাতুকুতু দিলে কি বাইক চালানো যায়?
আমি- না চালাতে পারলে একপাশে থামা।
শুভ- না, অনেক কাজ আছে থামানো যাবে না।
শুভ বাইক থামাবে না তাই কাতুকুতু দেয়া আরো বাড়িয়ে।দিলাম।
শুভ- তোর সমস্যা কি হে?(এবার বাইক থামালো)
আমি- দেখছিস না? ফুচকার দোকান।
শুভ- আমি খাবো না,তুই খা যা।
আমি- তোরে খাইতে বলছে কে? আয় তো আমার সাথে।
একপ্রকার জোর করে নিয়ে গেলাম ফুচকার দোকানে।
আমি- মামা দুই প্লেট ফুচকা দেন তো। (দোকানদার কে বললাম)
শুভ- দুই প্লেট কেন? বললাম না আমি খাবো না।
আমি- তুই খাবি সাথে তোর বউ ও খাবে। ( হায় হায় কি বললাম?)
শুভ রাগি লোক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ততক্ষনে ফুচকা রেডি।
.
আমি ফুচকা খেয়ে প্রায় প্লেট শেষ করে ফেলছি কিন্তু শুভ খাচ্ছে না।
আমি- কি রে খাচ্ছিস না কেন? বউ এর কথা ভাবছিস নাকি?
শুভ- তুই চুপ করবি?
আমি- দে তোরে হেল্প করে দেই।
শুভর প্লেট থেকে আরো অর্ধেক খেয়ে নিলাম হিহি।
.
ফুচকা খাওয়া শেষ করে আবার যাওয়া শুরু করলাম মার্কেটের উদ্দেশ্যে।চলে আসলাম।
আমি- ভাইয়া এই পাঞ্জাবী টা দেখ তো, তোকে অনেক মানাবে। জামাই জামাই লাগবে হিহি…
শুভ- তুই একদম চুপ থাকবি, যা কেনার আমার পছন্দ মতোই কিনবো।
আমি- আচ্ছা (খারাপ লাগলো একটু,চুপ করে রইলাম)

শুভ- এই যে ভাই ওই শাড়ী টা দেন তো। (দোকানদার কে উদ্দেশ্য করে বললো)
দোকানদার- নিন ভাই, এই শাড়ীটা টা ভাবিকে খুব মানাবে কিন্তু।
শুভ- দেখতো শাড়ীটা কেমন হবে আমার বউয়ের জন্য।
আমি- হ্যা ভালোই হবে।

আরো কিছু কেনাকাটা শেষ করে সব শেষ এ আমার পছন্দ করা পাঞ্জাবী টাই নিল শুভ। আমি কিছু বললাম না।
– আরে আনহা, হঠাত শপিং এ যে?
দেখলাম ওইদিনের সজিব নামের ছেলেটি।
আমি- হ্যা, সামনে আমাদের এ্যানেভার্সারি তো তাই শপিং করতে আসছিলাম আরকি! তাইনা গো শুভ।
শুভ আমার কথা শুনে কিছু বললো না,একটু রাগী ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।
সজিব- কংগ্রাচুলেশনস, আজ তাহলে আসি।
আমি- ওকে।
.
দুজন বাইকে করে বাসায় ফিরছি। আমি বা শুভ ভাইয়া কেউ কিছু বলছি না। জানিনা শুভ ভাইয়ার কি হয়েছে! যে শুভ ভাইয়া আমার পিছনে দিনরাত লেগে থাকতো আর এখন অথচ আমি ওর পিছনে লেগে আছি, কোন পাত্তাই দিচ্ছে না আমাকে।
হঠাত বৃষ্টি শুরু হলো, খুব ভালো লাগছে বৃষ্টির মধ্যে বাইকে চড়তে। কিন্তু অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে বাইক টা থামালো একটা দোকানের কাছে।
আমি- কি রে থামলি কেন? বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগছিলো তো।
শুভ- না, বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসবে। আর পরে আম্মু বকা দিবে আমাকে।
আমি শুভর কোন কথা না শুনে দাঁড়িয়ে রইলাম, ভিজলাম কিছুক্ষন। কিন্তু শুভ আমাকে টেনে একটা দোকানের পাশে নিয়ে দাড় করালো।
আমি- আরেকটু ভিজি না রে শুভ ভাইয়া।
শুভ- না বললাম তো।
আমিও চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম দোকানের পাশে, এমনভাবে দাঁড়িয়ে রইছি যেন শুভ কে আমি চিনিই না। খেয়াল করলাম একটা ছেলে তাকিয়ে আছে আমার দিকে, খুব অস্বস্তি লাগছে এখন আমার। শুভ ও হয়তো কিছুটা বুঝতে পারছে ব্যাপারটা।
শুভ- এই ছেলে তোমার সমস্যা কি?(ছেলেটিকে বললো)
ছেলেটি- কই? আমার কোন সমস্যা নেই তো।
শুভ- তাহলে ওর দিকে তাকিয়ে আছো কেন?(আমাকে দেখিয়ে)
ছেলেটি- ভালো লাগে তাই তাকিয়ে আছি, তোর সমস্যা কি? নায়ক হইতে আইছোস?
শুভ ভাইয়া রাগের মাথায় ছেলেটির নাক বরাবর একটা ঘুষি দিলো, রক্ত বের হচ্ছে ছেলেটির নাক দিয়ে।
শুভ- চল, বাসায় যাই।
আমি- না বৃষ্টি হচ্ছে তো, জ্বর আসবে।
শুভ- আসুক, আয় বলছি।
দুজন আবারো চলছি বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাও বৃষ্টির মধ্যেই। খুব ভালো লাগছে। কি জানি রাতে জ্বর ও আসতে পারে, যেভাবে ভিজা শুরু করেছি বলা তো যায় না।
আমি- আচ্ছা ভাইয়া ওকে মারলা কেন?
শুভ- এমনি, তোর কোন সমস্যা?
আমি- নাহ।
.
বাসায় চলে আসলাম। আসতেই মামনি আমাদের দিকে এগিয়ে আসলো।
মামনি- কি রে তোরা এভাবে বৃষ্টিতে ভিজে আসলি কেন? কোন জায়গায় দাড়ালেই পারতি।
আমি- মামনি আমিও বলেছিলাম দাড়াতে কিন্তু শুভ ভাইয়া দাঁড়ায় নি।
শুভ- না আম্মু দাড়িয়েছিলাম। কিন্তু ও ইচ্ছা করে ভিজেছে।
– হা হা হাচ্চুউউউউ…(আমি)
মামনি- দেখলি ঠান্ডা লেগে গেছে এখনি, যা চেঞ্জ করে নে।
.
চেঞ্জ করে রুমে চলে আসলাম,ঠান্ডা লেগে গেছে একটু বেশিইই..
রাতে অনেক মজা করছে শুভ ও তার বন্ধুরা, না আমি যাবো না। শুভ তো এখন আমাকে সহ্যই করতে পারেনা। আমি রুমে এসে শুয়ে পড়লাম, ঘুমাবো এখন।
.
সকালে সবার হৈ-হুল্লোরের আওয়াজ শুনেই ঘুম ভাঙলো আমার। দেখি সবাই হলুদ মাখিয়ে দিচ্ছে শুভ কে। আমার ও খুব ইচ্ছে হলো শুভ কে হলুদ মাখিয়ে দিতে। কাছে গেলাম,মাখিয়ে ও দিলাম।
শুভ- এই তোরে কে কইছে আমার মুখে হলুদ দিতে? (একপ্রকার রাগ দেখিয়ে রাগ দেখিয়ে খুব জোরে বললো,সবাই তাকিয়ে আছে অবাক হয়ে)
আমি- কেন কি হয়েছে? একটু হলুদ মাখালাম তাতে কি হলো?
শুভ- না, তুই মাখাবি না। যা রুমে যা।
শুভ ভাইয়ার এরকম আচরন দেখে দৌড়ে রুমে চলে আসলাম।
কেন জানি অনেক কান্না আসছে আমার তবুও তা প্রকাশ করছি না।
আচ্ছা শুভ ভাইয়া আমার সাথে এমন করছে কেন? আমি কি ওর সাথে কোন খারাপ বিহেভ করেছিলাম? না করিনি তো!
বুঝতে পারতেছিনা কেন এমন করছে। শুভ ভাইয়ার এরকম বিহেভ এর কথা ভেবে অনেক খারাপ লাগছে আমার,কান্না ও পাচ্ছে হয়তো।

.
চলবে…..