Thursday, June 19, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2405



ছায়া নীল! ২.

0

ছায়া নীল! ২.

Maria Kabir

রুমে আমি একা। আমার চোখ বারবার ময়লার ঝুড়ির দিকেই যাচ্ছে। মন বলছে, কাগজের টুকরো গুলোকে আবার জোড়া দেই।
আবারো পায়ের শব্দ। আমার রুমের দিকেই আসছে। হাটার শব্দে মনে হচ্ছে আফরোজা।
আমার দরজায় এসেই থেমে গেলো।
তাকিয়ে দেখি আফরোজা।
আমি বললাম
– আয় বোস আমার পাশে।
ও আমার পাশে এসে বসলো। ও কোনো কথা বলছে না। আর আমারো ইচ্ছে নেই।
একই কথা বারবার বলতে আর ভালো লাগেনা।
কেউ আমাকে বুঝে না, বুঝতে চায়না। সবাই ভাবে আমি মিথ্যে বলি।
আফরোজা বলল
– শারলিন।
– হ্যা বল।
– বিয়েটা করে নে।
– নীল বলতে যদি কেউ থাকতো, তাহলে সে তোর কাছে চলে আসতো।
– ও আমার কাছে আসবে না। আমাকেই ওর কাছে যেতে হবে।
– কীভাবে???
– জানি না। তবে আমি সত্যি ওকে পাবো।
– শোন পাগলামি করিস না।একটু পরেই তোর বিয়ে।
– তুই এখান থেকে যা। যা বলছি, তোকে আমার দেখতে ইচ্ছে করছে না।
– সত্যি সবসময় তিতাই হয়।
– ও আমাকে খুব ভালবাসে। ওকে আমি পাবোই।
– ছাই ভালবাসে। যার অস্তিত্ব শুধুই স্বপ্নে, যার শুধুই ছায়া দেখেছিস, যে প্রতিনিয়ত তোকে কষ্টই দিয়ে যায় সে তোকে কীভাবে ভালবাসবে?
– তুই বুঝবি না ওসব।
আফরোজা উঠে চলে গেলো রুম থেকে। ছোফায় হেলান দিয়ে চোখ বুজলাম। দুচোখে ঘুম ভর করলো।
আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। ঘুমের মধ্যে একটা আচ্ছন্নভাব সৃষ্টি হচ্ছে।
একটা স্বপ্নের ঘোরে চলে এলাম আমি। মনে হচ্ছে দূরে ও দাঁড়িয়ে আছে।
আমি দৌড়াতে শুরু করলাম,ওকে ধরার জন্য প্রাণপণে!
ওকে আমি জড়িয়ে ধরলাম। ও আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
জড়িয়ে ধরা অবস্থায় বললাম
– তুমি আসো না কেনো?
ও বললো
– কই? এইযে এসেছি!
– এভাবে না নীল, বাস্তবে আসো না।
– এসে কী হবে শুনি?
– ওরা আমাকে জোড় করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে।
– আচ্ছা করো বিয়ে আমি যাই।
– নাহ, আমি বিয়ে করবো না। আমি তোমাকে বিয়ে করবো।
– তুমি তাহলে বিয়ে করো না। আর নিজেকে এতো কষ্ট দিচ্ছো কেনো?

কেউ আমাকে ঝাঁকাচ্ছে। ঘুম ভেঙে গেলো সাথে স্বপ্নটাও ভেঙে গেলো।
দেখি আফরোজা হাতে তোয়ালে নিয়ে আমার কপাল মুছে দিচ্ছে।
আমি বললাম
– তোকে এখানে কে আসতে বলেছে?
– আরে তুই কাঁদছিলি। তোর কান্নার শব্দ পেয়েই তো ছুটে এসেছি।
স্বপ্নে যা যা দেখেছি সেগুলো মনে করার চেষ্টা করলাম।
ওকে যখন স্বপ্নে দেখি তখন স্বপ্নের মাঝে একটা আচ্ছন্নভাব থাকে।
স্বপ্ন সাদা কালো বলে ওর ফেস টা আমার দেখা হয়নি। এটা আমি অনেক আগে ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে শুনেছি যে,
স্বপ্নে তাদেরই দেখা যায়, যাদের তুমি জীবনে কোনো একদিন দেখেছো।
কিন্তু ওকে তো আমি কোনোদিনও দেখিনি। তাই ওর ফেসটা আমি স্বপ্নে আনতে পারি না।
কিন্তু ওর বেলায় এই যুক্তিও খাটে না। কারণ ওর দেহের একটা অবয়ব বা ছায়া আমি দেখতে পারি।
ওর সাথে কথা হয় কিন্তু কণ্ঠটা কেমন সেটা আমি কখনওই মনে রাখতে পারিনি।
স্বপ্নের মাঝে যখন ও চলে যায় সেই যাওয়ার সময় একটা ছায়া পরে, সেই ছায়াটাই আমার মেমোরিতে থেকে যায়।
আজও ওর সেই ছায়াটা মেমোরিতে থাকতো কিন্তু আফরোজার এই ঝাঁকানিতে সব গেলো

আমি আফরোজা কে বললাম
– একটু আগেও ওকে আমি স্বপ্নে দেখেছি।ও আমাকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছে।
আফরোজা বলল
– তুই বিয়ে করতে চাচ্ছিস না তাই স্বপ্নে এইরকম একটা ক্যারেক্টার তৈরি করেছে তোর অবচেতন মন। তারপর…….

– আফরোজা চুপ কর। তোকে কতবার বলবো ও আমার অবচেতন মনের তৈরি কোনো ক্যারেক্টার না।
– তাহলে কী? শারলিন বল আমায় ও কে?
– আমি জানি না। তবে আমি বিয়ে করতে পারবো না।
– তুই বিয়ে কর। দেখবি ওকে তুই ভুলে যাবি।
– না, আমি ওকে ভুলতে চাই না।
ড্রয়িংরুম থেকে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ আসছে।
আফরোজা উঠে চলে গেলো কী হয়েছে দেখার জন্য।
আমাদের বাসার বারান্দা দিয়ে সব রুমেই যাওয়া যায়। ঘোরানো সিস্টেম বারান্দা।
রাত কখন হয়েছে টেরও পাইনি। বিয়ে তো অনেক আগেই হয়ে যাওয়ার কথা এখনও হচ্ছে না কেনো?
যাই হোক আমাকে এই বিয়ে থামাতেই হবে।
ময়লার ঝুড়ির দিকে আবার চোখ পড়লো। কেউ আমাকে টানছে ওই ঝুড়ির দিকে। বসে থাকতে না পেরে ময়লার ঝুড়ির কাছে গেলাম।
কাগজের টুকরো গুলোকে একটা একটা করে উঠালাম। ঘরের জানালা দরজা সবই খোলা।
বাতাস আসছে। বারান্দার যে দরজা সেটা খোলা থাকলে বাতাস বেশি আসে।
খুব ঠাণ্ডা লাগতে শুরু করলো। সব গুলো টুকরো উঠানো হয়ে গেলো।
ড্রেসিং টেবিলে রাখার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। আমি যেখানে ছিলাম সেখান থেকে বারান্দায় সরাসরি চোখ যায়।
আমার রুমের দরজার সাথে একটা ছায়া দেখতে পেলাম।
দেখে আমি চমকে উঠলাম। এতদিন যাকে স্বপ্ন দেখেছি তার ছায়া টুকুই শুধু আমার মনে থাকে।
সেই ছায়া বাস্তবে আমার সামনে।ও চলে যাবার সময় যেই ছায়া পড়ে সেই ছায়া। আমার দিকে পিছন ফিরে থাকা সেই ছায়া আর মাত্র কয়েক পদক্ষেপ পরে দাঁড়িয়ে আছে।

চলবে………!

#Maria_kabir

ছায়া নীল! ১

0

ছায়া নীল! ১.

#Maria Kabir

অনেকক্ষণ ধরেই খাতায় কাটাকুটি করছি। কিছু একটাকে পেন্সিলের কালি ব্যবহার করে কাগজে একটা রূপ দেবার চেষ্টা করেই যাচ্ছি সেই সকাল থেকে। হচ্ছে না কেনো?
আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছে। যাকে আমি এতোটা চিনি তাকে কেনো কাগজে রূপ দিতে পারছি না?
যে আমার সেই ছোট্ট বেলা থেকে জানি তাকে কেনো কাগজে রূপ দিতে পারছি না।
পেন্সিল টাকে রুমের এক কোণায় ছুড়ে ফেললাম। আর কাগজ টাকে টুকরোটুকরো করে ছিঁড়ে ময়লার ঝুড়িতে ফেললাম।
পেন্সিল টা দুভাগ হয়ে গেছে। বিছানা থেকে নেমে পেন্সিল টার কাছে গেলাম।
দুই টুকরা পেন্সিল দুইহাতে নিয়ে নিলাম। এটা প্রথম বার নয়। এর আগেও অনেক পেন্সিল ভেঙেছি। অনেক কাগজ ছিঁড়ে টুকরোটুকরো করে ফেলেছি।
তবুও তাকে কাগজে রূপ দিতে পারিনি। কেনো পারছি না?
আচ্ছা, সে কি চায়না আমার কাগজে পেন্সিলের দাগে রূপ নিতে???
দরজায় কে যেনো নক করছে।দরজার কাছে গিয়ে বললাম
– কে??
কথাটা বলেই দরজা খুলে দিলাম। মাকে দেখে আমার খুব রাগ হলো।
মন খুব খারাপ থাকলে দরজা আটকে দিয়ে রুমে চুপচাপ বসে বা শুয়ে থাকি।
কিন্তু মার জন্য আর সেটা হলো না।
দরজা খুলে দিয়ে বিছানায় এসে আসন গেড়ে বসলাম।
মা বললেন
– ১২ টা বাজে। ছেলেপক্ষ চলে আসবে ৩ টার মধ্যে। তুই এখনো বসেই আছিস?
কথা বলার কোনো ইচ্ছা নেই আমার। তাই চুপ রইলাম।
মা আমার ড্রেসিং টেবিলের উপর হলুদ বাটা, লাক্স সোপ আর নতুন গামছা রেখে দিয়ে বলল
– শোনো মেয়ে, এইবার আর কোনো অজুহাত শুনবো না। তোমাকে এইবার বিয়ে করতেই হবে।
আমার জেদ চাপলো। চাপাস্বরে বললাম
– নাহ, বিয়ে আমি করবো না।
মা আমার গালে ঠাস করে চড় মেরে বলল
– গলা বেড়েছে তাই না? এইজন্যই তোমার বাবাকে বলেছিলাম মেয়েদের বেশি পড়াতে নেই। না, সে কেনো শুনবে?
– মেয়েদের পড়াতে হয়। আমি আরো পড়বো।
– আমি আধা ঘণ্টা পর এসে যেনো দেখি তোমার গোসল শেষ হয়েছে। তা না হলে লাত্থি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিবো।
মা রাগে গজগজ করে চলে গেলেন। আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। বাবাও নেই, বাবাকে মা আমার থেকে দূরে রেখেছেন। যাতে সে আমার বিয়ে ভাঙতে না পারেন।
আমার রুমটা ড্রয়িংরুম এর সাথে লাগানো। বাসায় অনেক মেহমান এসেছে। সবাই আমার আশেপাশে থাকতে চাচ্ছে। কিন্তু আমার তো ভালো লাগেনা এতো মানুষ জন। দরজা খোলাতে মেহমান দের কথাবার্তা কানে আসছে। কেউ কেউ বলছে
– মেয়ের কপাল দেখো? কতো বড় জায়গা থেকে সম্বন্ধ এসেছে?
আমার নানী তাতে তাল মিলিয়ে বলছে
– নাত্নী আমার সুন্দরী বলেই তো এসেছে।
সুন্দরী হওয়াটাই পাপ আমার কাছে। আমি কোনো বড়লোক চাই না। আমি যে তাকেই চাই।
কী করবো বুঝতে পারছি না। আফরোজাকে একটু বলে দেখি।
আফরোজা কে ফোন দিলাম। ফোন রিসিভ হলো। আমি বললাম
– আমি বিয়ে করবো না।
– তোর মা আবার শুরু করেছে?
– হ্যা। আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু নিজেকে ঠিক করতে পারছি না।
– দ্যাখ আর কতোবার বিয়ে ভাঙবি? তুই এবার বিয়েটা করে ফ্যাল।
– আমি পারবো না।
– দ্যাখ, তুই যার আশায় আছিস সেটা কেবলি একটা ভ্রম।
– সে ভ্রম না, সে ছায়া নীল।
ও কিছু বলার আগেই ফোন কেটে দিলাম। বাধ্য হয়ে গোসল করলাম হলুদ বাটা আর লাক্স সোপ দিয়ে।
আমি তো এমনিতেই ফর্শা, আমার তো হলুদ বাটা লাগে না। তারপর ও মার আমাকে হলুদ মাখাতেই হবে।
আচ্ছা ছায়া নীল তুমি কী দেখছে পারছো? আমার আজ বিয়ে?
গোসল করে বের হবার সাথে সাথেই মা এলেন আমাকে সাজাতে।
সাথে আমার বড় খালা আর ছোটো ফুপু। আমার আরো একজন ফুপু আছে। তবে সে অনেক আগেই মারা গেছেন।
আমি নাকি তার মতো দেখতে, বাবা বলেন।
সাজানোর সময় বিড়বিড় করে বলছি। দেখো না ছায়া নীল আমাকে সাজাচ্ছে।
তুমি কী আসবে না??
আমার রুমেই আমি বসে আছি। হঠাৎ সবার চ্যাঁচামেচি বেড়ে গেলো। বাসার বাচ্চারা বলতে লাগলো – বর এসেছে, বর এসেছে।
বুঝতে পারলাম,
ছেলে পক্ষ চলে এসেছে। তাদের কথাবার্তা সবই আগে থেকেই হয়ে আছে। আজকে শুধু কাবিন করাবে। পারলে আমাকে একেবারে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। কথা গুলো আমার জানা ছিলো না। সবার কথাবার্তায় বুঝতে পেরেছি।
বড় খালা আমার রুমে এলেন। সবাই আজ খুব সেজেছে। পুরো বাড়িটাকে সাজানো হয়েছে। বড় খালা বললেন
– কোনো ঝামেলা যেন না হয়। বুঝতে পারছিস?
আমি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালাম।
বড় খালা চলে গেলেন আর আমাকে ছোটো ছোফার উপর বসিয়ে দিয়ে গেলেন।
আমাকে মা বলেছিলো – শুধু দেখতে আসবে।
তবে আমি জানি মা মিথ্যে বলেছে, যাতে আমি খারাপ কিছু না করে বসি।
ছেলে আমার সাথে নাকি কথা বলবে। ছেলের ছবি আমাকে মা দিয়েছিলো। আমি দেখিনি, ছিঁড়ে ফেলেছি।
আমি চেহারা দেখতে চাই না, দেখতে চাই তার ছায়া।
কানে কারো পায়ের শব্দ আসছে। মনে হয় সেই ছেলে আসছে। ধীরেধীরে শব্দটা আমার রুমের দিকে আসছে।
তারপর শব্দটা আর নেই। এর অর্থ, আমার রুমের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। তারপর
ছেলে আমার সামনের ছোফায় এসে বসলো। আমি তাকাবো না, আমি তো দেখবো তার ছায়াকে।না তাকিয়েও বোঝা যাচ্ছে, ছেলে বেশ লম্বা আর অনেক ফর্শা।
আর আমিও তো কম ফর্শা না। আয়নায় যখন নিজেকে দেখি নিজেরই চোখ সরে না।
আচ্ছা নীল, তোমারও কি চোখ সরে না আমাকে যখন দেখো?
একটু পরই আমার বিয়ে, তুমি আমাকে নিতে আসবে না?
ছেলে বলল
– আমার নাম তুহিন। আপনার নাম?
– শারলিন।
– আপনি খুব সুন্দর। বিশেষ করে আপনার চোখ।
হ্যা হ্যা, আমার চোখ খুব সুন্দর। কিন্তু সে তো জানে না? জানে?
আমার কোনো উত্তর না পেয়ে তুহিন বলল
– আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। অনেক নাম ডাক আমার।
– হুম। আমি ইন্টার পাশ। মেয়েদের বেশি পড়তে নেই।
– আপনার মতো সুন্দরীদের তো ঘরে আটকে রাখাটাই ভালো।
– হ্যা, পায়ে শিকল দিয়ে।
– শুনো একটু পরেই কাবিন হবে এবং তার পর পরই তোমাকে নিয়ে যাবো। আর আমার সাথে কোনো ত্যাড়া কথা চলবে না।
– এতো তাড়াতাড়ি তুমিতে নামলেন?
– আচ্ছা, আমি যাই।
বলেই তুহিন লোকটা চলে গেলো। এখনো এই দুনিয়াতে বিয়ের জন্য মেয়েদের অনুমতি নেয়া হয়না।
দেখো না কীভাবে আমাকে জোড় করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে, নীল?
নীল তুমি আমাকে বুঝতে পারছো না?
তুমি কি শুধুই ভ্রম হয়েই রবে? নাকি………..

চলবে……..!

#Maria_kabir

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:- ৭)

0

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:- ৭)
!!
#লেখা :- মোহাম্মদ সৌরভ
!!
নিজের বউ নিছে পরে আছে হাত ধরে উঠাবো তাও আবার শ্বশুড়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে? আব্বাজান সোনালী নিছে পরে আছে ওকে কি উঠাবো? তখনি শ্বশুড় আমার দিকে তাকিয়ে বলে,,,
!!
শ্বশুড়:- হ্যা হ্যা উঠাও আমি কি না করেছি নাকী তুমি তো সব সময় সুযোগের অপেক্ষা থাকো কখন সোনালীকে স্পর্শ করবে।
!!
আমি:- হ্যা আব্বাজান আপনি ঠিকই বলছেন বলে সোনালীর কাছে গিয়ে সোনালীকে সোজা কোলে তুলে নিয়েছি।
!!
শ্বশুড়:- আরে আমি তো ধরে উঠাতে বলছি কোলে নিয়েছো কেনো?
!!
সোনালী:- আব্বু আমি তো উঠতে পারছিনা আর এদিকে পা অনেক ব্যথা করছে। আপনারা জামাই শ্বশুড়ের শর্ত নিয়ে থাকেন আমি মরে যাই।
!!
আমি:- সোনালী তুমি এইটা কি বলছো তুমি মরবে কেনো যার মরার কথা সে মরবে।
!!
শ্বশুড়:- কার মরার কথা?
!!
আমি:- আল্লাহ যাকে খুসি থাকে মারবেন আমি কি করে বলবো? তবে ছিড়িয়ালটা মনে হয় এই বাড়ীতে হবে।
!!
শ্বশুড়:- কি আমার মৃত্যুর জন্য দোয়া করো আজকে তোমার সব কিছু ফাস করে দিবো।
!!
আমি:- কি ফাস করবেন শুনি এমনিতেই আপনার যন্ত্রনা আর ভালো লাগছেনা। আমি আপনার কোনো শর্ত মানতে পারবোনা অনেক হয়ছে আর না।
!!
সোনালী:- আরে তুমি আব্বুর সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেনো?
!!
আমি:- আরে এই গুলা কোনো শর্ত হয় বলো? যদি এমন হত যে আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে তারপর তোমার সাথে আমাকে বিয়ে দিবে তাহলে মানা যেত। দেখি আসো তো আমার কোলে আসো বলে সোনালীকে কোলে তুলে নিয়েছি।
!!
শ্বশুড়:- তারমানে তুমি আমার মেয়েকে স্পর্শ করবে?
!!
আমি:- আপনার মেয়ে কিন্তু আমার বউ দেখি সরেন বলে আমি সোনালীকে নিয়ে সোজা বের হয়ে গেছি আমার পিছু পিছু শ্বশুড় আর শ্বাশুড়ি দুজনে গাড়ীতে এসে বসেছে গাড়ীটা আমি নিজেই চালিয়ে ডাক্তারের কাছে আসছি। সোনালীকে ডাক্তার দেখে কিছু টেস্ট দিয়েছে সেই গুলা করিয়েছি ঘন্টা ৫ পর রিপুট বের হয়েছে তা দেখি ডাক্তার বলে,,,,
!!
ডাক্তার:- তেমন কিছুনা হাল্কা মচকে গেছে পাটা আমি কিছু মেডিসিন দিতেছি আর প্লাষ্টিক করে দিতেছি। ২ দিন রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে পা।
!!
আমি:- তাহলে কি সোনালীকে আমরা বাসায় নিতে পারি?
!!
ডাক্তার:- হ্যা নিশ্চয় নিতে পারেন তবে ওকে ভালে করে কেয়ার করতে হবে।
!!
আমি:- আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আমি ওকে দেখে শুনে রাখবো। আমার কথা শুনে শ্বশুড় আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। সোনালীকে আবার কোলে তুলে নিলাম এবার শ্বশুড় কিছু বলেনি।
!!
সোনালী:- তোমার কষ্ট হয়না আমাকে কোলে নিতে?
!!
আমি:- কেনো কষ্ট কেনো হবে আর তাছাড়া তোমার ওজন তো ৪৫ কেজি হবে মনে হয়।
!!
সোনালী:- জ্বি না আমার ওজন ৪৮ কেজির উপরে। আচ্ছা আব্বু তোমাকে এখন কিছু বলেনা কেনো?
!!
আমি:- কি বলবে?
!!
সোনালী:- আমাকে কোলে নিতেছো যে আর শর্ত অনুযায়ী আমাকে তো স্পর্শ করতে পারবে না।
!!
আমি:- দূর আর কোনো শর্ত মানবো না এখন চলো তোমাকে নিয়ে বাসায় যাবো। তখনি শ্বশুড় মসায়ের ডাক দিয়েছে,,
!!
শ্বশুড়:- সৌরভ একটু দ্বাড়াও তো তোমার সাথে কথা আছে।
!!
আমি:- হ্যা বলেন?
!!
শ্বশুড়:- এই নাও তোমাদের হানিমুনের টিকেট আমি আগে কেটে রাখছি শুধু এই কথা গুলা শুনার জন্য আমি অপেক্ষা করেছি। আজকে আর কোন শর্ত নেয় শুধু একটা কথা দিবে বাবা সৌরভ?
!!
আমি:- মানে কিছুই তো বুঝতেছিনা?
!!
শ্বশুড়:- হ্যা আজ থেকে সোনালী তোমার স্ত্রী ওকে তুমি যেখানে খুসি সেখানে নিয়ে যেতে পারবে। ওর হাত ধরে হাটতে পারবে আর এই নাও তোমাদের হানিমুনের টিকেট।
!!
আমি:- কিন্তু সোনালী তো অসুস্থ এই অবস্থা হানিমুনে যাওয়াটা ঠিক হবে না।
!!
শ্বশুড়:- সৌরভ বাবা তুমি তো আছো তাইনা আর সোনালী নিজেই আমাকে রাতে বলছে সব সোনালী তোমাকে ভালোবাসে তাহলে আমি কেনো বাধা দিতে যাবো। তবে আমাকে একটা ওয়াদা দিবে?
!!
আমি:- হ্যা বলেন কি ওয়াদা দিতে হবে?
!!
শ্বশুড়:- সোনালীকে সহজে কষ্ট দিবে না। যদি কোনো ভূল করে তাহলে ক্ষমা করে দিবে। আর ওর চোখের পানি তুমি সব সময় মুছে দিবে আমাকে কথা দাও।
!!
আমি:- হ্যা কথা দিলাম, তখনি শ্বশুড় আমাকে জড়িয়ে ধরেছে আর বলে,,,
!!
শ্বশুড়:- এখন আমি চিন্তা মুক্ত আর আমি আমার মেয়ের যোগ্য জামাই খুঁজে পেয়েছি। আজ থেকে প্রতি রাতে আমার শান্তিতে ঘুম আসবে। এই নাও তোমাদের টিকেট আর মা সোনালী তুমিও সৌরভকে কোনো কষ্ট দিবে না। ওর খেয়াল রাখবে আর ওর কথা শুনে চলবে কেমন?
!!
সোনালী:- ঠিক আছে তাই হবে তাহলে আমরা এখন যাই।
!!
শ্বশুড়:- ঠিক আছে সাবদানে যাস আর তোরা আসার সময় খুসির সংবাদ নিয়ে আসবি কেমন? শ্বশুড়ের কথা শুনে সোনালী আমার দিকে তাকিয়েছে আমি লজ্জা বোদ করেছি।
!!
আমি:- আচ্ছা তাহলে যাই আমি আর সোনালী দুজনে হানিমুনের জন্য রওনা দিলাম। সোনালী আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে ওর কপালে ছোট করে আদর করে দিয়েছি। আমার আর সোমালীর সংসার জীবন অনেক সূখের হবে যাক এখন আমি অনেক খুসি কারন শ্বশুড় আর কোনো শর্ত দিবেনা।
!!
!!
গল্পটা কেমন হয়ছে জানাবেন কমেন্ট করে তাহলে নতুন গল্প লিখতে উৎসাহ হবো।
!!
সমাপ্তি,,,,,,,,,

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:- ৬)

0

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:- ৬)
!!
#লেখা :- মোহাম্মদ সৌরভ
!!
সোনালীর আব্বার সামনে আমি সোনালীর হাত ধরে রাখছি, তা দেখে সোনালীর আব্বু মানে আমার শ্বশুড় মসায়ের চোখ কপালে উঠে গেছে। আমি হাতটা ছাড়াতে চাচ্ছি কিন্তু সোনালী শক্ত করে ধরে রাখছে।
!!
সোনালী:- আব্বু দরজার সামনে থেকে সরেন আমাদের ভীতরে ঢুকতে দেন।
!!
শ্বশুড়:- হ্যা ভীতরে এসো, আর সৌরভ তুমি বাহিরে থাকো আগে আমার সাথে কথা বলবে তারপর ভীতরে আসবে।
!!
সোনালী:- এখন কি কথা বলবেন অনেক রাত হয়ছে আর সৌরভ অনেক ক্লান্ত আছে। যদি কোনো কথা থাকে তাহলে সকালে বলিয়েন কেমন?
!!
শ্বশুড়:- সোনালী তুমি মনে হয় এই বাদরটার প্রেমে পড়ে গেছো? আচ্ছা এখন তুমি যাও আর সৌরভ তুমি আমার শর্ত ভঙ্গ করার কারনে এখুনি বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাও।
!!
আমি:- কিন্তু আমার কথাটা তো শুনবেন প্লিজ।
!!
শ্বশুড়:- কোনো কথা শুনতে চাইনা, আমার সাথে তোমারর যে শর্ত হয়ছে সেই শর্ত অনুযায়ী আজ থেকে তুমি আমার মেয়ের কিছুই লাগো না।
!!
আমি:- প্লিজ আপনি এমন কথা বলবেন আমার কথাটা আগে শুনেন? আমি তো সোনালীর হাত ধরিনি ও ধরেছে। আর একটা সুযোগ দেন প্লিজ আমাকে লাস্ট একটা চাঞ্জ।
!!
শ্বশুড়:- ঠিক আছে তাহলে তুমি এই কাগজে সাইন করে দিতে হবে, আর যত দিন তুমি সফল না হবে ততদিন আমার মেয়েকে স্পর্শ করতে পারবে না রাজি থাকলে বলো?
!!
আমি:- দেখি তো কাগজটা।
!!
শ্বশুড়:- এই নাও।
!!
আমি:- দেন, কাগজটা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করেছি আরে শ্বশুড় মসায় কি লিখে রাখছে সব আমি কিনা চাকরি করবো তাও আবার ওনার কাছে। আবার রোজ সকাল ৫টা উঠতে হবে ঘুমাতে হবে রাত ১০ টার মধ্যে।
!!
শ্বশুড়:- কি রাজি আছো তাহলে ভীতরে আসতে পারো আর তানা হলে আমি তোমার নামে পোস্টার ছাপিয়ে দিবো কি বলো?
!!
আমি:- হ্যা আমি রাজি আছি, ভীতরে ঢুকে সাইন করে দিয়েছি। শ্বশুড় অনেক খুসি হয়েছে আমি ওনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। আচ্ছা আব্বাজান তাহলে আমি যাই আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে?
!!
শ্বশুড়:- হ্যা তবে সোনালীর রুমে নয় আজ থেকে তুমি আমার রুমে থাকবে।
!!
আমি:- মানে তাহলে শ্বাশুমা কোথায় থাকবে?
!!
শ্বশুড়:- তোমার শ্বাশুমার চিন্তা তোমার করতে হবে না, কারন আমি এখনো বেচে আছি আসো আমার সাথে। চলো বলে আমার হাত ধরে সোজা টেনে শ্বশুড়ের রুমে নিয়ে গেছে।
!!
আমি:- আমি নিছে শুয়ে পড়ি আপনি খাটের উপর শুয়ে পড়েন।
!!
শ্বশুড়:- আরে জামাই এমন করে বলছো কেনো? আসো কোনো সমস্যা হবে না।
!!
আমি:- আসলে আব্বাজান আমার ঘুমের মাঝে হাত পা একটু বেশি নরা চরা করতে থাকে যদি আপনরার শরীরের উপর পা উঠে যায়।
!!
শ্বশুড়:- কিছু হবে না তুমি আর আমি খাঠের উপর ঘুমাবো।
!!
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি ফ্রেস হয়ে আসতেছি, (আজ থেকে শ্বশুড়কে বুঝাবো আমি কেমন জামাই) ফ্রেস হয়ে এসে শূয়ে পড়েছি একটু পর শ্বশুড় এসে লাইট অফ করে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়েছে।
!!
শ্বশুড়:- জামাই ঘুমায় গেছো নাকী?
!!
আমি:- জ্বি না আব্বাজান সজাগ আছি কিছু বলবেন?
!!
শ্বশুড়:- জামাই পরে বলবো এখন ঘুমাও।
!!
আমি:- ঠিক আছে, ঘুমের বান করে শূয়ে পড়েছি হঠাত দেখি শ্বশুড় আমার নাক ডাকতে শুরু করেছে এদিকে আমার নাক ডাকার আওয়াজ একদম বিরক্ত লাগে। কি করি হ্যা মনে পড়েছে বলে ঘুমের বান করে নাক বরাবর এক গুসি মেরে দিয়েছি আর শ্বশুড় সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে উঠছে,,,,
!!
শ্বশুড়:- ওরে বাবা রে মরে গেলাম বলে আর আমি ঘুমের বান করে শূয়ে আছি। শ্বশুড় জোরে জোরে কন্না করতে আরম্ভ করেছে তখনি আমি লাফ মেরে উঠে বলি,,,,
!!
আমি:- আব্বাজান কি হয়ছে কান্না করছেন কেনো?
!!
শ্বশুড়:- সৌরভ তুমি কি ঘুমাচ্ছিলে?
!!
আমি:- হ্যা কিন্তু কেনো?
!!
শ্বশুড়:- না হঠাত খারাপ একটা স্বপ্ন দেখছি তাই আর কি।
!!
আমি:- কি স্বপ্ন আব্বাজান?
!!
শ্বশুড়:- থাক তোমার শুনা লাগবে না, তুমি ঘুমাও।
!!
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে, আজকে আর বিরক্ত না করে ঘুমিয়ে পড়েছি, সকালে হঠাত করে আমার গায়ের উপর এক বালতি ঠান্ডা পানি এনে ডেলে দিয়েছে। আমি তো লাফ মেরে উঠে কত গুলা বকা দিয়ে দিয়ে তাকিয়ে দেখি শ্বশুড় বালতি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
!!
শ্বশুড়:- আরে সৌরভ তুমি তো অনেক সুন্দর বকা দিতে পারো।
!!
আমি:- আব্বাজান সরি আমি বুঝতে পারিনি, কিন্তু আব্বাজান আপনি আমার গায়ের উপর পানি ডালছেন কেনো?
!!
শ্বশুড়:- বাবা সৌরভ তোমার মনে নেয় গত কাল রাতে শর্তের কাগজে সাইন করেছো যে?
!!
আমি:- ও মনে পড়েছে আগামী কাল থেকে ঠিক হয়ে যাবে, তখনি সোনালীর কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম। দৌরে বাহিরে গিয়ে দেখি সোনালী সিড়ি দিয়ে নামার সময় পা পিছলে পড়ে গেছে।
!!
সোনালী:- মনে হয় আমার কমরটা গেছে ঐ তুমি চেয়ে চেয়ে দেখছো কি আমাকে এসে উঠাও।
!!
আমি:- আব্বাজান সোনালীকে কি ধরে উঠাবো? তখনি শ্বশুড় আমার দিকে চোখ গুলা বড় বড় করে তাকিয়ে বলে,,,,,
!!
চলবে,,,,,,,

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:-৫)

0

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:-৫)
!!
#লেখা :- মোহাম্মদ সৌরভ
!!
তোমার বউ ক্লাবে অন্য ছেলেদের সাথে নাচা নাচি করতেছে। বাহা যে ডাঞ্চ করতেছে তা যদি ফেসবুকে ছাড়িনা তাহলে ১০ মিনিটে ১০০০ ভিও হবে। আমি অনেক খুসি হয়ছি তোমার কপালে এমন একটা বউ পড়ছে।
!!
আমি:- রিপা তুমি এইটা বলার জন্য ফোন করেছো আমাকে?
!!
রিপা:- না তবে তোমার বউ যে সব ছেলেদের সাথে নাচতেছে ঐ ছেলে গুলা একদম ভালোনা। তুমি ড্রিম হোটেলে এসে সোনালীকে নিয়ে যাও।
!!
আমি:- ঠিক আছে, ছাদের উপর থেকে তারা তারি করে নিছে নেমে এসেছি আমি বাসা থেকে বের হবো তখনি,,,
!!
শ্বশুড়:- আরে সৌরভ জামাই বাবা জ্বি তুমি এত তারা হুরা করে কোথায় যাচ্ছো?
!!
আমি:- আব্বাজান এখন কিছু বলতে পারবো না এসে তারপর বলবো।
!!
শ্বশুড়:- আরে জামাই এত তারা কিসের চলো আমার সাথে দুজনে বসে চা খাবো আর আমার বন্ধুদের সাথে আলাপ করিয়ে দেবো।
!!
আমি:- পরে আলাপ করবো বলে দৌরে বাসা থেকে বের হয়ে একটা সি এন জি নিয়ে ড্রিম হোটেলের কাছে গেলাম। হোটেলে ঢুকে দেখি সোনালী তার ববান্ধবীদের সাথে বসে আছে আর সবার সাথে হাসা হাসি করছে। আরে রিপা যে বলছে সোনালী নাচা নাচি করতেছে তাহলে কি মিথ্যা কথা বলছে রিপা? সোনালী দেখার আগেই আমি ওদাও হতে হবে তা না হলে পুরা লঙ্কা কান্ড শুরু হয়ে যাবে। আমি চুপি চুপি বের হয়ে আসবো তখনি চেয়ে পেছন থেকে কেও একজন হাত ধরেছে তাকিয়ে দেখি রিপা,,,
!!
রিপা:- আরে সৌরভ চলে যাচ্ছো কেনো অনেক দিন পর তোমাকে কাছে পেয়েছি আর তুমি চলে যেতেছো?
!!
আমি:- রিপা তুমি মিথ্যা কথা কেনো বলছো?
!!
রিপা:- যদি মিথ্যা কথা না বলতাম তাহলে কি তুমি আসতে?
!!
আমি:- ছাড়ো বলছি তোমার মত মেয়েকে এই জন্য আমি বিয়ে করিনি তাও রিপা আমার হাত ধরে রাখছে।
!!
রিপা:- প্লিজ আমাকে তুমি ভূল বুঝতেছো কেনো আমি তো তোমাকে ভালোবাসি তাইনা বলে রিপা আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরেছে আমি রিপাকে ছাড়াতে চেষ্টা করতেছি তখনি সোনালী আমার সামনে এসেছে,,,
!!
সোনালী:- বাহ বাহ অনেক সুন্দর লাগছে আরেকটু জড়িয়ে ধরে রাখো আমি ভালো করে ভিডিওটা করি।
!!
আমি:- আরে সোনালী কি করছো বলে রিপাকে এক জাটকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়েছি। রিপাকে একটা থাপ্পড় দিয়ে সোনালীর কাছে গেছি আরে সোনালী ভিডিও করতেছো কেনো?
!!
সোনালী:- তুমি কেনো আমার সাথে আসতে চাওনি তা এখন বুঝতে পারছি। আমি আজকে আব্বুকে এই ভিডিওটা দেখিয়ে তোমার বারোটা বাজাবো।
!!
আমি:- আরে আমি জড়িয়ে ধরছি নাকী রিপা তো আমাকে জড়িয়ে ধরছে। আর তুমি না গায়ের হলুদে যাবে তাহলে এখানে কি করছো আমিও আব্বাজানকে সব কিছু বলে দিবো।
!!
সোনালী:- আমি তো গায়ের হলুদে আসছি এখানে গায়ের হলুদের অনুষ্টান হচ্ছে ঐ দিকে তাকিয়ে দেখো আমার বান্ধবী প্রিয়া বসে আছে গায়ের হলুদের সাজে। অনুষ্টান শেষ আমি বাড়ীতে যেতেছি আর আজকে তোমার কপালে সনীর দশা আছে।
!!
আমি:- আরে জানেমান কোথায় যাচ্ছো? আজকে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে চলো দুজনে ফুসকা খাবো কেমন?
!!
সোনালী:- ফুসকা খাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেয় আজকে তোমার কোনো রক্ষা নেয়। তবে একটা শর্তে আমি তোমার ভিডিওটা ডিলেট করতে পারি।
!!
আমি:- বলো কি শর্ত আমি তোমার সব শর্তে রাজি আছি।
!!
সোনালী:- এখন থেকে আমার সব কথা শুনে চলতে হবে, আমি যা বলবো তাই করতে হবে আমার সাথে কোনো রকম রাগ দেখিয়ে চলতে পারবে না। আর আব্বুর সামনে আমার হাত ধরে রোজ হাটতে যেতে হবে।
!!
আমি:- তোমার সব শর্তের কথা রাজি আছি শুধু আব্বাজানের সামনে তোমার হাত ধরে হাটতে পারবো না।
!!
সোনালী:- ঠিক আছে তাহলে আমি আব্বুকে ভিডিওটা সেন্ড করে দিতেছি। লাস্ট বারের মত বলতেছি তুমি আমার সব শর্তে রাজি আছো?
!!
আমি:- ঠিক আছে রাজি আছি তখনি সোনালী রিপাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছে।
!!
সোনালী:- দোস্ত তোকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে সাহায্য করার জন্য।
!!
আমি:- মানে রিপা তোমার সাথে হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছে?
!!
রিপা:- সোনালী আমাকে সবকিছু বলছে আর সোনালী আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ওকে হেলপ করবোনা তো কাকে করবো।
!!
আমি:- বুঝতে পারছি আমার সাথে সবাই মিলে মজা নিতেছে, তুমি থাকো আমি গেলাম বলে চলে আসতেছি তখনি সোনালী দৌরে এসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরছে। আরে ছাড়ো জড়িয়ে ধরছো কেনো?
!!
সোনালী:- আমার স্বামীকে আমি জড়িয়ে ধরবো কিস করবো তাতে তোমার কি? চলো ফুসকা খাবো তারপর বাসায় যাবো দুজনে।
!!
আমি:- থাক আজকে আর ফুসকা খেতে হবে না এমনিতেই আমার বারোটা বাজবে এখন চলো?
!!
সোনালী:- কি তুমি ফুসকা খাওয়াবে না?
!!
আমি:- হ্যা খাওয়াবো চলো সোনালীকে নিয়ে ফুসকা খেতে এসেছি, দুই প্লেট ফুসকা খেয়েছে সোনালী আমাকে ও নিজেই খায়িয়ে দিয়েছে। আচ্ছা সোনালী তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে তোমার বাবার শর্ত গুলা শেষ করতে?
!!
সোনালী:- করতে পারি যদি আমাকে অনেক ভালোবাসো তাহলে।
!!
আমি:- ঠিক আছে, তাই হবে আর আমি তো তোমাকে অনেক লাভ করি এখন চলো।
!!
সোনালী:- হ্যা চলো আমি আর সোনালী দুজনে দুষ্টমি করতে করতে বাসায় আসলাম। দরজার কলিং বেল বাজাতেই সোনালী আমার হাত জড়িয়ে ধরেছে তখনি সোনালীর আব্বু মানে আমার শ্বশুড় মসায় এসে দরজাটা খুলে দেখে সোনালী আমার হাতটা জড়িয়ে ধরে রাখছে,,,,
!!
চলবে,,,,,,,

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:-৪)

0

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:-৪)
!!
#লেখা :- মোহাম্মদ সৌরভ
!!
শ্বশুড় মসায়কে ভিডিও কল করাটা কি বেশি জুরুরী ছিলো? এখন তো শ্বশুড় আমার বারোটা বাজাবে! ফোনটা কাটো বাসায় গিয়ে যা বলার বলো?
!!
সোনালী:- তাহলে আর কোনো দিন স্পর্শ করবে না আমাকে বলো?
!!
আমি:- ঠিক আছে ভূল করেও কোনো দিন তোমাকে স্পর্শ করবো না। তখনি সোনালী কলটা কেটে দিয়েছে! আমি চুপ চাপ বসে আছি তবে কিছুটা ঘুম পাচ্ছে তাই চোখ বন্ধ করে রাখছি। কিছুক্ষণ পর হঠাত কাদের উপর কারো স্পর্শ পেলাম চোখ খুলে দেখি সোনালী মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে আমিও মোবাইলে কিছু ছবি তুলে নিলাম। প্রায় ঘন্টা তিনেক পর আমার শ্বশুড় বাড়ীতে এসেছি গাড়িটা থামতেই সোনালী ঘুম থেকে উঠে মাথাটা তুলে নিয়েছে।
!!
সোনালী:- সরি আমি বুঝতে পারিনি আমার চোখে ঘুম পাচ্ছিলো আর আমি ঘুমায় গেছিলাম।
!!
আমি:- ঠিক আছে, এখন নামো গাড়ি থেকে নেমেছি এমনি শ্বশুড় শ্বাশুড়ি এসে হাজির। আমি ওনাদের সালাম দিয়ে ভালো মন্দ জিগেস করেছি। ওনি সালামের উত্তর নিয়ে আমাকে বলে,,,,
!!
শ্বশুড়:- জামাই বাবা জ্বি কেমন আছো তুমি?
!!
আমি:- হ্যা ভালো আছি, তা আপনার শরীর সাস্থ ভালো আছে?
!!
শ্বশুড়:- হ্যা অনেক ভালো চলো বাসায় যাই।
!!
আমি:- হ্যা চলেন, শ্বশুড়ের সাথে বাসার ভীতরে এসেছি।
!!
সোনালী:- আসো তুমি ফ্রেস হবে অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছো?
!!
আমি:- হ্যা আসতেছি, আব্বাজান হাতটা ছাড়েন আমি ফ্রেস হতে যাবো।
!!
শ্বশুড়:- জামাই বাবা জ্বি আজকে তোমাকে নিয়ে একটু এলাকা গুরে দেখাবো কেমন?
!!
আমি:- আমার এলাকাটা সবটা চেনা আছে আপনি গুড়তে যান আমার সময় নেয়।
!!
শ্বশুড়:- কেনো সময় নেয়?
!!
আমি:- আপনার মেয়ে আমাকে নিয়ে কোথায় যাবে বলছে! যদি আপনার মেয়ে বলে তাহলে আপনার সাথে যাবো।
!!
শ্বশুড়:- জামাই বাবা জ্বি তুমি কি আমার শর্তের কথা গুলা ভূলে গেছো নাকী?
!!
আমি:- মনে আছে আব্বাজান তবে শর্তে কোথাও লিখা বা বলা নেয় আপনার মেয়ের সাথে তোথাও যেতে পারবোনা লিখা আছে হাত ধরে হাটতে পারবোনা। আপনি গিয়ে শ্বাশুমাকে সাহায্য করেন আমি একটু আপনার মেয়েকে সাহায্য করি।
!!
শ্বশুড়:- আরে জামাই কথা বলা শেষ হয়নি তো শুনো আমার কথাটা?
!!
আমি:- রাতে শুনবো এখন না বলে দৌরে উপরে সোনালীর কাছে চলে এসেছি।
!!
সোনালী:- এত দেরি হলো কেনো তোমার আসতে?
!!
আমি:- তোমার বাপ আছেনা আমাকে তো সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখতে চাই না জানি আমি তোমাকে স্পর্শ করে ফেলি।
!!
সোনালী:- তাহলে শর্তে রাজি হয়ে আমাকে বিয়ে করছো কেনো?
!!
আমি:- রাজি হয়েছি তখন তো মনে মনে ভাবছি বিয়ে হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে এখন তো সব শেষ হয়ে গেছে।
!!
সোনালী:- কি সব শেষ হয়ে গেছে তাহলে আমার কাছে এসেছো কেনো যাও রুম থেকে বের হও বলছি?
!!
আমি:- আরে তুমিও তো তোমার বাপের মত কথা কথা ঝগড়া করতে থাকো, আচ্ছা তুমি নাকী কোথায় নিয়ে যাবে?
!!
সোনালী:- আমি কখন বলছি তোমাকে নিয়ে যাবো আমি তো একা যাবো আমার বান্ধবীর গায়ের হলুদে।
!!
আমি:- প্লিজ আমাকে তুমি সাথে নিয়ে চলো প্লিজ তানা হলে তোমার আব্বু আমাকে এলাকা দেখাতে নিয়ে যাবে।
!!
সোনালী:- নিতে পারি একটা শর্তে।
!!
আমি:- আবারো শর্ত আচ্ছা শর্ত লাগবেনা তুমি একা যাও আমি যাবো না এই শর্তের চর্কে আমি শেষ।
!!
সোনালী:- ঠিক আছে যেতে হবে না তাহলে আমার জন্য ভালো হবে আমি আমার আগের লাভার সাথে কথা বলতে পারবো।
!!
আমি:- ঠিক আছে বলো গিয়ে, আমি রেগে রুম থেকে বের হয়ে সোজা ছাদের উপর চলে এসেছি। ব্যাঞ্চে বসে বসে নিজের মনের হাজারো স্বপ্নগুলিকে ধুলিসাদ দিতেছি। ব্যাঞ্চে বসে আছি প্রায় ঘন্টা খানেক হয়ে গেলো হঠাত মোবাইলের রিংটন বেজে উঠেছে। হাতে নিয়ে দেখি রিপার নাম্বার আরে এত দিন পর রিপা কেনো ফোন করেছে? তারা তারি করে রিসিব করতেই বলে,,,,,
!!
চলবে,,,,,,

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:- ৩)

0

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:- ৩)
!!
লেখা :- মোহাম্মদ সৌরভ
!!
শ্বশুড়ের কর্ম কান্ড আমার মুটেও সুবিদার লাগছেনা, যখন তখন ভিডিও কল করে বসে। খাইতে গেলে ভিডিও কল ঘুমাতে গেলে ভিডিও কল। মনে হচ্ছে দুনিয়াতে ওনার এক মাত্র মেয়ে আর কারো মেয়ে নেয়। আর এদিকে সোনালী ওর বাপের চেয়ে একটু এগিয়ে কোলে করে বাথরুম থেকে রুমে আনছি এখন সে একা একা হেটে নিছে চলে যাচ্ছে। আরে সোনালী শুনো তুমি না পরে গেছিলে বলে আমিও খাবার টেবিলে গেলাম।
!!
ভাবি:- সৌরভ তোমার চাইতে তো তোমার বউ এগিয়ে আছে।
!!
দুলাভাই:- মনে হয় বাসর ঘরে বিড়ালটা ঠিকমত মারতে পারেনি।
!!
সোনালী:- কি করে মারবে বিড়াল তো বাসর ঘরে ছিলো না। তখনি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়েছে।
!!
ভাবি:- সোনালী রাতে তুমি বাসর ঘরে ছিলে না?
!!
আমি:- হ্যা রুমে ছিলো আরে ভাবি তুমিও না দাও নাস্তা দাও খিদা লাগছে। আমরা সবাই নাস্তা করতেছি এনমি আব্বু এসে আমাকে বলে,,,
!!
আব্বু:- সৌরভ বউ মাকে নিয়ে তুই আজকে ঐ বাড়ীতে চলে যাবি, সকালে তোর শ্বশুড় ফোন করে বলছে।
!!
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে! আমি আর সোনালী দুজনে এক সাথে খাবার শেষ করেছি। আমি আগে রুমে এসেছি সোনালী একটু পর রুমে এসেছে।
!!
সোনালী:- আমাকে যে কোলে নিয়েছো এইটা যদি আব্বুকে বলি তাহলে তোমার জামাই গিরি আজ থেকে শেষ। সতুরাং আর কোন সময় আমাকে কোলে বা স্পর্শ করবে না যদি ওয়াদা দাও তাহলে আমি আব্বুকে কিছু বলবো না।
!!
আমি:- বলো তাও আমি এমন ওয়াদা দিতে পারবো না, তুমি পরে যাবে আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখবো তা কি করে হয়?
!!
সোনালী:- তাহলে তুমি এমন শর্ত মেনে আমাকে বিয়ে করছো কেনো?
!!
আমি:- আরে তখন তো মনে করছিলাম যে তোমাকে যখন একা পাবো তখন একটু আদর টাদর করবো। কিন্তু শ্বশুড় যে তোমাকে শর্তের কথা বলবে আর ভিডিও কল দিতে থাকবে কে যানে?
!!
সোনালী:- তুমি যানোনা এইটা আধুনিক যোগ এখন ঘরে বসে সারা বিশ্বের খবর রাখা যায়।
!!
আমি:- আচ্ছা আমাকে কি ক্ষমা করা যায়না?
!!
সোনালী:- করা যাবে তবে আব্বুর শর্ত যেদিন শেষ হবে। দেখি এখন সরেন আমি রেডি হবো বাড়ীতে যাওয়ার জন্য।
!!
আমি:- হ্যা হোনন আমার কি? আমি কি আপনাকে ধরে রাখছি নাকী?
!!
সোনালী:- ধরার সাহোস আছে নাকী লুকিয়ে লুকিয়ে কিস করতে পারবে। জীবনেও সামনা সামনি কিস করতে পারবে না। তুমি রুম থেকে এখন যাবে নাকী সব কিছু এখুনি আব্বুকে ফোন করে বলে দিব।
!!
আমি:- ফোন করতে হবে না আমি এখুনি বাহিরে যেতেছি। আমি বাহির হয়ে নিছে চলে এসেছি নিছে এসে দেখি ভাবি আর ভাইয়া দুষ্টমি করতেছে আমাকে দেখে ওরা আলাদা হয়ে গেছে।
!!
ভাবি:- সৌরভ তুমি রেডি হওনি?
!!
আমি:- সোনালী রেডি হচ্ছে আর আমি তো রেডি আছি।
!!
ভাবি:- আসলে তুমি সেই সনাতন জামানার আদি মানুষ রয়ে গেলে। যাও রুমে গিয়ে দেখো সোনালী শাড়ী কাপর নিয়ে বসে আছে আর তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
!!
আমি:- মানে ও বসে থাকলে কি আমাকে বের হয়ে আসতে বলে নাকী?
!!
ভাবি:- আরে বোকা বলছে বলেই তুমি চলে আসবে, আমিও এমন করেছি তোমার ভাইয়ারর সাথে আর পরে তোমার ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা করেছি। যদি সোনালী তোমার জন্য অপেক্ষা করে তাহলে বুঝবে সোনালী তোমাকে মন থেকে বর হিসাবে মেনে নিয়েছে।
!!
আমি:- ধন্যবাদ ভাবি বলে এক দৌরে রুমে চলে এসেছি। এসে দেখি সোনালী রেডি হয়ে বসে আছে আমাকে দেখে বলে,,,,
!!
সোনালী:- কি হলো এমন ভাবে দৌরে এসেছো কেনো?
!!
আমি:- এমনিতেই চলো এবার বের হওয়া যাক। (সোনালী মনে হয় এই বিয়েটাতে খুশি হয়নি) আচ্ছা তুমি নিছে যাও আমি আসতেছি, সোনালী নিছে গেছে আমি একটু চেইঞ্জ করে একদম ফ্রেস হয়ে নিছে গেছি। সোনালী আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
!!
আব্বু:- মা দুই দিন থেকে চলে এসো কেমন আর তোমার বাবা মাকে আমার সালাম জানিয়ে দিও কেমন?
!!
সোনালী:- আচ্ছা!
!!
আমি:- সোনালী আসো! দুজনে এসে গাড়িতে বসেছি গাড়িটা আমাদের নিজেদের। আমি সোনালীর পাশে বসে আছি সোনালীকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে নেভিব্লু লাল শাড়িতে মনে হচ্ছে একদম পরী বসে আছে। সোনালীর দিকে তাকিয়ে আছি আমি এক দৃষ্টতে।
!!
সোনালী:- ঐ এমন ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? জীবনে কোনো দিন মেয়ে মানুষ দেখোনি?
!!
আমি:- মেয়ে মানুষ দেখেছি তবে বউ দেখেনি তো তাই দু নয়ণ ভরে দেখে নিতেছি।
!!
সোনালী:- এমন ভাবে তাকিয়ে থাকবে না থাকলে চোখ তুলে ফেলবো। ঐ আবার তাকিয়ে আছে বলে আমার চোখে গুতু দেওয়ার বান করছে আর আঙুল এসে আমার চোখে লেগে গেছে,, আর সাথে সাথে আমি চোখ বন্ধ করে নিয়েছি। আরে কি হয়ছে আমাকে দেখতে তো দিবে বলে সোনালী দেখতে চাইছে কিন্তু আমি দিতেছিনা।
!!
আমি:- আচ্ছা যদি আমার চোখটা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কি করবো আমি?
!!
সোনালী:- বোকার মত কথা বলো কেনো এইটুকু গুতোতে কি চোখ নষ্ট হয় নাকী?
!!
আমি:- হতেও তো পারে যদি হয়ে যায় তাহলে কি করবে?
!!
সোনালী:- কি আর করবো বাকী চোখটা নষ্ট করে দিবো আর তোমাকে আজীমপুর কবরস্থানের সামনে বসিয়ে দিয়ে আসবো। এখন হাতটা সরাবে নাকী বাকীটাও নষ্ট করে দিবো?
!!
আমি:- তোমার বাবা তোমার চাইতে শত গুনে ভালো আর তুমি বউ না জল্লাদ এমন ভাবে কেও চোখে গুতো দেয় নাকী?
!!
সোনালী:- আমি কি ইচ্ছে করে দিয়েছি নাকী আমি তো মজা করে দিয়েছি আর আমি কি জানতাম লেগে যাবে?
!!
আমি:- তুমি ইচ্ছে করে দিয়েছো তখনি সোনালী আমার হাতটা ধরে চোখ থেকে সরাতে চাইছে। কিন্তু আমি সরাচ্ছিনা অনেকক্ষন জুরা জুরি করার পর হাতটা সরিয়েছি তখনি সোনালী আমার বুকের মাঝে চলে এসেছে। আমিও সুযোগ পেয়ে জড়িয়ে ধরেছি সোনালী নিজেকে এক জাটকাই ছাড়িয়ে নিয়ে মোবাইল বের করে শ্বশুড় মসায়কে ভিডিও কল করে বসছে,,,,,
!!
চলবে,,,,,,

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:-২)

0

শ্বশুড়েরশর্তেবিয়ে (পর্ব:-২)
!!
#লেখা :- মোহাম্মদ সৌরভ
!!
বাসর ঘরে শ্বশুড় ভিডিও কল দিছে ওনার মেয়েকে স্পর্শ করছি কিনা তা দেখার জন্য কারন শর্ত অনুযায়ী আমি ওনার মেয়েকে স্পর্শ করতে পারবো না। আর এক সাথে হাটতে পারবো না, শ্বশুড়ের কর্ম কান্ড আমার মেজাজ বারোটা বেজে গেছে।
!!
সোনালী:- আব্বু তোমার জামাইয়ের বিছনাটা দেখবে?
!!
লাওড স্পিকার দেওয়া তাই কথা গুলা স্পষ্ট শুনা যাচ্ছে। শ্বশুড় অনেক আগ্রহো নিয়ে সোনালীকে বলতেছে,,, হ্যা মা দেখমু দেখি তো জামাই কোথায় ঘুমাবে তার বিছনাটা একটু খানি।
!!
সোনালী:- বাবা ঐ দেখো একটা পাঠি আর বালিশ কি সুন্দর না তোমার জামাইয়ের বিছানাটা?
!!
শ্বশুড়:- হ্যা মা, আচ্ছা জামাই বাবা জ্বি কোথায় দেখছি না যে?
!!
সোনালী:- বাবা ফ্রেস হতে গেছে, তখনি আমি কাশি দিয়েছি, আমাকে দেখে সোনালী তার বাবাকে বলে,,, বাবা তোমার জামাই বাবা জ্বি এসেছে কথা বলবা?
!!
শ্বশুড়:- হ্যা মা দে তো একটু জামাইয়ের কাছে।
!!
সোনালী:- নাও তোমার সাথে আব্বু কথা বলবে বলে মোবাইলটা আমার হাতত ধরিয়ে দিয়েছে।
!!
আমি:- শ্বশুড়কে সালাম দিয়েছি ওনি উত্তর নি বলে,,,
!!
শ্বশুড়:- জামাই বাবা জ্বি তারা তারি ঘুমিয়ে পড় আর বেশি রাত জেগে গল্প করার দরকার নেয়।
!!
আমি:- আচ্ছা আব্বাজান এখন রাখেন কেমন আজকে তো আপনার মেয়ের বাসর রাত আমার সাথে তাহলে এখন রাখি কেমন?
!!
শ্বশুড়:- আরে বাসর রাত হয়ছে তো কি হয়ছে? শর্তের কথাটা মনে আছে তো নাকী ভূলে গেছো? আর শুনো অনেক রাত হয়ছে এখন ঘুমিয়ে পরো তা না হলে সকালে ফজর নামায কা,জা হয়ে যাবে। রোজ রাতে আমাকে ভিডিও কল করবে কেমন?
!!
আমি:- আচ্ছা করবো আপনার পাশে কেও নেয় নাকী?
!!
শ্বশুড়:- তোমার শ্বাশুমা আছে নাও কথা বলো বলে মোবাইল আমার শ্বাশুমার কাছে দিয়ে দিছে। ওনাকে সালাম দিয়ে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছি। আমি কল কাটতে বললে শ্বশুড়ি কথা গুড়িয়ে অন্য দিকে নেয়। শেষ মেষ সহ্য করতে না পেরে মোবাইল সোনালীর কাছে দিয়ে আমি শুয়ে পড়েছি। সোনালী তার মা বাবার সাথে কথা বলতেছে, আমার শ্বাশুড়ি মা কেমন ওনি কি জানে না আজকে ওনার মেয়ের বাসর রাত। দূর কিছু ভালো লাগছে না এখন ঘুমায় একটু পর আজান দিয়ে দিবে ফজরের। ঘুমাতে ঘুমাতে আপনাদের আমার পরিচয়টা একটু দিয়ে দেয়। আমি আল মোহাম্মদ সৌরভ, আমারর বড় এক আপু আর ভাইয়া আছে ওনারা আগে বিয়ে করেছে। আপু চট্রগ্রাম দুলাভাইয়ের সাথে থাকে আর ভাইয়া আব্বু সাথে ব্যবসা করে। আমরা সবাই ঢাকা থাকি আজকে আমার বিয়ে হয়ছে সোনালীর সাথে এইটা আপনারা সবাই তো জানেন। এখন ঘুমায় বাকী কথা সকালে বলবো বলে ঘুমিয়ে গেছি, সকালে ঘুম ভাঙছে ভাবির ডাকে।
!!
ভাবি:- সৌরভ উঠো সবাই তোমাদের জন্য নাস্তার টেবিলে অপেক্ষা করতেছে।
!!
আমি:- হ্যা ভাবি ফ্রেস হয়ে আসতেছি, ভাবি দরজার উপাশ থেকে ডেকে চলে গেছে। আমি তারা হুরা করে উঠে দেখি বউ আমার সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে। বাহ কত সুন্দর চেহেরা মনে হচ্ছে একটা বাচ্চা মেয়ে ঘুমিয়ে আছে। সকালের সোনালী রৌদের আলোতে সোনালীকে আরো সোনালী দেখাচ্ছে, সোনালীকে এমন অবস্থা দেখে নিজেকে আর কন্ট্রোল করে রাখতে পারিনি তাই কপালে আলতু করে আদর করে দিলাম। দেখে একটু খানি নরে চরে আবার শুয়ে আছে এবার গালে কিস করে দিয়েছি যখনি ঠোটে কিস করতে যাবো তখনি শ্বশুড় আমার ভিডিও কল করছে। তারা তারি করে আমি দূরে সরে গেছি আর সোনালীর ঘুম ভেঙে গেছে রিংটনের শব্দে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে কলটা রিসিব করতেই শ্বশুড় বলে,,
!!
শ্বশুড়:- মা আগে আমার জামাই বাবা জ্বির কাছে মোবাইলটা দে তো আমার একটু কথা আছে।
!!
সোনালী:- বাবা তোমার সাথে কথা বলবে নাও কথা বলো।
!!
আমি:- হ্যা দাও, আস্সালামু আলাইকুম আব্বাজান কেমন আছেন আপনি?
!!
শ্বশুড়:- উলাইকুম আস্সালাম, ভালো আছি শুনো বাবা আমি তো কেমন মানুষ তুমি জানো তাই আমার বার না চেয়ে তুমি আজকে সোনালীকে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে চলে এসো কেমন।
!!
আমি:- কিন্তু আব্বু আম্মু যদি কিছু বলে তাহলে কি বলবো?
!!
শ্বশুড়:- শর্তের কথাটা মনে আছে তো নাকী মনে করিয়ে দিতে হবে?
!!
আমি:- হ্যা মনে আছে আচ্ছা এখন রাখি কেমন আপনার মেয়েকে নিয়ে নিছে যেতে হবে সবাই নাস্তার টেবিলে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
!!
শ্বশুড়:- বাবা আরেকটা কথা রাতে ঘুম হয়ছে তো ঠিক ঠাক মত আমার মেয়েকে কিন্তু স্পর্শ করবে না আর যদি করো তাহলে তো বুঝবা কেমন লাগে।
!!
আমি:- হ্যা বাবা অনেক সুন্দর ঘুম আসছে, তখনি সোনালী বাথরুমে ফ্রেস হতে গিয়ে পরে গেছে। আব্বাজান আপনার মেয়ে তো বাথরুমে পরে গেছে এই দেখেন এখন কি আমি ওকে ধরে উঠাবো?
!!
শ্বশুড়:- না এখন তুমি ধরোনা আমার মেয়ে অনেক সাহোসি সে নিজে নিজে উঠতে পারবে।
!!
সোনালী:- আব্বু আমি উঠতে পারছিনা এখন কি করবো?
!!
শ্বশুড়:- জামাই বাবাজ্বি তুমি সোনালীর হাত ধরে উঠাবে ভূল করে কিন্তু কোলে নিবে না। আর কল কাটার দরকার নেই তখনি আমি কলটা কেটে দিয়ে নেট অফ করে দিছি।
!!
সোনালী:- কি হলো কলটা কাটছেন কেনো?
!!
আমি:- ইচ্ছা হয়ছে তাই দেখি উঠো বলে সোনালীকে জড়িয়ে ধরে সোজা কোলে তুলে নিয়েছি।
!!
সোনালী:- আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন আবার কোলে নিয়েছেন সাহোস তো কম না আপনার? আপনি কি আব্বুর শর্তের কথা গুলা ভূলে গেছেন নাকী?
!!
আমি:- কোন কিছু ভূলিনি আমার সব মনে আছে, এখন আসেন রুমে যাই সোনালীকে কোলে করে রুমে নিয়ে এসেছি। আপনি শুয়ে রেস্ট নেন আমি খাবার নিয়ে আসতেছি।
!!
সোনালী:- থাক আমি নিজেই যেতে পারবো বলে খাঠের উপর থেকে নেমে সোজা হাটা দিয়েছে। আমি তাকিয়ে তো পুরাই অবাক হয়ে গেছি আরে এইটা কি?
!!
চলবে,,,,,,

শ্বশুড়ের শর্তে বিয়ে (পর্ব:-১)

0

শ্বশুড়ের শর্তে বিয়ে (পর্ব:-১)
!!
#লেখা :- মোহাম্মদ সৌরভ
!!
আব্বাজান আপনার মেয়ে তো আমাকে জড়িয়ে ধরেছে এখন আমি কি আপনার মেয়েকে জড়িয়ে ধরতে পারি। শ্বশুড় আমার দিকে তাকিয়ে কটমট করে দাত গুলা ভাঙছে, আর আমি কথাটা বলে আমি সোজা শিড়ি দিয়ে উপরে দিকে হাটা দিয়েছি। আর ঐ দিকে বাড়ীর সবাই আমার শ্বশুড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
!!
আসলে কাহিনীটা হলো কি, আমি সোনালীকে ভালোবাসি তবে এইটা সোনালী জানতো না তাই আগে শ্বশুড় মসায়ের কাছে এসে বলছি,,, আমি আপনার মেয়েকে ভালোবাসি এইটা আপনার মেয়ে জানে না। আপনাকে আগে বলে গেলাম কারন যদিও আপনার মেয়েকে কষ্ট করে পটিয়ে আমার প্রেমের ফাদে ফেলে নেয়। তখন পরে আপনি বলবেন আমার সাথে আপনার মেয়ের বিয়ে দিবেন না। তাই আগে বাগে আপনাকে বলে দিলাম।
!!
তোমার সাহোস আছে বলতে হবে। তানা হলে কেও সরাসরি মেয়ের বাপের কাছে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে আসে নাকি?
!!
আমার সাহোস নেয় তবে ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস আর আপনার প্রতি সম্মান আছে। তাই আমি চাইছি আপনাকে আগে বলে রাখি।
!!
যদি আমি রাজি না থাকি তাহলে কি করবে?
!!
আপনার মেয়েকে পটিয়ে বাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করবো। আপনি তখন কিছু করতে পারবেন না।
!!
হুব শ্বশুর কিছুক্ষন চুপ থাকর পর বলে,,, ঠিক আছে তাহলে আমার একটা শর্ত আছে সেইটা শর্তে রাজি থাকলে আমার মেয়েকে সসোজা তোমার কাছে ববিয়ে দিয়ে দদেব। আর কষ্ট করে প্রেম টেম করে আমার সম্মান নষ্ট করতে হবে না।
!!
শর্ত আগে শুনি তারপর ভেবে চিন্তা করে উত্তর দিবো।
!!
না আগে তুমি আমাকে কথা দিতে হবে, আগে বলো আমার শর্তে রাজি থাকবে।
!!
আমি একটু চুপ হয়ে কিছুটা ভাবনা চিন্তা করে হ্যা বলে দিয়েছি আর তখনি হুব শ্বশুর খুসিতে লাফাতে লাগলো। আরে আপনি লাফাচ্ছেন কেনো আগে তো শর্তটা দেন।
!!
লাফালাফি থামিয়ে বলে,,, তুমি আমার মেয়েকে বিয়ের পর জড়িয়ে ধরতে পারবে না, কিস করতে পারবে না, হাত ধরে রাস্থায় হাটতে পারবে না, এক কথা আমার মেয়েকে কোন রকম স্পর্শ করতে পারবে না।
!!
আপনি এই গুলা কি শর্ত দিতেছেন? বিয়ের পর তো আপনার মেয়ে আমার বউ হবে। আর একজন বর তার বউকে স্পর্শ করতে পারবে না এইটা কেমন কথা?
!!
এত কিছু বুঝি না, যদি আমার এই শর্তে তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাও তাহলে বলো তা না হলে আমি আমার মেয়েকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেবো।
!!
কিছুটা চিন্তা করে শ্বশুড়ের শর্তে রাজি হয়ে গেলাম। বাড়ীতে গিয়ে আম্মুকে বলাতে আম্মু অনেক খুসি হয়েছে। আম্মু আর আব্বু মিলে সব বিয়ের ব্যবস্থা করেছে। দুই দিনের মধ্যে বিয়ের সব ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলছে, আজকে আমার বিয়ে সোনালীর সাথে। ভাবি ভাইয়া আব্বু সহ সবাই সৌনালীদের বাড়ীতে গেছি। আগে বিয়ের কাজটা শেষ করে নিয়েছে শ্বশুড় মসায় পরে খাবার খেতে দিয়েছে। ঐ দিকে আমার খিদার চুটে পেট চু চু করছে শ্বশুড় আপনাকে আমি মজাটা পরে বুঝাবো।
!!
শ্বশুর:- সোনালীর মা সোনালীকে নিয়ে এসো, শ্বাশুড়ি গিয়ে সোনালীকে নিয়ে এসেছে। আমার সামনে সোনালীকে দ্বাড় করিয়ে শ্বশুড় কিছু আবেগ প্রবন কথা বার্ত্রা বলেছে।
!!
আমি:- জ্বি আব্বাজান আপনি কোন চিন্তা করবেন না আমি আপনার সব কথা শুনবো, আর সোনালীকে অনেক সুখে রাখবো। আচ্ছা তাহলে আমরা যাই কেমন বলে সোনালীর হাত ধরতে যাবো তখনি,,
!!
শ্বশুড়:- আরে জামাই কি করছো আমার কথাটা কি তোমার মনে নেই নাকী।
!!
আমি:- হ্যা মনে আছে, তখনি শ্বশুড় মসায় আমার কানের কাছে এসে বলে,,,
!!
শ্বশুড়:- আমার মেয়ে আমাদের শর্তের কথা, যদি জোর করে আমার মেয়েকে স্পর্শ করো তাহলে এর পরিনাম কিন্তু ভালো হবে না। শর্ত অনুযায়ী আমি তোমাকে জেলের ভাত খাওয়াবো আর এলাকায় তোমার নামে দূরনাম ছড়িয়ে দিবো।
!!
আমি:- হ্যা আমার সব শর্তের কথা মনে আছে! আচ্ছা আমি তাহলে যাই বলে শ্বশুড়কে সালাম দিয়ে সোজা একা হেটে গাড়ীতে এসে বসে পড়েছি। আমার পিছু পিছু সোনালী এসে বসেছে আমি চুপ করে বসে পরেছে। আচ্ছা একটা কথা বলার ছিলো যদি অনুমতি দেন তাহলে বলতে পারি?
!!
সোনালী:- আব্বুর শর্তে আপনি আমাকে স্পর্শ ছাড়া বাকী সব কিছু করতে পারবেন। আমার সাথে গল্প করতে পারবেন হাসতে পারবেন আর যা যা ইচ্ছে হয় তা তা।
!!
আমি:- আমাকে কি আপনি মন থেকে বর হিসাবে মেনে নিয়েছেন নাকী আপনার আব্বুর শর্তের জন্য বিয়ে করেছেন?
!!
সোনালী:- আমি আমার আব্বুকে অনেক ভালোবাসি আর আপনাকে তো আমি বিয়ে করতে চাইনি আমি যাকে বিয়ে করতে চাইছি সে আব্বুর শর্তে রাজি হয়নি তাই আমাদের ব্রেকাপ হয়ে গেছে।
!!
আমি:- আপনি কাওকে লাভ করতেন?
!!
সোনালী:- কিছুটা, এখন আব্বু যা বলবে আমি তাই করবো। তখনি গাড়ীটা থামছে আমাদের বাড়ীর সামনে,
গাড়ী থেকে দুজনে এক সাথে নামছি সোনালী আর আমি পাশা পাশি হেটে দরজার সামনে গেছি। আম্মু আমাদের বরন করে নিয়েছে রাত বেশি হয়ে যাওয়াতে আমাদের দুজনকে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
!!
ভাবি:- দেবরজ্বি বিড়ালটা ঠিক ঠাক মত মারবে কিন্তু বলে একটা হাসি দিয়ে ওদাও।
!!
সোনালী:- রুমে বিড়াল কোথা থেকে এসেছে?
!!
আমি:- মানে বুঝিনি কি বলছো?
!!
সোনালী:- ঐ ভাবি যে বলছে বিড়ালটা মারতে তাই বলছি এই আর কি, আচ্ছা আমি ঘুমায় আপনি নিছে ঘুমাবেন কিন্তু কারন খাঠের উপর আমার সাথে থাকলে যদি ঘুমের মাঝে আমার শরীরের সাথে আপনার স্পর্শ লেগে যায়।
!!
আমি:- ঠিক আছে! আরে মেয়ে তো আরো তেরা যেমন বাপ তেমন মেয়ে যায় একটু উয়াশ রুম থেকে আসি, মনে মনে শ্বশুড়কে কিছুটা বকা জকা করে চলে গেলাম ফ্রেস হতে। কিছুক্ষণ পর বের হয়ে দেখি সোনালী ভিডিও কলে তার বাবার সাথে কথা বলছে আর হাসতেছে,,,,,,
!!
To be Continue

একটি কষ্টের গল্প

1

একটা ছেলে আর একটা মেয়ের দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল,,
ছেলেটা বেশি লেখাপড়া করেনি আর মেয়েটা মোটামুটি লেখাপড়া জানত,,
ছেলেটার খুব বুদ্ধি ছিল আর মেয়েটাকে খুব ভালোবাসতো ,,

ওরা দুজন বিবাহিত জীবনে খুব খুশি ছিল,,

ছেলেটা যা রোজগার করে আনত সব মেয়েটাকে দিয়ে দিত,,
এই ভাবে অনেক বছর কেটে গেল ,,
কিন্তু মেয়েটার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বলত মেয়েটা এখন একটা বাচ্চা কেন হল না,,
সবাই মেয়েটাকে খোঁটা দিত আর বলতো একটা বাঁজার সাথে আমরা আমাদের ছেলের বিয়ে দিয়েছি,,

একটা বাচ্চার শুখ আমাদের দিতে পারল না,,

মেয়েটা খুব কাঁদতো ওদের কথা শুনে,,

কিন্তু এতে ওই মেয়েটার কোনো দোষ ছিল না,,

যখন ছেলেটা সব জানতে পারলো তখন মেয়েটার দুঃখ বুঝতে পারল ,,

ওরা ঠিক করল একটা বাচ্চা দত্তক নেবে আর একটা মেয়েকে দত্তক নিলো তার নাম রাখল সৃজা,,

ওরা দুজনে খুব ভালোবাসতো সৃজাকে ছেলেটা সৃজাকে বেশি ভালবাসতো,,

ওর ছোট ছোট খুশিগুলোকে খুব খেয়াল রাখতো ,,
ওর কোন জিনিসের যেন কম না হয় সেদিকে খুব নজর রাখত ,,
কিছু বছর পর মেয়েটা প্রেগনেন্ট হল আর ওদের একটা ছেলে হল ,,
ছেলেটা জন্মানোর পর ওরা ছেলেটাকে ভালোবাসতো,,
ওই বাচ্চা দুটোর মধ্যে যখন মারপিট হতো তখন মেয়েটাকে মেয়েটার মা খুব মারতো ,,

এই কথাটা যখন ওর বাবা জানতে পারল তখন ওর মাকে বোঝালো কিন্তু তাও কোন কথা শুনল না ,,
নিজের বরের কাছে নালিশ করতো সৃজার নামে,,

ধীরে ধীরে লোকটাও সৃজাকে ঘৃণা করতে শুরু করল,,
ওরা দুজন সৃজার যত্ন নেওয়া ছেড়ে দিল ও খাবার খেলো কি না খেলো সেটা ওর বাবা-মা দেখতো না,,

ওদের সব ভালোবাসা ওই ছেলেটাকে দিত ,,

কিছুদিন পরে সৃজার পড়াশোনা বন্ধ করে দিল,,
সৃজার পড়াশোনার খুব মন ছিল,,কিন্তু ওরা সৃজার স্কুলে fees ভরত না ,,

সৃজা লোকের বাড়ি কাজ করে স্কুলে fees ভরত একদিন ওর মা বলল তোর কাছে এত টাকা কোথা থেকে এলো…?
তখন মেয়েটা বলল আমি লোকের বাড়িতে কাজ করে টাকা জমিয়েছি,,
তখন মেয়েটার মা বলল মিথ্যে কথা বলছিস,,
কি জানি কি কাজ করে টাকা জমিয়েছিস,,
তখন ওর মা সব টাকা গুলো নিয়ে ওকে ঘর থেকে বার করে দিল,,

তখন সৃজা কাঁদতে কাঁদতে রাস্তা দিয়ে নিজের বেখেয়ালে ছুটে যাচ্ছিল,, হঠাৎ একটা গাড়ির ধাক্কা লেগে সৃজার মৃত্যু হয়ে গেল,,

এই sms ওই মাতা পিতার জন্য যারা বাচ্চা দত্তক নেয় অথচ দায়িত্ব পালন করতে পারে না,, বাচ্চা নিজের হোক বা দত্তক নেওয়া,,
সে তো একটা বাচ্চাই যদি বাচ্চাকে দত্তক নিয়ে আর লালন পালন করতে না পারেন তাহলে তাকে দত্তক না নেওয়াই ভালো,, যতদিন নিজের বাচ্চা ছিল না তখন এই বাচ্চাটাকে ভালবাসত,,
আর যখন নিজের বাচ্চা হল তখন এই বাচ্চাটাকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিল,, এটাই কি ছিল সৃজার নিয়তি…..

  • লেখিকাঃ swapna