Wednesday, June 18, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2399



অজানা_অনুভূতি পার্ট: ৪

0

অজানা_অনুভূতি

পার্ট: ৪

#Rabeya Sultana Nipa

 

মিলির শ্বশুর বাড়ি থেকে সবাই চলে এসেছে। মিলিকে সাজিয়ে বসে রেখেছে।বিয়ে পড়ানো শেষ করে সবাই বরের কাছে গেলো নীরা,প্রাপ্তি,নাজিফা, মিলির আরো অনেক কাজিনরা সহ মিলির বরকে খেপানোর চেষ্টা করছে।ফারহান সবার এইগুলো দেখে প্রাপ্তিকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রাপ্তি -ফারহান, কি করছো এইসব।সবাই দেখছেতো।

ফারহান -,,,,,,

প্রাপ্তি -প্লিজ ফারহান কি হয়েছে বলবে তো।এই রকম ভাবে হাত টেনে আনতেছো কেনো?
ফারহান কিছু না বলে তার মায়ের কাছে নিয়ে বসালো।

ফারহান -আন্টি প্রাপ্তিকে আপনার সাথে রাখেন।যখন তখন যা ইচ্ছা তাই করে।

প্রাপ্তির মা – কি হয়েছে?আমাকে বলো।

ফারহান -ও সবার সাথে গিয়ে মিলির বরকে জ্বালানোর চেষ্টা করছে।আর ওদের এইসব ফাজলামো ছেলেরা বসে বসে দেখছে।

প্রাপ্তি -আমি তো ইচ্ছা করে যাইনি ওরা সবাই আমাকে জোর করে নিয়ে গেছিলো।
এই জন্য তুমি আমাকে গরু মতো টানতে টানতে নিয়ে এলে?

ফারহান -হুম ঠিকি বুজেছো।

প্রাপ্তি ফারহানকে কিছু না বলে চুপ করে নিছের দিকে তাকিয়ে বসে আছে।ফারহান ও আর কিছু না বলে চলে গেছে।

সন্ধ্যায় মিলিকে বিদায় দিয়ে প্রাপ্তিরাও বাসায় চলে এসেছে। ওর ফুফি আসতে দিচ্ছিলোনা কিন্তু কিছু করার নাই।সবারই কাজ আছে।ওই বাড়ি থেকে এসে সবাই ফ্রেশ হয়ে যেই যার মতো করে কাজ করছে।
ওইখান থেকে আসার পর প্রাপ্তি ফারহানের সাথে একটা কথাও বলিনি।ফারহান বার বার সরি বলেছে তবুও প্রাপ্তি কথা বলেনি।

নীর, নীর তুমি কি ঘুমাচ্ছো।ফারহান নীরকে ডাকতে ডাকতেই নীরের রুমে এসে বসলো।

নীর -ভাইয়া কিছু বলবে?

ফারহান -তোমার বোন তো আমার উপর এখনো রেগে আছে কি করবো বলতো। কাল আমি ঢাকা চলে যাবো। আম্মু ফোন করেছে তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য। কিন্তু প্রাপ্তি এইভাবে থাকলে আমি কিছুতেই যেতে পারবোনা।

নীর -কিছু হবে না।সব ঠিক হয়ে যাবে।প্রাপ্তির মন ভালো হলে ও নিজেই কথা বলবে।আপনার চিন্তা করতে হবে না।

এই দিকে প্রাপ্তি ফোন নিয়ে বসে আছে আয়ানের অপেক্ষায়।কখন সে তার সাথে কথা বলবে।প্রাপ্তি মনে মনে ভাবছে আমি এই ছেটার জন্য কেন অপেক্ষা করছি।আমি কি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। না আমি ওকে কেন ভালোবাসবো যাকে আমি চিনি না জানি না।কিন্তু আমার মন কেন জানি তার কথায় ভাবে।
এইভাবে প্রতি রাতে প্রাপ্তি আর আয়ানের কথা চলতে থাকে। তারা একে উপরকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে।কিন্তু এখনো কেউ কাউকে বলতে পারেনাই।
আয়ান ভাবছে আজকে প্রাপ্তিকে বলবে তার মনের কথা।
আয়ানের ভাবার মাঝেই প্রাপ্তির এসএমএস।
প্রাপ্তি -কি করো তুমি? আজ সারাদিন কই ছিলা?

আয়ান -তোমার কথায় ভাবছিলাম।কি করো তুমি?

প্রাপ্তি -কিছু না।কি ভাবছো তুমি আমার কথা?

আয়ান -বললে যদি তুমি রাগ করো? তাই সাহস হচ্ছে না।

প্রাপ্তি -কেন রাগ করবো? যা বলবে বলে ফেলো।

আয়ান -না মানে,,,,, তোমার নাম্বারটা দিতে পারবে?ফোনেই বলবো সব। যদি না দিতে চাও আমি কিছু মনে করবো না।

প্রাপ্তি -ঠিক আছে,, তবে সবসময় ফোন দিও না। যখন ফোন করবে আগে আমাকে এসএমএস এ জানাবে।০১৭………….।তবে আজ কথা বলতে পারবো না।।কাল কথা বলবো।

আয়ান -thanks প্রাপ্তি।আমি ভাবতেই পারি নাই তুমি আমাকে নাম্বার দিবে।ঠিক আছে তুমি বললেই আমি ফোন দিবো এর আগে না।

এইভাবে দুজনে পুরো রাত কথা বলতে থাকে।

পরেরদিন আয়ান ভাবছে প্রাপ্তির সাথে কখন কথা বলবে।মাঝে মাঝে প্রাপ্তির কথায় বুজা যায় প্রাপ্তি বড় ঘরের মেয়ে।বড়লোকের মেয়েরা দুইদিন কথা বলে ছেলেদের মন নিয়ে খেলা করে আবার সব কিছু ভুলেও যায়।কিন্তু প্রাপ্তি সাথে কথা বলে যতোটুকো বুজেছি প্রাপ্তি ওই মেয়েদের মতো না।
কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই প্রাপ্তির এসএমএস।

তুমি কই ফোন দিবেনা?

আয়ান সাথে সাথেই ফোন দিয়েছে।

প্রাপ্তি -আসসালামু আলাইকুম!

আয়ান -ওয়ালাইকুম সালাম।
এখনকার মেয়েরাও তাহলে সালাম দেয়।

প্রাপ্তি -তোমার কথাটা ভুল। মুসলমান হিসেবে সবারই সালাম দেওয়া উচিত। যাই হোক কেমন আছো?

আয়ান -ভালো।তুমি?

প্রাপ্তি -ভালো।এতোক্ষন কি করছিলে?

আয়ান -একটা অজানা মানুষের কথা ভাবছিলাম।যার কথায় সারাক্ষণ মাথায় ঘুরতে থাকে।আচ্ছা তারও কি আমার মতো হয়?

প্রাপ্তি -একটু চুপ থেকে,হতেও তো পারে।কিন্তু সব কথা তো আর মুখ ফুটে বলা যায় না।

আয়ান -এতো দিন তোমার সাথে কথা বলে বুজেছি তুমি অনেক বড় লোকের মেয়ে।তাই ভাবলাম তুমি কি আর আমার কথা ভাববে।

প্রাপ্তি-আমি কখনো তোমায় বলছি? আমি বড়লোকের মেয়ে?

আয়ান -বলা লাগবে কেন বুজেনিতে হয়।এইভাবে পুরো রাত তাদের কথা চলতে থাকে।
কথা বলতে বলতে কখন ভোর হয়ে গেলো দুজনে টেরি পেলো না।

আয়ান -প্রাপ্তি তুমি এখন একটু ঘুমাও না হলে আজ আর কলেজে যেতে পারবে না।

প্রাপ্তি -ঠিক আছে।তুমিও ভালো থেকো।

ফোন রেখে ঘুম মাএ চোখে এসেছে এমন সময় প্রাপ্তির মা এসে ডাকাডাকি শুরু করলো।

প্রাপ্তির মা-প্রাপ্তি! প্রাপ্তি! নামাজ পড়বিনা।উঠে গিয়ে নামাজ পড়েনে।
আমি যেন দ্বিতীয় বার ডাকতে না হয়।

মায়ের কথা শুনে প্রাপ্তি উঠে নামাজ পড়তে গেলো।
নামাজ পড়া শেষ করে বারান্দায় গিয়ে বসলো।মনে মনে ভাবলো এখন ঘুমালে আজকেও আর কলেজে যাওয়া হবে না।

একটু পর নীরা এসে বললো কিরে কাল সারারাত ঘুমাসনি তাই না?

প্রাপ্তি -তুই কি করে জানলি?

নীরা -আমি তো জানতাম না। কিন্তু একটু আগে জানলাম।

প্রাপ্তি -মানে? কে বললো তোকে?

নীরা -ফারহান ভাইয়া একটু আগে বড় মার ফোনে ফোন করেছিলো আমি কথা বলছি তার সাথে তোর ফোন নাকি সারারাত busy ছিলো।ও তোকে অনেক বার ফোন করে ছিলো। সেও ঘুমায়নি কাল রাতে।

প্রাপ্তি -ও কি পাগল নাকি? আমি যার সাথেই কথা বলি ওর সমস্যা টা কি?

নীরা -আমি কি করে জানবো।যাই হোক সারারাত কার সাথে কথা বলেছিস?

প্রাপ্তি -আয়ানের সাথে। জানিস পুরো রাত আমি ওর সাথেই কথা বলেছি।কিযে ভালোলেগেছে তোকে বুজাতে পারবো না।

নীরা -যার সাথে এসএমএস করিস ওই ছেলেটা না?

প্রাপ্তি -হ্যা।আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু বলতে পারছি না।কি করি বলতো?

নীরা -কি করবি!,,,,,,সবাইকে বলে পারমিশন নিয়ে আয়।না হলে এই প্রেমে তুই একদিন ডুবেই মরবি।

প্রাপ্তি -তুই এইসব কি বলছিস? আমি তো কিছুই বুজতেছি না।

নীরা -তুই ভালো করেই জানিস এই ফ্যামিলির লোক গুলো কি রকম।তুই কি ভাবছিস এরা সব মেনে নিবে? কখনোই মেনে নিবে না বলে নীরার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে শুরু করলো।

প্রাপ্তি -কি আজিব ব্যাপার! তুই কাঁদছিস কেনো? নাকি তুইও কি কাউকে ভালোবাসিস?সত্যি করে বলতো কি ব্যাপার।
নীরা মুখ দিয়ে কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়িয়ে হ্যা বুজালো।

চলবে,,,,,,

(ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করে দিবেন।কারন মানুষ মাএই ভুল করে।)

অজানা_অনুভূতি। পার্ট: ৩

0

অজানা_অনুভূতি।

পার্ট: ৩

#Rabeya Sultana Nipa

 

মিলি কে নিয়ে নীরা আর মিলির কাজিন পার্লারে নিয়ে গেছে সাজাতে।মিলি প্রাপ্তিকে জোর করেছে যাওয়ার জন্য সে যাইনি। প্রাপ্তির পার্লারে সাজতে ভালোলাগে না। তাই সে নিজেই সাজবে বলে ঠিক করেছে।
প্রাপ্তিকে একা বসে থাকতে দেখে প্রাপ্তির মা এসে বললো

প্রাপ্তির মা-কিরে তুই ওদের সাথে যাসনি কেন? সবাই মিলে গিয়ে এক সাথে সেজে আসতি।এখন তুই একা একা বসে আছিস।

প্রাপ্তি -মা তুমি তো জানোই আমার এইসব ভালোলাগে না।
কথা না বলতেই ফারহান এসে বললো
তোমার তো এইসব তো ভালোলাগবে না কারণ তুমি ৬০ দশকের বুড়ি।বুড়িরা কখনো পার্লারে যায়না।

প্রাপ্তি -আচ্ছা তোমার কি আর খেয়েদেয়ে কাজ নাই? শুধু আমার পিছনে পড়ে থাকো কেনো?

প্রাপ্তির মা -তুই ওর সাথে এইভাবে কথা বলছিস কেন? ফারহান কতো ভালো ছেলে।ও সবসময় তোর ভালোটাই চায়।

ফারহান -আন্টি এক কাজ করেন আপনি ওকে আপনার হাতে সাজিয়ে দিন।বুড়ি মানুষতো সাজতে পারবে না।

প্রাপ্তি -মা দেখেছো? বেশী ভালো হবে না কিন্তু।

প্রাপ্তির মা -তোদের যা ইচ্ছা কর আমি যাই আমার অনেক কাজ আছে।একটু পর আবার মিলিও চলে আসবে।তুই যা রেডি হয়ে নে।
কথা গুলো বলতে বলতে প্রাপ্তির মা চলে গেলো।

ফারহান -কিরে বুড়ি এবার যা গিয়ে ভালো করে সাজ।না হলে বুড়ির দিকে কেউ তাকাবে না।

প্রাপ্তি -দাঁড়া আজকে তোমাকে দেখচ্ছি বলে ফারহানের পিছন পিছন দৌঁড়াতে শুরু করলো।সবাই তাদের কান্ড দেখে হাসছে।প্রাপ্তির মেজো কাকা এসে দেখে প্রাপ্তি ফারহানকে মারার জন্য চেষ্টা করছে।

মেজো কাকা -প্রাপ্তি! তোদের আবার কি হলো?

পাপ্তি -কাকাই ফারহান আমাকে বুড়ি বলে ডাকে।আমি বুড়ি নাকি,ও আমায় বুড়ি বলে ডাকবে।

মেজো কাকা -ফারহান! আর কখনো প্রাপ্তিকে বুড়ি বলে ডাকবে না।বলেই হেঁসে দিলেন তিনি।

প্রাপ্তি আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলো।

নীরা, মিলি সবাই এসে গেছে। নীরা ও মিলির সাথে অনেক সুন্দর করে সেজেছে।
কিন্তু প্রাপ্তি রুম থেকে এখনো বের হয়নি।নীরা এসে তার বড় মাকে জিজ্ঞাস করলো প্রাপ্তি কোথায়?

বড় মা -একটু আগেও তো ফারহানের সাথে ঝগড়া করছলো।দেখ কোথায় আছে।

নীরা প্রাপ্তির রুমে গিয়ে দরজা খোলার আগেই প্রাপ্তি বেরিয়ে আসলো।

প্রাপ্তি -নীরা আমাকে কেমন লাগছে?

নীরা কিছু বলার আগেই পিছন থেকে ফারহান এসে বললো

ফারহান -প্রাপ্তি তোমাকে সত্যি আজ অনেক সুন্দর লাগছে।আমি তো চোখ ফেরাতে পারছি না।

প্রাপ্তি -আমি তোমাকে জিজ্ঞাস করছি?

নীরা -আবার শুরু করে দিলি?ফারহান ভাইয়া আজকের দিনও এই রকম করবেন?
প্রাপ্তি! চল সবাই বসে অপেক্ষা করছে।

নীরা আর প্রাপ্তি চলে গেলো। ফারহান প্রাপ্তির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছে।সত্যি আজ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। সবার থেকে আমার কাছে আজ তুমি আলাদা একটা মানুষ। আমি তোমায় এতো ভালোবাসি কিন্তু তুমি একবারের জন্য বুজার চেষ্টা করোনা।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে।সারা দিনের ক্লান্তিতে প্রাপ্তি সবার সাথে আড্ডা না দিয়ে শুয়ে পড়লো।
হঠাৎ আয়ানের কথা মাথায় আসতেই
ফোনের কথা মনে হলো। ফোন হাতে নিয়ে দেখে অনেক গুলো এসএমএস আয়ানের
আয়ান -আপনি কোথায় হারিয়ে গেলেন?
কি করেন?
সকালে আমি কিন্তু আগে এসএমএস দিছি।
আপনি কি রাগ করছেন?
আরো অনেক কিছু।
প্রাপ্তি এসএমএস গুলো দেখে কি বলবে বুজতে পারছে।আসলেই তো সারা দিন একটা এসএমএস ও দেওয়া হয়নি।
তারপর প্রাপ্তি সরি লিখে পাঠালো।
এসএমএস যাওয়ার সাথে সাথে আয়ান বললো

আয়ান – সরি কেন?

প্রাপ্তি -আপনি ঘুমান নাই?

আয়ান -কোনো এক মানুষের অপেক্ষায় বসে আছি।কিন্তু তার আমার কথা হয়তো মনেই নাই কেউ এক জন্য তার অপেক্ষায় বসে আছে।

প্রাপ্তি -তাই? কে এই মানুষ? যার জন্য আপনি এতো রাতেও অপেক্ষা করে বসে আছেন?

আয়ান -যদি বলি আপনি?

প্রাপ্তি -আপনি কাউকে না দেখেই তার জন্য অপেক্ষা করছেন? এইটা তো ঠিক না।

আয়ান -কে বললো আমি আপনাকে দেখিনি। আমার মনে হয় আপনি আমার অনেক চিনা।

প্রাপ্তি -তাই নাকি? আচ্ছা পরে কথা বলবো।অনেক রাত হয়েছে আপনি ঘুমান।আর সকালের এসএমএস এর জন্য thanks আমার মনে হয় কাল সারারাত জেগে ছিলেন।যাই কাল কথা হয়তো বেশী হবে না।তাই আগেই বলে দিলাম।

আয়ান -আচ্ছা ঠিক আছে।আপনি যখনি আসবেন আমাকে সরণ করবেন।

দুজনেই কথা শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লো।

সকাল বেলা ফারহানের ডাকে প্রাপ্তির ঘুম ভাঙলো।

ফারহান -শুভ সকাল প্রাপ্তি!

ফারহান কে কফি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে

প্রাপ্তি -তুমি! শুভ সকাল।হঠাৎ কফি ” কার জন্য নিয়ে আসছো?

ফারহান -আমার ভালোবাসার জন্য।

প্রাপ্তি -সারাক্ষণ আমাকে জ্বালাতে তোমার ভালো লাগে।

ফারহান-তোমাকে জ্বালাবো না তো কাকে জালাবো? অভ্যাস করো হয়তো সারাজীবন সইতে হতে পারে।

প্রাপ্তি -আমি কেন তোমার জ্বালা সইতে যাবো।

ফারহান -কিছু না,গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিছে আসো।সবাই বসে আছে।

নীরা এসে ফারহান কে দেখে ভাইয়া আপনি এইখানে? আব্বু আপনাকে খুঁজছে। তাড়াতাড়ি গিয়ে দেখা করেন।প্রাপ্তির পিছনে পড়ে থাকলে হবে না।

চলবে,,,,,

অজানা_অনুভূতি পার্ট: ২

0

অজানা_অনুভূতি

পার্ট: ২

#Rabeya Sultana Nipa

 

ফুফুর বাড়ী আসতে না আসতেই সবার ভালোবাসায় ভালোই লাগলো।মিলির সাথে অনেক দিনে দেখা পৃথিবীর সব কথা যেন আজ শেষ করতে পারবোনা।ফুফি আমাকে আর নীরাকে একটা রুমে নিয়ে আসলেন।

ফুফি-দুজনে এই রুমেই থাকবে।পাশের রুমটা মিলির।
আর তোমরা ফ্রেশ হয়ে নাও।ফুফি মিলির কাছে নাস্তা পাঠিয়ে দিচ্ছি।৩ জনে মিলে জমিয়ে আড্ডা দাও।

প্রাপ্তি -ফুফি তুমি আমাদের এতো ভালোবাসো কেন? তোমার আমাদের জন্য কিচ্ছু করতে হবে না।আমরা সব নিজেরাই করে নিবো।

ফুফি -হুম আমি জানি আমার মেয়েরাও আমায় কতো ভালোবাসে।ঠিক আছে ফুফি আসি।তোরা কথা বল।

নীরা -আসতে না আসতেই ফুফিও তোর হয়ে গেলো।(হা হা হা। হাঁসি দিয়ে)কি করে যে তুই সবাইকে পটিয়ে পেলিস আল্লাই ভালো জানে।

প্রাপ্তি নীরা কথা শুনে ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাঁসি দিলো।

নীরা -আমার দিকে তাকানো লাগবে না তোর ফোন বাজতেছে।

প্রাপ্তি ফোন টা হাতে নিয়ে দেখে ফারহান ফোন দিয়েছে।

প্রাপ্তি -কি ব্যাপার এখন কেন ফোন দিয়েছো?কাল তোমাকে বলেছিনা আমি ফুফির বাড়িতে আসবো।বেশী ফোন না দিতে।

ফারহান -তোমার সাথে কথা না বলে আমি থাকতে পারি না।তাই ফোন দিলাম।

প্রাপ্তি -ওওওওওওও আচ্ছা! আমি তোমার লাভার নাকি ফ্রেন্ড? কিন্তু আমি তো জানি আমরা শুধুই ফ্রেন্ড।

ফারহান -হ্যা তুমি তো আমার ফ্রেন্ড।তো?

প্রাপ্তি -তাহলে এতো বার ফোন দেওয়ার কি আছে(ধমক দিয়ে)আর আমাকে এই কয়দিন বেশী ফোন দিবেনা। আমি ফুফির বাড়িতে আসছি বিয়েতে attend করার জন্য।তোমার সাথে ফোনে কথা বলের জন্য নয়।

ফারহান -তুমি কেন বুঝো না।তোমার সাথে কথা না বলে আমি থাকতে পারিনা।

প্রাপ্তি -দেখো! আমি তোমার সাথে প্রেম করি না। তাহলে কথা না বলে থাকতে পারবেনা কেন?

নীরা -আমার কাছে ফোনটা দে।তুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি দেখছি।

প্রাপ্তি নীরার হাতে ফোনটা দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
নীরা -ভাইয়া! আপনি কি বলেন তো? এখন কি কথা বলার সময়?

ফারহান -কি করবো বলো তোমার আপুর সাথে কথা না বললে ভালো লাগেনা।

নীরা -ব্যাপার কি? ভালোবেসে পেলেছেন নাকি।

ফারহান -না এমনি, আসলে ওরে রাগাতে আমার খুব ভালোলাগে।ঠিক আছে ছোটো আপু এখন তাহলে রাখি।

নীরা – আমি ছোটো আপু? ঠিক আছে পরে বুজবেন বলে নীরা ফোনটা রেখে দিলো।

ফারহান প্রাপ্তির কথায় ভাবছে আচ্ছা এই মেয়ে কি কখনোই বুজবে না আমি কি চাই।আমি যে ভালোবাসি এই কথাও তো আমি তাকে কি করে বলবো সব সময় যে রাগ দেখায়।

মিলি, নীরা আরা প্রাপ্তি বসে আড্ডা দিচ্ছে।মিলি তার বরের ছবি দেখাচ্ছে তাদেরকে।

নীরা -হুম তোর বরকে তোর সাথে মানাবে ভালো।কথা হয় তোর সাথে?

মিলি -হ্যা,,

প্রাপ্তি তাদের কথা শুনছে আর আয়ান নামের ছেলেটা সাথে এসএমএস করছে।
প্রাপ্তি আয়ানে কথা গুলো আসতে আসতে ভালো লাগতে থাকে।

আয়ান -আচ্ছা আপনি কি এখন আড্ডা দিচ্ছেন?

প্রাপ্তি -হুম।আপনি যে ভাবে কথা বলছেন মনে হয় আপনি আমায় দেখছেন।

আয়ান -দেখছি তো।
প্রাপ্তি -কিভাবে?
আয়ান -আপনি বুজবেন না।আর কি করেন?
প্রাপ্তি -আপুর বিয়ে তে আসছি।

আয়ান -ও আচ্ছা এখন কি ঘুমিয়ে যাবেন?

প্রাপ্তি -হ্যা, কেনো?

আয়ান -একটা কথা বলবো?

প্রাপ্তি -হুম,বলেন?

আয়ান -কাল সকালে কে আগে এসএমএস দিতে পারে আপনি না আমি।

প্রাপ্তি -আচ্ছা ঠিক আছে।দেখা যাক কে আগে এসএমএস দিতে পারে।
তারা দুজনে আরো অনেক কথ বললো।
আয়ান -ওকে গুড নাইট।

প্রাপ্তিও গুড নাইট বলে শুয়ে পড়লো।প্রাপ্তির কিছুতেই ঘুম আসছে না।মাথায় শুধু আয়ানের বলা কথা গুলো ঘুরপাক খাচ্ছে।আয়ানে প্রতি প্রাপ্তির ভালোলাগা শুরু হলো।এই দিকে আয়ানও সকাল হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছে।আয়ানের প্রাপ্তির কথা গুলো ভালোলাগে।হয়তো অজানা এক অনুভূতি কাজ করছে তাদের মাঝে।

ভোর ৫ টায় প্রাপ্তি ফোন নিয়ে ভাবছে এসএমএস দিবে নাকি দিবেনা।আয়ান কি ভাববে? সারারাত আমি ওর জন্য অপেক্ষা করে বসে আছি।কথা গুলো ভাবতে ভাবতে আয়ান ই এসএমএস দিয়ে দিলো।

আয়ান -এখনো ঘুমাচ্ছেন? আপনার সকাল হবে কখন?

প্রাপ্তি এসএমএস টা দেখে মন অনেক ভালো হয়ে গেলো সেই এসএমএস এর রিপ্লাই না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।

সকাল বেলায় ফুফির ডাকে প্রাপ্তির ঘুম ভাঙলো।
প্রাপ্তি -ফুফি! নীরা আর মিলি কই? ওরা ফ্রেশ হয়ে ছাদে গেছে।তুইও ফ্রেশ হয়ে আয়।আমি ওদের ডেকে দিচ্ছি।এক সাথে নাস্তা করবি।
প্রাপ্তি আর কিছু না বলে ফ্রেশ হতে গেলো।

এইদিকে সবাই কাজ নিয়ে ব্যাস্ত। মিলিদের বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে।মিলি এই বাড়ির একমাত্র মেয়ে। সবাই তার বিয়েতে অনেক খুশি।প্রাপ্তিদের ফ্যামিলির সবাই চলে এসেছে। আজ মিলির গায়ে হলুদ।সবাই যে যার মতো কাজ করছে।
প্রাপ্তি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে ফারহান খাটে বসে বসে তার ফোন টিপতেছে।

প্রাপ্তি -ফারহান! তুমি কখন এলে।কার সাথে এখানে এসেছো? ঢাকা থেকে কখন এলে?

ফারহান -এতো প্রশ্ন করলে আনসার দিবো কিভাবে? তোমাদের ফ্যামিলির সবাই এসেছে। সবাই বাহিরে আছে।তোমার আম্মু আর কাকা ফোন দিয়েছিলো যেই ভাবে হোক আমাকে আসতে হবে।তাই চলে আসলাম।
তবে এসেতো দেখি ভালোই করলাম।না হলে তো জানতেই পারতাম না।

প্রাপ্তি -কেন কি হয়েছে? কি জানতে পারতেনা?

ফারহান -সারারাত কারো সাথে এসএমএস করা। আর আমি ফোন দিলেই তোমার বিরক্তি লাগে তাই না?

প্রাপ্তি -তুমি আমার ফোন ধরেছো কেন? জানো না কাউকে না বলে কারো জিনিশে হাত দিতে নেই।

ফারহান -তোমার কিছু ধরতে আমাকে বলা লাগবে?এক দিনে অনেক কিছু শিখে গেছো।

প্রাপ্তি -তুমি এখন আমার সামনে থেকে যাও।তুমি আমার শুধুই ফ্রেন্ড আর কিছু না।তাই তোমার কাছে আমি কোনো কিছুর বলার প্রয়োজন মনে করি না।

ফারহান কথা না বাড়িয়ে বাহিরে চলে গেলো।

চলবে,,,,,,,,

অজানা_অনুভূতি  পার্ট: ১

0

অজানা_অনুভূতি
পার্ট: ১

#Rabeya Sultana Nipa

প্রাপ্তি! প্রাপ্তি! ও প্রাপ্তি! উঠনা দেখ কয়টা বাজে কলেজে যাবিনা?

মা! আরেকটু ঘুমাই না।

জানিস কয়টা বাজে?কখন রেডি হবি আর কলেজে যাবি?

(ঘুম ঘুম চোখে)কয়টা বাজে মা?

সাড়ে আট টা বেজে গেছে।

কথাটা বলার সাথে সাথে প্রাপ্তি বললো এর আগে তুমি কোথায় ছিলে বলোতো।এখন আমার লেট হয়ে যাবে।

তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয় সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছে।

আপনাদের তো আমার পরিচয় দেওয়া হলো না ফ্রেশ হতে হতে পরিচয়টা শেরে পেলি।
আমি তাসপিয়া জান্নাত প্রাপ্তি।এইবার ইন্টার ১ ফাস্ট ইয়ার। আমার একটা ছোটো ভাই আছে।বাবা বেশির ভাগ সময় দেশের বাহিরে থাকে। আমাদের এখনো জয়েন্ট ফ্যামিলি। আমার কাকা ৪ জন আমার বাবা সহ ৫ জন।আমার বাবা সবার বড়।আমার মেজো কাকার দুইটা মেয়ে আমার সমবয়সী। নীরা আর নাজিফা।সব কাকার ঘরেই ছেলে মেয়ে আছে। তবে এখনো ছোটো।নীরা,নাজিফা আমি সব সময় একসাথেই থাকতাম।যেহেতু আমি ফ্যামিলির বড় মেয়ে তাই সবার ভালোবাসাটা বেশী আমি পাই।
বাকী গুলো পরে বলবো আগে খেয়ে নি সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

এসে দেখি সবাই চুপ হয়ে বসে আছে।

মেজো কাকা -প্রাপ্তি এতো দেরি হলো কেন? তুমি জানোনা বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী সবাই সকাল বেলা একসাথে বসে নাস্তা করে।কাল থেকে যেন আর লেট না হয়।তাড়াতাড়ি বসে খেয়ে নাও আজ আমি ৩ বোন কে একসাথেই পৌঁছে দিবো।

আমি -কাকাই নাজিফা তো স্কুলে যাবে।আমাদের সাথে গেলে ওর দেরি হয়ে যাবে না।

সেজো কাকা -ভাইয়া! তুমি নীরা আর প্রাপ্তি কে দিয়ে আসো।আমি নাজিফাকে নিয়ে যাবো।এখনকার দিনকাল তো ভালো না।কোন সময় কোন বিপদ ঘটে।অনেকের নজর এই ৩ জনের উপর পড়ে আছে।

আমি-তোমরা এমন ভাব দেখাচ্চো মনে হয় পৃথিবীতে আমরাই শুধু মেয়ে হয়ে জন্মেছি।

মা -তুমি একদম কোনো কথা বলবে না।বড়রা যাই বলে তাই শুনতে হয়।

মায়ের কথা শুনে কিছু বললাম না।আমি আর নীরা চুপচাপ কলেজে চলে গেলাম।

আমি -আচ্ছা নীরা আমাদের এই ফ্যামিলির লোক গুলো এই রকম কেন? সব কিছুতেই দোষ ধরে।ভালো লাগেনা আমার।ইচ্ছা করে অনেক দূরে চলে যাই।

নীরা -হয়তো আমাদের ভালোর জন্যই করে।তোকে তো সব দিক থেকে সবাই ছাড় দেয় আমার তো তাও না।

আমি-হুম ঠিক বলছিস।

কলেজ শেষ করে বাড়ি ফিরে দেখি কার যেন বিয়ের কথা নিয়ে আলাপ করছে।

নীরা -বড় মা (আমার মা)কার বিয়ের কথা হচ্ছে এইখানে?

মা- তোর বড় ফুফির মেয়ের বিয়ে। কাল ছেলেরা এসে দেখে গেছে। এখন ছেলের মা চায়৭/৮ দিনের ভিতরে বিয়েটা হয়ে যাক।

আমি -তার মানে আমরা সবাই যাচ্ছি বিয়েতে?

সেজো মা-হ্যাঁ আমরা সবাই যাচ্ছি।না হলে তোর ফুফু রাগ করবে।আর তোদের ৩ বোন তো ২ দিন আগে যেতে বলেছে।মিলি (ফুফির মেয়ে)একটু আগেও ফোন করেছিলো।

মা -আগে যা ফ্রেশ হয়ে আয়,যাবার ব্যাপারে পরে কথা বললেও চলবে।।

আমি আর নীরা কথা না বাড়িয়ে চলে আসলাম রুমে।
প্রাপ্তি! প্রাপ্তি! সন্ধ্যায় সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে এমন সময় মেজো কাকা বাহিরে থেকে এসে আমাকে ডাকতে শুরু করলো।

আমি দৌঁড়ে গিয়ে বললাম কাকাই কি হয়েছে?

মেজো কাকা-তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।

আমি -কি সারপ্রাইজ কাকাই।

মেজো কাকাই -সেই দিন তোর ফোন নাকি নষ্ট হয়ে গেছে তাই তোর জন্য নতুন ফোন।

আমি -সত্যি!thankyou.বলে নীরার দিকে তকালাম।
নীরা মন খারাপ করে তার রুমে চলে গেলো দেখে আমিও পিছন পিছন গেলাম।

আমি -তুই মন খারাপ করেছিস তাই না?

নীরা -আরে নাহ! কে বললো তোকে আমি মন খারাপ করেছি?

আমি -তোর মুখ দেখেই বুজা যাচ্ছে।সমস্যা নাই তুই আর আমি একি ফোন ইউজ করবো।আমার তো ফোন বেশী লাগেনা।

নীরা আর কিছু বললো না।প্রাপ্তির ফ্যামিলির সবাই অনেক ভালো।কারো মনে হিংসে নাই।সবাই একজন আরেকজনকে অনেক ভালোবাসে।মনে হয় সবাই একি সুতায় বাধায়।

প্রাপ্তি নতুন ফোনে আবার সব কিছু চালু করলো। ফেসবুক থেকে শুরু করে সব কিছু।ফেসবুকে তার তেমন কোনো ফ্রেন্ড নাই। কারো সাথে এসএমএস ও করে না।শুধু একজনের সাথে এসএমএস করে।সে হলো ফারহান।অনেক ভালো একটা ফ্রেন্ড।
প্রাপ্তি সবসময় তারকাছে সবকিছুই শেয়ার করে।ফারহান প্রাপ্তির ৫ বছেরর সিনিয়র। ফারহান ঢাকা কলেজে পড়ে।প্রাপ্তির ছোটো কাকার জের ধরেই প্রাপ্তি সাথে ফারহানের সম্পর্ক। ফারহান তার ছোটো কাকার সাথেই পড়ালেখা করে।মাঝে মাঝে তাদের বাসায়ও আসে।প্রাপ্তিদের সবাই ফারহানকে নিজের ছেলের মতই ভালোবাসে।

প্রাপ্তির মা এসে দেখে প্রাপ্তি এখনো ফোন নিয়ে বসে আছে।কারো সাথে কথা বলছে।

প্রাপ্তির মা -কিরে তুই এখনো ঘুমাসনি?কার সাথে কথা বছিস? অনেক রাত হয়েছে ফোন নিয়ে বসে আছিস। কাল কলেজে যাবিনা?

প্রাপ্তি -ফারহানের সাথে।ওর সাথে কথা শেষ করেই ঘুমাচ্ছি।তুমিও যাও ঘুমিয়ে পড়ো।
প্রাপ্তির মা মেয়েকে আর কিছু না বলে রুম থেকে চলে গেলো।
প্রাপ্তিও ফারহানের সাথে কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলে ঘুমিয়ে পড়লো।

পরেরদিন সকালে নীরা কলেজে যায়ইনি দেখে প্রাপ্তিও যায়ইনি।

মেজো মা -কিরে কলেজে যাসনি কেন তোরা?

নীরা -মা একদিন না গেলে কিচ্ছু হবে না।

মেজো মা -কি হয়েছে তোর? নাজিফা আর তুই আজ আবার ঝগড়া করেছিস তাই না? তোদের কে নিয়ে আর পারি না।তোরা দুই বোন এই রকম কেন বলতো?

নীরা -মা তুমি কি চুপ করবে? আমি আর প্রাপ্তি একসাথে বিকেলে ফুফির বাসায় যাবো বলেছি।নাজিফাকে বলেছি কাল তোমাদের সাথে আসতে।না সেই আমাদের সাথেই যাবে। আমাদের সাথে ওর কি বলতো?

মেজো মা -ওহঃ এই নিয়ে ঝগড়া করেছিস।আমাকে বললেই তো হতো।ঠিক আছে ও আমাদের সাথেই যাবে।

নীরা আর কিছু না বলে প্রাপ্তিকে বললো সব কিছু গুছিয়েনে আমরা বিকালেই যাব।মিলির সাথে আজ কতো দিন দেখা হয়না বল?কিরে প্রাপ্তি! তুই চুপ করে আছিস কেন? আমি তোকে কিছু বলছি! প্রাপ্তি! চিৎকার দিয়ে

প্রাপ্তি -কি হয়েছে চেঁচাচ্ছিস কেন?

নীরা -আমি যে তোকে এতো কথা বললাম তুই শুনছ নাই? ও তুই তো ফোন নিয়ে busy।

প্রাপ্তি -আর বলিস না,হঠাৎ একজনে মেসেঞ্জারে এসএমএস দিলো। ওই লোকটা সাথে এসএমএস দিতে গিয়ে তোর কথা শুনা হয়নি।এইবার বল?

নীরা -কে এই লোক? তুই তো কারো সাথে এসএমএস করিস না। তাহলে কি এমন এসএমএস দিলো তোকে তুইও রিপ্লাই দিলি।

প্রাপ্তি -জানি না কেন জানি আনসার দিয়েছি।নাম আয়ান মাহমুদ।আর জানিস এমন ভাবে কথা গুলো বলে আমাকে মনে হয় তার কতো চিনা।বাদ দে এখন চল সব কিছু গুছিয়েনি।দেরি হলে মা আর মেজো মা বকাবকি করবে।

নীরা -হুম চল,আর ওই ছেলের সাথে কথা বলা বেশী দরকার নাই।

চলবে,,,,,,,,

একবৃষ্টিরদিনে ৫ তথা শেষ পর্ব

0

একবৃষ্টিরদিনে
৫ তথা শেষ পর্ব

Rabeya Sultana Nipa

_আয়ান তানিশার জন্য অনেক গুলো শাড়ি নিলো।আয়ানতো জানে না তার কি পছন্দ তাই অনেক কিনাকাটা করলো যেটা তার পছন্দ হয়।কিনাকাটা শেষে করে আয়ান টাকা টা দিতে যাবে এমন সময় দেখে সেই মেয়েটা। যার দেখা পাওয়ার আশায় আয়ান ৩ বছর অপেক্ষা করেছে। হঠাৎ মেয়েটাও আয়ানের দিকে তাকাতেই ভয়ের চাপ মুখে ফুটে উঠলো।

আয়ান মনে মনে ভাবতেছে মেয়েটা আমার দিকে এই ভাবে তাকিয়ে আছে কেন? কথাটা ভাবতে ভাবতে মেয়েটার দিকে এগিয়ে আসছে।
এমন সময় মেয়েটির সাথে থাকা ফ্রেন্ড গুলো বললো কিরে এই ছেলেতো তোর,,,,,,,, মেয়েটি ইশারায় তাদের চুপ থাকতে বললো।ছেলেটাকে যেন কিছু না বলে।তারাও সবাই চুপ হয়ে গেলো।

আয়ান যতো এগিয়ে আসছে মেয়েটার হার্টবিট তোতো বাড়ছে। আরান মেয়েটির সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো আমি আপনার সাথে একটু কথা বলতে পারি।কথাটা বলার সাথে সাথেই মেয়েটা মুচকি একটা হাঁসি দিয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বুজালো।মেয়েটার ফ্রেন্ড গুলো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

আয়ান-আসলে কথা গুলো কিভাবে শুরু করবো বুজতেছি না।আপনাকে আমি ৩ বছর আগে #একবৃষ্টিরদিনে দেখেছিলাম।এই ৩ বছর আমি আপনাকে অনেক খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি।জানেন আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসতাম।আমি এমন এক জনকে ভালোবেসে ছিলাম যার নামটা পর্যন্ত আমি জানতাম না।আমাকে নিয়ে আমার সব ফ্রেন্ডরা হাসঁতো,ঠাট্টা করতো।আমি এক মাস আগে বাবা মায়ে চাপে পড়ে বিয়ে করেছি সেও আপনার কথা শুনে আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করতো। আপনার জন্য আমি আমার বউয়ের মুখটা পর্যন্ত দেখিনি।আজ যখন সব কিছু ভুলে আমার বউয়ে কাছে যাচ্ছিলাম সেই আপনি আবার আমার সামনে এসে পড়লেন।তবে আমি আপনাকে আর ভালোবাসি না।এখন আমি আমার ওই লক্ষ্মী বউটাকেই ভালোবাসি।কথা গুলো একদমে বলে ফেললো আয়ান।

মেয়েটা কথা গুলো শুনে চোখে পানি টলমল করছে কিন্তু কান্না করতে চাচ্ছেনা।কান্না করলেই আয়ান হয়তো সব বুজে যাবে।তাই অন্য দিক ফেরে চোখ গুলো মুছে আয়ানের দিকে আবার তাকালো।

আয়ান -আচ্ছা আপনার নামটা একটু বলবেন? আমি আমার পাগলিটাকে আজ গিয়ে বলবো আপনার সাথে আমার দেখা হয়েছে। আপনার নামটাও ওকে বলবো।

মেয়েটা ইশারায় আয়ানকে একটা কলম দিতে বললো।

আয়ান -আপনি কথা বলতে পারেননা? আপনি তখন থেকে ইশারায় সব বুজিয়ে দিচ্ছেন।

মেয়েটা মাথা নাড়িয়ে না বললো।তারপর আয়ান সরি বলে তার কলমটা মেয়েটাকে দিলো। কলম নিয়ে মেয়েটা তার হাতে নাম লিখলো। কিন্তু আয়ান মেয়েটার নাম দেখে অবাক হয়ে বললো আপনার নাম তানিশা?

মেয়েটা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললো।

আয়ান -জানেন! আমার পাগলিটার নামও তানিশা।আজ তাহলে আসি আমার পাগলি রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গেছে এখন ওকে আনতে যাবো।আপনার সাথে আমার হয়তো আর কখনওই দেখা হবেনা ভালো থাকবেন।

আয়ান চলে যাওয়ার পরে তানিশার সব ফ্রেন্ডরা বললো তুই কথা বলতে পারিসনা?
এতো অভিনয় করলি কিভাবে? তোর হাজবেন্ড আর তোকেই চিনতে পারলো না ভেবে আমরা তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আয়ানের মুখে সব কথা শুনে বুজলাম তোদের মধ্যে সমস্যা কি।

তানিশা -সব যখন বুজেছিস তাহলে আর বলছিস কেন?
তানিশা খুশিতে কি করবে বুজতে পারছিলো না।হঠাৎ মনে হলো আয়ান তাদের বাসায় যাচ্ছে।তাড়াতাড়ি আয়ানকে ফোন দিলো।

আয়ান -কিছু বলবেন?

তানিশা -হ্যাঁ! আপনি কোথায়?

আয়ান -আমি বাহিরে আছি। কেন?

তানিশা -আমি তো আপনাদের বাড়িতে যাচ্ছি।

আয়ান -মানে? আপনি এখন আসার দরকার নাই।

তানিশা -আমি আপনার কোনো কথা শুনতে চাইনা। আমি এখন আপনার বাড়ি যাবো।

আয়ান -আচ্ছা ঠিক আছে আসেন। কিন্তু এখন না।আপনি সন্ধ্যার পরে আসেন।

তানিশা -ঠিক আছে মেনে নিলাম।

আয়ান তখন তানিশাদের বাড়িতে না গিয়ে নিজেদের বাড়ি গেলো।

রিয়া -কিরে ফিরাতে পারলি?

তানিশা -হুম পারছি।কিন্তু আমাকে সন্ধ্যার পরে যেতে বলেছে।

_বাহিরে থেকে আসার পর থেকে সব কাজ আয়ান নিজে হাতে করছে বাড়িটাকে সুন্দর করে সাজিয়েছে।আয়ানের মা ছেলে কাণ্ড দেখে দেখে হাসঁছে।তানিশাকে ফোন দিয়ে আয়ানের মা সব বললো।তানিশা কখন সন্ধ্যা হবে সেই অপেক্ষায় বসে আছে।আয়ান তানিশাকে সে আজ নতুন করে বরণ করে নিবে তার জীবনে।
সন্ধ্যার পরে আয়ানের বাবা, মা গিয়ে তানিশাকে নিয়ে এলো। বাড়ি এসে তানিশাতো অবাক হয়ে সব কিছু দেখছে।আয়ান নিজের হাতে এই সব কিছু সাজিয়েছে তার জন্য।তানিশা তার রুমে ঢুকতে যাবে এমন সময় পিছন থেকে মিতু এসে বললো

মিতু -ভাবী তুমি কোথায় যাচ্ছো?

তানিশা -কেন? আমার রুমে।

মিতু -এইভাবে তো তোমাকে যেতে দেওয়া যাবে না। তোমাকে বউ সাজিয়ে তারপর ভাইয়ার কাছে দিয়ে আসবো।

মিতুর কথা শুনে তানিশা লজ্জা পেয়ে পাগল নাকি।আমি বউ সাজতে পারবো না।

মিতু -আমাদের কি দোষ বলো ভাইয়াই তো বললো তোমাকে বউ সাজাতে।
তানিশা আয়ানের কথা শুনে আর না বলতে পারলো না।।

__তানিশা বউ সেজে আয়ানের জন্য বসে অপেক্ষা করছে। তানিশা দরজা খোলার শব্দ পেয়ে তাড়াতাড়ি ঘোমটা দিয়ে বসে পড়লো। আয়ান এসে দেখে তানিশা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে।

আয়ান -আমি তোমাকে বউ সাজতে বলেছি ঘোমটা দিয়ে বসে থাকতে বলেনি।

তানিশা -,,,,,,

আয়ান -চুপ হয়ে আছো কেন? আমি জানি আমার উপর তোমার রাগ এখনো কমেনি।আমি তোমায় সত্যি বলছি আমি এখন তোমাকেই ভালোবাসি।তোমাকে ছাড়া আমার চারদিক অন্ধকার লাগে।তোমাকে ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারিনা।

তানিশা-,,,,,,,

আয়ান -আচ্ছা তুমি কি চুপ করেই থাকবে? ঠিক আছে তুমি চুপ করেই থাকো, আমি আমার কাজ করছি আয়ান কথাটা বলতে বলতে তানিশার ঘোমটা টা উঠিয়ে ভূত দেখার মতো এক চিৎকার দিলো।আ,,,আ,,,রে তোতলিয়ে আপনি এইখানে কি করছেন? আমার বউ কই?

তানিশা -একদম চুপ! কতো কিছুর পর আপনি থেকে তুমিতে নামালাম এখন আবার আপনি?তুমি পাইছোটা কি।?

আয়ান -আপনি কথা বলতে পারে? কিন্তু সকালে তো দেখলাম কথা বলতে পারেন না।

তানিশ-ন্যাকা ,,, নিজের বউকে যে চিনেনা সে আবার কথা বলতে আসছে।অনেক হয়েছে,
(তানিশা গলাটা নামিয়ে) প্লিজ আয়ান আজকে আর উল্টাপাল্টা কিছু করোনা।এইবার তো আমাকে মেনে নাও।

আয়ান তানিশার কথা শুনে তানিশাকে জড়িয়ে ধরে I am really sorry.
এতো দিন যদি আমার পাগলিটার দিকে একবার তাকাতাম তাহলে এতো কিছু আর হতো না।

তানিশা -হুম সব ঠিক আছে এইবার ছাড়ো।ওই মেয়েটার কাছে যাও।ভালোবাসো তো তাকেই।

আয়ান -ভালোবাসি তো এখনো তার কাছেই আছি।আর সারা জীবন তাকে ভালোবাসবো
আয়ানের কথা শুনে তানিশা হেসেঁই আয়ানের বুকে মুখ লুকালো।নতুন এক ভালোবাসার অধ্যায় শুরু হলো।

(গল্পতো শেষ আপনারা এখনো কি দেখছেন?)

সমাপ্ত

একবৃষ্টিরদিনে  পার্ট: ৪

0

একবৃষ্টিরদিনে

পার্ট: ৪

#Rabeya Sultana Nipa

_ সকাল বেলায় আয়ানের চোখে সূর্য্যের আলো পড়াতেই আয়ানের ঘুম ভেঙ্গে গেলো।রাতের কথা মনে পড়তেই তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে দেখে তানিশা নেই।তানিশাকে না দেখতে পেয়ে আয়ান ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
__এইদিকে তানিশাকে রান্নাঘরে দেখে আয়ানের মা অবাক হয়ে বললো

আয়ানের মা -তানিশা! রান্নাঘরে আসতে কে বললো তোমাকে? যাও রুমে যাও।

তানিশা -মা কিচ্ছু হবেনা। আমি শুধু চা বানাবো সবার জন্য।আর আপনাকে হেল্প করবো।

আয়ানের মা -তানিশার কথা শুনে আবেগময় হয়ে জানো আমি কখনোই ভাবিননি এতো লক্ষ্মী একটা বউ পাবো।আমার ছেলেটা একটু রাগী কিন্তু ওর মন অনেক ভালো। শুনো এখন তোমাকে আর কোনো কাজ করতে হবে না। এই ধরো আয়ানের জন্য চা নিয়ে যাও।

তানিশা -ঠিক আছে আমি চা দিয়েই আসছি।

আয়ান ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে ঘোমটা দিয়ে তানিশা চা হাতে দাঁড়িয়ে আছে।

আয়ান -আরে আপনি কে এই রুমে কি করছেন? আমাকে না বলে এই রুমে ঢুকেছেন কেন?

তানিশা -চুপ করুন তো। নিজে কাল বিয়ে করেছে আজ বলছে আমি কে? নেকামি দেখে আর বাঁচিনা। এখন থেকে এই ঘরে আমার সমান অধিকার।

আয়ান -চিনবো কি করে যে ঘোমটা দিয়ে এসেছেন। আমার কাছে ঘোমটা দিয়ে আসার কি আছে?

তানিশা -আপনার তো আমার মুখ দেখতে ভয় পান।যদি প্রেমে পড়ে যান।

আয়ান -তানিশার কথা শুনে হেঁসে বললো আমি যারতার প্রেমে পড়িনা।আর আপানার মুখ দেখলে কি সবাই প্রেমে পড়ে যায়?তাহলে ঘোমটা দিয়েই থাকুন।কারণ বলাতো যায় না কে কখন আপনার প্রেমে পড়ে যায়।আর আমার প্রেমের দরকার হবে না। জীবনে একজনের প্রেমে পড়ে সবকিছু শেষ হয়ে গেলো।

তানিশা -আর কারো প্রেমে পড়ার দরকার নাই।আমার প্রেমে পড়লেই হবে।এই নিন চা,খেয়ে নাস্তা করতে আসুন।আর হ্যাঁ বাজে অভ্যাস গুলো ছেড়ে দিবেন।

আয়ান -আমি আবার কি করলাম?

তানিশা -কাল থেকে খালিপেটে চা খাওয়া যাবে না আমি বলে দিলাম।

আয়ান -আমি আপনার কথা কেন শুনবো?

তানিশা -শুনতে হবে কারণ আমি আপানার বউ। কথাটা বলেই তানিশা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।

__আজ ১ মাস হয়ে গেলো তানিশা কে এই বাড়ির সবাই অনেক ভালোবেসে ফেলেছে শুধু আয়ান ছাড়া, আয়ান তানিশাকে ভালোবাসে কিনা সে জানে না কিন্তু তানিশাকে তার ভালোলাগে।
তানিশা সব কথায় আয়ান মেনে চলার চেষ্টা করে।আয়ান মনে মনে ভাবছে তানিশাকে সে মেনে নিবে।কিন্তু কিভাবে তানিশাকে বলবে সে ভেবে পাচ্ছিলোনা।কারণ এখনো তানিশার মুখ দেখেনি।

কথা গুলো ভাবতে ভাবতে অভ্র এসে বললো অফিসে এসে কি বউরে কথা ভাবছিস।ভাব ভাব? এতো সুন্দরী বউ রেখে কি আর অফিসে মন বসে।

আয়ান -বউরে কথা ভাবছি এইটা ঠিক বলছিস।কিন্তু সুন্দর না কালো তা তো আমি জানি না।

অভ্র -আচ্ছা তুই এইরকম কেন বলতো।আমি যদি হতাম পুরোনো সব কিছু ভুলে নতুন করে শুরু করতাম।

আয়ান -ভাবছি আমিও তাই করবো।তানিশাকে তার স্বামীর অধিকার দিবো।
তবে আজ না কাল ওর জন্য কিছু gift কিনে তারপর বলবো।

অভ্র -তুই যা ভালো মনে করিস।

__আয়ান বাড়ি ফিরে এসে দেখে তানিশা রুমে নেই। অন্য কোনো রুমে আছে ভেবে আয়ান ফ্রেশ হতে গেলো।ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে তানিশা এখনো রুমে আসেনি।আয়ান তার মাকে ডাকতে ডাকতে ড্রইং রুমে এসে দেখা তার মা বসে ফোনে যেন কার সাথে কথা বলছে।

আয়ান -মা! তোমাকে এতো করে ডাকছি শুনো নাই।

আয়ানের মা -শুনবো কি করে আমি তো তানিশার সাথে ফোনে কথা বলছিলাম।

আয়ান -তানিশার সাথে মানে? ও কোথায় গেছে?

আয়ানের মা -বিয়ের পরতো ও তেমন বাপের বাড়িতে যাই নাই।এখন ওর বাবা অসুস্থ তাই তানিশাকে পাঠালাম ওই বাড়িতে কয়েক দিন থেকে আসতে।

আয়ান -ও তো আমাকে একবার জন্যও বললো না।

আয়ানের মা -আমি মানা করেছি তোকে না বলার জন্য।তুই তো মেয়েটাকে সহ্যই করিস না।( হঠাৎ আয়ানের মা জোরে একটা হাঁসি দিয়ে) আ,,য়া,,,ন,,, তোর কি তানিশার জন্য মন খারাপ হচ্ছে।তার মানে আমার ছেলে তানিশাকে ভালোবেসে পেলেছে।

আয়ান -মা তুমিও না,আমি এমনিতেই বলছিলাম আর তুমি কত কিছু ভেবে নিলে।বলেই আয়ান রুমে চলে গেলো।

আয়ানকে চলে যেতে দেখে ফোনটা আবার কানে নিয়ে আমি তোকে বললাম না আমার ছেলে তোকে ভালোবেসে ফেলেছে।এইবার তো সব শুনলি।আমাদের প্লানটা মনে হয় কাজে লেগেছে।

তানিশা -মা! আমার খুব ভয় হচ্ছে আয়ান যদি জানতে পারে আমরা এইসব করেছি দুইজন মিলে তাহলে ভাবতে পারছেন কি হবে?

আয়ানের মা -তুই চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে।আর শুন তুই আয়ান কে একবারের জন্য ফোন দিবিনা।না হলে ও তোকে মিস করবে না।

তানিশা -আচ্ছা ঠিক আছে।

_আয়ান রুমে এসে খুব একা লাগছিলো নিজেকে।আর এতো দিনের কথা গুলো ভাবছে।তানিশাকে সে যতই দূরে রাখার চেষ্টা করতো তোতোই সে কাছে কাছেই থাকতো।আয়ানের অনেক খেয়াল রাখতো।কিন্তু আয়ানের সামনে বেশি ঘোমটা দিয়েই থাকতো আয়ান কে রাগানো জন্য।যতোই খারাপ ব্যবহার করতাম সব কিছু হাঁসি মুখে মেনে নিতো।কেন, ওর জন্য এতো খারাপ লাগছে?যাওয়ার পর থেকে আমাকে একটা ফোন ও দিলোনা।ঠিক আছে আমিও দিবো না।কাল ওদের বাড়িতে গিয়ে ওকে সারপ্রাইজ দিবো।কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই আয়ান ঘুমিয়ে পড়লো।

সকাল বেলা আয়ান তার মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠলো।
আয়ানের মা -কিরে আজকে অফিসে যাবিনা?

আয়ান -না! ভালোলাগছে না,অভ্রকে বলে দিয়েছি ও সব সামলে নিবে।
সকালের নাস্তা করে আয়ান বাহিরে চলে গেলো।

এইদিকে তানিশাকে দেখতে তার ফ্রেন্ডরা এসেছে। বিয়ের পর থেকে ওদের সাথে দেখা হয়নি তানিশার।তাই আজ সবাই মিলে তানিশাদের বাসায় আড্ডা দিচ্ছে

রিয়া -(তানিশা ফ্রেন্ড) এই সবাই চলনা আজ আমারা সাবাই শপিং করতে যাই।

তানিশা প্রথমে রাজি হয়নি তারপর সবার জোরাজোরিতে রাজি হলো।

আয়ান তানিশাদের বাড়িতে যাবে তাই তানিশার জন্য শপিং করতে গেলো। অভ্রকে ফোন দিয়েছে শপিংএ তার সাথে যাওয়ার জন্য।কিন্তু অভ্র কজের জন্য আসতে পারে নাই। তাই সে একাই চলে গেলো শপিং করতে।

চলবে,,,,,,

একবৃষ্টিরদিনে  পার্ট: ৩

0

একবৃষ্টিরদিনে

পার্ট: ৩

#Rabeya Sultana Nipa

দেখতে দেখতে দিন গুলো কখন ফেরিয়ে গেলো আয়ান টেরি পেলোনা।আজ আয়ানের বিয়ে।সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আয়ান আর অভ্র বসে কথা বলছে।একটু পর সবাই মেয়েদের বাড়িতে বের হবে।

অভ্র -আয়ান! তুই কি তানিশা কে দেখিসনি?

আয়ান -নারে! আমি যখনি ভাবি তানিসার সাথে দেখা করবো বা কথা বলবো তখনি আমার সেই মেয়েটার কথা মনে পড়ে যায়।

অভ্র -আয়ান তুই আসলেই একটা পাগল।বৃষ্টির মধ্য কি না কি দেখেছি আজও সেটা নিয়ে বসে আছিস।এর মধ্য ৩ বছর কেটে গেলো।যদি তোর কপালে লিখা থাকতো তাহলে এই ৩ বছরে একবার হলেও দেখা হতো।দেখ আমি তানিশাকে দেখেছি সত্যি অনেক ভালো মেয়ে।হয়তো তোর সেই মেয়েটার থেকেও ভালো এবং সুন্দরী হবে।

এমন সময় আয়ানের বাবা এসে বললো কিরে তোরা এইখানে বসে আড্ডা দিচ্ছিস? তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে সবাই একটু পরেই বের হবো।

__এইদিকে তানিশাকে নিয়ে তার দুই কাজিন রিতা আর মিলি পার্লারে গেলো তানিশাকে বউ সাজাতে।তানিশার মনের আনন্দের সীমা নেই।আয়ানের মতো একজনকে স্বামী হিসেবে জীবনে পাবে।

__আয়ানরা তানিশাদের বাড়িতে চলে এসেছে।একটু পর বিয়ে পড়ানো শুরু করেছে।আয়ানের কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।তানিশাকে সে কখনোই ভালোবাসতে পারবো না।

অভ্র – এই আয়ান! তুই কি ভাবছিস বলতো? বিয়ে পড়ানো হয়ে গেছে,এখন ভেবে কোনো লাভ নাই,তুই শুধু এখন তানিশাকে নিয়ে ভাব।মেয়েটা সত্যি অনেক ভালো। তুই তানিশার দিকে একবার তাকিয়ে দেখ। মেয়েটাকে দেখলে হয়তো তুই সব ভুলে যাবি।

আয়ান -প্লিজ অভ্র একটু চুপ কর।তানিশাকে দেখার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।শুধু বাবা মায়ের কথা রাখতে চেয়েছি।এইছাড়া আর কিছু না।

সব কিছু শেষ করে আয়ানদের এখন বাড়ি ফেরার ফালা। তানিশা আর তানিশাদের সবাই কান্নাকাটি করছে এতে আয়ানের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।সবার কাছে থেকে বিধায় নিয়ে আয়ান আগে গিয়ে গাড়ীতে বসে আছে।তানিশা গাড়ীতে উঠার পরে গাড়ী চলতে শুরু করেছে।কিন্তু তানিশার এখনো কান্না থামে নাই।কিছু দূর যাওয়ার পরেই আয়ান বললো

আয়ান – আচ্ছা এইবার তো কান্নাটা থামান।আমরা কিন্তু আমাদের বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছি।এতো কান্নার কি আছে বলেন তো? বাড়ির জন্য এতো বেশি মায়া হলে আর বিয়েটা করলেন কেন?

তানিশা অবাক হয়ে গেলো আয়ানে মুখে এমন কথা শুনে।কান্না থামিয়ে চুপকরে বসে আছে।
বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে গেলো আয়ান। সে এমন ভাব দেখাচ্ছে মনে হচ্ছে তার দায়িত্ব এইখানেই শেষ।বিয়ে তার বাবা মা করিয়েছে এখন দায়িত্ব তাদেরি। আয়ানে মা তানিশাকে বরণ করে ঘরে নিয়ে ড্রইং রুমে বসিয়েছে।সবাই তানিশার সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে একটু পরে আয়ানের মা এসে আয়ানের কাজিনদের বললো

আয়ানের মা -রাত অনেক হয়েছে,তানিশাকে আয়ানের রুমে নিয়ে যা।আর আয়ান কোথায় গেলো ওই বাড়ি থেকে আসার পর থেকে একবার ও দেখলামনা।

অভ্র সিঁড়ি থেকে নামতে নামতে আয়ানের মাকে বললো

অভ্র -আন্টি আয়ান ছাদে আছে।এতোক্ষণ আমিও ছিলাম।আন্টি আজ তাহলে আসি।

আয়ানের মা-ঠিক আছে অভ্র কাল আবার চলে এসো।

আয়ানের মা আস্তে আস্তে ছাদে গেলো। গিয়ে দেখে আয়ান আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হয় তাঁরা গুনছে।

আয়ানের মা -কিরে বাবা তাঁরা গুনছিস?আকাশের তাঁরা দেখে লাভ কি?তাঁরা এখন তোর ঘরেই আছে।

আয়ান তার মায়ের কথা শুনে চমকে উঠলো

আয়ান -মা! তুমি কখন এলে?

আয়ানের মা -তুই কি আমাদের উপর রাগ করে আছিস? আমি জানি তুই এই বিয়েতে রাজি না।কিন্তু তুই জানিস তানিশা অনেক ভালো মেয়ে, অনেক লক্ষ্মী একটা মেয়ে।তুই এক বার মেয়েটা কে ভালোবেসে দেখ দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।আমি জানি তুই তানিশাকে এখনো দেখিস নি।ওই মেয়েটার দিকে একবার তাকালে তুই দেখবি পুরোনো সব ভুলে যাবি।

আয়ান – মা! এই সব বাদ দাও।আমার কিছু ভালো লাগছে না।আর তুমি এখনো জেগে আছো কেন? যাও ঘুমিয়ে পড়ো। রাত জাগলে তোমার শরীর খারাপ করবে।

আয়ানের মা -আয়ান মেয়েটা হয়তো তোর জন্য বসে আছে।সবাই হয়তো ঘুমিয়ে আছে।মেয়েটা একা একা ভয় পাবে।তুই রুমে যা।

আয়ান -মা তুমি যাও আমি আসছি।

আয়ানে মা আর কিছু না বলে ছাদ থেকে নিছে নেমে এলো।

__তানিশা আয়ানের জন্য অপেক্ষা করছে।আর ভাবছে এই কেমন ছেলেরে বাবা কেউ বউ কে ঘরে রেখে এইভাবে বাহিরে থাকে।আচ্ছা আয়ানের কি কারো সাথে রিলেশন আছে? না হলে আমাকে এইভাবে এড়িয়ে যায় কেন?

আয়ান রুমে এসে দেখে তানিশা এখনো বসে আছে।

আয়ান -(অন্য দিকে তাকিয়ে)আপনি এখনো ঘুমাননি?আমার জন্য অপেক্ষা করে আছেন কেন? আর শুনুন আপনাকে একটা কথা জানিয়ে দিই। আমার জন্য কোনো কিছুতেই অপেক্ষা করবেননা।

তানিশা -আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞাস করবো সত্যি সত্যি বলবেন?

আয়ান -বলেন! আপনাকে একটা কথা জানিয়ে দিই আজ। আমি মিথ্যা বলিনা আর কেউ বললেও পছন্দ করিনা।

তানিশা -(মনে মনে ওম্মম্মম,,,, , আমি মিথ্যা বলি না।লাট সাহেব ওনি।)আসলে আপনি কি কোনো মেয়ের সাথে রিলেশন আছে?

আয়ান -না! আমার সাথে কোনো মেয়ের রিলেশন নাই।

তানিশা -তাহলে আপনি আমার সাথে এই রকম করছেন কেন?

আয়ান -আমি তোমার সাথে এই রকম করতে চাইনি।তোমাকে বিয়ে করতেও চাইনি।আসলে আমি একজন কে ভালোবাসি

তানিশা -নেকা,,,,তাহলে আগে মিথ্যা কথা বললেন কেন? মুখ ভেঙিয়ে অম্মম্মম্মম,,,আমি মিথ্যা বলি না।।

আয়ান -তানিশার কথা শুনে একটু হেসে,, ভালোবাসলেই কি রিলেশন হয়।আসলে ওই মেয়ে সাথে আমার এক বার দেখা হয়েছিলো #একবৃষ্টিরদিনে।তাও আবার ৩ বছর আগে। এরপর আমি আর ওই মেয়েকে এখনো দেখিনি। জানেন সেই দিন থেকে আমি আজও ওই মেয়েকে ভালোবাসি।

তানিশা – ওওওওওও তোহ ওই মেয়ের নাম কি?

আয়ান -জানি না! বললাম না একবার তাকে দেখেছি কিন্তু কথা হয়নি।

তানিশা -হা হা হা হা,, ,,,,,, পাগল দেখেছি আপনার মতো দেখিনি।যাক ভালোই হয়েছে।

আয়ান – আপনি হাঁসছেন?আর ভালো হয়েছে মানে?

তানিশা -(মনে মনে ওই মেয়ের ভূত কিভাবে নামাতে হবে আমার জানা আছে)না কিছুনা।তোহ ঘুমাবেন না? আর আপনি তো আমার সাথেও ঘুমাবেন না। কারণ যদি আমার মুখ দেখতে হয়।আর চিন্তা করবেন না,আপনি যতো দিন না চাইবেন আমি আমার র্মযদা কখনোই চাইবোনা।

আয়ান -সমস্যা নেই আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন।ভয় পাবেন না আমি এখানেই আছি।
কথাটা বলেই আয়ান বারান্দায় এসে একটা সোপায় বসেছে।মেয়েটা সত্যি অনেক ভালো মেয়েটা কথায় একটা মায়া আছে। ধুর আমি এইসব ভাবছি কেন?
ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লো আয়ান।

চলবে,,,,,,,,

একবৃষ্টিরদিনে  পার্ট: ২

0

একবৃষ্টিরদিনে

পার্ট: ২

#Rabeya Sultana Nipa

 

__সাবাই কতো খুশি এই বিয়ে নিয়ে,বাড়িতে অনেক গেস্ট চলে এসেছে।কিন্তু আয়ানের মনে একটুও খুশী না।আয়ান মনে মনে ভাবছে এই তানিশা মেয়েটার তো কোনো দোষ নাই।শুধু শুধু তাকে কষ্ট দিয়ে লাভ কি।তাকে সব বলে দেওয়াটাই ভালো হবে।

আয়ানের মা -কিরে! তুই বসে বসে কি ভাবছিস? আজ তোর engaged।মনে করে ছিলাম বড় করে একটা পার্টি দেবো তা আর হলোনা।তাড়াতাড়ি রেডি হয়েনে সবাই এসে গেছে।

আয়ান -মা! আমি ওইখানে যেতে পারবোনা। আমার জরুরী কাজ আছে।তুমি আর বাবা আজকে একটু সামলিয়ে নাও।

আয়ানের মা -এইসব তুই কি বলছিস? তোকে ছাড়া engaged করলে লোকে কি বলবে?

আয়ান -মা! লোকের কাছে আমার কিছু যায় আসে না।আর তুমি বাবাকেও বুজিয়ে বলো।শুধু আজকের দিনটার জন্য

কথা গুলো বলেই আয়ান বাহিরে চলে গেলো।এইদিকে তানিশা আজ সুন্দর করে সেজেছে।আয়ানের সাথে আজ যেই করেই হক কথা বলতেই হবে।ওই ছেলে ভেবেছে কি? ওই দিন আমার দিকে একবারো তাকালো না,আচ্ছা ওই ছেলের কি রিলেশন আছে নাকি অন্য কারো সাথে? আজ আসলে ভালো করে জিজ্ঞাস করে নিতে হবে।

_সবাই এসেছে পার্টিতে।শুধু আয়ান আসে নাই।সবাই যার যার মতো আনন্দ করতে লাগলো। আয়ানের সব কাজিনরা এসেছে।তানিসাকে দেখে আয়ানের এক কাজিন বলে উঠলো সবাই কে, কি রে গাধাটা যে এতো সুন্দরী বউ পাবে আমি তো ভাবতে পারতেছিনা কথাটা শুনে সবাই হেসে দিলেও তানিসা মন খারপ করে বসে আছে।

তানিশার বাবা তার মাকে বলতে শুনাছে আয়ান আজকে আসবে না।কোনো একটা কাজে আটকা পড়ে গেছে।তাই তানিসা ভাবছে আজকের দিনের থেকে তার কাজটাই হয়ে গেলে? সত্যিইতো গাধা না হলে এইরকম কাজ কেউ করতে পারে?

সন্ধ্যায় engaged এর সব কাজ শেষ করে আয়ানদের সবাই বাসায় এসেছে।আসার সময় বিয়ে দিন তারিখ পাকা করে এসেছে।
একটু পর আয়ানও বাসায় এসে দেখে সবাই ড্রইং রুমে তার বিয়ে নিয়ে কথা বলছে।আয়ানের কাজিনরা সবাই বিয়েতে কি করবে না করবে সবাই বসে প্লান করতেছে।
আয়ান এই সব দেখে কিছু না বলে তার রুমে চলে যাচ্ছে দেখে তার কাজিন রিয়া বললো,আয়ান ভাইয়া তুমি চোরের মতো পালিয়ে যাচ্ছো কেন?তোমার বিয়ে নিয়ে আমরা সবাই কতো প্লান করতেছি আর তুমি পালিয়ে যাচ্ছো?

আয়ান – কই আমি পালিয়ে যাচ্ছি? আমি তো রুমে যাচ্ছিলাম!

মিতু -(আয়ানের মামাতো বোন) আচ্ছা ভাইয়া তোর বউযে এতো সুন্দরী আগে কেন বললিনা।জানিস আমি যদি ছেলে হতাম তোর বউকে নিয়ে পালিয়ে যেতাম।

আয়ান -তোরা চুপ করবি? তোদের যা ইচ্ছা তাই কর।কিন্তু আমাকে জালাতে আসবি না বলে দিলাম।
কথাটা বলেই আয়ান তার রুমে চলে গেলো।

মিতু -(আয়ানের মাকে) ফুফি তোমার ছেলেকি এই বিয়ে রাজি নয়? আমরা সবাই কতো খুশি আর সে রাগ দেখিয়ে চলে গেলো?

আয়ানের মা-ওই পাগলের কথা বাদ দে বিয়ে হলে এমনি ঠিক হয়ে যাবে।

__আয়ান ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে তার ফোন বাজছে! ফোনের নাম্বার টা ও তার চিনা নয় ভাবতে ভাবতে ফোনটা কেটে গেলো। ফোন আবার বেজে উঠলো সেই আগের নাম্বার থেকেই।আয়ান ফোনটা রিসিভ করা মাএই

তানিশা -এইযে মিঃ আয়ান নিজেকে কি ভাবেন বলুন তো? আপনি কোন রাজ্যের রাজা আপনি? আপনি একটা ঘন্টা সময় দিতে পারেননা।?

আয়ান-আরে আপনি কে বলছেন? আর আমি নিজেকে কিছুই মনে করিনা একজন সাধারণ মানুষ ছাড়া।

তানিশা -যাকে বিয়ে করবেন তাকেই চিনেন না।আর চিনবেন কি করে?একটা বার তো আমার দিকে তাকালেনও না।

আয়ান -ওহ সরি। আসলে আমি অনেক ভিজি ছিলাম তা আসতে পারিনি। কিন্তু আপনি নাম্বার কোথায় পেলেন?

তানিশা -আপনার এক কাজিন দিয়ে গেছে।যাওয়ার সময় বলেছে গাধাটাকে ঠিক করতে।

আয়ান -কিহ আমি গাধা? আচ্ছা ওদেরতো আজ খবর আছে।কিন্তু তানিশা আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল।

তানিশা-হ্যা বলুন!

আয়ান -আসলে আমি আপনাকে,,,,,,,,,,(কথাটা না বলতেই আয়ানের মা এসে বললো কিরে তুই এখনো ঘুমাসনি?)আচ্ছা আমি তোমার সাথে পরে কথা বলছি।বলে ফোন টা রেখে দিলো।

আয়ানের মা -বিয়ের দিনটা তারিখ তো পেলে দিলাম।তোর বাবাকে বলে ছিলাম তোকে একবার জিজ্ঞাস করার জন্য।তোর বাবা বললো দরকার নেই।

আয়ান -তোহ বিয়ে কতো তারিখে পেললে?

আয়ানের মা – সামনের শুক্রবার আর ৬ দিন পর।জানিস আয়ান আমার আর তোর বাবার মেয়েটাকে অনেক পছন্দ হয়েছে।আমার মনে হচ্ছে ও আমারই মেয়ে।কতো ভাগ্যে করে এমন মেয়ে পাওয়া যায়।কথা গুলো বলে আয়ানের মা চলে গেলো

__আয়ান মনে মনে ভাবছে,তানিশাকে আর কিছু বলবেনা।তার বাবা মা কতো খুশি। জীবনেতো কিছুই করতে পারলাম না। বিয়েটা করে না হয় বাবা মাকে খুশি করলাম।কথা গুলো ভাবতে ভাবতে আয়ান কখন ঘুমিয়ে পড়লো তার মনে নেই।

চলবে,,,,,,,,,

একবৃষ্টিরদিনে  পার্ট: ১

0

একবৃষ্টিরদিনে

পার্ট: ১

#Rabeya Sultana Nipa

_সকাল থেকে খুব বৃষ্টি পড়ছে।এখন বিকাল ৫ টা। এখন বৃষ্টি একটু কমেছে। অফিস শেষ করেই আয়ান বাহিরে বেরিয়ে গেলো বাসায় যাওয়ার জন্য।একটু যাওয়ার পরেই আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো।বৃষ্টি দেখে একটা বাসার নিছে দাঁড়িয়ে আছে আয়ান।একটু পরে একটা মেয়ে এসে পাশে দাঁড়িয়েছে। আয়ান অবাক হয়ে শুধু মেয়েটাকেই দেখছে।কারণ এতো মেয়ে দেখেছে কিন্তু সুন্দর মেয়ে সে আগে কখনো দেখেছে বলে মনে হয়না।আচ্ছা আমার সামনে কি পরি দাঁড়িয়ে আছে নাকি এই বৃষ্টির মাঝে?
কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামতেই মেয়েটা চলে গেলে।কিন্তু আয়ানের মনে এক অনুভুতি কাজ করছিলো এক ভালোলাগার।
আয়ানও বাড়িতে আসলো কিন্তু মন পড়ে রইলো সেই মেয়েটার উপর।

এতোক্ষনতো আমার ভালোকরে পরিচয়টা দেওয়া হলোনা।আমি আয়ান। পড়ালেখা শেষ করে বেসরকারি একটা জব করতেছি।আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা বিজনেসম্যান। বাবা সবসময় চায় আমি বাবার বিজনেস সামলাই।কিন্তু আমার ইচ্ছে আমি নিজে কিছু করতে চাই।যাই হক এইবার কাজের কথায় আসি।

পরেরদিন অফিসে গিয়ে আয়ান তার ফ্রেন্ড অভ্রকে সব বলললো মেয়েটার ব্যাপারে।

অভ্র -এমন একটা মেয়েকে তোর ভালোলেগেছে যাকে চিনিস না জানিস না।
আচ্ছা নামটাও তো জানিস না।তাহলে খুঁজবি কি করে?

আয়ান -যদি কপালে থাকে তাহলে দেখা হতেই পারে।

__আয়ানের সেই মেয়েটির দেখার পাবার আশায় দিন যায় মাস যায়।কিন্তু সেই মেয়েটাকে আর দেখা পাওয়া যায় না।।
আয়ানের ভালোলাগা থেকে যে কখন ভালোবাসায় পরিণত পেল আয়ান বুজতেই পারেনাই।
এইভাবে ৩ টা বছর কেটে গেলো কিন্তু আয়ান মেয়েটিকে এখনো ভুলতে পারেনাই।

__বাড়িতে আয়ানের বিয়ের জন্য চাপ দিতেছে।আয়ান কি করবে বুজতে পারছেনা।এতো দিনতো তার বাবা,মাকে অনেক অপেক্ষা করিয়েছে।কিন্তু এইভার তারা কিছুতেই মানছেনা।

আরানের বাবা -আয়ান তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছো?(আয়ানের রুমে এসে)

আয়ান -না বাবা! তুমি কি কিছু বলবে?

আয়ানের বাবা -হ্যা কাল আমরা মেয়ে দেখতে যাচ্ছি,তুমিও আমাদের সাথে যাবে।

আয়ান -বাবা! আরো কয়টা দিন গেল হতো না?

আয়ানের বাবা -তোমাকে আর কোনো সময় দেওয়া হবে না।অনেক দিয়েছি।তোর মা বাসায় একা একা থাকতে হয়,তার কথাটাও তো ভাবতে হয়।

আয়ান- ঠিক আছে বাবা।তোমরা যা ভালোমনে করো তাই করো।

আয়ানের বাবা ছেলের কথায় খুশি হয়ে পরেরদিন মেয়ে দেখতে সবাই মিলে গেলেন।সাথে আয়ানও।মেয়ে কে যখন সামনে আনা হলো আয়ান একটি বারের জন্য মেয়েকে দেখলোনা।আয়ান তখনো মনে মনে সেই মেয়েটির কথায় ভাবছিলো।যাকে সেই আজও ভালোবাসে।

আয়ানের মা- (মেয়ের দিকে তাকিয়ে)মা! তোমার নাম কি?

তানিশা -আমার নাম তানিশা।

আয়ানের মা -আয়ান তুই কিছু জিজ্ঞাস করবিনা।

আয়ান তখনো তানিসাকে না দেখে, না! মা আমার কিছু বলার নাই।তোমরা যা ভালো মনে করো।

__তানিশা তখন আয়ানের দিকে তাকাতেই আয়ানকে তানিশার ভালোলেগে গেলো।

চলবে,,,,,,,,

পুরোনো_ভালোবাসা  ১৭ শেষ পার্ট

1

পুরোনো_ভালোবাসা
১৭ শেষ পার্ট

Rabeya Sultana Nipa

_আজ দুইদিন হয়ে গেলো শিহাব খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দয়েছে।এখন আর আগের মতো কারো সাথে কথা বলে না।কলেজেও যায় না।সারাক্ষণ আবিরকে নিয়ে বসে থাকে।আবিরেই যেন তার জীবনের সব।নিশুর এইসব দেখে আর সহ্য হচ্ছেনা।

নিশু -মা আমি বাহিরে থেকে আসছি,দেখো শিহাব কে কিছু খাওয়াতে পারোকিনা।

ইয়াসমিন বেগম -তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস। আর শুন সেই দিন ডাক্তার দেখিয়ে তো রিপট গুলো আনিস নাই আজ আসার সময় নিয়ে আসিস।

__ ঠিক আছে বলে নিশু বাসা থেকে বেরিয়ে এলো।আজ অনিকের বাসায় গিয়ে অনিকের সাথে আমার কথা বলতেই হবে।এইভাবে চললে শিহাব অসুস্থ হয়ে যাবে।
অনিকের বাসার কলিং বেল বাজিয়ে নিশু দাঁড়িয়ে আছে দরজা খোলার অপেক্ষায়।একটু পর অনিকের মা এসে দরজা খুলে নিশুকে দেখে সবাইকে ডাকতে শুরু করলো।

রেহানা বেগম -এই মেয়ে তুমি এই বাসায় কেন আসছো?

নিশু -আমি আপনার বাসায় থাকতে আসি নাই।আপনার ছেলে কোথায় ওকে ডাকুন। আমি ওর সাথে কথা বলেই চলে যাবো।

অনিক -ডাকতে হবে না।আমি নিজেই এসে গেছি।আমি জানতাম তুমি আমার বাসায় আসবে।কারণ পাগলের ঘরতো করা যায় না।

নিশু -অনিক! আজ আমি তোমার সাথে কোনো কথা বাড়াতে চাই না।তুমি একদিন হলেও আমাকে ভালোবেসে ছিলে।আজ আমি সেই অধিকার নিয়ে বলছি তুমি আবিরকে শিহাবকে দিয়ে দাও।ও আবির কে না পেলে হয়তো পাগল হয়ে যাবে।তুমি যাই করতে বলবে আমি রাজি আছি।তুমি সেই দিন নোটিশ দিয়ে আসার পর থেকে শিহাব কেমন জানি হয়ে গেছে।

অনিক- অনিক চিৎকার দিয়ে জোরে হাসি দিয়ে বললো,মা দেখেছো স্বামীর জন্য কতো চিন্তা।নিশু”সেই দিন তোমার এই চিন্তা গুলো কই ছিলো?আর আজ শিহাবের জন্য আমার কাছে এসেছো।অনেক ভালোবাসো শিহাবকে তাইনা?ঠিক আছে তোমার কাছে আমার কিছু পাওয়ার নাই।শিহাব কে বলো আবিরকে আমি দিয়ে দিলাম তোমাদের।

নিশু -আমি জানতাম তুমি আমার কথা ফেলতে পারবে না।আর তোমাকে thanks বলেও ছোটো করবো না।তবে তুমি অনেক ভালো থাকো।নতুন করে জীবন শুরু করো।আমি আসছি!বলে নিশু দরজার সামনে চলে আসলো।
অনিক –নিশু!! প্লিজ দাড়াও”

অনিকের কথা শুনে নিশু দাঁড়িয়ে গেল।

নিশু – কিছু বলবে?

অনিক কিছু না বলেই নিশুকে জড়িয়ে ধরলো।নিশু স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কি বলবে বুজতে পারছেনা।একটু পর নিশুকে ছেড়ে দিয়ে

অনিক -সরি”এইবার তুমি যাও।

নিশুও আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেলো।আসার সময় ডাক্তার কাছ থেকে রিপট গুলো নিয়ে বাসায় আসলো।
__শিহাব! শিহাব! এখন থেকে আবির আমাদের কাছেই থাকবে।অনিক নিজে বলেছে।কথাটা শুনেই নিশুর হাত ধরে
শিহাব -তুমি সত্যি বলছো?

নিশু -হ্যা আমি সত্যি বলছি।তুমি আর চুপ হয়ে থাকবে না।এখন চলো খেয়ে নিবে। এই কয়দিন না খেয়ে নিজেকে কি বানিয়েছো, একবার আয়নায় দেখেছো।

শিহাব -ওহ যাচ্ছি।কিন্তু তোমার হাতে এইটা কি?

নিশু- এইটা ডাক্তারের রিপট।এখন চলো।

শিহাব -আচ্ছা এইটা আগে দেখি তারপর যাবো কথাটা বলে নিশুর হাত থেকে রিপট টা নিয়ে দেখে নিশুর দিকে তাকিয়ে আছে।
নিশু -এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন? কি হয়েছে?

শিহাব -(গম্ভীর হয়ে)এই রিপট আগে তুমি দেখেছো?

নিশু -না এখনো দেখি নাই।এইমাত্র এইটা আনলাম।

শিহাব – (নিশুকে জড়িয়ে ধরে)নিশু আমি আবার বাবা হতে যাচ্ছি?
__নিশু লজ্জা পেয়ে কিছু না বলে রুমথেকে চলে গেলো। শিহাবও রুমথেকে বের হয়ে ইয়াসমিন বেগম কে বললো মা জানেন? আমাদের ঘরে নতুন অথিতী আসছে।আর তাতেই নিশু লজ্জা পাচ্ছে।এইটা কি ঠিক বলেন তো।
ইয়াসমিন বেগম -নিশু!! শিহাব কি সত্যি বলছে? তাহলে তো ভালোই হলো আবিরের খেলার সাথী আসতেছে।
এমিন সময় শিহাবের ফোন বেজে উঠলো।ফোন টা অনিক করেছে।তাই ইয়াসমিন বেগমকে ইশারায় চুপ থাকতে বললো শিহাব।

অনিক -কেমন আছিস?

শিহাব -ভালোই,ফোন করেছিস কেন?

অনিক -আমি দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছি,তাই ভাবছি তোর সাথে দেখা করবো। যদি তুই চাস।

শিহাব – ঠিক আছে!! কাল সকালেই দেখা করবো বলে ফোনটা রেখে দিলো।
সকাল বেলা শিহাব উঠেই রেডি হচ্ছে।
নিশু -এতো সকাল যাওয়ার কি আছে নাস্তাটা করে যেতে পারতে।

শিহাব – সমস্যা নাই বাহিরে খেয়ে নিবো।আবিরের দিকে খেয়াল রেখো।আর নিজেরও খেয়াল রেখো।

__শিহাব অনিকের সাথে দেখা করেই অনিককে জড়িয়ে ধরলো।অনিক তোর ঋণ আমি কখনওই শোধ করতে পারবোনা।
অনিক -আরে কি করছিস।আমি বুজেছি আবির তোদের কাছেই ভালো থাকবে।শুন আমি এখন চলে যাচ্ছি তোর সাথে এটাই আমার শেষ দেখা।

শিহাব – চল তোকে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিয়ে আসি।কথা বলতে বলতে দুজনেই গাড়িতে উঠলো।অনেকটা পথ যাওয়ার পরে গাড়িটা একটা ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে এক্সিডেন্ট হয়ে যায়।

__নিশু! ফোন বাজছে তোর।ফোনটা গিয়ে ধর। নিশুর মা কথাটা বলতে বলতে নিশুর রুমে এগিয়ে আসছে।
নিশু শিহাবের নাম্বার দেখে ফোনটা রিসিভ করে

নিশু -শিহাব একটু আগেই তো বাসা থেকে গেলে।এখন বার ফোন করেছো?

__ম্যাডাম আপনি এই ফোনের মালিকের কি হন আমরা জানি না।আমি hostile থেকে বলছি।এইখানে দুইজন লোক এক্সিডেন্ট করেছে।দুজনের কাগজ পএ দেখে বুজা যাচ্ছে একজন অনিক আর একজন শিহাব।

নিশু – নিজেকে সামলে নিয়ে আপনি কি বলছেন এই সব।দুইজনে ঠিক আছেতো?

__দুজনের একজন মারা গেছে।কিন্তু কোন জন তা আমরা বলতে পারছিনা।
নিশু কথা টা শুনেই জ্ঞান হারিয়ে পেললো।

( ২০ বছর পর)
আজ আবির পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার হয়ে দেশে আসছে।সেই সাথে দুই দিন পর অয়নির বিয়ে।তাই বাড়িটা সুন্দর করে সাজিয়েছে।ওহ আপনাদের তো বলাই হয় নাই।অয়নি হচ্ছে নিশুর মেয়ে।বাসা থেকে আবিরকে তার নানা আনতে গেছে এয়ারপোর্টে।তার বাবাও যেতো। কাজের জন্য যেতে পারে নাই।

ইয়াসমিন বেগম -নিশু কই তুই নিছে গাড়ির শব্দ শুনা যাচ্ছে হয়তো আবির এসে গেছে।

আবির দৌড়ে মা! মা! বলে নিশুর কাছে এসে জড়িয়ে ধরলো।
আবির -মা! বাবা কই?আমাকে আনতেও গেলো না আর এখন দেখাও পাচ্ছিনা।

নিশু -তুই এতো বছর পর দেশে আসছিস।তাই তোর বাবার ঘুম নাই সব কাজ নিজের হাতে করছে।কি যেন নষ্ট হয়ে গেছে এখন ছাদে গেছে ঠিক করার জন্য

আবির -ঠিক আছে আমিও যাই।কথাটা বলেই আবির ছাদে চলে গেলো।
এই যে মিস্টার শিহাব আপনার ছেলে যে দেশে ফেরেছে সেই কথা কি ভুলে গেলেন?

(সেই দিন এক্সিডেন্টের পরে শিহাবই বেঁচে ছিল আর অনিক পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলো)
শিহাব -(আবিরকে বুকে জড়িয়ে)আমার ছেলে আসছে আমি কি ভুলতে পারি? এইদিক টাও তো সামলাতে হয়।
কথা বলতে বলতে দুজনেই ছাদ থেকে নেমে এলো

অয়নি -বাহ এখন ছেলেকে পেয়ে বাবা আমার কথা ভুলেই গেলো।

আবির -বাবা! দেখেছো আমি আসতে না আসতেই আমার পিছনে পড়ে গেলো। ওকে সমস্যা নাই দুইদিন পর এমনেতেই বিদায় হবি।
আবিরের কথা শুনে সবাই হাসতে শুরু করল।।।

( সমাপ্ত। )

ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।