Tuesday, August 19, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2390



contract_marriage★  part: 12

0

contract_marriage★
part: 12

writer-Jubaida Sobti
আবির : এসব কি মানে? কি হয়েছে??
নিলা : আপনি খালি গায়ে কেনো??
আবির : তাতে কি হয়েছে আমি কি মেয়ে নাকি??
নিলা : কি বললেন??
আবির : সরি সরি!!! আমি ওটা মিন করিনি।?
নিলা : ঠিকাছে ঠিকাছে!!!
আবির : নিলা! কাল আমি যা করেছি আসলে সরি! আমি এর আগে কখনো খায়নি এসব। কাল বন্ধুরা মিলে জোড় করে এসব করেছে।?
নিলা : জোড় করে খায়িছে? আবির এসব ছোট বাচ্চার মতো কথা আমার সাথে বলবেন না। আপনি জানেন কাল রাতে আপনার পরিবার কতটা অপমান বোধ করেছে মেহেমানদের সামনে।
আবির : সরি!! নিলা।
নিলা : হুম!!
আবির : নিলা!!
নিলা : কিছু বলবেন?
আবির : নিলা কাল রাতে………. মানে কাল রাতে…..আমি তোমার সাথে খারাপ কিছু করিনিতো…..মানে ফার্স্ট টাইম….?
নিলা : না… কিছু করেননি।
আবির : থেংক গড। আচ্ছা চলো নাস্তা করতে।?
নিলা : ওয়েট মি. আবির।
আবির নিলার দিকে তাকালো,,,
নিলা : কন্ট্রাক্ট পেপারে সাইন করবেননা?
আবির : হুম দেখাও।
নিলা আবিরকে কন্ট্রাক্ট পেপার হাতে দিলো। আবির কন্ট্রাক্ট পেপার পরলো।
আবির : এসব কি নিলা!
নিলা : কি?
আবির : (রেগে গিয়ে) এইখানে লিখা আছে ৬ মাসের মধ্যে তোমাকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে আমার থেকে। তারপর তুমি আমাকে ডিভোর্স দিবে।
নিলা : হে! ৬মাসের মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করে দিবেন আমাকে তারপর আমি আপনার ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিবো। বাকি শর্ত গুলো আপনি যা বলেছিলেন তাই।
আবির : আসলে আমি তোমার ভোলভাল চেহেরার পেছনের রাজটা দেখতে পায় নি। তুমি টাকার জন্য এতোসব করার কি দরকার ছিলো আমাকে প্রথমেই বলে দিতে ৫ লক্ষ টাকা তখনি দিয়ে দিতাম।
নিলা : নো মিঃ আবির হক। আমার আপনার বাবার টাকার দরকার নেই। আমাকে আপনার নিজের ইনকাম করা ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তাও আবার ৬ মাসের মধ্যে।
আবির : তুমিকি পাগল হয়ে গেছো। ৬মাসের মধ্যে এটা কেমনি সম্ভব। আমি কি এর আগে কখনো টাকা ইনকাম করেছি নাকি?
নিলা : এসব জানা আমার বিষয় না। আমার শুধু ৫ লক্ষ টাকা চায়।
আবির : I can’t blv it… নিলা। তুমি টাকার লোভে…
নিলা : টেবিলে নাস্তা রাখা আছে খেয়ে নিবেন।
এই বলে নিলা রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলো।
নিলা 

 মনে মনে) সরি! আবির আমার কিছু করার ছিলো না। দাদীকে প্রমিস করেছি আমি। একজন বউ হিসেবে আমি আপনাকে বদলাতে পারবো এটা আপনার পরিবারের বিশাস আমার উপর। তাই বাধ্য হয়ে আমার এসব করতে হচ্ছে।?
আবির নাস্তা না করে বেরিয়ে চলে গেলো। সারাদিনে একবার ও বাসায় আসেনি।
রাতে নিলা তার রুমে শাড়ি ঠিক করছে। হঠাৎ আবির রুমে ঢুকে পরলো।
আবির নিলাকে দেখে তাড়াতাড়ি পেছনে ফিরে গেলো।
নিলা : (তাড়াতাড়ি শাড়ী ঠিক করে) এসব কি আপনি ভেতরে ঢুকেছেন কেনো??
আবির : নিলা তুমি হয়তো ভুলে গেছো এটা আমার রুম।?
নিলা : হে তা তো কি হয়েছে। তাই বলে এভাবে ঢুকে পড়বেন নাকি??
আবির : (নিলার দিকে ফিরে।) কেনো দরজা বন্ধ করে কাপড় ঠিক করতে হয় আপনি জানেন না?
নিলা : হে তা জানবো না কেনো… কিন্তু রুমের ভেতরে আসার আগে দরজা বারি দিয়ে আসতে হয় তা আপনি জানেন না??
আবির : শোনো তোমাকে দেখার আমার কোনো শখ নেই বুঝেছো ..?
নিলা : হে তা আমি ভালো করেই দেখতে পাচ্ছি।?
আবির : (রেগে গিয়ে) মানে? কি বলতে চাচ্ছো তুমি? ?
নিলা : মানে হচ্ছে রুমে ঢুকার আগে নক করে ঢুকবেন। এখন থেকে এই রুমটা আমার ও তাই এই রুমে কখন কি করতে হবে না হবে এটার ডিসিশন নেওয়ার অধিকার আমার ও আছে।?
আবির নিলার দিকে এগিয়ে এসে নিলার কোমড়ে হাতদিয়ে নিলাকে শক্ত করে ধরলো। (একটু হেসে)
আবির : ও আচ্ছা অধিকার খাটাচ্ছো।
আবিরের মুখ নিলার কানের দিকে আনলে নিলা অনেক ভয় পেয়ে যায়।
নিলা : কি করছেন আপনি ছাড়ুন আমাকে।?
(আবির নিলাকে আরো শক্ত করে ধরে।কানে কানে উইস্পার করে বলছে)
আবির : এটা ও তো আমার অধিকার।?
আবির হাত দিয়ে নিলার পেছনের চুল গুলো সরিয়ে এক পাশে আনলো।
নিলা : দেখেন আপনি যা করছেন একদম ঠিক করছেননা।?
আবির : আ…হা আমার বউ তার অধিকার খাটাচ্ছে। তাই আমিও আমার বউ এর থেকে আমার অধিকার নিচ্ছি। এটা ও তো আমার অধিকার তাই না নিলা??
নিলা : দেখেন আমি কিন্তু এখন চিৎকার করবো।
আবির : হে করো…. সবাই এসে দেখুক আমরা কি করছি। ইনফেক্ট আমিই ডাকছি সবাইকে। Excuse me..everyone…
নিলা তাড়াতাড়ি আবির মুখ তার হাত দিয়ে চেপে ধরলো
নিলা : আরে কি করছেনটা কি আপনি পাগল নাকি??
আবির : (মুচকি হেসে) আমার অধিকার…??
নিলা আবির কে ধাক্কা দিয়ে আবিরের কাছ থেকে সরে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
আবির : আরে…. নিলা কই যাও আমার অধিকারটাতো দিয়ে যাও।?
নিলা পেছন ফিরে আবার এসে রুমের দরজাটা খুব জোড়ে বন্ধ করে চলে যায়।
আবির হাসতে থাকে।
রাতের খাবার দিলো। নিলা আর বড় ভাবী সবাইকে খাবার বেরে দিচ্ছে।
আবির : নিলা! আমাকে একটু ঝোল দাওতো।?
নিলা আবিরকে ঝোল দিতে আসলে আবির নিলাকে আস্তে আস্তে
আবির : নিলা তুমি কিন্তু আমার অধিকার আমাকে দিচ্ছো না।??
দাদী : চুপি চুপি কি বলিস আমাদের ও তো শোনতে দে।?
নিলা : দাদী আবির বলছে তাকে নাকি বেশী করে ঝোল দিতে। তাই দিচ্ছি।?
এই বলে নিলা আবিরের প্লেটে পুরা বাটিতে যা আছে সব ঢেলে দিলো।
আবির : ?নিলা এতোগুলো কেমনি খাবো পাগল নাকি তুমি? মাথা ঠিকাছে নাকি অধিকার খাটাতে খাটাতে সেটা ও গেছে।?
নিলা : আমার মাথা ঠিকাছে। আপনার মাথা ঠিক নেই। তাই তো আপনি………..?
আবির : হে…. হে….. বলো বলো… তাইতো আমি কি…..
দাদী দেখেছ তুমি কি দাদার সাথে এমন করতে?
দাদী : তোর দাদাকে তো আমি ধমকে যা বলতাম তাই করতো।??
আবির : আসলে তোমরা নারী জাতিরা এমনি। নরম শরম পুরুষদের উপর নির্যাতন করো।?
নিলা : আ….হা…রে…. আপনি নরম শরম পুরুষ 
আবির : হে কিন্তু তুমি একটু বেশি নরম আরকি।
(আবির নিলাকে আস্তে আস্তে) তবে অধিকারটা দিলে কিন্তু আরো ভালো জানতাম। ?
নিলা : দাদী খাবারের সময় কথা বলা নিষেধ।
দাদী : আরে হে তা তো ভুলেই গেলাম।এই আবির চুপচাপ খেয়েনে নিলাকে আর বিরক্ত করিস না এমনিতে মেয়েটা সারাদিন তোর জন্য টেনশন করতে করতে শেষ বাড়ীতে তো আসার নাম নেই তোর ঘরে বউ আছে সেটা মনে রাখিস না মনে হয়।
আবির নিলার দিকে এক পলক চেয়ে আবার খাবার শুরু করলো।
সবাই খেয়ে নেওয়ার পর ঘুমাতে গেলো।
নিলাও গেলো দেখে আবির বসে বসে গান করছে।
আবির নিলাকে দেখে গান বন্ধ করে দেয়।
নিলা গিয়ে খাট থেকে গায়ের চাদর আর বালিশ নিয়ে খাটে শুয়ে পরছে।
আবির : দাঁড়াও ওটা আমার বালিশ।
নিলা : কিন্তু আপনারটা তো আপনার কাছেই আছে।
আবির উঠে নিলার থেকে বালিশটা আর গায়ের চাদরটা নিয়ে খাটে গিয়ে শুয়ে পরলো।
আবির : আমি আসলে দুটো বালিশ ছাড়া শুতে পারিনা তাই। আজ বেশী ঠাণ্ডা লাগছে তাই চাদর ও দুটো দিতে হবে।
নিলা চুপচাপ গিয়ে সোফায় শুয়ে পড়লো।
আবির নিলাকে দেখিয়ে দেখিয়ে এ.সি আরো বাড়িয়ে দেয়।
নিলার কিছু করার নেই।নিলার খুব খারাপ লাগছে আবিরের কাণ্ড গুলো। কারন নিলা ঠান্ডা বেশি সৌজ্য করতে পারে না।
সকাল হলো আবিরের ঘুম ভাংলো।
আবির ঘুম থেকে উঠে দেখে নিলা হাত-পা গুটিয়ে সোফায় শুয়ে আছে।
আবির ওয়াস রুম থেকে ফ্রেস হয়ে আসে।
আবির : (মনে মনে) এই মেয়ে আজ এতোক্ষন কেনো ঘুমাচ্ছে। অন্যদিনতো এতোক্ষণে উঠে পরে। যাক বাবা আমার কি।
আবির নিচে নাস্তা???? খেতে গেলো।
ভাবী : আবির নিলা কই??
আবির : আছে ঘুমাচ্ছে।
ভাবী : আজ এতোক্ষন।?
আবির : হে তাতে আমার কি।
ভাবী : কি বললি তোর কি মানে? ও তোর কি??
আবির : ভাবী নাস্তা দিবা ? ক্ষিদা পেয়েছেতো।?
দাদী : কোনো নাস্তা পাবি না।
যা গিয়ে বউকে সহ নিয়ে আয়। তারপর একসাথে বসে নাস্তা কর। আরে তোরা তো এই যুগের ছেলেমেয়ে তোদের কি শিখিয়ে দিতে হয় নাকি?
আবির : কিন্তু দাদী ও তো ঘুমাচ্ছে।
দাদী : ঘুমাচ্ছে !! মানে নিলাতো এতোক্ষন ঘুমায় না। যা গিয়ে দেখ কোনো অসুস্থ লাগছে নাকি?
আবির উঠে গিয়ে তার রুমে গেলো।
আবির : নিলা! নিলা!! ঐ নিলা!…
আবির নিলার শরীরে হাত দিতেই দেখে নিলার শরীর অনেক গরম। কপালে হাত দিতেই আবির বুঝে নেয় কাল রাতে এ.সি তে নিলা চাদর ছাড়া ছিলো। তারমাঝে আবির এ.সি ফুল বাড়িয়ে দেই।
আবির  মনে মনে) আরে এর তো প্রচুর জর। কিন্তু আমিতো তা চায়নি। আমি চায়নি নিলা কষ্ট পাক। আমিতো মজা করছিলাম। আমি নিলাকে ভালোবাসিনা এর মানে এই না যে আমি তাকে ঘৃনা করি। নিলা যতোদিন আমার কাছে আছে ততোদিন সে আমার responsibility.
আবির নিলাকে কোলে তুলে নিয়ে খাটে শুয়ে দেয়। গায়ে চাদর দিয়ে দেয়।
আবির : নিলা সরি। আমি জানতাম না এমন হবে।?
নিলা : (চুপ করে আছে) চোখ খোলার শক্তি ও তার নেই।
আবির দৌড়ে গিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে ড্রইং রুমে গিয়ে……
আবির: ভাবী ’’দাদী নিলার খুব জর উঠেছে। সে চোখ সহ খুলতে পারছে না।
ভাবী দাদী তাড়াতাড়ি আবিরের রুমে গেলো।আবির ও গেলো
দাদী : আরে সত্যিতো নিলার তো খুব জর।
আরে আবির যা ডাক্তারকে ফোন কর।মেয়েটার শরীরতো ভালো না।
আবির : হে দাদী আমি করছি।
ডাক্তার এসে নিলাকে দেখে ঔষধপত্র দিয়ে চলে গেলো।
নিলার এই অবস্থা দেখে আবিরের খুব খারাপ লাগছে।
আবির এক মূহুর্তের জন্য ও নিলার পাশ থেকে সরেনি।
আবির নিলার পাশে বসে আছে।
দুপুর হয়ে গেলো।
ভাবী : আবির তুইতো সকালে ও কিছু খেতে পারিসনি। যা কিছু খেয়ে নে। নিলার পাশে আমি আছি।
আবির : না ভাবী আমি ঠিকাছি আমার ক্ষিদা নেই।
নিলা : (চোখ খুলে) আপনি খেয়ে আসেন। আমি ঠিকাছি।
আবির : (খুশী হয়ে) ভাবী ডিয়ার নিলা উঠেছে তুমি যাওনা নিলার জন্য খাবার নিয়ে এসো।
ভাবী নিলার জন্য খাবার নিয়ে আসলো।
আবির নিলাকে ধরে উঠে বসালো।
নিলা নিজে খেতে চাইলে আবির তাকে নিজ হাতে খেতে দেইনা।
আবির : নিজেকে সামলানোর শক্তি নেই আবার নিজের হাতে খাবার ও খেতে চাচ্ছে।
ভাবী : দেখেছ নিলা!! আমার দেবর হচ্ছে এক পিচ। বউ এর কতো সেবা করছে। তারমানে বুঝতে পারছো তোমাকে কতো ভালোবাসে।?
আবির আর নিলা চুপ করে আছে।আবির নিলার দিকে তাকিয়ে আছে।
নিলা : (ধীরেধীরে) হে ভাবী। আমার কারনেতো অনি এ.সি ছেড়ে বেশী ঠান্ডায় ঘুমাতে পারেনা।
আমার বেশী ঠান্ডা লাগে তাই ওনার গায়ের চাদরটা সহ আমাকে দিয়ে দেই।
ভাবী : ওহ তাই নাকি!! এতো ভালোবাসা কই রাখবা নিলা!?
আবির নিলার দিকে চেয়ে আছে আবির কিছু বলেনি। কারন আবির জানে আসলেই আবিরের দোষ।
ভাবী : আচ্ছা নিলা তুমি খেয়ে নাও আমি যায়। আবিরতো আছে তোমার পাশে কিছু লাগলে আবির বলিস আমাকে।আর শোন খাওয়ানোর পরে ঔষধটা ও খাইয়ে দিস নিলাকে।
আবির : জি! ভাবী।
ভাবী চলে গেলো আবির নিলাকে খাইয়ে দিচ্ছে।
নিলা : হয়েছে আর খাবো না।
আবির : নিলা প্লিজ খেয়ে নাও। না খেলে ঔষধ কিভাবে খাবা।
নিলা : আমি ঠিকাছি ঔষধের দরকার নেই আমার।
আবির : নিলা আমি জানি তুমি আমার উপর রেগে আছো। তা অবশ্য তোমার রাগ করাটা সঠিক। কারন কাল রাতে আমি যা করেছি একদম ঠিক করিনি।
তবে নিলা আমি ইচ্ছা করে করিনি বিশ্বাস করো। আমি কখনো চায়নি তোমার এই অবস্থা হোক।?
চলবে….☺

contract_marriage★ part-11

0

contract_marriage★
part-11

writer-Jubaida Sobti
আবির : ওহ তবে আমাকে কে সাজাবে।?
ভাবী : চুপ! শয়তান কোথাকার।?
নিলাকে ভাবী শাড়ী পরিয়ে সাজিয়ে ড্রইং রুমে নিয়ে গেলো সবাই একসাথে নাস্তা?? করলো।
নিলার সাথে ভাবী দাদি আবিরের মামাতো খালাতো বোনরা সবাই গল্প করছে।অনেক হাসাহাসি চলছে।
দাদী : হয়েছে হয়েছে অনেক গল্প করেছিস এবার আমার নাতি বউটাকে একটু বিশ্রাম করতে দে। যা সবাই।
সবাই চলে গেল। কিন্তু দাদী নিলার কাছে আবার আসলো।
নিলা : আরে দাদী আসো!
দাদী : নিলা তোকে কিছু বলার ছিলো আমার।
নিলা : হে দাদী বলো।
দাদী : নিলা তুইতো জানিস আবির কেমন। বিয়ে হয়েছে ঠিক কিন্তু তার ছেলেপনা গুলো এখনো যায়নি।ভবিষ্যৎ নিয়ে তার কোনো চিন্তা ভাবনা নেই।নিলা তবে তুই আমাকে একটা ওয়াদা কর।
নিলা : কি নিয়ে দাদী?
দাদী : তুই আবিরকে একজন জিম্মাদার মানুষ বানাবি। তার ভবিষ্যৎ ঠিক রাখার জন্য যা করার তুই সেটা ওকে করাবি।
( কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। সে দাদীকে কিভাবে বলবে এই ওয়াদা সে পুরণ করতে পারবে না। সে তো আবিরের জিবনে শুধু খানিক সময়ের জন্য।)
নিলা : কিন্তু দাদী কিভাবে?
দাদী : এতোসব আমি জানিনা। তুই আমার কসম খেয়ে বল। তুই পারবি?
নিলা : (নিলার কিছু করার ছিলনা) হে দাদী আমি তোমার কসম করে বলছি আমি আবিরকে একজন জিম্মাদার মানুষ বানাবো।
দাদী : (চোখের জল ফেলে) হে তুই পারবি। তোর ভালবাসা দিয়ে পারবি।
দাদী চলে গেলো। নিলার মাথায় কিছু আসছে না সে তো দাদীকে প্রমিস করে দিয়েছে কিন্তু কিভাবে পূরণ করবে।
আবির রুমে এসেছে।
নিলা : কোথায় ছিলেন?
আবির : বন্ধুদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
নিলা : তারার সাথে কথা হয়েছে?
আবির : কি বলবো তারাকে হে? তারা আমি বিয়ে করে ফেলেছি এটা বলবো?
নিলা : না তা বলবেন কেন।
আবির : সরি!
নিলা : সরি কেনো?
আবির : আসলে কি বলবো মাথায় কিছুই আসছে না। তারাকে মিথ্যা বলতে ও ভালো লাগছে না। আমিতো ওকে ভালবাসি ভালবাসার মানুষকে মিথ্যা কেমনি বলি।
নিলা : হুম আপনি কালকে যে কন্ট্রাক্ট ফাইল এনেছেন ওটা একটু দিবেন প্লিজ।
আবির : কেনো?
নিলা : দেখবো আরকি কাল রাতে ভালো করে পড়তে পারিনি তাই।
আবির উঠে আলমারি থেকে নিলাকে ফাইলটা দিলো।
নিলা আবিরের থেকে ফাইলটা নিয়ে টেবিল থেকে একগ্লাস পানি নিয়ে ফাইলের উপর ঢেলে দিলো। ফাইল পুরাটা ভিজে গেলো আর কোনো কাজের রইলো না।
আবির : (খুব রেগে গিয়ে) করছোটা কি?
নিলা : যা দেখেছেন তাই করছি।
আবির : এসবের মানে।
নিলা : এসবের মানে হলো কন্ট্রাক্ট পেপারে আপনার যেরকম শর্ত আছে ঐরকম কিছু শর্ত আমার ও থাকবে।তারপর ঐ কন্ট্রাক্ট পেপারে আপনার সাইন থাকবে আমার সাইন ও থাকবে।
আবির : কিরকম শর্ত তোমার?
নিলা : সেটা আমি পেপার আনার পর জানিয়ে দিবো।
আবির : তোমার এসব একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না নিলা?
নিলা : যা আপনি মনে করেন।
এই বলে নিলা রুম থেকে চলে গেলো।
নিলাদের বাসা থেকে তার কাজিনরা এসেছে নিলাকে দেখতে। নিলাতো অনেক খুশি পরিবারের মানুষ পেয়ে।
(শ্রেয়া নিলার কানে কানে আপু তোমার রুমটা কতো বড় কতো সুন্দর। তুমি আর আবির ভাইয়া দৌড়াদৌড়ি খেলতে পারবা)?
নিলা 

 মুচকি হেসে) তোর ও হবে একদিন এমন রুম।?
শ্রেয়া : হে কিন্তু আমার বর ও আবির ভাইয়ার মতো হ্যান্ডসাম হবে।?
নিলা:( একটু হেসে) হে রে পাগলি তাও হবে।?
সবাইকে রাতে খাবার দেওয়া হলো।
শ্রেয়া : নিলা আপু! আবির ভাইয়া কই গেলো? আমরা তো কখন এলাম আর ভাইয়ার দেখা পেলামনা এখনো।
আজ ডিনার ভাইয়ার সাথে করবো।
দাদী : হে তা করবিনা কেনো। তোরা তো ওর শালী। নিলা! আবিরকে ফোন দে তাড়াতাড়ি আসতে বল।
নিলা : জি! দাদি।
(নিলা আবিরকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু আবির ফোন ধরছে না কেটে দিচ্ছে।নিলা কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না)
(আবির তার বন্ধুদের সব খুলে বলার পর বন্ধুরা তার টেনশন কমানোর জন্য তাকে জোর করে ড্রিংকস খাইয়ে দে।কিন্তু আবির এর আগে কখনো এসব খাওয়াতো দূরের কথা ছুঁয়ে ও দেখেনি।)
হঠাৎ নিলার কানে বাহির থেকে আবিরের গাড়ির আওয়াজ আসে। সে তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দেখে আবির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।আবিরের চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। নিলা গাভ্রিয়ে গেলো অনেক।
নিলা : কি হয়েছে আপনার?
আবির নিলার গায়ের উপর পরে যায়। নিলা অনেক কষ্টে আবিরকে ধরে।
আবির সোজা হয়ে দাড়াতে পারছে না।
আবিরকে দেখে তার পরিবারের সবাই অনেক অবাক হয়ে গেছে।তবে বিশ্বাস করতে পারছে না আবির ড্রিংকস করেছে আবিরতো কখনো ড্রিংকস করে না তবে আজ কেনো করলো।
আবিরকে তার মেজো ভাই ধরে রুমে দিয়ে আসে।
দাদী : (লজ্জাজনক মুখে মেহমানদের) আসলে আবির এমন না। আজ মনে হয় বন্ধুদের সাথে পরে খেয়েছে।
শ্রেয়া : দাদী! it’s a common matter… এখনকার যুগে এটা কোনো ব্যাপারি না।
সবাই রাতের ডিনার করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে গেলো।
নিলা তার রুমে গেলো। দেখছে আবির তার শার্ট খোলার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
নিলা গিয়ে আবিরকে শার্ট খুলে দিলো। আবিরকে পা তুলে খাটে শুয়ে দিলো। নিয়ম অনুযায়ী আজ নিলার পালা ছিলো খাটে শুয়ার।
নিলা : আপনি কিছু খাননি। আপনাকে খাবার দিবো?
আবির : (নেশাগ্রত ভাবে)আমি ড্রিংকস করেছি।
নিলা : কেনো করেছেন।
আবির : তোমার কারনে।শুধু তোমার কারনে।
নিলা উঠে চলে যাচ্ছিলো। ঠিক সেই সময় আবির নিলার হাতধরে টান দিলো আর নিলা আবিরের গায়ের উপর পরে গেলো।
আবির নিলার মুখ থেকে আলতো করে চুলগুলো সরিয়ে।
আবির : আই লাভ ইউ!
নিলা আবিরের মুখে এই কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়েছে। ঐ মূহুর্তটা লাগছে তার সর্গের মতো।
নিলা ও আবিরের কপাল থেকে তার চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে দিলো।
আবির : সব চেয়ে বেশী ভালবাসি তোমাকে। আই লাভ ইউ সো মাচ””! তারা !
নিলার মনটা তখন লাগলো কে যেন এসে একটা লাঠি দিয়ে বাড়ী মেরে চলে গেলো।
নিলা তার কোমোর থেকে আবিরের হাতটি সরিয়ে ছুটে আসতে চেয়ে ও আসতে পারলো না।
আবির নিলাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে।
(নিলা মনে মনে) অনি তো আমাকে তারা ভাবছে। তারা ভেবে এসব করছে। নেশা করে এসে রাতে রাতে সপ্ন দেখছে যতসব ডিসগাস্টিং।
নিলা একদৃষ্টিতে আবিরকে চেয়ে আছে। আবির ঘুমিয়ে আছে। ভালোবাসার মানুষটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে এতো সুন্দর লাগে এতো ভালো লাগে তা নিলা আগে জানতো না।
নিলা ও আবিরের বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে।
সকাল হলো।? আবিরের আগে ঘুম ভাংলো। আবিরের মাথা প্রচন্ড ব্যাথা করছে।
তারমাঝে আবির নিলাকে তার বুকে দেখে আরো অবাক হয়ে গেলো। মাথায় কিছু আসছে না নিলা তার বুকে কেনো।
আবিরের গায়ে কাপড় নেই কেন? এ.সি তো চলছে তবে……কাপড় কেনো খুললো।?
আবিরের দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে গেলো।
আবিরের নড়াচড়াতে নিলার ঘুম ভেংগে গেলো।
নিলা উঠে দাঁড়িয়ে গেলো।
আবির উঠে বসে।
দুজন দুজনের দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না।
নিলা ওয়াস রুমে চলে যায় ফ্রেস হওয়ার জ্ন্য। ফ্রেস হয়ে এসে দেখে আবির এখনো বসে আছে।
নিলা : ফ্রেস হয়ে আসুন।
আবির : (মনে মনে ?এই মেয়ে এতো নরমাল ভাব করছে কেনো) উফফ কিছু বুঝছি না কি হচ্ছে।?
আবির ওয়াস রুম থেকে বের হয়ে দেখে নিলা বিছানা ঠিক করছে।
আবির দৌড়ে গিয়ে নিলার হাত ধরে টেনে তার দিকে ফিরিয়ে।
নিলা : ছিঃ….!….. এসব কি?(চোখে হাত দিয়ে)?
চলবে——-?

Contract_marriage★ part- 10 

0

Contract_marriage★
part- 10 

writer-Jubaida Sobti


এইভাবে কেটে গেলো বাকি দিনগুলো।
আজ নিলা আর আবিরের বিয়ে।
আবিরকে তার বেষ্ট ফ্রেন্ড দুজন মিলে রেডি করছে।
আবির : ভেবেছি বিয়েটা তারার সাথে করবো কিন্তু কোথা তেকে এই নিলা উঠে এলো।?
বন্ধু : আহারে নিজেই বিয়ে করছিস আবার নিজেই আফসোস করছিস।?
আবির : আরে কি করবো তোরা বল। নিলা বেচারি। চেহেরা দেখলে কষ্ট হয় ওর। মেয়েটির ও কি দোষ যার সাথে বিয়ে ঠিক করে সেইই রিজেক্ট করে দেই। তবে আমি ওকে সাহায্য করছি। ওকে কি আমি সারাজীবন আমার বউ করে রাখবো নাকি। আমিতো তারাকে বিয়ে করবো উফফফ তারাকে অনেক মিস করছি।
বন্ধু : হে হে আর মিস করতে হবে না তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
বর যাত্রী বের হলো। সবাই বিয়েতে অনেক আনন্দ করে।কিন্তু নিলার মন অনেক খারাপ।
নিলা আর আবিরের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হলো।
নিলাকে আবিরের বেডরুমে বসিয়ে রাখানো হয়েছে। ফুলের সমাহারে ভরা বিছানা। চারদিক ক্যান্ডেল লাইট আর ফুল দিয়ে সাজানো। এ.সি চলছে। ঠাণ্ডা ঠান্ডা বোধ হচ্ছে নিলার। পা গুলো গুটিয়ে নিয়ে বসে আছে নিলা।
হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ হলো।
আবির এসেছে রুমে।
আবির : আরে নিলা কি হলো!!
নিলা : জি!
আবির : নিলা! তুমিতো এমন ভাবে বসে আছো যেন আমাদের ফুলসজ্জা হচ্ছে।
নিলা বিছানা ছেড়ে উঠে দাড়ালো।
আবির : নিলা! তোমাকে একটা জিনিস দেখাবো।
নিলা : কি জিনিস।
আবির একটি ফাইল নিলার হাতে দিল এবং বললো
আবির : নিলা এটা আমাদের কন্ট্রাক্ট পেপার। এইখানে লিখা আছে ৬ মাস পর্যন্ত তুমি এইখানে থাকতে পারবা। এরপর তুমি আমার জীবন থেকে চিরদিন এর জন্য চলে যাবে।
নিলার শরীরের লোম শিরশির করে উঠলো। একজন মেয়ের কাছে বিয়ের দিন রাতে তার বরের কাছ থেকে পাওয়া কন্ট্রাক্ট পেপার। যাতে লিখা আছে ৬ মাস পরে তাদের ডিভোর্স হয়ে যাবে।
নিলা : কি করতে হবে এটা।
আবির : সিগ্নেচার করবে।
নিলা : কিন্তু আবির এসবের কি দরকার ছিলো। আমিতো বলেছি আমি চলে যাবো।
আবির : যদি ৬ মাস পরে তুমি দাবী করো যেতে না চাও।
নিলার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো।?
আবির : নিলা কিছু কাগজপত্র আরো আছে সেখানে ও তোমার সিগ্নেচার লাগবে।
নিলা : কি লিখা আছে তাতে?
আবির : নিলা তুমি আমার বউ ঠিক কিন্তু কখনো আমার বউ এর অধিকার পাবা না।
আমার উপর কোনো অধিকার দেখাতে আসবে না।
আমাকে কখনো ভালবাসার চেষ্টা করবে না আমিও তোমাকে ভালোবাসবো না।
আমাদের বিয়েটা শুধু একটা কন্ট্রাক্ট হিসেবে।কন্ট্রাক্ট শেষ হতেই তুমি কোনো দাবী ছাড়া এইখান থেকে চলে যাবে।
নিলা : (কান্না কন্ট্রোল করে) কোথায় কোথায় সই করতে হবে?
আবির : এইতো এইদিকে একটা। এই পেইজ এ একটা।
সব মেয়েরি এইদিনের সপ্ন থাকে। নিলা কখনো ভাবেনি নিলার বিয়ে এমনভাবে হবে।
সই করা শেষ। আবির ফাইলটি নিয়ে আলমারিতে রেখে দিলো।
আবির : আচ্ছা আমরা তো এক খাটে থাকতে পারবো না। এক কাজ করি একদিন আমি খাটে থাকবো আর একদিন তুমি খাটে থাকবা।
যে দিন আমি খাটে থাকবো ঐ দিন তুমি সোফায় থাকবে আর যেদিন তুমি খাটে থাকবে ঐ দিন আমি সোফায় থাকবো।
নিলা : জি!
আবির : এক কাজ করো আজ তুমি খাটে থাকো।
নিলা : না সমস্যা নেই আপনি থাকেন।
আবির : নো ওয়ে। আজ তুমি।
নিলা : বলছি তো আমি থাকি। আপনি খাটে শুয়ে পরুন।
আবির : আচ্ছা ঠিকাছে।
এই বলে আবির নিলার জন্য বালিশ আর গায়ের চাদর নিয়ে সোফায় দিয়ে দেই।
আবির : গুড নাইট নিলা! ঘুমিয়ে পরো।
নিলা : গুড নাইট।
আবির খাটে শুয়ে পরে।
নিলা তার গয়নাগাটি খুলছে ভাবতে ভাবতে আর চোখের জল ফেলতে ফেলতে। আর আবিরের দিকে তাকায় কিছুক্ষণ পর পর আয়না দিয়ে।
আবির ঘুমিয়ে পড়েছে।আবিরের চেহারা থেকে তার চোখ সরাতে পারছে না নিলা। আর ভাবছে যাকে ভালবেসেছে তাকেই বিয়ে করেছে নিলা কিন্তু। এই বিয়ে খানিককালের জন্য।
সকাল হলো হঠাৎ দরজা বাড়ি দিচ্ছিলো আবিরের ভাবী। আবিরের ঘুম ভেংগে গেলো। উঠে দেখে ১০:৩০
(আবির মনে মনে ভাবছে আরে নিলাতো সোফায়। এখন দরজা কেমনি খুলি।)
(আবির নিলার কাছে গিয়ে)
আবির : নিলা! নিলা! নিলাাাা!!!!!
নিলা : উফফ কি হলো এতো সকাল সকাল ডাকছেন কেন (ঘুম চোখে)
আবির : নিলা সকাল সকাল নয় ১০:৩০
নিলা : উফফ আর একটু ঘুমাতে দিন এমনিতে একটু আগে ঘুমিয়েছি। (ঘুম চোখে)
ভাবী : আবির দরজা খোল। অনেকতো ঘুমিয়েছিস। এবার উঠ।
আবির : ঐ নিলাাাা!!!!!! উঠো প্লিজ ভাবী এসেছে ডাকার জন্য।
এই মেয়ে কি নেশার ঘুম ঘুমিয়েছে নাকি। কী করি ভাবী তো দেখে ফেলবে এখন দরজা খুললে। (আবির মনে মনে)
আবির নীলাকে কোলে তুলে নিলো এবং খাটে শুয়ে দিচ্ছে।
নিলা : আরে আরে! করছেনটা কি! পরে যাবো তো।
আবির : চুপ!! ভাবী আছে দরজার পাশে।
আবির গিয়ে দরজা খুললো।
ভাবী : আবির ঘুম হয়েছে?
আবির : জি ভাবী।
ভাবী : তাহলে এবার রুম থেকে বের হো।
আবির : কেন?
ভাবী : তোর বউকে সাজাবো বলে।

চলবে…… ?

 

Contract_marriage★  part- 9

0

Contract_marriage★
part- 9

writer-Jubaida Sobti
নিলা : কি লুকাবো। কিছুইতো না।
আবির : নিলা আমার ব্যাপারে তুমি সব জানো। তোমার ব্যাপারে ও আমি সব জানি তবে আমায় মিথ্যা বলার কি দরকার। বলো আমাকে কি হয়েছে?
নিলা :(কেঁদে কেঁদে) কাল যখন আপনার পরিবারের ফোন আসবে। তখন মামা মামীর সপ্ন ব্যর্থ হয়ে যাবে। তারা আমাকে ছোট থেকে লালনপালন করে বড় করেছে। মমিতা আপুর সংসারটা ও তেমন ভালো চলছে না। শশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ী উঠে এসেছে। শ্রেয়ার পড়া লিখার খরচ এসব মিলিয়ে মামা আর ভাইয়ার উপর অনেক প্রেশার যায়। তার মধ্যে এতো কষ্টের মাঝে বার বার আমার কারণে ওদের ও কষ্ট পেতে হচ্ছে। আর আমি চায় না এসব ভবিষ্যৎ এ ও হোক।তাই আমি ডিসিশন নিয়েছি এর চেয়ে ভালো তাদের থেকে দূরে সরে গিয়ে তাদের জিবনের বোঝা কমিয়ে দি।
আবির : কিন্তু নিলা তোমার কি মনে হয় মামা তোমাকে বোঝা মনে করে?
নিলা : কখনো না! মামা আমাকে নিজের মেয়ের মতোই ভাবে। কিন্তু আমার নিজেকে নিজেই তাদের কাছে ছোট মনে হচ্ছে। আপনাকে তো বলেছি আমার বিয়ে কতোবার ভেঙেছে। সবার কতো আশা ছিলো এই বিয়ে নিয়ে।
আবির : সব আমার কারনে তাই না নিলা।দেখিও নিলা তুমি আমার চেয়ে ভালো বর পাবা।
নিলা : (চুপ করে কেঁদে? চলছে)
আবির : নিলা আমি তারাকে ভালোবাসি তাই তোমাকে বিয়ে করছি না।
নিলা : তো কে বলেছে আমাকে ভালোবাসতে।আমাকে ভালোবাসতে হবে না আবির। (কেঁদে কেঁদে) ?
আবির : মানে! কি বোঝাতে চাচ্ছো??
নিলা : (কেঁদে কেঁদে) আবির আপনি আমাকে বিয়ে করেন। আমার জন্য নয় আমার মামা মামীর দিক চেয়ে হলে ও। আপনি আমাকে যেদিন বলবেন ঐদিনি আমি আপনার জীবন থেকে চলে যাবো।
আবির : কিন্তু!!! এটা সম্ভব হবে নাকি?
নিলা : এক সপ্তাহ ‘ একমাস ‘ দুই মাস যে দিন বলবেন ঐদিনি চলে যাবো। আমি আপনাকে প্রমিস করছি আবির।
আবির : হুম!! তবে তারা ও বলেছে এক বছর পরে সে ভেবে বলবে। তারা ঢাকায় গিয়েছে মেডিকেল পড়ার জন্য।
কিন্তু হে!! নিলা আমি তোমার উপর ভরসা করে এই বিয়েতে রাজি হতে পারি তবে আমাকে প্রমিস করো আমি যেদিন বলবো ঐদিনি তুমি আমার জীবন থেকে চলে যাবা। কারণ নিলা আমি তারার জায়গা আর কাউকে দিতে পারবো না। আমার জীবনে শুধু তারা আর কেউ নয়।
নিলা : আমি আজ এই মুহুর্তকে সাক্ষী রেখে ওয়াদা করছি আপনি যেদিন বলবেন ঐদিনই আমি আপনার জীবন থেকে চলে যাবো।?
আবির : ঠিকাছে নিলা তাহলে এখন বাসায় যাও।
নিলা : আপনি কই যাবেন?
আবির : কই আর যাবো ঐ হিটলারের কাছে। চলো তোমাকে আগে পৌছেদি।
নিলা : আমি যেতে পারবো!
আবির : আচ্ছা তখন দেখেছিতো কতোদূর যেতে পারো।
আমি বারবার গিয়ে ঐসব বলতে পারবো না যে আমার চাচা আর্মি ” মামা পুলিশ ” দাদা মেজিস্ট্রেড। হা! করে দেখছো কী চলো এবার।
নিলা : চলেন।
নিলা নিলার বাসায় এসে গেছে ড্রইং রুমে গিয়ে চিঠিটা নিয়ে তাড়াতাড়ি ছিড়ে ফেলে দিয়েছে।
আবির ও তার বাসায় এসেছে।
দাদি : আরে আবির তুই আমি জানতাম তুই আসবি। দেখ আবির তুই নিলার চেয়ে ভালো মেয়ে আর পাবি না সে তোর জন্য একদম পারফেক্ট।
আবির : জি! দাদি আসলে আমি বুঝতে পারিনি। এখন বুঝতে পেরেছি।
বাবা : মা ওর থেকে জিজ্ঞেস করো এটা কোনো ওর নতুন প্লান নয়তো।?
দাদি : চুপ করবি তুই!! আবির তার নিজের ভুল নিজে শিকার করেছে। যা এখন বিয়ের যা যা লাগবে তৈরী কর।
আবির আবিরের রুমে চলে গেলো।
চিন্তা করছে কি হচ্ছে তার সাথে।
নিলা ও তার রুমে বসে ভাবছে। আর কান্না করছে।
চলবে….?

contract_marriage★  part- 8

0
contract_marriage★
part- 8
writer-Jubaida Sobti
নিলা : জি!! আমি ঠিকাছি।
আবির : ঠিকাছো মানে? কি নিয়ে টেনশন করছো কোনো আমি যা বলেছি তা নিয়ে নয়তো??
নিলা : না তা নিয়ে নয়।
আবির : আচ্ছা তোমার মামা মামিকে বলেছো?
নিলা : না বলতে পারিনি।?
দাদি : নিলা!! খেয়াল রাখিস হ্যাঁ। আমরা তাহলে আজ আসি। আর শোন কোনো টেনশন করবি না। সব ঠিকঠাকই হবে। তবে হ্যাঁ আবির তোকে কোনো টেনশন দেই নাকি?
নিলা : না দাদি!
দাদি : দিলে কিন্তু আমাকে বলবি।
চল আবির।
(এই বলে দাদি আর আবির চলে যায়)।
নিলা সুস্থ হয়ে উঠে ধীরেধীরে। তবে এর মাঝে অনেক চেষ্টা করেছে নিলা মামা মামীকে বলার জন্য।
কিন্তু নিলা ব্যর্থ হয়।
আবির আর নিলার বিয়ের কার্ড চলে এসেছে।
আবির এর এসব অসহ্য লাগছে।
আবির নিলাকে ফোন দিলো।
আবির : নিলা তুমি বলেছো?
নিলা : দেখেন আমি মামা মামিকে কিছু বলতে পারবো না। আপনার যদি এতো দরকার হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজেই বলেন আপনার পরিবারকে।
আবির : তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো যে তুমি কিছু করতে পারবা না তাই তো?
নিলা : জি!!! তাই।
আবির : ঠিকাছে তাহলে আমিই বলছি বাবাকে।
এই বলে আবির ফোন কেটে দিলো।
আবির তার বাবা এবং পরিবারের সবাইকে ঢাকে।
আবির : বাবা আমি নিলাকে বিয়ে করতে পারবো না।
বাবা : কেন?
আবির : বাবা আমি তারা কে ভালবাসি আর আমি ওকেই বিয়ে করবো।
বাবা : আবির তুই কি বলছিস তুই জানিস?
আবির : হ্যাঁ বাবা আমি জানি। আর এটাই আমার ফাইনাল ডিসিশন।
বাবা : ঠিকাছে তাহলে আমার ফাইনাল ডিসিশন ও শোনে নে। যদি এই বাড়ীতে থাকতে চাস তাহলে নিলাকে বিয়ে করতে হবে আর যদি না চাস তাহলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যা।
দাদি : কি বলছিস কি তোরা।পাগল হয়ে গেছিস নাকি তোরা।
বাবা : মা তুমি জানো না!!! ওর এসব আবদার গুলো রেখে রেখে আমি ওকে মাথায় তুলে ফেলেছি।
আবির : ঠিকাছে আমি বেরিয়ে যাচ্ছি।চিন্তা করো না।
বাবা : দাড়া ” বেরিয়ে যাচ্ছিস ভালো কথা। তবে এই বাড়ীর কিছু সাথে নিয়ে যেতে পারবি না।
আবির : মানে!
বাবা : তোর বাইকের চাবি ” কারের চাবি ” ক্রেডিট কার্ড সব রেখে যা।
আবির সব টেবিলের উপর রেখে বাসা থেকে বেরিয়ে গেল।
দাদি : (কেঁদে কেঁদে) কয়েক সাপ্তাহ পরে ছেলেটার বিয়ে আর তাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তুই কেমন বাপ?
বাবা : মা তুমি ঐসব বুঝবা না। কয়দিন ওকে বাসা থেকে দূরে থাকতে দাও তারপর বুঝবে ও।
আবির তার বন্ধুদের কল দিয়ে সব বলে কোনো বন্ধুর সাহায্য না পেয়ে সে পার্কের একটি চেয়ারে বসে আছে।
নিলা বুঝতে পারে যে আবির হয়তো এতোক্ষনে তার পরিবারকে বলে দিয়েছে।নিলা বুঝতে পারে সকালে আবিরের পরিবার ফোন দিয়ে বিয়ে কেন্সেল করে দিবে। নিলা তার এই মুখ মামা মামিকে কি করে দেখাবে। মামা মামীর কষ্টের চেহারাটা সে কি করে দেখবে।
তাই নিলাও ডিসিশন নিয়েছে সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।
নিলা একটি চিঠি লিখে ড্রইং রুমের টেবিলে রেখে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে।
নিলা হাটতে হাটতে পার্কের পাশে চলে আসে।
নিলাকে আবির দেখে ফেলে।
আবির: নিলা তুমি এতো রাতে এইখানে কি করছো 

নিলা : জি! আমি নাইট ওয়াকিং এ বেরিয়েছি।তাই।
আবির : তুমিকি আমাকে বোকা পেয়েছো?
নিলা : তবে আপনি কী করছেন এইখানে?
আবির : বাবা বের করে দিয়েছে নিলা আমাকে।
নিলা : ওহ!
আবির : বাদ দাও!! আসো তোমাকে বাসায় পৌছে দি।
নিলা : আরে না সমস্যা নেই আমি যেতে পারবো আপনি চিন্তা করবেন না।
আবির : সত্য বলছো তো??
নিলা : হ্যাঁ মিথ্যা কেন বলবো। বাই।?
এইবলে নিলা চলে গেল একা। কিন্তু আবির ও নিলার পিছু পিছু গেল। নিলা না দেখার মতো।
কিছু দূর হেটে যাওয়ার পর নিলাকে কিছু বাজে ছেলে ইপ্টিজিং করতে লাগলো। তবে নিলা অনেক ভয় পেয়ে গেল।
সে পিছন ফিরে দৌড়াতে গিয়ে দাক্ষা খেয়ে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে গেল।চোখ খুলে নিলা দেখে আর কেউ নয় সেটা আবির।
আবিরকে দেখে নিলার বুকে সাহস আসলো। নিলা আবিরের হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে।
আবির : আরে ডার্লিং এতো রাগ করতে হয়। হয়েছে তো। এবার ক্ষমা করে দাও।
আমার চাচা আর্মি যে টা তাকে কল দিয়েছি সে আসছে আমাদের পিক আপ করতে। আজ ওনার বাসায় থাকতে বলেছে।
নিলা আবিরের কথা গুলো শুনে হাসবে কি কাঁদবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।?
আবির নিলাকে নিয়ে ঐ জায়গা থেকে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে বসালো।
আবির : নিলা সত্য করে বলোতো তুমি এতো রাতে এইখানে কি করছো? নিলা আমার থেকে লুকিয়ে কি লাভ?
চলবে…..

 

contract_marriage★  part- 7

0

contract_marriage★
part- 7

writer-Jubaida Sobti
হঠাৎ নিলার দুলাভাইকে পেছন থেকে টেনে আবির দিল একটা ঘুসি।
নিলার দুলাভাই আবিরকে দেখে ভয় পেয়ে গেল। নিলা ও আবিরকে দেখে অবাক।
আবির : শালা বিয়াদবি তো অনেক বড় করে ফেলেছিস।
তবে মেইন ডোর অফ করে বিয়াদবি করলে আজ তুই হয়তো আমার থেকে বেচে যেতি।
আবির আর নিলার দুলাভাই দুজনে মারামারি শুরু করে দেয়। নিলা আবিরকে ছুটিয়ে আনার চেষ্টা করছে তাও পারছে না। আবির অনেক রেগে গেছে।
শেষে অনেক জোড়াজোড়ি করে নিলা আবিরকে সরিয়ে আনে।
নিলা আবিরকে অন্য রুমে নিয়ে চলে যায়।
আবির : নিলা তুমি কিন্তু একদম ঠিক করছো না। ও বিয়াদবির সীমানা পাড় করে ফেলেছে।
নিলা : আপনি শান্ত হোন প্লিজ। আমি জানি অনি যা করেছে ঠিক করেনি। কিন্তু আমি আমার বোনের সংসার না ভাঙার জন্যই কাউকে কিছু বলিনি।
আবির : (রেগে গিয়ে) সংসার এইরকম একটা অমানুষের সাথে।
নিলা : আমি চায়না আমার কারনে কারো ক্ষতি হোক।
আবির : ওহ ফাইন!! তুমি চাওনা তোমার কারনে কারো ক্ষতি হোক। তবে কারোর কারনে তোমার ক্ষতি হোক। Disgusting নিলা আমারতো ইচ্ছা হচ্ছে ওই শালাকে এক্ষুনি গুলি করে মারি।?
নিলা : আরে কই যাচ্ছেন দাড়ান আপনি শান্তু হোন। প্লিজ।
আবির : নিলা তুমি জানো যদি আজ আমি এই সময় তোমাদের বাসায় না আসতাম তোমার কি হতো!!
নিলা : জি!! থেংক ইউ এসবের জন্য।
আবির : নিলা এভাবে জীবন যায় না। আজ হয়তো আমি এসেছি। কাল? কালতো আমি থাকবো না।
নিলা : তবে আজ আপনি ওনাকে যা ধোলায় দিয়েছেন না….আমার মনে হয়না অনি আর কখনো আমার উপর নজর দিবে হি-হি!!
আবির : হাসি আসছে না তোমার? আমারতো আফসোস হচ্ছে ওকে আরো ধোলায় করতে পারিনি বলে। তবে তুমি ওকে অনি অনি করছো কেন। তুই করে বলবা ওকে তুই…. বুজেছো ?
নিলা : হি-হি-হি ওকে বুজেছি।
আবির : না না শোনো ওর সাথে তোমার কোনো কথা বলার প্রয়োজোন নেই।
নিলা : আচ্ছা ঠিকাছে। তবে আপনি কেন এসেছেন?
আবির : ও হে নিলা!!!! তুমি বলেছো মামা মামিকে।
নিলা : জি! না আমি এখনো বলিনি।
আবির : কবে বলবে নিলা। দেরি হয়ে যাচ্ছে তো। বাবা বিয়ের কার্ড এর অর্ডার সহ করে দিয়েছে।
নিলা : আচ্ছা আমি বলবো আজ।
আবির : ওকে নিলা বলবা কিন্তু আজ। বাই!!! ও হে সাবধানে থাকবা।
নিলা : জি!!
আবির চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পরে নিলার পরিবাররা চলে আসে।
নিলার মামাতো বোন মমিতাকে নিলার দুলাভাই উল্টাপাল্টা অনেক বুঝিয়ে দিয়েছে নিলা আর আবিরের ব্যপারে।
মমিতা : নিলা! তোর আবির নিজেকে কি মনে করে বড়লোকের ছেলে বলে যা ইচ্ছা তাই করবে।
তুই ও তো কিছু করলিনা। ও হে আমিতো ভুলে গেছি তোর এখন বড় ঘরে বিয়ে হচ্ছে গাড়ি করে আসবি গাড়ি করে যাবি। হক পরিবারের হবু বউ বলে কথা।
নিলা : আপু তুমি যা ভাবছো তা কিছুই না।
মমিতা : চোরের আবার বড় গলা। তোর দুলাভাইকে কি তোর লম্পট মনে হয়। পৃথিবীতে মেয়ে আর খুজে পাইনি যে না তোর সাথে বেহায়াপনা করতে গিয়েছিল।
নিলা : আপু তুমি ভুল বুঝছো আমাদের।
মমিতা : হয়েছে ভুল শুধ্রাতে আসতে হবে না আর।
দুলাভাই : আরে হয়েছে মমিতা! ছোট মানুষ তাই হয়তো না বুঝে করেছে।
মমিতা : ঐ আবির মেরে আপনাকে নাক দিয়ে রক্ত নিয়ে এসেছে আপনি বলছেন না বুঝে করেছে। এগুলো সব নিলার চাল।বাবা বাড়ীতে খাল কেটে কুমির এনেছে।
নিলা তার রুমে চলে গিয়েছে কারন নিলা জানে হাজার বললে ও নিলার কথা বিশ্বাস করবে না মমিতা।
নিলার মাথায় ঘুরছে কিভাবে বলবে মামা মামিকে এই বিয়ে কেন্সেল করতে।
এসব টেনশন করতে করতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খুব জর নিলার।মাথা তুলে বসতে ও পারছে না।
আবির আর দাদি এসেছে নিলাকে দেখতে।
দাদি নিলার মাথায় কিছুক্ষন হাত বুলিয়ে ড্রইং রুমে চলে যায় নিলার মামির সাথে।
আবিরকে নিলার পাশে বসিয়ে।
আবির : নিলা ডাক্তার বলেছেন তুমি নাকি খুব টেনশন করছো? কি হয়েছে তোমার। তুমি জানো তোমার প্রেশার কতো বেড়েছে। এই বয়সে কারো প্রেশার থাকে নাকি?
চলবে……

Contract_marriage★ part- 6

0

Contract_marriage★
part- 6

writer-Jubaida Sobti
নিলা নিজেকে সামলিয়ে নিলো।
আবির : নিলা আমি জানি তোমার জন্য এটা মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।নিলা আমি তোমাকে ঠকাতে পারবো না তাই বলে দিলাম।
নিলা : জি!
আবির : নিলা আমি তোমাকে ভালোবাসিনা ঠিক কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমি তোমাকে ঘৃনা করি।
নিলা : জি!
আবির : নিলা তোমার থেকে একটা কাজ করতে হবে আমার জন্য…. কি পারবা?
নিলা : জি! বলেন!
আবির : নিলা তুমিই তোমার পরিবারকে বলবে যে তুমি এই বিয়ে করবে না।
নিলা : 


আবির : কি নিলা পারবানা!
নিলা : জি! আপনি চিন্তা করবেন না। আমি বলে দেব মামা মামিকে।
আবির : থেংক গড! নিলা তুমি জানো না আমি কতোটা রিলেক্স ফিল করছি। আচ্ছা তুমি কি যেন বলবে! কই বলোনা কি বলবা।
নিলা : না না কই কিছুনা। আমি কিছু বলবো না।
আবির : শিয়র?
নিলা : জি! শিয়র।
আবির : আচ্ছা তাহলে আজ আসি।
(আবির চলে গেল)
নিলা তার রুমে গিয়ে বসে আছে সে ভাবছে এই কথা সে মামা মামিকে কি করে বলবে। তারমাঝে কাল এংগেজডমেন্ট।সবাই কতো খুশি কিভাবে তাদের খুশি এক পলকে ছিড়ে নেবে।এসব ভাবতে ভাবতে নিলা কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে সে জানে না।
আজ আবির আর নিলার এংগেজমেন্ট
আবিরের পরিবারে অনেক আয়োজন চলছে। সন্ধায় নিলাদের বাসায় যাবে সবাই।
নিলার পরিবারের ও অনেক আয়োজন। চারদিক রান্নার খুশবো। নানাধরনের নাস্তা বানানো হচ্ছে। ঘর সাজানো হচ্ছে। নিলা মামীর কাছে অনেকবার যায় বলার জন্য কিন্তু সাহস করে বলতে পারছে না। কিন্তু নিলার আজ বলতেই হবে। নাহলে আবির নিলাকে কি মনে করবে।
নিলা : মামি তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো।
মামী : হে বল কি বলবি।
নিলা : মামী…… (নিলা কেঁদে ফেলে)
মামী : কি হয়েছে নিলা বল আমাকে। আবিরের সাথে ঝগড়া হয়েছে নাকি?
নিলা: না মামী।
মামী : তাহলে বলনা কি হয়েছে তুই কাঁদছিস কেন?
নিলা : মামী আমি বিয়েটা করতে পারবো না।
মামী : কি বলছিস কি নিলা। কতো কষ্ট করে তোর বিয়েটা ঠিক হয়েছে তুই কি জানিস না ? তোর মামা কতো কষ্ট করেছে তোর একটা ভালো ঘরে বিয়ে হবে বলে। তারমাঝে আজ এংগেজমেন্টের দিন তুই এসব বলছিস। দেখ নিলা আবির আর তোর মাঝে কি হয়েছে আমি জানিনা। আরে বিয়ের আগে তো এমন ছোটখাটো ঝগড়া হয়ে থাকে। যা রেডি হয়েনে। কিছুক্ষন পরে আবার আবিররা চলে আসবে। তখন বলবে বউ এখনো রেডি হয়নি।
নিলা ও আর কিছু বলেনি চুপচাপ রেডি হয়ে বউ সেজে বসে আছে কিন্তু নিলার মন অনেক খারাপ। এ কয়েকদিনে নিলা আবিরকে অনেক ভালবেসে ফেলেছে।
শ্রেয়া : নিলা আপু আমার হ্যান্ডসাম দুলাভাই চলে এসেছে। তোমাকে ড্রইং রুমে নিয়ে যেতে বলেছে। চলো।
নিলাকে দেখে আবির যেন চোখ সরাতে পারছে না। অপরুপ সুন্দর লাগছে আজ নিলাকে।
দাদি : কি আবির কেমন লাগছে নিলাকে?
আবির : জি! দাদি সুন্দর।?
নিলাকে আবিরের পাশে বসানো হয়েছে।
(আবির নিলার কানে কানে উইস্পার করে…).
আবির : নিলা! তুমি তোমার পরিবারকে বলেছো তো?
নিলা : মামিকে বলেছি কিন্তু মামি বিশ্বাস করছে না যে আমি এই বিয়েতে না করছি।
আবির : নিলা তুমিতো বলেছো যে তুমি বলবা। তাহলে?
নিলা : বলেছিতো বলবো সময় দেন আমাকে। বলতে তো সময় লাগে।
আবির : কুল ডাউন বেবি! আচ্ছা তুমি বলিও সময় করে।কিন্তু হে মিথ্যা এংগেজমেন্ট তো করছি। মিথ্যা বিয়ে কিন্তু করতে পারবো না।
এংগেজমেন্ট শেষ আবিররা বিদায় নিয়ে বাসায় চলে গেছে।
সকালে নিলার মামি ভাবী নিলার মামাতো বোন মমিতা নিলার মামা বিয়ের জন্য কেনাকাটা করতে গিয়েছে। নানী পাশের বাড়ীতে গল্প করতে গিয়েছে। নানা আর নিলার মামাতো ভাই কাজে বেরিয়েছে।
নিলা বাসায় একা।
মমিতার হাজবেন্ড নিলার দুলাভাই নিলাকে অনেক কু নজরে দেখে। নিলা বাসায় একা আছে জেনে সে বাসায় চলে আসে।
এসে দেখে নিলা তার রুমে কাপড় ভাজ করছে। নিলা ও তার দুলাভাইকে দেখে অনেক ভয় পেয়ে গেল।
দুলাভাই এসে নিলার খাটে বসে।
দুলাভাই : কি হলো শালিকা আমাকে দেখে গাভ্রিয়ে গেলে কেন।
নিলা : না মানে বাসায়তো আপু নেই তাই।
দুলাভাই : আপুর জন্য আসিনি —–আমিতো এসেছি…….. এই বলে সে নিলার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
নিলা চলে যেতে চেয়ে ও যেতে পারেনি নিলাকে তার দুলাভাই টেনে খাটের উপর শুইয়ে ফেলেছে।
নিলা অনেক চেষ্টা করছে ছুটে আসার চিৎকার করছে।
হঠাৎ তার দুলাভাইকে পেছন থেকে টেনে কে যেন দিল এক ঘুসি।?
কে দিল? ঘুসি??
চলবে…..?

Contract_Marriage part :5

0

Contract_Marriage part :5

writer-Jubaida Sobti

আবির : কি দাদি 
 এতো তারাতারি কেন?
দাদি : চমকে গেছিস তাইতো। আমি আর তোর বাবা মিলে ডিজিসন নিয়েছি। শোন নিলার পরিবারকে বলেছি যে কাল এংগেজডমেন্ট এর শপিং করতে যাব। তারা ও আসবে তুই ও চল।
আবির : না দাদি আমার একটু কাজ আছে।
আবিরের মা : নিলা ও আসবে আবির ?
আবির : মা তুমি ও শুরু করেছো।
মা : হা-হা-হা আচ্ছা আচ্ছা নাসতা করেনে।
আবির তারার সাথে দেখা করতে গেল।হাতে একগুচ্ছ ফুল নিয়ে।
তারা : কেমন আছো আবির?
(আবির তারার হাতে ফুলগুলি দিয়ে)
আবির : কেমন থাকবো আর তারা তোমার তো কোনো খবরি নেই।
তারা : আসলে আবির অনেক ব্যস্ত আছি।পড়াশোনা নিয়ে। বাবার সপ্ন। বাবার আমি ছাড়া আর কে আছে বলো।
আবির : আচ্ছা তোমার বাবা আমাকে একদমি দেখতে পারেনা কেন বলো তো। 
তারা : হা-হা-হা বাবার সামনে তো কতোবার কতোকিছুতে ধরা পড়েছ তাই আরকি।
আবির : আসলেই ভাল কিছু যখন করি তখন তোমার বাবাটা সামনে পরে না।? যখনি কারো সাথে মারামারি কিংবা বাইক স্টান্ট করি তখনি তোমার বাবাটা সামনে পরে। ?
তারা : আচ্ছা কি যেন বলবে আমায়।
আবির : তারা ইয়ে মানে………
তারা : কি?…….
আবির : তারা… আই লাভ ইউ ্্্?
(তারা একটু লজ্জা পেয়ে গেল)
আবির : তারা আমি আসলে তোমাকে অনেক ভালবাসি। কিন্তু তোমাকে বলার সাহসটা পায়নি।
তারা : তো আজ হঠাৎ সাহস কই পেলে??
আবির : আরে জানোনা যে বাসায় আমার বিয়ে ঠিক করে রেখেছে নিলা নামের একটি মেয়ের সাথে।কিন্তু তুমি চিন্তা কোরো না আমি সব ম্যানেজ করে নিব।শুধু তোমার আন্সারটা চায়।তারপর আমরা বিয়ে করে নিব।
তারা : আবির কিন্তু আমিতো এসব বিয়ে টিয়ে নিয়ে ভাবিনি। আমি পড়াশোনা শেষ করে ডাক্তার হবো।
আবির : প্লিজ তারা এভাবে বলোনা।
তারা : আচ্ছা ঠিক আছে একবছর অপেক্ষা করো তুমি তারপর আমি জানাবো একবছর পরে তোমাকে বিয়ে করতে পারবো নাকি পারবো না।
আবির : কি…… এক বছর অপেক্ষা করবো তারমাঝে তুমি আমাকে জানাবে যে বিয়ে করবে কি করবে না। তারা এটা একটু বেশী হয়ে যাচ্ছে না?
তারা : উফফ আবির দেখো তুমি যদি পারো তাহলে এক বছর অপেক্ষা করো আর না হলে ঐ নিলাকেই বিয়ে করে ফেলো।
আবির : আচ্ছা ঠিক আছে আমি অপেক্ষা করবো তারা। তারা আই রিয়েলি লাভ ইউ।
তারা : হুমমম। আচ্ছা তাহলে এখন যায়।
আবির : ওকে বাই।
তারা : বাই।
আবির বাসায় আসে। তার ভাবিকে সব বলে।
আবির : ভাবি এবার তো বিয়ে কেন্সেল করাতে পারবা।
ভাবি : না আমি তারাকে একবার দেখতে চায় ওর সাথে কথা বলতে চায়।
আবির : ভাবি এসব কিন্তু ভাল হচ্ছে না। আমি এক্ষুনি হিটলারকে গিয়ে সব বলছি।
ভাবি : ঠিকাছে তুই গিয়ে বল বাবা আমি নিলাকে বিয়ে করবো না আমি তারাকে ভালবাসি।
আবির : ভাবি ডিয়ার তুমিতো হিটলারকে চেনো ও আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবে।?
ভাবি : তো বের হয়ে যাবি ব্যাস।?
আবির : ভাবি আমি তারাকে বিয়ে করবো ও কে কই রাখবো।?
ভাবি : তাহলে আমার কন্ডিশন মানতে হবে।
আবির : আচ্ছা ঠিকাছে ঠিকাছে।
আবির তারাকে ফোন দিলো।
তারা : হে আবির বলো
আবির : তারা তোমার সাথে ভাবি দেখা করতে চাচ্ছেন।
তারা : কিন্তু আবির আমারতো সময় নেই।
আবির : তারা প্লিজ আমার দিক চেয়ে হলেও।
তারা : আচ্ছা ঠিকাছে। কখন?
আবির : কালকে আমার বাসায় কেউ থাকবে না। ভাবি অসুস্থ মানে ভাবি ডিয়ার প্রেগন্যান্ট তাই ভাবি বাসায় থাকবে তুমি ভাবির সাথে বাসায় দেখা করতে পারবে।
তারা :আচ্ছা ওকে বাই।
আবির : বাই।
ভাবি : কি আসছে তো।
আবির : আসছে মানে তারা এমন না যে আমার কথা রাখবে না।
পরদিন আবিরের পরিবারের সবাই এংগেজডমেন্ট এর শপিং করতে গিয়েছে। আবিরকে ও সবাই জোর করে নিয়ে গিয়েছে। আবির যেতে চাইনি তারা আসবে বলে। তা বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছে।
তারা আবিরের বাসায় আসে ভাবির সাথে কথা বলে।
তারার কথা শুনেতো ভাবি পুরায় অবাক।
এই মেয়ে কি বলে সে নাকি আবিরকে নিয়ে তেমন কিছুই ভাবতে পারছেনা। একবছর পরে ভেবে বলবে। যাই হোক ভাবি এখন আবিরের অপেক্ষায় আছে।
আবিররা বাসায় আসে। আবির বাসায় এসে ভাবির থেকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো
আবির: ভাবি তারাকে কেমন লাগলো?
ভাবি : একদম ভাল লাগেনি। আবির তুই জানিস ও বলেছে একবছর পরে ও ভেবে বলবে তোকে বিয়ে করতে পারবে কি পারবে না।
আবির : জানি!
ভাবি : কি! তুই জেনে ও।
আবির : কি করবো ভাবি আমি তারাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।
ভাবি :ঠিকাছে যা ইচ্ছা তাই কর।
আবির : তার মানে তুমি বাবাকে কিছু বলবা না।?
ভাবি : না বলছি না।?
আবির : ঠিকাছে আমি নিলাকে গিয়ে সব বলে দিচ্ছি। সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ভাবি : আবির তুই পাগল হয়ে গেছিস নাকি। তুই নিলাকে বলবি। তুই জানিস ও এসব শুনলে কি কষ্ট পাবে।
আবির : এটাই একটা রাস্তা।
(আবির তার রুমে চলে গেল)
এইদিকে নিলার বোন ভাবিরা নিলাকে জালিয়ে ছাড়ছে আবিরকে আই লাভ ইউ বলার জন্য। নিলার মামাতো বোন শ্রেয়া নিলাকে জোড় করে আবিরকে কল দিয়ে আসতে বলতে বলে বাড়ির পেছনে।
আবিরের ও কি আর করার। আবির গাড়ি বের করে নিলার বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা হয়।হঠাৎ আবিরের মনে পড়লো এই সুযোগে নিলাকে ও তারার কথা বলে দেওয়া যাক।
আবির নিলার বাসার পেছনে গেল।নিলা ও এসেছে গোলাপী রং এর একটি জামা পড়েছে নিলা। যেন আকাশ থেকে পরী নেমে এসেছে।
নিলা : জি আসলে এতো রাতে আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য সরি।
আবির : না না সমস্যা নেই। নিলা আমার ও তোমাকে কিছু বলার ছিলো।
নিলা : ? ও আচ্ছা তাই। তো বলে ফেলেন কি বলবেন।
আবির : না তুমি আগে বলো।
(আবির ভাবছে মেয়েটার মনটা এখনি ভেঙে যাবে। তবে কি করার বলতে তো হবেই)
নিলা : না সমস্যা নেই আপনি বলুন।
আবির : নিলা আসলে কথা হচ্ছে যে…….. আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা।
আমি তারা নামে একটি মেয়েকে ভালোবাসি।
(নিলার মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়লো)
চলবে…….

 

Contract_Marriage part :4

0

Contract_Marriage part :4

writer-Jubaida Sobti

আবির : চলো ডাকছে।
নিলা : আপনি কি যেন বলবেন বলেছেন।
আবির : না তেমন কিছুনা
নিচে আসে আবির এবং নিলা।
আবিররা খাবার খেয়ে কিছু্ক্ষন বসে বিয়ে ফাইনাল করে রওনা দিলো।
বাসায় এসে আবির বড় ভাবির পিছু পিছু দিলো দৌড়।
ভাবি : কি হলো আবির?
আবির : ভাবি আমি নিলাকে ভালবাসিনা?

ভাবি : কি বলিস এসব।?
আবির : ভাবি আমি তারাকে ভালবাসি। তোমাদের ভুল হয়েছে।
ভাবি :? কিন্তু আবির নিলা খুব ভালো মেয়ে ও এই ঘরের বউ হিসেবে পারফেক্ট।
আবির : ভাবি আমি এটা বলছি না যে নিলা খারাপ। নিলা খুব ভাল ভাবি কিন্তু আমিতো তারাকে ভালবাসি।
ভাবি : তারাটা আবার কে??
আবির : ভাবি তুমি বিয়েটা কেন্সেল করো আমি তোমাকে সব বলবো।
ভাবি :এখন বল ?
আবির : আসলে ভাবি আমি তারাকে এখনো বলিনি যে আমি তারাকে ভালবাসি?
ভাবি : তারাকে এখনো বলিসনি তুই এটা ও জানোসনা যে তারা তুকে ভালবাসে কি না।?
আবির : ভাবি যাই হোক তুমি বিয়েটা কেন্সেল করো।
ভাবি : না যতদিন তুই তারা থেকে জবাব আনবিনা ততোদিন বিয়েটা কেন্সেল হবে না।?
আবির : ঠিকাছে তুমি বলবে না তাহলে আমি বলছি।?
আবির তার বাবার রুমে যাচ্ছিল ভাবিও তার পিছু পিছু দৌড়ে যাচ্ছিলো
ভাবি : দেখ আবির এমন করিসনা সবাই কতো খুশি হয়েছে বিয়েটা নিয়ে।বাবা তো তোর জন্য নতুন গোল্ড শো রুম খুলার প্লান সহ করে ফেলেছে। সবাই কতো খুশি হয়েছে এমন করিস না আবির।
আবির তার বাবার রুমে গিয়ে পৌছালো।
বাবা: আরে আবির তুই আয় আয় ভেতরে আয়।?
চলবে….?
part- 5
আবির তার বাবার রুমে ঢুকলো।
বাবা: তোকে আমি কতো বকেছি। আজ তো দেখছি তুই আমার পছন্দের মতো কাজ করেছিস। দেখ আবির নিলাকে কিন্তু আমার খুব ভাল লেগেছে।খুব ভাল মেয়ে দেখতে ও পরির মতো। তবে তুই এসেছিস ভালই করলি। তোকে কিছু দেওয়ার ছিল।
আবিরের বাবা আবিরের হাতে নতুন গোল্ড শো-রুমের পেপার-পত্র তুলে দিয়েছে।
আবির : বাবা এসব কি?
বাবা : আজ থেকে তোকে আর অকর্মা ডাকবো না। এই হলো তোকে অকর্মা না ডাকার সার্টিফিকেট। তোর যেদিন ইচ্ছা সেদিন থেকে তুই অফিসে জইন করবি।
আবির চেয়ে ও বাবাকে আর কিছু বলতে পারেনি। ভাবির দিকে এক পলক চেয়ে আবির আবিরের রুমে চলে আসে।
আবিরের মাথায় কিছু আসছে না সে কি করবে।যে বাবা আবিরকে সবসময় বকতো সে বাবা কিনা আজ এসব।
কিছুই আসছে না তার মাথায় কি করবে। ভাবছে তারার সাথে একটু দেখা করলে ভাল হয়। কিন্তু কিভাবে দেখা করবে তারার বাবা আবিরকে একদমি দেখতে পারেনা। আবির তারাকে ফোন দিল।কিছুক্ষন কথা বলবে বলে।
আবির : হ্যালো তারা।
তারা : হ্যালো বলো আবির।
আবির : তারা আমি তোমার সাথে একটু দেখা করতে চায়।
তারা : কিন্তু সামনে আমার মেডিকেল এক্সাম আবির এখন দেখা করা সম্ভব নয়।
আবির: তারা দেখ আমার তোমাকে কিছু বলার আছে। প্লিজ তারা শুধু ১০মিনিট এর জন্য। প্লিজ না করোনা।
তারা : আচ্ছা ঠিক আছে। কাল সকাল ১১ টায় আমি লাইব্রেরিতে আসবো ঐখানে চলে এসো।
আবির : থেনক্স তারা।
আবির সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে একেবারে তারার সাথে দেখা করতে যাবে বলে রেডি হয়ে নিচে নাস্তা খেতে বসে।
দাদি: আবির তুই জানিস পরশু তোর আর নিলার এংগেজডমেন্ট।

Contract_marriage part- 3

0

Contract_marriage
part- 3

writer-Jubaida Sobti
আবির তৈরী হয়ে নিচে গেল। সবাই মিলে রওনা দিল।
আবিরদের গাড়ি বাইরে গেট দিয়ে ঢুকতেই শ্রেয়া সবাইকে চিৎকার করে জানিয়ে দিলো। চলে এসেছে আমার হনেওয়ালা জিজু ??
নিলার মামা বাইরে বেরিয়ে আবিরদের ভেতরে ঢুকালো।সবাই বসে আছে কথা বলছে।আবির ভাবছে মামাকে একটু চেনা চেনা লাগছে কিন্তু কোথায় যেন দেখেছে ঠিক মনে পড়ছে না। যাই হোক তারাকে কখন দেখবে আবিরের অপেক্ষার শেষ নেই। ?
আবির দাদিকে কানে কানে বললো দাদি তারা কই আসছেনা কেন?
দাদি আবিরের কানে কানে ও তো তুই আদর করে তারা ও ডাকিস ?
আবির : আদর করে মানে কি যে বলো না দাদি আর কতো অভিনয় করবা।?
দাদি : আমাদের হবু বউ কই দেখছি না যে?
মামা : জি আমি ডাকছি।
মামা শ্রেয়াকে বললো নিলাকে নিয়ে আসতে।
শ্রেয়া নিলাকে নিয়ে এসেছে।
আবির নিলাকে দেখে চমকে গেল ?
আবিরের বড় ভাবি আবিরের কানে কানে উইস্পার করে বলছে
ভাবি : কি আবির নিলাকে কেমন লেগেছে।?
আবির : নিলা?
ভাবি : হুম নিলা তবে এমন ভাব করছিস যেনো নামটা প্রথমবার শুনেছিস ?
আবির : ভাবি ডিয়ার তোমাকে কে বলেছে আমি মেয়েটাকে পছন্দ করি??
ভাবি : মেয়েটা মানে? ?
আবির : মানে ইয়ে ? নিলা আরকি।
ভাবি : বলতে হয় আমরা সব দেখেছি।?
দাদি : আবির কি বেপার কিছু বল।
আবির : কি বলবো দাদি।?
দাদি : আচ্ছা আমাদের সামনে লজ্জা পাচ্ছিস।
মামা : সমাস্যা নেই নিলা আবিরকে নিয়ে ছাদে যাও।
ভাবি : (আবিরের কানে কানে) যা যা আবির যা বলার বলে আয় ?
আবির :??
ছাদে নিয়ে গেল নিলা আবিরকে
কি বলবে কিছু খুজে পাচ্ছেনা আবির মেয়েটাকে তো এমনিতেয় কিছু বলা যায় না। অম্নিতেয় কেঁদে ফেলে। কি করে বলি এই বিয়ে সম্ভব নয়।
নিলা : আপনি কি ঠিক আছেন?
আবির : হে আমি ঠিক আছি। ইয়ে মানে তোমার নামতো নিলা তাই না।
নিলা : জি।
আবির : খুব সুন্দর নাম।
নিলা :?
আবির : তুমিও খুব সুন্দর ? আসলে বলতে চাচ্ছিলাম যে তুমি কি এই বিয়েতে রাজি আছো?
নিলা : আসলে আমার কিছু বলার ছিল আপনাকে।
আবির : ? মনে হয় রাজি নেই ?বলো বলো বলে ফেলো সমস্যা নেই তারপর আমি বলবো।
নিলা : জি আসলে আপনি হয়তো জানেননা এর আগে আমি ২৩ বার রিজেক্ট হয়েছি। আমার বাবা মা নেই মামার কাছেই বড় হয়েছি। তাই মামা মামির খুশি আমার খুশি। আপনি জানেন আপনার দাদি যখন আপনার প্রস্তাব নিয়ে বাসায় আসে ঐদিন মামা মামি খুব খুশি হয়। ওদের সপ্ন আমার মা বাবা নেই তাই আমার একটি ভাল ঘরে বিয়ে হোক। তবে আমি আপনার কাছ থেকে কিছু লুকাচ্ছিনা। যদি আপনার এই বিয়েতে কোনো আপত্তি থাকে তাহলে আমাকে বলে দিন।
আবির : কিন্তু তুমি তো সুন্দর। কোনো দিকে কম নও তবে রিজেক্ট কেন হয়েছো ২৩ বার।
নিলা : বাবা মা নেই এলাকার মানুষ নানা ভাবে কথা ছড়ায়। তার মাঝে মামার অতটুকু সামথ্য নেই। তবে মামা আমাকে খুশি রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করে।
আবির : (মনে মনে) এই মেয়ে ২৩ বার রিজেক্ট হয়েছে এখন আমিও যদি বলি না তাহলে ২৪ বার।? মেয়েটার তো ছেলেদের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাবে। কি করে বলি?
হঠাৎ শ্রেয়া এসে আপু তোমাদের ডাকছে।