প্রবেশ কর
  • মূল পাতা
  • গল্প শুনুন
  • গল্প বিভাগ
    •  হৃদস্পর্শ
    • ইসলামিক গল্প
    • কথোপকথন
    • কষ্টের গল্প
    • ছোট গল্প
    • ভালোবাসার গল্প
    • ভুতের গল্প
    • শিক্ষনীয় গল্প
  • শ্রেনী
    • গল্পের শহর
    • গল্পের ঠিকানা
    • গল্পপোকা
  • ভিডিও
  • কবিতা
    • কবিতা সমগ্র
    • কষ্টের কবিতা
    • প্রেমের কবিতা
  • স্ট্যাটাস
    • ইসলামিক স্ট্যাটাস
    • কষ্টের উক্তিসমূহ
    • বাংলা ধাঁধা
    • স্ট্যাটাস সমগ্র
  • Home – mobile
  • আমাদের সম্পর্কে
  • Privacy Policy
  • Login/Register
  • Home
  • মূল পাতা – mobile
  • Checkout
প্রবেশ কর
স্বাগত!আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন
আপনার পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?
Privacy Policy
পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার
আপনার পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার
খুঁজুন

Logo

প্রবেশ কর
স্বাগত! আপনার একাউন্টে লগ ইন
نسيت رقمك السري؟ احصل على مساعدة
Privacy Policy
পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার
আপনার পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার
একটি পাসওয়ার্ড আপনার ই কর্মপরিহিত করা হবে.
Sunday, June 29, 2025
লগ ইন/যোগ দিন
  • মূল পাতা
  • গল্প শুনুন
  • গল্প বিভাগ
  • শ্রেনী
    • গল্পের শহর
    • গল্পের ঠিকানা
    • গল্পপোকা
  • ভিডিও
  • কবিতা
  • স্ট্যাটাস
  • Home – mobile
  • আমাদের সম্পর্কে
  • Privacy Policy
  • Login/Register
  • Home
  • মূল পাতা – mobile
  • Checkout
Facebook
Instagram
Twitter
Vimeo
Youtube

Logo

  • মূল পাতা
  • গল্প শুনুন
  • গল্প বিভাগ
    • সব হৃদস্পর্শইসলামিক গল্পকথোপকথনকষ্টের গল্পছোট গল্পভালোবাসার গল্পভুতের গল্পশিক্ষনীয় গল্প
      ছোট গল্প

      সিদ্ধান্ত

      May 1, 2025
      ছোট গল্প

      ছবির মানুষ

      April 30, 2025
      ছোট গল্প

      প্রেমময় নিবৃত (ছোট গল্প)

      March 23, 2025
      কষ্টের গল্প

      কষ্টের স্ট্যাটাস | Sad status | koster status

      January 11, 2025
  • শ্রেনী
    • গল্পের শহর
    • গল্পের ঠিকানা
    • গল্পপোকা
  • ভিডিও
  • কবিতা
    • সবকবিতা সমগ্রকষ্টের কবিতাপ্রেমের কবিতা
      কবিতা সমগ্র

      লজ্জাবতী

      July 24, 2020
      কবিতা সমগ্র

      তবুও কি বলবে তুমি মানুষ?

      July 24, 2020
      কবিতা সমগ্র

      ফিরবে ভাবিনি–এ ফেরা অর্থহীন

      July 23, 2020
      কবিতা সমগ্র

      সন্ত্রাসীদের বর্বরতা।

      May 29, 2020
  • স্ট্যাটাস
    • সবইসলামিক স্ট্যাটাসকষ্টের উক্তিসমূহবাংলা ধাঁধাস্ট্যাটাস সমগ্র
      কষ্টের গল্প

      কষ্টের স্ট্যাটাস | Sad status | koster status

      January 11, 2025
      কষ্টের গল্প

      ওর সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা হয়েছিলো কষ্টের স্ট্যাটাস

      November 16, 2020
      স্ট্যাটাস সমগ্র

      সমরেশ মজুমদার মোটিভেশনাল উক্তি

      November 16, 2020
      স্ট্যাটাস সমগ্র

      বিল কসবি মোটিভেশনাল উক্তি

      November 16, 2020
  • Home – mobile
  • আমাদের সম্পর্কে
  • Privacy Policy
  • Login/Register
  • Home
  • মূল পাতা – mobile
  • Checkout
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2383



♥ Love At 1st Sight ♥ Season 3 Part : 5

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 14, 2019
0

♥ Love At 1st Sight ♥
~~~ Season 3 ~~~

Part : 5

writer-Jubaida Sobti♥

রাহুল : [ একটু তেডি স্মাইল দিয়ে ]

♪♪♪ জান্নাত্ সাজাইয়ি্ মেনে,
তেরে লিয়ে্~~
চোড্ দি খোদাইয়ি মেনে,
তেরে লিয়ে্~~

♪♪♪♪ জান্নাত্ সা্জাইয়ি মেনে্
তে্রে লিয়ে,
চোড্ দি খো্দাইয়ি~~~

ওও ওও

তে্রে লিয়ে ঝুমু দি্ওয়ানা বান্ কে তে্রে লিয়ে
ওয়াদা্ হে মেরা্ মে হু্ তে্রে লিয়ে
হোনা কাভি্ তু জুদা্…

জারিফা : ইয়ার স্নেহা! দেখ তোর দিক তাকিয়েই গাইছে! মনে হয় তোকেই ডেডিকেট করছে?

রাহুল : ♪♪♪ জা্রা পাস্ তু আ মেরে,
~~ ধীরে্ সে্ ছু যা মুঝে…
♪♪ খো্ যা্ ও…তে্রে পে্য়ারেমে..
বা্হমে ভা্রলে মুঝে্~~

ওও ও ও~~~

তে্রে লিয়ে~~
ঝু্মু দিওয়ানা বান্ কে ~

তে্রে লিয়ে

ওয়াদা্ হে্ মে্রা মে হু তে্~~রে লিয়ে
হোনা কাভি্ তু জুদা্~~

[ স্নেহা পেছন ফিরে চলে যাচ্ছিলো ]

শ্রেয়া : [ দৌড়ে এগিয়ে এসে ] হেই স্নেহা ওয়েট! [ স্নেহা থেমে যায় ]

জারিফা : হায়!

শ্রেয়া : হায়! গাইস্ কি ব্যাপার বলোতো তোমরা এইখানে কেনো দাঁড়িয়ে আছো ভেতরে আসো!

[ রাহুল গান গাওয়া বন্ধ করে দূর থেকে তাকিয়ে থাকে ]

জারিফা : না আসলে না! আমরা গান শুনছিলাম তাই!

শ্রেয়া : ওহ! আচ্ছা…চলো ভেতরে!

জারিফা : ওকে! [ স্নেহা দাঁড়িয়ে রইলে জারিফা হাত ধরে টেনে স্নেহাকে এগিয়ে নিয়ে যায় ]

[রাহুল আর আসিফ চেয়ারে বসে আছে,কিছুক্ষণ পর পরই রাহুল স্নেহাকে কোণা চোখে তাকাচ্ছে, স্নেহা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে জারিফার পাশে…আর জারিফা বাকিদের সাথে এমন ভাবে বক বক করছে…যেন তারা তারই ফ্রেন্ডস! ]

শ্রেয়া : ওকে! গাইস্ লেটস্ ডান্স! আমাদের হাতে বেশী সময় নেই…আজকের মধ্যেই Complete করতে হবে…. So সবাই এক এক করে পার্টনার নিয়ে ডান্স শুরু করে দাও!

রাহুল চেয়ার থেকে উঠে…এগিয়ে আসছে…

জারিফা : ইয়ার! রাহুল আসছে..মনে হয় তোকেই পার্টনার করবে!

স্নেহা রাহুলের দিক তাকিয়ে ভয়ে ঘাবড়ে যাচ্ছে… ঠিক ঐ সময়ই দেখে রাহুল স্নেহাকে ক্রস করে চলে যায়…

জারিফা : এটা কি হলো!? আমিতো ভাবলাম রাহুল তোকেই পার্টনার করবে!

স্নেহা : হ্যা তো কি হয়েছে…ভালোই তো হলো! আমিতো এটাই চেয়েছিলাম!

জারিফা : আরে দেখ..কাকে পার্টনার করলো? ঐ নেকু…নেহাকে! [ রাহুল নেহার হাত ধরে নিয়ে ডান্সিং পার্টে এসে…ধীরে ধীরে ডান্স করছে! ধীরে ধীরে নেহার কোমড়ে হাত রাখছে…[ স্নেহা তাকাতেই রাহুল একটা তেডি স্মাইল দেই…তাড়াতাড়ি স্নেহা অন্যদিকে তাকিয়ে ফেলে… ]

জারিফা : স্নেহা! তুই দাড়া আমি একটু আসছি! [ জারিফা শ্রেয়ার দিক এগিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ কারো সাথে ধাক্ষা লেগে গায়ের মধ্যে কফি ছিটকে পড়ে… বিরক্ত হয়ে তাকাতেই দেখে…রিদোয়ান ]

রিদোয়ান : কি করলে এটা?..

জারিফা : আমি করেছি?..দেখে হাটতে পারেন না?…

রিদোয়ান : এক সেকেন্ড! তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি?…

জারিফা : কোথায় আবার?..

রিদোয়ান : হ্যা হ্যা! মনে পড়েছে…র‍্যাগিং হাহাহা তুমি এইখানে কি করছো?..

জারিফা : কি আর করবো..দেখছেন সবাই প্রেকটিস্ করতে এসেছে…নিশ্চয় আমিও তাই করতে এসেছি!

রিদোয়ান : কিসে পার্টিসিপেট করছো?..ডান্স অর সিংগিং?..?

জারিফা : ডান্স!?

রিদোয়ান : [চোখ মেরে ?] ওয়াও! So পার্টনার পেয়েছো?..

জারিফা : [ বুঝতে পেরে! ] নো ওয়ে! [ বলেই চলে যায় ]

[ স্নেহা একা দাঁড়িয়ে আছে দেখেই পেছন থেকে কেউ এক্সকিউজ মি! বলে ডাক দিলো! স্নেহা ফিরে তাকায় ]

– হায়! আই এম সামির!?

স্নেহা : হ্যালো!

সামির : Your! Name?…

স্নেহা : স্নেহা!

[ রাহুল দূর থেকে হঠাৎ তাকিয়ে ডান্স স্লোলি করা শুরু করে দিলো আর মনে মনে ভাবতে লাগলো এই সামির আবার স্নেহাকে কি বলছে ]

সামির : Nice name I think dance এ পার্টিসিপেট করছো রাইট?…

[ স্নেহা মাথা নাড়িয়ে অন্যদিক ফিরে যায় ]

সামির : আমিও ডান্স পার্টনার খুজছিলাম! Can I dance with you!

স্নেহা : আসলে! আমি কাঁপল ডান্স এ Interested না!

সামির : ওহ! Come on! we are friends!

স্নেহা : জি! আসলে…[ স্নেহা আর কিছু বলতে যাবে ঐ সময় সামির স্নেহার হাত ধরে টেনে ডান্সিং পার্টে নিয়ে যায় ]

জারিফা এসে দেখে স্নেহা নেই! ডান্সিং পার্টে চোখ পড়তেই দেখে স্নেহা কার সাথে যেন ডান্স করছে… মনে মনে ভাবছে ওয়াও স্নেহাতো আমার আগেই পার্টনার চুজ করে ফেললো!

রিদোয়ান : [ পেছন থেকে এগিয়ে এসে জারিফাকে শুনিয়ে ] ওহ! গড এখনো পার্টনার খুজে নিতে পারলাম না! আরে তুমি?..তুমি ও পার্টনার খুজছো নাকি কোনো?…

[ জারিফা চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে ]

রিদোয়ান : ফ্রি আছো?.. ?

জারিফা : [ মাথা নাড়িয়ে ] হুম!

রিদোয়ান : পার্টনার হতে পারি?..?আই মিন অনলি ডান্স পার্টনার..

জারিফা : [ কিছুক্ষণ ভেবে ] ওকে!

[ রিদোয়ান হাত বাড়ালে জারিফা ও হাত দেই…দুজনেই ডান্স ফ্লোরে এগিয়ে যায় ]

এইদিকে রাহুলের রাগ উঠছে স্নেহার উপর… আর মনে মনে ভাবছে আজিব ব্যাপার… ডান্স পার্টনারে আমাকে রিজেক্ট করলো…আর এইদিকে সামিরের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে ডান্স করছে…

রাহুল : নেহা! I want ব্রেক!

নেহা : ওকে! বেবি!

রাহুল একটা পানির বোতল হাতে নিয়ে চেয়ারে বসলো…

স্নেহা রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে…রাহুল তারদিক রাগান্বিতভাবে তাকিয়ে আছে…তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে ফেলে স্নেহা!

আসিফ : [ রাহুলের পাশে এসে বসে ] Control দোস্ত Control বোতলটা যেভাবে চাপছিস কোনো মানুষ হলে এতোক্ষণে মারা যেতো!

রাহুল : Control হতে বলছিস?.. দেখ ও স্নেহার কোমোড়ে হাত দিয়েছে… আর আমি Control কেমনি হবো! স্নেহাও ওর সাথে কেমনি ডান্স করছে?

আসিফ : একবার স্নেহার চেহেরার দিক তাকিয়ে দেখ ও Uncomfortable ফিল করছে…তার মানে বুঝতে পারছিস ও ইচ্ছে করে ডান্স করছে না..বাধ্য হয়ে করছে!

[ সামির স্নেহাকে টেনে নিয়ে কোমোড়ে স্লাইড করতে লাগলো ]

রাহুল : I can’t আসিফ! [ বলেই রাহুল উঠে স্নেহার দিক এগিয়ে যায় ]

আসিফ : [ রাহুলের পিছে দৌড়ে গিয়ে ] আরে রাহুল তুই এমন করলে আমাদের সব প্লান শেষ হয়ে যাবে…রিলেক্স রাহুল

[ রাহুল গিয়ে সোজা স্নেহাকে সামির থেকে ছুটিয়ে…টেনে নিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যায়! ]

আসিফ : [ সামিরের দিকে তাকিয়ে ] হায় সামির! ব্রো

সামির : [ অবাক হয়ে ] What happen?…

আসিফ : Don’t know [ বলেই অন্যদিক দৌড় দিলো ]

[ রাহুল স্নেহাকে নিয়ে একটি ক্লাসে ঢুকলে দেখে…কিছু জুনিয়র ছেলেমেয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে রাহুল মাথা নাড়িয়ে তাদের চলে যেতে ইশারা করলে সবাই বেড়িয়ে যায় ]

[ রাহুল স্নেহার দিক এগিয়ে আসলে স্নেহা পেছাতে থাকে ]

রাহুল : ওয়াও স্নেহা! আমি দু-তিনদিন ধরে তোমার পিছে ঘুরেও তোমার ডান্স পার্টনার হতে পারলাম না..আর ও দু-তিন মিনিট কথা বলেই তোমার ডান্স পার্টনার হয়ে গেলো?…

[ স্নেহা চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত চেপে কাছে টেনে নেই ] কি হলো জবাব দিচ্ছো না কেনো?…

স্নেহা : আহ! [ বলে চোখ বটে কপাল কুঁচকে ফেলে ]

রাহুল : [ তাড়াতাড়ি স্নেহার হাত ছেড়ে দেই ] সরি!?

[ স্নেহা কিছু না বলে চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ থেমে যায়, পেছন ফিরে দেখে রাহুল তার ওড়না ধরে আছে..]

রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার দিক এগিয়ে আসলো… এবং স্নেহার হাত কাছে টেনে নিতে চাইলে স্নেহা..হাত পেছনে নিয়ে যায়…রাহুল জোড় করে হাত টেনে নেই…এবং দেখে হাতটা এখনো লালছে হয়ে আছে…

রাহুল : I m sorry sneha! I hurt you! [ রাহুল স্নেহার হাত মুখের কাছে এনে একটা চুমু খেলো ]

[ Sneha’s heart beating fast ?]

স্নেহা তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নেই! এবং ক্লাস থেকে বেড়িয়ে যায়!

[ কিছুক্ষণ পর রাহুল ও বেড়িয়ে হল রুমে ফিরে যায় ]

নেহা : [ রাহুলকে ধরে ] উফ! রাহুল কোথায় গিয়েছিলি?..কখন থেকে খুজছি!

রাহুল : কেনো?..

নেহা : আমাদের ডান্স Complete করতে হবে না?..

রাহুল : Dance with you?.. are you mad?.. [ বলেই রাহুল অন্য দিক চলে গেলো ]

জারিফা : [ এগিয়ে এসে ] হায় রাহুল!☺

রাহুল : Hey! what’s up?..

জারিফা : Well! ? স্নেহা কোথায় তোমার সাথে বেড়িয়েছে দেখলাম!

রাহুল : [ মনে মনে ] স্নেহা কোথায় মানে?..স্নেহা এইখানে আসেনি..তাহলে কোথায় গেছে!

জারিফা : You Ok?..?

রাহুল : Yeah! I m ok! আ..স্নেহা আসেনি?..ও তো আমার আগে বেড়িয়েছে! [ চারদিক তাকিয়ে দেখলো স্নেহা কোথাও নেই! ]

হঠাৎ,

জারিফা : ঐ তো! স্নেহা তোমার পেছনে দেখো আসছে!

[ রাহুল পেছনে তাকিয়ে দেখে হ্যা স্নেহাই আসছে ]

জারিফা : স্নেহা কোথায় গিয়েছিলি?..

স্নেহা : জারিফা! আমি বাসায় যাচ্ছি!

[ রাহুল অবাক হয়ে তাকালো ]

জারিফা : আরে বাসায় যাচ্ছি মানে?..রিহরসে্ল শেষ হতে হতে তো ইভিনিং লাগবে…আর তুই ডান্স করছিস কার সাথে?..

রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] আমার সাথে!

[স্নেহা অবাক হয়ে তাকায় ]

জারিফা : [এক্সাইটেড হয়ে ] ওয়াও! নাইস্

[ স্নেহা কিছু না বলে চলে যাচ্ছিলো ]

রাহুল : [ পেছন থেকে চেঁচিয়ে ] মিস্ স্নেহা! আমার রিহরসে্ল এর প্র‍য়োজন নেই! ঐ দিনের সব স্টেপ A to Z মনে আছে…

[ স্নেহা দাঁড়িয়ে একবার পেছন ফিরে রাহুলের দিক তাকায়… রাহুল চোখ টিপ মেরে তেডি স্মাইল দিতে থাকে স্নেহা তাড়াতাড়ি সামনের দিক হেটে বেড়িয়ে যায় ]

জারিফা : আরে মেয়েটা তো সত্যিই চলে গেলো!

রাহুল : ডোন্ট ওয়ারি ডিয়ার মে হু না?..

জারিফা : ওয়াহ! কিয়া ডায়লগ হে?

[ রাহুল ও স্নেহার পিছু পিছু গেলো ]

স্নেহা বুঝতে পেরে জোড়ে হাটতে থাকে… রাহুল ও স্নেহার পাশে পাশে হাটছে.. স্নেহা তাকলেই রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে অন্যদিক তাকিয়ে ফেলে…

রাহুল : তুমি যতই ভাগো স্নেহা…আমি তোমার পিছু ছাড়ছি না…ডান্স তো তোমার আমার সাথেই করতে হবে!

স্নেহা : কেনো করছেন আপনি এসব…?..দেখেন আমার এসব মোটেও পছন্দ না…? [ স্নেহা জোড়ে হেটে চলে যাচ্ছে… আর রাহুল থেমে গিয়ে দেখছে..কোন ক্লাসটা খালি আছে ]

[ হঠাৎ পেছন থেকে রাহুল স্নেহাকে টেনে পাশের একটি ক্লাসে ঢুকে পরে ]

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আজিব তো! বার বার এমন করার মানে কি?…

রাহুল : Listen স্নেহা!

স্নেহা : [ একটু রেগে ] ব্যাস! আর কোনো কথা শুনতে চাই না! প্লিজ! ?

[ পেছন ফিরে তাকাতেই দেখে স্নেহা দরজাটা বন্ধ, ঘাবড়ে গিয়ে স্নেহা তাড়াতাড়ি দরজা খুলতে যায়…টানতে থাকে কোনোভাবে দরজা খুলছে না… রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে…রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ]

স্নেহা : মানে কি?..আপনি দরজা কেনো বন্ধ করলেন?..

রাহুল : আমিতো তোমার আগেই ছিলাম আমি কবে দরজা বন্ধ করলাম!

স্নেহা : ? নিশ্চয় আপনার ফ্রেন্ডসরা করেছে তাই না?..

রাহুল : I don’t know! তোমার পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে হাপিয়ে পড়েছি! একটু রেষ্ট নেওয়া দরকার [ বলেই রাহুল একটা চেয়ারে বসে পড়ে ]

স্নেহা : রেষ্ট নিবেন..আর এইদিকে দরজা বন্ধ হওয়াতে আপনার কোনো টেনশন নেই?…

রাহুল : টেনশন হবে কেনো ভালোই তো লাগছে! ?

স্নেহা : [ বিড়বিড় করে কি যেন বলে আবার দরজা খোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ] এক্সকিউজ মি! কেউ আছেন প্লিজ দরজাটা খুলুন! [ অনেক্ষণ ট্রাই করার পর হয়রান হয়ে স্নেহা মাটিতে বসে পড়ে ]

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে ] মিস্ স্নেহা..? অনেক তো চেষ্টা চালালেন কিছু হলো?…

স্নেহা : দেখেন দরজার তো আর হাত নেই যে নিজে নিজে লক হয়ে যাবে! আপনি আপনার ফ্রেন্ডসদের বলুন দরজা খুলে দিতে..

রাহুল : কিভাবে বলবো… সেল্ফোন ফেলে এসেছি.. তুমি এনেছো?…

স্নেহা : আমিতো আমার ব্যাগ আমার ফ্রেন্ডসদের কাছে রেখে এসেছি?

রাহুল : তাহলে কি আর করার এভাবেই..কাটাতে হবে..যতোক্ষণ না ওরা দরজা খুলে!

স্নেহা : এভাবে কাটাতে হবে মানে?…কিছু তো করেন…ট্রাই তো করতে পারেন…..

রাহুল : [ দরজার দিক এগিয়ে এসে ] হ্যালো! কেউ আছেন প্লিজ দয়া করে দরজাটা খুলে দিন! আমরা দুজন এখানে ফেঁসে আছি প্লিজ প্লিজ আমাদের প্রতি একটু দয়া করুন.. [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] এবার হয়েছে?..খুললো কেউ?..

[ স্নেহা একটু হেসে অন্যদিক ফিরে যায় ]
[রাহুল ব্লাশিং?]

রাহুল : মাটিতে বসে আছো কেনো এইখানে অনেক চেয়ার আছে…

স্নেহা : এখানেই ঠিক আছি!

রাহুল : [ কিছুক্ষণ চিন্তা করে ] হুমম! ওকে [ বলেই স্নেহার পাশে বসে পড়ে ]

স্নেহা : আরে?.. আপনি এইখানে বসলেন কেনো…

রাহুল : কেনো কোনো প্রবলেম?..

স্নেহা কিছু না বলে রাহুল থেকে একটু দূরে হয়ে বসলো, রাহুল স্নেহার কাছে আসলো, স্নেহা আবারো একটু দূরে হয়ে বসলে রাহুল আবারো স্নেহার কাছে এসে যায়,

স্নেহা বিরক্তি হয়ে রাহুলের দিক তাকায়, [ রাহুল তেডি স্মাইল দিতে থাকে ] এবার স্নেহা ডিরেক্ট উঠে দাঁড়ায়..এবং সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে..স্নেহার ওড়না টান খায়!.. নিচের দিক তাকালে দেখে..রাহুল স্নেহার ওড়নাটা অর্ধেক তার হাতে পেঁচিয়ে রেখেছে… রাহুলের দিক তাকালে রাহুল চোখ টিপ মারে ]

স্নেহা : [ রেগে কিছু বলতে যাবে ] আপনি..

রাহুল : আহা! স্নেহা! আমি কথা বাড়তি বলতে পছন্দ করিনা..ডিরেক্ট বলি.. সামনে এগুলে ওড়না আমার হাতেই থেকে যাবে..কিন্তু তুমি আলাদা হয়ে যাবে So চুপচাপ বসে পড়ো… নাহলে?

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ ওড়ানাটা টানাটানি করে ব্যর্থ হয়ে বসে পড়ে ] আপনি যা করছেন মোটেও

রাহুল : তাই?

স্নেহা : [ বিড়বিড় করে কি যেনো বলে অন্যদিকে ফিরে যায়]

After 5 hours,

মার্জান : জারিফা!

জারিফা : [ দৌড়ে এগিয়ে এসে ] হেই! তোরা?…..ভালো হয়েছে এসেছিস! জানিস..আমার ডান্স পার্টনার কে হয়েছে?…যে আমার র‍্যাগিং নিয়েছে সেই..হাহা…

শায়লা : দুশমান সে্ দোস্তি ?

জারিফা : হ্যা?

মার্জান : স্নেহাকে দেখছিনা যে?…

জারিফা : আ..স্নেহা ও.. হবে আর কি এইখানে কোথাও..

মার্জান : এইখানে কোথাও হবে মানে…তুই ওকে সাথে সাথে রাখবি না আজিব?..

জারিফা : আরে ও কি বাচ্চা নাকি?…গিয়েছে কোথাও হবে চলে আসবে তুই টেনশন করিস না…

মার্জান : ঠিকাছে আমরা কেন্টিনে কিছু খেয়ে আবার আসছি! তুই খেয়েছিস?..

জারিফা : হ্যা খেয়েছি!

[ মার্জান আর শায়লা চলে যায় ]

জারিফা : [ টেনশনে পড়ে ] আরে বাপরে…এই রাহুল স্নেহাকে নিয়ে কই গেলো ওরা আসার আগেই খুজে বের করতে হবে!

সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৩০মিনিট!

স্নেহা : কি হলো কখন থেকে হা করে তাকিয়ে আছেন!

রাহুল : যতই দেখছি মন ভরছে না তাই?

স্নেহা : কি?..

রাহুল : না মানে বলছিলাম যে…এতোক্ষণ চেয়ে খেয়াল করলাম তোমার নাকটা বোচা!

স্নেহা : [ নাক ধরে ] বোচা?..কিন্তু সবাই তো বলে আমার নাক খাড়া!

রাহুল : সবাই মিথ্যে বলেছে তুমি কষ্ট পাবে তাই… ও হ্যা আরেকটা জিনিষ তুমি চশমা পড়ে পার্ফেক্ট কাজ করেছো.. তোমার চোখ গুলো না একটু চাইনাবাসীদের মতো… ছোট ছোট…

স্নেহা চশমাটা ঠিক করে পড়ে অন্যদিক ফিরে যায়,

রাহুল : হি-হি রাগছো কেনো?..সবাই কি বলেছে তোমার চোখ বড় বড় ??.. সেটাও মিথ্যে বলেছে.. সবাই তোমাকে খুশি করার জন্যই হয়তো বলেছে

স্নেহা : [ বুঝতে পেরে ] হ্যা সবাই মিথ্যে বলেছে আপনি সত্যি বলেছেন তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

রাহুল : [ হেসে ] হাহা It’s ok my pleasure! বাই দ্যা ওয়ে আরেকটা জিনিষ খেয়াল করলাম তোমার ঠোট..

স্নেহা : হয়েছে! হয়েছে! আর বলতে হবে না…

[রাহুল হাসতে থাকে?]

স্নেহা : আপনি কি এইখানে রাত কাটাবেন ভাবেছেন নাকি?..

রাহুল : তুমি চাইলে অবশ্যই!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] কিহ?..?

রাহুল : কি করবো বলোতো ওরা খুলছে না আমার কি দোষ… কিছুক্ষণ আগেওতো চেঁচালাম… খুললো?

স্নেহা : [ হাতের ঘড়ির দিক তাকিয়ে ] ৭টা ওভার হয়ে যাচ্ছে…কোন দুপুর থেকে এই রুমে আটকে আছি…

রাহুল : আমার ও ইচ্ছে হচ্ছে না..কি করার রাত যতো বাড়ছে ভয় ও বাড়ছে…

স্নেহা : [ অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] কেনো?..

রাহুল : কেনো আবার কি?…ঐ যে দেওয়ালে দেখো?.. পোষ্টার গুলো…

[ স্নেহা দেওয়ালের উপর পোষ্টার গুলোর দিক লক্ষ্য করলো…বিভিন্ন ধরনের কংকালের ছবি! ]

রাহুল : যারা ডাক্তারি পড়ছে…তারা এইখানে..ক্লাস করে…এবং মানুষের হাড্ডি-গুড্ডি পরীক্ষা করে…

স্নেহা : [ ভয়ে ঢোগ গিলছে ]

রাহুল : ইউ ওকে স্নেহা!

স্নেহা : [ ভীতু হয়ে ] হ্যা!

রাহুল : উফ গরম লাগছে…আমি একটু ঐদিকটা গিয়ে বসি! তুমি এইদিকেই বসো!

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে রাহুলের হাত ধরে ] আরে আরে! আপনি কোথায় যাচ্ছেন?..

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] পাশেই বসবো?..

স্নেহা : [ হাত ছেড়ে দিয়ে] এতোক্ষণ তো বসেই ছিলেন!

রাহুল স্নেহার পাশেই বসলো আর মনে মনে হাসতে থাকে…স্নেহার দিক তাকাতেই দেখে…স্নেহা ভয়ে ভেতরে মরে যাচ্ছে… রাহুল কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে….স্নেহার মুঠি বাধা হাতের উপর হাত রাখলো….রাহুল খেয়াল করলো স্নেহার তার হাত সরাইনি…তারমানে মেয়েটা সত্যিই ভয় পেয়েছে…

রাহুল : So স্নেহা! কি ভেবেছো?…

স্নেহা : মানে?.?

রাহুল : ডান্স করছো তো আমার সাথে?..

স্নেহা : নাহ!

রাহুল : তাহলে ভেবে নাও দরজাটা আর আজ খুলছে না!

স্নেহা : মানে আপনি?…এই কারণে এতোক্ষণ দরজা বন্ধ করিয়ে রেখেছেন?..মানে যতোক্ষণ আমি হ্যা বলবো না ততোক্ষণ…

রাহুল : ততোক্ষণ দরজা খুলবে না!

স্নেহা : [ বিরক্তিকর বোধ করে অন্যদিক ফিরে গেলো ]

রাহুল : এইবার তুমিই ডিসা্ইড করো সারারাত ভূতের সাথে কাটাবা নাকি?…নাকি আমার ডান্স পার্টনার হবে..

স্নেহা : ওকে!

রাহুল : [ এক্সাইটেড হয়ে ] কি বললে?..আবার বলোতো?…

স্নেহা : ঠিকাছে আপনার ডান্স পার্টনার হবো!

রাহুল : প্রমিস্?

স্নেহা : [ একটু বড় শাস ফেলে ] হুম প্রমিস্

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে স্নেহার দিক তারপর পকেট থেকে মোবাইল বের করে দরজা খুলে দিতে বলে ]

স্নেহা : মোবাইল আপনার কাছেই তো ছিলো! আপনি মিথ্যা

রাহুল : এখনো বুঝোনি তুমি?..

স্নেহা আবার নাক ফুলিয়ে অন্যদিক ফিরে যায়,

রাহুল : হঠাৎ রাগলে না..তুমি লাল হয়ে যাও…তখন দেখতে আরো কিউট লাগে..?

স্নেহা গিয়ে দরজা টান দিতেই দরজা খুলে যায়, এবং সামনে রাহুলের ফ্রেন্ডসদের দেখতে পাই…তারা স্নেহাকে দেখে মাথা নিচু করে অন্যদিক ফিরে যায়,

আসিফ : [ রাহুলের দিক এগিয়ে গিয়ে ] দোস্ত কি কি করলি?..?

রাহুল : [ আসিফের মাথায় একটা বাড়ি দিয়ে ] তোর মাথা করেছি!

আনিল : দোস্ত ভাবী নিচে চলে যাচ্ছে…

রাহুল দৌড়ে গিয়ে দেখে স্নেহা এবং তার ফ্রেন্ডসরা মিলে চলে যাচ্ছে রাহুল স্নেহা বলে ডাক দিলে সবাই ফিরে তাকায়…

রাহুল : স্নেহা! তুমি প্রমিস্ করেছো!

মার্জান : [ স্নেহার কানে গিয়ে ] এই স্নেহা তুই আবার ওকে কি প্রমিস্ করলি?..

স্নেহা : [ ধীরো কন্ঠে ] ওর ডান্স পার্টনার হবো বলে?

মার্জান : কিহ! তুই…ওর ডান্স
পার্টনার হবি?..?

নূরা মেম : [ রাহুলের দিক এগিয়ে এসে ] রাহুল What’s wrong with you? কোথায় ছিলে?.. রিহরসে্ল শেষ! হয়েগেছে সব ডান্স টিচার্সরা চলে যাচ্ছে! আর তুমি..

রাহুল : এক এক মিনিট মেম! আপনি ওদের ম্যানেজ করে জাষ্ট ৫মিনিট ওয়েট করতে বলেন!

নূরা মেম : কিন্তু ৫মিনিটে তুমি কি রিহর্সেল করবে?..

রাহুল : রিহর্সেল করবো না…একদম ফাইনাল টাচ্ দেখাবো!

নূরা মেম : ওকে আমি ওদের বলছি আর তুমি ফার্ষ্ট করো..ওরা বেশিক্ষণ ওয়েট করবে না…[ বলেই নূরা মেম চলে যায় ]

রাহুল : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে… ] চলো স্নেহা!

মার্জান : [ স্নেহার হাত ধরে.. ] আপনি শুনতে পাননি?..মেম কি বলেছে?. রিহর্সেল টাইম ওভার! সবাই সবার ডান্স শেষ করে বাড়ী যাচ্ছে So আপনি ও যান! আমাদের ও যেতে দেন! আর রিহর্সেল ছাড়া আপনাদের ডান্স কখনোই সিলেক্ট হবে না..

[ রাহুল আর কথা না বাড়িয়ে স্নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে ডিরেক্ট হল রুমে এন্ট্রি নিলো ]

শায়লা : আরে চলনা! আমরাও গিয়ে দেখি কি করছে!

মার্জান : কি আর দেখবি! গিয়েছে ডান্স করতে…?

জারিফা : আরে চলতো [ বলেই মার্জানকে সহ টেনে নিয়ে যায় ]

[ সবাই হল রুমে গিয়ে দেখে রাহুল স্নেহাকে নিয়ে মাঝে দাঁড়িয়ে আছে.. এবং টিচার্সরা দল বেধে কি কি যেন বলা বলি করছে!]

শায়লা : টিচার্স গুলো কি কি বলছে নিজে নিজে?..

জারিফা : চুপ কর! আগে ওদের ডান্স দেখবে…তারপর সিলেক্ট হবে!

নূরা মেম : ওকে! রাহুল Show your dance!

রাহুল : স্নেহা.. ঐদিন যেমনটা ডান্স করেছো… ঠিক তেমনটাই করবে! আর যদি কোনো স্টেপ মনে না পড়ে… তাহলে আমার দিকই এগিয়ে আসবে!..আমার হাত ফলো করবা…

স্নেহা : [ মাথা নিচু করে ]? হবে না! আমার! ভয় করছে অনেক…

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] কামঅন স্নেহা ট্রাই করো অবশ্যই হবে!

মার্জান : [ জারিফার কানে ] জারিফা!

জারিফা : হুম!

মার্জান : এই রাহুল স্নেহাকে ফিসফিসিয়ে কি বলছে?..

জারিফা : Love poetry বলছে হয়তো হিহি!

মার্জান : Disgusting!

রাহুল স্নেহাকে হাত বাড়ালে স্নেহাও ধীরে ধীরে হাত দেই!

রাহুল : কামঅন স্নেহা…স্টার্ট [ রাহুল স্নেহার কোমরে হাত রাখলে স্নেহার হার্টবিট ফার্ষ্ট হয়ে যায় ] আর কিছু না ভেবে রাহুল স্নেহাকে নিয়ে ডান্স করতে লাগলো… রাহুলের ডান্স স্টেপ দেখে স্নেহা অবাক হতে লাগলো.. রাহুল ঐদিনের প্রতিটা স্টেপ মনে রেখেছে…তারমধ্যে নিখুঁতভাবে সাজিয়ে ডান্স করছে…সিংগিং তো ভালো জানে শুনেছে…তবে ডান্স ও ভালো জানে…সেটাও প্রমান হলো.. ]

জারিফা : ওয়াও কি না লাগছে.. দুজনকে..পুরাই রোমিও জুলিয়েট..

মার্জান : [ অবাক হয়ে স্নেহা আর রাহুলের ডান্সই দেখছে…] Shut-up জারিফা?ডান্স দেখ… Without রিহর্সেল!

শায়লা : হ্যা! আমিও তো তাই দেখছি!

[ অত:পর ডান্স শেষ হলো ]

[ সবাই তাদের দিক অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে…After 2mins… মার্জান এক্সাইটেড হয়ে জোড়ে হাত তালি দিয়ে উঠলো… ☺☺ স্নেহা রাহুলের কাছ থেকে সরে দাঁড়ায়]

নূরা মেম : well done! রাহুল! what a surprise! without রিহর্সেল এত্তো ভালো ডান্স করেছো…. সিলেক্ট আর আনসিলেক্ট ভাবার কি আছে?…তোমরা প্রোগ্রামে অবশ্যই পারফর্ম করছো…

রাহুল : থেংক ইউ মেম! [ টিচার্স রা পারফর্ম কার্ড এগিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যায় ]

মার্জান : [ স্নেহা বলে দৌড়ে এগিয়ে এসে ঝড়িয়ে ধরে ] Congreats!

জারিফা : তুই এত্তো খুশি হচ্ছিস কেনো হঠাৎ!

মার্জান : [ রাহুলের দিক একবার তাকিয়ে আবার অন্যদিক ফিরে যায় ] আ..আমার ফ্রেন্ড স্নেহা! ডান্স Competition করছে…ও সিলেক্ট হয়েছে…তাই খুশি হয়েছি!

[ রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে তেডি স্মাইল দিয়ে বেড়িয়ে যায়… স্নেহা রাহুলের চলে যাওয়া চেয়ে থাকে ]

চলবে…

♥ Love At 1st Sight ♥ Season 3 Part : 4

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 14, 2019
0

♥ Love At 1st Sight ♥
~~~ Season 3 ~~~

Part : 4

writer-Jubaida Sobti♥

হঠাৎ, দরজা দিয়ে কেউ ঢুকার শব্দ হলে, স্নেহা নাচ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যায়,

নূরা মেম [ ভার্সেটি টিচার ] : আরে তোমরা অলরেডি শুরু করে দিয়েছো প্রেকটিস্ ওয়েল ডান! [স্নেহা তাড়াতাড়ি রাহুলের কাছ থেকে সরে দাঁড়ায়] ওকে নেহা! তুমি এক কাজ করো…যারা যেটাই পার্টিসিপেট করছে…যেমন জুনিয়র ব্যাচ,সিনিয়র ব্যাচ, ওদের সবার নাম গুলো নিয়ে নিচে অফিসে দেখা করো…

নেহা : ওকে মেম! [ মেম চলে যায় ]

শ্রেয়া : Sneha! you are a great dancer ? তুমি ডান্সে পার্টিসিপেট করছো না কেনো?…

[ স্নেহা রাহুলের দিক একবার চেয়ে তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে যায় ]

শ্রেয়া : আরে! ওর আবার কি হলো?..

রাহুল : আমি দেখছি! [ রাহুল ও বেড়িয়ে যায় স্নেহা বলে পেছন থেকে ডাক দিলে স্নেহা আরো জোড়ে হাটা শুরু করে রাহুল দৌড়ে গিয়ে স্নেহার হাত টেনে তারদিকে ফেরায়.. ]

স্নেহা : সমস্যা কি আপনার?.. কেনো করছেন এমন?..?

রাহুল : [ কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে স্নেহার দিক ] স্নেহা! আমি চাচ্ছিলাম প্রোগ্রামে..আমার ডান্স পার্টনার তুমি হও!

স্নেহা : দু-দিন ভালো করে কেনো কথা বলেছি! তাই বলে এতোকিছু ভাববেন!

[ কথাটি বলাতে রাহুল স্নেহার ধরে রাখা হাতটি আরো শক্ত করে চেপে ধরে…স্নেহার ব্যথা অনুভব হওয়ায় হাত ছুটানোর চেষ্টা করে… ]

স্নেহা : দেখেন আশেপাশের সবাই দেখছে…হাত ছাড়ুন!

রাহুল নাক চোখ ফুলিয়ে তাকিয়েই আছে স্নেহার দিক…. [ আশেপাশের সবাই ভীর জমিয়ে চেয়ে আছে দেখে আসিফ ও এগিয়ে আসে… ]

স্নেহা : [ অবাক চোখে রাহুলের দিক তাকালো দু ফুটো জল গড়িয়ে পড়লো চোখের কোণ থেকে… কাদো কণ্ঠে শুধু দুটো শব্দ বললো রাহুলকে ] লাগছে আমার!

রাহুল ও অবাক হলো স্নেহার চোখের জলে..হাতের দিক তাকালে দেখে রাহুল স্নেহার হাত চেপে ধরেছে…যার কারণে হাতে রক্ত জমাট বেধে গেছে….তাড়াতাড়ি রাহুল হাত ছেড়ে দেই!

স্নেহা আর এক মিনিট ও দাঁড়ালো না…শিরি দিয়ে নেমে চলে যায়…রাহুল স্নেহাকে ডাকতে চেয়ে ও আর ডাকলোনা…

আসিফ : [ চেঁচিয়ে ] বিনা টিকিটে ফ্লিম দেখানো হচ্ছে নাকি?…যাও যার যার কাজ করো, [ সবাই ভীর ছুটিয়ে হাটা শুরু করে ]

[ রাহুল ও আর কিছু না বলে…শিরি দিয়ে নেমে সোজা পার্কিং এর দিক চলে যায় ]

আসিফ : [ পিছে পিছে দৌড়ে এসে ] এই রাহুল! দাড়া! কোথায় যাচ্ছিস?…

রাহুল গিয়ে গাড়ীর দরজা খুলতে যাবে…আসিফ দৌড়ে এসে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে যায়,

আসিফ : রাহুল! কি হয়েছে আমাকে বল?..রেগে আছিস কেনো?..

[ রাহুল ফুফাতে লাগলো ]

আসিফ : আরে! এভাবে ফুফাচ্ছিস কেনো?…ওকে আগে রিলেক্স হয়েনে তারপর বল!

রাহুল : তুই জানিস! এসব লাভ-সাবে আমার বিলিভ নেই! এগুলো কিছুই হয় না… এসবের চেয়েতো ঐটাই বেটার তাই না… লেইট নাইট পার্টি করো…বেয়ার খাও, স্মোক করো…যে মেয়েকে ভালো লাগবে ঐ মেয়ের সাথে জাষ্ট ওয়ান নাইট স্টেন্ড করে…তারপরের দিন আরেকটাকে নিয়ে ঘুরো!

আসিফ : ওকে রিলেক্স!

রাহুল : শা্লা পাত্তা দিলে দেখি আমিই পাত্তা পাইনা… মেয়ের কি অভাব পড়েছে..আরে আমার আগে পিছে কত্ত মেয়ে লাইন লেগে আছে…ফেইসবুক অন করা যায় না…শপিং এ যাওয়া যায় না…হায় রাহুল, হ্যালো রাহুল, ইউ আর সো্ হট রাহুল, ওয়ান ডেট্ প্লিজ রাহুল…

আসিফ : ওকে ওকে! রিলেক্স!

রাহুল : [ টেনশন ভাব নিয়ে গাড়ী সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ায় ] ইয়ার! আমি.. ?আমি ওর হাতে… আরে আমার ও কি দোষ..হঠাৎ রাগ উঠে গেলো.. কন্ট্রোল করতে পারিনি!

আসিফ : আর তাই সব রাগ ওর উপর তুলে ফেললি!..

রাহুল : [ ইমোশনাল হয়ে ] হাত লাল হয়ে গিয়েছিলো…

আসিফ : আরে! টেনশন নেওয়ার কিছু নেই! ওকে দেখতে…দেখ… একদম সিম্পল একটা মেয়ে…এমন মেয়েদের মন জিততে হলে…জোড় করে বা, ডিরেক্ট বলে কিছু করা যায় না…এদের ধীরেধীরে.. ইম্প্রেস্ করতে হয়!

রাহুল : কিন্তু…পার্টিতে আমার ওকেই পার্টনার চাই!

আসিফ : ডোন্ট ওয়ারি ব্রো! সেটাও হয়ে যাবে!?

রাহুল : কেমনি! কেমনি হবে..আরে..দেখলি না কিভাবে আমাকে এভোইড করে চলে গেলো!? Exclaimed ইয়ার! রাহুলকে এভোইড করছে!?

আসিফ : আরে! তুই জাল ফেললে তো সব মাছই ধরা দিবে… বড়শি ফেল দেখবি একটাই ধরা দেবে?

রাহুল : মানে?..

আসিফ : মানে হচ্ছে! ওর কাছে যাওয়ার জন্য আগে ওর ফ্রেন্ডসদের ইম্প্রেস্ কর! তারপর দেখবি কি হয়!?

রাহুল : [ কিছুক্ষণ ভেবে ] আইডিয়া খারাপ না!..

আসিফ : ওকে চল তাহলে!

রাহুল : ওকে!

[ স্নেহা ক্লাসে ঢুকতে গেলে দেখে ক্লাস শেষ সবাই বেড়িয়ে যাচ্ছে..ভেতরে ঢুকে দেখে মার্জান, জারিফা, শায়লা এখনো বসে আছে.. স্নেহা তার সিটের দিক গিয়ে ব্যাগটা কাধে তুলে নেই! ]

জারিফা : স্নেহা?..কোথায় গিয়েছিলি?…

স্নেহা : বলেছিলাম তো…ওয়াসরুমে!

জারিফা : কিন্তু [ মার্জান জারিফাকে ইশারা করে কিছু না বলার জন্য তাই সে চুপ হয়ে যায় ]

মার্জান : ওকে! চল..এবার! [ সবাই একসাথে বের হচ্ছে! হঠাৎ দেখে রাহুলের ফ্রেন্ড শ্রেয়া তাদের দিক এগিয়ে আসছে ]

শ্রেয়া : হেই! গাইস্ ওয়েট! [ সবাই দাঁড়িয়ে যায় ] আসলে! মেম আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে সবার নাম নেওয়ার জন্য So বলছি যে, প্রোগ্রামে কে কিসে পার্টিসিপেট করছো…?

মার্জান : আমি কিছুতেই পার্টিসিপেট করছিনা..

স্নেহা : [ মনে মনে কনফিউজড হয়ে ] ওকে তো দায়িত্ব দেইনি…নেহা নামের মেয়েটাকে দিয়েছিলো বোধ হয়!

জারিফা : [ উমম! আমি…আমি কিছুক্ষণ ভেবে ] হেই বলনা কিসে দিলে ভালো হয়?…

শ্রেয়া : আ..ডান্স?..?

জারিফা : কিন্তু ডান্স তো..সিনিয়ররা করছে…

শ্রেয়া : হ্যা তা তো করছে! বাট্ এখন রুলস্ চেঞ্জ করা হয়েছে…কারণ আমরা চাচ্ছি যে যারা ভালো ডান্স পারে তারাই ডান্সে পার্টিসিপেট করবে! So তুমি চাইলে করতে পারো…

জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] তাই! তাহলে তো স্নেহা ও অনেক ভালো ডান্স পারে…চল স্নেহা আমি আর তুই ডান্সে পার্টিসিপেট করি..

স্নেহা : নাহ! আসলে আমার ইচ্ছে হচ্ছে না…

শ্রেয়া : কামঅন! ইচ্ছে কেনো হবে না?..তুমি কি চাও না আমাদের ভার্সেটি প্রোগ্রামটা স্পেশাল হোক?…

শায়লা : আরে স্নেহা! করনা ভালোই তো হবে…ঐ যে কলেজ প্রোগ্রামে একবার করেছিলি না…কি না লেগেছিলো তোকে!

জারিফা : করনা করনা..স্নেহা প্লিজ! মেরি জান!

স্নেহা : না প্লিজ! জারিফা…

মার্জান : আরে স্নেহা! করনা ভালোই তো হবে!

[ জারিফা, স্নেহা, শায়লা অবাক হয়ে মার্জানের দিক তাকায় ]

মার্জান : আরে! তোরা এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?…সবাই বলছিস তাই আমিও বললাম.. আর এমনিতেও স্নেহা ডান্স ভালো পারে তাই বললাম আরকি!

জারিফা : [মার্জানকে ঝড়িয়ে ] ওয়াও থেংক ইউ থেংক ইউ! উম্মাহ!

মার্জান : ছিঃ ? [ সবাই হেসে উঠে ]

শ্রেয়া : ওকে! গার্লস্ তাহলে আমি নাম লিখছি!

স্নেহা : না নাহ! লিখবেননা প্লিজ আসলে আমি..ডান্স করতে পারবো না…?

শায়লা : কেনো পারবি না?..

জারিফা : এই! তুই চুপ করতো..আপনি নাম লিখেন ওকে….

শ্রেয়া : ওকে! See you tomorrow

জারিফা : Bye!

[ সবাই চলে গেলে…রাহুল আর আসিফ এগিয়ে আসে শ্রেয়ার কাছে ]

রাহুল : শ্রেয়া! দিয়েছে নাম?..

শ্রেয়া : টেনশন কেনো নিচ্ছিস বস্..শ্রেয়া যখন গিয়েছে নাম তো দিতেই হবে..?

রাহুল : [ খুশি হয়ে ] থেংক ইউ ইয়ার!

শ্রেয়া : আহা! থেংক ইউ দিলে চলবে না…নেক্সট ডে একটা ক্লাসি্ সং শোনাতে হবে… এস্ লাইক রকষ্টার ?

আসিফ : ইয়েস্ ইয়েস্ ডান!

শ্রেয়া : তোকে বলেছি নাকি…তুই তো গানের গ ও পারিসনা…আবার আসছে ডান বলতে..হুহ!

আসিফ : এই শ্রেয়া দেখ ইনসাল্ট করবি না বলেদিলাম… [ রাহুল আর শ্রেয়া হেসে দেই ]

এইদিকে রুমে বসে সবাই স্নেহার ক্লাস নিতে বসলো,

স্নেহা : কি হলো..কেউ কিছুতো..বল?..কখন থেকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়েই যাচ্ছিস!

মার্জান : যা বলবো সত্যি সত্যি জবাব দিবি!

জারিফা : মিথ্যে বললে কিন্তু শাস্তির ব্যবস্থা আছে!

স্নেহা : কি হয়েছে সেটা তো বল?..

মার্জান : স্নেহা! মাই ডিয়ার! তুই ওয়াসরুমের বাহানা দিয়ে দিয়ে কোথায় গিয়েছিলি বলতো…

স্নেহা : ওয়া..ওয়াসরুমের বাহানা?..

শায়লা : এখন আবার বলিস না যে ওয়াসরুমেই ছিলাম! কারণ আমরা সবাই ওয়াসরুমে গিয়েছিলাম..তোকে খুজতে…

জারিফা : তুই তো সেখানে ছিলিই না..

মার্জান : এইবার চুপচাপ সত্যিটা বলেদে!

স্নেহা : আসলে! আমি!?

জারিফা : হ্যা তুই?..?

স্নেহা : [ চোখ বটে ] আমি রাহুলের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম…

[ কথাটি শুনে বাকিরা দুই মিনিট শকড হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ?]

জারিফা : রা..রা..রাহুল?

স্নেহা : হ্যা?

মার্জান : কিন্তু তুই আমাদের মিথ্যে কেনো বললি?…

স্নেহা : প্রথম দিন স্টেশনে? ওর সাথে দেখা হয়…

শায়লা : কেমনি?..?

স্নেহা : আ..আমি পড়ে যেতে ছিলাম..ও আমাকে ধরেছিলো…

মার্জান : তারপর?..?

স্নেহা : তারপর লাইব্রেরীতে..গিয়েছিলাম ঐদিন সেখানে গিয়ে ও আমার চশমাটা নিয়ে নেই…আর ওর সানগ্লাসটা আমাকে পড়িয়ে দেই…তারপর বললো চশমা লাগলে পরদিন যাতে সে্ইম জায়গায় আসি!

মার্জান : আর তুই গেলি?

স্নেহা : বাবার দেওয়া প্রথম গিফট্ ছিলো চশমাটা…?

মার্জান : আচ্ছা! তারপর?..

স্নেহা তারপর রাহুলের সাথে যা যা হলো সব খুলে বললো…

জারিফা : [ স্নেহাকে টেনে খাটে বসিয়ে ] স্নেহা? তারপর তারপর বলনা…তুই হ্যা বললি?..পার্টনার হবি বলেছিলি?..

স্নেহা : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে ] নাহ! চলে এসেছি!

জারিফা : আরে! কি করেছিস এটা পুরো ভার্সেটির মডার্ন মেয়েরা পরর্যন্ত এই সুযোগ পায় না আর তুই পেয়ে ও

মার্জান : ঠিক করেছে চলে এসেছে…আমি তো প্রথম থেকেই ডাউট করেছিলাম…এই রাহুলের নিশ্চয় কোনো ধান্ধা আছে…নাহলে এমনি এমনি কেনো আমাদের হেল্প করবে!

জারিফা : [ এগিয়ে এসে] আরে! এমন ওতো হতে পারে…যে রাহুল স্নেহাকে..হুম হুম?

শায়লা : ইউ মিন লাভ্?

জারিফা : আফ! কর্স্ ইয়ার!?

মার্জান : দেখ স্নেহা! তুই এই..মেন্টাল এর কথায় কান দিস না…অই বদমাইশটার আশেপাশে ও আর যাবি না…নেক্সট থেকে কিছু করলে আমাকে..বলবি..ওকে তো আমি..?

পরদিন, ভার্সেটিতে…

সবাই আবারো একসাথে কথা বলে বলে ঢুকছে… হঠাৎ, পেছন থেকে..গাড়ীর হর্ণ বাজে…

পেছন ফিরতেই দেখে… রাহুলের গাড়ী… এবং রাহুল..ড্রাইভিং সি্টে আর নেহা তার পাশের সি্টে…

সাইড দিলে…রাহুল হাইস্পিডে গাড়ী টান দিয়ে সোজা পার্কিং এর দিক চলে যায়…

জারিফা : আরে! ও তো স্নেহার দিক একটু ও তাকালো না…

শায়লা : আর পাশে ঐ..নেকু নেহাটাকে নিয়ে ঘুরছে…

মার্জান : [ হেসে ] এবার দেখলি তো…আমিতো আগেই বলেছিলাম…ওর ধান্ধাটা এমনি…আজকে ওর সাথে তো কালকে ওর সাথে..

কি হলো দাঁড়িয়ে আছিস কেনো সবাই?..চল ক্লাসে!…

প্রায় এক ঘন্টা পর!

নূরা মেম [ ক্লাসে এসে ] : ডিয়ার স্টুডেন্ট! যারা প্রোগ্রামে পার্টিসিপেট করছো…তারা সবাই প্রেকটিসে্ চলে যাও…যারা আর্ট কাম্পিটিশন করছো তারা গার্ডেনে যাবে, আর যারা ডান্স,আর সিংগিং করবা তারা..থার্ড ফ্লোরের হল রুমে যাবা…আর বাকি গুলা নোটিশ বোর্ডে দেওয়াই আছে… So hurry up!

জারিফা : ওয়াও! আই এম সো্ এক্সাইটেড ? ইয়ার! [ স্নেহার হাত ধরে ] চল স্নেহা!

স্নেহা : জারিফা! প্লিজ আমি..?

জারিফা : আবার ও.. [ স্নেহাকে টেনে নিয়ে চলে যায় জারিফা ]

মার্জান : এই জারিফাটা না..কিছুই বুঝে না…

শায়লা : থাক যেতে দে! ফার্ষ্ট প্রোগ্রামই তো!

[ জারিফা স্নেহাকে নিয়ে হল রুমে ঢুকছে… বাহির থেকেই গিটারের সাউন্ড আসছে! ]

জারিফা : ইয়ার! স্নেহা আমার মনে হয় রাহুল গান করছে!?

স্নেহা : ও.. ? ও কেনো হবে?.. মেম কি বললো শুনিসনি?.. যারা ডান্স আর সিংগিং করবে তারা সবাই হল রুমে চলে আসবা…নিশ্চয় অন্যরা প্রেকটি্স্ করছে!

জারিফা : আরে ধুর! এটা ক্লাসি্ গিটার দেখছিস না?..রাহুলই পারে শুধু এটা বাজাতে…চল চল তাড়াতাড়ি… [ হলে ঢুকতেই দেখে..সত্যি সত্যিই রাহুলই বাজাচ্ছে… স্নেহাকে..দেখে..রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে…]

[নেহা স্নেহাকে দেখে নাক ফুলিয়ে উঠে…শ্রেয়া এবং আসিফ এক্সাইটেড হয়ে রাহুলের দু-কানে গিয়ে ফিসফিস করে,]

শ্রেয়া : বললাম না আসবে?

আসিফ : আরে দোস্ত থামলি কেনো এবার তো শুরু কর..

চলবে….

♥ Love At 1st Sight ♥ Season 3 Part : 3

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 14, 2019
0

♥ Love At 1st Sight ♥
~~~ Season 3~~~

Part : 3

writer-Jubaida Sobti♥

স্নেহা এবং তার ফ্রেন্ডসরা চলে যাওয়ার পর রাহুলের ফ্রেন্ডসরা সবাই রাহুলের দিক তাকিয়েই রইলো!

রাহুল : What?..? সবাই এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো যেন আমি সাত খুণ করে ফেলেছি?…

আসিফ : [ রাহুলের কাছে এসে ] রাহুল! তুই আমাকে তোর সানগ্লাস কবে দিলি বলতো?…

রাহুল : আ..আমি এমন বলেছি?..ওহ হ্যা! সানগ্লাস তো আমি বাসায় ফেলে এসেছি! আজ! ওকে চল এবার যাওয়া যাক…
[ বলেই রাহুল গাড়িতে উঠে চলে গেলো ]

রিদোয়ান : এই রাহুলের হলোটা কি বলতো?…

আসিফ : Don’t know! ?

[ স্নেহা রুমে গিয়ে ব্যাগ রেখে ওয়াসরুমে যাচ্ছে ঠিক ঐ সময় জারিফা স্নেহাকে টেনে খাটে বসিয়ে দেই…. হা..করে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক ]

স্নেহা : জারিফা! You Ok?..?

জারিফা : No I m not ok! ইয়ার স্নেহা! তুই কত্ত লাকিরে!?

স্নেহা : কেনো? কি হয়েছে?…

জারিফা : কি হয়েছে মানে! রাহুলকে দেখিসনি?..তোর সময় কি না এন্ট্রি নিলো…?

শায়লা : আমিতো বলেইছিলাম কিছুতো অন্তত ভালো গুণ আছে!

জারিফা : [ হতাশ হয়ে ] হ্যা! কিন্তু কেউ একজন তার জন্য কম্পোজনিশন লিখে ফেল করে ফেললো!

মার্জান : মোটেও ফেল করিনি! সব কথাই রাইট ছিলো…মাঝে এসে হিরোর মতো র‍্যাগিং অফ করে দেওয়াটাও ওর একটা ধান্ধা! You know মেয়েদের পটানোটাই তো ওর কাজ!

জারিফা : এক্সকিউজ! মি আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন! রাহুল যদি মাঝে না আসতো তাহলে! আপনার ও র‍্যাগিং হতো!

মার্জান : So what! এটা করে ও আমাদের উদ্ধার করেনি! কোন ভার্সেটিতে এমন রুলস্ আছে যে জুনিয়রদের র‍্যাগিং করবে?…এগুলো তো ওদের মতো গুন্ডা বদমাইশরাই ক্রেট করে! আর তোর সাথে কথা বলাতো বেকারই তুই তো ওর চামচি! [ বলেই মার্জান রুম থেকে চলে যায় শায়লা হাসতে থাকে! ]

জারিফা : [ মাথায় হাত দিয়ে ] আফসোস্!

স্নেহা : কি হলো?..

জারিফা : আচ্ছা! রাহুলতো আমার সময় ও এন্ট্রি নিতে পারতো তাই না?…উফফ!

স্নেহা : ওকে! আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি!

[ স্নেহা ফ্রেশ হয়ে এসে রুমে ঢুকতেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে ? ]

জারিফা : [ সানগ্লাস পড়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ] আরে স্নেহা আয়! তোরই অপেক্ষা করছিলাম! শোন এই সানগ্লাসটা তোর ব্যাগে পেয়েছি! এটা কার রে?…

[ স্নেহার মাথায় কিছুই আসছে না কি জবাব দিবে ]

জারিফা : কি হলো স্নেহা কোথায় হারিয়ে গেলি?.. বল?..

স্নেহা : আ–আমার ব্যাগে?..এ
এটা কেমনি সম্ভব?..হয়তো কারো সানগ্লাস হয়তো ভুলে চলে এসেছে! থাক রেখে দে ব্যাগে! যার সানগ্লাস তাকে কালকে দিয়ে দিবো!

জারিফা : [ অবাক হয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] তুই তো জানিস ও না এটা কার সানগ্লাস কাকে দিতে যাবি?…

শায়লা : এক মিনিট! আজ ভার্সেটিতে রাহুল না সানগ্লাস খুজতে ছিলো হয়তো ওর হবে!?

জারিফা : [ একটু ভেবে ]? আরে ধুর রাহুলের সানগ্লাস স্নেহার ব্যাগে কিভাবে আসবে?..হয়তো অন্য কারো হবে! এনিওয়ে সানগ্লাসটা দারুণ আছে…আমাকে কেমন লাগছে বলতো?..

শায়লা : হুমম! ফাটাফাটি ?

জারিফা : তাহলে এটা আমার কাছেই থাক! ক্লাসের কারো হলে খুজতে আসলে তখন দিয়ে দিবো!

স্নেহা : [ মনে মনে ] হায় আল্লাহ! এখন কি হবে! ওর সানগ্লাস ফিরিয়ে না দিলে ও তো আমার চশমা দিবে না! আর চশমা ছাড়া আমি পড়তে ও পারবো না!?

এর মধ্যে হঠাৎ শায়লা স্নেহা বলে ডাক দেই…মার্জান ও সাথে আসলো…

স্নেহা : হ্যা বল!

শায়লা : আসলে,…কেমনি বলি?

মার্জান : আমি বলছি! স্নেহা আসলে তোর ফর্মটা তো জমা দিয়েছি…স্যার বলেছিলো…ট্রাই করবে, কিন্তু..

স্নেহা : কিন্তু?..

মার্জান : স্যার! এখন ফোন করে বললো..ফ্রম এক্সেপ্ট করা হচ্ছে না…কেন্সেল করে দিয়েছে!

স্নেহা : [ মন খারাপ করে ] ওহ!

মার্জান : সব দোষ ঐ রাহুলের…ঐটাইমে যদি ওর গাড়ীটা না আসতো না! তাহলে আর ফর্মে ও দাগ পড়তো না…আমাদের ও এতো কষ্ট করতে হতো না…

শায়লা : হয়েছে এটা নিয়ে আর টেনশন করতে হবে না!…বসে না থেকে আমরা অন্য কোনো ভার্সেটির ফর্ম ক্যালেক্ট করার ট্রাই করি!

জারিফা : [ এগিয়ে এসে ] আরে স্নেহা আলাদা কেনো হবে?… কিছু না কিছু করে ম্যানেজ কর!

মার্জান : আমিও ওটা চিন্তা করছি কিন্তু মাথায় কিছু আসছে না!

স্নেহা : …যদি কপালে থাকে হবে আর না হলে নেই! এতো চিন্তা করছিস কেনো…

জারিফা : [ স্নেহাকে জড়িয়ে ধরে]

স্নেহা : ব্যাস! অনেক হয়েছে ইমোশনাল! এবার চল সবাই খেতে… আমার তো অনেক খিদে পেয়েছে!

বিকেলে,

স্নেহা.. বারান্দায় দাঁড়িয়ে আনমণা হয়ে ভাবছে, তা দেখে মার্জান এসে পাশে দাঁড়ায়!

মার্জান : স্নেহা!

স্নেহা : আরে তুই কবে এলি?..

মার্জান : আমরা তোর দোস্ত নামে কলঙ্ক তাই না?..

স্নেহা : আরে এমন কেনো বলছিস?..

মার্জান : তুই আমাদের ভরসায় এখানে এলি…আর আমরা তোর জন্য কিছুই করতে পারছি না!

স্নেহা : আরে যা হওয়ার হয়েছে..এসব কি কেউ ইচ্ছে করে করেছে নাকি?..তুই এতো টেনশন করছিস কেনো…?..যদি খারাপ কিছু হয়ে থাকে ভেবে নিবি..আল্লাহ হয়তো এর চেয়ে ভালো কিছু রেখেছে..ওকে?

মার্জান : তাহলে তুই কিসের টেনশন করছিস?..

স্নেহা : কই?.. আমি আবার কিসের টেনশন করছি?..

মার্জান : দেখ স্নেহা মাথা খারাপ করিস না…সবার কাছ থেকে লুকালে ও আমার থেকে লুকাতে পারবি না..বল?..

স্নেহা : ?আসলে! ভাবছি..ঐ ফর্মের জন্য অনেক টাকা চলে গেলো…বাবা যদি জানতে পারে তাহলে অনেক কষ্ট পাবে… আর আমি বাবাকে ও মিথ্যে বলতে পারবো না..

মার্জান : ঠিকাছে! আংকেল কে তোর কিছু বলতে হবে না এখন…! আরে আমরা চারজন আছি তো…কারো কাছ থেকে ধার চেয়ে নতুন ফর্ম কিনে নেবো…তারপর চারজন মিলে কোনো না কোনো টিউশন অথবা…পার্ট টাইম জব করে শোধ করে দেবো..

স্নেহা : না নানা…এই আইডিয়া কেন্সেল! আরে! তোরা এতো কষ্ট করতে যাবি কেনো…

মার্জান : কারণ আমরা তোর কি?..হ্যা বল?..

স্নেহা : [ একটু হেসে ] ওকে..বাবা!

মার্জান : ওকে! ? আমি বাকিদের বলে আসি! [ মার্জান চলে গেলো ]

স্নেহার কেনো যেন আইডিয়াটা পছন্দ হয়নি..ওর নিজের কারণে বাকিরাও কষ্ট করবে..কেনো…

ছটফট করতে করতে রাতটা কোনোভাবে কেটে গেলো…

সকালে, সবাই ভার্সেটি যাওয়ার জন্য রেডি…

জারিফা : [ স্নেহার পাশে বসে ] আফসোস! ?

স্নেহা : কেনো আবার কি হলো!

জারিফা : কি হলো মানে?..এটা জিজ্ঞেস কর কি হয়নি?..সব বিপদ আমাদের উপরই কেনো যাচ্ছে বলতো?.. ?

স্নেহা মার্জানকে ইশারা দিয়ে জিজ্ঞেস করলো.. ওর কি হয়েছে..মার্জান ও জানেনা বললো…

স্নেহা : আরে জারিফা.. কি হয়েছে সেটা তো বল?..

জারিফা : কাল আমাদের সাথে র‍্যাগিং হয়েছে! তারপর তোর ফর্ম নষ্ট হয়েছে…আর আজ আমরা তিনজন ভার্সেটি যাচ্ছি কিন্তু তুই যাচ্ছিস না.. এমনতো হওয়ার কথা ছিলো না তাই না?..?

স্নেহা : আরে পাগলী এত্তো আপসে্ট হচ্ছিস কেনো সব ঠিক হয়ে যাবে যা এবার…বেড়িয়ে পড় না হয় আবার ক্লাসে লেইট হয়ে যাবে!

[ সবাই বেড়িয়ে পড়লো… স্নেহা দরজা বন্ধ করে একটু ভেবে আবার তাড়াহুড়ো করে দরজা খুললো ]

মার্জান : কি হলো?..স্নেহা?..

স্নেহা : আসলে! আ..আমি কি তোদের সাথে যেতে পারি?..?

[সবাই সবার দিকে একবার তাকিয়ে একটু হেসে দেই ]

মার্জান : Of course ! why not☺

জারিফা : গার্লস্! আজ না আমরা শুধু প্রাকটিক্যাল ক্লাসটা করে বেরিয়ে যাবো…তারপর সবাই মিলে ফুচকা খেতে যাবো আইডিয়া কেমন বলতো?..

মার্জান : ততোটাও খারাপ না!

জারিফা : যাক অনেকদিন পর আমার কোনো আইডিয়াকে তুই খারাপ না বললি!

স্নেহা : ওকে! তোরা ৫ মিনিট অপেক্ষা কর আমি এক্ষুণি আসছি!

[ স্নেহা তাড়াহুড়ো করে তৈরী হয়ে চলে আসে ]

ভার্সেটি পৌছে, ভেতরে ঢুকছে…হঠাৎ চোখ পড়ে পার্কিং এর দিক… রাহুল দাঁড়িয়ে আছে তার গাড়ীর সাথে হেলান দিয়ে…পাশে তার বন্ধুরা ও আছে…স্নেহাকে দেখতেই রাহুল তেডি স্মাইল দেওয়া শুরু করে!

স্নেহা একপলক চেয়ে আবার সোজা হাটতে লাগলো, আজ ভার্সেটি রাহুলের কারণেই আসা! আর নয়তো…স্নেহার মোটেও ইচ্ছে ছিলো না এভাবে আসার! বাবার দেওয়া প্রথম গিফট্ ছিলো ঐ চশমাটা!

শায়লা : ইয়ার! রাহুল আজ এতো আগে ভার্সেটি কেমনি এলো…

মার্জান : নতুন কোনো চাল হবে ওর!

জারিফা : লুক এট হীম্ গার্লস? হোয়াইট ডেনিম শার্ট এর সাথে পুরাই ডেসিং লাগছে…

মার্জান : স্নেহা তুই কেন্টিনে আর নয়তো কমোনরুমে গিয়ে ওয়েট কর…আমরা একঘন্টা পরই চলে আসবো! তারপর স্যারের সাথে তোর ফর্মের ব্যাপারে কথা বলবো!

স্নেহা : ঠিকাছে!

স্নেহা সাহস করে তো চলে এসেছে..তবে ওর সামনাসামনি হতে কেমন যেন একটা ভয় করছে,কিন্তু চশমাটা ও তো নিতে হবে তাই না! তারউপর ওর সানগ্লাসটা ও আনা হয়নি ওটা জারিফার কাছে! রয়ে গেলো!
এসব ভাবতে ভাবতে স্নেহা লাইব্রেরীর সামনে এসে দাঁড়ালো! ৭/৮ জন সাইলেন্ট হয়ে মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছে মনে মনে ভাবতে লাগলো… ও আসার আগেই ঢুকে পড়ি! স্নেহা ধীরেধীরে লাইব্রেরীর দু-তলায় গিয়ে সে্ইম জায়গায় দাঁড়ালো…

[ হঠাৎ.. বুকটা ধুপধুপ করছে Uncomfortable ফি্ল হচ্ছে ]

[ স্নেহার কেন যেন মনে হলো পেছনে কেউ দাড়িয়ে আছে… পেছন ফিরতেই স্নেহা..রাহুলকে দেখে চিৎকার করতে যাবে, রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহার মুখ চেপে ধরে,]

রাহুল : শিস! সাইলেন্ট!?

[ স্নেহা বড় বড় চোখ করে চেয়ে আছে রাহুলের দিক… রাহুল ও চেয়ে আছে?]

রাহুল : তোমাকে দেখতেই বুঝে গেছিলাম তোমার চশমাটা তোমার উইকনেস্ ?

[স্নেহা মুখ থেকে হাত সরাতে ইশারা করলো ]

রাহুল : [ হাত সরিয়ে ] ওহ! সরি! সরি!

[ স্নেহা জোড়ে জোড়ে শাস নিতে লাগলো ]

রাহুল : ইউ ওকে?..?

স্নেহা : আপনি?…

রাহুল : হ্যা আমি! কেনো আর কারো জন্য অপেক্ষা করছিলে নাকি?..

স্নেহা : না! আপনাকে এক্ষুনি পার্কিং এর দিক দেখলাম..এতো তাড়াতাড়ি!?

রাহুল : পার্কিং এর দিক?..কিন্তু আমি তো এখানেই ছিলাম?

স্নেহা : এইখানে?..কিন্তু আমিতো

রাহুল : নিশ্চয় তুমি আমাকে নিয়ে ভাবছিলে…তাই সপ্ন দেখেছো ?

[ স্নেহা টেনশনে পড়ে যায় এটা কেমনি সম্ভব ও এইখানে থাকলে তাহলে পার্কিং এর ওটা কে ছিলো ]

স্নেহা : দেখেন আমি সত্যিই আপনাকে দেখেছি! এই.. হ্যা এই কাপড়টাই পড়াছিলেন!

রাহুল : [ হেসে ] ওকে রিলেক্স! I just kidding.. ?

স্নেহা : [ সস্থি হয়ে শাস ফেলে ]

[ রাহুল হাসতে থাকে…তাই স্নেহা ও লজ্জা পেয়ে হেসে দেই ]

রাহুল : নাইস্ ? [ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালে ] স্মাইল!

স্নেহা : আমার যেতে হবে! চশমাটা দিন!

[ রাহুল স্নেহার দিক কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে পকেট থেকে চশমাটা বের করে স্নেহার হাতে দেই! স্নেহা চশমাটা নিয়ে পড়ে নেই! ]

[ রাহুল চেয়ে থাকে ? ]

স্নেহা : আ..আসলে! ?আপনার সানগ্লাসটা..? ওটা আমার ফ্রেন্ড ব্যাগ থেকে হঠাৎ নিয়ে নেই! তাই ওটা আনতে পারিনি!

রাহুল : ওহ! দ্যাটস্ ওকে!

স্নেহা : না! নাহ.. আপনি ওটার বদলে টাকা নিয়ে নতুন একটা কিনে নিতে পারবেন! আমি টাকা এনেছি!

[ স্নেহার কথা আর ভাবসাব দেখে রাহুল হেসে দেই ]

স্নেহা : চাইলে টাকা একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন সমস্যা নেই?

রাহুল : [ হেসে হেসে ] আচ্ছা? কত দিবা?..

স্নেহা : [ ব্যাগ থেকে টাকা বের করে ] এইতো দু-শো টাকা নিন!? নতুন একটা পেয়ে যাবেন!

[ রাহুল হেসে দিলো ]

স্নেহা : কি হলো কম হলো?..? ওকে আরো আছে… [ ব্যাগ থেকে আরো দুইশত টাকা বের করে দিলো ]

রাহুল : চারশো?..

স্নেহা : হ্যা!?

রাহুল : কিন্তু সানগ্লাস তো…পাচঁ?

স্নেহা : ওহ! পাচঁশো টাকা [ বলেই ব্যাগের ভেতর হাত দিলো ]

রাহুল : পাচঁ হাজার

[ স্নেহা মূহুর্তেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো? ]

রাহুল : [ হাসি চেপে স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো ]

স্নেহা : পা..পা.পাচঁ হাজার?

রাহুল [ মাথা নাড়ালো ]

স্নেহা : পাগল নাকি আপনি.. পাচঁ হাজার টাকার একটা সানগ্লাস আমাকে পড়িয়ে দিয়ে..দু-শো টাকার একটা চশমা নিয়ে চলে গেলেন! আরে আমিতো জানিও না ওটা এতো দামী! নাহলে সামলিয়ে রাখতাম!

রাহুল : স্টপ!…[ স্নেহা চুপ হয়ে গেলো ] রিলেক্স! ধরো এগুলো নাও!

[ স্নেহা : চুপ হয়ে তাকিয়ে আছে]

রাহুল : নাও!

স্নেহা : [ রাহুলের হাত থেকে টাকাগুলো নিয়ে ] আমি কাল না হয়!…

রাহুল : শিস!…So মিস্ স্নেহা …চারশো টাকা দিলে চলবে না! এর বদলে অন্যকিছু দিয়ে শোধ করতে পারো…?

স্নেহা : অন্যকিছু?..

[ রাহুল স্নেহার কাছে আসতে থাকে স্নেহা ভয়ে পেছাতে থাকে… রাহুল স্নেহার কাছে তার মুখ আনলে ]

স্নেহা : [ ভয়ে চোখ বটে ] দেখেন প্লিজ! আমি এসব কিছু করতে পারবো না…[ কিছুক্ষণ পর স্নেহা ধীরেধীরে চোখ খুলে দেখে রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে ]

[ রাহুল স্নেহার মুখের উপর ফু দিলে স্নেহার চোখের সামনে পড়ে থাকা ছোট ছোট চুল গুলো সরে যায় ]

রাহুল : [ সরে দাঁড়িয়ে ] আমিতো বলিই নেই যে কি করতে হবে?…

[স্নেহা লজ্জা পেয়ে অন্যদিক তাকিয়ে ফেলে ]

রাহুল : তুমি কি ভেবেছিলে ?

স্নেহা : নাহ! কিছু না!

রাহুল : ওকে! So এক কাপ কফি খাওয়ার সময় হবে মিস্ স্নেহা!

স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো….

রাহুল : কি ভাবছো…

স্নেহা : ওকে! কিন্তু বেশী লেইট করা যাবে না…আমার ফ্রেন্ডসরা আমাকে…

রাহুল : তোমার ফ্রেন্ডসরা তোমাকে আমার সাথে দেখলে ওরা আবার কষ্ট পাবে তাই তো?…? ওকে অনলি থারটি্ মিনিটস্ চাই?.. চলবে?..

স্নেহা : [ মাথা নাড়ালো ] হুম

রাহুল : Come!

[ দুজনেই হাটছে!? ]

[ রাহুল স্নেহাকে হল রুমে নিয়ে গেলো… স্নেহা চারদিক মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে…চেয়ার টেবিল, কফি মেশিন, নানানরকম গিটার,…

স্নেহা গিয়ে একটি চেয়ারে বসলো… কিছুক্ষণ পর রাহুল দু-কাপ কফি নিয়ে স্নেহার অপোসি্টে বসলো…

স্নেহা : [ কফি হাতে নিয়ে ] Thank you!

রাহুল : So! মিস্ স্নেহা…পার্টিতে আসছো তো?..কিসে পার্টিসিপেট করছো…তুমি তো নাকি ভালো ডান্স পারো?

স্নেহা : কিসের পার্টি?…

রাহুল : আমাদের ভার্সেটির..

স্নেহা : ওহ!

রাহুল : আসছো তো?…

স্নেহা : এক্সুলি! আমি আজ ভার্সেটিতে আমার চশমাটা ফেরত নিতে আসলাম..আর আপনার সানগ্লাসের…? আসলে আমার আজ লাষ্ট ডে ভার্সেটিতে…কাল থেকে আমি আর আসছি না!

রাহুল : [ হেসে ] ইউ! কিডিং রাইট! কাল ফার্ষ্ট ডে আর আজ লাষ্ট ডে হয়ে গেলো?… বেড়ী ফান্নি?

স্নেহা নিচের দিক তাকিয়ে চুপ করে রইলো…

রাহুল : হেই! আর ইউ সিরিয়াস!?

স্নেহা : হুম!

রাহুল : মানে কি?..কিন্তু কেনো?

স্নেহা : আচ্ছা আমি এখন যায়! আমার ফ্রেন্ডসরা আমাকে না পেলে তখন টেনশনে পড়ে যাবে!

রাহুল : কিন্তু কারণটা তো বলে যাও!

[ স্নেহা কিছু না বলে হল থেকে দৌড়ে বেড়িয়ে যায় এবং হঠাৎ কারো সাথে ধাক্ষা লাগে ]

মার্জান : স্নেহা! ?তুই?..তুই এইখানে কি করছিস?..

স্নেহা : আ..আমি!..তু তুই কি করছিস?

মার্জান : আমিতো তো তোর ফর্মটা আনতে গিয়েছিলাম স্যার থেকে…কিন্তু তুই

স্নেহা : আমি তোকেই খুঁজছিলাম…

[ হঠাৎ রাহুল দৌড়ে এসে দাঁড়ায় ]

[ মার্জান রাহুলকে দেখে চল বলে স্নেহার হাত ধরে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো.. সাথে সাথে রাহুল স্নেহার অন্যহাত ধরে ফেলে ]

রাহুল : স্নেহা আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি তোমার কাছ থেকে…কাল থেকে কেনো
আসবা না?..

মার্জান অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে দুজনের দিক!

স্নেহা : দেখেন! আমার হাত ছাড়েন!প্লিজ

রাহুল : আনস্যার দাও ছেড়ে দিবো!

[জারিফা আর শায়লা ও এগিয়ে এলো]

মার্জান : ওহ! আমি বলছি! কাল থেকে কেনো আসবে না… [স্নেহা মার্জানকে ইশারা করছে না বলতে ] তো শুনেন! স্নেহার ফর্মটা হাত থেকে বাতাসে উড়ে গিয়েছিলো..Then ও সেটা নিতেই যাচ্ছিলো… ঐ সময় আপনার..দামী গাড়ীর চাকাটা ফর্মের উপর চালিয়ে দিয়েছিলেন… কিছু মনে পড়ছে…

রাহুল : Yeah.. I remember! [ মাথায় হাত দিয়ে ] Oooh! Shit! তারমানে তোমার ফর্ম জমা নেইনি?..?

মার্জান : চল স্নেহা!

রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] ওয়েট ওয়েট ওয়েট… ফর্মটা আমাকে দাও!

মার্জান : কেনো…এটা চুবিয়ে পানি খাবেন নাকি?…

রাহুল : I m serious ok?..

শায়লা : [ মার্জানের কানে ] দিয়ে দেখ…হয়তো ম্যানেজ করে দিতে পারে…আরে আমাদেরই তো লাভ!

মার্জান : [ মুখ ভেংগিয়ে ফর্মটা রাহুলের হাতে দেই ]

রাহুল : পার্কিং এ ওয়েট করো… আমি একটু পর দেখা করছি! [ বলেই রাহুল চলে গেলো ]

সবাই মিলে পার্কিং এর দিকে বসে ওয়েট করছে…

রাহুল গিয়ে আসিফকে সব শেয়ার করলো…

আসিফ : তোর বাবাকে কল কর.. উনি বললে তো দু-সেকেন্ডেই কাজ হয়ে যাবে..

রাহুল : আমি?..কল দেবো?.. তারউপর বাবাকে?.. are you mad?..

আসিফ : তাহলে দাদীকে বল আংকেলকে বলতে,

রাহুল : অতো টাইম নেই আসিফ! যা করতে হবে টাকা দিয়েই…

প্রায় আধ ঘন্টা পর,

জারিফা : গার্লস্ রাহুল আসছে!

রাহুল এসে স্নেহার হাতে একটি কার্ড এগিয়ে দেই….

মার্জান : [ হুট করে কেড়ে নিয়ে ] ?আইডি কার্ড… স্নেহার?..

[ রাহুল মাথা নাড়ালো ]

মার্জান : [ খুশীতে ] কেমনি করলেন এটা এতো তাড়াতাড়ি…স্নেহা দেখ…তারমানে তোর অন্য ভার্সেটিতে এডমিশন নিতে হবে না…? [ স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে ] আমরা আলাদা হচ্ছিনা!

[ রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে একটু হেসে চলে গেলো ]

বাসায় এসে, স্নেহা ফ্রেশ হয়ে রুমে ঢুকতেই দেখে সবাই মুখে হাত দিয়ে বসে তার দিক গুড়্গুড় করে তাকিয়ে আছে….

স্নেহা : [মাথা মুছতে মুছতে…চেয়ারে এসে বসলো… ] কি ব্যাপার সবাই এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো…

মার্জান : সোজা পয়েন্টে আসি কথা না বাড়িয়ে, এবার বল তুই রাহুলের সাথে হলরুমে কি করছিলি?…

স্নেহা : [ ভয়ে ভয়ে ] আ…আমি?..?

মার্জান : ইয়েস্ ইউ!

স্নেহা : আসলে আমি হলরুমে…?

[ সবাই একসাথে হেসে উঠলো ]

স্নেহা অবাক হয়ে তাকায়,

জারিফা : সরি গাইস্ আমি ওর রিয়েকশন দেখে হাসি আটকাতে পারলামনা… তুই এত্তো সিরিয়াস কেনো স্নেহা?…? আমরা ফান্ করছিলাম ? বাই দ্যা ওয়ে প্লানটা আমারই ছিলো…?

স্নেহা : [ বড় শাস ফেলে হেসে ] ও..ওহ!?…

শায়লা : এক মিনিট! একটা জিনিষ খেয়াল করেছিস! রাহুল কিন্তু স্নেহার জন্য Lucky person

জারিফা : How?..

শায়লা : গতকাল! র‍্যাগিং এর সময়.. .স্নেহার টাইমে এসে রাহুল র‍্যাগিং অফ করে দিলো.. আজ ফর্ম হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে যাচ্ছে..বাট রাহুল এসে সেটাও Solve করে দিলো!

মার্জান : আমার একটা জিনিষ ডাউট হচ্ছে! ও আমাদের হেল্প করছে কেনো বলতো…

জারিফা : তোর আর ওর উপর থেকে ডাউট যাবে না… এনিওয়ে! আজ কিন্ত ওকে তোর সরি বলা উচিৎ ছিলো…

মার্জান : আমি কেনো সরি বলবো ও কে?..

জারিফা : কেনো বলবি মানে?..ফর্ম দেওয়ার সময় ওকে যে মুখ ভেংগিয়ে দিলি…তার উপর… কতো লেকচার দিলি ও কে…তা ও স্নেহার কার্ড এনে দিয়েছে ও…

শায়লা : I think she is right! তোর ওকে সরি! না বললে ও অন্তত থেংক্স বলা উচিৎ ছিলো…

মার্জান : [ একটু ভেবে ] ঠিকাছে ট্রাই করবো…

শায়লা : আচ্ছা গার্লস্ নেক্সট টপিক পার্টির কি প্লানিং?..

জারিফা : ও ইয়াহ ইয়াহ! ? আমার তো ওয়েট ও হচ্ছে না..ভালোই হলো এখন সব প্রবলেম Solve… আর এখন শুধু পার্টির প্লানিং চলবে!

মার্জান : গাইস্ আমার না এসব পার্টিতে ইন্ট্রেষ্ট.. নেই তোরা কর তোদের প্লান!…

পরদিন ভার্সেটিতে…

সবাই কথা বলে বলে ঢুকছিলো..হঠাৎ

মার্জান : ওয়েট গার্লস্

শায়লা : কি হলো?..

মার্জান ইশারা দিয়ে দেখিয়ে দিলো পার্কিং এর দিক!

…পাশ থেকে রাহুল গাড়ী পার্ক করে আসছিলো…. হঠাৎ স্নেহা এবং তার ফ্রেন্ডসদের দেখে রাহুল একটু স্লোলি হাটে… রাহুল কাছে আসলে,

জারিফা : হায়! রাহুল!?

রাহুল : হ্যালো!?

মার্জান : [ এগিয়ে গিয়ে ] থেংক্স! এন্ড সরি! কালকের মিসভিহেভ এর জন্য!

রাহুল : It’s Ok no need sorry! [ স্নেহার দিক তাকিয়ে সানগ্লাস? চোখে লাগিয়ে চলে যায় ]

[স্নেহা মনে মনে অবাক হলো আজ রাহুল স্মাইল করলো না]

সবাই গিয়ে ক্লাসে বসে,

স্নেহা : গার্লস্ আমি না একটু ওয়াসরুমে যাবো!

মার্জান : ওয়াসরুম! ওকে চল আমি নিয়ে যায়!

স্নেহা : না…নাহ লাগবে না..আমি যেতে পারবো…

মার্জান : Sure?..

স্নেহা : হ্যা!

[ স্নেহা তাড়াতাড়ি করে দু-তলায় উঠে…লাইব্রেরীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো.. ঢুকতেই যাবে ঐ টাইমে রাহুল এসে স্নেহাকে টেনে নিয়ে…একটা খালি ক্লাসে নিয়ে যায় ]

স্নেহা : [ ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ] কি করছেন ?আপনি আমাকে এইখানে কেনো আনলেন?…

রাহুল : আমি জানতাম তুমি লাইব্রেরীতে আসবা!

স্নেহা : [ মাথা নিচু করে ] আ..আমি! বই পড়তে এসেছিলাম!?

রাহুল : [ কাছে এগিয়ে এসে ] আচ্ছা তাই? ক্লাসটাইমে লাইব্রেরীতে বই পড়তে এসেছো তাই না?..

স্নেহা : আসলে! আপনাকে থেংক্স বলার ছিলো…?

রাহুল : তোমার আমাকে থেংক্স বলা লাগবে না!

স্নেহা : কেনো কি হয়েছে?..?

রাহুল : [ বিরক্তি হয়ে স্নেহার দুহাত চেপে ধরে ] তুমি কিছুই বুঝো না?…

স্নেহা : আমি কি…কিছুই বুজতে পারছিনা কি বলছেন…?

রাহুল : [ স্নেহাকে ছেড়ে দিয়ে অন্যদিক তাকিয়ে..] আমি তোমার উপর রাগ করেছি!

স্নেহা : কিন্তু কেনো?..

রাহুল : [ হেটে দরজার সামনে গিয়ে ] জানতে ইচ্ছে হলে…হল রুমে এসে দেখা করো…! [ বলেই রাহুল চলে গেলো]

স্নেহা : [চেয়ে আছে অবাক হয়ে মনে মনে ] কি এমন করলাম রাগ করার মতো… কিছুই তো মাথায় আসছে না. এসেছি ধন্যবাদ দিতে আর হয়ে গেলো অন্যটা…[ বিরক্ত হয়ে ] উফ! আবার হল রুমে কিভাবে দেখা করি?

স্নেহা ক্লাসে গিয়ে বসে…

প্রায় তিন ঘন্টা ক্লাস করলো… আর একটা ক্লাসই বাকি! স্যার এখনো ক্লাসে আসেনি…তাই এটাই সুযোগ!

স্নেহা : আ..আমি একটু আসি!

মার্জান : আবার কোথায় যাচ্ছিস?..

স্নেহা : ও..ওয়াসরুমে..হুম!

মার্জান : [ একটু কনফিউজড হয়ে ] Any problem?.. ?

স্নেহা : না..নাহ!

মার্জান : ওকে যাহ!

তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে

স্নেহা : [ মন মনে ] কি আজিব! কতো মিথ্যে বলতে হচ্ছে!? নাহ! আর না…আজ বলে দিবো… আপনি আমার কার্ড এনে দিয়েছেন তাই.. থেংক ইউ! আর যে কারণেই রাগ করেছেন ওটার জন্য সরি! এরপর থেকে আমি আর আপনার সাথে দেখা করতে পারবো না..ইয়েস্ এইভাবেই বলবো…

[ স্নেহা ধীরেধীরে হল রুমের কাছে যায়… দরজা খুলতেই দেখে…সফটেড মিউজিক চলছে…..এবং কিছু ছেলে-মেয়ে বসে আছে…]

তাদের দেখেই..স্নেহা পেছন মুড়ে চলে যাচ্ছিলো…হঠাৎ ধাক্ষা খেয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়,

রাহুল : পালাচ্ছো কেনো…

স্নেহা : [ শকড হয়ে ] ও..ওখানে স.. সবাই

রাহুল : So what?.. চলো..

[ রাহুল স্নেহার হাতধরে টেনে ভেতরে নিয়ে গেলো সবাই তাদের দিক তাকিয়ে আছে ]

রাহুল : Guys! meet with sneha.. you know she is very well dancer! and sneha! meet my friends.. আসিফ, রিদোয়ান , আনিল, শ্রেয়া, রিদি, And নেহা!

নেহা : তো তুমিই সেই স্নেহা! [ দাঁড়িয়ে স্নেহার দিক হাত বাড়িয়ে ] হ্যালো স্নেহা..

স্নেহা : হায়! [ ভয়ে ভয়ে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করলো ]

রাহুল : [ স্নেহার কাছে একটি চেয়ার টেনে দিয়ে…] Seat! স্নেহা

স্নেহা দাঁড়িয়েই রাহুলের দিক হা করে তাকিয়ে আছে…

স্নেহা না বসাতে ..

রাহুল : [ স্নেহার কাছে এসে ]কি হলো স্নেহা! বসো…

স্নেহা : আপনি বলেছিলেন রাগ কেনো করেছেন সেটা বলবেন!

রাহুল : কি?..শুনছিনা মিউজিক এর জন্য!

[স্নেহা বুজছে রাহুল ইচ্ছে করেই না শোনার ভান করছে..]

রাহুল : [ একটু হেসে ] হ্যা! বলবো ডান্স করতে করতে…?

স্নেহা : ডান্স!?? পাগল নাকি আপনি?..

[ স্নেহা চলে যাচ্ছিলো রাহুল স্নেহার হাত ধরে একদম কাছে টেনে নেই…]

সবাই… কামঅন স্নেহা! বলে চেঁচিয়ে উঠে!

রাহুল : [ চোখ বন্ধ করে ] আমার জন্য স্নেহা…প্লিজ! শুধু একবার!

স্নেহা ধীরেধীরে রাহুলের হাত সরিয়ে দিলো…

নেহা : রাহুল! I think she is not comfortable with you হাহা!

রাহুল আর স্নেহার দিক তাকালো না নিচের দিকেই তাকিয়ে রইলো… স্নেহা পেছাতে লাগলো… হঠাৎ কিছুক্ষণ পর থেমে যায়…স্নেহা আবার রাহুলের দিক এগুতে লাগলো…

সবাই শিষ বাজিয়ে চেঁচিয়ে… উঠলো…

রাহুল তাকিয়ে দেখে স্নেহা কাছে এসে দাঁড়িয়ে আছে…

মিউজিক ভলিউম… বেড়ে গেলো…

স্নেহা রাহুলের হাত ধরলে… রাহুল আরো…শক্ত করে স্নেহার হাত ধরলো…
এবং ধীরে…ধীরে নাচ শুরু করলো…

চলবে…

♥ Love At 1st Sight ♥ Season 3 Part – 2

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 14, 2019
0

♥ Love At 1st Sight ♥
~~~Season 3~~~

Part – 2

Writter : Jubaida Sobti

হঠাৎ করে গান গাওয়া বন্ধ করে রাহুল দাঁড়িয়ে পড়ে,

আসিফ : What happen রাহুল?…

রাহুল : She is here…?

আসিফ : আরে আগে গান তো কমপ্লিট কর!

রাহুল : [ কিছুই বললো না জাষ্ট একটা তেডি স্মাইল দিয়ে দু-হাত কোমোড়ে রেখে দাঁড়িয়ে আছে ]

আসিফ : হেই রাহুল তুই পালাচ্ছিস নাকি??

[ রাহুল গিটারটা আসিফের হাতে ছুড়ে দিয়ে ইয়েস্ বলে দৌড় দেই…আর আসিফ পেছন থেকে চিল্লাতে থাকে… ]

চারদিক খুজছে রাহুল, [ মনেমনে ] আরে গেলো কই…এক্ষুণিই তো দেখলাম… দু-তলা থেকে তিন তলায় উঠলো…
হঠাৎ লাইব্রেরীর দিকে চোখ যেতেই দেখে.. স্নেহা লাইব্রেরীতেই ঢুকছে…রাহুল ও আর দেরী না করে ধীরেধীরে লাইব্রেরীর দিকেই এগুতে লাগলো…. লাইব্রেরীর ভেতরে পা দিতেই রাহুলের বুকটা ধুপ করে উঠলো..

তিন-বছরে এই 2nd টাইম লাইব্রেরীতে পা দিচ্ছে, সবাই তো লাইব্রেরীতে…নেশাখোর এর মতো বই পড়ে…কিন্তু নেশা ছুটিয়ে সবাই রাহুলের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে…রাহুল সবাইকে ইশারায় হায় দিলো… কিন্তু সবাই এতোটাই অবাক যে, কেউ আর হ্যালো ব্যাক করলো না….

রাহুল : [ মনে মনে ] এইভাবে শুভদৃষ্টিতে তাকিয়ে হায় বললে..রিপ্লে এমনই আসবে…

[ একটা বড় শাস ফেলে…ঘাড় ত্যাড়া করে এংড়ি মুড নিয়ে তাকালো…সাথে সাথে সবাই আবার বই পড়তে ব্যাস্ত…এমনিতেই রাহুল জানে লাইব্রেরিতে…হাবলা স্টুডেন্ট গুলাই থাকে সবসময়… আর কিছু না ভেবে স্নেহাকে খুজতে লাগলো….লাইব্রেরীর দু-তলায় উঠে দেখে…মুচকি হেসে হেসে…ভাজে ভাজে বই দেখছে… আহ! বই গুলোকেও এমন ভাবে ছুইছে যেন তারা ও প্রেমে পড়ে যাবে এই ছোয়ার ]

রাহুল : [ স্নেহার পাশে গিয়ে,] বই কি বেশী ভালো লাগে?…

স্নেহা : ইয়েস্ আই লাভ বুকস্!

রাহুল : [ মুখ ভেংগিয়ে ] ওহ! ইউ লাভ বুকস্, বাট আই হেট বুকস্! ডিফারেন্ট তাই না?…

স্নেহা : [ শখড হয়ে বই হাত থেকে ফেলে দিয়ে তাড়াতাড়ি পাশ ফিরে তাকালো ]

[ Rahul give a tedi smile ? ]

স্নেহা : আ- আ…আপনি!?

রাহুল : [ বইটা তুলে সেল্ফে রেখে স্নেহার দিকে তাকিয়ে ] ইয়েস্ মি!

স্নেহা কিছু না বলে দৌড়ে চলে যাচ্ছিলো…অমনিই রাহুল স্নেহার হাত ধরে টান দিয়ে টেনে সেল্ফের সাথে দাড় করাই….

[স্নেহার চোখে মুখে…ভয় দেখে রাহুল আবারো তেডি স্মাইল দিতে থাকে…?স্নেহা নিচের দিক তাকিয়ে…রাহুল স্নেহার দিক?]

রাহুল : লাইফে কোনো মেয়ের জন্য এতোটা দৌড়াইনি বুঝলে! ভার্সেটি উঠার পর ২য় বারই পা রাখলাম এই লাইব্রেরীতে… because of you!

স্নেহা : [ কাপা কণ্ঠে ] দে–দেখেন…আপনি আমাকে…যেরকম মেয়ে ভাবছেন আসলে আমি তেমন না!

[ স্নেহার কথা শুনে রাহুল হাসতে থাকে স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ]

রাহুল : [ হেসে হেসে ] এটা লাইব্রেরী তাই গলা ফাটিয়ে হাসতে পারলাম না সরি!…আর যেরকম মেয়ে মানে…কিরকম?.. বলোতো?..

স্নেহা : দেখেন আমার যেতে হবে… আমার ফ্রেন্ডসরা আমাকে খুজতে আসবে…
আর ওরা কেউ যদি আমাকে আপনার সাথে এভাবে দেখে…তাহলে ওরা অনেক কষ্ট পাবে?

[এবার রাহুল আরো হাসতে থাকে,, এবং স্নেহার ঘাড়ের পাশে সেল্ফের উপর হাত রেখে দাঁড়ায়… স্নেহা ভয়ে আরো কাঁপতে থাকে…বার বার চশমা ঠিক করতে থাকে… ]

রাহুল : সিরিয়াসলি ? Funny ছিলো! ঠিকাছে…আমার কিছু প্রশ্নের জবাব দিবে তারপর আমি ছেড়ে দিবো ওকে?..

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ ভেবে ] মাথা নাড়ালো…

[ রাহুলও তেডি স্মাইল দিয়ে মাথা নাড়ালো ?… রাহুল প্রশ্ন করার জন্য মুখটা স্নেহার সামনে এনে..প্রশ্ন করতেই যাচ্ছিলো…]

স্নেহা : [ তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে কপাল কুচকে ] প্লিজ আরেকটু দূরে সরে দাঁড়ান… তা-..তারপর বলেন!

রাহুল : দূরে তো আমি সরবো না…কন্ডিশন যেটা হয়েছে…জাষ্ট ওটাই ফলো করবা! [ রাহুল হুট করে স্নেহার চোখ থেকে চশমাটা খুলে ফেলে! ]

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : [ স্নেহার মুখের সামনে হাত তুলে ] বলোতো কয়টা ফিংগার এইখানে?..?

[ স্নেহা সাইলেন্ট হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আর মুখ দিয়ে বীরবীর করতে থাকে ]

রাহুল : হেই! জবাব না দিলে কিন্তু আমিও ছাড়ছি না! তারপর তোমার ফ্রেন্ডসরা এসে দেখবে ওরা তো আবার তোমাকে আমার সাথে এভাবে দেখলে অনেক কষ্ট পাবে…[ বলেই রাহুল হাসতে থাকে ] ওকে বলো কয়টা ফিংগার?..

স্নেহা : পাঁচটা…

রাহুল : বেড়ী গুড! নাম??

স্নেহা : স্নেহা!?

রাহুল : নাইস্ ? [ with tedi smile? ] আচ্ছা কোন ইয়ার?…

স্নেহা : ফার্ষ্ট ইয়ার?…

রাহুল : কোন সাবজেক্ট?.. ?

স্নেহা : ম্যা –ম্যাথম্যাটিকস ?

রাহুল : ? ওয়াও ব্রিলিয়ান্ট.. ! মুখটা এভাবে বানিয়ে রেখেছো কেনো?…আমি কি দেখতে ভুতুড়ে?.. স্মাইল করো…

[ স্নেহা ভয় পেয়ে নিচের দিক তাকিয়েই থাকে ]

রাহুল : I say smile please ?

[ স্নেহার হাসি পাচ্ছিলো না বরং চিৎকার করে কাঁদতে মন চাচ্ছিলো…কিন্তু কি করার রেহাই পাওয়ার জন্য…ঠোটের কোণে মুখ চাপা হাসি দিলো.. ]

রাহুল : ?হেইই কিউট! [ with tedi smile? ]

স্নেহা : আমার চশমা ??…

রাহুল : ও…ইয়াহ ওয়েট [ রাহুল স্নেহার চশমাটা তার পকেটে ঢুকিয়ে…টি-শার্টে লাগানো সানগ্লাসটা স্নেহাকে পড়িয়ে দিলো ]

স্নেহা : এটা কি করছেন?…

রাহুল : তোমার চশমা চাই?..ওকে কাল সেইম টাইম এইখানে এসে নিয়ে যেও!

স্নেহা : কিন্তু এটাতো ঠিক না! আমি কেনো আসবো… কাল আবার?…

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে পেছাতে লাগলো ] যদি চশমা চাই…তাহলে আসবা… আর নাহলে ভুলে যাও..এটা তোমার চশমা! আর হ্যা…এভাবে স্মাইল করবা ওকে…[ চোখ মেরে ?] সুট করে তোমাকে…[ বলেই রাহুল চলে গেলো ]

স্নেহা চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে…ব্যাগে ভরে নেই…বুঝতে পারছে না কি করবে…আর কিছু না ভেবে বেরিয়ে পরলো লাইব্রেরী থেকে….

মার্জান : [ স্নেহার হাত ধরে ] স্নেহা… আমাকে কি একদিনে শুকিয়ে ছাড়বি?…কি ব্যাপার কোথায় গিয়েছিলি বলতো…পুরো ভার্সেটি ছান মারলাম..

স্নেহা : ফোন করতে পারতি…?

মার্জান : হ্যা চেয়েছিলাম… বাট ব্যাটারি লো ছিলো.! আচ্ছা বাদ দে…চল পার্কিং এর দিক বাকিরা ঐখানে অপেক্ষা করছে…আমি তো ভাবলাম তুই চলেই গেলি!

স্নেহা মার্জানের সাথে সাথে পার্কিং এর দিক গেলো …দেখে শায়লা আর জারিফা ছোট একটি গাছের চৌকাটে বসে আছে…স্নেহা আর মার্জান ও গিয়ে বসে…

স্নেহা : [ ব্যাগ থেকে পানির বোতোল বের করে মার্জানকে দিয়ে ] সরি মার্জান…

মার্জান : হা-হা It’s Ok Between no need sorry!

জারিফা : স্নেহা! আমার বাচ্চা! কোথায় গিয়েছিলি বলতো?…

স্নেহা : কোথায় আবার যেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলি ঐখানেই ছিলাম…হঠাৎ লাইব্রেরীর দিকে চোখ পড়ে?

জারিফা : আর তুই বই পড়তে ঢুকে পড়লি…হে আল্লাহ…সব মেধা এই মেয়েকে কেনো দিলা…কিছু তো আমাদের ও শেয়ার করতা…

শায়লা : এক মিনিট! স্নেহা without
চশমা ??…

জারিফা : আরে হ্যা তো..?

স্নেহা কি বলবে বুঝতে পারছে না…সবাই যেভাবে চোখ বড় করে করে চেয়ে আছে যেন এক্ষুনি তাকে গোটা গিলে খেয়ে ফেলবে….

মার্জান : [ স্নেহাকে নাড়িয়ে দিয়ে ] স্নেহা? কোথায় হারিয়ে গেলি?…

স্নেহা : কই না তো…

মার্জান : চশমা কই? ঝড় হোক থুফান হোক তোকে তো চশমা ছাড়া পাওয়া যায় না…

স্নেহা : ব্যাগ! ব্যাগে আছে…আসলে আমি ট্রাই করছি… চশমা ছাড়া ও…চলতে পারি কিনা…

জারিফা : ওহ! গুড জব অল দা বেষ্ট!

শায়লা : স্নেহা তুই না…চশমাই পড়ে থাক!.. চশমা ছাড়া থাকলে তখন আবার ছেলেরা তোর পেছন লাইন মারবে..হাহাহা…

জারিফা : আরে আরে ঐ দিকটা দেখ Boys group coming ?

মার্জান : হ্যা হ্যা যা! তুই ও ওদের সাথে জয়েন কর…?

জারিফা : আজ আমায় দেখতে কেমন লাগছে বলতো?…?

মার্জান : Nothing special হি-হি প্রতিদিন যেমন লাগে তেমনি! হুহ!

জারিফা : ইয়ার! ?রাহুল আমার দিকে তাকিয়ে আছে… [ সাথে সাথে সবাই অবাক হয়ে ঐদিকটা তাকালো স্নেহা ও কোণা চোখে তাকালো…স্নেহা তাকানোর সাথে সাথে রাহুল তেডি স্মাইল দিতে লাগলো ? স্নেহা চোখ সরিয়ে ফেললো তাড়াতাড়ি…. ]

জারিফা : See guys! he gives tedi smile?

শায়লা : এক মিনিট! আমার মনে হচ্ছে ও তোর দিক না!… উমম! স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে…

এইবার সবাই স্নেহার দিক তাকালে,

স্নেহা : আ–আমার দিক কেনো তাকাবে,তোর হয়তো ভূল হচ্ছে…ও জারিফার দিকেই তাকিয়ে আছে…

জারিফা : ইয়াহ! স্নেহা ইউ আর রাইট..থেংক ইউ?

মার্জান : বদমাইশ একটা…

স্নেহা : [ কৌতুহলি ভাবে ] কে?…

মার্জান : কে আবার?…মিষ্টার রাহুল! ভার্সেটিতে পড়তে আসে না….গুন্ডা মাস্তানগিরি করতে আসে… বাপের আছে টাকা…তাই ইচ্ছা মতো উড়াই.. আর মেয়েদের পেছনে খরচ করে…ক্লাস পার্টি হ্যাংগাউট, ব্যাচেলর পার্টি এগুলাই ওর কাজ…আর এই গিটার থাক এটা নিয়ে ব্যাড কমেন্ট করবো না এটা ও ভালোই বাজায়…শুধু ও একাই না…ওর পুরো গ্যাংগটাই এমন! আগে পিছে সবগুলাই ওর চামচা! ফার্ষ্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ার..সব! ও হ্যা হ্যা আমাদের গ্রুপ এ ও একটা আছে.. নাম বললে…চাকরী থাকবে না..হুহ!

জারিফা : ব্যাস মার্জান ব্যাস! তুই তো রাহুলকে নিয়ে একটা পুরো কম্পোজিশন বলে ফেলেছিস… আর আমি ওর চামচা কেনো হবো… হ্যা এটা বলতে পারিস আমি ওর ফ্যান?আর মনে আছে যখন ঐদিন ঐ ঢঙীটা কি যেন নাম?…ও হ্যা নেহা! ওর সাথে রাগ দেখিয়ে বুম~~বুম করে বাইক চালিয়ে চলে যাচ্ছিলো…ওয়াও কি না লাগছিলো…আমি তো পুরাই ক্রাশ খেয়ে ফেলেছিলাম..

মার্জান : হ্যা সারাদিন…গার্লস্ ,পার্টি, ড্রিঙ্কস এগুলো নিয়ে পরে থাকায়…রাহুল ফার্ষ্ট প্রাইজ পেয়েছে…তাই ওর ফ্যান এর ও কম নেই…ক্রাশ খাওয়ার মানুষর ও অভাব নেই!?

শায়লা : বাই দ্যা ওয়ে, কিছু তো ভালো গুণ আছে…তাই না! ঐদিন দেখিস নি?…ওদের ক্লাসের একটা মেয়েকে…একটা ছেলে ইপটিজিং করতে ছিলো আর রাহুল কি না…কেলিয়ে দিলো…

জারিফা : ইয়েস! ইয়েস! ঐদিনের ফাইট দেখে তো আমি ওর বিগ ফ্যান হয়ে গেছিলাম?

মার্জান : আচ্ছা?… তাই ফার্ষ্ট ইয়ারদের র‍্যাগিং করে তাই না..?.আমার তো জান বের হয়ে যাচ্ছে…কখন আমাদের ডাক দেই র‍্যাগিং এর জন্য! তারপর ওদের ইচ্ছামত একটা শিক্ষা দিবো… র‍্যাগিং কাকে বলে কত প্রকার সব ওদের শিখিয়ে দিবো…

জারিফা : Listen! রাহুল তো আর করে না…হ্যা ওর গ্যাংগ এর বাকি লিডাররা করে আমি মানছি!

মার্জান : তুই চুপ কর! রাহুলের চামচী! বাকিরা করে…রাহুল এতো ভালো হলে ও বাকিদের নিষেধ করে না কেনো?…

শায়লা : গার্লস! ? আমার না অনেক ভয় করছে এই র‍্যাগিং এর কথা শুনলে!…একবার ওদের গ্যাংগ এর দিক তাকা…আমাদের দিক কিন্তু বার বার তাকাচ্ছে…অলরেডি রাহুল তো ২০/২৫বার তাকিয়ে ফেলেছে…?

জারিফা : আমার দিকেই তাকাচ্ছিলো হয়তো?

মার্জান : এই চুপ! এতো ভয় পাচ্ছিস কেনো…কিছুই হবে না…
চল আমরা এইখান থেকে উঠে যায় তাহলে আর তাকাবে না…বদমাইশটা…

[ স্নেহা একবার তাকিয়ে দেখলো রাহুল গাড়ির দরজা খোলা রেখে সিটে বসে আছে আর স্মোক করছে এবং কিছুক্ষণ পর পর তাকাচ্ছে ]

জারিফা : আরে উঠছিস কেনো…তাকাক না…ভালোই তো লাগছে…?

মার্জান : ভালো লাগলে তুই বসে থাক আমরা যায়!..

জারিফা : আরে আরে দাড়া যাবো না বলেছি নাকি..

[ সবাই একসাথে হেটে চলেই যাচ্ছিলো ]

হঠাৎ, পেছন থেকে আওয়াজ আসলো…

– এই যে গার্লস গ্রুপ! দাঁড়ান! [ সবাই দাঁড়িয়ে পড়লো ]

শায়লা : [ মার্জানের কানে ভয়ে ভয়ে] আরে বাপরে!

মার্জান : চুপ কর! তুই এতো ভয় পাচ্ছিস কেনো?..

জারিফা : জি! আমাকে ডাকছেন!?

রিদোওয়ান [ রাহুলের গ্যাংগ এর সবচেয়ে বড় চ্যাছরা একটা.. ছেলে…মেল-ফিমেল কোনটাই দেখবে না..র‍্যাগিং এর সময় যা ইচ্ছা তাই করাবে ] : No! Everyone Come!

সবাই একটু এগিয়ে দাঁড়ালো…

রাহুল স্নেহার দিক তাকালে,স্নেহা হিমসিম খেয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে ফেলে,

রিদোয়ান : ফার্ষ্ট ইয়ার?..

জারিফা : জি!?

রিদোয়ান : ওহ! So দেখো আমার না এখন আইটেম সং দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে!? কি করার টিভি তো বাসায়…বাট আমার এক্ষুণি দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে… [ রিদোয়ান এর কথা শুনে গ্রুপের সবাই হেসে উঠে আর রাহুল কপাল কুচকে স্নেহার দিকেই তাকিয়েই আছে ]

জারিফা : [ শকড?]

মার্জান : টিভি নেই তো কি হয়েছে?..মোবাইল তো আছে..নেট অন করুণ আইটেম সং সার্চ করুন যেটা ইচ্ছে ওটা দেখুন…ও ওহ! মোবাইলে যদি চার্জ না থাকে তাহলে আমার কাছে পাওয়ার-ব্যাংক আছে ওটা ইউস্ করতে পারবেন!

আসিফ : হা-হা হাউ ব্রিলিয়ান্ট!

রিদোয়ান : হ্যা তা তো বটেই!..কিন্তু আমার না লাইভ দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে!?

জারিফা : কিন্তু আমি তো নাচ পারিনা! নাচতো আমরা মাঝে মাঝে স্নেহা থেকে শিখি [ রাহুল অবাক হয়ে স্নেহার দিক তাকালো আর [ মনে মনে বলতে থাকে ]ওয়াও ডান্স ও পারে,হুমম!

আর, মার্জান জোড়ে একটা চিমটি দিলো জারিফাকে? ] না না…মানে আমরা কেউই নাচ পারিনা! আসলে….তবে আমি..মডেলিং ওয়াক পারি?

রিদোয়ান : তাই?…তাহলে ওটাই দেখিয়ে দাও!

মার্জান : [ জারিফার কানে ] বেশি পণ্ডিত হলে এমনই হয়..যা এবার মডেলিং করে দেখা..?

রিদোয়ান : কামঅন! হারিআপ…

জারিফা ধীরেধীরে এগিয়ে মডেলিং করে হাটতে লাগলো গ্রুপের সবাই হাসতে লাগলো… আর শিষ বাজাতে লাগলো আশেপাশে অনেকই তাকিয়ে দেখছে!

[ রাহুল স্নেহার দিক চেয়ে আছে স্নেহার চেহারা দেখে…বুঝতে পারলো স্নেহা ভয়ে ভেতরে মরে যাচ্ছে… আর ওর ফ্রেন্ডসকে দিয়ে যা করানো হচ্ছে তা তার মোটেও ভালো লাগছে না ]

[ জারিফার ওয়াক শেষ হলে সবাই হেসে তালি দেই]

জারিফা : থেংক ইউ থেংক ইউ? [ জারিফার কান্ড দেখে মার্জান রাগে ফুলতে থাকে ]

রিদোয়ান : ওকে নেক্সট! ইউ…লং হেয়ার!

মার্জান : [ স্নেহার হাত ধরে ফেলে ] নো স্নেহা নট গো!? দাঁড়িয়ে থাক!

রিদোয়ান : [ চেঁচিয়ে ]? কি হলো কানে শুনতে পাওনা?…

[ স্নেহা কেপে উঠে তাড়াতাড়ি সামনে এগিয়ে এসে দাঁড়ায়…]

রিদোয়ান : গুড গার্ল! দেখে তো অনেকটা ইন্নোসেন্ট মনে হচ্ছে… নাম কি?…

স্নেহা : স্নে…স্নেহা!?

রিদোয়ান : ওহ! তো তুমিই ডান্স শিখাও ওদের?

স্নেহা : [ কিছু না বলে মাথা নিচু করে থাকে ]

রিদোয়ান : এনিওয়ে! তেমন কঠিন কিছু না…জাষ্ট সিম্পল একটা কাজ করবা!… [ বলেই স্নেহার দিক একটা জলানো সিগারেট এগিয়ে দিলো ]

স্নেহা : আ–আমি আসলে স্মোক করি না!

মার্জান : আরে পাগল নাকি আপনি?…নিজে তো করেন করেন..যারা করে না তাদের ও জোড় করে করাবেন নাকি?…ওকে দেখে কি আপনার স্মোকার মনে হয়?..?

আসিফ : বাট আমি কিন্তু অনেক মেয়েদের করতে দেখি..

মার্জান : ইউ আর রাইট! যে যেমন সে তেমন ক্যারেকটারদেরই দেখবে..

আসিফ : ওকেই [ বলে অন্যদিক ফিরে গেলো ]

রিদোয়ান : তোমার চাপ্টার তো পরে আসছে জাষ্ট ওয়েট! আগে ওরটা ক্লোজ করেনি! So ইউ মিস্ স্নেহা..হারি-আপ…

স্নেহা : আসলে স্মোক করা শরীরের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকারক! এতে ক্যান্সার হতে পারে! এবং আমরা যে শাস নিচ্ছি ফুসফুসের মাধ্যমে ওটা ব্লাষ্ট হয়ে যায়!

রিদোয়ান : ওয়াও মাষ্টারপিস্ ? [ সবাই হেসে উঠে… ] এক্সকিউজমি আমি সাইন্টিস্ট এডভাইস্ চাইনি…যেটা বলা হয়েছে ওটাই করো!

মার্জান : [ স্নেহার কানে কানে ] স্নেহা হাত ও লাগাবি না এটাই দাঁড়িয়ে থাক… দেখবি কিছুই করতে পারবে না!

জারিফা : [ স্নেহার আরেক কানে ] কিন্তু ঐদিন দেখিসনি…একটা মেয়ে করতে চায়নি তাই ওর নামে ওয়াসরুমে কি লিখেছিলো ছি!

রিদোয়ান : এই ওর কানে কানে কি বলছো?..পেছনে যাও…আর তুমি ধরো নাও…টান দাও!

[ স্নেহা কাপা কাপা হাতে সিগারেট ধরতে যাচ্ছে! ]

রিদোয়ান : কিভাবে খায় জানো তো?…[বলেই সিগারেটটা একটান দেই আর ধোয়া গুলো স্নেহার সামনে ছাড়ে… স্নেহা মুখ চেপে কাশতে থাকে..] ?খাওয়ার আগেই কাশলে কেমনি চলবে?…একটিং কম করে?চুপচাপ যেটা বলা হয়েছে সেটাই করো…নাও টান দাও।

স্নেহা সিগারেট হাতে নিলো.. মুখের সামনে নেওয়ার আগেই সিগারেট দেখে কাশছে…? চোখে পানি জমে টলমল করছে স্নেহার…

মুখ দিতে যাবে সিগারেটে ঠিক ঐসময় রাহুল উঠে এসে স্নেহার হাত থেকে সিগারেটটা কেড়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে ঘষে দেই!

স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকায়!
বাকিরা ও অবাক না হয়ে নয়! সবাই হা করে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক!

রাহুল : [ রেগে ] Stop it! guys! she is not addicted!

জারিফা : [ স্নেহার কানে এসে ] ওয়াহ! কি এন্ট্রি ছিলোরে দোস্ত!?
সবাই এখনো হা করে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক ?

রাহুল : [ সবার দিক তাকিয়ে ] Whatever! [ স্নেহার দিক তাকিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করছে যাতে চলে যায় স্নেহা তো শকড হয়ে এখনো তাকিয়েই আছে? ] Go না..?

মার্জান স্নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছে বাকিরা ও পিছে পিছে!

জারিফা : থেংক্স ?রা~~হু~~ল?

রাহুল : [ তেডি স্মাইল ?]

জারিফা : বাই?!

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] আচ্ছা শোনো!

[ স্নেহা ফিরে তাকালে বাকিরা ও তাকায় ]

রাহুল : পকেটে হাত দিয়ে আরে আমার সানগ্লাসটা কই?..এই আসিফ তুই দেখেছিস?..
[আসিফ হা করে দেখে আছে রাহুলের দিক ?] উফ! সানগ্লাসটা কোথায় রাখলাম…?

শোন আসিফ আমার সানগ্লাসটা কালকের মধ্যেই চাই বুঝেছিস?..[স্নেহার দিক তাকিয়ে ]মনে থাকে যেন… [ with tedi smile ?]

[ স্নেহা হালকা করে একটু হাসলে তা কেউ বুঝতে পারলো না….তবে যার বুঝার সে বুঝে নিলো? ]

চলবে…

♥ Love At 1st Sight ♥ Season 3 Part – 1

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 14, 2019
1

♥ Love At 1st Sight ♥
~~~Season 3~~~

Part – 1

writer-Jubaida Sobti♥

বারান্দার রিলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা… সন্ধে নেমে সূর্য ডুবে যাচ্ছে, আকাশটা লালছে রঙ ধরেছে, দক্ষিণা বাতাস বয়ে আসছে কাছে…গায়ে মোড়ানো সাদা ওড়নাটা ও উড়ছে, চুল গুলো ও আর থেমে নয়..
চোখের জলে চশমার গ্লাসটা ঝাপসা হয়ে এসেছে, দু-ফুটো জল গড়িয়ে পড়লো চোখ বেয়ে,

হঠাৎ পেছন থেকে টুকটাক শব্দ ভেসে এলো রুমে কেউ ঢুকেছে,

মা : স্নেহা!

স্নেহা : [তাড়াতাড়ি চোখ মুছে চশমাটা পড়ে নিলো ঠিক করে ] হ্যা মা বলো!

মা : এখনো প্যাকিং করিসনি আমাদের রাতের মধ্যেই বেরিয়ে যেতে হবে,তুই জানিস না!

স্নেহা : হ্যা করছি!

মা : [স্নেহার কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দেই] দেখ স্নেহা! আমি জানি তুই শহরের একটা ভালো ভার্সেটিতে পড়তে চাস! কিন্তু এই জন্য তো অনেক টাকার ও দরকার তাই না! তোর বাবার চাকরীর টাকায় সংসারটা কোনোভাবে চলতো,এখন আর চাকরীটাও নেই! তুই ডান্স ক্লাস নিয়ে যা টাকা পাস ঐ গুলাতে তোর আর রাশুর পড়ার খরচ,

স্নেহা : কিন্তু মা! আমার রেজাল্ট কলেজে ফার্স্ট এসেছে, এই কাগজে দেখো ৫০% স্কলারশিপ দিয়ে ও ভর্তি নিচ্ছে,

মা : স্নেহা! তোকে তো আমি বুঝিয়েছি!
দেখ! আমাদের এমন অবস্থা হয়েছে যে শহরের বাড়ী ভাড়া দিয়ে থাকার সামর্থ্য টাও হারিয়ে ফেলেছি!

এবার আর কথা না বাড়িয়ে গ্রামে চল! ঐখানের বাচ্চাদের ছোটখাটো টিউশন দিয়ে…

স্নেহা : ব্যাস মা!? আমি পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট এনেছি ছোটখাটো টিউশন দেওয়ার জন্য নয়!

[ মা স্নেহার দিক কিছুক্ষণ চেয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় ]

কি আর করার সবার সপ্ন কি আর পূরণ হয়! নিশ্চয় এর চেয়ে ভালো কিছু রেখেছে আল্লাহ এই ভেবে স্নেহা ব্যাগ গুছিয়ে ড্রইং রুমে আসে,

বাবা সোফায় বসে আছে, চাকরীটা যাওয়ার পর থেকে খুব চিন্তিতো ও দেখাচ্ছে,কিছু বলবে বাবাকে সেই সাহস ও নেই!
জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে নিলো, বাবার সামনে এগিয়ে দেই গ্লাসটি!

বাবা : আরে স্নেহা! এদিকে বয় তোর সাথে কথা ছিলো! [ বাবার পাশে বসলো স্নেহা ] ব্যাগ গুছিয়েছিস তো?

স্নেহা : জি! বাবা..

বাবা : এই নে ধর এটা [একটা প্যাকেট এগিয়ে দিলো ]

স্নেহা : এটা কি?

বাবা : খুলে দেখ!

স্নেহা : [প্যাকেট খুলতেই দেখে নতুন চশমার ফ্রেম ] বাবা! কি দরকার ছিলো বলোতো এসবের? এমনিতেই অনেক খরচ…

বাবা : চার বছর ধরে এই একই চশ্মা পরে যাচ্ছিস! তাই ভাবলাম যাওয়ার আগে এটা তুকে কিনে দেবো!
আরে হা করে কি দেখছিস! পর..আমাকে পরে দেখা!

স্নেহা বক্স খুলে চশমাটা পরে নিলো!

বাবা : মাশাল্লাহ!

স্নেহা : বাবা!

বাবা : হ্যাঁ বল?

স্নেহা : না কিছুনা!

[ স্নেহা উঠে রুমে চলে আসে ঘাবড়াতে থাকে কিভাবে বলবে বাবাকে সেই সাহস হচ্ছে না ]

মোবাইলটা বেজে উঠলো! ফোন হাতে নিয়ে দেখে! মার্জান,[ স্নেহার ফ্রেন্ড ]

স্নেহা : হ্যালো!

মার্জান : থ্যাংক গড! স্নেহা তুই ফোন ধরেছিস! কখন থেকে ফোন দিচ্ছিলাম! আচ্ছা বাদ দে এসব! এবার বল..তোর বাবা রাজি হয়েছে তো! তুই কখন আসছিস!

স্নেহা : আজ রাতেই বাড়ী যাচ্ছি! বাবাকে কিছু বলিনি!

মার্জান : কিহ! পাগল নাকি তুই?…বাড়ী যাচ্ছি মানে? দেখ স্নেহা আমরা আসছি আংকেল কে আমরা বুঝিয়ে বলছি!

স্নেহা : না.. না তুরা আসিস না! বাবা এমনিতেই অনেক টেনশনে! তার উপর হঠাৎ করেই বাবার চাকরী চলে গেছে! হাতে টাকা পয়সাও নেই! এই সময় বাবাকে পড়ার কথা বললে…

মার্জান : তুই পালিয়ে চলে আয়! আমরা সবাই মিলে তোর জন্য টাকার ব্যবস্থা করবো!

স্নেহা : না বাবারে! এসব পারবো না আমি!

মার্জান : ওহ! সরি! তোর দারা তো পালানোটা ও সম্ভব হবে না! তখন চিন্তায় বসবি বাবা কি ভাববে, মা কি ভাববে! কিন্তু দেখ স্নেহা এতো কিছু ভাবলে কি চলবে? তোর ও তো একটা লাইফ আছে তাই না?

হঠাৎ পেছন থেকে!

বাবা : স্নেহা!

স্নেহা : [ শকড্ হয়ে পেছনে ফিরে তাকায় ] বা..বা তুমি? [ফোন কেটে দিয়ে] কিছু লাগবে? বাবা!

বাবা : না না! কিছু লাগবে না! কার সাথে কথা বলছিস?

স্নেহা : মার্জান ছিলো বাবা!

বাবা : ওহ! আমার রুমে একটু আয়! কথা ছিলো!

স্নেহা : হ্যা বাবা! আসছি! [ তার বাবার পিছু পিছু রুমে গেলো ]

বাবা : [ একটি ব্যাগ খুলে কিছু টাকা বের করে! স্নেহার দিকে এগিয়ে আসে ] বাবা হয়ে তোর জন্য কখনো কিছু করতে পারিনি! ছোট ছোট জিনিষেই তুই খুশি হয়ে যাস! মুখ ফুটে ও কখনো কিছু চাসনি! এই টাকা গুলো তোর বিয়ের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলাম! কিন্তু এখন ভেবে দেখলাম এগুলো তোর বিয়ের জন্য না! পড়ার জন্য প্র‍য়োজন!

স্নেহা : কিন্তু বাবা!?

বাবা : চিন্তা করিস না আমি জানি তুই যা করবি সব ভেবে চিন্তে করবি! তবে শহরে একা রেখে যেতে একটা ভয় কাজ করছিলো…
পরে ভেবে দেখলাম,তুই পারবি সব মানিয়ে নিতে!

স্নেহার চোখের জল আটকিয়ে রাখতে পারলো না! আর বাবার সামনে।

রাত ১১টা বেজে ৩০ মিনিট,

স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে! স্নেহা তার পরিবারকে বিদায় দেওয়ার জন্য!

স্নেহার মা : স্নেহা খেয়াল রাখিস! শোন রাতে কেউ বাড়ী থেকে বের হবিনা! খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করিস!

রাশু : আপু! ঐ যে ভিডিও কল দিও! প্রতিদিন বুঝেছো! তাহলে আর বোঝা যাবে না! তুমি গ্রামে আমরা শহরে! ওহ সরি! আমরা গ্রামে তুমি শহরে,হাহাহা

স্নেহা : [হেসে] ঠিকাছে! বাই, ভালো থাকিস।

বাবা : ভালো থাকিস! স্নেহা আর নিজের খেয়াল রাখিস!

স্নেহা : ঠিকাছে বাবা! তুমিও ভালো থেকো…ঠিক মতো ঔষধ নিও কিন্তু!

বাবা : ঠিকাছে! আর তোর ফ্রেন্ডসরা কই? তুকে নিতে আসবে না?

স্নেহা : হ্যা বাবা! আসছে ওরা ফোন দিয়েছে রাস্তায় আছে!

ট্রেন ছুটছে, স্নেহা চেয়ে আছে,….জীবনের প্রথম ধাপ পাড়ি দিয়ে স্নেহার ২য় ধাপ শুরু…না জানি কি অপেক্ষা করছে স্নেহার ২য় ধাপে…

মোবাইলে টাইম দেখলে ১টা বেজে ১০ মিনিট হয়ে গেলো, এখনো নিতে আসলো না স্নেহাকে!

স্নেহা : হ্যালো মার্জান! কোথায় তোরা?..আমি একা কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি! আশেপাশে অনেকটা খালি খালি ও হয়ে গেছে!আমার খুব ভয় করছে…

মার্জান : সরি স্নেহা আসলে না যে টেক্সিটা নিয়ে আসছিলাম ঐটা অর্ধেকে খারাপ হয়ে যায় তাই আরেকটা নিতে হলো…আর বেশিক্ষণ লাগবে না ব্যাস চলেই এলাম!

স্নেহা : ঠিকাছে আয়!

রাত বাড়ছে তো শীত বাড়ছে! চশমার গ্লাস ও ঝাপসা হয়ে আসছে কুয়াশায় তাই ব্যাগ খুলে সুইটার টা পড়ে নিলো স্নেহা! আশেপাশে সব অপরিচিত মানুষ ভয় ভয় লাগছে অনেক…কারণ একা কখনো কোথাও যাওয়া হয়নি!…
লোকাল ট্রেন এসে থেমেছে সামান্য যাত্রী ছিলো…তারা নামছে, ৫মিনিট পরেই ট্রেনটা আবার চলে যাবে…

পাশ ফিরতেই স্নেহা দূর থেকে মার্জান এবং তার বাকি ফ্রেন্ডসদের দেখতে পাই! মন থেকে ভয়টাও চলে গেলো তাদের দেখে।অনেকদিন পরেই দেখা তাদের সাথে…
খুশিতে বসা থেকে উঠে…সোজা তাদের দিক দৌড়াতে লাগলো…

হঠাৎ♥ সজোরে এক ধাক্কা লেগে কারো সাথে পড়েই যাচ্ছিলো স্নেহা!.. কিন্তু পড়লো না! হাতের মুঠোই হাত চেপে ধরে ফেললো কেউ…

ভয়ে স্নেহা চোখ বটে ফেলে…♥

– আর ইউ ওকে?

স্নেহা চোখ খুলে যা দেখতে পাই…
সামনের কিছু চুল খাড়া কিছু চুল কপালে বসানো…মুখে খোচা খোচা দাড়ি…কালো জ্যাকেট পড়া, পেছনে কালো গিটার ব্যাগ… সবথেকে আশ্চর্য বিষয় হলো এতো রাতে কালো সানগ্লাস পড়ে আছে…

হঠাৎ স্নেহার ধরে রাখা হাতটি টান দেই এবং স্নেহা তার বুকের কাছে এসে পড়ে!

– Opps! সরি! আসলে জিম করে আসছি তো তাই হাত ব্যাথা করছে! So বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না!

স্নেহা ঘাবড়ে গিয়ে এক ধাক্ষায় তাকে সরিয়ে…কিছুক্ষণ চেয়ে নেই….কে এই ছেলে পা পিছাতে পিছাতে…আবার ও দৌড় দেই!

পেছন থেকে চেঁচিয়ে আওয়াজ আসে~~

[ ও হ্যালো একটা থেংকস্ ও দিলানা ]

মার্জান : হেই স্নেহা! [ বলেই শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে রাখে স্নেহাকে] কি ব্যাপার বলতো! ঠিকাছিস তো?

স্নেহা : হ্যা ঠিকাছি!

জারিফা : [ ঝড়িয়ে ধরে ]কেমনি ঠিক থাকবে..আমার জান! কত্তোদিন পরে দেখা…

শায়লা : আরে স্নেহা তোর ব্যাগ কোথায়?…

স্নেহা : আরে হ্যা আমিতো ব্যাগ ঐদিকে ফেলে এসেছি! এক-মিনিট দাড়া আমি এক্ষুনি আনছি!

স্নেহা দৌড়ে যাচ্ছিলো ব্যাগ আনতে হঠাৎ সামনে চোখ যেতেই দেখে ঐ কালো জ্যাকেট ওয়ালা…

স্নেহা : [ মনে মনে ] আরে বাপরে! এইতো এখনো আছে!?

মার্জান : স্নেহা কি হলো দাঁড়িয়ে পড়লি যে! তাড়াতাড়ি নিয়ে আয়! তখন কেউ চুরি করে ফেলবে!

স্নেহা : হ্যা! হ্যা!

মার্জান : কি হ্যা হ্যা! করে তাকিয়ে আছিস! কি হয়েছে তোর ঠিকাছিস তো?…

জারিফা : [স্নেহার কাধে হাত রেখে] বল স্নেহা? কি হয়েছে! হেই! এক সেকেন্ড কোনো হিরো টিরোর সাথে টপকে যাসনি তো?..যেমনকি বুকটা ধুপধুপ ধুপধুপ করছে?

স্নেহা : আরে! না না..তেমন কিছু না!

জারিফা : Obviously না হওয়ারই কথা… চোখে যে পাওয়ারি চশমা লাগিয়েছিস আন্টি ছাড়া কিছু ভাববেই না তোকে….হাহাহা

মার্জান : এই নটাংকি! দুই মিনিটের জন্য তোর মুখটা বন্ধ রাখবি…

জারিফা : ওকেই!

মার্জান : স্নেহা তুই দাড়া আমি ব্যাগটা নিয়ে আনছি!
[ ব্যাগ নিয়ে এসে…] চল এইবার!

স্নেহার ফ্রেন্ডসরা মিলে একটি ফ্লাট ভাড়া করেই থাকে!… এতে আছে একটি বড় ব্যাড রুম, একটি ড্রইং রুম,একটি কিচেন…আর সাথে আছে একটি বাথরুম যেটা নিয়ে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন লড়াই হতে থাকে কে আগে ফ্রেশ হতে যাবে!

পরদিন সকালে,

কম্বল থেকে মাথা তুলে উঠে বসে স্নেহা! টেবিল থেকে চশমাটা নিয়ে পড়ে নিলো, ড্রয়ার খুলে খাতা বের করে লিখতে লাগলো আর হিসাব করতে লাগলো …

পেছন থেকে,

জারিফা : [ঘুম চোখে] ওহ! ব্রিলিয়ান্ট! এতো সকাল সকাল পড়তে বসে গেলি!… আহ! আল্লহ যদি আমাকে ও একটু পড়ার জন্য মন দিতো!

[স্নেহা জারিফার দিকে একটু তাকিয়ে মুচকি হেসে আবার লিখতে থাকে]

মার্জান : [ মুখ থেকে কম্বল সরিয়ে ] স্নেহা! জানেমান! প্লিজ! তোর পড়া হলে ব্রেকফাস্টটা একটু বানিয়ে দিস!

শায়লা : [ ঘুম চোখে ] ইউ! চিটার মার্জান!.. আজকে তোর পালা ছিলো ব্রেকফাস্ট বানানোর!

মার্জান : চুপচাপ! ঘুম যা..আমি তোকে বলেছি নাকি? স্নেহাকে বলেছি..

শায়লা : কিন্তু এটা তো চিটিং!

স্নেহা : উফ গার্লস! তোরা ঘুমের ভেতর ও ঝগড়া করবি?…আজ থেকে ব্রেকফাস্ট প্রতিদিনই আমি বানাবো.. হ্যাপি?…

জারিফা : হাউ সুইট! স্নেহা বেবি! তুমি এত্তো কিউট কেনো!

শায়লা : ইয়া আল্লাহ! সবাই যেন স্নেহার মতো একটা দোস্ত পায়! আমিন..

মার্জান : [ উঠে বসে ] মোটেও না! স্নেহা আমার ফ্রেন্ড! আমার ফ্রেন্ড মানে..আনোখি! যেমন হীরার টুকরা! কমন কেনো হবে! হে আল্লাহ নট আমিন ওকে! তুমি দোয়াটা কবুল করোনা!

শায়লা আর জারিফা উঠে মার্জান এর পাশে এসে বসে…

মার্জান : [ অবাক হয়ে ]তোদের আবার কি হলো!

শায়লা : তুই তো এখন বললি! আমার ফ্রেন্ড মানে আনোখি যেমন হীরার টুকরা! ভাবতে গেলে আমরা ও তোর ফ্রেন্ড…মানে আমরা ও আনোখি….হিহিহি?[ জারিফা আর শায়লা দুজনই শক্ত করে মার্জানকে ঝড়িয়ে ধরে ]

জারিফা : অই চাশমিশ তুই আবার দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?…Come on join us! [ স্নেহা ও হেসে জয়েন করলো ]

স্নেহা : ওকে! আমি ফ্রেশ হয়ে নাশতা বানাচ্ছি তোরা ও কিছুক্ষণ পরে উঠে ফ্রেশ হয়ে নে….

স্নেহা কিচেনে গিয়ে নাশতা বানাচ্ছে আর তাদের চেঁচামেচি শুনছে কে আগে ওয়াশরুমে যাবে! মনেমনে ভাবতে লাগলো আর হাসতে লাগলো মেয়েগুলো দিন দিন বড় হচ্ছে নাকি ছোট হচ্ছে!

[~~~জারিফা, সেই ক্লাস ফাইভ থেকে আজ পর্যন্ত হ্যান্ডসাম ছেলেদের উপরই ক্রাশ খেয়ে আসছে…ক্রাশ খাওয়াটা যেন ওর একটা নেশা একটু চঞ্চল সবদিক থেকে…একটু বললে ভুল হবে! অনেকটাই চঞ্চল তবে…মনটা অনেক সরল,

শায়লা, সাদাসিধে অনেকটা.. কষ্ট করেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে! প্রেমে ব্যর্থ হয়েছে দু বছর আগে, রায়হান নামের একটি ছেলের সাথে…মাঝে মাঝে ওর কথা মনে পড়লে এখনো লুকিয়ে কাধে তবে তা কাউকে বুঝতে দেই না!

মার্জান, স্কুল লাইফে সবার আগে তার সাথেই বন্ধুত্ব হয়! একদম Straight forward Girl, স্কুল/কলেজে কোনো ছেলেই স্নেহার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারতো.. না..এক ট্রেডে তাদের চৌদ্দ গুষ্ঠির নাম ভুলিয়ে দিতো…. প্রেম ভালোবাসা এসবে ওর সুতার পরিমাণ ও ইন্ট্রেষ্ট নেই..~~~]

স্নেহা : [টেবিলে নাশতা দিয়ে!] গার্লস নাশতা রেডি!

জারিফা : ওয়াও কি খুশবো! স্নেহা অনেকদিন পর তোর হাতের খাবার খাচ্ছি! লাষ্ট কবে খেয়েছিলাম যেন?…

শায়লা : স্নেহার বাসায়!

জারিফা : ইয়াহ!

মার্জান : মেয়ে যেমন মিষ্টি তার হাতের রান্না ও তেমন মিষ্টি হবে…ওকে! এর আগে ও অনেক তারিফ করেছিস ওর খাবারের… এবার চুপচাপ খা আর আমাকে ও খেতে দে! না হয় ভার্সেটিতে লেইট হয়ে যাবো!

জারিফা : বাই দ্যা ওয়ে! আজকে স্নেহার ফাষ্ট ডে.. So কিছু তো স্পেশাল হতে হবে তাই না!

শায়লা : হ্যা একটা ছাগল কিনে! জবাই করে মিস্কিন খাইয়ে দে…হাহা

মার্জান : ক্যারেক্ট ?

জারিফা : যা হওয়ার হবে আমিতো আজ ক্লাস করবো না!

শায়লা : কেনো?…

জারিফা : কেনো আবার কি?…স্নেহা ফর্ম জমা দিবে আজ শুধু! যদি ও ক্লাস করে কাল থেকে করতে পারবে! তো আমরা সবাই ক্লাস করলে স্নেহা একা বসে থাকবে নাকি?…তোরা ক্লাস করবি আর আমি স্নেহাকে পুরো ভার্সেটি ঘুরে দেখাবো..

মার্জান : [খেতে খেতে] আমরা জানি তোর ধান্ধা কি.. পুরো ভার্সেটি ঘুরা মানে সুন্দর সুন্দর ছেলে দেখা…

স্নেহা : সাইলেন্ট গার্লস! আবার ঝগড়া শুরু করে দিস না! খাওয়া হলে সবাই তৈরী হয়ে নে! ওকে…. [ স্নেহা উঠে যায় ]

সবশেষে ভার্সেটির উদ্দেশ্যে রওনা হলো!
গেইট দিয়ে ঢুকতেই স্নেহা অন্যরকম অনুভব করছে! অনেক সপ্ন দেখেছিলো এই ভার্সেটিতে পড়বে! আজ সেই সপ্ন পূরণ হতে চলছে [ দীর্ঘশা্স ফেলে মনে মনে] থেংক্স বাবা!

শায়লা : স্নেহা সাইড দে! পেছনে গাড়ী আসছে!

মার্জান : আসছে… বাড়ে বাপকি বিঘড়ি হুই ওলাদ!? এমন ভাবে গাড়ী নিয়ে এন্ট্রি করবে যেন পুরো ভার্সেটি তার বাপের রাজত্ব ?

জারিফা : বাই দ্যা! ওয়ে ওর বাপের রাজত্বই কিন্তু চলে এইখানে… তাই না…?

মার্জান : তুই চুপ কর! ছেলে দেখলেই…তারিফ ছাড়া থাকা যায় না তোর!

জারিফা : সব ছেলে না! রাহুলের মতো হলে একটু তারিফ করি আরকি!

মার্জান : এই যে সুন্দর দিয়ে কি হবে! যার চরিত্র ঠিক নেই! সারাদিনই দেখি মেয়েদের সাথে ইয়াক!

জারিফা : সো্ হট ইয়ার?

শায়লা : বাট! আমার খুব ঠান্ডা লাগছে! এবার ভেতরে যাওয়া যাক! ম্যাম!

জারিফা : Sure! নো প্রবলেম!

সবাই হেসে উঠে জারিফার কান্ড দেখে!

মার্জান : এই স্নেহা ফর্ম নিয়েছিস তো!

স্নেহা : হ্যা নিয়েছি!

মার্জান : তারপর ও একবার চেক করে দেখ!

স্নেহা ব্যাগ খুলে ফর্মের কাগজটা বের করতেই…বাতসে কাগজটা উড়ে যায়!
স্নেহা ও দৌড়ে কাগজ নিতে যাবে অই সময় কাগজের উপর গাড়ির চাকা এসে পড়ে!

স্নেহা কপাল কুচকে দাঁড়িয়ে যায়!

গাড়ীর গ্লাস নামতে থাকলো! আবারো সেই খাড়া – বসা চুল…চোখে কালো সানগ্লাস, ঠোটের কোণে হাসি ফুটে আছে!
দরজা খুলে বেরিয়ে এলো!

– হেইই ইউ! ?

মার্জান : [ এগিয়ে এসে ] হ্যালো এক্সকিউজমি! মিষ্টার রা—হুল? স্যার আপনার গাড়ীটা একটু পেছনে দেন! ওর এডমিটফর্ম আপনার চাকার নিচে পড়ে আছে!

রাহুল : ওহ শিট! ওয়েট ওয়েট! [ রাহুল তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে গাড়ি ব্যাক দেই!

[ স্নেহা দৌড়ে গিয়ে কাগজটা তুলে নেই! চোখে পানি টলমল করছে কাগজের অবস্থা দেখে]

মার্জান : ওহ গড! রাব্বিশ! খাডুসটা সব শেষ করে দিয়েছে! কাগজে তো দাগ পড়ে গেছে! এখন কি হবে?… আরে তুই কাঁদছিস কেনো…ম্যানেজ হয়ে যাবে! ওকে ডোন্ট ওয়ারী!

[ রাহুল গাড়ী থেকে নেমে এসে ]

রাহুল : Alright guys?

মার্জান : সব নষ্ট করে আবার অলরাইট কিনা জিজ্ঞেস করাটা ঠিক এমনি! পেট পুরিয়ে খাইয়ে পেটের মধ্যে লাত্তি মারা! এনিওয়ে চল স্নেহা! কিছু না কিছু ব্যবস্থা হয়ে যাবে!

মার্জান স্নেহাকে নিয়ে চলে যায়! রাহুল তাকিয়ে আছে!?

পেছন থেকে,

আসিফ : [ রাহুলের বেষ্ট ফ্রেন্ড! ] কিরে দোস্ত কি দেখছিস!

রাহুল : স্নেহা!?

আসিফ : নতুন নাকি! দোস্ত দেখতে কেমন!?

রাহুল : বিউটিফুল ?

আসিফ : ওওওহ!?

রাহুল : বাই দ্যা ওয়ে! আমি তুকে কেনো বলছি বলতো!

আসিফ : আমাকে না বলে কাকে বলবি নটি বয়…হাহা আচ্ছা শোন গিটার এনেছিস তো? আরো অনেক হট হট হলের মধ্যে অপেক্ষা করছে! কিন্তু ?

রাহুল : কেন্সেল দোস্ত! আজ হবে না… আমার! দেখতে হবে মেয়েটা কোন ইয়ার এর! [ রাহুল চলে যাচ্ছিলো ]

আসিফ : [রাহুলকে টেনে ধরে ] আরে ওটা বের করতে দু মিনিট লাগবে না! নাম জানিস তো ব্যাস! হয়ে যাবে! চলতো [ রাহুলকে টেনে নিয়ে চলে যায় আসিফ ]

হলে ঢুকতেই সবাই চেঁচিয়ে উঠে,

আসিফ : Guys! our star is here… ?r u ready?

রাহুল : Shut up! I m not star ok?..

আসিফ : জোকস্ টা ভালো ছিলো? তাই প্রতিদিন হলে এতো ভীর জমে!

রাহুল : হাহা! ওকে শুরু করা যাক…

আসিফ : Sure!

রাহুল গিটার হাতে নিয়ে চেয়ারে বসলো!

আসিফ : [রাহুলের কানের কাছে] কি ব্যাপার বলতো তুই আজ ব্লাশিং কেনো হচ্ছিস?..কারো প্রেমে ট্রেমে পড়িসনি তো? Obviously রাহুল যেদিন প্রেমে পড়বে ঐদিন হয়তো দিনে অনেক তারা দেখা যাবে…

রাহুল : [ নিচের দিক তাকিয়ে একটু মুচকি হাসলো! ] হয়তো দেখা গেছে!…

আসিফ : রিয়েলি বস্ ?

রাহুল : ফার্স্ট ? স্টেশনে দেখেছি! মনে আছে…গতকাল রাতে অই যে লোকাল ট্রেন! আমি আসতে চাচ্ছিলাম না তুই?

আসিফ : হুম হুম! আমি জোড় করে আনিয়েছি! ইউ নো হোয়াট লোকাল ট্রেন নন্ এসি্ থাকে… নন্ এসিতে আমাদের রাহুলের এলার্জি…. তারপর ও বন্ধুর খাতিরে আসা…এবং সেই খাতিরে মনের মানুষ পেয়ে যাওয়া!? এম আই রাইট!

রাহুল : You know! আমার সাথে যে দু-বারই দেখা হয়েছে দুনোবারই সে দৌড়াচ্ছিল! আর আমি হ্যা করে দেখেছিলাম!…She is Amazing ইয়ার?

আসিফ : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে ] লেডিস! এন্ড জেন্টলম্যান! Today’s song is very special because… [একটু কনফিউজড হয়ে] because something special ইয়ার! ?

আসিফের কান্ড দেখে রাহুল হাসতে থাকে!

আসিফ : দোস্ত শুরু কর?

রাহুল : [?? গিটার বাজাতে বাজাতে তার চোখ বন্ধ করলো কেউ একজন দৌড়ে আসছে রাহুল হ্যা করে চেয়ে আছে ভাবতে লাগলো ]

?কিসি্ খুবসুরাত্ পারী্ যেসি্ হোগী ♪

~মুঝে কিয়া্ পাতা্ দিলরুবা কেসি্ হোগী♪

সো্চতা্ হু তুঝে্ ♪

চাহতা্ হু তুঝে ♪

দিল্ মেরা্ ♪

কেহরাহা্ ♪

সারে্ ফা্সলে্ মিটা্না্ ♪

ওহ্ ওহ্ জানে জা~না্

ঢুনডে্ তুঝে দিওয়ানা্

সা্পনোমে রোজে্ আ~য়ে্

আহ্ জিন্দেগী্মে আনা্ সানাম্ ???

….

চলবে….

♥Love At 1st Sight $2 part – 17 [ Last part ]

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
4

♥Love At 1st Sight $2

part – 17 [ Last part ]

writer-Jubaida Sobti♥

মার্জান : [নেহার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে হাত তালি দিতে দিতে] ওয়াও! কি সুন্দর জুটি দারুণ মানিয়েছে তাই না..☺ আসলেই রাহুল আর স্নেহার জুটি উপর থেকেই সেট করা!

[নেহা রাগান্বিত ভাবে মার্জানের দিক তাকায়?]

মার্জান : অন্য কেউ দখলবাজি করেও কোনো লাভ হয়নি তাই না..?? কি যেন নাম তোমার?…ও হ্যা! নেহা! রাইট?

নেহা : Stupid ? [ রেগে অন্যদিক চলে যায় নেহা মার্জান হাসতে থাকে ]

রাহুল স্নেহাকে নিয়ে ডান্স ফ্লোর থেকে নেমে আসে…সবাই তাদের Congreats জানাচ্ছে!

আসিফ : আরে রাহুল! দোস্ত আজ তো আমার বার্থডেটা স্পেশাল বানিয়ে দিলি…

মার্জান : [এগিয়ে এসে] Congratulation Mr. & Mrs. Rahul ☺☺

রাহুল : থেংক ইউ!?

মার্জান : প্রপোজটা কি দারুণ ছিলো.. ওয়াও! আমাকে যদি কেউ এভাবে প্রপোজ করতো না…☺

আসিফ : Don’t worry মে হু না…

মার্জান : Excuse me!?

আসিফ : না মানে! বলছিলাম যে! শাহরুখ খানের মে হু না…ফ্লিমটা দেখেছো?.. ?

মার্জান : No! i m not sharukh fan! আমরা সালমান খানের ফ্যান…তাই না স্নেহা?

স্নেহা : ..ইয়াহ!?

আসিফ : মুজসে্ শাদি কারোগি?..?

সবাই অবাক হয়ে আসিফের দিক তাকায়?

আসিফ : আরে! Cool ? সালমান খানের ফ্লিমের কথা বলছি! এটা নিশ্চয় দেখেছো?…

[ এবার সবাই একসাথে হেসে দিলো? ]

মার্জান : ওকে guys!? অনেক হয়েছে আজ আর নয়! এবার যায় আমি! স্নেহা কাল দেখা হচ্ছে ওকে?..

স্নেহা : [মার্জানকে ঝড়িয়ে] ওকে! বাই..সাবধানে যাস!

মার্জান : বাই! জিজা জি!? বাই জিজা কি দোস্ত!

রাহুল : ড্রপ করেদি! একা কিভাবে যাবা!?

মার্জান : No it’s ok! আমি যেতে পারবো Don’t worry?

আসিফ : আরে! আমিওতো একই রাস্তা দিয়ে যাবো… দেখ রাহুল তোরা এতোকষ্টে আজ আবার এক হয়েছিস! কতো কথা আছে তোদের… যাহ তোরা দুজন একসাথে যা মার্জানকে আমি ড্রপ করে দিচ্ছি!

মার্জান : it’s ok no problem আমি!

স্নেহা : আরে! No problem কেনো ও বলছে না ও একই রাস্তা দিয়েই যাবে…তো প্রবলেমটা কি?..

আসিফ : ক্যারেক্ট স্নেহা!?

স্নেহা : [আসিফের দিক এগিয়ে ফিসফিস করে] ? কিয়া কারু হায়ে! কুচ্ কুচ্ হতা হে?

[আসিফ লজ্জা পেয়ে যায়! রাহুল আর স্নেহা হেসে দেই?]

স্নেহা : হে না?..হুম হুম?..ইশ! কি লজ্জা!

মার্জান : [স্নেহাকে চিমটি দিয়ে] এই ফাযিল মেয়ে…কি বলছিস্ এসব?..

স্নেহা : কিছুনা! তুই বুঝবি না এসব!?আচ্ছা ঠিকাছে ঠিকাছে এবার বাই..ওকে!

[ রাহুল আর স্নেহা পার্কিং এর দিক রওনা দিচ্ছিলো..ইতিমধ্যেই অনেক ফ্রেন্ডস দাড় করিয়ে করিয়ে Congreats জানাচ্ছে..]

[হঠাৎ, পেছন থেকে নেহা জোড়ে তালি দিয়ে দিয়ে এগিয়ে আসে, রাহুল স্নেহা দুজনেই ফিরে তাকাই]

নেহা : ওয়াও…Congratulations..

রাহুল : থেংক ইউ!

নেহা : ফাইনালি এই চাম্বুস আন্টিকেই বেছে নিলে!

রাহুল : Shut-up নেহা!

নেহা : হ্যা! তাইতো এখন তো আমাকেই চুপ করতে বলবে! দেখো রাহুল! আমি বলে দিচ্ছি…এসব মেয়েদের আমি হারে হারে চিনি! এরা তোমার মতো ছেলেদের ফুসিয়ে ফাসিয়ে..

স্নেহা : [নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে] আই একদম চুপ!? আমার কাপড়টা তুই ছিড়েছিলি তাইনা?..

নেহা : what!

স্নেহা : কোনো চালাকি না?..আমি জানি তুই করেছিলি… তো কি লাভ হয়েছে?..বল…রাহুলকে পেয়েছিস?..

নেহা : [রেগে unfortunately স্নেহাকে থাপ্পড় দিতে যাবে…হঠাৎ রাহুল নেহার হাত ধরে ফেলে..স্নেহা রাহুলের দিক তাকিয়ে থাকে! ]

রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে]? স্নেহাকে থাপ্পড় মারা তো দূরের কথা… হাত লাগানোর পারমিশন ও আমি কাউকে দেইনি… [ ঝাড়ি দিয়ে নেহার হাত ছুড়ে ফেলে রাহুল ]

নেহা : রাহুল Listen to me!?কি আছে ওর?…গাইয়া মেয়ে একটা…তুমি ওর জন্য আমাকে..

রাহুল : ওকে! ওকে! নেহা একটা প্রশ্নের জবাব দাও! মানলাম তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো আমিও! আমার বাড়িতে এটা মেনে নিচ্ছে না…তাই আমি বাড়ী ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসলাম…তখন তুমি কি করবা?..

নেহা : বাড়ী ছেড়ে কেনো চলে আসবা…?তুমি ওদের বুঝিয়ে বলবা…ওখানে তো তোমার ও হক আছে..তাই না..

রাহুল : হা হা? জানতাম এমনি কিছু আনস্যার দিবা… ওকে স্নেহা Now ur trun…আমিও সেইম সব ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসলাম তখন তুমি কি করবা?..

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ঝড়িয়ে ধরে] তখন আমরা দুজন মিলে গাছ তলায় বাস করবো… ☺

রাহুল : কি যেন বললে! নেহা কি আছে এই মেয়ের তাই না?… কিছু নেই এই মেয়ের কিন্তু এই গুনটি আছে…১০০% পিউর..

চলো স্নেহা! [ রাহুল চলে যাচ্ছে স্নেহা ও চলে যাচ্ছিলো কিন্তু নেহার পাশে গিয়ে একটু থেমে যায়]

স্নেহা : একটা পুরা পুরা গন্ধ আসছে না?..

[ নেহা রাগান্বিতভাবে স্নেহার দিক তাকায়?]

স্নেহা : ও হ্যা! আমার মনে হয় কেউ একজন ঝলছে্ ?

হঠাৎ,

রাহুল : [চেঁচিয়ে…] স্নেহা!

স্নেহা : বাই, মিস্ ইউনিভার্স.. ?
[ নেহাকে রাগিয়ে স্নেহা রাহুলের কাছে চলে আসে]

রাহুল : তোমাকে বলেছিলামনা চলে আসতে আবার কি করছিলা…

স্নেহা : আরেহ! ওকে একটু বাজিয়ে দেখছিলাম..?

রাহুল : হয়েছে বাজানো?.. এবার কি গাড়ীতে উঠবেন..

স্নেহা : হিহি! Yes yes…?

দুজনেই..গাড়ীতে উঠে পড়ে…স্নেহা গুনগুনিয়ে গান করছে…

স্নেহা : আচ্ছা শুনো…

রাহুল : হুম বলো!

স্নেহা : না থাক কিছুনা..

রাহুল : তোমার ড্রামার আর শেষ নেই…

স্নেহা : ??হা হা হা…

[ অবশেষে বাড়ী এসে পৌছালো…]

রাহুল : তুমি নেমে ভেতরে যাও…আমি গাড়ী পার্ক করে আসছি..

[ স্নেহা খুশি খুশি নেমে ঘরে ঢুকছে…দেখে দরজা আগে থেকেই খোলা…যে না পা বাড়াবে…ঐ মুহূর্তেই স্নেহা শকড হয়ে দাঁড়িয়ে যায়…?…পা আর সামনে বাড়াতে পারছে না…ভয়ে স্নেহা পা পিছিয়ে নেই…ধীরেধীরে পেছাতে লাগলো স্নেহা..হঠাৎ কারো সাথে ধাক্ষা খেলো… তাড়াতাড়ি ফিরে তাকিয়ে দেখে রাহুল..]

রাহুল : কি হলো স্নেহা! এখনো ঢুকোনি?..আর এভাবে পেছন হয়ে হাটছো কেনো…

[স্নেহার চোখ ভিজে গেলো পানিতে…]

রাহুল : What happen ?…আরে..কাদছো কেনো?

স্নেহা : রাহুল!? বাবা!

রাহুল : বাবা! কোথায় বাবা?..?

স্নেহা : ভেতরে?…

রাহুল : তো কি হয়েছে চলো! [ রাহুল স্নেহার হাত ধরে এগুতে লাগলো কিন্তু স্নেহা থমকে দাঁড়িয়ে রইলো ]

স্নেহা : রাহুল আমার অনেক ভয় করছে?…

রাহুল : [রেগে] ?ভয় করছে মানে?..আজিব! কি করবে তোমার বাবা..? শুনো তোমার বাবা আমার একটা চুল ও বাকা করতে পারবে না বুঝলে.. So come with me!

স্নেহা : মানে! কি করবা বাবাকে?..?

রাহুল : তোমার বাবা! মানে আমার বাবার মতো! কিছুই করবো না…?

স্নেহা : রাহুল! চলো আমরা এইখান থেকে এখন পালিয়ে যায়! বাবা চলে গেলে তারপর না হয় ফিরবো!

রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে] Just! Shut-up স্নেহা!

[স্নেহা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায় আবার কেঁদে দেই!?]

রাহুল : স্নেহা! তোমার মোটেও ভয় পেতে হবে না…আমি আছিতো? [ রাহুল স্নেহাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে ঘরে ঢুকে স্নেহা ভয়ে রাহুলের হাত ধরে গুটিমুটি হয়ে আছে….স্নেহার বাবা বসা থেকে উঠে স্নেহার সামনে এসে দাঁড়ায়!]

বাবা : ছোট থেকে এই হাতে পেলে..বড় করেছিলাম তুকে! আজকের এইদিনটা দেখানোর জন্যে?…পালানোর আগে..এই হতভাগা বাবার কথা একটিবার ও তোর মনে পড়েনি?…

স্নেহা : সরি! বাবা?

বাবা : সরি?..এটা বললেই সব ঠিক হয়ে যাবে?..হুম?..
লেখাপড়া করতে চেয়েছিস তাও করালাম… শহরে এসে ভার্সেটি পড়বি বলেছিলি…সেটাও মেনে নিলাম.. কেনো স্নেহা বল?..আজকের এইদিন গুলো দেখানোর জন্যে?…

[ স্নেহা বাবা বলে এগিয়ে গেলো আর স্নেহার বাবা তাকে একটি চড় বসিয়ে দিলো ]

বাবা : খবরদার আমাকে আর বাবা বলবি না!

[ হঠাৎ কিছু কাচ ভাংগার বিকট শব্দ… ফিরে তাকালে দেখে…টেবিল ল্যাম্পটি রাহুল হাত দিয়ে বাড়ি মারে…আর রাহুলের হাত থেকে…গড়গড় করে রক্ত ঝড়ছে]

দাদী : [ চিৎকার করে ] ? রাহুল!

[ রাহুল রক্তাক্ত হাত মুঠি বেধে রাগান্বিত ভাবে স্নেহাকে পিছে ঠেলে স্নেহার বাবার দিক এগিয়ে আসে ]

রাহুল : ?আমিই স্নেহাকে প্রথম দেখেছি..আমিই প্রথম ওর প্রেমে পড়েছি! যা! হয়েছে তাতে স্নেহার কোনো দোষ নেই! মারতে হলে আমাকে মারুন..কিন্তু স্নেহার গায়ে আর একটাও টুকা লাগাবেন না..

[স্নেহার বাবা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো ?]

বাবা : কিসের এতো বড়াই! হুম?.. আর আমি যদি বলি আমি তোমার সাথে স্নেহাকে বিয়ে দেবো না…তাহলে? বলো..কি করবে?.. মারবে আমায়!

রাহুল : না আংকেল! মারবো না! আমার বাবা নেই…আমি আপনাকে তার মতোই রেসপেক্ট করি! কিন্তু আমি বেচে থাকতে স্নেহা অন্যকারো হবে তা আমি কখনো সজ্য করতে পারবো না…তাই নিজেকে…[ টেবিল থেকে ফুলের টপটি নিয়ে নিজ হাতে আবার বাড়ি মারলো রাহুল ] কষ্ট দিয়ে শেষ করে দিবো ?

[স্নেহা রাহুল বলে চেঁচিয়ে তার হাত এগিয়ে নিলো! গড়গড় করে রক্ত ঝড়ছে রাহুলের হাত থেকে! ]

স্নেহা : কি করছো কি রাহুল? পাগল নাকি?…আমি জানি তুমি বাবার গায়ে হাত তুলতে পারছো না তাই নিজেকে ক্ষতি করছো..? কিন্তু তুমি জানো না…তোমার কষ্ট মানে আমার কষ্ট!

[স্নেহা তার বাবার সামনে গিয়ে মাটিতে বসে কান্নায় ভেঙে পড়ে ]

স্নেহা : বাবা!? আমি তোমার কাছ থেকে আর কখনো কিছুই চাইবো না…প্লিজ বাবা আমি রাহুলকে তোমার কাছ থেকে ভিক্ষা চাইছি?

[স্নেহার এমন আচরণে কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না?]

বাবা : [স্নেহাকে তুলে ধরে] আমিতো অনেক আগেই মেনে নিয়েছি পাগলী… শুধু একটু রাগ করেছিলাম..একটাবার ও আমাকে বলে দেখলিনা! যেদিন গ্রামে রাহুল তোর হাত ধরে টেনে আনছিলো ঐদিনই আমি বুঝে নিয়েছি তোদের মাঝে কিছু আছে…আমি ভেবেছিলাম তুই নিজ মুখে আমাকে বলবি! কিন্তু তা করিসনি….ফাঁকি দিয়ে চলে এলি!

[স্নেহা ফুফিয়ে কেঁদে ?তার বাবাকে ঝড়িয়ে ধরে]

বাবা : রাহুলের মতো জীবন সঙী আর কোথাও পাবোনা তোর জন্য! যে ছেলে তোর গালে চড় মেরেছি বলে নিজের শরীরের রক্ত ঝড়াচ্ছে…এর চেয়ে ভালো ছেলে আর কোথায় পাবো বল?

[ স্নেহাকে সরিয়ে রাহুলের দিক এগিয়ে যায় স্নেহার বাবা ]

বাবা : দুদিন পরেই বিয়ের তারিখ ঠিক করেছি..তোমার দাদী আর আমি! অপেক্ষায় থাকবে স্নেহা বউ বেশে…তোমার বরাতির ?

রাহুলের চোখ ভিজে আসলো হঠাৎ! জানে না সে…কেনো ভিজছে! তবে এইটুকু জানে! দুদিন পর স্নেহা চিরজীবন এর জন্য রাহুলের হয়ে যাবে!

[স্নেহার বাবা রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে..রাহুল অবাক হয়ে যায়..]

বাবা : [ কেঁদে ] স্নেহা আমার খুব আদরের মেয়ে..অনেক কষ্টে তাকে পাওয়া.. মা হারানো মেয়েটি..কখনো মায়ের সুখ অনুভব করেতে পারেনি! আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছি তার সব আবদার পূরণের…আমি সব শুনেছি আমার অমতে স্নেহাকে…অনেক কষ্ট দেওয়া হতো…তাই একটাই প্রার্থনা করতাম সবসময় তার জীবনে এমন একজন সঙী দেক…যে তাকে আমার চেয়ে ও বেশি ভালোবাসবে…[ চোখ মুছে দাঁড়িয়ে হেসে..] আজ আমি সার্থক তোমার মতো একজন ছেলে পেয়ে..

রাহুল : Don’t worry আংকেল!

স্নেহা : [এগিয়ে এসে ] আরে! আংকেল মানে! এখন তো বাবা বলতে পারো…

[সবাই হেসে দেই…?]

দাদী : [এগিয়ে এসে] একদম চিন্তা করবেন না…স্নেহা এইবাড়ির বউ না..এই বাড়ির মেয়ে হয়ে আসবে!? তাই না স্নেহা?

স্নেহার বাবা : আচ্ছা স্নেহা চল! এইবার, অনেক কাজ পড়ে আছে! তোর আর মিলি দুজনের বিয়ের আয়োজন একসাথে…তার মানে বুঝতে পারছিস কতো কাজ! যা ব্যাগ নিয়ে আয়!

[ স্নেহা ব্যাগ আনতে চলে যায় রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে থাকে…? ]

সিফা : [একটু কেশে রাহুলের দিক এগিয়ে আসে ] হুম! বুঝতে পারছি! অনেক কষ্ট হচ্ছে!?

রাহুল : Shut-up ভাবী! ?

সিফা : কিছু বলার আছে স্নেহাকে?হুম হুম?.. ওকে বুঝেছি সবার সামনে বলা যাচ্ছে না তাইতো…

রাহুল : ??

সিফা : আবারো বেচারার মতো মুখ বানিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! আরে যাহ না! ও হয়তো রুমে তোর অপেক্ষা করছে!

[ রাহুল আর এক সেকেন্ড ও ভাবলো না তাড়াহুড়ো করে উপরে উঠে রুমের দিক এগিয়ে গেলো দেখে স্নেহা ব্যাগ নিয়ে বের হতেই যাচ্ছে!]

[রাহুল রুমে ঢুকলে স্নেহা ও এগিয়ে আসে…কেঁদে ঝড়িয়ে ধরে রাহুলকে]

রাহুল : আরে! কাঁদছো কেনো আবার…কি হলো!?

স্নেহা : এতো ভালোবাসে কেনো আমায়!?

[রাহুল একটু হেসে স্নেহার চোখ মুছে দিলো ]

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ধরে ] আরে! এইতো এখনো প্রচুর রক্ত ঝড়ছে!? কি দরকার ছিলো বলোতো এসব করার?..ফার্ষ্ট এইড বক্স কোথায় আমাকে বলো?..আমি ওয়াস করে দিচ্ছি!

রাহুল : That’s ok স্নেহা! don’t worry ঠিক হয়ে যাবে!

স্নেহা : ঠিক হয়ে যাবে মানে!? বল্লামতো [ হঠাৎ রাহুল স্নেহার কপালে একটি চুমু খায় আর স্নেহা চুপ হয়ে যায়]

রাহুল : যাও নিচে যাও! তোমার বাবা ওয়েট করছে!

স্নেহা : কিন্তু রাহুল!?

রাহুল : শিসস্! বললাম তো Don’t worry! ok?..

[ স্নেহা আবারো রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে.. রাহুল ও শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে]

কিছুক্ষণ পরে দড়জায় কেউ বাড়ি দিলো,

রাহুল : স্নেহা! [ স্নেহা আরো শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে রাখে ] রিলেক্স ড্রামাকুইন! সব ভালোবাসা আজই দেখিয়ে দিবে নাকি!…

স্নেহা : মাথা তুলে! কি বললে?..?

রাহুল : কই কিছুনাতো! তোমাকে ডাকতে এসেছে বললাম চলো!

[ রাহুল আর স্নেহা দুজনেই নেমে এলো, সবার থেকে বিদায় নিয়ে স্নেহা চলে যাচ্ছে.. রাহুল চেয়ে আছে স্নেহার চলে যাওয়া হঠাৎ দেখে স্নেহা আবার দৌড়ে ফিরে আসে! কিছু বলতে চাচ্ছিলো রাহুলকে ঠিক ঐসময় দাদী আর সিফাকে দেখে স্নেহা চুপ হয়ে যায়! তারা বুঝতে পেরে সরে যায়! ?]

রাহুল : [স্নেহার কাছে গিয়ে] কি হলো স্নেহা! ?

স্নেহা : না মানে! বলছিলাম যে…তোমার নাম্বারটা নেওয়া হলো না! মানে! তোমাকে মিস্ করলে তখন?

[ Rahul give a tedi smile?]

স্নেহা : কি হলো?..আবার তেডি স্মাইল দিচ্ছো কেনো?..?

রাহুল : ? আমি জানি তোমার নাম্বার.. আমি দিবো কল!

স্নেহা : তুমি!?কেমনি!

রাহুল : স্নেহা আমি! তোমাকে ভালোবাসি জানোতো?..

স্নেহা : হ্যা! জানি

রাহুল : তাহলে কেমনি জিজ্ঞেস করছো যে?…

স্নেহা : [ ব্লাশিং ] ☺ওকে বাই!?

রাহুল : বাই! টেক কেয়ার?

[ স্নেহা চলে গেলো রাহুল রুমে বসে আছে…সেই প্রথম স্নেহার সাথে ভার্সেটিতে দেখা..স্নেহার বাচ্চাদের মতো ড্রামা করা.. সব মোমেন্ট রাহুলের মনে পড়ছে…আর মনে মনে ব্লাশিং হচ্ছে ]

হঠাৎ, দরজা বাড়ী দিলো… খুলে দেখে ভাবী…

ভাবী : কি হলো বিয়ের খুশীতে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিবি নাকি ?

রাহুল : [একটু হেসে] Shut-up ভাবী..আমার খিদে নেই..পার্টিতে অনেক কিছু জোড় করে খাইয়েছে?

ভাবী : ওহ হ্যা! এখন তো খিদে থাকবে না..বুঝি বুঝি.. ? [ভাবী রাহুলকে টেনে ভেতরে ঢুকে] আচ্ছা আমি ব্যান্ডেজ নিয়ে এসেছি এদিকে…আয় ওয়াস করেদি..

রাহুল : Come on! ভাবী! তুমিও স্নেহার মতো শুরু করে দিলা!?

ভাবী : শুরু করে দিলা মানে?..একদম চুপ কর পরে ইনফেকশন হয়ে গেলে তারপর বুঝবি!

রাহুল : হ্যা! তোমাদের না ডাক্তারি পড়া উচিৎ ছিলো..কে বলেছে বিয়ে শাধি করে সংসার করতে!

ভাবী : হ্যা সেটা বিয়ের আগে তোর ভাইকে বুঝাতে পারিসনি!

রাহুল : আচ্ছা হ্যা! ভাইয়া আসছে না?..

ভাবী : আসছে আসছেরে বাবা! কালকে বিকেলের ফ্লাটে আসবে!

রাহুল : ওমা এর মধ্যে কথাও বলে ফেলেছো..

ভাবী : বদমাইশ ?নে ধর ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি!

রাহুল : থেংক্স..ভাবি☺…

ভাবী : কাল কোথাও যাবি না শপিং এ যেতে হবে কিন্তু! [ রাহুলকে একটু গাল টেনে দিয়ে চলে যায়,রাহুল ব্লাশিং ?]

ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ে…নানারকম সপ্ন দেখছে রাহুল…ব্লাশিং হতেই চলছে….ঘড়ির দিক তাকিয়ে দেখে ২টা বেজে ৩০ মিনিট..মনে মনে ভাবছে ড্রামাকুইনকে এইবার একটা কল দেওয়া যাক!

ফোন বেজে উঠলো…

স্নেহা : হ্যালো!

রাহুল : ড্রামাকুইন☺

স্নেহা : রাহুল?…

রাহুল : হুম!☺

স্নেহা : কি বেপ্পার ? মিস্ করছিলে আমায়…

রাহুল : ই..ইয়াহ!

স্নেহা : আমিও?

রাহুল : ওহ! রিয়েলি?

স্নেহা : হুম!? [ Blushing ]

রাহুল : আর বেশীদিন মিস্ করতে হবে না..ড্রামাকুইন তোমাকে এক্কেবারে আমার কাছে নিয়ে আসবো…
আচ্ছা আংকেল কই?..

স্নেহা : আছে ঐদিকটাই…আর তুমি আংকেল কেনো বললে?..বাবা বলো..

রাহুল : Shut-up!?

স্নেহা : ঠিকাছে বাই!

রাহুল : আরে!? [ স্নেহা ফোন কেটে দিলো রাহুল আবার ব্যাক করলেও রিসিভ করে না ]

পরদিন সকালে, রাহুলের ফুফিরা..কাজিনরা আরো…নানাধরনের রিলিটিভস্ সবাই এসে বাড়ী ভর্তী হয়ে যায়… শপিং করে… কাজিনদের সাথে আড্ডা দিয়ে..রিলেক্স হয়ে রুমে আসে…ফোন দিলো স্নেহাকে…

স্নেহা : হ্যা বলো!

রাহুল : কি হলো স্নেহা সারাদিন ফোন দিলাম তোমার খবরই নেই!

স্নেহা : হুম!

রাহুল : হুম মানে?..আজিব! আচ্ছা শোনো…তোমার কাপড় পছন্দ হয়েছে?…

স্নেহা : নাহ!

রাহুল : নাহ মানে এটা আমি পছন্দ করে কিনেছি Damn it!

স্নেহা : তো কি হয়েছে!

রাহুল : ওকে! সরি?

স্নেহা : [ হেসে ] বুদ্ধু একটা…অনেক পছন্দ হয়েছে…সবাই তো আমারটাই বেশি পছন্দ করেছে…বলছে যেমন সুন্দর বর…তেমন সুন্দর তার পছন্দ ও….বাবাতো এইখানে এসে তোমার কি তারিফ! তুমি এমন.. অমন কত্তকি…আর ঐদিন গ্রামে তুমি গান গেয়েছিলে…না সবাই তো এখনো তোমার গান গাওয়া ভুলছে না…কত্তো মেয়েই না তোমার জন্য পাগল হয়েছে বাব্বা…আমি তো বলেছি ওটা আমার ওর দিকে চোখ দিলে না চোখ খুলে ফেলবো… আমারতো কি প্রাউড ফিল

রাহুল : ওকে রিলেক্স রিলেক্স স্নেহা!?

স্নেহা : কেনো কি হয়েছে?..

রাহুল : যাও গিয়ে পানি খাও..একসাথে কতো গুলাইনা বক বক করেছো…

স্নেহা : ?? [ এভাবে কথা বলতে বলতেই পুরো রাত শেষ করে দেই…রাহুল আর স্নেহা..]

পরদিন..আনন্দ এবং ধুমধাম এর সাথে…হলুদ সন্ধ্যা শেষ করা হয়…ঘনিয়ে নিকটে আসলো বিয়েরদিন…আজ ভোরটাও কেমন জানি লাগছে…হঠাৎ ধুম করে দরজা খুলে…রাহুলের ফ্রেন্ডসরা ঢুকে…চেঁচামেচি শুরু করে দিলো… রাতে তাড়াহুড়োতে দরজা আটকাতে ভুলে গেছে…নিশ্চিত জানতো এই বানরগুলো সকাল সকাল এসে হামলা করবে…

আসিফ : ভাই! তোর সেটিং তো..হয়ে গেছে এবার আমাদের ও করে দেনা..?

রাহুল গিয়ে বালিশের কোণ থেকে মোবাইলটা নিতে গেলো… অমনিই ঝাপটা মেরে এক বন্ধু মোবাইল কেড়ে নেই…

বন্ধু : ভাই আমরা দেখিনা একটু ভাবীর সাথে কি কি কথা হচ্ছে!

রাহুল : [মোবাইল কেড়ে নিয়ে] Shut-up ওখানে কিছুই নেই!

আসিফ : [ মোবাইল কেড়ে নিয়ে ] আছে না আছে ওটা আমরা দেখেনিবো..তুই যা যাহ..ফ্রেশ হয়ে আয়..[ মোবাইল টিপতে টিপতে] আরে কল লিষ্টের শুরুতেই..ওহ ও…রাতভর সপ্নজাগা কথা হয়েছে বুঝি?

রাহুল : Shut-up আসিফ! don’t do this…

[ আসিফ স্নেহাকে কল দিয়ে দিলো ফোন লাউডস্পিকার করা.. ]

স্নেহা : হ্যালো!

আসিফ : হ্যালো সুইট্হার্ট..

স্নেহা : কি বললে?..

আসিফ : কেনো জান আমি কি তোমাকে সুইটহার্ট বলতে পারিনা…

স্নেহা : কখনোই না..

[ সবাই হেসে দিলো ]

আসিফ : আরে জান কেনো নাহ?..

স্নেহা : কারণ আমি জানি! তুমি আমার রাহুল না..তুমি হলে ফাযিল আসি্ফ!

আসিফ : ??আরে স্নেহা কেমনি চিনলে?..

স্নেহা : দিলসে্ পেয়ার কারতি হু বস্ ওর আওয়াজ… হিমালয় পর্বত থেকে ও যদি স্নেহা বলে ডাক দেই না…তাও আমি জেনে যাবো…

[ রাহুল ব্লাশিং?…সবাই চেঁচিয়ে উঠে…ওয়াহ ওয়াহ কিয়া বাত্ হে ]

রাহুল : [ আসিফ থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে…] ওকে স্নেহা..Now বাই!? তৈরী থেকো.. নিতে আসবো..

[স্নেহা একটু লজ্জা? পেয়ে ফোনটা কেটে দিলো ]

[ হঠাৎ, দরজা খুলে ভাবী নাশতা নিয়ে এগিয়ে এলো ]

ভাবী : আরে! কি ফাযিল বাচ্চারা! বললাম ওকে তৈরী করে দিতে..আর এরাতো দেখি…

[ সবাই একসাথে রাহুলের দিক আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো.. আর বলতে লাগলো আমাদের কি দোষ ও স্নেহার সাথে রোমান্স করছে ফোনে..]

রাহুল : Yeah right! all idiots ? [ রাহুল ফ্রেশ হতে চলে গেলো.. ]

এইদিকে স্নেহা..লালটুকটুকে বউ সেজে বসে আছে…রাহুলের অপেক্ষায়…চারদিক হৈচৈ…নানাধরনের আয়োজন! দুই বোনের একসাথে বিয়ে বলে কথা!

মিলি : ওয়াও! পরির মতো লাগছে আজ আমার বোনটাকে..?

স্নেহা : এহ! আর তোমাকে?..কাচা আলু তাই না?..?

মিলি : ?? [ স্নেহা মিলির দিক তাকিয়ে রইলো চোখ ভিজে আসছে ?স্নেহার যেনো এক্ষুনি পড়বে জলের ফোটা..] আরে পাগলী কি হয়েছে?..?

স্নেহা : [ কেঁদে মিলিকে ঝড়িয়ে ] তুমি আমাকে ভুলে যাবা?..?

মিলি : কি বলছিস পাগলী ?

ভুলবো কেনো… [ হঠাৎ চারদিক হৈ হুল্লোর আওয়াজ আসছে বর এসেছে বলে বলে ]

মিলি : [ স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে ] হয়েছে..এখন আর কাঁদিস না..চোখের কাজল লেপ্টে যাবে! তখন রাহুল বলবে..আমার বউ নাকি ভুত এটা..?

[ স্নেহা ও হেসে দেই ]

রাহুলরা বেশী কেউই আসেনি তার বন্ধুরা আর কয়েকটা রিলিটিভস্ মিলেই এসেছে…

স্নেহাকে রাহুলের পাশে এনে বসিয়ে দিলো..,রাহুল এর? মনে…হচ্ছিলো গৌরাকপুরের লাল পরীকেই তার পাশে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে…

[ আনন্দের সাথে…পুরো বিয়েটা শেষ করা হয়! সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে! ]

স্নেহার বাবার কলিজা ছিড়ে যাচ্ছিলো… দুই মেয়েকেই একসাথে বিদায় দিতে! তাই দুজনকেই ঝড়িয়ে কান্নায় ভেংগে পড়েন তিনি!

রাহুল : বাই আংকেল!

স্নেহা : [ চোখ মুছে রাহুলের কানে ফিসফিসিয়ে ] বাই আংকেল কেনো বাই বাবা বলো..

রাহুল : Shut-up!?

[ স্নেহা চুপ হয়ে গেলো.. রাহুল অন্যদিক ফিরে একটু হেসে দিলো স্নেহার কান্ড দেখে.. অবশেষে বিদায় নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলো… বাড়ী পৌছাতে পৌছাতে রাত ৩টা বেজে গেলো…ভাবী আর রাহুলের কয়েকটা কাজিন মিলে স্নেহাকে…রাহুলের রুমে বসিয়ে দিয়ে চলে যায়,

স্নেহা…উঠে দাঁড়িয়ে..সবদিক ঘুরে ঘুরে দেখছে..পুরো রুমটাই চেঞ্জ করে ফেলেছে ফুল আর ক্যান্ডেলাইট দিয়ে সাজিয়ে..?..হঠাৎ দরজার দিক কেউ আসার শব্দ পেলে স্নেহা…হুড়হুড় করে খাটে উঠে লম্বা ঘোমটা টেনে এমন ভাবনিয়ে বসে যেন সে কিছুই জানে না…রাহুল রুমে ঢুকে দেখে…স্নেহা গুটিমেরে খাটের মাঝে বসে আছে…চারদিক ক্যান্ডেল লাইটের আবছা আলোতে…তাকে..এঞ্জেলই মনে হচ্ছে! ?…একটু পর পর স্নেহা ঘোমটা সরিয়ে সরিয়ে দেখছে! রাহুল গিয়ে স্নেহার পাশে বসে! স্নেহার হাত ধরতেই স্নেহা এমন শকড হয়ে উঠলো যেন তাকে..ক্যারেন্ট লাগিয়ে দিয়েছে!

রাহুল : What happen!? [ রাহুল স্নেহার ঘোমটা তুলে ] you ok?..

স্নেহা : [ একটু ঘাবড়ে ] হ্যা হ্যা আমি ঠিকাছি!

রাহুল : ওকে ফাইন!? [ রাহুল আবার স্নেহার হাত ধরে তার হাতে একটা কিস্ করে..]

স্নেহা : [ ঘুমের আলসেমি কেটে ] আরে! আমারতো অনেক ঘুম পাচ্ছে!?কি করি?..

রাহুল : সব করো কিন্তু ড্রামা করবানা?

[ স্নেহা বিড়বিড় করে কি যেন বলে ফেলছে…তখন স্নেহাকে এতো কিউট?লাগছিলো আর রাহুল হুট করে স্নেহার গালে একটি চুমু খেলো.. স্নেহা Shocked ?]

[ Rahul give a tedi smile? স্নেহা রাহুলের দিক তাকাতেই লজ্জায় লাল হয়ে যায় ?]

রাহুল : ওকে! এক কাজ করো! তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও…তারপর ঘুমিয়ে পরো! জার্নিং করে এসেছো অনেক টায়ার্ড লাগছে হয়তো! আমার একটা কল করতে হবে! আমি আসছি! [ রাহুল উঠে চলে যায়.. স্নেহা ব্লাশিং হতে থাকে!?]

রাহুল অনেক্ষণ পর এসে দেখে… স্নেহা ফ্রেশ হয়ে জানালার দিক দাঁড়িয়ে আছে! চোখে লেপ্টানো কাজল..ভেজা ভেজা চুল! হালকা হালকা উড়ছে..?

স্নেহা : কোথায় গিয়েছিলে?..এতোক্ষণ?

রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] সরি! সরি! নিচে ওরা..সবাই কথা বলছিলো ওদিকেই বেজে গেলাম! ok forget it! চলো ঘুমাবে!

স্নেহা : ঘুম আসছে! না এখন..?

রাহুল : [?স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] ওহ তাই! তাহলে…

স্নেহা : আরে আরে! আমিতো মজা করছিলাম! আমার না ভীষণ ঘুম পাচ্ছে! ওকে গুড নাইট বাই হ্যা!…টাটা!

রাহুল : ড্রামাকুইন! [ স্নেহাকে টেনে কোলে তুলে নিলো.. ] টাটা মানে! কই যাও?..একসাথেই তো ঘুমাবো!

স্নেহা : ও! হ্যা?

[ রাহুল হেসে দিলে স্নেহা ও হেসে দেই…স্নেহাকে খাটে শুয়ে দিয়ে রাহুল বাতি অফ করে শুয়ে পড়ে…কিছুক্ষণ পড় স্নেহা রাহুলের বুকে এসে মাথা রাখে…রাহুল ও স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে, ]

ভোর হলো,…

কানের মধ্যে শুরশুরি লাগাতে রাহুল লাফিয়ে উঠলো… ?আর স্নেহা খিলখিল করে হাসতে থাকে…

রাহুল : What is this??

স্নেহা : [ হাসি চেপে ] What is this না! Good morning ?

রাহুল : [ একটু হেসে ] Okay! Good morning! [ রাহুল উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায়…পরে নিচে নেমে এসে দেখে স্নেহা সবার সাথে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে! আর রাহুলকে দেখে সবাই এমন ভাবে তাকাচ্ছে যেন তাকে সবাই নতুন দেখছে.. সাতপাঁচ না ভেবে নাশতা করতে বসে যায়!…কিছুক্ষণ পরপর স্নেহার দিক তাকাচ্ছে রাহুল স্নেহা ও তা বুঝতে পেরে মিটিমিটি হাসছে..?]

সারাদিন মিলে সন্ধায় স্নেহা রুমে ঢুকলো…

রাহুল : আর না আসলেই পারতে!?আসলা কেনো

স্নেহা : আরে! সবাই মিলে নিচে কতো গল্প করছিলাম! তাই! [রাহুল স্নেহার দিক এগিয়ে আসে স্নেহা চুপ হয়ে যায়…আর মনে মনে বলতে থাকে..এই কারণেই তো আসিনি! জানতাম এমনি কিছু একটা ঘটবে! ?]

রাহুল : [ স্নেহার শাড়ীর আচল সরিয়ে কোমোড়ে স্লাইড করে..]? you looking s…

স্নেহা : S মানে!?

রাহুল : Sexy?

স্নেহা : ছিঃ! S দিয়েতো আরো ওয়ার্ড ছিলো… Sweet, Supper

রাহুল : শিসস্! ? [স্নেহার মুখে হাত দিয়ে স্লাইড করতে লাগলো.. ]

[ Sneha’s heart beating fast ? ]

রাহুল ধীরেধীরে স্নেহাকে কিস্ করতে চাইলে…

স্নেহা : দাদী! ?

রাহুল : What?

স্নেহা : আ…? আমার মনে হচ্ছে দাদী ডাকছে! আমি আসি হ্যা! [ বলেই স্নেহা হুড়হুড়িয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো ]

রাহুল : আরে! স্নেহা!? [ রাহুল ও আর কিছু না বলে নিচে নেমে গেলো ]

ভাবী : আরে স্নেহা! কোথায় গিয়েছিলে! [হঠাৎ রাহুলকে পিছে দেখে ] ওহ! সরি সরি! বুঝছি?

[ স্নেহা পেছন ফিরে দেখে রাহুল তাই আবার তাড়াতাড়ি সামনে ফিরে যায় ]

রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] দাদী! তুমি কি এখন কাউকে ডেকেছিলে?..?

দাদী : কই নাতো! [ রাহুল স্নেহার দিক তাকায় আর স্নেহা কোণা চোখে রাহুলের দিক তাকিয়ে তাড়াতাড়ি অন্যদিক ফিরে যায় দেখে ফাবিহা আর কিছু বাচ্চারা মিলে খেলছে! তাই স্নেহা ঐদিকটা চলে গেলো.. ]

রাহুল : [ মনে মনে ] ?এই স্নেহার হলোটা কি ও আমার থেকে পালাচ্ছে কেনো ?..

রাতে ডিনার করে,

রাহুল : [ স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে ] ড্রামা অফ করে এবার চুপচাপ আমার সাথে রুমে চলো কথা আছে!

রাহুল রুমে চলে আসে.. রাহুলের কাজিনরা,ভাবীরা ড্রইং রুমে বসে কথা বলছে! স্নেহা ও গিয়ে ঐদিকটা বসে পড়ে! আর বার বার উপরের দিক তাকাচ্ছে রাহুল আসছে কিনা দেখছে!

দাদী : হয়েছে অনেক কথা! যা গিয়ে এবার সবাই শুয়ে পড়! অনেক রাত হয়েছে! [ এই বলে দাদী চলে গেলো ]

হঠাৎ, রাহুল ফুল এংগরি মুড নিয়ে নিচে নেমে আসে, আর স্নেহার দিক তাকিয়ে থাকে!
স্নেহা রাহুলকে দেখে একটু হাসার চেষ্টা করে! কিন্তু দেখে রাহুল হাসছে না..মুড নিয়ে আছে.. মনে মনে ভাবছে নিশ্চয় রেগে আছে!

হঠাৎ রাহুলের এক কাজিন বলে উঠে! ভাবী! যাও যাও রাহুল ভাইয়ার ঘুম আসছে না…তোমাকে ছাড়া!

স্নেহা কিছু না বলে উঠে রুমের দিক এগুতে লাগলো… পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে..এখনো রোবোটের মতো দাঁড়িয়ে আছে রাহুল!

স্নেহা : [ মনে মনে ] বাব্বা এত্তো রাগতে হয়ে নাকি?..

[ কিছুক্ষণ পর রাহুল রুমে আসে দেখে স্নেহা নেই…মাথাটা গেলো আবার ধরে ?]

[ রুম থেকে বেড়িয়ে বারান্দার দিক তাকাতেই দেখে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে…রাহুল এগিয়ে গেলো ]

স্নেহা : [ রাহুলকে দেখে ] আরে রাহুল! ঐ দেখো চাঁদ কি দারুণ তাই না!

রাহুল : ??

স্নেহা : [ হাত বিলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ] আরে দেখো দেখো কি বাতাস ওয়াও……

রাহুল : ??

স্নেহা : [ চোখ খুলে দেখে রাহুল এখনো স্টেট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে? ] দেখো রাতে আকাশের কালারটা কি দারুণ তাই না..

রাহুল : ??

স্নেহা : কি হলো!?..

রাহুল : শেষ ড্রামা?..?

স্নেহা : ?ওকে সরি!

[ রাহুল এসে স্নেহাকে কোলে তুলে নেই ]

স্নেহা : আরে রাহুল?..কি করছো কেউ দেখবে তো!

রাহুল : So what! আমি আমার ঘরে আমার বউকেই কোলে নিয়েছি!

স্নেহা : হ্যা! তা ঠিকাছে কিন্তু

রাহুল : আগেই বলেছিলাম..বাসে্ মনে আছে?..? [বলেই স্নেহাকে নিয়ে রুমের দিক এগুতে লাগলো রাহুল ]

[ স্নেহার মনে পড়লো স্নেহা বাস্ থেকে নামছিলো না তাই..রাহুল তাকে টেনে নামাচ্ছিলো আর বলেছিলো..আজ টেনে নিয়ে যাচ্ছি! দরকার পড়লে উঠিয়ে নিবো.. ?]

স্নেহা : কিন্তু তাই বলে তুমি সত্যি সত্যি!?

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] Shut-up!?

স্নেহা : ওকে ওকে.. ?শিসসস্ চেঁচাচ্ছো কেনো..

রাহুল : [ হাটতে হাটতে ] দেখো.. এমনিতেই তোমার ওয়াইট অনেক..আমার কোনো শখ পড়েনি তোমায় কোলেনিতে…আমিতো জাষ্ট..

স্নেহা : [ রাহুলকে একটা থাপ্পড় দিয়ে ] কি বললে আমার ওয়াইট অনেক তাই না?..?

রাহুল : [ হেসে ]?আরে মারছো কেনো মজা করছিলাম..

[ রুমে এসে ]

[ রাহুল স্নেহাকে নামাতে গেলে, ]

স্নেহা : ওয়েট ওয়েট নামাচ্ছো কেনো!?ভালোই তো লাগছিলো…

রাহুল : Whatever? [ হুট করেই স্নেহাকে নামিয়ে দিলো ]

স্নেহা : ?? আজিব!

রাহুল : [ দরজা বন্ধ করে ] মশা ঢুকবে হা করে থেকো না..

স্নেহা : [ রাহুলকে টেনে ] তুমি আমাকে নামিয়ে দিলে কেনো..?

রাহুল : এক্সকিউজ মি!?

স্নেহা : কোলে নাও আবার!?নাহলে তুমি জানো আমি কি কি ড্রামা করতে পারি?

রাহুল : [স্নেহার কোমোড়ে স্লাইড করে ?] সফট্..

স্নেহা : You are a cheater? [বলেই রাহুলকে ধাক্ষিয়ে স্নেহা সরে যাচ্ছিলো..
রাহুল আবারো স্নেহাকে টেনে কোলে তুলে নেই…]

রাহুল : কি বলছিলা! ড্রামা তাই না?..? এবার করো ড্রামা..

স্নেহা : ??? দেখো রাহুল!

রাহুল : হ্যা বলো?

স্নেহা : ?

[ রাহুল স্নেহাকে ধীরেধীরে খাটে শুয়ালে.. ?]

রাহুল : ড্রামাকুইন? এভাবে ড্রামা করতে থাকিও Always…

স্নেহা লজ্জায় নিচের দিক তাকিয়ে রইলো…রাহুল স্নেহার কপালে একটু চুমু খেলো…

স্নেহা : শুনো আমি রাগ করলে তখন তুমি আমার রাগ ভাংগাবা…

রাহুল : ওকেই?…

স্নেহা : আর তুমি যদি রাগ করোনা তখন আমি আরো বেশী রাগ করবো…আর তখন তুমি আবার আমার রাগ ভাংগাবা..

রাহুল : [ হেসে ] কিহ!? নিজের বেলায় ১৬আনা আমার বেলায় ৮আনা..

স্নেহা : ইয়েস্ ? মিষ্টার তেডি স্মাইল…

রাহুল : ওকে মিস্ ড্রামাকুইন?…যেটা আপনার ইচ্ছা…

[ স্নেহা রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে রাহুল ও স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে…?]
[ The End ?]

[লাভ স্টোরি তাই বিয়ের পরের কাহানী দিয়ে বাড়তি ভেজাল করিনি… কেমন লাগবে জানিনা…যথেষ্ট চেষ্টা করেছি ভালো করে লিখার জন্য…তবে দোয়া করবেন আপুরা আরেকটা সুন্দর গল্প নিয়ে ফিরতে পারি মতো ]

♥Love At 1st Sight $2 Part – 16

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part – 16

writer-Jubaida Sobti♥

নিচে গিয়ে স্নেহা দাদীর সামনে দাঁড়ায়…

দাদী : ওমা! একি☺

স্নেহা : [শাড়ী ধরে ঘুরে ঘুরে] কেমন লাগছে বলোতো দাদী! ?

দাদী : এমনই একটা মেয়ে খুজছিলাম আমার রাহুলের জন্য…তুই তো আমার মনের ভাবনাই কেড়ে নিলি….

হঠাৎ, পেছন থেকে

রাহুল : এই যে মেডাম! আপনার ঢং করা শেষ হলে এবার একটু যাবেন?…আমার কিছু কথা ছিলো দাদীর সাথে…

স্নেহা : দেখেছো তো দাদী..? নিজের বউএর সাথে কেউ এভাবে কথা বলে?…

রাহুল : এক্সকিউজ মি! আমি তোমাকে বিয়ে কবে করলাম…?

স্নেহা : [ দাদীর কানে ফিসিফিসিয়ে ] দেখেছো আবার…দেখেছো?
আগেই বলেছিলাম ও শিকার করবে না…সব ঐ ঘামান্ডি নেহার চাল!, তুমি না বরং এক কাজ করো ওকে আজ বাইরে বেরুতে দিওনা…তাতে ও নেহার থেকে দূরে দূরে থাকবে…আর আমার… ?!

দাদী : [একটু হেসে স্নেহার কানে কানে] ঠিক বলেছিস! ওকে ঐ নেহার থেকে দূরে দূরে রাখতে হবে…?

রাহুল : তোমরা কানে কানে উইস্পার করে কি বলছো বলো তো?..?

স্নেহা : কই! নাতো কিছু না! দাদী বলছে…শীঘ্রই আমাদের বিয়েটা..ধুমধাম করে দিয়ে দিবে…?

রাহুল : ওকে ফাইন!? so তোমার বাবা মায়ের নাম্বারটা তো দিলানা দাদীকে…

স্নেহা : [ বিড়বিড় করে ] শয়তান একটা..?আবারো ফাঁসিয়ে দিচ্ছে…

রাহুল : You ok sneha?..?

স্নেহা : হ্যা হ্যা!…আমি ঠিকাছি.. আরে দাদী আমিতো বিশ্রাম করিনি…মাথাটা এখনো ঘুরাচ্ছে…জার্নিং করে এসেছি তো…উফফ!?

দাদী : আচ্ছা ঠিকাছে যা!?

রাহুল : [মনে মনে] What a drama?..

[ স্নেহা রাহুলকে মুখ ভেংগিয়ে চলে যাচ্ছিলো…আবার হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি এলো… এই মিষ্টার তেডি স্মাইল আমাকে ফাসাতে চেয়েছিলো তাই না…এবার দেখুক আমি কিভাবে ফাসায়?….স্নেহা পাশ কাটিয়ে যেতে ইচ্ছে করে টেবিলের সাথে বারী খেয়ে পড়ে যায়]

রাহুল : [ স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে ] careful damn it!?…দেখে হাটতে পারো না?

দাদী : আরে স্নেহা? ব্যথা পেয়েছিস?..

স্নেহা : উফ দাদী! ব্যথা পেয়েছি মানে..আমার তো মনে হচ্ছে আমি আর কখনো… হাটতেই পারবো না…

দাদী : আরে রাহুল! হা করে দেখছিস কি?..যা গিয়ে ডাক্তার নিয়ে আয়?…

স্নেহা : আরেহ! না নাহ! ডাডাক্তার কেনো…

রাহুল : দাদী! আমি দেখছি..? you don’t worry[ স্নেহার পা ঘষতে থাকে ]

দাদী : দারা আমি আইস্ ব্যাগ নিয়ে আসছি…? [ দাদী তাড়াহুড়ো করে আইস্ ব্যাগ আনতে যায়]

স্নেহা রাহুলের দিকে..ব্লাশিং হয়ে তাকিয়ে আছে…?

রাহুল : what?

স্নেহা : [পায়ের দিক শাড়ী আরেকটু তুলে রাহুলকে ইশারা করলো আরেকটু উপরে মাঝতে?]

[রাহুল স্নেহার পায়ে স্লাইড করতে লাগলো… ?]

স্নেহা : [পা টেনে নিয়ে ] এক্সকিউজ মি!? একটু চান্স পেলে হয় তাই না…

দাদী : [আইস্ ব্যাগ নিয়ে এগিয়ে এসে] ধর নে..রাহুল…এটা মেঝেদে..

রাহুল : She is already fine…দাদী ?…

দাদী : সত্যি স্নেহা ? ঠিকাছিস তুই?..

স্নেহা : হ্যা দাদী! রুমে গিয়ে একটু আরাম করলে ঠিক হয়ে যাবে…

দাদী : হ্যা হ্যা!..যা আরাম কর..রাহুল! একটু ধরে দিয়ে আয়…

স্নেহা : [ উঠে দাঁড়াতে অভিনয় করছে ] আহ!…

দাদী : কি হলো রাহুল!? হ্যা করে দেখছিস কি?..ধর ওকে…

[রাহুল গিয়ে স্নেহাকে ধরে…]

স্নেহা : [ রাহুলের কাধে হাত দিয়ে ফিসফিসিয়ে ] শুনো আমাকে ফাঁসাতে যেও না ওকে…নাহলে নিজেই ফেসে যাবা?…

আর এখন গুড বয়ের মতো চুপচাপ আমাকে কোলে তুলে নাও…?

রাহুল : Shut-up?…

স্নেহা : হুহ?

অর্ধেক গিয়ে..রাহুল স্নেহাকে ছেড়ে দিলো…

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : এখন আর দাদী দেখবে না…So তোমার ড্রামা এখন অফ করো…

স্নেহা : [ রাহুলকে টেনে ধরে.]..দেখবেনা মানে…দেখো রাহুল তুমি কিন্তু বেশি করছো এসব মোটেও ভালো হচ্ছে না…

রাহুল : ভালো হচ্ছে না?…আর তুমি যা করেছো তা ভালো হয়েছে?…ওয়াও স্নেহা তোমার এখনো সাহস হচ্ছে না তোমার বাবার নাম্বার দিতে…আর তুমি বলছো আমি যা করছি ভালো করছিনা?..

স্নেহা : রাহুল!? আমি! আরে কথাতো শুনো..

[ রাহুল রেগে চলে যায় ]

স্নেহা : [ মনে মনে ] i m sorry রাহুল ?…আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি…কিন্তু..

সিফা : স্নেহা!

স্নেহা : [চোখ মুছে পেছন তাকায়] হ্যা?..

সিফা : কি হয়েছে?..?

স্নেহা : কিছুনা?

সিফা : রাহুল কিছু বলেছে তাই না?..?

স্নেহা : ভাবী আমি রাহুলকে কষ্ট দিতে চাইনা..আমি তো ওকে অনেক…?

সিফা : ওকে ওকে! এতো সহজে ভেঙে পড়লে চলবে?.. ☺বলো?..রাগ যখন করেছে মানাতে তো হবে…

স্নেহা : [ ভাবীকে ঝড়িয়ে ] থেংক ইউ ভাবী!

সিফা : আচ্ছা চলো তোমাকে কিছু দেখাবো…

[ সিফা স্নেহাকে নিয়ে রুমে চলে যায়…ফাবিহা স্নেহাকে দেখে অনেক খুশী হয়…]

রাতে,

হঠাৎ, দরজা টুকা দিলো.

রাহুল দরজা খুললে দেখে, দাদী
রাহুল : আরে দাদী হঠাৎ!

দাদী : [ভেতরে ঢুকে] দেখ রাহুল অনেক হয়েছে…অভিনয় এবার আমি সত্যি সত্যি স্নেহার বাবা মায়ের সাথে কথা বলতে চায়!?

রাহুল : দাদী! আমিতো তোমাকে সব বলেছি! স্নেহা নিজ থেকে যতোক্ষণ বলবেনা ততোক্ষণ আমি কিছুই করবো না…

দাদী : কিন্তু আর কতোদিন?..

রাহুল : আর বেশীদিন নেই দাদী!…স্নেহা আমার থেকে বেশীদিন দূরে থাকতে পারবে না…এটা আমার বিশাস্

দাদী : ঠিকাছে!? তাহলে [ দাদী চলে যায়]…

দরজা বন্ধ করে রাহুল খাটে শুতে যাবে ঠিক সেই সময় আবার দরজা বাড়ি দিলো… রাহুল দরজা খুলে দেখে…স্নেহা অনেক ভাবসাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে…নিশ্চয় মাথায় কিছু পাকিয়ে এসেছে..?

রাহুল : কি চায়?..?

স্নেহা : তোমাকে?

রাহুল : Lol ?[দরজা বন্ধ করে দিচ্ছিলো স্নেহা রাহুলকে ধাক্ষিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে]

স্নেহা : শুনো তুমি যাই করো…আমি কিন্তু এতো সহজে হার মানছিনা..বলেদিলাম…

রাহুল : Shut-up?আর যাও এখন আমাকে ডিস্টার্ব করোনা…

স্নেহা : কিহ!? আমি ডিস্টার্ব করছি তোমাকে?..[ রাহুলকে ধাক্ষিয়ে] বলো?..আমি ডিস্টার্ব করছি তোমাকে?..

রাহুল : আরেহ! ধাক্ষাচ্ছো কেনো?..পড়ে যাবো তো…?

স্নেহা : [রেগে] ঠিকাছে! আর ডিস্টার্ব করবো না গেলাম আমি?… [ স্নেহা রাগ করে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়….রাহুল হাসতে থাকে ?রাগলে ড্রামাকুইনটাকে আরো কিউট লাগে..?]

পরদিন সকালে,

স্নেহা ঘুম থেকে উঠে…ফ্রেশ হয়ে…রুমে বসে আছে…বাড়ির কথাও অনেক মনে পরছে তার ?ভাবতে ভাবতে রুম থেকে বের হয়!
রাহুলের জানালার দিকে উকি দিতে দেখে রাহুল রুমে নেই…ধীরেধীরে রুমে ঢুকে…দেখে
টেবিলের উপর লেপটপ্টা পড়ে আছে…মাথায় বুদ্ধি এলো স্নেহার এবার চেক করা যাক ঐ মিস্ ইউনিভার্স এর সাথে কি কি চ্যাট করেছে…?
স্নেহা লেপটপে হাত দিতে যাবে ঠিক সেইসময়,

রাহুল : Stop it!?

স্নেহা : [চমকে গিয়ে] আ..আমি দেখছিলাম.. লেপটপটা খুব সুন্দর…হিহি? এটা কিসের তৈরী?…

[রাহুল হেসে দিলো ?আর প্রথম যেদিন রুমের জানালায় উকি দিয়ে পর্দা কিসের তৈরী জিজ্ঞেস করেছিলো সেটা মনে পড়ে গেলো, গাড়ীর চালে বসে গাড়ীটি কিসের তৈরী জিজ্ঞেস করছিলো সেটাও মনে পড়ে গেলো ]

স্নেহা : নাহ! মানে [বিড়বিড় করে কি যেন বলতে লাগলো ?]

রাহুল : কি করতে এসেছো সেটা বলো?…

স্নেহা : শোনো…এভাবে বলছো কেনো? আমি এখন থেকে এই বাড়ীর বউ..আই মিন! তোমার বউ..So আমি এইরুমে আসতেই পারি…এটা আমার অধিকার.. ?

রাহুল : [স্নেহার দিক এগিয়ে এসে..?] ওহ! এই বাড়ীর বউ?..আমার বউ..? নাহ কি যেন বললে?…অধিকার রাইট!?

স্নেহা : [ঘাবড়ে গিয়ে] হ্যা?..নাহ মানে..

রাহুল : [স্নেহার কোমোড়ে হাত দিয়ে কানে উইস্পার করে ] শিস্! সব অধিকার যখন চাইছো…তাহলে এটা বাকি থাকবে কেনো…স্নেহা!

স্নেহা : [ রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে] ছিঃ.. ?কি আজিব আজিব কথাবার্তা ?

রাহুল : আরে! ছিঃ কেনো এটাওতো একটা রুলস বিয়ের পরে?

স্নেহা : আরে বিয়ে কবে হলো??

রাহুল : ?সেটাইতো..তুমিও বউ কবে হলে?

স্নেহা কিছু না বলে দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়![মনে মনে] এই মিস্টার তেডি স্মাইলের সাথে আজকাল পারা যাচ্ছে না?

[ Rahul blushing ☺]

ব্রেক ফার্স্ট করে রাহুল ভার্সেটি যাওয়ার জন্য তৈরী…হয়.. স্নেহাকে না বলেই ভার্সেটি চলে যায়,

ঢুকতেই আসিফ এগিয়ে আসে,

আসিফ : আরে দোস্ত, কি অবস্থা?..

রাহুল : Happy Birthday দোস্ত?

আসিফ : থেংক ইউ ব্রো…. আর শোন আজ পার্টিতে কিন্তু স্নেহাকে ও নিয়ে আসবি! কেমন!

নেহা : [দূর থেকে] হেই রাহুল!

আসিফ : এসে গেছে তোমার আরেকটা…তুই থাক ভাই আমি যায়! [ আসিফ চলে গেলো ]

নেহা : আরে রাহুল! এতো লেইট করলে কেনো…কখন থেকে ওয়েট করছি…শুনো আজ সন্ধায় পার্টিতে..কিন্তু আমরা কাপল ডান্স দিবো ওকে?..?

রাহুল : দেখি…..

স্নেহা : দেখি মানে?

রাহুল : ক্লাস? ক্লাস লেইট হচ্ছে let’s go? নেহা!

রাহুল এর ভার্সেটিতে ক্লাস করতে মোটেও ভালো লাগছিলো না…এইদিকে স্নেহা ও আসেনি..মিস্ করছে অনেক ড্রামাকুইনটাকে.. চুপচাপ নেহাকে ও না বলে বাড়ী চলে আসে…

রুমে ঢুকতেই দেখে অলরেডি স্নেহা রুমে ঢুকে বসে আছে…রাহুলকে দেখে একটু ঘাবড়ে যায়!

রাহুল : Excuse me! তুমি আমার রুমে কি করছো…

স্নেহা : কোথায় গিয়েছিলে?..?

রাহুল : কোথায় আবার?..ভার্সেটি গিয়েছি…রাতে আসিফের বার্থডে পার্টি আছে..তার কিছু Arrangement বাকি ছিলো..

আচ্ছা আমি তোমাকে কেনো এসব বলছি বলো তো?…? আর যাও রুম থেকে আমি চেঞ্জ করবো…

স্নেহা : হুম! So পার্টিতে কে কে আসছে?

রাহুল : [ শার্ট খুলতে খুলতে ] সবাই… But তুমি ছাড়া…

স্নেহা : আমি ছাড়া কেনো?..?

[ রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার দিক এগিয়ে আসে]

স্নেহা : [ বুঝতে পারলো রাহুল তাকে নার্ভাস করার জন্য কিছু একটা করবে তাই আগেভাগে বলে দিলো ] ওকে ওকে… I understand কাছে আসছো কেনো আমি যাচ্ছি ?

[রাহুল একটু হেসে ফিরে গেলো স্নেহা ব্লাশিং?]

সন্ধায়,

রাহুল পার্টিতে যাওয়ার জন্য তৈরী…হয়,
ভাবতে লাগলো স্নেহাকে কেমনি বুঝাবে সে পার্টিতে যাচ্ছে….তাই স্নেহার রুমের সামনে গিয়ে ভাবী ভাবী চিৎকার করতে লাগলো….

স্নেহা : [দরজা খুলে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে] এই যে মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম! চেঁচাচ্ছো কেনো…

রাহুল : আমার বাড়ী, যা ইচ্ছে তা করবো… what’s your problem?…

স্নেহা : আই? এতো ভাব নিচ্ছো কেনো হুম?..

রাহুল : whatever! ? [মুখ ভেংগিয়ে চলে গেলো আর মনে মনে ব্লাশিং হয়ে ভাবছে এখন শিউর দাদীকে গিয়ে বলবে..তাকেও পার্টিতে নিতে, ]

স্নেহা : [মনে মনে] কি আজিব! এত্তো রাগতে হয়! ? এভাবে Avoid করলে তো….সুইসাইড করতে ইচ্ছে হচ্ছে!

No মিষ্টার রাহুল! যদি তুমি আমার এক কদম আগে হও তাহলে আমি তোমার দশ কদম আগে…হুহ? [ হুড়হুড়িয়ে স্নেহা নিচে নেমে এলো দেখে রাহুল দাদীকে বলে চলে যাচ্ছে! ]

স্নেহা : শুনছেন!?

দাদী এবং রাহুল দুজনেই অবাক হয়ে তাকালো…

স্নেহা : [রাহুলের কাছে এসে] সাবধানে যাবেন কিন্তু!?গাড়ী ধীরে চালাবেন! আপনিতো আবার এরো-প্লেন এর মতো গাড়ী চালান! আর তাড়াতাড়ি ফিরবেন?আমি অপেক্ষায় থাকবো!

স্নেহার এমন কান্ড দেখে রাহুলের খুব হাসি পাচ্ছিলো…তাও লুকিয়ে হেসে নিলো!

দাদী : দেখেছিস! বউ হলে এমন হতে হয়?

রাহুল : yeah! I see?

দাদী : আরে রাহুল! তুই স্নেহাকে ও সাথে নিয়ে যা! ও বাসায় বসে একা বোর হচ্ছে!

স্নেহা : [দাদীর দিক এগিয়ে গিয়ে] নাহ দাদী নাহ! এভাবে বলবেন না…আমার পুরা ভরসা আছে রাহুলের উপর! ও আমাকে ছাড়া অন্য কোনো মেয়েরদিক চোখ তুলেও তাকাবে না?

রাহুল : [মনে মনে হেসে, ড্রামাই পুরস্কার না অষ্কারটাই পাবে…এই মেয়ে!] ওকে দাদী! আমি যাচ্ছি! [ রাহুল বেড়িয়ে গেলো আর মনে মনে ভাবতে লাগলো.এটা কি হলো.. আজ মিস্ ড্রামাকুইন পার্টিতে আসার জন্য কোনো চাল চাললো না কেনো..ওকে ছাড়া ভালো লাগবে না?ও কি কখনো বুঝবে না আমার লুকিয়ে থাকা ফিলিংস্ গুলা..

[ কিছুক্ষণ ভেবে..]থাক! বেড়িয়েছি যখন আসিফকে দেখা দিয়ে চলে আসবো…

রাহুল পার্টিতে গিয়ে পৌছায়! আসিফকে উইশ করে… খুব ইউনিক ভাবে সাজানো হয়েছে চারদিক…

নেহা : হেই রাহুল! what’s wrong with you?… তুমি আমাকে না বলেই চলে গেলে!

রাহুল : নেহা I was busy! so

নেহা : So?..? So what?…

রাহুল : So nothing bye! [ রাহুল গিয়ে তার ফ্রেন্ডস দের পাশে দাঁড়ায় ]

নেহার মনে মনে খুব রাগ উঠতে লাগলো… রাহুল আগে থেকে অনেক বেশিই Avoid করছে নেহাকে…

আসিফ : রাহুল! তুইতো এটা ঠিক করলিনা…

রাহুল : কোনটা?..

আসিফ : তুকে না বললাম স্নেহাকে ও সাথে আনবি!

রাহুল : আরে আমিতো ভেবেছিলাম ও কোনো না কোনো [ রাহুল চুপ হয়ে যায় সামনের দিক তাকিয়ে ?]

আসিফ ও পাশফিরে তাকাতেই দেখে স্নেহা!

আসিফ : আরে স্নেহা Come! তোমার কথায় বলছিলাম! আমি ভেবেছি রাহুল তোমাকে আনে নি!

স্নেহা : Happy Birthday! ??

আসিফ : Thank you dear!? please come!

স্নেহা এসে রাহুলের পাশে দাঁড়ায়! রাহুল এখনো হা করেই স্নেহাকে তাকিয়ে আছে!?[মনে মনে]ওয়াও!স্নেহা ওয়েষ্টার্ন ড্রেস্ পড়েছে…পুরাই বারবি ডল লাগছে এই ড্রামাকুইনকে?

স্নেহা : [আস্তে করে রাহুলকে চিমটি দিয়ে] এভাবে তাকিওনা মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম..?

রাহুল : আআহ!?

স্নেহা : কি ভেবেছিলে আমি তোমাকে এতো সহজে ছেড়ে দিবো ? No way! তোমার উপর ভরসা থাকলেও ঐ নেহা শয়তানটার উপর একদম ভরসা নেই!

[রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো স্নেহাকে এতোসুন্দর লাগছে… তার থেকে চোখ সরাতে মুশকিল হয়ে দাড়াচ্ছে…?]

স্নেহা : আবার হা করে তাকিয়ে আছো যে!?

মার্জান : স্নেহা!? [ স্নেহা দৌড়ে গিয়ে মার্জানকে ঝড়িয়ে ধরে]

মার্জান : ভুলেই গেলি আমাকে!?

স্নেহা : আরে তুকে কেমনি ভুলবো বল! তুইতো আমার কলিজার টুকরা!

[ রাহুল একটু হেসে ঐদিকটা সরে গেলো ]

মার্জান : কি হলো স্নেহা! এখনো রাগ ভাংগেনি!?

স্নেহা : আমার মাথায় কিছুই আসছে না! রাহুলটাও একটু বুঝছে না! বাড়ি থেকে ও পালিয়ে এসেছি…জানিনা বাবা কি অবস্থায় আছে…?

মার্জান : ওকে ওকে! আজ মন খারাপ করিস না…আজ শুধু মজা করবো! আর আমি কেনো এসেছি জানিস? শুধু তোর সাথে দেখা করবো বলে! আমি জানতাম তুই রাহুলের সাথে আসবি!

স্নেহা : কচু জানতি! ও আমাকে এনেছে? আমিতো দাদীকে বানিয়ে বুঝিয়ে এসেছি!

হঠাৎ,

নেহা : Hello guys! ?

[মার্জান মুখ ভেংগিয়ে অন্যদিকে ফিরে গেলো! ]

নেহা : Wow! স্নেহা you looking so..

স্নেহা : So?..?

নেহা : থাক! কিছু কথা না জানা ভালো তাই না?..
Anyway enjoy the party ওকে!

[ নেহা চলে গেলো আর মনে মনে বলতে লাগলো… খুব ভাব নাও তাই না মিস্ স্নেহা…আজ এমন জমিয়ে পার্টি হবে সবাই তোমার দিকেই হা করে তাকিয়ে থাকবে?]

পার্টি খুব ভালোভাবেই চলছে…কেউ কেউ ডান্স আর হাসাহাসি করছে…আবার কেউ কেউ বসে আছে…স্নেহা মার্জান এর সাথেই একদিকে দাঁড়িয়ে আছে দূর থেকে রাহুল আর স্নেহার (eye contact?) হচ্ছে..চোখে চোখে খুনসুটি রোমান্স..

[নেহা অনেক্ষণ ফলো করছে রাহুল স্নেহা থেকে তার চোখ সরাচ্ছেই না…রাগে নেহা ফুলতে থাকলো ?]

নেহা : [ রাহুলের দিক এগিয়ে গিয়ে] Come on rahul! let’s dance… [নেহা রাহুলকে জোড় করে টেনে ডান্স করতে লাগলো… স্নেহা অবাক হলো রাহুল এমন কেনো করছে?..হ্যা জানে সে তার উপর রেগে আছে..তাই বলে নেহার সাথে এভাবে?]

নেহা ফলো করলো…রাহুল নেহার সাথে Comfortable হয়ে নাচছে না..বারবার শুধু স্নেহার দিক তাকাচ্ছে…
নেহা তার এক ফ্রেন্ডকে ইশারা করলো স্নেহাকে ডান্স ফ্লোরে আনার জন্যে…
স্নেহাকে জোড় করে যেই না ডান্স ফ্লোরে আনলো….সাথে সাথে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায় চারদিকের লাইট অফ হয়ে গেলো!

স্নেহা হঠাৎ ধাক্ষা খেলো… অন্ধকারে কে তা খেয়াল করলো না…
ইতিমধ্যেই লাইট চলে আসে,

স্নেহা ডান্স ফ্লোর থেকে নিচে নেমে যেতে চাইলে… আবার থেমে যায়! কেনো যেনো লাগছিলো তার পিছনের…জামা ছিড়ে গেছে…ধীরেধীরে পেছনে হাত দিলে দেখে সত্যিই ছিড়ে গেছে…যেই না পা বাড়াতে যাবে ঠিক তখনি খেয়াল করলো…পেছনের দিক জামা খুলে যাচ্ছে ?

রাহুল স্নেহার দিক তাকালে দেখে স্নেহা অনেক চিন্তিতো যেদিক দাঁড়িয়ে ছিলো ঐদিকেই এখনো দাড়িয়ে আছে…

নেহা রাহুলকে টেনে নিয়ে ডান্স ফ্লোর থেকে নেমে যায়!
রাহুল আবারো খেয়াল করলো স্নেহা খুব চিন্তিতো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…নয়তো ওখানেই এখনো দাঁড়িয়ে আছে কেনো..সবাইতো নেমে গেছে..

নেহা : [ চেঁচিয়ে ] স্নেহা তুমি সিংগেল পারফর্ম করবা নাকি?…

স্নেহার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো…স্নেহা বুঝতে পারলো নেহাই করলো এই কান্ড!

নেহার ফ্রেন্ডসরা সবাই হেসে উঠে,

রাহুল : [ মনে মনে ] এই স্নেহা ডান্স ফ্লোরে..দাঁড়িয়ে আছে কেনো…? [রাহুলের খুব রাগ উঠছে সবাই হাসাতে…আর স্নেহা ও সবাইকে তার ইনসাল্ট করানোর জন্য ঐখানে দাঁড়িয়ে আছে..]

হঠাৎ, রাহুল খেয়াল করলো স্নেহার চোখে পানি! এবং সে খুব Uncomfortable হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…

রাহুল খুব অবাক হয়ে তার চোখ দিয়ে স্নেহাকে ইশারা করলো কি হলো…?
স্নেহা কিছু বলছে না রাহুল জিজ্ঞেস করাতে চোখ দিয়ে আরো বেশি করে পানি ঝড়তে লাগলো…

নেহা তাড়াতাড়ি গিয়ে আবারো মিউজিক অন করে দিলো… এবং সবাইকে টেনে টেনে ডান্স ফ্লোরে নিতে লাগলো… নেহা স্নেহার পাশে গিয়ে ইচ্ছে করেই ধাক্ষা দেই…আর স্নেহা পড়ে যায়!

কিন্তু স্নেহা মাটিতে গড়িয়ে পড়লো না…কারো গায়ের উপর ঝাপটে পড়লো… রাহুল স্নেহাকে ধরতেই তার খালি পিটের মধ্যে হাত লাগে….

নেহা : [ চেঁচিয়ে ] Oh! my god! স্নেহা তোমার কাপড় তো ছিড়ে গেছে…?

সবাই স্নেহার দিক ফিরে তাকালো,

স্নেহা কেঁদে রাহুলকে ধাক্ষিয়ে সরিয়ে…সোজা দৌড় দিলো,

নেহা আর তার ফ্রেন্ডসরা হাসতে লাগলো…
রাহুল? রেগে নেহাকে কিছু বলতে যাবে তখনি আবার ভাবলো না আগে স্নেহাকে দেখা উচিৎ..

রাহুলও দৌড়ে গিয়ে দেখে স্নেহা একটি কোণে গিয়ে কাপড় ঠিক করছে…

রাহুলের আসার শব্দ হলে…স্নেহা আরেকটু ভেতরের দিক সরে যায়…

রাহুল দেখলো…ছোট ছোট কিছু পর্দা দিয়ে…বাশ সাজিয়েছে…সেখান থেকে একটা খুলে নিয়ে রাহুল স্নেহার দিক এগিয়ে গেলো… স্নেহা না নিয়ে তার জল ভরা চোখ দিয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে থাকে…রাহুল বুঝতে পারলো স্নেহা অনেক ভয় পেয়ে আছে…না থাক আর রেগে থাকা যাবেনা এই মেয়ের সাথে…পর্দাটি দিয়ে স্নেহাকে মুড়িয়ে দিলো… রাহুল!

রাহুল : I am sorry স্নেহা!

স্নেহা : [কাদো কন্ঠে] It’s ok রাহুল!?আমার এখানে আসাই উচিৎ ছিলো..না… আসলে আমি কোনো কিছুরই যোগ্য না…গায়ের মেয়ে এসব আমাকে মানায় না…আমি তোমাকে ডিসার্ব করিনা…মোটেও?রাহুল..নেহা তোমার জন্য পার্ফেক্ট! আমিই তোমাদের মাঝে কাটা বেধে দাড়িয়েছি…

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] স্নেহা listen to me!

স্নেহা : নাহ! কিছুই শুনতে হবে না!
তুমি শুনো কেনো গিয়েছিলে আবার গ্রামে…হ্যা?
আরে কোথায় তুমি আর কোথায় আমি! আমার তো এক পয়সার যোগ্য ও নেই তোমাকে ভালোবাসার!

রাহুল : Ok shut-up! ?হয়েছে? সব বলা শেষ?

স্নেহা : কাছে আসবানা! যাও তুমি নেহার কাছে যাও?..

রাহুল : [স্নেহার হাত কাছে টেনে নিয়ে] স্নেহা I am really sorry…

[স্নেহার পানি ঝরছে চোখ থেকে?]

রাহুল : Ok come!

স্নেহা : কোথায়?..?

রাহুল : শিস! Just Come!

[ রাহুল স্নেহাকে হাত ধরে নিয়ে সবার সামনে ডান্স ফ্লোরে উঠলো.. সবাই তাকিয়ে আছে হঠাৎ..
স্নেহাও অবাক হয়ে চারদিক দেখছে আবার রাহুলকে ও দেখছে…]

নেহা : [ মনে মনে ] সব প্লান এই রাহুল শেষ করে দিলো ? আর এই স্নেহার সাথে রাহুল ডান্স ফ্লোরে কেনো উঠছে..

রাহুল : [ স্নেহার দুনো হাত ধরে ] জানিনা স্নেহা! আমি তোমায় কি দিতে পারবো না পারবো… ? but এত্তোগুলা ভালোবাসা দিবো! যা তুমি কখনো কাউন্ট করতে পারবেনা আমার পুরো লাইফ জুড়ে শুধু স্নেহা! তুমি!

জানো লাইফে কতোকিছু দেখেছি?..

স্নেহা : ?

রাহুল : কিন্তু সবচেয়ে Exclaimed জিনিষ ছিলা তুমি!আমার ও অনেক কষ্ট হচ্ছিলো..স্নেহা তোমার থেকে দূরে থাকতে!

স্নেহা u know I love you so much! to the square of infinity ?

স্নেহার মুখ দিয়ে কিছু আসছিলো না?..কিছু ভাববে সেই চিনতাও মাথায় নেই… জোড়ে কেদে রাহুলের বুকের মধ্যে ঝাপটে পড়ে…যেন পৃথিবীর সব সুখ এই জায়গাটাতে..

রাহুল ও শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে…

সবাই তালি দিয়ে উঠলো তাদের দেখে..??

চলবে,

♥Love At 1st Sight $2 Part : 15

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0
♥Love At 1st Sight $2

Part : 15

writer-Jubaida Sobti♥

স্নেহা রাহুলের কথা শুনে মাথা তুলে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো…
অজস্র অশ্রু ভেজা চোখে…তাকিয়ে অনেক্ষণ পর মাথা নাড়ালো…[ না তার আসল মা নয়]

রাহুল : [স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে] স্নেহা রিলেক্স…Don’t cry ok?

স্নেহা : জানো রাহুল! আমার মতো মেয়ে এই পৃথিবীতে না জন্মানোটাই ভালো ছিলো… আজ আমি জন্ম না নিলে আমার মা হয়তো বেচে থাকতো… ?

[রাহুল স্নেহার কথা কিছুই বুঝতে পারছিলো না…এবং সে কিছু বুঝতেও চাচ্ছিলো না…স্নেহা তার সামনে এভাবে কেঁদে যাবে তা সে মোটেও সজ্য করতে পারছে না ]

স্নেহা : আমার মা! আমার বাবার প্রথম স্ত্রী ছিলো… বিয়ের ৫বছর হয়ে যাওয়ার পরেও…আমার মায়ের কোনো সন্তান হচ্ছিলো না… তা দেখে গ্রামের মানুষরা মা কে…নানানরকম কথা বলতো.. ?
আমার দাদী মা কে অনেক ঘৃণা করতো..কারণ একটাই ছিলো… কি জানো?

আমার মায়ের সন্তান হচ্ছিলো না…সেই রাগে বাবাকে জোড় করে আরেকটি বিয়ে দেওয়া হয়..?আমার মা চেয়েও বাধা দিতে পারেনি…কারণ মা ও চেয়েছিল… বাবা যেন বাবা ডাকটি শুনতে পারে…
তারপর মিলি আপুর জন্ম…ঘরে খুশির ঢোল ভেংগে পড়ে… আমার মা ও অনেক খুশি হয়েছিলো নাকি…যখন মিলি আপুর জন্ম হয়…কিন্তু আমার দাদী আর মিলি আপুর মা মায়ের সাথে মোটেও মিশতে দিতো না…মিলি আপুকে… তাতে মা অনেক কষ্ট পেতো… কিছু করার ছিলো না… হঠাৎ একদিন…মায়ের গর্বে আমি আসি…শুরু থেকেই মা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে…বাবা মাকে অনেক যত্ন নিতো বাকিরা ফিরেও তাকাতো না…? এভাবে দিনের পর দিন কেটে যায়…এবং যেদিন আমার জন্ম হয়…সেদিন মা চিরদিন এর জন্য পৃথিবী থেকে চলে যায়..?

[রাহুল স্নেহার কাছে এসে চোখ মুছে দিয়ে তাকে ঝড়িয়ে ধরে]

স্নেহা : ?জানো রাহুল! মা চলে যাওয়ার পর থেকে মিলি আপুর মাকেই আমি মা ডাকি…আমি আমার মাকে চোখে দেখিনি…তাই তার চেহেরাতেই আমি আমার মায়ের প্রতিচ্ছায়া দেখতে পায়…

রাহুল : স্নেহা এদিকে তাকাও!

[স্নেহা রাহুলের দিক তাকালো]

রাহুল : তুমি তাকে তোমার মা ভাবো… ওকে ফাইন! তোমাকে উনি তার মেয়ে ভাবে?…

[স্নেহা চুপ করে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো… কিছু বলছে না শুধু চোখ থেকে জল ফেলছে..]

রাহুল : জবাব নেই?..

স্নেহা : তাতে কি এসে যায়…রাহুল!

রাহুল : ওকে রিলেক্স স্নেহা!

স্নেহা : আমার..?

রাহুল : Shut-up! চলো…

স্নেহা : কোথায়?..

রাহুল : কোথায় আবার? তোমার বাবার কাছে…

স্নেহা : পাগল নাকি তুমি?..?

রাহুল : দেখো স্নেহা যা হয়েছে তো হয়েছে…এখন আর লুকোচুরি নয়…এবার যা হবে সরাসরি হবে…

[ রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো… ]

স্নেহা : [ রাহুলকে আটকিয়ে ] রাহুল প্লিজ! আমার কথা শুনো… তুমি যেমনটা সহজ ভাবছো তেমনটা নয়!

রাহুল : তোমার আর কোনো কথা শোনার প্রয়োজন নেই আমার ওকে?..[ রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে]

স্নেহা : আ আহ! [ মাটিতে পড়ে বসে যায়]

রাহুল : [তাড়াতাড়ি স্নেহার পা ঘষতে ঘষতে] স্নেহা ? what happen?.. লেগেছে?..

স্নেহা : হ্যা অনেক ব্যথা করছে…?

রাহুল : ওকে ওয়েট…আমি মেজে দিচ্ছি..?

স্নেহা : দেখো রাহুল আমি পায়ে ও ব্যথা পেয়েছি আমি হেটে যেতে পারবো না…so তুমি এখন..

[রাহুলের আর বুঝার বাকি রইলো না স্নেহা আবারো ড্রামা করছে]

রাহুল : আমার চোখের দিক তাকাও…

স্নেহা : আজিব তোমার চোখের দিক কেনো তাকাবো… বলছি তো আমার পায়ে ব্যথা পাচ্ছি…

রাহুল : কেমনি তাকাবা মিথ্যে বললে…ওকে! তোমার যাওয়া লাগবে না আমি একাই যাচ্ছি! [ রাহুল উঠে চলে যাচ্ছে স্নেহা দৌড়ে এসে রাহুলকে ধরে ফেলে ]

স্নেহা : আরে আরেহ! কি আজিব! তুমি একা গিয়ে কি বলবা…বাবা তোমাকে উল্টা..

রাহুল : তোমার না পায়ে ব্যথা দৌড়ে এলে যে?..

স্নেহা : [আবারো পা ঘষতে থাকে] আরে হ্যা…আমি তো ভুলেই গেলাম…ইশ! কি ব্যথা…

রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে স্নেহার দিক এগিয়ে আসে]? Stop it স্নেহা just stop it!

[স্নেহা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায়]

রাহুল : Look স্নেহা তুমি এসব কার জন্য করছো বলো..?

স্নেহা : শুনো রাহুল! তুমি বাবাকে চেনো না…বাবা এতো সহজে মেনে নেবে না…এতোক্ষণে মা হয়তো সাতপাঁচ বুঝিয়ে দিয়েছে বাবাকে…

রাহুল : I don’t care?

[ রাহুল স্নেহার আর কোনো কথা না শুনে…তাকে নিয়ে বেড়িয়ে যায়..স্নেহা রাহুলকে আটকালে ও রাহুল তার বাধা শুনে না…বারান্দা দিয়ে টেনে টেনে উঠোনের দিক নিতে লাগলো রাহুল স্নেহাকে…
সকলে যে যা কাজ করছিলো…সব ফেলে তাদের দিক তাকিয়ে রইলো.. ]

স্নেহার বাবা উঠোনে বসে চা খেতে ছিলো…হঠাৎ তিনি রাহুল স্নেহাকে তার দিকে এভাবে টেনে আনতে দেখে…চমকে যায়…

রাহুল স্নেহাকে তার বাবার সামনে এনে দাড় করাই এবং সে ও দাড়াই…

বাবা : [একটু অবাক হয় তারা এভাবে আসাতে]..

রাহুল : আংকেল আপনাকে কিছু কথা বলার ছিলো

বাবা : হুম আমি জানি তুমি কি বলবে..

স্নেহা : বাবা তুমি কেমনি?

বাবা : …তোর মা বলেছে…তুই নাকি বিয়ের জন্য রাজি হয়েছিস!

স্নেহা : ? না! হ্যা… মানে!…?

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে তার হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরে] Nonsense Stop the drama ok!…

হঠাৎ,

মা : রাজি যখন হয়েছে…আর দেরী কিসের?..বিয়েটা একসাথেই…ফেলে দাও…
[স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে]…আমাদের বাড়ীর মেয়েরা পর পুরুষের হাত ধরে ঘুরে বেড়ায় না এটা হয়তো জানিস?..

স্নেহা তাড়াতাড়ি রাহুল থেকে তার হাত ছুটিয়ে নিলো,

রাহুল : [স্নেহার হাত টেনে আবার শক্ত করে ধরে.].আংকেল আমি স্নেহাকে

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] বাবা ও আমাকে বুঝিয়েছে…

[ রাহুল অবাক হয়ে স্নেহার দিক তাকালো ]

স্নেহা : হ্যা বাবা! আমিতো রাজি হচ্ছিলাম না..রাহুল আমাকে বুঝিয়েছে..এই বিয়ের জন্য…

বাবা : [খুশি হয়ে রাহুলের দিক এগিয়ে এসে ] সাব্বাস… আমিতো এতোদিন হয়রান হয়ে যাচ্ছিলাম…ওকে বুঝাতে বুঝাতে…

[ স্নেহা কিছু বলতে দিচ্ছেনা রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো… তারমানে স্নেহা এই বিয়েতে আসলে রাজি…স্নেহা চোখ মেলাতে পারছে না রাহুলের সাথে… ]

রাহুল : [ দীর্ঘশাস্ ফেলে ] আংকেল!…আমার কাজ শেষ…আজই চলে যাবো আমি…

বাবা : আরেহ! কি বলো?..বিয়েটা খেয়েই যাও এসেছো যখন!…

রাহুল : থেংক্স আংকেল! আমার অন্য একটি কাজ আছে…আসি! [ রাহুল চলে গেলো রুমের দিক স্নেহার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে… ]

বাবা : [স্নেহার দিকে এগিয়ে গিয়ে] আরে স্নেহা কাঁদছিস কেনো?…এখন বিদায় দিচ্ছি না..?

স্নেহা : [চোখ মুছে] বাবা!?

বাবা : হ্যা বল?..কিছু বলবি?..

স্নেহা : [ ভয়ে ] নাহ! কিছুনা!

বাবা : আচ্ছা চল ভেতরে চল! [ স্নেহা রাহুলের রুমের দিক একবার তাকিয়ে দেখলো মনে মনে ভাবছে…রাহুল হয়তো রেগে আছে তার উপর…কিন্তু কি করার এখন যদি বাবাকে এসব বলে…না জানি বাবা রাহুকে কি করে বসে..?]

বাবা : [স্নেহাকে তার রুমে নিয়ে] দেখ মা!.. মেয়ে যখন হয়েছিস..একদিন নিজ বাড়ী ছেড়ে পরের বাড়ী যেতে হবে! তাতে মন খারাপ করার কিছু নেই..

স্নেহার মন ছটফট করছে রাহুলের জন্য…ইচ্ছে হচ্ছে রাহুলের কাছে ছুটে যায়..

[ বাবা অনেক কিছু বলতে থাকে..কিন্তু স্নেহার ধ্যান শুধু রাহুলের কাছে ]

বাবা : আচ্ছা আমি আসি! এখন..তুই নাশতা করে নে… [ বাবা চলে যায়]

অরণি : [দৌড়ে রুমে এসে] আরে আপু! রাহুল ভাইয়া তো চলে গেছে…তার রুমে কিছু নেই…আম তলায় গাড়ী ও নেই…

স্নেহা দৌড়ে রাহুলের রুমে যায়,দেখে রাহুল সত্যিই নেই…চৌকির উপর কেট্রোস্ গাছটি পড়ে আছে…?

হঠাৎ পেছন থেকে,

স্নেহার মা : কি হচ্ছে এখানে?…

অরণি : [ভয় পেয়ে] না চাচী! রুম পরিষ্কার করছিলাম…

স্নেহার মা : গীতালি পরিষ্কার করে নিভে…তুই যা! [ অরণি চলে যায়]

[ স্নেহা মূর্তির মতো গাছটির দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ]

স্নেহার মা : বানরের গলায় মুক্তার মালা মানায় না…বুঝেছিস?.. ?ওর গাড়ী বাড়ী দেখে…লোভে পড়েছিলি তাই না?..

[স্নেহা কিছুই বলে না শুধু চোখ থেকে পানি ফেলতে থাকে..]
রুমে গিয়ে খাটে বসে পড়ে স্নেহা…রাহুলের সাথে কাটানো সব মোমেন্ট মনে পড়ছে তার…

মিলি : [স্নেহার পাশে এসে বসে] স্নেহা রাহুল তোকে অনেক ভালোবাসে… দেখিসনি বাবার সামনে সাহস করে বলতে গিয়েছিলো.. আর তুই কিনা!

স্নেহা : [ মিলিকে ঝড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই] আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম…বাবা যদি রাহুলকে কিছু করে?…

মিলি : বুঝেছি আমি স্নেহা কিন্তু! বলতে তো হবে!..নাহলে বাবা সত্যি সত্যি..তোকে?

[স্নেহা আরো ফুফিয়ে কেঁদে উঠে? ]

মিলি : দেখ স্নেহা! অনেক সেক্রিফাইস্ করেছিস এই ঘরের জন্য…কিন্তু কি পেয়েছিস?..বল?..

স্নেহা মাকে আমি রাহুলের সম্পর্কে সব বলেছি…মা সব জেনেও রাজি হচ্ছে না…কারণ কি জানিস?.. মা চাই না আমার চেয়ে ও বড় ঘরে তোর বিয়ে হোক!

স্নেহা : ?

মিলি : তুই যা আমি সামলাবো এইখানে..

স্নেহা : কিন্তু আমি পালালে তোমার বিয়ের ক্ষতি হবে!?

মিলি : আবারো আমার চিন্তা বললাম তো…

আচ্ছা বল তুই রাহুলকে ছাড়া থাকতে পারবি?..

স্নেহা : কখনো নাহ??!

মিলি : তাহলে এতোকিছু ভাবছিস কেনো?…তুই বয় আমি তোর টিকিট এর ব্যবস্থা করছি!

মিলি চলে যায় স্নেহার জন্য টিকিট এর ব্যবস্থা করতে….স্নেহা অপেক্ষাকৃত হয়ে বসে আছে..

এইদিকে রাহুল…স্নেহার গ্রামের পথ পেরিয়ে শহরের দিক রওনা হতে লাগলো… গাড়ী চালাচ্ছে তো চালাচ্ছে… মাঝে মাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে রাহুলের…এতোটা যে ভালোবেসে ফেলেছে স্নেহাকে….ওকে ছাড়া থাকতে হবে তা এক মুহূর্তের জন্য ও ভাবেনি…কিভাবে ভাববে…ছেড়ে থাকার জন্য তো ভালোবাসেনি রাহুল..
কি হতো আজ বাবাকে সাহস করে বলে দিলে…বাবাকে ও বলতে পারবে না আমার সাথে ও পালাতে পারবে না…তাহলে কি স্নেহার আমাকে চাই না?… হাজারো প্রশ্ন জাগছে রাহুলের মনে… ভেবে ভেবে…এগুতে লাগলো…

সন্ধ্যা নেমে আসলো,

বারান্দার কোণে পা গুটে বসে আছে স্নেহা চোখ দিয়ে অজস্র অশ্রু ঝড়ছে..রাহুলের কথা ভাবছে..[.মনেমনে ]রেগে আছে নিশ্চয় রাহুল…অনেক অভিমান করেছে…তার স্নেহার উপর…

হঠাৎ,

মিলি : স্নেহা চল!

স্নেহা : পেয়েছো?..

মিলি : [স্নেহাকে টেনে রুমের ভেতর নিয়ে যায়] এই নে টিকিট! রাতের ট্রেন…. ১০টায় ছাড়বে…তুই এক্ষুনি বেড়িয়ে যা…এখন চারদিক নিরিবিলি আছে…

[স্নেহা কেঁদে মিলিকে ঝড়িয়ে ধরে ফেলে]

মিলি : আরে পাগলী কাঁদছিস কেনো?..সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস..

স্নেহা : তোমাকে নিশ্চয় আমার আপন বোন করার কথা ছিলো…ভূল করে করা হয়নি?

মিলি : [ একটু হেসে ] চল চল! গুছিয়ে নে তাড়াতাড়ি নয়তো কেউ এসে পড়বে!

স্নেহা ব্যাগ গুছিয়ে…মিলিকে আবার ঝড়িয়ে ধরে!

মিলি : [কেঁদে ] সাবধানে যাস!?

[ স্নেহা বেড়িয়ে পড়লো, ষ্টেশন গিয়ে পৌছায়…ট্রেন এখনো আসেনি..চেয়ারে বসে আছে…চারদিক সব অচেনা মানুষ ভয় ভয় করছে…একা কখনো যাওয়া হয়নি শহরে…অবশেষে ট্রেন আসলে উঠে পড়ে..জানালার পাশেই পরেছে সি্ট টা… ট্রেন চলছে…রাহুলের কথা মনে পড়লে মনের ভয় সব দূর হয়ে যাচ্ছে… ]

এইদিকে,

রাহুল বাড়ী গিয়ে পৌছালো..

দাদী : [ কেঁদে ] রাহুল! কোথায় ছিলি তুই?..কতোবার ফোন করেছি..তোর ফোন বন্ধ আসছিলো?….এভাবে না বলে কেউ যায়?..কতো দুশ্চিন্তা মাথায় আসছিলো..

রাহুল কিছুই বলছে না ব্যাগ কাধে নিয়ে উপরের দিক উঠতে লাগলো…

সিফা : আরে রাহুল কিছুতো বল?..এসেই রুমে চলে যাচ্ছিস… কোথায় গিয়েছিলি?…

রাহুল : ভাবী! আমি অনেক টায়ার্ড পরে বলছি… [ রাহুল রুমে গিয়ে ব্যাগ রেখে খাটে আধশুয়া হয়ে শুয়ে পড়ে….চোখ ভিজে আসছে আবারো… হঠাৎ ফুফিয়ে কেঁদে উঠে…? কেনো করলো স্নেহা এমন?…ভাবতে ভাবতেই চোখ লেগে আসে রাহুলের…]

[ অন্যদিকে, স্নেহা ট্রেনের জানালার ধারে মাথা রেখে রাহুলের সাথে কাটানো মোমেন্ট গুলো মনে করছে…ভাবছে আর ব্লাশিং হচ্ছে..☺]

স্নেহা : [মনে মনে] আর বেশি দূর নেই মিষ্টার তেডি স্মাইল… I m coming… ☺ [ এসব ভাবতে ভাবতে কবে ঘুমিয়ে পড়লো জানেনা স্নেহা]

হঠাৎ টিকিট টিকিট.. চেঁচামেচিতে স্নেহার চোখ খুললো…উঠে দেখে ভোর হয়ে গেছে…সবাই মাল পত্র নিয়ে নেমে পড়ছে…

স্নেহা ও টিকিট দিয়ে নেমে পড়ে…একটা ট্যাক্সি ধরে…হোষ্টেলে উঠে পড়ে…
বেল বাজাতেই মার্জান দরজা খুলে…স্নেহাকে দেখে শকড হয়ে যায়…

মার্জান : স্নেহা তুই?..

স্নেহা : [মার্জানকে একটা চিমটি কেটে ভেতরে ঢুকে পড়ে] হ্যা আমি!..

মার্জান : কিন্তু তুই কেমনি কি করে আবার..?..

স্নেহা : আরে রিলেক্স এতো অবাক হওয়ার কি আছে…সব বলছি বয়.

মার্জান : তুই জানিস তুকে কতোটা মিস্ করেছিলাম…তোর সাথে সাথে রাহুল ও হাওয়া হয়ে গেছে… তোদের দুজনেরই কোনো খবর নেই…

স্নেহা : [মার্জানকে নাড়িয়ে দিয়ে] ওয়েট!..বলছিতো কি হয়েছে…

মার্জান : ওকে বল!

[স্নেহা মার্জানকে খুলে সব বলে?]

মার্জান : তুই পালিয়ে এসেছিস..?..

স্নেহা : হুম?

মার্জান : ছোট্ট একটা কাহিনীকে এতোবড় করার কি দরকার ছিলো বলতো…? ও রাগ করে চলে এসেছে বেশ করেছে..আমি হলে তুকে খুন করে আসতাম..?

স্নেহা : আচ্ছা বাবা হয়েছে..আমার যে করেই হোক রাহুলের সাথে দেখা করতে হবে…এখন চল ভার্সেটি যাবো…

মার্জান : তুই আগে ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়েনে…তারপর একসাথে বের হয়…বাস্ আরো আধ ঘন্টা পরে আসবে..

ভার্সেটি এসে পৌছালো…স্নেহা চারদিক রাহুলকে খুজতে লাগলো কোথাও নেই…
হলরুমের পাশে যেতেই দেখে রাহুলের ফ্রেন্ডসরা..আড্ডা দিচ্ছে…রাহুলের পেছন সাইডটাই দেখা যাচ্ছে..

স্নেহা : রাহুল!..?

আসিফ : আরে স্নেহা! কোথায় ছিলে এতোদিন…?

রাহুল পেছন ফিরে তাকায় এবং তার সাথে…ঝড়িয়ে নেহাও…ফিরে তাকায়…
স্নেহার মাথায় বাজ ভেঙে পড়লো… রাহুল আর নেহাকে একসাথে দেখে…

স্নেহা : [রাহুলের কাছে গিয়ে] কি হচ্ছে এসব?

নেহা : এই যে চাম্বুস আন্টি… what do you mean?..?

স্নেহা : তুই চুপ কর! তোকে সব কিছুতে নাক গলাতে হবে না…?
এভাবে সবার সামনে একটা ছেলের সাথে চুম্বকের মতো লেগে থাকতে লজ্জা করে না?…?

নেহা : You stupid! ? mind ur language ok?..আমার মনে হয় তুমি আমাকে চেনো না…আমি তোমাকে কি কি করতে পারি…

স্নেহা : ধুর! রাখতো তোর ভণ্ডামি! তোকে আমার চেনা লাগবে না..

রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে] Shut-up আর একটাও শব্দ করবানা… কি ভাবো কি নিজেকে? হুম?…

স্নেহা : রাহুল?

নেহা : [ রাহুলের পাশে এসে] চলো রাহুল!… এসব থার্ড ক্লাস মেয়েদের সাথে কথায় লেগে পারা যাবে না! এরা ছেলেদের গাড়ী বাড়ী দেখে…তাদের ফুসলিয়ে নেই…

রাহুল নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়!…

স্নেহা ঐদিকেই শক্ত হয়ে..দাঁড়িয়ে থাকে…মনে হচ্ছে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে… [ এক এক করে সবাই বেড়িয়ে পড়ে ]

আসিফ : স্নেহা!

স্নেহা ফুফিয়ে কেঁদে উঠে!

আসিফ : রাহুল তোমাকে অনেক ভালোবাসে!…তুমিই ওর প্রথম ভালোবাসা….এসব হয়তো রাগ করে করছে…

স্নেহা : সব আমারই দোষ ছিলো ?…

[মার্জান, জারিফা,রুমে এগিয়ে আসে]

মার্জান : কি হয়েছে স্নেহা?..? ও কাঁদছে কেনো?..

[আসিফ কিছু না বলে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়]

মার্জান : স্নেহা! কি হয়েছে বল?..অই নেহা কিছু করেছে??..

[স্নেহা কেঁদেই চলছে]

জারিফা : আরে বলনা স্নেহা কি হয়েছে?..

মার্জান : নিশ্চয় ঐ নেহা কিছু করেছে?…দাড়া ওকে তো আমি… [ মার্জান উঠে চলে যাচ্ছিলো ]

স্নেহা : [ মার্জানের হাত ধরে ] না মার্জান!

মার্জান : আরে! ওদের এভাবে ছেড়ে দিয়ে দিয়ে আমরা?

জারিফা : হ্যা মার্জান স্নেহা ঠিক বলছে…তুই এভাবে যাসনে কিছু বলতে…

মার্জান : ধুর! থাক তোরা আমার ভালো লাগছে না আমি হোষ্টেলে যাচ্ছি!
[ মার্জান চলে যাওয়াতে স্নেহাও আর ক্লাস করলো না…সে ও চলে গেলো ]

[হোষ্টেল গিয়ে দুজনে চুপ করে বসে আছে ]

স্নেহা : কি হলো এভাবে মুখ গোমড়া হয়ে বসে আছিস কেনো??

মার্জান : আমার তো ইচ্ছে হচ্ছে ঐ নেহাকে?…

স্নেহা : ওকে রিলেক্স! আমি জানি রাহুল আমার উপর রাগ করে এসব করছে…

কিন্তু আমিও এতো সহজে হাল ছাড়ছিনা… এতোদিন ও আমার বাড়ী হামলা করেছে…এবার আমি ওর বাড়ী হামলা করবো..

মার্জান : কিহ? তুই ওর বাড়ী যাবি থাকতে?…

স্নেহা : Correct ?

মার্জান : অমনিই থাকতে দেবে তুকে…

স্নেহা : এমনি এমনি কি আমার নাম ড্রামাকুইন দিয়েছে?.এবার মিষ্টার তেডি স্মাইলকে আমার আসল ড্রামা দেখাবো ?….

মার্জান : হে আল্লাহ এই মেয়েকে একটু হেদায়েত দান করো…আবার না জানি কোন কান্ড করতে বসেছে..

[স্নেহা হেসে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে যায়..সোজা গিয়ে রাহুলের বাড়ী পৌছায়]

দাদী ড্রইংরুমে বসে পেপার পড়ছিলো..সিফা এসে দাদীকে চা দিচ্ছে…হঠাৎ মেইন দরজার দিকে তাকাতেই দাদী আর সিফা অবাক হয়ে যায়,

সিফা : আরে স্নেহা!

স্নেহার চোখে পানি হাতে ল্যাগেজ দেখে দাদী ও দাঁড়িয়ে যায়,

সিফা : [ স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে ] কি হলো স্নেহা তুমি কাঁদছো কেনো?..?

দাদী : সিফা! তুই স্নেহাকে সোফায় বসা…

সিফা স্নেহাকে এগিয়ে নিয়ে সোফায় বসতে দিলো…

দাদী : এবার বল স্নেহা কি হয়েছে?…

স্নেহা : কি আর হবে দাদী! সব শেষ হয়ে গেছে…?

সিফা : সব শেষ হয়ে গেছে মানে?..?

স্নেহা : এখন আমি শুধু চাই ও সুখী থাকুক..

সিফা : স্নেহা কিছুই বুঝতে পারছিনা একটু ক্লিয়ার করে বলো প্লিজ!

স্নেহা : রাহুল?

দাদী : কি হয়েছে রাহুল?..?

স্নেহা : রাহুল আমাদের গ্রামের বাড়ী গিয়েছিলো…এবং সেখানে..আমার সাথে..?

সিফা : বলো স্নেহা?

স্নেহা : আমার সাথে কোর্ট ম্যারেজ করেছে..? বলেছে কথাটা যেন গোপন থাকে…আমি গোপন রেখেছিলাম..তারপর কিছুদিন গ্রামে থেকে..আমাকে না বলে পালিয়ে আসে ও…? পরে আমি ফোন দিলে..সে বলে..যা হয়েছে তো হয়েছে এবার এসব ভুলে যাও…তারপর?

সিফা : তারপর?

স্নেহা : তারপর আমার পরিবার জানলে আমাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেই?…

দাদী : তাইতো কাল জিজ্ঞেস করছিলাম.. আর সে কিছু জবাবই দিচ্ছে না..?
সিফা! রাহুলকে ফোন দে…আর এক্ষুনি বাড়ী আসতে বল!

সিফা দাদীর কথামতো রাহুলকে ফোন দিয়ে আসতে বলে,

দাদী : একটা মেয়ের জীবন নিয়ে খেলছে…? কেমন সাহস ওর?…

সিফা : দাদী রাহুলতো এমন না! কিন্তু ও এমন কিভাবে করলো?..?

স্নেহা : ক্যারেক্ট..ও এমন না…কিন্তু ঐ নেহা ওকে এমন হতে বাধ্য করছে..?

দাদী : ভাবতেই লজ্জায় আমার নাক কাটা যাচ্ছে…

স্নেহা : ওকে বলে কিছু হবে না দাদী! ও উলটা বলবে..আমি ড্রামা করছি!?

দাদী : তুই কাঁদিস না…আমি করবো এইবার যা করার…আসতে দে ওকে…?

স্নেহা : [মনে মনে] এরা তো মোটেও ঠের পাইনি…কিন্তু এই মিষ্টার তেডি স্মাইল তো…পাক্কা আমাকে হাতেনাতে গোল খাইয়ে দিবে..?

[কিছুক্ষণ পরে রাহুল তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে আসে]

রাহুল : কি হলো ভাবী?.. আর্জেন্ট আসতে বললে যে?…? [ হঠাৎ স্নেহার দিক তাকাতেই রাহুল Shocked..]

স্নেহা : দাদী আমি আসি!?

দাদী : দাড়া তুই কোথায় যাচ্ছিস?..[রাহুলের দিক এগিয়ে গিয়ে] বিয়েটা খেলার পুতুল বানিয়ে ফেলেছিস তাই না?

রাহুল : বিয়ে?..?

দাদী : হ্যা আর নাটক করতে হবে না স্নেহা আমাদের সব বলেছে…তুই ওর সাথে কোর্ট ম্যারেজ করেছিস…তারপর আবার ওকে ফেলে রেখে পালিয়ে এসেছিস?

স্নেহা : থাক দাদী কোর্ট ম্যারাজই তো কেউ জানতে পারবে না…? ও সুখী থাকলেই হবে!

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে মনে মনে ]? আবারো মাথায় নতুন ড্রামা বানিয়ে এসেছে…এবার ডিরেক্ট বিয়েতে চলে গেছে…না জানি দাদীকে আমার নামে আরো কি কি বুঝিয়ে দিয়েছে…

দাদী : তুই চুপ কর! বিয়ে কোর্টে হোক আর ঘরে…বিয়ে মানে চির জীবনের বন্ধন..

রাহুল : [স্নেহার দিকে এগিয়ে গিয়ে] পুরো জীবনটাই ড্রামা বানিয়ে রেখেছো তাই না?.. ?

স্নেহা : [ কাদো কাদো ভাবে ] দেখেছো দাদী বলেছিলাম না…ও বলবে আমি ড্রামা করছি?

দাদী : স্নেহা তোর বাবা মায়ের নাম্বার আমাকে দে..আমি কথা বলবো ওদের সাথে…

স্নেহা : [মনে মনে] এখন তো পাক্কা ফেসে গেলাম…?

রাহুল : [ মনে মনে ] কি না চেহেরা বানিয়েছে..? নতুন করে আবার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি…? কন্ট্রোল রাহুল এভাবে উইক হয়ে পড়লে চলবে না

স্নেহা : নাম্বার?..?

দাদী : হুম! ওদেরকে বুঝিয়ে আমি বলবো!?

রাহুল : কি হলো স্নেহা! দাদী কিছু বলেছে দাও?

স্নেহা : [ মাথা ধরে ] আরে মাথাটা ঘুরাচ্ছে কেনো??

রাহুল : [মনে মনে] Again Drama? মানে..হারে হারে বুদ্ধি…

সিফা : কিছু খাওনি মনে হয়! চলো আগে কিছু খেয়ে নাও! তারপর দিও!

দাদী : হ্যা হ্যা! যা আগে কিছু খেয়ে একটু বিশ্রাম কর!

[সিফা স্নেহাকে একটি রুমে নিয়ে কিছু খাবার এনে দেই….]

সিফা : স্নেহা! আমি কিন্তু তোমার পুরো ড্রামা ধরে নিয়েছি..? কি ব্যাপার বলো তো?..

স্নেহা : ? ড্রামা কই নাতো…

সিফা : Don’t worry আমি কাউকে বলবো না…?কিন্তু আইডিয়াটা জোস্ ছিলো ??

স্নেহা : ??

সিফা : যাও তুমি খেয়ে নাও..আমি যায় আমার আবার ফাবিহাকে স্কুল থেকে আনতে যেতে হবে…

স্নেহা : ভাবী আমার একটা হেল্প লাগবে… ?

সিফা : হ্যা অবশ্যয় বলো…

স্নেহা : আমার না একটা শাড়ী লাগবে…প্লিজ!

সিফা : ওহো!…কাকে দেখাবা শাড়ী পরে..?

স্নেহা : ??আর কাকে..?

সিফা : [ হেসে] ওকে তুমি বসো আমি আনছি..?

[ সিফা স্নেহাকে শাড়ী এনে দিলে স্নেহা শাড়ী পড়ে…সেজেগুজে…নতুন বউ এর মতো.. ফুল তৈরী ]

নিচে নামতে যাচ্ছে…ঠিক তখনি রাহুলের জানালার দিকে উকি দিতে দেখে… রাহুল রুমে বসে মিটি মিটি হাসছে…

স্নেহা হুট করে দরজা খুলে রুমে ঢুকে পড়ে…রাহুল স্নেহাকে দেখে কিছু বলতে যাবে ঠিক সেই সময় আবার হঠাৎ, হা করে তাকিয়ে আছে…?কি অপরুপ লাগছে..

স্নেহা রাহুলের সামনে এসে একটি চিমটি দেই..

রাহুল : আআহ!?

স্নেহা : [রাহুলের হাত টেনে] দেখি লেগেছে??..

রাহুল : [ হাত ঝাড়ি মেরে ] পারমিশন ছাড়া কারো রুমে ঢুকতে নেই জানো না?..

স্নেহা : আমার হ্যাজব্যান্ডের রুমে ঢুকেছি…তোমার কোনো সমস্যা?..

রাহুল : এক্সকিউজ মি!

স্নেহা : কেমন লাগছে আমায়??..

[রাহুল মুখ ভেংগিয়ে চলে যাচ্ছে স্নেহা দৌড়ে এসে পথ আটকায়]

স্নেহা : কি হলো..?তুমি আমাকে Avoid করছো কেনো…হ্যা জানি আমার ভুল হয়েছে তার জন্য অনেক সরি?

রাহুল : এই সরিটাও না…তোমার একটা ড্রামা…

স্নেহা : মোটেও না!? [ রাহুলকে কাছে টেনে ] শুনো ঐ নেহার সাথে চুম্বকের মতো আরেকবার লেগে থাকতে দেখলে..না তোমাকে

রাহুল : কি?..আমাকে কি?..

[স্নেহা বিড়বিড় করে কি যেন বলে ফেলছে..?]

[ রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে..?চোখ সরানো যাচ্ছে না…কারণ তাকে শাড়ীতে অপরুপ লাগছে…?]

স্নেহা : আচ্ছা বলো না কেমন লাগছে শাড়ীতে ?..?

রাহুল : পুরাই দাদী মায়ের মতো..?

স্নেহা : শুনো তুমি কিন্তু বেশি করছো!?আমি সরি বলেছি…আর তুমিওতো দোষ করেছো.. আমাকে না বলে চলে এসেছো..

রাহুল : তুমি ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছো আর আমি তোমার বিয়ে খাওয়ার জন্য ঐখানে বসে থাকবো তাই না ?..

স্নেহা : আরে রাগছো কেনো আমি তো মুখ থেকে বলেছি মন থেকে না…?

রাহুল : Whatever ? এতো রাতে একা আসার দরকারটা কি ছিলো…

স্নেহা : তো কার সাথে আসবো তুমিতো আমাকে ফেলে রেখে চলে এসেছো ?

হঠাৎ,

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : হ্যা বলো?

রাহুল : তোমার শাড়ী খুলে যাচ্ছে?

স্নেহা : What? [ স্নেহা তাড়াতাড়ি শাড়ী ধরে] না না খুলে যাচ্ছে না এভাবেই পড়েছি…

[রাহুল স্নেহার কান্ড দেখে না হেসে পারলো না…]

স্নেহা : হাসছো কেনো আমি শাড়ী পড়তে জানিনা..?তোমার জন্যই পড়েছি.. এএক সেকেন্ড হ্যা…একটু পেছনে ফেরো..

[ রাহুল হেসে পেছনে ফিরলো…স্নেহা তাড়াতাড়ি শাড়ী ঠিক করে নেই…]

স্নেহা : Done Done…☺

[ রাহুল স্নেহার দিক একটু তাকিয়ে হেসে চলে যাচ্ছে ]

স্নেহা : [ আবারো আটকিয়ে ] শুনো… তুমি যাই বলো দাদী কিন্তু আমার কথা সব বিশাস করেছে…? So

রাহুল : So??

স্নেহা : So এখন থেকে তুমি আমার হ্যাসবেন্ড আর আমি তোমার ওয়াইফ?…বুঝেছো মিষ্টার
[ একটু হেসে তার মুখের দিক ইশারা করে ]?? তেডি স্মাইল….

[ স্নেহা চলে যায় রাহুল…হা করে তাকিয়ে থাকে?…বকতেও পারছে না…কারণ তার সৌন্দর্য রাহুলকে মুগ্ধ করে দিচ্ছে…এবং সব রাগ অভিমান পানি হয়ে যাচ্ছে.. ]

চলবে…

♥Love At 1st Sight $2 Part – 14

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part – 14

writer-Jubaida Sobti♥

সবশেষে, সবাই ঘুমিয়ে পড়লো.. সারাদিনের ক্লান্তি.. কিন্তু স্নেহার ঘুমই আসছে না… যা আজ ঘটলো… ভাবতেই স্নেহা ব্লাশিং…?

এদিকওদিক কাত ফিরছে.. ছটফট করছে…কোনো ভাবেই…ঘুম আসছে না…উঠে বসে পড়লো..

স্নেহা : [মনেমনে] কি আজিব! আমার ওকে এতো মনে পড়ছে কেনো..রাতের ঘুমটাও হারাম করে দিয়েছে মিষ্টার তেডি স্মাইল..

[ স্নেহা উঠে জানালা দিয়ে উকি দিলো… রাহুলের রুমের বাতি এখনো জলে আছে.. তার মানে…মিষ্টার তেডি স্মাইল ও এখনো ঘুমাইনি..স্নেহা গায়ে চাদর মুড়িয়ে… উঠোন পেড়িয়ে রাহুলের রুমের দিক গেলো.. দরজার সামনে দাড়াতেই রাহুল দরজা খুলে ফেললো… ]

স্নেহা : [ Shocked হয়ে ] তুমি কিভাবে জানো… যে আমি এসেছি ?..?

রাহুল : ব্যাস! জেনে যায় আরকি?

স্নেহা : যখনি আসি! হঠাৎ করে তুমি চলে আসো.. তুমি কিভাবে জেনে যাও….

রাহুল : [ স্নেহাকে টেনে ভেতরে ঢুকিয়ে ] ব্যাস মিস্ ড্রামাকুইন…হার্টকানেকশন… ? যখনি তুমি আমার আশেপাশে আসো আমার heartbeat fast হয়ে যায়…?

স্নেহা : [ ব্লাশিং ] আমারও?…

রাহুল : ওহ! রিয়েলি ?[ রাহুল স্নেহার দিক এগুতে লাগলো ]

স্নেহা : দেখো আজেবাজে কান্ড করবানা…আমি সিরিয়াসলি কিছু কথা বলতে এসেছি…

রাহুল : [ স্নেহাকে কাছে টেনে ] হ্যা এবার বলো…?

স্নেহা : আরে! তুমি ধরে রাখলে আমি কিছইু বলতে পারবো না…?

রাহুল : আচ্ছা! আমি ধরলে তোমার কি হয়?

স্নেহা : শর্ট লাগে..?

রাহুল : [স্নেহার কানের কাছে এসে in slow voice ] তাহলে ধরেই রাখি?…?

স্নেহা : [ রাহুলকে ধাক্ষিয়ে ] কি বলছো কি?…

রাহুল : [ হেসে ]?? ওকে রিলেক্স it’s not a pressure ?

স্নেহা : [রাহুলের গাল টেনে দিয়ে] আজকের গানটা অনেক সুন্দর ছিলো?..

রাহুল : তাই!?

স্নেহা : আমার পুরা কথা শেষ হয়নি এখনো.. কথার মাঝে কথা বলবানা..?

রাহুল : ওকে ওকে!..?

স্নেহা : I love you ?[ বলেই পেছন ফিরে যায় ]

[ রাহুল পেছন থেকে স্নেহার কোমড়ে হাত দিয়ে স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে…?]

রাহুল : i love you too মিস্ ড্রামাকুইন!?

স্নেহা : [রাহুলের দিক ফিরে] ফাইনালি মিষ্টার চাছোড়াকে ড্রামাকুইন তার ভালোবাসার জালে ফাঁসিয়েই নিয়েছে…?

রাহুল : Shut-up don’t call ne that ok?..

স্নেহা : কেনো?..অবশ্যই এটা ডাকবো..কথা নেই বার্তা নেই..চ্যালেঞ্জ ধরেই মিস্ ইউনিভার্সের সাথে রিলেশন করে বসলে…?

রাহুল : আমার ভুলগুলিই খালি চোখে পড়ে তোমার ভালোগুলো পড়ে না?..

স্নেহা : ভালোকিছু থাকলেই তো পড়বে,?

রাহুল : ওকে! তুমি আমাকে তোমার নাম বলেছিলে?..?

স্নেহা : [কিছুক্ষণ ভেবে] নাহ তো!

রাহুল : 2nd দিনই আমি তোমাকে স্নেহা বলে ডেকেছি..?খেয়াল করেছো?…

স্নেহা : ?

রাহুল : তোমাকে যেদিন ফার্ষ্ট হোষ্টেলে পৌছে দিচ্ছিলাম..তুমি আমাকে তোমার হোষ্টেলের ঠিকানা বলেছিলে?…

স্নেহা : নাতো..?.

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] স্নেহা! তুমি যে প্রজেক্ট ক্লাসে, নেহার নাম চেঞ্জ করে তোমার নাম বসিয়ে দিচ্ছিলে..সব আমি দেখেছিলাম…কারণ আমার নজর ২৪ ঘন্টায় তোমার মধ্যেই থাকতো.. তুমি কোথায় যাচ্ছো না যাচ্ছো সব খবরই আমার কাছে আসতো… বাসায় বসে শুধু তোমার অপেক্ষায়…করতাম যে কখন বিকেলে তুমি আসবে…বারান্দায় দাঁড়িয়ে লুকে লুকে তোমায় দেখবো.. আর তোমার ঝুমুর পড়া নাচ…তোমার দুষ্টুমির ভঙ্গী…

স্নেহা! আমার আশেপাশে মেয়ের অভাব ছিলো না! অনেক মেয়ে দেখেছি… কিন্তু তাদের মাঝে তোমাকেই আমি চেয়েছি…কেনো জানো?..

তাদের চোখে আমি ঐ ভালোবাসাটা দেখিনি…যেটা তোমার চোখে দেখেছি..

স্নেহা! তোমার প্রশ্ন ছিলো…সামির তোমাকে মার্মেড কেফ না নিয়ে গিয়ে যে বারের মধ্যে নিয়েগেছে তা আমি কি করে জানলাম…

আমি জানতাম সামিরের উদ্দেশ্য কি…আমি তোমাকে বার বার বুঝিয়েছি কিন্তু তুমি বুঝোনি…তোমাদের আগেই গিয়ে আমি মার্মেড কেফ পৌছায়…এবং সামিরের গাড়ী ফলো করি, আমি যে তোমাদের ফলো করছিলাম তা সামির বুঝতে পেরেছিলো…তাই ও আমাকে ফাঁকি দিয়ে…তোমার সাথে?

স্নেহা : [ রাহুলের মুখে হাত দিয়ে ] ওকে!?

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে..একপায়ের হাটু গুটিয়ে মাটিতে বসলো ] স্নেহা will you marry me?..?

[স্নেহার বুক ফেটে কান্না আসছিলো…? সে জানতো না যে কখনো কেউ তাকে এভাবে ভালোবাসবে…ভাবতেই অবাক লাগছে.. চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো স্নেহার না না…এই জল কোনো দুঃখ্যের জল নয়…এটি তো খুশির জল]

রাহুল : কি হলো স্নেহা?..?

স্নেহা : [চোখ মুছে একটু হেসে..মাটিতে বসে পড়ে..] হুহ! এভাবে বললে হবে না…আমার সালমান খানের মতো করে বলতে হবে…?

রাহুল : রিয়েলি! এই টাইমেও ড্রামা করবা?..?

স্নেহা : মোটেও ড্রামানা… যা বলছি তা করো নাহলে বিয়ে করবো না…?

রাহুল : মানে! এমনি এমনি বলিনি যে তুমি ড্রামাকুইন!..?

স্নেহা : ? বলবা নাকি না?..

রাহুল : ওকে ওকে! মুজসে্ শাদী কারোগী স্নেহা?

স্নেহা : [ ?হেসে রাহুলের গাল টেনে তাকে ঝড়িয়ে ধরলো ] তাহলে আমি ড্রামাকুইন হলে তুমি হলে ড্রামাকিং.. ?

রাহুল : [ স্নেহাকে ঝড়িয়ে ] Shut-up তোমার ড্রামার কারণেই আমার ড্রামা করতে হচ্ছে..

[ গল্প করতে করতেই রাহুলের বুকে রাত কাটিয়ে দিলো স্নেহা ]

স্নেহা : আরে কটা বাজে?..?

রাহুল : ৪:০০ টার কাছাকাছি…

স্নেহা : ওকে বাই! আমি এখন যায়.. [ স্নেহা উঠে চলে যাচ্ছে ]

রাহুল : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে স্নেহার হাত ধরে ] কই যাও!

স্নেহা : ছাড়ো পরে কেউ দেখে ফেলবে!

রাহুল : একবার ছাড়লে কিন্তু আর ধরছি না..?

স্নেহা : কি বললে?…

রাহুল : রিলেক্স স্নেহা! জাষ্ট কিডিং ..

স্নেহা : এসব মজা আমার মোটেও..পছন্দ না রাহুল!?

রাহুল : [ স্নেহাকে ঝড়িয়ে ] ওকে ওকে m sorry…m sorry

[ স্নেহা শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে আছে রাহুলকে…]

স্নেহা : ইচ্ছে হচ্ছে! সারাজীবন এইভাবে কাটিয়ে দেই..

রাহুল : এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে তো আমার পা ব্যথা করবে!?

স্নেহা : [ মাথা তুলে রাহুলের গালে আস্তে করে একটা থাপ্পড় দেই ?] ইডিয়ট একটা বাই!

[ স্নেহা চলে গেলো.. রাহুল ব্লাশিং?]

স্নেহা ও ব্লাশিং হতে হতে রুমে ঢুকছিলো..হঠাৎ পেছন থেকে..

মা : কোথায় গিয়েছিলি?..

স্নেহা : [ Shocked? ]

মা : [স্নেহাকে নাড়িয়ে] কি হলো? স্নেহা! আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি?..

স্নেহা : মা!? আসলে!

মা : ছিঃ ছিঃ ছিঃ পুরো বাড়ীর নাক কাটাতে বসেছিস স্নেহা তুই! এতো রাতে একটা পর পুরুষের রুম থেকে আসছিস..

স্নেহা : মা! তুমি যা ভাবছো তেমন কিছুই না!?..

মা : খবরদার তোর এই নোংরা মুখে আমাকে মা ডাকবিনা!

মিলি : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] আরে স্নেহা! মা! কি হয়েছে?..?

মা : কি হয়েছে না! কি কি হয়নি তা জিজ্ঞেস কর ওর থেকে..? আমার তো ওর চেহেরা দেখতেই ঘৃণা লাগছে..

বাড়ীতে বসে বসে কাল সাপ পৌষছিলাম এতোদিন..

স্নেহা : মা! আমার কথাটাতো শোনো প্লিজ!?

[ মা,স্নেহাকে সজোড়ে একটি থাপ্পড় মারে,স্নেহা আনব্যালেন্সে থাকায় মিলির উপর গিয়ে পড়ে ]

মিলি : [ স্নেহাকে ধরে] আরে! মা! কি করছোটা কি.. ?

মা : পড়ার নাম আর মুখে? আনবিনা! শান্তিপুরের প্রস্তাবটা এখনো মুখ চেয়ে আছে…? আজই তোর বাবাকে বিয়ের কথা বলে…তাড়াতাড়ি এইঘর থেকে দূর করবো তোকে… নাহলে না জানি আরো কি কি কান্ড করে বসিস! [ স্নেহার মা চলে গেছে ]

[ স্নেহা কান্নায় ভেঙে মাটিতে বসে পড়ে ]

মিলি : স্নেহা! কাঁদিস না! প্লিজ! মা হয়তো রেগে গিয়ে এসব বলেছে..!

স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে] আমি কিছু করিনি শুধু ওর রুমে গিয়েছিলাম!?

মিলি : শোন! তুই রাহুলকে ভালোবাসিস!?

স্নেহা : [ মাথা নাড়ালো ] হুম?

মিলি : তাহলে যা! ওকে নিয়ে পালিয়ে যা!

স্নেহা : পালাবো মানে! কিন্তু কেনো?..

মিলি : স্নেহা! তুইতো মা কে চিনিস! মা কখনো তোর আর রাহুলের সম্পর্ক মেনে নেবে না! বাবাকে ওল্টাপাল্টা বুঝিয়ে দেবে ওর সম্পর্কে…

স্নেহা : না..নাহ এটা কিভাবে করবো…যে পরিবার আমাকে ছোট থেকে আশ্রয় দিয়েছে… আমি সে পরিবারকে..কিভাবে ঠকাবো!

মিলি : স্নেহা এখন আর এসব ভেবে কিছু করতে পারবি না!?…আমার কথা শোন!

স্নেহা : আমার জন্য একটা কাজ করতে পারবে! প্লিজ!

মিলি : বল!?

স্নেহা : তুমি রাহুলকে গিয়ে একটু বলেদিতে পারবে…যাতে ও এক্ষুনি..চলে যায়…

মিলি : স্নেহা!?

স্নেহা : প্লিজ প্লিজ প্লিজ!??

মিলি : আচ্ছা ঠিকাছে! [ মিলি চলে গেলো ]

[ স্নেহা রুমে ঢুকে আয়নার সামনে দাঁড়ায়…অনেক্ষণ তাকিয়ে থাকে নিজের চেহেরার দিকে…মুখের মধ্যে আংগুলের লাল ছাপ বসে আছে.. যা স্নেহাকে তার অতীত মনে করিয়ে দিচ্ছে..ভাবতেই চোখ থেকে অশ্রু ঝড়ে পড়ছে..কেনো এমন কেনো জীবনটা…? ]

হঠাৎ, হুট করে দরজা খোলার শব্দ..স্নেহা ফিরে তাকাতেই দেখে রাহুল..

স্নেহা তাড়াতাড়ি মুখ লুকিয়ে অন্যদিকে ফিরে যায়,

রাহুল : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] স্নেহা ?..কি শুনছি এসব?…তুমি বলেছো আমাকে চলে যেতে…

স্নেহা : দেখো রাহুল তুমি এখানে কেনো এসেছো প্লিজ! বেড়িয়ে যাও…?

রাহুল : আমার দিকে তাকাও স্নেহা! আমি বলছি তোমার মায়ের সাথে কথা!…আর তুমি পেছন ফিরে মুখ ঢেকে আছো কেনো?…

স্নেহা : বুঝো না কেনো প্লিজ রাহুল তুমি..বেড়িয়ে..

[ রাহুল একটানে স্নেহাকে তার দিকে ফেরায়… স্নেহার চেহেরা দেখে রাহুল নিস্তব্ধ?হয়ে যায়…স্নেহার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে..মুখের মধ্যে চড়ের ছাপ..]

রাহুল : স্নেহা! এসব??

কে মেড়েছে তোমাকে??

[ রাহুলের আর বুঝার বাকি রইলো না রেগে স্নেহার হাত ধরে রুম থেকে বেড়িয়েই যাচ্ছিলো.. স্নেহা বুঝতে পারলো রাহুল মায়ের কাছেই যাচ্ছে… স্নেহা রাহুলের হাত ধরে আটকিয়ে ফেলে..]

[ স্নেহা অভিমান আটকাতে না পেরে রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে ফেলে…রাহুলের বুকে মাথারেখে ফুফিয়ে কেঁদে দিলো স্নেহা ]

[রাহুলের রাগ বাড়তেই চলছে স্নেহার ফুফিয়ে কাদার শব্দ শুনে]

স্নেহা : ? প্লিজ! রাহুল কিছু বলো না! ওনার হক আছে আমার উপর!…তাই উনি আমাকে মেরেছে…?

ছোট বেলা থেকেই নিজের মেয়ের মতো করে…পেলেছে…এই অধিকারটা তো অন্তত ওনার আছে..?

[ স্নেহার কথা শুনে রাহুল একটু অবাক হলো ]

রাহুল : নিজের মেয়ের মতো করে মানে..? উনি তোমার আসল মা নাহ?..

চলবে…..

♥Love At 1st Sight $2 Part : 13

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part : 13

writer-Jubaida Sobti♥

স্নেহা : দেখো প্লিজ! যেতে দাও আমাকে..?

রাহুল : আমি কি তোমাকে ধরে রেখেছি?? যাও!..

স্নেহা : সরে দাঁড়াও…?

রাহুল সরে দাঁড়ালো..স্নেহা চলে যেতে চাইলে রাহুল আবারো স্নেহাকে টেনে…একই জায়গায় দাড় করাই…?

রাহুল : [স্নেহার কাছে মুখ এনে..] কেনো এসেছিলে…বলো..?

স্নেহা : গী..গীতালি.. বলেছিলো..তুমি নাকি খাওনি..তাই..?

রাহুল : হ্যা তো…খাবার এনেছো?..?

স্নেহা : না..নাহ তো..?

রাহুল : তাহলে পেট ভরবে কিভাবে?..

[ Rahul try to kissed sneha??]

স্নেহা : [ মুখে হাত দিয়ে ] ছিঃ ?

রাহুল : What!?…

স্নেহা : এসব কি করছো…?

রাহুল : কেনো লজ্জা লাগছে??

[Sneha’s heart beating fast ?]

রাহুল : Come on sneha! পেয়াস্ লাগিহে মেঠানা তো পাডেগা…?

[Rahul again try to kissed sneha ??] [স্নেহা রাহুলকে ?জোড়ে ধাক্ষা দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে…রাহুল হাসতে থাকে ]

[রুমে গিয়ে স্নেহা মিটিমিটি হাসে..]

মিলি : [স্নেহার পাশে বসে] হুম! তাহলে বাবাকে ও বলতে হচ্ছে…যে ছোট মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থাটাও করে নাও…বর মিলে গেছে..?

স্নেহা : [মিলির মুখ চেপে ধরে] আপু???…

মিলি : আমার মুখ চেপে ধরে লাব নেই..আমি সব দেখেছি…?

স্নেহা : না আসলে?…আচ্ছা শোনো না..

[ স্নেহা তার বড় বোন মিলিকে সব খুলে বলে]

মিলি : আরেহ! এখন তো ও বলে দিয়েছে…বেচারা কে এত্তো কষ্ট দিচ্ছিস কেনো..বলতো?

স্নেহা : আরেহ! একটু নাচিয়ে দেখছি আরকি..কতোটুকু সজ্য করতে পারে?

মিলি : তুই ও না স্নেহা…?

স্নেহা : আচ্ছা হয়েছে এবার যাও ঘুমিয়ে পড়ো নাহলে কাল ফেকাসে লাগবে?

মিলি : আচ্ছা শয়তান?

পরদিন সকালে,

স্নেহার বাবা : আরেহ রাহুল! কোথায় যাচ্ছো…

রাহুল : এইতো একটু এইদিকটা যাচ্ছিলাম… [ রাহুল মনে মনে..ভাবতে লাগলো বাব্বা এত্তো খুশি লাগছে নিলাজ সাহেবকে কি ব্যাপার ]

স্নেহার বাবা : ওহ আচ্ছা যাও যাও! তবে খেয়েছো তো?..

রাহুল : জি খেয়েছি? কি ব্যাপার আংকেল অনেক খুশি মনে হচ্ছে..?

স্নেহার বাবা : ও হে! আমার মেয়েকে আজ বর পক্ষ দেখতে আসছে…অবশ্য ওরা আগে থেকেই…ওকে দেখে ঠিক করে রেখেছে…আজ আংগটি পড়াতে আসছে.. বিয়েটা কদিন পরেই…হয়ে যাবে…শোনো..বিয়েটা কিন্তু খেয়েই যাবে..?..

[রাহুল হতভাগ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে..কি শুনলো ও?…]
স্নেহার বাবা : আচ্ছা আমি আসি কেমন! তোমার কিছু লাগলে হরিকে বলো..

[ স্নেহার বাবা চলে গেলো ]

রাহুল গিয়ে চারদিক খুজছে স্নেহাকে…

পিছনের উঠোনে গিয়ে দেখে…সব মেয়েরা…নানারকম খাবারদাবার বানাতে ব্যস্ত..আর মহারাণী স্নেহা…খড়ের উপর বসে পা নাড়িয়ে নাড়িয়ে দেখছে…

রাহুলকে দেখে স্নেহা দাড়িয়ে যায়,

স্নেহার মা : আরে বাবা তুমি?..কিছু লাগবে…নাকি?

রাহুল : No আন্টি am alright..

রাশু : মা! জানো অনি ..ঐদিন..কি বলেছে… ওনার নাকি বাসার খাবার গুলো পছন্দ না..তাই রেষ্টুরেন্টে খাবে..?

আর স্নেহা আপু…আমাকে দিয়ে ওনাকে টং এর দোকানে পাঠালো…আমি বললাম এটাই রেষ্টুরেন্ট?

[ রাশুর কথা শুনে সবাই হেসে দিলো ]

মা : চুপ কর! বদমাইশ.. [ রাহুল স্নেহাকে ইশারা করছে…কথা আছে আর স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে যাচ্ছে..]

রাশু : আরে ভাই চলেন..এখানে সব মেয়েদের কাজ…আমরা দিঘির পাড়ে যাবো মাছ ধরতে চলেন… [ রাশু রাহুলকে ধরে টেনে নিয়ে গেলো ]

[রাহুল রাশুকে নিয়ে বের হচ্ছে অমনিই উল্টো পথ থেকে স্নেহা এসে…দাঁড়ায়]

স্নেহা : আই রাশু কই যাচ্ছিস! আর এই যে আপনি সব জায়গায় এমনভাবে আসেন যেন কোনো এন্ট্রি সিন্ চলছে…

রাহুল : স্নেহা! এসব কি শুনছি?..আজ নাকি বর পক্ষ আসছে তোমাকে দেখতে?..

স্নেহা : কিহ!?

রাহুল : তোমার বাবাই তো বললো..

স্নেহা খিলখিল করে হেসে উঠলো ..??

রাহুল : Damn it! হাসার কি বললাম?

স্নেহা : হ্যা দেখতে আসবে আমাকে…তো?…

রাহুল : [রেগে] what nonsense! ? তুমি আমাকে আজ বলছো?..

রাশু : কি হলো ভাই? আপুকে লাইন মারা হচ্ছে বুঝি?..

মিলি : [পেছন থেকে গলা ঝেড়ে] এহেম এহেম! আমি কি আসতে পারি?..

[রাহুল অবাক হয়ে পেছন ফিরে তাকালো এটা আবার কে..]

মিলি : আমি স্নেহার…

স্নেহা : [ স্নেহা এসে মিলির মুখ চেপে ধরে] হ্যা মানে আপু বলছে যে আজ স্নেহাকে দেখতে আসছে..আজ আপনার এই বাড়িতে বিশেষভাবে দাওয়াত রইলো..

রাহুল : ? মানে কি?…

[ রাশু আর মিলি মুখ লুকিয়ে হাসতে লাগলো ]

স্নেহা : মানে কি মানে?..?কানে কি কম শুনো নাকি?..

মিলি : স্নেহা হয়েছে অনেক..?আমি স্নেহার বড় বোন…আজ স্নেহাকে না আমাকেই দেখতে আসছে..আপনি টেনশন করিয়েন না..

স্নেহা : ধ্যাত আপু এইটা কি করলা..?

রাহুল : Oh! আপনি স্নেহার বড় বোন?..আচ্ছা আচ্ছা আমি ভেবেছি.. Ok Ok i understand..

মিলি : [ স্নেহার কানে ] বেশি নাচাতে গেলে তখন নিজে ধরা পরবি..শয়তান..

স্নেহা : ধুর যাওতো তুমি..[ মিলি হেসে চলে গেলো ]

[ রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে]

রাশু : আমার মাথায় কিছু আসে না..এই যে ভাই আপনি আসেন আমি যায়..

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] মিস্ ড্রামাকুইন আমাকে নাচাতে অনেক মজা লাগছে তাই না?..?

[হঠাৎ, পেছন থেকে খিলখিল হাসার শব্দ]

[ রাহুল আর স্নেহা দুজনেই ফিরে তাকালো.. দেখে অরণি, মহিমা, আর গীতালি একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাসছে..]

মহিমা : হুহ! আর লুকাই লাব নেই..সব বুঝছি আমরা…?

[স্নেহা একটু নার্ভাস হয়ে পাশফিরে যায়..]

রাহুল : এই যে গার্লস গ্রুপ…লুকিয়ে আর হেসো না…এইদিকে এসো তোমরা যে ডেইলি ফোলো করতে তা আমি দেখেছি..

স্নেহা : ?

অরণি : [স্নেহার কানে কানে] আপু তুমিও যাওনা মাছ ধরতে একসাথে?

গীতালি : হ্যা গো দিদি! যাও না..তুমিও একা একা ওনার ভালো লাগবে না…?

স্নেহা : আই! বেশি হয়ে যাচ্ছে না একটু… তোদের ইচ্ছে হলে তোরা যা..?

অরণি : হ্যা আমরা তো যাচ্ছিই..তাই তোমাকে ও আসতে বললাম.. থাক চলেন ভাইয়া আমরা যায়…

স্নেহা : ??

রাহুল : ওকেই [ স্নেহাকে চোখ মেরে সানগ্লাসটা পড়ে নিলো?] Let’s go girls…

স্নেহা : [ বিড়বিড় করে ] হুহ! চশমাটাও এমনভাবে পড়ছে যেন একটা কিছু?

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে ] all the best স্নেহা ?…

[স্নেহা রাগান্বিত ?ভাবে রাহুলের দিকে তাকায়..আর রাহুল স্নেহার গলা থেকে টান মেরে স্কার্ফটা নিয়ে মাথায় বেধে নেই]

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : মাছ ধরতে যাচ্ছি… All the best বলবা না?

স্নেহা : আমার স্কার্ফ??

রাহুল : ওউ! এটা মাছ ধরে এসে দিয়ে দেবো? বাই
ড্রামাকুইন?
… [ রাহুল আর স্নেহার কান্ড দেখে বাকিরা ও হেসে চলে যায় ]

স্নেহা : [ রুমে গিয়ে ] আজিব! ?গেলো তো গেলো আমার স্কার্ফটাও টেনে নিয়ে গেলো… হুহ..

[ এদিকওদিক ছুটাছুটি করছে স্নেহা ]

ধুর আমি এখানে বসে বসে কি করবো…? কি করছে ঐখানে আল্লাহ জানে…

[ হঠাৎ বাইরের দিক তাকাতেই দেখে হরিকাকা ঝুড়ি নিয়ে বের হচ্ছে ]

স্নেহা : [ দৌড়ে গিয়ে ] হরিকাকা..কই যাও তুমি?..

হরিকাকা : আরে দিদিমণি আমিতো দিঘির পাড়ে যাচ্ছি..ঝুড়ি দিতে..কিছু লাগবে?..

স্নেহা : না নাহ! কিছু লাগবে না..এদিকে দাও ঝুড়ি আমি দিয়ে আসি..

হরিকাকা : তুমি দিতে যাবা কেনো..আমি দিয়ে আসি!

স্নেহা : আরে কিছু হবে না! তুমি বাকি জিনিষ গুলো দেখো… আমি দিয়ে আসি..

[ স্নেহা হরিকাকা থেকে ঝুড়ি গুলো নিয়ে দিঘির পাড়ে গেলো দেখে রাশু আর কয়েকজন মাছ ধরছে.. আর মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম অনেক তো বলেছে মাছ ধরতে যাচ্ছি…মাছ ধরার নাম নেই..ক্যামেরা দিয়ে ফোটো তুলতে আছে… স্নেহা গিয়ে ঘাটের মধ্যে ঝুড়ি গুলো রাখলো ]

রাহুল : হেই! ড্রামাকুইন! আমি তো জানতাম তুমি আসবে..?

স্নেহা : ওহ! ☺রিয়েলি! হাউ সুইট!?আমি এইখানে ঝুড়ি দিতে এসেছি.. নয়তো আমার বয়ে গেছে আসার জন্যে..

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] এইদিকে তাকাওতো… [স্নেহা তাকাতেই রাহুল একটা ?ছবি তুলে নেই ..স্নেহা আরো রাগান্বিত ভাবে তাকায় রাহুল আবারো ফটো তুলে নেই]

রাহুল : ওয়াও…স্নেহা কি না পোজ দিলা?

[স্নেহা কিছু না বলে নাক ফুলিয়ে চলে যাচ্ছে…রাহুল ও স্নেহার পিছে পিছে দৌড়ে আসে]

রাহুল : হেই ড্রামাকুইন! কই যাও..

স্নেহা : মরতে যাচ্ছি..?

রাহুল : আরেহ! একা কেনো..আমায় ফেলে?…?

[ হঠাৎ অরণি,মহিমা আর গীতালি ও এগিয়ে আসে]

অরণি : আরে! ভাইয়া চলেন আম বাগানে যাবো.. আমার না কাচা আম খেতে মন চাইছে..☺

রাহুল : ওয়াও! ম্যাংগো? আই লাভ ইট..ওকে চলো…

স্নেহা : ??

অরণি : আরে আপু তুমিও চলো না প্লিজ!

স্নেহা : নাহ আমি যাবো না তোরা যা!?

মহিমা : আরেহ! চলো তো [ স্নেহাকে টানতে থাকে মহিমা]

স্নেহা : আরে! বললাম তো যাবো না!

রাহুল : থাক থাক বাদ দাও…এমনিতেও ও গিয়ে কি করবে?.. হাইটে ও ছোট মানুষ.. গাছ থেকে আম পারতে পারবে না..

স্নেহা : এক্সকিউজ মি! কি বললে হুম?..?

[ Rahul give a tedi smile?]

স্নেহা : শোনো এই তেডি স্মাইল দেওয়াটা না বন্ধ করো ওকে ফাইন! ?চ্যালেঞ্জ করলাম..যদি আমি তোমার চেয়ে বেশি পেরে দেখাতে পারি তাহলে!

রাহুল : তাহলে তুমি যেটা বলবে আমি সেটা করবো.. ?

স্নেহা : ওকে! ডান?

রাহুল : ?আর যদি আমি তোমার চেয়ে বেশি পেরে দেখাতে পারি…তাহলে আমি যেটা বলবো তুমি সেটা করবে..

স্নেহা : ?ওকে!

রাহুল : Think স্নেহা?

স্নেহা : ডান!?

রাহুল : ওকে তাহলে চলো ?

[ সবাই মিলে একসাথে হাটতে লাগলো.. স্নেহা রাহুলের পাশে হাটতে না চাইলেও রাহুল ইচ্ছে করে করে স্নেহার পাশে হাটছে…আর মিনিটে মিনিটে এক এক রিয়েকশনের ছবি তুলছে..]

অবশেষে পৌছালো…

মহিমা : ওকে! এই দুইটা ঝুড়ি থাকবে..কে কার আগে..ঝুড়ি ভরতে পারে!

স্নেহা : ওকে ওকে…?

রাহুল : স্নেহা ভেবে দেখো এখনো সময় আছে..? তুমি কিন্তু হাইটে ছোট…

স্নেহা : আই ?হাইট নিয়ে বলার কি আছে…আমি তোমার নেহার মতো ১২ইঞ্চির হাই হিল পড়িনা ওকে…?তাই হয়তো তোমার চেয়ে অনেক শর্ট লাগছে..

মহিমা : আরে তোমরা কি ঝগড়াই করবা নাকি…শুরু করবা..?

রাহুল : ইয়াহ! রাইট..? শুরু করো স্নেহা…

[ রাহুল আর স্নেহা দুজনেই…আম পারতে লাগলো… স্নেহা রাহুলের চেয়ে অনেক বেশি পেরেছে…তা রাহুল খেয়াল করলো.. তাই রাহুল অরণিকে ইশারা করাতে…অরণি চুরি করে করে স্নেহার ঝুড়ি থেকে আম নিয়ে রাহুলের ঝুড়িতে ভরিয়ে দিচ্ছে…স্নেহা অবাক হচ্ছে এতোক্ষণে তো ঝুড়ি পুরিয়ে যাওয়ার কথা…কিন্তু এমন কেনো হচ্ছে…কাছের আম তো সবই পারা হয়ে গেছে…বাকি গুলো অনেক উপরে…?]

রাহুল : কি হলো..স্নেহা!? থেমে গেলে যে…আর পারা যাচ্ছে না?.. Any help

স্নেহা : No thanks ?… [ স্নেহা উকি দিয়ে রাহুলের ঝুড়ি দেখলো অনেকটা ভরে গেছে..আর কিছু পারলেই ভরে যাবে… না না..এতো সহজে হার কি করে মানবে স্নেহা… রাহুল চারদিক ঘুরে ঘুরে আম পারায় ব্যস্ত..]

স্নেহা ধীরেধীরে বাকী আম গাছ গুলোতে দেখছে…সব গুলোই নাগালের বাইরে…ঢিল মারছে তাও পড়ছে না..? হঠাৎ দূর থেকে স্নেহার চোখ পড়লো..রাস্তার ধারের আম গাছটার নিচে রাহুলের গাড়ী.. স্নেহা এদিকওদিক তাকিয়ে সেখানে চলে গেলো.. টাইম ওয়েষ্ট করে আর লাভ কি…স্নেহা তাড়াতাড়ি গাড়ির চালের উপর উঠে পড়লো… আহ কত্তো সহজভাবে টুকুর টুকুর আম পারছে স্নেহা…পুরো ওড়নার আচলে ভরে নিয়েছে..]

হঠাৎ,

রাহুল : ওয়াও What a idea! i like it…?

[রাহুলের আওয়াজ শুনাতে হুট করে স্নেহা তার ওড়নার আচল ছেড়ে দেই..আর গরগর করে আম সব মাটিতে পড়ে যায়…? স্নেহা পাশফিরে তাকাতেই দেখে রাহুল..ক্যামেরা হাতে স্নেহাকে ছবি তুলছে স্নেহা জিহ্বাই কামড় দিয়ে দেই ??] [ বাকিরা হেসে উঠে]

রাহুল : স্নেহা! তুমি গাড়ীর চালের উপর কি করছো…?

স্নেহা : [তাড়াতাড়ি গাড়ীর চালের উপর বসে পড়ে] না নাহ! আমি আসলে দেখছিলাম যে তোমার গাড়ীটা টিকসই কিনা…[গাড়ীর উপর একটু বাড়ি দিয়ে] আচ্ছা এটা কিসের তৈরী..

রাহুল : এটা ? …সুতার তৈরী..?

স্নেহা : ????

রাহুল : কি সুতা জিজ্ঞেস করবানা?..?

অরণি : আপু এটা লিনেন সুতার তৈরী?

স্নেহা : সরি!?

রাহুল : আমিতো আগেই বলেছিলাম স্নেহা Think?…আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করোনা.. কিন্তু তুমি শুনলানা..

স্নেহা : [ গাড়ীর চাল থেকে নামতে নামতে ] হয়েছে হয়েছে ?যাও..আমি হেরেছি তুমি জিতেছো..

রাহুল : Careful damn it!?দেখে নামো ?…

[ ??স্নেহা নেমে এলো ]

রাহুল : থেংকস্ গার্লস্ চলো এইবার..? [ স্নেহাকে চোখ টিপ মেড়ে রাহুল সানগ্লাসটা আবার পড়ে নিলো ]

স্নেহা : ?? [ মুখ ভেংগিয়ে হাটা শুরু করে..]

রাহুল : [স্নেহার পাশে এসে] মনে আছে তো চ্যালেঞ্জ হারলে কি করতে হবে ?

স্নেহা : ??জি! মিষ্টার চাছোড়া মনে আছে..
বলুন কি করতে হবে…

রাহুল : Shut-up don’t call me that..

স্নেহা : [ মুখ ভেংগিয়ে] হুহ!

রাহুল : [হেসে?] are you ready sneha?

স্নেহা : What?

[ রাহুল ইশারা দিয়ে তার ঠোটের দিক দেখিয়ে দিলো ]

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] কিহ!???

অরণি : কি হলো?..?

রাহুল : কি হলো স্নেহা বলো?..

স্নেহা : ? [ বিড়বিড় করে কি যেন বলে দৌড় দিলো ]

বাড়ীতে পৌছালো,

মা : স্নেহা! কোথায় গিয়েছিলি?..আজকের দিনটা অন্তত না বেড়িয়ে পারতি…

স্নেহা : কি হলো চেঁচাচ্ছো কেনো..আমি আবার কি করলাম..?

মা : নাহ! তুই কিছু করিস নি!..ঘরে কি হচ্ছে না হচ্ছে তোর কি খবর আছে..

স্নেহা : উফ! বাদ দাওতো মিলি আপু কই?..

মা : রুমে আছে যা গিয়ে ওকে তৈরী হতে সাহায্য কর!

স্নেহা : যাচ্ছিরে বাবা..

[ রুমে ঢুকতেই দেখে রাশু একটা গিটার নিয়ে বাজাচ্ছে.. কি বাজে শব্দ আসছে গ্যাং গ্যাং করে]

স্নেহা : আই!? এটা তুই কই পাইলি?..

রাশু : আরেহ! আপু..অই রেষ্টুরেন্ট ওয়ালা রুমে বাজাচ্ছিলো ওর থেকে নিয়ে এসেছি…

স্নেহা : [মনে মনে] ?হুম! আর কিছু সংগে আনুক না আনুক..গিটারটা নিশ্চিত আনবে… প্রথমদিন তো অনেক সাধু সেজে এসেছিলো..নিশ্চয় গাড়ীর ভেতর লুকিয়ে রেখেছে?

[ স্নেহা গিয়ে জানালা দিয়ে উকি দিলো.. ওয়াহ কি ভাবসাব নিয়ে তৈরী হয়ে বেরিয়েছে যেন তারই বিয়ে হচ্ছে রাহুল স্নেহার দিক তাকাতেই আবারো ঠোটের দিক ইশারা করলো স্নেহা তাড়াতাড়ি পর্দা টেনে দেই..রাহুল হাসতে থাকে..? ]

সন্ধায় স্নেহা তৈরী হয়ে উঠোনে এলো…
চারদিক ঘুরঘুর করে দেখছে..খুব সুন্দর সাজিয়েছে.. হঠাৎ,

বাবা : স্নেহা! কি দেখছিস! কেমন হয়েছে সাজানো?..

স্নেহা : হ্যা বাবা অনেক সুন্দর!

বাবা : সবকিছু ঐ শহরের ছেলেটার আইডিয়ায় সাজানো হয়েছে..

স্নেহা : ওহ!?

বাবা : আমার বড় মেয়ের বিয়ে বলে কথা..সব অনুষ্ঠানে সাজানো হবে.. আর ছোট মেয়ের বিয়েতে তো আরো বড় করে সাজাবো..কি বলিস!?

[স্নেহা লজ্জা পেয়ে একটু হেসে দেই]

হঠাৎ, রাহুল স্নেহা আর তার বাবাকে..একসাথে.. দেখে এগিয়ে আসে..

রাহুল : কেমন হয়েছে আংকেল?..

স্নেহার বাবা : হ্যা হ্যা দারুণ সাজিয়েছ..

রাহুল : [ স্নেহাকে চোখ মেরে ]? থেংক ইউ আংকেল! [ স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে পাশফিরে যায়]

রাশু : [রাহুলের দিক এগিয়ে এসে] এই নাও ভাই তোমার গিটার…

স্নেহার বাবা : এটা কি?..

রাশু : বাবা! সিংগার সিংগার..এটা বাজিয়ে ওনি গান গায়..?

স্নেহার বাবা : আরে তাই নাকি? তুমি গান করতে পারো?..

রাহুল : জি! হ্যা..মানে ম্যাগাজিন ওয়ার্কের পাশাপাশি গান ও গায় আরকি..?

রাশু : আজ রাতে তো তোমার গান গাইতেই হবে…ভাই

রাহুল : আরে না! কি বলছো এসব!

স্নেহার বাবা : নাহ! কেনো..আজ আমরা সবাই শুনবো তোমার গান!?

স্নেহা : [মনে মনে] গান গাইবে না..? পুরো গ্রামের মেয়েদের পাগল বানাবে.. disgusting [ হন হন করে স্নেহা ভেতরে চলে গেলো ]

[রুম থেকেই আবার উকি দিয়ে দিয়ে দেখছে রাহুল কি করছে…রাহুলের চোখে পড়াতে রাহুল আবারো ঠোটের দিক ইশারা করে স্নেহা তাড়াতাড়ি সরে যায়]

স্নেহা [মনেমনে] কি আজিব বার বার একই জিনিষ করে যাচ্ছে?…

মেহেমান চলে এলো চারদিক হৈচৈ..

মা : [ শরবত নিয়ে এসে ] স্নেহা ধর! এগুলো টেবিলে দিয়ে আয়..

[স্নেহা শরবত গুলো নিয়ে টেবিলে রেখে চলে আসছে ]

হঠাৎ,

রাহুল : [পাশে এসে!] Come on স্নেহা তুমি চ্যালেঞ্জ করে এখন ভয় পাচ্ছো…তাহলে তো তোমার নিকনেইম চেঞ্জ করে মিস্ ডারপোক দিতে হবে?

স্নেহা : মোটেও না! ভয় কেনো পাবো হুম!

রাহুল : আমিতো তোমার চোখে ভয় দেখছি!?

স্নেহা : ?প্রতিদিন চশমা পড়ে থাকতে থাকতে তুমি রাতকাণা হয়ে গেছো বুঝলে!

রাহুল : ওকে ফাইন! m waiting… ?যদি তুমি ডারপোক না হোও তাহলে প্রুফ করো…

[ স্নেহা কিছু না বলে রুমে এসে ঢুকে পড়ে]

স্নেহা : [জানালা দিয়ে উকি দিয়ে মনে মনে ] মানে কি! আমি কেনো ডারপোক হবো..? কিন্তু এমন একটা জিনিষ চেয়ে বসলো…উফফ!

মিলি : অই! কি দেখছিস এভাবে?..?

স্নেহা : কই নাতো! ও হে তোমার বর মিষ্টার সিয়াম কে দেখছি..অন্য কোনো মেয়ের সাথে লাইন মাড়ছে কিনা..? By the way কি নাহ লাগছে তোমায়? ভাইয়া তো দেখেই কাত হয়ে যাবে?

মিলি : যাহ শয়তান!

স্নেহা : আচ্ছা তুমি এইখানে কি করছো?..

[ স্নেহা মিলিকে টেনে নিয়ে উঠোনে বেরিয়ে পড়ে..আর তার বরের পাশে চেয়ারে বসিয়ে দেই.. ]

স্নেহা : ভাইয়া ও না আপনাকে লুকে লুকে দেখছিলো তাই…এক্কেবারে ধরে নিয়ে এসেছি?

[ মিলি লজ্জায় উঠে যাচ্ছিলো ]

স্নেহা : আরে আরে! কই যাও…এখন আর লজ্জা পেয়ে কি লাব..?

[উঠোনে বসে…বরের বন্ধুরা..স্নেহা আর তাদের কাজিনরা মিলে অনেক শয়তানি করছে…]

হঠাৎ, দেখে দূর থেকে …রাহুল এগিয়ে আসছে…

রাশু : আরে আরে আসো তোমার অপেক্ষায় করছিলাম… [ রাশু দাঁড়িয়ে গিয়ে ] ভাইরা বোনরা..সবাই শুনুন আমাদের মাঝে এখন একটি গান করতে উপস্থিত হচ্ছে মিষ্টার রাহুল!

রাহুল : হেই! don’t do this please! আমি!

অরণি : আরে ভাইয়া একটা তো অন্তত গাইতে হবে! প্লিজ প্লিজ!

মহিমা : [রাহুলের পাশে এসে] ভাই আমাদের জন্য না..অন্তত স্নেহা আপুর জন্য একটা গেয়ে দাও..?

রাহুল : [ একটু হেসে দিলো ] Ok Ok guyz..?

রাশু : এইনা হলো কাজ! দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি গিটার… ?[ রাশু দৌড়ে গিয়ে রাহুলের গিটার নিয়ে আসে ]

[রাহুল? গিটার হাতে নিয়ে স্নেহার দিকে তাকিয়ে একটু হাসে..আর একটা চোখ টিপ মারে..স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে অন্যদিকে ফিরে যায়!]

রাহুল আর কিছু না বলে গিটার বাজানো শুরু করে দিলো…??

[ please don’t skip the song?….listen carefully to imagine this scene, rahul and sneha’s feeling ]??

Sunn mere humsafar,?
Kiya tujhe ithnisi bhi khabar??

ki teri saanse chalti jidhar,?
Rahunga bass wahi umrebhar?

Rahunga bass wahi umrebhar hai,??

[Sneha Blushing ?]

Jithini hasi iya mulakath he,?
Unse bhi pyaari teri baathe he,?
batoon me teri jho kho jathe he,?

Aao na hoshme main kabhi,?
bahome he teri zindegi hai..?

Sunn mere humsafar,?
kiya tujhe ithnisi bhi khabar,?

[Sneha’s heartbeat increased hearing rahul’ voice??]

অরণি : [ স্নেহার কানে ] আররেহ? আপু তুমি হইলে কিনা জানিনা আমি তো ফিদা হয়ে গেলাম??

স্নেহা : আই চুপ কর!?

[সকলে রাহুলের গান শুনে প্রশংসা.. করতে লাগলো… ]

[রাহুল উঠে স্নেহার দিক একবার তাকিয়ে চলে যায়]

প্রায় কিছুক্ষণ পর স্নেহা চারদিক খুজতে লাগলো.. কিন্তু রাহুলকে দেখা যাচ্ছে না.. সবাই তো অনুষ্টানের মধ্যেই আছে..কিন্তু মিষ্টার তেডি স্মাইল কই গেলো…

[রাহুলের রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজা খোলা..স্নেহা উকি দিয়ে দেখলো রুমে নেই…. গিটারটা চৌকির উপর পড়ে আছে..স্নেহা ভেতরে গিয়ে গিটারটা হাতে নিলো.. আর ব্লাশিং হতে লাগলো… ? (মনে মনে) ওয়াহ কি না গেয়েছো…বস্?]

হঠাৎ পেছন থেকে,

রাহুল : মিস্ করছিলে আমায়?..

স্নেহা : [পেছন ফিরে তাকিয়ে?] নাহ! আমিতো.. এমনিতে

[ স্নেহা হুরহুর করে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো.. রাহুল স্নেহার হাত ধরে রুমের দরজা আটকিয়ে দেই]

স্নেহা : আরেহ! রাহুল! কি করছো বাড়ী ভর্তী মেহেমান…কেউ দেখে ফেলবে..সরো আমি যাবো…

রাহুল : আচ্ছা তুমি বেড়ালের মতো আমার রুমে উকি দাও কেনো বলো তো..? ডিরেক্ট আসতে পারো না..

স্নেহা : কই উকি দিলাম আমিতো..

রাহুল : তুমিতো আমাকে না দেখা ছাড়া থাকতে পারছিলে না তাইতো?

স্নেহা : নাহ তেমন কিছুই না?

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] So মিস্ ডারপোক কি ডিসাইড করলে?….??

স্নেহা : Excuse me? i m not ডারপোক….

রাহুল : Ok proof it…?

স্নেহা : Yes! i will proof you!

রাহুল : when? ?

স্নেহা : Now?

রাহুল : রেডি?..?

[স্নেহা ধীরেধীরে রাহুলের কাছে আসে she try to kiss? rahul? কিন্তু রাহুলের চোখের দিক তাকাতেই আবার পিছিয়ে যায়..]

রাহুল : What happen ?

স্নেহা : দেখো প্লিজ তুমি আমার দিক তাকাবানা?

রাহুল : [হেসে?] Ok

[ স্নেহা রাহুলের কাছে এসে আবারো ট্রাই করলো কিন্তু কোনোভাবেই Possible হচ্ছে না..? চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো স্নেহা ]

[Then, রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার কাছে এগুতে থাকে..স্নেহা পেছাতে লাগে?]

রাহুল : চ্যালেঞ্জ হেরেছো so punishment তো মিলবেই…?

স্নেহা : দেখো প্লিজ! এসব আমার দাড়া সম্ভব না!? [ স্নেহা রাহুলকে সরিয়ে চলে যাচ্ছিলো ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] এভাবে ভেগে যাওয়াটাই তোমার কাজ! আমার ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই স্নেহা তোমার কাছে…?

[ স্নেহা ফিরে তাকালে দেখে রাহুল মাথা ঝুকে আছে
কেনো যেন স্নেহার অনেক মায়া হলো রাহুল মাথা ঝুকে থাকায়..]

রাহুল : ওকে স্নেহা গো…আমি আর আটাকাবো না… [ রাহুল স্নেহার হাত ছেড়ে দিলো ]

[ স্নেহা রাহুলের হাত ধরে তার দিক ফেরালো
রাহুল তাকিয়ে আছে..স্নেহ চোখ বন্ধ করে ফেলে]

[রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে]

স্নেহা : [রাহুলের অনেকটা কাছে এসে] কিস্ মি?…

রাহুল : ইউ ওকে..?

স্নেহা : ইয়াহ! আই এম ওকে!..

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : শিসস্ Not one more word!

[ Sneha kissed to rahul??]

[After 2mins,both are silent.. nd blushing ?]

স্নেহা : i m not ডারপোক…?

[স্নেহা লজ্জায় লাল ?হয়ে যাচ্ছে আর এক মুহূর্ত ও রাহুলের সামনে দাড়ায়নি…দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়…]

[ রাহুল ও Shocked হয়ে ব্লাশিং হতে লাগলো ? কি হলো এটা…]

[রুম থেকে বের হলো…স্নেহা? রাহুলকে দেখতেই লুখে যায়…রাহুল হাসতে থাকে..স্নেহার কান্ড দেখে.. ]

চলবে,

1...2,3822,3832,384...2,4562,456 পাতা 2,383

সম্পাদকের পছন্দ

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব-৬০

June 20, 2025

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব-৫৯

June 20, 2025

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব-৫৮

June 20, 2025



Archives

  • June 2025
  • May 2025
  • April 2025
  • March 2025
  • February 2025
  • January 2025
  • December 2024
  • November 2024
  • October 2024
  • September 2024
  • August 2024
  • July 2024
  • June 2024
  • May 2024
  • April 2024
  • March 2024
  • February 2024
  • January 2024
  • December 2023
  • November 2023
  • October 2023
  • September 2023
  • August 2023
  • July 2023
  • June 2023
  • May 2023
  • April 2023
  • March 2023
  • February 2023
  • January 2023
  • December 2022
  • November 2022
  • October 2022
  • September 2022
  • August 2022
  • July 2022
  • June 2022
  • May 2022
  • April 2022
  • March 2022
  • February 2022
  • January 2022
  • December 2021
  • November 2021
  • October 2021
  • September 2021
  • August 2021
  • July 2021
  • June 2021
  • May 2021
  • April 2021
  • March 2021
  • February 2021
  • January 2021
  • December 2020
  • November 2020
  • October 2020
  • September 2020
  • August 2020
  • July 2020
  • June 2020
  • May 2020
  • April 2020
  • March 2020
  • February 2020
  • January 2020
  • December 2019
  • November 2019
  • October 2019
  • September 2019
  • August 2019
  • July 2019
  • June 2019
  • May 2019
  • April 2019
  • March 2019
  • February 2019

Categories

  •  হৃদস্পর্শ
  • "অর্ধাঙ্গিনী
  • "ইসলামিক হাদিস
  • "কবিতা লিখন প্রতিযোগীতা সেপ্টেম্বর 2020
  • "ডায়েরির শেষ পৃষ্ঠা
  • "ডার্ক-মাইস্টোরি
  • "ধারাবাহিক গল্প"
  • "নবপূর্ণিমা
  • "মরীচিকার সংসার
  • "সৌরকলঙ্ক
  • "হেমন্তের নীড়
  • ১২১৫
  • ৩২বছরের ছেলে ১৭ বছরের মেয়ে
  • Adorable Love
  • Angry Husband
  • Bestfriend
  • Blind love
  • coffee & vanilla
  • Crush when cousin
  • Crush যখন বর
  • Crush যখন বর Season 3
  • Crush যখন বর?Season 2
  • Dangerous Crazy Lover
  • Dangerous Villien Lover
  • Darkness
  • Destiny of Love
  • Devil love
  • devil love(married life)
  • Devil Teacher
  • Dont forget me
  • Ex girlfriend যখন অফিসের বস
  • EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার
  • Gangstar in love
  • Happily Married
  • heart touch love 2
  • In Depths of Love
  • Khatarnak Isq
  • Love
  • Love At 1st Sight  Season 3
  • Love At 1st Sight $2
  • love is like a Cocktail
  • Love Marriage
  • Love warning
  • Love with vampire
  • Love_at_1st_sight
  • Lover boss
  • Mafia Boss (Season 2)
  • MEANINGLESS LIFE PARTNER
  • MR AND MRS WHATEVER
  • My Mafia Boss
  • Old Story
  • Psycho is back
  • psycho is back season 2
  • pyar tho hona hi tha
  • Rain Of Love
  • Revenge of love
  • sanam teri kasam
  • Seeing with you Part
  • Shadow in love
  • the unlimited love
  • The unlimited love Season 2
  • The Villain Lover
  • Uncategorized
  • Unending love
  • What a হাসবেন্ড
  • Your Lover
  • অঙ্গারের নেশা
  • অঙ্গীকার
  • অচেনা
  • অচেনা অভ্যাসে
  • অচেনা মানুষের মাঝে
  • অচেনা শহর
  • অজানা অনুভূতি
  • অজানা অনূভুতি
  • অটবী সুখ
  • অটুট বন্ধন(বালিকা বধ))
  • অতন্দ্রিলা আর বৃষ্টি
  • অতন্দ্রিলার রোদ
  • অতঃপর গল্পটা তোমার আমার
  • অতঃপর তুমি
  • অতঃপর দুজনে একা
  • অতঃপর প্রেম
  • অতঃপর ভালোবাসি
  • অতঃপর সন্ধি
  • অতিথি পাখি
  • অতীত কথা
  • অথৈ মহল
  • অদৃশ্য বাসর
  • অদ্ভুত কান্না
  • অদ্ভুত তিনি
  • অদ্ভুত প্রণয়
  • অদ্ভুত প্রেম
  • অদ্ভুত ভালোবাসা 
  • অদ্ভুত ভালোবাসা season 2
  • অধিকার
  • অনপেখিত
  • অনিয়ন্ত্রিত মন
  • অনির
  • অনির্বাণ
  • অনুতপ্ত
  • অনুভবে
  • অনুভবে তুমি
  • অনুভবে তুমি
  • অনুভবে তোমায় খুঁজি
  • অনুভবে সিজন-০২
  • অনুভুতির সংমিশ্রণ
  • অনুভূতি
  • অনুভূতিটা তোমায় ঘিরে
  • অনুভূতির অন্তরালে
  • অনুভূতির মায়াজাল
  • অনুভূতির সংমিশ্রণ
  • অনুভূতির সুপ্ত কোণে
  • অনুভূতিরা শব্দহীন
  • অনুরক্তি অন্তরিক্ষ
  • অনুরক্তি এসেছে তোমার শহরে
  • অনুরাগ 
  • অনূভুতি
  • অনূসুয়া
  • অন্তরালে
  • অন্তরালে তুমি আমি
  • অন্তরালের সত্যি
  • অন্তরিক্ষ প্রণয়
  • অন্তর্দহন প্রণয়
  • অন্তর্দহন প্রণয় সিজন-০২
  • অন্তহীন প্রেম
  • অন্ধ তারার অশ্রুজল
  • অন্ধকার জীবনে নতুন আলো
  • অন্ধকার পল্লী
  • অন্ধকারে এক চিলতে আলো
  • অন্যরকম অনুভূতি
  • অন্যরকম তুই
  • অন্যরকম তুমি
  • অন্যরকম তুমিময় হৃদয়াঙ্গণ
  • অন্যরকম বিয়ে  
  • অন্যরকম ভালোবাসা
  • অপূর্ণ অভিলাষ
  • অপূর্ণতা
  • অপূর্নতার সংসার
  • অপূর্ব সমাপ্তি
  • অপেক্ষা
  • অপেক্ষার প্রিয় প্রহর
  • অপ্রকাশিত ভালোবাসা
  • অপ্রত্যাশিত বাসর
  • অপ্রত্যাশিত বিয়ে
  • অপ্রাপ্তি
  • অপ্রিয় জনাব
  • অপ্রিয় প্রিয়জন
  • অপ্রিয় প্রেয়সীর ভালোবাসা
  • অপ্রিয় সে
  • অপ্রেমের একাত্তর দিন
  • অপ্রেমের প্রিয় অধ্যায়
  • অবশেষে
  • অবশেষে
  • অবশেষে তুমি আমি
  • অবশেষে সন্ধি হলো
  • অবহেলা
  • অবহেলা সংসার
  • অবহেলার শেষে
  • অবহেলিত ভালোবাসা
  • অবাধ্য অনুভূতি
  • অবিবাহিত বউ
  • অবুঝ ছাত্রী
  • অবুঝ দিনের গল্প
  • অবুঝ বউ
  • অবেলায় তুমিআমি
  • অবেলায় তোমার আকাশে
  • অবেলায় তোমার ডাকে
  • অবেলায় ভালোবাসা 
  • অবেলার বকুল
  • অবেলার মেঘ
  • অভিনয় হলেও ভালোবাসি
  • অভিমান হাজারো
  • অভিমানী বিকেল শেষে
  • অভিশপ্ত রাত
  • অমানিশা
  • অমানিশায় সেই তুমিই
  • অমানিশায় সেই তুমিই
  • অর্ধের অর্ধাঙ্গিনী
  • অলকানন্দার নির্বাসন
  • অলক্ষ্যে তুমি
  • অলৌকিক
  • অলৌকিক
  • অসৎ স্বামী
  • অসম্ভবে অসঙ্গতে
  • অসাধারণ
  • অস্পষ্টতা
  • অহেতুক অমাবস্যা
  • অহেতুক অমাবস্যা
  • আওয়াজ
  • আকাঙ্খিত প্রণয়
  • আকাশ জুড়ে তারার মেলা
  • আকাশ তীরে আপন সুর
  • আকাশী
  • আকাশের চেয়েও বেশী তোমায় ভালোবাসি
  • আগন্তুক
  • আগুনের দিন
  • আছো তুমি হৃদয়জুড়ে
  • আজ আমার বিয়ে
  • আজ রিক্তার মৃত্যুবার্ষিকী
  • আজ শৈলীর বিয়ে
  • আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
  • আজকে আমার মন ভালো নাই
  • আজব প্রেমের কাহিনি
  • আজল
  • আংটি
  • আংটি
  • আড়ালে অনুভবে
  • আঁড়ালে কে নাড়ে কলকাঁঠি
  • আড়ালে তুমি
  • আড়ালে ভালোবাসার সংসার
  • আড়ালে ভালোবাসি
  • আড়ালে ভালোবাসি
  • আত্না নাকি সে??
  • আত্মা
  • আত্মা নাকি সে? সিজন-০২
  • আঁধার
  • আঁধার ভিড়ে সন্ধ্যাতারা
  • আধার রাতের আলো
  • আধারে তুমি
  • আঁধারের আলো
  • আনকালচার্ড বউ
  • আনকোরা কাহিনী
  • আনন্দ অশ্রু
  • আনন্দচারিনী
  • আনন্দময় ভালোবাসা
  • আপন মানুষ 
  • আপন মানুষ
  • আপনাকেই চাই
  • আপনার শুভ্রতা
  • আপনিময় বিরহ
  • আফিম বড্ড নেশালো
  • আবছা আলোয় তুমি
  • আবদ্ধ তোমার মধ্যে
  • আবেগীমন
  • আম সন্দেশ
  • আমায় ডেকো অপরাহ্নে
  • আমার অধিকার তুমি
  • আমার অভিমান তোমাকে নিয়ে
  • আমার ক্রাশ
  • আমার ঘর আমার সংসার
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি সিজন-০২
  • আমার তোমাকে প্রয়োজন
  • আমার পাগলি প্রেমিকা
  • আমার পূর্ণতা
  • আমার প্রতিশোধ
  • আমার প্রথম সকাল
  • আমার প্রেয়সী
  • আমার বিষাদীনি
  • আমার বুড়ো
  • আমার বোন প্রীতি
  • আমার ভাঙা ক্যানভাসে
  • আমার ভীনদেশী এক তারা
  • আমার মুগ্ধতায় তুমি
  • আমার মেয়ে
  • আমার শহরে তুমি
  • আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ
  • আমার শহরে তোমার নিমন্ত্রণ
  • আমার শহরে রংধনু উঠেনা
  • আমার শহরে সিজন-০২
  • আমার সংসার
  • আমার স্বামী
  • আমার হয়েও আর হইলোনা
  • আমি অর্ষা
  • আমি আমার
  • আমি তুমিতেই আসক্ত
  • আমি তোমারি সনে বেঁধেছি আমারো পরাণ
  • আমি দূর হতে তোমারে দেখেছি
  • আমি পথ হারিয়ে ফেলি
  • আমি পদ্মজা
  • আমি যারে চেয়েছিলাম
  • আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
  • আমি শুধুই তোমার
  • আমি শুধুই তোমার
  • আমি শুধুই তোমার সিজনঃ০২
  • আমিরাহ্
  • আম্মার সংসার
  • আরশিকথা
  • আরেকটি বার
  • আলতো বাঁধন
  • আলো অন্ধকারে
  • আলো আঁধার
  • আলো থেকে অন্ধকার
  • আলো-আঁধার
  • আশিকি
  • আষাঢ়ের তৃতীয় দিবস
  • আস্থা
  • আহানের শ্যামবতী
  • ইচ্ছে ডানা
  • ইচ্ছে দুপুর
  • ইচ্ছে যখন উড়নচণ্ডী
  • ইতি উতি সংসার
  • ইতি মাধবীলতা
  • ইমপারফেক্ট কাপল
  • ইরাবতী
  • ইরোরা
  • ইলশেগুঁড়ি
  • ইংলিশ মিডিয়াম
  • ইসলামিক গল্প
  • ইসলামিক স্ট্যাটাস
  • উইল ইউ ম্যারি মি?
  • উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বসিত সায়রী
  • উজান ঘাটের মাঝি
  • উজানের ঢেউ
  • উড়বে হওয়ায় বিষন্ন চিরকুট
  • উড়ান
  • উড়ো পার্সেল
  • উড়ো ফোন
  • উত্তরাধিকার
  • উত্তরাধিকার
  • উদাসীনী
  • উধয়রনী
  • উপসংহার
  • উষ্ণতা
  • ঊষালগ্নে
  • ঋতুর স্মৃতি
  • ঋতুর স্মৃতি সিজন ০২
  • এ কেমন ভালোবাসা
  • এ শহর মেঘলা ভীষণ
  • এই প্রেম তোমাকে দিলাম
  • এই ভালো এই খারাপ
  • এই মন তোমাকে দিলাম
  • এই মন তোমাকে দিলাম
  • এই শহরের পাখিগুলো ডানা মেলে উড়তে জানেনা
  • এই সাঁঝবেলাতে তুমি আমি
  • এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়
  • এক অভিমানীর গল্প
  • এক আকাশ দূরত্ব
  • এক কুয়াশার সকাল
  • এক চিলতে ভালোবাসা
  • এক ঝড়ো হাওয়ায়
  • এক টুকরো আলো
  • এক পশলা ঝুম বর্ষায়
  • এক পশলা বৃষ্টি
  • এক পশলা বৃষ্টি আর সে
  • এক পূর্ণিমা সন্ধ্যায়
  • এক ফালি চাঁদ
  • এক বসন্ত প্রেম
  • এক বুক ভালোবাসা
  • এক বৃষ্টির দিনে
  • এক বৃষ্টির দিনে
  • এক মুঠো প্রণয়
  • এক মুঠো প্রণয় সিজন-০২
  • এক মুঠো প্রেম রঙ্গনা
  • এক মুঠো ভালোবাসা
  • এক মুঠো সুখপ্রণয়
  • এক শহর প্রেম
  • এক শহর প্রেম ২
  • এক শহর ভালোবাসা
  • এক সমুদ্র প্রেম
  • একই সুরে প্রেম আমায় কাঁদায়
  • একগুচ্ছ কদম
  • একগুচ্ছ ভালোবাসা
  • একগুচ্ছ রক্তজবা
  • একজন অপরাজিতা
  • একজন রূপকথা
  • একজীবন
  • একজোড়া চড়ুই
  • একটা পরীর গল্প
  • একটি পানকৌড়ির গল্প…! 
  • একটি প্রেমাচ্ছন্ন বিকেল
  • একটি হুইল চেয়ার
  • একটু অধিকার
  • একটু ভালোবাসা
  • একটুখানি ভালোবাসা
  • একটুখানি সুখ
  • একতরফা ভালোবাসা
  • একতরফা ভালোবাসা
  • একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি
  • একদিন কাঁদবে তুমিও
  • একদিন তুমিও ভালোবাসবে
  • একমুঠো বসন্ত
  • একা তারা গুনতে নেই
  • একাকী বিকেল
  • এটা গল্প হলেও পারতো
  • এতোটুকুই তো ঝড়বৃষ্টি
  • এবং স্ত্রী
  • এমনই শ্রাবণ ছিল সেদিন
  • এর বেশি ভালবাসা যায় না
  • এলিয়েন
  • এসো আমার গল্পে
  • এসো বৃষ্টি হয়ে
  • এসো শব্দহীন পায়ে
  • এ্যারেঞ্জ ম্যারেজ সিজন ২
  • ঐশ্বর্যের উপাখ্যান
  • ওঁ আসবেই
  • ও চোখে বৃষ্টি এলে
  • ওগো বধু সুন্দরী
  • ওপারে আকাশ
  • ওয়াদা
  • ওয়ারদূন আসরার
  • ওহে প্রেয়সী ভালোবাসি
  • কখনো কুর্চি
  • কখনো বা দেখা হবে
  • কতোটা চাই তোকে
  • কথোপকথন
  • কনফিউশন
  • কনে বদল
  • কনে_দেখা_আলো
  • কবিতা সমগ্র
  • কবে হলো ভালোবাসা
  • কলঙ্ক
  • কলঙ্কের দাগ
  • কলা পাতায় বাঁধিব ঘর
  • কষ্টের উক্তিসমূহ
  • কষ্টের কবিতা
  • কষ্টের গল্প
  • কহিনুর
  • কাকতাড়ুয়া
  • কাগজের নৌকা
  • কাঁচ কাটা হীরে
  • কাঁচের সংসার
  • কাছে আসার গল্প
  • কাছে কিবা দূরে
  • কাছে পাশে
  • কাছেপিঠে
  • কাছের মানুষ দূরে থুইয়া
  • কাঁটাকম্পাস
  • কাঁটামুকুট
  • কাঠগোলাপ
  • কাঠগোলাপের আসক্তি
  • কাঠগোলাপের মোহে
  • কাঠগোলাপের সাদার মায়ায়
  • কানামাছি
  • কান্তা মনি
  • কাব্যের বিহঙ্গিনী
  • কারিনা
  • কালো মেঘ
  • কালো মেঘের আভাস
  • কি করিলে বলো পাইবো তোমারে
  • কি ছিলে আমার
  • কিছু সমাপ্ত পূর্ণতার
  • কিশোরী কন্যার প্রেমে
  • কুড়িয়ে পাওয়া ডায়েরী
  • কুয়াশা মন
  • কুয়াশা মিলিয়ে যায় রোদ্দুরে
  • কুয়াশায় ঘেরা
  • কুয়াশায় ঘেরা আধার
  • কুয়াশার আড়ালে সূর্য
  • কুয়াশার মতো
  • কুসুম কাঁটা
  • কুসুমিত কামিনী
  • কুহেলিকা
  • কৃষ্ণকলি
  • কৃষ্ণচূড়া
  • কে আপনি
  • কে কোথায় যায়?
  • কে তুমি
  • কে বাঁশি বাজায় রে
  • কেউ কথা রাখেনি
  • কেন আমি ডাকি তারে
  • কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে
  • কেবিন নং থার্টি সিক্স
  • কেয়ারিং হাসবেন্ড
  • কেশের মায়া
  • কোথাও কেউ ভালো নেই
  • কোথাও হারিয়ে যাব
  • কোন এক প্রণয় প্রহরে
  • কোন কাননের ফুল গো তুমি
  • কোন সুতোয় বাঁধবো ঘর
  • কোনো এক শ্রাবণে
  • কোনো একদিন
  • ক্যাকটাস
  • ক্যারিয়ার
  • ক্যালেন্ডার
  • ক্যালেন্ডার
  • ক্রীড়াবেগ
  • ক্লিওপেট্রা
  • খাট নিয়ে বিরম্বনা
  • খুশনূর
  • খুশবু
  • খেলাঘর 
  • খেলার পুতুল
  • খোলা চিঠি
  • খোলা চুল
  • খোলা জানালার দক্ষিণে
  • গন্তব্যহীন
  • গরীবের প্রেম
  • গর্ভধারিণী
  • গল্প পোকা ছোট গল্প প্রতিযোগিতা নভেম্বর ২০২০
  • গল্প পোকা ছোট গল্প সংকলন
  • গল্পগুলো অজানাই থাক
  • গল্পটা তুমিময়
  • গল্পটা নিশ্চুপ বালিকা’র
  • গল্পটা ভালবাসার
  • গল্পপোকা চিঠি প্রতিযোগিতা
  • গল্পপোকা ছোটগল্প প্রতিযোগিতা এপ্রিল ২০২১
  • গল্পপোকা ধারাবাহিকগল্প প্রতিযোগিতা ২০২০
  • গল্পের নামঃ উড়ন্ত
  • গল্পের নাম প্রেমের শুরু
  • গহন কুসুম কুঞ্জে
  • গাঁইয়া বউ
  • গাধা
  • গানের ওপারে তুমি
  • গুপ্ত প্রণয়
  • গুমোট অনুভুতি
  • গৃহযুদ্ধ
  • গোধূলি রাঙা দিগন্ত
  • গোধূলি লগ্নে হলো দেখা
  • গোধূলির আলোয়
  • গোধূলির নিমন্ত্রণ
  • গোলকধাঁধা
  • গ্যাসবেলুন
  • ঘরকন্না
  • ঘরে ফেরার গান
  • ঘাস ফড়িং
  • ঘুমন্ত রাজপরী
  • ঘেউলের সংসার
  • চক্রব্যূহ
  • চক্ষে আমার তৃষ্ণা
  • চড়ুই নীড়ে বসবাস
  • চন্দ্র'মল্লিকা
  • চন্দ্রকণার রাহা
  • চন্দ্রকিরণ
  • চন্দ্রকুঠি
  • চন্দ্রমলিন সন্ধ্যায়
  • চন্দ্ররঙা প্রেম
  • চন্দ্ররঙা প্রেম সিজন-০২
  • চন্দ্রাণী
  • চন্দ্রাবতী আসছে
  • চরিত্রহীন
  • চলো না হারিয়ে যাই
  • চশমা
  • চশমাওয়ালা ছেলেটি
  • চাঁদের আলোয় জোছনা ভাঙ্গে
  • চাঁদের বাড়ি বহুদূর
  • চারুর সংসার
  • চারুলতা
  • চাহিদা
  • চিত্রলেখার কাব্য
  • চিরসখা
  • চিরেকুটের শব্দ
  • চিলেকোঠায় সমাপ্তি
  • চিলেকোঠার ভাঙ্গা ঘর
  • চিলেকোঠার ভালোবাসা
  • চুক্তির বউ
  • চুপিসারে ভালবাসি
  • চেয়েছিলাম তো তোমাকেই
  • চৈত্রের প্রেম
  • চৈত্রের রাঙায় রচিত প্রণয়
  • চোখের আড়ালে
  • চোখের বিষ
  • চোরাবালি
  • ছদ্মবেশে কে সে
  • ছন্দ ছাড়া বৃষ্টি
  • ছন্দময় সংসার
  • ছাত্রী যখন বউ
  • ছায়া
  • ছায়া
  • ছায়া নীল!
  • ছায়া মানব
  • ছায়া সঙ্গী
  • ছায়াতরু
  • ছোট গল্প
  • ছোটগল্প প্রতিযোগিতা আগস্ট ২০২০
  • ছোটঘরের ভালোবাসা
  • ছোটঘরের ভালোবাসা সিজন ২
  • ছোঁয়ার শিহরণ
  • ছোঁয়ার শিহরণ সিজন-০২
  • জনম জনমে
  • জনম জনমে
  • জন্মটা পতিতালয়ে
  • জন্মদাতা
  • জয়ী
  • জলচক্ষু
  • জলছবি
  • জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড
  • জানালার ওপারে
  • জানি দেখা হবে
  • জানে জিগার
  • জামাই শ্বশুর
  • জাস্ট ফ্রেন্ডস
  • জীবন পেন্ডুলাম
  • জীবন সঙ্গী
  • জীবনের গল্প
  • জীবনের গোপন ডাকবাক্স
  • জীবনের ডাকবাক্স
  • জীবনের ডায়েরী
  • জীবনের থেকেও বেশি
  • জুয়াড়ি স্বামী
  • জোড়া শালিকের সংসার
  • জোনাকিরা জ্বলে নিভে
  • জোরপূর্বক ভালোবাসা
  • জ্যামিতিক ভালোবাসা
  • জ্যোৎস্নার ছল
  • ঝগড়াটে ভালোবাসা -অভন্তিকা
  • ঝগরাটে ভালবাসা -তামান্না
  • ঝড়ে যাওয়া বকুল
  • ঝরা পাতা উড়ে যায়
  • ঝরা ফুল
  • ঝরে যাওয়া বেলীফুল
  • ঝুমুর
  • টক মিষ্টি ঝাল
  • টরেটক্কা
  • টিংটিংটুংটাং
  • টেম্পরারি বিয়ে
  • টেষ্ট_টিউব  
  • ঠিক যেনো love Story
  • ডাইনামিক হিস্ট্রি
  • ডাক
  • ডাকপিয়নের ছুটি নেই
  • ডাক্তার ম্যাডাম
  • ডিটেকটিভ রনি
  • ডিভোর্সের পরে
  • ডুবে ডুবে ভালোবাসি
  • ডুমুরের ফুল
  • ডেবিল লাভার
  • ডেভিল বর
  • ডেভিল হ্যাজবেন্ডের পিচ্চি বউ♥
  • তনয়া
  • তনুশ্রী
  • তন্ময়ের তনু
  • তপ্ত সরোবরে
  • তবু আছি কাছাকাছি (Doctors love)
  • তবু ভালো আছি
  • তবু মনে রেখো
  • তবুও তুমি
  • তবুও তোমায় চাই
  • তবুও তোমায় ভালোবেসেছি
  • তবুও মনে রেখো
  • তবে ভালোবাসো কী
  • তান্ডবে ছাড়খার
  • তার ইচ্ছে
  • তার শহরের প্রেম
  • তালা চাবি
  • তাসের ঘর
  • তাসের ঘর
  • তাহার উম্মাদনায় মত্ত
  • তি আমো
  • তিক্ত প্রতিশোধ
  • তিক্ত বুকের বাঁ-পাশ
  • তিক্ত ভালোবাসা
  • তিথির প্রতিজ্ঞা
  • তিনশত পয়ষট্টি পৃষ্ঠা
  • তিনি আমার সৎমা
  • তিনি এবং ও !
  • তিমির
  • তিমিরে ফোটা গোলাপ
  • তিলোত্তমা
  • তীর ভাঙ্গা ঢেউ
  • তুই আমার
  • তুই আমার অন্যরকম নেশা
  • তুই আমার অন্যরকম নেশা সিজন ২
  • তুই আমার সিজন ০২
  • তুই আমারই থাকবি
  • তুই বিহনে
  • তুই যে শুধুই আমার
  • তুই শুধু আমার
  • তুই শুধু আমার
  • তুই শুধু আমার ভালোবাসা
  • তুই হবি শুধু আমার
  • তুই হবি শুধু আমার সিজন-০২
  • তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর
  • তুমি অপরূপা
  • তুমি আছো হৃদয়ে
  • তুমি আমার
  • তুমি আমার
  • তুমি আমার
  • তুমি আমার চেনা হয়েও অচেনা
  • তুমি আমার প্রণয়িনী
  • তুমি আমার প্রিয়তমা
  • তুমি আমার প্রেয়সী
  • তুমি আমার ব্যাকুলতা
  • তুমি আমার ভালোবাসা
  • তুমি আমার মা
  • তুমি আমার স্নিগ্ধ ফুল
  • তুমি আসবে বলে
  • তুমি এলে তাই
  • তুমি এলে তাই
  • তুমি এসেছিলে বলে
  • তুমি কে
  • তুমি গহীন অনুভব
  • তুমি চাইলে যেতে পারো
  • তুমি ছিলে বলেই
  • তুমি ছিলে বলেই সিজন-০২
  • তুমি নামক অক্সিজেন
  • তুমি নামক নেশা
  • তুমি নামক যন্ত্রণা
  • তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে
  • তুমি নামক সপ্তর্ষি সিজন-০২
  • তুমি প্রেম হলে আমি প্রেমিক
  • তুমি বৃষ্টি হয়ে নামলে
  • তুমি যে আমার
  • তুমি রঙিন প্রজাপতি
  • তুমি রবে
  • তুমি রবে নীরবে
  • তুমি শুধু আমার
  • তুমি সন্ধ্যার মেঘ
  • তুমি হলেই চলবে
  • তুমিই আমার পূর্ণতা
  • তুমিই আমার পূর্নতা
  • তুমিই আমার প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা
  • তুমিময়
  • তুমিময়
  • তুমিময় আসক্তি
  • তুমিময় নেশার আসক্তি
  • তুমিময় প্রাপ্তি
  • তুমিময় ভালোবাসা
  • তৃণকান্তা
  • তৃণশয্যা
  • তৃষ্ণার্থ প্রেয়সী
  • তৈমাত্রিক
  • তৈলচিত্রের কলঙ্কিনী
  • তোকে খুব ভালোবাসি
  • তোকে চাই
  • তোকে চাই (সিজন -২)
  • তোকে ভালোবেসে খুব
  • তোমাকে আমার প্রয়োজন
  • তোমাকে চাই
  • তোমাকে চাই
  • তোমাকে চাই
  • তোমাকে চাই
  • তোমাকে চাই (Season 2)
  • তোমাকে চাই(Season 3)
  • তোমাকে ঠিক চেয়ে নিবো
  • তোমাকে ঠিক চেয়ে নিবো
  • তোমাকে বলার ছিল
  • তোমাকেই ভালোবাসি
  • তোমাতে আমি মুগ্ধ
  • তোমাতে আসক্ত
  • তোমাতে আসক্ত সিজন-০২
  • তোমাতে বিভোর
  • তোমাতে বিভোর সিজন-০২
  • তোমাতে বিলীন হবো
  • তোমাতেই পূর্ণ আমি
  • তোমাতেই পূর্নতা
  • তোমাতেই বিমোহিত
  • তোমাতেই সীমাবদ্ধ আমি
  • তোমায় আমি দেখেছিলেম বলে
  • তোমায় ঘিরে
  • তোমায় ছেড়ে যাবো কোথায়
  • তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছে
  • তোমায় নিয়ে ভ্রমণ
  • তোমায় পাবো বলে
  • তোমায় প্রয়োজন
  • তোমার আকাশে হব প্রজাপতি
  • তোমার আঁচলের উঠোনে
  • তোমার আড়ালে
  • তোমার আড়ালে
  • তোমার ছায়া
  • তোমার জন্য সব
  • তোমার জন্য সাইকো
  • তোমার জন্য সিন্ধুর নীল
  • তোমার নেশায় আসক্ত
  • তোমার নেশায় আসক্ত সিজন-০২
  • তোমার সন্ধানে
  • তোমার স্পর্শে
  • তোমার স্মৃতি
  • তোমারে মত্ত আমি
  • তোর ছায়ার সঙ্গী হব
  • তোর মনপাড়ায়
  • তোর মায়ায়
  • তোর শহরে ভালোবাসা
  • তোর শহরে ভালোবাসা সিজন-২
  • তোর হতে চাই
  • ত্যাগ
  • ত্রিকোণ
  • ত্রিধারে তরঙ্গলীলা
  • ত্রিভুজ প্রেম
  • দখিনা প্রেম
  • দখিনের জানলা
  • দমকা হাওয়া
  • দর্পহরন
  • দহন
  • দহন
  • দহন ফুল
  • দিন শেষে আরো দিন আসে
  • দু মুঠো বিকেল
  • দুই পৃথিবী
  • দুই বধূ এক স্বামী
  • দুঃখগুলো নির্বাসিত হোক
  • দুজনা
  • দুপাতার পদ্ম
  • দুলহানীয়া
  • দুষ্টু বউ
  • দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি সংসার
  • দু্ই পথের পথিক
  • দূর আলাপন
  • দূর হতে আমি তারে সাধিব
  • দূরত্বের আড়ালে
  • দৃষ্টিভ্রম
  • দৃষ্টির আলাপন
  • দৃষ্টির সীমানা
  • দেখেছি রূপ সাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা
  • দেনাপাওনা
  • দেবী
  • দেয়াল
  • দেয়ালের ওপাশে কে
  • দোলনচাঁপা
  • দ্বিতীয় অধ্যায়
  • দ্বিতীয় অধ্যায়
  • দ্বিতীয় জীবন
  • দ্বিতীয় ফাগুন
  • দ্বিতীয় বসন্ত
  • দ্বিতীয় বসন্ত
  • দ্বিতীয় বিয়ে
  • দ্যা ভ্যাম্পায়ার কুইন
  • ধর যদি হঠাৎ সন্ধ্যে
  • ধর্ষক থেকে বর
  • ধর্ষিতা বউ
  • ধর্ষিতা বউ ২
  • ধারণার অতীত
  • ধূসর অনুভূতি
  • ধূসর কাবিন রঙিন প্রণয়
  • ধূসর রাঙা মেঘ
  • ধূসর রাঙা মেঘ সিজন-০২
  • ধূসর শ্রাবণ
  • ধৈর্যের পরীক্ষা
  • ধোঁকা
  • ধোয়ার-নেশা
  • ধোঁয়াশার মেঘ
  • নতুন জীবন
  • নতুন ভোরের আগমন
  • নতুন সকাল
  • ননদ
  • নন্দিত নরকে
  • নব দম্পতি
  • নব ফাল্গুনের দিনে
  • নব বধুয়া
  • নব্যদিনের সূচনা
  • নভেম্বরের শহরে
  • নয়নতারা
  • নয়নাভিরাম
  • নয়নে বাঁধিব তোমায়
  • নরপশু বর
  • নষ্ট গলি
  • নসীব
  • নসীব
  • না চেয়েও তোমায় পেলাম
  • নানান রঙের মেলা
  • নাপুরুষ
  • নাম তুমি আসবে বলে
  • নারী নারীত্ব সতী সতীত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি
  • নারীর সতীত্ব
  • নিজেকে ভালবাসি
  • নিঝুমপুর
  • নিবেদিত প্রেম আরাধনা
  • নিভৃত পূর্ণিমা
  • নিভৃত রজনী
  • নিভৃতে তেজস্বিনী
  • নিমাইদা
  • নিয়তি
  • নিয়তি
  • নিয়তি
  • নিয়তির খেলা  
  • নিশি কাব্য
  • নিশ্চুপ ছেলে
  • নিশ্চুপ ভালোচবাসা
  • নিশ্বাসে তুমি
  • নিষিদ্ধ প্রেম
  • নিষিদ্ধ প্রেম
  • নিষিদ্ধ প্রেম
  • নিষ্প্রভ প্রণয়
  • নিস্তব্ধ শহর
  • নীড়
  • নীড়ের খোজে
  • নীরবে নীরবে
  • নীরবে ভালোবাসা
  • নীরবে ভালোবাসি
  • নীরা
  • নীল আকাশের চাঁদনি
  • নীল ক্যানভাস
  • নীল জোছনায় ভাসি
  • নীল ডায়েরির সেই মেয়েটি
  • নীল নীলিমায়
  • নীল বেনারশী
  • নীলকমল
  • নীলপদ্ম
  • নীলপদ্ম গেঁথে রেখেছি তোর নামে
  • নীলপরী
  • নীলফড়িং
  • নীলাকাশ কালো মেঘ
  • নীলাময়ীর প্রেমে
  • নীলাম্বরে জোছনা
  • নূপুর বাঁধা যেখানে
  • নেশা তুই আমার
  • নেশালো সে
  • নৈশতৃষ্ণা
  • নৈশব্দে নিরুপমা
  • নোনাজল
  • নোংরামি
  • পতিতা মেয়ে
  • পথ হারা প্রজাপতিগল্পের
  • পদ্মপাতার জল
  • পদ্মফুল
  • পবিত্র সম্পর্ক
  • পরিণতি
  • পরিণতি
  • পরিত্যাক্ত প্রাসাদ
  • পরিপূর্ণতা
  • পরিশিষ্ট
  • পরী
  • পাওয়া না পাওয়া সুখ
  • পাগলি বউ 
  • পাঠিকা যখন প্রেমিকা❤
  • পাতা ঝরা বৃষ্টি
  • পাত্র বদল
  • পারফিউম
  • পারফেক্ট কাপল
  • পারবো না ছাড়তে তোকে
  • পাষাণে বাঁধে যে হৃদয়
  • পিয়ানোর সুর
  • পিশাচ পরিবার
  • পিশাচ পুরুষ
  • পুকুরের সেই আতঙ্ক
  • পুতুল ছেলেটি
  • পুতুল বিয়ে
  • পুরোনো ভালোবাসা 
  • পূর্ণতার মাঝেও অপূর্ণতার ছোয়া
  • পূর্ণিমা সন্ধ্যায়
  • পূর্ব রোদ
  • পেগন্যান্ট
  • প্রকৃতির বিচার
  • প্রকৃতির বিচার
  • প্রচলিত
  • প্রজাপতির রং
  • প্রণয়
  • প্রণয় আসক্তি
  • প্রণয় ডোরে বেঁধেছি
  • প্রণয় পাড়ে সন্ধি
  • প্রণয় প্রহেলিকা
  • প্রণয় বর্ষণ
  • প্রণয় স্রোতে
  • প্রণয়-কাব্য
  • প্রণয়সন্ধি
  • প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা
  • প্রণয়িনী
  • প্রণয়িনীর হৃদয়কোণে
  • প্রণয়ে প্রলয়ের সুর
  • প্রণয়ের রংধনু
  • প্রতারক
  • প্রতিদান
  • প্রতিদিন তুমি আমার
  • প্রতিযোগিতা
  • প্রতিশোধ
  • প্রতিশোধ
  • প্রতিশোধ Sagor Islam Raj
  • প্রত্যাখান
  • প্রত্যাশা
  • প্রথম দেখায় ভালোবাসা
  • প্রথম প্রেম
  • প্রথম প্রেম ২
  • প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি
  • প্রদীপের নিচে আমি
  • প্রনয়
  • প্রনয়ের দহন
  • প্রয়োজন
  • প্রয়োজনে প্রিয়জন
  • প্রহরের শেষাংশ
  • প্রাক্তন
  • প্রাক্তন
  • প্রাঙ্ক কাপল
  • প্রাণ বসন্ত
  • প্রাণের পুষ্পকুঞ্জ
  • প্রাণেশ্বরী
  • প্রাপ্তি
  • প্রাপ্তি
  • প্রাপ্তির শহরে
  • প্রিয় অনুভব
  • প্রিয় অভিমান
  • প্রিয় অভিমান
  • প্রিয় অর্ধাঙ্গীনি
  • প্রিয় আসক্তি
  • প্রিয় চন্দ্রিমা
  • প্রিয় চন্দ্রিমা সিজন-০২
  • প্রিয় তুমি
  • প্রিয় নয়নতারা
  • প্রিয় প্রাণ
  • প্রিয় বালিকা
  • প্রিয় বেগম (সিজন-০১+০২)
  • প্রিয় ভুল
  • প্রিয় রাগান্বিতা
  • প্রিয়তমা
  • প্রিয়তার প্রণয়
  • প্রিয়তার প্রহর
  • প্রিয়তার প্রহর সিজন-০২
  • প্রিয়তোষ
  • প্রিয়দর্শিনী
  • প্রিয়দর্শিনী
  • প্রিয়সীর চিরকুট
  • প্রিয়াঙ্গন
  • প্রিয়ানুভব
  • প্রীতিকাহন
  • প্রেত সাধক
  • প্রেম
  • প্রেম তুমি
  • প্রেম পড়শী
  • প্রেম পুকুর
  • প্রেম প্রার্থনা
  • প্রেম প্রেম খেলা
  • প্রেম প্রেম পায়রা
  • প্রেম প্রেয়সী
  • প্রেম বিভ্রাট
  • প্রেম রাঙানো ক্যানভাস
  • প্রেম শহরে
  • প্রেম সিজন-০২
  • প্রেমকাহন
  • প্রেমকুঞ্জ
  • প্রেমগুঞ্জন
  • প্রেমচতুর্দশী
  • প্রেমপরশ
  • প্রেমপিপাসা
  • প্রেমপ্রলয়
  • প্রেমময় আসক্তি
  • প্রেমময় আসক্তি সিজন-০২
  • প্রেমময় তৃষ্ণা
  • প্রেমময় নিবৃত
  • প্রেমময় প্রহরে তুমি
  • প্রেমময়ী বর্ষণে তুই
  • প্রেমযাত্রা
  • প্রেমরাঙা জলছবি
  • প্রেমসরণী
  • প্রেমসাগরের উত্তাল ঢেউ
  • প্রেমহীন সংসার আহা সোনামুখী সুঁই
  • প্রেমাচ্ছন্ন প্রহর
  • প্রেমানন্দোল
  • প্রেমে পড়া বারণ
  • প্রেমে পাগল হয়েছি আমি
  • প্রেমেপড়েছিঅদৃশ্য_কিছুর (ভৌতিক গল্প)
  • প্রেমের অগ্নি
  • প্রেমের আটফোড়ন
  • প্রেমের উড়ান
  • প্রেমের কবিতা
  • প্রেমের নাম বেদনা
  • প্রেমের পরশ
  • প্রেমের পাঁচফোড়ন সিজন-০২
  • প্রেমের পাঁচফোড়ন?
  • প্রেমের বৈঠা গেছে খুলে
  • প্রেমের মেলা
  • প্রেমের হাতেখড়ি
  • প্রেমোত্তাপ
  • প্রেয়সীর ছোঁয়া
  • প্রেয়সীর শব্দপ্রেম
  • ফাগুণের নবধারা।
  • ফাঁদে পড়ে
  • ফানাহ্
  • ফারাহ
  • ফাল্গুনের ফুল
  • ফিরবে চিনা ঠিকানায়
  • ফিরে এসো ভালবাসা
  • ফিরে পাওয়া
  • ফুটপাতের মন্দবাসা
  • ফুলকৌড়ি
  • ফুলশয্যা
  • ফুলশয্যা_সিজন(০৩)
  • ফোটা শিউলি ফুল একবারই শিশিরে ভেজে
  • ফ্রেম বন্দী ভালোবাসা
  • ফ্লুজি
  • বইছে আবার চৈতী হাওয়া
  • বউ
  • বউ
  • বউ চুরি
  • বউ পাঁখি
  • বক্ষ পিঞ্জর
  • বক্ষপিঞ্জিরায় তুই বন্দীনি
  • বখাটে বউ
  • বজ্জাত বর
  • বড়ো বেশি ভালোবাসি
  • বধূবরণ
  • বনলতা
  • বন্দিনী
  • বন্ধন
  • বর্ষণ মুখর দিন
  • বর্ষণ সঙ্গিনী
  • বর্ষণের সেই রাতে ❤
  • বর্ষণের সেই রাতে সিজন-০২
  • বর্ষন ছোঁয়ায় মিষ্টি রোদ
  • বর্ষার প্রণয়ের কথা
  • বর্ষাস্নাত রাত
  • বস যখন বর
  • বসন্ত
  • বসন্ত এসে গেছে
  • বসন্তের আগমনে
  • বসন্তের একদিন
  • বসের সাথে প্রেম
  • বাজিমাত
  • বাজির প্রেম
  • বাজির প্রেম ২
  • বাড়িওয়ালার ছেলে
  • বাড়িওয়ালার রাগি মেয়ে
  • বাতাসে প্রেমের আভাস
  • বাদলে ঘেরা আকাশ
  • বাঁধনহারা
  • বাঁধিব তোমায় বিরহ ডোরে
  • বাবুই পাখির বাসা
  • বাংলা ধাঁধা
  • বা‌লিকা বধূ
  • বালিকা বধূ
  • বালির সংসার
  • বাল্য কালের বউ
  • বাল্য কালের বউ সিজিন ২
  • বাল্য বিবাহ
  • বাসনা বিসর্জন
  • বাসর
  • বাস্তবতা
  • বিচ্ছেদের পরেও ভালোবাসি
  • বিধবা
  • বিবর্ণ ভালোবাসা
  • বিবাহ বন্ধন
  • বিবাহ বিভ্রাট
  • বিবি
  • বিভাবতীর জীবন
  • বিয়ে
  • বিয়ে থা
  • বিয়ে থা সিজন-০২
  • বিয়েকথন
  • বিয়ের বন্ধন
  • বিয়ের বন্ধন session ২
  • বিয়ের রাত
  • বিরহ ভালোবাসা
  • বিরহডোরে বাঁধিয়াছি তারে
  • বিরহবিধুর চাঁদাসক্তি
  • বিশ্বাস অবিশ্বাস
  • বিশ্বাস ঘাতকতা
  • বিষণ্ণ শহর
  • বিষাক্ত প্রেম
  • বিষাক্তফুলের আসক্তি
  • বিষাদময় নিষাদ
  • বিসর্জন  
  • বিস্মৃতির অন্তরালে
  • বুকপকেটের বিরহিণী
  • বুকভরা ভালোবাসা
  • বৃষ্টি এসো সাঁঝের বেলা
  • বৃষ্টি থামার শেষে
  • বৃষ্টি ভেজা কাঠ গোলাপ
  • বৃষ্টি ভেজা রাত
  • বৃষ্টি ভেজা রাত সিজন-০২
  • বৃষ্টি শেষে রোদ
  • বৃষ্টি হয়ে অশ্রু নামে
  • বৃষ্টি হয়ে নামবো
  • বৃষ্টিভেজা আলাপন
  • বৃষ্টির ছন্দ
  • বৃষ্টির পড়ে
  • বে রঙিন পাতা
  • বেইমানী vs লাভ
  • বেড়াজাল
  • বেনিফিট অফ লাভ
  • বেলা শেষে
  • বেলা শেষে
  • বেলা শেষে ২
  • বেলা শেষে আলো
  • বেলাশেষে
  • বেশি কিছু আশা করা ভুল
  • বৈধ নাকি অবৈধ
  • বৈধ সম্পর্কের জোর
  • বোবা টানেল
  • বোবা বর
  • বোরখাওয়ালী
  • ব্যস্ততা
  • ব্রহ্মকমল
  • ব্রেকাপ
  • ব্ল্যাক ফরেস্ট
  • ভদ্র স্যার রাগী বর
  • ভবঘুরে
  • ভয়
  • ভয়ংকর ভালবাসা
  • ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি
  • ভাঙা বাড়ি
  • ভাড়াটে বউ
  • ভাবিনি ফিরে আসবে
  • ভাবির বোন
  • ভালবাসায় তুমি আমি
  • ভালবাসার এক রাত
  • ভালবাসার ঘর
  • ভালবাসার প্রতিদান
  • ভালবাসি শুধু তোমায় আমি
  • ভালবেসে রাখব কাছে
  • ভালো থেকো ভালোবাসা
  • ভালো লাগে ভালোবাসতে
  • ভালোবাসবে তুমিও
  • ভালোবাসা
  • ভালোবাসা অন্যরকম
  • ভালোবাসায় তুমি আমি
  • ভালোবাসায় রাঙিয়ে দাও
  • ভালোবাসার অনন্যা
  • ভালোবাসার অন্যরূপ
  • ভালোবাসার উষ্ণতা
  • ভালোবাসার গল্প
  • ভালোবাসার তুই
  • ভালোবাসার দূরত্ব
  • ভালোবাসার পরিনতি
  • ভালোবাসার প্রজাপতি
  • ভালোবাসার প্রান্ত
  • ভালোবাসার বন্ধন
  • ভালোবাসার ভিন্ন রং
  • ভালোবাসার রং
  • ভালোবাসার রং বদল
  • ভালোবাসার রংধনু
  • ভালোবাসার রংমহল
  • ভালোবাসার রাত
  • ভালোবাসার রুপান্তর
  • ভালোবাসার লুকোচুরি
  • ভালোবাসার লুকোচুরি
  • ভালোবাসি
  • ভালোবাসি
  • ভালোবাসি তাই
  • ভালোবাসি তোকে
  • ভালোবাসি তোমাকে
  • ভালোবাসি তোমায়
  • ভালোবাসি প্রিয়
  • ভালোবাসি প্রিয় তোমাকে
  • ভালোবাসি বলে
  • ভালোবাসি বলেই তো
  • ভালোবাসি বলেই ভালোবাসি বলিনা
  • ভালোবাসি ভালোবাসা
  • ভালোবাসি শুধু তোমায়
  • ভালোবাসি সমুদ্র
  • ভালোবাসিবো খুব যতনে
  • ভালোবেসে ঘর বাঁধবো
  • ভালোবেসে ঠাঁই দিও পরাণে
  • ভিডিও
  • ভিলেনি ভালোবাসা
  • ভিলেনি ভালোবাসা
  • ভুতের গল্প
  • ভুতের প্রেম
  • ভুল এবং ভালোবাসা
  • ভুল থেকে ফুল
  • ভুল থেকে ফুল
  • ভুল বুঝনা আমায়
  • ভুল সত্য
  • ভুলতে পারব না তোকে
  • ভুলোনা আমায়
  • ভৃতুরে দৃর্গ
  • ভেজা চুলে
  • ভেজাগোলাপ
  • ভেনম
  • ভৈবর নদীর পাড়
  • ভোর?
  • ভোরের শিশির
  • ভ্যাম্পায়ারের প্রেমকথন
  • ভ্রান্তির অগোচরে
  • মডেল মিফতা
  • মধুবালা
  • মধুমাস
  • মধুরেণ সমাপয়েৎ
  • মধুরেণ সমাপয়েৎ
  • মধ্যরাতের বৃষ্টি
  • মন উন্মনে আঁচড়
  • মন খারাপের ডায়েরি
  • মন গহীনে তুমি
  • মন গহীনের শব্দ
  • মন গোপনের কথা
  • মন চায় তোকে
  • মন তোমাকে ছুঁয়ে দিলাম
  • মন দিতে চাই
  • মন দিয়েছি তোমার নামে
  • মন পবনের নাও
  • মন পায়রা
  • মন ফড়িং ♥
  • মন বিনিময়
  • মন মোহনায় ফাগুন হাওয়া
  • মন শহরে তোর আগমন
  • মনে পড়ে তোমায় সন্ধ্যে বেলায়
  • মনের অন্তরালে
  • মনের অন্তরালে
  • মনের অরণ্যে এলে তুমি
  • মনের অরণ্যে এলে তুমি সিজন-০২
  • মনের আড়ালে
  • মনের কোনে
  • মনের ক্যানভাসে
  • মনের ক্যানভাসে
  • মনের গহীনে শুধুই তুমি
  • মনের গহীনে সে
  • মনের মাধুরীতে তুমি
  • মনেরও গোপনে
  • মনোহরা
  • মনোহারিণী
  • ময়না পাখির কথাগুলো
  • মরীচিকাময় ভালোবাসা
  • মহুয়া
  • মহুয়া
  • মা
  • মা'ওয়া
  • মাইনাসে মাইনাসে প্লাস
  • মাঘের সাঁঝে বসন্তের সুর
  • মাতাল হাওয়া
  • মাতৃত্ব
  • মাতৃত্বের স্বাদ
  • মাফিয়ার ভালোবাসা
  • মায়া
  • মায়া
  • মায়াজাল
  • মায়াদেবের মায়া
  • মায়াবতীর প্রণয়ে
  • মায়াবন বিহারিনী
  • মায়াবন্দী
  • মায়াবিনী
  • মায়াবী হরিণী
  • মায়ার বাঁধন
  • মায়ের কথা
  • মায়ের মন
  • মায়ের মেয়ে
  • মাস্টার মাইন্ড কিলার
  • মিঃ অভদ্র
  • মিঠা প্রেম
  • মিঠা রোদ
  • মিত্রাভান থানোস
  • মিথু
  • মিশন হার্ডডিস্ক
  • মিষ্টার লেখক
  • মিসটেক
  • মিসেস চৌধুরী
  • মিস্টার নার্সিসিস্ট
  • মিহিদানা
  • মীরার সংসার
  • মুক্তির স্বাদ
  • মুখোশের আড়ালে
  • মুগ্ধতার এক বিকেল
  • মুঠোবন্দী লাজুকলতা
  • মেঘ বলেছে যাব যাব
  • মেঘ বিয়োগের মৌসুম
  • মেঘ রোদ্দুরের আলাপন
  • মেঘ হবোতোমার আকাশের
  • মেঘনাদ
  • মেঘবতী
  • মেঘবদল
  • মেঘময় চাঁদ
  • মেঘমেদুর মন
  • মেঘলা আকাশ
  • মেঘসন্ধি
  • মেঘে ঢাকা জোৎস্না
  • মেঘের আড়ালে
  • মেঘের আড়ালে চন্দ্রলোকিত
  • মেঘের আড়ালে রোদ
  • মেঘের আড়ালে রোদ সিজন-২
  • মেঘের আড়ালে সিজন-০২
  • মেঘের ছায়
  • মেঘের বাড়ি
  • মেঘের ভেলায় চড়ে
  • মেমসাহেব
  • মেয়ে
  • মেয়েটা অসত্বী
  • মেয়েটি যেন ভিন্নরকম
  • মেহেরজান
  • মোহ মায়া
  • মোহনেশা
  • মোহমেঘ
  • মৌনতা
  • যখন আমি থাকবোনা
  • যদি তুমি বলো
  • যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
  • যুগলবন্দী পায়রা
  • যে আসে অগোচরে
  • যে পাখি ঘর বোঝে না
  • যে প্রেম এসেছিল
  • যেই তোমার হাওয়া আমাকে ছুঁলো
  • যেমন শাশুড়ি তেমন বউ
  • যোগদান পত্র
  • যোগ্যতা
  • যোজন -বিয়োজন
  • যৌনকর্মী
  • রং বদল
  • রক্তিম চোখ
  • রঙ তুলির প্রেয়সী
  • রঙ বদল
  • রঙ বেরঙের খেলা
  • রঙধনু (season 2)
  • রঙিন খামে বিষাদের চিঠি
  • রঙিলা বউ
  • রজনীপ্রভাতে
  • রংধনু
  • রংধনু পর্ব ৫
  • রংধনুতে প্রেমের বাড়ি
  • রহস্য
  • রাগি জামাই
  • রাগি মেয়ের প্রেমে
  • রাঙা বউ
  • রাঙাবউ
  • রাত বিকেলে প্রেমের কুঞ্জন
  • রাত যখন গভীর
  • রাব্বাতুল বাইন
  • রিভেঞ্জ
  • রুপালি মেঘের খামে
  • রুপের তরী
  • রূপকথা
  • রূপকথা
  • রূপকথার ম্যাজিশিয়ান
  • রূপবানের শ্যামবতী
  • রূপার পালঙ্ক
  • রেখেছি তারে বক্ষ পিঞ্জিরায়
  • রেখেছি তারে মন পিঞ্জিরায়
  • রেস্টুরেন্ট
  • রৌদ্দুরে প্রেমের বৃষ্টি
  • রোদহীন বিকালে তুমি
  • রোমান্টিক অত্যাচার
  • রোমান্টিক কালো বউ
  • রোমান্টিক গল্প
  • রোমান্টিক বুড়ো বর
  • রোমান্টিক_অত্যাচারঃ_২
  • রৌদ্দুর তোমার নামে
  • রৌদ্র মেঘের জুড়ি
  • লজ্জাবতী
  • লতাকরঞ্চ
  • লবঙ্গ লতিকা
  • লাজুকপাতা
  • লাভ ইউ
  • লাভ উইথ মাই বেটার হাফ
  • লাভ টর্চার
  • লাভ ফাইট
  • লাভ ম্যারেজ 
  • লাভ স্টোরি
  • লাভ স্টোরি Session২
  • লাল নীল ঝাড়বাতি
  • লীলা বোর্ডিং
  • লুকানো অনুভূতি
  • লুকোচুরি গল্প
  • লুকোচুরি ভালোবাসা
  • শক্তিময়ী
  • শক্তিরূপেণ সংস্থিতা
  • শঙ্খ চিলের জুটি
  • শতরঞ্জির শত রঙ
  • শত্রু শত্রু খেলা
  • শপথ
  • শরতের শুভ্র মেঘের ভেলায়
  • শর্ত
  • শর্বরী
  • শাপমোচন
  • শিউলি তোমার জন্য
  • শিউলি পাওয়া
  • শিক্ষনীয় গল্প
  • শিমুল ফুল
  • শিরোনামহীন
  • শিশির বিন্দুর জীবন
  • শীতল অনুভবে তুমি
  • শুকনো ঘাস ফুল
  • শুক্লাদ্বাদশী
  • শুধু তুই
  • শুধু তুই
  • শুধু তুই সিজন-০২
  • শুধু তুই সিজন-০৩
  • শুধু তোমায় ঘিরে
  • শুভ্র নীলের প্রেমপ্রহর
  • শুভ্র নীলের প্রেমপ্রহর সিজন-০২
  • শুভ্র বর্ষণ
  • শুরুটা অন্যরকম
  • শূণ্যতায় পূর্ণতা
  • শূন্য অনুভূতি
  • শূন্যতায় পূর্ণতা
  • শূন্যলতা
  • শেকড়ের সন্ধানে
  • শেষ ঠিকানা
  • শেষ ঠিকানা
  • শেষ ডাইরি
  • শেষ নিঃশ্বাস
  • শেষ নিঃশ্বাস
  • শেষ পরিণতি
  • শেষ পর্বের শুরু
  • শেষ বিকেলের আলো
  • শেষ বিকেলের আলো
  • শেষ বিকেলের প্রণয়
  • শেষ বিকেলের প্রণয় সিজন-০২
  • শেষ বিকেলের রোদ
  • শেষ বেলা
  • শেষ রাত
  • শেষ_পর্যন্ত
  • শেষটা সুন্দর
  • শেষটা সুন্দর সিজন-০২
  • শোভা
  • শ্বশুড়ের শর্তে বিয়ে
  • শ্বাশুড়ি
  • শ্বাশুরীর প্যারা
  • শ্যামাপ্রিয়া
  • শ্রাবণ ঝরা মেঘ
  • শ্রাবণ দিনের বৃষ্টিতে
  • শ্রাবণ মেঘের ভেলা
  • শ্রাবণ রাতের বৃষ্টিতে
  • শ্রাবণের এক সন্ধ্যায়
  • শ্রাবণের মেঘ
  • সখি
  • সংঘাতের মেঘ
  • সতীনকাঁটা
  • সত্যি ভালোবাসো
  • সন্দেহ
  • সন্ধ্যা আকাশের সুখ তারা
  • সন্ধ্যাবাতি
  • সন্ধ্যালয়ের প্রণয়
  • সপ্নছোয়া
  • সব সম্পর্কের নাম হয় না
  • সবিতা
  • সমাধি
  • সমাপ্তি
  • সমাপ্তিতে তুমি
  • সমাপ্তির পূর্ণতা
  • সমুদ্র বিলাস
  • সম্পর্ক
  • সম্পর্ক
  • সম্পর্কের প্রণয়
  • সম্পর্কের বন্ধন
  • সম্পর্কের মারপ্যাঁচ
  • সম্পৃক্ততা
  • সর্দি কন্যা
  • সর্বনাশের দিনে
  • সংসার
  • সংসার
  • সাইকো বরের রোমানটিক অত্যাচার
  • সাঝের বাতি
  • সাত সমুদ্রের তিমির
  • সাদা ফুল
  • সাদা মেঘের আকাশ
  • সাপলুডুর সমাপ্তিতে
  • সামাজিক থ্রিলার
  • সাংসারিক রাজনীতি
  • সিক্রেট এজেন্ট
  • সিক্রেট গ্যাংস্টার
  • সিঁদুর রাঙা মেঘ
  • সিনিয়র বউ নিউ আপডেট
  • সুখ একটি প্রজাপতি
  • সুখ পাখি
  • সুখ সন্ধানী
  • সুখপাখি
  • সুখময় বৃষ্টি
  • সুখের খোঁজে
  • সুখেরও সন্ধানে
  • সুগন্ধা
  • সুচরিতা
  • সুতোয় বাঁধা জীবন
  • সুপ্ত অনুভূতি
  • সুপ্ত অনুভূতি সিজন-০২
  • সুবাসিত মল্লিকা
  • সূচনাতে প্রেম
  • সূর্যকরোজ্জ্বল
  • সূর্যস্নান
  • সে
  • সে
  • সে আমারই
  • সে এসেছে
  • সে জানে
  • সে প্রেমিক নয়
  • সে ফিরে আসবেই
  • সেই তুমি
  • সেই তুমি
  • সেই মেয়েটি আমি নই
  • সেই রজনী দর্শনে
  • সেদিন দেখা হয়েছিলো
  • সেদিনও ছিলে তুমি
  • সোনার কন্যা
  • সোনার সংসার
  • স্কুলের একটি ভয়ঙ্কর রাত
  • স্ট্যাটাস সমগ্র
  • স্তব্ধের স্নিগ্ধতা
  • স্নিগ্ধ অনুভব
  • স্নিগ্ধ চাহনি
  • স্নিগ্ধ পরশ
  • স্নিগ্ধ প্রেমের অনুভূতি
  • স্নিগ্ধ প্রেমের মায়ায়
  • স্পর্শ
  • স্পর্শতায় তুমি
  • স্পর্শের বাহিরে তুমি
  • স্পর্শের ভাষা
  • স্বচ্ছ প্রণয়াসক্ত
  • স্বপ্ন ?
  • স্বপ্ন পুরে
  • স্বপ্ন সারথি
  • স্বপ্ন হলেও সত্যি
  • স্বপ্নীল
  • স্বর্ণকেশী মায়াবিনী
  • স্বামির অধিকার-২
  • স্বামী
  • স্বামীর অধিকার
  • স্বামীর বিয়ে
  • স্বামীর ভালোবাসা
  • স্মৃতিচারন
  • স্যার
  • স্যার যখন স্বামী
  • স্যার যখন স্বামী সিজন ২
  • হটাৎ এক বৃষ্টির দিনে
  • হঠাৎ একদিন
  • হঠাৎ পাওয়া
  • হঠাৎ পাওয়া
  • হঠাৎ বৃষ্টি
  • হঠাৎ বৃষ্টিতে
  • হঠাৎ হাওয়া
  • হবু বউ
  • হয়তো ভালোবাসি
  • হলদে পাখি
  • হলুদ খাম
  • হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ
  • হারানোর বেদনা
  • হারিয়ে যাওয়া অনুভূতি
  • হারিয়ে যাওয়া,পথ খুঁজে পাওয়া
  • হার্টলেস
  • হাসনাহেনা
  • হিজিবিজি
  • হিমাংশুর জলপদ্ম
  • হিমি
  • হূর
  • হূর
  • হৃদ মাঝারে
  • হৃদপূর্ণিমা
  • হৃদমাঝারে
  • হৃদমাঝারে
  • হৃদমাঝারে রেখেছে তারে
  • হৃদয় আকাশে প্রমবর্ষণ
  • হৃদয় কোঠায় চাঁদের পূর্ণিমা
  • হৃদয় গহীনে তুমি আছো
  • হৃদয় জুড়ে শুধু আপনি
  • হৃদয় জুড়ে শুধু আপনি সিজন-০২
  • হৃদয় জুড়ে শুধু তুমি
  • হৃদয় সায়রে প্রণয়ের ছন্দ
  • হৃদয় স্পর্শ
  • হৃদয় হরণী
  • হৃদয়কুঠিরে উষ্ণ প্রণয়
  • হৃদয়ঙ্গম
  • হৃদয়হরণী
  • হৃদয়হীনা
  • হৃদয়াক্ষী
  • হৃদয়ে তুমি
  • হৃদয়ে তুমি
  • হৃদয়ে বন্ধন
  • হৃদয়ে রক্তক্ষরণ
  • হৃদয়ে শুধু আপনি
  • হৃদয়ের অন্তরা
  • হৃদয়ের আঙ্গিনায় তুমি
  • হৃদয়ের একূল ওকূল
  • হৃদয়ের গহীনে
  • হৃদয়ের ঠিকানা
  • হৃদয়ের সন্ধিক্ষণ
  • হৃদয়ের_আয়না
  • হৃদস্পর্শ সিজন ২
  • হে দুঃখি চোখ
  • হেমন্ত ধারার অশ্রু
  • হ্যাকারের লুকোচুরি
  • হ্যাকারের লুকোচুরি . সিজন_৩
  • হ্যাকারের লুকোচুরি সিজন ২

Meta

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সর্বাধিক পঠিত

স্বামীর ভালোবাসা part : 37

June 4, 2019

প্রেমেরপরশ part_1

March 15, 2019

প্রেমের_পরশ পার্ট_3

March 15, 2019

জনপ্রিয় বিভাগ

  • "ধারাবাহিক গল্প"4535
  • ছোট গল্প443
  • গল্পপোকা চিঠি প্রতিযোগিতা165
  • স্ট্যাটাস সমগ্র152
  • প্রতিযোগিতা148
  • কষ্টের গল্প108
  • গল্প পোকা ছোট গল্প সংকলন97
  • কবিতা সমগ্র95
  • "কবিতা লিখন প্রতিযোগীতা সেপ্টেম্বর 202087




আমাদের সম্পর্কে
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম। "গল্পপোকা ডট কম" একটি অনলাইন প্লাটর্ফম। মন ছুঁয়ে যাওয়া সব গল্প-কবিতা নিয়ে সাজানো আমাদের এই প্লাটর্ফম যেখানে রয়েছে আপনাদের প্রিয় সব লেখক লেখিকাদের অসাধারণ সব গল্প এবং কবিতা। আশা করা যায়, আমাদের গল্পপোকা ডট কম-এর আন্তরিক প্রচেষ্টা আপনাদের নিরাশ করবে না।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: [email protected]
আমাদের অনুসরণ করো
  • মূল পাতা
  • গল্প শুনুন
  • গল্প বিভাগ
    • সব হৃদস্পর্শইসলামিক গল্পকথোপকথনকষ্টের গল্পছোট গল্পভালোবাসার গল্পভুতের গল্পশিক্ষনীয় গল্প

      সিদ্ধান্ত

      ছবির মানুষ

      প্রেমময় নিবৃত (ছোট গল্প)

      কষ্টের স্ট্যাটাস | Sad status | koster status

  • শ্রেনী
    • গল্পের শহর
    • গল্পের ঠিকানা
    • গল্পপোকা
  • ভিডিও
  • কবিতা
    • সবকবিতা সমগ্রকষ্টের কবিতাপ্রেমের কবিতা

      লজ্জাবতী

      তবুও কি বলবে তুমি মানুষ?

      ফিরবে ভাবিনি–এ ফেরা অর্থহীন

      সন্ত্রাসীদের বর্বরতা।

  • স্ট্যাটাস
    • সবইসলামিক স্ট্যাটাসকষ্টের উক্তিসমূহবাংলা ধাঁধাস্ট্যাটাস সমগ্র

      কষ্টের স্ট্যাটাস | Sad status | koster status

      ওর সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা হয়েছিলো কষ্টের স্ট্যাটাস

      সমরেশ মজুমদার মোটিভেশনাল উক্তি

      বিল কসবি মোটিভেশনাল উক্তি

  • Home – mobile
  • আমাদের সম্পর্কে
  • Privacy Policy
  • Login/Register
  • Home
  • মূল পাতা – mobile
  • Checkout
© golpopoka.com