Tuesday, September 2, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2334



অভিশপ্ত_রাত (১ম পর্ব)

0

অভিশপ্ত_রাত (১ম পর্ব)

Umme Nipa

স্যার যে মেয়েটাকে মৃত ঘোষনা করেছিলেন তার পেটে বাচ্চা নড়ছে কথাটা নার্স মিনু দৌড়ে এসে ডাঃ শিহাবকে জানালো।

শিহাব চায়ের কাপ রেখে রাগী গলায় বলে উঠলেন কি বলছো যা তা?মৃত মানুষ এর পেটের বাচ্চা নড়াচরা কি করে করে?আমি একদম দেখেছি তার হার্ট বিট নেই,এছাড়া শরীর মৃত মানুষ এর মতন শক্ত হয়ে গিয়েছে।তাহলে কি করে পসিবল তার ভিতরের বাচ্চা জীবিত থাকা?

মিনু: স্যার আমি গায়ের কাপড় টা ভালো করে দিতে গিয়ে অনুভব করলাম তার পেট নড়ছে।একদম জীবিত মানুষ এর মতন।

শিহাব মিনুর কথায় কান না দিয়ে জলদি হেটে মর্গের দিকে চলে গেল।

সে পূর্নরায় পাল্স চেক করলেন।উম হু কোন রেস্পন্স নেই।পেট টা অনেক টা বড়। দেখেই মনে হচ্ছে মেয়েটি গর্ভবতী।বেচে থাকলে খুব জলদি বাচ্চার মা হত।পেটে হাত দিয়ে বার বার শিহাব অনুভব করার চেষ্টা করছে কিন্তু না,কিছুই অনুভব হচ্ছেনা।

মিনু আমি আপনার কথায় আবার এসেই বোকা বনে গেলাম।আমি জানতাম এমন কিছুই হবার সম্ভবনা নাই।গর্ভের বাচ্চার প্রান তার মায়ের প্রান এর সাথে জড়িয়ে থাকে।মায়ের নিশ্বাস ই তাদের নিশ্বাস।এটা কোন সিনেমা না।চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমন কিছুই হয়না।যেখানে মা মরে বরফ হয় আর বাচ্চা বেচে থাকে।

মিনু ভয়ে ভয়ে বলতেছিল স্যার বিশ্বাস

এরই মাঝে মিনুকে থামিয়ে দেয় শিহাব।এই বডি কে এনেছে?আই মিন তার আপনজন কেউ এসেছে?

মিনু: না।পুলিশ এনেছিল।ময়নাতদন্ত করতে হবে তা জানতাম।

শিহাব: এর মৃত্যু হয়েছে অনেক আগে।আজ সকাল নাগাদ। আর এখন বাজে রাত ১০:৩০।এর বেঁচে ফেরা টা আসলেই অসম্ভব।

মিনু: আর বাচ্চাটা?

শিহাব: মিনু তুমি মেয়ে মানুষ, মন নরম তাই জানি বাচ্চাটার জন্য খারাপ লাগছে।আমার ও লাগছে।দীর্ঘ ন বছরেও বিয়ের পর আমার কোন বাচ্চা নেই।কিন্তু দেখো এই মহিলার বাচ্চা দিয়েও আল্লাহ নিয়ে গেল।আল্লাহর ইচ্ছা বোঝা খুব কঠিন। যাই হোক তুমি এদিকে বেশি থেকোনা।লাশ ঘরে থাকা তো তোমার দায়িত্ব না তাইনা?এই বলে শিহাব চলে গেল..

চেম্বারে বসে পি সি অন করেও মনোযোগ দিতে পারছেনা শিহাব।বার বার মৃত মেয়েটার মুখ ভেসে আসে।
ময়নাতদন্ত করার পর জানতেই হবে কি তার মৃত্যুর কারণ। এই প্রথম কোন অচেনা লাশ এর মৃত্যুর কারণ নিয়ে তার প্রচুর মাথাব্যথা হচ্ছে।

পেটের ভিতর বাচ্চাটা দেখতে কি তার মায়ের মতন ই হয়েছিল।ইস!বাচ্চা টা যদি আমি পেতাম!আজীবন আগলে রাখতাম ভাবতে ভাবতে শিহাবের স্ত্রী উপমার কল।

-হুম বলো

-কি গো কটা বাজে?আসবে কখন?

একটু কাজ ছিল।

জলদী আসলে ভালো হত।আকাশ মেঘলা বৃষ্টি নামবে।

হুম রাখছি এখন

শিহাব পি সি অফ করে ব্যাগ গুছিয়ে নিল।বাসায় উপমা একাই থাকে।কলেজ এর শিক্ষিকা সে।দুপুরেই বাসায় চলে আসে।তারপর সারাক্ষণ একা।শিহাবের মা বাবা কেউ ই বেঁচে নেই।না আছে কোন বাচ্চা।

মিনু বার বার মর্গের দরজার দিকে তাকিয়ে আছে।তার স্পষ্ট মনে আছে,হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার দরজা টা খুলে গেল।মিনু দরজা লাগাতে গিয়ে দেখছে জানালা খোলা আর তা দিয়ে সাই সাই করে বাতাস এসে লাশ এর গায়ে কাপড় সরিয়ে ফেলছে।

জানালা দিয়ে লাশ এর মুখটায় তার চোখ লেগে এলো।কি কোমল মুখ।মৃত বুঝা যাচ্ছে না।পেট টা উঁচু। ফুলে দ্বিগুণ হয়েছে আরো।মেয়েটার মুখ ভরা মনে হচ্ছিল হাসি।এই হয়ত উঠে বসবে।

কাপড় দিয়ে শরীর ঢাকতে যাবার আগে তার অদ্ভুত আকাঙ্ক্ষা চেপে বসলো।একবার মেয়ের পেটে হাত দেয়ার খুব বাসনা চেপে গেল।

কোমল ভাবে হাত দিল।মৃত মানুষ ব্যথা পায়।মেয়েটাকে ময়নাতদন্ত করলেও নিশ্চই ব্যথা পাবে।পুলিশি মামলার কারনে না একে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে না দেয়া হচ্ছে কবর।কি কপাল মেয়েটার

আচমকা মনে হতে লাগলো ভিতরে থাকা বাচ্চাটা যেন নড়াচরা করছে।শিউরে উঠলো মিনু।সে ভালোভাবে খেয়াল করলো।নড়াচরা এতই তীব্র হচ্ছে যে পেটের উপর রাখা কাপড়টা দুমড়ে মুছরে যাচ্ছে।

মিনুর গলা ক্রমশ শুকিয়ে এসেছিল।কিছুইতেই সে ডঃ শিহাবকে বিশ্বাস করাতে পারলনা।সে জানে এটা কেউ বিশ্বাস করবেন।এত দূর্বল হৃদয় নিয়ে সেবিকা হওয়া যায় না।সেবিকাদের হৃদয় নমনীয় থাকতে হয়।অসুস্থ ব্যক্তির জন্য কোমল তেমন ভয় পেয়েও কোমল।শক্ত হওয়া যাবেনা।

বাইকে চেপে শিহাব বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল।ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি হঠাৎ যেন ইচ্ছাকৃত ভাবে বেশি ঝড়তে লাগলো। বাইক সাইড করে বিলডিং এর নিচে আশ্রয় নিয়েছে শিহাব।

সেই বিল্ডিং এর বিপরীত পাশেই লাশ কাটা ঘর।রাস্তার বিদ্যুৎ ও চলে গেল।আর লাশ কাটা ঘরের কেবল দোতলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।নিচতলা ফাকা।শিহাবের ভয় করছেনা।দোতলায় তাকিয়ে ভাবছে,ওখানের বাসিন্দাদের কি বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হয়?
ওখানের মানুষগুলি আর আমার মাঝে দূরত্ব কত কম কিন্তু আমি চাইলেই যা তা করতে পারি তারা পারেনা।তারা নিজের উপর আর নিজেই নিয়ন্ত্রন রাখতে পারেনা।
বৃষ্টির তীব্রতা কমে যাচ্ছে। উপমা বার বার কল দিয়েই চলেছে।

হুট করেই লাশকাটা ঘরের দোতলা থেকে ভেসে আস্তে লাগলো,আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা , চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।

শিহাব ভড়কে গেল।দোতলায়য় তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই।সে ভেবে নিয়েছে হয়ত তার ভাবনার ভুল।এতক্ষণ আজগুবি ভাবনা তাকে ঘোরে ফেলেদিয়েছে।সে কিকরে ডাক্তার হয়েও প্যারানরমাল বেপারে ব্লিভ করতে পারে!হাস্যকর

মিনুর আজ নাইট ডিউটি।রাতে দুটা সিজার আছে।যেখানে তার থাকা লাগবে।কিন্তু সে আজ কাজে মনোযোগ দিতে পারছে।

এরই মাঝে একজন এসে বললো,আমার স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রনা উঠেছে। একটু দেখবেন।ডাক্তার ম্যাম কই?

মিনু তার সাথে চলে গেল।

শিহাব সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলো।মাথা ভিজে গেছে একেবারেই।উপমার বকুনি খেতে হবে শিওর।দরজায় বেল দিচ্ছে দরজা খুলছেই না উপমা।সপ্তম বারের মতন বেল দিতেই দরজা খুললো।দরজার ওপাশে মেয়েটাকে দেখে শিহাবের বুক টা ধক করে উঠলো।ওহ মাই গড! এ কি করে সম্ভব?আমি কি ঠিক দেখছি?

এই মেয়েকেই তো আজ আমি নিজে মৃত ঘোষনা করলাম।

শিহাব শক্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে।কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছেনা।তার সাথে কি ঘটছে।একই রকম দেখতে মানুষ হয়!নাকি মৃত মানুষ ফিরে আসে!সব কিছুতে মিলে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে শিহাবের।এরই মাঝে মেয়েটির পিছন থেকে উপমা এসে বললো কি হলো?ভিতরে আসো…

চলবে…

মেয়েটা অসত্বী  ১১ শেষ পর্ব

0

মেয়েটা অসত্বী  ১১ শেষ পর্ব

লেখক/ ছোট ছেলে

<><><><><><><><>

উঠুন উঠুন বলছি হাতমুখ ধুঁয়ে টেবিলে নাস্তা রাখা আছে খেয়ে আসুন

আমি/ তুমি খাবেনা

রিমি/ পরে খাবো আগে আপনি খেয়ে নিন

আমি/ আরে না আগে তোমাকে খেতে হবে

আগে তুমি খেয়ে ঔষধ খাও তারপর আমি খাবো

রিমি/ না না তা কি করে হয় আপনি খেয়ে নিন তারপর আমি খাবো

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে দুজন একসাথে খাবো চলো

রিমি/ না না নীলা দেখলে খুব রাগ করবে

আমি/ আর কোন কথা শুনবনা আমি
চলো

রিমিকে জোর করে খাওয়ার টেবিলে বসালাম

দুজনে খাচ্ছি

 

ঠিক তখন নীলাও চলে আসলো

নীলা/ বাহ্ দারুনতো স্বামী স্ত্রী দুজনে খাওয়ার টেবিলে

আমি/ আরে তুমি এত সকালে এখানে

নীলা/ কেন এসে বুঝি বিপদ বাড়িয়ে দিলাম

দেখতে এলাম কাজের মেয়ের সঙ্গে তোমার সংসারটা কেমন চলছে

আমি/ নীলা ঠিকভাবে কথা বলো
এমনিতে রিমির শরীর খারাপ আবার যদি কিছু একটা হয়ে যায় এখন

রিমি চলে যাচ্ছে

নীলা/ বলো আমরা বিয়ে কবে করছি

আমি/ বিয়ে মানে কি এমন তো কথা ছিলোনা

নীলা/ কিব বলতে চাও তুমি
আমাকে বিয়ে করবেনা

 

আমি/ না কখনওই না তুমি হয়তো এটা ভুলে গেছো আমি অন্য আরেকটা মেয়ের স্বামী

নীলা/ অন্য আরেকটা মেয়ের স্বামী মানে

তাহলে আমার সাথে কেন রাত কাটালে

আমাকে কেন তোমার বুকে টেনে নিলে

আমি/ ছোট্র একটা ভুল যে ভুলে আমার জীবন থেকে অনেক গুলো সুখের দিন হারিয়ে গেছে

নীলা/ভুলটা তোমার ছিলো আমার নয়

আমি/ ভুলটা আমার ছিলো কিন্তু তোমারও তো প্রয়োজন ছিলো টাকা

যার জন্য তুমি আমার সাথে রাত কাটালে

শোন এসব কথা বাদ দাও তুমি তোমার মত থাকো আমাকে আমার মত থাকতে

রিমি আড়ালে দাঁড়িয়ে আমাদের সব কথা শুনছে

অনেকক্ষণ ধরে নীলার সাথে আমার কথা কাটাকাটি চলছে

কিন্তু রিমি কোথায় তাকে তো দেখা যায়না

আমি/ রিমি এই রিমি রিমি

কি ব্যপার মেয়েটা আবার কোথায় গেলো

মনের ভিতর-ই সন্দেহ জাগলো

 

না ভিতরে গিয়ে দেখি

 

আমার পিছনে নীলাও আসতে লাগলো

রিমির ঘরে গিয়ে দেখি রিমি চিত হয়ে শুয়ে আছে

আমি/ রিমি এই রিমি কথা বলো

নীলা/ ধ্রুব ওকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে

ও অনেক গুলো বিষ খেয়েছে

আমি/ বিষ

নীলা/ হুমমমম বিষ আর দেরি করা ঠিক হবে ওকে এখন-ই হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে

আমি/ তুমি একটা গাড়ীর ব্যবস্থা করো আমি ওকে নিয়ে আসতেছি

নীলা একটা গাড়ি নিয়ে আসলো

রিমিকে গাড়িতে উঠালাম
তারপর হাসপাতাল

রিমি ভিতরে বিষের জ্বালায় ছটপট করে আর আমি তাকে হারানোর ব্যথায় বাহিরে ছটপট করি

নীলা আর আমি বাহিরে বসে রইলাম

নীলা আমাকে একটু শক্ত করার জন্য

নীলা/ দেখ ওর কিছু হবেনা
ও আবার ঠিক হয়ে যাবে তোমার বুকে ফিরে আসবে

নীলার কথা শুনে একটু ভরসা পেলাম

কিছুক্ষণ পর ডাঃ বেরিয়ে আসলো

নীলা/ ধ্রুব ডাঃ

আমি দৌড়ে গিয়ে

 

আমি/ ডাঃ আমার রিমি

 

ডাঃ/ দেখুন ভয়ের কিছু নেই একটু পরে আপনারা ওর সাথে দেখা করতে পারবেন

কিছুক্ষণ বাহিরে অপেক্ষা করার পর মনকে আর বোঝাতে না পেরে ডাঃ কে বলে ভিতরে গেলাম

ভিতরে গিয়ে রিমির পাশে পাশে বসে কাঁদতে লাগলাম
আর বলতে লাগলাম

আমি/ রিমি কেন এমন করলে আমিতো তোমাকে হারাতে চাইনি
তুমি কেন চলে যেতে চাইলে আমাকে একা করে না ফেরার দেশে

খুব ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে শুধু বলতে পারিনি

কিছুক্ষণ পর রিমির হাত আমাকে স্পর্শ করলো

আর রিমি গুনগুন করে বলতে লাগলো

রিমি/ এই যে সাহেব কে বললো আপনাকে এত সহজে আমি ছেড়ে চলে যাবো

দেখুন আমি এখনও বেঁচে আছি আপনার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবো বলে

আপনার ভালাবাসা আমাকে এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে শুধু আপনার জন্যে

এই প্রথম অনেক ভালোবাসব নিয়ে রিমির কপালে একটা চুমু খেলাম

নীলা দাঁড়িয়ে আমার আর রিমির সব কথা শুনলো

 

সব শুনে রিমিকে বললো

 

নীলা/ বোন জানি আমার কোন ক্ষমা নেই তোমার উপর অনেক অন্যায় অত্যাচার করেছি পারলে ক্ষমা করে দিও
বোন ভেবে
আর কখনও আসবোনা তোমার ভালোবাসার ভাগ নিতে

নীলা আমার রিমির হাত এক করে দিয়ে চলে যাচ্ছে

আমিও রিমির বুকে মাথাটা রাখলাম

রিমি/ আহহহহহহ

আমি/ ব্যথা পেলে অসত্বী বউ

রিমি/ হুমমমম আদর্শবান স্বামী অনেক পাইছি

বলে রিমি আমাকে জড়িয়ে ধরলো

যাক অবশেষে জায়গা করে নিতে পারছি রিমির বুকে

সমাপ্ত

আপনারও দোয়া করবেন যেন আমরা সুখী হতে পারি

ছোঁটঁ ছেঁ লেঁ

#ধ্রুব

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ১০

0

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ১০

লেখক/ ছোট ছেলে

——————–
রিমি/ অনেক দেরি হয়ে গেছে তাইনা একটু দাঁড়ান বেশি সময় লাগবেনা রান্না করতে

আমি/ কিচ্ছু করতে হবেনা তোমাকে এখানে বসে থাকে চুপ করে

আমি খাবার আনতেছি

রিমি/ এভাবে শুয়ে থাকলে হবে নাকি

আমার আবার শুয়ে থাকতে একদম মন চায়না

উফফফফফ…. আচ্ছা জ্বালাতো এই মেয়েকে নিয়ে

আমি/ একটু বসো আমি আসতেছি

আমি রুটি আর কলা নিয়ে আসলাম

এই নাও খেয়ে ঔষধটা খেয়ে নাও

রিমি/ আপনি খেয়েছেন

আমি/ না পরে খেয়ে নিবো

আগে তুমি খেয়ে ঔষধ খেয়ে নাও

রিমি/ আচ্ছা নীলা আর আসেনি তাইনা

আমি/ হুমমমমমমম

রিমি/ আপনার পাশে রিমিকে অনেক সুন্দর মানায়

আমি/ কলা রুটি খাবে নাকি মার খাবে

কোনটা

রিমি/ দুটো

আমি/ মানে

রিমি/ মানে বুঝেন না আপনি যা খুশিমনে খাওয়াবেন সেটাই খাবো

আমি/ ওলে…. বাবা

রিমিকে নিজ হাতে খাইয়ে দিলাম

আমি/ এখন কেমন লাগছে

রিমি/ অনেক ভালো

আমি/ ব্যথা করে নাকি

রিমি/ স্বর্গে কি আর ব্যথা থাকে

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে এবার ঘুমিয়ে পড়ো

রিমি/ আপনি খাবেন না

আমি/ হুমমমম খাবোতো

রিমি/ খাবেন যখন আমার সামনে খান

কি আর করা জোর করেতো কিছু করতে পারবনা

তাই খেয়ে নিলাম

আমি/ এবার খুশিতো

রিমি/ হুমমমম
যান আপনিও ঘুমিয়ে পড়ুন

আমি/ আমি ঘুমাবো আগে তুমি ঘুমাও তারপর

একটু বেশি আদর সোহাগ পেয়ে রিমি ঘুমিয়ে পড়েছে

রিমির নিষ্পাপ চেহারাটা বলে দেয় সে অসত্বী নয়

সে সকালের ফুলের মত-ই পবিত্র

রাতের চাঁদের মত সুন্দর যে সবাইকে আলোকিত করে নিজে হারিয়ে যায় মেঘের আড়ালে

খারাপতো হলাম আমি

অনেক খারাপ কোন ভালো মানুষ-ই বাসায় মেয়ে এনে ফূর্তি করেনা

ভাবতে ভাবতে আমিও যে কখন রিমির পাশে ঘুমিয়ে পড়েছি তা বুঝতে পারিনি

সকাল হয়ে এলো

রিমি মাথায় হাত দিয়ে

রিমি/ এই যে শুনছেন
শুনছেন আপনি

রিমির ডাক শুনে আমার ঘুম ভাঙ্গলো
ছোঁটঁ ছেঁ লেঁ

রিমি/ আপনি ঘুমান নি সারারাত এখানে কাটালেন

আমি/ কে বলছে ঘুমাইনি তোমার ডাকেতো ঘুম ভাঙ্গলো

রিমি/ তারপরও আপনি সারারাত এখানে এভাবে কাটালেন

আমি/ তাতে কি আমি আমার বউয়ের পাশে রাত কাটালাম তাতে দোষের কি আছে

রিমি/ কি বলছেন আরেকবার বলুনতো

আমি/ বউ

রিমি/ আপনি না খুব সুন্দর করে মজা করতে পারেন

আমিতো এ বাড়ির কাজের মেয়ে বউ হলাম কখন

রিমির প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই তাই মাথা নিচু করে চুপ করে রইলাম

রিমি/ আপনি হাতমুখ ধুয়ে আসুন আমি নাস্তা বানাচ্ছি

রিমিকে না বুঝতে পারলেও তার কথাটা বুঝতে পারছি

সে এখন আর আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনা

রিমি চলে গেলো আমি তার বিছানা শুয়ে রইলাম

একটু পরে রিমি এসে

রিমি/ এই যে আপনি আমার বিছানা কেন

আমি/ তোমার বিছানা
বলো আমাদের

রিমি/ সে অধিকার প্রথম রাতে হারিয়ে ফেলেছি

অপেক্ষা করুন শেষ পর্বের…..

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৯

0

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৯

লেখক/ ছোট ছেলে

^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
আমি/ রাতে আসতে হবেনা আর এখন থেকে বাহিরে
আমরা দেখা করবো

তবে আসতে পারো কিন্তু রাতে থাকতে পারবেনা

নীলা/ এসব তুমি কি বলো আমি কিছুই বুঝতেছিনা

আমি/ তোমাকে বুঝতে হবেনা
এখন রাখি রিমিকে নিয়ে বাসায় যেতে হবে

ফোনটা রেখে দিলাম নীলাকে আর কিছু বলার সুযোগ দেইনি

একজন নার্স এসে বললো

নার্স/ ধ্রুব কে

আমি/ জ্বী আমি

নার্স/ আপনাকে ডাকছে আপনার রোগী

আমি তাড়াহুড়ো করে গেলাম রিমির কাছে

আমি/ কি হলো কিছু লাগবে তোমার

রিমি/ মাথা দিয়ে বোঝানো না

আমি/ তাহলে ডাকলে কেন

রিমি/ হাত দিয়ে বোঝালো তার পাশে একটু বসতে

রিমি আমার একটা হাত টেনে তার মাথায় রাখলো

আমি কি করবো বুঝতেছিনা

আমি/ কি বাসায় চলে যাবে

রিমি/ অনেক কষ্টে উত্তর দিলো হুমমমমম

আমি/ ঠিক আছে তুমি বসো আমি ডাঃ এর সাথে কথা বলে আসি

ডাঃ এর সাথে কথা বলে রিমিকে কাছে আসলাম

রিমি/ ডাঃ কি বলছে বাসায় যেতে পারবো

আমি/ হুমমমম

রিমি/ তাহলে আমাকে বাসায় নিয়ে চলুন

কি আর করা বলছে যখন তখন আর নিয়ে যাই

রিমিকে বাসায় নিয়ে আসলাম

আমি/ চুপচাপ শুয়ে থাকো চোখ বন্ধ করে কোন কথা বলবেনা

রিমিকে শুয়ে দিয়ে আমি অন্য ঘরে এসে বসে রইলাম

কিছুক্ষণ পর নীলা আসলো

আমি/ আরে তুমি এই সময়

নীলা/ কেন আসতে পারিনা বুঝি

আমি/ তা কেন নয় যখন ইচ্ছা তখন-ই আসবে

নীলা/ তা আর কিভাবে মনে হয় এবার সেই দরজাটা বন্ধ হয়ে যাবে

আমি/ কেন

নীলা/ যেভাবে বউ পাগল হলে
তাতে তো দেখি আমার জন্য দরজাটা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে

আমি/ আরে না কি বলো তুমি
ডাঃ বললো ওর একটু সেবাযত্ন নিতে তাই একটু

নীলা/ থাক আর বলতে হবেনা

আমি/ চলো ওকে দেখবে

নীলা/ পাগল নাকি আমি যাবো ঐ মেয়েকে দেখতে হা হা হা

আমি/ এ কি এতে এত হাঁসির কি আছে

নীলা/ শোন আমি তোমাকে দেখতে এসেছি তোমার সাথে একটু সময় কাটাতে এসেছি

তোমার বউয়ের সাথে নয়

আমি/ ওহহহহহ

তা আমার সাথে দেখা তো হলো কথা হলো

এবার তুমি আসতে পারো

নীলা/ মানে কি তুমি আমাকে তাড়িয়ে দিবে নাকি

আমি/ হুমমমম মনে করো তাই যার মাঝে এতটুকু মনুষত্ব্য নেই তার সাথে আর যাই হোক কোন সম্পর্ক করা যায়না

তুমি আসতে পারো

নীলা/ আচ্ছা আচ্ছা তুমি যখন এত করে বলছো তখন আর কি করা চলো দেখে আসি

আমি/ না তোমাকে দেখতে হবেনা তুমি এখন যাওতো

নীলা/ ধ্রুব তুমি এমন করছো কেন

আমি/ প্লিজ তুমি যাবে

নীলা/ আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাচ্ছি

আমি/ হুমমমমম

এই ফাঁকে রিমিও বের হয়ে আসলো

আমি/ এ কি তুমি আবার উঠে আসলে কেন

তোমাকে না ডাঃ বারণ করেছে

রিমি/ আপুকে ফেরাও আপুতো চলে যাচ্ছে

আমি/ যে যাবার তাকে যেতে দাও এটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা

যাও তুমি তোমার ঘরে যাও

রিমিকে নিয়ে তার ঘরে গেলাম

চলে আসার সময় রিমি আমার হাত ধরে বলতে লাগলো

আমি/ ক্ষমা কিসের ক্ষমা

রিমি/ এইযে আমার জন্য নীলা আপনাকে ভুল বুঝে চলে গেছে

আমি এ কিরে বাবা নিজের কথা না ভেবে অন্য আরেকটা মেয়ের জন্য এত ভাবে

তার সাথে যার না আছে রক্তের সম্পর্ক আর না আছে কোন আত্মীয়ের পরিচয়

আমি/ দেখ কি ভাঙ্গলো আর না ভাঙ্গলো সেটা নিয়ে তুমি চিন্তা না করলেও চলবে

আগে তুমি সুস্থ হও তারপর দেখা যাবে

রিমির চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো

আগে না বুঝলেও এখন বুঝতেছি

দেহের ক্ষত চেয়ে তার মনের ক্ষতটা অনেক বেশি অনেক যন্তণাদায়ক

রিমির মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে মনে মধ্যে অনেক প্রশ্নের জন্ম হলো

সত্যি কি রিমি অসত্বী
সত্যি কি ওর জীবনে আমার আগে অন্যকেউ এসেছিলো

আচ্ছা ওর জীবনে যদি কেউ থেকে থাকে

তাহলে তো এত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য না করে ঐ ছেলেটার হাত ধরে চলে যেতো

নাকি আমার চোখে কালো চশমার কারনে রিমির মত একটা ফুলের মত পবিত্র মেয়েকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছি

উফফফফ……..।

একটু আদর যত্ন পেয়ে রিমি ঘুমিয়ে পড়লো

আচ্ছা….কিছুক্ষণ ঘুমাক

ঘুম ভাঙ্গলে ঔষধটা খাইয়ে দিবো

কিন্তু খালি পেটে ঔষধ কি করে খাওয়াবো

বাসায় তো কিছু রান্না নেই

এখন কি করবো দোকানে যাবো

না রিমিকে একা রেখে কোথাও যাবোনা

বাসায় রুটি আছে আপাতত রাতটা এটুকু দিয়ে চালিয়ে দিবো

রিমির পাশে গিয়ে বসে রইলাম

কখন ওর ঘুম ভাঙ্গবে

আমি তার পাশে বসে মোবাইল টিপি

একটু পরে রিমির ঘুম ভাঙ্গলো

রিমি/ এ কি আপনি এখানে

আমি/ তোমার অপেক্ষায় আছি

রিমি/ আমার কেন
ওহহহহহ বুঝেছি আপনাদের জন্য রান্না করতে হবে তাইতো

বলে রিমি উঠতে গেলো

আমি/ আরে আরে কি করছো কি করছো তুমি

চলবে…???
রিমি/ আমাকে ক্ষমা করে দিবেন তো

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৮

0

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৮

লেখক/ ছোট ছেলে

••••••••••••••••••••••

আমি আর নীলা শুয়ে রইলাম

নীলা/ এই কি ভাবছো একটু আদর করোনা

নীলার কথা আমার কানে যায়না

আমার কানে আসে রিমি গুনগুন কান্নার শব্দ

মেয়েটাকে এভাবে না মারলেও পারতাম

নীলা/ কি হলো

আমি/ কই কিছুনা তুমি দাঁড়াও আমি আসতেছি

নীলা/ কোথায় যাচ্ছো

আমি কোনকিছু না বলে বেরিয়ে পড়লাম

রিমি দেখি তার ঘরে কান্না করে দরজাটাও বন্ধ

আমি দরজা টোকা দিলাম

রিমি কান্না বন্ধ হয়ে গেলো চুপ করে রইলো মেয়েটা

নীলা/ এ কি তুমি এখানে কি করছো

আমি/ তুমি আবার কেন উঠে আসলে

নীলা/ তোমাকে ছাড়া আমার একদম ভালো লাগেনা চলো

ও ঘুমিয়ে পড়েছে

আমি/ তুমি যাও আমি আসতেছি

রিমি দরজা খুলো রিমি

ভিতর থেকে কোন সাড়া শব্দ পাইনি আমিও ভাবলাম হয়তো রিমি ঘুমিয়ে পড়েছে

অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর চলে এলাম

বসে রইলাম

নীলা/ কি হলো ঘুমাবেনা

আমি/ তুমি ঘুমাও আমি পরে ঘুমাবো

নীলা/ তুমিও না কেন একটা মেয়ের জন্য এত চিন্তা করো বুঝিনা আমি

নীলা ঘুমিয়ে পড়লো

কিছুক্ষণ পর আমিও শুয়ে পড়লাম

সকাল ৯টা ঘুম ভাঙ্গলো

আমি/ নীলা এই নীলা দেখ কত বাজে

মনে মনে ভাবতে লাগলাম রিমি আজ আমাদের ডাকেনি কেন

উঠে রিমির ঘরে গেলাম

দরজাটা এখনও বন্ধ

আমি/ রিমি এই রিমি কত বাজে ঘড়িতে দেখ আর তুমি এখনও ঘুমাচ্ছো

কি ব্যপার কোন সাড়া শব্দ নেই কেন

নীলা এই নীলা

নীলা/ কি হলো এত ডাকছো
কেন

আমি/ এই দেখনা রিমি এখনও উঠেনি

নীলা/ মহারাণী এখনও ঘুমাচ্ছে

এখন আমাদের নাস্তা দিবে কে

আমি/ ঘুম আজ বের করবো বাড়ি থেকে বের করে দিবো আজ এই পাপী মেয়েকে

নীলা/ ভিতরে ঢুকবে কি করে

আমি/ দরজা ভেঙ্গে ফেলবো

আর সিদ্ধান্ত নিলাম এই মেয়েকে এই বাড়িতে আর রাখবনা

অনেক চেষ্টার পর দরজাটা ভেঙ্গে ফেললাম

ভিতরে ঢুকে দেখি রিমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে

আমি দৌড়ে গিয়ে

রিমি/ রিমি এই রিমি কথা বলো কথা বলো

নীলা/ যাক আপদটা শেষ পর্যন্ত মরে গেছে ভালোই হলো

নীলার এমন কথা শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি

তাই রাগের মাথায় নীলাকে একটা চড় মারলাম

নীলা/ তুমি আমাকে মারলে তাও এই কাজের মেয়েটার জন্য

আমি/ হ্যাঁ মেরেছি ও কাজের মেয়ে নয় এ বাড়ির বউ

নীলা/ ঠিক আছে তাহলে তুমি তোমার বউ নিয়ে থাকো আমি গেলাম

নীলা অভিমান করে চলে যাচ্ছে

আমাকে তাড়াতাড়ি রিমিকে নিয়ে হাসপাতাল যেতে হবে

রিমিকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম

সারা শরীর রিমির ক্ষত বিক্ষত হয়ে আছে

ডাঃ রিমিকে দেখে বললো

দু-একদিন থাকতে হবে

আর এভাবে কে মারলো ওকে

এত নিষ্ঠুর ভাবে কেউ কাউকে মারতে পারে

আমি/ ডাঃ ওর কিছু হবেনা

ডাঃ/ না ভয়ের কিছু নেই

সব ঠিক হয়ে যাবে
তবে….
আমি/ তবে কি ডাঃ সাহেব

ডাঃ/ সময়মত ঔষধ খাওয়াতে হবে আর ওর প্রতি যত্ন আর খেয়াল রাখলে খুব দ্রুত ও সুস্থ্য হয়ে উঠবে

আমি/ ঠিক আছে আমি নিজে ওর সবকিছু দেখাশুনা করবো

ডাঃ/ তাহলে আর কি জ্ঞান ফিরলে ওকে নিয়ে যেতে পারবেন

ডাঃ এর কাছ থেকে রিমির কাছে আসলাম রিমি ঘুমাচ্ছে

অনেক আরামে আমিও রিমির পাশে বসে তার মাথায় হাত বুলাতে লাগলাম

একটু পরে রিমির জ্ঞান ফিরলো

চোখ খুলে দেখলো আমি তার পাশে বসে রইলাম

রিমি/ আপনি এখানে

আমি/ অন্যকারও বুঝি আসার কথা ছিলো

রিমি/ এখনও আমায় সন্দেহ করেন

আমি/ এসব কথা বলার সময় এখনও অনেক আছে

তুমি ঘুমাও আমি আসতেছি

বাহির হয়ে নীলাকে একটা ফোন করলাম

কিন্তু সে বার বার ফোন কেটে দেয়

একটু পরে নীলা নিজে ফোন দিলো

নীলা/ সরি ব্যস্ত ছিলাম তাই ধরতে পারিনি

আমি/ আচ্ছা সমস্যা নেই কোথায় আছো এখন

নীলা/ বাসায়
তোমার বউ এখন কেমন আছে

আমি/ হুমমমম ভালোই আছে

নীলা/ আচ্ছা রাখি রাতে আসবো

আমি/ রাতে না না থাক আজ আর আসতে হবেনা

নীলা/ কেন

চলবে…???

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৭

0

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৭
লেখক/ ছোট ছেলে

••••••••••••••••••••••
রিমি/ এই নেন চা

নীলা আপু আপনারটা তে মিষ্টি একটু বেশি দিলাম

নীলা/ এত সময় লাগে দুকাপ চা বানিয়ে আনতে
যতসব অকর্মা

আমি/ ওহহহহ হো…. বাদ দাওতো ঐসব

এই তুমি যাওতো এখান থেকে

নীলা/ জানু আমার চা’টা তুমি খাও তোমারটা আমি খাই

আমি/ আরে না ঐসব আবার কেন

নীলা/ জানু কালরাতের কথা মনে নেই যখন তোমার ঠোঁটে আমার ঠোঁট ছিলো

এখন চা খেলে সমস্যা কি

আমি/ আরে না কোন সমস্যা নেই
দাও

রিমি/ না না সাহেব ঐটা আপনি খাবেন না

নীলা/ কেন খেলে তোমার কি

রিমি/ কারন… আপনার চায়ে মিষ্টি বেশি দিছি ওনার তো মিষ্টি খাওয়া নিষেধ তাই

নীলা/ ওহহহহ তাই নাকি
কই ধ্রুব তুমিতো আমাকে বললেনা

আমি/ মা…….নে

রিমি/ আপনাকে কিভাবে বলবে আপনি তো আর ওনার বউ নয়

আপনি তো হলেন……

নীলা/ কি….

রিমি/ টাকায় কেনা একটা নষ্টা গাছের দেহ যার থেকে শুধু

যে গাছে শুধু ফুল হয় ফল নয়

নীলা কেঁদে কেঁদে আমাকে বলতে লাগলো

নীলা/ দেখলে ধ্রুব তোমার বউ তোমার সামনে আমাকে কি বললো

আর তুমি এখনও চুপ করে রইলে

আমি/ তুমি এভাবে কথাটা না বললেও পারতে

ও আমার বন্ধু আমার সম্পর্কে সবকিছু জানার অধিকার তার আছে

রিমি/ ও আপনার বন্ধু আর আমি আপনার বউ

বাহিরের মেয়ের চেয়ে ঘরের বউয়ের অধিকার একটু বেশি থাকে

এটা নিশ্চয় জানেন

আমি/ দেখ আমি এতকিছু বুঝিনা

তুমি নীলার থেকে ক্ষমা চেয়ে নাও

রিমি/ শুধুই ক্ষমা

আমি/ মানে

রিমি/ মানে যদি জীবনটা চাইতেন সেটাও দিয়ে দিতাম

সরি আমি বুঝতে পারিনি আপনাকে আঘাত করলে যে তা আমার স্বামীর বুকে আঘাত লাগে আমাকে ক্ষমা করে দিন

নীলা মুখ বাঁকা করে অন্যদিকে বসে আছে

আমি/ ঠিক আছে এবার এখান থেকে যাও

রিমি চলে যাচ্ছে সন্ধ্যাও প্রায় হয়ে গেলো

নীলা/ এই শোন তুমি এই মেয়েটাকে তালাক দিয়ে দাও

এমন বউ নিয়ে কেউ সংসার করে নাকি

আমি/ এসব তুমি কি বলো

নীলা/ যা বলছি ঠিক-ই বলছি

আমি চাইনা আমার ভালোবাসার ভাগ অন্যকাউকে দিতে

তুমি শুধুই আমার শুধুই আমার

আমি/ ওহহহহ সত্যি তুমি আমাকে এত ভালাবাসো

নীলা/ হুমমমমম অনেক ভালোবাসি বলে
আমাকে জড়িয়ে ধরলো

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে তুমি কি এখন থাকবে নাকি চলে যাবে

নীলা/ মানে কি তুমি কি আমাকে তাড়িয়ে দিবে নাকি

তাড়াতে হলে ঐ মেয়েকে তাড়াও আমি পারবনা তোমাকে ছাড়া থাকতে

আমি/ না তা নয় এমনি বললাম

একটু পরে রিমি আসলো

নীলা/ কি ব্যপার তুমি এখানে

রিমি/ বাড়িটা যখন আমার তখন আমার যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে পারবো আমার মনে হয়না কোন বাহিরের মেয়ে সেখানে আমায় বাঁধা দিতে পারবে

নীলা/ তোমার বাড়ি হা হা হা
শোন ধ্রুব কি বলে

রিমি/ ধ্রুব কি বলবে সে তো এক মুখোশধারী দেহলোভী পুরুষ

যে শুধু মজা নিতে জানে কাউকে ভালোবাসতে নয়

নীলা/ কি আমার সামনে আমার জানুকে এতবড় কথা

তোকে আজ আমি মেরে ফেলবো

নীলা রিমিকে ২টা চড় মেরে দিলো

আর বললো

কখনও আমাদের দুজনের মাঝে কথা বলতে আসবিনা

আমি/ ঠিক বলছো চলো

রিমি বসে বসে কাঁদে

আমি আর নীলা আমার ঘরে গেলাম

নীলা/ দেখ আমি আর কাল থেকে এই বাড়িতে আসবোনা

এত অপমানও হতে পারবনা

আমি/ উফফফফ….. ছাড়োতো ওর কথা এটা তোমার বাড়ি তোমার ঘর তুমি যা বলবে তাই হবে

নীলা/ সত্যি

আমি/ হুমমম সত্যি।
তুমি শুধু আমাকে…….

নীলা/ সেটা আর বলতে হবেনা
এই মন প্রাণ দেহ সব-ই তোমার

আমি/ জানিতো তাইতো তোমাকে সবসময় কাছাকাছি রাখি

দুজনে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পরে

নীলা/ খুব ক্ষুধা লাগছে জানু তোমার বউকে বলো খাবার দিতে

আমি/ তুমিও না কি তোমাকে না বললাম এটা তোমার বাড়ি তোমার ঘর তুমি যা বলবে তাই হবে

এসবে আবার আমাকে কেন জড়াও

আমিতো শুধু তোমাকে চাই

নীলা/ রিমি এই রিমি

রিমি/ আমাকে ডেকেছেন

নীলা/ হুমমমম
যা তাড়াতাড়ি আমাদের খাবার দে

রিমি/ আচ্ছা

কিছুক্ষণ পরে রিমি এসে
ডেকে বললো খাবার দিয়েছে

নীলা/ চলো সোনা খেয়ে আসি

আমি আর নীলা খেতে বসলাম পাশে রিমি দাঁড়িয়ে আছে

নীলা/ এই এখানে দাঁড়িয়ে কি করিস চলে যা এখান থেকে

রিমি/ না মা…..নে যদি আপনাদের কিছু লাগে

আমি/ আরে থাকুকনা থাকলে সমস্যা কি

নীলা/ এসব কি রান্না করেছিস এগুলো কি খাওয়া যায়

রিমি/ কুকুরের জন্য এরচেয়ে ভালো খাবার হয় কিনা আমার জানা নেই

নীলা/ কি আমরা কুকুর ছিঃ ছিঃ ধ্রুব ছিঃ

এতটা অপমানিতো হতে হবে আমি ভাবতেও পারিনি

রিমির কথা শুনে মাথা গরম হয়ে

তাই ইচ্ছে মত তাকে মারধর করেছি

নীলা/ থাক থাক অনেক হয়েছে আর না

চলো আমরা ঘুমিয়ে পড়ি

চলবে….???

মেয়েটা অসত্বী  পর্ব/ ৬

0

মেয়েটা অসত্বী  পর্ব/ ৬

লেখক/ ছোট ছেলে

********
আমি আমার ঘরে এসে শুয়ে রইলাম

অনেকবেলা হয়ে গেছে
আমি বা খাবো কি আর রিমি বা কি খেয়ে ঔষধ খাবে

রান্নাতো কিছুই হয়নি

কি আর করবো বার বার দোকানে যেতে মন চায়না

তাই কোনরকম ৪-৫টা রুটি বানিয়ে নিলাম

তিনটা রিমির জন্য নিয়ে গেলাম

আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে

আমি/ আসতে পারি

রিমি খুব কষ্ট করে সাড়া দিলো

রিমি/ আসুন

ভিতরে ঢুকতে আমি

রিমি/ এসব কি

আমি/ রুটি এগুলো খেয়ে ঔষধ খেয়ে নাও

খালি পেটে ঔষধ খেয়েতো কোন লাভ নেই

তুমি খাও আমি যাচ্ছি

চলে এলাম নয়তো মেয়েটা খাবেনা

আমি আমার ঘরে এসে খেতে লাগলাম

হঠাৎ রিমি

আমি/ এ কি তুমি এখানে কেন আসলে

তোমাকে না বললাম খেয়ে বিশ্রাম নিতে

রিমি/ আমাকে ক্ষমা করবেন সাহেব আজ আমার জন্য আপনাকে না খেয়ে থাকতে হলো

নীলা আপু শুনতে পেলে খুব রাগ করবে

আমি কি বলবো বুঝতেছিনা

ভরসা দিবো নাকি শাসন করবো

আমি/ ঠিক আছে ঠিক আছে যাও তুমি

রিমি চলে যাচ্ছে

আমি পিছন থেকে ডাক দিয়ে বললাম

আমি/ এইযে শোন এইটুকু করছি বলে ভেবনা আমি তোমাকে মেনে নিয়েছি

তোমাকে ভালোবেসেছি

আজ তোমার জন্য যা করছি তা কোন চাকর বাকর হলেও করতাম

আর শোন রাতে নীলা আসবে শরীর খারাপের অজুহাত ধরে আবার রাতেও না খাইয়ে রেখনা

রিমি/ না সাহেব আপনাকে ভাবতে হবেনা

আমি রাতের জন্য ঠিক-ই রান্না করে নিবো

আমি/ হুমমমম মনে থাকে যেন

উফফফ…..সারাটা দিন খুব বাজেভাবে কাটছে

এখন একটু না ঘুমালে নয়

শুয়ে রইলাম কিছুক্ষণ নীলার ফোন

নীলা/ বাবু খেয়েছে

আমি/ হুমমমম

নীলা/ কি কর এখন

আমি/ কিছুনা
তুমি সন্ধ্যায় আসবেতো

নীলা/ তুমি এসে আমায় নিয়ে যাও তাহলে যাবো নয়তো না

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে আমি পরে এসে নিয়ে আসবো

নীলা/ Ummmmmaaaaaa
এখন রাখি দেখা হবে বিকেলে

আমি/ আচ্ছা
টা টা???

ফোনটা রেখে চোখটা বন্ধ করলাম

কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর চোখ খুললাম

ইসসসসস….. অনেক দেরি হয়ে গেছে যাই নীলাকে এবার নিয়ে আসি

রিমিকে একবার বলে যাই

হঠাৎ করে রিমির ঘরে যেতে দেখি মেয়েটা অনেক চেষ্টা করতেছে

তার পিঠে মলম লাগানোর জন্য

অনেক চেষ্টা করেও না দেখতে পেয়ে লাগাতে পারেনি

আমাকে দেখে

রিমি/ এ কি আপনি কিছু লাগবে

আমি/ ই…..য়ে মানে…..না কিছুনা আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি তাই বলতে এলাম

রিমি/ ওহহহহ আচ্ছা যান

নিজের অজান্তে হেঁসে দিলাম

রিমি/ হাঁসেন কেন

আমি/ এভাবে কেউ মলম লাগায় ক্ষত জায়গা দেখে ভালো জায়গা

রিমি/ আমার তো আপন কেউ নেই যে আমায় ভালোভাবে লাগিয়ে দিবে

আমি/ দাও এদিকে দাও আমি লাগিয়ে দিচ্ছি

মলমটা নিয়ে লাগিয়ে দিলাম

আমি/ আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে এখন আমি আসি

রিমি/ নীলা আপুকে বুঝি আনতে যাবেন

আমি/ হুমমমম কোন সমস্যা আছে তোমার

রিমি/ আকাশে বুকে চাঁদ আর মেঘ দুটো থাকবে

মেঘ এসে যদি চাঁদকে আড়াল করে রাখে তাহলে আকাশের কি করার থাকে

আমি/ মানে

রিমি/ কিছুনা যান আপনি

আমি/ আচ্ছা ঠিক আমি গেলাম

যেতে যেতে ভাবতে লাগলাম রিমির কথার মানেটা কি

না মাথায় কিছুই আসছেনা

নীলার বাসার সামনে গিয়ে নীলাকে ফোন দিলাম

আমি/ কই তুমি

নীলা/ তুমি কোথায় এত দেরি করছো কেন আসতে

আমি/ তোমার বাসার সামনে

নীলা/ ওহহহহ একটু দাঁড়াও আমি আসতেছি

কিছুক্ষণ পর নীলা আসলো

নীলা/ চলো

আমি/ কোথায় যাবে

নীলা/ তোমার বাসায় কালতো ঐ মেয়েটার জন্য কিছুই হলোনা

আমি/ আচ্ছা চলো

নীলাকে নিয়ে বাসার পথ ধরলাম

নীলা/ আচ্ছা তুমি এমন কেন

আমি/ কেমন

নীলা/ সবসময় মনমোরা হয়ে থাকো

তোমার এভাবে থাকাটা না আমাকে ভীষণ কষ্ট দেয়

আমি/ কই নাতো আমিতো সবসময় হাঁসিমুখে থাকি

নীলা/ থাক আমায় আর বোঝাতে হবেনা
কতটা সুখে আছো দেখতে পাচ্ছি
কেউ জানুক আর না জানুক ঐ অসত্বী মেয়েটার তুমি কতটা কষ্টে আছো

আমি চুপ করে রইলাম

নীলা/ কি হলো কথা বলো

আমি/ ও হ্যাঁ……. তুমি ঠিক-ই বলছ

দেখতে দেখতে বাসায় চলে এলাম

ভিতরে ঢুকে নীলা

নীলা/ বাসায় কেউ নেই আজ

আমি/ আছে

নীলা/ রিমি রিমি এই রিমি

আমি/ আহা রিমিকে আবার কেন ডাকছো

নীলা/ কেন ডাকছি মানে আমাদের কে চা দিতে বলো

কষ্ট হলেও রিমি আসলো

রিমি/ জ্বী আপু বলেন কিছু লাগবে

নীলা/ সারাদিন এভাবে শুয়ে না থেকে কিছু কাজকর্ম করলে তো পারো

যাও আমাদের জন্য চা করে নিয়ে আসো

রিমি/ আচ্ছা এখন-ই আনতেছি

নীলা/ আসো জানু আমরা গল্প করি

রিমি চা বানাতে গেলো আমি আর নীলা বসে বসে গল্প করছি

চলবে….???

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৫

0

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৫

লেখক/ ছোট ছেলে

********
নীলা/ কি যতবড় মুখ নয় ততবড়

রিমির চুলের মুঠি ধরে বললো

যা ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে আমাদের জন্য নাস্তা বানা

রিমি আমার দিকে তাকিয়ে আছে
হয়তো ভাবছে আমি হয়তো তার হয়ে নীলাকে কিছু বলবো

আমি/ এই কি ভাবছিস মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থেকে

নীলা কি বলছে শুনতে পাসনি

রিমি নীরউপায় তাই কিছু না বলে ঘর ঝাড়ু দিতে লাগলো

ঘর ঝাড়ু দেয়া শেষ

নীলা/ কি হলো এখনও দাড়িয়ে আছিস কেন যা এখান থেকে

রিমি বের হয়ে যাচ্ছে

এমন সময় নীলা

নীলা/ এই শোন আমার অনুমতি ছাড়া যখন তখন হুট করে এ ঘরে ঢুকবিনা

মনে থাকে যেন

মাথা নিচু করে সবকিছু সহ্য করে রিমি চলে গেলো

নীলা দরজাটা বন্ধ করে দিলো

আমি আর নীলা আবারও দুজনে শুয়ে রইলাম

একটু পরে রিমির দরজা পাশে এসে আওয়াজ দিলো

নীলা/ কে

রিমি/ আমি আপনাদের কাজের মেয়ে

নাস্তা বানানো শেষ সাহেবকে নিয়ে খেতে আসেন

রিমির মুখে কাজের মেয়ে আর সাহেব ডাকটা শুনে কেমন জানি লাগলো

নীলা/ তুই যা আমরা আসতেছি

চলো সোনা নাস্তা হয়ে গেছে খেয়ে আসি

আমি/ হুমমমম চলো

নীলা আর আমি দুজনে খেতে বসলাম

নীলা/ কি ব্যপার তুমি এখনও এখানে কি কর নাকি হিংসে হচ্ছে আমাদের এমন সম্পর্ক দেখে

রিমি/ হিংসে কাকে করবো আর কেন করবো

আমার আদর্শবান স্বামীতো আর আমায় রেখে দুটাকা
একটা মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছেনা

নীলা কেঁদে কেঁদে আমাকে বলতে লাগলো

নীলা/ দেখ জানু তোমার সামনে এই কাজের মেয়েটা আমাকে কি বলছে

আমাকে এখানে এনে এভাবে বউকে দিয়ে অপমান না করলেও পারতে

নীলার কান্না দেখে আমার মাথাটা খারাপ হয়ে যায়

তাই রিমিকে একটা চড় মেরে বললাম

আমি/ ক্ষমা চাও ওর থেকে

রিমি/ কখনওই না ওর মত দুটাকার দামের একটা নষ্টা মেয়ের কাছে আমি কখনওই মাথা নত করবনা

আমি/ কাকে তুই নষ্টা বলছিস নীলাকে হা হা হা
আরে নষ্টা তো তুই বিয়ের আগে নিজের শরীর অন্যদের বিলিয়ে দিয়েছিস

সরি বল নয়তো তোকে এই বাড়ি থেকে বের করে দিবো

বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ভয়া রিমি নীলাকে সরি বলতে বাধ্য হলো

খাওয়া শেষ করে আমি আর নীলা উঠে গেলাম

আর রিমি বুক ভাসায় চোখের জলে

কিন্তু তা হয়তো আমার চোখে পড়েনা

আমি/ তুমি কি এখন চলে যাবে

নীলা/ হুমমমম কেন

আমি/ না এমনি চলো তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি

বেরিয়ে যাবো এমন নীলা রিমিকে বলে

নীলা/ এই শোন আমার জানুকে তোমার কাছে রেখে যাচ্ছি

খুব ভালো করে খেয়াল যত্ন নিবে

আর হ্যাঁ যখন তখন ওর কাছে গিয়ে ওকে বিরক্ত করবেনা

চলো জানু

নীলাকে একটু এগিয়ে দিয়ে একটা রিক্সায় উঠিয়ে দিলাম

সাথে কিছু টাকাও দিলাম

আর বললাম সময় হলে যেন রাতে আসে

নীলা চলে যাচ্ছে

আমি আবার বাসায় ফিরলাম একটা সিগারেট টানতে টানতে

এসে দেখি রিমি কাঁদছে

আমি/ এত কাজ পড়ে আছে আর তুই এখনও বসে বসে কাঁদতেছিস

বলি এসব কাজ করার জন্য কি বিয়ে আমাকে আরেকটা করতে হবে নাকি

রিমি/ খবরদার আপনার ঐ নোংরা হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করবেন না

আপনি নষ্টা বাজে একটা মুখোশধারী একটা অমানুষ

আমি চাইনা আপনার ছোঁয়ায়
আমি অসত্বী হতে

আমি/ কি বললি আমি নষ্টা অমানুষ

তোকে আজ আমি

রিমি/ কি মারবেন মারুন
রিমি তার দেহে জড়িয়ে থাকা শাড়িটা ফেলে দিয়ে বললো

রিমির কাপড় সরাতে তার সারা শরীরে ক্ষত বিক্ষত দাগ গুলো আমার চোখে পড়লো

ইসসসসস…. কি বাজে ভাবে তাকে মারলাম

কিছুই বলিনি মাথা নিচু করে চলে আসলাম

রুমে ঢুকে ডাঃ চাচাকে ফোন দিবো ভাবছি

কিন্তু ডাঃ চাচাতো আমার পরিচিত তাই তাকে আনা যাবেনা

তাই রিমিকে সাথে করে অন্যকোন হাসপাতালে নিয়ে যাবো ভাবছি

আমি/ এই শোন কাপড়টা বদলে নাও

রিমি/ কেন

আমি/ এতকিছু বলার আর জানার তোমার দরকার নেই যা বলছি তাই করো

বাসার সামনে একটা সি এন জি ডেকে আনলাম

আমি/ কি তোমার হলো

রিমি বেরিয়ে আসলো

রিমি/ আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন

আমি/ জমের বাড়ি কথা না বলে চুপ করে থাকো

রিমিকে উঠিয়ে দিয়ে আমিও উঠলাম

রিমি বড্ড দুর্বল তাই আমাকে ধরে বসলো

উফফফফ….. জ্বরে রিমির শরীর পুঁড়ে যাচ্ছে

দেখতে দেখতে হাসপাতাল চলে এলাম

একজন মহিলা ডাঃ কাছে নিয়ে গেলাম

ম্যাম/ কি হয়েছে আপনার

আমি/ কিছু না বলে রিমির শাড়িটা সরিয়ে দেখালাম

ম্যাম/ ইসসসসস….. কি করে হলো এমন অবস্থা

নিশ্চয় যৌতুকের টাকার জন্য এমন করে পিটিয়েছে অমানুষটা

রিমি কিছু বলার সাহস পাইনি তাই চুপ করে রইলো

ম্যাম/ আপনি ওনার কি হন

আমি/ এতকিছু জেনে আপনি কি করবেন

চিকিৎসা করার আছে চিকিৎসা করুন

ম্যাম হয়তো বুঝতে পারছে
এখন আমি রিমির কি হয়

রিমিকে দেখে শুনে কিছু ঔষধ আর একটা মলম দিলো

তারপর ওখান থেকে ফিরে এলাম

বাসায় এসে বললাম

ঔষধ খেয়ে একটু বিশ্রাম নিতে

চলবে….???

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৪

0

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৪

লেখক/ ছোট ছেলে

********

একটু আড়ালে গিয়ে বন্ধুটাকে একটা কল দিলাম

আমি/ কিরে দোস্ত যে মেয়েটাকে পাঠাইলি তার নাম কি নীলা

বন্ধু/ হ্যাঁ। কি হয়েছে কোন সমস্যা

আমি/ না সবকিছু ঠিক আছে এইমাত্র আসলো

বন্ধু/ তাহলে আর দেরি করিসনা যা দারুন ভাবে উপভোগ কর আজকের রাতটা

আমি/ হুমমমম….. এখন রাখিরে দোস্ত

ফোনটা রেখে নিচে নেমে আসলাম

আমি/ এ কি তুমি এখনও দাঁড়িয়ে কেন

বসো

নীলা/ আমি তোমার অপেক্ষায় করছি জানু

আসো দুজন একসাথে বসে গল্প করি যদি তোমার কোন সমস্যা না থাকে

আমি/ সমস্যা কিসের সমস্যা আসো বসো

চা খাবে চা করে নিয়ে আসি

নীলা/ হলে ভালোই হয়

দুকাপ চা বানিয়ে এনে খেতে খেতে দুজন পরিচিত হলাম

চা খাওয়া শেষ

নীলা/ চলো এবার উঠি অনেক তো গল্প হলো

আমি/ হুমমমম….. চলো

আমি না চাইলেও নীলা আমার হাত ধরে হাঁটতে লাগলো

রুমে গিয়ে নীলা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় শুয়ে দিলো

নীলা একে একে তার সবকিছু…………..

নীলার শরীরে আর তেমন কিছু নেই

দুজনে শুয়ে রইলাম এক চাদরের তলে

নীলা আমাকে একটু আদর করতে যাবে

ঠিক তখন-ই কানে এলো রিমির গুনগুন শব্দ

আর তখন-ই আমার মনে পড়লো রিমির কথা

নীলা/ এই শব্দটা কার কোথেকে আসতেছে

নীলাকে সরিয়ে দিয়ে কোনকিছু না বলে

রিমির কাছে গেলাম

দরজাটা খুলে ভিতরে গেলাম

আমার পিছু পিঁছু নীলাও আসলো

রিমির সারা শরীর কালো দাগ হয়ে আছে

নীলা/ জানু এই মেয়েটা কে

আমি/ একটা অসত্বী মেয়ে বউ নামে চাকরানী

আমি রিমির চুল ধরে

আমি/ এই তোর জন্য কি একটু শান্তিতে ঘুমাতেও পারবনা

এমন করছিস কেনরে এই রাত দুপুরে

রিমি করুন সুরে বলতে লাগলো

রিমি/ আমাকে একটু পানি দিবেন খুব তৃষ্ণা পেয়েছে

কি আর করা নীলাকে বললাম একটু পানি আনতে

নীলা/ এই নাও পানি

রিমিকে পানি দিয়ে বললাম

আমি/ শোন একটুও চিৎকার চেঁচামেছি করবিনা

আমি ঘুমাতে গেলাম তোর জন্য যেন আমাদের ঘুম নষ্ট না হয় মনে থাকে যেন

নীলা/ উফফফ….. জানু ওর সাথে এত কথা বলার কি দরকার চলতো

মজটা মাটি হয়ে গেলো

রিমি অনেক চেষ্টা করছে চোখ দুটো মেলতে কিন্তু পারছেনা

শেষমেশ চলে এলাম

যখন দরজা লাগাতে যাবো তখন-ই নীলা বলে উঠলো

নীলা/ কি কর জানু তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে

ওকে এ ঘরে বন্ধী করে রাখলে আমাদের খাবারদাবার কে রান্না করবে আমাদের যদি কোনকিছু প্রয়োজন হয় কে দিবে

তুমি বরং ওকে বাড়ির চাকরানির জায়গাটা দিয়ে দাও

আমি/ ওয়াও ….. এটাতো খুব ভালো বুদ্ধি আমিতো এমনটা ভেবে দেখিনি উম্মাাাাাা…..

এত ভালো একটা বুদ্ধি দেবার জন্য

আবার ভিতরে ঢুকে রিমিকে বললাম

আমি/ এই শোন এভাবে শুয়ে থাকলে হবেনা এ বাড়িতে থাকতে হলে কাজ করে থাকতে হবে কাজ করে খেতে হবে

আমাদের যখন যা লাগবে তাই দিবি আর ও যা বলবে তাই করবি শুনেছিস

রিমি হয়তো ভাবতে পারেনি তার স্বামীর সংসারটা এমন হবে

তার জীবনে নেমে আসবে কালো আঁধার

দরজাটা খোলা রাখলাম

নীলাকে নিয়ে ঘরে গেলাম

নীলা/ চলো জানু শুয়ে পড়ি

আমি/ না তুমি ঘুমাও আমি আসতেছি

নীলা/ কোথায় যাবে এত রাতে

আমি/ না কোথাওনা

নীলা যতটা আমাকে কাছে নিতে চায় ঠিক ততটা তার থেকে বেশি অন্যকিছু যেন আমাকে পিছে নিয়ে যায়

নীলা একটু জোর করে আমাকে…

নীলা/ এই শোন একরাতে তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিবোনা

আসো শুয়ে পড়ো

নীলা এমনভাবে বলছে মনে হয় আমি তার স্বামী

তবে মেয়েটা খুব গুনবতী

কিভাবে একটা মানুষের যত্ন নিতে হয় সেটা খুব ভালো করে জানে

আমি/ বললাম না ঘুম আসছেনা
তুমি ঘুমাও

নীলা/ জানু তুমি এমন করছো কেন

ঐ নষ্টা মেয়েকে নিয়ে এত চিন্তা কিসের তোমার

তুমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখ ঐ মেয়েকে আমি কি করি

এখন আসো সোনা তোমাকে আমি ঘুম পাড়িয়ে দিবো তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে

একটা মেয়ের আদর সোহাগের কাছে সবকিছু হার মানে

আমাকেও হার মানতে হলো

বালিশে মাথাটা লাগালাম

নীলা হাত বুলাতে লাগলো

ভালোই আরাম পাচ্ছি

ইসসসসস….. নীলার মত যদি একটা মেয়েকে বউ করে পেতাম

কখন যে নীলার আঁলতো ছোঁয়ায় ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারিনি

সকাল হয়ে এলো রিমিকে ডাকতে লাগলাম শুয়ে থেকে

আমি/ রিমি এই রিমি

জবাব দেওয়ার মত শক্তি রিমির কাছে নেই

রিমি ঘরে ঢুকে আঁচল দিয়ে নিজের মুখ লুকিয়ে চলে যেতে লাগলো

আমি/ এই কোথায় যাচ্ছিস
আর এভাবে নিজের চেহারা লুকিয়ে রাখছিস কেন

রিমি খুব আস্তে আস্তে বলতে লাগলো

রিমি/ আমার চরিত্রবান স্বামীর চরিত্র দেখে লজ্জা আর থাকতে না পেরে নিজের চেহারা নিজেই নিজের শাড়ির আঁচলে লুকালাম

বাহ্ এই বুঝি আমার চরিত্রবান স্বামী

চলবে…???

মেয়েটা অসত্বী  পর্ব/ ৩

0

মেয়েটা অসত্বী  পর্ব/ ৩

লেখক/ ছোট ছেলে

********

বাসায় ঢুকতে দেখি রিমি খাওয়ার টেবিলে বসে আছে

কিন্তু দেখে মনে হয় মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়েছে

আমি কোনকিছু না বলে রুমে চলে গেলাম

গোসলটা করে শুয়ে রইলাম

কিছুক্ষণ পরে রিমি এসে বললো

রিমি/ কখন আসলেন আপনি
চলুন খেতে যাবেন টেবিলে খাবার দেয়া আছে

আমি/ তুমি কি করে ভাবলে তোমার হাতের রান্না খেয়ে আমি পেট ভরাবো

যাও এখান থেকে

আমার প্রতি এত খেয়াল যত্ন না রাখলেও চলবে

রিমি/ আচ্ছা আপনি কি চান কেন এমন করছেন আমার সাথে

আমিতো কোন ক্ষতি করিনি আপনার….

আমি/ বাহ্ বাহ্ বাহ্…..
নষ্টা একটা শরীর নিয়ে অন্যের বউ হওয়া এটা কি কোন ভালো কাজ

কেন বিয়ের আগে যাকে সব দিলে তাকে রেখে আমার জীবনে কেন আসলে

কেন আমার জীবনটা নষ্ট করলে আমিও তো তোমার কোন ক্ষতি করিনি

রিমি/ চুপ করুন চুপ করুন আমি আর শুনতে পাচ্ছিনা আপনার কথা

মানুষ খারাপ হয় জানা ছিলো

তবে এতটা নোংরা মনের হয় তা জানা ছিলোনা

আপনি কারও স্বামী হবার-ই যোগ্য নয়

আপনার মনে ভালোবাসা নেই

আছে শুধু সন্দেহ আর নোংরামি

এই দুদিনে আপনাকে আমার চেনা হয়ে গেছে

ছিঃ…. ভাবতে আমার ঘৃণা হয় আপনার মত মুখোশধারী অমানুষ আমার স্বামী

আমি/ কি…. তুই আমাকে অমানুষ বললি

তোকে অনেক সহ্য করেছি আর না

রিমিকে বেল্ট দিয়ে কয়েকটা দিলাম

বিছানা পড়ে পড়ে কাঁদতে লাগলো মেয়েটা….

আমি/ এই চুপ থাক একদম চুপ

কোন আওয়াজ করবিনা
যদি করিস তাহলে মেরে ফেলবো তোকে

রিমির মুখ চেপে ধরে রইলাম
রিমি শ্বাস নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে এমন সময় ছেড়ে দিলাম

রিমি খুব বড় করে শ্বাস নিতে লাগলো

আমি/ যদি আজকের এই কথা গুলো কাউকে বলছিস তাহলে স্বামীর সংসার তোর কপালে নেই

যা ভাগ এখান থেকে

রিমির কান্না যেন আর থামার নয়

কেঁদে গেলো কেঁদে গেলো

উফফফ…… অসহ্য জোর করে টেনে হেঁছড়ে রিমিকে ঘর থেকে বের করে দিলাম

দরজাটা লাগিয়ে দিলাম

আর বললাম এখন থেকে তুই এ ঘরে বন্ধী থাকবি

যখন আমি চাইবো তখন-ই তুই আলোর দেখা পাবি

খাওয়া দাওয়া ঘুম সবকিছু আজ থেকে এ ঘরে করতে হবে

বলে নিজের ঘরে এসে শুয়ে রইলাম

একটু পরে এক বন্ধু ফোন দিলো

বন্ধু/ কিরে দোস্ত চলবে নাকি

আমি/ যা বলার খুলে বল

বন্ধু/ আরে দোস্ত রাগ করিস কেন

তোর জন্য একটা মেয়ের ব্যবস্থা করেছি

আমি জানি তোর মনে অনেক দুঃখ কষ্ট

বন্ধু হয়ে আমরা কি তা সহ্য করতে পারি

তাই তোর জন্য আমাদের থেকে ছোট এই উপহার

সারারাত মজা নিতে পারবি
আর মেয়েটাও কিন্তু হেব্বি সুন্দরী

আমি প্রথমে না করে দিবো ভাবলেও এখন ভাবছি আর করবনা

জীবনটা যখন নষ্ট হয়ে গেছে তখন মিথ্যে স্বপ্ন দেখে কি হবে

আমি/ ঠিক আছে পাঠিয়ে দিস

বন্ধু/ কিন্তু দোস্ত তোর অসত্বী বউটা যদি কিছু বলে

আমি/ আরে দূররররর ও কি বলবে আমি কি কথায় চলি নাকি

তোকে ঐসব ভাবতে হবেনা
আমি রিমিকে বন্ধী করে রাখছি ঘরে

বন্ধু/ বলিস কি দোস্ত জব্বর খবর শোনালি তো

হা হা হা???

তাহলে তো আর কোন কথাই নেই মেয়েটাকে আমি তোর কাছে সময় মত পাঠিয়ে দিবো

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে

ফোনটা রেখে দিলাম

রিমিরও কান্না আর কোন আওয়াজ শোনা যাচ্ছেনা

গিয়ে একবার দেখবো নাকি

না থাক এত পিরিত দেখাতে পারবনা

দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে আসলো

নিজেই নিজের জন্য এককাপ চা বানালাম

চা খাচ্ছি আর টিভি দেখি রিমির কথা মাথায় নেই আমার

একটু পরে দরজা কে যেন ঠক ঠক আওয়াজ করলো বুঝতে পারছি

বুঝতে পারছি কে হতে পারে

তাই দেরি না করে দরজা খুললাম

দরজা খুলতে নীলা বলে উঠলো

নীলা/ আপনি ধ্রুব

আমি/ হ্যাঁ। কিন্তু আপনি?

নীলা আমার নাম শুনতে পেয়ে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খেয়ে বললো

নীলা/ আমাকে চিনতে পারলেন না
আমি সে মেয়েটা যাকে আপনার বন্ধু পাঠিয়েছে আজ রাতের সঙ্গী করে

আপনাকে একটু সুখ দেওয়ার জন্য

আমি/ ওহহহহ আচ্ছা আচ্ছা
বুঝতে পারছি

আসুন ভিতরে আসুন

বলবো আর কি বলার আগে মেয়েটা ঢুকে পড়েছে

আপনি বসুন আমি আসতেছি

নীলা/ এই শোন আপনি আপনি করে কাকে বলছো

এখন থেকে আমরা দুজনও ফ্রেন্ড তাই আপনি নয় তুমি করে বলবে

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বসো আমি আসতেছি

নীলা/ এখন আবার কোথায় যাচ্ছো এতবড় বাড়িতে আমার ভয় করবে

আমি/ আরে ভয় পাওয়ার কি আছে তুমি এক মিনিট বসো আমি আসতেছি

নীলা/ ওকে সোনা তাড়াতাড়ি আসবে কিন্তু

চলবে…???