Wednesday, August 27, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2017



কাঠগোলাপ পর্ব ২

0

কাঠগোলাপ?

তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

পর্ব দুই

?

“প্রতিদিন গ্রিল ধরে নিজের শোক রাস্তার মানুষকে দেখানো কি তোর প্রত্যেক দিনের কাজ?” ছেলেটি বলে উঠলো।।

রাহি নখ কাটছিলো নেইল কাটার দিয়ে চোখ তুলে দেখলো প্রান্ত ভাইয়..ফুফির ছেলে উনি,পড়াশোনা কমপ্লিট করে একটা কোম্পানিতে ভালো পজিশনে আছেন..উনি প্রায় আমাকে এইটা সেইটা নিয়ে তুই তুকারি মেজাজ দেখায়..আমি উনার কথাতে মুখ তুলে তাকিয়ে,সেখান থকে উঠে নিজের ঘরে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।।

“কত বড় সাহস তোর??আমার মুখের উপর দরজা লাগাস??দাড়া আজকে মামু আসুক শুধু??মামুর লাই পেয়ে পেয়ে একদম উড়তে শিখে গেছিস” প্রান্ত চিবিয়ে চিবিয়ে কথাগুলো বলে সেখান থেকে প্রস্থান করলো অফিসের টাই খুলতে।।

আমরা যেহেতু ফুফির বাড়ির নিচ তলা ভাড়া নিয়ে আছি,তাই আমাদের বাড়ির দরজার সামনে..আমার হাতের নখগুলো কাটছিলাম নেইলকাটার দিয়ে,আর উনার অফিস থেকে আগমন..অফিস থেকে বাড়ির ভিতর না ঢুকে,আমার সাথে তার পকপক করতে হলো।।

প্রান্ত নিজের ঘরে এসে নিজের অফিস ব্যাগ ছুড়ে মারলো বিছানাতে,জুতা, টাই কোর্ট এইভাবে চারিদিকে ছিটিয়ে ফেলছে..মেজাজ গরম হয়ে আছে তার..রাহি প্রায় তার সাথে এরকম করে,সে যদি কোন কথা বলে তাকে পিঠ দেখিয়ে ধুমধাম করে ঘরে ঢুকে যাবে??কেন সে বাঘ না ভাল্লুক??আর ওর মুখে প্রান্ত যদি বোম মেরেও দেয় তারপরেও তার মুখ দিয়ে কথা ফুটবে না..সবসময় এমন প্রেতাত্মার মতো গ্রিল ধরে আকাশের দিকে চেয়ে থাকবে,আর জিজ্ঞেস করলে মুখে তালা লেগে যায়।।

“ডিসগাস্টিং” প্রান্ত চিল্লিয়ে বলে কফির মগ ফেলে রেখে চলে গেলো।।

রেহেনা(রাহির ফুফি) দৌড়ে উপরে আসলেন,দেখলেন ছেলের রাগ বেচারা কফির উপরে তুলেছে..তিনি বুঝতে পারছেন না এমন রগচটা ছেলের কপালে কোন বাড়ির মেয়ে তাকে তার বাড়ির বউ করতে দিবে..বুয়া ডেকে পরিষ্কার করিয়ে নিলো প্রান্তর রুমটা।।

প্রান্ত গোসল সেরে ডাইনিং এ খেতে আসলো,মাথার চুল এখনো ভিজা..এই ছেলে এই এক অভ্যাস,মাথার চুল না মুছেই টাউজার আর টিশার্ট পরেই বের হয়ে আসবে..চেয়ার টেনে ধপ করে বসে পরলো,রেহেনাও আসলো তার হাতে খাবার নিয়ে।।

“মাথা মুছা কখন শিখবি?রেহেনা জিজ্ঞেস করলো।।

” আমাকে শিখানোর আগে তোমার ওই নবাবজাদী ভাগ্নিকে বলে আসো রাত বিরাতে এলোকেশী কন্যা হয়ে গ্রিল ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে শোক পালন না করতে?”প্রান্ত এক নিঃশ্বাসে রেগে হরবর করে বলে দিলো।।

রেহেনা বুঝলো প্রান্ত আজ আবারো রাহির উপরে রেগে আছে..সে তার ছেলেকে বুঝাতে পারে না,ওই ওর ঘরে যা পারুক তা করুক এই সব বিষয়ে নাক গলাবে কেন??কিন্তু প্রান্ত রাগ চটা স্বভাবের জন্য কিছু বলতে পারে না।।

রাহি চুল খোপা করে ফুফির জন্য ক্ষীর নিয়ে এসেছিলো..ক্ষীর তার বাবার খুব পছন্দ যখনি সে ভালো কিছু বানায় তার ফুফির জন্য সে নিয়ে আসে..দরজাতে দাড়িয়ে ক্ষীরের বাটি নিয়ে প্রান্তর বলা সমস্ত কথা শুনেছে সে,এখনো স্থিরভাবে দাড়িয়ে আছে..ডাকবে সে সুযোগ টাও এসে পায় নি।।

রেহেনা পিছন ফিরে রাহিকে দেখে চমকে গেলো,অপ্রস্তুতবোধ করছে রাহির সামনে..সব শুনে ভাগ্নি যদি কষ্ট পায়??।।

“আরে রাহি মা যে??কখন এলি আর হাতে কি??” রেহেনা আমতা আমতা সুরে রাহির কাছে এগোলো।।

প্রান্ত তখন খাওয়া বন্ধ করে দিলো তার মার মুখ থেকে রাহি নামটা শুনে..রাহিকে দেখে তার চোখমুখ শক্ত হয়ে গেলো,উঠে দাড়িয়ে গেলো সে।।

“পারমিশন নিয়ে যে ঘরে আসতে হয়,এই শিক্ষাও পায় নাই??আজীবন শোক পালন করার শিক্ষা পেয়ে গেছিস তুই??” প্রান্ত বললো।।

“ফুফি আমি বাবার জন্য তার ফেভারিট ক্ষীর রান্না করেছিলাম,ভাবলাম তোমাকেও দিয়ে যাই??এখন আসি আমি” রাহি প্রান্তর কথাগুলো শুনে কিছু না বলে রেহেনাকে ক্ষীরের বাটি দিয়ে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে।।

“হ্যা তোর ক্ষীর খাওয়ার জন্য বসে আছে যে??তোর ক্ষীর না খেতে পেলে আমরা যাবো?” প্রান্ত রাহির ইগনর কখনো মেনে নিতে পারে না,এখনো এভোয়েডনেস দেখে সে চেতে যেয়ে কথাগুলো বললো।।

“আহ হা?প্রান্ত তুই চুপ করবি??” এইবার রেহেনা বিরক্তি সুরে বললো।।

“কেন আমি চুপ করবো??আমি কি কারো মতো বোবা নাকি??যে সবসময় নিজের শোকপালন করতে থাকবো?” প্রান্ত রাহির দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বললো।।

রাহি পেছন ফিরে এসে,আস্তেধীরে একটু করে প্রান্তর কাছে আসলো..রাহির এমন তার সামনে আসা প্রান্তকে ভড়কে দিলেও সে নরমাল থাকলো।।

“প্রান্ত ভাইয়া??খুব গরম পরেছে তাই না??আমি জানি আপনাদের Samsung নতুন ফ্রিজ কিনেছেন,সেখানে নিশ্চয় ফুফি আপনার মতো রগচটা মানুষের জন্য ঠান্ডা পানি রেখেছে?সেটা খেয়ে মাথার মধ্যে যে আগুনের ক্লাব খুলে বসে আছেন না??পানি খেয়ে তা ঠান্ডা হয়ে যাবে??আমার শোকসভার দেখার দায়িত্ব আর নিয়েন প্রান্ত ভাই,অনেক ত এসিস্ট্যান্টগিরি করলেন??আমার ত টাকা নাই যে আপনাকে বিনা বেতনে পুষবো??” রাহি এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে রেহেনার ডাইনিং ছেড়ে বেরিয়ে গেলো।।

প্রান্ত এদিকে শকে চলে গেছে কারন রাহির আসা এখানে এক বছরের বেশি হয়ে গেলো সে প্রান্তকে দুচোখ তুলে দেখে নি,আর এতোগুলো কথা বলে চলে গেলো..রাগে প্রান্তর কান গরম হয়ে আসছে।।

“দেখছো মা তোমার ভাগ্নি কি পরিমান বেয়াদব??বড়দের মুখে মুখে জবাব দেয়??” প্রান্ত রাগে গজরাতে গজরাতে ডাইনিং ত্যাগ করলো।।

রেহেনা বেগম অবশ্য অনেক খুশি হয়েছেন মনে মনে যে আজকে তার রগচটা খেলেকে রাহি একদম মোক্ষম জবাব দিয়েছে..তিনিও খেতে বসে গেলেন,তার প্রেশারের ওষুধ নিতে হবে যে।।

রাহি নিজের রুমে এসে তার বাবাকে কল দিলো,যে তিনি কতদূর অব্দি পৌছালো..১৫মিনিটের মাঝে আসবে তার বাবা তাকে জানালো।।

রাহি নিজের ঘরে ওয়ারড্রব গুছাতে তার হাতে মেরুন কালারে জামা হাতে পরলো,জামা হাতে নিয়ে তার অতীতের একটা অংশ উকি দিলো।।

ফ্ল্যাশব্যাক,

মেরুন কালারের জামা বানিয়েছে রাহি,রাহির ফর্সা শরীরের অনেক মানিয়েছে..তার বাবা এনে দিয়েছে নিউ মার্কেট থেকে,উনার যখন যা পছন্দ হয় তাই নিয়ে আসে মেয়ের জন্য।।

রাহি নতুন কিছু যাই কিনুক না কেন মিথিলাকে জানাতে ভুলে না,তাই সে তাৎক্ষণিকভাবে মিথিলাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলো যে তার বাবা তার জন্য নতুন জামা এনেছে..এই নিয়ে টুকটাক অনেক কথা বললো।।

রাহি পরের দিন সেই নতুন জামা পরে কলেজে গেলো,সেখানে গিয়ে দেখলো সামির মিথিলার সাথে কথা বলছে..তার পরনেও মেরুন কালারের জামা।।

“তোমরা এখানে??” রাহি জিজ্ঞেস করলো অবাক হয়ে।।

“ইয়ে মানে,আমি তোমার সাথে দেখা করতে এসেছিলাম তখন দেখি মিথিলা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে তাই আমিও তোমার জন্য অপেক্ষা করছি” সামির অপ্রস্তুতভাবে জবাব দিলো।।

মিথিলার মুখের রঙ উড়ে গেছে রাহিকে দেখে,একে ত রাহিকে তার থেকে বেশি সুন্দর লাগছে..মেকাপ ছাড়াও রাহি পরী!!অথচ সে এতো সুন্দর করে সেজে এসেও রাহির মতো সুন্দর লাগছে না।।

“তোমরা আমাকে কত ভালোবাসো” রাহি খুশি হয়ে বললো।।

এদিকে সামির আর মিথিলার ও বুকের উপর থেকে মনে হচ্ছে ভয় কেটে গেলো।।

সামির সাইডে রাহি মাঝে আর তার পাশে মিথিলা..তিনজন মিলে একসাথে হাটছে..সামিরের পাশে রাহিকে দেখে মিথিলা চোখ মুখ কেমন বিশ্রি করে আছে..তখনি রাহির অগোচারে সামির পিছন দিক থেকে মিথিলার হাত ধরে,রাহি এদিকে আপনমনে টুকিটাকি কথা বলে হাটে।।

বর্তমান,

ঘড়ির কাটার আওয়াজে তার পুরোনো স্মৃতি থেকে ফেরত আসলো..সেদিন ও বুঝতে পারে নি তার উপস্থিতে তার অগোচারে তাদের প্রেম চলছিলো।।

“কলসের পানির মতো পরিপূর্ণ হতে চেয়েছিলাম”
“সেখানে তারা আমাকে শুন্যতার গহবরে ফেলে দিয়েছে”

চলবে?

কেমন লাগছে জানাবেন??গঠনমুলক কমেন্ট করুন যেন আমি উৎসাহিত হয়ে, পরের পার্ট দ্রুত লিখতে পারি..ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।

অনুভূতির সংমিশ্রণ শেষ পর্ব

1

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

শেষ পর্ব

?

ইমরেতের বুকে নিধি হেলান দিয়ে আছে,দুজনে এখনো কিচেনে..নিধি ছাড়ছে না আজ ইমরেতকে..ইমরেত উঠার নাম নিলেই,নিধি ভ্যা ভ্যা করে উঠছে একটু পর..কোন পিচ্চি মেয়ের পাল্লায় পরলো সে..কিন্তু নিধির এরকম বাচ্চাপোনা দেখেই ইমরেত ফিদা হয়েছিলো।।

বেশকিছুক্ষন পর দেখলো নিধির সাড়াশব্দ নেয়,তাকিয়ে দেখলে সে দেখে নিধি ঘুমিয়ে পরেছে হেলান দিয়ে..ইমরেত মুচকি হেসে কোলে করে নিধির রুমে এগোলো..নিধির রুমে নিধিকে শুইয়ে দিয়ে,নিধির কপালে চুমু একে দিয়ে বললো,”ভালোবাসি”।।

নিধির গায়ে কম্বল দিয়ে ইমরেত নিজের রুমে গেলো..আজ তার অনেক শান্তি লাগছে,তার নিধিমনি তাকে ভালোবেসে ফেলেছে,কতটা দিন অপেক্ষায় ছিলো এই দিনের..ইমরেত নিজের ঘরে যেয়ে বালিশে মাথা দিয়ে চোখ বুজলে নিধির হাসিমাখা ছবি ভেসে উঠে,এই প্রতিবিম্ব দেখে ইমরেত মুচকি হেসে ঘুমের রাজ্যে পারি জমালো।।

সকালবেলা,

নিধি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতেই তার চোখ চড়াকগাছ..তার বাবা মা নিচে বসে হেসে হেসে কথা বলছে,ইমরেত আর মেহবুব ভাইয়ের সাথে..তার মায়ের কোলে বসে মাহি কি যেন খাচ্ছে।।

নিধি মা বলে ডাকতেই তার মা তার দিকে হাসি দিলো।।

“আমার মা কত বড় হয়ে গেছে, যে এখন বিয়ে দিতে হবে?” নিধির মা এসে বললো।।

বিয়ের কথা শুনে সে অবাক..পরে সব বিস্তারিত আলোচনা শুনে বুঝলো,এই যমরাজ অর্থাৎ ইমরেত তার বাবা মাকে ডেকে এনে বিয়ের কথা তুলেছে..বিয়ের ডেট ও ফিক্সড হয়ে গেলো..ঘরোয়া ভাবে বিয়ে হবে,নিধির এক্সাম শেষে বড় করে অনুষ্ঠান হবে।।

ঘরোয়া ভাবে বিয়ে হলেও কিছু টুকিটাকি কেনাকাটা ত করাই লাগবে,স্মৃতির মন্তব্য.. তাই তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজকে সন্ধ্যাই সবাই শপিং এ যাবে।।

ইমরেত নিধিকে একা ডাকলে, নিধি শুধু মুখ ভেঙচি দিচ্ছে কখন থেকে..ইমরেত এইবার রেগে সবার মনোযোগ ভাগ হইলে নিধির হাত ধরে পাশের রুমে ঢুকে দেয়ালে চেপে ধরে ঠোটে কামড় দেয়।।

“আউচ!!আস্ত দানব” নিধি বললো।।

“হ্যা তোমারি ত?কোন সমস্যা” ইমরেতের বাকা জবাব।।

“হুহ” নিধি আবার ভেঙচি দিলো,এইবার নিধির ঠোট আকড়ে ধরে চুমু খেতে শুরু করলো..নিধিও কম যায় কিসে,নখ দিয়ে দেবে দিচ্ছে ঘাড় তার।।

সন্ধ্যাবেলা,

সবাই খুব শপিং করছে,মেহবুব আর ইমরেতের কাজ পরায় সাথে আসতে পারে নি তারা..নিধির জন্য লাল বেনারসি আর ইমরেতের জন্য সাদা ধবধবে পাঞ্জাবি..স্মৃতি গয়নাও কিনলো নিধির জন্য।।

শপিং শেষে রাত ১০টার দিক তারা মল থেকে বের হয়ে গাড়ির কাছে আসে,ড্রাইভার ব্যাগ গুলো গাড়িতে তুলে..সবাই দাড়িয়ে আছে,মাহি হূট করে বললো।।

“মা ফুপি কই”

স্মৃতি এইতো বলে দেখতে যেয়ে দেখে নিধি নাই,নিচে নিধির ব্যান্ড পরেছে চুলের..হন্য হয়ে খুজতে আরম্ভ করলো কিন্তু পায় না..স্মৃতি আর নিধির মায়ের বুক কেমন করছে এইসব দেখে,তারা আরেকবার গোটা শপিংমল দেখে এলো কিন্তু পেলো না।।

স্মৃতি তখন মেহবুবকে ফোন করে জানাতেই,মেহবুব ইমরেতকে জানালো..ইমরেতের বুক ধুক করে উঠলো ভাইয়ের এমন কি শুনাতে,ইমরেতকে বলার সে এক সেকেন্ড দেরী না করে সাথে বাড়ি পৌছালো..বাকিরাও বাড়ি গেছে,নিধির মা বারবার অজ্ঞান হচ্ছে,নিধির বাবা কেমন জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে।।

ইমরেতেএ চোখে এতোবেশি লাল যে মনে হচ্ছে তক্ত বের হবে..শপিংমলের আর রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ আনালো..ল্যাপটপে বসে দেখছে সে,দেখতে পেলো নিধিকে একদল ছেলে পিছন থেকে অনেকক্ষন ধরে ফলো করছে..তারা যখন শপিং শেষে নিচে নামলো,সবাই সামনে নিধি পিছনে দাড়িয়ে চুল খোপা করে ব্যান্ড দিতে যাবে,ওমনিতে একটা গাড়ি এসে একটা লোক নেমে নিধির মুখ চেপে গাড়িতে নিয়ে চলে গেলো,ব্যান্ড ওখানেই পরে রইলো।।

“আরে এটা রকি না??জমিদারের ছেলে?” নিধির বাবা বললো।।

নিধির বাবার এমন আর্তনাদে ইমরেতের কাছে সব ঘটনা পানির মতো স্বচ্ছ..সব পুলিশ,গোয়েন্দাকে জানানো হলো এক ঘন্টার মধ্যে তার বউয়ের নিউজ চায়।।

নিধির মুখে হালকা পানি ছিটা পরাতে আধো আধো চোখ খুললে দেখলো চারপাশে বিভিন্ন বস্তা আর তাকে চেয়ারে দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে..সামনে তাকালে,বসে থাকা মানুষটিকে দেখে নিধির আত্না শুকিয়ে গেছে..রকি বসে আছে সামনে।।

“তুই কি ভেবেছিস আমারে বিয়ে না করে ওই বড়লোকে ডাক্তারকে বিয়ে করবি??আর আমি বসে বসে আঙ্গুল চুষবো??তুই শুধু আমার” রকি বিশ্রিভাবে নিধির দিকে তাকিয়ে বললো।

নিধি ভয়ে কুকড়ে গেছে,চোখ দিয়ে পানি ঝরছে।।

“ভাগ্যিস তোর মায়ে আজকে বাসে উঠার সময় রহিমার মাকে বললো তোর বিয়ের কথা,আমার চেলাপেলা ওখান দিয়ে না গেলে ধরতেই পারতাম না তোরে” বলে রকি এগিয়ে এসে নিধির গা থেকে কেমন বিশ্রিভাবে স্মেল নিচ্ছে।।

দরজা তে টোকা পরছে,রকি বিরক্তিকর হয়ে বললো,” কে রে?”

“বস,ফুলি আইছে খাবার নিয়ে”

“তোরা ব!!আমি আইতাছি” বলে রকি বেরিয়ে গেলো, নিধির মুখে ক্লোরফর্ম মেরে..নিধি বেহুশ হয়ে পরলো।।

দুই ঘন্টা পর নিধি আবার জ্ঞান ফিরলো কিন্তু বাধা অবস্থায়,রকি দেখি আবার আসছে কিন্তু চাহনী তার বিশ্রি।।

“জাইগা পরছোস!! আই বাসর রাত টা সাইরা নি” রকি বললো।।

“না প্লিজ,পায়ে পরি তোমার..ক্ষতি করবে না” নিধির শরীরে কুলোই না তাতপরেও আকুতিমিনুতি করছে।।

রকি সেই তোয়াক্কা না করে নিধির গা থেকে ওড়না টানতে যাবে,ওমনে রকির মুখে লাথি পরাতে মুখ থুবড়ে দূরে পরলো।।

নিধি চোখ তুলে তাকালে,হাসির ফুটলো মুখে,চোখ দিয়ে বৃষ্টি পরছে তার।।

“ইমরেত” অস্ফুটস্বরে বললো নিধি।।

ইমরেত তাড়াহুড়ো করে হেসে নিধিকে বুকে ধরলো..নিধির ফোনের লোকেশন ট্র‍্যাক করে জানতে পেরেছে সে,নিধির ব্যাগ দেখে দূরে পরেছে।।

রকি এগিয়ে আসলে ইমরেত আবারো এক লাথি দিলো..রকি নিচে পরলে,বুকে অনেকগুলা লাথি পরছে তার ইমরেতেএ,গালের থাপ্পড়.. রকির চেলাপেলা গুলো সবাইকে ধরে নিয়েছে পুলিশ।।

“ইউ ওয়ান্ট টু টাচ মাই ওয়াইফ??ইউ বাস্টা****” বলেই ইমরেত রকির মেইন পার্টে এক লাথি..রকি মা বলে এক চিৎকার দিলো..পুলিশ এসে ইমরেতকে থামালো নইত খুন হয়ে যাবে।।

ইমরেত নিজেকে শান্ত করে,জ্ঞানহীন নিধিকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলো সে..তার জান টা এখনো ধকধক করছে।।

নিধিকে পেয়ে সবাই মনে হচ্ছে জান ফিরে পেলো।।

নিধিকে বেডে শুইয়ে,ইমরেত নিধির গায়ে ইঞ্জেকশন পুশ করলো।।

বেশকিছুক্ষন পর নিধি জ্ঞান ফিরলে,সামনে থাকা ইমরেতের দিকে তাকিয়ে হাউমাউ করে কেদে দিলো।।

“হুসস,বেবি!!সি?আই এম হেয়ার”ইমরেত নিজের চোখের পানিটা আড়াল করে নিধিকে শান্তনা দিলো।।

নিধি তার মাকে ধরেও কান্না করে দিলো,তখন মাহি বলে উঠলো,” নো কান্না,অনলি হাসি হবে”।।

সবাই ফিক করে হেসে দিলো।।

আজ সেই অনাকাঙ্ক্ষিত দিন,

নিধি আর ইমরেতের বিয়ের দিন..কিছুক্ষন আগে বিয়ে পরানো হয়েছে,লাল বেনারসি তে নিধিকে ইমরেতের কাছে পুতুল বউ লাগছে..আর ইমরেত?সে ত সাদা পাঞ্জাবিতে রাজার চাইতে কম লাগছে..আজ নিধি ড্যাবড্যাব করে ইমরেতের দিকে তাকিয়ে আছে,ইশারায় অনেকবার ইমরেত বলেছে চোখ নামাতে কিন্তু না,সে ইমরেত কে রীতিমতো গিলে খাচ্ছে..সবাই এই নিয়ে হাসাহাসিও করছে।।

নিধিকে ইমরেতেএ রুমে বসিয়ে রেখে, ইমরেতকে দরজার কাছে আটকে রেখেছে সে..তার পাওনা নাকি তাকে দিতে হবে,ইমরেত সময় ব্যয় না করে স্মৃতিকে টাকা দিয়ে দিলো..স্মৃতি হেসে ফেললো যে এতো ডেসপেরেট বউয়ের কাছে যাওয়ার জন্য।।

ইমরেত ঢুকে দরজা লাগালো,এদিকে মেহবুব এসে স্মৃতি কে কোলে তুলে নিজের রুমে নিয়ে গেলো।।

“আরে করছো কি??বয়স হইছে বুদ্ধি নাই?” স্মৃতি বললো।।

“চুপ?আমার এইজ ৩৫ মাত্র?ত??” মেহবুব বললো।

“ত” স্মৃতি কিছু বলতে যাবে তার আগে মেহবুব তার ঠোট নিয়ে বন্ধ করে ফেলেছে নিজের ঠোট দিয়ে।।

স্মৃতিকে বেডে শুইয়ে দিয়ে মেহবুব বললো,”আরেকটা মাহি চাই!ডোন্ট ট্রাই টু স্টপ মি”এই বলে স্মৃতি কে আদর দিতে ব্যস্ত হয়ে পরলো..স্মৃতি ও কম কিসে,সেও মেহবুবকে দিচ্ছে..ভালোবাসার চাদরে তারা দুজন।।

ইমরেত দরজা লক করে কাছে আসতেই,নিধি বলে উঠলো,”এতোক্ষন লাগে আসতে?”।।

ইমরেত ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো,নিধির কথা শুনে।।

“আমার গরম লাগে” নিধি বললে,ইমরেত তাড়াহুড়ো করে ঘোমটা তুলে নিধির..চাঁদের আলোতে অপসারী লাগছে নিধিকে তার…নিধিকে ওদিকে বকবক করছে,ইমরেত হূট করে নিধির ঠোটে চুমু খেলো..নিধি এমন আক্রমণে লজ্জা নেতিয়ে পরলো।।

“আজকে কোন কথা হবে না!আজকে আমাদের অনুভূতির সংমিশ্রণ হবে!আজকে আমাদের নিঃশ্বাস কথা বলবে” ইমরেত কথাগুলো বলেই নিধির ঠোট আকড়ে ধরলো..বাড়তে লাগলো দুইজনের উত্তেজনা,মেতে থাকলো নিজেদের মাঝে..ডুব দিলো তাদের অনুভূতির সংমিশ্রনে।।

সমাপ্ত?

অবশেষে শেষ হলো গল্প..আশা করি আমি গুছিয়ে লিখেছি এইবার গল্পটা..কেমন লাগলো জানাবেন,ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।

অনুভূতির সংমিশ্রণ পর্ব ১০

0

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

পর্ব দশ

?

বিকালবেলা,

নিধি জ্ঞানহীন হয়ে বেডে পরে আছে,স্মৃতি পাশের মেহবুব দাড়িয়ে আছে..ইমরেত হাতমুঠো করে সোফায় বসে আছে,মুখ দেখে মনে হচ্ছে এখনো যমরাজের রাগ কাটে নি।।

“একে কোথায় পেলি তুই??এরকমভাবে পরে আছে কেন??জ্ঞান হারালো কিভাবে” এরকম নানান প্রশ্ন স্মৃতি দুই ঘন্টা যাবত করেই যাচ্ছে ইমরেতকে কিন্তু ইমরেত কাওকে কোন জবাব দিচ্ছে না।।

“ভাই বলবি ত নাকি??” মেহবুব এইবার বিরক্তিসুরে বললো।।

“ও সাতদিন যাবত ঠিকঠাক খায় না,তুমি(স্মৃতি দিকে তাকিয়ে) যে খাবার গুলো প্রতিদিন দিয়ে আসো সেইগুলো ও প্রতিদিন সকালে দারোয়ানকে দিয়ে আসে..টিউশানি করাচ্ছে এই সাত ধরে..রোদে হেটে আসে” ইমরেত দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো।।

স্মৃতি আর মেহবুব প্রচন্ড অবাক হলো..নিধির মুখ দেখে মনে হচ্ছে এই কয়দিনে ইচ্ছা করে না খেয়ে নিজেকে কষ্ট দিয়েছে।।

“রাগ আমার উপর যেহেতু,সেহেতু ঝাল টা আমার উপর দিয়ে মেটাতো সে?? কেন সে নিজেকে কষ্ট দিলো?ও কি জানে না ওর কষ্টে আমার দ্বিগুন কষ্ট হয়?” ইমরেতের শান্ত জবাব।।

স্মৃতি আর মেহবুব কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না,আসলে তাদের ও ভুল নিধির দিকে কড়া নজর দেয়া উচির ছিলো,বাচ্চা মেয়ে..আমানত সে কিন্তু দিনের পর দিন সে নিজেকে এইভাবে কষ্ট দিবে এটা ধারনার বাহিরে ছিলো তাদের।।

“ভাইয়া?তুমি(নিধির দিকে তাকিয়ে) ওর বাবা মা কে ফোন দাও..বিয়ের ডেট ফাইনাল করো..আই ডোন্ট ওয়ান্ট এনি কাইন্ড অফ এক্সকিউজেস..ও যা করেছে সে নিয়ে আমি আর রিস্ক নিতে চায় না” ইমরেত শান্তভাবে বললো।।

মেহবুব ও সায় দিলো কারন নিধির কর্মকাণ্ডে সেও ভয় পেয়ে গেছে কখন কি করে বসে।।

স্মৃতি শুধু এক ধ্যানে নিধির শুকনো মুখের দিকে চেয়ে রইলো,দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে নিচে গেলো..স্মৃতি চলে যেতেই,মেহবুব ও পা বাড়ালো নিধির বাবা মাকে কল করার জন্য।।

ইমরেত নিধির দিকে ক্রুদ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে।।

“আমাকে কষ্ট দিতা আমি মেনে নিতাম কিন্তু তুমি তোমার মধ্যে আমার বসবাস টাকে কষ্ট দিয়েছো সেটা কি করে মেনে নেই বলো?তোমাকে শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে” ইমরেত চোয়াল শক্ত করে বললো।।

সন্ধ্যাবেলা,
নিধি টিপটিপ করে চোখ খুলছে..আশেপাশে তাকিয়ে বেশ খানিকটা সময় লাগলো সে কোথায় আছে,দূর্বল লাগছে তার নিজের কাছে নিজেকে।।

নিধির বসে উঠতেই পরক্ষনে মনে হলো তার সামনে ইমরেত এসে কত জোরে থাপ্পড় মেরেছিলো..মনে পরতেই চোখে জল ভরে আসলো তার।।

নিধি চোখ মুছে,ওয়াশরুমে গেলো গোসল করতে..এরকমভাবে সে সাতটা দিন করছে।।

গোসল সেরে নিচে যাবে তার আগেই স্মৃতি এসে পরেছে তার রুমে..স্মৃতি নিধির দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নিলো।।

“খাবারটা শেষ করো?” স্মৃতি শান্তভাবে জবাব দিলো।।

নিধির বুকটা কেমনে মোচড় দিয়ে উঠলো স্মৃতির মুখে তুমি ডাক শুনে।।

“কি হয়েছে ভাবীপু?তুমি আমাকে তুমি বলে ডাকছো কেন?” নিধির স্মৃতির দিকে এগিয়ে স্মৃতির হাত ধরে বললো।।

“কিছু হয় নি!!অপরিচিতদের আমি বয়সে ছোট দের তুমি বলি!” স্মৃতি উত্তর দিলো।।

“কিছু ত হয়েছে,বলো আমি কোন ভুল করেছি??করে থাকলে বকো মারো?এইভাবে কথা বলিও না প্লিজ ভাবীপু” নিধি কাদো মাখা কন্ঠে বললো।।

নিধির হাত নিজের থেকে সরিয়ে বললো স্মৃতি,

“তুমি খাবারবটা শেষ করো আমি দাড়িয়ে আছি..আমার আরো কাজ আছে”

নিধি এইবার হাউমাউ করে কাদতে আরম্ভ করলো স্মৃতিকে ধরে..স্মৃতির এরকম বিহেভিয়ারের সাথে সে পরিচিত নয়,স্মৃতি ও আর সামলাতে না পেরে উঠে নিধিকে ধরে সেও কেদে দিলো।।

“একবার বলতে পারতি?রাগ কার উপর করেছিস,ঝড় নিজের উপর দিয়ে তুললি??একবার জানাতে পারতি?আর না খেয়ে তোর শরীর কত দুর্বল করেছিস বুঝতে পারছিস?” স্মৃতি নিধির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো।।

“ইমরেতের উপর রাগ করেছিস??ইমরেত তোর জন্য পাগল হয়ে হন্ন হয়ে আজ খুজেছে?রাগে বকেছে সেইটা বুঝছি,কিন্তু তুই বুঝলি না তার রাগের চেয়েও গভীরতা বেশি তোর উপর ভালোবাসা তার..ইমরেত তোকে কতটা পাগলের মতো ভালোবাসে,তিলে তিলে কতটা না পাওয়ার যন্ত্রনা ভুগে আসছে চারটা বছর ধরে আমি দেখে আসছি” স্মৃতি কিছুক্ষন থেমে বললো।।

“আমিও যে তাকে খুব ভালোবাসি ভাবীপু?” নিধি নাক টেনে জবাব দিলো।।

“মানে?কবে থেকে??আর ভালোবাসলে এরকম করলি কেন?” স্মৃতি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো।।

তারপর নিধি বলতে শুরু করলো সেদিন রাতের স্মৃতি আর ইমরেতের কথা শুনেছে,ইমরেতকে নিয়ে তার আংশিক ফিল নিয়ে বলা।।

সব শুনে স্মৃতি ত হতভম্ব.. এরা দুজনেই এমন আজাইরা কাজ করবে,মাথা খারাপ হবে তার।।

“আমি শুধু উনাকে বুঝাতে চেয়েছি,আমাকে কষ্ট দিলে উনিও আঘাত পান..ভালোবাসাটা আমার কতটুক তার প্রতি সেইটুকু শুধু বুঝতে চেয়েছি এই কয়দিনে.. আমি তার সামনে যাই নি ঠিকি কিন্তু তাকে এই কয়েকদিনে চোখের আড়াল হয়ে,আমার জন্য তার ঝটপটানি দেখেছি..আর আমি সাকসেস হয়েছি..কিন্তু বেয়াদবটা আজ আমাকে আবার মেরেছে” নিধি নাক টেনে বললো।।

“ত কি করবে??তুই এতো পাজি?এমন কাজ করে কেও??স্মৃতি হেসে বললো।।

” ত?উনি আমার রুমে সিসিটিভি রাখবে কেন??আমি ত দেখতে পেয়েছি যেখানে উনি ক্যামেরা রেখছিলো সেখানে আমার ফার্স্ট এইড বক্স ছিলো,আমার আঙ্গুল কেটে যাওয়াতে ওইখান থেকে ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ আনতে যেয়ে দেখি ওখানে সিসিটিভি ক্যামেরা..আমি দেখে ভেঙে ফেলেছি তখন”নাক ফুলিয়ে বললো নিধি।।

স্মৃতি কি বলবে এদের কাহিনী দেখে বুঝে উঠতে না পেরে নিধিকে খাইয়ে দিয়ে নিচে গেলো আর তাকে বলে গেলো এমন উদ্ভট কাজ আর না করতে।।

রাতেরবেলা,

১টা বাজছে নিধি ঘুমায় না,ইমরেত একবারের জন্য তার ঘরে আসে নি..মেজাজ টায় নিধির খারাপ হয়ে যাচ্ছে..সেধে আসলে কি হয় বাপু?।।

নিধি আর থাকতে না পেরে ইমরেতের ঘরে গেলো দেখে ইমরেত নাই,তখন সে নিচে গেলো ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম খেতে..আইসক্রিম খেয়ে মাথা ঠান্ডা করবে সে।।

নিধি নিচে যেয়ে কিচেনে দেখতে পেলো ইমরেত খালি গায়ে ফ্রিজ খুলে,ফ্রিজ থেকে পানির বোতল বের করে খাচ্ছে।।

ফকফকা বডি দেখে নিধির চোখ কপালে..এতো সুন্দর ফিগার কোন ছেলের হয়??একটু কম সুন্দর হলেও পারতো..আর ও মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো যে উদাম শরীর নিয়ে নিচে আসছে এইজন্য??এই মুহূর্তে কেই যদি তার খালি গায়ে দেখে তার সুন্দর যমরাজ জামাইকে দেখে ফেলে..নজর দিয়ে দিবে।।

নিধি যেয়ে ইমরেতের মুখ থেকে বোতল নিয়ে নিলো,ইমরেত কিছু বললো না..ইমরেতের সামনে ঢকঢক করে পানি খেয়ে ফেললো নিধি।।।

“আপনি যে রুপবান তা দেখানো লাগবে সবাইকে?” নিধির কড়া প্রশ্ন।।

নিধির এমন প্রশ্নে ইমরেত ভড়কে যেয়ে হাসি পেলেও নিজেকে কন্ট্রোল করে,নিধিকে এভোয়েড করে উপরে যাচ্ছিলো।।

ইমরেতের এভোয়েডনেস দেখে নিধির মাথা খারাপ হয়ে গেলো..ইমরেত যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে নিধির ইমরেতের হাত টেনে ধরে সামনে আনলো।।

“এতো শক্তি কই পাইলো এই মেয়ে,এতো দুর্বল দেখলাম তাও” ইমরেত নিজে নিজে বললো।।

“উত্তর না দিয়ে কই যান?” নিধি রেগে বললো।।

“আ’ম নট ইন্টেরেস্টেড!!” ইমরেতের বললো..নিধির কর্মকাণ্ড দেখে ইমরেতের হাসি পাচ্ছে কিন্তু সে দেখেত চাই নিধি কি করে।।

“কি বললি” নিধি রেগে বললো।।

নিধির মুখে তুই ডাক শুনে ইমরেতের চোখ কপালে সে অন্তত এটা আশা করে নাই।।

নিধি রেগে ইমরেতকে কাছে টেনে,ইমরেতের চুল মুঠো করে মুখের কাছে যেয়ে তার ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দিলো..আকস্মিকভাবে ইমরেতের চোখ আলুর মতোন হয়ে গেছে..সে ভাবতে পারে নাই নিধি এমন কিছু করবে..এদিকে নিধি তার চুল টেনে ঘাড় টাকে টেনে ধরে চুমু খেয়েই যাচ্ছে..বেশকিছুক্ষন নিধি চুমু খাচ্ছে তার ঠোটে কামড় ও দিয়েছে..ইমরেতের ও আর কন্ট্রোল পসিবল হচ্ছে না,নিধি সরতে যাবে তার আগে ইমরেত তাকে দেয়ালে চেপে ধরে কেমন তৃষাতুর হয়ে চুমু খেতে আরম্ভব করলো..উদাম বুকে নিধির নখের দাগ ও বসলো কয়েকটা…. নিধির কোমড় জুড়ে ইমরেতের হাত খেলা করছে..নিধি শ্বাস নিতে পারছে না কিন্তু ইমরেত ছাড়ছেও না এদিকে।।

আধাঘন্টা পর ইমরেত ছাড়লো নিধিকে..একে অপরের বুকের সাথে লেগে আছে তারা..হাপাচ্ছে দুজনেইই..।।।

“ভালোবাসি আপনাকে খুব!!কখনো ছেড়ে যাবেন প্লিজ” এই বলে নিধি ইমরেতকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।।

চলবে?

কেমন হয়েছে জানাবেন..ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।

অনুভূতির সংমিশ্রণ পর্ব ৯

0

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

পর্ব নয়

?

নিজের উপরে রাগ লাগার কারনে ইমরেত রাত্রি বারোটার দিকে গোসল করতে ঢুকেছে,কোনক্রমেই তার রাগ কমছে না নিজের উপর থেকে..এমনিতে তার নিজের সবকিছুর প্রতি কন্ট্রোল তবে আজকে কেন এরকম নিধির সাথে করলো..তার নিধি কতটা কষ্ট পেলো এইজন্য।।

এক ঘন্টা ধরে শাওয়ার নেয়ার কারনে ইমরেত নিজেরে মুছে,বের হয়ে আসলো..ভাবছে নিধির কাছে আবার যাবে কি না,নিধি ত দরজা লক করে বসে আছে ঘরের ভিতর থেকে সিসিটিভি ফুটেজেও কিছু দেখা যাচ্ছে না..ভেঙ্গে দিয়েছে নাকি কে জানে..কিন্তু ও জানবে কিভাবে ওখানে সিসিটিভি ফুটেজ আছে।।

চিন্তা করতে করতে ইমরেতের একপ্রকার মাথা ফেটে যাচ্ছে,ঘুমের মেডিসিন নিলো নইত এই চিন্তা নামক যন্ত্রনা থেকে সে মুক্তি পাবে না।।

আধাঘন্টা পর সে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলো।।

রাত্রি তিনটা বাজছে,নিধি বালিশ চেপে ফোস ফোস করে কাঁদছে আর হাতে থাকা চিপ্সের প্যাকেট গিলছে..সিসিটিভি ক্যামেরা দিকে চোখ দিয়ে রাখছে,তার মেজাজ গরম এইজন্য যে ওই যমরাজের সাহস কি করে হলো আমার ঘরে সিসিটিভি রাখার..খবিশ লোক কোথাকার।।

নিধির পরক্ষনে নিচের কিছু কথা মনে হলো,তখনি মনে হলো এই দানব ডাক্তারকে কে সে ভালোবাসতে শুরু করেছে।।

ফ্ল্যাশব্যাক,

নিধির কান্না যখন তার কান্নার সাথে হিচকি উঠার অভ্যাস আছে..হিচকি উঠতে আরম্ভ করেছে,তাই উঠে পানি খেতে যেয়ে দেখছে জগে পানি নাই..তখন চোখ মুখ মুছে জগ নিয়ে পানি আনতে যায় সে নিচে।।

সিড়ির কাছে এসে শুনতে পেলো সে স্মৃতি আর ইমরেতের কথোপকথন.. আরেকটু কান উচিয়ে সে শুনতে গেলো কি নিয়ে কথা হচ্ছে।।

স্মৃতি আর ইমরেতের সম্পূর্ণ কথা শুনে,চোখ দিয়ে আবারো তার নোনা জল বইছে..এদিকে তার হিচকিও থেমে গেছে,সে তার রুমের দিকে পা বাড়ালো।।

বর্তমান,

“আমাকে বকছেন না মি.দানবরুপে ডাক্তার..আপনাকে যদি নাকে দড়ি দিয়ে না ঘুরিয়েছি আমার নাম ও নিধি না…আমাকে আপনি কাদিয়েছেন..আমার মতো ভোলা মেয়েকে ওই অপরিচিত লোকের সামনে অপমান করেছেন,আপনার হাল যে আমি কি করি শুধু বুঝবেন এখন থেকে”।।

নিধি আপনমনে কথাগুলো বলছে,আর চিপ্স চিবুচ্ছে..চিপ্সটা ছিলো তার হ্যান্ডব্যাগে,স্মৃতি প্রায় এটা সেটা খাওয়ার তাকে টাকা দেয়..এটা মেহবুব দিয়েছিলো বাইরে থেকে এনে,রাখায় ছিলো ব্যাগে।।

চিপ্স খাওয়া শেষ করে,পানি খেয়ে একটা লম্বা ঘুমের দিকে নিজেকে নিয়ে গেলো।।

সকালবেলা,

নিধি সকালবেলা রেডি হয়ে,পাউরুটি দিয়ে নাস্তা করে..ভার্সিটির উদ্দেশ্য বেরিয়ে গেছে,স্মৃতিকে তার দেয়া ফোন নিধি ব্যাক দিয়ে বলেছে,” আপাতত এটার দরকার নাই ভাবীপু..তোমার কাছে রাখো”।।

স্মৃতি প্রতি উত্তরে কিছু বলতে পারে নি,সে বুঝতে পেরেছে নিধি ঠিক কতটা কষ্ট পেয়েছে।।

এদিকে ইমরেত ঘুম থেকে উঠে বেলা একটা..মেডিসিনের চাপে সে এতোক্ষন উঠে নাই..বেহুশ হয়ে ঘুমিয়ে ছিলো..ঘুম থেকে উঠে,ঘড়ির দিকে নজর গেলে তার চোখ কপালে উঠে যায়..ধড়ফড়িয়ে উঠে সে,ফোন হাতে নিয়ে দেখে সেইম টাইম..অসংখ্য মিসডকল,তবে বেশিরভাগ অফিস আর হসপিটালের,আর কিছু স্প্যাম কল।।

তাড়াতাড়ি করে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হয়ে এসে,নিধির রুমের দিকে গেলো গিয়ে দেখে দরজা খোলা কিন্তু নিধি নাই..ইমরেত টিশার্ট টা ঠিক করতে করতে নিচে গেলো স্মৃতির কাছে জানতে।।

মাহিকে গোসল করিয়ে খেলনা দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে স্মৃতি নিচে আসছে মেহবুবের টিফিন কেরিয়ার অফিসে পৌঁছে দেয়ার জন্য..সে কিচেনে বসে সেইগুলা টুকটাক রেডি করছে।।

ইমরেত হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসছে স্মৃতির কাছে,কপালে তার বিন্দু বিন্দু ঘাম।।

“ভাবী নিধি কোথায়??খুজে পাচ্ছি না যে” ইমরেত হাসফাস গলাতে বললো।।

“আরেহ!!তুমি এমনে শ্বাস নিচ্ছো কেন??বিপি লো হয়ে গেছে নাকি আবার??দেখি বসো” স্মৃতি অস্থির গলাতে বললো।।

“আমি ঠিক আছি,আগে তুমি বলো নিধি কই..ফোনটাও অফ দেখি??ও কি ফোন রেখে গেছে?” ইমরেতের পাল্টা প্রশ্ন।।

“ভাই বসো আগে!!নিধি ভার্সিটি গেছে..আর কালকে বকা খেয়েছে ত এইজন্য ফোন ও নেয় নি!!আসলে তুমি কথা বলো কেমন!!” স্মৃতি শান্ত ভাবে বললো।।

“না ভাবী!!আমি ওর ভার্সিটি যাবো” ইমরেত এই বলে পা বাড়াতে গেলে,স্মৃতি থামায়।।

“হ্যাভ সাম পেসেন্স ভাই?” স্মৃতি বললো।।

“হুম”ইমরেত ক্ষীন স্বরে বললো।।

স্মৃতি মেহবুবের টিফিন পাঠিয়ে,ফোন থেকে মেসেজ করলো মেহবুবকে,

” যা দিয়েছি তা যেন ব্যাক না আসে,ব্যাক আসলে ঠোটের ছাল তুলে নিব আমি”।।

স্মৃতি ইমরেতকেও খাইয়ে দিলো,স্মৃতি বুঝছে ইমরেত কালকের বিহেভিয়ারের জন্য ভয়ে আছে নিধি না কিছু করে বসে,কেমন ক্লান্ত লাগছে তাকে..আল্লাহর কাছে সব ঠিক করে দেয়ার জন্য বলছে বারবার স্মৃতি।।

অফিসে,

মেহবুব কাজ সেরে ফোন চেক করলে,দেখে তার বউ মেসেজ দিয়ে পাঠিয়েছে..মেসেজ দেখে বাকা হাসি দিলো সে,মেসেজ পরতে পরতে ড্রাইভার এসে, দরজা নক করে খাবার দিয়ে গেলো।।

“এখন ত এইসব খাবো,রাতে তোমাকে না পেলে তোমারো ঠোটের ছাল তুলে নিব আমি মেহবুব চৌধুরী ” মেহবুব বাকা হেসে বললো।।

নিধি সন্ধ্যাই বাড়িতে আসে..কিন্তু কারো সাথে দেখা করে নে,যেখানে ইমরেত থাকে সেখানে যায় না..খাবার ও নিজের ঘরে খায়..দরজা সবসময় বন্ধ করে রাখে..নিধি প্রতিদিন খুব সকালে যায় আর সন্ধ্যায় আসে..এইভাবে কেটে যায় বেশকিছুদিন।।

সাতদিন পর,

এইভাবে নিধির বিহেভিয়ার সাতটা দিন ধরে চালাচ্ছে..ইমরেতের বাড়িতে থেকেও,ইমরেতের সাথে দুরত্ব বজায় রেখে চলছে।।

ইমরেতের এদিকে দমবন্ধ হয়ে আসছে,নিধির উপর এতোবেশি রাগ জন্মেছে এই কয়দিনে বলার কথা না..হসপিটালের কোন সার্জারীতে হাত দিতে পারে নি সে না অফিসের কোন কাজে।।

ইমরেত আজ নিধি নামক একটা বিহিধ করেই ছাড়বে।।

“যা বলেছিলাম সেটার খোজ?” ইমরেতের শান্ত জবাব ফোনের অপাশের ব্যক্তিকে কল করে।।

“…………..”

“কামিং” ইমরেত ফোন কেটে বেরিয়ে গেলো,গাড়ি নিয়ে।।

নিধি ভরদুপুরবেলা ক্লান্ত শরীরে দাড়িয়ে আছে রিক্সার জন্য,মাত্র একটা বাচ্চার টিউশানি শেষ করলো সে,এখনো অনেকে বাচ্চা বাকি আছে..হ্যা সে টিউশানি আরম্ভ করছে,সিদ্ধান্ত নিয়ে ইমরেতের বাসা ছেড়ে দেয়ার।।

এক পা দু পা করে আগাচ্ছে কিন্তু মাথাটা ঝিম ঝিম করছে নিধির…তার সামনে একটা গাড়ি থামলো,গাড়ি থেমে সেখান থেকে একটা পুরুষ নেমে এসে নিধির গালের উপর সর্বশক্তি দিয়ে একটা থাপ্পড় মারলো।।

এমনে ক্লান্ত শরীর আর এমন থাপ্পড় খেয়ে নিধি আর টাল সামলাতে পারলো না,নিচে বসে গেলো..ঝাপ্সা চোখে দেখে শুধু একটা কথা বললো,

“যমরাজ আপনি আমাকে আবার মারলেন” নিধি কথাটা বলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেললো,মেঝেতে তার মাথাটা পরার আগেই ইমরেত নিধির মাথাটা তার বুকের সাথে চেপে ধরলো।।

আশেপাশের মানুষ তাকাচ্ছে তাদের দিকে,ইমরেত সবার দিকে কেমন রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকালো।।

“শো এন্ড?নাও গো অল অফ ইউ!!আমার বউ বেশি ত্যাড়ামি করেছিলো তাই মেরেছি,দেখা শেষ?জাস্ট লিভ” ইমরেতের চিল্লানি শুনে যে পাঁচ ছয়জন মানুষ ছিলো কেটে পরলো।।

“তোমার অবস্থা যে কি করি আমি এখন থেকে টের পাবা..সাতটা দিনের তীব্র জ্বালা তোমার উপরে আমি ঝাল তুলবো” ইমরেত নিধির মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো।।

নিধিকে কোলে নিয়ে ইমরেত গাড়িতে বসে ড্রাইভ করতে লাগলো।।

চলবে?

গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন..ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।

অনুভূতির সংমিশ্রণ পর্ব ৮

0

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

পর্ব আট

?

লিভিংরুম,

ইমরেতের হাতমুঠো করে বসে আছে কপালে ভর দিয়ে,মেজাজ তার সপ্তমে উঠে আছে।।

“স্টপ ইট!!” চিল্লিয়ে বললো ইমরেত।।

ভদ্রলোকের বউ ইমরেতের এমন ধমক শুনে ভয়ে,লাফিয়ে সোফার উপর পা তুলে উঠে বসে গেছে।।

স্মৃতি ও ভয়ে পেয়ে গেছে..মেহবুব জানতো এমনকিছু হবে,সে তার ভাইকে বললো,

“রিল্যাক্স ছোট??ঠান্ডা মাথায় কথা বল?” মেহবুবের শান্ত জবাব।।

“কিভানে শান্ত হয়ে উত্তর দিব??উনারা কাকে নিয়ে কথা বলছেন??কার জন্য প্রস্তাব এনেছেন??” দাতমুখ খিচে জবাব দিলো ইমরেত।।

“আই নো বাট দে আর নট এওয়ের অফ দিস ভাই?” মেহবুব উত্তর দিলো।।

“আই ডোন্ট কেয়ার,প্লিজ সে দেম টু লিভ ফ্রম হেয়ার” আরো চিল্লিয়ে বললো ইমরেত।।

“ওগো এই ছেলে কি পাগল হয়ে গেছে??এমন চিল্লিয়ে উঠছে কেন একটু পর পর” ভদ্রলোকের বউ জিজ্ঞেস করছে তার স্বামীকে।।

“আহা!!চুপ করো ত!!” ভদ্রলোকে বিরক্তিকর সুরে বলল।।

স্মৃতি এসেও ইমরেতকে শান্তনা দিচ্ছে যে চুপ করছে।।

“এই আপনারা এখনো বসে আছেন??উঠেন যান এখান থেকে” ইমরেত চিল্লিয়ে বলছে।।

এমন চিল্লাফাল্লা শুনে মাহিকে ঘরে বসিয়ে আসলো কার্টুনের চ্যানেল দিয়ে,আর নিজে নেমে আসলো নিচে।।

নিধিকে নিচে দেখে ইমরেত মনে হচ্ছে আরো ক্ষেপে গেছে।।

“এই তুমি নিচে নামছো কিজন্য??পা বেশি বড় হয়ে গেছে?সৌন্দর্য দেখাও সবাইরে” ইমরেত নিধির কাছে এসে জোরে জোরে কথাগুলো বললো।।

“আরে এই লোক পাগল হয়ে গেলো নাকি??আমি আবার কি করলাম?” মনে মনে ভাবছে নিধি।।

“নিধি তুই উপরে যা বোন” স্মৃতি এসে বললো।।

“কি হয়েছে বলবা ত??এমন করছো ক্যান সবাই তোমরা??” নিধি অবাক হয়ে বললো।।

“তোমার সবকিছু এতো জানার শখ কেন??যেতে বলছে যেতে পারছো না?নাকি নিজে যে সুন্দরি এইটা নেচে গেয়ে সবাইকে দেখাতে হবে??একটা কথা কারো শুনো না?যত বড় হচ্ছো তত বেশি বুদ্ধি হাটুর কাছে যাচ্ছে,এতো বেয়াদব কেন তুমি??কলেজে কি পড়তে যাও নাকি ছেলেদের নিজের রুও দেখাত্ব যাও যে বাসায় প্রস্তাব আসে তোমার জন্য??” ইমরেত চিল্লিয়ে বলছে।।

“আচ্ছা পাগলের ফ্যামিলিতে ছেলে আমার মেয়ে পছন্দ করলো” ভদ্রমহিলা বিরক্তিসুরে বললো।।

“ইউ শাট ইউর মাউথ..আমার বাসায়, আমার বউয়ের জন্য প্রস্তাব আনেন?আপনার সাহস ত কম না?বেরোন এখান থেকে,আউট!!” ইমরেত তাদের দিকে ঘুরে জোরে চিল্লিয়ে বললো।।

ভদ্রলোক তার বউকে নিয়ে সুরসুর করে বেরিয়ে গেল।।

“আর তুমি??ছেলেদের সাথে এতো মেলামেশা কেনো??নিজে যে মেয়ে সেইটা কি ভুলে যাও?কতবার না করেছি মিশতে বলো কতবার??আসলে আমারই ভুল হয়েছে এমন অল্পবয়স্কে মেয়েকে আমি ভালোবেসেছি!!মাথায় একটুও বুদ্ধি নাই..ঢ্যাং ঢ্যাং করে নিচে নেমে চলে এসেছে..আরে সামান্য ত নিজের বুদ্ধি কাজ লাগাও” ইমরেত নিধি বাহু ধরে কথা গুলো বলছে।।

নিধির চোখ দিয়ে গলগল করে পানি পরছে,এতোগুলা কথা সে প্রথম শুনলো ইমরেতের থেকে..হ্যা সে জানে ইমরেত তাকে দেখতে পারে না,কিন্তু তার মনে তাকে নিয়ে এতো তিক্ততা..ছেলেবন্ধু কই তার??যে দুইটার সাথে কথস বলে তাদের অলরেডি গফ আছে,দুইজনকে ভাই হিসেবে দেখে..যারা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে ত এখানে তার কি দোষ..মানছে সে একটু কম বুদ্ধির মেয়ে তাই বলে এতো কথা শুনাবে তাকে??কয়দিন আগে সে না প্রেম নিবেদন করলো??তাকে নিয়ে সেও কিছু কিছু ভাবতে শুরু করেছিলো??সব কি মোহ ছিলো??নিধি মনে হচ্ছে আর দাড়িয়ে থাকতে পারছে না।।

“ইমরেত কুল ডাউন..অনেক বলে ফেলেছো??” স্মৃতি আরকিছু বলতে যাবে য়ার আগে ইমরেত বাধা দিলো।।

“ওকে বলো আমার চোখের সামনে থেকে চলে যেতে,আমি নিতে পারছি না ওকে আর” ইমরেত কড়াভাবে বললো।।

স্মৃতির বিস্ময় হয়ে তাকিয়ে আছে যে রাগের শিকার হয়ে ইমরেত নিধিকে যতকথা শুনালো এর ফল না তাকে পস্তাতে হয়।।

নিধি মনে হচ্ছে আকাশ থেকে পরছে ইমরেতের এই বিহেভিয়ার দেখে,নিজেকে সামলে নিয়ে উপরের দিকে যাচ্ছে কিন্তু পা টাও মনে হচ্ছে,ধীর পায়ে রুমে যেয়ে মাহিকে তার মা ডাকছে বলে,ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলো।।

নিধির বুক ফেটে কান্না আসছে..এরকম বকা কখনক কোনদিন খায় নি সে..কি দোষ ছিলো তার??সে ত জানতো না তার বিয়ের প্রস্তাব আসছে..সে জানলে কি নিচে নামতো..বাবা মাকে তার খুব মনে পরছে,বালিশ আকড়ে ধরে কেদেই যাচ্ছে।।

স্মৃতি পিছন পিছন এসে দরজা নক করে রেসপন্স পায় নি..টেনশনে তার জান ও শুকিয়ে যাচ্ছে,কি থেকে কি হয়ে গেলো আজকে।।

অপরদিকে ইমরেত নিজের রুমে এসে নিজেকে লক করে বসে আছে,ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেই যাচ্ছে তারপরেও ক্ষান্ত হয় না সে।।

“সাহস কি করে হলো আমার নিধির জন্য বিয়ে আনার!!নিধির উপর শুধু আমার এই ইমরেত চৌধুরীর অধিকার..নিধি শুধু আমার..সবকয়টাকে শেষ করে দিব যে আমার নিধিকে কেড়ে নেয়ার জন্য আসবে” হাতে থাকা ফ্লাওয়ার ভাস ভেঙে বললো।।

যখন ইমরেত একটু শান্ত হলো তখন তার টনক নড়লো নিধির সাথে ক্রোধের বশে কি বিশ্রি বিহেভিয়ার করেছে..মনে পরেতেই তার মাথাটা কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগছে।।

তাৎক্ষণিকভাবে ইমরেত নিজের রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে পরলো,নিধির রুমের উদ্দেশ্য।।

নিধির রুমে দরজা ধাক্কিয়ে চলে যাচ্ছে,কিন্তু নিধি দরজা খুলে না..(আরে বড়লোকের ফুয়া জানোস না তুই তোদের সব ঘরের রুমে সাউন্ডপ্রুভ করে রাখছোস)।।

স্মৃতি এমন দরজাতে বাড়ি দেয়ার আওয়াজ শুনে,মাহিকে বুকে থেকে নামিয়ে মেহবুবের কোলে দিলো যেন ওকে দেখে।।

স্মৃতি ছুটলো নিধির ঘরের দিক যেহেতু আওয়াজটা ওইখান থেকে আসছে।।

“কি করছো কি এখন তুমি” স্মৃতি এসে ইমরেত কে জিজ্ঞেস করলো।।

“দেখো না ভাবী নিধি দরজা খুলছে না..এই নিধি দরজা খুলো(দিলো আরেকটা বারি)” ইমরেত জানালো।।

“ও খুলবে না,আর ও না করেছে যেন কেও বিরক্ত না করে..তুমি ত চেয়েছিলেন যেন ও তোমার সামনে না আসে ত?” স্মৃতি বললো

“ভাবী প্লিজ!!তুমিও জানো আমি রাগের মধ্যে বলেছি!!রাগ উঠলে হুশ থাকে না..আর ও বললেই হলো??দরজা খুলবে না??এই খুলো!! লাসটবার বলছি..তখন না হয় রেগে বলেছি,এখন কিন্তু সত্যি সত্যি তোমার কানের নিচে চটকনা পরবে একটা” ইমরেত চিল্লিয়ে বলছে।।

“কাম উইথ মি”ইমরেতের হাত ধরে স্মৃতি টেনে নিয়ে গেলো ডাইনিং এ।।

ইমরেতের সামনে পানির গ্লাস ধরলো স্মৃতি, ইশারায় জানালো পানিটা খেতে হবে এখন তাতে।।

ইমরেত পানিটা নিয়ে এক নিঃশ্বাসে খতম করে ফেললো।।

” লিসেন টু মি কেয়ারফুলি ভাই!!তুমি আজ যা ওকে বলেছো অন্যকোন মেয়ে হলে কিন্তু এখনি বাড়ি ছেড়ে চলে যেতো কিন্তু ও আছে কারন,ওর মা বাবা আমাদের উপর অনেক ভরসা করে তাকে এখানে পাঠিয়েছে..সে চায় না তার বাবা মায়ের কাছে আমরা ছোট হই…আর তুমি যা বলেছো আজকে,তাতে তুমি নিজেও জানো নিধির মতো মেয়ে এই আমাদের জেনারেশনে পাওয়া খুব দুষ্কর…নিধির চালচলন যেমন সোজা সরল তেমনি নিধির মনটাও পানির মতো স্বচ্ছ..নিধিকে আমার ছোটবোন আর কলিজাও ভাবি আমার কারন আমার নিজের কোন বোন নেয়..তুমি যখন নিধিকে এইসব বলছিলে মনে হচ্ছিলো তোমারে গালে একটা থাপ্পড় দেয়..কিন্তু দি নাই কেনো জানো??নিধিকে যেমন বোন ভাবি,তোমাকেও আমি ভাই ভাবি কারন আমার ভাই নেয়..নিধিকে যতটা ভালোবাসি, আমি তোমাকেও আমার ভাই হিসেবে ততটায় ভালোবাসি..তাই তোমাকে বোন হিসেবে আমার শাষন করতে বাধা নেয়..তুমি নিজেও বুঝতে পারছো এখন রাগের বশে কথা গুলো যা বলেছো তা ভুল..রাগের বশে আমরাব অনেকটা হিংস্র হয়ে যায়..তুম ত এমন ছিলে না..আমি জানি যতটুক তোমাকে দেখেছি আর চিনেছি আর বুঝেছি যে তুমি তোমার এইসবের প্রতি কন্ট্রোল রাখো তবে আজ কেন এরকম হলো??জানি নিধিকে নিয়ে তুমি অতিরিক্ত সিরিয়াস, অতিরিক্ত ভালোবাসা ও তুমি তাকে কিন্তু তুমি আজ বলেছো ওকে তাতে তোমার জন্য ওর মনে একটা দাগ কেটে গেছে..সে অনেক কষ্ট পেয়েছে ইমরেত”স্মৃতি কথাগুলো বললো।।

“আই নো দ্যাট আই হার্ট হার এ লট..বাট শি অলসো হ্যাভ টু হুয়াই আই সো ম্যাড এবাউট হার দ্যাট টাইম” ইমরেত মাথা নিচু করে বললো।।

“সবাই সবকিছু বুঝে না ভাই..তুমি যতটা ম্যাচিউর ও ততটা না..ওর নরম মনে অনেক আঘাত পেয়েছে তোমার এই বিহেভিয়ারে ” স্মৃতি বললো।।

“আমি ওকে মানিয়ে আসি ” ইমরেত উঠতে গেলে,স্মৃতি বসালো ওকে আবার।।

“এখন না,আজ এমনে ধকল গেছে ওর উপর..সময় দেও??” স্মৃতি বললো।।

“ওকে ছাড়া আমার দমবন্ধ হয়ে আসে ভাবী..ওকে ছাড়া আমার নিঃশ্বাস নেয়াটাও দায়..আমি ত ওকে পাগলের মতো চাই,ওকে অনেকবেশি ভালোবাসি ফেলেছি সেই চার বছর থেকে…ওকে আমি কারো সাথে দেখা ত দূরে থাক আমি ভাবতেও পারবো না..নিধি সবসময় উল্টাপাল্টা ডিসিশন নেয়,এই যেমন কয়দিন আগে হোস্টেল খুজছিলো..আজকের আমার বিহেভিয়ার দেখে যদি অন্যকিছু করে,ও যদি আমারে ছেড়ে যেতে চায় আমি ওকে খুন করে ফেলবো একদম”ইমরেত স্মৃতি কে কথাগুলো রাগে বলে উপরে চলে গেলো,নিজের রুমে এসে ধড়াস করে দরজা লাগিয়ে দিলো।।

স্মৃতি দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের রুমে এগোলো,সে জানে ইমরেত রাগী যতটুক তার চেয়ে অধিকতর ভালোবাসে বেশি নিধিকে।।

মেহবুব ও তাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছিলো..যখন তার বিয়ের কথা অন্যকারো সাথে চলছিলো..মেহবুব স্মৃতির উপর যতটা দূর্বল,স্মৃতি ও ততটায় দূর্বল..মেহবুবের শ্বাসের রাজত্ব করে যদি স্মৃতি, তাহলে স্মৃতি মনে রাজত্ব করে মেহবুব..এরকম পাগলামি ভালোবাসা দেখে স্মৃতি মেহবুবের ভালোবাসা জ্বালে পরেছিলো।।

ঘরে এসে স্মৃতি মেহবুবের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো ভাবছিলো,দরজা লক করে এসে..মাহিকে সাইডে দিয়ে কোলবালিশ দিলো যেন পরে না যায়,আর তার পাশে স্মৃতি পাশে মেহবুব গভীর ঘুমে মগ্ন..মেহবুবের বুকে মাথা দিয়ে কিছুক্ষন বুকের ঢিপঢিপ শব্দ শুনলো সে,হ্যা এখানে স্মৃতির বসববাস..মেহবুবের ঠোটে স্মৃতির একটু চুমু খেলো..মাথার চুলগুলোতে হাত বুলাতে শুরু করলো স্মৃতি..মেহবুব ঘুমের মধ্যে স্মৃতি পেটে হাত দিয়ে পা উঠিয়ে দিলো তার উপর,স্মৃতির গলাতে মেহবুবের মুখ..আর ঘুমের ঘোরে ঘনঘন নিঃশ্বাস পরছে স্মৃতির গলাতে..স্মৃতি ও আরেকটু জাপটে ধরলো মেহবুবকে।।

চলবে?

গল্প কেমন লাগছে জানাবেন..না জানালে ইমরেতে থেকে নিধিকে কেড়ে নিব…ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।

অনুভূতির সংমিশ্রণ পর্ব ৭

0

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

পর্ব সাত

?

নিধি যখন নিচে নামে তখন দেখে ইমরেত খুব আয়েশ করে যমরাজ লুকে সবার সাথে খোশ গল্প শুনতে বিজি আছে।।

“আস্ত দানব!!ঠোট টা কত ব্যাথা করছে এখনো!!”নিধি অসহায়ের সাথে বিড়বিড় করলো।।

স্মৃতি নিধির ঠোটের দিকে নজর গেলে,দেখে নিধির ঠোট অনেক ফুলা।।

ইমরেতের দিকে তাকিয়ে বুঝলো এই কিছু একটা করেছে..দুই ভাই একি,মানুষজন বুঝে না।।

মেহবুব মাহিকে কোল থেকে নামিয়ে,স্মৃতির উদাম পেটে হাত দেয় সবার আড়ালে..স্মৃতি শিউরে উঠেও নিজেকে সামলে নিলো,মেহবুবের দিকে রেগে তাকালেও..মেহবুবের কোন ভাবান্তর নেয় মনে হচ্ছে সে কিছুই করে না..স্মৃতি হালকা করে হাত উঠিয়ে সবার মনোযোগের আড়ালে মেহবুবের পেটে দিলো কনুই দিয়ে ধাক্কা।।

মেহবুব আউচ বলতে যেয়েও, মুখেই রেখে দিলো ব্যাথাটা কারন সামনে সবাই আছে।।

নিধি তার মায়ের পাশে গুটিশুটি মেরে বসে আছে,ইমরেত তার সামনের চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে কফি খাচ্ছে আর নিধির দিকে মগ্ন হয়ে আছে..নিধি আড়চোখে তাকালেও বুঝতে দিচ্ছে না ইমরেতকে কিন্তু ইমরেত নিধির আড়চোখে দেখাটাকে বুঝতে পেরে বাকা হাসি দেয়।।

নিধির বাবা মাকে আর বলতে পারলো না যে তাদের সাথে যেতে চায়,যখনি তার মাকে সে কিছু বলতে চাইছে তখনি ইমরেত তার দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকাচ্ছে..বেচারা নিধি না গিলতে পারছে ইমরেতকে না হজম করতে পারছে।।

এদিকে স্মৃতি ইমরেতকে সবার আড়ালে হাসতে হাসতে নিয়ে যায়।।

“যার জন্য এতো আমার গম্ভীরমুখো দেবর ডেসপেরেট হয়ে আছে,তাকে সারাজীবন তোমার করার জন্য তার বাবা মা তোমার ভাইকে কথা দিয়ে দিয়েছে” স্মৃতি ইমরেত কে জানালো।।

“উনারা কথা না দিলেও,আর স্মৃতি না চাইলেও আমি ঠিকি ওর প্রথম বর্ষের পরীক্ষার পর তুলে নিয়ে নিয়ে যেয়ে বিয়ে করতাম” ইমরেত সোজা স্টাইলে বাকা জবাব।।

“দুই ভাই একি??তোমার ভাইয়ের মতো হইলে বেচারী নিধির কপালে কি যে আছে” স্মৃতি জানালো ঠাট্টা সুরে।।

“ওর কপাল ভালো আছে,এরকম ডাবল রোলে (ডাক্তার+বিজনেসম্যান) পাচ্ছে হ্যান্ডসাম জামাইকে” ইমরেত নাক ফুলিয়ে বললো।।

স্মৃতি হেসে তাদের কাছে রওনা দিলো।।

আর ইমরেত ও খুশি স্মৃতির বাবা মা সবকিছুই জানে আর কথাও দিয়েছে সে নিধি তার হবে।।

নিধির বাবার সরকারি যেই কাজ আটকে ছিলো ইমরেত তার লোক দিয়ে ফাইল আইনিভাবে নিয়ে আসছে,সমস্যার সমাধান ও হয়ে গিয়েছে..সন্ধ্যার দিকে নিধির বাবা মা সবাই চলে গেলো,এমনিতে নিধির বাবা মাকে এতোদিন পর দেখতে পেয়েছে..জমিদারের ছেলের জন্য দেখতে যেতে পারে না গ্রামে..কান্নাকাটি করে বিদায় দিয়ে নিধি য়ার বাবা মাকে,নিধি নিজের চোখ ফুলিয়ে ফেলছে।।

ইমরেত ইশারাতে না করেছে কাঁদতে কিন্তু নিধির যতবারই ইমরেতের দিকে তাকিয়েছে ততবারই আরো জোরে কেদেছে।।

মাহি বারবার এসে চোখ মুছে দিচ্ছে..”ও ফুপি,তুমি কেদে দিলে আমিও কাদবো” সে জানায়।।

মাহির এমন কথা শুনে নিধি মাহির সামনে না কাদলেও,রুমে যেয়ে ঠিকই কাদছে।।

স্মৃতি রাতের খাবারের জন্য ডাকলে,দেখে কাদার জন্য মাথা ভার হয়ে গেছে এখন আর উঠতে পারে না সে।।

“আমি খাবো না ভাবীপু(ভাবী+আপু,নিধি ভালোবেসে ডাকে)..তোমরা খেয়ে ঘুমাও” নিধির মাথা ধরে বললো।।

স্মৃতি নিচে এসে ইমরেতকে জানালো,ইমরেত জানায় তারা খেয়ে নিয়ে ঘুমায় যেতে..নিধিকে উনি খাওয়াবে।।

ইমরেত অফিসের কিছু কাজ সেরে,হসপিটালের কিছু খোজ নিয়ে..খাবার নিয়ে নিধির রুমে গেলো..নিধির রুমে যেয়ে ইমরেতের শ্বাস আটকে যাওয়ার মতো অবস্থা..নিধির পরনে প্লাজো হাটু অব্দি উঠে আছে আর টিশার্টও উঠে আছে হালকা,ফর্সা পেটে দেখা যাচ্ছে..চুলগুলো এলোমেলো.. কান্নার কারনে চোখে হালকা,আর নাকটা অসম্ভব লাল হয়ে আছে নিধির।।

“আই হ্যাভ টু কন্ট্রোল মাইসেল্ফ!!” নিজে নিজে বিড়বিড় করছে ইমরেত..কিন্তু যখনি নিধির দিকে তাকাচ্ছে সব আউলে যাচ্ছে।।

দুই তিনটা বড় নিঃশ্বাস ফেলে নিধিকে ডাকলো ইমরেত।।

“এই নিধি উঠো??খাও খেয়ে মেডিসিন নিয়ে অফ যাও!!” ইমরেত ধীরেধীরে বললো।।

নিধি ঘুমের বিভোর আর মাথাব্যথায় ক্লান্ত থাকার কারনে,ইমরেতের ডাকে সাড়া না দিয়ে পিঠ উল্টে দিলো।।

পিঠ থেকে টিশার্ট টা আরেকটু উঠে গেছে,ইমরেতের চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম,এই মেয়ের দিকে হুশ নাই ঘুমানোর সময়..বিয়ের পর একে ত আমার সাথে বদ্ধ ভাবে বেধে রাখতে হবে রাতে কিংবা যখন ঘুমাবে।।

ইমরেতের আর কন্ট্রোল হচ্ছে না,চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে যেয়েও পারছে না..সে একটা একটা করে পা ফেকে নিধির কাছে গেলো..নিধির পিঠের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে,চোখ আটকে গেলো কোমড়ে থাকা লাল তিলে..ব্যস এইটুকু ছিলো কন্ট্রোললেস কেড়ে নেয়ার জন্য ইমরেতের।।

নিধি উপুর হয়ে শুয়ে ছিলো,ধীর পায়ে ইমরেত যেয়ে নিধির পাশে বসলো..মাদকতা চোখে নিয়ে নিধির তিলের দিকে সে তাকিয়ে রয়েছে..সে যখন একটু ছুয়ে দিলো নিধির লাল তিলটার উপর আঙ্গুল দিয়ে তখন মনে হয় নিধি ঘুমের মধ্যে কেপে উঠলো।।

নিধির কোমরের কাছে ইমরেতের ঠোট নিয়ে বেশ কয়েকটা চুমু দিয়ে আর লাল তিলটাকে আরো রক্তাক্ত করে দিলো সাথে তিলের আশেপাশের জায়গাটাকেও।।

“না খেয়ে ঘুমানোর শাস্তি+আমার ভালোবাসা” বাকা হেসে ইমরেত কথাগুলো বলে,নিধির গায়ের উপর চাদর দিয়ে বেরিয়ে গেলো..নিধির খেলো না দেখে নিজেও খেলো না।।

সকালবেলা,

যেহেতু আজ শুক্রবার সবাই বাসা থাকবে..নিধির ঘুম ভাঙলো বেলা ৯টা..নিজেকে ফ্রেশ করবে আপাতত সে,যেহেতু না খেয়ে ঘুমিয়েছে সে নাড়িভুড়ি খাওয়ার জন্য পেট থেকে এখন খাও খাও করছে।।

নিধির মাথাটা হালকা ভার হয়ে থাকলেও,ঘুমানোর ফলে ফ্রেশ লাগছে..পাশে টি টেবিলে চোখ গেলো নিধির..সুন্দর ব্ল্যাক কালারের র‍্যাপিং পেপারের মোড়ানো কিছু একটা উপরে লিখা “স্মৃতি”

নিধি এক্সাইটেড হয়ে তাড়াতাড়ি করে খুলতে যেয়ে র‍্যাপিং পেপারের ধারে আঙ্গুল কেটে ফেলেছে,”আহ”বলেও রক্ত বেরুচ্ছে দেখে..সেদিকে মাথা ব্যাথা নেয়,মুখে নিয়ে আঙ্গুলটাকে চুষে নিয়ে..পুরো কভারটা খুলে দেখলো আইফোন এলিভেন ম্যাক্স..নিধির মুখটা এতোবড় হয়ে গেছে।।

খুশিতে নেচে দিলো ফোন পেয়ে কিছুক্ষন নেচে দিলো নিধি।।

ফোন বেডে রেখে নিধি গেলো ফ্রেশ হতে,এতোক্ষন নিধির রুমে সিসিটিভি ফুটেজ দিয়ে দেখছিলো ইমরেত তার ল্যাপটপের দ্বারা।।

নিধির এরকম বাচ্চামি দেখেই সে চার বছর আগে ঘায়েল হয়ে তার প্রেমে পরেছিলো,মুচকি হাসিতে ইমরেতকে দারুন লাগে যদি নিধি দেখতো।।

নিধি ওয়াশরুমে যেয়ে দেখলো,জামা চেঞ্জ করার সময় কোমরের জায়গাতে তিলের অংশটুক কেমন কালসিটে ভাবে লাল হয়েছে..মনে হচ্ছে কেও ওই জায়গাটা ইচ্ছেমতো খুচাইছে..কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে যখন হদিশ পেলো না নিধি তখন,পাত্তা না দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলো সে।।

নিধি নিচে যেয়ে দেখলো স্মৃতি কিচেনে আজ রান্না করছে,আজকে তাহলে ভাইয়া কিছু আবদার করেছে এইজন্য ভাবীপু সকাল সকাল আসছে।।

“থ্যাংকিউউউউউউউ” স্মৃতিকে পিছন থেকে ধরে নিধি বললো..আচমকা ধরাতে স্মৃতি ভয় পেলেও নিধির বাচ্চামো দেখে হেসে দিলো।।

“তা কিসের জন্য থ্যাংকিউ শুনি?” স্মৃতি জিজ্ঞেস করলো।।

“এই যে ফোন নিধি হাতে থাকা ফোন দেখালো” নিধির বললো।।

স্মৃতি বুঝলো ইমরেত দিয়েছে তার নাম করে,গতকালই ত জানালো সে যে নিধিকে ফোন দিবে।।

“তুমি কিভাবে জানলে ভাবীপু যে আমার ফোন ভেঙ্গে গিয়েছে??”নিধি ঠোট উল্টে জিজ্ঞেস করলো।।

” আমাকে তুই ম্যাজিশিয়ান ডাকিস না??আমি আমার ম্যাজিক দিয়ে জেনে ফেলেছি?”স্মৃতি হেসে বললো।।

নিধিও ফিক করে হেসে স্মৃতিকে ধরলো।।

নিধি স্মৃতিকে হেল্প করলো কিচেনে,ডাইনিং খাবার সাজালো..সবাই খেতে আসছে নিচে..ইমরেত নিধির দিকে তাকালো যেমন নিধিকে প্রফুল্ল দেখাচ্ছে মনে হয় কাল কেদেছে ও।।

সবাই যখন খেতে বসলো,নিধি আড়চোখে ইমরেতের দিকে তাকিয়ে ফোনটা লুকিয়ে ফেললো..না জানি এই যমরাজ এই ফোনটাও খেয়ে দেয়..ইমরেত খেয়াল করলেও,মনে মনে হাসলো সে।।

নিধি মাহিকে কোলে নিয়ে নাস্তা খেতে বসলো।।

লিভিংরুম,

খাওয়া শেষে সবাই লিভিংরুমে আড্ডা দিচ্ছে,নিধি মাহির সাথে খেলাতে ব্যস্ত..ইমরেত নিধিকে দেখতে ব্যস্ত আর মেহবুব স্মৃতিকে জ্বালাতে ব্যস্ত।।

এমন সময় এক ফ্যামিলি তাদের লিভিংরুমের এরিয়াতে উপস্থিত হয়..গার্ড এসে জানালো যখন ইমরেতকে তখন সে পারমিশন করে আসার জন্য।।

ধনাঢ্য পরিবার থেকে এসেছে তা বুঝালো তাদের গেটাপ দেখে..নিধি উঠে চলে গেলো মাহিকে নিয়ে।।

সবাই নিজেদের মতো কুশলাদি করলো,ইমরেত বসে নিজের ফোন গুতাচ্ছে।।

“আসলে যেইজন্য আমরা এসছি সেইটা বলি এখন” ভদ্রলোক জানালো।।

“জি অবশ্যই বলুন” মেহবুব বললো।।

“আসলে যে মেয়েটিকে এখান থেকে উঠে গেলো তাকে আমার ছেলে কলেজে রাস্তা পার হওয়ার সময় দেখছে..ইন ফ্যাক্ট বিয়ে করার জন্য এক প্রকার অস্থির হয়ে গেছে..তাই ও মেয়ের জন্য আমার ছেলের বিয়ের প্রস্তাব এনেছি..আমার ছেলে আসতে চেয়েছিলো কিন্তু ওর জরুরি বাইরে যাওয়া লাগবে এইজন্য আসতে পারে নি” ভদ্রলোক জানালো।।

নিধিকে মিন করাতেই করতেই ইমরেত তখনই চোখ তুলে তাকিয়েছিলো,যখন পুরো কথা শুনলো তখন রেগে আগুন হয়ে গেছে..চোখ টাও লাল হয়ে গেছে।।

মেহবুব আর স্মৃতি একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে আর ইমরেতের দিকে তাকাচ্ছে।।

চলবে?

গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন..না জানালে ওই ভদ্রলোকের ছেলের সাথে নিধির বিয়ে দিয়ে দিব..ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।

অনুভূতির সংমিশ্রণ পর্ব ৬

0

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

পর্ব ছয়

?

লিভিংরুম,

মেহবুব,স্মৃতি আর নিধির বাবা মা বসে আছেন..মাহি বাহিরে তার ন্যানির সাথে খেলছে।।

“আসলে আঙ্কেল একটু কথা ছিলো আপনার সাথে জরুরিভাবে” মেহবুব সোজা হয়ে বসে বললো।।

“হ্যা বাবা বলো?” নিধির বাবা চায়ের কাপ টেবিলে রেখে বললো।।

“নিধির বিয়ে-শাদির কথা কি কিছু ভাবছেন?” মেহবুব জিজ্ঞেস করলো।।

“আসলে বাবা,বিয়ে ত অনেক আসছে কিন্তু জমিদারের ছেলের জন্য সবগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে..যে প্রস্তাব দিচ্ছে সেই পরিবারকে মারার হুমকি সে দিয়ে আসছে” নিধির বাবা একটু চিন্তিত স্বরে বললো।।

“না জানি আমার মেয়েটার কপালে কি আছে” নিধির মা হতাশসুরে বললো৷।

“নিধির বিয়ে আমি আমার ভাই ইমরেতের সাথে দিতে চাই” মেহবুবের সোজাসাপ্টা উত্তর।।

নিধির বাবা মা প্রস্তাবটা শুনে ভড়কে গেলো..তাদের মতো সামর্থ্য নাই যে বড় ঘরে মেয়ে দিবে..চৌধুরী পরিবার এই শহরে সবচেয়ে ধনী পরিবার সেটা লোখমুখে শোনা যায়।।

এই প্রস্তাবে তারা যে অপ্রস্তুত হয়েছে স্মৃতি সেটা বুঝতে পেরেছে।।

“আঙ্কেল আমাদের ইমরেত খুব ভালো…সে নিধিকে সেই চার বছর থেকে ভালোবাসে..সে এখানে আসার পর, ইমরেতের মধ্যে আমরা যতটা চেঞ্জ দেখতে পাই তা কখনো দেখি নি..আপনি ভাববেন না,আমরা জোর করছি..ইমরেত নিধিকে নিয়ে কতটা দূর্বল আমরা দেখতে পাই সেটা..আর নিধিকে প্রচন্ড ভালোবাসে,নিধিকে ছাড়া সে যে অন্য কাওকে এখন পর্যন্ত বিয়ে করতেও চায় না..বিয়ে নামক শব্দ শুনলে রেগে যায় সে..নিধিকে আমরা আমাদের বাড়ির ছোট পুত্রবধু হিসেবে চাই আঙ্কেল” স্মৃতি নিধির মায়ের হাত ধরে কথা গুলো বললো।।

নিধির বাবা মায়ের মনে হচ্ছে আকাশের চাঁদ হাতে পেলো,সেই সাথে সৎপাত্রে নিজের মেয়ের জন্য পেলো..বুক থেকে অনেক বড় একটা পাথর যেন মনে হলো সরে গেলো তাদের।।

নিধির বাবা মা ও কথা পাকা করে দিলো যে ইমরেতের সাথে নিধির বিয়ে দিবে..মেহবুব স্মৃতির দিকে চোখ টিপ দিলো,স্মৃতি বেচারি লজ্জা পেয়ে মিস্টি আনতে গেলো।।

তাদের মধ্যে এই কথা হলো নিধির প্রথম বর্ষ পরীক্ষা শেষে বিয়ে দিবে দুজনের,ততদিন কথাটা নিধির অজানা থাকুক..অহেতুক চাপ নিয়ে পরীক্ষা খারাপ করুক তার দরকার নেই।।

ইমরেতের রুমে নিধি কফি নিয়ে গেছে,রুমে নক করলো কিন্তু রেসপন্স না আসাতে ফিরে আসতে গেলে নিধিকে টেনে ইমরেত রুমের ভিতরে নিয়ে দরজা লক করে দিলো।।

এইভাবে হ্যাচকা টান পরাতে নিধির হাত থেকে কফির মগ পরে ভেঙ্গে গেছে।।

“আরেহ!! দিলেন ত মগটা ভেঙ্গে” নিধি মুখ না তুলে কফির মগের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বললো।।

ইমরেতেএ সাড়াশব্দ না পেয়ে নিধি যখন মুখ তুলে উপরে তাকালো তখন ইমরেতের মুখটার দিকে তাকালো,ইমরেতের মুখ দেখে সে ভীষণ ভয় পেয়ে গেলো..ইমরেতের মুখ ভীষন লাল,দেখেই মনে হচ্ছে মাথায় খুন চেপে আছে তার।।

ইমরেতকে এইভাবে দেখে নিধির ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে,সরতে পারছে না।।

“সাহস কি করে হয় তোমার বাড়ি যাওয়ার নাম নেয়ার?আমি যে না করেছিলাম তুমি শুনতে পাও নি? আমি যে তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না,থাকতে পারি না এইটা কি বুঝো না তুমি?” ইমরেত চিৎকার করে বলছে।।

“দেখুউউন” নিধি তোতলাতে তোতলাতে বললো

“কি দেখবো বলো??বলো কি দেখবো?” আরো জোরে চিৎকার ক্ক্রে বলছে ইমরেত(ভাগ্যিস বড়লোক ইমরেতের রুমের দরজা সাউন্ড প্রুফ)

“আমি কি আমার বাবা মায়ের বাড়ি যেতে পারি না” ভয়ে ভয়ে বললো নিধি।।

“না পারো না তুমি..তুমি বিহীন আমার শ্বাস টা যে আটকে আসে এটা কি বুঝো না তুমি??” আবারো চিল্লিয়ে বলছে ইমরেত।।

“আপনি আমার উপরে এইভাবে অধিকার দেখাতে পারেন না” নিধি বলে উঠলো।।

“অধিকার??অধিকার চিনাস তুই আমারে??আরেহ ইডিয়ট তোর উপরে তোর অধিকার নাই কোন,তোর উপরে এই ইমরেত চৌধুরীর অধিকার শুধু” নিধির কোমর শক্ত করে চেপে ধরে।।

নিধি ভয়ে আর কোন কথায় বলতে পারছে না..এই ইমরেত নামক প্রানীটাকে সে অসম্ভব ভয় পায় সে।।

“কেনো এইভাবে পুড়াচ্ছো আমায়??যখন পুড়াচ্ছো তুমি,এর মলম ও তুমি হবে..এই দহনে তোমাকেও মারবো আমি..আর সেখাবে তোমার মর্জি হোক বা না হোক” ইমরেত শান্তস্বরে বললো।।

ইমরেত তার কোমরটা অনেক শক্তভাবে চেপে আছে,মনে হচ্ছে তার আঙ্গুল দেবে যেয়ে নিধির জামার ভেদ করে ভিতরে ঢুকে যাবে।।

“ভাই” নিধির পুরা কথা শেষ হওয়ার আগে ইমরেত নিধির ঠোটে নিজের ঠোট বসিয়ে দিলো..নিধি ঝট করে চোখ বন্ধ করে নিলো।।

ইমরেত অনেক র‍্যুডলি কিস করছে,নিধির ঠোটের চামড়া মনে হচ্ছে উঠে গেছে..কান্না আসছে না কেন তার?? কেন বুকটা ধকধক করছে তার এমন চুমুতে??কেন সরাতে পারছি না।।

অপরদিকে ইমরেত কোন নেশায় জড়ালো সে..কেন এই নিধি নামক নেশাতে মেতে উঠেছে,ছুটাতে চাইছেনা,আরো তীব্রভাবে তার সাথে নিজেকে গ্রাস করে ফেলছে..হ্যা তার নিধিকে চায়,যেইভাবে হোক চায়..সে না চাইলেও তাকে তার চায়”আমি যে তুমিতে আসক্ত”

চুমু দিতে দিতে ক্লান্ত হলেও ইমরেত,ঠোট ছাড়ে নাই নিধির..শুষে নিচ্ছে,এদিকে নিধির শ্বাস আটকে গেছে মনে হচ্ছে।।

বেশ অনেকক্ষন পর ইমরেতে নিধির ঠোট ছাড়লো..দুইজনে খুব জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে।।

ইমরেত শান্ত হয়ে গেলেও,নিধির নিঃশ্বাস এখনো ঘনঘন পরছে।।

ইমরেত নিধির শরীরের সাথে মিশিয়ে নিলো আরেকটু নিবিড়ভাবে।।

“এই বাবু!!এইভাবে শ্বাস ফেলে কেও??আমি আর পারছি না তোমাকে ছাড়া নিজেরে নিয়ে ভাবতে!!” ইমরেতের ঘোর লাগানো কন্ঠ শুনে নিধির শরীরের পশম মনে হচ্ছে দাড়িয়ে গেলো।।

“এইভাবে নিঃশ্বাস নিলে লোকে কি ভাববে? লোকদের ভাবনা আই ডোন্ট কেয়ার,আই অনলিজ কেয়ার এবাউট ইউ” ইমরেত নিধির কানে কথাটা বললো।।

“সরুউউন” তোতলে বলছে নিধি চোখ বন্ধ করে।।

“নিচে যেয়ে সাফ মানা করবে যে তুমি যাচ্ছো না তাদের সাথে,যদি আমার কথার অপোজিট করো, আমি নিজেও জানি না তোমার কি করবো আমি” ইমরেত চোখমুখ শক্ত করে বললো।।

নিধির ঠোট মুছে দিলো ইমরেত আলতো করে,নিধি এমন ছোয়াতে শিউরে উঠলো।।

নিধি বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে,ইমরেত পিছন দিকে নিধিকে ধরে ওর ঘাড়ে মুখ ডুবায়..নিধি থরথর করে কাঁপছে।।

“তোমার ঘ্রানে,তোমার ঠোটে,তোমার চুলে মাদকতা কাজ করে আমার জন্য…আর এই মাদকতাতে আমি তীব্রভাবে আসক্ত..ছুটবে না কখনো,আর না আমি ছুটাতে চায়” নিধির ঘাড়ে মুখ রেখে বললো ইমরেত।।

চলবে?

গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন!!ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।

অনুভূতির সংমিশ্রণ পর্ব ৬

0

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

পর্ব ছয়

?

লিভিংরুম,

মেহবুব,স্মৃতি আর নিধির বাবা মা বসে আছেন..মাহি বাহিরে তার ন্যানির সাথে খেলছে।।

“আসলে আঙ্কেল একটু কথা ছিলো আপনার সাথে জরুরিভাবে” মেহবুব সোজা হয়ে বসে বললো।।

“হ্যা বাবা বলো?” নিধির বাবা চায়ের কাপ টেবিলে রেখে বললো।।

“নিধির বিয়ে-শাদির কথা কি কিছু ভাবছেন?” মেহবুব জিজ্ঞেস করলো।।

“আসলে বাবা,বিয়ে ত অনেক আসছে কিন্তু জমিদারের ছেলের জন্য সবগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে..যে প্রস্তাব দিচ্ছে সেই পরিবারকে মারার হুমকি সে দিয়ে আসছে” নিধির বাবা একটু চিন্তিত স্বরে বললো।।

“না জানি আমার মেয়েটার কপালে কি আছে” নিধির মা হতাশসুরে বললো৷।

“নিধির বিয়ে আমি আমার ভাই ইমরেতের সাথে দিতে চাই” মেহবুবের সোজাসাপ্টা উত্তর।।

নিধির বাবা মা প্রস্তাবটা শুনে ভড়কে গেলো..তাদের মতো সামর্থ্য নাই যে বড় ঘরে মেয়ে দিবে..চৌধুরী পরিবার এই শহরে সবচেয়ে ধনী পরিবার সেটা লোখমুখে শোনা যায়।।

এই প্রস্তাবে তারা যে অপ্রস্তুত হয়েছে স্মৃতি সেটা বুঝতে পেরেছে।।

“আঙ্কেল আমাদের ইমরেত খুব ভালো…সে নিধিকে সেই চার বছর থেকে ভালোবাসে..সে এখানে আসার পর, ইমরেতের মধ্যে আমরা যতটা চেঞ্জ দেখতে পাই তা কখনো দেখি নি..আপনি ভাববেন না,আমরা জোর করছি..ইমরেত নিধিকে নিয়ে কতটা দূর্বল আমরা দেখতে পাই সেটা..আর নিধিকে প্রচন্ড ভালোবাসে,নিধিকে ছাড়া সে যে অন্য কাওকে এখন পর্যন্ত বিয়ে করতেও চায় না..বিয়ে নামক শব্দ শুনলে রেগে যায় সে..নিধিকে আমরা আমাদের বাড়ির ছোট পুত্রবধু হিসেবে চাই আঙ্কেল” স্মৃতি নিধির মায়ের হাত ধরে কথা গুলো বললো।।

নিধির বাবা মায়ের মনে হচ্ছে আকাশের চাঁদ হাতে পেলো,সেই সাথে সৎপাত্রে নিজের মেয়ের জন্য পেলো..বুক থেকে অনেক বড় একটা পাথর যেন মনে হলো সরে গেলো তাদের।।

নিধির বাবা মা ও কথা পাকা করে দিলো যে ইমরেতের সাথে নিধির বিয়ে দিবে..মেহবুব স্মৃতির দিকে চোখ টিপ দিলো,স্মৃতি বেচারি লজ্জা পেয়ে মিস্টি আনতে গেলো।।

তাদের মধ্যে এই কথা হলো নিধির প্রথম বর্ষ পরীক্ষা শেষে বিয়ে দিবে দুজনের,ততদিন কথাটা নিধির অজানা থাকুক..অহেতুক চাপ নিয়ে পরীক্ষা খারাপ করুক তার দরকার নেই।।

ইমরেতের রুমে নিধি কফি নিয়ে গেছে,রুমে নক করলো কিন্তু রেসপন্স না আসাতে ফিরে আসতে গেলে নিধিকে টেনে ইমরেত রুমের ভিতরে নিয়ে দরজা লক করে দিলো।।

এইভাবে হ্যাচকা টান পরাতে নিধির হাত থেকে কফির মগ পরে ভেঙ্গে গেছে।।

“আরেহ!! দিলেন ত মগটা ভেঙ্গে” নিধি মুখ না তুলে কফির মগের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বললো।।

ইমরেতেএ সাড়াশব্দ না পেয়ে নিধি যখন মুখ তুলে উপরে তাকালো তখন ইমরেতের মুখটার দিকে তাকালো,ইমরেতের মুখ দেখে সে ভীষণ ভয় পেয়ে গেলো..ইমরেতের মুখ ভীষন লাল,দেখেই মনে হচ্ছে মাথায় খুন চেপে আছে তার।।

ইমরেতকে এইভাবে দেখে নিধির ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে,সরতে পারছে না।।

“সাহস কি করে হয় তোমার বাড়ি যাওয়ার নাম নেয়ার?আমি যে না করেছিলাম তুমি শুনতে পাও নি? আমি যে তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না,থাকতে পারি না এইটা কি বুঝো না তুমি?” ইমরেত চিৎকার করে বলছে।।

“দেখুউউন” নিধি তোতলাতে তোতলাতে বললো

“কি দেখবো বলো??বলো কি দেখবো?” আরো জোরে চিৎকার ক্ক্রে বলছে ইমরেত(ভাগ্যিস বড়লোক ইমরেতের রুমের দরজা সাউন্ড প্রুফ)

“আমি কি আমার বাবা মায়ের বাড়ি যেতে পারি না” ভয়ে ভয়ে বললো নিধি।।

“না পারো না তুমি..তুমি বিহীন আমার শ্বাস টা যে আটকে আসে এটা কি বুঝো না তুমি??” আবারো চিল্লিয়ে বলছে ইমরেত।।

“আপনি আমার উপরে এইভাবে অধিকার দেখাতে পারেন না” নিধি বলে উঠলো।।

“অধিকার??অধিকার চিনাস তুই আমারে??আরেহ ইডিয়ট তোর উপরে তোর অধিকার নাই কোন,তোর উপরে এই ইমরেত চৌধুরীর অধিকার শুধু” নিধির কোমর শক্ত করে চেপে ধরে।।

নিধি ভয়ে আর কোন কথায় বলতে পারছে না..এই ইমরেত নামক প্রানীটাকে সে অসম্ভব ভয় পায় সে।।

“কেনো এইভাবে পুড়াচ্ছো আমায়??যখন পুড়াচ্ছো তুমি,এর মলম ও তুমি হবে..এই দহনে তোমাকেও মারবো আমি..আর সেখাবে তোমার মর্জি হোক বা না হোক” ইমরেত শান্তস্বরে বললো।।

ইমরেত তার কোমরটা অনেক শক্তভাবে চেপে আছে,মনে হচ্ছে তার আঙ্গুল দেবে যেয়ে নিধির জামার ভেদ করে ভিতরে ঢুকে যাবে।।

“ভাই” নিধির পুরা কথা শেষ হওয়ার আগে ইমরেত নিধির ঠোটে নিজের ঠোট বসিয়ে দিলো..নিধি ঝট করে চোখ বন্ধ করে নিলো।।

ইমরেত অনেক র‍্যুডলি কিস করছে,নিধির ঠোটের চামড়া মনে হচ্ছে উঠে গেছে..কান্না আসছে না কেন তার?? কেন বুকটা ধকধক করছে তার এমন চুমুতে??কেন সরাতে পারছি না।।

অপরদিকে ইমরেত কোন নেশায় জড়ালো সে..কেন এই নিধি নামক নেশাতে মেতে উঠেছে,ছুটাতে চাইছেনা,আরো তীব্রভাবে তার সাথে নিজেকে গ্রাস করে ফেলছে..হ্যা তার নিধিকে চায়,যেইভাবে হোক চায়..সে না চাইলেও তাকে তার চায়”আমি যে তুমিতে আসক্ত”

চুমু দিতে দিতে ক্লান্ত হলেও ইমরেত,ঠোট ছাড়ে নাই নিধির..শুষে নিচ্ছে,এদিকে নিধির শ্বাস আটকে গেছে মনে হচ্ছে।।

বেশ অনেকক্ষন পর ইমরেতে নিধির ঠোট ছাড়লো..দুইজনে খুব জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে।।

ইমরেত শান্ত হয়ে গেলেও,নিধির নিঃশ্বাস এখনো ঘনঘন পরছে।।

ইমরেত নিধির শরীরের সাথে মিশিয়ে নিলো আরেকটু নিবিড়ভাবে।।

“এই বাবু!!এইভাবে শ্বাস ফেলে কেও??আমি আর পারছি না তোমাকে ছাড়া নিজেরে নিয়ে ভাবতে!!” ইমরেতের ঘোর লাগানো কন্ঠ শুনে নিধির শরীরের পশম মনে হচ্ছে দাড়িয়ে গেলো।।

“এইভাবে নিঃশ্বাস নিলে লোকে কি ভাববে? লোকদের ভাবনা আই ডোন্ট কেয়ার,আই অনলিজ কেয়ার এবাউট ইউ” ইমরেত নিধির কানে কথাটা বললো।।

“সরুউউন” তোতলে বলছে নিধি চোখ বন্ধ করে।।

“নিচে যেয়ে সাফ মানা করবে যে তুমি যাচ্ছো না তাদের সাথে,যদি আমার কথার অপোজিট করো, আমি নিজেও জানি না তোমার কি করবো আমি” ইমরেত চোখমুখ শক্ত করে বললো।।

নিধির ঠোট মুছে দিলো ইমরেত আলতো করে,নিধি এমন ছোয়াতে শিউরে উঠলো।।

নিধি বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে,ইমরেত পিছন দিকে নিধিকে ধরে ওর ঘাড়ে মুখ ডুবায়..নিধি থরথর করে কাঁপছে।।

“তোমার ঘ্রানে,তোমার ঠোটে,তোমার চুলে মাদকতা কাজ করে আমার জন্য…আর এই মাদকতাতে আমি তীব্রভাবে আসক্ত..ছুটবে না কখনো,আর না আমি ছুটাতে চায়” নিধির ঘাড়ে মুখ রেখে বললো ইমরেত।।

চলবে?

গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন!!ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।

অনুভূতির সংমিশ্রণ পর্ব ৫

0

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

পর্ব পাঁচ

?

নিধি গোসল সেরে অনেকক্ষন আগে থেকে ঘরে বসে আছে,দরজা লক করে..তার সাহস জাগছে না বাহিরে যাওয়ার..বাহিরে গেলে ওই যমরাজ তাকে আবার ধরবে..নিধি চুলে গামছা পেচিয়ে বসে আছে,ভালো লাগছে না কিছু তার..ফোনটাও নেয় যে অনলাইনে কিছু দেখবে সে।।

ইমরেত গোসল সেরে নিচে গেলো কিন্তু সবাই নিচে থাকলেও নিধি নিচে নামে নাই দেখে একটু ভ্রু কুচকালো।।

“মামুনি!!তুমি একটু উপরে যাও,গিয়ে তোমার নিধি ফুপিকে ডেকে নিয়ে আসো ত” ইমরেত বললো মাহিকে ডেকে নিয়ে নিয়ে।।

“আমি কেন যাবো??তুমি যাও?ফাইট হয়েছে তোমাদের?” মাহি এক নাগাড়ে প্রশ্ন করলো।।

“নিধির সাথে থেকে থেকে প্রশ্নের ঝুড়ি হয়ে গেছে মাহিও” ইমরেত বিড়বিড় করে বললো।।

“বলো না??” মাহি ইমরেতকে ঝাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো।।

“কিছু না রে মা!! আচ্ছা তুমি যেয়ো না আমি যাই!!” ইমরেত বললো।।

“নাহ!!ফুপি না করেছে রুমে যেন কেও না আসে!!” মুখ বেকিয়ে মাহি বললো।।

“কেন?” ইমরেত ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো।।

“ফুপির মাথা ব্যাথা ঘুমাবে” মাহি বললো।।

ইমরেত জানে নিধি কেন নিচে নামছে না..বেশিকিছু বললো জাস্ট তার ভাই-ভাবীকে ডেকে জানালো তার কিছু কথা আছে জরুরি ভাবে।।

মেহবুব,স্মৃতি আর ইমরেত ডিনার সেরে লিভিংরুমে যেয়ে বসলো কফির মগ নিয়ে।।

“বল তোর জরুরী কথা?” মেহবুব বললো।।

“ভাইয়া নিধি হোস্টেলের সিট খুজতে বেরিয়ে ছিলো” ইমরতে পায়ের উপর পা তুলে কফির মগে চুমুক দিয়ে বললো।।

“সেকি??কেন?” স্মৃতি একটু জোরে বললো।।

“আস্তে?” মেহবুব বলে উঠলো।।

স্মৃতি দমে গেলেও..চোখে ইশারায় নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ইমরেতের সামনে।।

“আমি ওর ফোন ভেঙ্গে দিয়েছি এইজন্য..আর এর আগের দিন থাপ্পড় মেরেছিলাম ওইজন্য” ইমরেত আরামসে কথাগুলো বললো।।

“রিজন?” মেহবুব ভ্রু কুচকে বললো।।

মেহবুব আর স্মৃতি জানে..ইমরেত নিধিকে দেখার পর থেকে ভালোবাসে কিন্তু কখনো প্রকাশ করে নি সে..নিধির উপর জোর খাটানো তাকে বকা দেয়া সবকিছুই তারা বুঝতো..কিন্তু ইমরেত বিষয়টা এড়িয়ে চলছে বরাবরই।।

“ভাইয়া ওই ভুল করেছে এক হোস্টেল খুজ,আর সেটা ছেলে ফ্রেন্ডদের হাত দিয়ে আর সেদিন আমার মাথায় চাওমিন ফেলেছে,ওর ওই ছেলে ফ্রেন্ড তাকে তুলেছে..আবার সেদিন আমি ফোন দিয়ে ওয়েটিং পেয়েছি,পরে জেনেছি ওর ছেলে ফ্রেন্ড কল দিয়েছিলো আর আমি যে কল দিয়েছি ওর চোখে পরে নাই??আমি ছাড়া অন্য কোন ছেলের সাথে কথা বলতে পারবে না..এইজন্য ফোন ভেঙে দিয়েছি” রাগে চোখ মুখ শক্ত করে বললো ইমরেত।।

“সে ত ঠিক আছে!! কিন্তু তুই কি ওকে বলেছিস তোর মনের কথা?” মেহবুব জিজ্ঞেস করলো।।

“ইয়াহ!!” ইমরেত ভাবলেশহীন হয়ে উত্তর দিলো।।

“একসেপ্ট করেছে নাকি না?” মেহবুব বললো।।

“করে নাই,আসলে শকে আছে এক প্রকার..আর একসেপ্ট করলে ত ভালো আর না করলেও তাকে এইখানেই,আমারে বিয়ে করে তাকে সংসার করতে হবে” ইমরেত একটু বাকা ভাবে উত্তর দিলো

“দুই ভাই ই এক” স্মৃতি বিড়বিড় করে বললো।।

মেহবুব ঠিকি শুনতে পেয়েছে স্মৃতির কথা..স্মৃতির দিকে তাকাতে সে ভেঙচি দিলো, মেহবুব বাকা হাসি দিলো..ইশারায় বুঝালো,”ঘরে যেয়ে খবর আছে তার”

“ভাবী এইটা ফোন ওর জন্য নিয়েছি,তুমি দিয়ে দিও..আমি দিলে কাহিনী করবে” স্মৃতির হাতে ইমরেত ফোন দিয়ে উপরে চলে গেলো নিধির রুমে।।

মেহবুব স্মৃতি কে কোলে তুলে নিজের ঘরের পথে রওনা দিলো।।

“আরেহ!! আবার কোলে নিয়েছো তুমি??বাড়িতে দেখে নিলে কে কি ভাববে” স্মৃতি এইভাবে নানান কথা বলছিলো,মেহবুব নিজের ঠোট দিয়ে স্মৃতির মুখ বন্ধ করে দিলো।।

ইমরেত নিধির রুমে যেয়ে দেখে সে বারান্দাতে দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে স্থির দৃষ্টিতে..তার মানে সে এখনো ঘুমায় নি।।।

ইমরেত পিছন থেকে নিধিকে ধরলে,নিধি ভয় পেয়ে এক লাফে ইমরতের থেকে দুই হাত সরে গেলো।।

ইমরতে ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,”এনিথিং রং?”

নিধি মুখ ঘুরিয়ে নিলো..আপাতত এখান থেকে কেটে পরতে ভালোভাবে,এই মানুষটার সাথে কথা বলতে ভাল্লাগেনা।।

“কাম?” ইমরেত হাত দিয়ে কাছে ডাকছে নিধিকে।।

নিধি মুখ উচিয়ে ভেঙচি দিলো যে সে যাবে না..ইমরেত কটমট করে তাকালেও নিধির নজর স্থির তার নিজের পায়ের দিকে।।

ইমরেত কাছে যেয়ে নিধির কোমর চেপে উপরে তুললো..নিধি হকচকিয়ে টাল৷ সামলানোর জন্য ইমরেতের টি-শার্টের গলা ধরে আছে।।

“এক কথা ত একেবারে কানে যায় না তোমার তাই না?” ইমরেত রেগে জিজ্ঞেস করলো।।

“আপনি যখন তখন এইভাবে কাছে আসেন কেন??একটু নামান আমাকে?” নিধি বললো।।

“আমি সবসমসময় নিজের মর্জি চলি,এটা হয়তো তুমি এতোদিনে বুঝে গেছো?” ইমরেত ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো।।

“মাহি চলে আসবে প্লিজ ভাইয়া..ওর ঘুমানোর টাইম ও হয়ে এসেছে” নিধি ভয়ে ভয়ে বললো।।

“ত?দেখবে তার চাচ্চু আর ফুপি কিভাবে রোমান্স করছে?” নিধির কানের মুখ নিয়ে কথাগুলো বললো।।

নিধি এরকম নিঃশ্বাসের সাথে লড়ায় করার ক্ষমতা নেই তার..কেমন যেন কুচকে গেলো ইমরেতের বুকের মধ্যে।।

ইমরেত আরেকটু শক্ত করে নিধির কোমরটা ধরলো।।

“নিচে আসো নাই কেন??তুমি জানো না আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো?” ইমরেত একটু ঘোর লাগা কন্ঠে কথাগুলো বলছে।।

“আপনি ছিলেন যে এইজন্য যাই নি” নিধি মুখ ভেঙচে কথাগুলো বললেও,ইমরেতের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো সে বুঝতে পারলো ভুল সময়ে ভুল উত্তর দিয়ে ফেলেছে,সাথে সাথে মুখে হাত দিলো।।

ইমরেত নিধির মুখ থেকে তার হাতটা সরালো..ঠোটে হালকা স্পর্শ দিলো..নিধির মনে হচ্ছে কেও গলাটা চেপে ধরে আছে।।

“ভালোবাসি খুব বেশি তোমায়” ইমরেত ঘোর লাগানো কন্ঠে অস্ফুটস্বরে বলে উঠলো।।

“ফুপি?” মাহি চিৎকারে দুইজনে দুইদিকে ছিটকে পরলো।।

নিধি বুকে ফু দিচ্ছে নিজেএ..আর ইমরেত নিধির ধাক্কা খাওয়াতে একটু রেগে কিছু বলতে যাবে তার আগে আবারো আওয়াজ।।

“কই তুমি ফুপি?আমি ঘুমাবো,ভয় লাগে ত?”মাহি বলছে।।

নিধি তড়িৎ গতিতে মাহির কাছে গেলো..আর কোলে তুলে নিলো ওকে।।

” নিজেরে ভাতিজি দেখি চাচ্চুর প্রেমের কাবাবে হাড্ডি হচ্ছে..বিয়ে হলে দেখা যাবে, নিধি মাহিকে নিয়ে ঘুমাবে বাসরঘরে”ইমরেত নিজে নিজে বললো।।

ইমরেত যাওয়ার সময় নিধিকে শাষিয়ে গেলো,যে আরেকবার হাতের কাছে পরলে খবর আছে।।

সকালবেলা,

সবাই ডাইনিং এ নাস্তা খাচ্ছিলো এমন সময় উপস্থিত হলো নিধির বাবা মা।।

নিধি ওর বাবা মা কে দেখে জড়িয়ে তাদের ধরলো..অনেকদিন পর দেখে মনে হচ্ছে কেদে দিয়েছে,ঈদে যেতে পারে না ওই জমিদারের ছেলের জন্য।।

“কেমন আছিস?” নিধির মা জিজ্ঞেস করলো।।

“ভালো!!তোমাদের দেখে অনেক ভালো হয়ে গেছি!!” নিধি ওর মাকে বললো।।

এইভাবে নানান কথা হচ্ছিলো..ইমরেত নিধির এমন খুশিমুখ দেখতে চেয়েছিলো কিন্তু বুকের কোনে কোথাও যেন মনে হচ্ছে ব্যাথা হচ্ছে,তার চিন্তা নিধির বাবা মা এসেছে এখন নিধিকে নিয়ে চলে যায়?সে ত থাকতে পারবে না নিধিকে ছাড়া!! নিঃশ্বাসটা আটকে আসছে গলার কাছে ইমরেতের।।

নিধির বাবা মা এখানে এসেছে কারন নিধির বাবা সরকারি কাজ আটকে পরে আছে সেটা দেখতে এসেছে।।

“মা আমি বাড়ি যাবো তোমাদের সাথে” নিধি ওর মাকে বললো

ইমরেত কটমট করে তাকালে,নিধি ওর মায়ের পিছে একটু মুখ লুকালো।।

স্মৃতি ইশারায় ইমরেতকে শান্ত হতে বলে।।

“কেন আমার বোনের কি এখানে ভালো লাগছে না?” মেহবুব জিজ্ঞেস করলো নিধিকে।।

নিধি মুচকি হাসলো..ইমরেত উপরে গেলো,কিছুক্ষন পর নিধিকে ডাকলো।।

“আমার কফি কই নিধি?” ইমরেত বললো..সকালে প্রতিদিন ইমরেতকে কফি দেয়া নিধির কাজ।।

“আসলে নিধি আসার পর এখানে,নিধি ইমরেতে কে কফি দেয় আন্টি” স্মৃতি ইমরেতের রাগ সম্পর্কে অভিগত.. সে কেন ডাকছে নিধিকে এখন ভালোমতো বুঝেছে..এখন নিধি না উঠলে যে তান্ডব করবে সে এটা বুঝতে পেরেছে..তাই কথাগুলো বললো।।

“যা দিয়ে আয় কফি..ইমরেত বাবা চাইছে?” নিধির বাবা উত্তর দিলো।।

নিধি দেখলো উউপায়ন্তর নেয়, তখন ভয়ে ভয়ে কফি বানিয়ে ইমরেতের ঘরে রওনা দিলো..নিজের বুকে ফু দিলো যেন যমরাজ,তার যম গিরি না তুলে।।

স্মৃতি, মেহবুব,রফিক এবং রুবা সবাই নিচে কথা বলছে(নিধির বাবা মায়ের নাম)

মাহি বসে আছে নিধির মায়ের কোলে।।

“আসলে আঙ্কেল আপনার সাথে একটু জরূরী কথা ছিলো” মেহবুব বলে উঠলো।।

চলবে?

আপনার মন্তব্যে আমি উৎসাহ পায়..গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন!!ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন!!

অনুভূতির সংমিশ্রণ পর্ব ৪

0

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(ছদ্মনাম)

পর্ব চার

?

স্মৃতি মাত্র গোসল সেরে বের হলো..কাল রাত থেকে মেয়ের দেখা পায় নি সে..তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে খুজছে মাহিকে..মাহিকে পেলো স্মৃতি গার্ডেনে মাটি খেলা অবস্থায়..পুরো জামাতে মাটি ভরিয়ে দিয়েছে..ওকে কোলে তুলে নিয়ে গেলো গোসল করানোর জন্য।।

এদিকে মেহবুব স্মৃতিকে খুজেই যাচ্ছে কিন্তু ডাক দিয়েও পায় না।।

স্মৃতি মাহিকে গোসল করে নিয়ে আসছে কোলে করে..মা মেয়ের খুনশুটি দেখতে মেহবুবের অনেক ভালো লাগছে..টুপ করে স্মৃতির কোমড় জড়িয়ে ধরলো পিছন থেকে।।

স্মৃতি একটু কেপে উঠায় বললো,

“মাথাটা গেছে নাকি?বাচ্চা সামনে”

“ত?” মেহবুব ভ্রু কুচকে দুজনকে আবার জাপটে ধরলো।।

গাড়ি চলছে অজানা রাস্তায়..ধুকপুক করছে নিধির মন..কিছু বলতে গেলেই ইমরেত চোখ পাকিয়ে তার দিকে তাকাচ্ছে..এমন লুক দেখে ভয়ে তার জান এতো টুক হয়ে গেছে।।

“ভাইয়া?” একটু ঢোক গিলে নিধি ডাকলো ইমরেতকে।।

ইমরেত গাড়ি থামালো জোরে ব্রেক কষে..রক্তিম চোখ নিয়ে তাকালো নিধির দিকে।।

নিধি ইমরেতের ওই চোখগুলো দেখে একটা শুকনো ঢোক গিললো।।

“কেন যে হাতে ধরে নিজের কপালে নিজে ফাটাতে যায় সে” মনে মনে ভাবছে নিধি।।

ইমরেত ঝুকে আসে নিধির দিকে..এমন কাছে আসা ইমরেতের নিধি কেমন যেন একটু ভড়কে যায় তবে ইমরেতের শরীর খুব সুন্দর একটা ঘ্রান আসছে মনে হচ্ছে নিধির আজ খেয়ে ফেলি ঘ্রান সহ মানুষটাকে।।

“ছিঃ ছিঃ!! কি সব ভাবছে সে” মনে মনে নিজেকে উগান্ডা বলে গালি নিধি।।

চোখে তুলে তাকাতে যাবে দেখে ইমরেতের চোখগুলো কেমন ঘোলা আর লাল হয়ে আছে..ঠোট দুটো শুষ্ক হয়ে আছে..চুলগুলো এলোমেলো আর সামনের কপালে কিছু চুল তার..কেমন লাগছে যেন ঠিক ভয়ংকর ই লাগছে তার কাছে এখন মানুষটাকে বর্তমানে।।

“ভাই”নিধি ভাইয়া ডাকটা সম্পূর্ন বলার আগে ইমরেতে তার দুই হাত দিয়ে নিধির মুখটা সামনে এনে নিজের ঠোটের সাথে ঠীট মিলিয়ে দিলো..এমন এট্যাক করা নিধি হজম করতে না পেরে চোখগুলো ডিমের মতো বড়বড় করে দিয়েছে।।

ইমরেতের এক হাত নিধির কোমরে চলে গিয়েছে আরেক হাত নিধির চুলটা শক্ত করে ধরে আছে..নিধি মনে হচ্ছে হাওয়াতে ভাসছে,শরীরটা প্যারালাইজড লাগছে তার কাছে..নিয়ন্ত্রণ নাই তার শরীর তার কাছে..এরকম কেন লাগছে??এরকম ইমরেত ভাইয়া করলো ক্যান??উনি ত আমারে দেখতেই পারে না??তাহলে এরকমকরে চুমু খাচ্ছে ক্যান??বিভিন্ন প্রশ্ন নিধি মনে ঘুরপাক খাচ্ছে..ওর অপরপাশে তার ঠোটের উপর নিজের ঠোট বিলীন করে যাচ্ছে মনে হচ্ছে এই দিনটার জন্য সে অপেক্ষায় ছিলো??

অনেক্ষন হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ইমরেতের সরে আসার নাম নেয়..নিধির মনে হচ্ছে ঠোট মনে হয় আর নাই..একটু সরে আসতে চাইলে,ইমরেত নিধির উপর উঠে পরে গাড়ির সিটের সাথে চেপে ধরে..নিজের মতো করে চুমু খেয়ে যাচ্ছে।।

বেশকিছুক্ষন পর ইমরেতের ঠোটের যুগলবন্দী থেকে নিধি মুক্তি পেলো..নিধির আগে ঠোটে হাত দিচ্ছে তার ঠোট আছে নাকি গায়েব হয়ে গেছে..হাত দিয়ে দেখলো আছে কিন্তু জ্বলছে খুব।।

ইমরেতে গাড়ির সিটে হেলান দিলো মাথা উপরের দিকে তুলে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে নিধিও তাই।।

ইমরেত চোখ বন্ধ অবস্থায় বলে উঠলো,

“এইভাবে আমার ভিতর অধিকার আমি কখনো কাওকে দেয় নি..কিন্তু তুমি যখন থেকে লাইফে আসছো আমার, আমার ভিতরটাকে প্রতিনিয়ত পুড়িয়ে ছাড়খার করছো??এর উত্তর আছে তোমার কাছে?”

নিধি এই কথা শুনে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছে ইমরেতের দিকে.. কথাগুলো তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।।

ইমরেত আবারো বলা শুরু করলো।।

“আমি ত চাই নি তোমাকে ভালোবাসতে??কেনো বাধ্য করলে আমার বাসায় এসে আমাকে তোমার মাতাল করা প্রেমে ফেলতে???বলো কেনো করলে?” চিৎকার দিয়ে বললো ইমরেত।।

একে ত ইমরেতের কথা তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে, দ্বিতীয়ত ইমরেত ভাইয়া যে তাকে ভালোবাসে এইটা শুনে মনে হচ্ছে কেও তাকে দশ তালা থেকে ফেলে দিয়েছে।।

ইমরেত নিধির কাছে এসে তার ঠোটে হাত বুলালো বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে..নিধি এমন ছোয়াতে একটু কেপে গিয়ে সরে আসলো।।

“খুব জ্বলছে তাই না বেবি?” ইমরেত ঘোর লাগা কন্ঠে বলছে।।

বেবি শুনে মনে হচ্ছে নিধি ঝটকা খাইছে,মনে হচ্ছে উড়াধুরা কাদতে পারলে হতো।।

ঠোট টাকে একটু চেপে ধরলো ইমরেত..জ্বলছে এমনিতে তার উপর চেপে ধরাতে,নিধি আসলে একটু ব্যাথা পেয়েছে।।

“এই জ্বলা ব্যাথা সহ্য করে নাও..আমি এতোদিন সহ্য করে এসেছি নাও ইউর টার্ন..যে দহনে আমি পুড়েছি বা পুড়ছি এখন আমার এই আক্রমণ গুলো দিয়ে তোমাকে মারবো”ইমরেত কথাগুলো বলে ফোনে কাকে কল দিলো।।

” কাজ হয়েছে?” ইমরেত জিজ্ঞেস করলো তার গার্ড কে
…..

“গুড জব” বলে ফোন কেটে দিলো ইমরেত।।

আবারো নিধির দিকে তাকালো সে চুপচাপ বসে আছে..প্রশ্ন অনেক চলছে তার মনে কিন্তু জিজ্ঞেস করার সাহস সে পাচ্ছে না।।

“ছোট মাথাতে এতো চাপ নিও না?চাপ নিতে এতোই ইচ্ছা হইলে আমাকে নাও..আমাকে নিয়ে ভাবো বাট ডোন্ট ইউ থিংক সেখানে আমার জায়গাতে ভুল করে অন্য কারো বিচরণ হোক?আর ভাইয়া ডাকার এই বোকামি টা নেক্সট টাইম করবানা..আদারওয়াইজ এর থেকে রেজাল্ট খারাপ করে দিব তোমার..আর জাস্ট কেবল ত শুরু তোমার কাছে এইসব..আমার অনুভূতির সংমিশ্রণ গুলো তুমি এখন থেকে টের পাবে ” বাকা হেসে গাড়ি চালালো ইমরেত।।

“আল্লাহ সব ছেড়ে মানুষ রুপি ডাক্তার দানব আমার উপরে আছাড় খেয়ে পরলো” নিধি নিজের মনে কথাগুলো বলছে।।

বাড়ি পৌছালো তারা দুজন..ইমরেত গাড়ি থেকে নেমে টেনে নিধিকে নামালো।।

নিধি এক প্রকার রোবটের মতো ইমরেতের সাথে হাটছে..হাত ছুটাতে চাইলে,ইমরতের এক ধমক..

“সাহস দেখানোর ভুল করো না?”

মাহি দেখছে তার ছোটচাচ্চু কিভাবে তার নিধি ফুপিকে উপরে নিয়ে যাচ্ছে,সে তখন লিভিংরুমে রঙ পেন্সিল দিয়ে কাগজ কলমে কি আঁকছিলো।।

নিধির রুমে এসে নিধিকে সামনে দাড় করালো আয়নার সামনে ইমরেত।।

“এই যে এখানে তোমার অবস্থান..আর এখানেই থাকতে হবে তোমাকে..কানে গেছে??না গেলে ঢুকিয়ে নাও..হোস্টেলের সিট খুজা কিংবা অন্য জায়গাতে শিফট হওয়ার কথা মাথা থেকে বের করে ফেলো..আর মাইন্ড ইট আমার কথা খেলাপি করলে আমার নেক্সট অপারেশনের শিকার তুমি হবে?ইউ নো দ্যাট আই এম বেস্ট ইন দিস?” ইমরেত কিছু ত্যাড়া করে কথা গুলো বললো।।

“আর সব সো কলড ছেলে বন্ধুদের সাথে মিশা বন্ধ..আর কারো পাশে যদি বসতে দেখি অবস্থা খারাপ করতে জিরো সেকেন্ড ভাববো না আমি” ইমরেত কথাগুলো বলা শেষে নিধির বাম হাতে একটা কামড় দিয়ে চলে গেলো।।

নিধি হাত চেপে ধরে বললো,”আস্ত একটা সার্জার ডাক্তার রাক্ষস”

ইমরেত দরজা থেকে হালকা মুখ বের করে বললো,”অনলি ফর ইউ বেবি”

নিধি মুখে হাত দিলো সাথে সাথে..ইমরেত চোখ টিপ দিয়ে চলে গেলো।।

চলবে?

গল্প কেমন লাগছে জানাবেন!!ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।