Tuesday, July 15, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1912



psycho_is_back ? part_17

0

psycho_is_back ?
part_17
#apis_indica(suraiya_satther)

—–দাদু চাচুর এতো বড় দোষ তোমরা ক্ষমা করতে পাড়লে,, ওই বাচ্চা মেয়েটিকে মানতে দোষ কই?? আমি বুঝি না?? আর বড় আম্মু তুমি যদি দিব্যি সব ভুলে গিয়ে থাকো তো এত বছর কেন কথা বল না বড় আব্বুর সাথে?? বড় আব্বু যা করেছেন তার শাস্তি শুধু কুহু কেন পাচ্ছে?? জম্মের পর মা হাড়ায় মেয়েটি, তার বাবা থেকেও নেই??হুয়াই দাদু??

—–তুমি জানো না কেন??তুমি তো তখন এতটাও ছোট ছিল না এহসান,,।।

—-হুম ছিলাম না।।আমি নিজে যা দেখেছি, তাতে তো কুহুর কোনো দোষ ছিল না।।তাহলে কেন ওই মেয়েটির সাথে তোমরা এমন করছো।।ভুলে কেন যাচ্ছো তোমাদের বড় ছেলের অংশ সে?

—–হুম চাইছি ভুলতে।। ওই মেয়েকে দেখলেই আমার কায়নাতের কথা মনে পড়ে যায়।।সেই চোখ, সেই চেহারা, সেই চঞ্চলতা।। ওকে দেখলেই মনে পরে যা ওর মার জন্য আমার ছোট সংসারের সুখ শান্তি কিভাবে কেড়ে নিয়েছে তার মা কায়নাত।।

—–তো বড় আব্বুও এর জন্য কম দায়ি নই??

—– না নই।।তোর বড় আব্বুকে তার মা তার রূপের জালে ফাসিয়েছে।।শেষ করে দিয়েছে সব।।

—-বাহ দাদু বাহ।। এক হাতে তালি বাজে না তা তুমিও জানো আর আমিও।।তোমার ছেলে যে যেছে গেছে তা বল না কেন…!! তোমার ছেলেই তার কাছে গিয়েছিল,, সে তো আসে নি?? বলতে গেলে তার চরিত্রে দোষ ছিল….!!

—–এহসান…!! বলে ঠাস করে চড় মেরে দেয় তার বড় আম্মু।।

—-এতক্ষণ যা যা বলেছো,, সব শুনেছি, আসচ্ছি পর থেকে সেই মেয়েটিকে নিয়ে তোমার মাতামাতি দেখেই যাচ্ছি,,কিছু বলিনি….!! কিন্তু তাই বলে তুমি তোমার বড় আব্বুর চরিত্র নিয়ে কথা বলতে পারো না।। যা দোষ ছিল ওর মার,, আমি নিজে কায়নাতের কাছে গিয়েছি,, পায়ে পড়েছি,, বলেছি,, যেন দূরে সরে যায় ও আমাদের জিবন থেকে।। সে কি বলেছিল জানো?? বলেছিল পারবেনা।।তাকে আমি আমার তিন সন্তানের দোহাই দিয়েছি।।কিন্তু সে….!! তার রং দেখিয়ে গেছে।। ভাল হয়েছে মোরে গেছে।।নিশ্চয়ই জাহান্নামের আগুনে পুরছে।।

—–বড় আম্মু মানলাম কায়নাত আন্টির সব দোষ??তো কুহুর কি দোষ??তোমরা কেন মেনে নিচ্ছো না??

তখনি দাদু বলে উঠেন,,
—–কোনো জারজ, নাজায়েজ সন্তানকে আমরা কেন নাম দিব??আর তারতো কোনো প্রুভ ও নেই,, যে তোর বড় আব্বুর সন্তান??

—–দাদু তুমি এসব কি বলচ্ছো,,, তুমি নিজেও জানো কুহু বড় আব্বুর,,,।।

বাকিটা বলতে না দিয়ে বড় আম্মু বলে উঠে,,
—-ঠিক বলছে,, তোমার দাদু।। কায়নাতে চরিত্র ভালছিল না।। কুহু যে তোমার বড় আব্বুর সন্তান! তার কোনো গ্যারান্টি নেই।।আর এসব কথা এখানেই শেষ কর।। আর ওই মেয়ে একটা অশুভ আত্না ঠিক তার মার মতো।।সেও যখন আমাদের লাইফে আসে,,তখন সব শান্তি কেড়ে নেয়।।আর এখন এই মেয়ে এসেছে সব উলোট পালট করে দিয়েছে।।

—-দাদু, বড় মা তোমরা এতটা নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারো??একটা মেয়েকে এসব….!!

—–আর কিছু বলতে চাই না এহসান।।ঘুমুতে যাও।। আর কালকের পর যেন তোকে ওই মেয়েকে নিয়ে এত মাতামাতি না দেখি তাহলে তোর দাদু হারাবি।।

দাদুর ঘরে, দাদু, এহসান আর বড় আম্মু তাদের কথোপকথন চলছিল।।তখনি বাহিরে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ বাহিরে আসে এহসান,, দেখে কুহু দাড়িয়ে আছে,, সারা শরীর তার কাপচ্ছে,,সাথে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে অনর্গল।।হাতে থাকা পানির জগটি মাটিতে পড়ে ভেঙ্গে গেছে। এহসান যখনি কুহুকে ধরতে চায় কুহু দৌড়ে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে কাঁদতে লাগে।।

তখন আমায়রা আপি আমাকে খাইয়ে চলে গেলেন,,
তার সাথে অনেক কথাও হলো।।
উনি খুব ফ্রী মাইন্ডে।।

আপি যাওয়ার সময় তার ফোনটা আমার রুমে ভুলে রেখে চলে গেছেন।।যা ক্রমাগত বেজে চলেছে।।না পারতে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি স্ত্রিনে লাভ লিখা।।তাই ফোনটা নিয়ে রুম থেকে বাহিরে আসি।।সিঁড়ির কাছে এসে থমকে যাই।।তাই আড়ালে চলে যাই পিলারের।।

সকলেই ডিনার টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছেন।।
কি সুন্দর, হাসি ঠাট্টা করে কথা বলছেন, সেখানে একটি আন্টি তাদের খাবার দিচ্ছেন বেড়ে।।দাদু তাকে বড় বউ ডাকছেন।।হয়তো তিনি আমার মা??

সৎ মা বলতে কেন যেন মন সায় দিলোনা তাই মা বললাম।।মা তো মাই হয়! সে সৎ হত আর আসল।।মাকে দেখে সত্যি জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে।।তাকেও মা বলতে ইচ্ছা করছে।।পাশেই আমার বাবা বসা।।বাবর মুখেও হাসি, তৃপ্তির হাসি।।তার সম্পূর্ণ পরিবার তার সামনে হাসচ্ছে, খেলছে খুশিতো হবেই।।আমার খুব লোভ হচ্ছে।।সত্যি!! আমি যদি তাদের পরিবারের ছোট একটা অংশ হতে পারতাম।।তাদের এই খাবার টেবিলে আমার একটি জায়গা হতো??তাদের মনের কোনে আমাকে একটু ছোট জায়গা দিত???দিবে কি কখনো??

সবাই তানহাকে মুখু তুলে খাইয়ে দিছে।।সে নাকি আমার বোন,, তার পাশেই আমার বড় ভাই আয়মান, আর তার বউ আমায়রা আপি বসা।।আমায়রা আপি ভাইয়ার ওয়াইফ।।তাদের রিলেশনে বিয়ে।।কি সুন্দর হাসি খুশি ফ্যামিলি তারা।।

আর আমার কেউ নেই শুধু নানু মা ছাড়া।।ইসসস!! আমি তাদের ফ্যামিলির একটি অংশ হতে পারতাম।।এসব ভাবতে ভাবতেই ঘরের দিক যাচ্ছিলাম তখনি এহসান ভাইয়া আমাকে টেনে নিচে নিয়ে আসলেন সবার সামনে।।

তখন খাবার টেবিলে সবাই চুপ হয়ে গেলেন।।আমার নিজের কাছে তেমন জানি আন ইজি ফিল হচ্ছিল।।তাই চলে যেতে নেই।।কিন্তু এহসান ভাইয়া আমাকে চেয়ার টেনে বসিয়ে দেন।।তখন সাথে সাথে তানহা মেয়েটি দাড়িয়ে যায়!!

—-আম্মু আমার খাওয়া শেষ।। বলে গট গট করে চলে গেল।।কিছুক্ষণ পর আয়মান ভাইয়া,, এহসান ভাইয়ার বড় আম্মু, দাদু সবাই চলে গেলেন।।
টেবিলে শুধু দাদা, আমার বাবা, আর এহসান ভাইযা, তার আব্বু আম্মু রয়ে গেলেন।।তখনি দাদা আমার দিক তাকিয়ে বলতে লাগেন,,
—–এহসান কাজটা ভাল কর নি!! বলে তিনিও চলে গেলেন।।

আর বাবা একবার আমার দিক তাকিয়ে দাদার পিছনে চলে গেলেন।।
আমার এখন জানি কেমন লাগচ্ছে,,
সবাই আমার জন্য খাবার ছেড়ে চলে গেলেন,,
আমি কি এতি খারাপ,,,
কলিজা ছিড়ে যাচ্ছিল আমার।।
চোখে যেন কান্না আটকাতে পারছি না।।তাই দৌড়ে রুমে চলে আসলাম।।আর তখন ইউসুফ কল করে,,
চোখ মুখে ফোনটা রিসিব করতেই বলতে লাগেন,,
—-কি করছে আমার বাবুইপাখিটা??খেয়েছে সে??
—-হুম খেয়েছে!! আপনি খেয়েছেন??
—–হুম খেয়েছি।।তা কি করছে বাবুই??
—–কিছু না।।আপনি??
—–আমি তো আমার মো না লি সার সাথে কথা বলছি।।
আমি ফিক করে হেসে দিলাম।।
আর তিনি বলতে লাগেন,,
—-যাক আমার বাবুইপাখি হাসলো লাস্ট পর্যন্ত।।তোমার হাসির জন্য কতটা পাগল তুমি জানো না বাবুইপাখি।।
“তোমার ওই ঠোঁটের হাসিতে প্রতিবার হই কাতাল
তোমার ওই চোখের চাহনীতে ঘায়েল হই কতখানি,
তোমার ওই মন মাতানো শরীরের ঘ্রাণ টেনে আনে বার বার।।
তোমার ওই মিষ্টি হাসিতে মাতাল হয়েছি কত যে বার।।
তুমি যে আমার নেশা,তোমাতেই আমি মাতাল।।””

—–তাই নাকি??আজ আপনার কথা শুনে কবি কবি লাগচ্ছে।। একটু হেসে।।
—–কোনো এক মহাপুরুষ বলেছিল,, যখন মানুষের মনে প্রেম, ভালবাসার আবির্ভাব হয় তখন নাকি মানুষ কবি হয়ে যায়।।আর জানো যত কবি,, আছে তারা কেউ প্রেম, ভালবাসা, নয়ত ছেঁকা খেয়ে কবি হয়েছেন।।বুঝলা বাবুইপাখি।।

—–এতো ভাল কেন বাসেন??
—–তুমি যে বাসনা তাই!!বাবুইপাখি??আমাকে কি ভালবাসা যায় না??
—–আমি চুপ।। কি বলবো তারে??
—–আচ্ছা থাক বলতে হবে না।।আমিতো বাসি তাতেই চলবে।।

এভাবে অনেক রাত পর্যন্ত ইউসুফের সাথে কথা হয় আমার।।ধীরো দীরে সে আমাকে তার প্রতি আসক্ত করে তুলছে।।বেচারাকে আমিও যে ভালবেসে ফেলেছি??কিন্তু তাকে যে মুখ ফুঁটে বলতে পারছি না।।কিন্তু তিনি যে অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে।।আমার এই কথাটি শুনতে।।নাহ আর তাকে কষ্ট দিবো না।।তাকে এবার বলেই দিব।।সে আমার কাছে একজন ম্যাজিশিয়ান।। যে যাদুকে সব দুঃখ, কষ্ট গুঁজে দেয়,,মুহুর্তে আর হাসি ফুঁটিয়ে তোলে।।

এসব ভাবচ্ছি,, তখন পানি তৃষ্ণা পেলে।।তাই টেবিলের কাছে পানি নিতে যাই।।কিন্তু জগে পানি নেই।।তাই নিচে যাচ্ছিলাম পানি আনতে,, আর তখনি দাদুর ঘরের মধ্যে এহসান ভাইয়ার জোড় গলায় কথা শুনা গেল।।তখন তাদের নিজেদের ব্যাপার বলে চলে যেতেই নেই তখনি শুনতে পাই আমার মার কথা।।তাই না চাইতেও দাঁড়িয়ে যাই সেখানে।। আর যা শুনলাম।।তার জন্য মোটেও তৈরি ছিলাম না।।

সাথে সাথে আমার হাতে থাকা জগ টা মাটিতে পড়ে যায় আর দৌড়ে চলে যাই ঘরে।।এহসান ভাইয়া পিছন থেকে বার কয়েক ডাকলেন।।কিন্তু আমার যে দাড়িয়ে থাকার মত অবস্তা নেই।।আমি দরজা লাগিযে কাঁদতে লাগি।।এত দিন যা জানতাম সব ভুল সব।।আমি নাজায়েজ কথাটি বার বার যে কানে বাঁজতে লাগল।। আমি আজ চিতকার করে কাঁদচ্ছি।।আমার মাকে তারা খারাপ বলছে? আমার মার নাকি চরিত্র ভাল না।।

আমি এসব বিশ্বাস করি না।।কিন্তু আমি যে নাজায়েজ।। আর পারছি না সইতে।।মাথাটা কেমন জানি ঘুরছে।।চোখর সামনে সব ঘোলাটে লাগছে।। ধীরে ধীরে দেয়াল ধরে বিছানার পাশে বসলাম।।আর গা এলিয়ে দিলাম বিছানায়।।ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে আসলো।। চোখের সামনে সব আন্ধকার হয়ে উঠলো।।তার পর আর কিছু মনে নেই আমার।।

________________________________________________

psycho_is_back ? part_16

0

psycho_is_back ?
part_16
#apis_indica❤
দেখতে দেখতে এহসান ভাইয়ার এনগেজমেন্ট চলে আসে।। কাল ভাইয়ার এনগেজমেন্ট তাই তিনি আমাকে নিতে আসছেন,, কালকে তারা সবাই যাবেন ।।

তাদের কাজ থাকায় তারা যেতে পারেননি।।আন্টি মা আজ নানু মাকে চেক আপ করাতে নিয়ে যাবেন তাই তারাও যেতে পারছেন না।।কালকে যেহেতু শুক্রবার তাই সবাই যাবেন।।

কিন্তু নানু মা কেন জানি আমার যাওটা পছন্দ করলেন না।।বার কয়েক না করেও, আমার আর এহসান ভাইয়ার জোড়াজোড়িতে রাজি হয়ে গেলেন।।

সাইকোও আমাকে যেতে দিতে চাইছিল না।।তার অবশ্য কারণ ওই একটা নুহা আপির সেই দিনের সেই কথা ধরে বসে আছেন।।সত্যিই যদি তার ভাইয়ের জন্য আমাকে নিয়ে যায়।।

তা ভেবে অস্থির তিনি।।তখন আন্টি মা তাকে বুঝান ।। আর এহসান ভাইয়াও আসাস দেন, যে আমাকে যেভাবে নিয়ে যাচ্ছেন সেভাবে দিয়ে যাবেন।।তাই যেতে দিচ্ছেন।।আমি খুব খুশি ভাইয়ার সাথে যাচ্ছি বলে।।

আবার এটা ভেবেও কষ্ট হচ্ছে বাবা নামক প্রানীটির সাথে হয়তো দেখা হবে।।আর দেখা হলেই কি সে তো আর আমাকে চিনবেও না।।তাও তাকে একটি বার দেখতে চাই।।
হাহহহ।।।দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে আসলো আমার।।

এহসান ভাইয়ার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছি।।বলতে গেলে এটিতো আমার ও বাসা কিন্তু…..আমার বলার অধিকার আমার নেই।।বাড়িটি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।।এ বাড়িতে আমি আজ প্রথম পা দিয়েছি।।শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি।।কারণ ভাই, চাচ্চু-চাচী আম্মু সবাই আমাদের বাসায় যেতেন।।

নানু মা কখনো তাদের এখানে আসতে দিতেন না।।চাচ্চু আর চাচী আম্মু অনেক ভাল আমাকে অনেক আদর করেন।।প্রতি বার আমার বার্থ ডে তে গাড়ি ভর্তি করে গিফ্ট পাঠান তারা।এহসান ভাইয়া অনেক কষ্টে ফলে আমি এ বাড়িতে এসেছি।।

সত্যিই খুব সুন্দর।। এহসান ভাইয়াদের জয়েন ফ্যামিলি হলেও আলাদা থাকেন মানে তারা সবাই বাংলাদেশের বাহিরে থাকেন।।যখন ঈদ বা কোনো অনুষ্ঠানে একত্রিত হন তারা।।যেমনি আজ হচ্ছে।। দু ভাই এক সাথে এবাসায় থাকেন।।শুনেছি আমার দাদু-দাদা ও আছেন তারা নাকি আমার বাবা নামক প্রানীটির সাথে বাহিরে থাকেন।।কিন্তু তারাও আমাকে মানতে নারায।।

বাসার ভিতর ঢুকতেই চাচী আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।।আর কান্না করতে লাগলেন।।আমি জড়িয়ে ধরলাম।।
—-কেমন আছো চাচি আম্মু??একটু হেসে বললাম।।
চাচি আম্মু আমার থুতনিতে তার ডান দিয়ে ধরে বলতে লাগলেন,,
—–আলহামদুলিল্লাহ আম্মু,,!! তুই কেমন আছিস?? কেমন শুকিয়ে গিয়েছিস?? ঠিক মতো খাস না তুই তাই না??
—-না না চাচি আম্মু খাইতো।।আর কই শুকিয়েছি?? দেখ সেই গুলুমুলু আছি।। আরো ২ কেজি ওজন বেড়েছে আমার।।
চাচি আম্মু হাসতে লাগেন আমার কথায়।।তারপর আমাদের গেষ্ট রুমে নিয়ে যান।।

আমি ফ্রেস হয়ে বসে আছি, যেহেতু এবাড়িতে কাউকে তেমন চিনি না,, তাই আর কি বসে বসে ফোন চাপছি।।তখনি কত গুলো মেয়ে দৌড়ে বাহিরে গেল।।কারা যেন এসেছে বিদেশ থেকে দেখার জন্য।।আমি রুমের বারান্ধা দিয়ে উঁকি দিলাম।।

একটি গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করলো।।তা থেকে নেমে আসলো অতি ফর্সা আর অতি লম্বা একটি ছেলে, তার সাথে একটি মেয়ে সেও অনেক রূপবতী,, যার কমোড়ে একটি হাত ছেলের ধরে বাড়ির বাহিরে দাড়িয়ে আছে।।

তারপর আরেকটি গাড়ি প্রবেশ করলো,, তা থেকে নেমে এসে তাদের পিছনে দাঁড়াল খুব সুন্দর বৃদ্ধা, বৃদ্ধ, পড়নে তাদের মেচিং পোষাক।।বৃদ্ধা মহিলাটির পড়নে অতি সাধারণের মাঝে অসাধারণ একটি শাড়ি,,লোকটির গায়ে সেই শাড়ির কালাড়ের একটি সুট।।উনাদের দেখেই বুঝাচ্ছে যৌবন কালে নির্ঘাত তারা অনেক যুবক যুবতীর মরণের কারণ হয়েছেন।।এখনোতো স্মার্ট কম না।।

তারপর পর আরেকটি গাড়ি ঢুকলো,, সেখান থেকে নেমে আসলেন,,মধ্য বয়স্ক নারী-পুরুশ।।তারাও খুব সুন্দর।।কিন্তু মধ্যবয়সী লোকটিকে দেখে খুব চিনা চিনা লাগচ্ছে বাট মনে পরছে না কে সে?? বা কই দেখছি।।

তাকিয়ে দেখলাম চাচি আম্মু বাটি জাতিয় কিছু একটা বাহিরে নিয়ে বের হলেন।।যা থেকে আগুন বের হচাছে।।তারপর সেই ছেলে মেয়েদের সামনে ঘুড়িয়ে সেই আগুনে কিছু ছেড়ে দিলেন।। যা পট পট করে ফুটতে লাগলো।।তারপর তাদের জড়িয়ে ধরলেন।।তারাও ধরলো।।

তারপর পিছনের সেই বৃদ্ধ,বৃদ্ধাকে সালাম করলেন পা ধরে।। একে একে সবাই ভিতরে ঢুকে গেলেন।।তার কিছুক্ষন পর আরেকটি গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করে।।সেখান থেকে আমার বয়সী একজন বের হয় দৌড়ে চাচি আম্মুর সামনে এসে হাপাতে হাপাতে বলতে লাগে,,
—-ছোট মা আমি কি দোষ করেছি??ভুলে গেলে আমায়।।
—-নারে তোরে কেমনে ভুলি।।তুইতো আমার সোনা মা।। আদুরী সুরে বলে যেই কাজ ওই ছেলে মেয়েটির সাথে আগুন দিয়ে করেছে,, সেই কাজটি তার সাথেও করলো।।

পরে বুঝলাম তিনি নজর উঠানোর জন্য এমন করলেন।।তারপর ঘরে চলে আসলাম,, আর মনে করতে লাগলাম ওই লোকটিকে কই দেখেছি।।

কিছুক্ষণ পর ঘরে আমার বয়সি একটি মেয়ে আসে।।
—-হেই!! হায়…আম সারা।।হাত বাড়িয়ে বলল।।
—–হ্যালো….!! আমি কায়নাত কুহু..!! আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম তার দিকে।।
—-আমি এহসান ভাইয়ার খালাতো বোন।।ভাইয়া আমাকে তোমার কাছে আসতে বললেন।।তুমি এখানে নিশ্চয়ই কাউকে চিন না??
—–হুম।।
—–আচ্ছা চল, ভাইয়া তোমাকে নিচে যেতে বলেছে।।
—-কিন্তু…!!
—-আরে চলো না।। আমি যানি বোরিং লাগচ্ছে তোমার।।চল বলে টানতে টানতে নিচে নিয়ে আসলো।।

নিচে সেই বিদেশ থেকে আগমনকারীদের আপ্যায়ন চলছে।।এদিকে আমার ক্ষুদা পাইসে খুব।।আমি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামচ্ছি।।সারা আমার হাত ধরে রাখছে।।নিচে নামতেই হঠাৎ করে সারার ডাক পরে।।
—-তুমি একটু দাড়াও আমি আসচ্ছি।।
আমি মাথা নাড়াই।।

এদিকে সবাই হলে বসা, তাদের হলটা অনেক বড় আর সুন্দর।।কিন্তু পরিচিত মুখ দেখতে পাচ্ছি না।।সারার আসতেও লেট হচ্ছে তাই খুঁজতে লাগলাম তাকে।।তখনি কারও সাথে ধাক্কা লাগে,,,
—-আর ইউ ব্লাইন্ড…!! চেচিয়ে বলল সামনের ব্যক্তিটি।।তাকিয়ে দেখি লাস্টে আসা সেই মেয়েটি।।
—–সরি আমি দেখিনি??
—–চোখ কঁপালে নিয়ে হাটলে দেখবে কিভাবে?? বাই দ্যা রাস্তা,,হু আর ইউ??তোমাকে ঠিক চিন্তে পারলাম না???
—-আমি কুহু…!! এহসান ভাইয়ার বোন…!!
—-ওহো…!!কিন্তু তোমাকে আমার খুব চেনা চেনা লাগচ্ছে??আমাদের কি আগে কখনো কথা হয়েছে??
—–নাহ।। আমি তো আজ ফার্স্ট আসলাম।।
—–ওহো!!
তখনি সেই বৃদ্ধা আসে আর বলতে লাগেন,,,
—–তানহা… রুমে যাও বাচ্চা, ফ্রেশ হয়ে নাও।।
তানহা মাথা নাড়িয়ে চলে গেল।।
তখনি মহিলাটি আমার দিকে চোখ পাকিয়ে বলতে লাগে,,,
—-তুই এখানে কি করিস…!!
আমি কিছু বুঝলাম না আশপাশ ভাল করে দেখলাম তখনি বৃদ্ধা মহিলাটি বলে উঠে,,
—-এদিক ওদিক কি উঁকিঝুঁকি করছিস…হুম..!!তোকে বলছি আমি??তুই আমার বাসায় কি করছিস….!!!
এক পর্যায় চেঁচিয়ে বলল কথা গুলো।।আমি সাথে সাথে কেঁপে উঠলাম।।আর হলে উপস্তিত সবাই চুপ করে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।।
আর আমি হাত মুচড়াচ্ছি।।বুঝতে পারচ্ছি না উনি এমন কেন করছেন।।তখনি চাচী আম্মু দৌড়ে আমার কাছে আসে আর বলতে লাগে,,
—–কি হয়েছে মা??
তখনও বৃদ্ধা মহিলাটি সেই আগের মতো চিল্লিয়ে বলল,
—-ওই এখানে কেন বউ মা??
—–মা আমি আনিয়েছি ওকে,, এহসানের বিয়ে আর সবাই উপস্তিত যদি কুহু না থাকে কেমন দেখায় না??
—–কেন দেখাবে হুম?? কি পরিচয়ে আনিয়েছো ওকে??মানুষ জিগাসা করলে কি উওর দিবে…!!আর তুই!! (আমার দিক আঙ্গুল তুলে) তোর এই নাপাক কদমই কিভাবে ফাল্লি আমার বাসয়…!!তোর মা এসে আমাদের জিবনটা তছনছ করে চলে গেছে,,এখন তুই চলে এসেছিস…!!
—–মা আপনি কি বলছেন এ সব…!! ও ছোট মানুষ এখানে আসতেও চাইনি আর আপনাদের ও চেনেও না..!! শুধু শুধু কথা শুনাচ্ছেন কেন??বৃদ্ধাকে কিছু বলতে না দিয়ে চাচি আম্মু বলতে লাগেন এসব।।
বৃদ্ধা চুপ হয়ে গেলেন।।আর আমি কিছু বুঝতে পারছি ও না।।কি হচ্ছে না হচ্ছে।।আর এই মহিলাই আমাকে এসব কেন বলছে।।আমার মাকে নিয়েও কথা বলছেন।।কষ্ট দুঃখে চোখ দিয়ে টপ টপ পানি পড়তে লাগেন।।তখনি এহসান ভাইয়া এসে বলতে লাগেন,,
—-আর একটা না দাদু,, অনেক বলেছো।।ও আমার বোন আমি ওকে এনেছি…!!ওকে যদি আর একটা কথা বল তাহলে আমি এখন এই মুহুর্তে বাসা থেকে বের হয়ে যাবো।।
বৃদ্ধাও যেন দমবার নয়।।
—–দেখলি তোর জন্য আজ আমার নাতি যে চোখ তুলে কথা বলতো না সে আমাকে হুমকি দিচ্ছে।।তোর কখনো ভাল হবে না।।তখনি সেই ফর্শা ছেলেটি এসে বলতে লাগে,,
—-দাদু কি হচ্ছে চিল্লাচ্ছো কেন??
—-চিল্লাবো না?? যে কাল সাপের জন্য আমাদের সংসারটা তছনছ হয়েছিল….তার মেয়ে এসে হাজির।।এঁকে যেতে বল আমার সামনে থেকে।।এখনি বের হতে বল এ বাড়ি থেকে।।
—-নাহ দাদু কুহু কোথাও যাবে না।।গেলে আমিও চলে যাবো ওের সাথে।।এহসান ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বললাম।।তখনে আমার কান্নার বেগ বাড়তে লাগলো।।
দাদু কিড়মিড় করে বলতে লাগেন,,
—–তোকে আমি দেখে নিব।।বলে তার রুমে চলে গেলেন।।আর সেই ছেলেটি বলতে লাগে,,,
—–তুই তো সব জানিস তাহলে ওকে এখানে কেন আনলি।।কাজটি ভাল করিস নি।।
—–আয়মান ভাইয়া,, তুমিও এমন বলছো?? ওতো তোমার ও….!!
বাকি কথা বলার আগেই আয়মান এহসানকে থামিয়ে দেয়।।আর সে বলে উঠে,,
—-ও মার কেউ না।।বুঝতে পেরিস??
বলে গট গট করে চলে গেল।।তখনি আরেকটি মেয়ে আসে,, যাকে আয়মানের সাথে দেখেছিল তখন।।মেয়েটি এগিয়ে এসে বলতে লাগে,,
—–ভাইয়া ওকে আমি রুমে দিয়ে আসি,,তুই যদি কিছু মনে না করিস তো।।
—-কি মনে করবো,, ওতো তোর ও বোন।।

মেয়েটি আমাকে আমার রুমে নিয়ে আসে আর বলতে লাগে,,
—-কুহু কেঁদ না।।
—-আপনি আমার নাম জানেন?
—-হুম।। জানি।।আমি তোমার ফুপাতো বোন আমার নাম আমায়রা।।
—-আমার ফুপাতো বোন ও আছে??আমি তো জানতাম কেউ নেই আমার।।
—-কে বলছে নেই??আমরা সবাই আছি তো।।আচ্ছা আর কথা না।।চুপচাপ বসো আমি।। তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসচ্ছি।।ওকে।।
আমি মাথা নাড়ালাম।।এ বাসায় এ প্রথম তিনি ছাড়া আর কেউ ভালভাবে কথা বলেন নি।।

আমার অনেক কান্না পাচ্ছে।।
দাদু কেন এতো কথা বললেন আমায়,, আমি কি এমন করেছি।। বা আমার মা কি করেছিলেন।।যে তিনি এতো রাগ আমাদের উপর।।আর আমিতো জানতাম আমার মা মারা যাওয়ার পর বাবা আমাকে ছেড়ে চলে যান।।আমি তো জানতামি না আমার একটি পরিবার ও আছে।।এহসান ভাইয়া, চাচ্চু কেউ কিছু বলেন ও নি।।আর তার কেন আমাকে এত ঘৃণা করেন।।

খুব খারাপ লাগছে।।কারো সাথে কথা বললেও হয়তো ভাল লাগতো।।ফোনটা হাতে নিলাম আর কল করলাম ইউসুফ ভাইয়াকে।।কেন জানি মনে হলো তার সাথে এখন কথা বললেই হয়তো আমার দুঃখ কষ্ট গুলো দূর হবে।।
ফোনে দু বার রিং বাজতেই ফোন তুলল ইউসুফ।।
—-বাবুইপাখি আম শকড।।তুমি আমাকে কল করলে?? মিস করছিলে বুঝি।।
আমি আনমনেই বললাম,,
—-হুম।।
—-বাবুইপাখি তোর কি মন খারাপ??
—-না।।
—-তাহলে এমন কেন লাগছে তোর কন্ঠ।।
—-ঠান্ডা লেগেছে ভাইয়া।।
—-তুই কেঁদেছিস তাই না??
আমি চুপ।।
—-আমাকে বল বাবুইপাখি কি হয়েছে?
আমি এবার কেঁদে দিলাম।।আর পারছি না।।তিনি ওপাশ থেকে অনেক বুঝাচ্ছেন।।
—–বাবুই তুই যদি না বলিস কি হয়েছে আমি কিন্তু এখনি নিতে আসবো তকে।।
আমি অনেক কষ্টে নিজেকে শান্ত করলাম।।
—-নাহ ভাইয়া কিছু হয় নি,, নানু মাকে ছাড়া কখনো থাকিনি তো তাই কান্না পাচ্ছে খুব।।
—-দূর পাগলী কাঁদিস না কালতো আমরা আসচ্ছি।।আচ্ছা শোন বাবুইপাখি তোর জন্য একটি সারপ্রাইজ আছে।।
—-কি ভাইয়া??
—-বললে তো শেষ বাবুন।।খেয়েছিস কিছু??
—-উহুম।
—-কেন??
—-সবার সাথে খাবো।।
—-ওকে।।সবাই তোর সাথে ভাল ব্যবহার করছে তো বাবুন।।
আমি চমকে গেলাম।।ভাইয়া কিছু বুঝে গেল নাতো।।আমি আমতা আমতা করে বললাম,,,
—–হে ভাইয়া।।
—–তাহলে সত্যি করে বল কাঁদছিস কেন??
—–মার কথা খুব মনে পড়ছে তাই।।
—–আচ্ছা শোন তুই কই এখন??
—–বারান্ধায়।।
—–আমিও।। দেখ বাহিরে কত সুন্দর চাঁদ।।
—–হুম।।
—–ঠিক সেই দিনের মতো তাই না।।
আমি সেদিনের কথা মনে করে লাল নীল হতে লাগলাম লজ্জায়।।ভাইয়া ওপাশ থেকে হাসতে লাগলেন।।
—–ইসস আমার বাবুই কি লজ্জাটা না পাচ্ছে।।সামনে থাকলে তোর সেই লাল লাল গাল গুলোতে আমার ঠোঁট দিয়ে ছুঁয়ে দিতাম।।
আমি চুপ লজ্জায় আমি শেষ।।আমার পরান পাখি যায় যায়।।
ভাইয়া বলতে লাগে,,
—-হইছে আর লজ্জা পেতে হবে না।।যা খেয়ে নে রাতে আমি কল দিব।।আজ সারারাত কথা বলবো।।ঠিকাছে??
—-আচ্ছা বলে কল কেঁটে দিলাম।।তখনি আমায়রা এসে ঢুকে খাবারের প্লেট নিয়ে।। আর বলতে লাগে,,

চলবে?
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।। ❤
মনে হচ্ছে স্টোরিটা পছন্দ হচ্ছেনা আপনাদের?।।
শেষ করে দিব তাহলে তাড়াতাড়ি।।?

psycho_is_back? 15 extra_part ??

0

psycho_is_back?
extra_part ??
#apis_indica❤

Chehre mein tere
Khud ko main dhoondhun
Aankhon ke darmiyaan
Tu ab hai iss tarah
Khwabon ko bhi jagah na mile

Yeh mausam ki baarish
Yeh baarish ka paani
Yeh paani ki boondein
Tujhe hi toh dhoondhe
Yeh dilne ki khwahish
Yeh khwahish puraani
Ho poori tujhi se
Meri yeh kahaani
গানটি যেন মুহুর্তে সুন্দর একটি পরিবেশ করে তুলল।।গানের সাথে সাথে বাহিরের বৃষ্টি অনুভব করছিলাম।।আজকে কাটানো রাতটি ভাবতে লাগলাম।।সত্যি উনি না থাকলো এমন সুন্দর একটি রাত উপভোগ করতে পারতাম না।।

ইউসুফ ড্রাইভ করছে আর আড় চোখে বার বার তার বাবুইপাখিকে দেখছে।।
—-বাবুইপাখি…!! তোর মুখে এই হাসিটি সব সময় রাখবি।।তোর হাসিটি খুব সুন্দর।।বলল ইউসুফ।।
ভাইয়ার কথায় আমি শুধু একটি মিষ্টি হাসি দিলাম।।

গাড়িটি একটি সাইডে রেখেছে ভাইয়া।।বাহিরে বৃষ্টির বেগ আরো বেড়েছে।।সাথে ঠান্ডাও লাগচ্ছে অনেক।।ঘুমও পাচ্ছে।।
—-বাবুই পিছনের সিটে যে ঘুমিয়ে পর,,যতখন বৃষ্টির বেগ না কমছে গাড়ি ড্রাইভ করা রিস্কি।।
আমি মাথা নাড়িয়ে পিছনে চলে আসলাম।।আর শুয়ে পড়লাম।।ভাইয়াও ক্লান্ত তাই তাকেও বললাম পিছনে চলে আসতে।।প্রথমে না করলেও পরে চলে আসেন।।ভাইয়া গাড়ির সিট গুলো হেলিয়ে দিলেন।।এতে আরো শুতে আরাম লাগচ্ছে।।

ভাইয়া ও পাশ ফিরে ঘুমিয়েছেন আর আর এ পাশ ফিরে।।এভাবে ঘুমানোর অভ্যাস আমার নেই।।তাই এ পাশ ও পাশ করে লাগলাম।।তখন ভাইয়া আমাকে এমন করতে দেখে এ পাশ ঘুরে বলতে লাগে,,,
—–কি হয়েছে বাবুইপাখি?? এমন করছো কেন??
—-আমি এভাবে ঘুমতে পারছি না।।আমার অভ্যাস নেই।।
তখনি ভাইয়া আমাকে টান দিয়ে তার সাথে মিশেয়ে নেয় তার বুকের সাথে।।আমি স্পষ্ট ভাইয়ার বুকের বা পাশের সেই ধুকপুকানি আওয়াজ শুন্তে পাচ্ছি।।এখন যেন এক অন্য রকম ভাললাগার ফিলিংস আসচ্ছে।।তার সাথে তার শরীরের সেই মন মাতানো ঘ্রাণ।। কিছুক্ষণ ওভাবে থাকার পর যখন তার থেকে সরে আসতে চাই।। তিনি তখন আমাকে আরো শক্ত করে তার সাথে চেপে ধরে বলতে লাগেন,,,
—-বাবুই পাখি আর নড়িস না।।নয়তো বৃষ্টির মাঝে বাহিরে বের করে দিবো।।আর বাহিরে এখন অনেক জন্তু জানোয়ারের সাথে ভূত-প্রেতের উপদ্রবে ভয় আছে।।পরে আমাকে দোষ দিসনা।।
তার কথায় আমার হতবাক।।এ অবস্থায় কেউ এমন হুমকি দেয়।।তাই উপায় না পেয়ে আর সরতে চাইলাম না।।তা দেখে ভাইয়া আমার মাথা তার বুকের সাথে চেপে তার এক পা আমার উপর তুলে দিলেন,, যে আমি তার কোলবালিশ।। আমারো ঘুম পাচ্ছিল তাই তার বুকে গুটিশুটি মেরে শুয়ে রইলাম।।।

ফোনের আওয়াজে ঘুমটা ভেঙে গেল।। চোখ পিটপিট করে খুলে দেখি আমি ব্ল্যাঙ্কেটের নিচে।।আরো ভাল করে তাকিয়ে দেখি আমি আমার রুমে।।সাথে সাথে উঠে বসলাম।।
—-আমি তো গাড়িতে ভাইয়ার বুকে ছিলাম।। তাহলে এখানে??
এসব ভাবচ্ছি।।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১২ টা বাজে।।এতক্ষণ ঘুমিয়েছি।।কেউ ডাকি নি।।গতো রাতের কথা মনে হতেই মনের মাঝে খুশির মেলা বসে গেল।।
—–ইসসস!!রাতটা যদি না শেষ হতো।।
তখনি হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ আসলো।। ফোনের সাথে সাথে টুং করে শব্দ হলো।।ফোন টা হাতে নি আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি।।কাল রাতের কাটানো প্রতিটি মুহুর্তের ছবি সাইকো তার ফোন থেকে পাঠিয়েছে।।কি সুন্দর লাছে।।কিন্তু এগুলো তুলল কখন।।ছবি গুলোর সাথে একটি মেসেজ আসে,,
বাবুই পাখি আই হোপ ইউ লাইক দ্যা পিকচারস দিস ইজ দা স্মল গিফট ফরম মি, টু
একোম্পানি মি টুমোরো ❤❤

তার মেসেজ দেখে আমার মুখে আলাদা একটি লাল লাল অাভা ভেসে উঠলো আমার গাল দুটো।। ব্লাশিং করতে লাগলাম।।থ্যাংকস তো তাকে আমার দেওয়ার কথা।। এত সুন্দর একটি রাত উপহার দিয়েছেন তিনি।। আর উল্টো তিনি আমাকে থ্যাঙ্কস দিচ্ছেন।।

তাই আমি তাকে থ্যাঙ্কস জানালাম টেক্সট করে।।
আর পিক গুলো এফবিতে আপলোড দিলাম।।

সেদিনের পর তিনি আরো অবাক অবাক কান্ড করতেন।।প্রতিদিন আমার জন্য চকলেট আইসক্রিম এগুলো নিয়ে আসতেন।। সাথে থাকতো একগুচ্ছ গোলাপ।।নিজেকে তখন স্পেশাল মনে হতো।।তার মাঝে তিনি হুট করে আমাকে জড়িয়ে ধরেন,কখনো কখনো আমার গালে কঁপালে শব্দ করে চুমি খান।।

একদিন উনি নানুমার সাথে কথায় কথায় জানতে পারেন, আমার মাছের চোখ খুব ভাল লাগে খেতে।। তার পরের দিন তিনি বাসার কাজের লোকে সাথে করে নিয়ে অনেক বড় বড় মাছ নিয়ে আসলেন ৭/৮ টা।।যেহেতু উনি যেহেতু তিনি প্রথম প্রথম বাজারে যান তো অনেক দাম দিয়ে মাছ কিনে নিয়ে আসেন সেদিন।।আর সব গুলো মাছের মাথা রান্না করান নিজে দাড়িয়ে থেকে এবঙ আমাকে টেবিলে বসিয়ে প্রতিটি মাথা থেকে মাছের চোখ বেছে বেছে আমাকে তার সামনে বসিয়ে খাইয়ে ছিলেন।।নানু মা, আর আন্টিমাতো অবাক তার এমন কাজে।।আমিতো লজ্জায় শেষ।।এভাবেই দিন গুলো কাঁটছিল আমার।।তিনি এভাবেই কেয়ার করতে লাগলেন।।তার জন্য আমার মনে ধীরে ধীরে কিছু অনুভূতির জন্ম নিতে লাগলেন যার নাম দিতে পারতিস না।। এঁকেই কী ভালোবাসা বলে???তাহলে কি আমি না চাইতো তাকে ভালোবেসে ফেলেছি???এসব যখন ভাবি তখনি আমার কেমন লাল লাল হয়ে যায়, আর আমি লজ্জা মিশ্রিত স্মাইল দিতে থাকি?? কিন্তু কেন আমার কিছু জানা নেই।।???

চলবে,,,
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।
এক্সট্রা পাট দিয়েছি, তাই বলে কালকে দিবো না স্টোরি তা কিন্তু না।।কালকেও দিবো ??।।তারপরেও আপনরা কইবেন,, আমি তো ভাল না,, ? ঠিক আছে আমি তো ভালা না আপনারা ভালা লইয়া থাকেন।।?

psycho_is_back? part_15

0

psycho_is_back?
part_15
#apis_indica❤

দিন গুলো ভালই যাচ্ছিল।।
একদিনে ইউসুফ ভাইয়া ও অনেক পাল্টে গেছে,আগের মতো নেই।।আগে কথায় কথায় কপাট রাগ দেখাতো কিন্তু এখন তার সেই রাগটি নেই।।।

তার মাঝে অনেক পরিবর্ত ও হয়েছে ।।
একদিনে তার সাথে আমার ভাল বন্ধুত্ব হয়ে উঠে,,।।তিনি মাঝে মধ্য রাতের বেলা আমাকে নিয়ে ঘুড়তে যায়।।যেমন –পরশুদিন দিন আমাকে নিয়ে মধ্যরাতে চন্দ্রবিলাস করতে গেছেন।।

সেই রাতটা ছিল আমার কাছে বেষ্ট।।সেদিন ছিল আমার আম্মুর মৃত্যুবার্ষিকী।। সারাটা দিন আমার মনটা অনেক খারাপ ছিল।।সেদিন ফকির খাওয়ানো হয় বাসায়।।সাথে মিলাদও পড়ানো হয়।।সারা দিন কেঁদে কেঁটে আমার নাক মুখ ফুলিয়ে ফেলেছি।।নানুমারও একি হাল।।

খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ করতে করতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়।। সেদিন ইউসুফ ভাইয়া সারাদিন বাসায় ছিল না।।দেশের বাহির থেকে তার ক্লায়েন্ট আশায় তিনি মিটিং ব্যাস্ত ছিলেন।।

সন্ধে বাসায় আসে।।আর আমাকে ও অবস্থায় দেখে তিনি আমার রুমে আসেন।।আর ভাল মন্দ জিগাসা করতে লাগেন।।কথার এক পর্যায় তিনি বলে উঠেন,,

—-বাবুই পাখি একটা জায়গায় যাবি??
—-কই??
—-উম,,,এখন বলবো না…!!রাতে রেডি থাকিস..!!

আমি মাথা নাড়ালাম যে হ্যাঁ রেডি থাকবো।। তিনি আমার চুলে হাত বুলিয়ে, মুচকি হেসে চলে গেলেন।।

রাত তখন ১২ টা বেজে ৩৪।। ভাইয়ার আসার খবর নেই,,,আমি রেডি হয়ে বসে বসে ঝিমুচ্ছিলাম।।তখনি দরজায় কড়া নাড়ে কেউ।। আমি দরজা খুলে দেখি ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে বাইরে।। ভাইয়াকে খুব সুন্দর লাগচ্ছে।।তিনি ফুল ব্ল্যাক পড়েছেন।।যাতে আরো অস্থির লাগছে।। ভাইয়াকে দেখে প্রতিবারের মতো আবার ক্রাশ খেলাম।।

আজকে ভাইয়া বাইক নেননি।। গাড়ি নিয়েছেন।।গাড়ি সেই ঘন্টাখানিকের মতো চলছে।।

—-ভাইয়া আমরা কথায় যাচ্ছি??
—-সারপ্রাইজ।। মুচিকে হেসে বলল ইউসুফ।।

গাড়ি আরো কিছুক্ষন চলার পর একটি উঁচু জায়গায় এসে থামলো।।যেখান থেকে পুরো ঘুমন্ত শহরটা দেখা যাচ্ছিল।।চারিদিক নানা রঙ্গের লাইট জ্বলছিল।। তার সাথে সাপের মতো পেঁচানো রাস্তা গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ পর পর একটা দুটো গাড়ির আনাগোনা চলচ্ছে।।সব চেয়ে বেশী আকর্ষণ করছে আকাশের সেই এক চিলতে চাঁদটুকু।।এই উঁচু টিলায় কোনো লাইট নেই।।কিন্তু সেই চাঁদের আলোয় সবটুকু জায়গায় জুড়ে চকচক করছে।।আকেশের চাঁদকে সেই তারা গুলো যেন সঙ্গ দিচ্ছে।। আমি উঁচু জায়গাটার মাঝে দাড়িয়ে সব পর্যবেক্ষণ করছিলাম।।তখনি ইউসুফ ভাইয়া গাড়ির পিছন থেকে একটা পাটি এনে বিছিয়ে সটান করে শুয়ে পরলেন তার দু হাত মাথার নিচে গুঁজে।। আমি অবাক চোখে হাসি দিয়ে বললাম,,

—-কি করছেন কি ভাইয়া??আশেপাশে কত পোকামাকড় থাকতে পারে।। আর আপনি মাটি শুয়ে পড়লেন??
—–কিছু কিছু জিনিস উপভোগ করতে অনেক সময় অনেক কিছু মানতে হয় না,,আবার অনেক নিয়ম ভাঙ্গতেও হয়।।এই চন্দ্রিমাতে পোকা-মাকড় ও তার সঙ্গীর সাথে ব্যাস্ত।। তারা আসবে না এখানে বাবুই পাখি।।এখানে শুয়ে দেখ মনে হবে তুই আকাশটাকে নিজের হাতে ছুঁতে পারবি।আকাশের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলল।।
—-ওকে….!! আমি ভয়ে ভয়ে তার পাশে বসলাম।।তখনি ভাইয়া আমাকে টান দিয়ে তার সাথে মিশেয়ে নিলেন।।এবং তার বুকের সাথে চেঁপে ধরেন।।
—-দেখ এখন বাবুই পাখি।।কত সুন্দর লাগছে আকাশ টা।।

ইউসুফ ভাইয়ার এমন কাজে যেমন আমি অবাক তার থেকে বেশী লজ্জা লজ্জা লাগছে।।কিন্তু খুব ভালও লাগছে।।

এভাবেই কেঁটে যায় কিছুক্ষণ ইউসুফের হাতে মাথা রেখে তাকিয়ে আছি মাথার উপর এই বিশাল আকাশের দিকে।। দুজনের মধ্যে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে।।

নিরবতা ভেঙ্গে ইউসুফ ভাইয়া বলে উঠে,,
—-বাবুই পাখি? দেখ আকাশের তারা গুলো দিয়ে আমরা নানার রকম আকৃতি বানাতে পারি!!
—–হুম…!! কিন্তু কিভাবে ভাইয়া??
ইউসুফ ভাইয়া তার ডান হাত উঁচু করে নানান রকম ভাবে দাগ টানার মতো করে বললেন,,,
—-এইভাবে দেখ??

বলে তিনি কখনো ফুল, কখনো ফল,, কখন মানুষ,,কখনো কার্টুন তৈরি করে চলেছেন তিনি।।আমিতো এসব দেখে হেসে কুটকুট হচ্ছি।।সারাদিনের বিষণ্ণতার ছাপ যেন একেবারেই মুছে গেছে আমার।।আমি খিলখিল করে হেসে যাচ্ছি।।আর ইউসুফ ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে আছে পলকহীন ভাবে।।ঠোঁটে তার সেই মারাত্মক হাসি।।যেটি দেখে হাজার বার মেয়েরা প্রেমে পড়তে রাজি।।কিন্তু আমি চাইলেও তা পারবো না!!কারণ একটি, সে যে আমার ভাইয়া,,তার থেকে বড় করণ আমি আর প্রেম করতেই চাইনা,, শুধু ভালবাসতে চাই।।কিন্তু কেন যানি ভাইয়াকে দেখলে তার প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হয়।।তখনি এই গানটি মনে পড়ে যায়..!!
,,””” প্রেমে পড়া বারণ
কারণে অকারণ,
আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ।

এদিকে ইউসুফ তার কাতিলানা নিগাহে দিয়ে দেখে যাচ্ছি তার বাবুইকে।।সারাদিন কেঁদে কেঁটে মুখের ১২ টা বাজিয়ে ছিল তার।।তাই নিয়ে এসেছি তোমাকে বাবুই পাখি।।তোমার এই হাসি মুখটি যে দেখলে আমার বুকের যে শান্তি অনুভব হয়।।বুঝাতে পারবো না।।তোমার এই মাসুম চেহেরা দেখেই তো প্রথম দিন ভালবেসে ফেলি।।আমি চাইনা বাবুই পাখি তুমি আমাকে আবার ভুল বুঝো, আবারে সেই আগের মতো ভয় পাও।।এতে যে ভালবাসাটা পাওয়া হবে না।।সারাজীবন ভয়ে কুঁকড়ে থাকবে আমাকে দেখে তা আমি চাই না বাবুই পাখি।।আমি চাই তুমিও আমাকে ভালবাসো।।বেশি না হোক একটু হলেও চলবে,, বাকিটা আমার ভালবাসা দিয়ে না হয় পুষিয়ে নিব।। এসব ভাবছে আর মুচকি হাসচ্ছে ইউসুফ।।

আমরা অনেকক্ষণ চুপচাপ আকাশের দিকে তাকিয়ে শুয়ে থাকলাম।।চারিদিক ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে।। ভাইয়া হুট করেই উঠে বসেন আর আমার ধরে টেনে কোথাও নিয়ে যেতে লাগলেন…!!

—–ভাইয়া আমরা আবার কই যাচ্ছি??
—-একটু চুপ থাকো এখনো বুঝতে পারবা।।

বলে ভাইয়া একটা ঝোপের ধারে নিয়ে আসলো।। ঝোপের আশেপাশে থেকে একটু ছোট ইটের টুকরা নিল।।। এবং সে ইটটি ঝোপের মাঝে ঢিল মারলো।। আমি তোর বাচ্চার মা কাজগুলো দেখে বিস্ময় চোখে দেখতে লাগলাম।। উনাকে আজ না দেখলে কখনোই বুঝতাম না যে উনার মধ্যে একটা ছোট বাচ্চার বসবাস।। ঢিল মারার সাথে সাথে কতগুলো জোনাকি উরতে লাগলো।। পরক্ষণেই অন্ধকার জায়গাটি ছোটছোট মৃদু আলোয় আলোকিত হতে লাগলো।। একটা দেখে এতই খুশি হলাম যে পাগলের মতো ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে থ্যাংক ইউ বলতে লাগলাম।। আমার ছোট থেকে এমন জোনাকি দেখার ইচ্ছে ছিল।।তাই আর ধরে রাখতে পারি নি নিজেকে খুশির ঠেলায়,তাকে জজড়িয়ে ধরে ফেলে।। ভাইয়া ও আমাকে জড়িয়ে ধরে।।

—–বাবু তুই খুশি হয়েছিস তো।।
—-হুম অনেক অনেক অনেক।।

এতো খুশি হয়ে ছিলাম যে আমার হুঁশ ছিল না।। যখন বুঝতে পারি ভাইয়া জড়িয়ে ধরে রেখেছি সাথে সাথে ছেড়ে দিই আর লজ্জা পাচ্ছিলাম।।আর মাথা নত করে কিছুক্ষণ আগের করা বোকামির কথা ভাবতে লাগলাম।। ভাইয়া হয়তো বুঝতে পারছে তাই তিনি বলতে লাগে,,

—–বাবুইপাখি জোনাকি পোকা গুলোকে ধরে দেখবি না।।

আমি মাথা নাড়িয়ে ঝোপের ধারে চলে গেলাম।। আর জোনাকিপোকা দের সাথে খেলতে লাগলাম।। একটু পর পর তারা আমার হাতে বসতে সে,আবার উড়ে চলে যাচ্ছে খুব মজা লাগচ্ছিল।।এদের সাথে খেলতে।।আমি কয়েকটা জোনাকি পোকা দু হাতের মাঝে ভরে ইউসুফ ভাইয়ার সামনে নিয়ে যাই।। তারপরই তার মুখে সামনে নিয়ে হাতটা খুলে দেই।। আর সাথে সাথে জোনাকিপোকা গুলো উড়ে যেতে লাগে।। এরি মাঝে আকাশ গুরমুর করে শব্দ করতে লাগলো।।ধীরে ধীরে রাতের আকাশে কালো মেঘ জমতে লাগলো।।

—–বাবুই পাখি…..!! চলো এবার বৃষ্টি নামবে…!!
—–ভাইয়া আরেকটু থাকি না….!!
—-আমি আরেকদিন নিয়ে আসবো বাবুইপাখি…!! এখন চল…!!

আমার মন খারাপ হয়ে গেল।। বৃষ্টি বুঝি আর আসার সময় পেল না?? এখন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পরছে।।

এদিকে ইউসুফ তার বাবুপাখির মন খারাপ দেখে তারও লাগে…!!তাই কিছু একটা ভেবে বলতে লাগে,,
—–বাবুই লং ড্রাইভে যাবি?? বৃষ্টির দিন কিন্তু লং ড্রাইভে যেতে খুব মজা।।
আমি সাথে সাথে খুশিতে গদ গদ হয়ে বললাম,,
—–আবার জিগায়।।

বলেই গাড়িতে উঠে বসি।।ভাইয়া হেসে উঠে বসে।।তারপর গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগে।।বৃষ্টির বেগ বাড়ছে।।তখন বৃষ্টিতে আমার জামা ভিজে ছিল হালকা তাই ঠান্ডা লাগচ্ছে খুব।।ভাইয়া হয়তো বুঝতে পেরেছেন।।তাই তিনি তার জ্যাকেট এগিয়ে দিলেন।। আমি তা নিয়ে পড়ে নিলাম।।এখন কম ঠান্ডা লাগছে।।তার জ্যাকেট থেকে একটি মন মাতানো সুভাষ ছড়াচ্ছিল।।ইউসুফের চোখের আড়ালে যা বার বার ঘ্রাণটা নিয়ে ছিলাম।।আজ সত্যিই কতো আলাদা কিছু অনুভুতি অনুভব করলাম।।গাড়ি এখন কই যাচ্ছে আমার জানা নেই।।তাও কেন জানি বার বার মনে হচ্ছে।।গাড়িটি আজ না থামতো।।পাশের ব্যাক্তিটির সাথে সারা জিবন এভাবেই চলে যেত।।পরক্ষণে মনে পড়ে যা এসব ভাবা ভুল।।তাই সব অনুভুতি মনের কোনে রেখে বাহিরে তাকিয়ে রইলাম।।বাহিরে এখন তুলমুল ভাবে ঝড় শুরু হচ্ছে।।যার জন্য ভাইয়া ড্রাইভ করতে পারছেন না, ধীরে ধীরে ড্রাইভ করছেন।।তাই একটি সেইফ জায়গা দেখে দাড় করাতে চাইছেন।।

ভাইয়া ড্রাইভ করে চলছেন।।কিন্তু আমার বোরিং লাগচ্ছে এখন একটি সং শুনতে পেলে খুব ভাল লাগতো।।তখনি ভাইয়া একটি সং প্লে করেন।।

চলবে,,?
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।।?)

psycho_is_back? part_14

0

psycho_is_back?
part_14
#apis_indica❤
কঁপালের উপর গভীর ভাবে কেউ তার ঠোঁট ধারা স্পর্শ করছে।।যা বুঝতে পারছি চোখ বুঝেই।।ধীরে ধীরে চোখ মেলে দেখি ইউসুফ আমার কঁপালে কিপ করছে।। তাও খুব গভীর ভাবে।।আমি একটু নড়ে উঠলাম।।

—-এখন কেমন লাগছে বাবুই পাখি?? আমাকে চোখ খুলতে দেখে প্রশ্ন করলো সে।।
—-আমি শুধু মাথা নাড়ালাম।। আর এদিক ওদিক পর্যবেক্ষণ করছি।।তখন আমি ফ্লোরে বসে কাঁদতে কাঁদতে কখন ঘুমিয়ে গেছিলাম।।
আমাকে এদিক ওদিক তাকাতে দেখে ইউসুফ বলে উঠে,,,
—-আমি তোমাকে এখানে এনেছি।।
আমি তখনো কিছু বলিনি….তখনি সে বলতে লাগে,,,
—–আমার উপর খুব রাগ করেছো তাই না।।বাবুই পাখি??
আমি এবার মুখ খুলাম আর বললাম,,,
—-আপনি কে যে আপনার উপর রাগ করবো??
ইউসুফ আমার গালে হাত দিয়ে বলতে লাগে,,
—–আমার বাবুই পাখি অনেক রাগ করেছে আমার উপর তাই না।।আচ্ছা বাবা এই যে কানে ধরে সরি!!!
উনার এমন কাজে খুব হাসি পাচ্ছে।।অনেক কষ্টে হাসি চেঁপে বসে আছি।।মুখে গম্ভীরতা রেখে।।
তখনি তিনি অসহায় চাহনীতে বলতে লাগে,,,
—-মাফ করবে না বাবুই পাখি??
আসি সাথে সাথে রাগ দেখিয়ে বললাম,,,
—-না আমি আপনাদের কাউকে ক্ষমা করবো না।।আপনি, রিয়ান সবাই খারাপ!!আমি আজ কিছুই করিনি তারপরও মার খেলাম।।
এখন সব হাসি উবে গেছে।।ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম।।তখনি ইউসুফ আমার দু গালে হাত রেখে বলে উঠে,,
—–বাবুই জানি তুই কিছু করিসনি।।কিন্তু বিশ্বাস কর তোকে রিয়ানের সাথে ওই অবস্থায় দেখে আমার মাথা ঠিক ছিল না।।
বলে আমার কঁপালের সাথে তার কঁপালে ঠেকিয়ে বলতে লাগে এবারের মতো মাফ করে দে বাবুই পাখি।।
আমি চুপ থাকলাম,,তারপর তার থেকে সরে এসে বললাম নানু মার কথা।।
—-দাদু ঘুমাচ্ছে।।পেশার লো হয়ে গেছিল।।
আমি এবার মুখ ধরে কাঁদতে লাগলাম,,
—-নানুমা আমাকে কখনো মাফ করবে না।।বিশ্বাস করুন আমি জানতাম না রিয়ান এমন কিছু করবে।।
ইউসুফ তাচ্ছিল্যের সুরে বলল,,,
—-যার সাথে প্রেম করতি তার সম্পর্কে জানিস না??
—-ভাইয়া আমি তার সাথে প্রেম করতাম,, ভালতো বাসতাম না!! ভালবাসলে হয়তো তাকে ভাল ভাবে জানার আগ্রহ বাড়তো।।
ইউসুফ যেন মনে মনে খুশি হলো।।আর বলতে লাগলো,,
—-আচ্ছা বাবুই ঘুরতে যাবি??
—-এতো রাতে??
—-রাত কই? ১২ টা বাজে।।টল রেডি হয়ে নে।।
—-আমি যাবো না।।অভীমানের সুরে বললাম।।
—-কেন বাবুই??
—–দেখ আমার চেহারাটা একবার কি করেছো তোমরা।।দাগ পড়ে আছে থাপ্পরের।।
ইউসুফের খারাপ লাগলো,,সে বলল,,
—-সরি বাবুই।।আচ্ছা তুই রেডি হয়ে তোর ফেস আমি ঠিক করে দিচ্ছি।।
—-তোমার দিতে হবে না, আমি করে নিচ্ছি, পরে আমাকে ভুত বানিয়ে দিবে।।
ইউসুফ হাসলো,,কিছুটা কুহুকে সে স্বাভাবিক করতে পরেছে।।তারপর রেডি হতে বলে বের হয়ে যায়।।
ইউসুফ যেতেই আমি বিছানে থেকে নেমে দেখে নিলাম নিচেকে আয়নায়।।ইসস!! ১২ টা বেজে গেছে আমার চেহারার।।তারপর রেডিতে চলে গেলাম।।

ইউসুফ বাইক নিয়ে দাড়ায়ে আছে।।
আমি বাইক দেখে খুশি হলাম।।আর সাথে সাথে চরে বসলাম তাতে।।কিন্তু সাইকো কে ধরে বসিনি।।আমার খুব শখ ছিল ঢাকা শহর রাতের বেলায় বাইক দিয়ে ঘুড়বো।।

—–আমাকে ধরে বসো বাবুই নয়তো পরে যাবা।।
আমার আকাশকুসুম চিন্তার মাঝে ইউসুফে কথা শুনে তার দিক তাকালাম।।সে আবার একি কথা বলল।।বাট আমার অস্বস্তি লাগছে।। তাও আমার দুহাত তার দু কাঁধে রাখলাম।। তিনি হাসলেন।।তার হাসির কারণ খুঁজে পেলাম না।। তিনি চালাতে লাগলেন,,তাও খুব স্পিডে।। আমি ভয়ে তার পেটে জড়িয়ে ধরি।।সাথে সাথে স্পিড কমে গেল।।হওতো ইউসুফ তাই চাইছিল।।
আমি আশাপাশে দেখতে লাগলাম,,
কি সুন্দর রাতের শহর।।
চারিদিকটা নানান রকমের আলোয় আলোকিত।।
আমরা বাইকে ১ ঘন্টা ঘুরলাম।।এর মাঝে ইউসুফের সাথে নানান কথা হলো।।সেই জিগাসা করেছে আমি শুধু হু হা উত্তর করছি।।ড্রাইভ করতে করতে হঠাৎ এক জায়গায় থামায় সে।।আমি তার দিকে তাকাতেই,,সে আমাকে সামনে তাকাতে ইশারা করলো।।সামনে তাকিয়ে আমি লাফাতে লাগলাম।।সামনে আইসক্রিম পার্লার।। তারপর ইউসুফ বাইক পার্ক করে আমাকে নিয়ে আইসক্রিম পার্লারে ঢুকলো।।আর আমাকে অনেক গুলো কোন আইসক্রিম খেলাম।। এটা আমার ফেবারেট।।

তারপর বের হয়ে আসছিলাম।।তখনি সামনের গর্তে পা পড়ে পা মচকে গেল আর আমি ব্যাথায় চিৎকার করে উঠলাম।। ইউসুফ একটু সামনে চলে গিয়েছিল,, আমার চিৎকার আবার ফিরে এসে, জিজ্ঞেস করল,,
—-বাবুই পাখি কি হয়েছে তোর??
আমি পা ধরে মাটিতে বসে আছি।।আর বললাম,,
—-পায় ব্যাথা পাইছি।।মিনমিন করে বললাম।।
ইউসুফ মুচকি হেসে আমাকে উঠায়।।আমি বলতে লাগি,,
—-আমি হাটতে পারবো না।।
—-তোর হাটতে হবে না।।আমি পিছনে ঘুড়ছি তুই আমার কাঁধে উঠ।।
—-না না আমি পরে যাবো।।
—-এখন কিন্তু আবার থাপ্পড় দিবো,, যা বলছি তা করো??
—-ওকে!!
আমি ইউসুফের কাঁধে উঠলাম।।ইউসুফ আমাকে সুন্দর করে আকড়ে ধরে আমাকে নিয়ে হাটতে লাগলো।।আমি পিছন থেকে তার গলায় জড়িয়ে ধরে আছি।।ইউসুফ এখন ভাবে হাটছে মনে হচ্ছে আমি তুলার বস্তা।।আমি তাকে জিগাসা করলাম,,
—–ভাইয়া,,আপনার কষ্ট হচ্ছে না??
ইউসুফ মুচকি হেসে বলে,,
—-নাহ্।।আমি তোর থেকে ভারী ভারী ডাম্বেল দিয়ে জিম করি।।আর তুইতো শুঁটকিমাছ।।
—–আমি মোটোও শুঁটকিমাছ নই।।
ইউসুফ হাসলো,,আর বললো,,
—-আচ্ছা বাবা তুই আমার গলুমলু।।
—-আপনি খুব পঁচা,,।।আপনার সাথে সাথে আর কথাই বলবো না।।
—-আচ্ছা বাবা সরি।।বলেই তিনি তার বাইকে আমাকে বসিয়ে দিলেন।।আর জুতা খুলে যে পায় ব্যথা পাইছি তিনি দখতে লাগলেন।।
—-কি করছেন ভাইয়া,,আমি আপনার ছোট প্লিজ পা ছাড়ুম।।
তিনি এবার বাজখাঁই ধমক দিয়ে বললেন,,
—–একদম চুপ!! বেশী কথা বলবি তো তোর ওই পাও মুচকিয়ে দেব।।
আমি সাথে সাথে চুপ।।
তখনি তিনি আবার বললেন,,
—-বাবুই দেখ পিছনে!!
—-কি পিছনে?? বলে পিছনে ফিরলাম।।আহহহহহহহ!!আমি পিছনে ফিরতেই ভাইয়া আমার পায় উল্টো মুচড় দেয়।।সাথে সাথে ব্যাথা চিৎকার করে উঠি। আর ইউসুফ ভাইর হাতে খামচি দিয়ে ধরি।।একটু পর ব্যাথা উধাও।।আমি নেমে লাফাতে লাগলাম।।বাহ্ ব্যথা চলে গেছে।।

আজ বাইকে অনেক ঘুড়লাম।।তারপর ইউসুফ আমাকে বাসায় নিয়ে আসে।।বাসায় আসতে আসতে তিনটা বেজে গেছে।।আমি রুমে এসেই গা এলিয়ে দিলাম।।আর ঘুমের রাজ্য ঢুব দিলাম।।

ইউসুফ তার রুমে এসে ফ্রেস হয়ে সেন্টার টেবিল থেকে পানি নিয়েখেতে থাকে।।তখনি তার ফোনে কল আসে।।
—-হ্যালো।।
—-স্যার রিয়ানকে দেশের বাহিরে পাঠাতে হবে।।ওর অবস্থা ভাল না।।মার খাওয়ার সময় মাথায় খুব ব্যাথা পাইছে।।
—-যা করার করো।।ও যেন আর আমার সামনে না আসে।।বলে কল কেঁটে দেয়।।
তারপর জালানার সামনে গিয়ে বলতে লাগে,,
—–বাবুই আমার আর তোমার মাঝে যে আসবে তাকে এভাবেই ঝড়ে যাবে।।বলে রহস্যময় বাঁকা হাসলো।।

তখন কুহুকে বাসায় নিয়ে আসার পর।।রিয়ানকে তার লোকেরা ধরে নিয়ে যায়।।পরে ইউসুফ গিয়ে অনেক মারে।।যে হাত দিয়ে কুহুর গালে থাপ্পড় মেরেছিল।।সে হাতে ইচ্ছা মতো মারে।।আর রিয়ান আর্তনাদ করতে করতে এক সময় জ্ঞান হারায়।। তখন তার লোকদের বলে হাসপালে ভর্তি করিয়ে আসে সে।।

চলবে,,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।নেক্সট পার্ট পরশুদিন দিবো।।)

psycho_is_back? part_13

0

psycho_is_back?
part_13
#apis_indica❤
ঘড়িতে ১২ টা ছুই ছুই।।
ইউসুফ কনফারেন্সরুমে মিটিং এ ব্যস্ত।।
ইউসুফের ফোনটা কখন থেকে বেজে চলছে।।ফোনটি সাইলেন্ট আওয়াজ হচ্ছে না,, কিন্তু বারবার আলো জ্বলছে আর নিভছে।।ইউসুফ তখন আরব দেশ থেকে আসা তার ক্লায়েন্টদের সাথে নিউ প্রেজেন্টেশন নিয়ে কথা বলছিল।। বার বার কল আসাতে বিরক্তি নিয়ে উঠালো।।কাজের সময় আর যাই হোক বিরক্তি তার পছন্দ না।।

ফোনটা তুলল এবার না পেরেই।।
ফোনটা তুলতেই তার মাথার রগ ফুলে উঠলো।।চোখ গিলো তার রক্তিম ধারণ করলো।।সাথে সাথে তার টেবিলের উপর থাকা কাচের গ্লাসটি চেপে ধরে।।যা মুহুর্তেই ভেঙ্গে তার হাতে গিথে যায়।।উপস্তিত সকলেই তার এই অবস্থা দেখে দাড়িয়ে যায়।।ইউসুফ কাচেঁর গ্লাসটি ফ্লোরে ছুরে বের হয়ে যায়।।হাত থেকে তার রক্ত পড়চ্ছে।।সে দিকে যেন তার খেয়াল নেই।।

—–কি সমস্যা তোর হুম,,?? বিয়ে যখন আমাকে করবি না! তো সবার সামনে আমার প্রপোজাল একসেপ্ট করলি কেন তুই??এখন সবার সামনে আমাকে ছোট করতে চাচ্ছিস?? কুহুর গাল চেপে ধরে চেচিয়ে বলল রিয়ান।।
রিয়ানের হঠাৎ এমন ব্যবহার কেন করছে বুঝে উঠতে পারছি না।।আমি রিয়ানের হাত ছাড়াতে চেষ্টা করছি নিচের সর্ব শক্তি দিয়ে তাকে ধাক্কা দিলাম সাথে ছিটকে দূরে পরে গেল সে।।
আর তখনি আমি বলতে লাগে,,,
—–কি উল্টোপাল্টা বকছেন??
তখনি সে উঠে এসে আমার পিছনের দিক থেকে চুল টেন ধরে বলল,,,
—-বুঝতে পারছিস না, না!! কেন এমন ডং করছি হুম??
—–কি হয়েছে বলবেন তো? আর এমন কেন করছেন আমার সাথে চুল ছাড়েন আমার ব্যাধা করছে খুব।।
—-ও হো….!!! মেডাম এখন বুঝতেই পারছে না,, হুম।।তারপর আমার হাত ধরে উচু করে বলে আমার পড়িয়ে দেয়া রিং কই?? বলল…!! কি হলে চুপসে গেলে কেন??
আমি আমতা আমতা করে বললাম,,
—-ইয়ে কই আর বাসায় রেখে এসেছি।।
কি বলবো বুঝতে পারছি না।।তাই মিথ্যা বলে দিলাম।।
তখনি সে আমাকে আরো শক্ত করে চুলের মুঠি ধরে বলতে লাগে,,
—-মিথ্যা কথা সব সব সব মিথ্যা কথা।।রিং তো আমার কাছে।।তো তোমার কাছে কেমনে থাকে??
রিয়ান সাথে সাথে রিং টা বের করে।। রিয়ানের হাত রিং দেখে আমার চোখ বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম।। সাথে সাথে বললাম,,,
—-আপনার কাছে রিং কিভাবে…!! এটাতো!!
—-আর একটা মিথ্যা বলবা না তুমি?? এটি তুমিই পাঠিয়েছো।।তোমাদের বাসার ড্রাইভার ধারা।।
—-কিন্তু আমি…
—-শিসসসস!! আর একটা কথাও না।।তুমি বললেই পারতে তোমার সাথে ইউসুফ ভাইয়ার রিলেশেন চলছে?? কেন আমাকে ধোকা দিলে??
রিয়ান এসব কি বলছে আমার সাথে ইউসুফ ভাইয়ার রিলেশেন??
—–আপনি কি বলে যাচ্ছো এসব??এমন কিছুই না???
—-আচ্ছা আমি যাতা বলছি তখনি রিয়ান তার পকেট থেকে ফোন বের করে,, ইউসুফে সকালে যাওয়ার আগে মাথায় চুমু খায়।।তার পিক দেখায়।।সাথে সাথে শক্টড।।আমি মাথা নত করে আছি।।তখন তিনি বলে উঠে,,,
—-এখন বলো….!!
—-এমন কিছুই না। আমতা আমতা করে বললাম।।
—-ওহো সত্যি তাহলে চলো আজ আর এখনি আমরা বিয়ে করবো।।চলো।।
বলেই হাত ধরে টানতে টানতে বাহিরে নিয়ে আসলো।।রিয়ানের কথা শুনে আমার কান গরম হয়ে গেল।।যেন ধোয়া বের হবে এখনি।।আমি সাথে সাথে হাত ছুটিয়ে দাড়িয়ে পড়লাম।।তখনি রিয়ান বলতে লাগে,,,
—-কি হলো দাড়িয়ে পরলে কেন?? চলো।।আজ আর এই মুহুর্তে আমরা বিয়ে করবো।।
—–কেন করবে না??আমার ভালোবাসার দাম নেই না??এই যে এতো গুলো দিন কুকুরের মতো খেটেছি,, এসব কি বৃথা যাবে?? তা তো হতে দিচ্ছি না আমি…!!!
আমার এখন কান্না আসচ্ছে।।
কি করবো? কি বলব বুঝে উঠতে পারছি না।।।মুখে যেন তালা মেরে দিসে কেউ।।
তাও অনেক কষ্টে বললাম,,
—-আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।।
—-কেন?? পালটা প্রশ্ন ছুড়লেন তিনি।।
আমি আমতা আমতা করে বললাম,,,
—-আমার ফ্যামিলি ছাড়া আমি বিয়ে করবো না।।
তখনি রিয়ান হাসতে লাগলো অদ্ভুত ভাবে।।তার হাসির শব্দে যেন আমার আত্না কেঁপে উঠছে।।তখনি সে আমার হাত ধরে টানতে টানতে গাড়িতে ফেলে দিলেন।।এদিকে আমি চিল্লাতে লাগলাম,,ভার্সিটিতে সবাই আমাদের দেখছে কিন্তু এগিয়ে আসচ্ছেনা।।রিয়ান আমাকে গাড়িতে ফেলে দরজা লকড করে দেয়।।আর আমি চেঁচাতে লাগে।।সাথে লকড খুলার ট্রাই করি না কাজ হচ্ছে না।।রিয়ান অন্যপাশে গিয়ে গাড়ি স্টার্ট করে।।গাড়ি চলতে লাগে।।
কিছুক্ষন পর গাড়ি এসে থামে একটি কাজি অফিসে।।রিয়ান নেমে আমাকে নামাতে নেয়।।আমি এদিকে কাঁদতে কাঁদতে শেষ।।আমি গাড়ির সিট ধরে বসে আছি।। রিয়ান তখনি আমাকে হেচকা টান মারে তার দিক ঘুড়িয়ে থাপড় মেরে দেয়।।তাও অনেক জুড়ে।।আমি ব্যথায় আরো কাঁদতে লাগলাম।।
আজ ইউসুফের কথা বার বার মনে পড়ছে।।

সাদা পাঞ্জাবী ওয়ালা একটি লোকের সামনে বসে আছি।।লোকটি কি কি যানি বলছে সেদিকে যেন আমার খেয়াল নেই।।আমি মাথা নত করে কাঁদছি।।তখনি লোকটি আমার দিকে কাগজ কলম এগিয়ে দেয়, সাইন করতে…!! আমি দু হাত বেঁধে বসে আছি।।তকনি রিয়ান আমার চুলের মুঠি ধরে বলে,,
—–সাইন কর?? আর আমার খারাপ রূপটা সামনে আনতে বাধ্য করিস না।। দাঁতে দাঁতে চপে বলল কথা গুলো।।

একদিনে যে মার খাইছি রিয়ানের সাথে বিয়ে হলে না জানি আরো কত মার খেতে হয়।।মনে দোয়া করছি সাইকো টা চলে আসতো।।তখনি রিয়ান আমার গাল চেপে ধরে আর বলতে লাগে,,,
—–কি হলো সাইন করছিস কেন?? হুম তোর নাগরের জন্য ওয়েট করছিস?? তোর সাথে না ওর কোনো সম্পর্ক নাই তো??
আমি আজ রিয়ানের কাজ কর্মে মুগ্ধ।।এতো সুন্দর ব্যবহার আমি আর নিতে পারছি না।।
—-আপনি এতটা খারাপ আগে জানতাম না।।আমি এই বিয়ে করবো না।।
তখনি সাথে আরেকটা চড় পরে গালে।।এবার টা সব থেকে জোড়ে।।মনে হচ্ছে শরীরের সব শক্তি দিয়ে মেরেছে সাথে সাথে আমার ঠোঁট কেঁটে গেছে।।আমি ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম।।তখনি রিয়ান বলতে লাগে,,,
—–বিয়ে তো তোকে আজ করতেই হবে তাও আমাকে।।যদি আর মার না খেতে চাস সাইন কর।।
আমি আমার কাঁপা হাত দিয়ে কলম তুলে সাইন করতে নিলাম তখনি কেউ আমাকে পিছন দিকে ঘুড়িয়ে আরো জোড়ে থাপর মারলো।।এবারের টা আর নিতে পারলাম না সামনের ব্যাক্তিটির বুকে ঢলে পরলাম।।আর বন্ধ হয়ে আসার শেষ মুহুর্তে শুধু সাইকোর ফেস দেখতে পারলাম।।চোখ মুখ শক্ত করে দাড়িয়ে আছে।। এর পর আর কিছু মনে নেই।।

মুখের উপর পানির ঝাঁপটা পরতেই চোখ মেলে তাকাই।।তাকতেই সামনের ব্যাক্তিটি দেখে আত্মা শুকুয়ে গেল।।তখনি তিনি আমার গাল চেঁপে ধরে বলতে লাগে,,
—–খুব শক বিয়ে করার হুম।।মানা করে ছিলাম তোকে!!!কেন আমার কথার খেলাপে গেলি।।
বলে বাসার ভিতরে নিয়ে গেলেন টানতে টানতে,, আর আমি ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম।।

আমাকে এভাবে টেনে ভিতরে আসলেন।।তখন হল রুমে সবাই উপস্তিত ছিল।।তিনি আমাকে নিয়ে সবার সামনে ছুড়ে মারে।।আমি তখন মাথা নিচু কনে কাঁদতে লাগলাম।।

——কি হয়েছে ইউসুফ?? নানুমা দৌড়ে এসে বলতে লাগেন।।আন্টি মাও ইউসুফের দিক তাকিয়ে।।
তখনি ইউসুফ চিল্লিয়ে বলে উঠে,,
—-তোমার নাতনী বিয়ে করতে গেছিল।।আমি না গেলে এতক্ষণে…..!!
নানু মা সাথে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন।।আর বলতে লাগলেন,,,
—-এই দিন দেখার আগে আমি মরলাম না কেন।।তিনি যেন কথাটি মানতে পারেন নি।।সাথে জ্ঞান হাড়ায়।।আমি তার কাছে যেতে নেই কিন্তু ইউসুফ যেতে দেয় না।।আন্টি মা আর মামা দুজন মিলে তাকে নিয়ে রুমে চলে যায়।।আর আমি ইউসুফের হাত থেকে হাত ছাড়িয়ে নানুমার কাছে যেতে চাইছি।।কিন্তু সে যেতে দিচ্ছে না।।আমি কাঁদতে কাঁদতেই বললাম,,,
—-প্লিজ যেতে দিন।।
—-নাহহহহহ!! তুই দাদুর ধারে কাছে যাবি না।।বলে টানতে টানতে আমার রুমে নিয়ে ভিতরে ফেলে বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে দেন।।আর আমি ধাক্কাতে লাগি।।নাহ কেউ খুলছে না।।আমি দরজার সাথে ঘেষে বসে পরে ওখানেি হাটুতে মুখ গুজে কাদঁতে লাগলাম।।
চলবে,,,
((ভুল এুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।।পরবর্তী পার্ট পরশু দিব।।গতকাল দিতে চাইছিলাম।।বাট ফুল স্টোরি ডিলিট হয়ে গেছিল।। তাই দিতে পাড়িনি।।তার জন্য সরি!!??))

psycho_is_back? part_12

0

psycho_is_back?
part_12
#apis_indica❤
সাইকোর রুমের সামনে দাড়িয়ে আছি।।হাত, পা আমার কাঁপচ্ছে, সাথে ঠান্ডা হয়েও আসচ্ছে না জানি কি হয়????

কিছুক্ষণ আগেই এহসান ভাইয়া আর নুহা আপু গেছেন, সামনের শুক্রবার তার এঙ্গেজমেন্ট, তাই ইন্ভাইট করতে আসচ্ছেন।।গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে ভিতরে আসচ্ছিলাম, আমার তো খুব খুশি লাগচ্ছে, তখনি উনার এক গার্ড এসে বলে গেছে ইউসুফ নাকি আমায় ডাকচ্ছে….।তখন আমার মনে পরে সাইকো যাওয়ার সময় তাহলে তার ঘরে যাওয়ার জন্যই ইশারা করেছিল।।ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ….আমার।।না জানি কি করে??? না গেলেও আবার কি করে বসে,, তাই ৭/৫ না ভেবে চলে গেলাম তার রুমে….!!

কখন থেকে দাড়িয়ে আছি,, ভিতরে যাওয়ার সাহস করে উঠতে পারছি না।।এক কদম এগিযেও যেতে পারছি না।।বার বার আমার কাঁপা হাত দিয়ে দরজা খুলার জন্য হাত বাড়াচ্ছি।।মুহুর্তে আবার পিছিয়েও ফেলছি….!! ভয়ে আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে।।তখনি খট করে দরজা খুলে যায়।।আর আমি ভয়ে ভয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি….ইউসুফ দরজার সাথে হেলে দাড়িয়ে আছে…দুহাত তার বুকে গুজা।।খুব শান্ত ভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিক…..!!

আমি আমার ওরনার কোনা দুহাত দিয়ে পেঁচাচ্ছি।। আর বার বার এদিক ওদিক তাকাচ্ছি ভয়ে তাররদিক তাকাতেই পাচ্ছি না।।হঠাৎ আমাকে টান দিয়ে তার রুমের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন….!! তার এই কাজে আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম।।সারা শরীর থর থর করে কাপঁচ্ছে আমার। আমাকে এভাবে টান দেয়াতে আমার এক হাত ইউসুফের শার্টের মুঠ করে চোখ বন্ধ করে রাখি।।তিনি এখনো আমাকে ছাড়েন নি।।আমি পিটপিট করে চোখ জোড়া মেলে দেখি…..সাইকো এক ধ্যায়ানে আমার দিক তাকিয়ে আছে।।চোখের চাহনীও তার স্থীর।। দুজনের মাঝে পিনপতন নিরবতা।।উনি আমার খুব কাছে…. তার এক হাত আমার কমোড়ে তো আরেক হাত আমার পিঠে।।তার এমন চাহনীতে আমার কেমন যানি অনুভুতি হচ্ছে,,,, তবে খারাপ না সেই অনুভুতিটা।।তখনি তিনি মৃদু সুরে বলে উঠেন,,,
—–আমি তোকে টাচ করলে তুমি এতো কাপা কাপি কর কেন??
আমি কিছু বললাম না চুপ থাকলাম।।কেন জানি বলতে ইচ্ছে করছেনা কিছু।।সাথে লজ্জাও লাগচ্ছিল।।সাথে শ্বাস আটকে আসচ্ছে আমার।।

আমি তার বুকের বামপাশের দিক শার্ট কুচঁকে ধরে ছিলাম।।সেখান থেকে ধুকপুক ধুকপুক হৃদছন্দ ছড়াচ্ছে।।কেন যানি হাতের মুঠ করাটা ছেড়ে তার বুকের সেই হৃদপিন্ডে হাত রাখলাম।।তখন তিনি আমার পিঠ থেকে হাত ছাড়িয়ে আমার হাতের উপর হাত রেখে বলতে লাগে,,
—–শুন্তে পারছো বাবুই পাখি?? আমার হার্ড কতটা বিট করছে!!…!! ইউ নো হোয়াট বেবি…যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম? সেদিন ঠিক সেইম ভাবে বিট করেছিল…!!ইনফ্যাক্ট যখন যখন তুমি আমার খুব কাছে থাকো…..ঠিক সেইম ভাবে বিট করে….!!

উনার কথা গুলো শুনে আমার চোখ কঁপালে,,, আমি তার দিক বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি।।তিনি তখন মুচকি হেসে বলতে লাগে,,
—-তুমি যখন এভাবে চোখ বড় বড় করে তাকাও তখন তোমাকে এক ছোট ডলের মতো লাগে।।
আমি সাথে সাথে নিচে তাকাই।।তখনি তিনি আমার আরো কাছে এগিয়ে আসে,,আর আমার থুতনির নিচে দুটো আঙ্গুল দিয়ে মুখ উপরে তুলে।।আমি সাথে সাথে কেন জানি চোখ বন্ধ করে ফেলি।।তার এমন হুঠহাঠ স্পর্শে প্রতিবার আমার শরীরে শিহরণ দিয়ে উঠে,,,!!আমার বন্ধ চোখ জোড়ায় তিনি ফু দিলেন….!!! আমার জানি কেমন লাগলো….!! তার সেই বুকের মাঝে রাখা হাতটা আবার মুঠ করে নিলাম।।তিনি ধীরে ধীরে আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলতে লাগে,,,
—–আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগচ্ছে বাবুই পাখি!! ঠিক আমার মোনালিসার মতো!!
মোনালিসার নাম শুনে আমার সব ফিলিংস ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল…. তার মানে তার দুইটা জিএফ আছে আর তাও আমার সাথে ফ্লাট করছে চোখ মলে তাকালাম,,
আর এক ভ্রু বললাম,,
—–দুইটা বুঝি আপনার জিএফ??তাই বুঝি আপনি আমার সাথে এভাবে টানাটানি করেন??তাদের মতো দেখতে বলে??
তিনি এবার আমাকে ছেড়ে দিয়ে হাসতে লাগলেন।। আর বেডে গড়াগড়ি খেতে লাগলেন….!! এই প্রথম তাকে রাগ গুস্সা না বরং হাসতে দেখছি তাও মন খুলে।।আমার কি হলো জানি না।।তাকে এভাবে হাসতে দেখে আমারো কেন জানি ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো।।তার দিকে তাকিয়ে আছি…..আসলেই উনি অনেক সুন্দর।।শুধু শুধু কেন এমন গম্ভীরতা ছেয়ে রাখে???তিনি তো হাসতেই পারেন….হাসলে কি হয় সব সময়…??

সাইকো হঠাৎ হাসি থামিয়ে দেয়…..মুহুর্তেই মুখে গম্ভীরতার ছাপ ফুঁটে ওঠে তার।।তার এ রূপ দেখে আমিও চুপসে গেলাম।।তিনি বেডে মাথা নিচু করে বসে থাকেন কতক্ষণ তারপর আমার দিক তাকালেন…..হুট করে দাড়িয়ে বড় বড় পা ফেলে আমার সামনে এসে দাড়ালেন আমি সাথে সাথে দুকদম পিছিয়ে গেলাম…… আর একটু পিছিয়ে যেতেই তিনি ধরে ফেললেন আমাকে আর তার সামনে বরাবার দাড় করিয়ে দিলেন….সাইকো আমার থেকে অনেক লম্বা ৬ ফুটতো হবেই!!আর আমি মাত্র ৫ ফুট ২….সাইকো আমার কোমোরে ধরে একটু উঁচু করে তার মুখের সামনে আমার মুখ নিয়ে আসলো…..তার এই কাজে আমি অনেক ঘাবড়ে গেলাম এবং সাথে সাথে দুই চোখ কুচকে বন্ধ করে ফেললাম।।আর কিছুক্ষণ পর তার নিশ্বাস আমার কানের কাছের পরছে…..সাথে সাথে কিছুক্ষণ আগের অনুভুতি, শিহরণ আবার হানা দিচ্ছে।।তার সাথে নতুন করে বুঝতে পারছি,,আমার শরীর কেমন অসাড় হয়ে আসছে।। এই বুঝি তার বুকে ঢোলে পরে যাবো….তখনি তিনি ফিসফিস করে বলতে লাগে,,,,,
—–মো না লি সা মানে হচ্ছে মাই লেডি…..আমার কোনো জিএফ নেই!!! কিন্তু হে…..আমার মুখে তার দু হাত দিয়ে তুলে বলতে লাগেন,,,একদম সুইট ভয়েসে…..তুমি আছো….এ মনের কোনে নয়??? সবটা জুড়ে।।বলে আমার কঁপালে তার ঠোঁট দিয়ে স্পর্ষ করলেন।।
আমি এবার তাকে ধাক্কা দিযে সরিয়ে দৌড়ে দরজার কাছে চলে আসচ্ছিলাম,,কারণ হঠাৎ তার এই রূপ আমি হজম করতে পারছি না।।দরজা খুলতেই তিনি বলতে লাগেন,,,,
—-এই শুনো….!! নিচে ওয়েট করো আমি আসচ্ছি।। আজ তোমাকে আমি ড্রপ করে দিব ভার্সিটিতে।।

তুই থেকে ডিরেক্ট তুমি…..!!!
আর পারছি না…!!!
এত শক্টড একদিনে আমি আর নিতে পারছি না….!!
তার দিক না তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে হে বলে দৌড়ে চলে আসলাম রুমে….!!!
হুহহহহ…!!!!
এখন নিতে পারছি শ্বাস…. বড় বড় করে আরো কয়েক বার শ্বাস নিতে লাগলাম…..।।
তখনি আমার ফোনের মেসজ টিউন বেজে উঠে…।।
এতক্ষণ ফোনের কথা মনেই ছিল না।।
ফোন হাতে নিতেই দেখি রিয়ানের ৫০০+ মিসড কল….!!!
ও মাই খাট…!!
এত কিছুর মাঝে এর কথা মাথা থেকে চলেই গিয়ে ছিল…সাথে সাথে মেসেজ টা চেক করলাম….!!
“where are you??
pick up the phone…..!!
damn it….!!!””
এইটা কেমন মেসেজ?? বুঝলাম না….!!!
সাথে সাথে তাকে কল করলাম ফোনটা বন্ধ….!!
কি হলো এর কিছু বুঝচ্ছি না…!!
থাক ভার্সিটিতে গিয়ে মিট করে নিবো…!
হয়তো রাগ করেছে…??

—–কুহু???
নিচে থেকে আন্টি মা ডাকাচ্ছেন…।। আমি বেগ নিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দৌড়ে নিচে আসলাম।।ইউসুফ ভাই গাড়িতে বসে ছিল।। আন্টি আর নানু মাকে বায় বলে গাড়িতে চড়ে বসলাম।।গাড়ি চলছে আপন গতিতে…!!
গাড়িতে বসে আমার লজ্জা লাগছিল ভাইয়ার করা তখনকার কাজ গুলো মনে পরছে বার তাই বাহিরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।।উনিও হয়তো বুঝতে পারছেন…তাই মুচকি হেসে গাড়ি ড্রাইভ করছেন….।।

গাড়ি এসে ভার্সিটির সামনে থামলো….তখনি তিনি বলে আমার সামনে পরে থাকা চুল গুলো কানের পিছনে গুজে দিতে দিতে বলতে লাগেন….,
—–গার্ডরা সর্বক্ষণ তোমার আশেপাশে থাকবে তোসার অগোচরে… এমন কিছু করো না বাবুই পাখি…যাতে আমার আগের রূপে ফিরতে হয়।। যাও বলে মাথার এক পাশে চুমু খেলেন।।আর বললেন যাও….!!

হঠাৎ উনার এমন ঠান্ডা হুমকিতে জমে গেছি…।
ভেবেছিলাম হয়তো ভাল হয়ে গেছে কিন্তু এতো সাইকো শালা….।। সাইকো কখনো ভাল হয় নাকি?? হুহহহহ!!!
কিছু না বলে নেমে চলে গেলাম গাড়ি থেকে…!!
ইউসুফও চলে গেলেন…।।

আমি আশেপাশে আমার ফ্রেন্ডদের খুঁজতেসি।।তখনি কেউ পিছন থেকে আমার হাত টেনে কোথাও নিয়ে যেতে লাগলো…।। সামনের লোকটি আর কেউ না রিয়ান…! ও কে কেমন জানি দেখাচ্ছে…।। রাগে আছে বুঝাও যাচ্ছে।।হটাৎ একটি ক্লাস রুমে এনে আমাকে ছুরে মারলো।।আর আমি পরে যেতেই বাম হাতের কুনির দিক অনেকটাই ছিলে গেসে….!! খুব ব্যথাও করছে…তাই চিল্লিযে রিয়ানকে বললাম…!!
—–সমস্যা কি আপনার এমন করছেন কেন?? দেখন আমি কতটা ব্যথা পাইছি।।বলে ফুপাতে লাগলাম….!!
তখনি রিয়ানের কথায় আমার কান গরম হয়ে লাল হতে লাগলো….যেন এখনি ধোঁয়া বের হবে….!!!

চলবে,,,?
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।।)

psycho_is_back? part_11

0

psycho_is_back?
part_11
#apis_indica❤
প্যারিসের স্যান নদীর তীরে দাড়িয়ে আছে আয়মান।।আজ তার ওয়াইফ আমায়রা কে নিয়ে ঘুরতে আসছে সে।।আমায়রা খুশিতে পাগল হয়ে যাচ্ছে।।আয়মান পাশে দাড়িয়ে দেখছে।।তার ঠোঁটের কোনেও হাসি।।
—-Yusuf, don’t run, it will hurt…পাশ থেকে একটি মহিলা তার বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগে।।
ইউসুফ নামটি শুনে আয়মানের তার বন্ধুর কথা মনে পরে গেল।।সাথে সাথে পকেট থেকে ফোন বের করে কল করলো।।

ইউসুফ তার অফিসে বসে আছে,, হাতে তার কফির কাপ।।কফিতে ছিপ দিচ্ছে আর কাঁচের জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে।।তখনি তার ফোনে টুংটাং করে বাঁজতে লাগে।। প্রথম বার কল বাজতে বাজতে কেটে গেল।। দ্বিতীয় বার কল বাজতেয়ী ইউসুফ এ ধ্যান ভাঙ্গলো।।ইউসুফ ফোনটি হাতে তুলে স্ক্রিনে আয়মান নামটি ভেসে উঠলো।।আয়মান নামটি দেখতে পেয়ে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল।।ফোন রিসিভ করেই ইউসুফ বলে উঠলো,,
——হেই ডুড ভুলে গিয়েছিস?
——ভুলে গেলে কল করেছে কে! হুম??
——আচ্ছা সরি! তোর খবর বল?
—–এই তো বউকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি!
—–তুই বিয়ে করে ফেলছি? আমাকে বলিও না??অভিমানের সুরে বলল ইউসুফ।।
—–হুম ঘরোয়াভাবে হয়েছে।। দেশে আসলে বড় করে পার্টি দিবো তখন তো আসতে হবে।। তা তোর খবর বল তোর কি হল? বিয়ে কবে করছিস?
ওপাশ থেকে ইউসুফ দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।
—–আমার আর বিয়ে? এই জনমে হবে কিনা জানিনা?
—–কেন কি হয়েছে? তার কণ্ঠে এত বিষণ্ণতার ছাপ কি জন্য? প্রেমে পড়লি নাকি?
—–হুম।।
——কি বলিস আমাদের ইউসুফ আর প্রেম??অবাকের সুরে বলল আয়মান।।তা কি করেন আমাদের হবু ভাবি?
—–আমারি ফুপাতো বোন।।
—–তো প্রোপোজ করেছিস?
—–আর প্রপোজ আমার সাথে দুই মিনিট কথা তো বলতে চায় না, সহ্যও করতে পারে না, তাকে করবো আমি প্রপোজ??
তোরটা বল?যাকে লাইক করতি সেই নাকি?
—-হুম। সেই! যাকে ভালবাসি তাকে কিভাবে হাত ছাড়া করি।।শুন তোকে কিছু এডভাইস দেই আমার নিজের জীবন থেকেই।।তুইতো জানিস আমুকে পেতে কত কাঠখড় পোহাতে হয়েছে! কি পরিমাণ টর্চার টা আমি করেছি তার উপর।।জোর করে বিয়েও করেছি।।এতে কি লাভ হল? আমি ওকে আপন তো করে নিয়েছি, কিন্তু সে আমাকে মানতেই পারছিল না।।তাই রাগ টাগ বাদ দিয়ে বন্ধুতের হাত বারিয়ে দেই।।আর এখন ওই আমার সাথে কতটা হেপি।।এক মুহুর্তে জন্য আমাকে একা ছাড়তে চায় না।।তাই তোকে সাজেস্ট করছি, ভালবাসার মানুষটিকে টর্চার বা ব্লেকমেল করে নয়,,সাইকো লাভার হয়ে জয় করে নে।।দেখবি তোর ভালবাসা তোর হয়ে যাবে।।বুঝলি??
—–বাহ্ ডুড তুমিতো ভালবাসায় পুরোই পিএইচডি করে ফেলেছ।। যাই হোক তোর সাথে কথা বলে আমার কিছু প্রবলেমের সলিউশন পেয়ে গেলাম।। থ্যাংকস দোস্ত।। দেশে ফিরে মিট করিস।।
—-হুম। ওকে বায়।।
—বায়।।
আয়মান ফোন রেখে তার আমুর কাছে চলে যায়।।আর তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে,,
—-ভালবাসি বউ।।
আমুও হেসে আয়মানের কপালে তার কপাল হালকা বারি দিয়ে বলতে লাগে,,
—–আমি বাসি না।।হি হি।।
আয়মান ছোখ পিট পিট করে বলতে লাগে,,,
—-তাই না।।হুম! বলেই কাতুকুতু দিতে লাগলো।।
আমায়রা আর সইতে না পেরে বলতে লাগে ভালবাসি জামাই ?।।এভাবে তাদের খুনসুটি চলতে থাকে।।

ইউসুফ ফোন কেটে তার অফিসরুমের বড় জানালার সামনে দারায়।।বাহিরে সন্ধ্যা নেমেছে।।আকাশে লাল লাল আভা দেখা যাচ্ছে।।দূরের পাখি গুলো ঘরে ফিরে যাচ্ছে।। সাথে হালকা মনমুগ্ধকর বাতাস বইছে।। ইউসুফের কপালে পড়ে থাকা চুলগুলো হালকা উড়ছে।।ইউসুফ দুপাশে হাত মেলে চোখ বন্ধ করে এক শ্বাস টানলো আর শ্বাস ছাড়লো।।বাম হাতে পরে থাকা চুল গুলো উপরে তুলে বলতে লাগে,,
—–অনেক হয়েছে আমার রাগটা দেখানো তোমার উপর বাবুই পাখি।।এখন থেকে শুরু হবে আমার লাভ কেয়ারিং।।আয়মান ঠিকি বলে ভালবাসার মানুষকে টর্চারিং, ব্লেকমেলিং করে নয়, ভালবেসে জয় করে নিতে হয়।।

—————————————————->
সকাল সকাল কারো নিশ্বাস আমার উপর পড়ায় ঘুমটা ছু মন্তর হয়ে যায়।।তাকিয়ে আর সেই ব্যাক্তিটিকে পেলাম না।।কেউতো ছিল যে তার নরম ওষ্ঠদ্বয় ধারা আমার ফোঁটা কপালে স্পর্শ করেছে।।কিন্তু কেন জানি না এই স্পর্শটা আমার সেই লেগেছে??।।ঘুম থেকে উঠে বেডে বসে এসব ভাবচ্ছি।।তখনি নজর যায় টেবিলের উপর,,যেখানে একটি ফুলের স্টিক।।সাথে একটি চিরকুট।। যেখানে লিখা,,
—-গুড মর্নিং বাবুই পাখি।।
আজ দিনটি তোমার শুভ যাক।।
❤ ভালোবাসি ❤
চিরকুট দেখে কেন জানি ব্লাশিং করতে লাগলাম।।
তখনি দরজায় নক পরে।।দরজা খুলতেই কালকের সেই দুজন গার্ড।।একজন গার্ড একটি শপিং ব্যাগ এগিয়ে দিল,, আর বলল,,
—-Sent sir?
—-ওকে।
ব্যাগটি নিয়ে দরজা নক করে দেখতে লাগলাম।।একটি মিস্টি কালার সালোয়ার সুট।। খুব সুন্দর ডিজাইন।।তখনি সাথে সাথে একটি মেসেজ আসে মোবাইল,,,
—-আমার বাবুইপাখির জন্য ছোট একটি গিফট আমার তরফ থেকে।। প্লিজ আজকে ড্রেসটি পড়ো।

বাহ্ সাইকো আজ রোমান্টিক মুডে আছে ব্যাপার টা কি??? কথায় আছে অতি ভক্তি চোরের লক্ষন তাহলে কি তাই? নাকি আমার সাথে যা করেছে তার জন্য? মাফ চাইতে পারছে না বলে হয়তো এতো কিছু করছে।।যাই হোক পছন্দ হয়েছে ড্রেস্টি।।ভার্সিটিতে আজ এই ড্রেস্টি পরে যাবো।।যা ভাবা তাই কাজ।।ড্রেসটি পরে রেডি হয়ে নিলাম।।ড্রেসের মাথে ম্যাচ করে ছোট টপ বললাম, চুল গুলো ছেড়ে দিলাম।। ঠোঁটে হালকা লিপবাম লাগিয়ে নিলাম।। আয়না একবার পর্য্যবেক্ষণ করে একটা সেলফি তুলে নিলাম।। এফবিতে আপলোড দিলাম।।তারপর বের হতেই চামচি দুইটা দাঁড়িয়ে।।আমি তাদের পাত্তা না দিয়ে চলে আসলাম সাথে তারাও আমার পিছন পিছন আসলো।। নিচে এসে তো আমি একেবারেই অবাক।।লিভিং রুমে এহসান ভাইয়া আর চাচি বসে,, আমি আশেপাশে কে আছে না আছে তা না দেখেই দৌড়ে জড়িয়ে ধরলাম তাকে “এহসান ভাইয়া ” বলে।।তার পাশে একটি মেয়ে বসা ছিল।।এহসান ভাইয়াও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগেন,,
—-কেমন আছিস আমার কটকটি? বলে আমার কপালে চুমু খেলেন।।
—–ভাল আছি ভাইয়া।।এতো বড় সারপ্রাইজ পাবো ঘুম থেকে উঠে ভাবি নি।।
এহসান ভাইয়াকে এতদিন পরে পেয়ে যেন আমার কোনো হুশই নেই।।

আর এদিকে ইউসুফ সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে।।কুহুকে অন্য কারো বাহু ডোরে আবদ্ধ দেখে ঠোঁট কামরে রাগ কন্টোল করতে সে।।তার সাথে তার দাদু বসে হাসতেসে।।কিছু বলতেসে তাই যেন রাগ আরো দিগুন, তিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।।রাগে মাথার রগ ফুলে উঠেছে তার।।চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে সে।।এখন আশে পাশে কেউ না থাকলে হয়তো চিবিয়ে খেয়ে ফলতে কুহুকে।।

এহসান ভাইয়াকে জড়িযে ধরেই দেখতে পাই একটি মেয়ে আমাদের দেখে হাসছে মিটমিট করে।।তাই এহসান ভাইয়াকে জিগাসা করলাম,,,
—–ভাইয়া এ আপুটি কেরে??
এহসান ভাইয়া আমাকে ছেড়ে ওই আপুটির পাশে বসে তাকে হালকা জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে,,
—–তোর ভাবী।। পছন্দ হয়েছে?
আমি খুশিতে ভাবীর পাশে বসে তার গালে হাত রেখে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে দেখলাম।।আর ভাবের সাথে বললাম,,
—–হে রে ভাই তোর বউতো পুতুলের মতো আমারতো সেই পছন্দ হয়েছে।।
আপিটাও হেসে বলতে লাগে,,
—-এহসান আমার কিন্তু আমার ননদকে সেই পছন্দ হয়েছে।।আমি ভাবছি আমার ভাইয়ের জন্য একেই উঠিয়ে নেই কি বল? দুষ্টমির সুরে বলতে লাগে নুহা।।
আমিতো লজ্জায় মাথা নিচু করে আছি।।তা দেখে সবাই হাসচ্ছে।। নুহা আপু আর কিছু বলবে তার আগেই।।কেউ গলা পরিষ্কার করলো।।আমি সামনে তাকিয়ে দেখি আমার যম বসে আছে আমার দিকে চোখ গরম করে।।এ বুজি টুপ করে গিলে ঢেকুর তুলবে।।এতখন তো আমার খেয়ালি ছিল না।।তার মানে ভাইকে ঝাপটে ধরা তিনি দেখেছেন।।হায় কপাল।।এটা ভেবেই শুকনো ঢোগ গিললাম কয়েক ধপা।।
তিনি আমাকে হাতে ইশরা করে কি জানি একটা বললেন,, তারপর গট গট করে চলে গেলেন নিজের রুমে।।আমি হা করে চেয়ে আছি।।আজ আমার কপালে শনি, রবি সব আছে বুঝতে পারছি।।

চলবে,,?
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।।)

psycho_is_back ? part_10

0

psycho_is_back ?
part_10
#apis_indica❤
আজ ৩ মাস পর দেশে ফিরেছি ইউসুফ।।
এ তিন মাসে প্রতিটি সময় ছটফট করেছে এখন সে বিডিতে আসবে।।বাসায় এসে জানতে পারে তাথৈ রিয়ানের বার্থ ডে পার্টিতে গেছে না সইতে পেরে সেখানে যায় সে।।দুজনকে এতো ঘনিষ্ঠ ভাবে দেখে সইতে পারে না সে চলে আসে বাসায়।।তার আসার ২ ঘন্টা পর বাসায় আসে কুহু।।তার উপর সে ইউসুফ
কে ইগনোর করে উপরে যেতে নেয়।।যার জন্য ইউসুফ রেগে আগুন হয়ে উঠে আর সইতে না পেরে গুলি চালিয়ে দেয়।।এ ক মাসে তাকে যেভাবে ইগনোর করে চলছে সব কিছু যেন এক সাথে মাথায় ঝেঁকে বসে তার।।

পিছনে তাকিয়ে যা দেখলাম,,
সাইকো তার বাম হাত উঁচু করে আছে, হাতে তার প্রাণ প্রিয় বন্ধুক।।আমি বসা থেকে ভয়ে ভয়ে উঠে দারালাম।।যেই এক কদম বারাবো ওমনি সাইকো বলতে লাগে,,,
—-খবরদার আর একটা কদম এগিয়েছিস তো!
সে বসা থেকেই বলতে লাগে কথা গুলো।।আমি বুঝতে পারছি আজ আমার কঁপালে ভাল কিছুই আছে।।আমি এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম।।আন্টিমা আছে কি না দেখার জন্য না তিনি নেই।।পরে মনে পরলো তিনি আজ রাতে ফিরবেন না।।সাথে সাথে শুকনো ঢোক গিললাম।।

ধীরে ধীরে সাইকো আমার দিক এগিয়ে আসলো।।আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করলো।।তারপর তাচ্ছিল্য একটা হাসি দিল।।তার হাসিতে আমি জমে যাচ্ছি পুরোই।।আমার জান পাখিটা উড়ার জন্য রেডি।।আমি মাথা নত করে আছি।।আর গাউনের দু পাশে শক্ত করে চেপে ধরে আছি।।দাড়িয়ে থাকার শক্তিটুকুও নেই আমার।।হঠাৎ করে সে এসে তার হাতের বন্দুক দিয়ে আমার মুখ উঁচু করলো।।আর বলল,,
—-ভয় পাচ্ছিস? পাবারি কথা?? কিন্তু এখন কেন পাচ্ছিস?? হুম! বল বলনা?? খুব শান্ত ভাবে কথা গুলো বলল ইউসুফ।।
তার এত শান্ত কথা আমার দম বন্ধ হয়ে আসচ্ছে।।

কথা গুলো বলে কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন।।তারপর হটাৎ করেই আমার হাত ধরে টানতে টানতে তার রুমে নিয়ে আমাকে মেঝেতে ছুড়ে মারেন।।আমি পরে যাই সাথে সাথে।।আর উনি রুমের দরজা লক করে দেন।।আর আমার সামনে এক হাটু গেরে বসে আমার থুতনিতে খুব জোড়ে চেপে তার দিক তুলে ধরেন।।আমি দু হাত দিয়ে তার হাত সরাতে চাইছি।।খুব ব্যাথা করছে।। ব্যথায় দু ফোটা চোখের জল গড়িয়ে পরলো সাথে সাথে।। তিনি বললেন,,
—–ড্রেসটা কে দিয়েছে? রিয়ান?
আমি কিছু বললাম না ভয়ে কান্না চলে আসচ্ছে
তখনি তিনি জোড়ে ধমক দিয়ে বললেন,,
—কি হলো কথা বলছিস না কেন?? এমনিতে তো সারা রাত কথা বলিস।। আমি কিছু জিগাসা করলেই তালা দিয়ে রাখিস মুখে হুম।।কথা বলল।।লাষ্ট কথা গুলো খুব জোড়েই বলল সে।।
তার চিল্লানো শুনে কেপে উঠলাম।।আর হালকা মাঁথা নাড়ালাম।।
তিনি এবার আমার থিতনী ছেড়ে দিলেন আর আমার সামনে হাটু ভাজ করে বসে পরলেন।।
—-তোকে যাওয়ার আগে একটা একটি লেটার দিয়েছিলাম? সেখানে কি লিখা ছিল??
আমি কিছু বললাম আমার এখান থেকে ছুটে পালাতে ইচ্ছা করছে।।কিছু মাস তো শান্তিতেই ছিলাম।।আর ভাল লাগছে না আমার।।তখনি তিনি বললেন,,
—-কথা বলছিস না কেন?
—-আপনি আমার সাথে এমন কেন করছেন? আমাকে যেতে দিন! আমার লাইফ আমি যা ইচ্ছা তা করবো তাতে আপনি বাঁধা দেয়ার কে??কোনো অধিকার নেই আপনার আমার কোনো কাজে অধিকার দেখানোর।।বুঝলেন।।
প্রথমে ভয় পেলে এখন রাগ লাগছে।কেন বার বার আমার সকল বিষয়ে তিনি নাক গলাতে চলে আসে।।আজ এর শেষ করেই ছাড়বো আমি।। তাই মুখ দিয়ে যা আসচ্ছে তাই বলে যাচ্ছি।।
আমার কথা শেষ হতেই সাইকো তার লাল চোখ গুলো আমাকে নিক্ষেপ করে।।আর সাথে সাথে গালে জোড়ে চর মেরে দেয়।।ঠাসস করে।।আর আমার গাল চেপে বলতে লাগে,,,
—–বাহ্ অনেক বুলি ফুটেছে তোর মুখে হুম??আমাকে অধিকারের কথা শিখাতে আসচ্ছিস?তোর উপর সব থেকে বেশি অধিকার আমার! বুঝলি? তোর উপর তোর নিজেরও কোনো অধিকার নেই!!
উনার কথা শুনে আমি পুরাই অবাক।। কি বলছেন তিনি।। তার উপর আমার গালে এমন ভাবে চেপে ধরাতে আমি খুব ব্যথা পাচ্ছি তার কাছ থেকে ছুটতে চাইছি।।কিন্তু পারছি না।।কোনো ভাবেই না।।
আমি তাকে এবার ধাক্কা মারলাম আর তিনি খানিকটা দূরে সরে গেলেন।। সেই সুযোগে আমি দৌড়ে দরজার কাছে যাই।।আর তিনি খপ করে আমার হাত ধরে ফেলেন।।আর ধাক্কা মেরে আমাকে বেডে ফেলে আমার উপর চরে বসেন।।এবং আমার গাল চেপে ধরে আমার ঠোঁট তার দখলে নিয়ে নেন।।খুব রাফলি কিস করতে থাকেন।।আমার মনে হচ্ছে তিনি আমার ঠোঁট কামরে খেয়ে ফেলছেন।।এদিকে আমি তাকে ঠেলে, ধাক্কিয়ে সরাতে পারছি না।।আমার যেন দম যায় যায় অবস্থা।।এভাবে কিছুক্ষন যাওয়ার উপর উনি আমাকে ছেড়ে দেন।আর আমাকে তার বুকে টেনে নিয়ে বলতে লাগেন,,
—-কেন বুঝিস না বাবুই? আমি তোকে লাভ করি।।খুব লাভ করি।।তোকে কোন ভাবে আঘাত করার ইনটেনশন আমার নেই।। কিন্তু তুই প্রতিবার আমার কথার বাহিরে চলে যাস।।
উনার লাভ করার কথা শুনে কান আমার গরম হয়ে গেছে সাইকো বলেকি।।এতক্ষণ আমি চুপ করে থাকলেও এখন আর পারছি না।।আমিতো তাকে লাভ করি না।।তার থেকে ছাড়িয়ে নিচেকে চেঁচিয়ে বলতে লাগি,,,
—-আমি আপনাকে লাভ করি না।।না কখনো করবো আমি আপনাকে হেট করি বুঝলেন।।হেট করি আপনাকে।।
তখনি তিনি আমার গালে চর মারার জন্য হাত উঠায় আর আমি সাথে সাথে দু হাত মুখ আড়াল করি।।তখনি তিনি থমকে যায়। এবং আমার রিং ফিঙ্গার এর হাত তার দিকে টেনে বলতে লাগে,,
—–তুই ওর প্রপোজাল একসেপ্ট করেছিস?
—-হুম করেছি।। তাতে আপনার কি? আমি তাকে ভালবাসি।।
তিনি এবার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন।।আর কোমোরের বেল্ট খুলে মারতে লাগলেন আমাকে আর বলতে লাগলেন,,
—-আর কখন যদি রিযানের সাথে তোকে দেখেছি।।সেদিন রিয়ান আর তোকে গুলি করে মাটিতে পুতে দিব।।তুই যানিস না বাবুই রিয়ান ভাল ছেলে না।। বলে আমার রিং ফিঙ্গার থেকে রিং খুলে তিনি বের হয়ে গেলেন রুম থেকে।।
এখন আমার বলতে ইচ্ছে করছে আপনি কি খুব ভাল? এটা কি সেই ভালোর নমুনা? কিন্তু কিছু বলতেই পারছি না, আমার শরীরে ব্যাথা করছে।।ঠোঁট জালা করছে।।আঙ্গুল থেকে রিং বের করার সময় আঙ্গুলের দু পাশে ছিলে গেছে।।আমি কোনো রকম উঠে দাঁড়াই।। আর দেয়াল ধরে ধরে নিচের রুমে চলে আসলাম।।আয়নায় নিচেকে দেখে খুব কান্না পাচ্ছে।। এমন বিধ্বস্ত দেখা যাচ্ছে আমাকে।। আমি ড্রেসটি খুলে ফ্লোরে ফেলে ওয়াশরুম চলে গেলাম।।শাওয়ার ওন করে মাটিতে বসে কাঁদতে লাগলাম।।পানির সাথে রক্ত ও ভেসে যাচ্ছে।।আজ পর্যন্ত নানু মা আমার গায় হাত দেয় নি সেখানে সাইতো এ কদিনে আমার সব ওলট পালট করে দিয়েছে।। আমি থাকবো না আর এখানে যে করেই হোক।।সকালে নানুর সাথে কথা বলবো যেন আমাকে হোস্টেল শিফট করে দেয়।।

অনেকক্ষণ ভেজার পর বের হয়ে আসি।।আর খাটে গিয়ে শুয়ে পরি।।আর শক্তি নেই আমার।। সাথে সাথে রাজ্যের ঘুম এসে নামে চোখ জোড়ায়।।

পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি।।
আমার সেই ড্রেসে কেউ আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলছে।। বুঝলাম এটা সাইকোর কাজ।।আমার শরীরে নজর যেতেই দেখি সারা শরীরে ব্যথা পাওয়ার জায়গাগুলোতে ব্যান্ডেজ করা।।সারা শরীরে এক ফোঁটা ব্যাথাও নেই।। বুঝলাম এটাও সাইকোর কাজ।।আমি এখন কোনো দিকে নজর না দিয়ে নানু মার রুমে যাওয়ার জন্য পা বারালাম।।আমার রুম থেকে বের হতেই আমি অবাক দুজন বিদেশি মেয়ে ফরমাল ড্রেসে দাড়িয়ে আছে কালো পোশাক পরিহিত, কানে ব্লুটুথ, দেখে বোঝা যাচ্ছে বডিগার্ড।। আমি সেদিকে পাত্তা দিলাম না।।তাদের পাশ কাটিয়ে বের যেতে নিলাম।। নাহ তারা আমার পিছনেই আসচ্ছে।।আমি যেদিকে যাচ্ছি তারাও সেদিকে আসচ্ছে।।এখন রাগ লাগছে,,আমি তাদের দিক ঘুরে কোমরে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,,
—–হোয়াট’স রং উইথ ইউ? হোয়াই আর ইউ ফলোইং মি??
—–উই আর ইওর বডিগার্ড ম্যাম।।
—-হোয়াট??আই ডোন্ট নিড ইউ! ইউ ক্যান গো নাউ!
—-সরি ম্যাম।। ইট হাস বিন আওয়ার অর্ডার।।
—-দ্য অর্ডার অফ হো ডিড ইট?
—-ইউসুফ স্যার…!
ওহো আমি কেন ভুলে গেলাম এই খাইশটা কাম একমাত্র ওই সাইকোরি হুহ।।এখন আমার পিছনে বডিগার্ড লাগানো হচ্ছে।।এখন আবার নতুন পেরা ভাল লাগেনা।।কালকে মেরে শান্তি পায় নি আর এখন বডিগার্ড।।আল্লাহ প্লিজ হেল্প মি।।
রাগে গজ গজ করতে করতে নানু মার ঘরে চলে গেলাম।। আর এই দুইটা আমার পিছন পিছন ছুটল।।

চলবে,,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।। আজকের পর্ব কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন।। আপনাদের কি মনে হয় কার সাথে মিল দিলে ভালো হয়??? ?)

psycho_is_back ? part_9

0

psycho_is_back ?
part_9
#apis_indica
—–হ্যালো!
—–তোর সাহসতো কম নয়? তোকে না করার পরেও, তুই আমার কথার বরখেলাপ করলি।।এখন দেশে থাকলে আর আমার সামনে পেলে তোকে আমি চিবিয়ে খেতাম।।দাঁতে দাঁত চেপে ফোনোর ওপাশ থেকে বলতে লাগে ইউসুফ।।
—-আমি এদিকে ভয়ে ফ্রিজড হয়ে যাচ্ছি।। তাও আমতাআমতা করে বললাম,,কি করেছি আমি?
—–কি করেছিস তুই জানিস না? তোকে বলি নাই তোর উপর আমার নজর আছে? তারপরেও তুই কিভাবে ছেলেদের সাথে ঢলাঢলি করিস।।খুব শখ??
এবার আমার রাগ উঠে গেল,, আমি চিল্লিয়ে তাকে বলে উঠলাম,,
—-আমার লাইফ আমি কি করবো? না করবো? আপনি বলার কে? হো আর ইউ?আমি যেভাবে ইচ্ছা আমি চলবো।।আমার মরজি।।ফারদার আমাকে কল করবেন না?বলেই কল কেটে দিলাম।।আর নাম্বার ব্ল্যাক লিষ্টে ফেলে দিলাম।।ঝুলা থাক এবার।।হুহহহহ!!

ওদিকে ইউসুফ যখন কুহুকে ফোনে পাচ্ছে না।।মাথা রাগ চেপে বসে।।হাতে থাকা ফোন খুব জোড়ে আছাড় মারে।।আর বলতে লাগে,,,
—–উড় যতো উড়বার! আমাকে তুই চিনিস নারে কুহু।।আমি যেদিন ওই দেশে পা রাখবো! সে দিন যে তোর কি হবে! বলেই আবার বাঁকা হাসলো ইউসুফ।।

এভাবে কেটে যায় এক মাস।।
এই এক মাসে,রিয়ানের সাথে ভালো বন্ডিং হয়ে গেছে আমার।।ওর কেয়ারিং আমার খুব ভাল লাগে।।কি সুন্দর করে কথা বলে।।দিনের বেশিরভাগ সময় আমার এখন তার সাথে কাঁটে।।রিয়ান ঠিক যেমন আর ইউসুফ ঠিক তার উল্টো।।রিয়ান সব সময় হাসি হাসি ভাবে কথা বলে।।কেন জানি না, ওনার প্রতি আলাদা টান অনুভব করি।।ইদানীং আমাকে উনি রাতেও কল করেন।।মাঝে মাঝে কথা বলতে বলতে সকাল হয়ে যায়।।

কথা গুলো পড়ার টেবিলে বসে ভাবচ্ছি।।তখনি ফোন আসে।।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি,,
রিয়ান কল করেছে।।কেন জানি কলটি পেয়ে ঠোঁটের কোনো মৃদু হাসির রেখা ফুঁটে উঠে,,
ফোনটি রিসিভ করতেই রিয়ান বলতে লাগে,,,
—-হেই ডিয়ার আর ইউ বিজি?
আমি লজ্জা মাখা মুখে বললাম,,,
—-নাহ কেন?
—-একটি কথা ছিল?
—–হুম বলুন?
—–কাল আমার বার্থ ডে।।
—–ওহো জানতাম না তো? যেহেতু এখনো ১২ টা বাজে নি,তাই অগ্রিম হ্যাপি বার্থ ডে।।
ওপাশ থেকে রিয়ান মুচকি হাসলো আর বলল,,
ধন্যবাদ ডিয়ার।।বাট এভাবে উইশ করলে চলবে না।।কাল ছোট একটা পার্টি রেখেছে বাসায়।।তুমি আমন্ত্রিত।। না আসলে চলবে না।।তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।।
—-আচ্ছা বার্থ ডে আপনার! আর সারপ্রাইজ আমার জন্য? কেমন শুনালো না??
—–যেমনি শুনাক? আর শুনো তোমার ফ্রেন্ডদের ও ইন্ভাইট করেছি।।আর তোমার জন্য একটা গিফট ও আছে! যা সকালে পেয়ে যাবা।।
—-আমি এবার সত্যই তাজ্জব হচ্ছি! এখন মনে হচ্ছে বার্থ ডে আপনার নয় আমার।।
—–উম হুম।।একই তো।।বলে হাসতে লাগলো রিয়ান।।
এভাবে কথা বলতে বলতে রাত হয়ে যায় অনেক।। তখনি কথা বলার মাঝে দু এক বার আননোন নাম্বারে কল আসে।।আননোন দেখে ধরলাম না।।কারণ এ কয়েক মাসেই এটা নতুন কিছু না।।
কথা শেষে রিয়ানকে বায় বলে ঘুমিয়ে পড়ি।।

সকালবেলা ?
ঘরে বসে আছি।। আর এফবিতে ঘুরছি।।আজকে আমার ৫ হাজার ফলোয়ার হয়েছে।।খুশি লাগছে অনেক।।তখনি হঠাৎ চোখ পড়ে সাইকোর এফবি আইডি।।কেন জানি ঘাটতে ইচ্ছা হলো তার আইডি।।তাই ঢুকলাম।।
তার আইডিতে ডুকে আমি থ।।
উনার আইডিতে ৬০ হাজার ফলোয়ার।।তার একেকটা পিকে কি লাইক?
তার উপর একেক টা পিকের লুক একেক রকম।।তার থেকে বড় কথা তার একটি পিক দ্বিতীয়বার রিপিট করা না।।আর একটি ড্রেস পরের বার রিপিট ও করা না।।তাহলে কি তিনি কোনো ফেমাস মানুষ?? ভাবছি তখনি রূপালী আসে।।আর একটি গিফট বক্স দিয়ে যায়।।বক্সটি দেখে বুঝলাম রিয়ান দিয়েছে।।কিন্তু কেন জানি ওই গিফট দেখার চেয়ে বেশী, সাইকোর আইডি ঘাটার আগ্রহ বেশী হচ্ছে আমার।।আর তার পিক গুলো দেখ যাচ্ছি।।সাইকো সত্যই অনেক সুন্দর গুড লুকিং,তার পার্সোনালিটি অনেক আলাদা।।তার প্রতিটা পিকে মেয়েদের কমেন্ট অনেক।।কেন যানি হিংসে হচ্ছে আজ।।অথচ এ কদিন আমার তো একবারের জন্য সাইকোর কথা মনে পরে নি।।তখনি একটি পিকের দিক আমার নজর আটকে যায়।।সেখানে সে একটি বেলকনিতে কফির কাপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে।।আর উনি দূর আকাশে তাকিয়ে আছে।।পরোনে তার জিন্স সাথে লং হাতার একটি জলপাই কালারের টি শার্ট।।পিক টা ভাল লাগলো তাই সেভ করে রাখলাম ফোনে।।আরো কিছু ঘাটতে লাগলাম সাথে।।তখনি ফোনটা বাজতে লাগলো।।রিয়ান কল করেছে।।কিন্তু কেন জানি তার কলে বিরক্তি লাগলো।।রিসিভ করলাম কিন্তু কিছু বললাম না।।
তখনি ওপাশ থেকে রিয়ান বলল,,
—-গুড মর্নিং ডিয়ার।।
—-হুম।।
—-ঘুম ভেঙেছে?
—-হুম।।
—-গিফট পাইসো??
—-হুম।।
—–খুলে দেখছো?
—–
—–কি হলো? চুপ কেন??ডিয়ার মুড ওফ?
আমি বির্ক্তিকর ভাব নিয়ে বললাম,,
—-পরে কথা বলছি।।রিয়ানকে কিছু না বলতে দিয়ে কল কেটে দিলাম।।
আজ জানি কেন এমন করলাম ওর সাথে জানা নেই আমার।। তখনি মেসেজ টোন বেজে উঠলো।।
ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি রিয়ানের মেসেজ।।
“”ডিয়ার আমি বুঝতে পারছি তুমি কোনো কিছু নিয়ে আপ সেট। বাট বিলিভ মি তুমি গিফট দেখ, তোমার মন ভাল হয়ে যাবে।।আর হে টাইমলি চলে এসো ওয়েট করবো।।””

মেসেজটি পড়ে গিফট বক্সটা ওপেন করতেই,সত্যিই আমার মনো ভাল হয়ে গেছে।।গিফট বক্সে একট গাউন।।প্রিন্সেস দের মত, ড্রেস।।অনেকটা ফোলা নিচের দিকটা।।সত্যই আমার মন ভাল হয়ে গেল মুহুর্তে।। আমি এটি পরে দেখতে লাগলাম হুম অনেক মানিয়েছে আমাকে।।ছোট থাকতে যখন বার্বি কার্টুন, সিনড্রেলা কার্টুন দেখতাম তখন থেকেি এমন ড্রেস পরার ইচ্ছা আমার।।সাথে সাথে ফোন নিয়ে ধন্যবাদ জানালাম।।

সন্ধ্যাবেলা?
রেডি হয়ে নিচে আসলাম।।আন্টি মা আমাকে দেখে তার চোখে থেকে কাজলের ফোঁটা নিয়ে লাগিয়ে দিলেন আমার কানের পিছনে আর বললেন,,
—-মাশাআল্লাহ।।সুন্দর লাগছে আমার আম্মুটিকে।।
—-ধন্যবাদ আন্টি মা।।
জড়িয়ে ধরলাম তাকে।।তার সাথে কথা বলার মাঝেই এসে উপস্থিত হয় তাথৈ আর লিজ।।তারাও গাউন পরেছে।।তাদের ও সুন্দর লাগছে অনেক।।আমরা বের হয়ে যাই তাথৈ আর লিজ রীতিমত আমার সাথে দুষ্টামি করছে।।আর আমার খুব লজ্জা লাগছে।।তখন লিজ বলতে লাগে,,
—-আজ রিয়ান তো গায়ো? বলে কিটকিটিয়ে হেসে দিল।।তার সাথে তাথৈ ও তাল দিচ্ছে।।
হাসি ঠাট্টা করতে করতে পৌঁছে গেলাম রিয়ান দের বাসায়।।খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বাসাটা।।তাদের বাড়িটাও অনেক বড়।।ইউসুফ ভাইয়াদের বাড়ির মতো।।পার্টি পুল সাইডে অ্যারেঞ্জ করেছে।।আমরা যেতেই একটি পুচকে মেয়ে এসে জড়িয়ে ধরে আমাকে এ আর কেউ না রিয়ানে ভাস্তি।। এসেই বলতে লাগে,,
—–আজ তোমাকে আমার বার্বি ডোলের মতো লাগছে।।
আমি হেসে তার গাল টেনে বলতে লাগি,,
—-হুম তোমাকেও প্রিন্সেস লাগছে।।
সে হেসে আমার গালে চুমু খেল।।আমিও দিলাম।মেয়েটির জন্য মায়া লাগে সেই ছোট থাকতেই নাকি তার বাবা, মা কার এক্সিডেন্টে মারা যান।।এ কদিনে বাচ্চাটির সাথে আমার বন্ডিং অনেক ভাল হয়ে যায়।।তখনি রিয়ান এসে হাজির।।ওকে সুন্দর লাছে সে আমার ড্রেসের কালারের মতো সুট পরেছে।।

সব গেষ্ট আসার পর রিয়ান কেক কাঁটছে,, রিয়ান তার বাবা, মা আরর ভাস্তিকে খাইয়ে আমার মুখের সামনে ধরলো।।আমি খেলাম।।

ডান্সিং এর সময় রিয়ান আমার সামনে হাত বারিয়ে দেয়।।আর আমিও তার সাথে ডেন্স করি।।খুব ভাল লাগছিল সব কিছু।।কাপল ডান্স শেষেই রিয়ান আমাকে সবার সামনে হাটু গেরে বসে প্রপোজ করে।। আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না।।অবাক লাগছে।।কি বলবো তাও ভাবছি।।রিয়ানের মাঝে সেই সব কিছু আছে যা একজন ভালবাসার মানুষের মাঝে থাকে।।কি করবো বুঝতে পারছি না।।রিয়ান তার হাত রিংটি আমার সামনে ধরে রেখেছে।।আর এদিকে তাথৈ,আর লিজ বলতে লাগে,,
—-say yes.. কুহু।।
রিয়ান ও হাসি মুখে তাকিয়ে আছে।।আর সবাই এক কথাই বলে যাচ্ছে।।

আর এইদিকে পার্টির মাঝে উপস্থিত একজন তাদের দিক অগ্নিদৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে।।হাত দুটো মুষ্টিবদ্ধ করে।।সেখানে আর দাড়িয়ে থাকতে না পেরে উল্টো পথে হাটা ধরে।।

আর এদিকে কুহ তার হাত বারিয়ে দেয়।। যা দেখে সবাই হাত তালি কেউ সিটি বাজাতে শুরু করে।।রিয়ান রিং পড়িয়ে দেয়।।

হলে বসে আছে ইউসুফ।। ঘড়িতে ১২ টা ছুঁই ছুই।।সোফার উপর বসে পা দুটো টেবিলের উপর রাখা।।চুল গুলো সব এলে মেলো হয়ে পরে আছে কপালে আর এক চোখে।।সোফায় হেলে মাথা উপরের দিক দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে সে।।পাশে থাকা টেবিল ল্যাম্পটি এক হাত দিয়ে জালাচ্ছে আর বন্ধ করছে।।টেবিলের পায়ের কাছেই তার রিভলবার।।বার বার হলটিতে ল্যাম্পটি জালানো নিভানোর কারণে মৃদু আলো জ্বলছে কিছুক্ষণ পর পর।।দরজায় শব্দ হতেই লাইটনএকে বারেই বন্ধ করে দেয় ইউসুফ।।

রিয়ানের সাথে কাটানো কিছু মুহুর্তে মনে করতে করতে বাসায় ঢুকলাম।। নক করার আগেই দেখি দরজা খোলা।।কিছু না ভেবেই ঢুকে গেলাম বাসায়।।পুরো বাড়ি অন্ধকার।।আর পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছে।।মনে হচ্ছে এ বাড়িতে কেউই থাকে না।।কিছু কদম যেতেই টেবিল ল্যাম্প জ্বলে উঠলো।। যা ইউসুফ জালিয়েছে।।কিন্তু সে আগের মতোই বসা।।কিন্তু এবার আর সে লাইট ওফ করে নি।।

ইউসুফকে চোখের সামনে দেখে ভয় লাগছে।। আমি কিছু না বলে তার পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম দুটো সিরি পার করতেই হঠাৎ গলি করার ওয়াজ হলো।।আর সাথে হল থাকা বিশাল কাচের ঝাড়বাতি মাটিতে পড়ে গেল এবং আর বিকট শব্দে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেল।। আমি সাথে সাথে কান চেঁপে সিরিতে বসে পরি।।আর কাঁপতে লাগি ভয়ে।।ধীরে ধীরে পিছনে তাকিয়ে যা দেখলাম,,,

চলবে,,,
(ভুল গুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন।।রেসপন্স কমে যাচ্ছে স্টোরিতে।। ভাল লাগছেনা বুঝি ?।।তাহলে তাড়াতড়ি শেষ করে দিব।।)