Wednesday, July 9, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1852



শুকনো ঘাস ফুল part: 17

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::17

????

আহাধ একপা একপা করে ছুরিটার দিকে আগাতে থাকে আর তার মুখো বিজয়ের হাসি ফুটিয়ে

আহাধ আস্তে গিয়ে হাত বারিয়ে ছুরিটা হাতে নেয় …আর ডান হাত দিয়ে বা হাতের শিরায় ছুরিটা ধরে .

.যখনই টান দিয়ে হাত কাটতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তেই আহাধ এর ফোনটা বেজে ওঠে আহাধ ছুরি টা পাশে রেখে ফোনের কাছে যায় ..

.রাহুল ফোন করেছে তাকে ..আহাধ ফোনটা রিসিভ করে কানের সাথে লাগায়

রাহুল:ভাই আমি জানি …আহিবার সাথে যা হয়েছে এতে তোমার কোনো দোষ নেই …কিন্তু আহিবার তো এটাই ফাস্ট বেবী ছিল তাইনা …সে হয়তো বুঝতে পারবে তাকে তুমি কিছুদিন সময় দাও …আমরা সবাই তাকে বুঝাবো …আশা করি সেও বুঝতে পারবে ..ভাই ওর অপারেশন টা হয়েছে মাএ আজ ৪ টা দিন ওর মাথার উপর জোর দেওয়া কখনই ঠিক হবে না …আমি জানি হয়তো তুমিও আমার উপর রাগ করেছো মিষ্টিকে এভাবে নিয়ে আশার জন্য…কিন্তু আমি কি করতাম বলো ..ওকে ওখানে রেখে আসলেই ও চিল্লা চিল্লি করতো এমনিতেই ওর ঐ সময় চিল্লা চিল্লি করা ঠিক হয়নি …এর পর যদি আরো বেশী রাগা রাগি করতো সেটা কি ওর জন্য খারাপ হতো না বলো …

আহাধ:হুম ..কিন্তু রাহুল আমি আহিবাকে ছারা থাকবো কি করে নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করছে

রাহুল:ভাই মৃত্যুই কিন্তু সব সাময়িক কষ্ট থেকে হয়তো তোমায় বাচাতে পারবে কিন্তু এটা কিন্তু কখনও কোনো জিনিস এর সমাধান না …তাই এমন কাজটা ভুলেও করো না ….ভাই আমরা মুসলিম পরকাল বলেও তো একটা জীবন আছে আমাদের …নিজেকে নিজে শেষ করলে কি সেটার জন্য তুমি কখনও আল্লাহর কাছে জায়গা পাবে …আর না কখনও ভালো কিছু পাবে …মিষ্টিকে আমরা সবাই বুঝাবো তবে এখন না কয় একটা দিন যাক তবে ..আমি চাইনা মিষ্টির কোনো ক্ষতি হোক আশা করি তুমিও চাইবে না

আহাধ:হুম ..তুই ঠিক বলছিস…আচ্ছা আহিবার দিকে খেয়াল রাখিস ..আর কি করছে সে

রাহুল হাসি দিয়ে :পুরো বাড়ি শাসন করছে বড় ভাইয়ারা ও এসেছে ..সবাই এতোদিন পর তাদের কলিজাকে পেয়ে মেতে আছে আর মিষ্টি ও ..সবার সাথে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে

আহাধ:ওহ আর কাকিয়া কেমন আছে
রাহুম:মা ও এখন এমনিই তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠবে সবাইকে পেয়ে চৌধুরী বাড়ু এসে যেন সে প্রান ফিরে পেয়েছপ আবার নতুন করে

তারপর আর কিছু টুকটাক করে বলে আহাধ ফোন রাখে আর ভাবতে থাকে কত বড়ই না একটা ভুল করতে যাচ্ছিল সে …যাক রাহুল না বল্লে হয়তো সে ওটাই করে ফেলতে ….

আহাধ:সবুরে নাকি মেওয়া ফলে দেখি কি হয় …আমি তো তোমায় কম কষ্ট দেইনি ..নাহয় এবার আমার কষ্ট পাওয়ার পালা শুরু দেখি আমায় কত কষ্ট দিতে পারো তুমি …..কিন্তু ডিভোর্স এহো জন্মে পাবা নাহ হুম

বলেই ফ্রেস হতে চলে যায়

আহিবা সবার সাথে হাসছে কথা বলছে ঠিকই কিন্তু কোথাও তার একটা শুন্যতা কাজ করছে …রাত অনেক হয়েছে সবাই আহিবার কাছ থেকে বিদায় নেয় তাকে ঘুম পরতে বলে …এনি আজ আহিবার সাথে থাকবে ..আহিবাকে ঠিক করে দিয়ে সে নিজেও আহিবার কাছে সুয়ে পরে

এনি:কি রে আহু ওহ সরি তুই তো সবার মিষ্টি পাখি ..আমার ননদ একদিকে ..অন্যদিকে ভাবি আর একদিকে বোন হাহাহা ?..বেশ তাই না

আহিবা:আপু একটা কথা বলি
এনি:বলে ফেল পারমিশন নেওয়ার কি আছে
আহিবা:আপু উনি কেন আমার বেবীটাকে মেরে ফেল্লেন বকতে পারো

এনি:জানিস বোন …মানুষ মাঝে মাঝে এমন পরিস্থীতির স্বিকার হয় …যেখানে সে চাইলেও ভালো কিছু করতে পারে না ..চাইলেও নিজের অংশ বিশর্জন দিতে হয় …আহাধ এর সাথেও তেমন হয়েছে …তোর বয়সটা যে কম তার সাথে ব্রেন টিউমার আর অন্যদিকে বেবী …একটা বাচ্চা গর্ভে আশা পর থেকেই একটু একটু করে মায়ের রক্ত নিয়ে নিজেকে তৈরী করে ..আর একটা টিউমারও ..ঐ মানুষটার শরীর থেকে রক্ত চুশে নিয়ে নিজের বিস্তার করে …তুই এখনও pregnancy এর জন্য প্রাপ্ত বয়সকো হোশ নি ..বেবী নিতে গেলে এমনি তোর লাইফ ঝুকি আছে তার মধ্যে টিউমার ..দেখ আহাধ এর কি আছে বলতো ওতো এখন তোকে নিয়েই বেচে আছে যদি তোর কিছু হয়ে যেতো কি নিয়ে বাচতো ও ..ওর বাবা মা বোন সবকে হাড়িয়ে তোকে আকড়ে বেচে থাকার নতুন স্বপ্ন দেখেছে ..দেখ যা হয়েছে এতে আহাধ এর দোষ নেইরে দোষটা তোদের ভাগ্যের …আহাধ এর উপর তোর রাগ হওয়াটাই সাভাবিক কিন্তু আহাধ এর যে কিছুই করার ছিল না

আহিবা:আমায় একটা বার জানাতে পারতো
এনি হালকা হেসে :তুই কখনই তোর বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার চিন্তা মাথায়ও আনতি না ..

আহিবা চুপ করে আছে ..

এনি:কি রে কিছু বলছিস না যে
আহিবা:আপু রাত অনেক হয়েছে ঘুমিয়ে পরো আমার ও যে চোখ জোরা লেগে আসছে

এনি ভালোই বুঝতে পারছে আহিবা কথাটা কাটাতে চাচ্ছে তাই এনিও আর জোর করে সে ঘুমিয়ে পরে

কিন্তু আহিবার চোখে ঘুম নেই সে সুয়ে এক দৃষ্টিতে বড় জানালার বাহিয়ে তারা হীন আকাশটার দিকে তাকিয়ে আছে যেখান থেকে মেঘ গুলো ক্রমশ ছোটা ছুটি করছে …মাঝে মাঝে কিছু বাদুর ও উরছে হয়তো তারাও তাদের বারি ফিরবে ..চারিদিকে জেনাকির আলো হালকা হালকা মাঝে মাঝে জ্বলে উঠছে

আহিবা:সত্যি আপু তো কিছু ভুল বলে নি …তবে আমি কি অযথাই ঐ মানুষটাকে ভুল বুঝলাম …মানুষটাকে কষ্ট দিয়ে ফেল্লাম …ধূর কাজটা কি ঠিক হলো …

আহিবা আহাধ এর কথা ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পরে ..হঠাৎ কারো পায়ের আওয়াজে ঘুম ভেগে যায় ..আহিবা পিট পিট করে চোখে খুলে দেখে রাহুল রুমে এসে ঘুর ঘুর করছে ..আহিবা ভালোই বুঝতে পারছে এনির জন্য এসেছে সে…

কিন্তু আহিবাকে অবাক করে দিয়ে রাহুল আহিবার মাথায় কাছে বসে তার কপালে একটা চুমু দেয় …আহিবা আুপ করে ঘুমের ভান ধরে সুয়ে আছে

রাহুল:বোন তোকে প্রতিদিন কতটা মিস করেছি তা তোর জানা নেই …তোকে ফিরে পেয়ে যেন নিজের কলিজাটা ফিরে পেলাম ..বলেই উঠে চলে যায়

আর একটু গিয়েই আবার ফিরে আসে এনিকে কলে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়

আহিবা ও ফিক করে হেসে দেয়

আহিবা:আহারে রাহুল ভাই আমার পুরাই বউ পাগল …হিহি …ভালোই মানিয়েছে দুজনকে …আহাধ ও

বলেই থেমে যায় ..আহিবার মনে পরে যায় পুরনো কথা আহিবা যদি কখনও কোনো কিছুতে না করতে আহাধ ওকে কলে নিয়ে সেই কাজটা নিজেই করতে কিন্তু আহিবাকে সাথে নিয়েই
মাঝে মসঝে গাড় ত্যারামি করলে সোজা কোলে নিয়ে বাতটপে ফেলে দিতো ….

আহিবা:মিস করছি আপনাকে …কিন্তু আমায় না বল এতো বড় একটা সিদ্বান্ত নেওয়ার সাস্তি তো আপনাকে একটু দিতেই হয় ..

.
এভাবেই কেটে যায় তিন তিনটা দিন

আহাধ বিছানায় না সুয়ে বারান্দার রকিং চেয়ারে বসে আসে নিশ্তব্ধ শহর টার দিকে

আহাধ:ভালো লাগছে না কিছুই কিন্তু কি করবো ..বউ আমার যে অভিমান করেছে বড্ড ..উফফ এই ভাবে বউ না থাকলে মামুষ একা থাকে কিভাবে ভেবেই পাইনা ….কি আজব না ..৩ মাস আগেও আমি একাই ছিলাম আর এখন বউ বউ করছি …ধূর কেমন ফাকা ফাকা লাগছে ঘরটা …এই জন্যই বলে মেয়ে না বউ হলো ঘরের লক্ষি …না থাকলেই খালি খালি …উফ করে যে আসবে কে জানে …আমি একটা নিরিহ পাবলিক হয়ে গেলাম …
হুহ

আহাধ একা একা কথা বলতে বলতে কখন যে ঘুমিয়ে যায় সেটা সে নিজেই বুঝতে পারে না …

সকালে চারিদিকে আলো ফুটে উঠছে পাখির কিচির মিচির এর আওয়াজ ..যে কারো মন ছুয়ে যাবে..

সকালে সূর্যের আলোটা আহাধ এর মুখে পরতেই নরে ওঠে কিন্তু কোনো একজোরা হাত এসে আহাধ এর মুখের উপরে পরে থাকা আলোটা নিজের হাতে ঠেকে দেয় আহাধ হালকা একটু নরে আবার ঘুমিয়ে পরে …তার একটা হাত জড়িয়েই ….

সেই হাত ওয়ালা :আমি চাই সব সময় এভাবেই থাকতে আহাধ

চলবে ,,,,

শুকনো ঘাস ফুল part: 16

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::16

???

কাকি:রররুপশাহ
রাহুল:আপনি মাকে চিনেন
কাকি :হুম ….

কাকি একপা একপা করে রুপশার দিকে আগায় …তাকে মাএ সেন্সলেজ এর ম্যাডিসিন পুশ করা হয়েছে …এখন ও সেন্জলেজ হয়নি সে

কাকি আস্তে করে রুপশার কাছে গিয়ে তার মাথায় হাত দে ..আর রুপশা চোখ খুলে কাকির দিকে তাকাতেই চোখ জোরা ছল ছল করে ওঠে

রুপশা:ছোট ভাবি
কাকি:তুই তো আমাদের ভুলেই গিয়েছিস …কেন রে
রুপশা:কি মুখ নিয়ে যেতাম ঐ লোকটা যা করেছে তার পর …
কাকি:তুই আমাদের ছোট বোন …বড় বোনের কাছে যাবি না ..এটা কোনো কথা আর ঐ জানোয়ারটার কথা মুখেও আনবি না …
রুপশা:হুম বলতেই

চোখ জোরা বুজে যায় সে অচেতন হয়ে পরে..ডা.রা তারাতারি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় রুপশাকে ….রাহুল কিছুই বুঝলো না এর কি বল্লো তার মা …

কাকি:চলো আমার সাথে

রাহুলকে কিছু না বলতে দিয়ে কাকি ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় আহিবার কেবিন এর সামনে যেখানে ওর কাকা …আহাধ…এনি…রাফি সবাই ছিল

কাকি:কি গো জানো এই ছেলেটা কে হয় তোমাদের
কাকা :মানে কি বলছো
আহাধ:কাকিয়া ও এনির স্বামী এখন তার নতুন পরিচয় চহিবার ফুপাতো ভাই তাছারা আর কি
কাকি হাসি দিয়ে :তার আরো একটা পরিচয় আছে কি জানো সেটা
রাফি:কি শুরু করলা আম্মু
কাকি:তুই চুপ থাক ..ও রুপশার ছেলে ..মানে তোদের ছোট চাচাতো ভাই

আহাধ আর রাফি সাথে আহাধ এর চাচাও :মানে

কাকা:তুমি কি করে জানো
কাকি:ওর মাকে আমি একটু আগে দেখতে গিয়েছিলাম ওটা আর অন্য কেউ ছিল না বরং রুপশাই ছিল
আহাধ:তার মানে
কাকি:হুম ও তোর আর রাফির আর একটা ভাই

রাফি আহাধ দুজনেই রাহুলকে জড়িয়ে ধরে আর রাহুল ও …এনির চোখ গড়িয়ে দু ফোটা পানি পরে যায় ..যদিও সেটা কষ্টের না সুখের আনন্দ এর

দেখতে দেখতে ৭২ ঘন্টা পার হয়ে যায় …রাহুল এর মা এখন সুস্থ ই আছে ..আহিবার মাএ হুস এসেছে ….ডাক্তার এসে চেকাপ করে যায় নাহ আহুবার বর্তমান মেমরী লচ হয় নি

আহিবা চোখ জোরা পিট পিট করে খুলছে
আহাধ দৌড়ে আহিবার কাছে যায়
আহাধ:আহিবা
আহিবা আস্তে আস্তে বলে :আপনি আমায় ছুবেন না
আহাধ:আহিবা
এনি;কি সব বলছিস
আহিবা:আপু আমি hospital এ কেন
এনি:তুই অসুস্থ তো তাই
আহিবা:ওহ ..তোমরা সবাই চলে যাও আমি একা থাকতে চাই
আহাধ;আহিবা
আহিবা:আমি সবাইকে চলে যেতে বলেছি
রাহুল : ভাই চলো মিষ্টিকে একা থাকতে দাও চলো বহিরে
রাফি:হুম চলো
সবাই চলে জেতেই আহিবা ফুপিয়ে ওঠে
আহিবা:কেন করলেন ..আপনি আমার বেবীর যদি কিছু হয় আমি আপনাকে কখনই মাফ করবো না আহাধ কখনই না ….
আহিবা কাদতে কাদতেই আবার ঘুমিয়ে যায় …
আহাধ এসে আহিবার হাতটা আস্তে করে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে
আহাধ:আহিবা মাফ করে দিও…আমি নিহের হাতে নিজের সন্তানকে মেরেছি জানি এর কোনো ক্ষমা হয় না তবুও মাফ চাচ্ছি …কি করতাম আমি …এটা না করলে হয়তো তোমাদের দুজনকেই হাড়াতে হতো …আমি কি নিয়ে বাচতাম বলতে পারো…মা বাবা বোন তিন জনকেই আমি হাড়িয়ে ফেলেছি এখন যদি তোমার কিছু হয় তখন আমি কি করতাম …..আপন বলতে কিছুই থাকতো না আমার কাছে ….আহিবা মাফ করে দাও ..যা সাস্তি দিবে সব মেনে নিবো তবুও তোমায় হাড়াতে পারবো না …..

আহিবার হাতে আহাধ এর চোখের পানি পরতেই আহিবার ঘুম ভেগে গেছে …
আহিবা নরে ওঠে ..আর আহিবা নরে উঠতেই আহাধ আহিবার হাত ছেরে দেয় ..
আহিবা আস্তে আস্তে উঠে বসে …আহিবার নিজের মাথা হালকা লাগতেই মাথায় হাত দিয়ে এক চিৎকার সাথে সাথে সবাই কেবিন এর মধ্যে চলে আসে
এনি:কি হয়েছে
আহিবা:আমার চুল …আমার মাথার চুপ কোথায় আপু
এনি:আহু তোর মাথায় অপারেশন হয়েছে …তাই চুল কেটে ফেলতে হয়েছে
আহিবা:নাহহহহহহ ….কেন এমনটা করলে তোমরা …সবাই বড্ড খারাপ তোমরা …..সবাই খারাপ ..বলেই ডুকরে কেদে ওঠে ….
আহিবা কাদতে কাদতে পেটে হাত দেয় ওর আর বুঝতে বাকি নেই ..ওর বেবীটা আর নেই …
আহিবা :আমমমাররর বেবববী ….আহাধ আমার বেবী কোথায় কোথায় বলুন
বলেই হাতের লাগানো ক্যানোলা স্যালাইনের সুচ টেনে বার করে ফেলে …হাতের কাছে তাই ছুরে ফেলছে
..
আহিবা:তোমরা সবাই খুনি সবাই খুনি আমার বাচ্চা কে মেরে ফেলছো …আহাধ আপনি কেন এমন করলেন …আমাকে পছন্দ বলে দিতেন আমি চলে যেতাম ..তাই বলে আমার বেবীটার উপর এই ভাবে শোধ নিবেন ….
রাহুল:মিষ্টি পাখি থামো না একটু …কিছু হয়নি
আহিবা:আপনি কে আপনাকে আমার কেমন জানি লাগছে
রাহুল:মিষ্টি পাখি আমি তোমার পুচকে ভাইয়া …সোনা …তোমার মনে নেই আমাদের কথা …মনে নেই মিষ্টি পাখি
আহিবা :আম …
রাহুল :এই দেখো

রাহুল নিজের ফোনটা বার করে চহিবার ছোট বেলার কতগুলো ছবি বের করে দেখায় আহিবা আক থাবায় ফোনটা ওর হাতে নিয়ে যায় …

আহিবা :এটা আমি কিন্তু সাথে কারা

রাহুল আহিবাকে সবটা বলে

আহিবা চুপ করে থেকে কিছুক্ষন তারপর

আহিবা:আপনার কথা অনুযানি আমি আপনাদের পরিবারের মেয়ে তাই না
রাহুল :হুম মিষ্টি পাখি
আহিবা:আমাকে নিয়ে যাবেন আপনাদের বাড়ি থাকতে দিবেন
আহাধ:আহিবা

আহিবা কিছু না বলে রাহুল এর দিকে তাকিয়ে ..

আহিবা:নিবেন
রাহুল:মিষ্টি পাখি ওটা তোমার বাড়ি তুমি যেতে পারমিশন চাচ্ছো মিষ্টি পাখি …আমি ভাইদের জানিয়েছি তারাও চলে আসবে ..তুমি আমাদের সবার কলিজা …আর তুমি আজ চৌধুরী বাড়ি যাবে যে বাড়ি এতো দিন বন্ধ পরেছিল ..
আহিবা:হুম .
আহাধ:আহিবা তুমি

আহিবা জোরে চিল্লায় :আমি কোনো খুনির বাড়ি যাবো না থাকবো না কোনো খুনির সাথে ….

আহিবার এমন কথায় আহাধ এর ভিতরে ভেগে চুরে শেষ হয়ে যাচ্ছে তবুও সে কিছু বলতে পারছে না

আহিবা:আপু আমার ফোনটা
এনি:কি করবি
আহিবা:আমার ফোনটা দিতে বলছি
রাহুল:মিষ্টি পাখি এতো জোরে কথা বলো না তোমার সমস্যা হবে ..এনি ওর ফোনটা এনে দাও

এনি ফোনটা এনে আহিবার হাতে দিতেই আহিবা ফোনটা নিয়ে কারো একটা নম্বর ডায়েল করে যত তারাতারি সম্ভব ডিভোর্শের ব্যাবস্থা করতে বলে ..

আহাধ পাথর হয়ে গেছে

আহিবা:ভাইয়া আমি এখনই আলে যেতে চাই
রাহুল :হুম আমি ব্যবস্থা করছি সব
আহাধ:রাহুল
রাহুল:ভাইয়া প্লিজ

আহাধ চাইলেও আর কিছু বলতে পারলো না

রাহুল সব ব্যাবস্থা করে সেদিন এর মধ্যেই ৩ জন নার্স সহ রাহুল এর মাকে আর বহিবাকে নিয়ে এনিকে নিয়ে চলে যায় চৌধুরী বাড়িতে …..

আর আহাধ বাড়ি গিয়ে পাগলের মতো চিল্লাতে থাকে আর কাদতে থাকে …..কি করবে সে ..আহিবা যে তাকে ভুল বুঝে চলে গেল …হঠাৎ আহাধ এর চোখ যায় ..ফল কাটার ছুরি টার দিকে ..আহাধ একপা একপা করে ছুরিটার দিকে আগাতে থাকে আর তার মুখো বিজয়ের হাসি ফুটিয়ে …

চলবে…….

শুকনো ঘাস ফুল part: 15

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::15

???

রাহুল:এনি ওকি সত্যি তোমার বোন
এনি:কি যাতা বলছো ও আমার বোন ..
রাহুল:ওহ
এনি:এক মিনিট রাহুল তুমি এটা বল্লে কেন ও আমার বোন কি না
রাহুল:নাহ এমনি মনে হলো কেন জানি
এনি:হুম তুমি ঠিকই বলছো আহাধ তুমি আহিবার সমন্ধে একটা কথা যানো না
আহাধ :মানে
এনি তবে শুনো ..

অতীত

এনি ক্লাস ৩ তে পরে ওর মায়ের সাথে স্কুলে যাচ্ছিল হঠাৎ ওদের সামনেই একটা কার এক্সিডেন্ট হয় ..গাড়ির ভুতরে তিন জন ছিল ..আহিবা আর মেইবি ওর বাবা মা যা ঘটনা স্থল এই মারা যায় ..কিন্তু আহিবাকে গাড়িতে থাকা মহিলা নিজের বুকের মধ্যে জড়িয়ে রেখেছিল তাই বেশি আঘাত ওর অন্য কোথাও না লাগলেও মাথায় লাগে …কওছুক্ষন এর মধ্যেই পুলিশ ওখানে এসে ভরে যায় ..তাদের নিয়ে গেলেও বাচ্চাটাকে কেউ নেয়নি ..

.তখন এনির মা আহিবাকে কোলে তুলে নেয় ..আহিবার অবস্থা তখন মোটেও ভালো ছিল না ..আর এনির মামা মামি ছিলেন নিসনন্তান …আহিবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে তারা অপারেশন করাতে বলে ….যেহেতু মামা মামির কোনো সন্তান ছিলনা তাই তারা আহিবাকেই আপন করে নেয় নিজেদের সন্তান এর মতো ট্রিটমেন্ট করাতে থাকে ..আহিবা সুস্থ হয়ে গেলেও ওর সৃতি হাড়িয়ে ফেলে তখন থেকেই ওকে সবাই আহিবা বলেই চিনে …আর আমার মামাতো বোন …..

এনি এই টুকু বলেই থামে

আহাধ:এতো কিছু

রাহুল :accident টা কোন জায়গায় হলেছিল আর গাড়ির রং
এনি :ওটা তো মেইন রোড এ হয়েছিল আর গাড়িটার রং সম্ভাবত কালো ছিল
রাহুল:আহিবা কি একটা লাল জামা পড়া ছিল মাথায় এক ঝাক কোকড়ানো চুল
এনি:হুম আমার যতদূর মনে পরছে এমনই ছিল কিন্তু তুমি জানলে কি করে
রাহুল :কারন ওকে আমি চিনি ও আমার মিষ্টি কলিজা
এনি :কি বলছো

রাহুল:সে দিন এর জন্য আমি দায়ী ছিলাম যার জন্য মিষ্টির আজ এই অবস্থা ওই আমাদের সবার আদরের মিষ্টি ….ওর হাতের জন্মদাগটাই তার প্রমান ঐ আমাদোর মিষ্টি

এনি আহাধ এক সাথে :মানে

রাহুল :হুম ..ও চলো চৌধুরী পরিবারের একমাএ মেয়ে ..আমার চার মামার ৭ টা ছেলে তার মধ্যে ঐ ছিল সবার প্রিয় আর আমাদের বাড়ির সবার চোখের মনি …আমি ছোট থেকেই সব সময় ওর প্রতি বেশী কেয়ার করতাম ..কিন্তু সেদিন আহিবা তখন হালকা হালকা কথা বলতে পারে

রাহুল:তুই আমায় ভালো বাসিস

রাহুল (জানি না সেদিন ও কি বুঝে কি বলেছিল )

আহিবা:নননাাা
রাহুল:কেন বাসিস না
আহিবা:নানননননা

রাহুলের প্রচন্ড রাগ লাগে যে ও মিষ্টি মানে আহিবা ওকে ভালোবাসে না …অনেক কষ্ট হয় ওর ..ও রাগ করে বাসায় নিচে গিয়ে বসে থাকে ..

রাহুল :সেদিন মামিমা সেদিন একটা নতুন গাড়ি কিনে আনিয়েছিল সরম থেকে ঐ দিন মিষ্টির জন্মদিন ছিল এই জন্য ..আমি রাগের মধ্যে গিয়ে গাড়িটার তার কেটে দেই কিন্তু এটা বুঝিনি যে সেই তারটা ছিল ব্রেক এর ..

সেদিন মিষ্টির ২ বছর জন্মদিন …মামিমা মামা আর মিষ্টি ওরা নতুন গাড়ি করে সকালেই coxbazar এ যাওয়ার জন্য বেড়িয়ে পরে আমি মা আর নানাভাই এক গাড়িয়ে অন্য গাড়িতে মামা আর মামিমা রা ..আর আমাদের যে কাজিন গুলো ছিল ওরা বেশীই বাহিয়ে থেকে পরতো আমাদের থেকে ওরা বয়সে বেশ খানিকটা বড় …ওরা কেউই এখানে থাকতো না এখানে শুধু আমি আর মিষ্টিই থাকতাম …

সেদিন আমরা সবাই রওনা দিয়ে বাসা থেকে বার হই তখনই জানতে পারি মিষ্টিদের গাড়িটা এক্সিডেন্ট হয়েছে আমরা সেখানে যাওয়ার আগেই মামিমা আর মামাকে পুলিশ নিয়ে যায় কিন্তু মিষ্টির কোনো খবর আমরা পাইনি ..হাড়িয়ে গিয়েছিল মিষ্টি আর অন্য মামা আর মামিমা রা ও সেদিন তারাহুরা করে পাহাড়ি রাস্তা ধরে ফিরতে গিয়ে তাদের পুরো মাইক্রটাই খাদে পরে যায় …নানাভাই এতো হাড়ানোর শোক কাটিয়ে উঠতে না পেরে সেও সেদিনই চলে যায় ..চৌধুরী বাড়ি মৃত্যু বাড়ি আর শশ্মান এ পরিনত হয়ে যায় …

সেদিন এর পর থেকে মা আর আমি ঐ বাড়িতে থাকিনি ওখানে কি করেই বা থাকতাম এতো গুলো মানুষের ফেলে রাখা সৃতি নিয়ে বড় ভাইয়ারা ও এসেছিল সবাই মিষ্টিকে হন্নে হয়ে খুজেও পাইনি আমরা কেউ

ভাইয়ারা সেদিন চলে যাওয়ার পর আর ফিরে আসে নি বিডিতে ..আর আজো চৌধুরী বাড়ি অন্ধকারের মধ্যে পরে আছে …ছোট থেকে কখনও বাবাকে দেখিনি ..মামুরা কখনও বাবার অভাব বুঝতে দেয়নি আমায় …আর তারা সবাই এক সাথে এভাবে চলে যাওয়া কারো পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব না …মায়ের অবস্থাও অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল …

তারপরে ওকে আমি চিনি যখন ও ৯ এ পরে …শুধু মুখটাই দেখেছিলাম ..সআ সময় একটা মায়া কাজ করতো কিন্তু কেন সেটা বুঝতাম না ….মাঝে মাঝে বড় ভাইয়ের মতো কথা হতো আমার ফ্রেন্ড এর বোন আহিবার সাথেই পরতো সেই শুবাদে …

একদিন কি কারবেই জানি আমার আহিবার উপর প্রচনৃড রাগ হয় রাগের জন্য ওকে অনেক কিছুই বলে ফেলি ..এমনি ও জানি জীবনে কখনই সুখি হতে না পারে এটাও আমিই বলি …কিন্তু তখন যানতাম না যে এই আহিবাই আমার আমাদের সবার আদরে …মিষ্টি পাখি …আদিয়ানা চৌধুরী মিষ্টি ..

কাকি:আহারে মেয়েটার জীবনটার সাথে কত কিছুই না হয়ে গেলো ….
এনি:এতো কিছু তো তুমি কখনই বলো নি
রাহুল:আমরা তো ভেবেই নিয়েছিলাম মিষ্টি পাখি আর নেই…
আহাধ কিছুই বলছে না সে.চুপ করে আছে আর এক ধ্যানে আহিবার দিকে তাকিয়ে আছে

এর মধ্যে একজন নার্স আসে রাহুল এর মাকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হবে

রাহুল :আমমি আসছি মাকে দেখে
কাকি:আমিও জাবো বাবা দারাও
রাহুল:জ্বি চলুন

রাহুল ,এনি আর কাকি ওটির কাছে যায় ..যেখানে রাহুল এর মাকে আনা হয়েছে ..

কাকি রাহুল এর দিকে তাকিয়ে আর একবার ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে কাপাকাপা গলায়

কাকি:এএএককি তততোমমার মা
রাহুল:জ্বি

কাকি:রররুপশাহ

চলবে , ,,,,,,, ,,,

শুকনো ঘাস ফুল part: 14

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::14

???

আহাধ রুমে গিয়ে হাতে মেডিসিন এর প্যাকেট টা নিয়ে বসে আছে

আহাধ:কি করবো আমি ..নিজের সন্তানের খুনি হয়ে যাবো এভাবে …কিন্তু তা না হলে যে আহিবা নাহ আর ভাবতে পারছি না

আহিবা:কি ভাবছেন এতো

আহাধ তারাতারি করে মেডিসিন এর প্যাকেট টা সরিয়ে ফেলে

আহাধ:কই কিছু না …তুমি কি করছো …রান্না শেষ
আহিবা:আপনি ঠিক আছেন …আমি না মাএ গেলাম রান্না ঘরে এর মধ্যে কি করে হয়
আহাধ:ওহ হ্যা আচ্ছা তুমি বসো আমি তোমার জন্য লাচ্চি বানিয়ে আনছি
আহিবা:আরে আপনাকে যেতে হবে না আমি আনছি
আহাধ:আৃমি লাচ্চি ভালো বানাই
আহিবা :আমি জানি …তুমি চুপ চাপ বসো তো

আহাধ আহিবাকে বসিয়ে রেখে রুম থেকে চলে যায় …লাচ্চি বানিয়ে সেটার সাথে ঐ মেডিসিনটা মিলিয়ে দেয়

আহিবা:ওটা কি দিলেন

(আহাধ যখন মেডিসুিনটা মিশিয়ে ছিল তখন আহিবা আহাধ এর পিছনে দারানো ছিল )

আহাধ তারাতারি প্যাকেট টা সরিয়ে ফেলে

আহাধ :কককই কিছু না
আহিবা:আমি যে দেখলাম
আহাধ:তুমি ভুল দেখেছো
আহিবা:হয়তো
আহাধ:নাও তো এটা খেয়ে নাও তারাতারি
আহিবা:আপনি খাবেন না
আহাধ:নাহ তুমি খাও
আহিবা:ওকে

আহিবা একেবারে সমস্ত লাচ্চিটা খেয়ে শেষ করে ..আহাধ এর চোখ জোরা ছল ছল করছে

আহিবা:..আপনি লাচ্চির সাথে ওটা কি দিয়েছেল ..আমমমার বেবির কিছু হলে আমমি আপনাকে কখনই মাফ করবো না …….রুমে যাবববো আমমমমি

আহাধ:ওকে চলো …

আহিবা দুপা হাটতেই মাথা ঘুরে মাটিতে পরে যায় …

আহাধ রাফিকে তারাতারি এম্বুলেন্জ ডাকতে বলে ….রাফি ও তারাতারি এম্বুলেন্জ আসতে বলে আহিবাকে নিয়ে hospital এ চলে যায়

আজই আহিবার অপারেশন করিয়ে ফেলবে এমন ভাবেই কথা বলা ডা.মুন্নির সাথে আহাধ এর …সাথে আগেই কথা হয়েছে তার ..আহিবাকে আনার সাথে সাথেই অটিতে নিয়ে যাওয়া হয় ..
কাকা কাকি ও hospital এ আশে সাথে রাফিও …আহাধ সবাইকে সবটা বলে

আহাধ এর কাকা কাকি দুজনই সবটা শুনে স্তব্ধ হয়ে আছে

.আহাধ চুপ করে ওটির লাইটের দিকে তাকিয়ে আছে রাফি তার পাশে ..

.রাফির মা তো আহিবা যাতে তারাতারি ভালো হয়ে যায় সব কিছু যানি ঠিক ভাবে হয়ে যায় তার জন্য যত জায়গার নাম ছিল সব জায়গায় মানত করছে আর দোয়া দুরূদ পড়া শুরু করছে ..

ডা.মুন্নি একবার বেয়িয়ে O+ রক্ত জোগাড় করতে বলে ইমিডিয়েটলি
রাফির রক্তের গ্রুপ মিলে যাওয়ায় …রাফিই রক্ত দেয় …সবাই বসে আছে ওটির দরজার সামনে …বসে আছে …সময়ের ঘরি যেন আজ চলতেই চাচ্ছে না ….সে আজ প্রচন্ড আস্তে গতিতে চলছে ..চাইলেও তাকে কেউ তারাতারি চালাতে পারছে না…আহাধ এর কাছে প্রতি সেকেন্ড এক এক ঘন্টার সময় মনে হচ্ছে কি করবে বা কি করা উচিত তা ওর জানা নেই ….

রাহুল এর মায়ের হঠাৎ বিপি বেরে যাওয়ায় তাকে নিয়ে সবাই hospital এ দৌড় …

রাহুল এর মাকে hospital এ ভর্তি করানো হয়েছে…তাকে আজ ছোট একটা সার্জারী করাতে হবে …তাই আগে বিপি নরমাল আনতে হবে ….তার জন্য রাহুল ডাক্তারের সাথে কথা বলে ওষুধ আনতে যায় …বেশ কওছু সময় হয়ে গেছে রাহুল আসছে না দেখে এনি রাহুলকে খুজতে বার হয় ….অনেক ক্ষন খোজার পর হঠাৎ চোখ যায় ওটির পাশে বসে থাকা আহাধ এর দিকে

এনি :আহাধ এখানে কেন

এনি একপা একপা করে আগায় আহাধ এর দিকে আহাধ মাথা নিচু করে বসে আছে তাই এনিকে খেয়াল করেনি
এনি আহাধ এর সামনে হাটু ভাজ করে বসে

এনি:আহাধ (কাপা কাপা কন্ঠে )

আহাধ চট করে সামনে তাকায়

আহাধ:এনি তুমি এখানে
এনি:আমার শাশুরী মা অসুস্থ তাকে নিয়ে এসেছি …কিন্তু তুমি এখানে কেন সব কিছু ঠিক আছে
আহাধ:কিছু ঠিক নেই এনি
এনি:মানে কি হয়েছে
আহাধ:আহিবার ব্রেন টিউমার অপারেশন হচ্ছে আজ
এনি যেন আকাশ থেকে পরেছে :মমমমানে কি জাতা বলছো

আহাধ একে একে সব কাহিনী খুলে বলে এনি ওখানেই ধপ করে বসে পরে কিছু বলার শক্তি পাচ্ছে না সে …..

হঠাৎ এনির হাতে থাকা ফোনটা বেজে ওঠে এনি তাকিয়ে দেখে রাহুল এর ফোন ..আহাধ এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কোনো ভাবে শাশুরীর কেবিন এ যায়

রাহুল কেবিন এই ছিল

রাহুল:কোথায় গিয়ে ছিলে
এনি:রাহুল আমার বোন
রাহুল:কি বলো তোমার বোন

এনি সবটা রাহুলকে খুলে বলে রাহুলের ও কষ্ট লাগছে খুব ..

রাহুল :আচ্ছা তোমার বোন এর অপারেশন শেষ হলে আমরা গিয়ে দেখে আসবো ..তুমি চাইলে সেখানে যেতে পারো আমি মায়ের কাছে আছি
এনি:নাহ থাক এক সাথেই যাবো
রাহুল:হুম ওকে

টানা ৫ ঘন্টা অপারেশন এর পর ডাক্তার রা ওটি থেকে বার হয়

আহাধ দৌড়ে ডা.মুন্নির কাছে যায়

আহাধ:আহিবা কেমন আছে
ডা.মুন্নি মাথা নিচু করে :আসলে আহাধ আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু
আহাধ:কিন্তু
ডা.মুন্নি:আসলে ঠিক করে এখন ও কিছু বলা যাচ্ছে না …৭২ ঘন্টার আগে কিছুই বলা যাবে না …৭২ ঘন্টার মধ্যে ঙ্গান না ফিরলে কোমায় চলে যাবে কত দিন এ ঠিক হবে তার নিশ্চয়তা নেই আর কোমা থেকে বার হলেও ওর সৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে মেন্টাললি সমস্যা দেখা দিতে পারে…আর বেবীটা নেই

আহাধ ধপ করে মাটিতে বসে পরে রাফি এসে আহাধ এর পাশেই বসে

কাকা:ডা. ওকে কেবিনে শিফট করবেন না
?
ডা.মুন্নি :হ্যা একটু পরেই আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারবেন কিন্তু কেউ কোনো কথা বলবেন না ….আর নিজেকে শক্ত করো আহাধ …?.আহিবা শুধু মাএ ভাগ্যের জোরে বেচে গেছো ..আল্লাহকে ডাকো তিনিই একমাএ আহিবাকে ঠিক করে দিতে পারেন …আমাদের হাতে যত টুকু সামর্থ ছিল আমরা তা করেছি বাকিটা আল্লাহর উপর

ডা.মুন্নি আর কিছু না বলে চলে যায় ….

সবাই চুপ হয়ে গেছে ..

কিছু ক্ষন পরই তিন জন নার্স মিলে আহিবাকে ওটি থেকে বার করে ..আহুবার পুরো মাথা ব্যান্ডেজ করা ..এই টুকু সময়ই চোখের নিচে কালি জমে গেছে …আহিবার মাথা ভর্তি কোমর পর্যন্ত বাদামি চুল গুলো সব কেটে ফেলা হয়েছে …

.আহাধ আহিবার দিকে তাকিয়েই রাফিকে ধরে কেদে দেয় .

..রাফির ওর বাবা মা সবার চোখ দিয়েই পানি টপ টপ করে পরছে আহাধ এখন পারছেনা চিৎকার করে কাদতে …

এনি এক প্রকার দৌড়েই ওখানে আসে

এনি:আহাধ আহিবা কেমন আছে

আহাধ এনির দিকে তাকিয়েই কেদে ওঠে

এনি:আহাধ এর হাত ধরে ঝাকি দিতে দিতে
এনি:বলো না
রাফি:আমি বলছি
রাফি সবটা খুলে বলে এনিকে ..
এনি:আমমমি বোনকে দেখবো
রাহুল:এনি কি হয়েছে

এনি রাহুলকে জড়িয়ে হাউমাউ করে ওঠে …রাহুলকে সব খুলে বলে

রাহুল:আচ্ছা চলো দেখে আসবে কিন্তু তার আগে কান্না থাৃমাও
এনি :কি করে থামাবো …আহিবা যে ছোট কি করে এমন হলো কেন হলো বলো

রাহুল:এনি শান্ত হও …এনি চলো দেখে আসবে

রাহুল এনিকে নিয়ে আহিবার কেবিন এর দিকে যায় সাথে সাথে আর সবাই

রাহুল এনিকে নিয়ে আহিবার কেবিন এ যায় …আহিবার মাথায় ব্যান্ডেজ দেখেই এনি ওখানেই বসে পরে ..রাহুল আহিবার দিকে তাকিয়ে যপন বড় সব একটা ঝাটকা …..খায়

রাহুল:এ কি করে এখানে আসতে পারে ও তো সেদিন বাচার কোনো কথা ছিল না তবে ……..

চলবে,,,,,,,

শুকনো ঘাস ফুল part: 13

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::13

???

পরের দিন সকাল হতেই আহাধ ছোটে ওদের ফ্যামিলি ডা.মুন্নির কাছে
?
ডা.মুন্নি তার চেম্বারেই ছিলেন

ডা.মুন্নি:আরে আহাধ তুমি
আহাধ:হুম …..আহিবার রিপোর্টটা তুমি দেখেছো

ডা.মুন্নি :দেখো আহাধ তোমায় যে কোনো একটা অপশন বেছে নিতে হতে নয় আহিবাকে নয় তোমার সন্তান কে …সন্তান বাচাতে গেলে বাচবে কি না এটা সিওর দিতে পারবো না ….এটা কেবল আল্লাহর হাতেই …আর আর রিপের্টটা আমি নিজে করেছি …একটা বাচ্চা প্রথম থেকেই মায়ের রক্ত দিয়ে একটু একটু করে নিয়ে তার পর তৈরী হয় আর একটা টিউমার ও ঠিক এমন …মানুষের শরীর থেকে একটু একটু করে রক্ত চুষে নিতে থাকে …আহিবা যতেষ্ট ছোট এই বসয়ে pregnancy টাই অনেক রিক্স এর তার উপর ওর ব্রেন টিউমার ..আহাধ আমি অনেক জন বড় ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি সবাই বলছে বাচ্চাটে এবশন করিয়ে নিতে …তারপর অপারেশনটা যত তারাতারি করা সম্ভব করে নিতে …আর এতে আহিবার মা হওয়ার চান্স কমে যাবে ..হয়তো কখনই মা হতে পারবে না …এখন তুমি ডিসাইড করো তোমরা কি করবে ….বাচ্চা সহ আহিবাকে হরাবে নাকি শুধু বাচ্চা

আহাধ:আর কোনো উপায় নেই
ডা.মুন্নি :থাকলে আমি অবশ্যই তাই করতাম
আহাধ:আমি আহিবাকেই চাই
ডা.মুন্নি :তবে যত তারাতারি সম্ভব এবর্শন করিয়ে ফেলে
আহাধ:কিন্তু আহিবা এতে কখনই রাজি হবে না
ডা.মুন্নি :তুমি একটা কাজ করো আমি একটা মেডিসিন এর নাম লিখে দিচ্চি কারন ওর pregnancy বেশীদিন হয়নি মেডিসিন এই হয়ে যাবে …এটা ওকে যেভাবে পারো খাইয়ে দিয়ো তাহলেই হবে

আহাধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে :আচ্ছা …দাও

ডা.মুন্নি আহাধকে মেডিসিন এর নামটা লিখে দিয়ে দেয় ….

আহাধ এর প্রচন্ড রকমের হাত কাপছে যতোই হোক এটা আর পাচটা বাবাদের মতো খুশি হওয়ার সময় না …এটা তার হাড়ানোর সময় …হারানো এটা মনে হয় আহাধ এর ভাগ্যের সঙ্গে মিশে গিয়েছে ..যাই হোক আহাধ মেডিসিন কিনতে দোকানে যায় …ফার্মেসি ওয়ালা মেডিসিন দিচ্ছে আর আহাধ এর দিকে বার বার তাকাচ্ছে ..চোখ ঘুড়িয়ে …..আহাধ মেডিসিন এর দাম টা দিয়ে কিছু দূর যেতেই সেই লোকটার কথা কানে ভেসে আসে

লোকটা:আরে বুঝতে পারছিা না ..অবৈধ সন্তান তাই নষ্ট করে দিতে চাইছে সমাজের মানুষের কাছে না হলে কি পরিচয় দিবে

আহাধ স্তব্দ হয়ে যায় তার এখন এই সব কথা শোনার মোটেও ইচ্ছা নেই তবুও শুনতে হচ্ছে আহাধ আর এক মুহুর্ত না দাড়িয়ে সোজা বাসায় চলে আসে ..আহিবা এখনও ঘুম থেকে উঠে নেই হয়তো শরীর ক্লান্ত এই জন্যই …..

এনি রাহুল এর আজ ফ্যাংশন …সকাল হতেই এনিকে নিয়ে যাওয়া হয় সাজানোর জন্য …রাহুল বেচারা বউ ছারা রুমের বাহিরে পায়চারি দিচ্চে

মা :কি রে এই খানে এই ভাবে হাটছিস কেন
রাহুল:না মা কিছু না এমনি
মা:বউকে মিস করছো বুঝি
রাহুল:আম্মু কি যে বলো না ধূর আমি ছাদে গেলাম

রাহুল এর মা হাসতে হাসতে ওখান থেকে চলে যায়

রাহুল ছাদে গিয়ে চুপ চাপ বাহিরে নীল আকাশের দিকে তাকিয়প আছে ছাদটা এখনও শুকায় নি …রাতে জোর বৃষ্টি হয়েছিল ..তাই ঘাসের উপরে বৃষ্টির পানি গুলো মুক্তোর মতো লাগছে দেখতে

রাহুল:জানি না তুই কোথায় আছিস ..আর কেমন আছিস ….সেদওন আমি তোকে বড্ড কষ্ট দিয়ে কথা গুলো বলে ফেলেছিলাম তাই না …কিন্তু আজ মোন থেকে বলছি খিব সুখি হোস তুই ..খুব সুখি …আমিও আজ সুখি একজন মানুষ …আসলে তোর দোষ ছিলো না তুই তো বড্ড ছোট ছিলি তখন ..নারে বজ কষ্ট হচ্ছে খুব তোকে ওভাবে না বল্লেও পারতাম

এর মধ্যে রাহুল এর দুটে বন্ধু এসে ওকে নিয়ে যায় …

রাহুল কালো একটা পান্জাবী আর কালো ধুতী পরেছে ..রাহুল হঠাৎ ওর রুমে আসে ফোন নিতে ..দেখে এনি রুমেই বসে আছে ..খুব সুন্দর লাগছে তাকে ..কালো শাড়ির উপর সাদা স্টোন বসানো …আজ এনিকে অন্যদিন এর থেকে বড্ড বেশী সুন্দর লাগছে
এনি:কি হলো ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছো কেন …নজর লেগে যাবে .
রাহুল:তুম
[রাহুলকে থামিয়ে ]
এনি:আমি জানি আমি খুব সুন্দর আর তোমায় বলতে হবে না ..হুহ
রাহুল:কে বলেছে সুন্দর …তুমি একদম পেত্নির মতো পেত্নি চিনো পেত্নি …না চিনলে গিয়ে আয়নায় দেখো
এনি:কি বল্লা তুমি …

বলই পাশের বালিশ ধরে ছুরে মারে রাহুল এর গায়ে …রাহুল এনির অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে গরা গরি খাওয়া শুরু করে …

আহিবা নিজেকে অনেক সাবধানে সামলে চলছে …তার মধ্যে যে আরো একজন এর অস্তিত্য আছে ..সিরি দিয়ে নামছে যতেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে ..আহাধ সোফায় বসে ঠিকই সব দেখছে আর দীর্ঘস্বাস ফেলছে হয়তো আজ দিনটাই আহিবা তার অস্তিত্যকে পাবে কাল হয়তো পাবে না …

কাকি:কি রে আহু (আহিবাকে ছোট করে সবাই আহু ডাকে )এমন করে হাটছিস কেন কছ্বব এর মতো
আহিবা;আহহহ কাকি কিছু না ..আমি তো ট্রাই করছি মানুষ কিভাবে আস্তে আস্তে হাটে
কাকি:আসলেই কি তাই আমার কিন্তু অন্যকিছু ডাউট হচ্ছে
আহিবা:কি
কাকি:নতুন অতিথী আসবে নাকি

আহিবা খানিকটা লজ্জা পেয়ে :না মানে হ্যা

বলেই সোজা রান্না ঘরের দিকে ছোটে

ওর কাকি কতক্ষন আহিবার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে জোরে হেসে দেয়

কাকি:কি রে আহাধ মিষ্টি খাওয়াবি না …এতো বড় একটা সুখবরের
আহাধ:কাকিয়া খাওয়াবো তো কিন্তু পরে
কাকি:পরে কেন এখনই যা
রাফি :মা কি শুরু করছো
কাকি:আরে আহিবা অন্তস্বতা তার মিষ্টি খাবো না এটা কি করে হয়
রাফি:মা তোমার সুগার আছে তুমি মিষ্টি খেতে পারবে না
কাকি:আর রাখ তোর সুগার …আগে নাতির মিষ্টি খাই তার পর সুগার এর কথা ভাববো

আহাধ কিছু না বলে ওখান থেকে উঠে সোজা নিজের রুমে চলে যায় ..রাফি আহাধ এর এমন ভাবে চলে যাওয়ার কারনটা ঠিকই বুঝতে পেরেছে ..সে চুপ করে সোফায় বসে পরে

আহাধ এর কাকি কিছুই না বুঝে আহাধ এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন ..

চলবে,,,,,,,,

শুকনো ঘাস ফুল part: 12

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::12

???

আহিবার ঙ্গান আসতেই আহাদ ওকে নিয়ে টেস্ট করাতে নিয়ে যায় ….

টেস্ট করিয়ে রাফিকে বলে রিপোর্ট গুলো ডা.মুন্নির কাছে নিয়ে পাঠায় আর আহাদ আহিবাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে ………

বাসায় এসে চুপ চাপ বসে থাকে ..আহিবা নিজের রুম গিয়ে সুয়ে আছে …রাফি কিছুক্ষন এর মধ্যেই বাসায় চলে আসে

আহাধ:কি রে ডাক্তার কি বল্লো
রাফি:দা ভাই আমার সাথে একটু রুম চল
কাকা:কেন এখানে বল্লে কি হবে
রাফি:বাবা প্লিজ …দা ভাই তুই আয় না
আহাধ:আচ্ছা চল

আহাধ রুমে যেতেই রাফিও যায় দরজা লাগিয়ে দেয় …রাফি মাথা নিচু করে বসে আসে ..

আহাধ:কিরে কিছু বলবি তো

রাফি দীর্ঘশ্বাস ফেলে :দা ভাই আহিবা pregnant

আহাধ:কি সত্যি বলছিস তুই ও না এমন একটা খবর এখানে এনে দিচ্ছিস …ধূর চল তো বসার রুমে
রাফি:দা ভাই দারা আরো আছে
আহাধ :মানে ..কি বলতে চাস ক্লিয়ার করে বল
রাফি :pregnant আর আহিবার মাথায় যে সিটি স্কানটা করতে দিয়েছিল সেটাতে কি রিপোর্ট এসেছে যানিস ..ওর ব্রেন টিউমার
আহাধ:কিহহহহ

(ধপ করে খাটের কোনার মাটিতে বসে পরে

??

রাফি:দা ভাই ওর টিউমার টা অনেক বড় হয়ে গেছে …এখন অপারেশন করানো অনেকটাই রিক্স আর pregnancy এর জন্য আরো রিক্স….ডাক্তার ওর বেবীটা নস্ট করে দিতে বলেছে না হলে আহিবাকে বাচানো যাবে না …কিন্তু একেই তো ওর বসয়টা বেশী না [আমার কাছে একজন জানতে চেয়েছেন ওদের বয়সের পার্থক্য কত ….ওদের বয়সের পার্থক্য এা একটু বেশী ..এনির সাথে ঠিক হলেও আহিবার সাথে ৮ বছরের পার্থক্য …আর আহাধ বিজনেস যাস্ট দেখা শুনা করে নিজেদের এই জন্য তা ছারা সেও পড়াশুনা করে ] আর এর জন্য ওর ফাস্ট বেবী যদি নস্ট করে দেওয়া হয় তবে ওর pregnant হওয়ার ক্ষমতা ৭০ থেকে ৭৫ % কমে যাবে …এমনকি মা হওয়ার ক্ষমতাটাও হাড়িয়ে ফেলতে পারে ….

আহাধ চুপ করে নিচে তাকিয়ে আছে চোখ থেকে টপ টপ করে তার পানি গড়িয়ে নিচে পরছে ….কি বলবে সে ….কি করবে তার কি করার আছে …প্রকৃতি বরউ নিষ্টুর ..

রাফি:দা ভাই নিজেকে শক্ত কর না হলে কি করে হবে ..

আহাধ এবার আর নিজেকে আটকাতে পারে না …কেদে দেয় সে রাফি কি বলবে তা তার জানা নেই ..

?

আহাধ:কেন এমন হয় বলতে পারিশ …ভালোই তো ছিলাম ..তবে আজ কেন প্রকৃতি আবার এমন সব এলো মেলো করে দিলো কেন …বাবা মা বোনকে হাড়িয়ে তো নিস্ব হয়ে গিয়েছিলম আহিবাই তো আমায় আবার এই হাসি খুশির মধ্যে মিলতে শিখেয়ে ছিল ..তবে আজ আবার এ কোন পরিক্ষ এসে সামনে হাজির হলো ..কি করবো ..আহিবা কখনই সন্তান হাড়ানোর চিন্তাও মাথায় ও আনবে না ..যা করার আমায় করতে হবে …কিন্তু বাবা হয়ে নিজের সন্তানকে নিজের হাতে কি করে শেষ করবো ..কি করে নিজের সন্তানের খুনি হবো …না হলে আহিবাকেই বা বাচাবো কি করে …..কেন এমন হয় কি করবো আমি …ঠিক কি করবো …

??

রাফি কি বলবে তার ও জানা নেই ….রাফির চোখ থেকেও আজ পানি পরছে …সে তো কখনও এমনটা চায় নি …আহিবাকে অসজ্য করতো তাকে শেষ করে দিতে চাইতো কিন্তু এক সময় নিজের ভুল বুঝে আপন বোন বানিয়ে নিয়েছিল ..ভালোবাসে সে আহিবাকে নিজের বোনের মতো…আর আজ এ কেমন কঠর পরিস্থিতিতে দারিয়ে আছে সবাই …কি জবাব দিবে যখন আহিবা রাফির কাছে কি রিপোর্ট এ এসেছে সপটা জানতে চাবে …এর উওর জানা নেই রাফির ..

এর মধ্যেই হঠাৎ রুমের দরজায় আহিবা টোকা দেয়

আহিবা:তোমরা কি করছো বলো তো দুজন কাকা বল্লো সেই কখন থেকে এক সাথে কি গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছো হুম আমাদের বলা যায় না …ভাইয়া দরজা খুলো

আহাধ আর রাফি তারাতারি করে নিজেদের সামনলে নিয়ে দরজা খুলে ..

দরজা খুলতে দোরী আহিবার রুমে ডুকতে দেরী নাা|

আহিবা:কি করছিলে তোমরা আর ভাইয়া তুমি কাদছিলে কেন
রাফি এবার জোরেই কেদে দেয় …কাদতে কাদতে খাটে গিয়ে বসে পরে
আহিবা :কি হলো তুমি কাদছো কেন …এই আপনি কিছু জানেন ভাইয়া কাদছে কেন (আহাধ কে উদ্দেশ্য করে )
আহাধ:নাহ তো
রাফি:ও জানবে কি রে ..?আমার প্রমিকা আমায় ছ্যাক্যা দিয়েছে
আহিবা জোরেই হেসে দেয়
আহিবা:তুমি ছ্যাক্যা খেয়ে ব্যাকে হয়ে গেছে ভাইয়া ?..আহারে আবার বাচ্চাদের মতো কাদছেও
রাফি:মজা নাও তুমি
আহিবা:নাহ একদমই না?
রাফি আহাধ এর দিকে তাকায় ..আহাধ এর দৃষ্টি শুন্যের দিকে
আহিবা:ওহহ দেখেছো যার জন্য এসেছিলাম ঐ রিপোর্ট এ কি এসেছে

রাফি চট করে আহাধ এর দিকে তাকায় আর আহাধ আহিবার দিকে

আহাধ:রিপের্ট একদম ঠিক আছে
আহিবা:আচ্ছা আমায় একটু দাও …ওহ এই তো পেয়েছি ..

আহিবা রিপোর্টের প্যাকেট টা হাতে নেওয়ার সাথে সাথে রাফি সেটা ছো মেরে নিয়ে যায়

আহিবা:এটা কি হলো
রাফি:কিছুনা তুমি বুঝবা না …পিচ্চি
আহিবা:এটা কোনো কথা বল্লা ..দাও না আমি একটু দেখি না
আহাধ ধমকের সুরে :না করেছে যখন জেদ ধরছো কেন ….বড়দের কথা মানতে হয় শুনতে হয় জানো.না……এটা কোন ধরনের বেয়াদবি

আহিবা মাথা নিচু করে :সরি

বলেই রুম থেকে চলে যায় …আহিবা কষ্ট পেয়েছে সেটা ওরা দুজনই বুঝতে পেরেছে

রাফি:দা ভাই এটা কি করলি
আহাধ:কি করতাম বল ও জোর করে হলেও রিপোর্টটা দেখতো আর ও মা হতে চলেছে এটাও যেনে যেতো

আহিবা দরজার বাহিরে গিয়েছিল কিন্তু কিছু একটা মনে করে আবার আসে তখনই আহাধ এর কথা শুনতে পায়

আহিবা:মানে

রাফি আর আহাধ দুজনই দরজার দিকে তাকায় ..তারপর একজন আর এক জনের দিকে

আহাধ:মমমমানে কি
আহিবা:আমমমমমি মমমা হহহবো …আপনারা এটা বলেন কি কেন
আহাধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে :তোমায় সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম
আহিবা :আপনারা বড্ড খারাপ

বলেই হন হন করে নিজের রুমে চলে যায় আহাদ আবার খাটে বসে পরে

আহাধ:এখন কি করবো
রাফি:আহিবা যেনে শুনে কিছুই করতে দিবে না …দা ভাই বুঝতে পারছি না এর ফল ঠিক কি হবে …

আহাধ চুপ করে বসে আছে ……..

??
এনি আর রাহুল এর মধ্যে এই দুমাসে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে এনিও বদলে গিয়েছে অনেকটাই|এখন আর আহাধ এর কথা তার মনে পরে না যদিও রাহুল পরতে দেয় না …
রাহুলের মা একদিন দুজনকে ডেকে অনেক কিছু বুঝায় …যাতে তারা তাদের অতীত ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করে…অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে সে এনি আর রাহুলকে বুঝাতে সক্ষম হয় ..আর আজ রাহুলদের বাড়ি না না রং এর আলোর সজ্জায় সজ্জিত …চারিদিকে মেহমান আর মানুষ গিজ গিজ করছে ..বাচ্চাদের খুশির আর্থনাথ …হৈ হুল্লুর …সবার মুখেই আজ হাসির রেখা ফুটে উঠেছে …সবাই আনন্দে মেতে উঠছে …আর তাদের এই আনন্দের মুল কারন এনি আর রাহুল …হুম আজ তাদের বিয়ে ..স্টেজে বসে আছে একজন বর সাজে আর একজন কনো সেজে ….রাহুল একটু ওর পর এনিকে জ্বালাচ্ছে আর এনি কিছু না বলতে পেরে রাগী চোখে তাকাচ্ছে বার বার…কিন্তু রাহুল এটা গায়েই লাগাচ্ছে না …এনি অতিষ্ট হয়ে গেছে তবুও নতুন বউ কিছু বলতে পারছে না …….

বাসর ঘরে বসে আছে এনি বউ সেজে …তবে আজ আর তার পুরনো কথা মনে পরছে না …নতুন করে স্বপ্ন দেখছে সে ..ওহ বর একটা কথা এই দু মাসে ডিভোর্স হয়ে গেছে এনি আর আহাধ এর …….

রাহুল রুমে আসতেই এনি আস্তে করে উঠে রাহুল এর সামনে দারায় রাহুল মুচকি হাসে ..এনি তাকে সালাম দেয় ….

সালাম দিয়েই নিজের ঘোমটা নিজেই টান দিয়ে খুলে ফেলে এনি

রাহুল :এটা কি হলো
এনি:কি হলো তাই না …স্টেজে বসে ইচ্ছা মতো জালিয়েছো তোমার খবর আছে …
রাহুল :এটা ঠিক না আজ না আমাদের বাসর
এনি:রাখো তোমার বাসর ..আগে তোমায় পিটাই তারপর দেখা যাবে
রাহুল:এই না

কে শোনে কার কথা দুজন মিলে রুমে দৌড়া দৌড়ি শুরু করে দেয় ..রাহুল এর বাধ্য হয়ে দু চারটা কিল খেতে হয়

রাহুল:আহহহহ থামো
এনি:হুহ

রাহুল তার বাহু ডোরে এনিকে আবদ্ধ করে নেয়

এনি:তততততুমমমমি
রাহুল:হুস

বলেই কোলে তুলে নেয় এনিকে …এনিও রাহুল গলা জড়িয়ে ধরে আছে ..

হাড়াতে চায় একজন আর একজন এর জগৎ এ …ডুবে থাকতে চায় পুরনো অতীত ভুলে ….তাদের সাজানো জগৎ এ ….থাকুক তারা তাদের মতো ….

[আমি কাবাব মে হাড্ডি হতে চাই না আমি গেলাম …আপনারার চলেন এখান থেকে কেমন ??]

?
আহিবা ঘুমিয়ে পরেছে আহাধ এর চোখে ঘুম নেই ..

??
আহাধ আস্তে করে আহিবার কপালে চুপু দিয়ে বেলকনিতে চলে যায় …সিকারেট খাওয়ার তার মোটেও অভ্যাস নেই তবে আজ খাবে …সিকারট এর আগুন টা জ্বালিয়ে বারান্দায় যায় …সিকারেটের ধোয়ায় নাকি কষ্ট ভোলা যায় আদোও কি সম্ভব এটা …আহাধ রাতের অন্যকারে নিশ্চুপ শহরটার দিকে তাকিয়ে আছে….কোনো বাড়িতে আলোর ছিটে ফোটাও দেখা যাচ্ছে না …রোড লাইটের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে রাস্তা …তার পাশেই ঘুমিয়ে আছে কিছু কুকুর …আহাধ আপন মনে সিকারেটের ধোয়া ছারছে তবুও শন্তি পাচ্ছে না সে ….আহাধ এর চোখ দিয়ে পানি পরছে টপ টপ করে …বাহিরের আকাশ টাও ডাকা ডাকি করছে অনেক হয়তো বৃষ্টি নামবে তার জানান দিচ্ছে …মেঘ গুলো তার শব্দ দিয়ে …

কারো জন্য এই রাত টা সুখের আর কারো জন্য নিত্তান্তই কষ্টের …যেমন আহাধ আর আহিবা ….আহিবা জানেই না কিছু কিন্তু আহাধ ঠিক ই কষ্টে পুরছো …সে দিক খুজে পাচ্ছে না কি করবে আর অন্যদিকে এনি রাহুল ..যারা সব অতীত ভুলে নতুন ভালোবাসার রাজ্যে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত …হুম এটাই জীবন …

চলবে ,,,,,,, ,,,,,,, ,,,,,,

শুকনো ঘাস ফুল part: 11

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::11
?

আহিবার চোখ থেকেও টপ টপ করে পানি পরছে …….আহিবা কি বলে আহাধকে শান্তনা দিবে সেটা তার জানা নেই ….আহাধ বাচ্চাদের মতো ফুপিয়ে কাদছে ..আহাধ এর জ্বর থাকায় সে সেন্সলেজ হয়ে ঢলে পরে আহিবার উপরেই

আহিবা:রাফি ভাইয়া ওনাকে ধরো
রাফি:আরে কি হলো
আহিবা:ওনার জ্বর কাল রাত থেকে
রাফি:ওহ …কি যে শুরু হয়েছে দেখি তুমি সরো আমি ওকে রুমে নিয়ে যাচ্ছি

রাফি আহাধকে অনেক কষ্টে রুমে নিয়ে যায় …

আহিবার বাসায় ও এই খবর চলে গেছে যে আহাধ এর আব্বু আম্মু আর আহাধ এর বোন আতিকা …America থেকে আসার পথে accident করেছে তার তিন জনই সেখানেই মারা যায় কিন্তু গাড়িতে কোনো ড্রাইভার ছিল না গাড়িটা মাঝ পথে এসে হঠাৎই ব্লাস্ট করে আর এতেই আহাধ এর পরিবার শেষ হয়ে যায় ..

রাফি ওদের বাসার ডাক্তারকে ফোন করে আসতে বলে সে এসে আহাধকে ২ ঘন্টা ঘুমানোর একটা ইন্জেকশন দিয়ে সাথে জ্নর থাকার জন্য সেটাও যাতে কমে যায় …

রাফি গিয়ে তাকে এগিয়ে দিয়ে আসে

…আহাধ এর দাদী স্টোক করেছে তাকে ICU তে ভর্তি করানো হয় …আহাদ এর কাকা সেই কখন থেকে তার ভাইয়ের লাশ এর কাছে বসে আছে সে যেন কাদতে ভুলে গেছে …

তখন একজন এসে একটা পার্সেল দিয়ে যায় সুমি হাতে আর বলে বাড়ির কাউকে এটা দিতে

আহিবা:এটা কি
সুমি:মুই কেম্মে কমু আফা
আহিবা:এদিকে দে তো
সুমি :নেন
আহিবা ওটা নিয়ে ওর কাকির কাছে যায়
আহিবা:কাকি
কাকি:কি রে কিছু বলবি হাতে কি এটা
আহিবা:জানি না কেউ একজন সুমির কাছে এটা দিয়ে গেল তুমি একটু দেখো না
কাকি :আচ্ছা দে

কাকি প্যাকেট টা খোলার পর ভিতরে একটা চিঠি দেখে

কাকি:এটা কি চিঠি কিন্তু কে দিলো
আহিবা:না খুল্লে দেখবে কি করে

কাকি চিঠি খুলে দেখে সেখানে বড় বড় করে লেখা

“পাঠিয়ে দিলাম সাজিদ …অন্তিকা আর আতিকার লাস এর পর আরো কিছুর জন্য অপেক্ষা করো সবাই …আরো অনেক কিছু বাকি আছে
MR.AKIB KHAN “””

কাকি হাত দুয়ে চিঠিটা ফেলে দেয়

আহিবা:কি হলো
কাকি:ততততোর কাকা কই
আহিবা:সামনে বসে আছে

কাকি আর কিছু না বলে চিঠিটা উঠিয়ে হাতে নিয়ে ছোটে কাকার কাছে

আহিবাও তার পিছন পিছন যায়

কাকি:শুনছো আককককিব
কাকা:কি আকিব
কাকি:চিঠি ও ফিরে এসেছে ….কাউকে ভালো থাকতে দিবে না
কাকা:কি যাতা বলছো ও তো জেলে
কাকি:নাহ ..আজ ও ছারা পেয়ে গেছে তারিখ দেখো আজ 29 জুন আর ওর ৯ বছরের জেল শেষ ও মুক্তি পেয়ে গেছে আার ওই ভাই ভাবী আর আতিকাকে মেরেছে
কাকা:মমমমানে
কাকি:এই দেখো

চিঠিটা এগিয়ে দিয়ে তিনিও চিঠিটা পরে স্তব্ধ হয়ে বসে আছে আহিবা কিছুই বুঝতে পারছে না

আহিবা:কাকি কে এই আকিব
কাকি:তোর ছোট কাকা শশুর
আহিবা :মানে
কাকি:হুম যে এতো বছর জেলে ছিল তার কু কর্মের জন্য আজ মুক্তি পেলো আর আজই
আহিবা :মানে ক্লিয়ার করে বলো না
কাকা:দারা সব বলবো ….

তার আগে শেষ কাজ টা করে নেই ..

আহাধ এর সেন্স আসতেই ..কাকা রাফি সবাই মিলে ওর বাবা মা আর বোন এর …….কবর দিয়ে …..কাজ শেষ করে সবাই সোফায় বসে আছে …..

আহাধ:কাকাই এই আকিব কে

কাকা :তবে শোন

আহাধ তখন অনেকটাই ছোট …আতিকা তখন হয়নি …আকিব আমাদের ছোট ভাই তবে সে ছিল ..ড্রিক …নেশা ..ড্রাগ…মদ….জুয়া যত খারাপ আর বাঝে অভ্যাশ সব কিছুই তার মধ্যে বিরাজমান ….একটিন তোর মা আর তোর কাকি সে সময় সবাই এক সাথেই থাকতাম …তার রান্না ঘরে কাজ করছিল আর আকিব মদ খেয়ে মাতলামি করতে করতে এসে তোর কাকিকে নিয়ে টানা টানি শুরু করে …তোর মা আকিবাকে আটকানোর চেষ্টা করে অনেক কওন্তু আকিব তোর মাকে ধাক্কা মারে …আর সে ছিকটে গিয়ে দেয়ালের উপর পরে মাথা ফেটে রক্ত পরে …সে ওখানেই ঙ্গান হাড়ায় ….বাসায় বাবা ছিল মা তার বাবার বাড়ি গিয়েছিল কোনো একটা কাজে ….বাবা শব্দ পেয়ে রান্না ঘরের দিকে যায় গিয়ে দেখে আকিব তোর কাকির আচল ধরে টানা টানি করছে ….বাবা গিয়ে ওকে আটকায় …আকিবা বাবাকেও ধাক্কা মারে কিন্তু বাবা এসে আকিবকে উঠিয়ে সজোরে একটা থাপ্পোর দেয় ….আকিবা নেশা গ্রোস্থ অবস্থায় ছিল তাই ও কি করছে তা ওর ধারনা ছিল না …..আকিব পাশে থেকে একটা ছুরি দিয়ে বাবাকে খুন করে ফেলে ..আমি আর তোর বাবা সবে মাএ বাসায় ডুকি আর তখনই বাবার চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে ভাইয়া দৌড়ে গিয়ে বাবাকে গিয়ে ধরে আর আমি গিয়ে পুলিশকে ফোন করি পুলিশ ও তারাতারি এসে পরে …ভাইয়া আকিব কে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয় …আর মামলা করে ….এদিকে মা এসে সব কিছু শুনে …কান্নায় ভেগে পরে ……একদিকে নিজের স্বামী অন্যদিকে নিজের ছেলে ….
বাবার মৃত্যুর পর আকিব এর সুনানি শুরু হয়ে যায় …ওর পক্ষে কেউ ছিল না ..আর আমাদের পক্ষে সবাই ছিল সেই দিন ওর জেল হয়ে যায় ৯ বছরের..কারন ওর কোনো ঙ্গান ছিলনা সে মাতাল ছিল …
সেদিন আকিব বার বার চিৎকার করে বলেছিল এর প্রতিশোধ সে নিবেই …আর আজ ওর বাহিরে.আসে সকালে আর এসেই
আহাধ:ছারবো না ঐ আকিব কে ছারবো না
রাফি:বাবা থাকে কই সে কিছু জানো
কাকি:নাহ …ও তো আজ মাএ বার হলো
আহিবা:কাকা ছোট কাকা কি বিয়ে করেছিলেন
কাকা:হুম ..একটা ছেলেও আছে কি জানি নাম ..আজিব ওদের উপর অনেক অত্যাচার করতো আর রুপশা মানে আকিব এর বউ এর পরিবার ছিল অনেক বড় আর সমরাজ্য পরিবার …..তাই তারা তাদের মেয়েকে মামে রুপশা আর তার ছেলেকে নিজেদের কাছে নিয়ে যায় …পরে রুপশা আকিব কে ডিভোর্শ দিয়ে দেয় ….ওদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক রাখে না ..এমন কি আকিব যেদিন জেলে গিয়েছিল রুপশা জানতো তবুও দেখতে যায় নি …সে বাবার ওখানেই ছিল ….
আহিবা:ওহ
রাফি:বাবা ওই আকিব কে যে করেই হোক খুজে বার করতে হবে

তখনই দরজা দিয়ে কত গুলো কালো পোশাক পরা ৬ ৭ জন লোক আসে
তার ভিতর থেকে একজন

খুজতে হবে না আমি চলেই এলাম

কাকা:আকিব তুই
আহাধ, রাফি:মানে
আকিব:হুম আমি …কিন্তু তোরা কারা আহাধ আর রাফি রাইট
রাফি:যাক ভালোই চিনছেন তাহলে
আকিব:যতোই হোক ভাগ্নে বলে কথা ..কিন্তু ঐ মেয়েটা কে আহিবাকে দেখিয়ে
কাকি:ও আহাদ এর বউ
আকিবা:এই তোমার নাম কি
আহিবা:আমমি আহিবা
আকিবা:ওয়াও …খুব সুন্দর নাম তো …
আহাধ:কেন এসেছেন
আকিবা:great question ..
কাকা:কি চাস
আকিবা:তোদের শেষ করবো ..সব গুলোকে
কাকা:মানে
আকিবা ওর লোক গুলোকে ইশারা করে সবাই ওদের মাথায় পিস্তল ধরে দারায় শুধু আহিবাকে বাদে
আকিব:মামনি তুমি ভয় পেয়োনা কেমন …ওরা তোমায় কিছু করবে না ….তোমায় আমি আমার সাথে নিয়ে যাবো
আহিবা :মমমমাননননে ছোট আব্বু
আকিবা:তুমি আমার কাছে আমার মেয়ের মতো থাকবে তুমি ওখানে বসে থাকো কেমন

আহিবা আস্তে করে বসে পরে ..আর সোফার পাশে থাকা টেলিফোনটা দিয়ে পুলিশ কে ফোন দেয় …তারপর খুব জোরেই বলে ওঠে ওদের বাড়ির ঠিকানা

আহিবা:আমায় বাচায় আমায় তারা মেরে দিবে
আকিব আহিবার দিকে ভ্রু কুচকে তাকায় :কি হলো
আহিবা খুব সাবধানে ফোনটা কেটে দেয় ….
আহিবা:নাহ ছোট আব্বু সবাই এমন করবে তো তাই আমি একটু অভিনয় করে দেখাচ্ছিলাম …
আকিব :ওহ হো
আহিবা:ছোট কাকা আমি একটা পিস্তল নিবো …আমার না খুব ইচ্ছা আছে কিন্তু আমি না চালাতে পারি না
আকিব ও আহিবার এমন কথায় গলে যায়
আকিবা :এই কেউ একটা পিস্তল ওর কাছে দে

আহিবার কাছে পিস্তলটা দিতেই আহিবা খব করে নিয়ে উঠে

সোজা আকিব এর কাছে যায় …

আহিবা:আমায় শিখিয়ে দিবে

আহাধ আহিবার এমন করা দেখে কওছুটা ডাউট হচ্ছে …তাই শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে …আর আহাধ সবাইকে কথা বলতে বারন করে দিয়েছে

আকিব:হা কেন না এই দেখো

আকিব আহিবাকে পিস্তল চালানো শিখায় আর যেই আহিবার হাতে পিস্তল টা দেয় তখনই পুলিশের গাড়ি এসে ওদের বাসার গেট এ আসে আকিব উঠতে গেলেই আহিবা পিস্তলটা আকিবা এর মাথায় ধরে

আহিবা:সরি ছোট আব্বু সবাইকে ছেরে দিতে বলো না হলে তোমার মাথা উরিয়ে দিবো
আকিব:নাহ সবাই ওদের ছেরে দে

এর মধ্যেই পুলওশ এসে ওখানে হাজির হয় …আহাধ তাদের সব বলে পুলিশ আকিব আর তার চ্যালাদের দিয়ে যায় …আর সবাই আহিবাকে নিয়ে খুব খুশি হয়ে যায় …

তারপর

আস্তে আস্তে সবাই আবার সাভাবিক হতে থাকে এই ভাবেই কেটে যায় আরো ২ মাস …

আহাধ আর রাফি এখন এক সাথেই অফিস করা শুরু করেছে ..আহিবা ওর কাকি আর সুমি তিন জন বাসায় থাকে আর ওর কাকা সে বাহিরে গিয়ে ওদের ব্যবসা দেখা শুনা করে …আর আকিব কে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত করে ……

আহাধ আহিবাও বেশ ভালোই আছে …সব মেঘ কাটিয়ে ওরা সবাই আলোর নিশান পেয়েছে

রাফি,আর আহাধ অফিসে থেকে ফিরে …ফ্রের হয়ে রাতে সবাই এক সাথে খেতে বসে…আহিবা সবাইকে খাবার বেরে দিচ্ছে

কাকি:কি রে তুই বসিস না
আহিবা:ইচ্ছা করছে না
রাফি:সেকি বসো খেতে
আহিবা:না ভাইয়া

আহিবা আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই ডলে পরে যায় ….

আহাদ রাফি সুমি আর কাকি সবাই খাবার ফেলে দৌড়ে গিয়ে আহিবার কাছে যায় ..

আহাদ আহিবার চোখে মুখে পানি দেয় কিন্তু কোনো লাভ হয় না …তার পর আহিবাকে রুমে নিয়ে ছোটে ..রাফি ওদের পারিবারিক ডাক্তার কে ফোন দিয়ে তারাতারি বাসায় আসতে বলে …

ডাক্তার তারাতারি চলে আসে

রাফি তাকে নিয়ে আহিবার কাছে যায় গিয়ে চেস্ট করতে দেয়

আহাধ:আন্টি কি হয়েছে
ডা.মুন্নি :আহাধ আমি টেস্ট এর আগে কিছু বলতে পারছি না….তুমি এক কাজ করো ওর ঙ্গান ফিরলে এই টেস্ট গুলো করিয়ে এনো
আহাধ:হুম
ডা.মুন্নি :ওকে তাহলে আমি আজ আসি ..

রাফি গিয়ে তাকে এগিয়ে দিয়ে আসে

চলবে,,,,,,,,,

শুকনো ঘাস ফুল part: 10

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::10

ওর দাদী ফোলকা দাতে ফিক করে হেসে দেয় …….

আহিবা :হ্যা ডাকছিলেন
আহাদ:হুম …আমি অফিসে গেলে সাবধানে থেকো রাফি বাসায় আছে ….যদি কোনো গন্ডোগোল দেখো সাথে সাথে আমায় ফোন দিবে …
আহিবা:হুম আচ্ছা
আহাদ :আমার নাম্বার আছে তো

আহিবা মাথাটা একবার ডানে আর একবার বামে নারায় মানে তার কাছে আহাদ এর নম্বর নেই

আহাদ:তোমার ফোন টা দাও

আহিবা দিয়ে দিলো …আহাদ তার নম্বর টা আহিবার ফোনে সেভ করে দিয়ে চলে যায় অফিসের উদ্দেশ্যে … আহিবাও নিজের কাজ করতে চলে যায় ….সবার সাথে কিছু ক্ষন আড্ডা দিয়ে রান্না করতে চলে যায়…

হঠাৎ ওর ফোনটা বেজে ওঠে আর সেখানে “husband ” লেখাটা ফুটে ওঠে আহিবার চোখ যেন বের হয়ে আশার উপক্রম

আহিবা :এটা তার নম্বর সে এই নামে সেভ করছে

আহিবা তারাতারি করে ফোনটা রিসিভ করে আর সাথে.সাথে আহাদ এর ঝাড়ি এতো সময় পর কেন ফোন ধরলো ..আহিবা ঝাড়ি খেয়ে চুপ হয়ে যায় ..তারপর আস্তে আাস্তে বলে ও রান্না করতে ছিল এই জন্য ধরতে একটু দেরী হয়েছে …আহাদ তাকে জানায় এর পর ফোন ধরতে যদি এক সেকেন্ড ও দেরী হয় তবে আহিবার খবর আছে …আহিবা শুকনো একটা ডোক গিলে …..আহাদ আর কথা না বাড়িয়ে ফোন কেটে দেয় …আহিবা ফোনটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষন দারিয়ে থাকে …

হঠাৎ চারিদিকে মেঘ গীরে যায় সাথে ঝুম বৃষ্টি আহিবা কোনো রকমের রান্না শেষ করে সোজা ছাদে চলে যায় ..রাফি বাসায় নেই এটাই আহিবার জন্য সুযগ তাই আর দেরী না করে সোজা ভিজতে নেমে পরে অনেক দিন পরে আবার সে বৃষ্টিতে ভেজার সুযগ পেলো সেটা হাত ছারা করে কিভাবে ….আহাদ আজ দুপুরেই বাসায় চলে আসে ..রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটা ট্রাউজার আর কালো একটা টি সার্ট পরে নেয় …আহিবাকে খুজতে শুরু করে

আহাদ:থাকে কই এই মেয়ে…সারা বাড়ি খুজেও পেলাম না …গেলটা কই ..আমি যে বাসায় এসেছি তার কোনো খবর আছে আর সুমি টাও বা কই …

হঠাৎ ছাদে হাসার শব্দ শুনে

আহাদ:ছাদে এতো বৃষ্টিতে হাসে কে ..গিয়েই দেখি আহিবা নয় তো

আহাদ গিয়ে দেখে আহিবা দোলনায় বসে বৃষ্টির সাথে খেলছে আর লাফিয়ে লাফিয়ে ভিজছে ..আর একা একাই হেসে কুটি কুটি হয়ে যাচ্ছে ..বৃষ্টির শাব্দের সাথে আহিবার পায়েল এর শব্দটাও যেনো মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে …চারিদিকে মেঘ ক্রমশ বেরেই চলেছে ..দিনএর বেলায় ও অন্ধকারে ভরে গেছে মনে হয় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে ..আহাদ এক ধ্যানে আহিবার অবস্থা দেখছে তার ঘোর লেগে যাচ্ছে বার বার …নিজেকে শত চেষ্টা করেও এই ঘোর থেকে বার করতে পারছে না …আহাদ এক পা একপা করে আহিবার দিকে আহাতে থাকে ..বৃষ্টিতে ভিজে সেও একাকার ..

.আহিবা হঠাৎ কেউ সামনে চলে আসায় সাথে সাথে তার দিকে তাকায়

আহিবা অবাক.চোখে আহাদ এর দিকে তাকায়

আহাদ:হ্যাবলাম মতো তাকিয়ে আছো কেন
আহিবা:না মানে আপনি কখন এলেন
আহাদ:তার খবর রেখে তুমি কি করবে …তুমি তো বৃষ্টির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছো
আহিবা:এ বা বা না না …আসলে অনেক দিন ওর তো তাই …আপনি বৃষ্টিতে ভিজেন
আহাদ:নাহ আমার জ্বর হয় তুমি ভিজছো দেখে নামলাম …এই বৃষ্টিতে যে এতো ভিজছো জ্বর হলে কে দেখবে শুনি ..
আহিবা:আমার জ্বর হয় না …আর আপনি এখনই গিয়ে ফ্রেস হন ….আপনার নাকি জর হয়
আহাদ :সমস্যা নায়য়য় হাচ্ছো হাাাাাচি
আহিবা:আরে হাচি দিচ্ছেন তো রুমে চলুন গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিন চলুন
আহাদ :হুম

ওরা দুজনই পুরা কাক ভেজা হয়ে গেছে সিরি নেমে দিয়ে সোজা ওদের রুমে চলে যায়

আহিবা আহাদকে তার আগে ফ্রেস হতে পাঠিয়ে দেয় আহাদ বার হলে সে জামকাপড় পাল্টে নিয়ে বার হয় …তারপর সবাই মিলে এক বারে দুপুরের বার খায় তবে আহাদ এর অবস্থা খারাপ হাচি দিতে দিতে …আহিবা আহাদের জন্য আদা ,দারচিনি ,এলাচ,লবঙ্গ দিয়ে পানি ভালো করে জালিয়ে তার মধ্যে মধু দিয়ে খেদে দেয় …

আহাদ একটু খেয়েই পাশে রেখে দেয় আহুবা রুম দিয়ে সরতেই জানালা দিয়ে সব ফেলে দেয় …

সারাদিন বৃষ্টি এমন কি সন্ধ্যাও বৃষ্টি কমার কোনো নাম গন্ধ নেই ..আহিবা রাতে খাবার জন্য আহাদ কে ডাকতে আসে এসেই দেখে আহাদ গুটি শুটি মেরে শীত এ কাপছে …..আহিবা তারাতারি গিয়ে আহাদ এর কপালে চেক করে ..হুম জ্বরে আহাদ এর গা পুরে যাচ্ছে…আহিবা তারাতারি করে আরে দুটে কাথা এনে আহাদ এর গায়ে দিয়ে দেয় …আহিবা তারাতারি সুপ বানিয়ে সেটাকে দু চামচ কোনো রকমের আহাদ কে খাইয়ে ওষুধ খাওয়ায় …..

সবাইকে খাওয়াতে চলে যায় …সবাই কে খাইয়ে নিজেও সামান্য খেয়ে নেয় তারপর আবার ছোটে আহাদ এর কাছে …আহাদ এর জ্বরে কোনো হুস নেই ..

আহিবা গিয়ে লাইট অফ করে আহাদ এর পাশেই শুয়ে পরে তবে আজ আর কোনো প্রাচীর দেয় নি …আহাদ এর জ্বর বার বার দেখার দরকার হবে এই জন্য ……

??

আহিবা সুতেই কিছুক্ষন পর আহাদ আহিবাকে জড়িয়ে ধরে জ্বর এর ঘোরে কাপতে থাকে আহিবা একদম পাথর হয়ে যাচ্ছে ..আহিবা কি করবে কিছু ভেবে পাচ্ছে না …আহাদ যেন তার শরীরে মিশে যেতে চাইছে ..আহিবার একদম কাছে চলে এসেছে …আহাদ এর জ্বর সবে মাএ একটু কমা শুরু করেছে …আহাদ আহিবার খুব কাছে চলে আসে …

আহিবাও এতে বাধা দেয় যতোই হোক না কেন সে তার স্বামী ..আর কোন মেয়েই বা চায় না স্বামীর ভালোবাসা …এটা কি তার জন্য অন্যায় কোনো চাওয়া …আহিবা ও আজ আর আহাদকে কোনো বাধা দেয় না ….যেভাবেই হোক না কেন তার স্বামী আজ তার কাছে এসেছে কি করে ফিরিয়ে দেয় তাকে ….

[পাঠক গন এখন আর এই খানে থেকে কাজ নাই …তাদেরকে তাদের মতো ছেরে দিন কেমন …??বেচারা গো লজ্জা দিয়া কাজ নাই …??]

অন্যদিকে

এনি চুপ করে তার রুমে বসে আছে এই পরিবারটা খুব ভালো আজ সে অফিসেও গিয়েছে ..খুব ভালো ভাবেই সারাদিন পার করেছে কিন্তু রাত ..রাতটা যে বার বার আহাদ কে তার মনে করিয়ে দেয় …চাইলেও ভুলতে পারে না ….

তখন হঠাৎ রাহুল দরজায় এসে নক দেয়

রাহুল:আসবো
এনি:ওহ ..আপনি আসুন আসুন
রাহুল :ঘুমান নি
এনি:নাহ ঘুম আসছিল না ….আপনি ঘুমান নি কেন
রাহুল :কাউকে মিস করছি ….সে বৃষ্টি খুব পছন্দ করতো …প্রতিবার এই বৃষ্টিই তাকে আমায় বার বার মনে করিয়ে দেয়া …আচ্ছা বাদ দেন তো …আপনি কি করছিলেন
এনি :ভাবছিল কি না মানুষের কপাল …কজনই বা প্রিয় মানুষটাকে আপন করে পায়
রাহুল:হুম তা ঠিক বলেছেন ..আর সব সৃতির পাতা ঘুলো রাতের বেলাই আমাদের কুড়ে কুড়ে খায় তাই না

এনি :হুম ….রাতেও যদি মানুষ ব্যাস্ত থাকবো তার কর্ম স্থলের কাজ নিয়ে তবে বেশ হতো …পুরনো সৃতির কথা হয়তো তাহলে আর মনে হতো না
রাহুল:এটা বেশ ভালো বলেছেন …
এনি:আমি সব সময় ভালোই বলি
রাহুল:হুম ঠিক ….আজ অফিস কেমন কাটালেন …আসলে আমি যে জিঙ্গাস করবো এর সময় টুকুও আমার ছিল না
এনি:হুম তা তো দেখতেই পেয়েছি …
রাহুল:কাল একটা মিটিং আছে আমি চাই ওটা আপনি হ্যান্ডেল করুন
এনি:কিন্তু আমি তো
রাহুল :আমি বুঝিয়ে দিবো
এনি:এখন বুঝাতে শুরু করে দিন যদি ঘুমাতে দপরী হয় …নাহলে কাল সকালে যদি সময় না পান
রাহুল:তা খারাপ বলেন নি

রাহুল এনিকে সব প্রেজেন্টেশন কি করে কি করতে হয় সব বুঝিয়ে দেয় ….

???
??
?

সকালে আহিবার ঘুম ভাগতেই নিজেকে আহাদ এর বাহু ডোরে আবিষ্কার করে …আহিবা নিজের দিকে তাকাতে নিজেই লজ্জা পাচ্ছে ….আহিবা উঠতে নিলে আহাদ আরো শক্ত করে ওকে জড়িয়ে ধরে …আহিবা ও তাই কিছুক্ষন চুপ করে যায় তারপর আহাদ এর হাত একটু হালকা হতেই আহিবা নিজেকে ছাড়িয়ে ফ্রেস হতে চলে যায় …আহিবা সরে যেতেই আহাদ চোখ মেলে তাকায় …আর একা একাই হাসতে থাকে …..

কিছুক্ষন পর আহিবা ফ্রেস হয়ে সাওয়ার নিয়ে বার হয়ে আয়নার সামনে চলে যায় …আহিবার আজ নিজেকে একদম নতুন মনে হচ্ছে … আহিবা নিজেকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে ব্যস্ত আর আহাদ আহিবাকে …আহিবার আহাদ এর দিকে চোখ যেতেই লজ্জায় লাল নীল সবুজ হতে থাকে ..
আহাদ মুচকি হেসে:লজ্জা এখন ও পাও ?
আহিবা:আমমম
আহাদ :বুঝি বুঝি …আমার বউ লজ্জা ও পাচ্চছে এখন ও কিন্তু কেন …
আহিবা :আপপপনি বেশী কথা বলেন
বলেই দৌড়ে রুম দিয়ে চলে যায় ..আহাদ হাসতে হাসতে কুটি কুটি হয়ে যায় তারপর নিজেও ফ্রেস হতে চলে যায় …

এনি রেডী হয়ে বসে আছে রাহুল এর সাথেই সে অফিসে যাবে এই জন্য ..রাহুল আজ প্রচন্ড রকমের দেরী করছে ..এনি একা একা বসে বসে রাগে ফুসছে তখনই রাহুল আসে
রাহুল :আহ একটু দেরী হয়ে গেল
এনি :একটু
রাহুল:ঐ তো আর কি জোর করে হাসি দিয়ে
এনি রাহুল এর অবস্থা দেখে জোরেই হেসে দেয় ..রাহুল ও এনির হাসির মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে দেয় …এনির কথায় রাহুল এর হুস আসে
এনি:যাবেন নাকি আরো দেরী করার ইচ্ছা আছে
রাহুল:এই না না চলো ..

এনি রাহুল বেড়িয়ে যেতেই রাহুল এর মা বাসার উপরে দাীিয়ে এতোক্ষন ওদের দেখছিল সে একটা সস্তির নিশ্বাস ফেলে
রাহুল এর মা :যাক এই দুটোকে এক করে দিতে পারলেই শান্তি …..দুটোকে বেশ মানাবে …..

আহিবা রান্না ঘরে কাজ করছে আহাদ এসে ওর পিছনে দারিয়ে ফল খাচ্ছে ..তখন রাফি এসে আহিবার সামনে বসে পরে আহিবা বেশ খানিকটা ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায়
রাফি আহিবার হাত ধরে কান্না আর অনুতপ্ত হওয়ার ভান করে
রাফি:তুই আমার ছোট বোন এর মতো …আমি যা করেছি আমায় তুই মাফ করে দে বোন …আমি আর কখনও কারো সাথেই এমন করবে না বোন মাফ করে দে …..
আহিবা :হা করে একবার রাফির দিকে আর একবার আহাদ এর দিকে তাকাচ্ছে
রাফি আহাদ এর কাছে যায়
রাফি:ভাই ভাবিকে মাফ করে দিতে বল না
আহাদ:আহিবা
আহিবা:রাফি ভািয়া নিজের ভুল বুঝে যদি কেউ মাফ চায় তবে তাকে তো মাফ করেই দেওয়া উচিত তাই না …আমি আপনাকে মাফ করে দিয়েছি
রাফির মুখে বিজয়ী হাসি এনে
রাফি:tnq u বোন ….
আহিবা:হুম
রাফি রুম দিয়ে চলে যায় আহাদ এসে আহিবার পাশে দারায়
আহাদ:যাক ভালোই হয়েছে
আহিবা:হুম নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক
আহাদ কিছু বলতে নিবে তার আগেই ওর ফোনটা বেজে ওঠে
আহাদ :আব্বু কেমন আছো
ওপাশ থেকে :———
আহাদ:কি তোমরা আসবে কবে
ওপাশ থেকে :——-
আহাদ:আমি আসি তোমাদের পিক করতে
ওপাশ থেকে:______
আহাদ :তো গাড়ি তো পাঠাই
ওপাশ থেকে ________
আহাদ:আচ্ছা যা ভালো বুঝো …আর সাবধানে এসো

আহিবা:কে বাবা ফোন করছিল
আহাদ:হুম আব্বু আম্মু আর বোন বাসায় আসছে ওরা সব বিডি এয়ার্পোর্টেই আছে গাড়ি পাঠাতে চেয়েছি বললো লাগবে না
আহাদ:ওহ আচ্ছা …তো আমি তারাতারি করে.রান্না গুলো শেষ করে নেই
আহাদ আহিবাকে টেনে নিজের বুকে নিয়ে আশে ..
আহাদ:হুম তা তো করবেই কিন্তি তার আগে …বলই আহিবার কপালে একটা ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে রান্না ঘর থেকে চলে যায় …আহিবা হা করে আহাদ এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে সুমির কথায় আহিবার ধ্যান ভাগে
সুমি:আফা মুই একটা জিনিস দেখছি কিন্তু
আহিবা বিষম থেকে :কককককি দেখচিস
সুমি:ঐ যে ছোডো সাহেবে আম্মেরে চুমা দিছে
আহিবা আকাশ থেকে পরে বলে কি এই মেয়ে
আহিবা:তুই তোর কাজ কর না বোন
সুমি:হিহিহি আচ্ছা

আহিবা রান্না বান্না শেষ করে সবাইকে সকালে খাওয়া জন্যডাকে ..সবাই এসে খেতে বসে …বেশ জমিয়েই খাচ্ছে সাথে মজাও করছে হঠাৎ করে আহাধ এর ফোনে কারো ফোন আশে অন্য নম্বর দিয়ে
আহাধ:হ্যালো কাকে চাই
ওপাশ থেকে :_____?
আহাধ:কিহহহহহহ
আহাধ পাথরের মতো বসে আছে খাবার টেবিলে সবাই এক দৃষ্টিতে আহাধ এর দিকে তাকিয়ে আছে
আহিবা উঠে গিয়ে আহাধ এর কাধে হাত রাখে
আহিবা :কি হয়েছে
আহাধ :আহিবা সব কিছু শেষ হয়ে গেছে সব কিছু বলেই যেমন অবস্থায় ছিল সেভাবেই বাডা থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায় সাথে রাফি আর ওর কাকা ও ….
দাদী:কি হলো রে
কাকি:তুমি কিছু জানো ?
আহিবা :নাহ তো

২ ঘন্টা পরেই আহাধ এসে দরজায় নক করে আহিবা দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয় …আহাধ এর চোখ টক টকে লাল হয়ে গিয়েছে
আহিবা:কি হয়েছে
আহাধ কিছু না বলে বাসার ভিতরে ডুকে ধপ করে মাটিতে বসে পরে ….
আহিবা ও আহাধ এর কাছে দৌড়ে চলে যায় ….?এর মধ্যেই কিছু hospital এর মানুষ রাফি আর ওর বাবা লাস বাসায় ডুকাতে সুরু করে …
আহাধ এর দাদী ওখানেই ছিল সে লাশ দেখেই ঙ্গান হাড়িয়ে পরে যায় …
কাকি কোনো ভাবে তাকে সামলে নেয় …তারপর খাটে নিয়ে সুইয়ে দেয় সুমির সাহায্য নিয়ে ……

আহিবা কাপা কাপা গলায় :কককককি হয়েছে
আহাধ কিছু না বলেই আহিবাকে ধরে বাচ্চা দের মতো ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে থাকে আহিবার চোখ থেকেও টপ টপ করে পানি পরছে

চলবে ,,,,,,,,

???
??
?

চলবে,,,,,,,,,,

শুকনো ঘাস ফুল part: 9

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::9

আহাদ আহিবাকে তার সম্পূর্ন অধিকার দিয়েই রাখতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের তিন জন এর জীবনই “#শুকনো_ঘাস_ফুলের”মতো শুকিয়ে রয়েছে …

অন্যদিকে এনি ঐ বাসার রুমের বারান্দার গিরিল ধরে দারিয়ে আছে |তার দৃষ্টি সামনের একটা জামরুল গাছে| সেখানে একজোরা পাখি বসে আসে পাশাপাশি |

এনি :এই যে জোরা পাখি যানো আমার না এমন একটা জোরা ছিল …কিন্তু দেখো না …এখন সাথে নেই …ছোট বেলায় বাবাকে হাড়ালাম …তার পর মা ও চলে গেল ..আর স্বামী তাকে কি আমার স্বামী বলা সাঝে …কিন্তু তার আর আমার বিয়েটা সেভাবে হোক হয়েছে তো ….কিন্তু বিয়ে হলেই কি স্বামী স্ত্রী হয়ে যায় …আগে তো আমাদের মধ্যে কত মিল ছিল কিন্তু আহিবার সাথে তার বিয়ে হওয়ার পরই সে দূরে সরে যেতে থাকে …হয়তো এটা আহিবার কবুলের জোর ….আমার বিয়েটা না হয় থাক ঐ পাহাড় এর নিচে চাপা পরে কি দরকার আর এর কথা ভেবে কষ্ট পাওয়া …নিজের জীবন টাকে থামিয়ে রাখার কি আদো কোনো মানে হয় …কিন্তু মেয়েদের জীবনে বিয়ে তো একবারই হয় …এর পর তখনই ২য় বিয়ে হয় যখন সে পরিস্থীতির ফাদে পরে …স্বামী অত্যাচার করলে কিংবা শশুড় শাশুরী জালাতন করলে কিন্তু আমার বেলায় তো এমন কিছুই হয়নি ….আমি একাই আমার জীবনের পথটা পারি দিতে পারবো ..হুম পারতে যে আমায় হবেই

এনি কথা গুলো এক ধ্যানে বাহিরের দিকে তাকিয়ে বলছিল ওর পিছনে যে কেউ দাড়িয়ে আছে সেটা এনি গুনাক্ষরেও টের ও পায়নি

এনির কাধে হাত দেয় সে এনি এক লাফে পিছনে থাকা মানুষটার দিকে ঘুরে তাকায়

এনি:আন্টি তুমি ….তুমি কখন এলে
আন্টি(রাহুল এর মা ):তুই যখন একা একা কথা বলেছিলি তখন ?
এনি;আসলে আন্টি
আন্টি:থাক বলতে হবে না আমি সবটাই শুনেছি চল ঐ সোফাটায় গিয়ে বসি তারওর না হয় কথা বল্লাম
এনি:হুম

এনি আর রাহুল এর মা গিয়ে সোফায় বসে এনি তার পাশেই

আন্টি:মা …একা কখনও জীবন চলে না আার তোর বয়স টাই বা কত বল …কি করে পারবি তুই একা জীবন কাটাতে …কি তোর পরিচয় হবে …কার পরিচয়ে তুই বাচবি …নিজের পরিচয়ে …?আদো কি সম্ভব ….সে যাক গে …আতীতকে কখনও সামনে আসতে দিবি না ..সে আতীত তাকে আতীতের খাতায়ই পরে থাকতে দে …শুধু শুধু তাকে কেন ভবিষ্যতের সাথে জড়াবি..তুই ভুল কিছু করিসনি…. সে বিবাহিত তার বউ আছে সংসার আছে সেখানে তুই কেন গিয়ে পরে থাকবি …তুই চাইলেই নতুন করে সব কিছু শুরু করতে পারবি …তাকে বুঝিয়ে দে তুই দূর্বল নস …বরং তুই ও তার মতো সংসার করছিস…
এনি :কিন্তু আন্টি আতীত ভুলে যাওয়া এতোটাই সহজ
আন্টি:জানি সহজ না …কিন্তু মানুষের চেষ্টার কাছে কোনো কিছুই কঠিন না …নিজেকে ব্যাস্ত রাখ সারা দিন ..দেখবি ব্যাস্ততাটাই তোকে তার কথা ভাবা থেকে বিরত রাখবে ভালো থাকবি ..আর শোন কাল আমি রাহুল কে বলে ওর অফিসে তোকে জয়েন করানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি তারপর নিজেকে সারাদিন কাজে ডুবিয়ে রাখ
এনি:হুম

আহিবা সকাল ঘুম ভাগতেই আহাদ এর দিকে চোখ যায় …..আহাদ ঘুমের মধ্যেও তার কপালে স্পষ্ট ভাজ বিরাজমান …হয়তো ঘুমের মধ্যেও চিন্তার এক রাস নিয়ে বসে আছে

আহিবা : আপনি হয়তো আমায় নিয়ে চিন্তা করছেন তাইনা …আমি যানি আপনি আপুকে প্রচন্ড ভালোবাসেন …কিন্তু কি করে আমি জানবো কার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে যদি কবুল বলার এক মুহূর্ত আগেও জানতাম তাহলে ঐখানেই বিয়েটা ভেগে দিতাম …কিন্তু কপাল যে আমার সহায় ছিলনা ..তাই হয়তো এমন হয়েছে …কি করবো বলুন বাবার বাড়ি যাবো সেখানে যাওয়া যে সম্ভব না …মাফ করবেন …
আহাদ হঠাৎ নরে ওঠে আহিবা সাথে সাথে এক লাফে খাট থেকে নিচে নামে কিন্তু কপাল খারাপ হয়ে আর যা হয় চাদরের কোনায় পা বেজে সোজা ধপাস …
আহিবা :ওরেহহহহহহ
আহাদ হঠাৎ এমন চিৎকারে লাফিয়ে উঠে বসে চারিদিকে তাকায় কিন্তু কিছুই দেখতে পায় না তারপর যখন আহিবার আবার শব্দ শোনে তখন খাটের কোনায় গিয়ে উকি দিয়ে দেখে আহিবা নিচে পরে আছে
আহাদ:আরে এভাবে পরলে কি করে
আহিবা :চাদরে পেচিয়ে
আহাদ:তো উঠছো না কেন
আহিবা :চোর খুজছিলাম (মুখ ব্যকিয়ে বলে উঠে দাড়িয়ে জামা ঝারতে ঝারতে রুম থেকে বেরিয়ে যায় )
আহাদ :কি বলে গেল খাটের নিচে চোর খুজছিল …স্টের্জ খাটের নিচে চোর আসবে কোথা দিয়ে ..ধুর আমি ঘুমাই
বলেই আহাদ আবার সুয়ে পরে

দরজার আড়াল থেকে
রাফি: যা শান্তি করার করে নাও কারন এটা আর বেশী দিন পারবে না…..আমি হতে দিবো না ….কখনই না …
বলেই ওখান থেকে নিজের রুমে চলে যায়

আহিবা রান্না ঘরে সবার জন্য সকালের নাস্তা বানিয়ে ওর দাদীর রুমে যায় …
দাদী:আরে নাতবউ ভেতরে আয়
আহিবা:হুম
আহিবা গিশে ওর দাদীর পাশে বসে
দাদী:তোর জোরার টা কই রে ?
আহিবা:জোরারটা
দাদী:তোর সোয়ামী
আহিবা:ওহ….সে ঘুমায়
দাদী:সে কি রে এখন ও ঘুমায় উঠাস নি
আহিবা:তার সময় হলে এমনিই উঠে যাবে
দাদী:এটা কোনো কথা …একটু কাজ কর দাদু ভাইকে দেকে নিয়ে আসবি
আহিবা:আআআআমমি
দাদী:?তা নয় তো কে
আহিবা:দাদী না গেলে নয়
দাদী:নাহ তারাতারি যা
আহিবা বাধ্য হয়ে উঠে চবার আগাদ এর রুমে যায় গিয়ে দেখে আহাদ উঠে খাটের সাথে হেলান দিয়ে ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে

আহিবা;আপনাকে দাদী ডাকছে
আহাদ শুনেও না শোনার ভান ধরে বসে আছে
আহিবা:শুনছপন আপনাকে দাদী.ডেকেছে
আহাদ এদিক ওদিক তাকিয়ে তারপর আহিবার দিকে তাকায়
আহাদ:আমায় বলছো
আহিবা:হুম দাদী ডাকছে
আহাদ:ওহ তুমি যাও আমি ফ্রেস.হয়ে আসছি
আহিবা:জ্বি
আহিবা আবার দাদীর রুমে চলে যায় আহাদ ও তার একটু পর গিয়ে হাজির হয়
আহাদ:দাদী ডাকছিলে
দাদী :হুম এদিকে আয় বস তো এখানে (টুল দেখিয়ে )
আহাদ ও গিয়ে বসে পরে আহাদ আশার সময় পানির একটা বোতল হাতে করে নিয়ে এসেছি খাবে তাই আহাদ বসে পানিটা কেবল মুখে দেয় তখনি
দাদী :কিরে দাদী ভাই আমার পুতির মুখ কি তোরা দেখাবি না …নাকি না দেখিয়েই মারতে চাস
আহিবার চোখ ছানা বড়া হয়ে গেছে আহাদ পানি মুখে দিয়ে এমন কথা শুনে পানি নাকে চলে যায় ..বেচারার বেষম চলে যায় আর কাশতে থাকে
দাদী:আরে আস্তে খা
আহিবা:ঠিক আছেন আপনি
আহাদ:হুম হুম
দাদী:ঐ ছুরী তুই ওকে আপনি বলিস কেন রে …ও কি তোর পর …শোন এর পর থেকে তুমি করে বলবি মনে থাকে যেন
আহিবা: আআআচচচচ্ছা
আহাদ মুচকি মুচকি হাসে
দাদী:শোন যা বলছিলাম
আহাদ:দাদী এখানেই থেমে যাও না
দাদী:তুই চুপ থাক ….আর শোন আমি মরার আগে আমার পুতি দেখতে চাই বুঝলি …আমি কি একটু পুতি নিয়াও খেলা করমু না …
আহাদ:দাদী কি যে বলো তুমি …
দাদী:ভুল কি বলছি আমি আজ আছি কাল নেই ..শোন তোদের কাছে এটা আমার আবদার ….আমায় পুতি এনে দেওয়ার ব্যবস্থা কর
আহিবা :এক কাজ করুন না মানে করো ..একটা পুতিঁ কিনে এনে দাদীকে দিয়ে দাও ..?
দাদী:ওরে বাদর মেয়ে ..আমি এই পুতিঁর কথা বলিনি ..তোর আর আহাদ এর বাচ্চার কথা বলছি
আহাদ:দাদী এটা পরেও ভাবা যাবে তাই না
দাদী:হুম আমি মরলে ?

আহাদ ওর দাদীকে বুঝিয়ে তারপর খেতে নিয়ে যায় …আহিবাও যায় …ওর কাকা কাকিরাও আসে সাথে রাফিও …
রাফি কারনে অকারনে খালি আহিবার হাত স্পর্শ করছে ..আহিবা বার বার ওর হাত সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর এক রাশ বিরক্ত নিয়ে রাফিকে খাবার সার্ফ করছে …আহাদ সবটা খেয়াল করছিল
আহাদ:আহিবা তুমি এই পাশে এসে খেতে বসো আমি খাবার দিয়ে দিচ্ছি
আহিবা :কিন্তু
আহাদ এক প্রকার টেনেই আহিবাকে ওর পাশে নিয়ে বসিয়ে দেয় …
আহিবা চুপ চাপ বসে আছে ..সবার খাওয়া শেষ হলে যে যার মতো করে চলে যায় …
আহাদ:আহিবা একটু রুমে আসো তো
আহিবা:হুম আসছি
দাদী পাশে ছিল ..আহাদ রুমের দিকে যেতেই সে আহিবাকে হালকা ধাক্কা দিয়ে
দাদী:যাও যাও তোমার জামাই তোমায় খুজছে …অফিসে যাবে তো তার আগে বউকে একটু সোহাগ করতে হয় না ?
আহিবা:দাদী তুমি সব সময় বেশী বলো এমন কিছুই না
এর মধ্যে আহাদ আবার ডাক দেয় আহিবা হুমরী খেয়ে ওদের রুমে চলে যায় ..আর ওর দাদী ফোলকা দাতে ফিক করে হেসে দেয় …….

চলবে,,,, ,,

শুকনো ঘাস ফুল part: 8

0

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::8

??
?

আহাদ:তোমায় নিচে শুতে হবে না তারপর সকালে দাদী এসে ডাক দিবে আমার আবার তোমায় কোলে নিয়ে বিছানায় দিতে হবে

আহিবা:তাহলে
আহাদ:তুমি উপরে সুয়ে পরো আমি নিচে শুচ্ছি
আহিবা:এই না না তা কি করে হয় …?এক কাজ করুন আপনি খাটে শুয়ে পরুন আমি এক কোনায় শুয়ে পরি মাঝে কোল বালিস দিলেই তো হলো তাই না
আহাদ:হুম এটা করা যেতেই পারে মন্দ বলো নি
আহিবা:হুম আপনি একটু দারান আমি বিছানাটা ঝারা দিয়ে করে দিচ্ছি

আহিবা বিছানা ঠিক করে দুজন এর বালিস দু দিক এ আর মধ্যে একটা বিশাল বালিসের দেয়াল করে দেয়

আহাদ :এটা কোথার প্রাচীর বানিয়ে দিলা
আহিবা:এই রুমের প্রাচীর
আহাদ:হুম ঠিক বলেছো এখন সুয়ে পরো
আহিবা:আপনি শুয়ে পরুন আমি শুচ্ছি
আহাদ:হুম

আহাদ গিয়ে সুয়ে পরে আহিবাও গিয়ে সুয়ে পরে ওদের প্রাচীর এর এপার আর ওপার এ

আহিবা:একটা কথা বলবো
আহাদ:হুম
আহিবা:আপুর সাথে কথা হয়েছে (গলা আটকে আসছিল বার বার )
আহাদ:নাহ (দীর্ঘশ্বাস ফেলে )এনির ফোন বন্ধ …আমি ফোন দিয়ে ছিলাম অনেক বার কিন্তু ফোনটা তুলেনি …আহিবা আমি তোমায় একটা কথা জানায় নি যদিও এটা জানার অধিকার তোমার আছে ..
আহিবা:অধিকার আচ্ছা বাদ দিন কি বলতে চাইছেন ওটা বলুন

আহাদ:আহিবা আসলে সেদিন এনির আর আমার বিয়েটা কোনো সাধারন ভাবে হয়নি …এনি সুইসাইড করতে গিয়েছিল আমাদ একটা ফ্রেন্ড ওকে দেখে আমায় ফোনকে ..কিন্তু আমি ওর কাছে যেতেই ঐ খানের কিছু স্থানীয় মানুষ আমাদের ঘ্রাউ দিয়ে ফেলে …তারাই সেদিন আমাদের জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয় ..আর যদি আমরা বিয়ে না করি তবে ওরা যে কোনো একজনকে মেরে ফেলবে…যেভাবেই হোক তোমার সাথে আমার বিয়েটা হয়েছিল …আমি এনিকে এটাই বুঝাতে গিয়েছিলাম…এনিও মেনে নিয়েছিল …কিন্তু আমাদের ভাগ্য আমাদের সহায় ছিলনা …তাই হয়তো সেদিন না চাইতেও আমাদের বিয়ে হয়েছিল…..আরো একটা শত্যি আমি তোমায় পরিক্ষা করতে চেয়েছিল আর এনিই এতে আমায় সাহায্য করে তুমি যেদিন আমাদের জন্য রুম সাজিয়েছিলে সেদিন আমি আর এনি ঠিক কালকের মতোই ঘুমাতাম…এই যে কয়দিন এনি আর আমি এক সাথে ছিলাম …তোমার সাথে যা করেছি সবটা অভিনয় ছিল মাএ ……তোমায় মেনে নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তার আগে তোমার ধর্যের পরিক্ষাটা নিতে চেয়েছিলাম …এনি আর আমি তবো ডিভোর্শ

আহাদ আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই আহিবার দিকে চোখ যায় সে ঘুমিয়ে গেছে আহাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে

আহাদ:আহিবা সত্যিটা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি শুনলে না হয়তো আর জানতেও পারবে না ……

আহাদ ওদের মাথার উপরে চলন্ত ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে থাকে …তার জীবনটাও আজ ঘুরনয়মান ……সে ও তো ভেবেছিল তার জীবনটাও নিজের মতো করে সাজিয়ে নিবে কিন্তু ভাগ্যতার সহায় হলো না ….

আহাদ তো আহিবাকে বুঝতে চেয়েছিল ..

.আর অন্যদিকে এনিও তার বউ হওয়ার সত্তেও সে এনির কাছে যায় নি শুধু মাএ আহিবার সাথে যেভাবেই হোক তার পরিবারের মধ্যমেই তো হয়েছে এতো তো আহিবার দোষ নেই …আহাদ আর এনির দোষটাই বেশী যদিও তারা এই সব এর কিছুই জানতো না ….

??

সেইদিন

আহাদ এর মা:বাবু আজ তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো তুই কি যাবি
আহাদ:মা আমি এখন বিয়ে করবো না
আহাদ এর মা:আরে মেয়েকে

তখন আহাদ এর বাবা আহাদের মাকে থামিয়ে দেয় তারপর তিনি

বাবা:আচ্ছা.তোমায়.যেতে হবে না

সেদিন আহাদ এর আম্মু আব্বু চলে যায় আহিবাদের বাসায় এনিকে দেখতে তারা শুধু দালাল লাগিয়ে এটা জানতে পেরেছিল ঐ বাড়ির কোনো মেয়ে তার নামটাও তারা জানতো না .

??

অন্যদিকে ,,,,,,

সেদিন এনি আর আহাদ এর ৬ মাস anniversary ছিল তাই এনি যাবেই সেখানে অন্যদিকে শুনেছে তাকে দেখতে আসছে তাই আহিবার মাকে আর তার মাকে বুঝ দিয়ে আহিবাকে তাদের সামনে দিতে বলে তারা রাজি হয় না ..তারা কোনো ভাবেই রাজি না …..পরে এনি তাদের অনেক কিছু বুঝিয়ে রাজি করায় আর কোন মা চায় না তার মেয়ের একটা ভালো পরিবারে বিয়ে হোক …আহিবার মা ও চেয়েছিল তাই রাজি হয়ে যায় ….এনি আর আহাদ সেদিন চলে যায় লং ড্রাইভে তারা জানতেও পারেনা দুই পরিবারের কথা ….

এই দিকে আহিবার সেদিন পরিক্ষা ছিলনা তাই পরে পরে ঘুমাচ্ছিল বিকালে ..তখনই ওর মা আর ফুপি এসে আহিবাকে এক প্রকার ঘুম থেকে টেনে শাড়ি পরিয়ে এনির জায়গায় নিয়ে পাএ পক্ষের মানে আহাদ এর আম্মু আব্বুর সামনে নিয়ে বসায় .

??
..আবার আহিবার আব্বুর সাথে আহাদ এর আব্বুর অনেক বছরের ফ্রেন্ডসীপ ছিল কিন্তু সময়ের জন্য তারা দুজনই আলাদা হয়ে যায়…. আজ এতো দিন পর তারা এক হয় তাই তাদের কথার ঝুড়ির যেন কোনো শেষ নেই… তারপর আবার আহাদ এর আম্মু আব্বুর আহিবাকে খুব পছন্দ হয় ..আহাদের আম্মু আহিবাকে তার হাতের বালা খুলে পরিয়ে দেয় ..

.আহিবা এর কোনো মানেই খুজে পাচ্ছিল না আর কিছুক্ষন আহিবাকে তাদের সামনে বসিয়ে তারপর রুমে নিয়ে যায় আর

এই দিকে আহিবার আব্বু আহিবা আর আহাদের বিয়ের দিন ঠিক করে ফেলে ..

.আহিবার আব্বু হার্টের রুগী অন্যদিকে আহাদের আব্বু ও আর দেরী করতে চায় না তার বন্ধুর মেয়ে অন্যদিকে নিজের ঘরের পুএ বধুকে ঘরে তুলতে তারা এই বাসায় আাশার আগেই ঐ বাড়ির মেয়ের খবর নিয়ে এসেছে তাই খুব তারাতারিই বিয়ের দিন ঠিক করে ফেলে আর সেটা তিনদিন পরেই ….

আহিবা র বাসা দিয়ে তারা যেতেই আহিবা চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেয় এই বিয়ে সে করবে না তারা যেন বালা ফেরত দিয়ে দেয় আহিবার মা ও মেয়ের কথায় তাল মিলিয়ে বলে সে ফেরত দিয়ে দিবে…আহিবা তাই এই নিয়ে আর মাথা ঘামায় না এমন কি এনিকেও জানায় না সে আসলে …যেটা ভেগে দিয়েছে সেটা জানিয়ে আর কি করবে এই জন্য ….

আহাদ বাসায় যেতেই তার মা তাকে যানায় সে যাকে পছন্দ করতো তার সাথেই তারা আহাদ এর বিয়ে ঠিক করেছে …আহাদ ও খুব খুশি হয়ে যায় …সে আর মেয়ের নামটাও জানতে চায় না ….

হ্যা এটাই আহাদের সব থেকে বড় ভুল হয়েছিল ….

আহাদ এনিকে সাররাইজ দিবে দেখে এনিকে কিছু বলে না …..বিয়ের দিন যখন বর যাএা যাবে তখন তার মায়ের মুখ থেকে কনের নাম য়ুনে স্তব্ধ হয়ে যায় আহাদ…..আহাদ বাসায় বলতে চায় ..কিন্তু পরিস্থিতীর জন্য পেরে ওঠে না

তারপর এর কাহিনী আপনারা সবাই জানেন

আর একটা কথা আহাদ আহিবাকে প্রথম রাতেই বলেছিল আহিবা এই সব কিছু করেছে …আসলে তখন আহাদ জানতেই না …কিভাবে কি হয়েছে তারপরের দিন সবটা জানতে পারে……আহাদ পরের দিন বন্ধুদের কাছ থেকে বাসায় আসছিল তখন

এনি তাকে ফোন দেয় সে সুইসাইড করবে …আর আহাদ বাড়ি না এসে এনির কাছে চলে যায় …আহাদের আর আহিবার কাছে সরি বলা হয়ে ওঠে না তার আগেই অন্য ঝামেলায় এনির সাথে বিয়ে হয়ে যায় …..

আহাদ আহিবাকে তার সম্পূর্ন অধিকার দিয়েই রাখতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের তিন জন এর জীবনই “#শুকনো_ঘাস_ফুলের”মতো শুকিয়ে রয়েছে …

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,