বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1195



Love_at_1st_sight   Part : 12  

0

Love_at_1st_sight ???
Part : 12

writer-Jubaida Sobti
স্নেহা : এতো কিপটা কেনো আপনি?.. আগে বলেননি কেন আজকে আপনার বার্থডে ছিলো…?
রাহুল : কখন বলবো,…যখন আমাকে দেবদাস বানিয়ে চলে গিয়েছিলে তখন?..?
নাকি,
যখন ঐ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলে তখন?.?
স্নেহা : দেখেন একদম বাজে কথা বলবেন না। আমি কবে রাজি হয়েছিলাম। হুম?..?
রাহুল : কেমনি পারলা স্নেহা তুমি ? রাজি হতে কেমনি পারলা ? (with naughty mind?)
রাহুলের এই কান্ডে রাহুল স্নেহার থেকে অনেক মার আর চিমটি খেলো ??
বিকেলে স্নেহা বাসায় ফিরে,…
স্নেহার মা স্নেহার বাবাকে ততোক্ষনে সবকিছু বুঝিয়ে বলে দেয়। কিন্তু স্নেহার বাবা কিছুতেই তা মেনে নেই না। আজ থেকে স্নেহার বাহিরে যাওয়া বন্ধ।?
স্নেহা বাসায় আসলে তখন স্নেহার বাবা তাকে অনেক বকাযকা করে,এবং স্নেহার মা স্নেহার বাবাকে বুঝানোর চেষ্টা করলেও তার বাবা কিছুতেই রাজি হয়না।
স্নেহা রুমে বসে কাঁদছে,
হঠাৎ রাহুলের ফোন আসে,
রাহুল : হ্যালো!
স্নেহা : ( no respons,?? স্নেহা রাহুলের কন্ঠ শুনে আরো ফুফিয়ে কেঁদে উঠে)
রাহুল : স্নেহা কি হয়েছে?.তুমি কাঁদছো কেনো?… কে কি বলেছে?…
স্নেহা কিছু বলতে পারছে না কেঁদেই যাচ্ছে,…
রাহুল : স্নেহা তুমি না বললে আমি বুঝবো কি করে বলো প্লিজ ?
স্নেহা : (কেঁদে কেঁদে) রাহুল বাবা, আমার আর আপনার বিয়ে মেনে নিচ্ছে না। আমার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে ঐ ছেলেটির সাথে??????
রাহুল : Don’t worry স্নেহা,…কিছু করতে পারবে না তোমার বাবা,..
স্নেহা : আপনি বোঝার চেষ্টা করছেন না কেন?…আপনি বাবাকে যতোটা সহজ মনে করছেন ততোটা সহজ নয়।বাবা আমার বিয়ের ডেট ফিক্সড করে ফেলছে..তার মানে আপনি বুঝতে পারছেন কি হতে পারে,…
রাহুল : ok I understand ?…now কি করতে হবে আমায়?..
স্নেহা : (কিছুক্ষন ভেবে)চলেন পালিয়ে যায় ????
রাহুল : কিন্তু স্নেহা এটা কি ঠিক হবে?..
স্নেহা : ঠিক হবে না কেনো অবশ্যয় ঠিক হবে,????? আপনি কি বলতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি আমাকে নিয়ে পালাতে পারবেন না?..??????
(স্নেহা কেঁদেই যাচ্ছে)
রাহুল : স্নেহা কাঁদছো কেনো এভাবে, আমি কি বলেছি পারবো না, অবশ্যই পারবো…
স্নেহা : তাহলে কবে পালাচ্ছি ???
রাহুল : কাল সন্ধায় রেডি থাকবে,… আমি আসবো নিতে,…
পরদিন,
মা : স্নেহা কি ভেবেছিস,এখন আমিতো অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তোর বাবা?
স্নেহা : মা তুমি টেনশন করিও না। বাবা যখন চাইছে না আমি রাহুলকে বিয়ে করি,তাহলে করবো না।
মা : ??? কিন্তু?
স্নেহা : মা I m ok ?
স্নেহার মুখ থেকে এই কথা শুনে স্নেহার মা কিছুটা অবাক হয়, আবার ভাবছে হয়তো সে বুঝতে পেরেছে, তার বাবার অমতে যাওয়াটা ভুল হবে 
[কিন্তু স্নেহার মাথায় কি খিচুরি পাকাচ্ছে তা স্নেহার মা মোটেও বুঝতে পারলো না?]
স্নেহা : বাবা আমার ভুল হয়েছে আসলে আমি বুঝতে পারিনি,…
বাবা : (স্নেহার মাথায় হাত বুলিয়ে) দেখ স্নেহা আমি তোর বাবা, তোর ভালোতেই আমার ভালো, তুই চিন্তা করিসনা দেখিস তোর বিয়ে কি ধুমধাম করে দিবো,
স্নেহা : [মনে মনে] আমার ভালো চাইলে রাহুলের সাথেই বিয়েটা দিতে বাবা, নিজের ভালো চাইছো বলেই তো ঐ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার টার সাথে বিয়ে দিচ্ছো, ওহ সরি ইঞ্জিনিয়ার বললে ভুল হবে মেকানিক একটা ?
সন্ধায়,
স্নেহা : মা… আমার কিছু শপিং করতে হবে,…একটু বের হচ্ছি।
মা : কিন্তু তোর বাবা বলেছে,
বাবা : একা যাবি নাকি আর কেউ যাচ্ছে সাথে?..
স্নেহা : [একটু ভয় পেয়ে] বাবা ঐ যে আমার ফ্রেন্ড আছে না মার্জান ও যাবে,?
বাবা : আচ্ছা ঠিকাছে তাহলে যা, কিন্তু তাড়াতাড়ি ফিরবি।
স্নেহা : ওকে বাবা।
স্নেহা তার সাথে করে কিছুই না নিয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেলো। যাতে কেউ সন্দেহ না করে,
শপিং মলে গিয়ে রাহুলের অপেক্ষা করছে, দূর থেকে দেখে রাহুল গাড়ী থেকে নামছে স্নেহা রাহুলকে দেখে ইমোশনাল হয়ে কেঁদে দেই,?
রাহুল : ঐ কাঁদছো কেনো?…আবার?..
স্নেহা : ???
রাহুল : স্নেহা কি করছো মানুষ দেখছে,চলো,
রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে গাড়ীতে তোলে,
স্নেহা : কোথায় যাচ্ছি আমরা??
রাহুল : হানিমুনে?
স্নেহা : এটা মজা করার সময় রাহুল?.. আমি সিরিয়াসলি বলছি?
রাহুল : যাক বাবা! আমি আবার মজা কই করলাম আমিও তো সিরিয়াসলি বলছি।
আমার সাথেই পালাচ্ছো, আমার সাথে বিয়ে করবে, হানিমুনটাও তো আমার সাথে করবে তাই না?.?
স্নেহা : (sadness with blushing ?)
রাহুল : ভেবেছিলাম কয়েকমাসের জন্য অন্য কোনো কান্ট্রিতে চলে যাবো, কিন্তু একদিনের মধ্যে তো আর পাসপোর্ট বানানো যায় না। ট্রেন করে শুধু ইন্ডিয়া যাওয়া যায়, তাই দুজনের জন্য ট্রেনের টিকেট নিয়ে এনেছি।
স্নেহা : ???
রাহুল : আরে তুমিইতো বলেছো পালিয়ে বিয়ে করবে, আর এখন থেকে এতো ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছো?
স্নেহা : আমার অনেক ভয় করছে,?
After few minutes,
রাহুল : স্নেহা I love u,?
[রাহুল স্নেহাকে সাহস দেওয়ার জন্য I love u বলে অমনি স্নেহার আরো ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো?]
রাহুল : স্নেহা r u ok?.?
স্নেহা : (মাথা নাড়ালো)
[ yeah she is ok?]
রাহুল : তাহলে কাঁদছো কেন?.
স্নেহা : আপনি I love u বলেছেন তাই
রাহুল : ?????? তুমি না আসলেই একটা পাগলী।
রাহুল আর স্নেহা স্টেশনের পথে রওনা দিলো, গাড়ী চলছে দুজনেই চুপচাপ।
রাহুল : স্নেহা!
স্নেহা : হুম?..
রাহুল : আমার একটা জিনিস পাওনা ছিলো ?
স্নেহা : কি জিনিস?.. ?
রাহুল : ????
স্নেহা : [blushing? ]
রাহুল : দিবা না?..?
স্নেহা : ???
রাহুল : ঠিকাছ তো…?
স্নেহা : ????
রাহুল : oky, I understand… আমার পাওনা জিনিস কিভাবে নিতে হয় সেটা আমার ভালো করে জানা আছে।??
স্নেহা : দেখা যাবে,?
রাহুল একহাতে গাড়ী চালায় আরেক হাতে স্নেহার চুল নিয়ে, ওড়না নিয়ে স্নেহাকে ডিস্টার্ব করে যায়,? স্নেহা রাহুলকে বিরক্তিবোধ দেখালেও মনে মনে তার ও খুব ভালো লাগছিলো রাহুলের কান্ড গুলো?। এভাবে তারা স্টেশনে পৌছে যায়,
রাহুল : স্নেহা ট্রেন আসবে ১২টায়,
স্নেহা : তাহলে ততোক্ষন বসে থাকবো??..
রাহুল : কি আর করার, বসে তো থাকতেই হবে,…আগে থেকে বলে দিতে পারতাম তাহলে আগের ট্রেনের টিকেট পেয়ে যেতাম।
স্নেহা : ওহ!
রাহুল : আচ্ছা চলো ততোক্ষনে গাড়ীতে বসি, ট্রেন আসার কিছুক্ষন আগে না হয় আসবো।
স্নেহা মাথা নাড়ালো।
দুজনে মিলে গাড়ীর পেছনের সিটে বসলো…
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে আছে,?
স্নেহা : [Blushing ] এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো…?
রাহুল : ??তুমি তাকিয়ে থাকার মতো তাই…
স্নেহা : ???
রাহুল : আচ্ছা স্নেহা এদিকে তাকাওতো..
স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরে তাকালে..?
[যেই না স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরে তাকালো রাহুল স্নেহার ?? করে দিলো ?]
After few second,
[Sneha nd rahul both r blushing nd blushing ?]
রাহুল : আগেই তো বলেছিলাম, ?না দিলে কিভাবে নিতে হয় তা আমার জানা আছে,…??
[স্নেহা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো ??]
রাহুল স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরলে স্নেহা রাহুলের বুকে মাথা রাখে,…দুজন গল্প করতে করতে, স্নেহা কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো রাহুলের বুকে সে জানে না।রাহুল ভাবছে হয়তো পাগলীটা সারারাত না ঘুমিয়ে কেঁদেছে, তাই এখন ঘুমিয়ে পরেছে
রাহুল স্নেহার ঘুমন্ত নিষ্পাপ চেহেরাটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে,…কি মায়াবী লাগছে, পুরাই [Sleeping Beauty ??]
রাহুল স্নেহাকে তার বুক থেকে সরিয়ে আস্তে করে শুয়ে দে…
[then rahul start his car ]
প্রায় আধ ঘণ্টা পর হঠাৎ স্নেহার ঘুম ভেঙে গেলো…
স্নেহা ঘুম চোখে উঠে বসে…
স্নেহা : রাহুল!
রাহুল : ঘুম শেষ…
স্নেহা : yeah… 

Love_at_1st_sight  Part :  11

0

স্নেহা : হ্যাঁ আসিফ এটাও বলেছে আপনি ড্রিংকস করেছেন ??
রাহুল : ?? তো করবো না তুমি তো আমাকে দেবদাস বানিয়ে চলে গিয়েছো?
স্নেহা : আর যাবো না…?
রাহুল : আর খাবো না ?
then রাহুল এবং স্নেহা দুজনেই হেসে দেই??
রাহুল : স্নেহা তুমি জানো, তুমি কাঁদার পড়ে হাসলে তোমাকে কি কিউট লাগে..??
স্নেহা : (Blushing )আর আপনাকে তেডি স্মাইল দিলে ??
রাহুল : তাই নাকি ?? [with naughty mind]
রাহুল আশেপাশে একবার দেখে, (Unfortunately একটা kiss? করে দেই স্নেহার cheeks এ) ??
[Sneha Shocked ??]
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকালে [রাহুল Blushing ?]
রাহুল আর স্নেহা ডিনার করে বেরিয়ে পড়ে,….
রাহুল গাড়ীর দরজা খুলতে গেলে,…
স্নেহা : না না…
রাহুল : (Shocked) What??..
স্নেহা : মানে গাড়ী করে যাবো না..চলেন না হেটে যায়..weather দেখেন? কি রোমান্টিক লাগছে…?
রাহুল : এখন থেকে সবই তোমার রোমান্টিক লাগবে…?
স্নেহা : ধুরর??
রাহুল : আরে হেটে না হয়…গেলাম আরকি..কিন্তু কতটুকু হেটে যাতে পারবে পাগলি
আর গাড়ীটা কি আমার শশুর আব্বা এসে নিয়ে যাবে এইখান থেকে ??
স্নেহা : ???
রাহুল : স্নেহা What happened..? আমি মজা করছিলাম..?
স্নেহা : সেটা না…? বাবাকে কি বলবো..রাহুল আমার অনেক ভয় করছে,?
রাহুল : বলবা তুমি ঐ বিয়ে করবা না… আমাকে করবা।
স্নেহা : রাহুল, আপনার কোনো দিকে কমতি নেই,.. বাবা সেটা জেনে ও আমার আর আপনার বিয়ে মেনে নিবে না? কারন বাবা বাবার বন্ধুকে কথা দিয়ে দিয়েছে??বাবা একবার যাকে কথা দিয়ে দেই…সেটা আর ফেলে না।?
রাহুল : (স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে)স্নেহা ?Ok relax.. কিচ্ছু হবে না।
আমি আছি তোমাকে শুধু আমিই বিয়ে করবো… তোমাকে তো আল্লাহ বানাইছে আমার জন্য
স্নেহা : (Blushing with sad)
রাহুল ওকে এবার গাড়িতে উঠো।স্নেহা গাড়ীতে বসলো রাহুল ও বসলো,
স্নেহার মাথায় সব টেনশন একসাথে ঘুরছে…?
রাহুল : স্নেহা বললাম তো টেনশন করার কিছুই নেই…দরকার পরলে তোমাকে তুলে নিয়ে আসবো..?
স্নেহা : হ্যাঁ ? চলেন, আমরা পালিয়ে যাই…
রাহুল : What!?
স্নেহা : কি হলো অবাক হওয়ার কি আছে,চলেন পালিয়ে যায়…
রাহুল : স্নেহা পালিয়ে যাওয়া তুমি যতোটা সহজ ভাবছো ততোটা সহজ নয়…
স্নেহা : উফফ রাহুল আপনি বোঝার চেষ্টা করছেন না কেন?..আপনি ভানছেন বাবা আমার আর আপনার কথা মেনে নিয়ে আমাদের বিয়ে দেবে?..মোটেও না আপনি আমার বাবাকে চিনেন না। বাবা অনেক কঠোর ?
রাহুল : (একটা জোড়ে নিশাস ফেলে…) ওকে।
স্নেহা : [Blushing ] কখন পালাচ্ছি তাহলে আমরা?..
রাহুল : স্নেহা, আগে বাসায় চলো…
স্নেহা : তার মানে আপনি যাবেননা?.. তাই তো?… জানি আপনি আমাকে ভালোবাসেন না…???
Then rahul stop his car,
রাহুল গাড়ীর দরজা খুলে গাড়ী থেকে নেমে, স্নেহার কাছে এসে দরজা খুলে স্নেহাকে গাড়ী থেকে নামালো…
রাহুল তার পায়ের হাটু মাটিতে অর্ধেক বসিয়ে স্নেহার হাত ধরে স্নেহাকে আবার প্রপোজ করে,..
স্নেহা : রাহুল কি করছেন অনেকে দেখছে….
রাহুল : দেখুক দেখার জন্যই করছি।
স্নেহা : ?
রাহুল : স্নেহা আমি তোমাকে যেদিন প্রথম দেখেছি, তখন তুমি কলেজে একটা ব্লু ড্রেস পরে ঢুকেছিলে…তখন আমার চোখ তোমার কাছ থেকে সরছিল না,… প্রথম দেখাতেই আমি তোমার প্রেমে পরে গিয়েছি। u know what.. ? যে এটা কে বলে, #Love_at_1st_sight ?
স্নেহা I really love u ? এবং সব সময় ভালবেসে যাবো।
স্নেহা ও মাটিতে বসে পড়লো,… (একটু হেসে) I love u too মিস্টার তেডি স্মাইল?
রাহুল : এবার বিশাস হয়েছে ভালোবাসি নাকি বাসি না?…
স্নেহা : না হয়নি…?
রাহুল : হ্যেঁ একটা থাপ্পড় পড়লে বিশ্বাস হয়ে যাবে,..?
স্নেহা : কি?
রাহুল : সরি আমিতো মজা করছিলাম ?
স্নেহা : [ Blushing ]
রাহুল স্নেহাকে বাড়ী পৌছে দিলো..
স্নেহা : বাই মিস্টার তেডি স্মাইল..
রাহুল : তোমার একটা জিনিস দাওনি।
স্নেহা : কি?.. ?
রাহুল : যেটা আমি দিয়েছি… ( 

 )
স্নেহা : ইসস,, কতো শখ…
এই বলে স্নেহা গাড়ী থেকে বেরিয়ে পড়ে..
রাহুল : স্নেহা এটা কিন্তু ভালো হচ্ছে না..
স্নেহা : বাই.. গুড নাইট ?
স্নেহা বাসায় আসলো,
মা : স্নেহা কোথায় গিয়েছিলি?..
স্নেহা : এইতো এই দিকটা.. গিয়েছি..
মা : স্নেহা.. এই দিকটা মানে.. তুই জানিস তোর বাবা জানলে কি করবে,..
স্নেহা : মা তুমি না বললে জানবে কি করে,..
মা : ছেলেটি কে?..
স্নেহা : কোন ছেলে?.. ?
মা : এতোক্ষন যার সাথে ঘুরে এসেছিস,…
স্নেহা তার মা কে…ঝড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো…
মা : স্নেহা আমিতো তোর থেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তোর কাউকে পছন্দ আছে কি না..?..তুই তখন না বললি কেনো?..?
স্নেহা : মা আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়াছিলাম ?..
মা : আচ্ছা ঠিকাছে রুমে যা আমি খাবার নিয়ে আসি।
স্নেহা : মা আমি খেয়ে এসেছি।?
মা : ওমা খেয়ে ও এসেছিস,..আমার জন্য কিছু আনলি না যে…
স্নেহা তার মায়ের এমন behave দেখে সে বুঝাতে পারছে না তার কতো খুশি লাগছিল ???
স্নেহা : love u ?মা তুমি হচ্ছো পৃথিবীর সবচেয়ে বেস্ট বেস্ট বেস্ট মা ??
মা : হয়েছে আর ডং করতে হবে না,.. যা এইখান থেকে।
স্নেহা তার রুমে এসে দরজা বন্ধ করে…
ইচ্ছা করছে খুশিতে ডান্স করতে ??..
তাড়াতাড়ি রাহুলকে ফোন দিয়ে সব বলে..
রাহুল : আমিতো বলেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে তুমিই শুধু শুধু টেনশন করছিলা।..
স্নেহা : হুমম…?
রাহুল : আচ্ছা স্নেহা তুমি কিন্তু ভালো করোনি এটা.. আমারটা বাকি ছিলো..
স্নেহা : ওকে বাই গুড নাইট ?
রাহুল : Never ?
স্নেহা : এতোদিন তো ফোন করে চুপ করে থাকতেন, আর এখন Never কেন?…
স্নেহা আর রাহুল দুজনে এভাবে কথা বলতে বলতে রাত কাটিয়ে দেই…?
সকালে রাহুল স্নেহাকে ফোন দেই..
স্নেহা : (ঘুম চোখে) হ্যালো!
রাহুল : স্নেহা এখনো ঘুমাচ্ছো..?
স্নেহা : তো কি করবো সারারাত ঘুমাতে দিয়েছেন আপনি?…
রাহুল : এইটুকুতেই এমন বিয়ের পরে কি করবা তুমি?.
স্নেহা : [রাহুলের কথা শুনে স্নেহার ঘুম পালিয়ে গেলো ] কি বললেন আপনি?..??
রাহুল : হি-হি ? মজা করছিলাম ?
স্নেহা : আপনিতো সবই মজা করেন তাই না।
রাহুল : আচ্ছা উঠে রেডি হও… একটা সারপ্রাইজ আছে,…
স্নেহা : কি সারপ্রাইজ?.. ?
রাহুল : উফফ বললে কি সারপ্রাইজ থাকবে নাকি?.
তুমি রেডি হও আমি বাড়ীর সামনে এসে তোমাকে পিক করে নিবো।
স্নেহা : ওকে
স্নেহা রেডি হয় এবং রাহুল আসলে বেরিয়ে পরে রাহুলের সাথে…?
রাহুল স্নেহাকে একটা জায়গায় নিয়ে যায়,…
এবং স্নেহা সেখানে গিয়ে দেখে মার্জান শায়লা জারিফা? এবং রাহুলের সব ফ্রেন্ডসরা…
স্নেহা আর রাহুল গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই তারা সবাই একসাথে বলে উঠে..
Congratulation মিস্টার এন্ড মিসেস রাহুল ?
আজ রাহুলের Birthday chilo? তা স্নেহা জানতো না..তাই রাহুল নিজেই স্নেহাকে সারপ্রাইজ দিলো..
কিন্তু স্নেহা মনে মনে ভাবছে রাহুলের Birthday অথচ স্নেহা জানে না এটা কিভাবে হয়।?
সবাই অনেক মজা করে রাহুলের Birthday celebrate করে?
(চলবে)

Love_at_1st_sight   Part : 10 

0

Love_at_1st_sight ???
Part : 10

writer-Jubaida Sobti
রাতে,
মা : স্নেহা খেতে আয়, আর কয়দিন এভাবে না খেয়ে থাকবি।
স্নেহা : মা যাওতো আমার খিদে নেই।আর তোমার বলা লাগবে না আমার খিদে লাগলে আমি নিজে নিয়ে খেয়ে নিবো ?
মা : কিন্তু তুই তো, সকাল থেকে কিছু খাসনি খিদে কেমনি থাকবে না,
দেখ এমনটা হয় বিয়ের আগে,…
বিয়ের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে,..
স্নেহা : আচ্ছা হয়ছে মা, এবার যাও আমাকে একা থাকতে দাও?
রাতে স্নেহা আর কিছুই খেলো না,
রাহুলের কথা ভাবতে ভাবতে শুয়ে পরে,… ঘুমিয়ে পড়ে,
[ বিয়ে হয়ে গেলো স্নেহার, লাল শাড়ী পড়ে বড় ঘোমটা দিয়ে, বউ সেজে খাটে বসে আছে, বর এসে স্নেহার ঘোমটা তুললে, স্নেহা অন্য ছেলেকে দেখতে পায় ]
হঠাৎ ঘুম ভেংগে চোখ খুলে স্নেহা উঠে বসে পড়ে,
স্নেহার পুরা শরীর ঘামতে থাকে, বুক কাপতে থাকে,?
ঘড়ি দেখে একটু পরে সকাল হয়ে যাবে,..
স্নেহার আর ঘুম আসছে না, কেন যেন চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে..?
ঘুম আর আসছে না ছটফট করছে মনটা,..কেন যেন কাউকে খুজছে,…
স্নেহা রাহুলের সাথে কাটানো সময় মনে করছে আর কাঁদছে, ?
হঠাৎ একটা মোমেন্ট এর কথা মনে পড়ায়
স্নেহার কান্না থেমে যায় (Sneha Shocked ?)
দৌড়ে গিয়ে স্নেহা তার মোবাইল চেক করে,
কলেজ প্রোগ্রামের দিন লাস্ট কল যে নাম্বারটি ছিল সেটা রাহুলের ছিলো…স্নেহার মোবাইল শায়লার কাছে ফেলে আসলে রাহুল স্নেহার মোবাইলে ফোন দেই,
[স্নেহা এখন ভাবতে থাকে]
রাহুলের কাছে স্নেহার নাম্বার কি করে আসে, স্নেহা রাহুলের নাম্বারের সাথে Unknown নাম্বারটি মিলিয়ে দেখলে স্নেহার চোখে আবার ও পানি ঝলমল করে উঠে,?
স্নেহা : এতো খারাপ কেন আমি? রাহুলতো কত ভাবেই বুঝিয়েছে সে আমাকে ভালোবাসে, আর আমি,বুদ্ধু একটা,.. (হেসে ফেললো স্নেহা)
সকাল হলো স্নেহা কখন কলেজ যাবে (Existing with blushing )
কলেজে গেলে স্নেহা গার্ডেনের দিকে তাকালো কিন্তু রাহুলকে দেখতে পেলো না,?…স্নেহা ভাবলো হয়তো ক্লাসে আছে,…সেইখানে গিয়ে ও দেখলো, এবং পার্কিং গিয়েও দেখলো রাহুলের গাড়ি আছে কি না কিন্তু কোথাও রাহুল নেই,?
আসিফ : রাহুলকে খুজছো?
স্নেহা : জি ? আপনি তাকে কোথাও দেখেছেন?.
আসিফ : রাহুলতো কলেজে আসেনি..
স্নেহা : তাহলে কোথায় গিয়েছে?..
আসিফ : তোমার কাছেইতো এসেছিলো তুমি ফিরিয়ে দিলে.. এখন যখন চলে গিয়েছে তাহলে তোমার মন থেকেই খুজে নিতে হবে..
কাল রাতে বার এ বসে অনেক্ষন ড্রিংকস করেছে, আমি আর বার মেনেজার অনেক request করেছি, তাও করে যাচ্ছে, এর আগে এগুলো কখনো ধরেও দেখেনি…তারপর রাগ করে বার থেকে কই গেলো জানিনা বাসায় গিয়ে দেখলাম বাসায় ও নাকি আসেনি…..
স্নেহা : ???আমি আসলে বুঝতে পারিনি।
আসিফ : আচ্ছা তোমার নাম্বারটা দাও আমি তাকে পেলে তোমাকে ফোন দিবো…
স্নেহা আসিফকে নাম্বার দিয়ে চলে গেলো…
কোথায় খুজবে সে রাহুলকে… অনেকবার ফোন দিয়ে ট্রাই করেছে কিন্তু সুইচ অফ…?
স্নেহা রাহুলকে খুজতে খুজতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো কিন্তু তাও রাহুলকে খুজে পেলো না।….
[বাসায় চলে যায় স্নেহা ]
পা গুটিয়ে খাটে বসে কাঁদতে থাকে,…
কোথায় রাহুল…এতোটা অভিমান করেছে আমার সাথে ?
হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠে,…সেই Unknown নাম্বারটি…
স্নেহা তাড়াতাড়ি রিসিভ করে,..
স্নেহা : রাহুল ? কোথায় আপনি..?.
কখন থেকে খুজছিলাম,.. কলেজে ও গিয়েছিলাম আপনাকে খুজতে…
চুপ করে আছেন কেন আমি জানি এটা আপনার নাম্বার..
ফোনের ওপাশ থেকে.. কেউ ফুফিয়ে কেঁদে যাচ্ছে তা স্নেহা বুঝতে পারলো..?
স্নেহা : সরি রাহুল ??
রাহুল : এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখবে নাকি বাহিরে আসবে ?
স্নেহা : আপনি ?? বাহিরে?…মানে আমাদের বাসার সামনে..
রাহুল : হুম! ? এখন কি! চলে যাবো নাকি তাড়াতাড়ি আসবে?…
স্নেহা : না! না! চলে যাবেন কেনো আমি এক্ষুনি আসছি।??
স্নেহা দৌড়ে গিয়ে দেখে রাহুল তাদের উঠানে দাঁড়িয়ে আছে,….?
স্নেহা রাহুলকে দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলো না তাই স্নেহা দৌড়ে গিয়ে রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরলো?
রাহুল ও স্নেহাকে শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরলো…
স্নেহা : Sorry রাহুল আমি বুঝতে পারিনি..?? আপনি আমাকে এতোটা ভালোবাসেন..
????????
তাইতো তখন ভেবেছি নিশ্চয় আমাদের মধ্যে কোনো কানেকশন আছে,?
আপনি আমাকে বার বার বুঝানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন আর আমি বুদ্ধু একটা..?
স্নেহা রাহুলকে আরো শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে… ??
After few minutes,
রাহুল স্নেহাকে একটু সরিয়ে আনার চেষ্টা করলে স্নেহা আরো শক্ত করে ধরে রাখে রাহুলকে…..
রাহুল : স্নেহা হয়েছে তো কেউ চলে আসবে তখন,?
স্নেহা : আসুক ??
রাহুল : ?? চলো
স্নেহা : কোথায়?. ?
রাহুল : যাবা নাকি বলো?… 
স্নেহা : অবশ্যয় যাবো… সারাজীবন যাবো, ???
রাহুল স্নেহাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট এ যায়
,? [sneha and rahul’s 1st date]
রাহুল : কিছু খেয়েছ সারাদিন?..
স্নেহা : ???
রাহুল : জানতাম,…
স্নেহা : কিভাবে,?..?
রাহুল : মার্জান আমাকে সব বলেছে,?
স্নেহা : ????
রাহুল : ঐ পাগলী আবার কাঁদছো কেন?..
রাহুল স্নেহার চোখ মুচিয়ে দেই..
স্নেহা : আপনি কিভাবে জানেন আমি আপনাকে খুজছিলাম?..
রাহুল : জানবো না তোমার আমার heart connection এর মাধ্যমে?
স্নেহা : নেকা না?…
রাহুল : আসিফ বলেছিলো

Love_at_1st_sight ??? Part : 9

0

Love_at_1st_sight ???
Part : 9

writer-Jubaida Sobti
রাহুল স্নেহাকে তার রুমে নিয়ে গেলো।
স্নেহা রাহুলের রুম দেখে Shocked?
স্নেহা : yaaakkkk??
(স্নেহার কথা শুনে রাহুল তাড়াতাড়ি মাটিতে পড়ে থাকা কাপড়-চোপড় গুলো উঠিয়ে নেই।???এবং স্নেহার জন্য বসার ব্যবস্থা করে দেই।)
রাহুল : একটু অগোছালো, দাঁড়াও ঠিক করে দিচ্ছি ?
স্নেহা : সব রুম গোছানো..শুধু আপনার রুমের সব এলোমেলো.?
[এই বলে স্নেহা ড্রেসিং এর উপর হাত রাখতেই তার হাতে খাবার টাইপ্সের কি যেন লেগে যায়,]
স্নেহা : ইশশ!? এগুলো কি?..
রাহুল : ??? ফ্লিম দেখে খাচ্ছিলাম তো, তখন নিশ্চয় পড়েছে,
স্নেহা : ড্রইং রুমের এতোবড় টেবিল ফেলে এইখানে খেতে গেলেন কেন?…
রাহুল : বললাম তো ফ্লিম দেখে খাচ্ছিলাম ? but u don’t worry আমার বউ আসলে তখন সব ঠিক হয়ে যাবে বাকি রুম গুলোর মতো। ?
স্নেহা : ( blushing )
রাহুল : আচ্ছা আমার যেদিন বিয়ে হবে সেদিন কোন দিকটা ফুল আর কোন দিকটা ক্যান্ডেলাইট দিয়ে সাজালে ভালো হবে, বলো তো?..
ভালো আইডিয়া দিবা কিন্তু স্নেহা যাতে আমার বউ এর পছন্দ হয়।?
[ (স্নেহা লজ্জায় blushing ) স্নেহা চলে যেতে চাইলে রাহুল তার হাত ধরে রাহুলের কাছে টেনে নেই,]
[(রাহুল তার মুখটি কাছে এনে স্নেহার নাকের সাথে আর কপালের সাথে লাগায়?,
স্নেহার তার চোখ বন্ধ করে ফেলে nd sneha’s heart beating faster again)
রাহুল : [(স্নেহাচোখ বন্ধ করাতে একটা তেডি স্মাইল দেই, এবং রাহুল ও তার চোখ বন্ধ করে ফেলে,) nd rahul’s heart beating faster too]
হঠাৎ রাহুলের ফোন আবার বেজে উঠলো ?
রাহুল পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখে, সিম কোম্পানির কল, গেল মাথাটা ধরে,? রাহুলের মাথায় ১০০ডিগ্রী হাই ভোলটেইজ উঠানামা করছে ?
রাহুল : তুমি বলো স্নেহা এদের কি করতে ইচ্ছা হয়??
স্নেহা : ????
আচ্ছা হয়েছে অনেক এবার বাসায় যেতে হবে আমায়, আরে আমিতো মোবাইলটা ও ফেলে এসেছি শায়লার কাছে?
রাহুল : ওকে Wait আমি কল দিয়ে দেখছি।
রাহুল স্নেহার মোবাইলে কল দেই, এবং শায়লা রিসিভ করে,
স্নেহা : হ্যালো শায়লা, আমি বলছি স্নেহা
শায়লা : স্নেহা তুই কোথায়, তোকে আমরা পাগলের মতো খুজছি।?আর তোর মোবাইলটা ও তো ফেলে গিয়েছিস, আন্টি ফোন দিয়েছিল আমি বলেছি তুই একটু বিজি আছিস, তাই একটু পরে ফোন করতে,
স্নেহা : ওকে আমি বাসায় যাচ্ছি তুই মোবাইলটা রাখ। আমি কালকে নিবো,
স্নেহা : (তাড়াতাড়ি ফোন রেখে) আমাকে এখন বাসায় যেতে হবে, চলেন তাড়াতাড়ি,
রাহুল স্নেহাকে তার বাসায় পৌছে দেই।
মা : স্নেহা এটা কি বাসায় আসার সময় হলো তোর?..আর তুই ফোন ধরছিলি না কেন।?.. কত টেনশন হচ্ছিলো জানিস,?..
স্নেহা : মা ঐখানে আওয়াজের কারনে ফোনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিলো না।
মা : তোর বাবা অনেক রেগে আছে,
স্নেহা : মা তুমি একটু মেনেজ করো না আমি তো তোমাকে বলেই গিয়েছি।
মা : আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে আয় আমি দেখছি।
স্নেহা ফ্রেশ হয়ে ড্রইং রুমে এলে,
বাবা : স্নেহা ভদ্র ঘরের মেয়েরা এতো রাত পর্যন্ত বাহিরে থাকে না বুঝলি।
স্নেহা : বাবা প্রোগ্রাম কিছুক্ষন আগেই শেষ হয়েছিল।
বাবা : প্রোগ্রাম যতক্ষণেই শেষ হোক না কেন… সময় দেখে তোর বাসায় চলে আসার দরকার ছিলো,
স্নেহা : সরি বাবা,
বাবা : আর শোন কাল সকালের দিকে তোকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে, ছেলে অনেক ভালো লনডনে পড়ালিখা করেছে,তোর ছবি দেখেই তোকে পছন্দ করেছে, কাল ছেলের বাবা মা আসবে তোকে দেখতে,।
(স্নেহার বাবার কথা শোনে স্নেহা Shocked ? স্নেহা তার মায়ের দিকে তাকালো মা কিছু বলছে না)…
স্নেহা তার রুমে গিয়ে কাদা শুরু করলো…
স্নেহার মা ও আসে তার পিছু পিছু।
মা : স্নেহা আমি তোর বাবাকে অনেক বারণ করেছি। ?তোর বাবা বলছে এমন ভালো প্রস্তাব বার বার আসেনা,
আর ছেলের বাবা তোর বাবার পুরোনো বন্ধু,
তোর বাবাকে অনেক কাজে সাহায্য করেছে তিনি কিন্তু কখনো কিছু চায়নি,
তাই তোর বাবা বলেছে, আমি চায়না এই বিয়েতে কোনো প্রকার ভেজাল সৃষ্টি হোক।
স্নেহা অন্তত তোর বাবার দিকটা দেখে হলেও না করিস না।
(স্নেহা তার মা কে কিছু বলতে চেয়ে ও আর বলতে পারেনি।?)
রাতে স্নেহা আর কিছু খায়নি। শুধু রাহুলের কথা মনে পড়ছে, মা কে ও কিভাবে বলবে সে রাহুলকে ভালোবাসে রাহুল ও তো কখনো বলেনি সে স্নেহাকে ভালোবাসে, এভাবে কাঁদতে কাঁদতে স্নেহার রাত কেটে গেলো।
আজ কলেজ যায়নি স্নেহা,
স্নেহাকে তৈরি হতে বললো কিছুক্ষণ পরেই বরপক্ষ দেখতে আসবে,
ঐদিকে রাহুল সারা কলেজ স্নেহাকে খুজে বেড়াচ্ছে কিন্তু কোথাও পেল না।
রাহুল : স্নেহা আজ কলেজ আসেনি?
শায়লা : না আজতো স্নেহা কলেজ আসেনি।
মার্জান : কি হলো জিজু একদিন কলেজ না আসাতে এতোটা মিস করছেন ?
রাহুল : না আসলে (with blushing) তোমাদের দেখছি ওকে দেখছিনা তো তাই জিজ্ঞেস করলাম,…
রাহুলের ও কেমন যেন বার বার স্নেহার কথা মনে পড়ছে, স্নেহাকে দেখার পর থেকে এমন একটা দিন কাটেনি তাকে না দেখে কেটেছে,( রাহুল blushing)
আর অন্যদিকে স্নেহাকে বর পক্ষ দেখেই পছন্দ করে ফেলেছে,…সব ঠিকঠাক।
কয়েকদিন পরে এসে বিয়ের তারিখ ফিক্সড করে যাবে।
স্নেহা কিছুই করতে পারছে না কেঁদে কেঁদে শুধু বালিশ ভেজাচ্ছে,…
স্নেহার বাবা মা মনে করছে, বিয়ে হয়ে যাবে শশুড়বাড়ী চলে যাবে, তাই হয়তো এমন করছে,
কিন্তু তা না…স্নেহার কেন যেন বার বার রাহুলের সাথে কাটানো কথা গুলো মনে পড়ছে তার সাথে প্রথম দেখা..???? এখন আর ভেবেও কি হবে বিয়ের কথা বার্তা সবইতো ফাইনাল হয়ে গেছে।
পরদিন কলেজ গেলো স্নেহা,
রাহুল স্নেহাকে দেখে (Blushing)with তেডি স্মাইল দিলেও স্নেহা রাহুলকে দেখেও না দেখার মতো হয়ে ক্লাসে চলে যায়।
(স্নেহা Avoid রাহুল ?)
ক্লাস শেষে ফ্রি টাইমে ও অনেকবার দেখা হয় কিন্তু স্নেহা রাহুলের সাথে কোনো কথায় বলছে না,
হঠাৎ স্নেহা ক্লাস শেষে বের হওয়ার সময় রাহুল স্নেহাকে টেনে একপাশ নিয়ে যায়,
রাহুল : কি হলো স্নেহা কখন থেকেই দেখছি তুমি আমাকে Avoid করেই যাচ্ছো,
সমস্যা কি তোমার..?
স্নেহা : আপনার সমস্যা কি আগে সেটা বলেন?…কি হয় আমি আপনার যে আপনি আমাকে হাত ধরে এভাবে টেনে আনেন?…
রাহুল স্নেহার কথা শুনে পুরাই Shocked ?
স্নেহা এমনটা কিভাবে বলতে পারলো..
স্নেহা রাহুলের হাত থেকে তার হাত ছাড়িয়ে সিরি দিয়ে নেমে চলে যায়।
রাহুল ও স্নেহার পিছু পিছু নিচে যায়…রাহুল স্নেহাকে কয়েকবার ডাক দিলেও স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরেও তাকায় না।
হঠাৎ রাহুল আর না পেরে খুব জোড় গলায় স্নেহা বলে ডাকদেই, এবং সবাই রাহুলের দিকে ফিরে তাকায়।
স্নেহা ও Shocked হয়ে রাহুলের দিকে ফিরে তাকায়..
then রাহুল কাছে এসে স্নেহার হাত ধরে একপায়ের হাটু মাটিতে বসিয়ে সবার সামনে স্নেহাকে প্রপোজ করে,?
রাহুল : স্নেহা I love u ?
do u love me?..
স্নেহা (মনে মনে blushing) এটা তো স্নেহা ভাবেনি, ?
স্নেহার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো,?
হঠাৎ স্নেহার মনে পড়লো তার তো বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে, সে রাহুলকে কিভাবে হ্যাঁ বলবে,আবার রাহুলকে ফিরিয়ে ও কিভাবে দিবে,
সব একসাথে মাথায় ঘুরছে স্নেহার?
মার্জান : Come on sneha, say yes!
জারিফা : স্নেহা what r u doing? hurry up… say yes,…
অনেক মেয়েই jealous তখন তাদের ক্রাশ তাদের সামনে অন্য একটি মেয়েকে প্রপোজ করছে, এতো গুলো মেয়ের মধ্য থেকে রাহুল স্নেহাকেই কেন বেচে নিয়েছে,?
কলেজে প্রায় এমন প্রপোজ হয়ে থাকে,এবং রাহুলের মতো ফেমাস হ্যান্ডসাম ছেলে ঐ সেমিস্টারের আরো কয়েক জন ও আছে কিন্তু এটা সহ্য করার মতো না কারন রাহুল বলে কথা,?
রাহুল : (again with sadness?) স্নেহা Do u love me?..
স্নেহার মাথায় ঘুরছে যদি রাহুলকে হ্যাঁ বলে তাহলে বাসায় কি জবাব দিবে,
স্নেহা তার পা পিছিয়ে নিয়ে গেলো,? রাহুলের হাত থেকে তার হাত সরিয়ে নিলো,? রাহুলকে স্নেহা মিথ্যা আশা কি করে দিবে তাই স্নেহা রাহুলকে কিছু না বলে দৌড়ে চলে গেলো,…?
মার্জান : স্নেহা কই যাচ্ছিস,?
জারিফা : কি হলো বলতো ওর, এইভাবে চলে যাওয়ার কোনো মানে হয়।?
রাহুল খুব দূঃক্ষের সাথে উঠে দাঁড়ালো, ? রাহুল স্নেহা থেকে এটা আশা করেনি।
স্নেহা যদিও রাহুলকে ভালো না বাসতো তাহলে প্রথম থেকেই কেন রাহুলকে Avoid করেনি,?… এতো গভীরতা দেখিয়ে কেন এভাবে চলে গেলো,?
নেহা : So sad for u rahul?
[but নেহা Shocked rahul reject from sneha? how it’s possible ?]
রাহুল নেহাকে আর কিছুই বললো না কি বা বলার মতো রইলো আর?
রাহুলের বন্ধুরা তার পাশে এসে দাঁড়ালে।
রাহুল : Don’t worry dear 

 I m ok..
রাহুল যতই Ok বলুকনা কেন তার বন্ধুরা বুঝতে পারছে এসময় তার মধ্যে কি চলছে?
রাহুল কিছু না বলে আর পার্কিং থেকে তার গাড়ীটি নিয়ে সোজা বেরিয়ে পরে,
অনেকেই বলাবলি করছে Rahul is rejected from sneha ?? OMG.
স্নেহা একা বাসায় চলে আসে,…
রুমে গিয়ে বালিশ ভিজিয়ে কেদেই চলছে,
কেন সে রাহুলকে হে বললো না?,আসলেই কি সে রাহুলকে ছেড়ে থাকতে পারবে,???
স্নেহার ফ্রেন্ডসরা স্নেহার বাসায় আসে স্নেহাকে দেখতে,
মার্জান : স্নেহা আমরা তোকে দেখতে আসিনি। শুধু একটা কথায় জানতে এসেছি রাহুলকে এক্সেপ্ট করলিনা কেন?..
স্নেহা : ???
জারিফা : তুই যদি রাহুলকে লাভ না করতি তাহলে ওকে দেখলে এতো খুশী কেন হতি?…ওর সাথে কলেজে টাইম স্পেন্ড কেন করতি?..বল?..
মার্জান : আচ্ছা মানলাম তুই ওকে ভালোবাসিস না তাই answer
দিলিনা, তাহলে এভাবে কাঁদছিস কেন সেটা তো বল,…
স্নেহা তার ফ্রেন্ডসদের সব খুলে বললে,
মার্জান : What the hell???..তুই আন্টিদের বলিসনি তুই রাহুলকে লাভ করিস,
স্নেহা : কিভাবে বলবো তখন তো রাহুল আমাকে বলেনি ও আমাকে লাভ করে,..?এখন যা ও বলেছে আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার পর,বাবাকে বললে বাবা আমাকে মেরেই ফেলবে?
মার্জান : কি বোকারে বাবা তুই…শুধু I love u বললেই সে তোকে ভালোবাসে এটাতো নয়..
রাহুল তো তোকে অনেক ভাবেই অনেক আগেই থেকে বুঝিয়েছে সে তোকে লাভ করে,
তুই জানিস রাহুল কতটা কষ্ট পেয়েছে,?
মেয়ের অভাব পরেনি তার… তোকে সত্যি ভালোবাসে বলেই..সে এতোগুলো মেয়ের মধ্যে থেকে তোকে বেচে নিয়েছে…
সেটা বলাতে স্নেহা আরো কেদে উঠে,?
শায়লা : হে স্নেহা বিয়ে জীবনে একবার করবি, যাকে লাভ করিস তাকেই যদি বিয়ে না করিস তাহলে ঐ বিয়ে করে কি লাভ ?রাহুল তোকে অনেক ভালোবাসে স্নেহা,
মার্জান : আচ্ছা আন্টিকে আমরাই বলছি।
স্নেহা : না…তোরা কিছু বলিস না মা কে যদি এখন এসব বলি মা অনেক কষ্ট পাবে, এসব সজ্য করতে পারবে না,??
বাবা বলেছে বিয়েতে কোনো প্রকার ঝামেলা চায় না।
মার্জান : ঠিকাছে তুই যা ভালো মনে করিস।?কিন্তু একটা কথা মনে রাখিস রাহুল তোকে অনেক লাভ করে,…
এই বলে তারা চলে গেলো।
স্নেহা রুমে একা একা বসে আছে,?
রাহুল : [ যে ছেলে কখনো স্মোক করে না সে আজ স্মোক করছে,
রাহুলের চোখ রক্তের ছানির মতো লাল হয়ে যাচ্ছে?খুব কষ্ট জমে আছে আজ বুকের ভেতর। ]
আসিফ : রাহুল হয়েছে রাখ আর কয়টা খাবি, ২৫ টা খেয়েছিস এই পর্যন্ত, ?
আরে কতো মেয়েতো আছে একটার জন্য জীবনটা এভাবে শেষ করে দেওয়ার কি আছে,
রাহুল কিছুই বললো না চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে,রাহুল সে কবে কেঁদেছিল ভুলে গিয়েছে,…
আজ আবার কারো জন্য বুক ফেটে কান্না আসছে ?
(চলবে)

Love_at_1st_sight   Part : 8 

0

Love_at_1st_sight ???
Part : 8

writer-Jubaida Sobti
স্নেহা : এইটা কি করলেন আপনি ইচ্ছা করে কেউ হেরে যায় নাকি? ?
রাহুল : আচ্ছা তোমার তো অনেক ভালোই লাগছিল ঐ ছেলেগুলোর হাত ধরে ডান্স করতে তাই না? ?
স্নেহা : আজিব তো দেখি আপনি, এক তো দোষ করেছেন, আবার তার উপর উল্টা আমার সাথে রাগ দেখাচ্ছেন ?
রাহুল : স্নেহা listen…
স্নেহা : হয়েছে আর কিছুই বলতে হবে না আপনার,…
(স্নেহা চলে যাচ্ছিলো,? হঠাৎ থেমে যায়,
রাহুল পিছন থেকে স্নেহার ওড়না ধরে রাখে with তেডি স্মাইল?)
স্নেহা : (in slowly voice) কি করছেনটা কি?… ওড়না ছাড়েন, আশেপাশে মানুষ দেখছেন না?.. ?
রাহুল : So what! I don’t care?
রাহুল স্নেহার কাছে যায়,
রাহুল : সরি!
স্নেহা : ???
রাহুল : আচ্ছা কান ধরি?..
স্নেহা : ???
রাহুল : আচ্ছা উঠবস করি?…
স্নেহা : ???
রাহুল : আচ্ছা পায়ে ধরি, (with confused) ?
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকালো….
রাহুল : আচ্ছা ঠিকাছে তাহলে কোলেই তুলে নি।? (বলার সাথে সাথে রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে নেই।?)
স্নেহা : আরে কি করছেন পাগল নাকি আপনি ??…মানুষ দেখলে কি বলবে?…
স্নেহা জোড় করে নেমে যেতে চাইলে…?
রাহুল : স্নেহা Stop fighting with it..?
রাহুল স্নেহাকে তার গাড়ীতে নিয়ে বসালো…
স্নেহা : আমি কিছু বলছি না তার মানে এই নয় যে আপনার যা ইচ্ছা তাই করবেন।
রাহুল স্নেহার কাপড় ঠিক করে গাড়ীর ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে? lock button চাপ দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেই..যাতে স্নেহা বের হতে না পারে,
then রাহুল গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে,…গাড়ী স্টার্ট করলে,…
স্নেহা : কই নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে আপনি..?
রাহুল : কিডন্যাপ?
স্নেহা : আমি কিন্তু চিৎকার করবো এখন।?
রাহুল : হে করো ? কিন্তু বেড লাক..? তোমার আওয়াজ কেউ শুনবে না…
রাহুল গাড়ী চালিয়ে বেরিয়ে পড়ে…
স্নেহা : ?
রাহুল : স্নেহা এসব কি?…তোমার, আমার প্রতি এইটুকু ভরসা নেই?.. ?
স্নেহা : ???
রাহুল : কি হলো কিছু বলছো না যে?..?
স্নেহা : ???
After 5 mins..
রাহুল : স্নেহা I like u…
Sneha shocked ? nd স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরে তাকাতেই…
রাহুল : (with naughty mood ?) yeah I like ur dress ?… so lovely yrr…
স্নেহা রাহুলের দিকে ফিরে তাকায় আবার ( with blushing)
রাহুল বুঝতে পারে স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে..but রাহুল আর স্নেহার দিকে না তাকিয়ে ড্রাইভিং করেই যাচ্ছে.. (with cute smile nd blushing ?)
দুজনেই লজ্জিত ভাবে দুইদিকে তাকিয়ে আছে? রাহুল ড্রাইভিং করছে তাই সামনের দিকে, স্নেহা রাহুলের পাশের সিটে জানালার দিকে ?? আর মনে মনে হাসছে… কেমন যেন একটা অনুভব হচ্ছে দুজনের ?
স্নেহা : [(মনে মনে) না আর রেগে থাকা সম্ভব না,… মি. হ্যান্ডসামের সাথে ]
আচ্ছা আপনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বলবেন তো.. আমায় বাসায় যেতে হবে.. এমনিতে আজ অনেক লেইট হয়ে গেছে..
রাহুল : যাচ্ছি আরকি এতো প্রশ্ন করো কেনো… বলো তো…
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকায়..
রাহুল : (বুঝতে পেরে) কি দেখছো.. ?..
স্নেহা : ( blushing) কিছুনা,
রাহুল : Gulabi Aakhe jo teri dekhi ?
Sharabhi iya dill hogeya ?Sambhalo Khud ko?O mere Yaaroo ?Shambhal na Mushkill hogeya?
[ Sneha Blushing nd Blushing][Rahul Also blushing too?]
After few minutes,
স্নেহা দেখে তাদের গাড়ী একটা গেইট দিয়ে ঢুকছে, গেইটের ভেতরে ঢুকতেই স্নেহার চোখে পড়ে একটা বিশাল বড় বাড়ী,
then rahul stop his car,
রাহুল : Come,
স্নেহা কিছু জানে না রাহুল তাকে কোথায় এনেছে, এবং সে ও নেমে পড়ে,
রাহুল স্নেহার হাত ধরে বাড়ীর ভেতরে নিয়ে যায়,
স্নেহা ভেতরে ঢুকতেই দেখে বাড়ীটি খুব সুন্দর করে গুছানো ,
অথচ, এত বড় বাড়ীর ভেতরে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না,
স্নেহা : রাহুল, ?
রাহুল : এখন কোনো প্রশ্ন করবা না,স্নেহা,
রাহুল স্নেহাকে নিয়ে একটি রুমে গেল,
রুমে কেউ নেই, কিন্তু হঠাৎ বিছানার দিকে তাকাতেই দেখে, একজন মহিলা শুয়ে আছে, রাহুল স্নেহার হাত ধরে মহিলাটির কাছে নিয়ে গেলো,
মহিলাটিকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছিলো,
রাহুল : (স্নেহার দিকে তাকিয়ে), স্নেহা ইনি আমার মা, আজ ৪ বছর এভাবে অসুস্থ হয়ে পরে আছে,
স্নেহা : ??
রাহুল : ৮ বছর আগে আমার পরিবারের একটি গাড়ী এক্সিডেন্ট হয়, আমরা এয়ারপোর্ট যাচ্ছিলাম কানাডায় যাবো বলে, আমি তখন ক্লাস ৮ এ পড়ছি, আমার ছোট বোন নাদিবা ক্লাস ২ তে পড়তো, সে হঠাৎ বায়না ধরেছে আইসক্রিম খাবে, বাবা গাড়ী ড্রাইভ করছিলো তাই আমিই গেলাম তার জন্য আইসক্রিম আনতে, মা, বাবা, আর নাদিবা গাড়ীতেই ছিলো, হঠাৎ আইসক্রিম নিয়ে ফেরার সময় আমি যে দৃশ্যটি দেখলাম যেটা দেখার জন্য আমি মোটে ও প্রস্তুত ছিলাম না, সবাইকে দ্রুত হস্পিটাল নিয়ে গেলে ও বাবা আর নাদিবা আমাদের ফেলে না ফেরার দেশে চলে যায়, আর মা,ফিরে এসে ও আজ না ফেরার মতো, ঐ এক্সিডেন্ট এর ৪ বছর পর থেকে মায়ের প্যারেলাইস হয়ে যায়…অনেক ট্রিটমেন্ট করেছি, বাবা আর নাদিবাকে নিজের চোখে হারাতে দেখে মায়ের আর সুস্থ হয়ে উঠা হলো না..
(স্নেহা feeling sad ?)
রাহুলের কথা শুনে তার মায়ের চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে, কিন্তু কিছুই বলতে পারছে না, শুধু চেয়ে আছে,
[রাহুল তার মায়ের পাশে গিয়ে বসে, চোখের পানি মুছে দেই,]
রাহুল : মা তোমাকে বলে ছিলামনা?স্নেহার কথা, দেখো কাকে এনেছি,
রাহুলের মা স্নেহাকে কাছে আসতে ইশারা করে, স্নেহা কাছে গেলে অনেক কষ্টে (কাপা হাতে) স্নেহার মাথায় হাত রাখে,
হঠাৎ একটি নার্স রুমের ভেতর ঢুকে,রাহুল নার্সটির দিকে তাকালে, সে বলে উঠে ঔষধ এর সময় হয়েছে,
রাহুল আর স্নেহা রুম থেকে বেরিয়ে যায়,
রাহুল : স্নেহা তুমি হয়তো ভাবছো এসব আমি তোমাকে কেন দেখাচ্ছি কেন বলছি,
স্নেহা প্রিয় জিনিস হারাতে আমার এখন অনেক ভয় করে,তাই আমি তোমাকে অন্য ছেলেদের সাথে ডান্স করতে দেখতে পারছিলাম না,?
(স্নেহা মনে মনে Blushing)
স্নেহা : আচ্ছা সব তো দেখালেন এবার আপনার রুম দেখান।
রাহুল : ওকে চলো,

Love_at_1st_sight ??? Part :7

0

Love_at_1st_sight ???
Part :7

writer-Jubaida Sobti
স্নেহা রাহুলকে খুজতে লাগলো… হঠাৎ দেখে একটা ক্লাসে রাহুল আর তার কিছু ফ্রেন্ডস বসে আড্ডা দিচ্ছে, এবং সবার হাতে বিয়ার এর বোতোল,
রাহুল : স্নেহা তুমি, ?আর এইখানে কি করছো?…
স্নেহা : জি! মেম বলেছে আপনাকে খুজে নিতে,.. আপনার পারফর্ম এর টাইম ওভার হয়ে যাচ্ছে,…
রাহুল বন্ধুদের কাছ থেকে সরে,
স্নেহার কাছে আসে স্নেহার হাত ধরে অন্য একটি ক্লাসে নিয়ে যায় ।
স্নেহা : কই নিচ্ছেন, আর আপনি ড্রিংক্স করেন?…
রাহুল : no it’s just a bear…not alcohol ?
স্নেহা : কোথায় ছিলেন এতোক্ষন সবাই আপনাকে পাগলের মতো খুজছিলো..
রাহুল : স্নেহা I m not interest… ?
স্নেহা : মানে! আপনি ডান্স করবেননা ??কিন্তু নেহা…
রাহুল : Shut-up, I don’t care….
স্নেহা : কিন্তু রাহুল…
রাহুল : What ??
স্নেহা : স্যার (with blushing?)
রাহুল : shut-up don’t call me that ?
স্নেহা : ???
রাহুল : (with naughty mind) nd… today u looking s…
স্নেহা : ???Hawwwww
রাহুল : just s বললাম ?… s দিয়েতো super,,sweet,, stunning ও হতে পারে,?
স্নেহা : no, never… u cheater? আপনি এগুলোর একটা ও বলতে ছিলেননা।
আচ্ছা তাহলে s বলে থেমে গেলেন কেন?.. বলেন বলেন…?
রাহুল : ওকে যাও আমি হেরেছি তুমি জিতেছ..?
স্নেহা : আচ্ছা এবার চলেন, মিস এতোক্ষনে আমাদের খুজে বেড়াচ্ছে, নিশ্চয়..
রাহুল : Whatever ?
স্নেহা রাহুলের হাত ধরে টেনে বেরিয়ে পরলো…
নেহা : rahul…what’s wrong with..u??.. কই ছিলি তুই,,
রাহুল : মাথা পেইন করছিল নেহা, I m so sry yrr?..
নেহা : it’s ok.. but তাও তুই এটা ঠিক করিসনি,,তুই জানিস সবাই কতো এক্সাইটেড ছিলো আমাদের পারফরমেন্স নিয়ে?
রাহুল : (নেহাকে একটু ঝড়িয়ে)ওকে বেবি.. cool কতো ফাংশন তো আসবে আরো,…
নেহা : ওকে now come with me..
(নেহা রাহুলকে হাতে হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে গেলো sneha feeling jealous?)
স্নেহা : (মনে মনে) সামনে অনেক ভিড় এর মাঝে শায়লাদের কেমনি খুজি, মোবাইলটা ও তো শায়লার কাছে রেখে আসলাম?..
হঠাৎ পিছনে ফিরতেই,
স্নেহা : আপনি,?
আসিফ : জি আসলে আপনাকে ডান্স প্রেক্টিস করতে অনেকবার দেখেছি নিশ্চয় খুব ভালো ডান্স পারেন, একটা ডান্সের লটারি গেইম হচ্ছে, আপনি যদি চান পার্টিসিপেট করতে পারেন,
মার্জান : হেই স্নেহা কই ছিলি তুই হুম…?কখন থেকে খুজছিলাম.. আর উনি কে?..
আসিফ : আসলে একটা লটারি গেইম হচ্ছে.. কাপল ডান্সের যদি ইন্ট্রেস্ট থাকে তাই বলতে আসলাম ওনাকে..
মার্জান : না না..এসব করবে না.. এসব গেইমস খেলিনা আমরা, চল স্নেহা,
মার্জান হঠাৎ,
দাড়ান দাড়ান..আপনাকে খুব চেনা চেনা লাগছে, কোথায় দেখেছি বলেনতো,
আসিফ : জি আসলে আপনারা প্রথম যেদিন কলেজে এসেছেন ঐদিন আমি আপনার রেগিং নিয়েছিলাম ?
মার্জান : তার মানে আপনি রাহুল ভাইয়ার ফ্রেন্ড রাইট,
আসিফ : Yes ?
মার্জান : তাই তো বলছি হঠাৎ বাঘ থেকে বিড়াল হয়ে গেলেন কেন ?? Anyway কি যেন গেইমস এর কথা বললেন, ঐটায় কি রাহুল ভাইয়া ও পার্টিসিপেট করছে?
আসিফ : হ্যাঁ
মার্জান : ওহ ওকে আপনি স্নেহার নাম লিখেন, 
স্নেহা : আরে না, মার্জান, আমি করবো না,
মার্জান : ভাইয়া আপনি নাম লিখেন তো ওর কথা শুনিয়েন না,?
আসিফ স্নেহার নাম লিখে চলে গেলো।
স্নেহা : মার্জান এটা কি করলি,পাগল নাকি তুই?..
মার্জান : আরে রাহুল ও থাকবে so তুই আর রাহুল একসাথে কাপল ডান্স করবি ওয়াও কি জোস লাগবে ?? I can’t wait for this moment.
স্নেহা : তুই কি পাগল, এটা লটারি সিস্টেম হবে, আর যদি আমার নাম রাহুলের সাথে না পরে অন্য ছেলের সাথে পরে তখন কি হবে ?
মার্জান : আরেহ হ্যাঁ তা তো ঠিক এটা তো আমি ভাবিই নেই..??
স্নেহা : ???
মার্জান : আচ্ছা বাদদে কিছু হবে না অন্য
ছেলে হয়েছে তাতে কি হয়েছে ডান্স তো ডান্স… সবাই ফ্রেন্ডস So don’t worry...
প্রোগ্রামের প্রায় শেষ পর্যায়,
সবার নাম আর ডান্স পার্টনার এর নাম Announced করছে, কিন্তু স্নেহার নাম রাহুলের সাথে পরেনি অন্য ছেলের সাথে,…এবং রাহুলের নাম অন্য মেয়ের সাথে,
হঠাৎ পেছন থেকে এসে,
রাহুল : স্নেহা তোমার নাম announced করলো, তুমি এটাই পার্টিসিপেট করতে গেলে কেনো,
(স্নেহা মার্জান জোড় করে দিয়েছে বলতে গিয়ে ও বলেনি,?)
স্নেহা : হ্যাঁ দিয়েছি তাতে কি হয়েছে, আপনিও তো দিয়েছেন অন্য মেয়ের সাথে?
রাহুল : ওহ রিয়েলি, r u jealous? ?
স্নেহা : jealous কেন হবো? আর আমি আপনাকে জিতে দেখাবো ?
রাহুল : ওকে ডান।
স্নেহা : ডান।
then start a couple dance game..with music… ?
dance rules : একটা রেড বর্ডার থাকবে, সবাই সবার পার্টনার এর সাথে ডান্স করবে, এবং পার্টনার এক্সচেঞ্জ করবে ডান্স করতে করতে, যদি কেউ পার্টনার এক্সচেঞ্জ করার সময় বর্ডার ক্রস করে ফেলে তাহলে সে গেইম থেকে আউট, এভাবে ডান্স করতে করতে যে কাপলটা বর্ডার এর ভেতরে থাকবে ঐ কাপলটা উইনার হবে,
Dance Start,?
স্নেহা আর রাহুল দুজন বার বার দুজনকে দেখছে আর একটা আরেকটাকে jealous করছে,
রাহুল অপেক্ষায় আছে কখন স্নেহা এক্সচেঞ্জ হয়ে রাহুলের কাছে আসবে,…
ফাইনালি ?স্নেহা এক্সচেঞ্জ হয়ে রাহুলের কাছে তিনবার আসলো,
কিন্তু স্নেহা যখনি রাহুলে কাছে আসে এক্সচেঞ্জ হয়ে রাহুল সেটার ফায়দা উঠায়,
(An naughty idea clicked again in his mind ?)
rahul again slowly slided in sneha’s back…
sneha’s heartbeat increased when rahul touching her..back part…
Rahul and sneha enjoying that moment and their togetherness ?
in 4th tym…
স্নেহা যখন রাহুলের কাছে আবার এক্সচেঞ্জ হয়ে আসলো, রাহুল ইচ্ছা করে স্নেহার পা তার পা দিয়ে পিছিয়ে বর্ডারে দিয়ে দিলো….
এবং রাহুল তার নিজের পা ও দিয়ে দিলো, ?
রাহুল, স্নেহা দুজনেই গেইম আউট হয়ে গেলো,
then রাহুল স্নেহাকে নিয়ে তার হাত ধরে সবার সামনে থেকে বেরিয়ে গাড়ী পার্কিং এর মধ্যে নিয়ে আসলো…
স্নেহা : এটা কি করলেন আপনি?.. ইচ্ছা করে কেউ হেরে যায় নাকি ?..?
রাহুল : আচ্ছা তোমার তো অনেক ভালোই লাগছিলো
ছেলেগুলোর হাত ধরে ডান্স করতে, তাই না?..?
(চলবে)

Love_at_1st_sight   Part : 6

0

Love_at_1st_sight ???
Part : 6

writer-Jubaida Sobti
স্নেহা : (কাপা গলায়) দেখেন আপনি কিন্তু ঠিক করছেন না।
রাহুল : (স্নেহার কানে) ঠিক করে কিছু করা তো আমি এখনো শুরু করিনি?
রাহুল তার পকেট থেকে রিমোট বের করলে,
স্নেহা : প্রেক্টিস তো শেষ, ?
রাহুল : আমাদেরটা বাকি আছে, ??(রাহুল মিউজিক অন করলো)
then start a romantic
~~~Song~~~~ (please don’t skip the song….listen carefully to imagine this scene, rahul and sneha’s feeling)??
Tere Saamene Aajanese,…
iya dill mera dharka hain…?
iya gaalti nhi he teri
kusur..nazaar ka he…? (2x)
Jiss baath ka tujko dhaar he..
woh karke dikha dunga…..?
Aise na Mujhe Tum Dekho,
Seena Se Laga Lunga?
Tum ko me, Churalunga Tumse
Dill me Chupa Lunga… ? (2x)
Sneha’s fingers touch in rahul chest..?she looked into his eyes,,,.they share a beautiful eyelock,,Sneha‘s heart beat enhanced with their proximity…,
then rahul kissed, in sneha’s cheeks??
হঠাৎ রাহুলের ফোন বেজে উঠলো…
রাহুল : Yeah! come in.. just 5mins…
স্নেহা রাহুলের কাছে থেকে সরে গিয়ে দাড়ালো… এবং কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে পরে।
রাহুল স্নেহাকে আটকাতে চেয়েও আটকালো না আর,
(Today Rahul Blushing)?
মার্জান : স্নেহা কি করলি এতোক্ষন? বলনা বলনা??
শায়লা : হুমম….সব কি বলা যায় মার্জান কিছুতো সিক্রেট থাকবে তাই না স্নেহা, ?
স্নেহা : দেখ তোরা কিন্তু বেশি করছিস,…কিছুই হয়নি..?
মার্জান : ok..we know something something ?
জারিফা : আমরা কিন্তু সব দেখেছি,?
স্নেহা : ?????
জারিফা : দেখ দেখ ওর ফেইস এক্সপ্রেশন দেখ….তার মানে কিছু হয়েছে…?
স্নেহাকে নিয়ে তার ফ্রেন্ডসরা… হাসাহাসি করছে।
(আরস্নেহা রাহুলের কথা মনে করে Blushing হচ্ছিলো)
বাসায় যাওয়ার পথে…
স্নেহা তার ফ্রেন্ডসদের সাথে বাসায় যাচ্ছিলো,
সামির স্নেহার পাশে এসে দাঁড়ায়,
স্নেহা সামিরকে এড়িয়ে হাটলেও সামির বার বার স্নেহার পাশে চলে আসে,…
সামিরের সাথে তার আরো কিছু ফ্রেন্ডসরা ও ছিলো,
সামিরের গাড়ি থাকা সত্তেও সে হেটে যাচ্ছে, আর বার বার স্নেহার হাতের সাথে হাত লাগাচ্ছিলো, তার মেইন ইরাদা হলো সে স্নেহার সাথে ইপটিজিং করবে।?
স্নেহা সামিরের এসবে খুব বিরক্তিবোধ করছিলো…
হঠাৎ ঐসময় কিছুদূর সামনে একটি গাড়ী এসে থামে,
(আজিবতো হাটার পথে এসে গাড়ী থামায় নাকি,…) গাড়ীটা অনেক চেনা চেনা লাগছিল। ঠিক ঐসময় রাহুল গাড়ী থেকে নেমে আসে,
(স্নেহা মনে মনে)
মি. হ্যান্ডসামটা এমনভাবে এন্ট্রি করে, যে কোনো মেয়েই ওর ফিদা হয়ে যাবে ??
রাহুল কাছে এসে সামিরের কাধে হাত দিয়ে, তার বাকি ফ্রেন্ডসদের ছাড়া হেসে হেসে সামিরের কানে কানে কি যেন বলে সামিরকে তার গাড়িতে করে নিয়ে চলে গেলো… যাওয়ার সময় স্নেহার দিকে একপলক তাকিয়ে ? চলে গেলো।
(স্নেহা blushing) 
মার্জান : এই রাহুলটার ভাবসাব কিছু বুঝিনা, সামির তার শত্রু, এবং তার গ্রুপের ছেলেদের ও মারলো সামিরের গ্রুপ, অথচ রাহুল ও সামিরের সাথে উলটা বন্ধুর মতো আচরণ করছে,?
হঠাৎ একটি জুনিয়র ছেলে এসে বলে,
আপু বাঘ যখন ছোট প্রাণী শিকার করে তখন ধীরেধীরে যায়, কি বুঝলেন ?
এই বলে ছেলেটা চলে যায়,ছেলেটাকে এর আগে ও অনেক বার দেখেছে স্নেহা রাহুল যখন স্নেহাকে টেনে ঐ ক্লাস টাই নিয়ে যেত হে তখনি দেখেছে ছেলেটিকে,
মার্জান : কিছু বুঝলি তো ছেলেটি কি বললো, আমিতো কিছুই বুঝলাম না,?
স্নেহা একটু দৌড়ে গিয়ে ছেলেটির কাছে,
স্নেহা : এই যে ভাইয়া, কি বললে তুমি কিছু বুঝলাম না,
ছেলেটি : রাহুল ভাইয়ার অর্ডার ছিলো আপনাকে যদি কোনো ছেলে ডিস্টার্ব করে সাথে সাথে ভাইয়াকে ফোন দিতে,এবং আপনি যতক্ষন কলেজে থাকবেন কোথায় কি করছেন যাচ্ছেন,সব ডিটেইলস ভাইয়াকে দিতে হবে,
আমরা আমাদের রাহুল ভাইয়ার জন্য এইটুকু তো করতে পারি?
তাই সামির আপনাকে ডিস্টার্ব করছিলো দেখে সাথে সাথে ভাইয়াকে ফোন দিলাম আর ভাইয়া ৩ মিনিটেই হাজির?
আজকে দেখবেন সামিরের কি হাল হয় অনেক উড়ছে এই বেটা ?
স্নেহা, শায়লা,মার্জান,জারিফা, সবাই Exclaimed ?
ছেলেটি : অবাক হবেননা আপু! ভাইয়া কিন্তু একপিস,এবং আপনি অনেক লাকি ?
এই বলে ছেলেটি চলে গেলো।
মার্জান : yess yess yess…আল্লাহ তুমি তুমি এতো ভালো কেনো,
শায়লা : আরে মার্জান ও তোর জুনিয়র?
মার্জান : ধেত কি বলি আর কি বুঝে,?আমিতো আল্লাহকে বলেছি।কারন আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করলো,আজ সামিরের বাচ্চা সামিরের জম দোলায় চলবে।?
স্নেহা : কিন্তু এসব মারামারিতো ঠিক না?
মার্জান : ওও… তোর তো অনেক টেনশন হচ্ছে রাহুলের জন্য সব বুঝি, Don’t worry baby সেটা রাহুল মনে রাখিস?
চল এবার বাসায় চল,
বাসায় গিয়ে স্নেহার মন ঠিকছে না কেমন যেন মনে হচ্ছে,কখন কাল কলেজ যাবে আর রাহুলকে দেখবে, ?
হঠাৎ আজকের প্রেক্টিস রুমের কথা মনে পরলে (স্নেহা blushing )
পরদিন কলেজে,
স্নেহা রাহুলকে খুজে খুজেই ঢুকছিলো,তারপর
ক্লাসে গিয়ে বসে,
স্নেহা : জারিফা আমার বেগটা রাখ আমি একটু আসছি,
জারিফা : ওকে তাড়াতাড়ি আসিস,
স্নেহা : সব জায়গায় খুজলো স্নেহা রাহুলকে কোথাও পেলো না,প্রেক্টিস রুমে গিয়ে ও দেখলো রাহুল নেই। স্নেহার মনে অনেক ভয় কাজ করছে কোনো কিছু হয়নিতো কাল!?ঐ ছেলেটিকে ও তো পাচ্ছি না,?
হঠাৎ ঐ ক্লাসটার কথা মনে পড়লো,
স্নেহা : মনে মনে, আরে হ্যাঁ ঐ ক্লাসটাই তো দেখলাম না।
স্নেহা ক্লাসটাই ঢুকতে দেখে রাহুল ক্লাসের মধ্যে দেওয়ালে হেলান আর তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
স্নেহা : ?এই ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কেন মিস্টার তেডি স্মাইল.. আপনি জানেন আপনাকে আমি আরো কত জায়গায় খুজছিলাম। ?
রাহুল : ফাইনালি তাহলে খুজে পেলে আমায়?
স্নেহা : (একটু নার্ভাস হয়ে) কই নাতো, আমিতো খুজছিলাম না,আমি দেখছিলাম যে সবাই কলেজে এসেছে কি না,?
রাহুল স্নেহার কাছে এসে,?
রাহুল : ওহ রিয়েলি ?(with তেডি স্মাইল)
রাহুল স্নেহার একদম কাছে আসে,?
রাহুল : looking beautiful ??
Sneha’s heartbeat increased hearing rahul’ voice ?
রাহুল :(An naughty idea clicked in his mind,) রাহুল slowly ?স্নেহার কোমরে হাত দিলো,
sneha’s heart started beating faster যখন রাহুল তার আরো কাছে আসে,
স্নেহা সরে যেতে চাইলে,
রাহুল : [ in sneha’s ear] sneha Stop Fighting with it! ?
Sneha stiffed when she realised what Rahul was trying to do,
Rahul slowly slided ?in sneha’s back?
sneha’s heart started beating faster again?
Sneha was schoked ?she wanted Rahul to stop but she coudnt say anything 
Rahul was enjoying sneha’s plight ??….and their togetherness….
স্নেহা : ক্লাসে লেইট হচ্ছে ?
রাহুল : shut’up ?
(স্নেহা Shocked ?)
(then rahul try to kissed sneha’s cheek ?
রাহুল স্নেহাকে কিস করতে চাইলে স্নেহা blushing)
স্নেহা রাহুলকে একটু ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়
রাহুল : স্নেহা ওয়েট (with তেডি স্মাইল)?….
ক্লাসে,
জারিফা : স্নেহা কই ছিলি এতোক্ষন?
স্নেহা : এইতো ঐদিকে ছিলাম,, আচ্ছা বাদ দে।বাকিরা কই?
জারিফা : দুজনকেই ফোন দিয়েছি মার্জান শপিং যাচ্ছে শায়লা বাসায় গেস্ট আসছে তাই আসবে না।
স্নেহা : তাহলে আমরা কি করবো… এমনিতে কোনো ক্লাস হবে না।সবাই কালকের ফাংশান নিয়ে ব্যস্ত।বাসায় চল।
জারিফা : ওকে তাহলে চল।
জারিফা আর স্নেহা বাসায় চলে গেলো।
ঐদিকে রাহুল স্নেহাকে না দেখাতে খুজতে থাকলো,? পরে খবর পেলো স্নেহা আজ বাসায় তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছে..
স্নেহা বাসায় এসে ভাবছে কালকে ফাংশনে কি পড়বে…
হঠাৎ Unknown number থেকে আবার ফোন..
স্নেহা : হ্যালো!
unknown : no response
স্নেহা : আজিব তো কথা না বললে ফোন দেন কেনো বুঝি না, নাকি মোবাইলের টাকা বেশি আপনার,…বেশি হলে আমাকে ট্রান্সফার করে দিয়েন…আমার আবার মোবাইলে টাকা কম..
তারপর স্নেহা রেগে ফোনটা কেটে দিলো…
কিছুক্ষন পর স্নেহার মোবাইলে মেসেজ আসার আওয়াজ আসে স্নেহা চেক করতেই দেখে
Recharge 500tk
Sneha shocked ??
স্নেহা কল বেক করলে আর রিসিভ করে না,
স্নেহা : ( মনে মনে) কি গাধারে বাবা আমিতো এমনিতেই বলেছি আর উনি ?
পরদিন সন্ধায় স্নেহা কলেজ যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে,আজ সন্ধ্যায় কলেজ ফাংশন,
শায়লা ফোন দেই,
স্নেহা কই তুই কতোদেরি লাগবে আর,আমাদের মিস তাড়াতাড়ি আসতে বলেছিল ভুলে গিয়েছিস?
স্নেহা : এইতো ১০ মিনিট এক্ষুনি আসছি।
স্নেহা তাড়াতাড়ি কলেজ যায়,…
কলেজের গেইট দিয়ে ঢুকতেই পিছনথেকে গাড়ির হর্ন দেওয়ার সাউন্ড শুনতে পায় এবং স্নেহা পিছনে ফিরে তাকাই গাড়ির লাইট চোখে পড়াতেই স্নেহা চোখে হাত দিয়ে দেই.. এবং চোখ বন্ধ করে ফেলে …after few second she open her eyes slowly এবং সে দেখতে পায় গাড়িতে রাহুল..?
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে ??
sneha wore a baby pink lehenga with lemon dupatta ?…she looking like a princes ?
স্নেহা রাহুলকে সাইড দিলো রাহুল তাও হা করে স্নেহার দিকে তাকিয়েই আছে ?
পিছন থেকে আরেকটি গাড়ী এসে আওয়াজ দিলে রাহুল তার গাড়ী টান দেই.. ?
মার্জান : ওয়াও স্নেহা u looking lyk repunzel ??..
স্নেহা : u too baby ?
ফাংশন শুরু হলো…
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়েই যাচ্ছে,
আর (স্নেহা blushing )
জুনিয়র, সিনিয়র সবার ডান্স চলছে।…
আস্তে আস্তে রাহুল আর নেহার পারফরমেন্স দেওয়ার পালা চলে আসে,…কলেজের সবাই অনেক এক্সাইটেড,
যখন ক্রাশ স্টেজে উঠবে তখন অডিয়েন্সের এক্সাইটমেন্ট বেড়ে যায়?। তেমনি রাহুল তার কলেজের হ্যান্ডসাম ছেলেদের মধ্যে জনপ্রিয় একজন ছেলে যার উপর অনেক মেয়ে ক্রাশ..
নেহা : এই যে মিস.চাম্বুস, রাহুলকে দেখেছ?…?
স্নেহা : দেখেছিলাম কিন্তু এখন কোথায় জানি না।
নেহা : এই রাহুলটা না কি যে করি এই ছেলেটাকে নিয়ে…
মিস : নেহা,স্নেহা, শায়লা guys r u ready.. for dance?
নেহা : yeah mem but!
মিস : but..? nd where is rahul?..
নেহা : মেম কখন থেকে ফোন করছি রাহুল ফোন ধরছেই না আর ওর সব ফ্রেন্ডসদের থেকেও জিজ্ঞেস করলাম কেউ খোজ পেল না,?
মিস : নেহা এটা বসে থাকার সময় না খুজে দেখো, nd remember rules is rules so..টাইম পেরিয়ে গেলে পারফরমেন্স আর করা যাবে না,so hurry up.
নেহা : ওকে মেম ?
মিস চলে যাওয়ার পর,
নেহা: এই যে চাম্বুস হা করে দেখছ কি যাও খুজে দেখো কোথায় আছে রাহুল ?..
স্নেহা কই খুজবে বুঝতে পারছে না, রাহুলের নাম্বার ও নেই তার কাছে,
প্রোগ্রাম চলছে ঐদিকটা অনেক ভিড়, কলেজের ভেতরে তেমন কেউ নেই তবে,অনেকেই হাটাচলা করছে,
হঠাৎ ঐ ছেলেটিকে দেখলো স্নেহা,
স্নেহা : এই যে তুমি রাহুলকে দেখেছ?..
ছেলেটি : হ্যা ঐদিকটা যেতে দেখেছি,..
স্নেহা : ওকে থ্যাংক ইউ ..

Love_at_1st_sight??? Part : 5

0

Love_at_1st_sight???
Part : 5

writer-Jubaida Sobti

ছেলেটি : Cool baby, আমিতো একা ধাক্ষা খায়নি অনিও খেয়েছে, অনিও তো সরি বলেনি।
মার্জান : আজব তো, আপনার কি ওকে দেখে মনে হচ্ছে ও আপনাকে ইচ্ছা করে ধাক্ষা দিবে..
ছেলেটি : Excuse me! what do u mean, আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমাকে দেখতে ইচ্ছা করে ধাক্ষা দেওয়ার মতো ছেলে লাগছে,
মার্জান : দেখেতো তাই মনে হচ্ছে,
স্নেহা : ওকে ওকে,মার্জান স্টপ, সরি ভাইয়া আসলে খেয়াল করিনি।
মার্জান : তুই কেন সরি বললি, হ্যা! ও সরি বলেছে তুকে হে?…?
ঠিক ঐসময় ছেলেটির পাশে আরো কিছু ছেলে আসে এবং বলে What happen bro?.. any problem,
মার্জান : পুরা কলেজটাই গ্যাংগ গ্যাংগ করে ভরাই রাখছে। প্রবলেম এর কি আর শেষ আছে,?
ঠিক ঐসময় রাহুল কলেজ থেকে বের হয়ে পার্কিং এর দিকে যাচ্ছিলো,
তখন ছেলেটি রাহুল কে ডাক দিলো….
ছেলেটি : Hey bro! what’s up.. তোর সাথেই দেখা করতে এসেছি।
রাহুল ছেলেটির দিকে ফিরে তাকাতে একসাথে স্নেহার দিকে ও চোখ যায়।
ছেলেটি গিয়ে রাহুলকে ঝড়ায় ধরলে ও রাহুল ছেলেটিকে ধরেনি,…
রাহুল : (রেগে)sameer, it’s ur last warning..
স্নেহা,শায়লা, মার্জান সবাই অবাক হয়ে যায় এই ছেলেটিই সামির,
অবাক হওয়ারি কথা কারন তারা কলেজে নতুন সামিরকে এর আগে কখনো দেখেনি,
সামির : Don’t worry bro! I promise… আসলে না বুঝে করেছে ওরা,
ওদের আমি মেরেছি অনেক,তুই চিন্তা করিস না,
শায়লা : মার্জান অনেক হয়েছে…চল এবার
শায়লা মার্জানকে টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো,…
হঠাৎ করে সামির বলে উঠলো.. hey guys wait..আমার কথা শেষ হয়নি।
সামির রাহুলকে আঙুল দিয়ে স্নেহার দিকে ইশারায় দেখিয়ে বললো,
সামির : bro! who is she… new may be আগেতো দেখিনি ? ধাক্ষা লাগলো তাই সে আমাকে সরি বললো, (হেসে) I lyk it…
সামিরের কথা শুনে রাহুলের রাগ যতটুকু ছিলো তার চেয়ে বেশি বাড়ছে,
সামিরের কথা গুলো স্নেহারা শুনছে না, কিন্তু আঙুল এর ইশারা করাতে বুঝতে পারছে সামির রাহুলকে এখন ঘটা ঘটনাটি বুঝাচ্ছিলো,
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকাতে রাহুল স্নেহাকে মাথাদিয়ে ইশারা করছে চলে যেতে,
স্নেহা ও আর কিছু না বলে চলে যায়।
মার্জান : এই বদমাইশটাই সামির, ইচ্ছা করছে আমিও রাহুলের গ্রুপ এ যোগ দিয়ে,,সামিরটারে ইচ্ছা মতো কিছু ধোলায় করি,?
শায়লা : তুই না খুব বাড়াবাড়ি করিস মার্জান, ধাক্ষা দিয়েছে তো কি হয়েছে,এভাবে হয়ে থাকে, আর তুই জানিস না এসব ছেলেদের একটা বলবি আর ওরা দশটার একশন নিবে।
মার্জান : দেখ আমি কিন্তু সব সহ্য করতে পারি কিন্তু ইপ্টিজিং মোটেও না।?
শায়লা : তো তুই কি বুঝাতে চাচ্ছিস ছেলেটা তোকে নেক্সট টাইম পেলে কিছু করবে না,
মার্জান : তুই আমাকে চ্যালেঞ্জ করছিস?.. হে?… ওকে আমি তোকে চ্যালেঞ্জ করলাম। ছেলেটা আমাকে কিছু করতে পারবে না।?
শায়লা : এতো কনফিডেন্স?..?
মার্জান : হ্যা কিন্তু ঐটার জন্য আমায় স্নেহাকে একটু ইউস করতে হবে।
স্নেহা : আমাকে…? আমি বাবা মারপিট পারিনা। এসব আমাকে দিয়ে হবে না।?
শায়লা : মার্জানের দিকে তাকিয়ে ওওও তো এবার বুঝলাম এতো কনফিডেন্স কি জন্যে,
মার্জান, জারিফা, শায়লা সবাই হেসে উঠে স্নেহার দিকে তাকিয়ে স্নেহা কিছুই বুঝলো না…
মার্জান : আরে বাবা তুই মারপিট করবি কেন? আমাদের জিজু আছে না ?
স্নেহা : মার্জান তুই কিন্তু বেশি করছিস
স্নেহা বাসায় গিয়ে… ফ্রেশ হয়ে…শুয়ে থাকে… স্নেহার মা হঠাৎ রুমে এসে বলে
স্নেহা একটা প্রস্তাব এসেছে তোর জন্য ছেলে লন্ডনের সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার।
তুই যদি চাস কথা বলতে পারি,
স্নেহা : মা বললাম না আমার বিয়ে নিয়ে তোমাদের টেনশন করতে হবে না। আমি এখন বিয়ে করবো না,?
মা : তুই কি কাউকে পছন্দ করিস নাকি??
স্নেহা : কি যে বলো মা,
করলে কি তোমায় বলতাম না।?
মা : না এ কয়েকদিন তুই একা একা রুমে থাকছিস। কেমন যেন চেঞ্জ হয়েছিস লাগছে তাই বলছি। শোন এটা মনে রাখবি আমি কিন্তু তোর মা। তুই আমার থেকে হয়েছিস।
স্নেহা : (হেসে) আচ্ছা যাওতো মা। আর ডং করিওনা পড়তে হবে আমায়।
মা চলে গেলে স্নেহা মনে মনে হাসে আর রাহুলের কথা ভেবে ভেবে (blushes)
পরদিন কলেজ গেলে স্নেহা ক্লাসে ঢুকার সময় হটাৎ পেছন থেকে হাত ধরে টেনে রাহুল সেইম ক্লাস টাই নিয়ে যায়।ক্লাস আগে থেকেই খালি ছিলো… আজ।
স্নেহা : (অবাক হয়ে) কি হলো! আর আপনি এইভাবে এন্ট্রি করেন কেনো যেন!
রাহুল : (স্নেহার কাছে এসে) যেন কি?..
স্নেহা : নিচের দিকে তাকিয়ে কিছু না।?
রাহুল : আচ্ছা স্নেহা একটা কথা জিজ্ঞেস করি…
স্নেহা : হুম,?
রাহুল : আমার জায়গায় যদি তোমাকে অন্য কোনো ছেলে এভাবে টেনে আনতো তাহলে ও কি তুমি এমন behave করতে??
স্নেহা : না তো…?
রাহুল : ওহ রিয়েলি!? (with তেডি স্মাইল) so আমার সময় আলাদা কেনো,
স্নেহা : ( কাপা গলায়) কারন আপনি দেখতে ভয়ানক।?
রাহুল : what!?
স্নেহা : না হয়তো কি, আপনি যেভাবে তাকান আমার দিকে অন্যরা ঐভাবে তাকায় নাকি,?
রাহুল : Oh really ? (with তেডি স্মাইল)
(রাহুল আবার স্নেহার কাধের উপর দেওয়ালে এক হাত দিয়ে দাঁড়ায়, স্নেহা চলে যেতে চায়লে রাহুল বাকি হাতটা ও দেওয়ালে দিয়ে স্নেহাকে আটকে ফেলে,)
স্নেহা : দেখেন আমাকে যেতে দেন আমার ফ্রেন্ডসরা ওয়েট করছে আমার জন্য,…?
বলতেই হঠাৎ মার্জান রুমে ঢুকে পরে,
রাহুল তাড়াতাড়ি দেওয়াল থেকে হাত সরিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দেই।
মার্জান : চোখে হাত দিয়ে ??eeeeehhhhh সরি সরি.. আমি কিন্তু কিছু দেখিনি।
স্নেহা : মার্জান তুই,…
মার্জান : আমিতো তো তোকে খুজছিলাম, তাই…
(দুষ্টুমির ভংগিতে) জিজু ? আমি কিন্তু কিছু দেখিনি…?
রাহুল একটা তেডি স্মাইল দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পরলো..
মার্জান স্নেহাকে গিয়ে ঝড়ায় ধরলো…
আর বলতে লাগলো
বেষ্ট অফ লাক বান্ধবী… তোদের দুজনকে দারুন মানাবে,
স্নেহা লজ্জায় (blushes)
ঐদিকে রাহুল যে ছেলে গুলোকে পাহারা দিতে বলেছে তাদের উপর গিয়ে রেগে গেলো
তাদের বলেছিল রাহুলের পারমিশন ছাড়া কাউকে যাতে ভেতরে ঢুকতে না দেই। ( কিন্তু মার্জান যখন দূর থেকে দেখলো রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে রুমটাই ঢুকে পরলো তখন মার্জান ছেলেগুলোকে মিথ্যে বলে,) রাহুল মার্জানকে ফোন দিয়ে আসতে বললো বলে সে ঢুকে পরে।
রাহুল তাদের থেকে কথাটি শুনে আর কিছু বললো না,
আর মনে মনে হাসতে লাগলো,
স্নেহা এলো প্রেক্টিস রুমে,
স্নেহাকে দেখে নেহার মাথা ৯৯ডিগ্রি গরম হয়ে যায়।
মিস : স্নেহা তুমি প্রেক্টিসে কম আসো কেন এভাবে কি কমপ্লিট করা যাবে?
স্নেহা : সরি মেম।?
মিস : ইটস ওকে,, and don’t missed it again.
রাহুল বার বার স্নেহার দিকে তাকায়? আর নেহা মনে মনে জ্লতে থাকে।
রাহুল : নেহা তুই বিয়ে কবে করবি।
নেহা : যখন তুই চাস,
রাহুল : ওহ করে ফেল,আর আমাদের তাড়াতাড়ি আংকেল ডাকটা শুনতে দে।?
নেহা : What! ?
তাদের কথা শুনে শায়লা আর স্নেহা দুজনে হেসে উঠে।
নেহা : অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না,তোমাদের..??.?
Shameless peoples?
… এইখানে যতক্ষন থাকবো মাথা পেইন করবে,…
নেহা গিয়ে মেম কে বলে আজকের প্রেক্টিস অফ করে দেয়।
রাহুল নেহার কান্ড দেখে হাসতে থাকে,
নেহা সবার কাছে সেরা হলে ও রাহুলের কাছে তার কোনো মূল্য নেই।?
মিস প্রেক্টিস রুম থেকে চলে যাওয়ার পর,
রাহুল : স্নেহা তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো
স্নেহা : জি বলেন!?
রাহুল চুপ করে থাকাতে শায়লা বুঝতে পারে রাহুল শায়লা আছে তাই কিছু বলতে পারছে না।
শায়লা : স্নেহা তুই আয় তাহলে আমি যাচ্ছি।?
স্নেহা : না তুই থাক কই যাচ্ছিস।?
রাহুল : ও বলছে না ও সামনে যাচ্ছে,…? I mean নিশ্চয় ওর কোনো কাজ আছে।
শায়লা হেসে বেরিয়ে যায়।
স্নেহা : দেখেন আমি বলে দিচ্ছি কিন্তু আমার কাছে আসবেন না যা বলার ঐ দিক থেকেই বলুন।
রাহুল স্নেহার কথা শুনে আরো কাছে আসে এবং স্নেহার কোমোরে হাতদিয়ে আরো কাছে টেনে নেই।
রাহুল : আর যদি আসি তাহলে,
স্নেহার আর কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। 

 
(চলবে)।।

Love_at_1st_sight Part : 4

0

Love_at_1st_sight???
Part : 4

writer-Jubaida Sobti
রাহুল : Don’t worry স্নেহা, আমি কিছু করবো না তোমাকে ভয় পেতে হবে না।
(রাহুল Blushes ?)
স্নেহা : একটু দূরে গিয়ে যদি দাড়াতেন?
(রাহুল আবারো তেডি স্মাইল with blushes)?
স্নেহা : (একটু বিরক্তিবোধ করে) দেখেন আপনি এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন যদি কেউ এসে দেখে কি ভাববে।?
সেটা বলার সাথে সাথে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়া ছেলেদের মধ্য থেকে একটা ছেলেকে ডাক দিলো।
রাহুল : (জোড় গলায়) রিফাত!
রিফাত : yes! bro?
রাহুল : ভেতরে যাতে কেউ না আসে ?
রিফাত : Ok bro!
স্নেহা :??
রাহুল : (তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার দিকে তাকিয়ে আছে)?
স্নেহা : বুঝলাম কেউ আসবে না তাও একটু দূরে গিয়ে যদি দাঁড়ান,?
স্নেহা রাহুলকে দূর গিয়ে দাঁড়াতে বললো অমনি রাহুল স্নেহার আরো কাছে এসে দু পাশে দু হাত দিয়ে দাঁড়ালো,?
স্নেহা : না বলছিলাম যে কাছে এসেই দাঁড়ান ? (স্নেহা ভেবেছে ওনাকে যতো দূরে গিয়ে দাড়াতে বলছি আর ওনি কাছে এসে দাড়াচ্ছে। নিশ্চয় কাছে এসে দাঁড়াতে বললে দূরে গিয়ে দাঁড়াবে,)?
স্নেহার কথা শুনে রাহুল দুপাশ থেকে হাত সরিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে পকেটে হাত দিয়ে হাসা শুরু করলো,?
রাহুল : স্নেহা are u crazy ?
স্নেহা : ?? No I m not crazy.
রাহুল : r u sure ??
স্নেহা : 100%?
রাহুল : anyway আজকে প্রেক্টিসে আসলে না যে,?
স্নেহা : it’s ordered
রাহুল : who ordered u? ?
স্নেহা কিছু না বলে চলে যাচ্ছিলো, রাহুল স্নেহার হাত ধরে ফেলে,
রাহুল : স্নেহা বলছো না কেনো? আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি??
স্নেহা : কিছুনা, হাত ছাড়েন।?
রাহুল : স্নেহা আমার রাগ তুলবানা, বলো কে নিষেধ করেছে??
স্নেহা : বললাম তো কিছুনা।?
হঠাৎ দরজায় টুকা দেওয়ার শব্দ হলো রাহুল স্নেহাকে আর কিছু না বলে একটু রেগে বেড়িয়ে গেলো।
স্নেহা ও বেড়িয়ে পড়লো রাহুলের পিছু পিছু,
মার্জান : স্নেহা! কোথায় ছিলি তুই তুকে খুজছিলাম কতো জায়গায় জানিস,
স্নেহা : এইতো লাইব্রেরি গিয়েছিলাম একটু।
মার্জান : ওহ চল একটু গার্ডেনের দিকে গিয়ে ঘুরে আসি। কলেজটা ঘুরে দেখায় হলো না।
স্নেহা : সবাই আসুক একসাথে যাবো।?
মার্জান : আরে ওরা আসতে দেরী হবে আমরা বসে বসে কি করবো,, চলতো।
স্নেহা : দেখ মার্জান আমার না প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা করছে। আজ নয় অন্য একদিন। এখন আমি বাসায় যায় কাল দেখবো প্রমিস।
মার্জান : ওকে বাবা! যা। Bye.
স্নেহা সেদিন আর কলেজে থাকেনি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসে।
কেনো যেন রাহুলের কথা মনে পড়ছে
প্রথম যেদিন কলেজ গিয়েছিল, রাহুল তার দিকে চেয়ে ছিলো এক দৃষ্টিতে,
রেগিং এর সময় সব থেকে সহজ কাজটা স্নেহাকে দিলো।
পানি খেতে গিয়ে রাহুলের শার্ট ভিজিয়ে দিলো কিন্তু রাহুল কিছুই বলেনি,
কলেজে ঢুকার সময় গার্ডেন এর ঐদিকে সবসময় দাঁড়িয়ে থাকা,,
…কথা না বলে লজ্জিত ভাবে একটা তেডি স্মাইল দেওয়া… ?
প্রেক্টিসের সময় দাঁড়িয়ে তার ডান্স দেখা, কাছে এসে স্নেহার মাথার চুল খুলে দেওয়া, ফুস্কার দোকানের সামনে গাড়ি থামিয়ে স্নেহার দিকে এক পলক চেয়ে আবার চলে যাওয়া, আর আজ প্রেক্টিসে না যাওয়াতে রেগে যাওয়া, হোয়াইট শার্ট পরে আজ লাইব্রেরিতে যখন এন্ট্রি করছিল ?
স্নেহার হাত ধরে টান দেওয়া, কাধের দু পাশে দেওয়ালে হাত দিয়ে দাঁড়ানো,
স্নেহা ভাবতে ভাবতে Blushes 
হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উঠলো।
স্নেহা : হ্যালো!
শায়লা : স্নেহা তুই আজ চলে গেলি যে তাড়াতাড়ি, মার্জান বললো তোর নাকি মাথা ব্যথা করছিল তাই চলে গেলি।
স্নেহা : হে আসলে, একটু ব্যথা ছিলো।
শায়লা : জানিস আজ নেহাকে রাহুল কি বলেছে?
স্নেহা : কি ?
শায়লা : নেহা যখন রাহুলের সাথে ডান্স করছিলো এমন ভাবে লেগে ডান্স করছে যেন রাহুল তার অনেক কিছু, নেহার এমন
কান্ডে রাহুল may be uncomfortable ছিলো,
তারপর রাহুল কি বললো জানিস, listen নেহা u r only my dance partner!… understand… আর কিছু হওয়ার কথা ভাবা তো দূরের কথা মাথায় ও আনবি না।
নেহার face expression টা যদি তখন দেখতি না… পুরাই একটা ডাইনি ??
স্নেহা : ( অনেক existing হয়ে) জানিস আজ রাহুল আমাকে খুজতে এসেছিল, এবং সে আমাকে খুজতে লাইব্রেরি সহ গিয়েছে,
স্নেহা শায়লাকে সব বললো আজকের ঘটনা…
শায়লা : oh yeah… I got it.. এখন বুঝতে পেরেছি আমাদের স্নেহার মাথা ব্যথা কেন হয়েছিল।আর রাহুল বাকি মেয়েদের Avoid করে শুধু তোকে দেখে কেন তেডি স্মাইল দেই ?
by the way আমার তো এখন মনে হচ্ছে রাহুল তোকে…. ??
স্নেহা : Blushes  যাহ… তেমন কিছুই না। আচ্ছা কাল দেখা হচ্ছে তাহলে।
শায়লা : ওকে বাই ….
স্নেহা : বাই।
সকালে স্নেহা রেডি হচ্ছে কলেজ যাওয়ার জন্য ঠিক ঐ সময় Unknown নাম্বার থেকে একটা মেসেজ এলো…
MSG : ব্লু ড্রেসটাই দারুন লাগে…?
স্নেহা অনেক কনফিউজড হয়ে গেলো… কালতো আমি ব্লু ড্রেস পরিনি… আর কে সে ব্লু ড্রেস পড়াতে আমায় কবে দেখেছে।
লেইট হয়ে যাচ্ছে তাই স্নেহা মেসেজের আর জবাব না দিয়ে…কলেজ চলে গেলো…
স্নেহা কলেজ গিয়ে দেখে গার্ডেন এর ঐদিকের চেয়ার গুলো ভেংগে গেছে… মাটিতে পরে আছে অনেক লাঠি কিছু ভেংগে যাওয়া কিছু ঠিক… এমন লাগছে যেন তুফান হয়েছে তাই সব ভেংগে ছিড়ে ছিটে পড়ে আছে।
কলেজ টা ও কেমন নিস্তব্ধ হয়ে আছে।
কিছু বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে এসব।
কিন্তু আজ মিস্টার হ্যান্ডসামকে ও দেখছি না, প্রেত্যেকদিন তো কলেজ ঢুকার সময় গার্ডেনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকে,আমাকে দেখলে একটা তেডি স্মাইল দেই।আজ কই গেলো।
সামনে যেতেই দেখি জারিফা,
জারিফা দৌড়ে আমার দিকে আসে, আমাকে টেনে একদিকে নিয়ে যায়…
কিছু বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে এসব।?
জারিফা : জানিস, এখন কি হয়েছে রাহুল আর সামিরের গ্রুপের সাথে অনেক মারামারি হয়েছে।
স্নেহা : সামির গ্রুপ মানে ?
জারিফা : রাহুলের যে গ্যাংগটা আছে ঠিক ঐরকম সামির নামের ঐ ছেলেটির ও আছে। তারা একই সেমিস্টার এর হলে ও তাদের গ্রুপটা আলাদা। দুই গ্রুপের মধ্যে নাকি পুরোনো দুশমনি আছে,
স্নেহা : রাহুল ঠিকাছে? 


জারিফা : হে ঠিকাছে কিন্তু মনে হচ্ছে রেগে ও আছে মন ও খারাপ করে আছে ,
স্নেহা : ??
জারিফা : রাহুল আর তার ফ্রেন্ডরা কলেজে আসতে আসতে রাহুলের গ্রুপের ছেলেদের অনেক মেরেছে।
তাদের অবস্থা দেখে রাহুল রেগে পারছিল না যে সামিরের গ্রুপের ছেলেদের এক্ষুনি গিয়ে খুন করে আসবে কিন্তু রাহুলের ফ্রেন্ডসরা তাকে আটকে ফেলে ভাগ্যিস।
আরে! ক্লাসের তো সময় হয়ে গেছে চল স্নেহা।
স্নেহা : তুই ওনাকে দেখেছিস
জারিফা : ওনি মানে ?
স্নেহা : ( Blushes) রাহুল।
জারিফা : ? পার্কিং এর দিকে যেতে দেখেছি,
স্নেহা পার্কিং এর দিকে গেল, দূর থেকে তাকিয়ে দেখলো রাহুল আনমনা হয়ে কি যেন ভাবছে।
অনেক টেনশনে আছে লাগছে,
স্নেহা রাহুলেন কাছে এসে দাঁড়ালে রাহুল স্নেহার দিকে তাকালো,কিন্তু একটু অবাক হলো,
রাহুল : What?
স্নেহা : জি! আপনার Assignment টা,
রাহুল : (অবাক হয়ে) ওহ, তো কমপ্লিট?
রাহুল Assignment গুলো হাতে নিলো,
স্নেহা এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
রাহুল : কি কিছু বলবা,?
স্নেহা : না, নাতো…
রাহুল : তাহলে দাঁড়িয়ে আছো, যে।
স্নেহা আর কিছু না বলে চলে যাচ্ছে,
রাহুল : স্নেহা, দাঁড়াও।
স্নেহা ফিরে তাকায়।
রাহুল : Thank u 
স্নেহা : ( Blushes )?
রাহুল কিছু না বলে চলে গেলো,
স্নেহা ক্লাসে এসে বসে,
জারিফা : কি হলো স্নেহা দেখা করেছিস? কি বলেছে রাহুল?
স্নেহা : হে দেখাতো করেছি, কিন্তু মনে হচ্ছিলো খুব টেনশনে আছে, তেমন কিছু বলেনি।
জারিফা : ওহ তোর ও বুঝি খুব টেনশন হচ্ছে ?
স্নেহা : (blushes )
জারিফা : ওওও… সব বুঝি। কুচ কুচ হতাহে….?
আচ্ছা চল ক্লাস করতে ভালো লাগছে না ঘুরে আসি,
শায়লা,মার্জান, জারিফা, সবাই মিলে কলেজ ঘুরে দেখছে,
গার্ডেনটা ঘুরে দেখতে দেখতে কিছু দূর গিয়ে দেখলাম কিছু ছেলে স্মোক করছে,
নির্জন জায়গা অবশ্য এসব হওয়ারি কথা,
শায়লা : চল এইখান থেকে ছেলে গুলো কেমন যেন ঠিক লাগছে না,
তাই আর বেশী দূর যায়নি, সবাই চলে আসি,
মার্জান : অনেক টায়ার্ড লাগছে চল বাসায় যাই।
জারিফা : হে রে আমিও অনেক টায়ার্ড আজ আর নয় বাসায় চল।
সব শেষে সবাই বাড়ি যাচ্ছিলো, আজ মিস্টার হ্যান্ডসামকে তো ঢুকতে ও দেখলাম না বেরুতে ও দেখলাম না ?
স্নেহা ভেবে ভেবে আনমনা হয়ে বের হচ্ছে হঠাৎ বের হওয়ার সময় একটা ছেলের সাথে ধাক্ষা খেলো, স্নেহা ছেলেটিকে সাইড দিলে ও ছেলেটি ইচ্ছা করে ধাক্ষা খায়। স্নেহা বিরিক্ত বোধ করে ছেলেটির দিকে তাকালো…?
ছেলেটি দেখতে খারাপ না,সানগ্লাস পরা কানের মধ্যে মোবাইলটা লাগিয়ে রেখেছে, নিশ্চয় কারো সাথে কথা বলছিল,
ছেলেটি স্নেহাকে দেখে ওয়াও ? বলে উঠে,
মার্জান : এই যে আপনি ওর সাথে ধাক্ষা খেয়েছেন সরি না বলে উলটা এসব কি বলছেন। ?

Love_at_1st_sight??? Part : 3

0

Love_at_1st_sight???
Part : 3

writer-Jubaida Sobti
শায়লা : থাক তুই বাদ দে। তোর বোঝার বয়স হয়নি।?
এরপর continue প্রেক্টিস শুরু হলো।লাঞ্চ টাইম ব্রেক এখন তারপর আবার continue শুরু হবে।
শায়লা : চল লাঞ্চ করে আসি।
স্নেহা : খিদে নেই আমার তুই খেয়ে আয়
শায়লা : তুই আর মানুষ হবি না।আচ্ছা আমি যায় আমার আবার একটা ফোন করতে হবে বাসায়।
সবাই চলে গেলো স্নেহা একা বসে বসে কি করবে সে নিজে নিজে প্রেক্টিস করছে।
হঠাৎ রাহুল রুম ক্রস করে যাওয়ার সময় দেখে স্নেহা নিজে নিজে ডান্স করছে।
রাহুল অনেক্ষন দাঁড়িয়ে তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার ডান্স দেখছিলো…?
রাহুল : খুব ভালো ডান্স পারো দেখি। হেল্পার না হয়ে ডান্সে পার্টিসিপেট করলেই পারতে।
স্নেহা রাহুলকে দেখে হঠাৎ চমকে গেলো।রাহুল স্নেহার কাছে এসে তার মাথার ঝুটি টা খুলে দিলো, স্নেহার চুল গুলো বিলিয়ে পড়লো ?
রাহুল : Now looking beautiful ?
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকালো। হঠাৎ পিছন থেকে ডাক দিলো রাহুল বলে।
রাহুল : yes?
নেহা : লাঞ্চ টাইম রাহুল! so hurry up…
রাহুল : yeah sure.
রাহুল যেতে যেতে নেহা কে বলছে,
রাহুল : নেহা r u jealous?
নেহা : What rubbish… আমি jealous করবো ঐ চাম্বুশ আন্টিকে??
রাহুল নেহাকে আর কোনো জবাব না দিয়ে একটা তেডি স্মাইল দিয়ে চলে যায়।
নেহা : তোর এই তেডি স্মাইল্টানা মেয়েদের আরো পাগল করে দেয় ?
আজ বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেলো দুপুরে ও কিছু খায়নি স্নেহা।
জারিফা : দেখেছিস স্নেহা ভাগ্য শুধু তোকে ওর কাছে টেনে নিচ্ছে নিশ্চয় তোদের মধ্যে কোনো কানেকশন আছে?
স্নেহা : কি বলিস এসব, ওর সাথে আমার মোটে ও যায় না। ওর পছন্দ আমার মতো মেয়ে হতেই পারে না,
শায়লা : হবে না কেনো তুই কি সুন্দরে কম নাকি,
স্নেহা : আরে দেখিসনি নেহা মেম অনিতো কতো সুন্দর জিন্স পরে টপ্স পরে স্টাইলিশ ও তবুও স্যার ওনাকে রিজেক্ট করেছে আর আমিতো কথায় আসে না।
মার্জান : রাখবি তোর স্যার মেম, ডাকা নাম ধরে বল।?
মার্জান এর কথা শুনে শায়লা জারিফা স্নেহা তিনজনি হেসে উঠে।??
স্নেহা : আচ্ছা বাদ দে এসব কথা প্লিজ। আমার অনেক খিদে পেয়েছে চল ফুচকা খায়।?
জারিফা : ওয়াও superb idea,
সবাই মিলে ফুচকা খায় ঠিক ঐসময় নেহা এসে দাঁড়ায় পিছন দিয়ে।
নেহা : এইযে, মিস. চাম্বুস….
সবাই ফিরে তাকালো কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেনা নেহা কাকে ডাকছে।নেহার সাথে তার আরো ফ্রেন্ডরা ও আছে। সবগুলো নেহার মতো শয়তান।
নেহা : চশমা তোমাকেই বলছি, এদিকে এসো।?
স্নেহা : জি!?
নেহা : বাদরের গলায় মুক্তার মালা পরাতে যেওনা বুঝলে। আর হে কাল থেকে তোমার ডান্স প্রেক্টিসে আসার দরকার নেই। it’s my order…
এই বলে নেহা চলে যায়।
মার্জান কিছু বলতে চায় কিন্তু শায়লা তার হাত ধরে ফেলে।
ঐসময় রাস্তাদিয়ে রাহুলের গাড়ি যাচ্ছিলো রাহুল ফুসকার গাড়ির দিকে তার গাড়িটা একটু থামালো। স্নেহারদিকে একপলক চেয়ে আবার গাড়ি টান দেই।
মার্জান : তুই পাগল নাকি এদের এভাবে না বলে বলে ছেড়ে দিয়েছি তাই আমাদের যা ইচ্ছে তাই বলে।
শায়লা : পাগল আমি না পাগল তুই হয়েছিস এরা আমাদের সিনিয়র এদের একটা গ্যাংগ আছে তারা অনেক কিছু করতে পারে। তাই বলছি সব কথার উত্তর দিতে যাস না।
মার্জান : ধ্যাত ?? খা তোরা যায় আমি।
স্নেহা : আরে মার্জান দাড়া কই যাচ্ছিস।
মার্জান : আমি বাসায় যাই। খাবো না তোরা খা।?
মার্জান না খাওয়াতে আর কেউ খেলো না সবাই যার যার বাসায় চলে গেলো।
বাসায় আসে স্নেহা আজ অনেক টায়ার্ড।
মা : আজ এতো লেইট হলো যে,?
কতো চিন্তা করছিলাম তোর জন্য।
স্নেহা : মা বললাম না কলেজে একটা প্রোগ্রাম আছে ঐটার প্রেক্টিস ছিলো।আর মাঝে মাঝে এমন লেইট হবে তুমি চিন্তা করিও না।
ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে একটু শুই, হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠে।
সেই unknown ?
রাশুকে গিয়ে মোবাইটা দিয়ে আসলাম
রাশু গেমস খেলছে কল আসলে বার বার আমার কাছে নিয়ে আসছে।
আজ একদম রিসিভ করে ফেলে রাখলাম অনেক্ষন।?
কিছুক্ষন পর নিজ থেকে কেটে
আবার কল দিলো। কেটে দিলাম,
আবার কিছুক্ষন পর আবার কল দিলো রিসিভ করলাম,
হ্যালো কে, বলার পরপর সে নিজ থেকে কেটে দিলো।
আজিব তো এতোক্ষন নিজ থেকে কল করছে আমি কেটে দিচ্ছিলাম যখন রিসিভ করে হ্যালো বলি সেই নিজে কেটে দিলো।
শুধু কন্ঠ শুনতে ফোন দেই বুঝি আমাকে।
দাড়া শোনাচ্ছি তোকে কন্ঠ।?
এই বলে স্নেহা তার ভাই রাশুকে গিয়ে ফোনটা দিলো।
বললো এই নাম্বার টায় ফোন দে যদি রিসিভ করে তাহলে তুই একটু মোটা সুরে বলবি এইখানে আর ফোন দিবেন না এটা আমার নাম্বার।
রাশু ফোন দিলো রিসিভ করেছে কিন্তু কোনো কথা বলছে না।
আর রাশুতো তো অনেক দুষ্টু
রাশু : কি হলো ছেলের কন্ঠ শুনে আওয়াজ চলে গিয়েছে নাকি।?
নাকি বোবা আপনি কথা বলতে জানেন না। ?
আচ্ছা আমি আপনাকে একটা গান শোনায়।
আই এম এ ডিস্কো ডান্সার টেট টেট টেনেট তুই হলি মোবাইলের ক্যান্সার।?
রাশুর গান শুনে স্নেহা হাসতে হাসতে মাটিতে বসে গেলো…??
রাশু : (মোবাইলের ওপাশেরজন ও হেসে দিলো) এই যে ক্যান্সার হাসি যখন বের হলো এবার বলেন এইখানে ফোন দেন কেনো…আপনি জানেন আপনার ফোনের ডিস্টার্ব এ আমি কয়বার গেইম আউট হয়ছি।?
ফোনটা কেটে দিলো…. আর ডিস্টার্ব করেনি।
রাশু থেকে জিজ্ঞেস করলাম হাসির কন্ঠটা ছেলের ছিলো নাকি মেয়ের?
রাশু বললো ছেলের…
থাক আর এটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই।
পরদিন কলেজ গেলাম।
ক্লাসেই বসে আছি। জারিফা,মার্জান, শায়লা সবাই প্রেক্টিসে গেছে।
ভাবলাম এভাবে বসে থাকার চেয়ে লাইব্রেরীটা ঘুরে আসি।
গেলাম সেখানে ও তেমন মানুষ নেই। কিছু কাপল আর কিছু সিংগেল বই পড়ছে।
ভালোই লাগছে পরিবেশটা নিরিবিলি।?
কিছু বই দেখতে দেখতে একটা কোনায় গিয়ে দাঁড়াই।
হঠাৎ মেইন ডোরের দিকে তাকাতেই দেখি রাহুলের এন্ট্রি। অনেক মুড নিয়ে ডুকছে।
কিন্তু এসময় তো ওনার প্রেক্টিসে থাকার কথা নিশ্চয় কাউকে খুজতে এসেছে।
আমিও উনাকে না দেখার মতো করে সেল্ফের পিছনে দাঁড়াই কারন সামনে পড়লে না জানি কি না কি ঝামেলা হয়।?
এদিক ওদিক কাকে যেন খুজছে রাহুল।
হঠাৎ স্নেহার পাশের সেল্ফে এসে দাড়াতেই রাহুল স্নেহাকে দেখে।
স্নেহা রাহুলকে দেখে পিছন ফিরে যায়। রাহুল সামনে এগোতেই স্নেহা জোড়ে হাটা শুরু করে।
রাহুল : স্নেহা দাড়াও,
স্নেহা কিছু না বলে লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে পরলো, রাহুল ও স্নেহার পিছু পিছু বেরিয়ে পরলো।
রাহুল গিয়ে স্নেহার হাত ধরে টান দিয়ে তার দিকে ফিরালো,
স্নেহা : কি করছেনটা কি, হাত ছাড়ুন আমার, সবাই দেখছে তো,
রাহুল : দেখুক!
স্নেহা : দেখুক মানে!
রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে একটা ক্লাসে নিয়ে গেলো,
ক্লাসে কিছু ছেলে ছিলো….রাহুল তার মাথার ইশারা করাতে ছেলেগুলো ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ে।
স্নেহা অনেক গাভ্রিয়ে গেলো… স্নেহা ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে চায়লে রাহুল স্নেহাকে টেনে দেওয়ালে হাত দিয়ে দাঁড়ালো,
স্নেহার শরীর কাঁপতে লাগলো রাহুলের কান্ড দেখে।
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে? স্নেহা নিচের দিকে তাকিয়ে,?
রাহুল স্নেহার চুল গুলো সরিয়ে দেই চোখের উপর থেকে,
স্নেহার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ভয়ে,…
(চলবে)

Love_at_1st_sight  Part : 2  

0

Love_at_1st_sight???
Part : 2

writer-Jubaida Sobti
সকালে ঘুম ভাংগলো আবার মোবাইলের রিংটোনে…
উঠে মোবাইলটা ধরলাম।
সেই Unknown নাম্বার থেকে আবার ফোন দিলো।
স্নেহা : হ্যালো! কে?
Unknown : no respons 


স্নেহা : কি বেপার শুধু আমার কন্ঠ শুনতে ফোন দেন নাকি??
Unknown ফোন কেটে দিলো।
কি জানি আজাইরা খালি কল দেই?কিন্তু কথা বলেনা।
যাক ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে কলেজ যাচ্ছি ।
সামনে যেতেই শায়লাকে পেলাম দুজন একসাথে ঢুকলাম কলেজে। শায়লা আর আমার বাসা একই রাস্তাতেই পরে।
কলেজে ঢুকে দেখি কিছু জুনিয়রদের দার করিয়ে কি যেন বলছে সিনিয়ররা। আমরা দুজন পাশ কেটে চলে যাচ্ছিলাম হঠাৎ ঐ খান থেকে একটা আওয়াজ এলো এই যে মিস. ইন্নোসেন্ট দাড়ান।
দাঁড়িয়ে পড়লাম পিছন ফিরে দেখি ঐ ছেলেটাইতো।
স্নেহা : জি স্যার বলেন??
রাহুল : নোটিশ বোর্ড দেখেছো??
স্নেহা : জি স্যার। ?
রাহুল : কিসে পার্টিসিপেট করছো??
স্নেহা : জি স্যার হেল্পার (helper)?
রাহুল : ওহ গুড! এই নাও এগুলো আমার Assignment করে দিবা।?
স্নেহা : ?জি স্যার।
রাহুল : শুধু জি স্যার জি স্যার করো কেনো আর কিছু বলতে পারো নাকি না? ?
স্নেহা : জি স্যার ?
রাহুল : আচ্ছা যাও
স্নেহা চলে যাচ্ছিলো। হঠাৎ পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো রাহুল তার দিকে এখনো তাকিয়ে আছে। রাহুল তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে অন্যদিকে চলে গেলো।
স্নেহা ? Blushes 
কলেজ শেষ করে বাসায় আসলাম।
সন্ধায় বাবা একটি নতুন মোবাইল কিনে এনেছে।
রাশু : (স্নেহার ভাই) বাবা তুমি আমার জন্য একটা আনলানা ??
বাবা : আনবো তোর জন্যেও আনবো আগে তুই তোর আপুর মতো 12th এ উঠ তারপর।
রাশু : কিন্তু বাবা আমার সব ফ্রেন্ডরা এইরকম ফোন ব্যবহার করে ?
বাবা : ওদের রেজাল্ট ও ঐরকম আসেরে বাবা ?
স্নেহা : আচ্ছা যা আমারটা তুইও ব্যবহার করবি কিন্তু এক শর্তে রেজাল্ট যদি খারাপ আসে তাহলে মোবাইল ছোয়া বন্ধ।
রাশু : ওকে ওকে ?
স্নেহা : চল এইবার পড়তে আয়।
রাতে মা ডিনারের জন্য ডাক দিলো আমার আগে রাশু দৌড় দিলো খাবে তা না পড়ার ফাঁকিবাজ ?
মা আবার ডাক দেওয়াতে আমিও যাচ্ছিলাম হঠাৎ মেইন দরজার বাইরে কারো ছায়া দেখতে পেলাম তাই ঐদিকে গিয়ে কে কে বললাম কিন্তু কারো সাড়া নেই।?
আমার আওয়াজে বাবা এসে দেখলো কেউ নেই। বাবা বললো হয়তো আমার লেগেছিলো কেউ আছে।
পরদিন সকালে আবার সেই Unknown এর ফোনে ঘুমটা ভেঙে গেলো।
ঠিক আগের মতোই কিছু বলেনা। বোধয় আমার আওয়াজ শুনতেই ফোন দেই ?
উঠে নাস্তা করে রেডি হয়ে কলেজ গেলাম। কলেজে ঢুকার সময় প্রত্যেক দিনের মতো ঐ যে মিঃ হ্যান্ডসাম এর এন্ট্রি আজ সামনাসামনি পড়লাম কিন্তু কিছুই বললো না। একটা কিলার স্মাইল দিয়ে চলে গেলো
সবাই বোর্ড চেক করছে যে যেটাই পার্টিসিপেট করছে ঐ বেপারে জেনে নিচ্ছে। আমিও গিয়ে দেখলাম…
দেখে মাথা ঘুরিয়ে উঠলো।?
আমার পর শায়লা ও আসলো তারটা চেক করতে আমরা দুজন একই সাতে পরেছি।?
শায়লা : সর্বনাশ এই বজ্জাতটার হেল্পার বানাইছে আমাদের। এইটার নেকামি এটিটিউড গুলো দেখলেই মাথা ধরে।? মিস: নেহা।
স্নেহা : হেল্পার হওয়াটাই দোষ ছিলো বুজি আমাদের ?
শায়লা : দাড়া একমিনিট এইখানে লিখা আছে নেহা with রাহুল তার মানে তারা কাপেল ডান্স করবে।আমরা তাদের হেল্পার ?
স্নেহা : কিন্তু আমাদের ক্লাসের বাকিরা হেল্পার হয়েছে ইভেন ডিজাইনের আমরা দুজন কেনো ডান্সের হতে গেলাম ?
শায়লা : সেটাইতো আচ্ছা চল প্রেক্টিসে নাহলে আবার লেইট হলে মিস: নেহা থেকে মিস: ডাইনেসোর? হয়ে যাবে?
প্রেক্টিস রুমে ঢুকলাম।
নেহা : ও তো তোমরা দুজন হলে আমার হেল্পার।
টিচার : নেহা come on.. dance 1st..
নেহা : মেম, একটু রেস্ট দরকার I m so tried ?
টিচার : ওকে only 15 mins.
নেহা গিয়ে রাহুলের গলায় হাত দিয়ে,
নেহা : রাহুল?
রাহুল : হুম!
নেহা : চলনা কালকে date যায়।
রাহুল : ? Date with u funny joke.. চেহেরা দেখেছিস তোর?
নেহা : come on রাহুল এই ফেইসের জন্যই হাজার ছেলে পাগল ?বুঝেছিস।
রাহুল : সস্তা জিনিসের ক্রেতা বেশী বুঝেছিস ?
নেহা : দেখিস তুই আমার চেয়ে সুন্দর মেয়ে আর পাবি না তোর জন্য।
রাহুল : আমারটা তো আল্লাহ স্পেশালি আমার জন্য বানিয়েছে রেখেছে সেটা ঠিক পেয়েই যাবো,,
শায়লা আর স্নেহা দুজন ওদের কথাগুলো শুনছিলো চুপি চুপি, ?
শায়লা : ভালোই হলো অন্তত কেউ একজন এই খাডুসটাকে রিজেক্ট করলো এইবার যদি দেমাগটা একটু কমে আরকি।
স্নেহা : কিন্তু মেয়েটাতো সত্যিই সুন্দর স্যার রিজেক্ট করলো কেনো । ?
শায়লা : আরে এই সুন্দর এর ভেলু নেই ক্যারেকটারলেস।
স্নেহা : মানে।?

Love_at_1st_sight Part: 1

0

Love_at_1st_sight
Part: 1
writer-Jubaida Sobti

আসিফ, শাউন,বিজয়,নেহা,ফাবিহা,এবং রাহুল ভার্সিটির সিনিয়র। জুনিয়রদের রেগিং করতে তারা ওস্তাদ।
কলেজের প্রথম দিন স্নেহার, 1st day at college,
সামনে যেতেই দেখলাম কিছু জুনিয়রদের দার করিয়ে রেগিং করছে।
স্নেহা : (মনে মনে) বাপরে এইযে আবার নতুন মসিবত ? সিনিয়রদের রেগিং।
আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে পাশদিয়ে কেটে পড়লাম কিছুই বললো না। কিন্তু তাদের মাঝ থেকে একটা ছেলে স্নেহাকে ফলো করেছে।তা স্নেহা বুঝতে পারলো তবে ছেলেটি কিছু করলোই না। যাক বাবা নিজে বাচলে বাপের নাম হাহা।
ক্লাসে ডুকলাম নতুন নতুন কিছু বান্ধবী হলো, শায়লা,মার্জান, জারিফা।
মিস বলেছে যাওয়ার সময় নোটিস ভোর্ড দেখে যেতে কলেজের একটা প্রোগ্রাম হবে যে যেটাই অংশগ্রহন করবে ঐটা বেছেনিতে।
ক্লাস শেষে সবাই একইসাথে বের হলাম।
সামনে ঐ যে বদমাইশ পোলা গুলি। কি যে করি।
বিজয় : এই যে গার্লস গ্রুপ দাঁড়ান আপনারা।
আমরা সবাই দাঁড়িয়ে পড়লাম।
বিজয় : সিনিয়রদের দেখে ও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছো আমরা কি কিছু বুঝিনা। তোমাদের মতো অনেক গ্রুপ দেখেছি বুঝেছো মামুনিরা।
তাদের মধ্যে ঐ ছেলেটি ও আছে। যে কিনা বার বার তাকাচ্ছিল। শুধু চেয়েই যাচ্ছে বাকিদের মতো কিছুই বলছে না।
ও হে সিনিয়ররা আমাদের অর্ডার করেছে কাল তাড়াতাড়ি আসতে হবে।কাল আমাদের রেগিং হবে যাকে যেটা বলে ঐটাই করতে হবে।
এটাই নাকি এই কলেজের নিয়ম।
চলে আসলাম বাসায়।যা হবে কাল দেখা যাবে। মা জিজ্ঞেস করছিল প্রথমদিন কেমন কাটলো।ভালো ভালোই বললাম। অনেক ক্লান্ত হয়ে পরেছি এসে একটা ঘুমদিলাম। উঠে দেখি বাবা আর মা বসে গল্প করছে।
স্নেহা : মা খেতে দাওতো খিদে পেয়েছে।
মা: তুই ঘুমাই পরছিস তাই আর ডাকিনি।
বাবা ও জিজ্ঞেস করলো প্রথমদিন কেমন গেলো। বাবাকে ও মায়ের মতো বুঝিয়ে দিলাম নয়তো আবার কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিবে।
এতোসুন্দর একটা সপ্ন দেখছিলাম হঠাৎ মায়ের ডাক।
মা : স্নেহা কি হলো কলেজ যাবিনা আজ এতো দেরি করছিস যে।
একলাফে উঠে কিসের উপর তাড়াতাড়ি রেডি হলাম এমনিতে আজ তাড়াতাড়ি যাওয়ার কথা।
গিয়ে পৌছালাম।
শায়লা, মার্জান, জারিফা সবাই দাঁড়িয়ে আছে,,,,এবং আরো অনেকেই আছে ক্লাসের।আমি গিয়ে তাড়াতাড়ি শায়লার পিছনে দাঁড়ালাম।শায়লা : কি হলো স্নেহা তুই এতো লেইট করলি যে।
স্নেহা : ব্যাস হয়ে গেলো ?
শায়লা : কি যে করিস জানিস না আজ তাড়াতাড়ি আসার কথা ছিলো।
স্নেহা : আচ্ছা রেগিং এ কি কি করতে হয়?
শায়লা : ওরা যা বলবে তা করতে হবে। যেমন ধর কলেজের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম স্যারকে প্রপোজ করতে বলবে। না হয় ডান্স করতে বলবে আর না হয়, ওদের পার্সোনাল কাজ আমাদের দিয়ে করিয়ে নিবে এই টাইপ্সের কিছু।।
শায়লাকে ডাকদিলো হঠাৎ, তার নাম জিজ্ঞেস করলো।
সবাইকে তাদের স্যার ডাকতে বললো। সবার সামনে বড় করে স্যালুট করতে বললো শায়লাকে শায়লা বাধ্য হয়ে করলো, ?
তারপর আমাকে ডাকদিলো।
আসিফ : এইদিকে দাঁড়ান সামনে এসে।
ভয়ে বুক কাপছিল।
হঠাৎ আসিফকে সরিয়ে ঐ ছেলেটি সামনে এসে দাঁড়ালো।
আসিফ : ওহ রাহুল! তুই নিবি নাকি ওর রেগিং।
রাহুল : হুম ও আমার Assignment করবে আজ থেকে।
আসিফ : কিন্তু এটাতো সিম্পল?
রাহুল : আরে বেটা লিখতে লিখতে আমার হাত ব্যথা হয়ে গেছে চাশমিশ টাইপ্সের আছে করে দিবে।?
স্নেহা : (মনে মনে) কি বদমাইশ নিজের Assignment নিজে না করে আমার দিয়ে করাবে তার বাপের চাকর নাকি আমি।?
রাহুল : এই যে চাশমিশ নাম কি আপনার।।?
স্নেহা : জি! স্নেহা।?
বিজয় : স্যার ডাকবা আমদের সবসময় বুঝলা।
স্নেহা : জি! স্যার ?..
ক্লাসের দিকে রওনাদিলাম।
শায়লা : বাহ বাহ বাহ! যা করার আমাদের করতে হলো আর তোর জন্য রাহুল ছেলেটা কতো সিম্পল কাজ দিলো।
স্নেহা : এটাকে তুই সিম্পল কাজ বলছিস।?
মার্জান : না হয়তো কি। এটা অনেক সিম্পল। যা বেইজ্জত আমাদের হতে হইসে। by the way ঐ ছেলেটা প্রথমদিন থেকেই স্নেহার দিকে বার বার তাকাচ্ছিলো কিন্তু। কি জানি কি মতলব। হি-হি?
স্নেহা : দূর চুপ করবি। এমনিতে টেনশনে আছি।?
ক্লাস করে সবাই বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। সবাই গল্প করেই নামছি।পানির অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই বেগ থেকে বোতল বের করে পানি খাচ্ছিলাম হেটে হেটে হঠাৎ শিরির থেকে নেমে মোর ফিরতেই ধাক্ষা একটা খেলাম আর হাত থেকে পানির বোতলটা পরে সব পানি পরে গেলো। যার সাথে ধাক্ষা খেলাম তার শার্টটা ও ভিজে গেলো।
এ কি কান্ড ?
স্নেহা : সরি স্যার, আসলে খুব পানির পিপাসা পেয়েছিল। তাই খেয়াল করিনি।তাড়াতাড়ি বেগ থেকে বের করে একটা টিসু দিলাম।
টিসুটা না নিয়ে একটা টেডি স্মাইল দিয়ে চলে গেলো।
জারিফা : ওয়াও he is so cool.. ?
স্নেহা : চলতো এইখান থেকে যতক্ষন এইখানে থাকবো বিপদ সংকেত দেখা দিতে থাকবে।
মার্জান : এটা বিপদ সংকেত না। অন্যকিছুর সংকেত।?
জারিফা : ঐ রেগিংকারকদের মধ্যে সবচেয়ে হ্যান্ডসাম হট এন্ড সুইট কিন্তু এইটাই ?
স্নেহা : কোনটা? ?
জারিফা : যেটার সাথে ধাক্ষা খেলি রাহুল!?
স্নেহা : হয়েছে অনেক এবার যাবি?
চলে আসলাম বাসায়। ফ্রেশ হয়ে খেয়ে টিভি দেখতে বসলাম, হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উটলো Unknown number.
স্নেহা : হ্যালো!
Unknown : no response ?
স্নেহা : কি হলো কথা না বললে ফোন দিয়েছেন কেনো??
ফোন কেটে দিলো। টুট টুট…
(চলবে)

জীবনের রঙ

2

জীবনের রঙ

লেখা –সুলতানা ইতি

মনিষাদের বাড়িতে সবাই খুশি,আত্মীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশির হাসি ঠাট্টা ঘরটা পুরো মাতোয়ারা,
কাদছে মনিষা, এটি দুঃখের কান্না নাকি সুখের আদৌ কেউ আঁছ করতে পারছে না,

আজ মনিষার হলুদ ছোঁয়া, এমন না যে বর তার পছন্দ হয়নি,তবুও কাঁদছে মাকে ঝড়িয়ে ধরে

সবাই বলা বলি করছে মনিষা খুব লক্ষি নইলে ওমন ছেলের সাথে তার বিয়ে হয় কি করে,নম্র ভদ্র আদপ কায়দা, তা ছাড়া টাকা পয়সার ও অভাব নেই বলা যায় দেশের টপ বিজনেসম্যান দের মধ্য একজন,

মনিষার খুব পছন্দ হয়েছে মুহিব কে,
মুহিব ও মনিষাকে একবার দেখেই পছন্দ করেছে,তবু ও মনিষার কেনো কান্না আসছে তার জানা নেই,হয়তো মা বাবা কে ছেড়ে থাকতে হবে সেই ভয়,

যথা সময়ে বিয়ে সম্পূর্ণ হলো,
মনিষা বাবার রাজ্য ছেড়ে স্বামির রাজ্যে প্রবেশ করে,
ফুলসজ্জার খাটে বসে আছে মনিষা,কিছুক্ষন পর সেই ঘরে আগমন ঘটলো মুহিবের

মুহিব খাটের পাশে বসে মনিষা কে বল্লো,
– মনি আজ থেকে এ বাড়ি তোমার, আমার মা বাবা ভাই বোন সবাই তোমার,আমি চাই তুমি সবার মনজুগিয়ে চলবে,

মনিষা নিচু স্বরে বল্লো
– স্বামি যদি ভালোবেসে পাশে থাকে তা হলে একটা নারির এই সব কিছুর সাথে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয় না,

খাটে পা জুলিয়ে বসে ছিলো মুহিব
মনিষা উঠে মুহিব কে পা ছুঁয়ে সালাম করে

মুহিব কিছুই বল্লো না,আসলে তখন মনিষার কথা শুনে মহিব মুগ্ধ, তাই মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিলো না
মনিষা মুহিবের পাশে গিয়ে বসে

মনিষা মুহিব কে বল্লো
– আপনি কি চিন্তিত কোন বিষয় নিয়ে
মুহিব- না তো,

চলো ফ্রেশ হয়ে নিবে
মুহিব আগেই ফ্রেশ হয়ে কোথায় যেন গেছে

মনিষা ফ্রেশ হয়ে এসে বসে আছে
মুহিবের আগমন রুমে, হাতে এক কাপ কফি

মনিষা একটু অভাকই হলো,কফি যখন এনেছে তখন দু কাপ আনলে কি বা ক্ষতি হতো,

মুহিব মনে হয় মনিষার মনে কথা টা বুঝতে পারে, বল্লো
– আজ আমাদের নতুন জীবনে প্রথম রাত আজ থেকে আমাদের দুজনের হাতে হাত রেখে পথ চলা শুরু
তাই এ রাত টা আমি অন্যদের মতো করে নষ্ট করতে চাই না,চলো বেলকনিতে গিয়ে দুজনে কফি খেতে খেতে গল্প করি

মনিষা উঠে যাচ্ছিলো
মুহিব বল্লো
– কোথায় যাচ্ছো

– কেনো আপনি তো বললেন কফি খেতে খেতে গল্প করবেন তাই কফি আনতে যাচ্ছি

মুহিব মৃদু হাসলো,
-আমি কফি নিয়ে এসেছি দুজনে এক কাপে করে খেতে চাই তোমার কি কোন আপত্তি আছে?

মুহিবের কথা শুনে মনিষা মৃদু হাসলো তার পর বল্লো
– নাহ আমার কোন আপত্তি নেই

মুহিব- চলো তা হলে বেলকনিতে, যদি ও এখন তোমার আমার মুখের এঁটো খেতে অস্বস্তি লাগবে তবু ও খেতে হবে,আজ থেকে আমাদের দুজনের মানিয়ে নিয়ে পথ চলা শুরু

সেদিন মনিষা আর মুহিব সারা রাত বেলকনিতে বসে দুজনের ভালো লাগা খারাপ লাগা জেনে নেয়
স্বপ্নের মতো করে রাত টা পার হয়ে গেলো,

বিয়ের চারদিন পর বিজনেস এর জামেলার কারনে মুহিব চট্রগ্রাম যাবে
তাড়াহুড়া করে ফাইল গুলো গুছিয়ে নিচ্ছে

মনিষা ওয়ারড্রব থেজে শার্ট পেন্ট, টাই ওয়ালেট এনে বিছানায় রাখলো মুহিবের যেন যাওয়ার সময় দেরি না হয়

অবশ্যই এটা মুহিব বলে দিয়েছে এখন থেকে অফিসে যাওয়ার সময় সব কিছু মনিষার পছন্দ মতো পরে যাবে
যেমন- আজ কি শার্ট পরলে ভালো হবে,তার সাথে কেমন টাই লাগবে ইটস ইটস,

মুহিব যাওয়ার সময় মনিষা কে বল্লো
– নিজের খেয়াল রেখো, আমার মা বাবার দিকে ও খেয়াল রেখো

মনিষা- আপনি ও নিজের খেয়াল রাখবেন
বিয়ের চারদিন ফেরিয়ে গেলো এখন ও মনিষা মুহিব কে আপনি বলে

মুহিব অভাক হলো না বল্লো
– আমি তোমাকে জোর করবো না আমাকে তুমি বলে ডাকার জন্য, তুমি সময় নিতে পারো এক মাস দু মাস কিংবা এক বছর

যখন কেউ কাউকে মন থেকে ভালোবাসতে শুরু করে তখন আপনা আপনিতেই মুখ দিয়ে তুমি শব্দ টা বেরিয়ে যায়, অনুমতির প্রয়োজন হয় না,

মুহিব চলে যায় চট্টগ্রামে পরদিন ফেরার কথা কিন্তু সেদিন কল আসে যাওয়ার পথে বাসের সাথে মুহিবের কারটি খুব খারাপ ভাবে এক্সিডেন্ট করে

কথা টা শুনেই মনিষা জ্ঞান হারায়
যখন জ্ঞান ফিরে তখন জানতে পারলো হাসপাতালে নেয়ার পথেই মুহিব মারা যায়,

মনিষার শ্বাশুড়ি সে যে হুস হারিয়েছে এখন ও হুস ফেরার কোন লক্ষন নেই
মনিষার শ্বশুড় মৃত ছেলের পাশে শুন্যদৃষ্টিতে বসে আছে

পাড়াপড়শিরা বলা বলি করছে
_আহ হারে মেয়েটা কি অলক্ষি বিয়ে হয়ে স্বামির বাড়িতে আসতে না আসতে,অমঙ্গল শুরু হলো,
আরেক জন, বলছে অমঙ্গল কি গো,পুরো রাক্ষুসি মেয়ে স্বামিকেই খেয়ে ফেল্লো

খবর পেয়ে মনিষার বাবা মা আসলো
তাদের একমাত্র মেয়ের কপাল টা যে এমন হবে ভাবতেও পারেনি,কতো আদর দিয়ে মেয়ে কে বড় করেছে,
মনিষার মা কি বলে মেয়ে কে শান্তনা দিবে সে ভাষা নেই তার কাছে,তিনি ভেবে পান না এখন মেয়ের হাতের মেহেদী ও শুকাই নি,,

প্রতিবেশী দের সব কথা ই মনিষা শুনছে,শুধু মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না, যেন সব অনুভূতি ভোতা হয়ে গেছে ,, সন্ধার আগে আগে মুহিবের দাপন করা শেষ,

এতোক্ষনে মনিষার শ্বাশুরি মুখ খুল্লো
-এই রাক্ষুসি স্বামি খেকো মেয়ে আমার বাড়িতে কি করছে, এখনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও, আমার ছেলেটাকেই খেয়ে পেল্লো

মনিষা শ্বাশুড়ির কথা শুনে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো,মনস্তির করে নিয়েছে সুইসাইড করবে,ফ্যানের সাথে নিজের শাড়িটা ঝুলিয়ে দিলো সব ঠিক করেছে,শুধু ঝুলে পড়ার বাকি

গলায় পাসি দিতে গিয়ে মনিষা থেমে যায় চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তার, না আমি মরবো না,
মুহিব চলে গেছে তাতে আমার কোন হাত নেই আমি কি করে স্বামিখেকো হতে পারি সবাই বললেই কি আমি মরে যাবো,

আমার জীবন টা তো তাদের দেয়া নয়,আমার জীবনের উপর অত্যাচার করার কোন অধিকার আমার নেই, মুহিবের জীবনের মালিক যিনি তিনি মুহিবের জীবনের সমাপ্ত ঘটিয়েছে,আমি কেনো নিজেই নিজের জীবন শেষ করে পাপী হতে যাবো,
আরেকবার মনিষা চোখের পানি মুছে নিলো,চোখ মুছতে গিয়ে হাতে নজর পড়লো হাতের মেহেদী এখনো উঠেনি,কিন্তু জীবনের রঙ উঠে গেছে তাই বলে কি আমি নিজেকে নিঃশ্বেষ করবো
বাছতে হবে আমাকে লড়াই করে বাছতে হবে,

সমাপ্ত

কিছু কিছু গল্পের সমাপ্তি হয় না,অসমাপ্ত থেকে যায়,মনিষার জীবন টা ও এমন,

উৎসর্গ- চকবাজার র্টাজেডির আফরুজা সুলতানা স্মৃতি,,

ফাল্গুনের_ফুল last_part_8

4
ফাল্গুনের_ফুল
last_part_8
#writer_Farzana

১০ মি: হলো বসে আছি। আমার দুষ্টু বউটাকে এখনো দেখতে পেলাম না। আগে বিয়ে করে নেই তারপর চোখের আড়ালই হতে দেবোনা ?। আমার heartbeat বেড়ে যাচ্ছে, কিভাবে যে propose করবো ?। গত ৭ দিন ধরে যখনই সময় পাচ্ছি তখনই আয়নার সামনে যেয়ে rehearsal দিচ্ছি। ইতিমধ্যে খাবার নিয়ে এলো। খাবার আনার কি দরকার ছিল, তারচেয়ে আমার সোনা বউটাকে নিয়ে আসলেই তো পারতো। খাওয়ার পর্ব শেষ। তারপর বাবা বললো-
তাহলে আমার বউমাকে একটু নিয়ে আসেন দেখি ?
অবশেষে আমার দুষ্টু বউটার দেখা পেলাম তাহলে। Omg, একি ?! এতো শাড়ি পড়েনি। normal ১টা থ্রি-পিছ পড়েছে, মাথায় ঘোমটা। লতা ধরে নিয়ে এসেছে। বসানোর আগেই লতার হাতটা কাধ থেকে সরিয়ে বসে পড়লো। বোঝাই যাচ্ছে খুব রাগ। আল্লাহই জানে আমার কপালে আজ কি আছে! আমার দুষ্টু বউটার কপালে রাগ আর বিরক্তির রেখাও ফুটে উঠেছে দেখছি ?। এর মধ্যে বাবা প্রশ্ন করা শুরু করলো। বাবাকে আগেই বলে রেখেছি বেশী প্রশ্ন যেন না করে, ছোট মানুষ ভয় পেতে পারে। তাই বাবা নামটা ছাড়া আর কিছুই জিঙ্গেস করেনি। আমার দুষ্টু বউটার সাথে আমার একটু কথা বলা দরকার। না হলে আয়নার সামনে এই ৭ দিনের দেয়া rehearsal বিফলে যাবে। তা তো হতে দেয়া যায় না। আর আমার দুষ্টু বউটার মতটা কি সেটাও তো জানতে হবে, তাইনা? রাজি না হলে রাজি করানোর চেষ্টা করতে হবে। তাই লজ্জার মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম- আপনারা কেউ যদি মনে কিছু না করেন তাহলে আমি ফাল্গুনীর সাথে একা একটু কথা বলতে চাই। এই কথা বলার সাথে সাথে আমার দুষ্টু বউটা মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে ভূবন ভুলানো মিষ্টি একটা হাসি দিলো। মনে হলো যেন আমার জন্যেই wait করছিল। আর এই কথা বলায় আমার হবু শ্বাশুড়ি অগ্নিমূর্তির রুপ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দেখেই কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে। কেউ হ্যা বলার আগেই আমার দুষ্টু বউটা কিন্তু উঠে দাড়িয়েছে। আমি sure ওর মায়ের মুখটা দেখলে ও উঠে দাড়াতো না। যাই হোক ওর পিছে পিছে একটা রুমে গেলাম। তারপর নিরবতা শুরু হওয়ার আগেই আমি কথা শুরু করলাম।
আমি: তোমার জন্য কিছু gift এনেছি, দেখেছো?
দুষ্টু বউ: না তো, আমি তো জানিই না। কি gift 
আমি: chocolate’s, beauty box, dairy আর কিছু cartoon এর CD… জানিনা তোমার পছন্দ হবে কিনা?…..
দুষ্টু বউ: আমার তো শুনেই খুব পছন্দ ?
কথাটা শোনার সাথে সাথে হাটু গেড়ে বসে দুই হাত জোড় করে বললাম।-
আমি: Plz আমাকে ফিরিয়ে দিওনা। আমি তোমাকে খুব ভালো রাখবো, খুব ভালো বাসবো। সব সময় chocolate এনে দেবো, cartoon এর channel এনে দেবো যেন সব সময় cartoon দেখতে পারো। কিচ্ছু করতে হবে না তোমার, সব কাজ আমি করবো। প্রত্যেক সপ্তাহে market-এ নিয়ে যাব। যখন যা চাবে তাই কিনে দেবো। তোমার সব কথা শুনবো। কক্ষনো তোমাকে বকা দেবোনা, রাগ করবো না, কাঁদাবো না। তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসবো। আমায় বিয়ে করবো Plz… (বলে ওর দিকে তাকালাম, সম্মতি পাওয়ার আশায়)
দুষ্টু বউ: আমি কি রাগ করার মতো কোন মেয়ে নাকি, যে রাগ করবেন? আমি তো ভালোবাসার মতো একটা মেয়ে 
আমি: হ্যা..?(বাব্বাহ, আমার দুষ্টু বউটা দেখি কথাও জানে)
দুষ্টু বউ: আপনাকে বিয়ে করলে কি দেবেন আপনি আমাকে?
আমি: A bugs’ life animation movie- এর bangla version টা বিয়ের দিন gift করবো।
দুষ্টু বউ: তাহলে চলেন কালই বিয়ে করি ?
আমি: কাল কিভাবে করবো! বিয়ের shopping করতে হবে না? শাড়ী কিনতে হবে আরও কত্তো কিছু কিনতে হবে।
দুষ্টু বউ: শাড়ী? কিন্তু আমি তো শাড়ী পরবো না।
আমি: তাহলে কি পরবে?
দুষ্টু বউ: লেহেঙ্গা…
আমি: আচ্ছা, তাই কিনে দেব। India থেকে নিয়ে আসবো, ওখানে ভালো লেহেঙ্গা পাওয়া যায়।
দুষ্টু বউ: না দেখে আমার ওসব পছন্দ হবে না। আমি দেখে পছন্দ করে কিনতে চাই।
আমি: OK, তাই হবে। আর শোনো, বিয়ের পরে যেহেতু আমার সাথে ঢাকা থাকছো তাই ওখানকার কলেজেই ভর্তি করে দেবো, ওখানেই পড়বে।
দুষ্টু বউ: কি? বিয়ের পরে পড়বো মানে? না, বিয়ের পরে আমি পড়তে পারবো না।
আমি: ইন্জিনিয়ারের বউ… অন্তত HSC টা তো দেবে..
দুষ্টু বউ: না, তাহলে বিয়েই করবো না আমি ?
আমি: আচ্ছা, আচ্ছা.. পড়তে হবে না তোমার। দরকার হয় যা পড়েছো সেগুলিও ভুলে যাও। তাও না করোনা বিয়েতে Plz….
দুষ্টু বউ: বিয়ের পরে আবার পড়তে বলবেন না তো ?
আমি: নাহ, কক্ষনো না।
দুষ্টু বউ: এবার উঠুন.. সামনের সপ্তাহে বিয়ের date fixed করুন।
আমি: কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে সবকিছু manage করবো ?। (উঠে দাড়াতে দাড়াতে বললাম)
দুষ্টু বউ: এই না বললেন আমার সব কথা শুনবেন ?, এখন তো দেখছি….
আমি: আরে না না.. বিয়ে সামনের সপ্তাহেই হবে।
দুষ্টু বউ: বিয়ের দিনই যেন cartoon এর cd টা পাই। নাহলে কিন্তু কবুল বলবো না….?
আমি: OK… সময় যেহেতু কম তাই আমি কাল বাসায় যেয়েই টাকা পাঠিয়ে দেবো। তুমি তোমার পছন্দ মত ornaments আর বিয়ের shopping টা করে নিও। আর বিয়ের দিন পার্লারে যেতে হবে না, আগে থেকেই বলে আাসবে যেন এসে সাজিয়ে দিয়ে যায়। ১০ লাখ দিলে চলবে?
দুষ্টু বউ: হুম, কিন্তু আপনি থাকবেন না shopping এর সময়?
আমি: না, ওদিকেও তো সব manage করতে হবে তাইনা? সেজন্যে আসতে পারবো না। তুমি তোমার আপু আর আম্মুর সাথে shopping টা করে নিও। (আসলে আমার দুষ্টু বউটার আম্মুকে দেখলে আমার ভীষণ ভয় লাগে, তাই একেবারে বিয়ের দিনই আসবো)
দুষ্টু বউ: হুম….
আমি: এখন চলো যাই, বাইরে সবাই wait করছে আমাদের জন্যে..
দুষ্টু বউ: হুম, চলেন ?….
আমি: আর যাই করো, বিয়ের দিন বেশী সেজোনা যেন। নাহলে heart attack করে মরে যাবো ??। ( যেতে যেতে ওর দিকে না তাকিয়েই বললাম)
দুষ্টু বউ: ???
তারপর বিয়ের date fixed করে চলে আসলাম ???

l’m really impressed.. এতো বড় একটা মানুষ যে এভাবে request করতে পারে আমার জানা ছিল না ?। আজ TT করে টাকা পাঠিয়েছে shopping এর জন্যে। আপু এসেছে, কাল shopping এ যাব। পুরো বাড়ীতে বিয়ের আমেজ। কেমন যেন ঈদ ঈদ লাগছে ?। এখন শুধু অপেক্ষা বিয়ের। বিয়ে হলেই তো CD টা পাবো ?
?????: অবশেষে মধ্যাকর্ষনে ঝুলে থাকা আমার অপেক্ষার মুহুর্তটা চলেই এলো। বিয়েটাও হয়ে গেল। সত্যি.. CD টা না দেখে কিন্তু কবুল বলেনি ?। ভাগ্যিস সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম। বিদায়ের পর গাড়িতে বসে আছি। শুনেছি সব মেয়েরা নাকি শ্বশুড় বাড়ী যাওয়ার সময় বাবা-মার জন্যে অনেক কান্না করে। আমার দুষ্টু বউটা কিন্তু একদম ব্যতিক্রম, একটুও কাঁদেনি। গাড়িতে আমার পাশে বসে আছে, আর গাড়ি ছাড়ার জন্যে আমাকে তাড়া দিচ্ছে। ওর কাছে বিয়েটা মানে cartoon দেখা, এ জন্যেই মনেহয় এত তাড়া।
দীর্ঘ journey শেষে বাসায় পৌছলাম। সবাইকে আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম কেউ যেন আমার দুষ্টু বউটা কে বিরক্ত না করে, সাথে আমাকেও। তাই রাত ১০ টার মধ্যে পৌছে গেলাম বাসর ঘরে। আমি শুনেছি সব মেয়েরা নাকি তাদের বর ঘরে ঢোকার সাথে সাথে উঠে এসে সালাম করে। আর আমার বউ ঢোকার সাথে সাথে ঘোমটা তুলে বললো।-
দুষ্টু বউ: আমি কিন্তু তোমাকে আপনি করে বলতে পারবো না, তুমি করে বলবো। এই আপনি বলাটা না আমার স্বভাবের সাথে যায় না।
আমি: আচ্ছা…?
দুষ্টু বউ: এবার বলো, এতো দেরী হলো কেন আসতে ??
আমি: Sorry….Sorry..
দুষ্টু বউ: ঘরটা ভীষণ সুন্দর করে সাজিয়েছো। গোলাপ আর রজনীগন্ধা ভীষণ পছন্দ আমার।
আমি: ছাদটাও অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছি, যাবে? চল যাই..
দুষ্টু বউ: নাহ, এখন না। পরে যাব…
(সব মেয়েরা নাকি বিয়ের রাতে চাঁদ দেখে। এই মেয়ে দেখি আমার সব ধারনা ভুল প্রমাণিত করছে। মনে করেছিলাম আমার বউ মনে হয় ছাদে যেয়ে দোলনায় বসে চাঁদ দেখবে। অবশ্য সবাই মনে হয় বাসর রাতে চাঁদ দেখে তাদের ছেলে-মেয়ে হলে যেন সুন্দর হয় এই জন্য। আমার দুষ্টু বউটা এমনি অনেক..অনেক.. অনেক বেশী সুন্দর। আমার ছেলে-মেয়ে এমনিতেই অনেক সুন্দর হবে)
আমি: তাহলে..
দুষ্টু বউ: CD টা play করো, দেখবো..
আমি: OK….তাহলে dress change করে fresh হয়ে এসে বসো।
দুষ্টু বউ: আল্লাহ, কি বলো তুমি ?! Dress change করবো কেন? এতো কষ্ট করে সাজলাম, দেখবে না তুমি ?
আমি: হ্যা দেখবোই তো ?
দুষ্টু বউ: আর তাছাড়া বিয়ের dress কি রোজ রোজ পড়বো নাকি। নতুন dress পড়লে আমার change করতে ইচ্ছা করে না। এটা আমি ৩ দিন পড়ে থাকবো।
আমি: ( বলে কি এই মেয়ে ?) গোসল করবে না তুমি।
দুষ্টু বউ: নাহ, কোন problem তোমার?
আমি: একদম নাহ ?….
দুষ্টু বউ: তাহলে CD টা play করো।
আমি: আচ্ছা, আমি তাহলে dress টা change করে আসি..
দুষ্টু বউ: না, পড়ে থাকো। একদম change করবে না।
আমি: OK.. (Laptop এনে CD টা play করলাম)
দুষ্টু বউ: এই আমার না খুব ক্ষুধা লেগেছে, খাবো…
আমি: OK..তুমি cartoon দেখো, আমি খাবার নিয়ে আসি। (খাবার নিয়ে এসে খাইয়ে দিতে লাগলাম। আর ও কোন সংকোচ ছাড়াই খেতে থাকলো। যেন আগে থেকেই জানতো যে আমি ওকে খাইয়ে দেবো….খাওয়া শেষ.. ও cartoon দেখছে আর আমি ওকে দেখছি। ঘরে কোন আলো নেই, শুধু laptop এর আলো। এই আলোতেই আমি আমার দুষ্টু বউটাকে দেখছি। অসম্ভব সুন্দর লাগছে, যা বলার ব্যাখ্যা রাখে না। ওকে দেখলেই আমার ভালো লাগার অনুভূতি গুলি খুব বেশী কাজ করে ?। মানুষ এতো সুন্দর হয়। ওকে না দেখলে জানতামই না। আমি তো মন্ত্রমুগ্ধের মতো আমার দুষ্টু বউ টাকে দেখছি, এর মধ্যে cartoon যে কখন শেষ হয়েছে, বুঝতেই পারিনি)
দুষ্টু বউ: এই যে cartoon তো শেষ এখন চলো ছাদে যাই। ( আমার মুখের সামনে হাত এনে তুড়ি দিয়ে বললো কথাটা)
আমি: হ্যা চলো..(ছাদে এসে তো ও ভীষণ খুশি)
দুষ্টু বউ: ছাদটা সবসময় এমন lighting করে রাখবে, ঠিক আছে ☺?
আমি: তুমি যা বলবে তাই হবে, আমার সোনা বউ ?…
ঘন্টা খানেকের মতো ছিলাম ছাদে। আমার দুষ্টু বউটা অনেক সুন্দর করে কথা বলে, শুধু শুনতেই ইচ্ছা করে। ওর expression গুলি অনেক attractive..আমার মুগ্ধতা ভাঙিয়ে আমার দুষ্টু বউ টা বলে উঠলো।-
দুষ্টু বউ: রাত তো অনেক হলো। ঘুম পাচ্ছে খুব, চলো শুয়ে পড়ি ☺।
আমি: হুম চলো। (এখন tension হচ্ছে, আমাকে আবার খাটে শুতে দেবে তো ?। ভয়ে ভয়ে খাটে যেয়ে বসলাম। ও চুড়িগুলি খুলছে আর আড়চোখে আমাকে দেখছে। তারপর আমাকে বললো- শুধু তাকিয়েই থাকবে নাকি ornaments গুলি খুলতে আমাকে একটু help করবে, কোনটা ??
আমি: অবশ্যই help করবো ?…(ornaments গুলি খুলে দিলাম, সাথে চুলের খোপাটাও..অসাধারন লাগছে দেখতে ?। সত্যি করেই ও dress change করলো না, আর আমাকেও করতে দিলো না। বালিশ ঠিক করে লক্ষী ছেলের মত শুয়ে পড়লাম,যদিও জড়িয়ে ধরে শুতে খুব ইচ্ছা করছে)
দুষ্টু বউটা আমার একদম কাছে এসে বসেছে। মনে হচ্ছে এখন যদি জড়িয়ে না ধরি তাহলে মনেহয় মরেই যাবো ?। তারপরও নিজেকে control করলাম। বউ হারানোর চেয়ে নিজেকে control করা অনেক ভালো। হাতটা বুকের উপর রেখে শুয়ে আছি। বউ আমার বালিশে না শুয়ে আমার হাতটা সোজা করে হাতের উপর শুয়ে আমাকে ধরে গালে একটা ছোট্ট kiss করে বললো ?- cartoon টা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। (লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে বললো)
তারপর light টা off করে দিতে বললো। যেহেতু ও আমাকে ধরে শুয়েছে তাই Bed switch টা off করে দিয়ে জড়িয়ে ধরে ওকে support করলাম। আমার জন্য আপাতঃত এইটুকুই enough.. __

Cartoon দেখলে কি হবে, সারারাত জড়িয়ে ধরেই শুয়ে ছিল। একটা সেকেন্ডের জন্যও আমাকে ছাড়েনি। এরকম মুহুর্ত পাওয়ার জন্য আমি রোজ ১টা করে cartoon এর CD এতে দিতে রাজি আছি ???…

: যা ভাবছেন তা না, নামাজ বাদ দেইনি। দুই জনই নামাজ পড়েছি। আল্লাহ কে কথা দিয়েছি রাখতে তো হবেই, তাইনা ??
আজ শ্বশুড়বাড়ি থেকে আমাদের নিতে আসবে। কিন্তু আমার দুষ্টু বউটা কিছুতেই যেতে রাজি না। আমি সহ বাড়ির সবাই তাকে রাজি করাতে অক্ষম। বলেছে সে এতো journey করতে পারবেনা। আর তাছাড়া বাড়িতে তো dish line নেই বাড়িতে গেলে cartoon দেখবে কিভাবে? তাই বাড়িতে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ১০ দিন পরে যাবে, বিয়েটা মানে cartoon দেখা কিনা ?। শ্বশুড় বাড়িতে phn করে কথাটা জানালাম। বললাম সবাই যেন এসে দেখে যায়। আর ১০ দিন পর আমরা একাই যাবো। এভাবে আসতে তারা রাজি না, একেবারে ১০ দিন পরেই আসবে আমাদের নিতে। কিন্তু আমি তো আগে থেকেই সব কিছু arrange করে ফেলেছি, এই কথা বলতেই আসতে রাজি হলো তারা। আমার কথা সবাই শোনে, আর আমি শুনি আমার দুষ্টু বউটার কথা। কি করবো ভীষণ ভালোবাসি যে ?। আর তাছাড়া আমার দুষ্টু বউটা আমার কাছে কোন অন্যায় আবদারও করে না….
?????: অপেক্ষার মুহূর্তগুলি মধ্যাকর্ষনে আটকে থাকে, আর সুখের মুহূর্তগুলি পানির স্রোতের মতো ভেসে চলে যায়। দেখতে দেখতে আমাদের বিয়েরও ৫ টা বছর পূর্ণ হয়ে গেল। কিন্তু এখনও রোজ রাতে ছাদে ঠিক তেমনই আলোর ফোয়ারা ছোটে যেমনটা ছুটেছিলো বিয়ের রাতে ?। এখন আর আমার দুষ্টু বউটা cartoon দেখে না। কি ভাবছেন, movie দেখে? না তার আর দরকার হয়না। কারণ রোজ রাতেই আমাদের ঘরে romantic movie হয় ?। TV তে খবর দেখা আমার পছন্দ না। ঘরের খবর যদি আমি না জানি, তাহলে কি করবো আমি দেশের খবর জেনে। সময়ই পাই শুধু একটু ছুটির দিনে আর cricket, football match দেখে আমি সময়টা নষ্ট করতে চাইনা.. আমি আমার পুরো সময়টা আমার লক্ষী j@@n টাকে দিতে চাই ?। রান্না টা প্রথমে আমিই করতাম, ও শুধু help করতো। Job করি বলে আমাকে এখন আর রান্না করতে দেয়না, help করি আমি। কিন্তু ছুটির দিন টা রান্নাঘরে ওর প্রবেশ নিষেধ, এই দিনে রান্নাটা আমি করি তাই। পড়াশোনার প্রতি ও আর কোনদিন কোন আগ্রহ দেখায়নি। তাই আমিও আর সে প্রসঙ্গ তুলে ওকে হারাতে চাইনি। মানুষ পড়াশোনার কথা জিঙ্গেস করলে বলি…(এতো সুন্দর বউ আমার, বাইরে যে পড়তে দেবো.. যদি কেউ আমার সোনা বউটাকে নিয়ে যায়, তখন আমার কি হবে? তাই safe এ রেখেছি ?।)
আমি আমার এই দুষ্টু বউটা কে ভীষণ ভালোবাসি। বিয়ের আগে আমি ওকে যে কথা দিয়েছি তা আমি রেখেছি, আর রাখার চেষ্টা করবো শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত।
ও বলাই তো হয়নি, কাল আমার একটা দুষ্টু মেয়ে হয়েছে ?☺। দুষ্টু হলে কি হবে, খুব sweet ওর মায়ের মতোই। প্রচুর tension-এ ছিলাম ?। কারণ আমার দুষ্টু বউটা সিজার করতে নারাজ। তাই আমাদের sweet baby টা নরমালেই হয়েছে। খুব কষ্ট হয়েছে ওর। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটা baby-ই enough, আর দরকার নেই। চৈত্র মাসে হয়েছে তাই নাম রাখতে চাইলাম চৈতালী। ফাল্গুনীর মেয়ে চৈতালী ?। কিন্তু আমার দুষ্টু বউটা তা রাখতে দিলো না। বললো- তুমি যেমন আমাকে ফাল্গুনের ফুল বলে ডাকো তেমন তোমার মেয়ে কে সবাই চৈত্রের খরা বলে ডাকবে। সেটা কি ভালো শুনাবে? তাই আমার দুষ্টু বউটা আমার দুষ্টু মেয়ের নাম রাখলো Samayra, আমার নামের সাথে মিলিয়ে ?…. যেহেতু আমি এখন আমার শ্বশুড়বাড়িতে অবস্থান করছি, তাই গ্রামের সব মহিলা আমার sweet baby টাকে দেখতে এসেছে। এদের মধ্যে একজন বলে উঠলো- মেয়ে হয়েছে, তাহলে তো বিয়ে দিয়ে শ্বশুড়বাড়ি তেই পাঠিয়ে দিতে হবে।
আমি: আমার শ্বশুড়ের তো দুই মেয়ে। তাই বিয়ে দিয়ে শ্বশুড়বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার তো একটাই মেয়ে। আমি ঘর জামাই রাখবো, বিয়ের পূর্ব শর্ত হচ্ছে ঘরজামাই থাকতে হবে। নাহলে মেয়ে দেবোনা। মেয়ে হচ্ছে আমার কলিজার টুকরা, ওকে ছাড়া তো আমি থাকতেই পারবো না। (মেয়েকে কোলে আগলে ধরে চুমু খেয়ে বললাম)…
দুষ্টু বউ: তোমার মেয়ে যদি কলিজার টুকরা হয় তাহলে আমি কি, হ্যা? (আস্তে আস্তে বললো)
আমি: আমার কলিজার দুইটা part, তুমি জানোনা? 1st part হচ্ছো তুমি আর 2nd part হচ্ছে আমাদের আদরের এই রাজকণ্যাটা ?।
দুষ্টু বউ: হুম, জানি তো ?।
আমার life এ আমি ভীষণ happy.. আমার দুষ্টু বউটা আমার অন্নেক take-care করে। আসলে আমি এমন একজন কে ভালোবাসি যার হৃদয় জুড়ে শুধুই আমি ?। আল্লাহর কাছে শুধু এতটুকু চাওয়া আমার.. এই সুখময় মূহুর্তগুলি যেন আমার জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত থাকে ???…..(সমাপ্ত)
Some words for viewers: যারা গল্পে twist পছন্দ করেন, তাদের জন্যে আমার এই গল্প না। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই কষ্ট আছে। সে কম হোক আর বেশী হোক। তাই কষ্টের কোন গল্প লিখে তাদের জীবনের কষ্টগুলি আর বাড়াতে চাইনি। চেয়েছি যাদের জীবনে কষ্ট আছে তারা যেন আমার লেখা গল্পটা পড়ে কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও নিজের জীবনের কষ্টগুলিকে ভুলে থাকতে পারে। জানিনা আমার চাওয়া টাকে আমি পূর্ণতা দিতে পেরেছি কিনা। সেটা বিচার করার ভার নাহয় আমি আপনাদের হাতেই দিলাম।…..
?Farzana?

 

ফাল্গুনের_ফুল  part_7

0
ফাল্গুনের_ফুল
part_7
#Writer_Farzana

খুব tension-এ আছি। ফাল্গুনের ফুল যদি রাজি না হয়। Try করে দেখতে দোষ কোথায়। কিন্তু কিভাবে manage করবো ওকে ?? ওর স্বভাবে একটু ছেলেমানুষি আছে। So, বাচ্চাদের যেভাবে পটাতে হয়, ওকেও সেভাবে পটানোর চেষ্টা করা যেতে পারে ?। উফ্, মাথায় কিছু আসছে না। নেছারের কাছ থেকে লতার ফোন number টা নিয়ে call করতে হবে। জানতে হবে ওর পছন্দের জিনিসগুলি, তা না হলে পটাবো কিভাবে। এতো কম সময়ে কিভাবে কি করবো মাথায় কিছু আসছে না। এসব চিন্তা করতে করতে ১১:০০ বেজে গেল। নাহ আর সময় নষ্ট করলে চলবে না। নেছারকে call করলাম।-
Samir: হ্যালো নেছার, লতার ফোন number টা তোর কাছে আছে না?
Nesar: কেন কি করবি? লতাকে বিয়ে করবি? যাক বাঁচলাম ?
Samir: জ্বি না, আমি ওতো ভালো friend না যে তোকে বাঁচাবো। কিছু information দরকার। তাই লতার num টা চাই আমার। আছে তোর কাছে?
Nesar: দোস্ত, শোন না…
Samir: হ্যা অথবা না শুনতে চেয়েছি ?
Nesar: হ্যা..
Samir: দে তাহলে। আর তুই মিষ্টি কিনে তাড়াতাড়ি ready হয়ে ৩:০০ দিকে বের হয়ে যাবি।
Nesar: দোস্ত, মাকে নিয়ে যাই??
Samir: না। তাহলে মনে করবে তুই-ই বিয়ে করতে চাস।
Nesar: না, না.. Number নে তুই..০১৯১৫******….
Number নিয়ে লতার কাছে call করলাম। তারপর ওর কাছে জেনে নিলাম আমার দুষ্টু বউটার কি কি পছন্দ। আর সাথে এও বললাম, আমি যে call করেছিলাম এটা যেন আমার দুষ্টু বউটা না জানে।
৩:০০ টার দিকে নেছার বের হয়ে গিয়েছে। Tension হচ্ছে প্রচুর। না জানি আমার দুষ্টু বউটার আব্বু আম্মু আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি হতে রাজি হবে কিনা ?
?????: দুপুর ৩:৩০ টা বাজে। হঠাৎ কলিং বেলের শব্দ হলো। এ অসময়ে আবার কে এলো ?। যে result করেছি, তাতে তো কারও মোবারকবাদ দিতে আসার কথা নয়। না জানি কে এসে আবার বলবে, ফাল্গুনী SSC তে তোমার result কি? আর আম্মুর আবার শোক শুরু হয়ে যাবে। তারপর আমাকে আবার কত্তো বকাঝকা করবে। চিন্তায় ছেদ পরলো আম্মুর ডাকে- ফাল্গুনী দেখো তো গেটে কে এসেছে। যাচ্ছি বলে গেটের দিকে গেলাম। গেট খুলতেই চোখ আমার চড়খ গাছ..?একি এতো নেছার স্যার, হাতে মিষ্টি। আমার তো আসলে ফেল করার কথা ছিল, সেখানে A- পেয়েছি। তাই মনেহয় স্যার খুশি হয়ে মিষ্টি নিয়ে এসেছেন মোবারকবাদ দেয়ার জন্যে ?। কিন্তু যার result বের হয় সেই তো মিষ্টি দেয় সবাইকে ?। তাহলে স্যার কেন মিষ্টি আনলেন ?
আমি: জ্বি স্যার, আপনি ??
নেছার: একটু দরকারে এসেছি। তোমার আব্বুর সাথে কথা বলবো, ডাক দাও। (বলতে বলতে ভিতরে ঢুকে গেল)
ঘরে যেয়ে আব্বুকে বাইরে পাঠিয়ে দিলাম। Tension এ heartbeat বেড়ে মরে যাওয়ার মতো অবস্থা আমার ?। আব্বু স্যারকে নিয়ে ঘরে বসালো, কথা বলছে ওরা। আর আমি দেয়ালের সাথে কান লাগিয়ে কথা শোনার চেষ্টায় দাড়িয়ে আছি। কিন্তু কিছু বুঝতে পারছি না। ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে ঘর বানানোর কি দরকার! পাটকাঠির বেড়া দিলেই তো সব clear শুনতে পারতাম। Last এ শুধু এতটুকু বুঝলাম- তাহলে সবার সাথে কথা বলে আমাকে জানাবেন। এই নিন আমার card.. Ans হ্যা হলে ওরা দেখতে আসবে ?
কি দেখতে আসবে?? আমি result খারাপ করেছি জন্যে কি বাবা বাড়ি-ঘর বিক্রি করে দেবে নাকি। সেজন্যে বাড়ি-ঘর দেখতে লোক আসবে। ধ্যাত, মাথায় তো কিছু আসছেই না, আসার মধ্যে জ্বরটাই এসে যাচ্ছে ?। আর ভাবতে পারছি না, সে যা হয় হবে…

নেছার স্যার চলে গেছে ১০ মি: হলো। আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলছে। ভয়ে আর tension এ আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ?। কি হচ্ছে ঘরের ভেতর কিছুই বুঝতে পারছি না। আপুও নাই যে বলবো যে- দেখো তো কি বলে। উফ্ কিছু ভালো লাগছে না। হুম idea, দরজার কাছে গিয়ে শুনি তো কি বলে ?
আম্মু: দেখো, ছেলে আমার পছন্দ। এই বলে দিলাম তোমাকে। ছেলে ইন্জিনিয়ার, ঢাকা শহরে নিজের ১০ তালা বাড়ি আছে। তোমার মেয়ের জন্যে এর চেয়ে ভালো ছেলে আর কোথায় পাবে ?
আব্বু: কিন্তু বয়সের deference টা বেশী হয়ে গেল না?
আম্মু: ভূলে যেওনা তোমার সাথে আমার বয়সের deference ১৫ বছরের। ওদের এর থেকে ২ বছর কমই হবে।
আব্বু: বিয়ে হলে তো পড়াশোনায় gap পড়বে (ঢোক গিলে বললো)।
আম্মু: তোমার মেয়ের যে পড়াশোনা তাতে করে না পড়া complete করার পর ইন্জিনিয়ার ছেলে তো দূরে থাক কোন teacher ছেলেও বিয়ে করবে না। আমার এই ছেলে পছন্দ হয়েছে। এই ছেলের সাথেই বিয়ে দেবো ওর।
আব্বু: ঠিক আছে, ওর সাথে কথা বলে দেখো ওর ছেলে পছন্দ হয় কিনা।
আম্মু: এতো ভালো ছেলে পছন্দ হবে না কেন। ভালো মন্দ বোঝার ওর বয়স হয়েছে নাকি? তোমার মেয়ে যদি রাজি না হয় না, তাহলে থাপ্পড় দিয়ে ওর সব কয়টা দাত আমি ফেলে দেবো ?। তুমি ওদেরকে সামনের সপ্তাহে আসতে বলো। ( বলে উঠে দাড়ালো। মনেহয় আমার রুমেই আসবে)
আম্মুর কথা শুনে দুই হাত দিয়ে গাল দুইটা চেপে ধরলাম, যেন থাপ্পড় দিতে না পারে। আম্মু আসছে। এক দৌড়ে রুমে চলে আসলাম। এসে পড়ার টেবিলের সামনে বসে পড়লাম। অমনি আম্মুও রুমে ঢুকলো।
আম্মু: এখন আর পড়ার টেবিলে বসে কি হবে? সারা বছরেও তো বসতে দেখলাম না। আর এখন তো পরীক্ষা শেষই।
আমি: ( False position এ পরে গিয়েছি) না, ভাবছি আমি বোর্ড challenge করবো। A- তো পাওয়ার কথা ছিলো না ?
আম্মু: তাহলে কি পাওয়ার কথা ছিলো শুনি…
আমি: A+…(আমতা আমতা করে)
আম্মু: থাক আর বোর্ড challenge করতে হবে না। তাহলে দেখা যাবে কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে গিয়েছে।
আমি: মানে!
আম্মু: মানে, দেখা যাবে তখন teacher রা বলবে- হ্যা আমাদেরই ভুল হয়েছে। A- না, তুমি আসলে D grade পেয়েছ।
আমি: আম্মু হয়েছে বলে কি আমাকে এতো insult করবে নাকি (মনে মনে) ??
আম্মু: কি হলো, কথা বলো না কেন?
আমি: তাহলে আমি আবার পরীক্ষা দেব।
আম্মু: থাক আর পরীক্ষা দিতে হবে না। যা বলছি তা মন দিয়ে শোন। নেছার তোমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলো। ছেলে ইন্জি….
আমি: নেছার স্যার কে আমি বিয়ে করতে পারবো না ( আম্মুর কথা শেষ হওয়ার আগেই বললাম)।
আম্মু: গাধা, নেছার কি ইন্জিনিয়ার নাকি? ছেলে ইন্জিনিয়ার, নেছারের বন্ধু।
আমি: ( কি সব উপাধি দেয়, ভালো লাগে না। গাধা একটা উপাধি হলো। হরিণ বললে তাও হতো) আম্মু আমি পড়তে চাই। আমি বিয়ে করবো না। SSC তে result খারাপ হয়েছে এর মানে এই নয় যে next time ও result খারাপ হবে।
আম্মু: ছেলে তোমাকে বিয়ের পরেও পড়াবে।
আমি: (ধ্যাত বিয়ের পরে কেউ পড়ে নাকি) আম্মু আমি সত্যি ভালো করে পড়বো। সত্যি বলছি।
আম্মু: হ্যা, বিয়ের পরে পড়ো। তোমার বরই তোমাকে পড়বে। সামনের সপ্তাহে ছেলে আর ছেলের বাবা তোমাকে দেখতে আসবে।
আমি: কিন্তু আম্মু…
আম্মু: চুপ, একদম চুপ ?..(বলে উঠে চলে গেল)।
এই বললো ভালো মন্দ বোঝার বয়স নাকি আমার হয়নি। তাহলে বিয়ে দিতে চায় কিভাবে ?। খুব কান্না পাচ্ছে ???….

অবশেষে অপেক্ষার সেই কাঙ্খিত দিন চলেই আসলো। ঠিক আসেনি, এখনো ১ দিন বাঁকি আছে ?। কিন্তু আমার আর তর সইছে না। নেছার ফোন করে বলেছে আমার দুষ্ট বউটার বাবা-মা প্রস্তাব accept করেছে, সেই সেদিন থেকে অপেক্ষা করছি। অপেক্ষার প্রহরগুলি যেন মধ্যাকর্ষনে আটকে ছিল। তাই আর দেরী না করে বাবাকে নিয়ে আজই রওনা হয়ে গিয়েছি ?। আজ আর রোমান্চকর journey করার জন্যে বাসে যাচ্ছি না। বাবা আছে তাই car এই যাচ্ছি। নেছারের ওখানে থাকবো, যেন ঠিক ৩:০০ টায় আমার বউটাকে দেখতে যেতে পারি। আমার দুষ্টু বউটার জন্যে কিছু gift কিনেছি, empress করতে হবে তো ?। লতার কাছে তো জেনেই নিয়েছিলাম। তাই gift select করতে বেগ পেতে হয়নি। 5 box chocolate, squatty system dairy, beauty box আর কয়েকটা cartoon এর CD কিনেছি। লতা বললো ওর নাকি Teddy bear অনেক পছন্দ। কিন্তু সেটা আর কিনিনি। বুদ্ধি থাকতে পাগল হয়ে নিজের ঘরে আর সতীন আনতে চাই না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওকে আমি কোনদিন teddy bear কিনে দেবোনা। এটা ছাড়া যা চাইবে তাই কিনে দেব। সখ করে আর ঘরে সতীন আনছি না। যদিও ছেলেদের সতীন হয় না, তাও ভয় লাগে যদি আমাকে বাদ দিয়ে teddy bear নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। তখন আমার কি হবে ?
খুব tension এ আছি, কিভাবে যে আমার দুষ্টু বউটাকে ভালোবাসার কথা বলবো ?। আমি জানি আমার ভালোবাসা বোঝার মত যথেষ্ট বয়স ওর হয়েছে। কিন্তু তা accept করার মত বয়স বা মানসিকতা হয়তো ওর হয়নি। দেখা যাক কি হয়, আল্লাহই একমাত্র ভরসা। আল্লাহ ওকে যদি আপনি আমার করে দেন, আল্লাহ এক ওয়াক্ত নামাজও আর আমি কাযা করবো না। Plz আল্লাহ… মাত্রই ধ্যান করতে করতে সন্যাসি হয়ে যেতে নিয়েছিলাম। তা বাবা আবার তাতে ব্যাঘাত ঘটালো ?। গুতা দিয়ে বললো-
বাবা: কিরে চোখ বন্ধ করে দুই হাত জোড় করে বিড়বিড় করে কি বলছিস?
আমি: যেন নিরাপদে পৌছতে পারি সেই প্রার্থনা করছি আল্লাহর কাছে ?। ( জিহ্বায় কামড় দিয়ে.. আল্লাহ আর কোনদিন মিথ্যাও বলবোনা)
বাবা: হুম, ভালো তো।
তারপর বাবা নানা ধরনের প্রশ্ন করা শুরু করলো আমার দুষ্টু বউটার সম্পর্কে। আর আমিও বাধ্য ছেলের মতো ans দিতে লাগলাম। কিছুক্ষণের ভেতর নেছারের বাড়িতে এসে পৌছলাম।
?????আজ নাকি আমাকে দেখতে আসবে। ২:০০ বাজে, আম্মু রান্না-বান্না নিয়ে ব্যাস্ত। তারপরও এর মাঝে মাঝে এসে আমাকে ready হওয়ার জন্য তাড়া দিয়ে যাচ্ছে। এখনও এসেছে-
আম্মু: ফাল্গুনী.. তুমি এখনও ready হওনি? আর ১ ঘন্টা পর ওরা চলে আসবে। লতা, মা ওকে ready হওয়ার ব্যাপারে একটু help করো তো।
লতা: জ্বি আন্টি…
আমি: দেখো আম্মু, আমি শাড়ি পড়ে ওদের সামনে ধুমকেতু সেজে বসে থাকতে পারবো না ?।
আম্মু: শাড়ি পড়লে কেউ ধুমকেতু হয় নাকি ??
আমি: হয়ই তো….
আম্মু: শাড়ি না পড়লে লেহেঙ্গা পড়ো। লালটা পড়ো…
আমি: আমি শাড়িও পড়বো না লেহেঙ্গাও পড়বো না । যেভাবে আছি সেভাবেই যাব।
আম্মু: ঠিক আছে, তাহলে একটা ভালো থ্রী পিছ পড়ো। (বলে চলে গেল)..…
?????: ২:০০ বেজে গিয়েছে। এখনো decision নিতে পারছিনা যে কি পড়বো। শার্ট না পান্জাবী ?!
আমি: এই দোস্ত শোন না, দেখ তো শার্ট পড়বো নাকি পান্জাবী পড়বো?
নেছার: পান্জাবী পড় (বলেই চলে যাচ্ছিলো)।
আমি: এই দাড়া, কোথায় যাচ্ছিস। কোনটা পড়বো একটু বলে তো যাবি।
নেছার: ? এই এইগুলি কি? এত্তো dress কেন?
আমি: দোস্ত, I’m really confused.. আসলে বুঝতে পারছিলাম না কোন dress টা পড়ে মেয়ে দেখতে যাব। তাই সব নিয়ে এসেছি ?।
নেছার: কালোর উপর golden কাজ করা ওই পান্জাবী টা পড়।
আমি: ওই টা পড়লে তো বরের মতো দেখা যাবে। আর আমি তো বিয়ে করতে যাচ্ছি না।
নেছার: হ্যা সেটাই তো, বিয়ে করতে তো আর যাচ্ছিস না । তাহলে এতো ঢং করছিস কেন? একটা পড়লেই তো হয়। ছাড় আমাকে, কাজ আছে আমার। সব কিছু তো একাই manage করতে হচ্ছে। কোথায় একটু help করবি তা না dress নিয়ে পড়ে আছিস ?।
আমি: কি এতো কাজ তোর? মিষ্টি কিনবি আর গাড়িতে তুলবি..
নেছার: হ্যা বললেই তো হলো। তুই যে মিষ্টির order দিয়েছিস সেটা তো এখানে পাওয়া যায়ই না, শহরে গেলাম সেখানেও পাওয়া গেলো না। তোর কথা- যেটা বলেছিস সেটাই আনতে হবে। অন্যটা হলে চলবে না। সেই সকাল থেকে যেয়ে বসে আছি। Order দিয়ে মিষ্টি বানিয়ে নিয়ে মাত্র আসলাম ?।
আমি: পেয়েছিস তাহলে? Thanks দোস্ত ?…
নেছার: ছাড় আমাকে, সেই কখন থেকে শার্টটা টেনে ধরে আছিস। কোন দুঃখে যে তোকে আমি কোচিং এ ক্লাস নিতে বলেছিলাম ?। (বলতে বলতে চলে গেল)
এতো রাগের কি আছে বুঝলাম না ?। এমন রাগ দেখাচ্ছে যেন মনে হচ্ছে , নিজে হাতে মিষ্টি বানিয়ে নিয়ে আসলো। ধ্যাত, mood টাই খারাপ হয়ে গেল। পান্জাবী পড়বোই না, শার্টই পড়বো। এমন সময় বাবা আসলো।
বাবা: কিরে এখনো ready হোসনি। ২:৪৫ বাজে, ৩:০০ দিকে নাকি বের হবি?
আমি: বাবা পান্জাবী পড়ি?
বাবা: হ্যা পড়…
আমি: নাকি শার্ট পড়বো?
বাবা: হ্যা…
(বাবা তো দেখছি আমাকে আরও বেশী confused করে দিচ্ছে)
আমি: যাও তো বাবা তুমি ?। বাইরে গিয়ে wait করো, আমি ১০ মিনিটের মধ্যে ready হয়ে আসছি।
মিষ্টি আর কালো কালার মিক্স একটা শার্ট পড়লাম। এখন problem হচ্ছে- in করবো নাকি করবো না ?। in করে শার্ট পড়াটা আমার একদম পছন্দ না। অফিসেও আমি in করে শার্ট পড়ে যাই না। কিন্তু হবু শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি আবার কি মনে করবে, তাই শার্ট in করেই বের হলাম।
নেছার: উফ্, অবশেষে ready হলি তাহলে। এবার চল ?…..
আমি: হুম, চল…
বের হলাম, উদ্দেশ্য আমার হবু শ্বশুড় বাড়ি….
?Farzana?

ফাল্গুনের_ফুল  part_6

0
ফাল্গুনের_ফুল
part_6
#Writer_Farzana
আসলে অপেক্ষা আর কষ্টের প্রহরগুলি খুব slowly যায়। প্রত্যেকটা second একেক টা দিন মনে হয়। বহুকষ্ট সয়ে অতিকষ্টের এই ৪ টা মাস পার করলাম। এই ৪ টা মাসে ফাল্গুনের ফুলের কোনও খোঁজই আমি জানিনা ?। আমার important project গুলিতে মন বসানো খুবই জরুরী ছিল। কিন্তু কিভাবে বসাবো মন.. মনতো রেখে এসেছি ফাল্গুনের ফুলের কাছে। কাল ওর result বের হয়েছে। কিন্তু নেছারকে সাহস করে আর call করে ওঠা হয়নি। না জানি কি মনে করে। কিন্তু আর পারছিনা, অপেক্ষা আর কষ্টের প্রহরগুলি যেন বেড়েই চলেছে। এদিকে বাবাও বিয়ের জন্যে খুব চাপ দিচ্ছে। নাহ, আজ নেছারকে call করেই ফেলবো। শুধু call-ই করবো না, বরং সাহস করে সবকিছু বলেই ফেলবো। যা মনে করে করুক। এক্ষনি call করবো, হ্যা এক্ষনি।
ফোনটা হাতে নিয়ে একবার নেছারের number টা বের করছি, আবার কেটে দিচ্ছি। এভাবে ১০ মি: চলে গেল। নাহ call করতেই হবে। নাহলে দেখা যাবে, সময়ের মত সময় চলে যাচ্ছে- ওদিকে ফাল্গুনের ফুলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর এদিকে আমি বুড়ো হয়ে আফসোস করছি- ইস সাহস করে যদি সেদিন বলেই ফেলতাম, তাহলে আজ life টাই অন্যরকম হতো। আজ আর আমার একা থাকতে হতো না। না, না, আমি দেবদাস হতে চাইনা। উফ্, আর ভাবতে পারছি না । Call টা করেই ফেলি। কিন্তু এখনতো রাত ১১:৩০ বাজে। নেছার ঘুমিয়ে পড়েনি তো ?। ঘুমিয়ে পড়েছে তো কি হয়েছে। উঠবে, উঠে কথা বলবে আমার সাথে। এখন যদি friend কাজে না আসে, তাহলে তো friendship day-র কোন মূল্যই থাকেনা। আবার ফোনটা হাতে নিলাম, call দিলাম। রিং হচ্ছে- আর আমার heartbeat টা পণ্যের দামের মতো দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে। নেছার call টা receive করলো না। মনে মনে বললাম, বাঁচলাম। আবার মনে হলো-এই বাঁচা কি বাঁচা নাকি, এর থেকে মরে যাওয়াই তো ভালো। আবার call করলাম, receive করলো এবার।-
Samir: হ্যালো..
Nesar: হ্যালো, কে?
Samir: এই কয়দিনে নিজের আপন বন্ধুকে ভূলে গেলি?!
Nesar: না রে। হ্যা বল, এতো busy মানুষ হঠাৎ কি মনে করে call করলো?
তারপর নেছারকে সব details বললাম। ওদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার কথাও বললাম। আমার কথা শুনে নেছার বিনা প্রশ্নে হ্যা বলে দিলো। ফোন রাখার পর মনে হলো, ওর কথাটা কেমন ঘুম জড়ানো ছিল না?। আবার আমাকে কোনও প্রশ্নও করলো না। কেমন যেন সন্দেহ হচ্ছে। ধ্যাত, শুধু শুধু tension করছি। ওর কাছে মনে হয় ব্যাপারটা স্বাভাবিক। এমন পছন্দ করে বিয়ে তো কতো মানুষই করে। এতো দিন তো অনেক tension-ই করলাম। রাতও অনেক হয়েছে, তাই মাথাটা tension free করে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকাল ৮:০০ টা, ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙলো। Mobile screen এ নেছারের নাম। কাল রাতে যা বলেছি ওকে তার জন্যে এখন খুব লজ্জা করছে। লজ্জারই বা কি আছে, যা সত্যি তাই বলেছি। আর মানুষও তো বিয়ে করে। আমি না হয় friend এর student কে নিয়ে করতে চেয়েছি, এতে দোষের কি? এসব ভাবতে ভাবতে ফোনটা receive করলাম।-
Samir: হ্যালো..
Nesar: Samir, কেমন আছিস?
Samir: ভালো, তুই ??
Nesar: আমিও ?
Samir: খালাম্মা ভালো আছে?
Nesar: হুম। জানিস কাল রাতে আমি একটা মজার সপ্ন দেখেছি ?
Samir: তা কি সপ্ন দেখলি? ( আমার বিয়ের topic বাদ দিয়ে উনি আছেন উনার সপ্নের topic নিয়ে। এদিকে tension- এ আমার জান যায় যায় অবস্থা। ধ্যাত, ভালো লাগছে না।)
Nesar: সপ্নে দেখলাম যে, তুই আমাকে ফোন করে ফাল্গুনীর সাথে তোর বিয়ের কথা বলছিস ?
Samir: তুই আমার সাথে ফাজলামি করিস ??
Nesar: না দোস্ত, সত্যি বলছি। সত্যি আমি এই সপ্ন দেখেছি।
Samir: ওই শালা, আমি তোকে কাল রাতে সত্যি call করেছিলাম। Call list এ দেখ।
Nesar: তুই call দিলেও বিয়ের কথা তো আর বলিসনি, তাইনা?
Samir: নাহ, এখন বলবো কেন? বিয়ের কথা তো বলবো কবরে যাওয়ার পর, এতো তাড়া কিসের ??
Nesar: ও তাহলে বলেছিস। কিন্তু ফাল্গুনীর কথা তো আর বলিসনি?
Samir: দেখ, আমার কিন্তু ভীষণ রাগ হচ্ছে ?
Nesar: রাগ করিসনা দোস্ত। আসলে ঘুমের মধ্যে শুনেছি তো। আবার বলনা দোস্ত Plz ?
Samir: আর বলতে পারবো না।
Nesar: Plz.. দোস্ত…
Samir: এতো কথা তো বলতে পারবো না ভাই.. তুই সোজা ফাল্গুনীদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবি, ব্যাস..
Nesar: হুম.. কিন্তু…

Samir: কোন কিন্তু নয়। দেখ নেছার অনেক কষ্ট সহ্য করেছি, আর পারছিনা। ওর বাবা ওকে ডাক্তার বানাতে চায় তো। ঠিক আছে, আমি পড়াবো ওকে। এখন তো আর কোন problem থাকার কথা নয়।
Nesar: না কথা সেটা না। কথা হচ্ছে- রাজি হবে তো ফাল্গুনীর বাবা ?
Samir: সেটা তোর দায়িত্ব। আমার জন্যে এটুকু করতে পারবি না?
Nesar: তুই আমার জন্যে বেড়াতে পারিস, আড্ডা দিতে পারিস, blue কালারেে shirt পড়তে পারিস, আর আমি তোর জন্যে এইটুকু করতে পারবো না.. বল?
Samir: চুপ করবি । তোকে যে দায়িত্ব দিয়েছি, তুই সেই দিকে ফোকাস কর।
Nesar: হুম,তা তো বুঝলাম। তোকে বললাম ফাল্গুনীকে একটু extra take care করতে। আর তুই শালা , একেবারে বিয়ে ?
Samir: আরে, বিয়ে না করলে কিভাবে extra take care করবো বল? তাই এই সিদ্ধান্ত ?
Nesar: কিন্তু ফাল্গুনী কি রাজি হবে?
Samir: তুই শুধু ওর বাবা মা কে রাজি করা। আর ওকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার ।
Nesar: কিন্তু কিভাবে?
Samir: (সেটা তো আমিও জানি না) তা তোকে বলবো কেন, top secret…
Nesar: হ্যা হ্যা, এখন তো top secret ই হবে।
Samir: তুই আজ বিকালেই প্রস্তাব নিয়ে যাবি।
Nesar: কিন্তু, আজ যাওয়া কি ঠিক হবে। গত পরশু ওর result বের হয়েছে, A- পেয়েছে। লতা বললো, এটা নিয়ে ওদের বাড়িতে ওর আব্বু আম্মু ওর সাথে নাকি খুব রাগারাগি করছে। তাই দোস্ত বলি কি আজ ওদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে না নিয়েই যাওয়াই ভালো।
Samir: কি বললি, A- পেয়েছে। আমার তো ভীষণ খুশি লাগছে। দাড়া আমি আজই ১০ কেজি মিষ্টি বিলাবো?

Nesar: এই result শুনেই এতো খুশি। পছন্দ করিস সেজন্যে নাকি?
Samir: ও যদি ফেল করতো রে দোস্ত, তাহলে আমি ২০ কেজি মিষ্টি বিলাতাম।
Nesar: মানে কি? এটা কেমন কথা?
Samir: শোন..ছেলেরা যখন result খারাপ করে তখন তাদের বাবা মা তাদেরকে কাজে লাগিয়ে দেবে এই বলে হুমকি দেয়। আর মেয়েরা যখন result খারাপ করে তখন বাবা মা কি বলে হুমকি দেয় জানিস?
Nesar: না, কি বলে?
Samir: বলে যে.. Result খারাপ করেছিস বিয়ে দিয়ে দেবো। তোকে আর পড়াবো না। ফাল্গুনীর বাবা মাও নিশ্চয় ওকে এমন কথাই বলছে। So, আমার রাস্তা clean & clear..
Nesar: হুম, তাহলে আমি বিকালেই প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছি। প্রস্তাব দেয়ার পর যদি ওর বাবা মা আমাকে মারতে আসে তাহলে কিন্তু আমি বলবো, আংকেল-আন্টি দাড়ান। একটু wait করেন, এই বুদ্ধিটা আমার না আমার বন্ধুর। তাই ও আসুক, তারপরে মারবেন। এটা বলেই কিন্তু আমি দৌড় দেব।
Samir: চুপ করবি, কিচ্ছু হবে না।
Nesar: হ্যা, কিচ্ছু হবে না সে তো আমি জানিই। ফাল্গুনীর বাবা কি আর এখন ওকে বিয়ে দেবে নাকি?
Samir: তুই বড্ড বেশী কথা বলিস। কিচ্ছু হবেনা মানে তোর কিচ্ছু হবে না।
Nesar: ও…
Samir: আর শোন, ওর বাবা মা রাজি হলে বলিস- সামনের সপ্তাহে আমি আর বাবা দেখতে যাবো।
Nesar: OK..(হ্যা, মনে মনে মন কলা খা)
Samir: আর শোন..
Nesar: বের হওয়ার আগে call করবো এই তো..
Samir: হুম। আর আমার হবু শ্বশুড় বাড়ি বলে কথা, মিষ্টি নিয়ে যাবি ১০ কেজি।
Nesar: ফাল্গুনীর বাবা যদি মনে করে উনার মেয়ে A- পেয়েছে, তাই মশকরা করতে মিষ্টি নিয়ে এসেছি। তখন কি হবে ?। দোস্ত তুই আয় না, একসাথে যাবো। ফাল্গুনীর বাবা মা যে রাগী ?
Samir: বুঝেছি, এ জনমে আর আমার বিয়ে করা হবে না ?
Nesar: তোর বিয়ের জন্যে কি তুই তোর একমাত্র আপন বন্ধুকে বলি দিতে চাস?
Samir: থাক তোর আর যেতে হবে না । পরে আমি যদি দেবদাস হয়ে যাই না, তখন কিন্তু কিছু বলতে পারবি না ।
Nesar: ঠিক আছে। আমি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাব।
Samir: এই না হলে দোস্ত ?
Nesar: কিন্তু দোস্ত একটু ছাড় দেয়া যায় না। মানে, যে মেয়ে টাকে দেখতে গিয়েছিলাম ওইটাকে বিয়ে করা যায় না ??
Samir: চুপ শালা। এতোক্ষণ তোকে না বলে যদি ফাল্গুনীর বাবা মার কাছে এই request করতাম, তাহলেও তো তারা রাজি হয়ে যেতো। তুই আসলে বন্ধু নামের কলঙ্ক ?
Nesar: Plz দোস্ত, একটু ভেবে দেখ না। Decision টা change করা যায় কিনা।
Samir: আব্বু..আব্বু…. বিষ নিয়ে আসো তো, খাব ( জোরে জোরে চিৎকার করে ডাকলাম, যদিও আব্বু বাসায় নেই)।
Nesar: এই না না। আমি বিকালেই যাব। আর ফাল্গুনী দের বাড়িতেই যাব, বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। তুই কিন্তু আমাকে emotionally blackmail করলি।
Samir: কথা কম। বের হওয়ার আগে call দিস। রাখলাম bye….
Nesar: Bye….

 

ফাল্গুনের_ফুল  part_5

0
ফাল্গুনের_ফুল
part_5
#Writer_Farzana

কোচিং এ ক্লাস নেয়া শেষ করে বাড়িতে চলে আসলাম। তারপর নেছারের সাথে বসে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডার এক পর্যায়ে নেছার বলে উঠলো- 
Nesar: কালকের plan কি? কাল তো Friday… দুজন মিলে খুব ঘুরবো ?
Samir: কাল Friday? তাহলে তো কোচিং বন্ধ ?
Nesar: হ্যা, সে জন্যেই তো বলছি।
Samir: তাহলে তো কাল আর ফাল্গুনের ফুলের দেখা পাওয়া যাবে না (মনে মনে)।
Nesar: কি রে, কি ভাবছিস? চুপ করে আছিস যে?
Samir: না কিছুনা.. ভাবছি, কাল তাহলে ভালোই হবে। তোরও ছুটি, কোচিং ও বন্ধ। তুই আর আমি ঘুরতে পারবো? ( মুখে কৃত্তিম হাসি এনে)।
Nesar: হুম, তাহলে যদি তোর আসা সার্থক হয়।
Samir: ? ( আসা তো কবেই সার্থক হয়েছে। এখন শুধু পূর্ণতার অপেক্ষা)
Nesar: Uncle কেমন আছেন?
Samir: খুব ভালো আছে। তার বউমার জন্যে অপেক্ষা করছে। যেয়েই বিয়ে করবো কিনা ?
Nesar: ??… গ্রামে বিয়ে করবি নাকি?
Samir: মেয়ে ভালো হলে তো করাই যায়।
Nesar: কেমন যোগ্যতার মেয়ে চাই তোর?
Samir: যোগ্যতা কোন fact না মেয়ে যদি আমার পছন্দ হয়।
Nesar: তাহলে তো হয়েই গেল ?
Samir: কি হয়ে গেল ??
Nesar: আমার এক পরিচিত মেয়ে আছে, তোর পছন্দ হবে। চল কালই দেখে আসি। ( জায়গার নাম উল্লখ করে)
Samir: নাহ, কাল না। অন্য একদিন যাব ?
Nesar: অন্য এক দিন কবে, ঢাকা চলে যাওয়ার পর যাবি ??
বহুকষ্টে এই topic টা change করে কোচিং নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম। আমি জানি, ফাল্গুনের ফুলকে দেখার পর আমার আর অন্য কাওকে ভালো লাগবে না। নেছারের পছন্দ করানোর চেষ্টা টা বৃথা যাবে। কথায় কথায় জিজ্ঞেস করলাম ফাল্গুনের ফুলের বাড়ি কোথায়.. যে জায়গার নাম উল্লেখ করলো শুনে খুশি না হয়ে পারলাম না। নেছার যে মেয়েকে দেখতে যাওয়ার কথা বললো সে মেয়ের বাড়ি আর ফাল্গুনের ফুলের বাড়ি একই গ্রামে ?। তাই মেয়ে দেখতে যাওয়ায় রাজি হয়ে গেলাম। এই ভেবে যে, ফাল্গুনের ফুলকে যদি দেখতে পাই এই আাশায়।
রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম। যতক্ষণ চুপ করে থাকি ততক্ষণ ফাল্গুনের ফুলকে নিয়ে ভাবতে থাকি। আর যতক্ষণ ভাবতে থাকি ততক্ষণ মনে হয় ফাল্গুনের ফুল সাথেই আছে ?। ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম…
সকাল ৮:০০ টা…
Samir: কি রে, মেয়ে নাকি দেখাতে নিয়ে যাবি? তা কখন যাবি?
Nesar: বিকালে।
Samir: বিকালে না এখনই চল যাই।
Nesar: মনে হচ্ছে দেখে পছন্দ হলে এখনই বিয়ে করে ফেলবি, তাই এতো তাড়া ?
Samir: না, তা না। ভাবলাম যে দেখতে যখন হবেই তাহলে আগেই দেখে আসি।
Nesar: OK.. ১১:০০ টার দিকে যাবো।-
নেছার যদিও দেরী করতে করতে বিকালের দিকেই বের হতো। কিন্তু আমার তাড়া দেখে ১০:৩০ ই বের হলো আর বললো- এমন করছিস যেন মেয়ে দেখার জন্য বিকাল পর্যন্তও বেঁচে থাকবি না। তাই এতো তাড়া।
যেতে যেতে কৌশলে ফাল্গুনের ফুলদের বাড়িটাও চিনে নিলাম। কিন্তু বাইরে ওকে কোথাও দেখলাম না। ধ্যাত..?, আসাই বৃথা আমার। এখন আর মেয়ে দেখতে যেতেই মনে চাচ্ছে না। তারপরও গেলাম, তা না হলে নেছার সন্দেহ করতে পারে তাই। মেয়েটা কেও দেখলাম। কিন্তু কি যে দেখলাম বলতে পারবো না। পছন্দ হয়েছে কিনা নেছার জিজ্ঞেস করতেই সোজা বলে দিলাম, হয়নি। কেন পছন্দ হয়নি এই নিয়ে নানা প্রশ্ন করা শুরু করলো। কোন ans ই দিতে মনে চাইছে না। আমার কাছ থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে ক্ষান্ত হয়ে প্রশ্ন করা বাদ দিলো নেছার…

৩:০০ বাজে। নেছার বললো-
Nesar: চল, এবার বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসি।
Samir: শরীর টা ভালো লাগছে না, যাবো না কোথাও।
Nesar: যাবি না তো সত্যি?
Samir: সত্যি…
Nesar: আচ্ছা তাহলে আমি ঘুমাই, খুব ঘুম পাচ্ছে আমার?
Samir: হুম..
নেছার ঘুমানোর সাথে সাথে ready হয়ে বের হয়ে গেলাম ফাল্গুনের ফুল দের বাড়ির উদদেশ্যে, ওকে এক নজর দেখার আশায়। মনে নানা সংশয় নিয়ে পৌছে গেলাম ফাল্গুনের ফুল দের বাড়ির সামনে। আর দেখাও পেয়ে গেলাম আমার কাঙ্খিত জিনিসের ?। দেখলাম বাড়ির বাইরের বাগানে কানামাছি খেলছে ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে ?। ৫ মি: এর মতো দাড়িয়ে দেখলাম। গ্রাম তো তাই মানুষ দেখে আবার কি না কি বলে বসে সেই আশংকায় তাড়াতাড়ি চলে আসলাম, মনে এক অতৃপ্ত ভালোলাগা নিয়ে। ভাবলাম বিয়ে করে নেই আগে তারপর সারাদিন বসিয়ে রেখে দেখবো ??
———???——–
কোচিং ক্লাস fast period… ক্লাসে যেহেতু ফাল্গুনের ফুলের দিকে তেমন একটা তাকাইনা। তাই প্রতিদিন ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুটা আগেই পৌছে যাই, অফিস রুম থেকে ফাল্গুনের ফুল কে দেখবো বলে। আর তাই আজও কিছুটা আগেই এসে পড়লাম। কখন থেকে স্কুল গেটের দিকে তাকিয়ে wait করছি। ৭ মি: পর ক্লাস শুরু হবে, আর এখনও ফাল্গুনের ফুল টা আসলো না। ফাল্গুনের ফুল হয়ে কেন যে ডুমুরের ফুল হয়ে থাকে বুঝিনি। ক্লাসে যাবো এমন সময় আসলো ফাল্গুনের ফুল । দেরী করে আসলো জন্যে ভীষণ রাগ হচ্ছে। কাছে যেয়ে বললাম-
Samir: এতো দেরী করে আসো কেন তুমি? তাড়াতাড়ি আসতে পারোনা ??
Falguni: Sir আমি তো ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই এসেছি ?!
Samir: কাল থেকে আরও আগে আসবে।
Falguni: হুম (লক্ষী মেয়ের মতো বললাম)..
আজ ফাল্গুনের ফুল কালো বোরকার সাথে মেরুন কালারের স্কার্ফ পড়েছে। চোখে কাজল আর গোলাপি ঠোঁটে মিষ্টি হাসি। সব মিলিয়ে আজ আরও অসাধারণ লাগছে। আজ মনেহয় senseless না হয়ে heart attack ই করবো ??
——–???——–
আমি তো ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই আসলাম। তাও Samir sir কেন যে এতো রাগ করলেন, কিছু বুঝতে পারছি না ??। তাও ভালো যে পড়া করে এসেছি, তা না হলে না জানি আরও কত্তো বকা শুনতে হতো। এসব ভাবতে ভাবতে ক্লাসে এসে বসলাম। আজ দেয়ালের side এ বসেছি। অন্য side এ বসলে ছেলেরা তাকিয়ে থাকে, তাও আাবার বড় বড় করে। খুব uneasy লাগে। যাই হোক বইটা বের করে স্যার এর দেয়া পড়াটা revise দিচ্ছিলাম। আমি আবার পড়া শোনার ব্যাপারে খুব যত্নশীল মেয়ে কিনা ?। হঠাৎ দেয়ালের দিকে চোখ যেতেই দেখি ইয়া বড় একটা টিকটিকি, ডাইনোসরের মতো। আমার দিকেই তাকিয়ে আছে, যেন কত কালের শত্রুতা ??। ওরে বাবা.. ভীষণ ভয় লাগছে, একটু সরে বসলাম। আমি এই প্রাণিটা কে এতো ভয় আর ঘৃনা করি যে নামটা বলতেও আমার যেন কেমন লাগে। আর কোনও গুন্ডাও যদি এটা ধরে আমার সামনে এনে বলে তাকে বিয়ে করতে হবে। তাহলেও আমি রাজি হয়ে যাব। বাড়িতে থাকলে এতক্ষণ continue চিৎকার করতাম। ক্লাসে জন্যে পারছি না । স্যার আবার কি না কি মনে করবেন। এইসব ভাবছি আর সেই মুহুর্তে-
Samir: ফাল্গুনী….
স্যার ডাকতেই মনে হলো এই বুঝি বিশ্রী প্রাণিটা আমার গায়ে এসে পড়লো। ব্যাস দিলাম গগন বিদারী এক চিৎকার। চিৎকার শুনে যে যাই মনে করুক না কেন, আমার কিন্তু লাভই হয়েছে। টিকটিকি টা চলে গিয়েছে ?
Samir: কি ব্যাপার, তুমি চিৎকার করলে কেন ??
Falguni: ইয়ে মানে- স্যার আসলে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়া revise দিচ্ছিলাম। হঠাৎ আপনি ডাক দিলেন তো তাই। (যদি টিকটিকির কথা টা বলি, তাহলে- এখন তো স্যারের সাথে সাথে ছেলেরাও ফাল্গুনের ফুল বলে ডাকে। আর তখন ডাকবে টিকটিকি বলে। ছিঃ ছিঃ… সাধে কি আর হনুমান বলি ??)

সকাল ১০:০০ টা। কোচিং এর সময় টার জন্যে wait করছি। এমন সময় বাবার ফোন আসলো। বাবার নাকি শরীর টা খুব খারাপ ?। তাই আজই ঢাকা চলে যেতে হবে। নেছার কে ফোন করে সব বলে টিকিট confirm করতে বললাম। সুখের সময় গুলি কত্তো তাড়াতাড়ি চলে যায়, তাইনা? আমার ভালো লাগার সময় গুলোও তাড়াতাড়ি চলে গেল ?। আবার ব্যাস্ততার শুরু। আজ আর কোচিং এ ক্লাস নিতে পারবো না, কারণ আজ ২:৩০ মি: আমায় ফিরে যেতে হবে ঢাকা। ফাল্গুনের ফুল কে আজ আর দেখা হবে না। আর এও জানিনা ওকে আমি কোনদিন পাবো কিনা ?। আরও ২ দিন থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাবার শরীর টা খারাপ হওয়ায় হঠাৎই চলে যেতে হচ্ছে। শেষ বারের মতো দেখতে খুব ইচ্ছা করছে ফাল্গুনের ফুল কে। কি করবো উপায় তো নেই তাই মন খারাপ করে laptop এ Facebook browse করছি। ১:৩০ বাজে, হঠাৎই মনে হলো ওদের বাড়িতে গেলেই তো ওকে দেখতে পারি ?। যেই ভাবা সেই কাজ – Radar এর suggestion pepper নিয়ে ওদের বাড়ীর উদ্দেশ্যে বের হলাম।- বাড়ির দরজায় যেয়ে নক করতেই–
ফাল্গুনীর আম্মু: কে?
Samir: আমি ???।
ফাল্গুনীর আম্মু: আমি কে ? নাম নেই নাকি ??
Samir: জ্বি, আমি Samir ?। ফাল্গুনীর কোচিং এর teacher…
ফাল্গুনীর আম্মু: কি দরকার (গেট টা খুলে বললো)?
আবার আমাকে ভাই না বলে ফেলে সেই ভয়ে তাড়াতাড়ি বললাম…
Samir: আন্টি, আমি তো আজ চলে যাব। তাই একটা suggestion দিতে এসেছিলাম ফাল্গুনী কে।
ফাল্গুনীর আম্মু: তো স্কুলে দিলেই তো পারতে। ও তো স্কুলে।
Samir: আন্টি, আমি তো স্কুলের teacher না। আর আমার সময়ও নেই। তাই এখানে আসলাম। (আসলে আমার মনেই ছিল না যে কোচিং ছাড়া ওর স্কুলও আছে। ধ্যাত, এখন যে স্কুলে যেয়ে একটু দেখে আসবো তারও তো কোন উপায় নেই। হাতে সময় একদম কম।)
আমার হবু শাশুড়ি কে suggestion টা দিয়ে চলে আসলাম। আর আমার দুষ্টু বউ টাকে তো দেখতেই পারলাম না। আমার দুষ্টু বউ টার আম্মু যে এতো রাগী যে এখানে বেশীক্ষণ না থাকাই ভালো। শুনেছি সুন্দর মেয়ে দের আম্মুরা নাকি একটু বেশীই রাগী হয়। কপাল খারাপ হলে কি এতোই খারাপ হতে হয় ?।
——-???——-
কি ব্যাপার, আজ Samir স্যার আসেনি নাকি? চলে টলে গেল না তো আবার। না তা কেন যাবে। আরও তো ২ দিন ক্লাস নেয়ার কথা। তাহলে ক্লাসে আসলো না কেন ?। মনে হয় শরীর খারাপ।
মন খারাপ করেই পুরো কোচিং টা শেষ করলাম। মন খারাপ করেই বাড়ি ফিরলাম। বাড়িতে আসার সাথে সাথেই আম্মু বললো-
আম্মু: তোমার কোচিং এর teacher এসেছিল।
আমি: কোন teacher?
আম্মু: নাম বললো ..Samir..
আমি: কেন ??
আম্মু: কাল নাকি তোমাদের এই teacher চলে যাবে তাই এই suggestion টা দিয়ে গেল (একটা suggestion হাতে দিয়ে বললো)।
স্যার বাড়িতে আসলো কেন , স্কুলে গেলেও তো পারতো। তাও তো একটু দেখতে পারতাম। ধ্যাত, কি সব যে ভাবছি। আমি না হয় স্যার কে পছন্দ করি, তাই বলে তো স্যার আর আমাকে পছন্দ করেন না ?। আমি ফাঁকিবাজ student বলেই তো suggestion টা দিয়ে গেছেন, After all teacher তো।
——-???——-
সময় কতো তাড়াতাড়ি যায়। দেখতে দেখতে ৪ টা মাস চলে গেল। এর মধ্যে SSC পরীক্ষা দিলাম, আপুর বিয়ে হলো। কাল আবার result ও দিয়ে দিল। A- পেয়েছি। A- পেয়ে তো আমি রীতিমতো খুশি ?। তাও যে ভালো ফেল করিনি। কিন্তু আব্বু আম্মু বুঝতে নারাজ। আব্বু তো খুব রাগ করেছে। রক্তের গ্রুপ B positive হলে কি হবে, চিন্তা ধারা negative.. আর আম্মু বলছে বিয়ে দিয়ে দিবে। বিয়ে টা Samir স্যারের সাথে হলে আমি রাজি আছি ?। এতো কিছু শুনেও আমার মন খারাপ না, যতোটা মন খারাপ Samir স্যারের জন্যে ?।
?Farzana?

 

ফাল্গুনের_ফুল  part_4

0

ফাল্গুনের_ফুল
part_4
#Writer_Farzana

পুরোটা ক্লাসে আর একবারো ওর দিকে তাকাইনি। আমার মনের ভাব চোখে মুখে প্রকাশ পেয়ে যাবে কিম্বা কথা জড়িয়ে যাবে এই ভয়ে।-
বিকাল ৫ টা, কোচিং শেষ হয়ে গেছে। Student দের খাতা দেখার বাহানায় সব teacher দেরকে দেরী হবে বলে চলে যেতে বললাম। সবাই চলে গেল। তারপর খাতাগুলি রেখে কোচিং রুমের সামনে গেলাম। কিন্তু জিনিস টাতো খুঁজে পাচ্ছিনা ?। (ঘাসের মধ্যে অনেক্ষণ খোঁজার পর) হুম পেয়েছি.. ফাল্গুনের ফুলের ভেঙে যাওয়া কাটা টা ?। নস্যি কালার, বোঝাই যাচ্ছে dress এর সাথে match করে পরেছিলো। কাটা টা পকেটে ঢুকিয়ে রাজ্য জয়ের হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরলাম ?
সোজা গিয়ে বন্ধুর রুমে ঢুকলাম। ঢুকে দরজা টা আস্তে করে চাপিয়ে দিলাম, তারপর পকেট থেকে ফাল্গুনের ফুলের সেই ভাঙা কাটা টা বের করলাম। ওর কাটা টা ওর মতোই দুষ্টু। কাটা টা দেখতে খুব লাগছে, যেন ওকেই দেখছি ?। ভালো লাগার এমন feelings আমার life এ কখনও আসেনি। আমি এখন যে কাজগুলি করছি এটা যদি নেছার করতো, তাহলে ওকে আমার বন্ধ পাগল মনে হতো। কিন্তু আমি যেটা করছি সেটা আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। আসলে যাকে ভালো লাগে, তার সব কিছুই ভালো লাগে।- ভাবনায় ছেদ পড়লো দরজায় নক করার শব্দে। চমকে উঠে তাড়াতাড়ি কাটা টা পকেটে ঢুকিয়ে রাখলাম।
Nesar: মাত্র আসলি নাকি? Dress change করিসনি যে?
Samir: হুম, মাত্রই আসলাম।
Nesar: তোকে মনে হয় খুব কষ্টে ফেলে দিয়েছি, নারে? আসলি বেড়াতে আর আমি তোকে কাজে ঢুকিয়ে দিলাম।
Samir: না না কিসের কষ্ট ?। তুই তো সারাদিন বাইরেই থাকিস, একা থেকে থেকে আমি তো bore ই হয়ে যেতাম। তারচেয়ে কোচিং করানো টাই ভালো ?। ( আমাকে যদি এখন বলে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কোচিং করাতে হবে আর তাতে ফাল্গুনের ফুল থাকবে। তাহলে আমি তা সানন্দে করাবো ??)
Nesar: আজ ফাল্গুনী এসেছিল?
Samir: তোর যে ফাঁকিবাজ student সহজে আসতে চায় নাকি, ভূলে এসেছিলো ??
Nesar: ??
Samir: তুই যে বললি ফাল্গুনী cute…
Nesar: হ্যা, তো cute না!?
Samir: না। Cute বললে ভূল হবে, cute square… ( এর চেয়ে বেশী কিছু বলা গেলে তাই বলতাম, নেছার সন্দেহ করতে পারে তাই আর বেশী কিছু বললাম না। আমার আর ফাল্গুনের ফুলের বয়সের deference টা অনেক বেশী। তারপরও not bad । আমি আসলে আল্লাহর কাছে কোন জিনিস চেয়ে আজ পর্যন্ত কখনও ব্যর্থ হইনি। তাই আল্লাহর কাছেই চাইলাম আমি ওকে আমার জন্যে)
Nesar: কিরে, চুপ করে আছিস কেন? বাবার জন্যে tension হচ্ছে?
Samir: না, কিছুনা। বাবার সাথে কথা বলেছি দুপুরে। ভালো আছে বাবা…
Nesar: হুম, তাহলে তো tension এর কিছু নেই ?
Samir: না। তোর training শেষ কবে?
Nesar: এইতো আর ৫ দিন আছে।
কথা শেষে দুইজন ব্যস্ত হয়ে গেলাম.. আমি laptop নিয়ে আর নেছারও কি সব কাগজ পত্র নিয়ে। ভালোই কাটছিলো সময়টা। যাই করিনা কেন মনের মধ্যে একটাই ভালো লাগার শব্দ- ফাল্গুনের ফুল ??

ইস ?, স্যার টা দেখতে সুন্দর হলে কি হবে.. কত্তো পড়া দিয়েছে। স্যার হয়েছে বলেই কি এত্তো পড়া দিতে হবে ?? পড়া দেখে মাথা ঘুরছে। Ok, SSC তে A+ পেতে হলে আমার তাহলে কি করতে হবে ??। হুম, test pepper টা নিয়ে আসি ?। কোন গুলি মুখস্ত করবো সেইগুলি mark করি।- ১ ঘন্টা ধরে mark করলাম। উফ, ক্ষুদা লেগে গিয়েছে। ফ্রিজের থেকে একটা লেবু বের করলাম। খাওয়ার রুমে যাব। যেতেই আম্মুর সাথে খেলাম গুতা।
আম্মু: দেখে হাঁটতে পারোনা। পর্দা মাথায় নিয়ে ছোট?
আমি:??….
আম্মু: আর লেবু দিয়ে কি করবে ??
আমি: লেবুর আমসত্ত্ব করবো ?
আম্মু: লেবুর আবার আমসত্ত্ব করে কিভাবে ??
আমি: (শুনতে চাইলো তাই আগ্রহের সাথে বলা শুরু করলাম, আমার একটা দায়িত্ব আছে না) প্রথমে পেঁয়াজ, মরিচ আর ধনেপাতা কুচি করে নিতে হবে। তারপর কিছু চানাচুর নিতে হবে। ছোলা দিতে পারলে ভালো। আর না থাকলে, না হলেও চলবে। এটা আসলে optionally.. তারপর এক কাপ পরিমাণ মুড়ি নিতে হবে। তৈরী করে রাখা মসলাটাও এর ভেতরে দিয়ে দিতে হবে। আর দিতে হবে কিছুটা লেবুর রস। তারপর ভালো করে mix করে ফেলতে হবে। ব্যাস হয়ে গেল তৈরী মজার লেবুর আমসত্ত্ব?
আম্মু: (এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে শুনছিল) এটা তো ঝালমুড়ি হলো ?
আমি: আম্মু তুমি জানোনা এক মুখ থেকে কথা আর এক মুখে গেলে তা change হয়ে যায়। এটার নাম আসলে আগে লেবুর আমসত্ত্বই ছিলো। এক মুখ থেকে আর এক মুখে যেতে যেতে নামটা change হয়ে লেবুর আমসত্ত্ব থেকে ঝালমুড়ি হয়ে গেছে ??
আম্মু: তোমাকে না কষে একটা থাপ্পড় দেয়া উচিৎ। পড়াশোনা নেই কিছু না, শুধু দুষ্টুমি ?। ( বলে চলে গেল)
(আম্মু কিভাবে বলে যে আমি পড়িনা। এই যে এতক্ষণ বই নিয়ে বসে ছিলাম তার কোন নামই নেই, না !)
সোজা খাওয়ার রুমে যেয়ে লেবুর আমসত্ত্ব ওরফে ঝালমুড়ি টা করে নিয়ে এসে কম্পউটারের সামনে বসলাম। তারপর Cinderella cartoon দেখতে লাগলাম ঝালমুড়ি খেতে খেতে, সাথে আপুও।খাওয়া শেষ করে আবার বই নিয়ে বসলাম… আব্বুর ইচ্ছা আমরা দুই বোন ডাক্তার হই। আপুর পড়াশোনা তো ডাক্তার হওয়ার মতোই। আমি তো আবার কাটা-ফাটা দেখে ভীষণ ভয় পাই। ধরেন, না হয় কষ্ট করে ডাক্তার হয়েই গেলাম। তারপর OT তে গেলাম সার্জারি করতে। Pesent এর পেটে টিউমার হয়েছে। সেটা পেট থেকে উচ্ছেদ করতে পেটটা কাটলাম। তারপর পেটের ভেতরে রক্ত দেখে senseless হয়ে গেলাম। ২ ঘন্টা পরও sense ফিরছে না। তো আমি যেহেতু ডাক্তার, তাই আমার জন্য বিশেষ medical বোর্ড গঠন করা হবে। আর আমি চাইনা আমার জন্যে ডাক্তার দের এতো পেরেশানি হোক। তাই ঠিক করেছি আমি ডাক্তার না ইন্জিনিয়ার হবো। তা পড়াশোনার যে system তাতে ইন্জিনিয়ার তো দূরে থাক ইন্জিনিয়ারের assistant ও হতে পারবো না । আমাদের গ্রামের রাজমিস্ত্রীর assistant হতে হবে। ধুর ইন্জিনিয়ার হতেই হবে এমন কোন কথা আছে নাকি ?। বর টা ইন্জিনিয়ার হলেই হবে, Samir স্যারের মতো ??
আমার মতে paragraph পুরোটা দেয়া উচিৎ না, অর্ধেক দিতে হয়। এই Samir স্যার টা যে কি না। আর এই যে এইসব পাটিগণিত, বীজগণিত, ত্রিকোণমিতি, পরিমিতি এইগুলির life এ কোন দরকার আছে ?? +,-, ×,÷ ই তো যথেষ্ট। আবার chemistry এর পাতা গুলি পূর্ণ করেছে কি সব সংকেত দিয়ে। এই সব reading পড়লে কি মনে থাকে। Teacher রা না আসলে পড়াশোনার নামে student’s দের উপর নির্যাতন করে ?। যাই হোক পড়াটা complete না করলে তো আবার নির্যাতনের স্বীকার হতে হবে। কাল ইসলাম শিক্ষার short test নিবে, এখন reading পড়লে মনে থাকবে না। তাই এই subject টা কাল সকালে পড়বো। পড়াশোনা complete করে ঘুমিয়ে গেলাম, সকালে তো আবার স্কুলে যেতে হবে ?।….

হঠাৎ করে ঘুম টা ভেঙে গেল। এতো সকালে উঠতেই ইচ্ছা করছে না ?। পাশে রাখা ঘড়িটা হাতে নিয়ে এক চোখ খুলে তাকালাম ওটার দিকে । সর্বনাশ ( লাফ দিয়ে উঠে) এতো ৭:৩০ বাজে, আমার তো ৬:০০ টায় উঠার কথা। ৭:৩০ বাজলো কিভাবে? আজ তো আবার ইসলাম শিক্ষার short test হবে, তাড়াতাড়ি উঠে পড়তে বসলাম। তারপর পড়া complete করে, খেয়ে, গোসল করে, ready হয়ে বের হয়ে গেলাম স্কুলের উদ্দেশ্যে।
যথাসময়ে পৌছে গেলাম স্কুলে। স্কুলে ঢুকতেই শুনলাম- ছেলেরা বলছে ঐ দেখ ফাল্গুনের ফুল আসছে। স্যার বলেছে বলেছে তোরা কেন বলিস (মনে মনে) ?। অনেক ছেলেরাই আমাকে পছন্দ করে, কিন্তু আমি কাওকে accept করিনা। কথা আমি বলিনা আমি ছেলেদের সাথে। আর যারা আমাকে বলে আমাকে ভালোবাসে তাদের আমার একদমই ভালো লাগেনা, ফালতু মনে হয়। ভালোবাসি, এটা বলার এটা কোন নিয়ম হলো! আমার এক cousin আমাকে suggestion দিয়েছে- কখনও classmate কে পছন্দ করতে নেই, তারা বিপদে help করতে পারে না কখনও। তাই আপাত:ত পছন্দের ব্যাপারে আমার কোন interest নেই। এসব ভাবতে ভাবতে ক্লাসে এসে পৌছলাম।
এখন চতুর্থ period- ইসলাম শিক্ষা short test শুরু হয়ে গেছে।-
আমি: এই লতা সব common পড়েছে রে (ফিসফিস করে)?
লতা: নারে ?।
আমি: তুই না পরিস, তাহলে পারছিস না কেন ??
লতা: কাল পড়িনি রে, তুই পড়িসনি?
আমি: Reading পড়ে কি ওতো মনে রাখা যায় নাকি ??
লতা: হুম।- ?
যাই হোক exam তো দিতেই হবে। Short question এর চারটা option দেয়ার কি দরকার। যেটা পড়ি মনে হয় সেটাই হবে। ধ্যাত, দুইটা option দিলেই তো ভালো হো। এতো confusion থাকতো না। একটা না একটা তো হতোই ?। বহু কষ্টে short test শেষ হলো ?।
শরিফ স্যার(ই: teacher): ফাল্গুনী, short test কেমন হলো?
আমি: জ্বি স্যার….
শরিফ স্যার: জ্বি স্যার মানে কি?
আমি: জ্বি স্যার মানে ভালো (স্যার এইটুকুও জানে না, তাই আবার teacher হয়েছে ?)
শরিফ স্যার: ও, ভালো হলেই ভালো। (বলে চলে গেল)
সব teacher রা আমাকেই torture করার জন্যে বেছে নিয়েছে কেন, কে জানে! ভালো লাগে না ?।
Tiffin period চলছে..১০ টা center fruit কিনলাম। কোচিং এর সময় bubbles ফুলানোর practice করবো ?। সামনে SSC exam জন্যে tiffin এর পরে এক period এর বেশী হয়না।
৩:০০ বাজে, কোচিং ক্লাসে যেতে হবে। প্রথমেই Samir স্যারের ক্লাস। আর যাই হোক Samir স্যারের পড়াটা complete করেছি। হাজার হলেও নতুন স্যার, তার কাছে আমার একটা prestige আছে না ?।
স্যার এসেছে ক্লাসে। স্যারের ভাষ্যে পড়া যেহেতু সে কম দিয়েছে , তাই একটু গল্প করে তারপর পড়া ধরবেন তিনি। তাই চিন্তা করলাম bubbles ফুলানোর practice টা হয়ে যাক তাহলে ?। সামনে বইটা নিয়ে ১৫ মি: ধরে practice করছি, কিছুতেই হচ্ছে না ?। মনে হয় center fruit গুলি ভালো না ( নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা আর কি)। ফুঁ দিতেই ছুটে ২ হাত দূরে যেয়ে পড়ে ?। পরপর ৬ টা center fruit নষ্ট হলো।
হুম, এইবার হয়েছে ?। যেই না bubbles ফুলিয়েছি অমনি Samir স্যার ডাক দিলো। আর সাথে সাথে bubbles টা ফুটে পুরো ঠোঁটে লেগে গেল ?

Right time এর কিছুটা আগেই কোচিং এ ক্লাস নিতে চলে আসলাম। ফাল্গুনের ফুলটা কে দেখতে ভীষণ ইচ্ছা করছিল। ওকে আমার ভীষণ ভালো লাগে ?। হয়তো ওর কাজল কালো চোখের দুষ্টু চাহনি আর ওর গোলাপ রাঙা গোলাপি ঠোঁটের মিষ্টি হাসিটার জন্য ?।
সত্যি বলতে কি, ওর পড়াশোনায় ফাঁকিবাজি টাও আমার ভীষণ ভালো লাগে। এ যেন এক অন্য রকম ভালো লাগা। আসলে যাকে ভালো লাগে তার সব কিছুই মনে হয় ভালো লাগে। সে যাই হোক, যথা সময়ে ক্লাসে গেলাম। আজ ফাল্গুনের ফুল বোরকা পড়ে এসেছে, বোরকা ছাড়া আসেনি। অসম্ভব সুন্দর লাগছে ওকে ?। বেশীক্ষণ আর ওর দিকে তাকালাম না। ওই যে ভয় একটাই সৌন্দর্যের আধিক্য সহ্য করতে না পেরে যদি senseless হয়ে যাই। তাই অন্য students দের সাথে কথা বলা শুরু করলাম। কাল যেহেতু serf একটা paragraph দিয়েছি তাই সবাইকে বললাম যে আগে একটু গল্প করে নেই তারপর পড়া ধরবো। ফাল্গুনের ফুলের দিকে একবারও তাকাচ্ছিনা, না তাকালেও আবছা দেখতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে বই বের করলো। হয়তো paragraph টা revise দিবে।
কথা বলতে বলতে কিছুটা সময় পার হয়ে গেল, এবার পড়া ধরার পালা।
Samir: অনেকক্ষণ তো গল্প হলো নাকি? (students দের উদ্দেশ্যে)
Students: জ্বি স্যার।
Samir: তাহলে পড়া ধরি এখন, কি বলো?
Students: জ্বি স্যার…
অনেকক্ষণ ফাল্গুনের ফুলের দিকে না তাকিয়ে আছি। দেখা যাক আমার ফাল্গুনের ফুল টা কি করছে। ফাল্গুনের ফুল বলেই ডাকতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু না জানি আমার advance students রা আবার কি advance কি advance চিন্তা করে বসে। তাই বাধ্য হয়েই ফাল্গুনী বলেই ডাকতে হচ্ছে।-
Samir: ফাল্গুনী…? (ওমা একি, পড়ার নামই তো নেই। এ যে bubbles ফুলানোতে ব্যস্ত। কিন্তু ডাক দেয়ার সাথে সাথে bubbles টা ফুটে ওর গোলাপ রাঙা ঠোঁট জোড়াকে ঢেকে দিল ?। খুব কষ্টে নিজের হাসিটা control করে মুখে গাম্ভীর্য এনে তারপর বললাম-
Samir: পড়া করে এসেছো?
ফাল্গুনী: জ্বি স্যার (তাড়াতাড়ি ঠোঁট থেকে bubbles সরিয়ে)।
Samir: ঠিক আছে, বলো।-
ফাল্গুনী: এক নিশ্বাসে পুরো paragraph টা বলে দিলাম..
Samir: হুম, তুমি তো অনেক ভালো পড়া পারো। তাহলে পড় না কেন?
ফাল্গুনী: ? (তার মানে আমার নামে দুর্নাম করা শেষ নেছার স্যারের ?)
Samir: বড় হয়ে কি হওয়ার ইচ্ছা?
ফাল্গুনী: এখন যদি বলি ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার, তাহলে তো অনেক কথা শুনতে হবে। তার চেয়ে চুপ থাকাই better.. (মনে মনে)
Samir: কি হলো চুপ করে আছো কেন, বলো-
ফাল্গুনী: আব্বুর ইচ্ছা ডাক্তার হই।
Samir: আর তোমার ইচ্ছা?
ফাল্গুনী: জ্বি মানে স্যার, ইয়ে মানে…
Samir: হুম, বুঝতে পেরেছি বসো ?।
(তোমার তো ডাক্তার হওয়ারও ইচ্ছা নেই, ইন্জিনিয়ার হওয়ারও ইচ্ছা নেই। তুমি তো হবে দুষ্টু বউ, আর আমার দুষ্টু বউ ভীষণ পছন্দ ?)
Samir স্যার টা না আসলে খুব ভালো। আমাকে একদম বকে না। স্যার অন্যদের পড়া ধরছে, আর আমি branch এর উপর কনুই রেখে বাম হাতের পাতার উপর ডান হাতের পাতা দিয়ে থুতনি টা তার উপর ঠেকিয়ে স্যারের দিকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে আছি।
লতা: কিরে স্যারের দিকে ওই ভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? স্যার তো পড়া বোঝাচ্ছেনা যে বলবি, পড়া শুনছি।
ফাল্গুনী: কেন, স্যারের দিকে তাকানো বারন নাকি?
লতা: না, তা না..
ফাল্গুনী: তো?
লতা: স্যার কে তোর খুব ভালো লাগে তাইনা?
ফাল্গুনী: হুম ☺…
লতা: তাহলে স্যার কে বিয়ে করে ফেল…
ফাল্গুনী: হুম (হঠাৎ খেয়াল হলো কথাটা বিয়ে সম্পর্কে ছিলো)। কি বলিস এসব!
লতা: ঠিকই তো বললাম। তোর যে পছন্দ।
ফাল্গুনী: আরে না।
লতা: Problem কোথায়?
ফাল্গুনী: স্যারের আর আমার বয়সের deference দেখেছিস। স্যার তো আগে আগে মারা যাবে, তখন আমার কি হবে বল ?।
লতা: তুই আসলেই একটা ফাজিল ?।
ফাল্গুনী: রাগ করিস কেন, এমনি বললাম। স্যারের বউ হওয়া তো দূরের কথা, স্যার কে যদি বলি.. স্যার আপনার বাসার কাজের মেয়ে হবো আমি। তাহলে স্যার কি বলবে জানিস?
লতা: কি বলবে ??
ফাল্গুনী: বলবে যে, আমার বাসার কাজের মেয়ে হওয়ার যোগ্যতা তোমার নেই। আমার বাসার কাজের মেয়ে হওয়ার জন্য কমপক্ষে B.A. complete হতে হবে।
লতা: হ্যা, আমি তো তোকে সেই বিয়ের কথাই বলছি ?।
ফাল্গুনী: ধুর, কি সব যে বলিস না। পড়া করে আসিস কাল।
লতা: কিন্তু কাল তো Friday…
ফাল্গুনী: কি, সত্যি?
লতা: হুম…
তাহলে কাল তো স্যার কে দেখতে পাবো না, খুব miss করবো ?।

Coming soon interesting part..?Farzana?

ফাল্গুনের_ফুল part_3

0

ফাল্গুনের_ফুল
part_3
#Writer_Farzana

আমি Samir, বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। মা মারা গিয়েছে বছর দুয়েক হলো, বাবা আছে। গত বছর বুয়েট থেকে ইন্জিনিয়ারিং টা complete করে job করছি। ১৫/২০ দিন পরে ১ টা new project হাতে নেয়ার কথা। এর মাঝে free আছি কিছুদিন। Life-এ ব্যস্ততা চলে আসলে free সময় টা আর খুঁজে পাবোনা। তাই ভাবলাম free যখন আছি তখন friend এর বাড়ি থেকে ঘুরে আসলে মন্দ হয়না। জানি বাবা একা থাকবে, তারপরও বাবাকে বললাম-
Samir: বাবা, আমি একটু নেছারদের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি একা থাকবে জন্যে যেতে ইচ্ছা করছে না।
বাবা: যাবি, তো problem কোথায়?
Samir: তুমি যে একা থাকবে।
বাবা: তুই কি সব সময় বাসায় থাকিস? এমনিতেই তো আমি সব সময় একাই থাকি।
Samir: হুম ? ( আমি জানি আমার প্রতি বাবার একটা চাপা অভিমান আছে)
বাবা: তোকে যেতে দিতে পারি এক শর্তে…
Samir: কি শর্ত? ঠিক আছে বাবা এসে তোমাকে সময় দেয়ার চেষ্টা করবো, যেন তোমার একা না লাগে।?
বাবা: তুই কি সত্যি আমাকে সময় দিতে পারবি? ?
Samir: ??
বাবা: তার চেয়ে আমার শর্ত টা মেনে নে।
Samir: হুম বলো…
বাবা: বন্ধুর বাড়ি থেকে ঘুরে এসে বিয়ে করবি।?
Samir:  (লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে ফেললাম)
বাবা: দেখ তোর বয়স তো কম হয়নি, ২৯ হয়ে গিয়েছে। আমি জানি যে পড়াশোনা complete করে ১টা job করার ক্ষেত্রে বয়স টা বেশী না। কিন্তু আমার একাকিত্ত্ব টা তোর বয়সের চেয়ে বেশী হয়ে গেছে। ?
Samir: 
বাবা: আর এখনো যদি তুই বিয়ের কথা শুনে মেয়েদের মতো লজ্জা পাস, তাহলে লজ্জা পেতে পেতে দেখবি ৮০ বছর হয়ে গেছে। তখন আর বিয়ের বয়স থাকবে না, আর আমিও থাকবো না। একা হয়ে যাবি একদম। ?
Samir: আচ্ছা তুমি মেয়ে দেখ।
বাবা: নারে, আমি তোর জন্যে মেয়ে দেখার মধ্যে নাই। তোর মা বেঁচে থাকতে সে তো কম মেয়ে দেখেনি, কিন্তু তোর তো পছন্দই হয় না। ?
Samir: পছন্দ না হলে আমি কি করবো বলো?
বাবা: সে জন্যেই তো বলছি আমার দেখা মেয়ে তোর পছন্দ হবে না। তাই নিজে দেখে পছন্দ করে বিয়েটা খুব তাড়াতাড়ি করে ফেল। নাহলে তোর মার মতো তোর বউটা না দেখে আমারও চলে যেতে হবে। ?
Samir: বাবা ???
বাবা: আর তুই যদি বিয়ে না করিস তাহলে একাকিত্ত্ব দূর করার জন্য আমি নিজেই বিয়ে করে ফেলবো। চিন্তা করে দেখ তখন তোর মান সন্মান কোথায় থাকবে?? ( পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কথা গুলি বললো)
Samir: ?? বাবা আমি রাজি তুমি করতে পারো।
বাবা: চুপ বেয়াদব.. যা বলছি তাই করবি ? (বলে উঠে চলে গেলো)
বাবা: আর শোন, যদি তোর পছন্দের কোন মেয়ে থাকে তাহলে তাকে আজই বিয়ে করে নিয়ে আয় (আবার ফিরে এসে বললো)
Samir: তুমি তো জানো বাবা আমার এমন কেউ নাই। OK আমি তো কথা দিচ্ছি তোমাকে.. ঘুরে এসে সত্যিই বিয়ে করে ফেলবো। ?
বাবা: হুম, কথাটা যেন মনে থাকে। তা যাবি কবে বন্ধুর বাড়িতে?
Samir: তুমি যদি বলো তাহলে কালই যাই।
বাবা: হুম, যা। (বলে চলে গেল)
আমি জানি বাবার একা থাকতে খুব কষ্ট হয়। এবার পছন্দ না হলেও বিয়ে টা করেই ফেলবো। প্রথমেই কি সব সময় সবাই কে পছন্দ হয় নাকি। দেখতে দেখতে আর সাথে থাকতে থাকতে ঠিক পছন্দ হয়ে যাবে। ? এসব ভাবতে ভাবতে রাতে ব্যাগ গুছাচ্ছিলাম। ও..? নেছার কে তো বলাই হয়নি যে ওদের ওখানে আমি যাচ্ছি। সকাল ৮ টায় গাড়ি। তো ফোন করে বলে ঘুমিয়ে গেলাম।

Alarm বাজছে, সকাল ৭ টা। তাড়াতাড়ি উঠে fresh হয়ে breakfast করলাম বাবার সাথে। তারপর ready হয়ে বাবাকে বলে বের হয়ে গেলাম…
বাসে উঠে বসে আছি। ৮:১৫ বাজে, এখনো বাস ছাড়ার নামই নেই ?। বাস ছাড়তে ছাড়তে ৮:৩০ বেজে গেল।
অবশেষে টানা ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিটের long journey-র পর ৩ টার দিকে friend এর বাড়িতে এসে পৌছালাম। নেছারও আমার মতো একাই, মানে ওরো কোন ভাই বোন নেই। দেখলাম খালাম্মা বাইরে দাড়িয়ে আছে। সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করে বললাম ?
Samir: খালাম্মা, নেছার কই?
খালাম্মা: বাবা, তোমার বন্ধু কোচিং এ গেছে। তুমি fresh হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি।
Samir: জ্বি…?
Fresh হলাম, খাওয়া-দাওয়া করলাম। বিকাল ৫ টা বাজে, নেছারের ঘরে শুয়ে rest নিচ্ছি। খালাম্মা বললো ৫ টায় আসবে, এখন তো ৫:৩০ বাজে ?। এমন সময় দরজায় নক করলো-
Nesar: কিরে, খবর কি? এসে একটা কল করতে পারিসনি?
Samir: হুম, তা তো পারতামই। তা teacher রা তো teachers training করে, তুই আবার কোচিং করছিস কেন ??
Nesar: ধুর শালা, কোচিং করছি না করাচ্ছি।
Samir: ???
Nesar: তবে হ্যা, পরশু দিন তোর ইচ্ছা পূরণ হবে ?
Samir: আমার?
Nesar: হুম…
Samir: কি ইচ্ছা?
Nesar: পরশু থেকে আমার teachers training শুরু, চলবে ৭ দিন।
Samir: কি ?(লাফ দিয়ে উঠে বসে)? আগে বলিসনি কেন?
Nesar: বললে কি আসতি?
Samir: ভাবলাম, দুজন মিলে শুধু ঘুরবো। তা আর হলো কই। আশায় গুড়োবালি ??
Nesar: এমন ভাব করছিস যেন মরে যাচ্ছি, এজন্যে তোর সব আশা শেষ। শোন বাড়ি থেকেই যাওয়া আাসা করবো তুই এসেছিস বলে। বেড়ানো হবে, আড্ডাও হবে। সব হবে ?
Samir: বলছিস তাহলে ??
Nesar: হুম, কিন্তু আমাকে একটু help করতে হবে তোর।
Samir: একটু না পুরাই করতে পারি। তোর জন্যে তো আমি সব করতে পারি ?
Nesar: তা কি করতে পারিস শুনি।
Samir: বেড়াতে পারি, আড্ডা দিতে পারি আবার blue কালারের shirt ও পড়তে পারি তোর জন্যে ??
Nesar: হুম, তাহলে তো অনেক ভালোবাসিস আমাকে।
Samir: হুম, বাসিই তো ?
Nesar: থাক, আমার জন্যে আর এতো কিছু করতে হবেনা। Just একটা কাজ করলেই চলবে।
Samir: বল….
Nesar: আমার তো training থাকবে পরশু থেকে, সে জন্যে আমি তো কোচিং এর ক্লাসগুলি নিতে পারবো না। আবার সামনে তো ওদের SSC পরিক্ষা, ক্লাস না নিলেই নয়। তুই এসেছিস ভালো হয়েছে, ক্লাস গুলি তুই নিবি।
Samir: আমি? আমি কি পারবো ??
Nesar: তুই বুয়েটের student হয়ে এমন কথা বলতে পারলি! তুই পরশু থেকে ক্লাস নিবি, এটাই final ব্যাস।
Samir: হুম…
Nesar: কাল তোকে সাথে নিয়ে যাব, সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেব ?
তারপর দুইজন অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিলাম…
পরদিন সকাল ৯:৩০ মি:….
Nesar: দোস্ত শোন, আমি স্কুলে গেলাম।
Samir: যা যা.. ABCD পড়ে আয় ?
Nesar: ready থাকিস, তোরও ABCD পড়তে হবে। কল দিলে চলে আসিস আমার স্কুলে। ওখান থেকে কোচিং এ যাব।
Samir: কোচিং এ যাব মানে কি, কোচিং করাবো বললেই তো হয়।
Nesar: কোচিং টা অন্য স্কুলের।
Samir: ও, কল দিস। আগে বললি নিয়ে যাবি, এখন বলছিস একাই যেতে ?
Nesar: তুই কি মেয়ে মানুষ নাকি যে একা যেতে problem?
Samir: না, তা হতে যাব কেন ?
Nesar: আর যদি বলিস এখন আমার সাথে যেয়ে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বসে থাকবি, তাহলে চল নিয়ে যাই।
Samir: না থাক, আমি একাই যেতে পারবো। তুই যা।
Nesar: OK, bye..?
Samir: Bye..?
কি আর করবো Laptop নিয়ে বসলাম… দেখতে দেখতে ২:৩০ বেজে গেল, তারপর নেছারের কল আসলো। বের হলাম ওর স্কুলের উদ্দেশ্যে….

পৌছে গেলাম ওর স্কুলে, তারপর সেখান থেকে সোজা কোচিং এ । সবার সাথে পরিচিত হলাম। সবাই কে জানিয়ে দেয়া হলো, কাল থেকে আমি ওদের ক্লাস নিচ্ছি নেছার না আসা পর্যন্ত। তারপর নেছার লতা মেয়ে টাকে জিজ্ঞেস করলো-
Nesar: লতা, আজও ফাল্গুনী আসেনি?
লতা: জ্বি না স্যার…(দাড়িয়ে)
Nesar: OK, বসো।
এখানে তো আজ আমার কোন কাজ নেই, তাই নেছার কে বলে চলে আসলাম। কি আর করা, গ্রামটা একাই ঘুরে ঘুরে দেখছি। যদিও দেখার মতো কিছুই নেই।
রাতে খাওয়া শেষে….
Samir: ফাল্গুনী কে রে?
Nesar: আমার কোচিং এর student..
Samir: পড়াশোনায় কেমন?
Nesar: তুই চিন্তাও করতে পারবি না এতো ফাঁকিবাজ। পড়াশোনা যে পারেনা তা না, কিন্তু পড়েই না। আসলে একটু extra take care করিস তো, যেন ভালো result করতে পারে।
Samir: হুম, করবো ?
( জীবনে চিন্তাও করিনি যে ইন্জিনিয়ার হয়ে কখনো কোচিং করাতে হবে। দেখা যাক কি হয়, যাই তো আগে)
যথারিতী সময় হলো আর আমি কোচিং ক্লাসে পৌছে গেলাম…যেয়েই fast question করলাম লতা কে..
Samir: লতা, আজও তোমার friend আসেনি?
লতা: জ্বি না, স্যার (দাড়িয়ে)।
Samir: OK, বসো।
তারপর কোচিং শেষে বাড়িতে আসলাম..
Samir: কি রে, তোর ফাঁকিবাজ student তো আজও আসেনি ?
Nesar: এই মেয়ে টা এই রকমই!
একবার কি করেছে জানিস- ক্লাসে না যেয়ে common রুমে বসে আছে। তো আমি আর মুকুল স্যার যে যার ক্লাসে যাচ্ছি। তখন ফাল্গুনী দের মুকুল স্যারের ক্লাস ছিল। তাই ওকে দেখে মুকুল স্যার এগিয়ে গেলেন, সাথে আমিও।
M. Sir: কি ব্যাপার ফাল্গুনী, ক্লাসে যাওনি কেন? Falguni: জ্বর এসেছে স্যার (চোখে পানি এনে)?
ওমনি মুকুল স্যার ওর কপালে হাত দিল দেখার জন্যে । যখন দেখলো ওর কপালের চেয়ে মুকুল স্যারের হাতই গরম, তখন কি বলে জানিস.. বলে.. স্যার, আসলে উপরে জ্বর আসেনি, ভিতরে জ্বর এসেছে ??
তাহলে কেমন লাগে বল ?
Samir: ???
Nesar: এমনিতে খুব cute মেয়ে, তাই কোন teacher ই মারে না ওকে। যা নালিশ করার ওর মার কাছে কল করে বলা হয়। তারপরও কোন change নেই। এজন্যেই তো বললাম, একটু extra care করতে।
Samir: হুম করবো, যদি আসে ?
তারপর আড্ডা দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম…

কষ্টের অনুভূতি: মাঝে মাঝে জীবনের রং টা বর্ণহীন মনে হয়…
মনে পড়ে সেই দিনের কথা, যেদিন ভালোবেসে আমার জীবন টা আমি তোমার হাতে তুলে দিয়েছিলাম সুখের আল্পনায় রাঙিয়ে দেয়ার জন্যে। আমার জীবন টাকে রংহীন করার জন্য নয় ??
আর আজ তুমি আমার বুকের ভিতরের কলিজা টা কুচিকুচি করে কাটছো তোমার কথা দিয়েই ??
জানি আমার চোখের জলের দাম আজ তোমার কাছে নেই, তাই মূল্যহীন জিনিস টা তোমাকে আর দেখাই না ??
হয়তো আমি তোমার কাছে ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনার মতোই। ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলে যেমন কেউ ফিরে তাকায় না, তুমিও ঠিক তেমনি আমার দিকে ফিরেও তাকাও না।
আমি যে সুন্দর না তা তো না, হাজারে ১ জন হবো এতটুকু সৌন্দর্য আল্লাহ আমায় দিয়েছেন। তাহলে কেন এতো অবহেলা!?
কি দোষ করেছি আমি তোমার কাছে, ভালোবাসি তোমায় এটাই কি সব চেয়ে বড় দোষ আমার ???
এক সময় দেখবে ঠিক তোমায় ছেড়ে আল্লাহর কাছে চলে যাব। তখন চাইলেও আর পাবেনা ?? । কেউ তোমায় বলবেনা আমার সাথে একটু কথা বলো Plz। কেউ তোমায় জড়িয়ে ধরে বলবেনা.. আমায় একটু ভালোবাসো Plz.. তখন বুঝবে কষ্ট আর একাকিত্ত্ব কি জিনিস ??
জীবন টা আল্লাহর জিনিস তাই চাইলেই এটার কোন ক্ষতি আমি করতে পারিনা, আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে ??
আল্লাহর কাছে শুধু এতটুকুই চাইবো যে… তোমার দেয়া কষ্ট গুলিতে যেনো আমার এতো কষ্ট না হয় ???

: পর দিন সকাল ৯:০০ টা-
Nesar: এই ওঠ, আর কতো ঘুমাবি? মা তোর জন্যে খাবার নিয়ে বসে আছে।
Samir: ইস ?, ডাক দেয়ার আর সময় পেলিনা। মাত্র কবুল বলতে নিয়েছিলাম, আর তুই এত বড় স্বার্থপর বন্ধু যে নিজের বিয়ে হয়নি দেখে আমার বিয়ে টাও হতে দিলিনা ??
Nesar: হুম..শুধু সপ্নে বিয়ে করলেই চলবে, real বিয়ে করবি কবে? তোর বাবা কি বলে?
Samir: আমি যদি বাবাকে না বলে এখন বিয়ে করে বউ নিয়ে বাবার সামনে যাই, তাহলেও বাবা ভীষণ খুশি হবে। তাহলে বোঝ বাবা কি বলে ?
Nesar: তাহলে তো তোর freedom life শেষ।
Samir: যদি সে আমায় ভালোবাসে তবে এমন হাজারো freedom life আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি।
Nesar: হুম, তাহলে তো তোর freedom life ছাড়ানোর ব্যাবস্থা করতেই হয় ??
Samir: হুম 
Nesar: এখন চল খেয়ে নেই…
দুপুর ২:৩০ বাজে ready হয়ে কোচিং এ চলে গেলাম-
দুপুর ৩:৩০ বাজে- fast class টা আমারই ছিলো। Class নিচ্ছি এমন সময় বাইরে তাকিয়ে দেখি পুকুর পাড়ে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে দাড়িয়ে একটা মেয়ে পুকুরের জল দেখছে। বয়স ১৪/১৫ হবে। নস্যি কালারের ১ টা dress পড়েছে, পেছন থেকে বোঝা যাচ্ছেনা ততোটা। ক্লাসে মনোযোগী হলাম। কিছুক্ষণ পর আবার বাইরের দিকে তাকালাম..??.. মায়ের কাছে শুনেছি সাদা-লাল ফর্সাটা মানে দুধে আলতা বলে যেটাকে, সেটা নাকি অনেক সুন্দর হয়। মা সব সময় বলতো এমন একটা মেয়ে কে আমার বউ করবে । কিন্তু মা মনেহয় জানতো না যে দুধ সাদা ফর্সাটা আরো বেশি সুন্দর ?। কৌতুহল দমিয়ে রাখতে না পেরে লতা কে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।-
Samir: লতা দেখোতো মেয়েটা কে…
লতা: স্যার ওই তো ফাল্গুনী..
Samir: তাহলে ডাক দাও..
আমার আদেশ পাওয়ার সাথে সাথে লতা ডাকতে শুরু করলো- ফাল্গুনী…ফাল্গুনী….
মেয়েটা এই দিকে তাকিয়ে জিহ্বায় ছোট্ট একটা কামড় দিলো। তারপর আস্তে আস্তে এগোতে লাগলো। Omg ?, এতো দেখছি বসন্তের সাজে সেজেছে। Dress up আর সাজের সাথে নামের মিল আছে। দেড় হাতের deference এ আমি আর মেয়েটা দাড়িয়ে আছি।-
Samir: এই মেয়ে তোমার নাম কি?
Falguni: জ্বি জ্বি স্যার, ফাল্গুনী ।
Samir: ও আচ্ছা, ফল্গুনের ফুল (মুখ ফসকে বেরিয়েই গেলো)। তা ক্লাসে না এসে বাইরে দাড়িয়ে ছিলে কেন, আর এতো late ই বা হলো কেন?
Falguni: জ্বি স্যার, আমি মনে করেছি স্কুলের সাথে সাথে মনেহয় কোচিংও বন্ধ তাই…
(জানি মিথ্যা বলছে তারপরও রাগ করতে বা বকা দিতে ইচ্ছা করলো না। অসম্ভব সুন্দর লাগছে, একদম ডানা কাটা পরী। আমি জানি মৃত্যুর আগ মুহুর্তে মানুষের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু ভালো লাগার চরম পর্যায়ে যে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে চায় সেটা আজ জানলাম। আমি মনে হয় senseless হয়ে যাব। এত সুন্দর মেয়ে আমি আমার জীবনে দেখিনি ?। এখন মনে হচ্ছে এখানে আসা সার্থক হয়েছে। মনের এত্তোগুলি ভালোলাগা ?চেহারায় প্রকাশ না করে বললাম- হুম, যাও বসো। এরপর থেকে ভালো করে জেনে নেবে ?
মনে হলো মেয়ে টার চুল খোলা থাকলে দারুন হতো। কথাটা চিন্তা করতেই ওর মাথায় লাগানো কাটা ভেঙে চুল খুলে কাটা টা পড়ে গেল (ups)। আর ১০ সে: যদি এভাবে দেখিনা তাহলে আমি সত্যি senseless হয়ে যাব ??
মনে হয় খুব লজ্জা পেয়েছে ফাল্গুনী, কাটা টা তুলে বাইরে ফেলে দিলো…
Coming soon interesting part..?Farzana?

ফাল্গুনের_ফুল part-2

0

ফাল্গুনের_ফুল
part-2
#Writer_Farzana

রাত হয়ে গেলো…রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। রাতে আর পড়বো না, দুপুরে না Biology বই টা কত্তো পড়লাম ?। আমার বাবা দেশের বাইরে থাকে, সেই সুবাদে বাড়িতে এত্তোগুলি room থাকতেও আমরা একি রুমে থাকি। আমরা দুই বোন অপেক্ষা করছি আম্মুর ঘুমের। রাত ৯:০০ টা বাজে, গ্রামতো তাই গভীর রাত টা যেন রাত ৯:০০ টায়ই চলে আসে।
আপু: দেখো তো আম্মু ঘুমিয়েছে নাকি। (ফিসফিস করে)
আমি: আম্মু.. আম্মু…(যেহেতু ঘরের light off তাই আস্তে করে ডাকি দিলাম ?)
আম্মু: কি? ?
আমি: (যাহ ? মনে হয় ঘুম টা ভাঙিয়েই দিলাম। আবার কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে কে জানে?) পানি খাব।
আম্মু: T- table এ রাখা আছে, খেয়ে নাও ?…
অগত্য পানিটা খেতেই হলো.. তারপর আমরা দুইজন ?… আধা ঘন্টা পর মনে হলো আম্মু ঘুমিয়েছে। এবার আর ডাক দিলাম না, আমার কি মাথা খারাপ নাকি যে ডাক দেবো…? আপু উঠে লুকিয়ে রাখা ভাইয়ার gift করা ফোন টা নিয়ে পাশের রুমে গেলো কথা বলতে। যদিও বিয়ে ঠিক তাও আম্মুর কথা বলা পছন্দ না। আম্মুর কথা..যদি বিয়ে না হয়। আমি উঠে গিয়ে আস্তে করে TV ছাড়লাম.. আব্বু তো আবার হজ্জ্ব করেছে তাই বাড়িতে Dish line নেই। আর আমাদের পরিবার আবার ধার্মিক এবং রক্ষণশীল দুই টাই। তাই Tv-র ব্যাপারে not interested তারা। এটা নষ্ট হলে next time আর TV পাবোনা। যাই হোক যেহেতু dish line নেই তাই অগত্য India-র national channel টাই দেখবো। ও বলাই তো হয়নি dish line না থাকলে কি হবে আমাদের TV তে national channel টা আসে। India আর Bangladesh এর সময় এর deference মাত্র ৩০ মি:। তাই India-র সময় ৯:৩০ টা অর্থাৎ Bangladesh-র সময় রাত ১০:০০ টায় Hindi movie দেয় ?.. আজ দিয়েছে Tere naam movie.. Salman এর.. আমার favourite hero…???

cousin এর কাছে শুনেছি Tere naam movie-র নাকি happy ending হয়। Happy ending আমার ভীষণ পছন্দ, তাই দেখছি ?.. Omg ???? এইটা কি হলো, মরে গেলো কেনো? এই বার মনে হচ্ছে আমার সেই cousin টাকে পেলে মেরে ভর্তা করে ফেলতাম ?। এটা তো sad ending হলো। Happy ending না হলে আমি সেই movie দেখিনা। সে যারই movie হোক না কেন। ধ্যাত, মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেলো ?… কাল আবার স্কুলেও যেতে হবে। রাত ১:৩০ বাজে, পরিচালক আর আমার cousin এর চৌদ্দ গোষ্ঠি ধুয়ে দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
আম্মু: ফাল্গুনী…. এখনো ঘুমাচ্ছো তুমি। এই বার যদি result খারাপ হয় না…??
আম্মুর মেঘের মতো গর্জন শুনে উঠে পড়লাম। আর ৫ মি: যদি শুয়ে থাকিনা, তাহলে আমার উপর বজ্রপাত হতে পারে ?.. ঘুম থেকে উঠেই আমার friend লতার কাছে call করলাম…
আমি: স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে নিয়ে যাস।
লতা: আজ তো স্কুল বন্ধ, তবে কোচিং আছে বিকাল ৩ টায়।
শুনে তো আমি ভীষণ খুশি.. মনে হচ্ছে সারা পাড়ায় মিষ্টি বিলাই ??। কিন্তু আমার তো টাকা নাই, তাই আর মিষ্টি বিলানো হলো না। যাই হোক, আম্মু কে স্কুল বন্ধের ব্যাপার টা জানিয়ে অনেক সময় নিয়ে ফ্রেস হলাম। তারপর চিন্তা করলাম, সকালের ইংরেজি প্রাইভেট টা দুপুর ২ টায় পড়তে যাবো। আর কোচিং টা করবো না.. ভালোই idea টা তাইনা ??.. রাতে movie দেখে যে মেজাজ খারাপ হয়েছিলো, এখন স্কুল বন্ধের কথা শুনে সেটা ভালো হয়ে গিয়েছে ?।
দুপুর হয়ে গিয়েছে, যথা সময়ের আগেই ready হলাম। জানেনই তো আমি পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী ?। আজ আর বোরকা পডলাম না। একটা নস্যি কালারের ডালিম হাতার জিপসি পড়েছি golden পাথর দিয়ে কাজ করা, সাথে চুরি পায়জামা। আর ওড়নায় আছে golden ছোট ছোট লাভ। আর চুল টা বেধেছি পেন্ছিলের মতো কাটা দিয়ে। ভালোই লাগছে দেখতে..?.. ( কেউ যখন নিজের প্রশংসা করে না তখন নিজেই নিজের প্রশংসা করতে হয় ??) আম্মুকে বলে বাড়ি থেকে বের হলাম.. উদ্দেশ্য প্রাক্তন মাথা স্যার মানে head teacher এর বাড়ি….

head teacher এর বাড়ি যাওয়ার সময় স্কুলের মধ্যে দিয়েই গেলাম, স্কুল বন্ধ তাই। স্কুলের পাশেই মসজিদ , সবাই নামাজ পড়ে চলে গেছে। তাই মসজিদের সামনে থাকা সোনারু ফুলের গাছ থেকে কিছু ফুই নিলাম। তারপর সোজা চলে গেলাম teacher এর বাড়িতে। এ সময়ে কেউ পড়েনা, তাই কোন student নাই। বাড়িতে sir, sir এর বউ আর তিন মাসের এক নাতনী আছে, নাম লিলি। Sir এর কাছে আমার মূলত পড়া ওর জন্যেই। Head sir এর মেয়ের twins baby হয়েছিলো, তাই একটা কে এখানে রেখে গেছে। Sir এর বউ সেদিন বিরক্ত হলেও আমি খুব খুশি হয়েছিলাম ??। কিছুক্ষণ পর…
Sir: ফাল্গুনী তুমি বস, আমি লিলির জন্যে দুধ কিনে নিয়ে আসি।
আমি: জ্বি sir…?
Sir: তুমি ততক্ষণে passage টা আার dowry system paragraph টা লিখে ফেলো।
আমি: জ্বি sir…?
Sir চলে গেলেন বাইরে..
আমি: লিলি কোথায় আন্টি?
Sir এর বউ: ও তো ঘুমায়..
আমি: ও আচ্ছা..?
কি আর করবো ফুলগুলি পাশে রেখে answer paper টা খুলে সুন্দর করে copy করে দিলাম ??। এখন তো ২:৪৫ বাজে, sir এর বাড়িতে মোরগ জবা ফুল আছে। Sir এর বউ কে বলে তুললাম। তারপর সূচ, সুতা নিয়ে মালা গাঁথা শুরু করলাম। Color combination টা দারুন হয়েছে ?। হলুদ আর গাঢ় লাল। যদিও আমার dress এর সাথে match হয়নি, তারপরও জোর করে match করে পড়ে ফেললাম..?? হাতে, গলায়, কানে পড়লাম, ও হ্যা টিকলিও পড়লাম ফুলের। তারপর লিলি উঠলো ওকে নিয়ে ঘুরলাম কিছুক্ষণ। ৩:৩০ বাজে এখনো sir আসেনি।
আমার চেয়েও বেশী ফাঁকিবাজ দেখছি, এই জন্যেই মনে হয় সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথেই job টা গেছে। তাই হয়তো কেউ আর request করেনি যে, sir আর অনত:ত ১ টা মাস job টা করেন আমাদের জন্যে। অবশ্য কেউ করেছিলো কিনা জানিনা ??। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে এখন বাড়ি যেতে হবে.. লিলি কে ওর নানুমনির কাছে দিয়ে, খাতাটা রেখে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। স্কুল যেহেতু বন্ধ তাই সেখান দিয়েই যাব ??। স্কুল মাঠে চলে এসেছি, পুকুরে বৃষ্টির ফোটা পড়ছে, দেখতে ভালোই লাগছে। তাই গাছের নিচে দাড়িয়ে দেখছি…??
এমন সময় মনে হলো class room থেকে কেউ ডাকছে, ফাল্গুনী….??

এই রে..??? আমি তো ভূলেই গিয়েছিলাম যে কোচিং আছে.. স্কুলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া যাবেনা, এখন ভূলের মাসুল দিতে হবে ???। এখন তো নেছার sir এর period, উফ্ অসহ্য লাগে ?। খুব ভাব নেয়.. গেলো শীতে বলে.. তোমরা সবাই সোয়েটার পড়নি কেনো? 2nd hand সোয়েটার কিনে নিতে পারোনা ??.. উফ ??… Class এর ছেলেরা তো বলে নেছার পাগলা ?… আর তার ক্লাসেই এখন যেতে হচ্ছে.. এসব ভাবতে ভাবতেই ক্লাসে গেলাম.. ওম্মা ? একি, এ কে? এতো নেছার sir না.. সে যেই হোক dress up টা কিন্তু habby সুন্দর। কালোর ভেতরে সাদা বল প্রিন্ট shirt in করা ছাড়া, হাতা টা ভাজ করে কব্জির উপরে উঠিয়ে রাখা, গায়ের রং হলুদ ফর্সা। এ তো salman এর চেয়েও সুন্দর। আমি তো পুরা ফিদা ??
Sir: এই মেয়ে তোমার নাম কি?
আমি: জ্বি, জ্বি sir ফাল্গুনী..
Sir: ও আচ্ছা ফাল্গুনের ফুল, তা ক্লাসে না এসে বাইরে দাড়িয়ে ছিলে কেন? আর এতো late ই বা হলো কেন?
আমি: জ্বি sir, আমি মনে করেছি স্কুলের সাথে, সাথে মনে হয় কোচিং ও বন্ধ তাই…( ডাহা মিথ্যা কথা) ?
Sir: হুম, যাও বসো। এর পর থেকে ভালো করে জেনে নেবে.. ??।
আমি: জ্বি sir.. কথা টা বলতেই মাথার কাটা টা ভেঙে চুল খুলে কাটা টা পড়ে গেল। ?? উফ্, কাটা টা তুলে বাইরে ফেলে দিলাম।
লতা জায়গা করে দিলো ওর পাশে,বসতে যেয়ে দেখি সব ছেলেরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে?। বোরকা ছাড়া এসেছি তাই মনে হয়, হনুমান গুলি ?।
লতা: কিরে, তোকে না সকালে বললাম যে বিকালে কোচিং আছে। ভূলে গেলি কিভাবে? TV তে কোন দিন কোন cartoon হয় সেটা তো ভূলিস না (ফিসফিস করে) ??।
আমি: আরে ভূলিনি, আসতে ইচ্ছা করলো না। তা কে রে এই টা, নেছার sir কই? (Sir এর দিকে তাকিয়েই বললাম ?)।
লতা: উনি নেছার sir এর friend, উনার নাম সামির। উনি ইন্জিনিয়ার, sir এর বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। আর sir গিয়েছেন teachers training এ। তাই গতকাল থেকেই Samir sir ক্লাস নিচ্ছেন, ৬/৭ দিন ক্লাস নেবেন আর কি..
আমি: ও তাহলে ইন্জিনিয়ার দেখতে এমন লাগে, এই মানুষের মতোই তো লাগে দেখতে। আবার দেখ দুইটা পাও আছে ??।
লতা: ফাজলামি বাদ দিবি..??
আমি: হুম, তো ৬/৭ দিন কম হয়ে গেলো না..
লতা: তুই কি ফিদা হয়ে গেলি নাকি ???
আমি: আরে না, dress up দেখেই তো আমার পছন্দ হয়নি। ( ডাহা মিথ্যা কথা ?) sir এর দিকে তাকিয়েই কথা গুলি বলছি..
লতা: তাহলে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন??
আমি: (চোখ নামিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে) মনোযোগ দিয়ে পড়া শুনছি..?
লতা: তাহলে বল sir কি বললো?
আমি: sir বললো, মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শোন..?
লতা: এ ছাড়া আর কিছু শুনিসনি??
আমি: আর কিছু বলেছে নাকি? ??
লতা: হুম, বুঝলাম ?।
আমি:???
যথারিতী বাধ্য হয়ে সব class শেষ করে বিকাল ৫ টায় বাড়ি ফিরলাম..?

Coming soon interesting part..?Farzana?