প্রবেশ কর
  • মূল পাতা
  • গল্প শুনুন
  • গল্প বিভাগ
    •  হৃদস্পর্শ
    • ইসলামিক গল্প
    • কথোপকথন
    • কষ্টের গল্প
    • ছোট গল্প
    • ভালোবাসার গল্প
    • ভুতের গল্প
    • শিক্ষনীয় গল্প
  • শ্রেনী
    • গল্পের শহর
    • গল্পের ঠিকানা
    • গল্পপোকা
  • ভিডিও
  • কবিতা
    • কবিতা সমগ্র
    • কষ্টের কবিতা
    • প্রেমের কবিতা
  • স্ট্যাটাস
    • ইসলামিক স্ট্যাটাস
    • কষ্টের উক্তিসমূহ
    • বাংলা ধাঁধা
    • স্ট্যাটাস সমগ্র
  • আমাদের সম্পর্কে
  • Home – mobile
  • Privacy Policy
  • Login/Register
  • Home
  • মূল পাতা – mobile
  • Checkout
প্রবেশ কর
স্বাগত!আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন
আপনার পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?
Privacy Policy
পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার
আপনার পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার
খুঁজুন
Facebook
Instagram
Twitter
Vimeo
Youtube
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1194



♥Love At 1st Sight $2 Part – 16

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part – 16

writer-Jubaida Sobti♥

নিচে গিয়ে স্নেহা দাদীর সামনে দাঁড়ায়…

দাদী : ওমা! একি☺

স্নেহা : [শাড়ী ধরে ঘুরে ঘুরে] কেমন লাগছে বলোতো দাদী! ?

দাদী : এমনই একটা মেয়ে খুজছিলাম আমার রাহুলের জন্য…তুই তো আমার মনের ভাবনাই কেড়ে নিলি….

হঠাৎ, পেছন থেকে

রাহুল : এই যে মেডাম! আপনার ঢং করা শেষ হলে এবার একটু যাবেন?…আমার কিছু কথা ছিলো দাদীর সাথে…

স্নেহা : দেখেছো তো দাদী..? নিজের বউএর সাথে কেউ এভাবে কথা বলে?…

রাহুল : এক্সকিউজ মি! আমি তোমাকে বিয়ে কবে করলাম…?

স্নেহা : [ দাদীর কানে ফিসিফিসিয়ে ] দেখেছো আবার…দেখেছো?
আগেই বলেছিলাম ও শিকার করবে না…সব ঐ ঘামান্ডি নেহার চাল!, তুমি না বরং এক কাজ করো ওকে আজ বাইরে বেরুতে দিওনা…তাতে ও নেহার থেকে দূরে দূরে থাকবে…আর আমার… ?!

দাদী : [একটু হেসে স্নেহার কানে কানে] ঠিক বলেছিস! ওকে ঐ নেহার থেকে দূরে দূরে রাখতে হবে…?

রাহুল : তোমরা কানে কানে উইস্পার করে কি বলছো বলো তো?..?

স্নেহা : কই! নাতো কিছু না! দাদী বলছে…শীঘ্রই আমাদের বিয়েটা..ধুমধাম করে দিয়ে দিবে…?

রাহুল : ওকে ফাইন!? so তোমার বাবা মায়ের নাম্বারটা তো দিলানা দাদীকে…

স্নেহা : [ বিড়বিড় করে ] শয়তান একটা..?আবারো ফাঁসিয়ে দিচ্ছে…

রাহুল : You ok sneha?..?

স্নেহা : হ্যা হ্যা!…আমি ঠিকাছি.. আরে দাদী আমিতো বিশ্রাম করিনি…মাথাটা এখনো ঘুরাচ্ছে…জার্নিং করে এসেছি তো…উফফ!?

দাদী : আচ্ছা ঠিকাছে যা!?

রাহুল : [মনে মনে] What a drama?..

[ স্নেহা রাহুলকে মুখ ভেংগিয়ে চলে যাচ্ছিলো…আবার হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি এলো… এই মিষ্টার তেডি স্মাইল আমাকে ফাসাতে চেয়েছিলো তাই না…এবার দেখুক আমি কিভাবে ফাসায়?….স্নেহা পাশ কাটিয়ে যেতে ইচ্ছে করে টেবিলের সাথে বারী খেয়ে পড়ে যায়]

রাহুল : [ স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে ] careful damn it!?…দেখে হাটতে পারো না?

দাদী : আরে স্নেহা? ব্যথা পেয়েছিস?..

স্নেহা : উফ দাদী! ব্যথা পেয়েছি মানে..আমার তো মনে হচ্ছে আমি আর কখনো… হাটতেই পারবো না…

দাদী : আরে রাহুল! হা করে দেখছিস কি?..যা গিয়ে ডাক্তার নিয়ে আয়?…

স্নেহা : আরেহ! না নাহ! ডাডাক্তার কেনো…

রাহুল : দাদী! আমি দেখছি..? you don’t worry[ স্নেহার পা ঘষতে থাকে ]

দাদী : দারা আমি আইস্ ব্যাগ নিয়ে আসছি…? [ দাদী তাড়াহুড়ো করে আইস্ ব্যাগ আনতে যায়]

স্নেহা রাহুলের দিকে..ব্লাশিং হয়ে তাকিয়ে আছে…?

রাহুল : what?

স্নেহা : [পায়ের দিক শাড়ী আরেকটু তুলে রাহুলকে ইশারা করলো আরেকটু উপরে মাঝতে?]

[রাহুল স্নেহার পায়ে স্লাইড করতে লাগলো… ?]

স্নেহা : [পা টেনে নিয়ে ] এক্সকিউজ মি!? একটু চান্স পেলে হয় তাই না…

দাদী : [আইস্ ব্যাগ নিয়ে এগিয়ে এসে] ধর নে..রাহুল…এটা মেঝেদে..

রাহুল : She is already fine…দাদী ?…

দাদী : সত্যি স্নেহা ? ঠিকাছিস তুই?..

স্নেহা : হ্যা দাদী! রুমে গিয়ে একটু আরাম করলে ঠিক হয়ে যাবে…

দাদী : হ্যা হ্যা!..যা আরাম কর..রাহুল! একটু ধরে দিয়ে আয়…

স্নেহা : [ উঠে দাঁড়াতে অভিনয় করছে ] আহ!…

দাদী : কি হলো রাহুল!? হ্যা করে দেখছিস কি?..ধর ওকে…

[রাহুল গিয়ে স্নেহাকে ধরে…]

স্নেহা : [ রাহুলের কাধে হাত দিয়ে ফিসফিসিয়ে ] শুনো আমাকে ফাঁসাতে যেও না ওকে…নাহলে নিজেই ফেসে যাবা?…

আর এখন গুড বয়ের মতো চুপচাপ আমাকে কোলে তুলে নাও…?

রাহুল : Shut-up?…

স্নেহা : হুহ?

অর্ধেক গিয়ে..রাহুল স্নেহাকে ছেড়ে দিলো…

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : এখন আর দাদী দেখবে না…So তোমার ড্রামা এখন অফ করো…

স্নেহা : [ রাহুলকে টেনে ধরে.]..দেখবেনা মানে…দেখো রাহুল তুমি কিন্তু বেশি করছো এসব মোটেও ভালো হচ্ছে না…

রাহুল : ভালো হচ্ছে না?…আর তুমি যা করেছো তা ভালো হয়েছে?…ওয়াও স্নেহা তোমার এখনো সাহস হচ্ছে না তোমার বাবার নাম্বার দিতে…আর তুমি বলছো আমি যা করছি ভালো করছিনা?..

স্নেহা : রাহুল!? আমি! আরে কথাতো শুনো..

[ রাহুল রেগে চলে যায় ]

স্নেহা : [ মনে মনে ] i m sorry রাহুল ?…আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি…কিন্তু..

সিফা : স্নেহা!

স্নেহা : [চোখ মুছে পেছন তাকায়] হ্যা?..

সিফা : কি হয়েছে?..?

স্নেহা : কিছুনা?

সিফা : রাহুল কিছু বলেছে তাই না?..?

স্নেহা : ভাবী আমি রাহুলকে কষ্ট দিতে চাইনা..আমি তো ওকে অনেক…?

সিফা : ওকে ওকে! এতো সহজে ভেঙে পড়লে চলবে?.. ☺বলো?..রাগ যখন করেছে মানাতে তো হবে…

স্নেহা : [ ভাবীকে ঝড়িয়ে ] থেংক ইউ ভাবী!

সিফা : আচ্ছা চলো তোমাকে কিছু দেখাবো…

[ সিফা স্নেহাকে নিয়ে রুমে চলে যায়…ফাবিহা স্নেহাকে দেখে অনেক খুশী হয়…]

রাতে,

হঠাৎ, দরজা টুকা দিলো.

রাহুল দরজা খুললে দেখে, দাদী
রাহুল : আরে দাদী হঠাৎ!

দাদী : [ভেতরে ঢুকে] দেখ রাহুল অনেক হয়েছে…অভিনয় এবার আমি সত্যি সত্যি স্নেহার বাবা মায়ের সাথে কথা বলতে চায়!?

রাহুল : দাদী! আমিতো তোমাকে সব বলেছি! স্নেহা নিজ থেকে যতোক্ষণ বলবেনা ততোক্ষণ আমি কিছুই করবো না…

দাদী : কিন্তু আর কতোদিন?..

রাহুল : আর বেশীদিন নেই দাদী!…স্নেহা আমার থেকে বেশীদিন দূরে থাকতে পারবে না…এটা আমার বিশাস্

দাদী : ঠিকাছে!? তাহলে [ দাদী চলে যায়]…

দরজা বন্ধ করে রাহুল খাটে শুতে যাবে ঠিক সেই সময় আবার দরজা বাড়ি দিলো… রাহুল দরজা খুলে দেখে…স্নেহা অনেক ভাবসাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে…নিশ্চয় মাথায় কিছু পাকিয়ে এসেছে..?

রাহুল : কি চায়?..?

স্নেহা : তোমাকে?

রাহুল : Lol ?[দরজা বন্ধ করে দিচ্ছিলো স্নেহা রাহুলকে ধাক্ষিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে]

স্নেহা : শুনো তুমি যাই করো…আমি কিন্তু এতো সহজে হার মানছিনা..বলেদিলাম…

রাহুল : Shut-up?আর যাও এখন আমাকে ডিস্টার্ব করোনা…

স্নেহা : কিহ!? আমি ডিস্টার্ব করছি তোমাকে?..[ রাহুলকে ধাক্ষিয়ে] বলো?..আমি ডিস্টার্ব করছি তোমাকে?..

রাহুল : আরেহ! ধাক্ষাচ্ছো কেনো?..পড়ে যাবো তো…?

স্নেহা : [রেগে] ঠিকাছে! আর ডিস্টার্ব করবো না গেলাম আমি?… [ স্নেহা রাগ করে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়….রাহুল হাসতে থাকে ?রাগলে ড্রামাকুইনটাকে আরো কিউট লাগে..?]

পরদিন সকালে,

স্নেহা ঘুম থেকে উঠে…ফ্রেশ হয়ে…রুমে বসে আছে…বাড়ির কথাও অনেক মনে পরছে তার ?ভাবতে ভাবতে রুম থেকে বের হয়!
রাহুলের জানালার দিকে উকি দিতে দেখে রাহুল রুমে নেই…ধীরেধীরে রুমে ঢুকে…দেখে
টেবিলের উপর লেপটপ্টা পড়ে আছে…মাথায় বুদ্ধি এলো স্নেহার এবার চেক করা যাক ঐ মিস্ ইউনিভার্স এর সাথে কি কি চ্যাট করেছে…?
স্নেহা লেপটপে হাত দিতে যাবে ঠিক সেইসময়,

রাহুল : Stop it!?

স্নেহা : [চমকে গিয়ে] আ..আমি দেখছিলাম.. লেপটপটা খুব সুন্দর…হিহি? এটা কিসের তৈরী?…

[রাহুল হেসে দিলো ?আর প্রথম যেদিন রুমের জানালায় উকি দিয়ে পর্দা কিসের তৈরী জিজ্ঞেস করেছিলো সেটা মনে পড়ে গেলো, গাড়ীর চালে বসে গাড়ীটি কিসের তৈরী জিজ্ঞেস করছিলো সেটাও মনে পড়ে গেলো ]

স্নেহা : নাহ! মানে [বিড়বিড় করে কি যেন বলতে লাগলো ?]

রাহুল : কি করতে এসেছো সেটা বলো?…

স্নেহা : শোনো…এভাবে বলছো কেনো? আমি এখন থেকে এই বাড়ীর বউ..আই মিন! তোমার বউ..So আমি এইরুমে আসতেই পারি…এটা আমার অধিকার.. ?

রাহুল : [স্নেহার দিক এগিয়ে এসে..?] ওহ! এই বাড়ীর বউ?..আমার বউ..? নাহ কি যেন বললে?…অধিকার রাইট!?

স্নেহা : [ঘাবড়ে গিয়ে] হ্যা?..নাহ মানে..

রাহুল : [স্নেহার কোমোড়ে হাত দিয়ে কানে উইস্পার করে ] শিস্! সব অধিকার যখন চাইছো…তাহলে এটা বাকি থাকবে কেনো…স্নেহা!

স্নেহা : [ রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে] ছিঃ.. ?কি আজিব আজিব কথাবার্তা ?

রাহুল : আরে! ছিঃ কেনো এটাওতো একটা রুলস বিয়ের পরে?

স্নেহা : আরে বিয়ে কবে হলো??

রাহুল : ?সেটাইতো..তুমিও বউ কবে হলে?

স্নেহা কিছু না বলে দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়![মনে মনে] এই মিস্টার তেডি স্মাইলের সাথে আজকাল পারা যাচ্ছে না?

[ Rahul blushing ☺]

ব্রেক ফার্স্ট করে রাহুল ভার্সেটি যাওয়ার জন্য তৈরী…হয়.. স্নেহাকে না বলেই ভার্সেটি চলে যায়,

ঢুকতেই আসিফ এগিয়ে আসে,

আসিফ : আরে দোস্ত, কি অবস্থা?..

রাহুল : Happy Birthday দোস্ত?

আসিফ : থেংক ইউ ব্রো…. আর শোন আজ পার্টিতে কিন্তু স্নেহাকে ও নিয়ে আসবি! কেমন!

নেহা : [দূর থেকে] হেই রাহুল!

আসিফ : এসে গেছে তোমার আরেকটা…তুই থাক ভাই আমি যায়! [ আসিফ চলে গেলো ]

নেহা : আরে রাহুল! এতো লেইট করলে কেনো…কখন থেকে ওয়েট করছি…শুনো আজ সন্ধায় পার্টিতে..কিন্তু আমরা কাপল ডান্স দিবো ওকে?..?

রাহুল : দেখি…..

স্নেহা : দেখি মানে?

রাহুল : ক্লাস? ক্লাস লেইট হচ্ছে let’s go? নেহা!

রাহুল এর ভার্সেটিতে ক্লাস করতে মোটেও ভালো লাগছিলো না…এইদিকে স্নেহা ও আসেনি..মিস্ করছে অনেক ড্রামাকুইনটাকে.. চুপচাপ নেহাকে ও না বলে বাড়ী চলে আসে…

রুমে ঢুকতেই দেখে অলরেডি স্নেহা রুমে ঢুকে বসে আছে…রাহুলকে দেখে একটু ঘাবড়ে যায়!

রাহুল : Excuse me! তুমি আমার রুমে কি করছো…

স্নেহা : কোথায় গিয়েছিলে?..?

রাহুল : কোথায় আবার?..ভার্সেটি গিয়েছি…রাতে আসিফের বার্থডে পার্টি আছে..তার কিছু Arrangement বাকি ছিলো..

আচ্ছা আমি তোমাকে কেনো এসব বলছি বলো তো?…? আর যাও রুম থেকে আমি চেঞ্জ করবো…

স্নেহা : হুম! So পার্টিতে কে কে আসছে?

রাহুল : [ শার্ট খুলতে খুলতে ] সবাই… But তুমি ছাড়া…

স্নেহা : আমি ছাড়া কেনো?..?

[ রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার দিক এগিয়ে আসে]

স্নেহা : [ বুঝতে পারলো রাহুল তাকে নার্ভাস করার জন্য কিছু একটা করবে তাই আগেভাগে বলে দিলো ] ওকে ওকে… I understand কাছে আসছো কেনো আমি যাচ্ছি ?

[রাহুল একটু হেসে ফিরে গেলো স্নেহা ব্লাশিং?]

সন্ধায়,

রাহুল পার্টিতে যাওয়ার জন্য তৈরী…হয়,
ভাবতে লাগলো স্নেহাকে কেমনি বুঝাবে সে পার্টিতে যাচ্ছে….তাই স্নেহার রুমের সামনে গিয়ে ভাবী ভাবী চিৎকার করতে লাগলো….

স্নেহা : [দরজা খুলে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে] এই যে মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম! চেঁচাচ্ছো কেনো…

রাহুল : আমার বাড়ী, যা ইচ্ছে তা করবো… what’s your problem?…

স্নেহা : আই? এতো ভাব নিচ্ছো কেনো হুম?..

রাহুল : whatever! ? [মুখ ভেংগিয়ে চলে গেলো আর মনে মনে ব্লাশিং হয়ে ভাবছে এখন শিউর দাদীকে গিয়ে বলবে..তাকেও পার্টিতে নিতে, ]

স্নেহা : [মনে মনে] কি আজিব! এত্তো রাগতে হয়! ? এভাবে Avoid করলে তো….সুইসাইড করতে ইচ্ছে হচ্ছে!

No মিষ্টার রাহুল! যদি তুমি আমার এক কদম আগে হও তাহলে আমি তোমার দশ কদম আগে…হুহ? [ হুড়হুড়িয়ে স্নেহা নিচে নেমে এলো দেখে রাহুল দাদীকে বলে চলে যাচ্ছে! ]

স্নেহা : শুনছেন!?

দাদী এবং রাহুল দুজনেই অবাক হয়ে তাকালো…

স্নেহা : [রাহুলের কাছে এসে] সাবধানে যাবেন কিন্তু!?গাড়ী ধীরে চালাবেন! আপনিতো আবার এরো-প্লেন এর মতো গাড়ী চালান! আর তাড়াতাড়ি ফিরবেন?আমি অপেক্ষায় থাকবো!

স্নেহার এমন কান্ড দেখে রাহুলের খুব হাসি পাচ্ছিলো…তাও লুকিয়ে হেসে নিলো!

দাদী : দেখেছিস! বউ হলে এমন হতে হয়?

রাহুল : yeah! I see?

দাদী : আরে রাহুল! তুই স্নেহাকে ও সাথে নিয়ে যা! ও বাসায় বসে একা বোর হচ্ছে!

স্নেহা : [দাদীর দিক এগিয়ে গিয়ে] নাহ দাদী নাহ! এভাবে বলবেন না…আমার পুরা ভরসা আছে রাহুলের উপর! ও আমাকে ছাড়া অন্য কোনো মেয়েরদিক চোখ তুলেও তাকাবে না?

রাহুল : [মনে মনে হেসে, ড্রামাই পুরস্কার না অষ্কারটাই পাবে…এই মেয়ে!] ওকে দাদী! আমি যাচ্ছি! [ রাহুল বেড়িয়ে গেলো আর মনে মনে ভাবতে লাগলো.এটা কি হলো.. আজ মিস্ ড্রামাকুইন পার্টিতে আসার জন্য কোনো চাল চাললো না কেনো..ওকে ছাড়া ভালো লাগবে না?ও কি কখনো বুঝবে না আমার লুকিয়ে থাকা ফিলিংস্ গুলা..

[ কিছুক্ষণ ভেবে..]থাক! বেড়িয়েছি যখন আসিফকে দেখা দিয়ে চলে আসবো…

রাহুল পার্টিতে গিয়ে পৌছায়! আসিফকে উইশ করে… খুব ইউনিক ভাবে সাজানো হয়েছে চারদিক…

নেহা : হেই রাহুল! what’s wrong with you?… তুমি আমাকে না বলেই চলে গেলে!

রাহুল : নেহা I was busy! so

নেহা : So?..? So what?…

রাহুল : So nothing bye! [ রাহুল গিয়ে তার ফ্রেন্ডস দের পাশে দাঁড়ায় ]

নেহার মনে মনে খুব রাগ উঠতে লাগলো… রাহুল আগে থেকে অনেক বেশিই Avoid করছে নেহাকে…

আসিফ : রাহুল! তুইতো এটা ঠিক করলিনা…

রাহুল : কোনটা?..

আসিফ : তুকে না বললাম স্নেহাকে ও সাথে আনবি!

রাহুল : আরে আমিতো ভেবেছিলাম ও কোনো না কোনো [ রাহুল চুপ হয়ে যায় সামনের দিক তাকিয়ে ?]

আসিফ ও পাশফিরে তাকাতেই দেখে স্নেহা!

আসিফ : আরে স্নেহা Come! তোমার কথায় বলছিলাম! আমি ভেবেছি রাহুল তোমাকে আনে নি!

স্নেহা : Happy Birthday! ??

আসিফ : Thank you dear!? please come!

স্নেহা এসে রাহুলের পাশে দাঁড়ায়! রাহুল এখনো হা করেই স্নেহাকে তাকিয়ে আছে!?[মনে মনে]ওয়াও!স্নেহা ওয়েষ্টার্ন ড্রেস্ পড়েছে…পুরাই বারবি ডল লাগছে এই ড্রামাকুইনকে?

স্নেহা : [আস্তে করে রাহুলকে চিমটি দিয়ে] এভাবে তাকিওনা মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম..?

রাহুল : আআহ!?

স্নেহা : কি ভেবেছিলে আমি তোমাকে এতো সহজে ছেড়ে দিবো ? No way! তোমার উপর ভরসা থাকলেও ঐ নেহা শয়তানটার উপর একদম ভরসা নেই!

[রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো স্নেহাকে এতোসুন্দর লাগছে… তার থেকে চোখ সরাতে মুশকিল হয়ে দাড়াচ্ছে…?]

স্নেহা : আবার হা করে তাকিয়ে আছো যে!?

মার্জান : স্নেহা!? [ স্নেহা দৌড়ে গিয়ে মার্জানকে ঝড়িয়ে ধরে]

মার্জান : ভুলেই গেলি আমাকে!?

স্নেহা : আরে তুকে কেমনি ভুলবো বল! তুইতো আমার কলিজার টুকরা!

[ রাহুল একটু হেসে ঐদিকটা সরে গেলো ]

মার্জান : কি হলো স্নেহা! এখনো রাগ ভাংগেনি!?

স্নেহা : আমার মাথায় কিছুই আসছে না! রাহুলটাও একটু বুঝছে না! বাড়ি থেকে ও পালিয়ে এসেছি…জানিনা বাবা কি অবস্থায় আছে…?

মার্জান : ওকে ওকে! আজ মন খারাপ করিস না…আজ শুধু মজা করবো! আর আমি কেনো এসেছি জানিস? শুধু তোর সাথে দেখা করবো বলে! আমি জানতাম তুই রাহুলের সাথে আসবি!

স্নেহা : কচু জানতি! ও আমাকে এনেছে? আমিতো দাদীকে বানিয়ে বুঝিয়ে এসেছি!

হঠাৎ,

নেহা : Hello guys! ?

[মার্জান মুখ ভেংগিয়ে অন্যদিকে ফিরে গেলো! ]

নেহা : Wow! স্নেহা you looking so..

স্নেহা : So?..?

নেহা : থাক! কিছু কথা না জানা ভালো তাই না?..
Anyway enjoy the party ওকে!

[ নেহা চলে গেলো আর মনে মনে বলতে লাগলো… খুব ভাব নাও তাই না মিস্ স্নেহা…আজ এমন জমিয়ে পার্টি হবে সবাই তোমার দিকেই হা করে তাকিয়ে থাকবে?]

পার্টি খুব ভালোভাবেই চলছে…কেউ কেউ ডান্স আর হাসাহাসি করছে…আবার কেউ কেউ বসে আছে…স্নেহা মার্জান এর সাথেই একদিকে দাঁড়িয়ে আছে দূর থেকে রাহুল আর স্নেহার (eye contact?) হচ্ছে..চোখে চোখে খুনসুটি রোমান্স..

[নেহা অনেক্ষণ ফলো করছে রাহুল স্নেহা থেকে তার চোখ সরাচ্ছেই না…রাগে নেহা ফুলতে থাকলো ?]

নেহা : [ রাহুলের দিক এগিয়ে গিয়ে] Come on rahul! let’s dance… [নেহা রাহুলকে জোড় করে টেনে ডান্স করতে লাগলো… স্নেহা অবাক হলো রাহুল এমন কেনো করছে?..হ্যা জানে সে তার উপর রেগে আছে..তাই বলে নেহার সাথে এভাবে?]

নেহা ফলো করলো…রাহুল নেহার সাথে Comfortable হয়ে নাচছে না..বারবার শুধু স্নেহার দিক তাকাচ্ছে…
নেহা তার এক ফ্রেন্ডকে ইশারা করলো স্নেহাকে ডান্স ফ্লোরে আনার জন্যে…
স্নেহাকে জোড় করে যেই না ডান্স ফ্লোরে আনলো….সাথে সাথে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায় চারদিকের লাইট অফ হয়ে গেলো!

স্নেহা হঠাৎ ধাক্ষা খেলো… অন্ধকারে কে তা খেয়াল করলো না…
ইতিমধ্যেই লাইট চলে আসে,

স্নেহা ডান্স ফ্লোর থেকে নিচে নেমে যেতে চাইলে… আবার থেমে যায়! কেনো যেনো লাগছিলো তার পিছনের…জামা ছিড়ে গেছে…ধীরেধীরে পেছনে হাত দিলে দেখে সত্যিই ছিড়ে গেছে…যেই না পা বাড়াতে যাবে ঠিক তখনি খেয়াল করলো…পেছনের দিক জামা খুলে যাচ্ছে ?

রাহুল স্নেহার দিক তাকালে দেখে স্নেহা অনেক চিন্তিতো যেদিক দাঁড়িয়ে ছিলো ঐদিকেই এখনো দাড়িয়ে আছে…

নেহা রাহুলকে টেনে নিয়ে ডান্স ফ্লোর থেকে নেমে যায়!
রাহুল আবারো খেয়াল করলো স্নেহা খুব চিন্তিতো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…নয়তো ওখানেই এখনো দাঁড়িয়ে আছে কেনো..সবাইতো নেমে গেছে..

নেহা : [ চেঁচিয়ে ] স্নেহা তুমি সিংগেল পারফর্ম করবা নাকি?…

স্নেহার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো…স্নেহা বুঝতে পারলো নেহাই করলো এই কান্ড!

নেহার ফ্রেন্ডসরা সবাই হেসে উঠে,

রাহুল : [ মনে মনে ] এই স্নেহা ডান্স ফ্লোরে..দাঁড়িয়ে আছে কেনো…? [রাহুলের খুব রাগ উঠছে সবাই হাসাতে…আর স্নেহা ও সবাইকে তার ইনসাল্ট করানোর জন্য ঐখানে দাঁড়িয়ে আছে..]

হঠাৎ, রাহুল খেয়াল করলো স্নেহার চোখে পানি! এবং সে খুব Uncomfortable হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…

রাহুল খুব অবাক হয়ে তার চোখ দিয়ে স্নেহাকে ইশারা করলো কি হলো…?
স্নেহা কিছু বলছে না রাহুল জিজ্ঞেস করাতে চোখ দিয়ে আরো বেশি করে পানি ঝড়তে লাগলো…

নেহা তাড়াতাড়ি গিয়ে আবারো মিউজিক অন করে দিলো… এবং সবাইকে টেনে টেনে ডান্স ফ্লোরে নিতে লাগলো… নেহা স্নেহার পাশে গিয়ে ইচ্ছে করেই ধাক্ষা দেই…আর স্নেহা পড়ে যায়!

কিন্তু স্নেহা মাটিতে গড়িয়ে পড়লো না…কারো গায়ের উপর ঝাপটে পড়লো… রাহুল স্নেহাকে ধরতেই তার খালি পিটের মধ্যে হাত লাগে….

নেহা : [ চেঁচিয়ে ] Oh! my god! স্নেহা তোমার কাপড় তো ছিড়ে গেছে…?

সবাই স্নেহার দিক ফিরে তাকালো,

স্নেহা কেঁদে রাহুলকে ধাক্ষিয়ে সরিয়ে…সোজা দৌড় দিলো,

নেহা আর তার ফ্রেন্ডসরা হাসতে লাগলো…
রাহুল? রেগে নেহাকে কিছু বলতে যাবে তখনি আবার ভাবলো না আগে স্নেহাকে দেখা উচিৎ..

রাহুলও দৌড়ে গিয়ে দেখে স্নেহা একটি কোণে গিয়ে কাপড় ঠিক করছে…

রাহুলের আসার শব্দ হলে…স্নেহা আরেকটু ভেতরের দিক সরে যায়…

রাহুল দেখলো…ছোট ছোট কিছু পর্দা দিয়ে…বাশ সাজিয়েছে…সেখান থেকে একটা খুলে নিয়ে রাহুল স্নেহার দিক এগিয়ে গেলো… স্নেহা না নিয়ে তার জল ভরা চোখ দিয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে থাকে…রাহুল বুঝতে পারলো স্নেহা অনেক ভয় পেয়ে আছে…না থাক আর রেগে থাকা যাবেনা এই মেয়ের সাথে…পর্দাটি দিয়ে স্নেহাকে মুড়িয়ে দিলো… রাহুল!

রাহুল : I am sorry স্নেহা!

স্নেহা : [কাদো কন্ঠে] It’s ok রাহুল!?আমার এখানে আসাই উচিৎ ছিলো..না… আসলে আমি কোনো কিছুরই যোগ্য না…গায়ের মেয়ে এসব আমাকে মানায় না…আমি তোমাকে ডিসার্ব করিনা…মোটেও?রাহুল..নেহা তোমার জন্য পার্ফেক্ট! আমিই তোমাদের মাঝে কাটা বেধে দাড়িয়েছি…

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] স্নেহা listen to me!

স্নেহা : নাহ! কিছুই শুনতে হবে না!
তুমি শুনো কেনো গিয়েছিলে আবার গ্রামে…হ্যা?
আরে কোথায় তুমি আর কোথায় আমি! আমার তো এক পয়সার যোগ্য ও নেই তোমাকে ভালোবাসার!

রাহুল : Ok shut-up! ?হয়েছে? সব বলা শেষ?

স্নেহা : কাছে আসবানা! যাও তুমি নেহার কাছে যাও?..

রাহুল : [স্নেহার হাত কাছে টেনে নিয়ে] স্নেহা I am really sorry…

[স্নেহার পানি ঝরছে চোখ থেকে?]

রাহুল : Ok come!

স্নেহা : কোথায়?..?

রাহুল : শিস! Just Come!

[ রাহুল স্নেহাকে হাত ধরে নিয়ে সবার সামনে ডান্স ফ্লোরে উঠলো.. সবাই তাকিয়ে আছে হঠাৎ..
স্নেহাও অবাক হয়ে চারদিক দেখছে আবার রাহুলকে ও দেখছে…]

নেহা : [ মনে মনে ] সব প্লান এই রাহুল শেষ করে দিলো ? আর এই স্নেহার সাথে রাহুল ডান্স ফ্লোরে কেনো উঠছে..

রাহুল : [ স্নেহার দুনো হাত ধরে ] জানিনা স্নেহা! আমি তোমায় কি দিতে পারবো না পারবো… ? but এত্তোগুলা ভালোবাসা দিবো! যা তুমি কখনো কাউন্ট করতে পারবেনা আমার পুরো লাইফ জুড়ে শুধু স্নেহা! তুমি!

জানো লাইফে কতোকিছু দেখেছি?..

স্নেহা : ?

রাহুল : কিন্তু সবচেয়ে Exclaimed জিনিষ ছিলা তুমি!আমার ও অনেক কষ্ট হচ্ছিলো..স্নেহা তোমার থেকে দূরে থাকতে!

স্নেহা u know I love you so much! to the square of infinity ?

স্নেহার মুখ দিয়ে কিছু আসছিলো না?..কিছু ভাববে সেই চিনতাও মাথায় নেই… জোড়ে কেদে রাহুলের বুকের মধ্যে ঝাপটে পড়ে…যেন পৃথিবীর সব সুখ এই জায়গাটাতে..

রাহুল ও শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে…

সবাই তালি দিয়ে উঠলো তাদের দেখে..??

চলবে,

♥Love At 1st Sight $2 Part : 15

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0
♥Love At 1st Sight $2

Part : 15

writer-Jubaida Sobti♥

স্নেহা রাহুলের কথা শুনে মাথা তুলে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো…
অজস্র অশ্রু ভেজা চোখে…তাকিয়ে অনেক্ষণ পর মাথা নাড়ালো…[ না তার আসল মা নয়]

রাহুল : [স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে] স্নেহা রিলেক্স…Don’t cry ok?

স্নেহা : জানো রাহুল! আমার মতো মেয়ে এই পৃথিবীতে না জন্মানোটাই ভালো ছিলো… আজ আমি জন্ম না নিলে আমার মা হয়তো বেচে থাকতো… ?

[রাহুল স্নেহার কথা কিছুই বুঝতে পারছিলো না…এবং সে কিছু বুঝতেও চাচ্ছিলো না…স্নেহা তার সামনে এভাবে কেঁদে যাবে তা সে মোটেও সজ্য করতে পারছে না ]

স্নেহা : আমার মা! আমার বাবার প্রথম স্ত্রী ছিলো… বিয়ের ৫বছর হয়ে যাওয়ার পরেও…আমার মায়ের কোনো সন্তান হচ্ছিলো না… তা দেখে গ্রামের মানুষরা মা কে…নানানরকম কথা বলতো.. ?
আমার দাদী মা কে অনেক ঘৃণা করতো..কারণ একটাই ছিলো… কি জানো?

আমার মায়ের সন্তান হচ্ছিলো না…সেই রাগে বাবাকে জোড় করে আরেকটি বিয়ে দেওয়া হয়..?আমার মা চেয়েও বাধা দিতে পারেনি…কারণ মা ও চেয়েছিল… বাবা যেন বাবা ডাকটি শুনতে পারে…
তারপর মিলি আপুর জন্ম…ঘরে খুশির ঢোল ভেংগে পড়ে… আমার মা ও অনেক খুশি হয়েছিলো নাকি…যখন মিলি আপুর জন্ম হয়…কিন্তু আমার দাদী আর মিলি আপুর মা মায়ের সাথে মোটেও মিশতে দিতো না…মিলি আপুকে… তাতে মা অনেক কষ্ট পেতো… কিছু করার ছিলো না… হঠাৎ একদিন…মায়ের গর্বে আমি আসি…শুরু থেকেই মা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে…বাবা মাকে অনেক যত্ন নিতো বাকিরা ফিরেও তাকাতো না…? এভাবে দিনের পর দিন কেটে যায়…এবং যেদিন আমার জন্ম হয়…সেদিন মা চিরদিন এর জন্য পৃথিবী থেকে চলে যায়..?

[রাহুল স্নেহার কাছে এসে চোখ মুছে দিয়ে তাকে ঝড়িয়ে ধরে]

স্নেহা : ?জানো রাহুল! মা চলে যাওয়ার পর থেকে মিলি আপুর মাকেই আমি মা ডাকি…আমি আমার মাকে চোখে দেখিনি…তাই তার চেহেরাতেই আমি আমার মায়ের প্রতিচ্ছায়া দেখতে পায়…

রাহুল : স্নেহা এদিকে তাকাও!

[স্নেহা রাহুলের দিক তাকালো]

রাহুল : তুমি তাকে তোমার মা ভাবো… ওকে ফাইন! তোমাকে উনি তার মেয়ে ভাবে?…

[স্নেহা চুপ করে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো… কিছু বলছে না শুধু চোখ থেকে জল ফেলছে..]

রাহুল : জবাব নেই?..

স্নেহা : তাতে কি এসে যায়…রাহুল!

রাহুল : ওকে রিলেক্স স্নেহা!

স্নেহা : আমার..?

রাহুল : Shut-up! চলো…

স্নেহা : কোথায়?..

রাহুল : কোথায় আবার? তোমার বাবার কাছে…

স্নেহা : পাগল নাকি তুমি?..?

রাহুল : দেখো স্নেহা যা হয়েছে তো হয়েছে…এখন আর লুকোচুরি নয়…এবার যা হবে সরাসরি হবে…

[ রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো… ]

স্নেহা : [ রাহুলকে আটকিয়ে ] রাহুল প্লিজ! আমার কথা শুনো… তুমি যেমনটা সহজ ভাবছো তেমনটা নয়!

রাহুল : তোমার আর কোনো কথা শোনার প্রয়োজন নেই আমার ওকে?..[ রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে]

স্নেহা : আ আহ! [ মাটিতে পড়ে বসে যায়]

রাহুল : [তাড়াতাড়ি স্নেহার পা ঘষতে ঘষতে] স্নেহা ? what happen?.. লেগেছে?..

স্নেহা : হ্যা অনেক ব্যথা করছে…?

রাহুল : ওকে ওয়েট…আমি মেজে দিচ্ছি..?

স্নেহা : দেখো রাহুল আমি পায়ে ও ব্যথা পেয়েছি আমি হেটে যেতে পারবো না…so তুমি এখন..

[রাহুলের আর বুঝার বাকি রইলো না স্নেহা আবারো ড্রামা করছে]

রাহুল : আমার চোখের দিক তাকাও…

স্নেহা : আজিব তোমার চোখের দিক কেনো তাকাবো… বলছি তো আমার পায়ে ব্যথা পাচ্ছি…

রাহুল : কেমনি তাকাবা মিথ্যে বললে…ওকে! তোমার যাওয়া লাগবে না আমি একাই যাচ্ছি! [ রাহুল উঠে চলে যাচ্ছে স্নেহা দৌড়ে এসে রাহুলকে ধরে ফেলে ]

স্নেহা : আরে আরেহ! কি আজিব! তুমি একা গিয়ে কি বলবা…বাবা তোমাকে উল্টা..

রাহুল : তোমার না পায়ে ব্যথা দৌড়ে এলে যে?..

স্নেহা : [আবারো পা ঘষতে থাকে] আরে হ্যা…আমি তো ভুলেই গেলাম…ইশ! কি ব্যথা…

রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে স্নেহার দিক এগিয়ে আসে]? Stop it স্নেহা just stop it!

[স্নেহা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায়]

রাহুল : Look স্নেহা তুমি এসব কার জন্য করছো বলো..?

স্নেহা : শুনো রাহুল! তুমি বাবাকে চেনো না…বাবা এতো সহজে মেনে নেবে না…এতোক্ষণে মা হয়তো সাতপাঁচ বুঝিয়ে দিয়েছে বাবাকে…

রাহুল : I don’t care?

[ রাহুল স্নেহার আর কোনো কথা না শুনে…তাকে নিয়ে বেড়িয়ে যায়..স্নেহা রাহুলকে আটকালে ও রাহুল তার বাধা শুনে না…বারান্দা দিয়ে টেনে টেনে উঠোনের দিক নিতে লাগলো রাহুল স্নেহাকে…
সকলে যে যা কাজ করছিলো…সব ফেলে তাদের দিক তাকিয়ে রইলো.. ]

স্নেহার বাবা উঠোনে বসে চা খেতে ছিলো…হঠাৎ তিনি রাহুল স্নেহাকে তার দিকে এভাবে টেনে আনতে দেখে…চমকে যায়…

রাহুল স্নেহাকে তার বাবার সামনে এনে দাড় করাই এবং সে ও দাড়াই…

বাবা : [একটু অবাক হয় তারা এভাবে আসাতে]..

রাহুল : আংকেল আপনাকে কিছু কথা বলার ছিলো

বাবা : হুম আমি জানি তুমি কি বলবে..

স্নেহা : বাবা তুমি কেমনি?

বাবা : …তোর মা বলেছে…তুই নাকি বিয়ের জন্য রাজি হয়েছিস!

স্নেহা : ? না! হ্যা… মানে!…?

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে তার হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরে] Nonsense Stop the drama ok!…

হঠাৎ,

মা : রাজি যখন হয়েছে…আর দেরী কিসের?..বিয়েটা একসাথেই…ফেলে দাও…
[স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে]…আমাদের বাড়ীর মেয়েরা পর পুরুষের হাত ধরে ঘুরে বেড়ায় না এটা হয়তো জানিস?..

স্নেহা তাড়াতাড়ি রাহুল থেকে তার হাত ছুটিয়ে নিলো,

রাহুল : [স্নেহার হাত টেনে আবার শক্ত করে ধরে.].আংকেল আমি স্নেহাকে

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] বাবা ও আমাকে বুঝিয়েছে…

[ রাহুল অবাক হয়ে স্নেহার দিক তাকালো ]

স্নেহা : হ্যা বাবা! আমিতো রাজি হচ্ছিলাম না..রাহুল আমাকে বুঝিয়েছে..এই বিয়ের জন্য…

বাবা : [খুশি হয়ে রাহুলের দিক এগিয়ে এসে ] সাব্বাস… আমিতো এতোদিন হয়রান হয়ে যাচ্ছিলাম…ওকে বুঝাতে বুঝাতে…

[ স্নেহা কিছু বলতে দিচ্ছেনা রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো… তারমানে স্নেহা এই বিয়েতে আসলে রাজি…স্নেহা চোখ মেলাতে পারছে না রাহুলের সাথে… ]

রাহুল : [ দীর্ঘশাস্ ফেলে ] আংকেল!…আমার কাজ শেষ…আজই চলে যাবো আমি…

বাবা : আরেহ! কি বলো?..বিয়েটা খেয়েই যাও এসেছো যখন!…

রাহুল : থেংক্স আংকেল! আমার অন্য একটি কাজ আছে…আসি! [ রাহুল চলে গেলো রুমের দিক স্নেহার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে… ]

বাবা : [স্নেহার দিকে এগিয়ে গিয়ে] আরে স্নেহা কাঁদছিস কেনো?…এখন বিদায় দিচ্ছি না..?

স্নেহা : [চোখ মুছে] বাবা!?

বাবা : হ্যা বল?..কিছু বলবি?..

স্নেহা : [ ভয়ে ] নাহ! কিছুনা!

বাবা : আচ্ছা চল ভেতরে চল! [ স্নেহা রাহুলের রুমের দিক একবার তাকিয়ে দেখলো মনে মনে ভাবছে…রাহুল হয়তো রেগে আছে তার উপর…কিন্তু কি করার এখন যদি বাবাকে এসব বলে…না জানি বাবা রাহুকে কি করে বসে..?]

বাবা : [স্নেহাকে তার রুমে নিয়ে] দেখ মা!.. মেয়ে যখন হয়েছিস..একদিন নিজ বাড়ী ছেড়ে পরের বাড়ী যেতে হবে! তাতে মন খারাপ করার কিছু নেই..

স্নেহার মন ছটফট করছে রাহুলের জন্য…ইচ্ছে হচ্ছে রাহুলের কাছে ছুটে যায়..

[ বাবা অনেক কিছু বলতে থাকে..কিন্তু স্নেহার ধ্যান শুধু রাহুলের কাছে ]

বাবা : আচ্ছা আমি আসি! এখন..তুই নাশতা করে নে… [ বাবা চলে যায়]

অরণি : [দৌড়ে রুমে এসে] আরে আপু! রাহুল ভাইয়া তো চলে গেছে…তার রুমে কিছু নেই…আম তলায় গাড়ী ও নেই…

স্নেহা দৌড়ে রাহুলের রুমে যায়,দেখে রাহুল সত্যিই নেই…চৌকির উপর কেট্রোস্ গাছটি পড়ে আছে…?

হঠাৎ পেছন থেকে,

স্নেহার মা : কি হচ্ছে এখানে?…

অরণি : [ভয় পেয়ে] না চাচী! রুম পরিষ্কার করছিলাম…

স্নেহার মা : গীতালি পরিষ্কার করে নিভে…তুই যা! [ অরণি চলে যায়]

[ স্নেহা মূর্তির মতো গাছটির দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ]

স্নেহার মা : বানরের গলায় মুক্তার মালা মানায় না…বুঝেছিস?.. ?ওর গাড়ী বাড়ী দেখে…লোভে পড়েছিলি তাই না?..

[স্নেহা কিছুই বলে না শুধু চোখ থেকে পানি ফেলতে থাকে..]
রুমে গিয়ে খাটে বসে পড়ে স্নেহা…রাহুলের সাথে কাটানো সব মোমেন্ট মনে পড়ছে তার…

মিলি : [স্নেহার পাশে এসে বসে] স্নেহা রাহুল তোকে অনেক ভালোবাসে… দেখিসনি বাবার সামনে সাহস করে বলতে গিয়েছিলো.. আর তুই কিনা!

স্নেহা : [ মিলিকে ঝড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই] আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম…বাবা যদি রাহুলকে কিছু করে?…

মিলি : বুঝেছি আমি স্নেহা কিন্তু! বলতে তো হবে!..নাহলে বাবা সত্যি সত্যি..তোকে?

[স্নেহা আরো ফুফিয়ে কেঁদে উঠে? ]

মিলি : দেখ স্নেহা! অনেক সেক্রিফাইস্ করেছিস এই ঘরের জন্য…কিন্তু কি পেয়েছিস?..বল?..

স্নেহা মাকে আমি রাহুলের সম্পর্কে সব বলেছি…মা সব জেনেও রাজি হচ্ছে না…কারণ কি জানিস?.. মা চাই না আমার চেয়ে ও বড় ঘরে তোর বিয়ে হোক!

স্নেহা : ?

মিলি : তুই যা আমি সামলাবো এইখানে..

স্নেহা : কিন্তু আমি পালালে তোমার বিয়ের ক্ষতি হবে!?

মিলি : আবারো আমার চিন্তা বললাম তো…

আচ্ছা বল তুই রাহুলকে ছাড়া থাকতে পারবি?..

স্নেহা : কখনো নাহ??!

মিলি : তাহলে এতোকিছু ভাবছিস কেনো?…তুই বয় আমি তোর টিকিট এর ব্যবস্থা করছি!

মিলি চলে যায় স্নেহার জন্য টিকিট এর ব্যবস্থা করতে….স্নেহা অপেক্ষাকৃত হয়ে বসে আছে..

এইদিকে রাহুল…স্নেহার গ্রামের পথ পেরিয়ে শহরের দিক রওনা হতে লাগলো… গাড়ী চালাচ্ছে তো চালাচ্ছে… মাঝে মাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে রাহুলের…এতোটা যে ভালোবেসে ফেলেছে স্নেহাকে….ওকে ছাড়া থাকতে হবে তা এক মুহূর্তের জন্য ও ভাবেনি…কিভাবে ভাববে…ছেড়ে থাকার জন্য তো ভালোবাসেনি রাহুল..
কি হতো আজ বাবাকে সাহস করে বলে দিলে…বাবাকে ও বলতে পারবে না আমার সাথে ও পালাতে পারবে না…তাহলে কি স্নেহার আমাকে চাই না?… হাজারো প্রশ্ন জাগছে রাহুলের মনে… ভেবে ভেবে…এগুতে লাগলো…

সন্ধ্যা নেমে আসলো,

বারান্দার কোণে পা গুটে বসে আছে স্নেহা চোখ দিয়ে অজস্র অশ্রু ঝড়ছে..রাহুলের কথা ভাবছে..[.মনেমনে ]রেগে আছে নিশ্চয় রাহুল…অনেক অভিমান করেছে…তার স্নেহার উপর…

হঠাৎ,

মিলি : স্নেহা চল!

স্নেহা : পেয়েছো?..

মিলি : [স্নেহাকে টেনে রুমের ভেতর নিয়ে যায়] এই নে টিকিট! রাতের ট্রেন…. ১০টায় ছাড়বে…তুই এক্ষুনি বেড়িয়ে যা…এখন চারদিক নিরিবিলি আছে…

[স্নেহা কেঁদে মিলিকে ঝড়িয়ে ধরে ফেলে]

মিলি : আরে পাগলী কাঁদছিস কেনো?..সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস..

স্নেহা : তোমাকে নিশ্চয় আমার আপন বোন করার কথা ছিলো…ভূল করে করা হয়নি?

মিলি : [ একটু হেসে ] চল চল! গুছিয়ে নে তাড়াতাড়ি নয়তো কেউ এসে পড়বে!

স্নেহা ব্যাগ গুছিয়ে…মিলিকে আবার ঝড়িয়ে ধরে!

মিলি : [কেঁদে ] সাবধানে যাস!?

[ স্নেহা বেড়িয়ে পড়লো, ষ্টেশন গিয়ে পৌছায়…ট্রেন এখনো আসেনি..চেয়ারে বসে আছে…চারদিক সব অচেনা মানুষ ভয় ভয় করছে…একা কখনো যাওয়া হয়নি শহরে…অবশেষে ট্রেন আসলে উঠে পড়ে..জানালার পাশেই পরেছে সি্ট টা… ট্রেন চলছে…রাহুলের কথা মনে পড়লে মনের ভয় সব দূর হয়ে যাচ্ছে… ]

এইদিকে,

রাহুল বাড়ী গিয়ে পৌছালো..

দাদী : [ কেঁদে ] রাহুল! কোথায় ছিলি তুই?..কতোবার ফোন করেছি..তোর ফোন বন্ধ আসছিলো?….এভাবে না বলে কেউ যায়?..কতো দুশ্চিন্তা মাথায় আসছিলো..

রাহুল কিছুই বলছে না ব্যাগ কাধে নিয়ে উপরের দিক উঠতে লাগলো…

সিফা : আরে রাহুল কিছুতো বল?..এসেই রুমে চলে যাচ্ছিস… কোথায় গিয়েছিলি?…

রাহুল : ভাবী! আমি অনেক টায়ার্ড পরে বলছি… [ রাহুল রুমে গিয়ে ব্যাগ রেখে খাটে আধশুয়া হয়ে শুয়ে পড়ে….চোখ ভিজে আসছে আবারো… হঠাৎ ফুফিয়ে কেঁদে উঠে…? কেনো করলো স্নেহা এমন?…ভাবতে ভাবতেই চোখ লেগে আসে রাহুলের…]

[ অন্যদিকে, স্নেহা ট্রেনের জানালার ধারে মাথা রেখে রাহুলের সাথে কাটানো মোমেন্ট গুলো মনে করছে…ভাবছে আর ব্লাশিং হচ্ছে..☺]

স্নেহা : [মনে মনে] আর বেশি দূর নেই মিষ্টার তেডি স্মাইল… I m coming… ☺ [ এসব ভাবতে ভাবতে কবে ঘুমিয়ে পড়লো জানেনা স্নেহা]

হঠাৎ টিকিট টিকিট.. চেঁচামেচিতে স্নেহার চোখ খুললো…উঠে দেখে ভোর হয়ে গেছে…সবাই মাল পত্র নিয়ে নেমে পড়ছে…

স্নেহা ও টিকিট দিয়ে নেমে পড়ে…একটা ট্যাক্সি ধরে…হোষ্টেলে উঠে পড়ে…
বেল বাজাতেই মার্জান দরজা খুলে…স্নেহাকে দেখে শকড হয়ে যায়…

মার্জান : স্নেহা তুই?..

স্নেহা : [মার্জানকে একটা চিমটি কেটে ভেতরে ঢুকে পড়ে] হ্যা আমি!..

মার্জান : কিন্তু তুই কেমনি কি করে আবার..?..

স্নেহা : আরে রিলেক্স এতো অবাক হওয়ার কি আছে…সব বলছি বয়.

মার্জান : তুই জানিস তুকে কতোটা মিস্ করেছিলাম…তোর সাথে সাথে রাহুল ও হাওয়া হয়ে গেছে… তোদের দুজনেরই কোনো খবর নেই…

স্নেহা : [মার্জানকে নাড়িয়ে দিয়ে] ওয়েট!..বলছিতো কি হয়েছে…

মার্জান : ওকে বল!

[স্নেহা মার্জানকে খুলে সব বলে?]

মার্জান : তুই পালিয়ে এসেছিস..?..

স্নেহা : হুম?

মার্জান : ছোট্ট একটা কাহিনীকে এতোবড় করার কি দরকার ছিলো বলতো…? ও রাগ করে চলে এসেছে বেশ করেছে..আমি হলে তুকে খুন করে আসতাম..?

স্নেহা : আচ্ছা বাবা হয়েছে..আমার যে করেই হোক রাহুলের সাথে দেখা করতে হবে…এখন চল ভার্সেটি যাবো…

মার্জান : তুই আগে ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়েনে…তারপর একসাথে বের হয়…বাস্ আরো আধ ঘন্টা পরে আসবে..

ভার্সেটি এসে পৌছালো…স্নেহা চারদিক রাহুলকে খুজতে লাগলো কোথাও নেই…
হলরুমের পাশে যেতেই দেখে রাহুলের ফ্রেন্ডসরা..আড্ডা দিচ্ছে…রাহুলের পেছন সাইডটাই দেখা যাচ্ছে..

স্নেহা : রাহুল!..?

আসিফ : আরে স্নেহা! কোথায় ছিলে এতোদিন…?

রাহুল পেছন ফিরে তাকায় এবং তার সাথে…ঝড়িয়ে নেহাও…ফিরে তাকায়…
স্নেহার মাথায় বাজ ভেঙে পড়লো… রাহুল আর নেহাকে একসাথে দেখে…

স্নেহা : [রাহুলের কাছে গিয়ে] কি হচ্ছে এসব?

নেহা : এই যে চাম্বুস আন্টি… what do you mean?..?

স্নেহা : তুই চুপ কর! তোকে সব কিছুতে নাক গলাতে হবে না…?
এভাবে সবার সামনে একটা ছেলের সাথে চুম্বকের মতো লেগে থাকতে লজ্জা করে না?…?

নেহা : You stupid! ? mind ur language ok?..আমার মনে হয় তুমি আমাকে চেনো না…আমি তোমাকে কি কি করতে পারি…

স্নেহা : ধুর! রাখতো তোর ভণ্ডামি! তোকে আমার চেনা লাগবে না..

রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে] Shut-up আর একটাও শব্দ করবানা… কি ভাবো কি নিজেকে? হুম?…

স্নেহা : রাহুল?

নেহা : [ রাহুলের পাশে এসে] চলো রাহুল!… এসব থার্ড ক্লাস মেয়েদের সাথে কথায় লেগে পারা যাবে না! এরা ছেলেদের গাড়ী বাড়ী দেখে…তাদের ফুসলিয়ে নেই…

রাহুল নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়!…

স্নেহা ঐদিকেই শক্ত হয়ে..দাঁড়িয়ে থাকে…মনে হচ্ছে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে… [ এক এক করে সবাই বেড়িয়ে পড়ে ]

আসিফ : স্নেহা!

স্নেহা ফুফিয়ে কেঁদে উঠে!

আসিফ : রাহুল তোমাকে অনেক ভালোবাসে!…তুমিই ওর প্রথম ভালোবাসা….এসব হয়তো রাগ করে করছে…

স্নেহা : সব আমারই দোষ ছিলো ?…

[মার্জান, জারিফা,রুমে এগিয়ে আসে]

মার্জান : কি হয়েছে স্নেহা?..? ও কাঁদছে কেনো?..

[আসিফ কিছু না বলে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়]

মার্জান : স্নেহা! কি হয়েছে বল?..অই নেহা কিছু করেছে??..

[স্নেহা কেঁদেই চলছে]

জারিফা : আরে বলনা স্নেহা কি হয়েছে?..

মার্জান : নিশ্চয় ঐ নেহা কিছু করেছে?…দাড়া ওকে তো আমি… [ মার্জান উঠে চলে যাচ্ছিলো ]

স্নেহা : [ মার্জানের হাত ধরে ] না মার্জান!

মার্জান : আরে! ওদের এভাবে ছেড়ে দিয়ে দিয়ে আমরা?

জারিফা : হ্যা মার্জান স্নেহা ঠিক বলছে…তুই এভাবে যাসনে কিছু বলতে…

মার্জান : ধুর! থাক তোরা আমার ভালো লাগছে না আমি হোষ্টেলে যাচ্ছি!
[ মার্জান চলে যাওয়াতে স্নেহাও আর ক্লাস করলো না…সে ও চলে গেলো ]

[হোষ্টেল গিয়ে দুজনে চুপ করে বসে আছে ]

স্নেহা : কি হলো এভাবে মুখ গোমড়া হয়ে বসে আছিস কেনো??

মার্জান : আমার তো ইচ্ছে হচ্ছে ঐ নেহাকে?…

স্নেহা : ওকে রিলেক্স! আমি জানি রাহুল আমার উপর রাগ করে এসব করছে…

কিন্তু আমিও এতো সহজে হাল ছাড়ছিনা… এতোদিন ও আমার বাড়ী হামলা করেছে…এবার আমি ওর বাড়ী হামলা করবো..

মার্জান : কিহ? তুই ওর বাড়ী যাবি থাকতে?…

স্নেহা : Correct ?

মার্জান : অমনিই থাকতে দেবে তুকে…

স্নেহা : এমনি এমনি কি আমার নাম ড্রামাকুইন দিয়েছে?.এবার মিষ্টার তেডি স্মাইলকে আমার আসল ড্রামা দেখাবো ?….

মার্জান : হে আল্লাহ এই মেয়েকে একটু হেদায়েত দান করো…আবার না জানি কোন কান্ড করতে বসেছে..

[স্নেহা হেসে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে যায়..সোজা গিয়ে রাহুলের বাড়ী পৌছায়]

দাদী ড্রইংরুমে বসে পেপার পড়ছিলো..সিফা এসে দাদীকে চা দিচ্ছে…হঠাৎ মেইন দরজার দিকে তাকাতেই দাদী আর সিফা অবাক হয়ে যায়,

সিফা : আরে স্নেহা!

স্নেহার চোখে পানি হাতে ল্যাগেজ দেখে দাদী ও দাঁড়িয়ে যায়,

সিফা : [ স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে ] কি হলো স্নেহা তুমি কাঁদছো কেনো?..?

দাদী : সিফা! তুই স্নেহাকে সোফায় বসা…

সিফা স্নেহাকে এগিয়ে নিয়ে সোফায় বসতে দিলো…

দাদী : এবার বল স্নেহা কি হয়েছে?…

স্নেহা : কি আর হবে দাদী! সব শেষ হয়ে গেছে…?

সিফা : সব শেষ হয়ে গেছে মানে?..?

স্নেহা : এখন আমি শুধু চাই ও সুখী থাকুক..

সিফা : স্নেহা কিছুই বুঝতে পারছিনা একটু ক্লিয়ার করে বলো প্লিজ!

স্নেহা : রাহুল?

দাদী : কি হয়েছে রাহুল?..?

স্নেহা : রাহুল আমাদের গ্রামের বাড়ী গিয়েছিলো…এবং সেখানে..আমার সাথে..?

সিফা : বলো স্নেহা?

স্নেহা : আমার সাথে কোর্ট ম্যারেজ করেছে..? বলেছে কথাটা যেন গোপন থাকে…আমি গোপন রেখেছিলাম..তারপর কিছুদিন গ্রামে থেকে..আমাকে না বলে পালিয়ে আসে ও…? পরে আমি ফোন দিলে..সে বলে..যা হয়েছে তো হয়েছে এবার এসব ভুলে যাও…তারপর?

সিফা : তারপর?

স্নেহা : তারপর আমার পরিবার জানলে আমাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেই?…

দাদী : তাইতো কাল জিজ্ঞেস করছিলাম.. আর সে কিছু জবাবই দিচ্ছে না..?
সিফা! রাহুলকে ফোন দে…আর এক্ষুনি বাড়ী আসতে বল!

সিফা দাদীর কথামতো রাহুলকে ফোন দিয়ে আসতে বলে,

দাদী : একটা মেয়ের জীবন নিয়ে খেলছে…? কেমন সাহস ওর?…

সিফা : দাদী রাহুলতো এমন না! কিন্তু ও এমন কিভাবে করলো?..?

স্নেহা : ক্যারেক্ট..ও এমন না…কিন্তু ঐ নেহা ওকে এমন হতে বাধ্য করছে..?

দাদী : ভাবতেই লজ্জায় আমার নাক কাটা যাচ্ছে…

স্নেহা : ওকে বলে কিছু হবে না দাদী! ও উলটা বলবে..আমি ড্রামা করছি!?

দাদী : তুই কাঁদিস না…আমি করবো এইবার যা করার…আসতে দে ওকে…?

স্নেহা : [মনে মনে] এরা তো মোটেও ঠের পাইনি…কিন্তু এই মিষ্টার তেডি স্মাইল তো…পাক্কা আমাকে হাতেনাতে গোল খাইয়ে দিবে..?

[কিছুক্ষণ পরে রাহুল তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে আসে]

রাহুল : কি হলো ভাবী?.. আর্জেন্ট আসতে বললে যে?…? [ হঠাৎ স্নেহার দিক তাকাতেই রাহুল Shocked..]

স্নেহা : দাদী আমি আসি!?

দাদী : দাড়া তুই কোথায় যাচ্ছিস?..[রাহুলের দিক এগিয়ে গিয়ে] বিয়েটা খেলার পুতুল বানিয়ে ফেলেছিস তাই না?

রাহুল : বিয়ে?..?

দাদী : হ্যা আর নাটক করতে হবে না স্নেহা আমাদের সব বলেছে…তুই ওর সাথে কোর্ট ম্যারেজ করেছিস…তারপর আবার ওকে ফেলে রেখে পালিয়ে এসেছিস?

স্নেহা : থাক দাদী কোর্ট ম্যারাজই তো কেউ জানতে পারবে না…? ও সুখী থাকলেই হবে!

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে মনে মনে ]? আবারো মাথায় নতুন ড্রামা বানিয়ে এসেছে…এবার ডিরেক্ট বিয়েতে চলে গেছে…না জানি দাদীকে আমার নামে আরো কি কি বুঝিয়ে দিয়েছে…

দাদী : তুই চুপ কর! বিয়ে কোর্টে হোক আর ঘরে…বিয়ে মানে চির জীবনের বন্ধন..

রাহুল : [স্নেহার দিকে এগিয়ে গিয়ে] পুরো জীবনটাই ড্রামা বানিয়ে রেখেছো তাই না?.. ?

স্নেহা : [ কাদো কাদো ভাবে ] দেখেছো দাদী বলেছিলাম না…ও বলবে আমি ড্রামা করছি?

দাদী : স্নেহা তোর বাবা মায়ের নাম্বার আমাকে দে..আমি কথা বলবো ওদের সাথে…

স্নেহা : [মনে মনে] এখন তো পাক্কা ফেসে গেলাম…?

রাহুল : [ মনে মনে ] কি না চেহেরা বানিয়েছে..? নতুন করে আবার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি…? কন্ট্রোল রাহুল এভাবে উইক হয়ে পড়লে চলবে না

স্নেহা : নাম্বার?..?

দাদী : হুম! ওদেরকে বুঝিয়ে আমি বলবো!?

রাহুল : কি হলো স্নেহা! দাদী কিছু বলেছে দাও?

স্নেহা : [ মাথা ধরে ] আরে মাথাটা ঘুরাচ্ছে কেনো??

রাহুল : [মনে মনে] Again Drama? মানে..হারে হারে বুদ্ধি…

সিফা : কিছু খাওনি মনে হয়! চলো আগে কিছু খেয়ে নাও! তারপর দিও!

দাদী : হ্যা হ্যা! যা আগে কিছু খেয়ে একটু বিশ্রাম কর!

[সিফা স্নেহাকে একটি রুমে নিয়ে কিছু খাবার এনে দেই….]

সিফা : স্নেহা! আমি কিন্তু তোমার পুরো ড্রামা ধরে নিয়েছি..? কি ব্যাপার বলো তো?..

স্নেহা : ? ড্রামা কই নাতো…

সিফা : Don’t worry আমি কাউকে বলবো না…?কিন্তু আইডিয়াটা জোস্ ছিলো ??

স্নেহা : ??

সিফা : যাও তুমি খেয়ে নাও..আমি যায় আমার আবার ফাবিহাকে স্কুল থেকে আনতে যেতে হবে…

স্নেহা : ভাবী আমার একটা হেল্প লাগবে… ?

সিফা : হ্যা অবশ্যয় বলো…

স্নেহা : আমার না একটা শাড়ী লাগবে…প্লিজ!

সিফা : ওহো!…কাকে দেখাবা শাড়ী পরে..?

স্নেহা : ??আর কাকে..?

সিফা : [ হেসে] ওকে তুমি বসো আমি আনছি..?

[ সিফা স্নেহাকে শাড়ী এনে দিলে স্নেহা শাড়ী পড়ে…সেজেগুজে…নতুন বউ এর মতো.. ফুল তৈরী ]

নিচে নামতে যাচ্ছে…ঠিক তখনি রাহুলের জানালার দিকে উকি দিতে দেখে… রাহুল রুমে বসে মিটি মিটি হাসছে…

স্নেহা হুট করে দরজা খুলে রুমে ঢুকে পড়ে…রাহুল স্নেহাকে দেখে কিছু বলতে যাবে ঠিক সেই সময় আবার হঠাৎ, হা করে তাকিয়ে আছে…?কি অপরুপ লাগছে..

স্নেহা রাহুলের সামনে এসে একটি চিমটি দেই..

রাহুল : আআহ!?

স্নেহা : [রাহুলের হাত টেনে] দেখি লেগেছে??..

রাহুল : [ হাত ঝাড়ি মেরে ] পারমিশন ছাড়া কারো রুমে ঢুকতে নেই জানো না?..

স্নেহা : আমার হ্যাজব্যান্ডের রুমে ঢুকেছি…তোমার কোনো সমস্যা?..

রাহুল : এক্সকিউজ মি!

স্নেহা : কেমন লাগছে আমায়??..

[রাহুল মুখ ভেংগিয়ে চলে যাচ্ছে স্নেহা দৌড়ে এসে পথ আটকায়]

স্নেহা : কি হলো..?তুমি আমাকে Avoid করছো কেনো…হ্যা জানি আমার ভুল হয়েছে তার জন্য অনেক সরি?

রাহুল : এই সরিটাও না…তোমার একটা ড্রামা…

স্নেহা : মোটেও না!? [ রাহুলকে কাছে টেনে ] শুনো ঐ নেহার সাথে চুম্বকের মতো আরেকবার লেগে থাকতে দেখলে..না তোমাকে

রাহুল : কি?..আমাকে কি?..

[স্নেহা বিড়বিড় করে কি যেন বলে ফেলছে..?]

[ রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে..?চোখ সরানো যাচ্ছে না…কারণ তাকে শাড়ীতে অপরুপ লাগছে…?]

স্নেহা : আচ্ছা বলো না কেমন লাগছে শাড়ীতে ?..?

রাহুল : পুরাই দাদী মায়ের মতো..?

স্নেহা : শুনো তুমি কিন্তু বেশি করছো!?আমি সরি বলেছি…আর তুমিওতো দোষ করেছো.. আমাকে না বলে চলে এসেছো..

রাহুল : তুমি ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছো আর আমি তোমার বিয়ে খাওয়ার জন্য ঐখানে বসে থাকবো তাই না ?..

স্নেহা : আরে রাগছো কেনো আমি তো মুখ থেকে বলেছি মন থেকে না…?

রাহুল : Whatever ? এতো রাতে একা আসার দরকারটা কি ছিলো…

স্নেহা : তো কার সাথে আসবো তুমিতো আমাকে ফেলে রেখে চলে এসেছো ?

হঠাৎ,

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : হ্যা বলো?

রাহুল : তোমার শাড়ী খুলে যাচ্ছে?

স্নেহা : What? [ স্নেহা তাড়াতাড়ি শাড়ী ধরে] না না খুলে যাচ্ছে না এভাবেই পড়েছি…

[রাহুল স্নেহার কান্ড দেখে না হেসে পারলো না…]

স্নেহা : হাসছো কেনো আমি শাড়ী পড়তে জানিনা..?তোমার জন্যই পড়েছি.. এএক সেকেন্ড হ্যা…একটু পেছনে ফেরো..

[ রাহুল হেসে পেছনে ফিরলো…স্নেহা তাড়াতাড়ি শাড়ী ঠিক করে নেই…]

স্নেহা : Done Done…☺

[ রাহুল স্নেহার দিক একটু তাকিয়ে হেসে চলে যাচ্ছে ]

স্নেহা : [ আবারো আটকিয়ে ] শুনো… তুমি যাই বলো দাদী কিন্তু আমার কথা সব বিশাস করেছে…? So

রাহুল : So??

স্নেহা : So এখন থেকে তুমি আমার হ্যাসবেন্ড আর আমি তোমার ওয়াইফ?…বুঝেছো মিষ্টার
[ একটু হেসে তার মুখের দিক ইশারা করে ]?? তেডি স্মাইল….

[ স্নেহা চলে যায় রাহুল…হা করে তাকিয়ে থাকে?…বকতেও পারছে না…কারণ তার সৌন্দর্য রাহুলকে মুগ্ধ করে দিচ্ছে…এবং সব রাগ অভিমান পানি হয়ে যাচ্ছে.. ]

চলবে…

♥Love At 1st Sight $2 Part – 14

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part – 14

writer-Jubaida Sobti♥

সবশেষে, সবাই ঘুমিয়ে পড়লো.. সারাদিনের ক্লান্তি.. কিন্তু স্নেহার ঘুমই আসছে না… যা আজ ঘটলো… ভাবতেই স্নেহা ব্লাশিং…?

এদিকওদিক কাত ফিরছে.. ছটফট করছে…কোনো ভাবেই…ঘুম আসছে না…উঠে বসে পড়লো..

স্নেহা : [মনেমনে] কি আজিব! আমার ওকে এতো মনে পড়ছে কেনো..রাতের ঘুমটাও হারাম করে দিয়েছে মিষ্টার তেডি স্মাইল..

[ স্নেহা উঠে জানালা দিয়ে উকি দিলো… রাহুলের রুমের বাতি এখনো জলে আছে.. তার মানে…মিষ্টার তেডি স্মাইল ও এখনো ঘুমাইনি..স্নেহা গায়ে চাদর মুড়িয়ে… উঠোন পেড়িয়ে রাহুলের রুমের দিক গেলো.. দরজার সামনে দাড়াতেই রাহুল দরজা খুলে ফেললো… ]

স্নেহা : [ Shocked হয়ে ] তুমি কিভাবে জানো… যে আমি এসেছি ?..?

রাহুল : ব্যাস! জেনে যায় আরকি?

স্নেহা : যখনি আসি! হঠাৎ করে তুমি চলে আসো.. তুমি কিভাবে জেনে যাও….

রাহুল : [ স্নেহাকে টেনে ভেতরে ঢুকিয়ে ] ব্যাস মিস্ ড্রামাকুইন…হার্টকানেকশন… ? যখনি তুমি আমার আশেপাশে আসো আমার heartbeat fast হয়ে যায়…?

স্নেহা : [ ব্লাশিং ] আমারও?…

রাহুল : ওহ! রিয়েলি ?[ রাহুল স্নেহার দিক এগুতে লাগলো ]

স্নেহা : দেখো আজেবাজে কান্ড করবানা…আমি সিরিয়াসলি কিছু কথা বলতে এসেছি…

রাহুল : [ স্নেহাকে কাছে টেনে ] হ্যা এবার বলো…?

স্নেহা : আরে! তুমি ধরে রাখলে আমি কিছইু বলতে পারবো না…?

রাহুল : আচ্ছা! আমি ধরলে তোমার কি হয়?

স্নেহা : শর্ট লাগে..?

রাহুল : [স্নেহার কানের কাছে এসে in slow voice ] তাহলে ধরেই রাখি?…?

স্নেহা : [ রাহুলকে ধাক্ষিয়ে ] কি বলছো কি?…

রাহুল : [ হেসে ]?? ওকে রিলেক্স it’s not a pressure ?

স্নেহা : [রাহুলের গাল টেনে দিয়ে] আজকের গানটা অনেক সুন্দর ছিলো?..

রাহুল : তাই!?

স্নেহা : আমার পুরা কথা শেষ হয়নি এখনো.. কথার মাঝে কথা বলবানা..?

রাহুল : ওকে ওকে!..?

স্নেহা : I love you ?[ বলেই পেছন ফিরে যায় ]

[ রাহুল পেছন থেকে স্নেহার কোমড়ে হাত দিয়ে স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে…?]

রাহুল : i love you too মিস্ ড্রামাকুইন!?

স্নেহা : [রাহুলের দিক ফিরে] ফাইনালি মিষ্টার চাছোড়াকে ড্রামাকুইন তার ভালোবাসার জালে ফাঁসিয়েই নিয়েছে…?

রাহুল : Shut-up don’t call ne that ok?..

স্নেহা : কেনো?..অবশ্যই এটা ডাকবো..কথা নেই বার্তা নেই..চ্যালেঞ্জ ধরেই মিস্ ইউনিভার্সের সাথে রিলেশন করে বসলে…?

রাহুল : আমার ভুলগুলিই খালি চোখে পড়ে তোমার ভালোগুলো পড়ে না?..

স্নেহা : ভালোকিছু থাকলেই তো পড়বে,?

রাহুল : ওকে! তুমি আমাকে তোমার নাম বলেছিলে?..?

স্নেহা : [কিছুক্ষণ ভেবে] নাহ তো!

রাহুল : 2nd দিনই আমি তোমাকে স্নেহা বলে ডেকেছি..?খেয়াল করেছো?…

স্নেহা : ?

রাহুল : তোমাকে যেদিন ফার্ষ্ট হোষ্টেলে পৌছে দিচ্ছিলাম..তুমি আমাকে তোমার হোষ্টেলের ঠিকানা বলেছিলে?…

স্নেহা : নাতো..?.

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] স্নেহা! তুমি যে প্রজেক্ট ক্লাসে, নেহার নাম চেঞ্জ করে তোমার নাম বসিয়ে দিচ্ছিলে..সব আমি দেখেছিলাম…কারণ আমার নজর ২৪ ঘন্টায় তোমার মধ্যেই থাকতো.. তুমি কোথায় যাচ্ছো না যাচ্ছো সব খবরই আমার কাছে আসতো… বাসায় বসে শুধু তোমার অপেক্ষায়…করতাম যে কখন বিকেলে তুমি আসবে…বারান্দায় দাঁড়িয়ে লুকে লুকে তোমায় দেখবো.. আর তোমার ঝুমুর পড়া নাচ…তোমার দুষ্টুমির ভঙ্গী…

স্নেহা! আমার আশেপাশে মেয়ের অভাব ছিলো না! অনেক মেয়ে দেখেছি… কিন্তু তাদের মাঝে তোমাকেই আমি চেয়েছি…কেনো জানো?..

তাদের চোখে আমি ঐ ভালোবাসাটা দেখিনি…যেটা তোমার চোখে দেখেছি..

স্নেহা! তোমার প্রশ্ন ছিলো…সামির তোমাকে মার্মেড কেফ না নিয়ে গিয়ে যে বারের মধ্যে নিয়েগেছে তা আমি কি করে জানলাম…

আমি জানতাম সামিরের উদ্দেশ্য কি…আমি তোমাকে বার বার বুঝিয়েছি কিন্তু তুমি বুঝোনি…তোমাদের আগেই গিয়ে আমি মার্মেড কেফ পৌছায়…এবং সামিরের গাড়ী ফলো করি, আমি যে তোমাদের ফলো করছিলাম তা সামির বুঝতে পেরেছিলো…তাই ও আমাকে ফাঁকি দিয়ে…তোমার সাথে?

স্নেহা : [ রাহুলের মুখে হাত দিয়ে ] ওকে!?

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে..একপায়ের হাটু গুটিয়ে মাটিতে বসলো ] স্নেহা will you marry me?..?

[স্নেহার বুক ফেটে কান্না আসছিলো…? সে জানতো না যে কখনো কেউ তাকে এভাবে ভালোবাসবে…ভাবতেই অবাক লাগছে.. চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো স্নেহার না না…এই জল কোনো দুঃখ্যের জল নয়…এটি তো খুশির জল]

রাহুল : কি হলো স্নেহা?..?

স্নেহা : [চোখ মুছে একটু হেসে..মাটিতে বসে পড়ে..] হুহ! এভাবে বললে হবে না…আমার সালমান খানের মতো করে বলতে হবে…?

রাহুল : রিয়েলি! এই টাইমেও ড্রামা করবা?..?

স্নেহা : মোটেও ড্রামানা… যা বলছি তা করো নাহলে বিয়ে করবো না…?

রাহুল : মানে! এমনি এমনি বলিনি যে তুমি ড্রামাকুইন!..?

স্নেহা : ? বলবা নাকি না?..

রাহুল : ওকে ওকে! মুজসে্ শাদী কারোগী স্নেহা?

স্নেহা : [ ?হেসে রাহুলের গাল টেনে তাকে ঝড়িয়ে ধরলো ] তাহলে আমি ড্রামাকুইন হলে তুমি হলে ড্রামাকিং.. ?

রাহুল : [ স্নেহাকে ঝড়িয়ে ] Shut-up তোমার ড্রামার কারণেই আমার ড্রামা করতে হচ্ছে..

[ গল্প করতে করতেই রাহুলের বুকে রাত কাটিয়ে দিলো স্নেহা ]

স্নেহা : আরে কটা বাজে?..?

রাহুল : ৪:০০ টার কাছাকাছি…

স্নেহা : ওকে বাই! আমি এখন যায়.. [ স্নেহা উঠে চলে যাচ্ছে ]

রাহুল : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে স্নেহার হাত ধরে ] কই যাও!

স্নেহা : ছাড়ো পরে কেউ দেখে ফেলবে!

রাহুল : একবার ছাড়লে কিন্তু আর ধরছি না..?

স্নেহা : কি বললে?…

রাহুল : রিলেক্স স্নেহা! জাষ্ট কিডিং ..

স্নেহা : এসব মজা আমার মোটেও..পছন্দ না রাহুল!?

রাহুল : [ স্নেহাকে ঝড়িয়ে ] ওকে ওকে m sorry…m sorry

[ স্নেহা শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে আছে রাহুলকে…]

স্নেহা : ইচ্ছে হচ্ছে! সারাজীবন এইভাবে কাটিয়ে দেই..

রাহুল : এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে তো আমার পা ব্যথা করবে!?

স্নেহা : [ মাথা তুলে রাহুলের গালে আস্তে করে একটা থাপ্পড় দেই ?] ইডিয়ট একটা বাই!

[ স্নেহা চলে গেলো.. রাহুল ব্লাশিং?]

স্নেহা ও ব্লাশিং হতে হতে রুমে ঢুকছিলো..হঠাৎ পেছন থেকে..

মা : কোথায় গিয়েছিলি?..

স্নেহা : [ Shocked? ]

মা : [স্নেহাকে নাড়িয়ে] কি হলো? স্নেহা! আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি?..

স্নেহা : মা!? আসলে!

মা : ছিঃ ছিঃ ছিঃ পুরো বাড়ীর নাক কাটাতে বসেছিস স্নেহা তুই! এতো রাতে একটা পর পুরুষের রুম থেকে আসছিস..

স্নেহা : মা! তুমি যা ভাবছো তেমন কিছুই না!?..

মা : খবরদার তোর এই নোংরা মুখে আমাকে মা ডাকবিনা!

মিলি : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] আরে স্নেহা! মা! কি হয়েছে?..?

মা : কি হয়েছে না! কি কি হয়নি তা জিজ্ঞেস কর ওর থেকে..? আমার তো ওর চেহেরা দেখতেই ঘৃণা লাগছে..

বাড়ীতে বসে বসে কাল সাপ পৌষছিলাম এতোদিন..

স্নেহা : মা! আমার কথাটাতো শোনো প্লিজ!?

[ মা,স্নেহাকে সজোড়ে একটি থাপ্পড় মারে,স্নেহা আনব্যালেন্সে থাকায় মিলির উপর গিয়ে পড়ে ]

মিলি : [ স্নেহাকে ধরে] আরে! মা! কি করছোটা কি.. ?

মা : পড়ার নাম আর মুখে? আনবিনা! শান্তিপুরের প্রস্তাবটা এখনো মুখ চেয়ে আছে…? আজই তোর বাবাকে বিয়ের কথা বলে…তাড়াতাড়ি এইঘর থেকে দূর করবো তোকে… নাহলে না জানি আরো কি কি কান্ড করে বসিস! [ স্নেহার মা চলে গেছে ]

[ স্নেহা কান্নায় ভেঙে মাটিতে বসে পড়ে ]

মিলি : স্নেহা! কাঁদিস না! প্লিজ! মা হয়তো রেগে গিয়ে এসব বলেছে..!

স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে] আমি কিছু করিনি শুধু ওর রুমে গিয়েছিলাম!?

মিলি : শোন! তুই রাহুলকে ভালোবাসিস!?

স্নেহা : [ মাথা নাড়ালো ] হুম?

মিলি : তাহলে যা! ওকে নিয়ে পালিয়ে যা!

স্নেহা : পালাবো মানে! কিন্তু কেনো?..

মিলি : স্নেহা! তুইতো মা কে চিনিস! মা কখনো তোর আর রাহুলের সম্পর্ক মেনে নেবে না! বাবাকে ওল্টাপাল্টা বুঝিয়ে দেবে ওর সম্পর্কে…

স্নেহা : না..নাহ এটা কিভাবে করবো…যে পরিবার আমাকে ছোট থেকে আশ্রয় দিয়েছে… আমি সে পরিবারকে..কিভাবে ঠকাবো!

মিলি : স্নেহা এখন আর এসব ভেবে কিছু করতে পারবি না!?…আমার কথা শোন!

স্নেহা : আমার জন্য একটা কাজ করতে পারবে! প্লিজ!

মিলি : বল!?

স্নেহা : তুমি রাহুলকে গিয়ে একটু বলেদিতে পারবে…যাতে ও এক্ষুনি..চলে যায়…

মিলি : স্নেহা!?

স্নেহা : প্লিজ প্লিজ প্লিজ!??

মিলি : আচ্ছা ঠিকাছে! [ মিলি চলে গেলো ]

[ স্নেহা রুমে ঢুকে আয়নার সামনে দাঁড়ায়…অনেক্ষণ তাকিয়ে থাকে নিজের চেহেরার দিকে…মুখের মধ্যে আংগুলের লাল ছাপ বসে আছে.. যা স্নেহাকে তার অতীত মনে করিয়ে দিচ্ছে..ভাবতেই চোখ থেকে অশ্রু ঝড়ে পড়ছে..কেনো এমন কেনো জীবনটা…? ]

হঠাৎ, হুট করে দরজা খোলার শব্দ..স্নেহা ফিরে তাকাতেই দেখে রাহুল..

স্নেহা তাড়াতাড়ি মুখ লুকিয়ে অন্যদিকে ফিরে যায়,

রাহুল : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] স্নেহা ?..কি শুনছি এসব?…তুমি বলেছো আমাকে চলে যেতে…

স্নেহা : দেখো রাহুল তুমি এখানে কেনো এসেছো প্লিজ! বেড়িয়ে যাও…?

রাহুল : আমার দিকে তাকাও স্নেহা! আমি বলছি তোমার মায়ের সাথে কথা!…আর তুমি পেছন ফিরে মুখ ঢেকে আছো কেনো?…

স্নেহা : বুঝো না কেনো প্লিজ রাহুল তুমি..বেড়িয়ে..

[ রাহুল একটানে স্নেহাকে তার দিকে ফেরায়… স্নেহার চেহেরা দেখে রাহুল নিস্তব্ধ?হয়ে যায়…স্নেহার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে..মুখের মধ্যে চড়ের ছাপ..]

রাহুল : স্নেহা! এসব??

কে মেড়েছে তোমাকে??

[ রাহুলের আর বুঝার বাকি রইলো না রেগে স্নেহার হাত ধরে রুম থেকে বেড়িয়েই যাচ্ছিলো.. স্নেহা বুঝতে পারলো রাহুল মায়ের কাছেই যাচ্ছে… স্নেহা রাহুলের হাত ধরে আটকিয়ে ফেলে..]

[ স্নেহা অভিমান আটকাতে না পেরে রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে ফেলে…রাহুলের বুকে মাথারেখে ফুফিয়ে কেঁদে দিলো স্নেহা ]

[রাহুলের রাগ বাড়তেই চলছে স্নেহার ফুফিয়ে কাদার শব্দ শুনে]

স্নেহা : ? প্লিজ! রাহুল কিছু বলো না! ওনার হক আছে আমার উপর!…তাই উনি আমাকে মেরেছে…?

ছোট বেলা থেকেই নিজের মেয়ের মতো করে…পেলেছে…এই অধিকারটা তো অন্তত ওনার আছে..?

[ স্নেহার কথা শুনে রাহুল একটু অবাক হলো ]

রাহুল : নিজের মেয়ের মতো করে মানে..? উনি তোমার আসল মা নাহ?..

চলবে…..

♥Love At 1st Sight $2 Part : 13

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part : 13

writer-Jubaida Sobti♥

স্নেহা : দেখো প্লিজ! যেতে দাও আমাকে..?

রাহুল : আমি কি তোমাকে ধরে রেখেছি?? যাও!..

স্নেহা : সরে দাঁড়াও…?

রাহুল সরে দাঁড়ালো..স্নেহা চলে যেতে চাইলে রাহুল আবারো স্নেহাকে টেনে…একই জায়গায় দাড় করাই…?

রাহুল : [স্নেহার কাছে মুখ এনে..] কেনো এসেছিলে…বলো..?

স্নেহা : গী..গীতালি.. বলেছিলো..তুমি নাকি খাওনি..তাই..?

রাহুল : হ্যা তো…খাবার এনেছো?..?

স্নেহা : না..নাহ তো..?

রাহুল : তাহলে পেট ভরবে কিভাবে?..

[ Rahul try to kissed sneha??]

স্নেহা : [ মুখে হাত দিয়ে ] ছিঃ ?

রাহুল : What!?…

স্নেহা : এসব কি করছো…?

রাহুল : কেনো লজ্জা লাগছে??

[Sneha’s heart beating fast ?]

রাহুল : Come on sneha! পেয়াস্ লাগিহে মেঠানা তো পাডেগা…?

[Rahul again try to kissed sneha ??] [স্নেহা রাহুলকে ?জোড়ে ধাক্ষা দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে…রাহুল হাসতে থাকে ]

[রুমে গিয়ে স্নেহা মিটিমিটি হাসে..]

মিলি : [স্নেহার পাশে বসে] হুম! তাহলে বাবাকে ও বলতে হচ্ছে…যে ছোট মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থাটাও করে নাও…বর মিলে গেছে..?

স্নেহা : [মিলির মুখ চেপে ধরে] আপু???…

মিলি : আমার মুখ চেপে ধরে লাব নেই..আমি সব দেখেছি…?

স্নেহা : না আসলে?…আচ্ছা শোনো না..

[ স্নেহা তার বড় বোন মিলিকে সব খুলে বলে]

মিলি : আরেহ! এখন তো ও বলে দিয়েছে…বেচারা কে এত্তো কষ্ট দিচ্ছিস কেনো..বলতো?

স্নেহা : আরেহ! একটু নাচিয়ে দেখছি আরকি..কতোটুকু সজ্য করতে পারে?

মিলি : তুই ও না স্নেহা…?

স্নেহা : আচ্ছা হয়েছে এবার যাও ঘুমিয়ে পড়ো নাহলে কাল ফেকাসে লাগবে?

মিলি : আচ্ছা শয়তান?

পরদিন সকালে,

স্নেহার বাবা : আরেহ রাহুল! কোথায় যাচ্ছো…

রাহুল : এইতো একটু এইদিকটা যাচ্ছিলাম… [ রাহুল মনে মনে..ভাবতে লাগলো বাব্বা এত্তো খুশি লাগছে নিলাজ সাহেবকে কি ব্যাপার ]

স্নেহার বাবা : ওহ আচ্ছা যাও যাও! তবে খেয়েছো তো?..

রাহুল : জি খেয়েছি? কি ব্যাপার আংকেল অনেক খুশি মনে হচ্ছে..?

স্নেহার বাবা : ও হে! আমার মেয়েকে আজ বর পক্ষ দেখতে আসছে…অবশ্য ওরা আগে থেকেই…ওকে দেখে ঠিক করে রেখেছে…আজ আংগটি পড়াতে আসছে.. বিয়েটা কদিন পরেই…হয়ে যাবে…শোনো..বিয়েটা কিন্তু খেয়েই যাবে..?..

[রাহুল হতভাগ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে..কি শুনলো ও?…]
স্নেহার বাবা : আচ্ছা আমি আসি কেমন! তোমার কিছু লাগলে হরিকে বলো..

[ স্নেহার বাবা চলে গেলো ]

রাহুল গিয়ে চারদিক খুজছে স্নেহাকে…

পিছনের উঠোনে গিয়ে দেখে…সব মেয়েরা…নানারকম খাবারদাবার বানাতে ব্যস্ত..আর মহারাণী স্নেহা…খড়ের উপর বসে পা নাড়িয়ে নাড়িয়ে দেখছে…

রাহুলকে দেখে স্নেহা দাড়িয়ে যায়,

স্নেহার মা : আরে বাবা তুমি?..কিছু লাগবে…নাকি?

রাহুল : No আন্টি am alright..

রাশু : মা! জানো অনি ..ঐদিন..কি বলেছে… ওনার নাকি বাসার খাবার গুলো পছন্দ না..তাই রেষ্টুরেন্টে খাবে..?

আর স্নেহা আপু…আমাকে দিয়ে ওনাকে টং এর দোকানে পাঠালো…আমি বললাম এটাই রেষ্টুরেন্ট?

[ রাশুর কথা শুনে সবাই হেসে দিলো ]

মা : চুপ কর! বদমাইশ.. [ রাহুল স্নেহাকে ইশারা করছে…কথা আছে আর স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে যাচ্ছে..]

রাশু : আরে ভাই চলেন..এখানে সব মেয়েদের কাজ…আমরা দিঘির পাড়ে যাবো মাছ ধরতে চলেন… [ রাশু রাহুলকে ধরে টেনে নিয়ে গেলো ]

[রাহুল রাশুকে নিয়ে বের হচ্ছে অমনিই উল্টো পথ থেকে স্নেহা এসে…দাঁড়ায়]

স্নেহা : আই রাশু কই যাচ্ছিস! আর এই যে আপনি সব জায়গায় এমনভাবে আসেন যেন কোনো এন্ট্রি সিন্ চলছে…

রাহুল : স্নেহা! এসব কি শুনছি?..আজ নাকি বর পক্ষ আসছে তোমাকে দেখতে?..

স্নেহা : কিহ!?

রাহুল : তোমার বাবাই তো বললো..

স্নেহা খিলখিল করে হেসে উঠলো ..??

রাহুল : Damn it! হাসার কি বললাম?

স্নেহা : হ্যা দেখতে আসবে আমাকে…তো?…

রাহুল : [রেগে] what nonsense! ? তুমি আমাকে আজ বলছো?..

রাশু : কি হলো ভাই? আপুকে লাইন মারা হচ্ছে বুঝি?..

মিলি : [পেছন থেকে গলা ঝেড়ে] এহেম এহেম! আমি কি আসতে পারি?..

[রাহুল অবাক হয়ে পেছন ফিরে তাকালো এটা আবার কে..]

মিলি : আমি স্নেহার…

স্নেহা : [ স্নেহা এসে মিলির মুখ চেপে ধরে] হ্যা মানে আপু বলছে যে আজ স্নেহাকে দেখতে আসছে..আজ আপনার এই বাড়িতে বিশেষভাবে দাওয়াত রইলো..

রাহুল : ? মানে কি?…

[ রাশু আর মিলি মুখ লুকিয়ে হাসতে লাগলো ]

স্নেহা : মানে কি মানে?..?কানে কি কম শুনো নাকি?..

মিলি : স্নেহা হয়েছে অনেক..?আমি স্নেহার বড় বোন…আজ স্নেহাকে না আমাকেই দেখতে আসছে..আপনি টেনশন করিয়েন না..

স্নেহা : ধ্যাত আপু এইটা কি করলা..?

রাহুল : Oh! আপনি স্নেহার বড় বোন?..আচ্ছা আচ্ছা আমি ভেবেছি.. Ok Ok i understand..

মিলি : [ স্নেহার কানে ] বেশি নাচাতে গেলে তখন নিজে ধরা পরবি..শয়তান..

স্নেহা : ধুর যাওতো তুমি..[ মিলি হেসে চলে গেলো ]

[ রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে]

রাশু : আমার মাথায় কিছু আসে না..এই যে ভাই আপনি আসেন আমি যায়..

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] মিস্ ড্রামাকুইন আমাকে নাচাতে অনেক মজা লাগছে তাই না?..?

[হঠাৎ, পেছন থেকে খিলখিল হাসার শব্দ]

[ রাহুল আর স্নেহা দুজনেই ফিরে তাকালো.. দেখে অরণি, মহিমা, আর গীতালি একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাসছে..]

মহিমা : হুহ! আর লুকাই লাব নেই..সব বুঝছি আমরা…?

[স্নেহা একটু নার্ভাস হয়ে পাশফিরে যায়..]

রাহুল : এই যে গার্লস গ্রুপ…লুকিয়ে আর হেসো না…এইদিকে এসো তোমরা যে ডেইলি ফোলো করতে তা আমি দেখেছি..

স্নেহা : ?

অরণি : [স্নেহার কানে কানে] আপু তুমিও যাওনা মাছ ধরতে একসাথে?

গীতালি : হ্যা গো দিদি! যাও না..তুমিও একা একা ওনার ভালো লাগবে না…?

স্নেহা : আই! বেশি হয়ে যাচ্ছে না একটু… তোদের ইচ্ছে হলে তোরা যা..?

অরণি : হ্যা আমরা তো যাচ্ছিই..তাই তোমাকে ও আসতে বললাম.. থাক চলেন ভাইয়া আমরা যায়…

স্নেহা : ??

রাহুল : ওকেই [ স্নেহাকে চোখ মেরে সানগ্লাসটা পড়ে নিলো?] Let’s go girls…

স্নেহা : [ বিড়বিড় করে ] হুহ! চশমাটাও এমনভাবে পড়ছে যেন একটা কিছু?

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে ] all the best স্নেহা ?…

[স্নেহা রাগান্বিত ?ভাবে রাহুলের দিকে তাকায়..আর রাহুল স্নেহার গলা থেকে টান মেরে স্কার্ফটা নিয়ে মাথায় বেধে নেই]

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : মাছ ধরতে যাচ্ছি… All the best বলবা না?

স্নেহা : আমার স্কার্ফ??

রাহুল : ওউ! এটা মাছ ধরে এসে দিয়ে দেবো? বাই
ড্রামাকুইন?
… [ রাহুল আর স্নেহার কান্ড দেখে বাকিরা ও হেসে চলে যায় ]

স্নেহা : [ রুমে গিয়ে ] আজিব! ?গেলো তো গেলো আমার স্কার্ফটাও টেনে নিয়ে গেলো… হুহ..

[ এদিকওদিক ছুটাছুটি করছে স্নেহা ]

ধুর আমি এখানে বসে বসে কি করবো…? কি করছে ঐখানে আল্লাহ জানে…

[ হঠাৎ বাইরের দিক তাকাতেই দেখে হরিকাকা ঝুড়ি নিয়ে বের হচ্ছে ]

স্নেহা : [ দৌড়ে গিয়ে ] হরিকাকা..কই যাও তুমি?..

হরিকাকা : আরে দিদিমণি আমিতো দিঘির পাড়ে যাচ্ছি..ঝুড়ি দিতে..কিছু লাগবে?..

স্নেহা : না নাহ! কিছু লাগবে না..এদিকে দাও ঝুড়ি আমি দিয়ে আসি..

হরিকাকা : তুমি দিতে যাবা কেনো..আমি দিয়ে আসি!

স্নেহা : আরে কিছু হবে না! তুমি বাকি জিনিষ গুলো দেখো… আমি দিয়ে আসি..

[ স্নেহা হরিকাকা থেকে ঝুড়ি গুলো নিয়ে দিঘির পাড়ে গেলো দেখে রাশু আর কয়েকজন মাছ ধরছে.. আর মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম অনেক তো বলেছে মাছ ধরতে যাচ্ছি…মাছ ধরার নাম নেই..ক্যামেরা দিয়ে ফোটো তুলতে আছে… স্নেহা গিয়ে ঘাটের মধ্যে ঝুড়ি গুলো রাখলো ]

রাহুল : হেই! ড্রামাকুইন! আমি তো জানতাম তুমি আসবে..?

স্নেহা : ওহ! ☺রিয়েলি! হাউ সুইট!?আমি এইখানে ঝুড়ি দিতে এসেছি.. নয়তো আমার বয়ে গেছে আসার জন্যে..

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] এইদিকে তাকাওতো… [স্নেহা তাকাতেই রাহুল একটা ?ছবি তুলে নেই ..স্নেহা আরো রাগান্বিত ভাবে তাকায় রাহুল আবারো ফটো তুলে নেই]

রাহুল : ওয়াও…স্নেহা কি না পোজ দিলা?

[স্নেহা কিছু না বলে নাক ফুলিয়ে চলে যাচ্ছে…রাহুল ও স্নেহার পিছে পিছে দৌড়ে আসে]

রাহুল : হেই ড্রামাকুইন! কই যাও..

স্নেহা : মরতে যাচ্ছি..?

রাহুল : আরেহ! একা কেনো..আমায় ফেলে?…?

[ হঠাৎ অরণি,মহিমা আর গীতালি ও এগিয়ে আসে]

অরণি : আরে! ভাইয়া চলেন আম বাগানে যাবো.. আমার না কাচা আম খেতে মন চাইছে..☺

রাহুল : ওয়াও! ম্যাংগো? আই লাভ ইট..ওকে চলো…

স্নেহা : ??

অরণি : আরে আপু তুমিও চলো না প্লিজ!

স্নেহা : নাহ আমি যাবো না তোরা যা!?

মহিমা : আরেহ! চলো তো [ স্নেহাকে টানতে থাকে মহিমা]

স্নেহা : আরে! বললাম তো যাবো না!

রাহুল : থাক থাক বাদ দাও…এমনিতেও ও গিয়ে কি করবে?.. হাইটে ও ছোট মানুষ.. গাছ থেকে আম পারতে পারবে না..

স্নেহা : এক্সকিউজ মি! কি বললে হুম?..?

[ Rahul give a tedi smile?]

স্নেহা : শোনো এই তেডি স্মাইল দেওয়াটা না বন্ধ করো ওকে ফাইন! ?চ্যালেঞ্জ করলাম..যদি আমি তোমার চেয়ে বেশি পেরে দেখাতে পারি তাহলে!

রাহুল : তাহলে তুমি যেটা বলবে আমি সেটা করবো.. ?

স্নেহা : ওকে! ডান?

রাহুল : ?আর যদি আমি তোমার চেয়ে বেশি পেরে দেখাতে পারি…তাহলে আমি যেটা বলবো তুমি সেটা করবে..

স্নেহা : ?ওকে!

রাহুল : Think স্নেহা?

স্নেহা : ডান!?

রাহুল : ওকে তাহলে চলো ?

[ সবাই মিলে একসাথে হাটতে লাগলো.. স্নেহা রাহুলের পাশে হাটতে না চাইলেও রাহুল ইচ্ছে করে করে স্নেহার পাশে হাটছে…আর মিনিটে মিনিটে এক এক রিয়েকশনের ছবি তুলছে..]

অবশেষে পৌছালো…

মহিমা : ওকে! এই দুইটা ঝুড়ি থাকবে..কে কার আগে..ঝুড়ি ভরতে পারে!

স্নেহা : ওকে ওকে…?

রাহুল : স্নেহা ভেবে দেখো এখনো সময় আছে..? তুমি কিন্তু হাইটে ছোট…

স্নেহা : আই ?হাইট নিয়ে বলার কি আছে…আমি তোমার নেহার মতো ১২ইঞ্চির হাই হিল পড়িনা ওকে…?তাই হয়তো তোমার চেয়ে অনেক শর্ট লাগছে..

মহিমা : আরে তোমরা কি ঝগড়াই করবা নাকি…শুরু করবা..?

রাহুল : ইয়াহ! রাইট..? শুরু করো স্নেহা…

[ রাহুল আর স্নেহা দুজনেই…আম পারতে লাগলো… স্নেহা রাহুলের চেয়ে অনেক বেশি পেরেছে…তা রাহুল খেয়াল করলো.. তাই রাহুল অরণিকে ইশারা করাতে…অরণি চুরি করে করে স্নেহার ঝুড়ি থেকে আম নিয়ে রাহুলের ঝুড়িতে ভরিয়ে দিচ্ছে…স্নেহা অবাক হচ্ছে এতোক্ষণে তো ঝুড়ি পুরিয়ে যাওয়ার কথা…কিন্তু এমন কেনো হচ্ছে…কাছের আম তো সবই পারা হয়ে গেছে…বাকি গুলো অনেক উপরে…?]

রাহুল : কি হলো..স্নেহা!? থেমে গেলে যে…আর পারা যাচ্ছে না?.. Any help

স্নেহা : No thanks ?… [ স্নেহা উকি দিয়ে রাহুলের ঝুড়ি দেখলো অনেকটা ভরে গেছে..আর কিছু পারলেই ভরে যাবে… না না..এতো সহজে হার কি করে মানবে স্নেহা… রাহুল চারদিক ঘুরে ঘুরে আম পারায় ব্যস্ত..]

স্নেহা ধীরেধীরে বাকী আম গাছ গুলোতে দেখছে…সব গুলোই নাগালের বাইরে…ঢিল মারছে তাও পড়ছে না..? হঠাৎ দূর থেকে স্নেহার চোখ পড়লো..রাস্তার ধারের আম গাছটার নিচে রাহুলের গাড়ী.. স্নেহা এদিকওদিক তাকিয়ে সেখানে চলে গেলো.. টাইম ওয়েষ্ট করে আর লাভ কি…স্নেহা তাড়াতাড়ি গাড়ির চালের উপর উঠে পড়লো… আহ কত্তো সহজভাবে টুকুর টুকুর আম পারছে স্নেহা…পুরো ওড়নার আচলে ভরে নিয়েছে..]

হঠাৎ,

রাহুল : ওয়াও What a idea! i like it…?

[রাহুলের আওয়াজ শুনাতে হুট করে স্নেহা তার ওড়নার আচল ছেড়ে দেই..আর গরগর করে আম সব মাটিতে পড়ে যায়…? স্নেহা পাশফিরে তাকাতেই দেখে রাহুল..ক্যামেরা হাতে স্নেহাকে ছবি তুলছে স্নেহা জিহ্বাই কামড় দিয়ে দেই ??] [ বাকিরা হেসে উঠে]

রাহুল : স্নেহা! তুমি গাড়ীর চালের উপর কি করছো…?

স্নেহা : [তাড়াতাড়ি গাড়ীর চালের উপর বসে পড়ে] না নাহ! আমি আসলে দেখছিলাম যে তোমার গাড়ীটা টিকসই কিনা…[গাড়ীর উপর একটু বাড়ি দিয়ে] আচ্ছা এটা কিসের তৈরী..

রাহুল : এটা ? …সুতার তৈরী..?

স্নেহা : ????

রাহুল : কি সুতা জিজ্ঞেস করবানা?..?

অরণি : আপু এটা লিনেন সুতার তৈরী?

স্নেহা : সরি!?

রাহুল : আমিতো আগেই বলেছিলাম স্নেহা Think?…আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করোনা.. কিন্তু তুমি শুনলানা..

স্নেহা : [ গাড়ীর চাল থেকে নামতে নামতে ] হয়েছে হয়েছে ?যাও..আমি হেরেছি তুমি জিতেছো..

রাহুল : Careful damn it!?দেখে নামো ?…

[ ??স্নেহা নেমে এলো ]

রাহুল : থেংকস্ গার্লস্ চলো এইবার..? [ স্নেহাকে চোখ টিপ মেড়ে রাহুল সানগ্লাসটা আবার পড়ে নিলো ]

স্নেহা : ?? [ মুখ ভেংগিয়ে হাটা শুরু করে..]

রাহুল : [স্নেহার পাশে এসে] মনে আছে তো চ্যালেঞ্জ হারলে কি করতে হবে ?

স্নেহা : ??জি! মিষ্টার চাছোড়া মনে আছে..
বলুন কি করতে হবে…

রাহুল : Shut-up don’t call me that..

স্নেহা : [ মুখ ভেংগিয়ে] হুহ!

রাহুল : [হেসে?] are you ready sneha?

স্নেহা : What?

[ রাহুল ইশারা দিয়ে তার ঠোটের দিক দেখিয়ে দিলো ]

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] কিহ!???

অরণি : কি হলো?..?

রাহুল : কি হলো স্নেহা বলো?..

স্নেহা : ? [ বিড়বিড় করে কি যেন বলে দৌড় দিলো ]

বাড়ীতে পৌছালো,

মা : স্নেহা! কোথায় গিয়েছিলি?..আজকের দিনটা অন্তত না বেড়িয়ে পারতি…

স্নেহা : কি হলো চেঁচাচ্ছো কেনো..আমি আবার কি করলাম..?

মা : নাহ! তুই কিছু করিস নি!..ঘরে কি হচ্ছে না হচ্ছে তোর কি খবর আছে..

স্নেহা : উফ! বাদ দাওতো মিলি আপু কই?..

মা : রুমে আছে যা গিয়ে ওকে তৈরী হতে সাহায্য কর!

স্নেহা : যাচ্ছিরে বাবা..

[ রুমে ঢুকতেই দেখে রাশু একটা গিটার নিয়ে বাজাচ্ছে.. কি বাজে শব্দ আসছে গ্যাং গ্যাং করে]

স্নেহা : আই!? এটা তুই কই পাইলি?..

রাশু : আরেহ! আপু..অই রেষ্টুরেন্ট ওয়ালা রুমে বাজাচ্ছিলো ওর থেকে নিয়ে এসেছি…

স্নেহা : [মনে মনে] ?হুম! আর কিছু সংগে আনুক না আনুক..গিটারটা নিশ্চিত আনবে… প্রথমদিন তো অনেক সাধু সেজে এসেছিলো..নিশ্চয় গাড়ীর ভেতর লুকিয়ে রেখেছে?

[ স্নেহা গিয়ে জানালা দিয়ে উকি দিলো.. ওয়াহ কি ভাবসাব নিয়ে তৈরী হয়ে বেরিয়েছে যেন তারই বিয়ে হচ্ছে রাহুল স্নেহার দিক তাকাতেই আবারো ঠোটের দিক ইশারা করলো স্নেহা তাড়াতাড়ি পর্দা টেনে দেই..রাহুল হাসতে থাকে..? ]

সন্ধায় স্নেহা তৈরী হয়ে উঠোনে এলো…
চারদিক ঘুরঘুর করে দেখছে..খুব সুন্দর সাজিয়েছে.. হঠাৎ,

বাবা : স্নেহা! কি দেখছিস! কেমন হয়েছে সাজানো?..

স্নেহা : হ্যা বাবা অনেক সুন্দর!

বাবা : সবকিছু ঐ শহরের ছেলেটার আইডিয়ায় সাজানো হয়েছে..

স্নেহা : ওহ!?

বাবা : আমার বড় মেয়ের বিয়ে বলে কথা..সব অনুষ্ঠানে সাজানো হবে.. আর ছোট মেয়ের বিয়েতে তো আরো বড় করে সাজাবো..কি বলিস!?

[স্নেহা লজ্জা পেয়ে একটু হেসে দেই]

হঠাৎ, রাহুল স্নেহা আর তার বাবাকে..একসাথে.. দেখে এগিয়ে আসে..

রাহুল : কেমন হয়েছে আংকেল?..

স্নেহার বাবা : হ্যা হ্যা দারুণ সাজিয়েছ..

রাহুল : [ স্নেহাকে চোখ মেরে ]? থেংক ইউ আংকেল! [ স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে পাশফিরে যায়]

রাশু : [রাহুলের দিক এগিয়ে এসে] এই নাও ভাই তোমার গিটার…

স্নেহার বাবা : এটা কি?..

রাশু : বাবা! সিংগার সিংগার..এটা বাজিয়ে ওনি গান গায়..?

স্নেহার বাবা : আরে তাই নাকি? তুমি গান করতে পারো?..

রাহুল : জি! হ্যা..মানে ম্যাগাজিন ওয়ার্কের পাশাপাশি গান ও গায় আরকি..?

রাশু : আজ রাতে তো তোমার গান গাইতেই হবে…ভাই

রাহুল : আরে না! কি বলছো এসব!

স্নেহার বাবা : নাহ! কেনো..আজ আমরা সবাই শুনবো তোমার গান!?

স্নেহা : [মনে মনে] গান গাইবে না..? পুরো গ্রামের মেয়েদের পাগল বানাবে.. disgusting [ হন হন করে স্নেহা ভেতরে চলে গেলো ]

[রুম থেকেই আবার উকি দিয়ে দিয়ে দেখছে রাহুল কি করছে…রাহুলের চোখে পড়াতে রাহুল আবারো ঠোটের দিক ইশারা করে স্নেহা তাড়াতাড়ি সরে যায়]

স্নেহা [মনেমনে] কি আজিব বার বার একই জিনিষ করে যাচ্ছে?…

মেহেমান চলে এলো চারদিক হৈচৈ..

মা : [ শরবত নিয়ে এসে ] স্নেহা ধর! এগুলো টেবিলে দিয়ে আয়..

[স্নেহা শরবত গুলো নিয়ে টেবিলে রেখে চলে আসছে ]

হঠাৎ,

রাহুল : [পাশে এসে!] Come on স্নেহা তুমি চ্যালেঞ্জ করে এখন ভয় পাচ্ছো…তাহলে তো তোমার নিকনেইম চেঞ্জ করে মিস্ ডারপোক দিতে হবে?

স্নেহা : মোটেও না! ভয় কেনো পাবো হুম!

রাহুল : আমিতো তোমার চোখে ভয় দেখছি!?

স্নেহা : ?প্রতিদিন চশমা পড়ে থাকতে থাকতে তুমি রাতকাণা হয়ে গেছো বুঝলে!

রাহুল : ওকে ফাইন! m waiting… ?যদি তুমি ডারপোক না হোও তাহলে প্রুফ করো…

[ স্নেহা কিছু না বলে রুমে এসে ঢুকে পড়ে]

স্নেহা : [জানালা দিয়ে উকি দিয়ে মনে মনে ] মানে কি! আমি কেনো ডারপোক হবো..? কিন্তু এমন একটা জিনিষ চেয়ে বসলো…উফফ!

মিলি : অই! কি দেখছিস এভাবে?..?

স্নেহা : কই নাতো! ও হে তোমার বর মিষ্টার সিয়াম কে দেখছি..অন্য কোনো মেয়ের সাথে লাইন মাড়ছে কিনা..? By the way কি নাহ লাগছে তোমায়? ভাইয়া তো দেখেই কাত হয়ে যাবে?

মিলি : যাহ শয়তান!

স্নেহা : আচ্ছা তুমি এইখানে কি করছো?..

[ স্নেহা মিলিকে টেনে নিয়ে উঠোনে বেরিয়ে পড়ে..আর তার বরের পাশে চেয়ারে বসিয়ে দেই.. ]

স্নেহা : ভাইয়া ও না আপনাকে লুকে লুকে দেখছিলো তাই…এক্কেবারে ধরে নিয়ে এসেছি?

[ মিলি লজ্জায় উঠে যাচ্ছিলো ]

স্নেহা : আরে আরে! কই যাও…এখন আর লজ্জা পেয়ে কি লাব..?

[উঠোনে বসে…বরের বন্ধুরা..স্নেহা আর তাদের কাজিনরা মিলে অনেক শয়তানি করছে…]

হঠাৎ, দেখে দূর থেকে …রাহুল এগিয়ে আসছে…

রাশু : আরে আরে আসো তোমার অপেক্ষায় করছিলাম… [ রাশু দাঁড়িয়ে গিয়ে ] ভাইরা বোনরা..সবাই শুনুন আমাদের মাঝে এখন একটি গান করতে উপস্থিত হচ্ছে মিষ্টার রাহুল!

রাহুল : হেই! don’t do this please! আমি!

অরণি : আরে ভাইয়া একটা তো অন্তত গাইতে হবে! প্লিজ প্লিজ!

মহিমা : [রাহুলের পাশে এসে] ভাই আমাদের জন্য না..অন্তত স্নেহা আপুর জন্য একটা গেয়ে দাও..?

রাহুল : [ একটু হেসে দিলো ] Ok Ok guyz..?

রাশু : এইনা হলো কাজ! দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি গিটার… ?[ রাশু দৌড়ে গিয়ে রাহুলের গিটার নিয়ে আসে ]

[রাহুল? গিটার হাতে নিয়ে স্নেহার দিকে তাকিয়ে একটু হাসে..আর একটা চোখ টিপ মারে..স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে অন্যদিকে ফিরে যায়!]

রাহুল আর কিছু না বলে গিটার বাজানো শুরু করে দিলো…??

[ please don’t skip the song?….listen carefully to imagine this scene, rahul and sneha’s feeling ]??

Sunn mere humsafar,?
Kiya tujhe ithnisi bhi khabar??

ki teri saanse chalti jidhar,?
Rahunga bass wahi umrebhar?

Rahunga bass wahi umrebhar hai,??

[Sneha Blushing ?]

Jithini hasi iya mulakath he,?
Unse bhi pyaari teri baathe he,?
batoon me teri jho kho jathe he,?

Aao na hoshme main kabhi,?
bahome he teri zindegi hai..?

Sunn mere humsafar,?
kiya tujhe ithnisi bhi khabar,?

[Sneha’s heartbeat increased hearing rahul’ voice??]

অরণি : [ স্নেহার কানে ] আররেহ? আপু তুমি হইলে কিনা জানিনা আমি তো ফিদা হয়ে গেলাম??

স্নেহা : আই চুপ কর!?

[সকলে রাহুলের গান শুনে প্রশংসা.. করতে লাগলো… ]

[রাহুল উঠে স্নেহার দিক একবার তাকিয়ে চলে যায়]

প্রায় কিছুক্ষণ পর স্নেহা চারদিক খুজতে লাগলো.. কিন্তু রাহুলকে দেখা যাচ্ছে না.. সবাই তো অনুষ্টানের মধ্যেই আছে..কিন্তু মিষ্টার তেডি স্মাইল কই গেলো…

[রাহুলের রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজা খোলা..স্নেহা উকি দিয়ে দেখলো রুমে নেই…. গিটারটা চৌকির উপর পড়ে আছে..স্নেহা ভেতরে গিয়ে গিটারটা হাতে নিলো.. আর ব্লাশিং হতে লাগলো… ? (মনে মনে) ওয়াহ কি না গেয়েছো…বস্?]

হঠাৎ পেছন থেকে,

রাহুল : মিস্ করছিলে আমায়?..

স্নেহা : [পেছন ফিরে তাকিয়ে?] নাহ! আমিতো.. এমনিতে

[ স্নেহা হুরহুর করে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো.. রাহুল স্নেহার হাত ধরে রুমের দরজা আটকিয়ে দেই]

স্নেহা : আরেহ! রাহুল! কি করছো বাড়ী ভর্তী মেহেমান…কেউ দেখে ফেলবে..সরো আমি যাবো…

রাহুল : আচ্ছা তুমি বেড়ালের মতো আমার রুমে উকি দাও কেনো বলো তো..? ডিরেক্ট আসতে পারো না..

স্নেহা : কই উকি দিলাম আমিতো..

রাহুল : তুমিতো আমাকে না দেখা ছাড়া থাকতে পারছিলে না তাইতো?

স্নেহা : নাহ তেমন কিছুই না?

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] So মিস্ ডারপোক কি ডিসাইড করলে?….??

স্নেহা : Excuse me? i m not ডারপোক….

রাহুল : Ok proof it…?

স্নেহা : Yes! i will proof you!

রাহুল : when? ?

স্নেহা : Now?

রাহুল : রেডি?..?

[স্নেহা ধীরেধীরে রাহুলের কাছে আসে she try to kiss? rahul? কিন্তু রাহুলের চোখের দিক তাকাতেই আবার পিছিয়ে যায়..]

রাহুল : What happen ?

স্নেহা : দেখো প্লিজ তুমি আমার দিক তাকাবানা?

রাহুল : [হেসে?] Ok

[ স্নেহা রাহুলের কাছে এসে আবারো ট্রাই করলো কিন্তু কোনোভাবেই Possible হচ্ছে না..? চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো স্নেহা ]

[Then, রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার কাছে এগুতে থাকে..স্নেহা পেছাতে লাগে?]

রাহুল : চ্যালেঞ্জ হেরেছো so punishment তো মিলবেই…?

স্নেহা : দেখো প্লিজ! এসব আমার দাড়া সম্ভব না!? [ স্নেহা রাহুলকে সরিয়ে চলে যাচ্ছিলো ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] এভাবে ভেগে যাওয়াটাই তোমার কাজ! আমার ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই স্নেহা তোমার কাছে…?

[ স্নেহা ফিরে তাকালে দেখে রাহুল মাথা ঝুকে আছে
কেনো যেন স্নেহার অনেক মায়া হলো রাহুল মাথা ঝুকে থাকায়..]

রাহুল : ওকে স্নেহা গো…আমি আর আটাকাবো না… [ রাহুল স্নেহার হাত ছেড়ে দিলো ]

[ স্নেহা রাহুলের হাত ধরে তার দিক ফেরালো
রাহুল তাকিয়ে আছে..স্নেহ চোখ বন্ধ করে ফেলে]

[রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে]

স্নেহা : [রাহুলের অনেকটা কাছে এসে] কিস্ মি?…

রাহুল : ইউ ওকে..?

স্নেহা : ইয়াহ! আই এম ওকে!..

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : শিসস্ Not one more word!

[ Sneha kissed to rahul??]

[After 2mins,both are silent.. nd blushing ?]

স্নেহা : i m not ডারপোক…?

[স্নেহা লজ্জায় লাল ?হয়ে যাচ্ছে আর এক মুহূর্ত ও রাহুলের সামনে দাড়ায়নি…দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়…]

[ রাহুল ও Shocked হয়ে ব্লাশিং হতে লাগলো ? কি হলো এটা…]

[রুম থেকে বের হলো…স্নেহা? রাহুলকে দেখতেই লুখে যায়…রাহুল হাসতে থাকে..স্নেহার কান্ড দেখে.. ]

চলবে,

♥Love At 1st Sight $2 Part – 12

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part – 12

writer-Jubaida Sobti♥

পরদিন সকাল হলো…

স্নেহা ঘুম থেকে উঠে…আগে জানালা দিয়ে উকি দিলো রাহুল উঠেছে নাকি…
দেখলো উঠেনি…
ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে উঠোনে বের হলো…আশেপাশে দেখছে..কেউ আছে নাকি…দেখলো কেউ নেই…তাই স্নেহার মাথায় বুদ্ধি এলো একটু গিয়ে দেখে আসুক মিষ্টার হ্যান্ডসাম কি করছে…রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে দেখে দরজা বন্ধ…তাই জানালার ফাক দিয়ে উকি দেওয়ার চেষ্টা করছে…

হঠাৎ, পিছনে মাথার মধ্যে কেউ টুকা মাড়লো….

স্নেহা : তুই?..?

গীতালি : [স্নেহাদের বাসায় কাজ করে] কি গো দিদি…কি দেখছো অমন করে?

স্নেহা : আমি! কই নাতো কিছু না…ও হে আসলে…দেখছি যে সবাই উঠে গেছে অনিও উঠেছে কিনা…

গীতালি : আইচ্ছা…তাও আমার থেকে লুকাই লাব কি বলো…?

স্নেহা : দেখ গীতালি! তুইনা বেশী পেকে গেছিস… মা কে বলে তোদের দূর্গা পূজাই ছুটি দিতে দেবো না…?

গীতালি : আরে আমার ছুটির পেছন লাগছো কেনো…হয়ছে যাও আমি কিচ্ছু দেখি নাই…

স্নেহা : হুম! এইবার যা!? [গীতালি একটু হেসে চলে গেলো ]

হঠাৎ,দরজা খুলে রাহুল বেড়িয়ে এলো…

রাহুল : [চোখ কচলে] কি হলো এতো চেঁচাচ্ছা কেনো?… [ স্নেহা রাহুলকে দেখে এমন ভাবসাব করছে যেন সে কিছুই জানে না]

স্নেহা : চেঁচাচ্ছে কে?..কই এখানে তো কেউ নেই…বোধ হয় সপ্ন দেখেছো?

রাহুল : Shut-up?

স্নেহা : [ মুখ ভেংগিয়ে] হুহ..

রাহুল : অউ গুড মর্নিং?…

স্নেহা : হুম হুম?… [ স্নেহা চলে যাচ্ছে ]

রাহুল : স্নেহা তোমার সাথে আমার কথা আছে…

স্নেহা একবার পেছন ফিরে তাকিয়ে আবার চলে গেলো… রান্নাঘরে গিয়ে দেখে মা, চাচী সবাই মিলে কাজ করছে…

মা : স্নেহা কোথায় হারিয়ে যাস বার বার, ধর নে…এই চা গুলো তোর বাবাকে দিয়ে আয়…

মিলি [স্নেহার বড় বোন] স্নেহাকে টেনে একপাশে নিয়ে গিয়ে

মিলি : [ফিসফিস করে].. স্নেহা তুই নাকি বাড়িতে আসা হ্যান্ডস্যাম ছেলেটার ঘরে উকি দিচ্ছিলি..?

স্নেহা : কে বলেছে?..? ঐ গীতালি তাই না?… [ স্নেহা মায়ের কাছে এগিয়ে গিয়ে] মা! তুমি না ঐ গীতালিকে ওর পূজোর সময় ছুটি দিবানা..বলে দিলাম..

মা : কেনো ও আবার তোকে কি করেছে.. [ গীতালি মুখে হাত দিয়ে হাসতে লাগলো ]

স্নেহা : তুকে তো আমি পড়ে দেখে নিবো..? [ স্নেহা চায়ের বাটি নিয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেলো.. মিলি স্নেহার পিছে পিছে]

মিলি : আরে স্নেহা বলনা!…উকি দিয়েছিলি?..?

স্নেহা : আরে আপু তুমিও না..চিনিনা জানিনা অই ছেলের ঘরে আমি কেনো উকি দিবো…

মিলি : হে তাও ঠিক কিন্তু ছেলেটা হ্যান্ডস্যাম আছে দিলে ও দিতে পারিস..?

স্নেহা : ???

মিলি : না না ঠিকাছে তুই যা! চা দিয়ে আয়?

[ স্নেহা তার বাবাকে উঠোনে চা দিতে গেলো… দেখে রাহুল বারান্দার চৌকাটে বসে রাশুদের সাথে দুষ্টুমি করছে.. রাহুল স্নেহাকে দেখে ইশারা করে… যে তার কথা আছে স্নেহার সাথে…স্নেহা রাহুলকে মুখ ভেংগিয়ে ভেতরে চলে গেছে…]

রুমে গিয়ে দেখে…অরণি, গীতালি, মহিমা,আর মিলি আপু একসাথে কি কি জানে বলে ফেলছে..স্নেহা ঢুকাতে সবাই চুপ হয়ে যায়…

স্নেহা : কি হলো? আমি আসাতে চুপ?..

অরণি : তাই ভাবছি..আমরা অই ছেলেটার আশেপাশে গেলে তুমি এতো তেলে বেগুন হয়ে জলে উঠো কেনো..?

মহিমা : না থাক থাক…সমস্যা নেই আমরা বুঝেছি…

স্নেহা : আই এতো বুঝিস কেনো হুম?..আমার অই ছেলের প্রতি কোনো ইন্ট্রেষ্ট নেই… আরে আমার পেছনে হাজারটা লাইন লেগে আছে..আমি কেনো ওর জন্য..

অরণি : তাই!?…তাহলে তো আমার লাইন ক্লিয়ার ?….

স্নেহা : ? [ রেগে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে নিজের রুমে চলে যায় ]

রাশু : আপু তোমাকে ডাকছে…

স্নেহা : কে??..

রাশু : অই যে রেষ্টুরেন্ট ওয়ালা..

স্নেহা : ওহ! ডাকুক..? ওকে গিয়ে বল তাড়াতাড়ি এই বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে..

রাশু : [ হাহা??ওকে! রাশু রুম থেকে বেরিয়ে গেলো ]

কিছুক্ষণ পরে,

রাহুল : স্নেহা! [ স্নেহা Shocked?]

স্নেহা : তুমি এইখানে?..?

রাহুল : দেখো স্নেহা! অনেক হয়েছে হুম?.. চলো তোমার সাথে কথা আছে…

স্নেহা : আরে পাগল নাকি তুমি?..?কেউ দেখলে সমস্যা হবে প্লিজ যাও এইখান থেকে…

রাহুল : এক পা ও নড়াবো না…তুমি আসছো কি আসছো না বলো?..

স্নেহা : শিসস! ধীরে বলো প্লিজ! কেউ শুনতে পাবে!…

রাহুল : ওকে enough! এবার চলো!

স্নেহা : দেখো এখন আমি তোমার সাথে কথা বলতে পারবো না…বাবা ও বাড়ীতে..সবাই আশেপাশে…

রাহুল : ওকে তুমি আসতে পারবে না! ঠিকাছে..আমি তোমার বাবাকে গিয়ে সব সত্যি বলে দিচ্ছি.. ভার্সেটিতে কি হয়েছে না হয়েছে.. Then তোমার আর আমার লুকিয়ে কথা বলতে হবে না…

স্নেহা : [রাহুলের হাত ধরে] আরেহ আরেহ! কি আজিব! বাবাকে কেনো ওসব বলতে যাবা! আমি কি বলেছি কথা বলবো না?..? ঠিকাছে ঠিকাছে..তুমি যাও আমি আসছি!

রাহুল : m waiting! so hurry up…?

[স্নেহা বিড়বিড় করে…কি যেন বলছে]

রাহুল : What!?

স্নেহা : আসছি তো যাওনা!?

রাহুল : সন্ধায় এসো তখন রুমের বাতি অফ থাকলে কেউ দেখবে না…

স্নেহা : ছিঃ ?

রাহুল : ছিঃ কেনো?..

স্নেহা : তুমি কি কি করবা?..

রাহুল : Shut-up ok?..যেটা বলেছি সেটা করবা নাহলে তো জানোই আমি কি কি করতে পারি!? [ রাহুল বেরিয়ে গেলো ]

স্নেহা : Stupid, idiot ?সব জায়গায় নিজের রাজত্ব… হুহ..আমিও দেখি তুমি কিভাবে বাবাকে বলো..?

সন্ধ্যায়, বিজলি চলে গেছে..

..কিন্তু চারদিক হারিকেলের আলোয় ভরে আছে..

স্নেহা উঠোন পেরিয়ে,গায়ে চাদর মুড়িয়ে..রাহুলের রুমে যায়…

রাহুল : এত্তো লেইট করলা কেনো?..

স্নেহা : শিসস! ধীরে বলো..আর কেউ শুনবে… তুমি কই কিছুইতো দেখছিনা..

[ রাহুল স্নেহার কোমোড়ে হাত দিয়ে স্নেহাকে কাছে টেনে নিলো ]

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : এইতো আমি!?

স্নেহা : ছাড়ো প্লিজ!

রাহুল : শিসস! ধীরে বলো স্নেহা কেউ শুনবে!…??

স্নেহা : দেখো যা বলবা তাড়াতাড়ি বলো..আমার যেতে হবে..বিজলি আসলে তখন..কারো চোখে পড়ে যাবো.. ?

রাহুল : ওকে রিলেক্স! তুমি বের না হওয়া পর্যন্ত বিজলি আসবে না..?

স্নেহা : মানে কি!…

রাহুল : মানে আমার যাদু??

স্নেহা : তার মানে তুমিই..করেছো এসব?..

রাহুল : ইয়েস!? [ স্নেহা ব্লাশিং?]

স্নেহা : আচ্ছা হয়েছে..এবার বলো কি বলবা… [ স্নেহা রাহুলের হাত স্নেহার কোমোড় থেকে ছুটাতে চাচ্ছে..রাহুল আরো শক্ত করে ধরে রাখছে?]

স্নেহা : কি আজিব! ছাড়ো প্লিজ!?

রাহুল : [ হেসে ]? ওকে! রিলেক্স.. [স্নেহাকে ছেড়ে দিয়ে রাহুল স্নেহার চোখের উপর স্লাইড করলো স্নেহা চোখ বন্ধ করে ফেলে]

রাহুল : আমি না বলা পর্যন্ত চোখ বন্ধ রাখবে….?

স্নেহা : কিন্তু কেনো! ?

রাহুল : Shut-up বলেছি করবা..ব্যাস!

রাহুল… আগুন জালালো…স্নেহার মুখের উপর হলুদ অগ্নি আলো এসে পড়লো…

রাহুল : Shut-up স্নেহা! একদম চোখ খুলবা না…

স্নেহা : ওকে ওকে..! খুলছি না…?

[ কিছুক্ষণ পরে রাহুল স্নেহার পেছন থেকে…দু-পাশে হাত দিয়ে কোমোড়ে…ঝড়িয়ে ধরলো..]

রাহুল : Sooo… now u can open ur eye’s ?….

স্নেহা চোখ খুলে দেখে…গোলাপের? পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে লিখে রেখেছে…
?I Love You Miss Dramaqueen?মাঝে একটি কেট্রোস্ গাছ…

স্নেহা কেট্রোস্ গাছটি হাতে ছুয়ে অবাক হয়ে রাহুলের দিক ফিরে তাকালো…??…

রাহুল স্নেহার হাত দুটো তার হাতে নিয়ে চুমু খেলো…

রাহুল : স্নেহা! মনে আছে ভার্সেটিতে…প্রথমদিন তুমি এই কেট্রোস্ গাছ গুলোকে আলতো ভাবে ছুয়ে দেখছিলে..

তখন আমি দূর থেকে তোমাকে দেখে যাচ্ছিলাম… তোমার চুল গুলো উড়ছিলো…চোখের পাতা ঝুকে ছিলো…মিটিমিটি করে হাসছিলে তুমি..?

তখন আমি ভাবছিলাম কে এই মেয়ে..আগে তো দেখিনি…আমি অবাক দৃষ্টিতে তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম… ?

স্নেহা.. আমি তোমার আগে অনেক মেয়ে দেখেছি কখনো কারো দিক এভাবে তাকিয়ে থাকিনি… কেনো জানিনা ঐদিনই তোমায় দেখে আমি তোমার প্রেমে পড়ে যায়, u know যেটাকে বলে Love at 1st sight…?

স্নেহা : ???

রাহুল : ঐ রেসিং কারটার থেকে তোমাকে বাচানোর পর তুমি আমার সাথে যে রিয়েক্ট করলা… আমি তখন ভাবলাম নাহ দেখি এই মেয়ের কান্ড?…তোমার ছেলেপনা…বাচ্চাদের মতো কান্ড করা নেহার সাথে আমাকে দেখলে তোমার রাগ উঠা…সব কিছু আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে…?

কিন্তু আমি কিছু বলে উঠার আগেই তুমি পালিয়েছ ?

স্নেহা : আমাকে একটু চিমটি কাটো?

রাহুল : [ স্নেহাকে চিমটি কাটলো..] dream না reality…

স্নেহা : আই! ?আমিতো তোমাকে সব বলেদিয়েছিলাম…তোমার পিছে পিছে ঘুরেছি…তুমি আমাকে ইচ্ছে করে নাচিয়েছ?..

রাহুল : হি -হি- আমি তো মজা করেছিলাম..?

স্নেহা : আচ্ছা ওকে! মজা নিচ্ছিলা তাই না!…এবার আমিও দেখাবো তোমাকে মজা?

রাহুল : তোমার মাথায় কি কোনো বুদ্ধি আছে হুম?….? আমি তোমাকে প্রপোজ করেছি..আর তুমি কি না…

রাহুল : [স্নেহাকে ধাক্ষিয়ে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে] দেখো স্নেহা আমি অনেক সিরিয়াস… ? আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি…

স্নেহা আই লাভ ইউ..

স্নেহা : [মনে মনে] আমিও তো প্রথম দেখাতে ভালোবেসেছি…? মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম…

রাহুল : কি হলো জবাব দিবে না…

স্নেহা : হুম! সরে দাঁড়াও…

রাহুল সরে দাঁড়ালো…

স্নেহা : দেখো.. তুমি না আমাকে নেহা পাওনি…যে তোমার মিষ্টি মধুর কথা বলবা আর আমি সত্যি সত্যি বিশাস করে তোমাকে মেনে নিবো…?

রাহুল : কিন্তু স্নেহা তুমিওতো আমাকে..

স্নেহা : এহ এহ! একটা সময় ছিলো..তখন আমিও তোমাকে…??

রাহুল : [রেগে স্নেহার কাছে এসে] দেখো স্নেহা সবসময় ড্রামা মানায়না বুঝেছো?…

স্নেহা : এই যে মিষ্টার চাছোড়া..? ড্রামা ড্রামা করে আমার কানের মার্ডার করে দিয়েছো… তুমি ১২ফিটের চাছোড়া হলে…আমি ৬ ফিটের ইগো বুঝেছো..

রাহুল : ওকে i accept it?…

স্নেহা : তুমিও না এসব ড্রামা আমার সামনে করো না…এভাবে টিনের ঘরে থাকলে তুমি অসুস্থ হয়ে পড়বে…যাও গিয়ে..তোমার নরম খাটে এসি ছেড়ে ঘুমাও..

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে with naughty mind?]

তুমি?

আমাকে?

ভালোবাসোনা?

তাইতো??

স্নেহা : হুম! বাসি না… দূরে গিয়ে দাঁড়াও

রাহুল : ওকে…?

স্নেহা : কি হলো এভাবে তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেনো…

বললাম তো আমি তোমাকে ভালোবাসি না..

রাহুল : Yeah..i see?

স্নেহা : [মনে মনে] আব তুমেভি তারপানা পাডেগা মিষ্টার তেডি স্মাইল…?

স্নেহা রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো…

রাহুল : [মনে মনে] ড্রামাকুইন..? আমিও দেখি তুমি কেমনি আমাকে ভালো না বাসো…

স্নেহা রুমে গিয়ে ব্লাশিং হতে লাগলো…
ফাইনালি রাহুল বলেছে…সেও স্নেহাকে ভালো বাসে…?ভাবতেই স্নেহা লাল হয়ে যাচ্ছে..তার মানে রাহুল ও স্নেহাকে প্রথম দেখাতে….??

রাতে স্নেহা খাবার খেয়ে জানালা দিয়ে উকি দিলো রাহুল কি করছে দেখার জন্য… কিন্তু দরজা জানালা সব বন্ধ কিছুই বুঝতে পারছে না…

একটু পর পর দেখছে…কিন্তু এখনো বন্ধ…

রান্নাঘরে গেলো স্নেহা,

স্নেহা : গীতালি সবার খাওয়া দাওয়া শেষ..?

গীতালি : হুম শেষ…

স্নেহা : সবার..?

গীতালি : হে বাবা সবারই শেষ..

স্নেহা : ধুর! মানে…! হুম সবার বুঝেছি..বাড়ীতে বাড়তি যারা আছে তারাও…

গীতালি : [একটু হেসে] ঐ যে ছোড়াটার কথা বলছেন?.. ওনারে দিসি্লাম খাবার..বললো খিদা নাকি নাই…পাঠাই দিসে্ খাবার…

স্নেহা : ওহ..আমি ওর কথা জিজ্ঞেস করছিলাম না…মানে বলছিলাম যে হরিকাকারা সবাই খেয়েছে কিনা..

গীতালি : হুম আমি বুঝছি..কই এত্তোদিন তো হরিকাকার কথা জিজ্ঞেস করোনি..

স্নেহা : আই! ? একদম পাকনামি কথা বলবি না… যা কাজ হলে ঘুমিয়ে পর.. [স্নেহা বেরিয়ে যায় গীতালি হাসতে থাকে]

স্নেহা জানালার ধারে বসে বসে দেখছে…রাহুল না দরজা খুলছে না জানালা খুলছে..খুব অস্থির লাগছে..স্নেহার

স্নেহা : [মনে মনে] কি আজিব! করছেটা কি এতোক্ষণ ভেতরে…এখনো বের হচ্ছে না…কিছু খায়ইওনি…?

নাহ থাক আর পারছিনা… [ স্নেহা ধীরেধীরে রুম থেকে বের হলো সবাই রুমে ঢুকে পড়েছে…চারদিক অন্ধকার.. উঠোন পেরিয়ে স্নেহা রাহুলের দরজার ফাক দিয়ে উকি দিচ্ছিলো কিছুই দেখা যাচ্ছে না…কি আজিব! আবার গেলো জানলার দিকে…তাও কিছু দেখা যাচ্ছে না…এবার মাটিতে বসে পড়ে দরজার নিচের ফাকদিয়ে দেখার ট্রাই করতে লাগলো]

হঠাৎ, পেছন থেকে,

রাহুল : কি এমন দেখছো..কাতচিৎ হয়ে..?

স্নেহা : [ঘাবড়ে গিয়ে রাহুলের দিকে তাকায়..এবার স্নেহা সোজা তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ায় মনে মনে বলতে থাকে..হায় আল্লাহ এতো বাইরে আর আমি..ধ্যাত?]

কি দেখছি মানে! ওও..একটা বিড়াল ছিলো…এদিক ওদিক…ঘুরঘুর করছে তাই দেখছি কোনো তোমার রুমে ঢুকে পড়েছে কিনা..?

রাহুল : হ্যা দেখতেই পাচ্ছি বিড়ালটাকে..

স্নেহা : কি বললে…?

রাহুল : আবারো ড্রামা..

রাহুল স্নেহার হাত ধরে রুমের ভেতরে ঢুকিয়ে নেই…

স্নেহা : আরেহ! কি হচ্ছে এসব…

রাহুল : শিসস!..?? তুমি যে বললে আমাকে ভালোবাসো না…

স্নেহা : হুম বলেছিলাম! তো?

রাহুল : তাহলে আমাকে না দেখাতে অস্থির হয়ে…দরজার ফাকে কাতচিৎ হয়ে উকি দিচ্ছো যে?..?

স্নেহা : এক্সকিউস্ মি! আমিতো বি.. বি [ রাহুল স্নেহার কাছে এগুতে লাগলো ]

রাহুল : তুমিতো বি.. বি? কি? বলো..?

[স্নেহা দেওয়ালের সাথে লেগে পড়লো…রাহুল স্নেহার অনেকটা কাছে এসে দাঁড়ায়..]

স্নেহা : দেখো প্লিজ! আমাকে যেতে দাও..

রাহুল : সত্যি বলো যেতে দেবো.. ?

স্নেহা : আমিতো সত্যিই বললাম…?

রাহুল স্নেহার মুখে একটা ফু দিলো…স্নেহার মুখের উপর উড়ে আসা চুল গুলো সরে গেলো… ?

রাহুল : একটা সেকেন্ড ও থাকতে পারছিলে না.. আমাকে ছাড়া তাই না?..?

স্নেহা : কই নাতো?

রাহুল : জানালা দিয়ে বার বার উকি দিয়ে কাকে দেখছিলে?..?

স্নেহা : [Shocked হয়ে] ?আ আ.. আকাশ দেখছিলাম

রাহুল : [ স্নেহার একদম কাছে ] ওহ! রিয়েলি? [ with tedi smile ]

স্নেহা : ?দেখো তোমার এই তেডি স্মাইল দেওয়া বন্ধ করো..

রাহুল : কেনো এটা দেখে তোমার কুচ্ কুচ্ হয় নাকি?..?

স্নেহা : হ্যা হয়?..

রাহুল : তাই?

স্নেহা : নাহ! মানে!..?

রাহুল : Shut-up stop the drama…come on স্নেহা এইবার তো বলো যে তুমিও আমাকে??

চলবে….

♥Love At 1st Sight $2 Part – 11

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part – 11

writer-Jubaida Sobti♥

রাহুল স্নেহার দিকে তাকাতে তাকাতে হারিয়ে গেছে সে ভাবনার দেশে…?

হঠাৎ, একটি লোক এসে ঝাঁকুনি দিলো…

লোকটি : আরে ভাই কে আপনি…এভাবে ভিজতেসে্ন কেনো?…

রাহুল তাড়াতাড়ি আবারো উঠোনের দিক তাকালো…দেখে কেউ নেই… রাহুল একটু হেসে মাথা চুলকাতে লাগলো…?

লোকটি : গ্রামে নতুন মনে হচ্ছে?..

রাহুল : জি আমি এই গ্রামে নতুন এসেছি… আপনি কি ঐ বাড়ীটা চেনেন?..

লোকটি : আমি এইগ্রামের চৌকিদার..আর আমি চিনবো না…?
তবে কার বাড়ী যাবে তুমি?…

রাহুল : [ভাবতে লাগলো কার বাড়ী যাবে বলবে…এইখানে তো কাউকেই সে চেনে না..হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো গাড়ীতে একটি ক্যামেরা আছে] এক মিনিট ওকে…☺

রাহুল ক্যামেরাটি বের করলো..

লোকটি : এইটা আবার কি?..

রাহুল : জি! এটা দিয়ে ফোটো তুলে…আই মিন…মেমোরেবল মোমেন্ট..গুলো এইখানে..বন্ধি করে রাখে…

লোকটি : [কিছুই বুঝতে পারলো না]??

রাহুল : ওকে..মানে হচ্ছে যে আমি একজন ম্যাগাজিন ফোটোগ্রাপার…মানে সুন্দর সুন্দর গ্রামে যায়..তারপর ঐখানের রহস্যময় জিনিষ গুলো ছবি তুলে…তা আমার ম্যাগাজিনে ছাপায়..

আসলে আপনাদের গ্রামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে…তাই ভাবলাম এইগ্রামের ও কিছু ফোটো তুলে নিয়ে যায়…

লোকটি : ওহ আচ্ছা তাই ভালো… তবে থাকবে কই?…

রাহুল : ?থাকার তো কোনো জায়গা নেই…but u don’t worry আমি আমার গাড়ীতেই রাত কাটিয়ে নিবো…

লোকটি : গাড়ীতে কাটাবে কেনো…তুমিতো আমাদের গ্রামের..অতিথি চলো তোমার থাকার ব্যবস্থা আমি করে দিচ্ছি…

রাহুল : [মনে মনে] Yes? এটাইতো চেয়েছিলাম…

লোকটি : চলো আমার সাথে..

রাহুল : ওয়েট জাষ্ট One second..
[রাহুল গাড়ী থেকে তার ব্যাগটি ও নিয়ে নিলো.. ]

রাহুল লোকটির পেছন পেছন যায়..লোকটি বাড়ীটির ভেতরে রাহুলকে ঢুকালো…অনেক বড় উঠোন…রাহুল আর লোকটি দাঁড়িয়ে আছে….বৃষ্টি সেরে এবার মেঘের ফাকে..সূর্য উকি দিচ্ছে…
রাহুল সানগ্লাসটি পড়ে নিলো?

লোকটি : [ চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ] নিলাজ বাবু…ও নিলাজ বাবু…

হরিকাকা : [বেড়িয়ে এসে] কি গো…চন্দন মিয়া…চেঁচাচ্ছো কেনো?…

চন্দন : আরে নিলাজ বাবু কই..অতিথি নিয়ে এসেছি বলো..

হরিকাকা : দাঁড়াও ডাকছি…

হরিকাকা নিলাজ বাবুকে সহ নিয়ে আসে…[ নিলাজ মজুমদার স্নেহার বাবার নাম…গ্রামের একজন অতি সম্মানি ব্যাক্তি…আগে গ্রামের চেয়ারম্যান ছিলো..তবে নিজ ইচ্ছায়..পদত্যাগ করে নিয়েছে…তবুও গ্রামের সবাই..তার মতামত ছাড়া কিছু করে না…]

স্নেহার বাবা : আরে চন্দন কি হয়েছে?..

চন্দন মিয়া : বাবু অতিথি এসেছে গ্রামে…শহরে থাকে ছোড়া…..কি যেন নিয়ে আসছে…এই যে এটা…এটা দিয়ে ফোটো তুলে…গ্রামের দৃশ্য বইয়ে ছাপাইবে…

রাহুল : হ্যালো আংকেল…✋? ওহ সরি! [ রাহুল স্নেহার বাবাকে পায়ে ধরে সালাম করলো ]

স্নেহার বাবা : থাক থাক…! তো এই গ্রামে আসার কারণ…?

রাহুল : জি! আমি ম্যাগাজিন ফোটোগ্রাপার…বিভিন্ন জায়গায় ষ্টেই করে করে…কিছু রহস্যময় জিনিষ ক্যাচ করেনি এই ক্যামরার মাধ্যমে…

আপনাদের গ্রামটা অনেক সুন্দর… ভাবলাম এই গ্রামে ও অনেক কিছু থাকতে পারে যা আমার ম্যাগাজিনের কাজে লেগে যাবে…তাই আরকি দেরী না করে চলে এসেছি…?

ওনাকে বলেছিলাম আমি গাড়ীতে থেকে যাবো চিন্তা করার কিছু নেই..কিন্তু ওনি জোড় করে নিয়ে এসেছে..

স্নেহার বাবা : ? আরে কটা দিনই তো…
এসেছো আমাদের গ্রামে…গাড়ীতে থাকবে কেনো?… এই হরি.. যা তুই ওনার থাকার জন্য মেহেমান খানায় ব্যবস্থা কর… আর গিয়ে বল আমাদের জন্য চা পাঠাতে…

এসো এদিকে বসো…[ স্নেহার বাবা রাহুল..এবং চন্দন মিয়া গিয়ে উঠোনের একটা বৈঠকখানায় গিয়ে বসলো ]

স্নেহার বাবা! : আমাদের গ্রাম কিন্তু অনেক সুন্দর..অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য রয়েছে এখানে…

রাহুল : জি! আমি শুনেছি তাই এখানে এসেছি… [ হঠাৎ রাহুলের বারান্দা দিয়ে চোখ পড়লো, কয়েকটা মেয়ে চুপিচুপি বারান্দা দিয়ে দেখছে রাহুল দেখাতে তারা লুকে যায়.. আবার না দেখলে তখন তাকাতে থাকে..]

[স্নেহার বাবা রাহুলের সাথে গল্পে লেগে গেলো… রাহুল ও সাতপাঁচ বানিয়ে তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে…]

হঠাৎ, নুপুরের আওয়াজ বাজছে রাহুলের কানে…পা যতো কদম দিচ্ছে…যেনো লাগছে কোথাও সফটেড মিউজিক চলছে..?

উত্তেজনার চোখে…পাশফিরে বারান্দার দিকে তাকাতেই… রাহুলের বুক ধুপধুপ করে উঠে…

?হালকা ভেজা চুল, চোখে..লেপ্টানো কাজল, পায়ে ঝুমুরে বাধা নুপুর…সাদারঙের জামা পড়া…ঠোটের কোণে…হাসি মেখে হাতে চায়ের বাটি নিয়ে এগিয়ে আসছে স্নেহা?.. কি অপরুপ লাগছে আজ স্নেহাকে…[ রাহুল চেয়ে আছে স্নেহার হেটে আসা ]

স্নেহা : বাবা! এই নাও তোমাদের চা!? [ চায়ের বাটি টেবিলে রাখতেই ছিলো.. কিন্তু পাশফিরতেই স্নেহা Shocked?হয়ে যায়]

[রাহুল তার মায়াবী চোখে স্নেহার দিকে চেয়ে আছে…?…স্নেহার হাত কাপছে গিরগির করে…মনে হচ্ছে চায়ের বাটি গুলো এক্ষুনি হাত থেকে পড়ে যাবে]

রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহার হাত থেকে চায়ের বাটি গুলো এগিয়ে নিলো…

স্নেহার বাবা : স্নেহা! কতোবার বলেছি তোকে বৃষ্টিতে ভিজিস না মা..ভিজিস না..এখন দেখ ঠান্ডায় শরীরটা কাঁপছে..

স্নেহা রাহুলের দিক তাকিয়েই রইলো..?

স্নেহার বাবা : ওহ! ওর নাম..রাহুল শহর থেকে এসেছে.. কদিন থাকবে..মেহেমান খানায়…এই গ্রামের…কিছু ছবি তুলে আবার চলে যাবে..

স্নেহা : what!?…

রাহুল : জি!?আমি ম্যাগাজিন ফোটোগ্রাপার…এই গ্রামের..সবচেয়ে সুন্দর জিনিষগুলো আমি আমার ক্যামেরায় তুলে নিতে এসেছি…

স্নেহার বাবা : ও হলো আমার মেয়ে স্নেহা!?.. ওও..কিছুদিন আগে এসেছে শহর থেকে…পড়তে গিয়েছিলো..?

রাহুল : হ্যালো!✋? [ চোখ টিপ মাড়লো স্নেহাকে ]

স্নেহা : ?… [মনে মনে] কি মিথ্যুক.. বাবাকে সাতপাঁচ বানিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে আর বাবাও বিশাস করে নিলো..ইহ!? কেনো এসেছে এখানে..কতো কষ্ট করে মনকে বুঝ দিয়ে এইখানে চলে আসলাম..আর ও?…[ স্নেহা বির বির করতে করতে চলে গেলো.. কিন্তু মনে মনে অবাক হয়ে আছে..রাহুল স্নেহার বাড়ী এখানে কেমনি জানলো…কেনই বা এলো..? আবার বাবাকে ও কেনো মিথ্যে বললো…এসব বিড়বিড় করে বলতে বলতে স্নেহা চলে গেলো ]

বারন্দায় উঠতেই দেখে…স্নেহার কিছু কাজিন আর কাজের মেয়েগুলো…লুকিয়ে লুকিয়ে কি যেন দেখছে…

স্নেহা : ?এই যে! আপনারা…কি এমন দেখছেন..একজনের গায়ের উপর আরেকজন উঠে…

গীতালি : [স্নেহার বাড়ীতে কাজ করে] আরে দিদি…ঐ দেখো ছেলেটা কি না দেখতে লাগছে…?

অরণি : [স্নেহার চাচাতো ভোন] আরে আপু দেখনা..ঐছেলেটা মনে হচ্ছে শহর থেকে এসেছে…? আমি তো পাক্কা ওর সাথে লাইন মারবো..

মহিমা : ?এই আমি কিন্তু আগে দেখেছিলাম…সানগ্লাসটা খুলে রেখেছে কেনো যখন সানগ্লাস লাগিয়ে উঠোনে ঢুকছিলো না?? উফ!

স্নেহা : ??(মনে মনে) কি বলেরে এগুলো…? (রাহুলের দিক তাকিয়ে মনেমনে)..সানগ্লাস লাগিয়ে ঢুকতে হয় নাকি এমনি আসা যায় না..যত্তোসব..]?আই শোন যা ভেতরে যা…বেশি পেকে গেছিস..! মা কে গিয়ে বললে না..তারপর লাইন মারা বেড়িয়ে যাবে..

[স্নেহার বকুনিতে সবাই..স্নেহাকে মুখ ভেঙিয়ে চলে গেলো ?]

[স্নেহা রাহুলের দিক একবার তাকিয়ে ভেতরে চলে যায়…রুমে..জানালা খুলে লুকে লুকে তাকাতে থাকে..কি কি করছে রাহুল…]

অনেক্ষন পর দেখে বাবা উঠে ভেতরে চলে যায়…আর রাহুলকে বাড়ীর Opposite এ মেহেমানখানার একটি রুমে থাকতে দেওয়া হলো…শহর থেকে আসা প্রায় সব অতিথিদের ঐখানেই থাকতে দেওয়া হয়..

রাহুল রুমে ঢুকে দেখে..একটা চৌকি আর একটা টেবিল ছাড়া কিছুই নেই..

চৌকিটা ব্যাগ দিয়ে ঝেড়ে…একটু বসলো রুমের চারদিক ঘুরঘুর করে তাকাচ্ছে…

রাহুল : [মনে মনে] কি আর করবি রাহুল! প্রেমে যখন পড়েছিস… এইদিনটাও দেখতে হবে তোর…

হঠাৎ.. হুট করে স্নেহা রুমে ঢুকলো..ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে..দরজার এক কোণে গিয়ে দাঁড়ালো…যাতে বাইরের কেউ তাকে দেখতে না পায়…

রাহুল : ?আরে তুমি দরজার পেছনে লুকিয়ে আছো কেনো…

স্নেহা : শিস!☝…কেউ দেখলে সমস্যা হবে! আর তুমি এইখানে কেনো এসেছো বলোতো?..?

রাহুল : [দরজার কাছে এসে]???

স্নেহা : কি হলো কথা কি কানে যায় না?..এইখানে কেনো এসেছো?..

রাহুল : আগে তুমি বলো আমাকে না বলে চলে এলে কেনো?…?

স্নেহা : হুহ?তোমাকে বলে কেনো আসতে হবে…আমার ইচ্ছে..

রাহুল : ওহ রিয়েলি!? আমাকে কেনো বলে আসতে হবে তাই না? [ স্নেহার কাছে এসে]

স্নেহা : আরে কি করছোটা কি কেউ চলে আসবে তো?..দূরে গিয়ে দাঁড়াও ?

রাহুল : [পিছিয়ে গিয়ে] স্নেহা তুমি আমার জবাব এখনো দাওনি কিন্তু..

স্নেহা : দেখো! আমি যা করেছি সবই ভূল ছিলো..পরে আমি রিয়েলাইজ করে দেখলাম… আমার গ্রামে চলে আসাটাই বেটার হবে…

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] আচ্ছা ভুল ছিলো তাই না?..? আমার রাতের ঘুম হারাম করে দিয়ে…আমার সবকিছু এলোমেলো..করে দিয়ে..এখন বলছো সব ভূল?…

স্নেহা : ?? [অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে রাহুলের দিকে]

রাহুল : লুক স্নেহা! যেদিন থেকে তোমাকে দেখছিনা..আমি একটা রাত ও ঘুমাতে পারিনি…?আমার সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিলো…

তুমি যেদিন ভার্সেটি আসোনি! সেদিন মার্জান থেকে জানতে পারলাম…তুমি গ্রামে চলে এসেছো.. তখন ইচ্ছে হয়েছিলো তোমাকে?…

স্নেহা : Oh my god…আমাকে দেখার জন্য এত্তো মেহেনত?

রাহুল : Shut-up ok?..this is not funny?

দেখো স্নেহা অনেক কষ্টে তোমার বাড়ীর ঠিকানা…বের করলাম..
আমি এখানে থাকতে আসিনি আমি তোমাকে নিতে এসেছি…

স্নেহা : [মনেমনে আচ্ছা তো ঐ মিস্ ইউনিভার্সকে কি করলো? ] তোমার নেহার কি খবর?

রাহুল : I don’t love neha…? এক্সুলি আমি সামিরের সাথে চ্যালেঞ্জ জিতার জন্য নেহার সাথে রিলেশন করি… নেহার জন্য আমার কোনো ফিলিংস নেই…জাষ্ট সবকিছু শো-অফ ছিলো…

স্নেহা : [মনে মনে…তাহলে সামির যেটা বলেছিলো সেটা সত্যি ছিলো..? ওয়াও স্নেহা বাজিতো পাল্টে গেলো..]

রাহুল : স্নেহা ট্রাষ্ট মি! আমি তোমাকে..?

স্নেহা : তুমি আমাকে?…

রাহুল : ??[মনে মনে] Come on rahul! আটকালে চলবে না!…

স্নেহা : [ মনেমনে বুঝেছি?] হুহ আমিও এতো সহজে হাল ছাড়ছি না…?আমাকে যেভাবে নাচিয়েছো..মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম তার তিন ডাবল নাচাবো তোমাকে আমি…

রাহুল : স্নেহা! ?আই….

স্নেহা : হয়েছে হয়েছে…?আমাকে এতো ড্রামা দেখিয়ে লাব নেই…যেখান থেকে এসেছো সেখানে ফিরে যাও..

[ স্নেহা চলে যাচ্ছিলো..রাহুল স্নেহার হাত ধরে..]

স্নেহা : আরেহ! তুমিকি এটা শহর পেয়েছো নাকি?..?

রাহুল : আচ্ছা! আমার চোখের দিকে তাকাও Then ঐ কথাটা বলো..?

স্নেহা : [চোখ..কচলে ] আরে আমার চোখে কি যেন ঢুকেছে আমি কিছুই দেখছি না… [ ?স্নেহা রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো]

[ Rahul gave a tedi smile ?]

রাহুল : ড্রামাকুইন! Again drama ? ড্রামা ছাড়া এতোসহজে মানবে না আমি জানতাম..

যতোই ড্রামা করো না কেনো এবার আর কাজ হবে না…??মিস্ ড্রামাকুইন!

স্নেহা রুমে গিয়ে খাটে বসে পড়ে…এত্তো আনন্দ লাগছে সে কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারবে না…?রাহুল তার জন্য এসেছে… তারমানে রাহুল তাকে…??

স্নেহা কিছুক্ষণ পর পর জানালা দিয়ে তাকায় আর দেখে রাহুল কি করছে..

স্নেহা : [মনে মনে] আহ! বেচারা হ্যান্ডস্যাম?….তুলার পালং ছেড়ে বাশের পালং পর্যন্ত এসে পড়লো…

[প্রথমদিনে রাহুলের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মনে পড়ছে স্নেহার…ভাবতে ভাবতে স্নেহা ব্লাশিং…☺?]

হঠাৎ…জানালা দিয়ে আবার তাকাতেই দেখে..রাহুল রুম থেকে বেরিয়েছে..

[ Rahul wore a black t-shirt with blue jeans?]
স্নেহা হা করে তাকিয়ে আছে এতো ড্যাশিং ভাবে সেজেগুজে কই যাচ্ছে…?

হঠাৎ দেখলো…অরণি কিছু খাবার নিয়ে রাহুলের দিক এগিয়ে গিয়ে কি কি জানি বলছে…

স্নেহা রুম থেকে বেরিয়ে তাড়াতাড়ি এগিয়ে গেলো..দেখে রাহুল খাবার খেতে চাইছে না কিন্তু অরণি তাও জোড় করে খাওয়াতে চাচ্ছে…

স্নেহা : [চেঁচিয়ে ] আই তুই এইখানে কি করছিস!?

অরণি : ওনার জন্য খাবার এনেছি….বড় কাকী পাঠিয়েছে..?

স্নেহা : আহা! ?খাবার এনেছিস তো রুমে রেখে দিয়ে চলে যেতে পারছিস না…

এইদিকে এসে মুখটাকে..লাল লাড্ডুর মতো কেনো বানালি?..

[রাহুল তাদের কান্ড হা করে দেখে আছে?]

অরণি :??

স্নেহা : আবার কি তাকিয়ে আছিস! ?এইদিকে দে খাবার আমাকে দে তুই যা! [স্নেহা অরণির কাছ থেকে খাবারের বাটিটি টেনে নিয়ে নেই]

অরণি : [রাহুলের দিক তাকিয়ে] আচ্ছা আমি আসি হুম!?

রাহুল : ওকে ডিয়ার বাই?✋

স্নেহা : ?? হয়েছে অনেক যাহ… [অরণি স্নেহাকে মুখ ভেঙিয়ে চলে গেলো ]

রাহুল : এই তুমি ওর সাথে এইভাবে বিহেভ করছো কেনো?..

স্নেহা : আচ্ছা তোমার অনেক মায়া হচ্ছে বুঝি… ওর জন্য?

রাহুল : না নাহ! আসলে বাচ্চা একটা মেয়ে…এভাবে কথা বললে..

স্নেহা : বাচ্চা মেয়ে তাই না?তুমি চুপ করো…? এই নাও খাবার…

রাহুল : সরি! ?আমি আসলে এগুলো খাবো না…সামনে কোথাও রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে নিবো আমি…

[স্নেহা খিলখিলিয়ে হেসে দিলো ??]

স্নেহা : রেষ্টুরেন্টে যাবা??যাও যাও খেয়ে এসো… [হঠাৎ স্নেহা তার ভাই রাশুকে দেখতে পেলো… ] এই রাশু এইদিকে আই…

[রাশু এগিয়ে আসলো]

স্নেহা : শোন অনি গ্রামে নতুন এসেছে…তাই রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খেতে চাচ্ছে এইখানের খাবার ওনার পছন্দ না..তুই একটু প্লিজ ওনাকে রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যা না?

রাশু : ওমা তাই নাকি???চলেন ভাই চলেন

[রাশু রাহুলকে টেনে নিয়ে চলে গেলো রাহুল ও কিছু বুঝতে পারছে না গেলো রাশুর পিছে পিছে]

অনেক পথ হেটে রাশু রাহুলকে নিয়ে একটি টং এর দোকানে এলো…

রাশু : এই নাও ভাই তোমার রেষ্টুরেন্ট…?

রাহুল : What!? এতো পথ পেরিয়ে তুমি আমাকে এটাই আনলে…আমিতো ভেবেছি..?

রাশু : কি যেন নাম আপনার

রাহুল : রাহুল!

রাশু : ওহ! মিষ্টার রাহুল আপনি কি জানেন না গ্রামে কোনো রেষ্টুরেন্ট থাকে না…?

রাহুল : হ্যা জানি! ভুল হয়ে গেছে? কিন্তু তোমরা আগে বললেই তো পারতে…

রাশু : হি-হি-হি আগে বললে মজা নিতাম কেমনি… আচ্ছা বাদ দেন…এইখানের খাবার ও খেয়ে দেখেন… রেষ্টুরেন্টকে ফেইল করবে…ভাই?

রাহুল : ওকে! এমনিতেও খালি পেটে আবার যাওয়ার মতো সিচুয়েশন আমার নেই…?

রাহুল আর রাশু একটা টেবিলে বসলো..খাবার অর্ডার করলো…খেতে রাহুলের তেমন খারাপ লাগছে না…বরং ভালোই লাগছিলো…পুরো রাতটাই খালি পেটে ছিলো…

রাহুল : আচ্ছা তুমি স্নেহার কি হও!

রাশু : [খেতে খেতে] ভাই!

রাহুল : [মনে মনে] ??আচ্ছা তাইওতো বলি…যেমন ভোন তেমন ভাই..দুনোটা ড্রামেবাজ…

রাহুল আর রাশু গ্রাম ঘুরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো…

বাড়ী এসে…রাহুল রুমে ঢুকে দেখে রুমটা অনেক পরিষ্কার হয়ে গেছে…?

পেছন থেকে,

স্নেহা : এই যে! [ রাহুল ফিরে তাকালে দেখে স্নেহা দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে..]

স্নেহা : ? খেয়েছেন রেষ্টুরেন্টে?..?

রাহুল : হুম!?দারুন ছিলো..

স্নেহা : হুম ?এইখানে এরকম দারুন রেষ্টুরেন্টই পাওয়া যায়…

[রাহুল স্নেহার একটু কাছে এসে হুট করে রুমের বাতিটা অফ করে স্নেহাকে টান দিয়ে রুমের ভেতরে ঢুকিয়ে নেই]

স্নেহা : আরেহ?..

রাহুল : অনেক মজা নিচ্ছো না আমাকে নিয়ে?..? ওকে নাও…আমিও কিন্তু তোমার পেছন ছাড়ছি না…

স্নেহা : দেখো আমি বার বার বলছি এটা তোমার শহর না গ্রাম..? কেউ দেখলে বাজে কথাবার্তা ছড়াবে…

রাহুল : So what! ছড়াক…? But I don’t care…

[স্নেহা রাহুল থেকে ছুটার জন্য টানাটানি করছে…রাহুল ইচ্ছে করে আরো শক্ত করে স্নেহাকে ধরে রাখে…?]

হঠাৎ! কারো শব্দ পেলে,

স্নেহা : দেখো প্লিজ! কেউ আসছে হয়তো ছাড়ো… ?

রাহুল একটু হেসে স্নেহাকে ছেড়ে দিলো…অমনিই স্নেহা এক দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে…

[রাহুল রুমে বসে বসে ব্লাশিং হতে লাগলো?স্নেহার কান্ড দেখে]

রাহুল : [মনে মনে] আগে স্নেহাকে আমার মনের কথা জানিয়ে দিতে হবে যেই করেই হোক? এই ড্রামাকুইনটাও না বুঝেও সব না বোঝার ভান করে আছে…

স্নেহা রুম থেকে বেড়িয়ে… বাড়ীর পেছনের উঠোনে চলে গেলো… আশেপাশে ঘুরঘুর করে দেখছে কেউ দেখেছে কিনা… স্নেহা জোড়ে জোড়ে শাস ফেলতে লাগলো…

স্নেহা [মনে মনে] বাচলাম..বাব্বা..কেউ দেখেনি.. এই মিষ্টার হ্যান্ডস্যামটাও না..কিছু বুঝে না…হুট করে?…

[আবার ভাবতে ভাবতে হেসেদিলো? কান্ডগুলো মনে করে করে হাসছে আর ব্লাশিং হচ্ছে..স্নেহা?]

চলবে….

♥Love At 1st Sight $2 Part – 10

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part – 10

writer-Jubaida Sobti♥

রাহুল স্নেহাকে নিয়ে উপরে উঠলো..বেল বাজাতেই মার্জান দরজা খুলে,

মার্জান : [অবাক হয়ে] স্নেহা!? কি হয়েছে ওর?..

রাহুল কিছু না বলে স্নেহাকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়…

মার্জান : আরে কি হয়েছে…কিছু বলছো না কেনো…

রাহুল স্নেহাকে খাটে বসিয়ে দেই…

রাহুল : তোমার ফ্রেন্ড থেকেই জিজ্ঞেস করো কি হয়েছে…

মার্জান : স্নেহা বল! কি হয়েছে?..

স্নেহা : কই?…তেমন কিছু না..আসলে পা পিছলিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম তাই একটু..

রাহুল স্নেহার দিকে অবাক হয়ে তাকালো..

স্নেহা : [ রাহুলের দিকে তাকিয়ে ] তাই না রাহুল!

রাহুল : [মনে মনে] Again Drama?

স্নেহা : [রাহুলকে নেড়ে দিয়ে] কি হলো রাহুল! বলো না…?

রাহুল : [ স্নেহার পায়ের ধারে বসে ]Oh yeah! right?

মার্জান : ওহ আচ্ছা!

স্নেহা : একটু পানি খাওয়াবি মার্জান প্লিজ!

মার্জান : হে দাড়া! [ মার্জান স্নেহার জন্য পানি আনতে চলে গেলো ]

স্নেহা : এই যে মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম.. ভূল করেও ওকে বল���ানা কি হয়েছে..বুঝলা..

রাহুল : এতো ড্রামা কিভাবে করো তুমি?..

স্নেহা : আচ্ছা বলো না..কিভাবে জানলে আমি ঐখানে..?

[মার্জান পানি নিয়ে স্নেহার হাতে দিয়ে একটু হেসে চলে যায়]

রাহুল : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে ] বেশি কথা বলো না ওকে পানি খেয়ে শুয়ে পড়ো… বাই!

স্নেহা : [রাহুলের হাত ধরে] আরে আরেহ! কই যাও… তুমি চলে গেলে আমাকে কোলে নিবে কে?..

রাহুল : এক্সকিউস মি!?

স্নেহা : মানে! আমি তো হাটতে পারছিনা..তাই আমার যদি কোথাও যেতে হয়…মানে হচ্ছে..?

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] Shut up! stop the drama ok?…

স্নেহা : [ বিরবির করে] খালি আছে Shut up shut-up ??

[রাহুল স্নেহার পায়ের ধারে বসে স্নেহার পা হাত দিয়ে তুলে নিলো ]

স্নেহা : কি করছো!?

রাহুল : ঠিক করছি যাতে হাটতে পারো..

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] একদম না প্লিজ!…?

রাহুল : কেনো? নাহ?…নাহলে হাটবে কি করে!

স্নেহা : না হাটা লাগবে না প্লিজ! কিছু করো না! আমি ব্যথা পাচ্ছি!?

[রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ ?]

স্নেহা : সত্যি রাহুল!?মোটেও ড্রামা না?

রাহুল : ওকে! [ রাহুল তার হাত বাড়িয়ে দিলো ] হাত দাও!

স্নেহা : [একটু অবাক হয়ে] হাত!?

রাহুল : বলছি হাত দাও হাত দিবা! তাকিয়ে আছো কেনো…

স্নেহা : ওকে?? [স্নেহা হাত দিলে রাহুল স্নেহার হাত শক্ত করে মুঠি বেধে ধরে]

রাহুল : এইদিকে তাকাও…

স্নেহা : কোন দিকে?

রাহুল : আমার চোখের দিকে…?

[স্নেহা রাহুলের চোখের দিকে তাকালো]

স্নেহা : আচ্ছা গেইম খেলবা??..ওকে☺ i love it☺

স্নেহা রাহুলের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে…রাহুল ও [ Continue ]?

স্নেহা : [ মনে মনে ] ওহ মাই গড! এতো কিলার লুক দিলে কেমনি তাকাই বলো..?.. বাই দা ওয়ে এই মিষ্টার হ্যান্ডসামের আজ কি হলো..এতো রোমান্টিক চোখে চেয়ে আছে…

রাহুল : Hey ? Continue.. না হয় হেরে যাবা..

স্নেহা : [অবাক হয়ে] ওকে!??

[রাহুল স্নেহার চোখের দিক তাকিয়ে থেকে ধীরেধীরে স্নেহার পা ঘষতে লাগলো…. স্নেহা রাহুলের চোখের দিকে এক নজরে চেয়ে আছে..?]

হঠাৎ,

স্নেহা : আ..আ..আ

[ Rahul give a tedi smile?]

রাহুল : You ok?..?

স্নেহা : বললাম চাপ না দিতে আমি ব্যথা পাচ্ছি?

রাহুল : Ok i m sorry?…but এটা এখন না ঠিক করলে পরে আরো এফেক্ট হতো তাই বসিয়ে দিলাম।

স্নেহা : ?
আচ্ছা ?তুমি বললে না যে, ঐটা কিভাবে জানলা…

রাহুল : [দাঁড়িয়ে গিয়ে] ওকে বাই!

স্নেহা : আরেহ!?

রাহুল : গুড নাইট! [রাহুল চলে গেলো ]

মার্জান : [এগিয়ে এসে] কি হচ্ছে স্নেহা তুই গেলি সামিরের সাথে আর আসলি রাহুলের সাথে কিছুই তো বুঝলাম না..

স্নেহা : তুকে বলেছিলাম না…রাহুল সামিরকে jealous করে…তাই ও..?

মার্জান : তার মানে রাহুল ও তোকে..?

স্নেহা : হুম?
কিন্তু কোনোভাবে শিকার করছে না..?

মার্জান : আরে করবে করবে… Don’t worry..এতোটুকু যখন এগিয়েছে..বাকিটাও করবে?

স্নেহা : হুম? [ স্নেহার মনে পড়ছে সামির তার সাথে কি করতে ছেয়েছিলো ভেবে স্নেহা upset হয়ে যায়]

মার্জান : এই! কি ভাবছিস মুখ গোমড়া করে?

স্নেহা : নাহ কিছু না?

মার্জান : আমিতো পুরাই অবাক হয়ে গেছি.. রাহুল তোকে কোলে নিয়ে..যেভাবে হিরোর মতো দাঁড়িয়ে ছিলো…☺
মানতে হবে স্নেহা তুই তো রাহুলকে তোর জালে ফাসিয়েই নিয়েছিস…?

স্নেহা : [ in Action mood] একবার জো মে কামিটমেন্ট কারদেতি হু…পির মে আপনে আপকি ভি নেহি সু্নতি…?

মার্জান : রাখ তোর সালমান খানের ডায়লগ… এইবার তোর আসল সালমানের ডায়লগ বল??

স্নেহা : Shut-up?

মার্জান : জাষ্ট এটাই??

স্নেহা : হুম??

পরদিন ভার্সেটিতে,

রাহুল : নেহা! কি শুনছি এসব?..তুমি নাকি ব্যাংকক যাচ্ছো?..

নেহা : হে ঠিকই শুনেছো…তোমাকে তো..বলেছি কিন্তু তোমার কি জবাব?..

No neha it’s not a perfect time..

সামনে এক্সাম ঐটা শেষ করেনি.. then
etc etc…

রাহুল : কিন্তু নেহা তুমি ওদের সাথেই যাবে একা?..

নেহা : হুম! কারণ আমার ইচ্ছে যখন হয়েছে যাওয়ার So আমি যাবোই…তুমি চাইলে যেতে পারো..

রাহুল : তোমার ইচ্ছে.. আর আমার কথার কোনো মুল্য নেই…?

নেহা : দেখো রাহুল! আমিতো তোমাকে ও যেতে বলছি..কিন্তু তুমি নিজেই যাচ্ছো না….

রাহুল : তোমার বয়ফ্রেন্ড গুলাও যাবে?..

নেহা : এক্সকিউজ মি! বয়ফ্রেন্ড মিনস্?..?

রাহুল : তোমার ছেলে ফ্রেন্ডগুলো..?

নেহা : অউ..হুম যাবে!

রাহুল : Ok fine..আমিতো ভুলেই গিয়েছি তুমি তো আবার ওদের ছাড়া কোথাও যেতে পারো না… go.? all the best..[ রাহুল চলে গেলো ]

[নেহা তাকিয়ে থাকে…]

[স্নেহা চারদিক রাহুলকে খুজছে আজ ক্লাসেও দেখা পেলো না…]

হঠাৎ,একটি ক্লাসের মধ্যে থেকে সামির স্নেহাকে টেনে নিলো…

স্নেহা : তুমি?

সামির : [একটি চিকন ছুরি স্নেহার গলায় ধরে..]

স্নেহা ভয়ে কাঁপতে লাগলো…

সামির : যদি চিৎকার করো তাহলে আমিও এটা চালাতে বাধ্য হবো..

দেখো স্নেহা..আমি চায় না তোমাকে কষ্ট দিতে…কিন্তু তুমি আমাকে বাধ্য করছো…

কাল রাহুলকে আসতে বলেছিলে কেনো?..

স্নেহা : [কাপা গলায়] আমি জানিনা রাহুল কেমনি জানলো…

সামির : [চেঁচিয়ে ]তুমি জানো না?..মিথ্যা বলবা না…আমি ঐদিন দেখেছি…তুমি আর রাহুল এক ক্লাসে..ছিলে..আর রাহুল তোমার অনেকটা কাছে… আর আমি এটাও জানি যে তুমি আমার সাথে সব নাটক করেছো রাহুল কে দেখানোর জন্য…

স্নেহা অবাক হয়ে সামিরের দিকে তাকিয়ে রইলো.?

সামির : অবাক হচ্ছো কেনো?…[সামির স্নেহার গলা থেকে ছুরি নামিয়ে..] ছোট থেকেই রাহুল আমার লাইফ শেষ করে দিয়েছে….আমি যেটাই চায় সেটাই ও নিয়ে নেই… স্কুল লাইফ থেকে আমরা ফ্রেন্ড ছিলাম… সব গেইমে ওই ফার্ষ্ট আসতো…

একটা মেয়েকে পছন্দ করেছিলাম…মেয়েটা কিছু বলতো না শুধু হাসতো
ভয়ে বলতে পারছিলাম না..তখন রাহুল বুদ্ধি দিলো একটা চিঠি লিখতে..লিখলাম কিন্তু নিজ হাতে দিতে ভয় পাচ্ছিলাম..তাই রাহুলকে দিয়েই পাঠিয়েছিলাম…পরদিন মেয়েটা চিঠিতে উত্তর দিলো.. আমি তোমাকে দেখে হাসতাম না…তোমার পাশে যে হ্যান্ডস্যাম ছেলেটা ছিলো ওকে দেখে হাসতাম..আই লাভ হিম?

রাহুলের সামনেই চিঠিটা পড়েছি..সব ফ্রেন্ডসরাই হেসেছিলো..ইনফেক্ট রাহুল ও…

এরপর থেকেই রাহুল আর আমার বন্ধুত্ত ছুটে যায়…

পরে কলেজে উঠি…কার রেসিং এ আমি আর রাহুল famous ছিলাম… একদিন একটা রেসিং কার চুজ করলাম কিনবো বলে… ? কিন্তু ঐ রাহুল সেটাও আমাকে কিনতে দিলো না..আমার কিনতে একটু লেইট হচ্ছিলো…তাই..তিনদিন পর দেখি অই কারটা রাহুল কিনে ফেলেছে… যদি ও আমি আবার কিনতে চাই..তা ইম্পোর্ট এর মাধ্যমে কিনতে হবে… অইভাবে কিনতে গেলে কমপক্ষে ১সপ্তাহ লাগবে… কিন্তু ৪দিন পরেই আমাদের রেস ছিলো… কি আর হলো রাহুলই ফার্ষ্ট হয়েছে..কারণ আমার কার ছিলো 1year old… আর ওরটা ছিলো নিউ মডেলের এন্ড ২গিয়ারের…

2nd সেমিষ্টারে উঠলাম… যেদিন প্রথমি আমি নেহাকে দেখি আর ওর প্রেমে পড়ে যায়…নেহার ড্রেস..নেহার ফ্যাশন নেহার সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করে দেই… ধীরেধীরে নেহার সাথে অনেকটা ক্লোজ হয়ে যায়…

রাহুল আনপ্লাগড সিংগিং করে…নেহার প্রতি রাহুলের কোনো ইন্ট্রেষ্ট ছিলো না..

কিন্তু রাহুল যখন জানতে পারে…আমি নেহাকে পছন্দ করি.. সেটা নিয়ে ও অনেক হাসাহাসি করে ও…আর ওর ফ্রেন্ডসরা…

নেহা জানতো যে রাহুল ওকে কেয়ার করে না..সেটা আমিও জানতাম… একদিন কলেজের একটা প্রোগ্রামে…নেহা রাহুলকে একটা গানের জন্য রিকোরেষ্ট করে,, এমন অনেক মেয়েই রাহুলকে রিকোয়েষ্ট করে কিন্তু রাহুল…সেগুলো কেয়ার করে না…রাহুল নেহাকেও কেয়ার না করা সত্ত্বে…ওর রিকোয়েষ্ট করা গানটি গায়….শুধু মাত্র আমাকে jealous করানোর জন্য..? ও মজা নিতো এসবে…

পরে গিয়ে আমি..রাহুলকে..অনেক হুমকি দেই…কিন্তু তাতে তার কিছু যায় আসে না সে উলটা হেসে আমাকে চ্যালেঞ্জ করে যায়… যে আমি নেহাকে ও হারাবো…

পরদিন দেখি কলেজের সবার সামনে…রাহুল নেহাকে প্রপোজ করে..আর নেহাও কলেজের সব মেয়েদের হিট লাগিয়ে নাচতে নাচতে রাহুলকে হ্যা বলে দেই… এরপর থেকে নেহা আমাকে আর পাত্তা ও দেই না…

ইনফেক্ট রাহুল এটাও জানে যে নেহা রাহুলকে না রাহুলের পপুলারিটিকে ভালোবাসে..

তুমি বলো স্নেহা আমার কি করা উচিৎ ?

[স্নেহার ভয়ে গলার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে..]

সামির : ?আমি ডিসাইট করেছি কি জানো এরপর থেকে কোনো মেয়েকেই ভালোবাসবো না…শুধু ধোকা দিবো.. You know what আমি দিয়েছি…আমি success হয়েছি…

[সামির স্নেহার অনেক কাছে এসে] আমি এটাও বুঝতে পেরেছি যে রাহুলের অনেক মায়া হয় তোমার জন্য…So তুমিই হলে রাহুলের weakness…

স্নেহা : দেখো… প্লিজ যা হয়েছে তা ভুলে যাও তুমি নতুন করে আবার…

সামির : শিসস!…No sneha নতুন করে কিছুই হবে না… তোমার সাথে ক্যান্টিনে ধাক্ষা খাওয়ার পরে..আমার আবার রিয়েল লাভের প্রতি ইন্ট্রেষ্ট জাগে…কিন্তু আবারো ঐ রাহুল আমার সব কিছুতে পানি ফেলে দিয়েছে..?…

হঠাৎ কেউ আসার শব্দ হচ্ছিলো..

সামির : ?So u are only mine….understand?. ..

Now you go…sneha…কিন্তু এই ক্লাসে যা হয়েছে তা যেন রাহুলের কানে না যায়… নয়তো তুমি বুঝতে পারছো আমি কি করবো…

স্নেহা : [ভয়ে ভয়ে] ওকে?

সামির : তোমাকে না…রাহুলকে করবো.. ? [ চেঁচিয়ে ] Understand?..

স্নেহা : [ভয়ে কেঁদে ] হে?…

সামির : আর রাহুল থেকে যতো দূরে থাকবা রাহুলের জন্য ততোই ভালো হবে… [ সামির চলে গেলো ]

স্নেহা কান্না মুছে ক্লাস থেকে বের হয়..

মার্জান : স্নেহা কি হয়েছে?..এভাবে হয়ে আছিস কেনো?.. [স্নেহা চুপ করে থাকায় মার্জান স্নেহাকে টেনে লাইব্রেরী নিয়ে একটা চেয়ারে বসায়]

স্নেহা কেঁদে দিলো…

মার্জান : স্নেহা কি হয়েছে বলনা..কাঁদছিস কেনো?…

[স্নেহা মার্জানকে বলতে যাচ্ছিলো ঠিক সেই সময় দেখে লাইব্রেরীতে রাহুলের এন্ট্রি… ]

[রাহুল স্নেহাকে দেখে একটু অবাক হলো কারণ স্নেহার চোখ ভেজা…]

স্নেহা আর মার্জান দুজনই চুপ হয়ে রইলো… রাহুল কাছে এসে…দাঁড়ায়..

মার্জান : তুই বয় আমি আসি, [মার্জান উঠে চলে যাচ্ছে..]

স্নেহা : কোথায় যাচ্ছিস দাড়া আমিও যাবো…

রাহুল : স্নেহা ওয়েট! [মার্জান চলে গেলো..স্নেহা ও চলে যেতে চাইলো.. রাহুল স্নেহাকে ধরে ফেললো.. ]

স্নেহা : দেখো প্লিজ আমাকে যেতে দাও..

রাহুল : স্নেহা কি হয়েছে তুমি কাঁদছো কেনো?…

স্নেহা : আমি কাঁদছি না [ স্নেহা চলে যাচ্ছিলো..রাহুল স্নেহাকে শক্ত করে টেনে ধরে..]

রাহুল : কাঁদছো কি.. না কাঁদছো তা তোমার চেহেরায় বলছে..?

স্নেহা : দেখো সবাই তাকিয়ে আছে..হাত ছাড়ো…

রাহুল : ছেড়ে দেবো.. বলে দাও..

স্নেহা : [ রেগে? ] আজিব! কেনো বলবো.. কি হোও তুমি আমার…

রাহুল : [স্নেহাকে পিছে টেলে দেওয়ালের সাথে জোড়ে ধাক্ষা দিয়ে লাগায়…স্নেহা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে] আমার চোখের দিকে তাকাও তারপর কথাটা বলো…. ? কি হলো স্নেহা..

স্নেহা : দেখো সবাই চেয়ে আছে…?

রাহুল : চেয়ে থাকুক I don’t care…?

স্নেহা : [রাহুলের চোখের দিক তাকিয়ে চোখ থেকে দু ফুটো জল গড়িয়ে ফেলে..] আমি কাঁদলে তোমার কি কষ্ট হচ্ছে?…

[রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে আছে…]

স্নেহা : বলো রাহুল..

[রাহুল মাথা নিচু করে স্নেহা থেকে হাত সরিয়ে নেই]

স্নেহা : জবাব নেই তাই না…তাহলে আমি কাঁদছি কেনো জেনে কি করবা…ওটাও না জানা থাকুক…

[ স্নেহা চলে গেলো ]

[সবাই রাহুলের দিক তাকিয়ে আছে রাহুল ও আর কিছু না বলে চলে যায় ]

[রাহুল পার্কিং এর দিক গিয়ে গাড়ীর দরজা খুলছিলো ঠিক সেই সময়..রাহুলের হঠাৎ সামিরের কথা মনে পড়ে…]

রাহুল : [মনে মনে] Oh shit! damn it? নিশ্চয় ঐ সামির স্নেহাকে আবারো…

[ তাড়াতাড়ি গাড়ী ড্রাইভ করে রাহুল ভার্সেটি থেকে বের হয়…দেখে স্নেহা বাসে্ উঠে গিয়েছে…বাস্ চলতে থাকে রাহুল ফাষ্ট চালিয়ে বাস্ ওভারটেইক করে, গাড়ী সামনে এনে দাড় করায়…তাতে বাস্ ও থেমে যায়… রাহুল গাড়ী থেকে নেমে তাড়াহুড়ো করে বাসে্ উঠে…]

ড্রাইভার : আরে ভাই সমস্যা কি আপনার এভাবে গাড়ী সামনে এনে দাঁড়ায় করাইলেন…

[রাহুলকে বাসে্ দেখে স্নেহা Shocked হয়ে যায়]

রাহুল : স্নেহা নিচে নামো কথা আছে!

স্নেহা : আরেহ! পাগল নাকি তুমি?

রাহুল : [ রেগে ] হ্যা আমি পাগল হয়েছে?..? এবার নামো..

[হঠাৎ একটা লোক চেঁচিয়ে বলে উঠে..আরে কে আপনি ওনাকে ডিষ্টার্ব করতেছেন কেনো]

রাহুল : [ রাগান্বিত ভাবে লোকটার দিকে তাকিয়ে ] ওকে করছি তোকে তো আর করিনাই…

মার্জান : [স্নেহার কানে ফিসফিসিয়ে] দেখ স্নেহা হয়তো কোনো ইম্পর্টেন্ট..কিছু হবে…যা গিয়ে দেখ..

স্নেহা : তুই চুপ কর! [ রাহুলের দিকে তাকিয়ে ]দেখো.. পাগলামো করো না যাও…গিয়ে তোমার গাড়ীটা সরাও..পেছনে জ্যাম লেগে যাচ্ছে…

রাহুল : ?ঠিকভাবে বলছি নামবা কি নামবা না?..

স্নেহা : আজিব! আমি না গেলে জোড় করে নিয়ে যেতে পারবা নাকি…

রাহুল : [স্নেহার হাত ধরে] ?এখন টেনে নিচ্ছি…যদি প্রয়োজন হয় তাহলে উঠায় নিবো…

স্নেহা : আরেহ!?

[ রাহুল স্নেহাকে টেনে টেনে নিচে নামিয়ে নিলো ]

স্নেহা : [চিৎকার করে করে বলতে লাগলো ] কিডন্যাপ প্লিজ হেল্প…কেউ বাচাও…প্লিজ

হঠাৎ..একটি সার্জেন পুলিশ এগিয়ে আসে…

সার্জেন পুলিশ : কি ব্যাপার কি হচ্ছে?…

স্নেহা : কিডন্যাপ করছে আমাকে প্লিজ হেল্প..

রাহুল : [ পুলিশকে ইশারা করে] পাগল তাই…?

স্নেহা : এক্সকিউজ মি আমি মোটেও পাগল না বুঝেছো…দেখেন স্যার প্লিজ আপনি ওতে লকাপে..ঢুকান..

[রাহুল পুলিশকে ইশারা করে পাশে ঢেকে নেই কানে কানে কি যেন বললো পুলিশ একটু হেসে দেই…তারপর রাহুল পকেট থেকে কি যেন বের করে কেউ না দেখে মতো পুলিশের হাতে ঢুকিয়ে দেই…পুলিশ একটু হেসে স্নেহার দিক তাকিয়ে চলে যাচ্ছিলো]

স্নেহা : আরেহ! কই যাচ্ছেন..স্যার..?

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] Shut-up?

স্নেহা : [চুপ হয়ে গেলো ]??

[রাহুল স্নেহাকে টেনে গাড়িতে বসিয়ে লক করে দেই..]
[রাহুল ও গাড়িতে বসে..চালিয়ে চলে যায়]

[দুজন দুজনের দিক রাগান্বিতভাবে তাকাচ্ছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না…প্রায় আধ ঘন্টা পর রাহুল একটি নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে গাড়ী দাড় করালো…]

[রাহুল উঠে স্নেহার পাশে গিয়ে দরজা খুলে নামাতে চাইলে,,]

স্নেহা : করছোটা কি ? হাত ছাড়ো…

[ রাহুল টেনে স্নেহাকে নামিয়ে জোড়ে দরজা বন্ধ করলে স্নেহা কানে হাত দিয়ে দেই?]

রাহুল : [স্নেহাকে গাড়ির সাথে ধাক্ষা দিয়ে লাগিয়ে] লুক…কোনো ড্রামা করবানা?….যা বলবো ডিরেক্ট আন্স্যার দিবা…

স্নেহা : ?তোমার কোনো কিছুর..জবাব দিতে পা…

রাহুল : ?Shut-up…..[স্নেহা ভয় পেয়ে যায়…রাহুল কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে থাকে]

দেখো স্নেহা…কি হয়েছে আমাকে খুলে বলো…সামির কিছু করেছে আবার?..

[স্নেহা রাহুলের হাত সরিয়ে গাড়ীর দরজা খুলে…রাহুল জোড়ে আবার দরজাটা লাগিয়ে দেই]

রাহুল : বলো কি করেছে… [রেগে স্নেহাকে ঝাড়ি দিয়ে] Say something damn it! ?

স্নেহা : [কেঁদে নিচের দিক তাকিয়ে] সরি! রাহুল আমি তোমাকে কিছুই বলতে পারবো না?…

রাহুল : কেনো?..কেনো পারবা না?..বলো স্নেহা?…?

স্নেহা : ব্যাস! পারবো না এইটুকুই জানো… ?

রাহুল : স্নেহা প্লিজ!..?

[স্নেহা চুপ হয়ে রইলো ..]

[রাহুল স্নেহার কাছ থেকে সরে দাঁড়িয়ে…হঠাৎ গাড়ীর গ্লাসে জোড়ে বাড়ি দেই…এবং রাহুলের হাত থেকে অজর জোড়ে রক্ত বেয়ে পড়ে..]

স্নেহা : [রাহুলের হাত টেনে নিয়ে চিৎকার করে..] রাহুল!…কি করছো এসব…পাগল নাকি…

রাহুল : [তার হাত টেনে নিয়ে] বলো স্নেহা…সামির কি করেছে?..?

স্নেহা : [রাহুলের হাতটি আবার টেনে নিয়ে ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে নেই] এভাবে জোড়ে মারে নাকি…দেখো তো কতোগুলো রক্ত ঝড়ছে…?

[রাহুল তার হাত আবার ও টেনে নিয়ে রেগে গ্লাসে আবার বাড়ি মারে]

স্নেহা : [ এবার অনেক ভয় পেয়ে কেঁদে ] ওকে ওকে..?? বলছি প্লিজ! এমন করো না…??… [স্নেহা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পড়ে]

[রাহুল ও বসে…স্নেহার সামনে]

স্নেহা : দেখো রাহুল সামির বলেছে ও যদি আমাকে তোমার আশেপাশে দেখে তাহলে তোমার ক্ষতি করবে..? আমি চাই না আমার জন্য তোমার ক্ষতি হোক..[স্নেহা ফুফিয়ে কাঁদতে থাকে]

রাহুল : রিলেক্স স্নেহা কিছু করতে পারবেনা সামির আমাকে…
Damn it!? তুমি ওর কথায় আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছো… আমার দিকে তাকাও স্নেহা আর কিছু করেছে সামির তোমাকে?… [রাহুল স্নেহার চোখ মুছে দিলো স্নেহা রাহুলের রক্ত ভরা হাতটি টেনে নিলো.. রাহুল চেয়ে আছে]

রাহুল : Don’t worry..সেরে যাবে..

স্নেহা : সব কিছুতে এতো রাগ দেখাও কেনো…

রাহুল : দেখো স্নেহা..তুমি কাঁদলে আমার মোটেও সজ্য হয় না…

স্নেহা : কেনো?..কেনো সজ্য হয়না?…

[রাহুল কিছুক্ষণ স্নেহার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে যায়]

স্নেহা : [দাঁড়িয়ে গিয়ে] কি হলো রাহুল বলো কেনো সজ্য হয় না?..?

রাহুল : [পেছন ফিরে যায়] গাড়িতে উঠো স্নেহা…

স্নেহা : কেনো সজ্য হয়না বলো রাহুল…

[রাহুল স্নেহার দিকে ফিরে তাকিয়ে স্নেহাকে হাত ধরে..গাড়িতে ঢুকায়..স্নেহা আর কিছু বলে না চোখ থেকে শুধু অশ্রু ফেলে..]

[রাহুল স্নেহাকে হোষ্টেলে পৌছে দিয়ে বাড়ি চলে যায়..]

মার্জান : স্নেহা! কি হয়েছে?..কোথায় নিয়ে গিয়েছিলো রাহুল?.

[স্নেহা মার্জানকে ঝড়িয়ে কেঁদে উঠে…এবং সামিরের সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা মার্জানকে খুলে বলে]

মার্জান : স্নেহা যদি রাহুল না যেতো ঐদিন তোর কি হতো… ? আর তুই আমাকে মিথ্যে বলেছিলি কেনো?…

স্নেহা : ??

মার্জান : আচ্ছা হয়েছে ব্যাস…আর কাঁদতে হবে না…যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নে….

[রাহুল বাসায় গিয়ে রুমে বসে ভাবতে থাকে.. কেনো স্নেহাকে বলতে পারলো না…স্নেহার কান্না তার সজ্য হয়না…কেনো ?
এদিক ওদিক হাটতে থাকে রাহুল…ইচ্ছে করছে সামিরকে গিয়ে এক্ষুনি খুন করে ফেলতে..]

বিকেলে রাহুল অপেক্ষা করে..স্নেহা কখন আসবে…কিন্তু অপেক্ষার শেষ নেই…স্নেহা ও আসে না….

পরদিন ভার্সেটি গিয়ে পৌছায়…

[দেখে স্নেহা ক্লাসে ঢুকেছে..রাহুল স্নেহাকে দেখে একটু হাসে…কিন্তু স্নেহা না হেসে চুপচাপ গিয়ে বসে যায়]

ক্লাস শেষে বের হতে যাবে…ঠিক তখন দেখে রাহুলের ফ্রেন্ড আসিফ রাহুলকে ধরে বলতে লাগলো..

আসিফ : হেই রাহুল..সামির কে দেখে এসেছি হসপিটালে…?? কি না দিলি বস্ মনে হচ্ছে…২বছরেও বেড থেকে উঠে..দাড়াতে পারবে না…

রাহুল : ২বছর কেনো আমিতো চাই যেন সে সারা জীবন বেড থেকে উঠতে না পারে….?

আসিফ : আচ্ছা চল…কেন্টিনে..

[ আসিফ আর রাহুল কেন্টিনে চলে যাচ্ছিলো..পেছন থেকে স্নেহা এসে রাহুলের হাত ধরে ফেলে…রাহুল তাকিয়ে দেখে স্নেহা…আসিফ ও হা করে চেয়ে আছে কিন্তু কিছু বলছে না..স্নেহা রাহুলকে টেনে লাইব্রেরীর রুমে নিয়ে যায়… স্নেহা কিছু বলতে চাইলো কিন্তু আশেপাশে তাকিয়ে দেখে অনেকে চেয়ে আছে…রাহুল সেটা বুঝতে পারায়…সে স্নেহাকে নিয়ে সেল্ফের এক কোণায় দাড় করায়]

রাহুল : স্নেহা! কিছু বলবা?..

স্নেহা : তুমি সামিরকে মেরেছো?

রাহুল : [স্নেহার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে…] নাহ!

স্নেহা : মিথ্যে বলছো কেনো রাহুল..আমি তোমার আর আসিফের সব কথা শুনেছি…?

রাহুল : ?হ্যা মেরেছি…আমি সামিরকে মেরেছি তো?…

স্নেহা : তুমি মারামারি ?…

রাহুল : হ্যা আমি মারামারি করেছি… ?

স্নেহা : কেনো করেছো?…

[রাহুল Silent ]

স্নেহা : বলো না কেনো মেরেছো?…

রাহুল : মেরেছি কারণ ও তোমার সাথে..কথা বলেছে…ও তোমাকে টাচ্ করেছে..ও তোমাকে হুমকি দিয়েছে তাই…?

[স্নেহা Shocked হয়ে রাহুলের দিক চেয়ে আছে…রাহুল বেড়িয়ে গেছে…স্নেহা ও ধীরেধীরে ভাবতে ভাবতে লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে যায়]

আসিফ : স্নেহা!

স্নেহা : [পেছন ফিরে তাকায়] হ্যা..

আসিফ : ঐদিন সামির তোমাকে ক্লাসে..যা যা বলেছে সবকিছুর ডিটেল রাহুল বের করেছে…

[স্নেহা অবাক হয়ে চেয়ে আছে আসিফের দিকে]

আসিফ : এক্সুলি..আমাদের ভার্সেটির কিছু ছোট ভাই..রাহুলকে সব বলেছে…তারা দেখেছে সামির তোমাকে…গলায় ছুরি..?

[স্নেহার কিছু বলার শক্তি আর নেই…সে আর এক মুহূর্তের জন্য…ভার্সেটি দাঁড়াইনি…]

মার্জান : কি হলো স্নেহা?…তুই আমাকে ফেলে চলে এলি যে?..

স্নেহা : আমার না একটু খারাপ লাগছিলো…তাই..

মার্জান : অন্তত বলে আসতে পারতি…?

রাহুল তোকে খুঁজেছিলো…[স্নেহা উঠে চলে যায়]

বিকেলে স্নেহা রাহুলদের বাসায় যায়,

সিফা : স্নেহা কাল আসোনি যে?..তোমার জন্য অনেক্ষণ অপেক্ষা করেছিলো?

স্নেহা : আসলে কিভাবে বলি! আমি না..

সিফা : [স্নেহার কাছে এসে] কি হয়েছে স্নেহা তোমার কি মন খারাপ?…

স্নেহা : আমি আর আসতে পারবো না…প্লিজ ফাবিহার জন্য অন্য একটি টিচার খুজে নিয়েন…

সিফা : আসতে পারবে না মানে ?..কিন্তু কেনো?…

স্নেহা : আমি আসি…আমার একটু তাড়া আছে.. [ স্নেহা চলে যায়]

[স্নেহা হোষ্টেলে গিয়ে রুমে বসে কাঁদতে থাকে…হঠাৎ চোখ পড়ে…চেয়ারের উপর পড়ে থাকা সেই রক্ত ভরা ওড়নার উপর…. ওড়নাটি স্নেহার সাথে অনেক কথা বলছে…স্নেহা এক নজরে চেয়ে ওড়নাটিকে জবাব দিচ্ছে]

[রাহুল রুমে বসে তার হাতের দিকে চেয়ে আছে… মনে পড়ছে স্নেহা তার হাতকে ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে নিচ্ছিলো…রাহুল ভাবছে আর ব্লাশিং হচ্ছে…?]

মার্জান : এই স্নেহা! কি হলো তোর বলতো?…

স্নেহা : মার্জান! আমি বাবাকে ফোন করে বলেছি বাড়ী যাবো… বাবা! হরি কাকাকে পাঠাচ্ছে আমাকে নিতে…

মার্জান : কিহ!? তুই কি পাগল হয়ে গেছিস?…

স্নেহা : মার্জান! আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম..?. আমি বুঝতে পারিনি…
আমার কারণে…রাহুলের ক্ষতি হোক আমি চাই না…রাহুল সামিরের সাথে মারামারি করেছে..আমার কারণে কাল না জানি আবার কি করে বসে…

রাহুল আর নেহার মাঝে…ঝগড়া হচ্ছে…এসব আমিই তো চেয়েছিলাম যে ওদের মাঝে ঝগড়া হোক…কিন্তু আমি এখন বুঝতে পারছি…সব কিছুই ভুল হয়েছে আমার…?

মার্জান : কিন্তু স্নেহা…?

স্নেহা : আমি এখানে থাকলে নিজেকে রাহুলের কাছ থেকে দূরে রাখতে পারবো না মার্জান…?

[In rahul’s home]

রাহুল : ফাবিহা তোমার টিচার আসেনি.?

ফাবিহা : [মন খারাপ করে] টিচার আর কখনো আসবে না বলেছে..

রাহুল : What? আসবে না?.. কিন্তু কেনো…

ফাবিহা : জানিনা… মা এতোটুকুই বলেছে…?

রাহুল : [সিফার রুমে গিয়ে] ভাবী স্নেহা নাকি আর আসবে না…

সিফা : হ্যা তাইতো বলেছে..কারণ জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু কিছুই বললো না… মনে হচ্ছিলো অনেক টেনশনে আছে…

[রাহুল আর কিছু না বলে রুমে চলে যায়…ফেসবুকে ঢুকে স্নেহাকে মেসেজ করতে থাকে…কিন্তু স্নেহা অনলাইনে নেই…অনেক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকে কোনো রিপ্লাই আসে না..]

পরদিন ভার্সেটি গিয়ে পৌছায় রাহুল,কিন্তু স্নেহার কোনো দেখা নেই…ক্লাস শেষে

রাহুল : [ মার্জানের কাছে এসে] স্নেহা কোথায় ও গতকাল বাসায় ও আসেনি আজ ভার্সেটি আসেনি…ওর শরীর ঠিকাছে?…

[মার্জান কিছু না বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে চলে যায়]

রাহুল মার্জান থেকে কোনো জবাব না পেয়ে…বাড়ী চলে যায়…ফেসবুকে ঢুকে দেখে কোনো রিপ্লাই আসেনি স্নেহার…আর সজ্য হচ্ছে না রাহুলের সোজা গিয়ে হোষ্টেলে পৌছায় রাহুল…

[মার্জান দরজা খুলে রাহুলকে দেখে অবাক হয়ে যায়]

রাহুল : স্নেহা কোথায়?…

মার্জান : নেই!?

রাহুল : নেই মানে?…[ রাহুল ভেতরে ঢুকে পুরা ঘর খুজে দেখলো] দেখো প্লিজ স্নেহা কোথায় বলো?…

মার্জান : চলে গেছে!

রাহুল : কোথায়?…

মার্জান : যেখান থেকে এসেছে সেইখানেই চলে গেছে..

রাহুল : প্লিজ একবার বলো কোথায় গেছে…এরপর আমি তোমাকে আর ডিষ্টার্ব করবো না…

মার্জান : গৌরাকপুর, তার গ্রামের বাড়ী চলে গেছে..

[মার্জানের কথা শুনে রাহুলের মাথায় যেন বাজ ভেংগে পড়লো] রাহুলের মুখ দিয়ে আর একটা শব্দ বের হচ্ছে না…

মার্জান : স্নেহা তোমাকে অনেক!?

রাহুলের চোখ ভিজে আসছিলো জানেনা সে তার চোখ কেনো ভিজে যাচ্ছিলো… [ রাহুল চলে গেলো ]

প্রায় ১সপ্তাহ হয়ে গেলো… নেহা তার ফ্রেন্ডসদের নিয়ে ব্যাংকক এঞ্জয় করছে…এইদিকে স্নেহার ও আর কোনো খবর পেলো না…স্নেহাকে ছাড়া রাহুলের এক একটা দিন কাটছে বছরের মতো…

[রুমে বসে স্নেহার কথা ভাবছে রাহুল..স্নেহা এমন কেমনি করতে পারলো…একটাবার আমার কথা মনে পড়েনি ওর…]

হঠাৎ, ফোন বেজে উঠলো

রাহুল : হ্যালো…

আসিফ : দোস্ত গৌরাকপুরের ঠিকানা পেয়েছি..

রাহুল আসিফ থেকে ঠিকানা সব জেনে নিয়ে আর এক মুহূর্ত ও দেরী করেনি… গাড়ীতে উঠে সোজা গৌরাকপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই…

পৌছাতে পৌছাতে সকাল ফেটে গেলো… চারদিক সবুজ ধানের ক্ষেত…. সাড়ি সাড়ি কাশফুল…
আকাশের অবস্থাও তেমন ভালো না…মনে হচ্ছে এক্ষুনি…ভাসিয়ে দিবে পুরো গ্রাম…

গাড়ী থেকে নেমে এদিক ওদিক তাকালো ফোটা ফোটা বৃষ্টি পড়ছে…কিন্তু স্নেহাদের বাড়ী কোনটা রাহুল খুজে পাচ্ছিলো না…কয়েকটা লোক তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক…

কিছু ছোট ছোট বাচ্চারা রাহুলের গাড়ীর আশেপাশে ঘুরঘুর করে তাকাচ্ছে…গ্রামে অবশ্য সচরাচর এমন গাড়ী কমই দেখা যায় তাই…

রাহুল একটি পিচ্চি ছেলেকে ইশারা দিয়ে ডাকদিলো…তারা সবাই একসাথেই এগিয়ে এলো রাহুলের দিক..

রাহুল : চেয়ারম্যান এর বাড়ী চেনো?… i mean আগে ছিলো চেয়ারম্যান এখন না…

ছেলেটি : নিলাজ বাড়ী?

রাহুল : হ্যা হ্যা ঐটাই…

ছেলেটি : ঐ যে সামনে যে দিঘিটা দেখতেসেন ঐটা ফালাই গেলে…যে বড় বাড়ীটা সেটাই…

রাহুল : ওকে থেংক্স??

রাহুল আবার গাড়ীতে উঠে…গিয়ে দিঘীর কিছুটা দূরে গিয়ে গাড়ী দার করালো সামনে আর যাওয়া যাবে না রাস্তা ছোটো… কিন্তু দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে নিলাজ বাড়ীটি…
অনেক পূরোনো বাড়ী মনে হচ্ছে…দূর থেকে চারদিক খুব সুন্দরই লাগছিলো…

ওয়েদারটাই স্নেহার কথা ও অনেক মনে পড়ছে রাহুলের? ভাবতে ভাবতেই রাহুল ব্লাশিং
[ বৃষ্টি নেমে এলো.. রাহুল তাড়াতাড়ি গাড়ীতে উঠে পড়ে…

[হঠাৎ…বাড়ীটির দিকে আবার তাকাতেই…রাহুলের বুকে কম্পন হতে লাগলো?]

স্নেহা উঠোনে নেমেছে বৃষ্টির মজা নিতে?রাহুল তাকিয়ে আছে…আজ কতোদিন পর এই চেহেরা দেখতে পাচ্ছে তাও আবার বৃষ্টি দিয়ে বরণ করে…

ভাবতে ভাবতে রাহুল ও গাড়ী থেকে নেমে পড়ে…ভিজে যাচ্ছে রাহুল…না থাক আজ ভিজেই যাক…তাতে ক্ষতি কি..? ধন্যবাদ জানালো রাহুল আল্লাহকে স্নেহাকে বরণ করার জন্য…

চলবে….

♥Love At 1st Sight $2 Part : 9 

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2

Part : 9

writer-Jubaida Sobti♥

সবকিছু শেষ করে…স্নেহা ভার্সেটি থেকে বেড়িয়ে বাসে্ উঠছে…ঠিক সেই সময়…জোড়ে গাড়ির হর্নের আওয়াজ শুনতে পায়…?
স্নেহা ভয় পেয়ে পেছন তাকাতেই দেখে রাহুল…তেডি স্মাইল দিয়ে হাসছে..?

স্নেহা : [রাহুলের গাড়ীর দরজার সামনে এসে] তুমি না আসলেই একটা চাচোড়া..?

রাহুল : [হেসে হেসে] স্নেহা তুমি ভয় পেলে আমার কি দোষ… বলোতো..?

মার্���ান : স্নেহা আয় বাস্ ছাড়ছে…

রাহুল : গো গো.. ?স্নেহা তখন আবার বাস্ ছুটে যাবে?

স্নেহা : তোমাকে তো আমি পড়ে দেখে নিবো…?

রাহুল : বাই✋?

স্নেহা আর কিছু না বলে বাসে্ উঠে যায়..

মার্জান : কি বলছিলি রাহুলকে..

স্নেহা : বলছি অনেক কিছু..?

মার্জান : এসব কি ভালো হচ্ছে??..তুই সামিরকে দিয়ে রাহুলকে jealous করাচ্ছিস…আবার রাহুল যদি নেহার সাথে কিছু করে তখন তুই jealous হচ্ছিস…

স্নেহা : ওসব তুই বুঝবি না…?

বিকেলে স্নেহা রাহুলদের বাসায় যায়..

বাড়ীতে ঢুকে স্নেহা উপরের দিকে এদিক ওদিক ঘুরঘুর করে তাকাচ্ছে…

সিফা : কাউকে কি খুজছো?..?

স্নেহা : [একটু ঘাবড়ে যায়?] কই নাতো..

সিফা : ওও…আচ্ছা..আমি ভেবেছিলাম উপরের কাউকে খুজছো..?

স্নেহা : [মনে মনে] নিশ্চয় দাদী সিফা ভাবীকে ও বলে দিয়েছে…?

সিফা : কি হলো কি ভাবছো?…

স্নেহা : কই না কিছুনা??…ফাবিহা কোথায়..?

সিফা : আসলে ফাবিহার না অনেক জর উঠেছে…?

স্নেহা : আচ্ছা? এখন কেমন আছে ও?..

���িফা : মোটামুটি..? আচ্ছা স্নেহা! আমাকে একটা হেল্প করবে..

স্নেহা : হ্যা বলেন?..?

সিফা : একটু এই কফিটা রাহুলের রুমে দিয়ে আসো না প্লিজ!…আমি ফাবিহাকে নিয়ে একটু ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম..

স্নেহা : আমি দিয়ে আসবো ?

সিফা : কেনো সমস্যা হবে?.. ?আচ্ছা ঠিকাছে…

স্নেহা : না না না! সমস্যা কেনো হবে..আসলে!?? আচ্ছা ঠিকাছে এইদিকে দিন..

সিফা : ওকে নাও…[ স্নেহা কফির গ্লাসটি হাতে নিয়ে বির বির করতে করতে চলে গেলো উপরে..]

[এইদিকে সিফা খিটখিটিয়ে হাসছে??]

স্নেহা বিরবির করতে করতে রাহুলের রুমের দরজা খুলে ঢুকে পড়ে….

হঠাৎ স্নেহা চিৎকার করে উঠে তাড়াতাড়ি পেছন ফিরে যায়,…

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] What?

স্নেহা : ছিঃ ছিঃ ছিঃ ??লজ্জা করে না তোমার এইভাবে খালি গায়ে আমার সামনে এসেছো?…

রাহুল : what nonsense! ? একতো পারমিশন ছাড়া রুমে ঢুকেছো..তার উপর আবার বলছো খালি গায়ে কেনো তোমার সামনে এসেছি?.. ?

স্নেহা : তুমি যে কাপড় ছাড়��� সেটা আমি জানি নাকি?..?

রাহুল : না জানলে দরজায় নক করে আসতে হয় এটাতো জানো?.. ?

স্নেহা : খোলা পেয়েছি তাই ঢুকে পড়েছি…তোমার উচিৎ ছিলো দরজা লাগিয়ে কাপড় পড়া…আর নয়তো ওয়াসরুম থেকে কাপড় পড়ে আসা…

রাহুল : ওহ রিয়েলি! এইবার তুমি আমাকে রুলস শেখাবা তাই না…

আর তুমি আমার রুমে কি করছো তোমার তো সামিরের কাছে থাকার কথা..

স্নেহা : আই? কথায় কথায় সামিরকে টেনে আনো কেনো?..এতো jealous করো কেনো ওকে নিয়ে…

রাহুল : whatever! সামিরকে আমি jealous করবো… so funny?

স্নেহা : এইভাবে না হেসে কাপড় টা পড়ে নিন স্যার?…

রাহুল : কেনো আমাকে এইভাবে দেখে তোমার কি কিছু ফিল হচ্ছে?…?

স্নেহা : ছিঃ ?[ রাহুলের হাতে কফিটি ধরিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিলো ]

রাহুল : ??[ স্নেহার হাত ধরে টেনে নেই]

স্নেহা : আরেহ!???

রাহুল : বললা না যে?

স্নেহা : Shut-up ওকে…আমি তোমার ঐ নেহার মতো না..?

রাহুল : তাইতো তোমাকে?

স্নেহা : তাইতো আমাকে?…?

রাহুল : Nothing [ with tedi smile ?]

স্নেহা : তুমি না ৬ ফিটের এক নাম্বারে চাচোড়া…?

রাহুল : এসব তুমি কি ওয়ার্ড বলো ?what is চাছোড়া…?

স্নেহা : বুঝবা না তুমি ছাড়ো…

[রাহুল স্নেহার কোমোড়ে হাত দিয়ে আরো শক্ত করে চেপে ধরে]

স্নেহা : আরেহ! কি করছো এসব…কেউ দেখলে কি ভাববে..?

রাহুল : কি ভাববে?..?

স্নেহা : দেখো প্লিজ! আমার এসব মোটেও পছন্দ না!?….

রাহুল : [স্নেহাকে ছেড়ে দিয়ে] ? ওকে ফাইন! সামির যখন হাত ধরছিলো তখন অনেক ভালো লাগছিলো তাই না?…

স্নেহা : হুম!? অনেক!….

রাহুল : ওকে আউট!?

স্নেহা কিছু না বলে বেরিয়ে গেলো..

স্নেহা : [মনে মনে] এইবার তো ফেসে গেলা…মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম… যতোক্ষণ নিজের মুখে শিখার করবানা…ততোক্ষণ…এমনি চলবে..?

স্নেহা হেসে হেসে নিচে চলে যাচ্ছে,

দাদী : আরে স্নেহা কোথায় গিয়েছিলি?…

ফাবিহা : হ্যালো টিচার☺☺…

স্নেহা : ফাবিহা?? তোমার না জর উঠেছে?….

সিফা : হে উঠেছিলো কিন্তু এখন চলে গিয়েছে?

স্নেহা : [দাদী ফাবিহা সিফা সবার ���িকে একবার একবার তাকিয়ে] তার মানে???সবাই মিলে?…

সিফা : একদম ক্যারেক্ট ধরেছো…?

দাদী : [স্নেহার কাছে এসে] দেখ স্নেহা আমার মোটেও নেহাকে ভালো লাগে না… রাহুলকে অনেক বুঝিয়েছি…কিন্তু সে কিছুতেই বুঝেনা…অনেক মেয়ের ছবি দেখিয়েছি…সুন্দর সুন্দর কোনো মেয়ের প্রতি ওর ইন্ট্রেষ্ট নেই… তার শুধু নেহাকেই চাই…?

কিন্তু যখন ফাবিহা থেকে শুনেছি…আর ঐদিন তুই পড়ে যেতে ছিলি রাহুল তোকে ধরে ফেলেছিলো.. তখন থেকে ভাবলাম হয়তো রাহুল… তোর জন্য..

সিফা : [স্নেহাকে কাছে এসে টেনে নিয়ে] উফফ দাদী রাখো তো এসব কথা…রাহুল কে ডিসাইড করার যা করার আমরা করবো তাই না স্নেহা..?

স্নেহা লজ্জায় মাথা নিচে করে ফেললো…

সিফা : উফ! দেখো তো স্নেহা লজ্জা পাচ্ছে…?

ফাবিহা : [স্নেহার হাত ধরে টেনে] come on চাচী ডান্স ক্লাসে লেইট হয়ে যাচ্ছে তো…

স্নেহা : চাচী ?

ফাবিহা : আরেহ! চাচ্চুকে বিয়ে করলে তুমি আমার চাচী হবা না…তাই এখন থেকে প্রেকটিস্ করছি…?

[ফাবিহার কথা শুনে দাদী সিফা, স্নেহা সবাই হেসে দেই…]

স্নেহা ফাবিহাকে ডান্স শেখাতে চলে যায়… সবশেষে হোষ্টেলে ফিরে…

পরদিন ভার্সেটিতে…

ক্লাসে ঢুকে স্নেহা রাহুলকে দেখে মিটিমিটি হাসতে লাগলো… রাহুল তাকালেই স্নেহা হাসে…রাহুল খুব অবাক হচ্ছিলো স্নেহার এসব কান্ডে…আবার মনে মনে ভাবছে পাগল একটা…অকারণে হাসবেই তো.. ?

ক্লাস শেষ করে চলে আসছিলো স্নেহা…

রাহুল : স্নেহা!

স্���েহা : [ফিরে তাকিয়ে] ইয়েস্

রাহুল : তুমি আমাকে দেখে হাসছিলে কেনো?..

স্নেহা : কিছু ভাবছিলাম তাই…

রাহুল : কাকে আমাকে নিয়ে?..?

স্নেহা : দেখো একটা সময় ছিলো তখন তোমাকে নিয়ে ভেবেছি…এখন..

রাহুল : ??এখন?…

স্নেহা : সামির [ বলেই লজ্জায় ফিরে চলে যায়]

রাহুল স্নেহাকে ডাকতে চেয়েও আর ডাকেনি… মাথায় প্রচণ্ড রাগ উঠছিলো রাহুলের…স্নেহাকে সামিরের ব্যাপারে বুঝিয়ে দেওয়ার পরে ও…??

নেহা : রাহুল! কি বলছিলে স্নেহাকে?..

রাহুল : কই?…কিছু না..

নেহা : ওহ! I see…কিছুই বলোনি তুমি…দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওর চলে যাওয়া দেখছিলে…

রাহুল চুপ করে থাকে…

নেহা : বলো? সত্য বলাতে এখন চুপ করে আছো তাই না?…

রাহুল : দেখো নেহা..একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না?… তুমি তো তোমার ছেলে ফ্রেন্ডসদের সাথে…একা একা ঘুরতে যাও… কই আমিতো তখন কিছু বলিনা তোমাকে…

আর আমি জাষ্ট ওর থেকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে…

নেহা : আচ্ছা তখন কিছু বলোনা তাই আজ দেখিয়ে ���িচ্ছো তাই না?…

রাহুল : আরে রেগে যাচ্ছো কেনো নেহা…তুমি বললে তাই বললাম…

নেহা : ?থাক আর কিছু বলা লাগবে না… বাই…

রাহুল : নেহা আমার কথা শোনো প্লিজ!…

নেহা রাগ করে চলে যাচ্ছিলো ঠিক সেই সময় নেহাকে রাহুলের ফ্রেন্ড আসিফ এসে ধরে ফেলে…

আসিফ : নেহা কি হয়েছে?…আরে রাহুল..কি করেছিস..ওর মন খারাপ কেনো..

নেহা চুপ করে রইলো…

রাহুল : ওকে নেহা I m sorry!..

নেহা : আমাকে কেনো সরি! বলছো যাও তুমি তোমার স্নেহার ক���ছে…

আসিফ : স্নেহা!?

রাহুল আসিফকে চোখ দিয়ে ইশারা করে বুঝিয়ে দিলো…

আসিফ : ওহ আচ্ছা স্নেহা?…সামিরের গার্লফ্রেন্ড… ??ওহ আবার কি করেছে…

আসিফের কথা শুনে রাহুলও অবাক হয়ে যায়…

রাহুল : [মনে মনে] এই আসিফ স্নেহাকে সামিরের গার্লফ্রেন্ড বলছে কেনো…?

নেহা : স্নেহা! সামিরের গার্লফ্রেন্ড?…

আসিফ : আরে হে! তুই জানিস না?…

নেহা : নাহ??…[ রাহুলের দিকে এগিয়ে আসে নেহা] সরি! রাহুল?…

রাহুল : ইটস! ওকে…?

নে���া : আচ্ছা শোনো আমার না আজকে একটু বাসায় তাড়াতাড়ি যেতে হবে…ঐ যে বলেছিলামনা আমার কাজিনের বিয়ে.. ওটার জন্য কিছু শপিং করতে হবে..

রাহুল : ওকে! sure..?

নেহা : বাই!? বাই আসিফ..

আসিফ : বাই!? [ নেহা চলে গেলো ]

রাহুল : তুই স্নেহাকে সামিরের গার্লফ্রেন্ড কেনো বললি?…

আসিফ : আরে তাতে কি হয়েছে…ও সামিরের গার্লফ্রেন্ড হোক আর না হোক তাতে তোর কি?…?

রাহুল : আমার কি মানে?…? মানে আমার কিছু হতে যাবে কেনো…

আসিফ : রিল���ক্স ব্রো..? আমি বুঝতে পারছি…

রাহুল : আরে নাহ! তেমন কিছুই না..চল!

রাহুল আসিফকে নিয়ে পার্কিং এর দিকে রওনা হলো…হঠাৎ দেখে স্নেহা সামিরের সাথে কথা বলছে…দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে…

রাহুলে অনেক মুড নিয়ে তাদের দিকে না তাকিয়ে…সে তার গাড়ির দরজা খুলতে গেলো…

হঠাৎ,
স্নেহা : [চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো] আচ্ছা সামির আজ সন্ধ্যায় কোথায় যেন আসতে বললে…

[রাহুল থেমে গিয়ে স্নেহার দিকে তাকায়]

সামির : মার্মেট কেফ?

স্নেহা : [রাহুলকে শুনিয়ে শুনিয়ে] ওয়াও মার্মেট কেফ এত্তো দামী রেষ্টুরেন্টে…

সামির : আরে কি বলছো ওসব কিছু না..

স্নেহা : [ আবারো রাহুলকে শুনিয়ে শুনিয়ে ]আচ্ছা কয়টা বাজে যেনো?…

সামির : ৮:০০টা…

রাহুল : [মনে মনে] মার্মেট কেফ ৮:০০টা বাজে… কিন্তু মার্মেট কেফ তো ৭:০০টাই ক্লোজড হয়ে যায়…??

রাহুল স্নেহার দিকে রাগান্বিত ভাবে তাকায়… স্নেহা রাহুলকে দেখে একটা চোখ টিপ মাড়ে…

[রাহুল রেগে গাড়িতে ঢুকে…গাড়ী চালিয়ে চলে যায়….]

স্নেহা : [ মনে মনে ] মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম ঝলছে ঝলছে…??..ইয়েস্

সামির : আমি তোমাকে হোষ্টেলে পৌছেদি?..

স্নেহা : [মনে মনে কত্তো শখ?] না নাহ!?? আসলে আমি আমার ফ্রেন্ডসদের সাথে বাসে্ করে যায়…আমি ওদের সাথেই চলে যাবো… আসি তাহলে…

সামির : ওকে তাহলে রাতে দেখা হচ্ছে..

স্নেহা : ওকে..?

[স্নেহা হোষ্টেলে ফিরে আসে]….

”বিকেলে”

রাহুল বার বার ঘড়ি দেখছিলো…আর ড্রইং রুমে এদিক ওদি���… হাটাহাটি করছে…

সিফা : রাহুল? কারো জন্য অপেক্ষা করছিস নাকি?…

রাহুল : কই নাহ! নাতো…

সিফা : ওহ! আমি ভেবেছি…

রাহুল : স্টপ ইট! ভাবী… আমি স্নেহার জন্য মোটেও অপেক্ষা করছিনা…

সিফা : কিন্তু আমিতো স্নেহার নাম মুখে ও আনি নেই…?

রাহুল : জানি! কিন্তু তুমি ওর নামই নিতে ছিলে…

সিফা : আচ্ছা ?? সব আগে থেকে জেনে যাচ্ছিস…এখন..

রাহুল : ওহ! ভাবী… স্টপ দি ম্যাটার ওকে..?

সিফা : [ হেসে ] আচ্ছা বাবা ঠিকাছে..? এমন���তেও আজ স্নেহা আসবে না বলেছে ফোন করে…

রাহুল : what!?? স্নেহা আসবে না বলেছে… [ মনে মনে ভাবতে লাগলো রাহুল তার মানে…শিউর স্নেহা ঐ সামিরের সাথে বের হচ্ছে]

সিফা : কি হলো রাহুল?..

রাহুল : নাহ! কিছু না… [ রাহুল তাড়াতাড়ি বাড়ী থেকে বের হয়ে গেলো ]… [গাড়িতে বসে রাহুল ফেসবুকে ঢুকলো দেখে স্নেহা অনলাইনে আছে]

রাহুল : স্নেহা! আজ আসোনি কেনো?…

স্নেহা : উফ! এখন মেসেজ করো না ডিষ্টার্বিং হচ্ছি… আমি সামিরেরে সাথে চ্���াট করছি…

রাহুল : ওকে করো?

[ রাহুল রেগে গাড়ি থেকে নেমে রুমে চলে আসে]

রাহুল : [মনে মনে] আমার কেনো এতো টেনশন হচ্ছে….যাক ও ওর ইচ্ছে…আমি কেনো বাধা দেবো… ?

[ রেগে ] আমাকে বলছে ও মেসেজ না দিতে…আমার মেসেজে ও ডিষ্টার্ব হচ্ছে…?….

[রাহুল খাটে বসে পড়ে] কয়েকদিন আগে তো আমাকে ছাড়া ও কিছু ভাবতেই পারতো না…আর এখন.. এই সামিরের কারণে??…

?Whatever তাতে আমার কি…

[রাহুল মুখে হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করলো]

স্নেহার সাথে কাটানো মোমেন্ট গুলো মনে পড়ছে রাহুলের…

[রাহুল তাড়াতাড়ি চোখ খুলে] ? আমি কেনো ভাবছি ওকে…

মোবাইটা নির কানে হ্যাডফোন লাগিয়ে শুয়ে পরে রাহুল…

৮:০০ বেজে গেলো রাহুল ঘড়ির দিকে চেয়ে আছে…..

সামির আসলো স্নেহাকে পিক করতে…

স্নেহা : মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম i m sure তুমি দেখতে আসবা আমি সামিরের সাথে বেরিয়েছি কিনা দেখতে..?

মার্জান : যাহ! তোর 2nd বয়ফ্রেন্ড চলে এসেছে…?

স্নেহা : ??Shut upp ok…

মার্জান :??

স্নেহা আর কিছু না বলে তৈরী হয়ে…সামিরের সাথে বেড়িয়ে যায়…

সামির : ওয়াও স্নেহা! you looking so pretty ??…

স্নেহা : থেংক ইউ?..

সামির স্নেহাকে নিয়ে মার্মেট কেফে যায়…

সামির : ওহ শিট! স্নেহা এটা তো বন্ধ হয়ে গেছে…

স্নেহা : বন্ধ হয়ে গেছে! মানে

সামির : আমার মোটেও মনে ছিলো না..যে ৭:০০টাই বন্ধ হয়ে যায়..?

স্নেহা : ওহ! ওকে তাহলে চলো ফিরে যায়…?

সামির : আরে নাহ! ফিরে যাবো কেনো আমরা অন্য আরেকটি রেষ্টুরেন্টে যায়…চলো..

স্নেহা : না না! it’s ok…অন্য একদিন যাবো না হয়…

সামির : আরে বেড়িয়েছি যখন ঘুরেনি..অন্যএকদিন আবার যাবো আরকি…

স্নেহা [মনে মনে] রাহুলকে তো শুনিয়ে শুনিয়ে বলেছিলাম মার্মেট..কেফ এখন অন্য জায়গায় গেলে রাহুল কিভাবে বুঝবে..?

সামির : আরে! sad হয়ে আছো কেনো একবার গিয়ে দেখো অনেক সুন্দর জায়গা..? একদম তোমার মতো..

স্নেহা আর কিছু বললো না চুপ করে আছে… ফেসবুকে ঢুকে দেখলো রাহুল অনলাইনে নেই..?নাহলে কোনো না কোনোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া যেতো..

সামির স্নেহাকে…একটি রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যায়.. যেখানে সব ছেলে মেয়ে একসাথে ডান্স করছে..কেউ ড্রিংকস করছে..

স্নেহা কেমন যেন uncomfortable ফিল করতে লাগলো হঠাৎ দেওয়ালে নাম পড়ে দেখলে… দেখে এটা একটা বার..

[স্নেহা এইবার ঘাবড়ে যায়?..]

স্নেহা : সামির! দেখো আমার না এইখানে মোটেও ভালো লাগছে না…প্লিজ চলো এইখান থেকে…

সামির : আরে! এইদিকে এসো এখন ভালো লাগবে..

[ সামির স্নেহাকে টেনে ডান্স ক���তে নিয়ে যায়..সামির স্নেহার কোমোড়ে হাত দিলে স্নেহা সামিরকে জোড়ে ধাক্ষা দেই..]

সামির : what happen?..

স্নেহা : দেখো আমি হোষ্টেলে ফিরে যাবো.. বাই!

[স্নেহা চলে যাচ্ছিলো সামির স্নেহাকে জোড় করে কাছে টেনে নেই]

স্নেহা : আরেহ! সমস্যা কি তোমার…?

[ স্নেহা ছুটার জন্য ট্রাই করছে] সামির স্নেহাকে জোড় করে টেনে টেনে..একটা রুমে নিয়ে ধাক্ষা দিয়ে ফেলে…

সামির : আমার চোখ একবার যার উপর পড়ে তাকে আমি পেয়ে ছাড়ি স্নেহা…

স্নেহা : মানে কি?..তুমি..? এসব?..

সামির : সব একটিং ছিলো..? আমিতো তোমার টেষ্ট নেওয়ার আশায় ছিলাম…

Come sneha… ?

স্নেহা : দেখো আমার কাছে আসার চেষ্টা করলে না…

সামির : উফ! স্নেহা…এইখানে চিৎকার করেও…কোনো লাব হবে না..সবাই আরো ভাবভে তুমি এঞ্জয় করছো…

স্নেহার রাহুলের কথা গুলো মনে পড়ছে অনেক
রাহুল বলেছিলো স্নেহাকে… বারণ করেছিলো কিন্তু স্নেহা??

সামির স্নেহার কাছে আসলে স্নেহা সামিরকে দেওয়ালের স���থে জোড়ে ধাক্ষা দিয়ে…দরজা খুলে পালিয়ে যায়…

সামির মাটিতে পড়ে যায়…সামির রেগে স্নেহা বলে বলে চিৎকার করে উঠে….

স্নেহা দৌড়ে পার্কিং এর একটা গাড়ির পেছনে লুকে যায়… সামির স্নেহাকে খুজতে আসে…

স্নেহা মনে মনে ভয়ে কাঁদছে… কেনো যে বিশাস করলো না রাহুলের কথা গুলো..?উলটা মজা করে উড়িয়ে দিয়েছে…

সামির স্নেহা বলে বলে চারদিক খুজতে লাগলো…

হঠাৎ স্নেহা খেয়াল করলো সামির তার দিকেই এগিয়ে আসছে…?

স্নে���া সামিরের দিকে তাকালে…

সামির : স্নেহা ওয়েট!…

স্নেহা উঠে…দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলো…হঠাৎ সামনে থেকে একটা গাড়ী আসে..স্নেহা তার পায়ের সাথে আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যায়…

সামির স্নেহার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো কিন্তু আবার থেমে গেলো…
হঠাৎ দেখলো গাড়ী থেকে রাহুল নেমে…স্নেহাকে ধরে ফেলেছে…সামির আর সামনে যায়নি…পেছনদিকে চলে গেছে…

রাহুল : স্নেহা! ?? u ok?…

স্নেহা রাহুলকে দেখে ফুফিয়ে কেদে উঠে…?

রাহুল স���নেহার পা ঘষতে লাগে…

স্নেহা : রাহুল! ???

রাহুল : [স্নেহার দিকে তাকিয়ে] সরি! স্নেহা আমি খেয়াল করিনি…?

[স্নেহা ফুফিয়ে রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরলো]?

রাহুল ফিল করছে স্নেহা অনেক ভয় পেয়ে আছে…?

রাহুল : স্নেহা?…?

স্নেহা : সরি! রাহুল?? আমি মনে করেছিলাম তুমি মিথ্যে বলছিলে সামিরের ব্যপারে…

রাহুল : ? সামির! কি করেছে?…[ স্নেহাকে সরিয়ে] বলো স্নেহা সামির তোমাকে কিছু করেছে?…

স্নেহা পেছন ফিরে তাকায় দেখে আশ���পাশে কোথাও সামির নেই…

স্নেহা আবার ও কেদে দিলো??

রাহুল : ওকে রিলেক্স…বলতে হবে না..উঠো..

স্নেহা : কিছুই করতে পারেনি..? কিন্তু করতে চেয়েছিলো??

রাহুল : ? আমিতো জানতাম এমন কিছু একটা হবে…

স্নেহা : ???

রাহুল : ওকে! আর কাঁদতে হবে না!…উঠো…

স্নেহা রাহুলকে ধরে উঠছিলো কিন্তু উঠতে পারছে না …

রাহুল বুঝতে পারলো পা হয়তো মচকে গিয়েছে…
রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে নিলো…
স্নেহা রাহুলের দিকে চ���য়ে আছে…

রাহুল স্নেহাকে গাড়িতে তুলে নেই…

পুরো গাড়িতে রাহুল স্নেহাকে বকে বকে যাচ্ছে…

রাহুল : [ ড্রাইভিং করতে করতে ]বার বার ওয়ার্নিং দিয়েছিলাম তোমাকে স্নেহা… ?আমার কথার দামই দিলানা… ও এর আগে ও অনেক মেয়ের সাথে??…

স্নেহা :??…

রাহুল : ঐ সামিরকে তো আমি??..

আসলে দোষ তোমার কি দরকার ছিলো ওর সাথে বের হওয়ার?..?

তখন তো আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে অনেক বলছিলে…মার্মেট কেফে যাবো..
হুহ? আরো কতো ���্রামা…?

স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে…
রাহুল বুঝতে পারায় ফিরে তাকালো..

রাহুল : কি হলো এমনিতে তো অনেক বক বক করো আজ চুপ করে রইলে যে… ওহ! বুঝতে পেরেছি.. সামিরকে অনেক মিস্ করছো তাই না…

স্নেহা একটু হেসে দেই…

হোষ্টেলে পৌছে..

স্নেহা গাড়ি থেকে নিজে নিজে নামতে চাইলে…

রাহুল : ওয়েট!

স্নেহা চুপ করে বসে পড়লো…
রাহুল উঠে…স্নেহার পাশে গিয়ে স্নেহাকে কোলে তুলে নিলো…

স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে?

রাহুল : কি হলো দেখে আছো…যে

স্নেহা : আমি তো তোমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে মার্মেট কেফের নাম নিয়েছিলাম..তুমি কিভাবে জানো আমি ঐ জায়গায়..?

রাহুল : [ রেগে ]পরে বলা যাবে…?

স্নেহা : এখন বলো না প্লিজ..

রাহুল আর কিছু না বলে স্নেহাকে নিয়ে হাটা শুরু করলো…

স্নেহা : কি হলো রাহুল! বলো না?..

রাহুল : [রেগে স্নেহার দিকে তাকিয়ে ] Shut up?….

স্নেহা : ?ওকে..

স্নেহা আর কিছু বললো না…

রাহুল : [ আবার স্নেহার দিকে তাকিয়ে ] সরি?

স্নেহা : কেনো?

রাহুল : বকেছি তাই?

স্নেহা ব্লাশিং???

চলবে…

Love at 1st sight $2 Part – 8

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love at 1st sight $2

Part – 8

writer-Jubaida Sobti♥

রাহুল হেসে উপরে উঠছিলো ঠিক সেই সময় রাহুলের ভাবী সিফা…একটু কেশে..রাহুলের সামনে দাঁড়ালো…

সিফা : দুইটা একসাথে…রাহুল..?

রাহুল : [একটু চিন্তায় পড়ে গেলো ভাবী কি সব দেখেছে কি না] দুইটা মানে?..?

সিফা : এই যে দাদীর সাথে নেহার জন্য ঝগড়া করেছিস…আবার এইদিকে এসে স্নেহার সাথে রোমান্স করছিস ?

রাহুল : স্নেহা! ?Come on ভাবী.. স্নেহার সাথে রোমান্স করতে যাবো কেনো..জাস্ট একটু ডান্স..

সিফা : হয়েছে হয়েছে আমাকে আর সাফায় দিতে হবে না… By the way ঐ নেহার চেয়ে স্নেহা কিন্তু ব্যাটার আছে…
??? ওহ! সরি আমি কিছু বলিনায়..[ভাবী তাড়াতাড়ি চলে গেলো ]

রাহুল : [ ভাবতে লাগলো ] এই সবাই ?এতো স্নেহার তারিফদাড়ি কেনো করছে..?

আজিব মেয়ে সবাইকে তার ড্রামাই ফাসিয়ে নিয়েছে…

রাহুল আর কিছু না ভেবে রুমে চলে যায়…গিটার নিয়ে অনেক্ষণ বাজাতে??থাকে….ঠিক সেই সময় [স্নেহার সাথে করে যাওয়া মোমেন্ট গুলো মনে পড়ছে..রাহুল মনে মনে হেসে যাচ্ছে? আর ব্লাশিং হচ্ছে…]

মোবাইলটা চোখে পড়ায়…ভাবলো একটু ফেসবুকে ঢুকে দেখি ড্রামাকুইন আছে কি না…..

ঢুকে চেক করে দেখে স্নেহা অনলাইনে নেই…মোবাইলটা আবারো রেখে দিলো.. রাহুল…কিছুক্ষণ পর পর দেখছে রাহুল স্নেহা অনলাইনে আসছে কি না…

[রাতে, ১২টা বেজে ১৫ মিনিট…]

রাহুল দেখে স্নেহা অনলাইনে..এসেছে..

রাহুল : হ্যালো ড্রামাকুইন!?

স্নেহা : তোমার এসব বদমাইশির কারণে তোমাকে পচঁতাতে হবে বুঝেছো..

রাহুল : ওকে ওকে ফাইন ?আই এম ওয়েটিং ?..

স্নেহা : ওয়েট করো মিষ্টার রাহুল..স্নেহার সাথে বদমাইশি no way….

রাহুল : আচ্ছা তোমার কোমড়টা এতো সফট্ কেনো?

স্নেহা : ছিঃ কি বলছো এসসব?

রাহুল : তোমার হাত,পিট,কোমড়..??

স্নেহা : Stop it.. ওকে বাই..?

রাহুল : ওকে গেট লষ্ট..?

স্নেহা : ইউ টু..?

রাহুল : বাই ড্রামাকুইন?

[রাহুল স্নেহার কান্ড দেখে হেসে হেসে মোবাইল রেখে শুয়ে পরে…স্নেহার পাগলামি গুলো মনে পড়লে রাহুল আর না হেসে পারে না..??]

পরদিন ভার্সেটিতে,

[স্নেহা ক্লাসে ঢুকতেই দেখে..রাহুল বসে আছে..স্নেহাকে দেখতেই রাহুল চোখ টিপ মাড়লো..]

স্নেহা আর ক্লাসে ঢুকলো না..বিরবির করে পিছন ফিরেই ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলো..
বাইরে বেরিয়ে ভাবতে লাগলো… কি করা যায়…?

হঠাৎ স্নেহা খেয়াল করলো পেছন থেকে কেউ স্নেহার কানে এসে ফু..দিলো.. স্নেহা শিউরে উঠে…তাড়াতাড়ি পেছন ফিরে..

রাহুল : what happen মিস্ ড্রামাকুইন..? ভয় পেয়েছো?

স্নেহা : ??

রাহুল : কেমন লাগলো.. কাল?..

স্নেহা : অনেক ভালো.. ? [স্নেহা চলে যাচ্ছিলো, রাহুল স্নেহার হাতে ধরে ফেলে]

রাহুল : কই যাও?..?

স্নেহা : হাই নেহা?.. [ রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহার হাত ছেড়ে দিলো… ]

রাহুল : ??

স্নেহা : what happen রাহুল?..?ভয় পেয়েছো?

[ Rahul give a tedi smile?]
স্নেহা ক্লাসে চলে যায়..রাহুল ও স্নেহার পিছন পিছন ক্লাসে চলে আসে..]

স্নেহা সিটে্ বসতেই দেখে পিছন থেকে সামির এগিয়ে…তার পাশে বসেছে..

সামির : হ্যালো আদুরী ?

স্নেহা : স্নেহা..আমার নাম ওকে আদুরী না..?

সামির : ওকে একই.. তো এনিওয়ে..কি খবর তোমার স্নেহা?

স্নেহা : হুম ভালো.. তোমার?..

সামির : ভালোই?..

[স্নেহা রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে রাহুল অনেক মুড নিয়ে তাকিয়ে আছে?]

স্নেহা : [ মনে মনে ]এই মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম এইভাবে তাকিয়ে আছে কেনো?

সামির : স্নেহা! কি ভাবছো?

স্নেহা : কই নাতো..?

সামির : আচ্ছা আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি…?

স্নেহা : [ রাহুলের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলো i think মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম ঝলছে..?]

সামির : হ্যালো স্নেহা?..কি এতো ভাবছো?..

স্নেহা : ওহ সরি! ওকে..ওকে ফ্রেন্ডস.. ?

[স্নেহা সামিরের সাথে হ্যান্ডশেক করলো]
[হঠাৎ দেখে রাহুল ক্লাস থেকে অনেক ভাব নিয়ে বেড়িয়ে যায় বেরিয়ে যায়]

স্নেহা ও আর কিছু না বলে সামিরের সাথে গল্প করতে লাগলো…

ক্লাস শেষে…

সামির : স্নেহা Come তোমাকে আমার আরো কিছু ফ্রেন্ডসদের সাথে মিট করাবো…

স্নেহা : ওকে?…

সামির : Come?

স্নেহা : আচ্ছা তুমি যাও আমি আসছি only 2mins…

সামির : ওকে! আদুরী ?

স্নেহা : ??

সামির : [ কান ধরে] ওহ! সরি স্নেহা?

স্নেহা হেসে দিলো?.. [সামির চলে গেলো]

মার্জান : স্নেহা..এই পাগলটার সাথে কই যাচ্ছিস…?

স্নেহা : আরে দেখছিস না…পেছন ছাড়ছে না..তাই ভাগিয়ে দিয়েছি…আচ্ছা আমি একটু আসছি তুই বয়।

মার্জান : কিন্তু কই যাচ্ছিস সেটাতো বল?..

স্নেহা : এসে বলবো… [ স্নেহা চলে গেলো ]

হঠাৎ স্নেহাকে টান দিয়ে…রাহুল একটা ক্লাসে ঢুকিয়ে নিলো… ক্লাসটা অবশ্যই খালিই ছিলো..কারণ সবার ক্লাসই শেষ..

রাহুল স্নেহাকে ক্লাসে ঢুকিয়ে দরজা বেধে দেই…

স্নেহা : কি করছো তুমি?..? দরজা কেনো…

রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] শিসস্..

স্নেহা চুপ হয়ে গেলো…

রাহুল : সামিরের সাথে হ্যান্ডশেক করলে কেনো??…

স্নেহা : কেনো তাতে কি তোমার jealous হচ্ছিলো?….?

রাহুল : Shut-up?

স্নেহা : এহ..? এহ…সব বুঝি আমি…

তুমকো ভি কুচ্ কুচ্ হনে লাগাহে..হে না??..রাহুল।

রাহুল : দেখো স্নেহা! সামির ভালো ছেলে না…ও যেমনটা innocent সেজে আছে তেমনটা মোটেও নয়?…

স্নেহা : আচ্ছা সামির ভালো ছেলে নয়..তুমিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় innocent তাই না…?

রাহুল : [ স্নেহাকে ধাক্ষা দিয়ে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে নেই স্নেহা ভয়ে চোখ বন্ধ করে গুটিয়ে যায়?.. ]…দেখো? স্নেহা..আমার তোমাকে সাবধান করার ছিলো…তাই করলাম..

স্নেহা : [ধীরেধীরে চোখখুলে স্নেহা?? ]
তুমি সামিরকে jealous করো তাই না??… কারণ ও হ্যান্ডসাম..লম্বা..রিচ্ ম্যান,…

রাহুল : listen এসব ব্যাপারে আমি jealous করিনা ওকে.?
..and you know that… who is the best..?

স্নেহা : [মনে মনে] আহা নিজের তারিফে এক্সপার্ট আছে…?

[রাহুল স্নেহার চোখের দিক তাকিয়ে রইলো স্নেহা নিজের চোখের উপর নিজে হাত দিয়ে দেই…?]

[Rahul give a tedi smile?]…

রাহুল : [স্নেহা থেকে সরে দাঁড়িয়ে] যা বলেছি মনে থাকে যেন…

স্নেহা : থাকবে না মনে?একদমি থাকবে না…আমি জানি সামির ভালো বলে তুমি ওকে jealous করছো…আমি ওর সাথে…ফ্রেন্ডশিপ করবো…ডেটিং এ যাবো.?.. আরো অনেক কিছু…করবো…

রাহুল : [রেগে স্নেহার কাছে এসে] ? আরো অনেক কিছু মানে?…

স্নেহা : [ভয় ভয় কন্ঠে] ? মানে ঘুরতে যাবো, ফেইসবুক…?

[কান্নার সূরে] দেখো ? তুমি আমাকে বকছো..কেনো? আমার যা ইচ্ছে তাই করবো তাতে তোমার কি?…তোমার তো আরো খুশি হওয়ার কথা…কারণ আমি আর তোমার পিছনে ডিষ্টার্ব করবো না…

রাহুল : [স্নেহার কাছ থেকে সরে দাঁড়ায়] obviously you are right তাতে আমার কি… যাও ঐ সামিরের কাছে..?

[রাহুল রাগান্বিত ভাবে রুম থেকে বেরিয়ে পড়ে]

স্নেহাও আর কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়…

সামির : হেই স্নেহা! come on কোথায় গিয়েছিলে?..আমিতো তোমাকে খুজতে খুজতে শেষ…?

স্নেহা : [ রাহুলকে শুনিয়ে] ?আমিও তোমাকেই খুজছিলাম..

[সামির স্নেহার হাত ধরে টেনে রাহুলের সামনে নিয়ে গেলো ]

সামির : রাহুল! She is my friend আদুরী! ওহ! সরি সরি??…স্নেহা..
and স্নেহা He is my friend Rahul..

স্নেহা : হ্যালো রাহুল✋?

রাহুল : অউ! হাই…?

নেহা এসে রাহুলের পাশে দাঁড়ায়..

নেহা : কোথায় ছিলে বেবি..কখন থেকে খুজছিলাম…

রাহুল : এইতো এইদিকটা গিয়েছিলাম..

নেহা : [ স্নেহার দিকে তাকিয়ে ] হেই..what are you doing here?..?

সামির : ওহ! নেহা she is my friend স্নেহা..and sneha she is my friend neha…?

নেহা : তোর ফ্রেন্ড.. ওয়াও??

স্নেহা : হ্যালো নেহা..✋?

নেহা : রাব্বিশ কোথাকার? চলো রাহুল…

[একে একে সামিরের সব ফ্রেন্ডসদের সাথে পরিচয় হয় স্নেহা…]

[সামির স্নেহাকে টেনে তাদের গ্রুপের মধ্যে আড্ডা দিতে নিয়ে যায়..স্নেহা চলে আসতে চাইলে ও রাহুলকে দেখে আর আসলো না..কারণ রাহুলকে jealous করাতে স্নেহার অনেক ভালোই লাগছিল.. ?]

আসিফ : রাহুল! এই সামির আবার স্নেহার পিছে পড়লো নাকি?..

রাহুল : ওর কাজ তো ঐটাই…

আসিফ : বেচারি স্নেহা সামিরের আসল রুপের কিছুই তো জানেনা তাই ফেসে গেলো..

রাহুল : বলেছি! but she don’t care..?

আসিফ : ওহ ওহ! বস্ বলেও ফেলেছিস..? কেনো রে তোর অনেক মায়া হচ্ছিলো…স্নেহার জন্য?

রাহুল : Shut-up ?

[স্নেহা রাহুলের দিকে দেখিয়ে দেখিয়ে সামিরের সাথে…কথা বলছে রাহুল বুঝতে পারছে যে স্নেহা এসব রাহুলকেই দেখানোর জন্য করছে…]

সামির স্নেহার চুল সরিয়ে দিচ্ছে কিছুক্ষণ… হাতের নখ দেখছে…ইয়ার রিং দেখছে… রাহুল বুঝতে পারছে সামিরের ধান্ধা কি?..কিন্তু স্নেহা সামিরের কান্ড গুলো সাভাবিক ভাবেই নিয়ে নিচ্ছে… আর রাহুলকে দেখিয়ে দেখিয়ে ইচ্ছে করেই হলেও সামিরের সাথে হাসাহাসি করছে.. স্নেহার এসব কান্ডে রাহুলের অনেক হাসি পাচ্ছে…]

রাহুল : [মনে মনে] কিনা ড্রামা করছে..যেন আমি কিছুই বুঝতে পারছি না…?

স্নেহা : [ মনে মনে ] মিষ্টার হ্যান্ডসাম..এইভাবে কিলার লুক দিয়ে তাকিয়ে আছে কেনো…নিশ্চয় ঝলছে?

[স্নেহার ড্রামা গুলো রাহুলের এত্তো কিউট লাগছিলো যে রাহুল স্নেহা থেকে চোখ সরাতে পারছে না ?]

চলবে…

Love At 1st Sight $2 Part : 7

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2
Part : 7
writer-Jubaida Sobti♥
রাহুল আর কিছু না বলে চলে যায়..
স্নেহা : [মনে মনে] কতোক্ষণ এংগ্রি মুড আবার কতোক্ষণ রোমান্টিক মুড…কিছুই বুঝি না..?
স্নেহা ভাবতে ভাবতে হোষ্টেলে ফিরে গেলো…
দাদী : রাহুল! তুকে আমি কতোবার নিষেধ করেছি ঐ মেয়েকে এই বাড়ী আনবি না…তুই কি চাস আমি এই বাড়ী ছেড়ে চলে যায়?…
রাহুল : দাদী নেহার মধ্যে খারাপের কি আছে..
দাদী : খারাপের কি আছে মানে?..এটা জিজ্ঞেস কর যে ওর মধ্যে ভালোর কি আছে… আমার তো দেখলেই মাথাটা ধরে যায়…কি সব ড্রেস পড়ে আসে…
আর আজ কি করলো?..ড্রিংকস করে পুরা ছিঃ আমার তো লজ্জায়..
রাহুল : দাদী! নেহা অনেক ভালো একটা মেয়ে…তুমি বোঝার চেষ্টা করো..ও ড্রিংকস করে না
দাদী : নেহা তোর জন্য ভালো হতে পারে…এই বাড়ীর জন্য মোটেও না..
[রাহুল আর কিছু না বলে রাগ করে রুমে চলে যায়…অনেকবারই দাদীকে বোঝানো হয়েছে..কিন্তু কোনো লাভ হয়নি রাহুলের ]
পরদিন ভার্সেটিতে…
স্নেহা…পুরো ক্লাসই কমপ্লিট করলো কিন্তু রাহুলের কোনো দেখা নেই…
মার্জান : কি হলো কাকে খুঁজছিস?..
স্নেহা : ঐ নেহা ও আজ ক্লাস করতে এলোনা কি ব্যাপার বলতো…
আচ্ছা শোন তুই বস আমি একটু দেখে আসি..
মার্জান : স্নেহা আর কতো পাগলামি করবি?..
স্নেহা : যতোদিন না রাহুল আমার হবে..
ওকে বাই…
স্নেহা অনেকটা জায়গা ঘুরে…দেখে হঠাৎ, দেখতে পায়..নেহা ক্যান্টিনে বসে আছে…তার কিছু ফ্রেন্ডসদের সাথে..
স্নেহা : [ নেহার কাছে গিয়ে ] মিস্ ইউনিভার্স তুমি রাহুলকে দেখেছো?…?
নেহা : Just Shut-up রাহুলের নাম তোমার মুখেও আনবা না..বুঝেছো..?
[স্নেহা নেহাকে একটি স্প্রাইটের বোতোল এগিয়ে দেই] হঠাৎ রাহুল এসে স্প্রাইটের বোতোলটি স্নেহার হাত থেকে কেড়ে নেই..
স্নেহা : আরে কি করছো মিস্ ইউনিভার্স এর মাথা হট হয়ে গেছে তাই একটু ঠাণ্ডা করতে দিলাম…আর তুমি কিনা..
রাহুল : এতো ওভার স্মার্ট হইও না বুঝলে…তোমার চালাকি তোমার সব প্লান আমি বুঝি…
স্নেহা রাহুলের কাছ থেকে স্প্রাইটের বোতোলটা কেড়ে নিয়ে..ডুগডুগ করে খেতে লাগলো… আর রাহুল অবাক হয়ে চেয়ে আছে..
স্নেহা : [ রাহুলের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে] কি ভেবেছো আমি স্প্রাইটে ওয়াইন দিয়েছি…হি-হি নো মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম..i think তুমি জানো না আমি এক প্লান দুইবার ইউজ করিনা..?
[ Rahul Shocked ?sneha Rocks? ]
স্নেহা বাইরে বেরিয়ে চলে গেলো.. ক্লাসের দিকে এগুতেই পিছন থেকে ডাক দিলো হেই চ্যান্ডি বলে…স্নেহা ফিরে তাকালে দেখে…ক্যান্টিনে ধাক্ষা খেয়েছিলো ছেলেটা…
সামির স্নেহার দিকে এগিয়ে আসে..
স্নেহা : আপনি কি আপনার চ্যান্ডিকে এখনো খুজে পাননি?..
সামির : ওহ সরি! আসলে..তোমাকে দেখতেই চ্যান্ডির কথা মনে পড়ে গেলো..
আচ্ছা কি যেন নাম বলেছিলে তোমার?..
স্নেহা : গতকাল বলেছিলাম..স্নেহা!
সামির : ওহ ইউ মিন..আদুরী ?
স্নেহা : মানে?..?
সামির : না মানে স্নেহ ?স্নেহ মানে আদর…
স্নেহা : Not স্নেহ it’s স্নেহা…
সামির : ওহ ওকে ওকে!?.. So কেমন আছো…
স্নেহা : হুম ভালো..
হঠাৎ রাহুল ক্যান্টিন থেকে বেড়িয়ে..আসে..
সামির : হেই রাহুল what’s up buddy?
[সামির স্নেহাকে ২মিনিট দাড়াতে বলে রাহুলের দিকে এগিয়ে যায়]
রাহুল : m alright.. তোর কি খবর বল?.কই ছিলি এতোদিন?…
সামির : মা কে দেখতে গিয়েছিলাম ব্যানারোসে্…
[স্নেহা দূর থেকে দেখতে থাকে তাদের আলাপ আলোচনা…]
রাহুল : So where is your চ্যান্ডি?
সামির : চ্যান্ডির খবর তো জানিনা দোস্ত কিন্তু নতুন একটা চ্যান্ডি পেয়েছি…?দেখার পর থেকেই…রাতের ঘুম হারাম?
ঐ দেখ সাদা জামা পড়া মেয়েটি..?
সামির রাহুলকে ইশারা করে স্নেহার দিক দেখিয়ে দিলো…
সামির আর রাহুল দুজনেই স্নেহার দিক তাকাতে… স্নেহা একটু অবাক হয়ে উঠে…
স্নেহা : [মনে মনে ] আমার কথা কিছু বলছে নাকি এই চ্যান্ডির বাচ্চা?
[রাহুলের মুখ থেকে হাসিটা উদাও হয়ে যায়..স্নেহাকে দেখে]
সামির : কি হলো দোস্ত কেমন বলনা?..
রাহুল : আমি আসি সামির পরে কথা হবে..[ রাহুল স্নেহাকে রাগান্বিত ভাবে দেখে চলে যায়…]
স্নেহা ও মুখ ভেঙিয়ে চলে যায়..ক্লাসে..
ক্লাস শেষে…
স্নেহা বের হচ্ছিলো ঠিক সেই সময়…হঠাৎ..রাহুল এসে স্নেহাকে টেনে উপরে নিয়ে যায়…
স্নেহা : ওউ…what happen মিষ্টার হ্যান্ডস্যাম…? আবার কি হলো..
রাহুল : Listen সামির তোমাকে কি বলছিলো?..?
স্নেহা : কি বলছিলো মানে?..?
রাহুল : Shut-up ড্রামা করবানা একদম?..?
স্নেহা : আজিব? এংগ্রি হওয়ার কি আছে?.. ও জাষ্ট হাই হ্যালো কেমন আছো জিজ্ঞেস করছিলো…
রাহুল : আর তুমি কি বলেছিলে?..?
স্নেহা : ওউ ওউ..wait মিষ্টার রাহুল… are you jealous?.. ?
রাহুল : আমি?..Jealous করবো তোমাকে নিয়ে…
স্নেহা : মনে তো তেমনি হচ্ছে…ফিল্মের হিরোয়িনরা যখন অন্য ছেলের সাথে কথা বলে…তখন হিরো Jealous হয়ে হিরোয়িনকে বকতে থাকে… আর এখন তো ঠিক আমি সেইরকমই কিছু দেখছি?
রাহুল : তোমার এসব ফিল্মি ড্রামা বন্ধ করো…ওকে.. আর আমি তোমাকে নিয়ে jealous করছি না… [ রাহুল চলে যেতে লাগলো ]
স্নেহা রাহুলের হাত ধরে তার দিকে এগিয়ে নেই..
স্নেহা : আচ্ছা ? তাইলে আমাকে এইখানে আনার মানেটা…
রাহুল : [একটু ভেবে] ওহ! আমি জাষ্ট..
স্নেহা : জাষ্ট! ?কি?..
রাহুল : দেখো আমার লেইট হচ্ছে বাই..
[ স্নেহাকে সরিয়ে রাহুল চলে যায়]
স্নেহা হাসতে থাকে…??
বাসায় গিয়ে রাহুল খাটে বসে…সামিরের কথাটি বার বার কানে বাজছে রাহুলের…
রাহুল : [ মনে মনে ] damn it! সামির যদিও স্নেহাকে লাইক করে থাকে তাতে আমার কি.. আমি কেনো এতো টেনশন নিচ্ছি…
[রাহুলের চোখে ভেসে আসছে স্নেহার চুপটি করে হেসে চলে যাওয়া… সামনে এসে রাহুলের পথ আটকানো… লাইব্রেরীতে রাহুলকে জোড় করে কাছে টেনে নেওয়া…জোড়ে বাড়ি মারাতে স্নেহার ভয় পেয়ে যাওয়া]
রাহুল : Shit! Shit! Shit! ?
Stop it! রাহুল” তুই আবারো ওই ড্রামা কুইনের কথা ভাবছিস..
রাহুল আর কিছু না ভেবে ফ্রেশ হতে চলে গেলো..
বিকেলে, স্নেহা রাহুলদের বাড়ীতে ঢুকতেই দেখে রাহুল ড্রইং রুমে বসে পেপার পড়ছে…
স্নেহা : [ মনে মনে] আজ বাসায়..এই টাইমে..?হাউ ব্রিলিয়ান্ট পেপার ও পড়ছে..
[রাহুল স্নেহার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে আবারো পেপার পড়তে ব্যস্ত হয়ে যায়…]
রাহুল : [ মনে মনে] আসছে আবার ড্রামা করতে..
[স্নেহা কিছু না বলে ভেতরে চলে যায়]
স্নেহা ফাবিহাকে ডান্স শেখাতে থাকে.. হঠাৎ..দেখে রাহুল এইদিকটা এগিয়ে আসছে..
স্নেহা অবাক হয়ে যায়..রাহুল এসে এইভাবে তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে…কেনো..
স্নেহা : [মনে মনে] এইভাবে হেসোনা বস্ নজর লেগে যাবে?
রাহুল : ভালোই তো ডান্স পারো বন্ধ করে দিলে যে?..
স্নেহা : ???
রাহুল : [স্নেহার দিকে এগিয়ে আসে ] ফাবিহা তোমার ডান্স টিচারকে বলবে.. আমাকেও একটু ডান্স শেখাতে..?
স্নেহা :[মনে মনে ] মাথায় কি পাকিয়ে এসেছে আল্লাহ জানে…?
ফাবিহা : চাচ্চু আমার টিচার তো সব..ডান্স পারে.. ?হিপ-হপ, ক্লাসি,
স্নেহা : দেখো ফাবিহা! আমি ছেলেদের ডান্স শেখায় না… ?
রাহুল : ফাবিহা মিউজিকটা স্টার্ট করো… তোমার টিচার আমাকে ডান্স শেখাবে…
স্নেহা : কবে বললাম আমি ডান্স শেখাবো?..?
রাহুল : উফ! স্নেহা! যদি..ডান্স পেরে থাকো তাহলে সবাইকে ডান্স শেখানো উচিৎ হোক সে ছেলে…আর হোক সে মেয়ে..?
স্নেহা : [ মনে মনে ] কিছু তো মাথায় পাকিয়েছে… নিশ্চয় নাহলে..মুডের এতো চেঞ্জ দেখা যাচ্ছে কেনো..?
রাহুল : কি ভাবছো স্নেহা! Come on?
ফাবিহা মিউজিক ছেড়ে দিলো…..
রাহুল হাত বাড়িয়ে দেই..স্নেহা হাত দেওয়ার জন্য…
স্নেহা হাত দিতেই রাহুল স্নেহাকে কাছে টেনে নেই…
স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে…?
[রাহুল স্নেহার কোমোড়ে স্লাইড দিয়ে ধরলে স্নেহা শকড হয়ে যায়…?]
[Sneha’s heart beating fast]
স্নেহা : [রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে] দেখো আমি কাপল ডান্স পারি না.. so আমাকে দিয়ে হবে না…?
রাহুল : [স্নেহার কাছে এসে] ওকে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি…? স্নেহা come..?
স্নেহা : দেখো কাছে আসবা না বলেদিলাম… ? [ বিড় বির করে বলতে লাগলো স্নেহা সব টাচ্ করার ধান্ধা]
রাহুল : why স্নেহা!?
স্নেহা : বললাম তো পারি না..আমি..?
[রাহুল স্নেহার কাছে এসে জোড় করে..স্নেহাকে টেনে নেই..]
স্নেহা : দেখো আজেবাজে জায়গায় হাত দিবা না…বলেদিলাম আমার মোটেও পছন্দ না এসব…?
[রাহুল স্নেহার পেটে স্লাইড করে?]
রাহুল : আর যদি দেই!?
স্নেহা : দেখো প্লিজ আমার অনেক শুরশুরি লাগে..এসব….?
[Rahul give a tedi smile?]
রাহুল : Come on স্নেহা feel it! and enjoy it..?
স্নেহা : লজ্জা করে না বাচ্চা মেয়ে একটার সামনে এসব করতে ?
রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] ফাবিহা.. প্লিজ ভলিউমটা আরেকটু স্পিড…?
ফাবিহা : ওকে চাচ্চু!
[স্নেহা রাহুল থেকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করলে রাহুল তাকে আরো শক্ত করে টেনে নেই…]
রাহুল : একদম ছুটার ট্রাই করবেনা… তুমি কি ভেবেছো ডিষ্টার্ব শুধু তুমি করতে পারো?
স্নেহা : দেখো আমি কিন্তু এখন চিৎকার করবো.. ?
রাহুল : ওকে ফাইন! করো..?
স্নেহা বুঝতে পারলো চিৎকার করে কোনো লাভ হবে না মিউজিক এতই জোড়ে বাজছিলো যে ফাবিহাকে ডাকলেও শুনবে না…
রাহুল স্নেহাকে নাচাতে নাচাতে…স্নেহার পিট, কোমোড়, পেট..এতে স্লাইড করতে থাকে… ?স্নেহা চেঁচিয়ে উঠলেও রাহুল আরো বেশি করে নাচাতে থাকে…?
[ Rahul enjoy that moment ??]
নাচতে নাচতে এক পর্যায়ে স্নেহা রাহুকে জোড়ে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে দেই…
রাহুল : What happen?..
স্নেহা দৌড়ে গিয়ে মিউজিক বন্ধ করে দেই…
স্নেহা : ফাবিহা আজকে আর না আমি এখন যায়.. কাল আসবো…স্নেহা দৌড়ে বেরিয়ে পড়ে…
রাহুল [ হেসে হেসে ] মিস্ ড্রামাকুইন… মাথায় প্লান শুধু তোমার আসে… তাই না..??
[স্নেহা বাইরে বেড়িয়ে..বুকে হাত দিয়ে দেখে.. বুকটায় এখনো অধিক জোড়ে কম্পন হচ্ছে…♥?আর কিছু না ভেবে স্নেহা তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে পড়ে..]
চলবে…

Love At 1st Sight $2 Part : 6

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2
Part : 6
writer-Jubaida Sobti♥
পরদিন ভার্সেটি গেলো স্নেহা…
ক্লাসে ঢুকতেই দেখে রাহুল বসে আছে দুজনে চোখে চোখ পড়াতে… স্নেহা রাহুলকে চোখ টিপ মাড়লো?
রাহুল একটু হেসে অন্যদিকে ফিরে যায়..
ক্লাসে স্যার এসে সবার Assignment খুজতে লাগলো…
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকাতেই দেখে রাহুল তার Assignment নেহাকে দিয়ে দিচ্ছে…যতটুকু দেখে স্নেহা বুঝতে পারলো পেত্নীটা নিশ্চয় ফেলে এসেছে আর না হয়…করেনি…তাই এখন রাহুলেরটা নিয়ে টানাটানি…
নির্লজ্জ মেয়ে একটা…?
নেহা রাহুলের Assignment …তার নামে জমা দিলো… আর যারা যারা Assignment করেনি তাদের জন্য স্যারের উপদেশ ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়া…
রাহুল উঠে চলে যাবে ঠিক সেই সময় স্নেহা তার Assignment টি রাহুলের টেবিলের উপর ছুড়ে মারে..
রাহুল অবাক হয়ে স্নেহার দিকে তাকিয়ে রইলো…?
স্নেহা : Take it?..
এই বলে স্নেহা দাঁড়িয়ে পড়লো স্যারকে সরি বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়…আর স্যার স্নেহাকে অনেক কথা ও শুনিয়ে দিলো.. ?
রাহুল কিছুক্ষণ চিন্তা করে..
স্নেহার Assignment টি জমা না দিয়ে ব্যাগে ভরে ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ে…স্যার রাহুলকে ও লেকচার না শুনিয়ে ছাড়লো না…
রাহুল ক্লাস থেকে বেরিয়ে দেখে…স্নেহা বারান্দায় দাঁড়িয়ে… আশেপাশে ঘুরঘুর করে দেখছে…
স্নেহা পাশ ফিরতেই দেখে রাহুল তার পাশে… তাই স্নেহা একটু ভয় পেয়ে যায়..
স্নেহা : এইভাবে কেউ আশে নাকি?..??পুরাই ভয় পেয়ে গেছি.. আর তুমি এইখানে কি করছো বলো তো…তোমার তো এখন ক্লাসে থাকার কথা..
রাহুল স্নেহাকে কিছু না বলে স্নেহার হাত ধরে টেনে লাইব্রেরীর রুমে নিয়ে যায়…
স্নেহা : রাহুল! কই নিচ্ছো?..?
কিছু মেধাবী স্টুডেন্ট ৩/৪ জন হবে অনেক মনোযোগ সহকারে বই পড়ছিলো…?তারা বই পড়া বাদ দিয়ে…চেয়ে থাকে..রাহুল স্নেহাকে কই নিচ্ছে… ?
সেল্ফের একটি কোণায় নিয়ে গিয়ে দাড় করায় রাহুল স্নেহাকে.. রাহুল একটু আড় চোখে সবার দিকে তাকালে সবাই আবার বই পড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে..
রাহুল স্নেহার দুপাশে কাধের উপর সেল্ফে হাত রেখে দাঁড়ায়…
স্নেহার বুক কাঁপতে লাগলো.. কারণ রাহুল স্নেহার এতোটাই কাছে যে তা স্নেহা ভাবতেও পারছে না…?
স্নেহা : [ ধীরো কন্ঠে] দেখো রাহুল? আমি কি তোমার সাথে এসব করি নাকি?..
রাহুল : [একটু হেসে] এসব বলতে?..?
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে থাকে…রাহুল স্নেহার চোখে চোখ রেখে হাসছে…
স্নেহা তাড়াতাড়ি নিজের চোখের উপর হাত দিয়ে দেই…
রাহুল : Hey! what happen?..?
স্নেহা : ??এইভাবে চেয়ে আছো কেনো আমার লজ্জা লাগছে…
রাহুল : ওহ! রিয়েলি..?
রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার হাত নামিয়ে দেই..
রাহুল : তোমার Assignment টা আমাকে দিয়ে দিলে কেনো?..?
স্নেহা : কারণ তোমারটা ঐ পেত্নী নিয়ে নিলো বলে…?
রাহুল : shut-up স্নেহা ও মোটেও পেত্নী না!…?
স্নেহা : ওহ তাই! তাহলে কি?.?.রাক্ষসী.. নাকি শাকচুন্নি?..
[রাহুল স্নেহার কথা শুনে হেসে দিলো.]
স্নেহা : [মনে মনে] এই মিষ্টার হ্যান্ডস্যামের আজ কি হয়ে গেলো… এইভাবে এতো নরম হয়ে কথা বলছে..আর আমার এতোটাই কাছে…??দিলেতো কম্পন শুরু হয়ে গেল।
রাহুল : কি ভাবছো?…?
স্নেহা : ?কই নাতো… কিছুনা..
রাহুল : তুমি যদি ভেবে থাকো!… তোমার এইসব নিয়ে আমি তোমার প্রেমে পড়ে যাবো… ??No way.. Miss.Dramaqueen..
স্নেহা : মানে কি?..?
রাহুল : মানে হচ্ছে! এই যে তুমি আমার জন্য মায়া দেখিয়ে যে Assignment টা দিয়ে গেলে… ওটা আমার দরকার নেই..বুঝেছো.. আমি আমার নিজেরটা দিয়ে চলি কারো সাহায্য আমার প্রয়োজন নেই…?
স্নেহা : তোমার কি মনে হয়েছে আমি এসব মায়া দেখিয়ে করেছি?..?
[স্নেহা রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে দেই..?]
মনে হওয়ারই কথা..কারণ তোমার কাছে তো মানুষের ফিলিংস গুলো খেলনার মতো… তাই না..
শুনো?.. সবাই মায়া দেখিয়ে সব কিছু করে না…
কেউ কেউ..ভালোবেসে ও করে..?
রাহুল : ?? what?..
স্নেহা : [রাহুলের কাছে এসে]
শিসস! কুচ্ কুচ্ হতাহে রাহুল.. তুম নেহি সামজোগি্?
স্নেহা একটু বেকে হেসে..[রাহুলকে তার হাসিটা আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেই..] তেডি স্মাইল!?
[রাহুল ও হেসে দেই!…]
স্নেহা : সুট করে অনেক..?হাসিটা…
এই বলে স্নেহা লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে যায়… আর রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে…
মার্জান : এই স্নেহা! কোথায় চলে যাস বলতো…
স্নেহা : আরে এইদিকটা গিয়েছিলাম..
মার্জান : দেখ আমার না অনেক খিদে পেয়েছে চলনা ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খেয়ে আসি…
স্নেহা : ওকে চল!
স্নেহা মার্জানকে নিয়ে ক্যান্টিনে ঢুকতেই একটা ছেলের সাথে ধাক্ষা পড়ে…
স্নেহা : সরি সরি!
ছেলেটি : ওহ! চ্যান্ডি ?হাউ আর ইউ?..
স্নেহা : এক্সকিউজ মি?…?
ছেলেটি : i am sameer you don’t know me?..?
স্নেহা : আজিব! কোন সামির..আমি এই নামের কাউকে চিনি না…
সামির : আরে চ্যান্ডি..এসব কি বলছো…?
স্নেহা : দেখুন আমি কোনো চ্যান্ডি ক্যান্ডি না..আমার নাম স্নেহা!…
সামির : ওহ ও! i m so sorry! আমি ভেবেছি তুমিই চ্যান্ডি হবা! ? আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে..চ্যান্ডি নামের একটি মেয়ে আমার সাথে দেখা করতে আসার কথা… ওকে আমি আগে কখনো দেখিনি…তাই ভুল করে তুমি সহ…আরো তিনজনকে চ্যান্ডি ভেবে ফেলেছি..
স্নেহা : ওহ! it’s ok..
সামির : ওকে বাই!?
স্নেহা : বাই!?
সামির : বাই?
[স্নেহা আর কিছু না বলে সরে গেলো ]
মার্জান : কি আজিব ছেলে! কথা নেই বার্তা নেই..হুট করেই তোকে চ্যান্ডি ভেবে বসলো নামটাও কি আজিব!??
স্নেহা : বাদ দে তো!??
মার্জান : অবশ্যই সুন্দরি মেয়ে দেখলে এসব ভাবারই কথা?
স্নেহা : হয়েছে তোর লেকচার এইবার অর্ডার কর,
এইদিকে রাহুল লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে… বাড়ী চলে যাওয়ার জন্য গাড়ীতেই উঠছিলো..হঠাৎ পিছন থেকে নেহা ডাক দেই…
নেহা : রাহুল! কই যাচ্ছো..
রাহুল : নেহা আমার না একটু খারাপ লাগছে..আমি তোমার সাথে পরে দেখা করবো ওকে!
নেহা : কিন্তু তুমি যে বললা ক্লাস শেষে দুজন একসাথে বের হবো!
রাহুল : হে বলেছিলাম..কিন্তু আমার আজ ভালো লাগছে না কাল যাবো ওকে?..
নেহা : তোমার তো এমনিতেই এখন আর আমাকে ভালো লাগে না??
রাহুল : [নেহার কাছে এসে] কি বলছো এসব পাগলের মতো
নেহা : নয়তো কি?..আগে কথা দিয়ে কথা রাখতে… এই কদিন ধরেই দেখছি..আমার সাথে ভালো করে কথা বলছো না…
রাহুল : বলবো কি করে?.. তুমি তো সারাদিন ব্যস্ত থাকো… নয় শপিং, নয় রেষ্টুরেন্ট, নয়তো ফ্রেন্ডসদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া…
নেহা : আচ্ছা! আমার এসবে তোমার অনেক প্রবলেম হয় তাই না?…
রাহুল : আরে পাগলী প্রবলেম হতে যাবে কেনো?..তুমি বললা আমি ভালো করে কথা বলিনা তাই বললাম… ওকে সরি!
নেহা : [রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে] লাভ ইউ বেবি??
রাহুল : [ ঝড়িয়ে..] লাভ ইউ টু…
নেহা : ওকে বাই!..?
রাহুল : ওকে…? বাই..
এইবলে রাহুল…চলে যায়…
বাসায় গিয়ে রাহুল…ভাবতে থাকে..নেহাকে এভাবে ফেলে আসাটা উচিৎ হয়নি.. কিন্তু কি করার…কেমন যেনো সব…ওলোটপালট হয়ে যাচ্ছে…?
বিকেলে স্নেহা রাহুলের বাসায় এসে এদিক ওদিকে তাকাতে লাগলো…
হঠাৎ,পিছন থেকে ফাবিহা এসে স্নেহাকে ভয় লাগলো…
স্নেহা : আরে! ?
ফাবিহা : ??ভয় পেয়েছো টিচার…
স্নেহা : হুম! একটু একটু??
ফাবিহা : জানো টিচার..বাসায় না..ও এসেছে…
স্নেহা : কে?..?
ফাবিহা : ঐ যে.. কাটা টা!..?
স্নেহা : What!? এখন কই?..
ফাবিহা : রাহুল ভাইয়ার রুমেই আছে..
স্নেহা : রাহুলের রুমে?..??
ফাবিহা : শিসস! আস্তে টিচার চাচ্চুর গ্রেন্ডমাদার? জানলে চাচ্চুকে বকবে..
স্নেহা : [ মনে মনে] তার মানে ও যে রুমে আছে সেটা দাদী জানে না..? না জানি রুমের মধ্যে কি কি করছে..?
স্নেহা : ফাবিহা! আমার না গা ঝলছে?
ফাবিহা : ওহ ও টিচার Don’t worry না..একটা প্লান করো যাতে…ও বেরিয়ে যায়..
স্নেহা : হুম সেটাই ভাবছি..?
[হঠাৎ, স্নেহার মাথায় একটি বুদ্ধি এলো.. ]
স্নেহা : ফাবিহা?.. তোমার চাচ্চু কি ড্রিংক করে?..
ফাবিহা : u mean wine?..?
হে সেটা তো বাবাও খায়..
স্নেহা : শিসস! আস্তে আস্তে!..
স্নেহা [মনে মনে] ভাবতে লাগলো সে কোন দুনিয়ায় আছে…?
স্নেহা : আচ্ছা শোনো! তুমি গিয়ে তোমার বাবার রুম থেকে…হাফ গ্লাস! ওয়াইন আনবা… দেখো তোমার মাম্মা যাতে জানতে না পারে!..
ফাবিহা : Don’t worry আমি আরো অনেক বার বাবার ওয়াইন চুরি করেছি মা ঠেরই পায়নি..?
স্নেহা : তুমি ওয়াইন দিয়ে কি করেছো ?
ফাবিহা : টমিকে খাইয়েছি..
স্নেহা : টমি কে?..
ফাবিহা : টমি হলো চাচ্চুর কুকুর! ও অনেক চেঁচাচ্ছিলো..চাচ্চু তখন বাসায় ছিলো না তাই খাইয়ে দিয়েছিলাম…
[স্নেহা মুখ চেপে হেসে দিলো ??]…
স্নেহা : ওকে!? এখন আরেক টমিকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করো?…
ফাবিহা : ওকে…?
ফাবিহা চলে যায়…ওয়াইন আনতে…
স্নেহা কিচেনে গিয়ে..কাজের লোককে … বলতে থাকে..শোনো দাদী বলেছে..দু গ্লাস! শরবত বানাতে…আই মিন এক গ্লাস ফুল আরেক গ্লাস হাফ..
কাজের লোক : আরেক গ্লাস হাফ কেনো?..
স্নেহা : ? তা আমি কিভাবে বলবো..দাদী বলেছে তা দাদীর অর্ডার..
কাজের লোক : আচ্ছা বানিয়ে দিচ্ছি…
স্নেহা দাঁড়িয়ে থাকে…কাজের লোকটা শরবত বানিয়ে দেই…
স্নেহা : আমাকে দাও আমি দিয়ে আসি!
কাজের লোক : আরে না! আপনি কেনো কষ্ট করবেন…আমরা আছি না!
স্নেহা : আরে দাও তো কিছু হবেনা…তুমি যাও…
স্নেহা শরবত গুলো নিয়ে..উপরে যায়..ফাবিহা স্নেহাকে ওয়াইন এনে দিলে…স্নেহা হাফ গ্লাসে ওয়াইন গুলো ঢেলে দেই…
স্নেহা গিয়ে রাহুলের দরজা বাড়ি দেই..এবং রাহুল দরজা খুলে!
রাহুল : তুমি?..এইখানে কি করছো..
স্নেহা : আসলে অনেক গরম পড়ছে..তাই আমি ভেবেছি..তোমাদের দুজনের জন্য একটু শরবত দেই…
নেহা : রাহুল ?? ও এইখানে কি করছে…
রাহুল : নেহা! ও..
স্নেহা : আমি ফাবিহাকে ডান্স শেখাতে এসেছি… ?
নেহা : ঠিকমতো হাটা জানে না..এই আবার ফাবিহাকে ডান্স শেখাবে…হাউ ফানি??…
রাহুল : দেখো! বাসায় অনেক লোক আছে… আমার যদি লাগতো তাহলে ওদের বলে দিতাম…তোমার এসব নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই…যেই কাজে এসেছো সেই কাজ করো…
নেহা : ওকে রিলেক্স রাহুল! ও তো এসবেরই যোগ্য… এনেছে যখন খেয়েনি.. বাই দা ওয়ে… আমাকে শরবত এনে খাওয়ানো এটাও ওর…সৌভাগ্য..
স্নেহা : [ মনে মনে ] একবার খেয়েই দেখ তারপর কার সৌভাগ্য আর কার দূরভাগ্য তা নিজেই বুঝবি..?
নেহা একটি গ্লাস নিতে গেলে,
স্নেহা : আরে আরে…আমি দিচ্ছি ওয়েট… [ স্নেহা নেহাকে একটি গ্লাস হাতে তুলে দেই…আরেকটি রাহুলকে ]
রাহুল : [মনে মনে] ড্রামেবাজ! মাথায় কি খিচুড়ি পাকিয়েছে কে জানে!…?
স্নেহা : Enjoy Enjoy ??…
নেহা : থেংক ইউ…?
স্নেহা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো…
ফাবিহা : টিচার! কি হলো..
স্নেহা : ? খেয়েছে..
ফাবিহা : এখন কি হবে?..
স্নেহা : ইয়ে তো সির্ফ ট্রেইলার থা বস্ ? পিকচার আভি ভি বাকি হে…
স্নেহা ফাবিহাকে…ডান্স শেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে…শুধু অপেক্ষায় আছে দাদী কখন নিচে নামবে…
দাদী নিচে নামলে,
স্নেহা : আরে দাদী তুমি এইখানে..আমি আরো তোমাকে খুজছিলাম…
দাদী : কেনো আমার রুমে গিয়ে দেখলেই তো হতো…
স্নেহা : তুমি না..কেমন আমি এসেছি কদিন হয়ে গেছে…আমাকে একবার ও নিজের রুমটা দেখালে না…?
দাদী : তোকে কি কেউ বারণ করেছে নাকি?…পাগলি মেয়ে…
স্নেহা : না আর এসব বললে হবে না..?
আমাকে তোমার রুম দেখাতে নিয়ে যাও… দাদার কি কি লুকিয়ে রেখেছো আমি সব দেখবো..
দাদী : আচ্ছা চল! দেখবি?
স্নেহা দাদীর পিছন পিছন উপরে উঠে,,
হঠাৎ রাহুলের রুমের সামনে এসে..স্নেহা দাঁড়িয়ে পড়ে…
স্নেহা : দাদী! এটা কার রুম বলোতো..এতো চেঁচামেচির শব্দ আসছে..
দাদী : কার আবার…ঐ সুপারষ্টারের..সারাদিন গিটার নিয়ে থাকে..তাই হয়তো আওয়াজ আসছে..
[স্নেহা মনে মনে ভাবতে লাগলো হায় আল্লাহ দাদীকে কেমনি পাঠায় রাহুলের রুমে..??]
স্নেহা : দাদী! বলছিলাম যে গিটারের না..কেমন যেন একটা মেয়ের শব্দ হচ্ছে..
দাদী : আরে! সিফা গিয়েছে হয়তো…তুই আয়..
স্নেহা : [? in sad mood] ওকে দাদী চলো…
হঠাৎ রাহুল দরজা খুললো..এবং দরজার সামনে দাদী আর স্নেহাকে দেখে রাহুল..ঘাবড়ে গেলো…
রাহুল : আরে দাদী?…
স্নেহা : ওহ রাহুল! এটা কি তোমার রুম?..?
.
রাহুল : ???
দাদী : তুই এখনো রাহুলের রুম দেখিসনি.. আমিতো ভেবেছি রাহুল তোকে সব দেখিয়ে নিয়েছে..
আয় চল আগে ওর রুম দেখে নে…
রাহুল : না না দাদী! আই মিন পরে দেখাবো আমি
স্নেহা ওকে..??
স্নেহা : পরে কেনো এখন দেখলে কি হবে?… ভেতরে কি কিছু লুকিয়ে রেখেছো নাকি?..?
দাদী : আগে আর পরে কি রাহুল..
স্নেহা : [দাদীর কানে ফিসফিস করে] দাদী আমিতো আগেই বলেছিলাম.. কিছু তো গণ্ডগোল আছে নিশ্চই…?
হঠাৎ পেছন থেকে নেহা এসে রাহুলের ঘারে হাত রাখলো…
দাদী অবাক হয়ে গেলো…?
নেহা : [ মাতাল অবস্থায় ] What happen রাহুল! কি হচ্ছে?..
স্নেহা : অহ????….
দাদী : ? রাহুল!
রাহুল : ও..দাদী আসলে.. ও হচ্ছে নেহা..আমার ফ্রেন্ড.. আর নেহা এটা হচ্ছে আমার দাদী..
নেহা : অউ দাদী.. হাউ কিউট…দাদী..
দাদী : রাহুল!? আমার সাথে আয় তোর সাথে কথা আছে… [ এই বলে দাদী চলে যায়]
রাহুল : [ স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে] তোমাকে তো আমি ? পরে দেখে নিবো..
স্নেহা : ওকে? [ রাহুল চলে যায় দাদীর রুমে]
স্নেহা : এই যে মিস্ ইউনিভার্স! আপনি আবার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছেন…বের হবেন নাকি দাদী এসে ঝাটা পেটান দিবে তারপর বের হবেন…
নেহা : ওউ.. shut-up! [ নেহার চোখ বটে আসছে হঠাৎ পড়ে যেতে চাইলে স্নেহা তাড়াতাড়ি ধরে ফেলে নেহাকে..]
স্নেহা : কি বলেছিলি…আমি ঠিক মতো হাটতে জানিনা…আর নাচ শেখাবো কি করে তাই…না..? এবার তুই দেখ তুই তো ঠিকমতো দাড়াতে ও পারছিস না..?
নেহা : দেখো… আমি!..
স্নেহা : কি তুই বল?…
নেহা : রাহুল কে বলে দিবো..
স্নেহা : আহা! রাহুলকে বলে দিবো..?ঠিকমতো দাড়াতে পারছিস না আবার গিয়ে রাহুলকে বলবি হাউ ফানি..
হঠাৎ, রাহুল এগিয়ে আসে…নেহা কে স্নেহা থেকে ছুটিয়ে…কোলে তুলে নেই..
স্নেহা : শুনো ওকে একটা লেবু…?
রাহুল : ?Just Shut-up… আর একটাও কথা বলবানা… [ রাহুল চলে যায় নেহাকে নিয়ে ]
স্নেহা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকে…?
দাদী : [ পিছন থেকে ] আমি জানি এসব কার কান্ড…
স্নেহা Shocked হয়ে পেছনে তাকালো..?
দাদী : তবে আমি তোকে বকবো না..কারণ তুই যা করেছিস…তাতে এই ঘরের ক্ষতি হয়নি…বরং ভালোই হয়েছে..
স্নেহা : দাদী আসলে!??
দাদী : আমি তো ঐদিনই বুঝতে পেরেছি..যখন তুই রাহুলকে ছাড়া ড্রাইভারের সাথে যেতে চাচ্ছিলি না…
স্নেহা : সরি দাদী! ?
দাদী : [স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে] পাগলী একটা রাহুলকে কি তোর পছন্দ?..
স্নেহা : ইয়েস্ দাদী ? আই মিন নো…উফফ? দাদী মানে হচ্ছে হে হে…
দাদী : আচ্ছা তাই…? চল এইবার আমার রুমে,
স্নেহা : [ দাদীকে ঝড়িয়ে ] ওহ দাদী! You are so sweet?..
স্নেহা দাদীর সাথে আড্ডা দিয়ে…বিদায় নিয়ে ফিরছিলো… হঠাৎ বাড়ী থেকে বের হতেই স্নেহা দেখে রাহুলের গাড়ী ঢুকছে…
স্নেহা : [মনে মনে] নিশ্চই অই পেত্নীটাকে বাড়ী পৌছে দিয়ে এসেছে..??
[রাহুলের চোখ স্নেহার উপর পড়লো..
চোখাচোখি হলে স্নেহা মিটমিট করে হাসতে থাকে…]
স্নেহা গাড়ীর পাশদিয়ে সাইড কেটে হেসে চলে যাচ্ছিলো
রাহুল রেগে গাড়ী থেকে নেমে স্নেহার দিকে এগিয়ে আসলো..
স্নেহার রাহুলকে দেখে হঠাৎ ভীষণ হাসি পাচ্ছিলো হাসি আটকাতে না পেরে.. স্নেহা নিজের মুখ নিজে চেপে ধরলো..
রাহুল : অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না???
স্নেহা : মাথা নাড়ালো?..[কই নাতো]
রাহুল স্নেহাকে চেপে ধরে সজোড়ে ধাক্ষা দিয়ে..গাড়ীর সাথে লাগিয়ে দাড় করালো..?
স্নেহা : আরে! এতো জোড়ে ধাক্ষা দেই নাকি…আমি ব্যাথা পেয়েছি না?.?
রাহুল : i don’t care..তুমি ব্যথা পাও কি না পাও… শরবতে কি মিশিয়েছিলে?..?
স্নেহা : আমি?..? শরবতে..ছিঃ ছিঃ ছিঃ বলছো কি এসব..
রাহুল : এখন কিছুই জানো নাহ তাই না?.. ড্রামেবাজ?
স্নেহা : ? দেখো আমি কিছুই মেশায়নি…তোমার ঐ পেত্নীটাই নিশ্চয় ওয়াইন খেয়ে এসেছে…তাই মাতালের মতো করেছে..
রাহুল : ওয়াইন?.. তুমি কিভাবে জানো ঐটা যে ওয়াইন ছিলো..?..
স্নেহা : আমি?..ওয়াইন ছিলো..বলেছি?..?
ওহ?ও হে…মানুষ তো ওয়াইন খেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে যায় তাই না…তাই বলেছি..
রাহুল : এতো ড্রামা কেমনি করো হে??..আমাকে কি বোকা পেয়েছো?..হুম?..আজকে যে কান্ড করেছো না তুমি সেটার জন্য তোমার অনেক পচঁতাতে হবে… মিস্ ড্রামাকুইন?
[স্নেহা হঠাৎ রাহুলের কাধের দিকে শার্টটা একটু ঝেরে দিলো…?]
রাহুল : What?..
স্নেহা : [মুখ চেপে হেসে] ময়লা ছিলো?
[রাহুল রেগে তার হাত দিয়ে গাড়ী উপর একটা বাড়ি মারলো]
[স্নেহা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে]…
[একচোখ খুলে? রাহুলের দিক তাকালে দেখে রাহুল হাসছে]
চলবে.,,,,

 Love At 1st Sight $2 Part : 5

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥ Love At 1st Sight $2
Part : 5
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা : দেখো এসব কিন্তু ভালো হচ্ছে না..আমি কি তোমার সাথে….
রাহুল : [স্নেহার মুখে হাত দিয়ে] শিসস্! silent স্নেহা! and feel it!…?
স্নেহা রাহুলের কান্ড দেখে ফুল হতবাগ হয়ে তাকিয়ে আছে??….
তাকাতে তাকাতে স্নেহা কোন সময় প্রজেক্ট এর সুইচের উপর হাত দিয়ে দিয়েছে ঠেরি পাইনি… হঠাৎ স্নেহার হাতে শকট লেগে উঠলো… আর স্নেহা জোড়ে চিৎকার করে উঠে…
রাহুল : Shit! Careful damn it!?
সবাই স্নেহার দিকে এগিয়ে আসে কি হলো বলে….
রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহার হাত তার মুখে নিয়ে চেপে ধরে…
[Sneha closed her eyess?]
[রাহুলের কিছু ফ্রেন্ড রাহুলের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে…??]
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে দেখে, স্নেহা চোখ বন্ধ করে গুটিমুটি হয়ে ঘাবড়ে আছে..
রাহুল : U Ok?…?
স্নেহা চোখ খুলে রাহুলের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো..?[ হুম ]
রাহুল আর কিছু না বলে…স্নেহার প্রজেক্ট কমপ্লিট করে দেই আগে…স্নেহা চুপ করে তাকিয়ে থাকে…?
রাহুল : তোমারটা কমপ্লিট হয়ে গেছে..তুমি জমা দিয়ে দিতে পারো..
স্নেহা : একসাথে দি?..?
রাহুল : ???
স্নেহা : ওকে!?? দিচ্ছি..
স্নেহা জমা দিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ে..,
আসিফ : [রাহুলের ফ্রেন্ড] কি ব্যাপার দোস্ত ? দুইটা একসাথে?
রাহুল : আরে পাগল নাকি..ওর হাতে শকড লেগেছিলো তাই..
আসিফা : হে হে তাতো বুঝেছি??
রাহুল : Shut-up ok?
এইদিকে,
রিফাত : স্নেহা! তুই কি জিনিষরে বাবা! ?
স্নেহা : আমি কিছুই করিনি? সব Automatically হচ্ছে…
মার্জান : আহ! আহ! আমরা কিছু বুঝি না তাই তো..?
স্নেহা : হয়েছে চল..এবার.. আমার কেমন যেন মাথা গুরাচ্ছে…?
জারিফা : মাথা গুরাচ্ছে মানে..কি কি করেছিস…?
স্নেহা : চুপ কর বদমাইশ!?
স্নেহা হোষ্টেলে ফিরে আসে! লাঞ্চ করে ফেসবুকে ঢুকে…হঠাৎ দেখে রাহুল মেসেজ দিয়েছে..??
[ রাহুল : তুমি ঠিকাছো?..]
স্নেহা : মার্জান আমাকে একটা চিমটি দেতো ???
মার্জান উঠে স্নেহাকে জোড়ে একটি চিমটি কাটলো…?
স্নেহা : আআহ! ???উফ এতো জোড়ে দিতে বলেছি নাকি?..?
মার্জান : আচ্ছা কেনো দিতে বললি…??
স্নেহা : দেখ!?
মার্জান : ওয়াও…রাহুল মেসেজ দিয়েছে ☺☺
এইদিকে দে আমি লিখি… [ মার্জান স্নেহা থেকে মোবাইল কেরে নিয়ে লিখে দেই… { না গো কেমনি ঠিক থাকবো বলো তোমাকে ছাড়া} ]
স্নেহা :??? এটা কি লিখলি…
Rahul set a nickname for you [Dramaqueen]
মার্জান : তোর নিকনেইম সেট করেছে ড্রামাকুইন???
স্নেহা : [ মার্জান থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ]
রাহুলের নিকনেইম সেট করে দেই.. মি.হ্যান্ডস্যাম?
রাহুল : Again Drama??
স্নেহা : আমার সব কিছুই তোমার ড্রামা মনে হয় তাই না?…?
রাহুল : Of course u are a dramaqueen…?
স্নেহা : Don’t called me that! ok?
রাহুল : Dramaqueen?
স্নেহা : এসব কি ড্রামা দেখলা…এইবার তোমাকে আসল ড্রামা দেখাবো.. ?
রাহুল : ওকে.. i m waiting ?
স্নেহা : ??
বিকেলে, স্নেহা ফাবিহাকে ডান্স শিখিয়ে..চলে যাওয়ার সময় হলো..
স্নেহা : ফাবিহা..তোমার চাচ্চু কি আজ ও বাসায় নেই..?
ফাবিহা : আছে তো ওর রুমেই..
স্নেহা : ওহ!?
হঠাৎ স্নেহা উপরের দিকে তাকাতেই দেখে রাহুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে…হাতে কফির গ্লাস নিয়ে…স্নেহার দিকে চেয়ে আছে..
[রাহুল স্নেহাকে একটি চোখ টিপ মাড়লো? হাত দিয়ে ইশারা করে হ্যালো বললো..]
স্নেহা : [মনে মনে] এইতো দেখি আমার বাজি আমাকে মারছে…??
ফাবিহা : [স্নেহার পাশে এসে ফিসফিস করে] u love my chacchu..?
[স্নেহার কথাটি শুনে ধম আটকে গেলো.. কাশতে লাগলো স্নেহা..?]
ফাবিহা : i know that..টিচার..?
স্নেহা : কিভাবে?..?
ফাবিহা : ঐদিন আমি সব শুনেছি.. তুমি চাচ্চুর রুমে চাচ্চুকে আই লাভ ইউ বলছিলে..?
[স্নেহা তাড়াতাড়ি ফাবিহার মুখ চেপে ধরে…?]
[.কোনো কথা শুনতে পাচ্ছে না রাহুল..কিন্তু তাদের কান্ড দেখে অবাক হলো??]
[স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে একটু হাসে..যাতে রাহুল কিছু বুঝতে না পারে..]
ফাবিহা : [ তার মুখ থেকে স্নেহার হাত সরিয়ে] don’t worry টিচার..রিলেক্স আমি কাউকে বলবো না..?
স্নেহা : [একটু হেসে] you help me?..?
ফাবিহা : Of course!☺☺
স্নেহা : [ ফাবিহাকে ঝড়িয়ে ] থেংক ইউ?
ফাবিহা : কিন্তু একটা কাটা আছে!..?
স্নেহা : কি কাটা?..?
ফাবিহা : ঐ যে! নেহা…? ও তো চাচ্চুর সাথে আটার মতো লেগে আছে..
স্নেহা : ওহ! ওর চিন্তা তুমি বাদ দাও ঐ পেত্নিকে তুমি আমার উপর ছেড়ে দাও…?
ফাবিহা : ??
স্নেহা : ওকে! এবার যাওয়া যাক!?
স্নেহা ড্রইং রুমে গেলো.. দেখে দাদী আর সিফা দুজনই বসে আছে..
স্নেহা : ওকে বাই..Guys..কাল দেখা হবে!?
সিফা : আর একটু তাড়াতাড়ি আসতে পারো না.. আজ তো আর আড্ডা দেওয়া হলোনা..
স্নেহা :??ওকে কাল থেকে ট্রাই করবো..
[ কথাটি বলেই স্নেহা পিছন ফিরছিলো… হঠাৎ দেখে রাহুল নামছে]
স্নেহা আস্তে আস্তে হাটতে লাগলো.. ?রাহুল স্নেহাকে আড়চোখে দেখে দাদীদের দিকে এগিয়ে আসছে…
[ মাথায় সবসময় স্নেহার দুষ্টু বুদ্ধিই কাজ করে…? স্নেহা ইচ্ছে করেই রাহুলের সাথে ধাক্ষা খেয়ে পড়ে যেতে চাই..রাহুল স্নেহাকে তাড়াতাড়ি ধরে ফেলে ]
রাহুল : ?? এত্তো Careless কেনো..তুমি
স্নেহা : ???ট্রাই মাড়ছিলাম ধরো কিনা দেখার জন্য?
[দাদী, সিফা, ফাবিহা সবাই তাকিয়ে আছে…রাহুল আর স্নেহার দিকে…]
ফাবিহা : Wow চাচ্চু! u are rocks..?
ফাবিহার কথা শুনে সিফা আর দাদী হেসে উঠে…
রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহাকে ছেড়ে দেই…
স্নেহা : [ফিসফিস করে] ছাড়লে কেনো..আর কিছুক্ষণ ধরে রাখতে..? ভালোই তো লাগছিলো…
রাহুল : ????
স্নেহা : ওহ! সরি feel it rahul! feel it?
রাহুল : ড্রামেবাজ??…
স্নেহা চলে যায় হাসতে হাসতে!…??
দাদী : মেয়েটা কিন্তু ভালোই..আমার অনেক ভালো লাগে…
ফাবিহা : দাদী! আমার টিচার অনেক কিউট তাই না!? যখন ডান্স করে তখন তো আমি শুধু টিচারের চুল গুলো দেখে থাকি… কি সিল্কি সিল্কি চুল..? আমি তো ভাবি ইশ! আমার যদি এমন একটা চাচী থাকতো..
রাহুল : ??
সিফা রাহুলের দিকে তাকিয়ে হাসছে?
রাহুল : What!?
সিফা : মোমেন্ট টা অনেক Joss ছিলো রাহুল.. আমার হাতে ক্যামেরা থাকলে..
রাহুল : ওকে! স্টপ..ও পড়ে যাচ্ছিলো তাই…ধরেছি…
দাদী : না ধরলেও পারতি!…?
পড়লে পড়তো আরকি…
রাহুল : আজিব এটা এতো? সিরিয়াসলি নেওয়ার কি আছে…আমি তো..
সিফা : সাহায্য করছিলি..তাই না? ok we are understand তাই না দাদি..
দাদী : হুম হুম! বুঝতে পেরেছি?
রাহুল : ওকে ফাইন!? আমি এইখানে বসি সেটা তোমরা চাওনা তাই তো..Bye
[এই বলে রাহুল উঠে চলে যায়]
দাদী : আরে রাহুল…দাড়া!?
রাহুল রুমে গিয়ে গিটার নিয়ে বসে
??…বাজাতে বাজাতে হঠাৎ
ফাবিহার কথাটি কানে বেজে উঠলো রাহুলের..
[আমার টিচারটা অনেক কিউট তাই না! যখন ডান্স করে আমি শুধু টিচারের চুল গুলো দেখে থাকি..কি সিল্কি সিল্কি চুল? ইশ! আমার যদি এমন একটা চাচী থাকতো ]
রাহুল হঠাৎ একটু হেসে উঠলো…? আর ভাবতে লাগলো.. সত্যিই তো স্নেহাকে ডান্স করতে দারুণ লাগে…
আজ বারান্দায় দাঁড়িয়ে যখন দেখছিলাম.. গোলপী রঙ এর জামাটা ওকে অনেক সুট করে..গায়ের রঙের সাথে একেবারে মিশে গেছে জামাটা…
রাহুল স্নেহার সাথে ঘটে যাওয়া প্রতিটা মোমেন্ট মনে করছে…প্রথমদিন তাকে কিভাবে বাচিয়েছে..ক্লাসে এসে তার পাশে হুট করে বসে যাওয়া… রাহুলকে চোখ টিপ মারা…রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করার জন্য ঝর্ণার ধারে লাফিয়ে উঠা…ইচ্ছে করে গায়ের উপর ঝাপিয়ে পড়া…?
হঠাৎ রাহুলের কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি..মনে পড়লো..স্নেহা পড়ে যাচ্ছিলো আর তাকে হুট করে ধরে ফেললো..
এসব ভেবে রাহুল ব্লাশিং হতে লাগলো..?? আয়নার দিকে তাকাতেই রাহুল তার নিজের চেহেরা দেখে অবাক হলো..
রাহুল : [মনে মনে] একি আমি ড্রামাকুইনের কথা ভেবে কেনো ব্লাশ হচ্ছি… ??
Shut-up rahul..stop it Ok… ওকে কেনো ভাবছিস…? She is a dramaqueen..
চলবে.,,,,

Love_At_1st_Sight $2 Part : 4

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥️#Love_At_1st_Sight $2
Part : 4
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা তাড়াহুড়ো করে, পর্দা টেনে জানালার পাশে লুকে পড়ে…
রাহুল তার গিটারটা রেখে দরজা খুলে রুম থেকে বের হয়, স্নেহা পর্দাটা টেনে নিজের শরীর লুকাতে ব্যস্ত।
রাহুল গিয়ে স্নেহার গায়ের থেকে পর্দাটা একটানে সরিয়ে দেই…
স্নেহা : ??
রাহুল : কি করছো এসব হুম?..?
স্নেহা : হি-হি কে?..আমি??
রাহুল : [একটু রেগে] এইখানে কি আর মানুষ আছে??..তুমি ছাড়া আর কাকে বলবো?..
স্নেহা : ও হে! তাইতো! আসলে আমি পর্দাটা দেখছিলাম☺☺..অনেক সুন্দর…
রাহুল : Oh really ..?
স্নেহা : আচ্ছা এটা কি কাপড়ের তৈরী?…
রাহুল : কেমনি পারো এতো ড্রামা করতে?..
স্নেহা : মোটেও ড্রামা না.. বুঝলা…by the way আমি এটা বলছিলাম যে অনেক সুন্দর গিটার বাজাতে পারো..??
রাহুল : i know that!?
স্নেহা : এক্সকিউজ মি! নিজের তারিফ নিজে করে নাকি…ছিঃ লজ্জা করে না…
রাহুল : Obviously এটা আমার তোমাকে বলা উচিৎ ছিলো লজ্জা করে না তোমার… একটা মানুষের রুমে…এভাবে উকি দিতে?..
স্নেহা : লজ্জা করবে কেনো হে?..আমি কি অন্যকারো রুমে উকি দিচ্ছি…আমি তো তোমার রুমে উকি দিচ্ছি…
রাহুল : what?..?
স্নেহা : i mean! আমার হবু ইয়ের রুমে?
রাহুল : হবু ইয়ে মানে?..?
স্নেহা : ওসব তুমি বুঝবা না! যাও সরো আমি একটু রুমটা দেখি…
[স্নেহা রাহুলকে হাত দিয়ে সরিয়ে হুট করে রুমে ঢুকে পড়ে…]
রাহুল : [রুমে এগিয়ে এসে] What the hell?
স্নেহা : what the hell না..এটা একটা রুম…আর তোমার Commonsense নেই একটা মেয়ের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানো না?..
রাহুল : ওহ রিয়েলি! জানি না একটু শিখাও না…প্লিজ!
স্নেহা : ওয়াও? হাউ ব্রিলিয়ান্ট…এইভাবে নরম সুরে বলবা বুঝেছো…
রাহুল : ????
স্নেহা : এভাবে তাকাইওনা ওকে…শুভ দৃষ্টিতে তাকাবা…বুঝেছো…??
রাহুল আর না হেসে পারলো না…
স্নেহা : বাকা স্মাইল্টা অনেক সুট করে তোমাকে..?
রাহুল : তারিফ আছে তোমার…এত্তো কিছু বলি গায়ে লাগে না তোমার…
স্নেহা : ধুর রাখো তো…[ স্নেহা খাটে বসে রাহুলের গিটার টা হাতে নিলো… ]
রাহুল : Don’t touch it!
স্নেহা : কেনো ধরলে কি হবে?..?
রাহুল : এটা বাজানো তোমার পক্ষে সম্ভব না… so এর থেকে বেটার অপশন..
স্নেহা : [ গিটার রেখে দাঁড়িয়ে গিয়ে ] Excuse me?? কি বলতে চাও তুমি হুম?…সম্ভব না মানে?…তোমার ঐ পেত্নীটার মতো ভাববে না আমাকে বুঝলা!
রাহুল : ওকে ওকে! রিলেক্স!?
স্নেহা : হুম! আচ্ছা শুনো..
রাহুল : Yes! mam
স্নেহা : I Love You ???
রাহুল : What!???
স্নেহা : এতো অবাক হওয়ার কি আছে
I Love You??…
রাহুল : Seriously! তুমি একটা!??
স্নেহা : আমি একটা কি থেমে গেলে কেনো বলো…হে হয়তো ভাবছো পাগল তাই না?… হে আমি তাই আমি পাগল তোমার জন্য…
রাহুল : ????
স্নেহা : এভাবে কি দেখে আছো..?শোনো ঐ নেহার সাথে তোমার মোটেও যায় না…তুমি বরং এক কাজ করিও ওকে ফেসবুক থেকে ব্লক করে দিও…
[ বির বির করে] পারলে পুরো লাইফ থেকে ব্লক করে দিও..
রাহুল : বিরবির করে কি বলছো?..??
স্নেহা : কই কিছু না…?
হঠাৎ ফাবিহা দৌড়ে আসে রুমে,
ফাবিহা : টিচার নিচে চলো তোমাকে একটা জিনিষ দেখাবো…
স্নেহার হাত ধরে টেনে ফাবিহা নিচে চলে যায়… স্নেহা ফাবিহার ফ্রেন্ডসদের সাথে দেখা করে…বাড়ী চলে যায়…
বাসায় এসে রিলেক্স হয়ে খাটে শুয়ে পড়ে স্নেহা…
মার্জান : কি হলো এতো লেইট করলি যে..
স্নেহা : [হতাশ হয়ে] জানিস মার্জান আমি না রাহুলকে আই লাভ ইউ বলেছি…
মার্জান : রাহুলকে আবার তুই কোথায় পেলি…??
[স্নেহা একলাফে উঠে বসে] আর মার্জানকে সব খুলে বলে..
মার্জান : [মনে মনে] ভেবেছিলাম…ডান্সে বিজি থাকবে তাতে রাহুলের ভুতটা মাথা থেকে সরে দাঁড়াবে…কিন্তু এইতো রাহুলের বাড়ী গিয়েই হাজির…?
স্নেহা : এই মেয়ে?.. ? কি ভাবছিস…
মার্জান : কই নাতো কিছুনা…?
স্নেহা : জানিস! রাহুলের পরিবারের সবাই অনেক ভালো.. ?কিন্তু জানিনা ও এমন কেনো… ?
কথায় কথায় খালি..এংগরি রিয়েক্ট করে..আমার ফিলিংসটাই বুঝে না…?
[সারাদিন স্নেহা রাহুলের চিন্তায় মগ্ন ছিলো..আর তাকে নিয়ে বিভিন্ন সপ্ন দেখা…?]
পরদিন ভার্সেটিতে গিয়ে স্নেহা দেখতে পায়…পার্কিং এর ওদিক রাহুল, নেহা, তাদের আরো অনেক বন্ধু-বান্ধব গাড়ীর উপর বসে আড্ডা দিচ্ছে..
গেইড দিয়ে ঢুকতেই..রাহুলের চোখ স্নেহার উপর পরে,…
স্নেহাকে দেখে রাহুল উঠে হঠাৎ নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে…অনেক রোমান্স শুরু করে দেই।
[স্নেহার ভোর দুটো কপালের উপর উঠে যায়…লাগছে কেউ তার বুকের মধ্যে তীর ছুড়ে মেরেছে…]
স্নেহা : [মনে মনে] না আর দেখা সম্ভব না…বিড়বিড় করতে করতে চলে গেলো স্নেহা…
ক্লাসে গিয়ে মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো..
মার্জান : পাগল নাকি স্নেহা তুই..? নেহা ওর গার্লফ্রেন্ড ও চাইলেই ওকে ঝড়িয়ে ধরতে পারে…
স্নেহা : কেনো?.. এতোক্ষণ তো ঠিকই বসে ছিলো…আমি আসার পরেই বা কেনো ঝড়িয়ে ধরলো…?
শায়লা : হে সেটাই তো তুই আসার পরে কেনো ধরলো..?
স্নেহা : এবার দেখ আমি কি করি…মিষ্টার রাহুল ঐ নেহাকে দিয়ে আমাকে Jealous করাচ্ছে…এবার আমাকে দেখে ও Jealous করবে…
শায়লা : তুই আবার! কাকে ঝড়িতে ধরবি?..?
রিফাত : Don’t worry স্নেহা তুই আমাকে ঝড়িয়ে ধরিস..??
শায়লা : তুই তো আবুল একটা তুকে দেখে কে Jealous করবে??
স্নেহা : Just wait and see guyss?
মার্জান : দেখ স্নেহা উল্টা পাল্টা কিছু করিস না?
স্নেহা : ধুর গাধা! এতো ভয় পাস কেনো তুই বলতো?… আচ্ছা শোন আমাদের প্রজেক্ট ক্লাস কবে শুরু হচ্ছে?..
মার্জান : কবে?..??
জারিফা : কাল থেকে..
স্নেহা : ওকে..?
ক্লাস শুরু হয়…
[স্নেহা কিছুক্ষণ পর পর রাহুলের দিকে তাকাই…আর রাহুল দেখে ও না দেখার ভান করে…]
স্যার : কাল প্রজেক্ট ক্লাসের জন্য…তোমাদের লিষ্ট নেওয়া হচ্ছে…হেল্প এর জন্য তোমরা যাকে পার্টনার করতে চাও…তাদের নামটা একসাথে করে দিও…আর হে রিমেম্বার…নাম কিন্ত ফাইলে সেভ হয়ে গেলে আর চেঞ্জ করা যাবে না..so be careful…
স্নেহা : রিফাত শোন!
রিফাত : হে বল!
স্নেহা : স্যার যাওয়ার পরে, নাম কিন্তু তুই লিখবি বুঝেছিস..?তারপর ফাইলটা সবাই দেখে মতো টেবিলে রেখে চলে যাবি…কিছুক্ষণ পরে আমি একটু চেঁচিয়ে উঠবো সবাই যখন আমার দিকে তাকাবে জারিফা! তখন তুই ফাইলটা উঠিয়ে নিভি..তারপর কেউ না দেখে মতো আমার কাছে নিয়ে আসবি… আর শোন কাজটা কিন্তু নেক্সট ক্লাসের স্যার আসার আগেই করতে হবে.. So hurry up!
স্নেহার কথা মতো রিফাত সবার নাম নিয়ে লিখে ফাইলটা টেবিলেই রেখে দিলো…
কিছুক্ষণ পর স্নেহা আআহ! করে চেঁচিয়ে উঠলো…
সবাই স্নেহার দিকে তাকালে,
স্নেহা : কোকরোছ ছিলো!?
রাহুল : [দূর থেকে ফিসফিসিয়ে] Dramabazz ?
স্নেহা : ?
জারিফা এসে স্নেহার পাশে বসে,…
স্নেহা কেউ না দেখে মতো ফাইলটি খুলে… দেখে রাহুলের নামের পাশে নেহার নাম…
স্নেহা নেহার নামের সামনে একটি S বসিয়ে দেই… তারপর ফাইলটি জারিফাকে দিয়ে দেই…স্নেহা আবার চিৎকার করে… সবাই স্নেহার দিকে তাকাই…
স্নেহা : না আসলে বলছিলাম যে! ফাইলটা স্যারকে দিয়ে আসা উচিৎ…
রাহুল আবার স্নেহার দিকে তাকিয়ে হেসে উঠে…আর মনে মনে ভাবতে লাগলো…কি আজিব মেয়ে..লিমিট আছে একটা নাটক করার…?
ক্লাস শেষে বেরুতে যাবে ঠিক সেই সময় রাহুলের সাথে..ধাক্ষা খেলো স্নেহা…
রাহুল : দেখে হাটতে পারো না..!
স্নেহা : তোমার ওতো চোখ আছে.. তুমিই বা কেনো দেখে হাটো না..?
রাহুল : stupid?
এই বলে, রাহুল চলে যাচ্ছিলো স্নেহা রাহুলের হাত ধরে ফেলে…
স্নেহা : দেখো! মিষ্টার.. আই লাভ ইউ বলেছি! জীবনের ফার্ষ্ট এই কাউকে…So যতই পালাতে চেষ্টা করো..কোনো…লাব নেই..
রাহুল স্নেহার হাত ছুটিয়ে চলে গেলো..
স্নেহা খিলখিলিয়ে হাসতে থাকে…
[স্নেহা হোষ্টেলে গিয়ে….ফ্রেশ হয়ে অপেক্ষা করতে থাকে.. কখন বিকেল হবে..]
বিকেলে, স্নেহা রাহুলদের বাড়ী যায়….
ফাবিহা : হ্যালো টিচার! ?
স্নেহা : হেই?! কি খবর তোমার..
ফাবিহা : এইতো ভালো..
স্নেহা : আর বাকিরা কই?..
ফাবিহা : মা রুমেই আছে..ডাকবো!
স্নেহা : না থাক! চলো আমরা শুরু করি..
ফাবিহা স্নেহাকে বাড়ীর পিছনের দিকে নিয়ে গেলো জায়গাটা অনেক সুন্দরই…বিকেলে বসে চা খেতে অনেক দারুন লাগবে এই জায়গাটিতে…
ফাবিহা : টিচার! আমি প্রতিদিন এই জায়গাটাতে প্রেক্টিস করি!
স্নেহা : দারুণ তো জায়গাটা..
ফাবিহা : ?
স্নেহা : ওকে! Step 1 ফার্ষ্টে.. ?মিউজিক ছাড়া হবে!… আমি আমার হাত যেভাবে ইশারা করবো তুমি জাষ্ট ফলো করবা..
ফাবিহা : ওকে!?
স্নেহা ফাবিহাকে ষ্টেপ ?দেখিয়ে দিয়ে এদিকওদিক ঘুরে তাকাচ্ছিলো!
হঠাৎ, পিছন থেকে একজন বয়স্ক মহিলাকে দেখতে পায়…মহিলাটি স্নেহার দিকে এগিয়ে আসলো,স্নেহার বুঝার বাকি রইলো না এটাই হবে রাহুলের দাদী..
দাদী : তো তুমিই স্নেহা তাই না?..
স্নেহা : জি? আপনি কিভাবে জানলেন?..
দাদী : কাল সারাদিন তোমার গল্প বলছে ফাবিহা! আমার ডান্স টিচার এমন আমার ডান্স টিচার অমন…
স্নেহা : ???তাই বুঝি!
দাদী : তুমি নাকি রাহুলের ক্লাসমেট?..
স্নেহা : ??জি!
দাদী : ওহ ভালোই তো!?? আচ্ছা আমি আসি!ঠিকাছে…এখন কথা বললে আবার ডিষ্টার্ব হবে পরে কথা বলবো!
স্নেহা : ওকে!?
দাদী চলে গেলো…
স্নেহা : ফাবিহা! তোমার ইয়ে কোথায়?…
আই মিন তোমার চাচ্চু?..?
ফাবিহা : ওহ! চাচ্চু এখনো বাসায় আসেনি!
স্নেহা : ওহ!…?
স্নেহা ফাবিহাকে ডান্স শিখিয়ে…সিফা এবং দাদীর সাথে জমিয়ে আড্ডা দিলো..
তারা স্নেহার গল্প শুনে অনেক মজা পেলো…
দাদী : পুরো বাড়ীটাই খালি খালি…তুমি আসাতে অনেকদিন পর হাসছি…নাহলে!
স্নেহা : উফ! দাদী স্নেহা যেখানে!
সেখানে খালি খালি লাগার কথায় উঠে না…?? So এখন থেকে হ্যাপি হ্যাপি থাকবা… তোমার শরীরের জন্য ও ভালো হবে…??
দাদী : আচ্ছা দুষ্টু…?
স্নেহা : আচ্ছা দাদী! আমি এখন যায়..৯:০০ টা বেজে গেছে গল্প করতে করতে, বেশী রাত হলে, আবার সমস্যা হবে!…
দাদী : ওহ! হে…তা তো খেয়াল করিনি!? আচ্ছা এক কাজ করো তুমি বসো তোমাকে পৌছে দিতে বলি রাহুলকে..
[স্নেহা না বলতে যাবে ঠিক সেই সময় রাহুলের নাম নিতেই স্নেহা থেমে যায়..]
স্নেহা : [মনে মনে] মিষ্টার হ্যান্ডসাম দিয়ে আসবে..ওয়াও..থেংক ইউ দাদী.. ?
দাদী : ফাবিহা যা চাচ্চুকে ডেকে আন..
[ফাবিহা গিয়ে তার হ্যান্ডসাম চাচ্চুকে ডেকে আনলো…আর চাচ্চু স্নেহাকে দেখে নাক মুখ ফুলিয়ে এক করলো ]
রাহুল : কেনো ডাকলা দাদী..
দাদী : ওহ! হে…অনেক রাত হয়ে গেছে স্নেহা একা বাসায় যেতে হয়তো প্রবলেম হবে..আজকাল রাস্তাঘাটের অবস্থাও তেমন ভালো না! তুই একটু ওকে পৌছে দিয়ে আয়!
রাহুল : What! আমি?..?
দাদী : হে তুই আরকি…
রাহুল : দাদী আমি ড্রাইভারকে ফোন করছি ও দিয়ে আসবে…
স্নেহা : না না!
সবাই স্নেহার দিকে তাকালে,
স্নেহা : আসলে! আমার একটু তাড়া আছে..ড্রাইভার আসতে আসতে নিশ্চয় ৫/১০ মিনিট লাগবে…কিন্তু আমার এক্ষুনি বের হওয়া দরকার… হোষ্টেলে আমার ফ্রেন্ড একা..ও আবার ভুতকে একটু বেশি ভয় পাই…
রাহুল : [বিড়বিড় করে] Again Drama?
দাদী : আচ্ছা রাহুল তুই দিয়ে আসলে কি হচ্ছে! যা না প্লিজ…দাদীর এই কথাটাও রাখবিনা..?
রাহুল : But দাদী ?…
স্নেহা : It’s ok দাদী.. আমি একাই যেতে পারবো ?
এই বলে স্নেহা চলে যাচ্ছিলো…
রাহুল : [একটু জোড় গলায় ] ওকে ওয়েট!?
স্নেহার মনে লাড্ডু ফুটতে লাগলো.. ?
রাহুল হেটে এসে স্নেহার আগে বেরিয়ে পড়লো…
স্নেহা মিটিমিটি হেসে রাহুলের পিছু পিছু গেলো….?
রাহুল কিছু না বলে গাড়ি চালাতে লাগলো…
স্নেহা : দাদী কিন্তু অনেক ভালো.. ?
রাহুল : সবাইকে তো তোমার ড্রামাতে ফাসিয়ে নিয়েছো তাই এখন তো ভালোই হবে।
স্নেহা : ড্রামা মানে! দাদী নিজ থেকেই আগে বলেছে আমাকে পৌছে দিতে বুঝেছো!?
রাহুল : একা যেতে না পারলে টিউশন নিলা কেনো..
স্নেহা : তুমি আছো না তাই আরকি..?
রাহুল : ??বয়ে গেছে আমার…
[ everyone silent ]
স্নেহা : এভাবে চুপ করে আছো কেনো কিছু বলো…
রাহুল : আমার কথা বলতে ইচ্ছে করছে না…
স্নেহা তার ওড়নাটা ইচ্ছে করেই রাহুলের মুখের উপর উড়িয়ে দেই…?
রাহুল : পাগল নাকি তুমি?…
স্নেহা আবারো একই কাজ করে…?
রাহুল : আরে! এক্সিডেন্ট হবো তো..?
স্নেহা : তো কি হয়েছে দুজনই একসাথে মরবো ওকে?..?
রাহুল : ????তুমি কি প্লিজ চুপ করবা?..এতো বক বক করো কেনো..
স্নেহা : তো কি করবো তোমার মতো মুখ ফুলিয়ে বসে থাকবো?.. আমি চুপ করে থাকতে পারি না…??
[রাহুল রাগান্বিত ভাবে স্নেহার দিকে তাকায়]
স্নেহা : ওকে ওকে ট্রাই করবো! ?
স্নেহা আর কিছু না বলে গাড়ীর জানালার উপর একটু মাথা বের করে বাতাস উপভোগ করছে..
রাহুল হঠাৎ গাড়ী থামিয়ে ফেললো…
স্নেহা : কি হলো আবার?..?
রাহুল : শোনো মাথা বাহিরে করবানা…বুঝেছো…?
স্নেহা : করলে কি হবে?..?
রাহুল : মাথা কেটে যাবে..?
স্নেহা : তাহলে করবো… ?
এই বলে আবার সেইম ভাবে বাতাস উপভোগ করতে লাগে স্নেহা…কিছুক্ষণ পর পর রাহুলের দিকেও তাকাচ্ছে…
রাহুল স্নেহাকে রাগান্বিতভাবে তাকায় আর গাড়ী চালায়…
হঠাৎ জ্যাম পড়াতে, গাড়ী থামলো… কিছু বাজে ছেলে অন্য গাড়ী থেকে… স্নেহাকে দেখে হেসে হেসে বিভিন্নরকম রিয়েক্ট করা শুরু করলো..
স্নেহা তাদের এসব দেখে মাথাটা জানালা থেকে সরিয়ে ভদ্র মেয়ের মতো হয়ে বসে পড়লো…
[ রাহুল তা খেয়াল করে একটু লুকিয়ে হেসে অন্যদিকে ফিরে গেলো…? ]
স্নেহা : [ফিসফিসিয়ে] হাসার কি আছে..
রাহুল : সরিয়ে নিলে কেনো বের করো মাথা..?
স্নেহা : ??
এবার ছেলেগুলোর গাড়ী রাহুলের গাড়ীর সামনে এসে…পড়লো… এবং তারা শিস বাজাতে লাগলো হাসাহাসি করে গান করতে লাগলো…
রাহুল তাদের কান্ড দেখে স্নেহার দিকে তাকালো… স্নেহা অনেকটা অস্থিরতা বোধ করছে…কেমন যেন রাহুল স্নেহার অন্য একটি রুপ দেখতে পেলো…একটু মায়া হলো রাহুলের?
রাহুল গাড়ীর সামনের লাইটিং ফ্লাশটা বাড়িয়ে দিলো… এবং ছেলেগুলোর চোখে গিয়ে লাইট পড়লো… এতে তারা গাড়ির দিকে তাকাতে চোখের দৃষ্টির সমস্যা হচ্ছিলো…
কিছুক্ষণ পড়ে জ্যাম ছুটাতে…রাহুল তাদের ওভারটেক করে জোড়ে টান দিলো…
এবার রাহুল খেয়াল করলো স্নেহা সস্থিবোধ হয়ে বসলো…
রাহুল আর স্নেহা দুজনই চোখাচোখি হয়ে পড়লো..
[rahul gave a tedi smile nd sneha blushing ?]
অত:পর পৌছালো,
স্নেহা : গুড নাইট!? এন্ড থেংকস..
রাহুল : [একটু হেসে] গুড নাইট..?
স্নেহা : বাই.. ?
রাহুল : ওকে বাই গো…?
স্নেহা গাড়ী থেকে নেমে রাহুলকে টাটা দিতে লাগলো… রাহুল চলে গেলো আর স্নেহা চেয়ে আছে..
রুমে ঢুকে স্নেহা কাধ থেকে বেগ রাখতেই,
মার্জান : কি হলো তোকে ফোন দিচ্ছিলাম রিসিভ করছিলি না কেনো?..কতো টেনশন হচ্ছিলো..?
[স্নেহা মার্জানকে সব খুলে বলে..?]
মার্জান : আরে ওয়াহ!..এখন তো দেখছি..কাহিনী পালটে গেছে??
স্নেহা : ধীরেধীরে দেখো বস্ আরো পাল্টাবে?…
মার্জান : আমি তো কালকের অপেক্ষায় আছি… ওই নেহার কি হবে বলতো..??
স্নেহা : কেমন আর হবে..ওই দিন রাহুল যখন ওকে ঝড়িয়ে ধরে ছিলো..তখন আমার যেমন লেগেছিলো…ঠিক তেমনি হবে ওর…??
মার্জান : ??
পরদিন ভার্সেটির ক্লাসে,
স্যার : দেখো আমি যাদের নাম একসাথে বলছি সবাই তিনতলার প্রজেক্ট ক্লাসে উপস্থিত হবা… স্যার সকলের নাম নিলো…দুজন দুজন করে…কিন্তু রাহুলের নাম বলেছে স্নেহার সাথে তা শুনে রাহুল Shocked হয়ে গেলো..?
নেহা : what is this রাহুল! এসব কি..তুমি ঐ স্নেহাকে তোমার পার্টনার করেছো?…
রাহুল : No নেহা…আমি তোমার নামই দিয়েছি…কিন্তু এসব [ রাহুল স্নেহার দিকে তাকাতেই দেখে স্নেহা মুখ চিপে হাসছে]
রাহুলের আর বুঝতে বাকি রইলো না কান্ডটি কে করলো…?
নেহা রেগেমেগে এক হয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ে…
রাহুল নেহাকে ডাকলেও নেহা শোনে না…রাহুল নেহার পিছে পিছে যাচ্ছিলো ঠিক সেই সময়…স্নেহা এসে রাহুলের পথ আটকায়…
রাহুল : কেনো করেছো এসব..?
স্নেহা : তুমি বাধ্য করেছো তাই…?
[ রাহুল রেগে স্নেহার দিকে এগিয়ে আসছিলো]
স্নেহা : আহ! স্টপ!… [স্নেহা রাহুলের শার্টে লাগিয়ে রাখা সানগ্লাসটি খুলে পড়ে নিলো… ]
রাহুল : ????
স্নেহা : কেমন লাগছে বলোতো..?
রাহুল : পুরাই ???
স্নেহা : ??থেংক ইউ..
রাহুল স্নেহাকে সরিয়ে চলে যাচ্ছিলো স্নেহা আবারো রাহুলের হাত ধরে ফেলে…
রাহুল : [ এবার খুব রেগে স্নেহাকে দেওয়ালের সাথে সজোড়ে ধাক্ষা দিয়ে দাড় করালো ] দেখো ? তুমি যা করছো না তার জন্য তোমার অনেক পচতাতে হবে!?
স্নেহা : দেখো সবাই তাকিয়ে আছে এভাবে রিয়েক্ট করছো কেনো?
রাহুল আশেপাশে একবার তাকিয়ে স্নেহার পাশ থেকে সরে দাঁড়ালো…
রাহুল চলে গেলো নেহার কাছে..
স্নেহা : [তার বুকে হাত দিয়ে ] বাপরে..এতো কাছে এভাবে আসার কি দরকার ছিলো…বুকটাই কম্পন শুরু করে দিয়েছে…?
এইদিকে রাহুল নেহাকে সামলাতে ব্যস্ত…
রাহুল : নেহা please understand আমি তোমার নামই লিখেছি…
নেহা : ??? তাহলে ভুতে মুছে দিয়েছে তাই না
রাহুল : ??ঐ স্নেহা এসব কান্ড করেছে..
নেহা : ????এতো বড় সাহস কি করে হয়!ওর
রাহুল : ওকে রিলেক্স নেহা! আমি প্রজেক্ট ক্লাস করবো না..
নেহা : কিন্তু এতে তো তোমার মার্কস্ কমে যাবে..
রাহুল : No problem
নেহা : ওকে i trust you..? প্লিজ গো…
রাহুল : কিন্তু?
নেহা : বললাম তো trust আছে তোমার উপর..
[রাহুল নেহাকে ঝরিয়ে ধরে..নেহা ও রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে]
কিছুক্ষণ পরেই প্রজেক্ট ক্লাস স্টার্ট হয়…
রাহুল আর স্নেহার সেইম প্রজেক্ট…
স্নেহা : আচ্ছা আমরা কোন প্রজেক্টটা বানাবো ?
রাহুল : Just Shut-up তোমার কোনো হেল্প এর দরকার নেই আমার বুঝেছো..তুমি তোমার মতোই বানাও
স্নেহা : কি আজিব…নিজের হবু বউ এর সাথে কেউ এভাবে কথা বলে..? তোমাকে না বলেছি…মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতে…?
রাহুল : বউ মানে?
স্নেহা : হে বউ!? মানে এখনো হইনি..কিন্তু হবো আরকি তাই বলছি না হবু বউ?
রাহুল : [স্নেহার হাত চেপে ধরে] দেখো! তোমার এসব ড্রামা বন্ধ করো.. যদি ড্রামা আমিও শুরু করি না..তাহলে কিন্তু..খবর আছে..?
স্নেহা : ওয়াও?? এরকমই তো চাই..আমি জানি তুমি চুপ করে থাকার মতো ছেলে না..ফ্লিমের হিরোদের মতো..
রাহুল : Stop? আর একটাও কথা বলবে না…
স্নেহা : কেনো বলবো না হুম! তোমার সাথে না বলে কার সাথে বলবো… ??
রাহুল বিরক্তি হয়ে স্নেহার হাত ছেড়ে প্রজেক্ট তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে…..স্নেহা ও আর কিছু না বলে সে ও বানাতে থাকে..?
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসতে থাকে…আর রাহুল কিছুক্ষণ পর পর রাগান্বিত ভাবে তাকায়…?
স্নেহা : দেখো রাহুল তুমি কি বানাচ্ছো আমি কিছুই বুচ্ছি না…আমাকে দেখতে ও দিচ্ছো না…?
রাহুল : কেমনি পারবা….সারাক্ষণ মাথায় যে কুবুদ্ধি নিয়ে ঘুরো.. ?
স্নেহা : সবাই একসাথে মিলে তৈরী করে ফেলছে…আমারটা এখনো শুরুও করিনি…?
রাহুল স্নেহার দিকে একবার তাকিয়ে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ে…
স্নেহা : প্লিজ! রাহুল অন্তত বলে দাও যে কিভাবে বানাবো.. আমার একটা তার ও মিলছে না…?
[রাহুলের মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি ঢুকলো এটাই? সুযোগ এই মেয়েকে চুপ করানোর]
রাহুল : অহ! তুমি পারছো না তাই তো..ওকে আমি হেল্প করছি…
স্নেহা : ওকে?..
রাহুল স্নেহার প্রজেক্ট এর ইলেক্ট্রিক্যাল সবই লাগিয়ে দিচ্ছে…এবং ধীরেধীরে স্নেহার অনেক কাছে চলে আসে…?
স্নেহা তা খেয়াল করলো…কোণা চোখে রাহুলের দিকে তাকাতেই দেখে রাহুল মিটি মিটি হাসছে…?
এদিক ওদিক তাকিয়ে কেউ না দেখে মতো রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার কোমোড়ে স্লাইড করলো?
স্নেহার গাঁ শিউরে উঠলো…??
স্নেহা : [মনে মনে] কি আজিব ছেলে বললাম কি আর করছে কি??…. [স্নেহা একটু সরে দাঁড়াতে চাইলে রাহুল স্নেহাকে ধরে ফেলে]
রাহুল : [ স্নেহার কানে ফিসফিস করে] কি হলো স্নেহা…are you ok?..?
স্নেহা : ??? দেখো আমি কিন্তু এখন চিৎকার করে উঠবো…
রাহুল : বললাম তো ড্রামা যদি আমি শুরু করি তাহলে খবর আছে..?
[ Sneha Shocked?Rahul Rocks?]
চলবে..।।

Love_At_1st_Sight_$2 Part – 3

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

Love_At_1st_Sight_$2
Part – 3
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা ও ব্লাশিং হতে হতে চলে গেলো…?
হঠাৎ স্নেহারর সামনে এসে পথ আটকায় নেহা..
স্নেহা : heyy?? কি খবর তোমার?.. কি ব্যাপার বলো তো হঠাৎ?
নেহা : তুই থেকে তুমি?..woW good job…i like it…
স্নেহা : না আসলে!?
নেহা : Shut-up let me finished! ?
স্নেহা :??
নেহা : তোমার মতো মেয়েদের কি আমি চিনি না মনে করেছো..?তাই না?
nd listen তুমি যেটা চাইছো সেটা কখনোই সম্ভব নাহ!.. আর তোমার মতো তো রাহুলের জন্য কতো মেয়েই পাগল…
but he is only mine?
স্নেহা : So what!??
নেহা : So what! মানে?..? রাহুলের আশেপাশে ঘুরঘুর করা বন্ধ করো..নাহলে!
স্নেহা : [আঙুল তুলে] হেই…চুপ!?
নেহা : ??
স্নেহা : ?নাহলে কি?… হুম! বল?…কি করবি?..
ডং এর আর শেষ নেই…??নিজেকে মিস্ ইউনিভার্স মনে করিস তাই না?..চেহেরা দেখলেই মন চায় দুই-চারটা বসিয়ে দেই… এতোই যখন দরদ রাহুলের জন্য তাহলে… গিয়ে ওকে ফিটার খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দে…নাহলে আবার হলিগলি থেকে মানুষ এসে উঠিয়ে নিয়ে যাবে…
নেহা : What is হলিগলি?..?
স্নেহা : ভার্সেটিতে পড়তে আসছে আর এখনো হলিগলি ছিনেনা…?? থাক তোমার চেনা লাগবে না…
নেহা : [রাগান্বিত ভাবে] Stupid ?
স্নেহা : You too ?…
নেহা রেগে আগুন হয়ে চলে যায় আর স্নেহা হাসতে থাকে…?? এই মিস্ ইউনিভার্সকে জুলাইতে অনেক মজা লাগে..
[After Class]
মার্জান : স্নেহা! কি বলছিলি রাহুকে?..? স্যার তোদের দুজনকে তো একসাথে ডেটিং করতে পাঠিয়েছিলো..
স্নেহা : হে..ডেটিং করেই এসেছি..কিন্তু ঐ নেহা বেচারির জন্য আফসোস হচ্ছে..?? বেচারিকে অনেক কথা শুনিয়ে দিলাম…নিশ্চয় এতোক্ষণে রাহুলকে আমার নামে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছে?
জারিফা : স্নেহা! ?তুই নেহাকে চিনিসনা..ও যেমন দেখতে তেমন মোটেও নয়…অনেক ডেঞ্জারাস একটা মেয়ে…
স্নেহা : আরে ধুর…ওর চেয়ে বড় ডেঞ্জারাস আমি…ও আবার কি করবে আমাকে…
জারিফা : বলা যায় না! আমরা তো যতো পারি ততোই ওদের গ্রুপ থেকে আলাদা থাকার চেষ্টা করি…?
ওর গ্রুপটা ছেলেদের চেয়েও অনেক খারাপ…মেয়ে হয়েও সহজসরল মেয়েদের রেগিং করে,
স্নেহা : এসব ঐ রাহুল জানে না?..?
মার্জান : সব জানে…ঐ যে রুপের বাহাদুর… আর নয়তো ওর মতো মেয়েকে কে গণে…
শায়লা : By the way…স্নেহা রাহুল আর তোর জুটিটা কিন্তু পার্ফেক্টই মানাবে ঐ নেহার চেয়ে… ?
দেখ আমি তো তোদের কাপল নেইম ও ভেবে ফেলেছি… ?
রাহুল + স্নেহা = রাস্নেহা কেমন লাগলো বল?…
স্নেহা : সুপার ডুপার…???
মার্জান : যার বিয়ে তার খবর নেই… পাড়া পড়সির ঘুম নেই…? তোর ও একই অবস্থা স্নেহা..
স্নেহা : রোমান্টিক মুডে আছি..বুঝেছিস..?খারাপ করিস না মুডটা…
শায়লা : আচ্ছা চলনা কোথাও খেতে যায়…ক্লাস করতে ভালো লাগছে না?
স্নেহা : ফুচকা?..?
শায়লা : ওকে ডান..?
মার্জান : ওহ মাই গড ফুচকা??…চল চল…দেরী করছিস কেনো..
স্নেহা তার ফ্রেন্ডসদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে… ফুচকা খেতে…
খেয়ে বাস্ করে হোষ্টেলে ফিরে যায়…
বিকেলে স্নেহা মোবাইল হাতে নিয়ে বসে..
ফেসবুকে ঢুকতেই দেখে…রাহুল আর নেহার কাপল পিক… ? just now আপলোড করেছে… স্নেহা একটা এংগ্রি? রিয়েক্ট বসিয়ে দিলো…
রাহুলের ফোটো এলভামে ঢুকে দেখতে পেলো.. নেহা আর রাহুলের চুম্বক লাগানো ফোটোর অভাব নেই… স্নেহার মাথা ১০০ডিগ্রী সেলসিয়াসে হাইপার হয়ে যাচ্ছে..??
পরে চ্যাটলিষ্ট চেক করে দেখে রাহুল অনলাইনে…
স্নেহা : ঐ হিরো!
রাহুল seen but no reply
স্নেহা : কি হলো Answer দিতে কি গা জলে?..?
রাহুল seen but no reply
স্নেহা : ঐ পেত্নির সাথে চ্যাট করছো তাই না?..
রাহুল : just shut-up she is more beautiful then you..understand?
স্নেহা : হি-হি ? তোমার রুচির তুলনাই হয় না…?
রাহুল : get lost!
স্নেহা : you too?
ফেসবুক থেকে বেরিয়ে পড়লো স্নেহা…মুখ ফুলিয়ে বসে আছে..
মার্জান : কি হলো আবার?..? মুর্তি হয়ে আছিস কেনো?..
স্নেহা : কি আর হবে?..ঐ রাহুলটাকে এতো করে পটাচ্ছি কোনো ভাবেই পটছে না…??
মার্জান : আগেই বলেছিলাম! পটার মতো ছেলে না..?
স্নেহা : কিন্তু আমিও এতো সহজে হার মানছি না! কাল গিয়েনি ভার্সেটি আচ্ছা মজা শিখাবো…?
মার্জান : আচ্ছা শোন টিউশন দেখতে বলেছিলি না? একটা পেয়েছি..তুই কি করবি?…
স্নেহা : করলে তো ভালোই হয়…বাড়তি ইনকামটাও হয়ে যাবে!
মার্জান : তুই তো ভালো ডান্স পারিস..স্কুলে সব সময়…প্রথম পুরস্কার তুই নিতি ডান্সে… So করে দেখ…
স্নেহা : কোথায় গিয়ে করতে হবে?…
মার্জান : এইতো.. ভার্সেটি যাওয়ার সময় বাস্ থেকে যে সুন্দর বাড়ীটি দেখেছিলি..ওটাই..
স্নেহা : ওকে তাহলে করতে পারি..?
মার্জান : কাল উইকেন্ড আছে গিয়ে দেখে আসিস…
স্নেহা : [ মার্জানকে ঝড়িয়ে ] ওকে ডিয়ার…?
সকালে উঠে স্নেহা ফ্রেশ হয়ে…ফেসবুকে ঢুকে…
স্নেহা : Good Morning?
রাহুল : দেখো আমাকে বার বার টেক্সট করবা তো ব্লক দিবো..
স্নেহা : আহা! আর আমি চেয়ে থাকবো তাই না..? ব্লক দিবা তো তোমাকে দুনিয়া থেকে ব্লক করে দিবো…
রাহুল : You are such a shameless girl…
স্নেহা : আচ্ছা এতো পার্ট দেখাও কেনো?..সাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারো না?..
রাহুল : No Need!
স্নেহা : Disgusting?
স্নেহা রেগে ফেসবুক থেকে বেরিয়ে পড়ে..? আর সজ্য হচ্ছে না এতো অবিচার..
গিয়ে রেডি হয়েনে টিউশনে যাবে বলে!…
মার্জান : শোন! তুই যেতে পারবি একা?..
স্নেহা : হে পারবো Don’t worry!?
মার্জান : ওকে Bye! খেয়াল রাখিস!
স্নেহা গিয়ে পৌছালো,
বাড়ীটি ক্রস করেই প্রতিদিন..ভার্সেটি যাওয়া হয়..স্নেহা ভেবেছিলো..বাইরে এতো সুন্দর ? ভেতরে কেমন হবে আল্লাহ জানে! ইশ কখনো যদি দেখতে পেতাম..আজ ফাইনালি বাড়ীটিতেই ঢুকতে যাবে স্নেহা!
গেইড দিয়ে ঢুকতেই দাড়োয়ান সালাম দিয়ে স্নেহাকে তার পরিচয় জানতে চায়…স্নেহা তার পরিচয় দিলে তাকে ঢুকতে দেই!
বাড়ীর ভেতরে ঢুকতেই স্নেহার মনে হচ্ছে যেনো…কোনো এক প্রাসাদে ঢুকছে…মনে মনে ভাবতে লাগলো স্নেহা এতো বিশাল বড় বাড়ী… বাব্বা! বাইরে থেকে তো ভেতরে দেখতে আরো অদ্ভুত ?…
হঠাৎ স্নেহার মনে পড়লো সে তো বাইরে থেকে নক না করেই ভেতরে ঢুকে পড়েছে…?
হঠাৎ একজন মহিলা পিছন থেকে ডাক দিলো কে বলে?..
স্নেহা ফিরে তাকাতেই দেখে..মধ্যবয়সী একটি মেয়ে…চেহেরায় অনেক মায়া রয়েছে…
স্নেহা : সরি! আসলে আমি না বলেই ঢুকে পড়েছি… আসলে আমি টিউশন দিতে এসেছি… i mean teacher? dance teacher..
মেয়েটি : ও হে! it’s ok…?আমার মেয়ের জন্যই বলা হয়েছে আপনাকে..আসুন…
স্নেহা মেয়েটির পিছন পিছন যায়, স্নেহাকে একটি বড় ড্রইং রুমে বসতে দেই…
স্নেহা চারদিক শুধু চেয়ে যাচ্ছে…এতো অদ্ভুত করার মতো ঘর..?
হঠাৎ একটি পিচ্ছি মেয়ে এগিয়ে আসে স্নেহার দিকে,
মেয়েটি : হ্যালো টিচার?
স্নেহা : হ্যালো!..কি নাম তোমার..?
মেয়েটি : ফাবিহা?
স্নেহা : How cute! name…?
হঠাৎ,মেয়েটির মা ও এগিয়ে আসে..
মেয়েটির মা : আমার নাম…সিফা তুমি আমাকে সিফা বলে ডাকতে পারো! আর আমার মেয়ে ফাবিহা! ওর ডান্সের অনেক শখ.. স্কুল প্রতিযোগীতায় দু-বার 1st হয়েছে…? ৩মাস পর বড় একটি ডান্স প্রোগ্রাম আছে… এতে অনেকেই participate করছে…তাই ভাবছি এই তিনমাসে যদি আরেকটু ভালো প্রেকটিস্ করতে…পারে তাহলে হয়তো ওর জন্য ভালো হবে!…
স্নেহা : Don’t worry আমি ফাবিহাকে এমন ডান্স শেখাবো… দেখবেন ফাবিহা 1st prize নিয়ে আসবে?
সিফা : আচ্ছা তুমি ফাবিহার সাথে বসো আমি তোমার জন্য কফি নিয়ে আসি!?
এই বলে ওনি চলে যায়,
স্নেহা ফাবিহার সাথে বসে অনেক্ষণ গল্প করে…
[হঠাৎ শিরির দিকে তাকাতেই স্নেহা Shocked হয়ে যায়?]
কাধে সাধা তাওয়েল ঝুলিয়ে ভেজা চুল হাত দিয়ে ঝেড়ে ঝেড়ে….নামছে রাহুল?
[Sneha’s heart beating fast?]
রাহুল হঠাৎ স্নেহাকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়লো?
রাহুল : [স্নেহার কাছে] ঐ তুমি এইখানে কি করছো?…?? আমার পিছন নিতে নিতে বাড়ী পর্যন্ত পৌছে গিয়েছো তাই না..?
স্নেহা : ???ফাবিহা! আমাকে একটা চিমটি কাটো!
আমি কি সপ্ন দেখছি????
রাহুল স্নেহাকে জোড়ে একটি চিমটি দিলো…
স্নেহা : আআহ!?
রাহুল : [রেগে]তোমার এসব ড্রামা বন্ধ করো বুঝলে…?এইখানে কেনো এসেছো বলো?
সিফা : আরে রাহুল!? কি হলো?..
রাহুল : ভাবী ওকে এইখানে কে আসতে দিয়েছে?..?
সিফা : [রাহুলে কাছে গিয়ে ফিসফিস করে] কি করছিস রাহুল ওনি ফাবিহার ডান্সটিচার…আর এইভাবে মিসবিহেভ করে নাকি মানুষের সাথে…?
রাহুল : ডান্সটিচার??!
স্নেহা : yes! i m?
রাহুল : ? Again dramabazz..
রাহুল রেগে চলে গেলো.. আর স্নেহা হাসতে থাকে…?
সিফা : সরি! আসলে ও এমনি!? তোমাকে চিনতে ভুল করেছিলো হয়তো…
স্নেহা : আরে নাহ! আমি কিছু মনে করিনি…ও প্রতিদিনই আমার সাথে এমন করে…
সিফা : মানে?..?
স্নেহা : মানে আমি আর রাহুল Same ভার্সেটিতেই পরি…
সিফা : ওহ তাই?…আগে বলোনি কেনো?…আমি তো জানতামি না…
স্নেহা : আচ্ছা রাহুল আপনার কি হয়?..
সিফা : রাহুল আমার একমাত্র দেবর!?.
ফাবিহা : মাম্মা, আমি আমার ফ্রেন্ডসদের আসতে বলি…ওদের আমি আমার নিউ টিচারকে দেখাবো…?
সিফা : No! মাম্মা… আজই তো এসেছে টিচার…কাল থেকে স্টার্ট করো ওকে..?
স্নেহা : it’s ok… no problem.. আমিও একটু দেখতে চাই ফাবিহার ফ্রেন্ডসদের.. কি বলো ফাবিহা?.. ?
ফাবিহা : ইয়ে?…থেংক ইউ টিচার..
ফাবিহা খুশি হয়ে দৌড়ে চলে গেলো তার ফ্রেন্ডসদের ডাকতে…স্নেহা আর সিফা হাসতে লাগলো…
সিফা : অনেক দুষ্টু ফাবিহা! তোমার মাথা খেয়ে ফেলবে…??
স্নেহা : তাই…??
সিফা : আচ্ছা তোমার নামটাই তো জানা হলো না?
স্নেহা : জি আমার নাম স্নেহা?
সিফা : তোমার মতোই কিউট নামটা ?জানো বাড়ীতে সারাদিন একা থাকি…অনেক বোরিং লাগে!
স্নেহা : ? আচ্ছা! আপনাদের বাড়িতে আর কেউ নেই?..
সিফা : ফাবিহার বাবা অফিসে গেছে!..আর আমার দাদী শাশুড়ি আছে..রুমের মধ্যেই আরাম করছে হয়তো আর রাহুলকে তো দেখেছো…ভার্সেটি থেকে এসে রুম…আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা…এসবি ওর কাজ…বাড়িতে কি হচ্ছে না হচ্ছে ওর কোনো খবর নেই…
স্নেহা : এই রুমের মধ্যে বসে সারাক্ষণ কি করে..
সিফা : ঐ যে ওর বউ একটা আছে না..ওটা নিয়ে সারাক্ষণ পড়ে থাকে..?
[স্নেহার মনে হলো তার ধম আটকে গেলো.. ?]
স্নেহা : বউ মানে?..??
সিফা : আরে…ওর গিটারের কথা বলছি..! সারাক্ষণ ওটা নিয়ে পড়ে থাকে…??
স্নেহা : [বড় একটি নিশাস ফেলে] ওহ! ? আমি আরো কি ভাবছিলাম…
সিফা : আচ্ছা রাহুল তোমার সাথে এমন রিয়েক্ট কেনো করলো…যেনো তোমাকে ও চিনেই না..?
স্নেহা : ও! হে…আসলে আমাদের মধ্যে একটু ঝগড়া হয়েছে… তাই ও..?
সিফা : ও আচ্ছা! বুঝতে পেরেছি…
[হঠাৎ, একজন কাজের লোক এসে সিফাকে বলতে লাগলো তাকে দাদী ডাকছে]
সিফা : আচ্ছা স্নেহা! ফাবিহা আসতে আসতে! তুমি..রাহুলের সাথে গল্প করো…আমি একটু দাদীর সাথে দেখা করে আসছি..ওনার ওষুধের সময় হয়ে গিয়েছে তো তাই…
আমি রাহুলকে পাঠাচ্ছি তুমি বসো?
স্নেহা : ওকে ওকে…No problem! রাহুলকে পাঠাতে হবে না..ওর রুম কোনটা বললেই হবে.. i mean ওর রুমটাও দেখা হয়ে যাবে…
সিফা : ওকে ঠিকাছে! উপরে উঠে..লেফট সাইডের রুমটা রাহুলের..?
স্নেহা : থেংক ইউ?
সিফা চলে যায়, আর স্নেহা ধীরেধীরে উপরে উঠে…আর মনে মনে ভাবতে লাগলো..
[ কি না কপাল…কোথার থেকে কোথায় মিলিয়ে দিলো আল্লাহ…? মিষ্টার হেন্ডসামের বাড়িতেই আমি ওয়াও ভাবতেই অবাক লাগছে ]
[স্নেহা ধীরেধীরে লেফট সাইডের রুমের সামনে গিয়ে উপস্থিত হলো ]
[কেমন যেনো বুকটা ধুপধুপ করছে স্নেহার ??]
কানে গিটারের সফটেট..মিউজিকের শব্দ শুনতে পেলো ?…রুমের দরজাটা লাগানো… গিটারের সাউন্ডটা শুনতে স্নেহার ভালোই লাগছে..তাই আর হ্যান্ডসামকে ডিষ্টার্ব করলো…না তখন আবার বাজানো বন্ধ করে দেবে, ধীরেধীরে স্নেহা জানালার পাশে গেলো..
আর রাহুলকে দেখতেই…ব্লাশিং হতে লাগলো…??
স্নেহা [ জানালার পর্দা সরিয়ে ফিসফিস করে ] যা হওয়ার হবে….তোমাকেতো আমি পেয়েই ছাড়বো… মিষ্টার?
দরকার হলে ঐ পেত্নীটাকে খুন করবো?…
[ হঠাৎ রাহুল জানালার দিকে তাকালো…আর স্নেহা তাড়াহুড়ো করে লুকে পড়লো…]
রাহুল গিটার বাজানো বন্ধ করে জানালার দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে আছে…তার মনে হচ্ছিলো কেউ যেনো জানালার দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করছে..? আবার ভাবছে হয়তো ওর মনে হয়েছে..কিন্তু কেউ তো নেই…
রাহুল আবার বাজানো শুরু করলে, স্নেহা আবার জানালার দিকে তাকায়..
[ মিট মিট করে হাসতে থাকে স্নেহা..??]
আবারো ফিসফিস করে বলতে লাগলো… কি না বাজাচ্চো বস্… পুরাই রোমান্টিক মোমেন্ট নিয়া আনলা??…
গিটার হাতে পুরাই ??ডেশিং লাগছে ? [স্নেহা নিজের চোখে নিজে হাত দিয়ে]
স্নেহা কি যা তা বলছিস নজর লাগবে তো হ্যান্ডসামের?…
স্নেহা দূর থেকে রাহুলকে ফ্লাইং কিস্ দিতে লাগলো…
অমনিই হুট করে রাহুল জানালার দিকে তাকিয়ে স্নেহার কান্ড দেখতে পেলো…
স্নেহা : ???? [Shocked ]
রাহুল : [ মনে মনে ] তাইতো বলি আমার এমন কেনো মনে হচ্ছে কেউ আমাকে ফোলো করছে…এই ড্রামাকুইন যে বাড়ীতে তা তো আমি ভুলেই গেলাম..
চলবে…

♥Love At 1st Sight $2 Part – 2

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2
Part – 2
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে নিচে নামলো…
মার্জান : স্নেহা এইদিকে আয়…☺ কোথায় গিয়েছিলি…?
স্নেহা : এইতো একটু ঘুরে দেখছিলাম..
মার্জান : আয় তোকে পরিচয় করিয়েদি..
ও হচ্ছে শায়লা..ও জারিফা, ও রিফাত..আর Guys…ও হচ্ছে স্নেহা…….?
স্নেহা সবার সাথে পরিচয় হয়ে অনেক মজা করে..যেনো স্নেহা তাদের অনেক পুরোনো বান্ধবী…সহজে মিশে যায় তাদের সাথে…
মার্জান : চল এবার যাওয়া যাক…?
স্নেহা এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো..
মার্জান : এই মেয়ে কি দেখছিস?..?
স্নেহা : রাহুলকে খুজছি! কোথায় গেলো বলতো?..দেখতে পাচ্ছি না যে!
জারিফা : Listen sneha! তুই আমাদের তোর দোস্ত বলেছিস তো..?এই অধিকারে একটা কথা বলছি… ঐ রাহুলকে তুই ভুলে যা…
শায়লা : হে রে কোনো লাব নেই এসব করে.. আর তোকে তো বললই যে রাহুলের গার্লফ্রেন্ড আছে,
স্নেহা : ভুলে যাবো মানে কেনো ভুলবো?.. ?গার্লফ্রেন্ড আছে তাতে কি হয়েছে…
শোন…আমি যাচ্ছি রাহুলকে খুজতে আমার সাথে কে যাবি বল?..
[সবাই চুপ!??]
স্নেহা : হা করে তাকিয়ে আছিস কেনো সবাই? কেউ তো কিছু বল?…
রিফাত : স্নেহা তুই রাহুলকে এখন খুজতে গিয়ে লাব নেই…?ঐ দেখ রাহুল তার গার্লফ্রেন্ড নেহা কে সাথে করে নিয়ে আসছে…
স্নেহা তাকাতেই দেখলো…নেহা রাহুলের হাত ঝরিয়ে…একসাথে..পার্কিং এর দিকে এগুচ্ছে…?রাহুলকেও অনেক খুশিখুশি লাগছে..
জারিফা : দেখলি..এবার?
স্নেহা : এবার তোরা দেখ আমি কি করি…?
মার্জান : কি করবি?…
স্নেহা : just wait and see?
স্নেহা দৌড়ে রাহুল আর নেহার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো..
রাহুল স্নেহাকে দেখে অবাক হয়ে গেলো..?
[মার্জান, জারিফা,রিফাত,শায়লা সবাই দূর থেকে তাকিয়ে আছে স্নেহা কি করতে গেলো তা দেখার জণ্য??]
স্নেহা : এই যে হিরো! ?শুনলাম তোমার নাকি গার্লফ্রেন্ড আছে?…
[রাহুল নেহার দিকে একবার তাকিয়ে আবার স্নেহার দিকে তাকালো..]
স্নেহা : ও হে!শুনেছি তোমার গার্লফ্রেন্ডটা নাকি দেখতে ততোটা ইয়ে না?…i mean তোমার সাথে মানায় না… কি দেখে প্রেমে পড়েছো ওর হে?..
নেহা : How dare you?…তোমার সাহস কিভাবে হলো ওর সাথে এভাবে কথা বলার?..? আর কে তুমি?…
স্নেহা : just shut-up ok?..আমি কি তোর সাথে কথা বলছি?.. তুই কেনো নাক গলাচ্ছিস?..?
নেহা : ?Look rahul! ও আমাকে?
রাহুল : Listen! তুমি এসব বলে কি বোঝাতে চাচ্ছো?..
স্নেহা : আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে আমার মতো মেয়ে থাকতে ??তুমি ঐ পেত্নীটার পেছন কেনো নিবা..
নেহা : what! ? u called me পেত্নী ?
রাহুল : I think u don’t know who is neha! right?..
স্নেহা : আরে ধুর ওকে জানার কি আছে! ?
নেহা : Listen ? i am neha!
স্নেহা : Oh my god?? are you neha!….
নেহা : Yes i m neha..শুনতে পেরেছো?..?
স্নেহা : [হাসি চেপে রেখে] Sorry Sorry Sorry?? আসলে আমি চিনতে পারিনি…
রাহুল : [নেহাকে টেনে ]ওকে নেহা চলো!
স্নেহা : bye! রাহুল ☺…
[রাহুল পিছন ফিরে স্নেহার দিকে একবার তাকালো..
স্নেহা রাহুলকে একটি চোখ টিপ মারে?]
রাহুল আর নেহা চলে যাওয়ার পর মার্জানরা সবাই দৌড়ে আসে,
মার্জান : স্নেহা! তুই কি এমন বলেছিস যে নেহা ক্ষেপে গেছে?..
স্নেহা : বলেছি রাহুলের সাথে ওকে একদমি মানাই না তাই ক্ষেপে গেছে…
জারিফা : ডিরেক্ট বলেছিস?
স্নেহা : হে! ?লুকিয়ে বলতে যাবো কেনো?..
পেয়ার কিয়া হে বস্ কই চোরি নেহি কি…?
শায়লা : বাব্বা! ?মানতে হবে স্নেহা তুই তো…একদম জমিয়ে দিয়েছিস..
মার্জান : আমার তো ভয় করছে কোন সময় নেহা এসে তোর সাথে আমাদের ও লাঠি নিয়ে পেটানো শুরু করে আল্লাহ জানে???!
[সবাই একসাথে হেসে গল্প করে হোষ্টেলে ফিরে যায়!]
সন্ধায় স্নেহা পড়ার টেবিলে বসে মুখে হাত দিয়ে চিন্তা করতে লাগলো…
হঠাৎ, মার্জান ও এসে পাশে বসলো,
মার্জান : কি ভাবছিস রে ?..
স্নেহা : রাহুলকে ?
মার্জান : এই রাহুলের ভুত তোর ঘার থেকে আর নামবেনা বুঝতে পেরেছি..
স্নেহা : বুঝতেই যখন পেরেছিস তাহলে এতো বক বক না করে সরে যা?…
এমনিতে মাথা খারাপ হয়ে আছে রাহুলের সাথে ভার্সেটি ছাড়া আর কোথাও দেখা করা যাচ্ছে না…?
মার্জান : পাগলী একটা! ? আচ্ছা শোন তোকে একটা আইডিয়া দেই..
স্নেহা : ??
মার্জান : সত্যি Joss আইডিয়া কিন্তু!
স্নেহা : কি??
মার্জান : তুই রাহুলকে ফেসবুকে নক দিয়ে ট্রাই করে দেখতে পারিস…..যদিও বা রিপ্লে দিলেও দিতে পারে…মনে তো হয়না দিবে বলে?
স্নেহা : [এক লাফে উঠে মার্জানকে কিস্ দিতে লাগলো ] আরে কি joss আইডিয়া দিলি…??আগে বলিসনি কেনো..রিপ্লে দিবে না মানে ওর বাপের থেকে ও রিপ্লে দিতে হবে!
মার্জান : ?? আকাশের তারা পেলেও বোধহয় মানুষ এমন খুশি হবে না..যেমন রিয়েক্ট তুই করলি…
স্নেহা দৌড়ে মোবাইল হাতে নিয়ে বসে পড়লো… রাহুল লিখে সার্চ দিতেই সবার শুরুতে রাহুলের আইডি এসে হাজির…? স্নেহার খুশির ঠিকানার শেষ নেই…রিকোয়েষ্ট পাঠিয়ে দিয়েছে ধুম করেই.. আর বসে বসে রাহুলে ছবি দেখছে..?
[রাত ১২:০০টা বেজে ৩০ মিনিট,]
মার্জান : স্নেহা! ?? দেখ আর কতোক্ষণ জেগে থাকবি এইভাবে..?
ও যদি রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করার হতো তাহলে অনেক আগেই করে ফেলতো..
স্নেহা : তুই জানিস আমি এই পর্যন্ত কয়টা মেসেজিং করেছি..?? না মেসেজের রিপ্লাই দিচ্ছে না রিকোয়েষ্ট এক্সেপট করছে…?
মার্জান : আচ্ছা হয়তো এমন ও হতে পারে আজ ও ফাইন্ড ফ্রেন্ডস চেক করেনি… আর নয়তো এমন ও হতে পারে..ইচ্ছে করে এক্সেপট করেনি…?কারণ ওর ফলোয়ারস্ দেখ…
স্নেহা : কিন্তু?!
মার্জান : আরে বোকা কিন্তু কিন্তু করে কি হবে!…জেগে থাকলে কি রিকোয়েষ্ট এক্সেপট করে ফেলবে?..
স্নেহা :??
মার্জান : যা গিয়ে ঘুমিয়ে পর! কাল আবার ভার্সেটি… যেতে লেট হয়ে যাবে নয়তো..
[স্নেহা ও আর কিছু না বলে মোবাইল রেখে ঘুমিয়ে পড়ে…]
[সকালে ঘুম থেকে উঠতেই আগে ফেসবুকে ঢুকে দেখে… রাহুল এক্সেপ্ট করেছে কিনা… মনটা আবার ও খারাপ করে ফেললো স্নেহা! কি আর করার উঠে গিয়ে ভার্সেটি যাওয়ার জন্য তৈরী হয়..]
মার্জান : বাব্বা ?আজ আমার আগে তৈরী…
স্নেহা : ??
মার্জান : By the way আজ কিন্তু তোকে দারুণ লাগছে ড্রেসটাই…??
স্নেহা : হয়েছে অনেক..এবার যাবি?..
মার্জান : Ok ?let’s go..!
ভার্সেটি পৌছে স্নেহা ক্লাসে ঢুকলো!..দেখে রাহুল ক্লাসে নেই!…
বাইরে বেরুতে যাবে ঠিক সেই সময় দেখে রাহুল ঢুকছে…স্নেহাকে দেখতেই রাহুল চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে নিলো…
স্নেহা : ???
রাহুল গিয়ে সিটে্ বসতেই দেখে…স্নেহা এসে তার পাশের সিটে্ বসে যায়…
রাহুল : Shame on u! তোমার কি জ্ঞান বুদ্ধি কিছু নেই?..
স্নেহা : না নেই! তো?..
রাহুল : দেখো এইখানে আরো অনেক সিট্ আছে তুমি গিয়ে ঐখানে..বসতে পারো…
স্নেহা : কেনো ?তোমার কি এইডস আছে?..নাকি কোনোরকম ছোয়াছুয়ি রোগ আছে?…
রাহুল : Just shut-up..
স্নেহা : you shut-up!
[রাহুল স্নেহার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে কি মেয়েরে বাবা!…?]
স্নেহা : কাল তোমাকে রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছিলাম এখনো এক্সেপ্ট করোনি কেনো?..?
রাহুল : that’s my matter! ?
স্নেহা : ও হিরো…একবার জো মে কমিটমেন্ট কারদেতি হু…ফির মে আপনে আপকিভি নেহি সুনতি,
রাহুল : Oh really ?..
স্নেহা : ইয়াহ! আরে কিসের এতো পার্ট দেখাও হে?..আমাকে তো সালমান খান ও প্রপোজ করছিলো..কিন্তু আমি..
রাহুল : কিন্তু তুমি রিজেক্ট করেছো তাই না?…?
স্নেহা : হে! বুঝতেই তো পেরেছো! আমিও কতোটা সেলেব্রিটি ?
রাহুল : How funny! ??
স্নেহা : ??
রাহুল : ওহ অটোগ্রাফ হবে মেম?..?
স্নেহা : অনেক মজা লাগছে তাই না?
রাহুল : এক্সুলি তোমার না একটা নিকনেম দেওয়া উচিৎ ?? ড্রামাকুইন নামের…
পার্ফেক্ট মানামে নামটা তোমার সাথে..
স্নেহা : [রেগে] ওহ রিয়েলি! হাউ সুইট! থেংক ইউ..?
হঠাৎ,ক্লাসে টিচার আসাতে সবাই দাঁড়িয়ে যায়,
ক্লাসে টিচার,লেকচার দিতে লাগলো… আর স্নেহা কিছুক্ষণ পর পর…রাহুলকে গুতাতে লাগলো…
স্নেহা : [ ফিসফিস করে] দেখো আমি তোমাকে কাল সন্ধায় রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছি…আজ সকাল পর্যন্ত হয়ে গেলো… তুমি এখনো এক্সেপ্ট করোনি…
রাহুল একটি তেডি স্মাইল দিয়ে ? অন্যদিকে ফিরে যায়,,
স্নেহা : কি হলো Answer দিচ্ছো না কেনো?..
রাহুল : What’s wrong with you sneha! বললাম তো that’s my matter..
স্নেহা : মানে এক্সেপ্ট করবা না?..রাইট?..
রাহুল : ইয়াহ! রাইট!
স্নেহা ওকে ফাইন! বলে হঠাৎ রাহুলকে একটি চিমটি দিলো…
রাহুল : [চিৎকার করে] আআহ!?
স্যার : এই তোমরা দুজন!…অনেক্ষণ ধরে দেখছি ক্লাসে মনোযোগ নেই…আর কথা বলেই যাচ্ছো!?
রাহুল : সরি! স্যার…?
স্যার : No need Sorry… out of my class!..?
স্নেহা : [খুশি হয়ে] স্যার আমিও?
স্যার : Yes… you too..?
স্নেহা : Thank you sir!?
স্নেহা থেংক ইউ বলাতে স্যার [Shocked ]? হয়ে যায়…তাকে ক্লাস থেকে বের করে দিচ্ছি আর সে বলে থেংক ইউ..
রাহুল আর স্নেহা দুজনেই ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়!
রাহুল : এইভাবে চিমটি মারার কি দরকার ছিলো হুম! ?
স্নেহা : তোমারও এইভাবে ওভাররিয়েক্ট করার কি দরকার ছিলো হুম!?
রাহুল : মোটেও ওভাররিয়েক্ট ছিলো না…?
স্নেহা : আচ্ছা তাই ?লেগেছে অনেক..? দেখি দেখি…
[স্নেহা রাহুলের হাত ধরে মাঝতে লাগলো ]
রাহুল : Stop the drama! nonsense ?
এই বলে রাহুল চলে যায়,…স্নেহাও রাহুলের পিছপিছে দৌড়ে আসে…
রাহুল স্নেহাকে দেখে ও নাদেখার ভাব করে মাঠের দিকে এগিয়ে যায়…
[স্নেহা রাহুলকে দেখে Blushing হতে লাগলো আর মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো ]
কিছুক্ষণ পর,
রাহুল : What?…?
স্নেহা : যতোক্ষণ এক্সেপ্ট করবে না আমি তোমাকে এইভাবে ডিস্টার্ব করতে থাকবো ?…
রাহুল : ওকে! আমিও দেখি করো কি করবা!…
এই বলে রাহুল আবার হাটা শুরু করে…একটু পর রাহুল খেয়াল করলো স্নেহা আর তার পিছু পিছু আসছে না…তাহলে কি চলে গিয়েছে?.. পিছন ফিরে রাহুল দেখলো
[স্নেহা…ঝর্ণার ধারে বীটের উপর গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে..]
রাহুল একটু অবাক হলো…স্নেহা ওখানে গিয়ে কেনো দাঁড়িয়েছে..? আবার ভাবতে লাগলো তাতে আমার কি?..
আবার হঠাৎ থেমে গিয়ে রাহুল ভাবতে লাগলো… মেয়েটিকি পাগল নাকি?…?
রাহুল : [পিছন ফিরে দৌড়ে স্নেহার কাছে আসে,] Hey what are doing?.. ???
স্নেহা : কেনো তোমার চোখ নেই চোখে দেখতে পাচ্ছো না কি করছি?..??
রাহুল : ???
স্নেহা : [ কেঁদে কেঁদে ]কাল সকালে নিউজে আসবে…রাহুল নামের একটি ছেলে স্নেহা নামের একটি মেয়ের রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট না করাতে মেয়েটি পানিতে ঝাপ দিয়ে সুইসাইড করেছে??
রাহুল : Listen this is not funny! ok?
স্নেহা : তোমাকে অনেক জালিয়েছি ক্ষমা করে দিও?
রাহুল : দেখো স্নেহা! নিচে নামো!
স্নেহা : কেনো নামবো?.. হুম?..জান দিয়ে দিচ্ছি তাও বলছো না যে হে যাও এক্সেপ্ট করবো রিকোয়েষ্ট..?
রাহুল : Ok? Oky fine…আমি এক্সেপ্ট করবো…
স্নেহা : সত্যি?..?
রাহুল : দেখো কেউ এসে দেখে ফেলবে…আর ফালতু কথাবার্তা ছড়াবে.. So please!
স্নেহা : তোমাকে এতো সহজে বিশাস করা যায় না? আগে এক্সেপট করো… তারপর নামবো…
রাহুল : [রাগান্বিত ?চোখে স্নেহার দিকে তাকিয়ে পকেট থেকে মোবাইল বের করে স্নেহার রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করলো] See ? এবার নামো..
স্নেহা : কই দেখছিনা তো আরো কাছে এনে দেখাও না…?
রাহুল স্নেহাকে মোবাইল আরো কাছে এনে দেখালো..?
স্নেহা : How sweet dear?..
আচ্ছা আমাকে নামতে একটু সাহায্য করো না… ?[ স্নেহা হাত বাড়িয়ে দিলো ]
[রাহুল একটু বিরক্তিকর ?হয়ে স্নেহার হাত ধরলো… স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে?? লাগলো…আর রাহুল রাগান্বিত ভাবে তাকিয়ে রইলো ]
[স্নেহা চাইলেই আস্তে করে নামতে পারতো কিন্তু স্নেহা সজোড়ে রাহুলের গায়ের উপর ছুড়ে পড়ে…]
স্নেহা : ??? [Blushing ]
রাহুল : Dramaqueen?
[with tedi smile?]
স্নেহাকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে চলে যায় রাহুল… ?
আর মনে মনে হাসতে থাকে রাহুল…কি আজিব মেয়েরে বাবা এতো ড্রামা কেমনি করতে পারে
চলবে।।।

♥Love At 1st Sight $2 Part : 1

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

♥Love At 1st Sight $2
Part : 1
writer-Jubaida Sobti♥
রুমটা চারদিক ওগোছালো… ফুল ভলিউমে চলছে টিভির সাউন্ড…
খাটের উপর উঠে…নাচছে স্নেহা…
মার্জান : What are you doing Sneha??
স্নেহা দৌড়ে এসে মার্জানকে ঝড়িয়ে ধরলো..
মার্জান : [স্নেহাকে ছুটিয়ে] কি করছিসটা কি…?
স্নেহা : Chill baby… আমার এত্তো এত্তো…খুশি.. লাগছে তোকে বুঝাতে পারবো না…
মার্জান : হয়েছে কাল রাত থেকে একই কথা ১০০বার বলেছিস… এবার গিয়ে তৈরী হয়েনে… নয়তো প্রথম দিনেই ক্লাস লেইট..
স্নেহা : don’t worry baby… give me 10mins…just… যাবো আর আসবো ?
মার্জান : ?Ok ok hurry up!
মার্জান হাসতে লাগলো.. ছোট বেলার মতোই.. পাগলামি রয়ে গেলো মেয়েটার..
মার্জানের সাথে স্নেহার পরিচয় গ্রামের মাঝেই……দুজনেই গোরাকপুর গ্রামে একই স্কুলে পড়তো…দুজন বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলো.. এস.এস.সি পাসের পরে..মার্জান শহরের কলেজে ভর্তি হয়ে যায়, স্নেহার ও অনেক ইচ্ছে ছিলো.. শহরে গিয়ে পড়ালিখা করবে..কিন্তু স্নেহার বাবা কিছুতেই রাজি না…এভাবে ২ বছর কেটে যায়..
এইচ.এস.সি পরীক্ষার পরে শহরের ভার্সেটিতে পড়বে বলে জিদ ধরে বসে স্নেহা..কিন্তু স্নেহার বাবা রাজি না হওয়ার একটাই কারণ স্নেহা অনেক চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে… স্নেহার বাবাকে সবাই বলতো মেয়েকে এতো পড়ালিখা করিয়ে কি করবে..বিয়ে দিয়ে দাও..তবে স্নেহার বাবা স্নেহাকে খুব ভালোবাসতো.. তাই..সহজে স্নেহার সব কথা মেনে নিতো..স্নেহার বাবা খুব রাগী মানুষ গ্রামের সকলেই তাকে খুব ভয় এবং সম্মান করে…কিন্তু স্নেহা তার বাবাকে ভয়তো দূরের কথা ফাঁকি দিতে ওস্তাত.. তাই অনেক কষ্টে বাবাকে ফুসলিয়ে রাজি করে স্নেহা শহরে গিয়ে ভার্সেটিতে পড়বে বলে,..
দুপুরের ট্রেনে তুলে দেই স্নেহাকে হরিকাকার সাথে..
[ হরিকাকা স্নেহারদের বাড়িতে ছোট থেকে কাজ করতো ছোট থেকে বড় করেছে স্নেহাকে…স্নেহা ও হরিকাকাকে অনেক ভালোবাসে ?বাবা স্নেহাকে একা ছাড়তে চাইছে না তাই কি আর করার হরিকাকাকে সহ সংগে নিয়ে যাওয়া তবে হরিকাকা স্নেহাকে পৌছে দিয়ে আবার গ্রামে ফিরে যাবে, ]
[স্নেহা মার্জানের সাথে কন্টাক্ট করে একই হোষ্টেলে গিয়ে উঠে… তবে হোষ্টেলটির কোনো নির্দিষ্ট রুলস নেই..এক কথায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকলে যেমনটা হয় আরকি… তবে পুরো বিল্ডিংটাই..বেচেলার মেয়েরা থাকতো.. করা গার্ড দেওয়া আছে, তাতে বাজে ছেলেরা কোনোরকম ডিষ্টার্ব করে না.. শহরের মেয়েরা ছেলেদের থেকে আর কতটুকুই বা পিছিয়ে… যাই হোক এবার বলি স্নেহার এতো খুশির কারণ কি?… আপনারা হয়তো বুঝতেই পারছেন..ফাইনালি স্নেহা গ্রাম থেকে শহরের ভার্সেটিতে পড়তে আসতে পেরেছে… সব কিছু ঠিকটাক করে..আজ স্নেহার ভার্সেটিতে প্রথমদিন..তাই তার খুশির সীমানা শেষ হচ্ছে না…]
মার্জান : স্নেহা তাড়াতাড়ি আয়..বাস্ ছুটে যাবে তো..
স্নেহা : ওকে ওকে বাবা! আসছি!…
স্নেহা তাড়াতাড়ি করে বেগ গুছিয়ে নিচে নামে..
মার্জান : চল তাড়াতাড়ি! [দুজনে গিয়ে বাসে্ উঠে]
স্নেহা : কি দারুণ লাগছে!…? ইশ আমার না বাবাকে আরো আগে পটিয়ে নেওয়া উচিৎ ছিলো!
মার্জান : [হেসে] তুই ও না স্নেহা পারিস বটে??…
সবশেষে ভার্সেটি গিয়ে পৌছায়…,
স্নেহা ঢুকতেই চারিপাশ দেখে খুব অবাক হলো..?.মুগ্ধ করার মতো একটা ভার্সেটি…
মার্জান : কি হলো! দাঁড়িয়ে পড়লি কেনো? চল?..
স্নেহা : দেখ মার্জান এখানকার সব মেয়েরা western ড্রেস পড়ে এসেছে…আর আমাকে কেমন যেন লাগছে ওদের মাঝে…?
মার্জান : আরে পাগলি তাতে কি হয়েছে… ওরা ওদের মতো আর তুই তোর মতো..?এতোকিছু ভাবলে কি চলবে?..
স্নেহা : তাও কেমন যেন???
মার্জান : ধুর বোকা চলতো…
স্নেহা : আচ্ছা ওয়েট ওয়েট..
মার্জান : আবার কি?..
স্নেহা তার চুল গুলো খুলে বিলিয়ে দিলো..? এবং বেগ থেকে হেডফোন বের করে মোবাইলে কানেক্ট করে কানে লাগিয়ে দিলো…
মার্জান স্নেহাকে হা করে দেখে আছে?
স্নেহা : [মার্জানকে একটা চিমটি দিয়ে] ঐ কি হলো…
মার্জান : [স্নেহার এক কান থেকে হেডফোন সরিয়ে] ঐ তুই কি পাগল হয়ে গিয়েছিস নাকি?..
স্নেহা : একদমি না! আরে শহরে এসেছি…যদি একটু স্মার্ট হয়ে না চলি তখন সবাই কি বলবে..?
মার্জান : তোর সাথে আর কথায় পারা যাবে না…চল!?
স্নেহা : ?? চল!
কানে আবার হেডফোন লাগিয়ে স্নেহা হাটতে লাগলো.
স্নেহা : [ ভাবছে আর মনে মনে কথা বলছে ] কি সুন্দর লাগছে জায়গাটা…চলার পথে দু পাশে..বিভিন্নরকম চারা লাগানো…চারদিক ছেলেমেয়ে একসাথে কথা বলছে…বাবা এটাকি পড়ার জায়গা নাকি প্রেম করার?.. মাশাল্লাহ এতোগুলো গাড়ী… ? এটা কি গাড়ীর শো-রুম নাকি..
হঠাৎ হাটতে হাটতে স্নেহার চোখ একটি কেট্রোস গাছের উপর পড়লো… গাছটি দেখে স্নেহা একটু হেসে দিলো [ গ্রামে কতইনা মজা করা হতো এই গাছগুলো নিয়ে ] স্নেহা গাছটির কাছে গিয়ে ভালো করে দেখছিলো…বেশি বড় হয়নি…গাছটি…দুটো ডাঙা বেরিয়েছে শুধু… হঠাৎ বাতাসে স্নেহার ওড়না উড়ে পড়ে… কেট্রোস গাছের উপর…গাছটির পুরো শরীর কাটায় আবৃত..তাই স্নেহা ওড়না সহজে ছুটাতে পারছে না…এইদিকে ছুটালে ঐদিকে লেগে যাচ্ছে, স্নেহা তার ওড়না ছুটাতে ব্যস্ত…
স্নেহার কেনো যেন মনে হচ্ছিলো কেউ তাকে ডাকছে,?বা কিছু একটার শব্দ হচ্ছে, কানে হেডফোন তাই ক্লিয়ার করে কিছু শোনা যাচ্ছিলো না…
পিছন দিকটা ফিরে তাকাবে ঠিক সেই সময়,
হঠাৎ, পিছন থেকে স্নেহাকে সজোরে সরিয়ে নেই কেউ একজন…স্নেহা কিছুই বুঝে উঠতে পারে না…শুধু মিউজিকের পাশাপাশি একটি…কর্কট শব্দ শুনতে পেলো.. যেনো কিছু দুমড়ে মুছড়ে গেছে..
চোখ খুলে তাকাতেই দেখে..হে সত্যিইতো…সবই তো মুছরে গেছে… [একটা গাড়ী ভার্সেটির দেয়াল ঘেষে ভেংগে চুরমার হয়ে গেছে ] আবার খেয়াল করলো স্নেহা কারো শরীরে মাথা ঠেকিয়ে আছে…
মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে…একটি ছেলে!
স্নেহা হতবাগ হয়ে গেলো…ছেলেটিকে দেখে ?
স্নেহা : আপনি?..
ছেলেটি : are you mad?..
স্নেহা : Excuse me!?
ছেলেটি : কখন থেকে সবাই চিৎকার করছে! সরে যেতে আর তুমি কিনা…
২সেকেন্ড only ২সেকেন্ড যদি লেইট হতাম না আমি… তাহলে এতোক্ষণে ?..
স্নেহা তার ঘাড় থেকে হেডফোনটি নিয়ে দেখালো…?
ছেলেটি : ওহ গড! আমিতো ভেবেছিলাম তুমি কানে শুনোনা!..
এরমধ্যেই স্নেহার কাছে এসে অনেকজন জড়ো হয়ে যায়… সবাই ছেলেটির মতো একই কথা বলতে লাগলো… [ আসলে বেপারটা হচ্ছে… স্নেহা যখন গাছটি দেখছিলো…ঠিক তখনি পিছন থেকে একটি রেসিং কার ছুটে আসছিলো…গাড়ীটি ব্রেকফিল হওয়ার কারণে ব্রেক নেওয়া যাচ্ছিলো না…তাই স্নেহাকে সবাই সরতে বলছিলো…আর স্নেহা কিনা বোকার মতো কানে হেডফোন লাগিয়ে বসে আছে..যাই হোক আজ স্নেহা প্রাণে বেচে গেলো.. ]
স্নেহা : ওহ সরি! আসলে আমি খেয়াল করিনি..?
ছেলেটি : It’s ok good luck?nd take care!
স্নেহা তাকিয়ে রইলো… ছেলেটি পকেট থেকে সানগ্লাসটা চোখে লাগিয়ে একটা তেডি স্মাইল দিয়ে চলে গেলো.. ?
স্নেহা এখনো তাকিয়ে আছে…?
মার্জান : স্নেহা?
স্নেহা : হে বল!?
মার্জান : আমি ভেবেছি তুই আমার পিছে পিছেই…আসছিস.. ?তুই এইখানে দাঁড়িয়ে কি করছিলি…? সবাই বলাবলি করছে…তোর নাকি এখন এক্সিডেন্ট হতো কিন্তু রাহুল তোকে বাঁচিয়েছে..
স্নেহা : ওহ তো ছেলেটার নাম রাহুল?
হঠাৎ, পিছন থেকে চেঁচামমেচির আওয়াজ শোনাতে..স্নেহা আর মার্জান ফিরে তাকালো…এবং দেখতে পেলো স্যার ঐ রেসিং কারওয়ালাকে বকছে…
স্যার : কতোবার বলেছি এসব গাড়ী ভার্সেটিতে আনবা না…?
ছেলেটি : Sorry sir!?
স্যার : কি করেছো গ্লাসটাকে ভেংগে চুরমার করে ১২টা বাজিয়ে দিয়েছো…
স্নেহা : [মনে মনে] ১২টা তো আমার ওর মুখের বাজাতে ইচ্ছে হচ্ছে?…শয়তান একটা… আজ প্রাণে বেচেছি? নাহয় এতোক্ষণে উপরে পৌছে যেতাম..
[মার্জান স্নেহাকে টেনে ক্লাসের দিক এগিয়ে নিয়ে যায়]
স্নেহা : আরে কি করছিস..এইখানে কেনো আনলি?..
মার্জান : কেনো আনলি মানে?..তুই ক্লাস করবি না?..
স্নেহা : ওহ ক্লাস!
মার্জান : তোর সমস্যাটা কি বলতো..হয়েছে কি তোর…?
স্নেহা : আচ্ছা বাদ দে..?ঐ ছেলেটাকে আরেকবার দেখে আসি চল..
মার্জান : তুই কি পাগল হয়ে গিয়েছিস?..
স্নেহা : হে?
মার্জান স্নেহাকে একটি চিমটি দিলো
স্নেহা : আউছ!?…
স্নেহাকে টেনে ক্লাসে ঢুকালো মার্জান..মন খারাপ করে বসে আছে স্নেহা..
[হঠাৎ রাহুলকে ভেবে ভেবে ব্লাশিং হতে লাগলো স্নেহা…]?… What a smile…
মার্জান : কার?
স্নেহা : রাহুলের??
মার্জান : এই যে ওনাকে ভাবা বাদ দেন…ওনার পেছনে হাজার মেয়ে পড়ে আছে…ওনি কাউকে পাত্তা দেওয়ার মতো নয়…?
স্নেহা : মুডটাই খারাপ করে দিলি…তুই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড নাকি শত্রু কিছু বুঝতে পারছি না…?
মার্জান : আরে পাগলী শত্রু হতে যাবো কেনো…??কিন্তু এটাই সত্য…
স্নেহা : পাত্তা দেই না কেনো জানিস?..?
মার্জান : কেনো…?
স্নেহা : কারণ ওর লাইফে আমি এন্ট্রি নিবো বলে?…
মার্জান : আহারে??
স্নেহা : yes..dear☺
মার্জান : যতোটা সহজ মনে করছিস ততোটা সহজ না.. ? he is a unplugged siger তার চেহেরা দেখে শুধু মেয়েরা ক্রাশ খায়না…তার গান শুনেও সবাই ফিদা হয়ে যায়… weekend এ সব ছেলেমেয়েরা দল বেধে প্রোগ্রাম করে রাহুলের গান শোনার জন্য…
স্নেহা : ???ওয়াও সিংগার..দারুণ তো..?
মার্জান : আর বিশেষ করে আপনার তো No chance ?…because রাহুল অলরেডি বুকিং হয়ে গেছে..
স্নেহা : বুকিং হয়ে গেছে মানে?..?
মার্জান : রাহুলের গার্লফ্রেন্ড আছে..?
স্নেহা : কে ঐ পেত্নী ?…
মার্জান : নেহা?
ভার্সেটির সবচেয়ে স্টাইলিশ এবং সুন্দরি মেয়ে…
স্নেহা : ??
মার্জান : আমাকে মুখ ভেংগিয়ে কিছুই হবে না…যা সত্য তাই বললাম।
স্নেহা : ???
মার্জান : আহ টুট গায়…স্নেহাকি দিল?
স্নেহা : ??[চোখ বন্ধ করে] দেখ আমার রাগ তুলিসনা..
মার্জান : ওকে ওকে??
স্নেহা চোখ খুলতেই দেখে…দরজা দিয়ে রাহুল বন্ধুদের সাথে হেসে হেসে ঢুকছে…
স্নেহার দিলের মধ্যে ঘন্টা বেজে উঠলো ?
মার্জান : আহ! স্নেহা এভাবে তাকাইশ না..নজর পড়বে ওর..?
স্নেহা : আরে ওহ আমাদের ক্লাসেই??
মার্জান : হুম?
স্নেহা : তাহলে তো চান্স আছে বস্?
হঠাৎ,ক্লাসে স্যার ঢুকলো…
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়েই রইলো..?
মার্জান : স্নেহা? দাড়ানা স্যার এসেছে তো…
স্নেহা : ওহ হে সরি?..
মার্জান : দেখ ?বললামতো কোনো লাব নেই ওর দিকে তাকিয়ে থেকে…
স্নেহা : তুই চুপ কর..আমি দেখছি যা হওয়ার হবে…?
স্নেহা ক্লাস চলাকালীন ও কিছুক্ষণ পর পর রাহুলের দিকে তাকাতে থাকে?..রাহুল সেটা খেয়াল করলেও ততোটা কেয়ার করে না…
অবশেষে ক্লাস শেষে দেখে রাহুল ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে…স্নেহা ও রাহুলের পিছে পিছে Follow করা শুরু করলো..হঠাৎ দেখে রাহুল একটি রুমে ঢুকে পড়ে…
এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছুক্ষণ পর স্নেহা ও ঢুকে…?দেখে বিশাল বড় লাইব্রেরী… দু তিনজন বই পড়ছে…
স্নেহা রাহুলকে খুজতে লাগলো এইমাত্রই তো ঢুকলো গেলো কই?…?
স্নেহা খুজতে খুজতে
একটা সেল্ফের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো .. হঠাৎ পিছনে মনে হলো কেউ দাঁড়িয়ে আছে…?
স্নেহা আড়চোখে তাকিয়ে দেখে রাহুল??
…জিহ্বায় কামড় দিয়ে দৌড়ে সেল্ফের পিছনে গিয়ে লুকে পড়লো…স্নেহা
বইয়ের ফাকদিয়ে রাহুলের পা দেখা যাচ্ছে…রাহুল যতো পা এগুচ্ছে স্নেহা ততো চিপায় ঢুকতে লাগলো… ??
রাহুল : Hey there! i can see u!
[স্নেহা চোখ থেকে হাত সরিয়ে রাহুলের দিকে তাকায়]
রাহুল : তুমি আমাকে follow করছিলে?..?
স্নেহা : কই নাতো?..?
ওহ হে!..হে
আমি আপনাকে থেংকইউ বলার জন্য খুঁজছিলাম…?
রাহুল : seriously! ?
স্নেহা : yes! ? ওই যে তখন?আমাকে বাঁচিয়েছেন…তাই
রাহুল : থেংক ইউ তো পরেও দিয়ে দিতে পারতে…তাই বলে…?
স্নেহা : No no…আসলে আপনি যদি আজ আমাকে না বাঁচাতেন… জানিনা এতোক্ষণে আমার কি হতো… ?
হয়তো আল্লাহ পাটিয়েছে আপনাকে আমার জন্য?
রাহুল : What? ?
স্নেহা : I mean আমাকে বাচানোর জন্য?
রাহুল : Ok stop your drama…. and bye
স্নেহা : [দৌড়ে এসে রাহুলের পথ আটকিয়ে ধরলো..] ওহ হ্যালো! কি বললেন?..হুম আমি ড্রামা করছি?…
রাহুল : দেখো! তোমার মতো মেয়েদের আমি হারে হারে চিনি..so don’t distrub me!?
এই বলে রাহুল চলে যায় আর স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে,
স্নেহা : [মনে মনে] How mean…এত্তো পার্ট?…No mister স্নেহার সাথে পার্ট দেখানোর শাস্তি পেতেই হবে তোমাকে ?
চলবে….
[ এটি একটি কাল্পনিক কাহিনী সত্য কাহিনী নয়,আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।।

Love_at_1st_sight Part – 16 [ Last part]

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
3

Love_at_1st_sight
Part – 16 [ Last part]
writer-Jubaida Sobti♥ 
রাহুল স্নেহাকে বুকে ঝড়িয়ে কেঁদে উঠে…
স্নেহার চোখ অনেকটা খোলা…
সে রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে.. স্নেহা রাহুলকে কিছু বলতে চাচ্ছিলো….
কিন্তু স্নেহা কথা বলার শক্তি পাচ্ছে না, চোখটা বন্ধ হয়ে এলো স্নেহার…চোখের কোনে জমে থাকা পানি গড়িয়ে পরলো..
স্নেহার মাথা থেকে অজর রক্ত পরছে,
রাহুলের সাদা শার্ট লাল বর্ণের হয়ে গেলো,
রাহুল স্নেহাকে কোলে নিয়ে গাড়ীতে তুলে… গাড়ী চালানোর সাহস কাজ করছে না রাহুলের…
হসপিটালে পৌছানোর সাথে সাথে রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে হসপিটাল বেডে শুয়ে দেই…
স্নেহাকে ICU তে ঢুকালো…
রাহুল স্নেহার মাকে ফোন দিলো..কিন্তু কি হয়েছে তা বলতে পারছে না…শুধু কেদেই যাচ্ছে..শুধু হসপিটালের নামটা বলতে পারলো…
স্নেহার মা বুঝতে পারলো কিছু একটা হয়েছে, তাই তিনি স্নেহার বাবাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি হসপিটালে পৌছালো…
রাহুল একদিকে হেলান দিয়ে চেয়ারে বসে আছে…পুরা শার্ট রক্তাক্তে ভরা..চোখ রক্তের ছানির মতো লাল হয়ে আছে…চোখের কোনে জল গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে…
স্নেহার মা রাহুলের কাছে দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে… রাহুল স্নেহার মা কে ঝড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে,…
স্নেহার মা বুঝতে দেরি নেই স্নেহার কিছু হয়েছে… তিনি ও কেঁদে ফেলে রাহুলের কান্না দেখে..?
প্রায় ৩ ঘন্টা পরে ডাক্তার এসে বলে স্নেহার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে…
এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না…তবে পেসেন্টকে ICU তেই রাখতে হবে,
সকাল ফেটে গেলো স্নেহার জ্ঞান এখনো ফিরেনি…
রাহুল ঐভাবেই বসে আছে,….
স্নেহার মা বাসায় যেতে বললো কিছুক্ষন রেস্ট নিতে, রাহুল স্নেহাকে ফেলে কিভাবে যাবে,…..
দুপুর হয়ে গেলো রাহুল কিছুই খায়নি…
স্নেহার মা খেতে বললে ও খায়নি।
রাত ৮ টার দিকে স্নেহার জ্ঞান ফিরে,…
রাহুল স্নেহাকে দেখতে ICU রুমে গেলো..
স্নেহার মাথায় বেন্ডেজ করা,পায়ে বেন্ডেজ করা।
স্নেহা রাহুলকে দেখলে ?চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পরে,
রাহুল স্নেহার পাশে বসে..
রাহুল : ?? দেখেছো স্নেহা কি হয়েছে…কথা না শুনলে এমনটাই হয়, কি দরকার ছিলো গাড়ী থেকে বের হওয়ার।
স্নেহা : কিছু বলছে না কেঁদে যাচ্ছে।
রাহুল : স্নেহা কাঁদছো কেনো?…কিছু হয়নি…আমি আছি,… কিছু হবে না তোমার?
স্নেহা : আপনি কাঁদছেন কেনো?..??
রাহুল : ঐ যে কথা শুনো নি তাই…??
স্নেহা : সরি রাহুল ????
স্নেহার মা – বাবা, ভাই একে একে সবাই..স্নেহাকে দেখতে আসে..কারণ ICU তে দুজন Allow না।
২সপ্তাহ পরে স্নেহাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়..
…স্নেহার মা – বাবা প্রায় এসে স্নেহাকে দেখে যায়..স্নেহা এখনো ভালো করে হাটতে পারে না…তবে রাহুল খুব যত্ন করে স্নেহাকে সেবা করে যাচ্ছে..কারন স্নেহা ছাড়া রাহুলের আপন আর কেউ নেই…
স্নেহা : আচ্ছা রাহুল, এক্সিডেন্টে যদি আমি মারা যেতাম…কি হতো..
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুই বললো না.. চোখের কোনে পানি এসে জমে গেছে রাহুলের…
স্নেহা : রাহুল ? কি হয়েছে আমিতো ফান করে বলেছি….
স্নেহা রাহুলের চোখ মুছে দিয়ে রাহুলকে ঝরিয়ে ধরলো..
রাহুল ও স্নেহাকে ঝরিয়ে ধরে শক্ত করে..
রাহুল : স্নেহা I love u ?????
স্নেহা : I love u too ???
রাহুল : এমন কথা বলবা না আর বুঝেছ?. ??
স্নেহা : ?কখনো না..?
স্নেহা ধীরেধীরে সুস্থ হয়ে উঠে…
এখন স্নেহা রাহুলের আগে উঠে রাহুলের জন্য নিজের হাতে ব্রেক ফাস্ট তৈরী করে,
বুয়া নিষেধ করলে ও স্নেহা প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট তৈরি করতে উঠে যায়।
রাহুল : স্নেহা বলেছিলাম না সকাল সকাল না উঠতে,… কথা শুনো না কেনো..
স্নেহা : উফফ বললাম না এখন আমি সুস্থ তারপরে ও এমন করেন কেনো….
আর আমার ভালো লাগে আপনার জন্য খাবার বানাতে,?
রাহুল স্নেহাকে কাছে টেনে…
স্নেহা : কি করছেন দেখবে তো…
রাহুল : দেখুক? (with তেডি স্মাইল)
স্নেহা : [blushing ☺?]
রাহুল : আমার Morning কিস ?
রাহুল স্নেহার কাছে আসতে গেলে… বুয়া চলে আসে হঠাৎ,
বুয়া তাদের এই অবস্থায় দেখে…লজ্জায় চলে যায়…?
স্নেহা : হয়েছে এবার ছাড়ুন দেরি হচ্ছে আপনার..☺
রাহুল অফিস চলে গেলো…
এভাবে ১মাস চলে যায়…
একদিন হঠাৎ স্নেহার খুব খারাপ লাগছিলো..
বুয়া : শুইয়া থাকেন গিয়া..আপনারে দেইখা অসুস্থ মনে হইতাছে, রান্না আমি করমু।
স্নেহা : আচ্ছা ঠিকাছে, রাহুল আসার আগে…আমাকে ডেকে দিবা,
বুয়া : আইচ্ছা।
রাহুল বাসায় এসে দেখে স্নেহা ঘুমাচ্ছে..তাই আর তাকে ডেকে ডিস্টার্ব করেনি…
বুয়া বলেছে স্নেহার সকাল থেকে খারাপ লাগছে আজ…কিছু খায় ও নি…সকাল থেকে,
রাহুল খাবার নিয়ে স্নেহার পাশে গিয়ে স্নেহাকে ডাকতে গেলে দেখে…স্নেহার খুবই জর এসেছে…
রাহুলের হাতের ছোয়ার অনুভুতিতে স্নেহা সজাগ হয়ে যায়..
স্নেহা : এসেছেন আপনি….
রাহুল : স্নেহা শুয়ে থাকো…উঠতে হবে না..তোমার তো গায়ে অনেক জর এসেছে…আমাকে বলোনি কেনো?..
স্নেহা : হে সামান্য একটু জর এসেছে এতে এতো টেনশন নেওয়ার কিছুই নেই…
রাহুল : just shut-up স্নেহা… তোমাকে বলেছিলাম কাজ করার দরকার নেই..সকাল সকাল উঠতে হবে না… তা ও তুমি কথা শুনো না,
(স্নেহা রাহুলের ঠোটে ?? করে)
রাহুলের স্নেহার উপর জমে থাকা রাগ সব চলে যায়??
রাহুল ও স্নেহাকে একটি ? কিস করলো…
রাহুল : স্নেহা ভালো পাম্পিং দিতে জানো ?
স্নেহা রাহুলকে শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে…
রাহুল : জরে শরীরটা পুরে যাচ্ছে আর তুমি বলছো সামান্য একটু তাই না…
কাল সকালে আমার সাথে ডাক্তারের যাবা বুঝেছো…
স্নেহা : আচ্ছা মিস্টার তেডি স্মাইল ?এবার দেখি গুড বয়ের মতো আমাকে ঝরিয়ে ধরুন…
রাহুল : Never…
স্নেহা : ???
রাহুল : আগে গুড গার্ল এর মতো খাবারটা কমপ্লিট করো…
স্নেহা : কিন্তু ??
রাহুল : কোনো কিন্তু নয়… খাবা কি না বলো…
স্নেহা : খাইয়ে দিন ??
রাহুল স্নেহাকে খাইয়ে দিলো ?
কিন্তু স্নেহা যা খেয়েছে তা কিছুক্ষন পরে আবার বমি করে বের করে দেই…
স্নেহার এমন অবস্থা দেখে রাহুল খুব টেনশনে পরে যায়…সারারাত ঘুমায়নি স্নেহাকে বুকে নিয়ে শুয়ে ছিলো…
সকাল হলে রাহুল স্নেহাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়…
ডাক্তারি চেকাপ করে আসে ২দিন পরে রিপোর্ট আসবে…
২দিন পরে রাহুল রিপোর্ট নিয়ে আসে..
রাহুল বাসায় এসে বেল দেই স্নেহা দরজা খুলতেই রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে নেই…???
স্নেহা : আরে কি করছেন, রাহুল কি হয়েছে…??পরে যাবো তো…
রাহুল স্নেহাকে নিচে রেখে স্নেহার কপালে একটি কিস করে ☺
রাহুল : স্নেহা তুমি জানো না…তুমি কতো বড় সারপ্রাইজ দিয়েছো…
স্নেহা : ??
রাহুল : ঐ যে ছোট ছোট কাপড়… এদিক ঐদিক হাটবে…তুমি ইন্সটেগ্রামে অনেক গুলো ছবি আপলোড দিবা???
স্নেহা আমি বাবা হচ্ছি ???
স্নেহা রাহুলের কথা শুনে খুশিতে কেঁদে দিলো…
রাহুল : ঐ পাগলী কাঁদছো কেন?..হুম?..
স্নেহা রাহুলকে ঝরিয়ে ধরে,রাহুল ও স্নেহাকে ঝরিয়ে ধরে….?
After 9 months,
আজ স্নেহার খুব খারাপ লাগছে…
রাহুল বাসায় নেই…অফিসে গেছে…
স্নেহার খারাপ লাগছে তা দেখে স্নেহার মা রাহুলকে ফোন দেই…
রাহুল বাসায় এসে দেখে স্নেহা চিৎকার করে করে কাঁদছে…
রাহুল স্নেহাকে গাড়ীতে তুলে তাড়াতাড়ি হসপিটাল নিয়ে যায়…
প্রায় ১ঘন্টা পরে ডাক্তার এসে স্নেহার মাকে ডেকে নিয়ে যায়..
কিছুই বুঝছে না রাহুল… কি হচ্ছে এসব ঐদিকে স্নেহার চিৎকার করে কেঁদে উঠার শব্দ আসছে…
রাহুল এদিক ওদিক হাটছে…স্নেহার জন্য খুব টেনশন হচ্ছে রাহুলের?…
কিছুক্ষন পরে স্নেহার মা একটা ফুটফুটে বাচ্চা কোলে করে বাহিরে নিয়ে আসে…
এবং রাহুলকে দেখায়…?
বাচ্চা দেখে রাহুল তার চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না…
মা : আলহামদুলিল্লাহ আমার একটা নাতনি হয়েছে?
রাহুল খুশিতে হাহাকার?
রাহুল : মা স্নেহা কেমন আছে…
মা : স্নেহা সুস্থ আছে.. যাও গিয়ে দেখে আসো…
রাহুল স্নেহাকে দেখতে গেলো…
স্নেহা : দেখেছেন আমাদের একটা পরী হয়েছে?
রাহুল : হে দেখেছি… পুরাই Little sneha??
স্নেহা : স্মাইলটা কিন্তু আপনার মতো তেডি ??
রাহুল : ???
স্নেহা এখন তার বাবুর জন্য ছোট ছোট কাপড় কিনে আনেক শপিং করে…
রাহুলকে ফোন দিয়ে…
বাবুর এটা লাগবে বাবুর ঐটা লাগবে..?
(রাহুল স্নেহাকে পিছন থেকে ঝড়িয়ে ধরে),
রাহুল : স্নেহা তুমি আমার লাইফে না আসলে কিন্তু আমার লাইফটা এতো সুন্দর হতো না?
স্নেহা : আর আপনি আমার লাইফে মিস্টার তেডি স্মাইল 

:*
রাহুল : সব ক্রেডিট কিন্তু কলেজকে দিতে হবে ??
যেখানে আমাদের প্রথম দেখা..
যেখানে আমি তোমাকে প্রথম দেখেই তোমার প্রেমে পরে গিয়েছিলাম… U know যেটাকে বলে #Love_at_1st_sight?
স্নেহা রাহুলকে ঝরিয়ে ধরলো? রাহুল ও স্নেহাকে খুব শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে :*
রাহুল আর স্নেহার ছোট সংসারটি এভাবে কেটে যাচ্ছে,? সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন ?
আমার জন্য ও সবাই দোয়া করবেন।
[Happy Ending ]

Love_at_1st_sight ??? Part : 15

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

Love_at_1st_sight ???
Part : 15

writer-Jubaida Sobti♥
রাহুল : কিন্তু তুমিই তো একটু আগে বলেছিলা তোমাকে হেল্প করতে.. So ?
স্নেহা : [একটু পিছিয়ে] হ্যাঁ বলেছিলাম ভুলে??….
রাহুল : ( স্নেহাকে একটানে রাহুলের কাছে টেনে নেই..) ভুলে তাই না?.. .? তাহলে আমিও ভুল করে ফেলি..
স্নেহা : (লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে? Blushing☺)
রাহুল আস্তে আস্তে স্নেহার সব জুয়েলারি খুলেদিলো…(Sneha’s heart beating faster?) এবং সেই সুযোগে রাহুল স্নেহার কপালে, কোমোড়ে, হাতে, গলায়, সব জায়গায় টাচ করেই যাচ্ছে…?
[Rahul enjoying that moment ?]
রাহুল স্নেহাকে কোলে তুলে নিলো..এবং খাটে শুয়ে দিয়ে…(স্নেহার কানে কানে উইস্পার করে..)
রাহুল : স্নেহা I love u?
স্নেহা রাহুলকে ঝরিয়ে ধরে.. রাহুল ও স্নেহাকে শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে..☺
স্নেহা রাহুলের মাকে খুব যত্ন করে সেবা করে যায় এবং তিনি আগে থেকে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠে, তা দেখে রাহুল ও অনেক খুশী হয়ে যায়..?
কিন্তু এই সুখ বেশীদিন রইলো না রাহুলের মায়ের কপালে.. রাহুল আর স্নেহার বিয়ের দুমাস পরেই রাহুলের মা মারা যায়..
এরপর থেকে স্নেহা বাড়িতে খুব একা হয়ে যায় আগে মা কে নিয়ে সময় কাটাতো,এখন তিনিও নেই,..
রাহুল ও এখন অফিসে যায়..সকালে গেলে রাতে বাসায় ফিরে… বাকি সময় গুলো স্নেহার বোরিং লাগে,…
রাহুল রাতে আসলে স্নেহা সারাদিনের জমে থাকা কথা সব একসাথে বলতে থাকে☺….রাহুলের ও তার কথা গুলো শুনতে ভালো লাগে…?
একদিন রাতে,রাহুল স্নেহা দুজনে খাটে বসে টিভি দেখছে,স্নেহা রাহুলের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে,
স্নেহা : রাহুল!☺
রাহুল : হুম!
স্নেহা : আচ্ছা একটা পিচ্ছি মেহেমান আসলে কেমন হয়?
☺☺??ও এদিক ওদিক হাটবে…
ওর ছোট ছোট কাপড় থাকবে ?? আর আমি অনেক গুলো ফোটো তুলে ইন্সটেগ্রামে আপলোড দিবো… ??
রাহুল : yaa… not bed??
স্নেহা : ?? yaaa কি হ্যাঁ?..,…
আপনি আমার কথা শুনছেন… not..bed মানে ?
আমি কতো important কথা বলছি আর আপনি?…
রাহুল : ?ok stop the tv,?
then স্টার্ট করি চলো ☺☺
( এই বলে রাহুল স্নেহার কাছে আসতে লাগলো,)
স্নেহা : ?? Shut-up রাহুল।
রাহুল : আচ্ছা কয়টা লাগবে বলো ?
স্নেহা : ?কি বলেন এসব ইডিয়ট ?
রাহুল : ( স্নেহাকে ঝরিয়ে ধরে)… বলো… 1,2,3,4,/9,10/12,13 ??..কয়টা?
স্নেহা : সবসময় মজা ☺☺?
রাহুল স্নেহাকে আরো শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে বুকে টেনে নেই…?স্নেহা ও রাহুলকে ঝরিয়ে ধরে,
স্নেহা : আচ্ছা রাহুল চলেন না কোথাও ঘুরে আসি?..
রাহুল : কোথায় যাবা?…?
স্নেহা : যেখানে আপনি নিয়ে যাবেন☺…
রাহুল : ওকে ডান তাহলে কালকে,
স্নেহা : কিন্তু আমারতো, এখন বের হতে ইচ্ছে হচ্ছে ?…
রাহুল : কিন্তু এতো রাতে কই যাবা..?
স্নেহা : চলেন আইসক্রিম খাবো…
রাহুল : আইসক্রিম পার্লার হয়তো এতোক্ষনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে…?
আচ্ছা আমি তোমাকে কালকে নিয়ে যাবো… Sure তারপর তোমার যতো ইচ্ছে ততো আইসক্রিম খেও।?
স্নেহা : আমার আইসক্রিম পার্লারের আইসক্রিম খাওয়া লাগবে না…?
আমি রাস্তায় কতোগুলো ছোটো ছোটো গাড়ী করে আইসক্রিম বিক্রি করে না ঐগুলো খাবো…?
রাহুল : ইশশ, ?ঐ গুলো খেলে পেট বেথা করবে..
(স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে ??)
রাহুল : ওকে মজা করছিলাম ?? চলো…
রাহুল এবং স্নেহা দুজনে গাড়ী করে বের হলো.. কোথাও আইসক্রিমের গাড়ী দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না,
হঠাৎ,…রাস্তার opposite এ একটা আইসক্রিমের গাড়ী দেখতে পেলো…
রাহুল : তুমি গাড়ীতে বসো…আমি নিয়ে আসছি..
স্নেহা : ওকে☺
রাহুল আইসক্রিম কিনতে গেলো..
স্নেহা : ( মনে মনে) উফফ গাড়ীতে বসে আইসক্রিম খাওয়া আর ঘরে বসে খাওয়াটা ও তো same বুদ্ধু একটা আমি..
আমিও যায়…?
স্নেহা গাড়ী থেকে বের হয়ে রাস্তা পাড় হয়ে Opposite রাস্তায় যাওয়ার সময়.. একটা গাড়ী তারদিকে আসার শব্দ শুনতে পায়,
হঠাৎ স্নেহার চোখে গাড়ীর লাইট পড়লো.. এরপর কি হলো স্নেহা বুঝে উঠতে পারেনি…
রাহুল আইসক্রিম নিয়ে ফেরার সময় স্নেহার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি দেখতে পেলো যা দেখার জন্য রাহুল মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।…..
চারদিক হৈ চৈ পড়ে গেলো…
রাহুলের সেইদিনের কথা মনে পরে গেলো..
রাহুলের সাথেই কেনো এমনটা হয়…
রাহুল শক্ত হয়ে পাথর হয়ে গেছে…
রাহুল স্নেহার সামনে গিয়ে স্নেহাকে দেখার সাহস পাচ্ছে না… সে যা দেখেছে তা কি সত্যি নাকি সপ্ন।
হাত থেকে আইসক্রিম গুলো মাটিতে পড়ে যায়,
পৃথিবীটা কেমন নিষ্ঠুর ভাবে থেমে গেছে।
হঠাৎ রাহুল, স্নেহা বলে চিৎকার করে কেদে উঠে….?
দৌড়ে স্নেহার কাছে গেলো…
অনেকে সরে দাঁড়ালো..বুঝতে পাড়লো ছেলেটি হয়তো মেয়েটির কিছু হয়।…
(চলবে)

Love_at_1st_sight   Part : 14  

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

Love_at_1st_sight ???
Part : 14

writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা : হয়েছে অনেক এবার ছাড়ুন ☺
রাহুল : একবার ছেড়ে দিলে কিন্তু আর কখনো ধরছি না..?
স্নেহা : ?? মানে?..
রাহুল : আরে ? মজা করছিলাম।
স্নেহা : কেনো করবেন এমন মজা??
রাহুল : Ok relex স্নেহা ?
(রাহুল স্নেহাকে আবার ঝরিয়ে ধরে?)
স্নেহা : আর কখনো করবেননা এমন মজা?
রাহুল : okh okh☺
মার্জান : [হুমমম☺] স্নেহা কেমন লাগলো বর?..
[(রাহুল হেসে উঠে?) স্নেহা blushing ☺?]
রাহুল : সমস্যা নেই পছন্দ না হলে তোমাদের ৩ জন থেকে একজনকে করে ফেলবো আরকি ?ভালো হবে না স্নেহা ?
স্নেহা : ???
রাহুল : ????? মজা করছিলাম
স্নেহা : সবসময় ??
রাহুল : ঐ Naughty কোম্পানি তোমাদের সবাইকে এত্তোগুলা থেংক্স…
জারিফা : শুধু থেংক্স দিয়ে কাজ হবে না ভাইয়া… তাড়াতাড়ি আমাদের ট্রিট দেন…?
রাহুল : Yeah sure ? let’s go..
After 1 week,
আজ স্নেহা এবং রাহুলের বিয়ে,
[Sneha wore a (Of white) lehenga, red dupatta with (multi-white) jewelry ?]
[Rahul Wore a Of white sherwani with red pagri] ?
[After complete marriage,
Now sneha nd rahul both, enter in rahul’s home]
স্নেহাকে রাহুলের কিছু কাজিন এবং তার মামী রাহুলের রুমে নিয়ে খাটে বসিয়ে দেই…
রাহুলের রুমটি চারদিক খুব সুন্দর করে কেন্ডেলাইট এবং গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো, ?
স্নেহা বসে বসে চারদিক ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছিল হঠাৎ রুমে রাহুলের আসার শব্দ পেলে স্নেহা তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায়..
রাহুল রুমে এসে স্নেহার পাশে বসে,?
রাহুল : What is this স্নেহা… ?
স্নেহা : (ঘোমটা তুলে রাহুলের দিকে তাকালো)
রাহুল : এতো বড় ঘোমটা দিলে তোমাকে দেখবো কি করে,….?
স্নেহা : ???? কেনো আপনার হাত নেই…আপনি হাত দিয়ে ঘোমটা তুলতে জানেন না?..
রাহুল : Ok relax স্নেহা… এতো রাগো কেনো.. আমিতো…?
স্নেহা : মজা করছিলাম ?
রাহুল : ????
স্নেহা : আচ্ছা হয়েছে…এবার দাত বত্রিশটা না দেখিয়ে…আমার জুয়েলারি খুলতে সাহায্য করুন।
রাহুল : ওয়াও স্নেহা আমিতো ভেবেছিলাম তুমি লজ্জা পাবা…কিন্তু তুমিতো দেখছি আমার চেয়ে বেশি এক্সাইটেড ????
স্নেহা : আমিতো ঘুমানোর জন্য জুয়েলারি খুলছি.. ?
রাহুল : What ??…স্নেহা এটা কিন্তু আমার সাথে অবিচার করা হচ্ছে..?
[Then sneha kissed? in rahul cheeks ]
রাহুল : এটাই enough হবে না ??..
(স্নেহা খাট থেকে নেমে ড্রেসিং এর পাশে তার জুয়েলারি খুলতে চলে গেলো..)
রাহুল : Ok I m coming for ur help???
রাহুল ও উঠে স্নেহার পাশে গিয়ে দাঁড়ালে…
স্নেহা : No ? thank u ?But no need ?
[স্নেহা জানে রাহুল তার জুয়েলারি খুলতে আসবে না সেটার ফায়দা তুলতে আসবে?]

Love_at_1st_sight ??? Part : 13

দ্বারা
গল্প পোকা
-
March 13, 2019
0

Love_at_1st_sight ???
Part : 13

writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা পিছনের সিটে বসে তার আলিসেমি কাটাচ্ছিলো… হঠাৎ মনে পড়লো তারা যাচ্ছে কই… এতোক্ষনে তো তাদের ট্রেনে থাকার কথা..?
স্নেহা : রাহুল ? কই যাচ্ছি আমরা?..
রাহুল : তোমার বাসায়।
স্নেহা : আমার বাসায় মানে?…? এটাকি মজা করার সময় রাহুল?..দেখেন একদম ফাইজলামি করবেন না..
রাহুল : স্নেহা আমি ফাইজলামি করছি না সত্যি বলছি..
স্নেহা পিছনের সিট থেকে একলাফে সামনে চলে আসে…
স্নেহা : [ চিৎকার করে ] আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন?…রাহুল ?আপনি জানেন এখন বাসায় ফিরে গেলে বাবা আমাকে কি করবে…
রাহুল : (No respons)
স্নেহা : কি হলো কথা বলছেন না কেন?..? রাহুল প্লিজ stop the car..
রাহুল?? প্লিজ…প্লিজ….. প্লিজ…প্লিজ
রাহুল : [একটু ধমক দিয়ে] Just shut-up sneha ?…
স্নেহা : [একটু কেপে উঠলো] ??
রাহুল : স্নেহা আমরা পালিয়ে বিয়ে করে কখনো সুখী হতে পারবো না।
তুমিও এখন বলছো পরে এটা মিলিয়ে নিতে পারবে না….এভাবে কতোদিন পালিয়ে থাকবো আমরা…
স্নেহা তুমিতো জানো বাসায় আমার মা আছে…আমি ছাড়া মায়ের আর কেউ নেই…. স্নেহা তুমি হয়তো এখন ভাবছো আমি তোমাকে ভালোবাসি না তাই তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে আসছি।… but sneha I love u… a lot… তুমি দেখবা তোমার বাবা নিজের হাতে তোমাকে আমার হাতে তুলে দিবে।
স্নেহা : তাহলে এতো দূর এনেছেন কেনো…?
রাহুল : এতোক্ষনে হয়তো তোমার বাবা বুঝে গিয়েছে তুমি পালিয়েছ…
so এতো দূর কেনো এনেছি সেটা না হয় পরে নিজেই বুঝে নিবা।
(রাহুল আর স্নেহা স্নেহাদের বাড়িতে পৌছায়)
স্নেহা গেটের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে গম্ভীর হয়ে…?
রাহুল : স্নেহা কি করছো চলো ভেতরে..
স্নেহা : বাবা?…
রাহুল স্নেহার হাত ধরে স্নেহাকে টেনে নিয়ে যায়…
বাসার বেল দেওয়ার সাথে সাথে স্নেহার মা দরজা খুলে…মনে হচ্ছিলো স্নেহার মা স্নেহার জন্যই অপেক্ষা করে দরজার পাশেই বসে ছিলো…স্নেহার মা স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরলো…
এতো রাত হয়ে গেছে কিন্তু স্নেহার বাসায় কেউ ঘুমায়নি… সবার চেহেরা দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেনশনে ছিলো..
আর স্নেহার বাবাকে দেখে মনে হচ্ছে এক্ষুনি রাহুলকে খুন করে ফেলবে…
রাহুল স্নেহার হাত ধরে স্নেহার বাবার সামনে যায়… স্নেহা ভয়ে যেতে না চাইলেও রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে যায়।
রাহুল : আংকেল আপনি হয়তো আমাদের বেপারে সব জানেন?…এবং আপনি স্নেহার জন্য অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন…কিন্তু স্নেহা এই বিয়েতে রাজি নয়..তা ও জানেন।
infact স্নেহা আমার সাথে পালিয়ে গিয়েছে সেটা ও বুঝতে পারছেন।আংকেল আমরা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসি… ?
এখন আপনি ডিসাইট করুন স্নেহা কাকে বিয়ে করলে সুখী হবে।
আপনি যেটা বলবেন আমরা সেটাই করবো…
বাবা : পালিয়ে গিয়েছো, সেটা আবার প্রাউড করে আমাকে বলছো কিভাবে…
পালিয়ে যাওয়া কোনো মহান কাজ? নয়..যেটা তোমরা করেছো…
রাহুল : ???
বাবা : কিসের এতো পাওয়ার দেখাচ্ছো তুমি..তোমার ঐ নামি দামি বড় গাড়ীর…নাকি দামি বাড়ির…?
রাহুল : আংকেল আমার নামি-দামি বাড়ী -গাড়ির পাওয়ার যদি আমি দেখাতাম তাহলে স্নেহা যেদিন দৌড়ে আমার বুকে এসেছিলো ঐদিনি স্নেহাকে…নিয়ে আমি পালিয়ে যেতাম..আজ স্নেহাকে আপনার কাছে এনে দিতাম না… I m sure আপনি আমার কিছুই করতে পারতেন না।
আমার বাবা নেই…তাই আমি আপনাকে অনেক respect করি..
বাকিটা আপনার উপর…
এই বলে রাহুল স্নেহার হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো…
স্নেহা বরফের মতো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…আর চোখ দিয়ে গড়িয়ে জল পরছে…? [স্নেহা রাহুলের চলে যাওয়া চেয়ে আছে এক দৃষ্টিতে]
রুমে এসে বসে আছে, রাহুলের সাথে কাটানো Moment গুলো মনে পড়ছে স্নেহার?…
স্নেহার মা এসে খাবার দিলে স্নেহা খাবার খায় না… পাথরের মতো শক্ত হয়ে বসে আছে স্নেহা…..
After 2 week…
রাহুলের কোনো ফোন আসেনি.. স্নেহা ও ফোন করেনি…
এক একটা নিষ্টুর দিন চলে যাচ্ছে রাহুলকে ছাড়া…
যে রাহুল কি না..স্নেহাকে চোখের আড়াল হতে দিতো না..সে রাহুল আজ স্নেহাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে…
স্নেহা এখন কিছু খায়না রুম থেকে বের হয়না তা দেখে স্নেহার বাবা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না…
বাবা : এতো বড় হয়েগেছিস কবে বুঝতে ও পারিনি, এখন বিয়ে ও দিয়ে দিতে হচ্ছে।
আজ সন্ধ্যায় ছেলে আসবে দেখা করে কথা বলে নিস…
স্নেহা [মনে মনে ] বাবা তুমি এতো কঠোর কেমনি, আমার জন্য একটু ও মায়া হয়না তোমার…???
সন্ধ্যায়,
স্নেহা : তোরা, ?
মার্জান : অবাক হওয়ার কি আছে আমাদের বান্ধুবির বিয়ে আমরা তাকে দেখতে আসবো না..
স্নেহা : ?????? মার্জানকে ঝড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে,
শায়লা : আচ্ছা হয়েছে এখন কাদিস না,আজ তো আর বিদায় না, জাস্ট দেখা করবি,মন খুলে কথা বলবি☺। তৈরী হয়ে নে তাড়াতাড়ি,
স্নেহা তৈরী হয়ে আসে,..
মার্জান : চল,
স্নেহা : কোথায়, ?
মার্জান : এতো প্রশ্ন করিস কেনো বলতো..আগে চল।
স্নেহা : কিন্তু বাবা,?
জারিফা : উফফ আংকেলই পারমিশন দিয়েছে..তোকে নিয়ে যেতে, এবার চল।
অনেকদিন পর স্নেহা বাড়ী থেকে বের হলো… সবকিছু দেখে কারো কথা মনে পরছে স্নেহার ?
মার্জান : কি হলো দুলহানের মুখ গোমড়া কেনো দুলা দেখলে কি বলবে বলতো…
জারিফা : বলবে আমার হবু বউ গম্ভুস ??
স্নেহা : ?
স্নেহাকে তার ফ্রেন্ডসরা একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়…
স্নেহা : এইখানে আসবে?..?
মার্জান : হুম☺
স্নেহা : ঘরে আসলেও তো পারতো…?
স্নেহা ঢুকতেই দেখে রেস্টুরেন্টের একপাশটা খুব সুন্দর করে সাজানো যা চোখ সরানোর মতো নয়।
মার্জান : যা ঐখানেই আসবে, অপেক্ষা কর।
স্নেহা : কিন্তু তোরা ও চল প্লিজ আমি একা কেমন যেন লাগছে… 

🙁
মার্জান : আরে তোর চেহেরাটা এমনভাবে বানিয়ে রেখেছিস কেন।তুই একাই যাবি।বিয়ে তো তোর থেকেই করতে হবে তাই না… এবার যা..
স্নেহা : ???
মার্জান : (স্নেহাকে ঠেলে) আরে যা না।
(স্নেহা গেলো আর মনে মনে ভাবছে আজ ছেলেটিকে বলে দিবে সে তাকে বিয়ে করতে পারবে না.. ভালোই হয়েছে বাসায় না দেখা করে এইখানে করছে)
[এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ পেছন থেকে কেউ ডাক দিলো স্নেহা বলে]….
সেই চির চেনা কন্ঠ ? স্নেহা ফিরে তাকালে??????
সে রাহুলকে দেখতে পায়…??.
রাহুল স্নেহার কাছে আসে,… ☺
স্নেহা : ?????
রাহুল : স্নেহা কেমন হয়েছে ডেকোরেট?
এন্ড সারপ্রাইজ ?
স্নেহা : তার মানে এসব আপনার প্লান ছিলো….?????
রাহুল : স্নেহা ? আমরা যদি ট্রেনে করে ইন্ডিয়া পালিয়ে যেতাম… তাহলে আমি স্টেশনে গাড়ী কেন নিয়ে গিয়েছি…ইন্ডিয়া চলে যাওয়ার পর গাড়ীটা কি.. আমার শশুর সরকারে যত্ন করে আমার বাসায় পৌছে দিতো ? তুমি কি বোকা একটু ও বুঝতে পারলে না।??
আর তোমার বাবার হাতে ঐদিন তোমাকে তুলে দিয়ে যা বলেছি… তোমার বাবা আমাকে রিজেক্ট করার অপশন খুজেই পাচ্ছিলো না.. cz I m rahul ?
রিজেক্ট করার মতো ছেলেই নয়, ?
তাই আজ এসব আরকি,☺
স্নেহা তোমাকেই ভালো যখন বেসেছি তোমাকেই পেয়ে ছাড়বো এতো সহজে পিছন ছাড়ছি না ??আর তুমি বোকা কিছুই বুঝতে পারলা না…আবারো ঐ মেকানিকের সাথে দেখা করতে চলে এসেছ ???
স্নেহা : স্টুপিড, ইডিয়ট, ?একটা ফোন দিয়ে বললেন ও না…
রাহুল : আচ্ছা নিজে করেছো… ?
ভেবে নিয়েছ আমি ছেড়ে চলে গিয়েছি…
স্নেহা রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরতে গেলে??
রাহুল : [একটু পিছিয়ে] No sneha ?
স্নেহা : ?? শয়তান…
তারপর দুজন দুজনকে ঝড়িয়ে ধরলো????????…
(চলবে)
[নেক্সট পার্ট : রাহুল এবং স্নেহার ওয়েডিং সবাইকে আমন্ত্রিত করলাম গিফট নিয়ে চলে আসবেন।।
চলবে।।।

1...1,1931,1941,195...1,2301,230 পাতা 1,194

সম্পাদকের পছন্দ

যতনে রাখিও পর্ব-০২ এবং শেষ পর্ব

September 9, 2025

যতনে রাখিও পর্ব-০১

September 9, 2025

অবুঝ পাড়ার বাড়ি পর্ব-১৪ এবং শেষ পর্ব

September 6, 2025



Archives

  • September 2025
  • July 2025
  • June 2025
  • May 2025
  • April 2025
  • March 2025
  • February 2025
  • January 2025
  • December 2024
  • November 2024
  • October 2024
  • September 2024
  • August 2024
  • July 2024
  • June 2024
  • May 2024
  • April 2024
  • March 2024
  • February 2024
  • January 2024
  • December 2023
  • November 2023
  • October 2023
  • September 2023
  • August 2023
  • July 2023
  • June 2023
  • May 2023
  • April 2023
  • March 2023
  • February 2023
  • January 2023
  • December 2022
  • November 2022
  • October 2022
  • September 2022
  • August 2022
  • July 2022
  • June 2022
  • May 2022
  • April 2022
  • March 2022
  • February 2022
  • January 2022
  • December 2021
  • November 2021
  • October 2021
  • September 2021
  • August 2021
  • July 2021
  • June 2021
  • May 2021
  • April 2021
  • March 2021
  • February 2021
  • January 2021
  • December 2020
  • November 2020
  • October 2020
  • September 2020
  • August 2020
  • July 2020
  • June 2020
  • May 2020
  • April 2020
  • March 2020
  • February 2020
  • January 2020
  • December 2019
  • November 2019
  • October 2019
  • September 2019
  • August 2019
  • July 2019
  • June 2019
  • May 2019
  • April 2019
  • March 2019
  • February 2019

Categories

  •  হৃদস্পর্শ
  • "অদৃশ্য দেয়াল
  • "অবুঝ পাড়ার বাড়ি
  • "অর্ধাঙ্গিনী
  • "আগন্তুক
  • "ইসলামিক হাদিস
  • "কবিতা লিখন প্রতিযোগীতা সেপ্টেম্বর 2020
  • "ডায়েরির শেষ পৃষ্ঠা
  • "ডার্ক-মাইস্টোরি
  • "ধারাবাহিক গল্প"
  • "নবপূর্ণিমা
  • "মরীচিকার সংসার
  • "যতনে রাখিও
  • "সৌরকলঙ্ক
  • "হেমন্তের নীড়
  • ১২১৫
  • ৩২বছরের ছেলে ১৭ বছরের মেয়ে
  • Adorable Love
  • Angry Husband
  • Bestfriend
  • Blind love
  • coffee & vanilla
  • Crush when cousin
  • Crush যখন বর
  • Crush যখন বর Season 3
  • Crush যখন বর?Season 2
  • Dangerous Crazy Lover
  • Dangerous Villien Lover
  • Darkness
  • Destiny of Love
  • Devil love
  • devil love(married life)
  • Devil Teacher
  • Dont forget me
  • Ex girlfriend যখন অফিসের বস
  • EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার
  • Gangstar in love
  • Happily Married
  • heart touch love 2
  • In Depths of Love
  • Khatarnak Isq
  • Love
  • Love At 1st Sight  Season 3
  • Love At 1st Sight $2
  • love is like a Cocktail
  • Love Marriage
  • Love warning
  • Love with vampire
  • Love_at_1st_sight
  • Lover boss
  • Mafia Boss (Season 2)
  • MEANINGLESS LIFE PARTNER
  • MR AND MRS WHATEVER
  • My Mafia Boss
  • Old Story
  • Psycho is back
  • psycho is back season 2
  • pyar tho hona hi tha
  • Rain Of Love
  • Revenge of love
  • sanam teri kasam
  • Seeing with you Part
  • Shadow in love
  • the unlimited love
  • The unlimited love Season 2
  • The Villain Lover
  • Uncategorized
  • Unending love
  • What a হাসবেন্ড
  • Your Lover
  • অঙ্গারের নেশা
  • অঙ্গীকার
  • অচেনা
  • অচেনা অভ্যাসে
  • অচেনা মানুষের মাঝে
  • অচেনা শহর
  • অজানা অনুভূতি
  • অজানা অনূভুতি
  • অটবী সুখ
  • অটুট বন্ধন(বালিকা বধ))
  • অতন্দ্রিলা আর বৃষ্টি
  • অতন্দ্রিলার রোদ
  • অতঃপর গল্পটা তোমার আমার
  • অতঃপর তুমি
  • অতঃপর দুজনে একা
  • অতঃপর প্রেম
  • অতঃপর ভালোবাসি
  • অতঃপর সন্ধি
  • অতিথি পাখি
  • অতীত কথা
  • অথৈ মহল
  • অদৃশ্য বাসর
  • অদ্ভুত কান্না
  • অদ্ভুত তিনি
  • অদ্ভুত প্রণয়
  • অদ্ভুত প্রেম
  • অদ্ভুত ভালোবাসা 
  • অদ্ভুত ভালোবাসা season 2
  • অধিকার
  • অনপেখিত
  • অনিয়ন্ত্রিত মন
  • অনির
  • অনির্বাণ
  • অনুতপ্ত
  • অনুভবে
  • অনুভবে তুমি
  • অনুভবে তুমি
  • অনুভবে তোমায় খুঁজি
  • অনুভবে সিজন-০২
  • অনুভুতির সংমিশ্রণ
  • অনুভূতি
  • অনুভূতিটা তোমায় ঘিরে
  • অনুভূতির অন্তরালে
  • অনুভূতির মায়াজাল
  • অনুভূতির সংমিশ্রণ
  • অনুভূতির সুপ্ত কোণে
  • অনুভূতিরা শব্দহীন
  • অনুরক্তি অন্তরিক্ষ
  • অনুরক্তি এসেছে তোমার শহরে
  • অনুরাগ 
  • অনূভুতি
  • অনূসুয়া
  • অন্তরালে
  • অন্তরালে তুমি আমি
  • অন্তরালের সত্যি
  • অন্তরিক্ষ প্রণয়
  • অন্তর্দহন প্রণয়
  • অন্তর্দহন প্রণয় সিজন-০২
  • অন্তহীন প্রেম
  • অন্ধ তারার অশ্রুজল
  • অন্ধকার জীবনে নতুন আলো
  • অন্ধকার পল্লী
  • অন্ধকারে এক চিলতে আলো
  • অন্যরকম অনুভূতি
  • অন্যরকম তুই
  • অন্যরকম তুমি
  • অন্যরকম তুমিময় হৃদয়াঙ্গণ
  • অন্যরকম বিয়ে  
  • অন্যরকম ভালোবাসা
  • অপূর্ণ অভিলাষ
  • অপূর্ণতা
  • অপূর্নতার সংসার
  • অপূর্ব সমাপ্তি
  • অপেক্ষা
  • অপেক্ষার প্রিয় প্রহর
  • অপ্রকাশিত ভালোবাসা
  • অপ্রত্যাশিত বাসর
  • অপ্রত্যাশিত বিয়ে
  • অপ্রাপ্তি
  • অপ্রিয় জনাব
  • অপ্রিয় প্রিয়জন
  • অপ্রিয় প্রেয়সীর ভালোবাসা
  • অপ্রিয় সে
  • অপ্রেমের একাত্তর দিন
  • অপ্রেমের প্রিয় অধ্যায়
  • অবশেষে
  • অবশেষে
  • অবশেষে তুমি আমি
  • অবশেষে সন্ধি হলো
  • অবহেলা
  • অবহেলা সংসার
  • অবহেলার শেষে
  • অবহেলিত ভালোবাসা
  • অবাধ্য অনুভূতি
  • অবিবাহিত বউ
  • অবুঝ ছাত্রী
  • অবুঝ দিনের গল্প
  • অবুঝ বউ
  • অবেলায় তুমিআমি
  • অবেলায় তোমার আকাশে
  • অবেলায় তোমার ডাকে
  • অবেলায় ভালোবাসা 
  • অবেলার বকুল
  • অবেলার মেঘ
  • অভিনয় হলেও ভালোবাসি
  • অভিমান হাজারো
  • অভিমানী বিকেল শেষে
  • অভিশপ্ত রাত
  • অমানিশা
  • অমানিশায় সেই তুমিই
  • অমানিশায় সেই তুমিই
  • অর্ধের অর্ধাঙ্গিনী
  • অলকানন্দার নির্বাসন
  • অলক্ষ্যে তুমি
  • অলৌকিক
  • অলৌকিক
  • অসৎ স্বামী
  • অসম্ভবে অসঙ্গতে
  • অসাধারণ
  • অস্পষ্টতা
  • অহেতুক অমাবস্যা
  • অহেতুক অমাবস্যা
  • আওয়াজ
  • আকাঙ্খিত প্রণয়
  • আকাশ জুড়ে তারার মেলা
  • আকাশ তীরে আপন সুর
  • আকাশী
  • আকাশের চেয়েও বেশী তোমায় ভালোবাসি
  • আগন্তুক
  • আগুনের দিন
  • আছো তুমি হৃদয়জুড়ে
  • আজ আমার বিয়ে
  • আজ রিক্তার মৃত্যুবার্ষিকী
  • আজ শৈলীর বিয়ে
  • আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
  • আজকে আমার মন ভালো নাই
  • আজব প্রেমের কাহিনি
  • আজল
  • আংটি
  • আংটি
  • আড়ালে অনুভবে
  • আঁড়ালে কে নাড়ে কলকাঁঠি
  • আড়ালে তুমি
  • আড়ালে ভালোবাসার সংসার
  • আড়ালে ভালোবাসি
  • আড়ালে ভালোবাসি
  • আত্না নাকি সে??
  • আত্মা
  • আত্মা নাকি সে? সিজন-০২
  • আঁধার
  • আঁধার ভিড়ে সন্ধ্যাতারা
  • আধার রাতের আলো
  • আধারে তুমি
  • আঁধারের আলো
  • আনকালচার্ড বউ
  • আনকোরা কাহিনী
  • আনন্দ অশ্রু
  • আনন্দচারিনী
  • আনন্দময় ভালোবাসা
  • আপন মানুষ 
  • আপন মানুষ
  • আপনাকেই চাই
  • আপনার শুভ্রতা
  • আপনিময় বিরহ
  • আফিম বড্ড নেশালো
  • আবছা আলোয় তুমি
  • আবদ্ধ তোমার মধ্যে
  • আবেগীমন
  • আম সন্দেশ
  • আমায় ডেকো অপরাহ্নে
  • আমার অধিকার তুমি
  • আমার অভিমান তোমাকে নিয়ে
  • আমার ক্রাশ
  • আমার ঘর আমার সংসার
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি সিজন-০২
  • আমার তোমাকে প্রয়োজন
  • আমার পাগলি প্রেমিকা
  • আমার পূর্ণতা
  • আমার প্রতিশোধ
  • আমার প্রথম সকাল
  • আমার প্রেয়সী
  • আমার বিষাদীনি
  • আমার বুড়ো
  • আমার বোন প্রীতি
  • আমার ভাঙা ক্যানভাসে
  • আমার ভীনদেশী এক তারা
  • আমার মুগ্ধতায় তুমি
  • আমার মেয়ে
  • আমার শহরে তুমি
  • আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ
  • আমার শহরে তোমার নিমন্ত্রণ
  • আমার শহরে রংধনু উঠেনা
  • আমার শহরে সিজন-০২
  • আমার সংসার
  • আমার স্বামী
  • আমার হয়েও আর হইলোনা
  • আমি অর্ষা
  • আমি আমার
  • আমি তুমিতেই আসক্ত
  • আমি তোমারি সনে বেঁধেছি আমারো পরাণ
  • আমি দূর হতে তোমারে দেখেছি
  • আমি পথ হারিয়ে ফেলি
  • আমি পদ্মজা
  • আমি যারে চেয়েছিলাম
  • আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
  • আমি শুধুই তোমার
  • আমি শুধুই তোমার
  • আমি শুধুই তোমার সিজনঃ০২
  • আমিরাহ্
  • আম্মার সংসার
  • আরশিকথা
  • আরেকটি বার
  • আলতো বাঁধন
  • আলো অন্ধকারে
  • আলো আঁধার
  • আলো থেকে অন্ধকার
  • আলো-আঁধার
  • আশিকি
  • আষাঢ়ের তৃতীয় দিবস
  • আস্থা
  • আহানের শ্যামবতী
  • ইচ্ছে ডানা
  • ইচ্ছে দুপুর
  • ইচ্ছে যখন উড়নচণ্ডী
  • ইতি উতি সংসার
  • ইতি মাধবীলতা
  • ইমপারফেক্ট কাপল
  • ইরাবতী
  • ইরোরা
  • ইলশেগুঁড়ি
  • ইংলিশ মিডিয়াম
  • ইসলামিক গল্প
  • ইসলামিক স্ট্যাটাস
  • উইল ইউ ম্যারি মি?
  • উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বসিত সায়রী
  • উজান ঘাটের মাঝি
  • উজানের ঢেউ
  • উড়বে হওয়ায় বিষন্ন চিরকুট
  • উড়ান
  • উড়ো পার্সেল
  • উড়ো ফোন
  • উত্তরাধিকার
  • উত্তরাধিকার
  • উদাসীনী
  • উধয়রনী
  • উপসংহার
  • উষ্ণতা
  • ঊষালগ্নে
  • ঋতুর স্মৃতি
  • ঋতুর স্মৃতি সিজন ০২
  • এ কেমন ভালোবাসা
  • এ শহর মেঘলা ভীষণ
  • এই প্রেম তোমাকে দিলাম
  • এই ভালো এই খারাপ
  • এই মন তোমাকে দিলাম
  • এই মন তোমাকে দিলাম
  • এই শহরের পাখিগুলো ডানা মেলে উড়তে জানেনা
  • এই সাঁঝবেলাতে তুমি আমি
  • এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়
  • এক অভিমানীর গল্প
  • এক আকাশ দূরত্ব
  • এক কুয়াশার সকাল
  • এক চিলতে ভালোবাসা
  • এক ঝড়ো হাওয়ায়
  • এক টুকরো আলো
  • এক পশলা ঝুম বর্ষায়
  • এক পশলা বৃষ্টি
  • এক পশলা বৃষ্টি আর সে
  • এক পূর্ণিমা সন্ধ্যায়
  • এক ফালি চাঁদ
  • এক বসন্ত প্রেম
  • এক বুক ভালোবাসা
  • এক বৃষ্টির দিনে
  • এক বৃষ্টির দিনে
  • এক মুঠো প্রণয়
  • এক মুঠো প্রণয় সিজন-০২
  • এক মুঠো প্রেম রঙ্গনা
  • এক মুঠো ভালোবাসা
  • এক মুঠো সুখপ্রণয়
  • এক শহর প্রেম
  • এক শহর প্রেম ২
  • এক শহর ভালোবাসা
  • এক সমুদ্র প্রেম
  • একই সুরে প্রেম আমায় কাঁদায়
  • একগুচ্ছ কদম
  • একগুচ্ছ ভালোবাসা
  • একগুচ্ছ রক্তজবা
  • একজন অপরাজিতা
  • একজন রূপকথা
  • একজীবন
  • একজোড়া চড়ুই
  • একটা পরীর গল্প
  • একটি পানকৌড়ির গল্প…! 
  • একটি প্রেমাচ্ছন্ন বিকেল
  • একটি হুইল চেয়ার
  • একটু অধিকার
  • একটু ভালোবাসা
  • একটুখানি ভালোবাসা
  • একটুখানি সুখ
  • একতরফা ভালোবাসা
  • একতরফা ভালোবাসা
  • একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি
  • একদিন কাঁদবে তুমিও
  • একদিন তুমিও ভালোবাসবে
  • একমুঠো বসন্ত
  • একা তারা গুনতে নেই
  • একাকী বিকেল
  • এটা গল্প হলেও পারতো
  • এতোটুকুই তো ঝড়বৃষ্টি
  • এবং স্ত্রী
  • এমনই শ্রাবণ ছিল সেদিন
  • এর বেশি ভালবাসা যায় না
  • এলিয়েন
  • এসো আমার গল্পে
  • এসো বৃষ্টি হয়ে
  • এসো শব্দহীন পায়ে
  • এ্যারেঞ্জ ম্যারেজ সিজন ২
  • ঐশ্বর্যের উপাখ্যান
  • ওঁ আসবেই
  • ও চোখে বৃষ্টি এলে
  • ওগো বধু সুন্দরী
  • ওপারে আকাশ
  • ওয়াদা
  • ওয়ারদূন আসরার
  • ওহে প্রেয়সী ভালোবাসি
  • কখনো কুর্চি
  • কখনো বা দেখা হবে
  • কতোটা চাই তোকে
  • কথোপকথন
  • কনফিউশন
  • কনে বদল
  • কনে_দেখা_আলো
  • কবিতা সমগ্র
  • কবে হলো ভালোবাসা
  • কলঙ্ক
  • কলঙ্কের দাগ
  • কলা পাতায় বাঁধিব ঘর
  • কষ্টের উক্তিসমূহ
  • কষ্টের কবিতা
  • কষ্টের গল্প
  • কহিনুর
  • কাকতাড়ুয়া
  • কাগজের নৌকা
  • কাঁচ কাটা হীরে
  • কাঁচের সংসার
  • কাছে আসার গল্প
  • কাছে কিবা দূরে
  • কাছে পাশে
  • কাছেপিঠে
  • কাছের মানুষ দূরে থুইয়া
  • কাঁটাকম্পাস
  • কাঁটামুকুট
  • কাঠগোলাপ
  • কাঠগোলাপের আসক্তি
  • কাঠগোলাপের মোহে
  • কাঠগোলাপের সাদার মায়ায়
  • কানামাছি
  • কান্তা মনি
  • কাব্যের বিহঙ্গিনী
  • কারিনা
  • কালো মেঘ
  • কালো মেঘের আভাস
  • কি করিলে বলো পাইবো তোমারে
  • কি ছিলে আমার
  • কিছু সমাপ্ত পূর্ণতার
  • কিশোরী কন্যার প্রেমে
  • কুড়িয়ে পাওয়া ডায়েরী
  • কুয়াশা মন
  • কুয়াশা মিলিয়ে যায় রোদ্দুরে
  • কুয়াশায় ঘেরা
  • কুয়াশায় ঘেরা আধার
  • কুয়াশার আড়ালে সূর্য
  • কুয়াশার মতো
  • কুসুম কাঁটা
  • কুসুমিত কামিনী
  • কুহেলিকা
  • কৃষ্ণকলি
  • কৃষ্ণচূড়া
  • কে আপনি
  • কে কোথায় যায়?
  • কে তুমি
  • কে বাঁশি বাজায় রে
  • কেউ কথা রাখেনি
  • কেন আমি ডাকি তারে
  • কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে
  • কেবিন নং থার্টি সিক্স
  • কেয়ারিং হাসবেন্ড
  • কেশের মায়া
  • কোথাও কেউ ভালো নেই
  • কোথাও হারিয়ে যাব
  • কোন এক প্রণয় প্রহরে
  • কোন কাননের ফুল গো তুমি
  • কোন সুতোয় বাঁধবো ঘর
  • কোনো এক শ্রাবণে
  • কোনো একদিন
  • ক্যাকটাস
  • ক্যারিয়ার
  • ক্যালেন্ডার
  • ক্যালেন্ডার
  • ক্রীড়াবেগ
  • ক্লিওপেট্রা
  • খাট নিয়ে বিরম্বনা
  • খুশনূর
  • খুশবু
  • খেলাঘর 
  • খেলার পুতুল
  • খোলা চিঠি
  • খোলা চুল
  • খোলা জানালার দক্ষিণে
  • গন্তব্যহীন
  • গরীবের প্রেম
  • গর্ভধারিণী
  • গল্প পোকা ছোট গল্প প্রতিযোগিতা নভেম্বর ২০২০
  • গল্প পোকা ছোট গল্প সংকলন
  • গল্পগুলো অজানাই থাক
  • গল্পটা তুমিময়
  • গল্পটা নিশ্চুপ বালিকা’র
  • গল্পটা ভালবাসার
  • গল্পপোকা চিঠি প্রতিযোগিতা
  • গল্পপোকা ছোটগল্প প্রতিযোগিতা এপ্রিল ২০২১
  • গল্পপোকা ধারাবাহিকগল্প প্রতিযোগিতা ২০২০
  • গল্পের নামঃ উড়ন্ত
  • গল্পের নাম প্রেমের শুরু
  • গহন কুসুম কুঞ্জে
  • গাঁইয়া বউ
  • গাধা
  • গানের ওপারে তুমি
  • গুপ্ত প্রণয়
  • গুমোট অনুভুতি
  • গৃহযুদ্ধ
  • গোধূলি রাঙা দিগন্ত
  • গোধূলি লগ্নে হলো দেখা
  • গোধূলির আলোয়
  • গোধূলির নিমন্ত্রণ
  • গোলকধাঁধা
  • গ্যাসবেলুন
  • ঘরকন্না
  • ঘরে ফেরার গান
  • ঘাস ফড়িং
  • ঘুমন্ত রাজপরী
  • ঘেউলের সংসার
  • চক্রব্যূহ
  • চক্ষে আমার তৃষ্ণা
  • চড়ুই নীড়ে বসবাস
  • চন্দ্র'মল্লিকা
  • চন্দ্রকণার রাহা
  • চন্দ্রকিরণ
  • চন্দ্রকুঠি
  • চন্দ্রমলিন সন্ধ্যায়
  • চন্দ্ররঙা প্রেম
  • চন্দ্ররঙা প্রেম সিজন-০২
  • চন্দ্রাণী
  • চন্দ্রাবতী আসছে
  • চরিত্রহীন
  • চলো না হারিয়ে যাই
  • চশমা
  • চশমাওয়ালা ছেলেটি
  • চাঁদের আলোয় জোছনা ভাঙ্গে
  • চাঁদের বাড়ি বহুদূর
  • চারুর সংসার
  • চারুলতা
  • চাহিদা
  • চিত্রলেখার কাব্য
  • চিরসখা
  • চিরেকুটের শব্দ
  • চিলেকোঠায় সমাপ্তি
  • চিলেকোঠার ভাঙ্গা ঘর
  • চিলেকোঠার ভালোবাসা
  • চুক্তির বউ
  • চুপিসারে ভালবাসি
  • চেয়েছিলাম তো তোমাকেই
  • চৈত্রের প্রেম
  • চৈত্রের রাঙায় রচিত প্রণয়
  • চোখের আড়ালে
  • চোখের বিষ
  • চোরাবালি
  • ছদ্মবেশে কে সে
  • ছন্দ ছাড়া বৃষ্টি
  • ছন্দময় সংসার
  • ছাত্রী যখন বউ
  • ছায়া
  • ছায়া
  • ছায়া নীল!
  • ছায়া মানব
  • ছায়া সঙ্গী
  • ছায়াতরু
  • ছোট গল্প
  • ছোটগল্প প্রতিযোগিতা আগস্ট ২০২০
  • ছোটঘরের ভালোবাসা
  • ছোটঘরের ভালোবাসা সিজন ২
  • ছোঁয়ার শিহরণ
  • ছোঁয়ার শিহরণ সিজন-০২
  • জনম জনমে
  • জনম জনমে
  • জন্মটা পতিতালয়ে
  • জন্মদাতা
  • জয়ী
  • জলচক্ষু
  • জলছবি
  • জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড
  • জানালার ওপারে
  • জানি দেখা হবে
  • জানে জিগার
  • জামাই শ্বশুর
  • জাস্ট ফ্রেন্ডস
  • জীবন পেন্ডুলাম
  • জীবন সঙ্গী
  • জীবনের গল্প
  • জীবনের গোপন ডাকবাক্স
  • জীবনের ডাকবাক্স
  • জীবনের ডায়েরী
  • জীবনের থেকেও বেশি
  • জুয়াড়ি স্বামী
  • জোড়া শালিকের সংসার
  • জোনাকিরা জ্বলে নিভে
  • জোরপূর্বক ভালোবাসা
  • জ্যামিতিক ভালোবাসা
  • জ্যোৎস্নার ছল
  • ঝগড়াটে ভালোবাসা -অভন্তিকা
  • ঝগরাটে ভালবাসা -তামান্না
  • ঝড়ে যাওয়া বকুল
  • ঝরা পাতা উড়ে যায়
  • ঝরা ফুল
  • ঝরে যাওয়া বেলীফুল
  • ঝুমুর
  • টক মিষ্টি ঝাল
  • টরেটক্কা
  • টিংটিংটুংটাং
  • টেম্পরারি বিয়ে
  • টেষ্ট_টিউব  
  • ঠিক যেনো love Story
  • ডাইনামিক হিস্ট্রি
  • ডাক
  • ডাকপিয়নের ছুটি নেই
  • ডাক্তার ম্যাডাম
  • ডিটেকটিভ রনি
  • ডিভোর্সের পরে
  • ডুবে ডুবে ভালোবাসি
  • ডুমুরের ফুল
  • ডেবিল লাভার
  • ডেভিল বর
  • ডেভিল হ্যাজবেন্ডের পিচ্চি বউ♥
  • তনয়া
  • তনুশ্রী
  • তন্ময়ের তনু
  • তপ্ত সরোবরে
  • তবু আছি কাছাকাছি (Doctors love)
  • তবু ভালো আছি
  • তবু মনে রেখো
  • তবুও তুমি
  • তবুও তোমায় চাই
  • তবুও তোমায় ভালোবেসেছি
  • তবুও মনে রেখো
  • তবে ভালোবাসো কী
  • তান্ডবে ছাড়খার
  • তার ইচ্ছে
  • তার শহরের প্রেম
  • তালা চাবি
  • তাসের ঘর
  • তাসের ঘর
  • তাহার উম্মাদনায় মত্ত
  • তি আমো
  • তিক্ত প্রতিশোধ
  • তিক্ত বুকের বাঁ-পাশ
  • তিক্ত ভালোবাসা
  • তিথির প্রতিজ্ঞা
  • তিনশত পয়ষট্টি পৃষ্ঠা
  • তিনি আমার সৎমা
  • তিনি এবং ও !
  • তিমির
  • তিমিরে ফোটা গোলাপ
  • তিলোত্তমা
  • তীর ভাঙ্গা ঢেউ
  • তুই আমার
  • তুই আমার অন্যরকম নেশা
  • তুই আমার অন্যরকম নেশা সিজন ২
  • তুই আমার সিজন ০২
  • তুই আমারই থাকবি
  • তুই বিহনে
  • তুই যে শুধুই আমার
  • তুই শুধু আমার
  • তুই শুধু আমার
  • তুই শুধু আমার ভালোবাসা
  • তুই হবি শুধু আমার
  • তুই হবি শুধু আমার সিজন-০২
  • তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর
  • তুমি অপরূপা
  • তুমি আছো হৃদয়ে
  • তুমি আমার
  • তুমি আমার
  • তুমি আমার
  • তুমি আমার চেনা হয়েও অচেনা
  • তুমি আমার প্রণয়িনী
  • তুমি আমার প্রিয়তমা
  • তুমি আমার প্রেয়সী
  • তুমি আমার ব্যাকুলতা
  • তুমি আমার ভালোবাসা
  • তুমি আমার মা
  • তুমি আমার স্নিগ্ধ ফুল
  • তুমি আসবে বলে
  • তুমি এলে তাই
  • তুমি এলে তাই
  • তুমি এসেছিলে বলে
  • তুমি কে
  • তুমি গহীন অনুভব
  • তুমি চাইলে যেতে পারো
  • তুমি ছিলে বলেই
  • তুমি ছিলে বলেই সিজন-০২
  • তুমি নামক অক্সিজেন
  • তুমি নামক নেশা
  • তুমি নামক যন্ত্রণা
  • তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে
  • তুমি নামক সপ্তর্ষি সিজন-০২
  • তুমি প্রেম হলে আমি প্রেমিক
  • তুমি বৃষ্টি হয়ে নামলে
  • তুমি যে আমার
  • তুমি রঙিন প্রজাপতি
  • তুমি রবে
  • তুমি রবে নীরবে
  • তুমি শুধু আমার
  • তুমি সন্ধ্যার মেঘ
  • তুমি হলেই চলবে
  • তুমিই আমার পূর্ণতা
  • তুমিই আমার পূর্নতা
  • তুমিই আমার প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা
  • তুমিময়
  • তুমিময়
  • তুমিময় আসক্তি
  • তুমিময় নেশার আসক্তি
  • তুমিময় প্রাপ্তি
  • তুমিময় ভালোবাসা
  • তৃণকান্তা
  • তৃণশয্যা
  • তৃষ্ণার্থ প্রেয়সী
  • তৈমাত্রিক
  • তৈলচিত্রের কলঙ্কিনী
  • তোকে খুব ভালোবাসি
  • তোকে চাই
  • তোকে চাই (সিজন -২)
  • তোকে ভালোবেসে খুব
  • তোমাকে আমার প্রয়োজন
  • তোমাকে চাই
  • তোমাকে চাই
  • তোমাকে চাই
  • তোমাকে চাই
  • তোমাকে চাই (Season 2)
  • তোমাকে চাই(Season 3)
  • তোমাকে ঠিক চেয়ে নিবো
  • তোমাকে ঠিক চেয়ে নিবো
  • তোমাকে বলার ছিল
  • তোমাকেই ভালোবাসি
  • তোমাতে আমি মুগ্ধ
  • তোমাতে আসক্ত
  • তোমাতে আসক্ত সিজন-০২
  • তোমাতে বিভোর
  • তোমাতে বিভোর সিজন-০২
  • তোমাতে বিলীন হবো
  • তোমাতেই পূর্ণ আমি
  • তোমাতেই পূর্নতা
  • তোমাতেই বিমোহিত
  • তোমাতেই সীমাবদ্ধ আমি
  • তোমায় আমি দেখেছিলেম বলে
  • তোমায় ঘিরে
  • তোমায় ছেড়ে যাবো কোথায়
  • তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছে
  • তোমায় নিয়ে ভ্রমণ
  • তোমায় পাবো বলে
  • তোমায় প্রয়োজন
  • তোমার আকাশে হব প্রজাপতি
  • তোমার আঁচলের উঠোনে
  • তোমার আড়ালে
  • তোমার আড়ালে
  • তোমার ছায়া
  • তোমার জন্য সব
  • তোমার জন্য সাইকো
  • তোমার জন্য সিন্ধুর নীল
  • তোমার নেশায় আসক্ত
  • তোমার নেশায় আসক্ত সিজন-০২
  • তোমার সন্ধানে
  • তোমার স্পর্শে
  • তোমার স্মৃতি
  • তোমারে মত্ত আমি
  • তোর ছায়ার সঙ্গী হব
  • তোর মনপাড়ায়
  • তোর মায়ায়
  • তোর শহরে ভালোবাসা
  • তোর শহরে ভালোবাসা সিজন-২
  • তোর হতে চাই
  • ত্যাগ
  • ত্রিকোণ
  • ত্রিধারে তরঙ্গলীলা
  • ত্রিভুজ প্রেম
  • দখিনা প্রেম
  • দখিনের জানলা
  • দমকা হাওয়া
  • দর্পহরন
  • দহন
  • দহন
  • দহন ফুল
  • দিন শেষে আরো দিন আসে
  • দু মুঠো বিকেল
  • দুই পৃথিবী
  • দুই বধূ এক স্বামী
  • দুঃখগুলো নির্বাসিত হোক
  • দুজনা
  • দুপাতার পদ্ম
  • দুলহানীয়া
  • দুষ্টু বউ
  • দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি সংসার
  • দু্ই পথের পথিক
  • দূর আলাপন
  • দূর হতে আমি তারে সাধিব
  • দূরত্বের আড়ালে
  • দৃষ্টিভ্রম
  • দৃষ্টির আলাপন
  • দৃষ্টির সীমানা
  • দেখেছি রূপ সাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা
  • দেনাপাওনা
  • দেবী
  • দেয়াল
  • দেয়ালের ওপাশে কে
  • দোলনচাঁপা
  • দ্বিতীয় অধ্যায়
  • দ্বিতীয় অধ্যায়
  • দ্বিতীয় জীবন
  • দ্বিতীয় ফাগুন
  • দ্বিতীয় বসন্ত
  • দ্বিতীয় বসন্ত
  • দ্বিতীয় বিয়ে
  • দ্যা ভ্যাম্পায়ার কুইন
  • ধর যদি হঠাৎ সন্ধ্যে
  • ধর্ষক থেকে বর
  • ধর্ষিতা বউ
  • ধর্ষিতা বউ ২
  • ধারণার অতীত
  • ধূসর অনুভূতি
  • ধূসর কাবিন রঙিন প্রণয়
  • ধূসর রাঙা মেঘ
  • ধূসর রাঙা মেঘ সিজন-০২
  • ধূসর শ্রাবণ
  • ধৈর্যের পরীক্ষা
  • ধোঁকা
  • ধোয়ার-নেশা
  • ধোঁয়াশার মেঘ
  • নতুন জীবন
  • নতুন ভোরের আগমন
  • নতুন সকাল
  • ননদ
  • নন্দিত নরকে
  • নব দম্পতি
  • নব ফাল্গুনের দিনে
  • নব বধুয়া
  • নব্যদিনের সূচনা
  • নভেম্বরের শহরে
  • নয়নতারা
  • নয়নাভিরাম
  • নয়নে বাঁধিব তোমায়
  • নরপশু বর
  • নষ্ট গলি
  • নসীব
  • নসীব
  • না চেয়েও তোমায় পেলাম
  • নানান রঙের মেলা
  • নাপুরুষ
  • নাম তুমি আসবে বলে
  • নারী নারীত্ব সতী সতীত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি
  • নারীর সতীত্ব
  • নিজেকে ভালবাসি
  • নিঝুমপুর
  • নিবেদিত প্রেম আরাধনা
  • নিভৃত পূর্ণিমা
  • নিভৃত রজনী
  • নিভৃতে তেজস্বিনী
  • নিমাইদা
  • নিয়তি
  • নিয়তি
  • নিয়তি
  • নিয়তির খেলা  
  • নিশি কাব্য
  • নিশ্চুপ ছেলে
  • নিশ্চুপ ভালোচবাসা
  • নিশ্বাসে তুমি
  • নিষিদ্ধ প্রেম
  • নিষিদ্ধ প্রেম
  • নিষিদ্ধ প্রেম
  • নিষ্প্রভ প্রণয়
  • নিস্তব্ধ শহর
  • নীড়
  • নীড়ের খোজে
  • নীরবে নীরবে
  • নীরবে ভালোবাসা
  • নীরবে ভালোবাসি
  • নীরা
  • নীল আকাশের চাঁদনি
  • নীল ক্যানভাস
  • নীল জোছনায় ভাসি
  • নীল ডায়েরির সেই মেয়েটি
  • নীল নীলিমায়
  • নীল বেনারশী
  • নীলকমল
  • নীলপদ্ম
  • নীলপদ্ম গেঁথে রেখেছি তোর নামে
  • নীলপরী
  • নীলফড়িং
  • নীলাকাশ কালো মেঘ
  • নীলাময়ীর প্রেমে
  • নীলাম্বরে জোছনা
  • নূপুর বাঁধা যেখানে
  • নেশা তুই আমার
  • নেশালো সে
  • নৈশতৃষ্ণা
  • নৈশব্দে নিরুপমা
  • নোনাজল
  • নোংরামি
  • পতিতা মেয়ে
  • পথ হারা প্রজাপতিগল্পের
  • পদ্মপাতার জল
  • পদ্মফুল
  • পবিত্র সম্পর্ক
  • পরিণতি
  • পরিণতি
  • পরিত্যাক্ত প্রাসাদ
  • পরিপূর্ণতা
  • পরিশিষ্ট
  • পরী
  • পাওয়া না পাওয়া সুখ
  • পাগলি বউ 
  • পাঠিকা যখন প্রেমিকা❤
  • পাতা ঝরা বৃষ্টি
  • পাত্র বদল
  • পারফিউম
  • পারফেক্ট কাপল
  • পারবো না ছাড়তে তোকে
  • পাষাণে বাঁধে যে হৃদয়
  • পিয়ানোর সুর
  • পিশাচ পরিবার
  • পিশাচ পুরুষ
  • পুকুরের সেই আতঙ্ক
  • পুতুল ছেলেটি
  • পুতুল বিয়ে
  • পুরোনো ভালোবাসা 
  • পূর্ণতার মাঝেও অপূর্ণতার ছোয়া
  • পূর্ণিমা সন্ধ্যায়
  • পূর্ব রোদ
  • পেগন্যান্ট
  • প্রকৃতির বিচার
  • প্রকৃতির বিচার
  • প্রচলিত
  • প্রজাপতির রং
  • প্রণয়
  • প্রণয় আসক্তি
  • প্রণয় ডোরে বেঁধেছি
  • প্রণয় পাড়ে সন্ধি
  • প্রণয় প্রহেলিকা
  • প্রণয় বর্ষণ
  • প্রণয় স্রোতে
  • প্রণয়-কাব্য
  • প্রণয়সন্ধি
  • প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা
  • প্রণয়িনী
  • প্রণয়িনীর হৃদয়কোণে
  • প্রণয়ে প্রলয়ের সুর
  • প্রণয়ের রংধনু
  • প্রতারক
  • প্রতিদান
  • প্রতিদিন তুমি আমার
  • প্রতিযোগিতা
  • প্রতিশোধ
  • প্রতিশোধ
  • প্রতিশোধ Sagor Islam Raj
  • প্রত্যাখান
  • প্রত্যাশা
  • প্রথম দেখায় ভালোবাসা
  • প্রথম প্রেম
  • প্রথম প্রেম ২
  • প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি
  • প্রদীপের নিচে আমি
  • প্রনয়
  • প্রনয়ের দহন
  • প্রয়োজন
  • প্রয়োজনে প্রিয়জন
  • প্রহরের শেষাংশ
  • প্রাক্তন
  • প্রাক্তন
  • প্রাঙ্ক কাপল
  • প্রাণ বসন্ত
  • প্রাণের পুষ্পকুঞ্জ
  • প্রাণেশ্বরী
  • প্রাপ্তি
  • প্রাপ্তি
  • প্রাপ্তির শহরে
  • প্রিয় অনুভব
  • প্রিয় অভিমান
  • প্রিয় অভিমান
  • প্রিয় অর্ধাঙ্গীনি
  • প্রিয় আসক্তি
  • প্রিয় চন্দ্রিমা
  • প্রিয় চন্দ্রিমা সিজন-০২
  • প্রিয় তুমি
  • প্রিয় নয়নতারা
  • প্রিয় প্রাণ
  • প্রিয় বালিকা
  • প্রিয় বেগম (সিজন-০১+০২)
  • প্রিয় ভুল
  • প্রিয় রাগান্বিতা
  • প্রিয়তমা
  • প্রিয়তার প্রণয়
  • প্রিয়তার প্রহর
  • প্রিয়তার প্রহর সিজন-০২
  • প্রিয়তোষ
  • প্রিয়দর্শিনী
  • প্রিয়দর্শিনী
  • প্রিয়সীর চিরকুট
  • প্রিয়াঙ্গন
  • প্রিয়ানুভব
  • প্রীতিকাহন
  • প্রেত সাধক
  • প্রেম
  • প্রেম তুমি
  • প্রেম পড়শী
  • প্রেম পুকুর
  • প্রেম প্রার্থনা
  • প্রেম প্রেম খেলা
  • প্রেম প্রেম পায়রা
  • প্রেম প্রেয়সী
  • প্রেম বিভ্রাট
  • প্রেম রাঙানো ক্যানভাস
  • প্রেম শহরে
  • প্রেম সিজন-০২
  • প্রেমকাহন
  • প্রেমকুঞ্জ
  • প্রেমগুঞ্জন
  • প্রেমচতুর্দশী
  • প্রেমপরশ
  • প্রেমপিপাসা
  • প্রেমপ্রলয়
  • প্রেমময় আসক্তি
  • প্রেমময় আসক্তি সিজন-০২
  • প্রেমময় তৃষ্ণা
  • প্রেমময় নিবৃত
  • প্রেমময় প্রহরে তুমি
  • প্রেমময়ী বর্ষণে তুই
  • প্রেমযাত্রা
  • প্রেমরাঙা জলছবি
  • প্রেমসরণী
  • প্রেমসাগরের উত্তাল ঢেউ
  • প্রেমহীন সংসার আহা সোনামুখী সুঁই
  • প্রেমাচ্ছন্ন প্রহর
  • প্রেমানন্দোল
  • প্রেমে পড়া বারণ
  • প্রেমে পাগল হয়েছি আমি
  • প্রেমেপড়েছিঅদৃশ্য_কিছুর (ভৌতিক গল্প)
  • প্রেমের অগ্নি
  • প্রেমের আটফোড়ন
  • প্রেমের উড়ান
  • প্রেমের কবিতা
  • প্রেমের নাম বেদনা
  • প্রেমের পরশ
  • প্রেমের পাঁচফোড়ন সিজন-০২
  • প্রেমের পাঁচফোড়ন?
  • প্রেমের বৈঠা গেছে খুলে
  • প্রেমের মেলা
  • প্রেমের হাতেখড়ি
  • প্রেমোত্তাপ
  • প্রেয়সীর ছোঁয়া
  • প্রেয়সীর শব্দপ্রেম
  • ফাগুণের নবধারা।
  • ফাঁদে পড়ে
  • ফানাহ্
  • ফারাহ
  • ফাল্গুনের ফুল
  • ফিরবে চিনা ঠিকানায়
  • ফিরে এসো ভালবাসা
  • ফিরে পাওয়া
  • ফুটপাতের মন্দবাসা
  • ফুলকৌড়ি
  • ফুলশয্যা
  • ফুলশয্যা_সিজন(০৩)
  • ফোটা শিউলি ফুল একবারই শিশিরে ভেজে
  • ফ্রেম বন্দী ভালোবাসা
  • ফ্লুজি
  • বইছে আবার চৈতী হাওয়া
  • বউ
  • বউ
  • বউ চুরি
  • বউ পাঁখি
  • বক্ষ পিঞ্জর
  • বক্ষপিঞ্জিরায় তুই বন্দীনি
  • বখাটে বউ
  • বজ্জাত বর
  • বড়ো বেশি ভালোবাসি
  • বধূবরণ
  • বনলতা
  • বন্দিনী
  • বন্ধন
  • বর্ষণ মুখর দিন
  • বর্ষণ সঙ্গিনী
  • বর্ষণের সেই রাতে ❤
  • বর্ষণের সেই রাতে সিজন-০২
  • বর্ষন ছোঁয়ায় মিষ্টি রোদ
  • বর্ষার প্রণয়ের কথা
  • বর্ষাস্নাত রাত
  • বস যখন বর
  • বসন্ত
  • বসন্ত এসে গেছে
  • বসন্তের আগমনে
  • বসন্তের একদিন
  • বসের সাথে প্রেম
  • বাজিমাত
  • বাজির প্রেম
  • বাজির প্রেম ২
  • বাড়িওয়ালার ছেলে
  • বাড়িওয়ালার রাগি মেয়ে
  • বাতাসে প্রেমের আভাস
  • বাদলে ঘেরা আকাশ
  • বাঁধনহারা
  • বাঁধিব তোমায় বিরহ ডোরে
  • বাবুই পাখির বাসা
  • বাংলা ধাঁধা
  • বা‌লিকা বধূ
  • বালিকা বধূ
  • বালির সংসার
  • বাল্য কালের বউ
  • বাল্য কালের বউ সিজিন ২
  • বাল্য বিবাহ
  • বাসনা বিসর্জন
  • বাসর
  • বাস্তবতা
  • বিচ্ছেদের পরেও ভালোবাসি
  • বিধবা
  • বিবর্ণ ভালোবাসা
  • বিবাহ বন্ধন
  • বিবাহ বিভ্রাট
  • বিবি
  • বিভাবতীর জীবন
  • বিয়ে
  • বিয়ে থা
  • বিয়ে থা সিজন-০২
  • বিয়েকথন
  • বিয়ের বন্ধন
  • বিয়ের বন্ধন session ২
  • বিয়ের রাত
  • বিরহ ভালোবাসা
  • বিরহডোরে বাঁধিয়াছি তারে
  • বিরহবিধুর চাঁদাসক্তি
  • বিশ্বাস অবিশ্বাস
  • বিশ্বাস ঘাতকতা
  • বিষণ্ণ শহর
  • বিষাক্ত প্রেম
  • বিষাক্তফুলের আসক্তি
  • বিষাদময় নিষাদ
  • বিসর্জন  
  • বিস্মৃতির অন্তরালে
  • বুকপকেটের বিরহিণী
  • বুকভরা ভালোবাসা
  • বৃষ্টি এসো সাঁঝের বেলা
  • বৃষ্টি থামার শেষে
  • বৃষ্টি ভেজা কাঠ গোলাপ
  • বৃষ্টি ভেজা রাত
  • বৃষ্টি ভেজা রাত সিজন-০২
  • বৃষ্টি শেষে রোদ
  • বৃষ্টি হয়ে অশ্রু নামে
  • বৃষ্টি হয়ে নামবো
  • বৃষ্টিভেজা আলাপন
  • বৃষ্টির ছন্দ
  • বৃষ্টির পড়ে
  • বে রঙিন পাতা
  • বেইমানী vs লাভ
  • বেড়াজাল
  • বেনিফিট অফ লাভ
  • বেলা শেষে
  • বেলা শেষে
  • বেলা শেষে ২
  • বেলা শেষে আলো
  • বেলাশেষে
  • বেশি কিছু আশা করা ভুল
  • বৈধ নাকি অবৈধ
  • বৈধ সম্পর্কের জোর
  • বোবা টানেল
  • বোবা বর
  • বোরখাওয়ালী
  • ব্যস্ততা
  • ব্রহ্মকমল
  • ব্রেকাপ
  • ব্ল্যাক ফরেস্ট
  • ভদ্র স্যার রাগী বর
  • ভবঘুরে
  • ভয়
  • ভয়ংকর ভালবাসা
  • ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি
  • ভাঙা বাড়ি
  • ভাড়াটে বউ
  • ভাবিনি ফিরে আসবে
  • ভাবির বোন
  • ভালবাসায় তুমি আমি
  • ভালবাসার এক রাত
  • ভালবাসার ঘর
  • ভালবাসার প্রতিদান
  • ভালবাসি শুধু তোমায় আমি
  • ভালবেসে রাখব কাছে
  • ভালো থেকো ভালোবাসা
  • ভালো লাগে ভালোবাসতে
  • ভালোবাসবে তুমিও
  • ভালোবাসা
  • ভালোবাসা অন্যরকম
  • ভালোবাসায় তুমি আমি
  • ভালোবাসায় রাঙিয়ে দাও
  • ভালোবাসার অনন্যা
  • ভালোবাসার অন্যরূপ
  • ভালোবাসার উষ্ণতা
  • ভালোবাসার গল্প
  • ভালোবাসার তুই
  • ভালোবাসার দূরত্ব
  • ভালোবাসার পরিনতি
  • ভালোবাসার প্রজাপতি
  • ভালোবাসার প্রান্ত
  • ভালোবাসার বন্ধন
  • ভালোবাসার ভিন্ন রং
  • ভালোবাসার রং
  • ভালোবাসার রং বদল
  • ভালোবাসার রংধনু
  • ভালোবাসার রংমহল
  • ভালোবাসার রাত
  • ভালোবাসার রুপান্তর
  • ভালোবাসার লুকোচুরি
  • ভালোবাসার লুকোচুরি
  • ভালোবাসি
  • ভালোবাসি
  • ভালোবাসি তাই
  • ভালোবাসি তোকে
  • ভালোবাসি তোমাকে
  • ভালোবাসি তোমায়
  • ভালোবাসি প্রিয়
  • ভালোবাসি প্রিয় তোমাকে
  • ভালোবাসি বলে
  • ভালোবাসি বলেই তো
  • ভালোবাসি বলেই ভালোবাসি বলিনা
  • ভালোবাসি ভালোবাসা
  • ভালোবাসি শুধু তোমায়
  • ভালোবাসি সমুদ্র
  • ভালোবাসিবো খুব যতনে
  • ভালোবেসে ঘর বাঁধবো
  • ভালোবেসে ঠাঁই দিও পরাণে
  • ভিডিও
  • ভিলেনি ভালোবাসা
  • ভিলেনি ভালোবাসা
  • ভুতের গল্প
  • ভুতের প্রেম
  • ভুল এবং ভালোবাসা
  • ভুল থেকে ফুল
  • ভুল থেকে ফুল
  • ভুল বুঝনা আমায়
  • ভুল সত্য
  • ভুলতে পারব না তোকে
  • ভুলোনা আমায়
  • ভৃতুরে দৃর্গ
  • ভেজা চুলে
  • ভেজাগোলাপ
  • ভেনম
  • ভৈবর নদীর পাড়
  • ভোর?
  • ভোরের শিশির
  • ভ্যাম্পায়ারের প্রেমকথন
  • ভ্রান্তির অগোচরে
  • মডেল মিফতা
  • মধুবালা
  • মধুমাস
  • মধুরেণ সমাপয়েৎ
  • মধুরেণ সমাপয়েৎ
  • মধ্যরাতের বৃষ্টি
  • মন উন্মনে আঁচড়
  • মন খারাপের ডায়েরি
  • মন গহীনে তুমি
  • মন গহীনের শব্দ
  • মন গোপনের কথা
  • মন চায় তোকে
  • মন তোমাকে ছুঁয়ে দিলাম
  • মন দিতে চাই
  • মন দিয়েছি তোমার নামে
  • মন পবনের নাও
  • মন পায়রা
  • মন ফড়িং ♥
  • মন বিনিময়
  • মন মোহনায় ফাগুন হাওয়া
  • মন শহরে তোর আগমন
  • মনে পড়ে তোমায় সন্ধ্যে বেলায়
  • মনের অন্তরালে
  • মনের অন্তরালে
  • মনের অরণ্যে এলে তুমি
  • মনের অরণ্যে এলে তুমি সিজন-০২
  • মনের আড়ালে
  • মনের কোনে
  • মনের ক্যানভাসে
  • মনের ক্যানভাসে
  • মনের গহীনে শুধুই তুমি
  • মনের গহীনে সে
  • মনের মাধুরীতে তুমি
  • মনেরও গোপনে
  • মনোহরা
  • মনোহারিণী
  • ময়না পাখির কথাগুলো
  • মরীচিকাময় ভালোবাসা
  • মহুয়া
  • মহুয়া
  • মা
  • মা'ওয়া
  • মাইনাসে মাইনাসে প্লাস
  • মাঘের সাঁঝে বসন্তের সুর
  • মাতাল হাওয়া
  • মাতৃত্ব
  • মাতৃত্বের স্বাদ
  • মাফিয়ার ভালোবাসা
  • মায়া
  • মায়া
  • মায়াজাল
  • মায়াদেবের মায়া
  • মায়াবতীর প্রণয়ে
  • মায়াবন বিহারিনী
  • মায়াবন্দী
  • মায়াবিনী
  • মায়াবী হরিণী
  • মায়ার বাঁধন
  • মায়ের কথা
  • মায়ের মন
  • মায়ের মেয়ে
  • মাস্টার মাইন্ড কিলার
  • মিঃ অভদ্র
  • মিঠা প্রেম
  • মিঠা রোদ
  • মিত্রাভান থানোস
  • মিথু
  • মিশন হার্ডডিস্ক
  • মিষ্টার লেখক
  • মিসটেক
  • মিসেস চৌধুরী
  • মিস্টার নার্সিসিস্ট
  • মিহিদানা
  • মীরার সংসার
  • মুক্তির স্বাদ
  • মুখোশের আড়ালে
  • মুগ্ধতার এক বিকেল
  • মুঠোবন্দী লাজুকলতা
  • মেঘ বলেছে যাব যাব
  • মেঘ বিয়োগের মৌসুম
  • মেঘ রোদ্দুরের আলাপন
  • মেঘ হবোতোমার আকাশের
  • মেঘনাদ
  • মেঘবতী
  • মেঘবদল
  • মেঘময় চাঁদ
  • মেঘমেদুর মন
  • মেঘলা আকাশ
  • মেঘসন্ধি
  • মেঘে ঢাকা জোৎস্না
  • মেঘের আড়ালে
  • মেঘের আড়ালে চন্দ্রলোকিত
  • মেঘের আড়ালে রোদ
  • মেঘের আড়ালে রোদ সিজন-২
  • মেঘের আড়ালে সিজন-০২
  • মেঘের ছায়
  • মেঘের বাড়ি
  • মেঘের ভেলায় চড়ে
  • মেমসাহেব
  • মেয়ে
  • মেয়েটা অসত্বী
  • মেয়েটি যেন ভিন্নরকম
  • মেহেরজান
  • মোহ মায়া
  • মোহনেশা
  • মোহমেঘ
  • মৌনতা
  • যখন আমি থাকবোনা
  • যদি তুমি বলো
  • যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
  • যুগলবন্দী পায়রা
  • যে আসে অগোচরে
  • যে পাখি ঘর বোঝে না
  • যে প্রেম এসেছিল
  • যেই তোমার হাওয়া আমাকে ছুঁলো
  • যেমন শাশুড়ি তেমন বউ
  • যোগদান পত্র
  • যোগ্যতা
  • যোজন -বিয়োজন
  • যৌনকর্মী
  • রং বদল
  • রক্তিম চোখ
  • রঙ তুলির প্রেয়সী
  • রঙ বদল
  • রঙ বেরঙের খেলা
  • রঙধনু (season 2)
  • রঙিন খামে বিষাদের চিঠি
  • রঙিলা বউ
  • রজনীপ্রভাতে
  • রংধনু
  • রংধনু পর্ব ৫
  • রংধনুতে প্রেমের বাড়ি
  • রহস্য
  • রাগি জামাই
  • রাগি মেয়ের প্রেমে
  • রাঙা বউ
  • রাঙাবউ
  • রাত বিকেলে প্রেমের কুঞ্জন
  • রাত যখন গভীর
  • রাব্বাতুল বাইন
  • রিভেঞ্জ
  • রুপালি মেঘের খামে
  • রুপের তরী
  • রূপকথা
  • রূপকথা
  • রূপকথার ম্যাজিশিয়ান
  • রূপবানের শ্যামবতী
  • রূপার পালঙ্ক
  • রেখেছি তারে বক্ষ পিঞ্জিরায়
  • রেখেছি তারে মন পিঞ্জিরায়
  • রেস্টুরেন্ট
  • রৌদ্দুরে প্রেমের বৃষ্টি
  • রোদহীন বিকালে তুমি
  • রোমান্টিক অত্যাচার
  • রোমান্টিক কালো বউ
  • রোমান্টিক গল্প
  • রোমান্টিক বুড়ো বর
  • রোমান্টিক_অত্যাচারঃ_২
  • রৌদ্দুর তোমার নামে
  • রৌদ্র মেঘের জুড়ি
  • লজ্জাবতী
  • লতাকরঞ্চ
  • লবঙ্গ লতিকা
  • লাজুকপাতা
  • লাভ ইউ
  • লাভ উইথ মাই বেটার হাফ
  • লাভ টর্চার
  • লাভ ফাইট
  • লাভ ম্যারেজ 
  • লাভ স্টোরি
  • লাভ স্টোরি Session২
  • লাল নীল ঝাড়বাতি
  • লীলা বোর্ডিং
  • লুকানো অনুভূতি
  • লুকোচুরি গল্প
  • লুকোচুরি ভালোবাসা
  • শক্তিময়ী
  • শক্তিরূপেণ সংস্থিতা
  • শঙ্খ চিলের জুটি
  • শতরঞ্জির শত রঙ
  • শত্রু শত্রু খেলা
  • শপথ
  • শরতের শুভ্র মেঘের ভেলায়
  • শর্ত
  • শর্বরী
  • শাপমোচন
  • শিউলি তোমার জন্য
  • শিউলি পাওয়া
  • শিক্ষনীয় গল্প
  • শিমুল ফুল
  • শিরোনামহীন
  • শিশির বিন্দুর জীবন
  • শীতল অনুভবে তুমি
  • শুকনো ঘাস ফুল
  • শুক্লাদ্বাদশী
  • শুধু তুই
  • শুধু তুই
  • শুধু তুই সিজন-০২
  • শুধু তুই সিজন-০৩
  • শুধু তোমায় ঘিরে
  • শুভ্র নীলের প্রেমপ্রহর
  • শুভ্র নীলের প্রেমপ্রহর সিজন-০২
  • শুভ্র বর্ষণ
  • শুরুটা অন্যরকম
  • শূণ্যতায় পূর্ণতা
  • শূন্য অনুভূতি
  • শূন্যতায় পূর্ণতা
  • শূন্যলতা
  • শেকড়ের সন্ধানে
  • শেষ ঠিকানা
  • শেষ ঠিকানা
  • শেষ ডাইরি
  • শেষ নিঃশ্বাস
  • শেষ নিঃশ্বাস
  • শেষ পরিণতি
  • শেষ পর্বের শুরু
  • শেষ বিকেলের আলো
  • শেষ বিকেলের আলো
  • শেষ বিকেলের প্রণয়
  • শেষ বিকেলের প্রণয় সিজন-০২
  • শেষ বিকেলের রোদ
  • শেষ বেলা
  • শেষ রাত
  • শেষ_পর্যন্ত
  • শেষটা সুন্দর
  • শেষটা সুন্দর সিজন-০২
  • শোভা
  • শ্বশুড়ের শর্তে বিয়ে
  • শ্বাশুড়ি
  • শ্বাশুরীর প্যারা
  • শ্যামাপ্রিয়া
  • শ্রাবণ ঝরা মেঘ
  • শ্রাবণ দিনের বৃষ্টিতে
  • শ্রাবণ মেঘের ভেলা
  • শ্রাবণ রাতের বৃষ্টিতে
  • শ্রাবণের এক সন্ধ্যায়
  • শ্রাবণের মেঘ
  • সখি
  • সংঘাতের মেঘ
  • সতীনকাঁটা
  • সত্যি ভালোবাসো
  • সন্দেহ
  • সন্ধ্যা আকাশের সুখ তারা
  • সন্ধ্যাবাতি
  • সন্ধ্যালয়ের প্রণয়
  • সপ্নছোয়া
  • সব সম্পর্কের নাম হয় না
  • সবিতা
  • সমাধি
  • সমাপ্তি
  • সমাপ্তিতে তুমি
  • সমাপ্তির পূর্ণতা
  • সমুদ্র বিলাস
  • সম্পর্ক
  • সম্পর্ক
  • সম্পর্কের প্রণয়
  • সম্পর্কের বন্ধন
  • সম্পর্কের মারপ্যাঁচ
  • সম্পৃক্ততা
  • সর্দি কন্যা
  • সর্বনাশের দিনে
  • সংসার
  • সংসার
  • সাইকো বরের রোমানটিক অত্যাচার
  • সাঝের বাতি
  • সাত সমুদ্রের তিমির
  • সাদা ফুল
  • সাদা মেঘের আকাশ
  • সাপলুডুর সমাপ্তিতে
  • সামাজিক থ্রিলার
  • সাংসারিক রাজনীতি
  • সিক্রেট এজেন্ট
  • সিক্রেট গ্যাংস্টার
  • সিঁদুর রাঙা মেঘ
  • সিনিয়র বউ নিউ আপডেট
  • সুখ একটি প্রজাপতি
  • সুখ পাখি
  • সুখ সন্ধানী
  • সুখপাখি
  • সুখময় বৃষ্টি
  • সুখের খোঁজে
  • সুখেরও সন্ধানে
  • সুগন্ধা
  • সুচরিতা
  • সুতোয় বাঁধা জীবন
  • সুপ্ত অনুভূতি
  • সুপ্ত অনুভূতি সিজন-০২
  • সুবাসিত মল্লিকা
  • সূচনাতে প্রেম
  • সূর্যকরোজ্জ্বল
  • সূর্যস্নান
  • সে
  • সে
  • সে আমারই
  • সে এসেছে
  • সে জানে
  • সে প্রেমিক নয়
  • সে ফিরে আসবেই
  • সেই তুমি
  • সেই তুমি
  • সেই মেয়েটি আমি নই
  • সেই রজনী দর্শনে
  • সেদিন দেখা হয়েছিলো
  • সেদিনও ছিলে তুমি
  • সোনার কন্যা
  • সোনার সংসার
  • স্কুলের একটি ভয়ঙ্কর রাত
  • স্ট্যাটাস সমগ্র
  • স্তব্ধের স্নিগ্ধতা
  • স্নিগ্ধ অনুভব
  • স্নিগ্ধ চাহনি
  • স্নিগ্ধ পরশ
  • স্নিগ্ধ প্রেমের অনুভূতি
  • স্নিগ্ধ প্রেমের মায়ায়
  • স্পর্শ
  • স্পর্শতায় তুমি
  • স্পর্শের বাহিরে তুমি
  • স্পর্শের ভাষা
  • স্বচ্ছ প্রণয়াসক্ত
  • স্বপ্ন ?
  • স্বপ্ন পুরে
  • স্বপ্ন সারথি
  • স্বপ্ন হলেও সত্যি
  • স্বপ্নীল
  • স্বর্ণকেশী মায়াবিনী
  • স্বামির অধিকার-২
  • স্বামী
  • স্বামীর অধিকার
  • স্বামীর বিয়ে
  • স্বামীর ভালোবাসা
  • স্মৃতিচারন
  • স্যার
  • স্যার যখন স্বামী
  • স্যার যখন স্বামী সিজন ২
  • হটাৎ এক বৃষ্টির দিনে
  • হঠাৎ একদিন
  • হঠাৎ পাওয়া
  • হঠাৎ পাওয়া
  • হঠাৎ বৃষ্টি
  • হঠাৎ বৃষ্টিতে
  • হঠাৎ হাওয়া
  • হবু বউ
  • হয়তো ভালোবাসি
  • হলদে পাখি
  • হলুদ খাম
  • হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ
  • হারানোর বেদনা
  • হারিয়ে যাওয়া অনুভূতি
  • হারিয়ে যাওয়া,পথ খুঁজে পাওয়া
  • হার্টলেস
  • হাসনাহেনা
  • হিজিবিজি
  • হিমাংশুর জলপদ্ম
  • হিমি
  • হূর
  • হূর
  • হৃদ মাঝারে
  • হৃদপূর্ণিমা
  • হৃদমাঝারে
  • হৃদমাঝারে
  • হৃদমাঝারে রেখেছে তারে
  • হৃদয় আকাশে প্রমবর্ষণ
  • হৃদয় কোঠায় চাঁদের পূর্ণিমা
  • হৃদয় গহীনে তুমি আছো
  • হৃদয় জুড়ে শুধু আপনি
  • হৃদয় জুড়ে শুধু আপনি সিজন-০২
  • হৃদয় জুড়ে শুধু তুমি
  • হৃদয় সায়রে প্রণয়ের ছন্দ
  • হৃদয় স্পর্শ
  • হৃদয় হরণী
  • হৃদয়কুঠিরে উষ্ণ প্রণয়
  • হৃদয়ঙ্গম
  • হৃদয়হরণী
  • হৃদয়হীনা
  • হৃদয়াক্ষী
  • হৃদয়ে তুমি
  • হৃদয়ে তুমি
  • হৃদয়ে বন্ধন
  • হৃদয়ে রক্তক্ষরণ
  • হৃদয়ে শুধু আপনি
  • হৃদয়ের অন্তরা
  • হৃদয়ের আঙ্গিনায় তুমি
  • হৃদয়ের একূল ওকূল
  • হৃদয়ের গহীনে
  • হৃদয়ের ঠিকানা
  • হৃদয়ের সন্ধিক্ষণ
  • হৃদয়ের_আয়না
  • হৃদস্পর্শ সিজন ২
  • হে দুঃখি চোখ
  • হেমন্ত ধারার অশ্রু
  • হ্যাকারের লুকোচুরি
  • হ্যাকারের লুকোচুরি . সিজন_৩
  • হ্যাকারের লুকোচুরি সিজন ২

Meta

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সর্বাধিক পঠিত

স্বামীর ভালোবাসা part : 37

June 4, 2019

প্রেমেরপরশ part_1

March 15, 2019

প্রেমের_পরশ পার্ট_3

March 15, 2019

জনপ্রিয় বিভাগ

  • "ধারাবাহিক গল্প"4535
  • ছোট গল্প443
  • গল্পপোকা চিঠি প্রতিযোগিতা165
  • স্ট্যাটাস সমগ্র152
  • প্রতিযোগিতা148
  • কষ্টের গল্প108
  • গল্প পোকা ছোট গল্প সংকলন97
  • কবিতা সমগ্র95
  • "কবিতা লিখন প্রতিযোগীতা সেপ্টেম্বর 202087




আমাদের সম্পর্কে
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম। "গল্পপোকা ডট কম" একটি অনলাইন প্লাটর্ফম। মন ছুঁয়ে যাওয়া সব গল্প-কবিতা নিয়ে সাজানো আমাদের এই প্লাটর্ফম যেখানে রয়েছে আপনাদের প্রিয় সব লেখক লেখিকাদের অসাধারণ সব গল্প এবং কবিতা। আশা করা যায়, আমাদের গল্পপোকা ডট কম-এর আন্তরিক প্রচেষ্টা আপনাদের নিরাশ করবে না।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: [email protected]
আমাদের অনুসরণ করো
  • মূল পাতা
  • গল্প শুনুন
  • গল্প বিভাগ
    • সব হৃদস্পর্শইসলামিক গল্পকথোপকথনকষ্টের গল্পছোট গল্পভালোবাসার গল্পভুতের গল্পশিক্ষনীয় গল্প

      সিদ্ধান্ত

      ছবির মানুষ

      প্রেমময় নিবৃত (ছোট গল্প)

      কষ্টের স্ট্যাটাস | Sad status | koster status

  • শ্রেনী
    • গল্পের শহর
    • গল্পের ঠিকানা
    • গল্পপোকা
  • ভিডিও
  • কবিতা
    • সবকবিতা সমগ্রকষ্টের কবিতাপ্রেমের কবিতা

      লজ্জাবতী

      তবুও কি বলবে তুমি মানুষ?

      ফিরবে ভাবিনি–এ ফেরা অর্থহীন

      সন্ত্রাসীদের বর্বরতা।

  • স্ট্যাটাস
    • সবইসলামিক স্ট্যাটাসকষ্টের উক্তিসমূহবাংলা ধাঁধাস্ট্যাটাস সমগ্র

      কষ্টের স্ট্যাটাস | Sad status | koster status

      ওর সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা হয়েছিলো কষ্টের স্ট্যাটাস

      সমরেশ মজুমদার মোটিভেশনাল উক্তি

      বিল কসবি মোটিভেশনাল উক্তি

  • আমাদের সম্পর্কে
  • Home – mobile
  • Privacy Policy
  • Login/Register
  • Home
  • মূল পাতা – mobile
  • Checkout
© golpopoka.com