বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1169



মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৪

0

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৪

লেখক/ ছোট ছেলে

********

একটু আড়ালে গিয়ে বন্ধুটাকে একটা কল দিলাম

আমি/ কিরে দোস্ত যে মেয়েটাকে পাঠাইলি তার নাম কি নীলা

বন্ধু/ হ্যাঁ। কি হয়েছে কোন সমস্যা

আমি/ না সবকিছু ঠিক আছে এইমাত্র আসলো

বন্ধু/ তাহলে আর দেরি করিসনা যা দারুন ভাবে উপভোগ কর আজকের রাতটা

আমি/ হুমমমম….. এখন রাখিরে দোস্ত

ফোনটা রেখে নিচে নেমে আসলাম

আমি/ এ কি তুমি এখনও দাঁড়িয়ে কেন

বসো

নীলা/ আমি তোমার অপেক্ষায় করছি জানু

আসো দুজন একসাথে বসে গল্প করি যদি তোমার কোন সমস্যা না থাকে

আমি/ সমস্যা কিসের সমস্যা আসো বসো

চা খাবে চা করে নিয়ে আসি

নীলা/ হলে ভালোই হয়

দুকাপ চা বানিয়ে এনে খেতে খেতে দুজন পরিচিত হলাম

চা খাওয়া শেষ

নীলা/ চলো এবার উঠি অনেক তো গল্প হলো

আমি/ হুমমমম….. চলো

আমি না চাইলেও নীলা আমার হাত ধরে হাঁটতে লাগলো

রুমে গিয়ে নীলা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় শুয়ে দিলো

নীলা একে একে তার সবকিছু…………..

নীলার শরীরে আর তেমন কিছু নেই

দুজনে শুয়ে রইলাম এক চাদরের তলে

নীলা আমাকে একটু আদর করতে যাবে

ঠিক তখন-ই কানে এলো রিমির গুনগুন শব্দ

আর তখন-ই আমার মনে পড়লো রিমির কথা

নীলা/ এই শব্দটা কার কোথেকে আসতেছে

নীলাকে সরিয়ে দিয়ে কোনকিছু না বলে

রিমির কাছে গেলাম

দরজাটা খুলে ভিতরে গেলাম

আমার পিছু পিঁছু নীলাও আসলো

রিমির সারা শরীর কালো দাগ হয়ে আছে

নীলা/ জানু এই মেয়েটা কে

আমি/ একটা অসত্বী মেয়ে বউ নামে চাকরানী

আমি রিমির চুল ধরে

আমি/ এই তোর জন্য কি একটু শান্তিতে ঘুমাতেও পারবনা

এমন করছিস কেনরে এই রাত দুপুরে

রিমি করুন সুরে বলতে লাগলো

রিমি/ আমাকে একটু পানি দিবেন খুব তৃষ্ণা পেয়েছে

কি আর করা নীলাকে বললাম একটু পানি আনতে

নীলা/ এই নাও পানি

রিমিকে পানি দিয়ে বললাম

আমি/ শোন একটুও চিৎকার চেঁচামেছি করবিনা

আমি ঘুমাতে গেলাম তোর জন্য যেন আমাদের ঘুম নষ্ট না হয় মনে থাকে যেন

নীলা/ উফফফ….. জানু ওর সাথে এত কথা বলার কি দরকার চলতো

মজটা মাটি হয়ে গেলো

রিমি অনেক চেষ্টা করছে চোখ দুটো মেলতে কিন্তু পারছেনা

শেষমেশ চলে এলাম

যখন দরজা লাগাতে যাবো তখন-ই নীলা বলে উঠলো

নীলা/ কি কর জানু তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে

ওকে এ ঘরে বন্ধী করে রাখলে আমাদের খাবারদাবার কে রান্না করবে আমাদের যদি কোনকিছু প্রয়োজন হয় কে দিবে

তুমি বরং ওকে বাড়ির চাকরানির জায়গাটা দিয়ে দাও

আমি/ ওয়াও ….. এটাতো খুব ভালো বুদ্ধি আমিতো এমনটা ভেবে দেখিনি উম্মাাাাাা…..

এত ভালো একটা বুদ্ধি দেবার জন্য

আবার ভিতরে ঢুকে রিমিকে বললাম

আমি/ এই শোন এভাবে শুয়ে থাকলে হবেনা এ বাড়িতে থাকতে হলে কাজ করে থাকতে হবে কাজ করে খেতে হবে

আমাদের যখন যা লাগবে তাই দিবি আর ও যা বলবে তাই করবি শুনেছিস

রিমি হয়তো ভাবতে পারেনি তার স্বামীর সংসারটা এমন হবে

তার জীবনে নেমে আসবে কালো আঁধার

দরজাটা খোলা রাখলাম

নীলাকে নিয়ে ঘরে গেলাম

নীলা/ চলো জানু শুয়ে পড়ি

আমি/ না তুমি ঘুমাও আমি আসতেছি

নীলা/ কোথায় যাবে এত রাতে

আমি/ না কোথাওনা

নীলা যতটা আমাকে কাছে নিতে চায় ঠিক ততটা তার থেকে বেশি অন্যকিছু যেন আমাকে পিছে নিয়ে যায়

নীলা একটু জোর করে আমাকে…

নীলা/ এই শোন একরাতে তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিবোনা

আসো শুয়ে পড়ো

নীলা এমনভাবে বলছে মনে হয় আমি তার স্বামী

তবে মেয়েটা খুব গুনবতী

কিভাবে একটা মানুষের যত্ন নিতে হয় সেটা খুব ভালো করে জানে

আমি/ বললাম না ঘুম আসছেনা
তুমি ঘুমাও

নীলা/ জানু তুমি এমন করছো কেন

ঐ নষ্টা মেয়েকে নিয়ে এত চিন্তা কিসের তোমার

তুমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখ ঐ মেয়েকে আমি কি করি

এখন আসো সোনা তোমাকে আমি ঘুম পাড়িয়ে দিবো তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে

একটা মেয়ের আদর সোহাগের কাছে সবকিছু হার মানে

আমাকেও হার মানতে হলো

বালিশে মাথাটা লাগালাম

নীলা হাত বুলাতে লাগলো

ভালোই আরাম পাচ্ছি

ইসসসসস….. নীলার মত যদি একটা মেয়েকে বউ করে পেতাম

কখন যে নীলার আঁলতো ছোঁয়ায় ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারিনি

সকাল হয়ে এলো রিমিকে ডাকতে লাগলাম শুয়ে থেকে

আমি/ রিমি এই রিমি

জবাব দেওয়ার মত শক্তি রিমির কাছে নেই

রিমি ঘরে ঢুকে আঁচল দিয়ে নিজের মুখ লুকিয়ে চলে যেতে লাগলো

আমি/ এই কোথায় যাচ্ছিস
আর এভাবে নিজের চেহারা লুকিয়ে রাখছিস কেন

রিমি খুব আস্তে আস্তে বলতে লাগলো

রিমি/ আমার চরিত্রবান স্বামীর চরিত্র দেখে লজ্জা আর থাকতে না পেরে নিজের চেহারা নিজেই নিজের শাড়ির আঁচলে লুকালাম

বাহ্ এই বুঝি আমার চরিত্রবান স্বামী

চলবে…???

মেয়েটা অসত্বী  পর্ব/ ৩

0

মেয়েটা অসত্বী  পর্ব/ ৩

লেখক/ ছোট ছেলে

********

বাসায় ঢুকতে দেখি রিমি খাওয়ার টেবিলে বসে আছে

কিন্তু দেখে মনে হয় মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়েছে

আমি কোনকিছু না বলে রুমে চলে গেলাম

গোসলটা করে শুয়ে রইলাম

কিছুক্ষণ পরে রিমি এসে বললো

রিমি/ কখন আসলেন আপনি
চলুন খেতে যাবেন টেবিলে খাবার দেয়া আছে

আমি/ তুমি কি করে ভাবলে তোমার হাতের রান্না খেয়ে আমি পেট ভরাবো

যাও এখান থেকে

আমার প্রতি এত খেয়াল যত্ন না রাখলেও চলবে

রিমি/ আচ্ছা আপনি কি চান কেন এমন করছেন আমার সাথে

আমিতো কোন ক্ষতি করিনি আপনার….

আমি/ বাহ্ বাহ্ বাহ্…..
নষ্টা একটা শরীর নিয়ে অন্যের বউ হওয়া এটা কি কোন ভালো কাজ

কেন বিয়ের আগে যাকে সব দিলে তাকে রেখে আমার জীবনে কেন আসলে

কেন আমার জীবনটা নষ্ট করলে আমিও তো তোমার কোন ক্ষতি করিনি

রিমি/ চুপ করুন চুপ করুন আমি আর শুনতে পাচ্ছিনা আপনার কথা

মানুষ খারাপ হয় জানা ছিলো

তবে এতটা নোংরা মনের হয় তা জানা ছিলোনা

আপনি কারও স্বামী হবার-ই যোগ্য নয়

আপনার মনে ভালোবাসা নেই

আছে শুধু সন্দেহ আর নোংরামি

এই দুদিনে আপনাকে আমার চেনা হয়ে গেছে

ছিঃ…. ভাবতে আমার ঘৃণা হয় আপনার মত মুখোশধারী অমানুষ আমার স্বামী

আমি/ কি…. তুই আমাকে অমানুষ বললি

তোকে অনেক সহ্য করেছি আর না

রিমিকে বেল্ট দিয়ে কয়েকটা দিলাম

বিছানা পড়ে পড়ে কাঁদতে লাগলো মেয়েটা….

আমি/ এই চুপ থাক একদম চুপ

কোন আওয়াজ করবিনা
যদি করিস তাহলে মেরে ফেলবো তোকে

রিমির মুখ চেপে ধরে রইলাম
রিমি শ্বাস নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে এমন সময় ছেড়ে দিলাম

রিমি খুব বড় করে শ্বাস নিতে লাগলো

আমি/ যদি আজকের এই কথা গুলো কাউকে বলছিস তাহলে স্বামীর সংসার তোর কপালে নেই

যা ভাগ এখান থেকে

রিমির কান্না যেন আর থামার নয়

কেঁদে গেলো কেঁদে গেলো

উফফফ…… অসহ্য জোর করে টেনে হেঁছড়ে রিমিকে ঘর থেকে বের করে দিলাম

দরজাটা লাগিয়ে দিলাম

আর বললাম এখন থেকে তুই এ ঘরে বন্ধী থাকবি

যখন আমি চাইবো তখন-ই তুই আলোর দেখা পাবি

খাওয়া দাওয়া ঘুম সবকিছু আজ থেকে এ ঘরে করতে হবে

বলে নিজের ঘরে এসে শুয়ে রইলাম

একটু পরে এক বন্ধু ফোন দিলো

বন্ধু/ কিরে দোস্ত চলবে নাকি

আমি/ যা বলার খুলে বল

বন্ধু/ আরে দোস্ত রাগ করিস কেন

তোর জন্য একটা মেয়ের ব্যবস্থা করেছি

আমি জানি তোর মনে অনেক দুঃখ কষ্ট

বন্ধু হয়ে আমরা কি তা সহ্য করতে পারি

তাই তোর জন্য আমাদের থেকে ছোট এই উপহার

সারারাত মজা নিতে পারবি
আর মেয়েটাও কিন্তু হেব্বি সুন্দরী

আমি প্রথমে না করে দিবো ভাবলেও এখন ভাবছি আর করবনা

জীবনটা যখন নষ্ট হয়ে গেছে তখন মিথ্যে স্বপ্ন দেখে কি হবে

আমি/ ঠিক আছে পাঠিয়ে দিস

বন্ধু/ কিন্তু দোস্ত তোর অসত্বী বউটা যদি কিছু বলে

আমি/ আরে দূররররর ও কি বলবে আমি কি কথায় চলি নাকি

তোকে ঐসব ভাবতে হবেনা
আমি রিমিকে বন্ধী করে রাখছি ঘরে

বন্ধু/ বলিস কি দোস্ত জব্বর খবর শোনালি তো

হা হা হা???

তাহলে তো আর কোন কথাই নেই মেয়েটাকে আমি তোর কাছে সময় মত পাঠিয়ে দিবো

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে

ফোনটা রেখে দিলাম

রিমিরও কান্না আর কোন আওয়াজ শোনা যাচ্ছেনা

গিয়ে একবার দেখবো নাকি

না থাক এত পিরিত দেখাতে পারবনা

দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে আসলো

নিজেই নিজের জন্য এককাপ চা বানালাম

চা খাচ্ছি আর টিভি দেখি রিমির কথা মাথায় নেই আমার

একটু পরে দরজা কে যেন ঠক ঠক আওয়াজ করলো বুঝতে পারছি

বুঝতে পারছি কে হতে পারে

তাই দেরি না করে দরজা খুললাম

দরজা খুলতে নীলা বলে উঠলো

নীলা/ আপনি ধ্রুব

আমি/ হ্যাঁ। কিন্তু আপনি?

নীলা আমার নাম শুনতে পেয়ে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খেয়ে বললো

নীলা/ আমাকে চিনতে পারলেন না
আমি সে মেয়েটা যাকে আপনার বন্ধু পাঠিয়েছে আজ রাতের সঙ্গী করে

আপনাকে একটু সুখ দেওয়ার জন্য

আমি/ ওহহহহ আচ্ছা আচ্ছা
বুঝতে পারছি

আসুন ভিতরে আসুন

বলবো আর কি বলার আগে মেয়েটা ঢুকে পড়েছে

আপনি বসুন আমি আসতেছি

নীলা/ এই শোন আপনি আপনি করে কাকে বলছো

এখন থেকে আমরা দুজনও ফ্রেন্ড তাই আপনি নয় তুমি করে বলবে

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বসো আমি আসতেছি

নীলা/ এখন আবার কোথায় যাচ্ছো এতবড় বাড়িতে আমার ভয় করবে

আমি/ আরে ভয় পাওয়ার কি আছে তুমি এক মিনিট বসো আমি আসতেছি

নীলা/ ওকে সোনা তাড়াতাড়ি আসবে কিন্তু

চলবে…???

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ২

0

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ২

লেখক/ ছোট ছেলে

********

আমি/ কি যতবড় মুখ নয় ততবড় কথা

রিমির চুলের মুঠি ধরে একটা চড় মেরে বিছানা ফেলে দিয়ে বললাম

অসত্বী নষ্টা মেয়ে আর কখনও আমার সামনে আসবিনা

তোকে আমার একদম সহ্য হয়না

রিমি একটা বালিশ জড়িয়ে কান্না করছে

আমি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম

পুরো শরীর ঘেমে গেছে

বন্ধুরা দেখে জানতে চাইলো

রৌদ্র/ কিরে শালা বিয়ে করে বউ পেয়ে আমাদের তো ভুলে গেলি

অন্য আরেকটা বলে উঠলো

কিরে দোস্ত…. কিরে দোস্ত বাঁসর রাত কেমন কাটলো

যা যা বলেছি তার কোন প্রমাণ পেতেছিস

আমি একটু হতাশ হয়ে বললাম না

বন্ধুরা সবাই কেমন জানি নিস্তব্ধ হয়ে গেলো

হঠাৎ একজন বলে উঠলো

বিয়ে যখন করে ফেললি তখন আর কি করা সংসার তো করতে হবে

হয়তো আমরা যা ভাবছি তা ভুলও হতে পারে

যা বাসায় ফিরে যা

রোদ্র/ হ্যাঁ ও ঠিক-ই বলছে

যা বাসায় ফিরে যা দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে একদিন

অন্য আরেকজন বন্ধু বলে উঠলো

তোরা যা বুঝিসনা তা নিয়ে কথা বলবিনা

এমন বউ নিয়ে সংসার না করলে কি হয়

উফফফফ….তোরা থামতো আমাকে তো পাগল করে দিলি

দ্যাতততত…. ওদের ওখান থেকে চলে আসলাম

বাসায় যেতেও মন চায়না

কার কাছে যাবো আর কিসের টানে যাবো

তারপরও বাসায় চললাম

বাসায় গিয়ে দেখি রিমি নেই

হয়তো চলে গেছে যাক ভালোই হলো গেলেই তো বাঁচি আমি এমন মেয়ের সাথে ঘর করার চাইতে একা থাকাই অনেক ভালো

তারপরও সব ঘর ভালো করে আবার দেখতে লাগলাম

না কোথাও পেলামনা

মনে হয় সত্যি সত্যি চলে গেছে

উফফফফ…. একবার ছাদে গিয়ে দেখতে হয়

ছাদে গিয়ে দেখি রিমি কার সাথে কথা বলছে

কিন্তু কে সে ছেলে নাকি মেয়ে

আচ্ছা যদি ছেলে হয় তবে এটা সেই ছেলে নয়তো

যার সাথে রিমি…….

না কি বলে একটু শুনে দেখি

রিমি/ প্লিজ আমি আর পারছিনা আমাকে এখান থেকে মুক্ত করে নিয়ে যাও

এখানে আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একরাতে

কি ব্যপার রিমি এসব কাকে বলছে আর কাছে যেতে চাইছে

সে মানুষটা কে আমাকে খুঁজে বের করতে হবে

একটু পরে দেখি ফিসফিস করে কি বলে রিমি ফোনটা রেখে দিলো

আমিও তাড়াহুড়ো করে নিচে চলে আসলাম এসে বসে রইলাম

নুপুরের শব্দ পেয়ে বুঝতে পারছি রিমিও নিচে আসতেছে

নিচে নামতে

আমি/ নাগরটা কে

রিমি/ মানে

আমি/ যার সাথে এতক্ষণ পিরিতের কথা বলছো সে মানুষটার কথা বলতেছি

রিমি/ কই নাতো আমি কারও সাথে কথা বলিনি

আমি রিমির চুল ধরে রাগী গলায় বলতে লাগলাম

আমি/ এই তোমার কি মনে হয় আমি অন্ধ কানে শুনতে পাইনা

বল এতক্ষণ কার সাথে কথা বলতেছিস

আর কাছে যেতে চাইছিস

রিমি/ আহহহহহহ….ছাড়ুন ছাড়ুন বলছি

আমি আমার ভাইয়ের সাথে কথা বলছি

আমি/ ভাই নাকি পিরিতের নাগর সেটা আমি তোর সব কথা শুনে বুঝেছি

তুই মুক্তি চেয়েছিস আমার থেকে তাইনা যা চলে যা

তোকে আমি মুক্তি দিয়ে দিলাম বেরিয়ে যাবার দরজা খোলায় আছে তবে ঢুকবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে চিরতরে

একথা বলতে

রিমি/ হ্যাঁ তাই করবো চলে যাবো এই সংসার ছেড়ে চাইনা আমার এমন স্বামী চাইনা আমার এমন ঘর

তুমি মানুষ নয় তুমি পশু

রিমির মুখে যা আসে তাই বলে চিৎকার করতে লাগলো

করুক তাতে কি…। কে শুনবে তার কথা

চুপ করে বসে রইলাম

রিমি দেখি ব্যাগ গুঁছিয়ে নিচ্ছে

মনে হয় সত্যি সত্যি চলে যাবে যাক ও গেলে আমি বাঁচি

চোখের জল মুছতে মুছতে মেয়েটা সব গুঁছিয়ে নিলো

ততক্ষণে আমি ছাদে গিয়ে বসে রইলাম

ছাদে বসে দেখতে লাগলাম রিমি যাচ্ছে নাকি

অনেক্ষণ ধরে বসে রইলাম না ঘর থেকেতো দেখি কেউ বের হয়না

ঘটনা কি রিমি কি যাবেনা

বুঝেছি কষ্টের বোঝাটা আরও বাড়াতে হবে

একটু পরে আবার নিচে নেমে আসলাম ফুফিয়ে ফুফিয়ে দেখি কাঁদছে রিমি

আমি কোনকিছু না বলে আবার বেরিয়ে পড়লাম

মন বসেনা কোন খানে

না বাসায় না দোকানে

বন্ধুদের সাথেও আড্ডা দিতে মন চায়না

ওরা সবসময় আমার দিকে আঙ্গুল ইশারা করে এটাই বোঝাতে চায়

তোর বউ অসত্বী

নিজের বউয়ের সম্পর্কে এমন কথা শুনতে কার কাছেই বা ভালো লাগে

টং দোকানে গিয়ে একটা চা খেলাম আর একটার পর একটা সিগারেট টানতে লাগলাম

দোকানদার/ কি ভাই একটার পর জ্বালালে তো তুমি নিজেই জ্বলে যাবে

আমি কি করে এই দোকানদারকে বোঝাবো

তুমিতো শুধু আমার মুখের ভিতর সিগারেটের আগুনটা দেখলে

মনের ভিতর যে দাঁউ দাঁউ করে আগুন জ্বলছে সেটা নয়

দোকানদার/ কি ভাই কি ভাবো
যাও অনেক বেলা হয়েছে খেতে যাও

বউ অপেক্ষা করছে খাবার নিয়ে

আমি মনে মনে বলি
খাবার তো পরের কথা
আজ তার সাথে যা করেছি তাতে এক গ্লাস পানি পাই কিনা সন্দেহ আছে

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সত্যি অনেক বেলা হয়েছে

যাই বাসায় ফিরে যাই

চলবে….???

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/০১

0

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/০১

লেখক/ ছোট ছেলে

********

বাঁসর ঘরে ডুকতে দেখি রিমি খুব সুন্দর সাঁজে বউ সেঁজে অপেক্ষা করছে আমার জন্য

ভাবতে কেমন জানি লাগে
ইসসসসস….. আজ ২৩বছর ধরে অপেক্ষা করছি এই রাতের জন্য

এক পাঁ দু পাঁ করে এগিয়ে গিয়ে বসলাম রিমির পাশে

মেয়েটা আমাকে দেখে একটু নড়েচড়ে বসলো

নিজের মনকে নিজে বোঝালাম

হয়তো এই প্রথম একটা পুরুষের সাথে রাত কাটাবে তাই হয়তো একটু লজ্জা পাচ্ছে সমস্যা নেই আমি মানিয়ে নিবো

রিমিকে একটু স্পর্শ করতে সে করুন সুরে বলতে লাগলো

রিমি/ দয়া করুন আপনি আমাকে একটু দয়া করুন

আমাকে স্পর্শ করবেন না প্লিজ

আমার না খুব খারাপ লাগছে

রিমির কথা শুনে আমার মাথাটা গরম হয়ে যায়

মেয়েটা কি পাগল হয়েছে নাকি যে তার
স্বামীকে স্পর্শ করতে দেয়না শরীর

কিন্তু বাঁসর রাত বলে এই রাত কি আর ফিরে আসবে বার বার

আমি/ এই এসব তুমি কি বলছো তোমাকে স্পর্শ করবোনা মানে
তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে

তুমি আমার বৌ আমি তোমার বর
আমরা দুজন দুজনার তাই কোন কথা নয় চুপ করে শুয়ে থাকো

রিমি/ তা ঠিক কিন্তু আমি একদম প্রস্তুত নয় আপনাকে একটু সুখ দিবার জন্য

কে শোনে কার কথা

মাথা থেকে রিমির কাপড় সরিয়ে দিলাম

তারপর রিমিকে শুয়ে দিলাম

মন ভরে আদর করতে লাগলাম

রিমি কিছুটা ব্যথায় ছটপট করতে লাগলো

আমি ভাবলাম সে মনে হয় খুশিতে এমনটা করছে

কয়েক মিনিট পরে রিমিকে ছেড়ে দিয়ে বললাম

আমি/ যাও এবার তুমি ঘুমাতে পারও

রিমি আমার দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু বলার মত হয়তো কিছুই তার জানা নেই

রিমি অসহ্য কিছু ব্যথা নিয়ে অন্যদিক ফিরে শুয়ে আছে

আমি উঠে লাইট টা জ্বালালাম

দেখি বন্ধুরা যা বলছে তা সত্যি কিনা

আমার বন্ধুরা আমাকে বলেছিলো বাঁসর রাতে যদি রক্তপাত হয় তাহলে বুঝবি তোর বউ বিয়ের কুমারী ছিলো

আর যদি নাহয় তাহলে মনে করবি তোর বউ বিয়ের আগে কাউকে তার দেহ দান করেছিলো

বন্ধুদের দেয়া উপদেশটা আমার মনে আছে

তাই আমিও এখন দেখবো আমার বউ বিয়ের আগে কি কুমারী ছিলো

নাকি একটা অস্বত্বী মেয়েকে বিয়ে করেছি

আমি বিছানা খুব ভালো করে দেখতে লাগলাম কিন্তু কোথাও এক ফোঁটা রক্ত দেখতে পাচ্ছিনা

আমি/ এই তুমি এদিকে সরে বসো

রিমি কোন কথা না বলে সরে বসলো

তারপর আমি আবারও খুব ভালো করে দেখতে লাগলাম কিন্তু শেষফল জিরো জিরো

মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো যখন-ই মনে হয় আমি একটা অস্বত্বী মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে তুলেছি

রিমি কান্না কান্না কণ্ঠে কি জিজ্ঞেস করলো

রিমি/ কি হলো আপনি কি খুঁজেন এতক্ষণ ধরে এই বিছানায়

হাতমুখ ঘেমে গেছে আমার

তারপরও রিমিকে বুঝতে দেইনি

বাসায় আত্মীয়স্বজনে ভরা তাই আজ আর কিছু বললাম না

রিমি শুয়ে পড়লো

আমিও লাইট বন্ধ করে দিয়ে শুয়ে পড়লাম

চোখ বন্ধ করতে মনে হাজারও প্রশ্ন শেষমেষ একটা নষ্টা মেয়েকে বিয়ে করলাম

কিন্তু আমিতো কখনও কোন মেয়ের জীবন আর দেহ নিয়ে খেলেনি তবে আমার কপালে কেন একটা অসত্বী মেয়ে জুটলো

কিন্তু রিমির একটা দিক আমাকে খুব ভাবাচ্ছে

রিমি এখনও ব্যথায় ছটপট করে

নাকি সব-ই তার মিথ্যে অভিনয়

সবকিছু বুঝতে পেরে সে এমনটা করছে

হুমমমম এখন বুঝতে পারছি বাঁসর রাতে তাকে স্পর্শ করতে কেন সে নিষেধ করেছে

না এই অসত্বী মেয়ের সাথে আমি কখনও সংসার করতে পারবনা

যে মেয়ে বিয়ের আগে নিজেকে অন্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়

সে আর যাই হোক কারও বউ হতে পারেনা

ঘুমানোর অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘুমাতে পারিনি

মনে হাজারো প্রশ্ন নিয়ে সকাল হলো

কখন যে চোখে একটু ঘুম আসলো বুঝতে পারিনি

রিমি আমার আগে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানিয়ে আমাকে ডাকতে লাগলো

রিমি/ এই যে শুনছেন এই যে

রিমির ডাক শুনে ঘুম ভাঙ্গলো

চোখ মেলতে দেখি রিমি আমার হাত ধরে আমাকে ডাকতে লাগলো

আমি/ এই শোন তুমি আমাকে একদম স্পর্শ করবেনা

রিমি একটু মজা করে বলতে লাগলো

রিমি/ বাহ্ ভালোতো কালরাতে যার শরীর চেটে খেয়েছেন এখন সে মেয়েটাকে বলছেন স্পর্শ না করতে

আপনি তো খুব মজার মানুষ

আমি/ এই শোন যা বলছি সত্যি বলছি

কান খুলে শুনে রাখো তুমি আজ থেকে আমার কাছে আসার একদম চেষ্টা করবেনা

রিমি/ এসব আপনি কি বলছেন

মাত্র একটা কয়েক ঘণ্টা হলো এসেছি এ বাড়িতে
একটা রাত আপনার সাথে কাটিয়েছি

এর মধ্যে আমি এমন কি করলাম

যার জন্য আপনার এমন সিদ্ধান্ত

আমি/ তুমি কিছু করোনি করেছে তোমার ঐ সুন্দর রূপে

তুমি কোন দোষ নেই দোষ হলো তোমার ঐ অসত্বী শরীরে

যা আমার আগে কেউ উপভোগ করেছে মন ভরে

রিমি/ ছিঃ…… এসব আপনি কি বলেন

আপনার কি মুখে একটুও বাঁধলোনা কারও সম্পর্কে না জেনে এমন মিথ্যে অপবাদ দিতে তার উপর আবার নিজের বউকে

আপনি যদি আমার স্বামী না হয়ে অন্যকোন পর পুরুষ হতেন তাহলে পাঁয়ের জুতো খুলে আপনার মুখে মারতাম

চলবে…..???

অপ্রত্যাশিত বিয়ে শেষ পর্ব

0

অপ্রত্যাশিত বিয়ে শেষ পর্ব


–আমাদের বিয়ের দিনেও খুব বৃষ্টি হচ্ছিল,মনে আছে তোমার ?

–হুম,আছে।

–সেদিন ইচ্ছা হচ্ছিল,তোমার সাথে ভেজার।

–আজ বৃষ্টি হলে,তোমার সে আশা পূরণ করে দেব।

জুঁই কোন জবাব দিল না,আস্তে করে ওর মাথা টা আমার কাধে রাখল।

তারপর বলল,,,

–এতদিন আমার সাথে এমন করলে কেন।কেন আমাকে এভাবে কষ্ট দিছ,,,,

ওর কথার কোন উওর আমার জানা ছিল না তাই কোন উওর দিতে পারি নি।

আমাদের ঘরে ফিরতে ফিরতে রাত দশটা বেজে গেল। ঘরের অবস্থা দেখে জুই হেসেই কুটি কুটি।

আমি একটু লজ্জাই পেলাম।নিজের কিছু কাপড় এমন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যেটা উচিত নয়।

জুঁই বলল,,,,

–লজ্জা পাচ্ছ কেন?আমি তোমার বউ হই

–হুম তাই তো,

দুজন মিলে খুব জলদিই পুরো ঘর গুছিয়ে ফেললাম। ঘর গোছানো শেষ হতেই জুঁই বলল,,,

–বিছানা টা কেমন খালি খালি লাগছে তাই না

–হুম বালিশ একটা,,

–তার জন্য নয়,

–তাহলে,

–ফুল দিয়ে সাজাতে হবে

–ফুল কেন

–বারে আজ তো আমাদের বাসর,বাসরে বিছানা সাজাতে হয়,

–হুম,আমাদের বাসর ভুলে গিয়েছিলাম।

–হুম,,

–বাদ দাও, কি আর করার আছে

–করার আছে,বাইরে গিয়ে ফুল নিয়ে আসো,
.
আমি একটু অবাক হয়ে বললাম,,,,,

–এত রাত্রে যাব,

–হুম, এখনি,যাও নিয়ে আসো।,

–আচ্ছা,কি কি ফুল নিয়ে আসবো ?

–গোলাপ,রজনী গন্ধা ,আর গাদা ফুলও নিয়ে আসো।

আমি বাসা থেকে বের হয়ে ফুল কিনতে গেলাম।
ফুল কেনার সাথে দু প্যাকেট বিরানিও কিনে নিয়ে আসলাম,চুমুতে মন ভরলেও পেট কখনোই ভরবে না।

বাসায় ফিরেই খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। একটু বেশি ক্ষুধা লেগেছিল। জুঁইদের বাড়িতে জুঁইকে চুমু ছাড়া আর কিছুই খাওয়া হয়নি। খাওয়া শেষে জুঁই সাজতে বসল।

আর আমি বিছানা সাজাতে বসলাম। বিছানা সাজায় কিভাবে জানিনা,প্রথম বার তো এত আয়োজন ছিলনা। তবুও,ফুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে যা করা যায়,বাসর রাত বলে কথা।

প্রথম বার যত নার্ভাস ছিলাম তার চেয়েও বেশি নার্ভাস হচ্ছিলাম, জানিনা একটু পর কি হবে?
মাঝে মাঝে জুঁইয়ের দিকে তাকাচ্ছিলাম, ও ঠিক ঠাক।লাল শাড়ি পড়ে হাসছে আর সাজছে।

জুই সাজগোজ শেষে যখন বিছানায় এসে বসল, আমি অনেকক্ষন অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।হালকা সাজে মেয়ে টাকে কত সুন্দর লাগছে।সব হালকা, খালি ঠোঁটে লিপস্টিক আর চোখে কাজল ঘন করে দেওয়া। আজ যে পেট খারাপ হবে এটা শিউর।কোন কোম্পানির লিপস্টিক কে জানে,,,

এই সুন্দর মায়াবী মেয়েটাকে আমি কিভাবে এতদিন ইগ্নোর করে এসেছি মাথায় এলোনা।
.
–কিছু বল

–কি বলব

–কেমন লাগছে ?

–তা, জানিনা।তবে তোমাকে ভালবাসি। খুব ভালবাসি।
.
আমি স্পষ্ট দেখলাম জুঁইয়ের চোখে পানি,পানি টা বেশি ক্ষন দেখা গেল না।খুব জোরে একটা শব্দ হল,মনে হল আশেপাশে কোথাও বাজ পরেছে। ফলে জুই ভয় পেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল,তার সাথে সাথে কারেন্ট টাও চলে গেল।

(এখানেই থাকুক না,আর জেনে কি হবে,,,,)

সমাপ্ত

#লেখকঃ Tuhin Ahamed

অপ্রত্যাশিত বিয়ে  দ্বিতীয় পর্ব

0

অপ্রত্যাশিত বিয়ে
দ্বিতীয় পর্ব


–তুমি কিভাবে বুঝলে তোমার হাত টা ধরতে চাই?

জুঁই একটু হেসে বলল,,,,

–তোমার নজর সেই তখন থেকে আমার হাত টার উপর ছিল,

–তোমার চোখ তো বন্ধ ছিল তাহলে দেখলে কিভাবে ??

–প্রতিটা মেয়েই তার স্বামীর মনের কথা বুঝতে পারে,,,

–উমমমম,,,

–লজ্জা পাচ্ছ,

–না লজ্জা পাব কেন ? নিজের বউয়ের হাত ধরতে কিসের লজ্জা,

আমি জুঁইয়ের ডান হাত টা আমার দু হাতের মধ্য নিলাম।জুঁইয়ের মুখে হাসি ফুটল,এই প্রথম ওকে নিজের স্ত্রী বলে সম্মোধোন করলাম।এই জন্যই হয়ত বেশী খুশি হয়েছে।

জুঁই আবার বলল,,,,

–তুমি চাইলে আমাকে একটা চুমুও খেতে পারো,,

–তুমি আগে সুস্থ হও,,,

–আমি সুস্থ,তুমি এসে গেছ আর কি অসুস্থ থাকা যায়।

আমি জুঁইয়ের কথা শুনে অবাক হলাম,এ মেয়েটা এত অপমান সত্তেও আমাকে কত ভালবাসে। নিজের উপর অভিমান হল,কিভাবে পারলাম এই মেয়েটাকে কষ্ট দিতে,,,

যেদিন জুঁই আমার জন্য কষ্ট করে রান্না করল সেদিন না খেয়েই উঠে গিয়েছিলাম,চিন্তাও করিনি মেয়েটা কষ্ট পাবে কি না ?রোজ রাত্রে ও ফোন করত,সেই ফোন গুলোও কেঁটে দিতাম।নিজেকে এখন খুব অপরাধী মনে হচ্ছে।

–তুমি আবার লজ্জা পাচ্ছ,,,

–পাচ্ছিনা,

–তাহলে চুমু খাও,

আমি জুঁইয়ের কপালে একটা চুমু খেলাম। চুমু শেষেই জুঁই হাসতে হাসতে বলল,,,,

–তুমি আসলেই লজ্জা পাচ্ছ,

–কেন ?আমি তো চুমু খেলাম,

–কপালে কেন ?ঠোঁটে খাও,,,,

–না,

–খাও,,,,এই যে আমি চোখ বন্ধ করছি,
.
জুই চোখ বন্ধ করল। আমি জুঁইয়ের ঠোঁট গুলোর দিকে তাকালাম ,গোলাপী ঠোঁট গুলো অল্প অল্প নড়ছিল। যেই আমি আমার ঠোঁট গুলো নিচে নিয়ে যাব তখনি মনে হল কেউ ঘরের দিকে আসছে। আমি সাথে সাথে ঠিক হয়ে বসলাম।

পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখি জুঁইয়ের ছোট বোন জেরিন এসেছে।আমাদের ইশারা করে বলল,,,

–খেতে আসো তোমরা

আমি কিছু বলতে যাব, তার আগে জুঁই বলে উঠল,,,,

–না আমরা এখন খাব না।

–কেন ?

–আজকে আমরা অন্য কিছু খাব,

–অন্য কিছু,,,কি খাবে আপু,,

–তোকে বলা যাবে না।

–তাহলে আমিও খাব তোমাদের সাথে,,,

–জেরিন,,,,,,,তুই গেলি এখান থেকে,,,

–জুঁইয়ের ধমক শুনে জেরিন পালিয়ে গেল,,,

–নাও,আমি চোখ বন্ধ করছি,

–এখানে না,বাসায় গিয়ে।কখন কে আসে এ ঘরে,

–আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাবে,,,,
জুঁই একটু উচ্ছাসিত গলায় বলে উঠল।

–হুম নিয়ে যাব।আগে তুমি সুস্থ হও তারপর,

–আমি সুস্থ,,,

জুঁই আর বিছানায় শুয়ে রইল না,ফ্রেশ হতে চলে গেল।ফ্রেশ হয়ে এসে ওর ব্যাগ গোছানো শুরু করল।আমি একটু অবাক হলাম ওর উচ্ছাস দেখে।তবে একটা প্রবলেম ও আছে।আমি যেখানে থাকি সেটাকে মুরগীর ঘর বললে ঠিক ভুল হবেনা,একজনের থাকার ঘর।জুঁই কিভাবে ওখানে থাকবে কে জানে ?ওখানে বালিশ ও একটা।অবশ্য জুঁই অনেক কবার আমার ওখানে গিয়েছিল,ও তো জানেই এসব,তবুও এত আগ্রহ।

জুঁইয়ের ব্যাগ গোছাতে গোছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।ব্যাগ গোছানো শেষে ও সাজতে বসল।এমনিতেই ও সুন্দর সাজার কি দরকার।

আমি বললাম,,,,

–এ মেকাপ কি রাত পর্যন্ত থাকবে ?

–নাহ,

–এক কাজ করো,মেকাপ বক্স টা সাথে নিয়ে নাও।রাত্রে সাজিও,আমার ঘরে আয়না আছে,

–গুড আইডিয়া,,,

আমরা জুঁইদের বাসা থেকে যখন বের হলাম তখন বাজে সন্ধে সাড়ে সাতটা।জুঁইয়ের বাবা মা আমাদের খুশি মনেই বিদায় দিল। রিকশায় উঠে জুঁই কোন কথা বলল না।

আমি জিজ্ঞেস করলাম,,,

–রাতে কি খাবে,কাল থেকে তো কিছুই খাওনি,

–চুমু খাব,,,,

–শুধু চুমুতে কি পেট ভরবে ?

–ভালবাসা থাকলে ঠিক ভরবে,,,

–হা হা,ভাল বলেছ,
.
রিকশায় বসা যে এত আনন্দ দায়ক হতে পারে তা জানা ছিলনা।জুঁইয়ের একটা হাত ধরে বসে ছিলাম সারা রাস্তায়।হালকা বাতাস বইছিল,মনে হচ্ছিল বৃষ্টি হবে। কোন ভাবে বৃষ্টি হওয়ার আগে বাসায় পৌছালেই হয়।

জুঁই বলল,,,,

–মনে হয় বৃষ্টি হবে ?

–আকাশ তো তাই বলছে,

–আমাদের বিয়ের দিনেও খুব বৃষ্টি হচ্ছিল খুব,মনে আছে তোমার ?

–হুম,মনে আছে।

–সেদিন ইচ্ছা হচ্ছিল,তোমার সাথে ভেজার।

–আজ বৃষ্টি হলে,তোমার সে আশা পূরণ করে দেব।

জুঁই কোন জবাব দিল না,আস্তে করে ওর মাথা টা আমার কাধে রাখল।

তারপর ও বলল,,,, ??

চলিবে,,,,

#লেখকঃ Tuhin Ahamed

অপ্রত্যাশিত বিয়ে  প্রথম পর্ব

0

অপ্রত্যাশিত_বিয়ে  প্রথম_পর্ব



অনেকটা সময় ধরে জুঁইরের পাশে বসে আছি।আজকে মেয়েটার থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না।মেয়েটার মুখে একটা অদ্ভুত রকমের মায়া আছে তা আগে কখনো লক্ষ্যে করে দেখিনি।আমার এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে জুঁই বলে উঠল,,,,

–আমার হাত টা তুমি ধরতে চাচ্ছ তাই না ?

আমি জুঁই এর কথা শুনে অবাক হলাম।আমি এতটাই মগ্ন ছিলাম ওর প্রতি যে লক্ষ্যই করিনি ও কখন চোখ খুলেছে।কিভাবে জানল আমার মনের কথা,,,,

প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে জুঁইয়ের বিছানার পাশে বসে আছি,যখন থেকে এসেছি তখন থেকেই ইচ্ছা হচ্ছিল ওর হাতটা একটু ধরি। খুব সংকোচ কাজ করছিল নিজের বউ এর হাত ধরতেও এত সংকোচ কেন মাথায় আসছিল না হয়তো এখনো ওকে ভালবাসতে পারিনি।আর তাই হয়তো মনের ইচ্ছেটা ওর কাছে বলতে পারিনি,,,

কিন্তু মেয়েটা খুব বুদ্ধিমতী।আমি কিছু না বললেও আমার মনের কথা ঠিকই বুঝে গেছে।

জুঁই আর আমার বিয়েটা হয়েছিল একটু অন্যরকম ভাবে,হুট করে।বাবা মেয়ে ঠিক করেছিল।আমি যেদিন দেখতে গেলাম সেদিনই বিয়ে দিয়ে দিল।আমার মত ছিল না বিয়েতে কিন্তু বাবার মতের বিরুদ্ধে যেতেও পারিনি,তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিয়ে করতে হয়।বিয়ের আগে জুঁইয়ের সাথে আমার কখনো কথাও হয়নি।

হঠাৎ এমন একজনের সাথে বিয়ে হয়ে গেল যাকে আমি চিনিনা জানিনা।তার সাথে কিভাবে থাকব ভেবে পেলাম না।যদিও কারো সাথে আমার প্রেম ছিলনা।বাট জুঁইকে আমার খারাপ লাগত না ভাল লাগত, তবুও তখনো ওর প্রতি ভালবাসা টা জন্মায় নি।আর কোরো প্রতি ভালোবাসা না জন্মালে তার সাথে থাকাটা খুব কষ্ট সাধ্য ব্যাপার।

আমি যে শহরে থাকতাম, জুঁইদের বাসাও একই শহরে। মাত্রই জবে ঢুকেছি,তাই এখনো ভাল একটা বাসা নেওয়া হয়নি।অফিসের পাশেই একটা ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে থাকি।জুঁই লেখাপড়া করে তাই ও ওর বাবার বাসাতেই থাকে।

আমাদের সম্পর্ক যে ঠিক ঠাক নয় এটা আমাদের দুজনের পরিবারের কেউ জানে না। সবাই জানে আমি ঠিকঠাক বাসা পাচ্ছিনা তাই জুঁইকে নিয়ে একসাথে থাকছিনা।বাসা পেলেই নিয়ে যাব।তবে আমার তেমন কোন ইচ্ছা হচ্ছিল না,একটা ভাল বাসা ভাড়া করা আমার জন্য কোন ব্যাপার না।জুঁইকে মোটেও আপন করে নিতে পারছিলাম না।

জুঁই অনেক বার চেষ্টা করেছিল আমার কাছে আসার কিন্তু আমার তরফ থেকে কোন সায় ছিলনা।একটা মেয়ে হিসেবে যথেষ্ট করেছিল ও।
গত কালকের কথাই বলি।সকাল আটটা, ঘুম তখনো ভাঙেনি, শুক্রবার ছিল তাই অফিসও নেই।হঠাৎ কানের কাছে রাখা ফোন টা বেজে উঠল, একটু বিরক্ত হলাম।নাম্বার না দেখেই ফোন ধরলাম,

হ্যালো,,,,,,

ওপাশে কোন আওয়াজ নেই।এ কাজ টা একমাত্র জুঁই করে।ও অনেকক্ষন পর কথা শুরু করে।

আমি আবার বললাম,,,,
–কিছু বলবে,

–হুম,

বলো

–তোমার কি সময় হবে আজ দুপুরে,

–কেন ?

–আজ আমার জন্মদিন,

–ওহ,,,,শুভ জন্মদিন।

–সময় হবে কি ?

–না আজকে আমার সময় হবেনা’স্যরি’।
প্লিজ কিছু মনে কর না।

–আচ্ছা,ব্যাপার না।

সময় ছিল আমার কাছে তবুও জুঁইকে বলেছিলাম সময় নেই,,,,

কোন এক অদ্ভুত কারণে জুঁইকে আমার বিরক্ত লাগত, তাই ওর কাছ থেকে দূরে থাকতাম।তাই সারাদিন ঘরে শুয়ে বসে কাঁটিয়ে দিলাম।

রাত্রে আবার জুঁইয়ের ফোন এলো।কল ধরতেই ও বলা শুরু করল,,,,,

–খুব ব্যাস্ত ছিলে আজকে তাই না ?

আমার মনে হচ্ছিল ও কাঁদছে , আমি কি বলব ভেবে পেলাম না।ও কি জেনে গেছে আমি সারাদিন বাসায় ছিলাম।জুঁই আবার বলতে লাগল,,,,,

–খুব বেশি কিছু কি চেয়েছিলাম তোমার কাছে, শুধু একটু সময়ই তো চেয়েছিলাম,,,

এটুকুই বলেই ফোন রেখে দিল।আমি রিং ব্যাক দিলাম দেখি ওর নাম্বার বন্ধ।অদ্ভুত কোন কারণে জুঁইয়ের জন্য আমার মন টাও খারাপ হয়ে গেল।সারারাত ওর কথাই শুধু মাথায় এল।

বিয়ে হয়ে গেলে মেয়েরা যত তাড়াতাড়ি তাদের স্বামীকে কে ভালবেসে ফেলে,এত তাড়াতাড়ি ছেলেরা পারেনা নিজেদের বউকে ভালবাসতে।
আমিও পারিনি জুঁইকে ভালবাসতে। বিয়ের রাতেও ওর সাথে আমার কথা হয়নি। সারারাত বিছানায় নির্ঘুম রাত কাঁটিয়ে দিয়েছিলাম।ওই রাতের পর আমি জুঁইয়ের সাথে আর কখনো থাকি নি।

জুই মাঝে মাঝে আসত আমার এখানে।
কিছুক্ষন থেকে চলে যেত।খুব একটা কথাও হত না।ঘর পরিষ্কার করে দিত, মাঝে মাঝে রান্নাও করত,তবুও কখনো ওকে ধন্যবাদ দেওয়া হয় নি।

আজ সকালে অফিসেই ছিলাম, তখনি জুঁইয়ের বাবা ফোন করল।ওনাকে আমার ভালই লাগে, একমাত্র মেয়ের জামাই তাই আলাদা রকমের স্নেহ করেন।আমি ফোন ধরে বললাম,,,,

–আসসালামু আলাইকুম আব্বা।

–ওয়ালাইকুম আসসালাম, তুমি কোথায় ?

–অফিসে, কিছু হয়েছে ?

–জুঁইয়ের সাথে কিছু কি হয়েছে তোমার ?

–না তো,কেন?

–মেয়েটা কাল থেকে কিছুই খায়নি,সকালে মাথা ঘুরে পরে গেছে,

–ওহ,এখন কেমন আছে?

-ভাল,,,,,তুমি কি আসবে একটু ?

-হুম,আমি আসছি,,,,,

আমি ভাবতেই পারিনি ও অসুস্থ হয়ে যাবে।আর কিছু ভাবলাম না, সোজা অফিস থেকে বের হয়ে ওকে দেখতে আসলাম।ওকে দেখেই মনে শান্তি এলো।মনে হল,ওর খারাপ কিছু হয়ে গেলে আমি ভাল থাকতাম না।ও আমার জন্যই অসুস্থ হয়েছে।

জুঁই আবার বলল,,,,,

–কি হল ? ধরতে চাইলে ধরো,,,,,

–তুমি কিভাবে বুঝলে আমি তোমার হাত টা ধরতে চাই ?

জুঁই একটু হেসে বলল,,,,,

–তোমার নজর সেই তখন থেকে আমার হাত টার উপর ছিল,,,,

তোমার চোখ তো বন্ধ ছিলে তাহলে কিভাবে দেখলে,,,,,, ??

চলবে

~Tuhin Ahamed

গল্প : হবু বউ শেষ পাঠ

0

গল্প : হবু বউ শেষ পাঠ

,,,,,
লেখক : অর্দ্র ( MR)

যখন রুবি তার চোখ বন্ধ করে ফেলেছে তখনই দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ হলো । আওয়াজ হওয়াতে রুবি আমাকে ছেড়ে দিল আর মুখে অটোমেটিক ভাবে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো ।
রুবি আমার দিকে তাকিয়ে দেখলো আমি হাসছি ঠিক তখনই ও আবার আরো জোরে আমাকে ধরে আমার গালে একটা চুমু দিয়ে দিল ‌ আমি তো রিতিমত অবাক কী মেয়ের বাবা। আমাকে ছেড়ে দিয়ে ও উঠে যাচ্ছে কিন্তু ওর মুখে প্রচন্ড রকম বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছে ।আর আমার কথা ভাবছেন আমি তো পুরাই টাস্কি খেয়ে গেছি ।
যাইহোক ও গিয়ে দরজা খুলতেই দেখলাম ওর আম্মু মানে আমার শ্বাশুড়ি । ও গিয়ে বলল,,,,
রুবি : কী হয়েছে আম্মু । ( একটু ঘুমিয়ে গেছিলাম । ( একটু ঘুমের ঘোরে থাকার মতো করে বলল।)
ও তুই তো বড়ই কেয়ারলেস মেয়েরে ।( শ্বাশুড়ি)
রুবি: কেন আমি আবার কী করলাম হ ‍্যা।
শ্বাশুড়ি : দেখ তো আয়ান এর ঠোঁটের ওখানে কেটে গেছে দেখে তুই এই মলম টা এনে রেখে দিয়েছিস ‌ । কেন এটা ওখানে লাগাতে হবে না।
রুবি কিছু বলতে যাবে তার আগে আমিই বললাম না আন্টি আসলে ও নিয়ে এসেছিল কিন্তু আমিই দিতে চাইনি সেজন্য আবার রেখে এসেছে ।
আমার কথা শুনে রুবি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে ।
আমার শ্বাশুড়ি বলছে কেন ও আচ্ছা । ঠিক আছে তোমারা তাহলে ঘুমাও । কিন্তু এটা দিলে একটু তারাতাড়ি সেরে যেত ।
আমি : আচ্ছা দিন আমি লাগিয়ে নিব নি ।
তারপর আমার শ্বাশুড়ি ঐটা দিয়ে চলে গেল,
তারপর রুবি ঐটা হাতে করে আমার কাছে এসে বলল বাহ খুব ভালো মিথ ‍্যে বলতে পারেন তো । ( রুবি)
আমি : আপনাকেই তো বাচালাম । না হলে আপনাকে তো আপনার আম্মু না মানে আমার শ্বাশুড়ি অনেক বকা দিত । সেটা বুঝতে পেরেই তো আমি ঐটা বললাম ।
রুবি : ও তাই বুঝি । তা এখন এটা লাগিয়ে নাও তাহলে এটা তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে ।
আমি : কোনো দরকার নেই এটা লাগাতে হবে না । ওটা এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে ।
রুবি আর জোর করলো না আর বলল,,,,
রুবি : এখন শুয়ে পড়ুন অনেক রাতই তো হলো ।
আমি : কী আপনি ঘুমাবেন না । না কোথাও যাবেন আমি ঘুমানোর পরে।
রুনি : হ ‍্যা যাবো তো আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে । কালকে তো আপনার বাড়িতে ছিলাম তাই যেতে পারিনি ।
আমি : কীইইইইই ।
রুবি : হ‍্যা ।
আমি : কোথায় আপনার বয়ফ্রেন্ড আমিও যাবো দেখা করতে । চলেন ।
রুবি : আপনাকে যেতে হবে না । আর আপনার লজ্জা লাগবে না আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন আমরা কি করবো ।
এবার আমার একটু রাগ হচ্ছে ।
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে । আপনি যান ‌ । তবে আগেই বলতে পারতেন যে আপনার এমন কেউ আছে ।
রুবি : তাহলে কী করতেন ।
আমি : তাহলে আপনাকে বিয়ে করতাম না ।
রুবি: কীইইইই তুই আমারে বিয়ে করতি না তো কাকে বিয়ে করতি বল। ( আমার কলার ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বলল)
এবার আমি রিতিমত অবাক আর নির্বাক দুটাই । এখন আমি বুঝতে পারছি কেন ও বিয়ের আগে আমাকে এভাবে জ্বালিয়েছে।
আমি : ঐ কলারটা তো ছাড়েন । ( একটু ভয়ে)
আর আপনি বললেন বলেই তো বললাম ।
রুবি : আপনি বুঝতে পারছেন না কেন ‌ । আমি তো বলেছি তাই না যে আমার ভুল হয়ে গেছে। সরি সরি সরি কিন্তু আপনি বুঝতেই চাইছেন না তো আমি কী বলবো বলেন ।
( হায় হায় এটা আমি কী দেখছি রুবি কান্না করে দিছে কিন্তু আমার কলার এখনো ছাড়েনি ।)
আমি কী করবো বুঝতে পারছি না । আসলে আমার যে ও কে ভালো লাগে না তাও না কিন্তু ,,,,,
ধুর কিসের কিন্তু যাই করুক না কেন সব তো আমার সাথেই করেছে আর বউটা তো আমার তাই না ।
আমি ওর চোখের পানি গুলো মুছে দিলাম আর বললাম ,,,,
এতো কষ্ট পাওয়ার কী আছে আমি তো অভিনয় করছিলাম আপনি যেমন করেছেন তেমন। (আমি)
রুবি আর কিছু বলল না আমার কলার ছেড়ে এখন আমায় ধরেছে ।
আমি এবারো অবাক কারন এই রকম পরিস্থিতিতে আমি প্রথম ।
আমার এই রকম দেখে রুবি বলল কী একটু জড়িয়ে ধরতেও পারেন না নাকি হ ‍্যা । ( রুবি)
আমি : হুম ,,,
আমি হুম বলতেই ও আরো বেশি শক্ত করে জড়িয়ে ধরল আমায় মনে হচ্ছে ছোট বাচ্চা ভয় পেয়েছে । যাইহোক আমার ও যখন ধরেছে সেহেতু আমি ও ধরলাম ।
হায় হায় আপনারা সবাই শুনে ফেলেছেন ,,,, কী লজ্জা কী লজ্জা তবে ডোন্ট মাইন্ড হ ‍্যা । আপনারা আবার কাউকে বলবেন না কিন্তু ।
যাইহোক পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে একটু ঘুরতে বের হলাম একা একাই ।
তারপর দুপুরের পর খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিকেলে আমরা আমার বাসায় না মানে আমাদের বাসায় চলে আসলাম ।
ও আপনারা আবার শুনবেন কালকে রাতের সব কথা হায় হায় কী বলবো বলেন লজ্জা লাগছে ।
না মানে বুঝেনি তো ওটা তো ছিল শ্বশুর বাড়ি ঐখানে কী আর কিছু হয়।
হ ‍্যা তবে ঘুম হয়েছে একটু ।
তবে রুবি আমার বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়েছে আর আমি আমি আর কী করবো আমি শুধু জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে ছিলাম।
যাইহোক বাসায় এসে রাতের খাবার শেষ করে সবার সাথে গল্প করে তারপর আর কী রুমে গেলাম । গিয়ে দেখি বউটা আমার মুখটা ফুলিয়ে বসে আছে সেই বাসর রাতে যেভাবে বসেছিল সেই ভাবে । আমি রুমে যেতেই এসে আমার পায়ে সালাম করলো । কিন্তু আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কী ব ‍্যাপার আজকে তো বাসর না ।
ও কী বলল জানেন ,,,,
তো কী হয়েছে প্রথম দিন তো আর বাসর হয়নি তবে আজকে আর ছাড়ছি না বলেই আমার ওপর হামলা শুরু ,,,,,
এখানে থেকেই শুরু হলো রুনি আর মেহেদীর এর দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের সংসার ।

সমাপ্ত

গল্প : হবু বউ পাঠ :১০

0

গল্প : হবু বউ পাঠ :১০

লেখক : মেহেদী ( MR)
রুবি এগিয়ে আসতে আসতে একদম আমার কাছে চলে এসেছে। আমি তার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছি ।
এমন সময় দরজায় ঠক ঠক ঠক আওয়াজ পেলাম ।
আওয়াজ পেয়ে রুবি ও আমি দু’জন একসাথে দরজার দিকে তাকাতেই দেখি ভাবি আর ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে আর ভাবি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে । রুবি ওদের দেখে প্রচন্ড রকম লজ্জা পেয়েছে । লজ্জায় লাল হয়ে গেছে । আমি যে লজ্জা পায়়নি তাও না তারপরও কিছু বলছি না । ভাবি এখনো ঐখানেই দাঁড়িয়ে আছে ।
আমি বললাম ,,,,
কী ব ‍্যাপার ওখানে দাঁড়ায় থাকবি না ভেতরে আসবি । খিদা লাগছে তো । (আমি)
হুম আসছিই তো ।(ভাবি)
তারপর ভাবি খাবার রেখে খেয়ে নিতে বলল। আর যাওয়ার সময় রুবি কে কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেল,,,, না না ,,, বলে গেল ,,, কী আপনারাও শুনবেন তাহলে শুনুন ,,,,,
রুবি তুমি এই বাঁদর টাকে একটু মানুষ করো তো । আর হ‍্যা তোমাকে কিছু বল্লে আমাকে বলবা নয়ত আব্বু কে বলবা । ( ভাবি )
আচ্ছা আপু । ( রুবি ছোট করে উত্তর দিল)
আসলে রুবি এখনো মাথা ওপরের দিকে উঠায় নি। খুবই লজ্জা পেয়েছে বেচারা ।
তারপর আর কিছু না বলে ভাবি আর ভাইয়া চলে গেল ।
এ মা একি এবার দেখি রুবি মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে ।
আমি : কী হয়েছে হ ‍্যা এতো হাসির । হাসতে হবে কেন । আর একটা কথা শোনেন সবার সামনে আমাকে তুমি করে বলবেন না হলে ধরা খেয়ে যাবো । আর সবাই যদি জানতে পারে তাহলে মন খারাপ করবেন ।
আর হ‍্যা এখন যেমন শুরু করেছিলেন আর যেন না হয় ।(আমি)
তা নয় আমি তোমাকে সব সময়ই তুমি করে বলবো কারন আমার তো অধিকার আছে তাই না । আর হ‍্যা এখন যা করতে পারলাম না তা তো অবশ্যই করবো কারন আমি এখন তোমার বিয়ে করা বউ । ( রুবি )
হুম বিয়ে করা বউ কিন্তু আপনি বিয়ের আগেই সেই অধিকার হারানোর কাজ করেছেন । আবশ‍্যই আপনি আমার বিয়ে করা হালাল বউ , আপনার সব দায়িত্ব আমার কিন্তু আমি আপনাকে মানতে পারছি না (আমি)
তাহলে আমি কী করবো বলেন । আমি না হয না বুঝে় একটু অপরাধ করেছি তাই বলে কী মাফ করা যায় না । (রুবি)
হ ‍্যা আপনি তো নাবালক বাচ্চা । আপনি কিছুই বুঝতে পারেন না । আপনি কচি খুকি । না বুঝে না শুনে সব করছেন সেটা তো আমাকে বিশ্বাস করতে হবে তাই না । (আমি)
হুম তাই । ( রুবি)
হুম তাই,,,,,,,( ব ‍্যাঙ্গ করে বললাম )
আচ্ছা আমি আর এই বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না । এখন খুব খুদা লাগছে খেয়ে নেন।( আমি)
ওহ তাহলে মাফ করেছ। ( রুবি)
ঐ আর কথাও যেন না শূনতে পাই তারাতাড়ি খেয়ে নেন। (আমি)
ও ছোট বাচ্চাদের মতো করে মুখ ফুলিয়ে বলল হুম।
আমার এখন খাওয়া দাওয়া করছি । আমি খাচ্ছি আর ভাবছি মেয়েটা অনেক সুইট । সব কথা শুনে । এখনো বাচ্চাদের মতো স্বভাব থেকেই গেছে ।
ও হ ‍্যা আপনাদের তো বলাই হয়নি আমার বউটা অনেক অনেক সুন্দর । একদম পরীর মতন । একবার দেখলে শুধু তাকিয়েই থাকতে মন চায়।
আপনারা ভাবছেন আমি এগুলো বলছি কেন আসলে ও যাই করুক না কেন আমার বিয়ে করা বউ তো । যতই যাই বলি না কেন একটা টান হয়ে গেছে ।
যাইহোক হঠাৎ করে আমার প্রচন্ড জ্বলছে ঠোঁটের কোণে । কারন আব্বু চড় মারায় ওখানে কেটে গেছে ।
আমি খাওয়া শেষ করতেই ও বলল এই জন্যই তো তোমার শরীরের এই অবস্থা । এতো টুকু খেলে মানুষ কোনোদিন একটুও মোটা হবে না ।( রুবি)
এমনিতেই জ্বলছে আর তার ওপর এইরকম কথা কর ভালো লাগে ,,,,
ঐ আমার আর মোটা হওয়া লাগবে না । আমি চিকন আছি চিকনই থাকবো । চুপচাপ খাওয়া শেষ করেন। (আমি)
তারপর ও চুপচাপ খাওয়া শেষ করে প্লেট গুলো নিচে রেখে আসতে গেল আর আমি বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম ।
একটু পরে দেখি মামনি আসছে আরে ভূলে গেছেন আমার ভাতিজি । ও এসে সরাসরি আমার বুকের ওপর শুয়ে পড়ল । আসলে ও এইরকমই করে যদি দেখে আমি শুয়ে আছি তখনই আমার বুকের উপর শুয়ে পড়বে । তারপর আমি বললাম মামনি তোমার নতুন চাচি তোমাকে আদর করেনি । (আমি)
হুম করেছে । অনেক আদর করেছে তোমার চাইতে বেশি । ( পিচ্চি)
আমি : তাই না ‌এখন আর কী আমাকে মনে থাকবে । এখন তো তুমি তোমার আদরের চাচি পেয়েছ ।
পিচ্চি: হুম পেয়েছি তো কী হয়েছে ।
আমি : আচ্ছা মামনি তুমি আজকে আমার সাথে চলো তোমার চাচির আম্মুর বাড়ি ।
আমার কথা শুনে ও উঠে বসে কেমন করে যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
আমি : আমি বললাম কী মামনি কী হলো ‌।
পিচ্চি : না কিছু না কিন্তু আমি যাবো না ।
আমি : কিন্তু কেন ।
পিচ্চি : তুমি জানো না চাচির আম্মু পচা । আমি যাবো না বাবা । তুমিই যাও ।
বলেই দৌড় ।
হায়রে কপাল সেদিন যদি না বলতাম কথাটা তাহলে আজকে ভালো হত । আসলে মিথ ‍্যা বললে বিপদে পড়তেই হয়। আপনারা ভাবছেন আমি এমন করছি কেন আসলে আমার কেমন যেন লাগছে ওদের ওখানে একা একা যেতে ।
যাইহোক দৌড় দিলাম ভাইয়ার এর কাছে। গিয়ে বললাম,,,
আমি : ভাইয়া আমাকে নাকি শ্বশুর বাড়ি যেতে হবে তো আমাকে কী একাই যেতে হবে নাকি ।
ভাই : আরে না একা যাবে কেন ,,,
তুমি আর রুবি যাবে ।
আমি : আমি কী আপনার সাথে মজা করছি বলেন ভাই । ভাই প্লিজ আপনি আমার সাথে চলেন না ।
ভাই : আরে দূর তুমি কি এখনো ছোট ।বোকা এতো ভয় কেন । এখন আমাকে ছাড়ো আমি দেখি তোমার শ্বশুর বাড়ির কারো কিছু লাগবে কিনা । ও রা তো এদিক ওদিক আছে ।
আসলে আমি ঘরে থাকায় কিছুই জানি যে উনারা কখন এসেছেন।
তারপর আমি ভাবি কাছে আসলাম কিন্তু কোনো লাভ হলো না ।
তারপর ব ‍্যাথ হয়ে রুমে আসলাম । হায় রে কপাল এখানেও শান্তি নেই পুরো রুমের মধ ‍্যেই মানুষ । এগুলো আবার কখন আসলো ।
আমাকে দেখে একজন বলল কিরে রুবি তোর হাজবেন্ড কে কী রাতে ঘুমানোর সময় দেসনি । বলেই সবাই হো হো করে হেসে উঠলো । রুবি খুবই লজ্জা পেয়েছে । মাথাটা নিচু করে বসে আছে । আর আমাকে প্রচন্ড খারাপ লাগছে কথা গুলো শুনে ।
আরে ভাই আমার ব ‍্যাপার আমি ঘুভাবো কিনা ‌ । তাদের এতো কী । আমি আর ওখানে না থেকে চলে আসলাম ।
তারপর ওখান থেকে নিচে এসে সবার সাথে কথা বললাম সব কিছু ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে পরক্ষ করতেই আব্বু ডাকলেন আমি যেতেই বললেন শোনো তুমি রেডি হয়ে নাও বৌমা রেডি ।
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে ।
বলে ্আসতে শুরু করলে আব্বু আবার বলল দেখ বাবা তোমার রাগের কারনে আমি জানি । আর সব কিছু ভুলে যাও । ( আব্বু )
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে ।
কিন্তু মনে মনে বললাম এর ফল রুবি পাবে । তারপর ওখান থেকে এসে রেডি হয়ে চলে আসলাম শ্বশুর বাড়ি । লোকে বলে না শ্বশুর বাড়ি মধুর হাড়ি আসলে কথাটা সত্য । যাইহোক এখান কার সবাই এখন আমাকে নিয়ে ব ‍্যাস্ত বললেই চলে । কী আজব ব ‍্যাপার তাইনা । আমার বাড়িতে রুবি কে সবাই ব ‍্যাস্ত আর এখানে আমায় নিয়ে সবাই ব ‍্যাস্ত।
যাইহোক তারপর রাতের খাবার শেষ করে রুমে যেয়ে আমি ফেসবুকে একটু নিউজ ফিড এ ঘুরাঘুরি করছি ।একটু পরেই রুবি আসলো । এসেই সরাসরি দরজা বন্ধ করে বিছানার দিকে এগিয়ে আসছে আমি রুবির চোখের দিকে তাকাতেই বুঝতে পারলাম আমার সাথে এখন কিছু হলেও হতে পারে । ও এগিয়ে আসছে আর আমার অবস্থা আস্তে কেমন যেন হচ্ছে । বুজছি না । ও এসেই আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিল দিয়ে ও আস্তে আস্তে ,,,,,,,,,,
আরে এতো তাড়াতাড়ি কেন আপনাদের আস্তে আস্তে বলি আমার বুঝি লজ্জা করে না ।।।।।
ও আস্তে আস্তে আমার ওপর উঠে বসে আমার মুখের দিকে মুখ নিয়ে আসছে ।
আমার কেমন যেন লাগছে আমি কিছু বুঝতে পারছি না যে কী করবো । আমার ও কে আমার থেকে ছাড়াতে ও পারছি না ,,,, হায় হায় সবাই শুনলে কী বলবে আপনারাই বলেন আমি একটা মেয়ের থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারছিনা । আপনারা আবার কাউকে বলবেন না কিন্তু হ ‍্যা ।
ও মুখ একদম আমার মুখের কাছে চলে এসেছে ,,, ও ওর চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলছে ,,,
এমন সময় আবারো
ঠক, ঠক,,,,,,

চলবে

গল্প : হবু বউ পাঠ: ০৯

0

গল্প : হবু বউ পাঠ: ০৯

লেখক: অর্দ্র ( MR…..Mehedi Rubi)
নতুন বউয়ের ঘোমটা তুলে আমি বউয়ের দিকে তাকাতেই অবাক যেন আমি আমার চোখ দুটোকে বিশ্বাস করতে পারছিনা ।
আমার প্রচন্ড রকম রাগ হচ্ছে এখন নিজের বাবা মায়ের প্রতি ।
আমি যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি ।কিছুই বলতে পারছি না ।একটা পাথরের মতো বসে আছি । ক্রমশ আমার রাগ বাড়ছে আর আস্তে আস্তে আমার চোখ দুটোর রং কালো থেকে লাল হচ্ছে।
আর আপনারা ভাবছেন আমি এইরকম রাগ হচ্ছি কেন ,,,,,,,
আসলে নতুন বউটা আর কেউ নয় সেই মেয়েটা । আপনারা বলছেন তাহলে তো ভালোই হলো আসলে বিষয় সেটা না বিষয়টা হচ্ছে আমার সাথে এতো নাটক কেন ।
আমার এখন মনে হচ্ছে আমার আপন কেউ নেই কারন আমার বাবা, মা ,বোন , দুলাভাই সবাই জানত যে ঐ মেয়েটাই আমার হবু বউ ছিল ।
আমার এই রকম ভাবে তাকিয়ে থাকা এবং রাগ হওয়া দেখে রুবি বলে উঠলো কী হলো আপনার কথা বলছেন না কেন আর আপনার চোখ গুলো এমন লাল হয়ে যাচ্ছে কেন ।
আমার মাথায় যেন কিছুই ঢুকছে না মেজাজটা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে । আর আমার মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে যে সবাই মিলে আমার সাথে এমন করলো কেন ।
আমার কোনো রেসপন্স না পেয়ে রুবি আবারো বলল ,,,,
আমি বুঝতে পারছি ,, আপনার মনে হয় শরীর খারাপ লাগছে আপনি শুয়ে পড়ুন । আমি আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি ।
রুবি এই কথা বলে আমার মাথায় হাত দিতে যাবে ঠিক সেই সময় আমি ওর হাতটা এক ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে বললাম ,,,
কোনো দরকার নেই তোর এই আদিখ্যেতা করার । (আমি)
রুবি মাথা নিচু করে নিল । হয়তবা কান্না শুরু করেছে।
আমার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই,, আমি আজকে এর একটা হ ‍ ্যাস্তনেস্ত করেই ছাড়বো।
আমি বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালাম দরজার দিকে পা বাড়াবো ঠিক সেইসময় সে আমার হাত চেপে ধরলো । আমার হাত ধরায় আমার হাতের ওপর পানির মতো কিছু একটা পড়ল অনুভব করলাম ।
আমি হাতটা ছাড়িয়ে নিতে চাইলেই পারছি না কারন নিজের বিবেক চাচ্ছেনা ।
অবন্তী আমাকে বলছে দেখেন অন্তত আজকের দিনটায় সিনকৃয়েট করবেন না । বাড়িতে অনেক লোকজন । আব্বু অপমানিত বোধ করবেন । ( রুবি )
ওর কথায় যুক্তি আছে দেখে আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে।
তবে আপনি খবরদার আমার কাছে আসার চেষ্টা ও করবেন না । ( রাগ করে বললাম কথাটা )
ঠিক আছে । ( রুবি )
তারপর আমি বললাম আপনি ঘুমান । আর একটা কথা সবাই যেন বুঝতে পারে যে আমরা দুজনেই অনেক খুশি । (আমি)
হুম ঠিক আছে। কিন্তু আপনি ঘুমাবেন না । ( রুবি)
এই মেয়ে এই বেশি কথা বলতে না করছি না । আর একটা কথা বললে খবর আছে । (আমি)
রুবি আর কিছু না বলে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল । আমি সোফায় গিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু একটুও ঘুম আসছিল না । কেন জানি শুধু একটা কথাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে যে আমি কী দোষ করেছিলাম যে আমাকে এমন শাস্তি দিয়েছে ।
আপনারা কী বলেন এইটা কি শাস্তি না । আমার সাথে সবাই অভিনয় করেছে ।
রাতে আর ঘুম হলো না সকালে ফ্রেশ হয়ে বাইরে বের হতেই দেখি দুলাভাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে ,,,
ভাইয়ের হাঁসি দেখে বুঝতে পারলাম যে এখন আমাকে নিয়ে কিছুক্ষণ উপহাস করা হবে ‌।
তাই আর কিছু না ভেবে বাইরে চলে আসলাম ।
হায় রে কপাল বাহিরে এসেও শান্তি নেই । সবাই দেখি একই কথা জিগায় কি রে রাতে ঘুম কেমন হলো ।
আমি সবাইকেই বলছি ভালো ভালো কিন্তু কেউ মানতেই চাচ্ছেনা । কারন সারারাত জেগে থাকার কারণে চোখ দুটো লাল হয়ে আছে ।
তাই আমি আর বাইরে না থেকে ভেতরে আসলাম । ভেতরে আসতেই আম্মুর ডাক শুনলাম ।
আম্মুর ডাকে সাড়া দিয়ে আম্মুর কাছে গেলাম সেখানে দেখি আব্বু ও আছে ।
আমি যেতেই আব্বু বললেন বিকেলে তোমার শ্বশুর বাড়িতে যেতে হবে তোমাদের ঐখান থেকে লোকজন আসবে ।
আমি কিছু না বলে ঐখানে থেকে চলে আসলাম । আমার কেমন জানি কিছুই ভালো লাগছে না । আমার রুমের দিকেও যেতে পারছি না যে গিয়ে একটু ঘুমাবো প্রচন্ড ঘুম , রাগ মিলিয়ে একদম বিরক্তিকর ব্যাপার মনে হচ্ছে আমার । যাইহোক আমি আর বাসায় না থেকে চলে আসলাম বাইরে । গাড়ি টা নিয়ে বাসায় থেকে অনেকটা দুরে। আবার এখানে এসেও ভালো লাগছে না । আমি আসলে বুঝতে পারছি না যে আমার সাথে এমন কেন হচ্ছে । কোথাও গিয়েও একটু ও শান্তি লাগছে না ।
যাইহোক আমি গাড়িটা একটা লেকের পাড়ে দাড় করিয়ে গাড়ি থেকে নেমে বসে আছি । কেমন জানি ভালো লাগে আমার এমন জায়গায় বসে থাকতে । বসে থাকতে থাকতে কখন যে দুপুর হয়ে গেছে সেদিকে আমার খেয়ালই নেই ।
সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই খায়নি তারপরও একটু ও খিদের জ্বালা বুঝতে পারছি না ।
যাইহোক ফোনটা ও পকেট থেকে বের করে আরো বড় ধরনের শকড খেলাম
। কারন সকাল ১০ টার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০০ টার ও বেশি কল আর ৫০ টার বেশি মেসেজ । আমি আর কিছু না ভেবে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। অতঃপর বাসায় এসে যা দেখলাম তা আমার ধারনার বাইরে ।
এসে দেখি আব্বু বসে আছে আর সবাই রুবি কে থামানোর চেষ্টা করছে আসলে রুবি প্রচন্ড রকম কান্না করছে আর হ ‍্যা এখনো আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে কেউ আসেনি।
আমাকে দেখে বাবা বসা থেকে উঠে এসে সরাসরি এক চড় বসিয়ে দিলেন । আমি কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিলাম না । আরেক টা বিষয় দেখে অবাক হলাম যে আমাকে চড় মারা দেখে রুবির কান্না আরো বেড়ে গেল।
আব্বু শুধু বলল তোর সাহস হয় কীভাবে ,,,, এটুকু বলতেই ভাইয়া এসে আব্বু কে থামিয়ে দিয়ে বলল,,,,
আব্বু তুমি বস আমি বলছি ( ভাই)
তারপর ভাইয়া আমাকে টানতে টানতে আমার রুমে নিয়ে আসলো ,,,,
কী তোর কী কোনো বুদ্ধি নাই না সব হারায় ফেলেছো ।( ভাই)
কেন কী হয়েছে ভাইয়া । আমি আবার কী করলাম। (আমি)
তুমি কোথায় গিয়েছিলে । তোমার ওয়াইফ এখন পর্যন্ত কিছুই খায়নি । আর তোমাকে কত বার ফোন করেছে দেখ তো । মেয়েটা সেই সকাল থেকে কান্না করেই যাচ্ছে ।( ভাই)
ও আচ্ছা । শ্বশুর বাড়ির লোকজন কখন আসবে ।(আমি)
এইতো কিছুক্ষণ এর মধ্যে চলে আসবে। আর শোন তোমার ঠোঁটের কোণে কেটে গেছে ঐখানে পরিষ্কার করে নাও ।( ভাই )
তারপর ভাইয়া চলে গেল । আর আমি বাথরুমে গিয়ে একদম গোসল সেরে বের হলাম । এই বাবা এইটা কী রুবি এখনো রুমে আসেনি । আমি দরজার সামনে গিয়ে দেখি এখন ও নিচে বসে কাঁদছে আর ভাবি আম্মু কিছুতেই ওর কান্না থামাতে পারছেনা ।
এই অব্যাহত যদি ওদের বাড়ির লোকজন দেখে তাহলে কী ভাববে আপনারাই বলেন।
আমি ওপর থেকেই ডাক দিলাম ,,,,
ভাবি ও কে উপরে নিয়ে আস তো । (আমি)
ও মা একি ঐ মেয়েকে কোনোভাবেই উপরে আনা যাচ্ছে না । ও আসতেই চাইছে না । আমি এটা দেখে একটা প্রস্তুতি নিলাম আমি রুমে গিয়ে একটা টিশার্ট পরে সরাসরি নিচে এসে ওর সামনে দাঁড়ালাম ‌ । কিন্তু মেয়েটা এখনো কেঁদেই চলেছে ।
আমি ভাবি কে বললাম উপরে যেন খাবার টা দিয়ে দেয় আর ইশারায় বললাম আম্মু কে এখান থেকে নিয়ে যেতে । আসলে তখন সেখানে শুধু ভাবি আর আম্মুই ছিল ।
তারপর ভাবি আম্মু কে নিয়ে চলে গেল আর আমি হাঁ হাঁ কী ভাবছেন ,,,,
আমি রুবি কে একদম কোলে তুলে নিয়ে উপরে চলে আসলাম । কোলে তুলে নিতেই ও পুরোপুরি অবাক হয়ে গেছে আর কান্নাও থেমে গেছে । রুমে ও কে নিয়ে আসতে আসতে ভাবলাম রুবি কে একটু হাসাতে হবে না হলে পরে সমস ‍্যা হতে পারে । কারন কোনো মানুষ অনেক কান্নাকাটি করতে করতে সেন্সলেস হয়ে পড়ে। এখন ভয় একটাই । যাইহোক রুমে নিয়ে এসে নীলা কে নামাতেই খেয়াল করলাম ও খুবই লজ্জা পেয়েছে । আর নামিয়েই বললাম বাবারে এতো ভারি । ও দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে মনে হয় কিছু বলবে ,,,,,
আপনি খুবই খারাপ মানুষ । বুঝলেন। (রুবি)
আমি: হুম তারপর ।
তারপর আর কিছুই না,,,, বলে ও উঠে আমার দিকে এগিয়ে আসছে ওর চোখের চাহনি গুলো অন ‍্য রকম দেখাচ্ছে । ও আস্তে আস্তে আমার দিকে এগিয়ে আসছে আর আমি কিছু বুঝতে পারছি না কী করবো । ও করো এগিয়ে আসছে এবার আমি পিচাচ্ছি ও এগিয়ে আসছে আর আমি পিছিয়ে যাচ্ছি । একসময় আমি দেওয়ালের সাথে ঠেকে গেলাম কিন্তু ও থামছেই না এগিয়েই আসছে আস্তে আস্তে ও একদম আমার কাছে চলে এসেছে আমি ওর নিঃশ্বাস এর শব্দ ও শুনতে পাচ্ছি । আস্তে আস্তে ও ওর মুখটা আমার দিকে এগিয়ে নিয়ে আসছে । একদম কাছাকাছি চলে এসেছে আমার কেমন জানি লাগছে ,,,, কিন্তু রুবি তো থামছেই না ।
এমন সময়,, ঠক ,ঠক ঠক,,,,,

চলবে

গল্প : হবু বউ পাঠ : ০৮

0

গল্প : হবু বউ পাঠ : ০৮

লেখক : অর্দ্র(MR)
আমি রুমে আসতেই আমার ফোন টা বেজে উঠলো। অপরিচিত নাম্বার দেখেও সাত পাঁচ না ভেবে রিসিভ করলাম । কিন্তু মেজাজটা খারাপ থাকায় একটু কটমট করেই বললাম হেলো ।
কিন্তু একি ঐপার থেকে শুধু হাসির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ।
আমার বিরক্তি আরো বেড়ে যাচ্ছে । মেজাজটা আরো বেশি খারাপ হচ্ছে । আপনারাই বলেন, কার মেজাজ খারাপ হবে না এইরকম অবস্থায় । একে আব্বু কে ঐ বজ্জাত মেয়েটা মিথ্যা কী সব বানাই বলছে আর এখন আবার ফোনে এইরকম বিরক্তি আর ভালো লাগছে না ।
আমি আবার ও বললাম হেলো কিন্তু একই কাহিনী এবারো শুধুই হাসির শব্দ ।
আমি এইবার আর চুপ থাকতে পারলাম না ,,,,
ঐ বজ্জাত মেয়ে তুই কী পাইছিস রে । যেদিন থেকে আমার পেছনে রাগা শুরু করছস সেদিন থেকেই প্রায় সময় আমার জন্য একটা না একটা বাঁশ তৈরি হয়েই থাকে । আমি কী দোষ করেছি । দয়াকরে এইবার আমারে একটু রেহাই দে বোন ।( এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো শেষ করেছি আমি )
এইবার উত্তর পেলাম ,,,
এই তো জ্বালানো মাত্র শুরু । এখনও তো সারাজীবন পরেই আছে । এখনি এই অবস্থা । আর হ ‍্যা আমি আপনার বোন না । ( মেয়ে )
আপনি আমার যাই হোন না কেন আগে বলেন আমার আব্বুর কাছে কী বলেছেন । (আমি)
কই নাতো আমি তো কিছুই বলিনি । (মেয়ে )
দেখেন মেজাজটা এখন খুবই খারাপ আছে প্লিজ আর এখন এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না যে পরে আপনাকে এর জের টানতে হয়। (আমি)
ঐ আমাকে ভয় দেখান হ ‍্যা । আমি আর আপনাকে ভয় পাই না ।এখন আমি বুঝে গেছি আপনাকে কীভাবে শাস্তি পাওয়াতে হয়। ( মেয়ে)
একটু শান্ত হয়ে বললাম । দেখেন আপনি দয়াকরে বলুন আমি আপনার কী ক্ষতি করেছি , যার জন্য আমাকে এর মাশুল দিতে হচ্ছে । (আমি)
কই তখন মনে ছিল না যে আমি একটা মেয়েকে থাপ্পড় দিতে চাচ্ছি কোন সাহসে।
( মেয়ে)
ওওওওওও তাহলে এই কারণে আমার নামে বিচার এসেছে । আর আমি যে আপনাকে ওদের হাত থেকে বাচালাম এটার কী ।(আমি)
তো কী হয়েছে । বাঁচিয়েছেন ভালো কথা আমাকে তো রাগ না দেখালেও পারতেন । ( মেয়ে )
না তখন আমার উচিত ছিল সিনেমার নায়কদের মতো আপনাকেও কোলে তুলে নিয়ে আমার গাড়িতে বসানো । তাই না বজ্জাত মেয়ে। (আমি)
এটুকু না হলে করতেন । কী হতো একটু কোলে তুলে নিলে। ( মেয়ে)
সরি মাফ করবেন । আমি যেন আপনাকে আর আমার চোখের সামনে না দেখি ।
বলেই ফোনটা কেটে দিলাম । আসলে মেয়েটার কথা শুনে আমার রাগ আরো বেশি হচ্ছিল । আর ভালো লাগছিল না তাই লাইনটা কেটে দিলাম।
যাইহোক তারপর থেকে আর কোনো সমস্যা করেনি মেয়েটা । এভাবেই চলতে চলতে বিয়ের দিন চলে আসলো । আজকে গায়ে হলুদের দিন সন্ধ্যার পর ভাবি এসে আমাকে ভাবির ফোনটা দিয়ে বলছে নে ধর ওই মেয়েটা কথা বলবে । ( আপু)
না আমি ধরতে পারবো না । ( আমি)
আপনারা ভাবছেন ভাবির কাছে কেন ফোন করেছে আসলে ও আমার কাছে ফোন করেছে কিন্তু আমি রিসিভ করিনি ।
ভাবি : তুই ফোনটা ধরবি না আমি আব্বুকে ডাকবো ।
আসলে আমি আব্বুকে ভয় পাই । আর আমার বাসার সবাই হয়েছে মনে হচ্ছে আমার বিয়ে রুবির সাথে না মেয়েটার সাথেই হচ্ছে।
যাইহোক আমি ফোন টা ধরলাম ,,
আমি কোনো কথা বলছি না দেখে ফোনের ঐপার থেকে আওয়াজ আসলো কেমন আছেন ।
আমি : ভালো তো থাকতে দিলেন না । আবার জিজ্ঞেস করছেন কেমন আছি ।
মেয়ে : তাই বুঝি । আচ্ছা ঠিক আছে আপনাকে কথা দিলাম আজকের পর থেকে আর আপনাকে জ্বালাতন করবোনা ফোন করে ।
আমি : সত্যি ‌।
মেয়ে : হুম সত্যি ।
আমি : তবে ভালো থাকবেন । আপনি আপনার রাস্তা দেখেন আর আমারটা দেখি ।
মেয়ে : ওকে ভালো থাকবেন বাই ।
আমি ও কে বাই বলতে যাবো তার আগেই লাইনটা কেটে দিল । বুঝলাম না ‌।
যাইহোক আজকে আমার বিয়ে । অনেকটা টেনশনে আছি । বুঝেন তো আপনারা নতুন বিয়ে করছি না মানে বিয়ে করছি নতুন তাই আর কি।
সারাটা দিন কেটে গেল বিয়ের সব কাজ শেষ নতুন বউ নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
কিন্তু আমার পোড়া কপাল এখনো বউয়ের মুখখানা দেখি নাই । শুধু শুনলাম যে আমার বউ নাকি সুন্দর ।
আর একটা আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে আমি সেদিন মেয়েটা কে এখানেই নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিলাম বাট আজকে তো একবারো দেখলাম না মেয়েটাকে । আজকে অনেক খারাপ লাগছে এইটা ভেবে যে অনেক খারাপ ব ‍্যাবহার করেছি মেয়েটার সাথে । এরপর ফোন করে সরি বলে দেব ।
বাড়িতে আসার পরে সবাই নতুন বউ নিয়েই ব্যস্ত আমার দিকে কারো কোনো খেয়াল নেই। আসলে নতুন বউ বাড়িতে নিয়ে আসতে আমার যে একটা অবদান আছে সেটা কেউ মনে হয় জানেই না ।
আমার অবস্থা এখন ডাস্টবিনে ফেলে আসা খাবার এর মতো কেউ একবার তাকিয়েও দেখছে না আমার দিকে ।
আমার এই অবস্থা দেখে ভাইয়া আমার কাছে এসে বলছে কী ব ‍ ্যাপার ভাই কষ্টে আছত মনে হয় ।
আমি বললাম কী যে বলেন না ভাই কষ্টে থাকবো কেন ।
এর পর আরো কিছু কথা হলো ভাইয়ার এর সাথে । ও আপনারাও শুনবেন ,,, না আমার বলতে লজ্জা লাগছে বুঝেন তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ না মানে নতুন বিয়ে করেছি ।
তাও শুনবেন আচ্ছা শুনেন
ভাইয়ার এর কাছে থেকে কিছু টিপস্ নিলাম আর কী কীভাবে বিড়াল মারতে হয়।আসলে আমি আমার ভাইয়ের সাথে ফ্রি।
এভাবে অনেক টা সময় পার হয়ে গেল । ভাই আমার অবস্থা দেখে উঠে গেল একটু পরে এসে আমাকে বলছে চলো রুমে যাবে তোমার জিনিস একা একা বসে আছে ।
আমি : কী বলেন জিনিস মানে । এখন আবার কিছু জিনিস নিয়ে যেতে হবে ।
ভাই : আমি বলছি তোমার বউ না মানে তোমার ওয়াইফ একা একা রুমে বসে আছে যাও তাড়াতাড়ি ।
আমি : ও আচ্ছা ।যাই তাহলে ,,,,
দু’পা সামনে আগাতেই মনের মধ্যে ধক করে উঠল । আমার ঘরের দরজার সামনে গিয়ে আবার পেছনের দিকে দৌড় ভাইয়ের কাছে গিয়ে থামছি।
ভাই : কী হলো ।
আমি : না কিছু না এমনিতেই ভয় লাগছে ঘরে যেতে তুই একটু আমার সাথে যাবি ।
ভাই : হায় আল্লাহ এই তো শুধু বড়ই হয়েছে । এখন ছোট বাচ্চা ।ঐ তারাতাড়ি যাবি না আমি আব্বুকে ডাকবো ।
আমি : ভাইয়া তুইও ।
ভাই : আআআআব্বুউউউউ
পুরোপুরি চিৎকার না করতেই আমি দৌড় এক দৌড়ে দরজার কাছে ।
তারপর দু তিন বার বুকে ফুঁ দিয়ে রুমে ঢুকবো তখনি কেউ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে দরজা আটকে দিল ।।
আমার এই রকম অবস্থা দেখে আমার নতুন বউ একটু হেসে ফেললো ‌।
আমি অসহায় হয়ে শুধু একটু হাসির শব্দ পেলাম। যাইহোক বউ এসে আমার পায়ে সালাম করে আবার গিয়ে বিছানায় বসলো ইয়া বড় একটা ঘোমটা দিয়ে ।
আমি কী করবো বুঝতে পারছি না । আমি এখনো দাঁড়িয়েই আছি ।
আমার এই রকম দাঁড়িয়ে থাকা দেখে বেচারা আমার বউ বলল দাঁড়িয়েই থাকবেন না এদিকে এসে বসবেন।
আমি বউয়ের কথা শুনে একটু স্বস্তি পেলাম । আমিও আর দাঁড়িয়ে না থেকে বউয়ের পাশে গিয়ে বসলাম ।
আমার প্রচন্ড ঘাম হচ্ছে দেখে রুবি আমাকে বলে উঠলো ভয় পাচ্ছেন কেন এতো ।
আমি : না মানে প্রথম বিয়ে করছি তো তাই ।
রুবি : কীইইই আরো বিয়ে করার ইচ্ছা আছে নাকি।
হায়রে কপাল কী বলতে কী বলছি এসব।
আমি : না মানে ভুলে বের হয়েছে কথাটা ।
রুবি : ও আচ্ছা আর যেন ভুল না হয়।( ধমকের সুরে)
এই বার আমার একটু সন্দেহ হলো রুবির কন্ঠ শুনে । আসলে আমার পরিচিত কন্ঠ । মনে হচ্ছে এর আগেও শুনেছি কন্ঠ টা ।
সেদিকে মাথা ঘামিয়ে বললাম ,,,
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে।
একটু সময় চুপ থেকে বললাম আমি আপনাকে দেখতে চাচ্ছি । যদি ঘোমটাটা সরাতেন।
রুবি : কেন আপনি সরাতে পারছেন না ।
আমি : ও আমিই সরাবো ।
রুবি : নয়ত কী আপনার ভাই কে ডাকবেন ।
আমি : না না তার দরকার নেই আমিই সরাচ্ছি ।
এটা বলেই আমি ঘোমটা সরিয়ে যেই মাত্র বউয়ের মুখের দিকে তাকিয়েছি তাতেই আমার চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিনা ,,,,,,,,,,,

চলবে

গল্প :হবু বউ পাঠ : ০৭

0

গল্প :হবু বউ পাঠ : ০৭

লেখক : অর্দ্র(MR)
পিচ্চির কথা শুনে আমি গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে ওখানে গিয়ে বললাম কী হচ্ছে এখানে ‌।
আমার কথা শুনে ঐখানের সবাই আমার দিকে তাকালো এবং দেখলাম মেয়েটা মনে হয় হাফ ছেড়ে বাচলো । ও আপনাদের তো ঠিক মতো বলাই হয়নি কি হয়েছে এইখানে। আসলে কয়েকটা বখাটে মিলে একটা মেয়েকে ঘিরে ধরেছে । আর মেয়েটা একা ঐটা দেখেই আমার মামনি হাত ইশারায় দেখিয়ে দিল । আপনাদের বলেছিলাম না আমার মামনি অনেক বুদ্ধিমতী । যাইহোক আমাকে দেখে বখাটে দের একজন বলল ঐ তোরা চল । তারপর ওরা এখানে থেকে চলে গেল । আর আপনারা ভাবছেন ওরা আমাকে দেখে চলে গেল কেন আসলে আমাদের এখানে আমার আব্বুর প্রতিপত্তি অনেক বেশি আর আর বখাটেরা আমাকে ভালো করেই চেনে আর ওরা জানে আমি কেমন । যাইহোক ওরা চলে যাওয়ার পর আমি মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখি আসলে মেয়েটা আর কেউ নয় ঐ বখাটে মেয়ে । মেয়ে কে দেখে আমি বললাম,,,
আমি : ও আমি তো ভুল করলাম । আসলে বখাটেরা তো এইভাবেই বখাটের হাতেই বিপদে পড়ে ।
মেয়ে : ,,,,,,,,,,,,,,,,,। কিছুক্ষণ থেমে থেকে বলল । আপনি আসলে একটা খারাপ মানুষ ।
আমি : ও তাই না । আমিই তো আপনাকে বাচালাম আর আমিই খারাপ।
মেয়ে : হ ‍্যা । তো আমাকে আপনি বখাটে বলছেন কেন ।
আমি : তো আপনাকে কী বলবো বখাটে কে কী বলব। যাইহোক আমি এখানে দাড়িয়ে আপনার সাথে ঝগড়া করতে চায় না । বিপদে যখন পড়েছেন তো চলেন আপনাকে বাড়ী পৌছে দেই ।
মেয়ে : না দরকার নেই আমি একাই চলে যাবো ।
আমি : দেখেন বখাটে গুলো এখনো আশেপাশেই আছে আমি চলে গেলে আবার আপনাকে জ্বালাতন করবে তাই বলছি চলেন ।
মেয়ে : না ওরা আর আসবে না । আপনি চলে যান । আর আপনি আমাকে নামিয়ে দিবেন কেন । আমি আপনার কী হই।
আমি : আচ্ছা আপনি আমার বাবা মায়ের পরিচিত ‌। তাই আমার আপনাকে ভালোমতো বাড়ি পৌঁছে দেওয়া দায়িত্ব হয়ে গেছে ।
মেয়ে : আপনার সিমপ‍্যাথির কোনো প্রয়োজন নেই আপনি যান ।
এবার আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আমি আবার কখন ওকে সিমপ‍ ্যাথি দেখালাম । তারপরেও নিজেকে শান্ত রেখে বললাম ,,
আমি: প্লিজ চলেন আপনার আবার কোনো বিপদ হতে পারে ।
মেয়ে : না ।
আমি : থাপ্পড় চিনস ছেড়ি । তাড়াতাড়ি গাড়িতে ওঠ । আর একটা কথা বললে থাপরাইয়া সব গুলো দাঁত খুলে ফেলবো ।
আমার রাগ করা দেখে মনে হয় ভয় পেয়েছে । মাথা নিচু করে গাড়িতে উঠে বসল। বুঝলাম না আমার কথায় তাহলে সত‍্যিই ভয় পেয়েছে । আমিও গাড়িতে উঠে চলা শুরু করলাম । এমন সময় মামনি বলছে চাচ্চু এই আন্টি টা কে ।
আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো যেহেতু কালকে ও রুবিকে সাথে দেখা করার জন্য বলেছিল সে জন্য আমি একটু দুষ্টুমি করে বললাম ,,
মামনি তুমি তোমার রুবি চাচিকে দেখতে চেয়েছিলে না এইটাই তোমার রুবি চাচি । (আমি)
পিচ্চি আমাকে একটা পাপ্পি দিয়ে মেয়েটা কে বলছে চাচি তোমার কী হয়েছিল ।
মেয়ে : কিছু না । ওখানে কিছু বদমাইশ আমাকে খারাপ খারাপ কথা বলছিল ।
ও হ ‍্যা আমি মেয়েটাকে কে ইশারায় বললাম একটু কোওপারেট করতে । দেখি কাজ হয়েছে । আসলে মেয়েটা ভালো কথা তো ভালোই শুনছে ।
পিচ্চি আবার মেয়েটা কে প্রশ্ন করলো ।
চাচি তোমার আম্মু নাকি পচা । আর অনেক রাগ দেখায় তাই তো চাচ্চু আমাকে তোমাদের ওখানে নিয়ে যাইনি । যাক ভালোই হলো তোমার সাথে দেখা হয়ে গেল । ( পিচ্চি)
মেয়ে : আম্মু তোমার চাচ্চু বলেছে এইকথা তাই না । আসলে তোমার চাচ্চু একটা পঁচা তাই এইকথা বলেছে ।
পিচ্চি : না আমার চাচ্চু পচা না ।
ওদের কথার মাঝে আমি বললাম আপনাকে কোথায় নামিয়ে দেব।
তখন মেয়েটা আমাকে ওর বাড়ির ঠিকানা দিল । কিন্তু ওর ঠিকানা শুনে আমার সন্দেহ আরো বেড়ে গেল যে মেয়েটা কে । আমার মাথায় শুধু একটা কথাই শূধু ঘুরপাক খাচ্ছে যে মেয়েটা কে ।আরে আপনারা ভাবছেন আমি এগুলো ভাবছি কেন আসলে মেয়েটা যে ঠিকানাটা দিয়েছে সেটা হচ্ছে আমার হবু শ্বশুর বাড়ির মানে রুবিদের বাসার । আমার চুপ করে থাকা দেখে মেয়েটা আমাকে বলছে কী ব ‍্যাপার চুপ করে গেলেন কেন ।
আমি : না এমনিতেই ।
মেয়েটা আর পিচ্চি গল্প করছে আর আমি মনে মনে ভাবছি মেয়েটা কে । আমি বাসায় গিয়ে হাজার বার বললেও রুবির একটা ছবিও দেখাবে না ।
আসলে আমাকে প্রথমে রুবি কে দেখার বিষয় এ বলা হয় কিন্তু আমিই তখন বাহাদুর এর মতো বলেছিলাম আপনাদের পছন্দই আমার পছন্দ ।
আর এখন দেখতে চেয়েও দেখতে পাচ্ছি না । কপাল আমার ‌ ।
তবে আপনাদের বলছি আপনারা কেউ আমার মতো এমন বোকামি করবেন না ।
যাইহোক তারপর মেয়েটা কে আমার বউয়ের বাড়ি থুক্কু আমার হবু শ্বশুর বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে চলে আসলাম ।
বাসায় এসেই সরাসরি ভাবির কাছে হানা দিলাম কোন লাভ হলো না । তারপর ভাইয়ার এর কাছে তাতেও ফেল মারলাম । সবার একই কথা কদিন পরেই তো বিয়ে এখন আর দেখতে হবে না । শত শত বুঝিয়েও নাভ হচ্ছে না ।
তাই ব ‍্যাথ হয়ে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম । চোখটা একটু ধরে এসেছে তখনই আব্বুর ডাক ।
ধরমর করে উঠে দৌড় দেরি হলে খবর আছে আর এখন ডাকার ধরনটা আলাদা মনে হচ্ছে ।
যাইহোক নিচে আসতে আসতেই বুঝতে পারলাম যে কিছু একটা হয়েছে ।
আব্বুর কাছে এসে বললাম কী হয়েছে আব্বু । ( নরম শুরে বললাম)
আব্বু : আজকে কী করেছিস ।
আমি : কই নাতো আমি তো কিছুই করিনি ।
আব্বু : রাস্তার মেয়েদের জ্বালানো শুরু করেছ ।
হায় হায় আমার ইজ্জত এই গেল বুঝি
আমি : না আব্বু আমি তো এইরকম কিছুই করিনি । আর তোমার কী মনে হয় । আমি যখন পড়াশোনা করতাম তখনই মেয়েদের পাত্তা দেইনি আর এখন । আর তোমাকে কে কী বলেছ শুনি ।
আব্বু : আমি সব ঠিকঠাক জানি যে তুই আজকে কাকে এগুলো করেছিস । আর বলছিস এইগুলো করিস নি ।
এবার আমার মাথার মধ্যে সব কিছুই একদম পরিষ্কার হয়ে গেল । আমি বুঝতে পারছি না মেয়েটা আমার পেছনে লেগেছে কেন ।
আমি আব্বুকে বললাম ঐটা কে রুনি ।
আব্বু : হ ‍্যা ,,,,,,,,,,,,,
আমি : সত্যিই ‌
আব্বু : হ ‍্যা মানে না। আমি কী বলতে কী বলছি ঐ তুই এখন যা পরে এই বিষয়ে কথা বলবো ।
তারপর আমি ওখানে থেকে চলে আসলাম এসে যেই মাত্র বিছানায় একটু শুয়ে পড়ার প্রস্তূতি নিচ্ছি তখনই আমার ফোন টা বেজে উঠলো ,,,,,,,

চলবে

গল্প : হবু বউ পাঠ : ০৬

0

গল্প : হবু বউ পাঠ : ০৬

লেখক : অর্দ্র(MR)

আমি উপরে চলে আসতে আসতে একটা কথা মাথায় আসার কারণে ঐ মেয়েটাকে বললাম আপনি ইয়াসমিন আক্তার রুবি কি ।
আমার কথা শুনে সবাই চুপ করে গেল আমি তাড়া দেওয়ায় মেয়েটা ভয় পেয়ে বলতে যাবে এমন সময় আম্মু চলে এসে বলছে কী হয়েছে তুই ওকে ঐ রকম করছিস কেন । তুই দিন দিন কী হচ্ছিস বল তো ।
বাড়িতে একটা মানুষ এসেছে আর তুই কিনা আলতু ফালতু প্রশ্ন করা শুরু করেছিস । ( আম্মু বলল )
কই নাতো আমি তো শুধু সত্যি কথা টা জানতে চাইলাম আর তুমি কী না কী বলছো । (আমি)
তোর কিছু এখন জানতে হবে না এখন উপরে যা পরে জানবি। ( আম্মু)
সাথে আবার আব্বুও একটু যোগ করলো ,,
আমিও তো সে কথাই বলছি তুই এখন যা আমি পরে সব বলবো । ( আব্বু)
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে । তবে আপনি ( মেয়েটাকে উদ্দেশ্যে করে ) কিন্তু পার পাবেন না আপনাকে উত্তর দিতেই হবে ।
বলেই আমি উপরে চলে । পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা শেষ করে অফিসে চলে আসলাম । সেদিনের মত অফিস শেষে বাসায় এসে দেখি ভাইয়া ভাবি আসছে আর পিচ্চি এসেছে । আরে আপনারা ভাবছেন পিচ্চি আবার কে ও আপনাদের তো বলাই হয়নি পিচ্চি হচ্ছে আমার ভাইয়ের মেয়ে নাম ঈশিতা । আমি পিচ্চি বলি , যাইহোক এই কয় খুব ভালো কাটবে কারণ পিচ্চির সাথে খুব ভালো সময় কাটানো যায় আর পিচ্চি টা অনেক কিউট আর খুব পাকা পাকা কথা বলে । পিচ্চির সাথে কোনো বিষয়ে পেরে উঠা যায় না । এই দেখেন আমি আপনাদের সাথেই কথা বলছি ঐদিকে পিচ্চি দাঁড়িয়ে আছে ওর সাথে কথাই বলা হয়নি এখনো । আপনাদের সাথে একটু পরে কথা বলি আগে পিচ্চি মামনির সাথে কথা বলি ,,
আমি : হেলো পিচ্চি মামনি ।
পিচ্চি : আমি তোমার সাথে কথা বলবো না । আমি এসেছি সকালে আর তুমি এখন আসছো খবর নিতে । তুমি যাও তোমার বাবার অফিসে ।
কী আমি বললাম না যে পিচ্চি খুব পাকা পাকা কথা বলে ।
পিচ্চির কথা শুনে সবাই হাসতে শুরু করেছে ।
আমি : না মামনি আর এইরকম হবে না । আমার মনে ছিল না । আসলে অফিসে অনেক কাজ তো তাই কাজের চাপে ফোন করতে পারিনি । তবে কালকে থেকে আর এই রকম হবে না ।
পিচ্চি : না এইগুলো বলে হবে না তুমি মিথ ‍্যে কথা বলছো ।
আমি : সত্যিই বলছি মামনি ।
এখনো অন ‍্য দিকে তাকিয়ে আছে আমার উপর সত্যিই অনেক রাগ করেছে । আর আমিও না একটিবার ও মনে হয়নি যে আজকে ওরা আসবে ,,,এখন দেখি কী করা যায় ,,,
আমি : মামনি আমি কান ধরেছি প্লিজ মাফ করো মা আর এমন হবে না । ( ছোট বাচ্চাদের মতো করে বললাম )
এইবার মন হয় কাজ হয়েছে । হ‍্যা সত্যি কাজ হয়েছে আমার দিকে ঘুরে বললো ,,,
পিচ্চি : না শুধু কান ধরলেই হবে না কালকে আমাকে তোমার অফিসে নিয়ে যেতে হবে আর বিকেলে আসার সময় চাচির বাসায় গিয়ে চাচির সাথে দেখা করিয়ে নিয়ে আসতে হবে ।
আমি : তোমাকে কালকে অফিস নিয়ে যাবো ঠিক আছে কিন্তু তোমার চাচিটা কে ।
পিচ্চি : ওরে বাবা যে তুমি শুধু বড়ই হয়েছ কিছু বুঝতে শেখ নি এখনো । তোমাকে আর কত শেখাবো বলতো । দাদু তুমি তোমার ছেলেকে কিছু শেখাতে পারোনি এখনো বোকাই আছে । আমার চাচি কে তুমি বুঝতে পারোনি আমার চাচি হচ্ছে রুবি ।
পিচ্চির কথাগুলো শুনে সবাই হাসতে শুরু করলো । সবার হাসি দেখে নিজেকে কেমন যেন অসহায় মনে হচ্ছে । আমি একটু লজ্জিত হয়ে বললাম ,,,
কিন্তু মামনি তোমার রুবি চাচি তো আর কয়েকদিন পর থেকে আমাদের বাড়িতেই থাকবে এখন আর দেখতে যেতে হবে না । তার চেয়ে বরং আমরা অন‍্য কোথাও যেয়ে ঘুরে আসবো কালকে অফিস শেষে । (আমি)
না, না আমি রুবি চাচিকেই দেখবো । ( পিচ্চি)
না মা এমন করে না তোমার চাচির বাসায় গেলে তোমার চাচির আম্মু আমাদেরকে বকবে। তুমি তো জানো না তোমার চাচির আম্মু অনেক রাগি । (আমি)
এবার মনোহয় পিচ্চি একটু ভয় পেয়েছে ।
তাহলে এখন তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো তারপর বলবো অন‍্য কোথায় যাওয়া যায় । (পিচ্চি)
আচ্ছা ঠিক আছে আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তুমি ততোক্ষণে ভাবতে থাকো । (আমি)
তারপর আমি বাবি আর ভাইয়া এর সাথে কথা বলে আমার রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম । দিনটা না মানে অফিস থেকে আসার পর থেকে সময়টা অনেক ভালো গেল ।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা শেষ করে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডী হচ্ছিলাম তখনই পিচ্চি এসে বলছে আমি রেডি । তোমার এতো সময় লাগে কেন । তারাতাড়ি করো ।
আমি : আচ্ছা মা একটু ওয়েট করো আমি আসছি ।
তারপর রেডি হয়ে পিচ্চিকে নিয়ে অফিসে চলে আসলাম । সারাটা দিন ও অফিসেই ছিল । আমি কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু করে গল্প করছিলাম পিচ্চির সাথে । অফিস শেষে পিচ্চি আমাকে বলছে চাচা আমরা আজকে কোথাও যাবো না । আমরা বাড়িতে যাবো ।
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে ।
আমরা আসছি আসতে আসতে হঠাৎ করেই পিচ্চি বলতে শুরু করল ,,
চাচ্চু তুমি চাচি আম্মার সাথে কথা বলো নাই । (পিচ্চি )
আমি : না মামনি তোমার দাদু দেখা করতে দেয় নি ।
পিচ্চি : ওহ তোমার অনেক কষ্ট হয়েছে তাই না ।
আমি : কেন কিসের কষ্ট হবে মামনি ।
পিচ্চি : ঐ যে চাচির সাথে দেখা করতে দেয়নি দাদু ভাই তাই । বলেই খিল খিল করে হাসতে শুরু করেছে ।
আমি : ও এতক্ষন তাহলে মজা করা হচ্ছিল তাই না ।
আমি কথা শেষ না করতেই পিচ্চি বললো ,,,
পিচ্চি : চাচ্চু গাড়ি থামাও ,,, তাড়াতাড়ি ।
আমি : কেন মামনি কী হয়েছে ।
আমি গাড়ি থামাতেই ও আমাকে হাত ইশারায় দেখিয়ে দিল বিষয়টা দেখে আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে নিজের ওপর আবার বখাটে গুলোর ওপর ।
আমি গাড়ি থেকে নেমে ওখানে গিয়ে বললাম কী হচ্ছে এখানে ,
আমার কথা শুনে সবাই আমার দিকে তাকালো ,,,,,,,

চলবে

গল্প : হবু বউ পাঠ : ০৫

0

গল্প : হবু বউ পাঠ : ০৫

লেখক : অর্দ্র ( MR)
অফিস থেকে বাসায় এসে ফ্রেশ হতে না হতেই আম্মুর ডাক ,,,
….মেহেদী দেখ তোর ফ্রেন্ড এসেছে ‌ । তারাতাড়ি নিচে আয় । (আম্মু)
আম্মুর কথা শুনে মনে মনে বললাম আমার ফ্রেন্ড তাও আবার আমার বাড়িতে । যাইহোক নিচে গিয়ে দেখা যাক কে আমার ফ্রেন্ড ।
নিচে এসে সোফার দিকে চোখ পড়তেই আমার চক্ষু চড়কগাছ ‌।
আমি আবারও আগেরবার এর মতো হতবাক । আরে আপনারা ভাবছেন কে এসেছে । আর বইলেন না ঐ যে মেয়েটা ঐঐ ঐ মেয়েটাই আসছে । কী রকম মেয়েরে বাবা চিনা নাই জানা নাই হুটহাট সবাই জায়গায় চলে আসে ।
আমার এইভাবে হা করে তাকিয়ে থাকা দেখে আম্মু বলল কী রে অবাক হবার কী আছে আর ঐ রকম গাধার মত দাঁড়িয়ে আছিস কেন বস । ( আম্মু বলল)
আমি কিছু না বলে বসলাম আর ঐ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা একরকমের হাসি দিচ্ছে শয়তানি টাইপ হাসি , তা দেখেও আমি কিছুই বললাম না ।
আমি বসার পরে আম্মু বলল তোরা বসে গল্প কর আমি একটু আসছি ।
আমি: আচ্ছা ঠিক আছে ।
এমনিতেই আমার প্রচন্ড রকম রাগ হচ্ছে যে মেয়েটাকে আমি চিনি না । তারপরও আমি সব কিছুই বুঝিয়ে বলেছি তারপরও এই রকম কাজ করে কী ভাবে । আমার চুপ করে বসে থাকা দেখে মেয়েটা বলল কী ব ‍্যাপার রেগে গেছেন মনে হয় ।
আমি : না আমি রাগব কেন ‌ আপনি কী রাগ করার মত কিছু করেছেন যে আমি রাগ করবো ।
মেয়েটা : না আমি জানি আপনার রাগ অনেক । আর আপনি যে এখন প্রচুর রেগে আছেন আমি বুঝতেই পারছি ।
আমি: তো যখন বুঝতেই পারছেন তাহলে আবার বলেন কেন । আর আপনি আমার বাসার ঠিকানা কোথায় পেলেন ‌ ।
মেয়েটা : আমি যেখানেই পেয়েছি আপনাকে বলবো কেন । আপনি কে ?
আমি : আমি কেউ না তারপরও আপনাকে বলতে হবে । আর আপনি ঠিকানা পেয়েছেন ঠিক আছে তো আবার বাসায় এসেছেন কেন ।
মেয়েটা : আসতে মন চেয়েছে তাই এসেছি । আর আপনাকে অনেক দিন দেখি নাই তাই চলে আসছি ।
আমি : ওরে আল্লাহ্ রে , আমাকে একটু ওপরে উঠায় নেও তাও মনে হয় আমি ভালো থাকবো ।
মেয়েটা : আরে কী বলেন এইসব । আর মাত্র কয়েক দিন পর আপনার বিয়ে আর এখন এগুলো কথা বলছেন কেন ।
আমি : তো আমি কী করবো বলেন ।
মেয়েটা: আপনাকে কিছুই করতে হবে না । যাইহোক আপনার বিয়েতে আমাকে দাওয়াত দিচ্ছেন তো নাকি।
আমি : আপনাকে দাওয়াত দিব আমার বিয়েতে কোনো প্রশ্নই উঠে না ।
আমার কথা শেষ না হতেই আব্বুর আগমন ।
আব্বু : কী হ ‍্যা কে কাকে দাওয়াত দিচ্ছে না শুনি ।
মেয়েটা : আঙ্কেল আসসালামুয়ালাইকুম । আপনি কেমন আছেন ।
আব্বু : আমি ভালো আছি মা তুমি কেমন আছো । আর তোমার বাসায় সবাই কেমন আছে ।
মেয়েটা : সবাই ভালো আছেন । আম্মু বলল আপনাদের সাথে দেখা করে যেতে আর আম্মু আপনাকে আর আন্টি কে একবার যেতে বলেছে । তাই আর কী ।
কথা শেষ না হতেই আমি শুরু করলাম ,,,
আমি : ও তাহলে আমার সাথে প্রথম দিন থেকেই তাহলে সবার অভিনয় চলছে ‌ বাহ্ খুব ভালো । ( আসলে একটু খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে আব্বু আম্মু সবাই ঐ মেয়েটাকে চেনে আর সামনে প্রকাশ করেন না )
আর আব্বু বলছিলে না যে কাকে দাওয়াত দিব না সে হচ্ছে এই মেয়েটা ।
আব্বু : চুপ গাধা । যা ওপরে যা এইখানে আর বসে থাকতে হবে না । আর শোন কালকে সকালে তোর ফ্রেন্ডের সবাইকে দাওয়াত দিবি ।
আমি : আচ্ছা ।
আমি উঠে চলে আসার সময় একটা কথা মাথার মধ্যে কেমন যেন ঘুরপাক খাচ্ছে । আমি আর কিছু না ভেবে পেছনে ঘুরে মেয়েটাকে উদ্দেশ্যে করে বললাম এই যে আপনি কী ইয়াসমিন আক্তার রুবি।
আমার কথা শুনে ওর মুখ টা কেমন চুপসে গেল আর আব্বু তো মনে হয় পুরাই অবাক হয়ে গেছে কিছুই বলছে না । শুধুই তাকিয়ে আছে ।
কেউ কিছু বলছে না এর দুজনেই হতবাক ।
এইবার আমার একটু রাগ হলো আমি এবার জোরে বললাম ,,
কী হলো বলেন , কথা বলেন ।
আমার দিকে তাকিয়ে আব্বু বুঝতে পেরেছে যে আমার রাগ হচ্ছে । তাই আব্বু আর কিছুই বলল না । কারন আমি রাগলে কেউ কিছুই বলে না , আর তখন কেউ কিছু বল্লে আমার রাগ বেশি হয় আর পরিণতি খারাপ হয়।
এখনো কেউ কিছুই বলছে না আমি এবার বললাম ,
কী কিছু বলছেন না কেন, কিছু বলবেন না অন্য কিছু করতে হবে আমাকে ।
এবার মনেহয় মেয়েটা একটু ভয় পেয়েছে ,ভয় পেয়ে মেয়েটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় কথা বলছে ,,,
মেয়েটা : আআআ আমি ,,,,,,

চলবে

গল্প : হবু বউ পাঠ: ০৪

0

গল্প : হবু বউ পাঠ: ০৪

লেখক : অর্দ্র(MR)

কিছুক্ষণ পর একটা মেয়ে কন্ঠ থেকে আওয়াজ আসলো আমি কী আসতে পারি ।
কথাটা শুনে আমি সামনের দিকে মুখ তুলে তাকাতেই আমার চোখটা আটকে গেল দরজায় । আমার হা হয়ে তাকিয়ে থাকা দেখে মেয়েটা বলল কী আসবো না এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবো ।
আমি : হুম আসেন ।
মেয়েটি ভেতরে এসে দাড়াতেই আমি বললাম বসেন । মেয়েটি আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে বসলো ।
আমি বললাম আমি আপনার জন্য কী করতে পারি ।
না আমার জন্য আপাতত আপনাকে কিছু করতে হবে না । আপনি কালকে রাতে যেভাবে রাগ দেখিয়ে ফোন টা রেখে দিলেন তাতে ভাবলাম একবার আপনার সাথে দেখা করে আসি । ( মেয়েটা)
আচ্ছা একটা কথা বলেন তো আপনি কীসের জন্য আমার সাথে লেগেছেন আমি আপনার কী করেছি । আপনি অনেক দিন থেকেই আমাকে এইভাবে বিরক্ত করছেন । কিন্তু কীসের জন্য এইরকম করছেন । (আমি)
এমনিতেই আপনাকে জ্বালাতন করতে আমার খুব ভালো লাগে তাই । আর আপনাকে ছাড়া আর কাকে জ্বালাতন করবো বলেন । ( মেয়েটা)
কী বলছেন এসব আমি আপনাকে চিনি না । আর আমাকে জ্বালাতন করতে ভালো লাগে মানে টা কী । আর আমাকে ছাড়া কাউকে জ্বালাতন করবেন না মানে টা কী । (আমি)
সব গুলোর উত্তর একটাই আপনি মনে হয় ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ।(মেয়েটা)
তবে শুনুন আমার না বিয়ে ঠিক করা আছে । আর আমার ওয়াইফ এর নাম রুবি । ১৫ দিন পর আমার বিয়ে ।( ওহ আপনাদের তো বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমার বিয়ের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি ) (আমি)
তাই বুঝি ‌ ।(মেয়েটা)
আমি: হুম । কোন কনফিউশন আছে নাকি ।
মেয়েটা : না । তো আপনার ওয়াইফ এর নাম কী ।
আমি : আমার ওয়াইফ এর নাম যাই হোক আমি আপনাকে বলবো কেন । আর আপনি অনেক ধরে আমার সময় নষ্ট করছেন । আপনি এখন আসতে পারেন ।
মেয়েটা: হুম । আপনার সময় নষ্ট করার জন্য সরি । তবে আপনার সাথে আবারো দেখা হবে । বাই ,,,
মেয়েটা উঠে চলে যেতে যেতে পেছনে তাকিয়ে বলল বাইদ ‍ ্যাওয়ে আমার নাম অবন্তী । বলেই মেয়েটা চলে গেল ।
মেয়েটা চলে যাবার পর মনে হলো আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম । বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমার কাজে মন । এই ভাবে দিনটা শেষ ।
এইভাবে যেতে যেতে দুদিন পর অফিস থেকে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে একটু ছাদে যাবো ভাবলাম তখনি আম্মু একটা ডাক দিল ,,,,
মেহেদী দেখ তোর ফ্রেন্ড এসেছে বাহিরে আয় ।
আমি মনে মনে বললাম আমার ফ্রেন্ড আসছে কিন্তু আমার তো এইরকম কোনো ফ্রেন্ড নাই ।
যাইহোক আমার রুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ ,,,,,

চলবে

গল্প : হবু বউ পাঠ : ০৩

0

গল্প : হবু বউ পাঠ : ০৩

লেখক : অর্দ্র (MR)

……………………
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে আসতেই আমার ফোন টা বেজে উঠলো আমি অপরিচিত নাম্বার দেখে রিসিভ করলাম না কিন্তু যে ফোন দিচ্ছে সে তো অবিরাম ফোন দিয়েই যাচ্ছে । শেষমেষ ফোন টা রিসিভ করলাম । রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে মেয়েলী কন্ঠে ,,,,,
আসসালামুয়ালাইকুম । কেমন আছেন।
আমি: ওয়ালাইকুমুস সালাম। ভালো আছি । কিন্তু আপনি কে ?
কেমন আছেন জিজ্ঞেস করার আগেই বলছেন আমি কে । ( মেয়েটি বলল)
আমি : হুম । কারন আমি আপনাকে চিনি না আর আপনি কে সেটাও জানি না । আগে আপনার পরিচয় দিন ।
আমি আপনার কাছের একজন । আমি আপনাকে অনেক আগে থেকে চিনি আর আপনিও আমাকে চিনেন । ( মেয়েটা বলল)
আমার আর বুঝতে বাকি রইল না যে মেয়েটা কে ।
আপনি আমার নাম্বার পেয়েছেন কোথায় থেকে ।আর আপনাকে আমি চিনি না । আপনি ভুল নাম্বারে কল করেছেন । ( আমি বললাম )
না আ আমি সঠিক নাম্বারে কল করেছি কারন আপনি মেহেদী । ( মেয়েটা বলল)
শোনেন আপনি আমাকে অনেক জ্বালিয়েছেন আমি কিন্তু কিছুই বলিনি ।
আপনি আর কখনো আমার চোখের সামনে আসবেন না আর আমাকে কখনো ফোন করবেন না ।আর যদি এগুলোর মধ্যে একটা করেন তাহলে আপনার খবর আছে । (আমি বললাম)
মেয়েটা কিছু বলার আগেই টুট টুট টুট টুট টুট,,,,,,,, লাইনটা কেটে দিলাম ।আর আমার প্রচন্ড রকম রাগ হচ্ছিল মেয়েটার ওপর যা কে কিনা আমি চিনি না জানি না সে নাকি আমাকে চেনে আজব সব কারবার ।
তারপর আমি ঘুমিয়ে গেলাম ।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে আম্মু কে একবার বললাম ,
আম্মু আমি কী একবার রুবির সাথে দেখা করতে পারি । (আমি)
না তোর দেখা করতে হবে না ও তোর সাথে দেখা করেছে এবং কথাও বলেছে তোর আর আলাদা করে দেখা করতে হবে না । ( আম্মু)
কী বলছো এসব রুবি আমার সাথে দেখা করলো কোথায় । (আমি)
হুম করেছে । তোর এতো ভাবতে হবে না ।তোর না আজকে থেকে অফিস যাওয়ার কথা । তারাতাড়ি করে অফিসে যা না হলে তোর আব্বু রাগারাগী করবে কিন্তু । ( আম্মু বলল)
আচ্ছা যাচ্ছি আর কী করবো । এরপর আরো কিছু কথা বলে বের হয়ে চলে আসলাম অফিসে ।
অসুস্থ থাকায় এতো দিন যাই নি । আসলে এটা আমার আসলে এটা আমার বন্ধুর অফিস আমার বন্ধু এই অফিসের এমডি ।
আমি বসে বসে কিছু কাজ করছিলাম এমন সময় পিওন এসে বলল স ‍্যার আপনার সাথে একজন দেখা করতে আসছেন । তিনি বললেন অনেক জরুরী ।
আমি বললাম আচ্ছা পাঠিয়ে দিন ।
কিছুক্ষণ পর একটা মেয়ে বলে উঠলো ,,
মেয়েটা: আমি কী আসতে পারি ,,,,,
আমি কথা শুনে মাথাটা সামনের দিকে তুলে তাকাতেই আমার চোখটা আটকে গেল ,,,,,,,

চলবে

গল্প : হবু বউ পাঠ :০২

0

গল্প : হবু বউ পাঠ :০২

লেখা : অর্দ্র(MR)
আমরা আমাদের বাইকটা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম । আমি যত বাড়ির দিকে আসছি ততো বেশি ভয় হচ্ছে যে আজ কপালে কী আছে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন ।
আমরা বাড়িতে চলে আসছি
যাক বাবা আব্বু এখনও কিছু বলেনি ।
আমি সরাসরি আমার রুমে চলে গেলাম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে ড্রয়িং রুমের দিকে যেতেই দেখি আব্বু আর আম্মু বসে আছে
তারা কী যেন বলাবলি করছে ।
আমি গিয়ে পাসে বসতেই আম্মু হাসতে হাসতে আমাকে জিজ্ঞেস করলো কি রে বাবা ঐ মেয়েটা কে ছিল । ( আম্মু)
আমি একটু ভ ‍্যাবাচ ‍্যাকা খেয়ে গেলাম আর আস্তে করে বললাম কোন মেয়েটা আম্মু ‌।
আম্মু : গাধা মাকেট এ গিয়ে যে তোকে বয়ফ্রেন্ড বানাতে চাচ্ছিল ঐটা কে চিনিস না ।
আমি: আশ্চর্য আমি চিনবো কীভাবে ।
আমি কী আগে কখনো দেখেছি নাকি যে চিনবো ।
আম্মু : আরে রাগ হবার কী আছে রাগ করিস না । আর এখনও কোনো পছন্দ থাকলে বল ।
( আসলে আমার রাগ একটু বেশি তাই বলল যে রাগ করিস না । আর ভাবছেন যে আমার পছন্দের কথা বলছে কেন আসলে সবাই আমার জন্য মেয়ে দেখে রেখেছে তাই আর কী)
আমি : আরে না আমার কোনো পছন্দ নাই ।
এই বলে আমি ঐখান থেকে রুমে চলে আসলাম ।
তারপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমুতে যাবো তখন মার্কেট এর ঐ মেয়েটার কথা মনে হচ্ছিল । এখন ঐ সব ভাবাভাবি শেষ আগে আপনাদের আমার পরিচয়টা দিই।
আমি মোঃ মেহেদী হাসান
বাবা মায়ের তিন নাম্বার এবং শেষ পিচ্চি ছেলে আমার বড় দুই ভাই আছে ।
বাবা কিছুই করে না ভাইয়া করে । আর আমার হবু উয়াইফ এর নাম রুবি আব্বুর বন্ধুর মেয়ে । আমি চেয়েছিলাম একটা প্রেম করবো তারপর বিয়ে করব । কিন্তু আব্বু আম্মুর কথায় রাজী হয়ে যাই বিয়েটা করতে । আমি পড়াশোনা শেষ করে এখন একটা কম্পানিতে চাকরি করি । আর আমি কিন্তু এখনও আবার স্ত্রী কে দেখি নাই মানে হবু বউ।
যাইহোক পরিচয় দিতে দিতে ঘুমিয়ে গেছি । এভাবে কয়দিন চলে গেলো আজ আব্বু বলছে একটু শ্বশুর বাড়ি যেতে হবে সরি হবি শ্বশুর বাড়ি । ভেবেছিলাম আজকে অন্তত নিজের জিনিসটার সাথে একটু দেখা করতে পারবো । কিন্তু কথায় আছে না যে ভাগ্যে না থাকলে কিছুই হয় না। আজকে ও দেখা হলো না । যাইহোক ঐখানে থেকে আসার সময় রাস্তার মধ্যে হঠাৎ করে বৃষ্টি আসায় একদম ভীজে গেলাম । যাইহোক বাসায় এসে রাতে থেকে প্রচন্ড জ্বর আসলো ।
ঔষধ খেয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি ।
আজ আমি আর আব্বু ডাক্তার এর কাছে গেলাম ডাক্তার আমাকে দেখে কিছু পরীক্ষা করাতে বলল । আজকে প্রচন্ড ভীড় তাকায় আমরা ওয়েট করছিলাম এমন সময় কোথায় থেকে যেন সেই মেয়েটা এসে আমাকে বলছে যে,,,
মেয়েটা: এতো টেনশন করতে হবে না বাচ্ছার বেশি সমস্যা হয়নি শূধু একটু জ্বর আসছিল । ( আমি যথারীতি অবাক হয়ে আব্বুর দিকে তাকিয়ে দেখলাম আব্বু মুচকি মুচকি হাসছে । আমি ভাবছিলাম আব্বু প্রচন্ড রিয়াক্ট করবে )
আমি : মান আপনি কাকে কী বলছেন এসব ।
মেয়েটা : মানে টা হ ‍্যা কী বলছ এইসব ।
আমার প্রচন্ড রকম রাগ হচ্ছে এইবার । খেয়াল করলাম আব্বু আমার দিকে তাকিয়ে ঐ মেয়েটাকে বলল,,
আব্বু: মা তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে ।
মেয়েটা: না আংকেল ।
আব্বু : আচ্ছা আমরা এই বিষয়ে পরে কথা বলি তুমি বাইরে ওয়েট করো আমরা আসছি ।
মেয়েটা : ওকে আঙ্কেল ।
মেয়েটা বাইরের দিকে চলে আসলো ।আপনারা ভাবছেন আমি এতক্ষন চুপ করে ছিলাম কেন কারন আব্বু আমার রাগ হওয়া দেখে আমার হাত ধরে রেখেছিল যেন আমি কথা না বলি ।
তারপর আমরা এখানকার কাজ করলাম টেষ্টের রেজাল্ট একদিন পরে দিবে তাই চলে আসলাম ।
বাইরে এসে দেখি মেয়েটা আর নাই চলে গেছে । আমি মনে মনে বললাম ভালো হয়েছে
তারপর আমরা বাড়িতে চলে আসলাম আমাকে ।
পরদিন গিয়ে আমি রেজাল্ট নিয়ে ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার বলল সব ঠিক আছে তারপর আমি বাসায় চলে আসলাম । রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে আসতেই আমার ফোন টা বেজে উঠলো আমি অপরিচিত নাম্বার দেখে রিসিভ করলাম না কিন্তু যে ফোন করছে সে আর থামছেই না পাঁচ বার ফোন করার পর আমি ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সালাম দিল।
আমি সালাম নিয়ে বললাম আপনি কে ।
ওপাশ থেকে : আমি ,,,,,,,,

গল্প: হবু বউ পাঠ: ০১

0

গল্প: হবু বউ পাঠ: ০১

লেখা: অর্দ্র ( MR)
মার্কেট এ আসছি আজকে অনেক দিন পরে তবে মার্কেট এ আসার কারণ হচ্ছে সামনে যে শীত মা গো মা ।
আমি ও আমার আব্বু এসেছি সবার জন্য মার্কেট করতে ।
আমাদের বাইকটা রেখে মার্কেট এ ঢুকতে যাবো এমন সময় খেয়াল করলাম যে আজকে অনেক যানযট লাগছে মার্কেটে ।
যাইহোক আমরাও আমাদের কেনাকাটা শুরু করলাম ।
আমাদের কেনাকাটা শেষ করে টাকা দিয়ে যেই পেছনের দিকে ঘুরবো তখনই একটা বোরকা পরা মেয়ে আমার দিকে কিছু শপিং ব ‍ ্যাগ দিয়ে বলছে কী ব ‍্যাপার আমাকে ঐখানে রেখে কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে।
আমি তো পুরাই হাঁ হয়ে গেলাম। আর আপনারা ভাবছেন আমার আব্বু কী বলবে তাহলে শুনুন,,,
আব্বু : আজকে আগে বাড়ি চল তারপর তোর একদিন কি আমার একদিন
আমার হা হয়ে থাকা দেখে মেয়েটা বলল কি হলো আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসবে না । আমি তো একা একা বাসায় যেতে পারবো না এতগুলো ব ‍্যাগ নিয়ে ।
এবার আমি কথা বললাম ,,,,,
আমি: এই মেয়ে এই আপনার সমস্যা কি ,চেনা নাই জানা নাই আপনি এসে এসব কী বলছেন তখন থেকে।
মেয়েটা: কীইইইইইইই ,,,,,,, আমি এমন করছি তাই না তাহলে ঐখানে আমাকে একা একা রেখে চলে এসছো কেন আবার এখন বলছো আমাকে চেন না ।কী পাগল হয়ে গেলা নাকি অন্য কোন মেয়ে দেখে আমাকে চিনতে পারছো না ।
আমি: (আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে কিন্তু রাগ না প্রকাশ করে বললাম ) আপনার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে । আপনি মনে হয় কারও সাথে আমাকে গুলিয়ে ফেলছেন। দেখুন আমি আপনাকে চিনি না আর আমি এখানে আমার আব্বুর সাথে এসেছি । ( এতোক্ষণ আমার আব্বু চুপ করে ছিল কিন্তু এবার কথা বলল,,,)
আব্বু : দেখ মা তোমার সত‍্যিই কোথাও ভুল হচ্ছে কারন ও তো এখানে থেকে কোথাও যায়নি আর ও তো কোনো মেয়ের সাথে রিলেশন তো দুরের কথা কথাও বলে না ও হলো একটা ভিতুর ডিম ।( এইবার আমার প্রেস্টিজ এর বারোটা বাজলো )
মেয়েটা: ওহ সরি আঙ্কেল আমার মনে হয় সত্যিই তাহলে কোথাও ভুল হচ্ছে।
আমি: এইবার তাহলে বুঝতে পেরেছেন।
মেয়েটা: হুম সরি।
তারপর মেয়েটি চলে গেল
আমরাও রওনা দিলাম বাড়ির দিকে।

চলবে..

গল্পটা কেমন লাগলো জানাবেন?

গল্পটা ভালবাসার পর্ব:- ৩/শেষ পর্ব

0

গল্পটা ভালবাসার পর্ব:- ৩/শেষ পর্ব

–সত্যি তো আমি যা বলবো তাই করবেন??(নুসরাত)
–হুম সত্যি।(আমি)
–আমাকে আইসক্রিম খাওয়াতে হবে।(নুসরাত)
–আচ্ছা খাওয়াবো। (আমি)
–ওকে আজ সন্ধ্যার সময় আমি ফোন দিবো। (নুসরাত)
–ওকে।(আমি)
যাক বাবা বাচা গেলো।
আইসক্রিম আর কয়টা খাবে।
যাই গল্প টা শেষ করি।
আবার গল্প পড়ায় মনোযোগ দিলাম।
একটা গল্প শেষ করে আর একটা গল্প পরা শুরু করলাম এই ভাবে ৪-৫ টা গল্প পড়লাম।
সন্ধ্যার দিকে নুসরাত ফোন করল–
–হ্যালো কে বলছেন??(আমি)
–বাহহ এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন।
ও বুঝেছি আইসক্রিম খাওয়ানোর ভয়ে এখন চিনছেন না তাই না।(নুসরাত)
–ও আপনি।(আমি)
–হুম আমি।
এখন তারাতারি আমাদের বাসায় আসেন।(নুসরাত)
–আচ্ছা আসতেছি।(আমি)
রেডি হয়ে নুসরাত দের বাসায় গেলাম দরজার সমনে দাড়িয়ে কলিং বেল বাজালাম আন্টি দরজা খুলে দিয়ে বললেন-
–ও হৃদয় তুমি আসো বাবা ভিতরে আসো।(আন্টি)
তারপর ভিতরে গিয়ে বসলাম।
–আন্টি নুসরাত কোথায়।(আমি)
–তুমি না কি আইসক্রিম খাওয়াতে চাইছো তাই তোমার সাথে যাবার জন্য রেডি হচ্ছে।(আন্টি)
–(আমি খাওয়াতে চাইছি না জোর করে খাচ্ছে মনে মনে বললাম।)
হুমম আন্টি খাওয়াতে চাইছি।(আমি)
–আচ্ছা বাবা তুমি বসো আমি নুসরাত কে পাঠিয়ে দিচ্ছি।(আন্টি)
আন্টি চলে গেলো নুসরাত এর রুমে।
আমি বসে আছি একটু পর নুসরাত বের হলো নুসরাত কে দেখে তো আমি পুরাই হা হয়ে গেছি।নিল শাড়ি পরছে দেখতে অসাধারণ লাগছে।আমি তো একসাথে দু’বস্তা ক্রাশ খাইলাম।
এক পলকে নুসরাত এর দিকে তাকিয়ে আছি।ঘোর কাটলো নুসরাত এর ডাকে–
–ও হ্যালো এমন করে কি দেখেন।(নুসরাত)
–পরি..(আমি)
–কি???(নুসরাত)
–কিছু না।।
এহ একদম ভালো লাগছে না,
একবারে পেত্নীর মত লাগছে।(আমি)
–হুম আমি যানি আমাকে কিসের মত লাগছে আপনাকে বলতে হবে না।
এখন চলেন।(নুসরাত)
–হুমম চলেন।(আমি)
তারপর আমি আর নুসরাত বের হয়ে গেলাম।দু’জনায় পাশা পাশি হাটছি।
কিছুক্ষন ঘুরলাম তারপর আইসক্রিমের দোকানে গেলাম।
–মামা একটা আইসক্রিম দেন তো।(আমি)
–এখনে খাবেন না নিয়ে যাবেন।(দোকানদার)
–এখানেই খাবো মামা দেন।(নুসরাত)
–এই নেন (দোকানদার)
কিছুক্ষন পর নুসরাত বলল,
মামা আর একটা দেন।
দোকানদার আবার দিয়ে গেলো।
কিছুক্ষন পর আবার বলল মামা আর একটা দেন। দোকানদার আবার দিয়ে গেলো এই ভাবে ১০ টা আইসক্রিম খেয়ে শেষ করল।
তারপর নুসরাত বলল–
–হুম শেষ খাওয়া আমার।(নুসরাত)
–আচ্ছা আপনি দাড়ান আমি বিলটা দিয়ে আসি।।(আমি)
বিল দিতে যায়ে দোকানদার বলল–
–মামা মামীকে আপনার সাথে বেশ মানিয়েছে।(দোকানদার)
–ধন্যবাদ মামা।(আমি)
বিল দিয়ে আমি আর নুসরাত যাচ্ছিলাম–
–একটা রিক্সা নেন।(নুসরাত)
একটা রিক্সা নিয়ে দু’জন রিক্সায় উঠে বসলাম।রিক্সা চলছে তার গতিতে আমাদের কারো মুখে কথা নাই।
একটু পর নুসরাত বলল–
–দোকানদার কি বলল তখন??(নুসরাত)
–কই কিছু না তো।(আমি)
–আমি কিন্তু সব শুনছি।(নুসরাত)
–(এই রে কেস খেয়ে গেলাম)
কি শুনছেন??(আমি)
–কিছু না বলে মুচকি হাসি দিলো।
আর আমি তার হাসি দেখে আবার এক বস্তা ক্রাশ খেলাম।
কিছুক্ষন পর নুসরাত দের বাসার সামনে আসলাম।
–আচ্ছা আসি তহলে।(নুসরাত)
–আর একটু থাকলে হয় না।(অস্পষ্ট ভাবে)
–কি??(নুসরাত)
–কিছু না আসেন।(আমি)
–আচ্ছা বাই।আর শুনেন আমাকে আপনি করে বলার দরকার নাই তুমি করে বলবেন।(নুসরাত)
–হুম বলবো যদি আপনিও বলেন।(আমি)
–আচ্ছা সাবধানে বাসায় যাও।(নুসরাত)
–তুমি আগে যাও।
তারপর আমি যাচ্ছি। (আমি)
তারপর নুসরাত ওর বাসায় চলে গেলো আর আমি আমার বাসায় চলে আসলাম।
এই ভাবে শুরু হয়েছিলো আমাদের বন্ধুত্বটা। ঝগড়া, মান অভিমান সবই চলত আমাদের মাঝে তবে ঝগড়া টায় বেশি হয়।
এই সবের মধ্যে আমি কখন যে নুসরাত কে ভালোবেসে ফেলেছি নিজেও জানিনা।
ওকে কিছু বলতেও পারছি না।
ভয় করে যদি আর কথা না বলে।
আর না বলেও থাকতে পারছি না।
কয়েকদিন থেকে ভালো মত খেতেও পারছি না।সব সময় অন্যমনষ্ক হয়ে থাকি।
বিষয় টা বাবা ধরতে পারে —
–কি রে হৃদয় কি হয়ছে তোর??(বাবা)
–কিছু না বাবা।(আমি)
–কিছু না হলে তুই এমন থাকিস না।
কি হয়ছে খুলে বল আমাকে দেখি সমাধান করতে পারি কি না।(বাবা)
তারপর বাবা কে সব খুলে বললাম।
বাবা বললেন–
–আমার মনে হয় নুসরাতও তোকে ভালোবেসে কিন্তু বলতে পারছে না।
তুই নুসরাত কে তোর মনের কথা বলে দে।(বাবা)
–না বাবা যদি ও ভালো না বাসে।
পরে যদি আমার সাথে কথা না বলে।
ওর সাথে কথা না বললে আমি মরেই তুই নুসরাত কে তোর মনের কথা বলে দে।(বাবা)
–না বাবা যদি ও ভালো না বাসে।
পরে যদি আমার সাথে কথা না বলে।
ওর সাথে কথা না বললে আমি মরেই যাব বাবা।(আমি)
–তুই কিছু চিন্তা করিস না দেখি কি করা যায়।(বাবা)
–হুম।।
নুসরাতকে আমার চাই বাবা।
তুমি কিছু একটা কর।(আমি)
–এক কাজ কর তুই আজ রাতেই কিছু দিনের জন্য তোর নানু বাড়ি থেকে ঘুরে আয়।
ফোন বন্ধ করে রাখবি।
ফেসবুক বন্ধ রাখবি।(বাবা)
–বাবা এই সব করে কি হবে।(আমি)
–উহুম এই সব করেই সব হবে।
তুই জাস্ট দেখে যা।
ভুলেও ফোন ফেসবুক অন করবি না।(বাবা)
–আচ্ছা বাবা।(আমি)
বাবার কথা মতো রাতেই নানু বাড়ি চলে আসলাম।ফেসবুক ডিএক্টিভ করে ফোন বন্ধ করে রাখলাম। দু’দিন পার হয়ে গেলো নুসরাত এর সাথে কনো কথা হয়নি।
ওর সাথে কথা বলার জন্য মন টা ছটফট করছে।এই দিকে বাবার কথাও ফেলতে পারছি না।ফোনও অন করতে পারছি না।
নানুর ফোন দিয়ে বাবা কে ফোন দিলাম–
–হ্যালো বাবা।(আমি)
–হুম বল।(বাবা)
–বাবা আমি থাকতে পারছি না।
একবার ফোন দিবো নুসরাত কে।(আমি)
–এই না না ভুলেও ঐ কাজ করবি না।
তোর কাজ হয়ে যাচ্ছে।
আর কিছু দিন পর তুই চলে আসিস।
আর ভুলেও ফোন অন করবি না।(বাবা)
–আচ্ছা বাবা ফোন অন করব না।(আমি)
বাবার সাথে কথা বলে বসে আছি আর নুসরাত এর কথা ভাবছি।
সত্যিই ওর সাথে কথা না বলে থাকা যাচ্ছে না।
খুব কষ্ট হচ্ছে।
দেখতে দেখতে দশ দিন হয়ে গেলো এই দশ দিন যে আমার কি ভাবে কাটছে আমি কিছুই বলতে পারি না।তারপর নানু বাড়ি থেকে বাড়িতে চলে আসলাম।নুসরাত কে দেখার জন্য মন টা বেকুল হয়ে আছে।যেতে চাইলাম কিন্তু বাবা যেতে দিলো না।একটু পর দেখি নুসরাত নিজেই চলে আসছে–
–এই তাজমিনা তোর ভাই আসছে??(নুসরাত)
–হুমম আসছে ওর রুমে আছে।(তাজমিনা)
নুসরাত দৌড়ে আমার রুমে আসলো।
আমি তখন শুয়ে আছি।
এসেই দরজা লাগিয়ে দিয়ে দিলো–
–ঠাসসসস ঠাসসসসস
ঐ কুত্তা এত দিন কই ছিলি???
তোর ফোন বন্ধ কেন??
ফেসবুক ডিএক্টিভ করছিস কেন??(নুসরাত)
–আরে এত্য প্রশ্ন একবারে করলে উত্তর দিব কি ভাবে।আর কই যাই না যাই তোমার কি।(আমি)
–আমার কি মানে আমার অনেক কিছু।
আমি তোমাকে ভালো………(নুসরাত)
–কি ভালোবাস??(আমি)
–হুম অনেক বাসি।(নুসরাত)
–তাহলে বলোনি কেনো। (আমি)
–আগে বাসতাম নাকি।
তুমি চলে যাবার পর তোমাকে মিস করতে শুরু করলাম।তোমার সাথে কথা বলতে পারছিলাম না খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
মনে হচ্ছিলো কিছু একটা নেই আমার মাঝে।তারপর বুঝতে পারলাম তোমাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি।
এই দশটা দিন তোমার বাড়িতে এসে তোমার খবর শুনে গেছি।তোমাকে ফোন দিছি অনেক বার কিন্তু বার বার ফোন বন্ধ পাইছি।(নুসরাত)
–আমি ও কষ্ট পাইছি।
তোমাকে আমি অনেক আগে থেকেই ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি যদি তুমি কথা বলা বন্ধ করে দাও।
তুমি আমাকে ভালোবাস কি না তা জানার জন্যই এই সব করা।(আমি)
–তুমি খুব খারাপ।
একবার তো বলতে পারতা।(নুসরাত)
–এখন তো বলছি।
নুসরাত এর দু’টি হাত ধরে বললাম বিয়ে করবে আমাকে।(আমি)
–হুম করব।
বলে আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করছে।
–এই পাগলী কান্না কর কেনো। (আমি)
–আর কখনো ছেরে যাবে না তো।(নুসরাত)
–না রে পাগলী যাবনা কখনো।
বলে আমিও জরিয়ে ধরলাম।
কিছুক্ষন পর নুসরাত আমাকে ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
তখন দুজনই চুপ।
তাই আমি বললাম,
–আচ্ছা নুসরাত তুমি আমাকে সত্যি ভালোবাসো ত???
–ঐ তুমি এই কথা বলো কেনো??
–আচ্ছা বলোনা।
–হুম তোমাকে আমি আমার জিবনের চেয়েও বেশী ভালবাসি।
–তার প্রমাণ কি???
–কি প্রমাণ চাও বলো??
–হুমম,,,
শুনেছি কিস করলে নাকি দুজন দুজনকে মিস করে!!
তাই ইমরান হাশমির মতো তুমি আমার ঠোঠে একটা পাপ্পী দাও।।
–ওমা!!
আমার বুজি লজ্জা করেনা।
— তো কি করলে তোমার লজ্জা যাবে??
–তুমি তোমার চোখ বন্ধ করো।
–আমি চোখ বন্ধ করার সাথে সাথেই নুসরাত আমাকে জড়িয়ে ধরে আমাদের চারটি ঠোঁঠ এক করে দিলো!!
আহ কি মজা???
এভাবেই শুরু হলো আমাদের দুজনের ভালবাসা।।।
.
.
সমাপ্ত

কেমন লাগছে জানাবেন

লেখক: তৌহিদুল ইসলাম

গল্পটা ভালবাসার পর্ব:- ২

0

গল্পটা ভালবাসার পর্ব:- ২

এই যে মিস্টার এই দিকে শুনো।(নুসরাত)
–জি আমাকে বলছেন???(আমি)
–এই খানে তো আর কাউ কে দেখছি না।
আপনি কি কাউকে দেখছেন???(নুসরাত)
–না তো।(আমি)
–তাহলে আপনাকেই ডাকছি।
এই দিকে শুনুন।(নুসরাত)
–জি বলুন।(আমি)
–বাড়িতে এত্য ভদ্র হয়ে থাকেন কেনো হুম।আপনার জন্য আমাকে বকা খাইতে হলো।(নুসরাত)
–আমি আবার কি করলাম।(আমি)
–কি করলেন মানে!!
আপনার জন্য আমাকে আম্মু বকা দিছে।(নুসরাত)
–এই শুনেন বেশি কথা বললে আন্টি কে বলে দিবো যে আপনক আমাকে থাপ্পড় মারছিলেন হুম।(আমি)
–আ_আআমি তো ইচ্ছে করে মারিনি।
ভুলে মেরেছি।(নুসরাত)
— ভুলে মারেন আর যেনেই মারেন মারছেন তো।আমি তো আন্টি কে বলেই দিব।(আমি)
–এখানে আম্মু কে বলার কি আছে??
আমরাই তো ঝামেলা মেটাতে পারি।(নুসরাত)
–না তা বললে তো হবে না।
আমি তো আন্টি কে বলেই দিবো। (আমি)
–হুম জান জান বলেন।
তারপর দেখেন কি হাল করি আপনার।(নুসরাত)
–ভয় দেখচ্ছেন?(আমি)
–ধরে নিন তাই।(নুসরাত)
–কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি না।(আমি)
–হুম জান জান বলেন।
দেরি করছেন কেনো এখনি যায়ে বলেন।(নুসরাত)
–হুম ঠিক আছে আমি গেলাম আপনাদের বাসায়।
বলে ওদের বাসার দিকে গেলাম গিয়ে কলিং বেল বাজালাম…..
পিছনে দেখি নুসরাতও আসছে।
আমার সাথে নুসরাতও দাড়ালো।
একটু পর আন্টি দরজা খুলে দিলেন —
–আসসালামু আলাইকুম আন্টি। (আমি)
–ওয়ালাইকুম আসালাম বাবা তুমি!!
আসো ভিতরে আসো। (আন্টি)
–আর বলিয়েন না আন্টি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম আর নুসরাত আমাকে……
কথা টা বলতে না বলতেই নুসরাত আমার মুখ চেপে ধরল।
–নুসরাত কি করছিস ছার ওকে।(আন্টি)
নুসরাত ছেরে দিলো।
–হ্যা বাবা বলো নুসরাত কি করছে তোমাকে। (আন্টি)
–না আন্টি কিছু করে নাই।
আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম।
আমাকে দেখে জোর করে আপনাদের বাসায় নিয়ে আসলো। (আমি)
–ওওহহহ তাই বলো।
আমি ভাবলাম তোমার সাথে ফাজলামি করছে নাকি??(আন্টি)
–না না আন্টি। ও তো খুব ভালো মেয়ে।(আমি)
এই দিকে নুসরাত আমার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।
–আচ্ছা বাবা তুমি বসো।
আমি তোমার জন্য নাস্তা নিয়ে আসি।(আন্টি)
আন্টি নাস্তা আনতে চলে গেলো।
–এই যে মিস্টার মিথ্যা কথা বললেন কেনো হুম।(নুসরাত)
–কই মিথ্যা কথা বললাম।(আমি)
–মিথ্যা কথা বলেন নাই মানে।
আমি কি আপনাকে জোর করে এখনে আনছি।(নুসরাত)
–না। (আমি)
–তাহলে মিথ্যা কথা বললেন কেনো হুম???(নুসরাত)
–বারে কই আমাকে ধন্যবাদ দিবেন তা না আমাকে মিথ্যুক বানিয়ে দিচ্ছেন।(আমি)
–ওরে আসছে ধন্যবাদ নিতে।
আমি আপনাকে বলছি মিথ্যা কথা বলতে।(নুসরাত)
–তাহলে আমার মুখ চেপে ধরছিলেন কেনো হুম।আমি তো সত্যি টা বলতে যাচ্ছিলাম। (আমি)
–হয়ছে থাক আর বলতে হয়ে না।
এখন নাস্তা করে ফুটেন তো।(নুসরাত)
–তাড়িয়ে দিচ্ছেন।(আমি)
–যদি বলি তাই।(নুসরাত)
–আর আমি যদি না যাই।(আমি)
–সে দিনের থাপ্পড়ের কথা ভুলে গেছেন??(নুসরাত)
–কি ভুলে গেছে রে নুসরাত।(আন্টি)
–কি,,,,কি,,,,কিছু না আম্মু।(নুসরাত)
–না কিছু তো একটা বলছিস।(আন্টি)
–না আন্টি তেমন কিছু না।
আসলে আমি আপনাদের বাড়ি আসার রাস্তা টা ভুলে গেছি তাই বলছিলাম আর কি।(আমি)
–ওওওও এই কথা তুমি চিন্তা করোনা নুসরাত তোমাকে দিয়ে আসবে।(আন্টি)
–আচ্ছা আন্টি। (আমি)
–হুম বাবা এখন নাস্তা কর।(আন্টি)
নাস্তা শেষ করে আন্টির সাথে কিছুক্ষন গল্প করার পর আন্টিকে বললাম–
–আচ্ছা আন্টি আজ উঠি।(আমি)
–আচ্ছা বাবা আসিও আবার।
নুসরাত যা তো হৃদয়কে ওদের বাড়িতে দিয়ে আয়।(আন্টি)
–আচ্ছা আম্মু।(নুসরাত)
তারপর দু’জনাই বের হলাম।
কেউ কোন কথা বলছি না।
একটু পর নুসরাত বলল–
–আপনি এত খারাপ কেনো??? (নুসরাত)
–কেনো কি করলাম আমি??(আমি)
–কি করেন নাই তাই বলেন??
আপনি কি বাড়ির রাস্তা চিনেন না???(নুসরাত)
–হুম চিনি তো।(আমি)
–তাহলে আম্মু কে বললেন কেনো রাস্তা ভুলে গেছেন।(নুসরাত)
–হুম না বললে তো আপনার গালে থাপ্পড় পরতো।আর আপনাকে ওখনে থাপ্পড়ের কথা বলতে কে বলছে হুম।
এখন যদি আমি আপনার গালে থাপ্পড় মারি হুম কেমন হবে বলেন তো।(আমি)
–হুম মারেন।
গাল এগিয়ে দিয়ে বলল নুসরাত।
আমি কি করব বুঝতে পারছি না এত সুন্দর গালে থাপ্পড় মারলে গাল টা নষ্ট হয়ে যাবে!!
তাই নুসরাতের গালে চুমু একটা দিয়ে দিলাম সেই এক দৌড়। ???
এই দিকে নুসরাত তো রেগে আগুন–
–ঐ হৃদয়ের বাচ্চা।
দাড়া তোকে আজ আমি শেষ করে দিব।(নুসরাত)
–ধরতে পারলে তো। (আমি)
–ঐ দাড়া বলতেছি।(নুসরাত)
–আমাকে কি পাগলে কামরাইছে যে মার খাবার জন্য দারাবো।(আমি)
দৌড়ে বাড়িতে এসে রুম লক করে শুয়ে আছি।একটু পর নুসরাত ও আসলো।
–আন্টি তাজমিনা কই??(নুসরাত)
–ওর ঘরে আছে মা যাও।(মা)
–আচ্ছা আন্টি। (নুসরাত)
নুসরাত তাজমিনার রুমে গেলো।
আর আমি আমার রুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে দেখছি।একটু পর আবার বের হয়ে গেলো।
যাক বাবা বাচা গেলো।
যাই তাজমিনার কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে আসি।
–তাজমিনা ফোনটা দে।(আমি)
–হুম নে।(তাজমিনা)
–এই শোন। (আমি)
–কি??(তাজমিনা)
–নুসরাত তোকে কি বলে গেলো রে।(আমি)
–কিছু না তো।(তাজমিনা)
–আচ্ছা ঠিক আছে।(আমি)
তারপর রুমে চলে আসলাম।
অনেকক্ষন থেকে ফেসবুকে ঢুকা হয় নি একটু ঢুকি।ফেসবুকে গল্প পড়ছিলাম।
গল্প টা সুন্দর ছিলো।
পুরু মন টা গল্পের ভিতরে দিয়ে দিছি।
এর মধ্যে কে যেনো ফোন দিলো।
মেজাজ টা সেই গরম হয়ে গেলো বিরক্তি হয়ে ফোনটা ধরলাম–
–হ্যালো কে বলছেন???(আমি)
–ঐ লুচু তোরে খালি আমি সামনে পায়।(মেয়ে)
–ও হ্যালো বলা নাই কয়া নাই আপনি আমাকে লুচু বলছে কেনো হুম??
কি লুচ্চামি করছি আমি??(আমি)
–কি লুচ্চামি করছেন মনে নাই।
একটু আগে কাকে চুমু দিছেন হুম।
যদি আপনাকে সামনে পাইই,
তাহলে আপনার খবর করব।
(এইবার বুঝতে পারলাম মেয়েটা কে।
আপনারাও তো বুঝতে পারছেন যে মেয়েটা নুসরাত)
–আ,,আ,,আপনি… (আমি)
–জি আমি।(নুসরাত)
–আপনি আমার নাম্বার কই পাইলেন।(আমি)
–কই পায়ছি সেটা বড় কথা নয়।
বড় কথা হলো আপনাকে আমি ছারব না।(নুসরাত)
–ইয়ে মানে এই বারের মত ক্ষমা করে দিন।
আর জিবনেও এমন হবে না।(আমি)
–ক্ষমা কিসের ক্ষমা।
আপনাকে আমি ক্ষমা করব না।(নুসরাত)
–প্লিজ এই বারের মত ক্ষমা করেন আপনি যা বলবেন তাই করবো।(আমি)
–সত্যি তো আমি যা বলবো তাই করবেন??(নুসরাত)

-হুম সত্যি।(আমি)
,,
~চলবে

লেখক: তৌহিদুল ইসলাম